আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

مدة إقامته عليه السلام بمكة

পৃষ্ঠা - ৩৪৬৭

জন্যে ক্ষমা প্রাংনি৷ করুন ! এরপর সন্ধ্য৷ হলেও তিনি জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দণ্ডায়মান
হলেন ৷ প্রথমে আল্লাহর যথোপোযুক্ত প্রশংসা করলেন ৷ তারপরে বললেন, তোমাদের পুর্ববর্তী
জাতিসমুহ এ কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে যে, তাদের কোন অভিজাত লোক চুরি করলে তারা তাকে
ছেড়ে দিত ; কিন্তু কোন দুর্বল লোক চুরি করলে তার উপর দণ্ড প্রয়োগ করতে৷ ৷ ;;১ শ্লে;া৷ ৷ ,
যার হাতে মৃহাম্মাদের জীবন যদি মুহাম্মাদের কন্যা ফাত ৷তিমাও চুবি করতো তা হলে অবশ্যই আমি

তার হাত কেটে দিতাম ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশক্রমে সে মহিলা র হাত তকেটে দেয়া
হয় ৷ পরবর্তীতে তার এ ত ৷ওব৷ উত্তম প্রমাণিত হয়েছে এবং অন্য এক পুরুষের সাথে তার বিবাহ
হয়েছে ৷ আ ৷ইশ৷ (রা ) বলেন, এরপর সে প্রায়ই আমার কাছে আসাত৷ এবং আমি তার আবেদন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পেশ করত তাম ৷ বুখারী তার গ্রন্থের অন্য স্থানে এবং মুসলিম ইবন
ওহবের সুত্রে আইশা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা ৷করেচ্ছেন ৷

সহীহ্ মুসলিম গ্রন্থে সাবুরা ইবন মাবাদ জুহানী সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বিজয়ের বছর
মক্কা প্রবেশকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে মুতআ (সাময়িক বিবাহ) এর অনুমতি দেন !
এরপর তার মক্কা থেকে বের হয়ে আমার পুর্বেই এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন ৷
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, আজকের এই দিন থেকে
কিয়ামত পর্যন্ত ঘুত্অ৷ হারাম ঘোষণা করা হলো ৷ মুসনাদে আহমদ ও সুনান প্রন্থসমুহের এক
বর্ণনা মতে কিয়ামত পর্যন্ত হারাম হওয়ার এ ঘোষণা বিদায় হরুজ্জ দেয়৷ হয়েছিল ৷ সহীহ্ মুসলিমে
আবু বকর ইবন আবু শায়বা সুত্রে সালামা ইবন আক্ওয়৷ (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন
৪আওতাসের বছর রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে মহিলাদের সাথে মুত তআ করার অনুমতি
দিয়েছিলেন তিন দিনের জন্যে ৷ এরপর তিনি আমাদেরকে এ থেকে ধারণ করে দেন ৷ বায়হাকী
বলেন, আওতাসের বছর ও বিজয়ের বছর একই ৷৩ তাই উক্ত হাদীছ ও সাবুরা বর্ণিত হা ৷দীছ অভিন্ন ৷

আমি বলি, যে সব আলিম খায়বারেব যুদ্ধে মুতঅ৷ হারাম হওয়া প্রমাণ করেন তাদের মতে
মুত্আ দৃ’বার মুবাহ করা হয়েছে এবং দৃ’বার হারাম করা হয়েছে ৷ ইমাম শাফিঈ প্রমুখ এ ব্যাপারে
সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণের অবতারণা করেছেন ৷ কারও কারও মতে দৃ’ বারের চেয়েও অধিক বার
একে মুবাহ ও হারাম করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ইভ তাল জা নেন ৷ কারও মতে এটা একবারই মুবাহ
করার পর হারাম করে দেওয়া হয়েছে ৷ আর তা হয়েছে মক্কা বিজয়ের কালে ৷ আবার কেউ কেউ
বলেছেন, প্রয়োজনের তাকিদে এটা মুবাহ করা হয়েছে ৷ এ মত তঅনুয়ায়ী যখনই প্রয়োজন দেখা
দেবে তখনই তা মুবাহ হয়ে যাবে ৷ ইমাম আহমদ থেকে এরুপ একটি মতের কথা জানা যায় ৷
কারও কারও মতে ঘুত্আ আদৌ হারাম করা হয়নি; বরং তা এখনও মুবাহ আ ছ ৷ ইবন আব্বাস
এই মত পোষণ করেন বলে প্রসিদ্ধ আছে ৷ এ ছাড়াত তার শিষ্যবর্গ এবং কতিপয় সাহাবীও এই
মত পোষণ করেন ৷ আহ্ক৷ ম বা বিধি-বিধানের অধ্যায়ই এ আলোচনা ৷র উপযুক্ত স্থান ৷

অনুচ্ছেদ

ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট আবদুর রায়যাক — — মুহাম্মাদ ইবন আসওদ সুত্রে
বংনি৷ করেন যে, তার পিতা আসওদ রাসুলুল্লাহ্ (সা )-কে বিজয়ের দিন লোকদেরকে বায়আত


[مُدَّةُ إِقَامَتِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِمَكَّةَ] فَصْلٌ فِي مُدَّةِ إِقَامَتِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِمَكَّةَ لَا خِلَافَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَقَامَ بَقِيَّةَ شَهْرِ رَمَضَانَ يَقْصُرَ الصَّلَاةَ وَيُفْطِرُ، وَهَذَا دَلِيلُ مَنْ قَالَ مِنَ الْعُلَمَاءِ: إِنَّ الْمُسَافِرَ إِذَا لَمْ يُجْمِعِ الْإِقَامَةَ فَلَهُ أَنْ يَقْصُرَ وَيُفْطِرَ إِلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا فِي أَحَدِ الْقَوْلَيْنِ، وَفِي الْقَوْلِ الْآخَرِ، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي مَوْضِعِهِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا سُفْيَانُ (ح) وَحَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ «أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: أَقَمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرًا نَقْصُرُ الصَّلَاةَ» . وَقَدْ رَوَاهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيِّ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ نَحْوَهُ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدَانُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا عَاصِمٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ تِسْعَةَ عَشَرَ يَوْمًا يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ - زَادَ الْبُخَارِيُّ: وَحُصَيْنٌ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬৮
كِلَاهُمَا - وَأَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْأَحْوَلِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِهِ. وَفِي لَفْظٍ لِأَبِي دَاوُدَ: سَبْعَ عَشْرَةَ. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَقَمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ تِسْعَ عَشْرَةَ نَقْصُرُ الصَّلَاةَ» . وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَنَحْنُ نَقْصُرُ مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ تِسْعَ عَشْرَةَ، فَإِذَا زِدْنَا أَتْمَمْنَا. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَهِدْتُ مَعَهُ الْفَتْحَ، فَأَقَامَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً لَا يُصَلِّي إِلَّا رَكْعَتَيْنِ،» يَقُولُ: «يَا أَهْلَ الْبَلَدِ صَلُّوا أَرْبَعًا فَإِنَّا سَفْرٌ» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬৯
بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ. ثُمَّ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً يَقْصُرُ الصَّلَاةَ.» ثُمَّ قَالَ: رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، لَمْ يَذْكُرُوا ابْنَ عَبَّاسٍ. وَقَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، وَغَيْرِهِمْ قَالُوا: «أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً» .