আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ترجمته وقصته مع قومه

পৃষ্ঠা - ৩২২

হযরত ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ) এর , ঘটনা

ইব্রাহীম (আ)-এর নসবনামা নিম্নরুপ ও ইব্রাহীম ইবন তারাখ (২৫০) ইবন লাহুর
(১৪৮) ইবন সারুগ (২৩০) ইবন রাউ (২৩৯) ইবন ফালিগ (৪৩৯) ইবন আবির (৪৬৪) ইবন
শালিহ্ (৪৩৩) ইবন আরফাখশাদ (৪৩৮) ইবন নাম (৬০০) ইবন নুহ্ (আ) ৷ আহলে
কিতাবদেৱ গ্রন্থে এভাবেই হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর নসবনামার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ উপরে
বন্ধনীর মধ্যে বয়স দেখান হয়েছে ৷ হযরত নুহ্ (আ)-এর বয়স ইতিপুর্বে তার আলোচনায়
উল্লেখ করা হয়েছে, তইি এখানে পুনরুল্পেখের প্রয়োজন নেই ৷ হাফিজ ইবন আসাকির (র) তার
ইতিহাস গ্রন্থে,ইসহাক ইবন বিশ্ব কাহিনীর “আল মাবদা’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ,
ইব্রাহীম (আ)-এর মায়ের নাম ছিল উমায়লা ৷ এরপর তিনি ইব্রাহীম (আ)এর জন্মের এক
দীর্ঘ কাহিনীও লিখেছেন ৷ ফালবী লিখেছেন যে, ইব্রাহীম (আ)-এর মায়ের নাম বুনা বিনৃত
কারবানা ইবন কুরহী ৷ ইনি ছিলেন আরফাখৃশাদ ইবন নাম ইবন নুহের বংশধর ৷
ইবন আসাকির ইকরামা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর
কুনিয়াত বা উপনাম ছিল আর্য যায়ফান (গ্লু , ৮৷ ৷ , ৷) ৷ বর্ণনাকারিপণ বলেছেন,
তারাখের বয়স যখন পচাত্তর বছর তখন তার ঔরসে ইব্রাহীম, নাহ্রর ও হারান-এর জন্ম হয় ৷
হারানের পুত্রের নাম ছিল লুত (আ) ৷ বর্ণনাকারীদের মতে, ইব্রাহীম ছিলেন তিন পুত্রের মধ্যে
মধ্যম ৷ হারান পিতার জীবদ্দশায় নিজ জন্মস্থান কালদান অর্থাৎ বাবেলে (ব্যাবিলনে) মৃত্যুবরণ
করেন ৷ ঐতিহাসিক ও জীবনীকারদের নিকট এই মতই প্রসিদ্ধ ও যথার্থ ৷ ইবন আসাকির ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ইব্রাহীম (আ) গুতায়ে দামেশ্যকর১ বুরযা নামক গ্রামে
জন্মগ্রহণ করেন, যা কাসিয়ুন পর্বতের সন্নিকাট অবস্থিত ৷ অতঃপর ইবন আসাকির বলেন,
সঠিক মত এই যে, তিনি বাবেলে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তবে গুতায়ে দামেশকে জন্ম হওয়ার কথা
এ কারণে বলা হয় যে, হযরত লুত (আ)কে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে যখন তিনি এখানে
আগমন করেছিলেন, তখন তিনি সেখানে সালাত আদায় করেছিলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) বিবি
সারাহ্কে এবং নাহুর আপন ভাই হারানের কন্যা মালিকাকে বিবাহ করেন ৷ সারাহ্ ছিলেন ’
বন্ধ্য৷ ৷ তার কোন সন্তান হত না ৷ ইতিহাসবেত্তাদের মতে, তারাখ নিজ পুত্র ইব্রাহীম,
ইবরাহীমের শ্রী সারাহ্ ও হারানের পুত্র লুতকে নিয়ে কালদানীদের এলাকা থেকে কানআনীদের
এলাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন ৷ হারান নামক স্থানে তারা অবতরণ করেন ৷ এখানেই তারাখের
মৃত্যু ঘটে ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল দৃ’শ পঞ্চাশ বছর ৷ এই বর্ণনা থেকে প্রমাণ মেলে যে,
ইব্রাহীম (আ)-এর জন্ম হারানে হয়নি; বরং কাশদানী জাতির ভুখশুই তার জন্মস্থান ৷ এ স্থানটি
হল বাবেল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ৷ এরপর-তারা সেখান থেকে কানআনীদের আবাসভুমির



১ সিরিয়ার একটি এলাকার নাম যেখানে প্রচুর পানি ও বৃক্ষ বিদ্যমান ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খণ্ড) : >—


[قِصَّةُ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] [تَرْجَمَتُهُ وَقِصَّتُهُ مَعَ قَوْمِهِ] هُوَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ تَارَخَ " 250 " بْنِ نَاحُورَ " 148 " بْنِ سَارُوغَ " 230 " بْنِ رَاغُوَ " 239 " بْنِ فَالَغَ " 439 " بْنِ عَابَرَ " 464 " بْنِ شَالَخَ " 433 " بْنِ أَرْفَخْشَدَ " 438 " بْنِ سَامِ " 600 " بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. هَذَا نَصُّ أَهْلِ الْكِتَابِ فِي كِتَابِهِمْ، وَقَدْ أَعْلَمْتُ عَلَى أَعْمَارِهِمْ تَحْتَ أَسْمَائِهِمْ بِالْهِنْدِيِّ، كَمَا ذَكَرُوهُ مِنَ الْمُدَدِ، وَقَدَّمْنَا الْكَلَامَ عَلَى عُمُرِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ. وَحَكَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مِنْ تَارِيخِهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ بِشْرٍ الْكَاهِلِيِّ صَاحِبِ كِتَابِ الْمُبْتَدَأِ أَنَّ اسْمَ أُمِّ إِبْرَاهِيمَ أُمَيْلَةُ، ثُمَّ أَوْرَدَ عَنْهُ فِي خَبَرِ وِلَادَتِهَا لَهُ حِكَايَةً طَوِيلَةً. وَقَالَ الْكَلْبِيُّ: اسْمُهَا نُونَا بِنْتُ كَرَنْبَا بْنِ كُوثَى مِنْ بَنِي أَرْفَخْشَدَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُكْنَى أَبَا الضِّيفَانِ قَالُوا: وَلَمَّا كَانَ عُمُرُ تَارَخَ خَمْسًا
পৃষ্ঠা - ৩২৩


উদ্দেশে যাত্রা করেন ৷ এটা হলো বায়তৃল মুকাদ্দাসের এলাকা ণ্৷ তারপর তারা হারানে বসবাস
আরম্ভ করেন ৷ হারান হলো সেকালের কাশদানী জাতির আবাসভুমি ৷ জাসীরা এবং শামও-এর
অন্তর্ভুক্ত ৷ এখানকার অধিবাসীরা সাতটি নক্ষত্রের পুজা করত ৷ সেই জাতির লোকেরা দামেশক
শহর নির্মাণ করেছিল ৷ তারা এই দীনের অনুসারী ছিল ৷ তারা উত্তর মেরুর দিকে মুখ করে
বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ বা মন্তের দ্বারা সাতটি তারকার পুজা করত ৷ এই কারণেই প্রাচীন
দামেশকের সাতটি প্রবেশ দ্বারের্ প্রতিটিতেউক্ত, সাততারকার এক একটি তারকার বিশাল
মুর্তি স্থাপিত ছিল ৷ এদের নামে তারা বিভিন্ন পর্ব ও উৎসব পালন করত ৷ হারানের,
অধিবাসীরাও নক্ষত্র ও মুর্তি পুজা করত ৷ মােটকথা, সে সময় ভু-পৃষ্ঠের উপর যত লোক ছিল
তাদের মধ্য থেকে শুধু ইবরাহীম খলীল (আ), তার ত্রী (সারা) ও ভাতিজা লুত (আ) ব্যতীত
সবাই ছিল কাফির ৷ আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহীম (আ)-এর দ্বারা সেসব দৃকুতি ও ভ্রাস্তি
ৰিদুরিত করেন ৷ কেননা, আল্লাহ র্তাকে বাল্যকাণেই সঠিক পথের সন্ধান দেন ৷ রাসুল হওয়ার

ৰুর্গীরব দান করেন এবং বৃদ্ধ বয়সে খলীল বা বন্ধুরুপে গ্রহণ করেন


আমি তো ইতিপুর্বে ইবরাহীমকে সং পথের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্বন্ধে ছিলাম
সম্যক পরিজ্ঞাত ৷ (সুরা আম্বিয়াং ৫১) অর্থাৎ তিনি এর যোগ্য ছিলেন ৷

আল্লাহরবাণী৪

;,







)
;

(






وَسَبْعِينَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَنَاحُورُ، وَهَارَانُ، وَوُلِدَ لِهَارَانَ لُوطٌ. وَعِنْدَهُمْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الْأَوْسَطُ، وَأَنَّ هَارَانَ مَاتَ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ فِي أَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا، وَهِيَ أَرْضُ الْكَلْدَانِيِّينَ يَعْنُونَ أَرْضَ بَابِلَ. وَهَذَا هُوَ الصَّحِيحُ الْمَشْهُورُ عِنْدَ أَهْلِ السِّيَرِ وَالتَّوَارِيخِ وَالْأَخْبَارِ، وَصَحَّحَ ذَلِكَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ بَعْدَمَا رَوَى مِنْ طَرِيقِ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وُلِدَ إِبْرَاهِيمُ بِغُوطَةِ دِمَشْقَ فِي قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: بَرْزَةُ فِي جَبَلٍ يُقَالُ لَهُ: قَاسِيُونَ. ثُمَّ قَالَ: وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ وُلِدَ بِبَابِلَ، وَإِنَّمَا نُسِبَ إِلَيْهِ هَذَا الْمَقَامُ؛ لِأَنَّهُ صَلَّى فِيهِ إِذْ جَاءَ مُعِينًا لِلُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالُوا: فَتَزَوَّجَ إِبْرَاهِيمُ سَارَةَ، وَنَاحُورُ مَلْكَا ابْنَةَ هَارَانَ، يَعْنُونَ بِابْنَةِ أَخِيهِ. قَالُوا: وَكَانَتْ سَارَةُ عَاقِرًا لَا تَلِدُ. قَالُوا: وَانْطَلَقَ تَارَخُ بِابْنِهِ إِبْرَاهِيمَ، وَامْرَأَتِهِ سَارَةَ، وَابْنِ أَخِيهِ لُوطِ بْنِ هَارَانَ، فَخَرَجَ بِهِمْ مِنْ أَرْضِ الْكَلْدَانِيِّينَ إِلَى أَرْضِ الْكَنْعَانِيِّينَ، فَنَزَلُوا حَرَّانَ، فَمَاتَ فِيهَا تَارَخُ وَلَهُ مِائَتَانِ وَخَمْسُونَ سَنَةً. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يُولَدْ بِحَرَّانَ، وَإِنَّمَا مَوْلِدُهُ بِأَرْضِ الْكَلْدَانِيِّينَ، وَهِيَ أَرْضُ بَابِلَ وَمَا وَالَاهَا. ثُمَّ ارْتَحَلُوا قَاصِدِينَ أَرْضَ الْكَنْعَانِيِّينَ، وَهِيَ بِلَادُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَأَقَامُوا بِحَرَّانَ، وَهِيَ أَرْضُ الْكَشْدَانِيِّينَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَكَذَلِكَ أَرْضُ الْجَزِيرَةِ وَالشَّامِ أَيْضًا، وَكَانُوا يَعْبُدُونَ الْكَوَاكِبَ السَّبْعَةَ، وَالَّذِينَ عَمَّرُوا مَدِينَةَ دِمَشْقَ كَانُوا عَلَى هَذَا الدِّينِ يَسْتَقْبِلُونَ الْقُطْبَ الشَّمَالِيَّ، وَيَعْبُدُونَ الْكَوَاكِبَ السَّبْعَةَ بِأَنْوَاعٍ مِنَ الْفَعَالِ وَالْمَقَالِ؛ وَلِهَذَا كَانَ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ دِمَشْقَ السَّبْعَةِ
পৃষ্ঠা - ৩২৪


fifi’



ৰুর্দু;পু ব্র:াব্লু ;,এে“াগ্লুহুর্বৃ,রুভু;৷ ৷ ণ্;£;প্;র্ন্ত ৷ৰু^া;;, বু,র্দু^,ব্লু;১গ্লু দ্বুএে৷ fl ৷ধু^ব্লু;গ্লু


স্মরং৷ কর ইব্রাহীমের কথা, যে তার সম্প্রদায়কে ব্যলছিল, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর
এবং তাকে ভয় কর; তোমাদের জন্যে এটাই গ্রেয়, যদি তোমরা জানতে ৷ তোমরা তো আল্লাহ
ব্যতীত কেবল মুর্তি পুজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ; তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের পুজা
কর তারা তোমাদের র্জীবনােপকরণের মালিক নয় ৷ সুতরাং তোমরা জীবনােপকরণ কামনা কর
আল্লাহর নিকট“ এবং তারই ইবাদত কর ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর ৷ তোমরা তারই
নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে ৷ তোমরা যদি আমাকে মিথ্যাবাদী প্ৰতিপন্ন কর তবে জেনে রেখ,
তোমাদের পুর্ববর্তীগণও নবীগণকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেছিল ৷ বন্তুত সুস্পক্টভাৰে প্রচার করে
দেয়া ব্যতীত রাসুলের আর কোন দায়িত্ব নেই ৷ ওরা কি লক্ষ্য করে না, কিভাবে আল্লাহ সৃষ্টিকে
অস্তিত্ব দান করেন, তারপর তা পুনরায় সৃষ্টি করেন ? এটা তো আল্লাহর জন্যে সহজ ৷

বল, পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং অনুধাবন কর, কিভাবে তিনি সৃষ্টি আরম্ভ করেছেন ? তারপর
আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি ৷ আল্লাহ তো সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷ তিনি যাকে ইচ্ছা
শাস্তি দেন এবং যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন ৷ তোমরা তারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে ৷
তোমরা আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবে না পৃথিবীতে অথবা আকাশে এবং আল্লাহ ব্যতীত
তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, সাহাযকোরীও নেই ৷ যারা আল্লাহর নিদর্শন ও তার সাক্ষাৎ
অস্বীকার করে, তারাই আমার অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়, তাদের জন্যে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি ৷

উত্তরে ইবরাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলল, তাকে হত্যা কর অথবা আগুনে পুড়িয়ে দাও ৷
কিন্তু আল্লাহ তাকে অগ্নি থেকে রক্ষা করলেন ৷ এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের ’
জন্য ৷ ইব্রাহীম বলল, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে মুর্তিগুলোকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করছ; পার্থিব
জীবনে তোমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বের খাতিরে ৷ পরে কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে
অস্বীকার করবে এবং পরস্পরকে অতিসম্পাত দিবে ৷ তোমাদের আবাস হবে জাহড়ান্নড়াম এবং
তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না ৷ লুত তার প্ৰতি বিশ্বাস স্থাপন করল ৷ ইব্রাহীম বলল,
আমি আমার প্ৰতিপালকের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ কংছি ৷ তিনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷
আমি ইবরাহীমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের জন্যে স্থির করলাম
নবুওত ও কিতাব এবং আমি তাকে দুনিয়ার পুরস্কৃত করেছিলাম; আখিরাতেও সে নিশ্চয়
সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম হবে ৷ (সুরা আনকাবুত : ১৬-২৭)

তারপর আল্লাহ ইব্রাহীম (আ)-এর সাথে তার পিতার এবং সম্প্রদায়ের সোকদেরন্বিতবেরি
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ পরে আমরা ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ৷ হযরত
ইব্রাহীম (আ) সর্ব প্রথম আপন পিতাকে ঈমানের দাওয়াত দেন ৷ তার পিতা ছিল মুর্তিপুজাৰী ৷
কাজেই কল্যাণের দিকে আহ্বান পাওয়ার অধিকার তারই সবচাইতে বেশি ৷ আল্লাহ বলেন :


الْقَدِيمَةِ هَيْكَلٌ لِكَوْكَبٍ مِنْهَا، وَيَعْمَلُونَ لَهَا أَعْيَادًا وَقَرَابِينَ. وَهَكَذَا كَانَ أَهْلُ حَرَّانَ يَعْبُدُونَ الْكَوَاكِبَ وَالْأَصْنَامَ، وَكُلُّ مَنْ كَانَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ كَانُوا كُفَّارًا سِوَى إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، وَامْرَأَتِهِ، وَابْنِ أَخِيهِ لُوطٍ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. وَكَانَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الَّذِي أَزَالَ اللَّهُ بِهِ تِلْكَ الشُّرُورَ، وَأَبْطَلَ بِهِ ذَاكَ الضَّلَالَ. فَإِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى آتَاهُ رُشْدَهُ فِي صِغَرِهِ، وَابْتَعَثَهُ رَسُولًا، وَاتَّخَذَهُ خَلِيلًا فِي كِبَرِهِ. قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ آتَيْنَا إِبْرَاهِيمَ رُشْدَهُ مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا بِهِ عَالِمِينَ} [الأنبياء: 51] . أَيْ كَانَ أَهْلًا لِذَلِكَ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِبْرَاهِيمَ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاتَّقُوهُ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ - إِنَّمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا وَتَخْلُقُونَ إِفْكًا إِنَّ الَّذِينَ تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ لَكُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوا عِنْدَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ - وَإِنْ تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِنْ قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ - أَوَ لَمْ يَرَوْا كَيْفَ يُبْدِئُ اللَّهُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ - قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانْظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنْشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ - يُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَيَرْحَمُ مَنْ يَشَاءُ وَإِلَيْهِ تُقْلَبُونَ - وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَمَا لَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيرٍ - وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ اللَّهِ وَلِقَائِهِ أُولَئِكَ يَئِسُوا مِنْ رَحْمَتِي وَأُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ - فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا اقْتُلُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ فَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ - وَقَالَ إِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا مَوَدَّةَ بَيْنِكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ثُمَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُ بَعْضُكُمْ بِبَعْضٍ وَيَلْعَنُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا وَمَأْوَاكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِنْ نَاصِرِينَ - فَآمَنَ لَهُ لُوطٌ وَقَالَ إِنِّي مُهَاجِرٌ إِلَى رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ - وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ وَآتَيْنَاهُ أَجْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} [العنكبوت: 16 - 27] [الْعَنْكَبُوتِ: 16 - 27]
পৃষ্ঠা - ৩২৫


ন্া

স্মরণ কর, এই কিভাবে উল্লিখিত ইবরাহীমের কথা; যে ছিল সত্যনিষ্ঠ নবী ৷ যখন সে তার
পিতাকে বলল, হে পিতা ! তুমি কেন তার ইবাদত কর যে শুনে না, দেখে না এবং তোমার
কোন কাণ্ডেইি আসে না ? হে আমার পিতা ! আমার নিকট তো এসেছে জ্ঞান, যা তোমার নিকট
আসেনি; সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখার ৷ হে আমার পিতা !
শয়তানের ইবাদত কর না ৷ শয়তান তো দয়াময়ের অবাধ্য ৷ হে আমার পিতা ! আমি আশংকা
করছি, তোমাকে দয়াময়ের শাস্তি স্পর্শ করবে এবং তুমি শয়তানের বন্ধু হয়ে পড়বে ৷

পিতা বলল, হে ইবরাহীম ! তুমি কি আমার দেব-দেবী হতে বিমুখঃ যদি তুমি নিবৃত্ত না হও
তবে আমি পাথরের আঘাতে তোমার প্রাণনাশ করবই ৷ তুমি চিরদিনের জন্যে আমার নিকট
হতে দুর হয়ে যাও ৷’ ইব্রাহীম বলল, তোমার প্রতি সালাম ৷ আমি আমার প্রতিপালকের নিকট
তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করব, তিনি আমার প্ৰতি অতিশয় অনুযহশীল ৷ আমি তোমাদের
হতে ও তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ইবাদত কর তাদের হতে পৃথক হচ্ছি ৷ আমি আমার
প্রতিপালককে আহ্বান করি, আশা করি আমার প্রতিপালককে আহ্বান করে আমি ব্যকৈন্বম হব
না ৷ (সুরা মারয়াম : ৪ ১-৪৮)

এখানে আল্লাহ ইবরাহীম (আ) ও তার পিতার মধ্যে যে কথোপকথন ও বিতর্ক হয়েছিল তা
উল্লেখ করেছেন ৷ সত্যের দিকে পিতাকে যে কোমল ভাষায় ও উত্তম তংপিতে আহ্বান করেছেন
তা এখানে সুন্দরতাবে ব্যক্ত হয়েছে ৷ তিনি পিতার মুর্তি পুজার অসারতা তুলে ধরেছেন এভাবে
যে, এগুলো তাদের উপাসনাকারীদের ডাক শুনতে পায় না, তাদের অবস্থানও দেখতে পায় না;
তা হলে কিভাবে এরা উপাসকদের উপকার করবে? কিভাবে তাদের খাদ্য ও সাহায্য দান করে
তাদের কল্যাণ করবে ? তারপর আল্লাহ তাকে যে হিদায়াত ও উপকারী জ্ঞান দান করছেন তার
ভিত্তিতে পিতাকে সতর্ক করে দেন , যদিও বয়সে তিনি পিতার চেয়ে ছোট ৷

ার্চুা
;


ثُمَّ ذَكَرَ تَعَالَى مُنَاظَرَتَهُ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَكَانَ أَوَّلُ دَعْوَتِهِ لِأَبِيهِ، وَكَانَ أَبُوهُ مِمَّنْ يَعْبُدُ الْأَصْنَامَ؛ لِأَنَّهُ أَحَقُّ النَّاسِ بِإِخْلَاصِ النَّصِيحَةِ لَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَبِيًّا} [مريم: 41] إِذْ {قَالَ لِأَبِيهِ يَا أَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يُغْنِي عَنْكَ شَيْئًا - يَا أَبَتِ إِنِّي قَدْ جَاءَنِي مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ يَأْتِكَ فَاتَّبِعْنِي أَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا - يَا أَبَتِ لَا تَعْبُدِ الشَّيْطَانَ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلرَّحْمَنِ عَصِيًّا - يَا أَبَتِ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَمَسَّكَ عَذَابٌ مِنَ الرَّحْمَنِ فَتَكُونَ لِلشَّيْطَانِ وَلِيًّا - قَالَ أَرَاغِبٌ أَنْتَ عَنْ آلِهَتِي يَا إِبْرَاهِيمُ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ لَأَرْجُمَنَّكَ وَاهْجُرْنِي مَلِيًّا - قَالَ سَلَامٌ عَلَيْكَ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيًّا - وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَأَدْعُو رَبِّي عَسَى أَلَّا أَكُونَ بِدُعَاءِ رَبِّي شَقِيًّا} [مريم: 42 - 48] [مَرْيَمَ: 41 - 48] . يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِيهِ مِنَ الْمُحَاوَرَةِ وَالْمُجَادَلَةِ، وَكَيْفَ دَعَا أَبَاهُ إِلَى الْحَقِّ بِأَلْطَفِ عِبَارَةٍ وَأَحْسَنِ إِشَارَةٍ، بَيَّنَ لَهُ بُطْلَانَ مَا هُوَ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ الَّتِي لَا تَسْمَعُ دُعَاءَ عَابِدِهَا وَلَا تُبْصِرُ مَكَانَهُ، كَيْفَ تُغْنِي عَنْهُ شَيْئًا أَوْ تَفْعَلُ بِهِ خَيْرًا مِنْ رِزْقٍ أَوْ نَصْرٍ؟
পৃষ্ঠা - ৩২৬


হে আমার পিতা! আমার কাছে জ্ঞান এসেছে যা তোমার নিকট আসেনি; সুতরাং আমার
অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখার ৷ অর্থাৎ এমন পথ যা অতি সুদৃঢ় , সহজ ও
সরল ৷ যে পথ অবলম্বন করলে দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাবে ৷
ইবরাহীম (আ) যখন পিতার নিকট এই সভা পথ ও উপদেশ পেশ করলেন, তখন পিতা তা

গ্রহণ করল না, বরং উল্টে৷ তাকে ধমকাল ও ভয় দেখাল ৷ সে বলল০


(হে ইব্রাহীম! তুমি কি আমার (সব দেবী থেকে বিমুখ? যদি তুমি নিবৃত্ত না হও, তবে
আমি পাথরের আঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করবােই’ ৷ কেউ কেউ বলেন, মৌখিকভাবে আবার

কেউ কেউ বলেন, বাস্তবেই পাথর মারব ৷ র্দু পুার্শ্ব র্দেট্রুর্বৃহু ৷ , (চিরতরের জন্যে দুর হয়ে যাও)
অর্থাৎ আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দীর্ঘকালের জন্যে চলে যাও ৷ ইবরাহীম (আ) তখন
বলেছিলেন০ এহুা ণ্১া (তোমার প্রতি সালাম) অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকে কোন রকম
কষ্টদায়ক ব্যবহার তুমি পাবে না ৷ আমার তৰুফ্র থেকে ভুমি সম্পুর্ণ নিরাপদ ৷ ইবরাহীম


অতিরিক্ত আরও বললেন, (আমি আমার

প্রতিপ৷ ৷লকের নিকট তােমা ৷র জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব ৷ তিনি আমার প্রতি অতিশয় অনুযহশীল)া
ইবন আব্বাস (রা) প্রমুখ বলেছেন ছুব্লু অর্থ হু^০া০৷ অর্থাৎ দয়ালু ৷ কেননা তিনি আমাকে
সত্য পথের সন্ধাদ্বু দিয়েছেন ৷ একনিষ্ঠভ৷ ৷বে তার ইবাদত করার তওফীক দিয়েছেন ৷ একারণেই
তিনি বললেনং ১৷ ৷ ’
“ এো;?স্পে এধ্রু ঠেএ ষ্এএএ :এ স্টা এল্হ্লাষ্ট্র এ
ার্টুষ্কৃট্রুসৃ ’$ ; ৷ব্লু ৰু গু :,§$ ৷ (আমি তােমাদেরকে পরিত্যাগ করছি এবং আল্লাহ ব্যতীত যাদের
তোমরা পুজা করছ তাদেরও পরিত্যাগ করছি ৷ আমি কেবল আমার পালনকর্তা গ্লুাকই আহ্বান
করি ৷ আশা করি, আমার প্রতিপালককে আহ্বান করে আমি ব্যর্থকাম হব না ৷ এই ওয়াদা
অনুযায়ী ইবরাহীম পিতার জন্যে সর্বদা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন ষ্৷ পরে যখন জানলেন যে,
তার পিতা আল্লাহর দুশমন; তখন তিনি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন ৷ যেমন আল্লাহ্

বলেনঃ

?
(এ:শ্ন্এে


র্ন্ত
ছুর্দু১ঝু;ৰুর্দু১র্দু র্দুা
ইব্রাহীম তার পিতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে;
অতঃপর যখন এটা তার নিকট সুস্পষ্ট হল যে, সে আল্লাহর শত্রু, তখন ইবরাহীমতার সম্পর্ক
ছিন্ন করল ৷ ইবরাহীম তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল ৷ (সুরা তাওব্াং : ১১৪)
ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন ইবরাহীম (আ)-এর সাথে তীর পিতা আযরের সাক্ষাৎ হবে ৷ আযরের চেহারা
মলিন ও কালিমালিপ্ত দেখে ইবরাহীম (আ) বলবেন, আমি কি আপনাকে দুনিয়ার বলিনি যে,
আমার অব্ড়াধ্য হবেন না ? পিতা বলবে, আজ আর আমি তোমার অবাধ্য হব না ৷’ তখন
ইবরাহীম (আ) বলবেন, হে আমার প্রতিপালক৷ আপনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে,
পুনরুথান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না ৷ কিন্তু আমার পিতা যেখানে আপনার দয়া ও

ব্লু


ثُمَّ قَالَ مُنَبِّهًا عَلَى مَا أَعْطَاهُ اللَّهُ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ النَّافِعِ، وَإِنْ كَانَ أَصْغَرَ سِنًّا مِنْ أَبِيهِ {يَا أَبَتِ إِنِّي قَدْ جَاءَنِي مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ يَأْتِكَ فَاتَّبِعْنِي أَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا} [مريم: 43] . أَيْ مُسْتَقِيمًا وَاضِحًا سَهْلًا حَنِيفًا، يُفْضِي بِكَ إِلَى الْخَيْرِ فِي دُنْيَاكَ وَأُخْرَاكَ، فَلَمَّا عَرَضَ هَذَا الرُّشْدَ عَلَيْهِ، وَأَهْدَى هَذِهِ النَّصِيحَةَ إِلَيْهِ لَمْ يَقْبَلْهَا مِنْهُ، وَلَا أَخَذَهَا عَنْهُ بَلْ تَهَدَّدَهُ وَتَوَعَّدَهُ {قَالَ أَرَاغِبٌ أَنْتَ عَنْ آلِهَتِي يَا إِبْرَاهِيمُ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ لَأَرْجُمَنَّكَ} [مريم: 46] . قِيلَ: بِالْمَقَالِ. وَقِيلَ: بِالْفَعَالِ {وَاهْجُرْنِي مَلِيًّا} [مريم: 46] أَيْ وَاقْطَعْنِي وَأَطِلْ هِجْرَانِي فَعِنْدَهَا قَالَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: {سَلَامٌ عَلَيْكَ} [مريم: 47] أَيْ لَا يَصِلُكَ مِنِّي مَكْرُوهٌ، وَلَا يَنَالُكَ مِنِّي أَذًى، بَلْ أَنْتَ سَالِمٌ مِنْ نَاحِيَتِي، وَزَادَهُ خَيْرًا فَقَالَ: {سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيًّا} [مريم: 47] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرُهُ: أَيْ لَطِيفًا. يَعْنِي فِي أَنْ هَدَانِي لِعِبَادَتِهِ وَالْإِخْلَاصِ لَهُ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَأَدْعُو رَبِّي عَسَى أَلَّا أَكُونَ بِدُعَاءِ رَبِّي شَقِيًّا} [مريم: 48] . وَقَدِ اسْتَغْفَرَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا وَعَدَهُ فِي أَدْعِيَتِهِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ} [التوبة: 114] . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَخِي عَبْدُ الْحَمِيدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَلْقَى إِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ آزَرَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَعَلَى وَجْهِ آزَرَ قَتَرَةٌ وَغَبَرَةٌ. فَيَقُولُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ لَا تَعْصِنِي. فَيَقُولُ لَهُ أَبُوهُ: فَالْيَوْمَ
পৃষ্ঠা - ৩২৭


ক্ষমা থেকে দুরে থাকছে, সেখানে এর চেয়ে অধিক লাঞ্চুনা আর কি হতে পারাে আল্লাহ
বলবেন, আমি কাফিরদের উপর জান্নাত হারামগু করে দিয়েছি ৷ তারপর বলা হবে : হে
ইব্রাহীম! তোমার পায়ের নিচে কি? নিচের দিকে তাকিয়ে তিনি দেখবেন, একটি জবাইকৃত

পশু রক্তাপুত অবস্থায় পড়ে আছে ৷ তারপর পশুটির পাগুলি ধরে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা
হবো

ইমাম বুখারী (র) কিতাবুত তাফসীরে’ ভিন্ন সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম
নাসাঈও এ হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম ৰায্যার (র) এটা আবু হুরায়রা (রা) ও আবু সাঈদ
(রা) থেকে বর্ণনা করছেন এসব বর্ণনায় ইব্রাহীম (আ)-এর পিতা আযর বলে বর্ণিত
হয়েছে ৷ আল্লাহ বলেন :

এেচী র্টুএ


স্মরণ কর, ইব্রাহীম তার পিতা আযরকে ব্লেছিল, আপনি কি মুর্তিকে ইলাহরুপে গ্রহণ
করেন? আমি আপনাকে ও আপনার সম্প্রদায়কে স্পষ্ট ভ্রাস্তিত্বে দেখছি ৷ (সুরা আনআম : ৭৪)

কুরআনের উক্ত আয়াত ও বর্ণিত হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইব্রাহীম (আ)-এর
পিতার নাম আযর ৷ কিন্তু অধিকাংশ বংশবিদদের মতে,-যাদের মধ্যে ইবন আব্বাস (রা) ও
আছেন, ইব্রাহীম (আ)-এর পিতার নাম তারাখ ৷ আহন্সি কিতড়াবদের মতে, তারাখ একটি
মুর্তির নাম ৷ ইব্রাহীম (আ)-এর পিতা এর পুজা করত এবং এরই নামানুসারে তাকে তারাখ
উপাধি দেয়া হয় ৷ কিন্তু প্রকৃত নাম আযর ৷ ইবন জারীর লিখেছেন : সঠিক কথা এই যে, আযর
তার প্রকৃত নাম; অথবা আযর ও তারাখ দুটোই তার আসল নাম; কিৎবা যে কোন একটা
উপাধি এবং অপরটা নাম ৷ ইবনে জারীরের এ বক্তব্যটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
আল্লাহই অধিকতর ধ্জ্ঞাত ৷ আল্লাহর বাণী :



এট্টা


১া








لَا أَعْصِيكَ. فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ: يَا رَبِّ إِنَّكَ وَعَدْتَنِي أَنْ لَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، وَأَيُّ خِزْيٍ أَخْزَى مِنْ أَبِي الْأَبْعَدِ. فَيَقُولُ اللَّهُ: إِنِّي حَرَّمْتُ الْجَنَّةَ عَلَى الْكَافِرِينَ، ثُمَّ يُقَالُ: يَا إِبْرَاهِيمُ مَا تَحْتَ رِجْلَيْكَ، فَيَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ بِذِيخٍ مُتَلَطِّخٍ فَيُؤْخَذُ بِقَوَائِمِهِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ» . هَكَذَا رَوَاهُ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ مُنْفَرِدًا. وَقَالَ فِي التَّفْسِيرِ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَفِي سِيَاقِهِ غَرَابَةٌ. وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَبْدِ الْغَافِرِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِأَبِيهِ آزَرَ أَتَتَّخِذُ أَصْنَامًا آلِهَةً إِنِّي أَرَاكَ وَقَوْمَكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ} [الأنعام: 74] . هَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ اسْمَ أَبِي إِبْرَاهِيمَ آزَرُ. وَجُمْهُورُ أَهْلِ النَّسَبِ مِنْهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ عَلَى أَنَّ اسْمَ أَبِيهِ تَارَحُ. وَأَهْلُ الْكِتَابِ يَقُولُونَ: تَارَخُ بِالْخَاءِ الْمُعْجَمَةِ. فَقِيلَ: إِنَّهُ لُقِّبَ بِصَنَمٍ كَانَ يَعْبُدُهُ اسْمُهُ آزَرُ.
পৃষ্ঠা - ৩২৮




র্বৃ,৷ ,)া

এভাবে ইবরাহীমকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালন ব্যবস্থা ৷দেখইি, আর যাতে সে
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয় ৷ তারপর রাত্রির অন্ধকার যখন তাকে আচ্ছন্ন করল, তখন সে
নক্ষত্র দেখে বলল, এই তো আমার প্রতিপালক, এরপর যখন উহা অস্তমিত হল তখন সে
বলল, যা অস্তমিত হয় তা আমি পছন্দ করি না ৷ ’ তারপর যখন সে চন্দ্রকে সমুজ্জ্বলরুপে উদিত
হতে দেখল, তখন সে বলল, এই তো আমার প্রতিপালক,’ যখন এটাও অস্তমিত হল তখন সে
বলল, আমাকে আমার প্রতিপালক সৎপথ প্রদর্শন না করলে আমি অবশ্যই পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত
হব ৷ ’ তারপর যখন সে সুর্যকে দীপ্তিমানরুপে উদিত হতে দেখল তখন সে বলল, এটাই আমার
প্রতিপালক এটিই সর্ববৃহৎ, যখন এটাও অস্তমিত হল তখন সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় !
তোমরা যাকে আল্লাহর শরীক কর তার সাথে আমার কোন সংশ্রব নেই ৷ আমি একনিষ্ঠভাবে
তার দিকে মুখ ফিরাচ্ছি যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশ্ারিকদের
ত্ন্তের্তুক্ত নই ৷

তার সম্প্রদায় তার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হল ৷ সে বলল, তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে আমার
সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবো তিনি তাে আমাকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন ৷ আমার প্রতিপ৷ ৷লক
অন্যরুপ ইচ্ছা না করলে তোমরা যাবে তার শরীক কর তাকে আমি ভয় করি না, সব কিছুই
আমার প্রতিপালকের জ্ঞানায়ত্ত ৷ তবে কি তোমরা অবধান করবে না ? তোমরা যাকে আল্লাহর
শরীক কর আমি তাকে কিরুপে ভয় করব? অথচ তোমরা আল্লাহর শরীক করতে ভয় ণ্কর না
যে বিষয়ে তিনি তােমাদেরকে কোন সনদ দেননি; সুতরাং যদি তোমরা জান তবে বল , দৃদলের
মধ্যে কোন দল নিরাপত্তা লাভের অধিকারী ৷ যারা ঈমান এসেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম
দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদের জন্যে, তারাই সৎপথ প্রাপ্ত ৷ এবং এই হচ্ছে আমার
যুক্তি-প্রমাণ যা ইবরাহীমকে দিয়েছিলাম তার সম্প্রদায়ের মুক৷ ৷বিলায়; যাকে ইচ্ছা মর্যা ৷দায় আ ৷মি
উন্নীত করি; তোমার প্রতিপালক প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানী ৷ (সুরা আনআম : ৭৫-৮৩)

এখানে ইব্রাহীম (আ) ও তার সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্ট বিতর্কের কথা বলা হয়েছে ৷ তিনি
যুক্তি দেখিয়েছেন যে, এসব উজ্জাপ্ নক্ষ্যঘ্র মুলত জড় পদার্থ যা কখনো উপাসা হতে পারে না ৷
আর আল্লাহর সাথে শরীক করে এগুলোর পুজাও করা যেতে পারে না ৷ কেননা, এটা সৃষ্ট,
প্রতিপালিত ও ন্নিয়গ্রিত ৷ এরা উদিত হয় ও অস্ত যায় এবং অদৃশ্যও হয়ে যায় ৷ পক্ষান্তরে, মহান
প্রতিপালর্ক আল্লাহ, যার থেকে কোন কিছুই অদৃশ্য হতে পারে না ৷ কিছুই তার দৃষ্টি থেকে
গোপন থাকতে পারে না ৷ বরং তিনি সর্বদা, সর্বত্র বিদ্যমান ৷ তার কোন ক্ষয় ও পতন নেই ৷
তিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনি ব্যতীত অন্য কোন প্ৰতিপালক নেই ৷ এভাবে
ইব্রাহীম (আ) সর্বপ্রথম নক্ষত্রের ইলাহ্ হওয়ার অযােগ্যত৷ বর্ণনা করেন ৷ কারো কারো মতে,
এখানে নক্ষত্র বলতে যোহরা সেতারা তথা শুক্র গ্রহকে বুঝানো হয়েছে-যা অন্য সকল
নক্ষত্রের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল হয় ৷ এ কারভ্রুংইি পরবর্তীতে তিনি আরও অগ্রসর হয়ে চদ্রের


وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَالصَّوَابُ أَنَّ اسْمَهُ آزَرُ، وَلَعَلَّ لَهُ اسْمَانِ عَلَمَانِ أَوْ أَحَدُهُمَا لَقَبٌ، وَالْآخَرُ عَلَمٌ، وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ مُحْتَمَلٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ فَلَمَّا جَنَّ عَلَيْهِ اللَّيْلُ رَأَى كَوْكَبًا قَالَ هَذَا رَبِّي فَلَمَّا أَفَلَ قَالَ لَا أُحِبُّ الْآفِلِينَ فَلَمَّا رَأَى الْقَمَرَ بَازِغًا قَالَ هَذَا رَبِّي فَلَمَّا أَفَلَ قَالَ لَئِنْ لَمْ يَهْدِنِي رَبِّي لَأَكُونَنَّ مِنَ الْقَوْمِ الضَّالِّينَ فَلَمَّا رَأَى الشَّمْسَ بَازِغَةً قَالَ هَذَا رَبِّي هَذَا أَكْبَرُ فَلَمَّا أَفَلَتْ قَالَ يَاقَوْمِ إِنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَحَاجَّهُ قَوْمُهُ قَالَ أَتُحَاجُّونِّي فِي اللَّهِ وَقَدْ هَدَانِي وَلَا أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبِّي شَيْئًا وَسِعَ رَبِّي كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ وَكَيْفَ أَخَافُ مَا أَشْرَكْتُمْ وَلَا تَخَافُونَ أَنَّكُمْ أَشْرَكْتُمْ بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا فَأَيُّ الْفَرِيقَيْنِ أَحَقُّ بِالْأَمْنِ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ وَتِلْكَ حُجَّتُنَا آتَيْنَاهَا إِبْرَاهِيمَ عَلَى قَوْمِهِ نَرْفَعُ دَرَجَاتٍ مَنْ نَشَاءُ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ} [الأنعام: 75] [الْأَنْعَامِ: 75 - 83] . وَهَذَا الْمَقَامُ مَقَامُ مُنَاظَرَةٍ لِقَوْمِهِ، وَبَيَانٌ لَهُمْ أَنَّ هَذِهِ الْأَجْرَامَ الْمُشَاهَدَةَ مِنَ الْكَوَاكِبِ النَّيِّرَةِ لَا تَصْلُحُ لِلْأُلُوهِيَّةِ، وَلَا أَنْ تُعْبَدَ مَعَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؛ لِأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ مَرْبُوبَةٌ مَصْنُوعَةٌ مُدَبَّرَةٌ مُسَخَّرَةٌ تَطْلُعُ تَارَةً وَتَأْفُلُ أُخْرَى، فَتَغِيبُ عَنْ هَذَا الْعَالَمِ، وَالرَّبُّ تَعَالَى لَا يَغِيبُ عَنْهُ شَيْءٌ. وَلَا تَخْفَى عَلَيْهِ خَافِيَةٌ
পৃষ্ঠা - ৩২৯
، بَلْ هُوَ الدَّائِمُ الْبَاقِي بِلَا زَوَالٍ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، وَلَا رَبَّ سِوَاهُ فَبَيَّنَ لَهُمْ أَوَّلًا عَدَمَ صَلَاحِيَةِ الْكَوْكَبِ - قِيلَ: هُوَ الزُّهَرَةُ - لِذَلِكَ تَرَقَّى مِنْهَا إِلَى الْقَمَرِ الَّذِي هُوَ أَضْوَأُ مِنْهَا وَأَبْهَى مِنْ حُسْنِهَا، ثُمَّ تَرَقَّى إِلَى الشَّمْسِ الَّتِي هِيَ أَشَدُّ الْأَجْرَامِ الْمُشَاهَدَةِ ضِيَاءً وَسَنَاءً وَبَهَاءً، فَبَيَّنَ أَنَّهَا مُسَخَّرَةٌ مُسَيَّرَةٌ مُقَدَّرَةٌ مَرْبُوبَةٌ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمِنْ آيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لَا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَهُنَّ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ} [فصلت: 37] . وَلِهَذَا قَالَ: {فَلَمَّا رَأَى الشَّمْسَ بَازِغَةً} [الأنعام: 78] . أَيْ طَالِعَةً {قَالَ هَذَا رَبِّي هَذَا أَكْبَرُ فَلَمَّا أَفَلَتْ قَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ - إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ - وَحَاجَّهُ قَوْمُهُ قَالَ أَتُحَاجُّونِّي فِي اللَّهِ وَقَدْ هَدَانِ وَلَا أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبِّي شَيْئًا} [الأنعام: 78 - 80] . أَيْ لَسْتُ أُبَالِي فِي هَذِهِ الْآلِهَةِ الَّتِي تَعْبُدُونَهَا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنَّهَا لَا تَنْفَعُ شَيْئًا وَلَا تَسْمَعُ وَلَا تَعْقِلُ، بَلْ هِيَ مَرْبُوبَةٌ مُسَخَّرَةٌ كَالْكَوَاكِبِ وَنَحْوِهَا، أَوْ مَصْنُوعَةٌ مَنْحُوتَةٌ مَنْجُورَةٌ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ مَوْعِظَتَهُ هَذِهِ فِي الْكَوَاكِبِ لِأَهْلِ حَرَّانَ فَإِنَّهُمْ كَانَ يَعْبُدُونَهَا، وَهَذَا يَرُدُّ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أَنَّهُ قَالَ هَذَا حِينَ خَرَجَ مِنَ السَّرَبِ لَمَّا كَانَ صَغِيرًا، كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى أَخْبَارٍ إِسْرَائِيلِيَّةٍ لَا يُوثَقُ بِهَا، وَلَا سِيَّمَا إِذَا خَالَفَتِ الْحَقَّ، وَأَمَّا أَهْلُ بَابِلَ فَكَانُوا يَعْبُدُونَ الْأَصْنَامَ، وَهُمُ الَّذِينَ نَاظَرَهُمْ فِي عِبَادَتِهَا، وَكَسَرَهَا عَلَيْهِمْ وَأَهَانَهَا وَبَيَّنَ بُطْلَانَهَا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَقَالَ إِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا مَوَدَّةَ بَيْنِكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ثُمَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُ بَعْضُكُمْ بِبَعْضٍ وَيَلْعَنُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا وَمَأْوَاكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِنْ نَاصِرِينَ} [العنكبوت: 25] .
পৃষ্ঠা - ৩৩০


উল্লেখ করেনষ্-ষ্যা নক্ষত্রের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল ও ঝলমলে ৷ এর পর আরও উপরের দিকে
লক্ষ্য করে সুর্যের উল্লেখ করেন, যার অবয়ব্ সর্ব বৃহৎ এবং যার উজ্জ্বলতা ও আলোক বিকিরণ
তীব্রতর ৷ এভাবে ইব্রাহীম (আ) স্পষ্টতাবে বুঝান্সেন যে, সুর্যও নিয়ত্রিত ও অধীনস্থু অন্যের

নির্দেশ পালনে বাধ্য ৷ আল্লাহর বাণী :

§,’ স্পো ৷,এ্যা স্পো ৷এ ষ্প্রু


স্পো

তার নিদর্শনসমুহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন ৷ তোমরা সুর্যকে সিজদা ৷করো না; চন্দ্রকেও

নয়, বরং সিজদা কর সেই আল্লাহঙ্গুকন্-যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা কেবল তার
ইবাদত কর ৷ (সুরা হা-মীম আস্সাজদাং ৩৭)

এ কারণেই আল্লাহ বলেছেন র্চু£) স্পে! ৷ $ এে (যখন সে সুর্যকে দীপ্তিমান
অর্থাৎ উদিত হতে দেখল ৷)

ঞা ছু;^প্রু-র্চ ণ্ৰুশু৷ ৰু;দ্বুন্দ্বুওধু ব্ৰার্দুপ্ ;া১৭ এে ৷ওও ^প্ও এে এএে
াও৷ শ্ ণ্; ওওহুশ্ংৰুন্
§$ ৰুহ্রাৰুর্মুগু ৰুর্দুৰুও ;এষ্ণ্ শু,-৩-শু-ঠোন্ এর্দ্রন্ ৰুশুট্রুও র্চুর্দুএ্যা ৰুগুংপ্রো ৰুই
ষ্
( ; হু ৰুট্রইএইএেই ;;, বু৷ ন্ন্ ট্রু,ট্রুহ্র,ছুর্দু ৷£ এে

আমার প্রতিপালক অন্যরুপ ইচ্ছা না করলে তোমরা থাকে তার শরীক কর তাকে আমি ভয়
করি না অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য যাদের ইবাদত তোমরা কর তাদের কোন পরোয়া আমি করি
না ৷ কেননা ওরা না পারে কোন উপকার করতে, না পারে কিছু শুনতে আর না পারে কিছু
অনুধাবন করতে ৷ বরং এরা হয় প্ৰতিপালিত ও নিয়শ্রিত যেমন নক্ষত্র ইত্যাদি ৷ না হয়
নিজেদেরই হাতের তৈরি ও থােদাইকৃত ৷

নক্ষত্র সম্পর্কে ইব্রাহীম (আ)-এর উপরোক্ত উপদেশ বাণী থেকে স্পষ্টত বোঝা যায় যে ,
এ সব কথা তিনি হারানের অধিবাসীদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন ৷ কেননা, তারা নক্ষত্রের পুজা
করত ৷ এর দ্বারা ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ যারা মনে করেন যে, ইব্রাহীম (আ) এ কথা তখন
বলেছিলেন; যখন তিনি ৰাল্যকালে গুহা থেকে বের হয়ে আসেন ৷ এতে তাদের অভিমত খণ্ডন
হয়ে যায় ৷ এই মত ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে নেয়া হয়েছে ৷ যার কোন নির্জাযােগ্যতা নেই ৷
বিশেষ করে যখন তা সঠিক বর্ণনার পরিপন্থী হয় ৷ অপরদিকে বড়াবেলবাসীরা ছিল মুর্তিপুজক ৷
ইব্রাহীম (আ) তাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হন ৷ মুর্তি ভাঙ্গেন, অপদস্ত করেন এবং সেগুলোর
অসারতা বর্ণনা করেন ৷


وَقَالَ فِي سُورَةِ الْأَنْبِيَاءِ: {وَلَقَدْ آتَيْنَا إِبْرَاهِيمَ رُشْدَهُ مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا بِهِ عَالِمِينَ إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنْتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ قَالَ لَقَدْ كُنْتُمْ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ قَالُوا أَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ أَمْ أَنْتَ مِنَ اللَّاعِبِينَ قَالَ بَلْ رَبُّكُمْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي فَطَرَهُنَّ وَأَنَا عَلَى ذَلِكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُمْ بَعْدَ أَنْ تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ فَجَعَلَهُمْ جُذَاذًا إِلَّا كَبِيرًا لَهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ قَالُوا مَنْ فَعَلَ هَذَا بِآلِهَتِنَا إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ قَالُوا سَمِعْنَا فَتًى يَذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ قَالُوا فَأْتُوا بِهِ عَلَى أَعْيُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ قَالُوا أَأَنْتَ فَعَلْتَ هَذَا بِآلِهَتِنَا يَاإِبْرَاهِيمُ قَالَ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا فَاسْأَلُوهُمْ إِنْ كَانُوا يَنْطِقُونَ فَرَجَعُوا إِلَى أَنْفُسِهِمْ فَقَالُوا إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ ثُمَّ نُكِسُوا عَلَى رُءُوسِهِمْ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَؤُلَاءِ يَنْطِقُونَ قَالَ أَفَتَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ أُفٍّ لَكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانْصُرُوا آلِهَتَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ قُلْنَا يَانَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ} [الأنبياء: 51] [الشُّعَرَاءِ: 69 - 83] .
পৃষ্ঠা - ৩৩১


আল্পাহ্তাআলা বলেনং : ন্টুন্
,’


ণ্ৰু এ

ইব্রাহীম বলল, তোমরা আল্পাহ্র পরিবর্তে মুর্তিদেরকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করহাে, পার্থিব
জীবনে তোমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বের খাতিরে; পরৈ কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরহুক্ল
তাম্বীকার করবে এবং পরস্পরকে অডিসম্পাত দিবে ৷ তোমাদের আবাস হবে জাহান্নাম এবং
তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না ৷ (সুরা আনকাবুত : ২৫)

ধু ঞাসুরা আন্বিয়ায় আল্লাহ তাআলা বলেন :




(

ণ্া







ৰু ছুক্ট্রণ্ ষ্






আমি তো এর পুর্বে ইবরাহীমকে সৎপখের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্বন্ধে ছিলাম

সম্যক পরিজ্ঞাত ৷ যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বলল, এই মুর্তিগুলাে কী, যাদের
পুজায় তোমরা রত রয়েছ? ওরা বলল, আমরা আম,দ্বুদের পিতৃ-পুরুষগণকে এগুলোর পুজা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪২ ——


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الصَّافَّاتِ: {وَإِنَّ مِنْ شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ إِذْ جَاءَ رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ فَمَا ظَنُّكُمْ بِرَبِّ الْعَالَمِينَ فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ فَرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ مَا لَكُمْ لَا تَنْطِقُونَ فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ} [الصافات: 83] [الصَّافَّاتِ: 83 - 98] . يُخْبِرُ اللَّهُ تَعَالَى عَنْ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّهُ أَنْكَرَ عَلَى قَوْمِهِ عِبَادَةَ الْأَوْثَانِ، وَحَقَّرَهَا عِنْدَهُمْ، وَصَغَّرَهَا، وَتَنَقَّصَهَا فَقَالَ: {مَا هَذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنْتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ} [الأنبياء: 52] . أَيْ مُعْتَكِفُونَ عِنْدَهَا وَخَاضِعُونَ لَهَا {قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ} [الأنبياء: 53] . مَا كَانَ حُجَّتَهُمْ إِلَّا صَنِيعُ الْآبَاءِ وَالْأَجْدَادِ، وَمَا كَانُوا عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ الْأَنْدَادِ {قَالَ لَقَدْ كُنْتُمْ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ} [الأنبياء: 54] . كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ فَمَا ظَنُّكُمْ بِرَبِّ الْعَالَمِينَ} [الصافات: 85] . قَالَ قَتَادَةُ: فَمَا ظَنُّكُمْ بِهِ أَنَّهُ فَاعِلٌ بِكُمْ إِذَا لَقِيتُمُوهُ وَقَدْ عَبَدْتُمْ غَيْرَهُ. وَقَالَ لَهُمْ: {هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ أَوْ يَنْفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ قَالُوا بَلْ وَجَدْنَا آبَاءَنَا كَذَلِكَ يَفْعَلُونَ} [الشعراء: 72] . سَلَّمُوا
পৃষ্ঠা - ৩৩২


করতে দেখেছি ৷ সে বলল, তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পিতৃ-পুরুষগণও রয়েছে স্পষ্ট
বিভ্রাস্তিতে ৷ ওরা বলল, তুমি কি আমাদের নিকট সত্য এনেছ, নাকি তুমি কৌতুক করছ? সে
বলল, না তোমাদের প্রতিপালক তো আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক, যিনি ওদের সৃষ্টি
করেছেন এবং এ বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী ৷

শপথ আল্লাহর, তোমরা চলে গেলে আমি তোমাদের মুর্তিগুলো সম্বন্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা
অবলম্বন করব ৷ ’ তারপর সে চুর্ণৰুবিচুর্ণ করে দিল ওদের প্রধানটি ব্যতীত; যাতে তারা ওর দিকে
ফিরে আসে ৷ তারা বলল, আমাদের উপাস্যদের প্রতি এরুপ করল কে? সে নিশ্চয়ই
সীমা লংঘনকারী ৷ কেউ কেউ বলল, এক যুবককে ওদের সমালোচনা করতে ৩শুনেছি; তাকে বলা
হয় ইব্রাহীম ৷ ওরা বলল,ত তাকে উপস্থিত কর লোকজনের সম্মুখে, যাতে তারা সাক্ষ্য দিতে
পারে ৷ তারা বলল, হে ইব্রাহীম! তৃমিই কি আমাদের উপাস্যদের প্রতি এরুপ করেছ? সে
বলল, সে-ই তাে এটা করেছে, এই তাে এগুলোর প্রধান ৷ এ গুলোকে জিজ্ঞেস কর ৷ যদি
এগুলো কথা বলতে পারে ৷ তখন ওরা মনে মনে চিন্তা করে দেখল এবং একে অপরকে বলতে
লাগল, তােমরাই তো সীমালস্মনকাবী ?

অতপর ওদের মস্তক অবনত হয়ে গেল এবং ওরা বলল, তুমি তে ৷ জানই যে, এরা কথা
বলে না ৷ ইব্রাহীম বলল, তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত কর যা
তোমাদের কোন উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না? ধিক্ তােমাদেরকে এবং
আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদেরকে ৷ তবে কি তোমরা বুঝবে না ? ওরা
বলল, একে পুড়িয়ে দাও, সাহায্য কর তোমাদের দেবতাগুলোকে, তোমরা যদি কিছু
করতে চাও ৷ আমি বললাম, হে আগুন তুমি ইবরাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ৷
ওরা তার ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করেছিল ৷ কিন্তু আমি তাদেরকে করে দিলাম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৷
(সুরা আন্বিয়৷ : ৫১ ৭০)

সুরা শুআ ৷রায় আল্লাহর বাণী :
’ ’”






স্পোা
এ এ
৷ ৷

>

ওদের নিকট ইবরাহীমের বৃত্তান্ত বর্ণনা কর ৷ সে যখন তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে
বলেছিল, তোমরা কিসের ইবাদত কর ? ওরা বলল, আমরা প্রতিমার পুজা করি এবং আমরা


لَهُ أَنَّهَا لَا تَسْمَعُ دَاعِيًا وَلَا تَنْفَعُ وَلَا تَضُرُّ شَيْئًا، وَإِنَّمَا الْحَامِلُ لَهُمْ عَلَى عِبَادَتِهَا الِاقْتِدَاءُ بِأَسْلَافِهِمْ، وَمَنْ هُوَ مِثْلُهُمْ فِي الضَّلَالِ مِنَ الْآبَاءِ الْجُهَّالِ؛ وَلِهَذَا قَالَ لَهُمْ: {أَفَرَأَيْتُمْ مَا كُنْتُمْ تَعْبُدُونَ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمُ الْأَقْدَمُونَ فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِي إِلَّا رَبَّ الْعَالَمِينَ} [الشعراء: 75] . وَهَذَا بُرْهَانٌ قَاطِعٌ عَلَى بُطْلَانِ إِلَهِيَّةِ مَا ادَّعَوْهُ مِنَ الْأَصْنَامِ؛ لِأَنَّهُ تَبَرَّأَ مِنْهَا وَتَنَقَّصَ بِهَا، فَلَوْ كَانَتْ تَضُرُّ لَضَرَّتْهُ أَوْ تُؤَثِّرُ لَأَثَّرَتْ فِيهِ {قَالُوا أَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ أَمْ أَنْتَ مِنَ اللَّاعِبِينَ} [الأنبياء: 55] . يَقُولُونَ: هَذَا الْكَلَامُ الَّذِي تَقُولُهُ لَنَا، وَتَنْتَقِصُ بِهِ آلِهَتَنَا، وَتَطْعَنُ بِسَبَبِهِ فِي آبَائِنَا تَقُولُهُ مُحِقًّا جَادًّا فِيهِ أَمْ لَاعِبًا قَالَ: {بَلْ رَبُّكُمْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي فَطَرَهُنَّ وَأَنَا عَلَى ذَلِكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ} [الأنبياء: 56] . يَعْنِي: بَلْ أَقُولُ لَكُمْ ذَلِكَ جَادًّا مُحِقًّا، وَإِنَّمَا إِلَهُكُمُ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّكُمْ، وَرَبُّ كُلِّ شَيْءٍ فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْخَالِقُ لَهُمَا عَلَى غَيْرِ مِثَالٍ سَبَقَ، فَهُوَ الْمُسْتَحِقُّ لِلْعِبَادَةِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَا عَلَى ذَلِكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ. وَقَوْلُهُ: {وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُمْ بَعْدَ أَنْ تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ} [الأنبياء: 57] . أَقْسَمَ لَيَكِيدَنَّ هَذِهِ الْأَصْنَامَ الَّتِي يَعْبُدُونَهَا بَعْدَ أَنْ تَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ إِلَى عِيدِهِمْ. قِيلَ: إِنَّهُ قَالَ هَذَا خُفْيَةً فِي نَفْسِهِ. وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: سَمِعَهُ بَعْضُهُمْ. وَكَانَ لَهُمْ عِيدٌ يَذْهَبُونَ إِلَيْهِ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً إِلَى ظَاهِرِ الْبَلَدِ فَدَعَاهُ أَبُوهُ لِيَحْضُرَهُ، فَقَالَ: {إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 89] كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 88] . عَرَّضَ لَهُمْ فِي الْكَلَامِ حَتَّى تَوَصَّلَ إِلَى مَقْصُودِهِ مِنْ إِهَانَةِ أَصْنَامِهِمْ، وَنُصْرَةِ دِينِ اللَّهِ الْحَقِّ فِي بُطْلَانِ مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ الَّتِي تَسْتَحِقُّ أَنْ تُكَسَّرَ، وَأَنْ تُهَانَ غَايَةَ الْإِهَانَةِ، فَلَمَّا خَرَجُوا إِلَى عِيدِهِمْ، وَاسْتَقَرَّ هُوَ فِي بَلَدِهِمْ {فرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ} [الصافات: 91] . أَيْ ذَهَبَ إِلَيْهَا مُسْرِعًا مُسْتَخْفِيًا
পৃষ্ঠা - ৩৩৩


নিষ্ঠার সাথে ওদের পুজায় নিরত থাকর ৷ সে বলল, তোমরা প্রার্থনা করলে ওরা কি ণ্শ্যানা
অথবা ওরা কি তোমাদের উপকার কিত্বা অপকাৱ করতে পারো ওরা বলল, না, তবে আমরা
আমাদের পিতৃ পুরুষদ্দেরকে এরুপই করতে দেখেছি ৷

সে বলল, তোমরা কি তার সম্বন্ধে ভোর দেখেছ যার পুজা করছ-তোমরা এবং তোমাদের
অতীত পিতৃ পুরুষরাঃ ওরা সকলেই আমার শত্রু, জগতসমুহের প্রতিপালক ব্যতীত, যিনি
আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই আমাকে পথ প্রদর্শন করেন ৷ তিনিই আমাকে দান করেন আহড়ার্য
ও পানীয় ৷ এবং রেগােক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে রােগমুক্ত করেন; এবং তিনিই আমার মৃত্যু
ঘটাবেন, তারপর পুনর্জীবিত করবেন ৷ এবং আশা করি, তিনি কিয়ামত দিবসে আমার
অপরাধসমুহ মার্জনা করে দেবেন ৷ হে আমার প্রতিপালক৷ আমাকে জ্ঞান দান কর এবং
সৎকর্মপরায়ণদের শামিল কর ৷ (সুরা শুআরড়া : ৬৯-৮৩)

সুরা সাফ্ফাতে আল্লাহ বলেন ং

এ ১

)
ব্লু ৷ fl
)
৷ ,

ইবরাহীম তো তার অনুপামীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ স্মরণ কর, সে তার প্রতিপালকের নিকট
উপস্থিত হয়েছিল বিশুদ্ধচিত্তে ৷ যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কেও জিজ্ঞেস করেছিল,
তোমরা কিসের পুজা করছ? তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে অলীক ইলাহ্গুলোকে চাও?
জগতসমুহের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা কী? তারপর সে তারকারাজির দিকে একবার
তাকাল এবং বলল, আমি অসুস্থ ৷ অতঃপর ওরা তাকে পশ্চাতে রেখে চলে গেল ৷ পরে সে
সন্তর্পণে ওদের দেবতাগুলাের নিকট গেল ৷ এবং বলল, তোমরা খাদ্য গ্রহণ করছ না কেন ষ্
তোমাদের কী হয়েছে যে তোমরা কথা বলনাঃ তখন সে তাদের উপর সবলে আঘাত হানল ৷
তখন ঐ লোকগুলো তার দিকে ছুটে আসলাে ৷ সে বলল, তোমরা নিজেরা যাদেরকে খোদাই
করে নির্মাণ কর, তোমরা কি তাদেরই পুজা কর? প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেছেন
তােমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরি কর তাও ৷ ওরা বলল, এর জন্যে এক ইমারত তৈরি কর,
তারপর একে জ্বলত্ত আগুনে নিক্ষেপ কর ৷ ওরা তার বিরুদ্ধে চক্রাস্তের সংকল্প করেছিল; কিন্তু
আমি ওদেরকে অতিশয় হেয় করে দিলাম ৷ (সুরাসাফ্ফাত : ৮৩-৯৮)

এ আয়াতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দেন যে, ইবরাহীম (আ) তার
’ ন্ সম্প্রদায়ের লোকদের মুর্তি পুজার সমালোচনা করেন এবং তাদের কাছে ওগুলোর অসারতা ও
অক্ষমতার কথা তুলে ধরেন ৷ যেমন তিনি বলেছেন :


فَوَجَدَهَا فِي بَهْوٍ عَظِيمٍ، وَقَدْ وَضَعُوا بَيْنَ أَيْدِيَهَا أَنْوَاعًا مِنَ الْأَطْعِمَةِ قُرْبَانًا إِلَيْهَا، فَقَالَ لَهَا عَلَى سَبِيلِ التَّهَكُّمِ وَالِازْدِرَاءِ: {أَلَا تَأْكُلُونَ - مَا لَكُمْ لَا تَنْطِقُونَ - فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ} [الصافات: 91 - 93] ؛ لِأَنَّهَا أَقْوَى وَأَبْطَشُ وَأَسْرَعُ وَأَقْهَرُ، فَكَسَّرَهَا بِقَدُومٍ فِي يَدِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَجَعَلَهُمْ جُذَاذًا} [الأنبياء: 58] أَيْ حُطَامًا كَسَّرَهَا كُلَّهَا {إِلَّا كَبِيرًا لَهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ} [الأنبياء: 58] . قِيلَ: إِنَّهُ وَضَعَ الْقَدُومَ فِي يَدِ الْكَبِيرِ إِشَارَةً إِلَى أَنَّهُ غَارَ أَنْ تُعْبَدَ مَعَهُ هَذِهِ الصِّغَارُ، فَلَمَّا رَجَعُوا مِنْ عِيدِهِمْ، وَوَجَدُوا مَا حَلَّ بِمَعْبُودِهِمْ {قَالُوا مَنْ فَعَلَ هَذَا بِآلِهَتِنَا إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ} [الأنبياء: 59] . وَهَذَا فِيهِ دَلِيلٌ ظَاهِرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْقِلُونَ، وَهُوَ مَا حَلَّ بِآلِهَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَهَا، فَلَوْ كَانَتْ آلِهَةً لَدَفَعَتْ عَنْ أَنْفُسِهَا مَنْ أَرَادَهَا بِسُوءٍ لَكِنَّهُمْ قَالُوا مِنْ جَهْلِهِمْ، وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ، وَكَثْرَةِ ضَلَالِهِمْ، وَخَبَالِهِمْ: {مَنْ فَعَلَ هَذَا بِآلِهَتِنَا إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ قَالُوا سَمِعْنَا فَتًى يَذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ} [الأنبياء: 59] . أَيْ يَذْكُرُهَا بِالْعَيْبِ، وَالتَّنَقُّصِ لَهَا، وَالِازْدِرَاءِ بِهَا فَهُوَ الْمُقِيمُ عَلَيْهَا، وَالْكَاسِرُ لَهَا، وَعَلَى قَوْلِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَيْ يَذْكُرُهُمْ بِقَوْلِهِ: {وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُمْ بَعْدَ أَنْ تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ} [الأنبياء: 57] . {قَالُوا فَأْتُوا بِهِ عَلَى أَعْيُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ} [الأنبياء: 61] . أَيْ فِي الْمَلَأِ الْأَكْبَرِ عَلَى رُءُوسِ الْأَشْهَادِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ مَقَالَتَهُ، وَيَسْمَعُونَ كَلَامَهُ، وَيُعَايِنُونَ مَا يَحِلُّ بِهِ مِنَ الِاقْتِصَاصِ مِنْهُ، وَكَانَ هَذَا أَكْبَرَ مَقَاصِدِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنْ يَجْتَمِعَ النَّاسُ كُلُّهُمْ فَيُقِيمَ عَلَى جَمِيعِ عُبَّادِ الْأَصْنَامِ الْحُجَّةَ عَلَى بُطْلَانِ مَا هُمْ عَلَيْهِ، كَمَا قَالَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ لِفِرْعَوْنَ: {مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّينَةِ وَأَنْ يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى} [طه: 59] .
পৃষ্ঠা - ৩৩৪

(,^,এষ্ষ্কৃাব্লু (শু৷ ন্ৰু;ৰুট্রু;া৷ া দ্বুহুএে৷ :এে ৷পু০
(এই মুর্তিগুলো কি? যাদের পুজায় তোমরা রত রয়েছ?) অর্থাৎ এদের নিকট নিষ্ঠার সাথে
বসে থাক ও কাতর হয়ে থাক ৷ তারা উত্তর দিল; (আমরা
আমাদের পুর্ব পুরুষদেরকে এদের পুজারীরুপে পেয়েছি ৷) তাদের যুক্তি এই একটাই যে, তাদের
বাপ-দাদারা এরুপ দেবদেবীর পুজা-অর্চনা করতো ৷


এদ্বুণ্
তিনি বললেন, তোমরা ও তোমাদের ৰাপ-দাদারা স্পষ্ট বিভ্রাস্তিতে রয়েছে৷ ৷ যেমন আল্লাহ্

বলেছেনং : ৷

)

যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে জিজ্ঞেস করেছিল, তোমরা কিসের পুজা করছ?
তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে অলীক ইলাহগুলােকে চাওদ্রু তা হলে জগতসমুহের প্রতিপালক
সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?

কাতাদা এ আয়াতাৎশের ব্যাখ্যা এভাবে করেছেন যে, বিশ্ব জাহড়ানের পালনকর্তা আল্লাহকে
বাদ দিয়ে যখন তোমরা অন্যদের ইবাদত করছ, তখন যেদিন তার সাথে সাক্ষাৎ হবে সেদিন
তিনি তোমাদের সাথে কিরুপ ব্যবহার করবেন বলে মনে করা

ইব্রাহীম (আ) তাদেরকে বলেছেন

;াৰুা,৷াণ্



এস্পে১

তোমরা প্রার্থনা করলে ওরা কি শুনাে অথবা ওরা কি তোমাদের উপকার কিং বা অপকার

করতে পাবেঃ ওরা বলল, না তবে আমরা আমাদের রাপ-দাদাদেরকে এরুপই করতে দেখেছি ৷
(সুরা শুআরা০ ৭২ ৭৪)

তারা স্বীকার করে নেয় যে, আহবড়ানকারীর ডাক ওরা শোনে না, কারও কোন উপকারও
করতে পারে না ৷ অপকারও করতে পারে না ৷ তারা এরুপ করছে কেবল তাদের মুর্থ
পুর্ব হ্র,াদ্বুষদের অন্ধ আনুগত্য হিসেবে ৷ এ জন্যেই তিনি তাদেরকে বলে দেন যেং :

¢(;


তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ যাদের পুজা করে আসছ তোমরা ও তোমাদের

পুর্ববর্তী পিতৃ পুরুষেরা; কেননা রাববুল আলামীন ব্যতীত ত ৷রা সবা ৷ই আমার দৃশমন ৷ (সুরা
শু ৭৭)

তারা মুর্তির উপাস্য হওয়ার যে দা ৷বি করত তা যে বাতিল ও ভ্রান্ত, উল্লিখিত আয়ড়াতসমুহে
তার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ কেননা, হযরত ৩ইবরাহীম (আ) ওগুলােকে পরিত্যাগ করেন ও


فَلَمَّا اجْتَمَعُوا وَجَاءُوا بِهِ. كَمَا ذَكَرُوا: {قَالُوا أَأَنْتَ فَعَلْتَ هَذَا بِآلِهَتِنَا يَا إِبْرَاهِيمُ قَالَ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا} [الأنبياء: 62] . قِيلَ: مَعْنَاهُ هُوَ الْحَامِلُ لِي عَلَى تَكْسِيرِهَا، وَإِنَّمَا عَرَّضَ لَهُمْ فِي الْقَوْلِ {فَاسْأَلُوهُمْ إِنْ كَانُوا يَنْطِقُونَ} [الأنبياء: 63] . وَإِنَّمَا أَرَادَ بِقَوْلِهِ هَذَا أَنْ يُبَادِرُوا إِلَى الْقَوْلِ أَنَّ هَذِهِ لَا تَنْطِقُ فَيَعْتَرِفُوا بِأَنَّهَا جَمَادٌ كَسَائِرِ الْجَمَادَاتِ {فَرَجَعُوا إِلَى أَنْفُسِهِمْ فَقَالُوا إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ} [الأنبياء: 64] . أَيْ فَعَادُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِالْمَلَامَةِ فَقَالُوا: {إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ} [الأنبياء: 64] . أَيْ فِي تَرْكِهَا لَا حَافِظَ لَهَا، وَلَا حَارِسَ عِنْدَهَا {ثُمَّ نُكِسُوا عَلَى رُءُوسِهِمْ} [الأنبياء: 65] . قَالَ السُّدِّيُّ: أَيْ ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى الْفِتْنَةِ فَعَلَى هَذَا يَكُونُ قَوْلُهُ: {إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ} [الأنبياء: 64] . أَيْ فِي عِبَادَتِهَا. وَقَالَ قَتَادَةُ أَدْرَكَتِ الْقَوْمَ حَيْرَةُ سَوْءٍ أَيْ فَأَطْرَقُوا، ثُمَّ قَالُوا: {لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَؤُلَاءِ يَنْطِقُونَ} [الأنبياء: 65] . أَيْ لَقَدْ عَلِمْتَ يَا إِبْرَاهِيمُ أَنَّ هَذِهِ لَا تَنْطِقُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنَا بِسُؤَالِهَا فَعِنْدَ ذَلِكَ قَالَ لَهُمُ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {أَفَتَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ أُفٍّ لَكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ} [الأنبياء: 66] . كَمَا قَالَ: {فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ} [الصافات: 94] . قَالَ مُجَاهِدٌ: يُسْرِعُونَ. {قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ} [الصافات: 95] . أَيْ كَيْفَ تَعْبُدُونَ أَصْنَامًا أَنْتُمْ تَنْحِتُونَهَا مِنَ الْخَشَبِ وَالْحِجَارَةِ، وَتُصَوِّرُونَهَا وَتُشَكِّلُونَهَا كَمَا تُرِيدُونَ {وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ} [الصافات: 96] ؟ وَسَوَاءٌ كَانَتْ مَا مَصْدَرِيَّةً أَوْ بِمَعْنَى الَّذِي فَمُقْتَضَى الْكَلَامِ أَنَّكُمْ مَخْلُوقُونَ وَهَذِهِ الْأَصْنَامَ مَخْلُوقَةٌ، فَكَيْفَ يَعْبُدُ مَخْلُوقٌ مَخْلُوقًا مِثْلَهُ فَإِنَّهُ لَيْسَ عِبَادَتُكُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫


হেয়প্রতিপন্ন করেন ৷ এতে যদি তাদের ক্ষমতা থাকত ক্ষতি করার তা হলে অবশ্যই তারা তার
ক্ষতি করত ৷ অথবা যদি আদৌ কোন প্রভাবের অধিকারী হত তবে অবশ্যই তার উপর যে


ধরনের প্রভাব ফেলত ৷

(তারা বলল, তুমি কি আমাদের নিকট সতাসহ আগমন করেছ, না কি তুমি কৌতুক
করছ?) অর্থাৎ তারা বলেছে যে, হে ইব্রাহীম ! তুমি আমাদের নিকট যা কিছু ব্লছো, আমাদের
উপাস্যদেরকে তিরস্কার করছো এবং আমাদের পুর্ব-পুরুষদের সামালোচনা করছো এ সব কি
তুমি সত্যি সত্যিই বলছ, নাকি কৌতুক করছ?


র্চু১ণ্ণ্ ণ্ঘ্র,র্ন্ত ষ্া£ মোঃ এেশ্এে ;;খ্রী ,ব্লুদ্বুন্া৷,প শ্স্পো ; ণ্হ্নর্শ্বওএন্
(সে বলল, না তোমাদের প্রতিপালক তো তিনি, যিনি আসমান ও যমীনের প্ৰতিপালক,
যিনি এগুলো সৃজন করেছেন; এবং আমিই এর উপর অন্যতম সাক্ষী ৷ (অর্থাৎ আমি তোমাদের
নিকট যা কিছু বলছি, সবই সত্য ও যথার্থ বলছি ৷ ব্ন্তুত তোমাদের উপাস্য সেই একজনই,
যিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই ৷ তিনি ণ্তামাদের প্রতিপালক এবং আসমান-যমীনেরও
প্রতিপালকন্৷ পুর্ব-দৃষ্টাম্ভ ছাড়াই তিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন ৷ সুতরাং ইৰাদতের যোগ্য একমাত্র
তিনিই, তার কোন শরীক নেই; এবং আমি নিজেই এর উপর সাক্ষী ৷



ধ্র্দু৷ ৷ (ও,

আল্লাহর কলম, তোমরা চর্দুল গেলে আমি তোমাদের মুর্তিগুলো সম্বন্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা
অবলম্বন করব (সুরা আন্বিয়া৪ ৫৫ ৫ ৭) ৷ অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীম (আ) এ মর্মে প্রতিজ্ঞা ৷করেন
যে, লোকজন মেলায় চলে যাওয়ার পর তাদের উপাস্য মুর্তিগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ
করবেন ৷ কারো কারো মতে, ইব্রাহীম (আ) এ কথা মনে মনে বলেছিলেন ৷ ইবন মাসউদ (রা)
বলেছেন যে, তাদের মধ্যে কয়েকজন ইব্রাহীম (আ)-এর এ কথাটি শুনে ফেলেছিল ৷ ইব্রাহীম
(আ)-এর সম্প্রদায়ের লোকজন শহরের উপকণ্ঠে তাদের একটি নির্ধারিত বার্ষিক মেলায় মিলিত
হতো ৷ ইব্রাহীম (আ)-এব পিতা তাকে মেলায় যাওয়ার জন্যে আহ্বান জানালে তিনি
বলেছিলেন, আমি পীড়িত’ ৷ আল্লাহ বলেন :


(সে নক্ষত্রের দিকে একবার তড়াকাল, তারপর বলল, আমি পীড়িত) তিনি কথাটা একটু
ঘুরিয়ে বললেন ৷ যাতে তার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় আর তা হলো তাদের মুর্তিসমুহকে হেয়প্রতিপন্ন
করা ৷ মুর্তিপুজা খণ্ডনের ব্যাপারে আল্লাহর সত্য দীনের সাহায্য করা ৷ আর ধ্ব স ও চরম
লাঞ্চুন্যাই ছিল মুর্তিগুলোর যথার্থ পাওনা ৷ এরপর সম্প্রদায়ের লোকজন যখন মেলায় চলে যায়
এবং ইব্রাহীম (আ) শহরেই থেকে যান তখন মোঃ ! ষ্পু ! ব্লু৷ , অখাৎ তিনি চুপিসারে
দ্রুতপদে দেবতাদের দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তিনি র্দুদখতে পান যে, মুর্তিগুলো একটি বিরাট
প্রকােষ্ঠের মধ্যে রয়েছে এবং তাদের সম্মুখে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য সৈবেদ্যরুপে রাখা আছে ৷ এ
দেশে তিনি উপহাস ছলে বললেন ং



لَهَا بِأَوْلَى مِنْ عِبَادَتِهَا لَكُمْ، وَهَذَا بَاطِلٌ فَالْآخَرُ بَاطِلٌ لِلتَّحَكُّمِ؛ إِذْ لَيْسَتِ الْعِبَادَةُ تَصْلُحُ وَلَا تَجِبُ إِلَّا لِلْخَالِقِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. {قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ} [الصافات: 97] . عَدَلُوا عَنِ الْجِدَالِ وَالْمُنَاظَرَةِ لَمَّا انْقَطَعُوا وَغُلِبُوا، وَلَمْ تَبْقَ لَهُمْ حَجَّةٌ وَلَا شُبْهَةٌ، إِلَى اسْتِعْمَالِ قُوَّتِهِمْ وَسُلْطَانِهِمْ، لِيَنْصُرُوا مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ سَفَهِهِمْ وَطُغْيَانِهِمْ، فَكَادَهُمُ الرَّبُّ جَلَّ جَلَالُهُ، وَأَعْلَى كَلِمَتَهُ وَدِينَهُ وَبُرْهَانَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانْصُرُوا آلِهَتَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ قُلْنَا يَانَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ} [الأنبياء: 68] . وَذَلِكَ أَنَّهُمْ شَرَعُوا يَجْمَعُونَ حَطَبًا مِنْ جَمِيعِ مَا يُمْكِنُهُمْ مِنَ الْأَمَاكِنِ، فَمَكَثُوا مُدَّةً يَجْمَعُونَ لَهُ حَتَّى إِنَّ الْمَرْأَةَ مِنْهُمْ كَانَتْ إِذَا مَرِضَتْ تَنْذِرُ لَئِنْ عُوفِيَتْ لَتَحْمِلَنَّ حَطَبًا لِحَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ عَمَدُوا إِلَى جَوْبَةٍ عَظِيمَةٍ فَوَضَعُوا فِيهَا ذَلِكَ الْحَطَبَ، وَأَطْلَقُوا فِيهِ النَّارَ فَاضْطَرَمَتْ وَتَأَجَّجَتْ وَالْتَهَبَتْ، وَعَلَاهَا شَرَرٌ لَمْ يُرَ مِثْلُهُ قَطُّ، ثُمَّ وَضَعُوا إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي كِفَّةِ مَنْجَنِيقٍ صَنَعَهُ لَهُمْ رَجُلٌ مِنَ الْأَكْرَادِ يُقَالُ لَهُ هِيزَنُ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ صَنَعَ الْمَجَانِيقَ فَخَسَفَ اللَّهُ بِهِ الْأَرْضَ فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ فِيهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، ثُمَّ أَخَذُوا يُقَيِّدُونَهُ وَيُكَتِّفُونَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، لَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الْمُلْكُ لَا شَرِيكَ لَكَ. فَلَمَّا وُضِعَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي كِفَّةِ الْمَنْجَنِيقِ مُقَيَّدًا مَكْتُوفًا، ثُمَّ أَلْقَوْهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬


(তোমরা খাচ্ছ না কেন? কি হল তোমাদের, কথা বলছ না কেন ? তারপর সে তাদের উপর তার
ডান হাত দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত হানল ৷) কেননা, ডান হতেই অধিকতর শক্তিশালী ও দ্রুত
ক্রিয়াশীল হয়ে থাকে ৷ তাই তিনি নিজ হাতের কুঠারের প্রচণ্ড আঘাতে মুর্তিগুলো ভেঙ্গে চুরমার
করে দিলেন ৷ ;হু মোঃঠুষ্ (ইব্রাহীম মুর্তিগুলাের্কে টুকরো টুকরো করে দিন) অর্থাৎ
সব্গুলোকে তিনি ভেঙ্গে :চুরমার করে দিলেন ৷ (তাদের
মধ্যে বড়টা ব্যতীত, যাতে তারা তার দিকে ফিরে আসে ৷) কেউ কেউ বলেছেন, ইব্রাহীম
(আ) তার কুঠারখানা বড় মুর্তির হাতে ঝুলিয়ে রেখে দেন ৷ এতে এই ইঙ্গিত ছিল যে; তারা যেন
মনে করে যে, তার সাথে ছোট মুর্তিগুলো পুজিত হওয়ার কারণে ওটাই ছোটগুলোর উপর ঈর্ষা
বশত আক্রমণ করেছে ৷ তারপর মেলা থেকে ফিরে এসে লোকজন তাদের উপাস্যদের এ অবস্থা
যখন দেখল :
(তখন তারা বলল, আমাদের উপাস্যদের সাথে এরুপ আচরণ কে করল ৷ নিশ্চয়ই সে
একজন সীমালংঘনকারী ৷ ) ণ্ এ কথার মধ্যে তাদের জন্য সুস্পষ্ট প্রমাণ ছিল , যদি তারা বুঝতে
চেষ্টা করত ! কেননা, তারা যে সব দেব-দেবীর উপাসনা করে , তারা যদি সত্যি উপাস্য হত, তা
হলে যে তাদেরকে আক্রমণ করেছে তাকে তারা প্রতিহত করত ৷ কিভু নিজেদের মুর্থতা,
নির্বুদ্ধিতা ও চরম পথভ্রষ্টতার কারণে তারা বললং :
ঝুঝুহ্রপুির্চুপ্রু;
ণ্ শ্ ;)
ট্রুার্চুা৷ওছু
(আমাদের উপাস্যদের সাথে এ আচরণ করল কে ? নিশ্চয়ই সে এক জালিম ৷ তাদের
কতিপয় লোক বলল, আমরা এক যুবককে এদের বিষয়ে আলোচনা করতে শুনেছি, তাকে
ইব্রাহীম বলা হয় ৷) অর্থাৎ যে এদের দোষ-ক্রটি বর্ণনা করত, এদের নিয়ে সমালোচনা করত ৷
সুতরাং সেই এসে এদেরকে ভেঙ্গেছে ৷ ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন ন্গুাষ্ট্র£; র্দ্র (সে এদের

আলোচনা করত) দ্বারা ইব্রাহীম (আ) ইতিপুর্বের কথা বলাই উদ্দেশ্য, অর্থাৎ-


(আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের মুর্তিগুলোর ব্যাপারে এক ব্যবস্থা নেব্ তোমরা ফিরে
যাওয়ার পরে) টুপুর্চুঘ্র (তারা বলল,
তাকে জনসমক্ষে উপস্থিত কর, যাতে তারা দেখতে পারে) অর্থাৎ উপস্থিত জনতার মাঝে
নেতৃবৃন্দের সম্মুখে তাকে হাযির কর; যাতে জনগণ তার বক্তব্য প্রদানকালে উপস্থিত থাকে এবং
তার কথাবার্তা শুনতে পারে ৷ এবং তাকে ব্দলাস্বরুপ যে শাস্তি দেওয়া হবে তা প্রত্যক্ষ করতে
পারে ৷ এটাই ছিল হযরত ইব্রাহীম খলীলের প্রধানতম উদ্দেশ্য যে, সকল মানুষ উপস্থিত হলে
তিনি সমস্ত মুর্তি পুজারীর সম্মুখে তাদের ধর্ম-কর্মের ভ্রাস্তিব্ প্রমাণ পেশ করবেন ৷ যেমনটি মুসা

আ ও ফিরআউনকে বলে লেনং :
( ) ছি



مِنْهُ إِلَى النَّارِ قَالَ: حَسْبُنَا اللَّهُ، وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. كَمَا رَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. قَالَهَا إِبْرَاهِيمُ حِينَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ، وَقَالَهَا مُحَمَّدٌ حِينَ قِيلَ لَهُ: {إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ فَانْقَلَبُوا بِنِعْمَةٍ مِنَ اللَّهِ وَفَضْلٍ لَمْ يَمْسَسْهُمْ سُوءٌ} [آل عمران: 173] [آلِ عِمْرَانَ: 173 - 174] . الْآيَةَ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا أُلْقِيَ إِبْرَاهِيمُ فِي النَّارِ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ فِي السَّمَاءِ وَاحِدٌ، وَأَنَا فِي الْأَرْضِ وَاحِدٌ أَعْبُدُكَ» . وَذَكَرَ بَعْضُ السَّلَفِ أَنَّ جِبْرِيلَ عَرَضَ لَهُ فِي الْهَوَاءِ فَقَالَ: أَلَكَ حَاجَةٌ؟ فَقَالَ: أَمَّا إِلَيْكَ فَلَا. وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُ قَالَ: جَعَلَ مَلَكُ الْمَطَرِ يَقُولُ: مَتَى أُومَرُ فَأُرْسِلَ الْمَطَرَ؟ فَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ أَسْرَعَ {قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ} [الأنبياء: 69] . قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَيْ لَا تَضُرِّيهِ، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَبُو الْعَالِيَةِ: لَوْلَا أَنَّ اللَّهَ قَالَ: {وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ} [الأنبياء: 69] لَأَذَى إِبْرَاهِيمَ بَرْدُهَا. وَقَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ: لَمْ يَنْتَفِعْ أَهْلُ الْأَرْضِ يَوْمَئِذٍ بِنَارٍ، وَلَمْ يُحْرَقْ مِنْهُ سِوَى وَثَاقِهِ. وَقَالَ الضَّحَّاكُ: يُرْوَى أَنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ مَعَهُ يَمْسَحُ الْعَرَقَ عَنْ وَجْهِهِ لَمْ يُصِبْهُ مِنْهَا شَيْءٌ غَيْرُهُ. وَقَالَ السُّدِّيُّ: كَانَ مَعَهُ أَيْضًا مَلَكُ الظِّلِّ. وَصَارَ إِبْرَاهِيمُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭
عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي مِثْلِ الْجُونَةِ حَوْلَهُ النَّارُ، وَهُوَ فِي رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ، وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى الْوُصُولِ إِلَيْهِ، وَلَا هُوَ يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ فَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَحْسَنُ كَلِمَةٍ قَالَهَا أَبُو إِبْرَاهِيمَ إِذْ قَالَ لَمَّا رَأَى وَلَدَهُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ: نِعْمَ الرَّبُّ رَبُّكَ يَا إِبْرَاهِيمُ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ: أَنَّ أُمَّ إِبْرَاهِيمَ نَظَرَتْ إِلَى ابْنِهَا عَلَيْهِ السَّلَامُ فَنَادَتْهُ: يَا بُنَيَّ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَجِيءَ إِلَيْكَ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُنَجِّيَنِي مِنْ حَرِّ النَّارِ حَوْلَكَ. فَقَالَ: نَعَمْ. فَأَقْبَلَتْ إِلَيْهِ لَا يَمَسُّهَا شَيْءٌ مِنْ حَرِّ النَّارِ، فَلَمَّا وَصَلَتْ إِلَيْهِ اعْتَنَقَتْهُ، وَقَبَّلَتْهُ، ثُمَّ عَادَتْ. وَعَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّهُ قَالَ: أُخْبِرْتُ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ مَكَثَ هُنَاكَ إِمَّا أَرْبَعِينَ، وَإِمَّا خَمْسِينَ يَوْمًا، وَأَنَّهُ قَالَ: مَا كُنْتُ أَيَّامًا وَلَيَالِيَ أَطْيَبَ عَيْشًا إِذْ كُنْتُ فِيهَا، وَوَدِدْتُ أَنَّ عَيْشِي وَحَيَاتِي كُلَّهَا مِثْلُ إِذْ كُنْتُ فِيهَا. صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. فَأَرَادُوا أَنْ يَنْتَصِرُوا فَخُذِلُوا، وَأَرَادُوا أَنْ يَرْتَفِعُوا فَاتَّضَعُوا، وَأَرَادُوا أَنْ يَغْلِبُوا فَغُلِبُوا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ} [الأنبياء: 70] . وَفِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: الْأَسْفَلِينَ فَفَازُوا بِالْخَسَارَةِ وَالسَّفَالِ هَذَا فِي الدُّنْيَا، وَأَمَّا فِي الْآخِرَةِ فَإِنَّ نَارَهُمْ لَا تَكُونُ عَلَيْهِمْ بَرْدًا وَلَا سَلَامًا، وَلَا يُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَلَا سَلَامًا، بَلْ هِيَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّهَا سَاءَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا} [الفرقان: 66] . قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى أَوِ ابْنُ سَلَّامٍ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৩৮


(ণ্তামাদের নির্ধারিত সময় উৎসবের দিন এবং যেই দিন পুৰ্বাহে লোকজনকে সমবেত করা
হবে ৷ (সুরা আহা; ৫৯) ৷ তারপর যখন লোকজন জমায়েত হলো এবং ইব্রাহীম (আ)-কে

সেখানে হাযির করা হল, তখন তারা বলল :

(হে ইব্রাহীম! আমাদের দেব-দেবীর সাথে এই কাণ্ড কি তুমিই ঘঢিয়েছ? সে বলল, এদের
এই বড়টাই বরং এ কাজটি করেছে ৷) কেউ কেউ এ আয়ড়াতের অর্থ করেছেন এভাবে এটি
আমাকে এগুলো ভাঙ্গার ব্যাপারে উব্দুদ্ধ করেছে; অবশ্য কথাটাকে তিনি একটু ঘুরিয়ে বলেছেন ৷

(ওদের কাছেই জিজ্ঞেস কর যদি ওরা কথা বলতে
পারে) ইব্রাহীম (আ) এ কথার দ্বারা এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, ওরা যেন দ্রুত এই কথা
বলে যে, এরা তো কথা বলতে পারে না ৷ ফলত তারা স্বীকা ৷র করে নিয়ে যে, অন্যান্য জড়ব্ন্তুর
ন্যায় এগুলােও নিছক জড়বন্তু ৷ র্চু,ক্ট্র’া৷হি৷ ৷
(অতঃপর তারা মনে মনে চিন্তা করল এবং বলল, তােমরাই র্তো জালিম) অর্থাৎ তারা
নিজেদেরকে তিরক৷ ৷র ও ধিক্কার দিয়ে বলল, জা ড়ালিম তো তোমরা নিজেরাই; এদেরকে তোমরা

এমনিই ণ্হুৰুড় চলে গেলে, ণ্কান পাহারাদার ও হিফাজতকারী রেখে গেলে না
)

^ ? র্টচােন্

(তারপর তারা মাথা নত করে ঝুকে গেল) সুদ্দী (র) এর অর্থ করেছেন, তারা ফিত্না
, , )

ফ্যাসাদের দিকে ফিরে পেল ৷ এ অর্থ অনুযায়ী উপরের তােমরাই জালিম ণ্:;৷ ণ্হ্র; ৷ )
( র্চু, ^ ’ ৷দ্বু৷ ৷ এর অর্থ তোমরা এদের ইবাদত করার কারণে জালিম পদবড়াচ্য ৷ কাতাদ৷ (র)
বলেছেন, ইব্রাহীম (আ)-এর কথায় তারা অত্যধিক দৃশ্চিভাগ্রস্ত হয় ৷ ফলে তাদের মাথা নত
হয়ে যায় ৷ তারপর তারা বলল ট্রু,ক্ট্রপুৰুাৰু ণ্র্বৃাহ্র১ ৷শু এ পুএছু $’§§ (তুমি তো জানই যে,
এগুলো কথা বলে না) অর্থাৎ হে ইব্রাহীম! তোমার তো জানা আছে যে, এরা কথা বলে না ৷

সুতরাং এদের নিকট জিজ্ঞেস করার জন্যে তুমি কেন ব্লছ ? এ সময় ইব্রাহীম খলীল তাদের

উদ্দেশ করে বলেন ’; ৷
^ণ্র্শ্বন্সণ্দ্দৌ

ষ্ ন্না

(তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন সব বস্তুর পুজা কর, যা না তোমাদের কোন উপকার
করতে পারে; না কোন ক্ষতি করতে পারে ? ধিক তোমাদের জন্যে এবং তোমাদের উপাস্যদের
জব্লুন৷ যাদেরকে তোমরা পুজা কর আল্লাহ ব্যতীত ৷ তোমরা কি মোটেই জ্ঞান খাটাও না?)
ব্লু,প্রু১, ণ্া ৷ ৷ ৷ ,া ৰুদ্বএে (তারপর তারা ইবরড়াহীমের দিকে জোড় আসলো ৷) মুজাহিদ
বলেছেন, ৰু,ট্রুকুাপুপুগ্ ৷
(তোমরা কি সেই সব দেবতাদের পুজা কর যেগুলো তোমরা নিজেরাই খেদািই করে তৈরি কর?)
অর্থাৎ তোমরা কিভাবে এমন সব মুর্তির পুজা কর, যেগুলো তোমরা স্বহস্তে কাঠ অথবা পাথর
খোদাই করে নির্মাণ করে থাকে৷ এবং নিজেদের ইচ্ছামত আকৃতি দান কর ৷ ন্র্বুঘ্রর্দুছু ৰুড়া৷ ৷ ও

- ;,,াধ্; ৷ৰু, (অথচ আল্লাহৃই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন
যাদেরকে তোমরা তৈরি করে থাক) ৷ৰুঅক্ষরটি ণ্া,া ও হতে পারে; আবার ণ্া, শো


أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِقَتْلِ الْوَزَغِ. وَقَالَ «كَانَ يَنْفُخُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَأَخْرَجَاهُ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ أَنَّ نَافِعًا مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اقْتُلُوا الْوَزَغَ فَإِنَّهُ كَانَ يَنْفُخُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ النَّارَ» . قَالَ: فَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقْتُلُهُنَّ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ أَنَّ امْرَأَةً دَخَلَتْ عَلَى عَائِشَةَ، فَإِذَا رُمْحٌ مَنْصُوبٌ فَقَالَتْ: مَا هَذَا الرُّمْحُ؟ فَقَالَتْ: نَقْتُلُ بِهِ الْأَوْزَاغَ، ثُمَّ حَدَّثَتْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمَّا أُلْقِيَ فِي النَّارِ جَعَلَتِ الدَّوَابُّ كُلُّهَا تُطْفِئُ عَنْهُ إِلَّا الْوَزَغَ فَإِنَّهُ جَعَلَ يَنْفُخُهَا عَلَيْهِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ حَدَّثَتْنِي سَائِبَةُ مَوْلَاةُ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَتْ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৯


-ও হতে পারে ৷ যেটাই হোক, এখানে যেকথা বলা উদ্দেশ্য তা হল এই যে, তােমরাও সৃষ্টি
আর এই মুর্তিশুলোও সৃষ্টি ৷ এখন একটি সৃষ্টি অপর একটি সৃষ্টির ইবাদত কিভাবে করতে পারে ৷
কেননা, তোমরা তাদের উপাস্য না হয়ে তারা তোমাদের উপাস্য হবে এই অ্যাধিকারের কোন
ভিত্তি নেই ৷ এটাও যেমন ভিত্তিহীন, তেমনি এর বিপরীতটা অর্থাৎ তোমার উপাস্য হওয়াও
ভিত্তিহীন ৷ কারণ, ইবাদত, উপাসনা পাওয়ার অধিকারী কেবল সৃষ্টিকর্তাই; এ ব্যাপারে কেউ
তার শরীক নেই ৷

ন্এ৷ মোঃ ৷শুার্টুর্বু ন্ভুাদ্বুর্বৃার্চুর্দুর্চুন্ ণ্ন্গ্লুর্দু ৷ মুে §§’fl£€ র্দুট্রিাপুৰুর্টু €)’ ;’;; ৷ ,fi’:’
(#€£? অিরা বলল, এর জনে এক ইমারত তৈরি কর ৷ তারপর একে জ্বলম্ভ আগুনে
নিক্ষেপ কর ৷ তারা ইবরাহীমের বিরুদ্ধে চক্রাস্তের সংকল্প করেছিল, কিত্তু আমি তাদেরকে
অতিশয় হেয় করে দিলাম ৷) ইব্রাহীম (আ)-এর সাথে তারা যখন যুক্তি ও বিতর্কে এটে উঠতে
পারলো না, তাদের পক্ষে পেশ করার মত কােনই দলীলপ্ৰমাণ থাকল না, তখন তারা বিতর্কের
পথ এড়িয়ে শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগের পথ অবলম্বন করে যাতে করে নিজেদের নির্বুদ্ধিতা ও
হ্ঠকারিতা টিকিয়ে রাখতে পারে ৷ সুতরাং আল্লাহ সুবহানুহ্ তাআলাও তাদের চক্রান্তকে ব্যর্থ
করে দেয়ার কৌশল গ্রহণ করেন ৷ আল্লাহ বলেন :






তারা বলল, ইবরাহীমকে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের দেবতাদেরকে সাহায্য কর যদি

তোমরা কিছু করতে চাও ৷ আমি ব্ললাম , হে আগুন তুমি ইব্রাহীমের জন্যে শীতল ও নিরাপদ

হয়ে যাও ৷ তারা ইব্রাহীমের ক্ষতি সাধন করতে ঢেয়েছিল; কিন্তু আমি তাদেরকে করে দিলাম
সর্বাধিক ক্ষতিঃপ্লস্ত ৷ (সুরা আম্বিয়া : ৬৮ ৭০)

তারা বিভিন্ন স্থান থেকে সম্ভাব্য চেষ্টায় মাধ্যমে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে থাকে ৷ দীর্ঘদিন
পর্যন্ত তারা এ সংগ্রহের কাজে রত থাকে ৷ তাদের মধ্যে কোন মহিলা পীড়িত হলে মানত করত
যে, যদি সে আরােগ্য লাভ করে তবে ইব্রাহীম (আ) কে পােড়াবার লাকড়ি সংগ্রহ করে দেবে ৷
এরপর তারা বিরাট এক গর্ত তৈরি করে তার মধ্যে লাকড়ি নিক্ষেপ করে অগ্নি সংযোগ করে ৷
ফলে তীব্র দাহনে প্ৰজ্বলিত অগ্নিশিখড়া এত উর্ধে উঠতে থাকে, যার কোন তুলনা হয় না ৷ তারপর
ইব্রাহীম (আ)-কে মিনজানীক নামক নিক্ষেপণযরুন্ত্র বসিয়ে দেয় ৷ এই যন্ত্রটি কুর্দী সম্প্রদায়ের
হযােন নামক এক ব্যক্তি তৈরি করে ৷ মিনজানীক যন্ত্র সে-ই সর্ব প্রথম আবিষ্কার করে ৷ আল্লাহ
তাকে মাটির মধ্যে ধসিয়ে দেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত যে মাটির মধ্যে তলিয়ে যেতে থাকবে ৷
তারপর তারা ইব্রাহীম (আ)-কে আষ্টেপৃষ্ঠে রেধে টেনে হেচড়ে নিয়ে যেতে থাকে) তখন তিনি
বলতে থাকেন : éfl এট্রুপ্রুপুছু § ঞ্জো fl; §

(আপনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, আপনি মহা পবিত্র, বাদশাহীর মালিক কেবল
আপনিই, আপনার কোন শরীক সেই ৷) ইব্রাহীম (আ)-কে মিনজানীকের পাল্লাদ্বুট্রুাত-প৷ র্বৃাৰুা

অবস্থায় রেখে আগুনে নিক্ষেপ করা হয় ৷ তখন তিনি বলেন
(আমার জন্যে আল্লাহ-ই যথেষ্ট, তিনি উত্তম অভিভাবক) ৷ যেমন বুখারী শর্বীফে ইবন আব্বাস



فَرَأَيْتُ فِي بَيْتِهَا رُمْحًا مَوْضُوعًا فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ مَا تَصْنَعِينَ بِهَذَا الرُّمْحِ؟ قَالَتْ: هَذَا لِهَذِهِ الْأَوْزَاغِ نَقْتُلُهُنَّ بِهِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَدَّثَنَا «أَنَّ إِبْرَاهِيمَ حِينَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ لَمْ تَكُنْ فِي الْأَرْضِ دَابَّةٌ إِلَّا تُطْفِئُ عَنْهُ النَّارَ غَيْرَ الْوَزَغِ كَانَ يَنْفُخُ عَلَيْهِ» . فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ بِهِ.