আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

ذكر قدوم جعفر بن أبي طالب

পৃষ্ঠা - ৩১৭৫

১ জা ফর ইবন আবু৩ তালির আল হ শিমী ও তার শ্রী আসম৷ বিনত উমাইস (বা) ৷ তার পুত্র
আবদুল্লাহ যিনি হাবশায় জন্মগ্রহণ করেন ৷

২ খালিদ ইবন সাঈদ ইবন আল আল ইবন উম৷ ইয়৷ ইবন অ বদে ণ্া৷মস (রা) ৷৩ তার ত্রী
উমাইনা১ বিনত থালফ ইবন স৷ দ,৩ তার পুত্র সাঈদ যিনি হাবশায় জনাগ্নহণ করেন ৷
ও তার মাতা বিনত খালিদ, তার ভাই আমর ইবন সাঈদ (রা)৷

৪ মুঅড়াবঈব ইবন আবু ফাতিমা ৷ তিনি সাঈদ ইবন আল অসে এর পরিবারের সাথে
ছিলেন ৷

৫ আবু মুসা আল-অম্পেআরী আবদুল্লাহ ইবন কায়স (বা) , ইনি উতবা ইবন রাবীআর
পরিবারের মিত্র ছিলেন ৷

৬ আসওয়াদ ইবন নওফল ইবন থুয়ায়লিদ ইবন আসাদুল আসাদী

৭ জাহ্ম ইবন কায়স ইবন আবদু সুরাহ্বীল আল-আবদারী , তীর স্বী উম্মু হারমাল৷ বিন্ত
আবদুল আসওয়াদ যিনি হাবশায় মারা যান ৷ তার এক ছেলে আমর , এক মেয়ে খুযাইম৷ , দু’জনই
হাবশায় মারা যান ৷

৮ আমির ইবন আবু ওয়াক্কাস আয-যুহরী (বা) ৷

৯ উতবা ইবন মাসউদ (রা) হুযায়ল গোত্রের মিত্র ৷

১০ হারিছ ইবন থালিদ ইবন সখর আ৩ তায়মী, তার ত্রী রী৩ তা বিনত হারিছ (বা) ৷

১ ১ উছমান ইবন রা ৷বী আ ইবন আহব৷ ন আল-জুমাহী ৷

১ ২ মাহ্যীয়া ইবন জুয়৷ যুবায়দী, বনু ছাহমের মিত্র ৷

১৩ মা’মার ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন নুদলা আল-আদয়ী ৷

১৪ আবু হাতির ইবন আমর ইবন আরদে শামৃস ৷

১৫ মালিক ইবন রাবীআ ইবন কায়স ইবন আরদে শাম্স আল আমিরী , তার শ্রী আমৃরাহ
বিনত সাদী (বা) ৷

১৬ হারিছ ইবন আবদু শামস ইবন লাকীত আল-ফিহরী (রা) ৷

গ্রন্থকা র (র) বলেন, ইবন ইসহাক ঐ সকল আশআরীর নাম উল্লেখ করেননি যার৷ আবু মুসা
আল আশআরী ও তার দুই ভাই আবু বুরদা ও আবু রুহম এবং তার চাচা আবু আমরের সাথে
ছিলেন; বরং তিনি আবু মুসা আল আশআবী ব্যতীত অন্য কোন আশআরীর উল্লেখ করেননি,
এমনকি তার চাইতে বয়ােজেষ্ঠ তার দুই ভাইয়েরও কোন উল্লেখ করেননি ৷ অথচ সহীহ

বুখারীতে তাদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে ৷ সম্ভবত ইবন ইসহাক এ সম্পর্কে আবু মুসা
(রা) এর হা ৷দীছ সম্বন্ধে অবগত ছিলেন না ৷ আল্লাহ্ত ৷লাই অধিক জ্ঞা ৷ত ৷

রাবী বলেন, দুটি জাহাজের মধ্যে৩ তাদের সাথে ঐ মুসলিম মহিলারাও ছিলেন যাদের স্বামীগণ

সেখানে ইনতিকাল করেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী (র) এ সম্পর্কে বহু চমৎকার তথ্য পরিবেশন
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমাদেরকে আলী ইবন আবদুল্লাহ্ (র) আমরাস৷ ইবন



১ ইসাব৷ গ্রন্থে৩ তার নাম উমায়ম৷ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷


[ذِكْرُ قُدُومِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ] ٍ وَمَنْ كَانَ بَقِيَ بِالْحَبَشَةِ مِمَنْ هَاجَرَ إِلَيْهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَمَنِ انْضَمَّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُخَيِّمٌ بِخَيْبَرَ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ، فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِينَ إِلَيْهِ أَنَا وَأَخَوَانِ لِي، أَنَا أَصْغَرُهُمْ، أَحَدُهُمَا أَبُو بُرْدَةَ، وَالْآخَرُ أَبُو رُهْمٍ - إِمَّا قَالَ: فِي بِضْعٍ. وَإِمَّا قَالَ: فِي ثَلَاثَةٍ وَخَمْسِينَ، أَوِ اثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ رَجُلًا مِنْ قَوْمِي - فَرَكِبْنَا سَفِينَةً، فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ، فَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيعًا، فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، فَكَانَ أُنَاسٌ مِنَ النَّاسِ يَقُولُونَ لَنَا - يَعْنِي لِأَهْلِ السَّفِينَةِ -: سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ. وَدَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَهِيَ مِمَنْ قَدِمَ مَعَنَا، عَلَى حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَائِرَةً، وَقَدْ كَانَتْ هَاجَرَتْ إِلَى النَّجَاشِيِّ فِيمَنْ هَاجَرَ، فَدَخَلَ عُمَرُ عَلَى حَفْصَةَ، وَأَسْمَاءُ عِنْدَهَا، فَقَالَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَسْمَاءَ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالَتْ: أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ قَالَ عُمَرُ:
পৃষ্ঠা - ৩১৭৬
الْحَبَشِيَّةُ هَذِهِ؟ الْبَحْرِيَّةُ هَذِهِ؟ قَالَتْ أَسْمَاءُ: نَعَمْ. قَالَ: سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ، فَنَحْنُ أَحَقُّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْكُمْ. فَغَضِبَتْ وَقَالَتْ: كَلَّا وَاللَّهِ، كُنْتُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُطْعِمُ جَائِعَكُمْ، وَيَعِظُ جَاهِلَكُمْ، وَكُنَّا فِي دَارِ - أَوْ فِي أَرْضِ - الْبُعَدَاءِ وَالْبُغَضَاءِ بِالْحَبَشَةِ، وَذَلِكَ فِي اللَّهِ وَفِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَايْمُ اللَّهِ لَا أَطْعَمُ طَعَامًا وَلَا أَشْرَبُ شَرَابًا حَتَّى أَذْكُرَ مَا قُلْتَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَسْأَلُهُ، وَوَاللَّهِ لَا أَكْذِبُ وَلَا أَزِيغُ وَلَا أَزِيدُ عَلَيْهِ. فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنَّ عُمَرَ قَالَ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: " فَمَا قُلْتِ لَهُ؟ " قَالَتْ: قَلْتُ كَذَا وَكَذَا قَالَ: " «لَيْسَ بِأَحَقَّ بِي مِنْكُمْ، وَلَهُ وَلِأَصْحَابِهِ هِجْرَةٌ وَاحِدَةٌ، وَلَكُمْ أَنْتُمْ أَهْلَ السَّفِينَةِ هِجْرَتَانِ» ". قَالَتْ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ يَأْتُونِي أَرْسَالًا يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، مَا مِنَ الدُّنْيَا شَيْءٌ هُمْ بِهِ أَفْرَحُ وَلَا أَعْظَمُ فِي أَنْفُسِهِمْ مِمَّا قَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ أَبُو بُرْدَةَ: قَالَتْ أَسْمَاءُ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى، وَإِنَّهُ لَيَسْتَعِيدُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنِّي. وَقَالَ أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَعْرِفُ أَصْوَاتَ رُفْقَةِ الْأَشْعَرِيِّينَ بِالْقُرْآنِ، حِينَ يَدْخُلُونَ بِاللَّيْلِ، وَأَعْرِفُ مَنَازِلَهُمْ مِنْ أَصْوَاتِهِمْ بِالْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ، وَإِنْ كُنْتُ لَمْ أَرَ مَنَازِلَهُمْ حِينَ نَزَلُوا بِالنَّهَارِ، وَمِنْهُمْ حَكِيمٌ، إِذَا لَقِيَ الْعَدُوَّ - أَوْ قَالَ: الْخَيْلَ - قَالَ لَهُمْ: إِنَّ أَصْحَابِي يَأْمُرُونَكُمْ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৭

সাঈদ এর সনরুদ বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রা) রাসুলুল্লাহ্ ( সা) এর দরবারে
উপস্থিত হয়ে খায়বারের গনীমতের অংশ চা ছিলেন ৷ তখন বনু সাঈদ ইবন আলআশের এক ব্যক্তি
বলল, তাকে গনীমতের অংশ দেবেন না ৷ খনত আবু হুরায়রা (বা) বলেন, “এ লোকটি প্রসিদ্ধ
সাহাবী ইবন কুকালের হতাকা ৷রী ৷ ” তখন লোকটি বলল, “এ লিক্লিকে সাপঢির আগমনে আমি
অবাক হচ্ছি ৷ যাল নামক পর্বতের চুড়া হতে নেমে এসেছে ৷ এটা বুখারী (র)-এর একক বর্ণনা৷

বুখারী (বা) বলেন আমবাসা ইবন সাঈদের বরাতে ঘুবায়দী (র) বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “আবু হুরায়রা (রা) সাঈদ ইবনুল আসকে সংবাদ দেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মদীনা হতে নজদের দিকে আবানকে একটি অভিযানের দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন ৷ আবু হুরায়রা (রা)
বলেন, খায়বার জয়ের পর আবান এবং তার সাথিপণ খায়বারে রাসুলুরুম্রড়াহ্ (সা)এর সাথে সাক্ষাৎ
করেন ৷ এসময় তাদের ঘোড়া র দড়ি ছিল থেজুরের পাতায় নিঃবত ৷ আবু হুরায়রা ( বা) বলেন,
আমি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কে বাংলায়, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! তাদেরকে ন্াৰীমতের কোন অংশ দেবেন
না ৷ ” আবান তখন বলে উঠলেন : “এ ব্যাপারে তুমি কেন কথা বলছ ? হে খরগােস ! তুমিত
যাল নামক পর্বতের চুড়া হতে নেমে এসেছ ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “ হে আধান, তুমি বসে
পড় ৷ ’রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কোন অংশ দিলেন না ৷

এ হাদীছটি আবু দাউদ (ব) ষুবাইদী থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

এরপর ইমাম বুখারী (ব) সাঈদ ইবন আমর (বা) এর সনদে বলেন, আধান ইবন
সাঈদ (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসলেন এবং সালাম দিলেন ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলে
উঠলেন, ইয়৷ বাসুলাল্লাহ্ ! এ ব্যক্তিটিই ইবন কুকালের হতাকােরী ৷ আবান (বা) আবু হুরায়রা
(রা) কে বললেন, হে থেরগােস, তোমাকে নিয়ে অবাক হতে হয়, বলে নামক পর্বতের চুড়া হতে
তুমি নেমে এসে ঐ লোকটির মৃতু রে জন্যে তুমি আমাকে দায়ী ঠাওরাচ্ছে৷ ! অথচ আল্লাহ্
তাআলা আমার হাতে তাকে শাহাদতের মর্যাদা দান করেছেন এবং আমাকে তার হাতে
অপমানিত করার দায় থেকে রক্ষা করেছেন ? ইমাম বুখারী (র) এককভারে এ বর্ণনাটি পেশ
করেছেন এবং জিহাদের অধ্যায়ে হুমায়দী (রা)-এর হাদীছ বর্ণনা করার পর আবুহুরায়রা (রা)-এর
বরাতে বলেন , অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সুফিয়ান থেকেও আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে
অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত রয়েছে ৷ লক্ষণীয় যে, এ হাদীছের মধ্যে আবু হুরায়রা (বা ) হতে স্পষ্টভাবে
বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি খায়বার যুদ্ধে উপ ত ছিলেন না ৷ এ অভিযানের বিবরণের শুরুতে তা
উল্লেখ করা হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) আবুহুরায়রা (বা) হতে বণ্টা৷ করেন ৷ তিনি বলেন, খায়বার
বিজয়ের পর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগমন করেন এবং মুসলমানদের সাথে এ
ব্যাপারে কথা বলেন ৷ তাতে মুসলমানগণ তাকে তাদের পনীমতের অংশে অন্তভুক্ত করেন ৷

ইমাম আহমদ (ব) আমার ইবন আবুঅ৷ ৷ম্মার (বা )-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, যে যুদ্ধে গনীমত পাওয়া ৷গিয়েছে এরুপ যে কোন যুদ্ধেই আমি অ×শ নিয়েছি, বাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাকে গনীমতের অংশ দিয়েছেন ৷ কিন্তু খায়বার যুদ্ধে দেন ন ই ৷ কেননা ৷,হুদায়বিয়া
সন্ধিতে যারা উপস্থিত ছিলেন৩ ৷দেরই জন্যে খায়বায়ের গনীমত স০ ×বক্ষিত ছিল ৷


تَنْظُرُوهُمْ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَرَّادٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: «قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَنِ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، فَقَسَمَ لَنَا وَلَمْ يَقْسِمْ لِأَحَدٍ لَمْ يَشْهَدِ الْفَتْحَ غَيْرَنَا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدٍ، بِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ إِلَى النَّجَاشِيِّ، يَطْلُبُ مِنْهُ مَنْ بَقِيَ مِنْ أَصْحَابِهِ بِالْحَبَشَةِ، فَقَدِمُوا صُحْبَةَ جَعْفَرٍ وَقَدْ فَتَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذَكَرَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، «أَنَّ جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ خَيْبَرَ، فَقَبَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَالْتَزَمَهُ، وَقَالَ: " مَا أَدْرِي بِأَيِّهِمَا أَنَا أُسَرُّ، بِفَتْحِ خَيْبَرَ أَمْ بِقُدُومِ جَعْفَرٍ؟» وَهَكَذَا رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৮
الْأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ مُرْسَلًا. وَأَسْنَدَ الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ حَسَنِ بْنِ حُسَيْنٍ الْعُرَنِيِّ، عَنِ الْأَجْلَحِ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ قَدِمَ جَعْفَرٌ مِنَ الْحَبَشَةِ، فَتَلَقَّاهُ وَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَدْرِي بِأَيِّهِمَا أَفْرَحُ، بِفَتْحِ خَيْبَرَ أَمْ بِقُدُومِ جَعْفَرٍ» . ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ أَبِي إِسْمَاعِيلَ الْعَلَوِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَيْرُوتِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي طَيْبَةَ، حَدَّثَنِي مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الرُّعَيْنِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ، تَلَقَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا نَظَرَ جَعْفَرٌ إِلَيْهِ حَجَلَ - قَالَ مَكِّيٌّ: يَعْنِي مَشَى عَلَى رِجْلٍ وَاحِدَةٍ، إِعْظَامًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَبَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فِي إِسْنَادِهِ مَنْ لَا يُعْرَفُ إِلَى الثَّوْرِيِّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ الَّذِينَ تَأَخَّرُوا مَعَ جَعْفَرٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ إِلَى أَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৯

গ্রন্থকার বলেন, “আবুহুরায়রা (রা) ও আবুঘুসা (রা) হুদায়বিয়৷ ও খায়বারের মধ্যবর্তী সময়ে
বাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে আগমন করেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী (ব ) আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনাি করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা খায়বার বজয় করি; কিন্তু আমরা তাতে
স্বর্ণ ও রৌপোর কোন গনীমত লাভ করিনি ৷ আমরা গনীমত লাভ করেছি উট,গ্ গরু, আসবাবপত্র
ও রাগ-বাপিচা ৷ এরপর আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে ও যা৷দল করায় যাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
-এর সাথে মিদআম নামক তার এক দাস ছিল ৷ বনুদাবীবের এক ব্যক্তি ওরাসুলুল্লাহ ( না) কেত
উপচৌকন স্বরুপ দিয়েছিলেন ৷ সে রাসুলুল্লাহ (সা) এর উটের গদি নামাবার সময় একটি তীর
এসে তার উপর পড়ল এবং যে তাতে মারা যায় ৷ জনতা তাকোহীদ জ্ঞানে অঙিনন্দিত করল,
কিভু রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, কখনও না ৷ কেননা, খ যবারেব দিন যে গনীমত বণ্টনের পুর্বেই
একটি চাদর চুরি করেছিল ৷ এ চা ৷দরটি তার উপর আগুন ঝরাচ্ছে৷ একথা শোনার পর কেউ কেউ
জুতার একটি ফিতা কিৎব৷ দুটি ফিতা নিয়ে হাযির হয়ে বহুন্ারুত লাগল, “এ জিনিসটি আমি
নিয়েছিলাম ৷” বাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এটি জাহান্নামের একটিাইৰুতা বা দুইটি ফিত৷ ৷”

বিষ মিশ্রিত বকরীর ঘটনা ও নবুওয়াতের জলজ্যাম্ভ প্রমাণ

বুথারী (র) বলেন, উরওয়৷ (র) উম্মুল মু’মিনীন আইশ৷ (রা)-এর মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা)
হতে বর্ণনা করেছেন ৷ অপর সনদে তিনি আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, খায়বার বিজয় কালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে একটি বিষ মিশ্রিত ভোন৷ বকবী হাদীয়া
স্বরুপ দেওয়া হয়েছিল ৷ এরুপে তিনি ঘটনাটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) হাজ্জাজ — আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
“যখন খায়বার বিজয় হয় তখন রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে একটি বিষ মিশ্রিত ভোন৷ বকবী হ৷ ৷দিয়া
দেওয়া হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, এখানে যত ৩ইয়াহদী আছে সকলকে আমার কাছে ডেকে
নিয়ে আস ৷ তাদের সকলকে সমবেত করা হলে বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি তোমাদেরকে
কিছু প্রশ্ন করব , তোমরা কি সত্য বলবে ? তারা বলল, “হী৷ , হে আবুল কাসিম !” বাসুলুল্লাহ (সা)
তাদেরকে বললেন, “ (শ্তামাদের পিতা কে ? তারা বলল, অমুক আমাদের পিতা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, তোমরা মিথ্যা বলেছ; বরং তোমাদের পিতা হচ্ছে অমুক ব্যক্তি ৷ তারা বলল, “আপনি
যথার্থ বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তামরা কি আম৷ ৷র সাথে সত ৷ কথা বলবে, যদি আমি
তোমাদেরকে আরো একটি কথা জিজ্ঞেস করি ? তারা বলল, জী হ্যা হে আবুল কাসিম ৷ আর
আমরা যদি মিথ্যা বলি তাহলেও আপনি আমাদের মিথ্যা বুঝতে পারবেন ৷ যেমন আমাদের পিতা
সম্বন্ধে মিথ্যা উক্তিটি আপনি বুঝতে পেরেছেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “জাহান্নামের
বাসিন্দা কারা ?ত তারা বলল, আমরা কিছু দিনের জন্যে জাহান্নামে থাকব ৷ এরপর আপনারা ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমরা কখনো তোমাদের পরে জাহান্নামে
থাকবন৷ ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ ( সা) তাদেরকে বললেন, “৫৩ আেরা কি আমার কাছে সত্য কথা
বলবে যদি আ ৷মি তোমাদেরকে আরো একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি ? ” তারা বলল, জী হ্যা হে আবুল
কাসিম ! তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এ বকরীতে কি তোমরা বিষ প্রয়োগ করেছ ? তারা


قَدِمُوا مَعَهُ خَيْبَرَ سِتَّةَ عَشَرَ رَجُلًا وَسَرَدَ أَسْمَاءَهُمْ وَأَسْمَاءَ نِسَائِهِمْ وَهُمْ، جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْهَاشِمِيُّ، وَامْرَأَتُهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ، وُلِدَ بِالْحَبَشَةِ، وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَامْرَأَتُهُ أَمِينَةُ بِنْتُ خَلَفِ بْنِ أَسْعَدَ، وَوَلَدَاهُ سَعِيدٌ وَأَمَةُ بِنْتُ خَالِدٍ، وُلِدَا بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَأَخُوهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَمُعَيْقِيبُ بْنُ أَبِي فَاطِمَةَ، وَكَانَ إِلَى آلِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ. قَالَ: وَأَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ، حَلِيفُ آلِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَأَسْوَدُ بْنُ نَوْفَلِ بْنِ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدٍ الْأَسَدِيُّ، وَجَهْمُ بْنُ قَيْسِ بْنِ عَبْدِ شُرَحْبِيلِ الْعَبْدَرِيُّ، وَقَدْ مَاتَتِ امْرَأَتُهُ أُمُّ حَرْمَلَةَ بِنْتُ عَبْدِ الْأَسْوَدِ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَابْنُهُ عَمْرٌو وَابْنَتُهُ خُزَيْمَةُ مَاتَا بِهَا، رَحِمَهُمُ اللَّهُ، وَعَامِرُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ الزُّهْرِيُّ، وَعُتْبَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، حَلِيفٌ لَهُمْ مِنْ هُذَيْلٍ، وَالْحَارِثُ بْنُ خَالِدِ بْنِ صَخْرٍ التَّيْمِيُّ، وَقَدْ هَلَكَتْ بِهَا امْرَأَتُهُ رَيْطَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، رَحِمَهَا اللَّهُ، وَعُثْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ أُهْبَانَ الْجُمَحِيُّ، وَمَحْمِيَةُ بْنُ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيُّ حَلِيفُ بَنِي سَهْمٍ، وَمَعْمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَضْلَةَ الْعَدَوِيُّ، وَأَبُو حَاطِبِ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَمَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْعَامِرِيَّانِ، وَمَعَ مَالِكٍ هَذَا امْرَأَتُهُ عَمْرَةُ بِنْتُ السَّعْدِيِّ، وَالْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ قَيْسِ بْنِ لَقِيطٍ الْفِهْرِيُّ. قُلْتُ: وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ إِسْحَاقَ أَسْمَاءَ الْأَشْعَرِيِّينَ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، وَأَخَوَيْهِ أَبَا بُرْدَةَ وَأَبَا رُهْمٍ، وَعَمَّهَ أَبَا عَامِرٍ، بَلْ لَمْ يَذْكُرْ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৩১৮০
الْأَشْعَرِيِّينَ غَيْرَ أَبِي مُوسَى، وَلَمْ يَتَعَرَّضْ لِذِكْرِ أَخَوَيْهِ وَهُمَا أَسَنُّ مِنْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَكَأَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، لَمْ يَطَّلِعْ عَلَى حَدِيثِ أَبِي مُوسَى فِي ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَقَدْ كَانَ مَعَهُمْ فِي السَّفِينَتَيْنِ نِسَاءٌ، مِنْ نِسَاءِ مَنْ هَلَكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ هُنَالِكَ. وَقَدْ حَرَّرَ هَاهُنَا شَيْئًا كَثِيرًا حَسَنًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ وَسَأَلَهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ، «أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ - يَعْنِي أَنْ يَقْسِمَ لَهُ - فَقَالَ بَعْضُ بَنِي سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ: لَا تُعْطِهِ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ هَذَا قَاتِلُ ابْنِ قَوْقَلٍ. فَقَالَ: وَاعْجَبًا لِوَبْرٍ تَدَلَّى مِنْ قَدُومِ الضَّأْنِ!» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَيُذْكَرُ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُخْبِرُ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩১৮১

বলল, “জী হীড়া ৷ ” রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কেন তোমরা এ কাজটি করতে গেলে ? তারা
বলল, “আমরা এটা এ উদ্দেশ্যে করেছিলাম যে, যদি আপনি মিথ্যাবাদী হয়ে থাকেন তাহলে
আমরা আপনার করল থেকে পরিত্রাণ পার আর যদি আপনি সত্য নবী হা;য় থাকেন, তাহলে এটা
আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ ”

উপরোক্ত হাদীছটি ইমাম বুথারী (র) জিঘৃইয়া অধ্যায়ে আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ এবং মাপাযী
অধ্যায়ে কুতায়বা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

রায়হাকী (র) আবুআবদুল্লাহ হাফিয — — আবুহুরায়র৷ (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একজন ইযাহুদী রমণী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে একটি বিষ মিশ্রিত বকরী হাদিয়া স্বরুপ
দিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাহাবীপণকে বললেন, “ এটা খ;শ্ওয়া থােহুৰু বিরত থাক ৷ কেননা,
এটাতে বিষ মিশ্রিত রয়েছে ৷” এবং রমণীটিকে বললেন, “তুমি <কন এটা করতে গেলে ?
রমণীটি বলল, “আমি আপনাকে পরীক্ষার মাধ্যমে জানবার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম ৷ যদি আপনি
সত্য সত্য নবী হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দেবেন ৷ আর
যদি আপনি মিথ্যারাদী হন তাহলে আমি জনগণকে আপনার অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাবার ব্যবস্থা
করতে পারবো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আর কিছু বললেন না ৷

আবু দাউদ (র) ও ইমাম রায়হাকী (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ওরায়হ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে
এতে অতিরিক্ত আছে এরপর হতে যখনই রাসুলুল্লড়াহ্ (সা ) কোন প্রকার বিষক্রিয়া অনুভব করতেন
তখনই রক্ত মোক্ষণ করাতেন ৷ একবার তিনি উমরা আদায়ের জন্যে বের হন ৷ যখন তিনি ইহরাম
র্বাধেন তখনই বিয়ের ক্রিয়া অনুভব করতে লাপলেন, তখন তিনি রক্ত মােক্ষণ করালেন ৷ ইমাম
আহমদ (র) এককভাবে এ রর্ণনাটি পেশ করেন ৷

ইমাম বুখারী ও মুসলিম ণ্ড’বা আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একজন য়াহ্রদী মহিলা একটি বিষমিশ্রিত বকরী সহকারে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
সাক্ষাত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বকরীর গোশত খান এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন ৷
সে বলল, “আমি (চয়েছিলাম আপনাকে হত্যা করার জন্যে ৷ রাসুণুদ্বুত্রাহু (সা) বল ণে ন “আং;া৷হু
তাআলা কোন দিনও তোমাকে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করতে দোবন না ৷ সাহাবায়ে কিরাম
বললেন, “আমরা কি ৩াকে হত৷ করব ?” রাসুপুপ্লাহু (সা) রলপেন, “না” আনম্পে (বা) বলেন,
“আমি সব সময়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আলজিভে এ বিষক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতাম ৷









ইমাম আবু দাউদ (র) সুলায়মান ইবন দাউদ জাৰিব ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “খায়বারের একজন ইয়াহ্রদী মহিলা একটি ভুনা বকরীতে বিষ মিশায়
ও পরে তা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে হাদিয়া স্বরুপ পাঠায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি সামনের
রানের গোশত নিলেন ও খেলেন এবং তার সাহাবীরা কয়েকজন খেলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাহাবাপণকে বললেন, “ তোমরা হাত গুটিয়ে নাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে ডেকে পড়াঠালেন
এবং তাকে বললেন, “তুমি কি এ বকরীতে বিষ মিশিয়েছ ? য়াহ্রদী মহিলাটি বলল, “আপনাকে


أَبَانَ عَلَى سَرِيَّةٍ مَنِ الْمَدِينَةِ قِبَلَ نَجِدٍ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَقَدِمَ أَبَانُ وَأَصْحَابُهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ بَعْدَمَا افْتَتَحَهَا، وَإِنَّ حُزُمَ خَيْلِهِمْ لَلِيفٌ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَا تَقْسِمْ لَهُمْ. فَقَالَ أَبَانُ: وَأَنْتَ بِهَذَا يَا وَبْرُ تَحَدَّرَ مِنْ رَأْسِ ضَالٍ؟! فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَبَانُ، اجْلِسْ ". وَلَمْ يَقْسِمْ لَهُمْ» وَقَدْ أَسْنَدَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا الْحَدِيثَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، بِهِ نَحْوَهُ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي جَدِّي - وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ - «أَنَّ أَبَانَ بْنَ سَعِيدٍ أَقْبَلَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا قَاتِلُ ابْنِ قَوْقَلٍ. فَقَالَ أَبَانُ لِأَبِي هُرَيْرَةَ: وَاعْجَبًا لَكَ، وَبْرٌ تَرَدَّى مِنْ قَدُومِ ضَالٍ! تَنْعَى عَلَيَّ امْرَأً أَكْرَمَهُ اللَّهُ بِيَدِي، وَمَنَعَهُ أَنْ يُهِينَنِي بِيَدِهِ» ؟! هَكَذَا رَوَاهُ مُنْفَرِدًا بِهِ هَاهُنَا. وَقَالَ فِي الْجِهَادِ: حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৮২
عَنْبَسَةَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِخَيْبَرَ بَعْدَمَا افْتَتَحَهَا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَسْهِمْ لِي. فَقَالَ بَعْضُ آلِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ: لَا تَقْسِمْ لَهُ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا قَاتِلُ ابْنِ قَوْقَلٍ» . الْحَدِيثَ. قَالَ سُفْيَانُ: حَدَّثَنِيهِ السَّعِيدِيُّ - يَعْنِي عَمْرَو بْنَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ - عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهَذَا. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ التَّصْرِيحُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِأَنَّهُ لَمْ يَشْهَدْ خَيْبَرَ وَتَقَدَّمَ فِي أَوَّلِ هَذِهِ الْغَزْوَةِ، رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ طَرِيقِ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَنَّهُ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَمَا افْتَتَحَ خَيْبَرَ فَكَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ، فَأَشْرَكُونَا فِي أَسْهَامِهِمْ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رُوحٌ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: مَا شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَغْنَمًا قَطُّ إِلَّا قَسَمَ لِي، إِلَّا خَيْبَرَ، فَإِنَّهَا كَانَتْ لِأَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ خَاصَّةً. قُلْتُ: وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو مُوسَى، جَاءَا بَيْنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَخَيْبَرَ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي ثَوْرٌ، حَدَّثَنِي سَالِمٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «افْتَتَحْنَا خَيْبَرَ فَلَمْ نَغْنَمُ ذَهَبًا وَلَا فِضَّةَ، إِنَّمَا
পৃষ্ঠা - ৩১৮৩
غَنِمْنَا الْإِبِلَ، وَالْبَقَرَ، وَالْمَتَاعَ، وَالْحَوَائِطَ، ثُمَّ انْصَرَفْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى وَادِي الْقُرَى، وَمَعَهُ عَبْدٌ لَهُ يُقَالُ لَهُ: مِدْعَمٌ. أَهْدَاهُ لَهُ بَعْضُ بَنِي الضُّبَيْبِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَحُطُّ رَحْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَهُ سَهْمٌ عَائِرٌ، حَتَّى أَصَابَ ذَلِكَ الْعَبْدَ، فَقَالَ النَّاسُ: هَنِيئًا لَهُ الشَّهَادَةُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَلَّا، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ الشَّمْلَةَ الَّتِي أَصَابَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ، لَمْ تُصِبْهَا الْمَقَاسِمُ، لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا ". فَجَاءَ رَجُلٌ حِينَ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشِرَاكٍ أَوْ شِرَاكَيْنِ فَقَالَ: هَذَا شَيْءٌ كُنْتُ أَصَبْتُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " شِرَاكٌ أَوْ شِرَاكَانِ مِنْ نَارٍ» .