আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل: انصراف رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى المدينة

পৃষ্ঠা - ২৭২৯
[فَصْلٌ: انْصِرَافُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلَقِيَتْهُ حَمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ كَمَا ذُكِرَ لِي، فَلَّمَا لَقِيَتِ النَّاسَ نُعِيَ إِلَيْهَا أَخُوهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ، فَاسْتَرْجَعَتْ وَاسْتَغْفَرَتْ لَهُ، ثُمَّ نُعِيَ لَهَا خَالُهَا حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَاسْتَرْجَعَتْ وَاسْتَغْفَرَتْ لَهُ، ثُمَّ نُعِيَ لَهَا زَوْجُهَا مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ فَصَاحَتْ وَوَلْوَلَتْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ زَوْجَ الْمَرْأَةِ مِنْهَا لَبِمَكَانٍ. لِمَا رَأَى مِنْ تَثَبُّتِهَا عِنْدَ أَخِيهَا وَخَالِهَا، وَصِيَاحِهَا عَلَى زَوْجِهَا. وَقَدْ قَالَ ابْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَرَوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ أَنَّهُ قِيلَ: لَهَا: قُتِلَ أَخُوكِ. فَقَالَتْ: رَحِمَهُ اللَّهُ، وَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. قَالُوا: قُتِلَ زَوْجُكِ. قَالَتْ: وَاحُزْنَاهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِلزَّوْجِ مِنَ الْمَرْأَةِ لَشُعْبَةً، مَا هِيَ لِشَيْءٍ» .
পৃষ্ঠা - ২৭৩০

“তোমার স্বামী শহীদ হয়েছেন ৷” তখন তিনি আহাজারি করে বলেছিলেন, হায় কপাল এ অবস্থা
দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ত্রীর নিকট আপন স্বামীর এমন এক গুরুতুপুর্ণ অবস্থান আছে যা
অন কিছুর জন্যেই নেই ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল ওয়াইিদ সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (বা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বানু দীনার গোত্রের এক মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷
মহিলার স্বামী, ভাইও পি৩ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথী হয়ে যুদ্ধ করতে করতে উহুদ ময়দানে
শহীদ হয়েছিলেন ৷ ওদের মৃত্যু সংবাদ র্তাকে শোনানাের পর র্জিন বলেছিলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
(কমন আছেন ? লোকজন বলল, হে অমুকের যা! আপনি যেমন কামনা করেছেন আলহামদু
লিল্লাহ্ তিনি ভাল আছেন ৷ তিনি বললেন, তাকে একটু দেখান আমি তাকে এক নজর দেখে
নিই ! রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রতি ইশারা করে তন্াকে দেখানো হন ৷ বস্লুল্লাহ্ (সা) £ক দেখে তিনি
বলে উঠলেন, হয়৷ বাসুলাল্ল হ ! এা১ এ হ্ এণ্ ,া১ ত্া৷পনান্থক সুস্থ দেখার পর সকল
বিপদ আমার নিকটত তুচ্ছ ৷ ইবন হিশাম বলেন, ,া৷ ন্ শব্দটি কম এবং বেশী উভয় অর্থে ব্যবহৃত
হয় এখানে শব্দটি কম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ৷

কাব ইমর৷ উল কা য়স বলেছেনহ্র;


বানু আসাদ <ণ্া৷ত্র তাদের রাজাকে হত্যা করেছে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ৷ ওই রাজা
ব্যতীত সব কিছুই পৌণ ও৩ তুচ্ছ ৷ এখানে ট্রুা শু শব্দটিঙু চছ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় পৌছে র্তার তরবারিটি ফাতেম৷ (রা) এর
হাতে সমর্পণ করলেন ৷ তিনি বললেন, মা রে! তরবারির রক্তগুলাে ধুয়ে ফেল এটি আজ আমাকে
পুর্ণ সহযোগিতা করেছে ৷ হযরত আলী (বা) তা ৷র তরব৷ ৷রিটি ফা৩ ৷তিম৷ (রা) কে দিয়ে বললেন রক্ত
ধুয়ে (ফল, এটি আজ সত্যিই আমাকে সহযোগিতা করেছে ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বল ,লন হে আলী
আজ তুমি পুর্ণ যুদ্ধ করেছ বটে; তবে তোমার সাথী হয়ে সাহ্ল ইবন হুনায়ফ এ য়০ আবু দৃজ ৷নাও
পুরো মাত্রায় যুদ্ধ করেছেন ৷

মুসা ইবন উকবা অনাএ বণেছেন যে, ব ৷সুলুন্ধুা৷ ২ (সা) হযব৩ আলী (রা) এর রক্ত মাথা
তরবারি দেখে বলেছিলেন, আজ তুমি যুদ্ধের মত যুদ্ধ করেছ বহ্ট, তবে আসিম ইবন ছাবিত
ইবন আবুল আফলাহ্, হারিছ ইবন সস্ফোহ্ ও না হল ইবন হুণ্নায়ফও খুব ভাল যুদ্ধ করেছে ৷

বায়হাকী (রা) বলেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ ইবন আব্বাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, উহুদ দিবসে হযরত আলী (রা) তীর তরবারি নিয়ে ফিরে এলেন, তরবারিটি
বেকে গিয়েছিল ৷ তিনি হযরত ফা৩ ৷তিম৷ (রা) কে বললেন, প্রশংসা যোগ্য এই তরবারিটি নাও,
এটি আমাকে পরিতু ষ্ট করেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, আজ তমি তােমারৎ তরবারি দ্বারা
খুবই ভাল আঘাত করেছ বটে,৩ তবে নতুন ইবন হুনায়ফ , আবু দৃজ৷ না, আসিম ইবন ছাবিত এবং
হারিছ ইবন স ৷ম্মাহ্ প্রমুথও ভ৷ ৷ল লড়েছেন ৷

ইবন হিশাম বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর এই তরবারিঢির নাম ছিল যুলফিকার ৷ তিনি আরো
বলেন, কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন, ইবন আবু নাজীহ সুত্রে যে, সেদিন জনৈক ঘোযক উহুদ




قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: «مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِامْرَأَةٍ مِنْ بَنِي دِينَارٍ، وَقَدْ أُصِيبَ زَوْجُهَا وَأَخُوهَا وَأَبُوهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُحُدٍ فَلَمَّا نُعُوْا لَهَا قَالَتْ: مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالُوا: خَيْرًا يَا أَمَّ فُلَانٍ، هُوَ بِحَمْدِ اللَّهِ كَمَا تُحِبِّينَ. قَالَتْ: أَرَوْنِيهِ حَتَّى أَنْظُرَ إِلَيْهِ. قَالَ: فَأُشِيرَ لَهَا إِلَيْهِ، حَتَّى إِذَا رَأَتْهُ قَالَتْ: كُلُّ مُصِيبَةٍ بَعْدَكَ جَلَلٌ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: الْجَلَلُ يَكُونُ. مِنَ الْقَلِيلِ وَمِنَ الْكَثِيرِ، وَهُوَ هَاهُنَا مِنَ الْقَلِيلِ. قَالَ امْرُؤُ الْقَيْسِ: لِقَتْلِ بَنِي أَسَدٍ رَبَّهُمْ أَلَا كُلُّ شَيْءٍ خَلَاهُ جَلَلْ أَيْ صَغِيرٌ وَقَلِيلٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِهِ نَاوَلَ سَيْفَهُ ابْنَتَهُ فَاطِمَةَ فَقَالَ: اغْسِلِي عَنْ هَذَا دَمَهُ يَا بُنِيَّةُ، وَاللَّهِ لَقَدْ صَدَقَنِي فِي هَذَا الْيَوْمِ. وَنَاوَلَهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ سَيْفَهُ فَقَالَ: وَهَذَا فَاغْسِلِي عَنْهُ دَمَهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ
পৃষ্ঠা - ২৭৩১
صَدَقَنِي الْيَوْمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَئِنْ كُنْتَ صَدَقْتَ الْقِتَالَ، لَقَدْ صَدَقَهُ مَعَكَ سَهْلُ بْنُ حَنَيْفٍ، وَأَبُو دُجَانَةَ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ: وَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَ عَلِيٍّ مُخَضَّبًا بِالدِّمَاءِ قَالَ: لَئِنْ كُنْتَ أَحْسَنْتَ الْقِتَالَ فَقَدْ أَحْسَنَ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ، وَالْحَارِثُ بْنُ الصِّمَّةِ، وَسَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِسَيْفِهِ يَوْمَ أُحُدٍ قَدِ انْحَنَى، فَقَالَ لِفَاطِمَةَ: هَاكِ السَّيْفَ حَمِيدًا ; فَإِنَّهَا قَدْ شَفَتْنِي. فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَئِنْ كُنْتَ أَجَدْتَ الضَّرْبَ بِسَيْفِكَ، لَقَدْ أَجَادَهُ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَأَبُو دُجَانَةَ، وَعَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ، وَالْحَارِثُ بْنُ الصِّمَّةِ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَسَيْفُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا هُوَ ذُو الْفَقَارِ. قَالَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ قَالَ: نَادَى مُنَادٍ يَوْمَ أُحُدٍ: لَا سَيْفَ إِلَّا ذُو الْفَقَارِ، وَلَا فَتَى إِلَّا عَلِيٌّ. قَالَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَلِيٍّ لَا يُصِيبُ الْمُشْرِكُونَ مِنَّا مِثْلَهَا حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِدَارِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ فَسَمِعَ
পৃষ্ঠা - ২৭৩২

ময়দানে ঘোষণা দিয়েছিল যে, যুলফিকার ব্যতীত উল্লেখযেগ্যে কোন তরবারি নেই ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, কেউ কেউ আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আলী (রা)-কে

বলেছিলেন “আল্লাহ্ আমাদেরকে পুর্ণ বিজয় দানের পুর্বে মুশরিকগণ আমাদের আর এরুপ ক্ষতি
করতে পারবে না ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বানুআবদ আশহাল গোত্রের পাশ দিয়ে গেলেন ৷ উক্ত
গোত্রের নিহত লোকদের শোকে অন্দর মহলে কান্নাকাঢির শব্দ <;পরুলন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দুচােখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগালা , তিনি বললেন, “তবে হামযা (বা ) -এর জন্যে কান্নক্যেটি করার
কেউ নেই ৷ তার জন্যে শোক প্রকাশ করার, কান্নাকাটি করার কেউ নেই ৷ সাদ ইবন মুআয ও
উসায়দ ইবন হুজায়র বানু আবৃদে আশৃহাল গোত্রের নিকট গিয়ে ওদের মহিলাদেরকে হযরত
হামযা (রা)-এর জন্যে শোক প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন ৷ হাকীম ইবন হাকীম — বানু
আবদুল আশহাল গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, হযরত হামযা
(রা)-এর গোকে ওই মহিলাদের আহাজারি ও কান্নাকাটি ণ্ডান রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নিকট
উপস্থিত হলেন ৷ তারা ছিলেন মসজিদ-ই-নববীর সম্মুখে ৷ তিনি বলেন, এবার তোমরা ফিরে যাও ৷
মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি সদর হোন ! তোমরা তো নিজেরা এসে সহানুভুতি প্রকাশ করলে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, সেদিন থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মৃত ব্যক্তির জন্যে ৰিলাপ ও চীত্কার
করে কান্নাকাটি নিষিদ্ধ করেছেন, ইবন হিশামও এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ বর্ণনার এই অংশটুকু
বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত, তবে এটি মুরসাল পদ্ধতিতেও বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) এই
হাদীছটি পুর্ণ সনদসহ উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, যায়দ ইবন হুবাব —
ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উহুদ প্রান্তর থেকে মদীনায় দিকে
এলেন ৷ তখন নিজ নিজ স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনে শহীদগণের স্তীগণ কান্নাকাটি ও শোক প্রকাশ
করতে লাপলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হায় ! হামযার (বা ) জন্যে কান্নার কেউ নেই ৷ এক
সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ পরে র্তাকে সজাগ করা হল ৷ তখনও মহিলাগণ
র্কাদছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) শুনে বললেন, এখন তো দেখছি ওরা হামযা (রা)-এর জন্যে
র্কাদছে ৷ এই বর্ণনাটি ইমাম মুসলিমের শর্তে উত্তীর্ণ ৷ এ প্রসংরুগ ইবন মাজা (র) হারুন ইবন
সাঈদ — ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বানু আবদুল আশহাল
গোত্রের মহিলাদের নিকট পেলেন ৷ তখন তারা উহুদ যুদ্ধে নিহত তাদের আত্মীয়দের শোকে
কান্নকােটি করছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন হায় ! হামযার (বা) জন্যে কান্নাকাটি করার কেউ
নেই ৷ এরপর আনসারী মহিলাগণ এসে হযরত হামযার জন্যে শোক প্রকাশ করে কান্নড়াকাটি
করতে লাপলেন ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা ) ঘুম থেকে জেগে উঠলেন ৷ এবার তিনি
বললেন, দুঃখ এই মহিলাদের জন্যে যাওয়ার পর এরা এখন ফিরে এল কেন ? ওরা যেন চলে যায়
এবং আজ থেকে কোন মৃত ব্যক্তির জন্যে কান্নকােটি না করে ৷

মুসা ইবন উকবা বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় গলিপথে প্রবেশের পর শুনতে পেলেন যে,
ঘরে ঘরে মহল্লায় মহল্লায় কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কী ?
লোকজন বলল, এরা আনসারী মহিলা ৷ র্তাদের ঘনিষ্ঠ লোকদের শহীদ হওয়ার কারণে তীরা


الْبُكَاءَ وَالنَّوَائِحَ عَلَى قَتْلَاهُمْ، فَذَرَفَتْ عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَكَى ثُمَّ قَالَ: لَكِنَّ حَمْزَةَ لَا بِوَاكِيَ لَهُ. فَلَمَّا رَجَعَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، وَأُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ إِلَى دَارِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ أَمَرَا نِسَاءَهُنَّ أَنْ يَتَحَزَّمْنَ، ثُمَّ يَذْهَبْنَ فَيَبْكِينَ عَلَى عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَحَدَّثَنِي حَكِيمُ بْنُ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ بَعْضِ رِجَالِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ قَالَ: لَمَّا سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُكَاءَهُنَّ عَلَى حَمْزَةَ خَرَجَ عَلَيْهِنَّ، وَهُنَّ عَلَى بَابِ مَسْجِدِهِ يَبْكِينَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: ارْجِعْنَ يَرْحَمُكُنَّ اللَّهُ، فَقَدَ آسَيْتُنَّ بِأَنْفُسِكُنَّ قَالَ: وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّوْحِ. فِيمَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعٌ، وَمِنْهُ مُرْسَلٌ. وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فَقَالَ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا رَجَعَ مِنْ أُحُدٍ، فَجَعَلَ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ يَبْكِينَ عَلَى مَنْ قُتِلَ مِنْ أَزْوَاجِهِنَّ، قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَلَكِنَّ حَمْزَةَ لَا بِوَاكِيَ لَهُ. قَالَ: ثُمَّ نَامَ فَاسْتَنْبَهَ، وَهُنَّ
পৃষ্ঠা - ২৭৩৩
يَبْكِينَ قَالَ: فَهُنَّ الْيَوْمَ إِذًا يَبْكِينَ يَنْدُبْنَ حَمْزَةَ؟ !» وَهَذَا عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ هَارُونَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِنِسَاءِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ يَبْكِينَ هَلْكَاهُنَّ يَوْمَ أُحُدٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَكِنَّ حَمْزَةَ لَا بِوَاكِيَ لَهُ. فَجَاءَ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ يَبْكِينَ حَمْزَةَ، فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: وَيْحَهُنَّ! مَا انْقَلَبْنَ بَعْدُ؟ ! مُرُوهُنَّ فَلْيَنْقَلِبْنَ، وَلَا يَبْكِينَ عَلَى هَالِكٍ بَعْدَ الْيَوْمِ.» وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَلَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَزِقَّةَ الْمَدِينَةِ إِذَا النَّوْحُ وَالْبُكَاءُ فِي الدُّورِ، قَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: هَذِهِ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ يَبْكِينَ قَتْلَاهُمْ. فَقَالَ: " لَكِنَّ حَمْزَةَ لَا بِوَاكِيَ لَهُ " وَاسْتَغْفَرَ لَهُ، فَسَمِعَ ذَلِكَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، وَسَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَمَشَوْا إِلَى دُورِهِمْ، فَجَمَعُوا كُلَّ نَائِحَةٍ بَاكِيَةٍ كَانَتْ بِالْمَدِينَةِ فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا تَبْكِينَ قَتْلَى الْأَنْصَارِ حَتَّى تَبْكِينَ عَمَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّهُ قَدْ ذَكَرَ أَنَّهُ لَا بِوَاكِيَ لَهُ بِالْمَدِينَةِ. وَزَعَمُوا أَنَّ الَّذِي جَاءَ بِالنَّوَائِحِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَلَمَّا سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا هَذَا؟ فَأُخْبِرَ بِمَا فَعَلَتِ الْأَنْصَارُ بِنِسَائِهِمْ، فَاسْتَغْفَرَ لَهُمْ، وَقَالَ لَهُمْ خَيْرًا
পৃষ্ঠা - ২৭৩৪
وَقَالَ: " مَا هَذَا أَرَدْتُ، وَمَا أُحِبُّ الْبُكَاءَ ". وَنَهَى عَنْهُ. وَهَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ سَوَاءً. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَأَخَذَ الْمُنَافِقُونَ، عِنْدَ بُكَاءِ الْمُسْلِمِينَ، فِي الْمَكْرِ وَالتَّفْرِيقِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَحْزِينِ الْمُسْلِمِينَ، وَظَهَرَ غِشُّ الْيَهُودِ وَفَارَتِ الْمَدِينَةُ بِالنِّفَاقِ فَوْرَ الْمِرْجَلِ، وَقَالَتِ: الْيَهُودُ لَوْ كَانَ نَبِيًّا مَا ظَهَرُوا عَلَيْهِ، وَلَا أُصِيبَ مِنْهُ مَا أُصِيبَ، وَلَكِنَّهُ طَالِبُ مُلْكٍ ; تَكُونُ لَهُ الدَّوْلَةُ وَعَلَيْهِ. وَقَالَ الْمُنَافِقُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ، وَقَالُوا لِلْمُسْلِمِينَ: لَوْ كُنْتُمْ أَطَعْتُمُونَا مَا أَصَابَكُمُ الَّذِينَ أَصَابُوا مِنْكُمْ. فَأَنْزِلُ اللَّهُ الْقُرْآنَ فِي طَاعَةِ مَنْ أَطَاعَ وَنِفَاقِ مَنْ نَافَقَ، وَتَعْزِيَةِ الْمُسْلِمِينَ ; يَعْنِي فِيمَنْ قُتِلَ مِنْهُمْ، فَقَالَ: {وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} [آل عمران: 121] [آلِ عِمْرَانَ 121] الْآيَاتِ كُلَّهَا، كَمَا تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.