سنة ست من الهجرة النبوية
পৃষ্ঠা - ৩০২৩
হিজরী ৬ষ্ঠ সনের ঘটনাবলী
বায়হার্কী (র) বলেন : বলা হয়ে থাকে যে, এ বছর মুহাররম মাসে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার
নেতৃত্বে নাজ্বদ অভিমুখে একটা বাহিনী প্রেরণ করা হয় ৷ এ অভিযানে তরা ছুমামা ইবন উছাল
ইয়ামানীকে বন্দী করে আনেন ৷ আমি বলি, কিন্তু ইবন ইসহাক (র) সাঈদ মাকব্ররী সুত্রে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এ বাহিনীতে শরীক ছিলেন ৷ অথচ তিনি হিজরত
করেন খায়বর বিজয়ের পর (হিজরী ৭ মাসে) সুতরাং এটা পরের ঘাষ্টুনা হতে পারে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷ এটা এমন এক বছর যে বছরের প্রথম দিকে বনু লিহইয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
এটাই বিশুদ্ধ মত ৷ আর বনু কুরায়য়াকে পরাজিত করার ঘটনা ঘটে যিলকাদের শেষ এবং
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে ৷ আর এ হজ্জ মুশরিকদের ততুাবধানে অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ হিজরী
পঞ্চম সালে, ইতিপুর্বেও এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যিলহ্জ্জ মুহাররম, সফর এবং রবিউল আউয়াল এবং রবিউছ ছানী মাস মদীনায়
অবস্থান করেন এবং বনু কুরায়যার অভিযানের ৬ মাসের মাথায় বনু লিহ্য়ান অভিমুখে অভিযানে
বের হন ৷ তিনি রাজী এর শহীদ থুবায়র এবং তার সঙ্গীদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য
বের হন ৷ বাহ্যিকভাবে তিনি প্রকাশ করেন যে, তিনি শাম দেশের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছেন,
যাতে অকন্মাৎ তাদের উপর হামলা চালাতে পারেন, ইবন হিশাম বলেন, তিনি ইবন উম্মে
মাকতৃমকে মদীনায় প্রশাসকের দায়িত্বে নিযুক্ত করে যান ৷ মোট কথা, নবী করীম (সা) তাদের
আবাসন্থলের দিকে অগ্রসর হলে তারা পালিয়ে পাহাড়ের শীর্ষে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষা করে ৷
এরপর রাসুল করীম (সা) উছফানের দিকে গমন করেন ৷ সেখানে একদল মুশরিকের সঙ্গে
সংঘাতে লিপ্ত হন এবং সেখানে সালাতৃল খাওফ আদায় করেন ৷ চতুর্থ হিজরী সনের ঘটনাবলীতে
যুদ্ধ বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আর বায়হার্কী (র) ও এ ঘটনা সেখানেই আলোচনা
করেছেন ৷ তবে ইবন ইসহাক (র) যা উল্লেখ করেছেন, তা-ই বেশী যুক্তিযুক্ত ৷ আর তা হলো
এই যে, এ ঘটনাটি খন্দক যুদ্ধের পরের আর এটা প্রমাণিত যে, নবী করীম (সা) বনুলিহ্ইয়ানের ,
দিনে সেখানে সালাতুন খাওফ আদায় করেন ৷ তাই সে আলোচনা সেখানে হওয়াই যিধেয় ৷
মাপাযীর ইমাম (মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক)-এর অনুসরণ অনুসরণেই এটা হওয়া উচিৎ ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) বলেন :
যে ব্যক্তি মাগাযী তথা যুদ্ধ বিগ্রহ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চায়, তাকে মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাকের উপর নির্জাশীল হতে হবে ৷ বনুলিহ্ইয়ান যুদ্ধ সম্পর্কে কাব ইবন মালিক (বা) বলেনঃ
[سَنَةُ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ]
[غَزْوَةُ ذِي قَرَدَ]
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سَنَةُ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: يُقَالُ: فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا كَانَتْ سَرِيَّةُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قِبَلَ نَجْدٍ، وَأَسَرُوا فِيهَا ثُمَامَةَ بْنَ أُثَالٍ الْيَمَامِيَّ. قُلْتُ: لَكِنْ فِي سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ شَهِدَ ذَلِكَ، وَهُوَ إِنَّمَا هَاجَرَ بَعْدَ خَيْبَرَ فَتُؤَخَّرُ إِلَى مَا بَعْدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهِيَ السَّنَةُ الَّتِي كَانَ فِي أَوَائِلِهَا غَزْوَةُ بَنِي لِحْيَانَ، عَلَى الصَّحِيحِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فَتْحُ بَنِي قُرَيْظَةَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَصَدْرٍ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. وَوَلِيَ تِلْكَ الْحِجَّةَ الْمُشْرِكُونَ. يَعْنِي فِي سَنَةِ خَمْسٍ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ ذَا الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمَ وَصَفَرٍ وَشَهْرَيْ رَبِيعٍ، وَخَرَجَ فِي جُمَادَى الْأُولَى عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ فَتْحِ قُرَيْظَةَ إِلَى بَنِي لِحْيَانَ يَطْلُبُ بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ خُبَيْبٍ وَأَصْحَابِهِ، وَأَظْهَرَ أَنَّهُ يُرِيدُ الشَّامَ لِيُصِيبَ مِنَ الْقَوْمِ غِرَّةً.
পৃষ্ঠা - ৩০২৪
বনু লিহইয়ান যদি অপেক্ষা করতো
তাহলে তারা নিজেদের অঞ্চলে সত্যপন্থী
দলের সঙ্গে না যাতে প্রুবৃল্ডে হতো ৷
অনতিবিলন্বে তারা এমন দলের সঙ্গে
ৎঘাতে প্রবৃত্ত হতো, যাতে অন্তর হতো ভীত ৷
ৎস কর দলের সম্মুখে, যাদের তরবারি
চাকচিক্য নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল ৷
কিন্তু তাৱাতো ছিল যেন জঙ্গলের বিড়াল,
মানুষ দেখে যারা গর্ভে আশ্রয় নেয় ৷
ঘুকারাদের যুদ্ধ
ইবন ইসহাক (র) বলেন : এরপর রাসুল কৰীম (সা) মদীনায় পদার্পণ করেন এবং মাত্র
কয়েক দিন সেখানে অবস্থান করেন ৷ শেষ পর্যন্ত উয়াইনা ইবন হিসন ফাযারীর নেতৃত্বে একটা
বাহিনী ’গাবা নামক স্থানে নবী করীম (না)-এর দুধেল ইষ্টীর উপর হামলা চালায় ৷ তথায়
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে রাখাল রুপে বনু গিফারের জনৈক ব্যক্তি সশ্রীক বসবাস করতো ৷
হামলাকারীরা পুরুষটিকে হত্যা করে এবং উষ্টীগুলোর সঙ্গে তার শ্ৰীকে নিয়ে যায় ৷ ইবন ইসহাক
(র) আসিম ইবন উমর আব্দুল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সালমা
ইবন আমৃর ইবনুল আক্ওয়া আসলামী এ হামলা সম্পর্কে সর্ব প্রথম জানতে পান ৷ ভীর-ধনুক
নিয়ে তিনি পাবার দিকে বেরিয়ে পড়েন ৷ তার সঙ্গে ছিল তলেহা ইবন উবায়দুল্পাহর ভৃত্যও একটি
ঘোড়া ৷ ঘোড়া তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ তিনি ছানিয়াতুল ওদা’ পৌছলে কাফিরদের কিছু অশ্বের
প্রতি তার দৃষ্টি পড়ে ৷ সানা পর্বতের এক কিনারায় পৌছে তিনি চিৎকার করে বলেন, ছুা; ০ ৷ ’,
হে সাবধান ! তারপর তিনি হামলাকারীদের পেছনে ছুটে যান, তিনি ছিলেন নেকড়ের ন্যায়
দ্রুতগামী ৷ তিনি তাদেরকে নাগালে পেয়ে যান ! আর তীর দ্বারা তাদেরকে আঘাত করতে করতে
আবৃত্তি করেনং :
৩৬
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا انْتَهَى إِلَى مَنَازِلِهِمْ هَرَبُوا مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، فَتَحَصَّنُوا فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ فَمَالَ إِلَى عُسْفَانَ فَلَقِيَ بِهَا جَمْعًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَصَلَّى بِهَا صَلَاةَ الْخَوْفِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ هَذِهِ الْغَزْوَةِ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ، وَهُنَالِكَ ذَكَرَهَا الْبَيْهَقِيُّ، وَالْأَشْبَهُ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهَا كَانَتْ بَعْدَ الْخَنْدَقِ، وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّهُ صَلَّى بِعُسْفَانَ يَوْمَ بَنِي لِحْيَانَ، فَلْتُكْتَبْ هَاهُنَا، وَتُحَوَّلْ مِنْ هُنَاكَ اتِّبَاعًا لِإِمَامِ أَصْحَابِ الْمَغَازِي فِي زَمَانِهِ وَبَعْدَهُ، كَمَا قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: مَنْ أَرَادَ الْمَغَازِي فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. وَقَدْ قَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي غَزْوَةَ بَنِي لِحْيَانَ:
لَوَ انَّ بَنِي لِحْيَانَ كَانُوا تَنَاظَرُوا ... لَقُوا عُصَبًا فِي دَارِهِمْ ذَاتَ مَصْدَقِ
لَقُوا سَرَعَانًا يَمْلَأُ السَّرْبَ رَوْعُهُ ... أَمَامَ طَحُونٍ كَالْمَجَرَّةِ فَيْلَقِ
পৃষ্ঠা - ৩০২৫
وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا وِبَارًا تَتَبَّعَتْ ... شِعَابَ حِجَارٍ غَيْرِ ذِي مُتَنَفَّقِ
পৃষ্ঠা - ৩০২৬
তাদের পাকড়াও কর আর আমি হলাম আকওয়া তনয়,
আর আজকের দিনটা হলো নীচ প্রকৃতির লোকদের বিনাসের দিন ৷
অশ্ববাহিনী তার দিকে ছুটে এলে তিনি পিছিয়ে যেতেন ৷ সুযোগ পেলে তিনি পুনরায় ঘুরে
দীড়াতেন এবং তীর ছুড়তে ছুড়তে পুনরায় পুর্বোক্ত পংক্তি আবৃত্তি করবেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, তাদের কেউ একজন বলে উঠে; সে কি সারা দিন ধরে আমাদের উপর
হামলা চালাৰেন ? ইবন ইসহাক বলেনঃ ইবনুল আকওয়া এর আহ্বান শুান রাসুল করীম (সা)
মদীনায় বিপদ সংকেত দেন : বিপদ ! বি পদ ! ! তা শুনে মুসলিম ঘোড়সওয়হ্বররা তার নিকট চলে
আসেন ৷ সর্ব প্রথম রাসুলের কাছে পৌছেন মিকদাদ ইবনৃল আসওয়াদ ৷ তারপর আব্বাদ ইবন
বিশৃর , সাদ ইবন যায়দ এবং উসায়দ ইবন যহীর ৷ তার ব্যাপারে সন্দেহ আছে আরো পৌছেন
উক্কাশা ইবন মিহসান, বনু আমাদের মুহারিয ইবন নায্লা , বনু সালমার আবু কাবাহা হারিছ ইবন
রিবৃঈ এবং বনু সুরাইকের আবু আয়্যাশ উবায়দ ইবন যায়দ ইবন সা মিত ৷ তিনি আরো বলেন,
রাসুল করীম (না)-এর সমীপে তারা একত্র হলে সাদ ইবন যায়দকে তিনি তাদের আমীর নিযুক্ত
করে বললেন : দুশমনের খোজে বের হও; আমিও সদলবলে তোমাদের সঙ্গে যোগ দেবাে ৷
বনী যুরায়কের একাধিক ব্যক্তি থেকে আমি জানতে পাই যে নবী করীম (সা) আবুআয়্যাশকে
বলেছিলেন : হে আবুআয়্যাশ তুমি যদি তোমার ঘোড়াটি তোমার চাইতে দক্ষ অশ্বারােহীকে দান
করতে ! আর সে দুশমনের পেছনে ছুটতো (তাহলে কতইনা ভাল হতো ) ৷ আবু আয়্যাশ বলেন;
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমি সবচেয়ে দক্ষ ঘোড়সওয়ার ৷ এরপর আমি ঘোড়া
ছুটালাম ৷ আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি ৪০ গজও এগুতে পারিনি ঘোড়া আমাকে নিচে ফেলে
দেয় ৷ এতে আমি বিস্মিত হই ৷ বনুযুরায়কের কিছু লোক মনে করে যে, রাসুল করীম (সা) আবু
আয়্যাশের ঘোড়াটা মুআয ইবন মাইদ অথবা আইস ইবন মাইল ইবন কায়স ইবন খালদাকে
দিয়েছিলেন ৷ আর ইনি ছিলেন অষ্টম ঘোড়সওয়ার ৷ আবার কেউ কেউ সালামা ইবন আকওয়াকে
অষ্টম ঘোড়সওয়ার মনে করেন এবং বলেন যে, অশ্ব পৃষ্ঠ থেকে যাকে ফেলে দেয়, যে উসায়দ
ইবন য়হীর ৷ আসল ব্যাপার কি আর কে অষ্টম ছিলেন তা আল্পা ইে ভাল জানেন ৷ তিনি বলেন, ঐ
দিন সালামা ইবনুল আকওয়া ঘোড়ার সওয়ার ছিলেন না ৷ তিনি পদব্রজে ছুটে গিয়েই দুশমনের
সঙ্গে মিলিত হন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, ঘোড়সওয়াররা বের হলেন ৷ এবং ছুটে গিয়ে
দৃশমনের নাগাল পেলেন ৷ আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা সুত্রে তিনি বলেন যে , সর্ব প্রথম যে
ঘোড় সওয়ার ছুটে গিয়ে দৃশমনের সঙ্গে মিলিত হন তিনি ছিলেন মুহরিম ইবন নাঘৃলা ৷ আর তাকে
আখরাম নামে অভিহিত করা হতো অথবা তাকে কুমায়র বলা হতো ৷ যে ঘোড়ার নওয়াব হয়ে
তিনি গমন করেন, তা ছিল মাহমুদ ইবন মাসৃলামার ৷ আর এই ঘোড়াকে বলা হতো যুল লুম্মা ৷
মুহ্রিম দৃশমনের কাছে পৌছে তাদেরকে বললেন : হে বনুলুকায়্যার লোকেরা ! তোমরা অপেক্ষা
কর; পেছন দিক থেকে মুহাজির আনসাররা এসে তোমাদের সাথে মিলিত হোন ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, একথা শোনার পর দৃশমনদের একজন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ৷ আর ঘোড়া
ছুটিয়ে চলে যায় , তাকে পাকড়াও করা যায়নি ৷ নিহত ব্যক্তির ঘোড়াটি ছুটে যায় এবং বনু আবদুল
আশহড়ালের বাগানে গিয়ে থামে ৷ এটাই ছিল মদীনায় তাদের আস্তাবল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, যে
غَزْوَةُ ذِي قَرَدٍ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَلَمْ يُقِمْ بِهَا إِلَّا لَيَالِيَ قَلَائِلَ، حَتَّى أَغَارَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ، فِي خَيْلٍ مِنْ غَطَفَانَ عَلَى لِقَاحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغَابَةِ، وَفِيهَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ، فَقَتَلُوا الرَّجُلَ وَاحْتَمَلُوا الْمَرْأَةَ فِي اللِّقَاحِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَمَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ - كُلٌّ قَدْ حَدَّثَ فِي غَزْوَةِ ذِي قَرَدٍ بَعْضَ الْحَدِيثِ - أَنَّهُ كَانَ أَوَّلَ مَنْ نَذِرَ بِهِمْ سَلَمَةُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ الْأَسْلَمِيُّ، غَدَا يُرِيدُ الْغَابَةَ مُتَوَشِّحًا قَوْسَهُ وَنَبْلَهُ، وَمَعَهُ غُلَامٌ لِطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ مَعَهُ فَرَسٌ لَهُ يَقُودُهُ، حَتَّى إِذَا عَلَا ثَنِيَّةَ الْوَدَاعِ نَظَرَ إِلَى بَعْضِ خُيُولِهِمْ، فَأَشْرَفَ فِي نَاحِيَةِ سَلْعٍ، ثُمَّ صَرَخَ: وَاصَبَاحَاهُ. ثُمَّ خَرَجَ يَشْتَدُّ
পৃষ্ঠা - ৩০২৭
দিন মুসলমানদের মধ্যে তিনি ব্যতীত আর কেউ নিহত হননি ৷ অবশ্য ইবন হিশাম বলেন যে ,
একাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি আমাকে বলেন যে, সেদিন তার সঙ্গে ওয়াক্কাস ইবন মুজযান মৃছলাজীও
নিহত হন ৷ ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন কাব ইবন মালিক সুত্রে বলেন যে, মুহরিয় উক্কাশা ইবন
মিহসানের ঘোড়ার সওয়ার ছিলেন, যাকে বলা হতো জানাহ ৷ মুহরিয নিহত হন এবং জামাহ
নামক ঘোড়াটি ছিনতাই করা হয় ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷ তিনি আরো বলেন যে, ঘোড় সওয়ার
দুশমনের সঙ্গে মিলিত হলে আবু কাতাদ৷ হাবীব ইবন উয়াইনাকে ভ্রচ্তা৷ করে তাকে চাদর দ্বারা
ঢেকে রাখেন এবং এরপর লোকজনের সঙ্গে যোগ দেন ৷ তারপর রাসুল করীম (সা )
মুসলমানদের সঙ্গে এসে যোগ দেন ৷ ইবন ইিশাম বলেন যে, ঐ সময় রাসুল করীম (না) ইবন
উম্মে মাকতৃমকে মদীনায় প্রশাসক নিযুক্ত করেন এ সময় লোকজন হাবীরকে আবুক তা৷দার
চাদরে আবৃত দেখে ইন্ন৷ ৷লিল্লাহ্ পাঠ করেন ৷ তারা বলেন, আবু কাত ৷স ৷ নিহত হয়েছেন ৷ তখন
রাসুল করীম (সা) বললেন না, সে আবু কাতাদ৷ নয় বরং সে:তা ৷ভ্রা৷বু কাতাদার হাতে নিহত
ব্যক্তি ৷ আবুকাতাদাত তার উপর চাদর স্থাপন করেছে যাতে জানা যা- ভ্রু৷ যে, সেই তার হত্যাকারী ৷
তিনি আরো বলেন যে, উক্কা শা ইবন মিহছা ৷ন আওবার এবং তার পুত্র আমরকে একই উংষ্ট্ৰর উপর
সওয়ার পান এবং উতয়কে তীর নিক্ষেপে বধ করেন ৷ তারা তাদের কিছু উট নিয়ে যেতে ৩সমর্থ
হয় ৷ তিনি আরো ৷বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ চলতে চলতে ৩াযিক ৷রাদ এর একটা পাহাড়ে গিয়ে অবস্থান
গ্রহণ করেন এবং সাহাবীগণ ৷ও তার সঙ্গে সেখানে গিয়ে মিলিত ৩হন ৷ তিনি সেখানে এক দিন এক
রাত অবস্থান করেন ৷ সালাম৷ ইবনুল আকওয়া তাকে বললেন, ইয়া রাসৃলাল্লাহ্৷ আপনি যদি
আমাকে একশ’জন লোক সাথে দিয়ে পাঠান তবে আমি বাকী উটগুলােও নিয়ে আসতে পারতাম ৷
আর রাতে ধরে ওদের লোকদেরকেও ধরে আনতাম ৷ আমার কাছে যে বর্ণনা এসেছে যে মতে
তখন নবী করীম (সা) বললেন :
এখন তারা গাভ্রফান পােত্রে পৌছে গেছে এবং তাদের যেন্ হ্মানদারী করা হচ্ছে ৷ তারপর
রাসুলুল্লাহ সাল্ল ৷ল্লাহ আলায়হি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গী সাথীদের মধ্যে গনীমতের মাল বণ্টন করেন
এবং প্রতি একশজন লোকের মধ্যে অনেকগুলো উট বন্টন করেন এবং সেখানে কয়েকদিন
অবস্থান শেষে মদীনায় উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন ৷
তিনি আরো বলেন যে, গিফার গোত্রের এক নারী রাসুল করীম (সা) এর উটনীতে আরোহণ
করে মদীনায় আগমন করে ৷ সেই মহিলাটি রাসল (সা) কে এই খবরটি দেন ৷ মহিলাটি বলেন,
ইয়৷ রাসুলা ল্লাহ৷ আমি মানত করছি যে, আল্লাহ আমাকে নাজাত দিলে মানে নিরাপদে পৌছালে
আমি উটনীটি যবাই করবো ৷ মহিলার কথা শুনে রাসুলে মাকবুল (সা ) হেসে বললেন : তুমি
উটনীটিকে কতাহুনা নিকৃষ্ট প্ৰতিদান দিলে ৷ কারণ, আল্লাহ্ তোমাকে তার উপর সওয়ার করান
এবং তার সাহায্যে তোমাকে নাজাত দিলেন, আর এত সবের পর তুমি তাকে জবাই করার মানত
করলে ? জেনে রেখো, আল্লাহর নাফরমানীতে কোন মানত নেই ৷ তুমি যে জিনিসের মালিক নও,
সে ব্যাপারেও মানত করার অবকাশ ৷নেই ৷ সেটিতো আমার উটনীণ্ডু ৷ আল্ল৷ হ্র বরকত নিয়ে তুমি
স্বজনদের মধ্যে ফিরে যাও ! ইবন ইসহ ক (র) বলেন :০ এ ব্যাপারে আবুযুবায়র মাকী সুত্রে হাসান
বসরীর বরাতে হাদীছ বর্ণিত আছে ৷ ইবন ইসহাক (র ) সনদসহ কাহিনীটি এভাবে বর্ণনা করেছেন ৷
فِي آثَارِ الْقَوْمِ، وَكَانَ مِثْلَ السَّبُعِ حَتَّى لَحِقَ بِالْقَوْمِ، فَجَعَلَ يَرُدُّهُمْ بِالنَّبْلِ وَيَقُولُ إِذَا رَمَى:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... الْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
فَإِذَا وُجِّهَتِ الْخَيْلُ نَحْوَهُ انْطَلَقَ هَارِبًا ثُمَّ عَارَضَهُمْ، فَإِذَا أَمْكَنَهُ الرَّمْيُ رَمَى ثُمَّ قَالَ:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... الْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
قَالَ: فَيَقُولُ قَائِلُهُمْ: أُوَيْكِعُنَا هُوَ أَوَّلُ النَّهَارِ. قَالَ: «وَبَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صِيَاحُ ابْنِ الْأَكْوَعِ، فَصَرَخَ بِالْمَدِينَةِ: " الْفَزَعَ الْفَزَعَ ". فَتَرَامَتِ الْخُيُولُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ انْتَهَى إِلَيْهِ مِنَ الْفُرْسَانِ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ، ثُمَّ عَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ، وَسَعْدُ بْنُ زَيْدٍ، وَأُسَيْدُ بْنُ ظُهَيْرٍ - يُشَكُّ فِيهِ - وَعُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَمُحْرِزُ بْنُ نَضْلَةَ، أَخُو بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَأَبُو
পৃষ্ঠা - ৩০২৮
قَتَادَةَ الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَأَبُو عَيَّاشٍ عُبَيْدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ صَامِتٍ، أَخُو بَنِي زُرَيْقٍ، قَالَ: فَلَمَّا اجْتَمَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّرَ عَلَيْهِمْ سَعْدَ بْنَ زَيْدٍ، ثُمَّ قَالَ: " اخْرُجْ فِي طَلَبِ الْقَوْمِ حَتَّى أَلْحَقَكَ فِي النَّاسِ " وَقَدْ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي عَيَّاشٍ فِيمَا بَلَغَنِي عَنْ رِجَالٍ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ: " يَا أَبَا عَيَّاشٍ لَوْ أَعْطَيْتَ هَذَا الْفَرَسَ رَجُلًا هُوَ أَفْرَسُ مِنْكَ فَلَحِقَ بِالْقَوْمِ ". قَالَ أَبُو عَيَّاشٍ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا أَفْرَسُ النَّاسِ. ثُمَّ ضَرَبْتُ الْفَرَسَ، فَوَاللَّهِ مَا جَرَى بِي خَمْسِينَ ذِرَاعًا حَتَّى طَرَحَنِي، فَعَجِبْتُ مِنْ ذَلِكَ، فَزَعَمَ رِجَالٌ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى فَرَسَ أَبِي عَيَّاشٍ مُعَاذَ بْنَ مَاعِصٍ، أَوْ عَائِذَ بْنَ مَاعِصٍ بْنِ قَيْسِ بْنِ خَلَدَةَ، وَكَانَ ثَامِنًا. قَالَ: وَبَعْضُ النَّاسِ يَعُدُّ سَلَمَةَ بْنَ الْأَكْوَعِ ثَامِنًا، وَيَطْرَحُ أُسَيْدَ بْنَ ظُهَيْرٍ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ، قَالَ: وَلَمْ يَكُنْ سَلَمَةُ بْنُ الْأَكْوَعِ يَوْمَئِذٍ فَارِسًا، وَقَدْ كَانَ أَوَّلَ مَنْ لَحِقَ بِالْقَوْمِ عَلَى رِجْلَيْهِ. قَالَ: فَخَرَجَ الْفُرْسَانُ حَتَّى تَلَاحَقُوا، فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ أَنَّ أَوَّلَ فَارِسٍ لَحِقَ بِالْقَوْمِ مُحْرِزُ بْنُ نَضْلَةَ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ الْأَخْرَمُ. وَيُقَالُ لَهُ: قُمَيْرٌ. وَكَانَتِ الْفَرَسُ الَّتِي تَحْتَهُ لِمَحْمُودِ بْنِ مَسْلَمَةَ - وَكَانَ يُقَالُ لِلْفَرَسِ: ذُو اللِّمَّةِ - فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى الْعَدُوِّ قَالَ لَهُمْ: قِفُوا مَعْشَرَ بَنِي اللَّكِيعَةِ حَتَّى يَلْحَقَ بِكُمْ مَنْ وَرَاءَكُمْ مِنْ أَدْبَارِكُمْ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ. قَالَ: فَحَمَلَ
পৃষ্ঠা - ৩০২৯
পক্ষান্তরে ইমাম বুখারী (ব) হুদায়বিয়ার পরে এবং খায়বরের আগে ঘুকাবাদ যুদ্ধের উল্লেখ
করেছেন ৷ এ যুদ্ধ সং টিত হয় খায়বর যুদ্ধের তিন দিন পুর্বে; যাতে দুশমনরা রাসুল করীম (সা)
-এর উটনী লুষ্ঠন করে নিয়ে গিয়েজ্যি ৷ ইমাম বুখারী (র) কুতায়বা ইবন সাঈদ (র)
সালামা ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন :
তিনি বলেন, প্রথম আযানের (ফজরের) আগে আমি (ঘর থেকে) বের ইে ৷ তখন রাসুল
করীম (না)-এর উটনীগুলো ছিল ষী কারাদ-এর চারণ ভুমিতে ৷ পথে আবদুর রহমান ইবন
আওফের এক ভৃত্যের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি বললেন, রাসুল করীম (না)-এর
উটনীগুলো লুট করে নিয়ে গেছে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম ; কে নিয়ে গেছে ? তিনি বললেন,
গাতফান গোত্রের লোকেরা ৷ তিনি বলেন : এরপর আমি ংাঠুা ; ৷ ৰু, বলে তিন দফা চিৎকার
করি ৷ আমার চিৎকারের শব্দ মদীনায় সকলকে শোনাই ৷ তারপর আমি ছুটে যাই এবং তাদের
নাপাল পেয়ে যইি ৷ তারা তখন পানি পান করছিল ৷ আমি তাদেরদিকে তীর নিক্ষেপ করলাম আর
আমি ছিলাম দক্ষ ভীরন্দায ৷ এ সময় আমি বলছিলাম :
আমি হলাম আকওয়া তনয়, আর আজকের দিনটি হলো নীচ লোকদের বিনাশের দিন ৷ এ
কথাগুলো আমি সুর করে গানের মতো আবৃত্তি করহ্নিাড়াম ৷ শেষ পর্যন্ত আমি তাদের নিকট থেকে
উটনীগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হই ৷ এছাড়াও আমি তাদের নিকট থেকে ৩০ থানা চাদরও
ছিনিয়ে আমি ৷ তিনি বলেন, তারপর রাসুল করীম (সা) এলেন এবং লোকজনও উপস্থিত হলো ৷
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ! আমিভাে তাদেরকে পানি পান করতে বাধা দিয়েছি ৷ তারা
পিপাসার্ত ৷ তখনই তাদের প্রতি লোক প্রেরণ করান ৷ তখন রাসুল করীম (সা) বললেন :
হে ইবনুল আকওয়া, যখন তুমি বিজয়ী হয়েছে৷ তখন উদার হও ৷ তারপর আমরা ফিরে
আমি এবং রাসুল করীম (সা) আমাকে তার নিজের উটনীতে সহযাত্রী করলেন ৷ অবশেষে আমরা
মদীনা পৌছলাম ৷ অনুরুপভাবে মুসলিম কুতায়বা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী
(র) ও আবুআসিম সুহালী আবুউবায়দার আযাদ করা গোলাম সালামা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হাশিম ইবন কাসিম সালামা ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন
হুদায়বিয়ার যমানায় আমরা রাসুল করীম (না)-এর সাথে মদীনায় আগমন করি ৷ একদিন আমি
এবং রাসুল করীম (না)-এর ভৃত্য রাবাহ রাসুলের সওয়ারী নিয়ে (মদীনায়) বাইরে গমন করি ৷
এবং আমি তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ ঘোড়া নিয়ে বের হই ৷ উদ্দেশ্য ছিল উটনীর সঙ্গে ঘোড়াকেও
পানি পান করানো ও মাঠে চরানাে ৷ অন্ধকার থাকতেই আবদুর রহমান ইবন উয়ায়না রাসুল করীম
(না)-এর উটের উপর হামলা চালায় ৷ সে উটের রাখালকে হত্যা করে এবং সে-ও তার সঙ্গে
অন্যরা উটগুলাে হীকিয়ে নিয়ে যায় ৷ আমি তখন বললাম, হে রাবাহ! ঘোড়ার পিঠে চড় এবং
তালহার সঙ্গে মিলিত হয়ে রাসুল করীম (সা)-কে খবর দাও যে, তার পশুগুলাে লুট হয়ে গেছে ৷
عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَتَلَهُ، وَجَالَ الْفَرَسُ فَلَمْ يُقْدَرْ عَلَيْهِ حَتَّى وَقَفَ عَلَى أَرِيَّةٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، أَيْ رَجَعَ إِلَى مِرْبَطِهِ الَّذِي كَانَ فِيهِ بِالْمَدِينَةِ.»
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يُقْتَلْ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ غَيْرُهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ مَعَهُ أَيْضًا وَقَّاصُ بْنُ مُجَزِّزٍ الْمُدْلِجِيُّ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ مُحْرِزًا كَانَ عَلَى فَرَسٍ لِعُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ يُقَالُ لَهَا: الْجَنَاحُ. فَقُتِلَ مُحْرِزٌ وَاسْتُلِبَتِ الْجَنَاحُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ: «وَلَمَّا تَلَاحَقَتِ الْخَيْلُ قَتَلَ أَبُو قَتَادَةَ حَبِيبَ بْنَ عُيَيْنَةَ وَغَشَّاهُ بُرْدَهُ، ثُمَّ لَحِقَ بِالنَّاسِ، وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْلِمِينَ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ - فَإِذَا حَبِيبٌ مُسَجًّى بِبُرْدِ أَبِي قَتَادَةَ، فَاسْتَرْجَعَ النَّاسُ، وَقَالُوا: قُتِلَ أَبُو قَتَادَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسَ بِأَبِي قَتَادَةَ، وَلَكِنَّهُ قَتِيلٌ لِأَبِي قَتَادَةَ، وَوَضَعَ عَلَيْهِ بُرْدَهُ لِتَعْرِفُوا أَنَّهُ صَاحِبُهُ ". قَالَ: وَأَدْرَكَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ أَوْبَارًا وَابْنَهُ عَمْرَو بْنَ أَوْبَارٍ، وَهُمَا عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، فَانْتَظَمَهُمَا بِالرُّمْحِ فَقَتَلَهُمَا جَمِيعًا وَاسْتَنْقَذُوا بَعْضَ اللِّقَاحِ. قَالَ: وَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلَ بِالْجَبَلِ مِنْ ذِي قَرَدٍ، وَتَلَاحَقَ بِهِ النَّاسُ، فَأَقَامَ عَلَيْهِ يَوْمًا وَلَيْلَةً، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩০
রাবী বলেন, আমি একটা উচ্চস্থানে আরোহণ করে মদীনায় দিকে মুখ করে তিনবার ধ্বনি দেই,
ষ্টুা;া; পু ৷ এরপর শত্রুরা পিছু ছুটে যাই তরবারী আর তীর ধনুকসহ আমি তীর নিক্ষেপ
করতে থাকি আর তাদের বাহনকে আহত করতে থাকি ৷ ঐ সময় সেখান পর্যাপ্ত পরিমাণ গাছপালা
জ্জি ৷ কোন ঘোড় সওয়ার আমার দিকে ছুটে এলে আমি গাছের ন্ণ্হুমড়ােলে আত্মগােপন করতাম ৷
তারপর আবার তীর ছুড়তাম ৷ আমার দিকে কোন ঘোড় সওয়ার এগিয়ে এলে আমি তাকে তীর
নিক্ষেপে আহত কংতাম ৷ এ সময় আমি আবৃত্তি কবছিলাম :
“আমি হলাম ইবনুল আকওয়া, আজকের দিনটি নীচাশয় লোকদের ধ্বংসের দিন ৷” তিনি
বলেন, আমি শত্রুর কোন লোকের নিকটবর্তী হলে তাকে তীর নিক্ষেপ করতাম , যা তার বাহন
ভেদ করে তার র্কাধ পর্যন্ত পৌছতাে ৷ তখন আমি বলতাম :
৫৯র্স ’
তাকে পাকড়াও কর, আমি হচ্ছি ইবনুল আকওয়া,
আজকের দিনটি তাে নীচ লোকদের ধ্বংসের দিন ৷
যখন আমি বৃক্ষরাজি পরিবেষ্টিত আগুনে থাকতাম, তীর নিক্ষেপ দ্বারা তাদের দেহ বাজেরা
করে ফেলভাম, আবার যখন গিরিপথ সামনে পড়তে! তখন আমি পাহাড়ের চুড়ায় উঠে তাদ্যো
উপর পাথর নিক্ষেপ করতাম ৷ আমার এবং তাদের দশা এমনই ছিল যে, আমি একাধারে তাদের
অনুসরণ করছিলাম আর সুর করে কবিতা আওড়ান্ডিংড়াম ৷ এমনকি রাসুল করীম (না)-এর
সবগুলো উটকেই আমি আমার পেছনে নিয়ে আমি এবং তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেই ৷
এরপরও আমি অব্যাহত ধারার তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে চনলাম ৷ এমন কি তার! বোঝা
হালকা করার মানসে ত্রিশটি বর্শা এবং ত্রিশটি চাদর ফেণে যায় ৷ আর তারা বা কিছু নিক্ষেপ
করতো তার উপর আমি প্রস্তর স্থাপন করতাম এবং রাসুনুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসগ্লোনের
আগমন পথে সেসব কিছু এক্য৷ করে ৱাখতাম ৷
শেষ পর্যন্ত বেলা উঠন্সে উয়ায়না ইবন বদর ফাষারী তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে ৷ তখন
তারা ছিল একটা সংর্কীর্ণণিরিপঃপ ৷ এরপর আমি পাহাড়ে চড়ে তাদের উপরে অবস্থান নেই এ
সময় উয়ায়না কালো : আমি এটা কি দেখছি ৷ তারা কালো : আমরা এমনই এক পরিস্থিতির
সম্মুখীন হয়েছি ৷ ভোর রাত থেকে এখন পর্যন্ত সোকটি আমাদ্যো পিছু ছাড়েনি ৷ আমাদের নিকট
যা কিছু ছিন্ন তার সবই সে হিনিয়ে নিয়ে তার পেছনে রেখে দিয়েছে ৷ তখন উয়ায়না বসে : সে
যদি এটা না দেখত্তো যে, তার পশ্চাৎ থেকে সাহায্য আসছে তাহণে সে তােমাদেরকে ত্যাগ করে
চলে যেতো ৷ তোমাদের কিছু থেকে তাদের সখুখে দাড়াক ৷ তাদের মধ্য থেকে চারজন সৰুধে
এগিয়ে আসে এবং পাহাড়ে আরোহণ করে ৷ আমি তাদেরকে শুনিয়ে ৩নিয়ে বপশাম, তোমরা কি
আমাকে চিনতে প!রছ ? তারা বণশো : কে তুমি ৷ বস্লাম, আমি ইবনুল আকওয়া ৷ সে সভার
لَهُ سَلَمَةُ بْنُ الْأَكْوَعِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ سَرَّحْتَنِي فِي مِائَةِ رَجُلٍ لَاسْتَنْقَذْتُ بَقِيَّةَ السَّرْحِ وَأَخَذْتُ بِأَعْنَاقِ الْقَوْمِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا بَلَغَنِي -: إِنَّهُمُ الْآنَ لَيُغْبَقُونَ فِي غَطَفَانَ " فَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَصْحَابِهِ فِي كُلِّ مِائَةِ رَجُلٍ جَزُورًا، وَأَقَامُوا عَلَيْهِ، ثُمَّ رَجَعَ قَافِلًا حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ. قَالَ: وَأَقْبَلَتِ امْرَأَةُ الْغِفَارِيِّ عَلَى نَاقَةٍ مِنْ إِبِلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَدِمَتْ عَلَيْهِ الْمَدِينَةَ فَأَخْبَرَتْهُ الْخَبَرَ. فَلَمَّا فَرَغَتْ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ نَذَرْتُ اللَّهَ أَنْ أَنْحَرَهَا إِنْ نَجَّانِي اللَّهُ عَلَيْهَا. قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: " بِئْسَ مَا جَزَيْتِهَا أَنْ حَمَلَكِ اللَّهُ عَلَيْهَا وَنَجَّاكِ بِهَا ثُمَّ تَنْحَرِينَهَا، إِنَّهُ لَا نَذْرَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، وَلَا فِيمَا لَا تَمْلِكِينَ، إِنَّمَا هِيَ نَاقَةٌ مِنْ إِبِلِي، فَارْجِعِي إِلَى أَهْلِكِ عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَالْحَدِيثُ فِي ذَلِكَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ هَكَذَا أَوْرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقِصَّةَ بِمَا ذَكَرَهُ مِنَ الْإِسْنَادِ وَالسِّيَاقِ.
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، بَعْدَ قِصَّةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَبْلَ خَيْبَرَ: غَزْوَةُ ذِي قَرَدٍ، وَهِيَ الْغَزْوَةُ الَّتِي أَغَارُوا عَلَى لِقَاحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ خَيْبَرَ بِثَلَاثٍ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، سَمِعْتُ سَلَمَةَ بْنَ الْأَكْوَعِ يَقُولُ: «خَرَجْتُ قَبْلَ أَنْ يُؤَذَّنَ بِالْأُولَى، وَكَانَتْ لِقَاحُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْعَى بِذِي قَرَدٍ. قَالَ: فَلَقِيَنِي غُلَامٌ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فَقَالَ: أُخِذَتْ لِقَاحُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: مَنْ أَخَذَهَا؟ قَالَ: غَطَفَانُ. قَالَ: فَصَرَخْتُ ثَلَاثَ صَرَخَاتٍ: يَا
পৃষ্ঠা - ৩০৩১
صَبَاحَاهْ. قَالَ: فَأَسْمَعْتُ مَا بَيْنَ لَابَتَيِ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ انْدَفَعْتُ عَلَى وَجْهِي حَتَّى أَدْرَكْتُهُمْ وَقَدْ أَخَذُوا يَسْتَقُونَ مِنَ الْمَاءِ، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ بِنَبْلِي - وَكُنْتُ رَامِيًا - وَأَقُولُ: أَنَا ابْنُ الْأَكْوَعْ، الْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ. وَأَرْتَجِزُ حَتَّى اسْتَنْقَذْتُ اللِّقَاحَ مِنْهُمْ وَاسْتَلَبْتُ مِنْهُمْ ثَلَاثِينَ بُرْدَةً. قَالَ: وَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ حَمَيْتُ الْقَوْمَ الْمَاءَ، وَهُمْ عِطَاشٌ، فَابْعَثْ إِلَيْهِمُ السَّاعَةَ. فَقَالَ: " يَا ابْنَ الْأَكْوَعِ، مَلَكْتَ فَأَسْجِحْ ". ثُمَّ رَجَعْنَا، وَيُرْدِفُنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاقَتِهِ حَتَّى قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، بِهِ، وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ مَوْلَاهُ سَلَمَةَ، بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩২
শপথ, যিনি মুহামাদের চেহারাকে সম্মানিত করেছেন ৷ তোমাদের মধ্যে যে কেউ আমার
পশ্চাদ্ধাবন করবে সে আমাকে পাকড়াও করতে পারবেনা পক্ষাম্ভরে আ ৷মি যার পশ্চাদ্ধাবন করবো
সে আমার হাত থেকে পালাতে পারবে না ৷ তাদের এক ব্যক্তি বললো, হবেওত তা তিনি বলেন
আমি আমার অবস্থানে স্থির থাকলাম ৷ এমন সময় রাসুল করীম (সা ) এর অশ্বারোহীদের প্রতি
আমার নজর পড়ে ৷ গাছের ফাক দিয়ে তারা এগিয়ে আসছিলেন ৷ তাদের মধ্যে সকলের
আংভাগে ছিলেন আখরাম আল আসাদী আর তার পশ্চাতে ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘোড়
সওয়ার আবু কাতাদা ৷ আর তার পেছনে ছিলেন মিকদাদ ইবন আনৰুদ আল-কিন্দী ৷ তখন
ঘুশরিকরা পেছনের দিকে ছুটে পালায় ৷ আমি পাহাড় থেকে নিচে নাে: ৷ আমি এবং আখরামের
ঘোড়ার লাগান ধরি ৷ বলিষ্ক আখরাম! তাদের ব্যাপারে সর্তক থাকবে ৷ আমার আশংকা হয় ৷
তারা তোমাকে হত্যা করবে ৷ তুমি রাসুল করীম এবং তার সাহাৰীহ্ব দ্র আগমন পর্যন্ত একটু
অপেক্ষা কর ৷ তিনি বললেন সালামা ! আল্লাহ তা আ লা এবং শেষ দিনে তোমার যদি ঙ্গমান
থাকে আর তোমার যদি বিশ্বাস হয় যে, জান্নাত-জাহান্নাম সত্য তাহরুণ্৷ আমার আর শাহাদতের
মধ্যন্থলে তুমি অস্তুরায় হয়ে র্দাডিয়ােন৷ ৷
ইবন ইসহাক বলেন : তখন আমি তার ঘোড়ার লাগান ণ্ছড়ে দেই ৷ ফলে তিনি আবদুর
রহমান ইবন উয়ায়নার মুখোমুখী হন ৷ আর আবদুর রহমানও তার প্রতি ফিরে দাড়ায় ৷ উভশ্নে
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ৷ আখরাম আবদুর রহমানকে আঘাত করেন এবং আবদুর রহমান তীর
নিক্ষেণে তাকৈ হত্যা করে ৷ এর ফলে আবদুর রহমান আখরামের ঘোড়ার চড়ে বসে ৷ তারপর
আবু কাতাদা আবদুর রহমানের মুখোমুখি এসে দাড়ান, পরস্পরে একে অন্যের উপর আঘাত
হানেন ৷ যে আবুকাতদাের ঘোড়াকে আহত করে ৷ আবু কাতাদা আবদুর রহমানকে হত্যা করেন
এবং আখরামের ঘোড়ার পিঠে সওরার হন ৷
এরপর আমি শত্রুবাহিনীর ন্স্ফোতে ছুটে যাই; এমনকি আমি নবী কল্পীম (সা) এর সাহাবীদের
ঘোড়ার পায়ের ধুলোতেও দেখতে পাচ্ছিলাম না ৷ সুযাস্তের পুর্বে শত্রুর৷ একটা ঘাটিশুত পৌছে,
যেখানে পানি জ্জি ৷ এর নাম ল্লি বু-কারাদ ৷ শত্রুপ্স্ফো সেখানে প্া৷নি পান বল্পতে ঢেয়েছিল ; কিন্তু
পেছন দিক থেকে আমাকে ছুটে আসতে দেখে , তারা পেছনে সরে দাড়ায় এবং সানিয়া যী বির
-এর দিকে মোড় নেয় এবং সেখানেই সুর্য অস্তমিত হয় ৷ এসময় এক ব্যক্তির কাছে গিয়ে আমি
তাকে তীর নিক্ষেপ করে বলি :
৷ গ্লুন্ধুন্৷ ৷ ;প্রু৷ ক্রোঙ্ ৮৯১১
তাকে পাকড়াও করো আর আমি হলাম্ আক্যাে এর পুত্র আর আজকের দিনটি হল নিশ্চয়
লোকদের বিনাশ করার দিন ৷ সে বনল্যে, আকওয়া এর যা তার জন্য ব্লোদৃন করুক ৷ সকালের
সেই আক্ওয়া আমি ;বললাম হা রে নিজের দৃশমন ! ভোরনেলা আমি তাকে তীর নিক্ষেপ
করেছিলাম এবং এরপর আরো একটা তীর ছুড়ি; ফলে তার দেহে দুটি তীর বের হয় ৷ আর তারা
রেখে যায় দুটি ঘোড়া ৷ আমি যে ঘোড়া দুটি হাকিয়ে রাসুল কবীম (না-এর কাছে নিয়ে যাই ৷
পানির যে কুপের কাছ থেকে আমি তাদেরকে উচ্ছেদ করেছিলাম ৷ তিনি সেখানেই অবস্থান
করছিলেন ৷ তর্থোৰুৎ য়ু-কারাহ করার কাছে ৷ তখন নবী কর্বীম্ (মা) ছিলেন গাচশ’ জন সাহাবী
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَجْتُ أَنَا وَرَبَاحٌ غُلَامُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَرَجْتُ بِفَرَسٍ لِطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، كُنْتُ أُرِيدُ أَنْ أُنَدِّيَهُ مَعَ الْإِبِلِ، فَلَمَّا كَانَ بِغَلَسٍ أَغَارَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُيَيْنَةَ عَلَى إِبِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَتَلَ رَاعِيَهَا وَخَرَجَ يَطْرُدُهَا هُوَ وَأُنَاسٌ مَعَهُ فِي خَيْلٍ، فَقُلْتُ: يَا رَبَاحُ، اقْعُدْ عَلَى هَذَا الْفَرَسِ فَأَلْحِقْهُ بِطَلْحَةَ، وَأَخْبِرْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَدْ أُغِيرَ عَلَى سَرْحِهِ. قَالَ: وَقُمْتُ عَلَى تَلٍّ فَجَعَلْتُ وَجْهِي مِنْ قِبَلِ الْمَدِينَةِ ثُمَّ نَادَيْتُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: يَا صَبَاحَاهْ. قَالَ: ثُمَّ اتَّبَعْتُ الْقَوْمَ مَعِي سَيْفِي وَنَبْلِي، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ وَأَعْقِرُ بِهِمْ، وَذَلِكَ حِينَ يَكْثُرُ الشَّجَرُ فَإِذَا رَجَعَ إِلَيَّ فَارِسٌ جَلَسْتُ لَهُ فِي أَصْلِ شَجَرَةٍ ثُمَّ رَمَيْتُ فَلَا يُقْبِلُ عَلَيَّ فَارِسٌ إِلَّا عَقَرْتُ بِهِ، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ، وَأَنَا أَقُولُ: أَنَا ابْنُ الْأَكْوَعْ وَالْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ. قَالَ: فَأَلْحَقُ بِرَجُلٍ مِنْهُمْ فَأَرْمِيهِ، وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ فَيَقَعُ سَهْمِي فِي الرَّجُلِ حَتَّى انْتَظَمَ كَتِفَهُ، فَقُلْتُ:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... وَالْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
فَإِذَا كُنْتُ فِي الشَّجَرِ أَحْرَقْتُهُمْ بِالنَّبْلِ، فَإِذَا تَضَايَقَتِ الثَّنَايَا عَلَوْتُ الْجَبَلَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৩
فَرَدَيْتُهُمْ بِالْحِجَارَةِ، فَمَا زَالَ ذَاكَ شَأْنِي وَشَأْنَهُمْ أَتْبَعُهُمْ وَأَرْتَجِزُ حَتَّى مَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا مِنْ ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا خَلَّفْتُهُ وَرَاءَ ظَهْرِي، فَاسْتَنْقَذْتُهُ مِنْ أَيْدِيهِمْ، ثُمَّ لَمْ أَزَلْ أَرْمِيهِمْ حَتَّى أَلْقَوْا أَكْثَرَ مِنْ ثَلَاثِينَ رُمْحًا، وَأَكْثَرَ مِنْ ثَلَاثِينَ بُرْدَةً يَسْتَخِفُّونَ مِنْهَا، وَلَا يُلْقُونَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا إِلَّا جَعَلْتُ عَلَيْهِ حِجَارَةً، وَجَمَعْتُ عَلَى طَرِيقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا امْتَدَّ الضُّحَى أَتَاهُمْ عُيَيْنَةُ بْنُ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ مَدَدًا لَهُمْ، وَهُمْ فِي ثَنِيَّةٍ ضَيِّقَةٍ، ثُمَّ عَلَوْتُ الْجَبَلَ، فَأَنَا فَوْقَهُمْ، فَقَالَ عُيَيْنَةُ: مَا هَذَا الَّذِي أَرَى؟ قَالُوا: لَقِينَا مِنْ هَذَا الْبَرْحَ، مَا فَارَقَنَا بِسَحَرٍ حَتَّى الْآنَ، وَأَخَذَ كُلَّ شَيْءٍ فِي أَيْدِينَا وَجَعَلَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ فَقَالَ عُيَيْنَةُ: لَوْلَا أَنَّ هَذَا يَرَى أَنَّ وَرَاءَهُ طَلَبًا لَقَدْ تَرَكَكُمْ، لِيَقُمْ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْكُمْ. فَقَامَ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ، فَصَعِدُوا فِي الْجَبَلِ، فَلَمَّا أَسْمَعْتُهُمُ الصَّوْتَ قُلْتُ: أَتَعْرِفُونَنِي؟ قَالُوا: وَمَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَا ابْنُ الْأَكْوَعِ، وَالَّذِي كَرَّمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ لَا يَطْلُبُنِي رَجُلٌ مِنْكُمْ فَيُدْرِكَنِي وَلَا أَطْلُبُهُ فَيَفُوتَنِي. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ: إِنْ أَظُنُّ. قَالَ: فَمَا بَرِحْتُ مَقْعَدِي ذَلِكَ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى فَوَارِسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَخَلَّلُونَ الشَّجَرَ، وَإِذَا أَوَّلُهُمِ الْأَخْرَمُ الْأَسَدِيُّ، وَعَلَى أَثَرِهِ أَبُو قَتَادَةَ فَارِسُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى أَثَرِ أَبِي قَتَادَةَ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ الْكِنْدِيُّ، فَوَلَّى الْمُشْرِكُونَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৪
পরিবেষ্টিত ৷ আর বিলাল (বা) আমার ফেলে আসা উটের মধ্য থেকে একটা উট যবাই করেন
এবং তিনি রাসুল কয়ীম (না)-এর জন্য উটের কলিজা ও কুজের গোশত ভৃনছিলেন ৷ আমি রাসুল
করীম (না)-এর থেদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলাম; ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু আমাকে অনুমতি দিন,
আমি আপনার সাহাবীপণের মধ্যে থেকে একশজনকে বাছাই করে নেবাে এবং রাতের অন্ধকারে
আমি কাফিরদেরকে পাকড়াও করবো এবং তাদের মধ্যে একজন গুপ্তচরও অবশিষ্ট থাকবে না ,
আমি তাদের সকলকেই হত্যা করবো ৷ আমার কথা শুনে রাসুল করীম (সা) বললেন : সালামা !
তুমি কি তাই করবে ? আমি বললাম, জী হা ৷ যে সত্তা আপনাকে সম্মানিত করেছেন তার শপথ
করে বলছি ৷ ৰু তে রাসুল করীম (সা) হেসে ফেললেন; এমন কি আগুনের আলোতে আমি তার
মাড়ির দাত দেখতে পেলাম ৷ এরপর তিনি বললেন, গাতফান গোত্রের ভুমিতে এখন তাদের
মেহমানদারী চলছে ৷ তখন পাতফান গোত্রের জনৈক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বললো : তারা অমুক
গাতফানীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছে ৷ সে তাদের জন্য উট যবাই করেছে ৷ তারা বসে উটের
চামড়া খসাচ্ছিল এমনি সময় গিয়ে তারা ধুলাবালি উড়তে দেখতে পেয়ে ছেড়ে ছুটে পালায় ৷ ভোর
হলে রাসুল করীম (সা) বললেন : আমাদের ঘোড়সওয়ারদের মধ্যে আবু কাতাদা সর্বোত্তম; আর
পদাতিকদের মধ্যে সবেত্তিম হল সালামা ৷ তাই রাসুল করীম (সা) আমাকে ঘোড়সওয়ার আর
পদাতিক উভয়ের অংশ দান করলেন ৷ তারপর মদীনা প্রত্যাবর্তনকালে তিনি তার নিজের উটনী
আযবার পিঠে আমাকে সহযাত্রী করলেন ৷ যখন আমাদের আর মদীনায় মধ্যে কিছুটা দুরতৃ
অবশিষ্ট জ্জি এবং দোকদ্যে৷ মধ্যে একজন এমনও ল্লি, যে প্রতিযোগিতায় পরাজিত হতো না সে
ডাক দিয়ে বলছিল; কোন প্ৰতািযাগী আছে কি ? মদীনা পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মতো
কেউ আছে কি : কথাটা সে বারবার উচ্চারণ করছিল ৷ আর আমি ছিলাম রাসুল করীম (সা)--এর
পেছনের সহযাত্রী ৷ আমি তাকে বললাম : তুমি কি কোন সম্রান্ত ব্যক্তির সম্মান করনা আর কোন
শরীফ ব্যক্তিকে ভয় কর না : সে বললো : রাসুল করীম (সা) ব্যতীত অন্য কাউকে আমি সম্মানও
করি না আর ভয়ও করি না ৷ আমি আরয করলাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার প্রতি আমার
পিতা-মাতা বুল্মবান হোন, আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবাে ৷
তিনি বললেন : তোমার ইচ্ছা হলে নামভে পার ৷ আমি তাকে বললাম , আমি তোমার দিকে
আসছি ৷ সে সওয়াৰী থেকে লাফিয়ে পড়লো, আর আমিও উটনীর পিছন থেকে লাফিয়ে পজ্ঞাম ৷
এরপর আমি এক বা দুই টিলা পেছনে রইলাম অর্থাৎ দম রাখার জন্য ধীর গতিতে এগুলাম ৷
তারপর দ্রুত ও দৌড়ে গিয়ে তার সঙ্গে মিলিত হলাম এবং তার দৃ’ স্কন্ধের মধ্যস্থুলে একটা ঘুষি
মেরে রললাম , আল্লাহ্র শপথ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, অথবা এরকম কোন কথা
বললাম ৷ আমার কথা শুনে সে হেসে বললো : আমিও তো তাই মনে করছি ৷ এভাবে আমরা
মদীনায় গিয়ে গৌছলাম ৷ মুসলিম (র) ইকরিমা ইবন আমার থেকে বিভিন্ন সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ তাতে উল্লেখ আছে যে , আমি তার আগে মদীনা পৌছি এবং তিনদিন অবস্থান করেই
আমরা খায়ব্যারর উদ্দেশ্যে বের হই ৷ এ সুত্রে ইমাম আহমদ (র) থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে ৷
বুখারী এবং বায়হাকী হুদায়বিয়ার পর এবং খারবরের আগে এ যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
ইব ন ইসহ্াকের বর্ণনার তুলনায় এটাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ তাআলইি ভাল জানেন ৷
مُدْبِرِينَ، وَأَنْزِلُ مِنَ الْجَبَلِ فَآخُذُ عِنَانَ فَرَسِهِ، فَقُلْتُ: يَا أَخْرَمُ انْذَرِ الْقَوْمَ - يَعْنِي احْذَرْهُمْ - فَإِنِّي لَا آمَنُ أَنْ يَقْتَطِعُوكَ، فَاتَّئِدْ حَتَّى يَلْحَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ قَالَ: يَا سَلَمَةُ، إِنْ كُنْتَ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَتَعْلَمُ أَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ وَالنَّارَ حَقٌّ فَلَا تَحُلْ بَيْنِي وَبَيْنَ الشَّهَادَةِ. قَالَ: فَخَلَّيْتُ عِنَانَ فَرَسِهِ، فَيَلْحَقُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَيَعْطِفُ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ، فَعَقَرَ الْأَخْرَمُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَطَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَتَلَهُ، فَتَحَوَّلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ، فَيَلْحَقُ أَبُو قَتَادَةَ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ بِأَبِي قَتَادَةَ، وَقَتَلَهُ أَبُو قَتَادَةَ، وَتَحَوَّلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ، ثُمَّ إِنِّي خَرَجْتُ أَعْدُو فِي أَثَرِ الْقَوْمِ حَتَّى مَا أَرَى مِنْ غُبَارِ صَحَابَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا، وَيُعْرِضُونَ قَبْلَ غَيْبُوبَةِ الشَّمْسِ إِلَى شِعْبٍ فِيهِ مَاءٌ يُقَالُ لَهُ: ذُو قَرَدٍ. فَأَرَادُوا أَنْ يَشْرَبُوا مِنْهُ، فَأَبْصَرُونِي أَعْدُو وَرَاءَهُمْ فَعَطَفُوا عَنْهُ، وَاشْتَدُّوا فِي الثَّنِيِّةِ ثَنِيَّةِ ذِي بِئْرٍ، وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَأَلْحَقُ رَجُلًا فَأَرْمِيهِ فَقُلْتُ:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... وَالْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
قَالَ: فَقَالَ: يَا ثُكْلَ أُمِّ أَكْوَعَ بُكْرَةَ. فَقُلْتُ: نَعَمْ، أَيْ عَدُوَّ نَفْسِهِ. وَكَانَ الَّذِي رَمَيْتُهُ بُكْرَةَ وَأَتْبَعْتُهُ سَهْمًا آخَرَ فَعَلِقَ بِهِ سَهْمَانِ، وَيَخْلُفُونَ فَرَسَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৫
সুতরাং সপ্তম হিজরীর ঘটনাবলীর সঙ্গে তার উল্লেখ করাই হবে সমীচীন ৷ কারণ, সপ্তম হিজরীর
সফর মাসে বারবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৷ অবশ্য, সে মহিলাটি নবী করীম (সা)-এর উটনীতে
আরোহণ করে রক্ষা পেয়ে তা যবইি করার মানত করেছিল ৷ ইমাম ইবন ইসহাক (র) হাসান
বসরী সুত্রে আবুয যুবায়র এর বরাতে বিচ্ছিন্ন সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য অন্যান্য সুত্রে
অৰিজ্জি সনদে হাদীছটি বর্ণিত আছে ৷
ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান (র) — ইমরান ইবন হুসইিন সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে,
আযবা উটনীটি ছিল বনু আকীলের জনৈক ব্যক্তির ৷ এটি হাব্জীদেরকে নিয়ে দ্রুত গতিতে আগে
আগে ছুটে যেত ৷ সে লোকটাসহ আযবা উটনীকে ধরে আনা হয় ৷ ইমম আহমদ (র) আরো
বলেন যে, ল্যেকটি যখন বাধা ছিল তখন ইমাম আহমদ (র) নবী করীম (সা) তার পাশ দিয়ে
অতিক্রমকালে সােকটি জিজ্ঞাসা করে ৷ হে মুহাম্মাদ ৷ আমাকে এবং যাত্রীদলের অগ্রগামী
বাহনটাকে আপনি ণ্কন আটক ক্যালেন ? রাসুল করীম (সা) এ সময় তার খচ্চরের উপর সওয়ার
হয়ে যাচ্ছিলেন ৷ আর জবাবে তিনি বললেন, আমরা তোমাকে গ্রেফতার করেছি তোমাদের মিত্র
গোত্র ছার্কীফ এর অপরাধের কারণে ৷ তিনি বলেন যে, ছাকীফ গোত্র নবী করীম (সা)-এর দুজন
সাহাবীকে বন্দী করে রেখেছিল ৷ সে তার বক্তব্যে বলেছিল, আমি তাে একজন মুসলমান ৷ রাসুল
করীম (সা) তখন বললেন : তুমি যদি বন্দী হওয়ার আবগ স্বাধীন থাকাকালে এ কথা বলতে
তাহলে তো তুমি সফ্ফাই হতে ৷
এ কথাটি বলে রাসুল কত্রীম (সা) স্থান ত্যাগ করতে উদ্যত হলে সে বললো : হে মুহঙ্গোদা
আমি ক্ষুধার্ত, আমাকে আহার্য দিন ৷ আমি পিপাসার্ত ৷ আমাকে পানি পান করান ৷ তখন নবী বত্রীম
(সা) বললেন : এই তোমার প্রয়োজন ৷ এরপর তিনি পুবেক্তি দুব্যক্তির ফিদিয়া বা বিনিময় স্বরুপ
তাকে মুক্ত করে দিলেন এবং আযুবা উটনীটি নিজের বহ্হনের জন্য রেখে দিলেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেন যে, মুশরিকরা যখন মদীনায় রাসুল (সা)এর পণ্ডপালে হামলা চালায় তখন
তার! ঙ্গুষ্ঠিত পশুপালের সঙ্গে আযুবা উটনীও নিবুয় যায় ৷ উপরন্তু তারা একজন মুসলিম মহিলাকেও
ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে ৷ তিনি আরো বলেন যে, তারা কোন মনযিণে অবস্থান করলে
মনযিলের আঙ্গিনায় উটণ্ডালা চারণের জন্য ছেড়ে দিতো ৷ এক রাত্রে সকলে ঘুমিরে পড়লে
মহিণাটি উঠে উটনীটির কাছে মোঃ৷ উটনীটি আওয়ায কাি ৷ মহিলাটি আষ্ৰা নামক উটনীর
কাছেও যায় ৷ এটি ছিল অত্যন্ত অনুগত ও শাস্তুশিষ্ট ৷ মহিণাটি আবৃবার পিঠে সওয়ার হয়, তাকে
মদীনায় দিকে ম্বুটায় এবং মানত করে যে, আল্পাহ্ তারে নিরাপদ পন্তব্যে পৌছালে সে এটিকে
আল্লাহর নামে যৰাই করবে ৷ মদীনায় পৌহগে জানা যায় যে, এটি রাসুল লীেম (না)-এর বহুল
পরিচিত উটনী ৷ মহিণাকে বলা হয় যে, এটি রাসুল করীম (সা )-এর উটনী ৷ তার মানত সম্পর্কে
রাসুল করীম (সা) জানতে পারলেন, অথবা মহিলা নিজেই রাসুল (না)-কে জানালেন তখন তিনি
বললেন : তুমি যে উটনীটিকে নিকুষ্ট প্রতিদান দিলে, অথ্বা তিনি বললেন যে, মহিলাটি তাকে
নিকৃষ্ট প্ৰতিদান কাি ৷ অল্লোহ্তাে সে ত্মীর উপর সওয়ার করিয়ে তাকে মুক্তি দিলেন আর যে মুক্তি
পেয়ে তাকে যৰাই করতে উদ্যত ৷ তারপর তিনি (সা) বললেন : আল্লাহ্র নাযদ্মমানীর ক্ষেত্রে
মানত পুরণ করতে হয় না; আদম সন্তান যে বন্তুর মালিক নয়, সে মোঃ মানত সিদ্ধ হয় না
فَجِئْتُ بِهِمَا أَسُوقُهُمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي أَجْلَيْتُهُمْ عَنْهُ - ذُو قَرَدٍ - وَإِذَا بِنَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَمْسِمِائَةٍ، وَإِذَا بِلَالٌ قَدْ نَحَرَ جَزُورًا مِمَّا خَلَفْتُ، فَهُوَ يَشْوِي لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كَبِدِهَا وَسَنَامِهَا، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَلِّنِي فَأَنْتَخِبُ مِنْ أَصْحَابِكَ مِائَةً، فَآخُذُ عَلَى الْكُفَّارِ بِالْعَشْوَةِ، فَلَا يَبْقَى مِنْهُمْ مُخْبِرٌ إِلَّا قَتَلْتُهُ. فَقَالَ: «أَكُنْتَ فَاعِلًا ذَلِكَ يَا سَلَمَةُ؟» ". قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ. فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ فِي ضَوْءِ النَّارِ، ثُمَّ قَالَ: " «إِنَّهُمْ يُقْرَوْنَ الْآنَ بِأَرْضِ غَطَفَانَ» ". فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ غَطَفَانَ فَقَالَ: مَرُّوا عَلَى فُلَانٍ الْغَطَفَانِيِّ، فَنَحَرَ لَهُمْ جَزُورًا، فَلَمَّا أَخَذُوا يَكْشِطُونَ جِلْدَهَا رَأَوْا غَبَرَةً، فَتَرَكُوهَا وَخَرَجُوا هِرَابًا، فَلَمَّا أَصْبَحْنَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ فُرْسَانِنَا الْيَوْمَ أَبُو قَتَادَةَ، وَخَيْرُ رَجَّالَتِنَا سَلَمَةُ» ". فَأَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمَ الْفَارِسِ وَالرَّاجِلِ جَمِيعًا، ثُمَّ أَرْدَفَنِي وَرَاءَهُ عَلَى الْعَضْبَاءِ رَاجِعِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلَمَّا كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهَا قَرِيبٌ مِنْ ضَحْوَةٍ، وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ كَانَ لَا يُسْبَقُ جَعَلَ يُنَادِي: هَلْ مِنْ مُسَابِقٍ؟ أَلَا رَجُلٌ يُسَابِقُ إِلَى الْمَدِينَةِ؟ فَأَعَادَ ذَلِكَ مِرَارًا، وَأَنَا وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْدِفِي، فَقُلْتُ لَهُ: أَمَا تُكْرِمُ كَرِيمًا وَلَا تَهَابُ شَرِيفًا؟ قَالَ: لَا، إِلَّا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، خَلِّنِي فَلْأُسَابِقِ الرَّجُلَ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩০৩৬
" إِنْ شِئْتَ " قُلْتُ: اذْهَبْ إِلَيْكَ. فَطَفَرَ عَنْ رَاحِلَتِهِ وَثَنَيْتُ رِجْلَيَّ فَطَفَرْتُ عَنِ النَّاقَةِ، ثُمَّ إِنِّي رَبَطْتُ عَلَيْهِ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ، يَعْنِي اسْتَبْقَيْتُ مِنْ نَفَسِي، ثُمَّ إِنِّي عَدَوْتُ حَتَّى أَلْحَقَهُ، فَأَصُكُّ بَيْنَ كَتِفَيْهِ بِيَدِي، قُلْتُ: سَبَقْتُكَ وَاللَّهِ. أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا. قَالَ: فَضَحِكَ وَقَالَ: إِنْ أَظُنُّ. حَتَّى قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، بِنَحْوِهِ، وَعِنْدَهُ: سَبَقْتُهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمْ نَلْبَثْ إِلَّا ثَلَاثًا حَتَّى خَرَجْنَا إِلَى خَيْبَرَ. وَلِأَحْمَدَ هَذَا السِّيَاقُ.
ذَكَرَ الْبُخَارِيُّ والْبَيْهَقِيُّ هَذِهِ الْغَزْوَةَ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَبْلَ خَيْبَرَ، وَهُوَ أَشْبَهُ مِمَّا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَيَنْبَغِي تَأْخِيرُهَا إِلَى أَوَائِلِ سَنَةِ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، فَإِنَّ خَيْبَرَ كَانَتْ فِي صَفَرٍ مِنْهَا.
وَأَمَّا قِصَّةُ الْمَرْأَةِ الَّتِي نَجَتْ عَلَى نَاقَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَذَرَتْ نَحْرَهَا لِنَجَاتِهَا عَلَيْهَا، فَقَدْ أَوْرَدَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ بِرِوَايَتِهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ مُرْسَلًا. وَقَدْ جَاءَ مُتَّصِلًا مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «كَانَتِ الْعَضْبَاءُ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৭
(আর তা পুরণও করতে হয় না) ইমাম মুসলিম (র) আবুর রাবী যাহরানী সুত্রে হস্ফোদ ইবন
যায়দের বরাতে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : যি-ফারাদ যুদ্ধ সম্পর্কে যে সব কাব্য রচিত হয়েছে, তন্মধ্যে
হাসৃসান ইবন সাবিতের নিম্নোক্ত কবিতাও উল্লেখযেশ্যে :
প্রুপ্রু১ৰুন্প্রু
১ম্ ষ্এণ্১শ্নণ্ স্টো
৷ শ্ব;া
১দ্রে
এ
এেষ্ৰু ণ্ঙুাণ্
মর্মার্থ ও আমার দক্ষিণে কাল যদি আমাদের ঘোড়া ব্যস্ত না থাকতো, তাহলে সে আসতো
তোমাদের নিকট সশস্ত্র শীর্ষ ব্যক্তিবর্গকে পৃষ্ঠে সওয়াৱ করে ৫
আমরা মিকদাদের ঘোড়সওয়ারদের হাতে নস্তে এতে বংশ পরিচয় হীন লোকেরা আনন্দিত
হয়
আমরা ছিলাম আটজন (অশ্বারোহী) আর তারা ছিল বিশাল বাহিনী, যাদেরকে নণ্ডভণ্ড করা
হয়েছে বশার আঘাতে ৷
আমরা এমন সম্প্রদায়ের লোক যারা ত্যি তাদ্যেষ্ক নিকটবর্তী কুলীন অশ্বেৱ লাপাম ধরে তারা
সম্মুখে এগিয়ে যায় ৷
কক্ষনাে না সেসব সওয়ারীদের পাণনকতব্লি শপথ, যারা মিনাৱপথে ণননকাসে সুউচ্চ
পার্বত্য পথ অতিক্রম করে চলে :
এমনকি উন্নত মানের অশ্ব তোমাদের গৃহের আঙ্গিনায়, আর আমরা প্রত্যাবর্তন করবো বব্দিনী
আর সম্ভানদেরকে নিয়ে ৷
৩৭
لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي عُقَيْلٍ، وَكَانَتْ مِنْ سَوَابِقِ الْحَاجِّ فَأُسِرَ الرَّجُلُ، فَأُخِذَتِ الْعَضْبَاءُ مَعَهُ. قَالَ: فَمَرَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي وَثَاقٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حِمَارٍ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، عَلَامَ تَأْخُذُونِي وَتَأْخُذُونَ سَابِقَةَ الْحَاجِّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَأْخُذُكَ بِجَرِيرَةِ حُلَفَائِكَ ثَقِيفٍ ". قَالَ: وَكَانَتْ ثَقِيفٌ قَدْ أَسَرُوا رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ فِيمَا قَالَ: وَإِنِّي مُسْلِمٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ قُلْتَهَا وَأَنْتَ تَمْلِكُ أَمْرَكَ، أَفْلَحْتَ كُلَّ الْفَلَاحِ ". قَالَ: وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي جَائِعٌ فَأَطْعِمْنِي وَإِنِّي ظَمْآنُ فَاسْقِنِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذِهِ حَاجَتُكَ ". ثُمَّ فُدِيَ بِالرَّجُلَيْنِ، وَحَبَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَضْبَاءَ لِرَحْلِهِ. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ الْمُشْرِكِينَ أَغَارُوا عَلَى سَرْحِ الْمَدِينَةِ، فَذَهَبُوا بِهِ، وَكَانَتِ الْعَضْبَاءُ فِيهِ، قَالَ: وَأَسَرُوا امْرَأَةً مِنَ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: وَكَانُوا إِذَا نَزَلُوا أَرَاحُوا إِبِلَهُمْ بِأَفْنِيَتِهِمْ. قَالَ: فَقَامَتِ الْمَرْأَةُ ذَاتَ لَيْلَةٍ بَعْدَ مَا نَوَّمُوا، فَجَعَلَتْ كُلَّمَا أَتَتْ عَلَى بَعِيرٍ رَغَا حَتَّى أَتَتْ عَلَى الْعَضْبَاءِ، فَأَتَتْ عَلَى نَاقَةٍ ذَلُولٍ مُجَرَّسَةٍ فَرَكِبَتْهَا، ثُمَّ وَجَّهَتْهَا قِبَلَ الْمَدِينَةِ. قَالَ: وَنَذَرَتْ إِنِ اللَّهُ أَنْجَاهَا عَلَيْهَا لَتَنْحَرَنَّهَا، فَلَمَّا قَدِمَتِ الْمَدِينَةَ عُرِفَتِ النَّاقَةُ، فَقِيلَ: نَاقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَذْرِهَا أَوْ أَتَتْهُ فَأَخْبَرَتْهُ فَقَالَ: " بِئْسَ مَا جَزَيْتِهَا ". أَوْ: " بِئْسَ مَا جَزَتْهَا أَنْ أَنْجَاهَا اللَّهُ عَلَيْهَا لَتَنْحَرَنَّهَا ". قَالَ: ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৩০৩৮
ধীরে-সুন্থে চলতে চলতে এক একটি চপল-চঞ্চল অশ্বকে, যা ছুটে যার প্রতিটি লড়ইিয়ের
ময়দানে আর প্রতিটি উপত্যকায় ৷
বিনড়াশ করেছে সেসব অশ্বের পশ্চাদৃদেশকে আর উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিয়েছে সেগুলোর
পৃষ্ঠদেশ ; যে দিন সেগুলো চালিত হবে আর নিক্ষেপ করা হবে তীর ৷
অনুরুপভাবে আমাদের কুলীন অশ্বগুলাে বয়সে তরুণ আর যুদ্ধতাে র্তীৰু হয়ে উঠে ভোরের
বাতাসে ৷
আর আমাদের তব্রবারিগুলো লোহার উজ্জ্বলাকে স্পষ্ট করে ৷
লোহার মরিচা দুর করে আর যুদ্ধৎদেহীর শির কর্তন করে ৷
গ্রহণ করেছেন আল্লাহ্ তাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার, হাযমের মযদাি রক্ষায় এবং আল্লাহ্র
সন্ত্রম রক্ষায় তারা ছিল নিজ দেশে সুখে-শান্তিতে, এরপর বদলে দািচ্ যু-কারার যুদ্ধের কারণে
অবাধ্যতার চেহারা ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন যে, (এ কবিতাণ্ডালা) শুনে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্ৰতি অগ্রগামী
অশ্বারােহী বাহিনীর আমীর হযরত সাদ ইবন যায়দ (ব) ক্রোধান্বিত হলেন হাসৃসান (ইবন সাধিত)
-এর প্ৰতি এবং হলফ করে বললেন যে, তিনি কখনো হাসৃসানের সঙ্গে কথা বলবেন না ৷ তিনি
বলেন যে, হাসৃসানতো আমার অশ্ব ও অশ্বারোহীদের নিকট গিয়ে সেসবকে মিকদাদের বলে
সাব্যস্ত করেছেন ৷ তখন হাসৃসান তার নিকট ওয়ুরখাহী করেন যে , তিনি নামই কেবল অত্তমিলের
জন্য ব্যবহার করেছেন মিকদাদের ৷ তখন হযরত সাদ ইবন যায়দ (র)এ্যার প্ৰশংসায় হাস্সান
(রা) নিম্নোক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
া১া
তোমরা ধ্যখন সুদৃঢ় ব্যক্তি বা অমুখাপেক্ষী ব্যজ্যি অভিপ্রায় করবে তখন অবশ্যই সাদ (ইবন
যায়দ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ বল্মবে ৷ কারণ, তাকে দমানাে যায় না ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন যে, তার দ্বারা এটা ঘটেনি, অর্থাৎ তিনি এ ওযর আপত্তি গ্রহণ
করেননি ৷ তখন হাসৃসান যি-করোদের যুদ্ধ সম্পর্কে নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করেন :
৷ মোঃ
فِيمَا لَا يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، بِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا قِيلَ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي غَزْوَةِ ذِي قَرَدٍ قَوْلُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ:
لَوْلَا الَّذِي لَاقَتْ وَمَسَّ نُسُورَهَا ... بِجَنُوبِ سَايَةَ أَمْسِ فِي التَّقْوَادِ
لَلَقِينَكُمْ يَحْمِلْنَ كُلَّ مُدَجَّجٍ ... حَامِي الْحَقِيقَةِ مَاجِدِ الْأَجْدَادِ
وَلَسَرَّ أَوْلَادَ اللَّقِيطَةِ أَنَّنَا ... سِلْمٌ غَدَاةَ فَوَارِسِ الْمِقْدَادِ
كُنَّا ثَمَانِيَةً وَكَانُوا جَحْفَلًا ... لَجِبًا فَشُكُّوا بِالرِّمَاحِ بَدَادِ
كُنَّا مِنَ الْقَوْمِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ... وَيُقَدِّمُونَ عِنَانَ كُلِّ جَوَادِ
كَلَّا وَرَبِّ الرَّاقِصَاتِ إِلَى مِنًى ... يَقْطَعْنَ عُرْضَ مَخَارِمِ الْأَطْوَادِ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৯
حَتَّى نُبِيلَ الْخَيْلَ فِي عَرَصَاتِكُمْ ... وَنَئُوبَ بِالْمَلَكَاتِ وَالْأَوْلَادِ
رَهْوًا بِكُلِّ مُقَلَّصٍ وَطِمِرَّةٍ ... فِي كُلِّ مُعْتَرَكٍ عَطَفْنَ وَوَادِ
أَفْنَى دَوَابِرَهَا وَلَاحَ مُتُونَهَا ... يَوْمٌ تُقَادُ بِهِ وَيَوْمُ طِرَادِ
فَكَذَاكَ إِنَّ جِيَادَنَا مَلْبُونَةٌ ... وَالْحَرْبُ مُشْعَلَةٌ بِرِيحِ غَوَادِ
وَسُيُوفُنَا بِيضُ الْحَدَائِدِ تَجْتَلِي ... جُنَنَ الْحَدِيدِ وَهَامَةَ الْمُرْتَادِ
أَخَذَ الْإِلَهُ عَلَيْهِمُ لِحَرَامِهِ ... وَلِعِزَّةِ الرَّحْمَنِ بِالْأَسْدَادِ
كَانُوا بِدَارٍ نَاعِمِينَ فَبُدِّلُوا ... أَيَّامَ ذِي قَرَدٍ وُجُوهَ عِنَادِ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَغَضِبَ سَعْدُ بْنُ زَيْدٍ أَمِيرُ سَرِيَّةِ الْفَوَارِسِ
পৃষ্ঠা - ৩০৪০
উয়ায়না কি ধারণা করেজ্জি যে, মদীনায় আগমন করে সে প্রাসাদ ধুলিসাৎ করে দেবে ? যে
কথা তুমি সত্য বলে স্বীকার কর, আমি তা মিথ্যা বলি ৷
তােমরাভো রলেছিলে আমরা বিরাট গনীমত লাভ করবো ৷ ভুমি মদীনায় গিয়ে তাকে অনুকুল
পেলে না,
তখন তুমি সেখানে অনুভব করলে সিংহের গর্জন ৷ তখন তারা প্রত্যাবর্তন করে উট পাখির
দৌড়ের মতেড়া ৷
আর তারাতো উন্মুক্ত করেনি কোন উষ্ট্রপারের দ্বারও ৷ মহান আল্লাহ্র রাসুল আমাদের আমীর,
তিনি আমাদের কত প্রিয় আমীর ৷
তিনি এমন এক রাসুল তার কাছে অবতীর্ণ হয় তিনি তার সত্যায়ন করেন ৷ আর তিনি
তিলাওয়াত করেন উজ্জ্বল আলোকময় কিতাব ৷
হযরত কাব ইবন মালিক (র) যি-কারাদের যুদ্ধের দিন মুসাঈম অশ্বারােহী বাহিনীর প্রশংসায়
নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :
এএক্রোন্
এ-ৰুশ্এে
া১া
এণ্এৰু^শ্ন
কুড়িয়ে পাওয়াদের সন্তানর৷ কি মনে করে যে, আমরা তাদের মতো অশ্বারোহী নইঃ
আমরাঃত৷ এমন লোক, মারা হত্যাকে কমংক জ্ঞান করে না ৷ কারণ, আমরা তীরান্দাযদের
তীরের জবাবে প্রত্যঘোত করি ৷
আর আমরা মেহমানের ণ্মহমানদারী করি উবষ্ট্ৰর পৃষ্ঠের উচু অংশ দ্বারা ৷ আর সুন্দর
চেহারাধারী ব্যক্তির মস্তকে আঘাত হানি ৷
আমরা প্রত্যাঘাত হানি চিহ্নিত বীরঙ্গেব্কে যখন তারা অহংকার করে, এমন আঘাত, যা
নস্যাৎ করে হঠকারীর অহমিকা ৷
এমন যুবক দ্বারা, যে যুবক সত্যের সহায়ক মযাদাবান, বনের বাঘের মতো হঠাৎ তুলে দিয়ে
যায় সে ৷
الْمُتَقَدِّمِينَ أَمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَسَّانَ، وَحَلَفَ لَا يُكَلِّمُهُ أَبَدًا، وَقَالَ: انْطَلَقَ إِلَى خَيْلِي وَفَوَارِسِي فَجَعَلَهَا لِلْمِقْدَادِ. فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ حَسَّانُ بِأَنَّهُ وَافَقَ الرَّوِيُّ اسْمَ الْمِقْدَادِ، ثُمَّ قَالَ أَبْيَاتًا يَمْدَحُ بِهَا سَعْدَ بْنَ زَيْدٍ:
إِذَا أَرَدْتُمُ الْأَشَدَّ الْجَلْدَا ... أَوْ ذَا غَنَاءٍ فَعَلَيْكُمْ سَعْدَا
سَعْدُ بْنُ زَيْدٍ لَا يُهَدُّ هَدَّا
قَالَ: فَلَمْ تَقَعْ مِنْهُ بِمَوْقِعٍ. وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي يَوْمِ ذِي قَرَدٍ:
أَظَنَّ عُيَيْنَةُ إِذْ زَارَهَا ... بِأَنْ سَوْفَ يَهْدِمُ فِيهَا قُصُورَا
فَأُكْذِبْتَ مَا كُنْتَ صَدَّقْتَهُ ... وَقُلْتُمْ سَنَغْنَمُ أَمْرًا كَبِيرَا
فَعِفْتَ الْمَدِينَةَ إِذْ زُرْتَهَا ... وَآنَسْتَ لِلْأُسْدِ فِيهَا زَئِيرَا
وَوَلَّوْا سِرَاعًا كَشَدِّ النَّعَامِ ... وَلَمْ يَكْشِفُوا عَنْ مُلِطٍّ حَصِيرَا
أَمِيرٌ عَلَيْنَا رَسُولُ الْمَلِيكِ ... أَحْبِبْ بِذَاكَ إِلَيْنَا أَمِيرَا
رَسُولٌ نُصَدِّقُ مَا جَاءَهُ ... وَيَتْلُو كِتَابًا مُضِيئًا مُنِيرَا
وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي يَوْمِ ذِي قَرَدٍ، يَمْدَحُ الْفُرْسَانَ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ:
পৃষ্ঠা - ৩০৪১
أَيَحْسَبُ أَوْلَادُ اللَّقِيطَةِ أَنَّنَا ... عَلَى الْخَيْلِ لَسْنَا مِثْلَهُمْ فِي الْفَوَارِسِ
وَإِنَّا أُنَاسٌ لَا نَرَى الْقَتْلَ سُبَّةً ... وَلَا نَنْثَنِي عِنْدَ الرِّمَاحِ الْمَدَاعِسِ
وَإِنَّا لَنَقْرِي الضَّيْفَ مِنْ قَمَعِ الذُّرَى ... وَنَضْرِبُ رَأْسَ الْأَبْلَخِ الْمُتَشَاوِسِ
نَرُدُّ كُمَاةَ الْمُعْلَمِينَ إِذَا انْتَخَوْا ... بِضَرْبٍ يُسَلِّي نَخْوَةَ الْمُتَقَاعِسِ
بِكُلِّ فَتًى حَامِي الْحَقِيقَةِ مَاجِدٍ ... كَرِيمٍ كَسِرْحَانِ الْغَضَاةِ مُخَالِسِ
يَذُودُونَ عَنْ أَحْسَابِهِمْ وَتِلَادِهِمْ ... بِبِيضٍ تَقُدُّ الْهَامَ تَحْتَ الْقَوَانِسِ
فَسَائِلْ بَنِي بَدْرٍ إِذَا مَا لَقِيتَهُمْ ... بِمَا فَعَلَ الْإِخْوَانُ يَوْمَ التَّمَارُسِ
إِذَا مَا خَرَجْتُمْ فَاصْدُقُوا مَنْ لَقِيتُمُ ... وَلَا تَكْتُمُوا أَخْبَارَكُمْ فِي الْمَجَالِسِ
وَقُولُوا زَلَلْنَا عَنْ مَخَالِبِ خَادِرٍ ... بِهِ وَحَرٌ فِي الصَّدْرِ مَا لَمْ يُمَارِسِ
পৃষ্ঠা - ৩০৪২
তারা প্রতিরোধ করে নিজেদের এবং দেশের মযদাি, এমন তরবারি দ্বারা, যা কর্তন করে তার
নিচের মন্তব্যসমুহ ৷
বদরের সন্তানদের জিজ্ঞাসা কর যখন তাদের সাক্ষাৎ পাও, ভাইয়েরা যুদ্ধের দিন কেমন
আচরণ করেছিল ৷
যখন তেষ্মেরা বের হয়ে তখন যার সঙ্গে দেখা হবে সত্য বলবে, তারে মজলিসে নিজেদের
কথা গোপন করবে না ই
আর তোমরা বলবে আমরা বেরিয়ে এসেছি হতভম্ব ব্যাব্রের পাঞ্জা থেকে , আমাদের বক্ষে
আছে উষ্ণতা যাবত যুদ্ধ না করে ৷
বনু মুস্তালিক যুদ্ধ
ইমাম বুখারী (র) বনু মুস্তালিক ষুদ্ধকে পাবৃওয়া মুরাটসী বলেন ৰু আর মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক
(র) বলেন : ৬ষ্ট হিজরী সনে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয় গ্ পক্ষাত্তরে মুসা ইবন উক্বার মতে চতৃ
হিজরী সনে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ নুমান ইবন রাশিদ (র) যুহ্রী (রা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে ,
গাষ্ওয়া মুরাইসীতে ইফ্ক কথা অপবাদের ঘটনা ঘটে ৷ অনুরুপভাবে ইমাম বুখারী (র) মুসা
ইবন উকবার মাগাযীর বরাত দিয়ে বলেন যে , এ যুদ্ধ চতুর্থ হিজয়ী সনে সংঘটিত হয়েছে ৷ তিনি
মুসা ইবন উক্বা এবং উরওয়া (র) সুত্রে একথাও উল্লেখ করেন যে, পঞ্চম হিজয়ী সনের শাবান
সালে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ( আর ওয়াকিদী বলেন, ৫ম হিজরীর ২রা শাবান সংঘটিত এ যুদ্ধে
রাসুল করীম (সা)-এর সঙ্গে সাতশ’ সাহাৰী ছিলেন ৷ পক্ষান্তরে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন :
যু-কারাদ এর ঘটনার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় জুমাদাল উখরা এবং রজব মাসের কয়েক দিন
অবস্থান করেন এবং ৬ষ্ঠ হিজরী সনের শাবান মাসে বনু খুযাআর শাখা গোত্র বনুমুস্তালিক এর
যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন ৷ এ সময় আবু যর গিফারী (রা) মতাত্তরে নুমায়ন ইবন আবদুল্লাহ লায়হীকে
মদীনায় আমির নিযুক্ত করে যান ৰ্ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা
প্রমুখ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) জানতে পারেন যে, হারিছ ইবন আবু যিরারের
নেতৃত্বে বনুমুস্তালিক রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সমবেত হচ্ছে ম্র এ আবুষিরার
ছিল পরবর্তীক্রিাস্তুলর উম্মু ল মুমিনীন জুয়ইিরিয়া এ খবর পেয়ে রাসুল (সা) তাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন এবং মুরাইসী কুয়োর নিকট তাদের মুখোমুখী হন ৰু স্থানটি ছিল কুদায়দ এর দিক থেকে
সষ্কৃডু উপকুলে : উত্তর পক্ষে লড়াই হয় ৷ আল্পাহ্ তাআলা বনুমুস্তালিককে পন্নাজ্যি করেন তাদের
অনেকে নিহত হয় ৰ্ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের ন্নী-পুত্র কন্যাদের বন্দী করে এনে গনীমতরুপে বন্টন
করেন ধ্ ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজরী ৫ম সালে ২রা শাবান ৭ শত সাহাবীর একটা
বাহিনী নিয়ে বনুমুস্তালিক অভিমুখে রওয়ানা হন ৷ এরা হ্নিম্ বনুমুলেক্লজের মিত্র ( তাদের নিকট
পৌছে রাসুল (সা) মুহাজ্যিদের পতাকা হযরত আবু বকর সিদ্দীক মতআের অস্ফোর ইবন
ইয়াসিরের হাতে এবং আনসারদের পতাকা সাদ ইবন উবদাের হাতে ন্যস্ত করেন ৷ এরপর উমর
ইবনুল খত্তোবকে জনগণের মধ্যে এ মর্মে ঘোষণা প্রচার করার নির্দেশ দেন যে , তোমরা সকলে
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ অর্থাং আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ সেই একথা স্বীকার করে নাও; এতে তোমরা
নিজেদের জানমাল সুরক্ষিত হয়ে ৷ তারা এন্টা মেনে নিতে অস্বীকার করলে তীর নিক্ষেপ শুরু হয়ে
[غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ]
[الْإِقْرَاعُ بَيْنَ نِسَاءِ الرَّسُولِ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَهُ]
قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَهِيَ غَزْوَةُ الْمُرَيْسِيعِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتٍّ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: كَانَ حَدِيثُ الْإِفْكِ فِي غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيعِ. هَكَذَا حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ؛ أَنَّهَا كَانَتْ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ. وَالَّذِي حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْهُ وَعَنْ عُرْوَةَ؛ أَنَّهَا كَانَتْ فِي شَعْبَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَتْ لِلَيْلَتَيْنِ مِنْ شَعْبَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ، فِي سَبْعِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، بَعْدَمَا أَوْرَدَ قِصَّةَ ذِي قَرَدٍ: فَأَقَامَ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৩
যায় ৷ এরপর রাসুল (সা)-এর নির্দেশে সকলে একযোগে হামলা চালালে তাদের এক ব্যক্তিও গা
ঢাকা দিতে সক্ষম হয়নি ৷ তাদের দশজন নিহত এবং অবশিষ্ট সকলে বন্দী হয় এবং মুসলমানদের
মধ্যে একজন ছাড়া আর কেউ শহীদ হননি ৷
বুখারী ও মুসলিমে আবদুল্লাহ ইবন আওন বর্ণিত হাদীছে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন : আমি
যুদ্ধের পুর্বে ইসলামের দিকে আহ্বানের ৰিফল সম্পর্কে জানতে চেয়ে নাফিকে পত্র লিখি; তিনি
বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন বনুমুন্তালিকে হামলা করেন, তথ্যা তারা পশু পালকে পানি পান
করাবার কাজে কুয়ার কাছে ছিল ৷ রাসুলুল্লড়াহ্ (না) তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করেন এবং
অন্যদেরকে বন্দী করেন ৷ আমার যতদুর মনে পড়ে তিনি সেদিন একথাও বলেছেন যে , রাসুলুল্লাহ্
(সা) সেদিন জুয়াইরিয়া বিনতৃল হারিছকেও বন্দী করেছিলেন, নাফি বলেন যে , আবদুল্লাহ ইবন
উমর আমাকে এরুপ বলেছেন যে, সে বাহিনীতে তিনি নিজেও ছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এ
যুদ্ধে একজন মুসলমান শহীদ হন; তার নাম ছিল হিশাম ইবন ত্ন্াবাবা জনৈক আনসারী শক্রপক্ষের
লোক মনে করে ভুলক্রমে তাকে হত্যা করেন ৷
ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে তার ভাই মিকয়াস ইবন সাবাবা ইসলাম প্রকাশ করে মক্কা
থেকে আগমন করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট তার ভাইয়ের দিয়াত তথা রক্তপণ দাবী করেন ৷
কারণ, ভুলবশতঃ তাকে হত্যা করা হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দিয়াত দান করেন ৷ এরপর
স্বল্পকাল মদীনায় অবস্থান করে তার ভাইয়ের হত্যাকারীকে হত্যা করে মুরতাদ হয়ে মক্কায়
প্রত্যাবর্তন করে ৷ এ সম্পর্কে যে নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করে :
&
মর্মার্থ : মনের তৃপ্তি এই যে, সে নিচু ভুমিতে রাত্রিকালে আসন গ্রহণ করেছে যে, তার
ঘাড়ের রক্ত সিক্ত করছিল তার বস্ত্রকে ৷
তার মৃত্যুর পুর্বে মনের চিন্তা আমাকে তিরস্কার করছিল আর বারণ করছিল নরম শয্যায় শয়ন
করতে ৷
আমি তাকে অতিক্রম করেছি আর তুমিতাে দেখতে পাচ্ছ; আর আমি পেয়েছি আমার
প্ৰতিশোধ আর আমি ছিলাম মুর্তির দিকে সবাগ্রে প্রত্যাবর্ত্যকাবী ৷
আমি তার নিকট থেকে বদলা মিয়েছি ফিহরের আর বনু নাজ্জারের দুর্গ ফারি এর মালিকের
নিকট থেকে অর্জন করেছি তার রক্তপণও ৷
আমি বলি যে , এ মিক্য়াস ছিল সে চার ব্যক্তির অন্যতম, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যাদেরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা যদি কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে থাকে তবু ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : লোকেরা তখনো সে কুপের নিকট অবস্থান করছিল ৷ এ সময়
কিছু লোকের আগমন ঘটে (পানি নেয়ার জন্য) উমর ইবনুল খাত্তাবের সঙ্গে তার মজুর জাহ্জাহ্ও
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ بَعْضَ جُمَادَى الْآخِرَةِ، وَرَجَبًا، ثُمَّ غَزَا بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ فِي شَعْبَانَ، سَنَةَ سِتٍّ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا ذَرٍّ الْغِفَارِيَّ، وَيُقَالُ: نُمَيْلَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيُّ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، كُلٌّ قَدْ حَدَّثَنِي بَعْضَ حَدِيثِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، قَالُوا: بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ بَنِي الْمُصْطَلِقِ يَجْمَعُونَ لَهُ، وَقَائِدُهُمُ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي ضِرَارٍ، أَبُو جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الَّتِي تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ هَذَا، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ خَرَجَ إِلَيْهِمْ، حَتَّى لَقِيَهُمْ عَلَى مَاءٍ مِنْ مِيَاهِهِمْ يُقَالُ لَهُ: الْمُرَيْسِيعُ. مِنْ نَاحِيَةِ قُدَيْدٍ إِلَى السَّاحِلِ، فَتَزَاحَمَ النَّاسُ وَاقْتَتَلُوا، فَهَزَمَ اللَّهُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، وَقَتَلَ مَنْ قَتَلَ مِنْهُمْ، وَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْنَاءَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، فَأَفَاءَهُمْ عَلَيْهِ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ شَعْبَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ فِي سَبْعِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ، وَكَانُوا حُلَفَاءَ بَنِي مُدْلِجٍ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِمْ دَفَعَ رَايَةَ الْمُهَاجِرِينَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَيُقَالُ: إِلَى عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَرَايَةَ الْأَنْصَارِ إِلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، ثُمَّ أَمَرَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَنَادَى فِي النَّاسِ، أَنْ قُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. تَمْنَعُوا بِهَا أَنْفُسَكُمْ،
পৃষ্ঠা - ৩০৪৪
وَأَمْوَالَكُمْ. فَأَبَوْا، فَتَرَامَوْا بِالنَّبْلِ، ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ فَحَمَلُوا حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَمَا أَفْلَتَ مِنْهُمْ رَجُلٌ وَاحِدٌ وَقُتِلَ مِنْهُمْ عَشَرَةٌ، وَأُسِرَ سَائِرُهُمْ، وَلَمْ يُقْتَلْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا رَجُلٌ وَاحِدٌ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، قَالَ: «كَتَبْتُ إِلَى نَافِعٍ أَسْأَلُهُ عَنِ الدُّعَاءِ قَبْلَ الْقِتَالِ، فَقَالَ: قَدْ أَغَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَهُمْ غَارُّونَ، وَأَنْعَامُهُمْ تُسْقَى عَلَى الْمَاءِ، فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ، وَسَبَى سَبْيَهُمْ، فَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ - أَحْسَبُهُ قَالَ: - جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ» وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بِذَلِكَ، وَكَانَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ أُصِيبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: هِشَامُ بْنُ صُبَابَةَ أَصَابَهُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ مِنَ الْعَدُوِّ، فَقَتَلَهُ خَطَأً.
وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أَخَاهُ مِقْيَسَ بْنَ صُبَابَةَ قَدِمَ مِنْ مَكَّةَ مُظْهِرًا لِلْإِسْلَامِ، فَطَلَبَ دِيَةَ أَخِيهِ هِشَامٍ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ لِأَنَّهُ قُتِلَ خَطَأً، فَأَعْطَاهُ دِيَتَهُ، ثُمَّ مَكَثَ يَسِيرًا، ثُمَّ عَدَا عَلَى قَاتِلِ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ، وَرَجَعَ مُرْتَدًّا إِلَى مَكَّةَ، وَقَالَ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৩০৪৫
ছিল ৷ জাহজাহ ইবন মাসৃউদ ঘোড়ার রশি টেনে চলেছিল ৷ এসময় জাহজাহ গিফারী এবং সিনান
ইবন ওবর জুহানীর সংঘর্ষ বাধে ৷ সিনান ইবন ওবর জুহানী ছিলেন বনুআওফ ইবনুল খায্রাজের
মিত্র ৷ উভয়ের মধ্যে সংঘাত শুরু হলে জুহানী চিৎকার দিয়ে বলে : হে আনসার দল আর
জাহজাহ চিৎকার দিয়ে বলে হে মুহাজির দল! এতে আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল ক্রুদ্ধ রুষ্ট
ও ক্ষিপ্ত হয় ৷ তার সঙ্গে ছিল তার দলের কিছু লোক ৷ এদের মধ্যে ;যায়দ ইবন আরকাম নামে
জনৈক তরুণও ছিলেন ৷ ইবনে উবাই বলে ওঠে ! এরা এমন কাণ্ড করছে! এরা আমাদের মধ্যে
ঘৃণার উদ্রেক করছে আর আমাদের শহরে আমাদের উপর সংথ্যাধিকদ্বু৷ বলে যাহির করছে ৷
আল্লাহর কসম ! আমাদের এবং কুরাইশী বিদেশীদের দৃষ্টান্ত এমন, যেমন আরবী ভাষায় বলা হয় :
ছুন্ৰু;টু
কুকুরকে খইিয়ে-দাইরে পুষ্ট কর তারপর সে তোমাকে সাবাড় করবে ৷ সে আরো বলে :
আল্লাহর কসম ! আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথাকার সম্মানিতরা হীন তৃচ্ছদেরকে
অবশ্যই বহিস্কার করবে ৷
অতঃপর সে তার দলের উপস্থিত লোকদের প্রতি লক্ষ্য করে বলে :
“এ কান্ডতো তোমরা নিজেরা সৃষ্টি করেছ ৷ তোমরা নিজেদের শহরে তাদেরকে স্থান দান
করেছ, নিজেদের ধন-সম্পদ তাদেরকে বণ্টন করে দিরেছ ৷ আল্লাহ্র কসম , ণ্তামাদের হাতে যা
আছে তোমরা তা সংরক্ষণ করে নিলে তারা তোমাদের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাবে ৷ যায়দ
ইবন আরকাম এ কথাগুলো শুনে রাসুল (সা)-কে তা অবহিত করেন ৷ এসময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর নিকট হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবও উপস্থিত ছিলেন ৷ তখন হযরত উমর (রা) বললেন :
আব্বাদ ইবন বিশৃরকে আদেশ করুন সে যেন তাকে হত্যা করে ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন :
“হে উমর এটা কেমন করে হতে পড়ার ? লোকে বলাবলি করবে মুহাম্মাদ তার সঙ্গি-
সাথীদেরকে হত্যা করা শুরু করছে ৷ এটা ঠিক নয় ৷ তবে এখন আমি প্রস্থানের নির্দেশ দিচ্ছি,
এটা ছিল এমন সময় সাধারণত রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে সময় সফর করতেন না ৷ তাই লোকেরা
প্রস্থান করে ৷ আবদৃল্লাহ্ ইবন উবাই ইবন সালুল জানতে পারে যে, যায়দ ইবন আরকাম যা কিছু
শুনেছিলেন বা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে অবহিত করেছেন ৷ তখন সে শপথ করে বলেন যে, সে
আপনাকে যে কথা বলেছেন তেমন কথা আমি বলিনি ৷ সে ছিল স্বজাতির মধ্যে সঘ্রহ্ন্ত এবং
নেতৃস্থানীয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আনসারদের মধ্যেকার যারা উপস্থিত ছিলেন তারা বললেন
৪ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! হতে পারে বালকটি বলতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছে ৷ সোকটি যা বলেছে তা
হয়ত স্মৃতিতে ধরতে পারেনি ৷ একথাগুলো তারা বলেছিলেন দয়াপরবশ হয়ে এবং তার মুখ
রক্ষার উদ্দেশ্যে! রাসুলুল্লাহ্ (সা) সুস্থির হয়ে যখন রওয়ানা হলেন তখন রাস্তায় উসায়দ ইবন
হুযইির এর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় ৷ সালাম দিয়ে তিনি আরব করলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ৷ আপনি
অসময় রওয়ানা করেছেন, এমন অসময়তো সাধারণত আপনি রওয়ানা করেন না ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্
(সা) তাকে বললেন : তোমরা কি জানা নেই যে, তোমাদের সঙ্গীটি কী বলেছে ? তিনি জিজ্ঞেস
شَفَى النَّفْسَ أَنْ قَدْ بَاتَ بِالْقَاعِ مُسْنَدًا ... يُضَرِّجُ ثَوْبَيْهِ دِمَاءُ الْأَخَادِعِ
وَكَانَتْ هُمُومُ النَّفْسِ مِنْ قَبْلِ قَتْلِهِ ... تُلِمُّ فَتَحْمِينِي وِطَاءَ الْمَضَاجِعِ
حَلَلْتُ بِهِ وِتْرِي وَأَدْرَكْتُ ثُؤْرَتِي ... وَكُنْتُ إِلَى الْأَوْثَانِ أَوَّلَ رَاجِعِ
ثَأَرْتُ بِهِ فِهْرًا وَحَمَّلْتُ عَقْلَهُ ... سَرَاةَ بَنِي النَّجَّارِ أَرْبَابَ فَارِعِ
قُلْتُ: وَلِهَذَا كَانَ مِقْيَسٌ هَذَا مِنَ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ أَهْدَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ دِمَاءَهُمْ، وَإِنْ وُجِدُوا مُعَلَّقِينَ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «فَبَيْنَا النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ الْمَاءِ، وَرَدَتْ وَارِدَةُ النَّاسِ، وَمَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَجِيرٌ لَهُ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، يُقَالُ لَهُ: جَهْجَاهُ بْنُ مَسْعُودٍ. يَقُودُ فَرَسَهُ، فَازْدَحَمَ جَهْجَاهُ، وَسِنَانُ بْنُ وَبَرٍ الْجُهَنِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ، عَلَى الْمَاءِ، فَاقْتَتَلَا، فَصَرَخَ الْجُهَنِيُّ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ. وَصَرَخَ جَهْجَاهُ: يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ. فَغَضِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ، وَعِنْدَهُ رَهْطٌ مِنْ قَوْمِهِ، فِيهِمْ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ؛ غُلَامٌ حَدَثٌ، فَقَالَ: أَوَقَدْ فَعَلُوهَا؟ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৬
نَافَرُونَا، وَكَاثَرُونَا فِي بِلَادِنَا، وَاللَّهِ مَا أَعُدُّنَا وَجَلَابِيبَ قُرَيْشٍ هَذِهِ، إِلَّا كَمَا قَالَ الْأَوَّلُ: سَمِّنْ كَلْبَكَ يَأْكُلْكَ. أَمَا وَاللَّهِ، لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لِيُخْرِجِنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى مَنْ حَضَرَهُ مِنْ قَوْمِهِ فَقَالَ: هَذَا مَا فَعَلْتُمْ بِأَنْفُسِكُمْ؛ أَحْلَلْتُمُوهُمْ بِلَادَكُمْ، وَقَاسَمْتُمُوهُمْ أَمْوَالَكُمْ، أَمَا وَاللَّهِ لَوْ أَمْسَكْتُمْ عَنْهُمْ مَا بِأَيْدِيكُمْ؛ لَتَحَوَّلُوا إِلَى غَيْرِ دَارِكِمْ فَسَمِعَ ذَلِكَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، فَمَشَى بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَلِكَ عِنْدَ فَرَاغِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَدُوِّهِ، فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، وَعِنْدَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: مُرْ بِهِ عَبَّادَ بْنَ بِشْرٍ فَلْيَقْتُلْهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَكَيْفَ يَا عُمَرُ، إِذَا تَحَدَّثَ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ، لَا، وَلَكِنْ أَذِّنْ بِالرَّحِيلِ " وَذَلِكَ فِي سَاعَةٍ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْتَحِلُ فِيهَا، فَارْتَحَلَ النَّاسُ وَقَدْ مَشَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ قَدْ بَلَّغَهُ مَا سَمِعَ مِنْهُ، فَحَلَفَ بِاللَّهِ: مَا قُلْتُ مَا قَالَ، وَلَا تَكَلَّمْتُ بِهِ. وَكَانَ فِي قَوْمِهِ شَرِيفًا عَظِيمًا، فَقَالَ مَنْ حَضَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ عَسَى أَنْ يَكُونَ الْغُلَامُ أَوْهَمَ فِي حَدِيثِهِ، وَلَمْ يَحْفَظْ مَا قَالَ الرَّجُلُ. حَدَبًا عَلَى ابْنِ أُبَيٍّ وَدَفْعًا عَنْهُ. فَلَمَّا اسْتَقَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَارَ، لَقِيَهُ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ، فَحَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ النُّبُوَّةِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ رُحْتَ فِي سَاعَةٍ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৭
করলেন, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্! কোন সঙ্গী ? বললেন, আবদুল্লাহ ইবন উবইি ৷ তিনি জানতে চাইলেন,
কী বলেছে সে ? বললেন : তার ধারণা সে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে সম্মানিতরা তথা থেকে
হীনদেরকে বের করে দেবে ৷ তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি ইচ্ছা করলে তাকে বের
করে দিতে পারেন ৷ আল্লাহর শপথ ! আপনি হলেন সম্মানিত আর সে হলো হীন ৷ অতঃপর তিনি
আরয করলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তার সঙ্গে কোমল আচরণ করুন ৷ আল্লাহর কসম, আল্লাহ
আপনাকে এমন সময় আমাদের নিকট উপস্থিত করেছেন যখন তার জাতি তাকে মুকুট পরাবার
আয়োজন করেছিল ৷ তার ধারণা, আপনি তার বাদশাহী ছিনিয়ে নিয়েছেন ৷ তারপর বাসুলুল্লড়াহ্ (সা)
লোকজন নিয়ে চলতে থাকেন সকাল থেকে সন্ধ্য৷ , আবার সন্ধাড়া থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো
দিবা-রাত্র এবং পরদিন দুপুরে সুর্য তাপ ভীব্রে না হওয়া পর্যন্ত ৷ তারপর তিনি লোকজনকে নিয়ে
অবতরণ করেন এবং মাটির স্পার্ণ লাভ মাত্র তারা ঘুমিয়ে পড়েন ৷ অবশ্য তিনি এটা করেন এজন্য
যাতে লোকেরা আবদুল্লাহ ইবন উবাই-এর গতকালকের ঘটনা নিয়ে আলোচনায় লিপ্ত না হয়ে
পড়েন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজাযের পথ ধরে অগ্রসর হতে থাকেন এবং নাকী এর কিছুটা
উচুতে অবস্থিত বুকআ কুপের নিকট অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ রাসুল (সা) যখন সেখানে অবস্থান
গ্রহণ করেন তখন প্রচন্ড বায়ু প্রবাহিত হয় ৷ এতে ণ্লাকজনের কষ্ট হয় এবং তারা ভীত হয়ে
পড়লে তিনি (সা) বললেন :
“ তোমরা এতে ভীত হয়ে না; কাফিরদের একজন বড় নেতার মৃত্যুতে এ ঝঞা বায়ু প্রবাহিত
হয়েছে ৷ মদীনা উপনীত হয়ে তারা জানতে পারেন যে, বনু কায়নুকা এর অন্যতম নেতা রিফাআ
ইবন যায়দ ইবন তাবুত এ দিন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে ৷ সে ছিল অন্যতম প্রধান ইহুদী নেতা
এবং মুনাফিকদের আশ্রয় দাতা ৷ মুসা ইবন উকবা এবং ওয়াকিদী (র) এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
আর ইমাম মুসলিম (র) ও আমাশ সুত্রে জাবির থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি মৃত্যু
বরণকারী মুনাফিকের নাম উল্লেখ করেননি ৷ তিনি এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, নবী করীম
(সা ) এর কোন এক সফর কালে তীরে বায়ু প্রবাহিত হলে তিনি বলেছিলেন : জনৈক ঘুনাফিকের
মৃত্যুতে এ বায়ু প্রবাহিত হয়েছে ৷ আমরা মদীনায় উপনীত হয়ে অন্যতম প্রধান মুনাফিকের মৃত্যু
সম্পর্কে অবগত হই ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উবাই এবং অনুরুপ
মুনড়াফিক প্রসঙ্গে সুরা মুনাফিকুন নাযিল হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন আরকামের কানে ধরে
বলেন যে এ হচ্ছে যে ব্যক্তি, যে আল্লাহর খাজির যা কর্ণে শ্রবণ করেছে তা-ই বর্ণনা করেছে ৷
আমি বলি, এ বিষয়ে আমাদের তাফসীর গ্রন্থে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ এখানে তার
পুনঃউল্লেখ নিম্প্রয়ােজন এবং যায়দ ইবন আরকামের মাধ্যমে বর্ণিত এ হাদীছের সুত্র সম্পর্কেও
আমরা সেখানে আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা ও স্তব-ন্তুতি আল্লাহর জন্য ৷ আগ্রহী পাঠক
সেখানে দেখে নিতে পারেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুলের পুত্র আবদুল্লাহ (বা) রাসুল (না)-এর
দরবারে হাযির হয়ে আরয করলেন ও
ইয়া রাসুলাল্লাহ ! (আমার পিতা) আবদুল্লাহ ইবন উবইি আপনাকে যে কষ্ট দিয়েছে ৷ আমি
জানতে পারলাম যে, সে জন্য আপনি তাকে হত্যা করতে মনস্থু করেছেন ৷ যদি তাই হয় তবে
مُنْكَرَةٍ، مَا كُنْتَ تَرُوحُ فِي مِثْلِهَا. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَمَا بَلَغَكَ مَا قَالَ صَاحِبُكُمْ؟ ". قَالَ: أَيُّ صَاحِبٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ". قَالَ: وَمَا قَالَ؟ قَالَ: " زَعَمَ أَنَّهُ إِنْ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ؛ أَخْرَجَ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ ". قَالَ: فَأَنْتَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخْرِجُهُ إِنْ شِئْتَ، هُوَ وَاللَّهِ الذَّلِيلُ وَأَنْتَ الْعَزِيزُ. ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ارْفُقْ بِهِ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ جَاءَنَا اللَّهُ بِكَ، وَإِنَّ قَوْمَهُ لِيَنْظِمُونَ لَهُ الْخَرَزَ لِيُتَوِّجُوهُ، فَإِنَّهُ لَيَرَى أَنَّكَ قَدِ اسْتَلَبْتَهُ مُلْكًا. ثُمَّ مَشَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ حَتَّى أَمْسَى، وَلَيْلَتَهُمْ حَتَّى أَصْبَحَ، وَصَدْرَ يَوْمِهِمْ ذَلِكَ حَتَّى آذَتْهُمُ الشَّمْسُ، ثُمَّ نَزَلَ بِالنَّاسِ، فَلَمْ يَلْبَثُوا أَنْ وَجَدُوا مَسَّ الْأَرْضِ، فَوَقَعُوا نِيَامًا، وَإِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ لِيَشْغَلَ النَّاسَ عَنِ الْحَدِيثِ الَّذِي كَانَ بِالْأَمْسِ؛ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ، ثُمَّ رَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ، وَسَلَكَ الْحِجَازَ، حَتَّى نَزَلَ عَلَى مَاءٍ بِالْحِجَازِ فُوَيْقَ النَّقِيعِ، يُقَالُ لَهُ: بَقْعَاءُ. فَلَمَّا رَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَبَّتْ عَلَى النَّاسِ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَآذَتْهُمْ وَتَخَوَّفُوهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَخَوَّفُوهَا؛ فَإِنَّمَا هَبَّتْ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنْ عُظَمَاءِ الْكُفَّارِ ". فَلَمَّا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ وَجَدُوا رِفَاعَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ التَّابُوتِ، أَحَدَ بَنِي قَيْنُقَاعَ، - وَكَانَ عَظِيمًا مِنْ عُظَمَاءِ يَهُودَ، وَكَهْفًا لِلْمُنَافِقِينَ - مَاتَ ذَلِكَ الْيَوْمَ» وَهَكَذَا ذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৩০৪৮
مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَالْوَاقِدِيُّ.
وَرَوَى مُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ نَحْوَ هَذِهِ الْقِصَّةِ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يُسَمِّ الَّذِي مَاتَ مِنَ الْمُنَافِقِينَ، قَالَ: «هَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، فَقَالَ: " هَذِهِ لِمَوْتِ مُنَافِقٍ ". فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ، إِذَا هُوَ قَدْ مَاتَ عَظِيمٌ مِنْ عُظَمَاءِ الْمُنَافِقِينَ» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَتِ السُّورَةُ الَّتِي ذَكَرَ اللَّهُ فِيهَا الْمُنَافِقِينَ؛ فِي ابْنِ أُبَيٍّ، وَمَنْ كَانَ عَلَى مِثْلِ أَمْرِهِ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُذُنِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، وَقَالَ: «هَذَا الَّذِي أَوْفَى لِلَّهِ بِأُذُنِهِ» .
قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفْسِيرِهَا بِتَمَامِهَا؛ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، وَسَرَدْنَا طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، فَمَنْ أَرَادَ الْوُقُوفَ عَلَيْهِ، أَوْ أَحَبَّ أَنْ يَكْتُبَهُ هَاهُنَا، فَلْيَطْلُبْهُ مِنْ هُنَاكَ، وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُرِيدُ قَتْلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ، فِيمَا بَلَغَكَ عَنْهُ، فَإِنْ كُنْتَ فَاعِلًا فَمُرْنِي بِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩০৪৯
আপনি আমাকে নির্দেশ দিন, আমি আপনার সম্মুখে তার মস্তক হাযিব করবো আল্লাহ কলম!
খাঘৃরাজ গোত্র (ভাল করেই) আসে যে তাদের মধ্যে পিার প্রতি আমার চেয়ে বেশী ৷শ্রদ্ধাশীল
কোন ব্যক্তি নেই ৷ আমার আশংকা হচ্ছে আপনি আমি ছাড়া অপর কোন ব্যক্তিকে তাকে হত্য’ণ্
করার নির্দেশ দিলে আর সে ব্যক্তি তাকে হত্যা করবে ৷ আমার পিতার হভ্যাকারীকে আমি
যমীনের বুকে চলাফেরা করতে দেখে তাকে হত্যা করবো ৷ আর এভাবে একজন কাফির এর
বদলড়ায় একজন মু’মিনকে হত্যা করে আমি জাহান্নামী হবো অন্তত আমার এমন অবস্থা হতে
আপনি দেবেন না ৷
তার এ নিবেদনের জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
না বরং আমরা তার সঙ্গে কোমল আচরণ করবো এবং সে যত ন আমা;দর সঙ্গে অবস্থান
করে আমরা তার সঙ্গে সদাচার করবো ৷ এরপর যখনই কোন ঘটনা ঘটার্দ্রতা, তার জাতির
সােকেরাই তাকে শাসাতো, হুমকি দিত এবং উমা প্রকাশ করতো ৷ তাদের এ অবস্থা জান্তে
পেরে ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবকে বললেন ১০
হে উমর ! কী মনে হয় দ্রু আল্লাহর কলম, সে দিন তুমি বলেছিলে সেদিন আমি যদি তাকে
হত্যা করতাম তবে অনেকেই নাক সিটকাং তা, আজ যদি তাকে হত্যা করা র নির্দেশ দেই তবে
অবশ্যই তাকে হত্যা করবে ৷ তখন হযর৩ তউমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বললেন :
আল্লাহর কলম, আমি জানতাম যে, আমার কথার চেয়ে রাসুল (না)-এর কথা অনেক
বরকতময় ৷ ইকরামা ও টুবৃন যায়দ প্রমুখ উল্লেখ করেন যে, ৩দীয় পুত্র আবদুল্পহ (রা) মদীনায়
একটি স০ কীর্ণ গলিতে তা আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল এর সম্মুখে দাড়িয়ে বলেন ৷
দাড়ান রাসুলুল্লাহ্ ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত আপনি মদীনায় প্রবেশ করতে
পারবেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুমতি দান করলে৩ তার তিনি তাকে পথ ছেড়ে দেন এর :সে
মদীনায় প্রবেশ করে ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : এ যুদ্ধে বনু মুস্তালিকের বেশ কিছু লোক আহত ও বন্দী হয় ৷
আলী ইবন আবুত৷ ৷লিব (বা) তাদের দৃব্যক্তি মালিক এবংত ৷র পুত্রকে হত্যা করেন ৷ ইবন হিশাম
(র) বলেনং এ যুদ্ধে মুসলমানদের সংকেত ধ্বনি ছিল এ ৷ ;০৷ প্রু টু;ষ্টুশু ;
ইবন ইসহাক আরো বলে ৷ যে, এ যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের অনেককে রক্ষা করে
মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করেন ৷
বুখারী (র) কুতায়বা ইবন সাঈদ ইবন মুহাইরীয সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি
মসজিদে প্রবেশ করে আবু সাঈদ থুদরীকে দেখতে পেয়ে তার পাশে বসলাম ৷ আয্ল সম্পর্কে
তাকে জিজ্ঞেস করলে আবু সাঈদ (রা ) বললেন : বনুমুস্তালিক যুদ্ধে আমরা রাসুল (না)-এর সঙ্গে
বের হলাম ৷ আমরা আরবদের অনেককে বন্দী করলাম ৷ নারীর প্রতি আমাদের আসক্তি আগে
এবং নারী বিহীন জীবন যাপন করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে ৷ তাই আযল করাই আমরা
পসন্দ করলাম ৷ আমরা বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো আমাদের সম্মুখেই আছেন; তাকে জাি, জ্ঞস
না করেই আমরা আযল করবো ? তাই এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন :
فَأَنَا أَحْمِلُ إِلَيْكَ رَأْسَهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَتِ الْخَزْرَجُ؛ مَا كَانَ بِهَا مِنْ رَجُلٍ أَبَرَّ بِوَالِدِهِ مِنِّي، وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ تَأْمُرَ بِهِ غَيْرِي فَيَقْتُلَهُ، فَلَا تَدَعُنِي نَفْسِي أَنْ أَنْظُرَ إِلَى قَاتِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ يَمْشِي فِي النَّاسِ، فَأَقْتُلَهُ، فَأَقْتُلَ مُؤْمِنًا بِكَافِرٍ، فَأَدْخُلَ النَّارَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ نَتَرَفَّقُ بِهِ وَنُحْسِنُ صُحْبَتَهُ مَا بَقِيَ مَعَنَا. وَجَعَلَ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا أَحْدَثَ الْحَدَثَ؛ كَانَ قَوْمُهُ هُمُ الَّذِينَ يُعَاتِبُونَهُ وَيَأْخُذُونَهُ، وَيُعَنِّفُونَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، حِينَ بَلَغَهُ ذَلِكَ مِنْ شَأْنِهِمْ: " كَيْفَ تَرَى يَا عُمَرُ أَمَا وَاللَّهِ لَوْ قَتَلْتُهُ يَوْمَ قُلْتَ لِيَ: اقْتُلْهُ، لَأَرْعَدَتْ لَهُ آنُفٌ، لَوْ أَمَرْتُهَا الْيَوْمَ بِقَتْلِهِ لَقَتَلَتْهُ ". فَقَالَ عُمَرُ: قَدْ وَاللَّهِ عَلِمْتُ؛ لَأَمْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْظَمُ بَرَكَةً مِنْ أَمْرِي.»
وَقَدْ ذَكَرَ عِكْرِمَةُ وَابْنُ زَيْدٍ وَغَيْرُهُمَا، أَنَّ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَفَ لِأَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ عِنْدَ مَضِيقِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: قِفْ، فَوَاللَّهِ لَا تَدْخُلْهَا حَتَّى يَأْذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ. فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَأْذَنَهُ فِي ذَلِكَ، فَأَذِنَ لَهُ، فَأَرْسَلَهُ حَتَّى دَخَلَ الْمَدِينَةِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأُصِيبَ يَوْمَئِذٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ نَاسٌ، وَقَتَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنْهُمْ رَجُلَيْنِ؛ مَالِكًا وَابْنَهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ شِعَارُ الْمُسْلِمِينَ: يَا مَنْصُورُ، أَمِتْ أَمِتْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابَ مِنْهُمْ سَبْيًا
পৃষ্ঠা - ৩০৫০
كَثِيرًا، فَقَسَمَهُمْ فِي الْمُسْلِمِينَ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ، فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْعَزْلِ، فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ، فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ، وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزُوبَةُ، وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ، وَقُلْنَا: نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا، قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ. فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: " مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ» وَهَكَذَا رَوَاهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فِيمَنْ أُصِيبَ يَوْمَئِذٍ مِنَ السَّبَايَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبَايَا بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَقَعَتْ جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ فِي السَّهْمِ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، أَوْ لِابْنِ عَمٍّ لَهُ، فَكَاتَبَتْهُ عَلَى نَفْسِهَا، وَكَانَتِ امْرَأَةً حُلْوَةً مُلَّاحَةً، لَا يَرَاهَا أَحَدٌ إِلَّا أَخَذَتْ بِنَفْسِهِ، فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِتَسْتَعِينَهُ فِي كِتَابَتِهَا. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُهَا
পৃষ্ঠা - ৩০৫১
তোমরা আনৃল না করলেও কিছু যায় আসে না ৷ কিয়ামত পর্যন্ত ও প্রাণী আলবাব আছে সে
অবশ্যই আসবে ৷ কেউ তার আগমন ঠেকাতে পারবে না ৷ তিনি অনুরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : সেদিন যাদেরকে বন্দী করা হয় তাদের মধ্যে জুয়াইরিয়া বিনৃত
হ্ারিছ ইবন আবুযিরার)ও ছিলেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন জা“ফর আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু মুন্তালিকের বন্দীদেরকে বণ্টন করলে জ্বয়ইিরিয়া বিনতুল হারিছ সাবিত
ইবন কায়স ইবন শাম্মাস অথবা তার চাচাত ভাইয়ের ভাগে পড়েন ন্ জুয়াইরিয়া নিজের জন্য
মুক্তিপণ নির্ধারণ করিয়ে নেয় ৷ আর ইনি ছিলেন এক লাবণ্যময়ী মহিলা ৷ যে কেউ তাকে দেখলে
মনে দাগ কাটতো ৷ তিনি রাসুলুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করে মুক্তিপণ পরিশ্যেধে তার
সাহায্য কামনা করেন ৷ আইশা (রা) বলেন : আল্লাহ্ কসম ! আমার ছুজরার দ্বারে তাকে দেখে
আমি পসন্দ করতে পারিনি ৷ আমি বুঝতে পারলাম যে, আমি তার (সৌন্দর্যের) যা দেখতে পাচ্ছি
রাসুল (মা) ও তা অচিরেই দেখতে পাবেন ৷ তিনি বাসৃলুল্লাহ্র (না) সম্মুখে উপস্থিত হয়ে আরয
করলেন ;
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি জুয়াইরিয়া বিনৃত হারিছ ইবন আবু যিরার ৷ আমার পিতা সম্প্রদায়ের
নেতা ৷ আমি এমন বিপদে পতিত হয়েছি , যা আপনার কাছে গোপন নেই ৷ আমি ছাবিত ইবন
কায়স ইবন শাম্মাস অথবা তার চাচাত ভাইয়ের হিস্যায় পড়ি এবং নিজেকে মুক্ত করার জন্য তার
সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ৷ চুক্তির দায় শোধ করার জন্য আপনার নিকট সাহায্য চাইতে এসেছি ৷
জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমার জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু করা হলে ? তিনি বললেন :
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ত্ত তা কী? রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন : আমি তোমার মুক্তিপণ পরিশোধ করে
তোমাকে বিবাহ করবো ৷ তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি কবুল করলাম ৷ রাবী হযরত
আইশা (রা) বলেন : লোকজনের নিকট খবর পৌছে গেল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) , জুয়াইরিয়া বিনৃত
হারিছকে বিবাহ করেছেন ৷ তখন লোকেরা বলে : এরা হল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শ্বশুর গোষ্ঠী
তখন তারা আনন্দিত হয়ে ঐ বংশের দাসদেরকে মুক্ত করে দেন ৷ রাবী হযরত আইশা (রা) বলেন
চ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক জুয়াইরিয়াকে বিয়ে করার ফলে তাদের মধ্যে বনু মুন্তালিকের একশ
পরিবার আযাদ হয়ে যায় ৷ জানামতে জুয়ইিরিয়ার চাইতে নিজের সম্প্রদায়ের জন্য বেশী বরকতময়
আর কোন নারী আছে বলে আমার জানা নেই ৷
অতঃপর ইবন ইসহাক (র) বনু মুস্তালিক যুদ্ধ প্রসঙ্গে ইফ্ক তথা অপবাদ আরোপের
বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করেন ৷ অনুরুপভাবে ইমাম বুখারী (র) প্রমুখ মনীষীও ইফ্কের ঘটনা বর্ণনা
করেন ৷ তাফসীর গ্রন্থে সুরা নুর-এর তাফ্সীর প্রসঙ্গে এ বর্ণনার সকল সনদের বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে ৷ সেখানে লেখা যেতে পারে ৷
ওয়াকিদী হারাম সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন : হযরত জুয়াইরিয়ড়া বলেন যে,
নবী করীম (না)-এর আগমনের তিন দিন পুর্বে আমি স্বপ্নে দেখি যে, যেন চন্দ্র ইয়াছরিব থেকে
এসে আমার কোলে পতিত হয়েছে ৷ এ বিষয়ে কোন মানুষকে অবহিত করা আমি পসন্দ করিনি ৷
৩৮
عَلَى بَابِ حُجْرَتِي فَكَرِهْتُهَا، وَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَرَى مِنْهَا مَا رَأَيْتُ. فَدَخَلَتْ عَلَيْهِ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ سَيِّدِ قَوْمِهِ، وَقَدْ أَصَابَنِي مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ، فَوَقَعْتُ فِي السَّهْمِ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ - أَوْ لِابْنِ عَمٍّ لَهُ - فَكَاتَبْتُهُ عَلَى نَفْسِي، فَجِئْتُكَ أَسْتَعِينُكَ عَلَى كِتَابَتِي. قَالَ: " فَهَلْ لَكِ فِي خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ؟ ". قَالَتْ: وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَقْضِي عَنْكِ كِتَابَكِ، وَأَتَزَوَّجُكِ ". قَالَتْ: نَعَمْ، يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " قَدْ فَعَلْتُ ". قَالَتْ: وَخَرَجَ الْخَبَرُ إِلَى النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَزَوَّجَ جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ، فَقَالَ النَّاسُ: أَصْهَارُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلُوا مَا بِأَيْدِيهِمْ. قَالَتْ: فَلَقَدْ أُعْتِقَ بِتَزْوِيجِهِ إِيَّاهَا مِائَةُ أَهْلِ بَيْتٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، فَمَا أَعْلَمُ امْرَأَةً كَانَتْ أَعْظَمَ بَرَكَةً عَلَى قَوْمِهَا مِنْهَا» ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ الْإِفْكِ بِتَمَامِهَا فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ، وَكَذَلِكَ الْبُخَارِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، وَقَدْ حَرَّرْتُ طُرُقَ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ النُّورِ، فَلْيُلْحَقْ بِكَمَالِهِ إِلَى هَاهُنَا. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ৩০৫২
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا حَرَامٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَتْ جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ: رَأَيْتُ قَبْلَ قُدُومِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلَاثِ لَيَالٍ، كَأَنَّ الْقَمَرَ يَسِيرُ مِنْ يَثْرِبَ، حَتَّى وَقَعَ فِي حِجْرِي، فَكَرِهْتُ أَنْ أُخْبِرَ بِهِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ، حَتَّى قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا سُبِينَا رَجَوْتُ الرُّؤْيَا. قَالَتْ: فَأَعْتَقَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَزَوَّجَنِي، وَاللَّهِ، مَا كَلَّمْتُهُ فِي قَوْمِي، حَتَّى كَانَ الْمُسْلِمُونَ هُمُ الَّذِينَ أَرْسَلُوهُمْ، وَمَا شَعَرْتُ إِلَّا بِجَارِيَةٍ مِنْ بَنَاتِ عَمِّي تُخْبِرُنِي الْخَبَرَ، فَحَمِدْتُ اللَّهَ تَعَالَى. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَيُقَالُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ صَدَاقَهَا عِتْقَ كُلِّ أَسِيرٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ. وَيُقَالُ: جَعَلَ صَدَاقَهَا عِتْقَ أَرْبَعِينَ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ أَنَّ أَبَاهَا طَلَبَهَا وَافْتَدَاهَا، ثُمَّ خَطَبَهَا مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزَوَّجَهُ إِيَّاهَا.
পৃষ্ঠা - ৩০৫৩
অবশেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগমন করলেন ৷ আমরা যখন বন্দী হলাম তখন স্বপ্নের ব্যাখ্যার
আকাগ্রা জাগ্রত হয় ৷ হযরত জুয়াইরিয়া বলেন £ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে মুক্ত করে বিবাহ
করেন, আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে আমার সম্প্রদায় সম্পর্কে আমি কোন কথা
বলিনি ৷ মুসলমানরা নিজেরাই তাদেরকে আযাদ করেছেন ৷ আমার চাচাতো বোনের এক দাসীর
মাধ্যমে আমি এ বিষয়ে জানতে পেয়েছি ৷ সে আমাকে এ খবর দিলে আমি আল্লাহর শুকরিয়া
আদায় করি ৷ ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুয়াইরিয়ার মহর হিসাবে বনুমুস্তালিকের ৪০ জন
কে মুক্ত করেন ৷ মুসা ইবন উকবা বনু মুস্তালিক সুত্রে উল্লেখ করেন যে, তার পিতা তার খোজ
নেন এবং মুক্তিপণ দিয়ে তাকে মুক্ত করেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব
দিলে তার পিতা তাকে বাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর নিকট বিবাহ দেন ৷
হযরত আইশা (না)-এর প্রতি অপৰাদ আরোপের ঘটনা
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) অপবাদের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ংইব ন ইসহাক যুহরী সুত্রে
আলকামা — উবায়দৃল্লাহ্ইবন উতবা এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, এরা সকলেই আমাকে এ
ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন তবে তাদের মধ্যকার কিছু লোক ঘটনা বেশী স্মরণ রেখেছেন ৷ আর
লোকেরা আমাকে যা জানিয়েছেন তার সমস্ত আমি একত্র করেছি ৷ ইবন ইসহাক ইয়াহ্ইয়া ইবন
আব্বাদ সুত্রে আইশা (রা) থেকে এর আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর উমরা বিনৃত আবদুর
রহমান অইিশা সুত্রে এবং তিনি নিজের সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, অপৰাদ রটনাকাবীরা এ ব্যাপারে
যা বলার বলেছে ৷ এ ঘটনা বর্ণনায় সকলেই অন্তর্ভুক্ত আছেন তাদের কেউ কেউ এমন বর্ণনা
দিয়েছেন যা অন্যরা বর্ণনা করেননি ৷ আর এরা সকলেই নির্ভরযোগ্য এবং সকলেই হযরত আইশা
থেকে যা কিছু শুন্যেছন তড়া-ই বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আইশা (রা ) বলেন : রাসুলুল্লাহ্
(সা)সফরে গমনের অভিপ্রায় করলে (স্বভাবতই) তিনি ত্রীগণের মধ্যে লটারী করতেন ৷ এতে যার
নাম আসভাে , তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সফরে বের হতেন ৷ বনু মুস্তালিক যুদ্ধে বের হওয়ার সময়
ও তিনি সেই ব্যবস্থা অবলম্বন করেন ৷ এতে আমার নাম উঠে ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
সঙ্গে নিয়ে বের হন ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন : তখনকার দিনে নারীরা স্বল্প আহার করতেন ৷
ফলে যেদভুড়ি বৃদ্ধি দ্বারা নারীরা মোটা সোটা না হয়ে বরং হাল্কা হতেন ৷ আমার বাহন প্রস্তুত হলে
আমি হাওদায় বসে পড়ি ৷ এরপর আমার উটের চালকরা আগমন করলে তারা আমার হাওদা নীচ
দিয়ে ধরে উটের পিঠে রাখে এবং হাওদাকে উটের পিঠে সওয়ার করায় ৷ হাওদা রশি দিয়ে করে
বাধার পর তারা রওয়ড়ানা করতো ৷ হযরত আইশা (বা) বলেন : এ সফর শেষে বাসুলুল্লাহ্ (সা)
মদীনায় দিকে বওয়ানা করেন ৷ মদীনায় কাছে এসে একটা মনযিলে সকলে অবস্থান করেন এবং
রাত্রের কিছু অংশ সেখানে কাটান ৷ তারপর ঘোষক লোকদের মধ্যে ঘোষণা প্রচার করলে
সকলেই বওয়ানা হন ৷ আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজন বাইরে গিয়েছিলাম ৷ আমার গলায় ছিল ঝিনুকের
হার ৷ আমি যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে অবসর হই তখন আমার অজান্তে হারটি আমার গলা
থেকে পড়ে যায় ৷ আমি টেরই পাইনি ৷ আমি অবতরণস্থলে ফিরে এসে গলায় হাত দিয়ে দেখি
হার নেই ৷ এসময় লোকেরা বাহন যােগে রওয়ড়ানা হতে উদ্যত হয় ৷ যে স্থানে আমি হার ফেলে
এসেছিলাম ৷ আমি সেখানে ফিরে যাই এবং হারটি খুজে পাই ৷
[قِصَّةُ الْإِفْكِ]
وَهَذَا سِيَاقُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ لِحَدِيثِ الْإِفْكِ؛ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: كُلٌّ قَدْ حَدَّثَنِي بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ، وَبَعْضُ الْقَوْمِ كَانَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضٍ، وَقَدْ جَمَعْتُ لَكَ كُلَّ الَّذِي حَدَّثَنِي الْقَوْمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩০৫৪
ইতে ৷মধ্যে আমার বাহনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এসে পড়েন এবং বাহন প্ৰস্তত করে তারা
অবসর হয়ে যথারীতি আমি তাতে আছি মনে করে তারা হাওদা তুলে নেন ৷ উঠের পিঠে হাওদায়
আমি নেই এমন সন্দেহও তারা করেননি; তাই তারা সওয়ারীর লাপাম ধরে রওয়ানা হয়ে পড়েন ৷
অবতরণ স্থলে আমি ফিরে আসি; তখন সেখানে আহ্বানকারী আর সাড়াদানকারী কেউই নেই ৷
সকলেই রওয়ানা হয়ে গেছেন ৷ আমি সেখানে চাদর ঘুড়ি দিয়ে স্ব-স্থানে শুয়ে পড়ি এবং ধারণা
করি যে, তারা আমাকে খুজে না পেয়ে অবশ্যই আমার দিকে ফিরে আসবেন ৷ তিনি আরো
বলেন; আমি শুয়ে আছি এমন সময় সাফ্ওয়ান ইবন মুয়াত্তাল সুলামী আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম
করেন ৷ নিজের কোন প্রয়োজনে তিনি কাফেলার পেছনে ছিলেন ৷ তিনি লোকজনের সঙ্গে রাত্রি
যাপন করেননি এবং আমার অস্পষ্ট অবয়ব দেখে এগিয়ে আসেন এবং আমাকে দেখে চিনতে
পারেন ৷ কারণ, আমাদের উপর পদয়ি বিধান আমার পুর্বে তিনি আমাকে দেখেছিলেন ৷ আমাকে
দেখে তিনি ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন পাঠ করে ণ্রুণ্;লন এ যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সহধর্মিণী আমি কাপড় ঘুড়ি দিয়ে ছিলাম ৷ তিনি বললেন, আল্লাহু আপনার প্রতি রহম করুন, কী
করে আপনি পেছনে রয়ে পেলেন ? আইশা বলেন : আমি তার সঙ্গে কোন কথা বলিনি ৷ এরপর
উট আমার কাছে এসে আরোহণ করতে বলে তিনি দুরে সরে দাড়ান ৷ তিনি বলেন, আমি উঠে
চড়লে তিনি উঠে লাগাম ধারণ করতঃ রওয়ানা করেন ৷ আল্লাহর কসম ভোর পর্যন্ত আমরা
কাফেলাকে ধরতে পারিনি এবং আমাকে কেউ তালাশও করেনি ৷৩ তারা অবতরণ স্থলে নির্বিকার
অবস্থান করছিলেন এমন সময় আমাকে নিয়ে লোকঢি সেখানে পৌছেন তখন অপবাদ
রটনাকা রীরা যা বলার তা বলে এবং বাহিনীতে ভৈহাচ পড়ে গেল ৷ আল্লাহ্র কসম এসবের কিছুই
আমি জানি না ৷ আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি এবং এসেই আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং
এতসবের কিছুই আমার কানে পৌছেনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) এবং আমার পিতামাতার কানে এসব
কথা পৌছলেও তারা অল্প বিস্তর কিছুই আমাকে জা ৷নাননি ৷ অবশ্য আমার সঙ্গে রাসুল (সা ) ৷হাসি
তামাশা আর কৌতু কে আমি কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করি ৷ আমি অসুস্থ হলেও তিনি দয়া আর
কোমলত৷ প্রদর্শন করতে ন ৷ কিন্তু আমার এবারের অসুস্থর্তায় তিনি তেমন কোমলত৷ প্রদর্শন
করেননি ৷ এবার তার পক্ষ থেকে আমি ব্যতিক্রম লক্ষ্য করলাম ৷ তিনি আমার কাছে আসেন আর র
আম্মাজান ১ আমার সেবার রত; তিনি কেবল বলতেন বাড়ীর লোক কেমন আছেন ? এর বেশী
কিছু বলতে তন না ৷ তিনি বলেনঃ এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হলাম এবং তার এরুপ আচরণ দেখে
আমি আরয করলাম ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) আপনি অনুমতি দান করলে আ ৷মি আমার মায়ের
নিকট চলে যাই ৷ তিনি আমার সেবা-যত্ন করবেন ৷ তিনি বললেন, অসুবিধা নেই ৷ হযরত ৩অইিশা
(বা) আরো বলেন : এরপর আমি মায়ের নিকট চলে যাই ৷ যা ঘটেছে সে সম্পর্কে আ ৷মি কিছুই
জানতাম না ৷ এক মাসের অসুখে আমি নিতান্ত দুর্বল হয়ে পড়ি ৷ আমরা আরবের লোকেরা
আজমী লোকদের মতো গৃহে শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখতাম না ৷ বরং এ ব্যবস্থাকে আমরা ঘৃণা
করতাম ৷ এজন্য আমরা মদীনার উপযুক্ত প্রান্তরে গমন করতাম আর নারীরা প্রাকৃতিক প্রয়োজনে
রাতের বেলা বাইরে গমন করতে ন ৷ একদা রাত্রিকালে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে আমি গৃহের বাইরে
১ সীরাতে ইবন হিা৷মে আছেং তিনি উম্মে রোমান, তার নাম যয়নব বিনৃত আব্দ দাহমান, বনু কিবাস
ইবন গনম ইবন মালিক ইবন কিনানার অন্যতম সদস্য ৷
عَائِشَةَ، عَنْ نَفْسِهَا حِينَ قَالَ فِيهَا أَهْلُ الْإِفْكِ مَا قَالُوا، فَكُلٌّ قَدْ دَخَلَ فِي حَدِيثِهَا، عَنْ هَؤُلَاءِ جَمِيعًا، يُحَدِّثُ بَعْضُهُمْ مَا لَمْ يُحَدِّثْ صَاحِبُهُ، وَكُلٌّ كَانَ عَنْهَا ثِقَةً، فَكُلُّهُمْ حَدَّثَ عَنْهَا بِمَا سَمِعَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ سَفَرًا أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ، فَأَيَّتُهُنَّ خَرَجَ سَهْمُهَا، خَرَجَ بِهَا مَعَهُ، فَلَمَّا كَانَ غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ، كَمَا كَانَ يَصْنَعُ، فَخَرَجَ سَهْمِي عَلَيْهِنَّ مَعَهُ، فَخَرَجَ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: وَكَانَ النِّسَاءُ إِذْ ذَاكَ يَأْكُلْنَ الْعُلَقَ، لَمْ يُهَبِّجْهُنَّ اللَّحْمُ فَيَثْقُلْنَ، وَكُنْتُ إِذَا رَحَلَ لِي بَعِيرِي جَلَسْتُ فِي هَوْدَجِي، ثُمَّ يَأْتِي الْقَوْمُ الَّذِينَ كَانُوا يُرَحِّلُونَ لِي، وَيَحْمِلُونَنِي فَيَأْخُذُونَ بِأَسْفَلِ الْهَوْدَجِ، فَيَرْفَعُونَهُ فَيَضَعُونَهُ عَلَى ظَهْرِ الْبَعِيرِ، فَيَشُدُّونَهُ بِحِبَالِهِ، ثُمَّ يَأْخُذُونَ بِرَأْسِ الْبَعِيرِ فَيَنْطَلِقُونَ بِهِ. قَالَتْ: فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سَفَرِهِ ذَلِكَ، وَجَّهَ قَافِلًا، حَتَّى إِذَا كَانَ قَرِيبًا مِنَ الْمَدِينَةِ نَزَلَ مَنْزِلًا، فَبَاتَ بِهِ بَعْضَ اللَّيْلِ، ثُمَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ بِالرَّحِيلِ، فَارْتَحَلَ النَّاسُ، وَخَرَجْتُ لِبَعْضِ حَاجَتِي، وَفِي عُنُقِي عِقْدٌ لِي، فِيهِ جَزْعُ ظَفَارٍ، فَلَمَّا فَرَغْتُ انْسَلَّ مِنْ عُنُقِي، وَلَا أَدْرِي فَلَمَّا رَجَعْتُ إِلَى الرَّحْلِ ذَهَبْتُ أَلْتَمِسُهُ فِي عُنُقِي، فَلَمْ أَجِدْهُ، وَقَدْ أَخَذَ النَّاسُ فِي الرَّحِيلِ، فَرَجَعْتُ إِلَى مَكَانِي الَّذِي ذَهَبْتُ إِلَيْهِ، فَالْتَمَسْتُهُ حَتَّى وَجَدْتُهُ، وَجَاءَ
পৃষ্ঠা - ৩০৫৫
গমন করি, আমার সঙ্গে ছিলেন আবু রহম ইবন মুত্তালিবের কন্যা উম্মু মিসৃতাহ ৷ হযরত আইশা
(রা) বলেন : আল্লাহ্র কসম ! উম্মু মিসৃতাহ আমার সঙ্গে হীটছিলেন ৷ এমন সময় চাদরের সঙ্গে
জড়িয়ে তিনি হোচট খেয়ে পড়ে যান এবং বলে উঠেন, মিসৃতাহর সর্বনাশ হোক ! (মিসৃতাহ ছিল
তার উপনাম , তার নাম ছিল আওফ) ৷ তিনি বলেন, তখন আমি বললড়াম, একজন যুহাজিরকে বদ
দোয়া দিয়ে তুমি অন্যায় করলে ৷ তিনিভাে বদর যুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেছেন ৷ তখন উম্মু মিসৃতাহ
বললেন ৷ হে আবু বকর তনয়া ! তুমি কি কিছুই খবর রাখনা ৷ আমি নললাম , কী খবর ? তখন
অপবাদ রটনাকারীদের কথাবার্তা সম্পর্কে তিনি আমাকে অবহিত করশ্লোন ৷ আমি রগ্যাম , এমন
ঘটনাই কি ঘটেছে ? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম , তইি ঘটেছে ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর কসম ,
এসব কথা শুনে আমি আর প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে পারিনি, বরং সেখ৷ ন থেকে ফিরে আসি ৷
আল্লাহর কসম, আমি অঝোরে কাদতে থাকি ৷ এমন কি আমার আশংকা হয় যে, কাদতে কাদতে
আমার কলিজা ফেটে যাবে ৷ তিনি বলেন, আমি আমার মাকে বললব্লে, আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা
করুন, লোকেরা নানা কথাবার্তা বলছে, আপনিতো তার কিছুই আমাকে জানাননি ৷
তিনি বললেন : স্নেহের তনয়া আমার ৷ ব্যাপারটাকে হাল্কাভাবে নাও ৷ কোন পুরুষের সুন্দরী
রমণী থাকবে ৷ পুরুষ তাকে ভালবাসার, তার সভীনও থাকবে তাহলে তার সম্পর্কে নারীরা
অনেক কিছু বলবে, অনেক কিছু অন্যান্য লোকেরাও বলবে, এমন না ঘটলে তা হবে বিরল
ঘটনা ৷ হযরত আইশা (বা) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ সময় দাড়িয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ
দান করেন ৷ এটাও আমি জানতাম না, ভাষণে তিনি বললেন :
লোকসকল ! লোকদের কী হয়েছে ? তারা আমার পরিবার সম্পর্কে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে ৷
তারা অসত্য কথা বলছে তাদের বিরুদ্ধে ৷ আল্লাহ্র কসম তাদের বিরুদ্ধে মঙ্গল ও কল্যাণ বৈ
কিছুই আমি জানিনা ৷ আর তারা এটা এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলছে যার সম্পর্কে ভাল ছাড়া
কিছুই আমার জানা নেই ৷ সে যখন আমার গৃহে প্রবেশ করে তখন সে আমার সঙ্গেই থাকে ৷
হযরত আইশা (বা) বলেন : মিসতাহ্ এবং হামনা বিনৃত জাহাশ বলেছে মুনাফিক সরদার
আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই ইবন সালুল খায্রাজীদের মধ্যে এ অপবাদ রটনায় প্রধান ভুমিকা পালন
করে ৷ আর এটা এ কারণে যে, তার বোন যয়নাব বিনৃত জাহাশ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শ্রী ছিলেন ৷
মর্যাদার তিনি ছাড়া নবীজীর অপর কোন শ্রী আমার সমকক্ষ ছিল না ৷ দীনদারীর কারণে যয়নাবকে
আল্লাহ্ রক্ষা করেছেন ৷ তইি তিনি ভাল ছাড়া কিছুই বলেননি ৷ আর হামনাতো একথা খুব প্রচার
করেছেন এবং বোনের কারণে তিনি আমাকে কষ্ট দেন ৷ এর ফলে তিনি হতভাগিনী হয়েছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ ভাষণের পর উসায়দ ইবন হুদায়র আরব করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্
(না) ! এ অপবাদ রটনাকারীরা যদি আওস গোত্রের হয়ে থাকে তা হলে আমরাই তাদেরকে
الْقَوْمُ خِلَافِي، الَّذِينَ كَانُوا يُرَحِّلُونَ لِيَ الْبَعِيرَ، وَقَدْ كَانُوا فَرَغُوا مَنْ رِحْلَتِهِ، فَأَخَذُوا الْهَوْدَجَ وَهُمْ يَظُنُّونَ أَنِّي فِيهِ، كَمَا كُنْتُ أَصْنَعُ، فَاحْتَمَلُوهُ فَشَدُّوهُ عَلَى الْبَعِيرِ، وَلَمْ يَشُكُّوا أَنِّي فِيهِ، ثُمَّ أَخَذُوا بِرَأْسِ الْبَعِيرِ فَانْطَلَقُوا بِهِ، فَرَجَعْتُ إِلَى الْعَسْكَرِ، وَمَا فِيهِ دَاعٍ وَلَا مُجِيبٌ، قَدِ انْطَلَقَ النَّاسُ. قَالَتْ: فَتَلَفَّفْتُ بِجِلْبَابِي، ثُمَّ اضْطَجَعْتُ فِي مَكَانِي، وَعَرَفْتُ أَنْ لَوِ افْتُقِدْتُ لَرُجِعَ إِلَيَّ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَمُضْطَجِعَةٌ إِذْ مَرَّ بِي صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ السُّلَمِيُّ، وَقَدْ كَانَ قَدْ تَخَلَّفَ عَنِ الْعَسْكَرِ لِبَعْضِ حَاجَتِهِ، فَلَمْ يَبِتْ مَعَ النَّاسِ، فَرَأَى سَوَادِي فَأَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ عَلَيَّ، وَقَدْ كَانَ يَرَانِي قَبْلَ أَنْ يُضْرَبَ عَلَيْنَا الْحِجَابُ، فَلَمَّا رَآنِي قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، ظَعِينَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! وَأَنَا مُتَلَفِّفَةٌ فِي ثِيَابِي. قَالَ: مَا خَلَّفَكِ، يَرْحَمُكِ اللَّهُ؟ قَالَتْ: فَمَا كَلَّمْتُهُ. ثُمَّ قَرَّبَ إِلَيَّ الْبَعِيرَ، فَقَالَ: ارْكَبِي. وَاسْتَأْخَرَ عَنِّي. قَالَتْ: فَرَكِبْتُ، وَأَخَذَ بِرَأْسِ الْبَعِيرِ، فَانْطَلَقَ سَرِيعًا يَطْلُبُ النَّاسَ، فَوَاللَّهِ مَا أَدْرَكْنَا النَّاسَ، وَمَا افْتُقِدْتُ حَتَّى أَصْبَحْتُ، وَنَزَلَ النَّاسُ، فَلَمَّا اطْمَأَنُّوا طَلَعَ الرَّجُلُ يَقُودُ بِي، فَقَالَ أَهْلُ الْإِفْكِ مَا قَالُوا،
পৃষ্ঠা - ৩০৫৬
وَارْتَجَّ الْعَسْكَرُ، وَوَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ، فَلَمْ أَلْبَثْ أَنِ اشْتَكَيْتُ شَكْوَى شَدِيدَةً، لَا يَبْلُغُنِي مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ، وَقَدِ انْتَهَى الْحَدِيثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى أَبَوَيَّ، لَا يَذْكُرُونَ لِي مِنْهُ قَلِيلًا وَلَا كَثِيرًا، إِلَّا أَنِّي قَدْ أَنْكَرْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ لُطْفِهِ بِي؛ كُنْتُ إِذَا اشْتَكَيْتُ رَحِمَنِي، وَلَطَفَ بِي، فَلَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ بِي فِي شَكْوَايَ تِلْكَ، فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ مِنْهُ، كَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَيَّ وَعِنْدِي أُمِّي تُمَرِّضُنِي قَالَ: كَيْفَ تِيكُمْ؟ لَا يَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ. قَالَتْ: حَتَّى وَجَدْتُ فِي نَفْسِي فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ - حِينَ رَأَيْتُ مَا رَأَيْتُ مِنْ جَفَائِهِ لِي - لَوْ أَذِنْتَ لِي فَانْتَقَلْتُ إِلَى أُمِّي فَمَرَّضَتْنِي؟ قَالَ: " لَا عَلَيْكِ ". قَالَتْ: فَانْتَقَلْتُ إِلَى أُمِّي، وَلَا عِلْمَ لِي بِشَيْءٍ مِمَّا كَانَ، حَتَّى نَقِهْتُ مِنْ وَجَعِي بَعْدَ بِضْعٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، وَكُنَّا قَوْمًا عَرَبًا، لَا نَتَّخِذُ فِي بُيُوتِنَا هَذِهِ الْكُنُفَ الَّتِي تَتَّخِذُهَا الْأَعَاجِمُ، نَعَافُهَا وَنَكْرَهُهَا، إِنَّمَا كُنَّا نَخْرُجُ فِي فُسَحِ الْمَدِينَةِ، وَإِنَّمَا كَانَتِ النِّسَاءُ يَخْرُجْنَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ فِي حَوَائِجِهِنَّ، فَخَرَجْتُ لَيْلَةً لِبَعْضِ حَاجَتِي وَمَعِيَ أُمُّ مِسْطَحٍ، ابْنَةُ أَبِي رُهْمِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، وَكَانَتْ أُمُّهَا بِنْتَ صَخْرِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمٍ، خَالَةَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنَّهَا لَتَمْشِي مَعِي، إِذْ عَثَرَتْ فِي مِرْطِهَا
পৃষ্ঠা - ৩০৫৭
শায়েস্তা করার জন্য যথেষ্ট ৷ আর যদি তারা ৫৩ামাদের ভাই খায্রাজ গোত্রের হয়ে থাকে তবে
আপনি নির্দেশ দিন, আল্লাহ্র কসম ৷ তারা পদনি উড়িয়ে দেয়ার যোগ্য ৷ আ ৷ইশা (রা) বলেন ;
(একথা শ্রবণ করে) সাদ ইবন উবাদা দাড়ালেন, ইতিপুর্বে তাকে ৫নক্কার বলে ধারণা করা
হতো ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম, ভুমি মিথ্যা বলছ ৷ তাদের পদনি উড়িয়ে দেয়া যাবে না ৷
আল্লাহ্র কসম, একথা তুমি এজন্যই বলছ যে, তুমি জান যে তারা খাঘৃরাজ ব শের লোক ৷ তুমি
যদি জা নতে যে, তারা তোমার ৫গাত্রের ৫লাক তাহলে ত মি এমন কথা বলত না ৷ তখন উসায়দ
ইবন হুযায়র বললেন, আল্লাহ্র কসম, তুমি মিথ্যা বলছ ৷৩ তুমি নুনাফিক মুনাফিকদের পক্ষে কথা
বলছ ৷ হযরত আইশা (রা) বললেন ং এপর লোকেরা বিবাদে প্ৰবৃও হলো, এমন কি পরম্পরে
সংঘাতে লিপ্ত হওয়ার উপক্রম হল ৷ আওস আর খাযরাজ এ দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় আর
কি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বর থেকে নেমে আমার কাছে এলেন ৷ তিনি আলী ইবন আবী তালিব
এবং উসামা ইবন যায়দকে ডাকলেন ৷ তাদের কাছে পরামর্শ৷ ঢাইলেন ৷ উসামা (আমা র সম্পর্কে)
ভালই বললেন প্রশংসা করলেন, তিনি বললেন, ইয়া রাসৃলাল্লাহ্ ! আপনার পরিবার সম্পর্কে তো
আমরা ভাল ছাড়া কিছু জানি না ৷ আর এসব কথা মিথ্যা ও তামার ৷ অবশ্য আ ৷লী (রা) বললেন ং
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! নারীর৫ তাে অভাব নেই) আর আপনি ৫৩ ৷ ন্তী বদলও করতে পারেন ৷ আপনি এর
দাসীকে জিজ্ঞেস করুন, যে আপনাকে সত্য তথ্য দিয়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করার জন্য
বারীরাকে ডাকলেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আলী (রা)৩ তার দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে ৫বদম
পেটাতে ৫পটাতে বললেন৪ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কাছে তুই স৩ ৷ কথা বলৰি ৷ হযরত ৩আইশা
(রা) বলেন যে, সে বললাে আল্লাহর কসম ৷ তার সম্পর্কে আ ৷মি তাল ছাড়া কিছুই জানিনা ৷ আইশা
(রা)-এর মধ্যে আমিতো দােষের কিছুই ৫দখিনা: কেবল এটুকু যে আমি আট৷ খামীর করে তাকে
খেয়াল রাখার জন্য বলে যাই আর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এ সময় বকরী এসে আট৷ খেয়ে ফেলে ৷
হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা ) বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার নিকট আগমন
করলেন ৷ এসময় আমার নিকট পিতা-মাতা ছাড়াও একজন আনসারী নারী ছিলেন ৷ আমি ৫রস্ফো
করছিলাম, সে আনসারী মহিলাও ৫রাদন করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এসে বললেন, আল্লাহ্র হামৃদ
ও ছান৷ বর্ণনা করে বললেন
৫হ আইশা লোকেরা কিসব বলাবলি কর৫ছ৩ তা তাে তোমার জানা হয়েছে ৷ তুমি আল্লাত্ক্ষ্ কে
ভয় করে৷ ৷ আর ৫লাকেরা যেসব কথা বলাবলি করছে ৷ তাতে তুমি লিপ্ত থেকে থাকলে আল্লহ্র
নিকট তাওবা কর ৷ আল্লাহ্ভো বান্দার তাওব৷ কবুল করে থাকেন ৷
হযরত আইশা (রা) বলেন, আল্লাহ্র কসম , তিনি আমাকে লক্ষ্য করে একখাগুলাে বলা মাত্র
আমার অশ্রু সম্পুর্ণ শুকিয়ে যায় , আমি এক বিন্দু অশ্রু আছে বলেও অনুভব করলাম না ৷ আমি
অপেক্ষা করলাম যে, আমার পক্ষ থেকে পিতামাত৷ জবাব দেবেন ৷ কিন্তু তারা কিছুই বললেন
না ৷ তিনি বলেন; আল্লাহর কসম , আমার নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছিল আর আমার
ব্যাপারে আল্লাহ্ কুরআন নাযিল করে আমাকে সান্তুনা দিবেন আমার এমন অবস্থুাও আছে বলে
মনে হতো না ৷ তবে আমি আশা পোষণ ক্যাতাম যে, নবী (সা) কিছু স্বপ্নে দেখবেন যাদ্বার৷ আল্লাহ্
আমার ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদের স্বরুপ প্রকাশ করবেন এবং আমি যে নির্দোষ, তা তিনি জানতে
فَقَالَتْ: تَعِسَ مِسْطَحٌ. وَمِسْطَحٌ لَقَبٌ، وَاسْمُهُ عَوْفٌ. قَالَتْ: فَقُلْتُ: بِئْسَ لَعَمْرُ اللَّهِ مَا قُلْتِ لِرَجُلٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا. قَالَتْ: أَوَمَا بَلَغَكِ الْخَبَرُ يَا بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ؟ ! قَالَتْ: قُلْتُ: وَمَا الْخَبَرُ؟ فَأَخْبَرَتْنِي بِالَّذِي كَانَ مِنْ قَوْلِ أَهْلِ الْإِفْكِ. قُلْتُ: أَوَقَدْ كَانَ هَذَا؟! قَالَتْ: نَعَمْ وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا قَدَرْتُ عَلَى أَنْ أَقْضِيَ حَاجَتِي، وَرَجَعْتُ، فَوَاللَّهِ مَا زِلْتُ أَبْكِي حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّ الْبُكَاءَ سَيَصْدَعُ كَبِدِي. قَالَتْ: وَقُلْتُ: لِأُمِّي: يَغْفِرُ اللَّهُ لَكِ، تَحَدَّثَ النَّاسُ بِمَا تَحَدَّثُوا بِهِ وَلَا تَذْكُرِينَ لِي مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا؟! قَالَتْ: أَيْ بُنَيَّةُ، خَفِّضِي عَلَيْكِ الشَّأْنَ، فَوَاللَّهِ لَقَلَّمَا كَانَتِ امْرَأَةٌ حَسْنَاءُ عِنْدَ رَجُلٍ يُحِبُّهَا، لَهَا ضَرَائِرُ، إِلَّا كَثَّرْنَ، وَكَثَّرَ النَّاسُ عَلَيْهَا. قَالَتْ: وَقَدْ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَهُمْ، وَلَا أَعْلَمُ بِذَلِكَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ رِجَالٍ يُؤْذُونَنِي فِي أَهْلِي، وَيَقُولُونَ عَلَيْهِمْ غَيْرَ الْحَقِّ، وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهِمْ إِلَّا خَيْرًا وَيَقُولُونَ ذَلِكَ لِرَجُلٍ؛ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ إِلَّا خَيْرًا، وَلَا يَدْخُلُ بَيْتًا مِنْ بُيُوتِي إِلَّا وَهُوَ مَعِي ". قَالَتْ: وَكَانَ كِبْرُ ذَلِكَ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ سَلُولٍ، فِي رِجَالٍ مِنَ الْخَزْرَجِ، مَعَ الَّذِي قَالَ مِسْطَحٌ، وَحَمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ؛ وَذَلِكَ أَنَّ أُخْتَهَا زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ تَكُنِ امْرَأَةٌ مِنْ نِسَائِهِ تُنَاصِينِي فِي الْمَنْزِلَةِ عِنْدَهُ غَيْرُهَا، فَأَمَّا زَيْنَبُ فَعَصَمَهَا اللَّهُ بِدِينِهَا فَلَمْ تَقُلْ إِلَّا خَيْرًا، وَأَمَّا حَمْنَةُ فَأَشَاعَتْ مِنْ ذَلِكَ مَا أَشَاعَتْ،
পৃষ্ঠা - ৩০৫৮
পারবেন ৷ এতে তিনি আরো কিছু বিষয়ও জানতে পারবেন, অবশ্য আমার সম্পর্কে কুরআন নাযিল
হবে আমার নিজেকে নিডেরে কাছে তার চাইতে ভুচ্ছ মনে হয়েছে ৷ তিনি আরো বলেন : আমার
পিতামাতাকে আমার পক্ষ থেকে জবাব না দিতে দেখে আমি তাদেরকে বললাম , আপনারা কি
রাসুলুল্লাহ (সা) এর কথার জবাব দেবেন না ? তারা বললেন, আল্লাহর কলম , আমরা কী জবাব
দিবাে তাই তো বুঝতে পারছিনা ৷ আইশা (বা) আরো বলেন , এদিনগুলোতে আবু বকরের
পরিবারের উপর যেসব বিপদ আপতিত হয়েছে ৷ তেমন বিপদ অন্য কোন পরিবারের উপর
আপতিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই , এমন কথা আমি হলফ করে বলতে পারি ৷ তিনি আরো
বললেন : আমার ব্যাপারে তারা একেবারে নিবাক থাকার পর আমি অশ্রুপাত করলাম, রােদন
করলাম আর বললাম, আমার সম্পর্কে যেসব কথা বলা হচ্ছে সে ব্যাপারে আমি কখনো আল্লাহর
নিকট তাওবা করব না আল্লাহর কসম, আমি ভাল করেই জানি যে, লোকেরা সেসব কথা বলাবলি
করছে ৷ আমি যদি তা স্বীকারও করি আর আল্লাহ জানেন যে, আমি এ ব্যাপারে নিদেষি তবে যা
ঘটেনি তা স্বীকার করে নেয়া হবে ৷ পক্ষাস্তরে ণ্লাকেরা যা বলাবলি করছে আমি তা অস্বীকার
করলেও তারা তা সত্য বলে মেনে নেবে না ৷ তিনি বলেন, অবশেষে আমি হযরত ইয়া’কুব
(আ)-এর নাম স্মরণ করার চেষ্টা করি ৷ কিতু৷ তা আমার মনে পড়লো না ৷ তখন আমি বললাম ,
হযরত ইউসুফ (আ)-এর পিতা যা বলেছিলেন তেমন কথইি আমি উচ্চারণ করবো ;
,; ব্লু,প্রু;ও
অতএব, সুন্দর সবরই (উত্তম) ৷ আর তোমরা যা বলছ, সে ব্যাপারে আল্লাহর নিকটই সাহায্য
প্রার্থনা করছি (ইউসুফ ১২ : ১৮১ ৷
হযরত আইশা (বা) বলেন : আল্লাহর কসম , রাসুলুল্লাহ্ (সা) মজলিসে থাকতেই আল্লাহর
পক্ষ থেকে একটা তবে তাকে আচ্ছন্ন করে নেয়, যে তার আছন্ন করতো ওহী নযিল কালে ৷ তইি
তিনি বস্ত্র দিয়ে নিজেকে আবৃত করে নেন এবং মাথার নীচে স্থাপন ক্যালেন চামড়ার বালিশ ৷ আর
এ সময় তার যে অবস্থা আমি দেখতে পেলাম ৷ আল্লাহর কলম, তাতে আমি মোটেই বিচলিত
হইনি ৷ কোন পবরাণ্ডয়াও করিনি ৷ কারণ, আমি তো জানি যে, আমি নির্দোষ আর আল্লাহ তো
আমার প্রতি যালিম নন ৷ আর আল্লাহর কসম করে বলছি ৷ অইিশার জীবন-প্রাণ যে পবিত্র সত্তার
হাতে আছে, আমার পিতামাতার তো করুণ দশা, আমার মনে আশংকা জাগলো, লোকেরা যা
বলাবলি করছে, ওহীর মাধ্যমে যদি তার সত্যতা প্রতিপন্ন হয় ৷ তিনি বলেন, অতঃপর রাসুলুল্লাহর
ভাবান্তর হলো, তিনি উঠে বললেন, প্রচণ্ড শীতের মওসুমেও তার চেহারা মুবারক থেকে মুক্তার
মতো ঘাম ঝড়ে পড়ছিল ৷ তিনি চেহারা থেকে যায় মুছতে মুছতে বলছিলেন :
হে আইশা! সুসংবাদ গ্রহণ কর, আল্লাহ তোমার নির্দোষিতা প্রমাণ করে আয়াত নাযিল
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আলহামদৃ সিল্লাহ বললাম ৷ এপর তিনি লোকদের উদেশ্যে বের
হয়ে পড়লেন ৷ তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং এ উপলক্ষে আল্লাহ তাআল৷ কুরআন
মজীদের যে আয়াত নাযিল করেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা তিলাওয়াত করলেন ৷ অতঃপর অশ্লীল
تُضَادُّنِي لِأُخْتِهَا، فَشَقِيَتْ بِذَلِكَ، فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ الْمَقَالَةَ قَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ يَكُونُوا مِنَ الْأَوْسِ نَكْفِكَهُمْ، وَإِنْ يَكُونُوا مِنْ إِخْوَانِنَا مِنَ الْخَزْرَجِ، فَمُرْنَا أَمْرَكَ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُمْ لَأَهْلٌ أَنْ تُضْرَبَ أَعْنَاقُهُمْ. قَالَتْ: فَقَامَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، وَكَانَ قَبْلَ ذَلِكَ يُرَى رَجُلًا صَالِحًا، فَقَالَ: كَذَبْتَ، لَعَمْرُ اللَّهِ، لَا تَضْرِبُ أَعْنَاقَهُمْ، أَمَا وَاللَّهِ مَا قُلْتَ هَذِهِ الْمَقَالَةَ إِلَّا أَنَّكَ قَدْ عَرَفْتَ أَنَّهُمْ مِنَ الْخَزْرَجِ، وَلَوْ كَانُوا مِنْ قَوْمِكَ مَا قُلْتَ هَذَا. فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ: كَذَبْتَ لَعَمْرُ اللَّهِ، وَلَكِنَّكَ مُنَافِقٌ تُجَادِلُ عَنِ الْمُنَافِقِينَ، قَالَتْ: وَتَسَاوَرَ النَّاسُ، حَتَّى كَادَ يَكُونُ بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَيَّيْنِ مِنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ شَرٌّ، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عَلَيَّ. قَالَتْ: فَدَعَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَأُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَاسْتَشَارَهُمَا، فَأَمَّا أُسَامَةُ فَأَثْنَى خَيْرًا وَقَالَهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهْلُكَ وَمَا نَعْلَمُ مِنْهُمْ إِلَّا خَيْرًا، وَهَذَا الْكَذِبُ وَالْبَاطِلُ. وَأَمَّا عَلِيٌّ فَإِنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ النِّسَاءَ لَكَثِيرٌ، وَإِنَّكَ لَقَادِرٌ عَلَى أَنْ تَسْتَخْلِفَ، وَسَلِ الْجَارِيَةَ فَإِنَّهَا سَتَصْدُقُكَ. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَرِيرَةَ لِيَسْأَلَهَا. قَالَتْ: فَقَامَ إِلَيْهَا عَلِيٌّ فَضَرَبَهَا ضَرْبًا شَدِيدًا، وَيَقُولُ: اصْدُقِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: فَتَقُولُ: وَاللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩০৫৯
مَا أَعْلَمُ إِلَّا خَيْرًا، وَمَا كُنْتُ أَعِيبُ عَلَى عَائِشَةَ شَيْئًا، إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أَعْجِنُ عَجِينِي، فَآمُرُهَا أَنْ تَحْفَظَهُ، فَتَنَامُ عَنْهُ، فَتَأْتِي الشَّاةُ فَتَأْكُلُهُ. قَالَتْ: ثُمَّ دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدِي أَبَوَايَ، وَعِنْدِي امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَأَنَا أَبْكِي وَهِيَ تَبْكِي، فَجَلَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا عَائِشَةُ، إِنَّهُ قَدْ كَانَ مَا بَلَغَكِ مِنْ قَوْلِ النَّاسِ، فَاتَّقِي اللَّهَ، وَإِنْ كُنْتِ قَدْ قَارَفْتِ سُوءًا مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ، فَتُوبِي إِلَى اللَّهِ؛ فَإِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنْ هُوَ إِلَّا أَنْ قَالَ لِي ذَلِكَ، فَقَلَصَ دَمْعِي، حَتَّى مَا أُحِسُّ مِنْهُ شَيْئًا، وَانْتَظَرْتُ أَبَوَيَّ أَنْ يُجِيبَا عَنِّي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَتَكَلَّمَا. قَالَتْ: وَايْمُ اللَّهِ لَأَنَا كُنْتُ أَحْقَرَ فِي نَفْسِي، وَأَصْغَرَ شَأْنًا مِنْ أَنْ يُنَزِّلَ اللَّهُ فِيَّ قُرْآنًا يُقْرَأُ بِهِ وَيُصَلَّى بِهِ، وَلَكِنِّي كُنْتُ أَرْجُو أَنْ يَرَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَوْمِهِ شَيْئًا يُكَذِّبُ بِهِ اللَّهُ عَنِّي؛ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ بَرَاءَتِي، أَوْ يُخْبِرُ خَبَرًا، وَأَمَّا قُرْآنًا يَنْزِلُ فِيَّ، فَوَاللَّهِ لَنَفْسِي كَانَتْ أَحْقَرَ عِنْدِي مِنْ ذَلِكَ. قَالَتْ: فَلَمَّا لَمْ أَرَ أَبَوَيَّ يَتَكَلَّمَانِ، قُلْتُ لَهُمَا: أَلَا تُجِيبَانِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَا: وَاللَّهِ مَا نَدْرِي بِمَاذَا نُجِيبُهُ. قَالَتْ: وَوَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ أَهْلَ بَيْتٍ دَخَلَ عَلَيْهِمْ مَا دَخَلَ عَلَى آلِ أَبِي بَكْرٍ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ. قَالَتْ: فَلَمَّا اسْتَعْجَمَا عَلَيَّ، اسْتَعْبَرْتُ فَبَكَيْتُ، ثُمَّ قُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مِمَّا ذَكَرْتَ أَبَدًا، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ لَئِنْ أَقْرَرْتُ بِمَا يَقُولُ النَّاسُ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي مِنْهُ بَرِيئَةٌ، لَأَقُولَنَّ مَا لَمْ يَكُنْ، وَلَئِنْ أَنَا أَنْكَرْتُ مَا يَقُولُونَ، لَا تُصَدِّقُونَنِي قَالَتْ: ثُمَّ الْتَمَسْتُ اسْمَ يَعْقُوبَ، فَمَا أَذْكُرُهُ، فَقُلْتُ: وَلَكِنْ سَأَقُولُ كَمَا قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৬০
কথা বিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা পালনকারী মিসতাহ্ ইবন উছাছা, হাস্সান ইবন ছাবিত এবং হামনা
বিনৃত জাহাশকে তলব করে এনে অপবাদ আরােপের দণ্ড তথা (হদ) জারী করেন ৷ এ হাদীছটি
সহীহ্ বুখায়ী ও মুসলিমে যুহরীর বরাভে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর এ বর্ণনায় প্রত্যুঃ শিক্ষণীয় বিষয় নিহিত
রয়েছে ৷ হত্বসৃসান ইবন ছাবিত এবং তীর সঙ্গীদের ক্ষেত্রে অপবাদের ন্ওহুন্যে দণ্ড কার্যকঃা৷র কথা আবু
ইউসুফ (র) তার সুনান গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন : হাসৃসান ইবন ছাবিত
এবং তার সঙ্গীদের উপ্যা দণ্ড প্রায়াগ বিষয়ে কোন ঘুসলিম করি নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করেন ?;
চুধ্ধ্
মর্মার্থ : হাসৃসান উপযুক্ত শাস্তির স্বাদ আম্বাদন করেছেন ৷
হামনা আর মিসৃতাহ্ও, যখন তারা আবােল-তাবােল বকেছে ৷
নবীর ত্রীকে তারা অপবাদ দিয়েছে অন্দোজ অনুমান করে ৷
আল্লাহর ণ্ক্রাধ্ অর্জন করে তারা হয়েছে বিষপ্ন ৷
তারা তাতে কষ্ট দিয়েছে আল্লাহর রাসুলকে, আরোপিত হয়েছে তাদের উপর অপমান,
যা আচ্ছন্ন করে নিয়েছে তাদেরকে এবং হয়েছে তারা লাঞ্ছিত ৷
বর্ধিত হয়েছে তাদের উপর চাবুক, যেন তা বৃষ্টির ছিটা,
যা বর্ধিত হচ্ছে উধের্ধৱ মেঘমালা থেকে !
ইবন ইসহাক (র) উল্লেখ করেন যে, হাসৃসান ইবন ছাবিত ভার কবিতায় মারওরান ইবন
মুয়াত্তাল এবং তার কুরায়শী সঙ্গীদ্দেৱ কুত্সা রচনা করেন মুরায়সীর যুদ্ধের দিনে বাদশাহ ও তারা
সঙ্গীদের সঙ্গে যে ঝগড়া হয়েছিল তাকে কেন্দ্র করে ৷ কবিতত্তোলা এই :
أَبُو يُوسُفَ: {فَصَبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ} [يوسف: 18] (يُوسُفَ: 18) قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا بَرِحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَجْلِسَهُ حَتَّى تَغَشَّاهُ مِنَ اللَّهِ مَا كَانَ يَتَغَشَّاهُ، فَسُجِّيَ بِثَوْبِهِ، وَوُضِعَتْ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ تَحْتَ رَأْسِهِ، فَأَمَّا أَنَا حِينَ رَأَيْتُ مِنْ ذَلِكَ مَا رَأَيْتُ، فَوَاللَّهِ مَا فَزِعْتُ وَمَا بَالَيْتُ، قَدْ عَرَفْتُ أَنِّي بَرِيئَةٌ، وَأَنَّ اللَّهَ غَيْرُ ظَالِمِي، وَأَمَّا أَبَوَايَ فَوَالَّذِي نَفْسُ عَائِشَةَ بِيَدِهِ، مَا سُرِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى ظَنَنْتُ لَتَخْرُجَنَّ أَنْفُسُهُمَا؛ فَرَقًا مِنْ أَنْ يَأْتِيَ مِنَ اللَّهِ تَحْقِيقُ مَا قَالَ النَّاسُ. قَالَتْ: ثُمَّ سُرِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ وَإِنَّهُ لَيَتَحَدَّرُ مِنْ وَجْهِهِ مِثْلُ الْجُمَانِ فِي يَوْمٍ شَاتٍ، فَجَعَلَ يَمْسَحُ الْعَرَقَ عَنْ جَبِينِهِ وَيَقُولُ: أَبْشِرِي يَا عَائِشَةُ، قَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بَرَاءَتَكِ. قَالَتْ: قُلْتُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. ثُمَّ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ وَتَلَا عَلَيْهِمْ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنَ الْقُرْآنِ فِي ذَلِكَ، ثُمَّ أَمَرَ بِمِسْطَحِ بْنِ أُثَاثَةَ، وَحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، وَحَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ، وَكَانُوا مِمَّنْ أَفْصَحَ بِالْفَاحِشَةِ، فَضُرِبُوا حَدَّهُمْ.»
وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَهَذَا السِّيَاقُ فِيهِ فَوَائِدُ جَمَّةٌ. وَذِكْرُ حَدِّ الْقَذْفِ لِحَسَّانَ وَمَنْ مَعَهُ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ ".
পৃষ্ঠা - ৩০৬১
১ ঞ্জো
া
মর্যার্থ : মুরায়শীরা বিজয়ী হয়েছে আর সংখ্যায় তারা তাে অনেক,
আর ফারীয়ার ১ ছেলে হয়ে পড়েছে অপ্রতিদ্বন্থী শু
তুমি যার সাথী, তার মাতা তাকে হারায়,
অথবা সে আসুক সিংহের পাঞ্জাৱ তলে ৷
আমি যাকে হত্যা করি দৌড়ে গিয়ে তাকে পাকড়াও করি !
তার জন্যে কোন রক্তপণ দিতে হয় না বা শাস্তি ভেম্পো করতে হয় না
অবশ্য কুরায়শের ব্যাপার স্বতন্ত্র, আমি আপােষ করব্যেনা তালে সঙ্গে,
যতক্ষণ তারা ভ্রান্তি থেকে হিদায়াতেৱ পথে ফিরে না আসে ৷
আর লাত-উজ্জাকে বর্জন করে
সকলেই সিজদা না করে একক আল্লাহ্র উদ্দোশ্য গ্
আর সাক্ষ্য না দেবে যে, রাসুল তাদেরকে যা বলেন, তাষ্ই সত্য,
সৃতরাংতারা পুরা করুক আল্লাহর হক আর অঙ্গীকার
ইবন ইসহাক (র) বলেন, সাফওয়ান ইবন মুয়ত্তোল হাসৃসানের
প্রতিবন্ধক হলে তাকে তরবারি দ্বারা আঘাত করে বলেন ও
১ টীকা : ফারিয়া বলতে হাসৃসৰ্নেৱ মাকে বুঝানো হয়েছে ৰু
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي ضَرْبِ حَسَّانَ وَأَصْحَابِهِ:
لَقَدْ ذَاقَ حَسَّانُ الَّذِي كَانَ أَهْلَهُ ... وَحَمْنَةُ إِذْ قَالُوا هَجِيرًا وَمِسْطَحُ
تَعَاطَوْا بِرَجْمِ الْغَيْبِ زَوْجَ نَبِيِّهِمْ ... وَسَخْطَةَ ذِي الْعَرْشِ الْكَرِيمِ فَأُتْرِحُوا
وَآذَوْا رَسُولَ اللَّهِ فِيهَا فَجُلِّلُوا ... مَخَازِيَ تَبْقَى عُمِّمُوهَا وَفُضِّحُوا
وَصُبَّتْ عَلَيْهِمْ مُحْصَدَاتٌ كَأَنَّهَا ... شَآبِيبُ قَطْرٍ مِنْ ذُرَا الْمُزْنِ تَسْفَحُ
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ شِعْرًا، يَهْجُو فِيهِ صَفْوَانَ بْنَ الْمُعَطَّلِ وَجَمَاعَةً مِنْ قُرَيْشٍ مِمَّنْ تَخَاصَمَ عَلَى الْمَاءِ مِنْ أَصْحَابِ جَهْجَهَاهٍ كَمَا تَقَدَّمَ، أَوَّلُهُ:
أَمْسَى الْجَلَابِيبُ قَدْ عَزُّوا وَقَدْ كَثُرُوا ... وَابْنُ الْفُرَيْعَةِ أَمْسَى بَيْضَةَ الْبَلَدِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬২
আমার পক্ষ থেকে তলোয়ারের ধার গ্রহণ ক্যা, কারণ-
আমিভাে নওজােয়ান (হামলাকারী) যখন আমার নিন্দা বলা হয়,
আমিতো কোন করি নই ৷
কথিত আছে যে, সাফওয়ান হাসৃসানকে তরবারি দ্বারা আঘাত হানলে ছাবিত ইবন কায়স
ইবন শাম্মাস তাকে পাকড়াও করে শক্ততাবে বেধে ফেলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ এ দৃশ্য
দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন :
ব্যাপার কি : তিনি বললেন : সে হাসৃসানকে তরবারি দ্বারা আঘাত করেছে ৷ তখন আবদুল্লাহ
জিজ্ঞেস করলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) কি এ সম্পর্কে জানেন ? তিনি বললেন, না ৷ তখন আবদুল্লাহ
ইবন রাওয়াহা তাকে বন্ধনমুক্ত করেন ৷ এরপর তারা সকলে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর দরবারে হাযির
হলে ইবন মুয়াত্তাল বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! সে আমাকে কষ্ট দিয়েছে, আমার নিন্দা করেছে,
আমার ভীষণ রাগ হয়েছে, তইি আমি তরবারি দ্বারা আঘাত করেছি ৷ তা’ শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন £
আমার সম্প্রদায়কে আল্লাহ হিদায়াত দান করেছেন বলে তুমি কি তাদের নিন্দাবাদ করেছ :
তারপর তিনি বললেন : হে হাসৃসান! তুমি যে আঘাত পেয়েছ তা’ ক্ষমা করে দাও; তিনি বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার জন্যে তা ক্ষমা করে দিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর বিনিময়ে হযরত
হাসসৃানকে বায়রুহ৷ কুয়া দান করেন, যা আবু তালুহা র্তাকে দান করেছিলেন ৷ এ ছাড়া তিনি তাকে
সিরীণ নাম্বী দাসীটি দান করেন ৷ এর গর্ত থেকে তারপুত্র আবদুর রহমানের জন্ম হয় ৷ ইবন
ইসহাক (র) বলেন : হযরত আইশা (রা) বলাতন ইবন মুয়াত্তাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে
জানা যায় যে, তিনি এমন এক পুরুষ, যার মধ্যে নারীর প্রতি কোন আসক্তি নেই ৷ পরবউকািলে
তিনি শহীদ হয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, হযরত
আইশা (বা) সম্পর্কে যা রটনা করেছিলেন, সে জন্য হযরত হাসৃসান দুঃখ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত
কবিতা আবৃত্তি করেন :
এ-গ্পৌ ণ্ফো
এ;া১ ণ্া,হ্র
এেশ্রা ম্রা
)ভ্রুণ্
৩৯
قَدْ ثَكِلَتْ أُمُّهُ مَنْ كُنْتَ صَاحِبَهُ ... أَوْ كَانَ مُنْتَشِبًا فِي بُرْثُنِ الْأَسَدِ
مَا لِقَتِيلِي الَّذِي أَغْدُو فَآخُذُهُ ... مِنْ دِيَةٍ فِيهِ يُعْطَاهَا وَلَا قَوَدِ
مَا الْبَحْرُ حِينَ تَهُبُّ الرِّيحُ شَامِيَةً ... فَيَغْطَئِلُّ وَيَرْمِي الْعِبْرَ بِالزَّبَدِ
يَوْمًا بِأَغْلَبَ مِنِّي حِينَ تُبْصِرُنِي ... مِلْغَيْظِ أَفْرِي كَفَرْيِ الْعَارِضِ الْبَرِدِ
أَمَّا قُرَيْشٌ فَإِنِّي لَا أُسَالِمُهَا ... حَتَّى يُنِيبُوا مِنَ الْغَيَّاتِ لِلرَّشَدِ
وَيَتْرُكُوا اللَّاتَ وَالْعُزَّى بِمَعْزِلَةٍ ... وَيَسْجُدُوا كُلُّهُمْ لِلْوَاحِدِ الصَّمَدِ
وَيَشْهَدُوا أَنَّ مَا قَالَ الرَّسُولُ لَهُمْ ... حُقٌّ فَيُوفُوا بِحَقِّ اللَّهِ وَالْوُكُدِ
قَالَ: فَاعْتَرَضَهُ صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ، فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ وَهُوَ يَقُولُ:
تَلَقَّ ذُبَابَ السَّيْفِ عَنِّي فَإِنَّنِي ... غُلَامٌ إِذَا هُوجِيتُ لَسْتُ بِشَاعِرِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৩
وَذَكَرَ أَنَّ ثَابِتَ بْنَ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَخَذَ صَفْوَانَ حِينَ ضَرَبَ حَسَّانَ، فَشَدَّهُ وَثَاقًا، فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: ضَرَبَ حَسَّانَ بِالسَّيْفِ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: هَلْ عَلِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ مِمَّا صَنَعْتَ؟ قَالَ: لَا. فَأَطْلَقَهُ، ثُمَّ أَتَوْا كُلُّهُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ ابْنُ الْمُعَطَّلِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، آذَانِي وَهَجَانِي، فَاحْتَمَلَنِي الْغَضَبُ فَضَرَبْتُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا حَسَّانُ أَتَشَوَّهْتَ عَلَى قَوْمِي إِذْ هَدَاهُمُ اللَّهُ ". ثُمَّ قَالَ: " أَحْسِنْ يَا حَسَّانُ فِيمَا أَصَابَكَ ". فَقَالَ: هِيَ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَعَوَّضَهُ مِنْهَا بَيْرُحَاءَ الَّتِي تَصَدَّقَ بِهَا أَبُو طَلْحَةَ، وَجَارِيَةً قِبْطِيَّةً، يُقَالُ لَهَا: سِيرِينُ. جَاءَهُ مِنْهَا ابْنُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ. قَالَ: وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ: سُئِلَ عَنِ ابْنِ الْمُعَطَّلِ، فَوُجِدَ رَجُلًا حَصُورًا مَا يَأْتِي النِّسَاءَ، ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ، وَرَوَى عَنْهُ شَيْئًا مِنَ الْحَدِيثِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ شَهِيدًا فِي فَتْحِ سُمَيْسَاطَ سَنَةَ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৪
ঞা
মর্মার্থ : তিনি যে পুত-পবিত্র ও সত্তী-সাব্দী , তাতে সন্দেহ করা যায় না ৷
যায় না তাকে অপবাদে ক্লিষ্ট করা, আর পাফিল নারীদের নিন্দাবাদ দ্বারা তিনি দিবসের সুচনা
করেন না ৷
তিনি লুয়াই ইবন গালিবের গোত্রের সুকীর্তির ধারক-বাহক, তার কম সুন্দর ৷
তিনি এমন এক বংশের সন্তান, যাদ্যো মান-মর্যাদা বিলীন হওয়ার নয় ৷
তার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা কিছুতেই প্রামাণ্য নয়, কোন কালে ও নয় ৷
বরং আমার ক্ষেত্রে তা এক নিন্দুকের উক্তি-
যদি সে কথা আমি বলেই থাকি, যা তোমরা অনুমান কর ৷
তাহলে আমার হাতের আঙ্গুল আমার পানে কােড়া উত্তোলন বল্মবে না ৷
তা কেমনে হতে পারে , অথচ আমার ভালবাসা আর সাহায্য তো
রাসুলের (সা) পরিবার পরিজনের জন্য উৎসর্গীকৃত ৷ তিনিই তো আসরের দীপ্তি !
তাদের জন্য রয়েছে সম্মান আর মর্যাদা, এর বাইরে লোকদ্যোকে তুমি দেখতে পাবে খর্বকায়
আর তাদের মর্যাদা তাে সকলের উধের্ধ ৷ এখানে সুরা নুর এর নিম্নোক্ত আয়াত উদ্ধৃত করা যায় £
ষ্
এ্যা ষ্
যারা এ অপবাদ আনয়ন করেছে তারাতো তােমাদেরই একটা দল ৷ এটাকে তোমরা
নিজেদের জন্য অনিষ্টকর মনে করবে না; বরং এটাভাে তোমাদের জন্য কল্যাণকর ৷ তাদের
প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নিজেদের কৃত পাপ কর্মের ফল ৷ আর ওদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে প্রধান
ভুমিকা পালন করেছে, তার জন্য রয়েছে মহশোস্তি ৷ তারা যখন এটা শ্রবণ করল তখন মু’মিন
পুরুষ এবং মু’নিন নারীরা নিজেদের সম্পর্কে কেন ভাল ধারণ! করেনি এবং কেন তারা বলেনি-
এটাতাে সুস্পষ্ট অপবাদা তারা কেন এ ব্যাপারে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করেনি ৷ যেহেতু তারা
সাক্ষী উপস্থিত করেনি সেহেতু আল্লাহ্র নিকট তারা মিথ্যারাদী, দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের
প্রতি আল্লাহর ফযল ও রহ্মত না থাকলে তোমরা যাতে লিপ্ত ছিলে, তজ্জন্য মহশোস্তি
তােমাদেরকে স্পর্শ করতো ৷ তোমরা যখন মুখেঘুখে এটা ছড়াচ্ছিলে এবং এমন বিষয় মুখে
উচ্চারণ করছিলে যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান ৷ছলনা এবং ওে আমরা এটাকে তুচ্ছ জ্ঞান
করছিলে, যদিও আল্লাহ্র নিকট এটা ছিল গুরুতর বিষয় ৷ আর তোমরা যখন এটা শ্রবণ করছিলে
তখন কেন বললে না এ বিষয়ে বলাবলি করা আমাদের উচিত নয় ৷ আল্লাহ্ পবিত্র মহান ৷ এতো
سِتِّينَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي بَعْضِ الْفُتُوحَاتِ عِنْدَ ذَلِكَ بَعْدَ الْعِشْرِينَ. وَهَذَا أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ الرِّيَاحِيُّ، ثَنَا عَامِرُ بْنُ صَالِحِ بْنِ رُسْتُمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدٍ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ قَالَ: «شَكَا رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفْوَانَ بْنَ الْمُعَطَّلِ، وَكَانَ يَقُولُ هَذَا الشِّعْرَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ صَفْوَانَ هَجَانِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُوا صَفْوَانَ؛ فَإِنَّ صَفْوَانَ خَبِيثُ اللِّسَانِ، طَيِّبُ الْقَلْبِ» حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ قَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، يَعْتَذِرُ مِنَ الَّذِي كَانَ قَالَ فِي شَأْنِ عَائِشَةَ:
حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ ... وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৫
এক গুরুতর অপবাদ! আল্পাহ্ তােমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন তোমরা মু’মিন হয়ে থাকলে
কখনো অনুরুপ আচরণের পুনরাবৃত্তি করবেনা , আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমুহ সুশাভাবে
বিবৃত করেন এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় ৷ যারা মুমিনদ্যে৷ মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে
তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তুদ শাস্তি ৷ আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জাননা ৷
আর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র ফযল ও রহমত না থাকলে (ণ্তামাদের কেউ ব্লেহাই থেতেনা) ৷
আর আল্লাহ অতি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু ৷ হে মু’মিনগণ! তোমরা শয়তানের পদাৎক অনুসরণ
করবে না ৷ কেউ শয়তানের পদাহ্ক অনুসরণ করলে শয়তানতো অশ্লীলতা ও মন্দ কার্যের নির্দেশ
দেয় ৷ তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র ফযল ও রহমত না থাকলে তোমাদের কেউ কখনো পবিত্র হতে
পারতাে না, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন ৷ আর আল্লাহু সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ তোমাদের
মধ্যে যারা ঐশ্বর্য প্রাচুর্যের অধিকারী তারা যেন শপথ না করে যে, আত্মীয়-স্বক্রা এবং অভাবগ্রস্ত ও
আল্লাহ্র রাস্তায় হিজরত কারীদেরকে কিছুই দেবে না ৷ তারা যেন ক্ষমা আর উপেক্ষা করে ৷
তোমরা কামনা কর না যে , আল্লাহ্ আমাদেরকে ক্ষমা করেন, আল্পাহ্ মহা ক্ষমাশীল অতি দয়ালু ৷
যারা সাধধী, সরলমনা ও ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে দুনিয়া ও আখিরাতে তারা
অভিশপ্ত আর তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি ৷ সেদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে তাদের জিহ্বা
তাদের হস্ত ও তাদের চরণ, তাদের কৃতকর্য সম্পর্কে সেদিন আল্লাহ্ তাদের প্রাপ্য প্ৰতিফল
পুরোপুরি দেবেন এবং তারা জানবে যে, আল্লাহ্ই সত্য এবং স্পষ্ট প্রকাশক ৷ ভ্রষ্টা নারী ভ্রষ্ট
পুরুষের জন্য, ভ্রষ্ট পুরুষ ভ্রষ্টা নারীর জন্য ৷ পবিত্র নারী পবিত্র পুরুষের জন্য আর পবিত্র পুরুষ
পবিত্র নারীর জন্য ৷ ণ্লাকেরা যা বলে তা থেকে এরা মুক্ত ৷ এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা আর
সম্মানজনক জীবিকা ৷ (২৪ সুরা নুর : ১ ১২৬)
এ আয়াতগুলোর তাফসীর প্রসঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট হাদীছ ও আছারসমুহ এবং অতীত
মনীষীদের উক্তিসমুহ সংশ্লিষ্ট হাদীছের সুত্র উল্লেখ করেছি ৷
عَقِيلَةُ حَيٍّ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ ... كِرَامِ الْمَسَاعِي مَجْدُهُمْ غَيْرُ زَائِلِ
مُهَذَّبَةٌ قَدْ طَيَّبَ اللَّهُ خِيمَهَا ... وَطَهَّرَهَا مِنْ كُلِّ سُوءٍ وَبَاطِلِ
فَإِنْ كُنْتُ قَدْ قُلْتُ الَّذِي قَدْ زَعَمْتُمُ ... فَلَا رَفَعَتْ سَوْطِي إِلَيَّ أَنَامِلِي
وَكَيْفَ وَوُدِّي مَا حَيِيتُ وَنُصْرَتِي ... لِآلِ رَسُولِ اللَّهِ زَيْنِ الْمَحَافِلِ
لَهُ رَتَبٌ عَالٍ عَلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ ... تَقَاصَرُ عَنْهُ سَوْرَةُ الْمُتَطَاوِلِ
فَإِنَّ الَّذِي قَدْ قِيلَ لَيْسَ بِلَائِطٍ ... وَلَكِنَّهُ قَوْلُ امْرِئٍ بِيَ مَاحِلِ
وَقَدْ زَادَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَبْلَ الْبَيْتِ الْأَوَّلِ:
رَأَيْتُكِ وَلْيَغْفِرْ لَكِ اللَّهُ حُرَّةً ... مِنَ الْمُحْصَنَاتِ غَيْرَ ذَاتِ غَوَائِلِ
حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ ... وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৬
وَإِنَّ الَّذِي قَدْ قِيلَ لَيْسَ بِلَائِطٍ ... بِكِ الدَّهْرَ بَلْ قِيلُ امْرِئٍ مُتَمَاحِلِ
فَإِنْ كُنْتُ أَهْجُوكُمْ كَمَا بَلَّغُوكُمُ ... فَلَا رَفَعَتْ سَوْطِي إِلَيَّ أَنَامِلِي
فَكَيْفَ وَوُدِّي مَا حَيِيتُ وَنُصْرَتِي ... لِآلِ رَسُولِ اللَّهِ زَيْنِ الْمَحَافِلِ
وَإِنَّ لَهُمْ عِزًّا يُرَى النَّاسُ دُونَهُ ... قِصَارًا وَطَالَ الْعِزُّ كُلَّ التَّطَاوُلِ
وَلْتُكْتَبْ هَاهُنَا الْآيَاتُ مِنْ سُورَةِ النُّورِ، وَهِيَ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالْإِفْكِ عُصْبَةٌ مِنْكُمْ لَا تَحْسَبُوهُ شَرًّا لَكُمْ بَلْ هُوَ خَيْرٌ لَكُمْ لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْهُمْ مَا اكْتَسَبَ مِنَ الْإِثْمِ} [النور: 11] إِلَى قَوْلِهِ: {لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ} [النور: 26] (النُّورِ: 11 26) وَمَا أَوْرَدْنَاهُ هُنَالِكَ مِنَ الْأَحَادِيثِ، وَالطُّرُقِ وَالْآثَارِ عَنِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ. وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ.
পৃষ্ঠা - ৩০৬৭
হুদায়বিয়ার অভিযান
হিজ্জী ষষ্ঠ সনের যিলকাদ মাসে হুদায়ৰিয়ার অভিযান সংঘটিত হয় ৷ এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত
নেই ৷ ইমাম যুহ্রী, ইবন উমর (রা)-এর আযাদ কৃত গোলাম নাফি কাতাদা , মুসা ইবন উকবা
এবং মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক প্রমুখ এ মত পোষণ করেন ৷ ইবন লাহিয়া আবুল আসওয়াদ সুত্রে
উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, হিজরী ষষ্ঠ সালের যিলকাদ মাসে হুদায়বিয়ার ঘটনা ঘটে ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ওরওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে
হুদায়বিয়ার উদ্দেশ্যে বের হন আর হুদায়বিয়ার সন্ধি হয় শাওয়াল মাসে ৷ উরওয়া সুত্রের এ বর্ণনা
নিতম্ভেই গরীব তথা বিরল পর্যায়ের ৷ ইমাম বুখারী (র) ও ইমাম মুসলিম (র) উতয়ে হুদবা
আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যিলকাদ মাসে : বার উমরা
করেন ৷ অবশ্য হন্থজ্জর সঙ্গে তিনি যে উমরা করেন তা এর ব্যতিক্রম ৷ তিনি হুদায়বিয়ার উমরা
করেন যিলকাদ মাসে, পরবর্তী বছরের উমরা করেন যিলকাদ মাসে এবং জিইরানা থেকে উমরা
করেন যিলকাদ মাসে ৷ এখানে তিনি হুনায়নের গনীমতের যাল বন্টন করেন ৷ আর এক উমরা
করেন হাজ্জা সঙ্গে ৷ এটা বুখারী শরীফের ভাষ্য ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) রমষান
এবং শাওয়াল এই দু মাস মদীনায় অবস্থান করেন এবং যিলকাদ মাসে উমরার উদ্দেশ্যে বের হন ৷
এ সময় যুদ্ধের অভিপ্রায় ফ্লিনা , ইবন হিশাম বলেন, এ সময় তিনি মদীনায় নুসায়লা ইবন
আবল্লোহ্ লায়হীকে আমীর নিযুক্ত করেন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেদুঈন এবং তাদের আশপাশের গ্রামের
লোকদের প্রতি বের হওয়ার আহ্বান জানান ৷ বুন্মায়শের পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ্যা আশংকা
ছিল যে, তারা তার সঙ্গে যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হবে বা বায়ভুল্লাহ্র যিয়ারত করতে তাকে বাধা দেবে; বিন্দু
গ্রামের অনেকেই বের হতে বিলম্ব করে ৷ ফলে মুহাজ্যি৷ এবং আনসারদের মধ্যে যারা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সঙ্গে ছিলেন তাদেরকে নিয়ে তিনি বের হলেন ৷ গ্রামের কিছু লোকও তার সঙ্গে যোগ
দেয় ৷ তিনি সঙ্গে কুরবানীর পণ্ডও (হাদী) নিলেন এবং উমরার এহরামও বাধ্লেন যাতে যুদ্ধের
ব্যাপারে লোকেরা নিরাপদ হয়ে যায় এবং তারা একখাও জানতে পারে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কেবল
বায়ধুন্মাহ্র যিয়ারতের উদ্দেশ্যেই বের হয়েহ্নেষ্ক যুদ্ধের জন্য নয় ৷ বায়তৃল্লাহ্র মযদাি প্রকাশ বরোই
তার একমাত্র লক্ষ্য ৷
ইবন ইসহাক (র) মারওয়ান ইবনুল হাকাম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হুদায়বিয়ার বছর রাসুলুল্লাহ্
(না) বায়তৃল্লাহ্ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে বের হন; যুদ্ধ ব্বার উদ্দেশ্যে নয়, হাদী বা বুম্মবার্নীর জন্য
তিনি ৭০টি পশুও সঙ্গে নেন ৷ তার সঙ্গে ছিল ৭শ লোক প্রতি দশ জনের জন্য ছিল ক্যুবানীর এক
একটা পশু ৷ অবশ্য জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (বা) বলতেন যে, হুদায়বিয়ার আমরা সঙ্গীরা ছিলাম
চৌদ্দ শত ৷
[غَزْوَةُ الْحُدَيْبِيَةِ]
[عُمْرَةُ رَسُولِ اللَّهِ]
وَقَدْ كَانَتْ فِي ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ سِتٍّ بِلَا خِلَافٍ. وَمِمَّنْ نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الزُّهْرِيُّ، وَنَافِعٌ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، وقَتَادَةُ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَغَيْرُهُمْ، وَهُوَ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ،، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّهَا كَانَتْ فِي ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ سِتٍّ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْخَلِيلِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحُدَيْبِيَةِ فِي رَمَضَانَ، وَكَانَتِ الْحُدَيْبِيَةُ فِي شَوَّالٍ» . وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا عَنْ عُرْوَةَ.
وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ هُدْبَةَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَخْبَرَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ كُلُّهُنَّ، فِي ذِي الْقَعْدَةِ، إِلَّا الْعُمْرَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ؛ عُمْرَةً مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، وَعُمْرَةً مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، وَعُمْرَةً مِنْ الْجِعْرَانَةِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ حَيْثُ قَسَمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِهِ» . وَهَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ.
পৃষ্ঠা - ৩০৬৮
ইমাম যুহরী (র) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে চলতে চলতে উছফান নামক
স্থান পর্যন্ত পৌছলে বিশর ইবন সুফিয়ান কাবী (ইবন হিশাম-এর মতে বুসৃর ,ৰু ) তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনার বের হওয়ার বিষয় কুরায়শরা জানতে
পেয়েছে; তাই তারা কম বয়সের উষ্ট্র সঙ্গে নিয়ে বাঘের চামড়া পরিধান করে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে
যীতুয়া’ উপত্যকায় অবস্থান গ্রহণ করছে ৷ তারা আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করছে যে, তারা কিছুতেই
আপনাকে প্রবেশ করতে দেরেনা ৷ আর তাদের অশ্বারােহী বাহিনীতেখালিদ ইবন ওয়ালীদ কুরাউল
গামীম’ পর্যন্ত এসে পৌছে গেছেন ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, হার কুরায়শ, যুদ্ধ তাদের
সর্বনাশ করেছে ৷ কী হতো যদি তারা আমার এবং আরবের সকল গোকের মধ্যে পথ উন্মুক্ত করে
দিতো ? তারা আমাদেরকে বিনাশ করতে সক্ষম হলে এটাইতো হয়ে তাদের কাম্য; পক্ষাস্তরে
আল্লাহ যদি আমাকে তাদের উপর বিজয় দান করেন তবে তারা বিপুল সংখ্যায় ইসলামে প্রবেশ
করতে পারতো ৷ আর ইসলামে প্রবেশ না করলে সর্বশক্তি নিণ্য়াজিত করে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হতো ৷
কুরায়শরা কি মনে করে ? আল্লাহ্র কসম, যে দীন সহকারে আল্পাহ্ আমাকে প্রেরণ করেছেন তার
জন্য আমি অব্যাহত ধারায় নিরলসভাবে জিহাদ চালিয়ে যাবাে যাবত না আল্লাহ আমাকে বিজয়
দান করেন অথবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আমার গদনি ঘাড় থেকে ৷ আমি আল্লাহ্র রাস্তায় জীবন উৎসর্গ
করে দেবাে ৷ এরপর তিনি বললেন, যে পথে শত্রু সৈন্যরা অবস্থান নিয়েছে সে পথ ছাড়া ভিন্ন
পথে আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারে এমন কোন পুরুষ কি আছে ? আবদৃল্লাহ্ ইবন আবু বকর
সুত্রে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বললাে : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!
আমি পারবো ৷ ফলে তিনি পাবর্ত্য অঞ্চলের দুর্গম কংকরময় পথ দিয়ে তাদেরকে নিয়ে চললেন ৷
এ দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করা ছিল মুসলমানদের জন্য এক কঠিন কাজ ৷ সে পথ থেকে বের
হয়ে সমতল ভুমিতে আগমন করলে রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন : তোমরা সকলেই বলো :
আমরা আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাই এবং তার কাছে তাওবা কবি তার দিকেই প্রত্যাবর্তন
করি ৷ তারা সকলে তা বললে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : এ হল যে হিত্তা (ক্ষমা) যা বনী
ইস্রাঈলের উপর পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বলেনি ৷ ইবন শিহাব যুহ্রী (র) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকজনকে নির্দেশ দান করেন মক্কার নিম্নভুমি থেকে হুদায়বিয়ায় আরােহণের
পথে সানৃয়াতুল মিরার’ হয়ে ডান দিকের আল-হিস্ এর পথ ধরে চলার জন্য ৷ তিনি বলেন,
মুসলিম বাহিনী এভাবেই অগ্রসর হয় ৷ কুরায়শ বাহিনী (মুসলিম) বাহিনীর (পথ পরিক্রমের) ধুলো
বালি দেখতে পেয়ে পথ পরিবর্তন করে দ্রুত কুরায়ণের নিকট প্রত্যবের্জা করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)
সে পথে বের হয়ে সানিয়াতুল মিরার’ উপনীত হলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উট বসে পড়ে ৷ তখন
লোকেরা বলে উষ্ট্র অবাধ হয়ে থেমে পড়েছে ৷ তিনি বললেন, না তা নয়, বরং হস্তিবাহিনীকে
যিনি বোধ করেছিলেন মক্কায় পৌছতে তিনি এ উষ্ট্রকেও রোধ করেছেন ৷ কুরায়শরা আজকের
দিনে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতি আমাকে আহ্বান জানালে আমি তাদেরকে সে সুযোগ
দেবো ৷ এরপর তিনি লোকজনকে বললেন, তেড়ামরা অবতরণ করো ৷ কেউ বললাে, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা)! এখানেতো পানি নেই ৷ তখন তিনি ভীরদান’ থেকে এবল্টা তীর বের করে
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ رَمَضَانَ وَشَوَّالًا، وَخَرَجَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مُعْتَمِرًا لَا يُرِيدُ حَرْبًا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ نُمَيْلَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيَّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتَنْفَرَ الْعَرَبَ وَمَنْ حَوْلَهُ مِنْ أَهْلِ الْبَوَادِي مِنَ الْأَعْرَابِ لِيَخْرُجُوا مَعَهُ، وَهُوَ يَخْشَى مِنْ قُرَيْشٍ الَّذِي صَنَعُوا، أَنْ يَعْرِضُوا لَهُ بِحَرْبٍ، أَوْ يَصُدُّوهُ عَنِ الْبَيْتِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ كَثِيرٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَمَنْ لَحِقَ بِهِ مِنَ الْعَرَبِ، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ، وَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ؛ لِيَأْمَنَ النَّاسُ مِنْ حَرْبِهِ، وَلِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّهُ إِنَّمَا خَرَجَ زَائِرًا لِهَذَا الْبَيْتِ، وَمُعَظِّمًا لَهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ قَالَا: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، يُرِيدُ زِيَارَةَ الْبَيْتِ لَا يُرِيدُ قِتَالًا، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ سَبْعِينَ بَدَنَةً، وَكَانَ النَّاسُ سَبْعَمِائَةِ رَجُلٍ، وَكَانَتْ كُلُّ بَدَنَةٍ عَنْ عَشَرَةِ نَفَرٍ، وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِيمَا بَلَغَنِي يَقُولُ: كُنَّا أَصْحَابَ الْحُدَيْبِيَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً» .
قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِعُسْفَانَ لَقِيَهُ بِشْرُ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৯
بْنُ سُفْيَانَ الْكَعْبِيُّ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ قُرَيْشٌ قَدْ سَمِعَتْ بِمَسِيرِكَ، فَخَرَجُوا مَعَهُمُ الْعُوذُ الْمَطَافِيلُ، قَدْ لَبِسُوا جُلُودَ النُّمُورِ، وَقَدْ نَزَلُوا بِذِي طُوًى، يُعَاهِدُونَ اللَّهَ لَا تَدْخُلُهَا عَلَيْهِمْ أَبَدًا، وَهَذَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي خَيْلِهِمْ، قَدْ قَدَّمُوهَا إِلَى كُرَاعِ الْغَمِيمِ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا وَيْحَ قُرَيْشٍ! لَقَدْ أَكَلَتْهُمُ الْحَرْبُ! مَاذَا عَلَيْهِمْ لَوْ خَلَّوْا بَيْنِي وَبَيْنَ سَائِرِ الْعَرَبِ؛ فَإِنْ هُمْ أَصَابُونِي كَانَ ذَلِكَ الَّذِي أَرَادُوا، وَإِنْ أَظْهَرَنِي اللَّهُ عَلَيْهِمْ دَخَلُوا فِي الْإِسْلَامِ وَافِرِينَ، وَإِنْ لَمْ يَفْعَلُوا قَاتَلُوا وَبِهِمْ قُوَّةٌ، فَمَا تَظُنُّ قُرَيْشٌ؟ فَوَاللَّهِ لَا أَزَالُ أُجَاهِدُ عَلَى الَّذِي بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ حَتَّى يُظْهِرَهُ اللَّهُ أَوْ تَنْفَرِدَ هَذِهِ السَّالِفَةُ» . ثُمَّ قَالَ: مَنْ رَجُلٌ يَخْرُجُ بِنَا عَلَى طَرِيقٍ غَيْرِ طَرِيقِهِمُ الَّتِي هُمْ بِهَا؟ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ قَالَ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَسَلَكَ بِهِمْ طَرِيقًا وَعْرًا أَجْرَلَ بَيْنَ شِعَابٍ، فَلَمَّا خَرَجُوا مِنْهُ، وَقَدْ شَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَأَفْضَوْا إِلَى أَرْضٍ سَهْلَةٍ عِنْدَ مُنْقَطَعِ الْوَادِي، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «قُولُوا: نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَنَتُوبُ إِلَيْهِ ". فَقَالُوا
পৃষ্ঠা - ৩০৭০
জনৈক ব্যক্তিকে দান করে কুয়ার নীচে পুতে দেয়ার জন্য বললে তিনি পুতে দেন ৷ ফলে তা থেকে
অবিরাম ধারায় পানি উথলে উঠতে থাকে ৷ যা থেকে লোকেরা তাদের উটকেও পানি পান করার ৷
ইবন ইসহাক (র ) আসলাম গোত্রের জনৈক বিজ্ঞ ব্যক্তির বরাতে বলেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এ্যায়
তীর নিয়ে কুয়ােয় অবতরণকারী ব্যক্তি ছিলেন রাসুলের উষ্ট্র চালক নাজিয়া ইবন জুন্দুব ৷ পক্ষান্তরে
ইবন ইসহাক বলেন, কোন কোন ৰিজ্ঞজন মনে করেন যে, হযরত “ধারা ইবন আযিব বলতেন-
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর তীর নিয়ে কুপে অবতরণকারী ব্যক্তি ছিলাম আমি ৷ কোনটা সঠিক আল্পাহ্ই
তা ভাল জানেন ৷ ইবন ইসহাক প্রথম মতের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেন যে, আনসারদের
এক দাসী কুয়ার নিকট আসে ৷ তখন নাজিয়া কুয়ার নীচ থেকে পানি তুলছিল্ দেখে দাসী বলে ৷
হে পানি উত্তোলনকারী! আমার বালতি ভরে দাও ৷ আমি লোকদের দেখেছি তোমার প্রশংসা
করতে ৷ তারা তোমার সম্পর্কে ভাল বলে এবং তোমার শ্রেষ্ঠতু প্রকাশ করে ৷ দাসীর কবিতার
জবাবে নাজিয়া বলেন :
ইয়ামানী নারী আসে যে, আমি পানি উত্তোলন করছি আর আমার নাম নাজিয়া বিদঘুটে পানির
ফোটাধড়ারী অনেক ভর্চুসনাকারিণী আছে আমি যার নিন্দা করেছি খারাপ স্বভাব প্রকাশ কালে ৷
ইমাম যুহ্রী (র) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) সুস্থির হলে বুদায়ল ইবন ওয়ারাকা খুযায়ী তার
সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সমীপে উপস্থিত হন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সঙ্গে কথা বলে আগমনের হেতু জানতে চাইলে তিনি জানালেন যে , যুদ্ধ করার
অজ্যিায় নিয়ে তিনি আগমন করেননি; বরং তিনি এসেছেন ৰায়তুল্লাহ্ শরীফ যিয়ারত করতে এবং
তার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ৷ এরপর তিনি বিশ্ব ইবন সুফিয়ানকে যা বলেছিলেন
তাদেরকেও তাই বললেন ৷ তারা কুরায়শের নিকট ফিরে গিয়ে বলে :
হে কুরায়শের লোকেরা ! মুহাম্মাদের ব্যাপারে তোমরা তাড়াহুড়া করছো ৷ মুহাম্মাদতাে যুদ্ধ
করার উদ্দেশ্যে আসেননি ৷ তিনি এস্যেছন বারতুল্লাহ্ শরীফ যিয়ারতের অভিপ্রায় নিয়ে ৷ একথা
শুনে তারা তাকে দােষারোপ করে এবং তার প্রতি কটুক্তি করে ৷ তারা বলে : সে যদি যুদ্ধ করার
জন্য না-ও আসে তবু ও আমরা তাকে জোরপুর্বক প্রবেশ করতে দেবাে না এবং আরবদের মধ্যে
তার কথা প্রচার করতেও দেব না ৷ যুহ্রী বলেন, কাফিরমুশরিক নির্বিশেষে খুযাআ গোত্রের সমস্ত
লোক ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শুডাথী ৷ তারা তার কাছে মক্কার কোন কথা গোপন রাখতো না ৷
তিনি আরো বলেন যে, এরপর তারা বনু আমির ইবন লুয়াই এর মৃফরিয ইবন হাফ্স আখৃয়াফকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তাকে আসতে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেস , এ তো
দেখছিএকটি ৰিশ্বাসঘাতক ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি
ذَلِكَ، فَقَالَ: " وَاللَّهِ إِنَّهَا لَلْحِطَّةُ الَّتِي عَرَضَتْ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يَقُولُوهَا ".»
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ فَقَالَ: " «اسْلُكُوا ذَاتَ الْيَمِينِ» ". بَيْنَ ظَهْرَيِ الْحَمْضِ فِي طَرِيقٍ تُخْرِجُهُ عَلَى ثَنِيَّةِ الْمُرَارِ، مَهْبِطِ الْحُدَيْبِيَةِ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ. قَالَ: فَسَلَكَ الْجَيْشُ ذَلِكَ الطَّرِيقَ، فَلَمَّا رَأَتْ خَيْلُ قُرَيْشٍ قَتَرَةَ الْجَيْشِ قَدْ خَالَفُوا عَنْ طَرِيقِهِمْ، رَكَضُوا رَاجِعِينَ إِلَى قُرَيْشٍ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا سَلَكَ فِي ثَنِيَّةِ الْمُرَارِ بَرَكَتْ نَاقَتُهُ، فَقَالَ النَّاسُ: خَلَأَتْ. فَقَالَ: " «مَا خَلَأَتْ، وَمَا هُوَ لَهَا بِخُلُقٍ، وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ عَنْ مَكَّةَ، لَا تَدْعُونِي قُرَيْشٌ الْيَوْمَ إِلَى خُطَّةٍ يَسْأَلُونَنِي فِيهَا صِلَةَ الرَّحِمِ، إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا» ". ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ: " انْزِلُوا ". قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا بِالْوَادِي مَاءٌ نَنْزِلُ عَلَيْهِ. فَأَخْرَجَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ، فَأَعْطَاهُ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ، فَنَزَلَ بِهِ فِي قَلِيبٍ مِنْ تِلْكَ الْقُلُبِ، فَغَرَزَهُ فِي جَوْفِهِ، فَجَاشَ بِالرَّوَاءِ، حَتَّى ضَرَبَ النَّاسُ عَنْهُ بِعَطَنٍ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ أَسْلَمَ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩০৭১
الَّذِي نَزَلَ فِي الْقَلِيبِ بِسَهْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاجِيَةُ بْنُ جُنْدُبٍ، سَائِقُ بُدْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ كَانَ يَقُولُ: أَنَا الَّذِي نَزَلْتُ بِسَهْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. ثُمَّ اسْتَدَلَّ ابْنُ إِسْحَاقَ لِلْأَوَّلِ بِأَنَّ جَارِيَةً مِنَ الْأَنْصَارِ جَاءَتِ الْبِئْرَ، وَنَاجِيَةُ فِي أَسْفَلِهِ يَمِيحُ، فَقَالَتْ:
يَا أَيُّهَا الْمَائِحُ دَلْوِي دُونَكَا ... إِنِّي رَأَيْتُ النَّاسَ يَحْمَدُونَكَا
يُثْنُونَ خَيْرًا وَيُمَجِّدُونَكَا
فَأَجَابَهَا فَقَالَ:
قَدْ عَلِمَتْ جَارِيَةٌ يَمَانِيَهْ ... أَنِّي أَنَا الْمَائِحُ وَاسْمِي نَاجِيهْ
وَطَعْنَةٍ ذَاتِ رَشَاشٍ وَاهِيَهْ ... طَعَنْتُهَا عِنْدَ صُدُورِ الْعَادِيَهْ
قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ: فَلَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَتَاهُ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ، فِي رِجَالٍ مِنْ خُزَاعَةَ، فَكَلَّمُوهُ وَسَأَلُوهُ مَا الَّذِي جَاءَ بِهِ، فَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ يُرِيدُ حَرْبًا، وَإِنَّمَا جَاءَ زَائِرًا لِلْبَيْتِ وَمُعَظِّمًا لِحُرْمَتِهِ. ثُمَّ قَالَ لَهُمْ نَحْوًا مِمَّا قَالَ لِبِشْرِ بْنِ سُفْيَانَ، فَرَجَعُوا إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالُوا: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنَّكُمْ تَعْجَلُونَ عَلَى مُحَمَّدٍ، إِنَّ مُحَمَّدًا لَمْ يَأْتِ لِقِتَالٍ، إِنَّمَا جَاءَ زَائِرًا لِهَذَا الْبَيْتِ.
পৃষ্ঠা - ৩০৭২
তাকে সে কথাই বলেন যা বলেছিলেন বুদাইল এবং তার সঙ্গীদেরকে ৷ সে কুরাইশের নিকট
ফিরে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কথা তাদেরকে জানালে তারা হুলায়স ইবন আলকামা অথবা
ইবন সবানকে প্রেরণ করে ৷ এ হুলায়স ছিল আছাবশী তথা কুরায়শ রচ্ছিত হ্মেত্রেগুলির দলপতি ৷
সে ছিল বনুল হড়ারিস ইবন আব্দ মানাত ইবন কিনানার অন্যতম সদস্য ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন :
;;ন্
এ ব্যক্তি এমন এক গোষ্ঠির সদস্য যারা এক আল্পাহ্কে স্বীকার করে (অর্থাৎ, তাওহীদে
বিশ্বাসী) ৷ তোমরা কুরবানীর পশু তার সম্মুখে নিয়ে এলো যাতে যে তা দেখতে পায় ৷ তার সম্মুখে
কুরবানীর জন্য উপস্থিত করা হলো ৷ সে দেখতে পােলা যে, ওগুলো উপত্যকার ধার ঘেষে তার
সম্মুখে উপস্থিত হচ্ছে ৷ ওগুলোর গলায় রয়েছে মালা ৷ অবস্থান স্থল ণ্;থকে দুরে দীর্ঘ সময় আটক
থাকার কারণে সে গুলো শীর্ণকায় হয়ে গিয়েছে ৷ এ অবস্থা দেখে সে রৰুসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে না
গিয়ে কুরায়শের নিকট ফিরে আসে এবং যা দেখতে পেয়েছে তাদের কাছে তা বলে ৷ তখন
কুরায়শের ণ্লাকেরা তাকে বলে : বসে পড়াে, তৃমিতো নিছক এক বেদুইন ৷ কোন জ্ঞান ধ্যান
নেই ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকরের উদ্ধৃতি দিয়ে ইবন ইসহড়াক (র) বলেন ; তবে হুলায়স ক্রুদ্ধ
হয়ে বলে :
হে কুরায়শ সম্প্রদায়! আল্লাহর শপথ এ কথায় আমরা তোমাদের সঙ্গে চুক্তি করিনি এবং
একথায় আমরা তোমাদের মিত্র হইনি যে, কোন ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্র যিয়ারত এবং তার প্রতি সম্মান
প্রদর্শনের জন্য আগমন করলে তাকে বাধা দেয়া হবে ৷ হুলায়সের জীবন যার হাতে নিহিত তার
শপথ করে বলছি, মুহাম্মাদ এবং তার অভীষ্ঠ বিষয়ের মধ্যে তোমরা অম্ভরায় হয়ো না ৷ অন্যথায়
আমি সকল আহাবীশকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে চলে যাবো ৷ একথা শুনে তারা বলে : একটু
অপেক্ষা কর, আমরা তাদের নিকট থেকে এমন অঙ্গীকার গ্রহণ করি , যাতে আমরা সন্তুষ্ট হতে
পারি ৷
যুহ্রী (র) আরো বলেন : এরপর কুরায়শের লোকেরা উরওয়া ইবন মাসউদ সাকাফীকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তিনি রওয়ানা হওয়ার আগে কুরায়শকে উদ্দেশ্য করে
বলেনঃ
হে কুরায়শের লোকেরা ! আমি দেখতে পাচ্ছি যে, তোমরা যাকে মুহন্মোদের নিকট প্রেরণ
কর, সে ফিরে এলে তোমরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহড়ার কর এবং উষ্মড়া প্রকাশ কর ৷ তোমরা জান যে,
তোমরা পিতৃস্থানীয় আর আমি সন্তান তৃল্য ৷ আর উরওয়া ছিলেন সুবায়আ ৰিনৃত আব্দ শামসের
সন্তান ৷ তোমাদের বিবাদ সম্পর্কে আমি শুনতে পেয়েছি ৷ আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা আমাকে
মান্য করে তাদেরকে একত্র করেছি এবং তোমাদের কাছে তাদেরকে নিয়ে এসেছি (তোমাদের
সাহায্যের জন্য) এমনকি আমি নিজে তোমাদের সমবেদনায় এগিয়ে এসেছি ৷ উরওয়ার এসব
কথা শুনে তারা বললো, তুমি যথার্থই বলেছ ৷ তোমার সম্পর্কে আমাদের কোন অভিযোগ নেই ৷
এরপর তিনি বের হয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট গিয়ে তার সম্মুখে আসন গ্রহণ করে বললেন :
فَاتَّهَمُوهُمْ وَجَبَّهُوهُمْ وَقَالُوا: وَإِنْ كَانَ جَاءَ وَلَا يُرِيدُ قِتَالًا؛ فَوَاللَّهِ لَا يَدْخُلُهَا عَلَيْنَا عَنْوَةً أَبَدًا، وَلَا تُحَدِّثُ بِذَلِكَ عَنَّا الْعَرَبُ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَكَانَتْ خُزَاعَةُ عَيْبَةَ نُصْحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ مُسْلِمُهَا وَمُشْرِكُهَا، لَا يُخْفُونَ عَنْهُ شَيْئًا كَانَ بِمَكَّةَ. قَالَ: ثُمَّ بَعَثُوا إِلَيْهِ مِكْرَزَ بْنَ حَفْصِ بْنِ الْأَخْيَفِ، أَخَا بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلًا قَالَ: " «هَذَا رَجُلٌ غَادِرٌ» ". فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَلَّمَهُ، قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوًا مِمَّا قَالَ لِبُدَيْلٍ وَأَصْحَابِهِ، فَرَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ بَعَثُوا إِلَيْهِ الْحُلَيْسَ بْنَ عَلْقَمَةَ، أَوِ ابْنَ زَبَّانَ، وَكَانَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدَ الْأَحَابِيشِ، وَهُوَ أَحَدُ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «إِنَّ هَذَا مِنْ قَوْمٍ يَتَأَلَّهُونَ، فَابْعَثُوا بِالْهَدْيِ فِي وَجْهِهِ حَتَّى يَرَاهُ» ". فَلَمَّا رَأَى الْهَدْيَ يَسِيلُ عَلَيْهِ مِنْ عُرْضِ الْوَادِي فِي قَلَائِدِهِ، قَدْ أَكَلَ أَوْبَارَهُ مِنْ طُولِ الْحَبْسِ عَنْ مَحِلِّهِ، رَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ، وَلَمْ يَصِلْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ إِعْظَامًا لِمَا رَأَى، فَقَالَ لَهُمْ ذَلِكَ. قَالَ: فَقَالُوا لَهُ: اجْلِسْ، فَإِنَّمَا أَنْتَ أَعْرَابِيٌّ لَا عِلْمَ لَكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ الْحُلَيْسَ غَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ وَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ مَا عَلَى هَذَا حَالَفْنَاكُمْ، وَلَا عَلَى هَذَا عَاقَدْنَاكُمْ، أَيُصَدُّ عَنْ بَيْتِ اللَّهِ مَنْ جَاءَهُ مُعَظِّمًا لَهُ؟! وَالَّذِي نَفْسُ الْحُلَيْسِ بِيَدِهِ لَتُخَلُّنَّ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَبَيْنَ مَا جَاءَ لَهُ، أَوْ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৩
لَأَنْفِرَنَّ بِالْأَحَابِيشِ نَفْرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ. قَالُوا: مَهْ، كُفَّ عَنَّا يَا حُلَيْسُ حَتَّى نَأْخُذَ لِأَنْفُسِنَا مَا نَرْضَى بِهِ.
قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ: ثُمَّ بَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرْوَةَ بْنَ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيَّ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مَا يَلْقَى مِنْكُمْ مَنْ بَعَثْتُمُوهُ إِلَى مُحَمَّدٍ إِذَا جَاءَكُمْ؛ مِنَ التَّعْنِيفِ، وَسُوءِ اللَّفْظِ، وَقَدْ عَرَفْتُمْ أَنَّكُمْ وَالِدٌ وَأَنِّي وَلَدٌ - وَكَانَ عُرْوَةُ لِسُبَيْعَةَ بِنْتِ عَبْدِ شَمْسٍ - وَقَدْ سَمِعْتُ بِالَّذِي نَابَكُمْ، فَجَمَعْتُ مَنْ أَطَاعَنِي مِنْ قَوْمِي، ثُمَّ جِئْتُكُمْ، حَتَّى آسَيْتُكُمْ بِنَفْسِي. قَالُوا: صَدَقْتَ، مَا أَنْتَ عِنْدَنَا بِمُتَّهَمٍ. فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَجَمَعْتَ أَوْشَابَ النَّاسِ، ثُمَّ جِئْتَ بِهِمْ إِلَى بَيْضَتِكَ لِتَفُضَّهَا بِهِمْ، إِنَّهَا قُرَيْشٌ قَدْ خَرَجَتْ مَعَهَا الْعُوذُ الْمَطَافِيلُ، قَدْ لَبِسُوا جُلُودَ النُّمُورِ، يُعَاهِدُونَ اللَّهَ، لَا تَدْخُلُهَا عَلَيْهِمْ عَنْوَةً أَبَدًا، وَايْمُ اللَّهِ لَكَأَنِّي بِهَؤُلَاءِ قَدِ انْكَشَفُوا عَنْكَ غَدًا. قَالَ: وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: امْصُصْ بَظْرَ اللَّاتِ، أَنَحْنُ نَنْكَشِفُ عَنْهُ؟! قَالَ: مَنْ هَذَا يَا مُحَمَّدُ؟ قَالَ: " هَذَا ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ ". قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا يَدٌ كَانَتْ لَكَ عِنْدِي لَكَافَأْتُكَ بِهَا، وَلَكِنْ هَذِهِ بِهَا. قَالَ: ثُمَّ جَعَلَ يَتَنَاوَلُ لِحْيَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُكَلِّمُهُ. قَالَ: وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ وَاقِفٌ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৪
মুহাম্মাদ ! তুমি কিছু বখাটে লোক একত্র করে তাদেরকে নিয়ে নিজ গোত্রের সর্বনাশের
আয়োজন করেছ ৷ কুরায়শের লোকজন তাদের সস্তানাদি নিয়ে ময়দানে সমবেত হয়েছে ৷ তারা
বাঘের চামড়া পরিধান করেছে ৷ তারা আল্পাহ্র নামে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে, তুমি শক্তি প্রয়োগ
করে কিছুতেই মক্কায় প্রবেশ করতে সক্ষম হবে না ৷ আল্লাহ্র শপথ, আজ যারা তোমার চতুর্দিকে
জড়ো হয়েছে কাল তারা সকলেই উধাও হয়ে যাবে ৷ রাসুলুল্লাহ্র (সা) পিছনে ছিলেন হযরত আবু
বকর সিদ্দীক (রা) ৷ উরওয়ার বক্তব্য শুনে তিনি বললেন :
লাত দেবীর অঙ্গ বিশেষ চুষতো ৷ আমরা কি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গ ত্যাগ করে চলে
“যাবো? উরওয়া জানতে চায়, হে মুহাম্মাদ ! ইনি কে ? রাসৃলুল্লাহ্ (সা) জানালেন এ হলো আবু
কৃহাফার পুত্র ৷ উরওয়া বললে : আল্লাহ্র কসম, আমার প্রতি আপনার অনুগ্নহ না থাকলে আমি
অবশ্যই আপনার কথার জবাব দিতাম ৷ কিন্তু অনুগ্রহের কারণে জবাব দিলাম না ৷ যুহ্রী (র)
বলেন : এরপর উরওয়া কথা বলতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দাড়ি মৃবারক স্পর্শ করেন ৷ মুগীরা
ইবন শুবা তখন অস্ত্র হাতে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পেছনে দাড়িয়ে ছিলেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন :
উরওয়া রাসুল (না)-এর দাড়ি মুৰারকে হাত রেখে কথা বলার সময় হাত নাড়লে হযরত মুগীরা
(বা) তার হাতে ঠোকর দিয়ে বলতেন : তোমার হাত সরাও নতুবা তা আর তোমার দিকে ফিরে
আসবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখের উপর এভাবে হাত নাড়াবে না ৷ তখন উরওয়া বলে : দুঃখ
হয় তোমার জন্য , তুমি কতটা হঠকারী আর বদমেজায! এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু হাসলে
উরওয়া জিজ্ঞেস করেন, মুহাম্মাদ ! এ কে ? তিনি বললেন, এ তোমার ভাতিজা মুপীরা ইবন শুবা ৷
উরওয়া বললেন, হে দাগাবাজ৷ আমিভাে গতকালই তোমার দাপাবাজীর হাত ধুয়ে দিয়েছিলাম ৷
যুহ্রী (র) বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেন, যেমনভাবে তিনি বলেছেন
তার পুর্বেকার সঙ্গীদেরকে ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে একথাও জানিয়ে দেন যে, তিনি যুদ্ধ
করার উদ্দেশ্যে আগমন করেননি ৷ তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখ থেকে সরে আমার
জন্য উঠে দাড়ান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সড়াহাবীগণ তার সঙ্গে কেমন আচরণ করেন এ সময় তিনি
দুরে দাড়িয়ে তা পর্যবেক্ষণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উবু করলে তারা ছুটে এসে তার উয়ুর পানি
নিয়ে নিতেন (মাটিতে পড়তে দিতেন না), তিনি থুথু ফেললো , সাহাবীগণ ছুটে এসে তাও তুলে
নিতেন এবং তার চুল-দাড়ির কোন পশম খসে পড়লে তাও তারা ছুটে এসে লুফে নিতেন ৷
তিনি কুরায়শের নিকট প্রত্যাবর্তন করে বললেন :
হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! আমি কিসৃরা, কায়সর এবং নজােশীর মতো সম্রাটদের দরবার ঘুরে
এসেছি ৷ ত্মাল্লাহ্র শপথ ! আমি কখনো কোন সম্রাটকে তার লোকজনের এমন মযদাির আসনে
দেখতে পাইনি, যেমনটি দেখতে পেয়েছি মুহাম্মাদকে তার সঙ্গীদের মধ্যে ৷ তারা কোন অবন্থায়ই
তাকে ত্যাগ করে চলে যাবে না , তোমরা এখন নিজেরাই মত স্থির কর , কী করবে ৷ কোন কোন
ওয়াকিফহাল মহলের উদ্ধৃতি দিয়ে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন ?,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খারাশ ইবন উমইিয়া খুযায়ীকে ডেকে তার উট সালাব এর পিঠে সওয়ার
করিয়ে কুরায়শের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আগমনের মুল পয়পাম পৌছাবার জন্য প্রেরণ
করেন ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উটনীকে বধ করে এবং খারাশকেও হত্যা করতে উদ্যত হলে
আহাবীশরা তাকে রক্ষা করে ৷ তখন তারা তাকে ছেড়ে দেয় ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি রাসুলুল্লাহ্
عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيدِ. قَالَ: فَجَعَلَ يَقْرَعُ يَدَهُ، إِذَا تَنَاوَلَ لِحْيَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَقُولُ: اكْفُفْ يَدَكَ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَبْلَ أَلَّا تَصِلَ إِلَيْكَ. قَالَ: فَيَقُولُ عُرْوَةُ: وَيْحَكَ، مَا أَفَظَّكَ وَأَغْلَظَكَ! قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ: مَنْ هَذَا يَا مُحَمَّدُ؟ قَالَ: " هَذَا ابْنُ أَخِيكَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ " قَالَ: أَيْ غُدَرُ، وَهَلْ غَسَلْتَ سَوْءَتَكَ إِلَّا بِالْأَمْسِ؟! .
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: أَرَادَ عُرْوَةُ بِقَوْلِهِ هَذَا، أَنَّ الْمُغِيرَةَ قَبْلَ إِسْلَامِهِ قَتَلَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، مِنَ بَنِي مَالِكٍ مِنْ ثَقِيفٍ، فَتَهَايَجَ الْحَيَّانِ مِنْ ثَقِيفٍ؛ بَنُو مَالِكٍ رَهْطُ الْمَقْتُولِينَ، وَالْأَحْلَافُ رَهْطُ الْمُغِيرَةِ، فَوَدَى عُرْوَةُ الْمَقْتُولِينَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ دِيَةً، وَأَصْلَحَ ذَلِكَ الْأَمْرَ.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَكَلَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِنَحْوٍ مِمَّا كَلَّمَ بِهِ أَصْحَابَهُ، وَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ يُرِيدُ حَرْبًا، فَقَامَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ رَأَى مَا يَصْنَعُ بِهِ أَصْحَابُهُ، لَا يَتَوَضَّأُ إِلَّا ابْتَدَرُوا وَضُوءَهُ، وَلَا يَبْصُقُ بُصَاقًا إِلَّا ابْتَدَرُوهُ، وَلَا يَسْقُطُ مِنْ شِعْرِهِ شَيْءٌ إِلَّا أَخَذُوهُ، فَرَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنِّي قَدْ جِئْتُ كِسْرَى فِي مُلْكِهِ، وَقَيْصَرَ فِي مُلْكِهِ، وَالنَّجَاشِيَّ فِي مُلْكِهِ، وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مَلِكًا فِي قَوْمِهِ قَطُّ مِثْلَ مُحَمَّدٍ فِي أَصْحَابِهِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ قَوْمًا لَا يُسْلِمُونَهُ لِشَيْءٍ أَبَدًا، فَرَوْا رَأْيَكُمْ.
পৃষ্ঠা - ৩০৭৫
(সা)-এর নিকট ফিরে আসতে সক্ষম হন ৷ নির্ভরযেগ্যে রাৰী থেকে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে ইবন
ইসহাক (র) বর্ণনা করেন যে, কুরায়শরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাহিনীকে নিরীক্ষণ করার জন্য
৪ :৫০ জনের একটা দলকে প্রেরণ করে ৷ তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কোন
সাহাবীকে আক্রমণ করা ৷ তাদেরকে পাকড়াও করে রাসুলুল্লাহ্ ( সা )এর দরবারে হাযির করা হলে
তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে তাদেরকে মুক্ত করে দেন ৷ অথচ তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাহিনীর
প্ৰতি প্রস্তর এবং তীরে নিক্ষেপ করেজ্যি ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)
-কে ডেকে কুরায়শের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্পের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা)--এর পয়গাম পৌছিয়ে দিতে
বললে তিনি আরয করলেনৰু ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমার জীবনের ব্যাপারে কুরায়শকে আমি
হুমকি মনে করি ৷ আর মক্কায় বনু আদীর মধ্যে এমন কেউ নেই যে আমাকে রক্ষা করতে পারে ৷
আর কুরায়শরা আমার প্রতি কতটা ক্ষুদ্ধ আর রুষ্ট তাতো আপনি জানেনই ৷ তবে আমি এমন এক
ব্যক্তির কথা আপনাকে বলবো যিনি আমার চেয়েও বেশী মযক্ষোশীল ৷ তিনি হচ্ছেন উছমান ইবন
আফ্ফান (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে ডেকে আবু সুফিয়ান প্রমুখ কুরায়শী নেতৃবৃন্দের নিকট
প্রেরণ করেন তাদেরকে একথা জানিয়ে দেয়ার জন্য যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) যুদ্ধ করার জন্য আগমন
করেননি, বরং তিনি আগমন করেছেন বায়তৃল্লাহ্র যিয়ারত এবং তৎপ্রতি সম্মান প্রদর্শানব জন্য ৷
হযরত উছমান (বা) মক্কার পথে রওয়ানা হয়ে যান ৷ মক্কায় প্রবেশকালে অথবা তার কিছু আগে
আবান ইবন সাঈদ ইবনুল আস এর সঙ্গে তার সাক্ষাত হয় ৷ তিনি তার বাহনের সম্মুখে তাকে
বসান এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পয়গাম পৌছানাের পর্যন্ত তাকে নিরাপত্তা দান করেন ৷ এরপর
হযরত উছমান (রা) আবু সুফিয়ান প্রমুখ কুরায়শ নেতৃবৃন্দের নিকট গমন করেন এবং তাদের
নিকট রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পয়গাম পৌছান ৷ তারা তার বক্তব্য শুনে বললো তুমি যাই ইচ্ছা কর
তা হলে আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ করতে পার ৷ তিনি বললেন : রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাওয়াফ না করা
পর্যন্ত আমিতে৷ তাওয়াফ করতে পারিনা ৷ এ সময় কুরায়শরা হযরত উছমান (রা) কে আটক
করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং মুসলমানদের নিকট খবর পৌছে যে, হযরত উছমান (রা)-কে হত্যা
করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (র) হযরত আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (রা) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন
যে, হযরত উছমান (রা) নিহত হয়েছেন একথা রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট পৌছলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন : তাদের থেকে বদলা না নিয়ে আমরা ফিরে যাবো না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকলকে
বায়আত করার জন্য আহ্বান জানান ৷ একটা গাছের তলায় অনুষ্ঠিত এই বায়আতকে বায়অড়াতে
রিদওয়ান’ বলা হয় ৷ (লাকেরা বলাবলি করতে) রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের কাছ থেকে আমৃত্যু লড়ে
যাওয়ার বায়আত গ্রহণ করেন ৷ আর জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) বলভ্রুতন : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদের নিকট থেকে আমৃত্যু লড়বার বায়আত গ্রহণ করেননি : বরং তিনি বায়আত গ্রহণ
করেছিলেন যে, আমরা যেন পলায়ন করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের নিকট থেকে এ মর্মে
বায়আত গ্রহণ করেন ৷ বনু সালিমার জাদ্ ইবন কায়স ছাড়া মজলিসে উপস্থিত কেউই এ বায়আত
গ্রহণ থেকে পিছিয়ে থাকেননি ৷ এ সম্পর্কে হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) বলেন, আল্লাহ্র
কলম, আমি যেন দেখতে পাচ্ছি জাদ তার উদ্রীর আড়ালে ণ্লাকজন থেকে লুকাচ্ছেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট খবর আসে যে, উছমান (রা)-এর ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা গুজব
মাত্র ৷ ইবন হিশাম ওয়াকী সুত্রে শাবীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, বায়আতৃর রিদওয়ানে
৪ :
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا خِرَاشَ بْنَ أُمَيَّةَ الْخُزَاعِيَّ، فَبَعَثَهُ إِلَى قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ، وَحَمَلَهُ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ، يُقَالُ لَهُ: الثَّعْلَبُ. لِيُبَلِّغَ أَشْرَافَهُمْ عَنْهُ مَا جَاءَ لَهُ، فَعَقَرُوا بِهِ جَمَلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَرَادُوا قَتْلَهُ، فَمَنَعَهُ الْأَحَابِيشُ، فَخَلَّوْا سَبِيلَهُ، حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ قُرَيْشًا كَانُوا بَعَثُوا أَرْبَعِينَ رَجُلًا مِنْهُمْ أَوْ خَمْسِينَ، وَأَمَرُوهُمْ أَنْ يُطِيفُوا بِعَسْكَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ لِيُصِيبُوا لَهُمْ مِنْ أَصْحَابِهِ أَحَدًا، فَأُخِذُوا أَخْذًا، فَأُتِيَ بِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَفَا عَنْهُمْ وَخَلَّى سَبِيلَهُمْ، وَقَدْ كَانُوا رَمَوْا فِي عَسْكَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحِجَارَةِ وَالنَّبْلِ، ثُمَّ دَعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ لِيَبْعَثَهُ إِلَى مَكَّةَ، فَيُبَلِّغَ عَنْهُ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ مَا جَاءَ لَهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَخَافُ قُرَيْشًا عَلَى نَفْسِي، وَلَيْسَ بِمَكَّةَ مِنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ أَحَدٌ يَمْنَعُنِي، وَقَدْ عَرَفَتْ قُرَيْشٌ عَدَاوَتِي إِيَّاهَا وَغِلْظَتِي عَلَيْهَا، وَلَكِنِّي أَدُلُّكَ عَلَى رَجُلٍ أَعَزَّ بِهَا مِنِّي، عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، فَبَعَثَهُ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَأَشْرَافِ قُرَيْشٍ، يُخْبِرُهُمْ أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ لِحَرْبٍ، وَإِنَّمَا جَاءَ زَائِرًا لِهَذَا الْبَيْتِ وَمُعَظِّمًا لِحُرْمَتِهِ، فَخَرَجَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَلَقِيَهُ أَبَانُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ حِينَ دَخَلَ مَكَّةَ، أَوْ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَهَا، فَحَمَلَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ أَجَارَهُ حَتَّى بَلَّغَ رِسَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْطَلَقَ عُثْمَانُ حَتَّى أَتَى أَبَا سُفْيَانَ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৬
وَعُظَمَاءَ قُرَيْشٍ، فَبَلَّغَهُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَرْسَلَهُ بِهِ، فَقَالُوا لِعُثْمَانَ حِينَ بَلَّغَ رِسَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ: إِنْ شِئْتَ أَنْ تَطُوفَ بِالْبَيْتِ فَطُفْ. قَالَ: مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ حَتَّى يَطُوفَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَاحْتَبَسَتْهُ قُرَيْشٌ عِنْدَهَا، فَبَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمِينَ أَنَّ عُثْمَانَ قَدْ قُتِلَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ عُثْمَانَ قَدْ قُتِلَ: " «لَا نَبْرَحُ حَتَّى نُنَاجِزَ الْقَوْمَ» ". وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْبَيْعَةِ، فَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، فَكَانَ النَّاسُ يَقُولُونَ: بَايَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَوْتِ. وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُبَايِعْنَا عَلَى الْمَوْتِ، وَلَكِنْ بَايَعَنَا عَلَى أَلَّا نَفِرَّ. فَبَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسُ، وَلَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَضَرَهَا، إِلَّا الْجَدُّ بْنُ قَيْسٍ، أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ لَاصِقًا بِإِبِطِ نَاقَتِهِ، قَدْ ضَبَأَ إِلَيْهَا، يَسْتَتِرُ مِنَ النَّاسِ، ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الَّذِي ذُكِرَ مِنْ أَمْرِ عُثْمَانَ بَاطِلٌ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَذَكَرَ وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ أَبُو سِنَانٍ الْأَسَدِيُّ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ بِإِسْنَادٍ لَهُ، عَنِ ابْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩০৭৭
সর্বপ্রথম যিনি বায়আত গ্রহণ করেন তিনি ছিলেন আবু সিনান আল-আসাদী ৷ নির্জ্যযোগ্য রাবীর
বরাতে ইবন উমর সুত্রে ইবন হিশাম বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে হযরত উছমান (বা)
এর পক্ষ থেকে বায়আত গ্রহণ করেন এবং তার নিজের এক হাতের উপর অপর হাত স্থাপন
করেন, যে সনদে ইবন হিশাম এ হাদীছটি বর্ণনা করেন তা দুর্বল; তবে হাদীছটি দুর্বল হলেও বুখারী
এবং মুসলিমের রিওয়ায়াতে ব্যাপারটি সমর্থিত ৷ যুহ্রী (র)-এর বরাতে মুহাম্মাদ ইবন ইসহড়াক
বলেন যে ; এরপর কুরায়শ বনু আমির ইবন লুয়াই-এর অন্যতম সদন৷ সুহায়ল ইবন আমৃরকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে প্রেরণ করে এবং তাকে বলে দেয় যে, মুহাম্মাদ এর নিকট গমন
করে তার সঙ্গে সন্ধি কর ৷ সন্ধিতে একথা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যে, এ বছর (ওমরা না করেই)
তাদেরকে ফিরে যেতে হবে ৷ আল্লাহর কলম, আরবে এ কথা যেন বলাবলি না হয় যে, মুহাম্মাদ
জোরপুর্বক মক্কায় প্রবেশ করেছেন ৷ সুহায়ল ইবন আমৃরকে আগমন করতে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, সন্ধির উদ্দেশ্যে তারা এ ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছে, সুহায়ল রম্পুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে
দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেন ৷ দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর তারা সন্ধির ব্যাপারে ঐকমতেব্রু
পৌছেন ৷ কথাবার্তা কেবল পাকাপাকি হয়ে যায় সন্ধিপত্র লেখা বাকী ছিল এমন সময় উমর (রা)
আবু বকর (রা)এর নিকট ছুটে যান এবং বলেন : আবু বকর তিনি কি আল্লাহ্র রাসুল নন ? আবু
বকর বললেন, অবশ্যই ৷ উমর বললেন, আমরা কি মুসলিম নই ? আবু বকর বললেন,
নিঃসন্দেহে ৷ উমর (রা) আবার বললেন, তারা কি মুশরিক নয় ! তিনি বললেন, এতে কােনই
সন্দেহ নেই; উমর বললেন, তাহলে দীনের ব্যাপারে আমরা কেন হীনতা স্বীকার করে নেবাে ?
তখন আবু বকর (রা) বললেন, হে উমর ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আনুগত্য শক্তভাবে অবলম্বন কর ৷
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্পাহ্র রাসুল ৷ উমর (রা) বললেন, আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি
আল্লাহ্র রাসুল ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হাযির হয়ে আরব করলেন; ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনি কি আল্লাহ্র রাসুল নন ? তিনি বললেন, অবশ্যই ৷ উমর বললেন, আমরা
কি মুসলিম নই ! জবাবে তিনি বললেন, অবশ্যই ৷ তিনি বললেন, তারা কি যুশরিক নয়? রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, অবশ্যই; এবার উমর (রা) বললেন, তবে কেন আমরা দীনের ব্যাপারে এ দীনতা-
হীনতা মেনে নেবাে ? তিনি বললেন, আমি আল্লাহ্র বন্দো ও রাসুল, আমি আল্লাহ্র নির্দেশের
বিরুদ্ধাচরণ করতে পারি না এবং আল্লাহ্, কিছুতেই আমার বিনাশ সাধন করবেন না, উমর (রা)
বলতেন, সেদিন আমি যেসব কড়া কথা বলেছি সে ভয়ে আমি অব্যাহতভাবে নামায পড়ি, রোযা
রাখি, সদকা করি, দাস মুক্ত করতে থাকি ৷ শেষ পর্যন্ত আমি কল্যাণ লাভের আশা করি ৷
ইবন ইসহড়াক (র ) বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিবকে ডেকে এনে
বললেন, লেখ, বিসমিল্লাহির রাহমড়ানির রাহীম ; সুহায়ল বললেন , এটা কি, আমি জানি না , তবে
বিসমিকা আল্লাহুম্মা (শ্লো ৷ ৷ ষ্ঠাং); হে আল্লাহ্! তোমার নামে’ লিখ, তখন রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, লেখ বিসমিকা আল্লাহুম্মা ৷ আলী (রা) তাই লিখলেন, এরপর বললেন , লেখ-
এ হচ্ছে সে চুক্তিপত্র যাতে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (মা) এবং সুহায়ল ইবন আমর একমত
হয়েছেন ৷ সুহায়ল বললেন, আমি যদি আপনাকে আল্লাহর রাসুল বলেই স্বীকার করতাম, তাহলে
مُلَيْكَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَايَعَ لِعُثْمَانَ، فَضَرَبَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى» . وَهَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ بِهَذَا الْإِسْنَادِ ضَعِيفٌ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ".
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَالَ الزُّهْرِيُّ: ثُمَّ بَعَثَتْ قُرَيْشٌ سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو أَخَا بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالُوا: ائْتِ مُحَمَّدًا وَصَالِحْهُ، وَلَا يَكُنْ فِي صُلْحِهِ إِلَّا أَنْ يَرْجِعَ عَنَّا عَامَهُ هَذَا، فَوَاللَّهِ لَا تَتَحَدَّثُ الْعَرَبُ أَنَّهُ دَخَلَهَا عَنْوَةً أَبَدًا. فَأَتَاهُ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلًا قَالَ: " قَدْ أَرَادَ الْقَوْمُ الصُّلْحَ حِينَ بَعَثُوا هَذَا الرَّجُلَ ". فَلَمَّا انْتَهَى سُهَيْلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَكَلَّمَ فَأَطَالَ الْكَلَامَ وَتَرَاجَعَا، ثُمَّ جَرَى بَيْنَهُمَا الصُّلْحُ، فَلَمَّا الْتَأَمَ الْأَمْرُ وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا الْكِتَابُ، وَثَبَ عُمَرُ فَأَتَى أَبَا بَكْرٍ، فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، أَلَيْسَ بِرَسُولِ اللَّهِ؟! قَالَ: بَلَى. قَالَ: أَوَلَسْنَا بِالْمُسْلِمِينَ؟! قَالَ: بَلَى. قَالَ: أَوَلَيْسُوا بِالْمُشْرِكِينَ؟! قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَعَلَامَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا؟! قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا عُمَرُ، الْزَمْ غَرْزَهُ، فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ عُمَرُ: وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ. ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَسْتَ بِرَسُولِ اللَّهِ؟! قَالَ: " بَلَى ". قَالَ: أَوَلَسْنَا بِالْمُسْلِمِينَ؟! قَالَ: " بَلَى " قَالَ: أَوَلَيْسُوا بِالْمُشْرِكِينَ؟! قَالَ: " بَلَى " قَالَ: فَعَلَامَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا؟! قَالَ: " «أَنَا
পৃষ্ঠা - ৩০৭৮
عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، لَنْ أُخَالِفَ أَمْرَهُ وَلَنْ يُضَيِّعَنِي» " فَكَانَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: مَا زِلْتُ أَصُومُ، وَأَتَصَدَّقُ، وَأُصَلِّي، وَأُعْتِقُ، مِنَ الَّذِي صَنَعْتُ يَوْمَئِذٍ؛ مَخَافَةَ كَلَامِي الَّذِي تَكَلَّمْتُ يَوْمَئِذٍ، حَتَّى رَجَوْتُ أَنْ يَكُونَ خَيْرًا. قَالَ: ثُمَّ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: " اكْتُبْ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ". قَالَ: فَقَالَ سُهَيْلٌ: لَا أَعْرِفُ هَذَا، وَلَكِنِ اكْتُبْ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ " فَكَتَبَهَا. ثُمَّ قَالَ: " اكْتُبْ: هَذَا مَا صَالَحَ عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو ". قَالَ: فَقَالَ سُهَيْلٌ: لَوْ شَهِدْتُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ لَمْ أُقَاتِلْكَ، وَلَكِنِ اكْتُبِ اسْمَكَ وَاسْمَ أَبِيكَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ: هَذَا مَا صَالَحَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو "؛ اصْطَلَحَا عَلَى وَضْعِ الْحَرْبِ عَنِ النَّاسِ عَشْرَ سِنِينَ، يَأْمَنُ فِيهِنَّ النَّاسُ، وَيَكُفُّ بَعْضُهُمْ عَنْ بَعْضٍ، عَلَى أَنَّهُ مَنْ أَتَى مُحَمَّدًا مِنْ قُرَيْشٍ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهِ رَدَّهُ عَلَيْهِمْ، وَمَنْ جَاءَ قُرَيْشًا مِمَّنْ مَعَ مُحَمَّدٍ لَمْ يَرُدُّوهُ عَلَيْهِ، وَأَنَّ بَيْنَنَا عَيْبَةً مَكْفُوفَةً، وَأَنَّهُ لَا إِسْلَالَ وَلَا إِغْلَالَ، وَأَنَّهُ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَدْخُلَ فِي عَقْدِ مُحَمَّدٍ وَعَهْدِهِ دَخَلَ فِيهِ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَدْخُلَ فِي عَقْدِ قُرَيْشٍ وَعَهْدِهِمْ دَخَلَ فِيهِ - فَتَوَاثَبَتْ خُزَاعَةُ فَقَالُوا: نَحْنُ فِي عَقْدِ مُحَمَّدٍ وَعَهْدِهِ. وَتَوَاثَبَتْ بَنُو بَكْرٍ فَقَالُوا: نَحْنُ فِي عَقْدِ قُرَيْشٍ وَعَهْدِهِمْ - وَأَنَّكَ تَرْجِعُ عَامَكَ هَذَا، فَلَا تَدْخُلُ عَلَيْنَا مَكَّةَ، وَأَنَّهُ إِذَا كَانَ عَامٌ قَابِلٌ خَرَجْنَا عَنْكَ، فَدَخَلْتَهَا بِأَصْحَابِكَ، فَأَقَمْتَ فِيهَا ثَلَاثًا، مَعَكَ سِلَاحُ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৯
তো আর আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করতাম না, বরং আপনার এবং আপনার পিতার নাম লিখুন! তখন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, লেখ ৷
এ হলো সেসব শর্ত, যাতে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ এবং সুহায়ল ইবন আমর চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন, (১) উভয় পক্ষের মধ্যে দশ বছর পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ থাকবে ৷ এসময় লোকেরা নিরাপদে
নিরুপদ্রবে জীবন-যাপন করবে, একে অন্যের উপর আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে, (২)
কুরায়শের কোন লোক তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া মুহাম্মাদ এর নিবল্ট আগমন করলে তিনি
তাকে ফেরত পাঠাবেন , বিন্দু মুহন্মোদের সঙ্গীসাথীদের মধ্য থেকে কেউ কুরায়শের নিকট চলে
আসলে তারা তাকে ফেরত দিবে না ৷ (৩) আমরা আমাদের কোন পক্ষ অপর পক্ষকে যুদ্ধের জন্য
প্রকাশ্যে বা গোপনে যুদ্ধের উস্কানী দেবে না ৷ (৪ ) যার ইচ্ছা মুহাম্মাদ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে
পারবে আর যার ইচ্ছা কুরায়শদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে : সে মতে বনু থুযাআ মুহাম্মাদ
(সা) এর সঙ্গে এবং বকর কুরায়শের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ৷
;া; এে; ); পুপ্রুাদ্ব৷ ণ্া; ;,াদ্বু ৷১৷ ণ্১! প্
াগ্লুরু
াদ্১াট্র
(৫) এ বছর মুসলমানগণ মক্কায় প্রবেশ না করেই ফিরে যাবেন, (৬) আগামী বছর কুরায়শরা
মুসলমানদের জন্য পথ উন্মুক্ত করে দেবে, মুহাম্মাদ সঙ্গি-সাথী নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতে পারবেন
এবং (৭) সেখানে তিন দিন অবস্থান করতে পারবেন ৷ (৮) তখন পথিক সুলভ কােষবদ্ধ তরবারি
ছাড়া অন্য কোন অস্ত্র সাথে থাকবে না ৷
যুহ্য়ী (র) বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (মা) এবং সুহায়ল ইবন আমর এর চুক্তিপত্র লিখা হচ্ছে এমন
সময় সুহায়ল ইবন আমর এর পুত্র আবু জন্দল লোহার বেড়ি পরিহিত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এর সম্মুখে উপস্থিত হন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাতে বিজয় সম্পর্কে সাহাবীগণের মনে কোন সন্দেহ
সংশয় ছিল না, তইি তারা যখন সন্ধি স্থাপন ও ফিরে যাওয়ার শর্ত মেনে নেয়া এবং রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর ধৈর্য-ভৈস্থর্য প্রত্যক্ষ করলেন, তখন তারা এমন মর্মাহ্ত হন যে , তাদের জীবন নাশের
উপক্রম হয় ৷ সুহায়ল আবু জন্দলকে দেখে তার দিকে এগিয়ে যান, তাকে চপেটাঘাত করেন
এবং আমার প্রান্ত ধরে বলেন : হে মুহাম্মাদ ৷ এর আগমনের পুর্বেই আপনার ও আমার মধ্যে
সন্ধিশর্ত চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ৷ রাসুলল্লাহ (সা ) বললেন : যথার্থ ৷ সুহায়ল আবু জন্দলকে টেনে
হেচড়ে কুরায়শদের কাছে নিয়ে যেতে শুরু করে ৷ এ সময় আবু জন্দল উচ্চস্বরে ফরিয়াদ করে
বলছিলো :
হে মুসলিম সমাজ ! আমাকে কি মুশরিকদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে ? তারা আমাকে
ধর্মচুত করতে প্রয়াস পাবে ৷ এ অবস্থা দেখে সাহাবীগণের মর্যযাতনা আরো বৃদ্ধি গেলো ৷ তখন
الرَّاكِبِ؛ السُّيُوفُ فِي الْقُرُبِ، لَا تَدْخُلُهَا بِغَيْرِهَا. قَالَ: فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ هُوَ وَسُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، إِذْ جَاءَ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو يَرْسُفُ فِي الْحَدِيدِ، قَدِ انْفَلَتَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ خَرَجُوا وَهُمْ لَا يَشُكُّونَ فِي الْفَتْحِ؛ لِرُؤْيَا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَوْا مَا رَأَوْا مِنَ الصُّلْحِ وَالرُّجُوعِ، وَمَا تَحَمَّلَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفْسِهِ، دَخَلَ عَلَى النَّاسِ مِنْ ذَلِكَ أَمْرٌ عَظِيمٌ، حَتَّى كَادُوا يَهْلِكُونَ، فَلَمَّا رَأَى سُهَيْلٌ أَبَا جَنْدَلٍ، قَامَ إِلَيْهِ فَضَرَبَ وَجْهَهُ، وَأَخَذَ بِتَلْبِيبِهِ، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، قَدْ لَجَّتِ الْقَضِيَّةُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَكَ هَذَا. قَالَ: " صَدَقْتَ " فَجَعَلَ يَنْتُرُهُ بِتَلْبِيبِهِ وَيَجُرُّهُ، يَعْنِي لِيَرُدَّهُ إِلَى قُرَيْشٍ، وَجَعَلَ أَبُو جَنْدَلٍ يَصْرُخُ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أُرَدُّ إِلَى الْمُشْرِكِينَ يَفْتِنُونِنِي فِي دِينِي؟ ! فَزَادَ ذَلِكَ النَّاسَ إِلَى مَا بِهِمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «يَا أَبَا جَنْدَلٍ اصْبِرْ وَاحْتَسِبْ، فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ لَكَ وَلِمَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُسْتَضْعَفِينَ فَرَجًا وَمَخْرَجًا، إِنَّا قَدْ عَقَدْنَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ صُلْحًا، وَأَعْطَيْنَاهُمْ عَلَى ذَلِكَ وَأَعْطَوْنَا عَهْدَ اللَّهِ، وَإِنَّا لَا نَغْدِرُ بِهِمْ» ". قَالَ: فَوَثَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مَعَ أَبِي جَنْدَلٍ يَمْشِي إِلَى جَنْبِهِ وَيَقُولُ: اصْبِرْ يَا أَبَا جَنْدَلٍ، فَإِنَّمَا هُمُ الْمُشْرِكُونَ، وَإِنَّمَا دَمُ أَحَدِهِمْ دَمُ كَلْبٍ. قَالَ: وَيُدْنِي قَائِمَ السَّيْفِ مِنْهُ. قَالَ: يَقُولُ عُمَرُ: رَجَوْتُ أَنْ يَأْخُذَ السَّيْفَ فَيَضْرِبَ أَبَاهُ. قَالَ: فَضَنَّ الرَّجُلُ بِأَبِيهِ، وَنَفَذَتِ الْقَضِيَّةُ. فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْكِتَابِ، أَشْهَدَ عَلَى الصُّلْحِ رِجَالًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَرِجَالًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ؛ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ،
পৃষ্ঠা - ৩০৮০
وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَمِكْرَزُ بْنُ حَفْصٍ - وَهُوَ يَوْمَئِذٍ مُشْرِكٌ - وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَكَتَبَ، وَكَانَ هُوَ كَاتِبَ الصَّحِيفَةِ.
وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَرِبًا فِي الْحِلِّ، وَكَانَ يُصَلِّي فِي الْحَرَمِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصُّلْحِ قَامَ إِلَى هَدْيِهِ فَنَحَرَهُ، ثُمَّ جَلَسَ فَحَلَقَ رَأْسَهُ، وَكَانَ الَّذِي حَلَقَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ خِرَاشُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ الْفَضْلِ الْخُزَاعِيُّ، فَلَمَّا رَأَى النَّاسُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَحَرَ، وَحَلَقَ تَوَاثَبُوا يَنْحَرُونَ وَيَحْلِقُونَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حَلَقَ رِجَالٌ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَصَّرَ آخَرُونَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ". قَالُوا: وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ". قَالُوا: وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ". قَالُوا: وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " وَالْمُقَصِّرِينَ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلِمَ ظَاهَرْتَ التَّرْحِيمَ لِلْمُحَلِّقِينَ دُونَ الْمُقَصِّرِينَ؟ قَالَ: " لَمْ يَشُكُّوا» .
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ: حَدَّثَنِي مُجَاهِدٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَى عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ - فِي هَدَايَاهُ - جَمَلًا لِأَبِي جَهْلٍ، فِي رَأْسِهِ بُرَّةٌ
পৃষ্ঠা - ৩০৮১
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখে বললেন : হে আবু জন্দল ! ধৈর্য ধারণ কর আর ছাওয়াবের আশা
পোষণ কর ৷ কারণ আল্লাহ তোমার জন্য তোমার অন্যান্য দুর্বল সঙ্গীদের মুক্তি ব্যবস্থা করবেন ৷
আমরা এইমাত্র কুরায়শ সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছি আর তারাও আমাদের সঙ্গে আল্লাহর
নামে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ৷ আমরা তাদের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করতে পারিনা ৷
রাবী বলেন যে, উমর ইবনুল খাত্তাব তখন ছুটে নিয়ে আবু জন্দলের পাশাপাশি ইাটতে
থাকেন ৷ এ সময় তিনি বলছিলেন :
হে আবু জন্দল ! ধৈর্য ধারণ কর, তারাভাে মুশরিক, তাদের রক্তাতা কুকুরের রক্ত তুলা ৷
হযরত উমর (রা) এর সবে তলোয়ারও ছিল ৷ তিনি বলেন, আমি আশা করছিলাম আবু জন্দল
তরবারি থানা নিয়ে তার পিতার গর্দানে মারবেন ৷ আবুজন্দল পিতার প্ৰতি দুর্বলতা প্রকাশ করে
এবং চুক্তিটি কার্যকর হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করা; সম্পন্ন করে মুসলমান
এবং যুশরিকদের মধ্যে কয়েকজনকে সাক্ষী রাখেন ৷ মুসলমানদের মধ্যে সাক্ষী ছিলেন আবু বকর
সিদ্দিক (রা), উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) , আবদুর রহমান ইবন আওফ, আবদুল্লাহ ইবন সুহায়ল
ইবন আমর , সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস ৷ আর মুশরিকদের মধ্যে মাহমুদ ইবন মাসৃলামা ও মুকরিয
ইবন হাফস তখনো তিনি মুশরিক ছিলেন ৷ আর হযরত আলী ইবন আবু তালিব চুক্তিপত্রটি
লিপিবদ্ধ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে সময় হেরেম এলাকার বাইরে তাবু খাটান এবং হেরেমে নামায আদায়
করতেন, চুক্তিপত্র সম্পাদন শেষে তিনি কুরবানীর পশু গুলির দিকে এগিয়ে যান এবং পশু জবইি
করেন ৷ তারপর বসে মস্তক মুণ্ডন করেন ৷ আর এ দিন তার মস্তক মুণ্ডনের কার্য সম্পাদন করেন
খারাপ ইবন উমাইয়া ইবন ফযল খুযায়ী ৷ লোকেরা যখন দেখলো যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরবানী
করে মস্তক মুণ্ডন করেছেন তখন তারা সকলেও উঠে যান এবং কুরবানী ও মস্তক মুণ্ডন করেন ৷
ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন আবুনাজীহ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হুদায়বিয়ার
দিন কিছু লোক হলফ করেন অর্থাৎ মাথা মুণ্ডন করেন আর কিছু লোক কসর করেন অর্থাৎ চুল
ছোট করে ছুাটেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ করলেন ও
তারা মস্তক মুণ্ডন করেছে তাদের প্রতি আল্লাহ্ রহম করুন, সাহাবীগণ বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! মাথা ছুটিইিকারীদের কী হবে ? তখন তিনি বললেন, আল্লাহ মস্তক মুণ্ডনকারীদের
প্রতি রহম করুন ! আল্লাহ মস্তক মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহম করুন ! ! আল্লাহ মস্তক মুণ্ডনকারীদের
প্রতি রহম করুন!!! চতৃর্থবার বললো, চুল হীটাইকারীদের প্রতিও আল্লাহ্ রহম করুন ৷ তখন
সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্! তাহলে আপনি কেন মস্তক মুণ্ডনকড়ারীদের জন্য
রহমতের দুআ পরপর করলেন, চুল কর্তাকােরীদেরকে বাদ দিয়ে ? রাসুল (সা) বললেন : যারা
মস্তক মুণ্ডন করেছে, ইহরাম খোলার ব্যাপারে তাদের মনে কোন রকম সন্দেহ সংশয় ছিল না ৷
আবদুল্লাহ ইবন আবু নাজীহ মুজাহিদ সুত্রে হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়ার বছর কুরবানীর পশুর মধ্যে আবু জাহলের উটও অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ৷
মাথায় ছিল রৌপাের কুণ্ডলী, তিনি এ কাজ করেন, যাতে কাফিরদের অম্ভর্জুালা সৃষ্টি হয় ৷
مِنْ فِضَّةٍ؛ لِيَغِيظَ بِذَلِكَ الْمُشْرِكِينَ. هَذَا سِيَاقُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، لِهَذِهِ الْقِصَّةِ، وَفِي سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ - كَمَا سَيَأْتِي - مُخَالَفَةٌ فِي بَعْضِ الْأَمَاكِنِ لِهَذَا السِّيَاقِ، كَمَا سَتَرَاهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ. وَلْنُورِدْهَا بِتَمَامِهَا، وَنَذْكُرْ مَا فِي الْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ مَا فِيهِ شَاهِدٌ، فِي كُلِّ مَوْطِنٍ بِحَسَبِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَهُوَ الْمُسْتَعَانُ.
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، فَأَصَابَنَا مَطَرٌ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَصَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ: " أَتَدْرُونَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ؟ " قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَقَالَ: " قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ بِي؛ فَأَمَّا مَنْ قَالَ: مُطِرْنَا بِرَحْمَةِ اللَّهِ، وَبِرِزْقِ اللَّهِ، وَبِفَضْلِ اللَّهِ. فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِي كَافِرٌ بِالْكَوْكَبِ، وَأَمَّا مَنْ قَالَ: مُطِرْنَا بِنَجْمِ كَذَا. فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِالْكَوْكَبِ كَافِرٌ بِي» وَهَكَذَا رَوَاهُ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ " صَحِيحِهِ " وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ. وَقَدْ رَوَى عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩০৮২
হুদায়ৰিয়ায় সন্ধি সম্পর্কে এ হল মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র)-এর বর্ণনা, বৃখারী (র)-এর
বর্ণনায় কোন কোন ক্ষেত্রে জ্যিতা রয়েছে, যা আমরা পরে দেখতে পাবাে ইনশাআল্লাহ! ইমাম
বুখারীর পুর্ণ বর্ণনা আমরা উল্লেখ করবো এবং তাতে সহীহ্ এবং হাসান হাদীছও অন্তর্ভুক্ত করবো ৷
ইনৃশাআল্লাহ্া
ইমাম বুখারী (র) খালিদ ইবন মাখলাদ যায়দ ইবন খালিদ সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
হুদায়ৰিয়ায় বছরে আমরা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সঙ্গে বের হলাম ৷ সে রাত্রে বৃষ্টি বর্ধিত হয় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফজরের সালাত আদায় করে আমাদের দিকে মুখ করে বললেন : তোমরা কি
জান, তোমাদের পালনকতা কী বলেছেন ৷ আমরা বললাম আল্লাহ; এবং তার রাসুলই সবচেয়ে
ভাল জানেন ৷ তখন তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন : আমার বন্দোদ্যে মধ্যে কিছু লোক সকালে
আমার প্ৰতি ঈমানদার হয়েছে আর কিছু হয়েছে আমার প্রতি কাকিং৷ ৷বঈমান ৷ণ্ংতাদেব মধ্যে যারা
বলেছে যে, আল্লা হ্ব রহমত বরকত আর ফসলে বৃষ্টি বর্ধিত হয়েছে তারা আমার প্রতি ঈমানদার
আর নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী ৷ আর যারা বলে যে, অমুক নক্ষত্রের দ্বারা আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত
হয়েছে ৷ সে নক্ষত্রে বিশ্বাসী জ্যি আমাতে অবিশ্বাসী ৷ ইমাম বৃখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থের
একাধিক স্থানে হাদীছটি উদ্ধৃত করোছা ৷ ইমাম মুসলিমও ইমাম যুহ্রী থেকে বিজ্যি সুত্র হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম যুহ্রী (র) থেকে উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদৃল্লাহ্র মারফত হযরত আবু
হ্বায়রাও হাদীছটি বর্ণনা করেহ্নেষ্ক ৷
ইমাম বুখারী (র) উবায়দৃল্পাহ্ ইবন মুসা বারা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ৷ তােমরাতো
মক্কা বিজয়বেইি আসল বিজয় মনে করে থাক আর ফতেহ মকা’ অবশ্যই বিজয় ছিল ৷ তবে
আমরা হুদায়ৰিয়ায় সব্ধির দিন বায়আতৃর রিদওয়ানকে বিজয় মনে করি ৷ নবী করীম (না)-এর
সঙ্গে আমরা ১৪০০ সঙ্গী ছিলাম আর হুদায়ৰিয়ায় ছিল একটা কুয়া ৷ আমরা কুয়৷ থেকে পানি
উত্তোলন করি এবং এমন কি তাতে এক ফোটা পানিও অবশিষ্ট ছিল না ৷ নবী করীম (সা) এ
সম্পর্কে জানতে পেরে সেখানে আগমন করেন এবং কুয়ার কিনারায় বসে পানির একটা পাত্র
আনতে বলেন এবং সে পানি দিয়ে উযু করেন কুলি করেন তার দুআ করেন ও সে পানি কুয়ায়
ফেলে দেন ৷ এরপর কিছুক্ষণ আমরা অপেক্ষা করলাম ৷ তারপর কুয়৷ আমাদের এবং আমাদের
সওয়ারীর জন্য প্রয়েজ্জীয় পানি সরবরাহ করলো ৷ ইমাম বুখরীি এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন্ ৷ ৷
আর ইবনইসহাক আল্লাহ্তাআলার বাণী ৰুশ্ ড্রুাট্রুৰু;শু সম্পর্কে
বলেন যে, এখানে ৷ ৰু,ও এে তথা নিকট বিজয় অর্থ হুদায়ৰিয়ার সর্ষি ৷ আর যুহ্রী (র)
বলেন, ইসলামে ইতিপুর্বে এর চেয়ে বড় বিজয় সাধিত হয়নি ৷ যেখানে দৃদল মুগােমুখী হতো
সেখানেই যুদ্ধ হতো সন্ধি স্থাপিত হলে অস্ত্র সংরক্ষিত হলো লোকেরা শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ
করলো ৷ একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ৷ মেলামেশা করে ৷ পরস্পরে আলাপ-আলোচনা
লেতে থাকে যাদের জ্ঞান-বুদ্ধি ছিল তারা ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা শুনে ইসলাম গ্রহণ ক্যতো ৷
ইতিপুর্বে যেসব লোক ইসলাম গ্রহণ করেছিল তাদ্যে৷ সম পরিমাণ বা ততোধিক ব্যক্তি এ দৃবছরে
ইসলাম গ্রহণ করে ৷ যুহ্রী (র) যা বলেছেন তার প্রমাণ এই যে, হযরত জাবির (বা) এর উক্তি
মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১৪শ সাহাবীর সঙ্গে হুদায়ৰিয়ায় উদ্দেশ্যে বের হন ৷ পক্ষাম্ভরে দুবহ্ব পর
মক্কা বিজয় কালে তিনি ১০ হাজার সঙ্গী নিয়ে বের হন ৷
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «تَعُدُّونَ أَنْتُمُ الْفَتْحَ فَتْحَ مَكَّةَ وَقَدْ كَانَ فَتْحُ مَكَّةَ فَتْحًا، وَنَحْنُ نَعُدُّ الْفَتْحَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً، وَالْحُدَيْبِيَةُ بِئْرٌ، فَنَزَحْنَاهَا فَلَمْ نَتْرُكْ فِيهَا قَطْرَةً، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهَا فَجَلَسَ عَلَى شَفِيرِهَا، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ، فَتَوَضَّأَ ثُمَّ مَضْمَضَ وَدَعَا، ثُمَّ صَبَّهُ فِيهَا، فَتَرَكْنَاهَا غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ إِنَّهَا أَصْدَرَتْنَا مَا شِئْنَا نَحْنُ وَرِكَابَنَا» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {فَجَعَلَ مِنْ دُونِ ذَلِكَ فَتْحًا قَرِيبًا} [الفتح: 27] (الْفَتْحِ: 27) . صُلْحُ الْحُدَيْبِيَةِ
قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَمَا فُتِحَ فِي الْإِسْلَامِ فَتْحٌ قَبْلَهُ كَانَ أَعْظَمَ مِنْهُ، إِنَّمَا كَانَ الْقِتَالُ حَيْثُ الْتَقَى النَّاسُ، فَلَمَّا كَانَتِ الْهُدْنَةُ، وَضَعَتِ الْحَرْبُ أَوْزَارَهَا، وَأَمِنَ النَّاسُ كُلُّهُمْ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَالْتَقَوْا فَتَفَاوَضُوا فِي الْحَدِيثِ وَالْمُنَازَعَةِ، فَلَمْ يُكَلَّمْ أَحَدٌ فِي الْإِسْلَامِ - يَعْقِلُ شَيْئًا - إِلَّا دَخَلَ فِيهِ، وَلَقَدْ دَخَلَ فِي تَيْنَكِ السَّنَتَيْنِ مِثْلُ مَنْ كَانَ دَخَلَ فِي الْإِسْلَامِ قَبْلَ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَالدَّلِيلُ عَلَى مَا قَالَهُ الزُّهْرِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ إِلَى الْحُدَيْبِيَةِ فِي أَلْفٍ وَأَرْبَعِمِائَةِ رَجُلٍ فِي قَوْلِ جَابِرٍ، ثُمَّ خَرَجَ عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ بَعْدَ ذَلِكَ بِسَنَتَيْنِ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩০৮৩
حُصَيْنٌ، عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «عَطِشَ النَّاسُ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ، فَتَوَضَّأَ مِنْهَا، ثُمَّ أَقْبَلَ النَّاسُ نَحْوَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا لَكُمْ؟ " قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيْسَ عِنْدَنَا مَا نَتَوَضَّأُ بِهِ وَلَا نَشْرَبُ إِلَّا مَا فِي رَكَوْتِكَ. قَالَ: فَوَضَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي الرَّكْوَةِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَفُورُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ كَأَمْثَالِ الْعُيُونِ. قَالَ: فَشَرِبْنَا وَتَوَضَّأْنَا. فَقُلْنَا لِجَابِرٍ: كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: لَوْ كُنَّا مِائَةَ أَلْفٍ لَكَفَانَا، كُنَّا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً» .
وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرٍ، بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ: بَلَغَنِي أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ كَانَ يَقُولُ: كَانُوا أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً. فَقَالَ لِي سَعِيدٌ: حَدَّثَنِي جَابِرٌ: كَانُوا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً، الَّذِينَ بَايَعُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ. تَابَعَهُ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا قُرَّةُ، عَنْ قَتَادَةَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو: سَمِعْتُ جَابِرًا، قَالَ: «قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَنْتُمْ خَيْرُ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৩০৮৪
৩১৮ ন্ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া
ইমাম বুখারী ইউসুফ ইবনঈ সা — জাবির সুত্রে বর্ণনা করেনং হুদায়বিয়ার দিন লোকেরা
পিপাসায় কাতর হন ৷ একটা পাত্রে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখে কিছু পানি ছিল ৷ তিনি তা থেকে
উয়ু করলেন ৷ এরপর লোকেরা তার দিকে এগিয়ে আসেন ৷ তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার ?
ণ্তামাদের কী হয়েছে : তারা বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! আমাদের কাছে উয়ু করার মতো
পানি নেই ৷ পান করার মতো কোন পানিও নেই আমাদের কাছে ৷ আপনার পাত্রে যা আছে কেবল
এতটুকু ছাড়া ৷ তখন নবী করীম (সা) পানির পাত্রে হাত রাখলেন ৷ শুক্ষুাতে তা থেকে ফোয়ারার
মতো পানি উথলে উঠতে থাকে ৷ রাবী বলেন, আমরা পান করলাম ৷ উয়ু করলাম ৷ জাবিরকে
আমরা জিজ্ঞাসা করলাম ৷ সেদিন আপনারা কত লোক ছিলেন ? তিনি বলেন, আমরা ১৫শ লোক
ছিলাম, তবে আমরা যদি সংখ্যায় এক লাখ হতাম তাহলেও তা আমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট
হতো ৷ বুখারী (র) এবং মুসলিম জ্যি সুত্রেও জাবির থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী (র)
সালত ইবন মুহাম্মাদ জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তারা ছিলেন চৌদ্দশ
জন ৷ সাঈদ বলেন, জাবির আমাকে বলেন যে যারা হুদায়বিয়ার দিন বায়আত করেছেন তারা
ছিলেন পনের শ’ ৷ ইমাম আবু দাউদ এর সমর্থক হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ হাদীছঢি বৃখাবীর (র)
একক বর্ণনা ৷ বুখারী আলী ইবন আবদুল্লাহ জাবির সুত্রে বর্ণনা করেন যে , হুদায়বিয়ার দিন
রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদেরকে বলেন : তোমরা পৃথিবীর সেরা মানব গোষ্ঠি ৷ আমরা হ্নিাম চৌদ্দশ
জন ৷ আজ যদি আমার দৃষ্টিশক্তি থাকতো তবে বৃক্ষের স্থানটি তােমাদেরকে দেখাতাম ৷ বুখারী
(র) ও মুসলিম (র) সুফিয়ান ইবন উয়াইনা সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে যায়দ
ইবন সাদ জাবির সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে বলেন : হাতিবের এক গােলাম রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট অভিযোগ করে বলে : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা)! হাতিব নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : তুমি মিথ্যা বলছ , বদর আর হুদায়বিয়ায় উপ ত ছিল এমন লোক
জাহান্নামে যাবে না ৷ মুসলিম (র) হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ মুসলিম (র) ভিন্ন সুত্রে জাবির থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উষ্মে মুবাশৃার আমাকে জানান যেৰু তিনি রাসুল করীম (না)-কে
হাফসাকে (রা) লক্ষ্য করে বলতে শুনেছেন ::
;গোা
(৮ওগ্রা
ৰু১এি
বৃক্ষের সাথী যারা বৃক্ষের নীচে বায়আত গ্রহণ করেছেন ইনশাআল্লাহ্ তাদের কেউ জাহান্নামে
প্রবেশ করবে না ৷ তখন হাফনা বললেন ইয়া রাসুলাল্লা হ ঠিক : তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাফসাকে
নৃদুতৎসনা করলেন ৷ হাফসা বললেনং ৷এ্’া,াটু ১া ণ্ছুট্রুট্রুৰুট্রু, ৷ব্লু তোমাদের প্ৰত্যেককেই তা
অতিক্রম করতে হবে ৷ (১৯ মারয়ামঃ ৭ ১) তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেনং আল্পাহ্ তা আলা
الْأَرْضِ. وَكُنَّا أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَلَوْ كُنْتُ أُبْصِرُ الْيَوْمَ لَأَرَيْتُكُمْ مَكَانَ الشَّجَرَةِ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ: «، أَنَّ عَبْدًا لِحَاطِبٍ جَاءَ يَشْكُوهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ النَّارَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَذَبْتَ لَا يَدْخُلُهَا؛ فَإِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
وَعِنْدَ مُسْلِمٍ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا يَقُولُ: «أَخْبَرَتْنِي أُمُّ مُبَشِّرٍ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عِنْدَ حَفْصَةَ: لَا يَدْخُلُ أَحَدٌ النَّارَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ، الَّذِينَ بَايَعُوا تَحْتَهَا. فَقَالَتْ حَفْصَةُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَانْتَهَرَهَا، فَقَالَتْ حَفْصَةُ: {وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا} [مريم: 71] (مَرْيَمَ: 71) . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ قَالَ تَعَالَى: {ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا} [مريم: 72] (مَرْيَمَ: 72) » .
قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ الشَّجَرَةِ أَلْفًا وَثَلَاثَمِائَةٍ، وَكَانَتْ أَسْلَمُ ثُمُنَ الْمُهَاجِرِينَ. تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩০৮৫
أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ. هَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُعَلَّقًا، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ شُعْبَةَ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ شُمَيْلٍ، كِلَاهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهِ.
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَا: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ، وَأَشْعَرَ، وَأَحْرَمَ مِنْهَا» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَسَيَأْتِي هَذَا السِّيَاقُ بِتَمَامِهِ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ كُلَّهَا مُخَالِفَةٌ لِمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ ابْنُ إِسْحَاقَ؛ مِنْ أَنَّ أَصْحَابَ الْحُدَيْبِيَةِ كَانُوا سَبْعَمِائَةٍ، وَهُوَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ تَفَقُّهًا مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ؛ مِنْ حَيْثُ إِنَّ الْبُدْنَ كُنَّ سَبْعِينَ بَدَنَةً، وَكُلٌّ مِنْهَا عَنْ عَشَرَةٍ، عَلَى اخْتِيَارِهِ، فَيَكُونُ الْمُهِلُّونَ سَبْعَمِائَةٍ، وَلَا يَلْزَمُ أَنْ يُهْدِيَ كُلُّهُمْ، وَلَا أَنْ يُحْرِمَ كُلُّهُمْ أَيْضًا؛ فَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ طَائِفَةً مِنْهُمْ، فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ، وَلَمْ يُحْرِمْ أَبُو قَتَادَةَ حَتَّى قَتَلَ ذَلِكَ الْحِمَارَ الْوَحْشِيَّ، فَأَكَلَ مِنْهُ هُوَ وَأَصْحَابُهُ، وَحَمَلُوا مِنْهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، فَقَالَ: «أَمِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا، أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَكُلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا» .
পৃষ্ঠা - ৩০৮৬
বলেছেনং ন্; পরে আমি
মুত্তাকীদেরকে নজােত দেবাে আর যড়ালির্ঘদেরকে সেখানে নিক্ষেপ করবো নতজানু অবস্থায় (১৯
মারয়ামং : ৭২) বুখ৷ ৷রী (ব) উবায়দুল্লাহ্ ইবন মু আয আবদুল্লাহ্ ইবন আবুআওফা সুত্রে
বলেন যে, বৃক্ষের তলায় বায়আত গ্রহণকারী ছিলেন ১৩শ আর আসলাম গোত্র ছিল মুহাজিরদের
এক অষ্টমাংশ ৷ মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার সুত্রে ইমাম আবু দাউদ (র) তার সমর্থনে হাদীছ বর্ণনা
করেন ৷ অনুরুপভাবে বুখঃারী (র) আবদুঃা৷হ্ সুত্রে সনদবিহীনভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ মুসলিম
(র)ও একাধিক সুত্রে শুবা থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ এ্যাত্ায় বুথারী (র) আলী ইবন আরদুল্লাহ্
সাফওয়ান ও যিসৃওয়ার ইবন মাখরাম৷ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷;
৷ ব্লু,১
এএে fl
হুদায়বিয়ার বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তেবশ-এর বেশী সঙ্গী নিয়ে বের হন ৷ যুল হুলারফায় পৌছে
হাদী’কে কালাদা পরান, চিহ্নিত করেন এবং সেখান থেকে ইহ্রাম বাধেন ৷ বুখারী (র)
এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ পুর্ণ বর্ণনা পরে আসছে ৷
ষোদ্দা কথা এই যে, এইসব বর্ণনা ইবন ইসহাকের সেই মতের বিপরীত যাতে তিনি
বলেছিলেন যে, হুদারবিয়ার সঙ্গীদের সংখ্যা সাতশ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷ হতে পারে যে, তিনি
নিজের বিবেচনা অনুসারে একথা বলে থাকবেন ৷ কারণ, সেদিন কৃরবানী উষ্ট্ৰ ছিল ৭০টি ৷ দশ
জনের পক্ষ থেকে ১টি করে উষ্ট্র কুরবানী করা হলে ৭০ × ১ : ৭শ হয় ৷ এটাও নয় যে, তাদের
প্রাত্যকেই এক একটি হাদী কুরবানী করবেন এবং প্রতোকেই ইহ্রাম বাধবেন ৷ কারণ, প্রমাণ
আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়ার সাথীদের একটা দলকে প্রেরণ করেন, যে দলে আবু
কাতদােও ছিলেন ৷ আবুকাতাদা ইহ্রাম বাধেননি ৷ এমনকি একটা বন্য পাধা বধ করে তিনি আর
তার সঙ্গীরা আহার করেন এবং পথে গা ধার গোস্তের কিছু অংশ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর জন্যও নিয়ে
যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জ্যিাসা করেন : তোমাদের কেউ কি ভাবে শিকার করতে উদ্বুদ্ধ করেছে
বা শিকারের প্রতি ইঙ্গিত করেছে ৷ সকলেই বললেন : না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
খাবার যা অবশিষ্ট রয়েছে তোমরা আহার করতে পার ৷ বুখারী (র) শুবা ইবন রবী
আবদুল্লাহ ইবন আবু কাতাদা সুত্রে৩ তিনি তার পিত ৷ থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, হুদায়বিয়ার বহ্ব
আমরা নবী করীম (সা) এর সঙ্গে রওয়ানা হই ৷ আমার সঙ্গীরা ইহ্রাম বাধেন বিন্তু আমি ইহ্রাম
বাধিনি ৷ বুখারী (র) মুহ৷ ম্মাদ ইবন রাফি সাঈদ ইবন ঘুসায়্যাব সুত্রে তিনি তার পিতা সুত্রে
বর্ণনা ৷করেন যে, আমি যে বৃক্ষটি দেখেছি; ৰিত্ত্ব পরবর্তীকালে এসে৩ তা আর চিনতে পারিনি ৷ মুসা
মুসায়ব্রাব সুত্রে বলেনঃ বৃক্ষের নীচে যারা বায়আত করেন তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম ৷ পরবর্তী
বহ্ব সেখানে গিয়ে আর সেটি ঠিক চেনা যায়নি ৷ ইমাম বুখারী (র ) মাহমুদ তারিক ইবন
আবদুর রহমান সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন যে, আমি হব্লুজ্জর পথে এক দল লোকের নিকট
দিয়ে গমন করি তারা তখন নামায আদায় করছিল ৷ আমি জিজ্ঞাসা করলাম ৷ এটা কোন
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ قَالَ: «انْطَلَقْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ» .
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ الشَّجَرَةَ، ثُمَّ أَتَيْتُهَا بَعْدُ فَلَمْ أَعْرِفْهَا.
حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا طَارِقٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، فَرَجَعْنَا إِلَيْهَا الْعَامَ الْمُقْبِلَ، فَعَمِيَتْ عَلَيْنَا.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا: حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: انْطَلَقْتُ حَاجًّا، فَمَرَرْتُ بِقَوْمٍ يُصَلُّونَ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا الْمَسْجِدُ؟ قَالُوا: هَذِهِ الشَّجَرَةُ، حَيْثُ بَايَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ. فَأَتَيْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ سَعِيدٌ: حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ كَانَ فِيمَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ نَسِينَاهَا فَلَمْ نَقْدِرْ عَلَيْهَا. ثُمَّ قَالَ سَعِيدٌ: إِنَّ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعْلَمُوهَا
পৃষ্ঠা - ৩০৮৭
وَعَلِمْتُمُوهَا أَنْتُمْ؟! فَأَنْتُمْ أَعْلَمُ! . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ وَأَبِي عَوَانَةَ وَشَبَابَةَ، عَنْ طَارِقٍ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْحَرَّةِ وَالنَّاسُ يُبَايِعُونَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ، فَقَالَ ابْنُ زَيْدٍ: عَلَى مَا يُبَايِعُ ابْنُ حَنْظَلَةَ النَّاسَ؟ قِيلَ لَهُ: عَلَى الْمَوْتِ. فَقَالَ: لَا أُبَايِعُ عَلَى ذَلِكَ أَحَدًا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَانَ شَهِدَ مَعَهُ الْحُدَيْبِيَةَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ: قُلْتُ لِسَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ: «عَلَى أَيِّ شَيْءٍ بَايَعْتُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ؟ قَالَ: عَلَى الْمَوْتِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ.
পৃষ্ঠা - ৩০৮৮
মসজিদ? জবাবে তারা বলা ৷ : এটা যে বৃক্ষ, যেখানে নবী করীম (সা) বায়আতুর রিযওয়ানের
বায়আত গ্রহণ করেছিলেন ৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাবের নিকট গমন করে এ সম্পর্কে তাকে
অবহিত করলে তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন যে, বৃক্ষের তলায় রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট যারা বায়আত করেছেন ৷ তিনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি বলেন, কিন্তু
পরবর্তী বছর আমরা যে বৃক্ষটি আমাদের কাছে অপরিচিত হয়ে যায় আঃহ্ররা আর তা চিনতে সক্ষম
হইনি ৷ সাঈদ আরো বলেন ; রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গীরা বৃক্ষঢি চিনতে পারতেন না ৷ আর
তোমরা তা চিনতে পারলে ৷ তবে কি তোমরা বেশী জান ? বৃখারী ও সৃন্ষ্গ্রিন্াগ্ (র) হাদীছটি ছাওরী
তারিক সুত্রেও বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) সাঈদ আব্বাদ ইবন তামীম
সুত্রে বর্ণনা করেন : হারবার দিন ল্যেবেরাে আবল্লোহ্ইবন হানযালার হাতে ন্া৷য়আত গ্রহণ করছিল,
তখন ইবন যায়দ বলেন : ইবন হানযালা কিসের উপর লোকদের নিকট থেকে বায়আত নিচ্ছেন ৷
কেউ বললো : মৃত্যুর উপর ৷ তখন তিনি বললেন : রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পর এ বিষয়ে আমি
কারো নিকট থেকে বায়আত গ্রহণ করবো না ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে হুদায়বিয়ায় হাযির
ছিলেন ৷ বুখারী (র) ও মুসলিম (র) আমৃর ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রেও হাদীছঢি বর্ণনা করেন ৷ বুখারী
(র) কুতায়বা ইবন সাঈদ আবুউবায়দ সুত্র উদ্ধৃত করে বলেন যে, আমি সালামা ইবনুল
আক্ওয়াকে জিজ্ঞেস করলাম : ন্দায়ৰিয়ার দিন আপনার! কিসের উপর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
বায়আত করেছিলেন ৷ তিনি বললেন, মৃত্যুর উপর ৷ মুসলিম (র) ও য়াযীদ ইবন আবু উবায়দ সুত্রে
হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে সালামা থেকে বর্ণিত যে, তিনি তিনবার বায়আত করেন,
শুরুতে মধ্যখানে এবং শেষে সহীহ্ গ্রন্থে মাকিল ইবন ইয়াসার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর চেহারা থেকে বৃক্ষের ডালসমুহ সরাচ্ছিলেন যখন ভি লোকজন থেকে
বায়আত গ্রহণ করছিলেন ৷ আর এ দিন সর্ব প্রথম যিনি রাসুলুল্লাহ্ (স ৷) এর নিকট বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ তিনি হলেন আবু সিনান ৷ আর এ আবু সিনান হলেন উক্কাশা ইবন মিহ্সান এর ভইি
ওয়াহাব ইবন মিহ্সান ৷ ভিন্ন মতে সিনান ইবন আবু সিনান ৷
বুখারী (র) সুজা ইবনুল ওলীদ নাফি সুত্রে বর্ণনা করেন যে, লোকেরা বলাবলি করে
যে, ইবন উমর উমর (রা)-এর পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷ আসলে ব্যাপার কিন্তু তা নয় ৷ তবে
হুদায়বিয়ার দিন উমর (বা) তার পুত্র আবদুল্পাহকে জনৈক আনসারীর নিকট থেকে তার একটা
ঘোড়া আনার জন্য প্রেরণ করেন, যাতে করে তাতে নওয়াব হয়ে তনি যুদ্ধ করতে পারেন ৷ আর
এ সময় রাসুলুল্পাহ্ (সা) গাছের নিকট বায়আত গ্রহণ করছিলেন ৷ আর উমর (বা) এ সম্পর্কে
জানতেন না ৷ তাই আবদৃল্লাহ্ রাসুলুল্লাহ্র হাতে বায়আত করেন ৷ এরপর তিনি হযরত উমরঝে
সঙ্গে নিয়ে এলে তিনি রাসুল (না)-এর নিকট বায়আত করেন ৷ এর ফলে লোকেরা বলাবলি করে
যে, ইবন উমর হযরত উমর (রা)এর পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷ হিশাম ইবন আমার ওলীদ
ইবন মুসলিম — ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হদায়বিয়ার দিন লোকেরা রাসুলুল্লাহ্
(সা)শ্এর সঙ্গে বৃক্ষের নীচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ৷ হঠাৎ মোঃ মনে হয় যে , লোকেরা রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে ৰেষ্টন করে রেখেছেন ৷ তখন হযরত উমর (রা) বললেন, হে আবদুল্লাহ ! দেখ তো কী
অবস্থা, লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে রেষ্টন করে আছে ৷ তিনি দেখতে পেলেন লোকেরা বায়য়াত
করছে, তখন তিনিও বায়আত করেন ৷ এরপর তিনি উমর (রা)-এর নিকট ফিরে গেলে তিনিও
বেরিয়ে এসে বায়আত করলেন, এ সুত্রদ্ব-য় থেকে বুখারী (পুর) এককতাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ سَلَمَةَ أَنَّهُ بَايَعَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ؛ فِي أَوَائِلِ النَّاسِ وَوَسَطِهِمْ وَأَوَاخِرِهِمْ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ كَانَ آخِذًا بِأَغْصَانِ الشَّجَرَةِ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُبَايِعُ النَّاسَ. وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ أَبُو سِنَانٍ، وَهُوَ وَهْبُ بْنُ مِحْصَنٍ، أَخُو عُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ، وَقِيلَ: سِنَانُ بْنُ أَبِي سِنَانٍ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، سَمِعَ النَّضْرَ بْنَ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: إِنَّ النَّاسَ يَتَحَدَّثُونَ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَسْلَمَ قَبْلَ عُمَرَ، وَلَيْسَ كَذَلِكَ، وَلَكِنْ عُمَرُ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَرْسَلَ عَبْدَ اللَّهِ إِلَى فَرَسٍ لَهُ، عِنْدَ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، أَنْ يَأْتِيَ بِهِ لِيُقَاتِلَ عَلَيْهِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَايِعُ عِنْدَ الشَّجَرَةِ وَعُمَرُ لَا يَدْرِي بِذَلِكَ، فَبَايَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ، ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى الْفَرَسِ، فَجَاءَ بِهِ إِلَى عُمَرَ، وَعُمَرُ يَسْتَلْئِمُ لِلْقِتَالِ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَايِعُ تَحْتَ الشَّجَرَةِ. قَالَ: فَانْطَلَقَ فَذَهَبَ مَعَهُ حَتَّى بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ الَّتِي يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَسْلَمَ قَبْلَ عُمَرَ.
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ
পৃষ্ঠা - ৩০৮৯
الْعُمَرِيُّ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ تَفَرَّقُوا فِي ظِلَالِ الشَّجَرِ، فَإِذَا النَّاسُ مُحْدِقُونَ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، انْظُرْ مَا شَأْنُ النَّاسِ قَدْ أَحْدَقُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَوَجَدَهُمْ يُبَايِعُونَ، فَبَايَعَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى عُمَرَ، فَخَرَجَ فَبَايَعَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ.
পৃষ্ঠা - ৩০৯০
উমরাভুল হুদায়ৰিয়া : বুখারীর বর্ণনা
বুখারী (র) কিতাবুল মাগাযীতে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ মিসৃওয়ার ইবন মাখৃরামা ও
মাৱওয়ান ইবন হকােম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ভীরা উভয়ে বলেন যে , হুদাব্রিয়ার বছর রাসুলুক্ট্রণ্াহ্
(সা) তের শতাধিক সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে বের হন, যুল হুলায়ফছু ’ নামক স্থানে পৌছে তিনি
হাদী’ তথা কুরবানীর পশুকে কালাদা পরানৰু চিহ্নিত করেন এবং সেখান থেকে উমরার ইহ্রাম
ৰ্বাধেন এবং খুযাআ গোত্র থেকে একজন গুপ্তচর প্রেরণ করেন ৷ নবী করীম (সা) চলতে থাকেন
তিনি গাদীর আল-আশতাত’ নামক স্থানে পৌছলে গুপ্তচর তার কাছে এসে বলে :
কুরায়শরা আপনার বিরুদ্ধে সোকবল সমবেত করেছে তারা আপনার বিরুদ্ধে আহাবীশ
দেরকেও একত্র করেছে, তারা আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং বায়ভু-ল্লাহয় গমন করতে আপনাবেঃ
তোমরা কি মনে কর, যারা আমাদেরকে বায়তুল্লাহ্র যিয়ারত করতে বাধা দেয় আমি তাদের
পরিবার ও সন্তানদের দিকে এগিয়ে নিয়ে হামলা চালাবাে ? তারা আমাদের নিকট এলে আল্লাহ
তাতা৷লা মুশরিকদের একটা দলকে ধ্বংস করে দেবেন অন্যথায় আমরা তাদেরকে যুদ্ধে বিপর্যস্ত
অবস্থায় ছেড়ে আসব্যে, তখন আবু বকর (রা) বললেন : ইয়া রাসুল্মল্লাহ্ (সা)! আপনিতাে
বায়তুল্লাহ্ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, আমরা কাউকে হত্যা করতে চাই না ৷ কারো সঙ্গে
যুদ্ধ করতে চাই না ৷ আপনি যে লক্ষোই মনোনিবেশ করুন, তবে কেউ আমাদেরকে বাধা দিলে
আমরা তার সঙ্গে লড়াই করবো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তাহলে আল্লাহ্র নাম নিয়ে
তোমরা সম্মুখে অগ্রসর হও ! বুখারী এখানে এ পর্যন্ত বর্ণনা করেছোদ্ভ, এরচোয় বেশী কিছু উল্লেখ
করেননি ৷ বুখারী (র) কিতাবুশ শুরুত তথা জিহ দের শর্ত অধ্যাৰ্হৃদ্র আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ — ণ্
মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা ও মারওয়ান ইবনুন হাকাম সুত্রে বর্ণনা করেন :
হুদায়ৰিয়ার দিনগুলোতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বইির্প৩ হলেন ৷ তিনি তখনো পথে ৷ এমন সময়
রাসৃলুরাহ্ (সা) বললেন : খালিদ ইবন ওয়লীেদ কুরায়শ দলের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে অগ্রগামী
দলরুপে গামীম’ নামক স্থানে আছে ৷ সুতরাং তোমরা ডান দিকের পথ ধরে অগ্রসর হও ৷ রাবীদ্বয়
বন্ল্াম আল্লাহ্র কসম, খানিদ তাদের সম্পর্কে জানতে পারেনি ৷ যতক্ষণ না তারা সৈন্যদের চলার
ধুলা তারা দেখতে পায় ৷ তখন খালিদ কুরায়শকে সতর্ক করার জন্য ছুটে যায় ৷ নবী করীম্ (সা )
পথ চলা অব্যাহত রাখেন ৷ তিনি যখন ’ছানিয়া’ নামক স্থানে পৌছেন, যেখান থেকে নিচে ন্া৷মতে
হয়, সেখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উটনী বসে পড়ে তখন লোকেরা ওঠ ওষ্ঠ বলে তাকে ড়াবার
চেষ্টা চালান, কিন্তু উটনীঢি বসেই থাকে, লোকজন বলাবলি করতে থাকেন যে, কাসওয়া অবাধ্য
হয়ে বসে পড়েছে ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন # কাসওয়া বসে ণড়েনি, আর এটা তার স্বভ্যবও
নয়; বরং যিনি হাতিকে রোধ করেছিলেন তিনি কাসওয়াকেও রোধ করেছেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন , ক্রারশর৷ যদি আমার নিকট এমন কিছু দাবী করে, যাতে তারা আল্লাহ্র নিদর্শনরাজির
সম্মান রক্ষা করবে তবে আমি তাদেরকে তা বোঝা ৷ এরপর তিনি উটনীকে হাকালে সে উঠলাে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সেখান থেকে সরে গিয়ে দুরবর্তী ভ্রুদাহুাৰিয়ায় এমন একটা হজােযর নিকট অবস্থান
গ্রহণ করেন ৷ যেখানে সামান্য পানি আছে : সেখানে যে সামান্য প্া৷নি জ্যি৷ লোকজন তা তুলে
৪ ১
[سِيَاقُ الْبُخَارِيِّ لِعُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ]
ذِكْرُ سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ لِعُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
قَالَ فِي كِتَابِ الْمَغَازِي: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ حِينَ حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ، حَفِظْتُ بَعْضَهُ، وَثَبَّتَنِي مَعْمَرٌ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ، قَالَا: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَهُ، وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ، وَبَعَثَ عَيْنًا لَهُ مِنْ خُزَاعَةَ، وَسَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِغَدِيرِ الْأَشْطَاطِ أَتَاهُ عَيْنُهُ، قَالَ: إِنَّ قُرَيْشًا قَدْ جَمَعُوا لَكَ جُمُوعًا، وَقَدْ جَمَعُوا لَكَ الْأَحَابِيشَ، وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ وَمَانِعُوكَ. فَقَالَ: " أَشِيرُوا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيَّ، أَتَرَوْنَ أَنْ أَمِيلَ إِلَى عِيَالِهِمْ، وَذَرَارِيِّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَصُدُّونَا عَنِ الْبَيْتِ؟ فَإِنْ يَأْتُونَا كَانَ اللَّهُ قَدْ قَطَعَ عَيْنًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَإِلَّا تَرَكْنَاهُمْ مَحْرُومِينَ ". قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَرَجْتَ عَامِدًا لِهَذَا الْبَيْتِ لَا تُرِيدُ قَتْلَ أَحَدٍ وَلَا حَرْبَ أَحَدٍ، فَتَوَجَّهْ لَهُ، فَمَنْ صَدَّنَا عَنْهُ قَاتَلْنَاهُ، قَالَ: " امْضُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ» هَكَذَا رَوَاهُ هَاهُنَا وَوَقَفَ وَلَمْ يَزِدْ شَيْئًا عَلَى هَذَا.
পৃষ্ঠা - ৩০৯১
নেন ৷ সেখানে যের্টুকু পানি ছিল তা নিঃশেষিত হল তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা )এর নিকট পিপাসার
অভিযোগ করেন ৷ তখন তিনি তৃণীর থেকে একটা তীর বের করে তা সেখানে রাখতে বলেন ৷
আল্লাহর কসম, সেখান থেকে পানি উথলে উঠে, যাতে তারা তা থেকে তৃপ্ত হতে পারেন ৷
তারা সেখানে অবস্থান কালে বুদায়ল ইবন ওয়ারাকা খুযায়ী তার স্বগােত্রীয় কয়েকজন
লোকসহ সেখান উপস্থিত হন ৷ তিহামার এ গোত্রটি ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কল্যাণকামী ৷
বুদায়ল বলেন : আমি কাব ইবন লুয়ইি এবং আমির ইবন লুয়ইিকে হুদায়বিয়ার কুপের নিকট
দেখে এসেছি ৷ তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকজনও রয়েছে ৷ তারা আপনার সঙ্গে যুদ্ধ
করে বয়েতৃল্পাহ্র যিয়ারত থেকে আপনাকে বাধা দিতে উদ্যত ৷ তখন রসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন :
আমরাভাে কারো সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আসিনি, আমরা এসেছি উমর করার উদ্দেশ্যে ৷ আর
যুদ্ধতে৷ কুরায়শদেরাক পেয়ে বসেছে ৷ তারা চাইলে আমি তাদেরকে সময় দিতে পারি, যাতে
তারা আমার এবং অন্যান্য লোকদের মধ্যে অন্তরায় না হয় ৷ আমি যদি বিজয়ী হই, তারা ইচ্ছা
করলে ঐ দীনে প্রবেশ করবে, যাতে অন্যান্য লোকেরা প্রবেশ করেছে আর তা যদি না হয় তবে
তাে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেল ৷ আর যদি তারা একান্তই অস্তরায় সৃষ্টি করে তা হলে যে
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার শপথ করে বলছি ৷ এ বিষয়ে আমি তাদের সঙ্গে লড়ইি চালিয়ে
যাবো, যতক্ষণ আমার গদনি বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় এবং আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়ে যায় ৷ তখন
বুদায়ল বলে : আপনি যা বললেন, আমি তাদের কাছে তা পৌছিয়ে দেবাে ৷ তিনি রওয়ানা হয়ে
কুরায়শের নিকট গমন করে বলেছেন ৷ আমরা সে লোকের নিকট থেকে আসছি এবং তিনি যা
বলেছেন আমরা তা শুনেছি ৷ তোমরা শুনতে চাইলে আমরা তােমাদেরকে শুনাতে পারি ৷ তখন
তাদের মধ্যকার বোকা লোকেরা বললো : তুমি আমাদেরকে সে লোকের কথা শুনাবে আমাদের
তাতে কোন কাজ সেই ৷ কিন্তু তাদের মধ্যেকার প্রাজ্ঞ লোকের বললো ;; বল সে কি বলেছে ৷
বুদায়ল বললো : আমি তাকে এরুপ এরুপ বলতে শুনেছি ৷ একথা বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা
বলেছেন : তিনি তাদ্যোকে তা শুনালেন ৷ তার কথা শুনে উরওয়া ইবন মাসৃউদ সাকাফী দাড়িয়ে
বলে : হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা ! আমি কি পিতৃস্থানীয় নই ৷ তারা বললো : হা ৷ আবার
তিনি বললেন : তোমরা কি সন্তান তৃল্য নও ? তারা বললো : হা ৷ তিনি বললেন : তবে তোমরা
কি আমার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ কর ? তারা বললো, না , তোমার বিরুদ্ধে আমাদের কোন
অতািযাগ নেই ৷ তিনি বললেন : তোমরা কি জাননা যে, আমি উকাযবাসীদের সাহায্যের জন্য
ডেকেছি তার! এগিয়ে আসতে অস্বীকার করলে আমি আমার লোকজন এবং অনুগতদেরকে
ডাকি, তারা বললো, আপনি ঠিক বলেছেন ৷ তখন তিনি বললেন : এ ল্যেকটি তোমাদের নিকট
হিদায়াত ও বলাশ্ণের পথ উপস্থাপন করেছে ৷ তোমরা তা মেনে নাও ৷ তোমরা বললে আমি তার
নিকট যেতে পারি ৷ তারা সকলে বললো, হা তার কাছে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ নিকট গিয়ে উরওয়া তার
সঙ্গে কথা বলেন ৷ নবী করীম (সা) বুদায়লকে যা বলেছিলেন, উরওয়াকেও অনুরুপ কথা
বললেন ৷ এ সময় উঃৰ্ওয়া বলেন :
হে মুহাম্মাদ ! তোমার কি মনে হয় ? তুমি কি তোমার নিজের সম্প্রদায়ের সর্বনাশ সাধন
করতে চাও ? তুমি কি ইতিপুর্বে (কান আরব সম্পর্কে শুনেছ, যে নিজের (ল্যকজনের বিনাশ
সাধনের জন্য উদাত হয়েছে? অন্যথায় আমি এমন মুখ দেখতে পাচ্ছি, তোমার পেছনে আমি
وَقَالَ فِي كِتَابِ الشَّهَادَاتِ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ،، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، يُصَدِّقُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا حَدِيثَ صَاحِبِهِ، قَالَا: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ بِالْغَمِيمِ، فِي خَيْلٍ لِقُرَيْشٍ طَلِيعَةً، فَخُذُوا ذَاتَ الْيَمِينِ ". فَوَاللَّهِ مَا شَعَرَ بِهِمْ خَالِدٌ حَتَّى إِذَا هُمْ بِقَتَرَةِ الْجَيْشِ، فَانْطَلَقَ يَرْكُضُ نَذِيرًا لِقُرَيْشٍ، وَسَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالثَّنِيَّةِ الَّتِي يُهْبَطُ عَلَيْهِمْ مِنْهَا بَرَكَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، فَقَالَ النَّاسُ: حَلْ حَلْ. فَأَلَحَّتْ، فَقَالُوا: خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ، خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ، وَمَا ذَاكَ لَهَا بِخُلُقٍ، وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ ". ثُمَّ قَالَ: " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَسْأَلُونِي خُطَّةً يُعَظِّمُونَ فِيهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا ". ثُمَّ زَجَرَهَا فَوَثَبَتْ، فَعَدَلَ عَنْهُمْ حَتَّى نَزَلَ بِأَقْصَى الْحُدَيْبِيَةِ، عَلَى ثَمَدٍ قَلِيلِ الْمَاءِ يَتَبَرَّضُهُ النَّاسُ تَبَرُّضًا، فَلَمْ يُلَبِّثْهُ النَّاسُ حَتَّى نَزَحُوهُ، وَشُكِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَطَشَ، فَانْتَزَعَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهُ فِيهِ، فَوَاللَّهِ مَازَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৯২
يَجِيشُ لَهُمْ بِالرِّيِّ حَتَّى صَدَرُوا عَنْهُ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيُّ، فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ خُزَاعَةَ - وَكَانُوا عَيْبَةَ نُصْحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَهْلِ تِهَامَةَ - فَقَالَ: إِنِّي تَرَكْتُ كَعْبَ بْنَ لُؤَيٍّ، وَعَامِرَ بْنَ لُؤَيٍّ نَزَلُوا أَعْدَادَ مِيَاهِ الْحُدَيْبِيَةِ، مَعَهُمُ الْعُوذُ الْمَطَافِيلُ وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا لَمْ نَجِئْ لِقِتَالِ أَحَدٍ، وَلَكِنْ جِئْنَا مُعْتَمِرِينَ، وَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ نَهَكَتْهُمُ الْحَرْبُ وَأَضَرَّتْ بِهِمْ، فَإِنْ شَاءُوا مَادَدْتُهُمْ مُدَّةً، وَيُخَلُّوا بَيْنِي وَبَيْنَ النَّاسِ، فَإِنْ أَظْهَرْ، فَإِنْ شَاءُوا أَنْ يَدْخُلُوا فِيمَا دَخَلَ فِيهِ النَّاسُ فَعَلُوا، وَإِلَّا فَقَدْ جَمُّوا، وَإِنْ هُمْ أَبَوْا، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأُقَاتِلَنَّهُمْ عَلَى أَمْرِي هَذَا حَتَّى تَنْفَرِدَ سَالِفَتِي، وَلَيَنْفُذَنَّ أَمْرُ اللَّهِ ". قَالَ بُدَيْلٌ: سَأُبَلِّغُهُمْ مَا تَقُولُ. فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى قُرَيْشًا، فَقَالَ: إِنَّا قَدْ جِئْنَاكُمْ مِنْ عِنْدِ هَذَا الرَّجُلِ، وَسَمِعْنَاهُ يَقُولُ قَوْلًا، فَإِنْ شِئْتُمْ أَنْ نَعْرِضَهُ عَلَيْكُمْ فَعَلْنَا. فَقَالَ سُفَهَاؤُهُمْ: لَا حَاجَةَ لَنَا أَنْ تُخْبِرَنَا عَنْهُ بِشَيْءٍ. وَقَالَ ذَوُو الرَّأْيِ مِنْهُمْ: هَاتِ مَا سَمِعْتَهُ يَقُولُ. قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ كَذَا وَكَذَا فَحَدَّثَهُمْ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ: أَيْ قَوْمِ، أَلَسْتُمْ بِالْوَالِدِ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالَ: أَوَ لَسْتُ بِالْوَلَدِ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالَ: فَهَلْ تَتَّهِمُونِي؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي اسْتَنْفَرْتُ أَهْلَ عُكَاظٍ، فَلَمَّا بَلَّحُوا عَلَيَّ جِئْتُكُمْ بِأَهْلِي وَوَلَدِي وَمَنْ أَطَاعَنِي؟ قَالُوا: بَلَى.
পৃষ্ঠা - ৩০৯৩
এমনসব লোক জড়ো হতে দেখছি ৷ যারা তোমাকে ত্যাগ করে চলে যাবে ৷ তখন হযরত আবু
বকর (রা) তাকে বললেন : তুমি লাত দেবীর অঙ্গ বিশেষ চুষগে (তুমি কি মনে কর) তাকে ত্যাগ
করে আমরা পলায়ন করবো ? তার কথা শ্রবণ করে উরওয়৷ জানতে চায় লোকটি কে ? লোকেরা
জানায়, ইনি আবু বকর ৷ উরওয়৷ বলেন, আমার প্রতি যদি ণ্তামার অনুগ্রহ না থাকতো, যার
প্রতিদান এখ্যনা আমি দিতে পারিনি৩ ৷ তাহলে আমি তে তামার কথার জবাব দিতাম ৷ রাবী বলেন,
উরওয়া নবী করীম (না)-এর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন ৷ এ সময়ও তিনি রাসুল (না)-এর দাড়ি
মুবারকে হাত রাখেন তখর মুগীরা ইবন শুব৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷সা)-এর থিংনে দন্ডায়মান ৷ তার হাতে
ছিল তলোয়ার, মাথায় শিরস্ত্রাণ ৷ উরওয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দা রুঢ়র দিকে হাত বাড়ালে মুগীরা
তার বাট দ্বারা আঘাত করে বললেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দা৷ড় মুবারক থেকে হাত সরাও ৷
তখন উরওয়া মাথা তুলে বলেন, এ লোকটি কে : লোকেরা বলে ’ মুগীর৷ ইবন শুবা ৷ উরওয়া
বলেনষ্ ং হে বিশ্বাসঘাত ক তোর বিশ্বাসঘাতকতার মাশুল বি আমি ৷দয়ে যাচ্ছি না ? জাহিলী যুগে
একদা মুগীরা ইবন শু বা কিছু লোকের সঙ্গে চলছিল ৷ তিনি রুশ্ ৷দ্:দংাকে হত্যা করে তাদের সম্পদ
নিয়ে পালিয়ে আসেন ৷ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললে৷ : আমি তোমার
ইসলাম গ্রহণ মেনে নিচ্ছি, বিতু৷ তোমার সম্পদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷
এরপর উরওয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাহাবীদেরকে গভীর দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করেন ৷ তিনি
দেখতে পান যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর থুথু কোন সাহাবীর হাতে পড়লে তিনি তা মুখে আর গায়ে
মেখে নেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কোন নির্দেশ দান করলে তারা তা পালন করার জন্য ছুটে
যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ুকরলে তার উযুর পানি নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যান এবং
তিনি কথা বললেত তারা নিজেদের আওয়ায নিচু করে তা শুনেন এবং তার সম্মানার্থে তারা তার
দিকে সরাসরি তাকান না ৷ উরওয়া তার সম্মানার্থে তারা তার দিকে সরাসরি তাকাল না ৷ উরওয়া
তার কুরায়শদের নিকট ফিরে গিয়ে বললেন : আল্লাহর কসম, আমি রাজা রাদা৷হদের দরবারে
প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছি ৷ কায়সার কিসরা এবং নজােশীর দরবারেও আমি উপস্থিত হয়েছি ৷ আমি
কোন রজ্যে-বাদশাহ্যক তার সঙ্গী-সাখীদের এত তাযীম বম্মাত দেখিনি যত সম্মান করতে দেখেছি
মুহাম্মাদকে তার সাথীদের ৷ এরপর তিনি পুর্বোক্ত কথাগুলো উল্লেখ করেন ৷ অবশেষে তিনি বলেন
যে, তিনি তোমাদের সম্মুখে আলোকমালা উপস্থাপন করেছেন, তোমরা তা মেনে নাও ৷
তারপর বনু কিনানার জনৈক ব্যক্তি বলে ৷ তোমরা আমাকে যেতে দাও, আমি তার কাছে
যইি ৷ সকলে বলে : যাও! লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এবং তার সাহাৰীদ্দের নিকট উপস্থিত হলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখে বললেন : এতো অমুক ব্যক্তি, এমন এক সম্প্রদায়ের সাথে তার
সম্পর্ক, যারা কুরবানীর পশ্যুক সম্মান করে ৷ তার সম্মুখে কুরবার্নীর পশু হাযির কর ৷ কুরবানীর পশু
হাযির করা হলে লোবেল্পা লাব্বায়িক লাব্বায়িক উচ্চারণ করে তাকে অভর্বৃথন৷ জানায় ৷ এ অবস্থা
দেখে লোকটি বলে উঠে, সুবহানাল্লাহ্৷ এমন লোকদেবকে বায়ত ল্লাহ্ থেকে বাধা দেওয়া সমীচীন
নয় ৷ সঙ্গীদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে লোকটি বলে, আমি কুরবানীর পশু দেখেছি সেগুলোকে
মালা পৱানো হয়েছে এবং চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ আমার মনে হয়, বায় তুল্লাহ্ যিয়ারভে তাদেরকে
বাধা দেয়া উচিত হবে না ৷
قَالَ: فَإِنَّ هَذَا قَدْ عَرَضَ لَكُمْ خُطَّةَ رُشْدٍ اقْبَلُوهَا وَدَعُونِي آتِهِ. فَقَالُوا: ائْتِهِ. فَأَتَاهُ، فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوًا مِنْ قَوْلِهِ لِبُدَيْلٍ، فَقَالَ عُرْوَةُ عِنْدَ ذَلِكَ: أَيْ مُحَمَّدُ، أَرَأَيْتَ إِنِ اسْتَأْصَلْتَ أَمْرَ قَوْمِكَ، هَلْ سَمِعْتَ بِأَحَدٍ مِنَ الْعَرَبِ اجْتَاحَ أَهْلَهُ قَبْلَكَ؟ وَإِنْ تَكُنِ الْأُخْرَى، فَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أَرَى وُجُوهًا، وَإِنِّي لَأَرَى أَشْوَابًا مِنَ النَّاسِ خَلِيقًا أَنْ يَفِرُّوا وَيَدَعُوكَ. فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ: امْصُصْ بَظْرَ اللَّاتِ، أَنَحْنُ نَفِرُّ عَنْهُ وَنَدَعُهُ؟ قَالَ: مَنْ ذَا؟ قَالُوا: أَبُو بَكْرٍ. قَالَ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلَا يَدٌ كَانَتْ لَكَ عِنْدِي لَمْ أَجْزِكَ بِهَا، لَأَجَبْتُكَ. قَالَ: وَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكُلَّمَا تَكَلَّمَ أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ السَّيْفُ وَعَلَيْهِ الْمِغْفَرُ، فَكُلَّمَا أَهْوَى عُرْوَةُ بِيَدِهِ إِلَى لِحْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرَبَ يَدَهُ بِنَعْلِ السَّيْفِ، وَقَالَ لَهُ: أَخِّرْ يَدَكَ عَنْ لِحْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَرَفَعَ عُرْوَةُ رَأْسَهُ فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَقَالَ: أَيْ غُدَرُ، أَلَسْتُ أَسْعَى فِي غَدْرَتِكَ؟ وَكَانَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ صَحِبَ قَوْمًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَتَلَهُمْ وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ، ثُمَّ جَاءَ فَأَسْلَمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا الْإِسْلَامُ فَأَقْبَلُ، وَأَمَّا الْمَالُ فَلَسْتُ مِنْهُ فِي شَيْءٍ ". ثُمَّ إِنَّ عُرْوَةَ جَعَلَ يَرْمُقُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَيْنَيْهِ، قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا تَنَخَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَدَلَّكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا
পৃষ্ঠা - ৩০৯৪
أَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ. فَرَجَعَ عُرْوَةُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: أَيْ قَوْمِ، وَاللَّهِ لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى الْمُلُوكِ؛ وَفَدْتُ عَلَى قَيْصَرَ وَكِسْرَى وَالنَّجَاشِيِّ، وَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُهُ أَصْحَابُهُ مَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ مُحَمَّدًا، وَاللَّهِ إِنْ تَنَخَّمَ نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ فَدَلَّكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا أَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ النَّظَرَ إِلَيْهِ تَعْظِيمًا لَهُ، وَإِنَّهُ قَدْ عَرَضَ عَلَيْكُمْ خُطَّةَ رُشْدٍ فَاقْبَلُوهَا. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ: دَعُونِي آتِهِ. فَقَالُوا: ائْتِهِ. فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا فُلَانٌ، وَهُوَ مِنْ قَوْمٍ يُعَظِّمُونَ الْبُدْنَ فَابْعَثُوهَا لَهُ ". فَبُعِثَتْ لَهُ، وَاسْتَقْبَلَهُ النَّاسُ يُلَبُّونَ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! مَا يَنْبَغِي لِهَؤُلَاءِ أَنْ يُصَدُّوا عَنِ الْبَيْتِ. فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ قَالَ: رَأَيْتُ الْبُدْنَ قَدْ قُلِّدَتْ وَأُشْعِرَتْ، فَمَا أَرَى أَنْ يُصَدُّوا عَنِ الْبَيْتِ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: مِكْرَزُ بْنُ حَفْصٍ. فَقَالَ: دَعُونِي آتِهِ. قَالُوا: ائْتِهِ. فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا مِكْرَزٌ، وَهُوَ رَجُلٌ فَاجِرٌ ". فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيْنَمَا هُوَ يُكَلِّمُهُ إِذْ جَاءَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو» .
قَالَ مَعْمَرٌ: فَأَخْبَرَنِي أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّهُ «لَمَّا جَاءَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৫
এরপর তাদের এক ব্যক্তি যাকে বলা হয় মুকরিয ইবন হাফ্স দাড়িয়ে বলে, আমাকে তার
নিকট যেতে দাও ৷ সকলেই বললো, ঠিক আছে, যাও ৷ সে উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, এতো মুকরিয্ ৷ একজন পাপাচারী লোক! লোকটি রাসুলুল্লাক্ট্র (সা)-এর সঙ্গে কথা
বলছিল, এমন সময় সুহায়ল ইবন আমর উপস্থিত হন ৷ মামার ইকরামা সুত্রে বলেন যে,
সুহায়ল ইবন আম্র উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : তোমাদের জন্য ব্যাপারটা সহজ করা
হয়েছে ৷ মামার বলেন, ঘৃহরী বলেন, সুহায়ল এসে বলেন, চলুন আমরা আমাদের এবং
আপনাদের মধ্যে চুক্তি লিপিবদ্ধ করি ৷ তখন নবী (সা) লেখক ডাকালেন এবং তাকে বললেন :
লেখ বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷ সুহায়ল বলে উঠলেন : আল্লাহ্র কনম , রহমান কি আমরা
তো আমি না ৷ বরং তুমি লেখ বিসৃমিকা আল্লাহুমা ৷ তখন মুসলমানরা বললেন, আল্লাহর কসম ,
আমরা বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ছাড়া অন্য কিছু লিখবাে না ৷ তখন নবী করীম (সা)
বললেন : বিসমিকা আল্লাহুষ্মইি লিখ ৷ এরপর বললেন : এ হল যে চুক্তি যাতে মুহঙ্গোদুর
রাসুলুল্লাহ্ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৷ এতে সুহায়ল আপত্তি জানিয়ে বলেন ং আল্লাহ্র কসম, আমরা
আপনাকে যদি রাসুল বলে স্বীকার কঃতোম তাহলে তো আপনাকে বায়তৃল্লাহ্ যিয়ারত করতে বাধা
দিতামনা, আপনার সঙ্গে আমরা যুদ্ধও করতাম না, বরং আপনি মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ লিখুন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
আল্পাহ্র কলম ! তোমরা আমাকে অস্বীকার করলেও আমি অবশ্যই আল্লাহ্র রাসুল, (হে
আলী !) তুমি লেখ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ৷
এরপর যুহরী আবু জন্দলের পায়ে শিকলসহ আগমন, তাকে ফেরত দান এবং রাসৃলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে উত্তপ্ত বাক্য ৰিনিময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার বর্ণনা ইতিপুর্বেও দেয়া
হয়েছে ৷
তারপর যুহ্রী (র) বলেন, হযরত উমর (রা) বলেন, এ ( সব কড়াকড়া ) কথার জন্য
পরবর্তীকালে আমি অনেক আমল করেছি (যাতে আল্লাহ তাআলা আমার সেসব গুনাহ মাফ
করেন) ৷ যুহ্রী (র) আরো বর্ণনা করেন যে, চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করার কাজ সম্পন্ন হলে রাসুলুল্লাহ্
(না) তার সাহাবীগণকে বললেন : তোমরা ওঠ৷ কুরবানী কর, তারপর মাথা মুণ্ডন কর, তিনি
বলেন, আল্লাহর শপথ, রাসুল (সা) একথা তিনবার না বলা পর্যন্ত সাহাবীদের কেউই উঠে
র্দাড়াননি ৷ এরপর রাসুল (সা) হযরত উষ্মে সালামা (রা)-এর নিকট গিয়ে তার কাছে ণ্লকােদঃ এ
আচরণের কথা উল্লেখ করেন ৷ তখন উষ্মে সালাম! বলেন : হে আল্লাহর নবী ! আপনি কি এটা
পসন্দ করেন ৷ আপনি নিজে বের হোন, কাংরা সঙ্গে কোন কথা না বলে নিঃজঃ পশু যবাই করুন
এবং £ক্ষীরকারকে ডেকে নিজের মাথা ঘুশুন করুন ৷ তিনি বের হলে কারো সঙ্গে কথা না বলেই
এটা করলেন ৷ নিজের পশু যবাহ করলেন এবং গৌরকারকে ভো:ক মাথা মুপ্তন করান, সাহাবীগণ
এটা দেখে উঠে র্দাড়ালেন এবং সকলে কুরবানী করলেন ৷ সাহার্নীশণ একজন অন্যজংনর মাথা
মুপ্ত-ন করেন ৷ এ সময় ক্ষেতে-দৃত্নখে সাহাৰীগণের এমন অবস্থা হয়েছিল, যেন একজন
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَقَدْ سَهُلَ لَكُمْ مِنْ أَمْرِكُمْ» قَالَ مَعْمَرٌ: قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ: فَجَاءَ سُهَيْلٌ فَقَالَ: هَاتِ اكْتُبْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابًا. فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَاتِبَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ". فَقَالَ سُهَيْلٌ: أَمَّا الرَّحْمَنُ، فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي مَا هُوَ، وَلَكِنِ اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ، كَمَا كُنْتَ تَكْتُبُ. فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: وَاللَّهِ لَا نَكْتُبُهَا إِلَّا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ ". ثُمَّ قَالَ: " هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ". فَقَالَ سُهَيْلٌ: وَاللَّهِ لَوْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ مَا صَدَدْنَاكَ عَنِ الْبَيْتِ وَلَا قَاتَلْنَاكَ، وَلَكِنِ اكْتُبْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَاللَّهِ إِنِّي لَرَسُولُ اللَّهِ وَإِنْ كَذَّبْتُمُونِي، اكْتُبْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ". قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَذَلِكَ لِقَوْلِهِ: " لَا يَسْأَلُونِي خُطَّةً يُعَظِّمُونَ فِيهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ، إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا ". فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَلَى أَنْ تُخَلُّوا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَنَطُوفُ بِهِ ". قَالَ سُهَيْلٌ: وَاللَّهِ لَا تَتَحَدَّثُ الْعَرَبُ أَنَّا أُخِذْنَا ضُغْطَةً، وَلَكِنْ ذَلِكَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ، فَكَتَبَ، فَقَالَ سُهَيْلٌ: وَعَلَى أَنَّهُ لَا يَأْتِيكَ مِنَّا رَجُلٌ، وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ، إِلَّا رَدَدْتَهُ إِلَيْنَا. قَالَ الْمُسْلِمُونَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! كَيْفَ يُرَدُّ إِلَى الْمُشْرِكِينَ وَقَدْ جَاءَ مُسْلِمًا. فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو يَرْسُفُ فِي قُيُودِهِ، وَقَدْ خَرَجَ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ حَتَّى رَمَى بِنَفْسِهِ بَيْنَ أَظْهُرِ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ سُهَيْلٌ: هَذَا يَا مُحَمَّدُ، أَوَّلُ مَنْ أُقَاضِيكَ عَلَيْهِ أَنْ تَرُدَّهُ إِلَيَّ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا لَمْ نَقْضِ الْكِتَابَ بَعْدُ ". قَالَ: فَوَاللَّهِ إذًا لَمْ أُصَالِحْكَ عَلَى شَيْءٍ أَبَدًا. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَجِزْهُ لِي ". قَالَ: مَا أَنَا بِمُجِيزِهِ لَكَ. قَالَ: " بَلَى، فَافْعَلْ ". قَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ. قَالَ مِكْرَزٌ: بَلْ قَدْ أَجَزْنَاهُ لَكَ. قَالَ أَبُو جَنْدَلٍ: أَيْ مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أُرَدُّ إِلَى الْمُشْرِكِينَ وَقَدْ جِئْتُ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৬
مُسْلِمًا؟ أَلَا تَرَوْنَ مَا قَدْ لَقِيتُ؟! - وَكَانَ قَدْ عُذِّبَ عَذَابًا شَدِيدًا فِي اللَّهِ - قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: أَلَسْتَ نَبِيَّ اللَّهِ حَقًّا؟ قَالَ: " بَلَى ". قُلْتُ: أَلَسْنَا عَلَى الْحَقِّ، وَعَدُوُّنَا عَلَى الْبَاطِلِ؟ قَالَ: " بَلَى ". قُلْتُ: فَلِمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا إِذَنْ؟! . قَالَ: " إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَلَسْتُ أَعْصِيهِ وَهُوَ نَاصِرِي ". قُلْتُ: أَوَلَسْتَ كُنْتَ تُحَدِّثُنَا أَنَّا سَنَأْتِي الْبَيْتَ فَنَطُوفُ بِهِ؟ قَالَ: " بَلَى، فَأَخْبَرْتُكَ أَنَّا نَأْتِيهِ الْعَامَ؟ " قَالَ: قُلْتُ: لَا. قَالَ: " فَإِنَّكَ آتِيهِ وَمُطَوِّفٌ بِهِ ". قَالَ: فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، أَلَيْسَ هَذَا نَبِيَّ اللَّهِ حَقًّا؟ قَالَ: بَلَى. قُلْتُ: أَلَسْنَا عَلَى الْحَقِّ، وَعَدُوُّنَا عَلَى الْبَاطِلِ؟ . قَالَ: بَلَى. قَالَ: قُلْتُ: فَلِمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا إِذَنْ؟ قَالَ: أَيُّهَا الرَّجُلُ، إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ، وَلَيْسَ يَعْصِي رَبَّهُ، وَهُوَ نَاصِرُهُ، فَاسْتَمْسِكْ بِغَرْزِهِ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ عَلَى الْحَقِّ. قُلْتُ: أَلَيْسَ كَانَ يُحَدِّثُنَا أَنَّا سَنَأْتِي الْبَيْتَ وَنَطُوفُ بِهِ؟ قَالَ: بَلَى، أَفَأَخْبَرَكَ أَنَّكَ تَأْتِيهِ الْعَامَ؟ فَقُلْتُ: لَا. قَالَ: فَإِنَّكَ آتِيهِ وَمُطَوِّفٌ بِهِ.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: قَالَ عُمَرُ: فَعَمِلْتُ لِذَلِكَ أَعْمَالًا. قَالَ: «فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: " قُومُوا فَانْحَرُوا ثُمَّ احْلِقُوا ". قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا قَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ حَتَّى قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ دَخَلَ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ، فَذَكَرَ لَهَا مَا لَقِيَ مِنَ النَّاسِ، فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَتُحِبُّ ذَلِكَ؟ اخْرُجْ ثُمَّ لَا تُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى تَنْحَرَ بُدْنَكَ، وَتَدْعُوَ حَالِقَكَ فَيَحْلِقَكَ. فَخَرَجَ فَلَمْ يُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ؛ نَحَرَ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৭
অপরজনকে হত্যা করবেন, এরপর মুমিন নারীগণ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করলে
আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন :
১াএ
হে মুমিনগণ ! তোমাদের নিকট মুমিন নারীরা হিজরত করে আগমন করলে তোমরা
তাদেরকে পরীক্ষা করবে, আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন ৷ যদি তোমরা
জানতে পার যে, তারা মু’মিন৩ তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না ৷ মু’মিন
নারীগণ কাফিরদের জন্যে বৈধ নয় এবং কাফির পুরুষগণ মুমিন নারীদের জন্য বৈধ নয় ৷ কাফির
পুরুষরা যা ব্যয় করেছে তাদেরকে তা ফেরত দেবে ৷ এরপর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করলে
তোমাদের কোন অপরাধ হবেনা ৷ যদি তোমরা তাদেরকে মহ্র দাও ৷ তোমরা কাফির নারীদের
সঙ্গে দাম্পতা সম্পর্ক বজায় রাখবে না ৷ (৬০ মুমতাহানা : ১০)
এ আয়াত নাযিল হলে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) জাহিলী যুগের তার দুজন শ্ৰীকে
তালাক দেন ৷ তার তালাক দেয়া দুজন ন্তীর একজনকে বিবাহ করেন মুআৰিয়া ইবন আবু সুফিয়ান
আর অপরজনকে বিবাহ করেন সাফওয়ান ইবন উমাইয়্যা ৷ এরপর নবী করীম (সা) মদীনায়
প্রত্যাবর্তন করলে কুরায়শের একজন পুরুষ আবু বসীর যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করলে কুরায়শরা তাকে ফেরত নেয়ার জন্য দুজন লোক
প্রেরণ করে ৷ তারা সম্পাদিত চুক্তির কথা স্মরণ করালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরায়শী মুসলিম ব্যক্তি
তথা আবুবাসীরকে তাদের হাতে তুলে দেন ৷ তাকে নিয়ে তারা মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷
যুল হুলায়ফা নামক স্থানে পৌছে তারা খেজুর খেতে বসে ৷ তাদের একজনকে আবু বাসীর
বললেন আল্লাহর কলম আমি দেখছি, তোমার তলোয়ার খানা খুব চমৎকার, তার কথা শুনে
লোকটি খাপ থেকে তরবারি বের করে বলেং হা আল্লাহর কলম, আসলেই তরবারিটা চমৎকার ৷
আমি বারবার তা পরীক্ষা করে দেখেছি ৷ তখন আবুবাসীর বলেনং দেখি, তলোয়ারটা আমাকে
দেখাও তো! যে তা দেখতে দিলে তিনি তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করেন ৷ অপরজন
পলায়ন করে দৌড়ে মসজিদে নববীতে উপস্থিত হয় ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
নিশ্চয়ই সে ভীতিপ্রদ কিছু দেখতে ৩পােয়ছে ৷ সে নবী করীম (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলে ং
আমার সঙ্গী নিহত হয়েছে, আল্লাহর কলম, আমিও হত্যার শিক৷ ৷র হবো, ইতে ৷মধ্যে আবুবাসীরও
রাসুল (না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করে :
হে আল্লাহর নবী ! আল্লাহ্র কলম, আপনি আপনার চুক্তির শর্ত পালনের দায়িত্ব পুর্ণ
করেছেন ৷ আপনি আমাকে কুরায়শ মুশরিকদের নিকট ফেরত দিয়েছিলেন আল্লাহ্ তাআলা
তাদের কবল থেকে আমাকে নাজাত দিয়েছেন ৷ তখন নবী করীম (সা) বলেন : সর্বনাশ , সেতো
যুদ্ধের আগুন উস্কে দিচ্ছে, যদি তার সঙ্গে অন্য কেউ থাকতো ৷ এ কথা শ্রবণ করে আবু বাসীর
বুঝতে পারেন যে, রাসুল (না) তাকে আবারও কুরায়শদের নিকট ফেরত পাঠাবেন ৷ তিনি সেখান
بُدْنَهُ وَدَعَا حَالِقَهُ فَحَلَقَهُ، فَلَمَّا رَأَوْا ذَلِكَ قَامُوا فَنَحَرُوا، وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَحْلِقُ بَعْضًا، حَتَّى كَادَ بَعْضُهُمْ يَقْتُلُ بَعْضًا غَمًّا. ثُمَّ جَاءَهُ نِسْوَةٌ مُؤْمِنَاتٌ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ} [الممتحنة: 10] حَتَّى بَلَغَ {بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ} [الممتحنة: 10] (الْمُمْتَحَنَةِ: 1) فَطَلَّقَ عُمَرُ يَوْمَئِذٍ امْرَأَتَيْنِ كَانَتَا لَهُ فِي الشِّرْكِ، فَتَزَوَّجَ إِحْدَاهُمَا مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَالْأُخْرَى صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ ثُمَّ رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَجَاءَهُ أَبُو بَصِيرٍ - رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ - وَهُوَ مُسْلِمٌ، فَأَرْسَلُوا فِي طَلَبِهِ رَجُلَيْنِ فَقَالُوا: الْعَهْدَ الَّذِي جَعَلْتَ لَنَا. فَدَفَعَهُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ، فَخَرَجَا بِهِ حَتَّى بَلَغَا ذَا الْحُلَيْفَةِ، فَنَزَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْ تَمْرٍ لَهُمْ، فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ لِأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ: وَاللَّهُ إِنِّي لِأَرَى سَيْفَكَ هَذَا يَا فُلَانُ جَيِّدًا. فَاسْتَلَّهُ الْآخَرُ فَقَالَ: أَجَلْ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَجَيِّدٌ، لَقَدْ جَرَّبْتُ بِهِ، ثُمَّ جَرَّبْتُ بِهِ، ثُمَّ جَرَّبْتُ. فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ: أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْهِ. فَأَمْكَنَهُ مِنْهُ، فَضَرَبَهُ بِهِ حَتَّى بَرَدَ، وَفَرَّ الْآخَرُ حَتَّى أَتَى الْمَدِينَةَ، فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ يَعْدُو، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَآهُ: " لَقَدْ رَأَى هَذَا ذُعْرًا ". فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قُتِلَ وَاللَّهِ صَاحِبِي وَإِنِّي لَمَقْتُولٌ. فَجَاءَ أَبُو بَصِيرٍ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، قَدْ وَاللَّهِ أَوْفَى اللَّهُ ذِمَّتَكَ، قَدْ رَدَدْتَنِي إِلَيْهِمْ، ثُمَّ أَنْجَانِي اللَّهُ مِنْهُمْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَيْلُ امِّهْ، مِسْعَرَ حَرْبٍ، لَوْ كَانَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৮
أَحَدٌ ". فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ عَرَفَ أَنَّهُ سَيَرُدُّهُ إِلَيْهِمْ، فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى سَيْفَ الْبَحْرِ. قَالَ: وَيَنْفَلِتُ مِنْهُمْ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، فَلَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ، فَجَعَلَ لَا يَخْرُجُ مِنْ قُرَيْشٍ رَجُلٌ قَدْ أَسْلَمَ إِلَّا لَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ، حَتَّى اجْتَمَعَتْ مِنْهُمْ عِصَابَةٌ، فَوَاللَّهِ مَا يَسْمَعُونَ بِعِيرٍ خَرَجَتْ لِقُرَيْشٍ إِلَى الشَّامِ إِلَّا اعْتَرَضُوا لَهَا فَقَتَلُوهُمْ وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُمْ، فَأَرْسَلَتْ قُرَيْشٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُنَاشِدُهُ اللَّهَ وَالرَّحِمَ لَمَا أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ، فَمَنْ أَتَاهُ فَهُوَ آمِنٌ، فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ} [الفتح: 24] حَتَّى بَلَغَ {الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ} [الفتح: 26] (الْفَتْحِ: 24 26) . وَكَانَتْ حَمِيَّتُهُمْ أَنَّهُمْ لَمْ يُقِرُّوا أَنَّهُ نَبِيُّ اللَّهِ، وَلَمْ يُقِرُّوا بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، وَحَالُوا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْبَيْتِ.» فَهَذَا السِّيَاقُ فِيهِ زِيَادَاتٌ وَفَوَائِدُ حَسَنَةٌ لَيْسَتْ فِي رِوَايَةِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَقَدْ رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ جَمَاعَةٌ؛ مِنْهُمْ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَمَعْمَرٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ وَمِسْوَرٍ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي أَوَّلِ كِتَابِ الشُّرُوطِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৯
থেকে বের হয়ে সীফুল বাহ্র তথা সমুদ্র উপকুলীয় অঞ্চলে গমন করেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন :
এরপর আবু জুন্দল ইবন সুহায়ল ইবন আমৃরও সেখান থেকে ছুটে এসে আবু বাসীর এর সঙ্গে
যোগ দিয়ে দেন ৷ কুরায়শদের নিকট থেকে কোন মুসলমান পালিয়ে আসলে তিনিও আবুবাসীর
এর জোটে যোগ দিতেন ৷ এভাবে তাদের একটা দল গড়ে উঠে ৷
কুরায়শের কোন বাণিজ্য কাফেল৷ শাম দেশের উদ্দেশ্যে গমন করছে, শুনতে পেলে তারা
পথরোধ করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ হস্তগত করতেন ৷ এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে
কুরায়শরা নবী করীম (সা)এর প্রতি আল্লাহ এবং আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে আবেদন জানায়-
কুরায়শদের মধ্য থেকে যে আপনার কাছে আগমন করে সে নিরাপদ ৷ সে মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদের নিকট পয়গাম পাঠালে আল্লাহ তাআল৷ আ য়াত নাযিল করেন :
তিনি মক্কা উপত্যকায় ওদের হস্ত তোমাদের থেকে এবং ৫তামাদের হস্ত ওদের থেকে
নিবারণ করেছেন ওদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর ৷ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা
দেখেন ৷ ওরাইতে৷ কুফরী করেছিল এবং তােমাদেরকে মাসজিদুল হারাম থেকে নিবৃত্ত করেছিল
এবং বাধা দিয়েছিল কুরবানীর জন্য আবদ্ধ পশুগুলোকে যথাস্থানে পৌছতে ৷ যদি এমন কতক
মু’মিন নারী পুরুষ না থাকতো যাদেরকে তোমরা জাননা (তবে তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ
দেওয়া হতো) তোমরা তাদেরকে পদদলিত করতে অজ্ঞাতসারে ৷ ফলে তাদের কারণে তোমরা
ক্ষতিগ্রস্ত হতে ৷ (যুদ্ধের নির্দেশ হয় নাই এজন্য যে,) তিনি যাকে ইচ্ছা নিজ অনুগ্রহ দান করবেন ৷
যদি তারা পৃথক হতো আমি তাদের মধ্যে কাফিরদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিতাম ৷ যখন কাফিররা
তাদের অন্তরে পোষণ করতে৷ গোত্রীয় অহমিকা অজ্ঞত৷ যুগের অহমিকা (৪৮ ফাত্হ :
২৪ ২৬) আর তাদের গোত্রীয় অহমিকা ছিল এই যে, তারা রাসুল করীম (সা) কে আল্লাহর নবী
বলে স্বীকার করেনি ৷ বিসৃমিল্লাহ্ শিখাও মেনে নিতে পারেনি এবং বায় তুল্লাহ্ যিয়ারতের পথে
অম্ভরায় হয়ে দাড়িয়েছিল ৷ এ বর্ণনায় এমনসব অতিরিক্ত বিষয় এবং চমৎকার শিক্ষণীয় জিনিষ
আছে যা ইবন ইসহাকের বর্ণনায় নেই ৷
বুখারী (র) কিও তাবুল শুরুত এর শুরুতে ইয়ইিয়া ইবন বুকায়র মিসওয়ার ইবন
মাখৃরামা সুত্রে রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহা ৷বী থেকে গোটা কাহিনী বর্ণনা করেছেন ৷ আর এটাই
অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ ক ৷রণ হুদায়বিয়ার দিন মারওয়ান ও মিসওয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন ৷ আর
এটা স্পষ্ট যে তারা হাদীছটি সাহাবীদের নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন ৷
বুখারী (র) হাসান ইবন ইসহাক আবু ওয়াইল সুত্রে বর্ণনা করেন যে , সুহায়ল ইবন
হুনায়ফ সিফ্ফীন যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে (যুদ্ধের) খবরাখবর নেয়ার জন্য আমরা তার কাছে গেলে
তিনি বলেনং : তে তামরা নিজের মতামতের যথার্থ জ্ঞা ৷ন করবে না ৷ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিনে আবু
জুন্দলের ঘটনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করার সাধ্য থাকলে আমি অবশ্যই তা
করতাম ৷ কিন্তু আল্লাহ্ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) ই তো সবচেয়ে ভাল জানেন ৷ ইতিপুর্বে কোন
ভয়ংকর ইস্যুতে যখনই আমরা কাধে তরবারি তুলে নিয়েছি এবং জিহাদে প্রবৃত্ত হয়েছি ৷ তখনই
اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ. وَهَذَا هُوَ الْأَشْبَهُ؛ فَإنَّ مَرْوَانَ، وَمِسْوَرًا كَانَا صَغِيرَيْنِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُمَا أَخَذَاهُ عَنِ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، سَمِعْتُ أَبَا حَصِينٍ قَالَ: قَالَ أَبُو وَائِلٍ: لَمَّا قَدِمَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ مِنْ صِفِّينَ أَتَيْنَاهُ نَسْتَخْبِرُهُ، فَقَالَ: اتَّهِمُوا الرَّأْيَ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْرَهُ لَرَدَدْتُ، وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، وَمَا وَضَعْنَا أَسْيَافَنَا عَلَى عَوَاتِقِنَا لِأَمْرٍ يُفْظِعُنَا إِلَّا أَسْهَلْنَ بِنَا إِلَى أَمْرٍ نَعْرِفُهُ قَبْلَ هَذَا الْأَمْرِ، مَا نَسُدُّ مِنْهَا خُصْمًا إِلَّا انْفَجَرَ عَلَيْنَا خُصْمٌ، مَا نَدْرِي كَيْفَ نَأْتِي لَهُ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا، فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩১০০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا عُمَرُ، نَزَّرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ لَا يُجِيبُكَ. قَالَ عُمَرُ: فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ الْمُسْلِمِينَ، وَخَشِيتُ أَنْ يَنْزِلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي، قَالَ: فَقُلْتُ: لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ: " لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ". ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا} [الفتح: 1] (الْفَتْحِ 1) » .
قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى سُورَةِ " الْفَتْحِ " بِكَمَالِهَا فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَكْتُبَ ذَلِكَ هُنَا فَلْيَفْعَلْ.
পৃষ্ঠা - ৩১০১
আমরা সুফল লাভ করেছি ৷ কিন্তু এ ঘটনায় অবস্থা অন্য রকম ৷ বিপর্যয়ের এক দিক বন্ধ করলে
অন্য দিক উন্মুক্ত হয় ৷ কিভাবে উদ্ধার পেতে হবে কিছুই আমাদের বুঝে আসছিল না ৷ ১
বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ যায়দ ইবন আসলড়াম ৷ তার পিতা সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, নবী করীম (সা) কোন এক সফরে গমন করেন ৷ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাবও তার
সঙ্গে ছিলেন ৷ তখন ছিল রাত্রি বেলা ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব রাসুল করীম (সা)-কে কোন একটা
বিষয়ে জিজ্ঞসাে করেছিলেন; কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন জবাব দেননি ৷ এভাবে তিনবার তিনি
জিজ্ঞাসা করেন, কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন জবাব দিলেন না ৷ তখন উমর (রা) নিজেকে
বললেন, উমর ! ণ্তামার মা তোমাকে হারাক ৷ তুমি তিন দফা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শরণাপন্ন হলে
কিন্তু তিনি একবারও তোমাকে জবাব দিলেন না ৷ উমর (রা) বলেন হ: এরপর আমি বাহন ছুটালাম
এবং বাহিনীর আগে চলে গেলাম ৷ এসময় আমার আশংকা হলো, যেন আমার ব্যাপারে কুরআন
মজীদের আয়াত নাযিল হবে ৷ একটু পরই কেউ চিৎকার দিয়ে আমাকে বলছিল উমর (রা)
বলেন, আমার আশংকা হলো, হয়তো আমার ব্যাপারেই কুরআন নাযিল হয়েছে ৷ সুতরাং আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট গমন করে তাকে সালাম দিলাম ৷ তিনি (সা) বললেন :
আজ রাত্রে আমার উপর একটা সুরা নাযিল হয়েছে যা আমার নিকট সে সকল বস্তু থেকে
প্রিয়, যার উপর সুর্য উদিত হয় অর্থাৎ যে সুরাটি আমার নিকট পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু থেকে
গ্রিয়তর ৷ এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন ও
নিশ্চয় আমি তোমাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি ৷ আমার রচিত তাফ্সীর গ্রন্থের সুরা ফাত্হে
এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আর ন্তুতি-স্তব আল্লাহর জন্য ৷ কেউ বিশদ
জানতে চাইলে সেখানে দেখে নিতে পারেন ৷ আবদুল্লাহ আবদৃল্লাহ্
ষষ্ঠ হিজরীতে পরিচালিত যুদ্ধাভিযানসমুহ
হাফিয বায়হাকী (র) ওয়াকিদী (র) সুত্রে এ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন তার সার সংক্ষেপ
এ বছরের রবিউল আউয়াল বা রবিউল আখির মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উক্কাশা ইবন মিহসান
(রা)-এর নেতৃত্বে ৪০ জনের একটা বাহিনী ণামর অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ তাতে ছাৰিত ইবন
আকর ও সিবা ইবন ওহবও ছিলেন ৷ এলাকার লোকজন পলায়ন করলে ঐ বাহিনীটি তাদের
পানির কুপের নিকট শিবির স্থাপন করে তাদেরকে খুজে বের করার জন্য চতৃর্কিংক লোক প্রেরণ
করে ৷ তারা দশ উট নিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন ৷ ঐ বছরই আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্-এর
১ ১ একদল লোক সুহায়ল ইবন হুনায়ফকে এ মর্মে অভিযুক্ত করে যে, সিফ্ফীন এর দিন তিনি
লড়াই করতে ত্রুটি করেছেন ৷ এ অভিভৈযাগের জবাবে তিনি সে দিন বলেছিলেন তোমরা আমাকে
নয়, বরং তোমাদের নিজেদের মতামতকে অভিযুক্ত কর ৷ কারণ প্রয়োজনের সময় আমি কোন ত্রুটি
করিন৷ ৷ নবী করীম (না)-এর যামানায় কোন কঠিন ব্যাপারে অস্ত্র পরিধান করলে আমাদের অস্ত্র
সহজে জায়গা মতো আমাদেরকে পৌছাতো ৷ অবশ্য সিফ্ফীনের ব্যাপারটা ছিল ভিন্ন ৷ আমরা এর
কোন একটা দিক বন্ধ করলে অন্য একটা দিক বেরিয়ে আসভাে ৷ ফলে তা সংশোধন করা আমাদের
পক্ষে সম্ভব হতো না ৷
[السَّرَايَا وَالْبُعُوثُ الَّتِي كَانَتْ فِي سَنَةِ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ]
فَصْلٌ فِي ذِكْرِ السَّرَايَا وَالْبُعُوثِ الَّتِي كَانَتْ فِي سَنَةِ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ
وَتَلْخِيصُ ذَلِكَ مَا أَوْرَدَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ قَالَ:
فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا أَوِ الْآخِرِ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُكَّاشَةَ بْنَ مِحْصَنٍ، فِي أَرْبَعِينَ رَجُلًا إِلَى غَمْرِ مَرْزُوقٍ - مَاءٍ لِبَنِي أَسَدٍ - فَهَرَبُوا مِنْهُ، وَنَزَلَ عَلَى مِيَاهِهِمْ، وَبَعَثَ فِي آثَارِهِمْ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ مِائَتَيْ بَعِيرٍ، فَاسْتَاقَهَا إِلَى الْمَدِينَةِ.
وَفِيهَا كَانَ بَعْثُ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، فِي أَرْبَعِينَ رَجُلًا أَيْضًا فَسَارُوا لَيْلَتَهُمْ مُشَاةً، حَتَّى أَتَوْهَا فِي عَمَايَةِ الصُّبْحِ، فَهَرَبُوا مِنْهُ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ، فَأَسَرَ مِنْهُمْ رَجُلًا، فَقَدِمَ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ.
وَبَعْثُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فِي عَشَرَةِ نَفَرٍ، فَكَمَنَ الْقَوْمُ لَهُمْ حَتَّى نَامُوا، فَقُتِلَ أَصْحَابُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ كُلُّهُمْ، وَأَفْلَتَ هُوَ جَرِيحًا.
পৃষ্ঠা - ৩১০২
নেতৃত্বে : : জনের একটা পদাতিক বাহিনী দল যুল কিসৃম৷ অভিমুখে প্রে রণ করা হয় ৷ তারা
তাদের একক্ত নব্লুক পাকড়াও করে রাসুলুল্লাহ (সা) এর দরবারে হাযির করা হয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার নেতৃত্বে দশজন সাহাৰীর একটা দলকে উক্ত অঞ্চলে প্রেরণ করাল ঘুমম্ভ
অবস্থায় মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার সঙ্গীব্লুদর উপর হামলা চালিয়ে তাদের সকলকে হত্যা করা হয় ৷
মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা আহত হয়ে কোন রকব্লুম প্রাণ বাচাতে সক্ষম হন ৷ একই বছর র ৷সুলুল্লাহ্;
(সা) যায়দ ইবন হারিছা (রা)-£ক হামৃম অভিমুখে প্রেরণ করব্লুভ্রণ্ন্৷ তিনি মুযায়নন্ (গ:ত্বএর হালীমা
নাম্বী এক মহিলাব্লুক গ্রেফতার করে আনেন ৷ সে বনু সুলায়মের একটা মহল্লার কথ ৷বব্লুল দিব্লুল
তারা সেখানে প্রচুর উট বকরী হস্তগত করেন এবং তাদের অনেকব্লুক বন্দী করেন ৷ বন্দফ্ট ব্যক্তিদের
মধ্যে এ হালীমার স্বামীও ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐ মহিলাকে তার স্বাগীকে হেব৷ করেন এবং
তাদের উভয়কেই মুক্ত করে দেন এবইি বছরের জ্বমাদ৷ ল উলা মাসে রনু ছ৷ লাব৷ গো ত্রর প্ৰতি
যায়দ ইবন হারিছার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটা বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ ন্বষ্দশ্ব্রর লোকজন পলায়ন
করলে যায়দ ইবন হারিছা (বা) তাদের পশুপাল থেকে ২০টি উট নিয়ে চার দিন পর প্রত্যাবর্তন
করেন ৷ একই বছরের জুমাদাল উলা মাসে হযরত যায়দ ইবন হারিছা (বা) ’ঈস’ অঞ্চলে অভিযান
পরিচালনা করেন ৷ হাফিয় বায়হড়াকী (র) আরো বলেন যে, এ বছর আবুল আস ইবনু রবীব-এর
মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হলেও তিনি তার স্তী যয়নব বিনত রাসৃলুল্লাহ্ ( সা) এর নিকট সাহায্য ও
আশ্রয় প্রার্থনা করেন ৷ তিনি তার স্বামীকে আশ্রয় দান করেন ৷
পক্ষাম্ভরে ইবন ইসহাক (র) এ বাহিনী তখনকার বলে উল্লেখ করেন ৷ যখন আবুল আস
ইবন রবী এর দল লুষ্ঠিত হয়, তার সঙ্গীরা নিহত হয় এবং তিনি তাদের মধ্য থেকে পলায়ন করে
মদীনায় উপস্থিত হন ৷ আর তার শ্রী যয়নব বিনৃত রাসৃলুল্লাহ্ (সৰু ) , বদর যুদ্ধের পর হিজরত
করেন ৷ তার স্বামী মদীনায় আগমন করে আশ্রয় প্রার্থনা করলে ফজর নামাযাম্ভে ত্রী যয়নব স্বামীকে
আশ্রয় দান করেন ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (মা) ও তাকে আশ্রয় দান করেন এবং তার দলের নিকট থেকে যা
কিছু গ্রহ ৷ করা হয়েছিল তা ফেরত দানের জন্য নির্দেশ দান করেন ৷ সে মতে তার সমুদয় বস্তু
ফেরত দেওয়া হয়, কোন কিছুই বাদ পড়েনি ৷ আবুল আন মক্কায় আগমন করে সকলকে তাদের র
মালামাল ফেরৎ দান করেন এবং সকলের আমানত প্রতার্পন করে মক্কা থেকে মদীনায় আগমন
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার বিবাহ রহা ল রাখেন এবং ন৩ তন বিবাহ ব্যতিরেব্লুকই তার শ্ৰীৰুক তার
নিকট প্রতার্পন করেন ৷ এ ক্ষেত্রে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) নতুন আক্ব্লু,দর ব্যবস্থা করেননি যেমনটি পুর্বেও
উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আবুল আস এর ইসলাম গ্রহণ এবং য়য়নরের হিজরতের মধ্যস্থলে ৬ বছর
মতান্তার ২ বছরের ফারাক ছিল ৷ আমরা আলোচনা করেছি যে উভয় বর্ণনার মধ্যে (কান
ভৈবপরী৩ নেইন্ কারণ, মু মিন নারীদেরকে কাফিরদের জন্য হারাম করার দুই বছর পরে আ বুল
আস ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আবুল আস ইসলাম গ্রহণ করেন ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের
বছরে ৷ তিনি ষষ্ঠ হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে ওয়াকিদী (র) যে উক্তি করেছেন তা ঠিক
নয়, মহান আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন ৷ হিজরী ষষ্ঠ সালের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে ওয়াকিদী (র )
দিহ্ইয়া ইবন খালীফা আল-কালবীর প্রত্যাবর্তনের কথাও উল্লেখ করেছেন ৷ রোম সম্রাট
وَفِيهَا كَانَ بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ بِالْحَمُومِ، فَأَصَابَ امْرَأَةً مِنْ مُزَيْنَةَ، يُقَالُ لَهَا: حَلِيمَةُ. فَدَلَّتْهُمْ عَلَى مَحَلَّةٍ مِنْ مَحَالِّ بَنِي سُلَيْمٍ، فَأَصَابُوا مِنْهَا نَعَمًا، وَشَاءً وَأَسْرَى، وَكَانَ فِيهِمْ زَوْجُ حَلِيمَةَ هَذِهِ، فَوَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِزَوْجِهَا، وَأَطْلَقَهُمَا.
وَفِيهَا كَانَ بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ أَيْضًا، فِي جُمَادَى الْأُولَى إِلَى بَنِي ثَعْلَبَةَ، فِي خَمْسَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَهَرَبَتْ مِنْهُ الْأَعْرَابُ، فَأَصَابَ مِنْ نَعَمِهِمْ عِشْرِينَ بَعِيرًا، ثُمَّ رَجَعَ بَعْدَ أَرْبَعِ لَيَالٍ.
وَفِيهَا خَرَجَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فِي جُمَادَى الْأُولَى إِلَى الْعِيصِ.
قَالَ: وَفِيهَا أُخِذَتِ الْأَمْوَالُ الَّتِي كَانَتْ مَعَ أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ، فَاسْتَجَارَ بِزَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَجَارَتْهُ، وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ - كَمَا تَقَدَّمَ - قِصَّتَهُ حِينَ أُخِذَتِ الْعِيرُ الَّتِي كَانَتْ مَعَهُ، وَقُتِلَ أَصْحَابُهُ، وَفَرَّ هُوَ مِنْ بَيْنِهِمْ حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ زَيْنَبُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ هَاجَرَتْ بَعْدَ بَدْرٍ، فَلَمَّا جَاءَ الْمَدِينَةَ اسْتَجَارَ بِهَا، فَأَجَارَتْهُ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ، فَأَجَارَهُ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ النَّاسَ بِرَدِّ مَا أَخَذُوا مِنْ عِيرِهِ، فَرَدُّوا كُلَّ شَيْءٍ كَانُوا أَخَذُوهُ مِنْهُ، حَتَّى لَمْ يَفْقِدْ مِنْهُ شَيْئًا، فَلَمَّا رَجَعَ بِهَا إِلَى مَكَّةَ، وَأَدَّى إِلَى أَهْلِهَا مَا كَانَ لَهُمْ مَعَهُ مِنَ الْوَدَائِعِ، أَسْلَمَ وَخَرَجَ مِنْ مَكَّةَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَوْجَتَهُ زَيْنَبَ بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ، وَلَمْ يُحْدِثْ نِكَاحًا وَلَا عَقْدًا،
পৃষ্ঠা - ৩১০৩
كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُ ذَلِكَ.
وَكَانَ بَيْنَ إِسْلَامِهِ وَهِجْرَتِهَا سِتُّ سِنِينَ، وَيُرْوَى سَنَتَانِ. وَقَدْ بَيَّنَّا أَنَّهُ لَا مُنَافَاةَ بَيْنَ الرِّوَايَتَيْنِ؛ لِأَنَّ إِسْلَامَهُ تَأَخَّرَ عَنْ وَقْتِ تَحْرِيمِ الْمُؤْمِنَاتِ عَلَى الْكَفَّارِ بِسَنَتَيْنِ، وَكَانَ إِسْلَامُهُ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ فِي سَنَةِ الْفَتْحِ، لَا كَمَا يُفْهَمُ مِنْ كَلَامِ الْوَاقِدِيِّ، مِنْ أَنَّهُ سَنَةَ سِتٍّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، أَنَّ دِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيَّ أَقْبَلَ مِنْ عِنْدِ قَيْصَرَ، وَقَدْ أَجَازَهُ بِأَمْوَالٍ وَخِلَعٍ، فَلَمَّا كَانَ بِحِسْمَى لَقِيَهُ نَاسٌ مِنْ جُذَامٍ، فَقَطَعُوا عَلَيْهِ الطَّرِيقَ، فَلَمْ يَتْرُكُوا مَعَهُ شَيْئًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ أَيْضًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي مِائَةِ رَجُلٍ إِلَى أَنْ نَزَلَ إِلَى حَيٍّ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ، وَذَلِكَ أَنَّهُ بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ لَهُمْ جَمْعًا يُرِيدُونَ أَنْ يُمِدُّوا يَهُودَ خَيْبَرَ فَسَارَ إِلَيْهِمْ بِاللَّيْلِ، وَكَمَنَ بِالنَّهَارِ، وَأَصَابَ عَيْنًا لَهُمْ، فَأَقَرَّ لَهُ أَنَّهُ بُعِثَ إِلَى خَيْبَرَ، يَعْرِضُ عَلَيْهِمْ نَصْرَهُمْ عَلَى أَنْ يَجْعَلُوا لَهُمْ تَمْرَ خَيْبَرَ
পৃষ্ঠা - ৩১০৪
কায়জারের নিকট থেকে তিনি প্রচুর ৰিত্ত-বিভব আর মহামুল্য খিলাত নিয়ে ফিরে আসেন ৷ ফেরার
পথে তিনি ইিস্মা নামক স্থানে পৌছলে জুযাম’ গোত্রের কিছু লোকের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় ;
তারা তার নিকট থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এদের বিরুদ্ধেও হযরত যায়দ
ইবন হারিছা (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷ ওয়াকিদী (র) আবদ্ল্লোহ্ইবন জাফর — ইয়াকুব ইবন
উতবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (রা) একশ জন লোকের একটা দল নিয়ে বের হয়ে
বনু আসাদ ইবন বকর-এর নিকট একটি শাখা গোত্রের নিকট গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷
খায়বরের ইহুদীদেরকে সহায়তা দানের লাক্ষ্য সেখানে এক দল লোক সমবেত হচ্ছে একথা
জানতে পেরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে প্রেরণ করেছিলেন ৷ এ দলটি রাত্রিবেলা সফর করতো
আর দিনের বেলা আত্মগােপন করে থাকতো ৷ শত্রুপক্ষের এক গুপ্ত১রকে পাকড়াও করা হলে সে
স্বীকার করে যে, তাকে খায়বরে প্রেরণ করা হয়েছে ৷ খায়বরেৱ থেজুরের বিনিময়ে সে
ইহুদীদেরকে সাহায্য করার প্রস্তাব করবে ৷ ওয়াকিদী আরো উল্লেখ করেন যে, ষষ্ঠ হিজরীর শাবান
মাসে আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা)এর নেতৃত্বে দৃমাতৃল জান্দাল অভিমুখে একটি বাহিনী
প্রেরণ করা হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এ দলকে বলেছেন যে তারা বশ্যতা স্বীকার করলে তাদের
বাদৃশাহের কন্যাকে বিবাহ করবে ৷ তারা ইসলাম কবুল করলে হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ
তাদের বাদ্শাহের কন্যা তামাযুর বিনতৃল আসবা আল-কালবিয়্যাকে বিবাহ করেন আর ইনি
ছিলেন আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফের মা ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন যে, ষষ্ঠ
হিজরীর শাওযাল মাসে কুরয্ ইবন জাবির আল-ফিহ্রীকে উরানিহ্মীনদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করা
হয় ৷ যারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রখােলকে হত্যা করে উটগুলি নিয়ে পলায়ন করেছিল ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরয্ ইবন জাবির-এর নেতৃত্বে ২০ জন অশ্বারোহীর একটা দল প্রেরণ করেন ৷ এ
বাহিনী তাদেরকে পাকড়াও করে আনে ৷
বুখারী (বস্তু ও মুসলিম (র) সাঈদ ইবন আবু আরুব৷ আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, উকল এবং উরায়না গোত্রের বর্ণনান্তরে উকল অথবা উরায়নার কিছু লোক
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরব করে , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ৷ আমরা এমন লোক
যাদেরকে জীবন যাপন করতে হয় পশুর দুধপান করে ৷ আমাদের ওখানে কোন শস্যশ্যামল ভুমি
নেই ৷ মদীনায় আবহাওয়া আমাদের অনুকুল হয়নি ৷ তথ্যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কিছু উট
আর রাখলেসহ চারণভুমিতে গমন করে সেগুলোর দুধ আর পেশার পান করার জন্য বলেন ৷ সে
মতে তারা সেখানে যায় ৷ হারবার’ প্রান্তে পৌছে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর রাখালকে হত্যা করে
উষ্ট্রগুলাে নিয়ে পলায়ন করে এবং ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়ে যায় ৷ নবী করীম (সা)
তাদেরকে ধরে আমার জন্য কুরয্ ইবন জাবির আল-ফিহ্রীকে প্রেরণ করেন এবং তাদের হাত পা
কাটার এবং তাদের চোখে লৌহ শলাকা বিদ্ধ করার জন্য তাকে নির্দেশ দান করেন ৷ এ অবস্থায়
তাদেরকে বৌদ্রে উত্তপ্ত কঙ্করময় স্থানে ফেলে রাখা হলে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয় ৷ রাবী
কাতাদা (রা) বলেন, আমরা জানতে পেয়েছি যে, এ ঘটনার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দান করার
জন্য দাড়ালে দান-সদকা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং অঙ্গ-প্ৰত্যঙ্গ কর্তন করতে নিষেধ
করতেন ৷ একদল রাবী কাতাদা সুত্রে অপর দল আনাস ইবন মালিক (রা) স্যুত্র এ হাদীছটি বর্ণনা
قَالَ الْوَاقِدِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: وَفِي سَنَةِ سِتٍّ فِي شَعْبَانَ مِنْهَا، كَانَتْ سَرِيَّةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، إِلَى دَوْمَةِ الْجَنْدَلِ، وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنْ هُمْ أَطَاعُوا فَتَزَوَّجْ بِنْتَ مَلِكِهِمْ» ". فَأَسْلَمَ الْقَوْمُ، وَتَزَوَّجَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِنْتَ مَلِكِهِمْ؛ تُمَاضِرَ بِنْتَ الْأَصْبَغِ الْكَلْبِيَّةَ، وَهِيَ أُمُّ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِي شَوَّالٍ سَنَةَ سِتٍّ كَانَتْ سَرِيَّةُ كُرْزِ بْنِ جَابِرٍ الْفِهْرِيِّ إِلَى الْعُرَنِيِّينَ الَّذِينَ قَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا النَّعَمَ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارِهِمْ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ، فِي عِشْرِينَ فَارِسًا، فَرَدُّوهُمْ.
فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَهْطًا مِنْ عُكْلٍ وَعُرَيْنَةَ - وَفِي رِوَايَةٍ: مِنْ عُكْلٍ أَوْ عُرَيْنَةَ - أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا أُنَاسٌ أَهْلُ ضَرْعٍ، وَلَمْ نَكُنْ أَهْلَ رِيفٍ، فَاسْتَوْخَمْنَا الْمَدِينَةَ. فَأَمَرَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَوْدٍ وَرَاعٍ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فِيهَا، فَيَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَانْطَلَقُوا، حَتَّى إِذَا كَانُوا نَاحِيَةَ الْحَرَّةِ قَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا
পৃষ্ঠা - ৩১০৫
الذَّوْدَ، وَكَفَرُوا بَعْدَ إِسْلَامِهِمْ، فَبَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَلَبِهِمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ، وَتَرَكَهُمْ فِي نَاحِيَةِ الْحَرَّةِ حَتَّى مَاتُوا وَهُمْ كَذَلِكَ. قَالَ قَتَادَةُ: فَبَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا خَطَبَ بَعْدَ ذَلِكَ حَضَّ عَلَى الصَّدَقَةِ، وَنَهَى عَنِ الْمُثْلَةِ.
وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنْ قَتَادَةَ، وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَفِي رِوَايَةِ مُسْلِمٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُرَيْنَةَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمُوا وَبَايَعُوهُ، وَقَدْ وَقَعَ فِي الْمَدِينَةِ الْمُومُ - وَهُوَ الْبِرْسَامُ - فَقَالُوا: هَذَا الْوَجَعُ قَدْ وَقَعَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلَوْ أَذِنْتَ لَنَا فَرَجَعْنَا إِلَى الْإِبِلِ، قَالَ: " نَعَمْ، فَاخْرُجُوا فَكُونُوا فِيهَا ". فَخَرَجُوا فَقَتَلُوا الرَّاعِيَيْنِ، وَذَهَبُوا بِالْإِبِلِ، وَعِنْدَهُ شَبَابٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَرِيبٌ مِنْ عِشْرِينَ، فَأَرْسَلَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৩১০৬
করেছেন ৷ মুসলিম (র)-এর বর্ণনায় হযরত মুআবিয়া ইবন কুররা আনাস সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে,
উরায়নার এক দল লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে এবং
বায়আত গ্রহণ করে ৷ মদীনায় তখন জন্ডিস জাতীয় ব্যধির প্রকােপ ছিল ৷ লোকেরা রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট আবেদন জালাল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! এ ব্যধি দেখা দিয়েছে আপনি অনুমতি
দান করলে আমরা (আপনার চারণভুমির দিকে ফিরে যেতে পারি ৷ রাসৃলল্লাহ্ (সা) সম্মতি দিলে
তারা সেখানে গিয়ে বসবাস শুরু করে ৷ পরে তারা সেখান থেকে বের হয়ে রাখালদেরকে হত্যা
করে উটগুলো নিয়ে পলায়ন করে ৷ রাবীর মতে, এ সময় রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট প্রায় ২০ জন
আনসারী সমবেত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদের পাকড়াও করতে আনসারীদেরকে প্রেরণ করেন
এবং তাদের সাথে একজন পদচিহ্ন বিশারদকেও প্রেরণ করেন ৷ এ ব্যক্তি তাদের পদচিহ্ন
অনুসরণ করে তাদের নিকট পৌছিয়ে দেয় ৷ তখন তাদের হাত পা কেটে গরম শলাকা দ্বারা চক্ষু
বিদ্ধ করে দেয়া হয় ৷ আর সহীহ্ বুখারী শরীফে আইয়ুব আবু কিলাবা আনাস (রা ) সুত্রে বর্ণিত
হয়েছে যে, আনাস (রা) বলেন : উকাল গোত্রের একদল লোক আগমন করে ইসলাম গ্রহণ করে
(কিন্তু মদীনায় অবস্থান করা তারা পসন্দ করেনি) তখন তারা রাসুল কবীম (না)-এর দরবারে
হাযির হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করলে তিনি বললেন : তোমরা উটের সঙ্গে বাস করো এবং
সেগুলোর পেশার আর দুধ পান কর ৷ তারা সেখানে চলে যায় এবং য়তদিন আল্লাহর ইচ্ছা হয়
অবস্থান করে ৷ পরবভীকািলে তারা রাখালদেরকে হত্যা করে উটগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ একজন
ফরিয়াদকারী ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ছুটে আসে (এবং বিষয়টি তাকে অবহিত করলে)
বেলা উঠার পুসুইে তাদের ধরে আনা হয় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) শলাকা আনার নির্দেশ দিল (তা আনা হয় এবং) গরম করে তা দ্বারা
তাদেরকে দাগানাে হয় ৷ তাদের হাত পা কেটে ফেলা হয় এবং তাদেরকে কঙ্করময় উত্তপ্ত
ভুমিতে ফেলে রাখা হয় ৷ তারা পানি পানি বলে চিৎকার করলেও তাদেরকে পানি পান করতে
দেওয়া হয়নি ৷ এ অবস্থায় সেখানে তাদের মৃত্যু হয় ৷ কেউ তাদের সাহায্য করেনি ৷ আনাস
(রা)-এর এক বর্ণনায় আছে যে, তিনি বলেন, আমি তাদের একজনকে পিপাসায় কাতর হয়ে মুখ
দ্বারা মাটি চাটতে দেখেছি ৷ আবু কিলাবা (রা) বলেন : এ সব লোকেরা হত্যা, চুরি, ঈমান আনার
পর কুফ্রী অবলম্বন করা এবং আল্লাহ্ ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার অপরাধে
অপরাধী ছিল !
বায়হার্কী (র) উছমান ইবন আবুশায়বা জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
রাসুল কবীম (সা) তাদের পদাৎক অনুসরণে লোক হুপ্ররণ করে এ দুআ করেন :
হে আল্লাহ ! তৃ তাদের জন্য পথ সন্দিগ্ধ করে দাও এবং তাদের চলার পথকে সংকীর্ণ করে
দাও ৷ রাবী বলেন, ফলে আল্লাহ্ তাদের জন্য তাদের পথ অদৃশ্য করে দেন ৷ তাদেরকে পাকড়াও
করে আনা হয় এবং তাদের হাত-পা কেটে চোখ ফুটা করে দেওয়া হয় ৷
সহীহ্ মুসলিম শরীফে উল্লেখ আছে যে, তাদের চোখ এজন্য ফুটা করা হয় যে, তারা
রাখালদের চোখ ফুটা করেছিল ৷
إِلَيْهِمْ، وَبَعَثَ مَعَهُمْ قَائِفًا يَقْتَصُّ أَثَرَهُمْ، فَأُتِيَ بِهِمْ، فَقَطَعَ أَيْدِيَهِمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقِ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّهُ قَالَ: «قَدِمَ رَهْطٌ مِنْ عُكْلٍ فَأَسْلَمُوا، وَاجْتَوَوُا الْمَدِينَةَ، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: " الْحَقُوا بِالْإِبِلِ، وَاشْرَبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا ". قَالَ: فَذَهَبُوا فَكَانُوا فِيهَا مَا شَاءَ اللَّهُ، فَقَتَلُوا الرَّاعِيَ، وَاسْتَاقُوا الْإِبِلَ، فَجَاءَ الصَّرِيخُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرْسَلَ فِي طَلَبِهِمْ، فَلَمْ تَرْتَفِعِ الشَّمْسُ حَتَّى أُتِيَ بِهِمْ، فَأَمَرَ بِمَسَامِيرَ فَأُحْمِيَتْ فَكَوَاهُمْ بِهَا، وَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَأَلْقَاهُمْ فِي الْحَرَّةِ يَسْتَسْقُونَ فَلَا يُسْقَوْنَ، حَتَّى مَاتُوا وَلَمْ يَحْسِمْهُمْ» . وَفِي رِوَايَةٍ عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَحَدَهُمْ يَكْدُمُ الْأَرْضَ بِفِيهِ مِنَ الْعَطَشِ. قَالَ أَبُو قِلَابَةَ: فَهَؤُلَاءِ قَتَلُوا، وَسَرَقُوا، وَكَفَرُوا بَعْدَ إِيمَانِهِمْ، وَحَارَبُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৩১০৭
بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ فِي آثَارِهِمْ قَالَ: " اللَّهُمَّ عَمِّ عَلَيْهِمُ الطَّرِيقَ، وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ أَضْيَقَ مِنْ مَسْكِ جَمَلٍ ". قَالَ: فَعَمَّى اللَّهُ عَلَيْهِمُ السَّبِيلَ فَأُدْرِكُوا، فَأُتِيَ بِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَطَعَ أَيْدِيَهِمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ» وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ": إِنَّمَا سَمَلَهُمْ؛ لِأَنَّهُمْ سَمَلُوا أَعْيُنَ الرِّعَاءِ.
পৃষ্ঠা - ৩১০৮
হিজরী ষষ্ঠ সালে সংঘটিত অন্য ঘটনাবলী
এ বছর হুদায়বিয়ার দিনগুলোতে হজ্জ ফরয হওয়া সম্বলিত আয়াত নাযিল হয় ৷ ইমাম শাফিঈ
(র) এটা সপ্রমাণ করেন ৷ আল্লাহ্ বলেন :
ব্লু৷ ওদ্বুট্রুট্রুা৷ঠু চু-র্ম্প ৷ ;ৰুশ্ংৰু
“তোমরা আল্লাহ্র জন্য হজ্জ ও উমরা পরিপুর্ণ কর ৷ (২ : >%»;;) ৷ এ কারণে ইমাম শাফিঈ
(র)-এর মতে হজ্জ তাৎক্ষণিকভাবে ফরয নয় বরং বিলন্বে আদায় করলেও চলবে ৷ কারণ, নবী
করীম (না) হিজরী ১০ সনে ছাড়া আর কোন হজ্জ করেননি ৷ পক্ষাতরে অন্যান্য তিন ইমাম-
ইমাম মালিক (র) ইমাম আবুহানীফা (র) এবং ইমাম আহমদ (র) )-এ্যা মতে সামথবািন ব্যক্তির
উপর তাৎক্ষণিকতাবে হজ্জ ফরয হয়ে যায় ৷ তাদের মতে উপরোক্ত আয়াত দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে
হজ্জ ফরয হওয়া প্রমাণ হয় না ৷ তাদের মতে উপরোক্ত আরবে; দ্বারা হজ্জ শুরু করার পর তা
সমাপ্ত করইি কেবল প্রমাণিত হয় ৷ ইমামত্রয়ের যুক্তি-প্রমাণের অনেকাংশ আমরা আমাদের রচিত
তাফসীর গ্রন্থে সবিস্তারে আলোচনা করেছি ৷
একই বছর মুসলিম নারীদের মুশরিক পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে ৷ বিশেষ করে
হুদায়বিয়া ৷র বছরে সষ্প৷ ৷দিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, আমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তোমার
কাছে আসবে সে তোমার ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকলেও তুমি অবশ্যই তাকে আমাদের নিকট
ফেরত দেবে ৷ এ চুক্তি সম্পাদনের পর আল্লাহ্৩ তা জানা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :
« ৩ ; (« : ; শ্
-হে মুমিনগণ মুমিন নাবীরা তোমাদের নিকট হিজরত করে আসলে তাদেরকে তোমরা
পরীক্ষা করবে ৷৩ তাদের ঈমান সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা
মু মিন তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না ৷ মু’মিন নারীগণ কা ৷ফিরদের জন্য
হালাল নয়, আর কাফির পুরুষগণও মু’মিন নারীদের জন্য হালাল নয় ৷ কাফিররা যা কিছু ব্যয়
করেছে তাদেরকে তা ফেরত দেবে ৷ তারপর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করলে তোমাদের কোন
অপরাধ হবে না যদি তোমরা তাদেরকে তাদের মহর দাও ৷ তোমরা কাফির নারীদের সঙ্গে
দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রাখবে না ৷ তোমরা যা কিছু ব্যয় করেছ তা ফেরত চাইবে এবং কাফিররা
যা ব্যয় করেছে তারা তা ফেরত চাইবে ৷ এটাই আল্লাহ্র হুকুম; তিনি তোমাদের মধ্যে ফায়সালা
করেন ৷ আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ প্ৰজ্ঞাময় ৷ তোমাদের শ্রীদের মধ্যে যদি কেউ হাত ৩ছাড়া হয়ে কাফিরদের
নিকট থেকে যায় আর তোমাদের যদি সুযোগ আসে তখন যাদের শ্রী হাতছাড়া হয়ে গেছে
তাদেরকে তারা যা ব্যয় করেছে তার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করবে ৷ আল্লাহ্কে ভয় কর, যার প্রতি
তোমরা ঈমান এনেছো ৷ (৬০ মুমতাহানা ১০)
একই বছরে মুরাইসী অভিযান পরিচালিত হয় ১ যাতে অপবাদ আরােপের ঘটনা ঘটে ৷ এ
১ টীকা : ইতিহাসে এটা বনী ঘুস্তালিক যুদ্ধ নামেও পরিচিত ৷ সম্পাদক
[فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْحَوَادِثِ فَى السَّنَةِ السَّادِسَةِ]
فَصْلٌ فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْحَوَادِثِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ
أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ؛ فِيهَا نَزَلَ فَرْضُ الْحَجِّ، كَمَا قَرَّرَهُ الشَّافِعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ} [البقرة: 196] (الْبَقَرَةِ: 196) وَلِهَذَا ذَهَبَ إِلَى أَنَّ الْحَجَّ عَلَى التَّرَاخِي لَا عَلَى الْفَوْرِ؛ لِأَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحُجَّ إِلَّا فِي سَنَةِ عَشْرٍ. وَخَالَفَهُ الثَّلَاثَةُ؛ مَالِكٌ وَأَبُو حَنِيفَةَ وَأَحْمَدُ فَعِنْدَهُمْ أَنَّ الْحَجَّ يَجِبُ عَلَى كُلِّ مَنِ اسْتَطَاعَهُ عَلَى الْفَوْرِ، وَمَنَعُوا أَنْ يَكُونَ الْوُجُوبُ مُسْتَفَادًا مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ} [البقرة: 196] وَإِنَّمَا فِي هَذِهِ الْآيَةِ الْأَمْرُ بِالْإِتْمَامِ بَعْدَ الشُّرُوعِ فَقَطْ، وَاسْتَدَلُّوا بِأَدِلَّةٍ قَدْ أَوْرَدْنَا كَثِيرًا مِنْهَا عِنْدَ تَفْسِيرِ هَذِهِ الْآيَةِ مِنْ كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ "، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، بِمَا فِيهِ الْكِفَايَةُ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حُرِّمَتِ الْمُسْلِمَاتُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ؛ تَخْصِيصًا لِعُمُومِ مَا وَقَعَ بِهِ الصُّلْحُ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ عَلَى أَنَّهُ: لَا يَأْتِيكَ مِنَّا أَحَدٌ، وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ، إِلَّا رَدَدْتَهُ عَلَيْنَا. فَنَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ اللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِهِنَّ فَإِنْ عَلِمْتُمُوهُنَّ مُؤْمِنَاتٍ فَلَا تَرْجِعُوهُنَّ إِلَى الْكُفَّارِ لَا هُنَّ حِلٌّ لَهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّ} [الممتحنة: 10] الْآيَةَ (الْمُمْتَحَنَةِ: 1) .
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ غَزْوَةُ الْمُرَيْسِيعِ، الَّتِي كَانَ فِيهَا قِصَّةُ الْإِفْكِ، وَنُزُولُ بَرَاءَةِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، كَمَا تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৩১০৯
وَفِيهَا كَانَتْ عُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ، وَمَا كَانَ مِنْ صَدِّ الْمُشْرِكِينَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَيْفَ وَقَعَ الصُّلْحُ بَيْنَهُمْ عَلَى وَضْعِ الْحَرْبِ بَيْنَهُمْ عَشْرَ سِنِينَ، يَأْمَنُ فِيهِنَّ النَّاسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَعَلَى أَنَّهُ لَا إِغْلَالَ وَلَا إِسْلَالَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ كُلُّ ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي أَمَاكِنِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَوَلِيَ الْحَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْمُشْرِكُونَ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ نَفَرٍ مُصْطَحِبِينَ؛ حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ، إِلَى الْمُقَوْقِسِ صَاحِبِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ، وَشُجَاعَ بْنَ وَهْبٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ - شَهِدَ بَدْرًا - إِلَى الْحَارِثِ بْنِ أَبِي شِمْرٍ الْغَسَّانِيِّ، يَعْنِي مَلِكَ عَرَبِ النَّصَارَى بِالشَّامِ، وَدِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيَّ، إِلَى قَيْصَرَ، وَهُوَ هِرَقْلُ مَلِكُ الرُّومِ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ السَّهْمِيَّ إِلَى كِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ، وَسَلِيطَ بْنَ عَمْرٍو الْعَامِرِيَّ إِلَى هَوْذَةَ بْنِ عَلِيٍّ الْحَنَفِيِّ، وَعَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ، إِلَى النَّجَاشِيِّ مَلِكِ النَّصَارَى بِالْحَبَشَةِ، وَهُوَ أَصْحَمَةُ ابْنُ أَبْجَرَ.