سنة خمس من الهجرة النبوية
غزوة الخندق
موقف الأحزاب بعد فراغ رسول الله من الخندق
পৃষ্ঠা - ২৮৯৫
হয়েছিল,€ তামাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কন্ঠ গত এবং তে তমরা আল্লাহ সম্বন্ধে নানাবিধ ধারণা
পোষণ করছিলে ৷ (৩৩ অ হযাবং : ১০) ৷
ইমাম বুখারী (র) বলেন, উছাংান ইবন আবুশায়বা ---- আইশ৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন
’,াএ্এট্রু’১া৷ ;র্মু ৷ টু ং১াট্রু ৰু;’ৰুং ট্রুাট্রট্রু৷ ট্রু ৰুপ্রু, ংণ্’ষ্দ্বুট্রুন্দ্বু :, ধ্ৰুৎ ’,ষ্া ন্ ং১৷ আয়াত সম্পর্কে তিনি
বলেন এ ঘটনা ঘটেছিল খন্দকের যুদ্ধের দিনে ৷
মুসা ইবন উক্ব৷ বলেন, সম্মিলিত শত্রু বাহিনী মদীনায় উপকণ্ঠে অবতরণের পর বনুকুরায়যা
গোত্র নিজেদের দুর্গের ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ৷
ইবন ইসহাক বলেন হুয়ই ইবন আখতার নাযীবী এণয়ে গেল ৷ সে কুরয়যা গোত্রের
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি কা ব ইবন আসাদ কুরযীর নিকট গািহ্ পৌছল ৷ হুয় ই ইবন আ খতরের
আগমন সংবাদ শুনে কাব ইবন আসাদ দুর্গের দরজা ভালভাবে বন্ধ করে দিল যাতে সে ভেতরে
প্রবেশ করতে না পারে এবং তার সাথে সাক্ষত না হয় ৷ হুয়ই দরযয় গিয়ে ভেতরে প্রবেশের
অনুমতি চাইল কিন্তু কা ব তাকে অনুমতি দিল না ৷ হুয ই ডেকে ডেকে বলল, দৃর্ভে৷ ৷গ তোমার
হে কা ব ৷ আমি এসেছি দরয খুলে দাও ৷ কা ব বলল, হে হয় ৷ই , দৃর্ভোগ তোমার তুমি একজন
অপয় লোক ৷ আমি ঘুহাম্মদের (সা) সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ৷ এখন আমি ওই চুক্তি ভঙ্গ করতে
পারব ন, আ তার পক্ষ থেকে চুক্তি রক্ষা ও সতত ছাড় আন্য কিছু পা ইনি ৷ হুয়ই বলে ধুত্তরী,
তুমি দরজা খােল, আমি৫ আমার সাথে কথা বলব ৷ কা ব বলল ন আমি দরজা খুলব না ৷ হয় ই
বলল, বুঝেছি, আমি ভেতরে ঢুকে তোমার খবরে ভাগ বসাবএ ভয়ে তুমি আমার জন্যে দরজা
বন্ধ করে রেখেছ ৷ এতে কা বের আত্মসম্মনে আঘাত লাগে এবং সে দরজা খুলে দেয় ৷ হুয়ই
বলল, হে ক ব আমিৰু তামার নিকট একটি বিরাট ও বিরল সম্মান ও অতল সাগরের সন্ধান নিয়ে
এসেছি ৷ সে বলল,৩ ত আবার কী ? হুয়ই বলল কুরয়শের সকল নেতৃস্থানীয় লোকদেরকে আমি
সাথে নিয়ে এসেছি ৷ ওদেরকে রুমা অঞ্চলের “মুজতামা আল আসয়ল” নামক স্থানে রেখেছি ৷
আমি গতফান গোত্রের লোকজনকে ওদের ণ্নতকর্মীসহ নিয়ে এসেছি ৷ ওদেরকে উহুদ পাহাড়ের
পাদদেশে নাকমা-তে রেখেছি ৷ ওর সকলে আমার সাথে ওয়দাবদ্ধ হয়েছে যে, মুহাম্মাদ (সা) ও
তার সাথীদেরকে নির্মুল না করে কেউ ফিরে যাবে ন ৷ কাব বলল , তুমি আমার নিকট থুশীর
খবর আননি; বরং এনেছ অপমান ও লাঞ্চুনর খবর ৷ তুমি আমার নিকট নিয়ে এসেছ এমন
যেঘমালা য পানি শুন্য ৷ যা শুধু বজ্রপাত করে ও বিদ্যুৎ চমকয়; কিন্তু তার মধ্যে কোন পানি
নেই ৷ হে হুয়ই ! তুমি আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দাও ৷ কারণ, আমি মুহাম্মদের (সা) পক্ষ
থেকে কােনদিন চুক্তি তলের কোন উদ্যোগ দেখিনি, তিনি সততর সাথে বরং চুক্তি ও অঙ্গীকার
পালন করে চলেছেন ৷ এ বিষয়ে আমর ইবন সাদ কুরযীও কথা বলেছিল ৷ যে খুব উত্তম কথা
বলেছিল বলে মুসা ইবন উকব উল্লেখ করেছেন ৷ রসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ওদের চুক্তি ও
অঙ্গীকরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সে তখন বলেছিল, তে আমরা যদি মুহাম্মাদ (স) কে সাহায্য
করতেন না চাও তবে তাকে ছেড়ে দাও ৷ তিনি নিজে নিজেরট বুঝবেন ৷ কিন্তু তোমরা তার
শত্রুদেরকে সাহায্য করতে যেয়েন ৷
[مَوْقِفُ الْأَحْزَابِ بَعْدَ فَرَاغِ رَسُولِ اللَّهِ مِنَ الْخَنْدَقِ]
فَصْلٌ (مَوْقِفُ الْأَحْزَابِ بَعْدَ فَرَاغِ رَسُولِ اللَّهِ مِنَ الْخَنْدَقِ) قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْخَنْدَقِ، أَقْبَلَتْ قُرَيْشٌ حَتَّى نَزَلَتْ بِمُجْتَمَعِ الْأَسْيَالِ مِنْ رُومَةَ، بَيْنَ الْجُرُفِ وَزَغَابَةَ، فِي عَشَرَةِ آلَافٍ مِنْ أَحَابِيشِهِمْ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ وَأَهْلِ تِهَامَةَ، وَأَقْبَلَتْ غَطَفَانُ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ، حَتَّى نَزَلُوا بِذَنَبِ نَقَمَى إِلَى جَانِبِ أُحُدٍ وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ، حَتَّى جَعَلُوا ظُهُورَهُمْ إِلَى سَلْعٍ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَضَرَبَ هُنَالِكَ عَسْكَرَهُ، وَالْخَنْدَقُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقَوْمِ وَأَمَرَ بِالذَّرَارِيِّ وَالنِّسَاءِ فَجُعِلُوا فَوْقَ الْآطَامِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ
قُلْتُ: وَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِاللَّهِ الظُّنُونَا} [الأحزاب: 10]
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ {إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ} [الأحزاب: 10] قَالَتْ: ذَلِكَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৯৬
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَلَمَّا نَزَلَ الْأَحْزَابُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ أَغْلَقَ بَنُو قُرَيْظَةَ حِصْنَهُمْ دُونَهُمْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَخَرَجَ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ النَّضَرِيُّ حَتَّى أَتَى كَعْبَ بْنَ أَسَدٍ الْقُرَظِيَّ صَاحِبَ عَقْدِهِمْ وَعَهْدِهِمْ، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِ كَعْبٌ أَغْلَقَ بَابَ حِصْنِهِ دُونَ حُيَيٍّ، فَاسْتَأْذَنَ عَلَيْهِ، فَأَبَى أَنْ يَفْتَحَ لَهُ، فَنَادَاهُ: وَيْحَكَ يَا كَعْبُ! افْتَحْ لِي. قَالَ: وَيْحَكَ يَا حُيَيُّ! إِنَّكَ امْرُؤٌ مَشْئُومٌ، وَإِنِّي قَدْ عَاهَدْتُ مُحَمَّدًا، فَلَسْتُ بِنَاقِضٍ مَا بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَلَمْ أَرَ مِنْهُ إِلَّا وَفَاءً وَصِدْقًا. قَالَ: وَيْحَكَ! افْتَحْ لِي أُكَلِّمْكَ. قَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ. قَالَ: وَاللَّهِ إِنْ أَغْلَقْتَ دُونِي إِلَّا خَوْفًا عَلَى جَشِيشَتِكَ أَنْ آكُلَ مَعَكَ مِنْهَا. فَأَحْفَظَ الرَّجُلَ، فَفَتَحَ لَهُ، فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا كَعْبُ! جِئْتُكَ بِعِزِّ الدَّهْرِ وَبَحْرٍ طَامٍ. قَالَ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: جِئْتُكَ بِقُرَيْشٍ عَلَى قَادَتِهَا وَسَادَتِهَا، حَتَّى أَنْزَلْتُهُمْ بِمُجْتَمَعِ الْأَسْيَالِ مِنْ رُومَةَ، وَبِغَطَفَانَ عَلَى قَادَتِهَا وَسَادَتِهَا حَتَّى أَنْزَلْتُهُمْ بِذَنَبِ نَقَمَى إِلَى جَانِبِ أُحُدٍ قَدْ عَاهَدُونِي وَعَاقَدُونِي عَلَى أَنْ لَا يَبْرَحُوا حَتَّى نَسْتَأْصِلَ مُحَمَّدًا وَمَنْ مَعَهُ. فَقَالَ كَعْبٌ: جِئْتَنِي وَاللَّهِ بِذُلِّ الدَّهْرِ، وَبِجَهَامٍ قَدْ هَرَاقَ مَاءَهُ، يُرْعِدُ وَيُبْرِقُ، وَلَيْسَ فِيهِ
পৃষ্ঠা - ২৮৯৭
ইবন ইসহাক বলেন , হুয়াই ইবন আখতার নাছোড়বান্দা ৷ সে কাব (ক ধরেছে তো ধরেছেই
আর ছাড়ছে না ৷ আকাশ পাতাল অনেক বুঝাতে বুঝাতে শেষ পর্যন্ত কা ব চুক্তিভঙ্গ করতে রাজয
এবং রাসুলুল্লাহ্ ( সা) এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করতে রাষী হয়ে গেল ৷
তবে একটা শর্ত ছিল যে , এ ব্যাপারে হুয়াই ইবন আখতার অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে যে , মুহাম্মাদ
(সা)-কে পরাজিত করতে না পেয়ে যদি কুরায়শ ও পাতফান গোত্র ফিরে যায় তাহলে সে বনু
কুরায়যা গোত্রের দুর্গে ঢুকে পড়বে এবং ওদের যে পরিণতি হবে স্ব,স-শ্হ্শু ওই পরিণতি ভোগ
করবে ৷ তখন কাব ইবন আসাদ তার ও রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর মাঝে যে চুক্তি ছিল তা বাতিলের
ঘোষণা দিল ৷
মুসা ইবন উক্বা বলেন, কাব ইবন আসাদ ও বনু কুরায়যার (হুন্ব্বকজন হুয়াই ইবন
আখতাবকে নির্দেশ দিল কুরায়শ ও পাতফান গোত্রের কতক লোককে বন্দণ্শ্ব১ রাখতে ৷ ওরা বনু
কুরায়যার নিকট আবদ্ধ থাকবে যাতে মুহাম্মাদ (সা)ন্-£ক পরাজিত না করে ওরা ফিরে পেলে বনু
কুরায়যার গোত্র অত্যাচারিত না হয় ৷ তারা বলল যে, ওদের ৯০ জন স্ন্তুাম্ভ লোক বন্ধক হিসেবে
থাকবে ৷ হুয়াই ইবন আখতার এ বিষয়ে কুরারশী ও পাতফানীদেরকে রাযী৷ করাল ৷
এ পর্যায়ে বনুকুরায়যার লোকেরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করল এবং চুক্তিপত্র ছিড়ে ফেলল ৷ তবে
সানার পুত্রএয় আসাদ উসায়দ ও ছালাবা ইয়াহ্রদীদের পক্ষ ত্যাগ করে রাসুলুল্লাহ্ ( সা;)-এর নিকট
চলে যায় ৷
ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহুদীদের প্রতিশ্রুতি তলের সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) এবং অন্যান্য
মুসলমানদের নিকট (পৌছে যায় ৷ তিনি আওস প্রধান সাদ ইবন মুআয এবং খাযরাজ গোত্র প্রধান
সাদ ইবন উবাদা (রা)-কে সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জানা পাঠালে ন ৷ তাদের সাথে ছিলেন
তা৷বদুল্লাহ্ ইবন রাওয়া হা ও খাওয়াত ইবন জুবায়র ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা ওই
সম্প্রদায়ের নিকট যাও ৷ তারপর দেখ, আমরা যা শুনেছি তা সত্য কিনা ৷ যদি ওই ঘটনা সত্য হয়,
তবে সাংকেতিক শব্দ দ্বারা পরিস্থিতি আমাকে জানাবে ৷ মুসলমানদের আম মজলিসে তা ঘোষণা
করবে না ৷ আর যদি ওরা চুক্তি বহাল রাখে তবে মুসলমানদের আম মজলিশে তা প্রকাশ করতে
পার ৷ তারা গেলেন ওদের নিকট ৷ তারা ওদের দুর্পের মধ্যে প্রবেশ করলেন ৷ তাদেরকে চুক্তি
নরায়ন ও পুনঃচুক্তি সম্পাদনের আহ্বান জানালেন ৷ তারা বলল, হার এখন ? অথচ আমাদের
একটি ডানা ভেঙ্গে গেছে ৷ অর্থাং বানু নাযীর গোত্র বহিষ্কৃত হয়েছে ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সম্পর্কে কর্টুক্তিও করে ৷ সাদ ইবন উবাদাহ (রা) ওদেরকে পাল মন্দ করতে লাপলেন ৷ তারা
তাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল ৷ হযরত সা“দ হইল মৃআয বললেন, আল্লাহর কসম, আমরা ঝগড়া
করতে আসিনি ৷ এখন আমাদের যে পরিস্থিতি তা গালপ্মান্দর চেয়েও গুরুতর ৷ এবার সাদ ইবন
মু“আয (রা ) ওদেরৰুক ডেকে বললেন, হে বনু কুরায়যা গোত্র ! তোমাদের মাঝে এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর মাঝে কী চুক্তি ছিল তা তোমাদের জানা আছে ৷ ওই চুক্তি ভঙ্গ করলে বনু নাযীরের ন্যায়
কিংবা তদপেক্ষা কঠিন পরিণতি তোমাদের হতে পারে বলে আমি আশংকা করছি ৷ তারা তখন
তার প্রতি অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করে ৷ তিনি বললেন, শালীন ভাষা ব্যবহার করাটাই তোমাদের
জন্যে উত্তম ছিল ৷
ইবন ইসহাক বলেন , ওরা রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সম্পর্কে কর্টুক্তি করেছিল ৷ তারা বলেছিল,
شَيْءٌ، وَيْحَكَ يَا حُيَيُّ! فَدَعْنِي وَمَا أَنَا عَلَيْهِ؛ فَإِنِّي لَمْ أَرَ مِنْ مُحَمَّدٍ إِلَّا صِدْقًا وَوَفَاءً. وَقَدْ تَكَلَّمَ عَمْرُو بْنُ سَعْدٍ الْقُرَظِيُّ فَأَحْسَنَ، فِيمَا ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ ذَكَّرَهُمْ مِيثَاقَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَهْدَهُ، وَمُعَاقَدَتَهُمْ إِيَّاهُ عَلَى نَصْرِهِ، وَقَالَ: إِذَا لَمْ تَنْصُرُوهُ فَاتْرُكُوهُ وَعَدُوَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَلَمْ يَزَلْ حُيَيٌّ بِكَعْبٍ يَفْتِلُ فِي الذِّرْوَةِ وَالْغَارِبِ حَتَّى سَمَحَ لَهُ - يَعْنِي فِي نَقْضِ عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِي مُحَارَبَتِهِ مَعَ الْأَحْزَابِ - عَلَى أَنْ أَعْطَاهُ حُيَيٌّ عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ: لَئِنْ رَجَعَتْ قُرَيْشٌ وغَطَفَانُ وَلَمْ يُصِيبُوا مُحَمَّدًا؛ أَنْ أَدْخُلَ مَعَكَ فِي حِصْنِكَ حَتَّى يُصِيبَنِي مَا أَصَابَكَ. فَنَقَضَ كَعْبُ بْنُ أَسَدٍ عَهْدَهُ، وَبَرِئَ مِمَّا كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَأَمَرَ كَعْبُ بْنُ أَسَدٍ وَبَنُو قُرَيْظَةَ حُيَيَّ بْنَ أَخْطَبَ أَنْ يَأْخُذَ لَهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ وغَطَفَانَ رَهَائِنَ تَكُونُ عِنْدَهُمْ. يَعْنِي لِئَلَّا يَنَالَهُمْ ضَيْمٌ إِنْ هُمْ رَجَعُوا وَلَمْ يُنَاجِزُوا مُحَمَّدًا. قَالُوا: وَتَكُونُ الرَّهَائِنُ تِسْعِينَ رَجُلًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ. فَنَازَلَهُمْ حُيَيٌّ عَلَى ذَلِكَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ نَقَضُوا الْعَهْدَ، وَمَزَّقُوا
পৃষ্ঠা - ২৮৯৮
الصَّحِيفَةَ الَّتِي كَانَ فِيهَا الْعَهْدُ، إِلَّا بَنِي سَعْيَةَ أَسَدٌ وَأَسِيدٌ وَثَعْلَبَةُ، فَإِنَّهُمْ خَرَجُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَلَمَّا انْتَهَى الْخَبَرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى الْمُسْلِمِينَ، بَعَثَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ،، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْأَوْسِ، وَسَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْخَزْرَجِ، وَمَعَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ وَخَوَّاتُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ: " انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ فَتَنْظُرُوا أَحَقٌّ مَا بَلَغَنَا عَنْهُمْ، فَإِنْ كَانَ حَقًّا فَالْحَنُوا لِي لَحْنًا أَعْرِفُهُ، وَلَا تَفُتُّوا فِي أَعْضَادِ الْمُسْلِمِينَ، وَإِنْ كَانُوا عَلَى الْوَفَاءِ فَاجْهُرُوا بِهِ لِلنَّاسِ ". قَالَ: فَخَرَجُوا حَتَّى أَتَوْهُمْ.
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فَدَخَلُوا مَعَهُمْ حِصْنَهُمْ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى الْمُوَادَعَةِ وَتَجْدِيدِ الْحِلْفِ، فَقَالُوا: الْآنَ وَقَدْ كُسِرَ جَنَاحُنَا وَأَخْرَجَهُمْ؟! يُرِيدُونَ بَنِي النَّضِيرِ، وَنَالُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ يُشَاتِمُهُمْ، فَأَغْضَبُوهُ، فَقَالَ لَهُ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ إِنَّا وَاللَّهِ مَا جِئْنَا لِهَذَا، وَلَمَا بَيْنَنَا أَكْبَرُ مِنَ الْمُشَاتَمَةِ. ثُمَّ نَادَاهُمْ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَالَ: إِنَّكُمْ قَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ يَا بَنِي قُرَيْظَةَ، وَأَنَا خَائِفٌ عَلَيْكُمْ مِثْلَ يَوْمِ بَنِي النَّضِيرِ أَوْ أَمَرَّ مِنْهُ. فَقَالُوا: أَكَلْتَ أَيْرَ أَبِيكَ. فَقَالَ: غَيْرُ هَذَا مِنَ الْقَوْلِ كَانَ أَجْمَلَ بِكُمْ وَأَحْسَنَ.
পৃষ্ঠা - ২৮৯৯
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবার কে ? মুহাম্মাদ ও আমাদের মধ্যে কোন চুক্তি নেইা সা দ ইবন মু“আয
তাদেরকে ভব্সনা করলেনা ওরাও তাকে পাল্টা ভহ্সনা করলা সাদ ইবন মুআয (রা ) ছিলেন
অত্যন্ত তেজম্বী প্রকৃতির লোকা সাদ ইবন উবাদা (রা) বললেন থাক থাক পাল মন্দের দরকার
নেই ৷ এখন আমাদের আর ওদের মধ্যকার পরিন্থিতিতার চেয়ে অনেক বেশী গুরুতরা হযরত
সা দ ইবন মু আর, সা দ ইবন উবাদাহ্ এবং৩ তাদের সাথে যারা ছিলেন তারা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর
নিকট ফিরে এলেনা তারা তাকে সালাম জানিয়ে সাং কোতক তার য় বললেন, “আমল ও কারাহ
গোত্র”া অর্থাৎ আযল ও কারাহ গােত্রদ্বয় যেমন বিশ্বাসঘাতকতা করে হযরত থুবায়ব (বা) ও তার
সাথীদেরকে হত্যা করেছিল এরাও তেমনি বিশ্বাসঘাতকতার পথ ব্বরছে নিয়েছে ৷ তাদের বক্তব্য
শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলে উঠলেন “আল্লাহ আকবার ” হে মসলিমপণ ! সুসংবাদ গ্রহণ করা
মুসা ইবন উকবা বলেন, বনুকুরায়যা গোত্রের সংবাদ শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাপড়ে মাথা
ঢেকে শুয়ে পড়লেনা দীর্ঘক্ষণ তিনি এ অবস্থায় ছিলেন ৷ তাকে শায়িত দেখে লোকজন
দৃশ্চিন্তাগ্নস্ত ও শংকিত হয়ে পড়লা তারা বুঝতে পারল যে, বনু কুরায়যার ব্যাপারে ভাল সংবাদ
আসেনিা এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা তুললেন এবং বললেন সকলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে
সাহায্য ও বিজয়ের সুসংবাদ গ্রহণ করা
ভোরবেলা উভয় পক্ষ মুখোমুখি হল ৷ তীর ও পাথর নিংক্ষাপর ঘটনা ঘটলা রাবী সাঈদ ইবন
ঘৃসায়িব্রর (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তখন বলেছিলেন :
“হে আল্লাহা আমি আপনার দেয়া ওয়াদা ও অঙ্গীকার পুর্ণ করার প্রার্থনা জানাচ্ছিা হে আল্লাহ!
আপনি যদি চান যে , আপনার ইবাদত করা হবে না তবে তাই হয়ো” ইবন ইসহাক বলেন, এ
সময়ে এক দারুণাপরীক্ষা উপ ত হয়া লোকজনের মা,ন প্রচন্ড ভীতির নঞ্চার হয়া শত্রু পক্ষ
এগিয়ে আসে তাদের উধ্বঞ্চিল ও নিম্নাঞ্চদ্বন্া থেকো ঈমানদারগণের মনে নানাবিধ ধারণা সৃষ্টি হয়া
আর মুনাফিকরা প্রকাশো মুনাফিকী কথাবা৩া শুরু করে দেয়া আমর ইবন আওফ গোত্রের
মৃআত্তা ব ইবন কুশায়র বলে উঠে, মুহাম্মাদ তো আমাদেরকে রোমকও পারস্য সম্রাাটর ধন-সম্পদ
ভোগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেনা অথচ আমাদের সঙ্গীরা এখন পায়খানায় যাওয়ার নিরাপত্তাও
পাচ্ছেন না আওস ইবন কায়সী বলেছিল ” হে আল্লাহর রাসুল ! আমাদের বাডীঘর শত্রু পক্ষের
সম্মুখে অরক্ষিতা ওদের অনেকেই এরুপ কথা বলে ৷ সুতরাং হে রাসুল ! আমাদেরকে আমাদের
বাড়ী যাওয়ার অনুমতি দিনা অামাদের বাড়ী তো মদীনায় বাইরে অবস্থিতা আমি বলি, আল্লাহ
তা আালা নিম্নের আয়াতে ওদের কথ ই বলেছেন, আল্লাহ্ তা অালা বলেহ্নো :
’>া সুত্রপু’,,, ঢুাা;’;ৰু, ;; দু,;;,;ৰু ন্,, হ্রা; , ,া ;,; এা , ;,াৰুা পুা,হ্র’, ঠুান্,
া পু ;ৰুশু,;১ ণ্ৰুা রু;াং ন্া ;পাদ্বু; ম্র;ৰু;াট্রু ; ;;: ণ্ডু;;,াৰু ;াচ্;ৰু ১া, াঙ্কু,’,
দু :
এপ্নষ্ এ
০ ) ৰু১ !,
২৬
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: نَالُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالُوا: مَنْ رَسُولُ اللَّهِ؟ لَا عَهْدَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ وَلَا عَقْدَ. فَشَاتَمَهُمْ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ وَشَاتَمُوهُ، وَكَانَ رَجُلًا فِيهِ حِدَّةٌ، فَقَالَ لَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: دَعْ عَنْكَ مُشَاتَمَتَهُمْ، لَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ أَرْبَى مِنَ الْمُشَاتَمَةِ. ثُمَّ أَقْبَلَ السَّعْدَانِ وَمَنْ مَعَهُمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالُوا: عَضَلٌ وَالْقَارَةُ. أَيْ كَغَدْرِهِمْ بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ، خُبَيْبٍ وَأَصْحَابِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «اللَّهُ أَكْبَرُ، أَبْشِرُوا يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ» ".
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، ثُمَّ تَقَنَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَوْبِهِ حِينَ جَاءَهُ الْخَبَرُ عَنْ بَنِي قُرَيْظَةَ، فَاضْطَجَعَ وَمَكَثَ طَوِيلًا، فَاشْتَدَّ عَلَى النَّاسِ الْبَلَاءُ وَالْخَوْفُ حِينَ رَأَوْهُ اضْطَجَعَ، وَعَرَفُوا أَنَّهُ لَمْ يَأْتِهِ عَنْ بَنِي قُرَيْظَةَ خَيْرٌ، ثُمَّ إِنَّهُ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: " «أَبْشِرُوا بِفَتْحِ اللَّهِ وَنَصْرِهِ» ". فَلَمَّا أَنْ أَصْبَحُوا، دَنَا الْقَوْمُ بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ، وَكَانَ بَيْنَهُمْ رَمْيٌ بِالنَّبْلِ وَالْحِجَارَةِ، قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عَهْدَكَ وَوَعْدَكَ اللَّهُمَّ إِنْ تَشَأْ لَا تُعْبَدْ ".»
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَعَظُمَ عِنْدَ ذَلِكَ الْبَلَاءُ، وَاشْتَدَّ الْخَوْفُ، وَأَتَاهُمْ
পৃষ্ঠা - ২৯০০
মুনাফিকর৷ এবং যাদের অন্তরে ছিল ব্যাধি তারা বলছিল ৷ আল্লাহ এবং তার রাসুল
আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয় ৷ এবং ওদের একদল
বলেছিল, হে ইয়াছরিবরাসী ৷ এখানে তোমাদের কে ন স্থান নেই ৷ তোমরা ফিরে চল, এবং
ওদের মধ্যে একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত ৷
অথচ ওগুলো অরক্ষিত ছিল না ৷ আসলে পলায়ন করাই ছিল ওদের উদ্দেশ্যে ৷ (৩৩ আহযাব :
১২, ১৩) ৷
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থ৷ ৷নিলেন ৷ আর মুশরিকরা
নিক্ষেপ ছা ড়৷ অন্য কো ন যুদ্ধ হয়নি ৷ বিপদ খুব কঠিন দেখতে পেয়ে র ৷ নুলুল্লাহ্ (সা) পাতফান
গোত্রের দৃনেতা উয়ায়না ইবন হিসন এবং হারিছ ইবন আওফের নিরন্ট প্রস্তাব পাঠালেন যে, ওরা
যদি ওদের সাথীদেরকে নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরে যায় তবে তাদের ক মদীনায় উং পাদিত মোট
থেজুরের এক তৃভীয়াৎশ প্রদান করা হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও পাত ফানী নেতাদের মাঝে চুক্তি
বিষয়ক আলাপ আলোচনা চলছিল ৷ চুক্তিপত্র লিখা হয়ে গিয়েছিল ৷ তবে স্বাক্ষর ও সত্যায়ন
তখনো হয়ে সারেনি ৷ ইত্যবসরে বিষয়টি সম্পর্কে পরামর্শের জন্যে তিনি সাদ ইবন মুআয ও সাদ
ইবন উবাদা (রা)-কে ডেকে পাঠালেন ৷ তারা এলেন র ৷ সুপৃল্লা হু (সা) তাদেরকে ঘটনা আ ন৷ লে ন ৷
এবং এ ব্যাপারে তাদের পরামর্শ চাইলেন ৷ তারা বললেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এটি কি আপনার
ব্যক্তিগত পসন্দের সিদ্ধ ন্ত ?ত তাহলে আমরা অবশ্যই তা মেনে নিব ৷ অথবা এটি কি অ ল্লাহব
নির্দেশ ? তাহলেও আমরা অবশ্যই এটি মােন নেব ৷ অথবা এটি ক আমাদের স্বার্থের দিকে
তাকিয়ে আপনি করতে যাচ্ছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন এটি বরং তোমাদের স্বার্থেই আমি
করতে চাচ্ছি ৷ আমি এজন্যে এটি করতে চাচ্ছি যে, আমি দেখছি আরবদের সকলে একজােট
হয়ে তোমাদের উপর আক্রমণ করছে একই ধনুক থেকে তারা ভীর ছুড়ছে তোমাদের প্ৰতি এবং
চারিদিক থেকে ওরা ঘিরে ফেলেছেওে তােমাদেরকে ৷ আমি চাচ্ছি যে এ কৌশলের মাধ্যমে ওদের
ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে ওদেরকে দুর্বল করে দিই ৷ সা দ ইবন মু আয় (রা) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (না)! এমন এক সময় ছিল যখন আমরা এবং ওরা সকলে শিরকরাদী ছিলাম ৷
মুর্তিপুজা ৷রী ছিলাম ৷ আমরা তখন অ ৷ল্লাহ্র ইবাদত করত ৷ম না আল্লাহ্কে চিনতাম না ৷ তখন তারা
ক্রয় কিৎবা আমাদের পক্ষ থেকে আতিথ্য ব্যতীত আমাদের একটা থেজুরের দিকে লোলুপ দৃষ্টি
নিক্ষেপ করতে পারেনি ৷ আর এখন আল্লাহ্ তাআল৷ আমাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মানিত
করেছেন ৷ আমাদেরকে ইসলামের দিকে পথ দেখিয়েছেন ৷ আপনার উপস্থিতি ও তার দয়ায়
আমাদেরকে মহিমাযিত করেছেন ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! এখন কি আমরা আমাদের মাল-সম্পদ
ওদের হাতে তুলে দেব ? এমন চুক্তির আমাদের প্রয়োজন নেই ৷ আল্লাহর কলম! আমরা
ওদেরকে কিছুই দেব না ৷ শুধুউচিয়ে ধরব তরবাবি যতক্ষণ না মহান আল্লাহ্ আমাদের আর ওদের
মাঝে ফায়সালা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ঠিক আছেত মি যা চাচ্ছে৷ তাই হবে ৷ হযরত
সা দ ইবন মু আয় চুক্তি পত্রটি হাতে নিয়ে সকল লিখা মুছে ফেললেন ৷ তারপর বললেন, এবার
ব্যাটার৷ আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করুক ৷
عَدُوُّهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ، حَتَّى ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ كُلَّ ظَنٍّ، وَنَجَمَ النِّفَاقُ، حَتَّى قَالَ مُعَتِّبُ بْنُ قُشَيْرٍ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ: كَانَ مُحَمَّدٌ يَعِدُنَا أَنْ نَأْكُلَ كُنُوزَ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَأَحَدُنَا الْيَوْمَ لَا يَأْمَنُ عَلَى نَفْسِهِ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى الْغَائِطِ. وَحَتَّى قَالَ أَوْسُ بْنُ قَيْظِيِّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ مِنَ الْعَدُوِّ - وَذَلِكَ عَنْ مَلَأٍ مِنْ رِجَالِ قَوْمِهِ - فَأْذَنْ لَنَا أَنْ نَرْجِعَ إِلَى دَارِنَا؛ فَإِنَّهَا خَارِجٌ مِنَ الْمَدِينَةِ.
قُلْتُ: هَؤُلَاءِ وَأَمْثَالُهُمُ الْمُرَادُونَ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا وَإِذْ قَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ يَا أَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوا وَيَسْتَأْذِنُ فَرِيقٌ مِنْهُمُ النَّبِيَّ يَقُولُونَ إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ إِنْ يُرِيدُونَ إِلَّا فِرَارًا} [الأحزاب: 12] (الْأَحْزَابِ: 12 - 13) .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي مُرَابِطًا - وَأَقَامَ الْمُشْرِكُونَ يُحَاصِرُونَهُ بِضْعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ حَرْبٌ إِلَّا الرَّمِيَّا بِالنَّبْلِ، فَلَمَّا اشْتَدَّ عَلَى النَّاسِ الْبَلَاءُ، بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَمَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ - إِلَى عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَوْفٍ الْمُرِّيِّ، وَهُمَا قَائِدَا غَطَفَانَ، «فَأَعْطَاهُمَا ثُلُثَ ثِمَارِ الْمَدِينَةِ عَلَى أَنْ يَرْجِعَا بِمَنْ مَعَهُمَا عَنْهُ وَعَنْ أَصْحَابِهِ، فَجَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمُ
পৃষ্ঠা - ২৯০১
الصُّلْحُ، حَتَّى كَتَبُوا الْكِتَابَ، وَلَمْ تَقَعِ الشَّهَادَةُ وَلَا عَزِيمَةُ الصُّلْحِ إِلَّا الْمُرَاوَضَةُ، فَلَمَّا أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ، بَعَثَ إِلَى السَّعْدَيْنِ، فَذَكَرَ لَهُمَا ذَلِكَ، وَاسْتَشَارَهُمَا فِيهِ، فَقَالَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَمْرًا تُحِبُّهُ فَنَصْنَعُهُ، أَمْ شَيْئًا أَمَرَكَ اللَّهُ بِهِ وَلَا بُدَّ لَنَا مِنَ الْعَمَلِ بِهِ، أَمْ شَيْئًا تَصْنَعُهُ لَنَا. فَقَالَ: " بَلْ شَيْءٌ أَصْنَعُهُ لَكُمْ، وَاللَّهِ مَا أَصْنَعُ ذَلِكَ إِلَّا أَنِّي رَأَيْتُ الْعَرَبَ رَمَتْكُمْ عَنْ قَوْسٍ وَاحِدَةٍ، وَكَالَبُوكُمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَكْسِرَ عَنْكُمْ مِنْ شَوْكَتِهِمْ إِلَى أَمْرٍ مَا ". فَقَالَ لَهُ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ كُنَّا نَحْنُ وَهَؤُلَاءِ الْقَوْمُ عَلَى الشِّرْكِ بِاللَّهِ وَعِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، لَا نَعْبُدُ اللَّهَ وَلَا نَعْرِفُهُ، وَهُمْ لَا يَطْمَعُونَ أَنْ يَأْكُلُوا مِنْهَا تَمْرَةً وَاحِدَةً إِلَّا قِرًى أَوْ بَيْعًا، أَفَحِينَ أَكْرَمَنَا اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ، وَهَدَانَا لَهُ وَأَعَزَّنَا بِكَ وَبِهِ، نُعْطِيهِمْ أَمْوَالَنَا! مَا لَنَا بِهَذَا مِنْ حَاجَةٍ، وَاللَّهِ لَا نُعْطِيهِمْ إِلَّا السَّيْفَ، حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنْتَ وَذَاكَ ". فَتَنَاوَلَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ الصَّحِيفَةَ، فَمَحَا مَا فِيهَا مِنَ الْكِتَابِ، ثُمَّ قَالَ: لِيَجْهَدُوا عَلَيْهَا» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ مُحَاصَرِينَ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّهِمْ قِتَالٌ، إِلَّا أَنَّ فَوَارِسَ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدِّ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، أَحَدُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، وَعِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ وَهُبَيْرَةُ بْنُ أَبِي وَهْبٍ الْمَخْزُومِيَّانِ، وَضِرَارُ بْنُ الْخَطَّابِ بْنِ مِرْدَاسٍ، أَحَدُ بَنِي مُحَارِبِ بْنِ فِهْرٍ، تَلَبَّسُوا لِلْقِتَالِ ثُمَّ خَرَجُوا عَلَى خَيْلِهِمْ، حَتَّى مَرُّوا بِمَنَازِلِ بَنِي كِنَانَةَ فَقَالُوا: تَهَيَّئُوا يَا بَنِي كِنَانَةَ لِلْحَرْبِ، فَسَتَعْلَمُونَ مَنِ الْفُرْسَانُ الْيَوْمَ. ثُمَّ أَقْبَلُوا تُعْنِقُ بِهِمْ
পৃষ্ঠা - ২৯০২
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও সাহাবীগণ অবরুদ্ধ হয়ে রইলেন ৷ বড় কোন সংঘর্ষ তখনও হয়নি ৷ হঠাৎ
কুরায়শের কতক অশ্বারোহী সাহসী যোদ্ধা বনু আমির ইবন লুওয়াই গোত্রের আমর ইবন আবদে
উদ, ইকরিমা ইবন আবু জাহল , হুরায়রা ইবন আবু ওয়াহব মাখবুযী , দিরার ইবন খাত্তাব ইবন
মিরদাস প্রমুখ সম্মুখ যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেল ৷ তারা তপ্লোর অশ্ব দলে চেপে বলল এবং বনু
কিনান৷ গোত্রের অবস্থান ক্ষেত্রে গিয়ে বলল, হে বনু কিনান৷ গোত্র যুদ্ধের জন্যে প্রন্তুত হও ৷
আজই তোমরা বুঝতে পারবে অশ্বারোহী যোদ্ধা কাকে বলে ৷ এরপর তারা বীরত্বের সাথে যোড়া
হাকিয়ে পরিখার নিকট পৌছে ৷ পরিখ৷ দেখতে পেয়ে তারা বলল, হায় আল্লাহ্ৰু এ যে, এক নতুন
ফন্দী দেখছি ৷ আরবর৷ তো এমন কৌশল কােনদিন অবলম্বন করেনি ৷ প্রশস্ত পরিখ৷ অতিক্রমে
অপারগ হয়ে তারা এমন স্থান খুজতে লাগল যেখানে পবিখার প্রশস্তত৷ কম ৷ খন্দক ও নানা
পাহাড়ের মধ্যবর্তী এরুপ একটি স্থানে৩ তারা গিয়ে পৌছে ৷ £ৰু ৷৷ডা হ৷ ৷কিয়ে৩াব৷ পরিখ৷ পা ৷রও হয়ে
যায় এবং তাদেরকে নিয়ে তাদের অশ্বগুলাে পরিখ৷ ও ৷ন্া৷রপ্া:থর মধ্যখানে লাফাতে থাকে ৷
এদিকে কয়েকজন মুসলিম যোদ্ধা নিয়ে বেরিয়ে এলেন হযরত আলী (রা৷ ৷ যে পথে শত্রু পক্ষ
পরিখ৷ ৷পার হয়েছিল তারা সেখানে এলেন ৷ শত্রুপক্ষের অশ্বারোহির৷ বীরত্বের সাথে৩ তাদের দিকে
এগিয়ে গেল ৷ শত্রুপক্ষের আমর ইবন আবদ উদ্দ বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে আহত হয়ে প্রাণে
বেচে গিয়েছিল ৷ এই যখমের জন্যেই সে উহুদ যুদ্ধে যে অংশ নিতে পারেনি ৷৩ তাই খন্দক যুদ্ধে
বীরতু দেখানোর জন্যে পতাকা হাতে বের হয় ৷ অশ্বারোহী সঙ্গিগণ সহ পরিখ৷ পর হয়ে সে
মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে বলে, কে আছ যে, আমার সাথে লড়াই করতে আসবে ? তার
মুকাবিলায় বেরিয়ে আসলেন হযরত ৩আলী (রা ) ৷ তিনি বললেন, হে আমর ! তুমি তো আল্লাহর
সাথে অঙ্গীক৷ ৷র করেছিলে যে, কোন কুরায়শী লোক যদি তামাকে দুটো প্রস্তাব দেয়৩ তুমি দুটোর
যে কোন একটি মেনে নিয়ে ৷ সে বলল, হা৩াইতে৷ ৷ হযরত আলী বললেন, তবে আমি
তোমাকে আল্লাহর পথে, তার রাসুলের পথে এবং ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জ নাচ্ছি ৷ আমর
বলল, না ও সরের আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, তবে আমি তোমাকে
যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানাচ্ছি ৷ সে বলল, ভাতিজ ৷আল্লাহ্র কসম, তোমার মত যুবককে
হত্যা করতে আ ৷মি পসন্দ করি না ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, আ ৷মি কিন্তু তোমাকে হত্যা করতে
খুবই আগ্রহী ৷ একথা শুনে আমর রেগে যায় এবং ঘোড়া থেকে নেমে পড়ে ৷ আপন তরবাবিতে
যে নিজের ঘোড়ার পা কেটে দিয়ে তার মুখে আঘাত করে ৷ এরপর হযরত আলীর (রা) সম্মুখে
উপস্থিত হয় ৷ উভয়ে তরবারি পরিচালনা শুরু করেন ৷ শেষ পর্যন্ত হযরত আলী (বা) ওকে হত্যা
করেন ৷ তার সাথী অশ্বারোহ্নিাণ পরাজয় বরণ করে , পরিখ৷ পার হয়ে পালিয়ে যায় ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এ প্ৰসৎগে হযরত আলী (রা) নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন ;;
ব্লু,
সে সাহায্য করেছে পাথরের মুর্ডিং ৷ এটি ছিল তার মুর্থতাপুর্ণ সিদ্ধান্ত ৷ আমি সাহায্য করেছি
মুহাম্মাদ (সা) এর প্রতিপা ৷লকের ৷ আ ৷মি অনুসরণ করেছি সঠিক পথের ৷
শ্ :
خَيْلُهُمْ، حَتَّى وَقَفُوا عَلَى الْخَنْدَقِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا: وَاللَّهِ إِنَّ هَذِهِ لَمَكِيدَةٌ مَا كَانَتِ الْعَرَبُ تَكِيدُهَا. ثُمَّ تَيَمَّمُوا مَكَانًا مِنَ الْخَنْدَقِ ضَيِّقًا، فَضَرَبُوا خَيْلَهُمْ فَاقْتَحَمَتْ مِنْهُ، فَجَالَتْ بِهِمْ فِي السَّبْخَةِ بَيْنَ الْخَنْدَقِ وَسَلْعٍ، وَخَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِي نَفَرٍ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، حَتَّى أَخَذُوا عَلَيْهِ الثُّغْرَةَ الَّتِي أَقْحَمُوا مِنْهَا خَيْلَهُمْ، وَأَقْبَلَتِ الْفُرْسَانُ تُعْنِقُ نَحْوَهُمْ، وَكَانَ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدٍّ قَدْ قَاتَلَ يَوْمَ بَدْرٍ حَتَّى أَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَةُ، فَلَمْ يَشْهَدْ يَوْمَ أُحُدٍ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْخَنْدَقِ، خَرَجَ مُعْلِمًا لِيُرَى مَكَانُهُ، فَلَمَّا وَقَفَ هُوَ وَخَيْلُهُ قَالَ: مَنْ يُبَارِزُ؟ فَبَرَزَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ لَهُ: يَا عَمْرُو، إِنَّكَ كُنْتَ عَاهَدْتَ اللَّهَ لَا يَدْعُوكَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى إِحْدَى خَلَّتَيْنِ إِلَّا أَخَذْتَهَا مِنْهُ. قَالَ: أَجَلْ قَالَ لَهُ عَلِيٌّ: فَإِنِّي أَدْعُوكَ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ وَإِلَى الْإِسْلَامِ. قَالَ: لَا حَاجَةَ لِي بِذَلِكَ. قَالَ: فَإِنِّي أَدْعُوكَ إِلَى النِّزَالِ. قَالَ لَهُ: لِمَ يَا ابْنَ أَخِي، فَوَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَكَ. قَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَكِنِّي وَاللَّهِ أُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَكَ. فَحَمِيَ عَمْرٌو عِنْدَ ذَلِكَ، فَاقْتَحَمَ عَنْ فَرَسِهِ، فَعَقَرَهُ وَضَرَبَ وَجْهَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ، فَتَنَازَلَا وَتَجَاوَلَا، فَقَتَلَهُ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَخَرَجَتْ خَيْلُهُمْ مُنْهَزِمَةً، حَتَّى اقْتَحَمَتْ مِنَ الْخَنْدَقِ هَارِبَةً.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِي ذَلِكَ:
نَصَرَ الْحِجَارَةَ مِنْ سَفَاهَةِ رَأْيِهِ ... وَنَصَرْتُ رَبَّ مُحَمَّدٍ بِصَوَابِ
পৃষ্ঠা - ২৯০৩
তাকে মাটিতে (ফলে দিয়ে আমি যখন ফিরে আমি তখন তাকে মনে হয়েছিল বালুস্তুপ ও
পাহ৷ ৷ড়ী টিলা র মাঝখানে সে একটি কর্তিত বৃক্ষ কাণ্ড ৷
শ্শ্শ্শ্শ্
পুস্টু£
আমিও ৷ ৩ার কাপড়-চােপড় ও অস্ত্রশস্ত্র ছেড়ে এসেছি ৷ আমি যদি ক ৷তাইই৷ জাম৷ ৷পরিধান করতে ৰু
চাইতাম তবে তা পার৩ ৷ম ৷ কিন্তু আম৷ র কা ৷পড়ই আমার জন্যে যথেষ্ট ৷
হে সম্মিলিত শত্রু বাহিনী ৷ কখনো মনে করোন৷ যে আল্লাহ তাআল৷ তার দীনকে এবং তার
নবীকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করবেন ৷
ইবন হিশাম বলেন, কবিতা বিশেষজ্ঞগণ এ বিষয়ে সন্দেহ করেন যে, এটি আলী (বা ) এর
কবিতা কিন৷ ৷ ইবন হিশাম বলেন, আমরের করুণ অবস্থা দেখে ই ক রাম ৷সেদিন বশা ফেলে
পালিয়ে যেচেছিল ৷ এ প্রসংগে হাসৃসান ইবন ছ বি৩ (র ) বলেন চ
শ্শ্শ্শ্শ্
আমাদের জন্যে বর্শ৷ ৷ফেলে রেখে যে পালিয়ে গিয়েছে ৷ তুমি যদি বীর পুরুষ হতে তবে
এরুপ করতে পারতে ন৷ ৷
ধ্া’;ৰুণ্ং৷ ৷ এে )ট্রুন্’১প্লু ংর্চু (ৰু ৰুএে ৷ ;;; < ৰুন্ছুছুছু ন্এ্ট্রুট্রু
তুমি তো পৃষ্ঠ প্ৰদশ্নি করে পালিযেছ ৷ যেমন উটপাখী তার স্থান থেকে পালায় ৷
,)ছুটুট্র ৷ব্লুদ্বু ;াএে ’ ৷হ্র ৮ৰুর্দু ;প্া,ছুএ্;ন্ ):, ষ্টুড়ু
বন্ধুতু ও সহা নুভুতি লাভের আশায় তুমি পিছনে ফিরে তাকাওনি (তামার ঘাড় যেন ছিল
ন্ভ্রল্লুকের ঘ৷ ড় ৷
ইবন হিশাম বলেন, দু); ৷ ঠুট্রু শব্দের অর্থ হচ্ছে ভল্লুক ছান৷ ৷
হাফিয বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ইবন ইনহাক থেকে যে আমর ইবন
আবৃদ উদ্দ লৌহ বর্মে মুখ ঢেকে উপ ড়হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে ৷ সে হাক ছেড়ে বলল, (ক
আছ যে, আমার সাথে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে ? হযরত আলী (র৷ ) দাড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) — এর
অনুমতি চেয়ে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি আছি ওর বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, যে যে আমর, তুমি বসে পড় ৷ আমর আবার হাক ছেড়ে বলল, এমন কোন বীর
পুরুষ কি নেই যে আমার সাথে লড়৷ ৷ই করতে পারবে ? সে মুসলমানদেরকে বিদ্রুপ করতে লাগল
এবং বল তোমাদের ওই জান্নাত কোথায় যা সম্পর্কে তোমরা বলে থাক যে তোমাদের :কউ
নিহত হলে ওই জা ন্নাতে প্রবেশ করবে ? তোমরা কো ন পুরুষকে আমার সাথে লড়ওে পাঠাচ্ছনা
কেন প্ হযরত আলী (বা) দাড়িয়ে বললেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ আমি প্রস্তুত ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি বসে পড় ৷ আমর তভীয়বার হাক ছেড়ে রললং :
আমিও” তা ওদের সকলকে উদ্দেশ্য করে ডাক ছেড়ে বলেছি, তোমাদের মধ্যে লড়াই করার
কেউ আছে কি ?
فَصَدَدْتُ حِينَ تَرَكْتُهُ مُتَجَدِّلًا
كَالْجِذْعِ بَيْنَ دَكَادِكٍ وَرَوَابِي ... وَعَفَفْتُ عَنْ أَثْوَابِهِ وَلَوَ انَّنِي
كُنْتُ الْمُقَطَّرَ بَزَّنِي أَثْوَابِي ... لَا تَحْسَبُنَّ اللَّهَ خَاذِلَ دِينِهِ
وَنَبِيِّهِ يَا مَعْشَرَ الْأَحْزَابِ
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يَشُكُّ فِيهَا لَعَلِيٍّ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَلْقَى عِكْرِمَةُ رُمْحَهُ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ مُنْهَزِمٌ عَنْ عَمْرٍو، فَقَالَ فِي ذَلِكَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ
فَرَّ وَأَلْقَى لَنَا رُمْحَهُ ... لَعَلَّكَ عِكْرِمَ لَمْ تَفْعَلِ
وَوَلَّيْتَ تَعْدُو كَعَدْوِ الظَّلِي ... مِ مَا أَنْ تَحُورَ عَنِ الْمَعْدِلِ
وَلَمْ تُلْقِ ظَهْرَكَ مُسْتَأْنِسًا ... كَأَنَّ قَفَاكَ قَفَا فُرْعُلِ
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: الْفَرَاعِلُ صِغَارُ الضِّبَاعِ.
وَذَكَرَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ فِي مَوْضِعٍ
পৃষ্ঠা - ২৯০৪
آخَرَ غَيْرِ " السِّيرَةِ " قَالَ: خَرَجَ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدٍّ وَهُوَ مُقَنَّعٌ بِالْحَدِيدِ، فَنَادَى: مَنْ يُبَارِزُ؟ فَقَامَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: أَنَا لَهَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ. فَقَالَ: «إِنَّهُ عَمْرٌو، اجْلِسْ» ". ثُمَّ نَادَى عَمْرٌو: أَلَا رَجُلٌ يَبْرُزُ؟ فَجَعَلَ يُؤَنِّبُهُمْ وَيَقُولُ: أَيْنَ جَنَّتُكُمُ الَّتِي تَزْعُمُونَ أَنَّهُ مَنْ قُتِلَ مِنْكُمْ دَخَلَهَا، أَفَلَا تُبْرِزُونَ إِلَيَّ رَجُلًا؟ فَقَامَ عَلِيٌّ فَقَالَ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: «اجْلِسْ» ". ثُمَّ نَادَى الثَّالِثَةَ فَقَالَ:
وَلَقَدْ بَحَحْتُ مِنَ النِّدَا ... ءِ بِجَمْعِكُمْ هَلْ مِنْ مُبَارِزْ
وَوَقَفْتُ إِذْ جَبُنَ الْمُشَجَّ ... عُ مَوْقِفَ الْقِرْنِ الْمُنَاجِزْ
وَلِذَاكَ إِنِّي لَمْ أَزَلْ ... مُتَسَرِّعًا قِبَلَ الْهَزَاهِزْ
إِنَّ الشَّجَاعَةَ فِي الْفَتَى ... وَالْجُودَ مِنْ خَيْرِ الْغَرَائِزِ
قَالَ: فَقَامَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا. فَقَالَ: «إِنَّهُ عَمْرٌو» ". فَقَالَ: وَإِنْ كَانَ عَمْرًا. فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَشَى إِلَيْهِ، حَتَّى أَتَى وَهُوَ يَقُولُ:
لَا تَعْجَلَنَّ فَقَدْ أَتَا ... كَ مُجِيبُ صَوْتِكَ غَيْرَ عَاجِزْ
فِي نِيَّةٍ وَبَصِيرَةٍ ... وَالصِّدْقُ مُنْجِي كُلَّ فَائِزْ
পৃষ্ঠা - ২৯০৫
স্পো৷ এ১ এাষ্ব্লুদ্বুহ্ব্লুৰু,
আমি তো আমার অবস্থানে ঠায় দাড়িয়ে রইলাম ৷ বীর পুরুষের মত যখন সাহসী বীর পুরুষ
হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে ৷
স্পোটুকা এছুঠু৷ পু;ঠুঠু াৰু৷ ণ্৷ প্রু১৷ হ্রণ্া৷;া ৭
তা এজনাে যে তরবারি পরিচ৷ ৷ালন র পুর্বেই আমি শত্রুখো ঘায়েল করতে অভ্যস্ত ৷
ব্লু; ৷ এ;এ্ ৷ প্লুং ; ট্রু,ন্ণ্ ৷,ন্রু৷ ৷ , ,াএ ৷ ১ ছুঙুা ৰুঢুঢু৷ ৷ ,, ৷
নিঃসন্দেহে যুবকের মধ্যে বীরতৃ-সাহসিকতা ও দানশীলত৷ ৎাকা তার জন্যে সবােত্তম সম্পদ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এবারও হযরত আলী (রা) উঠে দাড়ালেন এবং বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ !
আমি প্রস্তুত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওয়ে আমর হয়রত্ আলী (বা) বললেন সে আমর হলেও
আমিত তর ঘুকাবিলার জন্য প্রস্তুত ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) ;ন্াক অনুমতি দিলেন ৷ তিনি এগিয়ে
গেলেন আমরের দিকে এবং বললেন :
ন্ব্লুন্চু ৰুান্,
ওহে, তুমি অত তাড়াহুড়া করো না ৷ তোমার হাক-ডাকের উপযুক্ত জবাব দানকারী তোমার
সম্মুখে এসে পড়েছে ৷ এই ব্যক্তি অক্ষম ও দুর্বল নয় ৷
)র্দুাশ্রি বুহৃ১াট্রু
উদ্দেশ্য ও দুরদৃষ্টিতে মোটেই অক্ষম নয় ৷ত তদুপরি সত্য হল সকল সফলতার চাবিকাঠি ৷
গােড্রু১১১
আমি আশা ৷করছি যে আমি তোমার সবদ্যেহর উপর বিলাপক৷ রিণীর ব্যবস্থা করব ৷
প্রু; ৷
ষ্ট্রুণ্ড্রাট্রুহ্ৰুট্রু৷ ৷া; ৷ণ্াঠুও১ নৌৰুঠু ণ্১ান্ন্ম্বু ); ট্রু;ণ্
এমন এক তরবারির আঘাতে আমি তোমার মৃত্যু ঘণ্টা বাজিয়ে দিব যে আঘাত প্রচণ্ড কর্তন
শক্তি সম্পন্ন ৷ প্রত্যেক যুদ্ধের সময় ওই আঘাতের কথা মানুষ স্মরণ করবে ৷
হযরত আলী (রা) এর বণ হুৎকার শুনে আমর বলল, “তুমি কে ?” তিনি বললেন, “আমি
আলী সে বলল, আবৃদ মানাফের পুত্র আ ৷লী ? তিনি বললেন না, আমি আবৃত তালিবের পুত্র আলী ৷
সে বলল, “ভাতিজা তোমার তো অনেক চাচা আছে যারা তোমার চেয়ে বয়স্ক ওদের কাউকে
পাঠাও, আমিব্ তা তোমার মত বাচ্চা ছেলের রক্ত প্রবাহিত করতে চ ই না ৷ ” হযরত আলী (বা)
তার উদ্দেশ্যে বললেন,ত তবে আল্লাহর কসম আমি তোমার রক্ত প্রবাহিত করাকে তাপসন্দ করি
না ৷ এ কথায় আমর রেগে অগ্নিশমা হল ৷ সে ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে পড়ল ৷ তার তরবারি
বুকাযমুক্ত করে উচিয়ে ধরল ৷ সেটি যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ৷ এরপর রাপে পরপর করতে করতে সে
তাঃাসর হল হযরতঅ আলী (রা) এর দিকে ৷ হযরত আ ৷লী (রা) আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যে ঢাল
প্রস্তুত রেখে এগিয়ে গেলেন ৷ আমর আক্রমণ করল হযরত আলী (রা) এর চালের উপর ৷ ঢাল
কেটে তরবারি বের হয়েত ৷গিয়ে লাগল হযরত আলী (বা ) এর মাথায় ৷ তার মাথা যখম হয়ে
إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أُقِي ... مَ عَلَيْكَ نَائِحَةَ الْجَنَائِزْ
مِنْ ضَرْبَةٍ نَجْلَاءَ يَبْ ... قَى ذِكْرُهَا عِنْدَ الْهَزَاهِزْ
فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا عَلِيٌّ. قَالَ: ابْنُ عَبْدِ مَنَافٍ؟ قَالَ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: غَيْرَكَ يَا ابْنَ أَخِي، وَمِنْ أَعْمَامِكَ مَنْ هُوَ أَسَنُّ مِنْكَ فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُهْرِيقَ دَمَكَ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَكِنِّي وَاللَّهِ لَا أَكْرَهُ أَنْ أُهْرِيقَ دَمَكَ. فَغَضِبَ، فَنَزَلَ وَسَلَّ سَيْفَهُ كَأَنَّهُ شُعْلَةُ نَارٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ نَحْوَ عَلِيٍّ مُغْضَبًا وَاسْتَقْبَلَهُ عَلِيٌّ بِدَرَقَتِهِ، فَضَرَبَهُ عَمْرٌو فِي الدَّرَقَةِ فَقَدَّهَا وَأَثْبَتَ فِيهَا السَّيْفَ، وَأَصَابَ رَأْسَهُ فَشَجَّهُ، وَضَرَبَهُ عَلِيٌّ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ فَسَقَطَ، وَثَارَ الْعَجَاجُ، وَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّكْبِيرَ فَعَرَفَ أَنَّ عَلِيًّا قَدْ قَتَلَهُ. فَثَمَّ عَلِيٌّ يَقُولُ:
أَعَلَيَّ تَقْتَحِمُ الْفَوَارِسُ هَكَذَا ... عَنِّي وَعَنْهُمْ أَخَّرُوا أَصْحَابِي
الْيَوْمَ تَمْنَعُنِي الْفِرَارَ حَفِيظَتِي ... وَمُصَمِّمٌ فِي الرَّأْسِ لَيْسَ بِنَابِي
إِلَى أَنْ قَالَ:
عَبَدَ الْحِجَارَةَ مِنْ سَفَاهَةِ رَأْيِهِ ... وَعَبَدْتُ رَبَّ مُحَمَّدٍ بِصَوَابِ
إِلَى آخِرِهَا. قَالَ: ثُمَّ أَقْبَلَ عَلِيٌّ نَحْوَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَجْهُهُ يَتَهَلَّلُ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ هَلَّا اسْتَلَبْتَهُ دِرْعَهُ، فَإِنَّهُ لَيْسَ لِلْعَرَبِ دِرْعٌ خَيْرٌ مِنْهَا؟
পৃষ্ঠা - ২৯০৬
গেল ৷ হযরত আলী (বা) পাল্টা আক্রমণ করেন আমরের ঘাড়ের শিরায় ৷ অমনি সে মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে ৷ চারিদিকে জয়ধ্বনি উঠে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকবীরধ্বনি শুনলেন ৷ তাতে আমরা
বুঝে নিলাম যে, আলী (বা) তাকে হত্যা করেছেন ৷ তখন হযরত আলী (রা) বললেন :
» :
ওহে আলী এভ ৷বে তুমি শত্রুপক্ষের অশ্বারোহী যোদ্ধাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে আমার নিকট
থেকে এবং মুসলমানদের নিকট থেকে ৷ তুমি আমার সাথীদেরকে ওদের আক্রমণ থেকে দুরে
সরিয়ে রাখবে ৷
ষ্
আমার আত্মমযদািবােধ আজ আমাকে পিছু হটতে বারণ করছে আ ৷৷ম তরবারির তীক্ষ্ণ
আঘাত করি মাথায় ৷ মুখে নয় ৷ তিনি আরো বললেন ষ্
, )
ঠুাঠু;
সে তার বিবেক ও বিবেচনায় ভ্রান্তি ও বোকামীর কারণে পাথর পুজা তথা ৷মুর্তি পুজা
করেছে ৷ আর আমি সত্য ও সরল পথের অনুসরণে মুহাম্মাদের (সা ) প্রতিপালক মহান আল্লাহর
ইবাদত করেছি ৷ শেষ পর্যন্ত ৷ এবার আলী (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে অগ্রসর হলেন ৷
তার চোখে মুখে তখন আনন্দের দ্যুতি ৷ উমর ইবন খাত্তাব (বা ) বললেন, আরে, ওর যুদ্ধের
লৌহবর্ম খুলে নিয়ে এলে না কেন ?৩ তার বর্মের চেয়ে উৎকৃষ্ট বর্ম< তা সমগ্র আরবে আর নেই ৷
আলী (রা) বললেন, আমি তাকে আঘাত করেছি ৷ সে তার লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে আত্মরক্ষার
প্রয়াস পেয়েছে ৷ তার তা ৷তিজ৷ সম্বোধনের কারণে যুদ্ধে বর্য খুলে নিয়ে তাকে বিবস্ত্র করতে আমি
লজ্জাবােধ করেছি ৷ অবশেষে আমরের সাথী অশ্বা রাে ৷হীরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় ৷
বায়হাকী ইবন ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, আলী (বা) শত্রুনেতা আমরের
কণ্ঠনালীর গোড়াতে তরবাবি দিয়ে এমন আঘাত করেন যে তা তার র্মুক্রালী ভেদ করে যায় ৷
ফলে সে পরিখার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করে ৷ মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট প্রস্তাব পাঠায় যে,
তারা ১০ :০০ দিরহামের বিনিময়ে আমরের লাশ কিনে নিয়ে ৷ তিনি জবাবে বলেন যে , ওর লাশ
তোমরা এমনিন্ব৩ ই নিয়ে যাও ৷ আমরা লাশ বিক্রি করে মুল্য থাই না
ইমাম আহমদ বলেন, নাসর ইবন বাব ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন, মুসলমানগণ খন্দকের যুদ্ধ দিবসে জনৈক মুশরিককে হত্যা করেন ৷ ওরা লােকটির
লাশের বিনিময়ে অর্থ-সম্পদ দিতে চায় ৷ এ প্রসংগে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ওর লাশ ওদেরকে
এমনিতেই দিয়ে দাও ৷ কারণ নাপাক লাশের বিনিময় ও মুক্তিপণও নাপাক ৷ তিনি এজন্যে
মুশরিকদের নিকট থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করেননি ৷
বায়হাকী এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন, হাম্মাদ ইবন সালাম৷ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে তাতে তাদের বিনিময় মুল্য ১০,০০০ স্থলে ১২,০০০ রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এ প্রসঙ্গে বললেন, ওর লাশের মধ্যেও আমাদের কোন কল্যাণ নেই, ওর লাশের মুল্যের মধ্যেও
আমাদের কোন কল্যাণ নেই ৷
فَقَالَ: ضَرَبْتُهُ فَاتَّقَانِي بِسَوْأَتِهِ، فَاسْتَحْيَيْتُ ابْنَ عَمِّي أَنْ أَسْلُبَهُ. قَالَ: وَخَرَجَتْ خُيُولُهُ مُنْهَزِمَةً حَتَّى اقْتَحَمَتْ مِنَ الْخَنْدَقِ.
وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا حَكَاهُ عَنْهُ الْبَيْهَقِيُّ، أَنَّ عَلِيًّا طَعَنَهُ فِي تَرْقُوَتِهِ حَتَّى أَخْرَجَهَا مِنْ مَرَاقِّهِ، فَمَاتَ فِي الْخَنْدَقِ، وَبَعَثَ الْمُشْرِكُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْتَرُونَ جِيفَتَهُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، فَقَالَ: " «هُوَ لَكُمْ، لَا نَأْكُلُ ثَمَنَ الْمَوْتَى» ".
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ بَابٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: «قَتَلَ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَأُعْطُوا بِجِيفَتِهِ مَالًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ادْفَعُوا إِلَيْهِمْ جِيفَتَهُ، فَإِنَّهُ خَبِيثُ الْجِيفَةِ خَبِيثُ الدِّيَةِ» . فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُمْ شَيْئًا.
وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: «أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ قُتِلَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ، فَبَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِ ابْعَثْ إِلَيْنَا بِجَسَدِهِ وَنُعْطِيَكَ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا خَيْرَ فِي جَسَدِهِ وَلَا فِي ثَمَنِهِ» ". وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى،
পৃষ্ঠা - ২৯০৭
عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَالَ: غَرِيبٌ.
وَقَدْ ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، أَنَّ الْمُشْرِكِينَ إِنَّمَا بَعَثُوا يَطْلُبُونَ جَسَدَ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَخْزُومِيِّ حِينَ قُتِلَ، وَعَرَضُوا عَلَيْهِ الدِّيَةَ فَقَالَ: " «إِنَّهُ خَبِيثٌ خَبِيثُ الدِّيَةِ، فَلَعَنَهُ اللَّهُ وَلَعَنَ دِيَتَهُ، فَلَا أَرَبَ لَنَا فِي دِيَتِهِ، وَلَسْنَا نَمْنَعُكُمْ أَنْ تَدْفِنُوهُ» ".
وَذَكَرَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: وَخَرَجَ نَوْفَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ يَسْأَلُ الْمُبَارَزَةَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، فَضَرَبَهُ، فَشَقَّهُ بِاثْنَتَيْنِ، حَتَّى فَلَّ فِي سَيْفِهِ فَلًّا، وَانْصَرَفَ وَهُوَ يَقُولُ:
إِنِّي امْرُؤٌ أَحْمِي وَأَحْتَمِي ... عَنِ النَّبِيِّ الْمُصْطَفَى الْأُمِّي
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ نَوْفَلًا لَمَّا تَوَرَّطَ فِي الْخَنْدَقِ، رَمَاهُ النَّاسُ بِالْحِجَارَةِ، فَجَعَلَ يَقُولُ: قِتْلَةٌ أَحْسَنَ مِنْ هَذِهِ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ. فَنَزَلَ إِلَيْهِ عَلِيٌّ فَقَتَلَهُ، وَطَلَبَ الْمُشْرِكُونَ رِمَّتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالثَّمَنِ، «فَأَبَى عَلَيْهِمْ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمْ شَيْئًا، وَمَكَّنَهُمْ مِنْ أَخْذِهِ إِلَيْهِمْ.» وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ وَجْهَيْنِ.
وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: جُعِلْتُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ فِي الْأُطُمِ، وَمَعِي عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، فَجَعَلَ يُطَأْطِئُ لِي فَأَصْعَدُ عَلَى ظَهْرِهِ
পৃষ্ঠা - ২৯০৮
তিরমিযী এটি বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান ছাওরী ইবন আব্বাস সুত্রে ৷ তিনি মন্তব্য করেছেন যে,
এটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ মুসা ইবন উক্ব৷ উল্লেখ করেছেন যে, মুশরিকরা নাওফল ইবন
আবদুল্লাহ মাখযুমীর নিহত হওয়ার পর লাশ ফেরত ঢেয়েছিল ৷ আর মুক্তিপণ দেয়ার প্রস্তাব
পাঠিয়েছিল ৷ উত্তরে বাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন“ ৷
ণ্ ট্রু;হ্ , সেতে৷ খাবীছ নাপাক ৷ তার মুক্তিপণও নাপাক ৷ চার ৷উপর আল্লাহর লা নত ৷ তার
মুক্তিপণের উপরও আল্লাহর লানত ৷ ওর মুক্তিপণে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ ওকে দাফন
করতে আমরা তােমাদেরকে বাধা দেবনা ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক থেকে, তিনি বলেছেন যে, নাওফল
ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুগীরা মাখযুমী মাঠে এসে মুসলিম পক্ষাক মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷
তাকে মুকাবিলার জন্যে এগিয়ে আসেন যুবায়র ইবন আওয়াম বা ) ৷ তিনি প্রচণ্ড আঘাত হানেন
তার উপর ৷ এক আঘাতে তিনি তাকে দৃটুকরে৷ করে ফেলেন ৷ তাতে তার তরবারির ধার নষ্ট
হয়ে যায় ৷ তিনি নিম্নের পংক্তি উচ্চারণ করতে করতে তাবুতে ফিরে আসেন :
fl , fl
ণ্ডাট্টংঙ্কু
আমি এমন এক লোক যে, আমি নিজেকে রক্ষা ৷করি শত্রুর আক্রমণ থেকে এবং উমী নবী
মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সা) কে আক্রমণ থেকে রক্ষা করি ৷
ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, নাওফল যখন পরিখার মধ্যে পড়ে ছুটোছুটি শুরু করে,
তখন মুসলমানগণ তার প্ৰতি পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন ৷ তখন সে বলতে থাকে যে, হে
আরব সম্প্রদায় ! আমাকে এভাবে লাঞ্চুনার সাথে যেরো না; বরং একটু সম্মানের মৃত্যু দাও ৷ তখন
হযরত আলী পরিখড়ার মধ্যে নেমে তাকে তরবারির আঘাতে তহত্যা করেন ৷ মুশরিকরা মুক্তিপণের
বিনিময়ে বাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকটত ৷র লাশ ফেরত চায় ৷ ওদের নিকট থেকে কিছু নিতে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অস্বীকা ৷র করেন এবং ওদেরকে ওই লাশ নিয়ে যাবার সুযোগ প্রদান করেন ৷ এই
বর্ণনাটিও গরীব ৷
বায়হাকী (র) হাম্মাদ ইবন ইয়াযীদ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা) থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধের দিবসে আমাকে দায়িত্ব দেয়৷ হয়েছিল ঢিলার উপর
অবস্থিত দৃর্ণে শিশু ও মহিলাদের দেখা শোনা করার ৷ আমার সহযোগী ছিলেন উমার ইবন৷ স লা৷মা
বাহিরে কী ঘটছে তা দেখার জন্যে আমি ও উমার ইবন আবু সালামা পালাক্রমে ঘাড় নীচু করে
তাকে উপরের পিঠে উঠে বাহিরে তাকিয়ে দেখতাম ৷ আমি সেদিন বাইরে আমার বাবাকে
দেখেছি যে, তিনি একবার এদিকে এসে হামলা করছেন আবার ওদিকে গিয়ে হামলা করছেন ৷
আর যখন কেউ কিছু উচিয়ে ধরতে৷ তখনই তিনি সেখানে গিয়ে পৌছছেন ৷ সন্ধ্যায় আমার বাবা
দুর্গের মধ্যে আমাদের নিকট আসলে আমি বললাম বাবা আজ আপনি যা যা করেছেন আমি তা
দেখেছি ৷ তিনি বললেন, প্রিয়পুত্র ৷ তুমি কি সত্যিই তা দেখেছ ? আমি বললাম, ত্মী৷ হা” ৷ তিনি
বললেন, আমার পিতা-মাতা তোমার জন্যে কুরবা ন হোন ৷
، فَأَنْظُرُ. قَالَ: فَنَظَرْتُ إِلَى أَبِي وَهُوَ يَحْمِلُ مَرَّةً هَاهُنَا وَمَرَّةً هَاهُنَا، فَمَا يَرْتَفِعُ لَهُ شَيْءٌ إِلَّا أَتَاهُ، فَلَمَّا أَمْسَى جَاءَنَا إِلَى الْأُطُمِ، قُلْتُ: يَا أَبَتِ، رَأَيْتُكَ الْيَوْمَ وَمَا تَصْنَعُ. قَالَ: وَرَأَيْتَنِي يَا بُنَيَّ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَحَدَّثَنِي أَبُو لَيْلَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيُّ، أَخُو بَنِي حَارِثَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ كَانَتْ فِي حِصْنِ بَنِي حَارِثَةَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، وَكَانَ مِنْ أَحْرَزِ حُصُونِ الْمَدِينَةِ. قَالَ: وَكَانَتْ أُمُّ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ مَعَهَا فِي الْحِصْنِ، قَالَتْ عَائِشَةُ: وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُضْرَبَ عَلَيْنَا الْحِجَابُ. قَالَتْ: فَمَرَّ سَعْدٌ وَعَلَيْهِ دِرْعٌ مُقَلَّصَةٌ، قَدْ خَرَجَتْ مِنْهَا ذِرَاعُهُ كُلُّهَا، وَفِي يَدِهِ حَرْبَتُهُ يَرْقَدُّ بِهَا وَيَقُولُ:
لَبِّثْ قَلِيلًا يَشْهَدِ الْهَيْجَا حَمَلْ ... لَا بَأْسَ بِالْمَوْتِ إِذَا حَانَ الْأَجَلْ
فَقَالَتْ لَهُ أُمُّهُ: الْحَقْ بُنَيَّ، فَقَدْ وَاللَّهِ أَخَّرْتَ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ لَهَا: يَا أُمَّ سَعْدٍ، وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّ دِرْعَ سَعْدٍ كَانَتْ أَسْبَغَ مِمَّا هِيَ. قَالَتْ: وَخِفْتُ عَلَيْهِ حَيْثُ أَصَابَ السَّهْمُ مِنْهُ، فَرُمِيَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ بِسَهْمٍ فَقَطَعَ مِنْهُ الْأَكْحَلَ.
পৃষ্ঠা - ২৯০৯
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: رَمَاهُ حِبَّانُ بْنُ قَيْسِ بْنِ الْعَرِقَةِ، أَحَدُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، فَلَمَّا أَصَابَهُ قَالَ: خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا ابْنُ الْعَرِقَةِ. فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: عَرَّقَ اللَّهُ وَجْهَكَ فِي النَّارِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ أَبْقَيْتَ مِنْ حَرْبِ قُرَيْشٍ شَيْئًا فَأَبْقِنِي لَهَا، فَإِنَّهُ لَا قَوْمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أُجَاهِدَ مِنْ قَوْمٍ آذَوْا رَسُولَكَ وَكَذَّبُوهُ وَأَخْرَجُوهُ، اللَّهُمَّ وَإِنْ كُنْتَ وَضَعْتَ الْحَرْبَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَاجْعَلْهَا لِي شَهَادَةً، وَلَا تُمِتْنِي حَتَّى تَقَرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا أَصَابَ سَعْدًا يَوْمَئِذٍ إِلَّا أَبُو أُسَامَةَ الْجُشَمِيُّ، حَلِيفُ بَنِي مَخْزُومٍ. وَقَدْ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ فِي ذَلِكَ شِعْرًا، قَالَهُ لِعِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ:
أَعِكْرِمُ هَلَّا لُمْتَنِي إِذْ تَقُولُ لِي ... فِدَاكَ بِآطَامِ الْمَدِينَةِ خَالِدُ
أَلَسْتُ الَّذِي أَلْزَمْتُ سَعْدًا مُرِشَّةً ... لَهَا بَيْنَ أَثْنَاءِ الْمَرَافِقِ عَانِدُ
قَضَى نَحْبَهُ مِنْهَا سُعَيْدٌ فَأَعْوَلَتْ ... عَلَيْهِ مَعَ الشُّمْطِ الْعَذَارَى النَّوَاهِدُ
وَأَنْتَ الَّذِي دَافَعْتَ عَنْهُ وَقَدْ دَعَا ... عُبَيْدَةُ جَمْعًا مِنْهُمُ إِذْ يُكَابِدُ
পৃষ্ঠা - ২৯১০
ইবন ইসহাক বলেন, আবু লায়লা আবদুল্লাহ ইবন সাহ্ল আনসারী আমাকে জানিয়েছেন যে
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশা (রা) খন্দক দিবসে বনু হারিছার দুর্গে ছিলেন ৷ ওই দুর্গটি ছিল
মদীনায় সবচেয়ে সুরক্ষিত দুর্গ ৷ সাদ ইবন মুআযের (বা) না ও তার সাথে দুর্গে ছিলেন ৷ হযরত
আইশা (বা) বলেন, তখনও পদবি বিধান নাযিল হয়নি ৷ হযরত সাদ ণ্চুসখানে এসেছিলেন ৷ তার
পবিধানে ছিল একটি খাটো লৌহ বর্ম ৷ তার পুরোটা হাতই বর্মের বাহিহ্বর ছিল ৷ তার হাতে ছিল
বশা ৷ তিনি বার বার জামা টানছিলেন আর বলছিলেন :
পুা১ৰুর্স৷ ;া; ৷১৷
হে জামাল ! অপেক্ষা কর খুব অল্প সময় ৷ তারপর যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হও ৷ কারণ, মৃত্যুর
নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু বরণে কোন দোষ নেই ৷
তখন তার যা তাকে বললেন, বৎস ! তুমি তাড়াতাড়ি যুদ্ধ ক্ষেত্রে চলে যাও ৷ আল্লাহর কসম ৷
তুমি তো দেরী করে ফেলেছ ৷ হযরত আইশা বলেন, তখন আমি সাদের মা কে বললাম ,
আল্লাহর কসম , সাদের বর্মটি যদি আরেকটু বড় হত তবে আমি খুশী হতাম ৷ সাদের মা
বললেন, আমি তো ভয় পাচ্ছি না জানি ওই খোলা অংশে এসে শত্রুর তীর বিদ্ধ হয় নাকি ৷ ঠিক
তাই হল ৷ হযরত সাদ (রা) তীর ৰিদ্ধ ২ণেন ৩ ৷ রের ৩া৷খাওে তার হ্াওের রগ কেটে গেল ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমাকে জানিয়েছেন যে , হায়্যান ইবন
কায়স ইবন আরাকাহ্ তার প্ৰতি তীর নিক্ষেপ করেছিল ৷ সে ছিল বনু আমির ইবন লুওযাই
গোত্রের লোক ৷ হযরত সাদ (বা) তীর ৰিদ্ধ হবার পর ইবন আরাকা বলেছিল, নাও এটি আমার
পক্ষ থেকে তোমার উপহার ৷ চিনে নাও আমি আরাকাহ এর পুত্র ৷ হযরত সাদ (রা) বললেন,
আল্লাহ তাআলা তোর চেহারাকে জাহান্নামের আগুনে ঘমক্তি করুন ৷ তিনি আরো বললেন, হে
আল্লাহ ৷ কুরায়শের সাথে মুসলমানদের যদি আরো যুদ্ধ আপনি অবশিষ্ট রেখে থাকেন তবে ওই
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্যে আপনি আমাকে বাচিয়ে রাখুন ৷ কারণ, অন্যান্য সম্প্রদায়ের চেয়ে
কুরায়শ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যদি আমার বেশী পসন্দনীয় ৷ যেহেতু তারা আপনার
রাসুলকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে ৷ হে আল্লাহ!
আর যদি আমাদের মাঝে ও তাদের মাঝে যুদ্ধ শেষ করে দিয়ে থাকেন তবে এই যখম দ্বারা যেন
আমাকে শহীদ হিসেবে মঞ্জুর করে নেন ৷ অবশ্য বনু কুরায়যার উপযুক্ত শাস্তি দেখে আমার চোখ
জুড়ানাের পুর্বে আমার মৃত্যু দিবেন না ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, জনৈক বিশ্বন্ত ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন কাব ইবন মালিক থেকে আমার
নিকট বর্ণনা করেছেন যে, সেদিন হযরত সাদ (রা)-কে তীরে আক্রান্ত করেছে আবু উসামা
জাশামী, সে ছিল বনুমাখযুম গোত্রের মিত্র ৷ এ উপলক্ষে ইকরামা ইবন আবু জাহ্লকে উদ্দেশ্য
করে আবু উসামা নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করে :
ণ্
১এে ণ্,হ্র;া
.. عَلَى حِينِ مَا هُمْ جَائِرٌ عَنْ طَرِيقِهِ
وَآخَرُ مَرْعُوبٌ عَنِ الْقَصْدِ قَاصِدُ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي رَمَى سَعْدًا خَفَاجَةُ بْنُ عَاصِمِ بْنِ حِبَّانَ.
قُلْتُ: وَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ دَعْوَةَ وَلِيِّهِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، أَقَرَّ اللَّهُ عَيْنَهُ؛ فَحَكَمَ فِيهِمْ بِقُدْرَتِهِ وَتَيْسِيرِهِ، وَجَعَلَهُمْ هُمُ الَّذِينَ يَطْلُبُونَ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، فَحَكَمَ بِقَتْلِ مُقَاتِلَتِهِمْ وَسَبْيِ ذَرَارِيِّهِمْ حَتَّى قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ حَكَمْتَ فِيهِمْ بِحُكْمِ اللَّهِ مِنْ فَوْقِ سَبْعَةِ أَرْقِعَةٍ» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ، قَالَ: كَانَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِي فَارِعٍ حِصْنِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَتْ: وَكَانَ حَسَّانُ مَعَنَا فِيهِ مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ. قَالَتْ صَفِيَّةُ: فَمَرَّ بِنَا رَجُلٌ مِنْ يَهُودَ، فَجَعَلَ يُطِيفُ بِالْحِصْنِ، وَقَدْ حَارَبَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ، وَقَطَعَتْ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ أَحَدٌ يَدْفَعُ عَنَّا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ فِي نُحُورِ عَدُوِّهِمْ، لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَنْصَرِفُوا عَنْهُمْ إِلَيْنَا إِنْ
পৃষ্ঠা - ২৯১১
’ শ্ শ্শ্
া
শ্স্ শ্ শ্০ fl; ” ৷শ্শ্
’ শ্’
’¢ শ্ ’:« :’০শ্ ’
শ্ :শ্০ ষ্ন্ণ্শ্ : ব্রাশ্ৰু ণ্ :’শ্শ্০ শ্
অর্থাৎ হে ইকরামা , যখন তুমি আমাকে বলছিলে মদীনায় টিলাসমুহ চিরকালের জন্য তোমার
জন্যে উৎসর্গীকৃত হোক, তখন তুমি কি আমাকে ভব্লুর্সনা করনি রং
আমিই কি সেই ব্যক্তি নই যে সাদকে কনুইয়ের মধ্যভাণ্গ র্তীরবিদ্ধ করে প্ৰবহমান রক্ত
ঝরিয়েছি ৷ তাতে সাদের জীবনাবসান হয় তারপর উঠতি বয়সের যুবতীরা ছিন্ন বসনে তার জন্যে
বিলাপ করেছে ৷
তৃমিই সেই ব্যক্তি যে তার পক্ষ হয়ে প্রতিরোধ করেছিল ৷ আর উবায়দা ঐ কষ্টের মুহুর্তে
তার দলবলকে সাহায্যার্থে আহ্বান জানিয়েছিল ৷
যখন লোকসব তার কাছ থেকে দুরে সরে পড়ে এবং অন্যরাও কাছে ঘেষতে সাহস পাচ্ছিল
প্ না ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুলত কে তীর নিক্ষেপ করেছিল তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন হিশাম বলেন, কথিত আছে যে, হযরত সাদ (রা)-কে তীর মেরে যখম করেছিল
খাফাজা ইবন আসিম ইবন হিবৃবান ৷ আমি বলি, মহান আল্লাহ বনুকুরায়যড়া গোত্র সম্পর্কে হযরত
সাদ (বা) এর দুআ কবুল করেছিলেন ৷ ওদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা তার চোখ
জুড়িয়েছিলেন ৷ মহান আল্লাহ্ পরম দয়ায় ওদের জন্যে তাকেই ফায়সালা দানের ক্ষমতা দান
করেন এবং এ দাবীটা তারাই উত্থাপন করেছিল ৷ এ বিষয়ে বিবরণ পরবর্তীতে আসবে ৷ হযরত
সাদ (রা) রায় ঘোষণা করলেন যে, বনু কুরায়য৷ গোত্রের যুদ্ধক্ষম সকল পুরুষকে হত্যা করা
হবে এবং তাদের শিশুদেরকে বন্দী করে রাখা হবে ৷ এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে
সাদ তুমি তো সাত আসমানের উপর থেকে আল্লাহ্র দেয়া ফায়সালার অনুরুপ ফায়সালা
প্রদান করেছ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন আব্বাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন যুবায়র তার পিতা আব্বাদ
থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন যে, হযরত সাফিয়্যা বিনৃত আবদুল মুত্তালিব ফারি দৃর্গে অবস্থান
করছিলেন ৷ ওই দুর্গে হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) ও ছিলেন ৷ সাফিয়্যা বলেন, ওই দৃর্গে
নারী ও শিশুসহ আমাদের সাথে হযরত হাসৃসান (রা) ছিলেন ৷ জনৈক ইয়াহুদী আমাদের দুর্গের
নিকট এসে ঘোরাঘুরি শুরু করে ৷ ওদিকে বনু কুরায়যার ইয়াহুদী গোত্র রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ এ সময়ে ওই গোত্রের আক্রমণ থেকে আমাদের
দৃষ্স্থিত সােকদেরকে রক্ষা করার কেউ ছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলিম সেনাবাহিনী মুল যুদ্ধ
ক্ষেত্রে সম্মিলিত বাহিনীর মুখোমুখি প্রতিরোধ সৃষ্টিতে নিয়োজিত ছিলেন ৷ ওখান থেকে এদিকে
২৭ ——
أَتَانَا آتٍ، فَقُلْتُ: يَا حَسَّانُ، إِنَّ هَذَا الْيَهُودِيَّ كَمَا تَرَى يُطِيفُ بِالْحِصْنِ، وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُهُ أَنْ يَدُلَّ عَلَى عَوْرَتِنَا مَنْ وَرَاءَنَا مِنْ يَهُودَ، وَقَدْ شُغِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، فَانْزِلْ إِلَيْهِ فَاقْتُلْهُ. قَالَ: يَغْفِرُ اللَّهُ لَكِ يَا ابْنَةَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَاللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتِ مَا أَنَا بِصَاحِبِ هَذَا. قَالَتْ: فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ وَلَمْ أَرَ عِنْدَهُ شَيْئًا، احْتَجَزْتُ ثُمَّ أَخَذْتُ عَمُودًا، ثُمَّ نَزَلْتُ مِنَ الْحِصْنِ إِلَيْهِ، فَضَرَبْتُهُ بِالْعَمُودِ حَتَّى قَتَلْتُهُ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْهُ، رَجَعْتُ إِلَى الْحِصْنِ، فَقُلْتُ: يَا حَسَّانُ، انْزِلْ فَاسْلُبْهُ، فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي مِنْ سَلَبِهِ إِلَّا أَنَّهُ رَجُلٌ. قَالَ: مَا لِي بِسَلَبِهِ حَاجَةٌ يَا ابْنَةَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ.
حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ حَسَّانُ جَبَانًا شَدِيدَ الْجُبْنِ.
قَالَ: وَأَنْكَرَ آخَرُونَ ذَلِكَ، وَطَعَنُوا فِي الْخَبَرِ، فَقَالُوا: هُوَ مُنْقَطِعٌ قَالُوا: وَقَدْ كَانَ يُهَاجِي الْمُشْرِكِينَ مِنَ الشُّعَرَاءِ؛ كَابْنِ الزِّبَعْرَى، وَضِرَارِ بْنِ الْخَطَّابِ، وَغَيْرِهِمَا، فَلَمْ يُعَيِّرْهُ وَاحِدٌ مِنْهُمْ بِالْجُبْنِ قَالَ: وَمِمَّنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ النَّمَرِيُّ قَالُوا: وَبِتَقْدِيرِ صِحَّةِ الْخَبَرِ، لَعَلَّهُ كَانَ مُنْقَطِعًا فِي الْآطَامِ لَعِلَّةٍ عَارِضَةٍ، وَمَالَ إِلَى هَذَا السُّهَيْلِيُّ وَاللَّهُ أَعْلَمُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَأَحَاطَ الْمُشْرِكُونَ بِالْمُسْلِمِينَ حَتَّى جَعَلُوهُمْ فِي مِثْلِ
পৃষ্ঠা - ২৯১২
الْحِصْنِ بَيْنَ كَتَائِبِهِمْ، فَحَاصَرُوهُمْ قَرِيبًا مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً، وَأَخَذُوا بِكُلِّ نَاحِيَةٍ، حَتَّى لَا يَدْرِي الرَّجُلُ أَتَمَّ صَلَاتَهُ أَمْ لَا. قَالَ: وَوَجَّهُوا نَحْوَ مَنْزِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتِيبَةً غَلِيظَةً، فَقَاتَلُوهُمْ يَوْمًا إِلَى اللَّيْلِ، فَلَمَّا حَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ، دَنَتِ الْكَتِيبَةُ، فَلَمْ يَقْدِرِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ أَنْ يُصَلُّوا الصَّلَاةَ عَلَى نَحْوِ مَا أَرَادُوا، فَانْكَفَأَتِ الْكَتِيبَةُ مَعَ اللَّيْلِ، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «شَغَلُونَا عَنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ، مَلَأَ اللَّهُ بُطُونَهُمْ وَقُلُوبَهُمْ - وَفِي رِوَايَةٍ: وَقُبُورَهُمْ - نَارًا» . فَلَمَّا اشْتَدَّ الْبَلَاءُ، نَافَقَ نَاسٌ كَثِيرٌ، وَتَكَلَّمُوا بِكَلَامٍ قَبِيحٍ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بِالنَّاسِ مِنَ الْبَلَاءِ وَالْكَرْبِ، جَعَلَ يُبَشِّرُهُمْ وَيَقُولُ: " «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيُفَرَّجَنَّ عَنْكُمْ مَا تَرَوْنَ مِنَ الشِّدَّةِ، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَطُوفَ بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ آمِنًا، وَأَنْ يَدْفَعَ اللَّهُ إِلَيَّ مَفَاتِيحَ الْكَعْبَةِ، وَلَيُهْلِكَنَّ اللَّهُ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَلَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ»
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ «النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ: " مَلَأَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَقُبُورَهُمْ نَارًا؛ كَمَا شَغَلُونَا عَنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ» وَهَكَذَا رَوَاهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৯১৩
আমার কোন সুযোগ ছিল না তাদের ৷ তখনই জনৈক ইয়াহদী আগমন করে আমাদের দুর্গের
নিকট ৷ আমি হাসসান (বা) কে ডেকে বললাম, হাসসান ৷ ওই যে, ইযাহদীকে দেখছ, সে
আমাদের দুর্গের চাবিদিকে ঘুরছে ৷ আমি আশংকা করছি যে, আমাদের এখানে আশ্রয় নেয়া ৷মহিলা
ও শিশুদের কথা যে ইয়াহদীদেরকে জা নিয়ে দেবে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ওত ৷র ৷সাহাবীগণতে৷ ৷যুদ্ধ
ক্ষেত্রে ব্যস্ত ৷ আপনি নীচে নামুন এবং এই ইয়াহদীকে হত্যা করুন ৷ হাসসান বললেন, হে
আবদুল মুত্তালিবের কন্যা ! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনি জানেন যে, আমি ওই কাজের
যোগ্য নই ৷ সাফিয়্যা (বা) বলেন, তিনি যখন এ কথা বললেন, তথ্যা আমি দেখলাম যে, তাকে
দিয়ে কোন কাজ হবে না ৷ তখন আমি কোমরে কাপড় পেচিয়ে নিল ম ৷ তারপর একটি লাঠি
হাতে দুর্গ থেকে নেমে এসে ওই ইয়াহ্দীকে লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করলাম ৷ তাতেই তার
মৃত্যু হয় ৷ তাকে হত্যা করে আমি দুর্গে ফিরে আসি ৷ হাসসান (বা) কে বলি, এবার যান ওর
অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের পােশ ৷ক খুলে আসুন ৷ ও পুরুষ হওয়াতে আমি৩ ৷ খুলে আনিনি ৷ হাসসান (রা)
বললেন, হে আবদুল মুত্তালিবের কন্যা, ওর অস্ত্রশস্ত্র ও পােষাকের আমশু ণ্ৱ কো ন প্রয়োজন নেই১ ৷
মুসা ইবন উক্বা বলেন, মুশরিকরা ঘিরে রেখেছিল মুসলমানদেরকে ৷ ওদের সৈন্যরা সশস্ত্র
পাহারায় রেখেছিল মুসলমানদেরকে ৷ প্রায় বিশদিন অবরোধ করে রাখার পর মুশরিক সৈন্য
একযোগে সকল দিক থেকে অগ্রসর হতে থাকে ৷ ওদের প্রতি সতর্ক মনোযোগ নিবদ্ধ রাখার
কারণে নামাযীদের নামাযে সন্দেহ হয়ে যেত যে নামায পুর্ণভাবে আদায় হয়েছে কি না ৷ শত্রুপক্ষ
একযোগে রাসুলুল্লাহ (না)-এর তাবুর দিকে অ্যাসর হতে থাকে ৷ সেটি ছিল প্রচণ্ড শক্তিশালী
বাহিনী, সেদিন পুর্ণ দিন ঘুসলমানগণ ওদেবকে প্রতিরোধের জন্যে যুদ্ধ করেন ৷ ঠিক আসর
নামায়ের সময় শত্রুপক্ষ কাছাকাছি এসে পৌছে ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সহ সাহাবীগণের কেউই
যথা সময়ে আসরের নামায আদায় করতে পারেন নি ৷ রাতে র বেলা শত্রু সৈন্য ফিরে যায় ৷ হা ৷দীছ
বিশারদগণ বলেন যে, এ সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন ; “ওরা আমাদেরকে আসর নামায
আদায়ে বাধা দিয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা ওদের পেট ও অন্তর আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ এক বর্ণনায়
আছে যে, আরো বলেছিলেন এবং ওদের কবরগুলাে আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷
কষ্ট যখন বৃদ্ধি পেল তখন রহুলোক মুনাফিকী প্রদর্শন করতে লাগল এবং বিভিন্ন অশালীন
কথাবার্তা বলতে লাগল ৷ মুসলমানদের এই দুঃখ-কষ্ট দেখে রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে সুসংবাদ
দিতে শুরু করলেন এবং বলতে লাগলেন০ ং “যে মহান প্রভুর হাতে আমার প্রাণ তার কসম ! এই
বালা-মুসীবত অবশ্যই আল্লাহ৩ তা আলা দুর করবেন ৷ আমি অবশ্যই আশা রাখি যে, আমি
নিরাপদে বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করব এবং এও আশা রাখি যে, আমার হাতে আল্লাহ
তাআলা কাবা গৃহের চাবি প্রদান করবেন ৷ অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রোমান ও পারস্য সম্রাটকে
ধ্বংস করবেন ৷ আর তাদের ধন-সম্পদ তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করবে ৷
বুখারী বলেন, ইসহাক হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) খন্দক যুদ্ধের
দিবসে বলেছিলেন “আল্লাহ তাআলা ওদের গৃহসমুহ ও কবরসমুহ আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ যেমন
১ টীকা ঙ্ক সৃহায়লী এ বর্ণনার বিশুদ্ধতা সম্পকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ৷ যদি তা বিশুদ্ধ হয়েও থাকে
তবে হয়তে৷ সেদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন ৷ ইবন আবদুল বার এ বর্ণনাটির বিশুদ্ধতা অস্বীকার
করেছেন ৷ (দ্র মুলগ্রস্থ পাদটীকা)
حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ الْأَعْرَجِ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ جَاءَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ بَعْدَمَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَجَعَلَ يَسُبُّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ، وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كِدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ حَتَّى كَادَتِ الشَّمْسُ أَنْ تَغْرُبَ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَاللَّهِ مَا صَلَّيْتُهَا ". فَنَزَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُطْحَانَ، فَتَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ وَتَوَضَّأْنَا لَهَا، فَصَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَمَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، ثُمَّ صَلَّى بَعْدَهَا الْمَغْرِبَ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، حَدَّثَنَا هِلَالٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «قَاتَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَدُوًّا، فَلَمْ يَفْرُغْ مِنْهُمْ حَتَّى أَخَّرَ الْعَصْرَ عَنْ وَقْتِهَا، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ، قَالَ: " اللَّهُمَّ مَنْ حَبَسَنَا عَنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى، فَامْلَأْ بُيُوتَهُمْ نَارًا وَامْلَأْ قُبُورَهُمْ نَارًا» . وَنَحْوَ ذَلِكَ. تَفَرَّدَ بِهِ
পৃষ্ঠা - ২৯১৪
তারা আমাদেরকে আসরের নামায আদায় করা থেকে বিরত রেখেছে ৷ এ অবস্থায়ই সুর্য ডুবে
যায় ৷” অন্যান্য ইমামগণও এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে ইবন মাজাহ এটি বর্ণনা করেছেন হিশাম
ইবন হাসৃসান আলী (রা) সুত্রে ৷ মুসলিম ও তিরমিযী সাঈদ ইবন আবু আরুবা আলী (রা) সুত্রে
এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী (ব) বলেন, এটি হাসান ও সহীহ্ হাদীছ ৷
বুখারী (ব) বলেছেন, মকী ইবন ইব্রাহীম জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, খন্দকের যুদ্ধের দিন সুযর্নন্তের পর হযরত উমর (রা) ণ্বুচুরায়শদেরকে পালমন্দ শুরু করেন
এবং বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! সুর্য প্রায় ডুবছে আমি কিন্তু এখনও আসরের নামায আদায়
করতে পারিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহর কসম , অমিও ওই নামায আদায় করতে
পারিনি ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)সহ আমরা বুতহান অঞ্চলে গেলাম ৷ তিনি উঘু করলেন ৷
আমরাও উয়ু করলাম ৷ তারপর তিনি সুযাস্তের পর আসরের নামায পড়লেন এবং আসরের পর
মাগরিব আদায় করলেন ৷ ইমাম বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ (ব) ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু
কাহীর সুত্রে আবু সালামা থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (ব) বলেন, আবদুস সামাদ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলেন ৷ একটুও অবসর পাননি ৷ এ
অবস্থাতেই আসরের ওয়াক্ত চলে যায় ৷ তখন তিনি বললেন চ “হে আল্লাহ ! যারা আমাদেরকে
মধ্যবর্তী নামায থেকে বাধা দিল আপনি ওদের ঘরগুলােকে আগুনে পুর্ণ করে দিন এবং ওদের
কবরগুলোকে আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ ইমাম আহমদ এরুপ একক বংনাি উদ্ধৃত করেছেন ৷ এটি
হিলাল ইবন খাবৃবাব আবাদী কুফী এর বর্ণনা ৷ তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী ৷ তিরমিযী ও অন্যান্যগণ
তার বর্ণনা বিশুদ্ধ বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷
এই সকল হাদীছ দ্বারা একদল আলিম প্রমাণ করেন যে, মধ্যবর্তী নামায হল আসরের
নামায ৷ এ সব হাদীছ দ্বারা ত৷ সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় ৷ কাযী মাওয়ারদী বলেছেন যে, এটা ই ইমাম
শাফিঈ (র) এর অভিমত ৷ ক বণ এই হাদীছগুলাে বিশুদ্ধ সহীহ্ ৷ এবিষয়টি আমরা ৷ ঐা
(ট্রু,ট্রু;ওওও «fl ৷ৰুপ্রুঠুটুওট্রু ৩া টু ৷ ওট্রুাট্রু৷ ৷ ,াড্রুাট্রু৷ ৷ এ তোমরা সালাতের প্ৰতি ৩যত্নবান
হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে৫ তামরা বিনীততাবে দাডাবে ৷ (২
বাকারাং : ২৩৮) ৷ আয়াতের ব্যাখ্যায় দলীল প্রমাণসহ উল্লেখ করেছি ৷
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একদল এ মত গ্রহণ করেছেন যে, যুদ্ধ বিগ্রহের উযরের কারণে
আসরের নামায নির্দিষ্ট সময় থেকে বিলন্বিত করা বৈধ ৷ এটি ইমাম মাকহুল ও আওযাঈ-এর
অভিমত ৷ ইমাম বুখারী এই শিরোনামে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীছ দ্বারা তিনি দলীল পেশ
করেছেন ৷ আরো একটি দলীল পেশ করেছেন যে, বনুকুরায়যা যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সংশ্লিষ্ট
সবাইকে বনু কুরায়যা গোত্রের এলাকায় যাবার নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন” ও ৷ এপ্রু ব্লু!
৷ কেউ যেন বনু কুরায়য৷ গোত্রের নিকট না পৌছে আসরের নামায
আদায় না করে ৷” এ নির্দেশের পর সেদিন কতক লোক সময়মত ৩পথেই আসরের নামায পড়ে
নিয়েছিলেন আর কতক বনু কুরায়যাদের এলাকায় গিয়ে সুযবিস্তর পর আসরের নামায আদায়
أَحْمَدُ، وَهُوَ مِنْ رِوَايَةِ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ الْعَبْدِيِّ الْكُوفِيِّ، وَهُوَ ثِقَةٌ، يُصَحِّحُ لَهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ.
وَقَدِ اسْتَدَلَّ طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ عَلَى كَوْنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى هِيَ صَلَاةُ الْعَصْرِ، كَمَا هُوَ مَنْصُوصٌ عَلَيْهِ فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ. وَأَلْزَمَ الْقَاضِي الْمَاوَرْدِيُّ مَذْهَبَ الشَّافِعِيِّ بِهَذَا؛ لِصِحَّةِ الْحَدِيثِ، وَقَدْ حَرَّرْنَا ذَلِكَ نَقْلًا وَاسْتِدْلَالًا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] (الْبَقَرَةِ: 238) . وَقَدِ اسْتَدَلَّ طَائِفَةٌ بِهَذَا الصَّنِيعِ عَلَى جَوَازِ تَأْخِيرِ الصَّلَاةِ لِعُذْرِ الْقِتَالِ، كَمَا هُوَ مَذْهَبُ مَكْحُولٍ وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَقَدْ بَوَّبَ الْبُخَارِيُّ عَلَى ذَلِكَ، وَاسْتَدَلَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَبِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أَمَرَهُمْ بِالذَّهَابِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، كَمَا سَيَأْتِي: «لَا يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الْعَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ ".» وَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ صَلَّى الْعَصْرَ فِي الطَّرِيقِ، وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُصَلِّ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ بَعْدَ الْغُرُوبِ، وَلَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَاسْتَدَلَّ بِمَا ذَكَرَهُ عَنِ الصَّحَابَةِ وَمَنْ مَعَهُمْ فِي حِصَارِ تُسْتَرَ سَنَةَ عِشْرِينَ فِي زَمَنِ عُمَرَ، حَيْثُ صَلَّوُا الصُّبْحَ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ؛ لِعُذْرِ الْقِتَالِ وَاقْتِرَابِ فَتْحِ الْحِصْنِ.
وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الْعُلَمَاءِ، وَهُمُ الْجُمْهُورُ، مِنْهُمُ الشَّافِعِيُّ: هَذَا الصَّنِيعُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَنْسُوخٌ بِشَرْعِيَّةِ صَلَاةِ الْخَوْفِ بَعْدَ ذَلِكَ، فَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ مَشْرُوعَةً إِذْ
পৃষ্ঠা - ২৯১৫
ذَاكَ، فَلِهَذَا أَخَّرُوهَا يَوْمَئِذٍ. وَهُوَ مُشْكِلٌ، فَإِنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ وَجَمَاعَةً ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةَ الْخَوْفِ بِعُسْفَانَ، وَقَدْ ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ، - وَهُوَ إِمَامٌ فِي الْمَغَازِي - قَبْلَ الْخَنْدَقِ، وَكَذَلِكَ ذَاتُ الرِّقَاعِ ذَكَرَهَا قَبْلَ الْخَنْدَقِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَأَمَّا الَّذِينَ قَالُوا: إِنَّ تَأْخِيرَ الصَّلَاةِ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَقَعَ نِسْيَانًا. كَمَا حَكَاهُ شُرَّاحُ مُسْلِمٍ عَنْ بَعْضِ النَّاسِ، فَهُوَ مُشْكِلٌ إِذْ يَبْعُدُ أَنْ يَقَعَ هَذَا مِنْ جَمْعٍ كَبِيرٍ، مَعَ شِدَّةِ حِرْصِهِمْ عَلَى الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَاةِ، كَيْفَ وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُمْ تَرَكُوا يَوْمَئِذٍ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ حَتَّى صَلَّوُا الْجَمِيعَ فِي وَقْتِ الْعِشَاءِ.
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَحَجَّاجٌ قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: حُبِسْنَا يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى ذَهَبَ هَوِيٌّ مِنَ اللَّيْلِ حَتَّى كُفِينَا وَذَلِكَ قَوْلُهُ: {وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا) } [الأحزاب: 25] (الْأَحْزَابِ: 25) . قَالَ: «فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَمَرَهُ فَأَقَامَ، فَصَلَّى الظُّهْرَ كَمَا كَانَ يُصَلِّيهَا فِي وَقْتِهَا، ثُمَّ أَقَامَ الْعَصْرَ فَصَلَّاهَا كَذَلِكَ، ثُمَّ أَقَامَ الْمَغْرِبَ فَصَلَّاهَا كَذَلِكَ، ثُمَّ أَقَامَ الْعِشَاءَ فَصَلَّاهَا كَذَلِكَ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২৯১৬
করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উভয় দলের কাউরেইি দোষারোপ করেননি ৷ এ বিষয়ে দলীল স্বরুপ
ইমাম বুখারী (র) সাহাবীগণের আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তাহল হযরত উমরের যুগে
২০ হিজরীতে মুসলিম সৈন্যগণ শত্রুদের তৃন্তার দুর্গ অবরোধ করেছিলেন ৷ ওই সৈন্য দলে
অনেক সাহারা ও তাবিঈ ছিলেন ৷ দুর্গ জয় নিকটবর্তী হওয়া এবং লড়াই বিদ্যমান থাকার কারণে
তারা সেদিন ফজরের নামায সুর্যোদয়ের পরে আদায় করেছিলেন ৷
অপর একদল অড়ালিম বলেন, এ দলে ইমাম শাফিঈ (র) এবং জমহুর আলিমরাও বলেছেন
যে, খন্দক দিবসের এই নিয়ম পরবত্তীকািলে সালাত আল খাওফ ভয়কালীন নামাষের বিধান নাযিল
হওয়ায় রহিত হয়ে গিয়েছে ৷ খন্দক দিবসে ভয়কালীন নামাষের বিধান ছিল না বলে তারা নামায
বিলন্বিত করেছিলেন ৷ অবশ্য, এ ব্যাপারটি জটিলতামুক্ত নয় ৷ কারণ, ইবন ইসহড়াক বলেছেন যে,
একদল উলামার মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভয়কালীন নামায আদায় করেছেন উছফান অভিযান কালে ৷
আর মাগাযী ঘটনা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিতৃ ইবন ইসহাক বলেছেন যে, উছফান অভিযান পরিচালিত
হয়েছিল খন্দক যুদ্ধের পুর্বে ৷ তদ্রুপ যাতুর-রিকা অভিযানও পরিচালিত হয়েছিল খন্দক যুদ্ধের
পুর্বে ৷ আল্লা ইে ভাল জানেন ৷
কেউ কেউ বলেছেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিনে নামায বিলন্বিত হয়েছিল ভুলবশত যেমন সহীহ্
মুসলিমের কোন কোন ভাষ্যকার তা বলেছেন এ ব্যাখ্যাও জটিলতা মুক্ত নয় ৷ কারণ, নামাষের
প্রতি সাহারা-ই-কিরামের প্রবল আগ্রহ থাকা সত্বেও সেখানে উপস্থিত সকলেই নামাষের কথা
ভুলে যাবেন তা কল্পনাই করা যায় না ৷ তা ছাড়াও বর্ণিত আছে যে, সেদিন তারা যােহর , আসর ও
মাপরিব তিন ওয়াক্ত নামায বিলম্বিত করেছিলেন এবং ইশার সময়ে সবগুলো নামায আদায়
করেছিলেন ৷ আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ (বা) এ হড়াদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াযীদ ও হাজ্জাজ আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, খন্দক দিবসে আমরা বাধা প্রাপ্ত হই ৷ এভাবে রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে
যায় ৷ শেষ পর্যন্ত আমরা ঝামেলামুক্ত হই ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
,;ৰুব্র১
যুদ্ধে মুমিনদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান , পরাক্রমশালী, (৩৩ আহষাব :
২৫) ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা) কে ডেকে ইকামত দেয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷ তিনি ইকামত দিলেন ৷ সকলে যােহরের নামায আদায় করলেন যেমন আদায় করতেন
ঠিক সময়ে, তারপর আসরের জন্যে ইকামত দিলেন ৷ আসরের নামায অনুরুপ আদায় করলেন ৷
তারপর মাগরিবের জন্যে ইকামত দিলেন ৷ নিয়মমত মাগরিবের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর
ইশার নামাষের ইকামত দিলেন এবং যথা নিয়মে ইশার নামায আদায় করলেন ৷ এটি ছিল সংশ্লিষ্ট
আয়াত নাযিল হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ বর্ণনাকারী হাজ্জাজ বলেন, এটি ভয়কালীন নামাষের বিধান
সম্পর্কে র্চুা;হ্র, র্টু৷ ৰুা৷ট্রু ,ছুৰু ংণ্’;ব্লু ট্রু,র্চুস্ আয়াত নাযিল হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷
ইমাম নাসাঈ (র) ফরািস ’ ইবন আবুযিব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
যুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের দিনে আমাদেরকে যুহরের নামায থেকে বিরত রাখে ৷ এভাবে সুর্য
অস্তমিত হয়ে যায় ৷ এভাবে তিনি পুর্ণ হড়াদীছ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন, হুশায়ম
يُنَزَّلَ» - قَالَ حَجَّاجٌ: فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ -: {فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ} [البقرة: 239] (الْبَقَرَةِ: 239) .
وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ بِهِ: قَالَ: شَغَلَنَا الْمُشْرِكُونَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ عَنْ صَلَاةِ الظُّهْرِ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ. فَذَكَرَهُ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ الْمُشْرِكِينَ شَغَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ عَنْ أَرْبَعِ صَلَوَاتٍ، حَتَّى ذَهَبَ مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ. قَالَ: «فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعِشَاءَ» .
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، يَعْنِي ابْنَ أَبِي الْمُخَارِقِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شُغِلَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ عَنْ صَلَاةِ الظُّهْرِ، وَالْعَصْرِ، وَالْمَغْرِبِ، وَالْعِشَاءِ، فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ وَأَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ، فَصَلَّى
পৃষ্ঠা - ২৯১৭
الْمَغْرِبَ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ، فَصَلَّى الْعِشَاءَ، ثُمَّ قَالَ: " مَا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ قَوْمٌ يَذْكُرُونَ اللَّهَ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ غَيْرُكُمْ ".» تَفَرَّدَ بِهِ الْبَزَّارُ، وَقَالَ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ.