قصة هود عليه السلام
পৃষ্ঠা - ২৮০
হযরত হ্রদ (আ)-এর কাহিনী
হযরত হুদ (আ)-এর বংশ লতিকা হচ্ছে : (১) হ্রদ ইবন শালিখ ইবন আরফাখশড়ায ইবন
নাম ইবন নুহ (আ); মতাম্ভরে হুদ-যার নাম ছিল আৰির ইবন আরফাখশায ইবন নাম ইবন
নুহ (আ) ৷ অন্য মতে, হ্রদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন রাবাহ্ ইবনুল-জারুদ ইবন আর ইবন আওস
ইবন ইরাম ইবন নাম ইবন নুহ (আ) ৷ ইতিহাসবেত্তা ইবন জাবীর (র) এই মতভেদের কথা
উল্লেখ করেছেন ৷ হ্রদএর গোত্রের নাম আদ (ইবন আওস ইবন নাম ইবন নুহ) ৷ তারা ছিল
আহকাফ অর্থাৎ বাবুর ঢিবিপুর্ণ এলাকার অধিবাসী, যা ইয়ামড়ানের ওমান ও হাজরা মাওতের
টিলা অঞ্চলে অবস্থিত ৷ এটি ছিল শাহ্র জলাশয়ের তীরবর্তী বসতি এলাকা ৷ তাদের উপত্যকার
নাম ছিল মুগীহু ৷ উচু উচ খুটির উপর র্তাবু খাটিয়ে তারা ষ্বসবাস করত ৷
কুরআন মজীদে আল্লাহ বলেন :
অর্থাৎ-তুমি কি দেথনি, তোমার প্রতিপালক কি করেছিলেন, আদ বংশের ইরাম গোত্রের
প্রতি যারা অধিকারী ছিল সুউচ্চ প্রাসাদের (সুরা ফজেব ৬ ৭) ৷ এই আদ বংশ আদে ইরান বা
আদে উলা বলে পরিচিত ৷ আদে সড়ানী বা দ্বিতীয় আদ বংশের উদ্ভব হয় পরবর্তীকালে ৷ এ
বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে ৷
আদে উলা সম্পর্কে আল্লাহ তা আশা কুরআনে বলেছেন :
১এে ৷০
অর্খাত্-সুউচ্চ প্রাসাদের অধিকারী ইরান গোত্র, যার সমতুল্য কোন দেশে বানান হয়াছু ৷
(সুরা ফাজরং ৬ ৮)
এখানে দৃরকম অর্থ হতে পারে এক , এই ইরান বংশের সমতুল্য বংশ ইতিপুর্বে কখনও
আসেনি ৷ দুই, এদের প্রাসাদের ন্যায় সুউচ্চ প্রাসাদ ইতিপুর্বে কোথাও নির্মিত হয়নি ৷ তবে
প্রথম অংইি সঠিক ৷ তাফসীর গ্রন্থে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
যাদের ধারণা, ইরান একটা ভ্রামমোণ শহর-কখনও সিরিয়া, কখনও ইয়ামানে, কখনও
হেজাজে, কখনও বা অন্য কোথাও এর অবস্থান হয়েছে ৷ তাদের এ ধারণা তিত্তিহীন, অযৌক্তিক
ও অমুলক ৷ সহীহ ইবন হিব্বান গ্রন্থে হযরত আবু যর (রা) থেকে নবী-রাসুলগণের বর্ণনা
প্রসংপে একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণিত আছে, যাতে নবী করীম (সা) বলেন : এদের মধ্যে আরব
বংশোদ্ভুত নবী চারজন : হ্রদ, সালিহ, শুআয়ব এবং তোমার নবী হে আবু যর! কেউ কেউ
[قِصَّةُ هُودٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ]
وَهُوَ هُودُ بْنُ شَالِخِ بْنِ أَرْفَخْشَدَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَيُقَالُ: إِنَّ هُودًا هُوَ عَابِرُ بْنُ شَالِخِ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، وَيُقَالُ: هُودُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحِ بْنِ الْجَارُودِ بْنِ عَادِ بْنِ عَوْصَ بْنِ إِرَمَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَكَانُوا عَرَبَا يَسْكُنُونَ الْأَحْقَافَ، وَهِيَ جِبَالُ الرَّمْلِ، وَكَانَتْ بِالْيَمَنِ مِنْ عُمَانَ وَحَضْرَمَوْتَ بِأَرْضٍ مُطِلَّةٍ عَلَى الْبَحْرِ يُقَالُ لَهَا: الشِّحْرُ، وَاسْمُ وَادِيهِمْ مُغِيثٌ، وَكَانُوا كَثِيرًا مَا يَسْكُنُونَ الْخِيَامَ ذَوَاتِ الْأَعْمِدَةِ الضِّخَامِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ} [الفجر: 6]
[الْفَجْرِ: 7 8] . أَيْ ; مِثْلُ الْقَبِيلَةِ. وَقِيلَ: مِثْلُ الْعَمَدِ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، كَمَا بَيَّنَّاهُ فِي التَّفْسِيرِ.
وَمِنْ زَعْمٍ أَنَّ إِرَمَ مَدِينَةٌ تَدُورُ فِي الْأَرْضِ، فَتَارَةً فِي الشَّامِ، وَتَارَةً فِي الْيَمَنِ، وَتَارَةً فِي الْحِجَازِ، وَتَارَةً فِي غَيْرِهَا، فَقَدْ أَبْعَدَ النُّجْعَةَ. وَقَالَ مَا لَا دَلِيلَ عَلَيْهِ، وَلَا بُرْهَانَ يُعَوِّلُ عَلَيْهِ، وَلَا مُسْتَنَدَ يَرْكَنُ
পৃষ্ঠা - ২৮১
অর্থাৎ আদ জাতির কাছে তাদের ভাই হুদকে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলেছিল, হে আমার
সম্প্রদায় ! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলড়াহ নেই,
তোমরা কি সাবধান হবে না ? তার সম্প্রদায়ের কাফির সর্দারপণ বলেছিল, আমরা তো দেখছি
তুমি নির্বুদ্ধিতায় ডুবে রয়েছ আর তোমাকে তো আমরা মিথ্যাবাদী মনে করি ৷ সে বলল, হে
আমার সম্প্রদায়! আমার মধ্যে কোন নির্বুদ্ধিতা নেই, আমি ণ্৩ ৷ রাববুল আলামীনের প্রেরিত
রাসুল ৷ আ ৷মি আমার প্রতিপা ৷লকের বাণী ণ্তামাদের নিকট পৌছিয়ে দিচ্ছি এবং আমি তোমাদের
একজন বিশ্বস্ত হিতাকড়াত্তক্ষী ৷ তোমরা কি বিস্মিত হচ্ছ যে, তোমাদের প্রতুর কাছ থেকে
তােমাদেরই মধ্য থেকে একজনের মাধ্যমে তোমাদেরকে সতর্ক করার জন্যে উপদেশ রাণী
এসেছে? আর স্মরণ কর যে, আল্লাহ তােমাদেরকে নুহের সম্প্রদায়ের পরে তাদের স্থলাভিষিক্ত
করেছেন এবং তোমাদের অবয়বে অন্যলোক অপেক্ষা শক্তিতে অধিকতর সমৃদ্ধ করেছেন ৷
অতএব, তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর ৷ হয়ত তোমরা সফলকাম হবে ৷
তারা বলল, তুমি কি আমাদের কাছে এ উদ্দেশ্যে এসেছ যে, আমরা যেন শুধু এক আল্লাহর
ইবাদত করি আর আমাদের পুর্ব-পুরুষপণ যাদের উপাসনা করত৩ তা বর্জন করি? সুতরাং তুমি
সত্যুবাদী হলে আমাদেরকে যে জিনিসের ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো ৷ সে বলল, তোমাদের
প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তো তোমাদের জন্যে শান্তি ও গযব নির্ধারিত হয়েই আছে ; তবে কি
তোমরা আমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাও এমন কতগুলো (দেব-দেবীর) নাম সম্বন্ধে যা
তোমরা ও ণ্তামাদেরপুর্ব-পুরুষগণ সৃষ্টি করেছ! আল্লাহ এ সম্বন্ধে কোন সনদ পাঠাননি ৷
সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষ৷ কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি ৷ তারপর আমি তাকে ও
তার সঙ্গীদেরকে আমার অনুগ্রহে উদ্ধার করি; আর যারা আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করেছিল
এবং মুমিন ছিল না ৷তাদেরকে নির্মুল করেহ্নিড়াম ৷ (সুরা আরাফ : ৬৫ ৭ ২)
সুরা হুদে নুহের কাহিনী শেষে আল্লাহ বলেনঃ
’
গ্লু,া ষ্র্বৃ,ট্রু;এ এা;,ন্ ৷ ন্া৷; গ্রপুা,
পু,র্দুএ ৷
শুম্র
ট্রংঙ্
)
;
إِلَيْهِ، وَفِي صَحِيحِ ابْنِ حِبَّانَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ فِي ذِكْرِ الْأَنْبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِينَ قَالَ فِيهِ: «. مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ مِنَ الْعَرَبِ ; هُودٌ، وَصَالِحٌ، وَشُعَيْبٌ، وَنَبِيُّكَ يَا أَبَا ذَرٍّ» . وَيُقَالُ: إِنَّ هُودًا عَلَيْهِ السَّلَامُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ بِالْعَرَبِيَّةِ. وَزَعَمَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ أَنَّ أَبَاهُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ بِهَا. وَقَالَ غَيْرُهُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ بِهَا نُوحٌ. وَقِيلَ آدَمُ وَهُوَ الْأَشْبَهُ. وَقِيلَ: غَيْرُ ذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَيُقَالُ لِلْعَرَبِ الَّذِينَ كَانُوا قَبْلَ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: الْعَرَبُ الْعَارِبَةُ. وَهُمْ قَبَائِلُ كَثِيرَةٌ مِنْهُمْ ; عَادٌ، وَثَمُودُ، وَجُرْهُمُ، وَطَسْمٌ، وَجَدِيسُ، وَأَمِيمُ، وَمَدْيَنُ، وَعِمْلَاقُ، وَعَبِيلٌ، وَجَاسِمٌ، وَقَحْطَانُ، وَبَنُو يَقْطُنَ، وَغَيْرُهُمْ. وَأَمَّا الْعَرَبُ الْمُسْتَعْرِبَةُ فَهُمْ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، وَكَانَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ بِالْعَرَبِيَّةِ الْفَصِيحَةِ الْبَلِيغَةِ، وَكَانَ قَدْ أَخَذَ كَلَامَ الْعَرَبِ مِنْ جُرْهُمَ الَّذِينَ نَزَلُوا عِنْدَ أُمِّهِ هَاجَرَ بِالْحَرَمِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَلَكِنْ أَنْطَقَهُ اللَّهُ بِهَا فِي غَايَةِ الْفَصَاحَةِ وَالْبَيَانِ، وَكَذَلِكَ كَانَ يَتَلَفَّظُ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَادًا وَهُمْ عَادٌ الْأُولَى كَانُوا أَوَّلَ مَنْ عَبَدَ الْأَصْنَامَ بَعْدَ الطُّوفَانِ، وَكَانَ أَصْنَامُهُمْ ثَلَاثَةً، صَدٌّ، وَصُمُودٌ، وَهِرَا. فَبَعَثَ اللَّهُ فِيهِمْ أَخَاهُمْ هُودًا عَلَيْهِ السَّلَامُ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى بَعْدَ ذِكْرِ قَوْمِ نُوحٍ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ: {وَإِلَى عَادٍ أَخَاهُمْ هُودًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ أَفَلَا تَتَّقُونَ قَالَ الْمَلَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ قَوْمِهِ إِنَّا لَنَرَاكَ فِي سَفَاهَةٍ وَإِنَّا لَنَظُنُّكَ مِنَ الْكَاذِبِينَ قَالَ يَا قَوْمِ لَيْسَ بِي سَفَاهَةٌ وَلَكِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ أُبَلِّغُكُمْ رِسَالَاتِ رَبِّي وَأَنَا لَكُمْ نَاصِحٌ أَمِينٌ أَوَعَجِبْتُمْ أَنْ جَاءَكُمْ ذِكْرٌ مِنْ رَبِّكُمْ عَلَى رَجُلٍ مِنْكُمْ لِيُنْذِرَكُمْ وَاذْكُرُوا إِذْ جَعَلَكُمْ خُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِ قَوْمِ نُوحٍ وَزَادَكُمْ فِي الْخَلْقِ بَسْطَةً فَاذْكُرُوا آلَاءَ اللَّهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ قَالُوا أَجِئْتَنَا لِنَعْبُدَ اللَّهَ وَحْدَهُ وَنَذَرَ مَا كَانَ يَعْبُدُ آبَاؤُنَا فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ قَالَ قَدْ وَقَعَ عَلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ رِجْسٌ وَغَضَبٌ أَتُجَادِلُونَنِي فِي أَسْمَاءٍ سَمَّيْتُمُوهَا أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ مَا نَزَّلَ اللَّهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ فَانْتَظِرُوا إِنِّي مَعَكُمْ مِنَ الْمُنْتَظِرِينَ فَأَنْجَيْنَاهُ وَالَّذِينَ مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مِنَّا وَقَطَعْنَا دَابِرَ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَمَا كَانُوا مُؤْمِنِينَ} [الأعراف: 65]
[الْأَعْرَافِ: 65 - 72] .
পৃষ্ঠা - ২৮২
র্চে
দু
৷ ৷ৰুধ্ন্;াএ
;র্দুষ্এ ৷র্দুট্রুর্টু
অর্থাৎ-আদ জাতির প্ৰতি তাদের ভাই হুদকে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলল, হে আমার
সম্প্রদায়! তোমরা আল্পাহব্ল ইবড়াদত কর ৷ তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই ৷
তোমরা তো কেবল মিথ্যা রচনাকারী ৷ হে আমার সম্প্রদায় ৷ এ জন্যে কোন পারিশ্রমিক আমি
তোমাদের কাছে চাই না ৷ আমার পারিশ্রমিক তো তারই কাছে, যিনিগ্লু আমাকে সৃষ্টি করেছেন ৷
তোমরা কি তবুও অনুধান করবে না? হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের
কাছে ক্ষমা চাও ৷ তারপর তার দিকেই ফিরে এস ৷ তিনি তোমাদের জন্যে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ
করবেন এবং আরও শক্তি দিয়ে তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করে দেবেন ৷ অপরাধী হয়ে তোমরা মুখ
ফিরিয়ে নিও না ৷
তারা বলল, হে হ্রদ! তুমি আমাদের কাছে কোন স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসনি ৷ তোমার কথায়ই
আমরা আমাদের উপাস্যদের পরিত্যাগ করার নই ৷ আর আমরা তোমার প্রতি বিশ্বাসী নই ৷
আমরা তো এটাই বলি যে , তোমার উপর আমাদের কোন উপাসাের অশুভ নজর পড়েছে ৷ হ্রদ
বলল, আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখহিআর তোমরাও সাক্ষী থাক যে , আল্লাহ ছাড়া তোমরা আর
যেসব শরীক বৃানিয়ে রেখেছ সে সবের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ তোমরা সকলে মিলে
আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকাও এবং আমাকে মোটেই অবকাশ দিও না ৷ আমি নির্ভর করি
আল্লাহর উপর, যিনি আমার এবং তােমাদ্যোও প্রতিপালক ৷ কোন জীব-জন্তু এমন নেই যা তার
পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে নয় ৷ নিঃসন্দেহে আমার প্রতিপালক সরল পথে আছেন ৷ তারপর তোমরা মুখ
ফিরিয়ে নিলেও আমি যে পয়ণামসহ তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছিলাম , তা আমি তোমাদের
কাছে পৌস্থিয়ে দিয়েছি ৷ এবং আমার প্রতিপালক ভিন্ন কোন সম্প্রদায়কে তোমাদের ন্থদাডিষিক্ত
করবেন ৷ আর তোমরা তার কোনই ক্ষতিসাধন করতে পারবে না ৷ আমার প্ৰতিপালক নিশ্চয়ই
সব কিছুর রক্ষণাবেক্ষণকারী ৷
পরে যখন আমার ফরমান এসে পৌছল, তখন আমি আমার রহমতের দ্বারা হুদকে এবং
তার সাথে যারা ঈমান এনেস্থিল তাদেরকে রক্ষা করলাম এবং এক কঠিন আমার থেকে
তাদেরকে রক্ষা করলাম ৷ এই হল আদ জাতি, তারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী অস্বীকার
করে এবং তার নবী-রাসুলগণকে অমান্য করেছিল এবং তারা প্ৰতেদ্রক উদ্ধত স্বৈরাচারীর
وَقَالَ تَعَالَى بَعْدَ ذِكْرِ قِصَّةِ نُوحٍ فِي سُورَةِ هُودٍ: {وَإِلَى عَادٍ أَخَاهُمْ هُودًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا مُفْتَرُونَ يَا قَوْمِ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى الَّذِي فَطَرَنِي أَفَلَا تَعْقِلُونَ وَيَا قَوْمِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَى قُوَّتِكُمْ وَلَا تَتَوَلَّوْا مُجْرِمِينَ قَالُوا يَا هُودُ مَا جِئْتَنَا بِبَيِّنَةٍ وَمَا نَحْنُ بِتَارِكِي آلِهَتِنَا عَنْ قَوْلِكَ وَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِينَ إِنْ نَقُولُ إِلَّا اعْتَرَاكَ بَعْضُ آلِهَتِنَا بِسُوءٍ قَالَ إِنِّي أُشْهِدُ اللَّهَ وَاشْهَدُوا أَنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ مِنْ دُونِهِ فَكِيدُونِي جَمِيعًا ثُمَّ لَا تُنْظِرُونِ إِنِّي تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّي وَرَبِّكُمْ مَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا هُوَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقَدْ أَبْلَغْتُكُمْ مَا أُرْسِلْتُ بِهِ إِلَيْكُمْ وَيَسْتَخْلِفُ رَبِّي قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّونَهُ شَيْئًا إِنَّ رَبِّي عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَفِيظٌ وَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا نَجَّيْنَا هُودًا وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مِنَّا وَنَجَّيْنَاهُمْ مِنْ عَذَابٍ غَلِيظٍ وَتِلْكَ عَادٌ جَحَدُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ وَعَصَوْا رُسُلَهُ وَاتَّبَعُوا أَمْرَ كُلِّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ وأُتْبِعُوا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا لَعْنَةً وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ أَلَا إِنَّ عَادًا كَفَرُوا رَبَّهُمْ أَلَا بُعْدًا لِعَادٍ قَوْمِ هُودٍ} [هود: 50]
[هُودٍ: 50 - 60] .
পৃষ্ঠা - ২৮৩
অনুসরণ করত ৷ এই দৃনিয়ায়ও তাদের উপর লানত হয়েছিল ৷ আর তারা কিয়ামতের দিনও
লানতগ্রস্ত হবে ৷ জেনে ণ্রখ, আদ সম্প্রদায় তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেজ্যি ৷ জেনে
রেখ, ধ্বংসই হলো হ্রদের সম্প্রদায় আদের পরিণড়াম ৷ (সুরা হ্রদ ও ৫ : ৬০ )
সুরা :১-উ^টু-^এ ৷ এ নুহের জাতির কাহিনী শেষে আল্লাহ বলেন ং
এ
;)ন্এ৷ <ণ্ঠুন্দ্বু ৷
)
?
এে গ্রশ্লো
,
é
অর্থাৎ-তারপর তাদের পরে অন্য এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করেহ্নিাড়াম এবং তাদেরই একজনকে
তাদের প্রতি রাসুল করে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বসেছিল, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ৷ তিনি
ছাড়া তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ তবুও কি তোমরা সাবধান হবে না ? তার সম্প্রদায়ের
প্রধানগণ যারা কুফরী করেছিল ও আখিরাতের সাক্ষাৎকারকে অস্বীকার করছিল এবং যাদেরকে
আমি পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোপ-সন্তার দান করেছিলাম তারা বলেছিল : এতো তোমাদের মত
একজন মানুষই ৷ তোমরা যা খাও, সেও তাই খায়, আর যা তোমরা পান কর সেও তাই পান
করে ৷ যদি তোমরা তােমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর তবে তোমরা অবশ্যই
ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷
সে কি তোমাদের এই প্রতিশ্রুতি দেয় যে, তোমাদের মৃত্যু হলে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে
পরিণত হয়ে গেলেও তােমাদেরকে পুনরুথিত করা হবো অসম্ভব, তােমাদেরকে যে বিষয়ে
প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তা অসম্ভব ৷ একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন, আমরা মরি-র্বাচি
এখানেই ৷ আর কখনও আমরা পুনরুথিত হয় না ৷ সে তো এমন এক ব্যক্তি, যে আল্লাহ সম্বন্ধে
মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে এবং আমরা কখনই তাকে বিশ্বাস করব না ৷ সে বলল, হে আমার
প্রতিপালক ! আমাকে সাহায্য কর; কারণ এরা আমাকে মিথ্যাবাদী প্ৰতিপন্ন করে ৷
وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ: {قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ} [المؤمنون: 1] بَعْدَ قِصَّةِ قَوْمِ نُوحٍ: {ثُمَّ أَنْشَأْنَا مِنْ بَعْدِهِمْ قَرْنًا آخَرِينَ فَأَرْسَلْنَا فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ أَفَلَا تَتَّقُونَ وَقَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِهِ الَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِلِقَاءِ الْآخِرَةِ وَأَتْرَفْنَاهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا مَا هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يَأْكُلُ مِمَّا تَأْكُلُونَ مِنْهُ وَيَشْرَبُ مِمَّا تَشْرَبُونَ وَلَئِنْ أَطَعْتُمْ بَشَرًا مِثْلَكُمْ إِنَّكُمْ إِذًا لَخَاسِرُونَ أَيَعِدُكُمْ أَنَّكُمْ إِذَا مِتُّمْ وَكُنْتُمْ تُرَابًا وَعِظَامًا أَنَّكُمْ مُخْرَجُونَ هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ لِمَا تُوعَدُونَ إِنْ هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا نَحْنُ بِمَبْعُوثِينَ إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا وَمَا نَحْنُ لَهُ بِمُؤْمِنِينَ قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ قَالَ عَمَّا قَلِيلٍ لَيُصْبِحُنَّ نَادِمِينَ فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ بِالْحَقِّ فَجَعَلْنَاهُمْ غُثَاءً فَبُعْدًا لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [المؤمنون: 31]
পৃষ্ঠা - ২৮৪
আল্লাহ বললেন, অচিরেই এরা অনুতপ্ত হবেই ৷ তারপর সত্য সত্যই এক ৰিকটআওয়াজ
তাদেরকে আঘাত করল এবং আমি তাদেরকে তরংগ তাড়িত আবর্জনা সদৃশ করেছিলাম ৷
সুতরাং ধ্বংস হয়ে গেল জালিম সম্প্রদায় ৷ (সুরা মুমিনুন : ৩ ১ ৪ ১ )
সুরা শুআরায় নুহের কাহিনী শেষে আল্লাহ বলেন ং
ঠা,
হু১ার্বুর্দ্ধ
া
ৰু;
দ্বু,;;
%
অর্থাৎ-আন সম্প্রদায় নবী-রাসুল্গণকে হ্মণ্স্বীকার করেছে ৷ যখন তাদের ডাই হ্রদ (আ)
তাদেরকে বলল, তোমরা কি সাবধান হবে না ৷ আমি তোমাদের জন্যে একজন বিশ্বস্ত রাসুল ৷
অতএব, তোমরা আৱাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর ৷ আমি এ জন্যে তোমাদের
কাছে কোন প্ৰতিদান চাই না ৷ আমার পুরস্কার তো রাববুল্ আলার্মীনের কাছে আছে ৷ তোমরা
কি প্রতিটি উচ্চ স্থানেই অর্থহীনডাবে স্মৃতি স্তষ্ নির্মাণ করহু ৷ আর তোমরা প্রাসাদ নির্মাণ করছ
এই মনে করে যে, তোমরা চিরস্থায়ী হবো আর যখন তোমরা আঘাত হান, তখন তোমরা
আঘাত হোন থাক কঠোরডাবে ৷
তোমরা আল্পাহ্কে ভয় কর এবংআমার আনুগত্য কর ৷ ভর কর তাকে যিনি তােমাদেরকে
সেই সব কিছুই দিয়েছেন যা তোমরা জান ৷ তিনি তােমাদেরকে দিয়েছেন জন্তু-জানােয়ার,
সন্তান-সস্ততি, বাগ-ৰাগিচা এবং প্ৰস্রবণ ৷ তোমাদের ব্যাপারে আমি এক মহাদিবসের
আযাবের আশঙ্কা করছি ৷ তারা জবাব হিল, তুমি নসীহত কর আর নাই কর, আমাদের জন্যে
সবই সমান ৷ এসব তো পুর্বরর্তীদেরই স্বডাব ৷ আর আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হবার লোক নই ৷
তারপর তার! তাকে প্রত্যাখ্যান করল এবং আমরা তাদেরকে ধ্বংস করলাম ৷ নিঃসন্দেহে
এতে একটি নিদর্শন রয়েছে ৷ কিত্তু তাদের অধিকাংশ সােকই মুমিন নয় ৷ এবং তোমার
প্ৰতিপালক, তিনি তো প্রবল পরাত্রুমশালী এবং পরম দয়ালুও ৷ (সুরা শুআরা : ১ ২৩ ১৪ :)
সুরা হা-মীম-আসৃ সাজদায় আল্লাহর ৰাণী৪
وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ حم السَّجْدَةِ: {وَأَمَّا عَادٌ فَاسْتَكْبَرُوا فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَقَالُوا مَنْ أَشَدُّ مِنَّا قُوَّةً أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ اللَّهَ الَّذِي خَلَقَهُمْ هُوَ أَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّةً وَكَانُوا بِآيَاتِنَا يَجْحَدُونَ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي أَيَّامٍ نَحِسَاتٍ لِنُذِيقَهُمْ عَذَابَ الْخِزْيِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَخْزَى وَهُمْ لَا يُنْصَرُونَ} [فصلت: 15]
[الْأَحْقَافِ: 21 - 25] . وَقَالَ تَعَالَى فِي الذَّارِيَاتِ: {وَفِي عَادٍ إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ} [الذاريات: 41]
[النَّجْمِ: 50 - 55] .
পৃষ্ঠা - ২৮৫
’
অর্থাৎ আদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার এই যে, তারা পৃথিবীতে অযথা ক্লেতহেত্কার করত এবং
বলত আমাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কে আছেঃ তারা অশুভ দিনসমুহে কি লক্ষ্য
করেনি যে, যে আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী? আর
তারা আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করত ৷ তারপর আমি তাদের পার্থিব জীবনে লাষ্কৃনাদায়ক
শাস্তিপ্আস্বাদন করানোর জন্যে তাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ঝড়াে হাওয়া তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম ৷
এবং পরকালের আমার তো এ থেকেও অধিক লাষ্কৃনাদায়ক এবং তাদেরকে সাহায্য করা হবে
না ৷ (সুরা হড়া-মীম আস-সাজদা : ১৫ ১৬)
সুরা আহকাফে আল্লাহর বাণী
ট্রু,ষ্ট্রু
া
গ্লে র্চ ঠর্বৃ
’
অর্থাৎ- স্মরণ কর, আদ এর ভাই এর কথা ৷ যার পুর্বে এবং পরেও সতর্ককারীরা
এসেছিল ৷ সে তার আহ্বগফ বা ৰালুকাময় উচ্চ উপত্যকার অধিবাসী সম্প্রদায়কে এ মর্মে সতর্ক
করেছিল যে, আল্লাহ ব্যতীত কারো ইবাদত করো না ৷ আমি তোমাদের ব্যাপারে এক ভয়াবহ
দিনের আযাবের আশংকা করছি ৷ তারা বলেছিল, তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্য
দেব দেবীদের থেকে নিবৃত্ত করতে এসেছ? তুমি সত্যবার্দী হলে আমাদেরকে যে ব্যাপারে ভয়
দেখাচ্ছ তা নিয়ে আন ৷
সে বলল, এর জ্ঞান তাে আল্লাহর কাছেই রয়েছে, আমি যাসহ প্রেরিত হয়েছি কেবল তাই
তোমাদের কাছে প্রচার করি ৷ কিন্তু আমি লক্ষ্য করছি, তোমরা একটি মুর্থ সম্প্রদায় ৷ পরে তারা
যখন তাদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল , তখন তারা বলতে লাগল-এতো মেঘপুঞ্জ ,
আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে ৷ না, বরং এটা তো তাই না তোমরা তাড়াতাড়ি চেয়েছিলে ৷ এতে
রষ্মেছে মর্মন্তুদ শাস্তিবাহী এক ঝড় ৷ তার প্রতিপালকের নির্দেশে সে সবকিছু ধ্বংস করে দেবে ৷
তারপর তারা এমন হয়ে গেল যে, তাদের বসতিগুদো ছাড়া আর কিছুই রইলো না ৷ বন্তুত
অপরাধী সম্প্রদায়কে আমি এমনিভাবে প্ৰতিফস দিয়ে থাকি ৷ (সুরা আহকাফ : ২১ ২৫ )
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৩৬
€০া৷া
وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ اقْتَرَبَتْ: {كَذَّبَتْ عَادٌ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي يَوْمِ نَحْسٍ مُسْتَمِرٍّ تَنْزِعُ النَّاسَ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ مُنْقَعِرٍ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ} [القمر: 18]
[الْحَاقَّةِ: 6 - 8] . وَقَالَ فِي سُورَةِ الْفَجْرِ: {أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ الَّذِينَ طَغَوْا فِي الْبِلَادِ فَأَكْثَرُوا فِيهَا الْفَسَادَ فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ} [الفجر: 6]
[الْفَجْرِ: 6 - 14] .
وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى كُلٍّ مِنْ هَذِهِ الْقِصَصِ فِي أَمَاكِنِهَا مِنْ كِتَابِنَا التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ جَرَى ذِكْرُ عَادٍ فِي سُورَةِ بَرَاءَةَ، وَإِبْرَاهِيمَ، وَالْفَرْقَانِ، وَالْعَنْكَبُوتِ، وَفِي سُورَةِ ص، وَفِي سُورَةِ ق، وَلْنَذْكُرْ مَضْمُونَ الْقِصَّةِ مَجْمُوعًا مِنْ هَذِهِ السِّيَاقَاتِ مَعَ مَا يُضَافُ إِلَى ذَلِكَ مِنَ الْأَخْبَارِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُمْ أَوَّلُ الْأُمَمِ عَبَدُوا الْأَصْنَامَ بَعْدَ الطُّوفَانِ. وَذَلِكَ بَيِّنٌ فِي قَوْلِهِ لَهُمْ: {وَاذْكُرُوا إِذْ جَعَلَكُمْ خُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِ قَوْمِ نُوحٍ وَزَادَكُمْ فِي الْخَلْقِ بَسْطَةً} [الأعراف: 69] . أَيْ ; جَعَلَهُمْ أَشَدَّ أَهْلِ زَمَانِهِمْ فِي الْخِلْقَةِ وَالشِّدَّةِ وَالْبَطْشِ. وَقَالَ فِي الْمُؤْمِنُونَ: {ثُمَّ أَنْشَأْنَا مِنْ بَعْدِهِمْ قَرْنًا آخَرِينَ} [المؤمنون: 31] .
পৃষ্ঠা - ২৮৬
সম্প্রদায়) দেখতে পেতে ওরা সেখানে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে সারশুন্য বিক্ষিপ্ত খেজুর কাণ্ডের মত ৷
এরপর ওদের কাউকে তুমি বিদ্যমান দেখতে পাও কি! (সুরা আল-হক্কোহ : ৬-৯)
সুরা আল-ফাজরে আল্লাহর বাণী৪
ষ্
§
অর্থাৎ-তুমি কি লক্ষ্য করনি, তোমার প্ৰতিপালক আদ বং শের ইরাম গোত্রের সাথে কি
করেছিলেন-যারা অধিকারী ছিল সুউচ্চ প্রাসাদেরঃ যার সমতুল্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি,
এবং ছামুদের প্রতি যারা উপত্যকায় পাথর কেটে ঘর নির্মাণ করেছিল এবং বহু সৈন্য
শিবিরের অধিপতি ফিরআউনের প্রতি যারা দেশে সীমালংঘন করেছিল এবং সেখানে প্রচুর
অশান্তি সৃষ্টি করেছিল ৷ এরপর তোমার প্ৰতিপালক ওদের উপর শাস্তির কশাঘাত হানন্সেন ৷
তোমার প্রতিপালক অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখেন ৷ (সুরা আল-ফাজর : ৭ ১ : )
এসব কাহিনী আমরা আমাদের তাফসীর গ্রন্থে সংশ্লিষ্ট স্থানসমুহে বিশদডাবে আলোচনা
করেছি ৷ আদ জাতির আলোচনা কুরআন মব্জীদের সুরা বারাআত, সুরা ইব্রাহীম , সুরা ফুরকান,
সুরা আনকাবুত, সুরা সাদ ও সুরা কাফে করা হয়েছে ৷ এ সকল স্থানের সামগ্রিক আলোচনার
সাথে অন্যান্য ঐতিহাসিক তথ্য মিলিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব ৷ পুর্বেই বলা হয়েছে
যে, আদ জাতিই নুহ (আ)-এর প্লাবনের পরে সর্বপ্রথম মুর্তিপুজার সুচনা করে ৷ তাদের সম্পর্কে
আল্লাহর বড়াণী৪
অর্থাৎ এ কথা স্মরণ কর যে, নুহের সম্প্রদায়ের পরে আল্লাহ তােমাদেরকে তাদের
স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং তোমাদের অবয়বে অধিক শক্তি দান করেছেন ৷ অর্থাৎ সমসাময়িক
কালে তারাই ছিল দৈহিত গঠন ও শক্তিতে শ্রেষ্ঠ ৷
৷ )
সুরা মুমিনুভ্রুন আল্লাহ বলেন ৷ ষ্ট্র
অর্থাৎ-তারপর আমি অন্য এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করলাম ৷ (সুরা মুমিনুনং : ৩১)
সঠিক মতড়ানুসারে এরা হল হুদ (আ) এর সম্প্রদায় ৷ তবে অন্যরা বলেন, এরা ছামুদ
জাতি ৷ প্ৰমাণস্বরুপ তারা কুরআনের এ আয়াত পেশ করেনং :
র্দুহু
অর্থাৎ সত্যি সত্যি এক বিকট শব্দ তাদেরকে পাকড়াও করল এবং আমি তাদেরকে
শুকনো ঘাসের মত করে দিলাম ৷ এখানে তাদের বক্তব্য হল, যে জাতিকে বিকট শব্দের দ্বার ৷
ধ্বংস করা হয়েছিল, তারা ছিল সালিহ্ (আ) এর সম্প্রদায়, ছাৰুদ জাতি ৷ পক্ষান্তার আদ জাতি
সম্পর্কে বলা হয়েছেং :
’ ’
وَهُمْ قَوْمُ هُودٍ عَلَى الصَّحِيحِ. وَزَعَمَ آخَرُونَ: أَنَّهُمْ ثَمُودُ. لِقَوْلِهِ: {فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ بِالْحَقِّ فَجَعَلْنَاهُمْ غُثَاءً} [المؤمنون: 41] . قَالُوا: وَقَوْمُ صَالِحٍ هَمُ الَّذِينَ أُهْلِكُوا بِالصَّيْحَةِ {وَأَمَّا عَادٌ فَأُهْلِكُوا بِرِيحٍ صَرْصَرٍ عَاتِيَةٍ} [الحاقة: 6] . وَهَذَا الَّذِي قَالُوهُ لَا يَمْنَعُ مِنِ اجْتِمَاعِ الصَّيْحَةِ وَالرِّيحِ الْعَاتِيَةِ عَلَيْهِمْ، كَمَا سَيَأْتِي فِي قِصَّةِ أَهْلِ مَدْيَنَ أَصْحَابِ الْأَيْكَةِ، فَإِنَّهُ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ أَنْوَاعٌ مِنَ الْعُقُوبَاتِ، ثُمَّ لَا خِلَافَ أَنَّ عَادًا قَبْلَ ثَمُودَ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَادًا كَانُوا عَرَبًا جُفَاةً كَافِرِينَ، عُتَاةً مُتَمَرِّدِينَ فِي عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ فِيهِمْ رَجُلًا مِنْهُمْ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ، وَإِلَى إِفْرَادِهِ بِالْعِبَادَةِ، وَالْإِخْلَاصِ لَهُ، فَكَذَّبُوهُ وَخَالَفُوهُ وَتَنَقَّصُوهُ فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ أَخْذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ، فَلَمَّا أَمَرَهُمْ بِعِبَادَةِ اللَّهِ، وَرَغَّبَهُمْ فِي طَاعَتِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ، وَوَعَدَهُمْ عَلَى ذَلِكَ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَتَوَعَّدَهُمْ عَلَى مُخَالَفَةِ ذَلِكَ عُقُوبَةَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ: {قَالَ الْمَلَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ قَوْمِهِ إِنَّا لَنَرَاكَ فِي سَفَاهَةٍ} [الأعراف: 66]
[الْأَعْرَافِ: 67] . أَيْ ; لَيْسَ الْأَمْرُ كَمَا تَظُنُّونَ، وَلَا مَا تَعْتَقِدُونَ {أُبَلِّغُكُمْ رِسَالَاتِ رَبِّي وَأَنَا لَكُمْ نَاصِحٌ أَمِينٌ} [الأعراف: 68] . وَالْبَلَاغُ يَسْتَلْزِمُ عَدَمَ الْكَذِبِ فِي أَصْلِ الْمُبَلِّغِ، وَعَدَمَ الزِّيَادَةِ فِيهِ وَالنَّقْصِ مِنْهُ، وَيَسْتَلْزِمُ إِبْلَاغَهُ بِعِبَارَةٍ فَصِيحَةٍ وَجِيزَةٍ جَامِعَةٍ مَانِعَةٍ، لَا لَبْسَ فِيهَا وَلَا اخْتِلَافَ وَلَا اضْطِرَابَ، وَهُوَ مَعَ هَذَا الْبَلَاغِ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ فِي غَايَةِ النُّصْحِ لِقَوْمِهِ، وَالشَّفَقَةِ عَلَيْهِمْ وَالْحِرْصِ عَلَى هِدَايَتِهِمْ، لَا يَبْتَغِي مِنْهُمْ أَجْرًا، وَلَا يَطْلُبُ مِنْهُمْ جُعْلًا، بَلْ
পৃষ্ঠা - ২৮৭
অর্থাত্-আদ জাতিকে ভয়াবহ প্রচণ্ড ঝঞা-ৰায়ু দ্বারা ধ্বংস করা হয় ৷ তাদের এ ব্যাখ্যা
গ্রহণ করার পরও বলা যেতে পারে যে, আদ জাতির উপর ৰিকট শব্দ ও প্রচণ্ড বায়ু উভয় প্রকার
আমারই অবতীর্ণ হয়েছিল, যেমন মাদয়ানবাসী তথা আইকার অধিবাসীদের উপর বিভিন্ন প্রকার
আযাব পতিত হয়েছিল ৷ আর এ বিষয়ে কোন মতপার্থক্য নেই যে , আদ জাতি ছিল ছামুদ
জাতির পুর্বসুরি ৷
মােটকথা, আদ সম্প্রদায় ছিল একটি অত্যাচারী কাফির, বিদ্বেষী, দাষিক ও মুর্তিপুজারী
আরব গোষ্ঠী ৷ আল্লাহ তাদের মধ্য থেকেই একজনকে তাদের নিকট রড়াসুলরুপে প্রেরণ করেন ৷
তিনি তাদেরকে নিষ্ঠার সাথে এক আল্লাহর ইবাদত করার প্রতি আহ্বান জানান ৷ কিত্তু তারা
তাকে মিথ্যাৰাদী প্রতিপন্ন করে এবং তার বিরুদ্ধাচার করে এবং তাকে হেয়প্ৰতিপন্ন করে ৷
ফলে, প্রবল পরাক্রমশালী আল্লাহ তাদেরকে কঠিনডাবে পাকড়াও করেন ৷ নবী যখন তাদেরকে
ক্ষমা প্রার্থনা করতে এবং এক আল্লাহর ইবাদত করতে বলেন এবং উদ্বুদ্ধ করেন, এর দ্বারা
ইহকাল ও পরকালে পুরষ্কার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিরুদ্ধাচরণে দুনিয়া ও আখিরাতে
শাস্তি ভোপের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন তখন০ ং
এঞে
সম্প্রদায়ের কাফির সর্দাররা বলল, আমরা তাে দেখছি তুমি নির্বোধ অর্থাৎ আমরা যে সব
মুর্তির পুজা করি তার স্থলেতু মি আমাদেরকে যেদিকে আহ্বান করছ তা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর
কিছু নয় ৷ আমরা এদের থেকে সাহায্য ও রুটি-রুজির আশা করি ৷ তা ছাড়া তোমার রাসুল
হওয়ার দাৰিকেও আমরা মিথ্যা বলে মনে করি ৷ জবাবে নবী বললেন০
া ঝুর্মু৷ ৷ও
হে আমার সম্প্রদায় আমি নির্বোধ নই, বরং আমি রাববুল অলােমীনেৱ প্রেরিত রাসুল অর্থাৎ
তোমরা যে ধারণা ও বিশ্বাস নিয়ে বসে আছ ব্যাপারটা ঠিক তা নয় ৷
)
র্দু,ন্হু ৷ ৫’া১ ,ও৷ ৷; ৷ ; ;,:§ এর্বু৷ ৷র্চুএ ণ্ধুএএ ৷
(আমি আমার প্রতিপালকের বার্তা তোমাদের কাছে পৌছিয়ে দিচ্ছি আর আমি তোমাদের
একজন বিশ্বস্ত হিতাকাডক্ষী ৷ (৭ আ রাফং , ৬৬-৬৮) ৷ব্ড়ার্তা পৌছানাের মধ্যে মিথ্যা বলার
অবকাশ নেই , এক্ষেত্রে মুল বার্তার হ্রাস-বৃদ্ধি করার কোন সুষেপে নেই ৷
তা ছাড়া কোন বার্তার ভাষা হয়ে থাকে প্রাঞ্জল, সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ জ্ঞাপক ৷ যা হয়ে
থাকে দ্ব্যর্থহীন ও পরস্পর বিরোধিতা মুক্ত ৷ বিতর্কের অবকাশ সেখানে থাকে না ৷ এভাবে
আল্লাহর বার্তা পৌছে দেয়ার পরও তিনি নিজ জাতিকে সদুপদেশ দেন, তাদের প্রতি করুণা
প্রদর্শন করেন, তাদের সৎপথ প্রাপ্তির জন্যে তীব্র আকাক্ষে৷ পোষণ করেন ৷ তিনি তার এ
কাজের জন্যে তাদের থেকে কোন বিনিময় বা পারিশ্রমিক কামনা করেননি ৷ বরং তিনি দাওয়াতী
কাজে ও উপদেশ বিতরণে একনিষ্ঠ ও অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন ৷ তিনি ফেবস্ তার প্রেরণকারী
মাওলার কাছেহ পুরক্ষাংরর আশা করতেন, কেননা দুনিয়া ও আখিরাতের সর্ব প্রকার মঙ্গল
তারই হাতে :
هُوَ مُخْلِصٌ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي الدَّعْوَةِ إِلَيْهِ، وَالنُّصْحِ لِخَلْقِهِ لَا يَطْلُبُ أَجْرَهُ إِلَّا مِنَ الَّذِي أَرْسَلَهُ فَإِنَّ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ كُلَّهُ فِي يَدَيْهِ، وَأَمْرُهُ إِلَيْهِ، وَلِهَذَا قَالَ: {يَا قَوْمِ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى الَّذِي فَطَرَنِي أَفَلَا تَعْقِلُونَ} [هود: 51] . أَيْ ; مَا لَكُمْ عَقْلٌ تُمَيِّزُونَ بِهِ وَتَفْهَمُونَ أَنِّي أَدْعُوكُمْ إِلَى الْحَقِّ الْمُبِينِ الَّذِي تَشْهَدُ بِهِ فِطَرُكُمُ الَّتِي خُلِقْتُمْ عَلَيْهَا، وَهُوَ دِينُ الْحَقِّ الَّذِي بَعَثَ اللَّهُ بِهِ نُوحًا، وَأَهْلَكَ مَنْ خَالَفَهُ مِنَ الْخَلْقِ، وَهَا أَنَا أَدْعُوكُمْ إِلَيْهِ، وَلَا أَسْأَلُكُمْ أَجْرًا عَلَيْهِ، بَلْ أَبْتَغِي ذَلِكَ عِنْدَ اللَّهِ مَالِكُ الضُّرِّ وَالنَّفْعِ، وَلِهَذَا قَالَ مُؤْمِنُ يس: {اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ} [يس: 21] . [هُودٍ: 53] . يَقُولُونَ: مَا جِئْتَنَا بِخَارِقٍ يَشْهَدُ لَكَ بِصِدْقِ مَا جِئْتَ بِهِ. وَمَا نَحْنُ بِالَّذِينِ نَتْرُكُ عِبَادَةَ أَصْنَامِنَا عَنْ مُجَرَّدِ قَوْلِكَ بِلَا دَلِيلٍ أَقَمْتَهُ، وَلَا بُرْهَانٍ نَصَبْتَهُ، وَمَا نَظُنُّ إِلَّا أَنَّكَ مَجْنُونٌ فِيمَا تَزْعُمُهُ، وَعِنْدَنَا ; إِنَّمَا أَصَابَكَ هَذَا أَنَّ بَعْضَ آلِهَتِنَا غَضِبَ عَلَيْكَ فَأَصَابَكَ فِي عَقْلِكَ فَاعْتَرَاكَ جُنُونٌ بِسَبَبِ ذَلِكَ، وَهُوَ قَوْلُهُمْ: {إِنْ نَقُولُ إِلَّا اعْتَرَاكَ بَعْضُ آلِهَتِنَا بِسُوءٍ قَالَ إِنِّي أُشْهِدُ اللَّهَ وَاشْهَدُوا أَنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ مِنْ دُونِهِ فَكِيدُونِي جَمِيعًا ثُمَّ لَا تُنْظِرُونِ} [هود: 54] . أَنْتُمْ وَهِيَ جَمِيعًا بِجَمِيعِ مَا يُمْكِنُكُمْ أَنْ تَصِلُوا
পৃষ্ঠা - ২৮৮
ব্লুার্মু৷ ণ্ার্চুঘ্র
এেটু এে, এেষ্কৃ ) ণ্গ্-ঞে ষ্ন্ঞ ?ঠা
নবী বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের নিকট থেকে আমি কোন বিনিময় চাই না ৷
আমার পুরস্কার তো রয়েছে র্তারই কাছে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন ৷ তোমরা কি তবুও
অনুধাবন করবে না ? (সুরা হুদ০ ৫১)
অর্থাৎ৫ আমাদের কি এ৩ ন্টুকু বিবেক-বুদ্ধি নেই যার দ্বারা ভাল-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় করতে
পার এবং এ কথা বুঝতে সক্ষম হও যে, আমি তোমাদের এমন এক সুস্পষ্ট সত্যের দিকে
আহ্বান করছি তোমাদের স্বভাবধ্ন্ইি যার সভ্যতার সাক্ষ্যবহ ৷ এটাই সেই সত্য দীন যা আল্লাহ
ইতিপুর্বে নুহের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন এবং এর বিরোধিতাকারীদের মজা করে দিয়েছিলেন ৷
আর এখন আমি তােমাদেরকে সেদিবেইি আহ্বান করছি এবং এর বিনিময়ে তোমাদের থেকে
কিছুই চাই না, বরং কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক আল্লাহর কাছেই এর পুরস্কারের প্রত্যাশা রাখি ৷
এ কারণেই সুরা ইয়াসীনে জনৈক যু মিনের উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে যেং :
) é
এ
অর্মুসরণ কর তাদের যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না , আর যারা
হিদায়াতপ্রাপ্ত ৷ আমি কেন সেই সত্তার ইবাদত করব না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, এবং যার
কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হয়ে তার ইবাদত করব না ? হুদ নবীর সম্প্রদায় তাকে জবাব দিল :
’
হে হ্রদ ! তুমি আমাদের কাছে কোন সুশা প্রমাণ নিয়ে আসনি,ণ্ তোমার মুখের কথায়ই
আমরা আমাদের উপাস্য দেব-দেবীকে পরিত্যাগ করতে পারি না ৷ আমরা তাে তোমাকে
বিশ্বাসই করি না ৷ আমরা তো এটাই বলি যে, তোমার উপর আমাদের কোন উপাস্যের অশুভ
দৃষ্টি পড়েছে ৷ (সুরা হ্রদ : ৫৩)
তারা বলত, হে হ্রদ ! তুমি তো এমন অলৌকিক কিছু নিয়ে আসনি, যা তোমার দাবির
সভ্যতার সপক্ষে সাক্ষ্য বহন করে ৷ আর বিনা প্রমাণে আমরা কেবল তোমার মুখের কথায়
আমাদের দেব-দেবীর উপাসনা ত্যাগ করব না ৷ আমাদের ধারণা হচ্ছে, তুমি পাগল হয়ে গেছ,
অর্থাৎ আমাদের কোন উপাস্য তোমার উপর ক্রুদ্ধ হওয়ায় তোমার জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পেয়ে গেছে
এবং এ কারণে তুমি পাগল হয়ে গেছ ৷ তাদের উত্তরে নবী বললেন ং
)
’ ’
إِلَيْهِ، وَتَقْدِرُوا عَلَيْهِ، وَلَا تُؤَخِّرُونِي سَاعَةً وَاحِدَةً، وَلَا طَرْفَةَ عَيْنٍ فَإِنِّي لَا أُبَالِي بِكُمْ، وَلَا أُفَكِّرُ فِيكُمْ، وَلَا أَنْظُرُ إِلَيْكُمْ {إِنِّي تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّي وَرَبِّكُمْ مَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا هُوَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [هود: 56] . أَيْ ; أَنَا مُتَوَكِّلٌ عَلَى اللَّهِ وَمُتَأَيِّدٌ بِهِ. وَوَاثِقٌ بِجَنَابِهِ الَّذِي لَا يَضِيعُ مَنْ لَاذَ بِهِ. وَاسْتَنَدَ إِلَيْهِ، فَلَسْتُ أُبَالِي مَخْلُوقًا سِوَاهُ، وَلَسْتُ أَتَوَكَّلُ إِلَّا عَلَيْهِ، وَلَا أَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ، وَهَذَا وَحْدَهُ بُرْهَانٌ قَاطِعٌ عَلَى أَنَّ هُودًا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّهُمْ عَلَى جَهْلٍ وَضَلَالٍ فِي عِبَادَتِهِمْ غَيْرَ اللَّهِ ; لِأَنَّهُمْ لَمْ يَصِلُوا إِلَيْهِ بِسُوءٍ، وَلَا نَالُوا مِنْهُ مَكْرُوهًا، فَدَلَّ عَلَى صِدْقِهِ فِيمَا جَاءَهُمْ بِهِ وَبُطْلَانِ مَا هُمْ عَلَيْهِ، وَفَسَادِ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ، وَهَذَا الدَّلِيلُ بِعَيْنِهِ قَدِ اسْتَدَلَّ بِهِ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَبْلَهُ فِي قَوْلِهِ: {يَا قَوْمِ إِنْ كَانَ كَبُرَ عَلَيْكُمْ مَقَامِي وَتَذْكِيرِي بِآيَاتِ اللَّهِ فَعَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْتُ فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ وَشُرَكَاءَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُنْ أَمْرُكُمْ عَلَيْكُمْ غُمَّةً ثُمَّ اقْضُوا إِلَيَّ وَلَا تُنْظِرُونِ} [يونس: 71] . وَهَكَذَا قَالَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {وَلَا أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبِّي شَيْئًا وَسِعَ رَبِّي كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ وَكَيْفَ أَخَافُ مَا أَشْرَكْتُمْ وَلَا تَخَافُونَ أَنَّكُمْ أَشْرَكْتُمْ بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا فَأَيُّ الْفَرِيقَيْنِ أَحَقُّ بِالْأَمْنِ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ وَتِلْكَ حُجَّتُنَا آتَيْنَاهَا إِبْرَاهِيمَ عَلَى قَوْمِهِ نَرْفَعُ دَرَجَاتٍ مَنْ نَشَاءُ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ} [الأنعام: 80]
[الْمُؤْمِنُونَ: 33 - 35] .
পৃষ্ঠা - ২৮৯
আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি, আর তোমরাও সাক্ষী থাক যে, আল্লাহ ব্যতীত তোমরা আর
যা কিছুকে আল্লাহর শরীক কর, সে সবের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ অতঃপর সকলে
মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর এবং আমাকে কােনরুপ অবকাশ দিও না ৷ (সুরা হুদ : ৫৫)
এটা নবীর পক্ষ থেকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি চ্যালেঞ্জস্বরুপ ৷ তাদের দেব দেবী থেকে
নিজেকে সম্পর্কহীন রাখার চুড়ান্ত ঘোষণা ও দেব দেবীর অসার৩ ৷ প্রতিপন্নকারী উক্তি ৷ তিনি
বলছেন, ঐসব দেব দেবী না কোন উপকার করতে পারে, না কোন ক্ষতি; জড় পদার্থ ছাড়া
ওগুলো আর কিছুই নয়, হুকুম একমাত্র আল্লাহর চলে এবং তিনিই সব কাজের নিয়স্তা ৷ তোমরা
যা বিশ্বাস কর, ওরাই সাহায্যউপকার করে ৷ ওরাই ক্ষতি সাধন কভ্রুর;-ছু র্টুবিস্খাসের)সড়াথে
আমার কোন সম্পর্ক নেই আমি এগুলোকে অতিসস্পাত দেই ৷ ;, ,শু£;:১৷ ন্; ১ ,া হ্রব্র
অর্থাৎ-আমার বিরুদ্ধে তোমরা ষড়যন্ত্র পাকাও এবং আমাকে অবকাশ দিও না ৷
অর্থাৎ তোমাদের সমস্ত শক্তি ও উপায়-উপকরণ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যা করার তা করতে
পড়ার ৷ এ ব্যাপারে এক মুহুর্তও আমাকে অবকাশ দিও না; কেননা আমি তোমাদের কোন পরোয়া
করি না, এতে আমি চিস্তি৩ ও নই এবং তোমাদের প্ৰতি আদৌ কোন ভ্রাহ্মেপও করি না ৷
(,«
া
আমি আল্লাহর উপর ভরসা রাখি, তিনি আমার বব, তোমাদেরও রব, এমন কোন প্রাণী
নেই যে তার পুর্ণ নিয়স্ত্রণাধীন নয় ৷ বন্তুত আমার প্রতিপালকই সরল সঠিক পথে আছেন’ ৷
অর্থাৎ আমার ভরসা একমাত্র আল্লাহরই উপর ৷ তার নিকটই আমি সাহায্যপ্রার্থী, তার উপর
আমার পুর্ণ আস্থা রয়েছে ৷ যে ব্যক্তি তার কাছে শরণ নেয়, ভাবে তিনি ধ্বংস হতে দেন না ৷
তাকে ছাড়া কোন সৃষ্টির পরোয়া আমি করি না, তিনি ছাড়া অন্য কারও উপর আমি নির্ভর করি
না ৷ তিনি ছাড়া কারও ইবীদতও আমি করুি না ৷ এই একটি মাত্র বাক্যই এ ব্যাপারে অকাট্য
দলীল যে, হযরত হ্রদ (আ) আল্লাহর বান্দা ও র্ত ৷র রাসুল ৷ আর তার কওমের লোকেরা ভ্রড়াস্তি ও
মুর্থতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে দেব-দেবীর পুজা করত ৷ তারা নবীর
বিন্দুমাত্র ক্ষতি সাধন করতে পারেনি ৷ এটা তার আনীত দীনের সভ্যতার ও বিরোধীদের মত ও
পথের ভ্রান্তির প্রমাণবহ ৷ :fi§ পুর্বে নুহ (আ)ও ঠিক এ দলীলই পেশ করেছিলেন যেমন :
াপ্রুছুশু ৷ ন্ৰুৰুত্ত:
হে আমার সম্প্রদায়! আমার অবন্থিতি ও আল্লাহর নিদর্শনাবলী দ্বারা আমার উপদেশদান
তোমাদের নিকট যদি দুঃসহ হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে আমি তো আল্লাহর উপরই নির্ভর করি ৷
তোমরা যাদেরকে শরীক করেছ৩ ৩াদেরসহ তোমাদের কর্তব্য স্থির কর ৷ পরে যেন কর্তব্য
বিষয়ে তোমাদের কোন সংশয় না থাকে ৷ আমার সম্বন্ধে তোমাদের কম নিষ্পন্ন করে ফেল এবং
আমাকে অবকাশ দিও না ৷ (সুরা ইউনুস : ৭১)
اسْتَبْعَدُوا أَنْ يَبْعَثَ اللَّهُ رَسُولًا بَشَرِيًّا، وَهَذِهِ الشُّبْهَةُ أَدْلَى بِهَا كَثِيرٌ مِنْ جَهَلَةِ الْكَفَرَةِ قَدِيمًا وَحَدِيثًا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {أَكَانَ لِلنَّاسِ عَجَبًا أَنْ أَوْحَيْنَا إِلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ أَنْ أَنْذِرِ النَّاسَ} [يونس: 2] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا مَنَعَ النَّاسَ أَنْ يُؤْمِنُوا إِذْ جَاءَهُمُ الْهُدَى إِلَّا أَنْ قَالُوا أَبَعَثَ اللَّهُ بَشَرًا رَسُولًا قُلْ لَوْ كَانَ فِي الْأَرْضِ مَلَائِكَةٌ يَمْشُونَ مُطْمَئِنِّينَ لَنَزَّلْنَا عَلَيْهِمْ مِنَ السَّمَاءِ مَلَكًا رَسُولًا} [الإسراء: 94] . أَيْ ; لَيْسَ هَذَا بِعَجِيبٍ فَإِنَّ اللَّهَ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ. وَقَوْلُهُ: {أَيَعِدُكُمْ أَنَّكُمْ إِذَا مِتُّمْ وَكُنْتُمْ تُرَابًا وَعِظَامًا أَنَّكُمْ مُخْرَجُونَ هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ لِمَا تُوعَدُونَ إِنْ هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا نَحْنُ بِمَبْعُوثِينَ إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا وَمَا نَحْنُ لَهُ بِمُؤْمِنِينَ} [المؤمنون: 35] . أَيْ ; يَمُوتُ قَوْمٌ وَيَحْيَا آخَرُونَ. وَهَذَا هُوَ اعْتِقَادُ الدَّهْرِيَّةِ، كَمَا يَقُولُ بَعْضُ الْجَهَلَةِ مِنَ الزَّنَادِقَةِ: أَرْحَامٌ تَدْفَعُ، وَأَرْضٌ تَبْلَعُ.
وَأَمَّا الدُّورِيَّةُ فَهُمُ الَّذِينَ يَعْتَقِدُونَ أَنَّهُمْ يَعُودُونَ إِلَى هَذِهِ الدَّارِ بَعْدَ كُلِّ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفَ سَنَةٍ. وَهَذَا كُلُّهُ كَذِبٌ، وَكُفْرٌ وَجَهْلٌ وَضَلَالٌ، وَأَقْوَالٌ بَاطِلَةٌ، وَخَيَالٌ فَاسِدٌ بِلَا بُرْهَانٍ، وَلَا دَلِيلٍ يَسْتَمِيلُ عَقْلَ الْفَجَرَةِ الْكَفَرَةِ مِنْ بَنِي آدَمَ الَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ وَلَا يَهْتَدُونَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلِتَصْغَى إِلَيْهِ أَفْئِدَةُ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ وَلِيَرْضَوْهُ وَلِيَقْتَرِفُوا مَا هُمْ مُقْتَرِفُونَ} [الأنعام: 113] . وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا وَعَظَهُمْ بِهِ: {أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ آيَةً تَعْبَثُونَ وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ} [الشعراء: 128] . يَقُولُ لَهُمْ: أَتَبْنُونَ بِكُلِّ مَكَانٍ مُرْتَفِعٍ بَنَاءً عَظِيمًا هَائِلًا كَالْقُصُورِ، وَنَحْوِهَا
পৃষ্ঠা - ২৯০
হযরত ইব্রাহীম খলীল (আ) ও এরুপই বলেছিলেন :
এো
ৰুাড্রু
গ্রসৌং
এ
(fl
আমার প্রতিপালক অন্যরুপ ইচ্ছা না করলে তোমরা যাকে তার শয়ীক কর তাকে আমি ভয়
করি না ৷ সব কিছুই আমার প্রতিপালকের জ্ঞানায়ত্ত ৷ তবে কি তোমরা অবধান করবে না?
তোমরা যাকে আল্লাহর শরীক কর আমি তাকে কেমন করে ভয় করব, অথচ তোমরা আল্লাহর
শরীক করতে ভয় কর না যে বিষয়ে তিনি তােমাদেরকে কোন সনদ দেননিঃ সুতরাং যদি
তোমরা জান তবে বল, দুই দলের মধ্যে কোন দল নিরাপত্তা লাভের অধিকারী ৷ যারা ঈমান
এসেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি নিরাপত্তা তাদেরই জন্য, তারাই
সৎপথ প্রাপ্ত ৷ এবং এটা আগের যুক্তিপ্রমাণ যা ইবরাহীমকে দিয়েছিলাম তার সম্প্রদায়ের
মুকাবিলায় , যাকে ইচ্ছে মর্যাদার আমি উন্নীত করি; তোমার প্ৰতিপালক প্ৰজ্ঞাময় , জ্ঞানী ৷ (সুরা
আনুআম ষ্ ৮০-৮৩)
) ’
ঢ£দ্বু
ণ্ট্রুন্ ৷ ১ ৷
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা কুফরী করেছিল এবং আখিরাতের সাক্ষাৎকারকে অস্বীকার
করেছিল এবং যাদেরকে আমি দিয়েছিলাম পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগ-সম্ভার, তারা বলেছিল,
এতো তোমাদের মত একজন মানুষই; তোমরা যা খাও, সে তাে তাই পায় এবং তোমরা যা পান
কর, সেও তাই পান করে ৷ যদি তোমরা ণ্তামাদেবই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর তবে
তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷ সে কি ণ্তামাদেরকে এ প্রতিশ্রুতি দেয়-৫তড়ামাদের মৃত্যু হলে
এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে গেলেও তোমাদেরকে পুনরুথিত করা হবে ৷ (সুরা
মুমিনুন : ৩৩ ৩৫ )
تَعْبَثُونَ بِبِنَائِهَا ; لِأَنَّهُ لَا حَاجَةَ لَكُمْ فِيهِ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَسْكُنُونَ الْخِيَامَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ} [الفجر: 6] . فَعَادُ إِرَمَ هُمْ عَادٌ الْأُولَى الَّذِينَ كَانُوا يَسْكُنُونَ الْأَعْمِدَةَ الَّتِي تَحْمِلُ الْخِيَامَ.
وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ إِرَمَ مَدِينَةٌ مِنْ ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ، وَهِيَ تَتَنَقَّلُ فِي الْبِلَادِ فَقَدْ غَلِطَ وَأَخْطَأَ. وَقَالَ مَا لَا دَلِيلَ عَلَيْهِ. وَقَوْلُهُ: {وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ} [الشعراء: 129] . قِيلَ: هِيَ الْقُصُورُ. وَقِيلَ: بُرُوجُ الْحَمَامِ. وَقِيلَ: مَآخِذُ الْمَاءِ. {لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ} [الشعراء: 129] . أَيْ ; رَجَاءً مِنْكُمْ أَنْ تُعَمِّرُوا فِي هَذِهِ الدَّارِ أَعْمَارًا طَوِيلَةً {وَإِذَا بَطَشْتُمْ بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُمْ بِمَا تَعْلَمُونَ أَمَدَّكُمْ بِأَنْعَامٍ وَبَنِينَ وَجَنَّاتٍ وَعُيُونٍ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [الشعراء: 130] . وَقَالُوا لَهُ فِيمَا قَالُوا: {أَجِئْتَنَا لِنَعْبُدَ اللَّهَ وَحْدَهُ وَنَذَرَ مَا كَانَ يَعْبُدُ آبَاؤُنَا فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ} [الأعراف: 70] . أَيْ ; أَجِئْتَنَا لِنَعْبُدَ اللَّهَ وَحْدَهُ، وَنُخَالِفُ آبَاءَنَا وَأَسْلَافَنَا، وَمَا كَانُوا عَلَيْهِ فَإِنْ كُنْتَ صَادِقًا فِيمَا جِئْتَ بِهِ فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا مِنَ الْعَذَابِ وَالنَّكَالِ، فَإِنَّا لَا نُؤْمِنُ بِكَ وَلَا نَتْبَعُكَ وَلَا نُصَدِّقُكَ، كَمَا قَالُوا: {سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُنْ مِنَ الْوَاعِظِينَ إِنْ هَذَا إِلَّا خُلُقُ الْأَوَّلِينَ وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ} [الشعراء: 136] . أَمَّا عَلَى قِرَاءَةِ فَتْحِ الْخَاءِ فَالْمُرَادُ بِهِ اخْتِلَاقُ الْأَوَّلِينَ أَيْ ; أَنَّ هَذَا الَّذِي جِئْتَ بِهِ إِلَّا اخْتِلَاقٌ مِنْكَ، وَأَخَذْتَهُ مِنْ كُتُبِ الْأَوَّلِينَ هَكَذَا فَسَّرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَالتَّابِعَيْنِ، وَأَمَّا عَلَى قِرَاءَةِ ضَمِّ الْخَاءِ وَاللَّامِ فَالْمُرَادُ بِهِ الدِّينُ أَيْ ; إِنْ هَذَا الدِّينَ الَّذِي نَحْنُ عَلَيْهِ إِلَّا دِينُ الْآبَاءِ وَالْأَجْدَادِ مِنْ أَسْلَافِنَا، وَلَنْ نَتَحَوَّلَ عَنْهُ وَلَا نَتَغَيَّرَ وَلَا نَزَالُ مُتَمَسِّكِينَ بِهِ. وَيُنَاسِبُ كِلَا الْقِرَاءَتَيْنِ الْأُولَى وَالثَّانِيَةِ قَوْلُهُمْ: {وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ} [الشعراء: 138] . قَالَ: {قَدْ وَقَعَ عَلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ رِجْسٌ وَغَضَبٌ أَتُجَادِلُونَنِي فِي أَسْمَاءٍ سَمَّيْتُمُوهَا أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ مَا نَزَّلَ اللَّهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ فَانْتَظِرُوا إِنِّي مَعَكُمْ مِنَ الْمُنْتَظِرِينَ} [الأعراف: 71] .
পৃষ্ঠা - ২৯১
একজন মানুষকে আল্লাহ রাসুলরুপে পাঠব্ববেন এটা তাদের কাছে অযৌজ্যি মনে হত ৷
প্রাচীন ও আধুনিক যুগের অনেক মুর্থ কাফির এ যুক্তিই উপস্থাপন করেছে ৷ যেমন আল্লাহ
তাআলা বলেন
মানুষের জন্য এটা কি আশ্চর্যের বিষয় যে, আমি তাদ্যেইি একজনের কাছে ওহী প্রেরণ
করেছি এ মর্মে যে তুমি মাব্লুষকে সতর্ক কর (সুরা ইউনুসঃ ২) এবং আল্লাহর বাণী০
যখন তাদের কাছে আসে পথনির্দেণ তখন দোকদেৱকে ঈমান আসা থেকে বিরত কাখে
তাদ্যেশ্ব এ উক্তি আল্লাহ কি মানুধ্কেই রাসুল করে পাঠিয়েছেন? বল, ফেরেশতাগণ যদি নিশ্চিত
হয়ে পৃণিষীষ্মেবিচন্নণ করত, তবে আমি আকাশ থেকে ফেরেশতাই তাদের নিকট রাসুল করে
মোঃ ! (সুৰা জ্জী মোঃ : ৯৪-৯৫)
এ গোহ্দ আে) তান্যেচ্ক ৰ্মোঃ :
ব্ল
ণ্হ্র ) এে
ণ্তামরা কি বিস্মিত হ্ষ্হু যে তােম্যাদ্মস্থ একজনের মাধ্যমে তােমাদ্যো প্রতিপালকেৱ কাছ
থেকে ভেমোদের কাছে উপদেশ এসেছে যাতে সে তেড়ামাদের সতর্ক করে ৷ ( সুরা আরাফ :
৬৩)
মোটেই আশ্চর্যজ্ঞাক নয় ৷ কেননা আল্লাহ্ই ভাল জানেন যে, তিনি রিসলোঃত্যা দায়িতু
কাকে দিবেন ৷ আল্লাহর ৰাণীং
র্বণ্া! )
,;
?
ন্
ান্
সে কি তােমাদেরকে এ প্রতিশ্রুতি দেয় যে ৷ভামাদের মৃত্যু হলে এবং তোমরা মাটি ও
হাড়ে পরিণত হলেও ণ্তামাদেরকে পুনরুখিত করা হবো অসম্ভব, তােমাদেরকে যে বিষয়ে
প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অসম্ভব ৷ একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদ্যেক্র জীবন ৷ আমরা মরির্ঘাচি
এখানেই এবং আমরা পৃনরুথিত হয় না ৷ সে তো এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা
উদ্ভাবন করেছে এবং আমরা তাকে বিশ্বাস করার পাত্র নই ৷ সে বলল, হে আমার গ্রতিপালক ৷
আমাকে সাহায্য কর; কারণ ওরা আমাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে ৷ (সুরা ঘুমিনুন : ৩৫ ৩৯ )
أَيْ ; قَدِ اسْتَحَقَّيْتُمْ بِهَذِهِ الْمَقَالَةِ الرِّجْسَ، وَالْغَضَبَ مِنَ اللَّهِ أَتُعَارِضُونَ عِبَادَةَ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ بِعِبَادَةِ أَصْنَامٍ أَنْتُمْ نَحَتُّمُوهَا، وَسَمَّيْتُمُوهَا آلِهَةً مِنْ تِلْقَاءِ أَنْفُسِكُمِ اصْطَلَحْتُمْ عَلَيْهَا أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ {مَا نَزَّلَ اللَّهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ} [الأعراف: 71] . أَيْ ; لَمْ يُنَزِّلْ عَلَى مَا ذَهَبْتُمْ إِلَيْهِ دَلِيلًا وَلَا بُرْهَانًا، وَإِذَا أَبَيْتُمْ قَبُولَ الْحَقِّ وَتَمَادَيْتُمْ فِي الْبَاطِلِ، وَسَوَاءٌ عَلَيْكُمْ أَنْهَيْتُكُمْ عَمَّا أَنْتُمْ فِيهِ أَمْ لَا، فَانْتَظِرُوا الْآنَ عَذَابَ اللَّهِ الْوَاقِعَ بِكُمْ، وَبَأْسَهُ الَّذِي لَا يُرَدُّ، وَنَكَالَهُ الَّذِي لَا يُصَدُّ. وَقَالَ تَعَالَى: {قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ قَالَ عَمَّا قَلِيلٍ لَيُصْبِحُنَّ نَادِمِينَ فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ بِالْحَقِّ فَجَعَلْنَاهُمْ غُثَاءً فَبُعْدًا لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [المؤمنون: 39] . وَقَالَ تَعَالَى: {قَالُوا أَجِئْتَنَا لِتَأْفِكَنَا عَنْ آلِهَتِنَا فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ قَالَ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللَّهِ وَأُبَلِّغُكُمْ مَا أُرْسِلْتُ بِهِ وَلَكِنِّي أَرَاكُمْ قَوْمًا تَجْهَلُونَ فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا بَلْ هُوَ مَا اسْتَعْجَلْتُمْ بِهِ رِيحٌ فِيهَا عَذَابٌ أَلِيمٌ تُدَمِّرُ كُلَّ شَيْءٍ بِأَمْرِ رَبِّهَا فَأَصْبَحُوا لَا يُرَى إِلَّا مَسَاكِنُهُمْ كَذَلِكَ نَجْزِي الْقَوْمَ الْمُجْرِمِينَ} [الأحقاف: 22] . وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى خَبَرَ إِهْلَاكِهِمْ فِي غَيْرِ مَا آيَةٍ، كَمَا تَقَدَّمَ مُجْمَلًا وَمُفَصَّلًا كَقَوْلِهِ: {فَأَنْجَيْنَاهُ وَالَّذِينَ مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مِنَّا وَقَطَعْنَا دَابِرَ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَمَا كَانُوا مُؤْمِنِينَ} [الأعراف: 72] . وَكَقَوْلِهِ: {وَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا نَجَّيْنَا هُودًا وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مِنَّا وَنَجَّيْنَاهُمْ مِنْ عَذَابٍ غَلِيظٍ وَتِلْكَ عَادٌ جَحَدُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ وَعَصَوْا رُسُلَهُ وَاتَّبَعُوا أَمْرَ كُلِّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ وَأُتْبِعُوا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا لَعْنَةً وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ أَلَا إِنَّ عَادًا كَفَرُوا رَبَّهُمْ أَلَا بُعْدًا لِعَادٍ قَوْمِ هُودٍ} [هود: 58] . وَكَقَوْلِهِ:
পৃষ্ঠা - ২৯২
এ
;,
র্তোগ্লু,
এবং যখন তোমরা আঘাত হান আঘাত হোন থাক কঠোরভাবে তোমরা আল্লাহকে ভয়
কর এবং আমার আনুগত্য কর ৷ ভয় কর তাকে যিনি তােমাদেরকে দিয়েছেন ঐসব, যা তোমরা
জ্ঞাত রয়েছ ৷ তােমাদেরকে দিয়েছেন গবাদি পশু এবং সন্তান-সস্ততি, উদ্যানরাজি ও
প্রস্রবণসমুহ; আমি তোমাদের জন্যে আশংকা করি মহা দিবসের শাস্তি ৷ (সুরা শুআরা :
১ ৩ : ১ ৩ ৫ )
তারা আরো বলেছিল :
তারা বলল, তুমি কি আমাদের কাছে এই উদ্দেশ্যে এসেছ যে, আমরা যেন শুধু আল্লাহর
ইবাদত করি এবং আমাদের পুর্ব পুরুষগণ যার ইবাদত করত তা বর্জন করি? সুতরাংতু মি
সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যার ভয় দেখচ্ছে তা নিয়ে এস অর্থাৎ তোমার প্রতিশ্রুত শাস্তি নিয়ে
এস ৷ (সুরা আরাফ : ৭০)
কেননা আমরা তোমার উপর ঈমান আমি না ৷ তোমার আনুগত্য করব না এবং তোমাকে
সত্য বলে বিশ্বাসও করি না ৷ তারা বলল০ ং
অর্থাৎ তুমি উপদেশ দাও বা নাই দাও, আমাদের ক্ষেত্রে সবই সমান ৷ এসব কথাবার্তা
তাে পুর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস ছাড়া ভিন্ন কিছু নয় ৷ আর আমরা শাস্তি পাবার যোগ্য নই ৷
ড্রু শব্দটিকে এখানে অন্য কিরাআত অনুযায়ী যবর ষোগে ;া পড়া হয়ে থাকে, তখন
তার অর্থ হবে ১£া ৷ অর্থাৎ মনগড়া ব্যাপার-যা তুমি নিয়ে এসেছত তা পুর্ববর্তী কিতাব
থেকে ধার করা ৷ বেশ ক ’জন সাহাবী ও তাবেয়ী এরুপ তাফসীর করেছেন ৷ পক্ষান্তরে প্রসিদ্ধ
কিরাআত মতে ৩চু ও এর উপর পেশ দিয়ে এা পড়লে তার অর্থ হবে দীন ৷ অর্থাৎ যে
দীনের উপর আমরা আছি তা আমাদের বাপ-দাদা ও পুর্ব-পুরুষদেরই দীন; এ দীন আমরা ত্যাগ
করব না ৷ এতে কোন পরিবর্তা আনুব না ৷ এর উপরই অটল অবিচল থাকর ৷ এখানে উভয়
কিরাআতই তাদের সেই বক্তব্যের ন্সঙ্গে সঙ্গতিপুর্ণ যাতে তারা বলেছে যে, আমরা শাস্তি
প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত নই ৷ নবী জানালেন
র্চগ্রি
’
{فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ بِالْحَقِّ فَجَعَلْنَاهُمْ غُثَاءً فَبُعْدًا لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [المؤمنون: 41] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَكَذَّبُوهُ فَأَهْلَكْنَاهُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ} [الشعراء: 139] .
وَأَمَّا تَفْصِيلُ إِهْلَاكِهِمْ ; فَلَمَّا قَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا بَلْ هُوَ مَا اسْتَعْجَلْتُمْ بِهِ رِيحٌ فِيهَا عَذَابٌ أَلِيمٌ} [الأحقاف: 24] . كَانَ هَذَا أَوَّلَ مَا ابْتَدَأَهُمُ الْعَذَابُ أَنَّهُمْ كَانُوا مُمْحِلِينَ مُسْنِتِينَ فَطَلَبُوا السُّقْيَا، فَرَأَوْا عَارِضًا فِي السَّمَاءِ وَظَنُّوهُ سُقْيَا رَحْمَةٍ فَإِذَا هُوَ سُقْيَا عَذَابٍ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {بَلْ هُوَ مَا اسْتَعْجَلْتُمْ بِهِ} [الأحقاف: 24] . أَيْ ; مِنْ وُقُوعِ الْعَذَابِ. وَهُوَ قَوْلُهُمْ: {فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ} [الأحقاف: 22] . وَمِثْلُهَا فِي الْأَعْرَافِ.
وَقَدْ ذَكَرَ الْمُفَسِّرُونَ وَغَيْرُهُمْ هَاهُنَا الْخَبَرَ. الَّذِي ذَكَرَهُ الْإِمَامُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: فَلَمَّا أَبَوْا إِلَّا الْكُفْرَ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أُمْسِكَ عَنْهُمُ الْمَطَرُ ثَلَاثَ سِنِينَ حَتَّى جَهَدَهُمْ ذَلِكَ. قَالَ: وَكَانَ النَّاسُ إِذَا جَهَدَهُمْ أَمْرٌ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ فَطَلَبُوا مِنَ اللَّهِ الْفَرَجَ مِنْهُ إِنَّمَا يَطْلُبُونَهُ بِحَرَمِهِ وَمَكَانِ بَيْتِهِ. وَكَانَ مَعْرُوفًا عِنْدَ أَهْلِ ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَبِهِ الْعَمَالِيقُ مُقِيمُونَ وَهُمْ مِنْ سُلَالَةِ عِمْلِيقَ بْنِ لَاوَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، وَكَانَ سَيِّدُهُمْ إِذْ ذَاكَ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ بَكْرٍ، وَكَانَتْ أُمُّهُ مِنْ قَوْمِ عَادٍ، وَاسْمُهَا: جَلْهَدَةُ ابْنَةُ الْخَيْبَرِيِّ. قَالَ: فَبَعَثَ عَادٌ وَفْدًا قَرِيبًا مِنْ سَبْعِينَ رَجُلًا لِيَسْتَقُوا لَهُمْ عِنْدَ الْحَرَمِ، فَمَرُّوا بِمُعَاوِيَةَ بْنِ بَكْرٍ بِظَاهِرِ مَكَّةَ فَنَزَلُوا عَلَيْهِ فَأَقَامُوا عِنْدَهُ شَهْرًا يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ تُغَنِّيهِمُ الْجَرَدَاتَانِ قَيْنَتَانِ لِمُعَاوِيَةَ وَكَانُوا قَدْ وَصَلُوا إِلَيْهِ فِي شَهْرٍ، فَلَمَّا طَالَ مُقَامُهُمْ عِنْدَهُ، وَأَخَذَتْهُ شَفَقَةٌ
পৃষ্ঠা - ২৯৩
সে বলল, তোমাদের প্রতিপালকের শান্তি ও ক্রোধ তো তোমাদের জন্য নির্ধারিত হয়েই
আছে, তবে কি তোমরা আমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাও এমন কতকগুলো নাম সম্পর্কে যা
তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষগণ সৃষ্টি করেছ এবং যে সম্পর্কে আল্লাহ কোন সনদ পাঠান নি ?
সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্ৰভীক্ষা করছি ৷ (সুরা আরাফ : ৭১)
অর্থাৎ এ জাতীয় কথার কারণে তোমরা আল্লাহর শান্তি ও ক্রোধের পাত্র হয়ে গিয়েছ; এক
ও অদ্বিতীয় আল্লাহর ইবাদতের মুকাবিলায় তোমরা সেই সব মুর্তির পুজা করছ, যা তোমরা
নিজেদের হাতে তৈরি করে নামকরণ করেছ ইলাহ্ বলে আখ্যায়িত করেছ ৷ আর তোমাদের
পুর্ব-পুরুষরাও এই কমই করেছে ৷ তোমাদের এরুপ কর্মের কোন দলীল বা ভিত্তি নেই ৷ সুতরাং
হক কথা শুনতে ও মানতে যখন অস্বীকার করছ এবং বাতিলের উপর অটল থাকার সিদ্ধান্তু
নিয়েছ, আর আমার সতর্ক করা না করা যখন সমান হয়ে গেছে, তা হলে এখন তোমরা আল্লাহর
আমার ও শাস্তির অপেক্ষায় থাক যা ঠেকানাের শক্তি কারও নেই ৷ আল্লাহর বাণীও
সে বলল : হে আমার প্ৰতিপালক ! আমাকে সাহায্য কর ৷ কারণ, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী
বলে ৷ আল্লাহ বললেন, অচিরেই তারা অবশ্যই অনুতও হবে ৷ তারপর সত্যি সত্যিই এক বিকট
আওয়াজ তাদেরকে আঘাত করল ৷ আর আমি তাদেরকে তরংগতাড়িত আবস্কনািয় পরিণত
করে দিলাম ৷ সুতরাং ধ্বংস হয়ে গেল জালিম সম্প্রদায় ৷ (সুরা মু’মিনুন : ৩৯-৪ ১)
আল্লাহর বাণী৪
)
ক্লেএো
?
স্পে
অর্থাৎ-ওরা বলেছিল, তুমি কি আমাদেরকে আমাদের দেব দেবীর পুজা থেকে নিবৃত্ত
করতে এসেছাপ্ তুমি সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যার ভয় দেখচ্ছে, তা নিয়ে এস ৷ সে বলল , এর
জ্ঞান তো কেবল আল্লাহর নিকট আছে ৷ আমি যা সহ প্রেরিত হয়েছি কেবল তাই তোমাদের
নিকট প্রচার করি ৷ কিন্তু আমি দেখছি, তোমরা এক মুঢ় সম্প্রদায় ৷ তারপর যখন ওদের
উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল, তখন ওরা বলতে লাগল, এতো মেঘ ৷ আমাদেরকে বৃষ্টি
দেবে ৷ (হ্রদ বলল) বরং এটা ভাই বা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে ৷ এতে রয়েছে এক
ঝড় মর্মন্তুদ শাস্তিবহ ৷ আল্লাহর নির্দোশ এটা সবকিছু ধ্বংস করে দেবে ৷ তারপর তাদের
عَلَى قَوْمِهِ، وَاسْتَحْيَا مِنْهُمْ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِالِانْصِرَافِ، عَمِلَ شِعْرًا يُعَرِّضُ لَهُمْ بِالِانْصِرَافِ، وَأَمَرَ الْقَيْنَتَيْنِ أَنْ تُغَنِّيَهُمْ بِهِ، فَقَالَ:
أَلَّا يَا قَيْلُ وَيْحَكَ قُمْ فَهَيْنِمْ ... لَعَلَّ اَللَّهَ يُصْبِحُنَا غَمَامًا
فَيَسْقِي أَرْضَ عَادٍ إِنَّ عَادًا ... قَدَ أمْسَوْا لَا يُبِينُونَ اَلْكَلَامَا
مِنَ الْعَطَشِ اَلشَّدِيدِ فَلَيْسَ نَرْجُو ... بِهِ اَلشَّيْخَ اَلْكَبِيرَ وَلَا اَلْغُلَامَا
وَقَدْ كَانَتْ نِسَاؤُهُمْ بِخَيْرٍ ... فَقَدْ أَمْسَتْ نِسَاؤُهُمْ عِيَامًا
وَإِنَّ اَلْوَحْشَ يَأْتِيهِمْ جِهَارًا ... وَلَا يَخْشَى لِعَادِيٍّ سِهَامًا
وَأَنْتُمْ هَاهُنَا فِيمَا اِشْتَهَيْتُمْ ... نَهَارَكُمْ وَلَيْلَكُمُ اِلتَّمَامَا
فَقُبِّحَ وَفْدُكُمْ مِنْ وَفْدِ قَوْمٍ ... وَلَا لُقُّوا اَلتَّحِيَّةَ وَالسَّلَامَا
قَالَ: فَعِنْدَ ذَلِكَ تَنَبَّهَ الْقَوْمُ لِمَا جَاءُوا لَهُ، فَنَهَضُوا إِلَى الْحَرَمِ وَدَعَوْا لِقَوْمِهِمْ فَدَعَا دَاعِيهِمْ، وَهُوَ قَيْلُ بْنُ عِتْرٍ فَأَنْشَأَ اللَّهُ سَحَّابَاتٍ ثَلَاثًا ; بَيْضَاءَ، وَحَمْرَاءَ، وَسَوْدَاءَ. ثُمَّ نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: اخْتَرْ لِنَفْسِكَ وَلِقَوْمِكَ مِنْ هَذَا السَّحَابِ. فَقَالَ: اخْتَرْتُ السَّحَابَةَ السَّوْدَاءَ فَإِنَّهَا أَكْثَرُ السَّحَابِ مَاءً. فَنَادَاهُ مُنَادٍ: اخْتَرْتَ رَمَادًا رِمْدَدًا لَا تُبْقِي مِنْ عَادٍ أَحَدًا لَا وَالِدًا تَتْرُكُ وَلَا وَلَدًا، إِلَّا جَعَلَتْهُ هَمِدَا، إِلَّا بَنِي اللَّوْذِيَّةِ الْمُهْدَا. قَالَ: وَهُوَ بَطْنٌ مِنْ عَادٍ كَانُوا مُقِيمِينَ بِمَكَّةَ فَلَمْ يُصِبْهُمْ مَا أَصَابَ قَوْمَهُمْ. قَالَ: وَمَنْ بَقِيَ مِنْ أَنْسَابِهِمْ
পৃষ্ঠা - ২৯৪
পরিণড়াম হল এই যে, ওদের বসতিগুলাে ছাড়া আর কিছুই দৃষ্টিগােচর হচ্ছিল না ৷ অপরাধী
সম্প্রদায়কে আমি এমনিভাবে প্রতিফল দিয়ে থাকি ৷ (সুরা আহকাফ : ২২ ২৫ ) ৷
আদ জাতির ধ্বংসের সংবাদ আল্লাহ কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে উল্লেখ করেছেন, যার
সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত বিবরণ আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ যেমন আল্লাহর বাণী০ ং
এর পর তাকে ও তার সংগীদেরকে আমার অনুগ্রহে উদ্ধার করেছিলাম, আর আমার
নিদর্শনকে যারা প্রত্যাখ্যান করেছিল আর যা ৷র৷ মুমিন ছিল না তাদেরকে নির্মুল করেছিলাম ৷
(সুবা আ বাফ ৭২)
অন্যত্র আল্লাহ বলেন :
ণ্ট্রি এ প্রোও
র্দু;’
ঠেভু
“’ ১৷ ৷ ৰুদ্বুএে৷ ৷ ণ্এন্^এ দ্ভট্রু;এ
াশুা৷ব্লু
যখন আমার নির্দেশ আসল তখন আমি হ্রদ ও তার সংগে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে
আমার অনুগ্নহে রক্ষা করলাম এবং রক্ষা করলাম তাদেরকে কঠিন শাস্তি থেকে ৷ এই আদ জাতি
তাদের প্রতিপালকের নিদর্শন অস্বীকার করেছিল এবং অমান্য করেছিল তার রাসুলগণকে এবং
ওরা প্রত্যেকউদ্ধত স্বৈরাচারীর নির্দেশ অনুসরণ করত ৷ এই দুনিয়ার তাদেরকে করা হয়েছিল
লা’নতগ্নস্ত এবং লানতগ্রস্ত হয়ে তারা কিয়ামতের দিনেও ৷ জেনে রেখ ৷ আদ সম্প্রদায় তাদের
প্রতিপালুককে অস্বীকার করেছিল ৷ ন্ জেনে ৫রখ, ধ্বংসই হল হ্রদের সম্প্রদায় আদের পরিণাম ৷
(সুরা হ্রদ ও ৫৮-৬০)
আল্লাহ আরও বলেনং : ’
?
—
অতঃপর সত্যি সত্যিই এক বিকট আওয়াজ তাদেরকে আঘাত করল ৷ আর আমি
তাদেরকে তরংগ-তাড়িত আবর্জনা সদৃশ করে দিলাম ৷ (সুরা মু’মিনুনং : : ১)
আল্লাহ বলেন £
শুফু×ক্ট
এএ১ণ্াএএ্যাইর্চু
তারপর তার ৷ তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করল, সুতরাং আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিলাম ৷
নিশ্চয় এ ঘটনার মধ্যে রয়েছে নিদর্শন-উপদেশ ৷ তাদের অধিকাংশই ঈমানদ৷ ৷র ছিল না ৷ আ
তোমার প্রতিপালকই অত্যধিক পরাক্রমশালী, দয়াময় ৷
وَأَعْقَابِهِمْ هُمْ عَادٌ الْآخِرَةُ. قَالَ: وَسَاقَ اللَّهُ السَّحَابَةَ السَّوْدَاءَ الَّتِي اخْتَارَهَا. قَيْلُ بْنُ عِتْرٍ بِمَا فِيهَا مِنَ النِّقْمَةِ إِلَى عَادٍ حَتَّى تَخَرَّجَ عَلَيْهِمْ مِنْ وَادٍ يُقَالُ لَهُ: الْمُغِيثُ، فَلَمَّا رَأَوْهَا اسْتَبْشَرُوا، وَقَالُوا: هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا. فَيَقُولُ تَعَالَى: {بَلْ هُوَ مَا اسْتَعْجَلْتُمْ بِهِ رِيحٌ فِيهَا عَذَابٌ أَلِيمٌ تُدَمِّرُ كُلَّ شَيْءٍ بِأَمْرِ رَبِّهَا} [الأحقاف: 24] . أَيْ ; كُلَّ شَيْءٍ أُمِرَتْ بِهِ فَكَانَ أَوَّلُ مَنْ أَبْصَرَ مَا فِيهَا وَعَرَفَ أَنَّهَا رِيحٌ فِيمَا يَذْكُرُونَ امْرَأَةً مِنْ عَادٍ يُقَالُ لَهَا: مَهْدٌ، فَلَمَّا تَبَيَّنَتْ مَا فِيهَا صَاحَتْ، ثُمَّ صَعِقَتْ، فَلَمَّا أَفَاقَتْ قَالُوا: مَا رَأَيْتِ يَا مَهْدُ؟ قَالَتْ: رَأَيْتُ رِيحًا فِيهَا كَشُهُبِ النَّارِ، أَمَامَهَا رِجَالٌ يَقُودُونَهَا. فَسَخَّرَهَا اللَّهُ عَلَيْهِمْ {سَبْعَ لَيَالٍ وَثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومًا} [الحاقة: 7] . وَالْحُسُومُ: الدَّائِمَةُ. فَلَمْ تَدَعْ مِنْ عَادٍ أَحَدًا إِلَّا هَلَكَ. قَالَ: وَاعْتَزَلَ هُودٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِيمَا ذُكِرَ لِي فِي حَظِيرَةٍ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا يُصِيبُهُمْ إِلَّا مَا يَلِينُ عَلَيْهِمُ الْجُلُودُ، وَتَلْتَذُّ الْأَنْفُسُ، وَإِنَّهَا لِتَمُرُّ عَلَى عَادٍ بِالظَّعْنِ فِيمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَتَدْمَغُهُمْ بِالْحِجَارَةِ، وَذَكَرَ تَمَامَ الْقِصَّةِ.
وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ حَدِيثًا فِي مُسْنَدِهِ يُشْبِهُ هَذِهِ الْقِصَّةَ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي أَبُو الْمُنْذِرِ سَلَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ النَّحْوِيُّ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ الْحَارِثِ وَهُوَ ابْنُ حَسَّانَ، وَيُقَالُ: ابْنُ يَزِيدَ الْبَكْرِيُّ. قَالَ: «خَرَجْتُ أَشْكُو الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرَرْتُ بِالرَّبَذَةِ فَإِذَا عَجُوزٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مُنْقَطِعٌ بِهَا، فَقَالَتْ لِي: يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنَّ لِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجَةً، فَهَلْ أَنْتَ مُبَلِّغِي إِلَيْهِ؟
পৃষ্ঠা - ২৯৫
আদ জ৷ ৷তির ৰুবংসের পুর্ণাৎগ চিত্র আল্লাহ কুরআনে দিয়েছেন যথাং
দ্বু মোঃ
তারপর যখন তারা তাদের উপত্যকার দিকে আগত মেঘমালা দেখল, তখন বলল, এই তো
মেঘ, আমাদের বৃষ্টি দান করবে ৷ না, বরং ওটা তো তাই যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছ ৷
এ একটা ঝুঞা-বায়ু, যার মধ্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি ৷ (৪৬ আহকাফ : ২৪) এটা ছিল
তাদের প্রতিআযাবের সুচনা ৷ তারা দীর্ঘ দিন খরাগ্রস্ত ও দৃর্তিক্ষকবলিত ছিল এবং বৃষ্টির জন্যে
অধীর হয়ে উঠেছিল ৷ এমন এক পরিস্থিতিতে হঠাৎ আকাশের কোণে মেঘ দেখতে পেল ৷ মনে
করল-এই তো রহমতের বৃষ্টি আসছে ৷ বস্তুত তা ছিল আমাদের বৃষ্টি ৷ আল্লাহ জানালেন :
ৰুমোঃর্চু ৷£ ,া;(অর্থাং এতো ভাই বা তোমরা ত্বরান্বিত করতে ঢেয়েছ ৷) অর্থাৎ
শান্তি আপতিত হওয়ার বিষয় ৷ যেহেতু তারা বলেছিল এো৩
-চু, : থ্রে ৷ (তুমি যার ওয়াদা করছ৩ তা নিয়ে আস, যদি সত্যবাদী হও ৷) (৪৬ আহকাফ
২৪ ) এ জা ৷তীয় আয়াত সুরা আ রাফেও আছে ৷
এ আয়াতেরতাফসীরে ঘুফাসসিরগণ ও অন্যান্য লেখক ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন
যাশৃশারের বর্ণিত একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ ঘটনাটি এই : হ্রদ (আ)-এর কওমের
লোকেরা ঈমানৰুগ্রহভৃণ অস্বীকৃতি জানিয়ে যখন কুজ্জীর উপর দৃঢ় হয়ে থাকল, তখন আল্লাহ,তিন
বছর যাবত তাদের উপর বৃষ্টিপাত বন্ধ রাখেন ৷ ফলে তারা দৃর্ডিংক্ষর করলে পতিত হয় ৷ এ
সময়ের নিয়ম ছিল যখন দৃর্তিক্ষ দেখা ৷দিত, তখন তারা মুক্তির জন্যে আল্লাহর নিকট দু আ
করত এবং তা করা হত আল্লাহর ঘরের নিকট হারম শরীফে ৷ সে যুগের মানুষের নিকট এটা
ছিল একটি সুবিদিত ণ্রওয়াজ ৷ তখন সেখানে আমালিক জ দি বাস করত ৷ আমালিকর৷ হল
আমলীক ইবন লাওজ ইবন নাম ইবন নুহ (আ) এর বং শধ্র ৷ সেকালে তাদের সর্দার ছিল
মু আ ৷ৰিয়৷ ইবন বকর ৷ মু আবিয়ার মা ছিলেন আদ গো ৷ত্র সবুত ৷ তার নাম ছিল জালহাস্কৃা৷ ৰিনৃত
খায়বরী
আদ সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রায় সত্তরজনের একটি দলকে বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করতে হারম
শরীফে পাঠায় ৷ মক্কার উ:পকষ্ঠে মুআবিয়া ইবন রকয়ের বাড়িতে গিয়ে তারা ওঠে ৷ মুটআবিয়াও
তাদেরকে আতিথ্য দেন ৷ তারা সেখানে এক মাস অবস্থান করে ৷ সেখানে তক্ষো মদ পান ক্যাত
ও মু’আবিয়ার দুই পায়িকার গান শুনত ৷ নিজেদের দেশ থেকে মুআবিমার কাছে যেতে তাদের
এক মাস সময় লেগেছিল ৷ এদের দীর্ঘদিন অবন্থানেরফলে আপন লোকদের দৃর্গতিরকথা ভোর
মু’আবিয়ারমনে করুণ৷ হয় অথচ তাদেরকে ফিরে যাওয়ার কথা বলতেও তিনি সঙ্কোচ বোধ
করেন ৷ তাই তিনি একটি কবিতা রচনা করে তাদেরকে দেন এবং গানের মাধ্যমে তা শুনাবার
জন্যে গা ৷য়িকা দেরকেওনিপেশ দেন ৷ কবিতা টিতে তিনিআদ জাতির খরাজনিতপ্দৃরবস্থার বর্ণনা
দিয়ে প্রতিনিধিদলকে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্যে অভিযুক্ত করে তাদেরকে তাদের
দায়িতৃ পালনে উৎসাহিত করেন ৷ ণ্ »
قَالَ: فَحَمَلْتُهَا فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَإِذَا الْمَسْجِدُ غَاصٌّ بِأَهْلِهِ، وَإِذَا رَايَةٌ سَوْدَاءُ تَخْفِقُ، وَبِلَالٌ مُتَقَلِّدٌ السَّيْفَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: مَا شَأْنُ النَّاسِ قَالُوا: يُرِيدُ أَنْ يَبْعَثَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَجْهًا، قَالَ: فَجَلَسْتُ، قَالَ: فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ أَوْ قَالَ: رَحْلَهُ، فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ، فَأَذِنَ لِي، فَدَخَلْتُ فَسَلَّمْتُ، فَقَالَ: هَلْ كَانَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ بَنِي تَمِيمٍ شَيْءٌ. فَقُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: وَكَانَتْ لَنَا الدَّبْرَةُ عَلَيْهِمْ، وَمَرَرْتُ بِعَجُوزٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مُنْقَطِعٍ بِهَا، فَسَأَلَتْنِي أَنْ أَحْمِلَهَا إِلَيْكَ، وَهَا هِيَ بِالْبَابِ، فَأَذِنَ لَهَا فَدَخَلَتْ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ بَنِي تَمِيمٍ حَاجِزًا فَاجْعَلِ الدَّهْنَاءَ، فَحَمِيَتِ الْعَجُوزُ وَاسْتَوْفَزَتْ، وَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِلَى أَيْنَ تَضْطَرُّ مُضَرَكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: إِنَّ مِثْلِي مَا قَالَ الْأَوَّلُ: مِعْزًى حَمَلَتْ حَتْفَهَا. حَمَلْتُ هَذِهِ وَلَا أَشْعُرُ أَنَّهَا كَانَتْ لِي خَصْمًا، أَعُوذُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ أَنْ أَكُونَ كَوَافِدِ عَادٍ، قَالَ: هِيهِ وَمَا وَافِدُ عَادٍ؟ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْحَدِيثِ مِنْهُ، وَلَكِنْ يَسْتَطْعِمُهُ، قُلْتُ: إِنَّ عَادًا قَحَطُوا، فَبَعَثُوا وَفْدًا لَهُمْ يُقَالُ لَهُ: قَيْلٌ فَمَرَّ بِمُعَاوِيَةَ بْنِ بَكْرٍ فَأَقَامَ عِنْدَهُ شَهْرًا يَسْقِيهِ الْخَمْرَ، وَتُغَنِّيهِ جَارِيَتَانِ يُقَالُ لَهُمَا: الْجَرَادَتَانِ، فَلَمَّا مَضَى الشَّهْرُ خَرَجَ إِلَى جِبَالِ تِهَامَةَ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنِّي لَمْ أَجِئْ إِلَى مَرِيضٍ فَأُدَاوِيَهُ، وَلَا إِلَى أَسِيرٍ فَأُفَادِيَهُ، اللَّهُمَّ اسْقِ عَادًا مَا كُنْتَ تَسْقِيهِ، فَمَرَّتْ بِهِ سَحَابَاتٌ سُودٌ، فَنُودِيَ مِنْهَا: اخْتَرْ. فَأَوْمَأَ إِلَى سَحَابَةٍ مِنْهَا سَوْدَاءَ. فَنُودِيَ مِنْهَا: خُذْهَا رَمَادًا رِمْدَدًا لَا تُبْقِي مِنْ عَادٍ
পৃষ্ঠা - ২৯৬
তখন দলের সবইি তাদের আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হল ৷ সুতরাং সকলে হারম
শরীফে গিয়ে উপস্থিত হল এবং গোত্রের লোকদের জন্যে দৃআ করতে লাগল ৷ দৃআ পরিচালনা
করল কায়ল ইবন আনায় ৷ তখন আল্লাহু সাদা, লাল ও কাল তিন ধরনের মেঘ সৃষ্টি করলেন ৷
পরে আকাশ থেকে এ মর্মে ঘোষণা শোনা গেল : কায়ল ! এই মেঘগুলোর মধ্য থেকে যে কোন
একটি শুতােমার নিজের এবং তোমার গোত্রের লোকের জন্যে বেছে নাও ৷ কায়ল বলল, আমি
কালটা বেছে নিলাম ৷ কেননা কাল মেঘে বৃষ্টি বেশি হয় ৷ পুনরায় পায়বী আওয়ড়াজে তাকে
জানান হল, তুমি ছাই-ভস্ম পছন্দ করেছ-শ্ধ্বংসটড়াকে বাছাই করে নিয়েছ ৷ এ মেঘ আদ
গোত্রের কাউকে রেহইি দেবে না; পিতা-পুত্র কাউকেই ছাড়বে না ৷ এটা বনু লুদিয়া ছাড়া
সবাইকে ধ্বংস করবে ৷ বসু লুদিয়৷ আদ গোত্রেরই একটি শাখা ৷ এরা মক্কায় বসবাস করত ৷
তারা এ আযাবের আওতায় পড়েনি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাকন্ বলেন, দ্বিতীয় আদ বা ছামুদ জাতি
এদেরই বংশধর ৷ তারপর কায়ল ইবন জানায় যে কাল মেঘটি পছন্দ করেছিল, আল্লাহ তা আদ
গোত্রের দিকে প্রেরণ করেন ৷ মেঘ মুপীছ নামক উপত্যকায় পৌছলে তা লোকদের দৃষ্টিগােচর
হয় ৷ মেঘ দেখেই তারা একে র্তপেরকে আনন্দ বার্তা পৌছাতে থাকে যে, এই তো মেঘ এসে
গেছে, এখনই বৃষ্টি হবে ৷ আল্লাহ বলেন :
বরং এটা তো ভাই বা তোমরা তাড়াতাড়ি চেয়েছিসে ৷ এটা একটা ঝঞা ৷ এর মধ্যে আছে
মর্মন্তুদ শাস্তি ৷ তার শ্রতিপালকের নিংর্দশে তা সবকিছুকে ধ্বংস করে ফেলবে ৷ (সুরা আহকাফ :
২৪
অর্থাৎ যেসব জিনিসর্কে ধ্বংস করার নির্দেশ আসবে তা সেসব জিনিসকেই ধ্বংস করবে ৷ এ
মেঘ যে আসলে একটি ঝঞা-বাযু এবং তার মধ্যে শাস্তি লুকিয়ে আছে, তা সর্ব প্রথম ফাহ্দ
নান্নী অড়াদ গোত্রীয় এক মহিলার চোখে ধরা পড়ে ৷ তা স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েই সে চীৎকার
করে বেইশ হয়ে পড়ে ৷ চেতনা ফিরে আসার পর লোকজন জিজ্ঞেস করল, ফাহ্দাতুমি কি
দেখেছিলো সে বলল, দেখলাম একটা ঝঞা-বড়ায়ু, তার মধ্যে যেন অগ্নিশিখা জ্বলছে ৷ তার
অপ্নডাগে কয়েকজন লোক তা ধরে টেনে আনহে ৷ তারপর আল্লাহ তাদের উপর যে আমার
একটানাসাতরাত ও অটিদিন যাবত অব্যাহত রাখেন ৷ চিরদিনের জন্যে তারা সমুলে উৎখাত
হয়ে যায় ৷ তাদ্যেহৃ, একজন সােকও অবশিষ্ট রইলাে না ৷ হ্রদ (আ) মুমিনদেরকে সংগে নিয়ে
একটি প্রাচীর যেষ্টিত স্থানে চলে যান ৷ এ ঝড়ের আঘাতে তাদেরকে স্পর্শ করেনি ৷ বরং সে
বাতাসের শ্যার্ণ তাদের ত্ক আরো কােমলতা লাভ করে এবং তাদের মনে স্ফুর্তি আসে ৷ অথচ
ঝঞা-বাযু আদ সম্প্রদায়ের উপরে আসমানযমীন জুড়ে আঘাত হানছিল এবং পাথর নিক্ষেপ
করে তাদেরকে ৰিন্ড়াশ করছিল ৷ ইবন ইসহড়াক é?!) এ ঘটনা বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) তার মুসনাদ গ্রন্থে হারিছ ইবন হাসান (র) মতাস্তরে হারিছ ইবন য়ড়াযীদ
অড়াল-বকয়ী (র):সুত্রে এ ঘটনার অনুরুপ বর্ণনা দিয়েছেন ৷ হারিছ বলেন, আমি একদা আলা
ইবন হড়ায্রড়ামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্যে রাসুল (সা)-এর দরবারে রওয়ানা হই ৷ পথে
أَحَدًا. قَالَ: فَمَا بَلَغَنِي أَنَّهُ بَعَثَ عَلَيْهِمْ مِنَ الرِّيحِ إِلَّا كَقَدْرِ مَا يَجْرِي فِي خَاتَمِي هَذَا مِنَ الرِّيحِ حَتَّى هَلَكُوا. قَالَ أَبُو وَائِلٍ: وَصَدَقَ وَكَانَتِ الْمَرْأَةُ وَالرَّجُلُ إِذَا بَعَثُوا وَفْدًا لَهُمْ، قَالُوا: لَا تَكُنْ كَوَافِدِ عَادٍ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ بِهِ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سَلَّامٍ أَبِي الْمُنْذِرِ، عَنْ عَاصِمِ ابْنِ بَهْدَلَةَ، وَمِنْ طَرِيقِهِ رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ. وَهَكَذَا أَوْرَدَ هَذَا الْحَدِيثَ، وَهَذِهِ الْقِصَّةَ عِنْدَ تَفْسِيرِ هَذِهِ الْقِصَّةِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ كَابْنِ جَرِيرٍ، وَغَيْرِهِ.
وَقَدْ يَكُونُ هَذَا السِّيَاقُ لِإِهْلَاكِ عَادٍ الْآخِرَةِ فَإِنَّ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَغَيْرُهُ ذِكْرًا لِمَكَّةَ، وَلَمْ تُبْنَ إِلَّا بَعْدَ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ حِينَ أَسْكَنَ فِيهَا هَاجَرَ وَابْنَهُ إِسْمَاعِيلَ، فَنَزَلَتْ جُرْهُمٌ عِنْدَهُمْ، كَمَا سَيَأْتِي وَعَادٌ الْأُولَى قَبْلَ الْخَلِيلِ، وَفِيهِ ذِكْرُ مُعَاوِيَةَ بْنِ بَكْرٍ وَشِعْرُهُ، وَهُوَ مِنَ الشِّعْرِ الْمُتَأَخِّرِ عَنْ زَمَانِ عَادٍ الْأُولَى لَا يُشْبِهُ كَلَامَ الْمُتَقَدِّمِينَ. وَفِيهِ أَنَّ فِي تِلْكَ السَّحَابَةِ شَرَرُ نَارٍ، وَعَادٌ الْأَوْلَى إِنَّمَا أُهْلِكُوا بِرِيحٍ صَرْصَرٍ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةِ التَّابِعِينَ: هِيَ الْبَارِدَةُ، وَالْعَاتِيَةُ الشَّدِيدَةُ الْهُبُوبِ {سَخَّرَهَا عَلَيْهِمْ سَبْعَ لَيَالٍ وَثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومًا} [الحاقة: 7] . أَيْ ; كَوَامِلَ مُتَتَابِعَاتٍ. قِيلَ: كَانَ أَوَّلَهَا الْجُمُعَةُ. وَقِيلَ: الْأَرْبِعَاءُ. {فَتَرَى الْقَوْمَ فِيهَا صَرْعَى كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ} [الحاقة: 7] . شَبَّهَهُمْ بِأَعْجَازِ النَّخْلِ الَّتِي لَا رُءُوسَ لَهَا، وَذَلِكَ لِأَنَّ الرِّيحَ كَانَتْ تَجِيءُ إِلَى أَحَدِهِمْ فَتَحْمِلُهُ فَتَرْفَعُهُ فِي الْهَوَاءِ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ২৯৭
একজন লোককেও তা অবশিষ্ট রাখবে না ৷ রাবী বলেনং আমি যদ্দুর জানতে পেয়েছি আমার
হাতের এ আৎটির ফাক দিয়ে যত তট্রুকু বায়ু প্রবাহিত হতে প বে ততটুকু বায়ুই কেবল প্রেরিত
হয়ে আদ সম্পুদায়কে নির্মুল করে দেয় ৷ এ; বর্ণনার একজন রাবী আবু ওয়া ৷ইল বলেন, ৰিবরণটি
যথার্থ ৷
পরবর্তীকালে আরবের কোন নারী বা পুরুষ কোথাও কোন প্রতিনিধি প্রেরণ করলে বলে
দিত-তােমরা আদ জাতির প্রতিনিধিদের মত হয়ে৷ না যেন ৷ এ হাদীছ ইমাম তিরমিযী (র)
যায়দ ইবনুল হবার সুত্রে এবং ইমাম নাসৃাঈ আসিম ইবন বাহ্দালা,সৃত্রে বর্ণনা করেছেন এবং
এই একই সুত্রে ইবন মাজাও এ হাদীসটি বংনি৷ করেছেন ৷ ইবন জাবীর প্রমুখ মৃফাসসির আদ
জাতির আলোচনাকালে এ ঘটনার এবং এ হাদীসের উল্লেখ করেছেন ৷ আদে আখির বা দ্বিতীয়
আদের ধ্বংসের বর্ণনায়ও এই কাহিনীটির উল্লেখ করা হয়ে থাকে ৷ কয়েকটি দিক বিবেচনা
করলে এ মতের সমর্থন মেলে ৷ যথা হ; (১) ইবন ইসহাক প্রমুখ ঐতিহাসিক এ ঘটনার বর্ণনায়
মক্কার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ অথচ হযরত ইব্রাহীম (আ), বিবি হাজের৷ ও ইসমাঈল
(আ) কে মক্কঢু৷ অভিবাসিত করার পুর্বে মক্কা শহরের প্রতিষ্ঠাই হয়নি ৷
তারপর র্জুরহুম গোত্রন্ এসে সেখানে বসতি স্থাপন করে যা পরে বর্ণিত হবে ৷ আর প্রথম
আদ হচ্ছে ইব্রাহীম আে) এর পুর্বেক৷ র জা ৷তি ৷ (২) এই ঘটনায় মু’আবিয়া ইবন বকর ও৩ তার
কবিতা তার উল্লেখ আছে ৷ এই কবিতাটি প্রথম আদের পরবর্তী যুগে রচিত ৷ প্রাচীন যুগের লোকের
ভষ৷ ৷র সাথে এর কো ন মিল নেই ৷ (৩) এই ঘটনা ৷র মধ্যে যে মেঘের কথা এসেছে তাতে অগ্নি-
শিখার উল্লেখ রয়েছে ৷ আর প্রথম আদের ধ্বংসের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে );;হুদ্বু;ঠুব্লুঠুপ্রু
হ্ ;৷ ; ইবন মাসউদ, ইবন আব্বাস প্রমুখত তাবিঈ ইমামগণ ৷বলেছেন ঢুপুৰুর্ন্তদ্বু;র্টু অর্থ ঠাণ্ডা
আল্লাহর বাণী : র্চু ছু;ৰু;১ দু é ৷ ড্রুর্চু;া;ৰুব্লুক্ট্র প্রুাঠুপু ব্লুহু;র্চু ণ্ৰু;াব্লু ৷পুস্ঠুহুদ্বু
অর্থাৎ-পুর্ণ সাতরাত ও আটদিন এটা তাদের উপর অব্যাহতভাধে চাপিয়ে রাখা হয় ৷
কারও মতে, এ আবার শুরু হৰুয়ছিল শুক্রবা রে; কারও মতে বুধ্বারে
আল্লাহর বাণী ং হ ;ঠুাহ্ এৰু;) ৷ৰু; ৷ ৰু;প্রু;এ ;,;র্টু; ৷হ্ৰুপু দ্বু ণ্প্রু;া৷ প্রুপ্লু;;
তখন র্তৃমি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখতে তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে সারশৃন৷ বিক্ষিপ্ত
খেজুর কাণ্ডের মত ৷ (সুরা হাক্কা ং ৬ ৭)
খেজুর গাছের মাথ৷ ৷বিহীন কাণ্ডের সাথে তাদের অবস্থার তুলনা করা হয়েছে ৷ কেননা প্রবল
বায়ু এসে তাদেরকে শুন্যে উঠিয়ে নিয়ে রায় এবং সেখান থেকে ঢুা৷থা নিচের দিকে করে নিক্ষেপ
করে ৷ ফলে মাথা ভেৎগে চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে কেবল মাঙ্কুাড়াহীন দেহ্ট্রি পুড়ে থাকে ৷ যেমন আল্লাহ
বলেছেন : ,
র্দু১
া
’
এ
تُنَكِّسُهُ عَلَى أُمِّ رَأْسِهِ فَتَشْدَخُهُ، فَيَبْقَى جُثَّةً بِلَا رَأْسٍ، كَمَا قَالَ: {إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي يَوْمِ نَحْسٍ مُسْتَمِرٍّ} [القمر: 19] . أَيْ ; فِي يَوْمِ نَحْسٍ عَلَيْهِمْ، مُسْتَمِرٌّ عَذَابُهُ عَلَيْهِمْ، {تَنْزِعُ النَّاسَ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ مُنْقَعِرٍ} [القمر: 20] . وَمَنْ قَالَ: إِنَّ الْيَوْمَ النَّحْسَ الْمُسْتَمِرَّ هُوَ يَوْمُ الْأَرْبِعَاءِ. وَتَشَاءَمَ بِهِ لِهَذَا الْفَهْمِ فَقَدْ أَخْطَأَ وَخَالَفَ الْقُرْآنَ، فَإِنَّهُ قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي أَيَّامٍ نَحِسَاتٍ} [فصلت: 16] . وَمَعْلُومٌ أَنَّهَا ثَمَانِيَةُ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ، فَلَوْ كَانَتْ نَحِسَاتٍ فِي أَنْفُسِهَا لَكَانَتْ جَمِيعُ الْأَيَّامِ السَّبْعَةِ الْمُنْدَرِجَةِ فِيهَا مَشْئُومَةً. وَهَذَا لَا يَقُولُهُ أَحَدٌ، وَإِنَّمَا الْمُرَادُ فِي أَيَّامٍ نَحِسَاتٍ أَيْ ; عَلَيْهِمْ. وَقَالَ تَعَالَى وَفِي عَادٍ: {إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ} [الذاريات: 41] . أَيِ الَّتِي لَا تُنْتِجُ خَيْرًا فَإِنَّ الرِّيحَ الْمُفْرَدَةَ لَا تَنْثُرُ سَحَابًا وَلَا تُلَقِّحُ شَجَرًا، بَلْ هِيَ عَقِيمٌ لَا نَتِيجَةَ خَيْرٍ لَهَا، وَلِهَذَا قَالَ: {مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ} [الذاريات: 42] . أَيْ ; كَالشَّيْءِ الْبَالِي الْفَانِي الَّذِي لَا يُنْتَفَعُ بِهِ بِالْكُلِّيَّةِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «نُصِرْتُ بِالصَّبَا، وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُورِ» . وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ أَخَا عَادٍ إِذْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ بِالْأَحْقَافِ وَقَدْ خَلَتِ النُّذُرُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا اللَّهَ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [الأحقاف: 21] . فَالظَّاهِرُ أَنَّ عَادًا هَذِهِ هِيَ عَادٌ
পৃষ্ঠা - ২৯৮
( আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম ঝএস্তুা-বায়ু নিরবচ্ছিন্ন দুর্ভাগ্যের দিনে) অর্থাৎ এমন
এক দিনে তাদের উপর ঝঞা বায়ু পাঠাই যা তাদের জন্যে দৃর্ভাগ্য নিয়ে আসে এবং আমার
অব্যাহতভাং ব চলতে থাকে৷
যা মানুষকে উৎখাত করেছিল থেজুরের কাণ্ডের মত ৷ (সুরা কামার : ১ ৯ ২০ ) যারা বলে
থাকেন বুধবার হল ঢির দৃর্ভাগ্যের দিন ৷ আর এই ধারণা থেকেই তারা বুধবারকে অশুভ দিন
বলে অভিহিত করে থাকেন ৷ এটা তাদের ভুল ধারণা এবং এটা কুরআনের মর্মের পরিপন্থী ৷
কেননা অপর আয়াবৃত অল্লহ বৰুলৰুহুনং :
অর্থাৎ-“আমি তাদের উপর ঝঞা বাযু প্রেরণ করি কয়েকটি অশুভ দিনে ৷” (সুরা হা মীম
আস-সাজদা : ১৬) এটা সুবিদিত যে, পর পর আটদিন পর্যন্ত এ ঝএস্তু৷ বাযু স্থায়ী থাকে ৷ যদি
দিনগুলাে ই অশুভ হত তাহলে সপ্তাহের সমস্ত দিনগুলোই অশুভ প্রতিপন্ন হয়ে যায় ৷ কিভৃ এমন
কথা কেউ ই বলেনি ৷ সুতরাং এখানে (ণ্প্রুন্এ; :;০!০এ ) অর্থ হচ্ছে ঐ দিনগুলাে তাদের
জন্যে অশুস্ত ছিল ৷
আল্লাহর বাণী৪ (আর নিদর্শন রয়েছে
আদ জাতির ঘটনায়, যখন আমি তাদের উপর অকল্যাণকর বায়ু প্রেরণ করলাম ৷) (সুরা
যারিয়াত : ৪ ১) অর্থাৎ এমন বায়ু যা কো ন মৎগল বয়ে আসে না ৷ কেননা যে বায়ু মেঘ উৎপাদন
করতে পারে, আর না পাছাপালাকে ফলবান করতে পারে ৷ তা তো বন্ধ্যাই বটে ৷ তাতে কোন
কল্যাণ নিহিত নাই ৷ এ কারণেই অ ৷ল্লাহ বলেহেন০ :
,০; (০০
যা কিছুর উপর দিয়েই তা প্রবাহিত হয়েছে তাকেই চুর্ণ বিচুর্ণ করে দিয়েছে ৷ (সুরা
য়ারিয়াতং : ৪২) ৷ অর্থাৎ সম্পুর্ণ জীর্ণ ও ধ্বং সপ্রাপ্ত বস্তুর মত করে দিয়েছি যার দ্বারা কােনরকম
কল্যাণ আশা করা যায় না ৷
বুখারী ও মুসলিমে হযরত ৩ইরন আব্বাস (রা) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা)
আমাকে পুবালী বায়ু দ্বারা সাহায্য
করা হয়েছে ৷ আর আর জাতিকে পেছন দিক থেকে আসা বায়ু দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে ৷
আল্লাহ্রবাণী৪
,ও১াগ্লু
আদ এর ভাই হ্রদ এর ক হিনী স্মরণ কর ৷ আর এ রকম সতর্ককৰুরী লোক তার পুর্বে ও
পরে আগমন করেছিল, যখন সে উচ্চ উপত্যকায় নিজ জাতির জনগণকে এ মর্মে সতর্ক
করেছিল যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবে না ৷ আমি ওে তামাদের উপর এক
মহাদিবসের শ ৷৷স্তির আশংকা বোধ করছি ৷ (সুরা আহকাফ : ২১)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৩৮-
الْأُولَى فَإِنَّ سِيَاقَهَا شَبِيهٌ بِسِيَاقِ قَوْمِ هُودٍ، وَهُمُ الْأُولَى. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ الْمَذْكُورُونَ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ هُمْ عَادٌ الثَّانِيَةُ. وَيَدُلُّ عَلَيْهِ مَا ذَكَرْنَا، وَمَا سَيَأْتِي مِنَ الْحَدِيثِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَأَمَّا قَوْلُهُ: {فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا} [الأحقاف: 24] . فَإِنَّ عَادًا لَمَّا رَأَوْا هَذَا الْعَارِضَ، وَهُوَ النَّاشِئُ فِي الْجَوِّ كَالسَّحَابِ، ظَنُّوهُ سَحَابَ مَطَرٍ فَإِذَا هُوَ سَحَابُ عَذَابٍ، اعْتَقَدُوهُ رَحْمَةً فَإِذَا هُوَ نِقْمَةٌ، رَجَوْا فِيهِ الْخَيْرَ فَنَالُوا مِنْهُ غَايَةَ الشَّرِّ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {بَلْ هُوَ مَا اسْتَعْجَلْتُمْ بِهِ} [الأحقاف: 24] . أَيْ ; مِنَ الْعَذَابِ، ثُمَّ فَسَّرَهُ بِقَوْلِهِ: {رِيحٌ فِيهَا عَذَابٌ أَلِيمٌ} [الأحقاف: 24] . [الْأَحْقَافِ: 24] . يُحْتَمَلُ أَنَّ ذَلِكَ الْعَذَابَ هُوَ مَا أَصَابَهُمْ مِنَ الرِّيحِ الصَّرْصَرِ الْعَاتِيَةِ الْبَارِدَةِ الشَّدِيدَةِ الْهُبُوبِ الَّتِي اسْتَمَرَّتْ عَلَيْهِمْ سَبْعُ لَيَالٍ بِأَيَّامِهَا الثَّمَانِيَةِ، فَلَمْ تُبْقِ مِنْهُمْ أَحَدًا، بَلْ تَتَبَّعَتْهُمْ حَتَّى كَانَتْ تَدْخُلُ عَلَيْهِمْ كُهُوفَ الْجِبَالِ وَالْغِيرَانِ فَتَلُفُّهُمْ وَتُخْرِجُهُمْ وَتُهْلِكُهُمْ، وَتُدَمِّرُ عَلَيْهِمُ الْبُيُوتَ الْمُحْكَمَةَ، وَالْقُصُورَ الْمُشَيَّدَةَ فَكَمَا مُنُوا بِقُوَّتِهِمْ وَشِدَّتِهِمْ، وَقَالُوا: {مَنْ أَشَدُّ مِنَّا قُوَّةً} [فصلت: 15] ؟ سَلَّطَ اللَّهُ الَّذِي هُوَ أَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّةً عَلَيْهِمْ مَا هُوَ أَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّةً، وَأَقْدَرُ عَلَيْهِمْ، وَهُوَ الرِّيحُ الْعَقِيمُ. وَيُحْتَمَلُ أَنَّ هَذِهِ الرِّيحَ أَثَارَتْ فِي آخِرِ الْأَمْرِ سَحَابَةً ظَنَّ مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ أَنَّهَا سَحَابَةٌ فِيهَا رَحْمَةٌ بِهِمْ، وَغِيَاثٌ لِمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ فَأَرْسَلَهَا اللَّهُ عَلَيْهِمْ شَرَرًا وَنَارًا، كَمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ. وَيَكُونُ هَذَا كَمَا أَصَابَ أَصْحَابَ الظُّلَّةِ مِنْ أَهْلِ مَدْيَنَ، وَجَمَعَ لَهُمْ بَيْنَ الرِّيحِ الْبَارِدَةِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَهُوَ أَشَدُّ مَا يَكُونُ مِنَ الْعَذَابِ بِالْأَشْيَاءِ الْمُخْتَلِفَةِ الْمُتَضَادَّةِ مَعَ الصَّيْحَةِ الَّتِي ذَكَرَهَا فِي سُورَةِ {قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ} [المؤمنون: 1] . وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২৯৯
এসব আলোচনা থেকে স্পষ্টভারে প্রতীয়মান হয় যে, এই আদ হল প্রথম ন্আদ জাতি ৷
কেননা, এদের প্রাসংগিক অবস্থা হ্রদের সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ ৷ অবশ্য এ সম্ভাবনাও
কিছুটা আছে যে, উপরোক্ত ঘটনায় যে জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হল দ্বিতীয়
আদ ৷ এ মতের কিছু দলীল-প্রমাণ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তাছাড়া হযরত আয়েশা (রা)
থেকে একখড়ানা হাদীসও এ মর্মে বর্ণিত হয়েছে যা আমরা পরে উল্লেখ করব ৷ আর আল্লাহর
বাণী৪
মোঃ
তারা যখন তাদের উপত্যকা অভিমুৰ্বা মেঘ দেখতে পেল তখন সবই বলতে লাগল, এই
তে ড়া মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে ৷ (সুরা আহকাফং : ২৪)
কারণ, আদ জাতির লোকেরা আকাশে যখন মেঘের মত একটি আবরণ দেখতে পেল,
তখন তাকে বৃষ্টি দানকারী মেঘ বলেই ধারণা করল; কিত্তু বাস্তবে দেখা গেল, সেটা ছিল
অড়াযাবের মেঘ ৷ তারা এটাকে রহমত বলে বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু আসলে তা ছিল শাস্তি ৷ তারা
আশা করেছিল, এতে রয়েছে কল্যাণ ৷ কিত্তু প্রকৃত পক্ষে তারা পেল চুড়ান্ত পর্যায়ের অকল্যাণ ৷
আল্লাহ বলেন, ণ্া ণ্পুপুদ্বু১গ্পুএ ৷ fl ’ ’ ,¢£; বরং এটা হলদ্বু জিনিস যা তোমরা তাড়াতাড়ি
কামনা করছিলে অর্থাৎ আযাব ৷ এরপর তার ব্যাখ্যা দেন : ন্ ৷ ৷ ’ ৷ ১; £ধ্ণ্ ষ্, অর্থাৎ
এটা হল একটা ৷ঝঞা বায়ু, এর মধ্যে রয়েছে মর্যন্তুদ শাস্তি ৷
এখানে আযড়াবের ব্যাখ্যা দু রকম হতে পারে; এক আমার বলতে সেই প্রবল বেগে বয়ে
যাওয়া ঠাণ্ডা ঝঞা-বড়ায়ু বুঝান হয়েছে যা তাদের উপর পতিত হয়েছিল এবং সাতরাত ও
আটদিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল ৷ ফলে একজন লোকও বেচে থাকতে পারেনি ৷ পাহাড়ে গর্ত-গুহায়
প্রবেশ করে সেখান থেকেও তাদেরকে বের করে ধ্বংস করে দিয়েছে ৷ এরপর শক্ত ও সুদৃঢ়
প্রাসাদসমুহ ডেৎগে তাদের লাশের উপর ন্তুপ করে রেখেছে ৷ তারা নিজেদের শক্তির অহংকারে
মত্ত হয়ে বলে বেড়াত-আমড়াদের চেয়ে শক্তিশালী আবার কো ফলে আল্লাহ তাদের উপর
সেই জিনিস চাপিয়ে দেন, যা তাদের থেকে অধিক শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান ৷ আর তা হল
অশুভ বাতাস ৷ দুই এমনও হতে পারে যে, এই বাতাস শেষ পর্যায়ে কিছু মেঘ উৎপন্ন করে ৷
তখন যারা মোটামুটি বেচেছিল তারা বলাবলি করছিল, এই মেঘের মধ্যে রহমত নিহিত রয়েছে
এবং তা বেচে থাকা লোকদের রক্ষা করার জন্যে এসেছে ৷ তখন আল্লাহ তাদের উপর আগুনের
লেলিহড়ান শিখা প্রেরণ করেন ৷ একাধিক মুফাস্সির এরুপও ব্যাখ্যা করেছেন ৷ এরুপ অবস্থা
মাদ্য়ানবাসীদেরও হয়েছিল ৷ প্রথমে ঠাণ্ডা বায়ু ও পরে আগুন দ্বারা তাদেরকে শাস্তি দেওয়া
হয়েছিল ৷ (সুরা মুমিনুনে উল্লেখিত) ৰিকট আওয়াজসহ এরুপ বিভিন্ন বিপরীতধর্ষী বস্তু দ্বারা
শাস্তিদানই নিঃসন্দেহে কঠিনতম শাস্তি ৷ আল্পাহই সর্বজ্ঞ ৷
ইবন আবী হাতিম ইবন উমর দুরা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : যে
বাতাসে আদ জাতি ধ্বংস হয়েছিল তা ছিল একটি আত্টি পরিমাণ স্থান দিয়ে নির্গত বায়ু
মাত্র যে টুকু আল্লাহ তাদের জন্যে খুলে দিয়েছিলেন ৷ সে বায়ু খণ্ডটিই উপত্যকার উপর দিয়ে
প্রবাহিত হয় এবং তথাকার লোকজন, জীব-ত্তস্থে ও ধ্ন-সম্পদ, আনমান ও যমীসের মধ্যবর্তী
وَقَدْ قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الضَّرِيسِ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى عَادٍ مِنَ الرِّيحِ الَّتِي أُهْلِكُوا بِهَا إِلَّا مِثْلَ مَوْضِعِ الْخَاتَمِ فَمَرَّتْ بِأَهْلِ الْبَادِيَةِ فَحَمَلَتْهُمْ وَمَوَاشِيَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ أَهْلُ الْحَاضِرَةِ مِنْ عَادٍ الرِّيحَ وَمَا فِيهَا {قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا} [الأحقاف: 24] . [الْأَحْقَافِ: 24] . فَأَلْقَتْ أَهْلَ الْبَادِيَةِ وَمَوَاشِيَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْحَاضِرَةِ» . وَقَدْ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ عَبْدَانَ بْنِ أَحْمَدَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ زَكَرِيَّا الْكُوفِيِّ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمُلَائِيِّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - كَذَا قَالَ -: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا فُتِحَ عَلَى عَادٍ مِنَ الرِّيحِ إِلَّا مِثْلُ مَوْضِعِ الْخَاتَمِ، ثُمَّ أُرْسِلَتْ عَلَيْهِمْ فَحَمَلَتْهُمُ الْبَدْوَ إِلَى الْحَضَرِ، فَلَمَّا رَآهَا أَهْلُ الْحَضَرِ قَالُوا: هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا مُسْتَقْبِلُ أَوْدِيَتِنَا. وَكَانَ أَهْلُ الْبَوَادِي فِيهَا فَأُلْقِيَ أَهْلُ الْبَادِيَةِ عَلَى أَهْلِ الْحَاضِرَةِ حَتَّى هَلَكُوا» . قَالَ: عَتَتْ عَلَى خَزَائِنِهَا حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ خِلَالِ الْأَبْوَابِ. قُلْتُ: وَقَالَ غَيْرُهُ خَرَجَتْ بِغَيْرِ حِسَابٍ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي رَفْعِهِ نَظَرٌ، ثُمَّ اخْتُلِفَ فِيهِ عَلَى مُسْلِمٍ الْمُلَائِيِّ، وَفِيهِ نَوْعُ اضْطِرَابٍ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَظَاهِرُ الْآيَةِ أَنَّهُمْ رَأَوْا عَارِضًا، وَالْمَفْهُومُ مِنْهُ لُغَةً السَّحَابُ. كَمَا دَلَّ
পৃষ্ঠা - ৩০০
শুৰ্ন্য উঠিয়ে নিয়ে যায় ৷ এ বায়ু দেখেই কওমে আদের শহরবাসীরা বলে উঠলং : :fi;) ৷: ৷গ্রা;
!মোঃ এইভাে মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে ৷ কিন্তু বাতাস তখন উপত্যকার মানুষ ও
র্জীব-জন্তুগুলোকে শহরবাসীদের উপর ফেলে দেয় ৷ তাবারানী ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহ কওমে আদের উপর একটি আত্টির সমপরিমাণ
বাতাস উন্মুক্ত করে দেন ৷ তা প্রথমে উপত্যকা ও পরে শহর এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত
করেন ৷ শহরবাসী তা দেখে বলল, এই তো
মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে যা অমািদের উর্পতকাের দিকে এগিয়ে আসছে ৷ সেখানে ছিল
পল্লী এলাকার অধিবাসিগণ ৷ তখন উপত্যকাবাসীদেরস্থক উপর থেকে নিচে শহরবাসীদের উপর
নিক্ষেপ করা হয় ৷ যদ্ল সকলেই ধ্বংস হয়ে যায় ৷ ইবন আব্বাস (বা) প্রমুখ বলেছেন, তাদের
অহংকায়ী ধন-ভাণ্ডার দ্বার-প্রাস্তে বের হয়ে আসে ৷
উল্লেখিত হাদীসের নিম্নরুপ সমালোচনা করা হয়েছে ৪৭( ১) এ হাদীস মাবকু হওয়ার
ব্যাপারে সন্দেহ আছে; (২) হাদীসের এক রাবী মুসলিম আল-মালাঈর ব্যাপারে মতভেদ আছে;
(৩) হাদীসটি মুযতারাব পর্যায়ের ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ; (৪) আঘাতের বাহ্যিক অর্থ হচ্ছে, আর
জাতি’ আকাশে সুস্পষ্ট মেঘের ঘনঘটা দেখেছিল ৷ ( র্চুপ্রুর্চ;রুপ্ ৷ পুিাষ্) পক্ষাম্ভরে, এ
হাদীসকে যদি উক্ত আঘাতের তাফসীরস্বরুপ ধরা হয়, তাহলে আঘাতের সাথে সংঘাত সৃষ্টি
হয় ৷ কেননা, হাদীসে অতি সামান্য (আৎটি বরাবর) মেঘের কথা বলা হয়েছে ৷ সহীহ মুসলিমে
বর্ণিত একটি হাদীস উক্ত বিষয়টিকে আরও সুস্পষ্ট করে দেয় ৷ হযরত আয়েশা (বা) বলেন,
যখন তীর গতিতে বাতাস বইত তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এই দুআ পড়তেন :
হে আল্লাহ ! আপনার নিকট এর মধ্যে যা কিছু কল্যাণ নিহিত আছে এবং এ বায়ুর সাথে
যে কল্যাণ প্রেরিত হয়েছে আমি আপনার নিকট তাই প্রার্থনা করি ৷ এ বায়ুতে যে অনিষ্ট নিহিত
আছে এবং এ বায়ুর সাথে যে অনিষ্ট প্রেরিত হয়েছে তা থেকে পানাহ্ চাই ৷ হযরত আয়েশা
(বা) বলেন, আকাশ যখন মেঘে ছেয়ে যেতো তখন তার চেহারা ৰিবর্ণ হয়ে যেতো ৷ তিনি
একবার ঘরে প্রবেশ করতেন আবার বের হয়ে যেতেন ৷ একবার সম্মুখে যেতেন আবার পিছনে
আসতেন ৷ যখন বৃষ্টি নড়ামতাে তখন তার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে যেত ৷ হযরত আয়েশা (বা) এ
পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং এর কারণ কি তা জিজ্ঞেস করেন ৷ জবাবে তিনি বলেন ;; হে
অকৈয়শশ্বা এটন্ সেরুপ মেঘও ণ্তন্ হ্ৰুত পাত্র যা দেখে অড়াদ জাতি বলেছিল; :
عَلَيْهِ حَدِيثُ الْحَارِثِ بْنِ حَسَّانَ الْبَكْرِيِّ إِنْ جَعَلْنَاهُ مُفَسِّرًا لِهَذِهِ الْقِصَّةِ، وَأَصْرَحُ مِنْهُ فِي ذَلِكَ مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ حَيْثُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ يُحَدِّثُنَا عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ، قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ. وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ. قَالَتْ: وَإِذَا تَخَيَّلَتِ السَّمَاءُ تَغَيَّرَ لَوْنُهُ وَخَرَجَ وَدَخَلَ وَأَقْبَلَ وَأَدْبَرَ، فَإِذَا أَمْطَرَتْ سُرِّيَ عَنْهُ، فَعَرَفَتْ ذَلِكَ عَائِشَةُ فَسَأَلَتْهُ، فَقَالَ: لَعَلَّهُ يَا عَائِشَةُ كَمَا قَالَ قَوْمُ عَادٍ: {فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا} [الأحقاف: 24] » . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ. طَرِيقٌ أُخْرَى. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا عَمْرٌو، وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ أَنَّ أَبَا النَّضْرِ حَدَّثَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ «عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا قَطُّ حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ، إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّمُ، وَقَالَتْ: كَانَ إِذَا رَأَى غَيْمًا أَوْ رِيحًا عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْغَيْمَ فَرِحُوا؛ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ فِيهِ الْمَطَرُ، وَأَرَاكَ إِذَا رَأَيْتَهُ عُرِفَ فِي وَجْهِكَ الْكَرَاهِيَةُ؟ فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ مَا يُؤَمِّنُنِي أَنْ يَكُونَ فِيهِ عَذَابٌ، قَدْ عُذِّبَ
পৃষ্ঠা - ৩০১
উপত্যকার দিকে আগত মেঘমালা দেখে তারা বলল, এই তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দান
করবে ৷ তিরমিষী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হ্(র) ইবন জুরায়য (র) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র)ও হযরত আয়েশা (রা) থেকে হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা)ফে কখনও মুখগহবর দেখা যায় এমন পরিপুর্ণ হাসি হাসতে
দেখিনি; বরং তিনি সর্বদা মুচকি হাসণ্ডে ন ৷ যখন তিনি মেঘ কিৎরা ঝড়াে বাতাস দেখতেন,
তখন তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেত ৷ আমি একবার জিজ্ঞেস করলাম, ইয়৷ রাসুলাস্লাহ! অন্য
লোকেরা মেঘ দেখে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয় ৷ অথচ আমি দেখছি, মেঘ দেখলে আপনার
চেহারায় দুশ্চিম্ভার ছাপ পড়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, হে আয়েশাৰু এর মধ্যে কোন
আমার রয়েছে কিনা-শ্সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই ৷ নুহ (আ)-এর সম্প্রদায়কে বায়ু দ্বারা
আমার দেয়া হয়েছে ৷ অন্য আর এক সম্প্রদায় আমার দেখে বলেছিল,
া১,৬ ন্ব্লুষ্গ্লু ; ! ১১ (এই তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে ৷ )
এই হাদীস থেকে অনেকটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ঘটনা মুলত দুইটি ৷ পুর্বেই আমি এদিকে
ইংগিত দিয়েছি ৷ সুতরাং এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী সুরা আহ্কাফের ঘটনাটি হয়ে দ্বিতীয় আদ সম্প্রদায়
সম্পর্কে এবং কুরআদ্ভুনর অন্যান্য আয়াতের র ংনাি প্র খম আদ সম্পর্কে ৷ অনুরুপ হাদীস ইমাম
মুসলিম (র) হারুন ইবন মা রাফ থেকে এবং ইমাম বুখারী (র) ও আবু দাউদ (র) ইবন ওহাব
(র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
হ্রদ (আ) এর হজ্জ সংক্রান্ত বর্ণনা হযরত নুহ (আ)-এর আঠুলাচন৷ প্রসঙ্গে পুর্বেই উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত ,হয়েছে যে, হযরত হ্রদ
(আ) এর কবর ইয়ামান দেশে অবস্থিত কিন্তু অন্যরা বলেছেন, তার কবর দামেশকে ৷
দা মেশকের জামে মসজিদের সম্মুখ প্রাচীরের একটি নির্দিষ্ট স্থান সম্পৃর্কে কোন কোন লোকের
ধারণা যে, এটা হযরত হুদ (আ) এর কবর ৷
قَوْمُ نُوحٍ بِالرِّيحِ، وَقَدْ رَأَى قَوْمٌ الْعَذَابَ فَقَالُوا: هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ هَارُونَ بْنِ مَعْرُوفٍ، وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ، وَأَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ. فَهَذَا الْحَدِيثُ كَالصَّرِيحِ فِي تَغَايُرِ الْقِصَّتَيْنِ، كَمَا أَشَرْنَا إِلَيْهِ أَوَّلًا. فَعَلَى هَذَا تَكُونُ الْقِصَّةُ الْمَذْكُورَةُ فِي سُورَةِ الْأَحْقَافِ خَبَرًا عَنْ قَوْمِ عَادٍ الثَّانِيَةِ، وَتَكُونُ بَقِيَّةُ السِّيَاقَاتِ فِي الْقُرْآنِ خَبَرًا عَنْ عَادٍ الْأُولَى، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.
وَقَدَّمْنَا حَجَّ هُودٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ عِنْدَ ذِكْرِ حَجِّ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَرُوِيَ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ ذَكَرَ صِفَةَ قَبْرِ هُودٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي بِلَادِ الْيَمَنِ. وَذَكَرَ آخَرُونَ أَنَّهُ بِدِمَشْقَ، وَبِجَامِعِهَا مَكَانٌ فِي حَائِطِهِ الْقِبْلِيِّ يَزْعُمُ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّهُ قَبْرُ هُودٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.