আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ذكر هجرة الخليل إلى بلاد الشام ودخوله الديار المصرية

পৃষ্ঠা - ৩৪৪


এখন তোমার জীবন দান ও মৃত্যু ঘটানোর দা ৷বি যদি যথার্থ হয়, তবে এ সুর্যকেতু মি পশ্চিম
দিক থেকে উদিত কর ৷ কেননা, যিনি জীবন দান ও মৃত্যু ঘটাতে পারেন, তিনি যা ইচ্ছা তাই
করতে পারেন ৷ তার ইচ্ছাকে কেউ বাধা দিতে পারে না, তাকে কেউ অক্ষম করতে পারে না;
বরং সব কিছুর উপরই তার কর্তৃত্ব চলে, সব কিছুই তার নির্দেশ মানতে বাধ্য ৷ অতএব নিজের
দাবি অনুযায়ী তুমি যদি প্রতিপালক হয়ে থাক, তাহলে এটা করে দেখাও ৷ আর যদি তা করতে
না পার তবে তোমার দাবি মিথ্যা ৷ কিন্তু তৃমিও জান এবং অন্যান্য প্রত্যেকেই জানে যে, এ কাজ
করতে তুমি সক্ষম নও ৷ এতে৷ দুরের কথা, একটা সামান্য মশা সৃষ্টি করাও তোমার পক্ষে সম্ভব
নয় ৷ এ যুক্তি প্রদর্শনের পরে নমরুদের ভ্রষ্টতড়া, মুর্থতা, মিথ্যাচার ও মুর্থ সমাজের কাছে তার
দাম্ভিকত৷ স্পষ্ট হয়ে যায় ৷ সে কোন উত্তর দিতে সক্ষম হল না ৷,নীরব নিছুপ হয়ে রয়ে গেল ৷


অড়াল্লড়াহ্ বকৃলনং :
কাফির লোকটি হতভম্ব হয়ে গেল ৷ আর জা ৷লিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সুপথ দেখান না ৷
(সুরা বাকারা ২৫৮)

সুদ্দী (র) লিখেছেন, নমরুদ ও ইবরাহীম (আ) এর মধ্যে এ বিত তর্ক হচ্ছেত তিনি অগ্নি থেকে
বের হয়ে আসার দিনের ঘটনা এবৎ সেখানে লোকের কোন জমায়েত ছিল৷ না ৷ কেবল দু জনের
মধ্যেই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ৷ আবদুর রাজ্জাক যায়দ ইবন আসলাম (বা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন :
নমরুদের নিকট সঞ্চিত খাদ্য ভাত্তার ছিল ৷ লোকজন দলে দলে তার নিকট খাদ্য আনার জন্যে
যেত ৷ হযরত ইবরাহীম (আ)-ও এরুপ এক দলের সাথে খাদ্য আনতে যান ৷ সেখানেই এ
বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ৷ ফলে নমরুদ ইবরাহীম (আ)কে খাদ্য না দিয়ে ফিরিয়ে দেয় ৷ ইবরাহীম
(আ) শুন্যপাত্র নিয়ে বেরিয়ে আসেন ৷ বাড়ির কাছে এসে তিনি দু’টি পাত্রে মাটি ভর্তি করে
আনেন এবং মনে মনে ভাবেন বাড়ি পৌছে সাংসারিক কাজে জড়িয়ে পড়বেন ৷ বাড়ি পৌছে
বাহন রেখে তিনি ঘরে প্রবেশ করে দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বসে পড়েন ৷ কিছুক্ষণের
মধ্যেই তিনি নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ৷ ইবরাহীম (আ)-এর ত্রী সারাহ পাত্র দু’টির কাছে গিয়ে
উৎকৃষ্ট খাদ্যদ্রব্য দ্বারা তা ভর্তি দেখতে পান এবংত৷ দ্বারা খাদ্য তৈরি করেন ৷ ঘুম থেকে জেগে
হযরত ইবরাহীম (আ) রান্না করা খাদ্য দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এ তোমরা কােথেকে পেলে?
সারাহ জানালেন, আপনি যা এনেছেনত ত৷ থেবেইি তৈরি করা হয়েছে ৷ এ সময় ইবরাহীম (আ)
আচ করতে পারেন যে, আল্লাহ তাআলা বিশেষ খাদ্য হিসেবে তাদেরকে এ রিয্ক দান
করেছেন ৷
যায়দ ইবন আসলাম (বা) বর্ণনা করেছেন যে, এই অহৎকারী বাদশাহর নিকট আল্লাহ
একজন ফেবেশত৷ প্রেরণ করেন ৷ ফেরেশত৷ তাকে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে বললে সে
অস্বীকার করে ৷ পুনরায় দ্বিতীয় ও তভীয়বার আহ্বান জানালে প্রত্যেক বারেই সে অস্বীকৃতি
জানায় এবৎ বলে দেয়, তুমি তোমার বাহিনী একত্র কর, আর আমি আমার বাহিনী একত্র করি ৷
পরের দিন সুর্যোদয়ের সময় নমরুদত তার সৈন্য সামস্তের সমাবেশ ঘটালাে ৷ অপর দিকে আল্লাহ
অগণিত মশা প্রেরণ করলেন ৷ মশার সং থ্যা এত বেশি ছিল যে, তাতে তারা সুর্যের মুখটি পর্যন্ত
দেখতে সক্ষম হয়নি ৷ আল্লাহ মশা বাহিনীকে তাদের উপর লেলিয়ে দেন ৷ ফলে মশা তাদের
রক্ত-মাৎস খেয়ে সাদা হাডিদ্র বের করে দেয় ৷ একটি মশা নমরুদের নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করে ৷


[ذِكْرُ هِجْرَةِ الْخَلِيلِ إِلَى بِلَادِ الشَّامِ وَدُخُولِهِ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ] َ وَاسْتِقْرَارِهِ فِي الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَآمَنَ لَهُ لُوطٌ وَقَالَ إِنِّي مُهَاجِرٌ إِلَى رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ وَآتَيْنَاهُ أَجْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} [العنكبوت: 26] {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ نَافِلَةً وَكُلًّا جَعَلْنَا صَالِحِينَ - وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَإِقَامَ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ وَكَانُوا لَنَا عَابِدِينَ} [الأنبياء: 72 - 73] [الْأَنْبِيَاءِ: 71 - 73] . لَمَّا هَجَرَ قَوْمَهُ فِي اللَّهِ، وَهَاجَرَ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ عَاقِرًا لَا يُولَدُ لَهَا، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ أَحَدٌ، بَلْ مَعَهُ ابْنُ أَخِيهِ لُوطُ بْنُ هَارَانَ بْنِ آزَرَ وَهَبَهُ اللَّهُ تَعَالَى بَعْدَ ذَلِكَ الْأَوْلَادَ الصَّالِحِينَ، وَجَعَلَ فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ، فَكُلُّ نَبِيٍّ بُعِثَ بَعْدَهُ فَهُوَ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، وَكُلُّ كِتَابٍ نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ عَلَى نَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ بَعْدِهِ فَعَلَى أَحَدِ نَسْلِهِ وَعَقِبِهِ خِلْعَةً مِنَ اللَّهِ وَكَرَامَةً لَهُ حِينَ تَرَكَ بِلَادَهُ وَأَهْلَهُ وَأَقْرِبَاءَهُ، وَهَاجَرَ إِلَى بَلَدٍ يَتَمَكَّنُ فِيهَا مِنْ عِبَادَةِ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَدَعْوَةِ الْخَلْقِ إِلَيْهِ، وَالْأَرْضُ الَّتِي قَصَدَهَا بِالْهِجْرَةِ أَرْضُ الشَّامِ، وَهِيَ الَّتِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا لِلْعَالَمِينَ} [الأنبياء: 71] . قَالَهُ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ،
পৃষ্ঠা - ৩৪৫
وَقَتَادَةُ، وَغَيْرُهُمْ. وَرَوَى الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلَهُ: {إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا لِلْعَالَمِينَ} [الأنبياء: 71] . مَكَّةَ أَلَمْ تَسْمَعْ إِلَى قَوْلِهِ: {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ} [آل عمران: 96] . وَزَعَمَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ أَنَّهَا حَرَّانُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا عَنْ نَقْلِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ خَرَجَ مِنْ أَرْضِ بَابِلَ هُوَ وَابْنُ أَخِيهِ لُوطٌ، وَأَخُوهُ نَاحُورُ، وَامْرَأَةُ إِبْرَاهِيمَ سَارَةُ، وَامْرَأَةُ أَخِيهِ مَلْكَا، فَنَزَلُوا حَرَّانَ فَمَاتَ تَارَخُ أَبُو إِبْرَاهِيمَ بِهَا. وَقَالَ السُّدِّيُّ: انْطَلَقَ إِبْرَاهِيمُ وَلُوطٌ قِبَلَ الشَّامِ فَلَقِيَ إِبْرَاهِيمُ سَارَةَ، وَهِيَ ابْنَةُ مَلِكِ حَرَّانَ، وَقَدْ طَعَنَتْ عَلَى قَوْمِهَا فِي دِينِهِمْ فَتَزَوَّجَهَا عَلَى أَنْ لَا يُغَيِّرَهَا. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَهُوَ غَرِيبٌ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّهَا ابْنَةُ عَمِّهِ هَارَانَ الَّذِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ حَرَّانُ، وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهَا ابْنَةُ أَخِيهِ هَارَانَ أُخْتُ لُوطٍ، كَمَا حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ، عَنِ الْقُتَبِيِّ، وَالنَّقَّاشِ فَقَدْ أَبْعَدَ النُّجْعَةَ، وَقَالَ بِلَا عِلْمٍ، وَادَّعَى أَنَّ تَزْوِيجَ بِنْتِ الْأَخِ كَانَ إِذْ ذَاكَ مَشْرُوعًا فَلَيْسَ لَهُ عَلَى ذَلِكَ دَلِيلٌ. وَلَوْ فُرِضَ أَنَّ هَذَا كَانَ مَشْرُوعًا فِي وَقْتٍ، كَمَا هُوَ مَنْقُولٌ عَنِ الرَّبَّانِيِّينَ مِنَ الْيَهُودِ، فَإِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَا تَتَعَاطَاهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ الْمَشْهُورُ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا هَاجَرَ مِنْ بَابِلَ خَرَجَ بِسَارَةَ مُهَاجِرًا مِنْ بِلَادِهِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَ الشَّامَ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ إِنِّي جَاعِلٌ هَذِهِ الْأَرْضَ لِخَلَفِكَ مِنْ بَعْدِكَ فَابْتَنَى إِبْرَاهِيمُ مَذْبَحًا لِلَّهِ شُكْرًا عَلَى هَذِهِ النِّعْمَةِ، وَضَرَبَ قُبَّتَهُ شَرْقِيَّ بَيْتِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬


চারশ বছর পর্যন্ত এই মশা তার নাকের ছিদ্রে অবন্থ ন করে দৎশন করতে থাকে ৷ এই দীর্ঘ
সময়ে সে হাতৃড়ি দ্বারা নিজের মাথা ঠুকড়াতে থাকে ৷ অবশেষে এভাবেই আল্লাহ তাকে ধ্বংস
করেন ৷

হযরত ইব্রাহীম (আ) এর সিরিয়া ও মিসরে হিজরত
এবং অবশেষে ফিলিস্তিনে স্থায়ী বসতি স্থাপন
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীং

স্পো ’fi

এএে ৬১এ fl :ঠুএশুএে


১ এে ব্লু ব্লু


শ্প্টা


লুত তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করল ৷ ইব্রাহীম বলল, আমি আমার প্রতিপালকের উদ্দেশে

দেশ ত্যাগ করছি ৷ তিনি তো পরড়াক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ আমি ইবরাহীমকে দান করলাম ইসহাক

ও ইয়াকুব এবং বৎশধরদের জান্য স্থির করলাম নবুওত ও কিতাব এবং আমি তাকে দুনিয়ার

পুরস্কৃত করেছিলাম ৷ আখিরাতেও সে নিশ্চয়ই সৎকর্য পরায়ণদের অন্যতম হবে (সুরা
আনকাবুত : ২৬-২৭)

আল্লাহ্ তাআলা বলেন ং

;;এট্টন্
;;াপ্রুব্লুক্ট্র৷ ৷প্রুট্রুশুাৰু
এষ্কেষ্হু

এবং আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সেই দেশে নিয়ে গেলাম, যেখানে আমি কল্যাণ
ব্লেখেছি বিশ্ববাসীর জন্যে এবং আমি ইবরাহীমকে দান করেছিলাম ইসহাক এবং পৌত্ররুপে
ইয়াকুব, আর প্রত্যেককেই করেছিলাম সৎকর্মপরায়ণ; এবং তাদেরকে করেছিলাম নেতা; তারা
আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথপ্রদর্শন করত, তাদেরকে ওহী প্রেরণ করেছিলাম সৎকর্ম
করতে, সালাত কায়েম করতে এবং যাকাত প্রদান করতে; তারা:আমারই ইবড়াদত করত ৷
(সুরা আন্বিয়ড়া০ ং ৭১ ৭৩)

হযরত ইব্রাহীম (আ) নিজের দেশ ও জাতিকে ত্যাগ করে আল্লাহর রাহে হিজরত করেন ৷
তার ত্রী ছিলেন বন্ধ্যা, কোন সন্তান হত না এবং তার কে ন পুত্র সন্তান ছিল না বরং ভ্রাতুম্পুএ
লুত ইবন হারান ইবন আযর তার সংগে ছিল ৷ এমতাবস্থায় আল্লাহ র্তাকে একাধিক পুত্র সন্তান
দান করেন এবং তাদের সকলেই পুণ্যবান ছিলেন ৷ ইব্রাহীম (আ)-এর বৎশে নবুওত এবং
কিতাব প্রেরণের ধারা চালু রাখেন ৷ সুতরাং ইব্রাহীম (আ)-এর পরে যিনিই নবী হিসেবে
প্রেরিত হয়েছেন তার বংশ থেবেইি হয়েছেন এবং তার পরে যে কিতাবই আসমান থেকে কোন


الْمَقْدِسِ، ثُمَّ انْطَلَقَ مُرْتَحِلًا إِلَى الْيَمَنِ، وَأَنَّهُ كَانَ جُوعٌ أَيْ قَحْطٌ وَشِدَّةٌ، وَغَلَاءٌ فَارْتَحَلُوا إِلَى مِصْرَ، وَذَكَرُوا قِصَّةَ سَارَةَ مَعَ مَلِكِهَا، وَأَنَّ إِبْرَاهِيمَ قَالَ لَهَا قُولِي: أَنَا أُخْتُهُ. وَذَكَرُوا إِخْدَامَ الْمَلِكِ إِيَّاهَا هَاجَرَ، ثُمَّ أَخْرَجَهُمْ مِنْهَا فَرَجَعُوا إِلَى بِلَادِ التَّيَمُّنِ يَعْنِي أَرْضَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَمَا وَالَاهَا وَمَعَهُ دَوَابُّ وَعَبِيدٌ وَأَمْوَالٌ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ إِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ، ثِنْتَانِ مِنْهُنَّ فِي ذَاتِ اللَّهِ قَوْلُهُ: {إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 89] وَقَوْلُهُ: {بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا} [الأنبياء: 63] . وَقَالَ: بَيْنَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ وَسَارَةُ إِذْ أَتَى عَلَى جَبَّارٍ مِنَ الْجَبَابِرَةِ، فَقِيلَ لَهُ: هَاهُنَا رَجُلٌ مَعَهُ امْرَأَةٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ عَنْهَا. فَقَالَ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: أُخْتِي. فَأَتَى سَارَةَ فَقَالَ: يَا سَارَةُ لَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، وَإِنَّ هَذَا سَأَلَنِي فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّكِ أُخْتِي فَلَا تُكَذِّبِينِي. فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا، فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا بِيَدِهِ فَأُخِذَ، فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ. فَدَعَتِ اللَّهَ فَأُطْلِقَ، ثُمَّ تَنَاوَلَهَا الثَّانِيَةَ، فَأُخِذَ مِثْلَهَا أَوْ أَشَدَّ، فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ. فَدَعَتْ فَأُطْلِقَ فَدَعَا بَعْضَ حَجَبَتِهِ، فَقَالَ: إِنَّكَ لَمْ تَأْتِنِي بِإِنْسَانٍ، وَإِنَّمَا أَتَيْتَنِي بِشَيْطَانٍ فَأَخْدَمَهَا هَاجَرَ. فَأَتَتْهُ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فَأَوْمَأَ بِيَدِهِ؛ مَهْيَمْ؟ فَقَالَتْ: رَدَّ اللَّهُ كَيْدَ الْكَافِرِ أَوِ الْفَاجِرِ فِي نَحْرِهِ، وَأَخْدَمَ هَاجَرَ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَتِلْكَ أُمُّكُمْ يَا بَنِي مَاءِ السَّمَاءِ. تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مَوْقُوفًا.
পৃষ্ঠা - ৩৪৭


নবীর উপর অবতীর্ণ হয়েছে, তা র্তার বং শধরদের উপরই অবতীর্ণ হয়েছে ৷ এ সব পুরস্কার
আল্লাহ তাকে দিয়েছেন তার ত্যাগ ও কুরবানী এবং আল্লাহর জন্যে দ্বেশ, পরিজন ও
আত্মীয়-স্বজনকে পরিত্যাগ করার বিনিময়ে ৷ এমন দেশের উদ্দেশে তিনি হিজরত করলেন
যেখানে আল্লাহর ইবাদত এবং বান্দাদেরকে আল্লাহর দিকে আহবানের সুযোগ ছিল ৷ র্তার সেই
হিজরতের দেশটি হল শাম বা সিরিয়া ৷ এ দেশ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন০ ং

— ঞ্জা৷
সে দেশের দিকে যেখানে আমি বিশ্ববাসীর জন্য বরকত রেখে দিয়েছি’ ৷ উবা ই ইবন কা ব

আল আলিয়া, কাতাদা প্রমুখ এই মত পোষণ করেন ৷ কিভু আওফীর সুত্রে ইবন আব্বাস (বা)

সুত্রে বর্ণিত ৷ উপরোক্ত আয়াতে (;,, ,াএে গ্র;গ্ ৷ৰুইর্চুাপ্লু ট্রুপু ৷ ,ণ্ , ১৷ ৷ ণ্ডা৷ ) যে
দেশের কথা বলা হয়েছে, যে দেশ হল মক্ক৷ এবং সমর্থনে ৷র্তিনিগু নিরুম্নর অয়েতে উৰুল্লখ করেন :




নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে স্থাপিত ৩হয়েছে সেটাই হচ্ছে এ ঘর যা মক্কায়
অবস্থিত এবং সারা জাহানের জন্যে হিদায়াত ও বরকতময় ৷ (সুরা আল-ইমরান : ৯৬)

বার আহবার (বা) এর মতে , সে দেশটি ছিল হড়ারান ৷ ইতিপুর্বে আমরা আহ্লি কিতাবদের
বরাত দিয়ে বলে এসেছি যে, হযরত ইবরাহীম (আ), তার ভ্রাতৃম্পুত্র লুত (আ), ডাই নাহ্রর ত্রী
সারাহ্ ও ভাইয়ের ত্রী মালিকাসহ বাবিল থেকে বওয়ানা হন এবং হারানে পৌছে সেখানে
বসবাস শুরু করেন ৷ সেখানে ইবরাহীম (আ) এর পিতা তারাখ এর মৃত্যু হয় ৷

সুদ্দী (ব) লিখেছেন, ইবরাহীম (আ) ও লুত (আ) সিরিয়ার উদ্দেশে বওয়ানা হন ৷ পথে
সারাহ্র সাথে সাক্ষাৎ হয় ৷ সারাহ্ ছিলেন হারানের রাজকুমারী ৷ তিনি র্তার সম্প্রদায়ের ধর্মকে
কটাক্ষ করতে ন ৷ ইবরাহীম (আ)৩ তাকে এই শর্তে বিবাহ করেন যে, তাকে ত্যাগ করবেন না ৷
ইবন জ বীর (র) এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন কিন্তু ঐতিহাসিকদের আর কেউ এ ব্যাপারে বর্ণনা
করেন নি ৷ প্রসিদ্ধ মতে, সারাহ্ হযরত ইবরাহীম (আ) এর চাচা হারান এর কন্যা ৷ যার নামে
হারান রাজ্যের পরিচিতি ৷ সুহায়লী (র) কুতায়বী ও নাফ্ফাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে,
সারাহ্ হযরত ইবরাহীম (আ)-এব সহোদর হারানের কন্যা লুত-এর ভগ্নি ৷ এ মত সম্পুর্ণ
ভিত্তিহীন ও অমুলক ৷ এ মত পােষণকারীরা দাবি করেছেন যে, ঐ সময় ভাতিজী বিবাহ করা
ভৈবধ ছিল ৷ কিন্তু এ দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ নেই ৷ যদি ধরেও নেয়া হয় যে, কোন এক সময়ে
ভাতিজী বিবাহ করা বৈধ ছিল ৷ যেমন ইহুদী পণ্ডিতরা বলে থাকেন তবুও এটা সম্ভব নয় ৷
কেননা, নিরুপায় অবস্থায় কোন কিছু বৈধ হলেও৩ তার সুযোগ গ্রহণ নবী রাসুলগণের উন্নত
চরিত্রের মর্যাদার পক্ষে শোভনীয় নয় ৷ আ ৷ল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷

প্রসিদ্ধ মত হল, হযরত ইবরাহীম (আ) যখন বাবিল থেকে হিজরত করেন, তখন সারাহ্কে
সাথে নিয়েই বের হয়েছিলেন যেমন পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সম্যক জ্ঞাত ৷ আহ্লি
কিতাবদের বর্ণনা মতে, হযরত ইবরাহীম (আ) যখন সিরিয়ায় যান তখন আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে
জানান, তোমার পরে এই দেশটি আমি তোমার উত্তরসুরিদের আয়ত্তে দেব ৷ এই অনুপ্রহের
কৃতজ্ঞতা প্রকাশস্বরুপ তিনি তথায় কুরবড়ানীর একটি কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং বায়তৃল


وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ الْفَلَّاسِ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمْ يَكْذِبْ قَطُّ إِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ كُلُّ ذَلِكَ فِي ذَاتِ اللَّهِ: قَوْلُهُ: إِنِّي سَقِيمٌ. وَقَوْلُهُ: بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا. وَبَيْنَمَا هُوَ يَسِيرُ فِي أَرْضِ جَبَّارٍ مِنَ الْجَبَابِرَةِ إِذْ نَزَلَ مَنْزِلًا، فَأُتِيَ الْجَبَّارُ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ قَدْ نَزَلَ هَاهُنَا رَجُلٌ مَعَهُ امْرَأَةٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ عَنْهَا، فَقَالَ: إِنَّهَا أُخْتِي، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهَا قَالَ: إِنَّ هَذَا سَأَلَنِي عَنْكِ فَقُلْتُ: إِنَّكِ أُخْتِي، وَإِنَّهُ لَيْسَ الْيَوْمَ مُسْلِمٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، وَإِنَّكِ أُخْتِي فَلَا تُكَذِّبِينِي عِنْدَهُ، فَانْطُلِقَ بِهَا، فَلَمَّا ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا أُخِذَ، فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ فَدَعَتْ لَهُ فَأُرْسِلَ فَذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا فَأُخِذَ مِثْلَهَا أَوْ أَشَدَّ مِنْهَا فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ. فَدَعَتْ فَأُرْسِلَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَدَعَا أَدْنَى حَشَمِهِ فَقَالَ: إِنَّكَ لَمْ تَأْتِنِي بِإِنْسَانٍ، وَلَكِنْ أَتَيْتَنِي بِشَيْطَانٍ أَخْرِجْهَا، وَأَعْطِهَا هَاجَرَ. فَجَاءَتْ وَإِبْرَاهِيمُ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهَا انْصَرَفَ، فَقَالَ: مَهْيَمْ؟ فَقَالَتْ: كَفَى اللَّهُ كَيْدَ الظَّالِمِ، وَأَخْدَمَنِي هَاجَرَ» . وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ هِشَامٍ. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُ أَسْنَدَهُ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلَّا هِشَامٌ. وَرَوَاهُ غَيْرُهُ مَوْقُوفًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، عَنْ، وَرْقَاءَ هُوَ ابْنُ عُمَرَ الْيَشْكُرِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৮


মুকাদ্দাসের পুর্ব প্রান্তে তিনি নিজের থাকার জন্যে একটি গম্বুজ বিশিষ্ট প্রকোষ্ঠ নির্মাণ করেন ৷
অতংপর তিনি জীবিকার অন্বেষণে বের হন ৷ এ সময় বায়তু ল মুকাদ্দাস অঞ্চলে ছিল প্রচণ্ড
আক ল ও দুর্তিক্ষ, তাই সবাইকে নিয়ে তিনি মিসরে চলে যান ৷ এই সাথে আহ্লি কিতাবরা
সারাহ্ এবং তথ্াকার রাজার ঘটনা, সারাহ্কে নিজের বোন বলে পরিচয় দিতে শিখিয়ে দেয়া
রাজা কর্তৃক সারাহ্ (ব)-এর খিদমতের জন্যে হাজেরাকে দান; অতঃপর সেখান থেকে
তাদেরকে বহিষ্কার করা এবং বরকতময় বায়তৃল মুকাদ্দাস অঞ্চলে বহু জীব্-জন্তু, দাস-দাসী ও
ধন-সম্পদসহ প্রত্যাগমন করার কথা উল্লেখ করেছেন ৷

ইমাম বুথারী (র) আবুহুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, হযরত ইবরাহীম (আ)৩ তিনবার
অসত্য উক্তি করেছিলেন ৷ এর দুটি আল্লাহ সৎ ক্রাম্ভ (১) তিনি বলেছিলেন : এের্দু১া




বড় মুর্তিটিই এ কর্মটি করেছে ৷ এবং তৃতীয় উক্তিটি করেছিলেন নিজের ব্যাপারে ৷ ঘটনা এই,

হযরত ইব্রাহীম (আ) শ্রী সারাহ্সহ কোন এক জালিম বাদশাহৱ এলাকা অতিক্রম করছিলেন ৷
বাদশাহৱ নিকট সংবাদ গেল যে, এই এলাকায় একজন লোক আছে যার সাথে রয়েছে এক
পরমা সুন্দরী নারী ৷ জালিম বাদশাহ্ হযরত ইব্রাহীম (আ)-এব নিকট লোক পাঠান ৷ আগন্তুক
এসে হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে সারাহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, ইনি (ক? উত্তরে তিনি বললেন
৪ আমার বোন ৷ এরপর হযরত ইব্রাহীম (আ) সারাহ্র কাছে এসে বলেন, দেখ সারাহ্! এই
ধরাপৃষ্ঠে আমি এবং তুমি ব্যতীত আর কোন মুমিন নেই ৷ এই আগন্তুক তোমার সাথে আমার
সম্পবেরি কথা জানতে ঢেয়েছে ৷ আমি তাকে এই কথা ৷বলে দিয়েছি যে, তুমি আমার বোন ৷
এখন আমাকে তুমি মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করো না ৷ এরপর ঐ জালিম বাদশাহ সারাহ্কে নিয়ে

, যাওয়ার জন্যে লোক পাঠান ৷

সারাহ্ বাদশাহৱ দরবারে নীত হলে , বাদশাহ তীর প্রতি হাত বাড়ায় ৷ সংগে সংগে সে
থােদার গযবে পতিত হয় ৷ বাদশাহ বলল, সারাহ্ আমার জন্যে দুআ কর, আমি তোমার কোন
ক্ষতি সাধন করব না ৷ সারাহ্ দুআ করলেন ৷ ফলে বাদশাহ ছাড়া পড়ায় ৷ কিত্তু দ্বিতীয়বার সে

সারাহ্র প্রতি হাত বাড়ায় ৷ এবারও সে পুর্বের ন্যায় কিৎবা তদপেক্ষা কঠিনভাবে তার প্রতি

শাস্তি নেমে আসে ৷ পুনর্বার বাদশাহ বলল, আমার জন্যে দৃআ কর ৷ আমি তোমার কোন অনিষ্ট
করব না ৷ সারাহ্ দৃআ করলে সে পুনরায় রক্ষা পায় ৷ তখন বাদশাহ্ তার একান্ত সচিবকে
ডেকে বলল, তুমি তো আমার কাছে কোন মানবী আননি, এনেছ এক ড়ামানবী ৷ পরে বাদশাহ

সারাহ্র খিদমতের জ্যন্য হাজেরাকে দান করল ৷ সারাহ্ ইব্রাহীম (আ) এর কাছে ফিরে এসে

তাকে সালাত আদায়রত দেখতে পান ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ) সা ৷লাতে থেকেই হাং৩ র ইশারা
দ্বারা ঘটনা জন নতে চাইলেন ৷ সারা বললেন, আল্লাহ অনড়াচ৷ ৷রী কা ৷ফিরের চক্রাস্ত নস্যাত করে
দিয়েছেন এবং ঐ জালিম আমার খিদমতের জন্যে হাজেরাকে দিয়েছে ৷

আবু হুরায়রা (বা) বলেন, হে বেদুঈন আরব সত্তানগণ! এই হাজেরাই তোমাদের আদি
মাতা ৷ ইমাম বুখারী (র) এই একক সুত্রে হাদীসটি মওকুফ রুপে বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিজ আবু
বকর আল বাবৃযার (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
হযরত ইব্রাহীম (আ) মাত্র তিনবার ব্যতীত কখনও অসত্য উক্তি করেন নি ৷ ঐ তিনটি উক্তিই


اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ إِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ؛ قَوْلُهُ حِينَ دُعِيَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ: إِنِّي سَقِيمٌ. وَقَوْلُهُ: بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا. وَقَوْلُهُ لِسَارَةَ: إِنَّهَا أُخْتِي. قَالَ: وَدَخَلَ إِبْرَاهِيمُ قَرْيَةً فِيهَا مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ أَوْ جَبَّارٌ مِنَ الْجَبَابِرَةِ فَقِيلَ: دَخَلَ إِبْرَاهِيمُ اللَّيْلَةَ بِامْرَأَةٍ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ. قَالَ: فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ الْمَلِكُ أَوِ الْجَبَّارُ مَنْ هَذِهِ مَعَكَ؟ قَالَ: أُخْتِي. قَالَ: فَأَرْسِلْ بِهَا. قَالَ: فَأَرْسَلَ بِهَا إِلَيْهِ. وَقَالَ: لَا تُكَذِّبِي قَوْلِي، فَإِنِّي قَدْ أَخْبَرْتُهُ أَنَّكِ أُخْتِي، إِنْ عَلَى الْأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ قَامَ إِلَيْهَا فَأَقْبَلَتْ تَوَضَّأُ وَتُصَلِّي، وَتَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ، وَأَحْصَنْتُ فَرْجِي إِلَّا عَلَى زَوْجِي فَلَا تُسَلِّطْ عَلَيَّ الْكَافِرَ. قَالَ: فَغَطَّ حَتَّى رَكَضَ بِرِجْلِهِ» . قَالَ أَبُو الزِّنَادِ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «اللَّهُمَّ إِنْ يَمُتْ يُقَلْ: هِيَ قَتَلَتْهُ. قَالَ: فَأُرْسِلَ. قَالَ: ثُمَّ قَامَ إِلَيْهَا. قَالَ: فَقَامَتْ تَوَضَّأُ وَتُصَلِّي، وَتَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ، وَأَحْصَنْتُ فَرْجِي إِلَّا عَلَى زَوْجِي فَلَا تُسَلِّطْ عَلَيَّ الْكَافِرَ. قَالَ: فَغَطَّ حَتَّى رَكَضَ بِرِجْلِهِ. قَالَ أَبُو الزِّنَادِ، وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهَا قَالَتِ: اللَّهُمَّ إِنْ يَمُتْ يُقَلْ هِيَ قَتَلَتْهُ. قَالَ: فَأُرْسِلَ. قَالَ: فَقَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ: مَا أَرْسَلْتُمْ إِلَيَّ إِلَّا شَيْطَانًا أَرْجِعُوهَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ، وَأَعْطُوهَا هَاجَرَ. قَالَ: فَرَجَعَتْ فَقَالَتْ لِإِبْرَاهِيمَ: أَشَعَرْتَ؟ إِنَّ اللَّهَ رَدَّ كَيْدَ الْكَافِرِ وَأَخْدَمَ وَلِيدَةً» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ، وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৯


ছিল আল্লাহ সংক্রান্ত ৷ (১) নিজেকে ছু ট্রুদ্বুন্ট্রুন্ন্ “; (আমি পীড়িত বলা ,) (২)ধ্াগ্প্ ’ ’ “ ^
$§§;§ (এদের এ বড়টাই এ কাজ করেছে বর্লাষ্ ,) (৩) হযরত ইবরাহীম কোন এক জালিম
রাজার এলাকা দিয়ে সফর করার সময় কো ন এক মঞ্জিলে অবতরণ করেন ৷ জালিম রাজা ৩ থায

আগমন করে ৷ তাকে জানানো হয় যে, এখানে একজন লোক এসেছে যার সাথে এক পরমা
সুন্দরী রমণী আছে ৷ রাজা তখনই ইবরাহীম (আ)-এর নিকট লোক প্রেরণ করে ৷ সে এসে
মহিলাটি সম্পর্কে ইবরাহীম (আ)-কে জিজ্ঞেস করল ৷ তিনি বললেন, যে আমার বোন ’ ৷ এরপর
ইবরাহীম (আ) তার ত্রীর কাছে আসেন এবং বলেন, একটি লোক তোমার সম্পর্কে আমার কাছে
জিজ্ঞেস করেছে ৷ আমি তোমাকে আমার কোন বলে পরিচয় দিয়েছি ৷ এখন আমি আর তুমি
ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন মুসলিম নেই ৷ এ হিস্যেব তুমি আমার বোনও বটে ৷ সুতরাং রাজার
কাছে আমাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করো না যেন ৷ রাজা তার দিকে হাত বাড়াতেই আল্লাহর
পক্ষ থেকে এক আমার এসে তাকে পাকড়াও করে ৷ রাজা বলল, তুমি আল্লাহ্র কাছে দৃআ
কর, আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না ৷ তিনি দৃআ করেন ৷ ফলে সে যুক্ত হয় ৷ কিন্তু পরক্ষাণ
আবার তাকে ধরার জন্যে হাত বাড়ার ৷ এবারও আল্লাহর পক্ষ থেকে পুর্বের ন্যায় কিৎরা
তদপেক্ষা শক্তডারে পাকড়াও হয় ৷ রাজা পুনরায় বলল, আমার জন্যে আল্লাহর নিকট দৃআ
কর, তোমার কোন ক্ষতি আমি করব না ৷ সুতরাং দৃআ করায় যে মুক্তি পেয়ে যায় ৷ এরুপ
তিনবার ঘটে ৷ অতঃপর রাজা তার সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ অনুচরকে ডেকে বললাে, তুমি তাে কোন
মানবী আননি; এনেছ এক মানবী ৷ একে বের করে দাও এবং হড়াজেরাকেও সাথে দিয়ে দাও ৷
বিবি সারাহ্ ফিরে আসলেন ৷ ইবরাহীম (আ) তখন সালাতে রত ছিলেন ৷ সারাহ্র শব্দ পেয়েই
তিনি তার দিকে ফিরে তাকালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ঘটনা কি? সারড়াহ্ বললেন, আল্লাহ
জালিমের চক্রাম্ভ ব্যর্থ করে দিয়েছেন ৷ আর সে আমার খিদমতের জন্যে হাজেরাকে দান
করেছে ৷ ’ বায্যার (র) বলেছেন, মুহম্মদ (র) এর সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে হিশাম ব্যতীত
কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন বলে আমার জন ৷নেই ৷ অন্যরা একে মওকুর্ফ’ হিসেবে বর্ণনা
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন : তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, হযরত ইবরাহীম (আ)৩ তিনবার ছাড়া কখনও মিথ্যা কথা বলেননি ৷ ( ১ ) কাফিররা
যখন তাদের মেলায় যাওয়ার জন্যে আহবান জানায়, তখন তিনি বলেছিলেন, ণ্র্বৃদ্বু;র্চু é; ৷
(আমি পীড়িত) (২) তিনি মুর্তি ভেঙ্গে বলেছিলেন,া!১ণ্ ১ঝু^হ্র র্দুপুহুপুণ্ড্র ট্রু৷ (এদের মর্দুধ্য
এই বড়টিই এ কাজ করেছে), (৩) নিজের শ্ৰী স ৷রাহ্র পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেনং
র্শেং ৷ ৷ষ্৷ (এ আমার কোন) ৷ বর্ণনাক৷ রী বলেনং : হযরত ইবরাহীম (আ) একবার কোন এক
জনপদে প্রবেশ করেন ৷ সেখানে ছিল এক জ লিম রাজা ৷ তাকে জানানো হল যে, এ রড়াত্রে
ইবরাহীম এক পরমা সুন্দরী নারীসহ এখানে এসেছে ৷ রাজা তার কাছে দুত পাঠাল ৷ দুত হযরত
ইবরাহীম (আ) কে জিজ্ঞেস করল ৷ আপনার সাথী এ রমণীটি কে ? ইবরাহীম (আ) বললেন,
আমার বোন ৷ দুত বলল, একে রাজার কাছে পাঠিয়ে দিন ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) পাঠিয়ে
দিলেন এবং বলে দিলেন যে, আমার উক্তিকে তুমি মিথ্যা প্রতিপন্ন করে৷ না যেন ৷ কারণ

রাজাকে আমি জ৷ ৷নিয়েছি যে, তুমি আমার বোন হও ৷ মনে কর যে, এ পৃথিবীর বুকে আমি এবং
আল বিদায়৷ ওয়ান নিহড়ায়া ( ১ম খগ্যে)ধ্ প্লু৪


الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ مُخْتَصَرًا. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كَلِمَاتِ إِبْرَاهِيمَ الثَّلَاثِ الَّتِي قَالَ: «مَا مِنْهَا كَلِمَةٌ إِلَّا مَاحَلَ بِهَا عَنْ دِينِ اللَّهِ، فَقَالَ: {إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 89] وَقَالَ: {بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا} [الأنبياء: 63] وَقَالَ لِلْمَلِكِ حِينَ أَرَادَ امْرَأَتَهُ: هِيَ أُخْتِي» . فَقَوْلُهُ فِي الْحَدِيثِ «. هِيَ أُخْتِي» . أَيْ فِي دِينِ اللَّهِ، وَقَوْلُهُ لَهَا «إِنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ» . يَعْنِي زَوْجَيْنِ مُؤْمِنَيْنِ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، وَيَتَعَيَّنُ حَمْلُهُ عَلَى هَذَا؛ لِأَنَّ لُوطًا كَانَ مَعَهُمْ، وَهُوَ نَبِيٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَوْلُهُ لَهَا لَمَّا رَجَعَتْ إِلَيْهِ: مَهْيَمْ؟ مَعْنَاهُ مَا الْخَبَرُ فَقَالَتْ: «. إِنَّ اللَّهَ رَدَّ كَيْدَ الْكَافِرِ» . وَفِي رِوَايَةٍ «الْفَاجِرِ» . وَهُوَ الْمَلِكُ «. وَأَخْدَمَ جَارِيَةً» . وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ وَقْتِ ذُهِبَ بِهَا إِلَى الْمَلِكِ قَامَ يُصَلِّي لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَيَسْأَلُهُ أَنْ يَدْفَعَ عَنْ أَهْلِهِ، وَأَنْ يَرُدَّ بَأْسَ هَذَا الَّذِي أَرَادَ أَهْلَهُ بِسُوءٍ، وَهَكَذَا فَعَلَتْ هِيَ أَيْضًا كُلَّمَا أَرَادَ عَدُوُّ اللَّهِ أَنْ يَنَالَ مِنْهَا أَمْرًا قَامَتْ إِلَى وُضُوئِهَا وَصَلَاتِهَا، وَدَعَتِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا تَقَدَّمَ مِنَ الدُّعَاءِ الْعَظِيمِ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ} [البقرة: 45] . فَعَصَمَهَا اللَّهُ وَصَانَهَا لِعِصْمَةِ عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ وَحَبِيبِهِ وَخَلِيلِهِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
পৃষ্ঠা - ৩৫০


তুমি ছাড়া আর কোন মু’মিন নেই ৷ সারাহ্ রাজার দরবারে পৌছলে সে সারাহ্র দিকে অগ্রসর
হল ৷ সারাহ্ তখন অযু করে সালাত আদায় করতে উদ্যত হলেন এবং নিম্নের দুআটি পড়লেন-
নৌ ১৷ ৷ ৷

অর্থাৎ হে আল্লাহ ! আপনি অবশ্যই অবগত আছেন যে, আমি আপনার উপর ও আপনার
রাসুলের উপর ঈমান এসেছি ৷ আমার স্বামী ব্যতীত অন্য সবার থেকে আমার লজ্জাস্থানকে
হিফাজত করেছি ৷ অতএব, কোন কাফিরকে আমার উপর হস্তক্ষেপ করতে দেবেন না ৷ ’

জালিম রাজাকে তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এমনভাবে টুটি চেপে ধরা হলো যে, পায়ের
সাথে পা ঘর্ষণ করে ছট্ফাট্ করতে লাগলো ৷ আবুয যিনাদ (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বলেন,
সারাহ্ তখন পুনরায় দুআ করেন, হে আল্লাহ! লোকটি এভাবে মারা গেলে লোকে বলবে
আমিই তাকে হত্যা করেছি ৷ অতএব, রাজা শাস্তি থেকে মুক্তিলাভ করল ৷ কিন্তু পুনরায় রাজা
তার দিকে, অগ্রসর হলো ৷ সারাহ্ও পুর্বের ন্যায় অয়ু ও সালাত শেষে ঐ দুআটি পড়লেন ৷ রাজা
পুনরায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ছট্ফট্ করতে থাকে ৷ এ দেশে সারাহ্ বললেন, “হে আল্লাহ ! এ যদি মারা
যায় তবে লোকে বলবে ঐ মহিলাটিই তাকে হত্যা করেছে ৷” অতঃপর যে মুক্তি লাভ করে ৷ এ
ভাবে তৃতীয় বা চতুর্থ বারের পর জালিম রাজা তার লোকদেরকে ডেকে বলল, তোমরা আমার
কাছে তো একটা দানবী পাঠিয়েছ ৷ একে ইবরাহীমের নিকট ফিরিয়ে দাও আর হাজেরাকেও এর
সাথে দিয়ে দাও ৷ বিবি সারাহ্ ফিরে এসে হযরত ইবরাহীম (আ)-কে জানালেন, আপনি কি
জানতে পেরেছেন, আল্লাহ কাফিরদের চক্রাভ ব্যর্থ করে দিয়েছেন এবং ঐ জালিম একজন
দাসীকেও দান করেছে ? কেবল ইমাম আহমদ (র) এই সুত্রে হাদীসটি বংনাি করেছেন, অবশ্য
সহীহ সনদের শর্ত অনুযায়ী ৷ ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে মারফুভাবে হাদীসটি

ৎাকক্ষিপ্ত কাংর বংনাি ৷করেছেন ৷ ইবন আবী হাতিম আবু সাঈদ (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ হযরত ইবরাহীম (আ) যে তিনটি কথা বলেছিলেন তার প্রতিটিই
আল্লাহ্র দীনের গ্রন্থি উম্মোচন করে ৷ তার প্রথম কথাং : ছুট্রু ব্লু০শু^ ক্লে৷ ৷ (আমি পীডি৩ ) দ্বিভীয়
কথা০ ৷১১ণ্ ^ ’ং দ্বুট্রু০র্দু fi£’§ র্চুর্চু (বরং এদের বড়জনই এ কাজ করেছে), তৃতীয় কথা০ : যখন
রাজা তার ত্রীকে কামনা করেছিল তখন বলেছিলেন, ঞ্জ;;৷ ১ (সে আমার বোন) অর্থাং
আল্লাহর দীনের সম্পর্কে বোন ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) ত ৷র ত্রীকে বলেছিলেন-“ এ জগতে
আমি এবং তুমি ব্যতীত আর কো ন মু মিন নেই ৷” তার এ কথা ৷র অর্থ হল, আমরা ব্যতীত আর
কোন মু’মিন দম্পতি নেই ৷ এ ব্যাখ্যা এ জন্যে প্রয়োজন, যেহেতু হযরত লুত (আ) ও তখন
তাদের সফরসংগী ছিলেন আর তিনি ছিলেন একজন নবী ৷ বিবি সারাহ্ যখন জালিম বাদশাহর
নিকট যাওয়ার জন্যে রওয়ানা হন, তখন থেকেই হযরত ইবরাহীম (আ) সালাত আদায়ে রত
থাকেন এবং দু আ করতে থাকেন, যেন আল্লাহ তার ত্রীকে হিফা ৷জত করেন এবং জালিমের
কুমতলব ব্যর্থ করে দেন ৷ বিবি সারাহ্ও অনুরুপ আমল করেন ৷ আল্লাহর দৃশমন তাকে ধরতে
গেলে তিনি অযু করে সালাত আদায়ান্তে দুআ করেন ৷ আল্লাহ বলেন :





وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ إِلَى نُبُوَّةِ ثَلَاثِ نِسْوَةٍ؛ سَارَةَ، وَأُمِّ مُوسَى، وَمَرْيَمَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ أَنَّهُنَّ صَدِّيقَاتٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ وَأَرْضَاهُنَّ وَرَأَيْتُ فِي بَعْضِ الْآثَارِ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ كَشَفَ الْحِجَابَ فِيمَا بَيْنَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَبَيْنَهَا فَلَمْ يَزَلْ يَرَاهَا مُنْذُ خَرَجَتْ مِنْ عِنْدِهِ إِلَى أَنْ رَجَعَتْ إِلَيْهِ، وَكَانَ مُشَاهِدًا لَهَا وَهِيَ عِنْدَ الْمَلِكِ، وَكَيْفَ عَصَمَهَا اللَّهُ مِنْهُ؛ لِيَكُونَ ذَلِكَ أَطْيَبَ لِقَلْبِهِ وَأَقَرَّ لِعَيْنِهِ وَأَشَدَّ لِطُمَأْنِينَتِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ يُحِبُّهَا حُبًّا شَدِيدًا لِدِينِهَا، وَقَرَابَتِهَا مِنْهُ وَحُسْنِهَا الْبَاهِرِ، فَإِنَّهُ قَدْ قِيلَ: إِنَّهُ لَمْ تَكُنِ امْرَأَةٌ بَعْدَ حَوَّاءَ إِلَى زَمَانِهَا أَحْسَنَ مِنْهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ التَّوَارِيخِ: أَنَّ فِرْعَوْنَ مِصْرَ هَذَا كَانَ أَخًا لِلضَّحَّاكِ الْمَلِكِ الْمَشْهُورِ بِالظُّلْمِ، وَكَانَ عَامِلًا لِأَخِيهِ عَلَى مِصْرَ. وَيُقَالُ: كَانَ اسْمُهُ سِنَانَ بْنَ عِلْوَانَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُوجِ بْنِ عِمْلَاقِ بْنِ لَاوَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، وَذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ فِي التِّيجَانِ أَنَّ الَّذِي أَرَادَهَا عَمْرُو بْنُ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ بَايلبونَ بْنِ سَبَأٍ، وَكَانَ عَلَى مِصْرَ نَقَلَهُ السُّهَيْلِيُّ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ إِنَّ الْخَلِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ رَجَعَ مِنْ بِلَادِ مِصْرَ إِلَى أَرْضِ التَّيَمُّنِ، وَهِيَ الْأَرْضُ الْمُقَدَّسَةُ الَّتِي كَانَ فِيهَا، وَمَعَهُ أَنْعَامٌ وَعَبِيدٌ وَمَالٌ جَزِيلٌ، وَصَحِبَتْهُمْ هَاجَرُ الْقِبْطِيَّةُ الْمِصْرِيَّةُ، ثُمَّ إِنَّ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ نَزَحَ بِمَا لَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ الْجَزِيلَةِ بِأَمْرِ الْخَلِيلِ لَهُ فِي ذَلِكَ إِلَى أَرْضِ الْغَوْرِ، الْمَعْرُوفِ بِغَوْرِ زُغَرَ، فَنَزَلَ بِمَدِينَةَ سَدُومَ، وَهِيَ أُمُّ تِلْكَ الْبِلَادِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَكَانَ أَهْلُهَا أَشْرَارًا كُفَّارًا فُجَّارًا،
পৃষ্ঠা - ৩৫১


(আমরা ধৈর্য ও সালাত দ্বারা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর ৷ (২ বাকারা : ৪৫) ৷ এভাবে আল্লাহ
তার খলীল , হাবীব, রাসুল ও বান্দার খাতিরে তার ত্রীর সক্সম রক্ষা করলেন ৷

কোন কোন বিজ্ঞ আলিমের মতে, তিনজন মহিলা নবী ছিলেন (১) সারাহ্ (২) হযরত মুসা
(আ)-এব যা, (৩) মারয়াম ৷ কিন্ডু অধিকাৎ শের মতে, তারা তিনজন সিদ্দীকা (সত্যপরায়ণা)
(আল্লাহ্ তাদের প্রতি প্রসন্ন হোন) ছিলেন ৷ আমি কোন কোন বর্ণনায় দেখেছি বিবি সারাহ্
যখন ইবরাহীম (আ)-এব নিকট থেকে জালিম বাদশাহর কাছে যান, তখন থেকে র্তার ফিরে
আসা পর্যন্ত আল্লাহ ইবরাহীম (আ) ও সারাহ্র মধ্যকার পর্দা উঠিয়ে নেন ৷ ফলে রাজার কাছে ,
তার থাকাকা ৷লীন যা যা যটছিল সবই তিনি প্রত ত্যক্ষ করছিলেন ৷ আল্লাহ এ ব্যবস্থা করেছিলেন
যাতে ইব্রাহীম (আ) এর হৃদয় পবিত্র থাকে চক্ষু শীতল থাকে এবংত তিনি অস্তরে প্রশান্তি বোধ
করেন ৷ কেননা, হযরত ইবরাহীম (আ) সারাহ্কেত তার দীনের জন্যে, আত্মীয়ত ৷র সম্পর্কের
জন্যে ও অনুপম সৌন্দর্যের জন্যে তাকে প্রগাঢ় মহব্বত করতেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, বিবি
হাওয়ার পর থেকে সারাহ্র যুগ পর্যন্ত তার চাইতে অধিক সুন্দরী কোন নারীর জন্ম হয়নি ৷
সকল প্রশংসা আল্লাহরই ৷

কোন কোন ইতিহাসবিদ লিখেছেন, এই সময়ে মিসরের ফিরআউন ছিল বিখ্যাত জালিম
বাদশাহ জাহ্হাকের ভাই ৷ সেত তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে মিসরের শাসনকর্তা ৷ছিল ৷ তার নাম
কেউ বলেন সিনান ইবন আলওযান ইবন উবায়দ ইবন উওয়ায়জ ইবন আমলাক ইবন লাওদ
ইবন নাম ইবন নুহ ৷ ইবন হিশাম ভীজা ন’ নামক গ্রন্থে বলেছেন, যে রাজা সারাহ্র উপর লোড
করেছিলত ৷র নাম আমর ইবন ইমরুল কায়স ইবন ম ইলুন ইবন সারা ৷ সে মিসরের
শাসনকর্তাছিল ৷ সুহায়লী (র) এ তথ্য বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সম্যক জ্ঞাত ৷

অতঃপর হযরত ইবরাহীম (আ) মিসর থেকে তীর পুর্ববর্তী বাসস্থান বরকতের দেশ তথা
বায়ভুল মুকাদ্দাসে যান ৷ তার সাথে বহু পশু সম্পদ, গোলাম, বীদী ও ধনসম্পদ ছিল ৷ মিসরের
কিবতী বংশোদ্ভুত হাজেরাও সাথে ছিলেন ৷ এই সময় হযরত লুত (আ) র্তার ধন-সম্পদসহ
হযরত ইবরাহীম (আ)-এর আদেশক্রমে পাওব দেশে চলে যান ৷ পাওরে-যাগার নামে এ
স্থানটি প্রসিদ্ধ ছিল ৷ তিনি সে অঞ্চলে ঐ যুগের প্রসিদ্ধ শহর সাদ্দুমে অবতরণ করেন ৷ শহরের
বাসিন্দার৷ ছিল কাফির, পাপাসক্ত ও দুকুতকারী ৷ আল্লাহ্ তাআলা হযরত ইবরাহীম (আ) কে
দৃষ্টি প্রসারিত করে উত্তর, দক্ষিণ, পুর্ব ও পশ্চিমে তাকাত্তুত বলেন এবং সু-সৎবাদ দেন যে, এই
সমুদয় স্থান তোমাকে ও তোমার উত্তরসুরিদেরকে চিরদিনের জন্য দান করব ৷ তোমার
সন্তানদের সংখ্যা এত বৃদ্ধি করে দেব যে, তাদের সংখ্যা পৃথিবীর বালুকণার সংখ্যার সমান হয়ে
যাবে ৷ এই সুসৎবাদ পুর্ণ মাত্রায় প্রতিফলিত হয়, বিশেষ করে এই উম্মতে মুহাম্মদিয়ার ক্ষেত্রে ৷
একটি হাদীস থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনষ্ক আল্লাহ আমার সম্মুখে পৃথিবীর এক অৎশকে ঝুকিয়ে দেন ৷
আমিত ৷র পুর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত দেখে নিলাম ৷ অচিরেই আমার উম্মতের রাজতু এই দেখান
সীমানা পর্যন্ত বিস্তার লা ৩ করবে ৷ ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, কিছুদিন পর ঐ দুরাচার লোকেরা
হযরত লুত (আ)-এব উপর চড়াও হয় এবং তীর পশু ও ধন-সম্পদ কেড়ে নিয়ে তাকে বন্দী


وَأَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ يَأْمُرُهُ أَنْ يَمُدَّ بَصَرَهُ، وَيَنْظُرَ شَمَالًا وَجَنُوبًا وَشَرْقًا وَغَرْبًا، وَبَشَّرَهُ بِأَنَّ هَذِهِ الْأَرْضَ كُلَّهَا سَأَجْعَلُهَا لَكَ، وَلِخَلَفِكَ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ، وَسَأُكْثِرُ ذُرِّيَّتَكَ حَتَّى يَصِيرُوا بِعَدَدِ تُرَابِ الْأَرْضِ، وَهَذِهِ الْبِشَارَةُ اتَّصَلَتْ بِهَذِهِ الْأُمَّةِ، بَلْ مَا كَمَلَتْ وَلَا كَانَتْ أَعْظَمَ مِنْهَا فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ الْمُحَمَّدِيَّةِ، يُؤَيِّدُ ذَلِكَ قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكُ أُمَّتِي مَا زَوَى لِي مِنْهَا» . قَالُوا: ثُمَّ إِنَّ طَائِفَةً مِنَ الْجَبَّارِينَ تَسَلَّطُوا عَلَى لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَسَرُوهُ، وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُ وَاسْتَاقُوا أَنْعَامَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ الْخَبَرُ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَارَ إِلَيْهِمْ فِي ثَلَاثِمِائَةٍ وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَاسْتَنْقَذَ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَاسْتَرْجَعَ أَمْوَالَهُ، وَقَتَلَ مِنْ أَعْدَاءِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ خَلْقًا كَثِيرًا وَهَزَمَهُمْ، وَسَاقَ فِي آثَارِهِمْ حَتَّى وَصَلَ إِلَى شَمَالِيِّ دِمَشْقَ، وَعَسْكَرَ بِظَاهِرِهَا عِنْدَ بَرْزَةَ، وَأَظُنُّ مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ الْمَنْسُوبَ إِلَيْهِ بِبَرْزَةَ الْيَوْمَ إِنَّمَا سُمِّيَ؛ لِأَنَّهُ كَانَ مَوْضِعَ مَوْقِفِ جَيْشِ الْخَلِيلِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَجَعَ مُؤَيَّدًا مَنْصُورًا إِلَى بِلَادِهِ، وَتَلَقَّاهُ مُلُوكُ بِلَادِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ مُعَظِّمِينَ لَهُ مُكْرِمِينَ خَاضِعِينَ، وَاسْتَقَرَّ بِبِلَادِهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.