আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

قصة صفية بنت حيي بن أخطب

পৃষ্ঠা - ৩১৫১

বিনতে হুয়াইকে গ্রহণ করলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে এসে আরয
করলেন ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি বনুনাযীর ও বনুকুরায়যার সর্দার হুয়াই এর কন্যা সাফিয়্যাকে
দিহ্ইয়া কালবীর হাতে তুলে দিয়েছেন ৷ তিনি শুধু আপনারই যোগ্য ৷ হুয়ুর (সা) বলেন, দিহ্ইয়া
কালবীকে সাফিয়্যাসহ ডেকে নিয়ে এসো ৷ নবী করীম (সা) যখন তার দিকে নযর করলেন তখন
দিহ্ইয়া কালবী (রা)-কে বললেন, তুমি অন্য একটি বন্দিনীকে নিয়ে নাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাফিয়্যা (রা)-কে আযাদ করে দিলেন ও তাকে বিবাহ করলেন ৷ ইবন উলাইয়া (বা) হতেও
অনুরুপ বর্ণিত রয়েছে ৷

আবু দাউদ (র) মুহাম্মাদ ইবন খাল্লাদ বাহিলী আনড়াস (রা) সুত্রে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেন, দিহ্ইয়া কালবী (রা) এর অং শ একটি সুশ্ৰী দাসী পড়েছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
সাতটি বন্দীর বিনিময়ে খরিদ করে নেন ৷ এরপর তাকে তিনি সত্ত্বজগােজের জন্য উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করেন ৷ রাবী হস্ফোদ (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা সাফিয়্যাকে উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করে দিলেন যাতে সেখানে তার ইদ্দতকাল অতিবাহিত হয় ৷ এটি আবু
দাউদের একক বর্ণনা ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বনু আবুল হুকাইকের নিকট থেকে কামুস
নামক দৃর্গটি জয় করলেন তখন সাফিয়্যা (রা) বিনত হুয়াই ও তার সাথে অন্য একজন বন্দিনীকেও
রাসুল (না)-এর সামনে আনয়ন করা হল ৷ বিলাল (রা) উক্ত ইে জন মহিলাকে নিয়ে তাদের
নিহত আত্মীয়-াজনদের পাশ দিয়ে যড়াচ্ছিলেন ৷ সাফিয়্যা (বা) এর সাথী মহিলাঢি নিহত
ব্যক্তিদেরকে দেখে উচ্চারে র্কাদতে লাগল, মহিলাটি নিজেদের মুখে আঘাত করতে লাগল এবং
মাথায় ধুলি নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, এই উচ্ছুৎখল নারীটিকে
এখান থেকে নিয়ে যাও ৷ কিন্তু সাফিয়্যা (রা)-কে দেখে হুয়ুর (সা) তার জন্যে হুয়ুরের পিছনে
বসার জায়গা করে দেন এবং তার জন্যে পর্দড়ার ব্যবস্থা করে দেন ৷ মুসলমড়ানপণ বুঝতে পারলেন
যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের জন্যে পসন্দ করেছেন ৷ সাফিয়্যার সঙ্গী ইয়াহুদী মহিলাটির কাণ্ড
দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে বিলাল তোমার নিকট হতে কি
রহমত ও মমতড়াবােধ লোপ পেয়ে গেছে যে, তুমি এ দুটি মহিলাকে তাদের সঙ্গীদের শবদেহ
দেখিয়ে রেড়াচ্ছ ? আর হযরত সাফিয়্যা (রা) যখন কিনানা ইবন রাবী ইবন আবুল হুকাইক এর
নব পরিণীতা ছিলেন তখন তিনিাপ্ন দেখেন যে, আকাশের চীদ যেন তার কোলে পতিত হচ্ছে ৷
তিনি তখন তারামীর কাছে এাপ্নটি ব্যক্ত করেন ৷ামী বলল, এটি তো, তোমার হিজড়ায়ের
শাসক মুহাম্মাদকে পাওয়ার আকাক্ষে৷ বৈ কিছু না ? এরপর সে তার চেহারায় আঘাত করে ফলে
তার চোখ নীলবর্ণ হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে যখন তাকে পেশ করা হল তখন তার
চেহারায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ তিনি এ সম্বন্ধে তাকে জিজ্ঞেস করেন ৷ হযরত সাফিয়্যা (রা)
তখন তাকে বিস্তারিত জানালেন ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন, “কিনানা ইবন রাবীর নিকট বনুনযীরের বিপুল পরিমাণ সম্পদ
গচ্ছিত ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে তাকে পেশ করা হলে, সেই সম্পদ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকে জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু সে সম্পদের কথা আীকার করল এবং এ সম্বন্ধে কোন কিছু


[قِصَّةُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ] ذِكْرُ قِصَّةِ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ النَّضَرِيَّةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَكَانَ مِنْ شَأْنِهَا أَنَّهُ لَمَّا أَجْلَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَهُودَ بَنِي النَّضِيرِ مِنَ الْمَدِينَةِ - كَمَا تَقَدَّمَ - فَذَهَبَ عَامَّتُهُمْ إِلَى خَيْبَرَ، وَفِيهِمْ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ وَبَنُو أَبِي الْحُقَيْقِ، وَكَانُوا ذَوِي أَمْوَالٍ وَشَرَفٍ فِي قَوْمِهِمْ، وَكَانَتْ صَفِيَّةُ إِذْ ذَاكَ طِفْلَةً دُونَ الْبُلُوغِ، ثُمَّ لَمَّا تَأَهَّلَتْ لِلتَّزْوِيجِ، تَزَوَّجَهَا بَعْضُ بَنِي عَمِّهَا، فَلَمَّا زُفَّتْ إِلَيْهِ وَأُدْخِلَتْ عَلَيْهِ بَنَى بِهَا، وَمَضَى عَلَى ذَلِكَ لَيَالٍ، رَأَتْ فِي مَنَامِهَا كَأَنَّ قَمَرَ السَّمَاءِ قَدْ سَقَطَ فِي حِجْرِهَا، فَقَصَّتْ رُؤْيَاهَا عَلَى ابْنِ عَمِّهَا، فَلَطَمَ وَجْهَهَا، وَقَالَ: أَتَتَمَنَّيْنَ مَلِكَ يَثْرِبَ أَنْ يَصِيرَ بَعْلَكِ. فَمَا كَانَ إِلَّا مَجِيءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِصَارُهُ إِيَّاهُمْ، فَكَانَتْ صَفِيَّةُ فِي جُمْلَةِ السَّبْيِ، وَكَانَ زَوْجُهَا فِي جُمْلَةِ الْقَتْلَى. وَلَمَّا اصْطَفَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَارَتْ فِي حَوْزِهِ وَمُلْكِهِ، كَمَا سَيَأْتِي وَبَنَى بِهَا بَعْدَ اسْتِبْرَائِهَا وَحِلِّهَا، وَجَدَ أَثَرَ تِلْكَ اللَّطْمَةِ فِي خَدِّهَا، فَسَأَلَهَا: " مَا شَأْنُهَا؟ " فَذَكَرَتْ لَهُ مَا كَانَتْ رَأَتْ مِنْ تِلْكَ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৫২

জানে না বলে ব্যক্ত করল ৷ এমন সময় এক ইয়াহুদী রাসুলের কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, যে
কিনানাকে প্রতিদিন সকালে একটি ধ্বংসাবশেষের আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) কিনানাকে বলেন, দেখ, তুমি বার বার অস্বীকার করছ, যদি প্রমাণিত হয় এবং তোমার কাছে
সম্পদ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তোমাকে এ অপরাধের জন্যে মৃত্যুদণ্ড দেব ৷ সে বলল, ঠিক
আছে ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানটি খননের নির্দেশ দিলেন ৷ কিছু সম্পদ তাতে বের হয়ে
আসল ৷ এরপরও রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে অবশিষ্ট সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু সে
সম্পদ সমর্পণ করতে ৩অস্বীকৃতি জা ৷ল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুবায়র ইবনৃল আওয়াম (রা) কে তাকে
শাস্তি দেবার নির্দেশ দিলেন ৷ যুবায়র (রা) চকমকি দিয়ে তার বুকে ঘষতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) মুহাম্মাদ ইবন মাসলাম৷ (রা) এর কাছে তাকে সমর্পণ কারন ৷ যাতে তিনি তার ভাই মাহমুদ
ইবন মাসলামার হত্যার বদলে তাকে হত্যা করেন ৷
অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারবাসীদেবকে তাদের আল-ওয়াভীহ

এবং আস সুলালিম দুর্গদ্বয়ে অবরোধ করে রাখেন ৷ যখন তারা পরাজয় সম্পর্কে সুনিশ্চিত হল
তখন তারা আত্মসমর্পণ করল ও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইল ৷ রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা)৩ তা
মঞ্জুর করেন ৷ উপরোক্ত দুইটি দুর্গ ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আশফাক্ক, আন-নাতাত ও
আল-কাভীরাসহ৩ তাদের সকল দুর্গের যাবতীয় সম্পদ অধিকার করে নেন ৷ যখন ফাদাকের
বাসিন্দা ৷র৷ খায়রারবাসীদের কৃতকর্ম ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গৃহীত সুব্যবস্থ র কথা শুনতে পেল,
তখন তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট দুত প্রেরণ করে নিজেরা আত্মসমর্পণ করল, প্রাণ ভিক্ষা

চাইল ও তাদের যাবতীয় সম্পদ তার হাতে অর্পণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা ৷মঞ্জুর করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) ও খায়ব৷ রবাসীদের মধ্যে সন্ধি স্থাপনকাবী ছিলেন বনু হারিছ৷ ৷র মিত্র মাহীস৷ ইবন
মাসউদ ৷ খায়বারের বাসিন্দার৷ যখন উপরোক্ত সুযোগ পেল তখন তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাথে অর্ধেক শস্য ফসলের বিনিময়ে চাষাবাদের অনুমতি চাইল এবং বলল,আমরা আপনাদের
চাইতে টাষাবাদ সম্বন্ধে অধিক অভিজ্ঞ ও অধিক পরিশ্রমী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের অর্ধেক
ফসলের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হলেন তার আরো শর্ত রইল যে, যখনি ইচ্ছা হুয়ুর (সা) তাদেরকে
উচ্ছেদ করতে পারবেন ৷ আর ফাদাকের বাসিন্দারাও অনুরুপ চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হল ৷

অধ্যায় : দুর্গগুলোর পতন ও তথাকার জমিজম৷ বণ্টন

ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন, ইয়াহুদীর৷ যখন নায়িম দুর্গ ও আস সাব ইবন মুআয দুর্গ
ছেড়ে দিয়ে আয-যুবড়ায়র দুর্পে আশ্রয় নেয় তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদেরকে তিন দিন অবরোধ করে
রাখেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) এর কাছে আয৷ ল নামী একজন ইয়াহুদী উপস্থিত হয়ে বলল , হে
আবুল কাসিম ! আমাকে প্রাণের নিরাপত্তা দেওয়া হলে আমি এমন একটি বিষয় সম্বন্ধে আপনাকে
অবগত করার যাহ৷ আন-নাতাত ও আশ শাক দুর্গদ্বয়ের বাসিন্দা ৷দের অনিষ্ট থেকে আপনাকে রক্ষা
করবে এবং আপনি তাদের সম্পর্কে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন ৷ আশ শাক দুর্গের রাসিন্দারা
আপনার ভয়ে অস্থির ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার এবং তার পরিবারবর্গের জান ৷নমালের
নিরাপত্তা দিলেন ৷ তখন ইয়াহ্রদী দো ৷কটি ত ৷কে বলল, “আপনি যদি তা ৷দেরকে এক মাসও এরুপে
অবরোধ করে রাখেন এতে তাদের কিইে অসুবিধা হবে না ৷ত তাদের রয়েছে যমীনের নিচে একটি


ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ قَرِيبًا مِنْ خَيْبَرَ بِغَلَسٍ ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ". فَخَرَجُوا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ، فَقَتَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُقَاتِلَةَ وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ، وَكَانَ فِي السَّبْيِ صَفِيَّةُ، فَصَارَتْ إِلَى دِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، ثُمَّ صَارَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ - وَلَهُ طُرُقٌ - عَنْ أَنَسٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا آدَمُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «سَبَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ، فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، قَالَ ثَابِتٌ لِأَنَسٍ: مَا أَصْدَقَهَا؟ قَالَ: أَصْدَقَهَا نَفْسَهَا فَأَعْتَقَهَا» ، تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَمْرٍو مَوْلَى الْمُطَّلِبِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَدِمْنَا خَيْبَرَ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْحِصْنَ، ذُكِرَ لَهُ جَمَالُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ، وَقَدْ قُتِلَ زَوْجُهَا، وَكَانَتْ عَرُوسًا، فَاصْطَفَاهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَفْسِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩১৫৩
فَخَرَجَ بِهَا حَتَّى بَلَغَ بِهَا سَدَّ الصَّهْبَاءِ حَلَّتْ، فَبَنَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَنَعَ حَيْسًا فِي نِطْعٍ صَغِيرٍ، ثُمَّ قَالَ لِي: " آذِنْ مَنْ حَوْلَكَ ". فَكَانَتْ تِلْكَ وَلِيمَتَهُ عَلَى صَفِيَّةَ، ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَوِّي لَهَا وَرَاءَهُ بِعَبَاءَةٍ، ثُمَّ يَجْلِسُ عِنْدَ بَعِيرِهِ فَيَضَعُ رُكْبَتَهُ وَتَضَعُ صَفِيَّةُ رِجْلَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ حَتَّى تَرْكَبَ» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ: «أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ خَيْبَرَ وَالْمَدِينَةِ ثَلَاثَ لَيَالٍ، يُبْنَى عَلَيْهِ بِصَفِيَّةَ، فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى وَلِيمَتِهِ، وَمَا كَانَ فِيهَا مِنْ خُبْزٍ وَلَا لَحْمٍ، وَمَا كَانَ فِيهَا إِلَّا أَنْ أَمَرَ بِلَالًا بِالْأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ، فَأَلْقَى عَلَيْهَا التَّمْرَ وَالْأَقِطَ وَالسَّمْنَ، فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُهُ؟ فَقَالُوا: إِنْ حَجَبَهَا فَهِيَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنْ لَمْ يَحْجِبْهَا فَهِيَ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُهُ. فَلَمَّا ارْتَحَلَ وَطَّأَ لَهَا خَلْفَهُ، وَمَدَّ الْحِجَابَ» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩১৫৪

পানির না না ৷ রাতের বেলায় ত ৷র৷ দুর্গ থেকে বের হয় এবং ঐ৷ ন ৷লা থেকে পানি পান করে তারা
পুনরায় তাদের দুবুর্গ ফিরে আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদের এই নল ৷টি বন্ধ করে দেয়৷ র নির্দেশ
দিলেন ৷ তখন তারা দুর্গ থেকে বের হয়ে তুমুল যুদ্ধ করে ৷ ঐদিন কিছু সষ্ খ্যক মুসলমান৷ ৷হীদ
হন এবং ইয়াহদীদের দশ জন নিহত ৩হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) এ দুর্গটি জয় করেন ৷ আর এটা ই ছিল
আন নাতাতে অবস্থিত দুর্গসমুবুহর সর্বশেষ দুর্গ ৷ ইয়াহদীর৷ তখন আশ শাক দুবুর্গ আশ্রয় নেয় ৷
আর আশ শাক এর কাছে ছিল অনেকগুলো দুর্গ ৷ এ দুর্গসমুহবু হত সব পথম যে দুর্গঢি আক্রমণ
করা হয় তার নাম ছিল উবাই দুর্গ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) একটি দুবুর্গর৷ কাছে অবস্থান যেন তার নাম
ছিল সামওযান ৷ এখানেও তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ ইয়াহদীদের মধ্য থেকে আযল নামক একজন যোদ্ধা
দুর্গ থেকে বের হয়ে আসে এবং দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷ তখন হুরাব ইবন মুনযির (রা)৩ ত৷ র
দিকে এগিয়ে যান এবং তলওয়াবুরর আঘাতে ইয়াহ্রদীর ডান হাতটির অর্ধেক পর্যন্ত কেটে
ফেলেন ৷ তখন ইয়াহ্রদীর তলওয়৷ ৷রটি পড়ে যায় ও সে পালিয়ে যায় হুবাব (রা)৩ ৷ তার পিছু ধাওয়া
করেন এবং তার গ্রীবা ধমনী কেটে দেন ৷ তখন অন্য একজন ইয়াহ্যা শু৷ দ্বদৃ যুদ্ধের জন্যে এগিয়ে
আসে ৷ একজন মুসলমান তার ঘুকাবিলায় এগিয়ে আসেন; কিন্তু ইয়াহুদী তাকে শহীদ করে
ফেলে ৷ এরপর ইয়াহুদীটির দিকে এগিয়ে গেলেন আবুদুজানা (রা) ৷ তিনি তাকে হত্যা করেন
খ্তার অস্ত্রশস্ত্র লাভ করেন ৷ এরপর ইয়াহদীর৷ দ্বন্দুযুদ্ধ পরিহার করে ৷ মুসলমানগণত তাকবীর
ধ্বনি দিলেন ৷ এরপর তা ৷ সামনের দুর্গটির প্রতি এগিয়ে যান ও দৃবুর্গ প্রবেশ করেন ৷ আবুদৃজা ৷না
(বা) ছিলেন সকলের অবুগ্র ৷৩ তারা দুবুর্গ নানারুপ আসবাবপত্র বকরী, খাবার সামগ্রী ইত্যাদি
পেলেন ৷ ইয়াহদীদের মধ্যে য ৷রা যুদ্ধ কবুরছিল৩ ৷র৷ সাধ্যমত আসববপত্র নিয়ে ভালুকের ন্যায় দুর্গ
হতে পলায়ন করল এবং আল শাক দুর্গের অধীনে আল-বাযাত দুবুর্গ আশ্রয় নিল ও অত্যন্ত দুর্ভেদ্য
প্রতিরোধ গড়ে তুলল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও সাহাবায়ে কিরামত তাদেরকে প্রতিহত করতে লাগলেন ৷
পরস্পর ভীর নিক্ষেপ শুরু হল এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (না) ও সাহাবাগবুণর সাথে নিজ হাতে ভীর
নিক্ষেপ করবুত লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঙ্গুবুলত তাদের তীরের আঘাত লাগে তখন তিনি
এক মুষ্টি পাথর হাতে নিয়ে তাদের দুর্গের দিকে নিক্ষেপ করলেন ৷ তা ৷বুত দুর্গঢি তাদেরকে নিয়ে
বুকবুপ উঠলও মাটির সাথে মিশে গেল ৷ মুসলমানগণ তাদেরকে পাকড়াও করলেন ৷ ওয়াকিদী
বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুবাসীবুদর দিকে এবং আবুল হুকাইকের দুইটি দুর্ভেদ্য দুর্গ
আল-ওয়াভী ও আসসুলালিম এর দিকে অগ্রসর হলেন ৷ ইয়াহদীর৷ এ দুর্গগুবুলাবুত অত্যন্ত মযবুত
প্রতিরোধ গড়ে তোলে ৷ আশ শ্-া৷ক দুবুষ্বি নিয়ন্ত্রণে অবস্থিত আন নাতাত দুবুর্গ এসে পরাজিত
ইয়াহদীর৷ একত্রিত হল ৷ আবারা তারাও অন্য ইয়াহদীদের সাথে মিলিত হয়ে আল কামুস ও আল
কাভীক দুবুর্গ আশ্রয় নিল ৷৩ তারা দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং তা ৷রা দুর্গ থেকে কােনক্রবুম
বের হচ্ছিল না বা এমন কি বাইরের দিকে উকিও মা ৷রছিল না ৷ অবশেষে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) ক্ষেপনাস্ত্র
স্থাপনের দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করলে ইয়াহদীর৷ যখন তাদের ধ্ব×স সম্বন্ধে নিশ্চিত হল এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক তাদের অবরােবুধর ১ ৪দিন পুর্ণ হল, তখন ইবন আবুল হুকাইক বের হয়ে
আসল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে জীবন রক্ষা ও বন্দী হবার শর্তে সন্ধি স্থাপন করল ৷ আর
এটাও শর্ত হল যে, তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিজেদের জমিজমা, সম্পদ ও সোনা রুপা,
জভু-জাবুনায়ার সব কিছু হস্তান্তর করবে, তার যতদুর সম্ভব পোশাক পরিচ্ছদ ও খাবার দাবার


صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: صَارَتْ صَفِيَّةُ لِدِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، ثُمَّ صَارَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «جُمِعَ السَّبْيُ - يَعْنِي بِخَيْبَرَ - فَجَاءَ دِحْيَةُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ. قَالَ: " اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً ". فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ - قَالَ يَعْقُوبُ: - صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ سَيِّدَةَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ؟ مَا تَصْلُحُ إِلَّا لَكَ. قَالَ: " ادْعُ بِهَا ". فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " خُذْ جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ غَيْرَهَا ". وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا» ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَّادٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: وَقَعَ فِي سَهْمِ دِحْيَةَ جَارِيَةٌ جَمِيلَةٌ، فَاشْتَرَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَبْعَةِ أَرْؤُسٍ، ثُمَّ دَفَعَهَا إِلَى أُمِّ سُلَيْمٍ تَصْنَعُهَا وَتُهَيِّئُهَا. قَالَ حَمَّادٌ: وَأَحْسَبُهُ قَالَ: وَتَعْتَدُّ فِي بَيْتِهَا - صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ.
পৃষ্ঠা - ৩১৫৫
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَمُوصَ - حِصْنَ بَنِي أَبِي الْحُقَيْقِ - أُتِيَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ وَأُخْرَى مَعَهَا، فَمَرَّ بِهِمَا بِلَالٌ - وَهُوَ الَّذِي جَاءَ بِهِمَا - عَلَى قَتْلَى مِنْ قَتْلَى يَهُودَ، فَلَمَّا رَأَتْهُمُ الَّتِي مَعَ صَفِيَّةَ، صَاحَتْ، وَصَكَّتْ وَجْهَهَا، وَحَثَتِ التُّرَابَ عَلَى رَأْسِهَا، فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " أَعْزِبُوا عَنِّي هَذِهِ الشَّيْطَانَةَ ". وَأَمَرَ بِصَفِيَّةَ فَحِيزَتْ خَلْفَهُ، وَأَلْقَى عَلَيْهَا رِدَاءَهُ، فَعَرَفَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِ اصْطَفَاهَا لِنَفْسِهِ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبِلَالٍ - فِيمَا بَلَغَنِي - حِينَ رَأَى بِتِلْكَ الْيَهُودِيَّةِ مَا رَأَى: " أَنُزِعَتْ مِنْكَ الرَّحْمَةُ يَا بِلَالُ حَتَّى تَمُرَّ بِامْرَأَتَيْنِ عَلَى قَتْلَى رِجَالِهِمَا ". وَكَانَتْ صَفِيَّةُ قَدْ رَأَتْ فِي الْمَنَامِ وَهِيَ عَرُوسٌ بِكِنَانَةَ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ، أَنَّ قَمَرًا وَقَعَ فِي حِجْرِهَا، فَعَرَضَتْ رُؤْيَاهَا عَلَى زَوْجِهَا، فَقَالَ: مَا هَذَا إِلَّا أَنَّكِ تَمَنَّيْنَ مَلِكَ الْحِجَازِ مُحَمَّدًا. فَلَطَمَ وَجْهَهَا لَطْمَةً خَضَّرَ عَيْنَهَا مِنْهَا. فَأُتِيَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِهَا أَثَرٌ مِنْهُ، فَسَأَلَهَا: " مَا هَذَا؟ " فَأَخْبَرَتْهُ الْخَبَرَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِنَانَةَ بْنِ الرَّبِيعِ، وَكَانَ عِنْدَهُ كَنْزُ بَنِي النَّضِيرِ، فَسَأَلَهُ عَنْهُ، فَجَحَدَ أَنْ يَكُونَ يَعْلَمُ مَكَانَهُ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ، فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي رَأَيْتُ كِنَانَةَ يَطِيفُ بِهَذِهِ الْخَرِبَةِ كُلَّ غَدَاةٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِكِنَانَةَ: " أَرَأَيْتَ إِنْ وَجَدْنَاهُ عِنْدَكَ أَقْتُلُكَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَرِبَةِ فَحُفِرَتْ، فَأُخْرِجَ مِنْهَا بَعْضُ