আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩১১০

প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)-এর নির্দোষিতা প্রমাণ করে আয়াত নাযিল
হয় ৷ এ সম্পর্কে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ এ বছর উমরাতুল হুদায়বিয়া’ সংঘটিত হয়,
মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ্ (সা )-কে উমরা পালন করতে বাধা দেয় এবং দশ বছরের জন্য যুদ্ধ বন্ধের
অঙ্গীকারসহ সন্ধি স্থাপিত হয় ৷ ফলে লোকেরা পরস্পরে নিরাপত্তা লাভ করে ৷ এ সময় কেউ
কারো উপর তরবারি উত্তোলন করবে না এবং কেউ কারো সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গও করবে না ৷ এ বিষয়ে
যথাস্থানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ এ বছর ও মুশরিকরা হাজ্জর তত্ত্বাবধান করে ৷

ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বছর যিলহজ্জ মাসে ৬ জন দৃতকে পত্রসহ বিভিন্ন রাজ
দরবারে প্রেরণ করেন, এরা হলেন ১ হাতির ইবন আবুবালতাআকে আলেকজাদ্রিয়ার শাসনকর্তা
মুকাওকিসের প্রতি ২ বদর সময়ে অংশ গ্রহণকারী শুজা ইবন ও হব ইবন আসাদ ইবন
জুযাইমাকে হারীস ইবন আবুশামির আল-গাসসানীর প্রতি ৷ অর্থাৎ ইনি ছিলেন আরবের খৃস্টানদের
বাদশাহ ৷ ৩ দিহ্ইয়া ইবন খলীফা আল-কালবীকে রোম ন্ম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্রতি ৷ : আবদৃল্লাহ্
ইবন হুযায়ফা সাহমীকে পারস্য সম্রাট কিসৃরার প্রতি , ৫ হাওয়া ইবন আলী আল হানাফীর প্রতি
সালীত ইবন আমৃর আল-আমিরীকে এবং ৬ আবিসিনিয়ার ইথিওপিয়া খৃষ্টান শাসক নাজাশীর প্ৰতি
আমৃর ইবন উমাইয়া আদৃদিমারীকে ৷ ঐ নাজাশীর আসল নাম ছিল আসহামা ইবন হ্ব ৷

সপ্তম হিজরী সনের শুরুতে সংঘটিত খায়বর যুদ্ধ

মহান আল্লাহর বাণী আবদুর রহমান
ইবন আবু লায়লা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, এখানে : ,: ;£; বলে খায়বরকে বুঝানো
হয়েছে ৷ মুসা ইবন উকবা বলেন : রাসুল করীম (সা) হুর্দায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করে ২০ দিন
অথবা এর কাছাকাছি সময় মদীনায় অবস্থান করে খায়বরের উদ্দেশ্যে বের হন ৷ আর আল্লাহ্
তাআলা তার রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এ খায়বরের বিজয়েরই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ মুসা যুহ্রী
সুত্রে বর্ণনা করেন যে , হিজরী ষষ্ঠ সনে খায়বর বিজয় সম্পন্ন হয় ৷ আর বিশুদ্ধ মতে এ বিজয় হয়
সপ্তম হিজরীর শুরুতে ৷ যেমনটি আমরা এইমাত্র উল্লেখ করেছি ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করে যিলহাজ্জ্ব মাস এবং মুহাররম মাসের কিছু অং
মদীনায় অবস্থান করেন ৷ এরপর মুহাররম মাসের অবশিষ্ট দিনগুলােতে তিনি খায়বরের উদ্দেশ্যে
বের হন ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র মারওয়ান ও মিসওয়ার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হুদাবিয়ার বছর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা প্রত্যাবর্তনের পথে মক্কা এবং মদীনায় মধ্যবর্তী স্থান রাসুলুল্লাহট্রু (সা) এর
প্রতি সুরা ফাত্হ নাযিল হয় ৷ যুলহাজ্জ মাসে তিনি মদীনায় পৌছান এবং খায়বরের পথে রওয়ানা
হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন ৷ খায়বরের পথে খায়বর ও পাতফান গোত্রের
মধ্যবর্তী স্থানে রাজী নামক উপত্যকায় তিনি যাত্রা বিরতি করেন ৷ পাতফানীরা খায়বরবাসীদের
সহায়তা করবে ৷ পরে বলে দিল তার আশংকা, তাই তিনি ভোর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে
তারপর তাদের নিকট গমন করেন ৷ হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, সপ্তম হিজবীর প্রথম দিকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বহির্পত হওয়া সম্পর্কে এ মর্মের একটা বর্ণনা ওয়াকিদী থেকে বর্ণিত আছে ৷


[سَنَةُ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [غَزْوَةُ خَيْبَرَ] [وَقْتُهَا] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سَنَةُ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ غَزْوَةُ خَيْبَرَ فِي أَوَّلِهَا قَالَ شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، فِي قَوْلِهِ: {وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا} [الفتح: 18] (الْفَتْحِ: 18) قَالَ: خَيْبَرَ وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ مَكَثَ بِالْمَدِينَةِ عِشْرِينَ يَوْمًا، أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى خَيْبَرَ، وَهِيَ الَّتِي وَعَدَهُ اللَّهُ إِيَّاهَا. وَحَكَى مُوسَى، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ افْتِتَاحَ خَيْبَرَ فِي سَنَةِ سِتٍّ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ ذَلِكَ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ كَمَا قَدَّمْنَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، حِينَ رَجَعَ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ، ذَا الْحِجَّةِ وَبَعْضَ الْمُحَرَّمِ، ثُمَّ خَرَجَ فِي بَقِيَّةِ الْمُحَرَّمِ إِلَى خَيْبَرَ
পৃষ্ঠা - ৩১১১

আবদুল্লাহ ইবন ইদরীস ইবন ইসহাক থেকে আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, মুহাররম মাসের শেষের দিকে খায়বর বিজয় হয় এবং সযক্ষ্ম মাসের শেষের দিকে নবী করীম
(সা) মদীনায় ফিরে আসেন ৷ ইবন হিলাল বলেন, এ সময় রাসৃলুল্লাহ্ (সা) নুসায়লা ইবন
আবল্লোহ্ লায়হীকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷

ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান আবুহুরায়রা সুত্রে বর্ণনা যে, আবু হুরায়রা (র) তার
সম্প্রদায়ের কিছু লোকের সঙ্গে মদীনায় আগমন করেন ৷ নবী করীম (সা ) তখন খায়বরে ছিলেন ৷
তিনি সিবা ইবন উরফাতা পাতফানীকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করেন ৷ আবুহুরায়রা
(রা) বলেন :: আমি সিবার নিকট গিয়ে পৌছলাম, তখন তিনি ফজরের সালাতের প্রথম
রাকামাতে কাফ-হা-ইয়া-অইিন-সাদ এবং দ্বিতীয় রাকআতে ওয়াইলুললিল মুতাফ্ফিফীন সুরা পাঠ
করছিলেন ৷ তখন আমি মনে মনে বললা-স্র, অমুকের জন্য দাভাগ, যে মানুষের নিকট থেকে
যখন মেগে নেয়, তখন পুরাপুরি আদায় করে নেয়, আর যখন মানুষকে যোগ দেয় তখন কম
দেয় ৷ তিনি বলেন, আমীর নামায আদায় করে আমাদেরকে কিছু জিনিস দান করলে আমরা তা
নিয়ে খায়বর পৌছি ৷ নবী করীম (সা) তখন খায়বর বিজয় সম্পন্ন করেছেন ৷ তিনি মুসলমানদের
সঙ্গে কথা বলেন এবং গনীমতের সালে আমাদেরকেও শরীক করেন ৷

ইমাম বায়হাকী সুলায়মান ইবন হাবৃব বনুগিফারের একদল লোক থেকেও হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক (র) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) মদীনা থেকে খায়বরের পথে বের হয়ে
আসৃর পাহাড়ের পথে গমন করেন এবং তথায় একটা মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ তারপর সাহ্বা’
নামক স্থানে আগমন করেন; এরপর তিনি সৈন্যদেরকে নিয়ে অগ্রসর হয়ে রাব্জী নামক উপত্যকায়
অবস্থান নেন ৷ সেখানে খায়বরবাসী এবং পাতফানীদের মধ্যস্থলে অবস্থান গ্রহণ করেন, যাতে
তাদের মধ্যে আঃরায় হন, যেন তারা খায়বরবাসীদেরকে সাহায্য করতে না পারে ৷ কারণ, তারা
ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিপরীতে খায়বরের য়াহ্রদীদের জন্য সাহায্যকারী ৷ আমি জানতে পেয়েছি
যে, পাতফানের ণ্লাকেরা যখন এটা জানতে পারে তখন একত্র হয়ে বের হয় যাতে রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর বিরুদ্ধে য়াহ্রদীদেরকে সাহায্য করতে পারে ৷ তারা সৰেমাত্র এক মনযিল পথ অতিক্রম
করেই পেছনে সহা সম্পদ আর পরিবার-পরিজনের মধ্যে হৈ চৈ শ্রবণ করে তাদের ধারণা জানা
যে, মুসলমানরা পেছন থেকে তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে ৷ তাই তারা পেছনে ফিরে এসে
নিজেদের সহায় সম্পদ আর পব্লিবার-পরিজ্যনর মধ্যে অবস্থান গ্রহণ করে এবং রহ্সুলুল্লাহ্ (না) ও
খায়বরের মধ্যে অতরায় হয়ে দাড়ায়নি ৷

ইমাম বুখারী (র) আবদৃল্লাহ্ ইবন মাসলামা বুশায়র সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সৃওয়ায়দ
ইবন নৃমান তাকে জানান যে, খায়বরের বছরে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সঙ্গে বের হন ৷ এমন
কি খায়বরের নিকটবর্তী ’সাহ্বা নামক স্থানে পৌছে আসরের সালতে আদায় করে খাবার আমার
জন্য বললে কেবল ছাতৃ আনা হলো তিনি তা ভিজাতে বলেন ৷ তা ভিজানো হলে তিনি আহার
করেন এবং তার সঙ্গে আমরাও আহার করি ৷ এরপর মাগরিবের নমােয়ের জন্য দাড়িয়ে কুলি করে
ালাত আদায় করেন ৷ এজন্যে তিনি আর নতুন করে উয়ু করেননি ৷


وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ وَالْمِسْوَرِ قَالَا: «انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْفَتْحِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي ذِي الْحِجَّةِ، فَأَقَامَ بِهَا حَتَّى سَارَ إِلَى خَيْبَرَ فِي الْمُحَرَّمِ، فَنَزَلَ بِالرَّجِيعِ؛ - وَادٍ بَيْنَ خَيْبَرَ وغَطَفَانَ - فَتَخَوَّفَ أَنْ تُمِدَّهُمْ غَطَفَانُ، فَبَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ فَغَدَا إِلَيْهِمْ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَبِمَعْنَاهُ رَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ، فِي خُرُوجِهِ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ افْتِتَاحُ خَيْبَرَ فِي عَقِبِ الْمُحَرَّمِ، وَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ صَفَرٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ نُمَيْلَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيَّ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خُثَيْمٌ،
পৃষ্ঠা - ৩১১২
يَعْنِي ابْنَ عِرَاكٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي رَهْطٍ مِنْ قَوْمِهِ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ، وَقَدِ اسْتَخْلَفَ سِبَاعَ بْنَ عُرْفُطَةَ - يَعْنِي الْغَطَفَانِيَّ - عَلَى الْمَدِينَةِ. قَالَ: فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَقْرَأُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى بِ {كهيعص} [مريم: 1] (مَرْيَمَ: 1) . وَفِي الثَّانِيَةِ: {وَيْلٌ لِلْمُطَفِّفِينَ} [المطففين: 1] (الْمُطَفِّفِينَ: 1) فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: وَيْلٌ لِفُلَانٍ، إِذَا اكْتَالَ اكْتَالَ بِالْوَافِي، وَإِذَا كَالَ كَالَ بِالنَّاقِصِ. قَالَ: فَلَمَّا صَلَّى زَوَّدَنَا شَيْئًا حَتَّى أَتَيْنَا خَيْبَرَ، وَقَدِ افْتَتَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ. قَالَ: فَكَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ، فَأَشْرَكُونَا فِي سِهَامِهِمْ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ خُثَيْمِ بْنِ عِرَاكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ نَفَرٍ مِنْ بَنِي غِفَارٍ قَالُوا: إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ. فَذَكَرَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى خَيْبَرَ، سَلَكَ عَلَى عِصْرٍ، فَبُنِيَ لَهُ فِيهَا مَسْجِدٌ، ثُمَّ عَلَى الصَّهْبَاءِ، ثُمَّ أَقْبَلَ بِجَيْشِهِ حَتَّى نَزَلَ بِهِ بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: الرَّجِيعُ. فَنَزَلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ غَطَفَانَ؛ لِيَحُولَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ أَنْ يُمِدُّوا أَهْلَ خَيْبَرَ - وَكَانُوا لَهُمْ مُظَاهِرِينَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
পৃষ্ঠা - ৩১১৩

ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা — সালাম! ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা
করেন : আমরা রাত্রিবেলা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে খায়বরের উদ্দেশ্যে বের হই ৷ তখন
আমাদের এক ব্যক্তি আমীরকে বললে! : হে আমীর ! তুমি কি আমাদ্যোকে তোমার কিছু ণ্শানাবে

না ? আর আমীর ছিলেন একজন কবি ৷ তখন তিনি বাহন থেকে অবতরণ করে লোকজনকে
উদ্বুদ্ধ করে হুদী পান গোনান :

ন্ট্রষ্ ৰুা

হে আল্লাহ্ ! তুমি না থাকলে আমরা হিদায়াত তথা সরল পথের সন্ধান পেতাম না , আমরা
সদকা করতাম না এবং সালাত আদায় কঃতোম না ৷ সুতরাং তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, যতদিন
আমরা জীবিত থাকি, তোমার তরে নিজেদের জান কুরৰান হোক ৷ নাযিল কর আমাদের উপর
শান্তি ও নিরাপত্তা ৷

আমরা যখন মুখোমুখি হবো তখন আমাদেরকে অবিচল রেখো ৷ আমাদের প্রতি হুৎকার
দেওয়া হলে আমরা তাকে তৃচ্ছ জ্ঞান করি ৷ চিৎকার দ্বারা আমাদের বিরুদ্ধে লোকজন জড়ো
বল্পা হয় ৷

পংক্তিগুলো শ্রবণ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, কে এই হুদী’ গায়ক ? লোকেরা
জানানো : আমীর ইবনুল আকওয়া ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আল্লাহ্ তারপ্রতি রহম করুন ৷
তখন আমাদের মধ্যে একজন বললো : তার জন্য (শাহাদাত ) অবধারিত হয়ে গেছে ৷ ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনি তার দ্বারা (আরো কিছু কাল) আমাদেরকে যদি উপৃকত হওয়ার সুযোগ
দান করতেন ৷ আমরা খায়বর পৌছে তাদেরকে অবরোধ করে ফেলি ৷ এ সময় আমরা ক্ষুধায়
কাতর হয়ে পড়ি ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআলা মুসলমানদেরকে খায়ররে বিজয় দান করেন ৷ যেদিন
খায়বর বিজয় হয় সেদিন বিকালে লোকেরা অনেকগুলো চুলো প্ৰজ্বলিত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জানতে চইিলেন : এসব কিসের আগুন ? কেন, কিসের জন্য এ আগুন জ্বালচ্ছে ? লোকেরা
বললেন : গোশত পাকাবার জন্য ৷ তিনি বললেন, কিসের ণ্গাশত ? বলা হল : গৃহপালিত গধোর
গোশৃত ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন : গোশৃত আর শুররা প্রবাহিত কর এবং (পাত্র) ভেঙ্গে
ৰেলে ৷ তখন এক ব্যক্তি বললো : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! আমরা কি তা প্রবাহিত করে পাত্র ধুয়ে
ফেলবাে ? নবী করীম (সা) বললেন ? এটাও হতে পারে ৷ লোকেরা যখন সারিবদ্ধ হয়ে দাড়ায়,
আর আমীর এর তলোয়ার ছিল খাট, তিনি এ খাট তরবারি দ্বারা ইয়াহ্রদীর পায়ের গোছায় আঘাত
করা শুরু করেন ৷ তরবারির আঘাত তার নিজের হাটুতে লাগে এবং এতেই আমীর এর মৃত্যু
হয় ৷ যখন তারা ফিরে আসছিলেন তখন (আমীর এর ভাই) সালমা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে দেখে আমার হস্ত ধারণ করেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তোমার কি হয়েছে ? আমি
বললাম : আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন ৷ লোকদের ধারণা আমীর এর সকল
আমল পণ্ড হয়ে গেছে ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন : যে ব্যক্তি এমন কথা বলে সে মিথ্যা


فَبَلَغَنِي أَنَّ غَطَفَانَ لَمَّا سَمِعُوا بِذَلِكَ جَمَعُوا، ثُمَّ خَرَجُوا لِيُظَاهِرُوا الْيَهُودَ عَلَيْهِ، حَتَّى إِذَا سَارُوا مَنْقَلَةً، سَمِعُوا خَلْفَهُمْ فِي أَمْوَالِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ حِسًّا، ظَنُّوا، أَنَّ الْقَوْمَ قَدْ خَالَفُوا إِلَيْهِمْ، فَرَجَعُوا عَلَى أَعْقَابِهِمْ، فَأَقَامُوا فِي أَمْوَالِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ، وَخَلَّوْا بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ خَيْبَرَ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرٍ أَنَّ سُوَيْدَ بْنَ النُّعْمَانِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ «خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالصَّهْبَاءِ، وَهِيَ مِنْ أَدْنَى خَيْبَرَ، صَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ دَعَا بِالْأَزْوَادِ، فَلَمْ يُؤْتَ إِلَّا بِالسَّوِيقِ، فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِّيَ، فَأَكَلَ وَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، فَسِرْنَا لَيْلًا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لِعَامِرٍ: يَا عَامِرُ، أَلَا تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ؟ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلًا شَاعِرًا، فَنَزَلَ يَحْدُو بِالْقَوْمِ، يَقُولُ: لَاهُمَّ لَوْلَا أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا
পৃষ্ঠা - ৩১১৪
فَاغْفِرْ فِدَاءً لَكَ مَا اتَّقَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا وَأَلْقِيَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... إِنَّا إِذَا صِيحَ بِنَا أَبَيْنَا وَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُوا عَلَيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ هَذَا السَّائِقُ؟ " قَالُوا: عَامِرُ بْنُ الْأَكْوَعِ. قَالَ: " يَرْحَمُهُ اللَّهُ ". فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: وَجَبَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، لَوْلَا أَمْتَعْتَنَا بِهِ. فَأَتَيْنَا خَيْبَرَ فَحَاصَرْنَاهُمْ حَتَّى أَصَابَتْنَا مَخْمَصَةٌ شَدِيدَةٌ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ فَتَحَهَا عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ مَسَاءَ الْيَوْمِ الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ، أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرَةً، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا هَذِهِ النِّيرَانُ؟ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ تُوقِدُونَ؟ " قَالُوا: عَلَى لَحْمٍ. قَالَ: " عَلَى أَيِّ لَحْمٍ؟ " قَالُوا: لَحْمُ الْحُمُرِ الْإِنْسِيَّةِ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَهْرِيقُوهَا وَاكْسِرُوهَا ". فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوَنُهْرِيقُهُا وَنَغْسِلُهَا؟ فَقَالَ: " أَوْ ذَاكَ ". فَلَمَّا تَصَافَّ النَّاسُ، كَانَ سَيْفُ عَامِرٍ قَصِيرًا، فَتَنَاوَلَ بِهِ سَاقَ يَهُودِيٍّ لِيَضْرِبَهُ، فَيَرْجِعُ ذُبَابُ سَيْفِهِ، فَأَصَابَ عَيْنَ رُكْبَةِ عَامِرٍ فَمَاتَ مِنْهُ، فَلَمَّا قَفَلُوا قَالَ سَلَمَةُ: رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ آخِذٌ
পৃষ্ঠা - ৩১১৫

বলে ৷ তার জন্য রয়েছে দুটি পুরস্কার ৷ এরপর তিনি দু আঙ্গুল একত্র করেন ৷ তিনি একজন
মুজাহিদের মতো জিহাদ করেছেন ৷ খুব কম আরবই পৃথিবীর বুকে আমিরের মতো পদক্ষেপে
বিচরণ করেছে ৷ ইমাম মুসলিম (র)ও এ হাদীছটি হাতিম ইবন ইসমাঈল প্রমুখের বরাতে ইয়াষীদ
ইবন আবু উবায়দ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক আমীর ইবন আক্ওয়া এর কাহিনী
অন্যভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি মুহাম্মাদ ইবন ইব্রাহীম নাসৃর ইবন দৃহ্ব আসলামী সুত্রে
তিনি তদীয় পিতা থেকে ৷ তিনি ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-কে খ্যয়বর সফরকালে আমীর ইবন আফওয়াকে
বলতে শুনেছেন আর ইনি ছিলেন সালামা ইবন আমীর ইবন আক্ওয়া এর চাচা, হে ইবনুল
আক্ওয়া! তুমি নীচে নেমে এসো এবং আমাদেরকে তোমার কিছু কবিতা শুনাও ৷ রাৰী বলেন,
তিনি নীচে নেমে রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে নিম্নোক্ত কবিতা শুনান :

আল্লাহ্র শপথ, আল্লাহ্ না থাকলে আমরা হিদায়াত পেতাম না ৷ আমরা সদকা করতাম না,
সালাত আদায় করতাম না ৷ আমরা এমন লোক যখন কোন জাতি আমাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার
করে আর বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় আমরা তা প্রতিরোধ করি ৷ সুতরাং তুমি আমাদের প্ৰতি শান্তি
ও নিরাপত্তা নাযিল কঃ৷ ৷ এবং আমাদ্যোকে অবিচল রাখ, যখন আমরা সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হই ৷
তার কবিতা শ্রবণ করে রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেন : তোমার পালনকতা তোমার প্ৰতি রহম করুন,
দয়া করুন ৷ তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (না) ! আপনি যদি তার
দ্বারা আমাদেরকে (আরো কিছু সময়) উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিতেন ৷ তার জন্য তো শাহাদত
অনিবার্য হয়ে গেছে ৷ খায়বরের দিন তিনি শহীদ হন ৷ ইমাম বৃখরী-এর মতো তিনিও তার মৃত্যুর
বর্ণনা উল্লেখ করেহ্নে৷ ৷
ইবন ইসহাক আতা ইবন আবু মারওয়ান আবুমাতাব ইবন আমৃর সুত্রে বর্ণনা করেন

যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বরে দাড়িয়ে সাহাবীদের উদ্দেশেদ্র বলেন, আর আমিও তাদের মধ্যে
ছিলাম, তোমরা সকলে দাড়াও ৷ এরপর তিনি বললেন :




এলাহী ! সপ্ত আকাশ এবং তা যার উপর ছায়া বিস্তার করে, সে সবের পালনকতা, ভুমি
এবং ভুমি যা কিছু ধারণ করে সে সবের পলনকতা, সমস্ত শয়তান আর শয়তানরা যাদ্যেশ্বকে
পােমরাহ করে তাদের পালনকতা, বায়ু আর ৰায়ু যেসব বস্তুকে উড়িয়ে নিয়ে যায সেসবের


بِيَدِي، قَالَ: " مَا لَكَ؟ " قُلْتُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي، زَعَمُوا أَنَّ عَامِرًا حَبِطَ عَمَلُهُ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَذَبَ مَنْ قَالَهُ، إِنَّ لَهُ لَأَجْرَيْنِ - وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ - إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ، قَلَّ عَرَبِيٌّ مَشَى بِهَا مِثْلَهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، وَغَيْرِهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، بِهِ نَحْوَهُ. وَيُرْوَى: " نَشَأَ بِهَا مِثْلَهُ ". قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَيُرْوَى: " قَلَّ عَرَبِيٌّ مُشَابِهًا مِثْلَهُ ". وَيَكُونُ مَنْصُوبًا عَلَى الْحَالِيَّةِ مِنْ نَكِرَةٍ، وَهُوَ سَائِغٌ؛ إِذَا دَلَّتْ عَلَى تَصْحِيحِ مَعْنًى، كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: " «فَصَلَّى وَرَاءَهُ رَجُلٌ قِيَامًا» ". وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ عَامِرِ بْنِ الْأَكْوَعِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ نَصْرِ بْنِ دَهْرٍ الْأَسْلَمِيِّ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ «أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي مَسِيرِهِ إِلَى خَيْبَرَ لِعَامِرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩১১৬
الْأَكْوَعِ، وَهُوَ عَمُّ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ: " انْزِلْ يَا ابْنَ الْأَكْوَعِ، فَخُذْ لَنَا مِنْ هَنَاتِكَ " قَالَ: فَنَزَلَ يَرْتَجِزُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْلَا اللَّهُ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا إِنَّا إِذَا قَوْمٌ بَغَوْا عَلَيْنَا ... وَإِنْ أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُكَ رَبُّكَ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: وَجَبَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ أَمْتَعْتَنَا بِهِ. فَقُتِلَ يَوْمَ خَيْبَرَ شَهِيدًا» ثُمَّ ذَكَرَ صِفَةَ قَتْلِهِ كَنَحْوِ مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَرْوَانَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُعَتِّبِ بْنِ عَمْرٍو «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَشْرَفَ عَلَى خَيْبَرَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ وَأَنَا فِيهِمْ: " قِفُوا ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الْأَرَضِينَ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا أَذْرَيْنَ، فَإِنَّا نَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، أَقْدِمُوا بِسْمِ اللَّهِ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩১১৭

খায়বরে আলী ইবন আবু তালিব (রা) রাসুল করীম (সা) থেকে পেছনে পড়ে যান আর
সেদিন তার চোখে পীড়া ছিল ৷ তখন তিনি বললেন : আমি কি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পেছনে পড়ে
থাকবাে ? একথা বলে তিনি এসে নবী করীম (সা)-এর সঙ্গে যোগ দেন ৷ আমরা রাত্রি যাপন
করি, যে রাত্রে খায়বর বিজয় হয়, সেদিন ভোরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আগামী কাল আমি
এমন লোকের হাতে পতাকা দেবাে , আল্লাহ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যাকে ভালরাসেন (অথবা
তিনি বলেন আগামী কাল এমন ব্যক্তি পতাকা গ্রহণ করবেন) ৷ তার হাতে খায়বর বিজয় হবে
আমরা সকলেই খায়বর বিজেতা হওয়ার প্রত্যাশী ছিলাম ৷ বলা হলো : এই যে আলী (রা) !
রাসুলুল্লাহ্ (যা) তার হাতে পতাকা তুলে দেন আর তার হাতেই খায়বর বিজয় হয় ৷ ইমাম বুখারী
(র) ও ইমাম মুসলিম (র) কুতায়বার বরাতে হাতিম সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারী
(র) কুতায়বা আবুহাযিম সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :

সাহ্ল ইবন সাদ আমাকে জানান যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারের দিন আমাকে বললেন :
আগামী কাল আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে এ পতাকা তুলে দেবাে, যিনি আল্লাহ এবং তার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ভালবাসেন এবং আল্লাহ ও তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও যাকে ভালবাসেন ৷ তার
হাতে আল্লাহ খায়ররের বিজয় দান করবেন ৷ লোকেরা কানাখুষার মধ্যে রাত্রি যাপন করেন, কার
হাতে এ পতাকা দেয়া হয় কে জানে ৷ ভোরে লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট উপস্থিত হন ৷
সকলেই আশা পোষণ করেন ৷ এ পতাকা তাকে দেয়া হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন,
আলী ইবন আবু তালিব কোথায় ? লোকেরা আরব করেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! তার চোখ
ব্যধিগ্রস্ত ৷ রাবী বলেন, লোক প্রেরণ করে তাকে ডেকে এনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দৃচোখে মুখের
লালা লাগিয়ে তার জন্য দৃ’আ করলে তিনি এমন সুস্থ হয়ে উঠেন যেন কোন ব্যথাই ছিলনা ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার হাতে পতাকা তুলে দিলে হযরত আলী (রা) বললেন : তারা আমাদের মতো
(মুসলিম) না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের সঙ্গে লড়াই করে যাবো ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : ধীরে
সুন্থে তাদের দিকে এগিয়ে যাবে এবং তাদের আঙ্গিনড়ায় পৌছে ইসলামের দিকে তাদেরকে
আহ্বান জানাবে, তাদের উপর আল্লাহ্ তাঅড়ালার যে অধিকার বতায়, সে সম্পর্কে তাদেরকে
অবহিত করবে ৷ আল্লাহর শপথ, তোমার দ্বারা একজন লোকের হিদায়াত লাভ করা তোমার লাল
বর্ণের উটের মালিক হওয়ার চেয়ে অনেক উত্তম ৷ ইমাম মুসলিম (র) এবং ইমাম নাসাঈ (র)
উভয়ে কুতায়বা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

সহীহ মুসলিম এবং বায়হাকীতে সুহায়ল ইবন আবু সালিহ তার পিতা সুত্রে ৷ তিনি হযরত
আবুহ্বাযরা (রা) থেকে বর্ণনা করেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : আমি আপামীকাল এমন এক ব্যক্তির হাতে এ পতাকা তুলে দেবাে,
যে আল্পাহ্ এবং তার রাসুলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ্ ও তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাকে ভালবাসেন
এবং তার হাতে অড়াল্লাহ্ (খায়বরের) বিজয় দান করবেন ৷ (একথা শ্রবণ করে) উমর (রা) বলেন,
কেবল সেদিনই আমার মনে নেতৃত্ব লাভের আকাত্তক্ষা জাগে ৷ রাসুল করীম (সা) হযরত আলী
(রা)-কে ডেকে এ বলে তাকে প্রেরণ করেন : যাও এবং লড়াই করতে থাক যতক্ষণ না আল্লাহ্
তোমার হাতে বিজয় দান করেন ৷ পেছনে ফিরে তড়াকাবেনা, এদিক সেদিক দেখবে না ৷ আলী


وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْعُطَارِدِيِّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي مَرْوَانَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، حَتَّى إِذَا كُنَّا قَرِيبًا وَأَشْرَفْنَا عَلَيْهَا، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ: " قِفُوا ". فَوَقَفَ النَّاسُ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الْأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، فَإِنَّا نَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، أَقْدِمُوا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ» " قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا غَزَا قَوْمًا لَمْ يُغِرْ عَلَيْهِمْ حَتَّى يُصْبِحَ، فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ، وَإِنْ لَمْ يَسْمَعْ أَذَانًا أَغَارَ، فَنَزَلْنَا خَيْبَرَ لَيْلًا، فَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا أَصْبَحَ لَمْ يَسْمَعْ أَذَانًا، فَرَكِبَ وَرَكِبْنَا مَعَهُ، وَرَكِبْتُ خَلَفَ أَبِي طَلْحَةَ، وَإِنَّ قَدَمِي لَتَمَسُّ قَدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَقْبَلَنَا عُمَّالُ خَيْبَرَ غَادِينَ، قَدْ خَرَجُوا بِمَسَاحِيهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ، فَلَمَّا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْجَيْشَ، قَالُوا: مُحَمَّدٌ
পৃষ্ঠা - ৩১১৮
وَالْخَمِيسُ مَعَهُ. فَأَدْبَرُوا هُرَّابًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ".» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنَا هَارُونُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، بِمِثْلِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى خَيْبَرَ لَيْلًا، وَكَانَ إِذَا أَتَى قَوْمًا بِلَيْلٍ لَمْ يَقْرَبْهُمْ حَتَّى يُصْبِحَ، فَلَمَّا أَصْبَحْ خَرَجَتِ الْيَهُودُ بِمَسَاحِيهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا: مُحَمَّدٌ وَاللَّهِ، مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَبَّحْنَا خَيْبَرَ بُكْرَةً، فَخَرَجَ أَهْلُهَا بِالْمَسَاحِي، فَلَمَّا بَصُرُوا بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: مُحَمَّدٌ
পৃষ্ঠা - ৩১১৯

(বা) জিজ্ঞেস করলেন : কে ৷নৃ বিষয়ে আমি৩ তাদের সঙ্গে জিহাদ করবো ? রাসুল করীম (সা)
বললেন৪ আল্পাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র বান্দ৷ ও রাসুল-
যতক্ষণ তারা এ কথার সাক্ষ্য না দেয় ততক্ষণ তুমি তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ অব্যাহত রাখবে ৷

তারা একথা স্বীকার করে নিলে তারা তাদের জান মালের নিরাপত্তার অধিকারী হবে ৷ তবে কারো
অধিকার হরণ করলে৩ তার দন্ড ভোগ করতে হয়ে তাদের হিসাব অ ৷ল্লাহ্র হাতে ৩নস্ত ৷ এ হাদীছের
শব্দমা লা বুখা ৷রী শরীফের ৷

ইমাম আহমদ (র) মুসআব ইবন মিকদাম আবু সাঈদ খুদৃরী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
৪ আবু সাঈদ খুদরী (বা) বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) পতাকা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে বললেন : হক আদায় করে কে এ পতাকা
ধারণ করবে ? এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে বললাে আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যাও ৷ অপর
এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : যাও ৷ এরপর নবী করীম (সা) বললেন : সে
সত্তার শপথ, যিনি মুহাম্মাদের মুখমণ্ডলকে গৌরবদীপ্ত করেছেন, এমন এক ব্যক্তিকে আমি এটা
দান করবো , যে পলায়ন করবে না ৷ এরপর তিনি বললেন : হে আলী ধারণ কর ৷ তিনি এগিয়ে
যান এবং আল্লাহ তার হাতে খায়বর ও ফাদাক এর বিজয় দান করেন ৷ বিজয়ের পর তিনি তথা
থেকে উন্নতমানের আজওয়া , খেজুর এবং শুকন৷ গোশ্ত নিয়ে আসেন ৷ ইমাম আহমদ
এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং এ হাদীছের সনদেও কোন ত্রুটি নেই, তার একজন
রাবী সম্পর্কে বি৩কি রয়েছে ৷ হাদীছটিতে কিছুটা বিরল বর্ণনাও রয়েছে ৷

ইউনুস ইবন বুকাইর আমৃর ইবনুল আক্ওয়৷ সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে, নবী করীম
(সা) আবু বকর (রা)-কে খায়বরের কোন এক দুর্গের প্রতি প্রেরণ করেন ৷ তিনি জিহাদ শেষে
ফিরে আসেন ৷ অনেক চেষ্টা করেও তা জয় করতে সক্ষম হননি ৷ এরপর উমর (রা)-ফে প্রেরণ
করেন ৷ তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আগামী কাল আমি এমন এক
ব্যক্তির হাতে পতাকা দেবাে , আল্লাহ্ এবং আল্লাহ্র রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাকে ভালবাসেন এবং যিনি
আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলকে ভালবাসেন ৷ আল্লাহ তার হাতে বিজয় দান করবেন এবং৩ তিনি
পলায়নকা ৷রী নন ৷ সালমা বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবুতা তালিবকে ডাকেন ৷ তখন তার
চাে ৷খে অসুখ ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দু চোখে লাল৷ দিয়ে বললেন০ পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাও
যতক্ষণ না আল্লাহ্ তোমার হাতে বিজয় দান করেন ৷ আলী (রা) পতাকা নিয়ে বের হলেন দ্রুত
গতিতে চললেন আর আমরা তার পশ্চাতে পদাৎক অনুসরণ করছিলাম ৷ তিনি পাথরের ঢিবিতে
পতাকা গাড়লেন ৷ এটা ছিল দুর্গের নীচে ৷ এক ইয়াহুদী দুর্গের চুড়া থেকে মাথা তুলে দেখলে ৷
বললো০ কে তুমি ? তিনি বললেন০ আমি আলী ইবন আবুতা ৩ালিব ৷ তখন ইয়াহ্রদী বললো, মুসার
উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে (অর্থাৎ তাওরাত) তার শপথ করে বলছি, তোমরা জয়ী হয়ে ৷ আল্লাহ
তার হাতে বিজয় দান না করা পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করেননি ৷

ইমাম বায়হাকী (র) হাকিম আবদুল্লাহ্ ইবন বুরায়দা সুত্রে,৩ তিনি তদীয় পিতা সুত্রে
বর্ণনা করেন০ খায়বরের দিন আবু বকর (রা) পতাকা ধারণ করেন ৷ কিন্তু বিজয় অর্জন ছ৷ ৷ড়াই
তিনি প্র৩াবর্ভা করেন ৷ মাহমুদ ইবন মাসলামা শহীদ হলে লোকেরা ফিরে আসে ৷ ৩ খন রাসুল


وَاللَّهِ، مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ". قَالَ: فَأَصَبْنَا مِنْ لُحُومِ الْحُمُرِ، فَنَادَى مُنَادِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ؛ فَإِنَّهَا رِجْسٌ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمَّا أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، فَوَجَدَهُمْ حِينَ خَرَجُوا إِلَى زَرْعِهِمْ وَمَعَهُمْ مَسَاحِيهِمْ، فَلَمَّا رَأَوْهُ وَمَعَهُ الْجَيْشُ، نَكَصُوا فَرَجَعُوا إِلَى حِصْنِهِمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ قَرِيبًا مِنْ خَيْبَرَ بِغَلَسٍ، ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ". فَخَرَجُوا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ، فَقَتَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُقَاتِلَةَ، وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ، وَكَانَ فِي السَّبْيِ صَفِيَّةُ، فَصَارَتْ إِلَى دِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، ثُمَّ صَارَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا. قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ لِثَابِتٍ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، أَأَنْتَ قُلْتَ لِأَنَسٍ: مَا أَصْدَقَهَا؟ فَحَرَّكَ ثَابِتٌ رَأْسَهُ تَصْدِيقًا لَهُ» . تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ النَّهْيَ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩১২০

করীম (সা) বললেন ৪ আপামীকাল আমি আমার পতাকা এমন এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করবো, যে
আল্লাহ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)ন্কে ভালবাসে আর আল্লাহ এবং তার রাসুলও যাকে ভালবাসেন ৷
আল্লাহ তার হাতে বিজয় সুচিত না করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি ফিরে আসবে না ৷ আগামীকাল বিজয়
নিশ্চিত এ আশায় আমরা প্রশান্ত চিত্তে রাত্রি যাপন করি ৷ তখন রাসৃলুল্লাহ্ (সা) ফজরের সালাত
আদায় করে পতাকা নিয়ে আসতে বলেন এবং নিজে দাড়িয়ে থাকেন ৷ রাসুল করীম (সা)-এর
নিকট যার কিছু মযদি৷ আছে সে-ই আশা পোষণ করে যে, সেই হবে রাসুলের কাডিক্ষত ব্যক্তি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট আমার যেটুকু স্থান আছে, তাতে আমি আশা পোষণ করি এবং মাথা
তুলে এগিয়ে যাই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিবকে তলব করেন ৷ তখন তিনি
চক্ষু পীড়ায় ভুগছিলেন ৷ রাবী বলেন, রাসুল করীম (সা) তার চোখে হাত বুলান আর তার হাতে

কা তুলে দেন ৷ তিনি বিজয় অর্জন করেন ৷ তখন আমি আবদুল্লাহ ইবন বৃরায়দাকে বলতে
শুনি, তিনি বলছিলেন, তিনি ছিলেন মারহাবকে হত্যাকারী ৷

ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস বলেন যে, খায়বরের দৃর্পগুলাের মধ্যে সর্বপ্রথম নাএম’ দুর্গ জয়
করা হয় ৷ সেখানেই মাহমুদ ইবন মাসলামাকে শহীদ করা হয় ৷ উপর থেকে তার মাথায় যাতা
নিক্ষেপ করা হলে তাতে তিনি শহীদ হন ৷

ইমাম বায়হড়াকী (র) ইউনুস ইবন বুক৷ য়র আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা সুত্রে৩ তিনি তার
পিত ৷ থেকে বর্ণনা করেনং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কখনো কখনো মাথা ব্যথায় ১ আক্রান্ত হতেন ৷ তখন
দৃ একদিন ঘর থেকে বের হতেন না ৷ থায়বরেও তিনি মাথা ধরায় আক্রান্ত হন ৷ এ সময়ও তিনি
লোকজনের সম্মুখে উপস্থিত হননি ৷ হযরত আবু বকর (রা) বাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পতাকা নিয়ে
বের হন এবং তুমুল জিহাদ শেষে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এরপর হযরত উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্র (সা)
পতাকা ধারণ করে ভীব্রে জিহাদ করেন যা ছিল পুর্বের চেয়ে আরো অনেক কঠোর; কিন্তু তিনিও
ফিরে আসেন ৷ এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অব ৩করা হলেও তিনি বললেন, আগামী কাল
আমি এমন লোকের হাতে এ পতাকা তুলে দেবাে, যে আল্লাহ্ ও তার বা সুলকেভ ৩ালবাসে এবং
আল্লাহ্ ও তার রাসুলও যাকে ভালবাসেন ৷ আর যে ব্যক্তি শক্তি প্রয়ােপে উক্ত অঞ্চল জয় করবেন ৷
(রাসুলুল্লা হ্ (সা) যখন একথা বলেন) তখন সেখানে আলী (রা) ছিলেন না ৷ প্রতিটি কুরায়শী আর
প্রতিটি ব্যক্তি আশা পোষণ করেছিলেন যে, তিনিই হবেন যে ব্যক্তি ৷ প্রতু ৷ষে একটা উটে
আরোহণ করে হযরত আলী (বা) আগমন করে উট থেকে নেমে৩ তা বাধলেন ৷ এসময় তিনি
চক্ষুপীড়া য় ভুগছিলেন ৷ এ কারণে তার চক্ষুদ্বয়ে কাতা ৷রী কাপড় দ্বারা পট্টি বাধা ছিল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার কী হয়েছে ? বললেন, চক্ষু ব্যথা করছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, আমার কাছে এসে৷ ৷ (তিনি কাছে এলে) রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চোখে মুখের লালা
লাগান ৷ এরপর তার জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত আর কখনো তিনি চক্ষু পীড়া ৷য় আক্রান্ত হননি ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার হাতে পতাকা তুলে দিলে তিনি পতাকা নিয়ে রওয়ানা হন ৷ এসময়
তার পায়ে ছিল আরজুয়ড়ান এর লাল জুব্বা ৷ তিনি খায়বরে আগমন করলে দুর্গের অধিপতি
মারহাব বেরিয়ে আসে ৷ মারহাবের শিরে ছিল ইয়ামানী শিরস্ত্রাণ ৷ পাথরের কারুকার্য করা এ
শিরস্ত্রাণ তিনি মাথায় ব্যবহার করেন ৷ আর মুখে নিম্নোধৃত কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :
১ মুলে মোঃ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এর অর্থ আমার সামনের দিক বা উভয় দিকের ব্যথা ৷




طُرُقٍ تُذْكَرُ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ ". وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو طَاهِرٍ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا حَاجِبُ بْنُ أَحْمَدَ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَمَّادٍ الْأَبْيَوَرْدِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْأَعْوَرِ الْمُلَائِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُ الْمَرِيضَ، وَيَتَّبِعُ الْجَنَائِزَ، وَيُجِيبُ دَعْوَةَ الْمَمْلُوكِ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ، وَكَانَ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ، وَالنَّضِيرِ عَلَى حِمَارٍ، وَيَوْمَ خَيْبَرَ عَلَى حِمَارٍ مَخْطُومٍ بِرَسَنِ لِيفٍ، وَتَحْتَهُ إِكَافٌ مِنْ لِيفٍ.» وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ بِتَمَامِهِ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ وَابْنُ مَاجَهْ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ سُفْيَانَ، وَعَنْ عَمْرِو بْنِ رَافِعٍ، عَنْ جَرِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ مُسْلِمٍ، وَهُوَ ابْنُ كَيْسَانَ الْمُلَائِيُّ الْأَعْوَرُ الْكُوفِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَا
পৃষ্ঠা - ৩১২১
نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ، وَهُوَ يُضَعَّفُ. قُلْتُ: وَالَّذِي ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " عِنْدَ الْبُخَارِيِّ عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْرَى فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ، حَتَّى انْحَسَرَ الْإِزَارُ، عَنْ فَخِذِهِ.» فَالظَّاهِرُ أَنَّهُ كَانَ يَوْمَئِذٍ عَلَى فَرَسٍ، لَا عَلَى حِمَارٍ. وَلَعَلَّ هَذَا الْحَدِيثَ - إِنْ كَانَ صَحِيحًا - مَحْمُولٌ عَلَى أَنَّهُ رَكِبَهُ فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ وَهُوَ مُحَاصِرُهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ
পৃষ্ঠা - ৩১২২


খায়বর জানে যে, আমি মারহাব ! অস্ত্রধারী অভিজ্ঞ নেতা আমি ৷ সিংহ ক্ষিপ্ত হয়ে যখন সম্মুখে
এগিয়ে আসে এবং বিজয়ীর হামলার ভয়ে যখন সে পিছনে সরে যায় ৷

এর জবাবে আলী (রা) হুৎকার দিয়ে আবৃত্তি করেন :

ম্ভ )দ্দৌ

ন্নে এে

আমি যে ব্যক্তি, যার নাম রেখেছেন তার মা হায়দর বলে ৷ :যন জঙ্গলের সিংহ আর কি ৷
শক্ত আমার পাকড়াও ৷ আমি তােমাদেরকে যেপে দেবাে এক সা এর বিনিময়ে এক মান্দারা
(এক বড় মাপের পরিমাণ বিশেষ) ৷

রাবী বলেন, এরপর উভয়ে সম্মুখ সময়ে অবতীর্ণ হন ৷ একে অন্যের উপর আঘাত হানেন ৷
হযরত আলী (বা) তার উপর এমন তবে আঘাত হানেন যা প্রস্তরকেও তা খানখান করে দেয় ৷ যা
মস্তক ভেদ করে মাড়ির দীত পর্যন্ত পৌছে ৷ এরপর তিনি খায়বর নগরী অধিকার করে নেন ৷

হাফিয বায্যার আব্বাদ ইবন ইয়াকুব ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে খায়বরের দিন হযরত
আবু বকর (রা) , হযরত উমর (রা) , অবশেষে হযরত আলী (রা) কে প্রেরণ করা এবং তার হাতে
খায়বর বিজয়ের কাহিনী বণ্টা করেছেন ৷ তবে তার বর্ণনার কিছুটা বৈকল্য আর অগ্ৰাহ্যতা রয়েছে
এবং তার সনদে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন ৷ যিনি শিয়াবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

ইমাম মুসলিম (র) এবং ইমাম বায়হড়াকী (র) হড়াদীছের শব্দমালা ইমাম বড়ায়হাকী ইকরিমা
ইবন আম্মার সালামা ইবনুল আক্ওয়া ৷ তিনি তার পিতা সুত্রে দীর্ঘ হড়াদীছ বর্ণনা করে
তাতে ফাজারা যুদ্ধ থেকে তাদের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গ উল্লেখপুবর্ক বলেন যে, আমরা তথায় তিন দিন
অবস্থান করে খায়বরের উদ্দেশ্যে বের হই ৷ রাবী বলেন যে, আমীর নিলোধৃত কবিতা আবৃত্তি
করতে করতে রাস্তায় বের হন ও

ণ্ট্রুএে ৷ ,

আল্লাহ্র কসম ! আপনি না থাকলে আমরা হিদায়াত পেতাম না, সাদাকা করতাম না, নামায

আদায় করতাম না ৷ আপনারা দয়া থেকে আমরা বিমুখ হতে পারি না ৷ সুতরাং আপনি আমাদের
প্রতি শান্তি নাযিল করুন ৷

আর আমরা যখন সম্মুখ সময়ে অবতীর্ণ হই তখন আমাদের পদ দৃঢ় ও স্থির রাখবেন ৷


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ تَخَلَّفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَيْبَرَ، وَكَانَ رَمِدًا فَقَالَ: أَنَا أَتَخَلَّفُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟! فَلَحِقَ بِهِ، فَلَمَّا بِتْنَا اللَّيْلَةَ الَّتِي فُتِحَتْ خَيْبَرُ قَالَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا - أَوْ: لَيَأْخُذَنَّ الرَّايَةَ غَدًا - رَجُلٌ يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يُفْتَحُ عَلَيْهِ ". فَنَحْنُ نَرْجُوهَا. فَقِيلَ: هَذَا عَلِيٌّ. فَأَعْطَاهُ، فَفُتِحَ عَلَيْهِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَاتِمٍ، بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: «أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ " لَأُعْطِيَنَّ هَذِهِ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". قَالَ: فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ لَيْلَتَهُمْ؛ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا؟ فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ غَدَوْا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كُلُّهُمْ يَرْجُو أَنْ يُعْطَاهَا، فَقَالَ: " أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ؟ ". فَقَالُوا: هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، يَشْتَكِي عَيْنَيْهِ. قَالَ: فَأَرْسِلُوا إِلَيْهِ، فَأُتِيَ بِهِ، فَبَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنَيْهِ وَدَعَا لَهُ، فَبَرِأَ حَتَّى كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ وَجَعٌ، فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُقَاتِلُهُمْ حَتَّى يَكُونُوا مِثْلَنَا؟
পৃষ্ঠা - ৩১২৩
فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " انْفُذْ عَلَى رِسْلِكَ حَتَّى تَنْزِلَ بِسَاحَتِهِمْ، ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَأَخْبِرْهُمْ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنْ حَقِّ اللَّهِ تَعَالَى فِيهِ، فَوَاللَّهِ لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمُرُ النَّعَمِ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ والنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، بِهِ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " والْبَيْهَقِيِّ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِ ". قَالَ عُمَرُ: فَمَا أَحْبَبْتُ الْإِمَارَةَ قَطُّ إِلَّا يَوْمَئِذٍ. فَدَعَا عَلِيًّا فَبَعَثَهُ، ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبْ فَقَاتِلْ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ، وَلَا تَلْتَفِتْ ". قَالَ عَلِيٌّ: عَلَى مَا أُقَاتِلُ النَّاسَ؟ قَالَ: " قَاتِلْهُمْ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ فَقَدْ مَنَعُوا مِنْكَ دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ» لَفْظُ الْبَيْهَقِيِّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، وَحُجَينُ بْنُ الْمُثَنَّى
পৃষ্ঠা - ৩১২৪

রাবী বলেন, কবিতা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কার কবিতা ? লোকেরা
বললো : আমীর নামক এক কবির ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমার পালনকতা তোমাকে
ক্ষমা করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কারো জন্য বিশেষভাবে দৃআ করলে সে শাহাদাত লাভ করতো ৷
তখন উমর (রা) বললেন : আর এ সময় তিনি ছিলেন উটের পিঠে ৷ আরো কিছুকাল যদি আমীর
দ্বারা আমাদেরকে উপকৃত হতে দিতেন ৷ রাবী বলেন, আমরা যখন খায়বর আগমন করি তখন
মারহাব তরবান্বি উঠিয়ে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে করতে বের হয় :


খায়বর জানে যে, আমি মারহাব, আমি অস্ত্র চালাই, আমি দক্ষ নেতা ৷ যখন যুদ্ধে এগিয়ে

এসে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করে ৷ রাবী বলেন , তখন আমীর (রা) নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করে দ্বন্দু যুদ্ধের
ডাক দেন ?;

ণ্এেট্টএে ঠোএে (শ্লে ¢$fi ১এ-ং ধ্স্ট্ট)-ন্শ্ন্ঠ মোঃ এএ

খায়বর জানে যে, আমি আমীর, অস্ত্র চালনায় দক্ষ, যোদ্ধা , আমি যুদ্ধ করি; কিন্তু পেছনে
সরে যাইনা ৷

রাবী বলেন, এ কবিতা আবৃত্তি করতে করতে উভয়ে একে অপরকে তরবারি দ্বারা আঘাত
করতে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে মারহাবের তলোয়ার আমীর এর চালের উপর পতিত হয় ৷ আমীর
তাকে নীচে থেকে আঘাত করতে উদ্যত হলে নিজের তলােয়ারের আঘাতে তার প্রধান শিরা কটিড়া
যায় এবং এর ফলে তার মৃত্যু ঘটে ৷ সালামা (বা) বলেন, আমি বাইরে এসে দেখি, রাসুল করীম
(না)-এর একদল সাহাবী বলড়াবলি করছেন আমীর এর আমল বরবাদ হয়ে গেছে ৷ আমীর
নিজেকে নিজে হত্যা করেছে ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হাযির হই, তখন
আমি কাদছিলাম ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন তোমার হয়েছে কী ? আমি বললাম ? লোকেরা বলছে
আমীর এর আমল বরবাদ হয়ে গেছে ৷ তিনি জানতে চাইলেন , এমন কথা কে বলছে ? আমি
বললাম, আপনার একদল সাহাবী ৷ তিনি বললেন, ওরা মিথ্যা কথা বলছে ৷ বরং তার জন্য
রয়েছে দ্বিগুণ পুরস্কার ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোক প্রেরণ করে আলী (র)-কে ডেকে
পাঠান ৷ এ সময় তার চক্ষু পীড়া ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ?; আজ আমি এমন ব্যক্তির হাতে
পতাকা দোবা, যে আল্লাহ ও তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তালরাসে ৷ রাবী বলেন, আমি আলী
(রা) কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে নিয়ে আসলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (রা) এর চোখে তার
মুখের লালা লাগালে তিনি সুস্থ হন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না) তার হাতে পতাকা তুলে দেন ৷ এ সময়
মারহাব নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে করতে সম্মুখ সমরে প্রবৃত্ত হয় ?

০ি
তখন আলী (রা)ও নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে করতে এগিয়ে যান ?


قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ الْعِجْلِيُّ، سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ الرَّايَةَ فَهَزَّهَا، ثُمَّ قَالَ: " مَنْ يَأْخُذُهَا بِحَقِّهَا؟ " فَجَاءَ فُلَانٌ فَقَالَ: أَنَا. قَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ، فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَالَّذِي كَرَّمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ، لَأُعْطِيَنَّهَا رَجُلًا لَا يَفِرُّ، هَاكَ يَا عَلِيُّ ". فَانْطَلَقَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ وَفَدَكَ، وَجَاءَ بِعَجْوَتِهِمَا، وَقَدِيدِهِمَا» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ - وَيُقَالُ: ابْنُ عُصَمَ - هَذَا يُكَنَّى بِأَبِي عَلْوَانَ الْعِجْلِيِّ، وَأَصْلُهُ مِنَ الْيَمَامَةِ، سَكَنَ الْكُوفَةَ، وَقَدْ وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ، وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ لَا بَأْسَ بِهِ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: شَيْخٌ. وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَانَ فِي " الثِّقَاتِ "، وَقَالَ: يُخْطِئُ كَثِيرًا. وَذَكَرَهُ فِي " الضُّعَفَاءِ "، وَقَالَ: يُحَدِّثُ عَنِ الْأَثْبَاتِ مِمَّا لَا يُشْبِهُ حَدِيثَ الثِّقَاتِ، حَتَّى يَسْبِقَ إِلَى الْقَلْبِ أَنَّهَا مَوْهُومَةٌ أَوْ مَوْضُوعَةٌ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ
পৃষ্ঠা - ৩১২৫
بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى بَعْضِ حُصُونِ خَيْبَرَ، فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ، وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ، وَقَدْ جَهِدَ، ثُمَّ بَعَثَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ، وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، وَيُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ ". قَالَ سَلَمَةُ: فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ فِي عَيْنَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " خُذِ الرَّايَةَ وَامْضِ بِهَا، حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ ". فَخَرَجَ بِهَا وَاللَّهِ يَأْنِحُ، يُهَرْوِلُ هَرْوَلَةً، وَإِنَّا لَخَلْفَهُ نَتَّبِعُ أَثَرَهُ، حَتَّى رَكَزَ رَايَتَهُ فِي رَضْمٍ مِنْ حِجَارَةٍ تَحْتَ الْحِصْنِ، فَاطَّلَعَ يَهُودِيٌّ مِنْ رَأْسِ الْحِصْنِ فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ الْيَهُودِيُّ: عَلَيْتُمْ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى مُوسَى. فَمَا رَجَعَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» . وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا الْعُطَارِدِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ: لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৩১২৬

হে১ এ্যা ট্রুষ্

আমি যে ব্যক্তি, মা যার নাম রেখেছে হায়দর ৷ আমি বনের ভয়াল-ভয়ংকর সিংহের মতে
আমি তাদেরকে ছা এর সাথে পুরাপুরি দেবাে ৷ এই বলে তিনি মারহাবের মাথায় তরবারি দ্বার
আঘাত হড়ানেন ৷ এতে তার মাথা দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় ৷ মারহার নিহত হয় ৷ দুর্গ জয় হয় ৷ এমনই
বর্ণিত আছে যে হযরত আলী (রা)-ই অভিশপ্ত মারহারের হত্যাকারী ৷

ইমাম আহমদ (র) হুসাইন আলী (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আলী (বা) বলেছেন
মারহাবকে হত্যা করে আমি তার মস্তক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে হাযির করি ৷ পক্ষান্তরে মুস
ইবন উক্বা যুহ্রী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মারহাবকে যিনি ,ত্যা করেছেন তিনি হলেন মুহাম্মাদ্
ইবন মাসলামা , ইমাম মুহাম্মাদ ইবন ইসহড়াকও অনুরুপ ন্ন্াত রক্তে করেছেন ৷ জাবির ইব্
আবদুল্পাহ্ সুত্রে বর্ণনা করে তিনি বলেন : মারহার ইয়াহুদী নিশ্নেক্তে কবিতা আবৃত্তি করে থাকে
দৃর্গ থেকে বহির্গত হয় :

ম্প্রঞ১ণ্ষ্
ষ্,াপ্রুা
;, ৷
খায়বরবাসী জ্ঞাত আছে যে, আমি মারহার ৷ আমি সশস্ত্র, অভিজ্ঞ ও বীর ৷ কখনো বশা দ্বার

আঘাত হানি , আবার কখনো আঘাত করি তরবারি দ্বারা ৷ সিংহ যখন ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসে তখ
সে আমার চারণভুমির নিকটেও ঘেষতে পারে না ৷

তার এ কবিতা শুনে কাব ইবন মালিক (রা) জবাবে বলেন :
এ্যাএস্পেপ্রুট্ট১মেংহ্নগ্রএে
খায়বর জানে যে, আমি কাব আমি দুঃখ-কষ্ট দুর করি , আমি বীর-কঠাের ৷ যখন যুদ্ধ শুর

হয় আর তীব্ৰরুপ নেয় ৷ আমার কাছে তলােয়ার, আকীক পাথরের ন্যায় মুল্যবান ও ধারালাে ৷

তা বিনাশ সাধন করবে তোমাদের, শেষ পর্যন্ত বিপদই সহজ মনে হবে ৷ সে তরবারি এমন্
এক ব্যক্তির হাতে আছে, যাতে কোন খুত নেই, নেই কোন ত্রুটি ৷ বর্থাংড়াকারী বলেন যে, মারহড়া
এ কবিতা আওড়াতে আওড়াতে বলছিল এমন কে আছে যে আমার সঙ্গে দ্বন্দুযুদ্ধে অবতীর্ণ হশ্চে
পারে ? তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কে এর মুকাবিলা করবে ? তখন মুহাম্মাদ ইবন মাসলান্
দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি তার ঘুকাবিলা করতে প্রস্তুত ৷ আল্লাহর কলম, আগ্রি
ময্লুম ও প্রতিশোধপ্রাথী ৷ সে গতকাল আমার ভাইকে হত্যা করেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা


كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ أَخَذَ اللِّوَاءَ أَبُو بَكْرٍ، فَرَجَعَ وَلَمْ يُفْتَحْ لَهُ، وَقُتِلَ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَرَجَعَ النَّاسُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَدْفَعَنَّ لِوَائِي غَدًا إِلَى رَجُلٍ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، لَنْ يَرْجِعَ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ لَهُ ". فَبِتْنَا طَيِّبَةً نُفُوسُنَا أَنَّ الْفَتْحَ غَدًا، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْغَدَاةِ، ثُمَّ دَعَا بِاللِّوَاءِ وَقَامَ قَائِمًا، فَمَا مِنَّا مِنْ رَجُلٍ لَهُ مَنْزِلَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا وَهُوَ يَرْجُو أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الرَّجُلَ، حَتَّى تَطَاوَلْتُ أَنَا لَهَا، وَرَفَعْتُ رَأْسِي؛ لِمَنْزِلَةٍ كَانَتْ لِي مِنْهُ، فَدَعَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَهُوَ يَشْتَكِي عَيْنَيْهِ. قَالَ: فَمَسَحَهَا، ثُمَّ دَفَعَ إِلَيْهِ اللِّوَاءَ فَفُتِحَ لَهُ» . فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُرَيْدَةَ يَقُولُ: حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ كَانَ صَاحِبَ مَرْحَبٍ. قَالَ يُونُسُ: قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ أَوَّلُ حُصُونِ خَيْبَرَ فَتْحًا حِصْنَ نَاعِمٍ، وَعِنْدَهُ قُتِلَ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ، أُلْقِيَتْ عَلَيْهِ رَحًى مِنْهُ فَقَتَلَتْهُ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْأَزْدِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُبَّمَا أَخَذَتْهُ الشَّقِيقَةِ، فَيَلْبَثُ الْيَوْمَ وَالْيَوْمَيْنِ لَا يَخْرُجُ، فَلَمَّا نَزَلَ خَيْبَرَ أَخَذَتْهُ الشَّقِيقَةُ، فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَى النَّاسِ، وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ أَخَذَ رَايَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৩১২৭
نَهَضَ فَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا ثُمَّ رَجَعَ، فَأَخَذَهَا عُمَرُ فَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا هُوَ أَشَدُّ مِنَ الْقِتَالِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ رَجَعَ، فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " لَأُعْطِيَنَّهَا غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَأْخُذُهَا عَنْوَةً ". وَلَيْسَ ثَمَّ عَلِيٌّ، فَتَطَاوَلَتْ لَهَا قُرَيْشٌ، وَرَجَا كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أَنْ يَكُونَ صَاحِبَ ذَلِكَ، فَأَصْبَحَ، وَجَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ حَتَّى أَنَاخَ قَرِيبًا، وَهُوَ أَرْمَدُ قَدْ عَصَبَ عَيْنَهُ بِشُقَّةِ بُرْدٍ قِطْرِيٍّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا لَكَ؟ " قَالَ: رَمِدْتُ بَعْدَكَ. قَالَ: " ادْنُ مِنِّي " فَتَفَلَ فِي عَيْنِهِ، فَمَا وَجِعَهَا حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ، ثُمَّ أَعْطَاهُ الرَّايَةَ فَنَهَضَ بِهَا، وَعَلَيْهِ جُبَّةُ أُرْجُوَانَ حَمْرَاءُ، قَدْ أُخْرِجَ خَمْلُهَا، فَأَتَى مَدِينَةَ خَيْبَرَ وَخَرَجَ مَرْحَبٌ صَاحِبُ الْحِصْنِ وَعَلَيْهِ مِغْفَرٌ يَمَانِيٌّ، وَحَجَرٌ قَدْ ثَقَبَهُ مِثْلَ الْبَيْضَةِ عَلَى رَأْسِهِ، وَهُوَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكٍ سِلَاحِي بَطَلٌ مُجَرَّبُ إِذَا اللُّيُوثُ أَقْبَلَتْ تَلَهَّبْ ... وَأَحْجَمَتْ عَنْ صَوْلَةِ الْمُغَلَّبِ
পৃষ্ঠা - ৩১২৮

বললেন, তুমি তার দিকে এগিয়ে যাও ৷ত তারপর তিনি দু আ করলেন “হে আল্লাহ এ কাজে
তাকে সাহায্য কর ৷” তাদের একজন অপরজনের নিকটবর্তী হলে এক প্রকাণ্ড প্র৷ ৷চীন বৃক্ষ উভয়ের
মধ্যে অতরায় হয়ে দাড়ায় (যে প্রাচীন বৃক্ষ থেকে অনবরত আটা নিগর্ত হতো ৷ তাদের একজন
অপরজনের থেকে এ বৃক্ষের মাধ্যমে, আত্মরক্ষা করছিলেন ৷ আর অপরজন নিজ তরবারি দ্বারা
বৃক্ষের আড়াল করা অং শে আঘাত করছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত উভয়ে মুখোমুখি হলেন ৷ এভাবে
বৃক্ষটা৩ তাদের উভয়ের মধ্যে দণ্ডায়মান একজন লোকের মত হয়ে যায় ৷ তখন মারহাব মুহাম্মাদ
ইবন মাসলামার উপর তরবারি দ্বারা আঘাত হানে আর তিনি৷ ঢ ৷ল দ্বারা এ আঘাত ঠেকান ৷ তিনি
তাদের উপর থেকে তরবারি টেনে বের করে নিয়ে ত ৷র ৷উপর পাল্টা আঘাত হানেন এবং এভাবে
মারহাবকে হত্যা করেন ৷ ইমাম আহমদ (র) ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম সুত্রে তিনি তার পিতা
থেকে আর তিনি ইবন ইসহাক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, কারো
কারো ধারণা, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা মারহাবকে হত্যা করার সময় নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি
করেছিলেন ৷

এঠুব্রে গ্রিএএ্যা দ্বু ঞ

খায়বর জানে যে, আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আর মিষ্ট , যখন আমার অভিপ্রায় হয় ৷ আবার আমি
হলাহলও ৷ অনুরুপ জাবির প্রমুখ থেকে ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামাই ছিল
মারহাবের হত্যাকারী ৷ ওয়াকিদী (র) আরো উল্লেখ করেন যে, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা
মারহাবের পদদ্বয় কর্তন করলে সে বলে আমার জীবন লীলাই সাঙ্গ করে দাও ৷ তখন তিনি
বলেন, না (এভাবে সহজে তোমাকে মরতে দেওয়া হবে না, বরং) মাহমুদ ইবন মাসলামা
যেভাবে মৃত্যুর স্বাদ উপভোগ করেছে, তােমাকেও সেভাবে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে ৷
এরপর হযরত আলী (বা) তার নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে তিনি মারহাবের মস্তক কর্তন করেন ৷
তারপর তারা উভয়ে মারহাবের অস্ত্র-শস্ত্র সম্পর্কে বিবাদে প্রবৃত্ত হন ৷ তারা এ বিরোধ নিয়ে
রাসুল (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলে রাসুল করীম (সা) মুহাম্মাদ ইবন মাসলামাকে মারহাবের
তরবারি শিরস্ত্রাণ, বর্ম ও বশা দান করেন ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, তার তরবারির উপর এ কবিতাটি
লেখা ছিল০ ং


এটা হল মারহাবের তলােয়ার, যে ব্যক্তি এর স্বাদ গ্রহণ করবে, সে বিনাশ হবে ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, মারহাবের মৃত্যুর পর তার ভাই ইয়াসির বেরিয়ে এসে বলে :
আমার সাথে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে এমন কে আছে ? হিশাম ইবন উরওয়৷ ধারণা করেন
যে, যুবায়র (রা)ত ৷র সম্মুখে উপস্থিত হলে তার মা অ ৷বদৃল মুত্তালিব-এর কন্যা সাফিয়্যা বললেন ং
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমার সন্তান তো মারা পড়বে ৷ রাসুল করীম (সা) বললেন, না, বরং তোমার
পুত্র তাকে হত্যা করবে ইনশাআল্লাহ্৷ তারপর উভয়ে লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হলে যুবায়র (রা) তাকে বধ
করেন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, এরপর যুবায়রকে যখন বলা হতো, আল্লাহ্র শপথ, সেদিন
তোমার তরবারি ছিল খুব ধারালো ৷ তখন তিনি বলতেন : আল্লাহ্র কসম , তা ধারালো ছিল না,
বরং তরবারির উব্রে চাপে আমি তাকে বধ করেছি ৷


فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَا الَّذِي سَمَّتْنِي أُمِّي حَيْدَرَهْ ... كَلَيْثِ غَابَاتٍ شَدِيدِ الْقَسْوَرَهْ أَكِيلُكُمْ بِالصَّاعِ كَيْلَ السَّنْدَرَهْ قَالَ: فَاخْتَلَفْنَا ضَرْبَتَيْنِ، فَبَدَرَهُ عَلِيٌّ بِضَرْبَةٍ، فَقَدَّ الْحَجَرَ وَالْمِغْفَرَ وَرَأْسَهُ، وَوَقَعَ فِي الْأَضْرَاسِ، وَأَخَذَ الْمَدِينَةَ» . وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَزَّارُ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قِصَّةَ بَعْثِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرَ يَوْمَ خَيْبَرَ، ثُمَّ بَعْثِ عَلِيٍّ، فَكَانَ الْفَتْحُ عَلَى يَدَيْهِ. وَفِي سِيَاقِهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ، وَفِي إِسْنَادِهِ مَنْ هُوَ مُتَّهَمٌ بِالتَّشَيُّعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ والْبَيْهَقِيُّ وَاللَّفْظُ لَهُ، مِنْ طَرِيقِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا، وَذَكَرَ فِيهِ رُجُوعَهُمْ مِنْ غَزْوَةِ بَنِي فَزَارَةَ. قَالَ: فَلَمْ نَمْكُثْ إِلَّا ثَلَاثًا، حَتَّى خَرَجْنَا إِلَى خَيْبَرَ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩১২৯

রাসুল করীম (সা)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু রাফে সুত্রে ইবন ইসহাক এর বরাতে
ইউনুস বর্ণনা করেন যে, আবুরাফে বলেন :

“রাসুল করীম (সা) আলী (রা) কে তার পতাকা দিয়ে যখন খায়বরে প্রেরণ করেন তখন তার
সঙ্গে আমরাও ছিলাম ৷ তিনি দুর্গের নিকটবর্তী হলে দুর্গের বাসিন্দারা বেরিয়ে তার কাছে আসে ৷
তিনি একা তাদের সঙ্গে লড়াই করেন ৷ জনৈক য়াহ্রদী তার প্ৰতি আঘাত হানলে তিনি তার হাত
থেকে ঢাল ছুড়ে ফেলে দিয়ে দুর্গের দরজাকে ঢাল বানিয়ে নেন আর তা দ্বারা প্রতিরোধ করেন ৷
দুর্গ জয় করা পর্যন্ত এ দরজা তার হাতে ছিল ৷ দুর্গের দরজা হাতে নিয়ে লড়াই করতে করতে
আল্লাহ তাকে বিজয় দান করেন ৷ তারপর তিনি হাত থেকে দরজাটি ছুড়ে ফেলে দেন ৷ আবু
রাফে বলেন, আমরা ৮জন লোক মিলে (যাদের মধ্যে আমি ছিলাম ৮ম ব্যক্তি) দরজাটা এক স্থান
থেকে অন্য স্থানে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েও সক্ষম হইনি ৷ অবশ্য এর সনদে একজন অজ্ঞাতনামা
রাবী রয়েছেন ৷ সনদটি বিচ্ছিন্নও বটে ৷

অবশ্য হাফিয রায়হাকী (র)ও হাকিম (র) মুত্তলিব ইবন যিয়াদ শ্জাবিয় সুত্রে বর্ণনা করেনঃ

জাবির (রা) বলেন : খায়বরের দিন আলী (রা), একটা দরজা উত্তোলন করেন এবং
মুসলমানগণ তার উপর আরোহণ করে খড়ায়বর জয় করেন ৷ পরবর্তীতে : : জন লোক অনেক
চেষ্টা করেও দরজাটি উত্তোলন করতে পারেননি ৷ এ বর্ণনাতেও দুর্বলতা আছে ৷ এ ছাড়া এক দুর্বল
বর্ণনায় হযরত জাবির থেকে বর্ণিত আছে যে, ৭০ জন লোক চেষ্টা করেও দরজাটি (যথাস্থানে)
পুনঃস্থাপন করতে ব্যর্থ হন ৷ ইমাম বুখারী (র) মাকী ইবন ইব্রাহীম ইবন আবুউবায়দ
সুত্রে বর্ণনা করেন :

যে তিনি বলেছেন, সালামার পায়ের গােছায় আঘাতের চিহ্ন দেখে আমি জিজ্ঞাসা করি; আবু
মুসলিম ! এটা কিসের চিহ্ন ? জবাবে তিনি বললেন : এটা খড়ায়বরের দিন আঘাতের চিহ্ন ৷
লোকেরা বলাবলি করে যে, সালামা বুঝি মারাই পেল ৷ তখন আমি নবী করীম (সা)-এর খিদমতে

উপস্থিত হলে তিনি (আঘাতের স্থানে) তিনবার কু দিলে অদ্যাবধি আমি আর যে স্থানে ব্যথা
অনুভব করিনি ৷ ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসলামা সহল সুত্রে বর্ণনা করেন :

যে , কোন এক যুদ্ধে নবী করীম (সা) এবং মুশরিকরা সম্মুখ যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন ৷ উভয় পক্ষে
তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ উভয় পক্ষ নিজ নিজ সেনাদলের দিকে ধাবিত হয় ৷ আর মুসলমানদের মধ্যে
এমন একজন লোক ছিল, যে কোন মুশরিককে একা পেলে পেছন থেকে তরবারী দ্বারা আঘাত না
করে ছাড়তে৷ না ৷ কোন একজন বললাে , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! অমুক ব্যক্তি এমন কাজ করেছে যা
ইতিপুর্বে আমাদের মধ্যে আর কেউ করেনি? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সে জাহান্নামী ৷ তখন
লোকেরা বললাে, সে যদি জাহান্নড়ামী হয় তবে আমাদের মধ্যে আর কে জান্নড়াতী হবে ? তখন
সকলের মধ্য থেকে একজন বললাে : আমি তার পেছনে লেগে থাকবাে; সে দ্রুত গমন করুক
আর ধীরে গতিতে, (সবাবস্থায়) আমি তার সঙ্গে থাকবাে ৷ আহত হয়ে লোকটি দ্রুত মৃত্যু কামনা
করল ৷ সে তরবারির হড়াতল মাটিতে স্থাপন করে এবং ধারালো অংশ বুকের সঙ্গে চেপে ধরে
সজােরে চাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ৷ তখন পেছনে লেগে থাকা লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর

নিকট এসে বললাে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর রাসুল! তিনি জিজ্ঞেস করলেন :

৪ : ——

وَخَرَجَ عَامِرٌ، فَجَعَلَ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَوْلَا أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا وَنَحْنُ مِنْ فَضْلِكَ مَا اسْتَغْنَيْنَا ... فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ هَذَا الْقَائِلُ؟ " فَقَالُوا: عَامِرٌ. فَقَالَ: " غَفَرَ لَكَ رَبُّكَ ". قَالَ: وَمَا خَصَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطُّ أَحَدًا بِهِ إِلَّا اسْتُشْهِدَ. فَقَالَ عُمَرُ وَهُوَ عَلَى جَمَلٍ: لَوْلَا مَتَّعْتَنَا بِعَامِرٍ. قَالَ: فَقَدِمْنَا خَيْبَرَ، فَخَرَجَ مَرْحَبٌ وَهُوَ يَخْطِرُ بِسَيْفِهِ وَيَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُجَرَّبُ إِذَا الْحُرُوبُ أَقْبَلَتْ تَلَهَّبُ قَالَ: فَبَرَزَ لَهُ عَامِرٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ يَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي عَامِرُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُغَامِرُ قَالَ: فَاخْتَلَفَا ضَرْبَتَيْنِ، فَوَقَعَ سَيْفُ مَرْحَبٍ فِي تُرْسِ عَامِرٍ، فَذَهَبَ يُسَفِّلُ لَهُ، فَرَجَعَ عَلَى نَفْسِهِ، فَقَطَعَ أَكْحَلَهُ وَكَانَتْ فِيهَا نَفْسُهُ. قَالَ سَلَمَةُ: فَخَرَجْتُ فَإِذَا نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُونَ: بَطَلَ عَمَلُ
পৃষ্ঠা - ৩১৩০
عَامِرٍ؛ قَتَلَ نَفْسَهُ. قَالَ: فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقَالَ: " مَا لَكَ؟ " فَقُلْتُ: قَالُوا: إِنَّ عَامِرًا بَطَلَ عَمَلُهُ. فَقَالَ: " مَنْ قَالَ ذَلِكَ؟ " فَقُلْتُ: نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِكَ. فَقَالَ: " كَذَبَ أُولَئِكَ، بَلْ لَهُ الْأَجْرُ مَرَّتَيْنِ " قَالَ: وَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَدْعُوهُ وَهُوَ أَرْمَدُ، وَقَالَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ الْيَوْمَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ " قَالَ: فَجِئْتُ بِهِ أَقُودُهُ. قَالَ: فَبَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنِهِ فَبَرَأَ، فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَبَرَزَ مَرْحَبٌ وَهُوَ يَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُجَرَّبُ إِذَا الْحُرُوبُ أَقْبَلَتْ تَلَهَّبُ قَالَ: فَبَرَزَ لَهُ عَلِيٌّ وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا الَّذِي سَمَّتْنِي أُمِّي حَيْدَرَهْ ... كَلَيْثِ غَابَاتٍ كَرِيهِ الْمَنْظَرَهْ أُوفِيهِمُ بِالصَّاعِ كَيْلَ السَّنْدَرَهْ قَالَ: فَضَرَبَ مَرْحَبًا فَفَلَقَ رَأْسَهُ فَقَتَلَهُ، وَكَانَ الْفَتْحُ. هَكَذَا وَقَعَ فِي هَذَا السِّيَاقِ أَنَّ عَلِيًّا هُوَ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا الْيَهُودِيَّ، لَعَنَهُ اللَّهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ حَسَنٍ الْأَشْقَرُ، حَدَّثَنِي ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৩১৩১

ব্যাপার কী ? লোকটি রাসুল কবীম (সা) কে সকল কথা খুলে বললে তিনি বললেন : একজন
লোক মানুষের দৃষ্টিতে বাহ্যত৪ জান্নাতী ব্যক্তির ন্যায় আমল করে; কিন্তু আসলে সে জাহান্নামী;
পক্ষম্ভেরে অপর ব্যক্তি বাহ্য দৃষ্টিতে জাহান্নামীর মতো আমল করে; কিন্তু পরিণামে সে হবে
জান্নাতী ৷ ইমাম বুখারী (র) কুতায়বা সহল সুত্রেও হাদীছটি অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী
আবুল ইয়ামড়ান আবুহ্বায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন বলে :

“খায়বর (যুদ্ধে) আমরা উপস্থিত ছিলাম ৷ রাসুল কবীম (সা) ইসলামের দাবীদার তার জনৈক
সফর সঙ্গী সম্পর্কে বললেন : এ ব্যক্তি জাহান্নড়ামী ৷ যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে লোকটি প্রচণ্ড লড়াই
করে ৷ লোকটি অনেক আঘাত পেল ৷ (রাসুল কবীম (সা) এর উক্তি সম্পর্কে) অনেকের সন্দিহড়ান
হওয়ার উপক্রম হল ৷ লোকটি আঘাতের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলো ৷ সে তুণীরে হাত দিয়ে তা
থেকে কয়েকটি তীর বের করলো আর সেগুলোর দ্বারা নিজের জীবন নস্পে করলো ৷ ব্যাপারটা
অনেকের কাছে গুরুতর ঠেকলাে ৷ তারা রাসুল কবীম (সা) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহ্
তাআলা আপনার কথা সত্যে পরিণত করেছেন ৷ সেতে৷ নিজেকে যবাই করে আত্মহত্যা করছে ৷
তখন রাসুল কবীম (সা) বললেন : হে অমুক ৷ উঠে দাড়াও এবং ঘোষণা দাও যে, ঘুমিন ব্যক্তি
ব্যতীত অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না ৷ আর আল্লাহ তাআলা ফাসিক পাপাচারী ব্যক্তি
দ্বারাও দীনের সাহায্য করেন ৷ মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ দাসের কাহিনী উল্লেখ
করেছেন ৷ যাকে আল্লাহ্ একই সঙ্গে ঈমান এবং শাহাদতের দৌলতে ধন্য করেছেন ৷ অনুরুপ-
ভাবে ইরনু লাহিআ আবুল আসওয়াদ ও উরওয়া সুত্রেও এ কাহিনীটি বর্ণনা করেন : তা নিম্নরুপ :

“খায়বরবাসীদের নিকট র্জ্যনক কাফ্রী ক্রীতদাস এলো, যে ছিল তার মালিকের ছাপপালের
রাখাল ৷ সে যখন দেখতে পেলো যে, খায়বরবাসীরা অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে, তখন সে তাদেরকে
জিজ্ঞাসা করে তোমরা কী চড়াও ? তারা বললো : আমরা এ ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই করবো, যে
নিজেকে নবী বলে দাবী করছে ৷ এতে তার মনে নবীর কথা জাগলো ৷ তাই সে বকবী নিয়ে রাসুল
কবীম (সা) এর সমীপে হাযির হলো ৷ জিজ্ঞেস করলো, আপনি কিসের দিকে আহ্বান জানান ?
তিনি বললেন : আমি তোমাকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানাই ৷ আমি এজন্য আহ্বান জানাই
যে, তুমি সাক্ষ্য দেবে অল্লোহ্ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহ্র রাসুল ৷ আর
তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করবে না ৷ রাবী বলেন, তখন গোলাম বললো, আমি যদি
একথার সাক্ষ্য দেই এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনি তাহলে আমি কি পাবো ? রাসুল কবীম (সা)
বললেন, একথার অৰিচল থেকে মৃত্যুবরণ করতে পারলে তুমি জড়ান্নাত লাভ করবে ৷ তখন
গোলামটি ঈমান এনে বললো : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ এসব বকরীতেড়া আমার নিকট আমানত ৷ তখন
রাসুল কবীম (সা) বললেন : এসব বকরীকে কংকর নিক্ষেপে আমাদের সৈন্যদলের আওতা
থেকে তাড়িয়ে দাও ৷ আল্লাহ্ তাআলড়া তোমার আমানত যথাস্থানে পৌছাবেন ৷ সে তাই করলো
আর বকরীগুলো তার মালিকের নিকট ফিরে পেল ৷ তখন য়াহ্রদী আচ করতে পারলো যে, তার
গোলামটি ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ তখন রাসুল কবীম (সা) দাড়িয়ে লোকদেরকে উপদেশ
দিলেন ৷ এরপর রাবী আলী (রা)-কে পতাকা দেন ৷ য়াহুদীদের দুর্গের নিকট হযরত আলী
(রা)-এর গমন এবং মারহাবকে হত্যড়া করার কথাও উল্লেখ করলেন ৷ সাথে সাথে আলীর সঙ্গে
মিলে সেই কৃষ্ণাঙ্গ দাসের লড়াই করা এবং তার মৃতদেহ মুসলিম সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া


قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: لَمَّا قَتَلْتُ مَرْحَبًا جِئْتُ بِرَأْسِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ. وَكَذَلِكَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، أَحَدُ بَنِي حَارِثَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجَ مَرْحَبٌ الْيَهُودِيُّ مِنْ حِصْنِ خَيْبَرَ وَهُوَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُجَرَّبُ أَطْعَنُ أَحْيَانًا وَحِينًا أَضْرِبُ ... إِذَا اللُّيُوثُ أَقْبَلَتْ تَحَرَّبُ إِنَّ حِمَايَ لِلْحِمَى لَا يُقْرَبُ قَالَ: فَأَجَابَهُ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي كَعْبُ ... مُفْرِّجُ الْغَمَّا جَرِيءٌ صُلْبُ
পৃষ্ঠা - ৩১৩২
إِذْ شُبَّتِ الْحَرْبُ تَلَتْهَا الْحَرْبُ ... مَعِي حُسَامٌ كَالْعَقِيقِ عَضْبُ يَطَأْكُمُو حَتَّى يَذِلَّ الصَّعْبُ ... نُعْطِي الْجَزَاءَ أَوْ يَفِيءَ النَّهْبُ بِكَفِّ مَاضٍ لَيْسَ فِيهِ عَتْبُ قَالَ: وَجَعَلَ مَرْحَبٌ - وَهُوَ ابْنُ حِمْيَرَ - يَرْتَجِزُ، وَيَقُولُ: هَلْ مِنْ مُبَارِزٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ لِهَذَا؟ " فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ: أَنَا لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا وَاللَّهِ الْمَوْتُورُ الثَّائِرُ، قَتَلُوا أَخِي بِالْأَمْسِ. فَقَالَ: " قُمْ إِلَيْهِ، اللَّهُمَّ أَعِنْهُ عَلَيْهِ ". قَالَ: فَلَمَّا دَنَا أَحَدُهُمَا مِنْ صَاحَبِهِ دَخَلَتْ بَيْنَهُمَا شَجَرَةٌ عُمْرِيَّةٌ، مِنْ شَجَرِ الْعُشَرِ، فَجَعَلَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا يَلُوذُ مِنْ صَاحِبِهِ بِهَا، كُلَّمَا لَاذَ بِهَا أَحَدُهُمَا اقْتَطَعَ صَاحِبُهُ بِسَيْفِهِ مَا دُونَهُ مِنْهَا، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৩১৩৩

এসবই তিনি উল্লেখ করলেন ৷ লোকজনের ধারণা, রাসুল করীম (সা) সেনা ছাউনিতে উপস্থিত হন
এবং সাহাবীগণকে সেখানে প্রত ত্যক্ষ করেন ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা আলা এ দাসকে
সম্মানিত করেছেন আর তাকে মঙ্গল ও কল্যাণের পথে পরিচালিত তকরেছেন ৷ সত্যিক৷ ৷র অর্থে
ইসলাম তার অন্তরে স্থান করে নিয়েছিল আর আমি তার শিয়রে দু’জন আয়তলোচনা হুর দেখতে
পেয়েছি ৷ হাফিয বায়হাকী (র) ইবন ওয়াহাব জাবির ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেন

যে, খায়বর যুদ্ধে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷ সৈন্যদের একটি ছোট দল রওয়ানা
হল ৷ তারা একজন লোককে পাকড়াও করলো, যার সঙ্গে বকরী ছিল ৷ লোকটি বকরীগুলাে
চরাচ্ছিল ৷ এভাবে কৃষ্ণাঙ্গ দাসের কাহিনীর মতে৷ কাহিনী উল্লেখ করে তাতে শেষে বললেন : সে
শহীদ হিসাবে মৃত্যু বরণ করে; অথচ সে আল্লাহকে একটা সিজদাও করেনি ৷

বায়হাকী (রা) মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ — আনাস (বা) থেকে বংনাি করেন : জনৈক ব্যক্তি
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে আরয করল : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি একজন
কৃষ্ণকায় কদাকার ব্যক্তি ৷ আমার কোন অর্থ-সম্পদ নেই ৷ আমি যদি এদের সঙ্গে লড়াই করতে
করতে মারা যাই তবে কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো ? রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) বললেন, হা, তুমি
জান্নাতে যাবে ৷ লোকটি এগিয়ে এসে লড়াই করতে করতে জীবন দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
লাশের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেনং আল্লাহ্৫৩ তোমার ঘুখমণ্ডল উজ্জ্বল করুন, তোমার আত্মাকে
পবিত্র করভ্রুন ৷ আ তোমার সম্পদ বর্ধিত করুন এবং বললেনং আমি তার দু জন আয়তলোচনা
হুর ত্রীকে তাকে নিয়ে বিবাদ করতে দেখেছি,৩ ৷ ৷রা তার দেহ আর জুব্বার মধ্যে কে আগে প্রবেশ

করবে এ ব্যাপারে ঝগড়া করছিল ৷ বায়হাকী (র) ইবন জুরায়জ — ইবনুল হাদ সুত্রে বর্ণনা
করেন :

জনৈক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ঈমান আনলে৷ , আনুগত্য প্রকাশ
করলো ৷ সে বললো, আমি আপনার সঙ্গে হিজরত করবো ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ব্যাপারে
কোনও একজন সাহাবীকে ওসীয়ত করলেন ৷ খায়বর যুদ্ধ সংঘটিত হলে রাসুল করীম (সা)
গনীমতের মাল লাভ করেন এবং সে মাল বণ্টনকালে বণ্টনে তিনি তাকে অং শীদ৷ ৷র করলেন ৷
তাকে যে অংশ তিনি দিয়েছিলেন জনৈক সঙ্গী সাহাবীগণ ৷তা তার নিকট পৌছিয়ে দেয় ৷ লোকটি
বকরী চরাত ৷ লোকটি উপস্থিত হলে তার বন্ধু বা তাকে তার অংশ পৌছিয়ে দিল ৷ সে বললোং :
এটা কি? জবাবে তারা জান ৷,লাে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা ) তোমাকে এ অংশ দান করেছেন ৷ তখন লোকটি
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়েত ৷র গনীমতে অংশ লাভের কথা নিশ্চিত করে বললো০ ং
আমি এ মাসের জন্য আপনার আনুগত্য নিশ্চিত হয়ে করিনি; বরং আমিতে৷ আপনার আনুগত্য
স্বীকার করেছি এজন্য যে, আমি এ দিকে তীর নিক্ষেপ করবো একথা বলে সে তীর দ্বারা গলার
দিকে ইশারা করে আর এভাবে মৃত্যু বরণ করে আমি জান্নাতে প্রবেশ করবো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তোমার নিয়াতের যদি সত্য হয়ে থাকে তবে আল্লাহ তা পুরণ করবেন ৷ এরপর
দৃশমনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সকলেই রওয়ানা হলেন ৷ (লোকটিও তাদের সঙ্গে ছিল এবং
লড়াই এ জীবন দান করলো) ৷ লড়াই শেষে লোকটির মৃতদেহ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সমীপে
উপস্থিত করা হলো ৷ (দেখা গেল) সে যেখানে ইশার৷ করেছিল, সেখানেই ভীরের আঘাত


بَرَزَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِصَاحِبِهِ، وَصَارَتْ بَيْنَهُمَا كَالرَّجُلِ الْقَائِمِ، مَا فِيهَا فَنَنٌ، ثُمَّ حَمَلَ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فَضَرَبَهُ فَاتَّقَاهُ بِالدَّرَقَةِ، فَوَقَعَ سَيْفُهُ فِيهَا، فَعَضَّتْ بِهِ فَأَمْسَكَتْهُ، وَضَرَبَهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ حَتَّى قَتَلَهُ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِنَحْوِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ مُحَمَّدًا ارْتَجَزَ حِينَ ضَرَبَهُ وَقَالَ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَاضِ ... حُلْوٌ إِذَا شِئْتُ وَسُمٌّ قَاضِ وَهَكَذَا رَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ جَابِرٍ وَغَيْرِهِ مِنَ السَّلَفِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ هُوَ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا، وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ مُحَمَّدًا قَطَعَ رِجْلَيْ مَرْحَبٍ، فَقَالَ لَهُ: أَجْهِزْ عَلَيَّ. فَقَالَ: لَا، ذُقِ الْمَوْتَ كَمَا ذَاقَهُ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ. فَمَرَّ بِهِ عَلِيٌّ وَقَطَعَ رَأْسُهُ، فَاخْتَصَمَا فِي سَلَبِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ سَيْفَهُ وَرُمْحَهُ وَمِغْفَرَهُ وَبَيْضَتَهُ. قَالَ: وَكَانَ مَكْتُوبًا عَلَى سَيْفِهِ: هَذَا سَيْفُ مَرْحَبْ ... مَنْ يَذُقْهُ يَعْطَبْ ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أَخَا مَرْحَبٍ، وَهُوَ يَاسِرٌ، خَرَجَ بَعْدَهُ وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৩১৩৪
هَلْ مِنْ مُبَارِزٍ؟ فَزَعَمَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ أَنَّ الزُّبَيْرَ خَرَجَ لَهُ، فَقَالَتْ أُمُّهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: يَقْتُلُ ابْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " بَلِ ابْنُكِ يَقْتُلُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". فَالْتَقَيَا فَقَتَلَهُ الزُّبَيْرُ. قَالَ: فَكَانَ الزُّبَيْرُ إِذَا قِيلَ لَهُ: وَاللَّهِ إِنْ كَانَ سَيْفُكَ يَوْمَئِذٍ لَصَارِمًا. يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا كَانَ صَارِمًا، وَلَكِنِّي أَكْرَهْتُهُ. وَقَالَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ عَلِيٍّ حِينَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَايَتِهِ، فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْحِصْنِ خَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُهُ، فَقَاتَلَهُمْ، فَضَرَبَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ مِنْ يَهَودَ، فَطَرَحَ تُرْسَهُ مِنْ يَدِهِ، فَتَنَاوَلَ عَلِيٌّ بَابَ الْحِصْنِ، فَتَرَّسَ بِهِ عَنْ نَفْسِهِ، فَلَمْ يَزَلْ فِي يَدِهِ وَهُوَ يُقَاتِلُ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَلْقَاهُ مِنْ يَدِهِ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي فِي نَفَرٍ مَعِي - سَبْعَةٌ أَنَا ثَامِنُهُمْ - نَجْهَدُ عَلَى أَنْ نَقْلِبَ ذَلِكَ الْبَابَ، فَمَا اسْتَطَعْنَا أَنْ نَقْلِبَهُ. وَفِي هَذَا الْخَبَرِ جَهَالَةٌ وَانْقِطَاعٌ ظَاهِرٌ. وَلَكِنْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، وَالْحَاكِمُ مِنْ طَرِيقِ مُطَّلِبِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ عَلِيًّا حَمَلَ الْبَابَ يَوْمَ خَيْبَرَ حَتَّى صَعِدَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ فَافْتَتَحُوهَا وَأَنَّهُ جُرِّبَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلَمْ يَحْمِلْهُ أَرْبَعُونَ رَجُلًا. وَفِيهِ ضَعْفٌ أَيْضًا. وَفِي رِوَايَةٍ ضَعِيفَةٍ، عَنْ جَابِرٍ: ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৩১৩৫

লেগেছে ৷ তখন নবী বত্মীম (সা) বললেন : এ যে ব্যক্তি ? লোকেরা বললো , ত্মী হা ৷ তখন নবী
করীম (সা) বললেন, যে আল্লাহর সঙ্গে সত্য অঙ্গীকার করেছিল, আল্লাহ তার অঙ্গীকারকে সত্যে
পরিণত করেছেন ৷ লোকটিকে নবী করীম (সা) তার নিজের জুব্বা দ্বারা কাফন পরান এবং তার
লাশ সম্মুখে রেখে জানযাের নামায পড়ান এবং (সালাত শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মুখ থেকে) এ
দুআ স্পষ্ট শোনা গেল :

হে আল্লাহ! লোকটি তোমারই রান্দা ৷ তোমার রাস্তায় হিজরত করে বের হয়েছে ৷ শহীদ
হিসাবে সে মৃত্যুবরণ করেছে, আমি এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি ৷

মুত্আ বিবাহ প্রভৃতি নিষিদ্ধ হওয়া

ইবন ইসহাক (র) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে নিয়ে আসা গনীমতের মাল পর্যায়ক্রমে
গ্রহণ করতেন আর এক এক করে দুর্গ জয় করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বপ্রথম তাদের যে দুর্পটি
জয় করেন তা ছিল ’নাএম’ দুর্গ ৷ এ দুর্গের নিকটেই হত্যা করা হয় মাহমুদ ইবন মাসলামাহকে ৷
তাকে হত্যা করা হয় উপর থেকে মাতা নিক্ষেপ করে ৷ এরপর জয় করা হয় কামুস দুর্গ এটি ছিল
বনু আবুল হুকায়ক-এর দুর্গ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বরের য়াহুদীদের মধ্য থেকে অনেককে বন্দী
করেন ৷ এসব বন্দীদের মধ্যে সাফিয়্যা বিনৃত হুয়াই ইবন আখতাবও ছিলেন ৷ ইনি ছিলেন কিনানা
ইবন রবী ইবন আবুল হুকায়কের শ্রী ৷ সাফিয়্যার দু’জন চাচাতো বোনও ছিলেন বন্দীদের মধ্যে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত সাফিয়্যাকে নিজের জন্য পসন্দ করেন ৷ দিহ্ইয়া ইবন খলীফা আল-কালবী
(রা) হযরত সাফিয়্যার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে আবেদন জানিয়ে ছিলেন ৷ তিনি (সা)
হযরত সাফিয়্যাকে নিজের জন্য পসন্দ করেন আর দিহ্ইয়াকে দেন সাফিয়্যার দুই চাচাতো বোন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, খায়বরের প্রচুর বন্দী মুসলমানদের হস্তগত হয় এবং লোকেরা সেদিন
গাধার গোশৃত ভক্ষণ করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পাধার গোশৃত ভক্ষণ করতে তাদেরকে নিষেধ করার
কথা ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন ৷ ইমাম ৰুখারী (র) গাধার গোস্ত ভক্ষণ করা নিষেধ-এ
পর্যায়ের হাদীছগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এবং অতি উত্তম সনদে সংকলন করেন ৷ প্রাচীন
যুগের ও পরবর্তীকালের অধিকাংশ আলিমের মতে গড়াধার গোশত ভক্ষণ করা হারাম ৷ চার ইমাম
এরও এ মত ৷ তবে হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) প্রমুখ কিছু সংখ্যক আলিম পাধার
গোশত খাওয়া বৈধ বলেছেন ৷ যে সব হাদীছে গধোর গোশত হারাম বলা হয়েছে, তারা এর বিভিন্ন
জবাবও দিয়েছেন ৷ যথা ভারবহনের কাজে পাধা ব্যবহার করা হয়, তখন পর্যন্ত থুমুস তথা এক-
পঞ্চমাৎশ বের করা হয়নি, অথবা পাধা নাপাক বস্তু আহার করে ৷ বিশুদ্ধ কথা এই যে, পাধা
মুলতই হারাম ৷ বিশুদ্ধ হাদীছে বণিতি আছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ঘোষক ঘোষণা করেন :

ণ্এ৷ ৷ @ ৷


اجْتَمَعَ عَلَيْهِ سَبْعُونَ رَجُلًا، وَكَانَ جَهْدَهُمْ أَنْ أَعَادُوا الْبَابَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ: «رَأَيْتُ أَثَرَ ضَرْبَةٍ فِي سَاقِ سَلَمَةَ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، مَا هَذِهِ الضَّرْبَةُ؟ قَالَ: هَذِهِ ضَرْبَةٌ أَصَابَتْهَا يَوْمَ خَيْبَرَ، فَقَالَ النَّاسُ: أُصِيبَ سَلَمَةُ. فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَفَثَ فِيهِ ثَلَاثَ نَفَثَاتٍ، فَمَا اشْتَكَيْتُ حَتَّى السَّاعَةِ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلٍ قَالَ: «الْتَقَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُشْرِكُونَ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَاقْتَتَلُوا، فَمَالَ كُلُّ قَوْمٍ إِلَى عَسْكَرِهِمْ، وَفِي الْمُسْلِمِينَ رَجُلٌ لَا يَدَعُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ شَاذَّةً وَلَا فَاذَّةً إِلَّا اتَّبَعَهَا فَضَرَبَهَا بِسَيْفِهِ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا أَجْزَأَ أَحَدٌ مَا أَجْزَأَ فُلَانٌ. قَالَ: " إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ " فَقَالُوا: أَيُّنَا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِنْ كَانَ هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: لَأَتَّبِعَنَّهُ، فَإِذَا أَسْرَعَ وَأَبْطَأَ كُنْتُ مَعَهُ. حَتَّى جُرِحَ فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ، فَوَضَعَ نِصَابَ سَيْفِهِ بِالْأَرْضِ وَذُبَابَهُ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ، ثُمَّ تَحَامَلَ عَلَيْهِ فَقَتَلَ نَفْسَهُ. فَجَاءَ الرَّجُلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ: " وَمَا ذَاكَ؟ " فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: " إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৩১৩৬
الْجَنَّةِ - فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ - وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، وَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ - فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ - وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ» رَوَاهُ أَيْضًا عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ يَعْقُوبَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ فَذَكَرَ مِثْلَهُ أَوْ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: «شَهِدْنَا خَيْبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرَجُلٍ مِمَّنْ مَعَهُ يَدَّعِي الْإِسْلَامَ: " هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ". فَلَمَّا حَضَرَ الْقِتَالُ قَاتَلَ الرَّجُلُ أَشَدَّ الْقِتَالِ، حَتَّى كَثُرَتْ بِهِ الْجِرَاحَةُ، حَتَّى كَادَ بَعْضُ النَّاسِ يَرْتَابُ، فَوَجَدَ الرَّجُلُ أَلَمَ الْجِرَاحَةِ، فَأَهْوَى بِيَدِهِ إِلَى كِنَانَتِهِ، فَاسْتَخْرَجَ مِنْهَا أَسْهُمًا فَنَحَرَ بِهَا نَفْسَهُ، فَاشْتَدَّ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، صَدَّقَ اللَّهُ حَدِيثَكَ، انْتَحَرَ فُلَانٌ فَقَتَلَ نَفْسَهُ. فَقَالَ: " قُمْ يَا فُلَانُ، فَأَذِّنْ أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مُؤْمِنٌ، وَأَنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ» . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قِصَّةَ الْعَبْدِ الْأَسْوَدِ؛ الَّذِي رَزَقَهُ اللَّهُ الْإِيمَانَ وَالشَّهَادَةَ فِي سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ، وَكَذَلِكَ رَوَاهَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَا: «وَجَاءَ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ أَسْوَدُ، مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ، كَانَ فِي غَنَمٍ لِسَيِّدِهِ، فَلَمَّا رَأَى أَهْلَ خَيْبَرَ قَدْ أَخَذُوا السِّلَاحَ سَأَلَهُمْ قَالَ: مَا تُرِيدُونَ؟ قَالُوا: نُقَاتِلُ هَذَا الرَّجُلَ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ. فَوَقَعَ فِي نَفْسِهِ ذِكْرُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقْبَلَ
পৃষ্ঠা - ৩১৩৭

আল্লাহ্ এবং তার রাসুল (সা) তোমাদেরকে গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ কারণ,

তা নাপাক ৷ তাই তোমরা গাধার গোশত ফেলে দাও, (আর এ নির্দেশ জারী করার সময় গাধার
গোশত) ডেকচীতে টগবগ করে ফুটছিল ৷ কিতাবুল আহকাম-এ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (ব) সালামা ইবন কারকারা জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ সুত্রে
বর্ণনা করেন, আর জাবির খায়বর যুদ্ধে শরীক ছিলেন না :

;, ৷
প্রুপু ;,১া
রাসুল করীম (সা) যখন সােকজনকে পাধার গোশত যেতে ধারণ করেন, যে সময় তিনি
তাদেরকে ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দান করেন ৷ বৃখারী ও মুসলিম শরীফে এ হাদীছটি

হাম্মাদ ইবন যায়দ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীছে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷ বৃখারী
শরীফের ভাষায় বর্ণিত হয়েছে :



খায়বরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ তবে তিনি ঘোড়ার
গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷ ইবন ইসহাক (র) আবদুল্লাহ্ ইবন আবু নাজীহ মাকহ্রল সুত্রে
বর্ণনা করেন :

নবী করীম (সা) সেদিন (খায়বরের দিন) চারটি বিষয় নিষেধ করেছেন : (১) যুদ্ধবন্দী
অন্তঃসত্ত্ব৷ নারীর সঙ্গে সঙ্গম (২) গাধার গোশত খাওয়া (৩) নখর বিশিষ্ট হিংস্র জন্তুর গোশত
খাওয়া এবং (৪) বন্টন করার আগে গনীমতের মাল বিক্রয় করা ৷
এ হাদীছটি মুরসাল পর্যায়ের ৷
ইবন ইসহাক (র) ইয়াযীদ ইবন আবুহাবীব হাসান সানআনী সুত্রে বর্ণনা করেন :
আমরা রুওয়াইফে ইবন ছাবিত আল-আনসারীর সঙ্গে মাগরিব দেশের এবল্টা জনপদে,

যাকে বলা হতো জিরবা’ লড়াই করি ৷ তিনি উক্ত জনপদ জয় করে সেখানে দাড়িয়ে ভাষণ দান
করেন ৷ ভাষণে তিনি বলেন :

লোক সকল ! আমি তোমাদের মধ্যে কেবল এমন কথা বলবো, যা আমি রাসুল করীম (সা)
কে বলতে শুনেছি ৷ খায়বরের দিন রাসুল করীম (সা) আমাদের মধ্যে দাড়িয়ে বলেন : আস্লাহ্
আর শেষ দিনে বিশ্বাস করে এমন কোন ব্যক্তির জন্য অপরের ক্ষেতে পানি সিঞ্চণ করা হালাল
নয় ৷ অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্ব৷ বন্দী দাসীর সঙ্গে সঙ্গত হওয়া বৈধ নয় ! আল্লাহ এবং শেষ দিনে বিশ্বাস করে
এমন কোন লোকের জন্য হড়ালাল নয় ঋতুস্রড়াব থেকে পবিত্র হওয়ার পুর্বে কোন বন্দী দাসীর সঙ্গে


بِغَنَمِهِ حَتَّى عَمَدَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِلَى مَا تَدْعُو؟ قَالَ: " أَدْعُوكَ إِلَى الْإِسْلَامِ؛ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنْ لَا تَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ ". قَالَ: فَقَالَ الْعَبْدُ: فَمَاذَا يَكُونُ لِي إِنْ شَهِدْتُ بِذَلِكَ وَآمَنْتُ بِاللَّهِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْجَنَّةُ إِنْ مِتَّ عَلَى ذَلِكَ ". فَأَسْلَمَ الْعَبْدُ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ الْغَنَمَ عِنْدِي أَمَانَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَخْرِجْهَا مِنْ عَسْكَرِنَا وَارْمِهَا بِالْحَصْبَاءِ، فَإِنَّ اللَّهَ سَيُؤَدِّي عَنْكَ أَمَانَتَكَ ". فَفَعَلَ فَرَجَعَتِ الْغَنَمُ إِلَى سَيِّدِهَا، فَعَرَفَ الْيَهُودِيُّ أَنَّ غُلَامَهُ قَدْ أَسْلَمَ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَعَظَ النَّاسَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي إِعْطَائِهِ الرَّايَةَ عَلِيًّا، وَدُنُوِّهِ مِنْ حِصْنِ الْيَهُودِ وَقَتْلِهِ مَرْحَبًا، وَقُتِلَ مَعَ عَلِيٍّ ذَلِكَ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ، فَاحْتَمَلَهُ الْمُسْلِمُونَ إِلَى عَسْكَرِهِمْ، فَأُدْخِلَ فِي الْفُسْطَاطِ، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اطَّلَعَ فِي الْفُسْطَاطِ، ثُمَّ اطَّلَعَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " لَقَدْ أَكْرَمَ اللَّهُ هَذَا الْعَبْدَ وَسَاقَهُ إِلَى خَيْرٍ، قَدْ كَانَ الْإِسْلَامُ مِنْ نَفْسِهِ حَقًّا، وَقَدْ رَأَيْتُ عِنْدَ رَأْسِهِ اثْنَتَيْنِ مِنَ الْحَوَرِ الْعِينِ» ". وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ، فَخَرَجَتْ سَرِيَّةٌ، فَأَخَذُوا إِنْسَانًا مَعَهُ غَنَمٌ يَرْعَاهَا، فَذَكَرَ نَحْوَ قِصَّةِ هَذَا الْعَبْدِ الْأَسْوَدِ، وَقَالَ فِيهِ: قُتِلَ شَهِيدًا وَمَا سَجَدَ لِلَّهِ سَجْدَةً.
পৃষ্ঠা - ৩১৩৮
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَحْمِشٍ الْفَقِيهُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَجُلًا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَجُلٌ أَسْوَدُ اللَّوْنِ، قَبِيحُ الْوَجْهِ، مُنْتِنُ الرِّيحِ، لَا مَالَ لِي، فَإِنْ قَاتَلْتُ هَؤُلَاءِ حَتَّى أُقْتَلَ، أَدْخُلُ الْجَنَّةَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَتَقَدَّمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، فَأَتَى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَقْتُولٌ، فَقَالَ: " لَقَدْ حَسَّنَ اللَّهُ وَجْهَكَ الطَّيِّبَ، وَطَيَّبَ رِيحَكَ، وَكَثَّرَ مَالَكَ " وَقَالَ: " لَقَدْ رَأَيْتُ زَوْجَتَيْهِ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ يَتَنَازَعَانِ جُبَّتَهُ عَنْهُ؛ يَدْخُلَانِ فِيمَا بَيْنَ جِلْدِهِ وَجُبَّتِهِ» . ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ «أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَعْرَابِ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَآمَنَ بِهِ وَاتَّبَعَهُ، فَقَالَ: أُهَاجِرُ مَعَكَ. فَأَوْصَى بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَتْ غَزْوَةُ خَيْبَرَ غَنِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَسَمَهُ وَقَسَمَ لَهُ، فَأَعْطَى أَصْحَابَهُ مَا قَسَمَ لَهُ، وَكَانَ يَرْعَى ظَهْرَهُمْ، فَلَمَّا جَاءَ دَفَعُوهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: مَا