আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ذكر مناظرة إبراهيم الخليل مع من ادعى الربوبية

পৃষ্ঠা - ৩৪০


(রা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যেং ংইবরাহীম (আ) কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন তিনি


?
বলেছিলেন :

যখন তাকে বলা হয়েছিলং

প্রে এন্াএে
;
— ন্এষ্৮া
তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হয়েছে ৷ সুতরাং তাদেরকে ভয় কর; কিন্তু এটা তাদের
ঈমানকে আরও দৃঢ় করে দিয়েছিল ৷ আর তারা বলেছিল, আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট এবং
তিনি বড়ই উত্তম কর্ম-বিধায়ক ৷ তারপর তারা আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিল ৷
কােনরুপ ক্ষতি তাদেরকে স্পর্শ করতে পারেনি ৷ (সুরা আল-ইমরান : ১ ৭৩-১ ৭৪ )

আবু ইয়াল৷ (র ) আবু হুরায়রা (বা ) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
ইবরাহীয (আ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয় তখন তিনি এই দৃআটি পড়েন : হে আল্লাহ !
আপনি আকাশ রাজ্যে একা আর এই যমীনে আমি একইি আপনার ইবাদত করছি ৷

পুর্ববর্তী যুগের কোন কোন আলিম বলেন, জিবরাঈল (আ) শুন্যে থেকে হযরত ইবরাহীয
(আ)-কে বলেছিলেন : আপনার কোন সাহায্যের প্রয়োজন আছে কি? উত্তরে ইবরাহীয (আ)
বলেছিলেন, সাহায্যের প্রয়োজন আছে, তবে আপনার কাছে নয় ৷ ’ ইবন আব্বাস ও সাঈদ
ইবন জুবড়ায়র (রা) থেকে বর্ণিতং : ঐ সময় বৃষ্টির ফেরেশত৷ (মীকাঈল) বলেছিলেন, আমাকে
যখনই নির্দেশ দেওয়া হবে তখনই বৃষ্টি প্রেরণ করব ৷ কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ বাণী অধিক দ্রুত
গতিতে পৌছে যায়

অর্থাৎ-আমি হুকুম করলাম, হে আগুন! তুমি ইবরাহীমের উপর শীতল ও শাণ্ডিদায়ক হয়ে
যাও) ৷ হযরত আ ৷লী ইবন আবী তালিব (রা) র্চু১া এর অর্থ করেছেন, তাকে কষ্ট দিও না ৷
ইবন আব্বাস (রা) ও আবুল আলিয়া (র) বলেছেন, আল্লাহ য না
বলতেন তাহলে ঠাও৷ ৷ও শীতলতায় ইবরাহীয (আ) এর কষ্ট হত ৷ কা বে আহবার বলেছেন,
পৃথিবীর কোন লোকই ঐদিন আগুন থেকে কােনরুপ উপকৃত হতে পারেনি এবং ইবরাহীয
(আ)-এর বন্ধনের রশি ছাড়া আর কিছুই জ্বলেনি ৷ যাহ্হাক (র) বলেছেন, ঐ সময় হযরত
জিবরাঈল (আ) ইবরাহীয (আ)-এর সঙ্গে ছিলেন এবং তার শরীর থেকে যায় মুছে দিচ্ছিলেন
এবং ঘাম নিগতি হওয়া ছাড়া আগুনের আর কোন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়নি ৷ সুদ্দী (র)
বলেছেন : ইবরাহীয (আ)-এর সাথে ছায়া দানের ফেরেশতাও ছিলেন ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ)
যখন প্রাচীর রেষ্টনীর মধ্যকার উক্ত গহবরে অবস্থান করছিলেন, তখন তার চতৃষ্পার্শে আগুনের
লেলিহান শিখ৷ দাউ দাউ করছিল অথচ তিনি ছিলেন শ্যাযল উদ্যানে শান্তি ও নিরাপদে ৷
লোকজন এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করছিল; কিন্তু না৩ ৷রা ইবরাহীয (আ) এর নিকট যেতে পারছিল,
, আর না ইবরাহীয (আ) বেরিয়ে তাদের কাছে আসতে পারছিলেন ৷ আবুহুরায়রা (রা) বলেন :
ইবরাহীয (আ) এর পিতা ৷আপন পুত্রের এ অবস্থা ৷দেখে একটি অতি উত্তম কথা বলেছিল,৩
ণ্;;১ হে ইবরাহীয! তোমার প্রতিপালক কতই না উত্তম
প্রতিপালক ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ( ১ম খণ্ডম্পো)গ্যে৪৩-


[ذِكْرُ مُنَاظَرَةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مَعَ مَنِ ادَّعَى الرُّبُوبِيَّةَ] ذِكْرُ مُنَاظَرَةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مَعَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُنَازِعَ الْعَظِيمَ الْجَلِيلَ فِي إِزَارِ الْعَظَمَةِ وَرِدَاءِ الْكِبْرِيَاءِ فَادَّعَى الرُّبُوبِيَّةَ وَهُوَ أَحَدُ الْعَبِيدِ الضُّعَفَاءِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِي حَاجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رَبِّهِ أَنْ آتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} [البقرة: 258] . [الْبَقَرَةِ: 258] . يَذْكُرُ تَعَالَى مُنَاظَرَةَ خَلِيلِهِ مَعَ هَذَا الْمَلِكِ الْجَبَّارِ الْمُتَمَرِّدِ الَّذِي ادَّعَى لِنَفْسِهِ الرُّبُوبِيَّةِ فَأَبْطَلَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ دَلِيلَهُ، وَبَيَّنَ كَثْرَةَ جَهْلِهِ وَقِلَّةَ عَقْلِهِ، وَأَلْجَمَهُ الْحُجَّةَ وَأَوْضَحَ لَهُ طَرِيقَ الْمَحَجَّةِ. قَالَ الْمُفَسِّرُونَ وَغَيْرُهُمْ مِنْ عُلَمَاءِ النَّسَبِ وَالْأَخْبَارِ: وَهَذَا الْمَلِكُ هُوَ مَلِكُ بَابِلَ، وَاسْمُهُ النُّمْرُودُ بْنُ كَنْعَانَ بْنِ كُوشِ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ قَالَهُ مُجَاهِدٌ. وَقَالَ غَيْرُهُ: نُمْرُودُ بْنُ فَالِحِ بْنِ عَابَرَ بْنِ صَالِحِ بْنِ أَرْفَخْشَدَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ. قَالَ مُجَاهِدٌ وَغَيْرُهُ: وَكَانَ أَحَدَ مُلُوكِ الدُّنْيَا.
পৃষ্ঠা - ৩৪১


ইবন আসাকীর (র) ইকরিমা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন : ইবরাহীম (আ) এর মা পুত্রকে এ
অবস্থায় দেখে ডেকে বলেছিলেন, হে আমার প্রিয় পুত্র ! আমি তোমার নিকট আসতে চাই ৷ তাই
আল্লাহর কাছে একটু বল, যাতে তোমার চারপাশের আগুন থেকে আমাকে রক্ষা করেন ৷
ইবরাহীম (আ) বললেন, হীা, বলছি ৷ তারপর মা পুত্রের নিকট চলে গেলেন ৷ আগুন তাকে
স্পর্শ কর ল না ৷ কাছে গিয়ে মাতা আপন পুত্রকে আলিঙ্গন ও চুম্বন করলেন এবং পুনরায়
অক্ষতভাবে সেখান থেকে বের হয়ে আসেন ৷ মিনহাল ইবন আমর (রা) বর্ণনা করেছেন :
হযরত ইবরাহীম (আ) আগুনের মধ্যে চল্লিশ কিৎবা পঞ্চাশ দিন অবস্থান করেন ৷ এই সময়
সম্পর্কে হযরত ইবরাহীম (আ) বলেন : আগুনের মধ্যে আমি যতদিন ছিলাম ততদিন এমন
শান্তি ও আরামে কাটিয়েছি যে, তার চেয়ে অধিক আরামের জীবন আমি কখনও উপভোগ
করিনি ৷ তিনি আরও বলেন : আমার গোটা জীবন যদি ঐরুপ অবস্থায় কাটত , তবে কতই না
উত্তম হতো এভাবে হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সম্প্রদায় শত্রুতাবশত প্রতিশোধ নিতে
চেয়েছিল; কিন্তু তারা ব্যর্থকাম হল ৷ তারা গৌরব অর্জন করতে চেয়েছিল, কিন্তু লাঞ্ছিত হল ৷
তারা বিজয়ী হতে চেয়েছিল, কিন্তু পরাজিত হল ৷ আল্লাহর বাণী :


(তারা চক্রান্ত করে ক্ষতি করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত করে
দেই ৷) অপর আয়াতে আছে শ্রোর্মু৷ ন্দ্বু মোঃ (আমি তাদেরকে হীনতম করে দেই)
এরুপে দুনিয়ার জীবনে তারা ক্ষ্হুতি ও লাঞ্চুনাপ্রাপ্ত হয় আর আখিরাতের জীবনে তাড়ের উপর
আগুন না শীতল হবে, না শাস্তিদায়ক হবে বরং সেখানকার অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন :
াৰুশু:র্চব্লুপুষ্ট্ৰ ”$£’;£fi $§£ (;fi; (জাহান্নড়াম হল তাদের জন্যে নিকৃষ্ট আবাস ও ঠিকানা

(সুরা ফুরকান : ৬৬)

ইমাম বুখারী (র) উমৃমু শারীক (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) গিরগিটি
মারার আদেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, ইবরাহীম (আ)-এর বিরুদ্ধে এটি আগুনে কুক
দিয়েছিল ৷ ইমাম মুসলিম (র) ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে এবং বুখারী, মুসলিম , নাসাঈ ও ইবন
মাজাহ্ (র) সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (রা) সুত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র)
আয়েশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমরা গিরগিটি হত্যা কর;
কারণ সে ইবরাহীম (আ)-এর বিরুদ্ধে আগুনে কুক দিয়েছিল তাই হযরত আয়েশা (রা)
গিরগিটি হত্যা করতেন ৷ ইমাম আহমদ (র) নড়াফি (র)-এর সুত্রে বর্ণনা করেন, জনৈক মহিলা
হযরত আয়েশা (রা)-এর গৃহে প্রবেশ্ করে একটি বার্তা দেখে জিজ্ঞেস করল : এ বর্শা দ্বারা
আপনি কি করেন? উত্তরে আয়েশা (রা) বললেন, এর দ্বারা আমি গিরগিটি নিধন করি ৷ তারপর
তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ইবরাহীম (আ) কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়
তখন সমস্ত জীব-ড্ড ও কীট-পতঙ্গ আগুন নিভাতে চেষ্টা করেছিল, কেবল এ গিরগিটি তা
করেনি; বরং সে উল্টে৷ আগুনে কুক দিয়েছিল ৷ উপরোক্ত হাদীস দু’টি ইমাম আহমদ (র) ভিন্ন
আর কেউ বর্ণনা করেননি ৷


فَإِنَّهُ قَدْ مَلَكَ الدُّنْيَا فِيمَا ذَكَرُوا أَرْبَعَةٌ مُؤْمِنَانِ وَكَافِرَانِ، فَالْمُؤْمِنَانِ؛ ذُو الْقَرْنَيْنِ وَسُلَيْمَانُ. وَالْكَافِرَانِ؛ النُّمْرُودُ وبُخْتُنَصَّرَ، وَذَكَرُوا أَنَّ نُمْرُودًا هَذَا اسْتَمَرَّ فِي مُلْكِهِ أَرْبَعَمِائَةِ سَنَةٍ، وَكَانَ قَدْ طَغَا وَبَغَا وَتَجَبَّرَ وَعَتَا، وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا، وَلَمَّا دَعَاهُ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ حَمَلَهُ الْجَهْلُ وَالضَّلَالُ وَطُولُ الْإِمْهَالِ عَلَى إِنْكَارِ الصَّانِعِ، فَحَاجَّ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ فِي ذَلِكَ وَادَّعَى لِنَفْسِهِ الرُّبُوبِيَّةَ، فَلَمَّا قَالَ لَهُ الْخَلِيلُ: {رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ} [البقرة: 258] . قَالَ قَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: يَعْنِي أَنَّهُ إِذَا أُتِيَ بِالرَّجُلَيْنِ قَدْ تَحَتَّمَ قَتْلُهُمَا فَإِذَا أَمَرَ بِقَتْلِ أَحَدِهِمَا، وَعَفَا عَنِ الْآخَرِ، فَكَأَنَّهُ قَدْ أَحْيَا هَذَا وَأَمَاتَ الْآخَرَ، وَهَذَا لَيْسَ بِمُعَارَضَةٍ لِلْخَلِيلِ، بَلْ هُوَ كَلَامٌ خَارِجِيٌّ عَنْ مَقَامِ الْمُنَاظَرَةِ لَيْسَ بِمَنْعٍ وَلَا بِمُعَارَضَةٍ، بَلْ هُوَ تَشْغِيبٌ مَحْضٌ، وَهُوَ انْقِطَاعٌ فِي الْحَقِيقَةِ، فَإِنَّ الْخَلِيلَ اسْتَدَلَّ عَلَى وُجُودِ الصَّانِعِ بِحُدُوثِ هَذِهِ الْمُشَاهَدَاتِ؛ مِنْ إِحْيَاءِ الْحَيَوَانَاتِ، وَمَوْتِهَا عَلَى وُجُودِ فَاعِلِ ذَلِكَ الَّذِي لَا بُدَّ مِنِ اسْتِنَادِهَا إِلَى وُجُودِهِ ضَرُورَةً، وَعَدَمِ قِيَامِهَا بِنَفْسِهَا، وَلَا بُدَّ مِنْ فَاعِلٍ لِهَذِهِ الْحَوَادِثِ الْمُشَاهَدَةِ؛ مِنْ خَلْقِهَا، وَتَسْخِيرِهَا، وَتَسْيِيرِ هَذِهِ الْكَوَاكِبِ، وَالرِّيَاحِ، وَالسَّحَابِ، وَالْمَطَرِ، وَخَلْقِ هَذِهِ الْحَيَوَانَاتِ الَّتِي تُوجَدُ مُشَاهَدَةً، ثُمَّ إِمَاتَتِهَا. وَلِهَذَا {قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ} [البقرة: 258] . فَقَوْلُ
পৃষ্ঠা - ৩৪২


ইমাম আহমদফাকিহ্ ইবনুল মুপীরার মুক্ত দাসী সুমামা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন, আমি একদা আয়েশা (রা)-এর গৃহে যাই ৷ তখন সেখানে একটা বর্শা রাখা আছে
দেখতে পাই ৷ জিজ্ঞেস করলাম, হে উম্মুল মুমিনীন! এ বর্শা দিয়ে আপনি কী করেন ? তিনি
বললেন, এ দিয়ে আমি এসব গিরগিটি বধ করি ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে বলেছেন :
ইবরাহীম (আ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন যমীনের উপর এমন কোন জীব ছিল
না যারা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেনি, কেবল এই গিরগিটি ব্যতীত ৷ সে ইবরাহীম (আ)এর
উপরে আগুনে কুক দেয় ৷ তাই রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে এগুলো হত্যা করতে আদেশ
করেছেন ৷ ইবন মাজাহ্ (ব) জারীর ইবন হাযিম (র) সুত্রে এ হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সাথে খােদায়ী দাবিদার
এক দুর্বল ৰান্দার বিতর্ক প্রসঙ্গ
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী :

তুমি কি ঐ ব্যক্তিকে দেখনি, যে ইবরাহীমের সাথে তার প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্কে লিপ্ত
হয়েছিল, যেহেতু আল্লাহ তাকে কর্তৃতু দিয়েছিলেন ৷ যখন ইবরাহীম বলল, তিনি আমার
প্রতিপালক যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান ৷ সে বলল, আমিও তাে জীবন দান কবি ও
মৃত্যু ঘটাই ৷ ইবরাহীম বলল, আল্লাহ সুর্যকে পুর্ব দিক হতে উদয় করান, তুমি তাকে পশ্চিম
দিক হতে উদয় করাও তো! অতঃপর যে কুফরী করেছিল, যে হতবুদ্ধি হয়ে গেল ৷ আল্লাহ
জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না ৷ (সুরা বাকারা : ২৫৮)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সাথে সেই সীমালংঘনকারী
প্রতাপশালী রাজার বিতর্বেল্ম কথা উল্লেখ করছেন, যে নিজে প্রতিপালক হওয়ার দাবি করেছিল ৷
হযরত ইবরাহীম খলীল (আ) তার উপস্থাপিত যুক্তির অসারতা প্রমাণ করেন, তার মুর্থতা ও
স্বল্পবুদ্ধিতা প্রকাশ করে দেন এবং নিজের দলীল দ্বারা তাকে নিরু ত্তর করেন ৷

তাফসীরবিদ, ঐতিহাসিক ও বংশবিদদের মতে, এ রাজাটি ছিল ব্যাবিলনের রাজা ৷ মুজাহিদ
(র) তার নাম নমরুদ ইবন কিনআন ইবন কুশ ইবন সামং ইবন নুহ বলে উল্লেখ করেছেন ৷
অন্যরা তার বংশলতিকা বলেছেন এভাবে নমরুদ ইবন ফালিহ্ ইবন আবির ইবন সালিহ
ইবন আরফাখশাদ ইবন সাম ইবন নুহ ৷ মুজাহিদ (র) প্রমুখ বলেছেন, যেসব রাজস্ব-বাদশাহ
দুনিয়া জোড়া রাজত্ব করেছে, এ ছিল তাদের অন্যতম ৷ ঐতিহাসিকদের মতে, এরুপ বাদশাহর
ৎখ্যা ছিল চার ৷ দুজন মু’মিন ও দু’জন কাফির ৷ মু’মিন দু’জন হলেন (১) যুলকারনায়ন ও (২)
সুলায়মান (আ) আর কাফির দু’জন হল (১) নমরুদ ও (২) বুখৃত নসর ৷ ঐতিহাসিকদের মতে,


هَذَا الْمَلِكِ الْجَاهِلِ: {أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ} [البقرة: 258] . إِنْ عَنَى أَنَّهُ الْفَاعِلُ لِهَذِهِ الْمُشَاهَدَاتِ فَقَدْ كَابَرَ وَعَانَدَ، وَإِنْ عَنَى مَا ذَكَرَهُ قَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا يَتَعَلَّقُ بِكَلَامِ الْخَلِيلِ؛ إِذْ لَمْ يَمْنَعْ مُقَدِّمَةً وَلَا عَارَضَ الدَّلِيلَ، وَلَمَّا كَانَ انْقِطَاعُ مُنَاظَرَةِ هَذَا الْمَلِكِ قَدْ تَخْفَى عَلَى كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ مِمَّنْ حَضَرَهُ وَغَيْرِهِمْ، ذَكَرَ دَلِيلًا آخَرَ بَيَّنَ وُجُودَ الصَّانِعِ وَبُطْلَانَ مَا ادَّعَاهُ النُّمْرُودُ، وَانْقِطَاعَهُ جَهْرَةً {قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ} [البقرة: 258] . أَيْ هَذِهِ الشَّمْسُ مُسَخَّرَةٌ كُلَّ يَوْمٍ تَطْلُعُ مِنَ الْمَشْرِقِ كَمَا سَخَّرَهَا خَالِقُهَا وَمُسَيِّرُهَا وَقَاهِرُهَا، وَهُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ، فَإِنْ كُنْتَ كَمَا زَعَمْتَ مِنْ أَنَّكَ الَّذِي تُحْيِي وَتُمِيتُ، فَأْتِ بِهَذِهِ الشَّمْسِ مِنَ الْمَغْرِبِ، فَإِنَّ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ هُوَ الَّذِي يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ، وَلَا يُمَانَعُ وَلَا يُغَالَبُ، بَلْ قَدْ قَهَرَ كُلَّ شَيْءٍ، وَدَانَ لَهُ كُلُّ شَيْءٍ، فَإِنْ كُنْتَ كَمَا تَزْعُمُ فَافْعَلْ هَذَا، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْهُ فَلَسْتَ كَمَا زَعَمْتَ، وَأَنْتَ تَعْلَمُ وَكُلُّ أَحَدٍ أَنَّكَ لَا تَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ مِنْ هَذَا، بَلْ أَنْتَ أَعْجَزُ وَأَقَلُّ مِنْ أَنْ تَخْلُقَ بَعُوضَةً أَوْ تَنْتَصِرَ مِنْهَا فَبَيَّنَ ضَلَالَهُ وَجَهْلَهُ، وَكَذِبَهُ فِيمَا ادَّعَاهُ وَبُطْلَانَ مَا سَلَكَهُ وَتَبَجَّحَ بِهِ عِنْدَ جَهَلَةِ قَوْمِهِ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُ كَلَامٌ يُجِيبُ الْخَلِيلَ بِهِ، بَلِ انْقَطَعَ وَسَكَتَ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} [البقرة: 258] . وَقَدْ ذَكَرَ السُّدِّيُّ أَنَّ هَذِهِ الْمُنَاظَرَةَ كَانَتْ بَيْنَ إِبْرَاهِيمَ وَبَيْنَ النُّمْرُودِ يَوْمَ خَرَجَ مِنَ النَّارِ، وَلَمْ يَكُنِ اجْتَمَعَ بِهِ إِلَّا يَوْمَئِذٍ فَكَانَتْ بَيْنَهُمَا هَذِهِ الْمُنَاظَرَةُ،
পৃষ্ঠা - ৩৪৩


নমরুদ চারশ বছরকালব্যাপী রাজতু করেছিল ৷ ফলে সে জুলুম-অত্যাচাব, দান্তিকত৷ ও
সীমালংঘনের চরমে গিয়ে পৌছে এবং পার্থিব র্জীবনবেইি সে চরম লক্ষ্য বলে বেছে নেয় ৷
ইব্রাহীম খলীল (আ) যখন তাকে এক ও লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের জন্যে আহ্বান
জানালেন, তখন তার মুর্থতা, পথ ভ্রষ্টত৷ ও উচ্চ জািাষ তাকে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করতে
প্ৰরোচিত করে ৷ এ ব্যাপারে সে ইবরাহীম (আ) এর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয় এবং নিজেই
প্ৰতিপালক হওয়ার দাবি করে ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) যখন ব্ললেন৪ আমার প্রতিপা ৷লক তো
তিনি, যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান ৷ নমরুদ বলল, আমিও তাে জীবন দান করি ও
মৃত্যু ঘটইি ৷

কাতাদা, সুদ্দী ও মুহাম্মদ ইবন ইসহ ক (র) লিখেছেন, নমরুদ ঐ সময় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দু’
ব্যক্তিকে ডেকে আসে ৷ অতঃপর একজনকে হত্য৷ করে ও অপরজনকে ক্ষমা করে দেয় ৷ এর
দ্বারা সে বোঝাতে (চয়েছে যে, সে একজনকে জীবন দান করল এবং অন্যজনের মৃত্যু ঘটান ৷
এ কা ৷জটি ইব্রাহীম (আ) এর দলীলের কোন মুকাবিলাই ছিল না ৷ বরং৩ তা বিতর্কের সাথে
সামঞ্জস্যহীন একটা উদ্ভট দুষ্কর্ম ছাড়া কিছুই নয় ৷ কেননা, হযরত ইবরাহীম খলীল (আ)
বিদ্যমান সৃষ্ট-বন্তুর দ্বারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করছেন ৷ তিনি দেখাচ্ছেন যে, যেসব প্রাণী
আমরা দেখতে পাই, তা এক সময় জন্মলাভ করেছে ৷ আবার কিছু দিন পর সেগুলো মৃত্যুবরণ
করছে ৷ এ থেকেই বোঝা যায় যে, এই কাজের একজন কর্তা আছেন, যিনি প্রাণীকে সৃষ্টি
করছেন ও মৃত্যু দিচ্ছেন ৷ কারণ কর্তা ছাড়া আপনা আপনি কোন কিছু হওয়া অসম্ভব ৷ সুতরাং
বিশ্বজগতে প্রাণী অপ্রাণী যা কিছু আছে৩ তা একবার অস্তিত্বে আসা ও আর একবার অস্তিতৃ লােপ
পাওয়া, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা, নক্ষত্র, বায়ু, যেঘমালা ও বৃষ্টি পরিচালনা করা ইত্যাদি কাজের
জন্যে অবশ্যই একজন কর্তা আছেন ৷ সে জন্যে ইব্রাহীম (আ) বললেনং :

ঞাদ্বু পুশু র্চুব্লুএাশু ’ পু(আমার প্রতিপালক তিনিই, যিনি জীবন দান করেন ও
মৃত্যু ঘটান ৷) অতএব, এ মুর্থ বাদচুা৷হর এই যে কথা আমিও জীবন দান কবি ও মৃত্যু ঘটইি
এর দ্বারা যদি এটা বোঝান হয় যে, সে ই দৃশ্যমান জগতের কর্তা, তবে এটা বৃথা দম্ভও
বাস্তবকে অস্বীকার করা ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ আর এ কথার দ্বারা যদি সেটাই বোঝান হয়ে
থাকে, যার উল্লেখ মুজাহিদ, সুদ্দী ও ইবন ইসহাক (র) করেছেন, তাহলে এ কথার কোন
মুল্যই নেই ৷ কেননা ইব্রাহীম (আ)-এর পেশকৃত দলীলের তাতে পতন হয় না

বাদশাহ নমরুদের এই যুক্তির অসারত ৷ উপস্থিত অনেকের কাছে অস্পষ্ট হওয়ায় এবং
অনুপন্থিতদের নিকট অস্পষ্ট হওয়ার প্রবল আশংকা থাকায় হযরত ইবরাহীম (আ) আর একটি
যুক্তি পেশ করেন, যার দ্বারা সৃষ্টিকর্তা র অস্তিত্ব ও নমরুদের মিথ্যা দাবি স্পষ্টভ৷ ৷বে প্রমাণিত
হয় ৷ ন্,দ্বুরুপু ৷ ট্রু,ন্ষ্ ৷ব্লুৰু ১গ্লুছু &,;§ £fi’ ৷ ;,ব্লু স্পো ৷ষ্টু ^ ;^ার্চু ম্বুটু৷ ৷ ’fi, র্চু র্মু ঢ

ইবরাহীম বলল, আল্লাহ ওে ৷ সুর্যকে পুর্ব দিক থেকে উদিত করেন, তুমি একে পশ্চিম দিক
থেকে উদিত করাও দেখি ৷

অর্থাৎ এই সুর্য আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে প্র৩ তাহ পুর্ব দিক থেকে উদিত হয় এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথে
পবিচালনা করেন ৷ এই আল্লাহ এক, অন্য কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনিই সব কিছুর সৃষ্টিকতা৷


وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ النُّمْرُودَ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامٌ، وَكَانَ النَّاسُ يَفِدُونَ إِلَيْهِ لِلْمِيرَةِ فَوَفَدَ إِبْرَاهِيمُ فِي جُمْلَةِ مَنْ وَفَدَ لِلْمِيرَةِ فَكَانَ بَيْنَهُمَا هَذِهِ الْمُنَاظَرَةُ، وَلَمْ يُعْطَ إِبْرَاهِيمُ مِنَ الطَّعَامِ كَمَا أُعْطِيَ النَّاسُ، بَلْ خَرَجَ وَلَيْسَ مَعَهُ شَيْءٌ مِنَ الطَّعَامِ، فَلَمَّا قَرُبَ مِنْ أَهْلِهِ عَمَدَ إِلَى كَثِيبٍ مِنَ التُّرَابِ فَمَلَأَ مِنْهُ عِدْلَيْهِ. وَقَالَ أَشْغَلُ أَهْلِي إِذَا قَدِمْتُ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ وَضَعَ رِحَالَهُ وَجَاءَ فَاتَّكَأَ فَنَامَ، فَقَامَتِ امْرَأَتُهُ سَارَةُ إِلَى الْعِدْلَيْنِ فَوَجَدَتْهُمَا مَلْآنَيْنِ طَعَامًا طَيِّبًا فَعَمِلَتْ مِنْهُ طَعَامًا، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ إِبْرَاهِيمُ وَجَدَ الَّذِي قَدْ أَصْلَحُوهُ، فَقَالَ: أَنَّى لَكُمْ هَذَا؟ قَالَتْ: مِنَ الَّذِي جِئْتَ بِهِ. فَعَرَفَ أَنَّهُ رِزْقٌ رَزَقَهُمُوهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ: وَبَعَثَ اللَّهُ إِلَى ذَلِكَ الْمَلِكِ الْجَبَّارِ مَلَكًا يَأْمُرُهُ بِالْإِيمَانِ بِاللَّهِ فَأَبَى عَلَيْهِ، ثُمَّ دَعَاهُ الثَّانِيَةَ فَأَبَى عَلَيْهِ، ثُمَّ الثَّالِثَةَ فَأَبَى عَلَيْهِ. وَقَالَ: اجْمَعْ جُمُوعَكَ وَأَجْمَعُ جُمُوعِي. فَجَمَعَ النُّمْرُودُ جَيْشَهُ وَجُنُودَهُ وَقْتَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ ذُبَابًا مِنَ الْبَعُوضِ بِحَيْثُ لَمْ يَرَوْا عَيْنَ الشَّمْسِ، وَسَلَّطَهَا اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَأَكَلَتْ لُحُومَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ، وَتَرَكَتْهُمْ عِظَامًا بَالِيَةً، وَدَخَلَتْ وَاحِدَةٌ مِنْهَا فِي مَنْخَرَيِ الْمَلِكِ، فَمَكَثَتْ فِي مَنْخَرَيْهِ أَرْبَعَمِائَةِ سَنَةٍ عَذَّبَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِهَا فَكَانَ يَضْرِبُ رَأْسَهُ بِالْمَرَازِبِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ كُلِّهَا حَتَّى أَهْلَكَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.