আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

ميقات خروج النبي

পৃষ্ঠা - ৩৩৮৪

ছিলেন ৷ তবে বায়হাকী — যুহরী প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা বলেন, ৮ম হিজরীর
রমযান মাসের দশদিন বাকী থাকতে মক্কা বিজয় সম্পন্ন হয় ৷

আবু দাউদ আত-তায়ালিসী (ব) আবদুল্লাহ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রোযার অবস্থায় অভিযানে বের হন যখন তিনি কুরাউল গামীম নামক
জায়গায় পৌছলেন, তখন লোকজন পদব্রজে ও সাওয়ারীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলেন ৷
এটা ছিল রমযান মাস ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আরয করা হল, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! রােযায়
লোকজনের খুবই কষ্ট হচ্ছে ৷ আর তারা দেখার জন্যে অপেক্ষায় আছেন যে, আপনি কি করছেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন এক গ্লাস পানি চাইলেন ও তা পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে
তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপরও কিছু সংখ্যক লোক রোযা রাখলেন এবং কিছু সৎখ্যক লোক রোযা ভঙ্গ
করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সংবাদ পৌছল যে, কিছু সংখ্যক লোক রোযাদার রয়েছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তারা হুকুম অমান্য করেছে ৷”

ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে অভিযানে বের হন ৷ তিনি রােযা রাখেন এবং তার
সাথে সাহাবীগণও রােযা রাখেন ৷ কাদীদে পৌছার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক পিয়ালা পানি
চাইলেন ৷ তিনি ছিলেন সাওয়ারীর উপর আরোহী ৷ তিনি যে রােযা ভাঙ্গলেন তা সকলকে দেখিয়ে
দেয়ার জন্যে পানি পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপর
মুসলমড়ানগণ রােযা ভাঙ্গলেন ৷ এটা ইমাম আহমদ (ব)-এব একক বর্ণনা

আব্বাস ও আবু সুফিয়ান ইবন হড়ারিচ্ প্রমুখের ইসসামগ্রহণ

রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও তার চাচাভাে ভাই আবু
সুফিয়ড়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) , উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা
(না)-এর ভাই আবদুল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া ইবন আল-মুগীরাহ আল মাখবুমী (বা) ইসলাম গ্রহণ
করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দিকে রওয়ানা হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কার পথে তখন তার সাথে
তাদের সাক্ষাত হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, “আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) রাস্তায় রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে
সাক্ষাত করেন ৷ ”

ইবন হিশাম বলেন, “আব্বাস (বা) তার পরিবার-পরিজনসহ হিজরত করার পথে জুহ্ফা
নামক স্থানে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে মিলিত হন ৷ এবপুর্বে তিনি মক্কায় অবস্থান করছিলেন ৷
ইবন শিহাব যুহরী বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন ৷ কেননা, তিনি মক্কায় অবস্থান
করে হাজীদের পানির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবু সুফিয়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও
আবদৃল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী নাইকুল উকাব’ নামক জায়গায় রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর তড়াবুতে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা
করেন ৷ তাদের এ দৃইজনের ব্যাপারে উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর


[مِيقَاتُ خُرُوجِ النَّبِيِّ] فَصْلٌ مِيقَاتُ خُرُوجِ النَّبِيِّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَفَرِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا رُهْمٍ كُلْثُومَ بْنَ حُصَيْنِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ خَلَفٍ الْغِفَارِيَّ، وَخَرَجَ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، فَصَامَ وَصَامَ النَّاسُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْكَدِيدِ، بَيْنَ عُسْفَانَ وَأَمَجَ أَفْطَرَ، ثُمَّ مَضَى حَتَّى نَزَلَ مَرَّ الظَّهْرَانِ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - وَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: كَانَ مَعَهُ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا. وَكَذَا قَالَ الزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ - فَسَبَّعَتْ سُلَيْمٌ، وَبَعْضُهُمْ يَقُولُ: أَلَّفَتْ سُلَيْمٌ - وَأَلَّفَتْ مُزَيْنَةُ، وَفِي كُلِّ الْقَبَائِلِ عَدَدٌ وَإِسْلَامٌ، وَأَوْعَبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ فَلَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ مِنْهُمْ أَحَدٌ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ مَحْمُودٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৫
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا غَزْوَةَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ. قَالَ: وَسَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ، لَا أَدْرِي أَخَرَجَ فِي لَيَالٍ مِنْ شَعْبَانَ فَاسْتَقْبَلَ رَمَضَانَ، أَوْ خَرَجَ فِي رَمَضَانَ بَعْدَمَا دَخَلَ؟ غَيْرَ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَنِي أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ: «صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ - الْمَاءَ الَّذِي بَيْنَ قُدَيْدٍ وَعُسْفَانَ - أَفْطَرَ، فَلَمْ يَزَلْ يُفْطِرُ حَتَّى انْصَرَمَ الشَّهْرُ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ اللَّيْثِ، غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ التَّرْدِيدَ بَيْنَ شَعْبَانَ وَرَمَضَانَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ، فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فَشَرِبَ نَهَارًا لِيَرَاهُ النَّاسُ، فَأَفْطَرُ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ» . قَالَ: وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي السَّفَرِ، وَأَفْطَرَ، فَمَنْ شَاءَ صَامَ، وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ» . وَقَالَ يُونُسُ: عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَفْرَةِ الْفَتْحِ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا رُهْمٍ كُلْثُومَ بْنَ الْحُصَيْنِ الْغِفَارِيَّ، وَخَرَجَ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ مِنْ رَمَضَانَ، فَصَامَ وَصَامَ النَّاسُ مَعَهُ، حَتَّى أَتَى الْكَدِيدَ - مَاءً بَيْنَ عُسْفَانَ وَأَمَجَ - فَأَفْطَرَ، وَدَخَلَ مَكَّةَ مُفْطِرًا، فَكَانَ النَّاسُ يَرَوْنَ أَنَّ آخِرَ الْأَمْرَيْنِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفِطْرُ، وَأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৬
نَسَخَ مَا كَانَ قَبْلَهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَقَوْلُهُ: خَرَجَ لِعَشْرٍ مِنْ رَمَضَانَ. مُدْرَجٌ فِي الْحَدِيثِ، وَكَذَلِكَ ذَكَرَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ حَامِدِ بْنِ يَحْيَى، عَنْ صَدَقَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّهُ قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ الْفَتْحُ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا الْإِدْرَاجُ وَهْمٌ. إِنَّمَا هُوَ مِنْ كَلَامِ الزُّهْرِيِّ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْفَتْحِ - فَتْحِ مَكَّةَ - فَخَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ فِي رَمَضَانَ وَمَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَشَرَةُ آلَافٍ، وَذَلِكَ عَلَى رَأْسِ ثَمَانِي سِنِينَ وَنِصْفِ سَنَةٍ مِنْ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ، وَافْتَتَحَ مَكَّةَ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৭

সাথে কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনার চাচার ছেলে, আপনার ফুফু ও
শ্বশুরের ছেলে আপনার সাথে দেখা করতে চান ৷ ” তিনি বলেন, “এ দুজন দিয়ে আমার কোন
কাজ সেই ৷ আমার চাচার ছেলে ইতোমধ্যে আমার ইয্যত নষ্ট করেছে ৷ আর আমার ফুফুর ছেলে
মক্কায় তার বা কিছু বলার ছিল তা আমাকে সে বলেছে ৷ ” সুহায়লী (র) বলেন, সে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে বলেছিল , “আল্লাহ্র শপথ, আমি তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করব না যতক্ষণ না তু
আকাশে একটি সিড়ি লাপাবে যার সাহায্যে তুমি আকাশে চড়বে আর আমি তাকিয়ে দেখব ৷
এরপর তুমি একটি দলীল ও চারজন ফেরেশতা নিয়ে আসবে যারা সাক্ষ্য দেবে যে , তোমাকে
আল্লাহ্তাআলা প্রেরণ করেছেন ৷

রাবী বলেন , যখন তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর মন্তব্যের খবর ৰু;পীছল , আবুসুফিয়ানের
সাথে তার দু পুত্র ছিল তখন সে বলল, আল্লাহ্র শপথ, আমাকে অবশ্যই তিনি অনুমতি দেবেন
নচেৎ আমার এ ছোট ছেলের হাত ধরে আমরা পৃথিবীতে ভবঘুরের ন্যায় ঘুরে রেড়াব এবং ক্ষুধাও
তৃষ্ণায় মরুভুমিতে মৃত্যুবরণ করব ৷ তাদের এই শপথের কথা যখন রার্কুণুল্লাহ্ (সা ) এর কাছে
পৌছল তখন তিনি তাদের প্ৰতি সদয় হলেন এবং তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন ৷ তারা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর র্তাবুতে প্রবেশ করেন ও ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ নিম্নবর্ণিত কবিতার মাধ্যমে
আবু সুফিয়ান তার ইসলাম গ্রহণের পুর্ববর্তী ভুল-ত্রুটির জন্যে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷
কবিতায় বলেন :

’ ’ ণ্
ষ্ € ণ্
ধ্ব্লুএে! ষ্ এেএ্যা

)




ব্লু

ষ্এে ষ্দ্বু স্
এ্যা fl;

ঢো৷১এ ঢুদ্বু;১



’ ’ ’ ’


তোমার জীবনের শপথ, নিশ্চয়ই আমি যেদিন ঝাণ্ডা উত্তোলন করেছিলাম মুহাম্মাদ (সা) এর
সৈন্যদলের উপর লাত এর সৈন্যদল জয়লাভ করবে ৷ এই উদ্দেশ্যে সেদিন আমি ছিলাম রাতের
অন্ধকারে দিশেহারা ভ্রমণকারী ৷ এখন সময় এসেছে ফলে আমাকে ঠিক পথে পরিচালিত করা
হচ্ছে এবং আমি সঠিক পথে চলছি ৷ এই যে আমার জন্য রয়েছেন একজন পথ প্রদর্শক আমার
নিজ প্রবৃত্তি নয় ৷ যিনি আমাকে উঠিয়ে দিয়েছেন হিদায়াতের রাজপথে ৷ এটি আমার গোত্রের


عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي رَمَضَانَ وَمَعَهُ عَشَرَةُ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ ثُمَّ أَفْطَرَ، فَقَالَ الزُّهْرِيُّ: وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْأَحْدَثِ فَالْأَحْدَثِ قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَصَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ. ثُمَّ عَزَاهُ إِلَى " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَزَعَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «آذَنَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرَّحِيلِ عَامَ الْفَتْحِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ رَمَضَانَ، فَخَرَجْنَا صُوَّامًا حَتَّى بَلَغْنَا الْكَدِيدَ، فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْفِطْرِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ شَرْجَيْنِ، مِنْهُمُ الصَّائِمُ وَمِنْهُمُ الْمُفْطِرُ، حَتَّى إِذَا بَلَغْنَا الْمَنْزِلَ الَّذِي نَلْقَى الْعَدُوَّ فِيهِ، أَمَرَنَا بِالْفِطْرِ فَأَفْطَرْنَا أَجْمَعُونَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنِي عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «آذَنَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৮
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرَّحِيلِ عَامَ الْفَتْحِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ رَمَضَانَ، فَخَرَجْنَا صُوَّامًا حَتَّى بَلَغْنَا الْكَدِيدَ، فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْفِطْرِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ مِنْهُمُ الصَّائِمُ وَمِنْهُمُ الْمُفْطِرُ، حَتَّى إِذَا بَلَغَ أَدْنَى مَنْزِلٍ تِلْقَاءَ الْعَدُوِّ، أَمَرَنَا بِالْفِطْرِ، فَأَفْطَرْنَا أَجْمَعُونَ» . قُلْتُ: فَعَلَى مَا ذَكَرَهُ الزُّهْرِيُّ مِنْ أَنَّ الْفَتْحَ كَانَ يَوْمَ الثَّالِثَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ، وَمَا ذَكَرَهُ أَبُو سَعِيدٍ مِنْ أَنَّهُمْ خَرَجُوا مِنَ الْمَدِينَةِ فِي ثَانِي شَهْرِ رَمَضَانَ، يَقْتَضِي أَنَّ مَسِيرَهُمْ كَانَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فِي إِحْدَى عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَلَكِنْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنِ ابْنِ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا: كَانَ فَتْحُ مَكَّةَ فِي عَشْرٍ بَقِيَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ صَائِمًا حَتَّى أَتَى كُرَاعَ الْغَمِيمِ، وَالنَّاسُ مَعَهُ مُشَاةً وَرُكْبَانًا، وَذَلِكَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ النَّاسَ قَدِ اشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الصَّوْمُ، وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ إِلَيْكَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৯
كَيْفَ فَعَلْتَ. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ فَرَفَعَهُ، فَشَرِبَ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ، فَصَامَ بَعْضُ النَّاسِ وَأَفْطَرَ الْبَعْضُ، حَتَّى أُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ بَعْضَهُمْ صَائِمٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُولَئِكَ الْعُصَاةُ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ وَالدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي بَشِيرُ بْنُ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ، فَصَامَ وَصَامَ الْمُسْلِمُونَ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْكَدِيدِ دَعَا بِمَاءٍ فِي قَعْبٍ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَشَرِبَ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ، يُعْلِمُهُمْ أَنَّهُ قَدْ أَفْطَرَ، فَأَفْطَرَ الْمُسْلِمُونَ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.