سنة خمس من الهجرة النبوية
تزويج النبي صلى الله عليه وسلم بأم حبيبة
পৃষ্ঠা - ৩০০৫
উছমান ইবন তালহা ইবন আবু তালহা তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং দুইজন যখন ইসলাম গ্রহণ
করেন তখন তাদের সঙ্গে তিনিও ইসলাম গ্রহণ করেন ; এ প্রসঙ্গে আবদ্যুয়াহ ইবন আবুয্ যাবআরী
সাহ্মী নিম্নোক্ত বয়েত আবৃত্তি করেন :
উসমান ইবন তালহাকে আমি কসম দিচ্ছি ; বৃক্ষ প্রস্তারর নিকট লোকদের জুতা খুলে রাখার
স্থানের ৷
আর আমাদের পুর্ব পুরুষরা যে অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়েছেন আর খালিদ এমন হালককে
উপেক্ষা করার পাত্র নন ৷
তুমি কি চাও সে ঘর ছাড়া অন্য কোন ঘরের চাবি ? আর তুমি চাওনা মর্যাদার গৃহ ছাড়া অন্য
কোন আশ্রয়স্থুল ?
এরপর খালিদের ব্যাপারে তুমি নিতিঃ হবেনা, আর উসমান নিয়ে এসেছে এক মহা আপদ
আমি বলি, এরা হুদায়বিয়ার সন্ধির পর ইসলাম গ্রহণ করেন, আর এটা এজন্য যে, খালিদ
ইবন ওলীদ তখন পর্যন্ত মুসলমান হননি, বরং মুশরিকদের অশ্বারোহী বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন ৷
পরে সে বিষয়ে তাদের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা পরবর্তীতে বর্ণনা করাই সমীচীন ছিল; কিন্তু আমরা
এখানে আলোচনা করলাম ইবন ইসহাকের অনুসরণে ৷ কারণ, নাজাশীর নিকট আমৃর ইবনুল
আসের প্রথম দফা গমনের ঘটনা খন্দক যুদ্ধের পরবত্তীকািলের ৷ এটা স্পষ্ট যে, তিনি গমন করে
থাকবেন হিজরী পঞ্চম সালের খন্দক যুদ্ধ পরবর্তী অবশিষ্ট দিনগুলোতে ৷ মহান আল্লাহ্ই সবচেয়ে
ভাল জানেন ৷
উম্মে হাবীৰার সঙ্গে নবী করীম (সা)এর বিবাহ
বায়হাকী (র) খন্দক যুদ্ধের ঘটনার পর কাল্বী সুত্রে ইবন আব্বাসের বরাতে মহান আল্লাহর
বাণী ও
&
যাদের সৰুঙ্গ ণ্তামাদের শত্রুতত্ত্ব রয়েছে; সম্ভবত অৰুল্লন্হ্ এবং (তামাদের মরুধ্য বন্ধুৎ সৃষ্টি
করে দেবেন, আল্লাহ, মহা শক্তির অধিকারী, এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ (৬০,
যুমতাহানা : ৭)
প্রসঙ্গে বলেন যে, এখানে উম্মে হাবীবা বিনৃত আবু সুফিয়ানের সঙ্গে নবী করীম (সা)এর
বিবাহের কথা বলা হয়েছে ৷ এর ফলে উম্মে হাবীবা যু’মিনীন কুলের জননীর মর্যাদার অতিরিক্ত হন
[تَزْوِيجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُمِّ حَبِيبَةَ]
فَصْلٌ فِي تَزْوِيجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُمِّ حَبِيبَةَ رَمْلَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ
ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ بَعْدَ وَقْعَةِ الْخَنْدَقِ مِنْ طَرِيقِ الْكَلْبِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {عَسَى اللَّهُ أَنْ يَجْعَلَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الَّذِينَ عَادَيْتُمْ مِنْهُمْ مَوَدَّةً} [الممتحنة: 7] (الْمُمْتَحَنَةِ: 7) . قَالَ: هُوَ تَزْوِيجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ، فَصَارَتْ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، وَصَارَ مُعَاوِيَةُ خَالَ الْمُؤْمِنِينَ.
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، أَنْبَأَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، «عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ عِنْدَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ، وَكَانَ رَحَلَ إِلَى النَّجَاشِيِّ فَمَاتَ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ بِأُمِّ حَبِيبَةَ وَهِيَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَزَوَّجَهَا إِيَّاهُ النَّجَاشِيُّ وَمَهْرُهَا أَرْبَعَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَبَعَثَ بِهَا مَعَ شُرَحْبِيلَ بْنِ حَسَنَةَ وَجَهَّزَهَا مِنْ عِنْدِهِ، وَمَا بَعَثَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ قَالَ: وَكَانَ مُهُورُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَمِائَةٍ» .
পৃষ্ঠা - ৩০০৬
আর মুআবিয়া হয়ে যান মু’মিনদ্যে৷ মামা ৷ ১ তারপর বায়হাকী (র) আবু আবদ্বদ্বা৷হ্ আল হাকিম
উষ্মে হাবীবা থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, তিনি ছিলেন উবায়দ্বন্নাহ ইবন জাহাশের শ্রী ৷ ইনি
হিজরত করে নাজাশীর নিকট গমন করেন এবং সেখানে ইনতিকাল করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন উষ্মে হাবীবাকে বিবাহ করেন তখন তিনি হাবশা তথা আবিসিনিয়ায়
ছিলেন এবং বাদশাহ নাজাশী এ বিবাহ পড়ান এবং তীর মহ্রানা সব্যেস্ত করা হয় চার হাজার “
দিরহাম ৷ শুরাহবিল ইবন হাসানার সঙ্গে তাকে নবী করীম (সা)---এর দরবারে প্রেরণ করা হয় আর
বাদশাহ নাজাশী নিত্তেরে পক্ষ থেকে এ বিবাহের মহরানা পরিশোধ করেন ৷ রাসুল করীম (সা)
এজন্য কোন কিছু প্রেরণ করেননি; বায়হার্কী (র) আরও বলেন যে , নবী করীম (সা) সহধর্মিণী
গণের প্রত্যেকের মহরানা জ্যি চারশ দিরহাম ৷ আমি বলি যে বিশুদ্ধ কথা এই যে, নবী করীম
(সা) এর সহ্ধর্মিণীপণের মহ্রানা ফি৷ সাড়ে বার উকিয়া আর এক উকিয়া জ্জি চল্লিশ দিরহামের
সমান আর এটা পাচশ’ দিরহামের সমপরিমাণ ছিল ৷ এরণ্শর বায়হাকী (র) ইবন লাহিয়া
উৱওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, উবায়দৃল্লাহ্ ইবন জাহাশ খৃক্টান থাকাকালে হাবশায় মারা যাওয়ার
পর তারা স্তী উম্মে হাবীবাকে রাসুল করীম (সা) বিবাহ কালে উছমান ইবন আফ্ফান এ বিবাহ
পড়ান ৷ আল্লাহ্ তার প্রতি সভুষ্ট থাবুনো
আমি বলি, উবায়ল্লোহ্ইবন জাহাশের খৃক্টধর্যগ্রহণের বিষয়টা ইতিপুর্বে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে ৷ আর এটা এভাবে হয় যে, মুসলমানরা হাবশায় হিজরত করলে শয়তান তার
পদ্যালণ ঘটায় এবং খৃক্টধর্যকে তার দৃষ্টিতে ণ্শাক্তা করে তোলে ফলে সে খৃক্টধ্র্য গ্রহণ করে
এবং আমৃত্যু বৃক্টানই থাকে ৷ এ ব্যক্তি এ বলে মুসলমানদেরকে ভহ্সনা করতো যে, আমরাভাে
আলোর সন্ধান লাভ করেছি; আর তোমরা আলোর খোজে হাবুডুবু খাচ্ছ ৷ হাবশায় হিজরত অধ্যায়ে
এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ তার প্রতি আল্লাহুর অতিশস্পাত ৷ অবশ্য উছমান ইবন
আফফান বিবাহ পড়ান বলে ওরওয়াৱ উক্তি রীতিমতাে বিস্ময়বহ্ব ৷ কারণ, উছমান (রা) ইতিপুর্বেই
মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এবং সেখান থেকে তিনি মদীনায় হিজরত করেন এবং হিজরত
কালে স্তী ণ্রাকায়্যাও তার সঙ্গে ছিলেন ৷ ইতিপুর্বে তাও আলোচনা করা হয়েছে ৷ মহান আল্লাহহ
ভাল জানেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস যা বর্ণনা করেছেন ৷ তা-ই বিশুদ্ধ কথা ৷ তািল্ল
বলেন যে, উম্মে হাবীবার চাচাতাে ভইি খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস ছিলেন তার বিবাহের
ওলী ৷ আমি বলি মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুসের বর্ণনা মতে নাজাশী বাদশাহ আসহামা
নজােশী ছিলেন বিবাহ কবুল ব্বার ক্ষেত্রে রাসুল করীম (সা)-এর উকীল ৷ আবু জাষম্ম মুহাম্মাদ
ইবন আলী ইবনুল হ্নাইিন সুত্রে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, রাসুল বব্রীম (সা) আমৃর
ইবন উমইিয়্যা দিমারীকে নাজাশীর দরবারে প্রেরণ করেন এবং তিনি উষ্মে হাবীবা বিনৃত আবু
সুফিয়ানকে বিবাহ দেন এবং তার পক্ষ থেকে চারশ দীনার মহর পরিশোধ করেন ৷
সুরাইয়া ইবন বক্কোর মুহাম্মাদ ইবন হাসান উম্মে হাবীবা বিনত আবুসুফিয়ান সুত্রে
১ টীকা এরুপ সম্পর্ক শুধু উম্মুল মু’মিনীনগণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ৷ তাদের ভাই বোন বা অন্যান্য আত্মীয়
স্বহুত্তটীনর ব্যাপারে প্রযোজ্য নয় ৷ বায়হাকীর বরাতে কুরতুৰী এরুপই উল্লেখ করেছেন ৷ (মুল গ্রন্থের
পা কাদ্র) ৰু
قُلْتُ: وَالصَّحِيحُ أَنَّ مُهُورَ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشًّا، وَالْوُقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا، وَالنَّشُّ النِّصْفُ، وَذَلِكَ يَعْدِلُ خَمْسَمِائَةِ دِرْهَمٍ.
ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ جَحْشٍ مَاتَ بِالْحَبَشَةِ نَصْرَانِيًّا، فَخَلَفَ عَلَى زَوْجَتِهِ أُمِّ حَبِيبَةَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، زَوَّجَهَا مِنْهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قُلْتُ: أَمَّا تَنَصُّرُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ فَقَدْ تَقَدَّمَ بَيَانُهُ، وَذَلِكَ عَلَى أَثَرِ مَا هَاجَرَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ، اسْتَزَلَّهُ الشَّيْطَانُ فَزَيَّنَ لَهُ دِينَ النَّصَارَى، فَصَارَ إِلَيْهِ حَتَّى مَاتَ عَلَيْهِ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَكَانَ يَلْقَى الْمُسْلِمِينَ فَيَقُولُ لَهُمْ: أَبْصَرْنَا وَصَأْصَأْتُمْ. وَقَدْ تَقَدَّمَ شَرْحُ ذَلِكَ فِي هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ. وَأَمَّا قَوْلُ عُرْوَةَ: أَنَّ عُثْمَانَ زَوَّجَهَا مِنْهُ، فَغَرِيبٌ؛ لِأَنَّ عُثْمَانَ كَانَ قَدْ رَجَعَ إِلَى مَكَّةَ قَبْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَصُحْبَتُهُ زَوْجَتُهُ رُقَيَّةُ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَالصَّحِيحُ مَا ذَكَرَهُ يُونُسُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ الَّذِي وَلِيَ نِكَاحَهَا ابْنُ عَمِّهَا خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ
قُلْتُ: وَكَانَ وَكِيلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَبُولِ الْعَقْدِ أَصْحَمَةُ النَّجَاشِيُّ مَلِكُ الْحَبَشَةِ، كَمَا قَالَ يُونُسُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ
পৃষ্ঠা - ৩০০৭
بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ إِلَى النَّجَاشِيِّ، فَزَوَّجَهُ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، وَسَاقَ عَنْهُ أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ» .
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَمْرٍو، «أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ قَالَتْ: مَا شَعَرْتُ وَأَنَا بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ إِلَّا بِرَسُولِ النَّجَاشِيِّ جَارِيَةٍ يُقَالُ لَهَا: أَبَرْهَةُ. كَانَتْ تَقُومُ عَلَى ثِيَابِهِ وَدُهْنِهِ، فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَيَّ فَأَذِنْتُ لَهَا فَقَالَتْ: إِنَّ الْمَلِكَ يَقُولُ لَكِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَيَّ أَنْ أُزَوِّجَكِهِ. فَقُلْتُ: بَشَّرَكِ اللَّهُ بِالْخَيْرِ. وَقَالَتْ: يَقُولُ لَكِ الْمَلِكُ: وَكِّلِي مَنْ يُزَوِّجُكِ. قَالَتْ: فَأَرْسَلْتُ إِلَى خَالِدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَوَكَّلْتُهُ، وَأَعْطَيْتُ أَبَرْهَةَ سِوَارَيْنِ مِنْ فِضَّةٍ، وَخَدَمَتَيْنِ مِنْ فِضَّةٍ كَانَتَا عَلَيَّ وَخَوَاتِيمَ مِنْ فِضَّةٍ كَانَتْ فِي كُلِّ أَصَابِعِ رِجْلَيَّ؛ سُرُورًا بِمَا بَشَّرَتْنِي بِهِ، فَلَمَّا أَنْ كَانَ مِنَ الْعَشِيِّ أَمَرَ النَّجَاشِيُّ جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَمَنْ كَانَ هُنَاكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَنْ يَحْضُرُوا، وَخَطَبَ النَّجَاشِيُّ وَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ السَّلَامِ الْمُؤْمِنِ الْمُهَيْمِنِ الْعَزِيزِ الْجَبَّارِ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّهُ الَّذِي بَشَّرَ بِهِ عِيسَى بْنُ مَرْيَمَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَيَّ أَنْ أُزَوِّجَهُ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، فَأَجَبْتُ إِلَى مَا دَعَا إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَصْدَقْتُهَا أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ. ثُمَّ سَكَبَ الدَّنَانِيرَ بَيْنَ يَدَيِ الْقَوْمِ، فَتَكَلَّمَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ، أَحْمَدُهُ
পৃষ্ঠা - ৩০০৮
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হাবশা ভুমিতে ছিলাম, নাজাশী বাদশ্যাহর দুত এবং
সেবিকা আবরাহা আমার কাছে না আসা পর্যন্ত আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি ৷ আবরাহা
এসে আমার নিকট উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলে আমিওাকে অনুমতি দেই ৷ সেবিকাটি
বল্লো নজােশী বাদশাহ জ্যনাচ্ছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) আমার নিকট এ মর্মে পত্র ৷লখেছেন যেন
আমি তোমাকে তার সাথে বিবাহ ৫ইে ৷ তখন আমি বললাম, আল্লাহ্ তোমাকে কল্যাণ দানে
সন্তুষ্ট করুন ৷ এছাড়া যে একথাও বলেন যে, আপনি আমার বিবাহের উকীল নিধ্ৰিণ করুন ৷
তিনি বলেন, খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস এর নিকট লোক প্রেরণ ন্ংাভ্ররে আমি তাকে বিবাহের
উকীল মনোনীত করি এবং এ সৃসংবাদ দানের জন্য আমি সেবিকা আবুরহ্যেকে <পোর ২ট৷ কাকন
আমার পায়ের দুটি রুপার মল এবং আমার পায়ের আঙ্গুলসমুহের রপার আংটিগুহ্বন৷ দান করি ৷
আমাকে প্রদত্ত তার সুসংবাদ দানে আনন্দিত হলে আমি এসব দান করি ৷ সন্ধার নজ্যেশী জাফর
ইবন আবুতালিব এবং সেখানে অবস্থানরত মুসলমছনঃদেরকে তার দংবারে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ
দান করেন ৷ নজােশী বাদশাহ বিবাহের খৃতবা পাঠ করেন :
১৷ ৷
গ্এ্যা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য ৷ যিনি একমাত্র রজোধিরজে অতািায় পুতপবিত্র, নিরাপত্তা দাতা
ও মহাপরাত্রুমশালী, প্রবল প্রতাপের অধিকারী ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ছাড়া ণ্কান
মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর বান্দা এবং তার রাসুল এর ঈসা ইবন মারইয়াম তারই
আগমনের সুসংবাদ দান করেছেন ৷ তারপর রাসুল করীম (সা)ত তার সঙ্গে উষ্মে হাবাবা ৰিনত আবু
সুফিয়ানকে বিবাহ দেয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ৷ আগে রাসুল কৰীম (সা) এর আহ্বানে সাড়া
দিয়েছি এবং তার বিবাহের মহর হিসাবে চারশ দীনার পরিশোর করেছি ৷ এ সময় তিনি দীনারগুলো
সকলের সম্মুখে উপস্থিত করেন ৷ তারপর খালিদ ইবন সাঈদ ইবনুল আস খুতবা পাঠ করেন :
—
আলহামদৃ লিল্লাহ্ সরল প্রশংসার মালিক আর ৷হ্ ৷ আমি তার প্রশংসা করছি এবং তার কাছে
ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য লেট্ট ৷ আমি আরো সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর বন্দো ও রাসুল ৷ হিদায়াভ্র আর সত্য দান সহকারে তর্দুাক্লে প্রেরণ
করেছেন, যাতে সমস্ত দীনের উপর একে বিজয়ী করেন ৷ যদিও যুশরিকরা তা গমন করে না
এরপর তিনি বলেন : রাসুল (না)-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমি উম্মে হবৌ বা ৰিনৃতত্বা৷বু
وَأَسْتَغْفِرُهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، أَرْسَلَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ، أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ أَجَبْتُ إِلَى مَا دَعَا إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَوَّجْتُهُ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، فَبَارَكَ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَدَفَعَ النَّجَاشِيُّ الدَّنَانِيرَ إِلَى خَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ فَقَبَضَهَا، ثُمَّ أَرَادُوا أَنْ يَقُومُوا فَقَالَ: اجْلِسُوا، فَإِنَّ مِنْ سُنَّةِ الْأَنْبِيَاءِ إِذَا تَزَوَّجُوا أَنْ يُؤْكَلَ طَعَامٌ عَلَى التَّزْوِيجِ. فَدَعَا بِطَعَامٍ فَأَكَلُوا ثُمَّ تَفَرَّقُوا» .
قُلْتُ: فَلَعَلَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ لَمَّا رَأَى عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ خَارِجًا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ بَعْدَ الْخَنْدَقِ إِنَّمَا كَانَ فِي قَضِيَّةِ أُمِّ حَبِيبَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
لَكِنْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: ذَكَرَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَنْدَهْ أَنَّ تَزْوِيجَهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ بِأُمِّ حَبِيبَةَ كَانَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَأَنَّ تَزْوِيجَهُ بِأُمِّ سَلَمَةَ كَانَ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ.
قُلْتُ: وَكَذَا قَالَ خَلِيفَةُ وَأَبُو عُبَيْدَةَ مَعْمَرُ بْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ الْبَرْقِيِّ: إِنَّ تَزْوِيجَ أُمِّ حَبِيبَةَ كَانَ فِي سَنَةِ سِتٍّ. وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: سَنَةَ سَبْعٍ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَذَهَبَ ابْنُ إِسْحَاقَ إِلَى أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ بِأُمِّ حَبِيبَةَ قَبْلَ أُمِّ سَلَمَةَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهُوَ أَشْبَهُ.
পৃষ্ঠা - ৩০০৯
সুফিয়ানের সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন করেছি ৷ আল্লাহ্ তাআলা রাসুল (না)-কে বরকতে ধন্য
করুন ৷ নজোশী দীনারগুলো খালিদ ইবন সাঈদের হাতে অর্পণ করলে তিনি সেগুলো হস্তপত
করেন ৷ তারপর বলে যাওয়ার জন্য উদাত হয়ে সকলে উঠে দাতালে তিনি বলেন :
দয়া করে আপনারা সকলে একটু বসুন ৷ কারণ, বিবাহের পর খাবার আয়োজনে বল্পা নবীগণের
সুন্নাত ৷ এরপর খাবার নিয়ে আসার জন্য বলা হলে আহার শেষে সকলে প্রস্থান করেন ৷ আমি
বলি যে, আমর ইবন আন আমৃৱ ইবন উমইিয়্যাকে যে নাজাশীর দরবার থেকে বের হতে দেখেন,
সম্ভবত তা ছিল খন্দক যুদ্ধের পর উষ্মে হাবীবার বিবাহকে ৷;কন্দ্র করে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
অবশ্য বায়হাকী (র) বর্ণনা করেন যে, আবুআবল্লোহ্ ইবন মন্দোহ্ রাসুল করীম (না)-এর সঙ্গে
উম্মে হাবীবার ঘটনা ৬ষ্ঠ হিজরীক্ত সংঘটিত হয় বলে উল্লেখ করেছেন ৷ আর উম্মে সালামার সঙ্গে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবাহ ৪র্থ হিজরীর ঘটনা বলে তিনি উল্লেখ করেছেন ৷ আমি বলি, এমত
পোষণ করেন খলীফা ও আবুউবায়দুল্লাহ্ মামার ইবনুল ন্ সোন৷ ও ইবনুল বারকী ৷ আর উষ্মে
হাবীবার বিবাহ সংঘটিত হয় হিজ্জী ৬ষ্ঠ সনে ৷ কারো কারো মতে হিজরী ৭ম সনে ৷ বায়হাকী (র)
বলেন, এটাই অধিক এবং যুক্তিযুক্ত ৷
আমি বলি, ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, ৪র্থ হিজরীর শেষের দিকে উষ্মে সালামার
(রা) সঙ্গে রাসুল কল্পীম (না)-এর বিবাহ সংঘটিত হয় ৷ অবশ্য উম্মে হাবীবার সঙ্গে রাসুল করীম
(সা) এর বিবাহ এর পুর্বে বা এর পরও সংঘটিত হতে পারে ৷ খন্দক যুদ্ধের পর এ বিবাহ
সংঘটিত হ্ওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ কারণ, ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আমৃর ইবন আস
আমৃর ইবন উমাইয়্যা দিমারীকে নাজাশীর দঃাবারে দেখতে পেয়েছিলেন ৷ তা উষ্মে হাবীবার বিবাহ
প্রসঙ্গের ঘটনা ৷ আল্পাহ্ ভাল জানেন ৷ অবশ্য হাফিয ইবনুল আমীর (র) উসদুল পাবা গ্রন্থে
কাতাদা সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে, উষ্মে হাবীবা হাবশা থেকে মদীনায় হিত্তরেত করার পর রাসুল
কবীম (সা) তার কাছে বিবাহের পয়গাম পাঠান এবং তাকে বিবাহ করেন ৷ আবার কারো কারো
মতে রাসুল করীম ( সা) মক্কা বিজয় শেষে তার পিতা আবু সুফিয়ানের ইসলাম গ্রহণ করার পর
উম্মে হাবীবাকে বিবাহ করেন ৷ মুসলিম শরীফে ইবস্মামা ইবন আস্মার আল ইয়ামানী ইবন আব্বাস
(রা) থেকে বর্ণিত হাদীছটিকে এ মতের সমর্থকর৷ প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন করেন ৷ এ হাদীৰ্ছ
উল্লেখ আছে যে, আবুসুফিয়ান নবী বল্পীম (না)-এর নিকট বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! তিনটি বিষয়
আমাকে দান করুন ৷ রাসুল করীম (সা) বললেন, ঠিক আছে ৷ তখন আবু সুফিয়ান বললেন :
আমাকে মুসলিম বাহিনীর আমীর নিযুক্ত করুন, যাতে আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি
যেমনটি ইতিপুর্বে আমি কাফির দলের হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়েছি ৷ রাসুল করীম (যা)
বললেন : ঠিক আছে ৷ তিনি বললেন, মুআবিয়াকে কাতিব’ নিয়োজিত করুন ৷ রাসুল করীম
(সা) বললেন, ঠিক আছে ৷ তিনি বললেন, আমার কাছে আছে আরবের সেরা সুন্দরী রমণী আমার
কন্যা উষ্মে হাবীবা ৷ আমি তাকে আপনার কাছে বিবাহ দিতে চাই ৷ পুর্ণ হাদীছ ৷
ইবনুল আহীর (র) বলেন এ হাদীছ দ্বারা ইমাম মুসলিমের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা হয় যে,
মক্কা বিজয়ের পুঙ্কর্ব আবুসুফিয়ান শপথ নবায়হ্রনর জন্য তার কন্যা উষ্মে হাবীবার গৃহে গমন করলে
তিনি নবী করীম ( সা)শ্এর বিছান৷ শুটিয়ে নিলে আবু সুফিয়ান বলেছিলেন : আল্লাহর কসম, আমার
قُلْتُ: قَدْ تَقَدَّمَ تَزْوِيجُهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِأُمِّ سَلَمَةَ فِي أَوَاخِرِ سَنَةِ أَرْبَعٍ، وَأَمَّا أُمُّ حَبِيبَةَ فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَبْلَ ذَلِكَ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ بَعْدَهُ، وَكَوْنُهُ بَعْدَ الْخَنْدَقِ أَشْبَهُ؛ لِمَا تَقَدَّمَ مِنْ ذِكْرِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهُ رَأَى عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ عِنْدَ النَّجَاشِيِّ، فَهُوَ فِي قَضِيَّتِهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ حَكَى الْحَافِظُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ " عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ لَمَّا هَاجَرَتْ مِنَ الْحَبَشَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ خَطَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَزَوَّجَهَا. وَحَكَى عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ إِسْلَامِ أَبِيهَا بَعْدَ الْفَتْحِ، وَاحْتَجَّ هَذَا الْقَائِلُ بِمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ الْيَمَامِيِّ، عَنْ أَبِي زُمَيْلٍ سِمَاكِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثَلَاثٌ أَعْطِنِيهُنَّ. قَالَ: " نَعَمْ " قَالَ: تُؤَمِّرُنِي عَلَى أَنْ أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: " نَعَمْ " قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ. قَالَ: " نَعَمْ " قَالَ: وَعِنْدِي أَحْسَنُ الْعَرَبِ وَأَجْمَلُهُ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ أُزَوِّجُكَهَا» . الْحَدِيثَ بِتَمَامِهِ. قَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ: وَهَذَا الْحَدِيثُ مِمَّا أُنْكِرَ عَلَى مُسْلِمٍ؛ لِأَنَّ أَبَا سُفْيَانَ «لَمَّا جَاءَ يُجَدِّدُ الْعَقْدَ قَبْلَ الْفَتْحِ، دَخَلَ عَلَى ابْنَتِهِ أُمِّ حَبِيبَةَ فَثَنَتْ عَنْهُ فِرَاشَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَرَغِبْتِ بِي عَنْهُ، أَوْ بِهِ عَنِّي؟ قَالَتْ: بَلْ هَذَا فِرَاشُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ أَصَابَكِ بَعْدِي يَا بُنَيَّةُ شَرٌّ» .
পৃষ্ঠা - ৩০১০
وَقَالَ ابْنُ حَزْمٍ: هَذَا الْحَدِيثُ وَضَعَهُ عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ. وَهَذَا الْقَوْلُ مِنْهُ لَا يُتَابَعُ عَلَيْهِ. وَقَالَ آخَرُونَ: أَرَادَ أَنْ يُجَدِّدَ الْعَقْدَ لِمَا فِيهِ بِغَيْرِ إِذْنِهِ مِنَ الْغَضَاضَةِ عَلَيْهِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لِأَنَّهُ اعْتَقَدَ انْفِسَاخَ نِكَاحِ ابْنَتِهِ بِإِسْلَامِهِ. وَهَذِهِ كُلُّهَا ضَعِيفَةٌ، وَالْأَحْسَنُ فِي هَذَا أَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يُزَوِّجَهُ ابْنَتَهُ الْأُخْرَى عَزَّةَ، لِمَا رَأَى فِي ذَلِكَ مِنَ الشَّرَفِ لَهُ، وَاسْتَعَانَ بِأُخْتِهَا أُمِّ حَبِيبَةَ كَمَا فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَإِنَّمَا وَهِمَ الرَّاوِي هَذَا بِتَسْمِيَتِهِ أُمَّ حَبِيبَةَ، وَقَدْ أَفْرَدْنَا لِذَلِكَ جُزْءًا مُفْرَدًا.
قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ: تُوُفِّيَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: تُوُفِّيَتْ قَبْلَ مُعَاوِيَةَ بِسَنَةٍ، وَكَانَتْ وَفَاةُ مُعَاوِيَةَ فِي رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ.