سنة ثمان من الهجرة النبوية
غزوة الفتح الأعظم
نزول النبي بمر الظهران
পৃষ্ঠা - ৩৩৯২
নিয়ে হাযির !” আবু সুফিয়ান (রা) বললেন, “আল্লাহর শপথ, কুরায়শদের ধ্বংস অনিবার্য ৷ তোমার
উপর আমার মাতা পিতা কুরবান হোন! তাহলে এখন উপায় কী ?” আব্বাস (রা) বলেন, আমি
বললড়াম, “যদি কেউ তোমাকে কাবুতে পেয়ে যায়, সে তোমাকে নিশ্চয়ই হত্যা করবে ৷ কাজেই
এ খচ্চরের পিঠে চড়ে রস ৷ আমি তোমাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (স্য)-ন্এর কাছে যার এবং তার
কাছে (তামার নিরাপত্তার আবেদন করব ৷ ” আব্বাস (বা) বলেন, তারপর সে আমার পিছনে
সওয়ার হলো ও তার দু’জন সাথী ফিরে চলে গেলো ৷ উরওয়া (ণ্রা) বলেন, বরং তারা দু’জন
সাথীও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে আগমন করেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আর রড়াসৃলুল্লাহ্
(সা) তাদের দু’জনের কাছ থেকে মক্কারাসীদের সম্বন্ধে খবরাখবর ৰুরুনন ৷” ইমাম যুহ্রী (বা এবং
মুসা ইবন উকবা বলেন, “বরং তারা হযরত আব্বাস (রা)এর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
খিদমতে হাযির হয়েছিলেন ৷”
ইবন ইসহাক বলেন, আব্বাস (বা) বলেন, “তারপর আমি তাকে নিয়ে যখন মুসলমানদের
কোন তাবুর আওতায় পাশ দিয়ে যাই, উপস্থিত লোকজন জিরু স করে , ইনি কে ? যখন তারা
রাসুলুল্লাহ্ (না) এর খচ্চর ও আমাকে তার উপর সওয়ার দেখতে পেতে৷ , তখন তারা বলরুতা ,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চাচা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খচ্চরের উপর সওয়ার ৷” এমনকি যখন আমি উমর
(রা) এর আগুনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন “ইনি কে ?” আমার প্ৰতি
লক্ষ্য করে যখন আবু সুফিয়ান (রা) কে খচ্চরের পিঠে আমার পিছনে দেখতে পেলেন, তখন
বলে উঠলেন, আল্লাহ্র দুশমন আবু সুফিয়ান ! আল্লাহর অসংখ্য প্রশংসা যে কোন চুক্তি ও
ৎপীকার ব্যতিরেকেই আল্লাহ তোমাকে আমাদের হাতের মুঠােয় এনে দিয়েছেন !” উরওয়া
ইবন যুবায়র (রা) বলেন, উমর (রা) আবু সুফিয়ান (বা) এর ঘাড়ে আঘাত করেন এবং হত্যা
করার মনস্থ করেন; জ্যি আব্বাস (রা) তাকে ধারণ করেন ৷
অনুরুপভাবে মুসা ইবন উববাে ইমাম যুহ্রী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর গুপ্তচরেরা তাদের উটের রশি ধরে ফেলেন এবং জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কে ?’ তারা
বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে প্রেরিত প্রতিনিধি ৷” এরপর আব্বাস (রা) তাদের সাথে
মুলাকাত করেন এবং তাদেরকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দরবারে প্রবেশ করেন ৷ এরপর আব্বাস
(বা) তাদের সাথে সারা রাত কথা বলেন এবং ভোর বেলায় তাদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
কালিমার দাওয়াত দিলেন ৷ তারা সাক্ষ্য দিলেন ৷ “আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ
(সা) আল্লাহ্র রাসুল ৷” হাকীম এবং বুদায়লও অনুরুপ সাক্ষ্য দিলেন ৷ আবু সুফিয়ান (রা) রাতে
বলেছিলেন, “আমি এসব জানিনা, কিন্তু ভোরবেলা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তারা তিনজন মিলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে কুরায়শদের জন্যে নিরাপত্তার আবেদন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা
করেন, “যে আবু সুফিয়ান (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ !” আর আবু সুফিয়ান
(রা) এর ঘর ছিল মক্কার উচ্চ ভুমিতে ৷ “যে হাকীম ইবন হিযড়াম (রা) এর ঘরে প্রবেশ করবে সে
নিরাপদ ৷” হাকীম ইবন হিযড়াম (রা)-এর ঘর ছিল মক্কার নিম্ন ভুমিতে ৷ “আর যে ব্যক্তি নিজের
ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে সেও নিরাপদ !” এগুলো ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর ঘোষণা ৷ আব্বাস
(বা) বলেন, “এরপর উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পৌছার জন্যে দ্রুত রওয়ান৷ হলেন ৷
আমিও খচ্চরে সওয়ার হয়ে খচ্চরকে দ্রুত ইকোতে লাগলাম ৷ আমি তার আগে পৌছে গেলাম ৷
فَقُلْ لِثَقِيفٍ لَا أُرِيدُ قِتَالَهَا ... وَقُلْ لِثَقِيفٍ تِلَكَ غَيْرِيَ أَوْعِدِي
فَمَا كُنْتُ فِي الْجَيْشِ الَّذِي نَالَ عَامِرًا ... وَمَا كَانَ عَنْ جَرَّا لِسَانِي وَلَا يَدِي
قَبَائِلُ جَاءَتْ مِنْ بِلَادٍ بَعِيدَةٍ ... نَزَائِعُ جَاءَتْ مِنْ سِهَامٍ وَسَرْدُدِ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَزَعَمُوا أَنَّهُ حِينَ أَنْشَدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
. . . . . . . . . . . . . . . . . . وَنَالَنِي ... مَعَ اللَّهِ مَنْ طَرَّدْتُ كُلَّ مُطَرَّدِ
ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِهِ وَقَالَ: أَنْتَ طَرَّدْتَنِي كُلَّ مُطَرَّدِ! .
[نُزُولُ النَّبِيِّ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ]
فَصْلٌ نُزُولُ النَّبِيِّ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ
وَلَمَّا انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَرِّ الظَّهْرَانِ، نَزَلَ فِيهِ فَأَقَامَ، كَمَا رَوَى الْبُخَارِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ، وَمُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الطَّاهِرِ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ كِلَاهُمَا، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ نَجْتَنِي الْكَبَاثَ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " عَلَيْكُمْ بِالْأَسْوَدِ مِنْهُ فَإِنَّهُ أَطْيَبُ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَكُنْتَ تَرْعَى الْغَنَمَ؟ قَالَ: " نَعَمْ، وَهَلْ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ رَعَاهَا؟»
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৩
কেননা, ধীরগতির মানুষকে ধীর গতির জানােয়ার অতিক্রম করে যায় ৷ ” আব্বাস (রা) বলেন,
“আমি খচ্চর থেকে অবতরণ করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘরে প্রবেশ করলাম সাথে সাথে উমর
(রা)-ও ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ তিনি বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ এই আবু সুফিয়ান, আল্লাহ
তাআলা কোন চুক্তি ও অঙ্গীকার ব্যতিরেকেই তাকে আমাদের আয়ত্বে এনে দিয়েছেন ৷ তাকে
হত্যা করার জন্যে আমাকে অনুমতি দিন !” আব্বাস (বা) বলেন, “আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ!
আমি কিন্তু তাকে নিরাপত্তা দিয়েছি ৷ এরপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে বসলাম এবং তীর
মাথা ধরে বললাম, আল্লাহর শপথ, আজকের রাতে আমি ব্যতীত আর অন্য কোন ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাথে কানে কানে কথা বলতে পারছে না ৷ যখন উমর (রা) আবু সুফিয়ান (বা) এর
সম্বন্ধে বেশী বেশী পীড়াপীড়ি করতে লাপলেন, তখন আমি বললাম, থামাে হে উমর (রা) !
আল্লাহর শপথ, যদি সে বনু আদী ইবন কাবের কোন ব্যক্তি হত তাহলে তুমি এরুপ বলতেনা,
কিন্তু তুমি জান যে, আবু সুফিয়ান (বা) হচ্ছে বনু আবদে মান্নাষেহ্ একজন তাই তুমি এরুপ
বলছ ৷ উমর (রা) বললেন, থামুন, হে আব্বাস ! আল্লাহর শপথ, যেদিন আপনি মুসলমান
হয়েছিলেন যদি সেদিন আমার পিতা খাত্তাবও মুসলমান হতেন তাহলে আপনার ইসলামই আমার
পিতার ইসলামের চাইতে আমার কাছে অধিকতর প্রিয় হত ৷ তার কারণ হচ্ছে, আমি জানি যে,
আপনার ইসলাম গ্রহণ খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণের চাইতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে অধিকতর
প্রিয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, হে আব্বাস ! একে নিয়ে আপনি এখন আপনার আবাস স্থলে চলে
যান ৷ ভোর বেলায় আপনি তাকে নিয়ে আসবেন ৷ আব্বাস (রা) বলেন, আমি তাকে নিয়ে আমার
আবাস স্থলে গেলাম ৷ সে আমার কাছে রাত যাপন করে ৷ পরদিন ভোরে আমি তাকে নিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে হাযির হলড়াম ৷ তিনি তাকে দেখে বললেন, “হে আবু সুফিয়ান !
তোমার জন্যে দৃর্তোগ, এখনও কি তোমার সময় আসেনি যে, তুমি জানবে আল্লাহ ছাড়া কোন
মাবুদ নেই ?” উত্তরে তিনি বললেন, “আপনার উপর আমার মা-বাপ কুরবান হোন ৷ আপনি
কতইনা ধৈর্যশীল ! আপনি কতইনা সম্মানিত এবং আপনি কতই না আত্মীয়তার প্রতি লক্ষ্য রাখেন ৷
আল্লাহর শপথ, আমার বিশ্বাস, আল্লাহর সাথে যদি অন্য কোন মা’বুদ থাকত তাহলে সে আমাকে
কিছু না কিছু সাহায্য কর তে ৷” রা সুণুল্লা হ (সা) বললে ন , “তোমার দৃর্তোগ, এখনও কি তোমার
সময় আসেনি যে, তুমি আমাকে আল্লাহর রাসুল বলে জানবে ?” আবু সুফিয়ান বলল, আপনার
উপর আমার মা-বাপ কুরবান হোন ! আপনি কতইনা ধৈর্যশীল ! আপনি কতইনা সম্মানিত এবং
আপনি কতই না আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী ৷ তবে আল্লাহর শপথ, এখনও এ ব্যাপারে আমার
অন্তরে কিছু দ্বিধা রয়েছে ৷ আব্বাস (বা) তখন তাকে বললেন, “তোমার দুর্তোগ, তোমার গর্দান
কাটা যাওয়ার পুর্বেই ইসলাম গ্রহণ কর এবং সাক্ষ্য দাও আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং
মুহাম্মাদ নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসুল ৷ ” রাবী বলেন, “এরপর আবু সুফিয়ান এ সাক্ষ্য দেয়ার
মাধ্যমে মুসলমান হয়ে গেলেন ৷ আব্বাস (রা) বলেন, “এরপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
নিঃসন্দেহে আবু সুফিয়ান এমন একজন মানুষ যে গৌরব পসন্দ করে ৷ তাকে গৌরবজনক কিছু
একটা দান করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “যে আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে
নিরাপদ ৷ ” রাবী উরওয়া (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ যে হাকীম ইবন হিযাম এর ঘরে
প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ ৷” মুসা ইবন উকবা, ইমাম যুহরী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ سِنَانَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ سَعِيدِ بْنِ مِينَا قَالَ: «لَمَّا فَرَغَ أَهْلُ مُؤْتَةَ وَرَجَعُوا، أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَسِيرِ إِلَى مَكَّةَ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى مَرِّ الظَّهْرَانِ نَزَلَ بِالْعُقْبَةِ، فَأَرْسَلَ الْجُنَاةَ يَجْتَنُونَ الْكَبَاثَ، فَقُلْتُ لِسَعِيدٍ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: ثَمَرُ الْأَرَاكِ. قَالَ: فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُودٍ فِيمَنْ يَجْتَنِي. قَالَ: فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ إِذَا أَصَابَ حَبَّةً طَيِّبَةً قَذَفَهَا فِي فِيهِ، وَكَانُوا يَنْظُرُونَ إِلَى دِقَّةِ سَاقَيِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَهُوَ يَرْقَى فِي الشَّجَرَةِ فَيَضْحَكُونَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَعْجَبُونَ مِنْ دِقَّةِ سَاقَيْهِ؟ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهُمَا أَثْقَلُ فِي الْمِيزَانِ مِنْ أُحُدٍ» وَكَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ مَا اجْتَنَى مِنْ شَيْءٍ، جَاءَ بِهِ وَخِيَارُهُ فِيهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ:
هَذَا جَنَايَ وَخِيَارَهُ فِيهْ ... إِذْ كُلُّ جَانٍ يَدُهُ إِلَى فِيهْ
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «أَنَفَجْنَا أَرْنَبًا وَنَحْنُ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ، فَسَعَى الْقَوْمُ فَلَغِبُوا، فَأَدْرَكْتُهَا فَأَخَذْتُهَا، فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا، وَبَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَرِكِهَا أَوْ فَخِذَيْهَا فَقَبِلَهُ» .
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ الظَّهْرَانِ، وَقَدْ عُمِّيَتِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৪
الْأَخْبَارُ عَنْ قُرَيْشٍ، فَلَا يَأْتِيهِمْ خَبَرٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا يَدْرُونَ مَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعِلٌ، وَخَرَجَ فِي تِلْكَ اللَّيَالِي أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَبُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ، يَتَحَسَّسُونَ الْأَخْبَارَ، وَيَنْظُرُونَ هَلْ يَجِدُونَ خَبَرًا أَوْ يَسْمَعُونَ بِهِ.
وَذَكَرَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ عُيُونًا خَيْلًا يَقْتَصُّونَ الْعُيُونَ، وَخُزَاعَةُ لَا تَدَعُ أَحَدًا يَمْضِي وَرَاءَهَا، فَلَمَّا جَاءَ أَبُو سُفْيَانَ وَأَصْحَابُهُ أَخَذَتْهُمْ خَيْلُ الْمُسْلِمِينَ، وَقَامَ إِلَيْهِ عُمَرُ يَجَأُ فِي عُنُقِهِ، حَتَّى أَجَارَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبَدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ صَاحِبًا لِأَبِي سُفْيَانَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ الْعَبَّاسُ حِينَ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ الظَّهْرَانِ: قُلْتُ: وَاصَبَاحَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ لَئِنْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ عَنْوَةَ قَبْلَ أَنْ يَأْتُوهُ فَيَسْتَأْمِنُوهُ، إِنَّهُ لَهَلَاكُ قُرَيْشٍ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ. قَالَ: فَجَلَسْتُ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْضَاءِ، فَخَرَجْتُ عَلَيْهَا حَتَّى جِئْتُ الْأَرَاكَ، فَقُلْتُ: لَعَلِّي أَجِدُ بَعْضَ الْحَطَّابَةِ، أَوْ صَاحِبَ لَبَنِ، أَوْ ذَا حَاجَةٍ يَأْتِي مَكَّةَ فَيُخْبِرُهُمْ بِمَكَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِيَخْرُجُوا إِلَيْهِ فَيَسْتَأْمِنُوهُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِمْ عَنْوَةً. قَالَ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَسِيرُ عَلَيْهَا وَأَلْتَمِسَ مَا خَرَجْتُ لَهُ، إِذْ سَمِعْتُ كَلَامَ أَبِي سُفْيَانَ وَبُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ وَهُمَا يَتَرَاجَعَانِ، وَأَبُو سُفْيَانَ يَقُولُ: مَا رَأَيْتُ كَاللَّيْلَةِ نِيرَانًا قَطُّ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৫
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বলেছিলেন, “যে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে সেও নিরাপদ ৷
আর যে মসজিদে প্রবেশ করবে সেও নিরাপদ ৷” যখন তিনি বিদায় হবার আবেদন পেশ করলেন
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “হে আব্বাস (বা) ৷ তাকে নিয়ে গিরিসংকটের নিকট সংকীর্ণ
জায়গায় রেখে এবন্টু থামারেন ৷ ওখান দিয়ে আল্লাহর লস্করসমুহ অতিক্রম করার সময় সে যেন
দেখতে পায় ৷
মুসা ইবন উকবা ইমাম যুহ্বী (র) হতে বর্ণা৷ করেন, তিনি বলেন “নিশ্চয়ই আবু সুফিয়ান
(বা) , বুদায়ল (রা) ও হাকীম ইবন হিযাম (রা) আব্বাস (রা)-এর সাথে গিরি সংকটে দওায়মান
ছিলেন ৷” তিনি আরো বলেন, “সা’দ (রা) যখন আবু সুফিয়ান (রা) কে লক্ষ্য করে বললেন,
“আজকের দিন যুদ্ধের দিন, আজকের দিনে হারামকে হালাল কর হবে ৷’ অ আবু সুফিয়ান (রা)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে অনুযােগ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ) এজন্য সা দকে আনসারের পতাকা
বহন থেকে অব্যাহতি দিলেন এবং যুবায়র ইবন আওয়াম (রা) কে আনসারের পতাকা অর্পণ
করেন ৷ তিনি তা নিয়ে মক্কার উচ্চ ভুমি হয়ে মক্কায় প্রবেশ হারেন এবং হাজ্জন নামক স্থানে
পতাকাটি স্থাপন করেন ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা ) নিম্নভুমি দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তার
সাথে সাক্ষাত হয় বনু বকর ও হুযায়ল গোত্রদ্বয়ের ৷ বনু বকরের ২০ জন এবং হুযায়লের ৩৪
জনকে তিনি হত্যা করেন ৷ তাদেরকে তিনি পরাজিত করেন ও হাযুরায় তাদেরকে হত্যা করেন ৷
তাদের এ হত্যাকাণ্ড মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌছে ছিল ৷
আব্বাস (রা) বলেন, “আমি আবু সুফিয়ান (রা) কে নিয়ে অতিক্রম করার স ৎকীর্ণ জায়গায়
উপস্থিত হলাম যেখানে তাকে নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷” তিনি আরো বলেন, “গোত্রসমুহত তাদের ঝাও৷ নিয়ে অতিক্রম করছিল ৷ যখনই
একটি গোত্র অতিক্রম করতে তা আবু সুফিয়ান (রা) আব্বাস (রা ) কে বললেন “হে আব্বাস (রা) !
এরা কারা ? ” তখন তিনি জবাব দিলেন, এরা বনু সুলায়ম ৷ আবু সুফিয়ান (রা ) বললেন, “আমারও
বনু সুলায়মের মধ্যেত কোন শত্রুতা নেই ৷ এরপর আরো একটি গোত্র অতিক্রম করল তখন সে
বললেন, (“হ আব্বাস ! এরা কারা ? আমি বললাম, “এরা মুযায়ন৷ গো ৷” আবু সুফিয়ান (রা)
বললেন, “আমরাও মুযায়নার মধ্যে কোন খারাপ সম্পর্ক (নই ৷” এরুপে অন্যান্য গোত্রগুলো
অতিক্রম করল ৷ আবুসুফিয়ান প্রশ্ন করতো এরা কারা ৷? আমিও তার উত্তর দিতাম ৷ সে বলতো
যে, আমার ও অমুক গোত্রের মধ্যে কোন প্রকার মনােমালিন্য নেই ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
সবুজ বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন যুহাজির ও আনসারগণ ৷ র্তার৷ সকলে
বর্ম পরিহিত ছিলেন ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বলল, “সুবহান৷ ল্লাহ্, হে আব্বাস (রা) ! এরা কারা ?”
তিনি বলেন, “আমি বললাম, ইনিণ্ডে ৷ মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ্, যিনি মুহাজির ও আনসারদের
পরিরেষ্টিত হয়ে আগমন করেছেন ৷” সে বলল, এদের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি কারোর নেই ৷
আল্লাহর শপথ, হে আবুল ফযল ৷ তোমার ভাইপো তো বড় বাদশা হয়ে গেছেন ৷ ’ আব্বাস (বা)
বললেন, আমি বললাম “হে আবু সুফিয়ান (রা) ! এটা নিঃসন্দেহে নৃবুওতের নিদর্শন ৷” সে
বলল, তাহলে তো এটা উত্তমই বলতে হয় ৷” তিনি বলেন, আমি বললাম, তােমা র সম্প্রদায়ের
মুক্তির ব্যবস্থা কর ৷ যখন আ বু সুফিয়ানের সম্প্রদায় কুরায়শদের প্রতি অগ্রসর হলো৩ তখন উচ্চস্বরে
ঘোষণা দিতে লাগলো , “হে কুরায়শের লোকেরা ! মুহাম্মাদ এসেছেন ৷ তার মুকা ৷বিলা করার শক্তি
عَسْكَرًا! قَالَ: يَقُولُ بُدَيْلٌ: هَذِهِ وَاللَّهِ خُزَاعَةُ حَمَشَتْهَا الْحَرْبُ. قَالَ: يَقُولُ أَبُو سُفْيَانَ: خُزَاعَةُ أَذَلُّ وَأَقَلُّ مِنْ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ نِيرَانُهَا وَعَسْكَرُهَا. قَالَ: فَعَرَفْتُ صَوْتَهُ فَقُلْتُ: يَا أَبَا حَنْظَلَةَ. فَعَرِفَ صَوْتِي، فَقَالَ: أَبُو الْفَضْلِ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: مَا لَكَ، فَدَى لَكَ أَبِي وَأُمِّي؟ قَالَ: قُلْتُ: وَيْحَكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ! هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ، وَاصَبَاحَ قُرَيْشٍ وَاللَّهِ. قَالَ: فَمَا الْحِيلَةُ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي؟ قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ لَئِنْ ظَفِرَ بِكَ لَيَضْرِبَنَّ عُنُقَكَ، فَارْكَبْ فِي عَجُزِ هَذِهِ الْبَغْلَةِ حَتَّى آتِيَ بِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْتَأْمِنُهُ لَكَ. قَالَ: فَرَكِبَ خَلْفِي وَرَجَعَ صَاحَبَاهُ - وَقَالَ عُرْوَةُ: بَلْ ذَهَبَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَا، وَجَعَلَ يَسْتَخْبِرُهُمَا عَنْ أَهْلِ مَكَّةَ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: بَلْ دَخَلُوا مَعَ الْعَبَّاسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَالَ: فَجِئْتُ بِهِ كُلَّمَا مَرَرْتُ بِنَارٍ مِنْ نِيرَانِ الْمُسْلِمِينَ قَالُوا: مَنْ هَذَا؟ فَإِذَا رَأَوْا بَغْلَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عَلَيْهَا قَالُوا: عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. حَتَّى مَرَرْتُ بِنَارِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ وَقَامَ إِلَيَّ، فَلَمَّا رَأَى أَبَا سُفْيَانَ عَلَى عَجُزِ الدَّابَّةِ قَالَ: أَبُو سُفْيَانَ عَدُوُّ اللَّهِ! الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَمْكَنَ مِنْكَ بِغَيْرِ عَقْدٍ وَلَا عَهْدٍ. وَزَعَمَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عُمَرَ وَجَأَ فِي رَقَبَةِ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَرَادَ قَتْلَهُ فَمَنَعَهُ مِنْهُ الْعَبَّاسُ.
وَهَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ عُيُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৬
أَخَذُوهُمْ بِأَزِمَّةِ جِمَالِهِمْ، فَقَالُوا: مَنْ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: وَفْدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَقِيَهُمُ الْعَبَّاسُ، فَدَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَادَثَهُمْ عَامَّةَ اللَّيْلِ، ثُمَّ دَعَاهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَشَهِدُوا، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، فَشَهِدَ حَكِيمٌ وَبُدَيْلٌ، وَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: مَا أَعْلَمُ ذَلِكَ. ثُمَّ أَسْلَمَ بَعْدَ الصُّبْحِ، ثُمَّ سَأَلُوهُ أَنْ يُؤَمِّنَ قُرَيْشًا، فَقَالَ: " «مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ» - وَكَانَتْ بِأَعْلَى مَكَّةَ - «وَمَنْ دَخَلَ دَارَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ فَهُوَ آمِنٌ» - وَكَانَتْ بِأَسْفَلِ مَكَّةَ - «وَمَنْ أَغْلَقَ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ» .
قَالَ الْعَبَّاسُ: ثُمَّ خَرَجَ عُمَرُ يَشْتَدُّ نَحْوَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَكَضَتِ الْبَغْلَةُ، فَسَبَقَتْهُ بِمَا تَسْبِقُ الدَّابَّةُ الْبَطِيئَةُ الرَّجُلَ الْبَطِيءَ قَالَ: فَاقْتَحَمْتُ عَنِ الْبَغْلَةِ، فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَبُو سُفْيَانَ قَدْ أَمْكَنَ اللَّهُ مِنْهُ بِغَيْرِ عَقْدٍ وَلَا عَهْدٍ، فَدَعْنِي فَلْأَضْرِبْ عُنُقَهُ. قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ إِنِّي قَدْ أَجَرْتُهُ. ثُمَّ جَلَسْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذْتُ بِرَأْسِهِ، فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا يُنَاجِيهِ اللَّيْلَةَ دُونِي رَجُلٌ. فَلَمَّا أَكْثَرَ عُمَرُ فِي شَأْنِهِ. قَالَ: قُلْتُ: مَهْلًا يَا عُمَرُ، فَوَاللَّهِ أَنْ لَوْ كَانَ مِنْ رِجَالِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ مَا قُلْتَ هَذَا، وَلَكِنَّكَ قَدْ عَرَفْتَ أَنَّهُ مِنْ رِجَالِ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ. فَقَالَ: مَهْلًا يَا عَبَّاسُ، فَوَاللَّهِ لَإِسْلَامُكَ يَوْمَ أَسْلَمْتَ كَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ إِسْلَامِ الْخَطَّابِ لَوْ أَسْلَمَ، وَمَا بِي إِلَّا أَنِّي قَدْ عَرَفْتُ أَنَّ إِسْلَامَكَ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِسْلَامِ الْخَطَّابِ لَوْ أَسْلَمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اذْهَبْ بِهِ يَا عَبَّاسُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৭
তামাদের (নই; সুতরাং আত্মসমর্পণ কর ৷ যে আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে
নিরাপদ ৷” তার ত্রী হিন্দা বিন্ত উতবা তার সামনে এসে দাড়াল এবং রাগে তার পৌফ ধরে
বলল, “এ ভুড়িওয৷ লা হতভাগাকে তোমরা হত্যা কর ৷ সে কতই না মন্দ প্রতিনিধি ! আবু সুফিয়ান
(বা ) বললেন, “তোমাদের জন্যে দুর্তোগ, তোমরা নিজেকে নিয়ে আর অহংকার করােনা ৷
কেননা, তিনি এসেছেন৩ তার বিশাল বাহিনী নিয়ে আজকের দিন তার মৃকাবিল৷ করার ক্ষমতা
তোমাদের মধ্যে (নই ৷৩ তাই যে আবু সুফিয়ান (রা) এর ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ’ ৷
জনগণ বলল, আল্লাহ্ তোমায় ধ্ব০ স করুক তোমার ঘর আমাদের কতদর কাজে লাগবে ?” সে
বলল, “যে তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে, সে নিরাপদ ৷ আর যে মসজিদে প্রবেশ করবে সেও
নিরাপদ ৷ লোকজন তাদের ঘরে ও মসজিদে চলে গেল ৷
উরওয৷ ইবন যুবায়র (রা) উল্লেখ করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আবু সুফিয়ান (বা) এর কাছ
দিয়ে অন্যান্য গোত্র সহকারে অতিক্রম করছিলেন তখন তিনি রাসুলুহুা৷হ্ (সা) কে বললেন, “আমি
অনেক লোককেই দেখছি যাদেরকে চিনতে পারছি না ৷ এসব লোক আমাদের জন্যে অতিরিক্ত
বলেই মনে হয় ৷” জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ভুমি ও তোমার সম্প্রদায় বহু কিছু করেছ ৷
তোমরা যখন আমাকে মিথ্যাবাদী ঠাওরিয়েছ ৷ এ লোকগুলো তখন আমাকে স৩ বাদী বলে বরণ
করেছে ৷ তোমরা যখন আমাকে দেশছাড়৷ করেছ ৷ তখন তারা আমাকে সাহায্য করেছে ৷”
যখন আবু সুফিয়ান (বা) সাদ ইবন উবাদা (রা)-এর কথা নিয়ে অভিযোগ করেন ৷ সাদ ইবন
উবাদ৷ (বা ) যখন আবু সুফিয়ান (বা ) এর সামনে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন তখন তিনি
বলেছিলেন, “হে আবু সুফিয়া ন ! আজকের দিন যুদ্ধের দিন, আজকের দিনে৷ হ৷ রামকে হালাল করা
হবে ৷ অর্থাৎ বায়তুল্লাহ্র হুরমত আজ আর মানা হবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “সা দ মিথ্যা
বলেছে বরং আজকের দিন, এমন একটি দিন যে দিনে আল্লাহ তাআলা কা’বাকে ইযযত দান
করবেন ৷ আর আজকের দিনে কা’বাকে গিলাফ পরানাে হবে ৷
উরওয৷ (বা) উল্লেখ করেন, যে রাতে আবুসুফিয়ান (বা) আব্বাস (রা)শ্এর কাছে ছিলেন,
পরদিন ভোরে তিনি লোকজনকে দেখতে পান যে, তারা সালাত আদায়ের দিকে মনােযোপী
হয়েছেন এবং পবিত্রতা অর্জনের জন্যে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছেন এতে তিনি ভীত হয়ে
পড়েন এবং আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করেন “তাদের কী হয়েছে ?’ আব্বাস (বা) বললেন,
“তারা আযানের ধ্বনি শুনেছেন এবং তারা সাল ৷ত আদায়ের জন্যে ছড়িয়ে পড়েছেন ৷” তারপর
যখন সালাত শুরু হল তখন তিনি তাদেরকে দেখলেন যে, তা রা৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ককুর সাথে
ককু করছেন এবং তার সিজদার সাথে তারাও সিজদা করছেন ৷ তখন তিনি বললেন, “হে
আব্বাস ! তিনি যেই কাজেরই৩ ৷ তাদেরকে আদেশ করেন সেই কা ৷জই কি ত ৷র৷ করেন ষ্ ” আব্বাস
(রা ) বললেন, “হ্যা, আল্লাহর শপথ, যদি তিনি তাদেরকে খাবার বও পানীয় ছেড়ে দিতে বলেন,
তাহলেও তারা অবশ্যই তার আনুগত্য করবে ৷
মুসা ইবন উকব৷ ইমাম যুহ্রী হতে বর্ণনা করেন ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐদিন উয়ু করলেন ,
তখন তারা উয়ুর পানি হাতে হাতে নিয়ে নিলেন ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বললেন, হে আব্বাস (বা) ৷
গত রাতের ঘটনার ন্যায় আমি কিসৃরা ও কায়সারের দরবারেও কখনো দেখিনি ৷
رَحْلِكَ فَإِذَا أَصْبَحْتَ فَأْتِنِي بِهِ ". قَالَ: فَذَهَبْتُ بِهِ إِلَى رَحْلِي، فَبَاتَ عِنْدِي، فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَوْتُ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " وَيْحَكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ! أَلَمْ يَأْنِ لَكَ أَنْ تَعْلَمَ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ " فَقَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، مَا أَحَلَمَكَ وَأَكْرَمَكَ وَأَوْصَلَكَ، وَاللَّهِ لَقَدْ ظَنَنْتُ أَنْ لَوْ كَانَ مَعَ اللَّهِ غَيْرُهُ لَقَدْ أَغْنَى عَنِّي شَيْئًا بَعْدُ. قَالَ: " وَيْحَكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ! أَلَمْ يَأْنِ لَكَ أَنْ تَعْلَمَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " قَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، مَا أَحَلَمَكَ وَأَكْرَمَكَ وَأَوْصَلَكَ، أَمَّا هَذِهِ وَاللَّهِ فَإِنَّ فِي النَّفْسِ مِنْهَا حَتَّى الْآنَ شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: وَيْحَكَ! أَسْلِمْ وَاشْهَدْ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، قَبْلَ أَنْ تُضْرَبَ عُنُقُكَ. قَالَ: فَشَهِدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ فَأَسْلَمَ. قَالَ الْعَبَّاسُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ، فَاجْعَلْ لَهُ شَيْئًا. قَالَ: " نَعَمْ، «مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ» - زَادَ عُرْوَةُ: " «وَمَنْ دَخَلَ دَارَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ فَهُوَ آمِنٌ» ". وَهَكَذَا قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ - وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ ". فَلَمَّا ذَهَبَ لِيَنْصَرِفَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا عَبَّاسُ، احْبِسْهُ بِمَضِيقِ الْوَادِي عِنْدَ خَطْمِ الْجَبَلِ، حَتَّى تَمُرَّ بِهِ جُنُودُ اللَّهِ فَيَرَاهَا.
وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ وَبُدَيْلًا وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ كَانُوا وُقُوفًا مَعَ الْعَبَّاسِ عِنْدَ خَطْمِ الْجَبَلِ، وَذَكَرَ أَنَّ سَعْدًا لَمَّا قَالَ لِأَبِي سُفْيَانَ: الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْحُرْمَةُ. فَشَكَّى أَبُو سُفْيَانَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৮
ইমাম বায়হাকী (ব) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু
সুফিয়ান (বা) কে নিয়ে আব্বাস (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগমন করলেন ৷ এরপর রাবী
সম্পুর্ণ ঘটনা বর্থাং৷ করেন, তবে একথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে
যেদিন ভোরে তিনি আগমন করেন তার পুর্ব রাতেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আবার এ কথাও
উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন তাকে বললেন, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ
করবে সে নিরাপদ ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বললেন, আমার ঘরতে৷ অতটা প্রশস্ত নয় ৷ ’ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “যে ব্যক্তি কাব৷ ঘরে প্রবেশ করবে সেও নিরাপদ ৷’ তখন তিনি বলেন, “কাবা
ঘরওতে৷ অভ প্রশস্ত নয় ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, “যে ব্যক্তি মাসজিদৃল হারামে প্রবেশ
করবে সেও নিরাপদ ৷” তখনও তিনি বললেন, “মসজিদও তাে অত প্রশস্ত নয় ৷” তখন তিনি
বললেন, “যে ব্যক্তি নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে, সেও নিরাপদ ! আবু সুফিয়ান (বা) বলেন,
“হ্যা, এতে স্থান সঙ্কুলান হতে পারে ৷”
ইমাম বুখারী (র) হিশামের পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যখন মক্কা বিজয়ের বছর উক্ত অভিযানে বের হন ও এ খবর কুরায়শদের কাছে পৌছে ৷ তখন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) সম্বন্ধে বিস্তারিত সংবাদ সংগ্রহের জন্যে আবু সুফিয়ান ইবন হারব , হাকীম ইবন
হিযাম ও বুদায়ল ইবন ওরাক৷ ঘর থেকে বের হলেন ৷ তারা সামনে অগ্রসর হয়ে মার্কয যাহ্রান
পৌছেন, তখন তারা সেখানে অভ বেশী পরিমাণে অগ্নি লক্ষ্য করলেন, যেমনটা আরাফাতের
ময়দানে দেখা যায় ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বললেন, এগুলাে কি ? মনে হয় যেন আরাফাত ময়দানের
আগুন ৷ ’ বুদায়ল ইবন ওরাক৷ (রা) বললেন, এগুলো সম্ভবতঃ বনু আমরের প্রজ্বলিত আগুন ৷ আবু
সুফিয়ান (বা) বললেন, তারা সংখ্যায় এর চেয়ে অনেক কম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কয়েকজন
প্রহরী তাদেরকে দেখে ফেলেন এবং তাদেরকে গ্রেফতার করে ফেলেন ৷ তাদেরকে নিয়ে তখন
র্তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হন ৷ তখন আবু সুফিয়ান (বা) ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
এরপর যখন তিনি চলে যাবার অনুমতি চাইলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আব্বাস (রা)-কে
বললেন, “আবু সুফিয়ানকে পাহাড়ের প্রবেশ মুখে সংকীর্ণ স্থানে নিয়ে যাও, যাতে সে মুসলিম
সৈন্যদের প্রতি লক্ষ্য করতে পারে ৷ আব্বাস (বা) তাকে ওখানে নিয়ে গেলেন ৷ পােত্রসমুহ
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে দলে দলে আবু সুফিয়ানের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন ৷ একটি
গোত্র যখন অতিক্রম করল তখন আবু সুফিয়ান (রা) আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন, “এরা
কারা ?” তিনি উত্তরে বললেন “এরা পিফার গোত্র ৷” তখন তিনি বললেন, “আমার ও শিক্ষার
গোত্রের মধ্যে কী সম্পর্ক ?” অর্থাৎ তারাতে৷ আমাদের শত্রু নয় ৷ এরপর জুহায়ন৷ গোত্র
অতিক্রম করে ৷ তাদের ক্ষেত্রেও অনুরুপ কথোপকথন হয় ৷ এরপর সাদ ইবন হুযায়ম গোত্র
অতিক্রম করে ৷ তাদের সম্পর্কেও অনুরুপ কথোপকথন হয় ৷ তারপর সুলায়ম গোত্রের ব্যাপারে
অনুরুপ কথোপকথন হয় ৷ তারপর এমন একটি সৈন্যদল আসল যাদের ন্যায় পুর্বে আর কখনও
দেখা যায়নি ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বললেন, “এরা কারা ? আব্বাস (বা) বললেন, “এরা
আনসার যাদের আমীর হলেন সাদ ইবন উবাদ৷ (বা) যার সাথে রয়েছে পতাকা ৷ সাদ ইবন
উবাদ৷ (রা ) বললেন, “হে আবু সুফিয়ান ! আজকের দিন যুদ্ধের দিন, আজকের দিনে কা’বাকে
নিষেধমুক্ত গণ্য করা হবে ৷” তারপর আবুসুফিয়ান (রা) বলেন, “হে আব্বাস (বা) ! সামনে
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَزَلَهُ عَنْ رَايَةِ الْأَنْصَارِ، وَأَعْطَاهَا الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، فَدَخَلَ بِهَا مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ وَغَرَزَهَا بِالْحَجُونِ، وَدَخَلَ خَالِدٌ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ فَلَقِيَهُ بَنُو بَكْرٍ وَهُذَيْلٌ، فَقُتِلَ مِنْ بَنِي بَكْرٍ عِشْرِينَ وَمِنْ هُذَيْلٍ ثَلَاثَةً أَوْ أَرْبَعَةً، وَانْهَزَمُوا فَقُتِلُوا بِالْحَزْوَرَةِ حَتَّى بَلَغَ قَتْلُهُمْ بَابَ الْمَسْجِدِ.
قَالَ الْعَبَّاسُ: فَخَرَجْتُ بِأَبِي سُفْيَانَ حَتَّى حَبَسْتُهُ بِمَضِيقِ الْوَادِي حَيْثُ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَحْبِسَهُ. قَالَ: وَمَرَّتِ الْقَبَائِلُ عَلَى رَايَاتِهَا، كُلَّمَا مَرَّتْ قَبِيلَةٌ قَالَ: يَا عَبَّاسُ، مَنْ هَؤُلَاءِ؟ فَأَقُولُ: سُلَيْمٌ. فَيَقُولُ: مَا لِي وَلِسُلَيْمٍ. ثُمَّ تَمُرُّ بِهِ الْقَبِيلَةُ فَيَقُولُ: يَا عَبَّاسُ، مَنْ هَؤُلَاءِ؟ فَأَقُولُ: مُزَيْنَةُ. فَيَقُولُ: مَا لِي وَلِمُزَيْنَةَ. حَتَّى نَفِدَتِ الْقَبَائِلُ، مَا تَمُرُّ بِهِ قَبِيلَةٌ إِلَّا سَأَلَنِي عَنْهَا، فَإِذَا أَخْبَرْتُهُ قَالَ: مَا لِي وَلِبَنِي فُلَانٍ. حَتَّى مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كَتِيبَتِهِ الْخَضْرَاءِ وَفِيهَا الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، لَا يُرَى مِنْهُمْ إِلَّا الْحَدَقُ مِنَ الْحَدِيدِ، فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! يَا عَبَّاسُ، مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَ: قُلْتُ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ. قَالَ: مَا لِأَحَدٍ بِهَؤُلَاءِ مِنْ قِبَلٍ وَلَا طَاقَةٍ، وَاللَّهِ يَا أَبَا الْفَضْلِ لَقَدْ أَصْبَحَ مُلْكُ ابْنِ أَخِيكَ الْغَدَاةَ عَظِيمًا. قَالَ: قُلْتُ: يَا أَبَا سُفْيَانَ،
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৯
إِنَّهَا النُّبُوَّةُ، قَالَ: فَنِعْمَ إِذَنْ. قَالَ: قُلْتُ: النَّجَاءَ إِلَى قَوْمِكَ. حَتَّى إِذَا جَاءَهُمْ صَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، هَذَا مُحَمَّدٌ قَدْ جَاءَكُمْ فِيمَا لَا قِبَلَ لَكُمْ بِهِ، فَمَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ. فَقَامْتُ إِلَيْهِ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ، فَأَخَذَتْ بِشَارِبِهِ فَقَالَتْ: اقْتُلُوا الْحَمِيتَ الدَّسِمَ الْأَحْمَسَ، قُبِّحَ مِنْ طَلِيعَةِ قَوْمٍ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَيْلَكُمْ لَا تَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ مِنْ أَنْفُسِكُمْ، فَإِنَّهُ قَدْ جَاءَكُمْ مَا لَا قِبَلَ لَكُمْ بِهِ، مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ. قَالُوا: قَاتَلَكَ اللَّهُ، وَمَا تُغْنِي عَنَّا دَارُكَ؟ قَالَ: وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ. فَتَفَرَّقَ النَّاسُ إِلَى دَوْرِهِمْ وَإِلَى الْمَسْجِدِ.
وَذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرَّ بِأَبِي سُفْيَانَ قَالَ لَهُ: إِنِّي لَأَرَى وُجُوهًا كَثِيرَةً لَا أَعْرِفُهَا، لَقَدْ كَثُرَتْ هَذِهِ الْوُجُوهُ عَلَيَّ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنْتَ فَعَلْتَ هَذَا وَقَوْمُكَ، إِنَّ هَؤُلَاءِ صَدَّقُونِي إِذْ كَذَّبْتُمُونِي، وَنَصَرُونِي إِذْ أَخْرَجْتُمُونِي ". ثُمَّ شَكَى إِلَيْهِ قَوْلَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ حِينَ مَرَّ عَلَيْهِ فَقَالَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْحُرْمَةُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَذِبَ سَعْدٌ، بَلْ هَذَا يَوْمٌ يُعَظِّمُ اللَّهُ فِيهِ الْكَعْبَةَ، وَيَوْمٌ تُكْسَى فِيهِ الْكَعْبَةُ.
وَذَكَرَ عُرْوَةُ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ لَمَّا أَصْبَحَ صَبِيحَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ الَّتِي كَانَ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৩৪০০
বিরাট গণ্ডগােল মনে হচ্ছে ! এরপর একটি স্বল্প সংখ্যক সৈন্যের বাহিনী আসল, র্তাদের মধ্যে
ছিলেন আল্লাহর রাসুল (সা) ও তীর সাহাবীগণ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পতাকাবাহী ছিলেন যুবায়র
ইবনুল আওয়াম (বা) ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) যখন আবু সুফিয়ান এর সামনে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন
আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলেন, “আপনি কি জানেন, সাদ ইবন উবাদা (বা) কী বলছেন
? ” তিনি বললেন, “কী বলেছে ?” তখন তিনি উত্তরে বললেন, এরুপ এরুপ ৷” রাসুলুল্লাহ্ (যা)
বললেন, সাদ (বা) সঠিক বলেনি, বরং আজকের দিনে আল্লাহ্ তাআল৷ কা ’বাকে সম্মান দান
করবেন, আজকের দিনে কা’বাকে গিলাফ পরানাে হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাজুনে তীর ঝাণ্ডা স্থাপন
করার জন্যে আদেশ করলেন ৷
উরওয়া (বা) আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ আব্বাস (বা) ষুনায়র ইরনুল আওয়াম
(রা)-কে জিজ্ঞেস করেন, এখানে কি পতাকা স্থাপন করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নির্দেশ
দিয়েছেন ?” তিনি বললেন, হীা’ ৷ তিনি বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)কে
মক্কার উচু ভুমি কাদা’ দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) থােদ প্রবেশ
করেছেন কুদা’ অঞ্চল দিয়ে ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)-এর বাহিনীর দুই ব্যক্তি হুনায়শ ইবন
আল-আশআর ও কুবয ইবন জাবির আলফিহরী ঐ দিন শহীদ হন ৷
আবু দাউদ (র) আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ,
“মক্কা বিজয়ের বছর আবু সুফিয়ান ইবন হারব (রা)-কে নিয়ে আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমন করেন ৷ আবু সুফিয়ান মার্কয যাহ্রানে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে লক্ষ্য করে আব্বাস (রা) বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! নিশ্চয়ই আবু সুফিয়ান (বা )
এমন এক ব্যক্তি যিনি গৌরব পসন্দ করেন ৷ আপনি যদি তার জন্যে গৌরবের একটি কিছু
করতেন ! রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, “ঠিক আছে ৷ যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ান (রা ) এর ঘরে প্রবেশ
করবে, সে নিরাপদ ৷ আর যে ব্যক্তি আপন ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে , সেও নিরাপদ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মক্কায় প্রবেশ
বুখারী ও মুসলিম শরীফে আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মাথায় লৌহ শিরস্ত্রাণ
পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তিনি মাথা থেকে শিরস্ত্রাণ খৃলতেই এক ব্যক্তি এসে
বললাে , ইবন খাতাল কাবার গিলাফ ধরে দাড়িয়ে আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাকে হত্যা
কর ৷ ইমাম মালিক (র) বলেন, আমাদের ধারণা মতে সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইহ্রাম পরা
অবস্থায় ছিলেন না ৷ ইমাম আহমদ আফ্ফান জাবির (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মক্কা
বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাল পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ এ হাদীছটি
তিরমিযী নাসাঈ , আবু দাউদ ও ইবন মাজা হামমাদ ইবন সালড়ামা সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন এবং
তিরমিযী একে হাসান সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম কুতায়বা ও ইয়াহ্য়৷ ইবন
ইয়াহ্য়৷ জাবির সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় প্ররেশকালে কাল পাগড়ী
পরিহিত ছিলেন ৷ তখন তিনি ইহ্রাম অবস্থায় ছিলেন না ৷ ইমাম মুসলিম আবু উসামা সুত্রে
আমর ইবন হুরায়ছ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি যেন এখনও দেখতে পাচ্ছি, মক্কা
বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাথায় মোট কাল রং এর পাগড়ী পরা ছিল, যার শামলা দৃই
الْعَبَّاسِ، وَرَأَى النَّاسَ يُحَشْحِشُونَ لِلصَّلَاةِ، وَيَنْتَشِرُونَ فِي اسْتِعْمَالِ الطَّهَارَةِ خَافَ وَقَالَ لِلْعَبَّاسِ: مَا بَالُهُمْ؟ قَالَ: إِنَّهُمْ سَمِعُوا النِّدَاءَ، فَهُمْ يَنْتَشِرُونَ لِلصَّلَاةِ. فَلَمَّا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ وَرَآهُمْ يَرْكَعُونَ بِرُكُوعِهِ، وَيَسْجُدُونَ بِسُجُودِهِ قَالَ: يَا عَبَّاسُ، مَا يَأْمُرُهُمْ بِشَيْءٍ إِلَّا فَعَلُوهُ! قَالَ: نَعَمْ، وَاللَّهِ لَوْ أَمَرَهُمْ بِتَرْكِ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ لَأَطَاعُوهُ.
وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ لَمَّا تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلُوا يَتَكَفَّفُونَ، فَقَالَ: يَا عَبَّاسُ، مَا رَأَيْتُ كَاللَّيْلَةِ وَلَا مُلْكَ كِسْرَى وَقَيْصَرَ.
وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَ هَذِهِ الْقِصَّةَ بِتَمَامِهَا كَمَا أَوْرَدَهَا زِيَادٌ الْبَكَّائِيُّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. عَلَى أَنَّهُ قَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بِلَالٍ الْأَشْعَرِيِّ، عَنْ زِيَادٍ الْبَكَّائِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
পৃষ্ঠা - ৩৪০১
قَالَ: «جَاءَ الْعَبَّاسُ بِأَبِي سُفْيَانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ. فَذَكَرَ الْقِصَّةَ، إِلَّا أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ أَسْلَمَ مِنْ لَيْلَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ لَمَّا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ ". قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَمَا تَسَعُ دَارِي؟ فَقَالَ: " وَمَنْ دَخَلَ الْكَعْبَةَ فَهُوَ آمِنٌ ". قَالَ: وَمَا تَسَعُ الْكَعْبَةُ؟ فَقَالَ: " وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ ". قَالَ: وَمَا يَسَعُ الْمَسْجِدُ؟ فَقَالَ: " وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ ". فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: هَذِهِ وَاسِعَةٌ» .
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَبَلَغَ ذَلِكَ قُرَيْشًا، خَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَبُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ، يَلْتَمِسُونَ الْخَبَرَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلُوا يَسِيرُونَ حَتَّى أَتَوْا مَرَّ الظَّهْرَانِ، فَإِذَا هُمْ بِنِيرَانٍ كَأَنَّهَا نِيرَانُ عَرَفَةَ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: مَا هَذِهِ؟ كَأَنَّهَا نِيرَانُ عَرَفَةَ! فَقَالَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ: نِيرَانُ بَنِي عَمْرٍو. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: عَمْرٌو أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ. فَرَآهُمْ نَاسٌ مِنْ حَرَسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَدْرَكُوهُمْ فَأَخَذُوهُمْ، فَأَتَوْا بِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَسْلَمَ أَبُو سُفْيَانَ، فَلَمَّا سَارَ، قَالَ لِلْعَبَّاسِ: " احْبِسْ أَبَا سُفْيَانَ عِنْدَ خَطْمِ الْجَبَلِ حَتَّى يَنْظُرَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ ". فَحَبَسَهُ الْعَبَّاسُ، فَجَعَلَتِ الْقَبَائِلُ تَمُرُّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَمُرُّ كَتِيبَةً كَتِيبَةً عَلَى أَبِي سُفْيَانَ، فَمَرَّتْ كَتِيبَةٌ فَقَالَ: يَا عَبَّاسُ مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: هَذِهِ غِفَارٌ. قَالَ: مَا لِي وَلِغِفَارٍ. ثُمَّ مَرَّتْ جُهَيْنَةُ فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৩৪০২
র্কাধের মাঝখানে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন ৷ মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ গ্রন্থসমুহে হযরত জাবির
বর্ণিত হাদীছে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন তখন তিনি কাল পাগড়ী
পরিহিত ছিলেন, ৷ সুনানে আরবাআ (অর্থাৎ তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাউদ ও ইবন মাজার)
গ্রন্থকারগণ ইয়াহ্য়া ইবন আদম সুত্রে জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মক্কায়
প্রবেশকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর পতাকা ছিল সাদা ৷ ইবন ইসহাক হযরত আইশার হাদীছ উদ্ধৃত
করেছেন যে, মক্কা বিজয়কালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পতাকার রং ছিল সাদা এবং ব্যানারের রং ছিল
কাল ৷ পতাকার নাম ছিল উকাব ৷ একটা পশমী চাদর কেটে এটা তৈরি করা হয়েছিল ৷ বৃখারী
শরীফে আবুল ওয়ালীদ সুত্রে আবদৃল্লা হ্ ইবন মুগাফফ৷ ল থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মক্কা
বিজয়ের দিন আ ৷মি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কেত তার উদ্রীব উপর নওয়াব অবস্থয় সুরা ফাতহ ত ৷রজী করে
(টেনে টেনে) পড়তে শুনেছি ৷ রর্ণনাকারী মুআৰিয়া ইবন কুবৃরাত৷ বলেন , আমার চারপাশে
লোকজন সমবেত হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকলে আবদুল্লাহ ইবন মুগ ৷ফ্ফাল যেভাবে রাসুলের
তারজী’ নকল করে আমাকে শুনিয়েছিলেন আমিও সেভাবে ত্;চারজী’ করে শুনাত ৷ম ৷ ইবন
ইসহ ক বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যী তৃয়া
পর্যন্ত পৌছে আপন বাহনের উপর থেমে যান ৷ তখন তিনি ছিলেন ইয়ামনী লাল বর্ণের চাদরের
পাপড়ী পরিহিত ৷ আল্লাহ তাকে বিজয় দান করে যে গৌরব দান করেছেন সে কথা স্মরণ করে
আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত হয়ে মাথা এতই ঝুকিংয় দেন যে, তার দাড়ি মুবারক হাওদার সাথে প্রায়
লেগে যায় ৷ হাফিয বায়হাকী আবুআবদৃল্লাহ্ আল-হাফিয়ের একটি সুত্রে হযরত আনাস
(রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিনে শহরে প্রবেশ করার সময় বিনয়ভাবে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর থুতনী মুবারক বাহনের পিঠের সাথে মিশে যায় ৷ তার আর একটি সুত্রে ইবন
মাসউদ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মক্কা বিজয়ের দিন এক ব্যক্তি এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে
আলাপ করছিল ৷ তখন (ভয়ে) তার দেহে র্কাপন ধরে যায় ৷ তিনি বললেন, স্বাভাবিক হও !
(ভরের কোন কারণ নেই ৷) কেননা, আমি এমন একজন কুরায়শী মহিলার সন্তান যিনি সং রক্ষিত
শুকনো গোশৃত যেয়ে জীবন ধারণ করতেন ৷ বায়হাকী বলেন এ হাদীছটি ইসমাঈল ইবন আবুল
হারিছ থেকে মুত্তাসিল এবং ইসমাঈল ইবন কায়স থেকে মুরসালভাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ এখানে
লক্ষণীয় বিষয় হল, মক্কা বিজয় অভিযানে মক্কায় প্রবেশকালে এই বিশাল তেজদীপ্ত সৈন্য বাহিনীর
সাথে থেকে এ রকম বিনয় প্রকাশ করা, বনী ইসরাঈলেব নির্বে৷ ৷ধদের সেই ঘটনার সম্পুর্ণ বিপরীত
চিত্র যেখানে তাদেরকে নির্দেশ দেয়৷ হয়েছিল বায়তুল মুক ৷দ্দাসের প্রবেশ দ্বার অতিক্রমকা ৷লে
রুকু-সিজদা বত অবস্থায় মাথা নত করে যাওয়ার জন্যে এবং মুখে হিত্তা ৷তুন’ (ক্ষমা চাই) শব্দ
উচ্চারণ করতে ,কিন্তু তা রা৷ মাথা উচু রেখে নিতন্বের উপর ভর করে তা মাটিতে ঘেষতে যেষতে
প্রবেশ করে ৷ এবং হিত্তা ৷তুন শব্দ পরিবর্তন করে হিন৩ তাতুন ফী শাঈরাতিন’ (ঘরের মধ্যে গম)
বলতে থাকে ৷ বুথারী কাসিম ইবন খারিজ৷ আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ মক্কা
বিজয়ের বছর নবী (সা) মক্কার উচু এলাকা কাদা এর দিক থেকে প্রবেশ করেন ৷ আবু উসামা
এবং ওহাবও তা ৷র পিছে পিছে কাদা এর দিক থেকে প্রবেশের কথা বর্ণনা ৷করেছেন ৷ উবায়দ
ইবন ইসমাঈল হিশাম৩ তার পিত ৷ থেকে বর্ণিত যে মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সা) মক্কার
উচু এলাকা অর্থাৎ কাদা’ নামক স্থান দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ৷ মুরসাল হাদীছ যদি মুসনাদ হাদীছ
৬৪ —
مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ مَرَّتْ سَعْدُ بْنُ هُذَيْمٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَمَرَّتْ سُلَيْمٌ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، حَتَّى أَقْبَلَتْ كَتِيبَةٌ لَمْ يَرَ مِثْلَهَا فَقَالَ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: هَؤُلَاءِ الْأَنْصَارُ، عَلَيْهِمْ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ مَعَهُ الرَّايَةُ. فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْكَعْبَةُ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا عَبَّاسُ، حَبَّذَا يَوْمُ الذِّمَارِ. ثُمَّ جَاءَتْ كَتِيبَةٌ، وَهِيَ أَقَلُّ الْكَتَائِبِ، فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، وَرَايَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، فَلَمَّا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَبِي سُفْيَانَ قَالَ: أَلَمْ تَعْلَمْ مَا قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ؟ فَقَالَ: " مَا قَالَ؟ " قَالَ: كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ: " كَذِبَ سَعْدٌ، وَلَكِنَّ هَذَا يَوْمٌ يُعَظِّمُ اللَّهُ فِيهِ الْكَعْبَةَ، وَيَوْمٌ تُكْسَى فِيهِ الْكَعْبَةُ " وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُرْكَزَ رَايَتُهُ بِالْحَجُونِ قَالَ عُرْوَةُ: وَأَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ الْعَبَّاسَ يَقُولُ لِلزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ: هَاهُنَا أَمَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَرْكِزَ الرَّايَةَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ أَنْ يَدْخُلَ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ مِنْ كَدَاءٍ، وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كُدًى فَقُتِلَ مِنْ خَيْلِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ يَوْمَئِذٍ رَجُلَانِ، حُبَيْشُ بْنُ الْأَشْعَرِ، وَكُرْزُ بْنُ جَابِرٍ الْفِهْرِيُّ
পৃষ্ঠা - ৩৪০৩
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِأَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ، فَأَسْلَمَ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ، فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ، فَلَوْ جَعَلْتَ لَهُ شَيْئًا؟ قَالَ: " نَعَمْ مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ أَغْلَقَ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ» .