سنة ست من الهجرة النبوية
غزوة ذي قرد
পৃষ্ঠা - ৩০২৩
হিজরী ৬ষ্ঠ সনের ঘটনাবলী
বায়হার্কী (র) বলেন : বলা হয়ে থাকে যে, এ বছর মুহাররম মাসে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার
নেতৃত্বে নাজ্বদ অভিমুখে একটা বাহিনী প্রেরণ করা হয় ৷ এ অভিযানে তরা ছুমামা ইবন উছাল
ইয়ামানীকে বন্দী করে আনেন ৷ আমি বলি, কিন্তু ইবন ইসহাক (র) সাঈদ মাকব্ররী সুত্রে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এ বাহিনীতে শরীক ছিলেন ৷ অথচ তিনি হিজরত
করেন খায়বর বিজয়ের পর (হিজরী ৭ মাসে) সুতরাং এটা পরের ঘাষ্টুনা হতে পারে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷ এটা এমন এক বছর যে বছরের প্রথম দিকে বনু লিহইয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
এটাই বিশুদ্ধ মত ৷ আর বনু কুরায়য়াকে পরাজিত করার ঘটনা ঘটে যিলকাদের শেষ এবং
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে ৷ আর এ হজ্জ মুশরিকদের ততুাবধানে অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ হিজরী
পঞ্চম সালে, ইতিপুর্বেও এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যিলহ্জ্জ মুহাররম, সফর এবং রবিউল আউয়াল এবং রবিউছ ছানী মাস মদীনায়
অবস্থান করেন এবং বনু কুরায়যার অভিযানের ৬ মাসের মাথায় বনু লিহ্য়ান অভিমুখে অভিযানে
বের হন ৷ তিনি রাজী এর শহীদ থুবায়র এবং তার সঙ্গীদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য
বের হন ৷ বাহ্যিকভাবে তিনি প্রকাশ করেন যে, তিনি শাম দেশের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছেন,
যাতে অকন্মাৎ তাদের উপর হামলা চালাতে পারেন, ইবন হিশাম বলেন, তিনি ইবন উম্মে
মাকতৃমকে মদীনায় প্রশাসকের দায়িত্বে নিযুক্ত করে যান ৷ মোট কথা, নবী করীম (সা) তাদের
আবাসন্থলের দিকে অগ্রসর হলে তারা পালিয়ে পাহাড়ের শীর্ষে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষা করে ৷
এরপর রাসুল করীম (সা) উছফানের দিকে গমন করেন ৷ সেখানে একদল মুশরিকের সঙ্গে
সংঘাতে লিপ্ত হন এবং সেখানে সালাতৃল খাওফ আদায় করেন ৷ চতুর্থ হিজরী সনের ঘটনাবলীতে
যুদ্ধ বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আর বায়হার্কী (র) ও এ ঘটনা সেখানেই আলোচনা
করেছেন ৷ তবে ইবন ইসহাক (র) যা উল্লেখ করেছেন, তা-ই বেশী যুক্তিযুক্ত ৷ আর তা হলো
এই যে, এ ঘটনাটি খন্দক যুদ্ধের পরের আর এটা প্রমাণিত যে, নবী করীম (সা) বনুলিহ্ইয়ানের ,
দিনে সেখানে সালাতুন খাওফ আদায় করেন ৷ তাই সে আলোচনা সেখানে হওয়াই যিধেয় ৷
মাপাযীর ইমাম (মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক)-এর অনুসরণ অনুসরণেই এটা হওয়া উচিৎ ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) বলেন :
যে ব্যক্তি মাগাযী তথা যুদ্ধ বিগ্রহ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চায়, তাকে মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাকের উপর নির্জাশীল হতে হবে ৷ বনুলিহ্ইয়ান যুদ্ধ সম্পর্কে কাব ইবন মালিক (বা) বলেনঃ
[سَنَةُ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ]
[غَزْوَةُ ذِي قَرَدَ]
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سَنَةُ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: يُقَالُ: فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا كَانَتْ سَرِيَّةُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قِبَلَ نَجْدٍ، وَأَسَرُوا فِيهَا ثُمَامَةَ بْنَ أُثَالٍ الْيَمَامِيَّ. قُلْتُ: لَكِنْ فِي سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ شَهِدَ ذَلِكَ، وَهُوَ إِنَّمَا هَاجَرَ بَعْدَ خَيْبَرَ فَتُؤَخَّرُ إِلَى مَا بَعْدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهِيَ السَّنَةُ الَّتِي كَانَ فِي أَوَائِلِهَا غَزْوَةُ بَنِي لِحْيَانَ، عَلَى الصَّحِيحِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فَتْحُ بَنِي قُرَيْظَةَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَصَدْرٍ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. وَوَلِيَ تِلْكَ الْحِجَّةَ الْمُشْرِكُونَ. يَعْنِي فِي سَنَةِ خَمْسٍ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ ذَا الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمَ وَصَفَرٍ وَشَهْرَيْ رَبِيعٍ، وَخَرَجَ فِي جُمَادَى الْأُولَى عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ فَتْحِ قُرَيْظَةَ إِلَى بَنِي لِحْيَانَ يَطْلُبُ بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ خُبَيْبٍ وَأَصْحَابِهِ، وَأَظْهَرَ أَنَّهُ يُرِيدُ الشَّامَ لِيُصِيبَ مِنَ الْقَوْمِ غِرَّةً.
পৃষ্ঠা - ৩০২৪
বনু লিহইয়ান যদি অপেক্ষা করতো
তাহলে তারা নিজেদের অঞ্চলে সত্যপন্থী
দলের সঙ্গে না যাতে প্রুবৃল্ডে হতো ৷
অনতিবিলন্বে তারা এমন দলের সঙ্গে
ৎঘাতে প্রবৃত্ত হতো, যাতে অন্তর হতো ভীত ৷
ৎস কর দলের সম্মুখে, যাদের তরবারি
চাকচিক্য নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল ৷
কিন্তু তাৱাতো ছিল যেন জঙ্গলের বিড়াল,
মানুষ দেখে যারা গর্ভে আশ্রয় নেয় ৷
ঘুকারাদের যুদ্ধ
ইবন ইসহাক (র) বলেন : এরপর রাসুল কৰীম (সা) মদীনায় পদার্পণ করেন এবং মাত্র
কয়েক দিন সেখানে অবস্থান করেন ৷ শেষ পর্যন্ত উয়াইনা ইবন হিসন ফাযারীর নেতৃত্বে একটা
বাহিনী ’গাবা নামক স্থানে নবী করীম (না)-এর দুধেল ইষ্টীর উপর হামলা চালায় ৷ তথায়
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে রাখাল রুপে বনু গিফারের জনৈক ব্যক্তি সশ্রীক বসবাস করতো ৷
হামলাকারীরা পুরুষটিকে হত্যা করে এবং উষ্টীগুলোর সঙ্গে তার শ্ৰীকে নিয়ে যায় ৷ ইবন ইসহাক
(র) আসিম ইবন উমর আব্দুল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সালমা
ইবন আমৃর ইবনুল আক্ওয়া আসলামী এ হামলা সম্পর্কে সর্ব প্রথম জানতে পান ৷ ভীর-ধনুক
নিয়ে তিনি পাবার দিকে বেরিয়ে পড়েন ৷ তার সঙ্গে ছিল তলেহা ইবন উবায়দুল্পাহর ভৃত্যও একটি
ঘোড়া ৷ ঘোড়া তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ তিনি ছানিয়াতুল ওদা’ পৌছলে কাফিরদের কিছু অশ্বের
প্রতি তার দৃষ্টি পড়ে ৷ সানা পর্বতের এক কিনারায় পৌছে তিনি চিৎকার করে বলেন, ছুা; ০ ৷ ’,
হে সাবধান ! তারপর তিনি হামলাকারীদের পেছনে ছুটে যান, তিনি ছিলেন নেকড়ের ন্যায়
দ্রুতগামী ৷ তিনি তাদেরকে নাগালে পেয়ে যান ! আর তীর দ্বারা তাদেরকে আঘাত করতে করতে
আবৃত্তি করেনং :
৩৬
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا انْتَهَى إِلَى مَنَازِلِهِمْ هَرَبُوا مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، فَتَحَصَّنُوا فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ فَمَالَ إِلَى عُسْفَانَ فَلَقِيَ بِهَا جَمْعًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَصَلَّى بِهَا صَلَاةَ الْخَوْفِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ هَذِهِ الْغَزْوَةِ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ، وَهُنَالِكَ ذَكَرَهَا الْبَيْهَقِيُّ، وَالْأَشْبَهُ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهَا كَانَتْ بَعْدَ الْخَنْدَقِ، وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّهُ صَلَّى بِعُسْفَانَ يَوْمَ بَنِي لِحْيَانَ، فَلْتُكْتَبْ هَاهُنَا، وَتُحَوَّلْ مِنْ هُنَاكَ اتِّبَاعًا لِإِمَامِ أَصْحَابِ الْمَغَازِي فِي زَمَانِهِ وَبَعْدَهُ، كَمَا قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: مَنْ أَرَادَ الْمَغَازِي فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. وَقَدْ قَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي غَزْوَةَ بَنِي لِحْيَانَ:
لَوَ انَّ بَنِي لِحْيَانَ كَانُوا تَنَاظَرُوا ... لَقُوا عُصَبًا فِي دَارِهِمْ ذَاتَ مَصْدَقِ
لَقُوا سَرَعَانًا يَمْلَأُ السَّرْبَ رَوْعُهُ ... أَمَامَ طَحُونٍ كَالْمَجَرَّةِ فَيْلَقِ
পৃষ্ঠা - ৩০২৫
وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا وِبَارًا تَتَبَّعَتْ ... شِعَابَ حِجَارٍ غَيْرِ ذِي مُتَنَفَّقِ
পৃষ্ঠা - ৩০২৬
তাদের পাকড়াও কর আর আমি হলাম আকওয়া তনয়,
আর আজকের দিনটা হলো নীচ প্রকৃতির লোকদের বিনাসের দিন ৷
অশ্ববাহিনী তার দিকে ছুটে এলে তিনি পিছিয়ে যেতেন ৷ সুযোগ পেলে তিনি পুনরায় ঘুরে
দীড়াতেন এবং তীর ছুড়তে ছুড়তে পুনরায় পুর্বোক্ত পংক্তি আবৃত্তি করবেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, তাদের কেউ একজন বলে উঠে; সে কি সারা দিন ধরে আমাদের উপর
হামলা চালাৰেন ? ইবন ইসহাক বলেনঃ ইবনুল আকওয়া এর আহ্বান শুান রাসুল করীম (সা)
মদীনায় বিপদ সংকেত দেন : বিপদ ! বি পদ ! ! তা শুনে মুসলিম ঘোড়সওয়হ্বররা তার নিকট চলে
আসেন ৷ সর্ব প্রথম রাসুলের কাছে পৌছেন মিকদাদ ইবনৃল আসওয়াদ ৷ তারপর আব্বাদ ইবন
বিশৃর , সাদ ইবন যায়দ এবং উসায়দ ইবন যহীর ৷ তার ব্যাপারে সন্দেহ আছে আরো পৌছেন
উক্কাশা ইবন মিহসান, বনু আমাদের মুহারিয ইবন নায্লা , বনু সালমার আবু কাবাহা হারিছ ইবন
রিবৃঈ এবং বনু সুরাইকের আবু আয়্যাশ উবায়দ ইবন যায়দ ইবন সা মিত ৷ তিনি আরো বলেন,
রাসুল করীম (না)-এর সমীপে তারা একত্র হলে সাদ ইবন যায়দকে তিনি তাদের আমীর নিযুক্ত
করে বললেন : দুশমনের খোজে বের হও; আমিও সদলবলে তোমাদের সঙ্গে যোগ দেবাে ৷
বনী যুরায়কের একাধিক ব্যক্তি থেকে আমি জানতে পাই যে নবী করীম (সা) আবুআয়্যাশকে
বলেছিলেন : হে আবুআয়্যাশ তুমি যদি তোমার ঘোড়াটি তোমার চাইতে দক্ষ অশ্বারােহীকে দান
করতে ! আর সে দুশমনের পেছনে ছুটতো (তাহলে কতইনা ভাল হতো ) ৷ আবু আয়্যাশ বলেন;
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমি সবচেয়ে দক্ষ ঘোড়সওয়ার ৷ এরপর আমি ঘোড়া
ছুটালাম ৷ আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি ৪০ গজও এগুতে পারিনি ঘোড়া আমাকে নিচে ফেলে
দেয় ৷ এতে আমি বিস্মিত হই ৷ বনুযুরায়কের কিছু লোক মনে করে যে, রাসুল করীম (সা) আবু
আয়্যাশের ঘোড়াটা মুআয ইবন মাইদ অথবা আইস ইবন মাইল ইবন কায়স ইবন খালদাকে
দিয়েছিলেন ৷ আর ইনি ছিলেন অষ্টম ঘোড়সওয়ার ৷ আবার কেউ কেউ সালামা ইবন আকওয়াকে
অষ্টম ঘোড়সওয়ার মনে করেন এবং বলেন যে, অশ্ব পৃষ্ঠ থেকে যাকে ফেলে দেয়, যে উসায়দ
ইবন য়হীর ৷ আসল ব্যাপার কি আর কে অষ্টম ছিলেন তা আল্পা ইে ভাল জানেন ৷ তিনি বলেন, ঐ
দিন সালামা ইবনুল আকওয়া ঘোড়ার সওয়ার ছিলেন না ৷ তিনি পদব্রজে ছুটে গিয়েই দুশমনের
সঙ্গে মিলিত হন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, ঘোড়সওয়াররা বের হলেন ৷ এবং ছুটে গিয়ে
দৃশমনের নাগাল পেলেন ৷ আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা সুত্রে তিনি বলেন যে , সর্ব প্রথম যে
ঘোড় সওয়ার ছুটে গিয়ে দৃশমনের সঙ্গে মিলিত হন তিনি ছিলেন মুহরিম ইবন নাঘৃলা ৷ আর তাকে
আখরাম নামে অভিহিত করা হতো অথবা তাকে কুমায়র বলা হতো ৷ যে ঘোড়ার নওয়াব হয়ে
তিনি গমন করেন, তা ছিল মাহমুদ ইবন মাসৃলামার ৷ আর এই ঘোড়াকে বলা হতো যুল লুম্মা ৷
মুহ্রিম দৃশমনের কাছে পৌছে তাদেরকে বললেন : হে বনুলুকায়্যার লোকেরা ! তোমরা অপেক্ষা
কর; পেছন দিক থেকে মুহাজির আনসাররা এসে তোমাদের সাথে মিলিত হোন ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, একথা শোনার পর দৃশমনদের একজন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ৷ আর ঘোড়া
ছুটিয়ে চলে যায় , তাকে পাকড়াও করা যায়নি ৷ নিহত ব্যক্তির ঘোড়াটি ছুটে যায় এবং বনু আবদুল
আশহড়ালের বাগানে গিয়ে থামে ৷ এটাই ছিল মদীনায় তাদের আস্তাবল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, যে
غَزْوَةُ ذِي قَرَدٍ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَلَمْ يُقِمْ بِهَا إِلَّا لَيَالِيَ قَلَائِلَ، حَتَّى أَغَارَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ، فِي خَيْلٍ مِنْ غَطَفَانَ عَلَى لِقَاحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغَابَةِ، وَفِيهَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ، فَقَتَلُوا الرَّجُلَ وَاحْتَمَلُوا الْمَرْأَةَ فِي اللِّقَاحِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَمَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ - كُلٌّ قَدْ حَدَّثَ فِي غَزْوَةِ ذِي قَرَدٍ بَعْضَ الْحَدِيثِ - أَنَّهُ كَانَ أَوَّلَ مَنْ نَذِرَ بِهِمْ سَلَمَةُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ الْأَسْلَمِيُّ، غَدَا يُرِيدُ الْغَابَةَ مُتَوَشِّحًا قَوْسَهُ وَنَبْلَهُ، وَمَعَهُ غُلَامٌ لِطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ مَعَهُ فَرَسٌ لَهُ يَقُودُهُ، حَتَّى إِذَا عَلَا ثَنِيَّةَ الْوَدَاعِ نَظَرَ إِلَى بَعْضِ خُيُولِهِمْ، فَأَشْرَفَ فِي نَاحِيَةِ سَلْعٍ، ثُمَّ صَرَخَ: وَاصَبَاحَاهُ. ثُمَّ خَرَجَ يَشْتَدُّ
পৃষ্ঠা - ৩০২৭
দিন মুসলমানদের মধ্যে তিনি ব্যতীত আর কেউ নিহত হননি ৷ অবশ্য ইবন হিশাম বলেন যে ,
একাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি আমাকে বলেন যে, সেদিন তার সঙ্গে ওয়াক্কাস ইবন মুজযান মৃছলাজীও
নিহত হন ৷ ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন কাব ইবন মালিক সুত্রে বলেন যে, মুহরিয় উক্কাশা ইবন
মিহসানের ঘোড়ার সওয়ার ছিলেন, যাকে বলা হতো জানাহ ৷ মুহরিয নিহত হন এবং জামাহ
নামক ঘোড়াটি ছিনতাই করা হয় ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷ তিনি আরো বলেন যে, ঘোড় সওয়ার
দুশমনের সঙ্গে মিলিত হলে আবু কাতাদ৷ হাবীব ইবন উয়াইনাকে ভ্রচ্তা৷ করে তাকে চাদর দ্বারা
ঢেকে রাখেন এবং এরপর লোকজনের সঙ্গে যোগ দেন ৷ তারপর রাসুল করীম (সা )
মুসলমানদের সঙ্গে এসে যোগ দেন ৷ ইবন ইিশাম বলেন যে, ঐ সময় রাসুল করীম (না) ইবন
উম্মে মাকতৃমকে মদীনায় প্রশাসক নিযুক্ত করেন এ সময় লোকজন হাবীরকে আবুক তা৷দার
চাদরে আবৃত দেখে ইন্ন৷ ৷লিল্লাহ্ পাঠ করেন ৷ তারা বলেন, আবু কাত ৷স ৷ নিহত হয়েছেন ৷ তখন
রাসুল করীম (সা) বললেন না, সে আবু কাতাদ৷ নয় বরং সে:তা ৷ভ্রা৷বু কাতাদার হাতে নিহত
ব্যক্তি ৷ আবুকাতাদাত তার উপর চাদর স্থাপন করেছে যাতে জানা যা- ভ্রু৷ যে, সেই তার হত্যাকারী ৷
তিনি আরো বলেন যে, উক্কা শা ইবন মিহছা ৷ন আওবার এবং তার পুত্র আমরকে একই উংষ্ট্ৰর উপর
সওয়ার পান এবং উতয়কে তীর নিক্ষেপে বধ করেন ৷ তারা তাদের কিছু উট নিয়ে যেতে ৩সমর্থ
হয় ৷ তিনি আরো ৷বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ চলতে চলতে ৩াযিক ৷রাদ এর একটা পাহাড়ে গিয়ে অবস্থান
গ্রহণ করেন এবং সাহাবীগণ ৷ও তার সঙ্গে সেখানে গিয়ে মিলিত ৩হন ৷ তিনি সেখানে এক দিন এক
রাত অবস্থান করেন ৷ সালাম৷ ইবনুল আকওয়া তাকে বললেন, ইয়া রাসৃলাল্লাহ্৷ আপনি যদি
আমাকে একশ’জন লোক সাথে দিয়ে পাঠান তবে আমি বাকী উটগুলােও নিয়ে আসতে পারতাম ৷
আর রাতে ধরে ওদের লোকদেরকেও ধরে আনতাম ৷ আমার কাছে যে বর্ণনা এসেছে যে মতে
তখন নবী করীম (সা) বললেন :
এখন তারা গাভ্রফান পােত্রে পৌছে গেছে এবং তাদের যেন্ হ্মানদারী করা হচ্ছে ৷ তারপর
রাসুলুল্লাহ সাল্ল ৷ল্লাহ আলায়হি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গী সাথীদের মধ্যে গনীমতের মাল বণ্টন করেন
এবং প্রতি একশজন লোকের মধ্যে অনেকগুলো উট বন্টন করেন এবং সেখানে কয়েকদিন
অবস্থান শেষে মদীনায় উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন ৷
তিনি আরো বলেন যে, গিফার গোত্রের এক নারী রাসুল করীম (সা) এর উটনীতে আরোহণ
করে মদীনায় আগমন করে ৷ সেই মহিলাটি রাসল (সা) কে এই খবরটি দেন ৷ মহিলাটি বলেন,
ইয়৷ রাসুলা ল্লাহ৷ আমি মানত করছি যে, আল্লাহ আমাকে নাজাত দিলে মানে নিরাপদে পৌছালে
আমি উটনীটি যবাই করবো ৷ মহিলার কথা শুনে রাসুলে মাকবুল (সা ) হেসে বললেন : তুমি
উটনীটিকে কতাহুনা নিকৃষ্ট প্ৰতিদান দিলে ৷ কারণ, আল্লাহ্ তোমাকে তার উপর সওয়ার করান
এবং তার সাহায্যে তোমাকে নাজাত দিলেন, আর এত সবের পর তুমি তাকে জবাই করার মানত
করলে ? জেনে রেখো, আল্লাহর নাফরমানীতে কোন মানত নেই ৷ তুমি যে জিনিসের মালিক নও,
সে ব্যাপারেও মানত করার অবকাশ ৷নেই ৷ সেটিতো আমার উটনীণ্ডু ৷ আল্ল৷ হ্র বরকত নিয়ে তুমি
স্বজনদের মধ্যে ফিরে যাও ! ইবন ইসহ ক (র) বলেন :০ এ ব্যাপারে আবুযুবায়র মাকী সুত্রে হাসান
বসরীর বরাতে হাদীছ বর্ণিত আছে ৷ ইবন ইসহাক (র ) সনদসহ কাহিনীটি এভাবে বর্ণনা করেছেন ৷
فِي آثَارِ الْقَوْمِ، وَكَانَ مِثْلَ السَّبُعِ حَتَّى لَحِقَ بِالْقَوْمِ، فَجَعَلَ يَرُدُّهُمْ بِالنَّبْلِ وَيَقُولُ إِذَا رَمَى:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... الْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
فَإِذَا وُجِّهَتِ الْخَيْلُ نَحْوَهُ انْطَلَقَ هَارِبًا ثُمَّ عَارَضَهُمْ، فَإِذَا أَمْكَنَهُ الرَّمْيُ رَمَى ثُمَّ قَالَ:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... الْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
قَالَ: فَيَقُولُ قَائِلُهُمْ: أُوَيْكِعُنَا هُوَ أَوَّلُ النَّهَارِ. قَالَ: «وَبَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صِيَاحُ ابْنِ الْأَكْوَعِ، فَصَرَخَ بِالْمَدِينَةِ: " الْفَزَعَ الْفَزَعَ ". فَتَرَامَتِ الْخُيُولُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ انْتَهَى إِلَيْهِ مِنَ الْفُرْسَانِ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ، ثُمَّ عَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ، وَسَعْدُ بْنُ زَيْدٍ، وَأُسَيْدُ بْنُ ظُهَيْرٍ - يُشَكُّ فِيهِ - وَعُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَمُحْرِزُ بْنُ نَضْلَةَ، أَخُو بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَأَبُو
পৃষ্ঠা - ৩০২৮
قَتَادَةَ الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَأَبُو عَيَّاشٍ عُبَيْدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ صَامِتٍ، أَخُو بَنِي زُرَيْقٍ، قَالَ: فَلَمَّا اجْتَمَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّرَ عَلَيْهِمْ سَعْدَ بْنَ زَيْدٍ، ثُمَّ قَالَ: " اخْرُجْ فِي طَلَبِ الْقَوْمِ حَتَّى أَلْحَقَكَ فِي النَّاسِ " وَقَدْ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي عَيَّاشٍ فِيمَا بَلَغَنِي عَنْ رِجَالٍ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ: " يَا أَبَا عَيَّاشٍ لَوْ أَعْطَيْتَ هَذَا الْفَرَسَ رَجُلًا هُوَ أَفْرَسُ مِنْكَ فَلَحِقَ بِالْقَوْمِ ". قَالَ أَبُو عَيَّاشٍ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا أَفْرَسُ النَّاسِ. ثُمَّ ضَرَبْتُ الْفَرَسَ، فَوَاللَّهِ مَا جَرَى بِي خَمْسِينَ ذِرَاعًا حَتَّى طَرَحَنِي، فَعَجِبْتُ مِنْ ذَلِكَ، فَزَعَمَ رِجَالٌ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى فَرَسَ أَبِي عَيَّاشٍ مُعَاذَ بْنَ مَاعِصٍ، أَوْ عَائِذَ بْنَ مَاعِصٍ بْنِ قَيْسِ بْنِ خَلَدَةَ، وَكَانَ ثَامِنًا. قَالَ: وَبَعْضُ النَّاسِ يَعُدُّ سَلَمَةَ بْنَ الْأَكْوَعِ ثَامِنًا، وَيَطْرَحُ أُسَيْدَ بْنَ ظُهَيْرٍ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ، قَالَ: وَلَمْ يَكُنْ سَلَمَةُ بْنُ الْأَكْوَعِ يَوْمَئِذٍ فَارِسًا، وَقَدْ كَانَ أَوَّلَ مَنْ لَحِقَ بِالْقَوْمِ عَلَى رِجْلَيْهِ. قَالَ: فَخَرَجَ الْفُرْسَانُ حَتَّى تَلَاحَقُوا، فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ أَنَّ أَوَّلَ فَارِسٍ لَحِقَ بِالْقَوْمِ مُحْرِزُ بْنُ نَضْلَةَ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ الْأَخْرَمُ. وَيُقَالُ لَهُ: قُمَيْرٌ. وَكَانَتِ الْفَرَسُ الَّتِي تَحْتَهُ لِمَحْمُودِ بْنِ مَسْلَمَةَ - وَكَانَ يُقَالُ لِلْفَرَسِ: ذُو اللِّمَّةِ - فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى الْعَدُوِّ قَالَ لَهُمْ: قِفُوا مَعْشَرَ بَنِي اللَّكِيعَةِ حَتَّى يَلْحَقَ بِكُمْ مَنْ وَرَاءَكُمْ مِنْ أَدْبَارِكُمْ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ. قَالَ: فَحَمَلَ
পৃষ্ঠা - ৩০২৯
পক্ষান্তরে ইমাম বুখারী (ব) হুদায়বিয়ার পরে এবং খায়বরের আগে ঘুকাবাদ যুদ্ধের উল্লেখ
করেছেন ৷ এ যুদ্ধ সং টিত হয় খায়বর যুদ্ধের তিন দিন পুর্বে; যাতে দুশমনরা রাসুল করীম (সা)
-এর উটনী লুষ্ঠন করে নিয়ে গিয়েজ্যি ৷ ইমাম বুখারী (র) কুতায়বা ইবন সাঈদ (র)
সালামা ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন :
তিনি বলেন, প্রথম আযানের (ফজরের) আগে আমি (ঘর থেকে) বের ইে ৷ তখন রাসুল
করীম (না)-এর উটনীগুলো ছিল ষী কারাদ-এর চারণ ভুমিতে ৷ পথে আবদুর রহমান ইবন
আওফের এক ভৃত্যের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি বললেন, রাসুল করীম (না)-এর
উটনীগুলো লুট করে নিয়ে গেছে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম ; কে নিয়ে গেছে ? তিনি বললেন,
গাতফান গোত্রের লোকেরা ৷ তিনি বলেন : এরপর আমি ংাঠুা ; ৷ ৰু, বলে তিন দফা চিৎকার
করি ৷ আমার চিৎকারের শব্দ মদীনায় সকলকে শোনাই ৷ তারপর আমি ছুটে যাই এবং তাদের
নাপাল পেয়ে যইি ৷ তারা তখন পানি পান করছিল ৷ আমি তাদেরদিকে তীর নিক্ষেপ করলাম আর
আমি ছিলাম দক্ষ ভীরন্দায ৷ এ সময় আমি বলছিলাম :
আমি হলাম আকওয়া তনয়, আর আজকের দিনটি হলো নীচ লোকদের বিনাশের দিন ৷ এ
কথাগুলো আমি সুর করে গানের মতো আবৃত্তি করহ্নিাড়াম ৷ শেষ পর্যন্ত আমি তাদের নিকট থেকে
উটনীগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হই ৷ এছাড়াও আমি তাদের নিকট থেকে ৩০ থানা চাদরও
ছিনিয়ে আমি ৷ তিনি বলেন, তারপর রাসুল করীম (সা) এলেন এবং লোকজনও উপস্থিত হলো ৷
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ! আমিভাে তাদেরকে পানি পান করতে বাধা দিয়েছি ৷ তারা
পিপাসার্ত ৷ তখনই তাদের প্রতি লোক প্রেরণ করান ৷ তখন রাসুল করীম (সা) বললেন :
হে ইবনুল আকওয়া, যখন তুমি বিজয়ী হয়েছে৷ তখন উদার হও ৷ তারপর আমরা ফিরে
আমি এবং রাসুল করীম (সা) আমাকে তার নিজের উটনীতে সহযাত্রী করলেন ৷ অবশেষে আমরা
মদীনা পৌছলাম ৷ অনুরুপভাবে মুসলিম কুতায়বা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী
(র) ও আবুআসিম সুহালী আবুউবায়দার আযাদ করা গোলাম সালামা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হাশিম ইবন কাসিম সালামা ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন
হুদায়বিয়ার যমানায় আমরা রাসুল করীম (না)-এর সাথে মদীনায় আগমন করি ৷ একদিন আমি
এবং রাসুল করীম (না)-এর ভৃত্য রাবাহ রাসুলের সওয়ারী নিয়ে (মদীনায়) বাইরে গমন করি ৷
এবং আমি তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ ঘোড়া নিয়ে বের হই ৷ উদ্দেশ্য ছিল উটনীর সঙ্গে ঘোড়াকেও
পানি পান করানো ও মাঠে চরানাে ৷ অন্ধকার থাকতেই আবদুর রহমান ইবন উয়ায়না রাসুল করীম
(না)-এর উটের উপর হামলা চালায় ৷ সে উটের রাখালকে হত্যা করে এবং সে-ও তার সঙ্গে
অন্যরা উটগুলাে হীকিয়ে নিয়ে যায় ৷ আমি তখন বললাম, হে রাবাহ! ঘোড়ার পিঠে চড় এবং
তালহার সঙ্গে মিলিত হয়ে রাসুল করীম (সা)-কে খবর দাও যে, তার পশুগুলাে লুট হয়ে গেছে ৷
عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَتَلَهُ، وَجَالَ الْفَرَسُ فَلَمْ يُقْدَرْ عَلَيْهِ حَتَّى وَقَفَ عَلَى أَرِيَّةٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، أَيْ رَجَعَ إِلَى مِرْبَطِهِ الَّذِي كَانَ فِيهِ بِالْمَدِينَةِ.»
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يُقْتَلْ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ غَيْرُهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ مَعَهُ أَيْضًا وَقَّاصُ بْنُ مُجَزِّزٍ الْمُدْلِجِيُّ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ مُحْرِزًا كَانَ عَلَى فَرَسٍ لِعُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ يُقَالُ لَهَا: الْجَنَاحُ. فَقُتِلَ مُحْرِزٌ وَاسْتُلِبَتِ الْجَنَاحُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ: «وَلَمَّا تَلَاحَقَتِ الْخَيْلُ قَتَلَ أَبُو قَتَادَةَ حَبِيبَ بْنَ عُيَيْنَةَ وَغَشَّاهُ بُرْدَهُ، ثُمَّ لَحِقَ بِالنَّاسِ، وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْلِمِينَ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ - فَإِذَا حَبِيبٌ مُسَجًّى بِبُرْدِ أَبِي قَتَادَةَ، فَاسْتَرْجَعَ النَّاسُ، وَقَالُوا: قُتِلَ أَبُو قَتَادَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسَ بِأَبِي قَتَادَةَ، وَلَكِنَّهُ قَتِيلٌ لِأَبِي قَتَادَةَ، وَوَضَعَ عَلَيْهِ بُرْدَهُ لِتَعْرِفُوا أَنَّهُ صَاحِبُهُ ". قَالَ: وَأَدْرَكَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ أَوْبَارًا وَابْنَهُ عَمْرَو بْنَ أَوْبَارٍ، وَهُمَا عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، فَانْتَظَمَهُمَا بِالرُّمْحِ فَقَتَلَهُمَا جَمِيعًا وَاسْتَنْقَذُوا بَعْضَ اللِّقَاحِ. قَالَ: وَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلَ بِالْجَبَلِ مِنْ ذِي قَرَدٍ، وَتَلَاحَقَ بِهِ النَّاسُ، فَأَقَامَ عَلَيْهِ يَوْمًا وَلَيْلَةً، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩০
রাবী বলেন, আমি একটা উচ্চস্থানে আরোহণ করে মদীনায় দিকে মুখ করে তিনবার ধ্বনি দেই,
ষ্টুা;া; পু ৷ এরপর শত্রুরা পিছু ছুটে যাই তরবারী আর তীর ধনুকসহ আমি তীর নিক্ষেপ
করতে থাকি আর তাদের বাহনকে আহত করতে থাকি ৷ ঐ সময় সেখান পর্যাপ্ত পরিমাণ গাছপালা
জ্জি ৷ কোন ঘোড় সওয়ার আমার দিকে ছুটে এলে আমি গাছের ন্ণ্হুমড়ােলে আত্মগােপন করতাম ৷
তারপর আবার তীর ছুড়তাম ৷ আমার দিকে কোন ঘোড় সওয়ার এগিয়ে এলে আমি তাকে তীর
নিক্ষেপে আহত কংতাম ৷ এ সময় আমি আবৃত্তি কবছিলাম :
“আমি হলাম ইবনুল আকওয়া, আজকের দিনটি নীচাশয় লোকদের ধ্বংসের দিন ৷” তিনি
বলেন, আমি শত্রুর কোন লোকের নিকটবর্তী হলে তাকে তীর নিক্ষেপ করতাম , যা তার বাহন
ভেদ করে তার র্কাধ পর্যন্ত পৌছতাে ৷ তখন আমি বলতাম :
৫৯র্স ’
তাকে পাকড়াও কর, আমি হচ্ছি ইবনুল আকওয়া,
আজকের দিনটি তাে নীচ লোকদের ধ্বংসের দিন ৷
যখন আমি বৃক্ষরাজি পরিবেষ্টিত আগুনে থাকতাম, তীর নিক্ষেপ দ্বারা তাদের দেহ বাজেরা
করে ফেলভাম, আবার যখন গিরিপথ সামনে পড়তে! তখন আমি পাহাড়ের চুড়ায় উঠে তাদ্যো
উপর পাথর নিক্ষেপ করতাম ৷ আমার এবং তাদের দশা এমনই ছিল যে, আমি একাধারে তাদের
অনুসরণ করছিলাম আর সুর করে কবিতা আওড়ান্ডিংড়াম ৷ এমনকি রাসুল করীম (না)-এর
সবগুলো উটকেই আমি আমার পেছনে নিয়ে আমি এবং তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেই ৷
এরপরও আমি অব্যাহত ধারার তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে চনলাম ৷ এমন কি তার! বোঝা
হালকা করার মানসে ত্রিশটি বর্শা এবং ত্রিশটি চাদর ফেণে যায় ৷ আর তারা বা কিছু নিক্ষেপ
করতো তার উপর আমি প্রস্তর স্থাপন করতাম এবং রাসুনুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসগ্লোনের
আগমন পথে সেসব কিছু এক্য৷ করে ৱাখতাম ৷
শেষ পর্যন্ত বেলা উঠন্সে উয়ায়না ইবন বদর ফাষারী তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে ৷ তখন
তারা ছিল একটা সংর্কীর্ণণিরিপঃপ ৷ এরপর আমি পাহাড়ে চড়ে তাদের উপরে অবস্থান নেই এ
সময় উয়ায়না কালো : আমি এটা কি দেখছি ৷ তারা কালো : আমরা এমনই এক পরিস্থিতির
সম্মুখীন হয়েছি ৷ ভোর রাত থেকে এখন পর্যন্ত সোকটি আমাদ্যো পিছু ছাড়েনি ৷ আমাদের নিকট
যা কিছু ছিন্ন তার সবই সে হিনিয়ে নিয়ে তার পেছনে রেখে দিয়েছে ৷ তখন উয়ায়না বসে : সে
যদি এটা না দেখত্তো যে, তার পশ্চাৎ থেকে সাহায্য আসছে তাহণে সে তােমাদেরকে ত্যাগ করে
চলে যেতো ৷ তোমাদের কিছু থেকে তাদের সখুখে দাড়াক ৷ তাদের মধ্য থেকে চারজন সৰুধে
এগিয়ে আসে এবং পাহাড়ে আরোহণ করে ৷ আমি তাদেরকে শুনিয়ে ৩নিয়ে বপশাম, তোমরা কি
আমাকে চিনতে প!রছ ? তারা বণশো : কে তুমি ৷ বস্লাম, আমি ইবনুল আকওয়া ৷ সে সভার
لَهُ سَلَمَةُ بْنُ الْأَكْوَعِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ سَرَّحْتَنِي فِي مِائَةِ رَجُلٍ لَاسْتَنْقَذْتُ بَقِيَّةَ السَّرْحِ وَأَخَذْتُ بِأَعْنَاقِ الْقَوْمِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا بَلَغَنِي -: إِنَّهُمُ الْآنَ لَيُغْبَقُونَ فِي غَطَفَانَ " فَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَصْحَابِهِ فِي كُلِّ مِائَةِ رَجُلٍ جَزُورًا، وَأَقَامُوا عَلَيْهِ، ثُمَّ رَجَعَ قَافِلًا حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ. قَالَ: وَأَقْبَلَتِ امْرَأَةُ الْغِفَارِيِّ عَلَى نَاقَةٍ مِنْ إِبِلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَدِمَتْ عَلَيْهِ الْمَدِينَةَ فَأَخْبَرَتْهُ الْخَبَرَ. فَلَمَّا فَرَغَتْ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ نَذَرْتُ اللَّهَ أَنْ أَنْحَرَهَا إِنْ نَجَّانِي اللَّهُ عَلَيْهَا. قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: " بِئْسَ مَا جَزَيْتِهَا أَنْ حَمَلَكِ اللَّهُ عَلَيْهَا وَنَجَّاكِ بِهَا ثُمَّ تَنْحَرِينَهَا، إِنَّهُ لَا نَذْرَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، وَلَا فِيمَا لَا تَمْلِكِينَ، إِنَّمَا هِيَ نَاقَةٌ مِنْ إِبِلِي، فَارْجِعِي إِلَى أَهْلِكِ عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَالْحَدِيثُ فِي ذَلِكَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ هَكَذَا أَوْرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقِصَّةَ بِمَا ذَكَرَهُ مِنَ الْإِسْنَادِ وَالسِّيَاقِ.
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، بَعْدَ قِصَّةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَبْلَ خَيْبَرَ: غَزْوَةُ ذِي قَرَدٍ، وَهِيَ الْغَزْوَةُ الَّتِي أَغَارُوا عَلَى لِقَاحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ خَيْبَرَ بِثَلَاثٍ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، سَمِعْتُ سَلَمَةَ بْنَ الْأَكْوَعِ يَقُولُ: «خَرَجْتُ قَبْلَ أَنْ يُؤَذَّنَ بِالْأُولَى، وَكَانَتْ لِقَاحُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْعَى بِذِي قَرَدٍ. قَالَ: فَلَقِيَنِي غُلَامٌ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فَقَالَ: أُخِذَتْ لِقَاحُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: مَنْ أَخَذَهَا؟ قَالَ: غَطَفَانُ. قَالَ: فَصَرَخْتُ ثَلَاثَ صَرَخَاتٍ: يَا
পৃষ্ঠা - ৩০৩১
صَبَاحَاهْ. قَالَ: فَأَسْمَعْتُ مَا بَيْنَ لَابَتَيِ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ انْدَفَعْتُ عَلَى وَجْهِي حَتَّى أَدْرَكْتُهُمْ وَقَدْ أَخَذُوا يَسْتَقُونَ مِنَ الْمَاءِ، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ بِنَبْلِي - وَكُنْتُ رَامِيًا - وَأَقُولُ: أَنَا ابْنُ الْأَكْوَعْ، الْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ. وَأَرْتَجِزُ حَتَّى اسْتَنْقَذْتُ اللِّقَاحَ مِنْهُمْ وَاسْتَلَبْتُ مِنْهُمْ ثَلَاثِينَ بُرْدَةً. قَالَ: وَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ حَمَيْتُ الْقَوْمَ الْمَاءَ، وَهُمْ عِطَاشٌ، فَابْعَثْ إِلَيْهِمُ السَّاعَةَ. فَقَالَ: " يَا ابْنَ الْأَكْوَعِ، مَلَكْتَ فَأَسْجِحْ ". ثُمَّ رَجَعْنَا، وَيُرْدِفُنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاقَتِهِ حَتَّى قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، بِهِ، وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ مَوْلَاهُ سَلَمَةَ، بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩২
শপথ, যিনি মুহামাদের চেহারাকে সম্মানিত করেছেন ৷ তোমাদের মধ্যে যে কেউ আমার
পশ্চাদ্ধাবন করবে সে আমাকে পাকড়াও করতে পারবেনা পক্ষাম্ভরে আ ৷মি যার পশ্চাদ্ধাবন করবো
সে আমার হাত থেকে পালাতে পারবে না ৷ তাদের এক ব্যক্তি বললো, হবেওত তা তিনি বলেন
আমি আমার অবস্থানে স্থির থাকলাম ৷ এমন সময় রাসুল করীম (সা ) এর অশ্বারোহীদের প্রতি
আমার নজর পড়ে ৷ গাছের ফাক দিয়ে তারা এগিয়ে আসছিলেন ৷ তাদের মধ্যে সকলের
আংভাগে ছিলেন আখরাম আল আসাদী আর তার পশ্চাতে ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘোড়
সওয়ার আবু কাতাদা ৷ আর তার পেছনে ছিলেন মিকদাদ ইবন আনৰুদ আল-কিন্দী ৷ তখন
ঘুশরিকরা পেছনের দিকে ছুটে পালায় ৷ আমি পাহাড় থেকে নিচে নাে: ৷ আমি এবং আখরামের
ঘোড়ার লাগান ধরি ৷ বলিষ্ক আখরাম! তাদের ব্যাপারে সর্তক থাকবে ৷ আমার আশংকা হয় ৷
তারা তোমাকে হত্যা করবে ৷ তুমি রাসুল করীম এবং তার সাহাৰীহ্ব দ্র আগমন পর্যন্ত একটু
অপেক্ষা কর ৷ তিনি বললেন সালামা ! আল্লাহ তা আ লা এবং শেষ দিনে তোমার যদি ঙ্গমান
থাকে আর তোমার যদি বিশ্বাস হয় যে, জান্নাত-জাহান্নাম সত্য তাহরুণ্৷ আমার আর শাহাদতের
মধ্যন্থলে তুমি অস্তুরায় হয়ে র্দাডিয়ােন৷ ৷
ইবন ইসহাক বলেন : তখন আমি তার ঘোড়ার লাগান ণ্ছড়ে দেই ৷ ফলে তিনি আবদুর
রহমান ইবন উয়ায়নার মুখোমুখী হন ৷ আর আবদুর রহমানও তার প্রতি ফিরে দাড়ায় ৷ উভশ্নে
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ৷ আখরাম আবদুর রহমানকে আঘাত করেন এবং আবদুর রহমান তীর
নিক্ষেণে তাকৈ হত্যা করে ৷ এর ফলে আবদুর রহমান আখরামের ঘোড়ার চড়ে বসে ৷ তারপর
আবু কাতাদা আবদুর রহমানের মুখোমুখি এসে দাড়ান, পরস্পরে একে অন্যের উপর আঘাত
হানেন ৷ যে আবুকাতদাের ঘোড়াকে আহত করে ৷ আবু কাতাদা আবদুর রহমানকে হত্যা করেন
এবং আখরামের ঘোড়ার পিঠে সওরার হন ৷
এরপর আমি শত্রুবাহিনীর ন্স্ফোতে ছুটে যাই; এমনকি আমি নবী কল্পীম (সা) এর সাহাবীদের
ঘোড়ার পায়ের ধুলোতেও দেখতে পাচ্ছিলাম না ৷ সুযাস্তের পুর্বে শত্রুর৷ একটা ঘাটিশুত পৌছে,
যেখানে পানি জ্জি ৷ এর নাম ল্লি বু-কারাদ ৷ শত্রুপ্স্ফো সেখানে প্া৷নি পান বল্পতে ঢেয়েছিল ; কিন্তু
পেছন দিক থেকে আমাকে ছুটে আসতে দেখে , তারা পেছনে সরে দাড়ায় এবং সানিয়া যী বির
-এর দিকে মোড় নেয় এবং সেখানেই সুর্য অস্তমিত হয় ৷ এসময় এক ব্যক্তির কাছে গিয়ে আমি
তাকে তীর নিক্ষেপ করে বলি :
৷ গ্লুন্ধুন্৷ ৷ ;প্রু৷ ক্রোঙ্ ৮৯১১
তাকে পাকড়াও করো আর আমি হলাম্ আক্যাে এর পুত্র আর আজকের দিনটি হল নিশ্চয়
লোকদের বিনাশ করার দিন ৷ সে বনল্যে, আকওয়া এর যা তার জন্য ব্লোদৃন করুক ৷ সকালের
সেই আক্ওয়া আমি ;বললাম হা রে নিজের দৃশমন ! ভোরনেলা আমি তাকে তীর নিক্ষেপ
করেছিলাম এবং এরপর আরো একটা তীর ছুড়ি; ফলে তার দেহে দুটি তীর বের হয় ৷ আর তারা
রেখে যায় দুটি ঘোড়া ৷ আমি যে ঘোড়া দুটি হাকিয়ে রাসুল কবীম (না-এর কাছে নিয়ে যাই ৷
পানির যে কুপের কাছ থেকে আমি তাদেরকে উচ্ছেদ করেছিলাম ৷ তিনি সেখানেই অবস্থান
করছিলেন ৷ তর্থোৰুৎ য়ু-কারাহ করার কাছে ৷ তখন নবী কর্বীম্ (মা) ছিলেন গাচশ’ জন সাহাবী
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَجْتُ أَنَا وَرَبَاحٌ غُلَامُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَرَجْتُ بِفَرَسٍ لِطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، كُنْتُ أُرِيدُ أَنْ أُنَدِّيَهُ مَعَ الْإِبِلِ، فَلَمَّا كَانَ بِغَلَسٍ أَغَارَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُيَيْنَةَ عَلَى إِبِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَتَلَ رَاعِيَهَا وَخَرَجَ يَطْرُدُهَا هُوَ وَأُنَاسٌ مَعَهُ فِي خَيْلٍ، فَقُلْتُ: يَا رَبَاحُ، اقْعُدْ عَلَى هَذَا الْفَرَسِ فَأَلْحِقْهُ بِطَلْحَةَ، وَأَخْبِرْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَدْ أُغِيرَ عَلَى سَرْحِهِ. قَالَ: وَقُمْتُ عَلَى تَلٍّ فَجَعَلْتُ وَجْهِي مِنْ قِبَلِ الْمَدِينَةِ ثُمَّ نَادَيْتُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: يَا صَبَاحَاهْ. قَالَ: ثُمَّ اتَّبَعْتُ الْقَوْمَ مَعِي سَيْفِي وَنَبْلِي، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ وَأَعْقِرُ بِهِمْ، وَذَلِكَ حِينَ يَكْثُرُ الشَّجَرُ فَإِذَا رَجَعَ إِلَيَّ فَارِسٌ جَلَسْتُ لَهُ فِي أَصْلِ شَجَرَةٍ ثُمَّ رَمَيْتُ فَلَا يُقْبِلُ عَلَيَّ فَارِسٌ إِلَّا عَقَرْتُ بِهِ، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ، وَأَنَا أَقُولُ: أَنَا ابْنُ الْأَكْوَعْ وَالْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ. قَالَ: فَأَلْحَقُ بِرَجُلٍ مِنْهُمْ فَأَرْمِيهِ، وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ فَيَقَعُ سَهْمِي فِي الرَّجُلِ حَتَّى انْتَظَمَ كَتِفَهُ، فَقُلْتُ:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... وَالْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
فَإِذَا كُنْتُ فِي الشَّجَرِ أَحْرَقْتُهُمْ بِالنَّبْلِ، فَإِذَا تَضَايَقَتِ الثَّنَايَا عَلَوْتُ الْجَبَلَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৩
فَرَدَيْتُهُمْ بِالْحِجَارَةِ، فَمَا زَالَ ذَاكَ شَأْنِي وَشَأْنَهُمْ أَتْبَعُهُمْ وَأَرْتَجِزُ حَتَّى مَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا مِنْ ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا خَلَّفْتُهُ وَرَاءَ ظَهْرِي، فَاسْتَنْقَذْتُهُ مِنْ أَيْدِيهِمْ، ثُمَّ لَمْ أَزَلْ أَرْمِيهِمْ حَتَّى أَلْقَوْا أَكْثَرَ مِنْ ثَلَاثِينَ رُمْحًا، وَأَكْثَرَ مِنْ ثَلَاثِينَ بُرْدَةً يَسْتَخِفُّونَ مِنْهَا، وَلَا يُلْقُونَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا إِلَّا جَعَلْتُ عَلَيْهِ حِجَارَةً، وَجَمَعْتُ عَلَى طَرِيقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا امْتَدَّ الضُّحَى أَتَاهُمْ عُيَيْنَةُ بْنُ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ مَدَدًا لَهُمْ، وَهُمْ فِي ثَنِيَّةٍ ضَيِّقَةٍ، ثُمَّ عَلَوْتُ الْجَبَلَ، فَأَنَا فَوْقَهُمْ، فَقَالَ عُيَيْنَةُ: مَا هَذَا الَّذِي أَرَى؟ قَالُوا: لَقِينَا مِنْ هَذَا الْبَرْحَ، مَا فَارَقَنَا بِسَحَرٍ حَتَّى الْآنَ، وَأَخَذَ كُلَّ شَيْءٍ فِي أَيْدِينَا وَجَعَلَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ فَقَالَ عُيَيْنَةُ: لَوْلَا أَنَّ هَذَا يَرَى أَنَّ وَرَاءَهُ طَلَبًا لَقَدْ تَرَكَكُمْ، لِيَقُمْ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْكُمْ. فَقَامَ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ، فَصَعِدُوا فِي الْجَبَلِ، فَلَمَّا أَسْمَعْتُهُمُ الصَّوْتَ قُلْتُ: أَتَعْرِفُونَنِي؟ قَالُوا: وَمَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَا ابْنُ الْأَكْوَعِ، وَالَّذِي كَرَّمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ لَا يَطْلُبُنِي رَجُلٌ مِنْكُمْ فَيُدْرِكَنِي وَلَا أَطْلُبُهُ فَيَفُوتَنِي. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ: إِنْ أَظُنُّ. قَالَ: فَمَا بَرِحْتُ مَقْعَدِي ذَلِكَ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى فَوَارِسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَخَلَّلُونَ الشَّجَرَ، وَإِذَا أَوَّلُهُمِ الْأَخْرَمُ الْأَسَدِيُّ، وَعَلَى أَثَرِهِ أَبُو قَتَادَةَ فَارِسُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى أَثَرِ أَبِي قَتَادَةَ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ الْكِنْدِيُّ، فَوَلَّى الْمُشْرِكُونَ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৪
পরিবেষ্টিত ৷ আর বিলাল (বা) আমার ফেলে আসা উটের মধ্য থেকে একটা উট যবাই করেন
এবং তিনি রাসুল কয়ীম (না)-এর জন্য উটের কলিজা ও কুজের গোশত ভৃনছিলেন ৷ আমি রাসুল
করীম (না)-এর থেদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলাম; ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু আমাকে অনুমতি দিন,
আমি আপনার সাহাবীপণের মধ্যে থেকে একশজনকে বাছাই করে নেবাে এবং রাতের অন্ধকারে
আমি কাফিরদেরকে পাকড়াও করবো এবং তাদের মধ্যে একজন গুপ্তচরও অবশিষ্ট থাকবে না ,
আমি তাদের সকলকেই হত্যা করবো ৷ আমার কথা শুনে রাসুল করীম (সা) বললেন : সালামা !
তুমি কি তাই করবে ? আমি বললাম, জী হা ৷ যে সত্তা আপনাকে সম্মানিত করেছেন তার শপথ
করে বলছি ৷ ৰু তে রাসুল করীম (সা) হেসে ফেললেন; এমন কি আগুনের আলোতে আমি তার
মাড়ির দাত দেখতে পেলাম ৷ এরপর তিনি বললেন, গাতফান গোত্রের ভুমিতে এখন তাদের
মেহমানদারী চলছে ৷ তখন পাতফান গোত্রের জনৈক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বললো : তারা অমুক
গাতফানীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছে ৷ সে তাদের জন্য উট যবাই করেছে ৷ তারা বসে উটের
চামড়া খসাচ্ছিল এমনি সময় গিয়ে তারা ধুলাবালি উড়তে দেখতে পেয়ে ছেড়ে ছুটে পালায় ৷ ভোর
হলে রাসুল করীম (সা) বললেন : আমাদের ঘোড়সওয়ারদের মধ্যে আবু কাতাদা সর্বোত্তম; আর
পদাতিকদের মধ্যে সবেত্তিম হল সালামা ৷ তাই রাসুল করীম (সা) আমাকে ঘোড়সওয়ার আর
পদাতিক উভয়ের অংশ দান করলেন ৷ তারপর মদীনা প্রত্যাবর্তনকালে তিনি তার নিজের উটনী
আযবার পিঠে আমাকে সহযাত্রী করলেন ৷ যখন আমাদের আর মদীনায় মধ্যে কিছুটা দুরতৃ
অবশিষ্ট জ্জি এবং দোকদ্যে৷ মধ্যে একজন এমনও ল্লি, যে প্রতিযোগিতায় পরাজিত হতো না সে
ডাক দিয়ে বলছিল; কোন প্ৰতািযাগী আছে কি ? মদীনা পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মতো
কেউ আছে কি : কথাটা সে বারবার উচ্চারণ করছিল ৷ আর আমি ছিলাম রাসুল করীম (সা)--এর
পেছনের সহযাত্রী ৷ আমি তাকে বললাম : তুমি কি কোন সম্রান্ত ব্যক্তির সম্মান করনা আর কোন
শরীফ ব্যক্তিকে ভয় কর না : সে বললো : রাসুল করীম (সা) ব্যতীত অন্য কাউকে আমি সম্মানও
করি না আর ভয়ও করি না ৷ আমি আরয করলাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার প্রতি আমার
পিতা-মাতা বুল্মবান হোন, আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবাে ৷
তিনি বললেন : তোমার ইচ্ছা হলে নামভে পার ৷ আমি তাকে বললাম , আমি তোমার দিকে
আসছি ৷ সে সওয়াৰী থেকে লাফিয়ে পড়লো, আর আমিও উটনীর পিছন থেকে লাফিয়ে পজ্ঞাম ৷
এরপর আমি এক বা দুই টিলা পেছনে রইলাম অর্থাৎ দম রাখার জন্য ধীর গতিতে এগুলাম ৷
তারপর দ্রুত ও দৌড়ে গিয়ে তার সঙ্গে মিলিত হলাম এবং তার দৃ’ স্কন্ধের মধ্যস্থুলে একটা ঘুষি
মেরে রললাম , আল্লাহ্র শপথ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, অথবা এরকম কোন কথা
বললাম ৷ আমার কথা শুনে সে হেসে বললো : আমিও তো তাই মনে করছি ৷ এভাবে আমরা
মদীনায় গিয়ে গৌছলাম ৷ মুসলিম (র) ইকরিমা ইবন আমার থেকে বিভিন্ন সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ তাতে উল্লেখ আছে যে , আমি তার আগে মদীনা পৌছি এবং তিনদিন অবস্থান করেই
আমরা খায়ব্যারর উদ্দেশ্যে বের হই ৷ এ সুত্রে ইমাম আহমদ (র) থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে ৷
বুখারী এবং বায়হাকী হুদায়বিয়ার পর এবং খারবরের আগে এ যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
ইব ন ইসহ্াকের বর্ণনার তুলনায় এটাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ তাআলইি ভাল জানেন ৷
مُدْبِرِينَ، وَأَنْزِلُ مِنَ الْجَبَلِ فَآخُذُ عِنَانَ فَرَسِهِ، فَقُلْتُ: يَا أَخْرَمُ انْذَرِ الْقَوْمَ - يَعْنِي احْذَرْهُمْ - فَإِنِّي لَا آمَنُ أَنْ يَقْتَطِعُوكَ، فَاتَّئِدْ حَتَّى يَلْحَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ قَالَ: يَا سَلَمَةُ، إِنْ كُنْتَ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَتَعْلَمُ أَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ وَالنَّارَ حَقٌّ فَلَا تَحُلْ بَيْنِي وَبَيْنَ الشَّهَادَةِ. قَالَ: فَخَلَّيْتُ عِنَانَ فَرَسِهِ، فَيَلْحَقُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَيَعْطِفُ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ، فَعَقَرَ الْأَخْرَمُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَطَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَتَلَهُ، فَتَحَوَّلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ، فَيَلْحَقُ أَبُو قَتَادَةَ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ بِأَبِي قَتَادَةَ، وَقَتَلَهُ أَبُو قَتَادَةَ، وَتَحَوَّلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ، ثُمَّ إِنِّي خَرَجْتُ أَعْدُو فِي أَثَرِ الْقَوْمِ حَتَّى مَا أَرَى مِنْ غُبَارِ صَحَابَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا، وَيُعْرِضُونَ قَبْلَ غَيْبُوبَةِ الشَّمْسِ إِلَى شِعْبٍ فِيهِ مَاءٌ يُقَالُ لَهُ: ذُو قَرَدٍ. فَأَرَادُوا أَنْ يَشْرَبُوا مِنْهُ، فَأَبْصَرُونِي أَعْدُو وَرَاءَهُمْ فَعَطَفُوا عَنْهُ، وَاشْتَدُّوا فِي الثَّنِيِّةِ ثَنِيَّةِ ذِي بِئْرٍ، وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَأَلْحَقُ رَجُلًا فَأَرْمِيهِ فَقُلْتُ:
خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... وَالْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
قَالَ: فَقَالَ: يَا ثُكْلَ أُمِّ أَكْوَعَ بُكْرَةَ. فَقُلْتُ: نَعَمْ، أَيْ عَدُوَّ نَفْسِهِ. وَكَانَ الَّذِي رَمَيْتُهُ بُكْرَةَ وَأَتْبَعْتُهُ سَهْمًا آخَرَ فَعَلِقَ بِهِ سَهْمَانِ، وَيَخْلُفُونَ فَرَسَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৫
সুতরাং সপ্তম হিজরীর ঘটনাবলীর সঙ্গে তার উল্লেখ করাই হবে সমীচীন ৷ কারণ, সপ্তম হিজরীর
সফর মাসে বারবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৷ অবশ্য, সে মহিলাটি নবী করীম (সা)-এর উটনীতে
আরোহণ করে রক্ষা পেয়ে তা যবইি করার মানত করেছিল ৷ ইমাম ইবন ইসহাক (র) হাসান
বসরী সুত্রে আবুয যুবায়র এর বরাতে বিচ্ছিন্ন সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য অন্যান্য সুত্রে
অৰিজ্জি সনদে হাদীছটি বর্ণিত আছে ৷
ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান (র) — ইমরান ইবন হুসইিন সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে,
আযবা উটনীটি ছিল বনু আকীলের জনৈক ব্যক্তির ৷ এটি হাব্জীদেরকে নিয়ে দ্রুত গতিতে আগে
আগে ছুটে যেত ৷ সে লোকটাসহ আযবা উটনীকে ধরে আনা হয় ৷ ইমম আহমদ (র) আরো
বলেন যে, ল্যেকটি যখন বাধা ছিল তখন ইমাম আহমদ (র) নবী করীম (সা) তার পাশ দিয়ে
অতিক্রমকালে সােকটি জিজ্ঞাসা করে ৷ হে মুহাম্মাদ ৷ আমাকে এবং যাত্রীদলের অগ্রগামী
বাহনটাকে আপনি ণ্কন আটক ক্যালেন ? রাসুল করীম (সা) এ সময় তার খচ্চরের উপর সওয়ার
হয়ে যাচ্ছিলেন ৷ আর জবাবে তিনি বললেন, আমরা তোমাকে গ্রেফতার করেছি তোমাদের মিত্র
গোত্র ছার্কীফ এর অপরাধের কারণে ৷ তিনি বলেন যে, ছাকীফ গোত্র নবী করীম (সা)-এর দুজন
সাহাবীকে বন্দী করে রেখেছিল ৷ সে তার বক্তব্যে বলেছিল, আমি তাে একজন মুসলমান ৷ রাসুল
করীম (সা) তখন বললেন : তুমি যদি বন্দী হওয়ার আবগ স্বাধীন থাকাকালে এ কথা বলতে
তাহলে তো তুমি সফ্ফাই হতে ৷
এ কথাটি বলে রাসুল কত্রীম (সা) স্থান ত্যাগ করতে উদ্যত হলে সে বললো : হে মুহঙ্গোদা
আমি ক্ষুধার্ত, আমাকে আহার্য দিন ৷ আমি পিপাসার্ত ৷ আমাকে পানি পান করান ৷ তখন নবী বত্রীম
(সা) বললেন : এই তোমার প্রয়োজন ৷ এরপর তিনি পুবেক্তি দুব্যক্তির ফিদিয়া বা বিনিময় স্বরুপ
তাকে মুক্ত করে দিলেন এবং আযুবা উটনীটি নিজের বহ্হনের জন্য রেখে দিলেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেন যে, মুশরিকরা যখন মদীনায় রাসুল (সা)এর পণ্ডপালে হামলা চালায় তখন
তার! ঙ্গুষ্ঠিত পশুপালের সঙ্গে আযুবা উটনীও নিবুয় যায় ৷ উপরন্তু তারা একজন মুসলিম মহিলাকেও
ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে ৷ তিনি আরো বলেন যে, তারা কোন মনযিণে অবস্থান করলে
মনযিলের আঙ্গিনায় উটণ্ডালা চারণের জন্য ছেড়ে দিতো ৷ এক রাত্রে সকলে ঘুমিরে পড়লে
মহিণাটি উঠে উটনীটির কাছে মোঃ৷ উটনীটি আওয়ায কাি ৷ মহিলাটি আষ্ৰা নামক উটনীর
কাছেও যায় ৷ এটি ছিল অত্যন্ত অনুগত ও শাস্তুশিষ্ট ৷ মহিণাটি আবৃবার পিঠে সওয়ার হয়, তাকে
মদীনায় দিকে ম্বুটায় এবং মানত করে যে, আল্পাহ্ তারে নিরাপদ পন্তব্যে পৌছালে সে এটিকে
আল্লাহর নামে যৰাই করবে ৷ মদীনায় পৌহগে জানা যায় যে, এটি রাসুল লীেম (না)-এর বহুল
পরিচিত উটনী ৷ মহিণাকে বলা হয় যে, এটি রাসুল করীম (সা )-এর উটনী ৷ তার মানত সম্পর্কে
রাসুল করীম (সা) জানতে পারলেন, অথবা মহিলা নিজেই রাসুল (না)-কে জানালেন তখন তিনি
বললেন : তুমি যে উটনীটিকে নিকুষ্ট প্রতিদান দিলে, অথ্বা তিনি বললেন যে, মহিলাটি তাকে
নিকৃষ্ট প্ৰতিদান কাি ৷ অল্লোহ্তাে সে ত্মীর উপর সওয়ার করিয়ে তাকে মুক্তি দিলেন আর যে মুক্তি
পেয়ে তাকে যৰাই করতে উদ্যত ৷ তারপর তিনি (সা) বললেন : আল্লাহ্র নাযদ্মমানীর ক্ষেত্রে
মানত পুরণ করতে হয় না; আদম সন্তান যে বন্তুর মালিক নয়, সে মোঃ মানত সিদ্ধ হয় না
فَجِئْتُ بِهِمَا أَسُوقُهُمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي أَجْلَيْتُهُمْ عَنْهُ - ذُو قَرَدٍ - وَإِذَا بِنَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَمْسِمِائَةٍ، وَإِذَا بِلَالٌ قَدْ نَحَرَ جَزُورًا مِمَّا خَلَفْتُ، فَهُوَ يَشْوِي لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كَبِدِهَا وَسَنَامِهَا، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَلِّنِي فَأَنْتَخِبُ مِنْ أَصْحَابِكَ مِائَةً، فَآخُذُ عَلَى الْكُفَّارِ بِالْعَشْوَةِ، فَلَا يَبْقَى مِنْهُمْ مُخْبِرٌ إِلَّا قَتَلْتُهُ. فَقَالَ: «أَكُنْتَ فَاعِلًا ذَلِكَ يَا سَلَمَةُ؟» ". قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ. فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ فِي ضَوْءِ النَّارِ، ثُمَّ قَالَ: " «إِنَّهُمْ يُقْرَوْنَ الْآنَ بِأَرْضِ غَطَفَانَ» ". فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ غَطَفَانَ فَقَالَ: مَرُّوا عَلَى فُلَانٍ الْغَطَفَانِيِّ، فَنَحَرَ لَهُمْ جَزُورًا، فَلَمَّا أَخَذُوا يَكْشِطُونَ جِلْدَهَا رَأَوْا غَبَرَةً، فَتَرَكُوهَا وَخَرَجُوا هِرَابًا، فَلَمَّا أَصْبَحْنَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ فُرْسَانِنَا الْيَوْمَ أَبُو قَتَادَةَ، وَخَيْرُ رَجَّالَتِنَا سَلَمَةُ» ". فَأَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمَ الْفَارِسِ وَالرَّاجِلِ جَمِيعًا، ثُمَّ أَرْدَفَنِي وَرَاءَهُ عَلَى الْعَضْبَاءِ رَاجِعِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلَمَّا كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهَا قَرِيبٌ مِنْ ضَحْوَةٍ، وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ كَانَ لَا يُسْبَقُ جَعَلَ يُنَادِي: هَلْ مِنْ مُسَابِقٍ؟ أَلَا رَجُلٌ يُسَابِقُ إِلَى الْمَدِينَةِ؟ فَأَعَادَ ذَلِكَ مِرَارًا، وَأَنَا وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْدِفِي، فَقُلْتُ لَهُ: أَمَا تُكْرِمُ كَرِيمًا وَلَا تَهَابُ شَرِيفًا؟ قَالَ: لَا، إِلَّا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، خَلِّنِي فَلْأُسَابِقِ الرَّجُلَ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩০৩৬
" إِنْ شِئْتَ " قُلْتُ: اذْهَبْ إِلَيْكَ. فَطَفَرَ عَنْ رَاحِلَتِهِ وَثَنَيْتُ رِجْلَيَّ فَطَفَرْتُ عَنِ النَّاقَةِ، ثُمَّ إِنِّي رَبَطْتُ عَلَيْهِ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ، يَعْنِي اسْتَبْقَيْتُ مِنْ نَفَسِي، ثُمَّ إِنِّي عَدَوْتُ حَتَّى أَلْحَقَهُ، فَأَصُكُّ بَيْنَ كَتِفَيْهِ بِيَدِي، قُلْتُ: سَبَقْتُكَ وَاللَّهِ. أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا. قَالَ: فَضَحِكَ وَقَالَ: إِنْ أَظُنُّ. حَتَّى قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، بِنَحْوِهِ، وَعِنْدَهُ: سَبَقْتُهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمْ نَلْبَثْ إِلَّا ثَلَاثًا حَتَّى خَرَجْنَا إِلَى خَيْبَرَ. وَلِأَحْمَدَ هَذَا السِّيَاقُ.
ذَكَرَ الْبُخَارِيُّ والْبَيْهَقِيُّ هَذِهِ الْغَزْوَةَ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَبْلَ خَيْبَرَ، وَهُوَ أَشْبَهُ مِمَّا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَيَنْبَغِي تَأْخِيرُهَا إِلَى أَوَائِلِ سَنَةِ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، فَإِنَّ خَيْبَرَ كَانَتْ فِي صَفَرٍ مِنْهَا.
وَأَمَّا قِصَّةُ الْمَرْأَةِ الَّتِي نَجَتْ عَلَى نَاقَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَذَرَتْ نَحْرَهَا لِنَجَاتِهَا عَلَيْهَا، فَقَدْ أَوْرَدَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ بِرِوَايَتِهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ مُرْسَلًا. وَقَدْ جَاءَ مُتَّصِلًا مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «كَانَتِ الْعَضْبَاءُ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৭
(আর তা পুরণও করতে হয় না) ইমাম মুসলিম (র) আবুর রাবী যাহরানী সুত্রে হস্ফোদ ইবন
যায়দের বরাতে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন : যি-ফারাদ যুদ্ধ সম্পর্কে যে সব কাব্য রচিত হয়েছে, তন্মধ্যে
হাসৃসান ইবন সাবিতের নিম্নোক্ত কবিতাও উল্লেখযেশ্যে :
প্রুপ্রু১ৰুন্প্রু
১ম্ ষ্এণ্১শ্নণ্ স্টো
৷ শ্ব;া
১দ্রে
এ
এেষ্ৰু ণ্ঙুাণ্
মর্মার্থ ও আমার দক্ষিণে কাল যদি আমাদের ঘোড়া ব্যস্ত না থাকতো, তাহলে সে আসতো
তোমাদের নিকট সশস্ত্র শীর্ষ ব্যক্তিবর্গকে পৃষ্ঠে সওয়াৱ করে ৫
আমরা মিকদাদের ঘোড়সওয়ারদের হাতে নস্তে এতে বংশ পরিচয় হীন লোকেরা আনন্দিত
হয়
আমরা ছিলাম আটজন (অশ্বারোহী) আর তারা ছিল বিশাল বাহিনী, যাদেরকে নণ্ডভণ্ড করা
হয়েছে বশার আঘাতে ৷
আমরা এমন সম্প্রদায়ের লোক যারা ত্যি তাদ্যেষ্ক নিকটবর্তী কুলীন অশ্বেৱ লাপাম ধরে তারা
সম্মুখে এগিয়ে যায় ৷
কক্ষনাে না সেসব সওয়ারীদের পাণনকতব্লি শপথ, যারা মিনাৱপথে ণননকাসে সুউচ্চ
পার্বত্য পথ অতিক্রম করে চলে :
এমনকি উন্নত মানের অশ্ব তোমাদের গৃহের আঙ্গিনায়, আর আমরা প্রত্যাবর্তন করবো বব্দিনী
আর সম্ভানদেরকে নিয়ে ৷
৩৭
لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي عُقَيْلٍ، وَكَانَتْ مِنْ سَوَابِقِ الْحَاجِّ فَأُسِرَ الرَّجُلُ، فَأُخِذَتِ الْعَضْبَاءُ مَعَهُ. قَالَ: فَمَرَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي وَثَاقٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حِمَارٍ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، عَلَامَ تَأْخُذُونِي وَتَأْخُذُونَ سَابِقَةَ الْحَاجِّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَأْخُذُكَ بِجَرِيرَةِ حُلَفَائِكَ ثَقِيفٍ ". قَالَ: وَكَانَتْ ثَقِيفٌ قَدْ أَسَرُوا رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ فِيمَا قَالَ: وَإِنِّي مُسْلِمٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ قُلْتَهَا وَأَنْتَ تَمْلِكُ أَمْرَكَ، أَفْلَحْتَ كُلَّ الْفَلَاحِ ". قَالَ: وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي جَائِعٌ فَأَطْعِمْنِي وَإِنِّي ظَمْآنُ فَاسْقِنِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذِهِ حَاجَتُكَ ". ثُمَّ فُدِيَ بِالرَّجُلَيْنِ، وَحَبَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَضْبَاءَ لِرَحْلِهِ. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ الْمُشْرِكِينَ أَغَارُوا عَلَى سَرْحِ الْمَدِينَةِ، فَذَهَبُوا بِهِ، وَكَانَتِ الْعَضْبَاءُ فِيهِ، قَالَ: وَأَسَرُوا امْرَأَةً مِنَ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: وَكَانُوا إِذَا نَزَلُوا أَرَاحُوا إِبِلَهُمْ بِأَفْنِيَتِهِمْ. قَالَ: فَقَامَتِ الْمَرْأَةُ ذَاتَ لَيْلَةٍ بَعْدَ مَا نَوَّمُوا، فَجَعَلَتْ كُلَّمَا أَتَتْ عَلَى بَعِيرٍ رَغَا حَتَّى أَتَتْ عَلَى الْعَضْبَاءِ، فَأَتَتْ عَلَى نَاقَةٍ ذَلُولٍ مُجَرَّسَةٍ فَرَكِبَتْهَا، ثُمَّ وَجَّهَتْهَا قِبَلَ الْمَدِينَةِ. قَالَ: وَنَذَرَتْ إِنِ اللَّهُ أَنْجَاهَا عَلَيْهَا لَتَنْحَرَنَّهَا، فَلَمَّا قَدِمَتِ الْمَدِينَةَ عُرِفَتِ النَّاقَةُ، فَقِيلَ: نَاقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَذْرِهَا أَوْ أَتَتْهُ فَأَخْبَرَتْهُ فَقَالَ: " بِئْسَ مَا جَزَيْتِهَا ". أَوْ: " بِئْسَ مَا جَزَتْهَا أَنْ أَنْجَاهَا اللَّهُ عَلَيْهَا لَتَنْحَرَنَّهَا ". قَالَ: ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৩০৩৮
ধীরে-সুন্থে চলতে চলতে এক একটি চপল-চঞ্চল অশ্বকে, যা ছুটে যার প্রতিটি লড়ইিয়ের
ময়দানে আর প্রতিটি উপত্যকায় ৷
বিনড়াশ করেছে সেসব অশ্বের পশ্চাদৃদেশকে আর উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিয়েছে সেগুলোর
পৃষ্ঠদেশ ; যে দিন সেগুলো চালিত হবে আর নিক্ষেপ করা হবে তীর ৷
অনুরুপভাবে আমাদের কুলীন অশ্বগুলাে বয়সে তরুণ আর যুদ্ধতাে র্তীৰু হয়ে উঠে ভোরের
বাতাসে ৷
আর আমাদের তব্রবারিগুলো লোহার উজ্জ্বলাকে স্পষ্ট করে ৷
লোহার মরিচা দুর করে আর যুদ্ধৎদেহীর শির কর্তন করে ৷
গ্রহণ করেছেন আল্লাহ্ তাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার, হাযমের মযদাি রক্ষায় এবং আল্লাহ্র
সন্ত্রম রক্ষায় তারা ছিল নিজ দেশে সুখে-শান্তিতে, এরপর বদলে দািচ্ যু-কারার যুদ্ধের কারণে
অবাধ্যতার চেহারা ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন যে, (এ কবিতাণ্ডালা) শুনে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্ৰতি অগ্রগামী
অশ্বারােহী বাহিনীর আমীর হযরত সাদ ইবন যায়দ (ব) ক্রোধান্বিত হলেন হাসৃসান (ইবন সাধিত)
-এর প্ৰতি এবং হলফ করে বললেন যে, তিনি কখনো হাসৃসানের সঙ্গে কথা বলবেন না ৷ তিনি
বলেন যে, হাসৃসানতো আমার অশ্ব ও অশ্বারোহীদের নিকট গিয়ে সেসবকে মিকদাদের বলে
সাব্যস্ত করেছেন ৷ তখন হাসৃসান তার নিকট ওয়ুরখাহী করেন যে , তিনি নামই কেবল অত্তমিলের
জন্য ব্যবহার করেছেন মিকদাদের ৷ তখন হযরত সাদ ইবন যায়দ (র)এ্যার প্ৰশংসায় হাস্সান
(রা) নিম্নোক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
া১া
তোমরা ধ্যখন সুদৃঢ় ব্যক্তি বা অমুখাপেক্ষী ব্যজ্যি অভিপ্রায় করবে তখন অবশ্যই সাদ (ইবন
যায়দ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ বল্মবে ৷ কারণ, তাকে দমানাে যায় না ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন যে, তার দ্বারা এটা ঘটেনি, অর্থাৎ তিনি এ ওযর আপত্তি গ্রহণ
করেননি ৷ তখন হাসৃসান যি-করোদের যুদ্ধ সম্পর্কে নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করেন :
৷ মোঃ
فِيمَا لَا يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، بِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا قِيلَ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي غَزْوَةِ ذِي قَرَدٍ قَوْلُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ:
لَوْلَا الَّذِي لَاقَتْ وَمَسَّ نُسُورَهَا ... بِجَنُوبِ سَايَةَ أَمْسِ فِي التَّقْوَادِ
لَلَقِينَكُمْ يَحْمِلْنَ كُلَّ مُدَجَّجٍ ... حَامِي الْحَقِيقَةِ مَاجِدِ الْأَجْدَادِ
وَلَسَرَّ أَوْلَادَ اللَّقِيطَةِ أَنَّنَا ... سِلْمٌ غَدَاةَ فَوَارِسِ الْمِقْدَادِ
كُنَّا ثَمَانِيَةً وَكَانُوا جَحْفَلًا ... لَجِبًا فَشُكُّوا بِالرِّمَاحِ بَدَادِ
كُنَّا مِنَ الْقَوْمِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ... وَيُقَدِّمُونَ عِنَانَ كُلِّ جَوَادِ
كَلَّا وَرَبِّ الرَّاقِصَاتِ إِلَى مِنًى ... يَقْطَعْنَ عُرْضَ مَخَارِمِ الْأَطْوَادِ
পৃষ্ঠা - ৩০৩৯
حَتَّى نُبِيلَ الْخَيْلَ فِي عَرَصَاتِكُمْ ... وَنَئُوبَ بِالْمَلَكَاتِ وَالْأَوْلَادِ
رَهْوًا بِكُلِّ مُقَلَّصٍ وَطِمِرَّةٍ ... فِي كُلِّ مُعْتَرَكٍ عَطَفْنَ وَوَادِ
أَفْنَى دَوَابِرَهَا وَلَاحَ مُتُونَهَا ... يَوْمٌ تُقَادُ بِهِ وَيَوْمُ طِرَادِ
فَكَذَاكَ إِنَّ جِيَادَنَا مَلْبُونَةٌ ... وَالْحَرْبُ مُشْعَلَةٌ بِرِيحِ غَوَادِ
وَسُيُوفُنَا بِيضُ الْحَدَائِدِ تَجْتَلِي ... جُنَنَ الْحَدِيدِ وَهَامَةَ الْمُرْتَادِ
أَخَذَ الْإِلَهُ عَلَيْهِمُ لِحَرَامِهِ ... وَلِعِزَّةِ الرَّحْمَنِ بِالْأَسْدَادِ
كَانُوا بِدَارٍ نَاعِمِينَ فَبُدِّلُوا ... أَيَّامَ ذِي قَرَدٍ وُجُوهَ عِنَادِ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَغَضِبَ سَعْدُ بْنُ زَيْدٍ أَمِيرُ سَرِيَّةِ الْفَوَارِسِ
পৃষ্ঠা - ৩০৪০
উয়ায়না কি ধারণা করেজ্জি যে, মদীনায় আগমন করে সে প্রাসাদ ধুলিসাৎ করে দেবে ? যে
কথা তুমি সত্য বলে স্বীকার কর, আমি তা মিথ্যা বলি ৷
তােমরাভো রলেছিলে আমরা বিরাট গনীমত লাভ করবো ৷ ভুমি মদীনায় গিয়ে তাকে অনুকুল
পেলে না,
তখন তুমি সেখানে অনুভব করলে সিংহের গর্জন ৷ তখন তারা প্রত্যাবর্তন করে উট পাখির
দৌড়ের মতেড়া ৷
আর তারাতো উন্মুক্ত করেনি কোন উষ্ট্রপারের দ্বারও ৷ মহান আল্লাহ্র রাসুল আমাদের আমীর,
তিনি আমাদের কত প্রিয় আমীর ৷
তিনি এমন এক রাসুল তার কাছে অবতীর্ণ হয় তিনি তার সত্যায়ন করেন ৷ আর তিনি
তিলাওয়াত করেন উজ্জ্বল আলোকময় কিতাব ৷
হযরত কাব ইবন মালিক (র) যি-কারাদের যুদ্ধের দিন মুসাঈম অশ্বারােহী বাহিনীর প্রশংসায়
নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :
এএক্রোন্
এ-ৰুশ্এে
া১া
এণ্এৰু^শ্ন
কুড়িয়ে পাওয়াদের সন্তানর৷ কি মনে করে যে, আমরা তাদের মতো অশ্বারোহী নইঃ
আমরাঃত৷ এমন লোক, মারা হত্যাকে কমংক জ্ঞান করে না ৷ কারণ, আমরা তীরান্দাযদের
তীরের জবাবে প্রত্যঘোত করি ৷
আর আমরা মেহমানের ণ্মহমানদারী করি উবষ্ট্ৰর পৃষ্ঠের উচু অংশ দ্বারা ৷ আর সুন্দর
চেহারাধারী ব্যক্তির মস্তকে আঘাত হানি ৷
আমরা প্রত্যাঘাত হানি চিহ্নিত বীরঙ্গেব্কে যখন তারা অহংকার করে, এমন আঘাত, যা
নস্যাৎ করে হঠকারীর অহমিকা ৷
এমন যুবক দ্বারা, যে যুবক সত্যের সহায়ক মযাদাবান, বনের বাঘের মতো হঠাৎ তুলে দিয়ে
যায় সে ৷
الْمُتَقَدِّمِينَ أَمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَسَّانَ، وَحَلَفَ لَا يُكَلِّمُهُ أَبَدًا، وَقَالَ: انْطَلَقَ إِلَى خَيْلِي وَفَوَارِسِي فَجَعَلَهَا لِلْمِقْدَادِ. فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ حَسَّانُ بِأَنَّهُ وَافَقَ الرَّوِيُّ اسْمَ الْمِقْدَادِ، ثُمَّ قَالَ أَبْيَاتًا يَمْدَحُ بِهَا سَعْدَ بْنَ زَيْدٍ:
إِذَا أَرَدْتُمُ الْأَشَدَّ الْجَلْدَا ... أَوْ ذَا غَنَاءٍ فَعَلَيْكُمْ سَعْدَا
سَعْدُ بْنُ زَيْدٍ لَا يُهَدُّ هَدَّا
قَالَ: فَلَمْ تَقَعْ مِنْهُ بِمَوْقِعٍ. وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي يَوْمِ ذِي قَرَدٍ:
أَظَنَّ عُيَيْنَةُ إِذْ زَارَهَا ... بِأَنْ سَوْفَ يَهْدِمُ فِيهَا قُصُورَا
فَأُكْذِبْتَ مَا كُنْتَ صَدَّقْتَهُ ... وَقُلْتُمْ سَنَغْنَمُ أَمْرًا كَبِيرَا
فَعِفْتَ الْمَدِينَةَ إِذْ زُرْتَهَا ... وَآنَسْتَ لِلْأُسْدِ فِيهَا زَئِيرَا
وَوَلَّوْا سِرَاعًا كَشَدِّ النَّعَامِ ... وَلَمْ يَكْشِفُوا عَنْ مُلِطٍّ حَصِيرَا
أَمِيرٌ عَلَيْنَا رَسُولُ الْمَلِيكِ ... أَحْبِبْ بِذَاكَ إِلَيْنَا أَمِيرَا
رَسُولٌ نُصَدِّقُ مَا جَاءَهُ ... وَيَتْلُو كِتَابًا مُضِيئًا مُنِيرَا
وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي يَوْمِ ذِي قَرَدٍ، يَمْدَحُ الْفُرْسَانَ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ:
পৃষ্ঠা - ৩০৪১
أَيَحْسَبُ أَوْلَادُ اللَّقِيطَةِ أَنَّنَا ... عَلَى الْخَيْلِ لَسْنَا مِثْلَهُمْ فِي الْفَوَارِسِ
وَإِنَّا أُنَاسٌ لَا نَرَى الْقَتْلَ سُبَّةً ... وَلَا نَنْثَنِي عِنْدَ الرِّمَاحِ الْمَدَاعِسِ
وَإِنَّا لَنَقْرِي الضَّيْفَ مِنْ قَمَعِ الذُّرَى ... وَنَضْرِبُ رَأْسَ الْأَبْلَخِ الْمُتَشَاوِسِ
نَرُدُّ كُمَاةَ الْمُعْلَمِينَ إِذَا انْتَخَوْا ... بِضَرْبٍ يُسَلِّي نَخْوَةَ الْمُتَقَاعِسِ
بِكُلِّ فَتًى حَامِي الْحَقِيقَةِ مَاجِدٍ ... كَرِيمٍ كَسِرْحَانِ الْغَضَاةِ مُخَالِسِ
يَذُودُونَ عَنْ أَحْسَابِهِمْ وَتِلَادِهِمْ ... بِبِيضٍ تَقُدُّ الْهَامَ تَحْتَ الْقَوَانِسِ
فَسَائِلْ بَنِي بَدْرٍ إِذَا مَا لَقِيتَهُمْ ... بِمَا فَعَلَ الْإِخْوَانُ يَوْمَ التَّمَارُسِ
إِذَا مَا خَرَجْتُمْ فَاصْدُقُوا مَنْ لَقِيتُمُ ... وَلَا تَكْتُمُوا أَخْبَارَكُمْ فِي الْمَجَالِسِ
وَقُولُوا زَلَلْنَا عَنْ مَخَالِبِ خَادِرٍ ... بِهِ وَحَرٌ فِي الصَّدْرِ مَا لَمْ يُمَارِسِ