আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

قصة عمرو بن العاص مع النجاشي بعد وقعة الخندق

পৃষ্ঠা - ৩০০১

আমি তাকে বললাম, মর্যাদাবানেৱ আঘাত গ্রহণ কর ৷

যে নবী মুহাম্মাদ (না)-এর দীনের জন্য সদা প্রন্তুত ৷

নবী যখন কোন কাফিরকে হত্যার সং কল্প করেন;

তখন আমি আর যবান তথা কাজেও কথায় তার দিকে এগিয়ে যাই ৷

আমি বলি, আবদুল্লাহ ইবন উনইিস ইবন হারাম আবু ইয়াহ্ইয়া আল-জুহানী ছিলেন মহান
মর্যাদার অধিকারী মশহুর সাহাবী ৷ যেসব সাহাবী আকাবার বায়আত, উহুদ খন্দক ও পরবর্তী
যুদ্ধসমুহে অংশ গ্রহণ করেছিলেন, ইনি ছিলেন তাদের অন্যত তম ৷ প্রসিদ্ধ উক্তি অনুযায়ী ৮০
হিজরীতে সিরিয়ার তিনি ইনতিকাল করেন ৷ অবশ্য কারো কারো মতে তিনি ৫৪ হিজরীতে
ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলাই ভাল জানেন ৷ আলী ইবন যুবায়র এবং খলীফা ইবন
খাইয়্যাত পুর্বোক্ত আবদুল্লাহ ইবন উনইিস আবু ইয়াহ্ইয়া এবং আবদুল্লাহ ইবন উনইিস আবু ঈসা
আনসারীর মধ্যে পার্থক্য করেছেন ৷ আর এই আবুঈসা আনসারী সেই সাহাবী যিনি রাসুল (সা)
থেকে এ মর্মে হাদীছ বর্ণনা করেন যে, রাসুল করীম (সা) উহুদ যুদ্ধের দিন একটি পাত্রে পানি
আনতে বলেন ৷ তিনি পাত্রের মুখ খুলে পানি পান করেন ৷ ইমাম আবু দাউদ (র) এবং ইমাম
তিরমিযী (র) হাদীছটি আবল্লোহ্ আল উমরী সুত্রে ঈসা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উনইিস তদীয় পিতার
বরাতে বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য ইমাম তিরমিষীর মতে এ হাদীছের সনদ বিশুদ্ধ নয় এবং
আবদুল্লাহ আল-উমরী স্মৃতি তশক্তির দিক থেকে একজন দুর্বল রাবী ৷

হাবশা অধিপতি নাজাশীর সঙ্গে আমর ইবনুল আসের ঘটনা

আবু রাফি ইয়াহুদীর হত্যার ঘটনার পর মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আমর ইবন আস এর
য়বানীতে উদ্ধৃত ৩করে বলেন : খন্দক যুদ্ধের দিন আমরা যখন প্রতাবর্তন করি তখন আমি
কুর৷ ৷ইশের কতিপয় সমমনা ব্যক্তিকে সমবেত করে বললাম , আল্লাহর শপথ, তোমরা জানলে,
মুহাম্মাদের অনাকা ৷গ্রিত উন্নতি লাভ করছে ৷ আর এ ব্যাপারে আমি একটা বিষয় স্থির করেছি: যে
বিষয়ে ওে ৷মাদের মতামত কী ? তারা জা নতে চাইলো; তৃমি কী স্থির করেছ ? তিনি বললেন যে,
আমরা নাজাশীর কাছে গিয়ে সেখানে অবস্থান করবো, মুহাম্মাদ (সা) আমাদের জাতির উপর
জয়লাভ করলে আমরা নাজাশীর নিকটেই থেকে যাবো ৷ আর আমাদের জন্য মুহাম্মাদের অধীনে
থাকার চেয়ে নাজাশীর অধীনে থাকা অধিকতর প্রিয় আর যদি আমাদের জাতি জয়ী হয় তবেতাে
সকলেই জানবে যে, আমরা কারা ৷ এমতাবস্থায় তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কল্যাণ ছাড়া
অকল্যাণ হবেন৷ ৷ একথা শুনে সকলেই বলে উঠলো; এটা হলো একটা কথার মত কথা ৷ আমি
বাংলায় : তাহলে নাজাশীকে উপচৌকন সামগ্রী সংগ্নহ কর ! আমাদের দেশ থেকে সবচেয়ে প্রিয়
যে বন্তুটা উপহার হিসাবে দেয়৷ যায়, তা হলো চামড়া, আমরা তার জন্য অনেক চামড়া সংগ্রহ
করলাম ৷ আমরা এসব উপহার সামগ্রী নিয়ে যখন তার দরবারে পৌছি যেমন সেখানে উপস্থিত
ছিলেন আমর ইবন উমাইয়৷ দিসারী ৷ রাসুল (সা) জাফর এবং তীর সঙ্গীদের ব্যাপারে একে
নাজাশীর দরবারে প্রেরণ করেন ৷ তিনি দরবারে প্রবেশ করে বেরিয়ে গেলে আ ৷মি আমার সঙ্গীদের
বললামচ এ হচ্ছেন আমর ইবন উমাইয়৷ ৷ আ ৷মি যদি নাজ৷ ৷শীব দরবারে উপস্থিত হয়েও তার নিকট
চেয়ে নেই ৷ আর তিনি তাকে আমার হাতে অর্পণ করেন তাহলে আমি তার গ্বার্দান উড়িয়ে দোবা ৷


[قِصَّةُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ مَعَ النَّجَاشِيِّ بَعْدَ وَقْعَةِ الْخَنْدَقِ] ِ، وَإِسْلَامِهِ عَلَى يَدَيْهِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِي رَافِعٍ: وَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَاشِدٍ مَوْلَى حَبِيبِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، مِنْ فِيهِ، قَالَ: «لَمَّا انْصَرَفْنَا يَوْمَ الْأَحْزَابِ عَنِ الْخَنْدَقِ، جَمَعْتُ رِجَالًا مِنْ قُرَيْشٍ كَانُوا يَرَوْنَ رَأْيِي، وَيَسْمَعُونَ مِنِّي، فَقُلْتُ لَهُمْ: تَعْلَمُونَ وَاللَّهِ أَنِّي أَرَى أَمْرَ مُحَمَّدٍ يَعْلُو الْأُمُورَ عُلُوًّا مُنْكَرًا، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَمْرًا، فَمَا تَرَوْنَ فِيهِ؟ قَالُوا: وَمَا رَأَيْتَ؟ قَالَ: رَأَيْتُ أَنْ نَلْحَقَ بِالنَّجَاشِيِّ فَنَكُونَ عِنْدَهُ، فَإِنْ ظَهَرَ مُحَمَّدٌ عَلَى قَوْمِنَا كُنَّا عِنْدَ النَّجَاشِيِّ، فَإِنَّا أَنْ نَكوُنَ تَحْتَ يَدَيْهِ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ أَنْ نَكُونَ تَحْتَ يَدَيْ مُحَمَّدٍ، وَإِنْ ظَهَرَ قَوْمُنَا فَنَحْنُ مَنْ قَدْ عَرَفُوا، فَلَنْ يَأْتِيَنَا مِنْهُمْ إِلَّا خَيْرٌ قَالُوا: إِنَّ هَذَا لَرَأْيٌ. قُلْتُ: فَاجْمَعُوا لَنَا مَا نُهْدِي لَهُ. وَكَانَ أَحَبَّ مَا يُهْدَى إِلَيْهِ مِنْ أَرْضِنَا الْأَدَمُ، فَجَمَعْنَا لَهُ أَدَمًا كَثِيرًا، ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَا عَلَيْهِ، فَوَاللَّهِ إِنَّا لَعِنْدَهُ، إِذْ جَاءَهُ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ بَعَثَهُ إِلَيْهِ فِي شَأْنِ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ. قَالَ: فَدَخَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ. قَالَ: فَقُلْتُ لِأَصْحَابِي: هَذَا عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ، لَوْ
পৃষ্ঠা - ৩০০২
قَدْ دَخَلْتُ عَلَى النَّجَاشِيِّ فَسَأَلْتُهُ إِيَّاهُ فَأَعْطَانِيهِ فَضَرَبْتُ عُنُقَهُ، فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ رَأَتْ قُرَيْشٌ أَنِّي قَدْ أَجْزَأْتُ عَنْهَا حِينَ قَتَلْتُ رَسُولَ مُحَمَّدٍ. قَالَ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَسَجَدْتُ لَهُ كَمَا كُنْتُ أَصْنَعُ. فَقَالَ: مَرْحَبًا بِصَدِيقِي، هَلْ أَهْدَيْتَ لِي مِنْ بِلَادِكَ شَيْئًا؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ أَيُّهَا الْمَلِكُ، قَدْ أَهْدَيْتُ لَكَ أَدَمًا كَثِيرًا. قَالَ: ثُمَّ قَرَّبْتُهُ إِلَيْهِ، فَأَعْجَبَهُ وَاشْتَهَاهُ، ثُمَّ قُلْتُ لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَجُلًا خَرَجَ مِنْ عِنْدِكَ وَهُوَ رَسُولُ رَجُلٍ عَدُوٍّ لَنَا، فَأَعْطِنِيهِ لِأَقْتُلَهُ؛ فَإِنَّهُ قَدْ أَصَابَ مِنْ أَشْرَافِنَا وَخِيَارِنَا. قَالَ: فَغَضِبَ ثُمَّ مَدَّ يَدَهُ، فَضَرَبَ بِهَا أَنْفَهُ ضَرْبَةً ظَنَنْتُ أَنَّهُ قَدْ كَسَرَهُ، فَلَوِ انْشَقَّتِ الْأَرْضُ لَدَخَلْتُ فِيهَا فَرَقًا مِنْهُ. ثُمَّ قُلْتُ لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، وَاللَّهِ لَوْ ظَنَنْتُ أَنَّكَ تَكْرَهُ هَذَا مَا سَأَلْتُكَهُ. قَالَ: أَتَسْأَلُنِي أَنْ أُعْطِيَكَ رَسُولَ رَجُلٍ يَأْتِيهِ النَّامُوسُ الْأَكْبَرُ الَّذِي كَانَ يَأْتِي مُوسَى لِتَقْتُلَهُ؟! قَالَ: قُلْتُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، أَكَذَاكَ هُوَ؟ قَالَ: وَيْحَكَ يَا عَمْرُو! أَطِعْنِي وَاتَّبِعْهُ، فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَعَلَى الْحَقِّ وَلَيَظْهَرَنَّ عَلَى مَنْ خَالَفَهُ، كَمَا ظَهَرَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ عَلَى فِرْعَوْنَ وَجُنُودِهِ. قَالَ: قُلْتُ: أَفَتُبَايِعُنِي لَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ؟ قَالَ: نَعَمْ فَبَسَطَ يَدَهُ فَبَايَعْتُهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، ثُمَّ خَرَجْتُ عَلَى أَصْحَابِي وَقَدْ حَالَ رَأْيِي عَمَّا كَانَ عَلَيْهِ، وَكَتَمْتُ أَصْحَابِي إِسْلَامِي، ثُمَّ خَرَجْتُ عَامِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُسْلِمَ، فَلَقِيتُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَذَلِكَ قُبَيْلَ الْفَتْحِ، وَهُوَ مُقْبِلٌ مِنْ مَكَّةَ فَقُلْتُ: أَيْنَ أَبَا سُلَيْمَانَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَقَامَ الْمِيسَمُ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَنَبِيٌّ،
পৃষ্ঠা - ৩০০৩

আর আমি এ কাজ করলে কুরায়শররু দেখতে পারে যে, আমি মুহম্মেক্লোর দুতকে হত্যা করে
তাদের পক্ষ থেকেই কাজ করেছি ৷ তিনি বলেন, আমি নজােশীর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাকে
সিজ্বদা করি, যেমন আমি ইতিপুর্বে করতাম , নজােশী আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে জানতে চর্দ্রইলেন,
তোমার দেশ থেকে আমার জন্য কি কোন উপহার সামগ্রী এনেছ ? আমি বললাম : জহ্বহাপনা !
এসেছি বটে ৷ উপহার সামগ্রী হিসাবে আপনার জন্যে অনেক চামড়া নিয়ে এসেছি ৷ আমি কাছে
গিয়ে তা উপস্থাপন করলে তিনি তা খুব পসন্দ করেন এরপর আমি আরয করলাম, জহোপনা ৷
আমি এইমাত্র দেখতে পেলাম যে, জনৈক ব্যক্তি আপনার দরকার থেকে বেরিয়ে গেল ৷ সে
ল্যেকটি এমন এক ব্যক্তির দুত, যে আমাদের দৃশমন ৷ আপনি তাকে আমার হাতে ন্যস্ত করুন,
আমি অবশ্যই তাকে হত্যা করবো ৷ কারণ, যে আমাদের গণ্যমান্য ভদ্র ব্যক্তিদেরকে আহত ও
নিহত করেছে ৷ তিনি বলেন, এতে নাজাশী ক্ষুব্ধ হল এবং নিজ হস্তে আমার নাকে আঘাত
করেন ৷ এমন সাজারে আঘাত করেন, যাতে আমার ধারণা জণ্ন্ম যে , হয়তো আমার নাক ভেঙ্গে
(গছে ৷ এতে আমার মনের এমন অবস্থা দাড়ায় যে, মাটি ফেটে পেলে আমি তাতে প্রবেশ
করতাম ৷ অতঃপর আমি বললাম, জাহীপনা ৷ আমি যদি জানতাম যে, একথা আপনার পছন্দ
হবেনা তাহলে আমি এমন আবদার করতাম না, তারপর নাজাশী বললেন : তুমি কি এমন ব্যক্তির
দুতকে হত্যা করার জন্য আমার নিকট দাবী জানাচ্ছ, যার কাছে এমন ফেরেস্তা আগমন করেন,
যিনি আগমন করতেন মুসা (আ)-ন্এর নিকট ? আমি বললাম, জাহীপনা, সত্যিই কি তিনি এমন
মর্যাদাবান ? নাজাশী বললেন, হে আমৃর৷ দুঃখ তোমার জন্য, আমার কথা গােন এবং তার
আনুগত্য কর ৷ কারণ, আল্লাহর শপথ, তিনি অবশ্যই সতেদ্রর উপর রয়েছেন ৷ প্রতি পক্ষের উপর
তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন, যেমন মুসা ইবন ইমরান বিজয়ী হয়েছিলেন ফিরাউন এবং তার
বাহিনীর উপর ৷ আমি আরয করলাম আপনি কি তার জন্য আমার নিকট থেকে ইসলামের জন্য
বায়য়াত গ্রহণ করবেন প্ তিনি বললেন, হী ৷ অতঃপর তিনি হস্ত প্রসারিত করলে আমি তার হাতে
ইসলামের উপর বায়য়াত করলাম, আমি বের হয়ে বন্ধুদের নিকট আসলাম ৷ তখন আমার পুর্ব
মত পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু আমি বন্ধুদের নিকট আমার ইসলাম গ্রহণের কথা গোপন
রাখি ৷ এবং ইসলাম গ্রহণ করার অতিঃণয়ে রাসুল (সা)-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পড়ি ৷ খালিদ
ইবন ওয়ালীদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি মক্কা থেকে আগমন করছিলেন আর এটা মক্কা
বিজয়ের পুর্বের কথা ৷ আমি বললাম , হে আবু সুলড়ায়মান ! কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা ? তিনি বললেন,
আল্লাহর কসম, পথতাে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তিনিতাে আল্লাহর নবী (সা) আর আমিতাে যাচ্ছি
ইসলাম গ্রহণ করার জন্য ৷ তাহলে আর কতকাল ইতস্তত করে কাটাবাে ? আমি বললাম, আল্লাহর
কসম , আমিওতে৷ এসেছি ইসলাম গ্রহণ করার জন্যই ৷ তাই আমরা মদীনায় নবী করীম (না) এর
খিদমতে উপস্থিত হলাম ৷ আমার পুর্বেই খালিদ ইবন ওলীদ এগিয়ে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷
তিনি বায়আত করলে আমি নিকটে গিয়ে বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি আমার অপরাধসমুহ
ক্ষমা করবেন এ শর্তে আমি আপনার নিকট বায়আত করছি ৷ ভবিষ্যৎ গুনাহের কথা আমি
বলছিনা ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন : হে আমর ! তুমি বায়আত কর; কারণ, ইসলাম অতীত পাপ
মােচন করে , আর হিজরত অতীত পাপ মােচন করে ৷ তিনি বলেন, অতঃপর আমি বায়আত করে
চলে আসি ৷ ইবন ইসহাক (ব) বলেন, আমার আস্থাভাজন এমন রাবী আমাকে জানিয়েছেন,


أَذْهَبُ وَاللَّهِ فَأُسْلِمُ، فَحَتَّى مَتَى؟ قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا جِئْتُ إِلَّا لِأُسْلِمَ. قَالَ: فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَقَدَّمَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَأَسْلَمَ وَبَايَعَ، ثُمَّ دَنَوْتُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أُبَايِعُكَ عَلَى أَنْ تَغْفِرَ لِي مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِي، وَلَا أَذْكُرُ مَا تَأَخَّرَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا عَمْرُو، بَايِعْ فَإِنَّ الْإِسْلَامَ يَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهُ وَإِنَّ الْهِجْرَةَ تَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهَا " قَالَ: فَبَايَعْتُهُ ثُمَّ انْصَرَفْتُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ كَانَ مَعَهُمَا، أَسْلَمَ حِينَ أَسْلَمَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الزِّبَعْرَى السَّهْمِيُّ: أَنْشُدُ عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ حِلْفَنَا ... وَمُلْقَى نِعَالِ الْقَوْمِ عِنْدَ الْمُقَبَّلِ وَمَا عَقَدَ الْآبَاءُ مِنْ كُلِّ حِلْفَةٍ ... وَمَا خَالِدٌ مِنْ مِثْلِهَا بِمُحَلَّلِ أَمِفْتَاحَ بَيْتٍ غَيْرِ بَيْتِكَ تَبْتَغِي ... وَمَا تَبْتَغِي مِنْ بَيْتِ مَجْدٍ مُؤَثَّلٍ فَلَا تَأْمَنَنَّ خَالِدًا بَعْدَ هَذِهِ ... وَعُثْمَانَ جَاءَا بِالدُّهَيْمِ الْمُعَضَّلِ قُلْتُ: كَانَ إِسْلَامُهُمْ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَذَلِكَ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ كَانَ يَوْمَئِذٍ
পৃষ্ঠা - ৩০০৪
فِي خَيْلِ الْمُشْرِكِينَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، فَكَانَ ذِكْرُ هَذَا الْفَصْلِ فِي إِسْلَامِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْسَبَ، وَلَكِنْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ تَبَعًا لِلْإِمَامِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى؛ لِأَنَّ أَوَّلَ ذَهَابِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى النَّجَاشِيِّ كَانَ بَعْدَ وَقْعَةِ الْخَنْدَقِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ ذَهَبَ فِي بَقِيَّةِ سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.