سنة خمس من الهجرة النبوية
غزوة الخندق
وقتها
পৃষ্ঠা - ২৮৬৯
তাকে তার সাথীদের সম্পর্কে জাি,জ্ঞস করেন ৷ সে বলে যে, ওরা সবাই পুর্বের দিন এলাকা ছেড়ে
পালি য় গিয়েছে ৷ রাসুলুলাহ (না) তাকে ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব দিলেন, যে ইসলাম গ্রহণ করে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (স ) মদীনায় ফিরে এলেন ৷
ওয়াকিদী বলেন রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) দুমাতুল জানদা ল অভিযানে ৷ররিয়েছিলেন ৫ম হিজরীর
রবীউ ল আখের মাসে ৷ ওয়াকিদী এও বলেন যে ওই মাসেই স৷ দ ইবন উবাদ৷ ৷(রা) এর মা
ইনতিকাল ৷করেন ৷ তখন স৷ দ (রা) রাসৃলুল্লাহ্( সা)-এর সাথেই ছি?ণ্ষ্ান ৷
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী তার জামি গ্রন্থে বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার সাঈদ
ইবন মুসাব্যিব (র) থেকে বংনাি করেন যে, সাদ (বা) এর ম যখন মারা যান তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) মদীনায় ছিলেন না ৷ মদীনায় প্রত্যাবর্তনের পর তিনি মরহুমার জাল নামায আদায় করেন ৷
মৃত্যুর একমাস পর তিনি এই নামায আদায় করেন ৷ এটি একটি উত্তম ঘুরসাল পদ্ধতির হাদীছ ৷
এতে প্ৰ৩ ভীয়মান হয় যে নাসুলুল্ল হ (না) এই যুদ্ধ উপলক্ষে প্রায়এ ক পান বা ততোধিক সময়
মদীনায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷ যেমনটি ওয়াকিদী বলেছেন ৷
খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ
এ প্ৰসংণে আল্লাহু তা আ ল৷ সুরা আহয়াধেয় প্ৰথ ৷ দিকের আয়া৩ ওগুলো অবতীর্ণ করেন ৷
আল্লাহ তাআলা বলেন &
অর্থাং হে মুমিনগণ ৷ তোমরা তোমাদের প্ৰতি অল্লোহ্র অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন
শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি ওদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম
ঝঞা বার এবং এক বাহিনী যা তোমরা দেখনি ৷ তোমরা য৷ কর আল্লাহ্ তার সম্যক দ্রষ্ট৷ ৷ যখন
ওরা তোমাদের বিরুদ্ধে সমাণত হয়েছিল ডচ্চ অঞ্চল ংনিম্ন অঞ্চল হতে তোমাদের চক্ষু
বিম্ফারিত হয়েছিল , তোমাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কণ্ঠাণত এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানাবিধ
ধারণা পোষণ ৷করছিলে ৷ তথাং ম’মিনগণ পরীক্ষিদ্ হয়েছিল এবং তারা ভীযণভাবে প্রকম্পিত
হয়েছিল এবং মুনাফিকরা ও যাদের অম্ভার ছিল বাধিত তারা বলছিল আল্লাহ্ এবং তার রাসুল
আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যভীত কিছুই নয় ৷ এবং ওদের একদল
বলেছিল হে ইয়াছরিররাসী ৷ এখানে তোমাদের কোন স্থান নেই, তোমরা ফিরে চল এবং ওদের
মধ্যে একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল, আমাদের বাড়ী ঘর অরক্ষিত ৷ অথচ
ওগুলো অরক্ষিত :ি ল না অ৷ ৷-সরু’৷ পলায়ন করাই ছিল ওদের উদ্দেশ্য ৷ যদি শত্রুর৷ নগরীর বিভিন্ন
দিক হতে প্রবেশ করে ওদের৫ক’ বািদ্রাহের জ্যনা প্ৰরোচিত করত ন্ব্রার৷ অবশ্য তা-ই করে বসত,
তারা তাতে কাল ধিলম্ব করত না ৷ এরাতাে পুর্বেই আল্লাহ্র সাথে অৎগীকার করেছিল যে, এরা
পৃষ্ঠ প্ৰদশ্নি করে, পালাবে না শ্ আল্লাহর সাথে কত অত্গীকার সম্বন্ধে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে ৷
বলুন, তোমাদের কোন লাভ হবে না যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর এবং
[غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ]
[وَقْتُهَا]
ِ وَهِيَ غَزْوَةُ الْأَحْزَابِ
وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهَا صَدْرَ سُورَةِ " الْأَحْزَابِ " فَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَاءَتْكُمْ جُنُودٌ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِاللَّهِ الظُّنُونَ هُنَالِكَ ابْتُلِيَ الْمُؤْمِنُونَ وَزُلْزِلُوا زِلْزَالًا شَدِيدًا وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا وَإِذْ قَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ يَا أَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوا وَيَسْتَأْذِنُ فَرِيقٌ مِنْهُمُ النَّبِيَّ يَقُولُونَ إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ إِنْ يُرِيدُونَ إِلَّا فِرَارًا وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ أَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَةَ لَآتَوْهَا وَمَا تَلَبَّثُوا بِهَا إِلَّا يَسِيرًا وَلَقَدْ كَانُوا عَاهَدُوا اللَّهَ مِنْ قَبْلُ لَا يُوَلُّونَ الْأَدْبَارَ وَكَانَ عَهْدُ اللَّهِ مَسْئُولًا قُلْ لَنْ يَنْفَعَكُمُ الْفِرَارُ إِنْ فَرَرْتُمْ مِنَ الْمَوْتِ أَوِ الْقَتْلِ وَإِذًا لَا تُمَتَّعُونَ إِلَّا قَلِيلًا قُلْ مَنْ ذَا الَّذِي يَعْصِمُكُمْ مِنَ اللَّهِ إِنْ أَرَادَ بِكُمْ سُوءًا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ رَحْمَةً وَلَا يَجِدُونَ لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الْمُعَوِّقِينَ مِنْكُمْ وَالْقَائِلِينَ لِإِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ إِلَيْنَا وَلَا يَأْتُونَ الْبَأْسَ إِلَّا قَلِيلًا أَشِحَّةً عَلَيْكُمْ فَإِذَا جَاءَ الْخَوْفُ رَأَيْتَهُمْ يَنْظُرُونَ إِلَيْكَ تَدُورُ أَعْيُنُهُمْ كَالَّذِي يُغْشَى عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ فَإِذَا ذَهَبَ الْخَوْفُ سَلَقُوكُمْ بِأَلْسِنَةٍ حِدَادٍ أَشِحَّةً عَلَى الْخَيْرِ أُولَئِكَ لَمْ يُؤْمِنُوا فَأَحْبَطَ اللَّهُ أَعْمَالَهُمْ وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا يَحْسَبُونَ الْأَحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُوا وَإِنْ يَأْتِ الْأَحْزَابُ يَوَدُّوا لَوْ أَنَّهُمْ بَادُونَ فِي الْأَعْرَابِ يَسْأَلُونَ عَنْ أَنْبَائِكُمْ وَلَوْ كَانُوا فِيكُمْ مَا قَاتَلُوا إِلَّا قَلِيلًا لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا وَلَمَّا رَأَى الْمُؤْمِنُونَ الْأَحْزَابَ قَالُوا هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا لِيَجْزِيَ اللَّهُ الصَّادِقِينَ بِصِدْقِهِمْ وَيُعَذِّبَ الْمُنَافِقِينَ إِنْ شَاءَ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا وَأَنْزَلَ الَّذِينَ ظَاهَرُوهُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ صَيَاصِيهِمْ وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ فَرِيقًا تَقْتُلُونَ وَتَأْسِرُونَ فَرِيقًا وَأَوْرَثَكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ وَأَرْضًا لَمْ تَطَئُوهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرًا} [الأحزاب: 9] (الْأَحْزَابِ: 9 - 27) ،
পৃষ্ঠা - ২৮৭০
সেক্ষেত্রে তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে ৷ বলে দিন, কে তোমাদেরকে আল্লাহ
হতে রক্ষা করবে ৷ যদি তিনি তোমাদের অমংগল ইচ্ছা করেন এবং তিনি যদি তোমাদেরকে
অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন কে তোমাদের ক্ষতি করবে ? ওরা আল্লাহ ব্যতীত নিজেদের কোন
অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না ৷ আল্লাহ অবশ্যই জানেন তোমাদের মধ্যে কারা তোমাদেরকে
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে বাধা দেয় এবং তাদের ভ্রাতৃবর্গকে বলে “আমাদের সংগে এস ৷ ” ওরা
অল্পই যুদ্ধে অংশ নেয় তোমাদের ব্যাপারে কৃপণতাবশত যখন বিপদ আসে তখন আপনি
দেখবেন মৃত্যু ভয়ে মুচ্ছড্রির ব্যক্তির ন্যায় চক্ষু উল্টিয়ে ওরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কিন্তু
যখন বিপদ চলে যায় তখন ওরা বনের লালসায় তোমাদেরকে ভীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে ৷ ওরা ঈমান
আসে নাই, এজন্যে আল্লাহ ওদের কার্যাবলী নিম্ফল করেছেন এবং আল্লাহর পক্ষে তা সহজ ৷ ওরা
মনে করে , সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি ৷ যদি সম্মিলিত বাহিনী আবার এসে পড়ে, তখন ওরা
কামনা করবে যে, ভাল হত যদি ওরা যাযাবর মরুবাসীদের নাথে থেকে তোমাদের সংবাদ নিত ৷
ওরা তোমাদের সাথে অবস্থান করলেও ওরা যুদ্ধ অল্পই করত ; ণ্তামাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও
আখিরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে রাসুলুল্লাহ (না)-এর মধ্যে
রয়েছে উত্তম আদর্শ ৷ ঘু’মিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল ওরা বলে উঠল , এটি তো তাই
আল্লাহ ও তার রাসুল যার প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তার রাসুল সতাই
বলেছেন ৷ আর এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যই বৃদ্ধি পেল ৷ মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর
সাথে তাদের কৃত অংপীকার পুর্ণ করেছে, ওদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে ৷ ওদের কেউ
কেউ প্রভীক্ষায় রয়েছে, তারা তাদের অংপীকারে কোন পরিবর্তন করেনি ৷ কারণ, আল্লাহ
সতবােদীদেরকে পুরস্কৃত করেন ৷ সতবােদিতার জন্যে এবং তার ইচ্ছা হলে ঘুনাফিকদেরকে শাস্তি
দেন অথবা ওদেরকে ক্ষমা করেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ৷ আল্লাহ কাফিরদেরকে
ক্রুদ্ধাবন্থায় বিফল মনােরথ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন ৷ যুদ্ধে মু’মিনদের জন্যে আল্লাহ্ই
যথেষ্ট ৷ আল্লাহ সর্বশক্তিমান পরাক্রমশালী ৷ কিতাবীদের মধ্যে যারা ওদেরকে সাহায্য করেছিল
তাদেরকে তিনি তাদের দুর্গ থেকে অবতরণে বাধ্য করলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার
করলেন; এখন তোমরা ওদের কতককে হত্যা করছ এবং কতককে করছ বন্দী, এবং তিনি
তােমাদেরকে অধিকারী করলেন ওদের ভুমি, ঘববাড়ী ও ধন-সম্পদের এবং এমন ভুমির যা
তোমরা এখনও পদানত করনি, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷ (৩৩-আহযাব : ৯-২ ৭ ৷)
উপরোক্ত আয়াতগুলাের প্ৰতেকেটি সম্পর্কে আমরা তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷ এখানে আমরা সংশ্লিষ্ট যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয়গুলো
আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷
খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৫ম হিজরীর শাওয়াল মাসে ৷ ইবন ইসহড়াক, উবওয়া ইবন যুরায়র ,
কাতাদ৷ , বায়হাকী এবং প্রাচীন ও আধুনিক যুগের বহু উলামা-ই-কিরাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দলীল
প্রমাণ পেশ করেছেন ৷ মুসা ইবন উক্বা যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে : র্থ হিজরীর শাওয়াল মাসে ৷ আহমদ ইবন হাম্বল (র) মুসা ইবন
দাউদের বরাতে ইমাম মালিক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন যে, বায়হাকী (র ) বলেন, মুলত
وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى كُلِّ مِنْ هَذِهِ الْآيَاتِ الْكَرِيمَاتِ فِي " التَّفْسِيرِ "، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْقِصَّةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
وَقَدْ كَانَتْ غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. نَصَّ عَلَى ذَلِكَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وقَتَادَةُ، والْبَيْهَقِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ، سَلَفًا وَخَلَفًا.
পৃষ্ঠা - ২৮৭১
وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ الْأَحْزَابِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَكَذَلِكَ قَالَ الْإِمَامُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، فِيمَا رَوَاهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ دَاوُدَ، عَنْهُ.
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَلَا اخْتِلَافَ بَيْنَهُمْ فِي الْحَقِيقَةِ لِأَنَّ مُرَادَهُمْ أَنَّ ذَلِكَ بَعْدَ مُضِيِّ أَرْبَعِ سِنِينَ وَقَبْلَ اسْتِكْمَالِ خَمْسٍ. وَلَا شَكَّ أَنَّ الْمُشْرِكِينَ لَمَّا انْصَرَفُوا عَنْ أُحُدٍ وَاعَدُوا الْمُسْلِمِينَ إِلَى بَدْرٍ الْعَامَ الْقَابِلَ، فَذَهَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ كَمَا تَقَدَّمَ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ أَرْبَعٍ، وَرَجَعَ أَبُو سُفْيَانَ بِقُرَيْشٍ لِجَدْبِ ذَلِكَ الْعَامِ، فَلَمْ يَكُونُوا لِيَأْتُوا إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْدَ شَهْرَيْنِ، فَتَعَيَّنَ أَنَّ الْخَنْدَقَ فِي شَوَّالٍ مِنْ سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ صَرَّحَ الزُّهْرِيُّ بِأَنَّ الْخَنْدَقَ كَانَتْ بَعْدَ أُحُدٍ بِسَنَتَيْنِ، وَلَا خِلَافَ أَنَّ أُحُدًا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، إِلَّا عَلَى قَوْلِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ أَوَّلَ التَّارِيخِ مِنْ مُحَرَّمِ السَّنَةِ التَّالِيَةَ لِسَنَةِ الْهِجْرَةِ، وَلَمْ يَعُدُّوا الشُّهُورَ الْبَاقِيَةَ مِنْ سَنَةِ الْهِجْرَةِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ إِلَى آخِرِهَا، كَمَا حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، وَبِهِ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ، وَقَدْ صَرَّحَ بِأَنَّ بَدْرًا فِي الْأُولَى، وَأُحُدًا فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ، وَبَدْرًا الْمَوْعِدَ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ ثَلَاثٍ، وَالْخَنْدَقَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَهَذَا
পৃষ্ঠা - ২৮৭২
এখানে কোন ভৈবপরী৩ ত নেই ৷ কারণ,ারাত : র্থ হিজরী বলে এ কথা বুঝিয়েছেন যে, যুদ্ধটি
ৎঘটিত হয়েছে হিজরী : র্থ বছর পুর্ণ হবার পর এবং ৫ম বছর পুর্ণ হবার পুর্বে ৷
এটা নিশ্চিত যে উহুদ যুদ্ধ থেকে প্ৰতাবর্তনের সময় মুশরিকরা পরবর্তী বছর পুনরায় বদর
প্রান্তরে যুদ্ধের আগাম ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিল ৷ সেই যুতাবিক রাসুলুন্ব: হ্ ( সা) তার সাহাবীগণকে
নিয়ে : র্থ হিজরীর শা বান মাসে বদর প্ৰাম্ভরে উপস্থিত ৩হন ৷ আর দুর্ভিক্ষের বাহানা দিয়ে আবু
সুফিয়ান তার কুরায়শী বাহিনী নিয়ে মক্কায় ফিরে যায় ৷ এ পরিস্থিতিতে মাত্র দু” মাস পর তাদের
মদীনা আক্রমণ করা সম্ভব ছিলনা ৷ ফলে এটি নিশ্চিতভারে জা না (গল <য, পরবর্তী বছরের অর্থাৎ
৫ম হিজরীর শাওয়াল সালে তারা মদীনা আক্রমণের জন্যে এসেছিল ৷
ঘুহরী স্পষ্ট বলেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দু’ বছর পর খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এতে কারো
াদ্বমত নেই যে, উহুদ যুদ্ধ সৎঘ টিতহয়েছিল ৩য় হিজরী সনের শাওয়াল মাচস ৷ অবশ্য কেউ কেউ
বলে থাকেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর হিজরভ্রুতর পরবর্তীমুহাররম মাস থেকে হিজবী সন গণনা
শুরু হয় ৷ তারা হিজরস্তু৩ তর বছরের রবীউল আওয়াল হতে ৩যিলহজ্জ মাস পর্যন্ত এই মাসগুলোকে
গণনায় আনয়ন করেন না ৷ বায়হাকী এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ফাসাবী এই
মতের সমর্থক ৷ এই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি সুস্পষ্টভা বে বলেন যে, বদরের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে
১ম হিজরীতে, উহুদ ২য় হিজরীতে, বদর-ই ছানী ততীয় হিজরীর শা বান মাসে এবং খন্দকের যুদ্ধ
ৎযটিত হয় : র্থ হিজরী সনে ৷ ১ম হিজরীর মাস গুলো বাদ দিয়ে হিজরী সন গণনা করাটা জমহুর
তথা অধিকাৎশ ইমামের ঐক্যবদ্ধ অডিমবু৩ তর বিরোধী ৷৷ কারণ এটা সুপ্ৰসিদ্ধ যে হযরত ৩উমর
ইবন খঃা তোর (রা) )হিজরতের ১লা যুহাররম কে হিজবী বর্ষপঞ্জির পথম দিবস হিসেবে নির্ধারণ
করেছিলেন ৷ অন্যদিকে ইমাম মালিক (র) হিজররুত তর বছরের রবীউল আওয়াল মাস থেকে হিজরী
সনের সুচনা বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷ ফলে হিজরী সনের সুচনাসষ্পর্কে তিনটি অভিমত
বিদ্যমান ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
বিশুদ্ধ মত হলো জমহুরের অভিমত যে, উহুদ যুদ্ধ তত য় হিজরীর শাওয়াল মাসে এবং
খন্দকের যুদ্ধ ৫ম হিজরীর শাওয়াল সালে সংঘটিত হয় ৷ তবে সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে
উবায়দুল্লাহ্ভ্রু সুএে এানাফি থেকে বর্ণিত যে, ইবন উমর (রা) বলেছেন উহুদ যুদ্ধের সময় আমার
বয়স ছিল ১৪ বছর ৷ যুদ্ধে অং শ গ্রহণের জন্যে আমি নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পেশ
করলে তিনি আমাকে ৩াণুনা৩ পেনান ৷ খস্পাকের যুদ্ধের সময় আমি নিজেকে তীর নিকট পেশ
করি ৷ তখন আমার বয়স ১৫ বছর ৷ তিনি এবার আমাকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দিলেন ৷ ইবন
উমর (রা) এর এ বক্তব্য সম্পর্কে উলামা-ই-কিরাম বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৷ এ প্রসৎগে বায়হাকী
বলেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দিবসে তিনি যখন নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পােণ করেছেন
তখন তার চৌদ্দতম বছর মাত্র শুরু হয়েছিল ৷ আর খন্দকের যুদ্ধের দিবসে যখন তিনি নিজেকে
পেশ করেছিলেন তখন তীর বয়স ১৫ বছর পুর্ণ হওয়ার শেষ পর্যায়ে ছিল ৷
আমি বলি, এমন ব্যাথ্যাও দেয়া যায় যে, খন্দকের যুদ্ধের দিলে তিনি যখন নিজেকে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট পেশ করেছিলেন তখন তীর বয়স ১৫ বছর পুর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ সাধারণতঃ ১৫
বছর পুর্ণ হলে বালকদেরকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেয়া হত ৷ ১৫ বছরের অধিক হবার জন্যে
مُخَالِفٌ لِقَوْلِ الْجُمْهُورِ؛ فَإِنَّ الْمَشْهُورَ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ جَعَلَ أَوَّلَ التَّارِيخِ مِنْ مُحَرَّمِ سَنَةِ الْهِجْرَةِ. وَعَنْ مَالِكٍ: مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ الْهِجْرَةِ. فَصَارَتِ الْأَقْوَالُ ثَلَاثَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَالصَّحِيحُ قَوْلُ الْجُمْهُورِ أَنَّ أُحُدًا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، وَأَنَّ الْخَنْدَقَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهِ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «عُرِضْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ وَأَنَا ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً فَلَمْ يُجِزْنِي، وَعُرِضْتُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ فَأَجَازَنِي» . فَقَدْ أَجَابَ عَنْهَا جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ، مِنْهُمُ الْبَيْهَقِيُّ بِأَنَّهُ عُرِضَ يَوْمَ أُحُدٍ فِي أَوَّلِ الرَّابِعَةَ عَشْرَةَ، وَيَوْمَ الْأَحْزَابِ فِي أَوَاخِرِ الْخَامِسَةَ عَشْرَةَ.
قُلْتُ: وَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ أَرَادَ أَنَّهُ لَمَّا عُرِضَ عَلَيْهِ يَوْمَ الْأَحْزَابِ، كَانَ قَدِ اسْتَكْمَلَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةَ، الَّتِي يُجَازُ لِمِثْلِهَا الْغِلْمَانُ، فَلَا يَبْقَى عَلَى هَذَا زِيَادَةٌ عَلَيْهَا. وَلِهَذَا لَمَّا بَلَّغَ نَافِعٌ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ: إِنَّ هَذَا لَفَرْقٌ بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ. ثُمَّ كَتَبَ بِهِ إِلَى الْآفَاقِ. وَاعْتَمَدَ عَلَى ذَلِكَ جُمْهُورُ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৩
অনুমতি আটকে থাকত না ৷ এ জন্যে নাফি যখন এই হাদীছ উমর ইবন আবদুল আযীযের নিকট
পাঠান তখন এই মন্তব্য করেছিলেন যে, নাবালক ও সাবালকের মধ্যে সীমা নির্ধারণকারী মানদণ্ড
হল এটি ৷ত তারপর তিনি এই হাদীছ ও এই মন্তব্য সব জায়গায় পীছিয়ে দেন ৷ জমহুব তথা
অধিকাৎশ আলিম এটাকেই নির্ভরযোগ্য অভিমত বলে গ্রহণ করেক্ষ্রুহৃহুন ৷ আল্লাহ্ইত ভাল জানেন ৷
ইবন ইসহাক ও প্রমুখ খন্দকের যুদ্ধের ঘটনা এভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক
বলেছেন, তারপর কথা হল ৫ম হিজরী সনের শাওয়াল মানেই ন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এ
প্ৰসংগে আমার নিকট বংনাি করেছেন উবায়দুল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক থেকে ৷ আরো বংনাি
করেছেন, মুহাম্মাদ ইবন কা’ব কুরাযী, যুহরী, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদ৷ এবং আবদুল্লাহ
ইবন আবুবকর প্রমুখ ৷ত তাদের কেউ এমন তথ্য বর্ণনা করেছেন য সনাের বর্ণনায় নেই ৷ তবে
তারা সকলে বলেছেন, খন্দক যুদ্ধের পটভুমি এই যে, ইয়াহদী <নতা সালাম ইবন আবুল হুকায়ক
নয়রী, হুয়৷ ৷ই ইবন আখতার, কিনান৷ ইবন রা ৷বী ইবন আবুল হুকায়ক, হাওয৷ ইবন কায়স ওয়া ৷ইলী
এবং আবু আম্মার ওয়াইলীর নেতৃত্বে বনু নবীর ও বনু ওয়াইল পত্রের কতিপয় লেকে মিলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর বিরুদ্ধে একটি (জ ট বাধে ৷ তারা একসময় মক্কায় কুরায়শদের নিকট
উপ ত হয় ৷ তার৷ কুরায়শীদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সাৰু)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের আহ্বান
জানায় ৷ তারা আশ্বাস দিয়ে বলে যে, মুহাম্মাদ (সা) কে সমুলে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমরা
তোমাদের সাথে থাকবই ৷ কুরায়শী লোকেরা তাদেরকে বলল, হে ইয়াহদী সম্প্রদায় ! আমরা
এবং ঘুহ৷ ম্মাদ (সা) যে বিষয়ে মতভেদ করছি তা সৃষ্টি হওয়ার পুর্বেকা র কিতাবের তোমরা অনুস৷ ৷রী
এবং তোমরা তখনও জ্ঞা ৷নবান ছিলে, আচ্ছা তোমরা ৷ই বল আমাদের ধর্ম ভ ৷,ল না কি মুহাম্মাদের
(সা) ধর্ম ? ইয়াহদী জোটের লোকেরা বলল, ওে ৷মাদের ধর্মই ররৎ৩ার ধর্মের চাইতে উত্তম ৷
তোমরা ৷ই সব্লু৩ তার অধিকতর নিকটবর্তী, সকল ইয়াহ্রদীদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআল৷ বলেন :
;ন্হ্রন্ওৰুএে ৷১ ণ্ত্রা
শ্ষ্ ; শ্ ৷০ষ্ ব্ল : শ্ :ষ্ধ্শ্০ ; শ্ ণ্াশ্ ! ষ্ষ্ৰুণ্শ্ষ্ন্, শ্০০প্টেশ্
৷ ঠুষ্টুার্মু
আপনি কিত ৷দেরকে দেখেননি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল ৷ তারা আল্লাহ
ব্যতীত অন্যান্য উপাসে৷ বিশ্বাস করে ৷ তারা ক ফিবদেব সম্বন্ধে বলে, এদেরই পথ ঘুমিনদের
চেয়ে প্রকৃষ্টত র ৷ এরাই তারা যাদেরকে আল্লাহ লা নত করেছেন ৷ এবং আল্লাহ যাকে লা নত
করেন আপনি তার জন্যে কখনো কোন সাহায্যক৷ ৷বী পাবেন না ৷ (৪ নিস৷ ৫ ১ ৫২) ৷
তাদের উত্তর শুনে কুরায়শরা মহা খুশী ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তাবে
সানন্দে রাষী হয়ে গেল ৷ তারা সকলে একমত হল এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে লাগল ৷ এরপর
ইয়াহদী দল পাতফান গোত্রের নিকট যায় ৷ তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ
নিতে প্ৰরোচিত করে ৷ নিজেরা এই যুদ্ধে অংশ নেবে বলে প্রতিশ্রুতি তারা পাতফানীদেরকে
দেয় ৷ কুরায়শরা যে যুদ্ধে শরীক হবে সে সৎবাদও তারা জানান ৷ পাতফড়ানীরা তাদের সাথে
একাত্মত৷ ঘোষণা করল ৷
২৪ ——
الْعُلَمَاءِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهَذَا سِيَاقُ الْقِصَّةِ مِمَّا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ:
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ كَانَتْ غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ، فَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، وَمَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ وَالزُّهْرِيُّ وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَغَيْرُهُمْ مِنْ عُلَمَائِنَا، وَبَعْضُهُمْ يُحَدِّثُ مَا لَا يُحَدِّثُ بَعْضٌ، قَالُوا: إِنَّهُ كَانَ مِنْ حَدِيثِ الْخَنْدَقِ أَنَّ نَفَرًا مِنَ الْيَهُودِ - مِنْهُمْ: سَلَّامُ بْنُ أَبِي الْحَقِيقِ النَّضَرِيُّ، وَحُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ النَّضَرِيُّ، وَكِنَانَةُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحَقِيقِ، وَهَوْذَةُ بْنُ قَيْسٍ الْوَائِلِيُّ، وَأَبُو عَمَّارٍ الْوَائِلِيُّ، فِي نَفَرٍ مِنَ بَنِي النَّضِيرِ وَنَفَرٍ مِنْ بَنِي وَائِلٍ، وَهُمُ الَّذِينَ حَزَّبُوا الْأَحْزَابَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - خَرَجُوا حَتَّى قَدِمُوا عَلَى قُرَيْشٍ مَكَّةَ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى حَرْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالُوا: إِنَّا سَنَكُونُ مَعَكُمْ عَلَيْهِ، حَتَّى نَسْتَأْصِلَهُ. فَقَالَتْ لَهُمْ قُرَيْشٌ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، إِنَّكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ الْأَوَّلِ وَالْعِلْمِ بِمَا أَصْبَحْنَا نَخْتَلِفُ فِيهِ نَحْنُ وَمُحَمَّدٌ، أَفَدِينُنَا خَيْرٌ أَمْ دِينُهُ؟ قَالُوا: بَلْ دِينُكُمْ خَيْرٌ مِنْ دِينِهِ وَأَنْتُمْ أَوْلَى بِالْحَقِّ مِنْهُ. 5 فَهُمُ الَّذِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا هَؤُلَاءِ أَهْدَى مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا سَبِيلًا أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ وَمَنْ يَلْعَنِ اللَّهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ نَصِيرًا} [النساء: 51] الْآيَاتِ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৪
(النِّسَاءِ 51 52) . فَلَمَّا قَالُوا ذَلِكَ لِقُرَيْشٍ سَرَّهُمْ وَنَشِطُوا لِمَا دَعَوْهُمْ إِلَيْهِ مِنْ حَرْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاجْتَمَعُوا لِذَلِكَ وَاتَّعَدُوا لَهُ، ثُمَّ خَرَجَ أُولَئِكَ النَّفَرُ مِنْ يَهُودَ حَتَّى جَاءُوا غَطَفَانَ مِنْ قَيْسِ عَيْلَانَ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى حَرْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخْبَرُوهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ مَعَهُمْ عَلَيْهِ، وَأَنَّ قُرَيْشًا قَدْ تَابَعُوهُمْ عَلَى ذَلِكَ وَاجْتَمَعُوا مَعَهُمْ فِيهِ، فَخَرَجَتْ قُرَيْشٌ وَقَائِدُهَا أَبُو سُفْيَانَ، وَخَرَجَتْ غَطَفَانُ وَقَائِدُهَا عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ، فِي بَنِي فَزَارَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ عَوْفِ بْنِ أَبِي حَارِثَةَ الْمُرِّيُّ، فِي بَنِي مُرَّةَ، وَمِسْعَرُ بْنُ رُخَيْلَةَ بْنِ نُوَيْرَةَ بْنِ طَرِيفِ بْنِ سُحْمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هِلَالِ بْنِ خُلَاوَةَ بْنِ أَشْجَعَ بْنِ رَيْثِ بْنِ غَطَفَانَ فِيمَنْ تَابَعَهُ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ أَشْجَعَ.
فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا أَجْمَعُوا لَهُ مِنَ الْأَمْرِ، ضَرَبَ الْخَنْدَقَ عَلَى الْمَدِينَةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ يُقَالُ إِنَّ الَّذِي أَشَارَ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৫
যথা সময়ে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কুরায়শরা উয়ায়না ইবন হিসান ইবন হুযায়ফা ইবন বদর
-এর নেতৃত্বে পাতফানীরা ও ফাযাবীরা, হারিছ ইবন আওফ ইবন আবু হারিছা মুররী এর নেতৃত্বে
বনু মুররা গোত্রের লোকজন এবং মিসআর ইবন রুখড়ায়লা ইবন নুওয়ায়রা এর নেতৃত্বে আশজাঈ
গোত্রের লোকেরা যুদ্ধের জন্যে বের হয় ৷ ওদের আগমন ও পরিকল্পিত যুদ্ধ প্রন্তুতির সংবাদ শুনে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনার সীমানায় পরিখা (খন্দক) খননের নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন,
পরিখা থননের পরামর্শ দিয়েছিলেন হযরত সালমান ফাবেসী (রা ) ৷
তাবারী ও সুহায়লী বলেন, যুদ্ধে সর্ব প্রথম পরিখা খনন করেছিল , মনুচেহ্র ইবন ঈরাজ ইবন
আফবীদুন ৷ সে ছিল মুসা (আ)-এর যুগের লোক ৷ ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমড়ানদেরকে এ
ছাওযাবের কাজে উৎসাহিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজেও পরিখা খননে অংশ নেন ৷ মুসলিম
সৈনম্পোণ তার সাথে পরিখা খনন করেন ৷ মুনাফিকদের একটি দল শারিরীক দৃর্বলতার অজুহাতে এ
কাজ থেকে বিরত থাকে ৷ তাদের কতক আবার রাসুলুল্লাহ্ (ৰুন্ন্দ্)এ্যা অনুমতি ও অবগতি
ব্যতিবেকে চুপিসারে পালিয়ে যায় ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা আয়াত নাযিল করে বলেন :
তারাই মু’মিন যারা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের প্রতি ঈমান আসে এবং রাসুলের সাথে
সামষ্টিক ব্যাপারে একত্র হলে তার অনুমতি ব্যতীত সরে পড়েনা ৷ যারা আপনার অনুমতি প্রার্থনা
করে তারাই আল্লাহ্ এবং তার রাসুলে বিশ্বাসী ৷ অতএব, তারা তাদের কোন কাজে বাইরে যাবার
জন্যে আপনার অনুমতি চাইলে তাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা আপনি অনুমতি দেবেন এবং তাদের
জন্যে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থাংড়া করবেন ৷ আল্লাহ্ ক্ষমাশীল , পরম দযালু ৷ রাসুলের অড়াহ্বানকে
তোমরা (তামাদের একে অপরের প্রতি আহ্বানের ন্যায় গণ্য করো না , তোমাদের মধ্যে যারা চুপি
চুপি সরে পড়ে আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন ৷ সুতরাং যারা তার আদেশের বিরোধিতা করে তারা
সতর্ক থাকুক যে, বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হয়ে তাদের উপর কঠিন
শাস্তি ৷ জেনে রেখো, আকাশরাজি ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহ্রই ৷ তোমরা যাতে
ব্যাপৃত তিনি তা জানেন, যেদিন তারা তার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে সেদিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে
দেবেন, তারা যা করত ৷ আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ ৷ (২৪ নুর : ৬২-৬৪ ) ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম সৈন্যগণ পরিখা খনন করতে লেগে গেলেন এবং উত্তমভাবে
তা সম্পন্ন করলেন ৷ জনৈক মুসলমানকে উপলক্ষ করে তারা কবিতা ও আবৃত্তি করেছিলেন ৷
ল্যেকটির নাম ছিল জুআঈল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নামকরণ করেন আমর ৷ তখন মুসলমানগণ
নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলেন :
৪১১ ১১ ,,ন্ওঞ ১ব্লে১ ৷বুন্ন্হ্ন,ন্ান্ন্১ট্ব্ল ,ণ্হ্১ পু>:ণ্ ’০শু১
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম রাখলেন আমর ৷ প্রথমে তার নাম ছিল জুআঈল ৷ এক সময় সে
ফকীর মিসকীন ও অভাবীদের সাহায্যকারী ছিল ৷
কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে ওার৷ যখন আম র৷ ণ্৷ উচ্চারণ করতেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও
তাদের সাথে আমরান উচ্চারণ করতেন ৷ তারা যখন যাহরান” উচ্চারণ করতেন তখন তিনিও
“যাহরান” উচ্চারণ করতেন ৷
بِهِ سَلْمَانُ. قَالَ الطَّبَرِيُّ وَالسُّهَيْلِيُّ: أَوَّلُ مَنْ حَفَرَ الْخَنَادِقَ مِنُوشِهْرُ بْنُ إِيرَجَ بْنِ أَفْرِيدُونَ، وَكَانَ فِي زَمَنِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَعَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْغِيبًا لِلْمُسْلِمِينَ فِي الْأَجْرِ، وَعَمِلَ فِيهِ الْمُسْلِمُونَ، وَتَخَلَّفَ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ يَعْتَذِرُونَ بِالضَّعْفِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْسَلُّ خُفْيَةً بِغَيْرِ إِذْنِهِ وَلَا عِلْمِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي ذَلِكَ قَوْلَهُ تَعَالَى: {إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَإِذَا كَانُوا مَعَهُ عَلَى أَمْرٍ جَامِعٍ لَمْ يَذْهَبُوا حَتَّى يَسْتَأْذِنُوهُ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَكَ أُولَئِكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ فَإِذَا اسْتَأْذَنُوكَ لِبَعْضِ شَأْنِهِمْ فَأْذَنْ لِمَنْ شِئْتَ مِنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمُ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ لَا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنْكُمْ لِوَاذًا فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ أَلَا إِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قَدْ يَعْلَمُ مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ وَيَوْمَ يُرْجَعُونَ إِلَيْهِ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوا وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ} [النور: 62]
(النُّورِ: 62 64) قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَعَمِلَ الْمُسْلِمُونَ فِيهِ حَتَّى أَحْكَمُوهُ، وَارْتَجَزُوا فِيهِ بِرَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: جُعَيْلٌ. سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرًا، فَقَالُوا فِيمَا يَقُولُونَ:
পৃষ্ঠা - ২৮৭৬
বুখারী (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ আনাস (বা) সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) পরিখ৷ এলাকায় গমন করলেন ৷ তিনি সেখানে দেখতে পেলেন যে, শীতকালের ভোর
বেলায় আনসার ও মুহাজিরগণ পরিখ৷ খনন করছেন ৷ র্তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করে দেয়ার মত
কোন দাস র্তাদের ছিল না ৷ র্তাদের দুঃখ কষ্ট ও ক্ষুধা দেখে তিনি দুআ করে বললেন,
হে আল্লাহ ! আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন ৷ আপনি আনস৷ র ও মুহাজিরদেরকে ক্ষমা
করে দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দৃআর জবাবে র্তারা বললেন ঘ্র
আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে বায় আত করেছি এবং মঙ্গীকার করেছি যে যত দিন বেচে
থাকর জিহ৷ ৷দ করেই যাব ৷
সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে শুব৷ আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত আছে ৷
ইমাম মুসলিম (র) হাম্মাদ আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র)
বলেছেন, আবুমামার আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, মদীনার সীমানায়
আনসার ও মৃহাজিরগণ পরিখ৷ খনন করছিলেন, নিজেদের পিঠে করে তারা মাটি বহন করছিলেন,
এবং এ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :
া’;টু’৷ ৷ৰু,ট্রু;ঠুাট্রু ট্রু,ট্রু;এ ৷ ;,শ্ট্রু
আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে বায় আত করেছি এ বিষয়ে যে য়৩ তদিন বেচে থাকি
ইসলামের পথে অবিচল ও অটল থাকর ৷
তাদের কবিতার জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
ণ্
স্পোা৷৷ ৷
বর্ণনাকা বী বলেন, পরিখ৷ খননের এই কষ্টময় সময়ে র্তাদের খাদ্য হিসেবে আজলা ভরে য়ব
আনা হতে৷ আর দুর্গন্ধযুক্ত চর্বি মিশি ৷য়ে তা দিয়ে তাদের জন্যে খাদ্য তৈরী করা হত ৷ সেই স্বল্প
পরিমাণ খাদ্য র্ত৷ ৷দের সম্মুখে রাখা হত ৷ অথচ তারা সকলে তখন অভুক্ত তদুপরি ওই খাদ্য গলায়
আটকে যেত এবং ৷দুর্গন্ধময়ও ছিল ৷
বুখারী বলেন, কুতায়ব৷ ইবন সাঈদ সাহ্ল ইবন সাদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে খন্দকের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম ৷ মুসলিম মুজাহিদগণ
পরিখ৷ খনন করছিল ৷ আমরা কাধে বয়ে মাটি সরাচ্ছিলাম ৷ এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন :
ইমাম মুসলিম (রা) কানবী সুত্রে আবদুল আযীয থেকে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
سَمَّاهُ مِنْ بَعْدِ جُعَيْلٍ عَمْرًا ... وَكَانَ لِلْبَائِسِ يَوْمًا ظَهْرَا
«وَكَانُوا إِذَا قَالُوا عَمْرَا. قَالَ مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَمْرَا " وَإِذَا قَالُوا: ظَهْرَا. قَالَ لَهُمْ: " ظَهْرَا ".» .
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ حُمَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسًا، قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْخَنْدَقِ، فَإِذَا الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ فِي غَدَاةٍ بَارِدَةٍ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ عَبِيدٌ يَعْمَلُونَ ذَلِكَ لَهُمْ، فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنَ النَّصَبِ وَالْجُوعِ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّ الْعَيْشَ عَيْشُ الْآخِرَةِ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ فَقَالُوا مُجِيبِينَ لَهُ:
نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدًا ... عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِينَا أَبَدَا
» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَهُ وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ بِنَحْوِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৭৭
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: جَعَلَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ حَوْلَ الْمَدِينَةِ وَيَنْقُلُونَ التُّرَابَ عَلَى مُتُونِهِمْ، وَيَقُولُونَ:
نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدًا ... عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِينَا أَبَدَا
قَالَ: يَقُولُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجِيبُهُمْ: «اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَةِ، فَبَارِكْ فِي الْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ» قَالَ: يُؤْتَوْنَ بِمِلْءِ كَفِّي مِنَ الشَّعِيرِ، فَيُصْنَعُ لَهُمْ بِإِهَالَةٍ سَنِخَةٍ تُوضَعُ بَيْنَ يَدَيِ الْقَوْمِ وَالْقَوْمُ جِيَاعٌ، وَهِيَ بَشِعَةٌ فِي الْحَلْقِ، وَلَهَا رِيحٌ مُنْتِنٌ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخَنْدَقِ، وَهُمْ يَحْفِرُونَ، وَنَحْنُ نَنْقُلُ التُّرَابَ عَلَى أَكْتَادِنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُمَّ لَا عَيْشَ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ২৮৭৮
বুখারী বলেছেন, মুসলিম ইবন ইব্রাহীম বার৷ ইবন আযিব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে খন্দক যুদ্ধে মাটি সরিয়েছেন ৷ তাতে তার পবিত্র পেটও
ধুলায়িত হয়ে পড়ে ৷ তিনি তখন নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :
া৷;া৷;১ ৰুাট্রু ৷ছুট্রুব্রা৷;; ৰুাট্রু — ৷ছুপু ট্ট্রুর্দুণ্ড্রাট্রু হুদু৷ ৷ রুাটু৷ «fl ৷)
আল্লাহর কসম , আল্লাহ্র দয়া না থাকলে আমরা হিদায়াত ণ্পতাম না ৷ আমরা সাদকাও
করতাম না ৷ নামাযও পড়তাম না ৷
া৷াৰু৷ ১৷ ব্লুা৷দ্বুরু৷ পুাদ্বু;া৷
হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করুন এবং আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি
হব, তখন আমাদেরকে সুদৃঢ় ও অবিচল রাখুন :
র্চুটু প্রুৰু৷ ৰুৰুৰুন্ ; ৷র্টুা৷ৰু৷ ৷ট্র৷ ৷ৰুং “: ৷ৰু;ছু;ঠু ংাছুন্ ষ্’া’১া৷ , ৷
হে আল্লাহ ! শত্রুরা আমাদের প্ৰতি সীমালং ×ঘন করেছে ৷ ওরা যখনই কোন ফিতনা ফাসাদ
সৃষ্টির চেষ্টা ৷করেছে তখনই আমরা তা প্রতিরোধ করি ৷ প্ৰ৩ ৷৷খ্যান করি ৷ রাসুলুলুড়াহ্ (সা) ৷ ৷
শব্দ উচ্চারণ করার সময় উচ্চস্বরে ৷ ৷ ৷ ৷ বলছিলেন ৷ মুসলিম (র) ওশু বা সুত্রে এ
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷
এরপর ইমাম বুখারী (র) বলেছেন, আহমদ ইবন উছমান প্রমুখ এবং বাবা (রা) থেকে, বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ খনন করেছিলেন ৷ আমি
তাকে দেখেছি যে, তিনি পরিখার মাটিগুলে৷ অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এক পর্যায়ে এমন হল যে,
মাটির আবরণে তীর পবিত্র পেটের চামড়া ঢেকে গেল ৷৩ তার শরীরে প্রচুর সোম ছিল ৷ আমি
শুনেছি, তিনি মাটি বহন করেছিলেন আর আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ বিরচিত এই কবিতা পা ৷ঠ
করছিলেন :
ৰুা”,৷ ন্বুা৷া
শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্
এখুবু)
বায়হার্কী (র) তার৷ দাল লাইল গ্রন্থে বলেছেন, আ ৷লী ইবন আহমদ সালমান (বা) থকে
বর্ণনা করেন ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (সা ) পরিখ৷ খননে অংশ গ্রহণ করেন এবং তখন তিনি এ কবিতা আবৃত্তি
করেছেন :
া
শ্০শ্শ্ ণ্শ্০ :
আরম্ভ করছি আল্লাহর নামে ৷ তার দয়ায় আমরা হিদায়াত পেয়েছি ৷ আমরা যদি তাকে ছাড়া
অন্য কারো ইরাদত করতাম তবে নিঃসন্দেহে আমরা হতভাপ্য হয়ে যেতাম ৷
عَيْشُ الْآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْقُلُ التُّرَابَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى أَغْمَرَ بَطْنَهُ - أَوِ اغْبَرَّ بَطْنُهُ - يَقُولُ:
وَاللَّهِ لَوْلَا اللَّهُ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا
فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا
إِنَّ الْأُلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا ... إِذَا أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا
وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ: " أَبَيْنَا أَبَيْنَا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ.
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ يُحَدِّثُ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْأَحْزَابِ وَخَنْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَأَيْتُهُ يَنْقُلُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৯
تُرَابِ الْخَنْدَقِ حَتَّى وَارَى عَنِّي التُّرَابُ جِلْدَةَ بَطْنِهِ، وَكَانَ كَثِيرَ الشِّعْرِ، فَسَمِعْتُهُ يَرْتَجِزُ بِكَلِمَاتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ، وَهُوَ يَنْقُلُ مِنَ التُّرَابِ يَقُولُ:
اللَّهُمَّ لَوْلَا أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا
فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا
إِنَّ الْأُلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا ... وَإِنْ أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا
ثُمَّ يُمَدُّ صَوْتَهُ بِآخِرِهَا» .
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْفَضْلِ الْبَلْخِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُسَيَّبُ بْنُ شَرِيكٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرَبَ فِي الْخَنْدَقِ وَقَالَ:
بِسْمِ اللَّهِ وَبِهِ هُدِينَا وَلَوْ عَبَدْنَا غَيْرَهُ شَقِينَا يَا حَبَّذَا رَبًّا وَحَبَّ دِينًا» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৮০
আহ ৷ কতই না ভাল প্রভু ! আহ! কতই না ভাল দীন ৷ এই সনদের এটি একক বর্ণনা ৷ ইমাম
আহমদ বলেন, সুলায়মান হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুজাহিদগণ পরিখা
খনন করছিল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন :
হু;ড্রুপ্রুঢু,পুৰুদ্বু৷ ৷, ,শু>৷ ৷ ৰু ৷ “ ঢু; ;,গ্রা৷ ;;; ছু৷ র্বৃ,টু ; ন্৷ ট্রুচুৰুা৷া
হে আল্লাহ! পরকালের কল্যাণ ব্যতীত প্রকৃত কোন কল্যাণ (নই ৷ আপনি আনসার ও
মুহড়াজিরদেরকে পরিংত্তদ্ধ করে দিন ৷ বুখারী ও মুসলিম তাদের সহীহ গ্নন্থদ্বয়ে এ হাদীছটি গুনদার
সুত্রে শুবা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, পরিখা খননকালে এমন কতক ঘটনা ঘটেছে বলে আমার নিকট হড়াদীছ
পৌছেছে যে ঘটনাওলাের মধ্যে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷ষ্ণ্ক্ষথীয় বিষয় রয়েছে ৷ সে ঘটনা
গুলোতে প্রমাণ রয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সত্যায়নের এবং তার নুবুওয়াতের যথার্থতার ৷
উপস্থিত মুসলমানগণ ওহী সব ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন ৷ তার একটি এই হযরত জাবির (রা )
বর্ণনা করেছেন যে, একটি পরিখা খনন করার সময় তারা একটি কঠিন শিলা খন্ডের মুখোমুখি
হন ৷ কোন কুঠার ও শাবল দ্বারা তা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না ৷ তারা বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
জানালেন ৷ তিনি এক পাত্র পানি আনতে বললেন ৷ তিনি ওই পানিতে তার পবিত্র মুখের থু থু
মিশিয়ে তারপর দৃআ করলেন ৷ তারপর ওই পাথরে পানিটুকু ছিটিয়ে দিলেন ৷ সেখানে যারা
উপস্থিত ছিল তারা বলল যে, যে মহান সত্তা তাকে সত্য রাসুলরুপে প্রেরণ করেছেন তার কলম ,
ওইপাথর একেবারেই নরম হয়ে গেল ৷ এমনকি তা বালুর ঢিবিতে পরিণত হল ৷ তারপর আর
কোন কুঠার কিৎরা রেলচার আঘাত ব্যর্থ হয়নি ৷ ইবন ইসহাক এভাবে হযরত জাবির (রা) থেকে
সনদ ছাড়া এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী (র ) বলেছেন, খড়াল্লাদ ইবন ইয়াহ্য়া আয়মান সুত্রে বলেছেন যে, তিনি বলেন, আমি
হযরত জাবির (রা) এর নিকট এসেছিলাম ৷ তখন তিনি আমাকে বললেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিনে
আমরা পরিখা খনন করছিলাম ৷ আমাদের সামনে পড়ল একটি কঠিন শিলাখণ্ড ৷ লোকজন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে তাকে ঘটনা জানান ৷ তিনি বললেন, আমি নিজে ওই পরিখড়াতে
নামব ৷ তিনি উঠলেন ৷ তার পেটে পাথর বাধা ছিল ৷ তিনদিন আমরা কোন খাবার খেতে পাইনি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) শাবল হাতে নিলেন ৷ তারপর ওই শিলাখণ্ডে আঘাত করলেন ৷ সেটি বালির ঢিবি
বালির স্তুপের ন্যায় হয়ে গেলে ৷ হযরত জাবির (রা) বলেন, আমি তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট আরয করলাম যে, আমাকে একটু বাড়ী যাবার অনুমতি দিন ৷ তিনি অনুমতি দিলেন ৷ বাড়ী
গিয়ে আমি আমার ত্রীকে বললাম, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এতই ক্ষুধার্ত ও করুণ অবস্থায়
দেখে এসেছি যে, আমি আর ধৈর্য ধারণ করতে পারছিলাম না ৷ তোমার নিকট কি কোন খাদ্য দ্রব্য
আছে ? সে বলল, আমার নিকট সামান্য বর ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে ৷ আমি ওটি যবাই
করলাম ৷ সে যবগুলো পিষে নিল ৷ আমরা পাতিলে গোশত ঢেলে রান্না চডিয়ে দিলাম ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এলাম ৷ তখন আটাগুলো পৃথক করার খামীরের পর্যায়ে ছিল এবং
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ، وَهُمْ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ: " اللَّهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَةِ فَأَصْلِحِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَةَ» " وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ فِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ أَحَادِيثُ بَلَغَتْنِي، فِيهَا مِنَ اللَّهِ تَعَالَى عِبْرَةٌ فِي تَصْدِيقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَحْقِيقِ نُبُوَّتِهِ، عَايَنَ ذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ؛ فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ «كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّهُ اشْتَدَّتْ عَلَيْهِمْ فِي بَعْضِ الْخَنْدَقِ كُدْيَةٌ، فَشَكَوْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ، فَتَفَلَ فِيهِ، ثُمَّ دَعَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهِ، ثُمَّ نَضَحَ الْمَاءَ عَلَى تِلْكَ الْكُدْيَةِ، فَيَقُولُ مَنْ حَضَرَهَا: فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ لَانْهَالَتْ حَتَّى عَادَتْ كَالْكَثِيبِ مَا تَرُدُّ فَأْسًا وَلَا مِسْحَاةً» هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعًا، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ২৮৮১
চুলার উপর পাতিলের গোশত রান্না হয়ে আসছিল ৷ আমি বললাম , ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! আমার
বাড়ীতে সামান্য খাবার আছে ৷ আপনি চলুন ৷ সাথে এক দু’জন লোক নেয়া যায় ৷ তিনি বললেন,
খাদ্যের পরিমাণ কতটুকু ? আমি পরিমাণ বললাম, তিনি বললেন, ভাল, ভাল , তড়াতে৷ অনেক
বেশী ৷ তুমি তোমার প্রীকে গিয়ে বল, আমি না আশা পর্যন্ত যেন চুলা থেকে পাতিল না নামায় আর
তন্দুর থেকে রুটি বের না করে ৷ এদিকে তিনি সবাইকে বললেন, চল , সকলে আস ৷ তাতে
মুহাজির এবং আনসার উপস্থিত সবাই যাত্রা করলেন ৷ হযরত জাবির (বা) তার শ্ৰীর নিকট গিয়ে
বললেন, হায় কপাল ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসার, মুহাজির এবং তাদের সাদুণ যারা আছে সবাইকে
নিয়ে যাত্রা করেছেন ৷ তার শ্রী বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলেন ?
আমি বললাম, হা জিজ্ঞেস করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সকলে সুশৃৎখঃলভাবে ভেতরে
প্রবেশ কর ৷ কোন প্রকারের হুড়ােহুড়ি না হয় ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহস্তে রুটি ভেঙ্গে তাতে
গোশত দিয়ে এক একজন করে দিতে লাগলেন ৷ একেক বার নেয়ার পর তিনি পাতিল ও চুলাে
ঢেকে রাখছিলেন ৷ এভাবে দিচ্ছিলেন আর ঢেকে রাখছিলেন ৷ রুটি ভেঙ্গে দিতে দিতে এবং
গােশতের পাতিল থেকে গোশত তুলে দিতে দিতে একে একে সকলের তৃপ্তি সহকারে খাওয়া
হয়ে গেল ৷ তবু কিছু খাবার অবশিষ্ট রয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা)-এর ন্তীকে বললেন,
এটা তুমি খাও এবং অন্যকে উপহার হিসেবে দাও ৷ কারণ, আশে পাশের লোকজন অভুক্ত আছে ৷
এই বর্ণনা ইমাম বুখারী (র) একাই উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র ) উকী জাবির
(রা) সুত্রে কঠিন শিলাখও এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পবিত্র পােট পাথর বাধার ঘটনা বর্ণনা
করেছেন ৷ বায়হাকী (র) দালাইল গ্রন্থে হাকিম জাবির (বা) সুত্রে কঠিন শিলাখণ্ড এবং
খাদ্য তৈরীরও পরিরেশনের ঘটনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ তার বংনািটি ইমাম বুখারী (র) এর বনাি
অপেক্ষা দীর্ঘ ও পুণঙ্গি ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে, খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে অবগত হবার পর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উপস্থিত সকল মুসলমানকে বললেন, সবাই জাবির (বা) এর বাড়ী চল ৷ সবাই
যাত্রা করলেন ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি তাতে এত বেশী লজ্জিত হয়ে পড়েছিলাম যা আল্লাহ
ছাড়া কেউ জানে না ৷ আমি মনে মনে বললাম , হায় ৷ আমার এক সা (৩৫ সের প্রায়) য়ব ও
একটি ছোট্ট বকরীর বাচ্চার তৈরী খাবারের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিরাট জামাত নিয়ে আসছেন ৷
আমি আমার শ্রীর নিকট গিয়ে বললাম , এবার তোমার লজ্জা পাওয়ার পালা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খন্দক
যুদ্ধে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে তোমার বাড়ীতে আসছেন ৷ শ্রী বলল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি আপনাকে
খাদ্যের পরিমাণ জিজ্ঞেস করেছেন ? আমি বললাম, হা, জিজ্ঞেস করেছেন ৷ সে বলল, তবে
আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন ৷ আমরা তো আমাদের নিকট যা আছে তা জানিয়ে দিয়েছি ৷
তার কথায় আমার প্রচন্ড দুশ্চিভার অবসান হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাড়ী এলেন ৷ আমার ত্রীকে
বললেন, তুমি রুটি পােশতের ব্যাপারটি আমার হাতে ছেড়ে দাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) রুটি ভেঙ্গে
ভেঙ্গে আর পাতিল থেকে গোশত তুলে তুলে দিচ্ছিলেন ৷ রুটি নেয়ার পর চুলা এবং গোশত
নেয়ার পর পাতিল ঢেকে রাখছিলেন ৷ তিনি এভাবে সবাইকে খাদ্য পরিবেশন করছিলেন ৷ এক
পর্যায়ে সবারই তৃপ্তির সাথে খাওয়া শেষ হল ৷ চুলা ও পাতিলে শুরুতে যা খাবার ছিল এখন তার
চাইতে আরো বেশী অবশিষ্ট থাকল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা ) এর ত্রীকে বললেন, এবার তু
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَتَيْتُ جَابِرًا فَقَالَ: إِنَّا يَوْمَ الْخَنْدَقِ نَحْفِرُ، فَعَرَضَتْ كَيْدَةٌ شَدِيدَةٌ، فَجَاءُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: هَذِهِ كُدْيَةٌ عَرَضَتْ فِي الْخَنْدَقِ. فَقَالَ: «أَنَا نَازِلٌ " ثُمَّ قَامَ وَبَطْنُهُ مَعْصُوبٌ بِحَجَرٍ، وَلَبِثْنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا نَذُوقُ ذَوَاقًا، فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِعْوَلَ فَضَرَبَ، فَعَادَ كَثِيبًا أَهْيَلَ أَوْ أَهْيَمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي إِلَى الْبَيْتِ. فَقُلْتُ لِامْرَأَتِي: رَأَيْتُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مَا كَانَ فِي ذَلِكَ صَبْرٌ، فَعِنْدَكِ شَيْءٌ؟ قَالَتْ: عِنْدِي شَعِيرٌ وَعَنَاقٌ. فَذَبَحَتِ الْعَنَاقَ، وَطَحَنَتِ الشَّعِيرَ، حَتَّى جَعَلْنَا اللَّحْمَ فِي الْبُرْمَةِ، ثُمَّ جِئْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْعَجِينُ قَدِ انْكَسَرَ، وَالْبُرْمَةُ بَيْنَ الْأَثَافِيِّ قَدْ كَادَتْ أَنْ تَنْضَجَ، فَقُلْتُ: طُعَيِّمٌ لِي، فَقُمْ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَجُلٌ أَوْ رَجُلَانِ. قَالَ: " كَمْ هُوَ؟ " فَذَكَرْتُ لَهُ، فَقَالَ: " كَثِيرٌ طَيِّبٌ، قُلْ لَهَا لَا تَنْزِعِ الْبُرْمَةَ وَلَا
পৃষ্ঠা - ২৮৮২
الْخُبْزَ مِنَ التَّنُّورِ حَتَّى آتِيَ ". فَقَالَ: " قُومُوا " فَقَامَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ قَالَ: وَيْحَكِ، جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَمَنْ مَعَهُمْ. قَالَتْ: هَلْ سَأَلَكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَ: " ادْخُلُوا وَلَا تَضَاغَطُوا " فَجَعَلَ يَكْسِرُ الْخُبْزَ، وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ، وَيُخَمِّرُ الْبُرْمَةَ وَالتَّنُّورَ إِذَا أَخَذَ مِنْهُ، وَيُقَرِّبُ إِلَى أَصْحَابِهِ، ثُمَّ يَنْزِعُ، فَلَمْ يَزَلْ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوا، وَبَقِيَ بَقِيَّةٌ، قَالَ: " كُلِي هَذَا وَأَهْدِي، فَإِنَّ النَّاسَ أَصَابَتْهُمْ» مَجَاعَةٌ تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ أَيْمَنَ الْحَبَشِيِّ مَوْلَى بَنِي مَخْزُومٍ، عَنْ جَابِرٍ بِقِصَّةِ الْكُدْيَةِ وَرَبْطِ الْحَجَرِ عَلَى بَطْنِهِ الْكَرِيمِ.
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ بِقِصَّةِ الْكُدْيَةِ وَالطَّعَامِ، وَطُولُهُ أَتَمُّ مِنْ رِوَايَةِ الْبُخَارِيُّ؛ قَالَ فِيهِ: «لَمَّا عَلِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِقْدَارِ الطَّعَامِ قَالَ لِلْمُسْلِمِينَ جَمِيعًا: " قُومُوا إِلَى جَابِرٍ " فَقَامُوا، قَالَ: فَلَقِيتُ مِنَ الْحَيَاءِ مَا لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ، وَقُلْتُ: جَاءَ بِالْخَلْقِ عَلَى صَاعٍ مِنْ شَعِيرٍ وَعَنَاقٍ! وَدَخَلْتُ عَلَى امْرَأَتِي أَقُولُ: افْتَضَحْتِ؛ جَاءَكِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২৮৮৩
নিজে খাও এবং প্রতিবেশীদেরকে হাদিয়া স্বরুপ দাও ৷ সে দিন পুর্ণ দিবস সে নিজে থেয়েছে এবং
প্রতিবেশীদেরকে দান করেছে ৷
আবু বকর ইবন আবু শায়বা হযরত জাবির সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ সেটি
আরো দীর্ঘ ওই হাদীছের শেষ দিকে আছে যে, তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তার বাড়ীতে
উপস্থিত মুজাহিদদের সংখ্যা ৮০০; অথচ তিনি বলেছেন ৩০ : ৷ ইউনুস ইবন বুকায়র
জাবির (রা) সুত্রে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি খাবার সম্পর্কিত হাদীছটি উল্লেখ করেছেন ৷
তিনি উদ্ধৃত করেছেন যে, উপস্থিত লোকজনের সংখ্যা ছিল ৩০০ ৷
এরপর ইমাম বুখাবী (র) বলেছেন, আমর ইবন আলী জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)
সুত্রে বলেছেন, পবিখা যখন খনন করা হচ্ছিল তখন আমি রাসুলুল্লহ্ (সা) এর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষুধার
আলামত দেখতে প ই ৷ আ ৷মি আমার ত্রীর নিকট ফিরে আসি ৷ আমি তাকে বলি “ তামার নিকট
কি কোন খাবার আছে ? আমি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত অবস্থায় রেখে এসেছি ৷ সে
আমাকে একটি থলে বের করে দিল ৷৩ তার মধ্যে ছিল এক স৷ ৷ ৩ ৫ সের প্রায়) যব ৷ আর
আমাদের একটি ছোট্ট বকরী ছিল ৷ আমি বকরীটি যবাই করে দিলাম ৷ সে যবগুলে৷ পষে আটা
বানিয়ে নিল ৷ সে তার কাজ শেষ করল, আমি আমার কাজ শেষ করলাম ৷ বকরীর গোশত কেটে
আমি পাতিলে রাখলাম ৷ত তারপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম ৷ শ্রী বলল,
দেখুন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাথে যারা আছেন সবাইকে এনে আমাকে লজ্জা দিবেন না ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট এলাম ৷ তার কানে কানে রললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমাদের
এক সা পরিমাণ যব ছিল ৷ সেগুলো আমরা গিয়েছি ৷ ছোট্ট একটা বকরী ছিল ৷ সেটি যবাই
করেছি ৷ আপনি অল্প কয়েকজন লোক নিয়ে যেহেরবানী করে আসুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উচ্চস্বরে
সবাইকে ডেকে বললেন, হে খন্দকে উপস্থিত লোকজন ! জাবির (রা) তোমাদের জন্যে খাবার
তৈরী করেছে ৷ সুতরাং তোমরা সকলে চল ৷ তিনি আমাকে বললেন যে, আমি না আসা পর্যন্ত
তোমরা চুলার উপর থেকে পাতিল নামারে না এবং খামার দিয়ে রুটি বানাবে না ৷
আমি আমার বাড়ীতে এলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকজন নিয়ে এসে পৌছলেন ৷ আমি আমার
ত্রীর নিকট উপস্থিত হলাম ৷ সে আমাকে দোষারুপ করে বলল, আপনি কী করলেন ? আমি
বললাম, তুমি যেভাবে বলতে বলেছিলে আমি সেভ৷ ৷রেই বলেছি ৷ সে আ টা৷গুলো বের করে দিল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার মধ্যে পবিত্র মুখের লাল৷ মিশিয়ে দিলেন এবং বরকওে র দৃ আ করলেন ৷
তারপর গোশতের পাতিলে লাল৷ মিশিয়ে বরকতের দু আ করলেন ৷ত তারপর বললেন, রুটি
বানাতে পারদর্শী একজন লোক ডেকে আন ৷ সে তোমার সাথে রুটি বানাবে ৷ আর তুমি প৷ ৷তিল
থেকে (পয়ালা ভর্তি করে গোশত ৩পরিবেশন করবে ৷ পাতিল কিন্তু চুলা থেকে নামাবে না ৷ তারা
ছিলেন ১০০০ জন, জ বিব (বা) বলেন, আমি কসম করে বলছি তারা সকলেই থেয়েছিলেন ৷
সবাই চলে যাওয়ার পরও ওই পাতিলে পুর্বের মত ই গোশত টগবগ করছিল ৷ আর আমাদের
আটাও ওে তমনি থা কল, যেমনটি পুর্বে ছিল ৷
ইমাম মুসলিম (বা) এই হাদীছ হাজ্জা জ ইবন শাইর সুত্রে আবু আসিম থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এই হাদীছটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে কোন কোন বিষয়ে তিনি
بِالْخَنْدَقِ أَجْمَعِينَ. فَقَالَتْ: هَلْ كَانَ سَأَلَكَ كَمْ طَعَامُكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ فَقَالَتْ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: فَكَشَفَتْ عَنِّي غَمًّا شَدِيدًا. قَالَ: فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " خُذِي وَدَعِينِي مِنَ اللَّحْمِ ". وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَثْرُدُ وَيَغْرِفُ اللَّحْمَ، ثُمَّ يُخَمِّرُ هَذَا وَيُخَمِّرُ هَذَا، فَمَا زَالَ يُقَرِّبُ إِلَى النَّاسِ حَتَّى شَبِعُوا أَجْمَعِينَ، وَيَعُودُ التَّنُّورُ وَالْقِدْرُ أَمْلَأَ مَا كَانَا، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كُلِي وَأَهْدِي " فَلَمْ تَزَلْ تَأْكُلُ وَتُهْدِي يَوْمَنَا أَجْمَعَ» .
وَقَدْ رَوَاهُ كَذَلِكَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُحَارِبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، بِهِ، وَأَبْسَطَ أَيْضًا، وَقَالَ فِي آخِرِهِ: وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُمْ كَانُوا ثَمَانِمِائَةٍ أَوْ قَالَ: ثَلَاثَمِائَةٍ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ بِطُولِهَا فِي الطَّعَامِ فَقَطْ، وَقَالَ: وَكَانُوا ثَلَاثَمِائَةٍ.
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ «: لَمَّا حُفِرَ الْخَنْدَقُ رَأَيْتُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمَصًا فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأَتِي، فَقُلْتُ: هَلْ عِنْدَكِ شَيْءٌ؟ فَإِنِّي رَأَيْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمَصًا شَدِيدًا.
পৃষ্ঠা - ২৮৮৪
একক বর্ণনাকারী হয়ে গিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, সাঈদ ইবন মীনা হাদীছ বর্ণনা করেছেন জাবির
ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে খন্দকের যুদ্ধে
অংশ নিয়ে পরিখ৷ খনন করছিলাম ৷ আমার একটি ছোট্ট ক্ষীণকায় বকরী ছিল ৷ আমি মনে মনে
বললাম, যদি এটি দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর জন্যে একটু খাবার তৈরী করতে পারতাম তবে
ভালই হত ৷ আমি আমার ত্রীকে নির্দেশ দিলাম ৷ যে আমাদের জন্যে কিছু য়ব পিয়ে নিল ৷ তা
দিয়ে আমাদের জন্যে রুটি তৈরী করল ৷ আমি বকরীটি য়বাই করলাম ৷ যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
জন্য ভাজ৷ করে নিল ৷ সন্ধ্য৷ হয়ে এল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাড়ী ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন ৷
জাবির (বা) বলেন, তখন আমরা দিনভর পরিখ৷ খনন করতাম ৷ আর সন্ধ্য৷ হলে বাড়ী ফিরে
যেতাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমলের ছোট্ট একটি বকরী
ছিল, আমরা সেটি দিয়ে আপনার জন্যে একটু খাবারের ব্যবস্থা করেছি ৷ সাথে যবের অল্প কয়টা
রুটিরও ব্যবস্থা রয়েছে ৷ আমি আশা করছি যে, আপনি আমার সাথে অমাদের বাড়ী যাবেন ৷
জাবির (বা) বলেন, আমি মনে করেছিলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা ) একাই আমার সঙ্গে আসবেন ৷ কিন্তু
আমি যখন তাকে একথা বললাম , তখন তিনি বললেন, হা, মার এবং তিনি জনৈক ঘোয়ককে
ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ সে চীৎকার করে ঘোষণা দিচ্ছিল যে, আপনারা সকলে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর বাড়ী চলুন ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি তখন
“ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন” পাঠ করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা ) এলেন ৷ তার সাথে
সকলেই এলেন ৷ তিনি বসলেন ৷ আমরা খাবারগুলো তার সম্মুখে উপস্থিত করলাম ৷ তিনি
বরকরুতর দুআ করলেন ৷ ৰিসৃমিল্লাহ্ পাঠ করলেন ৷ তারপর নিজে খেলেন এবং লোকজনকে
খাবার দিতে লাগলেন ৷ একদলের খাওয়া শেষ হলে৩ তারা চলে মাচ্ছিল ৷ অপর দল আসছিল ৷
অবশেষে খন্দক যুদ্ধে মারা ৷ই উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই খ৷ ৷ওয়৷ দাওয়৷ করে বিদায় নিলেন ৷
এটি অবাক ব্যাপার যে, ইমাম আহমদ (র) এটি সাঈদ ইবন মীন৷ জাবির (বা) সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, সাঈদ ইবন মীন৷ বলেছেন যে , তিনি
হাদীছ গুনেছেন যে, বাশীর ইবন সাদের কন্যা যিনি নুমান ইবন বাশীরের বোন ছিলেন ৷ তিনি
বলেছেন, আমার মা আমরাহ্ বিনৃত বাওয়াহা ৷ আমাকে ডেকে আমার কাপড়ে দুযুঠে৷ খেজুর দিয়ে
বললেন, প্রিয় কন্যা ! তুমি এগুলো নিয়ে তোমার বাবা ও মামা আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহার নিকট
যাও ৷ এগুলো দিয়ে তারা খ৷ ৷রারের কা জ সেরে নিবেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন আমি ওগুলো নিই এবং
তাদের উদ্দেশ্যে৷ মাত্র ত্রাকরি ৷ পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথে আমার দেখা হয় ৷ আমি আমার বাবা
ও মামাকে খুজছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, এই যে, ছোট্ট যেয়ে, এদিকে আস, তোমার
সাথে কী ? আ ৷মি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! এটি খেজুর, আমার মা এগুলো পাঠিয়েছেন আমার
পিতা বাশীর ইবন সা দ এবং আমার মামা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহার জন্যে ৷৩ তাবা এগুলো দিয়ে
নাশত৷ সেরে নিবেন ৷ তিনি বললেন, এগুলো আমাকে দাও ৷ আ৩মি ৩র পবিত্র হাতের দু তালুতে
তা ঢেলে দিলাম ৷ তাতে তার আজলা তরেনি ৷ তিনি একটি কাপড় আনতে নির্দেশ দিলেন ৷
কাপড়টি বিছানাে হল ৷৩ তারপর তিনি কাপড়ের উপর থেজুরগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলেন ৷ সেগুলো
কাপড়ের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল৷ তারপর জনৈক ব্যক্তিকে বললেন খন্দকের যুদ্ধে উপস্থিত
সকলকে ডেকে বল যেন সব৷ ৷ই নাশত৷ খেতে আসে ৷ সব ই তার নিকট সমবেত হলেন ৷ সকলে
فَأَخْرَجَتْ إِلَيَّ جِرَابًا فِيهِ صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ، وَلَنَا بُهَيْمَةٌ دَاجِنٌ فَذَبَحْتُهَا، وَطَحَنَتْ، فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغِي، وَقَطَّعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا، ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: لَا تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِمَنْ مَعَهُ. فَجِئْتُهُ فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ذَبَحْنَا بُهَيْمَةً لَنَا، وَطَحَنَّا صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ كَانَ عِنْدَنَا، فَتَعَالَ أَنْتَ وَنَفَرٌ مَعَكَ. فَصَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا أَهْلَ الْخَنْدَقِ إِنَّ جَابِرًا قَدْ صَنَعَ سُورًا، فَحَيَّ هَلًا بِكُمْ " فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ، وَلَا تَخْبِزُنَّ عَجِينَكُمْ حَتَّى أَجِيءَ ". فَجِئْتُ، وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْدُمُ النَّاسَ، حَتَّى جِئْتُ امْرَأَتِي فَقَالَتْ: بِكَ وَبِكَ. فَقُلْتُ: قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي قُلْتِ. فَأَخْرَجَتْ لَنَا عَجِينًا، فَبَصَقَ فِيهِ وَبَارَكَ، ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنَا فَبَصَقَ وَبَارَكَ، ثُمَّ قَالَ: " ادْعُ خَبَّازَةً فَلْتَخْبِزْ مَعَكِ، وَاقْدَحِي مِنْ بُرْمَتِكُمْ وَلَا تُنْزِلُوهَا ". وَهُمْ أَلْفٌ، فَأَقْسَمَ بِاللَّهِ لَقَدْ أَكَلُوا حَتَّى تَرَكُوهُ وَانْحَرَفُوا، وَإِنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ، وَإِنَّ عَجِينَنَا لَيُخْبَزُ كَمَا هُوَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ الشَّاعِرِ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، بِهِ نَحْوَهُ.
পৃষ্ঠা - ২৮৮৫
وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ، وَفِي سِيَاقِهِ غَرَابَةٌ مِنْ بَعْضِ الْوُجُوهِ، فَقَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «عَمِلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخَنْدَقِ، وَكَانَتْ عِنْدِي شُوَيْهَةٌ غَيْرُ جِدِّ سَمِينَةٍ، قَالَ: فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَوْ صَنَعْنَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَأَمَرْتُ امْرَأَتِي فَطَحَنَتْ لَنَا شَيْئًا مِنْ شَعِيرٍ، فَصَنَعَتْ لَنَا مِنْهُ خُبْزًا، وَذَبَحْتُ تِلْكَ الشَّاةَ فَشَوَيْنَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَمْسَيْنَا وَأَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الِانْصِرَافَ عَنِ الْخَنْدَقِ، قَالَ: وَكُنَّا نَعْمَلُ فِيهِ نَهَارًا، فَإِذَا أَمْسَيْنَا رَجَعْنَا إِلَى أَهَالِينَا. قَالَ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ صَنَعْتُ لَكَ شُوَيْهَةً كَانَتْ عِنْدَنَا، وَصَنَعْنَا مَعَهَا شَيْئًا مِنْ خُبْزِ هَذَا الشَّعِيرِ، فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تَنْصَرِفَ مَعِي إِلَى مَنْزِلِي. قَالَ: وَإِنَّمَا أُرِيدُ أَنْ يَنْصَرِفَ مَعِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحْدَهُ قَالَ: فَلَمَّا أَنْ قُلْتُ ذَلِكَ قَالَ: " نَعَمْ " ثُمَّ أَمَرَ صَارِخًا فَصَرَخَ أَنِ انْصَرَفُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَيْتِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ. قَالَ: قُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. قَالَ: فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقْبَلَ النَّاسُ مَعَهُ، فَجَلَسَ وَأَخْرَجْنَاهَا إِلَيْهِ. قَالَ: فَبَرَّكَ وَسَمَّى اللَّهَ تَعَالَى ثُمَّ أَكَلَ، وَتَوَارَدَهَا النَّاسُ، كُلَّمَا فَرَغَ قَوْمٌ قَامُوا وَجَاءَ نَاسٌ، حَتَّى صَدَرَ أَهْلُ الْخَنْدَقِ عَنْهَا» وَالْعَجَبُ أَنَّ الْإِمَامَ أَحْمَدَ إِنَّمَا رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْهُ، عَنْ جَابِرٍ مِثْلَهُ سَوَاءً.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ أَنَّهُ قَدْ حُدِّثَ أَنَّ ابْنَةً
পৃষ্ঠা - ২৮৮৬
ওই কাপড়ের উপর থেকে যেতে শুরু করেন ৷ আর ওই খেজুর গুড়ার পরিমাণ ক্রমেই বাড়তে
থাকে ৷ এক পর্যায়ে সবাই তৃপ্তি সহকারে থেয়ে চলে যায় ৷ আর তখনও কাপড় থেকে থেজুরের
টুকরো ঝরে ঝরে পড়ছিল ৷ ইবন ইলহাক এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটির সনদে বিচ্ছিন্নতা
রয়েছে ৷ হাফিয বায়হাকী আপন সনদে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ রুন্ধ্রার্জিরক্ত কিছু বলেননি ৷
ইবন ইসহাক বলেন সালমান ফারসী (রা)-এর বরাস্তে আমার নিকট হাদীছ বর্ণনা করা
হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, পরিখ৷ এলাকার এক পাশে আমি একটি পরিখ৷ খনন করছিলম্মে ৷
আমার সামনে পড়ল একটি সুকঠিন পাথর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কাছেই ছিলেন ৷ তিনি যখন দেখলেন
যে, আমি শাবল মারছি আর ওই পাথরটি আমার জন্যে অতাত শক্ত ঠেকছে, তখন তিনি নেমে
এলেন এবং আমার হাত থেকে শাবল নিয়ে ওই পাথরে প্রচণ্ড এক আঘাত হানভ্রুড়াে ৷ তাতে
শাবলের নীচে থেকে ৰিজলীয় ন্যায় আলো ৰিচ্ছুবিত হয় ৷ ৷’ৰুন্-ন্;ান্ন্৷ পুনরায় শাবল মারলেন ৷ পুনরায়
আলো চমকাল ৷ তিনি তৃর্তীয়বার আঘাত করলেন ৷ তৃতীয়বার আলো চমকাল ৷ আমি বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমার বাপ-মা আপনার জন্যে কুরবান হোন , ওা৷পনি শারল মারছিলেন আর
আপনার শারলের নীচে আলো চমকাচ্ছিল, ওই আলো কিসের ন্ তিনি বললেন, হে সালমান ! তু
কি ওই আলো দেখতে (পয়েছ ? আমি বললাম, জী হী, দেখেছি ৷ তিনি বললেন, প্রথমরারে
আল্লাহ্ তাআলা ইয়ামান রাজেব্রর দরজা আমার জন্যে খুলে দিয়েছেন ৷ ২য় বারে সিরিয়া রাজেদ্বর
ও পশ্চিমা রাজেব্রর দরজা আমার জন্যে খুলে দিয়েছেন ৷ তৃতীয় বারে আল্লাহ্ তাআলা আমার
জন্যে পুর্বদেশীয় রাজ্যসমুহের দরজা খুলে দিয়েছেন ৷
বায়হাকী (র) বলেছেন যে, ইবন ইসহাক যা বলেছেন মুসা ইবন উকবা তার মাগাযী গ্রন্থে
তা-ই উল্লেখ করেছেন ৷ আবুআসওয়াদ এটি বর্ণনা করেছেন উরওয়৷ থেকে ৷ এরপর বায়হাকী ও
(র) মুহাম্মাদ ইবন ইউনুস কুদায়মী থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এই হাদীছের ৰিশুদ্ধতা
সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে ৷ ইবন জারীর এই হাদীছ তার ইতিহাস গ্রন্থে উদ্বুতে করেছেন মুহাম্মাদ ইবন
বাশৃশার ও গুনদার — ৷
আমর ইবন আওফ ঘুযানী সুত্রে ৷ ওই হাদীছে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) প্রতি দশজনের
জন্যে : : হাত করে পরিথা খননের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন ৷ হযরত সালমান ফারসীর
পরামর্শে পরিখ৷ খননের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তার মযদাি বৃদ্ধি পায় ৷ ঘুহাজিরপণ ও আনসারপণ হযরত
সালমান (রা) কে তাদের নিজ নিজ দলভুক্ত বলে দাবী করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ফায়সালা
দিয়ে বলেন, সালমান আমাদের আহলে বায়জ্জ্বক্ত ৷ আমর ইবন আওফ (বা) বলেন আমি
সালমান, হুযায়ফা, নৃমান ইবন মৃকাররিন এবং ছয়জন আনসারী মিলে : : হাত খননের দায়িতৃ
পাই ৷ আমরা পরিখা খনন করছিলাম ৷ প্রথম স্তরের পর আমরা যখন দ্বিতীয় স্তরে খনন করতে
শুরু করি তখন একটি সাদা চকচকে পাথর আমাদের সামনে পড়ে ৷ সেটিতে আঘাত করাতে
সালমান (বা) তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট যান ৷ তিনি তখন একটি তুর্কী তাবুত্তুত অবস্থান
করছিলেন ৷ তিনি র্তাকে ঘটনা জানালেন ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) নিজে এলে সালমান (র৷ ) এর হাত
থেকে শাবলটি নিয়ে ঐ পাথর খণ্ডে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করলেন ৷ পাথরটি ভেঙ্গে গোল এবং
لِبَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ أُخْتِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَتْ: دَعَتْنِي أُمِّي عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ، فَأَعْطَتْنِي حَفْنَةً مِنْ تَمْرٍ فِي ثَوْبِي، ثُمَّ قَالَتْ: أَيْ بُنَيَّةُ، اذْهَبِي إِلَى أَبِيكِ وَخَالِكِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ بِغَدَائِهِمَا. قَالَتْ: فَأَخَذْتُهَا وَانْطَلَقْتُ بِهَا فَمَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَلْتَمِسُ أَبِي وَخَالِي فَقَالَ: «تَعَالَيْ يَا بُنَيَّةُ، مَا هَذَا مَعَكِ؟ ". قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا تَمْرٌ بَعَثَتْنِي بِهِ أُمِّي إِلَى أَبِي بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ وَخَالِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ يَتَغَدَّيَانِهِ. فَقَالَ: " هَاتِيهِ ". قَالَتْ: " فَصَبَبْتُهُ فِي كَفَّيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا مَلَأَتْهُمَا، ثُمَّ أَمَرَ بِثَوْبٍ فَبُسِطَ لَهُ، ثُمَّ دَحَا بِالتَّمْرِ عَلَيْهِ، فَتَبَدَّدَ فَوْقَ الثَّوْبِ، ثُمَّ قَالَ لِإِنْسَانٍ عِنْدَهُ: " اصْرُخْ فِي أَهْلِ الْخَنْدَقِ أَنْ هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ ". فَاجْتَمَعَ أَهْلُ الْخَنْدَقِ عَلَيْهِ فَجَعَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْهُ، وَجَعَلَ يَزِيدُ، حَتَّى صَدَرَ أَهْلُ الْخَنْدَقِ عَنْهُ وَإِنَّهُ لَيَسْقُطُ مِنْ أَطْرَافِ الثَّوْبِ» هَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، وَهَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِهِ، وَلَمْ يَزِدْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَحُدِّثْتُ عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ أَنَّهُ قَالَ: «ضَرَبْتُ فِي نَاحِيَةٍ مِنَ الْخَنْدَقِ فَغَلُظَتْ عَلَيَّ صَخْرَةٌ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرِيبٌ مِنِّي، فَلَمَّا رَآنِي أَضْرِبُ وَرَأَى شِدَّةَ الْمَكَانِ عَلَيَّ، نَزَلَ فَأَخَذَ الْمِعْوَلَ مِنْ يَدِي فَضَرَبَ بِهِ ضَرْبَةً لَمَعَتْ تَحْتَ الْمِعْوَلِ بُرْقَةٌ ثُمَّ ضَرَبَ بِهِ ضَرْبَةً أُخْرَى فَلَمَعَتْ تَحْتَهُ بُرْقَةٌ أُخْرَى. قَالَ: ثُمَّ ضَرَبَ بِهِ الثَّالِثَةَ فَلَمَعَتْ بُرْقَةٌ أُخْرَى. قَالَ: قُلْتُ: بِأَبِي أَنْتَ
পৃষ্ঠা - ২৮৮৭
আঘাতের সাথে পাথর থেকে আলো ৰিচ্ছুরিত হয়ে মদীনায় দু’ পাহাড়ের মধ্যবর্তী অঞ্চল
আলোকিত করে ফেলল ৷ ওই আলো যেন অন্ধকার রাতের প্রদীপ্ত প্রদীপ ৷ এটা দেখে র ৷সুলুল্লাহ্
(সা) বিজয়ের তাকবীর ধ্বনি দিলেন ৷ মুসলমানগণওত তাকবীর দিয়ে উঠলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দ্বিতীয় বার আঘাত হানলেন ৷ তারপর তৃভীয়বার ৷ প্রতোকবারই অনুরুপ ঘটলাে ৷ সালমান ও
মুসলিমগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ওই আলোর রহস্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ উত্তরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, প্রথম আলোতে আমার নিকট স্পষ্ট দেখা দিাদুয়ছিল হীর৷ রাজোর প্রাসাদ
গুলো এবং পারস্যের শহরগুলো ৷ ওগুলো কুকুরের দীতের মত দেখাচ্ছিল ৷ জিবরাঈল (আ)
আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই অঞ্চল জয় করবে ৷ দ্বিতীয়বার আমার নিকট রোম
সাম্রাজ্যের লাল লাল প্রাসাদগুলো উদ্ভাসিত হয়েছিল ৷ সেগুলো মনে হচ্ছিল কুকৃরের র্দ৷ ৷তের ন্যায় ৷
জিবরাঈল (আ) আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই এলাকা ও জয় করবে ৷ত তভীয়বারের
আলোতে আমি দেখেছিলাম , সানআ রাজ্যের প্রাসাদগুলো ৷ সেগুলো কুকুরেব দাতের মত মনে
হচ্ছিল ৷ জিবরাঈল (আ) আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই অঞ্চলও জয় করবে ৷
সুতরাং সুসংবাদ গ্রহণ কর , খুশী হও ৷ এতে মুসলমানগণ পরম খুশী হন এবং তারা বলে উঠেন,
“আলহামৃদৃ লিল্লাহ্” এটি সত্য প্রতিশ্রুতি ৷
বর্ণনাকারী বলেন, সম্মিলিত শক্তিপক্ষ যখন কাছাকাছি এসে পৌছল তখন ঈমানদারগণ
বলল :
এটিতোত ৷-ই অ ৷ল্লাহ্ ও ত ৷র রাসুল বা ব প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ্ ও
ত৷ ৷র রাসুল সত্যই বলেছিলেন ৷ আর এতে তাদের ঈমা ৷ন ও আনুগ৩ তাই বৃদ্ধি পেয়েছিল ৷
তখন মুনাফিকগণ বলেছিল “তার কাগু দেখ, ইয়াছরিবে অবস্থান করে তিনি বলছেন যে,
তিনি হীর৷ রাজেদ্রর রাজ-প্রাসাদ ও পারস্য সাম্রাজেব্রর শহবগুলো দেখছেন আর ওইগুলো তোমরা
জয় করবে ৷ অথচ তোমরা এখন আত্মবক্ষার জন্যে খন্দক খুড়ছ ৷ বাইরে বের হয়ে মুকাবিলার
সাহস পাচ্ছ না ৷” ওদের এই বিরুপ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অ ৷ল্লাহ্ তাআল৷ নাযিল করলেন০ ং
০ ) fl
এ্পুব্লু
; : ’ )
মুনাফিকরা এবং যাদের অস্তরে ব্যাধি ছিল তারা বলছিল” আল্লাহ এবং তার রাসুল
আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রত৷ ৷রণ৷ ব্যতীত কিছুই নয় ৷ (৩৩ আহযাবং : ১২)
এটি একটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷
হাফিয আবুল কাসিম তাবারানী বলেন, হারুন ইবন মালুল আবদুল্লাহ ইবন আমব (রা)
থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিথা খননের নির্দেশ দিলেন ৷ মদীনায়
সীমানায় পরিথা খনন করা হচ্ছিল, সংশ্লিষ্ট খননকারিগণ বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা একটি
وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا الَّذِي رَأَيْتُ لَمَعَ تَحْتَ الْمِعْوَلِ وَأَنْتَ تَضْرِبُ؟ قَالَ: " أَوَ قَدْ رَأَيْتَ ذَلِكَ يَا سَلْمَانُ؟ " قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " أَمَّا الْأُولَى، فَإِنَّ اللَّهَ فَتَحَ عَلَيَّ بِهَا الْيَمَنَ، وَأَمَّا الثَّانِيَةُ، فَإِنَّ اللَّهَ فَتَحَ عَلَيَّ بِهَا الشَّامَ وَالْمَغْرِبَ، وَأَمَّا الثَّالِثَةُ، فَإِنَّ اللَّهَ فَتَحَ عَلَيَّ بِهَا الْمَشْرِقَ» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ قَدْ ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " وَذَكَرَهُ أَبُو الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ.
ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ يُونُسَ الْكُدَيْمِيِّ، وَفِي حَدِيثِهِ نَظَرٌ، لَكِنْ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ بُنْدَارٍ، كِلَاهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جِدِّهِ، فَذَكَرَ حَدِيثًا فِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَّ الْخَنْدَقَ بَيْنَ كُلِّ عَشَرَةٍ أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا. قَالَ: وَاحْتَقَّ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ فِي سَلْمَانَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَلْمَانُ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ " قَالَ عَمْرُو بْنُ عَوْفٍ: فَكُنْتُ أَنَا وَسَلْمَانُ وَحُذَيْفَةُ وَالنُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ وَسِتَّةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا، فَحَفَرْنَا
পৃষ্ঠা - ২৮৮৮
حَتَّى إِذَا بَلَغْنَا النَّدَى ظَهَرَتْ لَنَا صَخْرَةٌ بَيْضَاءُ مَرْوَةٌ، فَكَسَرَتْ حَدِيدَنَا وَشَقَّتْ عَلَيْنَا، فَذَهَبَ سَلْمَانُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ، فَأَخْبَرَهُ عَنْهَا، فَجَاءَ فَأَخَذَ الْمِعْوَلَ مِنْ سَلْمَانَ، فَضَرَبَ الصَّخْرَةَ ضَرْبَةً فَصَدَّعَهَا، وَبَرَقَتْ مِنْهَا بُرْقَةٌ أَضَاءَتْ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا - يَعْنِي الْمَدِينَةَ - حَتَّى كَأَنَّهَا مِصْبَاحٌ فِي جَوْفِ لَيْلٍ مُظْلِمٍ، فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَكْبِيرَ فَتْحٍ، وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ ثُمَّ ضَرَبَهَا الثَّانِيَةَ فَكَذَلِكَ، ثُمَّ الثَّالِثَةَ فَكَذَلِكَ وَذَكَرَ ذَلِكَ سَلْمَانُ وَالْمُسْلِمُونَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ النُّورِ، فَقَالَ: " لَقَدْ أَضَاءَ لِي مِنَ الْأُولَى قُصُورُ الْحِيرَةِ وَمَدَائِنُ كِسْرَى، كَأَنَّهَا أَنْيَابُ الْكِلَابِ، فَأَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ أُمَّتِي ظَاهِرَةٌ عَلَيْهَا، وَمِنَ الثَّانِيَةِ أَضَاءَتِ الْقُصُورُ الْحُمْرُ مِنْ أَرْضِ الرُّومِ، كَأَنَّهَا أَنْيَابُ الْكِلَابِ، وَأَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ أُمَّتِي ظَاهِرَةٌ عَلَيْهَا، وَمِنَ الثَّالِثَةِ أَضَاءَتْ قُصُورُ صَنْعَاءَ كَأَنَّهَا أَنْيَابُ الْكِلَابِ، وَأَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ أُمَّتِي ظَاهِرَةٌ عَلَيْهَا، فَأَبْشِرُوا ". وَاسْتَبْشَرَ الْمُسْلِمُونَ، وَقَالُوا: الْحَمْدُ لِلَّهِ، مَوْعُودٌ صَادِقٌ. قَالَ: وَلَمَّا طَلَعَتِ الْأَحْزَابُ قَالَ الْمُؤْمِنُونَ: {هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا} [الأحزاب: 22] وَقَالَ الْمُنَافِقُونَ: يُخْبِرُكُمْ أَنَّهُ يُبْصِرُ مِنْ يَثْرِبَ قُصُورَ الْحِيرَةِ وَمَدَائِنَ كِسْرَى، وَأَنَّهَا تُفْتَحُ لَكُمْ، وَأَنْتُمْ تَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ لَا تَسْتَطِيعُونَ أَنْ تَبَرَّزُوا؟! فَنَزَلَ فِيهِمْ:
পৃষ্ঠা - ২৮৮৯
পাথর পেয়েছি যে, আমরা তা ভাঙ্গতে পারছি না ওই জায়গায় খনন করতে পারছি না ৷ বাসুলুল্লাহ্
(সা) দীড়ালেন, আমরাও তীর সাথে দীড়ালাম , সেখানে এসে তিনি শাবল হাতে নিলেন ৷ তিনি
শাবল দ্বারা পাথবে সজােরে আঘাত করলেন এবং তাকবীর বলে উঠলেন ৷ আমি তখন এমন
একটি ভাঙ্গার শব্দ শুনলাম যা অতীতে কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, পারস্য সাম্রাজ্য বিজিত
হল ৷ তিনি দ্বিতীয় বার আঘাত করলেন এবং তাকবীর বললেন ৷ আমি এমন এক ভাঙ্গার শব্দ
শুনলাম যা অতীতে কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, রেড়ামক সাম্রাজ্য বিজিত হল ৷ তিনি তৃতীয়বার
আঘাত হানলেন এবং তাকবীর বললেন ৷ আমি এমন একটি ভাভ্রচ্চর শব্দ শুনলাম যা ইতিপুর্বে
কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা আলা হিম্য়ার গোত্রকে’ আমাদের সাহায্যকারী হিসেবে
মঞ্জুর করেছেন ৷ অবশ্য এই সনদের বিবেচনায় এটিও একটি গরীব বা একক রর্থাং৷ ৷ এ সনদের
একজন রাবী আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনউম আফ্রিকীর মধ্যে দৃর্বলতা আছে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷
তাবারানী আরো বলেছেন আবদুল্লাহ্ ইবন আহমদ ইবন হাম্বল ইবন আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সশরীরে পরিখা খননে অংশ নিয়েছিলেন ৷
সাহাবীগণ তখন ক্ষুধায় পেটে পাথর বেধেছিলেন ৷ এ অবস্থা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তোমরা কি আমাকে এমন একজন লোকের কথা বলে দিতে পার যে আমাদের জন্যে সামান্য
খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে ? এক ব্যক্তি বলল, জী হী, ইয়া বাসুলাল্লাহ্ (সা) ! পারব ৷ তিনি
বললেন, তবে তুমি আগে আগে যাও আমাদেরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাও ৷ যেতে যেতে তারা
এক লোকের বাড়ী উঠলেন ৷ লোকটি তখনও তার জন্যে নির্ধারিত অংশের পরিখা খননে
নিয়োজিত ছিল ৷ তার শ্রী সংবাদ পাঠালেন যে, বাড়ীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাশরীফ এসেছেন, আপনি
তাড়াতাড়ি আসুন ৷ তিনি দ্রুত বেগে হেটে বাড়ী পৌছলেন ৷ তিনি বললেন, তার একটি ছাগী
আছে, ওই ছাগীর সাথে একটি বাচ্চা আছে ৷ তিনি ছাপীটি যবাই করতে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন ৷ ছাগী নয় বরং তার বাচ্চাটিই যবাই কর ৷ বাচ্চাটি যবাই করা হল ৷ মহিলাটি তার আটা
খুজে বের করে খামীর বানিয়ে রুটি তৈরী করলেন এদিকে গোশতও রান্না হয়ে এসেছিল ৷ তিনি
পেয়ালা ভরে গোশত ও রুটি নিয়ে বাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সম্মুখে হাযির করলেন ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা)
বাটিতে আব্দুল রেখে বললেন, ৷ঠু ং ৷ ; ,াঠু ন্ট্রুপুা৷ র্দুএে ৷ ঝুট্রুন্ৰু আল্লাহ্র সালে শুরু করছি, হে
আল্লাহ্ৰু আপনি এর মধ্যে বরকত র্দান করুন ! তিনি বললেন, এবার সকলে যেতে শুরু কর,
সবাই তৃপ্তি সহকারে খেলেন, এবং নিজ নিজ জায়গায় ফিরে গেলেন ৷ দেখা গেল যে, সবাই
মিংলপ্খড়াবারের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ খেতে পেরেছেন ৷ দুই-তৃতীয়াংশ খাবার অবশিষ্ট রয়ে
গেছে ৷ ওই বাড়ীওযালার সাথে যে দশজন খনন কাজ করছিল তিনি তাদেরকে দ্রুত পাঠিয়ে
বললেন এবার তোমরা যাও এবং আরো দশজন এখানে পাঠিয়ে দাও ৷ তারা গেলেন এবং নতুন
দশজনকে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তীরাও এসে তৃপ্তি সহকারে খেয়ে নিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা)
উঠলেন এবং বাড়ীওয়ালার ও তার পরিবার-পরিজনের জন্যে দুআ করলেন ৷ তারপর তিনি
পরিখড়ার নিকট ফিরে গেলেন ৷
এবার তিনি বললেন চল, আমরা সালমানের (বা) নিকট যাই ৷ সালমানের (বা) সম্মুখে একটি
{وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا} [الأحزاب: 12] » وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَلُّولٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: «لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَنْدَقِ فَخَنْدَقَ عَلَى الْمَدِينَةِ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا وَجَدْنَا صَفَاةً لَا نَسْتَطِيعُ حَفْرَهَا، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقُمْنَا مَعَهُ فَلَمَّا أَتَاهَا أَخَذَ الْمِعْوَلَ، فَضَرَبَ بِهِ ضَرْبَةً وَكَبَّرَ، فَسَمِعْتُ هَدَّةً لَمْ أَسْمَعْ مِثْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ: " فُتِحَتْ فَارِسُ " ثُمَّ ضَرَبَ أُخْرَى فَكَبَّرَ، فَسَمِعْتُ هَدَّةً لَمْ أَسْمَعْ مِثْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ: " فُتِحَتِ الرُّومُ " ثُمَّ ضَرَبَ أُخْرَى فَكَبَّرَ، فَسَمِعْتُ هَدَّةً لَمْ أَسْمَعْ مِثْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ: " جَاءَ اللَّهُ بِحِمْيَرَ أَعْوَانًا وَأَنْصَارًا» وَهَذَا أَيْضًا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الْأَفْرِيقِيُّ فِيهِ ضَعْفٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَبْدِيُّ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ২৮৯০
عِكْرِمَةَ حَدَّثَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «احْتَفَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَنْدَقَ، وَأَصْحَابُهُ قَدْ شَدُّوا الْحِجَارَةَ عَلَى بُطُونِهِمْ مِنَ الْجُوعِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " هَلْ دَلَلْتُمْ عَلَى رَجُلٍ يُطْعِمُنَا أَكْلَةً؟ ". قَالَ رَجُلٌ: نَعَمْ، قَالَ: " إِمَّا لَا فَتَقَدَّمْ فَدُلَّنَا عَلَيْهِ ". فَانْطَلَقُوا إِلَى بَيْتِ الرَّجُلِ، فَإِذَا هُوَ فِي الْخَنْدَقِ يُعَالِجُ نَصِيبَهُ مِنْهُ، فَأَرْسَلَتِ امْرَأَتُهُ أَنْ جِئْ؛ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَتَانَا. فَجَاءَ الرَّجُلُ يَسْعَى وَقَالَ: بِأَبِي وَأُمِّي. وَلَهُ مَعْزَةٌ وَمَعَهَا جَدْيُهَا، فَوَثَبَ إِلَيْهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْجَدْيُ مِنْ وَرَائِهَا ". فَذَبَحَ الْجَدْيَ، وَعَمَدَتِ الْمَرْأَةُ إِلَى طَحِينَةٍ لَهَا فَعَجَنَتْهَا وَخَبَزَتْ، فَأَدْرَكَتِ الْقِدْرَ، فَثَرَدَتْ قَصْعَتَهَا، فَقَرَّبَتْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُصْبُعَهُ فِيهَا، وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيهَا، اطْعَمُوا ". فَأَكَلُوا مِنْهَا حَتَّى صَدَرُوا، وَلَمْ يَأْكُلُوا مِنْهَا إِلَّا ثُلُثَهَا، وَبَقِيَ ثُلُثَاهَا، فَسَرَّحَ أُولَئِكَ الْعَشَرَةَ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ، أَنِ اذْهَبُوا وَسَرِّحُوا إِلَيْنَا بِعِدَّتِكُمْ. فَذَهَبُوا، فَجَاءَ أُولَئِكَ الْعَشَرَةُ فَأَكَلُوا مِنْهَا حَتَّى شَبِعُوا، ثُمَّ قَامَ وَدَعَا لِرَبَّةِ الْبَيْتِ، وَسَمَّتَ عَلَيْهَا وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِهَا، ثُمَّ مَشَوْا إِلَى الْخَنْدَقِ فَقَالَ: " اذْهَبُوا بِنَا إِلَى سَلْمَانَ ". وَإِذَا صَخْرَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ قَدْ ضَعُفَ عَنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُونِي فَأَكُونَ أَوَّلَ مَنْ ضَرَبَهَا " فَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ ". فَضَرَبَهَا فَوَقَعَتْ فِلْقَةٌ ثُلُثُهَا، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، قُصُورُ الرُّومِ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ ". ثُمَّ ضَرَبَ أُخْرَى فَوَقَعَتْ فِلْقَةٌ، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، قُصُورُ فَارِسَ وَرَبِّ
পৃষ্ঠা - ২৮৯১
বিরাট পাথর পড়েছিল যা তিনি তাঙ্গতে পারছিলেন না ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমাকে সুযোগ
দাও, আমি প্রথম আঘাত করি ৷ তিনি “বিসৃমিল্লাহ্” বলে সেটিতে আঘাত করলেন ৷ সেটির এক-
তৃভীয়াৎশ ফেটে গেল ৷ তিনি বললেন “আল্লাহ আক্বার” , কারা গৃহের মালিকের কলম, এ যে
সিরিয়া সাম্রাজোর প্রাসাদগুলাে ৷ তিনি আবার আঘাত করলেন ৷ এবার আরো একটু অংশ খসে
গেল, তিনি বললেন, আল্লাহ আক্বার, কাব৷ গৃহের মালিকের কলম ! এ যে পারস্য সাম্রাজোর
প্রাসাদগুলাে ৷ তখন ঘুনাফিকগণ ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিল, আমরা জান ইা৷চানাের জন্যে পরিখ৷ খনন
করছি আর উনি আমাদেরকে পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ৷
হাফিয বায়হাকী বলেছেন, আলী ইবন আহমদ ইবন আবদান বাবা ইবন আযিব
আনসারী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ৷,সা) আমাদেরকে পরিখ৷ খননের
নির্দেশ দিলেন ৷ তখন একটি পরিখার মধ্যে আমাদের সম্মুখে একটি বড় ও কঠিন পাথর এসে
পড়ল, শাবল তার মধ্যে কোন কাজ করতে পারছিল না ৷ সৎগ্নিন্ত্র লোকজন সংবাদটি রাসুলুল্লাহ
(সা)-কে জানান ৷ তিনি পাথরটির দিকে তাকালেন এবং কোদাল হাতে নিয়ে বিসৃমিল্লাহ্ বলে
তাতে আঘাত করলেন ৷ সে আঘাতে এক তৃভীয়াৎশ ভেঙ্গে গেল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ
আক্বার সিরিয়া ৷র চাবিগুচ্ছ আমাকে দেয়৷ হল ৷ আল্লাহর কলম , আমি অবশ্যই সেখানকার লাল
লাল প্রাসাদগুলাে আমি দিব্যি দেখতে পাচ্ছি ৷ তিনি পাথরে দ্বিতীয়বার আঘাত করলেন ৷ এবার
অপর তৃভীয়াংশ ভেঙ্গে পড়ল ৷ তিনি বললেন, “আল্লাহ আক্বার পারস্য সাম্রাজোর চাবিগুলাে
আমাকে দেওয়া হল ৷ আল্লাহর কলম, আমি মাদায়েনের সাদা সাদা প্রাসাদগুলাে দেখতে পাচ্ছি ৷
তৃভীয় আঘা৩ ৩হানলেন পাথরের উপর এবং বিসৃমিল্লাহ্ বললেন ৷ তাতে পাথরের অবশিষ্ট
অংশ ভেঙ্গে গেল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ আক্বার ইয়ামান রাজোর চাবিগুলো আমাকে দেওয়া
হল ৷ আল্লাহর কলম, আমি এখন এই স্থান থেকে সানআ নগরীর য়ল্টকগুলাে দেখতে পাচ্ছি ৷
এই হাদীছ ও পারীব তথা একক বর্ণনাকারীর বর্ণনা ৷ মায়মুন ইবন উসতা এটি একা বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বসর৷ নগরীর লোক ৷ ধারা এবং আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে তিনি হাদীছ
বংনাি করেছেন ৷
ইমাম নাসাঈ (র) বলেছেন, ঈসা ইবন ইউনুস জনৈক সাহাবী (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন পরিখ৷ খননের নির্দেশ দিলেন তখন পরিখ৷ খননকারীদের
সম্মুখে একটি পাথর এসে পড়ল ৷ তাতে খনন কার্য বন্ধ হয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) উঠে শাবল
হাতে নিলেন ৷ তার চাদরটি পরিখার এক পার্থে রাখলেন ৷ তারপর বললেন : ( ণ্খ্ংা£ ট্ট্রুণ্ট্রু;
ও ন্যায়েরদিক দিয়ে
আপনার প্রতিপা ৷লকের বাণী সম্পুণ এবং তার বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নেই ৷ তিনি সবশ্নোতা
সর্বজ্ঞ) ৷ তিনি স্বহস্তে পাথরে আঘাত করলেন ৷ পাথরের একতৃভীয়াত্শ ভেঙ্গে গেল ৷ হযরত
সালমান ফা ৷রসী (রা) দাড়িয়ে দাড়িয়ে তা দেখছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঘাতের সাথে
বিদ্যুচছটার মত চমকাচ্ছিল ৷ তিনি দ্বিতীয় বার আঘাত করলেন এবং বললেন : ইৰ্াদ্বু ং;ট্রুছুপ্রু
এবার পাথরটির আরেক
الْكَعْبَةِ "، فَقَالَ عِنْدَهَا الْمُنَافِقُونَ: نَحْنُ نُخَنْدِقُ عَلَى أَنْفُسِنَا، وَهُوَ يَعِدُنَا قُصُورَ فَارِسَ وَالرُّومِ.»
ثُمَّ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ غَالِبِ بْنِ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَوْذَةُ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أُسْتَاذٍ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: «لَمَّا كَانَ حِينَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَفْرِ الْخَنْدَقِ، عَرَضَ لَنَا فِي بَعْضِ الْخَنْدَقِ صَخْرَةٌ عَظِيمَةٌ شَدِيدَةٌ، لَا تَأْخُذُ فِيهَا الْمَعَاوِلُ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهَا أَخَذَ الْمِعْوَلَ وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ " وَضَرَبَ ضَرْبَةً فَكَسَرَ ثُلُثَهَا، وَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ الشَّامِ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأُبْصِرُ قُصُورَهَا الْحُمْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". ثُمَّ ضَرَبَ الثَّانِيَةَ فَقَطَعَ ثُلُثًا آخَرَ، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ فَارِسَ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأُبْصِرُ قَصْرَ الْمَدَائِنِ الْأَبْيَضَ " ثُمَّ ضَرَبَ الثَّالِثَةَ فَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ ". فَقَطَعَ بَقِيَّةَ الْحَجَرِ، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ الْيَمَنِ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأُبْصِرُ أَبْوَابَ صَنْعَاءَ مِنْ مَكَانِي السَّاعَةَ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ أَيْضًا، تَفَرَّدَ بِهِ مَيْمُونُ بْنُ أُسْتَاذٍ هَذَا، وَهُوَ بَصْرِيٌّ رَوَى عَنِ الْبَرَاءِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، وَعَنْهُ حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ وَالْجَرِيرِيُّ وَعَوْفٌ الْأَعْرَابِيُّ، قَالَ أَبُو حَاتِمٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ مَعِينٍ: كَانَ ثِقَةً. وَقَالَ عَلِيُّ
পৃষ্ঠা - ২৮৯২
তৃভীয়াৎশ ভেঙ্গে গেল ৷ আঘাতের সাথে আলো জ্বলে উঠেছিল ৷ হযরত সালমান (রা) তা
দেখছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)ত তর্জীয়বার আঘাত করলেন এবং বললেনং : ;াট্রুট্রু ইাদ্বু ট্রু,
ৰুাট্রুপু ৷ স্পো ৷ মোঃ, মোঃ ট্রুাণ্রু ৰুশুট্রুধ্ ৷প্ৰু এবার অবশিষ্ট ভৃভীয়াৎশও ভেঙ্গে
গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ থেকে উঠে এলেন ৷ তিনি তার চাদরত তুলে নিলেন এবং বললেন ৷
হযরত সালমা ৷ন (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা)! আমি দেখেছি, আপনি যতৰারই আঘাত
করেছেন ততবারই বিদ্যুতের মত আলো জ্বলে উঠেছে ৷ রাসুগৃল্লাহ্ (সা) বললেন, সা লমা ন তুমি
কি তা দেখেছ ? তিনি বললেন ত্মী হা, যে মহান সত্তা আপনাক সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন
তার শপথ, আমি তা দেখেছি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি যখন প্রথমবার আঘাত করি তখন পারস্যের কিসরার মাদায়েন
ও আশেপাশে বহু শহর আমার নিকট তুলে ধরা হয়েছিল ৷ আমি স্বচক্ষে সেগুলো দেখেছি ৷
উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! দুআ করুন , আল্লাহ্ যেন ওইগুলোর উপর
আমাদেরকে বিজয়ী করে দেন ৷ আমরা যেন ধন-সম্পদ গনীমতের মাল রুপে পেতে পারি এবং
নিজ হাতে ওদের শহর নগর পদদলিত করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে দৃআ করলেন ৷ তিনি
বললেন, আমি যখন দ্বিতীয়বার আঘাত করি তখন বোমক সম্র৷ ৷ট কায়সারের রাজধানী এবৎ৩ ৷ তবে
আশেপাশে অবস্থিত ৩শহরগুলে৷ আমার নিকট তুলে ধরা হয় ৷ আমি স্বচক্ষে ওহীগুলাে দেখেছিা
তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ আল্লাহর নিকটদু আ করুন ৷ তিনি যেন ওইগুলে৷ আমাদের
করায়ত্ত করে দেন ৷ আমরা যেন ওদের ধন-সম্পদ ও ছেলে যেয়েদেরকে গনীমতের মালরুপে
পেতে পারি এবং ওদের নগর শহরগুলি পদানত করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ করলেন ৷
তিনি বললেন, আমি যখন তৃতীয় আঘাত করলাম তখন আবিসিনিয়৷ ও তার আশে পাশের
জনপদগুলে৷ আমার নিকট তুলে ধরা হয় ৷ আমি স্বচক্ষে সেগুলো দেখতে পাই ৷ তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যত দিন আবিসিনিয়ার লোকেরা তাঃা৷দেরকে উতক্তে না করে তোমরা ও
ততদিন তাদেরকে উত ৩ক্ত করবে না ৷ আর তুর্কীর৷ যতদিন তােমাদেরকে আক্রমণ না করে
তোমরাও ৩৩শেন ৩াদেরওে আঞমং৷ কর(র না ৷ নাস৷ ৷ঈ (র) এভাবে দীর্ঘ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
-আবু দাউদ
নাসাঈকে উদ্ধৃত করে শেষের অংশটুকু বর্ণনা করেছেন ৷
এরপর ইবন ইসহাক বলেছেন, বিশ্বস্ত এক ব্যক্তি আমার নিকট আবু হুরায়র৷ (রা ) সুত্রে বর্ণনা
করেছেন যে, হযরত উমর (রা ) , উছমান (রা) ও তাদের পরে যখনই এসব শহর বিজিত হত
তখন আবু হুরায়র৷ বলতেন, তোমরা যত সুযোগ পাও জয় করে নাও, আবু হুরায়রা এর প্রাণ যার
হাতে তার কলম, তোমরা যত শহর জয় করেছ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যত শহর জয় করবে তার
সবগুলোর চা ৷বি পুর্বেই আল্লাহ্ তা আলা মুহাম্মাদ (সা ) কে দিয়ে দিয়েছেন ৷ এ সনদটি বিচ্ছিন্ন,
তবে অন্যত্র তা পুর্ণ সনদসহ হয়ে বর্ণিত হয়েছে ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা আলার ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হাজ্জাজ — — হযরত আবু হুরায়র৷ (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলছিলেন আমি প্রেরিত হয়েছি
بْنُ الْمَدِينِيِّ: كَانَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لَا يُحَدِّثُ عَنْهُ.
وَقَالَ النَّسَائِيُّ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ السَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي سُكَيْنَةَ - رَجُلٍ مِنَ الْمُحَرَّرِينَ - عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَفْرِ الْخَنْدَقِ، عَرَضَتْ لَهُمْ صَخْرَةٌ حَالَتْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْحَفْرِ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخَذَ الْمِعْوَلَ، وَوَضَعَ رِدَاءَهُ نَاحِيَةَ الْخَنْدَقِ، وَقَالَ: {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [الأنعام: 115] (الْأَنْعَامِ: 115) فَنَدَرَ ثُلُثُ الْحَجَرِ، وَسَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ قَائِمٌ يَنْظُرُ، فَبَرَقَ مَعَ ضَرْبَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُرْقَةٌ ثُمَّ ضَرَبَ الثَّانِيَةَ، وَقَالَ: {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [الأنعام: 115] فَنَدَرَ الثُّلُثُ الْآخَرُ، وَبَرَقَتْ بُرْقَةٌ فَرَآهَا سَلْمَانُ، ثُمَّ ضَرَبَ الثَّالِثَةَ، وَقَالَ: {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [الأنعام: 115] فَنَدَرَ الثُّلُثُ الْبَاقِي، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ وَجَلَسَ، فَقَالَ سَلْمَانُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَأَيْتُكَ حِينَ ضَرَبْتَ لَا تَضْرِبُ إِلَّا كَانَتْ مَعَهَا بُرْقَةٌ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا سَلْمَانُ، رَأَيْتَ ذَلِكَ؟ ". قَالَ: إِي وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَإِنِّي حِينَ ضَرَبْتُ الضَّرْبَةَ الْأُولَى رُفِعَتْ لِي مَدَائِنُ كِسْرَى وَمَا حَوْلَهَا وَمَدَائِنُ كَثِيرَةٌ، حَتَّى رَأَيْتُهَا بِعَيْنِي " فَقَالَ لَهُ مَنْ حَضَرَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২৮৯৩
يَفْتَحَهَا عَلَيْنَا وَيُغَنِّمَنَا ذَرَارِيَّهُمْ، وَنُخَرِّبَ بِأَيْدِينَا بِلَادَهُمْ، فَدَعَا بِذَلِكَ، قَالَ: " ثُمَّ ضَرَبْتُ الضَّرْبَةَ الثَّانِيَةَ، فُرِفَعَتْ لِي مَدَائِنُ قَيْصَرَ وَمَا حَوْلَهَا، حَتَّى رَأَيْتُهَا بِعَيْنِي " قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَفْتَحَهَا عَلَيْنَا وَيُغَنِّمَنَا ذَرَارِيَّهُمْ، وَنُخَرِّبَ بِأَيْدِينَا بِلَادَهُمْ. فَدَعَا، ثُمَّ قَالَ: " ثُمَّ ضَرَبْتُ الضَّرْبَةَ الثَّالِثَةَ، فَرُفِعَتْ لِي مَدَائِنُ الْحَبَشَةِ وَمَا حَوْلَهَا مِنَ الْقُرَى، حَتَّى رَأَيْتُهَا بِعَيْنِي " ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُوُا الْحَبَشَةَ مَا وَدَعُوكُمْ، وَاتْرُكُوا التُّرْكَ مَا تَرَكُوكُمْ» هَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مُطَوَّلًا، وَإِنَّمَا رَوَى مِنْهُ أَبُو دَاوُدَ: «دَعُوُا الْحَبَشَةَ مَا وَدَعُوكُمْ، وَاتْرُكُوا التُّرْكَ مَا تَرَكُوكُمْ ".» عَنْ عِيسَى بْنِ مُحَمَّدٍ الرَّمْلِيِّ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيِّ، بِهِ.
ثُمَّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ حِينَ فُتِحَتْ هَذِهِ الْأَمْصَارُ فِي زَمَانِ عُمَرَ وَزَمَانِ عُثْمَانَ وَمَا بَعْدَهُ: افْتَتِحُوا مَا بَدَا لَكُمْ، فَوَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ، مَا افْتَتَحْتُمْ مِنْ مَدِينَةٍ وَلَا تَفْتَحُونَهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، إِلَّا وَقَدْ أَعْطَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَفَاتِيحَهَا قَبْلَ ذَلِكَ. وَهَذَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مُنْقَطِعٌ أَيْضًا، وَقَدْ وُصِلَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ
পৃষ্ঠা - ২৮৯৪
“স্বল্প ভাষায় অধিক মর্য প্রকাশের ক্ষমতা দিয়ে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গান্তীর্য দ্বারা আমি
সাহায্য প্রাপ্ত হ৫য়ছি, একদিন আমি ঘুমন্ত ছিলাম তখন পৃথিবীর সকল সম্পদের চাবি এসে আমার
হাতে দেয়৷ হয় ৷ বুখারী একা এই হাদীছঢি ইয়াহ্য়ড়া ইবন বুকায়র ও সাদ ইবন উফায়র সুত্রে লায়ছ
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে, আবু হ্রায়র৷ (বা) ব গেছেন , র ৷ পুণুগ্লাহু (সা) বিদায়
নিয়েছেন আর ৫ তামরা ওই সম্পদটি সংগ্রহ করছ ৷
ইমাম আহমদ (ব) বলেন , ইয়াযীদ — আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “পান্তীর্য দ্বারা আমাকে সাহান্হা৷ করা হয়েছে, আমি
“জাওয়ামিউল কালিম” তথা স্বল্প শব্দে অধিক মর্য প্রকাশের শক্তি পেয়েছি সমগ্র ভুজপত আমার
জনাে মসজিদ স্বরুপ ও পবিত্র করে দেওয়া হয়েছে ৷ আমি একদিন ঘুমত্ণ্শ্ব ছিলাম , তখন পৃথিবীর
যাবতীয় সম্পদের চাবি আমার নিকট উপস্থিত করা হয় এবং আমার হাতে তা তুলে দেওয়া হয় ৷
ইমাম মুসলি৫মর শর্ত মুতাবিক এই হাদীছের সনদ খুব মযবুত হলেও অন্যানার৷ তা উদ্ধৃত
করেননি ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ ঘুসলি৫ম আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন “ব ৩মান রোম
কায়সার সম্রাটের) পতন হলে এরুপ কায়সার আর হবে না ৷ বর্তমান কিসরার পতন হলে ( এরুপ)
কিসরা আর হবে না ৷ যার হাতে আমার প্রাণ তার কসম, ওই সাম্রাজ্যগুলোর ধন-সম্পদ আল্লাহর
পথে তোমরা ব্যয় করবে ৷ ’সহীহ্ হাদীছে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্( (যা) বলেছেন : রুা৷ ৷
ৰু-এ্যাএন্-শু-ন১ন্-স্-ম্পুষ্শ্শু-ষ্১মৈংণ্ণ্গ্রএ১শ্যাশুএএএ১
-আল্লাহ্ তা আলা পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলসমুহ সংকুচিত করে আমার নিকট উপস্থিত
করেছিলেন ৷ যেই সীমা পর্যন্ত আমার নিকট উপস্থিত করা হয়েছে আমার উম্ম৫ত র রাজতু ওই
সীমা পর্যন্ত বিন্তুত ও প্রসারিত হয়ে ৷
অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ খনন শেষ করলেন ৷ মক্কার দিক
থেকে কুরায়শর৷ এলে রুম৷ অঞ্চলে জুরুফ ও ষুপাবাহ্ এর মাঝামাঝি মুজতামা আল আসইয়াল
নামক স্থানে অবস্থান নেয় ৷ তাদের সং থ্যা ছিল ১০ হাজার ৷ তাদের সাথে ছিল অস্ত্র শ্াস্ত্র বাহন ও
অন্যান্য সনদপত্র ৷ বানু কিনানা ও তিহামাবাসী কতক ৫লাকও সাথে ছিল ৷ পাতফান ও নাজদের
লোকজন এসে অবস্থান নেয় উহু৫দর দিকে যাম৫র নাকমায় ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (,সা)ও মুসলিম
সেনাবাহিনী ৫বর হলেন ৷ তাদের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৷ সাল৷ পাহাড়কে ৫পছ৫ন রেখে তারা
অবস্থান নিলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে তার সৈন্যদলকে যুদ্ধের জন্য প্রন্তুত করে রাখলেন ৷ শত্রু
সৈন্য ও মুসলমানদের মাঝখানে রইল খন্দক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এব নির্দেশে শিশু ও মহিলাদেরকে
একটি ঢিলার উপরে অবস্থিত দুনুে নিয়ে রাখা হয় ৷ ইবন হিশাম বলেন, মদীনার শাসনভার তখন
হযরত আবদুল্লাহ ইবন উম্মি মাকতুমের হাতে ন্যস্ত ছিল ৷ আমি বলি, নিম্নের আয়াতে এদিকেই
ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ আল্লাহ তা আল৷ ব৫লন৪ ণ্ন্নু, ,াহৃ ৷ ,, , ন্ন্নুব্র,ট্র ট্রু,ন্ণ্ ,হ্র , ; ৷১ ; ৷
ওরা
তোমাদের বিরুদ্ধে সমাপত হয়েছিল উচ্চ অঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চল হ৫তশ্ ৫তামাদের চক্ষু বিম্ফারিত
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ، وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ، فَوُضِعَتْ فِي يَدِي» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، وَسَعْدِ بْنِ عُفَيْرٍ، كِلَاهُمَا عَنِ اللَّيْثِ، بِهِ، وَعِنْدَهُ، قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْتُمْ تَنْتَثِلُونَهَا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ، وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَتُلَّتْ فِي يَدِي» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ ": «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَفِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ: « (إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ؛ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكُ أُمَّتِي مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا) » .