আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة صالح نبي ثمود عليه الصلاة والسلام

ذكر مرور النبي صلى الله عليه وسلم بوادي الحجر من أرض ثمود عام تبوك

পৃষ্ঠা - ৩১৯


সাধ্যমত চেষ্টমৃ করেছিলাম ৷ কথায়, কাজে ও সদিচ্ছা দিয়ে তা একাত্তভাবে কামনা কঃরছিললড়াম
র্চু,ট্টাম্রা (, ^,শুপু;; র্শ্ব;,হ্রা^ দ্বু(কিন্তু হিতাকাজ্জীদেরকে তোমরা পছন্দ কর না) অর্থাৎ
সত্য ঠোমরড়া কবুল করনি আর না কবুল করতে প্রস্তুত ছিলে ৷ এ কারণেই আজ তোমরা
চিরস্থায়ী আযাবের মধ্যে পড়ে রয়েছ ৷ এখন আমার আর করার কিছুই নেই ৷ তোমাদের থেকে
আমার দুর করার কোন শক্তি আমার আদৌ নেই ৷ আল্লাহর বাণী পৌছিয়ে দেয়া ও উপদেশ
দেয়ার দায়িতৃই আমার উপর ন্যস্ত ছিল ৷ সে দায়িত্ব আমি পালন করেছি ৷ কিত্তু কার্যত সেটাই

হয় যেটা আল্লাহ চান ৷

শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)ও অনুরুপভাবে বদর প্রান্তরে অবস্থিত কুপে নিক্ষিপ্ত নিহত
কাফির সর্দারদের লাশগুলো সম্বোধন করে ভাষণ দিয়েছিলেন ৷ বদর যুদ্ধে নিহত কুরায়শ
সর্দারকে বদরের কুপে নিক্ষেপ করা হয় ৷ তিনদিন পর শ্বেষরাতে ময়দান ত্যাগ করার সময়
রাসুলুল্লাহ (সা) উক্ত কুপের নিকট দাড়িয়ে বলেছিলেন, “হে কুপবাসীরা! তোমাদের সাথে
তোমাদের প্রভু যে ওয়াদা করেছিলেন তার সত্যতা দেখতে পেয়েছো তো? আমার সাথে আমার
প্রভৃর যে ওয়াদা ছিল তা আমি পুরোপুরি সত্যরুপে পেয়েছি ৷’ রাসুলুল্লাহ (সা) আরও বলেন,
তোমরা হচ্ছ নবীর নিকৃষ্ট পরিজন ৷ তোমরা তো তোমাদের নবীকে মিথুকে প্রতিপন্ন করছ ৷
কিন্তু অন্য লোকেরা আমাকে সত্য বলে স্বীকার করেছে ৷ তোমরা আমাকে দেশ থেকে বের করে
দিয়েছ ৷ অন্যরা আমাকে আশ্রয় দিয়েছে ৷ তোমরা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছো,
পক্ষান্তরে অন্যরা আমাকে সাহায্য করেছে তোমরা তোমাদের নবীর কত জঘন্য পরিজন
ছিলে !”

হযরত উমর (রা) রাসুলুল্লাহ (না)-কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ৷ আপনি এমন একদল
লোকের সাথে কথা বলছেন, যারা লাশ হয়ে পড়ে আছে ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, “যে মহান
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার শপথ করে বলছি, আমি যেসব কথাবার্তা বলছি তা ওদের
চেয়ে তোমরা মোটেই বেশি শুনছ না; যিভু তারা উত্তর দিচ্ছে না এই না ৷”


পরে যথাস্থানে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আসবে ইনশাআল্লাহ ৷ কথিত আছে, হযরত
সালিহ্ (আ) এ ঘটনার পর হারম শরীফে চলে যান এবং তার ইস্তিকাল পর্যন্ত লেখানেই
অবস্থান করেন ৷

ইমাম আহমদ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, বিদায় হজাের প্রাক্কালে রাসুলুল্লাহ
(না) যখন উস্ফান উপত্যকা অতিক্রম করেন তখন জিজ্ঞেস করেন, হে আবু বকর ! এটা কোন
উপত্যকা? আবু বকর (বা) বলেন, এটা উসৃফান উপত্যকা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, এই স্থান
দিয়ে হুদ ও সালিহ্ (আ) নবীদ্বয় অতিক্রম করেছিলেন ৷ তাদের বাহন হিল উটনী, লাপাম হিল
খেজুর গাছের ছাল দ্বারা তৈরি রশি, পরনে ছিল জোব্বা এবং গায়ে ছিল চাদর ৷ হম্ভজ্জর উদ্দেশ্যে
তালবিয়া (-,;াছুা) পড়তে পড়তে র্তার৷ আল্লাহর ঘর তওয়াফ করছিলেন ৷ এ হাদীসের সনদ
হাসান পর্যায়ের ৷ হযরত নুহ্ নবীর আলোচনায় তড়াবারানী থেকে এ হড়াদীসটি উদ্ধৃত করা
হয়েছে সেখানে নুহ,হ্র হদ ও ইব্রাহীম (আ) এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৷


[ذِكْرُ مُرُورِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْحِجْرِ مِنْ أَرْضِ ثَمُودَ عَامَ تَبُوكَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «لَمَّا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ عَلَى تَبُوكَ نَزَلَ بِهِمُ الْحِجْرَ عِنْدَ بُيُوتِ ثَمُودَ، فَاسْتَقَى النَّاسُ مِنَ الْآبَارِ الَّتِي كَانَتْ تَشْرَبُ مِنْهَا ثَمُودُ، فَعَجَنُوا مِنْهَا وَنَصَبُوا الْقُدُورَ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ فَأَهْرَاقُوا الْقُدُورَ، وَعَلَفُوا الْعَجِينَ الْإِبِلَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ بِهِمْ حَتَّى نَزَلَ بِهِمْ عَلَى الْبِئْرِ الَّتِي كَانَتْ تَشْرَبُ مِنْهَا النَّاقَةُ، وَنَهَاهُمْ أَنْ يَدْخُلُوا عَلَى الْقَوْمِ الَّذِينَ عُذِّبُوا، وَقَالَ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ» . وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْحِجْرِ: «لَا تَدْخُلُوا عَلَى هَؤُلَاءِ الْمُعَذَّبِينَ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ» . أَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ. وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا مَرَّ بِمَنَازِلِهِمْ قَنَّعَ رَأْسَهُ، وَأَسْرَعَ رَاحِلَتَهُ، وَنَهَى عَنْ دُخُولِ مَنَازِلِهِمْ «إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ» . وَفِي رِوَايَةٍ «فَإِنْ لَمْ تَبْكُوا فَتَبَاكَوْا، خَشْيَةَ أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ» . صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩২০


তবুক যুদ্ধের সময় ছামুদ জাতির আবাসভৃমি
হিজ্র উপত্যকা দিয়ে রাসুলুল্লাহ (না) এর গমন

ইমাম আহমদ ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তাবুক অভিযানকালে রাসুলুল্লাহ (সা)
সদলবলে হিজ্বর উপত্যকায় অবতরণ করেন ৷ যেখানে ছামুদ জাতি বসবাস করত ৷ ছামুদ
সম্প্রদায় যেসব কুপের পানি পান করত, লোকজন সেসব কুপের পানি ব্যবহার করে ৷ এ পানি
দিয়ে আটার খামীর তৈরি করে এবং যথারীতি ডেকচি উনুনে চড়ান ৷ এমন সময় রাসুলুল্লাহ
(সা) এর নির্দেশ আমার তারা ডেকচির খাদ্য ফেলে দিয়ে খামীর উটকে খেতে দেন ৷ তারপর
তিনি সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে যে কুপ থেকে আল্লাহর ট্য়ী পানি পান করত সে কুপের
নিকট অবতরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ণ্লাকজনকে সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির বাসন্থানে যেতে
নিষেধ করেন ৷ তিনি বললেন, “আমার আশংকা হয় তোমাদের উপর না তাদের মত আযাব
আপতিত হয় ৷ সুতরাং তোমরা তাদের ঐ স্থানে প্রবেশ করো না ৷ ” ইমাম আহমদ (র)
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে অন্য এক বর্ণনায় বলেন, হিজ্বরে অবস্থানকালে রাসুল (সা)
বলেছিলেন : তোমরা আল্লাহর গযবে ধ্বংস প্রাপ্তদের ঐসব বাসস্থানে কান্নারত অবস্থায় ছাড়া
যেয়ো না, যদি একান্তই কান্না না আসে তাহলে সেখানে আদৌ যেয়াে না ৷ যে আমার তাদের
উপর এসেছিল, সেরুপ আমার তোমাদের উপরও না পতিত হয়ে যায় ৷ বুখারী ও যুসলিমে
একাধিক সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনায় এভাবে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) যখন ছামুদ জাতির এলাকা অতিক্রম করেন তখন মাথা ঢেকে রাখেন, বাহনকে দ্রুত
চালান এবং কান্নারত অবস্থায় ব্যতীত কাউকে তাদের বাসন্থানে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন ৷
অন্য বর্ণনায় এতট্কু বেশি আছে যে, “যদি একান্তই কান্না না আসে তবে কান্নার ভঙ্গী অবলম্বন
কর এই ভয়ে যে, তাদের উপর যে আমার এসেছিল, অনুরুপ আমার তোমাদের উপরও না এসে
পড়ে ৷ ’

ইমাম আহমদ (র) আমের ইবন সাদ (রা) থেকে বর্ণনা ”করেন : তাবুক যুদ্ধে গমনকালে
লোকজন দ্রুত অগ্রসর হয়ে হিজ্বরবাসীর বাসস্থানে প্রবেশ করতে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর
নিকট এ সংবাদ পৌছলে তিনি লোকজনের মধ্যে ঘোষণা করে দেন ম্বু ৷প্রু ; ৷ ,;৷ ৷ অর্থাৎ
সালাত আদায় করা হবে ৷ অড়ামের (রা) বলেন এ সময় আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট
উপস্থিত হই ৷ তিনি তখন নিজের বাহন উট থামাচ্ছিলেন এবং বলছিলেনষ্ক তোমরা কেন ঐসব
লোকের বাসস্থানে প্রবেশ করছ, যাদের উপর আল্লাহ গযব নাযিল করেছেন ৷ এক ব্যক্তি
আশ্চর্যাযিত হয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আশ্চর্যজনক বস্তু হির্সেবৈ এগুলো দেখৃছি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি কি এর চেয়ে অধিক আশ্চর্যের কথা তোমাদেরকে বলবো না ৷ তা
হল এই যে, তোমাদের মধ্যেই এক ব্যক্তি তোমাদেরকে সেসব ঘটনা বলে দেয় যা তোমাদের
পুর্বে অতীত হয়ে গেছে এবং সেসব ঘটনার কথাও বলে যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হয়ে ৷ অতএব,
তোমরা সত্যের উপর অটল-অবিচল হয়ে থাক ৷ তা না হলে আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দিতে
বিন্দুমাত্র পরােয়া করবেন না ৷ শীঘ্রই এমন এক জাতির আবির্ভাব হয়ে যারা তাদের উপর আগত
শাস্তি থেকে নিজেদেরকে বিন্দুমাত্র রক্ষা করতে পারবে না ৷ এ হাদীসের সনদ হাসান’ পর্যায়ের
কিন্তু অন্য হাদীস গ্রন্থকারপণ এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি ৷ কথিত আছে যে, সালিহ্ (আ) এর


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَوْسَطَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي كَبْشَةَ الْأَنْمَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، وَاسْمُهُ: عَمْرُو بْنُ سَعْدٍ، وَيُقَالُ: عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَمَّا كَانَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، فَسَارَعَ النَّاسُ إِلَى أَهْلِ الْحِجْرِ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِمْ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَادَى فِي النَّاسِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ مُمْسِكٌ بَعِيرَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: مَا تَدْخُلُونَ عَلَى قَوْمٍ غَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ؟ فَنَادَاهُ رَجُلٌ: نَعْجَبُ مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: أَفَلَا أُنَبِّئُكُمْ بِأَعْجَبَ مِنْ ذَلِكَ؟ رَجُلٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ يُنَبِّئُكُمْ بِمَا كَانَ قَبْلَكُمْ، وَمَا هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكُمْ فَاسْتَقِيمُوا وَسَدِّدُوا، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَعْبَأُ بِعَذَابِكُمْ شَيْئًا، وَسَيَأْتِي قَوْمٌ لَا يَدْفَعُونَ عَنْ أَنْفُسِهِمْ بِشَيْءٍ» . إِسْنَادٌ حَسَنٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ قَوْمَ صَالِحٍ كَانَتْ أَعْمَارُهُمْ طَوِيلَةً، فَكَانُوا يَبْنُونَ الْبُيُوتَ مِنَ الْمَدَرِ فَتَخْرَبُ قَبْلَ مَوْتِ الْوَاحِدِ مِنْهُمْ، فَنَحَتُوا لَهُمْ بُيُوتًا فِي الْجِبَالِ، وَذَكَرُوا أَنَّ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا سَأَلُوهُ آيَةً، فَأَخْرَجَ اللَّهُ لَهُمُ النَّاقَةَ مِنَ الصَّخْرَةِ أَمَرَهُمْ بِهَا وَبِالْوَلَدِ الَّذِي كَانَ فِي جَوْفِهَا، وَحَذَّرَهُمْ بَأْسَ اللَّهِ إِنْ هُمْ نَالُوهَا بِسُوءٍ، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ سَيَعْقِرُونَهَا، وَيَكُونُ سَبَبُ هَلَاكِهِمْ ذَلِكَ، وَذَكَرَ لَهُمْ صِفَةَ عَاقِرِهَا، وَأَنَّهُ أَحْمَرُ أَزْرَقُ أَصْهَبُ، فَبَعَثُوا الْقَوَابِلَ فِي الْبَلَدِ مَتَى وَجَدُوا مَوْلُودًا بِهَذِهِ الصِّفَةِ يَقْتُلْنَهُ، فَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ دَهْرًا طَوِيلًا، وَانْقَرَضَ جِيلٌ وَأَتَى جِيلٌ آخَرُ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الْأَعْصَارِ خَطَبَ رَئِيسٌ
পৃষ্ঠা - ৩২১


সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘায়ু হতো ৷ মাটির ঘর বানিয়ে তারা বাস করত ৷ কিন্তু কারোর মৃত্যুর
পুর্বেই তার ঘর বিনষ্ট হয়ে যেত ৷ এ কারণে তারা পাহাড় ণ্ কটে প্রাসাদ নির্মাণ করত ৷
ইতিহাসরেত্তাণণ লিখেছেন, হযরত সালিহ্ (আ)-এর নিকট নিদর্শন দাবি করলে আল্লাহ ঐ
কওমের জন্যে উটনী প্রেরণ করেন ৷ একটি পাথর থেকে উটনীটি বের হয়ে আসে ৷ এই উটনী
ও তার পেটের বাচ্চার সাথে দৃর্ব্যবহার করতে তাদেরকে তিনি নিষেধ করেন ৷ দুর্ব্যবহ্ার করলে
আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি আসবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন ৷ তিনি আরও জানিয়ে দেন যে,
শীঘ্রই এরা উটর্নীটিকৈ হত্যা করবে এবং এর কারণেই তারা ধ্বংস হয়ে ৷ যে ব্যক্তি উটনীটিকে
হত্যা করবে তিনি তার পরিচয়ওতৃলে ধরেন ৷ তার গায়ের রঙ হবে পৌর, চোখের রঙ নীল
এবং তার চুল হবে পিঙ্গল্বর্ণের ৷ সম্প্রদায়ের লোকজন এই বৈশিটোর কোন শিশু জন্মগ্রহণ
করলে সাথে সাথে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গোটা জনপদে ধ্াত্রীদের নিয়োজিত করে ৷ এই
অনুসন্ধান দীর্ঘকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ৷ এ তাৰ্ এক প্রজন্মের পর অন্য প্রজন্মের অবসান
ঘটে ৷
তারপর এক সময়ে উক্ত সম্প্রদায়ের এক সর্দার ব্যক্তির পুত্রের সাথে আর এক সর্দার
ব্যক্তির কন্যার বিবাহের প্রস্তাব দেয় ৷ সেমতে বিবাহও হয় ৷ এই দম্পতির ঘরেই উটনীর
হত্যাকারীর জন্ম হয় ৷ শিশুটির নাম রাখা হয় কিদার ইবন সালিফ্ ৷ সন্তানের পিতা-মাতা ও
বাপ-দাদ৷ স্যাস্ত ও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ধাত্রীদের পক্ষে তাকে হত্যা করা পরে হলো না ৷
শিশুটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷ অন্য শিশুরা এক মাসে যতটুকু বড় হয় সে এক সষ্াহে ততটুকু
বড় হয়ে যায় ৷ এভাবে গাে সম্প্রদায়ের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যআিপে মোঃ করে ৷ সবাই
তাকে নেতা হিসেবে মেনে চলে ৷ এক পর্যায়ে তার মনের মধ্যে উটনী হত্যা করার বাসনার
উদ্রেক হয় ৷ সম্প্রদায়ের আরও আট ব্যক্তি এ ব্যাপারে তাকে অনুসরণ করে ৷ এই নয়জন
সোকই হযরত সালিহ্ (আ)-কেও হত্যা করার পরিকল্পনা করে ৷ এরপর যখন উটনী হত্যার
ঘটনা সংঘটিত হলো এবং সালিহ্ (আ)-এর নিকট এ সংবাদ পৌহাল, তখন তিনি র্কাদতে
র্কাদতে সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট যান ৷ সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় সোকের৷ সর্বীর কাছে এই
কথা বলে ওজর পেশ করার যে, আমাদের নেতৃস্থানীয় কারো দ্বারা এ ঘটনা ঘটেনি ৷ ঐ
কয়েকজন অল্প বয়সী যুবক এ ঘটনাটি সটি য়েহে ৷
কথিত আছে যে, তপন সাণিহ্ (আ) এর প্রতিকার হিস্যা,ব্ল উটর্নীটির বাচ্চাটিকে নিয়ে এসে
তার সাথে উত্তম ব্যবহার করার নির্দেশ দেন ৷ লোকজন রাচ্চাকে ধরে আমার জন্যে অগ্রসর
হলে রাচ্চাটি পাহুাড়ে উঠে যায় ৷ সােকজনও পিছে পিছে পাহাড়ে উঠল ৷ কিন্তু বাচ্চা আরও
উপরে উঠে পাহাড়ের শীর্ষে চলে যায়, যেখানে তারা পৌহতে সক্ষম হয়নি ৷ বাচ্চা সেখানে গিয়ে
, চোখের পানি যেন্াস কাদঙে থাকে ৷ তারপর ণ্সট্রু হযরত সালিহ্ (আ) এর দিকে মুখ ফিরিয়ে
তিনবার তাক দ্যো ৷ তপন সালিহ্ (আ) সম্প্রর্দারষ্কে সক্ষ্ম করে ৰ্ল্’ক্ষো, তোমরা তিনদিন পর্যন্ত
ব্াড়িঙে রসে আরন উপভোগ কর--এ এমন এক ওরাদ৷ যা মিথ্যা হবার নয় ৷ নবী তাদেরকে
আরও জানাংসপ ন্জা৷াঙ্গীকাপ ৷ষ্ঠাংাদের চেহার৷ ফ্যাকাশ্বে হয়ে যাবে, পরের দিন রত্তিম এবং
ণ্শ্ তডীয দিন কাণে৷ রস্কটুন্ ধ্ারং৷ জ্যো৷ চছুর্থ দিয়ে এক স্পোসব্দ এসে তাদেরকে আঘাত হানে ৷
; ফাং৷ তক্ষো নিজ নিজ রয়ে ম্রে ষ্টপুজ় হয়ে পড়ে পাৰে ৷ এ রর্ণনার সাথে কোন কোন দিক
ৰু প্ সশ্যা প্রশ্নের অমিঃাশ মোঃ অ্যাংলোঃসের ঙ্গুষ্পষ্ট বর্ণনার সংখ্যাঃ যা হতিপুর্ধে আমরা

শ্অলোঃ৷ করে মোঃ ৷ সঠিক ঙ্ঘ খ্যাঃ অ্যাং ৷


مِنْ رُؤَسَائِهِمْ عَلَى ابْنِهِ بِنْتَ آخَرَ مِثْلِهِ فِي الرِّيَاسَةِ، فَزَوَّجَهُ فَوُلِدَ بَيْنَهُمَا عَاقِرُ النَّاقَةِ، وَهُوَ قُدَارُ بْنُ سَالِفٍ، فَلَمْ تَتَمَكَّنِ الْقَوَابِلُ مِنْ قَتْلِهِ لِشَرَفِ أَبَوَيْهِ وَجَدَّيْهِ فِيهِمْ، فَنَشَأَ نَشْأَةً سَرِيعَةً فَكَانَ يَشِبُّ فِي الْجُمُعَةِ، كَمَا يَشِبُّ غَيْرُهُ فِي شَهْرٍ، حَتَّى كَانَ مِنْ أَمْرِهِ أَنْ خَرَجَ مُطَاعًا فِيهِمْ رَئِيسًا بَيْنَهُمْ، فَسَوَّلَتْ لَهُ نَفْسُهُ عَقْرَ النَّاقَةِ، وَاتَّبَعَهُ عَلَى ذَلِكَ ثَمَانِيَةٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَهُمُ التِّسْعَةُ الَّذِينَ أَرَادُوا قَتْلَ صَالِحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَمَّا وَقَعَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا وَقَعَ مِنْ عَقْرِ النَّاقَةِ، وَبَلَغَ ذَلِكَ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ جَاءَهُمْ بَاكِيًا عَلَيْهَا فَتَلَقَّوْهُ يَعْتَذِرُونَ إِلَيْهِ، وَيَقُولُونَ: إِنَّ هَذَا لَمْ يَقَعْ عَنْ مَلَأٍ مِنَّا، وَإِنَّمَا فَعَلَ هَذَا هَؤُلَاءِ الْأَحْدَاثُ فِينَا، فَيُقَالُ إِنَّهُ أَمَرَهُمْ بِاسْتِدْرَاكِ سَقْبِهَا حَتَّى يُحْسِنُوا إِلَيْهِ عِوَضًا عَنْهَا، فَذَهَبُوا وَرَاءَهُ فَصَعِدَ جَبَلًا هُنَاكَ، فَلَمَّا تَصَاعَدُوا فِيهِ وَرَاءَهُ تَعَالَى الْجَبَلُ حَتَّى ارْتَفَعَ فَلَا يَنَالُهُ الطَّيْرُ، وَبَكَى الْفَصِيلُ حَتَّى سَالَتْ دُمُوعُهُ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَرَغَا ثَلَاثًا فَعِنْدَهَا قَالَ صَالِحٌ: {تَمَتَّعُوا فِي دَارِكُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ ذَلِكَ وَعْدٌ غَيْرُ مَكْذُوبٍ} [هود: 65] . وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ يُصْبِحُونَ مِنْ غَدِهِمْ صُفْرًا، ثُمَّ تَحْمَرُّ وُجُوهُهُمْ فِي الثَّانِي، وَفِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ تَسْوَدُّ وُجُوهُهُمْ، فَلَمَّا كَانَ فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ أَتَتْهُمُ صَيْحَةٌ فِيهَا صَوْتُ كُلِّ صَاعِقَةٍ فَأَخْمَدَتْهُمْ فَأَصْبَحُوا فِي دَارِهِمْ جَاثِمِينَ، وَفِي بَعْضِ هَذَا السِّيَاقِ نَظَرٌ وَمُخَالَفَةٌ لِظَاهِرِ مَا يُفْهَمُ مِنَ الْقُرْآنِ فِي شَأْنِهِمْ وَقِصَّتِهِمْ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ، وَهُوَ حَسْبُنَا وَنِعْمَ الْوَكِيلُ.