سنة سبع من الهجرة النبوية
سرية أبي بكر الصديق إلى بني فزارة
পৃষ্ঠা - ৩২১৭
করছে ৷ মুসলমড়ানগণ ইয়াসীর ইবন রিযাম ইয়াহুদীর নিকট হাবিব হয়ে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে
বললেন, আপনাকে খায়বারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে
আপনার নিকট প্রেরণ করেছেন, মুসলিম সেনাদল তার সাথে অবস্থান করেন ৷ শেষ পর্যন্ত যে তার
ত্রিশজন লোকসহ তাদের সংগী হল ৷ প্রত্যেক মুসলমানের সংগে ছিল একজন কাফির সহযাত্রী ৷
যখন তারা খায়বারের ১০ কিলোমিটার দুরে কারকারাহনিয়ার ’নামক স্থানে পৌছলেন তখন
ইয়াসীর ইবন রিযাম সংকেড়াচবােধ করতে লাগল ৷ সে তার হাত দ্বারা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়ড়াহা
(রা) এর তলােওয়ারের দিকে ইংগিত করল ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) তার কৃমতলব আচ
করতে পেরে তার উটকে দ্রুত চালাতে লাগলেন ৷ এরপর তিনি উপস্থিত সকলকে সামনের দিকে
পরিচালিত করতে লাগলেন ৷ তিনি ইয়ড়াসীর এর পায়ে আঘাত করে তা কেটে ফেলেন ৷ ইয়াসীরও
পাল্টা আঘাত করল ৷ তার হাতে ছিল শাওহাত নামী শক্ত কাঠের রেলচা ৷ এটা দিয়ে সে আবদুল্লাহ
ইবন রাওয়াহা (রা)-এর চোখে মুখে আঘাত করল এবং তাকে সারাত্মকভাবে আহত করল ৷
প্রত্যেক মুসলমান তার সহযাত্রীর উপর আক্রমণ চালাল এবং তাদের একজন ব্যতীত প্রত্যেককে
হত্যা করা হল ৷ সে প্রাণ বীচিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ৷ মুসলমানদের কেউই নিহত হননি ৷
মদীনায় ফেরত আসার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) এর আহত স্থানে মুখের
লালা লাগিয়ে দিলেন, ফলে তাতে পুজ সৃষ্টি হয়নি বা তার মৃত্যু পর্যন্ত এজন্য তার কোন প্রকার
কষ্টও অনুভুত হয়নি ৷
বাশীর ইবন সা ’দ (রা)-এর অভিযান
ওয়াকিদী হতে সনদ সহকারে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ত্রিশজন আরোহীসহ বাশীর ইবন সা’দ
(বা) কে ফাদাক ভুখণ্ডের মুররা গোত্রের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাদের পওপালকে হীকিয়ে
নিয়ে আসার চেষ্টা করেন ৷ তারা তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তার সাথে যারা ছিলেন তাদের
সকলকে হত্যা করল ৷ তিনি ঐ দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন ৷ এরপর
তিনি ফাদাকে আশ্রয় নিলেন এবং এক ইয়াহ্রদীর কাছে রাত্রিযাপন করেন ৷ পরে তিনি মদীনায়
প্রত্যাবর্তন করেন ৷ ’
গালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর অভিযান
ওয়াকিদী বলেন , “রাসুলুল্লাহ্ (সা ) গালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা ) কে কতিপয় প্রবীণ সাহাবী
সহকারে বনু যুররাহ জনপদে প্রেরণ করেন ৷ ঐ সাহাবীগণের মধ্যে ছিলেন উসামা ইবন যায়দ
(রা) , আবুমাসউদ আল-বাদুরী (রা) , কা’ব ইবন উজরা (রা) প্রমুখ ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র বনু সালামার কিছু সংখ্যক বর্ণনাকারী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পালিব ইবন আবদুল্লাহ আল-কালবী (রা) কে বনুযুররার বসত্যিত প্রেরণ
করেন ৷ এ যুদ্ধে বনু মুররার মিত্র মিরদাস ইবন নুহায়ক নিহত হয় ৷ তাকে উসামা (রা) হত্যা
করেন ৷ ইবন ইসহাক উসামা ইবন যায়দ (রা)-এর বরাওে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বণেন ,
“আমার একজন আনসারী ভাইও আমি হুরুক্যতের এক, ব্যক্তি মিরদাস ইবন নুহায়কের উপর
হামলা করলাম ৷ যখন তার উপর তলোয়ার চালনা করলাম ও তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলাম
[سَرِيَّةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ إِلَى بَنِي فَزَارَةَ]
قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": جِمَاعُ أَبْوَابِ السَّرَايَا الَّتِي تُذْكَرُ بَعْدَ فَتْحِ خَيْبَرَ وَقَبْلَ عُمْرَةِ الْقَضِيَّةِ، وَإِنْ كَانَ تَارِيخُ بَعْضِهَا لَيْسَ بِالْوَاضِحِ عِنْدَ أَهْلِ الْمَغَازِي. سَرِيَّةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ إِلَى بَنِي فَزَارَةَ
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، ثَنَا إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ، وَأَمَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْنَا، فَغَزَوْنَا بَنِيَ فَزَارَةَ، فَلَمَّا دَنَوْنَا مِنَ الْمَاءِ، أَمَرَنَا أَبُو بَكْرٍ فَعَرَّسْنَا، فَلَمَّا صَلَّيْنَا الصُّبْحَ أَمَرَنَا أَبُو بَكْرٍ فَشَنَنَّا الْغَارَةَ، فَقَتَلْنَا عَلَى الْمَاءِ مَنْ قَتَلْنَا. قَالَ سَلَمَةُ: ثُمَّ نَظَرْتُ إِلَى عُنُقٍ مِنَ النَّاسِ فِيهِ مِنَ الذُّرِّيَةِ وَالنِّسَاءِ، نَحْوَ الْجَبَلِ وَأَنَا أَعْدُو فِي آثَارِهِمْ، فَخَشِيتُ أَنْ يَسْبِقُونِي إِلَى الْجَبَلِ، فَرَمَيْتُ بِسَهْمٍ فَوَقَعَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْجَبَلِ. قَالَ: فَجِئْتُ بِهِمْ أَسُوقُهُمْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ حَتَّى أَتَيْتُهُ عَلَى الْمَاءِ، وَفِيهِمُ امْرَأَةٌ مِنْ فَزَارَةَ عَلَيْهَا قَشْعٌ مِنْ أَدَمِ، وَمَعَهَا ابْنَةٌ لَهَا مِنْ أَحْسَنِ الْعَرَبِ. قَالَ: فَنَفَّلَنِي أَبُو بَكْرٍ بِنْتَهَا. قَالَ: فَمَا كَشَفْتُ لَهَا ثَوْبًا حَتَّى قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ، ثُمَّ بِتُّ فَلَمْ