আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

مبايعة النبي الناس يوم الفتح

পৃষ্ঠা - ৩৪৭৪
[مُبَايَعَةُ النَّبِيِّ النَّاسَ يَوْمَ الْفَتْحِ] فَصْلٌ مُبَايَعَةُ النَّبِيِّ النَّاسَ يَوْمَ الْفَتْحِ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ الْأَسْوَدِ بْنِ خَلَفٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ الْأَسْوَدَ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَايِعُ النَّاسَ يَوْمَ الْفَتْحِ. قَالَ: جَلَسَ عِنْدَ قَرْنِ مَسْقَلَةَ، فَبَايَعَ النَّاسَ عَلَى الْإِسْلَامِ وَالشَّهَادَةِ. قَالَ: قُلْتُ: وَمَا الشَّهَادَةُ؟ قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ خَلَفٍ أَنَّهُ بَايَعَهُمْ عَلَى الْإِيمَانِ بِاللَّهِ، وَشَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ وَعِنْدَ الْبَيْهَقِيِّ: فَجَاءَهُ النَّاسُ، الْكِبَارُ وَالصِّغَارُ، وَالرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ، فَبَايَعَهُمْ عَلَى الْإِسْلَامِ وَالشَّهَادَةِ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ ثُمَّ اجْتَمَعَ النَّاسُ بِمَكَّةَ لِبَيْعَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَجَلَسَ لَهُمْ - فِيمَا بَلَغَنِي - عَلَى الصَّفَا، وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَسْفَلَ مِنْ مَجْلِسِهِ، فَأَخَذَ عَلَى النَّاسِ السَّمْعَ وَالطَّاعَةَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ فِيمَا اسْتَطَاعُوا. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ بَيْعَةِ الرِّجَالِ بَايَعَ النِّسَاءَ، وَفِيهِنَّ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৪৭৫

অবস্থা ছিল যে, ফিতনায় পড়ার আশংকায় তারা তাদের দীন-ঈমান রক্ষার জন্যে আল্লাহ ও তার
রাসুলের নিকট (মদীনায়) পালিয়ে যেত ৷ কিন্তু আজ অবস্থা এই যে আল্ল ল্লাহ ইসলামকে বিজয় দান ন
করেছেন ৷ তাই এখন একজন মু’মিন যেখানে ইচ্ছা করে সেখানেই তার প্রভুর ইবাদত করতে
পারে ৷ তবে বর্তমানে জিহাদ ও হিজরব্ব তর নিয়ত করা যেতে পারে ৷

এ সব হাদীছ ও সাহাবীগণের উক্তি এ কথাই প্রমাণ করে যে, পুর্ণাঙ্গ কিৎবা মোটামুটি যাকে
হিজরত বলা চলে, তা মক্কা বিজয়ের পর শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ কেননা, মানুষ দলে দলে ইসলামে
প্রবেশ করেছে ৷ আল্লাহর দীন বিজয় লাভ করেছে এবং ইসলামের রুকন ও ভিত্তিসমুহ প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে ৷ সে কারণে হিজরতের প্রয়োজনীয়তা আর অবশিষ্ট নেই ল্দো প্রতিবেশী অমুসলিম

শত্রুদের কারণে এবং তাদের নিকট দীন প্রকা শে শক্তিহীনতার কা বণে হাদি হিজরত করার প্রয়োজন
দেখা দেয় তবে যে অবস্থায় দা রুল ইসলামে হিজরত করা ওয়াজিব হয়ে যাবে ৷ এ ব্যাপারে
আলিমগণের মধ্যে কোন ম৩ তভেদ নেই ৷ তবে এ হিজরত মর্ষাদ্বোর দিক দিয়ে কখনই মক্কা
বিজয়ের পুর্বেকার হিজরতের মতো হয়ে না ৷ যেমন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও অর্থ-ব্যয়ের
ব্যাপারে নির্দেশ ও কিয়ামত পর্যম্ভা চালু রাখার প্রতি উৎসাহ থাকা সত্বেও তা মক্কা বিজয়ের পুর্বের

জিহাদ ও অর্থ ব্যয়ের সম৩ তুলা কিছুণ্ডে ই হবে না ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহর বাণী নিম্নরুপ০ :

খু
ওন্পু ৷ :র্দু৷ ৷ ;; এ ১া£ এ ৷ এা;এে এ ঠু এ০০ ৷ এব্লু;;; ৷ ;,;fl ৷
অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ব্যয় করেছে ও সংগ্রাম করেছে তারা এবং

পরবর্তীরা সমান নয় ; তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ ওদের অপেক্ষা যারা পরবভীকািলে ব্যয় করেছে ও
সংছাম করেছে ৷ তবে আল্লাহ উভয়েরই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ (৫ ৭-হাদীদ০ : ১০) ৷

ইমাম আহমদ বলেন৪ মুহাম্মাদ ইবন জাফর আ বু সাঈদ খুদরী (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন০ : যখন এ সুরাটি নাযিল হল ব্লুএ ৷ এ ধ্া৷ ৷ এ১ ৷ ণ্০ ৷ ; ৷ (যখন তাল্লাহ্র সাহায্য
ও বিজয় আসলো) তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) সুরাটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করে বললেন৪ লোকজন বেশ
আছে, আর আামিও আমার সাহাবীরা বেশ আাছি ৷ এরপর তিনি আরো বললেন০ : মক্কা বিজয়ের পর
আর হিজরত নেই ৷৩ তবে জিহাদ ও নিয়াত আছে ৷ (এ কথা শুনে মারওয়ান তাকে বললাে, তুমি
মিথ্যা বলছো) ৷ এ সময় তার কাছে রাফি ইবন খাদীজ ও য়ায়দ ইবন ছাবিত এক সাথে খাটের
উপরে বসা ছিলেন ৷ অাবু সাঈদ বললেন, এ দু ব্যক্তি ইচ্ছা করলে এ বিষয়ে আপনাকে বলতে
পারবেন ৷ কিন্তু এ লোকের আশংকা আছে যে, সে কথা বললে আপনি তাকে সমাজের নেতৃত্ব
থেকে সরিয়ে দেবেন ৷ আর ঐ লোকের আশংা আছে যে, আপনি তাকে যাকাত উত্তোলনকারীর
পদ থেকে বরখাস্ত করবেন ৷ এ কথা শুনার পর মারওয়ান আবু সাঈদের উপর কােড়া উত্তোলন
করলো ৷ তখন তারা দু’জনে এ অবস্থা দেখে বলে ফেললেন আবু সাঈদ সত্যই বলেছেন ৷ এটা
ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷

বুখারী বলেন, মুসা ইবন ইসমাঈল ইবন আব্বাস (রা ) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন :
উমর (রা) বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণকারী প্রবীণগণের সাথে আমাকেও অন্তর্ভুক্ত করতেন ৷ এ কারণে

৭০ —

مُتَنَقِّبَةً مُتَنَكِّرَةً بِحَدِيثِهَا، لِمَا كَانَ مِنْ صَنِيعِهَا بِحَمْزَةَ، فَهِيَ تَخَافُ أَنْ يَأْخُذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَدَثِهَا ذَلِكَ، فَلَمَّا دَنَيْنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُبَايِعَهُنَّ قَالَ: " بَايِعْنَنِي عَلَى أَنْ لَا تُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا " فَقَالَتْ هِنْدُ: وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَأْخُذُ عَلَيْنَا مَا لَا تَأْخُذُهُ عَلَى الرِّجَالِ. قَالَ: " وَلَا تَسْرِقْنَ ". فَقَالَتْ: وَاللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَصَبْتُ مِنْ مَالِ أَبِي سُفْيَانَ الْهِنَةَ بَعْدَ الْهِنَةِ، وَمَا كُنْتُ أَدْرِي أَكَانَ ذَلِكَ عَلَيْنَا حَلَالًا لِي أَمْ لَا؟ فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ، وَكَانَ شَاهِدًا لِمَا تَقُولُ: أَمَّا مَا أَصَبْتِ فِيمَا مَضَى فَأَنْتِ مِنْهُ فِي حَلٍّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَإِنَّكِ لَهِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ؟ ! " قَالَتْ: نَعَمْ، فَاعْفُ عَمَّا سَلَفَ، عَفَا اللَّهُ عَنْكَ. ثُمَّ قَالَ: " وَلَا تَزْنِينَ " فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَهَلْ تَزْنِي الْحُرَّةُ؟! ثُمَّ قَالَ: " وَلَا تَقْتُلْنَ أَوْلَادَكُنَّ ". قَالَتْ: قَدْ رَبَّيْنَاهُمْ صِغَارًا، وَقَتَلْتَهُمْ بِبَدْرٍ كِبَارًا، فَأَنْتَ وَهُمْ أَعْلَمُ. فَضَحِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ حَتَّى اسْتَغْرَبَ، ثُمَّ قَالَ: " وَلَا تَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ تَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُنَّ وَأَرْجُلِكُنَّ ". فَقَالَتْ: وَاللَّهِ إِنَّ إِتْيَانَ الْبُهْتَانِ لَقَبِيحٌ، وَلَبَعْضُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৭৬
التَّجَاوُزِ أَمْثَلُ. ثُمَّ قَالَ: " وَلَا تَعْصِينَنِي ". فَقَالَتْ: فِي مَعْرُوفٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ: " بَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ، إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ فَبَايَعَهُنَّ عُمَرُ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُصَافِحُ النِّسَاءَ، وَلَا يَمَسُّ إِلَّا امْرَأَةً أَحَلَّهَا اللَّهُ لَهُ، أَوْ ذَاتَ مَحْرَمٍ مِنْهُ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «عَنْ عَائِشَةَ، رِضَى اللَّهِ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: لَا وَاللَّهِ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ. وَفِي رِوَايَةٍ: مَا كَانَ يُبَايِعُهُنَّ إِلَّا كَلَامًا وَيَقُولُ: إِنَّمَا قَوْلِي لِامْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ كَقَوْلِي لِمِائَةِ امْرَأَةٍ» . وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ هِنْدَ بِنْتَ عُتْبَةَ امْرَأَةَ أَبِي سُفْيَانَ أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ، لَا يُعْطِينِي مِنَ النَّفَقَةِ مَا يَكْفِينِي وَيَكْفِي بَنِيَّ، فَهَلْ عَلَيَّ مِنْ حَرَجٍ إِذَا أَخَذْتُ مِنْ مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمِهِ؟ قَالَ: " خُذِي مِنْ مَالِهِ بِالْمَعْرُوفِ مَا يَكْفِيكِ وَيَكْفِي بَنِيكِ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ هِنْدَ بِنْتَ عُتْبَةَ قَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৩৪৭৭

কারও কারও অম্ভরে ক্ষোভের উদ্রেক হল ৷ একজন৫ তা বলেই ফেললো, আপনি কেন তাকে
আমাদের অন্তর্ভুক্ত করেন ? তারমত তো আমাদের ছেলেরাও রয়েছে ৷ উমর (রা) বললেন, যে
কেমন লোকদের মধ্য থেকে তা তো তোমরাও জান ৷ সুতরাং এক দিন তিনি তাদেরকে ডাকলেন
এবং ইবন আব্বাসকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করলেন ৷ ইবন আব্বাস বলেন, আমি বুঝতে পারলাম ৷
আজকে তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন এ জন্যে যে তিনি তাদেরকে (আমার
বিদ্যা বুদ্ধি ) দেখাবেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেন, আল্লাহর বাণী০০ ৰুব্লু০৷ ৷ , এ৷ ৷ ,১ : ৷ ; ৷
এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে তোমরা কী বল ? তখন তাদের মধ্যে কেউ ,বললাে : আল্লাহর সাহায্য ও
বিজয় আসলে আল্লাহর প্রশংসা করতে ও তার কাছে সাহায্য চাইতে আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে ৷ অন্যরা চুপ থাকলেন, কিছুই বললেন না ৷ এরপর তিনি আমাকে বললেন, হে ইবন
আব্বাস ! তুমিও কি তাই বল ? আমি বললাম, জী না ৷ তিনি বললেন, তা হলে তুমি কী বলতে
চাও ? আমি বললাম, এটা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মৃত্যু স০ বাদ ৷ আল্লাহ তাকে এ সুরার মাধ্যমে তা
জানিয়ে দিয়েছেন ৷ আল্লাহ বলেছেন০ ষ্ট্রুট্রু ৷ , র্দুা৷ ৷ ; : ৷ এ ৷ আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
আসলে” এটিই হবে তােমার মৃত্যুর আলামত ৷ “তখন তুমিণ্ তামার প্ৰতিপ৷ ৷লকের প্রশং সাসহ
তার পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর ৷ তিনি তো তওবা
কবুলক৷ ৷রী” তখন উমাব (রা) বললেন, “এ আয়াত তর ব্যাখ্যার সে যা বলেছে, আমিও তার বা ৷ইরে
কিছু জানি না ৷ এটা বুখারীর একক বর্ণনা ৷ এ ছাড়া আরও একাধিক সুত্রে ইবন আব্বাস (না)
থেকে অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) ইনতিকালের সময়ের ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি
উল্লিখিত ঘটনা বর্ণনা করেন ৷ ইবন আব্বাস ও উমর ইবন খাত্তাবের ন্যায় মুজাহিদ ৷ আবুল আ ৷লিয়া
যাহহ ক প্রমুখও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ত তবে ইমাম আহমদ কর্তক বর্ণিত হাদীছটি এ ক্ষেত্রে
সঠিক নয় ৷ তিনি যুহ ম্মা৷দ ইবন ফুয়ায়ল আত৷ সাঈদ ইবন ঘুবায়র সনদে ইবন আব্বাস থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন০ যখন প্লু ৷ ৷ এ প্া৷ ৷ ৰু১ ষ্টু ৷ এ ৷ সুরা নাযিল হল, তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন০ এর মধ্যে আমার মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, আমি এ বছরের
মধ্যে যারা যাব ৷ এ হাদীছটি ইমাম আহমদ এককভাবে বর্ণনা করেছেন ৷৩ তার সনদে উল্লিখিত
াত৷ ইবন আবু মুসলিম খুরাসানী একজন দুর্বল রাবী ৷ হাদীছ শাস্তের একাধিক ইমাম তার
ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন ৷ হাদীছের মুল বক্তব্যও একান্তই ড্ডাহণযােগ্য ৷ বলা হয়েছে
তিনি ঐ বছরের মধ্যে ইনতিকাল করবেন ৷ এ কথাটি সম্পুর্ণ ভুল ও বাতিল ৷ কেননা, মক্কা বিজয়
হয়েছিল অষ্টম হিজরীর রমযান মাসে ৷ এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই ৷ পক্ষাম্ভরে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এব ইনতিকাল হয়েছিল একাদশ হিজরীর রবিউল আওয়াল মাসে ৷ এ ব্যাপারেও কারও
কো ন ৷বিরাে ৷ধ নেই ৷ হ ফিয আবুল কাসিম তাবারানী কর্তৃক বর্ণিত হাদীছটিও সমালোচিত হয়েছে ৷
তিনি ইব্রাহীম ইবন আহমদ ইবন উমর ওকীঈ সুত্রে ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, গোটা কুরআনের সর্বশেষ অবতীর্ণ সুরা হল০ প্লুট্রু ব্লুদ্বু ৷ , এ্যা ৷ ,র্দু০০ব্লু ষ্টু ৷ ৷ ৷ এ
হাদীছের বক্তব্যও অগ্রহণৱযাগ্য ৷ এর সনদও সমালোচিত ৷ তবে এরুপ ব্যাখ্যাও হতে পারে যে,
পুর্ণাত্গ সুরা হিসাবে এটাই সর্বশেষ অবতীর্ণ সুরা ৷ তাফসীর গ্রন্থে এ সুরার ব্যাখ্যার আমরা
বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ বুখারী বলেন, সুলায়মান ইবন হারব, আমর ইবন সালামা সুত্রে
বর্ণিত ৷ আইয়ুব বলেন, আবু কিলাব৷ আমাকে বললেন : তুমি আমর ইবন সালামার সাথে সাক্ষাৎ


يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كَانَ مِمَّا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَخْبَاءٌ أَوْ أَهْلُ خِبَاءٍ - الشَّكُّ مِنَ ابْنِ بُكَيْرٍ - أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَذِلُّوا مِنْ أَهْلِ أَخْبَائِكَ - أَوْ خِبَائِكَ - ثُمَّ مَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ أَهْلُ أَخْبَاءٍ - أَوْ خِبَاءٍ - أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَعِزُّوا مِنْ أَهْلِ أَخْبَائِكَ - أَوْ خِبَائِكَ -. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَأَيْضًا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ ". قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ مَسِيكٌ، فَهَلْ عَلَيَّ حَرَجٌ أَنْ أَطْعَمَ مِنَ الَّذِي لَهُ؟ قَالَ: " لَا، إِلَّا بِالْمَعْرُوفِ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ بِنَحْوِهِ، وَتَقَدَّمَ مَا يَتَعَلَّقُ بِإِسْلَامِ أَبِي سُفْيَانَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ: لَا هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ، وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عُثْمَانِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَمُسْلِمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ جَرِيرٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৪৭৮
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ: إِنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ هَاجَرَ. فَقُلْتُ لَهُ: لَا أَدْخُلُ مَنْزِلِي حَتَّى آتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْأَلُهُ. فَأَتَيْتُهُ فَذَكَرْتُ لَهُ فَقَالَ: لَا هِجْرَةَ بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ، وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ، وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، ثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدَيِّ، «عَنْ مُجَاشِعِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: انْطَلَقْتُ بِأَبِي مَعْبَدٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُبَايِعَهُ عَلَى الْهِجْرَةِ، فَقَالَ: مَضَتِ الْهِجْرَةُ لِأَهْلِهَا، أُبَايِعُهُ عَلَى الْإِسْلَامِ وَالْجِهَادِ فَلَقِيتُ أَبَا مَعْبَدٍ فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: صَدَقَ مُجَاشِعٌ. وَقَالَ خَالِدٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ مُجَاشِعٌ، أَنَّهُ جَاءَ بِأَخِيهِ مُجَالِدٍ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ: «حَدَّثَنِي مُجَاشِعٌ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَخِي بَعْدَ يَوْمِ الْفَتْحِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جِئْتُكَ بِأَخِي لِتُبَايِعَهُ عَلَى الْهِجْرَةِ، قَالَ: " ذَهَبَ أَهْلُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৭৯

করে তার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না কেন ? আবু কিলাবা বলেন, এরপর আমি আমর ইবন
সালামার সাথে সাক্ষাৎ করে তার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, উত্তরে আমর বললেন, আমরা
মানুষের যাতায়াতের পথে এক ঝর্ণার নিকট বসবাস করতাম ৷ আমাদের পাশ দিয়ে আরেড়াহীরা
অতিক্রম কররুতা ৷ আমরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতাম, লোকজাহ্রনর কী হয়েছে ? ঐ সব
লোকদের কী অবস্থা ? আর ঐ লোকটিরই বা অবস্থা কী ? তারা বলভাে, সে দাবী করছে যে,
তাকে নাকি আল্লাহর রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং এ জাতীয় ওহী প্রেরণ করেছেন ৷ আমি
তাদের মুখ থেকে শুনে ওহীব সে সব বাণী মুখস্ত করে ফেলতাম ৷ সেগুলো আমার দিলে যেন
পেথে থাকতো ৷ আরবরা তাদের ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারটি বিজয়ের উপর ছেড়ে দিয়েছিল ৷ তারা
বলতো, তাকে তার গোত্রের লোকদের সাথে বৃঝাপড়া করার জন্যে ছেড়ে দাও ৷ তিনি যদি তাদের
উপর জয়ী হন তবে প্রমাণিত হবে যে তিনি সত্য নবী ৷ এরপর যখন মক্কা বিজয়ের ঘটনা
ঘটলাে, তখন প্রতিটি ণ্;গাত্র ইসলাম গ্রহণের জন্যে এগিয়ে অন্দে:লা ৷ আমার গোত্রের লোকজন
ইসলাম গ্রহণ করার পুর্বেই আমার পিতা অগ্রগামী হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ ইসলাম গ্রহণ
করে বাড়ী ফিরে এসে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম আমি একজন সত্য নবীর কাছ থেকে
তোমাদের নিকট এসেছি ৷ তিনি বলে দিয়েছেন যে, অমুক সময়ে অমুক নামায এবং অমুক
সময়ে অমুক নামায আদায় করবে ৷ যখন নামাষের সময় হবে তখন তোমাদের একজন আযান
দেবে এবং যার অধিক পরিমাণ কুরআন মুখন্থ আছে সে ইমামতি করবে ৷ তারা উপযুক্ত ইমাম
খুজতে লাগলো ৷ কিন্তু দেখা গেলো, আমার চেয়ে অধিক কুরআন মুখস্তকারী আর কেউ নেই ৷
কারণ, আমি পুর্বেই বিভিন্ন কাফেলার থেকে কুরআন মুখস্ত করেছিলাম ৷ সুতরাং তারা আমাবেইি
ইমামতির জন্যে আগে বাড়িয়ে দিল ৷ অথচ আমি তখন মাত্র ছয় কি সাত বছরের বালক ৷ আমার
পরিধানে ছিল একটি চাদর মাত্র ৷ যখন সিজদায় যেতাম তখন চাদরটি উপরে উঠে যেত ৷ এ
দেশে গোত্রের এক মহিলা বললো, তোমরা তোমাদের ইমামের পশ্চাৎতাগ আমাদের দৃষ্টি থেকে
আবৃত করে রাখনা কেন ? তখন তারা কাপড় কিনে আমাকে একটি জামা তৈরি করে দিল ৷ ঐ
জামা পেয়ে আমি এতটা খুশী হলাম, যত ৷ খুশী অন্য কিছুতে হইনি ৷ এ হাদীছ শুধু বুখড়ারীতে
আছে, মুসলিমে নেই ৷


الْهِجْرَةِ بِمَا فِيهَا " فَقُلْتُ: عَلَى أَيِّ شَيْءٍ تُبَايِعُهُ؟ قَالَ: " أُبَايِعُهُ عَلَى الْإِسْلَامِ وَالْإِيمَانِ وَالْجِهَادِ فَلَقِيتُ أَبَا مَعْبَدٍ بَعْدُ، وَكَانَ أَكْبَرَهُمَا سِنًّا، فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: صَدَقَ مُجَاشِعٌ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا غُنْدَرٌ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ: أُرِيدُ أَنْ أُهَاجِرَ إِلَى الشَّامِ. فَقَالَ: لَا هِجْرَةَ، وَلَكِنْ جِهَادٌ، انْطَلِقْ فَاعْرِضْ نَفْسَكَ، فَإِنْ وَجَدْتَ شَيْئًا وَإِلَّا رَجَعْتَ. وَقَالَ أَبُو النَّضْرِ: أَنَا شُعْبَةُ، أَنَا أَبُو بِشْرٍ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ، فَقَالَ: لَا هِجْرَةَ الْيَوْمَ - أَوْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. . . مِثْلَهُ. حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ مُجَاهِدِ بْنِ جَبْرٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «لَا هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، أَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: زُرْتُ عَائِشَةَ مَعَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، فَسَأَلَهَا عَنِ الْهِجْرَةِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৮০
فَقَالَتْ: لَا هِجْرَةَ الْيَوْمَ، كَانَ الْمُؤْمِنُونَ يَفِرُّ أَحَدُهُمْ بِدِينِهِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَإِلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَخَافَةَ أَنْ يُفْتَنَ عَلَيْهِ، فَأَمَّا الْيَوْمَ فَقَدْ أَظْهَرَ اللَّهُ الْإِسْلَامَ، فَالْمُؤْمِنُ يَعْبُدُ رَبَّهُ حَيْثُ يَشَاءُ، وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ. وَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ وَالْآثَارُ دَالَّةٌ عَلَى أَنَّ الْهِجْرَةَ - إِمَّا الْكَامِلَةَ أَوْ مُطْلَقًا - قَدِ انْقَطَعَتْ بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ، لِأَنَّ النَّاسَ دَخَلُوا فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا، وَظَهَرَ الْإِسْلَامُ وَثَبَتَتْ أَرْكَانُهُ وَدَعَائِمُهُ، فَلَمْ تَبْقَ هِجْرَةٌ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَعْرِضَ حَالٌ يَقْتَضِي الْهِجْرَةَ بِسَبَبِ مُجَاوَرَةِ أَهْلِ الْحَرْبِ، وَعَدَمِ الْقُدْرَةِ عَلَى إِظْهَارِ الدِّينِ عِنْدَهُمْ، فَتَجِبُ الْهِجْرَةُ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ، وَهَذَا مَا لَا خِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ، وَلَكِنَّ هَذِهِ الْهِجْرَةَ لَيْسَتْ كَالْهِجْرَةِ قَبْلَ الْفَتْحِ، كَمَا أَنَّ كُلًّا مِنَ الْجِهَادِ وَالْإِنْفَاقِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَشْرُوعٌ وَمُرَغَّبٌ فِيهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَلَكِنْ لَيْسَ كَالْإِنْفَاقِ وَلَا الْجِهَادِ قَبْلَ الْفَتْحِ، فَتْحِ مَكَّةَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى} [الحديد: 10] الْآيَةَ (الْحَدِيدِ: 10) . وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ الطَّائِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 1]
পৃষ্ঠা - ৩৪৮১

হাওয়াযিন বা হুনায়নের যুদ্ধ

আল্লাহর বাণী :

ণ্এি ঞা

×××××× ষ্ ; ষ্ ; : ব্লু




এ ; শ্ ;






অর্থ : আল্লাহ তোমাদের তো সাহায্য করেছেন বহু ক্ষেত্রে এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিনে যখন
তােমাদেরকে উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সৎখ্যাধিক্য ৷ কিন্তু তা ৫তামাদের কোন কাজে আসেনি
এবং বিন্তুত তহওয়৷ সত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্যে সংকুচিত হয়েছিল ও পরে তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন
করে পলায়ন করেছিলে ৷ এরপর আল্লাহ্ত তার নিকট হতে ততার রাসুল ও মু’মিনদের উপর প্রশান্তি
বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি
কাফিরদেরকে শান্তি প্রদান করেন ; এটাই কাফিরদের কর্মফল ৷ এরপরও যার প্ৰতি ইচ্ছা আল্লাহ্
ক্ষমা পরায়ণ হবেন ; আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল , পরাম দয়ালু (৯-তাওবা : ২৫ ২৭) ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার তার কিভাবে উল্লেখ করেছেন যে, অষ্টম হিজরীতে মক্কা
বিজয়ের পর ৫ই শাওয়াল রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাওয়াযিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন ৷ তিনি
বলেন, মক্কা বিজয় হয়েছিল রমযানের দশ দিন বাকী থাকতে এবং হাওয়াযিনের বিরুদ্ধে অভিযানে
বের হওয়ার পনের দিন পুর্বে ৷ ইবন মাসউদ থেকেও এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ উরওয়৷ ইবন
যুবায়রও এ মত পোষণ করেন ৷ ইমাম আহমদ এবং ইবন জা ৷রীর তার ইতিহাস গ্রন্থে এ মত
সমর্থন করেছেন ৷ ওয়াকিদী লিখেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যা ওয়াল মাসের ছয়ত তারিখের পর
হাওয়াযিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং দশ তারিখে হুনায়ন পৌছেন ৷ আবু বকর সিদ্দীক (বা)
বলেন, ঐ দিন আমরা সংখ্যায় স্বল্পতার দরুন পরাজিত হইনি ৷ সং খ্যায় অধিক হওয়া সত্বেও তা রা৷
পলায়ন করে ৷ সর্ব প্রথম পলায়ন করে বনু সুলায়ম , তারপরে মক্কাবাসীপণ, তারপরে অন্যান্য
সবাই ৷

ইবন ইসহাক বলেন : হাওয়াযিন গোত্রের লোকজন যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আগমন ও
মক্কা বিজয়ের সংবাদ জানতে পারলাে, তখন তাদের নেত৷ মালিক ইবন আওফ নাসরী তার
গোত্রের লোকদের একত্রিত করলো ৷ হাওয়াযিনদের সাথে ছাকীফ গোত্রের সকলেই এসে তার


(النَّصْرِ: 1 - 3) . قَرَأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى خَتَمَهَا، وَقَالَ: النَّاسُ حَيِّزٌ وَأَنَا وَأَصْحَابِي حَيِّزٌ» وَقَالَ: «لَا هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ.» فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ: كَذَبْتَ. وَعِنْدَهُ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ قَاعِدَانِ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ: لَوْ شَاءَ هَذَانَ لَحَدَّثَاكَ، وَلَكِنَّ هَذَا يَخَافُ أَنْ تَنْزِعَهُ عَنْ عِرَافَةِ قَوْمِهِ، وَهَذَا يَخْشَى أَنْ تَنْزِعَهُ عَنِ الصَّدَقَةِ. فَرَفَعَ مَرْوَانُ عَلَيْهِ الدِّرَّةَ لِيَضْرِبَهُ، فَلَمَّا رَأَيَا ذَلِكَ قَالَا: صَدَقَ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ عُمَرُ يُدْخِلُنِي مَعَ أَشْيَاخِ بَدْرٍ، فَكَأَنَّ بَعْضَهُمْ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ، فَقَالَ: لِمَ تُدْخِلُ هَذَا مَعَنَا وَلَنَا أَبْنَاءٌ مِثْلُهُ؟ فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّهُ مِمَّنْ قَدْ عَلِمْتُمْ. فَدَعَاهُمْ ذَاتَ يَوْمٍ فَأَدْخَلَهُ مَعَهُمْ. فَمَا رُئِيتُ أَنَّهُ أَدْخَلَنِي فِيهِمْ يَوْمَئِذٍ إِلَّا لِيُرِيَهُمْ، فَقَالَ: مَا تَقُولُونَ فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} [النصر: 1] فَقَالَ بَعْضُهُمْ: أُمِرْنَا أَنْ نَحْمَدَ اللَّهَ وَنَسْتَغْفِرَهُ إِذَا نَصَرَنَا وَفَتَحَ عَلَيْنَا. وَسَكَتَ بَعْضُهُمْ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا، فَقَالَ لِي: أَكَذَاكَ تَقُولُ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ؟ فَقُلْتُ: لَا. فَقَالَ: مَا تَقُولُ؟ فَقُلْتُ: هُوَ أَجَلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৪৮২
أَعْلَمَهُ لَهُ، قَالَ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} [النصر: 1] فَذَلِكَ عَلَامَةُ أَجَلِكَ، {فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 3] قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: لَا أَعْلَمُ مِنْهَا إِلَّا مَا تَقُولُ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَهَكَذَا رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ فَسَّرَ ذَلِكَ بِنَعْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَجَلِهِ. وَبِهِ قَالَ مُجَاهِدٌ وَأَبُو الْعَالِيَةِ وَالضَّحَّاكُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، ثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} [النصر: 1] قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نُعِيَتْ إِلَيَّ نَفْسِي. بِأَنَّهُ مَقْبُوضٌ فِي تِلْكَ السَّنَةِ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَفِي إِسْنَادِهِ عَطَاءُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ، وَفِيهِ ضَعْفٌ، تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَفِي لَفْظِهِ نَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ، وَهُوَ قَوْلُهُ بِأَنَّهُ مَقْبُوضٌ فِي تِلْكَ السَّنَةِ، وَهَذَا بَاطِلٌ، فَإِنَّ الْفَتْحَ كَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ فِي رَمَضَانَ مِنْهَا، كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ، وَهَذَا مَا لَا خِلَافَ فِيهِ. وَقَدْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ، بِلَا خِلَافٍ أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৩৪৮৩

কাছে সমবেত হল ৷ মালয় ও জুশাম গোত্রদ্বয়েরও সবাই এসে হাযির হয় ৷ আরও উপস্থিত হয়
সা’দ ইবন বকর গোত্র এবং বনু হিলাল গোত্রের অল্প সংখ্যক লোক, এর ছিল সংখ্যায় নগণ ৷ ৷
মােটকথা, কায়েস আয়লানের উপরোক্ত লোকজন ব্যতীত আর কেউ আসেনি ৷ হাওয়াযিন গোত্রের
কা’ব ও কিলাব শাখাদ্বয় এ গণজমায়েতে অনুপস্থিত থাকে ৷ তাদের মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য
কেউ সেখানে আসেনি ৷ বনু জুশাম গোত্রের দৃরায়দ ইবন সস্ফো ১ দিন অতিশয় বৃদ্ধ ৷ তার দৈহিক
শক্তি ছিল না বটে, তবে তার মতামত যুদ্ধের কলাকৌশল ও অভিজ্ঞতা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা
করা হতো ৷ সে ছিল যুদ্ধের ময়দানের এক প্রবীন অভিজ্ঞ ব্যক্তি ৷ ছাকীফ গোত্রের সর্দার ছিল
দু’জন ৷ আহলাফ গোত্রের নেতা ছিল কারিব ইবন আসওদ ইবন মাসউদ ইবন ঘুআত্তাব ৷ আর বনু
মালিক গোত্রের সর্দার ছিল যুল খিমার সুবায় ইবন হারিছ এবং তার ভাই আহমদ ইবন হারিছৰু ৷
তবে সামগ্রিকভাবে সবার উপরে নেতৃতৃ ছিল মালিক ইবন আওফ নাসরীর হাতে ৷ এরপর যখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হল, তখন সে সকলকে
নিজেদের ধন-সম্পদ ও ত্রী-পুত্র সাথে নিয়ে গমন করার নির্দেশ দল ৷ যখন তারা আওতাস নামক
স্থানে গিয়ে উপনীত হল, তখন লোকজন তার কাছে এসে সমবেত হল ৷ তাদের মাঝে ছিল
দুরায়দ ইবন সাম্মা ৷ একটি হাওদার মধ্যে বসিয়ে তাকে সেখানে টেনে নেয়া হয় ৷ হাওদা থেকে
অবতরণ করে সে জিজ্ঞেস করলো, তোমরা এখন কোন প্রান্তয়ে রয়েছ ? জবাবে তারা বললো :
আওতাস প্রাম্ভরে ৷ সে বললো :


বাহ : ঘোড়ার চক্কর কাটার কতই না সুন্দর জায়গা ৷ এমন উচা ও কঠিন মাটি নয় যে,
চলাচলে কষ্ট হবে ; আবার এমন নীচু ও নরম মাটি নয় যে, পা দেবে যাবে ৷
সে অবেবেঃ বলালা :

কি ব্যাপার ? এ যে শুনতে পাচ্ছি উটেৱ গোৎগানী ? গা ধার বিকট আওয়ায ? শিশুদের কান্না ?
ছাগলের র্ডা৷ ভী৷ শব্দ ?

লোকজন জবাবে বললো , মালিক ইবন আওফ তো লোকজনের সাথে তাদের ধন-সম্পদ ও
তাদের ত্রী-পুত্রদেরও সংগে নিয়ে এসেছে ৷ তখন দৃরায়দ বললো, মালিক কোথায় ? লোকেরা
তাকে ডেকে এনে বললো এই যে মালিক ৷ তখন সে তাকে বললো : হে মালিক ! তুমি
তোমার গোত্রের নেতা হয়েছে৷ ৷ আজকের এ দিনটি এমন যে, এর প্রভাব পড়বে আগামী
দিনগুলাের উপর ৷ বল, আমি উটের গোৎগানী, গাধার বিকট আওয়ায, গ্রিণ্ডেদের কান্নড়াকাটি এবং
ছাগলের ভী৷ জ৷ শব্দ কেন শুনতে পাচ্ছি ? সে উত্তর দিল, আমি তো লোকজনের সাথে তাদের
ত্রী-পুত্র ও ধন-সম্পদ নিয়ে এসেছি ৷ সে বললো, ওগুলো কেন নিয়ে এসেছো ? সে জবাব দিল,
আমি মনে করেছি যে, এদের প্রতিটি যােদ্ধার পশ্চাতে তার সম্পদ ও পরিবার রেখে দেব ৷ যাতে
১ আর জ্জল মাখতৃমে’ (উন্৷ সংস্করণ ১৯৯৮ লাহোর) নামটি দৃরায়দ ইবন সাম্মা এবং মদীনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ আকরম যিয়া উমরীর আসৃসীরতৃন নববীর আস-সাহীছা (আরবী) গ্রন্থে দৃরায়দ ইবন
সিম্মা বলে উল্লিখিত হয়েছে ৷ — সম্পাদক




وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ الْوَكِيعِيُّ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: آخِرُ سُورَةٍ نَزَلَتْ مِنَ الْقُرْآنِ جَمِيعًا: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} [النصر: 1] فِيهِ نَكَارَةٌ أَيْضًا، وَفِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ أَيْضًا، وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ أَنَّهَا آخِرُ سُورَةٍ نَزَلَتْ جَمِيعُهَا كَمَا قَالَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ الْكَرِيمَةِ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، «عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ - قَالَ لِي أَبُو قِلَابَةَ: أَلَا تَلْقَاهُ فَتَسْأَلَهُ فَلَقِيتُهُ فَسَأَلْتُهُ - قَالَ: كُنَّا بِمَاءٍ مَمَرَّ النَّاسِ، وَكَانَ يَمُرُّ بِنَا الرُّكْبَانُ فَنَسْأَلُهُمْ مَا لِلنَّاسِ مَا لِلنَّاسِ؟ مَا هَذَا الرَّجُلُ؟ فَيَقُولُونَ: يَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ وَأَوْحَى إِلَيْهِ كَذَا. فَكُنْتُ أَحْفَظُ ذَاكَ الْكَلَامَ، فَكَأَنَّمَا يُغْرِي فِي صَدْرِي، وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَلَوَّمُ بِإِسْلَامِهِمُ الْفَتْحَ، فَيَقُولُونَ: اتْرُكُوهُ وَقَوْمَهُ، فَإِنَّهُ إِنْ ظَهَرَ عَلَيْهِمْ فَهُوَ نَبِيٌّ صَادِقٌ. فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلَامِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلَامِهِمْ. فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ حَقًّا، قَالَ: صَلُّوا
পৃষ্ঠা - ৩৪৮৪
صَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، وَصَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا فَنَظَرُوا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرُ قُرْآنًا مِنِّي، لِمَا كُنْتُ أَتَلَقَّى مِنَ الرُّكْبَانِ، فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ سِنِينَ، وَكَانَتْ عَلَيَّ بُرْدَةٌ إِذَا سَجَدْتُ تَقَلَّصَتْ عَنِّي. فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْحَيِّ: أَلَا تُغَطُّونَ عَنَّا اسْتَ قَارِئِكُمْ؟ فَاشْتَرَوْا، فَقَطَعُوا لِي قَمِيصًا، فَمَا فَرِحْتُ بِشَيْءٍ فَرَحِي بِذَلِكَ الْقَمِيصِ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ.