আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

سرية أبي عبيدة بن الجراح إلى سيف البحر

পৃষ্ঠা - ৩৩৬১

মাত্র ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তার বাক্যটি বারবার বলছিলেন ৷ এমন কি আমি মনে মনে ইচ্ছা পোষণ
করতে লাপলাম যে, ঐ দিনের ঘটনার আগ পর্যন্ত যদি আমি মুসলমান না হতাম তাহলে কতইনা
ভাল হত ৷ এ হাদীছটি প্রয়োজনীয় মন্তব্য ও ব্যাথ্যাসহ পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

এরপর ইমাম বুখারী (র ) সালামা ইবনুল আকওয়া (রা)-এর বরাতে হাদীছ উল্লেখ করে
বলেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাতটি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি ৷ আর
যেসব জায়গায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) গমন না করে সৈন্যদল প্রেরণ করেছেন এরুপ নয়টি অভিযানে
আমি অংশ নিয়েছি ৷ কোন কোন সময় আবু বকর (রা) ছিলেন আমাদের আমীর ৷ আবার কোন
কোন সময় উসামা (রা) ছিলেন আমাদের আমীর ৷

এরপর বায়হাকী হাবশার শাসনকর্তা নাজ্জাশীর মুসলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ, তার মৃত্যু
সম্পর্কে মুসলমানদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংবাদ পরিবেশন ও তার জানাযার সালাত
আদায়ের ঘটনা উল্লেখ করেন ৷ আবু হুরায়রা (রা)-এব বরাতে তিনি বলেন, যেদিন নাজ্জাশী
ইনতিকাল করেন, সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-তীর মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেন এবং
মুসলমানদেরকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন ও চার তাকবীরসহ তার জানাযার সালাত আদায়
করেন ৷ বুখারী এবং মুসলিম আবু হুরায়রা (রা)-এর বরাতে অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ বুখড়ারী
ও মুসলিম জাবির (রা)-এর বরাতে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, আজকে একজন
পুণ্যবান ব্যক্তি ইনতিকাল করেছেন ৷ তোমরা আশৃহামার (নাজ্জাশীর শাসনকর্তা) জানাযার সালাতে
অংশ গ্রহণ কর ৷ এ হাদীছটি পুর্বেই বর্ণনা করা হয়েছে ৷

বলবােহুল্য যে, মক্কা বিজয়ের বহু পুর্বেই নজােশী ইনতিকাল করেছিলেন ৷ সহীহ্ ঘুসলিমে
একটি বর্ণনা আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন রাজা বাদশাহদের কাছে পত্র লিখেছিলেন তখন
নাজ্জাশীর কাছেও একটি পত্র দিয়েছিলেন ৷ সে নাজ্জাশী মুসলমান ছিলেন না ৷ অবশ্য ওয়াকিদী
প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে, তিনি তখন মুসলমান ছিলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

বায়হাকী উম্মে কুলসুম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন
উম্মে সালামা (রা)-কে বিবাহ করেন তখন উম্মে সালামা নাজ্জাশীর কাছে কিছু পরিমাণ মিশৃক ও
একজােড়া কাপড় হাদিয়া স্বরুপ পাঠান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার ধারণা, নাজ্জাশী মৃত্যু
বরণ করেছেন ৷ এবং তার কাছে প্রেরিত হাদিয়া অচিরেই ফেরত আসবে ৷ এরপর এগুলো আমি
তোমাদের মধ্যে বণ্টন করব অথবা তোমাকে দিয়ে দেব ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা
বলেছিলেন, বাস্তবে তাই ঘটল ৷ নাজ্জাশী ইনতিকাল করেন তাই হাদিয়াও ফেরত আসে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার এক সহধ্র্মিণীকে কিছু পরিমাণ মিশৃক দান করলেন, কাপড় জোড়াসহ বাকী
সবটাও উম্মে সালামাকে দিয়ে দিলেন ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷


[سَرِيَّةُ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ إِلَى سَيْفِ الْبَحْرِ] قَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْثًا قِبَلَ السَّاحِلِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ، وَهُمْ ثَلَاثُمِائَةٍ. قَالَ جَابِرٌ: وَأَنَا فِيهِمْ، فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ فَنِيَ الزَّادُ، فَأَتَوْا أَبَا عُبَيْدَةَ بِأَزْوَادِ ذَلِكَ الْجَيْشِ، فَجُمِعَ كُلُّهُ، فَكَانَ مِزْوَدَيْ تَمْرٍ، فَكَانَ يَقُوتُنَا كُلَّ يَوْمٍ قَلِيلًا قَلِيلًا حَتَّى فَنِي، فَلَمْ يَكُنْ يُصِيبُنَا إِلَّا تَمْرَةٌ تَمْرَةٌ. قَالَ: فَقُلْتُ: وَمَا تُغْنِي تَمْرَةٌ؟ فَقَالَ: لَقَدْ وَجَدْنَا فَقْدَهَا حِينَ فَنِيَتْ. قَالَ: ثُمَّ انْتَهَيْنَا إِلَى الْبَحْرِ، فَإِذَا حُوتٌ مِثْلَ الظَّرِبِ. قَالَ: فَأَكَلَ مِنْهُ ذَلِكَ الْجَيْشُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، ثُمَّ أَمَرَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِضِلْعَيْنِ مِنْ أَضْلَاعِهِ فَنُصِبَا، ثُمَّ أَمَرَ بِرَاحِلَةٍ فَرُحِلَتْ، ثُمَّ مَرَّتْ تَحْتَهُمَا فَلَمْ تُصِبْهُمَا» . أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، بِنَحْوِهِ. وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬২
دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ثَلَاثِمِائَةِ رَاكِبٍ، وَأَمِيرُنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، نَرْصُدُ عِيرًا لِقُرَيْشٍ، فَأَصَابَنَا جُوعٌ شَدِيدٌ، حَتَّى أَكَلْنَا الْخَبْطَ، فَسُمِّيَ ذَلِكَ الْجَيْشُ جَيْشُ الْخَبْطِ. قَالَ: وَنَحَرَ رَجُلٌ ثَلَاثَ جَزَائِرَ، ثُمَّ نَحَرَ ثَلَاثَ جَزَائِرَ، ثُمَّ ثَلَاثًا، فَنَهَاهُ أَبُو عُبَيْدَةَ. قَالَ: وَأَلْقَى الْبَحْرُ دَابَّةً يُقَالُ لَهَا: الْعَنْبَرُ. فَأَكَلْنَا مِنْهَا نِصْفَ شَهْرٍ وَادَّهَنَّا، حَتَّى ثَابَتْ إِلَيْنَا أَجْسَامُنَا وَصَلَحَتْ. ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الضِّلَعِ. فَقَوْلُهُ فِي الْحَدِيثِ: نَرْصُدُ عِيرًا لِقُرَيْشٍ. دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ هَذِهِ السَرِيَّةِ كَانَتْ قَبْلَ صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالرَّجُلُ الَّذِي نَحَرَ لَهُمُ الْجَزَائِرَ هُوَ قَيْسُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ قُتَيْبَةَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، وَهُوَ زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّرَ عَلَيْنَا أَبَا عُبَيْدَةَ، نَتَلَقَّى عِيرًا لِقُرَيْشٍ، وَزَوَّدَنَا جِرَابًا مِنْ تَمْرٍ، لَمْ يَجِدْ لَنَا غَيْرَهُ، فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ يُعْطِينَا تَمْرَةً تَمْرَةً. قَالَ: فَقُلْتُ: كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ بِهَا؟ قَالَ: كُنَّا نَمُصُّهَا كَمَا يَمُصُّ الصَّبِيُّ، ثُمَّ نَشْرَبُ عَلَيْهَا الْمَاءَ، فَتَكْفِينَا يَوْمَنَا إِلَى اللَّيْلِ، وَكُنَّا
পৃষ্ঠা - ৩৩৬৩

বিজয়ের শ্রেষ্ঠ ঘটনা : মক্কা বিজয়

অষ্টম হিজরীর রামাযান মাস
আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন ও

ট্রুস্পে ছুঠুণ্ঠুঠু
;
৷ ;,ৰু১৷ ৷
অর্থাৎ “তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে তারা এবং

পরবর্তীরা সমান নয় ; তারা মর্যাদার শ্রেষ্ঠ অন্যদের অপেক্ষা যারা পরবর্তীকালে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ
করেছে ৷ তবে আল্লাহ্ উভয়ের জন্য কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷” ( ৫ ৭ হাদীদ : ১০)

আল্পাহ্ তাআলা আরো ইরশাদ করেন :

র্দুৰু ;ব্র গ্রপৌ এ্যা৷ ;,ৰু; প্রুদ্বু দুপ্রুা;াৰু ঠোা;৷ ৷ ;ন্ৰুাএে ত্;;ন্া৷এ ৰুা৷ ৷ প্রু১ ষ্াপ্রু ৷১া
৷ট্রুাৰুৰুহু ;-,£: ণ্ ৷ ট্রুট্রুন্নুক্ট্র;ঠুঠুাট্রু ’;া ন্) মোঃ
অর্থাৎ যখন আসবে আল্লাহ্র সাহায্য ও বিজয় এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দীনে

প্রবেশ করতে দেখবে তখন তুমি তোমার প্ৰতিপালকের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা
ঘোষণা করবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করবে ৷ তিনি তো তাওবা কবুলকাবী ( ১ ১ : নাসর : ১-৫)

হুদায়বিয়ার পর অনুষ্ঠিত মহা বিজয়ের কারণ সম্বন্ধে বর্ণনা করতে গিয়ে ইবন ইসহাক
মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রা) ও মারওয়ান ইবনুল হাকাম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তারা দুজনেই
বলেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির একটি শর্ত ছিল £হ্র কেউ ইচ্ছা করলে সন্ধিতে মুহাম্মাদ (সা) এর পক্ষ
নিতে পারে ৷ আবার যে কেউ ইচ্ছা করলে সন্ধিতে কুরায়শদের পক্ষ ও অবলম্বন করতে পারে ৷
বনু খুযাআর লোকজন বলল, আমরা সন্ধিতে মুহাম্মাদ (সা ) এর পক্ষ অবলম্বন করছি ৷ অন্যদিকে
বনু বকর বলল, আমরা সন্ধিতে কুরায়শদের পক্ষ অবলম্বন করছি ৷ উপরোক্ত সন্ধি তারা সতের
কিৎবা আঠার মাস পর্যন্ত মেনে চলে ৷ তারপর বনু বকর মক্কার নিকটবর্তী ওয়াভীর নামক
জলাশয়ের নিকট রাতের বেলায় বনু খুযাআর উপর আক্রমণ চালায় ৷ কুরায়শরা ডাবল যে,
মুহাম্মাদ (সা) আমাদের সম্পর্কে জানতে পারবেনা, কেননা, এটা রাতের ঘটনা তাই আমাদেরকে
কেউ দেখতে পাচ্ছে না ৷ সুতরাং কুরায়শরা বনু বকরের সােকদেরকে অস্ত্রশস্ত্র ও বাহন দিয়ে সাহ-
ায্য করল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বৈরিতাবশত তারা হত্যাকান্ডে যোগ দিল ৷ ওয়ড়াতীরে


نَضْرِبُ بِعِصِيِّنَا الْخَبْطَ، ثُمَّ نَبُلُّهُ بِالْمَاءِ فَنَأْكُلُهُ. قَالَ: فَانْطَلَقْنَا إِلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ، فَرُفِعَ لَنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ كَهَيْئَةِ الْكَثِيبِ الضَّخْمِ، فَأَتَيْنَاهُ فَإِذَا بِهِ دَابَّةٌ تُدْعَى الْعَنْبَرَ، فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: مَيْتَةٌ. ثُمَّ قَالَ: لَا، بَلْ نَحْنُ رُسُلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَقَدِ اضْطُرِرْتُمْ، فَكُلُوا. قَالَ: فَأَقَمْنَا عَلَيْهِ شَهْرًا وَنَحْنُ ثَلَاثُمِائَةٍ حَتَّى سَمِنَّا، وَلَقَدْ كُنَّا نَغْرِفُ مِنْ وَقْبِ عَيْنِهِ بِالْقِلَالِ الدُّهْنَ، وَنَقْتَطِعُ مِنْهُ الْفَدْرَ كَالثَّوْرِ، أَوْ كَقَدْرِ الثَّوْرِ، وَلَقَدْ أَخَذَ مِنَّا أَبُو عُبَيْدَةَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَأَقْعَدَهُمْ فِي عَيْنِهِ، وَأَخَذَ ضِلْعًا مِنْ أَضْلَاعِهِ، فَأَقَامَهَا ثُمَّ رَحَلَ أَعْظَمَ بِعِيرٍ مِنْهَا، فَمَرَّ تَحْتَهَا، وَتَزَوَّدْنَا مِنْ لَحْمِهَا وَشَائِقَ، فَلَمَّا قَدِّمْنَا الْمَدِينَةَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: " هُوَ رِزْقٌ أَخْرَجَهُ اللَّهُ لَكُمْ، فَهَلْ مَعَكُمْ شَيْءٌ مِنْ لَحْمِهِ تُطْعِمُونَا؟ " قَالَ: فَأَرْسَلْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَكَلَ مِنْهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى وَأَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ، وَأَبُو دَاوُدَ، عَنِ النُّفَيْلِيِّ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ أَبِي خَيْثَمَةَ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْجُعْفِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ تَدْرُسَ الْمَكِّيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ، بِهِ. قُلْتُ: وَمُقْتَضَى أَكْثَرِ هَذِهِ السِّيَاقَاتِ، أَنَّ هَذِهِ السَرِيَّةِ كَانَتْ قَبْلَ صُلْحِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬৪
الْحُدَيْبِيَةِ، وَلَكِنْ أَوْرَدْنَاهَا هَاهُنَا تَبَعًا لِلْحَافِظِ الْبَيْهَقِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَإِنَّهُ أَوْرَدَهَا بَعْدَ مُؤْتَةَ وَقَبْلَ غَزْوَةِ الْفَتْحِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ سَرِيَّةَ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ إِلَى الْحُرَقَاتِ مِنْ جُهَيْنَةَ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا حُصَيْنُ بْنُ جُنْدُبٍ، ثَنَا أَبُو ظَبْيَانِ، قَالَ: سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ يَقُولُ: «بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحُرَقَةِ، فَصَبَّحْنَا الْقَوْمَ فَهَزَمْنَاهُمْ، وَلَحِقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ رَجُلًا مِنْهُمْ، فَلَمَّا غَشِينَاهُ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَكَفَّ الْأَنْصَارِيُّ، فَطَعَنْتُهُ بِرُمْحِي حَتَّى قَتَلْتُهُ، فَلَمَّا قَدِمْنَا بَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا أُسَامَةُ، أَقَتَلْتَهُ بَعْدَمَا قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ " قُلْتُ: كَانَ مُتَعَوِّذًا، فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا، حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ قَبْلَ ذَلِكَ الْيَوْمِ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا الْحَدِيثُ وَالْكَلَامُ عَلَيْهِ فِيمَا سَلَفَ. ثُمَّ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ، وَخَرَجْتُ فِيمَا يَبْعَثُ مِنَ الْبُعُوثِ تِسْعَ غَزَوَاتٍ، عَلَيْنَا مَرَّةً أَبُو بَكْرٍ، وَمَرَّةً أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا.» ثُمَّ ذَكَرَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا مَوْتَ النَّجَاشِيِّ - صَاحِبِ الْحَبَشَةِ - عَلَى الْإِسْلَامِ، وَنَعْيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ إِلَى الْمُسْلِمِينَ، وَصَلَاتَهُ عَلَيْهِ، فَرَوَى مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬৫

বনু খুষাআ ও বনুবকরের মধ্যে সং টিত ঘটনার পর আমর ইবন সালিম মদীনায় রওয়ানা হলেন
এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পৌছে যাবতীয় সংবাদ জানালেন ৷ তিনি এ সম্পর্কে কয়েকটি
পংক্তি রচনা করেন এবং রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে আগমন করে তিনি এগুলো তাকে আবৃত্তি
করে শুনালেন :




,ণ্এে


é ব্লু ! শ্ § ব্লু! : ’ স্

হে আমার রব্ব আমি মুহাম্মাদ (সা)-ক্লে তার ও আমাদের মহা সম্মানিত পিতৃপুরুষদের
ওয়াদা ত্র্গীকার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ৷ আপনারা ছিলেন আমাদের সন্তানতুল্য আর আমরা ছিলাম
আপনাদের পিতৃতুল্য ৷ আমরা এরপর ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আমরা ইসলাম হতে আমাদের হাত
গুঢিয়েও নেইনি ৷ সুতরাং হে আল্লাহ্র রাসুল ! আমাদের সাহায্য করুন ৷ হে আল্লাহ্র রাসুল ! আমা
দেরকে সাহায্য করুন এবং আমাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে আল্লাহ্র বন্দোদেরকে আহ্বান
করুন ৷ আল্লাহ্র বান্দাদের মধ্যেই আল্পাহ্র রাসুল রয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি তাদের মধ্যে অনন্য
ব্যক্তিত্বের অধিকারী ৷ অন্যায় দেখলে তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায় ৷ তখন তিনি বিশাল সেনাবাহিনী
নিয়ে ফেনিলযুক্ত প্রবহমান সাগরের ন্যায় এগিয়ে যান ৷ হে নবী ! কুরড়ায়শরা আপনার সাথে ওয়াদা
খেলাফ করেছে ৷ তোমার সাথে কৃত মযবুত ওয়াদা তারা ভঙ্গ করেছে ৷ আমাকে হত্যা করার
জন্যে তারা কাদা অঞ্চলে ওৎ পেতে রয়েছে এবং তারা মনে করে যে, আমি কাউকে সাহায্যের
জন্যে পাব না ৷ প্রকৃতপক্ষে তারাই অবমানিত ও সংখ্যায় মুষ্টিমেয় ৷ দুশমনেরা ওয়াতীর জণাশয়ের
নিকট বিফ্লি রজনী যাপন করেছে ও আমাদেরকে রুকু-সিজদারত অবস্থায় হত্যা করেছে ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, হে আমর ইবন সালিম আমি অবশ্যই তােমাদেরকে সাহায্য করব ৷
এমন সময় আসমাংন একখণ্ড মেঘ দেখা গেল যা মাথার উপর দিয়ে চলে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, এমনকি এই যেঘখণ্ডও অবশ্যই বনু কাবের সাহায্য ঘোষণা করছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সােকজনকে যুদ্ধের তৈরীর হুকুম দেন ; কিন্তু কোথায় অভিযান পরিচালনা করবেন তা তাদের
কাছে গোপন রাখেন এবং আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করেন যেন কুরায়শদের কাছে এ খরবটি প্রকাশ
না পায় যাতে আকস্মিকভাবে তাদের জনপদে আক্রমণ করা যায় ৷


طَرِيقِ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَى إِلَى النَّاسِ النَّجَاشِيَّ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، وَخَرَجَ بِهِمْ إِلَى الْمُصَلَّى، فَصَفَّ بِهِمْ وَكَبَّرَ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ» . أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، وَأَخْرَجَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِنَحْوِهِ. وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَاتَ الْيَوْمَ رَجُلٌ صَالِحٌ ". فَصَلَّوْا عَلَى أَصْحَمَةَ» وَقَدْ تَقَدَّمَتْ هَذِهِ الْأَحَادِيثُ أَيْضًا وَالْكَلَامُ عَلَيْهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. قُلْتُ: وَالظَّاهِرُ أَنَّ مَوْتَ النَّجَاشِيِّ كَانَ قَبْلَ الْفَتْحِ بِكَثِيرٍ، فَإِنَّ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " أَنَّهُ لَمَّا كَتَبَ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ، كَتَبَ إِلَى النَّجَاشِيِّ، وَلَيْسَ هُوَ بِالْمُسْلِمِ. وَزَعَمَ آخَرُونَ كَالْوَاقِدِيِّ أَنَّهُ هُوَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُسْلِمِ بْنِ خَالِدٍ الزِّنْجِيِّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ قَالَتْ: «لَمَّا تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَ: " قَدْ أَهْدَيْتُ إِلَى النَّجَاشِيِّ أَوَاقِيَ مِنْ مِسْكٍ وَحُلَّةً، وَإِنِّي لَا أَرَاهُ إِلَّا قَدْ مَاتَ،
পৃষ্ঠা - ৩৩৬৬
وَلَا أَرَى الْهَدِيَّةَ إِلَّا سَتُرَدُّ عَلَيَّ، فَإِنْ رُدَّتْ عَلَيَّ - أَظُنُّهُ قَالَ - قَسَمْتُهَا بَيْنَكُنَّ " أَوْ " فَهِيَ لَكِ ". قَالَ: فَكَانَ كَمَا قَالَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَاتَ النَّجَاشِيُّ وَرُدَّتِ الْهَدِيَّةُ، فَلَمَّا رُدَّتْ عَلَيْهِ، أَعْطَى كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ أَوُقِيَّةً مِنْ ذَلِكَ الْمِسْكِ، وَأَعْطَى سَائِرَهُ أُمَّ سَلَمَةَ، وَأَعْطَاهَا الْحُلَّةَ» وَاللَّهُ أَعْلَمُ.