سنة ست من الهجرة النبوية
غزوة بني المصطلق من خزاعة
পৃষ্ঠা - ৩০৪২
তারা প্রতিরোধ করে নিজেদের এবং দেশের মযদাি, এমন তরবারি দ্বারা, যা কর্তন করে তার
নিচের মন্তব্যসমুহ ৷
বদরের সন্তানদের জিজ্ঞাসা কর যখন তাদের সাক্ষাৎ পাও, ভাইয়েরা যুদ্ধের দিন কেমন
আচরণ করেছিল ৷
যখন তেষ্মেরা বের হয়ে তখন যার সঙ্গে দেখা হবে সত্য বলবে, তারে মজলিসে নিজেদের
কথা গোপন করবে না ই
আর তোমরা বলবে আমরা বেরিয়ে এসেছি হতভম্ব ব্যাব্রের পাঞ্জা থেকে , আমাদের বক্ষে
আছে উষ্ণতা যাবত যুদ্ধ না করে ৷
বনু মুস্তালিক যুদ্ধ
ইমাম বুখারী (র) বনু মুস্তালিক ষুদ্ধকে পাবৃওয়া মুরাটসী বলেন ৰু আর মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক
(র) বলেন : ৬ষ্ট হিজরী সনে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয় গ্ পক্ষাত্তরে মুসা ইবন উক্বার মতে চতৃ
হিজরী সনে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ নুমান ইবন রাশিদ (র) যুহ্রী (রা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে ,
গাষ্ওয়া মুরাইসীতে ইফ্ক কথা অপবাদের ঘটনা ঘটে ৷ অনুরুপভাবে ইমাম বুখারী (র) মুসা
ইবন উকবার মাগাযীর বরাত দিয়ে বলেন যে , এ যুদ্ধ চতুর্থ হিজয়ী সনে সংঘটিত হয়েছে ৷ তিনি
মুসা ইবন উক্বা এবং উরওয়া (র) সুত্রে একথাও উল্লেখ করেন যে, পঞ্চম হিজয়ী সনের শাবান
সালে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ( আর ওয়াকিদী বলেন, ৫ম হিজরীর ২রা শাবান সংঘটিত এ যুদ্ধে
রাসুল করীম (সা)-এর সঙ্গে সাতশ’ সাহাৰী ছিলেন ৷ পক্ষান্তরে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন :
যু-কারাদ এর ঘটনার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় জুমাদাল উখরা এবং রজব মাসের কয়েক দিন
অবস্থান করেন এবং ৬ষ্ঠ হিজরী সনের শাবান মাসে বনু খুযাআর শাখা গোত্র বনুমুস্তালিক এর
যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন ৷ এ সময় আবু যর গিফারী (রা) মতাত্তরে নুমায়ন ইবন আবদুল্লাহ লায়হীকে
মদীনায় আমির নিযুক্ত করে যান ৰ্ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা
প্রমুখ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) জানতে পারেন যে, হারিছ ইবন আবু যিরারের
নেতৃত্বে বনুমুস্তালিক রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সমবেত হচ্ছে ম্র এ আবুষিরার
ছিল পরবর্তীক্রিাস্তুলর উম্মু ল মুমিনীন জুয়ইিরিয়া এ খবর পেয়ে রাসুল (সা) তাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন এবং মুরাইসী কুয়োর নিকট তাদের মুখোমুখী হন ৰু স্থানটি ছিল কুদায়দ এর দিক থেকে
সষ্কৃডু উপকুলে : উত্তর পক্ষে লড়াই হয় ৷ আল্পাহ্ তাআলা বনুমুস্তালিককে পন্নাজ্যি করেন তাদের
অনেকে নিহত হয় ৰ্ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের ন্নী-পুত্র কন্যাদের বন্দী করে এনে গনীমতরুপে বন্টন
করেন ধ্ ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজরী ৫ম সালে ২রা শাবান ৭ শত সাহাবীর একটা
বাহিনী নিয়ে বনুমুস্তালিক অভিমুখে রওয়ানা হন ৷ এরা হ্নিম্ বনুমুলেক্লজের মিত্র ( তাদের নিকট
পৌছে রাসুল (সা) মুহাজ্যিদের পতাকা হযরত আবু বকর সিদ্দীক মতআের অস্ফোর ইবন
ইয়াসিরের হাতে এবং আনসারদের পতাকা সাদ ইবন উবদাের হাতে ন্যস্ত করেন ৷ এরপর উমর
ইবনুল খত্তোবকে জনগণের মধ্যে এ মর্মে ঘোষণা প্রচার করার নির্দেশ দেন যে , তোমরা সকলে
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ অর্থাং আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ সেই একথা স্বীকার করে নাও; এতে তোমরা
নিজেদের জানমাল সুরক্ষিত হয়ে ৷ তারা এন্টা মেনে নিতে অস্বীকার করলে তীর নিক্ষেপ শুরু হয়ে
[غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ]
[الْإِقْرَاعُ بَيْنَ نِسَاءِ الرَّسُولِ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَهُ]
قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَهِيَ غَزْوَةُ الْمُرَيْسِيعِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتٍّ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: كَانَ حَدِيثُ الْإِفْكِ فِي غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيعِ. هَكَذَا حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ؛ أَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ. وَالَّذِي حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْهُ وَعَنْ عُرْوَةَ؛ أَنَّهَا كَانَتْ فِي شَعْبَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَتْ لِلَيْلَتَيْنِ مِنْ شَعْبَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ، فِي سَبْعِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، بَعْدَمَا أَوْرَدَ قِصَّةَ ذِي قَرَدٍ: فَأَقَامَ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৩
যায় ৷ এরপর রাসুল (সা)-এর নির্দেশে সকলে একযোগে হামলা চালালে তাদের এক ব্যক্তিও গা
ঢাকা দিতে সক্ষম হয়নি ৷ তাদের দশজন নিহত এবং অবশিষ্ট সকলে বন্দী হয় এবং মুসলমানদের
মধ্যে একজন ছাড়া আর কেউ শহীদ হননি ৷
বুখারী ও মুসলিমে আবদুল্লাহ ইবন আওন বর্ণিত হাদীছে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন : আমি
যুদ্ধের পুর্বে ইসলামের দিকে আহ্বানের ৰিফল সম্পর্কে জানতে চেয়ে নাফিকে পত্র লিখি; তিনি
বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন বনুমুন্তালিকে হামলা করেন, তথ্যা তারা পশু পালকে পানি পান
করাবার কাজে কুয়ার কাছে ছিল ৷ রাসুলুল্লড়াহ্ (না) তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করেন এবং
অন্যদেরকে বন্দী করেন ৷ আমার যতদুর মনে পড়ে তিনি সেদিন একথাও বলেছেন যে , রাসুলুল্লাহ্
(সা) সেদিন জুয়াইরিয়া বিনতৃল হারিছকেও বন্দী করেছিলেন, নাফি বলেন যে , আবদুল্লাহ ইবন
উমর আমাকে এরুপ বলেছেন যে, সে বাহিনীতে তিনি নিজেও ছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এ
যুদ্ধে একজন মুসলমান শহীদ হন; তার নাম ছিল হিশাম ইবন ত্ন্াবাবা জনৈক আনসারী শক্রপক্ষের
লোক মনে করে ভুলক্রমে তাকে হত্যা করেন ৷
ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে তার ভাই মিকয়াস ইবন সাবাবা ইসলাম প্রকাশ করে মক্কা
থেকে আগমন করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট তার ভাইয়ের দিয়াত তথা রক্তপণ দাবী করেন ৷
কারণ, ভুলবশতঃ তাকে হত্যা করা হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দিয়াত দান করেন ৷ এরপর
স্বল্পকাল মদীনায় অবস্থান করে তার ভাইয়ের হত্যাকারীকে হত্যা করে মুরতাদ হয়ে মক্কায়
প্রত্যাবর্তন করে ৷ এ সম্পর্কে যে নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করে :
&
মর্মার্থ : মনের তৃপ্তি এই যে, সে নিচু ভুমিতে রাত্রিকালে আসন গ্রহণ করেছে যে, তার
ঘাড়ের রক্ত সিক্ত করছিল তার বস্ত্রকে ৷
তার মৃত্যুর পুর্বে মনের চিন্তা আমাকে তিরস্কার করছিল আর বারণ করছিল নরম শয্যায় শয়ন
করতে ৷
আমি তাকে অতিক্রম করেছি আর তুমিতাে দেখতে পাচ্ছ; আর আমি পেয়েছি আমার
প্ৰতিশোধ আর আমি ছিলাম মুর্তির দিকে সবাগ্রে প্রত্যাবর্ত্যকাবী ৷
আমি তার নিকট থেকে বদলা মিয়েছি ফিহরের আর বনু নাজ্জারের দুর্গ ফারি এর মালিকের
নিকট থেকে অর্জন করেছি তার রক্তপণও ৷
আমি বলি যে , এ মিক্য়াস ছিল সে চার ব্যক্তির অন্যতম, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যাদেরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা যদি কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে থাকে তবু ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : লোকেরা তখনো সে কুপের নিকট অবস্থান করছিল ৷ এ সময়
কিছু লোকের আগমন ঘটে (পানি নেয়ার জন্য) উমর ইবনুল খাত্তাবের সঙ্গে তার মজুর জাহ্জাহ্ও
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ بَعْضَ جُمَادَى الْآخِرَةِ، وَرَجَبًا، ثُمَّ غَزَا بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ فِي شَعْبَانَ، سَنَةَ سِتٍّ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا ذَرٍّ الْغِفَارِيَّ، وَيُقَالُ: نُمَيْلَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيُّ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، كُلٌّ قَدْ حَدَّثَنِي بَعْضَ حَدِيثِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، قَالُوا: بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ بَنِي الْمُصْطَلِقِ يَجْمَعُونَ لَهُ، وَقَائِدُهُمُ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي ضِرَارٍ، أَبُو جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الَّتِي تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ هَذَا، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ خَرَجَ إِلَيْهِمْ، حَتَّى لَقِيَهُمْ عَلَى مَاءٍ مِنْ مِيَاهِهِمْ يُقَالُ لَهُ: الْمُرَيْسِيعُ. مِنْ نَاحِيَةِ قُدَيْدٍ إِلَى السَّاحِلِ، فَتَزَاحَمَ النَّاسُ وَاقْتَتَلُوا، فَهَزَمَ اللَّهُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، وَقَتَلَ مَنْ قَتَلَ مِنْهُمْ، وَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْنَاءَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، فَأَفَاءَهُمْ عَلَيْهِ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ شَعْبَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ فِي سَبْعِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ، وَكَانُوا حُلَفَاءَ بَنِي مُدْلِجٍ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِمْ دَفَعَ رَايَةَ الْمُهَاجِرِينَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَيُقَالُ: إِلَى عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَرَايَةَ الْأَنْصَارِ إِلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، ثُمَّ أَمَرَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَنَادَى فِي النَّاسِ، أَنْ قُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. تَمْنَعُوا بِهَا أَنْفُسَكُمْ،
পৃষ্ঠা - ৩০৪৪
وَأَمْوَالَكُمْ. فَأَبَوْا، فَتَرَامَوْا بِالنَّبْلِ، ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ فَحَمَلُوا حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَمَا أَفْلَتَ مِنْهُمْ رَجُلٌ وَاحِدٌ وَقُتِلَ مِنْهُمْ عَشَرَةٌ، وَأُسِرَ سَائِرُهُمْ، وَلَمْ يُقْتَلْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا رَجُلٌ وَاحِدٌ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، قَالَ: «كَتَبْتُ إِلَى نَافِعٍ أَسْأَلُهُ عَنِ الدُّعَاءِ قَبْلَ الْقِتَالِ، فَقَالَ: قَدْ أَغَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَهُمْ غَارُّونَ، وَأَنْعَامُهُمْ تُسْقَى عَلَى الْمَاءِ، فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ، وَسَبَى سَبْيَهُمْ، فَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ - أَحْسَبُهُ قَالَ: - جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ» وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بِذَلِكَ، وَكَانَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ أُصِيبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: هِشَامُ بْنُ صُبَابَةَ أَصَابَهُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ مِنَ الْعَدُوِّ، فَقَتَلَهُ خَطَأً.
وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أَخَاهُ مِقْيَسَ بْنَ صُبَابَةَ قَدِمَ مِنْ مَكَّةَ مُظْهِرًا لِلْإِسْلَامِ، فَطَلَبَ دِيَةَ أَخِيهِ هِشَامٍ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ لِأَنَّهُ قُتِلَ خَطَأً، فَأَعْطَاهُ دِيَتَهُ، ثُمَّ مَكَثَ يَسِيرًا، ثُمَّ عَدَا عَلَى قَاتِلِ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ، وَرَجَعَ مُرْتَدًّا إِلَى مَكَّةَ، وَقَالَ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৩০৪৫
ছিল ৷ জাহজাহ ইবন মাসৃউদ ঘোড়ার রশি টেনে চলেছিল ৷ এসময় জাহজাহ গিফারী এবং সিনান
ইবন ওবর জুহানীর সংঘর্ষ বাধে ৷ সিনান ইবন ওবর জুহানী ছিলেন বনুআওফ ইবনুল খায্রাজের
মিত্র ৷ উভয়ের মধ্যে সংঘাত শুরু হলে জুহানী চিৎকার দিয়ে বলে : হে আনসার দল আর
জাহজাহ চিৎকার দিয়ে বলে হে মুহাজির দল! এতে আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল ক্রুদ্ধ রুষ্ট
ও ক্ষিপ্ত হয় ৷ তার সঙ্গে ছিল তার দলের কিছু লোক ৷ এদের মধ্যে ;যায়দ ইবন আরকাম নামে
জনৈক তরুণও ছিলেন ৷ ইবনে উবাই বলে ওঠে ! এরা এমন কাণ্ড করছে! এরা আমাদের মধ্যে
ঘৃণার উদ্রেক করছে আর আমাদের শহরে আমাদের উপর সংথ্যাধিকদ্বু৷ বলে যাহির করছে ৷
আল্লাহর কসম ! আমাদের এবং কুরাইশী বিদেশীদের দৃষ্টান্ত এমন, যেমন আরবী ভাষায় বলা হয় :
ছুন্ৰু;টু
কুকুরকে খইিয়ে-দাইরে পুষ্ট কর তারপর সে তোমাকে সাবাড় করবে ৷ সে আরো বলে :
আল্লাহর কসম ! আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথাকার সম্মানিতরা হীন তৃচ্ছদেরকে
অবশ্যই বহিস্কার করবে ৷
অতঃপর সে তার দলের উপস্থিত লোকদের প্রতি লক্ষ্য করে বলে :
“এ কান্ডতো তোমরা নিজেরা সৃষ্টি করেছ ৷ তোমরা নিজেদের শহরে তাদেরকে স্থান দান
করেছ, নিজেদের ধন-সম্পদ তাদেরকে বণ্টন করে দিরেছ ৷ আল্লাহ্র কসম , ণ্তামাদের হাতে যা
আছে তোমরা তা সংরক্ষণ করে নিলে তারা তোমাদের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাবে ৷ যায়দ
ইবন আরকাম এ কথাগুলো শুনে রাসুল (সা)-কে তা অবহিত করেন ৷ এসময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর নিকট হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবও উপস্থিত ছিলেন ৷ তখন হযরত উমর (রা) বললেন :
আব্বাদ ইবন বিশৃরকে আদেশ করুন সে যেন তাকে হত্যা করে ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন :
“হে উমর এটা কেমন করে হতে পড়ার ? লোকে বলাবলি করবে মুহাম্মাদ তার সঙ্গি-
সাথীদেরকে হত্যা করা শুরু করছে ৷ এটা ঠিক নয় ৷ তবে এখন আমি প্রস্থানের নির্দেশ দিচ্ছি,
এটা ছিল এমন সময় সাধারণত রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে সময় সফর করতেন না ৷ তাই লোকেরা
প্রস্থান করে ৷ আবদৃল্লাহ্ ইবন উবাই ইবন সালুল জানতে পারে যে, যায়দ ইবন আরকাম যা কিছু
শুনেছিলেন বা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে অবহিত করেছেন ৷ তখন সে শপথ করে বলেন যে, সে
আপনাকে যে কথা বলেছেন তেমন কথা আমি বলিনি ৷ সে ছিল স্বজাতির মধ্যে সঘ্রহ্ন্ত এবং
নেতৃস্থানীয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আনসারদের মধ্যেকার যারা উপস্থিত ছিলেন তারা বললেন
৪ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! হতে পারে বালকটি বলতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছে ৷ সোকটি যা বলেছে তা
হয়ত স্মৃতিতে ধরতে পারেনি ৷ একথাগুলো তারা বলেছিলেন দয়াপরবশ হয়ে এবং তার মুখ
রক্ষার উদ্দেশ্যে! রাসুলুল্লাহ্ (সা) সুস্থির হয়ে যখন রওয়ানা হলেন তখন রাস্তায় উসায়দ ইবন
হুযইির এর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় ৷ সালাম দিয়ে তিনি আরব করলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ৷ আপনি
অসময় রওয়ানা করেছেন, এমন অসময়তো সাধারণত আপনি রওয়ানা করেন না ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্
(সা) তাকে বললেন : তোমরা কি জানা নেই যে, তোমাদের সঙ্গীটি কী বলেছে ? তিনি জিজ্ঞেস
شَفَى النَّفْسَ أَنْ قَدْ بَاتَ بِالْقَاعِ مُسْنَدًا ... يُضَرِّجُ ثَوْبَيْهِ دِمَاءُ الْأَخَادِعِ
وَكَانَتْ هُمُومُ النَّفْسِ مِنْ قَبْلِ قَتْلِهِ ... تُلِمُّ فَتَحْمِينِي وِطَاءَ الْمَضَاجِعِ
حَلَلْتُ بِهِ وِتْرِي وَأَدْرَكْتُ ثُؤْرَتِي ... وَكُنْتُ إِلَى الْأَوْثَانِ أَوَّلَ رَاجِعِ
ثَأَرْتُ بِهِ فِهْرًا وَحَمَّلْتُ عَقْلَهُ ... سَرَاةَ بَنِي النَّجَّارِ أَرْبَابَ فَارِعِ
قُلْتُ: وَلِهَذَا كَانَ مِقْيَسٌ هَذَا مِنَ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ أَهْدَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ دِمَاءَهُمْ، وَإِنْ وُجِدُوا مُعَلَّقِينَ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «فَبَيْنَا النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ الْمَاءِ، وَرَدَتْ وَارِدَةُ النَّاسِ، وَمَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَجِيرٌ لَهُ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، يُقَالُ لَهُ: جَهْجَاهُ بْنُ مَسْعُودٍ. يَقُودُ فَرَسَهُ، فَازْدَحَمَ جَهْجَاهُ، وَسِنَانُ بْنُ وَبَرٍ الْجُهَنِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ، عَلَى الْمَاءِ، فَاقْتَتَلَا، فَصَرَخَ الْجُهَنِيُّ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ. وَصَرَخَ جَهْجَاهُ: يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ. فَغَضِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ، وَعِنْدَهُ رَهْطٌ مِنْ قَوْمِهِ، فِيهِمْ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ؛ غُلَامٌ حَدَثٌ، فَقَالَ: أَوَقَدْ فَعَلُوهَا؟ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৬
نَافَرُونَا، وَكَاثَرُونَا فِي بِلَادِنَا، وَاللَّهِ مَا أَعُدُّنَا وَجَلَابِيبَ قُرَيْشٍ هَذِهِ، إِلَّا كَمَا قَالَ الْأَوَّلُ: سَمِّنْ كَلْبَكَ يَأْكُلْكَ. أَمَا وَاللَّهِ، لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لِيُخْرِجِنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى مَنْ حَضَرَهُ مِنْ قَوْمِهِ فَقَالَ: هَذَا مَا فَعَلْتُمْ بِأَنْفُسِكُمْ؛ أَحْلَلْتُمُوهُمْ بِلَادَكُمْ، وَقَاسَمْتُمُوهُمْ أَمْوَالَكُمْ، أَمَا وَاللَّهِ لَوْ أَمْسَكْتُمْ عَنْهُمْ مَا بِأَيْدِيكُمْ؛ لَتَحَوَّلُوا إِلَى غَيْرِ دَارِكِمْ فَسَمِعَ ذَلِكَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، فَمَشَى بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَلِكَ عِنْدَ فَرَاغِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَدُوِّهِ، فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، وَعِنْدَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: مُرْ بِهِ عَبَّادَ بْنَ بِشْرٍ فَلْيَقْتُلْهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَكَيْفَ يَا عُمَرُ، إِذَا تَحَدَّثَ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ، لَا، وَلَكِنْ أَذِّنْ بِالرَّحِيلِ " وَذَلِكَ فِي سَاعَةٍ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْتَحِلُ فِيهَا، فَارْتَحَلَ النَّاسُ وَقَدْ مَشَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ قَدْ بَلَّغَهُ مَا سَمِعَ مِنْهُ، فَحَلَفَ بِاللَّهِ: مَا قُلْتُ مَا قَالَ، وَلَا تَكَلَّمْتُ بِهِ. وَكَانَ فِي قَوْمِهِ شَرِيفًا عَظِيمًا، فَقَالَ مَنْ حَضَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ عَسَى أَنْ يَكُونَ الْغُلَامُ أَوْهَمَ فِي حَدِيثِهِ، وَلَمْ يَحْفَظْ مَا قَالَ الرَّجُلُ. حَدَبًا عَلَى ابْنِ أُبَيٍّ وَدَفْعًا عَنْهُ. فَلَمَّا اسْتَقَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَارَ، لَقِيَهُ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ، فَحَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ النُّبُوَّةِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ رُحْتَ فِي سَاعَةٍ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৭
করলেন, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্! কোন সঙ্গী ? বললেন, আবদুল্লাহ ইবন উবইি ৷ তিনি জানতে চাইলেন,
কী বলেছে সে ? বললেন : তার ধারণা সে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে সম্মানিতরা তথা থেকে
হীনদেরকে বের করে দেবে ৷ তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি ইচ্ছা করলে তাকে বের
করে দিতে পারেন ৷ আল্লাহর শপথ ! আপনি হলেন সম্মানিত আর সে হলো হীন ৷ অতঃপর তিনি
আরয করলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তার সঙ্গে কোমল আচরণ করুন ৷ আল্লাহর কসম, আল্লাহ
আপনাকে এমন সময় আমাদের নিকট উপস্থিত করেছেন যখন তার জাতি তাকে মুকুট পরাবার
আয়োজন করেছিল ৷ তার ধারণা, আপনি তার বাদশাহী ছিনিয়ে নিয়েছেন ৷ তারপর বাসুলুল্লড়াহ্ (সা)
লোকজন নিয়ে চলতে থাকেন সকাল থেকে সন্ধ্য৷ , আবার সন্ধাড়া থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো
দিবা-রাত্র এবং পরদিন দুপুরে সুর্য তাপ ভীব্রে না হওয়া পর্যন্ত ৷ তারপর তিনি লোকজনকে নিয়ে
অবতরণ করেন এবং মাটির স্পার্ণ লাভ মাত্র তারা ঘুমিয়ে পড়েন ৷ অবশ্য তিনি এটা করেন এজন্য
যাতে লোকেরা আবদুল্লাহ ইবন উবাই-এর গতকালকের ঘটনা নিয়ে আলোচনায় লিপ্ত না হয়ে
পড়েন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজাযের পথ ধরে অগ্রসর হতে থাকেন এবং নাকী এর কিছুটা
উচুতে অবস্থিত বুকআ কুপের নিকট অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ রাসুল (সা) যখন সেখানে অবস্থান
গ্রহণ করেন তখন প্রচন্ড বায়ু প্রবাহিত হয় ৷ এতে ণ্লাকজনের কষ্ট হয় এবং তারা ভীত হয়ে
পড়লে তিনি (সা) বললেন :
“ তোমরা এতে ভীত হয়ে না; কাফিরদের একজন বড় নেতার মৃত্যুতে এ ঝঞা বায়ু প্রবাহিত
হয়েছে ৷ মদীনা উপনীত হয়ে তারা জানতে পারেন যে, বনু কায়নুকা এর অন্যতম নেতা রিফাআ
ইবন যায়দ ইবন তাবুত এ দিন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে ৷ সে ছিল অন্যতম প্রধান ইহুদী নেতা
এবং মুনাফিকদের আশ্রয় দাতা ৷ মুসা ইবন উকবা এবং ওয়াকিদী (র) এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
আর ইমাম মুসলিম (র) ও আমাশ সুত্রে জাবির থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি মৃত্যু
বরণকারী মুনাফিকের নাম উল্লেখ করেননি ৷ তিনি এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, নবী করীম
(সা ) এর কোন এক সফর কালে তীরে বায়ু প্রবাহিত হলে তিনি বলেছিলেন : জনৈক ঘুনাফিকের
মৃত্যুতে এ বায়ু প্রবাহিত হয়েছে ৷ আমরা মদীনায় উপনীত হয়ে অন্যতম প্রধান মুনাফিকের মৃত্যু
সম্পর্কে অবগত হই ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উবাই এবং অনুরুপ
মুনড়াফিক প্রসঙ্গে সুরা মুনাফিকুন নাযিল হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন আরকামের কানে ধরে
বলেন যে এ হচ্ছে যে ব্যক্তি, যে আল্লাহর খাজির যা কর্ণে শ্রবণ করেছে তা-ই বর্ণনা করেছে ৷
আমি বলি, এ বিষয়ে আমাদের তাফসীর গ্রন্থে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ এখানে তার
পুনঃউল্লেখ নিম্প্রয়ােজন এবং যায়দ ইবন আরকামের মাধ্যমে বর্ণিত এ হাদীছের সুত্র সম্পর্কেও
আমরা সেখানে আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা ও স্তব-ন্তুতি আল্লাহর জন্য ৷ আগ্রহী পাঠক
সেখানে দেখে নিতে পারেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুলের পুত্র আবদুল্লাহ (বা) রাসুল (না)-এর
দরবারে হাযির হয়ে আরয করলেন ও
ইয়া রাসুলাল্লাহ ! (আমার পিতা) আবদুল্লাহ ইবন উবইি আপনাকে যে কষ্ট দিয়েছে ৷ আমি
জানতে পারলাম যে, সে জন্য আপনি তাকে হত্যা করতে মনস্থু করেছেন ৷ যদি তাই হয় তবে
مُنْكَرَةٍ، مَا كُنْتَ تَرُوحُ فِي مِثْلِهَا. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَمَا بَلَغَكَ مَا قَالَ صَاحِبُكُمْ؟ ". قَالَ: أَيُّ صَاحِبٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ". قَالَ: وَمَا قَالَ؟ قَالَ: " زَعَمَ أَنَّهُ إِنْ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ؛ أَخْرَجَ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ ". قَالَ: فَأَنْتَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخْرِجُهُ إِنْ شِئْتَ، هُوَ وَاللَّهِ الذَّلِيلُ وَأَنْتَ الْعَزِيزُ. ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ارْفُقْ بِهِ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ جَاءَنَا اللَّهُ بِكَ، وَإِنَّ قَوْمَهُ لِيَنْظِمُونَ لَهُ الْخَرَزَ لِيُتَوِّجُوهُ، فَإِنَّهُ لَيَرَى أَنَّكَ قَدِ اسْتَلَبْتَهُ مُلْكًا. ثُمَّ مَشَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ حَتَّى أَمْسَى، وَلَيْلَتَهُمْ حَتَّى أَصْبَحَ، وَصَدْرَ يَوْمِهِمْ ذَلِكَ حَتَّى آذَتْهُمُ الشَّمْسُ، ثُمَّ نَزَلَ بِالنَّاسِ، فَلَمْ يَلْبَثُوا أَنْ وَجَدُوا مَسَّ الْأَرْضِ، فَوَقَعُوا نِيَامًا، وَإِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ لِيَشْغَلَ النَّاسَ عَنِ الْحَدِيثِ الَّذِي كَانَ بِالْأَمْسِ؛ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ، ثُمَّ رَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ، وَسَلَكَ الْحِجَازَ، حَتَّى نَزَلَ عَلَى مَاءٍ بِالْحِجَازِ فُوَيْقَ النَّقِيعِ، يُقَالُ لَهُ: بَقْعَاءُ. فَلَمَّا رَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَبَّتْ عَلَى النَّاسِ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَآذَتْهُمْ وَتَخَوَّفُوهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَخَوَّفُوهَا؛ فَإِنَّمَا هَبَّتْ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنْ عُظَمَاءِ الْكُفَّارِ ". فَلَمَّا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ وَجَدُوا رِفَاعَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ التَّابُوتِ، أَحَدَ بَنِي قَيْنُقَاعَ، - وَكَانَ عَظِيمًا مِنْ عُظَمَاءِ يَهُودَ، وَكَهْفًا لِلْمُنَافِقِينَ - مَاتَ ذَلِكَ الْيَوْمَ» وَهَكَذَا ذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৮
مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَالْوَاقِدِيُّ.
وَرَوَى مُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ نَحْوَ هَذِهِ الْقِصَّةِ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يُسَمِّ الَّذِي مَاتَ مِنَ الْمُنَافِقِينَ، قَالَ: «هَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، فَقَالَ: " هَذِهِ لِمَوْتِ مُنَافِقٍ ". فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ، إِذَا هُوَ قَدْ مَاتَ عَظِيمٌ مِنْ عُظَمَاءِ الْمُنَافِقِينَ» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَتِ السُّورَةُ الَّتِي ذَكَرَ اللَّهُ فِيهَا الْمُنَافِقِينَ؛ فِي ابْنِ أُبَيٍّ، وَمَنْ كَانَ عَلَى مِثْلِ أَمْرِهِ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُذُنِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، وَقَالَ: «هَذَا الَّذِي أَوْفَى لِلَّهِ بِأُذُنِهِ» .
قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفْسِيرِهَا بِتَمَامِهَا؛ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، وَسَرَدْنَا طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، فَمَنْ أَرَادَ الْوُقُوفَ عَلَيْهِ، أَوْ أَحَبَّ أَنْ يَكْتُبَهُ هَاهُنَا، فَلْيَطْلُبْهُ مِنْ هُنَاكَ، وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُرِيدُ قَتْلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ، فِيمَا بَلَغَكَ عَنْهُ، فَإِنْ كُنْتَ فَاعِلًا فَمُرْنِي بِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩০৪৯
আপনি আমাকে নির্দেশ দিন, আমি আপনার সম্মুখে তার মস্তক হাযিব করবো আল্লাহ কলম!
খাঘৃরাজ গোত্র (ভাল করেই) আসে যে তাদের মধ্যে পিার প্রতি আমার চেয়ে বেশী ৷শ্রদ্ধাশীল
কোন ব্যক্তি নেই ৷ আমার আশংকা হচ্ছে আপনি আমি ছাড়া অপর কোন ব্যক্তিকে তাকে হত্য’ণ্
করার নির্দেশ দিলে আর সে ব্যক্তি তাকে হত্যা করবে ৷ আমার পিতার হভ্যাকারীকে আমি
যমীনের বুকে চলাফেরা করতে দেখে তাকে হত্যা করবো ৷ আর এভাবে একজন কাফির এর
বদলড়ায় একজন মু’মিনকে হত্যা করে আমি জাহান্নামী হবো অন্তত আমার এমন অবস্থা হতে
আপনি দেবেন না ৷
তার এ নিবেদনের জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
না বরং আমরা তার সঙ্গে কোমল আচরণ করবো এবং সে যত ন আমা;দর সঙ্গে অবস্থান
করে আমরা তার সঙ্গে সদাচার করবো ৷ এরপর যখনই কোন ঘটনা ঘটার্দ্রতা, তার জাতির
সােকেরাই তাকে শাসাতো, হুমকি দিত এবং উমা প্রকাশ করতো ৷ তাদের এ অবস্থা জান্তে
পেরে ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবকে বললেন ১০
হে উমর ! কী মনে হয় দ্রু আল্লাহর কলম, সে দিন তুমি বলেছিলে সেদিন আমি যদি তাকে
হত্যা করতাম তবে অনেকেই নাক সিটকাং তা, আজ যদি তাকে হত্যা করা র নির্দেশ দেই তবে
অবশ্যই তাকে হত্যা করবে ৷ তখন হযর৩ তউমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বললেন :
আল্লাহর কলম, আমি জানতাম যে, আমার কথার চেয়ে রাসুল (না)-এর কথা অনেক
বরকতময় ৷ ইকরামা ও টুবৃন যায়দ প্রমুখ উল্লেখ করেন যে, ৩দীয় পুত্র আবদুল্পহ (রা) মদীনায়
একটি স০ কীর্ণ গলিতে তা আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল এর সম্মুখে দাড়িয়ে বলেন ৷
দাড়ান রাসুলুল্লাহ্ ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত আপনি মদীনায় প্রবেশ করতে
পারবেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুমতি দান করলে৩ তার তিনি তাকে পথ ছেড়ে দেন এর :সে
মদীনায় প্রবেশ করে ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : এ যুদ্ধে বনু মুস্তালিকের বেশ কিছু লোক আহত ও বন্দী হয় ৷
আলী ইবন আবুত৷ ৷লিব (বা) তাদের দৃব্যক্তি মালিক এবংত ৷র পুত্রকে হত্যা করেন ৷ ইবন হিশাম
(র) বলেনং এ যুদ্ধে মুসলমানদের সংকেত ধ্বনি ছিল এ ৷ ;০৷ প্রু টু;ষ্টুশু ;
ইবন ইসহাক আরো বলে ৷ যে, এ যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের অনেককে রক্ষা করে
মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করেন ৷
বুখারী (র) কুতায়বা ইবন সাঈদ ইবন মুহাইরীয সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি
মসজিদে প্রবেশ করে আবু সাঈদ থুদরীকে দেখতে পেয়ে তার পাশে বসলাম ৷ আয্ল সম্পর্কে
তাকে জিজ্ঞেস করলে আবু সাঈদ (রা ) বললেন : বনুমুস্তালিক যুদ্ধে আমরা রাসুল (না)-এর সঙ্গে
বের হলাম ৷ আমরা আরবদের অনেককে বন্দী করলাম ৷ নারীর প্রতি আমাদের আসক্তি আগে
এবং নারী বিহীন জীবন যাপন করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে ৷ তাই আযল করাই আমরা
পসন্দ করলাম ৷ আমরা বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো আমাদের সম্মুখেই আছেন; তাকে জাি, জ্ঞস
না করেই আমরা আযল করবো ? তাই এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন :
فَأَنَا أَحْمِلُ إِلَيْكَ رَأْسَهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَتِ الْخَزْرَجُ؛ مَا كَانَ بِهَا مِنْ رَجُلٍ أَبَرَّ بِوَالِدِهِ مِنِّي، وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ تَأْمُرَ بِهِ غَيْرِي فَيَقْتُلَهُ، فَلَا تَدَعُنِي نَفْسِي أَنْ أَنْظُرَ إِلَى قَاتِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ يَمْشِي فِي النَّاسِ، فَأَقْتُلَهُ، فَأَقْتُلَ مُؤْمِنًا بِكَافِرٍ، فَأَدْخُلَ النَّارَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ نَتَرَفَّقُ بِهِ وَنُحْسِنُ صُحْبَتَهُ مَا بَقِيَ مَعَنَا. وَجَعَلَ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا أَحْدَثَ الْحَدَثَ؛ كَانَ قَوْمُهُ هُمُ الَّذِينَ يُعَاتِبُونَهُ وَيَأْخُذُونَهُ، وَيُعَنِّفُونَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، حِينَ بَلَغَهُ ذَلِكَ مِنْ شَأْنِهِمْ: " كَيْفَ تَرَى يَا عُمَرُ أَمَا وَاللَّهِ لَوْ قَتَلْتُهُ يَوْمَ قُلْتَ لِيَ: اقْتُلْهُ، لَأَرْعَدَتْ لَهُ آنُفٌ، لَوْ أَمَرْتُهَا الْيَوْمَ بِقَتْلِهِ لَقَتَلَتْهُ ". فَقَالَ عُمَرُ: قَدْ وَاللَّهِ عَلِمْتُ؛ لَأَمْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْظَمُ بَرَكَةً مِنْ أَمْرِي.»
وَقَدْ ذَكَرَ عِكْرِمَةُ وَابْنُ زَيْدٍ وَغَيْرُهُمَا، أَنَّ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَفَ لِأَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ عِنْدَ مَضِيقِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: قِفْ، فَوَاللَّهِ لَا تَدْخُلْهَا حَتَّى يَأْذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ. فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَأْذَنَهُ فِي ذَلِكَ، فَأَذِنَ لَهُ، فَأَرْسَلَهُ حَتَّى دَخَلَ الْمَدِينَةِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأُصِيبَ يَوْمَئِذٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ نَاسٌ، وَقَتَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنْهُمْ رَجُلَيْنِ؛ مَالِكًا وَابْنَهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ شِعَارُ الْمُسْلِمِينَ: يَا مَنْصُورُ، أَمِتْ أَمِتْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابَ مِنْهُمْ سَبْيًا
পৃষ্ঠা - ৩০৫০
كَثِيرًا، فَقَسَمَهُمْ فِي الْمُسْلِمِينَ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ، فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْعَزْلِ، فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ، فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ، وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزُوبَةُ، وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ، وَقُلْنَا: نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا، قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ. فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: " مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ» وَهَكَذَا رَوَاهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فِيمَنْ أُصِيبَ يَوْمَئِذٍ مِنَ السَّبَايَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبَايَا بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَقَعَتْ جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ فِي السَّهْمِ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، أَوْ لِابْنِ عَمٍّ لَهُ، فَكَاتَبَتْهُ عَلَى نَفْسِهَا، وَكَانَتِ امْرَأَةً حُلْوَةً مُلَّاحَةً، لَا يَرَاهَا أَحَدٌ إِلَّا أَخَذَتْ بِنَفْسِهِ، فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِتَسْتَعِينَهُ فِي كِتَابَتِهَا. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُهَا
পৃষ্ঠা - ৩০৫১
তোমরা আনৃল না করলেও কিছু যায় আসে না ৷ কিয়ামত পর্যন্ত ও প্রাণী আলবাব আছে সে
অবশ্যই আসবে ৷ কেউ তার আগমন ঠেকাতে পারবে না ৷ তিনি অনুরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : সেদিন যাদেরকে বন্দী করা হয় তাদের মধ্যে জুয়াইরিয়া বিনৃত
হ্ারিছ ইবন আবুযিরার)ও ছিলেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন জা“ফর আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু মুন্তালিকের বন্দীদেরকে বণ্টন করলে জ্বয়ইিরিয়া বিনতুল হারিছ সাবিত
ইবন কায়স ইবন শাম্মাস অথবা তার চাচাত ভাইয়ের ভাগে পড়েন ন্ জুয়াইরিয়া নিজের জন্য
মুক্তিপণ নির্ধারণ করিয়ে নেয় ৷ আর ইনি ছিলেন এক লাবণ্যময়ী মহিলা ৷ যে কেউ তাকে দেখলে
মনে দাগ কাটতো ৷ তিনি রাসুলুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করে মুক্তিপণ পরিশ্যেধে তার
সাহায্য কামনা করেন ৷ আইশা (রা) বলেন : আল্লাহ্ কসম ! আমার ছুজরার দ্বারে তাকে দেখে
আমি পসন্দ করতে পারিনি ৷ আমি বুঝতে পারলাম যে, আমি তার (সৌন্দর্যের) যা দেখতে পাচ্ছি
রাসুল (মা) ও তা অচিরেই দেখতে পাবেন ৷ তিনি বাসৃলুল্লাহ্র (না) সম্মুখে উপস্থিত হয়ে আরয
করলেন ;
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি জুয়াইরিয়া বিনৃত হারিছ ইবন আবু যিরার ৷ আমার পিতা সম্প্রদায়ের
নেতা ৷ আমি এমন বিপদে পতিত হয়েছি , যা আপনার কাছে গোপন নেই ৷ আমি ছাবিত ইবন
কায়স ইবন শাম্মাস অথবা তার চাচাত ভাইয়ের হিস্যায় পড়ি এবং নিজেকে মুক্ত করার জন্য তার
সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ৷ চুক্তির দায় শোধ করার জন্য আপনার নিকট সাহায্য চাইতে এসেছি ৷
জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমার জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু করা হলে ? তিনি বললেন :
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ত্ত তা কী? রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন : আমি তোমার মুক্তিপণ পরিশোধ করে
তোমাকে বিবাহ করবো ৷ তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি কবুল করলাম ৷ রাবী হযরত
আইশা (রা) বলেন : লোকজনের নিকট খবর পৌছে গেল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) , জুয়াইরিয়া বিনৃত
হারিছকে বিবাহ করেছেন ৷ তখন লোকেরা বলে : এরা হল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শ্বশুর গোষ্ঠী
তখন তারা আনন্দিত হয়ে ঐ বংশের দাসদেরকে মুক্ত করে দেন ৷ রাবী হযরত আইশা (রা) বলেন
চ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক জুয়াইরিয়াকে বিয়ে করার ফলে তাদের মধ্যে বনু মুন্তালিকের একশ
পরিবার আযাদ হয়ে যায় ৷ জানামতে জুয়ইিরিয়ার চাইতে নিজের সম্প্রদায়ের জন্য বেশী বরকতময়
আর কোন নারী আছে বলে আমার জানা নেই ৷
অতঃপর ইবন ইসহাক (র) বনু মুস্তালিক যুদ্ধ প্রসঙ্গে ইফ্ক তথা অপবাদ আরোপের
বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করেন ৷ অনুরুপভাবে ইমাম বুখারী (র) প্রমুখ মনীষীও ইফ্কের ঘটনা বর্ণনা
করেন ৷ তাফসীর গ্রন্থে সুরা নুর-এর তাফ্সীর প্রসঙ্গে এ বর্ণনার সকল সনদের বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে ৷ সেখানে লেখা যেতে পারে ৷
ওয়াকিদী হারাম সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন : হযরত জুয়াইরিয়ড়া বলেন যে,
নবী করীম (না)-এর আগমনের তিন দিন পুর্বে আমি স্বপ্নে দেখি যে, যেন চন্দ্র ইয়াছরিব থেকে
এসে আমার কোলে পতিত হয়েছে ৷ এ বিষয়ে কোন মানুষকে অবহিত করা আমি পসন্দ করিনি ৷
৩৮
عَلَى بَابِ حُجْرَتِي فَكَرِهْتُهَا، وَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَرَى مِنْهَا مَا رَأَيْتُ. فَدَخَلَتْ عَلَيْهِ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ سَيِّدِ قَوْمِهِ، وَقَدْ أَصَابَنِي مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ، فَوَقَعْتُ فِي السَّهْمِ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ - أَوْ لِابْنِ عَمٍّ لَهُ - فَكَاتَبْتُهُ عَلَى نَفْسِي، فَجِئْتُكَ أَسْتَعِينُكَ عَلَى كِتَابَتِي. قَالَ: " فَهَلْ لَكِ فِي خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ؟ ". قَالَتْ: وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَقْضِي عَنْكِ كِتَابَكِ، وَأَتَزَوَّجُكِ ". قَالَتْ: نَعَمْ، يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " قَدْ فَعَلْتُ ". قَالَتْ: وَخَرَجَ الْخَبَرُ إِلَى النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَزَوَّجَ جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ، فَقَالَ النَّاسُ: أَصْهَارُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلُوا مَا بِأَيْدِيهِمْ. قَالَتْ: فَلَقَدْ أُعْتِقَ بِتَزْوِيجِهِ إِيَّاهَا مِائَةُ أَهْلِ بَيْتٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، فَمَا أَعْلَمُ امْرَأَةً كَانَتْ أَعْظَمَ بَرَكَةً عَلَى قَوْمِهَا مِنْهَا» ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ الْإِفْكِ بِتَمَامِهَا فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ، وَكَذَلِكَ الْبُخَارِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، وَقَدْ حَرَّرْتُ طُرُقَ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ النُّورِ، فَلْيُلْحَقْ بِكَمَالِهِ إِلَى هَاهُنَا. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ৩০৫২
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا حَرَامٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَتْ جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ: رَأَيْتُ قَبْلَ قُدُومِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلَاثِ لَيَالٍ، كَأَنَّ الْقَمَرَ يَسِيرُ مِنْ يَثْرِبَ، حَتَّى وَقَعَ فِي حِجْرِي، فَكَرِهْتُ أَنْ أُخْبِرَ بِهِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ، حَتَّى قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا سُبِينَا رَجَوْتُ الرُّؤْيَا. قَالَتْ: فَأَعْتَقَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَزَوَّجَنِي، وَاللَّهِ، مَا كَلَّمْتُهُ فِي قَوْمِي، حَتَّى كَانَ الْمُسْلِمُونَ هُمُ الَّذِينَ أَرْسَلُوهُمْ، وَمَا شَعَرْتُ إِلَّا بِجَارِيَةٍ مِنْ بَنَاتِ عَمِّي تُخْبِرُنِي الْخَبَرَ، فَحَمِدْتُ اللَّهَ تَعَالَى. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَيُقَالُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ صَدَاقَهَا عِتْقَ كُلِّ أَسِيرٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ. وَيُقَالُ: جَعَلَ صَدَاقَهَا عِتْقَ أَرْبَعِينَ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ أَنَّ أَبَاهَا طَلَبَهَا وَافْتَدَاهَا، ثُمَّ خَطَبَهَا مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزَوَّجَهُ إِيَّاهَا.
পৃষ্ঠা - ৩০৫৩
অবশেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগমন করলেন ৷ আমরা যখন বন্দী হলাম তখন স্বপ্নের ব্যাখ্যার
আকাগ্রা জাগ্রত হয় ৷ হযরত জুয়াইরিয়া বলেন £ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে মুক্ত করে বিবাহ
করেন, আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে আমার সম্প্রদায় সম্পর্কে আমি কোন কথা
বলিনি ৷ মুসলমানরা নিজেরাই তাদেরকে আযাদ করেছেন ৷ আমার চাচাতো বোনের এক দাসীর
মাধ্যমে আমি এ বিষয়ে জানতে পেয়েছি ৷ সে আমাকে এ খবর দিলে আমি আল্লাহর শুকরিয়া
আদায় করি ৷ ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুয়াইরিয়ার মহর হিসাবে বনুমুস্তালিকের ৪০ জন
কে মুক্ত করেন ৷ মুসা ইবন উকবা বনু মুস্তালিক সুত্রে উল্লেখ করেন যে, তার পিতা তার খোজ
নেন এবং মুক্তিপণ দিয়ে তাকে মুক্ত করেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব
দিলে তার পিতা তাকে বাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর নিকট বিবাহ দেন ৷
হযরত আইশা (না)-এর প্রতি অপৰাদ আরোপের ঘটনা
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) অপবাদের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ংইব ন ইসহাক যুহরী সুত্রে
আলকামা — উবায়দৃল্লাহ্ইবন উতবা এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, এরা সকলেই আমাকে এ
ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন তবে তাদের মধ্যকার কিছু লোক ঘটনা বেশী স্মরণ রেখেছেন ৷ আর
লোকেরা আমাকে যা জানিয়েছেন তার সমস্ত আমি একত্র করেছি ৷ ইবন ইসহাক ইয়াহ্ইয়া ইবন
আব্বাদ সুত্রে আইশা (রা) থেকে এর আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর উমরা বিনৃত আবদুর
রহমান অইিশা সুত্রে এবং তিনি নিজের সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, অপৰাদ রটনাকাবীরা এ ব্যাপারে
যা বলার বলেছে ৷ এ ঘটনা বর্ণনায় সকলেই অন্তর্ভুক্ত আছেন তাদের কেউ কেউ এমন বর্ণনা
দিয়েছেন যা অন্যরা বর্ণনা করেননি ৷ আর এরা সকলেই নির্ভরযোগ্য এবং সকলেই হযরত আইশা
থেকে যা কিছু শুন্যেছন তড়া-ই বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আইশা (রা ) বলেন : রাসুলুল্লাহ্
(সা)সফরে গমনের অভিপ্রায় করলে (স্বভাবতই) তিনি ত্রীগণের মধ্যে লটারী করতেন ৷ এতে যার
নাম আসভাে , তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সফরে বের হতেন ৷ বনু মুস্তালিক যুদ্ধে বের হওয়ার সময়
ও তিনি সেই ব্যবস্থা অবলম্বন করেন ৷ এতে আমার নাম উঠে ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
সঙ্গে নিয়ে বের হন ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন : তখনকার দিনে নারীরা স্বল্প আহার করতেন ৷
ফলে যেদভুড়ি বৃদ্ধি দ্বারা নারীরা মোটা সোটা না হয়ে বরং হাল্কা হতেন ৷ আমার বাহন প্রস্তুত হলে
আমি হাওদায় বসে পড়ি ৷ এরপর আমার উটের চালকরা আগমন করলে তারা আমার হাওদা নীচ
দিয়ে ধরে উটের পিঠে রাখে এবং হাওদাকে উটের পিঠে সওয়ার করায় ৷ হাওদা রশি দিয়ে করে
বাধার পর তারা রওয়ড়ানা করতো ৷ হযরত আইশা (বা) বলেন : এ সফর শেষে বাসুলুল্লাহ্ (সা)
মদীনায় দিকে বওয়ানা করেন ৷ মদীনায় কাছে এসে একটা মনযিলে সকলে অবস্থান করেন এবং
রাত্রের কিছু অংশ সেখানে কাটান ৷ তারপর ঘোষক লোকদের মধ্যে ঘোষণা প্রচার করলে
সকলেই বওয়ানা হন ৷ আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজন বাইরে গিয়েছিলাম ৷ আমার গলায় ছিল ঝিনুকের
হার ৷ আমি যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে অবসর হই তখন আমার অজান্তে হারটি আমার গলা
থেকে পড়ে যায় ৷ আমি টেরই পাইনি ৷ আমি অবতরণস্থলে ফিরে এসে গলায় হাত দিয়ে দেখি
হার নেই ৷ এসময় লোকেরা বাহন যােগে রওয়ড়ানা হতে উদ্যত হয় ৷ যে স্থানে আমি হার ফেলে
এসেছিলাম ৷ আমি সেখানে ফিরে যাই এবং হারটি খুজে পাই ৷
[قِصَّةُ الْإِفْكِ]
وَهَذَا سِيَاقُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ لِحَدِيثِ الْإِفْكِ؛ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: كُلٌّ قَدْ حَدَّثَنِي بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ، وَبَعْضُ الْقَوْمِ كَانَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضٍ، وَقَدْ جَمَعْتُ لَكَ كُلَّ الَّذِي حَدَّثَنِي الْقَوْمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩০৫৪
ইতে ৷মধ্যে আমার বাহনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এসে পড়েন এবং বাহন প্ৰস্তত করে তারা
অবসর হয়ে যথারীতি আমি তাতে আছি মনে করে তারা হাওদা তুলে নেন ৷ উঠের পিঠে হাওদায়
আমি নেই এমন সন্দেহও তারা করেননি; তাই তারা সওয়ারীর লাপাম ধরে রওয়ানা হয়ে পড়েন ৷
অবতরণ স্থলে আমি ফিরে আসি; তখন সেখানে আহ্বানকারী আর সাড়াদানকারী কেউই নেই ৷
সকলেই রওয়ানা হয়ে গেছেন ৷ আমি সেখানে চাদর ঘুড়ি দিয়ে স্ব-স্থানে শুয়ে পড়ি এবং ধারণা
করি যে, তারা আমাকে খুজে না পেয়ে অবশ্যই আমার দিকে ফিরে আসবেন ৷ তিনি আরো
বলেন; আমি শুয়ে আছি এমন সময় সাফ্ওয়ান ইবন মুয়াত্তাল সুলামী আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম
করেন ৷ নিজের কোন প্রয়োজনে তিনি কাফেলার পেছনে ছিলেন ৷ তিনি লোকজনের সঙ্গে রাত্রি
যাপন করেননি এবং আমার অস্পষ্ট অবয়ব দেখে এগিয়ে আসেন এবং আমাকে দেখে চিনতে
পারেন ৷ কারণ, আমাদের উপর পদয়ি বিধান আমার পুর্বে তিনি আমাকে দেখেছিলেন ৷ আমাকে
দেখে তিনি ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন পাঠ করে ণ্রুণ্;লন এ যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সহধর্মিণী আমি কাপড় ঘুড়ি দিয়ে ছিলাম ৷ তিনি বললেন, আল্লাহু আপনার প্রতি রহম করুন, কী
করে আপনি পেছনে রয়ে পেলেন ? আইশা বলেন : আমি তার সঙ্গে কোন কথা বলিনি ৷ এরপর
উট আমার কাছে এসে আরোহণ করতে বলে তিনি দুরে সরে দাড়ান ৷ তিনি বলেন, আমি উঠে
চড়লে তিনি উঠে লাগাম ধারণ করতঃ রওয়ানা করেন ৷ আল্লাহর কসম ভোর পর্যন্ত আমরা
কাফেলাকে ধরতে পারিনি এবং আমাকে কেউ তালাশও করেনি ৷৩ তারা অবতরণ স্থলে নির্বিকার
অবস্থান করছিলেন এমন সময় আমাকে নিয়ে লোকঢি সেখানে পৌছেন তখন অপবাদ
রটনাকা রীরা যা বলার তা বলে এবং বাহিনীতে ভৈহাচ পড়ে গেল ৷ আল্লাহ্র কসম এসবের কিছুই
আমি জানি না ৷ আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি এবং এসেই আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং
এতসবের কিছুই আমার কানে পৌছেনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) এবং আমার পিতামাতার কানে এসব
কথা পৌছলেও তারা অল্প বিস্তর কিছুই আমাকে জা ৷নাননি ৷ অবশ্য আমার সঙ্গে রাসুল (সা ) ৷হাসি
তামাশা আর কৌতু কে আমি কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করি ৷ আমি অসুস্থ হলেও তিনি দয়া আর
কোমলত৷ প্রদর্শন করতে ন ৷ কিন্তু আমার এবারের অসুস্থর্তায় তিনি তেমন কোমলত৷ প্রদর্শন
করেননি ৷ এবার তার পক্ষ থেকে আমি ব্যতিক্রম লক্ষ্য করলাম ৷ তিনি আমার কাছে আসেন আর র
আম্মাজান ১ আমার সেবার রত; তিনি কেবল বলতেন বাড়ীর লোক কেমন আছেন ? এর বেশী
কিছু বলতে তন না ৷ তিনি বলেনঃ এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হলাম এবং তার এরুপ আচরণ দেখে
আমি আরয করলাম ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) আপনি অনুমতি দান করলে আ ৷মি আমার মায়ের
নিকট চলে যাই ৷ তিনি আমার সেবা-যত্ন করবেন ৷ তিনি বললেন, অসুবিধা নেই ৷ হযরত ৩অইিশা
(বা) আরো বলেন : এরপর আমি মায়ের নিকট চলে যাই ৷ যা ঘটেছে সে সম্পর্কে আ ৷মি কিছুই
জানতাম না ৷ এক মাসের অসুখে আমি নিতান্ত দুর্বল হয়ে পড়ি ৷ আমরা আরবের লোকেরা
আজমী লোকদের মতো গৃহে শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখতাম না ৷ বরং এ ব্যবস্থাকে আমরা ঘৃণা
করতাম ৷ এজন্য আমরা মদীনার উপযুক্ত প্রান্তরে গমন করতাম আর নারীরা প্রাকৃতিক প্রয়োজনে
রাতের বেলা বাইরে গমন করতে ন ৷ একদা রাত্রিকালে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে আমি গৃহের বাইরে
১ সীরাতে ইবন হিা৷মে আছেং তিনি উম্মে রোমান, তার নাম যয়নব বিনৃত আব্দ দাহমান, বনু কিবাস
ইবন গনম ইবন মালিক ইবন কিনানার অন্যতম সদস্য ৷
عَائِشَةَ، عَنْ نَفْسِهَا حِينَ قَالَ فِيهَا أَهْلُ الْإِفْكِ مَا قَالُوا، فَكُلٌّ قَدْ دَخَلَ فِي حَدِيثِهَا، عَنْ هَؤُلَاءِ جَمِيعًا، يُحَدِّثُ بَعْضُهُمْ مَا لَمْ يُحَدِّثْ صَاحِبُهُ، وَكُلٌّ كَانَ عَنْهَا ثِقَةً، فَكُلُّهُمْ حَدَّثَ عَنْهَا بِمَا سَمِعَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ سَفَرًا أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ، فَأَيَّتُهُنَّ خَرَجَ سَهْمُهَا، خَرَجَ بِهَا مَعَهُ، فَلَمَّا كَانَ غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ، كَمَا كَانَ يَصْنَعُ، فَخَرَجَ سَهْمِي عَلَيْهِنَّ مَعَهُ، فَخَرَجَ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: وَكَانَ النِّسَاءُ إِذْ ذَاكَ يَأْكُلْنَ الْعُلَقَ، لَمْ يُهَبِّجْهُنَّ اللَّحْمُ فَيَثْقُلْنَ، وَكُنْتُ إِذَا رَحَلَ لِي بَعِيرِي جَلَسْتُ فِي هَوْدَجِي، ثُمَّ يَأْتِي الْقَوْمُ الَّذِينَ كَانُوا يُرَحِّلُونَ لِي، وَيَحْمِلُونَنِي فَيَأْخُذُونَ بِأَسْفَلِ الْهَوْدَجِ، فَيَرْفَعُونَهُ فَيَضَعُونَهُ عَلَى ظَهْرِ الْبَعِيرِ، فَيَشُدُّونَهُ بِحِبَالِهِ، ثُمَّ يَأْخُذُونَ بِرَأْسِ الْبَعِيرِ فَيَنْطَلِقُونَ بِهِ. قَالَتْ: فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سَفَرِهِ ذَلِكَ، وَجَّهَ قَافِلًا، حَتَّى إِذَا كَانَ قَرِيبًا مِنَ الْمَدِينَةِ نَزَلَ مَنْزِلًا، فَبَاتَ بِهِ بَعْضَ اللَّيْلِ، ثُمَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ بِالرَّحِيلِ، فَارْتَحَلَ النَّاسُ، وَخَرَجْتُ لِبَعْضِ حَاجَتِي، وَفِي عُنُقِي عِقْدٌ لِي، فِيهِ جَزْعُ ظَفَارٍ، فَلَمَّا فَرَغْتُ انْسَلَّ مِنْ عُنُقِي، وَلَا أَدْرِي فَلَمَّا رَجَعْتُ إِلَى الرَّحْلِ ذَهَبْتُ أَلْتَمِسُهُ فِي عُنُقِي، فَلَمْ أَجِدْهُ، وَقَدْ أَخَذَ النَّاسُ فِي الرَّحِيلِ، فَرَجَعْتُ إِلَى مَكَانِي الَّذِي ذَهَبْتُ إِلَيْهِ، فَالْتَمَسْتُهُ حَتَّى وَجَدْتُهُ، وَجَاءَ
পৃষ্ঠা - ৩০৫৫
গমন করি, আমার সঙ্গে ছিলেন আবু রহম ইবন মুত্তালিবের কন্যা উম্মু মিসৃতাহ ৷ হযরত আইশা
(রা) বলেন : আল্লাহ্র কসম ! উম্মু মিসৃতাহ আমার সঙ্গে হীটছিলেন ৷ এমন সময় চাদরের সঙ্গে
জড়িয়ে তিনি হোচট খেয়ে পড়ে যান এবং বলে উঠেন, মিসৃতাহর সর্বনাশ হোক ! (মিসৃতাহ ছিল
তার উপনাম , তার নাম ছিল আওফ) ৷ তিনি বলেন, তখন আমি বললড়াম, একজন যুহাজিরকে বদ
দোয়া দিয়ে তুমি অন্যায় করলে ৷ তিনিভাে বদর যুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেছেন ৷ তখন উম্মু মিসৃতাহ
বললেন ৷ হে আবু বকর তনয়া ! তুমি কি কিছুই খবর রাখনা ৷ আমি নললাম , কী খবর ? তখন
অপবাদ রটনাকারীদের কথাবার্তা সম্পর্কে তিনি আমাকে অবহিত করশ্লোন ৷ আমি রগ্যাম , এমন
ঘটনাই কি ঘটেছে ? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম , তইি ঘটেছে ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর কসম ,
এসব কথা শুনে আমি আর প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে পারিনি, বরং সেখ৷ ন থেকে ফিরে আসি ৷
আল্লাহর কসম, আমি অঝোরে কাদতে থাকি ৷ এমন কি আমার আশংকা হয় যে, কাদতে কাদতে
আমার কলিজা ফেটে যাবে ৷ তিনি বলেন, আমি আমার মাকে বললব্লে, আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা
করুন, লোকেরা নানা কথাবার্তা বলছে, আপনিতো তার কিছুই আমাকে জানাননি ৷
তিনি বললেন : স্নেহের তনয়া আমার ৷ ব্যাপারটাকে হাল্কাভাবে নাও ৷ কোন পুরুষের সুন্দরী
রমণী থাকবে ৷ পুরুষ তাকে ভালবাসার, তার সভীনও থাকবে তাহলে তার সম্পর্কে নারীরা
অনেক কিছু বলবে, অনেক কিছু অন্যান্য লোকেরাও বলবে, এমন না ঘটলে তা হবে বিরল
ঘটনা ৷ হযরত আইশা (বা) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ সময় দাড়িয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ
দান করেন ৷ এটাও আমি জানতাম না, ভাষণে তিনি বললেন :
লোকসকল ! লোকদের কী হয়েছে ? তারা আমার পরিবার সম্পর্কে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে ৷
তারা অসত্য কথা বলছে তাদের বিরুদ্ধে ৷ আল্লাহ্র কসম তাদের বিরুদ্ধে মঙ্গল ও কল্যাণ বৈ
কিছুই আমি জানিনা ৷ আর তারা এটা এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলছে যার সম্পর্কে ভাল ছাড়া
কিছুই আমার জানা নেই ৷ সে যখন আমার গৃহে প্রবেশ করে তখন সে আমার সঙ্গেই থাকে ৷
হযরত আইশা (বা) বলেন : মিসতাহ্ এবং হামনা বিনৃত জাহাশ বলেছে মুনাফিক সরদার
আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই ইবন সালুল খায্রাজীদের মধ্যে এ অপবাদ রটনায় প্রধান ভুমিকা পালন
করে ৷ আর এটা এ কারণে যে, তার বোন যয়নাব বিনৃত জাহাশ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শ্রী ছিলেন ৷
মর্যাদার তিনি ছাড়া নবীজীর অপর কোন শ্রী আমার সমকক্ষ ছিল না ৷ দীনদারীর কারণে যয়নাবকে
আল্লাহ্ রক্ষা করেছেন ৷ তইি তিনি ভাল ছাড়া কিছুই বলেননি ৷ আর হামনাতো একথা খুব প্রচার
করেছেন এবং বোনের কারণে তিনি আমাকে কষ্ট দেন ৷ এর ফলে তিনি হতভাগিনী হয়েছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ ভাষণের পর উসায়দ ইবন হুদায়র আরব করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্
(না) ! এ অপবাদ রটনাকারীরা যদি আওস গোত্রের হয়ে থাকে তা হলে আমরাই তাদেরকে
الْقَوْمُ خِلَافِي، الَّذِينَ كَانُوا يُرَحِّلُونَ لِيَ الْبَعِيرَ، وَقَدْ كَانُوا فَرَغُوا مَنْ رِحْلَتِهِ، فَأَخَذُوا الْهَوْدَجَ وَهُمْ يَظُنُّونَ أَنِّي فِيهِ، كَمَا كُنْتُ أَصْنَعُ، فَاحْتَمَلُوهُ فَشَدُّوهُ عَلَى الْبَعِيرِ، وَلَمْ يَشُكُّوا أَنِّي فِيهِ، ثُمَّ أَخَذُوا بِرَأْسِ الْبَعِيرِ فَانْطَلَقُوا بِهِ، فَرَجَعْتُ إِلَى الْعَسْكَرِ، وَمَا فِيهِ دَاعٍ وَلَا مُجِيبٌ، قَدِ انْطَلَقَ النَّاسُ. قَالَتْ: فَتَلَفَّفْتُ بِجِلْبَابِي، ثُمَّ اضْطَجَعْتُ فِي مَكَانِي، وَعَرَفْتُ أَنْ لَوِ افْتُقِدْتُ لَرُجِعَ إِلَيَّ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَمُضْطَجِعَةٌ إِذْ مَرَّ بِي صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ السُّلَمِيُّ، وَقَدْ كَانَ قَدْ تَخَلَّفَ عَنِ الْعَسْكَرِ لِبَعْضِ حَاجَتِهِ، فَلَمْ يَبِتْ مَعَ النَّاسِ، فَرَأَى سَوَادِي فَأَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ عَلَيَّ، وَقَدْ كَانَ يَرَانِي قَبْلَ أَنْ يُضْرَبَ عَلَيْنَا الْحِجَابُ، فَلَمَّا رَآنِي قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، ظَعِينَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! وَأَنَا مُتَلَفِّفَةٌ فِي ثِيَابِي. قَالَ: مَا خَلَّفَكِ، يَرْحَمُكِ اللَّهُ؟ قَالَتْ: فَمَا كَلَّمْتُهُ. ثُمَّ قَرَّبَ إِلَيَّ الْبَعِيرَ، فَقَالَ: ارْكَبِي. وَاسْتَأْخَرَ عَنِّي. قَالَتْ: فَرَكِبْتُ، وَأَخَذَ بِرَأْسِ الْبَعِيرِ، فَانْطَلَقَ سَرِيعًا يَطْلُبُ النَّاسَ، فَوَاللَّهِ مَا أَدْرَكْنَا النَّاسَ، وَمَا افْتُقِدْتُ حَتَّى أَصْبَحْتُ، وَنَزَلَ النَّاسُ، فَلَمَّا اطْمَأَنُّوا طَلَعَ الرَّجُلُ يَقُودُ بِي، فَقَالَ أَهْلُ الْإِفْكِ مَا قَالُوا،
পৃষ্ঠা - ৩০৫৬
وَارْتَجَّ الْعَسْكَرُ، وَوَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ، فَلَمْ أَلْبَثْ أَنِ اشْتَكَيْتُ شَكْوَى شَدِيدَةً، لَا يَبْلُغُنِي مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ، وَقَدِ انْتَهَى الْحَدِيثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى أَبَوَيَّ، لَا يَذْكُرُونَ لِي مِنْهُ قَلِيلًا وَلَا كَثِيرًا، إِلَّا أَنِّي قَدْ أَنْكَرْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ لُطْفِهِ بِي؛ كُنْتُ إِذَا اشْتَكَيْتُ رَحِمَنِي، وَلَطَفَ بِي، فَلَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ بِي فِي شَكْوَايَ تِلْكَ، فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ مِنْهُ، كَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَيَّ وَعِنْدِي أُمِّي تُمَرِّضُنِي قَالَ: كَيْفَ تِيكُمْ؟ لَا يَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ. قَالَتْ: حَتَّى وَجَدْتُ فِي نَفْسِي فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ - حِينَ رَأَيْتُ مَا رَأَيْتُ مِنْ جَفَائِهِ لِي - لَوْ أَذِنْتَ لِي فَانْتَقَلْتُ إِلَى أُمِّي فَمَرَّضَتْنِي؟ قَالَ: " لَا عَلَيْكِ ". قَالَتْ: فَانْتَقَلْتُ إِلَى أُمِّي، وَلَا عِلْمَ لِي بِشَيْءٍ مِمَّا كَانَ، حَتَّى نَقِهْتُ مِنْ وَجَعِي بَعْدَ بِضْعٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، وَكُنَّا قَوْمًا عَرَبًا، لَا نَتَّخِذُ فِي بُيُوتِنَا هَذِهِ الْكُنُفَ الَّتِي تَتَّخِذُهَا الْأَعَاجِمُ، نَعَافُهَا وَنَكْرَهُهَا، إِنَّمَا كُنَّا نَخْرُجُ فِي فُسَحِ الْمَدِينَةِ، وَإِنَّمَا كَانَتِ النِّسَاءُ يَخْرُجْنَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ فِي حَوَائِجِهِنَّ، فَخَرَجْتُ لَيْلَةً لِبَعْضِ حَاجَتِي وَمَعِيَ أُمُّ مِسْطَحٍ، ابْنَةُ أَبِي رُهْمِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، وَكَانَتْ أُمُّهَا بِنْتَ صَخْرِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمٍ، خَالَةَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنَّهَا لَتَمْشِي مَعِي، إِذْ عَثَرَتْ فِي مِرْطِهَا
পৃষ্ঠা - ৩০৫৭
শায়েস্তা করার জন্য যথেষ্ট ৷ আর যদি তারা ৫৩ামাদের ভাই খায্রাজ গোত্রের হয়ে থাকে তবে
আপনি নির্দেশ দিন, আল্লাহ্র কসম ৷ তারা পদনি উড়িয়ে দেয়ার যোগ্য ৷ আ ৷ইশা (রা) বলেন ;
(একথা শ্রবণ করে) সাদ ইবন উবাদা দাড়ালেন, ইতিপুর্বে তাকে ৫নক্কার বলে ধারণা করা
হতো ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম, ভুমি মিথ্যা বলছ ৷ তাদের পদনি উড়িয়ে দেয়া যাবে না ৷
আল্লাহ্র কসম, একথা তুমি এজন্যই বলছ যে, তুমি জান যে তারা খাঘৃরাজ ব শের লোক ৷ তুমি
যদি জা নতে যে, তারা তোমার ৫গাত্রের ৫লাক তাহলে ত মি এমন কথা বলত না ৷ তখন উসায়দ
ইবন হুযায়র বললেন, আল্লাহ্র কসম, তুমি মিথ্যা বলছ ৷৩ তুমি নুনাফিক মুনাফিকদের পক্ষে কথা
বলছ ৷ হযরত আইশা (রা) বললেন ং এপর লোকেরা বিবাদে প্ৰবৃও হলো, এমন কি পরম্পরে
সংঘাতে লিপ্ত হওয়ার উপক্রম হল ৷ আওস আর খাযরাজ এ দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় আর
কি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বর থেকে নেমে আমার কাছে এলেন ৷ তিনি আলী ইবন আবী তালিব
এবং উসামা ইবন যায়দকে ডাকলেন ৷ তাদের কাছে পরামর্শ৷ ঢাইলেন ৷ উসামা (আমা র সম্পর্কে)
ভালই বললেন প্রশংসা করলেন, তিনি বললেন, ইয়া রাসৃলাল্লাহ্ ! আপনার পরিবার সম্পর্কে তো
আমরা ভাল ছাড়া কিছু জানি না ৷ আর এসব কথা মিথ্যা ও তামার ৷ অবশ্য আ ৷লী (রা) বললেন ং
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! নারীর৫ তাে অভাব নেই) আর আপনি ৫৩ ৷ ন্তী বদলও করতে পারেন ৷ আপনি এর
দাসীকে জিজ্ঞেস করুন, যে আপনাকে সত্য তথ্য দিয়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করার জন্য
বারীরাকে ডাকলেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আলী (রা)৩ তার দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে ৫বদম
পেটাতে ৫পটাতে বললেন৪ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কাছে তুই স৩ ৷ কথা বলৰি ৷ হযরত ৩আইশা
(রা) বলেন যে, সে বললাে আল্লাহর কসম ৷ তার সম্পর্কে আ ৷মি তাল ছাড়া কিছুই জানিনা ৷ আইশা
(রা)-এর মধ্যে আমিতো দােষের কিছুই ৫দখিনা: কেবল এটুকু যে আমি আট৷ খামীর করে তাকে
খেয়াল রাখার জন্য বলে যাই আর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এ সময় বকরী এসে আট৷ খেয়ে ফেলে ৷
হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা ) বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার নিকট আগমন
করলেন ৷ এসময় আমার নিকট পিতা-মাতা ছাড়াও একজন আনসারী নারী ছিলেন ৷ আমি ৫রস্ফো
করছিলাম, সে আনসারী মহিলাও ৫রাদন করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এসে বললেন, আল্লাহ্র হামৃদ
ও ছান৷ বর্ণনা করে বললেন
৫হ আইশা লোকেরা কিসব বলাবলি কর৫ছ৩ তা তাে তোমার জানা হয়েছে ৷ তুমি আল্লাত্ক্ষ্ কে
ভয় করে৷ ৷ আর ৫লাকেরা যেসব কথা বলাবলি করছে ৷ তাতে তুমি লিপ্ত থেকে থাকলে আল্লহ্র
নিকট তাওবা কর ৷ আল্লাহ্ভো বান্দার তাওব৷ কবুল করে থাকেন ৷
হযরত আইশা (রা) বলেন, আল্লাহ্র কসম , তিনি আমাকে লক্ষ্য করে একখাগুলাে বলা মাত্র
আমার অশ্রু সম্পুর্ণ শুকিয়ে যায় , আমি এক বিন্দু অশ্রু আছে বলেও অনুভব করলাম না ৷ আমি
অপেক্ষা করলাম যে, আমার পক্ষ থেকে পিতামাত৷ জবাব দেবেন ৷ কিন্তু তারা কিছুই বললেন
না ৷ তিনি বলেন; আল্লাহর কসম , আমার নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছিল আর আমার
ব্যাপারে আল্লাহ্ কুরআন নাযিল করে আমাকে সান্তুনা দিবেন আমার এমন অবস্থুাও আছে বলে
মনে হতো না ৷ তবে আমি আশা পোষণ ক্যাতাম যে, নবী (সা) কিছু স্বপ্নে দেখবেন যাদ্বার৷ আল্লাহ্
আমার ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদের স্বরুপ প্রকাশ করবেন এবং আমি যে নির্দোষ, তা তিনি জানতে
فَقَالَتْ: تَعِسَ مِسْطَحٌ. وَمِسْطَحٌ لَقَبٌ، وَاسْمُهُ عَوْفٌ. قَالَتْ: فَقُلْتُ: بِئْسَ لَعَمْرُ اللَّهِ مَا قُلْتِ لِرَجُلٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا. قَالَتْ: أَوَمَا بَلَغَكِ الْخَبَرُ يَا بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ؟ ! قَالَتْ: قُلْتُ: وَمَا الْخَبَرُ؟ فَأَخْبَرَتْنِي بِالَّذِي كَانَ مِنْ قَوْلِ أَهْلِ الْإِفْكِ. قُلْتُ: أَوَقَدْ كَانَ هَذَا؟! قَالَتْ: نَعَمْ وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا قَدَرْتُ عَلَى أَنْ أَقْضِيَ حَاجَتِي، وَرَجَعْتُ، فَوَاللَّهِ مَا زِلْتُ أَبْكِي حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّ الْبُكَاءَ سَيَصْدَعُ كَبِدِي. قَالَتْ: وَقُلْتُ: لِأُمِّي: يَغْفِرُ اللَّهُ لَكِ، تَحَدَّثَ النَّاسُ بِمَا تَحَدَّثُوا بِهِ وَلَا تَذْكُرِينَ لِي مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا؟! قَالَتْ: أَيْ بُنَيَّةُ، خَفِّضِي عَلَيْكِ الشَّأْنَ، فَوَاللَّهِ لَقَلَّمَا كَانَتِ امْرَأَةٌ حَسْنَاءُ عِنْدَ رَجُلٍ يُحِبُّهَا، لَهَا ضَرَائِرُ، إِلَّا كَثَّرْنَ، وَكَثَّرَ النَّاسُ عَلَيْهَا. قَالَتْ: وَقَدْ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَهُمْ، وَلَا أَعْلَمُ بِذَلِكَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ رِجَالٍ يُؤْذُونَنِي فِي أَهْلِي، وَيَقُولُونَ عَلَيْهِمْ غَيْرَ الْحَقِّ، وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهِمْ إِلَّا خَيْرًا وَيَقُولُونَ ذَلِكَ لِرَجُلٍ؛ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ إِلَّا خَيْرًا، وَلَا يَدْخُلُ بَيْتًا مِنْ بُيُوتِي إِلَّا وَهُوَ مَعِي ". قَالَتْ: وَكَانَ كِبْرُ ذَلِكَ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ، فِي رِجَالٍ مِنَ الْخَزْرَجِ، مَعَ الَّذِي قَالَ مِسْطَحٌ، وَحَمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ؛ وَذَلِكَ أَنَّ أُخْتَهَا زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ تَكُنِ امْرَأَةٌ مِنْ نِسَائِهِ تُنَاصِينِي فِي الْمَنْزِلَةِ عِنْدَهُ غَيْرُهَا، فَأَمَّا زَيْنَبُ فَعَصَمَهَا اللَّهُ بِدِينِهَا فَلَمْ تَقُلْ إِلَّا خَيْرًا، وَأَمَّا حَمْنَةُ فَأَشَاعَتْ مِنْ ذَلِكَ مَا أَشَاعَتْ،
পৃষ্ঠা - ৩০৫৮
পারবেন ৷ এতে তিনি আরো কিছু বিষয়ও জানতে পারবেন, অবশ্য আমার সম্পর্কে কুরআন নাযিল
হবে আমার নিজেকে নিডেরে কাছে তার চাইতে ভুচ্ছ মনে হয়েছে ৷ তিনি আরো বলেন : আমার
পিতামাতাকে আমার পক্ষ থেকে জবাব না দিতে দেখে আমি তাদেরকে বললাম , আপনারা কি
রাসুলুল্লাহ (সা) এর কথার জবাব দেবেন না ? তারা বললেন, আল্লাহর কলম , আমরা কী জবাব
দিবাে তাই তো বুঝতে পারছিনা ৷ আইশা (বা) আরো বলেন , এদিনগুলোতে আবু বকরের
পরিবারের উপর যেসব বিপদ আপতিত হয়েছে ৷ তেমন বিপদ অন্য কোন পরিবারের উপর
আপতিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই , এমন কথা আমি হলফ করে বলতে পারি ৷ তিনি আরো
বললেন : আমার ব্যাপারে তারা একেবারে নিবাক থাকার পর আমি অশ্রুপাত করলাম, রােদন
করলাম আর বললাম, আমার সম্পর্কে যেসব কথা বলা হচ্ছে সে ব্যাপারে আমি কখনো আল্লাহর
নিকট তাওবা করব না আল্লাহর কসম, আমি ভাল করেই জানি যে, লোকেরা সেসব কথা বলাবলি
করছে ৷ আমি যদি তা স্বীকারও করি আর আল্লাহ জানেন যে, আমি এ ব্যাপারে নিদেষি তবে যা
ঘটেনি তা স্বীকার করে নেয়া হবে ৷ পক্ষাস্তরে ণ্লাকেরা যা বলাবলি করছে আমি তা অস্বীকার
করলেও তারা তা সত্য বলে মেনে নেবে না ৷ তিনি বলেন, অবশেষে আমি হযরত ইয়া’কুব
(আ)-এর নাম স্মরণ করার চেষ্টা করি ৷ কিতু৷ তা আমার মনে পড়লো না ৷ তখন আমি বললাম ,
হযরত ইউসুফ (আ)-এর পিতা যা বলেছিলেন তেমন কথইি আমি উচ্চারণ করবো ;
,; ব্লু,প্রু;ও
অতএব, সুন্দর সবরই (উত্তম) ৷ আর তোমরা যা বলছ, সে ব্যাপারে আল্লাহর নিকটই সাহায্য
প্রার্থনা করছি (ইউসুফ ১২ : ১৮১ ৷
হযরত আইশা (বা) বলেন : আল্লাহর কসম , রাসুলুল্লাহ্ (সা) মজলিসে থাকতেই আল্লাহর
পক্ষ থেকে একটা তবে তাকে আচ্ছন্ন করে নেয়, যে তার আছন্ন করতো ওহী নযিল কালে ৷ তইি
তিনি বস্ত্র দিয়ে নিজেকে আবৃত করে নেন এবং মাথার নীচে স্থাপন ক্যালেন চামড়ার বালিশ ৷ আর
এ সময় তার যে অবস্থা আমি দেখতে পেলাম ৷ আল্লাহর কলম, তাতে আমি মোটেই বিচলিত
হইনি ৷ কোন পবরাণ্ডয়াও করিনি ৷ কারণ, আমি তো জানি যে, আমি নির্দোষ আর আল্লাহ তো
আমার প্রতি যালিম নন ৷ আর আল্লাহর কসম করে বলছি ৷ অইিশার জীবন-প্রাণ যে পবিত্র সত্তার
হাতে আছে, আমার পিতামাতার তো করুণ দশা, আমার মনে আশংকা জাগলো, লোকেরা যা
বলাবলি করছে, ওহীর মাধ্যমে যদি তার সত্যতা প্রতিপন্ন হয় ৷ তিনি বলেন, অতঃপর রাসুলুল্লাহর
ভাবান্তর হলো, তিনি উঠে বললেন, প্রচণ্ড শীতের মওসুমেও তার চেহারা মুবারক থেকে মুক্তার
মতো ঘাম ঝড়ে পড়ছিল ৷ তিনি চেহারা থেকে যায় মুছতে মুছতে বলছিলেন :
হে আইশা! সুসংবাদ গ্রহণ কর, আল্লাহ তোমার নির্দোষিতা প্রমাণ করে আয়াত নাযিল
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আলহামদৃ সিল্লাহ বললাম ৷ এপর তিনি লোকদের উদেশ্যে বের
হয়ে পড়লেন ৷ তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং এ উপলক্ষে আল্লাহ তাআল৷ কুরআন
মজীদের যে আয়াত নাযিল করেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা তিলাওয়াত করলেন ৷ অতঃপর অশ্লীল
تُضَادُّنِي لِأُخْتِهَا، فَشَقِيَتْ بِذَلِكَ، فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ الْمَقَالَةَ قَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ يَكُونُوا مِنَ الْأَوْسِ نَكْفِكَهُمْ، وَإِنْ يَكُونُوا مِنْ إِخْوَانِنَا مِنَ الْخَزْرَجِ، فَمُرْنَا أَمْرَكَ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُمْ لَأَهْلٌ أَنْ تُضْرَبَ أَعْنَاقُهُمْ. قَالَتْ: فَقَامَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، وَكَانَ قَبْلَ ذَلِكَ يُرَى رَجُلًا صَالِحًا، فَقَالَ: كَذَبْتَ، لَعَمْرُ اللَّهِ، لَا تَضْرِبُ أَعْنَاقَهُمْ، أَمَا وَاللَّهِ مَا قُلْتَ هَذِهِ الْمَقَالَةَ إِلَّا أَنَّكَ قَدْ عَرَفْتَ أَنَّهُمْ مِنَ الْخَزْرَجِ، وَلَوْ كَانُوا مِنْ قَوْمِكَ مَا قُلْتَ هَذَا. فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ: كَذَبْتَ لَعَمْرُ اللَّهِ، وَلَكِنَّكَ مُنَافِقٌ تُجَادِلُ عَنِ الْمُنَافِقِينَ، قَالَتْ: وَتَسَاوَرَ النَّاسُ، حَتَّى كَادَ يَكُونُ بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَيَّيْنِ مِنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ شَرٌّ، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عَلَيَّ. قَالَتْ: فَدَعَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَأُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَاسْتَشَارَهُمَا، فَأَمَّا أُسَامَةُ فَأَثْنَى خَيْرًا وَقَالَهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهْلُكَ وَمَا نَعْلَمُ مِنْهُمْ إِلَّا خَيْرًا، وَهَذَا الْكَذِبُ وَالْبَاطِلُ. وَأَمَّا عَلِيٌّ فَإِنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ النِّسَاءَ لَكَثِيرٌ، وَإِنَّكَ لَقَادِرٌ عَلَى أَنْ تَسْتَخْلِفَ، وَسَلِ الْجَارِيَةَ فَإِنَّهَا سَتَصْدُقُكَ. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَرِيرَةَ لِيَسْأَلَهَا. قَالَتْ: فَقَامَ إِلَيْهَا عَلِيٌّ فَضَرَبَهَا ضَرْبًا شَدِيدًا، وَيَقُولُ: اصْدُقِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: فَتَقُولُ: وَاللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩০৫৯
مَا أَعْلَمُ إِلَّا خَيْرًا، وَمَا كُنْتُ أَعِيبُ عَلَى عَائِشَةَ شَيْئًا، إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أَعْجِنُ عَجِينِي، فَآمُرُهَا أَنْ تَحْفَظَهُ، فَتَنَامُ عَنْهُ، فَتَأْتِي الشَّاةُ فَتَأْكُلُهُ. قَالَتْ: ثُمَّ دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدِي أَبَوَايَ، وَعِنْدِي امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَأَنَا أَبْكِي وَهِيَ تَبْكِي، فَجَلَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ، إِنَّهُ قَدْ كَانَ مَا بَلَغَكِ مِنْ قَوْلِ النَّاسِ، فَاتَّقِي اللَّهَ، وَإِنْ كُنْتِ قَدْ قَارَفْتِ سُوءًا مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ، فَتُوبِي إِلَى اللَّهِ؛ فَإِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنْ هُوَ إِلَّا أَنْ قَالَ لِي ذَلِكَ، فَقَلَصَ دَمْعِي، حَتَّى مَا أُحِسُّ مِنْهُ شَيْئًا، وَانْتَظَرْتُ أَبَوَيَّ أَنْ يُجِيبَا عَنِّي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَتَكَلَّمَا. قَالَتْ: وَايْمُ اللَّهِ لَأَنَا كُنْتُ أَحْقَرَ فِي نَفْسِي، وَأَصْغَرَ شَأْنًا مِنْ أَنْ يُنَزِّلَ اللَّهُ فِيَّ قُرْآنًا يُقْرَأُ بِهِ وَيُصَلَّى بِهِ، وَلَكِنِّي كُنْتُ أَرْجُو أَنْ يَرَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَوْمِهِ شَيْئًا يُكَذِّبُ بِهِ اللَّهُ عَنِّي؛ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ بَرَاءَتِي، أَوْ يُخْبِرُ خَبَرًا، وَأَمَّا قُرْآنًا يَنْزِلُ فِيَّ، فَوَاللَّهِ لَنَفْسِي كَانَتْ أَحْقَرَ عِنْدِي مِنْ ذَلِكَ. قَالَتْ: فَلَمَّا لَمْ أَرَ أَبَوَيَّ يَتَكَلَّمَانِ، قُلْتُ لَهُمَا: أَلَا تُجِيبَانِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَا: وَاللَّهِ مَا نَدْرِي بِمَاذَا نُجِيبُهُ. قَالَتْ: وَوَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ أَهْلَ بَيْتٍ دَخَلَ عَلَيْهِمْ مَا دَخَلَ عَلَى آلِ أَبِي بَكْرٍ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ. قَالَتْ: فَلَمَّا اسْتَعْجَمَا عَلَيَّ، اسْتَعْبَرْتُ فَبَكَيْتُ، ثُمَّ قُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مِمَّا ذَكَرْتَ أَبَدًا، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ لَئِنْ أَقْرَرْتُ بِمَا يَقُولُ النَّاسُ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي مِنْهُ بَرِيئَةٌ، لَأَقُولَنَّ مَا لَمْ يَكُنْ، وَلَئِنْ أَنَا أَنْكَرْتُ مَا يَقُولُونَ، لَا تُصَدِّقُونَنِي قَالَتْ: ثُمَّ الْتَمَسْتُ اسْمَ يَعْقُوبَ، فَمَا أَذْكُرُهُ، فَقُلْتُ: وَلَكِنْ سَأَقُولُ كَمَا قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৬০
কথা বিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা পালনকারী মিসতাহ্ ইবন উছাছা, হাস্সান ইবন ছাবিত এবং হামনা
বিনৃত জাহাশকে তলব করে এনে অপবাদ আরােপের দণ্ড তথা (হদ) জারী করেন ৷ এ হাদীছটি
সহীহ্ বুখায়ী ও মুসলিমে যুহরীর বরাভে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর এ বর্ণনায় প্রত্যুঃ শিক্ষণীয় বিষয় নিহিত
রয়েছে ৷ হত্বসৃসান ইবন ছাবিত এবং তীর সঙ্গীদের ক্ষেত্রে অপবাদের ন্ওহুন্যে দণ্ড কার্যকঃা৷র কথা আবু
ইউসুফ (র) তার সুনান গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন : হাসৃসান ইবন ছাবিত
এবং তার সঙ্গীদের উপ্যা দণ্ড প্রায়াগ বিষয়ে কোন ঘুসলিম করি নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করেন ?;
চুধ্ধ্
মর্মার্থ : হাসৃসান উপযুক্ত শাস্তির স্বাদ আম্বাদন করেছেন ৷
হামনা আর মিসৃতাহ্ও, যখন তারা আবােল-তাবােল বকেছে ৷
নবীর ত্রীকে তারা অপবাদ দিয়েছে অন্দোজ অনুমান করে ৷
আল্লাহর ণ্ক্রাধ্ অর্জন করে তারা হয়েছে বিষপ্ন ৷
তারা তাতে কষ্ট দিয়েছে আল্লাহর রাসুলকে, আরোপিত হয়েছে তাদের উপর অপমান,
যা আচ্ছন্ন করে নিয়েছে তাদেরকে এবং হয়েছে তারা লাঞ্ছিত ৷
বর্ধিত হয়েছে তাদের উপর চাবুক, যেন তা বৃষ্টির ছিটা,
যা বর্ধিত হচ্ছে উধের্ধৱ মেঘমালা থেকে !
ইবন ইসহাক (র) উল্লেখ করেন যে, হাসৃসান ইবন ছাবিত ভার কবিতায় মারওরান ইবন
মুয়াত্তাল এবং তার কুরায়শী সঙ্গীদ্দেৱ কুত্সা রচনা করেন মুরায়সীর যুদ্ধের দিনে বাদশাহ ও তারা
সঙ্গীদের সঙ্গে যে ঝগড়া হয়েছিল তাকে কেন্দ্র করে ৷ কবিতত্তোলা এই :
أَبُو يُوسُفَ: {فَصَبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ} [يوسف: 18] (يُوسُفَ: 18) قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا بَرِحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَجْلِسَهُ حَتَّى تَغَشَّاهُ مِنَ اللَّهِ مَا كَانَ يَتَغَشَّاهُ، فَسُجِّيَ بِثَوْبِهِ، وَوُضِعَتْ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ تَحْتَ رَأْسِهِ، فَأَمَّا أَنَا حِينَ رَأَيْتُ مِنْ ذَلِكَ مَا رَأَيْتُ، فَوَاللَّهِ مَا فَزِعْتُ وَمَا بَالَيْتُ، قَدْ عَرَفْتُ أَنِّي بَرِيئَةٌ، وَأَنَّ اللَّهَ غَيْرُ ظَالِمِي، وَأَمَّا أَبَوَايَ فَوَالَّذِي نَفْسُ عَائِشَةَ بِيَدِهِ، مَا سُرِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى ظَنَنْتُ لَتَخْرُجَنَّ أَنْفُسُهُمَا؛ فَرَقًا مِنْ أَنْ يَأْتِيَ مِنَ اللَّهِ تَحْقِيقُ مَا قَالَ النَّاسُ. قَالَتْ: ثُمَّ سُرِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ وَإِنَّهُ لَيَتَحَدَّرُ مِنْ وَجْهِهِ مِثْلُ الْجُمَانِ فِي يَوْمٍ شَاتٍ، فَجَعَلَ يَمْسَحُ الْعَرَقَ عَنْ جَبِينِهِ وَيَقُولُ: أَبْشِرِي يَا عَائِشَةُ، قَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بَرَاءَتَكِ. قَالَتْ: قُلْتُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. ثُمَّ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ وَتَلَا عَلَيْهِمْ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنَ الْقُرْآنِ فِي ذَلِكَ، ثُمَّ أَمَرَ بِمِسْطَحِ بْنِ أُثَاثَةَ، وَحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، وَحَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ، وَكَانُوا مِمَّنْ أَفْصَحَ بِالْفَاحِشَةِ، فَضُرِبُوا حَدَّهُمْ.»
وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَهَذَا السِّيَاقُ فِيهِ فَوَائِدُ جَمَّةٌ. وَذِكْرُ حَدِّ الْقَذْفِ لِحَسَّانَ وَمَنْ مَعَهُ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ ".
পৃষ্ঠা - ৩০৬১
১ ঞ্জো
া
মর্যার্থ : মুরায়শীরা বিজয়ী হয়েছে আর সংখ্যায় তারা তাে অনেক,
আর ফারীয়ার ১ ছেলে হয়ে পড়েছে অপ্রতিদ্বন্থী শু
তুমি যার সাথী, তার মাতা তাকে হারায়,
অথবা সে আসুক সিংহের পাঞ্জাৱ তলে ৷
আমি যাকে হত্যা করি দৌড়ে গিয়ে তাকে পাকড়াও করি !
তার জন্যে কোন রক্তপণ দিতে হয় না বা শাস্তি ভেম্পো করতে হয় না
অবশ্য কুরায়শের ব্যাপার স্বতন্ত্র, আমি আপােষ করব্যেনা তালে সঙ্গে,
যতক্ষণ তারা ভ্রান্তি থেকে হিদায়াতেৱ পথে ফিরে না আসে ৷
আর লাত-উজ্জাকে বর্জন করে
সকলেই সিজদা না করে একক আল্লাহ্র উদ্দোশ্য গ্
আর সাক্ষ্য না দেবে যে, রাসুল তাদেরকে যা বলেন, তাষ্ই সত্য,
সৃতরাংতারা পুরা করুক আল্লাহর হক আর অঙ্গীকার
ইবন ইসহাক (র) বলেন, সাফওয়ান ইবন মুয়ত্তোল হাসৃসানের
প্রতিবন্ধক হলে তাকে তরবারি দ্বারা আঘাত করে বলেন ও
১ টীকা : ফারিয়া বলতে হাসৃসৰ্নেৱ মাকে বুঝানো হয়েছে ৰু
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي ضَرْبِ حَسَّانَ وَأَصْحَابِهِ:
لَقَدْ ذَاقَ حَسَّانُ الَّذِي كَانَ أَهْلَهُ ... وَحَمْنَةُ إِذْ قَالُوا هَجِيرًا وَمِسْطَحُ
تَعَاطَوْا بِرَجْمِ الْغَيْبِ زَوْجَ نَبِيِّهِمْ ... وَسَخْطَةَ ذِي الْعَرْشِ الْكَرِيمِ فَأُتْرِحُوا
وَآذَوْا رَسُولَ اللَّهِ فِيهَا فَجُلِّلُوا ... مَخَازِيَ تَبْقَى عُمِّمُوهَا وَفُضِّحُوا
وَصُبَّتْ عَلَيْهِمْ مُحْصَدَاتٌ كَأَنَّهَا ... شَآبِيبُ قَطْرٍ مِنْ ذُرَا الْمُزْنِ تَسْفَحُ
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ شِعْرًا، يَهْجُو فِيهِ صَفْوَانَ بْنَ الْمُعَطَّلِ وَجَمَاعَةً مِنْ قُرَيْشٍ مِمَّنْ تَخَاصَمَ عَلَى الْمَاءِ مِنْ أَصْحَابِ جَهْجَهَاهٍ كَمَا تَقَدَّمَ، أَوَّلُهُ:
أَمْسَى الْجَلَابِيبُ قَدْ عَزُّوا وَقَدْ كَثُرُوا ... وَابْنُ الْفُرَيْعَةِ أَمْسَى بَيْضَةَ الْبَلَدِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬২
আমার পক্ষ থেকে তলোয়ারের ধার গ্রহণ ক্যা, কারণ-
আমিভাে নওজােয়ান (হামলাকারী) যখন আমার নিন্দা বলা হয়,
আমিতো কোন করি নই ৷
কথিত আছে যে, সাফওয়ান হাসৃসানকে তরবারি দ্বারা আঘাত হানলে ছাবিত ইবন কায়স
ইবন শাম্মাস তাকে পাকড়াও করে শক্ততাবে বেধে ফেলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ এ দৃশ্য
দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন :
ব্যাপার কি : তিনি বললেন : সে হাসৃসানকে তরবারি দ্বারা আঘাত করেছে ৷ তখন আবদুল্লাহ
জিজ্ঞেস করলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) কি এ সম্পর্কে জানেন ? তিনি বললেন, না ৷ তখন আবদুল্লাহ
ইবন রাওয়াহা তাকে বন্ধনমুক্ত করেন ৷ এরপর তারা সকলে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর দরবারে হাযির
হলে ইবন মুয়াত্তাল বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! সে আমাকে কষ্ট দিয়েছে, আমার নিন্দা করেছে,
আমার ভীষণ রাগ হয়েছে, তইি আমি তরবারি দ্বারা আঘাত করেছি ৷ তা’ শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন £
আমার সম্প্রদায়কে আল্লাহ হিদায়াত দান করেছেন বলে তুমি কি তাদের নিন্দাবাদ করেছ :
তারপর তিনি বললেন : হে হাসৃসান! তুমি যে আঘাত পেয়েছ তা’ ক্ষমা করে দাও; তিনি বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার জন্যে তা ক্ষমা করে দিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর বিনিময়ে হযরত
হাসসৃানকে বায়রুহ৷ কুয়া দান করেন, যা আবু তালুহা র্তাকে দান করেছিলেন ৷ এ ছাড়া তিনি তাকে
সিরীণ নাম্বী দাসীটি দান করেন ৷ এর গর্ত থেকে তারপুত্র আবদুর রহমানের জন্ম হয় ৷ ইবন
ইসহাক (র) বলেন : হযরত আইশা (রা) বলাতন ইবন মুয়াত্তাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে
জানা যায় যে, তিনি এমন এক পুরুষ, যার মধ্যে নারীর প্রতি কোন আসক্তি নেই ৷ পরবউকািলে
তিনি শহীদ হয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, হযরত
আইশা (বা) সম্পর্কে যা রটনা করেছিলেন, সে জন্য হযরত হাসৃসান দুঃখ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত
কবিতা আবৃত্তি করেন :
এ-গ্পৌ ণ্ফো
এ;া১ ণ্া,হ্র
এেশ্রা ম্রা
)ভ্রুণ্
৩৯
قَدْ ثَكِلَتْ أُمُّهُ مَنْ كُنْتَ صَاحِبَهُ ... أَوْ كَانَ مُنْتَشِبًا فِي بُرْثُنِ الْأَسَدِ
مَا لِقَتِيلِي الَّذِي أَغْدُو فَآخُذُهُ ... مِنْ دِيَةٍ فِيهِ يُعْطَاهَا وَلَا قَوَدِ
مَا الْبَحْرُ حِينَ تَهُبُّ الرِّيحُ شَامِيَةً ... فَيَغْطَئِلُّ وَيَرْمِي الْعِبْرَ بِالزَّبَدِ
يَوْمًا بِأَغْلَبَ مِنِّي حِينَ تُبْصِرُنِي ... مِلْغَيْظِ أَفْرِي كَفَرْيِ الْعَارِضِ الْبَرِدِ
أَمَّا قُرَيْشٌ فَإِنِّي لَا أُسَالِمُهَا ... حَتَّى يُنِيبُوا مِنَ الْغَيَّاتِ لِلرَّشَدِ
وَيَتْرُكُوا اللَّاتَ وَالْعُزَّى بِمَعْزِلَةٍ ... وَيَسْجُدُوا كُلُّهُمْ لِلْوَاحِدِ الصَّمَدِ
وَيَشْهَدُوا أَنَّ مَا قَالَ الرَّسُولُ لَهُمْ ... حُقٌّ فَيُوفُوا بِحَقِّ اللَّهِ وَالْوُكُدِ
قَالَ: فَاعْتَرَضَهُ صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ، فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ وَهُوَ يَقُولُ:
تَلَقَّ ذُبَابَ السَّيْفِ عَنِّي فَإِنَّنِي ... غُلَامٌ إِذَا هُوجِيتُ لَسْتُ بِشَاعِرِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৩
وَذَكَرَ أَنَّ ثَابِتَ بْنَ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَخَذَ صَفْوَانَ حِينَ ضَرَبَ حَسَّانَ، فَشَدَّهُ وَثَاقًا، فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: ضَرَبَ حَسَّانَ بِالسَّيْفِ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: هَلْ عَلِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ مِمَّا صَنَعْتَ؟ قَالَ: لَا. فَأَطْلَقَهُ، ثُمَّ أَتَوْا كُلُّهُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ ابْنُ الْمُعَطَّلِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، آذَانِي وَهَجَانِي، فَاحْتَمَلَنِي الْغَضَبُ فَضَرَبْتُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا حَسَّانُ أَتَشَوَّهْتَ عَلَى قَوْمِي إِذْ هَدَاهُمُ اللَّهُ ". ثُمَّ قَالَ: " أَحْسِنْ يَا حَسَّانُ فِيمَا أَصَابَكَ ". فَقَالَ: هِيَ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَعَوَّضَهُ مِنْهَا بَيْرُحَاءَ الَّتِي تَصَدَّقَ بِهَا أَبُو طَلْحَةَ، وَجَارِيَةً قِبْطِيَّةً، يُقَالُ لَهَا: سِيرِينُ. جَاءَهُ مِنْهَا ابْنُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ. قَالَ: وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ: سُئِلَ عَنِ ابْنِ الْمُعَطَّلِ، فَوُجِدَ رَجُلًا حَصُورًا مَا يَأْتِي النِّسَاءَ، ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ، وَرَوَى عَنْهُ شَيْئًا مِنَ الْحَدِيثِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ شَهِيدًا فِي فَتْحِ سُمَيْسَاطَ سَنَةَ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৪
ঞা
মর্মার্থ : তিনি যে পুত-পবিত্র ও সত্তী-সাব্দী , তাতে সন্দেহ করা যায় না ৷
যায় না তাকে অপবাদে ক্লিষ্ট করা, আর পাফিল নারীদের নিন্দাবাদ দ্বারা তিনি দিবসের সুচনা
করেন না ৷
তিনি লুয়াই ইবন গালিবের গোত্রের সুকীর্তির ধারক-বাহক, তার কম সুন্দর ৷
তিনি এমন এক বংশের সন্তান, যাদ্যো মান-মর্যাদা বিলীন হওয়ার নয় ৷
তার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা কিছুতেই প্রামাণ্য নয়, কোন কালে ও নয় ৷
বরং আমার ক্ষেত্রে তা এক নিন্দুকের উক্তি-
যদি সে কথা আমি বলেই থাকি, যা তোমরা অনুমান কর ৷
তাহলে আমার হাতের আঙ্গুল আমার পানে কােড়া উত্তোলন বল্মবে না ৷
তা কেমনে হতে পারে , অথচ আমার ভালবাসা আর সাহায্য তো
রাসুলের (সা) পরিবার পরিজনের জন্য উৎসর্গীকৃত ৷ তিনিই তো আসরের দীপ্তি !
তাদের জন্য রয়েছে সম্মান আর মর্যাদা, এর বাইরে লোকদ্যোকে তুমি দেখতে পাবে খর্বকায়
আর তাদের মর্যাদা তাে সকলের উধের্ধ ৷ এখানে সুরা নুর এর নিম্নোক্ত আয়াত উদ্ধৃত করা যায় £
ষ্
এ্যা ষ্
যারা এ অপবাদ আনয়ন করেছে তারাতো তােমাদেরই একটা দল ৷ এটাকে তোমরা
নিজেদের জন্য অনিষ্টকর মনে করবে না; বরং এটাভাে তোমাদের জন্য কল্যাণকর ৷ তাদের
প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নিজেদের কৃত পাপ কর্মের ফল ৷ আর ওদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে প্রধান
ভুমিকা পালন করেছে, তার জন্য রয়েছে মহশোস্তি ৷ তারা যখন এটা শ্রবণ করল তখন মু’মিন
পুরুষ এবং মু’নিন নারীরা নিজেদের সম্পর্কে কেন ভাল ধারণ! করেনি এবং কেন তারা বলেনি-
এটাতাে সুস্পষ্ট অপবাদা তারা কেন এ ব্যাপারে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করেনি ৷ যেহেতু তারা
সাক্ষী উপস্থিত করেনি সেহেতু আল্লাহ্র নিকট তারা মিথ্যারাদী, দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের
প্রতি আল্লাহর ফযল ও রহ্মত না থাকলে তোমরা যাতে লিপ্ত ছিলে, তজ্জন্য মহশোস্তি
তােমাদেরকে স্পর্শ করতো ৷ তোমরা যখন মুখেঘুখে এটা ছড়াচ্ছিলে এবং এমন বিষয় মুখে
উচ্চারণ করছিলে যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান ৷ছলনা এবং ওে আমরা এটাকে তুচ্ছ জ্ঞান
করছিলে, যদিও আল্লাহ্র নিকট এটা ছিল গুরুতর বিষয় ৷ আর তোমরা যখন এটা শ্রবণ করছিলে
তখন কেন বললে না এ বিষয়ে বলাবলি করা আমাদের উচিত নয় ৷ আল্লাহ্ পবিত্র মহান ৷ এতো
سِتِّينَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي بَعْضِ الْفُتُوحَاتِ عِنْدَ ذَلِكَ بَعْدَ الْعِشْرِينَ. وَهَذَا أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ الرِّيَاحِيُّ، ثَنَا عَامِرُ بْنُ صَالِحِ بْنِ رُسْتُمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدٍ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ قَالَ: «شَكَا رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفْوَانَ بْنَ الْمُعَطَّلِ، وَكَانَ يَقُولُ هَذَا الشِّعْرَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ صَفْوَانَ هَجَانِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُوا صَفْوَانَ؛ فَإِنَّ صَفْوَانَ خَبِيثُ اللِّسَانِ، طَيِّبُ الْقَلْبِ» حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ قَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، يَعْتَذِرُ مِنَ الَّذِي كَانَ قَالَ فِي شَأْنِ عَائِشَةَ:
حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ ... وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৫
এক গুরুতর অপবাদ! আল্পাহ্ তােমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন তোমরা মু’মিন হয়ে থাকলে
কখনো অনুরুপ আচরণের পুনরাবৃত্তি করবেনা , আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমুহ সুশাভাবে
বিবৃত করেন এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় ৷ যারা মুমিনদ্যে৷ মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে
তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তুদ শাস্তি ৷ আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জাননা ৷
আর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র ফযল ও রহমত না থাকলে (ণ্তামাদের কেউ ব্লেহাই থেতেনা) ৷
আর আল্লাহ অতি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু ৷ হে মু’মিনগণ! তোমরা শয়তানের পদাৎক অনুসরণ
করবে না ৷ কেউ শয়তানের পদাহ্ক অনুসরণ করলে শয়তানতো অশ্লীলতা ও মন্দ কার্যের নির্দেশ
দেয় ৷ তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র ফযল ও রহমত না থাকলে তোমাদের কেউ কখনো পবিত্র হতে
পারতাে না, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন ৷ আর আল্লাহু সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ তোমাদের
মধ্যে যারা ঐশ্বর্য প্রাচুর্যের অধিকারী তারা যেন শপথ না করে যে, আত্মীয়-স্বক্রা এবং অভাবগ্রস্ত ও
আল্লাহ্র রাস্তায় হিজরত কারীদেরকে কিছুই দেবে না ৷ তারা যেন ক্ষমা আর উপেক্ষা করে ৷
তোমরা কামনা কর না যে , আল্লাহ্ আমাদেরকে ক্ষমা করেন, আল্পাহ্ মহা ক্ষমাশীল অতি দয়ালু ৷
যারা সাধধী, সরলমনা ও ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে দুনিয়া ও আখিরাতে তারা
অভিশপ্ত আর তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি ৷ সেদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে তাদের জিহ্বা
তাদের হস্ত ও তাদের চরণ, তাদের কৃতকর্য সম্পর্কে সেদিন আল্লাহ্ তাদের প্রাপ্য প্ৰতিফল
পুরোপুরি দেবেন এবং তারা জানবে যে, আল্লাহ্ই সত্য এবং স্পষ্ট প্রকাশক ৷ ভ্রষ্টা নারী ভ্রষ্ট
পুরুষের জন্য, ভ্রষ্ট পুরুষ ভ্রষ্টা নারীর জন্য ৷ পবিত্র নারী পবিত্র পুরুষের জন্য আর পবিত্র পুরুষ
পবিত্র নারীর জন্য ৷ ণ্লাকেরা যা বলে তা থেকে এরা মুক্ত ৷ এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা আর
সম্মানজনক জীবিকা ৷ (২৪ সুরা নুর : ১ ১২৬)
এ আয়াতগুলোর তাফসীর প্রসঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট হাদীছ ও আছারসমুহ এবং অতীত
মনীষীদের উক্তিসমুহ সংশ্লিষ্ট হাদীছের সুত্র উল্লেখ করেছি ৷
عَقِيلَةُ حَيٍّ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ ... كِرَامِ الْمَسَاعِي مَجْدُهُمْ غَيْرُ زَائِلِ
مُهَذَّبَةٌ قَدْ طَيَّبَ اللَّهُ خِيمَهَا ... وَطَهَّرَهَا مِنْ كُلِّ سُوءٍ وَبَاطِلِ
فَإِنْ كُنْتُ قَدْ قُلْتُ الَّذِي قَدْ زَعَمْتُمُ ... فَلَا رَفَعَتْ سَوْطِي إِلَيَّ أَنَامِلِي
وَكَيْفَ وَوُدِّي مَا حَيِيتُ وَنُصْرَتِي ... لِآلِ رَسُولِ اللَّهِ زَيْنِ الْمَحَافِلِ
لَهُ رَتَبٌ عَالٍ عَلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ ... تَقَاصَرُ عَنْهُ سَوْرَةُ الْمُتَطَاوِلِ
فَإِنَّ الَّذِي قَدْ قِيلَ لَيْسَ بِلَائِطٍ ... وَلَكِنَّهُ قَوْلُ امْرِئٍ بِيَ مَاحِلِ
وَقَدْ زَادَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَبْلَ الْبَيْتِ الْأَوَّلِ:
رَأَيْتُكِ وَلْيَغْفِرْ لَكِ اللَّهُ حُرَّةً ... مِنَ الْمُحْصَنَاتِ غَيْرَ ذَاتِ غَوَائِلِ
حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ ... وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৬
وَإِنَّ الَّذِي قَدْ قِيلَ لَيْسَ بِلَائِطٍ ... بِكِ الدَّهْرَ بَلْ قِيلُ امْرِئٍ مُتَمَاحِلِ
فَإِنْ كُنْتُ أَهْجُوكُمْ كَمَا بَلَّغُوكُمُ ... فَلَا رَفَعَتْ سَوْطِي إِلَيَّ أَنَامِلِي
فَكَيْفَ وَوُدِّي مَا حَيِيتُ وَنُصْرَتِي ... لِآلِ رَسُولِ اللَّهِ زَيْنِ الْمَحَافِلِ
وَإِنَّ لَهُمْ عِزًّا يُرَى النَّاسُ دُونَهُ ... قِصَارًا وَطَالَ الْعِزُّ كُلَّ التَّطَاوُلِ
وَلْتُكْتَبْ هَاهُنَا الْآيَاتُ مِنْ سُورَةِ النُّورِ، وَهِيَ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالْإِفْكِ عُصْبَةٌ مِنْكُمْ لَا تَحْسَبُوهُ شَرًّا لَكُمْ بَلْ هُوَ خَيْرٌ لَكُمْ لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْهُمْ مَا اكْتَسَبَ مِنَ الْإِثْمِ} [النور: 11] إِلَى قَوْلِهِ: {لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ} [النور: 26] (النُّورِ: 11 26) وَمَا أَوْرَدْنَاهُ هُنَالِكَ مِنَ الْأَحَادِيثِ، وَالطُّرُقِ وَالْآثَارِ عَنِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ. وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ.