আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة مؤتة

পৃষ্ঠা - ৩২৭১


কিন্তু আমি পরম দাতা আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে শত্রু পক্ষ
থেকে এমন একটি প্রচণ্ড বহুমুখী আঘাত প্রার্থনা করছি যা রক্তের মারাত্মক বুদবুদ সৃষ্টি করবে
অথবা যুদ্ধাগ্রে সুসজ্জিত দক্ষ হাতের বর্শা কিৎবা ভীরের আঘাত প্রার্থনা করছি যা আমার নাড়িভুড়ি
কলিজা ভেদ করে যাবে ৷ আর আমার কবরের পাশ দিয়ে কেউ অতিক্রম করার সময় যেন বলেন,
এ ছিল একজন খাটি মুজাহিদ ৷ আল্পাহ্ তাআলা তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন এবং তিনিও
সঠিক পথে চলেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, “এরপর বের হবার জন্যে সকল সৈন্য তৈরী হল ৷ আবদুল্লাহ ইবন
রাওয়াহা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে বিদায় দেন ৷ তারপর
আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) বলেন :


“হে রাসুলাল্লাহ্ ! যে সৌন্দর্য আল্লাহ্ আপনাকে দান করেছেন মুসা (আ)-এর ন্যায় তার
স্থায়িত্ও যেন তিনি আপনাকে দান করেন ৷ আপনাকে আল্লাহ সাহায্য করুন যেমন সাহায্য
সাহাবীরা আপনাকে করেছেন ৷ আমি আপনাকে কল্যাণের আধাররুপে প্রত্যক্ষ করেছি ৷ আর
আল্পাহ্ জানেন যে, আমি প্রখর দৃষ্টির অধিকারী ৷ আপনি খাটি ও যথার্থ রাসুল ৷ যে ব্যক্তি এ
রাসুলের গুণাবলী থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখল এবং তীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল তার তাকদীর
যেন তাকে কলুষিত করল ৷

ইবন ইসহাক বলেন, সৈন্যদল বের হলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের বিদায় সন্তাষণ জানাতে
এগিয়ে গেলেন ৷ এরপর তাদেরকে বিদায় দিয়ে ঘরের দিকে মুখ করলেন তখন আবদুল্লাহ ইবন
রাওয়াহা (রা) বলেন, “হে আল্লাহ্ ! এমন ব্যক্তির উপর তুমি তোমার রহ্মত বর্ষণ চিরস্থায়ী কর
যীকে আমি বিদায় জানিয়েছি ৷ খেজুর বাগানে আর তিনিই হলেন সর্বোত্তম বিদায় সম্ভাষণকারী ও
র্খাটি বন্ধু ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবন আব্বাস (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নিশ্চয়ই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুতায় একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন এবং হযরত যায়দ (রা)-কে আমীর নিযুক্ত
করেন ৷ আর তিনি বলেন, যদি যায়দ (রা) নিহত হয় তাহলে আমীর হবে জাফর (রা) ৷ আর যদি
জাফর (রা) নিহত হয় তাহলে আমীর হবে ইবন রাওয়াহা (রা) ৷ সৈন্যদলের সকলে রওয়ানা হয়ে
গেলেন; বিক্ষ্ম আবদুল্লোহ ইবন রাওয়াহা (রা) পিছে রয়ে গেলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
জুর্মুআর সালাত আদায় করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাকে দেখলেন এবং বললেন, তুমি কেন
পিছনে রয়ে গেলে ?” তিনি বললেন, “আমি আপনার সাথে জুমুআর সালাত আদায় করার


[غَزْوَةُ مُؤْتَةَ] [وَقْتُهَا] وَهِيَ سَرِيَّةُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، فِي نَحْوٍ مَنْ ثَلَاثَةِ آلَافٍ، إِلَى الْبَلْقَاءِ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ قِصَّةِ عُمْرَةِ الْقَضِيَّةِ: فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ بَقِيَّةَ ذِي الْحِجَّةِ - وَوَلِيَ تِلْكَ الْحِجَّةَ الْمُشْرِكُونَ - وَالْمُحَرَّمَ وَصَفَرًا وَشَهْرَيْ رَبِيعٍ، وَبَعَثَ فِي جُمَادَى الْأُولَى بَعْثَهُ إِلَى الشَّامِ، الَّذِينَ أُصِيبُوا بِمُؤْتَةَ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْثَهُ إِلَى مُؤْتَةَ فِي جُمَادَى الْأُولَى مِنْ سَنَةِ ثَمَانٍ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، وَقَالَ: «إِنْ أُصِيبَ زَيْدٌ فَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى النَّاسِ، فَإِنْ أُصِيبَ جَعْفَرٌ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ عَلَى النَّاسِ» . فَتَجَهَّزَ النَّاسُ ثُمَّ تَهَيَّئُوا لِلْخُرُوجِ، وَهُمْ ثَلَاثَةُ آلَافٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «جَاءَ النُّعْمَانُ بْنُ فُنْحُصٍ الْيَهُودِيُّ، فَوَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩২৭২

জন্যে ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “আল্লাহ্র
পথে জিহাদে এক সকাল কিৎবা এক বিকাল বেলা অবস্থান করা, দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু
আছে তার চেয়েও গ্রেয় ৷

ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সনদে ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-কে একটি সৈন্যদলের সাথে প্রেরণ
করেন ৷ ঘটনাক্রমে ঐ দিবসটি জ্জি জুমুআর দিন ৷ তার সংগীগণ রওয়ান হয়ে গেল; কিন্তু তিনি
মনেমনে বলেন, “আমি পিছনে থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে জুষুআর সালাত আদায় করে
পরে তাদের সাথে মিলিত হব ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুযুআর সালাত আদায় করে তাকে
দেখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার সাথীদের সাথে রওয়ানা হতে রুিসে তোমাকে বারণ
করল” ৷ তিনি উত্তরে বলেন, “আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, আপনার সাথে জুমুআর সালাত আদায়
করে তাদের সাথে মিলিত হব ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, , ):, ,র্মু ৷ প্রুএ ; মোঃ ৷ ,
“সারা পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা যদি তুমি খরচ করে ফেলতে
তবু তুমি তাদের সাথে সকালে রওয়ান৷ হয়ে যাওয়ার পুণ্য লাভ করতে পারতে না ৷ উপরোক্ত
বর্ণনার ব্যাপারে তিরমিষী মধ্যন্থিত একজন বর্ণনাকারী সম্বন্ধে অভিযোগ পেশ করার গ্রন্থকারের
অভিমত হচ্ছে, এখানে এ বর্ণনাটি উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রমাণ করা যে, মুতার উদ্দেশ্যে
ইসলামী সৈন্যদলের রওয়ান৷ হওয়ার দিন ছিল শুক্রবার বা জ্বযুআর দিন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর সৈন্যদল চলতে লাগল এবং সিরিয়ার মাআন নামক স্থানে
অবতরণ করল ৷ তাদের কাছে সংবাদ পৌছচ্ন্৷ যে, হিরাক্লিয়াস রোম সম্রাট থােদ এক লাখ রোমান
সৈন্য নিয়ে বালকা নামক এলাকায় পৌছে গিয়েছেন ৷ বনু লাখাম, জুযাম , বালকীন, রাহরা ও বালী
ত্যাদি মিলে আরো এক লাখ সৈন্য রোমানদের সাথে যোগ দেয় ৷ বালী গোত্রের সৈন্য
রোমানদের সাথে যোগ দেয় ৷ বালী গোত্রের এক ব্যক্তি তাদের নেতৃত্বে ছিল ৷ তারপর তাদের
নেতৃত্বে আসীন হয় আহমদ রাশা ওরফে মালিক ইবন রাফিলা ৷

ইবন ইসহাকের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, মুসলমানদের কাছে সংবাদ পৌছল যে,
হিরাক্লিয়াস রোমান সৈন্য এক লাখ ও আরব ভুখণ্ডে বসবাসকারী অনারব সৈন্য আরো এক লাখ
নিয়ে মাআনে পৌছে গেছেন ৷ যখন মুসলমানদের কাছে এ সংবাদ পৌছল তখন তীরা মাআনে
অবস্থান করে দুইদিন পর্যন্ত আলোচনা ও পর্যালোচনা চালিয়ে যান ৷ তারা বলাবলি করতে লাগলেন,
আমাদের দৃশমনের সংখ্যা অবগত করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পত্র লিখা দরকার ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) লোক লস্কর প্রেরণ করে আমাদের সাহায্য করবেন অথবা যা কিছু আমাদেরকে করতে
বলবেন আমরা তইি করব ৷ রাৰী বলেন, আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) সৈন্যদলকে উৎসাহিত
করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আমার দলের লোকেরা ! আল্লাহ্র শপথ, তোমরা যে
শাহাদতের জন্যে বের হয়েছ এটাকে তোমরা এখন অপসন্দ করছে৷ ! আমরা সংখ্যা ও শজ্যি
কথা চিন্তা করে জিহাদ করিনা ৷ আমরা কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি একমাত্র দ্বীনের জন্যে
যার দ্বারা আল্লাহ্ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন ৷ চল, আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি ! এতে রয়েছে
আমাদের জন্যে দুটি মংগলের যে কোন একটি ৷ হয় বিজয়, না হয় শাহাদত ৷ রাবী বলেন,


مَعَ النَّاسِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ أَمِيرُ النَّاسِ، فَإِنْ قُتِلَ زَيْدٌ فَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فَإِنْ قُتِلَ جَعْفَرٌ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَإِنْ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَلْيَرْتَضِ الْمُسْلِمُونَ بَيْنَهُمْ رَجُلًا، فَلْيَجْعَلُوهُ عَلَيْهِمْ ". فَقَالَ النُّعْمَانُ: أَبَا الْقَاسِمِ، إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا، فَلَوْ سَمَّيْتَ مَنْ سَمَّيْتَ قَلِيلًا أَوْ كَثِيرًا، أُصِيبُوا جَمِيعًا، إِنَّ الْأَنْبِيَاءَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانُوا إِذَا سَمَّوُا الرَّجُلَ عَلَى الْقَوْمِ، فَقَالُوا: إِنْ أُصِيبَ فُلَانٌ فَفُلَانٌ، فَلَوْ سَمَّوْا مِائَةً أُصِيبُوا جَمِيعًا. ثُمَّ جَعَلَ الْيَهُودِيُّ يَقُولُ لِزَيْدٍ: اعْهَدْ فَإِنَّكَ لَا تَرْجِعُ أَبَدًا، إِنْ كَانَ مُحَمَّدٌ نَبِيًّا. فَقَالَ زَيْدٌ: أَشْهَدُ أَنَّهُ نَبِيٌّ صَادِقٌ بَارٌّ» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا حَضَرَ خُرُوجُهُمْ، وَدَّعَ النَّاسُ أُمَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَلَّمُوا عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا وُدِّعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ مَعَ مَنْ وُدِّعَ بَكَى، فَقَالُوا: مَا يُبْكِيكَ يَا ابْنَ رَوَاحَةَ؟ فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ مَا بِي حُبُّ الدُّنْيَا وَلَا صَبَابَةٌ بِكُمْ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ يَذْكُرُ فِيهَا النَّارَ: {وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا} [مريم: 71] (مَرْيَمَ: 71) ، فَلَسْتُ أَدْرِي كَيْفَ لِي بِالصَّدَرِ بَعْدَ الْوُرُودِ؟ فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: صَحِبَكُمُ اللَّهُ وَدَفَعَ عَنْكُمْ، وَرَدَّكُمْ إِلَيْنَا صَالِحِينَ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ: لَكِنَّنِي أَسْأَلُ الرَّحْمَنَ مَغْفِرَةً ... وَضَرْبَةً ذَاتَ فَرْغٍ تَقْذِفُ الزَّبَدَا
পৃষ্ঠা - ৩২৭৩

লোকেরা বলতে লাগল, আল্লাহ্র কসম, ইবন রাওয়াহা (রা) যথাংইি বলেছেন ৷ তাই তারা অগ্রসর
হতে লাগল ৷ আবন্মোহ ইবন রাওয়াহা (বা) তাদের সেই অবস্থান স্থলে বলেন : “আমরা আমাদের
সৈন্যদলের জন্যে ৰিজ্যি জাতির ঘোড়া সংগ্রহ করেছি, যেগুলো ঘরেও বইিরে সংরক্ষিত ঘাসে
চরে রেড়ায় ৷ সংরক্ষিত জায়গা থেকে এগুলোকে কায়দীদের মত আমরা ছুাকিয়ে নিয়ে এসেছি ৷
প্রত্যেকটি এত অনুগত ছিল যে, মনে হয় এগুলো নিছক চামড়ার তৈরী ৷ সৈন্যদল মাআন নামক
স্থানে দুই দিন দ্বিধাগ্রস্তভাবে অবস্থান করল ৷ এরুপ বিরতির পর তারা দলে দলে ছুটতে লাগল ৷
এরপর আমরা অ্যাসর হলাম ৷ চিহ্নিত অশ্বৱাজির নিঃশ্বাসে যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নির্গত হচ্ছিল ৷ শপথ
আমার পিতার, আমরা অচিরেই মাআবে পৌছব যদিও সেখানে আরব ও রোমান শত্রু সৈন্য
রয়েছে ৷ আমরা দুশমনের জন্যে মারাত্মক সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্যে তৈরী করেছি ৷ ণ্ঘাড়াগুলো
ধুলিধুসরিত লেজে যুদ্ধ ময়দানে উপস্থিত ৷ এগুলো ধুলাবালি উড়িয়ে চলছে প্রশস্ত রাস্তায় ৷ যেন
সেনাবাহিনীর মাথার লোহার টুশ্যিলো তারকার ন্যায় জুলজুল করছে ৷ তখন এগুলো আমি পার্থিব
জগতের আয়েশ আরাম ঘৃণাভরে পরিত্যাগ করেছি ৷ কেননা , তা কাউকে আনন্দ দেয় আবার
কাউকে ধ্বংসও করে দেয় ৷

ইবন ইসহাক — যায়দ ইবন আরকাম (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
ইয়াভীম অবস্থায় আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম ৷ তিনি আমাকে তার কোন
একটি ভ্রমণে তার সাওয়ারীতে সহ আরোহী করে নিলেন ৷ আল্লাহ্র শপথ, তিনি রাতে ভ্রমণ
করতেন এবং তবে আমি নিম্নে বর্ণিত কবিতাগুলো আবৃত্তি করতে শুনতাম ৷ তিনি বলতেন :

ণ্ ,





;

ণ্১)১


হে রাত ! তুমি আমাকে তথা মুজাহিদদেরকে গম্ভব্যস্থলের নিকটবর্তী করেছ এবং হাসা
পর্বতের পর চার দিনের পর আমার সাওয়ারীকে বহন করে নিয়েছ ৷ অতএব, তোমার এ কাজটি
অতি উত্তম ৷ আর তোমার সাথে সহযোগিতা না করা অবশ্যই নিন্দনীয় ৷ আমি আমার রেখে আসা
পরিবারবর্গের কাছে আর কখনও ফিরে যাব না ৷ মুসলমান মুজাহিদগণ এসেছেন তারা যুদ্ধ
করবেন এবং আমাকে তারা সিরিয়া ভুখণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকায় শহীদ হিসেবে ছেড়ে যাবেন ৷


أَوْ طَعْنَةً بِيَدَيْ حَرَّانَ مُجْهِزَةً ... بِحَرْبَةٍ تُنْفِذُ الْأَحْشَاءَ وَالْكَبِدَا حَتَّى يُقَالَ إِذَا مَرُّوا عَلَى جَدَثِي ... أَرْشَدَهُ اللَّهُ مِنْ غَازٍ وَقَدْ رَشَدَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ الْقَوْمَ تَهَيَّئُوا لِلْخُرُوجِ، فَأَتَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَدَّعَهُ ثُمَّ قَالَ: فَثَبَّتَ اللَّهُ مَا آتَاكَ مِنْ حَسَنٍ ... تَثْبِيتَ مُوسَى وَنَصْرًا كَالَّذِي نُصِرُوا إِنِّي تَفَرَّسْتُ فِيكَ الْخَيْرَ نَافِلَةً ... اللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي ثَابِتُ الْبَصَرِ أَنْتَ الرَّسُولُ فَمَنْ يُحْرَمْ نَوَافِلَهُ ... وَالْوَجْهَ مِنْهُ فَقَدْ أَزْرَى بِهِ الْقَدَرُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ الْقَوْمُ وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشَيِّعُهُمْ، حَتَّى إِذَا وَدَّعَهُمْ وَانْصَرَفَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ: خَلَفَ السَّلَامُ عَلَى امْرِئٍ وَدَّعْتُهُ ... فِي النَّخْلِ خَيْرِ مُشَيِّعٍ وَخَلِيلِ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ
পৃষ্ঠা - ৩২৭৪
إِلَى مُؤْتَةَ فَاسْتَعْمَلَ زَيْدًا، فَإِنَّ قُتِلَ زَيْدٌ فَجَعْفَرٌ، فَإِنَّ قُتِلَ جَعْفَرٌ فَابْنُ رَوَاحَةَ، فَتَخَلَّفَ ابْنُ رَوَاحَةَ، فَجَمَّعَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَآهُ فَقَالَ: " مَا خَلَّفَكَ؟ " فَقَالَ: أُجَمِّعُ مَعَكَ. قَالَ: " لَغَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا» . وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْحَجَّاجُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فِي سَرِيَّةٍ، فَوَافَقَ ذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ. قَالَ: فَقَدِمَ أَصْحَابَهُ، وَقَالَ: أَتَخَلَّفُ فَأُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجُمُعَةَ، ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ. قَالَ: فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَآهُ فَقَالَ: " مَا مَنَعَكَ أَنْ تَغْدُوَ مَعَ أَصْحَابِكَ؟ " قَالَ: فَقَالَ أَرَدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ مَعَكَ الْجُمُعَةَ، ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ، قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مَا أَدْرَكْتَ غَدْوَتَهُمْ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ - وَهُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ - ثُمَّ عَلَّلَهُ التِّرْمِذِيُّ بِمَا حَكَاهُ عَنْ شُعْبَةَ أَنَّهُ قَالَ: لَمْ يَسْمَعِ الْحَكَمُ عَنْ مِقْسَمٍ إِلَّا خَمْسَةَ أَحَادِيثَ، وَلَيْسَ هَذَا مِنْهَا. قُلْتُ: وَالْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ فِي رِوَايَتِهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ مِنْ إِيرَادِ هَذَا الْحَدِيثِ، أَنَّهُ يَقْتَضِي أَنَّ خُرُوجَ الْأُمَرَاءِ إِلَى مُؤْتَةَ كَانَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩২৭৫

দাতা ও দয়া লু আল্লাহর সাব্লিধোর প্র৩াশী ৷ এখানে আমি শত্রুদের আগমনকে ভয় করি না এবং
শত্রু সেনা র নিকৃষ্ট সদস্যরা জিহাদ জিহাদ উৎসব মুখর পরিবেশকে বিনষ্ট করতে সক্ষম হবে না ৷

রাবী বলেন, “যখন আমি এ কবিতাগুলো তার থেকে শুনলাম, তখন আমি কাদতে লাগলাম ৷
তখন তিনি একটি ছেটি যেত দিয়ে আমাকে শাসন করলেন এবং বললেন, হে বোকা জ্র যদি
আল্লাহ তাআলা আমাকে শাহাদত দান করেন তাতে ভোর কী ? ভৃই সকলের সাথে আমার
সাওয়ারীকে ফেরত নিয়ে যাবি ৷ এরপর কোন এক যুদ্ধ সফরে তিনি যুদ্ধ কবিতা হিসেবে
নিম্নবর্ণিত কবিতাটি পাঠ কারন :

া১া
;
; ৷ ,’)

“হে যায়দ ! সাওয়ারীসমুহের জন্যে রক্ষিত শুকনো মাসের রক্ষক যায়দ ! তোমার জন্যে রাত
দীর্ঘ হয়ে গেছে ৷ অবশেষে তুমি সঠিক পথের সন্ধান পেলে ৷ এখন যুদ্ধের জন্যে সাওয়ারী হতে
অবতরণ কর ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম সেনাবাহিনী অগ্রসর হতে লাগলেন ৷ যখন বালকার সীমানায়
পৌছলেন তখন তারা বালকার অন্যতম গ্রাম মুশারিফে হিরাক্লিয়াসের আরব ও ণ্রামান বাহিনীর
এক অংশের মুখোমুখি হন ৷ এরপর শত্রু সৈন্যরা আরো নিকটবর্তী হতে লাগল এবং মুসলিম
সৈন্যরা মু৩ তা নামক একটি জনপদের দিকে অগ্রসর হল ৷ এখানেই উভয় পক্ষে যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় ৷
মুসলিম সৈন্যগণ ৰিব্রত বোধ করতে লাগলেন ৷ তখন তারা বনু আয্রার এক ব্যক্তিকে
সেনাবাহিনীর ডান পাশে নিযুক্ত করলেন যীর নাম জ্যি কুতবা ইবন কাতাদা এবং বাম পাশে নিযুক্ত
করলেন আনসারের অন্য এক ব্যক্তিকে যীর নাম ছিল এবায়া ইবন মালিক ৷

ওয়াকিদী আবুহুরায়রা (বা) হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন মুতার যুদ্ধে আমি
ত্শ গ্রহণ করেছিলাম ৷ মুশরিকরা যখন আমাদের নিকটবর্তী হল, তখন তাদের সৈন্য সামত্ত,

অন্ত্রশস্ত্র, ভারবাহী জন্তু আনোয়ার, সোনা কথা ও রেশমী পােষাকাদি এত অধিক পরিমাণে
পরিলক্ষিত হয় যে , তাদের মুকাৰিলা করা কারো পক্ষে সম্ভবপর হবে না বলে মনে হচ্ছিল ৷ আমার
চোখ ঝলসে গেল ৷ তখন ছাবিত ইবন আরকাম (বা) আমাকে লক্ষ্য করে বলেন, হে আবু
হুরায়রা (বা) ! তুমি মনে হয় এটাকে বিরাট এক সেনাবাহিনী মনে করছ ? আমি বললাম, হীড়া ৷
তিনি বললেন, “তৃমিত আমাদের সাথে বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কর নাই ৷ আমরা সংখ্যায়
আধিক্যেৱ দরুন জয়লাভ করি নাই ৷ এটি বায়হাকী (র)-এর বর্ণনা ৷


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ مَضَوْا حَتَّى نَزَلُوا مَعَانٍ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ، فَبَلَغَ النَّاسَ أَنَّ هِرَقْلَ قَدْ نَزَلَ مَآبَ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ، فِي مِائَةِ أَلْفٍ مِنَ الرُّومِ، وَانْضَمَّ إِلَيْهِ مِنْ لَخْمٍ وَجُذَامٍ وَالْقَيْنِ وَبَهْرَاءَ وَبَلِيٍّ مِائَةُ أَلْفٍ مِنْهُمْ، عَلَيْهِمْ رَجُلٌ مِنَ بَلِيٍّ، ثُمَّ أَحَدُ إِرَاشَةَ، يُقَالُ لَهُ: مَالِكُ بْنُ زَافِلَةَ - وَفِي رِوَايَةِ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: فَبَلَغَهُمْ أَنَّ هِرَقْلَ نَزَلَ بِمَآبَ، فِي مِائَةِ أَلْفٍ مِنَ الرُّومِ وَمِائَةِ أَلْفٍ مِنَ الْمُسْتَعْرِبَةِ. وَقِيلَ: كَانَ الرُّومُ مِائَتَيْ أَلْفٍ، وَمَنْ عَدَاهُمْ خَمْسُونَ أَلْفًا. وَأَقَلُّ مَا قِيلَ: إِنَّ الرُّومَ كَانُوا مِائَةَ أَلْفٍ، وَمِنَ الْعَرَبِ خَمْسُونَ أَلْفًا. حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ - فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الْمُسْلِمِينَ أَقَامُوا عَلَى مَعَانٍ لَيْلَتَيْنِ يَنْظُرُونَ فِي أَمْرِهِمْ، وَقَالُوا: نَكْتُبُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُخْبِرُهُ بِعَدَدِ عَدُّونَا، فَإِمَّا أَنْ يَمُدَّنَا بِالرِّجَالِ، وَإِمَّا أَنْ يَأْمُرَنَا بِأَمْرِهِ فَنَمْضِيَ لَهُ. قَالَ: فَشَجَّعَ النَّاسَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ وَقَالَ: يَا قَوْمِ، وَاللَّهِ إِنَّ الَّتِي تَكْرَهُونَ لَلَّتِي خَرَجْتُمْ تَطْلُبُونَ، الشَّهَادَةُ، وَمَا نُقَاتِلُ النَّاسَ بِعَدَدٍ وَلَا قُوَّةٍ وَلَا كَثْرَةٍ، مَا نُقَاتِلُهُمْ إِلَّا بِهَذَا الدِّينِ الَّذِي أَكْرَمَنَا اللَّهُ بِهِ، فَانْطَلِقُوا فَإِنَّمَا هِيَ إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ، إِمَّا ظُهُورٌ وَإِمَّا شَهَادَةٌ. قَالَ: فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৩২৭৬

ইবন ইসহাক বলেন, “এরপর দুই পক্ষ মুখোমুখি হল এবং তুমুল যুদ্ধ শুরু হল ৷ যায়দ ইবন
হারিছা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রদত্ত ঝাণ্ডা নিয়ে প্রচণ্ড যুদ্ধ করে শাহাদত বরণ করলেন ৷ এরপর
জাফর (রা ) ঝান্ডা হাতে নিলেন ৷ শত্রুর বিরুদ্ধে প্রচন্ড যুদ্ধ করে তিনিও শাহাদত বরণ করলেন ৷
শাহাদতের পুর্বে তিনি তার ঘোড়ার পা কেটে দেন ৷ তিনিই ছিলেন ইসলামের মধ্যে প্রথম যে
যুদ্ধে নিজ বাহনের পা কেটে দেয় ৷

ইবন ইসহাক আব্বাদ ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমার পিতা আবদুল্লাহ ইবন ষুবায়র বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বনু মুৰ্বা ইবন আউফের লোক
ছিলেন ৷ তিনি মুতার যুদ্ধে অংশ গ্রহণকরেছিলেন ৷ তিনি বলেন, “আল্পাহ্র শপথ, আমি যেন
জাফর (রা)এর দিকে তাকিয়ে আছি ৷ যখন তিনি তার শক্তিশালী আঃটির পা কেটে দিলেন ৷
এরপর শত্রু সৈন্যের বিরুদ্ধে প্রচন্ড যুদ্ধ করে শাহাদত বরণ করলেন ৷ যুদ্ধের সময় তিনি
নিম্নবর্ণিত কবিতাটি আবৃত্তি করছিলেন ৷

হে জান্নাত ! তুমি কতই না সুন্দর ! তোমার সান্নিধ্য সুখের, (তামার পানীয় সুশীতল ৷
রোমকরা উন্মাদ ৷ তার শান্তি আসন্ন ৷ তারা কাফির ও অজ্ঞাত কুসশীল ৷ তাদের মুকাবিলায় প্রচণ্ড
আঘাত হলো আমার জন্যে অপরিহার্য ৷

উপরিউক্ত বর্ণনাটি আবুদাউদ (র) ও বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি কবিতাটি উল্লেখ করেননি ৷
উপর্বুক্ত ঘটনা থেকে দৃশমনের উপকৃত হবার আশংকা থাকলে জন্তু আনোয়ার হত্যা করা বৈধ
বলে প্রমাণিত হয় ৷ যেমন আবুহানীফা (র) বলেন, ণ্ভড়া বকরী যদি বহন করা সষ্ব না হয় এবং
দৃশমন তার দ্বারা উপকৃত হবার আশংকা থাকে তাহলে এণ্ডালাকে যবেহ করে পুড়িয়ে যেন্দা বৈধ,
যাতে করে ভেড়া বকরীও শত্রুর মাঝে তন্তেরায় সৃষ্টি হয় ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক জ্ঞাত ৷

সুহায়লী (র) বলেন, কেউ জাফর (না)-এর এ কাজের নিন্দা করেননি ৷ এতে এটা বৈধ
বলে প্রমাণিত হয়; কিন্তু যদি দৃশমনের হস্তপত হওয়ার আশংকা না থাকে , তাহলে তা বৈধ নয় ৷
উপরোক্ত ঘটনা বিনা কারণে জন্তু আনোয়ার হত্যার আওতায় পড়েনা ৷

ইবন ইিশাম বলেন, বিশ্বস্ত সুত্রে প্রকাশ, জ্যফর (বা) প্রথমত ডান হাতে ঝাণ্ডা ধারণ করেন ৷
ডান হাত কেটে যাওয়ায় বাম হাতে ঝাণ্ডা ধারণ করেন ৷ বাম হাত কেটে যাওয়ায় দৃই বাহুর দ্বারা
ঝাণ্ডা ধারণ করেন এরপর শাহাদত বরণ করেন ৷ তখন তার বয়স ছিল ৩৩ বছর ৷ এজন্যে আল্লাহ
তাআলা জান্নাতে তাকে দুটি পাখা দান করেন যার দ্বারা তিনি যেখানে ইচ্ছে ভ্রমণ করেন ৷ কথিত
আছে যে, একজন রোমান র্মুতার যুদ্ধের দিন তাকে একটি প্রচন্ড আঘাত করেছিল যার দরুন তিনি
একেবারে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গিয়েছিলেন ৷ ইবন ইসহাক আব্বাদের পিতার বর্ণনায় বলেন, জাফর
(না) যখন শাহাদত বরণ করলেন তখন আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ঝাণ্ডা হাতে তুলে নিলেন ৷
এরপর এ ঝাণ্ডা নিয়ে তিনি ঘোড়ার চড়ে অগ্রসর হলেন ৷ নিজকে ধিক্কার দিতে লাগলেন এবং
দ্বিধাদ্বন্দু নিরসন কল্পে বললেন :

ধ্ ন্,ন্

৫৪ —

النَّاسُ: قَدْ وَاللَّهِ صَدَقَ ابْنُ رَوَاحَةَ. فَمَضَى النَّاسُ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فِي مَحْبِسِهِمْ ذَلِكَ: جَلَبْنَا الْخَيْلَ مِنْ أَجَأٍ وَفَرْعٍ ... تُغَرُّ مِنَ الْحَشِيشِ لَهَا الْعُكُومُ حَذَوْنَاهَا مِنَ الصَّوَّانِ سِبْتًا ... أَزَلَّ كَأَنَّ صَفْحَتَهُ أَدِيمُ أَقَامَتْ لَيْلَتَيْنِ عَلَى مَعَانٍ فَأُعْقِبَ بَعْدَ فَتْرَتِهَا جُمُومُ ... فَرُحْنَا وَالْجِيَادُ مُسَوَّمَاتٌ تَنَفَّسُ فِي مَنَاخِرِهَا السَّمُومُ ... فَلَا وَأَبِي مَآبَ لَنَأْتِيَنْهَا وَإِنْ كَانَتْ بِهَا عَرَبٌ وَرُومُ فَعَبَّأْنَا أَعِنَّتَهَا فَجَاءَتْ ... عَوَابِسَ وَالْغُبَارُ لَهَا بَرِيمُ بِذِي لَجَبٍ كَأَنَّ الْبِيضَ فِيهِ إِذَا بَرَزَتْ قَوَانِسُهَا النُّجُومُ
পৃষ্ঠা - ৩২৭৭



হে আমার আত্মা, আমি শপথ করেছি তুমি নিশ্চয়ই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার বটে ৷ তুমি সন্তুষ্ট
চিত্তে তা কর বা অসন্তুষ্ট চিত্তেই কর ৷ শত্রুরা যখন যুদ্ধের মাঠে উপস্থিত এবং অস্ত্রশদ্রে সজ্যি
তখন আমি কেন তোমাকে জান্নাতের প্ৰতি ধাবিত হতে অসন্তুষ্ট লক্ষ্য করছি ৷ তোমার শান্তিতে
বসবাসের সময়কাল দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে ৷ তৃমিত কোন এক সময় অপবিত্র বীর্য আকারে ছিলে ৷

তিনি আরো বলেন, হে আমার আত্মা, তুমি যদি এখন নিহত না হও, তাহলে একদিনত
অবশ্যই তুমি মৃত্যুমুখে পতিত হবে ৷ এ যুদ্ধ তোমার জন্যে মৃত্যুর দ্বার খুলে দিয়েছে ৷ যা দিয়ে
তুমি সহহ্রজ্জী জান্নাতে প্রবেশ করতে পার ৷ তুমি জীবনে যা চেয়েছিলে তোমাকে তা ইতোমধ্যে
দেওয়া হয়েছে ৷ এখন যদি তুমি তোমার দুই সাথীদের ন্যায় শাহাদত বরণ করতে পার, তাহলে
তুমি সঠিক পথের সন্ধান পেলে ৷ দুই সাথী বলতে যায়দ (রা) ও জাফর (রা)-কে বুঝানো
হয়েছে ৷

এরপর তিনি ঘোড়া হতে অবতরণ করলেন ৷ তার অবতরণের পর তার চাচাতে৷ তাই তার
জন্যে একটি হাডিদ্র নিয়ে অড়াসলেন ও তার হাতে দিলেন এবং বললেন, এটা খেয়ে তোমার
মেরুদন্ড শক্ত কর ৷ বিগত দিনগুলোতে ক্ষুধার যন্ত্রণা যা ভোগ করার ছিল তাভাে করেছই ৷ তখন
তিনি এটা তার ভাইয়ের হাত থেকে গ্রহণ করলেন এবং র্দাতে একটু কেটে নিলেন ৷ এরপর তিনি
লোকজনের গুঞ্জরণ শুনতে পেলেন ৷ অর্থাৎ যুদ্ধের জন্যে মানুষ কলরব করে অগ্রসর হচ্ছে ৷ তখন
তিনি বলতে লাগলেন, হে আমার আত্মা ! তুমি দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত ৷ এরপর হাডিদ্রটি হাত থেকে
ফেলে দিলেন এবং তলোয়ার হাতে ধারণ করলেন ৷ এরপর অগ্রসর হলেন এবং প্রচণ্ড যুদ্ধ করে
শাহাদত বরণ করলেন ৷

রাবী বলেন, “এরপর বনুআজলানের এক ব্যক্তি ছাৰিত ইবন আরকাম (রা) ঝাণ্ডাটি ধরলেন
এবং বললেন, হে মুসলমড়ানগণ ! তোমাদের মধ্য হতে একজনকে ঝান্ডা উঠিয়ে ধরার জন্যে
মনোনীত কর ৷” তারা বললেন, “তৃমিই ঝান্ডা ধারণ কর ৷ তিনি বললেন, “আমি তা করতে
পারবো না ৷ জনগণ খালিদ ইবন ওলীদ (না)-কে মনোনীত করলেন ৷ ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে তিনি
লোকজনকে বিন্যস্ত করলেন ৷ তাদেরকে নিয়ে পুনরায় সুশংখলভাৰে সম্মুখপানে অগ্রসর হতে
লাগলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, “যখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার কাছে
সংবাদ পৌছেছে যে, যায়দ ইবন হারিছা (রা) ঝাণ্ডা ধারণ করেছে এবং প্রচন্ড যুদ্ধ করে শাহাদত
বরণ করেছে ৷ তারপর জাফর (রা) ঝাণ্ডা হাতে নিয়েছে এবং সেও প্রচণ্ড যুদ্ধ করে শাহাদত বরণ
করেছে ৷ ” রাৰী বলেন, “এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিছুক্ষণ নীরব থাকেন ৷ তাতে আনসারদের
চেহারা মলিন হয়ে গেল এবং তারা ধারণা করতে লাগলেন, আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর
ব্যাপারে হয়ত খারাপ কিছু ঘটে গেছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আবদৃল্লাহ্ ইৰ্ন
রাওয়াহা (রা) ঝাণ্ডা হাতে ধারণ করেছে এবং প্রচণ্ড যুদ্ধ করার পর সেও শাহাদত বরণ করেছে ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাদেরকে জান্নাতে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে ৷ নিদ্রিত ব্যক্তি


فَرَاضِيَةُ الْمَعِيشَةِ طَلَّقَتْهَا ... أَسِنَّتُنَا فَتَنْكِحُ أَوْ تَئِيمُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهُ حَدَّثَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: كُنْتُ يَتِيمًا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ فِي حِجْرِهِ، فَخَرَجَ بِي فِي سَفَرِهِ ذَلِكَ، مُرْدِفِي عَلَى حَقِيبَةِ رَحْلِهِ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَيَسِيرُ لَيْلَةً إِذْ سَمِعْتُهُ وَهُوَ يُنْشِدُ أَبْيَاتَهُ هَذِهِ: إِذَا أَدَّيْتِنِي وَحَمَلْتِ رَحْلِي ... مَسِيرَةَ أَرْبَعٍ بَعْدَ الْحِسَاءِ فَشَأْنُكِ أَنْعُمٌ وَخَلَاكِ ذَمٌّ ... وَلَا أَرْجِعْ إِلَى أَهْلِي وَرَائِي وَجَاءَ الْمُسْلِمُونَ وَغَادَرُونِي ... بِأَرْضِ الشَّامِ مُشْتَهِيَ الثَّوَاءِ وَرَدَّكَ كُلُّ ذِي نَسَبٍ قَرِيبٍ ... إِلَى الرَّحْمَنِ مُنْقَطِعَ الْإِخَاءِ هُنَالِكَ لَا أُبَالِي طَلْعَ بَعْلٍ ... وَلَا نَخْلٍ أَسَافِلُهَا رِوَاءِ
পৃষ্ঠা - ৩২৭৮
قَالَ: فَلَمَّا سَمِعْتُهُنَّ مِنْهُ بَكَيْتُ، فَخَفَقَنِي بِالدِّرَّةِ وَقَالَ: مَا عَلَيْكَ يَا لُكَعُ أَنْ يَرْزُقَنِي اللَّهُ الشَّهَادَةَ، وَتَرْجِعَ بَيْنَ شُعْبَتَيِ الرَّحْلِ؟! ثُمَّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فِي بَعْضِ سَفَرِهِ ذَلِكَ وَهُوَ يَرْتَجِزُ: يَا زَيْدُ زَيْدَ الْيَعْمَلَاتِ الذُّبَّلِ ... تَطَاوَلَ اللَّيْلُ هُدِيتَ فَانْزِلِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ مَضَى النَّاسُ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِتُخُومِ الْبَلْقَاءِ لَقِيَتْهُمْ جُمُوعُ هِرَقْلَ مِنَ الرُّومِ وَالْعَرَبِ، بِقَرْيَةٍ مِنْ قُرَى الْبَلْقَاءِ يُقَالُ لَهَا: مَشَارِفُ. ثُمَّ دَنَا الْعَدُوُّ، وَانْحَازَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: مُؤْتَةُ. فَالتَقَى النَّاسُ عِنْدَهَا، فَتَعَبَّأَ لَهُمُ الْمُسْلِمُونَ، فَجَعَلُوا عَلَى مَيْمَنَتِهِمْ رَجُلًا مِنْ بَنِي عُذْرَةَ يُقَالُ لَهُ: قُطْبَةُ بْنُ قَتَادَةَ. وَعَلَى مَيْسَرَتِهِمْ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ: عَبَايَةُ بْنُ مَالِكٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: شَهِدْتُ مُؤْتَةَ، فَلَمَّا دَنَا مِنَّا الْمُشْرِكُونَ، رَأَيْنَا مَا لَا قِبَلَ لِأَحَدٍ بِهِ، مِنَ الْعُدَّةِ، وَالسِّلَاحِ، وَالْكُرَاعِ، وَالدِّيبَاجِ، وَالْحَرِيرِ، وَالذَّهَبِ، فَبَرِقَ بَصَرِي، فَقَالَ لِي ثَابِتُ بْنُ أَقْرَمَ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، كَأَنَّكَ تَرَى جُمُوعًا كَثِيرَةً! قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: إِنَّكَ لَمْ تَشْهَدْ مَعَنَا بَدْرًا، إِنَّا لَمْ نُنْصَرْ بِالْكَثْرَةِ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৩২৭৯

তাদেরকে স্বর্ণের খাটে স্বপ্নে দেখতে পারে; কিভু আমি আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর খাটটি
তার দুই স্াথীর খাংটর তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রম দেখতে পেলাম ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন
এরুপ ব্যতিক্রম ? উত্তরে আমাকে বলা হল, তারা দুইজন যুদ্ধ ক্ষেত্রে নির্ধিধায় অংশ গ্রহণ করেন;
কিন্তু আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) একটু ইতস্তত করেছিল ও পরে অংশ গ্রহণ করেছিল ৷
উপরোক্ত বর্ণনাটি ইবন ইসহাক বিজ্জি সনদেও বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বুখারী (র) আনাস ইবন মালিক (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “যায়দ
(রা ), জাফর (বা) ও আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর মৃত্যুর সংবাদ পৌছার পুর্বেই রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, যায়দ (রা) ঝাণ্ডা রয়েছে এবং
শাহাদত বরণ করেছে ৷ এরপর জাফর (বা) ঝান্ডা উত্তোলন করেছে এবং সেও শাহাদত বরণ
করেছে ৷ এরপর আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ঝাণ্ডা উত্তোলন করেছে এবং সেও শাহাদত বরণ
করেছে ৷ তখন তার দুটো চোখ থেকেই অশ্রু ঝরছিলর্চু ৷ এরপর আল্লাহ তাআলার তলোয়ার-
সমুহের মধ্য হতে একটি তলোয়ার ঝাণ্ডা হাতে নিয়েছে এবং আল্লাহ তআেলা তার মাধ্যমে বিজয়
দান করেছেন ৷ এটি বুখারীর একক বর্ণনা ৷ অন্য এক বর্ণনায় বুখারী (ব) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তখন যিম্বরে ছিলেন এবং বললেন, তারা আমাদের কাছে থেকে আনন্দ পায়না ৷

বৃখারী (ব) আবদুল্লাহ ইবন উমার (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) মুতার যুদ্ধে যায়দ ইবন হারিছা (রা)-কে আমীর নিযুক্ত করেন এবং বলেন, যায়দ (রা) যদি
নিহত হন তাহলে জাফর (বা) আমীর হবেন ৷ আর যদি জাফর (বা) নিহত হন তাহলে আবল্লোহ্
ইবন রাওয়াহা (বা) আমীর হবেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলেন, এ যুদ্ধে আমিও অংশ গ্রহণ
করেছিলাম ৷ আমরা জাফর ইবন আবু তালিব (রা)-কে খোজ করলাম ৷ তবে আমরা নিহতদের
মধ্যে পেলাম এবং তার শরীরে ৯৩-এর অধিক তলোয়ার ও বর্শার আঘাত দেখতে পেলাম ৷

অন্য এক সনদে ইমাম বুখারী (র ) আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, ঐদিন তিনি জাফর ইবন আবুতালিব (রা)-কে নিহত অবস্থায় দেখতে পান এবং বলেন,
“আমি তার শরীরে ৫০টি তলোয়ার ও বর্শার আঘাত গণনা করেছিলাম ৷ এগুলোর মধ্যে একটিও
পিছনের দিকে ছিলনা ৷ উপরোক্ত দুইটি বর্ণনাই ইমাম বুখারীর একক বর্ণনা ৷

উপরোক্ত দুটি বর্ণনার পার্থক্যের নিরসনকল্পে বলা যায়, ইবন উমর (রা) তীর বর্ণিত সংখ্যা
সম্বন্ধে অবগত হয়েছিলেন ৷ আর অন্যান্যরা এর থেকে অধিক সংখ্যা সম্বন্ধে অবগত হয়েছিলেন
বিধায় অধিক সংখ্যা সম্বলিত বর্ণনা পেশ করেছেন ৷ অথবা কম সংখ্যক আঘাত তিনি প্রাপ্ত
হয়েছিলেন সামনের দিকে নিহত হবার পুর্বে ৷ আর তিনি নিহত হওয়ার পর মুশরিকরা তার
পিছনের দিকে আঘাত করেছে ৷ নিহত হওয়ার পুর্বে সামনের দিকে যেসব আঘাত তিনি শত্রুদের
থেকে প্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ ইবন উমর (বা) তা গণনা করেছিলেন ৷

ইবন হিশাম উল্লেখ করেন যে, জাফর (রা)-এর ডান হাত কেটে যাওয়ার পর তিনি বাম
হাতে ঝাণ্ডা ধারণ করেন এবং পরে তাও কাফিররা কেটে ফেলে ৷ এ প্রেক্ষিতে ইমাম বুখারী (র)
— — — আমির (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন ইবন উমর (রা) জাফর


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ الْتَقَى النَّاسُ فَاقْتَتَلُوا، فَقَاتَلَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ بِرَايَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى شَاطَ فِي رِمَاحِ الْقَوْمِ، ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ، فَقَاتَلَ بِهَا، حَتَّى إِذَا أَلْحَمَهُ الْقِتَالُ، اقْتَحَمَ عَنْ فَرَسٍ لَهُ شَقْرَاءَ فَعَقَرَهَا، ثُمَّ قَاتَلَ الْقَوْمَ حَتَّى قُتِلَ فَكَانَ جَعْفَرٌ أَوَّلَ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَقَرَ فِي الْإِسْلَامِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ، حَدَّثَنِي أَبِي الَّذِي أَرْضَعَنِي، وَكَانَ أَحَدَ بَنِي مُرَّةَ بْنِ عَوْفٍ، وَكَانَ فِي تِلْكَ الْغَزْوَةِ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ قَالَ: وَاللَّهِ لَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى جَعْفَرٍ حِينَ اقْتَحَمَ عَنْ فَرَسٍ لَهُ شَقْرَاءَ ثُمَّ عَقَرَهَا، ثُمَّ قَاتَلَ الْقَوْمَ حَتَّى قُتِلَ وَهُوَ يَقُولُ: يَا حَبَّذَا الْجَنَّةُ وَاقْتِرَابُهَا ... طَيِّبَةً وَبَارِدًا شَرَابُهَا وَالرُّومُ رُومٌ قَدْ دَنَا عَذَابُهَا ... كَافِرَةٌ بَعِيدَةٌ أَنْسَابُهَا عَلَيَّ إِنْ لَاقَيْتُهَا ضِرَابُهَا وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَلَمْ يَذْكُرِ الشِّعْرَ
পৃষ্ঠা - ৩২৮০

;ন্ং ১াট্রুট্রু;র্চু৷ ৷ অর্থাৎ “হে দুই পাখার অধিকারী শহীদের ছেলে ! তোমার উপর শান্তি বর্নিত
হৈাক ৷ নাসাঈ (র)ও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

বুখারী (র) খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “মুতার
যুদ্ধের দিন আমার হাতে নয়টি তলোয়ার ভেঙ্গে যায়, শুধুমাত্র একটি ইয়ামানী তলোয়ার আমার
হাতে বাকী থাকে ৷ ইমাম বুখারী (র) অন্য এক সনদে খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) হতে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, “মুতার যুদ্ধের দিন আমার হাতে নয়টি তলোয়ার ভেঙ্গে গিয়েছিল ৷ শুধুমাত্র
একটি ইয়ামানী তলোয়ার আমার হাতে বাকী ছিল ৷ এ বর্ণনাটি বুখারীর একক ৷

বায়হাকী (র) খালিদ ইবন সুমায়র (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ ব্রতিনি বলেন, “আবদ্বদ্বুা৷হ
ইবন রাবাহ আল-আনসারী (রা ) আমাদের কাছে আগমন করলেন ৷ আনসারপণ র্তাকে জানত ৷
লোকজন তীর কাছে তিড় করল এবং আমিও তীর কাছেআসলাম ৷ আবু কাতাদা (রা) বলেন,
“ইনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর অশ্বারোহী ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমীরদের’ সৈন্যদল প্রেরণ
করেন এবং বলেন, “যায়দ ইবন হারিছা (রা)-ক্লে তোমাদের আমীর নিযুক্ত করা হল ৷ আরও
বলেন, “যদি যায়দ (রা) নিহত হয় তাহলে জাফর তোমাদের আমীর হবে ৷ আর যদি জাফরও
নিহত হয়, তাহলে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা তোমাদের আমীর হবে ৷ রাবী বলেন, জাফর (রা)
উত্তেজিত হলেন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা) ! আমি এত ডীরু নই যে , আপনি যায়দ
ইবন হারিছা (রা)-কে আমার পুর্বে আমীর নিযুক্ত করবেন ৷ রাসুধৃল্লাহ্ (সা) বললেন, যা বলেছি তা
হতে দাও, কেননা, তুমি জান না কোনটা ভাল ৷ এরপর আমীরপণ সৈন্য সহকারে যুদ্ধ ক্ষেত্রে চলে
গেলেন এবং যতদিন আল্লাহর ইচ্ছা তারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবস্থান করেন ৷ একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মিম্বরে উঠলেন ৷ নির্দেশ দিলেন যেন সালাতের জন্যে ঘোষণা দেওয়া হয় ৷ লোকজন রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর কাছে সমবেত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “এখন আমি তােমাদেরকে তোমাদের
সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্পর্কে অবহিত করব ৷ তারা রওয়ানা হয়ে চলে যায় ৷ এরপর দৃশমনের
মুখোমুখি হয় ৷ যায়দ (রা) শাহাদত বরণ করেছে ৷ ” রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা
করলেন ৷ “এরপর জাফর (বা) ইসলামী ঝাণ্ডা উত্তোলন করে ৷ সে শত্রুর উপর আক্রমণ চালায়
এবং শাহাদত বরণ করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার শাহাদত ধরণের সাক্ষ্য দেন এবং তার জন্যে
ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ “এরপর আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা ঝাণ্ডা হস্তে ধারণ করে অবিকলভাবে লড়ইি
করে শাহাদাত বরণ করে ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) তীর জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ৷

এরপর খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) ঝান্ড৷ হাতে নেন ৷ কিন্তু পুর্বে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক
আমীর নিযুক্ত হন নাই ৷ উপস্থিত সাহাবায়ে কিরামের প্রভাব ও সমর্থনে তিনি নিজেকে আমীর
ঘোষণা করেন ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন, “হে আল্লাহ ! খালিদ তোমার তলোয়ারসমুহের
মধ্য হতে একটি তল্যেয়ার ৷ তাকে তুমি সাহায্য কর ৷” ঐদিন থেকেই খালিদকে বলা হয়
সইিফুল্লাহ্ বা আল্লাহ্ব তলোয়ার ৷

ইমাম নাসাঈ (র) ও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ৰু এ বর্ণনায় কিছু অতিরিক্ত আছে সেটা হল,
“যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে লোকজন সমবেত হলেন তখন তিনি বললেন, শুভ লক্ষণ ৷
শুভ লক্ষণ ! এবং হাদীছটি আনুপুর্বিক বর্ণনা করেন ৷


وَقَدِ اسْتَدَلَّ بِهِ مَنْ جَوَّزَ قَتْلَ الْحَيَوَانِ خَشْيَةَ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهِ الْعَدُوُّ، كَمَا يَقُولُ أَبُو حَنِيفَةَ فِي الْأَغْنَامِ إِذَا لَمْ تَتْبَعْ فِي السَّيْرِ، وَيُخْشَى مِنْ لُحُوقِ الْعَدُوِّ لَهَا وَانْتِفَاعِهِمْ بِهَا، أَنَّهَا تُذْبَحُ وَتُحَرَّقُ، لِيُحَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَلَمْ يُنْكِرْ أَحَدٌ عَلَى جَعْفَرٍ، فَدَلَّ عَلَى جَوَازِهِ إِذَا خِيفَ أَخْذُ الْعَدُوِّ لَهُ، وَلَا يَدْخُلُ ذَلِكَ فِي النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ الْحَيَوَانِ عَبَثًا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ جَعْفَرًا أَخَذَ اللِّوَاءِ بِيَمِينِهِ فَقُطِعَتْ، فَأَخَذَهُ بِشَمَالِهِ فَقُطِعَتْ، فَاحْتَضَنَهُ بِعَضُدَيْهِ، حَتَّى قُتِلَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، فَأَثَابَهُ اللَّهُ بِذَلِكَ جَنَاحَيْنِ فِي الْجَنَّةِ يَطِيرُ بِهِمَا حَيْثُ شَاءَ، وَيُقَالُ: إِنَّ رَجُلًا مِنَ الرُّومِ ضَرَبَهُ يَوْمَئِذٍ ضَرْبَةً فَقَطَعَهُ بِنِصْفَيْنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي الَّذِي أَرْضَعَنِي، وَكَانَ أَحَدَ بَنِي مُرَّةَ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ: فَلَمَّا قُتِلَ جَعْفَرٌ، أَخَذَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ الرَّايَةَ، ثُمَّ تَقَدَّمَ بِهَا وَهُوَ عَلَى فَرَسِهِ، فَجَعَلَ يَسْتَنْزِلُ نَفْسَهُ، وَيَتَرَدَّدُ بَعْضَ التَّرَدُّدِ، ثُمَّ قَالَ: أَقْسَمْتُ يَا نَفْسُ لَتَنْزِلِنَّهْ ... لَتَنْزِلِنَّ أَوْ لَتُكْرَهِنَّهْ
পৃষ্ঠা - ৩২৮১

ওয়াকিদী আবল্লোহ ইবন আবু বকর ইবন আমর ইবন হাযাম (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, লোকজন যখন মুতা যুদ্ধে শত্রুর মুকাবিলা করছিলেন, সে সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মিম্বরের উপর উপবিষ্ট ছিলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা সিরিয়া ও তার মধ্যকার আড়াল দুর করে দেন ৷
তিনি তখন তাদের যুদ্ধাবস্থা অবলোকন করছিলেন ৷ তখন তিনি বলে উঠলেন : ষায়দ ইবন হারিছা
(রা) ইসলামী ঝান্ডা ধারণ করে রয়েছে ৷ শয়তান তার কাছে আসে, পার্থিব জীবনকে তার কাছে
প্রিয় করে তোলে এবং মৃভ্যুকে অপ্রিয় বস্তু হিসেবে প্রমাণ করতে চেষ্টা করে ৷ দুনিয়াকে তার
কাছে প্রিয় করে তোলে ৷ সে বলল, আমি মুমিনদের অন্তরে ঈমানকে সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছি
আর তুই (হে শয়তান) আমার কাছে দুনিয়াকে প্রিয় করে তুলতে প্রয়াস পাচ্ছিস ? তারপর সে
অবিচলভাবে এগিয়ে গেল এবং শাহাদত বরণ করলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার জন্যে দৃআ করলেন
এবং বললেন, “তার জন্যে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর ৷ সে জান্নাতে শহীদবেশে প্রবেশ করেছে ৷

ওয়াকিদী আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, যখন যায়দ (রা) নিহত হন তখন জাফর ইবন আবুতালিব (রা) ঝাণ্ডা
ধারণ করল ৷ তারপর শয়তান তার কাছে আগমন করল এবং পার্থিব জীবনকে তার কাছে প্রিয়,
মৃত্যুকে অপ্রিয়, আর দুনিয়াকে তার কাছে প্রিয় পাত্র করে তোলার প্রয়াস পেল ৷ জাফ্যা ইবন আবু
তালিব (রা) বলল, “আমি মু’মিনদের অন্তরে ঈমানকে সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছি আর তুই (হে
শয়তান) দুনিয়াকে আমার কাছে প্রিয় পত্রে করে ক্তৃাতে চাস :” তারপর সে অবিকলভাবে এগিয়ে
গিয়ে শাহাদত বরণ করল ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার জন্যে দৃআ করলেন এবং বললেন, “তোমরা
তোমাদের ভাইয়ের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা ক্যা ! কেননা, সে শহীদ এবং জান্নাতে প্রবেশ করেছে ৷
সে জান্নাতে দুটি ইয়াকুতের পাখায় ভর করে জান্নাতের যেখানে ইচ্ছে ভ্রমণ করতে থাকবে ৷”
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তারপর বললেন, এবার আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) ঝান্ডা ধারণ করেছে এবং
শাহাদত বরণ করেছে ৷ এরপর সে কাৎ হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করল ৷ এটা আনসারগণের মনকে
ভারাক্রাত করে তৃলল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে প্রশ্ন করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! কাৎ হয়ে কেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আবদুঃা৷হ্ ইবন রাওয়হাে (রা) আহত হয়ে পিছনে হটে আসে ৷ তারপর
সে নিজেকে ভব্লুসনা করে এবং সাহসের সাথে এগিয়ে গিয়ে শাহাদত বরণ করে ও জান্নাতে
প্রবেশ করে ৷ তাতে তার সম্প্রদায়ের ণ্লাকেরা খুশী হয়ে যায় ৷

ওয়াকিদী আবদুল্লাহ ইবন হারিছ ইবন ফুয়ইিল (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, হারিছ
বলেন, যখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) পতাকা হাতে নিলেন তখন রাসৃল্লুল্লাহ্ (সা) বলেন, “এখন
তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়েছে ৷ ”

ওয়াকিদী — — ইতাফ ইবন খালিদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবল্লোহ ইবন
রাওয়াহা (রা) বিকাল বেলা নিহত হন ৷ রাত শেষে তোর বেলায় খালিদ (বা) অথভাগের
সৈন্যদেরকে মধ্য ভাগে এবং মধ্য ভাগের সৈন্যদেরকে অ্যাভাগে, ডান দিকের সৈন্যদেরকে বাম
দিকে এবং বাম দিকের সৈনদেরকে ডান দিকে পুর্নৰিন্যস্ত করেন ৷ রাৰী বলেন, তাতে শত্রু
সৈন্যরা যেসব পরিস্থিতি ও পতাকার সাথে পরিচিত ছিল তা না দেখে নতুন পতাকা ও পরিস্থিতি
দেখতে পেয়ে মনে করে যে, মুসলমানদের কাছে সাহায্যকারী বাহিনী এসে পৌছেছে ৷ তাই তারা


إِنْ أَجْلَبَ النَّاسُ وَشَدُّوا الرَّنَّهْ ... مَا لِي أَرَاكِ تَكْرَهِينَ الْجَنَّهْ قَدْ طَالَ مَا قَدْ كُنْتِ مُطْمَئِنَّهْ ... هَلْ أَنْتِ إِلَّا نُطْفَةٌ فِي شَنَّهْ وَقَالَ أَيْضًا: يَا نَفْسُ إِنْ لَا تُقْتَلِي تَمُوتِي ... هَذَا حِمَامُ الْمَوْتِ قَدْ صَلِيتِ وَمَا تَمَنَّيْتِ فَقَدْ أُعْطِيتِ ... إِنْ تَفْعَلِي فِعْلَهُمَا هُدِيتِ يُرِيدُ صَاحِبَيْهِ، زَيْدًا وَجَعْفَرًا، ثُمَّ نَزَلَ، فَلَمَّا نَزَلَ أَتَاهُ ابْنُ عَمٍّ لَهُ بِعَرْقٍ مِنْ لَحَمَ فَقَالَ: شُدَّ بِهَذَا صُلْبَكَ، فَإِنَّكَ قَدْ لَقِيتَ فِي أَيَّامِكَ هَذِهِ مَا لَقِيتَ. فَأَخَذَهُ مِنْ يَدِهِ، فَانْتَهَسَ مِنْهُ نَهْسَةً، ثُمَّ سَمِعَ الْحَطْمَةَ فِي نَاحِيَةِ النَّاسِ فَقَالَ: وَأَنْتَ فِي الدُّنْيَا؟! ثُمَّ أَلْقَاهُ مِنْ يَدِهِ، ثُمَّ أَخَذَ سَيْفَهُ، ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ: ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ ثَابِتُ بْنُ أَقْرَمَ، أَخُو بَنِي الْعَجْلَانِ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، اصْطَلِحُوا عَلَى رَجُلٍ مِنْكُمْ. قَالُوا: أَنْتَ. قَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ. فَاصْطَلَحَ النَّاسُ عَلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فَلَمَّا أَخَذَ الرَّايَةَ دَافَعَ الْقَوْمَ وَحَاشَى بِهِمْ، ثُمَّ انْحَازَ وَانْحِيزَ عَنْهُ حَتَّى انْصَرَفَ بِالنَّاسِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا أُصِيبَ الْقَوْمُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَلَغَنِي
পৃষ্ঠা - ৩২৮২
: «أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، فَقَاتَلَ بِهَا حَتَّى قُتِلَ شَهِيدًا، ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ، فَقَاتَلَ بِهَا حَتَّى قُتِلَ شَهِيدًا ". قَالَ: ثُمَّ صَمَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تَغَيَّرَتْ وُجُوهُ الْأَنْصَارِ، وَظَنُّوا أَنَّهُ قَدْ كَانَ فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ بَعْضُ مَا يَكْرَهُونَ، ثُمَّ قَالَ: " ثُمَّ أَخَذَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَقَاتَلَ بِهَا حَتَّى قُتِلَ شَهِيدًا " ثُمَّ قَالَ: " لَقَدْ رُفِعُوا إِلَيَّ فِي الْجَنَّةِ، فِيمَا يَرَى النَّائِمُ، عَلَى سُرُرٍ مِنْ ذَهَبٍ، فَرَأَيْتُ فِي سَرِيرِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ ازْوِرَارًا عَنْ سَرِيرَيْ صَاحِبَيْهِ، فَقُلْتُ: عَمَّ هَذَا؟ " فَقِيلَ لِي: مَضَيَا، وَتَرَدَّدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ بَعْضَ التَّرَدُّدِ ثُمَّ مَضَى» هَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذَا مُنْقَطِعًا. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ وَاقِدٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَى زَيْدًا وَجَعْفَرًا وَابْنَ رَوَاحَةَ لِلنَّاسِ، قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَهُمْ خَبَرُهُمْ، فَقَالَ: أَخْذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا ابْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ - وَعَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ - حَتَّى أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ، وَرَوَاهُ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ، وَقَالَ فِيهِ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ: " وَمَا
পৃষ্ঠা - ৩২৮৩

ভীত হয়ে পড়ে এবং পরাস্ত হয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যাগ করে ৷ রাবী বলেন, এসময়ত তারা এত বিপুল
সংখ্যায় নিহত হল যা কোন যুদ্ধে কেউ দেখেনি ৷

উপরোক্ত বর্ণনাটি মুসা ইবন উকবার বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ তিনি তার মাগাষী গ্রন্থে
বর্ণনা করেন,হু দায়বিয়ার উমরার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছয় মাস মদীনায় অবস্থান করেন ৷ এরপর
তিনি মুতায় সৈন্যদল প্রেরণ করেন এবং যায়দ ইবন হারিছা (রা) কে আমীর নিযুক্ত করেন ৷
এসময় তিনি বলেন, যদি সে নিহত হয়ত তাহলে জা ষস্ম ইবন আবৃত তালিব (বা) আমীর হবে ৷ আর
যদি জা ফর (রা) নিহত হন তাহলে আবদুঃা৷হ ইবন রাওয়াহা (রা) আমীর হবে ৷ তারপর সেনা-
বাহিনী রওয়ানা হয়ে যায় এবং মুতায় ইবন আবু সাবুরা আল গাসৃসানীর ম্যুৰুখামুখি হয় ৷ সেখানে
ছিল রোমান ও আরব খৃক্টানদের একটি বিরাট শত্রু বাহিনী এবং তানুখ ও ৰাহরা সম্প্রদায়ের
সেনাবাহিনী ৷ ইবন আবু সাবুরা মুসলিম সেনাবাহিনীর মুকাবিলায় তার দুর্গ তিন দিন তালাবদ্ধ
অবস্থায় রাখে ৷ এরপর তারা পাকা ফসলপুর্ণ মাঠে যুকাবিলায় অবতীর্ণ হয় ৷ সেখানে তারা ভীষণ
যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ যায়দ ইবন হারিছা (বা) ইসলামী ঝাণ্ডা ধারণ করেন ও নিহত হন ৷ এরপর জাফা
(বা) বান্ডা হাতে ধারণ করে তিনিও নিহত হন ৷ এরপর আবন্মোহ ইবন রাওয়াহ৷ ( রা) ঝাণ্ডা ধারণ
করেন ও নিহত হন ৷ তারপর মুসলমানগণ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিযুক্ত আমীরগণের নিহত হওয়ার
পর খালিদ ইবন ওয়ালীদ আল-মাখয়ুমী (রা)ন্ণ্ক তাদের সেনাপতি নির্বাচন করেন ৷ এরপর
আল্লাহ্ তাআলা দৃশমনদেরকে পরাজিংচ করেন এবং মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেন ৷ রাবী
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৮ম হিজ্জীর জুমাদাল উল! সালে এ সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিলেন ৷

মুসা ইবন উকবা বলেন, ঐতিহাসিকগণ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, “জাফর (বা)
ফেরেশতাদের সাথে আমার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করে ৷ ফেরেশতাদের ন্যায় সে-ও উড়ে যাচ্ছিল
এবং তার ছিল দুটো ডানা ৷ ঐতিহাসিকগণ আরো বলেন যে, ইয়াল ইবন উমইিয়া (বা ) একদাি
মুতায় যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সংব বাদ পরিবেশন করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে
আগমন করেন ৷ তিনি তীকে বললেন, যদি তুমি ইচ্ছা কর স বাদ পরিবেশন কর, আর যদি তুমি
ইচ্ছা কর তাহলে আমিই সংবাদ পরিবেশন করব ৷ তিনি বলেন, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনিই
বরং সংবাদ পরিবেশন করুন ৷ রানী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়াল (বা) ও উপস্থিত জনতার
সম্মুখে মুতায় যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদ্যে৷ সম্পর্কে যাবতীয় সংবাদ পরিবেশন করলেন ৷ ইয়াল (বা)
বলেন, ঐ সভার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন তাদের সম্বন্ধে আপনি
একটি শব্দও উঘ্নেখের বাকী রাখেননি ৷ তাদের ব্যাপারটি এরুপই, যেরুপ আপনি বর্ণনা
করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহ্ তাআলা উক্ত ভুমিকে আমার সামনে নিয়ে তুলে
ধরেছিলেন যাতে আমি তাদের যুদ্ধ দেখতে পইি ৷

মুসা ইবন উকবার উপরোক্ত বর্ণনাঢিতে বহু তথ্য রয়েছে যা ইবন ইসৃহাকের বর্ণনাতে নেই ৷
আর কিছুটা বৈপরিত্যও পরিলক্ষিত হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ৰালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা)
সেনাবাহিনীকে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে রোমান ও আরব খৃক্টানদের খপ্পর থেকে রক্ষা করেন ৷
অন্যদিকে মুসা ইবন উকবা ও ওয়াকিদী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, মুসলিম সেনাবাহিনী রোমান ও
আরব বৃক্টানদ্যোকে পরাজিত করেছেন ৷ পৃর্বোক্ত আনাস (বা) বর্ণিত ৩মারকু হাদীছটি এ বর্ণনার


يَسُرُّهُمْ أَنَّهُمْ عِنْدَنَا ". وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، ثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - الْمَخْزُومِيُّ، وَلَيْسَ بِالْحِزَامِيِّ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ قُتِلَ زَيْدٌ فَجَعْفَرٌ، وَإِنْ قُتِلَ جَعْفَرٌ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ " قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: كُنْتُ فِيهِمْ فِي تِلْكَ الْغَزْوَةِ، فَالْتَمَسْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَوَجَدْنَاهُ فِي الْقَتْلَى، وَوَجَدْنَا فِي جَسَدِهِ بِضْعًا وَتِسْعِينَ مِنْ طَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلَالٍ - وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلَالٍ اللَّيْثِيُّ - قَالَ: وَأَخْبَرَنِي نَافِعٌ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ وَقَفَ عَلَى جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ قَتِيلٌ، فَعَدَدْتُ بِهِ
পৃষ্ঠা - ৩২৮৪

সমর্থক ৷ তাতে আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন ৷ “এরপর আল্লাহ তাআলার তলোয়ারসমুহ
হতে একটি তলােয়ার ঝান্ডা হাতে নিল এবং তার হাতেই আল্লাহ তাআলা বিজয় দান করলেন ৷
বুখারী ও হাফিয রায়হাকী উপরোক্ত বর্ণনাকে অঘাধিকার দিয়েছেন ৷

আমার মতে, ইবন ইসহকে ও অন্যান্যদের বর্ণনার মধ্যে পরিলক্ষিত পার্থ্যক্যর সমাধান
নিম্নরুপে সম্ভব ৷ আর তা হচ্ছে, খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) যখন ইসলামী পতাকা হাতে নিলেন
তখন তিনি মুসলিম সেনাবাহিনীকে নিয়ে কৌশলের আশ্রয় নেন এবং তাদেরকে রোমান ও আরব
বংশোদ্ভুত কাফির সেনাবাহিনীর খপ্পর হতে রক্ষা করেন ৷ রাত শ্যেয যখন ভোর হল তখন তিনি
মুসলিম সেনাবাহিনীর অবস্থান পব্লিবর্জা করেন ৷ ডান দিকের সৈন্যদেরকে বাম দিকে এবং বাম
দিকের সৈন্যদ্যোকে ডান দিকে, আর অগ্রভাগের সৈন্যদেরকে মধ্যভাগে এবং মধ্য ভাগের
সৈন্যদেরকে অগ্নভাগে বিন্যাস করেন, যেমনটি ওয়াকিদী উল্লেখ করেছেন ৷ সেনাবাহিনীকে
নতুনভাবে বিন্যাস করার পর রোমান বাহিনী ধারণা করে যে, মুসলিম সেনাবাহিনীর সাহায্যার্থে
নতুন বাহিনী আগমন করেছে ৷ যখন খালিদ (রা) তাদের উপর আক্রমণ করেন তখন আল্লাহর
ক্কুমে তারা তাদেরকে পরাজিত করেন ৷ আল্লাহ-ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইবন ইসহাক, মুহাম্মাদ ইবন জাফব ও উরওয়া (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুতার যুদ্ধে অংশ
গ্রহণকারিগণ যখন মদীনা প্রত্যাবর্তন করে তখন তাদেরকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) ও মুসলমানগণ স্বাগত
জানান ৷ রাবী বলেন, ছেলে মেয়েরা উত্তেজ্বিত অবস্থায় তাদের সাথে সাক্ষাত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) সকলের সাথে একটি সাওয়ারীতে আরোহণ করে আগমন করেন ৷ আর তিনি বলেন,
“ছোলমেয়োদ্যাৱক সাওয়ারীতে উঠিয়ে নাও ৷ আর জাফর (রা)-এর ছেলেটিকে আমার কাছে
দাও ৷” আবদুল্লাহকে আনয়ন করা হল এবং রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে নিজ সাওয়ারীতে সামনে
উঠিয়ে নিলেন ৷ ছেলেমেয়েরা যােদ্ধাদের প্ৰতি ধুলো নিক্ষেপ করতে লাগল এবং বলতে লাগল,
হে পলায়নকারীরা তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ থেকে পলায়ন করে এসেছ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, “তারা পলায়নকারী নয়, তারা ইনশাআল্লাহ পুনরায় হামলাকারী ৷ এ বর্ণনাটি মুরসাল এতে
কিছু বিরল তথ্য রয়েছে ৷

“আমার বক্তব্য হল, ইবন ইসহাক মনে করেছেন যে সমগ্র সেনাবাহিনীর অবস্থা এরুপ ফি! ৷
আসলে তা নয়, বরং কতিপয় সৈন্য যারা শত্রুর মুখোমুখির সময় শত্রুর অধিক সংখ্যা পরিলক্ষিত
হওয়ায় ভয় পেয়ে যায় এবং পলায়ন করে ৷ এখানে তাদ্যোই উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বাকী সৈন্যরা
পলায়ন করেনি: বরং তারা জয়লাভ করেছিল ৷ আর এ সংবাদটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বরে বসা
অবস্থায়ই বলে দিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন, “এরপর আল্লাহর তালায়ারসমুহ হতে একটি
তলােয়ার ঝান্ডা ধরল এবং আল্লাহ তাআলা তার হাতে বিজয় দান করলেন ৷’ তারপর আর
মুসলমানগণ তাদেরকে ফেরারী বলে আখ্যায়িত করেননি; বরং তাদেরকে ইজ্জত-সহ্মান সহকারে
স্বাগত জানান ৷ দােযারােপ করা ও ধুলো নিক্ষেপণ জ্জি তাদের জন্য যারা পলায়ন করেছিল এবং
সাধারণ সেনাবাহিনীকে সেখানে ছেড়ে আংগই চলে এসেছিপ ৷ তাদের মধ্যে একজন ছিলেন
আবম্নোহ ইবন উমর (রা) ৷

ইমাম আহমদ (র) আবক্যুন্হ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,


خَمْسِينَ، بَيْنَ طَعْنَةٍ وَضَرْبَةٍ، لَيْسَ مِنْهَا شَيْءٌ فِي دُبُرِهِ، وَهَذَا أَيْضًا مِنْ أَفْرَادِ الْبُخَارِيِّ. وَوَجْهُ الْجَمْعِ بَيْنَ هَذِهِ الرِّوَايَةِ وَالَّتِي قَبْلَهَا، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا اطَّلَعَ عَلَى هَذَا الْعَدَدِ، وَغَيْرَهُ اطَّلَعَ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ. أَوْ أَنَّ هَذِهِ فِي قُبُلِهِ أُصِيبَهَا قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ، فَلَمَّا صُرِعَ إِلَى الْأَرْضِ ضَرَبُوهُ أَيْضًا ضَرَبَاتٍ فِي ظَهْرِهِ، فَعَدَّ ابْنُ عُمَرَ مَا كَانَ فِي قُبُلِهِ وَهُوَ فِي وُجُوهِ الْأَعْدَاءِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِمَّا يَشْهَدُ لِمَا ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ مِنْ قَطْعِ يَمِينِهِ وَهِيَ مُمْسِكَةٌ اللِّوَاءَ، ثُمَّ شِمَالِهِ، مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا حَيَّا ابْنَ جَعْفَرٍ قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ ذِي الْجَنَاحَيْنِ. وَرَوَاهُ أَيْضًا فِي الْمَنَاقِبِ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ يَقُولُ: لَقَدِ انْقَطَعَتْ فِي يَدِي يَوْمَ مُؤْتَةَ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ، فَمَا بَقِيَ فِي يَدِي إِلَّا صَفِيحَةٌ يَمَانِيَةٌ
পৃষ্ঠা - ৩২৮৫

প্রেরিত ক্ষুদ্র সৈন্যদলগুলোর মধ্য হতে একটি ক্ষুদ্র দলে আমি অংশ গ্রহণ করেছিলাম ৷ এরপর
মুকাবিলার সময় লোকজন পলায়ন করল ৷ আমিও তাদের একজন ছিলাম ৷ আমরা বলতে
লাগলাম, আমরা কেমন করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাত করব ৷ কেননা, আমরা যুদ্ধ
থেকে পলায়ন করেছি ও অভিশাপ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছি ? এরপর আমরা মনে মনে বলতে
লাগলাম, যদি আমরা মদীনায় পৌছি তাহলে আমাদের হত্যা করা হবে ৷ আবার বলতে লাগলাম,
যদি আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আত্মসমর্পণ করি, তাহলে যদি আমাদের জান্য তওৰা কবুল
হয় তাহলে ভাল কথা ৷ আর যদি তা না হয় তাহলে আমাদের মরণ ৷ তবু আমরা যাব ৷ সুতরাং
আমরা ফজরের সালাতের পুর্বে মদীনা পৌছলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সংবাদ পেয়ে বের হয়ে
আসলেন এবং বললেন, তোমরা কারা ৷ আমরা বললাম, “আমরা (ফাংৰ্রী ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, “না, “ণ্তামরা বরং পুনরায় আক্রমণকারী ৷ আমি তোমাদের দলে আছি এবং আমি
মুসলমানের দলে আছি ৷” রাবী বলেন, “এরপর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না ) এর কাছে আগমন
করলাম এবং তার হাত চুম্বন করলাম ৷ অন্য এক বর্ণনায় ইবন উমর (রা) বলেন, “আমরা একটি
অভিযানে অংশ গ্রহণ করেছিলাম ৷ আমরা পালিয়ে প্রাণ ৰ্বাচিয়ে আমি এবং সামুদ্রিক জাহাজে
সওয়ার হয়ে বিদেশে চলে যাবার মনস্থ করেছিলাম ৷ এরপর আমরা এ মনোভাব ত্যাগ করে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে পৌছলাম এবং বল্লাম, হে আল্লাহর রাসুল ! আমরা তো
পলায়নকারী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “না, তোমরা বরং পুনঃ আক্রমণকারী ৷” তিরমিষী এবং
ইবন মজােও এটি বর্ণনা করেন ৷ তিরমিষী এটাকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে একটি অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ আমরা যখন দৃশমনের মুকাবিলা
করলাম আমরা প্রথম আক্রমণেই হেরে গেলাম ৷ তইি আমরা কয়েকজন রাতের বেলায় মদীনায়
আগমন করলাম এবং লুকিয়ে রইলাম ৷ আমরা মনে মনে ভাবলাম, যদি আমরা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে সাক্ষাত করি এবং ওযর পেশ করি তাহলে হয়ত তিনি আমাদের ক্ষমা করে দিতে
পারেন ৷ অতএব, আমরা গিয়ে তার সাথে সাক্ষাত করলাম ৷ আমরা বললাম, “আমরা
পলায়নকারী ৷ তিনি বললেন, না, তোমরা পুনঃ আক্রমণকারী ৷ আমি তোমাদের দলে আছি ৷”
রাবী আসওয়াদ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “আমি প্রত্যেক মুসলমানের সাথে আছি ৷”

ইবন ইসহাক আমির ইবন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সহধর্মিণী উষ্মে সালামা (বা) সালামা ইবন হিশাম ইবন মুগীরার স্তীকে
একদিন জ্যিজ্ঞস করলেন, কী হল, আমি সালামা (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলমানদের সাথে
সালাত আদায় করতে যে দেখিনা ৷ তিনি বললেন, সালামা (রা) ঘর থােক বের হতে পারেন না ৷
যখনই তিনি বের হন, লোকজন বলতে থাকে, হে পলায়নকারী ! তুমি আল্লাহর পথে জিহাদ হতে
পালিয়ে এসেছে! : এ জন্যই তিনি ঘরে বসে থাকেন, বের হন না ৷ তিনি মুতার যুদ্ধে অংশ গ্রহণ
করেছিলেন ৷

গ্রন্থকার বলেন, দুই লক্ষ বলে বর্ণিত শত্রু সৈন্য সংখ্যা অবলোকন করে সম্ভবত মুতা যুদ্ধে
অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদগণের একটি ক্ষুদ্র দল যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিত্যপে করেছিলেন ৷ সৈন্য সংখ্যার


ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي قَيْسٌ سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ يَقُولُ: لَقَدْ دُقَّ فِي يَدِي يَوْمَ مُؤْتَةَ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ، وَصَبَرَتْ فِي يَدِي صَفِيحَةٌ يَمَانِيَةٌ. انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو نَصْرِ بْنُ قَتَادَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ مَطَرٍ، ثَنَا أَبُو خَلِيفَةَ الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سُمَيْرٍ قَالَ: قَدِمَ عَلَيْنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيُّ، وَكَانَتِ الْأَنْصَارُ تُفَقِّهُهُ، فَغَشِيَهُ النَّاسُ، فَغَشِيتُهُ فِي مَنْ غَشِيَهُ فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، فَارِسُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشَ الْأُمَرَاءِ، وَقَالَ: " عَلَيْكُمْ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، فَإِنْ أُصِيبَ زَيْدٌ فَجَعْفَرٌ، فَإِنْ أُصِيبَ جَعْفَرٌ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ ". قَالَ: فَوَثَبَ جَعْفَرٌ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كُنْتُ أَرْهَبُ أَنْ تَسْتَعْمِلَ زَيْدًا عَلَيَّ. قَالَ: " امْضِ، فَإِنَّكَ لَا تَدْرِي أَيُّ ذَلِكَ خَيْرٌ " فَانْطَلَقُوا، فَلَبِثُوا مَا شَاءَ اللَّهُ، فَصَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِنْبَرَ، فَأَمَرَ فَنُودِيَ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. فَاجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أُخْبِرُكُمْ عَنْ جَيْشِكُمْ هَذَا، إِنَّهُمُ انْطَلَقُوا فَلَقُوا الْعَدُوَّ، فَقُتِلَ زَيْدٌ شَهِيدًا - فَاسْتَغْفَرَ لَهُ - ثُمَّ أَخَذَ اللِّوَاءَ جَعْفَرٌ، فَشَدَّ عَلَى الْقَوْمِ حَتَّى قُتِلَ شَهِيدًا - شَهِدَ لَهُ بِالشَّهَادَةِ وَاسْتَغْفَرَ لَهُ - ثُمَّ أَخَذَ اللِّوَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَأَثْبَتَ قَدَمَيْهِ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৩২৮৬
قُتِلَ شَهِيدًا - فَاسْتَغْفَرَ لَهُ - ثُمَّ أَخَذَ اللِّوَاءَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْأُمَرَاءِ، هُوَ أَمَّرَ نَفْسَهُ " ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ إِنَّهُ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِكَ، فَأَنْتَ تَنْصُرُهُ ". فَمِنْ يَوْمَئِذٍ سُمِّيَ خَالِدٌ سَيْفَ اللَّهِ» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ شَيْبَانَ، بِهِ نَحْوَهُ. وَفِيهِ زِيَادَةٌ حَسَنَةٌ، وَهُوَ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَمَّا اجْتَمَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ قَالَ: " ثَابَ خَبَرٌ، ثَابَ خَبَرٌ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عِمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ قَالَ: «لَمَّا الْتَقَى النَّاسُ بِمُؤْتَةَ، جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَكَشَفَ اللَّهُ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الشَّامِ، فَهُوَ يَنْظُرُ إِلَى مُعْتَرَكِهِمْ، فَقَالَ: " أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، فَجَاءَ الشَّيْطَانُ، فَحَبَّبَ إِلَيْهِ الْحَيَاةَ، وَكَرَّهَ إِلَيْهِ الْمَوْتَ، وَحَبَّبَ إِلَيْهِ الدُّنْيَا، فَقَالَ: الْآنَ حِينَ اسْتَحْكَمَ الْإِيمَانُ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ، تُحَبِّبُ إِلَيَّ الدُّنْيَا؟! فَمَضَى قُدُمًا حَتَّى اسْتُشْهِدَ " فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " اسْتَغْفِرُوا لَهُ، فَقَدْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ يَسْعَى» . قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ،
পৃষ্ঠা - ৩২৮৭

এরুপ তারতমােব বেলায় পলায়ন করা বৈধ ৷ যখন এই দল পলায়ন করেন বাকী সৈন্যপণ দৃঢ়তা
অবলম্বন করেন এবং তাদেরকে আল্লাহ্ তাআলা বিজয় দান করেন ৷ ঐসব কাফিরের হাত হতে
তারা নিজেকে রক্ষা করেন এবং শত্রু সৈন্যের এক বিরাট অংশকে হত্যা করেন ৷

ওয়াকিদী ও মুসা ইবন উকবা যেমনটি বর্ণনা করেছেন ৷ উপরোক্ত অভিমতের পক্ষে ইমাম
আহমদ (র) আউফ ইবন মালিক আল-আশজায়ী (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
র্মুতার যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্যে আমিও যায়দ ইবন হারিছা (র্দুরাটুা-এর নেতৃত্বে মুসলমানদের
সাথে ঘর থেকে বের হলাম ৷ আমার সাথে ছিলেন ইয়ামানের একজন ছুরি নির্মাতা ৷ তীর সাথে
তার একটি তলোয়ার ব্যতীত আর কিছুই ছিল না ৷ একজন মুসলমান একটি উট যবইি করল ৷
তখন ছুরি নির্মাতা তার কাছে এক টুকরা চামড়া চেয়ে নিল ৷ তিনি তাকে তা দিলেন ৷ তখন ছুরি
নির্মাতা এটাকে একটি ঢালের ন্যায় তৈরী করলেন এবং আমরা সকলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে গমন
করলাম ৷ আমরা রোমানাদং৷ বিশাল বাহিনীর মুখোমুৰী হলাম ৷ তাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি তার
একটি অত্যন্ত সুন্দর ঘোড়ার নওয়াব ছিল ৷ ঘোড়াটির পদী ছিল সোনালী এবং তার অস্ত্রশস্ত্র সবই
ছিল সোনালী ৷ রোমান যােদ্ধাটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রত ছিল ৷ ছুরি নির্মাতা তার জন্যে
একটি বিরাট পাথরের আড়ালে ওত্পেতে বসে গেল ৷ যখনই রোমান সৈন্যটি তার পাশ দিয়ে
অত্যন্ত পর্যসহকারে শির উচু করে অতিক্রম করছিল , এমন সময় ছুরি নির্মাতা অতর্কিংত
লোকটির ইাটুর পশ্চাদ্ভাগে শির! কেটে দেন ৷ তাতে যে চলে পড়ে, ছুরি নির্মাতা তার উপর চড়াও
হয় ও তাকে হত্যা করে ৷ এরপর সে তার ঘোড়া ও অস্ত্র নিয়ে নিল ৷ যখন আল্লাহ্ তাআলা
মুসলমানবুদ্যা বিজয় দান করলেন, তখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) তার কাছে এক ব্যক্তিকে
প্রেরণ করেন যাতে সে তার থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র নিয়ে আসে ৷ আউফ (রা) বলেন, আমি তখন
খালিদের কাছে আসলাম এবং কালাম , হে খালিদ ! তুমি কি জানন৷ যে, রাসুলুস্লাহ্ (সা) নিহত
ব্যক্তির পরিত্যক্ত অস্ত্রাদি হভ্যাকারীর ব্যক্তিগত সম্পদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন ? খালিদ (বা) বলেন,
হীা, তবে আমি এটাকে তার জন্যে অতিরিক্ত মনে করি ৷ আমি রলসাম, “তার জন্যে ?” এরপর
আমি বললাম, “তুমি এটা তাকে ফেরত দেবে অন্যথায় আমি বিষয়টি রাসুলুস্লাহ্ (না)-এর কাছে
উত্থাপন করব ৷ খালিদ (রা) তাকে এটা যেস্মত দিতে অস্বীকার করলেন ৷ আউফ্ (বা) বলেন,
“আমরা সকলে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট জমায়েত হলাম ৷ আমি চুরি নির্মাতার ঘটনা বিস্তারিত
বর্ণনা করলাম এবং খালিদ (বা) যা করেছেন তাও আমি বর্ণনা করলাম ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন,
“হে খালিদ ! তার থেকে যেটা তুমি নিঘ্নেছ তাকে সেটা কাোত দাও ৷ আউফ ৷রা) বলেন, আমি
বললাম, “হে খালিদ ! এখন কেমন হলো ৷ আমি কি তোমাকে আগেই বসিনি ?” রাসুসৃপ্লাহ্ (সা)
বলেন, “এটা আবার কী ’ আউফ (বা) বলেন, আমি আংদ্যাপাত্ত রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ৰললাম,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) রাগান্বিত হলেন এবং বললেন, “হে খাণিদ তাকে এটা ফেরত দেবে না ৷
তোমাদের উপর আমার নিয়ােগকৃত আমীরদেরকে কি তোমরা তাদের পসন্দমত কাজ করতে
দেবে না ৷ আর তারা শুধু দায়িত্ব-ই পালন করে যাবে রাৰী ওয়াশীদ ও মুসলিম ও আবু দউিদ
অনুরুপ বর্ণনা কংরছেন ৷ উপরোক্ত বর্ণনমোঃ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলিম আর্মীরণণ শ্যাদর
থেকে ণনীমত লাভ করেছেন, তাদের সশ্বানিত ব্যজ্যিদর পরিত্যক্ত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং
তাদের আর্মীরদেরকে হত্যা করেহ্নেৰ্ ৷

৫৫

«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَمَّا قُتِلَ زَيْدٌ أَخَذَ الرَّايَةَ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فَجَاءَهُ الشَّيْطَانُ، فَحَبَّبَ إِلَيْهِ الْحَيَاةَ، وَكَرَّهَ إِلَيْهِ الْمَوْتَ، وَمَنَّاهُ الدُّنْيَا، فَقَالَ: الْآنَ حِينَ اسْتَحْكَمَ الْإِيمَانُ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ تُمَنِّينِي الدُّنْيَا؟! ثُمَّ مَضَى قُدُمًا حَتَّى اسْتُشْهِدَ ". فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: " اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ، فَإِنَّهُ شَهِيدٌ، دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَهُوَ يَطِيرُ فِي الْجَنَّةِ بِجَنَاحَيْنِ مِنْ يَاقُوتٍ، حَيْثُ يَشَاءُ مِنَ الْجَنَّةِ " قَالَ: " ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَاسْتُشْهِدَ، ثُمَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ مُعْتَرَضًا " فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْأَنْصَارِ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا اعْتَرَضَهُ؟ قَالَ: " لَمَّا أَصَابَتْهُ الْجِرَاحُ نَكَلَ، فَعَاتَبَ نَفْسَهُ فَتَشَجَّعَ، وَاسْتُشْهِدَ فَدَخَلَ الْجَنَّةَ ". فَسُرِّيَ عَنْ قَوْمِهِ» . قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ الْفُضَيْلِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا أَخَذَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ الرَّايَةَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْآنَ حَمِيَ الْوَطِيسُ» . قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَحَدَّثَنِي الْعَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ ابْنُ رَوَاحَةَ مَسَاءً، بَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ، غَدَا وَقَدْ جَعَلَ مُقَدِّمَتَهُ سَاقَتَهُ، وَسَاقَتَهُ مُقَدِّمَتَهُ، وَمَيْمَنَتَهُ مَيْسَرَتَهُ. قَالَ: فَأَنْكَرُوا مَا كَانُوا يَعْرِفُونَ مِنْ رَايَاتِهِمْ وَهَيْئَتِهِمْ، وَقَالُوا: قَدْ جَاءَهُمْ مَدَدٌ. فَرُعِبُوا وَانْكَشَفُوا مُنْهَزِمِينَ. قَالَ: فَقُتِلُوا مَقْتَلَةً لَمْ يُقْتَلْهَا قَوْمٌ. وَهَذَا يُوَافِقُ مَا ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي
পৃষ্ঠা - ৩২৮৮

ইমাম বুখারী (র)-এর বর্ণনা পুর্বে পেশ করা হয়েছে যে, খালিদ (রা) বলেন, “মুতার যুদ্ধে
আমার হাতে নয়টি তালায়ার ভেঙ্গে যায়, শুধুমাত্র একটি ইয়ামানী তল্যেয়ার আমার হাতে বাকী
ছিল ৷” আর এরুপ যদি আমীরপণ না করতেন তাহলে কাফিরদের হাত থেকে মুসলমানদেরকে
তারা রক্ষা করতে পারতেন না ৷ মুসা ইবন উকবা, ওয়াকিদী, বায়হাকী ও ইবন হিশাম অনুরুপ
অভিমত পেশ করেছেন ৷

বায়হাকী (র) বলেন, মুতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদ্যেৰ্ পলায়ন কিংবা দলের সাথে মিশে যাওয়া
সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণের মতানৈক্য রয়েছে ৷ কেউ কেউ মনে করেন, তারা পলায়ন করেছিলেন,
আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, মুসলমানপণ মুশরিকদের উপর জয়লাভ করেছিলেন এবং
মুশরিকপণ পরাস্ত হয়েছিল ৷

বায়হাকী (র) আনাস ইবন মালিক (রা)-এৱ বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(যা) ইরশাদ করেন, এরপর খালিদ (রা) পতাকা হাতে নেন এবং আল্লাহ তাআলা তার হাতে
বিজয় দান করেন ৷ এ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলমানগণ ঘুশরিকদের উপর জয়লাভ
করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক জ্ঞাত ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, মুতার যুদ্ধে মুসলিম সৈন্যদের ডান পাশের সেনাদলের
প্রধান কুতবা ইবন কাতাদা আল-আযরী (বা) আরব খৃণ্টানদের সর্দার মালিক ইবন ষাজ্যি৷ কিত্বা
রাফিলা এর উপর হামলা করেন ও তাকে হত্যা করেন ৷ এ ব্যাপারে তিনি পর্ব করে তার ছন্দে
আবৃত্তি করেন ;



“ইবন রর্মগৈ৷ ইবন আল-আরাশ এর প্রতি আমি বর্শা নিক্ষেপ করলাম, বর্শা তাকে বিদ্ধ
করল ও সে নীচে পড়ে গেল ৷ তার পর্দানে জোরে তলােয়ার মারলাম সে সুলাম বৃক্ষের শাখার
ন্যায় ঢলে পড়া ৷ আমরা পরকাি তার গোত্রের রমণীদেরকে বন্দী করে জ্যানায়াৰের দলের ন্যায়
ইাকিংয় নিয়ে এলাম ৷ ”

উপরোক্ত কৰিভাগুলো আমাদের অভিমতকে সমর্থন কঃ ৷, কেননা, সেনাবাহিনীর প্রধান যখন
নিহত হয় তার সঙ্গিপণ সাধারণত পলায়ন করে ৷ কবিতায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, তার
শক্রদেৱ রমণীদেরকে বন্দী করেছিলেন ৷ আর এটাই আমাদের অভিমতের পক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ ৷
আল্লাহ ই অধিক জ্ঞাত ৷ তবে ইবন ইসহাক অভিমত পেশ করেন যে, মুতার যুদ্ধে ছিল কৌশল
প্রয়োগ ও রোমান সৈন্যদের খপ্পর থেকে পৰিত্রাণ অত্তনি ৷ আর এটাকে বিজয় বলে আখায়িত করা
হয়েছে এ হিসেবে যে, তারা দুশমন কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়েছিলেন আর দুশমনরা ছিল সংখ্যায়
অনেক বেশী ৷ তারা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা ৷ তাই জরা যখন তাদের থেকে রক্ষা
পেলেন তাদের জন্যে এটাই ছিল বড় বিজয় ৷ এটাও যথার্থ হতে পারে ৷ তবে এটা রাসুলুল্লাহ্
(সা৮এর ণ্দুৰু£ ভ্রুা৷ ৷ ণ্ :প্ (অর্থাৎ তাদের উপর আল্লাহ বিজয় দান করলেন উক্তির পরিপন্থী ৷



" مَغَازِيهِ " فَإِنَّهُ قَالَ بَعْدَ عُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ: ثُمَّ صَدَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَكَثَ بِهَا سِتَّةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ إِنَّهُ بَعَثَ جَيْشًا إِلَى مُؤْتَةَ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، وَقَالَ: «إِنْ أُصِيبَ فَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرُهُمْ، فَإِنْ أُصِيبَ جَعْفَرٌ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ أَمِيرُهُمْ» . فَانْطَلَقُوا حَتَّى إِذَا لَقُوا ابْنَ أَبِي سَبْرَةَ الْغَسَّانِيَّ بِمُؤْتَةَ، وَبِهَا جُمُوعٌ مِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ وَالرُّومِ، بِهَا تَنُوخُ وَبَهْرَاءُ، فَأَغْلَقَ ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ دُونَ الْمُسْلِمِينَ الْحِصْنَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ خَرَجُوا فَالْتَقَوْا عَلَى [رَدْغٍ] أَحْمَرَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَأَخَذَ اللِّوَاءَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فَقُتِلَ، ثُمَّ أَخَذَهُ جَعْفَرٌ فَقُتِلَ، ثُمَّ أَخَذَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَقُتِلَ، ثُمَّ اصْطَلَحَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ أُمَرَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيِّ، فَهَزَمَ اللَّهُ الْعَدُوَّ، وَأَظْهَرَ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: وَبَعَثَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جُمَادَى الْأُولَى، يَعْنِي سَنَةَ ثَمَانٍ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَرَّ عَلَيَّ جَعْفَرٌ فِي الْمَلَائِكَةِ، يَطِيرُ كَمَا يَطِيرُونَ، وَلَهُ جَنَاحَانِ " قَالَ: وَزَعَمُوا وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَنَّ يَعْلَى بْنَ أُمَيَّةَ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَبَرِ أَهْلِ مُؤْتَةَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ شِئْتَ فَأَخْبِرْنِي، وَإِنْ شِئْتَ أَخْبَرْتُكَ ". قَالَ: أَخْبِرْنِي يَا
পৃষ্ঠা - ৩২৮৯

আসলে ইবন ইসহাক তার অভিমতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে প্রমাণ স্বরুপ নিম্ন বণিউ
কবিতাগুলো উল্লেখ করেছেন ৷ কায়স ইবন মুহ্াসৃসার আল ইয়ামারী জনগণের অবস্থা, খালিদ
ইবন ওয়ালীদ (রা)-এর শত্রুদের সাথে কৌশল অবলম্বন, সেনা বাহিনী নিয়ে প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি
সম্পর্কের্তার ও জনগ্যশর কৃত কর্মের জন্য ওযরখাহী করে বলেন :

সুতরাং আল্লাহ্র শপথ, আমার অবস্থানের জন্যে আমার বিবেক সর্বদা আমাকে ভহ্সনা
করছে ৷ সেনাবাহিনী পুর্ব হতেই ছিল আংপামী ৷ আমি সেখানে ঞ্জোয়মান ছিলাম ৷ যারা খ্ ণ্ মুল যুদ্ধ
করছে তাদের আমি সাহায্যকারী নই, পরিচালনাকারী নই এবং প্রত্যিরাবকারীও নই ৷ কেননা,
আমি খালিদ (রা)-এর অনুসরণ করেছি ৷ আর জনগণের মধো খালিদের কোন ভুলন৷ ৷£নই ৷
মুতার যুদ্ধে যখন যুদ্ধের ভয়াবহতার জন্যে কোন বর্শা, বর্শা ল্লিক্ষপকারীকে উপকার করতে
পারছিল না, তখন জাফারর বীরতু প্রদর্শনে আমার বিবেক উচ্চরুিল্ড হয়ে উঠল ৷ এরপর খালিদ
যেন আমাদের সেনাবাহিনীর উত্তর দিককে ত্রুকত্র করলেন (বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলেন, তার শত্রুদের
দৃষ্টিতে ) যাতে তার পরব৩ ত পৃথক সত্তা নিয়ে অ“াক্রমপ করতে না পারে ৷ তারা একে অন্যের
কাজে অংশ নেবে না এবং কেউ কাউকে ভহেসনাও করবে না ৷ অর্থাৎ খালিদ (রা ) মুসলিম
সেনাবাহিনীকে পুনর্বিন্যাস করলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন “ঐতিহাসিকগণ যা নিয়ে মতবিরোধ করেছেন কায়স তার কবিতায়
ম্পৃষ্টভ!বে প্রকাশ করছেন যে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা পলায়ন করেছে এবং মৃত্যুকে তারা খারাপ
মনে করেছে ৷ আবার বালিদ্যে৷ সাথে যারা ছিল তাদেরকে নিয়ে ধালিদের প্রত্যাবর্তনও কবিতার
দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে ৷ ইবন হিশাম বলেন, তবে ইমাম ঘুহ্রী বলেন, আমাদের কাছে যা প্রমাণিত
হয়েছে তাহলো যে, যুসলমানগণ খালিদ ইবন ওরালীদ (রা)-কে র্তাহ্বদ্যা আমীর মনোনয়ন করেন,
এরপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বিজয় দান করেন ৷ মদীনায় প্রত্যাবর্তন করা পর্যন্ত তিনি র্ডাদের
আমীর রুপেই ছিলেন ৷

অধ্যশ্নে :
ইবন ইসহাক আসমা বিনৃত উমায়স (র!) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন
জাফর (রা) ও তীর সংর্গীর৷ শাহাদত বরণ করেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার ঘরে আসেন ৷
আমি ইংতামধ্যে চল্পিশটি র্কাচা চামড়া পাকা করেছি, আটার খামীর তৈরী করেছি এবং আমার
ছেলে মেয়েদের গোসল কবিয়েছি ৷ তেল দেই ও তাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি ৷ ন্নাসুণুল্পাহ্
(সা) বলেন, “জাফা৷ (রা)-এর ছেলে যেয়েদেরকে আমার কাছে নিয়ে অসে ৷ আমি তাদেরকে
তার কাছে নিয়ে আসলাম ৷ তিনি তাদের ব্রাণ নিলেন তখন র্তার দুচোখ দিয়ে অশ্রু ৰারন্থিল ৷
তখন আমি বল্লাম , £হ আল্লাহ্র রাসুল হু আপনার প্রতি আমার মা বাপ কুরবান হোন, আপনার
, র্কাদার কারণ কী ? জাবল্ম (রা) ও তীর সংগীদের কোন সংবাদ আপনার কাছে পৌহেছে নাকি :
তিনি বললেন, “হ্যা, আজ তারা শাহাদত বরণ করেছে ৷ আসমা (রা) বলেন, আমি উঠে
দীড়ালাম, চীৎকার করতে লাগলাম এবং অন্যান্য মস্থিলাদেরকে আমার কাছে জড়ো করে
ফেলুলাম ৷ রঙ্গসুলুল্পাহ্ (না) তার পরিবারের কাছে চলে গেলেন এবং বললেন, জাৰুর ৷ রা)ণ্-এর
পরিবার-পয়িজনের জন্যে খাদ্য তৈরী করতে তোমাদের যেন ভ্যু না হয় ৷ কেননা, তারা তার


رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَأَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَبَرَهُمْ كُلَّهُ، وَوَصَفَهُ لَهُمْ. فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا تَرَكْتَ مِنْ حَدِيثِهِمْ حَرْفًا لَمْ تَذْكُرْهُ، وَإِنَّ أَمْرَهُمْ لَكَمَا ذَكَرْتَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اللَّهَ رَفَعَ لِيَ الْأَرْضَ حَتَّى رَأَيْتُ مُعْتَرَكَهُمْ» . فَهَذَا السِّيَاقُ فِيهِ فَوَائِدٌ كَثِيرَةٌ لَيْسَتْ عِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَفِيهِ مُخَالَفَةٌ لِمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، مِنْ أَنَّ خَالِدًا إِنَّمَا حَاشَى بِالْقَوْمِ، حَتَّى تَخَلَّصُوا مِنَ الرُّومِ وَعَرَبِ النَّصَارَى فَقَطْ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَالْوَاقِدِيُّ مُصَرِّحَانِ بِأَنَّهُمْ هَزَمُوا جُمُوعَ الرُّومِ وَالْعَرَبِ الَّذِينَ مَعَهُمْ، وَهُوَ ظَاهِرُ الْحَدِيثِ الْمُتَقَدِّمِ عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا: " «ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» ". رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَهَذَا هُوَ الَّذِي رَجَّحَهُ وَمَالَ إِلَيْهِ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بَعْدَ حِكَايَةِ الْقَوْلَيْنِ، لِمَا ذَكَرَهُ مِنَ الْحَدِيثِ. قُلْتُ: وَيُمْكِنُ الْجَمْعُ بَيْنَ قَوْلِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَبَيْنِ قَوْلِ الْبَاقِينَ، وَهُوَ أَنَّ خَالِدًا لَمَّا أَخَذَ الرَّايَةَ حَاشَى بِالْقَوْمِ الْمُسْلِمِينَ، حَتَّى خَلَّصَهُمْ مِنْ أَيْدِي الْكَافِرِينَ مِنَ الرُّومِ وَالْمُسْتَعْرِبَةِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ وَحَوَّلَ الْجَيْشَ مَيْمَنَةً وَمَيْسَرَةً، وَمُقَدِّمَةً وَسَاقَةً، كَمَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ، تَوَهَّمَ الرُّومُ أَنَّ ذَلِكَ عَنْ مَدَدٍ جَاءَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا حَمَلَ عَلَيْهِمْ خَالِدٌ، هَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৩২৯০
وَلَكِنْ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَ: لَمَّا أَقْبَلَ أَصْحَابُ مُؤْتَةَ، تَلَقَّاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ مَعَهُ قَالَ: وَلَقِيَهُمُ الصِّبْيَانُ يَشْتَدُّونَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلٌ مَعَ الْقَوْمِ عَلَى دَابَّةٍ، فَقَالَ: " خُذُوا الصِّبْيَانَ فَاحْمِلُوهُمْ، وَأَعْطُونِي ابْنَ جَعْفَرٍ ". فَأُتِي بِعَبْدِ اللَّهِ، فَأَخَذَهُ فَحَمَلَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ: وَجَعَلَ النَّاسُ يَحْثُونَ عَلَيْهِمْ بِالتُّرَابِ وَيَقُولُونَ: يَا فُرَّارُ، فَرَرْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَيْسُوا بِالْفُرَّارِ، وَلَكِنَّهُمُ الْكُرَّارُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى» ". وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ. وَعِنْدِي أَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ قَدْ وَهِمَ فِي هَذَا السِّيَاقِ، فَظَنَّ أَنَّ هَذَا لِجُمْهُورِ الْجَيْشِ، وَإِنَّمَا كَانَ لِلَّذِينِ فَرُّوا حِينَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ، وَأَمَّا بَقِيَّتُهُمْ فَلَمْ يَفِرُّوا، بَلْ نُصِرُوا، كَمَا أَخْبَرَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فِي قَوْلِهِ: " «ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» ". فَمَا كَانَ الْمُسْلِمُونَ لِيُسَمُّوهُمْ فُرَّارًا بَعْدَ ذَلِكَ، وَإِنَّمَا تَلَقَّوْهُمْ، إِكْرَامًا لَهُمْ وَإِعْظَامًا، وَإِنَّمَا كَانَ التَّأْنِيبُ وَحَثْيُ التُّرَابِ لِلَّذِينِ فَرُّوا وَتَرَكُوهُمْ هُنَالِكَ، وَقَدْ كَانَ فِيهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنٌ، ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ
পৃষ্ঠা - ৩২৯১

ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত ৷ অনুরুপ বর্ণনা ইমাম আহমদ থেকেও পাওয়া যায় ৷ প্রথম বর্ণনায় প্রুহ্রন্; ন্ ণ্ ৷
(উম্মে জাষম্ম) বলা হয়েছে আর এ সনদে ;,প্রু ণ্ ৷ (উষ্মে আউন) বলা হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুঃণ্ণহ ইবন জাফর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“জাফর (রা)-এর মৃত্যুর সংবাদ যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পৌছে তখন তিনি বলেন,
“জাফর (রা)-এর পরিবার পরিজনের জন্যে খাদ্য তৈরী কর ৷ কেননা তাদ্যে৷ কাছে এমন একটি
দুঃসব্রাদ এসেছে যার জন্য তারা আজ শোক বিহ্বল ৷” অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ইমাম তিরমিযী,
আবু দাউদ ও ইবন মাজা (র) ৷ তিরমিযী বর্ণনাটিকে হাসান’ বলেছেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক অইিশা (বা) হ্তে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, “যখন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে জাফর (রা)-এর মৃত্যু সংবাদ পৌছে তফা আমরা তীর ঢেহারায়
বিষাদের চিহ্ন দেখতে পেলাম ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে একজন লোক প্রবেশ
করল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসুল ! মহিলারা আমাদেরকে কান্নকোটি ও আহজোরি দ্বারা বিরক্ত
করছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন, যাও তাদেরকে চুপ করতে বল ৷ আইশা (রা) বলেন, “লোকটি
চলে গেল ৷ আবার কিছুক্ষণ পর ফিরে আসল এবং রাসুলুস্লাহ্ (না)-কে পুর্বের ন্যায় বলল ৷
অইিশা (বা) বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (স!) তাকে বললেন, যাও তাদেরকে চুপ করতে বল যদি তারা
তোমার কথা অমান্য করে তাহলে তাদের ঢেহারার ধুলো নিক্ষেপ কর ৷ ’ আইশা (রা) বলেন,
“আমি মনে মনে বললাম, তোমাকে আল্লাহ তাআলা রহমত থেকে দুরে রাখুন, আল্লাহ্র শপথ,
তুমি নিরস্ত হচ্ছো না এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর হুকুম তামিলও করতে পারছো না ৷” আইশা (বা)
বলেন, “আমি জানতাম যে, সেভাে তাদের মুখে মাটি নিক্ষেপ করতে পারবে না ৷ ইব ন ইসহাক
এ সনদে একক ৷ ইমাম বুখারী (র) অইিশা (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

তাতে আরো আছে : আইশা (বা) বলেন, আমি মনে মনে বললাম, তােমার নাকে মাটি
লাগুক , অল্লোহ্র শপথ, ভুমিও এ কাজটি করতে পারবে না, আবার অন্যদিকে রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে
তুমি বার বার বিরক্ত করছ ৷ অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম (র), আবু দউিদ (র) ও
নাসাঈ (র) ৷

ইমাম আহমদ (র) আব্দুল্লাহ ইবন জাফর (বা) হতে ঘটনাটি আনুপুর্বিক বর্ণনা
করেন ৷ তাতে আরো আছে : রাবী বলেন, এরপর ঙ্গাফর (রা)-এর পরিবার-পরিক্রাকে শোক
প্রকাশের জন্য তিন দিন সময় দিলেন এবং তাদের কাছে আসলেন ও বললেন, “আজকের পর
আর তোমরা তোমাদের সাথীর জন্যে ক্রন্দন করবে না ৷’ আমার ভাইয়ের ণ্;ছলেম্যেয়াদরকে
আমার কাছে ডাক ৷ রাৰী আবদুল্লাহ ইবন জাফর (বা) বলেন, আমাদেরকে আনা হলো যেন,
আমরা মুরগীর হানাস্বরপ ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেন, নাপিতকে ডেকে আন ৷ নাপিতকে
ওেষ্কেআনা হল যে আমাদের মাথা মুণ্ডন করল ! এরপর রার্বী বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন,
মুহাম্মাদ ইবুন জাফর আমাদের চাচা আবুত্যলিৰের ন্যায় ৷ আর আবদৃল্লাহ্ শরীরের গঠনে ও
চরিত্রে আমার ন্যায় ৷ এরপর তিনি আমার হাত ধরলেন এবং উপরের দিকে উচিয়ে বললেন, যে
ন্-সাল্পাহ্ ৷ তাকে জ্যফর (রা)-এর পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে কবৃল করুন ৷ আরদুল্লাহ্র কাজ-
কারবারে বরকত দান করুন ! এ বাক্যটি তিনি ন তিন বার উচ্চারণ করেন ৷ আবদুল্লাহ (বা)


، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «كُنْتُ فِي سَرِيَّةٍ مِنْ سَرَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَاصَ النَّاسُ حَيْصَةً، وَكُنْتُ فِيمَنْ حَاصَ، فَقُلْنَا: كَيْفَ نَصْنَعُ وَقَدْ فَرَرْنَا مِنَ الزَّحْفِ وَبُؤْنَا بِالْغَضَبِ؟ ثُمَّ قُلْنَا: لَوْ دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ فَبِتْنَا. ثُمَّ قُلْنَا: لَوْ عَرَضْنَا أَنْفُسَنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنْ كَانَتْ لَنَا تَوْبَةٌ، وَإِلَّا ذَهَبْنَا. فَأَتَيْنَاهُ قَبْلَ صَلَاةِ الْغَدَاةِ، فَخَرَجَ فَقَالَ: " مَنِ الْقَوْمُ؟ " قَالَ: فَقُلْنَا: نَحْنُ الْفَرَّارُونَ. فَقَالَ: " لَا، بَلْ أَنْتُمُ الْعَكَّارُونَ، أَنَا فِئَتُكُمْ، وَأَنَا فِئَةُ الْمُسْلِمِينَ ". قَالَ: فَأَتَيْنَاهُ حَتَّى قَبَّلْنَا يَدَهُ» . ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ غُنْدُرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كُنَّا فِي سَرِيَّةٍ فَفَرَرْنَا، فَأَرَدْنَا أَنْ نَرْكَبَ الْبَحْرَ، فَأَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَحْنُ الْفَرَّارُونَ. فَقَالَ: " لَا، بَلْ أَنْتُمُ الْعَكَّارُونَ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى وَأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَا: حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩২৯২

বলেন, এরপর আমাদের মা আসলেন এবং আমাদের ইয়ার্তীম অবস্থার কথা উল্লেখ করলেন ও
তার সামনে তার মর্মবেদনা প্রকাশ করতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, তৃমি কি তাদের
দারিদ্রোর ভয় করছ, অথচ আমিই দুনিয়া ও আখিরাণ্ডে ততাদের অভিভাবক ?

উপরোক্ত বর্ণনার আৎশিক আবুদাউদ ও পুর্ণভাবে নাসাঈ (র) বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনা
থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে তিন দিন কান্নাকাটি করার অনুমতি দিয়েছেন এবং
তিন দিনের বেশী কান্নাকা ৷টি করতে নিষেধ করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আসমা (বা) হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন জাফর (বা)
শাহাদত বরণ করার পর রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাকে (আসমাকে ) বলেছেন, তুমি তিন দিন কান্নাকাটি
করতে পার ৷ তারপর তুমি যা ইচ্ছে করতে পার ৷ সম্ভবত রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বিশেষ করে
অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ কেননা, তিনি জাফর (রা)-এর গােকে অত্যন্ত ৰিহ্বল ছিলেন ৷ সম্ভবত
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে তিন দিন শোক পালন করার জন্যে অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ এরপর তিনি যা
ইচ্ছে করতে পারেন যেমন অন্যান্য নারীগণ স্বামীর জন্যে শোক পালন করার পর যা ইচ্ছে তা
করতে পারে ৷ অন্য বর্ণনায় বুঝা যায় তাকে তিন দিন ধৈর্যধারণ করার জন্যে বলেছিলেন ৷ এটা
অবশ্য অন্যান্য বর্ণনা থেকে ভিন্ন ৷ আল্পাহ্ তাআলাই অধিক জ্ঞাত ৷

ইমাম আহমদ আসমা বিনৃত উমায়স (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, জাফর
(রা) নিহত হবার তিন দিন পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার নিকট আগমন করেন এবং বলেন,
“আজকের পর আর তুমি শোক পালন করবে না ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন যে নারী আল্লাহ তা জানা ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার
জন্যে স্বামী ব্যতীত তঅন্যের জন্যে তিন দিনের বেশী শোক পালন করা বৈধ নয় ৷ আর স্বামীর
ক্ষেত্রে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে ৷ অতএব, উভয় হাদীছের সামঞ্জস্য বি ধানে বলা যায়
যে আসমা (বা) কে বিশেষভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল অথবা শোক তাপের মধ্যেও তিন দিন
অতিরিক্ত করার জন্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ অ ৷ল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞা ৷ত ৷

আসমা বিনৃত উমায়স (বা) তার স্বামীর জন্যে আর্তনাদ করার সময় নিম্নবর্ণিত কবিতা আবৃত্তি
করেন :



“আমরা তোমার জন্যে ক্রন্দন করছি ৷ আমার মনটা সব সময় তোমার জন্যে ভারাক্রাম্ভ ৷
আমার দেহটা সব সময় ধুলি ধুসরিত ৷ আল্লাহ্ তা আল৷ কি কাউকে এরুপ চোখ দান করেছেন
যার দ্বারা যে এ যুবকের ন্যায় যুদ্ধক্ষেত্রে অত তাম্ভ কঠোর, সহনশীলত৷ ও শত্রুর উপর পুনঃপুনঃ
হামলাকারী যুবককে দেখেছে ?

এরপর তীর ইদ্দত শেষ হবার পর আবু বকর সিদ্দীক (বা) বিয়ের প্রস্তাব দেন ও তাদের মধ্যে
বিয়ে হয়ে যায় ৷ আবু বকর সিদ্দীক (বা) বিয়ের ওলীম৷ করেন ৷ ওলীমায় লোকজন হাযির হন ৷
তাদের মধ্যে আলী (রা)-ও ছিলেন ৷ যখন ওলীম৷ শেষে লোকজন চলে যায়, আলী (রা ) হযরত
আবু বকর সিদ্দীক (বা) হতে অনুমতি নিয়ে পর্দার আড়ালে আসমা (বা) এর সাথে কথা বলেন ও
রহস্য করে বলেন, এ কবিতাটি কে বলতেছিল ?


شَرِيكٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَرِيَّةٍ، فَلَمَّا لَقِينَا الْعَدُوَّ انْهَزَمْنَا فِي أَوَّلِ غَادِيَةٍ، فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فِي نَفَرٍ لَيْلًا فَاخْتَفَيْنَا، ثُمَّ قُلْنَا: لَوْ خَرَجْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاعْتَذَرْنَا إِلَيْهِ. فَخَرَجْنَا إِلَيْهِ، ثُمَّ لَقِينَاهُ قُلْنَا: نَحْنُ الْفَرَّارُونَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " بَلْ أَنْتُمُ الْعَكَّارُونَ، وَأَنَا فِئَتُكُمْ " قَالَ الْأَسْوَدُ: " وَأَنَا فِئَةُ كُلِّ مُسْلِمٍ» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ بَعْضِ آلِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَهُمْ أَخْوَالُهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ لِامْرَأَةِ سَلَمَةَ بْنِ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ: مَا لِي لَا أَرَى سَلَمَةَ يَحْضُرُ الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَ الْمُسْلِمِينَ؟ قَالَتْ: مَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَخْرُجَ، كُلَّمَا خَرَجَ صَاحَ بِهِ النَّاسُ: يَا فُرَّارُ، فَرَرْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ ! حَتَّى قَعَدَ فِي بَيْتِهِ مَا يَخْرُجُ. وَكَانَ فِي غَزَاةِ مُؤْتَةَ. قُلْتُ: لَعَلَّ طَائِفَةً مِنْهُمْ فَرُّوا لَمَّا عَايَنُوا كَثْرَةَ جُمُوعِ الْعَدُوِّ، وَكَانُوا أَكْثَرَ مِنْهُمْ بِأَضْعَافٍ مُضَاعَفَةٍ، فَإِنَّ الصَّحَابَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، كَانُوا ثَلَاثَةَ
পৃষ্ঠা - ৩২৯৩

) ধ্১১ৰুএএি

অর্থাৎ আমি তোমার জন্যে ক্রন্দন করছি ৷ আমার মনটা সব সময় তোমার জন্যে ভারাক্রাম্ভ ৷
আমার দেহটা সব সময় ধুলি-ধুসরিত ৷

আসমা (রা ) বলেন, “ হে আবুল হাসান আমাকে তুমি আমার অবস্থায় থাকতে দাও ৷
নিঃসন্দেহে তুমি একজন রসিক ব্যক্তি ৷ আবু বকর (রা)-এর ঔরসে তীর ণ্ন্ন্ার্ভে মুহাম্মাদ ইর;ন আবু
বকর (রা)-এর জন্ম হয় মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী স্থানে ৷ বৃক্ষতলায় তিনি সন্তান প্রসব করেন যখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হজ্জ পালনরত ছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) র্তাকে গোসল করার পর ইহট্রুরাম
বাধার অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ তারপর আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ইন্তিকাল হলে আলী (রা)
আসমা ৰিন ত উমারস (রা)ব্বাক বিয়ে করেন ৷ তীর ঔরসেও কয়েকজন সন্তান জন্মগ্রহণ করেন ৷
তাদের সকলের প্রতি আল্লাহ্ তাআলা রাষী থাকুন ৷


آلَافٍ، وَكَانَ الْعَدُوُّ - عَلَى مَا ذَكَرُوهُ - مِائَتَيْ أَلْفٍ، وَمِثْلُ هَذَا يُسَوِّغُ الْفِرَارَ، عَلَى مَا قَدْ تَقَرَّرَ، فَلَمَّا فَرَّ هَؤُلَاءِ، ثَبَتَ بَاقِيهُمْ، وَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَتَخَلَّصُوا مِنْ أَيْدِي أُولَئِكَ، وَقَتَّلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، كَمَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ مِنْ قَبْلِهِ. وَيُؤَيِّدُ ذَلِكَ وَيُشَاكِلُهُ بِالصِّحَّةِ، مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ مَنْ خَرَجَ مَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ، وَرَافَقَنِي مَدَدِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ، لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُ سَيْفِهِ، فَنَحَرَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ جَزُورًا، فَسَأَلَهُ الْمَدَدِيُّ طَائِفَةً مِنْ جِلْدِهِ، فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ، فَاتَّخَذَهُ كَهَيْئَةِ الدَّرَقَةِ، وَمَضَيْنَا فَلَقِينَا جُمُوعَ الرُّومِ، وَفِيهِمْ رَجُلٌ عَلَى فَرَسٍ لَهُ أَشْقَرَ، عَلَيْهِ سَرْجٌ مُذَهَّبٌ وَسِلَاحٌ مُذَهَّبٌ، فَجَعَلَ الرُّومِيُّ يُغْرِي بِالْمُسْلِمِينَ، وَقَعَدَ لَهُ الْمَدَدِيُّ خَلْفَ صَخْرَةٍ، فَمَرَّ بِهِ الرُّومِيُّ فَعَرْقَبَ فَرَسَهُ، فَخَرَّ وَعَلَاهُ، فَقَتَلَهُ، وَحَازَ فَرَسَهُ وَسِلَاحَهُ، فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৩২৯৪
لِلْمُسْلِمِينَ، بَعَثَ إِلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَأَخَذَ مِنْهُ السَّلَبَ. قَالَ عَوْفٌ: فَأَتَيْتَهُ فَقُلْتُ: يَا خَالِدُ، أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنِّي اسْتَكْثَرْتُهُ. فَقُلْتُ: لَتَرُدَّنَّهُ إِلَيْهِ أَوْ لَأُعَرِّفَنَّكَهَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَبَى أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهِ. قَالَ عَوْفٌ: فَاجْتَمَعْنَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ قِصَّةَ الْمَدَدِيِّ وَمَا فَعَلَ خَالِدٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا خَالِدُ، رُدَّ عَلَيْهِ مَا أَخَذْتَ مِنْهُ ". قَالَ عَوْفٌ: فَقُلْتُ: دُونَكَ يَا خَالِدُ، أَلَمْ أَفِ لَكَ؟! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَمَا ذَاكَ؟ " فَأَخْبَرْتُهُ، فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " يَا خَالِدُ، لَا تَرُدَّ عَلَيْهِ، هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُو لِي أُمَرَائِي، لَكُمْ صِفْوَةُ أَمْرِهِمْ وَعَلَيْهِمْ كَدَرُهُ» قَالَ الْوَلِيدُ: سَأَلْتُ ثَوْرًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَحَدَّثَنِي عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عَوْفٍ بِنَحْوِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ، مِنْ حَدِيثِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، بِهِ نَحْوَهُ. وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُمْ غَنِمُوا مِنْهُمْ، وَسَلَبُوا مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَقَتَلُوا مِنْ أُمَرَائِهِمْ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَنَّ خَالِدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: انْدَقَّتْ فِي يَدِي يَوْمَ مُؤْتَةَ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ، وَمَا ثَبَتَ فِي يَدِي إِلَّا صَفِيحَةٌ يَمَانِيَةٌ وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُمْ أَثْخَنُوا فِيهِمْ قَتْلًا، وَلَوْ لَمْ يَكُنْ كَذَلِكَ لَمَا قَدَرُوا عَلَى التَّخَلُّصِ
পৃষ্ঠা - ৩২৯৫

জাফর পরিবারের প্রতি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সদর আচরণ

ইসহাক ইবন উরওয়া ইবন যুহায়র (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মুতার
যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদগণ প্রত্যাবর্তনকালে মদীনায় নিবল্টবর্তী হলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও
অন্যান্য ঘুসলমানগণ র্তাদেরকে স্বাগত জানান ৷ রাবী উরওয়া ইবন যুবায়র (বা) বলেন,
ছেল্যেময়েরা উত্তেজিত অবস্থায় তাদের সাথে সাক্ষাত করে ৰু রাসুলুল্লাহ্ (সা) জনগণের সাথে
একটি সাওয়ারীতে আগমন করেন ৷ তিনি বলেন, £ছলে-মােয্যদরকে ধর ও তাদেরকে
সাওয়ারীতে উঠিয়ে নাও ৷ আর জাফর (রা)এর ছেলেকে আমার কাছে দাও ৷ আবদুল্লাহ ইবন
জাফর (রা )— কে আনয়ন করা হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে সাওয়ারীর সামনে উঠিয়ে নিলেন ৷ রাবী
বলেন, “জনতা সেনাবাহিনীর উপর ধুলো ছুড়তে লাগল ও বলতে লাগল, হে পলায়নকারীরা !
তোমরা আল্লাহর পথ থেকে পলায়ন করেছ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তারা পলায়নকারী নয় তারা
ইনশাআল্লাহ্ পুনরায় হামলা করবে ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন জাফর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন আহলে বায়তের ছেলেমেয়েরা
রাসুলুল্পাহ্ (সা)-কে স্বাগত জানাতেন ৷ একদিন তিনি সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করলে সকলের
আগে আমি তার কাছে পৌছলাম ৷ তিনি আমাকে সাওয়ারীর সামনে উঠিয়ে নিলেন ; তারপর
বললেন, “বনু ফাতিমার কোন একজন হাসান কিৎবা হুসায়নকে নিয়ে আস ৷ তখন তিনি তাদের
একজনকে সাওয়ারীতে তার পিছনে বসালেন ৷ আমরা তিনজন সাওয়ারীর উপর উপবিষ্ট অবস্থায়
মদীনায় প্রবেশ করলাম ৷ মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজা ৷ এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন জা ফর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
বাল্যকালে একদিন আমি ও আব্বাস (রা)-এর দুই পুত্র কুছাম এবং উবড়ায়দুল্লাহ্ খেলছিলাম ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি সাওয়ারীর উপর চড়ে আমাদের কাছে আগমন করলেন ৷ তিনি আমার
দিকে ইংগিত করে বললেন, একে আমার কাছে উঠিয়ে দাও, তখন তিনি আমাকে তার
সাওয়ারীর সামনে উঠিয়ে নিলেন ৷ আর কুছামের দিকে ইংগিত করে বললেন, একেও আমার
কাছে উঠিয়ে দাও ৷ তিনি তাকে তার পিছনে বসালেন অথচ উবায়দুল্লাহ্ আব্বাস (রা)-এর কাছে
কুছামের চাইতে অধিকতর প্রিয় সন্তান ছিলেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চাচার পসন্দ
অপসন্দের কোন প্রকার খেয়াল না করে উবায়দুল্লাহকে না নিয়ে কুছামকেই উঠিয়ে নিলেন ৷
আবদুল্লাহ্ ইবন জাফর (বা) বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিনবার আমার মাথা মাসেহ করলেন


مِنْهُمْ، وَهَذَا وَحْدَهُ دَلِيلٌ مُسْتَقِلٌّ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا هُوَ اخْتِيَارُ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَالْوَاقِدِيِّ وَالْبَيْهَقِيِّ، وَحَكَاهُ ابْنُ هِشَامٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: اخْتَلَفَ أَهْلُ الْمَغَازِي فِي فِرَارِهِمْ وَانْحِيَازِهِمْ، فَمِنْهُمْ مَنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ، وَمِنْهُمْ مَنْ زَعَمَ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ ظَهَرُوا عَلَى الْمُشْرِكِينَ، وَأَنَّ الْمُشْرِكِينَ انْهَزَمُوا قَالَ: وَحَدِيثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ثُمَّ أَخَذَهَا خَالِدٌ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ ". يَدُلُّ عَلَى ظُهُورِهِمْ عَلَيْهِمْ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ قُطْبَةَ بْنَ قَتَادَةَ الْعُذْرِيَّ، وَكَانَ رَأْسَ مَيْمَنَةِ الْمُسْلِمِينَ، حَمَلَ عَلَى مَالِكِ بْنِ زَافِلَةَ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: رَافِلَةُ. بِالرَّاءِ - وَهُوَ أَمِيرُ أَعْرَابِ النَّصَارَى، فَقَتَلَهُ، وَقَالَ يَفْتَخِرُ بِذَلِكَ: طَعَنْتُ ابْنَ رَافِلَةَ بْنِ الْإِرَاشِ ... بِرُمْحٍ مَضَى فِيهِ ثُمَّ انْحَطَمْ
পৃষ্ঠা - ৩২৯৬

এবং মাসেহ এর সময় প্রতিবার বললেন ও ংশুঠু ট্রু ন্দ্বু ৷ ষ্দ্বুগ্১ এন্ ৷ ন্ট্রুপুা৷ অর্থাৎ হে আল্লাহ্
! জাফর (রা)-এর বংশধরদের মধ্যে আবর্দুল্পাহ্ (রা)-কে জাফর (রা)ব্এর স্থলাভিষিক্ত কর ৷’
রাবী বলেন, আমি আবদুল্লাহ্কে বললাম, কুছাম কী করলো ? শাহাদত বরণ করেছিল ? আমি
বললাম , “আল্লাহ্ ও রাসুল (সা) সে সম্বন্ধে ভাল জানেন ৷ তিনি বললেন, হীা, নাসাঈও এ বর্গনাটি
উদ্ধৃত করেছেন তার আমালুল ইয়াওমে ওল্পইিলে ৷ ’
উপরোক্ত ঘটনাটি ছিল মক্কা বিজয়ের পরের, কেননা, আব্বাস (বা ) মক্কা বিজয়ের পর
মদীনায় এসেছিলেন দু
ইমাম আহমদ (র) — আবদুল্লাহ ইবন জাফর (বা) হতে বংনাি করেন ৷ তিনি একদিন

আবদুল্লাহ ইবন যুৰায়র (রা)-কে বলেন, তােমার কি এ ঘটনাটি স্মরণ আছে যে, তুমি আমি ও
ইবন আব্বাস (রা) একদিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাৎ করছিলাম তিনি বললেন, ছুণে ,
এরপর আমাদেরকে তিনি সাওয়ারীতে উঠিয়ে নিলেন আর তোমাকে ছেড়ে গেলেন : এ ঘটনাটিও
মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনা ৷


ضَرَبْتُ عَلَى جِيدِهِ ضَرْبَةً ... فَمَالَ كَمَا مَالَ غُصْنُ السَّلَمْ وَسُقْنَا نِسَاءَ بَنِي عَمِّهِ ... غَدَاةَ رَقُوقَيْنِ سَوْقَ النَّعَمْ وَهَذَا يُؤَيِّدُ مَا نَحْنُ فِيهِ، لِأَنَّ مِنْ عَادَةِ أَمِيرِ الْجَيْشِ إِذَا قُتِلَ، أَنْ يَفِرَّ أَصْحَابُهُ، ثُمَّ إِنَّهُ صَرَّحَ فِي شِعْرِهِ بِأَنَّهُمْ سَبَوْا مِنْ نِسَائِهِمْ، وَهَذَا وَاضِحٌ فِيمَا ذَكَرْنَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا ابْنُ إِسْحَاقَ فَإِنَّهُ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ إِلَّا الْمُخَاشَاةُ وَالتَّخَلُّصُ مِنْ أَيْدِي الرُّومِ، وَسَمَّى هَذَا نَصْرًا وَفَتْحًا، أَيْ بِاعْتِبَارِ مَا كَانُوا فِيهِ مِنْ إِحَاطَةِ الْعَدُوِّ بِهِمْ، وَتَرَاكُمِهِمْ وَتَكَاثُرِهِمْ وَتَكَاثُفِهِمْ عَلَيْهِمْ، فَكَانَ مُقْتَضَى الْعَادَةِ أَنْ يُصْطَلَمُوا بِالْكُلِّيَّةِ، فَلَمَّا تَخَلَّصُوا مِنْهُمْ وَانْحَازُوا عَنْهُمْ، كَانَ هَذَا غَايَةَ الْمُرَامِ فِي هَذَا الْمُقَامِ، وَهَذَا مُحْتَمَلٌ، لَكِنَّهُ خِلَافَ الظَّاهِرِ مِنْ قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: " فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ". وَالْمَقْصُودُ أَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ يَسْتَدِلُّ عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ فَقَالَ: وَقَدْ قَالَ - فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ النَّاسِ، وَأَمْرِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَمُخَاشَاتِهِ بِالنَّاسِ وَانْصِرَافِهِ
পৃষ্ঠা - ৩২৯৭
بِهِمْ قَيْسُ بْنُ الْمُحَسَّرِ الْيَعْمُرِيُّ، يَعْتَذِرُ مِمَّا صَنَعَ يَوْمَئِذٍ وَصَنَعَ النَّاسُ: فَوَاللَّهِ لَا تَنْفَكُّ نَفْسِي تَلُومُنِي ... عَلَى مَوْقِفِي وَالْخَيْلُ قَابِعَةٌ قُبْلُ وَقَفْتُ بِهَا لَا مُسْتَجِيرًا فَنَافِذًا ... وَلَا مَانِعًا مَنْ كَانَ حُمَّ لَهُ الْقَتْلُ عَلَى أَنَّنِي آسَيْتُ نَفْسِي بِخَالِدٍ ... أَلَا خَالِدٌ فِي الْقَوْمِ لَيْسَ لَهُ مِثْلُ وَجَاشَتْ إِلَيَّ النَّفْسُ مِنْ نَحْوِ جَعْفَرٍ ... بِمُؤْتَةَ إِذْ لَا يَنْفَعُ النَّابِلَ النَّبْلُ وَضَمَّ إِلَيْنَا حُجْزَتَيْهِمْ كِلَيْهِمَا ... مُهَاجِرَةٌ لَا مُشْرِكُونَ وَلَا عُزْلُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَيَّنَ قَيْسٌ مَا اخْتَلَفَ فِيهِ النَّاسُ مِنْ ذَلِكَ فِي شِعْرِهِ، أَنَّ الْقَوْمَ حَاجَزُوا وَكَرِهُوا الْمَوْتَ، وَحَقَّقَ انْحِيَازَ خَالِدٍ بِمَنْ مَعَهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَمَّا الزُّهْرِيُّ فَقَالَ، فِيمَا بَلَغَنَا عَنْهُ: أَمَّرَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِمْ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَكَانَ عَلَيْهِمْ حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ.
পৃষ্ঠা - ৩২৯৮

যায়দ (বা) , জা ফর (বা) ও আবদুল্লাহ (রা)-এর
ফযীলত

যায়দ (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত গোলাম ৷ তার বহু পরম্পরা নিম্নরুপ :

ইবন হারিছা ইবন শুরাহীল ইবন কাব ইবন আবদুল উঘৃযা ইবন ইমরুল কায়স ইবন আমির
ইবন নুমান ইবন আ ৷মির ইবন আবদুদ ইবন আউফ ইবন কিনান৷ ইবন বকর ইবন আউফ ইবন
উয্রাহ ইবন যায়দ আল লাত ইবন বুফায়দা ইবন ছাওর ইবন কা লব ইবন উবারাহ ইবন না আর
ইবন হুলওয়ান ইবন ইমরান ইবন আলহাফ ইবন কুদ ৷য়াহ আল-কালবী আল কুযায়ী ৷

তার মা একদিন তাকে নিয়ে তার পরিবার-পরিজনদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্যে রওয়ানা
হলেন ৷ পথে তাদের কাফেলায় ডাকাত হামলা করে ৷ ভাকাতরা তাকে ধরে নিয়ে যায় ৷ তারপর
হাকীম ইবন হিযাম তার ফুফু খাদীজা বিনৃত খুয়ায়লিদ (রা)-এর জন্যে তাকে খরিদ করেন ৷ কেউ
কেউ বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) নিজেই তাকে খরিদ করেছিলেন ৷ নুবুওয়াতের পুর্বে খাদীজা (রা)

তাকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর খিদমতে সমর্পণ করেন ৷ তারপর তার পিতা তার সন্ধান পান ৷ কিন্তু

তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে থাকাটইি পসন্দ করেন ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা)৩ ৷ তাকে আযাদ করে দিয়ে
পালক পুত্ররুপে গ্রহণ করেন ৷ তাই তাকে যায়দ ইবন মুহাম্মাদ বলে ডাকা হত ৷ আর রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ৷ আযাদকৃত দাসদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমান
হয়েছিলেন ৷৩ তার সম্পর্কে কুরআনের একাধিক আয়াত নাযিল হয় ং

১ ;;’, অর্থাৎ তোমাদের পোষ্য পুত্র,
(যাদেরকে অ ৷ল্লাহ্) তোমাদের পুত্র করেন নাই ৷

ন্ব্লুটুব্লু৷ অর্থাৎ তোমরা তাদেরকে
ডাক তাদের পিতৃ পরিচয়ে; আল্পাহ্র দৃষ্টিতে এটা অধিকতর সংগত ৷

৩ সুরা আহযাব০ ৪০ ণ্’ষ্া৷এ টু) ৷ ৷ ৷ার্দুট্রু০ ৰু;াদ্বু ৷ অর্থাৎ মুহাম্মাদ তোমাদের
মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন ৷

৷ ,
াঠুদ্বুছুটুট্রু ৷ ৷ অর্থাৎ “স্মরণ কর, আল্লাহ্ যাকে
অনুগ্রহ করেছেন এবং তুমিও যার প্রতি ৩অনুগ্রহ করেছ তুমি বলছিলে, তুমি তোমার ব্রীর সাথে
সম্পর্ক বজায় রায় এবং আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ ’তৃমি তােমার অন্তরে যা গোপন ব্লেখেছিলে আল্লাহ
তা প্রকাশ করে দেবেন : তুমি লোককে ভয় করছিলে অথচ আল্পাহ্ই ভরের অধিকতর হকদার ৷
৫৬ —


[إِخْبَارُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاسْتِشْهَادِ جَعْفَرٍ وَصَاحِبَيْهِ] فَصْلٌ إِخْبَارُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاسْتِشْهَادِ جَعْفَرٍ وَصَاحِبَيْهِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أُمِّ عِيسَى الْخُزَاعِيَّةِ، عَنْ أُمِّ جَعْفَرٍ بِنْتِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ جَدَّتِهَا أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ قَالَتْ: «لَمَّا أُصِيبَ جَعْفَرٌ وَأَصْحَابُهُ، دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ دَبَغْتُ أَرْبَعِينَ مَنًّا، وَعَجَنْتُ عَجِينِي، وَغَسَّلْتُ بَنِيَّ وَدَهَّنْتُهُمْ وَنَظَّفْتُهُمْ، قَالَتْ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ائْتِنِي بِبَنِي جَعْفَرٍ ". فَأَتَيْتُهُ بِهِمْ فَشَمَّهُمْ وَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، مَا يُبْكِيكَ، أَبَلَغَكَ عَنْ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ شَيْءٌ؟ قَالَ: " نَعَمْ، أُصِيبُوا هَذَا الْيَوْمَ " قَالَتْ: فَقُمْتُ أَصِيحُ، وَاجْتَمَعَ إِلَيَّ النِّسَاءُ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِهِ فَقَالَ: " لَا تَغْفُلُوا عَنْ آلِ جَعْفَرٍ أَنْ تَصْنَعُوا لَهُمْ طَعَامًا، فَإِنَّهُمْ قَدْ شُغِلُوا بِأَمْرِ صَاحِبِهِمْ» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ،، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أُمِّ عِيسَى، عَنْ أُمِّ عَوْنٍ بِنْتِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَسْمَاءَ، فَذَكَرَ الْأَمْرَ بِعَمَلِ الطَّعَامِ. وَالصَّوَابُ أَنَّهَا أُمُّ
পৃষ্ঠা - ৩২৯৯
جَعْفَرٍ وَأُمُّ عَوْنٍ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ: «لَمَّا جَاءَ نَعْيُ جَعْفَرٍ حِينَ قُتِلَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اصْنَعُوا لِآلِ جَعْفَرٍ طَعَامًا، فَقَدْ أَتَاهُمْ أَمْرٌ يَشْغَلُهُمْ» أَوْ: «أَتَاهُمْ مَا يَشْغَلُهُمْ» وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ خَالِدِ بْنِ سَارَةَ الْمَخْزُومِيِّ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ. ثُمَّ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «لَمَّا أَتَى نَعْيُ جَعْفَرٍ، عَرَفْنَا فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحُزْنَ. قَالَتْ: فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ النِّسَاءَ عَنَّيْنَنَا وَفَتَنَّنَا. قَالَ: " ارْجِعْ إِلَيْهِنَّ فَأَسْكِتْهُنَّ " قَالَتْ: فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ. قَالَتْ: وَرُبَّمَا ضَرَّ التَّكَلُّفُ. يَعْنِي أَهْلَهُ. قُلْتُ: قَالَ: " فَاذْهَبْ فَأَسْكِتْهُنَّ، فَإِنْ أَبَيْنَ فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ التُّرَابَ ". قَالَتْ: وَقُلْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৩০০
فِي نَفْسِي: أَبْعَدَكَ اللَّهُ، فَوَاللَّهِ مَا تَرَكْتَ نَفْسَكَ، وَمَا أَنْتَ بِمُطِيعٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: وَعَرَفْتُ أَنَّهُ لَا يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يَحْثِيَ فِي أَفْوَاهِهِنَّ التُّرَابَ» انْفَرَدَ بِهِ ابْنُ إِسْحَاقَ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ قَالَ: أَخْبَرَتْنِي عَمْرَةُ قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: «لَمَّا قُتِلَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ وَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْحُزْنُ. قَالَتْ عَائِشَةُ: وَأَنَا أَطَّلِعُ مِنْ صَائِرِ الْبَابِ - شَقٍّ - فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: أَيْ رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ نِسَاءَ جَعْفَرٍ. وَذَكَرَ بُكَاءَهُنَّ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَنْهَاهُنَّ. قَالَتْ: فَذَهَبَ الرَّجُلُ، ثُمَّ أَتَى فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ غَلَبْنَنَا. فَزَعَمَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ مِنَ التُّرَابِ " قَالَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: فَقُلْتُ: أَرْغَمَ اللَّهُ أَنْفَكَ، فَوَاللَّهِ مَا أَنْتَ تَفْعَلُ، وَمَا تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعَنَاءِ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْهَا
পৃষ্ঠা - ৩৩০১
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، ثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي يَعْقُوبَ يُحَدِّثُ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشًا، اسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، وَقَالَ: " إِنْ قُتِلَ زَيْدٌ أَوِ اسْتُشْهِدَ فَأَمِيرُكُمْ جَعْفَرٌ، فَإِنْ قُتِلَ أَوِ اسْتُشْهِدَ فَأَمِيرُكُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ ". فَلَقُوا الْعَدُوَّ، فَأَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ جَعْفَرٌ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، ثُمَّ أَخَذَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَأَتَى خَبَرُهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ إِلَى النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ: إِنَّ إِخْوَانَكُمْ لَقُوا الْعَدُوَّ، وَإِنَّ زَيْدًا أَخَذَ الرَّايَةَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ أَوِ اسْتُشْهِدَ، ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ بَعْدَهُ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ أَوِ اسْتُشْهِدَ، ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ أَوِ اسْتُشْهِدَ، ثُمَّ أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ ". قَالَ: ثُمَّ أَمْهَلَ آلَ جَعْفَرٍ ثَلَاثًا أَنْ يَأْتِيَهُمْ، ثُمَّ أَتَاهُمْ فَقَالَ: " لَا تَبْكُوا عَلَى أَخِي بَعْدَ الْيَوْمِ، ادْعُوَا لِيَ ابْنَيْ أَخِي ". قَالَ: فَجِيءَ بِنَا كَأَنَّنَا أَفْرُخٌ، فَقَالَ: " ادْعُوا لِيَ الْحَلَّاقَ " فَجِيءَ بِالْحَلَّاقِ، فَحَلَقَ رُءُوسَنَا، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا مُحَمَّدٌ فَشَبِيهُ عَمِّنَا أَبِي طَالِبٍ، وَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ فَشَبِيهُ خَلْقِي وَخُلُقِي " ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَأَشَالَهَا وَقَالَ: " اللَّهُمَّ اخْلُفْ جَعْفَرًا فِي أَهْلِهِ، بَارِكْ لِعَبْدِ اللَّهِ فِي صَفْقَةِ يَمِينِهِ ". قَالَهَا
পৃষ্ঠা - ৩৩০২

এরপর যায়দ যখন যয়নবের সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সাথে
পরিণয়সুত্রে আবদ্ধ করে দিলাম ৷

মুফাস্সিরগণ এ ব্যাপারে একমত যে, উপরোক্ত আয়াতসমুহ৩ তারই সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে ৷
আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছেন’ এর অর্থ হচ্ছে ইসলাম দান করার মাধ্যমে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন ৷
আর তুমি অনুগ্রহ কাছে এর অর্থ হচ্ছে, আযাদ করার মাধ্যমে তুমি তার প্ৰতি অনুগ্রহ করেছ ৷
আমরা তাফসীরে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

এখানে গ্রণিধানযােপ্য যে, আল্লাহ তাআল৷ যায়দ (রা) ব্যতীত অন কোন সাহাবীর নাম
কুরআন মজীদে উল্লেখ করেননি ৷৩ তাকে আল্লাহ্ তা জানা ইসলামের প্রতি পথ প্রদর্শন করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আযাদ করে দিয়েছিলেন এবং তার আযাদকৃত দা ৷সী উম্মে আয়মানের সাথে
তার বিয়ে দিয়েছিলেন ৷ উম্মে আয়মানের নাম ছিল বারাকা ৷ তার গার্ভ জন্ম নেন উসামা ইবন
যায়দ (রা) ৷ উসামা ( রা)-কে বলা হত আল-হিব্ব ইবনুল হিব্ব ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
ফুফ ৷তে৷ বোন যয়নব বিনৃত জ ৷হাশ (রা) কে তার সাথে বিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চাচা

তার চাচাতাে ভাই জা ফর ইবন আবু তালিব (রা) এর পুর্বে ৷৩ তাকে যুদ্ধের আমীর নিযুক্ত করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ও আবু বকর ইবন আবু শায়বা (ব) — আইশা (বা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন হারিছা ৷(রা) কে কোন অভিযানে প্রেরণ
করতেন তখন তাকেই তাদের আমীর নিযুক্ত করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরে তিনি যদি বেচে
থাকতেন তাহলে তাকেই তার স্থলাভিষিক্ত করতে তন ৷ ইমাম নাসাঈ (র)ও অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ এ বর্ণনাটির সনদ উত্তম, তবে এতে বিরলত৷ রয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা ) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন এবং উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে আমীর
নিযুক্ত করেন ৷” কেউ কেউ তার নেতৃত্বের প্রতি কটাক্ষ করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্দাড়িয়ে
বললেন, “তোমরা যারা তার নেতৃত্বের প্রতি কটাক্ষ করছ তারা পুর্বেও তার পিতার নেতৃত্বের প্রতি
কটাক্ষ করেছিল ৷ আল্লাহর শপথ, সে (যায়দ) ছিল নেতৃত্বের যোগ্য ৷ আর আমার কাছে অত্যন্ত
প্রিয় ব্যক্তি ৷৩ তার পরে তার সন্তান উসামা (রা)ও আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ৷ সহীহ্ বুখারী ও
সহীহ্ ম্সলিমে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে অনুরুপ বর্ণনা এসেছে ৷

বাবযার (র) আইশা (রা) থােক বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন যায়দ ইবন
হারিছ৷ (রা) শাহাদত বরণ করলেন এবং উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে
আনা হল, তখন তার দুচােখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল ৷ তারপর যে চলে গেল এবং পরদিন আবার
তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে হাযির করানো হল তখন তিনি বললেন, আজ্যক তোমার
সাথে যেরুপ আনন্দ চিত্তে মুলাকাত করছি গতকাল এরুপ আনন্দ ছিল না ৷ ’ এটা একটা তায়ীব
পর্যায়ের হাদীছ ৷

সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ র্মুসলিমে উল্লেখ রয়েছে যেমন পুর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে ৷ তাদের
শাহাদতের কথা উল্লেখ করার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তিনি বলছিলেন,


ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. قَالَ: فَجَاءَتْ أُمُّنَا فَذَكَرَتْ لَهُ يُتْمَنَا، وَجَعَلَتْ تُفْرِحُ لَهُ، فَقَالَ: " الْعَيْلَةَ تَخَافِينَ عَلَيْهِمْ وَأَنَا وَلِيُّهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ بِبَعْضِهِ، وَالنَّسَائِيُّ فِي السِّيَرِ بِتَمَامِهِ مِنْ حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ، بِهِ وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَرْخَصَ لَهُمْ فِي الْبُكَاءِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ نَهَاهُمْ عَنْهُ بَعْدَهَا. وَلَعَلَّهُ مَعْنَى الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، مِنْ حَدِيثِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ أَسْمَاءَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا لَمَّا أُصِيبَ جَعْفَرٌ: " تَسَلَّبِي ثَلَاثًا ثُمَّ اصْنَعِي مَا شِئْتِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. فَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ أَذِنَ لَهَا فِي التَّسَلُّبِ، وَهُوَ الْمُبَالَغَةُ فِي الْبُكَاءِ وَشَقِّ الثِّيَابِ، وَيَكُونُ هَذَا مِنْ بَابِ التَّخْصِيصِ لَهَا بِهَذَا، لِشِدَّةِ حُزْنِهَا عَلَى جَعْفَرٍ أَبِي أَوْلَادِهَا، وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَمْرًا لَهَا بِالتَّسَلُّبِ، وَهُوَ الْمُبَالَغَةُ فِي الْإِحْدَادِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ تَصْنَعُ بَعْدَ ذَلِكَ مَا شَاءَتْ، مِمَّا يَفْعَلُهُ الْمُعْتَدَّاتُ عَلَى أَزْوَاجِهِنَّ، مِنَ الْإِحْدَادِ الْمُعْتَادِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيُرْوَى
পৃষ্ঠা - ৩৩০৩
: " تَسَلَّيْ ثَلَاثًا ". أَيْ تَصَبَّرِي ثَلَاثًا، وَهَذَا بِخِلَافِ الرِّوَايَةِ الْأُخْرَى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ، ثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ قَالَتْ: «دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْيَوْمَ الثَّالِثَ مِنْ قَتْلِ جَعْفَرٍ فَقَالَ: " لَا تُحِدِّي بَعْدَ يَوْمِكِ هَذَا» فَإِنَّهُ مِنْ أَفْرَادِ أَحْمَدَ أَيْضًا، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَلَكِنَّهُ مُشْكِلٌ إِنْ حُمِلَ عَلَى ظَاهِرِهِ، لِأَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتِهَا أَكْثَرَ مِنْ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا» فَإِنْ كَانَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مَحْفُوظًا، فَتَكُونُ مَخْصُوصَةً بِذَلِكَ، أَوْ هُوَ أَمْرٌ بِالْمُبَالَغَةِ فِي الْإِحْدَادِ هَذِهِ الثَّلَاثَةَ أَيَّامٍ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَرَثَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ زَوْجَهَا بِقَصِيدَةٍ تَقُولُ فِيهَا: فَآلَيْتُ لَا تَنْفَكُّ نَفْسِي حَزِينَةً ... عَلَيْكَ وَلَا يَنْفَكُّ جِلْدِيَ أَغْبَرَا فَلَلَّهِ عَيْنَا مَنْ رَأَى مِثْلَهُ فَتًى ... أَكَرَّ وَأَحْمَى فِي الْهِيَاجِ وَأَصْبَرَا ثُمَّ لَمْ تَنْشَبْ أَنِ انْقَضَتْ عِدَّتُهَا، فَخَطَبَهَا أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَتَزَوَّجَهَا، فَأَوْلَمَ، وَجَاءَ النَّاسُ لِلْوَلِيمَةِ، فَكَانَ فِيهِمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ
পৃষ্ঠা - ৩৩০৪
، فَلَمَّا ذَهَبَ النَّاسُ اسْتَأْذَنَ عَلِيٌّ أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فِي أَنْ يُكَلِّمَ أَسْمَاءَ مِنْ وَرَاءِ السِّتْرِ، فَأَذِنَ لَهُ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ مِنَ السِّتْرِ نَفَحَهُ رِيحُ طِيبِهَا، فَقَالَ لَهَا عَلِيٌّ، عَلَى وَجْهِ الْبَسْطِ: مَنِ الْقَائِلَةُ فِي شِعْرِهَا: فَآلَيْتُ لَا تَنْفَكُّ نَفْسِي حَزِينَةً ... عَلَيْكَ وَلَا يَنْفَكُّ جِلْدِيَ أَغْبَرَا قَالَتْ: دَعْنَا مِنْكَ يَا أَبَا الْحَسَنِ، فَإِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ دُعَابَةٌ. فَوَلَدَتْ لِلصِّدِّيقِ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَلَدَتْهُ بِالشَّجَرَةِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاهِبٌ إِلَى حِجَّةِ الْوَدَاعِ، فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتُهِلَّ، وَسَيَأْتِي فِي مَوْضِعِهِ، ثُمَّ لَمَّا تُوُفِّيَ الصِّدِّيقُ، تَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَوَلَدَتْ لَهُ أَوْلَادًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهَا وَعَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. [اسْتِقْبَالُ رَسُولِ اللَّهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ] فَصْلٌ اسْتِقْبَالُ رَسُولِ اللَّهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: «فَلَمَّا دَنَوْا مِنَ الْمَدِينَةِ تَلَقَّاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ، قَالَ: وَلَقِيَهُمُ الصِّبْيَانُ يَشْتَدُّونَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلٌ مَعَ الْقَوْمِ عَلَى دَابَّةٍ، فَقَالَ: " خُذُوا الصِّبْيَانَ فَاحْمِلُوهُمْ وَأَعْطُونِي ابْنَ جَعْفَرٍ ". فَأُتِيَ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، فَأَخَذَهُ فَحَمَلَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ: وَجَعَلَ النَّاسُ يَحْثُونَ عَلَى الْجَيْشِ التُّرَابِ وَيَقُولُونَ: يَا فُرَّارُ، فَرَرْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟! قَالَ: فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسُوا بِالْفُرَّارِ، وَلَكِنَّهُمُ الْكُرَّارُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» وَهَذَا مُرْسَلٌ
পৃষ্ঠা - ৩৩০৫
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ مُوَرِّقٍ الْعِجْلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ تُلُقِّيَ بِالصِّبْيَانِ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، وَإِنَّهُ قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ فَسُبِقَ بِي إِلَيْهِ. قَالَ: فَحَمَلَنِي بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ: ثُمَّ جِيءَ بِأَحَدِ ابْنَيْ فَاطِمَةَ، إِمَّا حَسَنٌ وَإِمَّا حُسَيْنٌ، فَأَرْدَفَهُ خَلْفَهُ، فَدَخَلْنَا الْمَدِينَةَ ثَلَاثَةً عَلَى دَابَّةٍ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ مُوَرِّقٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ خَالِدِ بْنِ سَارَةَ، أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ قَالَ: «لَوْ رَأَيْتَنِي وَقُثَمَ وَعُبَيْدَ اللَّهِ ابْنَيِ الْعَبَّاسِ وَنَحْنُ صِبْيَانٌ نَلْعَبُ، إِذْ مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى دَابَّةٍ فَقَالَ: " ارْفَعُوا هَذَا إِلَيَّ ". فَحَمَلَنِي أَمَامَهُ وَقَالَ لِقُثَمَ: " ارْفَعُوا هَذَا إِلَيَّ ". فَجَعَلَهُ وَرَاءَهُ، وَكَانَ عُبَيْدُ اللَّهِ أَحَبَّ إِلَى عَبَّاسٍ مِنْ قُثَمَ، فَمَا اسْتَحَى مِنْ عَمِّهِ أَنْ حَمَلَ قُثَمَ وَتَرَكَهُ. قَالَ: ثُمَّ مَسَحَ عَلَى رَأْسِي ثَلَاثًا. وَقَالَ كُلَّمَا مَسَحَ: " اللَّهُمَّ اخْلُفْ جَعْفَرًا فِي وَلَدِهِ» قَالَ: قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ: مَا فَعَلَ قُثَمُ؟ قَالَ: اسْتُشْهِدَ. قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ بِالْخَيْرِ. قَالَ: أَجَلْ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ فِي " الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهِ
পৃষ্ঠা - ৩৩০৬
وَهَذَا كَانَ بَعْدَ الْفَتْحِ، فَإِنَّ الْعَبَّاسَ إِنَّمَا قَدِمَ الْمَدِينَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ، فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا حَبِيبُ بْنُ الشَّهِيدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: «قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ لِابْنِ الزُّبَيْرِ: أَتَذْكُرُ إِذْ تَلَقَّيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَأَنْتَ وَابْنُ عَبَّاسٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَحَمَلَنَا وَتَرَكَكَ» . هَكَذَا رَأَيْتُهُ فِي الْمُسْنَدِ، وَكَأَنَّهُ غَلَطٌ فِي النُّسْخَةِ، فَإِنَّهُ مِنْ مُسْنَدِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، فَصَوَابُهُ: «قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ: أَتَذْكُرُ إِذْ تَلَقَّيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَأَنْتَ وَابْنُ عَبَّاسٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَحَمَلَنَا وَتَرَكَكَ» . وَبِهَذَا اللَّفْظِ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، وَهَذَا يُعَدُّ مِنَ الْأَجْوِبَةِ الْمُسْكِتَةِ، وَيُرْوَى أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَجَابَ بِهِ ابْنَ الزُّبَيْرِ أَيْضًا، وَهَذِهِ الْقِصَّةُ قِصَّةٌ أُخْرَى كَانَتْ بَعْدَ الْفَتْحِ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৩০৭

যায়দ (রা) পতাকা ধারণ করেছে এবং শাহাদত বরণ করেছে ৷ এরপর জাফর পতাকা ধারণ
করেছে ও শাহাদত বরণ করেছে ৷ তারপর আবদৃল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা পতাকা ধারণ করেছে এবং
সেও শাহাদত বরণ করেছে ৷ তারপর আল্লাহ্র তলোয়ার সমুহ হতে একটি তলোয়ার (খালিদ
ইবন ওলীদ) পতাকা ধারণ করেছে এবং আল্লাহ্ তাআলা তার হাৰ্ত বিজয় দান করেছেন ৷ রাবী
বলেন , আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুটো চোখ হতে অশ্রু ঝরছিল ৷ তিনি বললেন, “তারা এখন আর
আমাদের নিকট থেকে সুখ ও আনন্দ পায়না ৷ অন্য এক হাদীছে ররুল্রছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভীদের
শাহাদতের বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন ৷ সুতরাং তারা ঐসর ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত যাদের জন্যে
নিঃসন্দেহে জান্নাত রয়েছে ৷ যায়দ ইবন হারিছা (রা) ও ইবন রাওয়াহা (রা)-এৱ জন্যে হাসৃসান
ইবন ছাবিত শোকগাথা রচনা করেন যা নিম্নরুপ :



চ ণ্

ঐ ৰুন্দ্রণ্ট্রু;৷ ৷ ১ ৷ ,

) ষ্হ্র১

, § , ,
ণ্র্তৃাণ্ঠ

é

, ঈ

) ণ্ ণ্ ;



হে আমার নয়ন ! সামান্য অশ্রুতে তুমি অশ্রুসিক্ত ৷ নরম ও বিস্তীর্ণ ভুমিতে সমাহিত
কবরবাসীদেরকে তুমি স্মরণ কর ৷ মুতাকে তুমি স্মরণ কর আর যা কিছু ঐ ভুমিতে ঘটে গিয়েছে
তাও তুমি স্মরণ কর সেদিন মুসলমানগণ বিরাট এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন র্তারা সকাল ও
সন্ধ্যায় অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত ছিলেন ৷ এরপর যুদ্ধের আমীর যায়দ (রা)-কে স্মরণ কর ৷ অর্থাৎ তাদের
জন্যে অশ্রুপাত কর ৷ আমীর ছিলেন অসহায় ও কয়েদীদের জন্যে উত্তম আশ্রয়স্থুল ৷ (তার মধ্যে
ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রেম-প্রীতি ও ভালবাসা ৷) উত্তম সৃষ্টি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রেম-প্রীতি
ভালবাসাই সব কিছুর উৎস ও সারবন্তু ৷ তিনি ছিলেন সকলের সর্দার ও প্রধান ৷ সুতরাং তার
প্রেম-প্রীতি ও ভালবাসা প্রত্যেকের অম্ভরে বিরাজ করুক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বা আহমদ (সা)
তোমাদের মৃত্যুর সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে পরিবেশন করেন ৷ তাই তার তুলনা হয় না ৷ এ সংবাদে
সুখ-দুঃখ মিশ্রিত ৷ (তাকে হারিয়ে ফেলা আমার জন্যে দুঃখের বিষয় আর তার জান্নাত প্রাপ্তি
নিঃসন্দেহে একটি মহাসুখের সংবাদ ৷) নিশ্চয়ই যায়দ (বা) আমাদের সমাজে একটি বিরাট সম্মান
নিয়ে বসবাস করতেন ৷ তার এ সম্মান ও ইয্যত কোন মিথ্যাবাদী কিত্বা কোন প্রতারকের
ভেল্কিবাজী নয় ৷ এরপর আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা আনসারী খাযরাজীর জন্যে অশ্রুপাত কর, হে


[فَضْلُ الْأُمَرَاءِ الثَّلَاثَةِ زَيْدٍ وَجَعْفَرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ] فَصْلٌ فِي فَضْلِ هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءِ الثَّلَاثَةِ زَيْدٍ وَجَعْفَرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَمَّا زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ بْنِ شَرَاحِيلَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ عَامِرِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ عَوْفِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عُذْرَةَ بْنِ زَيْدِ اللَّاتِ بْنِ رُفَيْدَةَ بْنِ ثَوْرِ بْنِ كَلْبِ بْنِ وَبَرَةَ بْنِ تَغْلِبَ بْنِ حُلْوَانَ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ الْحَافِ بْنِ قُضَاعَةَ الْكَلْبِيُّ الْقُضَاعِيُّ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَلِكَ أَنَّ أُمَّهُ ذَهَبَتْ تَزُورُ أَهْلَهَا، فَأَغَارَتْ عَلَيْهِمْ خَيْلُ بَلْقَيْنِ فَأَخَذُوهُ، فَاشْتَرَاهُ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ لِعَمَّتِهِ خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ. وَقِيلَ: اشْتَرَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهَا، فَوَهَبَتْهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ النُّبُوَّةِ، فَوَجَدَهُ أَبُوهُ، فَاخْتَارَ الْمُقَامَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْتَقَهُ وَتَبَنَّاهُ، فَكَانَ يُقَالُ لَهُ: زَيْدُ بْنُ مُحَمَّدٍ. وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّهُ حُبًّا شَدِيدًا، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْمَوَالِي، وَنَزَلَ فِيهِ آيَاتٍ مِنَ الْقُرْآنِ، مِنْهَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَمَا جَعَلَ أَدْعِيَاءَكُمْ أَبْنَاءَكُمْ} [الأحزاب: 4] (الْأَحْزَابِ: 4) وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ} [الأحزاب: 5] (الْأَحْزَابِ: 5) وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ} [الأحزاب: 40] (الْأَحْزَابِ: 40) وَقَوْلُهُ: {وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللَّهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَاهُ فَلَمَّا قَضَى زَيْدٌ مِنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا} [الأحزاب: 37]
পৃষ্ঠা - ৩৩০৮

আমার নয়ন ৷ কেননা, তিনি ছিলেন একজন সর্দার ও সম্মানিত ৷ তার জন্যে প্রচুর অশ্রুপাত করইি
সঙ্গত ৷ তাদের শাহাদত বরণের সংবাদ আমাদের কাছে প্রচুর কল্যাণ ও বরকত নিয়ে দ্বারপ্রাম্ভে
উপস্থিত ৷তবে আমরা আপাতত আনন্দহীন দুঃখ বেদন৷ নিয়ে কালাতিপাত করছি ৷

জা ফর ইবন আবু তালিব (রা) ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ছিলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর চাচাত ভাই ৷ বয়সে৩ তিনি তার ভাই আলী (বা) হতে দশ বছরের বড় ছিলেন ৷ তার ভাই
আকীল ছিলেন জা ফর (বা ) হতেও দশ বছরের বড় ৷ আর তার ভাই তালিব ছিলেন আ ৷কীল হতেও
দশ বছরের বড় ৷ জা ফর (বা) ইসলামের প্রথম অবস্থা য় মুসলমান হন এবং মদীনায় হিজরতের
পুবে৩ তিনি হাবশার হিজরত করেন ৷ সেখানে তার ছিল খ্যাতিপুর্ণ অবস্থান প্রশংসনীয় মান মর্যাদা
প্রশ্নের সঠিক ও গ্রহণযোগ্য উত্তর প্রদানকারী এবং৩ তিনি ছিলেন সহজ সরল পথে প্রদর্শিত ৷
হাবশার হিজরতের অধ্যায়ে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ৷ খায়বন্র বিজয়ের দিন তিনি
হাবশা থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমন করেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “আমি
জানিনা আমার এই দুই খুশীর মধ্যে কোনটি বড়-জাফর (রা) এর আগমন না খায়বা র বিজয় ?”
রাসুলুল্লাহ্ (সা) দাড়িয়ে তার সাথে কােলাকুলি করেন এবং তার কপালে চুম্বন করেন ৷ কাযার
উমর৷ পালনের দিন রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বলেন, “অবয়বে ও চরিত্রে তুমি আমার ন্যায় ৷ কথিত
আছে যে, তখন তিনি অত্যন্ত খুশী হয়েছিলেন এবং খুশীর নিদর্শন হিসেবে৷ হ ৷বশায় নাজ্জাশীর ন্যায়
এক পায়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন ৷ আর তাকে যখন মুতার যুদ্ধে
প্রেরণ করা হয়, তখন নেতৃত্বে যায়দ ইবন হারিছার পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তাকে মনোনীত
করা হয় ৷ যখন তিনি শহীদ হন তখন তার শরীরে ৯৩টির আধক তলােয়ার বর্শা ও তীরের আঘাত
দেখতে পাওয়া যায় ৷ আর এগুলো সবই ছিল সামনের দিকে ৷ এগুলোর একটাও পিছনে ছিল না ৷
প্রথমত তার ডান হাত কেটে যায় ৷ তারপর বাম হাত ৷ তবু তিনি উভয় বাহুর দ্বারা কোন রকমে
পতা ৷ক৷ উচিয়ে রাখেন ৷ আর এ অবন্থায়ই তিনি শাহাদত বরণ করেন ৷ কথিত আছে যে, একজ্যা
রোমান সৈন্য তাকে তলােয়ার দিয়ে আঘাত করে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সংবাদ
পরিবেশন করেন যে, তিনি শাহাদত বরণ করেছেন ৷ আর তিনি ঐ সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত পদের
জন্যে নিঃসন্দেহে জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে ৷ হাদীসসমুহের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তার নাম
দেয়া হয়েছিল গ্রা ৷ ৷ এ;; অর্থাৎ দুই ডানাওয়ালা ৷

ইমাম বুখারী (র) ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি যখন জাফর (রা)-এর পুত্র
আবদুল্লাহ ণ্১াট্রুপু৷ অর্থাৎ
হে দু পাখাওয়ালার পুত্র ! তোমার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক ! কেউ কেউ এটা স্বয়ং
উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তবে বিশুদ্ধ বর্ণনাটি হচ্ছে হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে
বর্ণনা করা হয়েছে ৷ ওলামায়ে কিরাম বলেন, আল্পাহ্ তাআলা হযরত জাফর (রা)-কে তার দুটি
াতের পরিবর্তে জান্নাতে দুটি পাখ৷ দান করেছেন ৷

হাফিয আবুঈশা তিরমিষী (র) আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আমি জা ফর (রা) কে জ ৷ন্নাতে দেখেছি সে ফেরেশ৩ ৷দের সাথে উড়ে


الْآيَةَ (الْأَحْزَابِ: 37) . أَجْمَعُوا أَنَّ هَذِهِ الْآيَاتِ أُنْزِلَتْ فِيهِ، وَمَعْنَى أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَيْ بِالْإِسْلَامِ، وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَيْ بِالْعِتْقِ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهَا فِي " التَّفْسِيرِ ". وَالْمَقْصُودُ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمْ يُسَمِّ أَحَدًا مِنَ الصَّحَابَةِ فِي الْقُرْآنِ غَيْرَهُ، وَهَدَاهُ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَأَعْتَقَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَزَوَّجَهُ مَوْلَاتَهُ أُمَّ أَيْمَنَ، وَاسْمُهَا بَرَكَةُ، فَوَلَدَتْ لَهُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، فَكَانَ يُقَالُ لَهُ: الْحِبُّ بْنُ الْحِبِّ، ثُمَّ زَوَّجَهُ بِابْنَةِ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، وَآخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَمِّهِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَقَدَّمَهُ فِي الْإِمْرَةِ عَلَى ابْنِ عَمِّهِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَ مُؤْتَةَ، كَمَا ذَكَرْنَاهُ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَالْإِمَامُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَهَذَا لَفْظُهُ -: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ دَاوُدَ، سَمِعْتُ الْبَهِيَّ يُحَدِّثُ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَقُولُ: «مَا بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ فِي سَرِيَّةٍ إِلَّا أَمَّرَهُ عَلَيْهِمْ، وَلَوْ بَقِيَ بَعْدَهُ لَاسْتَخْلَفَهُ» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيِّ، بِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ، وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৩৩০৯
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سُلَيْمَانُ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنِي ابْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْثًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، فَطَعَنَ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِمْرَتِهِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنْ تَطْعَنُوا فِي إِمْرَتِهِ فَقَدْ كُنْتُمْ تَطْعَنُونَ فِي إِمْرَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلُ، وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ لَخَلِيقًا لِلْإِمَارَةِ، وَإِنْ كَانَ لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَإِنَّ هَذَا لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ بَعْدَهُ» . وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ - هُوَ ابْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ الْمَدَنِيُّ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ. وَرَوَاهُ الْبَزَّارُ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ الْعُمَرِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ثُمَّ اسْتَغْرَبَهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا عُمَرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا أُصِيبَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، جِيءَ بِأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، فَأُوقِفَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَمَعَتْ عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأُخِّرَ، ثُمَّ عَادَ مِنَ الْغَدِ فَوَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " أُلَاقِي مِنْكَ الْيَوْمَ مَا لَقِيتُ مِنْكَ أَمْسِ» وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ غَرَابَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৩৩১০

বেড়াচ্ছে ৷ ’ শাহাদতের সময় তার বয়স ছিল ৩৩ বছর ৷ ছু ষ্া;দ্বু৷ কিতাবে ইবনুল আহীর (র )
বলেন, তার বয়স জ্জি : ১ বছর ৷ কেউ কেউ আবার অন্যরুপ বলেছেন ৷

আমি বলি, জাফর (রা)-এর বয়স আলী (রা) থেকে ১০ বছর বেশী হওয়ায় বুঝা যায় যে ,
জাফর (রা) যেদিন নিহত হন তার বয়স ছিল ৩৯ বছর ৷ কেননা, আলী (রা) যখন মুসলমান হন
তখন তার বয়স ছিল প্রসিদ্ধ মতে আট বছর ৷ এরপর তিনি মক্কায় অবস্থান করেন ১৩ বছর ৷
তারপর যখন হিজঃাত করেন তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর ৷ ৮ম হিত্তারীতে ছিল মুতার যুদ্ধ ৷
আল্লাহ্ তাআলা অধিক জ্ঞাত ৷ জায়ব্ (বা) শাহাদত বরণ করার পর তাকে তাইয়ার বলা হয় ৷
কেননা, তিনি তার স্বপয়ি পাখা দ্বারা ফেরেশতাদের সাথে ঘুরে ৷;বড়ান বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
হাদীছে প্রকাশ ৷ তিনি ছিলেন উদারচেতা, দাতা, দয়ালু ও প্রশংসিত ৷ ফর্কীর মিসকীনদের প্রতি
তার বদান্যতার দরুন তাকে আবুল মাসাকীন বলা হত ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এরপর জাযল্ম ইবন আবু তালিব (বা) হতে উত্তম কোন পুরুষ জুতা পরিধান করেনি,
সাওয়ারীতে চড়েনি এবং কাপড় চোপড় ও পরিধান করেনি ৷ আবু হ্বায়রা (রা) সম্ভবতঃ তহ্বকে
বদানাভার কারণেই তীর এরুপ প্রশংসা করেছেন ৷ কেননা, ধর্মীয় অগাধিকারের ক্ষেত্রে এটা
সার্বজনীন স্বীবৃন্ত যে, সর্বপ্রথম ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলেন আবু বকর সিদ্দীক (রা), তারপর উমর
(রা), তারপর উছমান (বা) এবং তারপর আলী (বা) কিত্বা হযরত আলী (রা) ও হযরত জাফব
(বা) সমপর্যায়ের ৷ অথবা আলী (রা)-ই শ্রেষ্ঠ ৷ উপরোক্ত বর্ণনার পক্ষে ইমাম বুখারী (র)এর
একটি বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ তিনি আবুহুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
লোকজন বলাবলি করতে যে, আবুহুরায়রা (বা) অনেক বেশী হাদীছ বর্ণনা করে থাকেন ৷ আমি
সর্বদা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে থাকতাম ৷ ক্ষুধায় কষ্ট পেতাম, রুটি ব্লোযপাংরর জন্যে
কোথায়ও বের হতাম না, মুল্যবান কাপড় চােপড়ও পরিধান করতাম না ৷ কোন পুরুষ কিৎবা
মহিলাও আমার খিদমত করত না ৷ ক্ষুধার কষ্ট বাধ্য করার জন্যে আমি পােট পাথর বেধে
রাখতাম ৷ উপস্থিত লােকজানর কাছে কুরআনের আয়াত পড়তাম যাতে আমার দিকে ফিরে
তাকায় ও আমাকে অন্ন দান করে ৷ মিসর্কীনদের জন্যে সব সর্বোত্তম ছিলেন জাফর ইবন আবু
তালিব (রা) ৷ তিনি আমার দিকে ফিরে তাকাতেন ও তার ঘরে যা কিছু থাকত তার থেকে
আমাকে অন্নদান করতেন, এমনকি কিছু না থাকলে ছোট খাদ্য পাত্র আমার কাছে পাঠাতেন এবং
আমি তা চোট চেটে খেতাম ৷ এটি ইমাম বুখারীর একক বর্ণনা ৷

জাফর (রা)-এর শ্যেকপাখায় হাসৃসান ইবন ছাবিত বলেন : জাফর (রা)এর আত্মাহুতির
স্থানের সম্মানের শপথ, আমি তার জন্যে ক্রন্দন করেছি ৷ তিনি সারা বিশ্বে রাসুলুস্লাহ্ ( সা)-এর
অতিপ্রিয় ৷ আমি উদ্বিগ্নভা প্রকাশ কংরছি ৷ হে জাফর ! আমার কাছে যখন তোমার মৃত্যু সংবাদ
পৌছে, তখন আমি বলেছিলাম, “যখন আঘাত বল্পার জন্যে তালায়ারকে ণ্কাষযুক্ত করা হয়েছে ও
ডীরের অনোগােনা অব্যাহত রয়েছে তখন লৌহ শিরত্রাণ পরে ও ঢাল নিয়ে ঈগল ও তার ছারার
কাছে জৱাদ্দের ভুমিকা আঞ্জাম দিতে পারবে লেকােদর মধ্যে এমন যে আছে ? ষ্কাতিমা (রা)-এর
সুযোপ্য পুত্রের পর জাফর (রা) হচ্ছেন সরল সৃষ্টির সেরা, সকল সৃষ্টির সবচেয়ে বেশী বিপদগ্রস্ত,


وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّهُ لَمَّا ذَكَرَ مُصَابَهُمْ وَهُوَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَوْقَ الْمِنْبَرِ، جَعَلَ يَقُولُ: «أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ". قَالَ: وَإِنَّ عَيْنَيْهِ لَتَذْرِفَانِ. وَقَالَ: " وَمَا يَسُرُّهُمْ أَنَّهُمْ عِنْدَنَا» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ أَنَّهُ شَهِدَ لَهُمْ بِالشَّهَادَةِ، فَهُمْ مِمَنْ يُقْطَعُ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ. وَقَدْ قَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَرْثِي زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَابْنَ رَوَاحَةَ: عَيْنُ جُودِي بِدَمْعِكِ الْمَنْزُورِ ... وَاذْكُرِي فِي الرَّخَاءِ أَهَلَ الْقُبُورِ وَاذْكُرِي مُؤْتَةَ وَمَا كَانَ فِيهَا ... يَوْمَ رَاحُوا فِي وَقَعْةِ التَّغْوِيرِ حِينَ رَاحُوا وَغَادَرُوا ثَمَّ زَيْدًا ... نِعْمَ مَأْوَى الضَّرِيكِ وَالْمَأْسُورِ حِبَّ خَيْرِ الْأَنَامِ طُرًّا جَمِيعًا ... سَيِّدِ النَّاسِ حُبُّهُ فِي الصُّدُورِ ذَاكُمُ أَحْمَدُ الَّذِي لَا سِوَاهُ ... ذَاكَ حُزْنِي لَهُ مَعًا وَسُرُورِي
পৃষ্ঠা - ৩৩১১
إِنَّ زَيْدًا قَدْ كَانَ مِنَّا بِأَمْرٍ ... لَيْسَ أَمْرَ الْمُكَذَّبِ الْمَغْرُورِ ثُمَّ جُودِي لِلْخَزْرَجِيِّ بِدَمْعٍ ... سَيِّدًا كَانَ ثَمَّ غَيْرَ نَزُورِ قَدْ أَتَانَا مِنْ قَتْلِهِمْ مَا كَفَانَا ... فَبِحُزْنٍ نَبِيتُ غَيْرَ سُرُورِ وَأَمَّا جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، فَهُوَ ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَكْبَرُ مِنْ أَخِيهِ عَلِيٍّ بِعَشْرِ سِنِينَ، وَكَانَ عَقِيلٌ أَسَنَّ مِنْ جَعْفَرٍ بِعَشْرِ سِنِينَ، وَكَانَ طَالِبٌ أَسَنَّ مِنْ عَقِيلٍ بِعَشْرِ سِنِينَ، أَسْلَمَ جَعْفَرٌ قَدِيمًا، وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَكَانَتْ لَهُ هُنَالِكَ مَوَاقِفُ مَشْهُورَةٌ، وَمَقَامَاتٌ مَحْمُودَةٌ، وَأَجْوِبَةٌ سَدِيدَةٌ، وَأَحْوَالٌ رَشِيدَةٌ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «مَا أَدْرِي بِأَيِّهِمَا أَنَا أُسَرُّ، أَبِقُدُومِ جَعْفَرٍ، أَمْ بِفَتْحِ خَيْبَرَ؟» وَقَامَ إِلَيْهِ وَاعْتَنَقَهُ وَقَبَّلَ بَيْنِ عَيْنَيْهِ، وَقَالَ لَهُ يَوْمَ خَرَجُوا مِنْ عُمْرَةِ الْقَضِيَّةِ: «أَشْبَهْتَ خَلْقِي وَخُلُقِي» فَيُقَالُ: إِنَّهُ حَجَلَ عِنْدَ ذَلِكَ فَرَحًا. كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَلَمَّا بَعَثَهُ إِلَى مُؤْتَةَ جَعَلَهُ فِي الْإِمْرَةِ مُصَلِّيًا - أَيْ ثَانِيًا - لِزَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، وَلَمَّا قُتِلَ وَجَدُوا فِيهِ بِضْعًا وَتِسْعِينَ مَا بَيْنَ ضَرْبَةٍ بِسَيْفٍ، وَطَعْنَةٍ بِرُمْحٍ، وَرَمْيَةٍ بِسَهْمٍ، وَهُوَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ مُقْبِلٌ غَيْرَ مُدْبِرٍ، وَكَانَتْ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৩১২

সামষ্টিক ও দ্বন্দু যুদ্ধে অত্যন্ত পারদর্শী, অত্যাচার উৎপীড়নের কালে অত্যন্ত ধৈর্যশীল ৷ যখন
সতোর উপর বিপর্যয় নেমে আসে তখন সত্যের প্রতি অত্যন্ত অনুগত ও অবিচল ৷ মিথ্যার কাছে
আপােষহীন, অত্যন্ত শক্তিশালী, কটুবাক্য প্রায়াগে অত্যন্ত বিরল, বদান্যতাব ক্ষেত্রে সকলের চেয়ে
অগ্রগামী, দানের দিক্ দিয়ে অধিক সিক্ত, মুহস্ফোদুর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যতীত বিশ্বের জীবিতদের
মধ্য হতে কেউ তার সমতুল্য নেই ৷

আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ইবন সালাবাহ ইবন ইমরুল কারন ইবন আমর ইবন ইমরুল
কায়স ইবন মালিক ইবন আল-আপার, ইবন সালাবা ইবন কাব ইবন খাঘৃরাজ ইবন হারিছ ইবন
খায্রাজ আবুযুহাম্মাদ ৷ কেউ কেউ বলেন, আবু রাওয়াহা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আবুআমর
আল-আনৃসারী আন-খায্রাব্জী ৷ তিনি নুমান ইবন বাশীরের মামা ৷ তার বোন আমরা বিনত
রাওয়াহা (রা) ৷ তিনি ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমান হন এবং আকবোর শপথে উপস্থিত ছিলেন ৷
ঐ রাতে তিনি হারিছ ইবন খাবৃরাজ গোত্রের একজন নকীব নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ বদর, উহুদ,
খন্দক হুদায়বিয়া ও খায়বারের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ রান্যুপুল্লাহ্সো) র্তাকে খায়বাবের
ফসলাদিব পাওনা নির্ধারণের গুরুত্বপুর্ণ কাজে প্রেরণ করতেন তিনি কাযার উমরা পালনে অংশ
গ্রহণ করেছিলেন এবং ঐ দিন রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর উন্তীর লাপাম ধরে মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন ৷

ণ্ষ্ওন্ অর্থাৎ হে কাফিরের ণ্গাষ্ঠী ! রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর রাস্তা থেকে সরে পড় মুতার
যুদ্ধে যেসব আমীর শাহাদত বরণ করেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে একজন ৷ যঞ্চা মুসলমানগণ
হামলা করার ব্যাপারে সলা-পরামর্শ করছিলেন তখন রোমানদের মুকম্রবিলার জন্য তিনি
মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং নিজকেও উদ্দীপ্ত করেছিলেন ৷ তাই তার পুর্ববর্তী
দুইজন সেনাপতি নিহত হওয়ার পরও তিনি সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধে অবতরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(যা) তার শাহাদতের সাক্ষ্য দিয়েছেন কাজেই যারা জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা পেয়েছেন তিনি
র্তাদের মধ্যে অন্যতম ৷

বর্ণিত রয়েছে যে, মুতার যুদ্ধের প্রাক্কালে বিদায়কালে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন : “আল্লাহ তাআলা আপনাকে যে উত্তম জিনিস দান করেছেন তার
মধ্যে যেন আপনাকে দৃঢ়তা দান করেন ৷ যেমন মুসা ( আ)-কে দৃঢ়তা দান করা হয়েছিল ৷ আর
আপনাকেও অনুরুপ সাহায্য প্রদান করা হয় যেমন সাহায্য প্রদান করা হয়েছিল হযরত মুসা
(আ)-কে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) ও র্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তােযাকেও যেন আল্লাহ তাআলা
দৃঢ়তা প্রদান করেন ৷ হিশাম ইবন ওরওছুা৷ (রা) বলেন, সত্যি সত্যি আল্পাহ্ তাআলা তাকে দৃঢ়তা
দান করেন ও তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন ৷

হপোদ ইবন যায়িদ আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দিচ্ছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) মসজিদে
উপস্থিত হলেন এবং শুনতে পেলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছেন, ভোমরা বসে পড় ৷’ তিনি
মসজিদের বাইরে তীর নিজ জায়গায় বসে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা শেষ করলেন এবং
আবল্লোহ্ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর ঘটনা জানতে পারলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আল্লাহ্ ও


قُطِعَتْ يَدُهُ الْيُمْنَى ثُمَّ الْيُسْرَى وَهُوَ مُمْسِكٌ اللِّوَاءَ، فَلَمَّا فَقَدَهُمَا احْتَضَنَهُ حَتَّى قُتِلَ وَهُوَ كَذَلِكَ. فَيُقَالُ: إِنْ رَجُلًا مِنَ الرُّومِ ضَرَبَهُ بِسَيْفٍ فَقَطَعَهُ بِاثْنَتَيْنِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْ جَعْفَرٍ وَلَعَنَ قَاتِلَهُ، وَقَدْ أَخْبَرَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّهُ شَهِيدٌ، فَهُوَ مِمَّنْ يُقْطَعُ لَهُ بِالْجَنَّةِ. وَجَاءَ فِي الْأَحَادِيثِ تَسْمِيَتُهُ بِذِي الْجَنَاحَيْنِ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا سَلَّمَ عَلَى ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ يَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ ذِي الْجَنَاحَيْنِ. وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ نَفْسِهِ، وَالصَّحِيحُ مَا فِي " الصَّحِيحِ " عَنِ ابْنِ عُمَرَ. قَالُوا: لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى عَوَّضَهُ عَنْ يَدَيْهِ بِجَنَاحَيْنِ فِي الْجَنَّةِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ بَعْضُ مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رَأَيْتُ جَعْفَرًا يَطِيرُ فِي الْجَنَّةِ مَعَ الْمَلَائِكَةِ» وَتَقَدَّمَ فِي حَدِيثٍ أَنَّهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قُتِلَ وَعُمْرُهُ ثَلَاثٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَقَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ ": كَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ قُتِلَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَ: وَقِيلَ غَيْرَ ذَلِكَ. قُلْتُ: وَعَلَى مَا قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ أَسَنَّ مِنْ عَلِيٍّ بِعَشْرِ سِنِينَ يَقْتَضِي أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৩১৩

আল্লাহর রাসুল (সা)এর আদেশ মানার জন্যে তোমার আগ্রহ আল্লাহ যেন আরো বৃদ্ধি করে দেন ৷
বুখারী তার সহীহ্গ্রন্থেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আনাস ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা (রা) যখন কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করতেন তখন বলতেন,
এসো, আমরা এক ঘণ্টার জন্যে আমাদের প্ৰতিপালকের প্রতি ঈমান আলি ৷ একদিন এক
ব্যক্তিকে তিনি এরুপ বলার লােকটি রেগে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে নালিশ
করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কি জানেন, আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)
নােকজনকে আপনার প্ৰতি ঈমানের স্থলে এক ঘণ্টার ঈগাংনর দিকে উৎসাহিত করছেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ইবন রাওয়াহা (রা)-এর প্রতি আল্লাহ রহ্ম করুন, যে ঐসব মজলিস-
বেই পসন্দ করে যেটা নিয়ে ফৌরশতাপণ গর্ব করে থাকেন ৷ এটা একটা অত্যন্ত বিরল বর্ণনা ৷

বায়হাকী (র) — আতা ইবন য়াসার (র) থেকে ব-নাি করেন ৷ তিনি বলেন, আবম্নোহ্

আমি ৷ সাথীটি বলল, আমরা মু’মিন নই ? তিনি বললেন, হীা, তবে আমরা একটু আল্লাহ্ব ষিৰ্হ্া
করব ও ঈমানকে বৃদ্ধি করব ৷

হাফিয আবুল কাসিম আল-লাকারী — — শুরায়হ্ ইবন উবায়দ (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) সাহাবীদের মধ্য হতে কারো হাতে ধরতেন এবং
বলতেন চল, আমরা এক ঘন্টার জন্য ঈমান আমি এবং যিক্রের মজলিসে বলি ৷ এটা একটি
মুরসাল বর্ণনা ৷

বুখারী (ব) আবু দারদা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একবার আমরা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে প্রচন্ড গরমের মধ্যে সফরে ফ্লিাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
(রা) ব্যতীত আমাদের মধ্যে আর কেউ ব্লোযাদার ছিলেন না ৷ আর আবদুল্পাহ্ ইবন রাওয়াহা (রা)
প্রসিদ্ধ করি সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে তার রচিত নিম্নবর্ণিত
কৰিভাসমুহ ইমাম বৃখারী (র) উদ্ধৃত করেছেন :



আমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রাসুল (সা) ৷ যখন ফজরের কল্যাণময় আলো ৰাতকে
ভেদ করে উদ্ভাসিত হয়, তখন আমরা তার আনীত কিতাব তিলাওয়াত করি ৷ তিনি রাত যাপন
করেন তবে বিছানা হতে নিজকে পৃথক করে রাখেন ৷ অথচ তখন মুশরিকদের জন্যে শয্যা
ত্যাগটা দুরুহ হয়ে পড়ে ৷ ব্যপোর বটে ! গোটা পৃথিবী মুর্ষতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার পর
তিনি হিদায়াষ্কতর জ্যোতি নিয়ে এসেছেন ৷ অতএব, আমাদের অস্তরসমুহ তার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস
স্থাপন কারছে এ জন্যে যে, তিনি যা কিছু বলেন তা বাস্তবেও প্রতিফলিত হয়ে থাকে ৷


عُمْرَهُ يَوْمَ قُتِلَ تِسْعٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً، لِأَنَّ عَلِيًّا أَسْلَمَ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ عَلَى الْمَشْهُورِ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَهَاجَرَ وَعُمْرُهُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَيَوْمُ مُؤْتَةَ كَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَ يُقَالُ لِجَعْفَرٍ بَعْدَ قَتْلِهِ: الطَّيَّارُ. لِمَا ذَكَرْنَا، وَكَانَ كَرِيمًا جَوَادًا مُمَدَّحًا، وَكَانَ لِكَرَمِهِ يُقَالُ لَهُ فِي حَيَاتِهِ: أَبُو الْمَسَاكِينِ لِإِحْسَانِهِ إِلَيْهِمْ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَا احْتَذَى النِّعَالَ وَلَا انْتَعَلَ، وَلَا رَكِبَ الْمَطَايَا، وَلَا لَبِسَ الثِّيَابَ مِنْ رَجُلٍ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْضَلَ مِنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ، وَكَأَنَّهُ إِنَّمَا يُفَضِّلُهُ فِي الْكَرَمِ، فَأَمَّا فِي الْفَضِيلَةِ الدِّينِيَّةِ فَمَعْلُومٌ أَنَّ الصِّدِّيقَ وَالْفَارُوقَ بَلْ وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَفْضَلُ مِنْهُ، وَأَمَّا أَخُوهُ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَالظَّاهِرُ أَنَّهُمَا مُتَكَافِئَانِ، أَوْ عَلِيٌّ أَفْضَلُ مِنْهُ. وَإِنَّمَا أَرَادَ أَبُو هُرَيْرَةَ تَفْضِيلَهُ فِي الْكَرَمِ، بِدَلِيلِ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ دِينَارٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا يَقُولُونَ: أَكْثَرَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَإِنِّي كُنْتُ أَلْزَمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشِبَعِ بَطْنِي حِينَ لَا آكُلُ الْخَمِيرَ، وَلَا أَلْبَسُ الْحَرِيرَ، وَلَا يَخْدُمُنِي فُلَانٌ وَفُلَانَةُ، وَكُنْتُ أُلْصِقُ بَطْنِي بِالْحَصْبَاءِ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৩৩১৪
الْجُوعِ، وَإِنِّي كُنْتُ لَأَسْتَقْرِئُ الرَّجُلَ الْآيَةَ هِيَ مَعِي، كَيْ يَنْقَلِبَ بِي فَيُطْعِمَنِي، وَكَانَ خَيْرَ النَّاسِ لِلْمَسَاكِينِ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَكَانَ يَنْقَلِبُ بِنَا فَيُطْعِمُنَا مَا كَانَ فِي بَيْتِهِ، حَتَّى إِنْ كَانَ لَيُخْرِجُ إِلَيْنَا الْعُكَّةَ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا شَيْءٌ فَنَشُقُّهَا فَنَلْعَقُ مَا فِيهَا. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَرْثِي جَعْفَرًا: وَلَقَدْ بَكَيْتُ وَعَزَّ مَهْلِكُ جَعْفَرٍ ... حِبِّ النَّبِيِّ عَلَى الْبَرِيَّةِ كُلِّهَا وَلَقَدْ جَزِعْتُ وَقُلْتُ حِينَ نُعِيتَ لِي ... مَنْ لِلْجِلَادِ لَدَى الْعُقَابِ وَظِلِّهَا بِالْبِيضِ حِينَ تُسَلُّ مِنْ أَغْمَادِهَا ... ضَرْبًا وَإِنْهَالِ الرِّمَاحِ وَعَلِّهَا بَعْدَ ابْنِ فَاطِمَةَ الْمُبَارَكِ جَعْفَرٍ ... خَيْرِ الْبَرِيَّةِ كُلِّهَا وَأَجَلِّهَا رُزْءًا وَأَكْرَمِهَا جَمَيْعًا مَحْتِدًا ... وَأَعَزِّهَا مُتَظَلِّمًا وَأَذَلِّهَا لِلْحَقِّ حِينَ يَنُوبُ غَيْرَ تَنَحُّلٍ ... كَذِبًا وَأَنْدَاهَا يَدًا وَأَقَلِّهَا فُحْشًا وَأَكْثَرِهَا إِذَا مَا يُجْتَدَى ... فَضْلًا وَأَبْذَلِهَا نَدًى وَأَبَلِّهَا
পৃষ্ঠা - ৩৩১৫

ইমাম বুখারী (র) নু’মান ইবন বশীর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“একদিন আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা (রা) বেইশ হয়ে যান ৷ তখন তীর বোন আমরা (বা)
কান্নাকাটি করছিলেন ৷^ আর বলছিলেন, হে আমার পাহাড় ! হে আমার অমুক ! ইত্যাদি বিজ্যি
গুণের কথা স্মরণ করছিলেন ৷ যখন ছুশ ফিরে আসলো তখন তিনি বোনকে বললেন, তৃমি
আমার যতগুলে৷ গুণের কথা উল্লেখ করেছ সবগুলোর ক্ষেত্রে আমাকে বলা হয়েছে যে, তুমি কি
বাস্তবেও এরুপইা”

ইমাম বুখারী (র) অন্য এক সনদে নু’মান ইবন বশীর হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
“আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা একদিন বেছুশ হয়ে পড়েন ---- এরপর যখন তিনি শহীদ
হলেন, তখন তার বোন আর তার জন্যে কান্নাকাটি করেননি ৷ হাসৃসান ইবন্ ছাবিত (বা) তার
মৃত্যুতে শোকগাথা রচনা করেন যা’ পুষ্কভু উল্লিখিত হয়েছে ৷ মুতার যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে
প্রত্যাবর্তনকারীদের অন্যতম একজন মুসলিম কৰিও তার সম্পর্কে বলেন, “আমি মুতার যুদ্ধ
ক্ষেত্র থেকে প্রত্যাবতনি করেছি এটাই আমার জন্যে মর্মপীড়ার জন্যে যর্থেষ্ট্র ৷ জাষর ( রা ), যায়দ
(রা) ও আবক্লোহ্ইবন রাওয়াহা (বা) রয়ে পেলেন মুতার কবরস্থানে ৷ তারা ভীদ্যে৷ জীবনকাল পুর্ণ
করেছেন যখন তারা তাদের পথে চলে গেছেন ৷ পক্ষাস্তার পরিবর্ভাশীল পরিস্থিতিতে যুসীবত
ভোগ করার জন্যে আমি পেছনে রয়ে পেলাম ৷

উক্ত তিনজন আমীর সম্পর্কে হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) ও আর ইবন মালিক (রা)-এর
রচিত শোকর্গাথা পরবর্তীতে উল্লেখ করা হবে ৷

মুতার যুদ্ধে যারা শাহাদত বরণ করেন

মুহাল্পিরখণের মধ্যে

১ জ়াফা৷ ইবন আবু তালিব (রা), তীদের আযাদকুত গোলাম ৷

২ যায়দ ইবন হারিছা আল-কালুবী (রা) ৷

৩ মাসৃউদ ইবন আসওদ ইবন হারিছ৷ ইবন নাযলা আল-আদভী (রা) ৷ হোব ইবন সা’দ
ইবন আবু সাবৃহ্ (রা) ৷
আনসারগণের মধ্যে

(১) আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহা আল-খাযরাঞ্জী ৷ (২) আব্বাদ ইবন কায়স আল-খাষ্ৱাব্জী ৷
(৩) হারিছ ইবন নু’মান ইবন আস্যফ ইবন নাফলা নাজ্জারী ৷ (৪) সুরাকা ইবন আমর ইবন
আভীয়্যা ইবন খানৃসা মাযিনী ৷

মুহাজিং ও আনসারগণের মধ্যে সর্বমোট উক্ত আটজন শহীদ হন ৷ এ সংখ্যাটি ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন ৷ তবে ইবন হিশাম মুতার যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারীদের নাম বৃদ্ধি করে বলেন :
(৯) আবু কুলায়ব (১০) জৰির উক্ত দুইজন আমর ইবন যায়দ ইবন আউফ ইবন মাববুল
আল-মাযুনী এর পুত্র ছিলেন ৷ তার! দুইজন সহােদর ছিলেন ৷ ( ১ ১ ) আমর (১২) আমির উক্ত
দৃ’জনই সাদ ইবন হারিছ ইবন আব্বাদ ইবন সাদ ইবন আমির ইবন সালাবা ইবন মালিক ইবন


بِالْعُرْفِ غَيْرَ مُحَمَّدٍ لَا مِثْلُهُ ... حَيٌّ مِنَ احْيَاءِ الْبَرِيَّةِ كُلِّهَا وَأَمَّا ابْنُ رَوَاحَةَ، فَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ عَمْرِو بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ الْأَكْبَرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْأَغَرِّ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ أَبُو مُحَمَّدٍ - وَيُقَالُ: أَبُو رَوَاحَةَ. وَيُقَالُ: أَبُو عَمْرٍو - الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، وَهُوَ خَالُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أُخْتُهُ عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَشَهِدَ الْعَقَبَةَ، وَكَانَ أَحَدَ النُّقَبَاءِ لَيْلَتَئِذٍ لِبَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا وَالْخَنْدَقَ وَالْحُدَيْبِيَةَ وَخَيْبَرَ، وَكَانَ يَبْعَثُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خَرْصِهَا كَمَا قَدَّمْنَا، وَشَهِدَ عُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَدَخَلَ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ مُمْسِكٌ بِزِمَامِ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقِيلَ: بِغَرْزِهَا. يَعْنِي الرِّكَابَ - وَهُوَ يَقُولُ: خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ الْأَبْيَاتِ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَكَانَ أَحَدَ الْأُمَرَاءِ الشُّهَدَاءِ يَوْمَ مُؤْتَةَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَدْ شَجَّعَ الْمُسْلِمِينَ لِلِقَاءِ الرُّومِ حِينَ اشْتَوَرُوا فِي ذَلِكَ، وَشَجَّعَ نَفْسَهُ أَيْضًا حَتَّى نَزَلَ بَعْدَمَا قُتِلَ صَاحِبَاهُ، وَقَدْ شَهِدَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالشَّهَادَةِ، فَهُوَ مِمَّنْ يُقْطَعُ لَهُ بِدُخُولِ الْجَنَّةِ. وَيُرْوَى أَنَّهُ لَمَّا أَنْشَدَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِعْرَهُ، حِينَ وَدَّعَهُ، الَّذِي يَقُولُ فِيهِ: فَثَبَّتَ اللَّهُ مَا آتَاكَ مِنْ حَسَنٍ ... تَثْبِيتَ مُوسَى وَنَصْرًا كَالَّذِي نُصِرُوا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَأَنْتَ فَثَبَّتَكَ اللَّهُ» قَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ: فَثَبَّتَهُ اللَّهُ حَتَّى قُتِلَ شَهِيدًا وَدَخَلَ الْجَنَّةَ
পৃষ্ঠা - ৩৩১৬
وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، «أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَخْطُبُ فَسَمِعَهُ يَقُولُ: " اجْلِسُوا ". فَجَلَسَ مَكَانَهُ خَارِجًا مِنَ الْمَسْجِدِ، حَتَّى فَرَغَ النَّبِيُّ مِنْ خُطْبَتِهِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا عَلَى طَوَاعِيَةِ اللَّهِ وَطَوَاعِيَةِ رَسُولِهِ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": وَقَالَ مُعَاذٌ: اجْلِسْ بِنَا نُؤْمِنْ سَاعَةً. وَقَدْ وَرَدَ الْحَدِيثُ الْمَرْفُوعُ فِي ذَلِكَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ بِنَحْوِ ذَلِكَ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، عَنْ عِمَارَةَ، عَنْ زِيَادٍ النُّمَيْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ إِذَا لَقِيَ الرَّجُلَ مِنْ أَصْحَابِهِ يَقُولُ: تَعَالَ نُؤْمِنْ بِرَبِّنَا سَاعَةً. فَقَالَ ذَاتَ يَوْمٍ لِرَجُلٍ، فَغَضِبَ الرَّجُلُ فَجَاءَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا تَرَى ابْنَ رَوَاحَةَ يَرْغَبُ عَنْ إِيمَانِكَ إِلَى إِيمَانِ سَاعَةٍ! فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ ابْنَ رَوَاحَةَ، إِنَّهُ يُحِبُّ الْمَجَالِسَ الَّتِي تَتَبَاهَى بِهَا الْمَلَائِكَةُ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: ثَنَا الْحَاكِمُ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَيُّوبَ، ثَنَا أَحْمَدُ
পৃষ্ঠা - ৩৩১৭

আফসা এর পুত্র ছিলেন ৷ অ ৷ল্লাহ্ত তাদের সকরলে প্ৰতি সত্তুাষ্ট হন ৷ এ চারজনও আনসাবগণের
মধ্যে ৷ কাজেই দুটো অভিমত অনুযায়ী যে ট সংখ্যা দাড়ায় ১২ ৷ এটা একটি বড় সফলতা ৷
কেননা, দুটি সেনাদল তুমুল যুদ্ধ করেছেন ৷ একদল আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেন তাদের সংখ্যা

মাত্র তিন হাজার ৷ আর অন্য দলটি কা ৷ফির তাদের সংখ্যা দুই লাখ এক লাখ রোমান এবং এক
লাখ আরব খৃষ্টান ৷ত তাদের মধ্যে৩ ভীষণ যুদ্ধ হয় ৷ মুসলমান পক্ষে ১২ জন ছাড়া আর কেউ নিহত
হননি ৷ পক্ষা স্তরে মুশরিক পক্ষে নিহতে তর সংখ্যা ছিল প্রচুর ৷ একা ৷খালিদ (রা) এর হাতেই নয়টি

চুতলায়ার ভেঙ্গে ছিল ৷ আর তার হাতে মাত্র একটি ইয়ামানী তলােযার বাকী ছিল ৷ এ থেকেই
অনুমান করা যায়, এ নয়টি তলোয়ার কত শত্রু সৈন্যকে ঘায়েল করেছে ৷ অন্যান্য মুজাহিদদের
কথা আর এখানে উল্লেখ করার দরকার পড়েন৷ ৷ কা ৷ফিরদের উপর সব সময়ই অ ৷ল্লাহ্ তা আলার
অব্দিম্প ত ৷ আল্লাহ ত লার বাণী৪ ১া১ত্রে১ছু ণ্ ৮৷ ৷ , ;;;১ ১ ২১ ৷ ৰু,হ্র১ ৷দ্বু ১১
ট্রুঞ^
এঢ়ণ্১ট্রু১া ৷ খ্াঠু১৷ হুঠুং ১ এ১ ৷ ১ এেপু অর্থ ৎ দুটি দলের পরস্পর সম্মুখীন হওয়ার
মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে ৷ একদল আল্লাহর পথে সংগ্রাম করছিল, আর অন্য দল

কাফির ছিল ৷ কা ৷ফিররা ঘুসলমানদেরকে চোখের দেখায় দ্বিগুণ দেখছিল ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছে নিজ
সাহায্য দ্বারা শক্তিশালী করেন ৷ নিশ্চয় এটাতে অম্ভর্বৃষ্টি সম্পন্ন লোকের জন্য শিক্ষা রয়েছে ৷ (৩-
আলে-ইমরান : ১৩) ৷ এ যুদ্ধের ব্যাপারেও প্রযোজ্য ৷

এ সৈন্যদলের আমীরদের মাহাত্ম্য সম্পর্কে একটি হাদীছ

আমীরগণ হলেনং যায়দ ইবন হারিছ, জা ফর ইবন আবৃত তালিব এবং আবদুল্লাহ ইবন
রাওয়৷ ৷হ৷ (রা) ৷

ইমাম আবুযুরআ — আবুউমামা বাহিলী (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বভ্রু ন ,“একদিন আমি নিদ্রিত ছিলাম ৷ স্বপ্নে দেখি,
দুইজন লোক আমার কাছে আসলেন এবং আমার দুই বাহু শক্ত করে ধরলেন ৷ আর আমাকে
একটি অসমত ল পাহাড়ে নিয়ে গেলেন এবং দুজনে আমাকে বললেন, এটাতে আপনি আরোহণ
করুন ! আমি বললাম, আমি আরোহণ করতে পারবো না ৷ত তারা বললেন, আমরা এ ব্যাপারটি
আপনার জন্যে সহজ করে দেবে৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) বললেন, আমি পাহাড়ে চড়লাম ৷ যখন
পাহাড়ের মাঝামাঝি পৌছলাম তখন বিকট চীৎকার শুনতে পেলাম, আমি বললাম, এগুলো
কিসের চীৎক৷ ৷র ? দুই ফেরেশত৷ বললেন, এগুলে৷ হচ্ছে জাহান্নামীদের আ র্তানাদ’ ৷ এরপর তারা
আমাকে নিয়ে অগ্রসর হলেন ৷ দেখলাম, একটি দলকে তাদের গ্রীবা ধমনী দ্বারা ঝুলিয়ে রাখা
হয়েছে ৷ তাদের ক্ষতবিক্ষত চোয়৷ লদ্বয় দিয়ে রক্ত ঝরছে ৷ আমি বললাম, এরা কারা ? উত্তরে
তারা বললেন, ’এর৷ হচ্ছে ঐ সমস্ত লোক মারা রােয৷ ভঙ্গ করত ৷ তারপর তারা আমাকে আরো
সামনে নিয়ে পেলেন ৷ দেখলাম, একদল লোকের মৃত দেহ ফুলে গিয়ে ভীষণ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ৷

৫ ৭ —

بْنُ يُونُسَ، ثَنَا شَيْخٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ قَالَ لِصَاحِبٍ لَهُ: تَعَالَ حَتَّى نُؤْمِنَ سَاعَةً. قَالَ: أَوَلَسْنَا بِمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنَّا نَذْكُرُ اللَّهَ فَنَزْدَادُ إِيمَانًا. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ اللَّالَكَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ كَانَ يَأْخُذُ بِيَدِ الرَّجُلِ مِنْ أَصْحَابِهِ فَيَقُولُ: قُمْ بِنَا نُؤَمِّنْ سَاعَةً فَنَجْلِسُ فِي مَجْلِسِ ذِكْرٍ. وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ، وَقَدِ اسْتَقْصَيْنَا الْكَلَامَ عَلَى ذَلِكَ فِي أَوَّلِ " شَرْحِ الْبُخَارِيِّ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ، وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» وَقَدْ كَانَ مِنْ شُعَرَاءِ الصَّحَابَةِ الْمَشْهُورِينَ، وَمِمَّا نَقَلَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ شِعْرِهِ قَوْلُهُ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَفِينَا رَسُولُ اللَّهِ يَتْلُو كِتَابَهُ ... إِذَا انْشَقَّ مَعْرُوفٌ مِنَ الْفَجْرِ سَاطِعُ يَبِيتُ يُجَافِي جَنْبَهُ عَنْ فِرَاشِهِ ... إِذَا اسْتَثْقَلَتْ بِالْمُشْرِكِينَ الْمَضَاجِعُ أَتَى بِالْهُدَى بَعْدَ الْعَمَى فَقُلُوبُنَا ... بِهِ مُوقِنَاتٌ أَنَّ مَا قَالَ وَاقِعُ
পৃষ্ঠা - ৩৩১৮
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: أُغْمِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ، فَجَعَلَتْ أُخْتُهُ عَمْرَةُ تَبْكِي: وَاجَبَلَاهُ، وَاكَذَا، وَاكَذَا. تُعَدِّدُ عَلَيْهِ، فَقَالَ حِينَ أَفَاقَ: مَا قُلْتِ شَيْئًا إِلَّا قِيلَ لِي: أَنْتَ كَذَلِكَ؟ ! حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: أُغْمِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ، بِهَذَا، فَلَمَّا مَاتَ لَمْ تَبْكِ عَلَيْهِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَثَاهُ بِهِ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ مَعَ غَيْرِهِ. وَقَالَ شَاعِرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِمَّنْ رَجَعَ مِنْ مُؤْتَةَ مَعَ مَنْ رَجَعَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ: كَفَى حَزَنًا أَنِّي رَجَعْتُ وَجَعْفَرٌ ... وَزَيْدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ فِي رَمْسِ أَقْبُرِ قَضَوْا نَحْبَهُمْ لَمَّا مَضَوْا لِسَبِيلِهِمْ ... وَخُلِّفْتُ لِلْبَلْوَى مَعَ الْمُتَغَبِّرِ وَسَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى بَقِيَّةُ مَا رُثِيَ بِهِ هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءُ الثَّلَاثَةُ مِنْ شِعْرِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، وَكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا.
পৃষ্ঠা - ৩৩১৯

তাদের সে দুর্গন্ধ বিষ্ঠার দুর্গন্ধের ন্যায় অস্বস্তিকর ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা ?’
ফেরেশতাগণ বললেন, এরা কাফিরদের মধ্যকার নিহত ব্যক্তিবর্গ ৷ তারপর আমাকে নিয়ে তারা
আরো অগ্রসর হলেন ৷ এখানেও কতিপয় লোকের দেহ দেখতে পেলাম যেগুলো ফুলে গিয়ে
বিষ্টার মত দৃর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল ৷ আমি বললাম, এরা কারা ? ফেরেশতাগণ উত্তরে বললেন এরা
ব্যভিচারী পুরুষ ও ন ৷রী ৷৩ তারপর আমাকে আরো সামনে নিয়ে গেলেন র্তারা ৷ দেখলাম, এমন
কতিপয় ন ৷রী যাদের স্তনে সর্প দংশ ন করছে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম এরা কারা ? এদের অবস্থা

এরুপ কেন ?’ ৫ফরেশতাগণ উত্তরে বললেন, এরা তাদের ছেলেয়েয়েদেরকে তাদের দুধ পান
করতে দেয়নি ৷ এরপর তারা দুইজন আমাকে সম্মুখে নিয়ে চললেন ৷ দে ত্৫াম কতগুলো বালক

যারা দুটি সাগরের মধ্যে খেলাধুলা করছে ৷ আমি বললাম, এরা কার৷ ৷ ফরেশতাগণ বললেন,
এরা মু’মিনদের নাবালক অবস্থায় মৃতু ভ্যুবরণকারী সন্তান ৷’ এরপর তারা আমাকে একটি উচু
জায়গায় নিয়ে গেলেন ৷ তিনজনের একটি দলকে দেখলাম যারা হুা৷ন্নাতা সুরা পানরত ৷ আমি
জিজ্ঞেস করলাম ’এরা কারা ?’ ফেয়েশ৩ ৷গণ জবাব দিলেন, এরা হচ্ছেন, জাফর ইবন আবু
ত ৷লিব যায়দ ইবন হ৷ ৷রিছ এবং আবদৃল্লা হ্ ইবন রা ওয়াহ৷ (রা ) ৷ তারপর তারা আমাকে অন্য একটি
উচু জায়গায় নিয়ে গেলেন ৷ সেখানেও দেখলাম তিনজনের একটি দল ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম,
এরা কারা ?’ তারা বলেন, এরা হচ্ছেন, ইব্রাহীম, মুসা এবং হযরত ঈসা ৷(আ) ৷ আর তারা
আপনার জন্যে প্ৰর্তীক্ষায় রয়েছেন ৷

মুতার যুদ্ধ সম্পর্কে কথিত কবিতামালা

ইবন ইসহাক বলেন, মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের শোকগাথা রনো করেছেন কবি
হাসৃসান ইবন ছাবিত ৷ করি বলেন :

হৃট্রু৮৷ স্র্দুট্রু
এেএহ্নএে
এ-শু

গ্রি
খো১ন্ এ্যা
সৌং

ন্


[مَنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ مُؤْتَةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ] فَصْلٌ فِي مَنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ مُؤْتَةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَمِنَ الْمُهَاجِرِينَ، جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَمَوْلَاهُمْ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ الْكَلْبِيُّ، وَمَسْعُودُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ نَضْلَةَ الْعَدَوِيُّ، وَوَهْبُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، فَهَؤُلَاءِ أَرْبَعَةُ نَفَرٍ. وَمِنَ الْأَنْصَارِ، عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ وَعَبَّادُ بْنُ قَيْسٍ الْخَزْرَجِيَّانِ، وَالْحَارِثُ بْنُ النُّعْمَانِ بْنِ إِسَافِ بْنِ نَضْلَةَ النَّجَّارِيُّ، وَسُرَاقَةُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطِيَّةَ بْنِ خَنْسَاءَ الْمَازِنِيُّ، أَرْبَعَةُ نَفَرٍ. فَمَجْمُوعُ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ هَؤُلَاءِ الثَّمَانِيَةُ، عَلَى مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، لَكِنْ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمِمَّنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ مُؤْتَةَ، فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، أَبُو كُلَيْبٍ وَجَابِرٌ ابْنَا عَمْرِو بْنِ زَيْدِ بْنِ عَوْفِ بْنِ مَبْذُولٍ الْمَازِنِيَّانِ، وَهُمَا شَقِيقَانِ لِأَبٍ وَأُمٍّ، وَعَمْرٌو وَعَامِرٌ ابْنَا سَعْدِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عَامِرِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ أَفْصَى. فَهَؤُلَاءِ أَرْبَعَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ أَيْضًا، فَالْمَجْمُوعُ عَلَى الْقَوْلَيْنِ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، وَهَذَا عَظِيمٌ جِدًّا أَنْ يَتَقَاتَلَ جَيْشَانِ مُتَعَادِيَانِ فِي الدِّينِ، أَحَدُهُمَا، وَهُوَ الْفِئَةُ الَّتِي تُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، عِدَّتُهَا ثَلَاثَةُ آلَافِ مُقَاتِلٍ، وَأُخْرَى كَافِرَةٌ عِدَّتُهَا
পৃষ্ঠা - ৩৩২০
مِائَتَا أَلْفِ مُقَاتِلٍ، مِنَ الرُّومِ مِائَةُ أَلْفٍ، وَمِنْ نَصَارَى الْعَرَبِ مِائَةُ أَلْفٍ، يَتَبَارَزُونَ وَيَتَصَاوَلُونَ، ثُمَّ مَعَ هَذَا كُلِّهِ لَا يُقْتَلُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، وَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ خَلْقٌ كَثِيرٌ. هَذَا خَالِدٌ وَحَدَهُ يَقُولُ: لَقَدِ انْدَقَّتْ فِي يَدِي يَوْمَئِذٍ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ، وَمَا صَبَرَتْ فِي يَدِي إِلَّا صَفِيحَةٌ يَمَانِيَةٌ. فَمَاذَا تُرَى قَدْ قُتِلَ بِهَذِهِ الْأَسْيَافِ كُلِّهَا؟! دَعْ غَيْرَهُ مِنَ الْأَبْطَالِ وَالشُّجْعَانِ، مِنْ حَمَلَةِ الْقُرْآنِ، وَقَدْ تَحَكَّمُوا فِي عَبَدَةِ الصُّلْبَانِ، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ الرَّحْمَنِ، فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَفِي كُلِّ أَوَانٍ. وَهَذَا مِمَّا يَدْخُلُ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {قَدْ كَانَ لَكُمْ آيَةٌ فِي فِئَتَيْنِ الْتَقَتَا فِئَةٌ تُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأُخْرَى كَافِرَةٌ يَرَوْنَهُمْ مِثْلَيْهِمْ رَأْيَ الْعَيْنِ وَاللَّهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهِ مَنْ يَشَاءُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِأُولِي الْأَبْصَارِ} [آل عمران: 13] (آلِ عِمْرَانَ: 13) .
পৃষ্ঠা - ৩৩২১

§ §
, শ্ )
র্চ


রুণ্ন্ন্ন্এে এ৷ ;)ন্ন্ ব্লু১ত্রুন্খু ৷ ন্দ্বু এ ৷ ) গ্র
ম্পোপুপ্রু:১ )এে৷ , ণ্১া১৷ ৷ ট্রুান্ ৷,ৰুঠুন্১

) ইঠুঞে১এ

১রু১৮ণ্




রাত আমাকে মদীনায় বিষগ্নও চিন্তিত অবস্থায় ফিরিয়ে এবুনবুছ ৷ অন্যদিকে জনগণ যোদ্ধাবুদর
প্রত্যাবর্তবুনর অপেক্ষায় বিরুিদ রজনী পালন করছে ৷ আমি আমার বন্ধুর স্মরণে অশ্রুপাত করছি ৷
কারো জন্যে ক্রন্দবুনর কারণগুবুলার মবুধ্য তার স্মরণ অন্যতম ৷ হী৷ এটা সকলের কাছে স্বীকৃত
যে, বন্ধুর মৃত্যু একটি নিদারুণ বিপদ ৷ কতইন৷ সম্মানিত লোককে পরীক্ষা করা হয় ৷ তারপর
তাকে ধৈর্য ধারণ করতে হয় ৷ উচ্চ শ্রেণীর মুসলমানবুদরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হতে আমি
দেখেছি ৷ আবার তাদের উত্তরসুরীবুদরবুক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত ৩হতেও দেখেছি ৷ সুতরাং
আল্লাহ যেন মুতায় পরপর নিহত ব্যক্তিদের উত্তরসুরীদেরবুক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত না
করেন ৷ নিহত ব্যক্তিদের মবুধ্য রয়েছেন ইে ডানার বিশিষ্ট জা ফর, যায়িদ ও আবদুল্লা হ্ (বা) ৷
তারা সকলেই পর পর শাহাদত বরণ করেছেন ৷ তাদের মৃত্যুর পরিস্থিতি ছিল ভীতিপুর্ণ ৷ প্ৰত্যুবুষ
তারা যেন মুসলিম বাহিনীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিবুলন ৷ তবে বুনতৃ ও পরিচালনার পুরস্কার
অত্যন্ত সুখময় এবং পুর্ণিমার র্চাবুদর আলোর ন্যায় সমুজ্জ্বল ৷ আর এ বুনতৃ হাশিম বংশের
একজন তরুণ থেকে এমন সময় এসেছে যখন ভুমণ্ডল ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন ৷ এরপর তিনি হা ৷মলা
করেন ও অ্যাসর হন ৷ আর যুদ্ধ বিগ্রবুহর কো ন ভয়াবহতাই তাকে নিবৃত্ত করতে পারেনি ৷ কোন
প্রতিরোধ তাকে থমকে দিতে পারেনি ৷ তিনি শাহ৷ দ৩ তকারীবুদর অভভুক্ত হবুলন ৷ তার
কার্যকলাবুপর নওয়াব হল জান্নাতসমুহ, চিরসবুজ ঘন বৃক্ষাদি বিশিষ্ট উদ্যা নরাজি ৷ আমরা জ৷ ফরের
মধ্যে মুহাম্মাদ (না)-এর কয়েকটি গুণের সমাহার দেখতে পাই, এগুলো হচ্ছে ওয়াদ৷ পালন,
নির্দেশ প্রদান, নেতৃত্বে দক্ষতা ও পারদর্শিতা ৷ বনুহাশিমের বহু সদস্য সব সময় ইসলাবুমর পর
এবং চিরস্থায়ী সম্মানিত স্তম্ভ হিসেবে পরিগণিত ৷ তারা পাহাড়ের ন্যায় ইসলামের র্খাটি কর্ণধার ৷
আর জনগণ তাদের চতুর্দিকে বিভিন্ন স্তরবিশিষ্ট বড় বড় সৌন্দর্যময় ও রাতের বেলায় সমুজ্জ্বল
পাথরের ন্তুবুপর ন্যায় ৷ বনুহাশি ৷বুমর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জ৷ ফর ও৩ রে ভাই আলী (রা) ৷
তাদের মধ্যে রবুয়বুছন কল্যাণকানী শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবু হ্র অধিকারী আহমদ মুস্তফা (সা ) ৷ তাদের মধ্যে
রবুয়বুছন হামযা, আব্বাস, আকীল (রা) যেখান থেকে কোন কোন সময় কাষ্ঠ খণ্ডের সাহায্যেও
পানি নিংড়া ৷বুন৷ হয় ৷ যখন জনগবুণর জন্যে রহমবু৩ তর উৎস সংকীর্ণ হয়ে যায় এরুপ প্রতিটি স ংকবুট
তাদের সুপারিবুশ বালা মুসীবত দুর হয় ৷ তারাই আল্লাহর বন্ধু ৷ তাদের উপরই আল্লাহ তা আলা


[حَدِيثٌ فِيهِ فَضِيلَةٌ عَظِيمَةٌ لِأُمَرَاءِ هَذِهِ السَّرِيَّةِ] وَهُمْ، زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، وَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. قَالَ الْإِمَامُ الْعَالِمُ الْحَافِظُ أَبُو زُرْعَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ الرَّازِيُّ، نَضَّرَ اللَّهُ وَجْهَهُ، فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلُ النُّبُوَّةِ " - وَهُوَ كِتَابٌ جَلِيلٌ -: حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ، ثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، (ح) وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ وَعَمْرٌو - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْوَاحِدِ - قَالَا: ثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، سَمِعْتُ سُلَيْمَ بْنَ عَامِرٍ الْخَبَائِرِيَّ يَقُولُ: أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ الْبَاهِلِيُّ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ أَتَانِي رَجُلَانِ، فَأَخَذَا بِضَبْعَيَّ فَأَتَيَا بِي جَبَلًا وَعْرًا فَقَالَا: اصْعَدْ. فَقُلْتُ: لَا أُطِيقُهُ. فَقَالَا: إِنَّا سَنُسَهِّلُهُ لَكَ. قَالَ: فَصَعِدْتُ حَتَّى إِذَا كُنْتُ فِي سَوَاءِ الْجَبَلِ إِذَا أَنَا بِأَصْوَاتٍ شَدِيدَةٍ، فَقُلْتُ: مَا هَؤُلَاءِ الْأَصْوَاتُ؟ فَقَالَا: عُوَاءُ أَهْلِ النَّارِ. ثُمَّ انْطَلَقَا بِي، فَإِذَا
পৃষ্ঠা - ৩৩২২
بِقَوْمٍ مُعَلَّقِينَ بِعَرَاقِيبِهِمْ، مُشَقَّقَةٍ أَشْدَاقُهُمْ، تَسِيلُ أَشْدَاقُهُمْ دَمًا، فَقُلْتُ: مَا هَؤُلَاءِ؟ فَقَالَا: هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُفْطِرُونَ قَبْلَ تَحِلَّةِ صَوْمِهِمْ ". فَقَالَ: خَابَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى. قَالَ سُلَيْمٌ: لَا أَدْرِي أَسَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْ مِنْ رَأْيِهِ " ثُمَّ انْطَلَقَا بِي، فَإِذَا قَوْمٌ أَشَدُّ شَيْءٍ انْتِفَاخًا، وَأَنْتَنُ شَيْءٍ رِيحًا، كَأَنَّ رِيحَهُمُ الْمَرَاحِيضُ، قُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَا: هَؤُلَاءِ قَتْلَى الْكُفَّارِ. ثُمَّ انْطَلَقَا بِي، فَإِذَا بِقَوْمٍ أَشَدِّ شَيْءٍ انْتِفَاخًا، وَأَنْتَنِ شَيْءٍ رِيحًا، كَأَنَّ رِيحَهُمُ الْمَرَاحِيضُ. قُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَ: هَؤُلَاءِ الزَّانُونَ وَالزَّوَانِي. ثُمَّ انْطَلَقَا بِي، فَإِذَا بِنِسَاءٍ تَنْهَشُ ثُدِيَّهُنَّ الْحَيَّاتُ، فَقُلْتُ: مَا بَالُ هَؤُلَاءِ؟ قَالَا: هَؤُلَاءِ اللَّاتِي يَمْنَعْنَ أَوْلَادَهُنَّ أَلْبَانَهُنَّ. ثُمَّ انْطَلَقَا بِي، فَإِذَا بِغِلْمَانٍ يَلْعَبُونَ بَيْنَ بَحْرَيْنِ، قُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَا: هَؤُلَاءِ ذَرَارِيُّ الْمُؤْمِنِينَ. ثُمَّ أَشْرَفَا بِي شَرَفًا، فَإِذَا بِنَفَرٍ ثَلَاثَةٍ يَشْرَبُونَ مِنْ خَمْرٍ لَهُمْ، فَقُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَا: هَؤُلَاءِ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ. ثُمَّ أَشْرَفَا بِي شَرَفًا آخَرَ، فَإِذَا أَنَا بِنَفَرٍ ثَلَاثَةٍ، فَقُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَا: هَؤُلَاءِ إِبْرَاهِيمُ، وَمُوسَى، وَعِيسَى عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، وَهُمْ يَنْتَظِرُونَكَ» .
পৃষ্ঠা - ৩৩২৩
৪ ৫২

জ্ঞান-বিজ্ঞান অবতীর্ণ করেছেন এবং তাদের মধ্যেই রয়েছেন মহা পবিত্র কিতাবের ধারক ও

বাহক ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

কাব ইবন মালিক (রা) বলেন :

মোঃ ৷
চু^এন্
,ওগ্রা এে
ধ্া১দু; ;াহ্রএ হ্রাও ম্পোাপ্রু
স্পো৷ ঠু£গ্র৷ )১;;৷ ৷১াএেছুঠুট্রুণ্

স্পো এ্ ; র্ট১১ ঠুস্পে ৷ ৰু,াএ্
ধ্ব্লুপুষ্ধ্ষ্এে
চেষ্ষ্টঠৰুৰু ৷ ,
৷ শ্লোঞা
স্পো;দৃহ্র স্পোঞা৷ ণ্াষ্টু৷ ৷ল্দো
ঞ-ক্রো
াণ্:ন্
গ্রি-ম্বণ্গু ণ্১-এ
৷ ৷ক্রো
স্পেধ্ন্ন্ ণ্াব্লুা৷ ’ এ;ন্গ্রা শু ¥
ণ্শুদ্বুধু
এ্যা

সকলেই ঘুমম্ভ অবস্থায় রয়েছে অন্যদিকে তোমার নয়ন অশ্রু ঝরাচ্ছে ৷ আর তা এতই বেশী
অশ্রুপাত করছে যে, কোন সফলকাম চিকিৎসকও তা বন্ধ করতে সক্ষম নয় ৷ এ অশ্রুপাত
ঘটেছে এমন একরাতে যে রাতে আমার উপর দুঃখ নেমে এসেছে ৷ কোন কোন সময় আমি
সশব্দে র্কাদি আবার কোন কোন সময় আমি তাতে বিরতি দেই ৷ আমাকে উদ্বিগ্ন এতই নাজেহাল
করেছে যে, বিনিদ্র রাত যাপন করার সময় আমি যেন সপ্তর্ষিমণ্ডল ও মীন রাশির দায়িত্বে
নিয়োজিত ৷ আর পড়াজর ও নড়াড়িভুড়ির মধ্যভাগে অবস্থান করছে একটি উল্কা (নকশা) যা আমাকে
প্রত্যাবর্তন করতে বাধ্য করেছে এবং ৫ক্রাধাম্বিত করেছে ঐ সমস্ত লোককে যারা মুতার যুদ্ধে
সেনাপতির আদেশের অনুগত ছিল, আদেশ পালনে নিষ্ঠাবান ছিল এবং বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়নি ৷ আল্লাহ্ তাআলা এরুপ তরুণদের উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং বৃষ্টিতে পরিপুর্ণ মেঘখণ্ড


[فِيمَا قِيلَ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ] فَصْلٌ فِيمَا قِيلَ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا بُكِيَ بِهِ أَصْحَابُ مُؤْتَةَ قَوْلُ حَسَّانَ: تَأَوَّبَنِي لَيْلٌ بِيَثْرِبَ أَعْسَرُ ... وَهَمٌّ إِذَا مَا نَوَّمَ النَّاسُ مُسْهِرُ لِذِكْرَى حَبِيبٍ هَيَّجَتْ لِيَ عَبْرَةً ... سَفُوحًا وَأَسْبَابُ الْبُكَاءِ التَّذَكُّرُ بَلَى إِنَّ فُقْدَانَ الْحَبِيبِ بَلِيَّةٌ ... وَكَمْ مِنْ كَرِيمٍ يُبْتَلَى ثُمَّ يَصْبِرُ رَأَيْتُ خِيَارَ الْمُسْلِمِينَ تَوَارَدُوا ... شُعُوبًا وَخَلْفًا بَعْدَهُمْ يَتَأَخَّرُ فَلَا يُبْعِدَنَّ اللَّهُ قَتْلَى تَتَابَعُوا ... بِمُؤْتَةَ مِنْهُمْ ذُو الْجَنَاحَيْنِ جَعْفَرُ وَزَيْدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ حِينَ تَتَابَعُوا ... جَمِيعًا وَأَسْبَابُ الْمَنِيَّةِ تَخْطِرُ غَدَاةَ مَضَوْا بِالْمُؤْمِنِينَ يَقُودُهُمْ ... إِلَى الْمَوْتِ مَيْمُونُ النَّقِيبَةِ أَزْهَرُ
পৃষ্ঠা - ৩৩২৪

তাদের নেতাদেরকে তৃপ্ত করুক ৷ তারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যে মুতার যুদ্ধে ধৈর্য ধারণ
করেছিলেন ৷ নিজেদের ধ্বংসকে প্রতিহত করা এবং পালিয়ে আসার ভয়ে র্তারা প্রাণপণ যুদ্ধ
করেছেন ৷ সাহসী সেনারা সাধারণ মুসলিম সেনাদের সম্মুখভাগে অগ্রসর হলেন ৷ তারা যেন
দুঃখের পর শাহাদতের সুখ ভোগ করতে লাগলেন ৷ তাদের পরনে ছিল প্রলম্বিত লৌহবর্ম ৷ যারা
জাফর (রা) ও তার হাতে ধারণকৃত পতাকার দ্বারা সঠিক পথের দিশা পেয়েছিলেন ৷ র্তারা ছিলেন
সামনের দিকে অগ্রগামী দলের সম্মুখে ৷ সেই অগ্রগামী দল কতই না উত্তম দল ৷ এরপর যুদ্ধরত
বুহ্যগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৷ যেখানে সৈন্যের সারিগুলাে ভীষণ যুদ্ধে রত ছিল, সেখানে জাফরও
এ ভয়াবহ যুদ্ধে যোগদান করেন এবং শাহড়াদতবরণ করেন ৷ তার শাহাদতের কারণে উজ্জ্বল নক্ষত্র
যেন বিবর্ণ হয়ে পড়ল, সুর্য গ্রহণে পতিত হল ও আর যাওয়ার উপক্রম হল ৷ তিনি ছিলেন বনু
হাশিমের সম্মানিত ব্যক্তি, পর্বের বস্তু, সুদক্ষ প্রধান, যার কোন বিকল্প নেই ৷ তার সম্প্রদায়ের
লোকেরা ছিলেন আল্লাহর এমনি পিয়ারা বান্দা যাদের মাধ্যমে আল্লাহ্ তা আলা তীর বান্দাদেরকে
সুরক্ষিত করেছেন ৷ তাদের উপর কুরআনৃল করীম অবতীর্ণ হয়েছে ৷ র্তারা সমাজের মর্যাদা বৃদ্ধি
করেছিলেন ৷ যারা সমাজের অজ্ঞ তাদেরকে তারা চারিত্রিক মাধুর্যে গড়ে তুলেছিলেন এবং
তাদেরকে অজ্ঞতার অন্ধকারে থাকতে দেননি ৷ র্তারা তাদেরকে প্রেমপ্রীতি বন্ধনে আবদ্ধ
করেছিলেন ৷ তুমি তাদের বক্তাকে দেখবে যে সত্যবেইি জনগণের কাছে তুলে ধরে ৷ তারা
৫জ্যাতির্ময় চেহড়ারার অধিকারী ৷ যখন দেশে অনাবৃষ্টি ও দৃর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন তুমি তাদেরকে
সাহায্যের হস্ত প্রসারিত করতে দেখবে ৷ প্রতিপালকের সন্তুষ্টিই তীর মাখলুকের হিদায়াতের জন্যে
তাদেরকে উৎসাহিত করে এবং প্রেরিত নবীর সাহায্যের জন্যেই র্তারা প্রচেষ্টায় রত থাকেন ৷


أَغَرُّ كَضَوْءِ الْبَدْرِ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... أَبِيٌّ إِذَا سِيمَ الظُّلَامَةَ مِجْسَرُ فَطَاعَنَ حَتَّى مَالَ غَيْرَ مُوَسَّدٍ ... بِمُعْتَرَكٍ فِيهِ الْقَنَا مُتَكَسِّرُ فَصَارَ مَعِ الْمُسْتَشْهِدِينَ ثَوَابُهُ ... جِنَانٌ وَمُلْتَفُّ الْحَدَائِقِ أَخْضَرُ وَكُنَّا نَرَى فِي جَعْفَرٍ مِنْ مُحَمَّدٍ ... وَفَاءً وَأَمْرًا حَازِمًا حِينَ يَأْمُرُ وَمَا زَالَ فِي الْإِسْلَامِ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... دَعَائِمُ عِزٍّ لَا يَزُلْنَ وَمَفْخَرُ هُمُ جَبَلُ الْإِسْلَامِ وَالنَّاسُ حَوْلَهُمْ ... رِضَامٌ إِلَى طَوْدٍ يَرُوقُ وَيَقْهَرُ بِهَالِيلُ مِنْهُمْ جَعْفَرٌ وَابْنُ أُمِّهِ ... عَلِيٌّ وَمِنْهُمْ أَحْمَدُ الْمُتَخَيَّرُ وَحَمْزَةُ وَالْعَبَّاسُ مِنْهُمْ وَمِنْهُمُ ... عَقِيلٌ وَمَاءُ الْعُودِ مِنْ حَيْثُ يُعْصَرُ بِهِمْ تُفْرَجُ اللَّأْوَاءُ فِي كُلِّ مَأْزِقٍ ... عَمَاسٍ إِذَا مَا ضَاقَ بِالنَّاسِ مَصْدَرُ هُمُ أَوْلِيَاءُ اللَّهِ أَنْزَلَ حُكْمَهُ ... عَلَيْهِمْ وَفِيهِمْ ذَا الْكِتَابُ الْمُطَهَّرُ وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩২৫

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পত্র ও দুত প্রেরণ

ওয়াকিদী উল্লেখ করেন যে , ব্যাপারটি হুদায়বিয়ার উমরা পালনের পর ৬ষ্ঠ হিজরীর শেষ
ষিলহজ্জ্ব মাসে সংঘটিত হয়েছিল ৷ বায়হাকী মুতার যুদ্ধের পর এ অধ্যায়টি উল্লেখ করেছেন ৷
আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ তবে এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই যে এটি মক্কা বিজয়ের পুর্বে এবং
হুদায়বিয়ার পর সংঘটিত হয়েছে ৷ তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হল যে, আবু সুফিয়ানকে রোমের সম্রাট
হিরাক্লিয়াস যখন জিজ্ঞেস করেন, “তিনি কি চুক্তি ভঙ্গ করেন ? তখন আবু সুফিয়ান বলেন, না,
তবে আমরা তীর সাথে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অৎগীকারাবদ্ধ আছি, সে ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে
কতটুকু পালন করবে তা আমি জানি না ৷ ইমাম বুখড়ারীর ভাষায় : এ ঘটনাটি ঘটেছিল ঐ সময়ে
যখন আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, এ ঘটনাটি ঘটেছিল হুদায়বিয়া এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ওফাতের মধ্যবর্তী সময়ে ৷ আমরা এ ঘটনাটি এখানেই বর্ণনা করব ৷ ওয়াকিদীর মত সঠিক
হওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷

মুসলিম আনাস ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মুতার যুদ্ধের পুর্বে পারস্যের সুমাট কিসৃরা, রোমের সম্রাট কায়সার, নাজাশী ও প্রতিটি প্ৰতাপশালী
শাসককে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে পত্র দিয়েছেন ৷ উল্লিখিত নাজাশী ঐ নাজাশী নয় যার
জানাযা রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আদায় করেছিলেন ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আবু সুফিয়ান নিজ মুখে আমার নিকট বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “আমরা ছিলাম ব্যবসায়ী
সম্প্রদায় এবং যুদ্ধ ছিল আমাদের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত ৷ আর আমাদের সম্পদ ছিল প্রায় শেষ হওয়ার
পথে ৷ এরপর যখন রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও আমাদের মধ্যে হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদিত হল ঐ মুহুর্তে
আমরা কারো থেকে নিরাপত্তা পেলেও আমরা কাউকে নিরাপত্তা দিতাম না ৷ সন্ধির পর আমি
কুরায়শদের কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীসহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়ার দিকে বওয়ানা হলাম ৷ আল্লাহর
শপথ, আমার জানামতে মক্কায় এমন কোন নারী পুরুষ বাকী ছিল না যায় ব্যবসা সামগ্রী আমার
সাথে ছিল না ৷ সিরিয়া অঞ্চলে ফিলিস্তীনের পাজা এলাকায় ছিল আমাদের বাণিজ্য কেন্দ্র ৷ আমরা
সেখানে উপস্থিত হলাম ৷ সে সময় রোম সম্রাট তীর সাম্রারুজ্য অবস্থিত বিদ্রোহী পারস্য বাসীদেব
উপর জয়লাভ করেছিলেন ৷ ও তাদেরকে দখলকৃত এলাকা থেকে বহিষ্কার করেন এবং তারা
সম্রাটকে তার প্রধান ক্রুশ ফেরত দান করে যা তারা পুর্বে তার নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে


: نَامَ الْعُيُونُ وَدَمْعُ عَيْنِكَ يَهْمُلُ ... سَحًّا كَمَا وَكَفَ الطِّبَابُ الْمُخْضِلُ فِي لَيْلَةٍ وَرَدَتْ عَلَيَّ هُمُومُهَا ... طَوْرًا أَحِنُّ وَتَارَةً أَتَمَلْمَلُ وَاعَتَادَنِي حُزْنٌ فَبِتُّ كَأَنَّنِي ... بِبَنَاتِ نَعْشٍ وَالسِّمَاكِ مُوَكَّلُ وَكَأَنَّمَا بَيْنَ الْجَوَانِحِ وَالْحَشَا ... مِمَّا تَأَوَّبَنِي شِهَابٌ مُدْخَلُ وَجْدًا عَلَى النَّفَرِ الَّذِينَ تَتَابَعُوا ... يَوْمًا بِمُؤْتَةَ أُسْنِدُوا لَمْ يُنْقَلُوا صَلَّى الْإِلَهُ عَلَيْهُمُ مِنْ فِتْيَةٍ ... وَسَقَى عِظَامَهُمُ الْغَمَامُ الْمُسْبِلُ صَبَرُوا بِمُؤْتَةَ لِلْإِلَهِ نُفُوسَهُمْ ... حَذَرَ الرَّدَى وَمَخَافَةً أَنْ يَنْكُلُوا فَمَضَوْا أَمَامَ الْمُسْلِمِينَ كَأَنَّهُمْ ... فُنُقٌ عَلَيْهِنَّ الْحَدِيدُ الْمُرْفَلُ إِذْ يَهْتَدُونَ بِجَعْفَرٍ وَلِوَائِهِ ... قُدَّامَ أَوَّلِهِمْ فَنِعْمَ الْأَوَّلُ حَتَّى تَفَرَّجَتِ الصُّفُوفُ وَجَعْفَرٌ ... حَيْثُ الْتَقَى وَعْثُ الصُّفُوفِ مُجَدَّلُ
পৃষ্ঠা - ৩৩২৬

গিয়েছিল ৷ যখন সম্রাট তা ফেরত পেলেন , তখন তিনি তার তখনকার অবস্থানন্থল সিরিয়ার হিঘৃস
থেকে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে পদব্রজে বায়তুল মুকাদ্দাসে রওয়ানা হন ৷ তাকে সেখানে
স্বাগত জানানো হয় এবং তার উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হয় ৷ তিনি ইলিয়ায় গিয়ে পৌছলেন এবং
সেখানে তিনি সালাত আদায় ও রাতযাপন করলেন ৷ সকালে তিনি যিমর্য হয়ে ঘুম থেকে
উঠলেন ৷ নজর তার আকাশের দিকে ছিল ৷ তার চেহারা মলিন দেখে পাদ্রীরা বললেন, জাহাপনা
আপনাকে যে বিমর্য মনে হচ্ছে ! হিরাক্লিয়াস জবাব দিলেন : হী৷ ৷ তারা তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস
করলে তিনি বললেন : গত রাতে তারকারাজি পর্যবেক্ষণ কংন্র আমি দেখতে পেলাম যে,
খাতনাকারীদের বাদশাহ্ আত্মপ্রকাশ করেছেন ৷ উপস্থিত সতাসদগণ বললেন, “আপনার ভয়ের
কোন কারণ নেই ৷ কেননা, আমরা জানি যে, শুধু ইয়াহ্রদীরাই খাতনা করে ৷ তারা কোন শক্তিশালী
জাতি নয় ৷ তারা আপনার অধীনস্থ প্রজড়া মাত্র ৷ তারপরেও যদি আপনি তাদের পক্ষ থেকে কোন
প্রকার আশংকাবােধ করেন, তাহলে সারা দেশে লোক প্রেরণ কার সকল ইয়াহ্রদীকে হত্যা করে
আপনি স্বস্তি বো ধ করতে পারেন ৷ তারা যখন নিজেদের মধ্যে এরুপ সলা পরামর্শ করছিল তখনই
বুশরার শাসনকর্তার একজন দুত আরবের এক ব্যক্তিকে নিয়ে সম্রাটের নিকট আগমন করল ৷ দুত
বলল, হে সম্রাট ! এ লোকটি আরব থেকে এসেছে ৷ তারা বকরী ভেড়া উট ইত্যাদির মালিক ৷
তাদের দেশে এক নতুন ঘটনা ঘটে গেছে আপনি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে তার বর্ণনা দেবে ৷
লোকটি যখন সম্রাটের কাছে আগমন করল তখন সম্রাট দােতাষীকে বললেন, তাকে প্রশ্ন কর,
তার দেশে কী ঘটনা ঘটে গেছে ? তাকে প্রশ্ন করা হল ৷ উত্তরে সে বলল, আরব দেশের কুরায়শ
বংশের এক ব্যক্তি নিজেকে নবী বলে দাবী করেন ৷ কিছু সংখ্যক লোক তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করে এবং অন্যান্যরা তার বিরোধিতা করে ৷ বহু জায়গায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ সংঘটিত হয় ৷
তারা এরুপ অবস্থায় আছে ৷ আমি তাদেরকে এ অবস্থায় রেখেই আমি আপনার নিকট এসেছি ৷
এ সংবাদ দেয়ার পর সম্রাট তাকে ৰিবস্ত্র করার হুকুম দিলেন ৷ দেখা গেল তার খাতনা করা
হয়েছে ৷ সম্রাট বললেন, আল্লাহর শপথ, এটাই আমি স্বপ্নে দেখেছি ৷ তোমরা যা বলছ তা’ ঠিক
নয় ৷ তাকে তার বস্ত্র ফেরত দাও ৷ হে আগন্তুক ! তুমি তোমার কাজে চলে যাও ৷ তারপর তিনি
তার পুলিশ প্রধানকে ডাকলেন এবং সমগ্র সিরিয়ার খোজাখুজি করে তার গোত্রের এমন একজন
লোককে খুজে আনার জন্যে হুকুম দিলেন যে, ঐ কথিত নবী সম্বন্ধে সবকিছু বলতে পারবে ৷ আবু
সুফিয়ান বলেন, আমি আমার সাথীদের সহ গাজায় অবস্থান করছিলাম ৷ আমাদের কাছে একজন
এসে আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন, তোমরা কােথাকার লোক ? ’আমরা তাকে আমাদের সম্পর্কে
বিস্তারিত জানালাম ৷ তিনি তখন আমাদের সকলকে ম্মাড়াটের কাছে নিয়ে গেলেন ৷ আমরা সকলে
সম্রাটের কাছে গেলাম ৷ আল্লাহর শপথ, আমি তাকে অত্যন্ত চিন্তিত দেখতে পেলাম ৷ আমরা
যখন তার কাছে পৌছলাম, তখন তিনি আমাদেরকে লক্ষ্য করে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের
মধ্যে আত্মীয়তার দিক দিয়ে, কে ঐ ব্যক্তির সর্বাধিক ঘনিষ্ট ?” আবু সুফিয়ড়ান (রা ) উত্তরে বললেন,
”আমি” ৷ সম্রাট বললেন, তাকে আমার নিকটে নিয়ে এসো ৷ ’ তখন তিনি আমাকে নিজের
সামনে বসালেন এবং আমার সংগীদেরকে আমার পিছনে বসাবার হুকুম দিলেন আর তাদেরকে
লক্ষ্য করে বললেন, যদি তোমাদের সংপী মিথ্যা বলে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে’ ৷
আবু সুফিয়ান বলেন, “আমি জানতাম যে, যদি আমি মিথ্যে বলি তাহলে আমার সংপীরা প্রতিবাদ


.. فَتَغَيَّرَ الْقَمَرُ الْمُنِيرُ لِفَقْدِهِ وَالشَّمْسُ قَدْ كَسَفَتْ وَكَادَتْ تَأْفِلُ ... قَرْمٌ عَلَا بُنْيَانُهُ مِنْ هَاشِمٍ فَرْعًا أَشَمَّ وَسُؤْدَدًا مَا يُنْقَلُ ... قَوْمٌ بِهِمْ عَصَمَ الِإِلَهُ عِبَادَهُ وَعَلَيْهِمُ نَزَلَ الْكِتَابُ الْمُنْزَلُ ... فَضَلُوا الْمَعَاشِرَ عِزَّةً وَتَكُرُّمَا وَتَغَمَّدَتْ أَحْلَامَهُمْ مَنْ يَجْهَلُ ... لَا يُطْلِقُونَ إِلَى السَّفَاهِ حُبَاهُمُ وَيُرَى خَطِيبُهُمُ بِحَقٍّ يَفْصِلُ ... بِيضُ الْوُجُوهِ تَرَى بُطُونَ أَكُفِّهِمْ تَنْدَى إِذَا اعْتَذَرَ الزَّمَانُ الْمُمْحِلُ ... وَبِهَدْيِهِمْ رَضِيَ الْإِلَهُ لِخَلْقِهِ وَبِجِدِّهِمْ نُصِرَ النَّبِيُّ الْمُرْسَلُ