سنة ثمان من الهجرة النبوية
غزوة الفتح الأعظم
فيما حكم به صلى الله عليه وسلم بمكة
পৃষ্ঠা - ৩৪৭০
করতে দেখেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যায় তুল্লাহ্র কবৃণ’ এর নিকট র্তাকে সম্মুখে
রেখে উপরেশন করেন ৷ এরপর লোকদের নিকট থেকে ইসলাম ও শাহাদণ্ডে র উপর বায়আত
গ্রহণ করেন ৷ রাবী ইবন জুরায়জ তার শায়খ আবদুল্লাহ ইবন উছমানের নিকট জিজ্ঞেস করেন
“কিসের শাহাদত ? জবাবে আবদুল্লাহ বলেন, মুহাম্মাদ ইবন আসওদ ইবন খালট্রুফ আমাকে
জানিয়েছেন যে তিনি লোকদেরকে আল্লাহর প্রতি ঈমান ও এ «fl ৷ ১৷ ৷ ধ্ ৷ ১৷ ৷ ও;গ্রড়ুৰু
এ ;) , :া ৷ মোঃ এর উপর বায়আত গ্রহণ করেন ৷ আহমদএ পর্যন্ত এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ বায়হাকীর বর্ণনায় এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ছোট ও বড়, নারী ও পুরুষ
নির্বিশেষে আগমন করে ৷ তখন তিনি তাদের থেকে ইসলাম ও শাহাদতেণ উপর বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ ইবন জাবীর বর্ণনা করেনং : এরপর লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা) )এর৷ ৷নকট ইসলামের উপর
বায়আত গ্রহণের উদ্দেশ্যে মক্কায় সমবেত হয় ৷ আমার জানা তথ্য মহ্বত রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফা
পাহাড়ের উপর অবস্থান নেন ৷ তার থেকে কিছু নীচে উমর ইবন খাত্তাব (রা) ছিলেন ৷ এরপর
তিনি লোকজনের কাছ থেকে আল্লাহ ও তার রাসুলের কথা শ্রবণ করা ও নাধ্যমত আনুগত্য করার
উপর বায়আত নেন ৷ পুরুষদের থেকে বায়আত নেয়ার পর তিনি মহিলাদের থেকে বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ মহিলাদের দলে হিনদ বিনত উত্বাও ছিল ৷ হামযার প্রতি তার আচরণের ঘটনায় লজ্জিত
হয়ে অবগুণ্ঠন টেনে মুখমওল ঢেকে সে তথায় উপস্থিত হয় ৷ ঐ ঘটনার কারণে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আজ তাকে পাকড়াও করতে পারেন বলে সে আশংকা করছিল ৷ বায়আতের উদ্দেশ্যে মহিলারা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসলে তিনি বলেন : ণ্া৷ন্ ;,ব্লুঠোণ্;; ১৷ ;, ৷ চো; প্রু;১:াপ্রু
া; ;১ তোমরা আমার নিকট এই মর্মে বায়আত গ্রহণ কর যে, আল্লাহর সাথে অন কিছুকে
শরীক করবে না ৷
হিনদ বললাে, আল্লাহর কসম ! আপনি আমাদের থেকে এমনঅ অংগীকার নিচ্ছেন যা
পুরুষদের থেকে নেননি ৷
;,ঞ,; ১৷ এ তোমরা চুরি করবে না ৷
তখন হিনদ বললে৷ আল্লাহর কসম ! আমি যে প্রায়ই আবু সুফিয়ানের মাল-সম্পদ না বলে
নিয়েছি৷ (৩ আর কি হবে ? ) ৷ ঐ৷ মা ল আমার জন্যে বৈধ কি না তা আমি জ৷ ৷ন৩াম না ৷ আবু সুফিয়ান
তখন সেখানে উপ তছিলেন এবং হিনদের সব কথা শুনছিলেন ৷ তিনি বললেন, পুর্বে যা কিছু
তুমি নিয়েছো তা সব মাফ ৷ তার উপর আমার কো ন দাবী নেই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
কি হে ! তুমি কি উত্বা ৷র কন্যা হিনদ নাকি ? সে জবাব দিল, হীা, তবে পুর্বে যা কিছু হয়েছে সে
জন্যে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন ! অ ৷ল্লাহ্ আপনার মত্গল করবেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা )
বললেন :
ৰু,প্রু;;,ৰু ১৷ , ব্যভিচার করবে না ৷
হিনদ রললে৷ , ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ স্বাধীন (সৃম্ভাম্ভ) মহিলারা কি ব্যভিচার করতে পারে ? ১৷ ,
,)দ্বুএ্১! , ৷ এা;দ্বুা; তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না ৷
হিনদ বললাে, আমরা৩ তাদেরকে শিশুক৷ ৷লে লালন পালন করেছি ৷ কিন্তু তারা বড় হবার পর
আপনি ও আপনার সাহাবীরা তাদেরকে বদর প্রান্তরে হত্যা করেছেন ৷ এ কথা ওনার পর উমার
ইবন খাত্ত ওাব উচ্চ৪স্বরে হাসলেন ৷
[فِيمَا حَكَمَ بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ]
فَصْلٌ فِيمَا حَكَمَ بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ مِنَ الْأَحْكَامِ
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (ح) وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدٍ أَنْ يَقْبِضَ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، وَقَالَ عُتْبَةُ: إِنَّهُ ابْنِي. فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ فِي الْفَتْحِ، أَخَذَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَأَقْبَلَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقْبَلَ مَعَهُ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ: هَذَا ابْنُ أَخِي عَهِدَ إِلَيَّ أَنَّهُ ابْنُهُ. قَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَخِي، هَذَا ابْنُ زَمْعَةَ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ. فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ابْنِ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَإِذَا هُوَ أَشْبَهُ النَّاسِ بِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هُوَ لَكَ، هُوَ أَخُوكَ يَا عَبْدَ بْنَ زَمْعَةَ، مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ " وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " احْتَجِبِي مِنْهُ يَا سَوْدَةُ لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ» . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: قَالَتْ عَائِشَةُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৩৪৭১
মোঃ) ১ ৰু১ আর (জমে-শুনে
ইচ্ছাকৃততাবে কাউকে অপবাদ দেবে না ৷
হিন্দ বললাে, আল্লাহর কসম ! মিথ্যা অপবাদ দেওয়া তো ৷অতিশয নিন্দনীয় ব্যাপার ৷ কখনও
কখনও ক্ষমা করে দেওয়াটা অধিকতর উত্তম ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্(স )বললেন :
;;:শ্ংশুন্ ১াএ আর ৷মহিলারা যেন আমার আদেশ লংঘন না করে ৷
তখন হিন্দ বললাে , অর্থাৎ ভাল কাজে লংঘন করবে না ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) তখন উমরকে বললেন : তুমি এদের থেকে বায়আত গ্রহণ কর এবং তাদের
জন্যে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও দয়াময় ৷ তারপর
উমর (বা) তাদের থেকে বায়আত গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের মধ্য থেকে কোন
মহিলার সাথে মুসাফাহ৷ করেননি এবং কাউকে স্পর্শও করেননি ৷ তবে যাদেরকে আল্লাহ তার
জন্যে হালাল করেছেন কিৎবা মুহরিম তাদের কথা ভিন্ন ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে এ
ব্যাপারে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন , আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর
হাত কখনও কোন নারীর হাত স্পর্শ করেনি ৷ এক বর্ণনায় আছে যে, তিনি কেবল মৌখিকতা ৷বে
কথার মাধ্যমে মহিলাদের বায়আত ৩করতেন ৷ তিনি বলংত তন, একজন মহিলার নিকট আমার কথা
বলা, একশ’ মহিলার সাথে কথা বলার সমান ৷ বুখারী ও মুসলিমে আইশা (বা) থেকে বর্ণিত ৷
আবু সুফিয়ানের শ্রী হিন্দ বিনত উতব৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে জামাল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আবুসুফিয়ান একজন অতিশয় কৃপণ লোক ৷ সে আমার ও আমার সন্তানের প্রয়োজনীয় খরচ দেয়
না ৷ এ অবস্থায় আমি যদি তার অগোচরে তার মাল-সম্পদ থেকে কিছু সরিয়ে নেই, তাকে কি
আমার অন্যায় হবে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : যতটুকু মাল-সম্পদে তোমার ও সন্তানের
প্রয়োজন পুরণ হবে, ততটুকু মাল তুমি সঙ্গত ভাবে নিতে পার ৷ (ইমাম বায়হাকী ইয়াহ্য়া ইবন
বুকায়রের সুত্রে — — অ ইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হিন্দ বিনত তব৷ এসে বললােশু ং হে
আল্লাহর রাসুল ! ভু পৃষ্ঠে যত৩ ৩তাবুবাসী আছে সেগুলোর মধ্যে আপনা র তাবুর অধিবাসীদের যে
পরিমাণ অপমান ও অকল্যাণ আমি কামনা করত তাম, তেমনটি আর কােন তাবুবাসীর ক্ষেত্রে
করতাম না ৷ পক্ষাম্ভরে আজকের অবস্থা এই যে পৃথিবীতে আপনার তাবুর অধিবাসীদের সম্মা ন ও
কল্যাণ কামনার চেয়ে অধিকতর পসন্দনীয় তাবুবাসী আর নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন৪ সেই
সত্তার কসম ! যার হাতে ঘুহাম্মাদের জীবন তুমি যথার্থাং বলেছ ৷ হিন্দ বললাে হে আল্লাহর
রাসুল ! আবু সুফিয়ান অত্যধিক কৃপণ ৷৩ তার সম্পদ থেকে আমি যদি কিছু নেইত ৷ তার কি কোন
দোষ হবে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ং সঙগত পরিমাণ নিলে কোন দো য নেই ৷ ইমাম বুখ৷ ৷রী এ
হাদীছটি ইয়াহ্য়া ইবন বুকায়র সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আবু সুফিয়ানের ইসলাম গ্রহণ
সংক্রান্ত বর্ণনা ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
আবু দাউদ বলেন : আমাদের নিকট উছমান ইবন আবু শায়ব৷ ইবন আব্বাস (যা)
থেকে বর্ণনা করেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা দেন যে, এখন থেকে আর
হিজরত নেই, তবে জিহাদ ও নিয়ত চালু থাকবে ৷ আর যখন তােমাদেরকে জিহাদে যাওয়ার
জন্যে আহ্বান করা হয় তখন তোমরা সে আহ্বানে সাড়া দেবে ৷ এ হাদীছ ইমাম বুখারী উছমান
«الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُصَرِّحُ بِذَلِكَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، جَمِيعًا عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ بِهِ. وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِهِ، وَانْفَرَدَ الْبُخَارِيُّ بِرِوَايَتِهِ لَهُ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ.
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، «أَنَّ امْرَأَةً سَرَقَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ، فَفَزِعَ قَوْمُهَا إِلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ يَسْتَشْفِعُونَهُ. قَالَ عُرْوَةُ: فَلَمَّا كَلَّمَهُ أُسَامَةُ فِيهَا، تَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " أَتُكَلِّمُنِي فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ؟ " فَقَالَ أُسَامَةُ: اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَلَمَّا كَانَ الْعَشِيُّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطِيبًا فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّمَا أَهْلَكَ النَّاسَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ
পৃষ্ঠা - ৩৪৭২
فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ، وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا ". ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ فَقُطِعَتْ يَدُهَا، فَحَسُنَتْ تَوْبَتُهَا بَعْدَ ذَلِكَ وَتَزَوَّجَتْ، قَالَتْ عَائِشَةُ: كَانَتْ تَأْتِينِي بَعْدَ ذَلِكَ فَأَرْفَعُ حَاجَتَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِهِ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ: «أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُتْعَةِ عَامَ الْفَتْحِ حِينَ دَخَلَ مَكَّةَ، ثُمَّ لَمْ يَخْرُجْ حَتَّى نَهَانَا عَنْهَا» وَفِي رِوَايَةٍ فَقَالَ: «أَلَا إِنَّهَا حَرَامٌ مِنْ يَوْمِكُمْ هَذَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» وَفِي رِوَايَةٍ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ " وَ " السُّنَنِ " أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، «عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ،
পৃষ্ঠা - ৩৪৭৩
ইবন আবু শায়রা থেকে এবং ইমাম মুসলিম ইয়াহ্য়৷ ইবন ইয়াহ্য়া, জারীর থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আমার নিকট আফ্ফান সাফওয়ান ইবন উমাইয়া সুত্রে
বর্ণিত হয়েছে, সাফওয়ান ইবন উমাইয়াকে র্জ্যনক ব্যক্তি বললাে, হিজরতকারী ব্যতীত অন্যরা
জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না ৷ সাফওয়ান বলেন, আমি তাকে বললাম , এ কথাটা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত আমি নিজ গৃহে ফিরে যাব না ৷ এরপর আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট এসে সে বিষয়টির উল্লেখ করলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ ( স ) বললেন ং মক্কা
াবজয়ের পর হিজরহু তর আর প্রয়োজন নেই; বরং জিহাদ ও হিজরণ্ডে র নিয়ৰুত রাখার প্রয়োজন
আছে ২ আর যখন তােমা :দরকে জিহাদের জন্যে আহ্বান করা হয় তখন ( রু:ামর৷ জিহাদে গমন
করবে ৷ এ হাদীছ ইমাম আহমদ এককভ ৷বে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী বলেন : মুহাম্মাদ ইবন তা ৷বু
বকর, ফুযায়ল ইবন সুলায়মান ইবন মাসউদ সনদে বর্ণিত, মুজাশি’ বলেন, আমি আবু
মা বাদকে হিজরভ্রু তর উপর বায়আত গ্রহণ করাবার উদ্দেশ্যে নবী করীম (সর্ব)এর নিকট নিয়ে
যাই ৷ তখন তিনি বললেনং : যারা ইতিপুর্বে হিজরত করেছে, তাদের মাযাষ্ম ইিজরতেব যুগ শেষ
হয়ে গেছে ৷ এখন আমি ইসলাম ও জিহাদের উপর তার বায়আত গ্রহণ করবো ৷ রাবী আবু
উছমান নাহদী বলেন : এরপরে আমি আবু মা’বাদের সাথে সাক্ষাত করে তাকে এ সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করি ৷ তিনি বললেন, মুজাশি’ সত্যই বলেছে ৷ অন্য সনদে খালিদ আবু উছমান সুত্রে
মুজাশি’ থেকে বর্ণিত যে, তিনি তার ভাই মৃজালিদকে নিয়ে এসেছিলেন ৷ অপর এক বর্ণনায়
ইমাম বুখারী বলেন : আমর ইবন খালিদ মুজাশি’ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের
পর আমি আমার ভাইকে নিয়ে বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে বললামং ইয়৷ রাসুলা ল্লাহ্! আমি
আমার ভাইকে আপনার নিকট নিয়ে এসেছি, যেন আপনি তার থেকে হিজরবু তর উপরে বায়আত
গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ হিজরতকা বিগণ হিজরভৈ৩ তর সমুদয় ছওয়াব লুটে নিয়েছেন,
সে সুযোগ আর নেই ৷ আমি বললাম, তা হলে কিসের উপর তার বায়আত গ্রহণ করবেন ষ্ তিনি
বললেন০ আমি তার কাছ থেকে বায়আত গ্রহণ করবো ইসলাম, ঈমান ও জিহাদের উপর ৷ রাবী
আবু উছমান বলেন, পরে আমি আবু৷ মা ’বাদের সাথে সাক্ষাৎ করলাম ৷ তিনি ছিলেন তাদের
দুজনের মধ্যে বয়সে বড় ৷ র্তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, মুজাশি ঠিকই বর্ণনা করেছে ৷
বুখারী বলেন মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার মুজাহিদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি ইবন
উমর (রা)-কে জ ৷নালাম যে আমি সিরিয়ার হিজরত করার সংকল্প করেছি ৷ তিনি বললেন, এখন
আর হিজরত নেই ৷ তবে ফিরে গিয়ে চিন্তা করে দেখ যদি গুরুতুপুর্ণ কিছু দেখতে পাও তাই
কর, নচেৎ ফিরে থাক ৷ অন্য সনদে আবুনাসর ঘৃজাহিদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন
আমি ইবন উমরকে বললাম ৷ তিনি উত্তর দিলেনং এখন আর হিজরণ্ডে র প্রয়োজন নেই ৷ অথবা
তিনি বলেছেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর যুগের পর হিজরত তর প্রয়োজন নেই ৷ এরপর তিনি উল্লিখিত
হাদীছের অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইসহাক ইবন ইয়াযীদ আবদুল্লাহ ইবন উমার (বা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন০ মক্কা বিজয়ের পর হিজরহ্ব: তর প্রয়োজন নেই ৷ বুখারী বলেন, ইসহাক ইবন
ইয়াযীদ আ তো ইবন আবুবাবাহ্ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি উবায়দ ইবন উমায়রকে
সাথে নিয়ে আইশা (রা) এর সাথে সাক্ষাত করি ৷ উবায়দ তীকে হিজরত সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেন ৷ তিনি বলেন, আজ আর হিজরণ্ডে র কোন প্রয়োজন নেই ৷ যেহেতু পুর্বে মু মিনদের এ
عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ: رَخَّصَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ أَوَطَاسٍ فِي مُتْعَةِ النِّسَاءِ ثَلَاثًا، ثُمَّ نَهَانَا عَنْهَا» .
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَعَامُ أَوَطَاسٍ هُوَ عَامُ الْفَتْحِ، فَهُوَ وَحَدِيثُ سَبْرَةَ سَوَاءٌ.
قُلْتُ: مَنْ أَثْبَتَ النَّهْيَ عَنْهَا فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ قَالَ: إِنَّهَا أُبِيحَتْ مَرَّتَيْنِ وَحُرِّمَتْ مَرَّتَيْنِ، وَقَدْ نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الشَّافِعِيُّ وَغَيْرُهُ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهَا أُبِيحَتْ وَحُرِّمَتْ أَكْثَرَ مِنْ مَرَّتَيْنِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ: إِنَّهَا إِنَّمَا حُرِّمَتْ مَرَّةً وَاحِدَةً، وَهِيَ هَذِهِ الْمَرَّةُ فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ. وَقِيلَ: إِنَّهَا إِنَّمَا أُبِيحَتْ لِلضَّرُورَةِ. فَعَلَى هَذَا إِذَا وُجِدَتْ ضَرُورَةً أُبِيحَتْ، وَهَذَا رِوَايَةٌ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، وَقِيلَ: بَلْ لَمْ تُحَرَّمْ مُطْلَقًا، وَهِيَ عَلَى الْإِبَاحَةِ. هَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَصْحَابِهِ وَطَائِفَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَمَوْضِعُ تَحْرِيرِ ذَلِكَ فِي " الْأَحْكَامِ ".