سنة ست من الهجرة النبوية
السرايا والبعوث التي كانت في سنة ست من الهجرة
পৃষ্ঠা - ৩১০১
আমরা সুফল লাভ করেছি ৷ কিন্তু এ ঘটনায় অবস্থা অন্য রকম ৷ বিপর্যয়ের এক দিক বন্ধ করলে
অন্য দিক উন্মুক্ত হয় ৷ কিভাবে উদ্ধার পেতে হবে কিছুই আমাদের বুঝে আসছিল না ৷ ১
বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ যায়দ ইবন আসলড়াম ৷ তার পিতা সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, নবী করীম (সা) কোন এক সফরে গমন করেন ৷ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবও তার
সঙ্গে ছিলেন ৷ তখন ছিল রাত্রি বেলা ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব রাসুল করীম (সা)-কে কোন একটা
বিষয়ে জিজ্ঞসাে করেছিলেন; কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন জবাব দেননি ৷ এভাবে তিনবার তিনি
জিজ্ঞাসা করেন, কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন জবাব দিলেন না ৷ তখন উমর (রা) নিজেকে
বললেন, উমর ! ণ্তামার মা তোমাকে হারাক ৷ তুমি তিন দফা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শরণাপন্ন হলে
কিন্তু তিনি একবারও তোমাকে জবাব দিলেন না ৷ উমর (রা) বলেন হ: এরপর আমি বাহন ছুটালাম
এবং বাহিনীর আগে চলে গেলাম ৷ এসময় আমার আশংকা হলো, যেন আমার ব্যাপারে কুরআন
মজীদের আয়াত নাযিল হবে ৷ একটু পরই কেউ চিৎকার দিয়ে আমাকে বলছিল উমর (রা)
বলেন, আমার আশংকা হলো, হয়তো আমার ব্যাপারেই কুরআন নাযিল হয়েছে ৷ সুতরাং আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট গমন করে তাকে সালাম দিলাম ৷ তিনি (সা) বললেন :
আজ রাত্রে আমার উপর একটা সুরা নাযিল হয়েছে যা আমার নিকট সে সকল বস্তু থেকে
প্রিয়, যার উপর সুর্য উদিত হয় অর্থাৎ যে সুরাটি আমার নিকট পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু থেকে
গ্রিয়তর ৷ এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন ও
নিশ্চয় আমি তোমাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি ৷ আমার রচিত তাফ্সীর গ্রন্থের সুরা ফাত্হে
এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আর ন্তুতি-স্তব আল্লাহর জন্য ৷ কেউ বিশদ
জানতে চাইলে সেখানে দেখে নিতে পারেন ৷ আবদুল্লাহ আবদৃল্লাহ্
ষষ্ঠ হিজরীতে পরিচালিত যুদ্ধাভিযানসমুহ
হাফিয বায়হাকী (র) ওয়াকিদী (র) সুত্রে এ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন তার সার সংক্ষেপ
এ বছরের রবিউল আউয়াল বা রবিউল আখির মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উক্কাশা ইবন মিহসান
(রা)-এর নেতৃত্বে ৪০ জনের একটা বাহিনী ণামর অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ তাতে ছাৰিত ইবন
আকর ও সিবা ইবন ওহবও ছিলেন ৷ এলাকার লোকজন পলায়ন করলে ঐ বাহিনীটি তাদের
পানির কুপের নিকট শিবির স্থাপন করে তাদেরকে খুজে বের করার জন্য চতৃর্কিংক লোক প্রেরণ
করে ৷ তারা দশ উট নিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন ৷ ঐ বছরই আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্-এর
১ ১ একদল লোক সুহায়ল ইবন হুনায়ফকে এ মর্মে অভিযুক্ত করে যে, সিফ্ফীন এর দিন তিনি
লড়াই করতে ত্রুটি করেছেন ৷ এ অভিভৈযাগের জবাবে তিনি সে দিন বলেছিলেন তোমরা আমাকে
নয়, বরং তোমাদের নিজেদের মতামতকে অভিযুক্ত কর ৷ কারণ প্রয়োজনের সময় আমি কোন ত্রুটি
করিন৷ ৷ নবী করীম (না)-এর যামানায় কোন কঠিন ব্যাপারে অস্ত্র পরিধান করলে আমাদের অস্ত্র
সহজে জায়গা মতো আমাদেরকে পৌছাতো ৷ অবশ্য সিফ্ফীনের ব্যাপারটা ছিল ভিন্ন ৷ আমরা এর
কোন একটা দিক বন্ধ করলে অন্য একটা দিক বেরিয়ে আসভাে ৷ ফলে তা সংশোধন করা আমাদের
পক্ষে সম্ভব হতো না ৷
[السَّرَايَا وَالْبُعُوثُ الَّتِي كَانَتْ فِي سَنَةِ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ]
فَصْلٌ فِي ذِكْرِ السَّرَايَا وَالْبُعُوثِ الَّتِي كَانَتْ فِي سَنَةِ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ
وَتَلْخِيصُ ذَلِكَ مَا أَوْرَدَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ قَالَ:
فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا أَوِ الْآخِرِ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُكَّاشَةَ بْنَ مِحْصَنٍ، فِي أَرْبَعِينَ رَجُلًا إِلَى غَمْرِ مَرْزُوقٍ - مَاءٍ لِبَنِي أَسَدٍ - فَهَرَبُوا مِنْهُ، وَنَزَلَ عَلَى مِيَاهِهِمْ، وَبَعَثَ فِي آثَارِهِمْ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ مِائَتَيْ بَعِيرٍ، فَاسْتَاقَهَا إِلَى الْمَدِينَةِ.
وَفِيهَا كَانَ بَعْثُ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، فِي أَرْبَعِينَ رَجُلًا أَيْضًا فَسَارُوا لَيْلَتَهُمْ مُشَاةً، حَتَّى أَتَوْهَا فِي عَمَايَةِ الصُّبْحِ، فَهَرَبُوا مِنْهُ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ، فَأَسَرَ مِنْهُمْ رَجُلًا، فَقَدِمَ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ.
وَبَعْثُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فِي عَشَرَةِ نَفَرٍ، فَكَمَنَ الْقَوْمُ لَهُمْ حَتَّى نَامُوا، فَقُتِلَ أَصْحَابُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ كُلُّهُمْ، وَأَفْلَتَ هُوَ جَرِيحًا.
পৃষ্ঠা - ৩১০২
নেতৃত্বে : : জনের একটা পদাতিক বাহিনী দল যুল কিসৃম৷ অভিমুখে প্রে রণ করা হয় ৷ তারা
তাদের একক্ত নব্লুক পাকড়াও করে রাসুলুল্লাহ (সা) এর দরবারে হাযির করা হয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার নেতৃত্বে দশজন সাহাৰীর একটা দলকে উক্ত অঞ্চলে প্রেরণ করাল ঘুমম্ভ
অবস্থায় মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার সঙ্গীব্লুদর উপর হামলা চালিয়ে তাদের সকলকে হত্যা করা হয় ৷
মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা আহত হয়ে কোন রকব্লুম প্রাণ বাচাতে সক্ষম হন ৷ একই বছর র ৷সুলুল্লাহ্;
(সা) যায়দ ইবন হারিছা (রা)-£ক হামৃম অভিমুখে প্রেরণ করব্লুভ্রণ্ন্৷ তিনি মুযায়নন্ (গ:ত্বএর হালীমা
নাম্বী এক মহিলাব্লুক গ্রেফতার করে আনেন ৷ সে বনু সুলায়মের একটা মহল্লার কথ ৷বব্লুল দিব্লুল
তারা সেখানে প্রচুর উট বকরী হস্তগত করেন এবং তাদের অনেকব্লুক বন্দী করেন ৷ বন্দফ্ট ব্যক্তিদের
মধ্যে এ হালীমার স্বামীও ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐ মহিলাকে তার স্বাগীকে হেব৷ করেন এবং
তাদের উভয়কেই মুক্ত করে দেন এবইি বছরের জ্বমাদ৷ ল উলা মাসে রনু ছ৷ লাব৷ গো ত্রর প্ৰতি
যায়দ ইবন হারিছার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটা বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ ন্বষ্দশ্ব্রর লোকজন পলায়ন
করলে যায়দ ইবন হারিছা (বা) তাদের পশুপাল থেকে ২০টি উট নিয়ে চার দিন পর প্রত্যাবর্তন
করেন ৷ একই বছরের জুমাদাল উলা মাসে হযরত যায়দ ইবন হারিছা (বা) ’ঈস’ অঞ্চলে অভিযান
পরিচালনা করেন ৷ হাফিয় বায়হড়াকী (র) আরো বলেন যে, এ বছর আবুল আস ইবনু রবীব-এর
মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হলেও তিনি তার স্তী যয়নব বিনত রাসৃলুল্লাহ্ ( সা) এর নিকট সাহায্য ও
আশ্রয় প্রার্থনা করেন ৷ তিনি তার স্বামীকে আশ্রয় দান করেন ৷
পক্ষাম্ভরে ইবন ইসহাক (র) এ বাহিনী তখনকার বলে উল্লেখ করেন ৷ যখন আবুল আস
ইবন রবী এর দল লুষ্ঠিত হয়, তার সঙ্গীরা নিহত হয় এবং তিনি তাদের মধ্য থেকে পলায়ন করে
মদীনায় উপস্থিত হন ৷ আর তার শ্রী যয়নব বিনৃত রাসৃলুল্লাহ্ (সৰু ) , বদর যুদ্ধের পর হিজরত
করেন ৷ তার স্বামী মদীনায় আগমন করে আশ্রয় প্রার্থনা করলে ফজর নামাযাম্ভে ত্রী যয়নব স্বামীকে
আশ্রয় দান করেন ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (মা) ও তাকে আশ্রয় দান করেন এবং তার দলের নিকট থেকে যা
কিছু গ্রহ ৷ করা হয়েছিল তা ফেরত দানের জন্য নির্দেশ দান করেন ৷ সে মতে তার সমুদয় বস্তু
ফেরত দেওয়া হয়, কোন কিছুই বাদ পড়েনি ৷ আবুল আন মক্কায় আগমন করে সকলকে তাদের র
মালামাল ফেরৎ দান করেন এবং সকলের আমানত প্রতার্পন করে মক্কা থেকে মদীনায় আগমন
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার বিবাহ রহা ল রাখেন এবং ন৩ তন বিবাহ ব্যতিরেব্লুকই তার শ্ৰীৰুক তার
নিকট প্রতার্পন করেন ৷ এ ক্ষেত্রে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) নতুন আক্ব্লু,দর ব্যবস্থা করেননি যেমনটি পুর্বেও
উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আবুল আস এর ইসলাম গ্রহণ এবং য়য়নরের হিজরতের মধ্যস্থলে ৬ বছর
মতান্তার ২ বছরের ফারাক ছিল ৷ আমরা আলোচনা করেছি যে উভয় বর্ণনার মধ্যে (কান
ভৈবপরী৩ নেইন্ কারণ, মু মিন নারীদেরকে কাফিরদের জন্য হারাম করার দুই বছর পরে আ বুল
আস ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আবুল আস ইসলাম গ্রহণ করেন ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের
বছরে ৷ তিনি ষষ্ঠ হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে ওয়াকিদী (র) যে উক্তি করেছেন তা ঠিক
নয়, মহান আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন ৷ হিজরী ষষ্ঠ সালের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে ওয়াকিদী (র )
দিহ্ইয়া ইবন খালীফা আল-কালবীর প্রত্যাবর্তনের কথাও উল্লেখ করেছেন ৷ রোম সম্রাট
وَفِيهَا كَانَ بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ بِالْحَمُومِ، فَأَصَابَ امْرَأَةً مِنْ مُزَيْنَةَ، يُقَالُ لَهَا: حَلِيمَةُ. فَدَلَّتْهُمْ عَلَى مَحَلَّةٍ مِنْ مَحَالِّ بَنِي سُلَيْمٍ، فَأَصَابُوا مِنْهَا نَعَمًا، وَشَاءً وَأَسْرَى، وَكَانَ فِيهِمْ زَوْجُ حَلِيمَةَ هَذِهِ، فَوَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِزَوْجِهَا، وَأَطْلَقَهُمَا.
وَفِيهَا كَانَ بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ أَيْضًا، فِي جُمَادَى الْأُولَى إِلَى بَنِي ثَعْلَبَةَ، فِي خَمْسَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَهَرَبَتْ مِنْهُ الْأَعْرَابُ، فَأَصَابَ مِنْ نَعَمِهِمْ عِشْرِينَ بَعِيرًا، ثُمَّ رَجَعَ بَعْدَ أَرْبَعِ لَيَالٍ.
وَفِيهَا خَرَجَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فِي جُمَادَى الْأُولَى إِلَى الْعِيصِ.
قَالَ: وَفِيهَا أُخِذَتِ الْأَمْوَالُ الَّتِي كَانَتْ مَعَ أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ، فَاسْتَجَارَ بِزَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَجَارَتْهُ، وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ - كَمَا تَقَدَّمَ - قِصَّتَهُ حِينَ أُخِذَتِ الْعِيرُ الَّتِي كَانَتْ مَعَهُ، وَقُتِلَ أَصْحَابُهُ، وَفَرَّ هُوَ مِنْ بَيْنِهِمْ حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ زَيْنَبُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ هَاجَرَتْ بَعْدَ بَدْرٍ، فَلَمَّا جَاءَ الْمَدِينَةَ اسْتَجَارَ بِهَا، فَأَجَارَتْهُ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ، فَأَجَارَهُ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ النَّاسَ بِرَدِّ مَا أَخَذُوا مِنْ عِيرِهِ، فَرَدُّوا كُلَّ شَيْءٍ كَانُوا أَخَذُوهُ مِنْهُ، حَتَّى لَمْ يَفْقِدْ مِنْهُ شَيْئًا، فَلَمَّا رَجَعَ بِهَا إِلَى مَكَّةَ، وَأَدَّى إِلَى أَهْلِهَا مَا كَانَ لَهُمْ مَعَهُ مِنَ الْوَدَائِعِ، أَسْلَمَ وَخَرَجَ مِنْ مَكَّةَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَوْجَتَهُ زَيْنَبَ بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ، وَلَمْ يُحْدِثْ نِكَاحًا وَلَا عَقْدًا،
পৃষ্ঠা - ৩১০৩
كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُ ذَلِكَ.
وَكَانَ بَيْنَ إِسْلَامِهِ وَهِجْرَتِهَا سِتُّ سِنِينَ، وَيُرْوَى سَنَتَانِ. وَقَدْ بَيَّنَّا أَنَّهُ لَا مُنَافَاةَ بَيْنَ الرِّوَايَتَيْنِ؛ لِأَنَّ إِسْلَامَهُ تَأَخَّرَ عَنْ وَقْتِ تَحْرِيمِ الْمُؤْمِنَاتِ عَلَى الْكَفَّارِ بِسَنَتَيْنِ، وَكَانَ إِسْلَامُهُ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ فِي سَنَةِ الْفَتْحِ، لَا كَمَا يُفْهَمُ مِنْ كَلَامِ الْوَاقِدِيِّ، مِنْ أَنَّهُ سَنَةَ سِتٍّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، أَنَّ دِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيَّ أَقْبَلَ مِنْ عِنْدِ قَيْصَرَ، وَقَدْ أَجَازَهُ بِأَمْوَالٍ وَخِلَعٍ، فَلَمَّا كَانَ بِحِسْمَى لَقِيَهُ نَاسٌ مِنْ جُذَامٍ، فَقَطَعُوا عَلَيْهِ الطَّرِيقَ، فَلَمْ يَتْرُكُوا مَعَهُ شَيْئًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ أَيْضًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي مِائَةِ رَجُلٍ إِلَى أَنْ نَزَلَ إِلَى حَيٍّ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ، وَذَلِكَ أَنَّهُ بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ لَهُمْ جَمْعًا يُرِيدُونَ أَنْ يُمِدُّوا يَهُودَ خَيْبَرَ فَسَارَ إِلَيْهِمْ بِاللَّيْلِ، وَكَمَنَ بِالنَّهَارِ، وَأَصَابَ عَيْنًا لَهُمْ، فَأَقَرَّ لَهُ أَنَّهُ بُعِثَ إِلَى خَيْبَرَ، يَعْرِضُ عَلَيْهِمْ نَصْرَهُمْ عَلَى أَنْ يَجْعَلُوا لَهُمْ تَمْرَ خَيْبَرَ
পৃষ্ঠা - ৩১০৪
কায়জারের নিকট থেকে তিনি প্রচুর ৰিত্ত-বিভব আর মহামুল্য খিলাত নিয়ে ফিরে আসেন ৷ ফেরার
পথে তিনি ইিস্মা নামক স্থানে পৌছলে জুযাম’ গোত্রের কিছু লোকের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় ;
তারা তার নিকট থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এদের বিরুদ্ধেও হযরত যায়দ
ইবন হারিছা (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷ ওয়াকিদী (র) আবদ্ল্লোহ্ইবন জাফর — ইয়াকুব ইবন
উতবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (রা) একশ জন লোকের একটা দল নিয়ে বের হয়ে
বনু আসাদ ইবন বকর-এর নিকট একটি শাখা গোত্রের নিকট গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷
খায়বরের ইহুদীদেরকে সহায়তা দানের লাক্ষ্য সেখানে এক দল লোক সমবেত হচ্ছে একথা
জানতে পেরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে প্রেরণ করেছিলেন ৷ এ দলটি রাত্রিবেলা সফর করতো
আর দিনের বেলা আত্মগােপন করে থাকতো ৷ শত্রুপক্ষের এক গুপ্ত১রকে পাকড়াও করা হলে সে
স্বীকার করে যে, তাকে খায়বরে প্রেরণ করা হয়েছে ৷ খায়বরেৱ থেজুরের বিনিময়ে সে
ইহুদীদেরকে সাহায্য করার প্রস্তাব করবে ৷ ওয়াকিদী আরো উল্লেখ করেন যে, ষষ্ঠ হিজরীর শাবান
মাসে আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা)এর নেতৃত্বে দৃমাতৃল জান্দাল অভিমুখে একটি বাহিনী
প্রেরণ করা হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এ দলকে বলেছেন যে তারা বশ্যতা স্বীকার করলে তাদের
বাদৃশাহের কন্যাকে বিবাহ করবে ৷ তারা ইসলাম কবুল করলে হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ
তাদের বাদ্শাহের কন্যা তামাযুর বিনতৃল আসবা আল-কালবিয়্যাকে বিবাহ করেন আর ইনি
ছিলেন আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফের মা ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন যে, ষষ্ঠ
হিজরীর শাওযাল মাসে কুরয্ ইবন জাবির আল-ফিহ্রীকে উরানিহ্মীনদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করা
হয় ৷ যারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রখােলকে হত্যা করে উটগুলি নিয়ে পলায়ন করেছিল ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরয্ ইবন জাবির-এর নেতৃত্বে ২০ জন অশ্বারোহীর একটা দল প্রেরণ করেন ৷ এ
বাহিনী তাদেরকে পাকড়াও করে আনে ৷
বুখারী (বস্তু ও মুসলিম (র) সাঈদ ইবন আবু আরুব৷ আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, উকল এবং উরায়না গোত্রের বর্ণনান্তরে উকল অথবা উরায়নার কিছু লোক
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরব করে , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ৷ আমরা এমন লোক
যাদেরকে জীবন যাপন করতে হয় পশুর দুধপান করে ৷ আমাদের ওখানে কোন শস্যশ্যামল ভুমি
নেই ৷ মদীনায় আবহাওয়া আমাদের অনুকুল হয়নি ৷ তথ্যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কিছু উট
আর রাখলেসহ চারণভুমিতে গমন করে সেগুলোর দুধ আর পেশার পান করার জন্য বলেন ৷ সে
মতে তারা সেখানে যায় ৷ হারবার’ প্রান্তে পৌছে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর রাখালকে হত্যা করে
উষ্ট্রগুলাে নিয়ে পলায়ন করে এবং ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়ে যায় ৷ নবী করীম (সা)
তাদেরকে ধরে আমার জন্য কুরয্ ইবন জাবির আল-ফিহ্রীকে প্রেরণ করেন এবং তাদের হাত পা
কাটার এবং তাদের চোখে লৌহ শলাকা বিদ্ধ করার জন্য তাকে নির্দেশ দান করেন ৷ এ অবস্থায়
তাদেরকে বৌদ্রে উত্তপ্ত কঙ্করময় স্থানে ফেলে রাখা হলে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয় ৷ রাবী
কাতাদা (রা) বলেন, আমরা জানতে পেয়েছি যে, এ ঘটনার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দান করার
জন্য দাড়ালে দান-সদকা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং অঙ্গ-প্ৰত্যঙ্গ কর্তন করতে নিষেধ
করতেন ৷ একদল রাবী কাতাদা সুত্রে অপর দল আনাস ইবন মালিক (রা) স্যুত্র এ হাদীছটি বর্ণনা
قَالَ الْوَاقِدِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: وَفِي سَنَةِ سِتٍّ فِي شَعْبَانَ مِنْهَا، كَانَتْ سَرِيَّةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، إِلَى دَوْمَةِ الْجَنْدَلِ، وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنْ هُمْ أَطَاعُوا فَتَزَوَّجْ بِنْتَ مَلِكِهِمْ» ". فَأَسْلَمَ الْقَوْمُ، وَتَزَوَّجَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِنْتَ مَلِكِهِمْ؛ تُمَاضِرَ بِنْتَ الْأَصْبَغِ الْكَلْبِيَّةَ، وَهِيَ أُمُّ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِي شَوَّالٍ سَنَةَ سِتٍّ كَانَتْ سَرِيَّةُ كُرْزِ بْنِ جَابِرٍ الْفِهْرِيِّ إِلَى الْعُرَنِيِّينَ الَّذِينَ قَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا النَّعَمَ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارِهِمْ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ، فِي عِشْرِينَ فَارِسًا، فَرَدُّوهُمْ.
فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَهْطًا مِنْ عُكْلٍ وَعُرَيْنَةَ - وَفِي رِوَايَةٍ: مِنْ عُكْلٍ أَوْ عُرَيْنَةَ - أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا أُنَاسٌ أَهْلُ ضَرْعٍ، وَلَمْ نَكُنْ أَهْلَ رِيفٍ، فَاسْتَوْخَمْنَا الْمَدِينَةَ. فَأَمَرَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَوْدٍ وَرَاعٍ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فِيهَا، فَيَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَانْطَلَقُوا، حَتَّى إِذَا كَانُوا نَاحِيَةَ الْحَرَّةِ قَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا
পৃষ্ঠা - ৩১০৫
الذَّوْدَ، وَكَفَرُوا بَعْدَ إِسْلَامِهِمْ، فَبَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَلَبِهِمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ، وَتَرَكَهُمْ فِي نَاحِيَةِ الْحَرَّةِ حَتَّى مَاتُوا وَهُمْ كَذَلِكَ. قَالَ قَتَادَةُ: فَبَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا خَطَبَ بَعْدَ ذَلِكَ حَضَّ عَلَى الصَّدَقَةِ، وَنَهَى عَنِ الْمُثْلَةِ.
وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنْ قَتَادَةَ، وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَفِي رِوَايَةِ مُسْلِمٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُرَيْنَةَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمُوا وَبَايَعُوهُ، وَقَدْ وَقَعَ فِي الْمَدِينَةِ الْمُومُ - وَهُوَ الْبِرْسَامُ - فَقَالُوا: هَذَا الْوَجَعُ قَدْ وَقَعَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلَوْ أَذِنْتَ لَنَا فَرَجَعْنَا إِلَى الْإِبِلِ، قَالَ: " نَعَمْ، فَاخْرُجُوا فَكُونُوا فِيهَا ". فَخَرَجُوا فَقَتَلُوا الرَّاعِيَيْنِ، وَذَهَبُوا بِالْإِبِلِ، وَعِنْدَهُ شَبَابٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَرِيبٌ مِنْ عِشْرِينَ، فَأَرْسَلَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৩১০৬
করেছেন ৷ মুসলিম (র)-এর বর্ণনায় হযরত মুআবিয়া ইবন কুররা আনাস সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে,
উরায়নার এক দল লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে এবং
বায়আত গ্রহণ করে ৷ মদীনায় তখন জন্ডিস জাতীয় ব্যধির প্রকােপ ছিল ৷ লোকেরা রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট আবেদন জালাল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! এ ব্যধি দেখা দিয়েছে আপনি অনুমতি
দান করলে আমরা (আপনার চারণভুমির দিকে ফিরে যেতে পারি ৷ রাসৃলল্লাহ্ (সা) সম্মতি দিলে
তারা সেখানে গিয়ে বসবাস শুরু করে ৷ পরে তারা সেখান থেকে বের হয়ে রাখালদেরকে হত্যা
করে উটগুলো নিয়ে পলায়ন করে ৷ রাবীর মতে, এ সময় রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট প্রায় ২০ জন
আনসারী সমবেত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদের পাকড়াও করতে আনসারীদেরকে প্রেরণ করেন
এবং তাদের সাথে একজন পদচিহ্ন বিশারদকেও প্রেরণ করেন ৷ এ ব্যক্তি তাদের পদচিহ্ন
অনুসরণ করে তাদের নিকট পৌছিয়ে দেয় ৷ তখন তাদের হাত পা কেটে গরম শলাকা দ্বারা চক্ষু
বিদ্ধ করে দেয়া হয় ৷ আর সহীহ্ বুখারী শরীফে আইয়ুব আবু কিলাবা আনাস (রা ) সুত্রে বর্ণিত
হয়েছে যে, আনাস (রা) বলেন : উকাল গোত্রের একদল লোক আগমন করে ইসলাম গ্রহণ করে
(কিন্তু মদীনায় অবস্থান করা তারা পসন্দ করেনি) তখন তারা রাসুল কবীম (না)-এর দরবারে
হাযির হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করলে তিনি বললেন : তোমরা উটের সঙ্গে বাস করো এবং
সেগুলোর পেশার আর দুধ পান কর ৷ তারা সেখানে চলে যায় এবং য়তদিন আল্লাহর ইচ্ছা হয়
অবস্থান করে ৷ পরবভীকািলে তারা রাখালদেরকে হত্যা করে উটগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ একজন
ফরিয়াদকারী ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ছুটে আসে (এবং বিষয়টি তাকে অবহিত করলে)
বেলা উঠার পুসুইে তাদের ধরে আনা হয় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) শলাকা আনার নির্দেশ দিল (তা আনা হয় এবং) গরম করে তা দ্বারা
তাদেরকে দাগানাে হয় ৷ তাদের হাত পা কেটে ফেলা হয় এবং তাদেরকে কঙ্করময় উত্তপ্ত
ভুমিতে ফেলে রাখা হয় ৷ তারা পানি পানি বলে চিৎকার করলেও তাদেরকে পানি পান করতে
দেওয়া হয়নি ৷ এ অবস্থায় সেখানে তাদের মৃত্যু হয় ৷ কেউ তাদের সাহায্য করেনি ৷ আনাস
(রা)-এর এক বর্ণনায় আছে যে, তিনি বলেন, আমি তাদের একজনকে পিপাসায় কাতর হয়ে মুখ
দ্বারা মাটি চাটতে দেখেছি ৷ আবু কিলাবা (রা) বলেন : এ সব লোকেরা হত্যা, চুরি, ঈমান আনার
পর কুফ্রী অবলম্বন করা এবং আল্লাহ্ ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার অপরাধে
অপরাধী ছিল !
বায়হার্কী (র) উছমান ইবন আবুশায়বা জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
রাসুল কবীম (সা) তাদের পদাৎক অনুসরণে লোক হুপ্ররণ করে এ দুআ করেন :
হে আল্লাহ ! তৃ তাদের জন্য পথ সন্দিগ্ধ করে দাও এবং তাদের চলার পথকে সংকীর্ণ করে
দাও ৷ রাবী বলেন, ফলে আল্লাহ্ তাদের জন্য তাদের পথ অদৃশ্য করে দেন ৷ তাদেরকে পাকড়াও
করে আনা হয় এবং তাদের হাত-পা কেটে চোখ ফুটা করে দেওয়া হয় ৷
সহীহ্ মুসলিম শরীফে উল্লেখ আছে যে, তাদের চোখ এজন্য ফুটা করা হয় যে, তারা
রাখালদের চোখ ফুটা করেছিল ৷
إِلَيْهِمْ، وَبَعَثَ مَعَهُمْ قَائِفًا يَقْتَصُّ أَثَرَهُمْ، فَأُتِيَ بِهِمْ، فَقَطَعَ أَيْدِيَهِمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقِ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّهُ قَالَ: «قَدِمَ رَهْطٌ مِنْ عُكْلٍ فَأَسْلَمُوا، وَاجْتَوَوُا الْمَدِينَةَ، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: " الْحَقُوا بِالْإِبِلِ، وَاشْرَبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا ". قَالَ: فَذَهَبُوا فَكَانُوا فِيهَا مَا شَاءَ اللَّهُ، فَقَتَلُوا الرَّاعِيَ، وَاسْتَاقُوا الْإِبِلَ، فَجَاءَ الصَّرِيخُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرْسَلَ فِي طَلَبِهِمْ، فَلَمْ تَرْتَفِعِ الشَّمْسُ حَتَّى أُتِيَ بِهِمْ، فَأَمَرَ بِمَسَامِيرَ فَأُحْمِيَتْ فَكَوَاهُمْ بِهَا، وَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَأَلْقَاهُمْ فِي الْحَرَّةِ يَسْتَسْقُونَ فَلَا يُسْقَوْنَ، حَتَّى مَاتُوا وَلَمْ يَحْسِمْهُمْ» . وَفِي رِوَايَةٍ عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَحَدَهُمْ يَكْدُمُ الْأَرْضَ بِفِيهِ مِنَ الْعَطَشِ. قَالَ أَبُو قِلَابَةَ: فَهَؤُلَاءِ قَتَلُوا، وَسَرَقُوا، وَكَفَرُوا بَعْدَ إِيمَانِهِمْ، وَحَارَبُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৩১০৭
بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ فِي آثَارِهِمْ قَالَ: " اللَّهُمَّ عَمِّ عَلَيْهِمُ الطَّرِيقَ، وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ أَضْيَقَ مِنْ مَسْكِ جَمَلٍ ". قَالَ: فَعَمَّى اللَّهُ عَلَيْهِمُ السَّبِيلَ فَأُدْرِكُوا، فَأُتِيَ بِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَطَعَ أَيْدِيَهِمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ» وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ": إِنَّمَا سَمَلَهُمْ؛ لِأَنَّهُمْ سَمَلُوا أَعْيُنَ الرِّعَاءِ.