আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل في عدد الشهداء

পৃষ্ঠা - ২৭২৬


ইমাম মুসলিম ও বায়হাকী (র) উভয়ে আর মুআবিয়া মাসৃরুক সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে ১৷ প্রু
টুট্রুধ্ট্রুষ্টুছুৰু , স্পোঠু,াট্রু ; ৷ ৷ র্দুাহু আয়াত সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) কে জিজ্ঞেস
করেছিলাম; তিনি বললেন, আমি এই বিষয়ে নিজে রাসুলুল্লাহ্ (স ) — কে জিজ্ঞেস করােছলাম,
তখন তিনি বলেছেন, ওদের রুহ থাকবে সবুজ পাখীর পেটে, জ্যন্নাতের যেখানে ইচ্ছা তারা
সেখানে ভ্রমণ করতে পারবে তারপর আরশের সাথে ঝুলানাে ফাণ্নুসে এসে আশ্রয় নেবে ৷ এমনি
এক অবস্থায় স্বয়ং আল্লাহ্ তাআল৷ ওদের দিকে মনোনিবেশ করবেন ৷ তিনি বলবেন, তোমাদের
যা কামনা বাসনা তা আমার নিকট চাও ৷ ওরা বলবেন, হে প্রভু! আমাদের চাওয়ার তাে কিছু নেই ৷
আপনার দয়ায় আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা যেতে পারছি ৷ আল্লাহ্ তাআলা তিনবার তাদেরকে
এরুপ বলবেন ৷ তারা যখন দেখান যে, আল্লাহ্ তাআলা বার ন্থাধ্হ-৷ বলছেন, তখন তারা বলবে, হে
প্রভু ! আমরা চাই যে, আপনি আমাদের দেহে রুহ পুনস্থাপন করে আমাদেরকে দৃনিয়াতে পাঠিয়ে
দিন, যাতে করে আমরা পুনরায় আপনার পথে শহীদ হতে পারি, আল্লাহ তাআলা যখন দেখবেন
তারা শুধু এটাই চাচ্ছে তখন তিনি তাদেরকে তাদের অবস্থায় রেখে দেবেন ৷

উহুদ যুদ্ধে শহীদগণের সংখ্যা

মুসা ইবন উকব৷ বলেন, উহুদ যুদ্ধে ঘুহাজির ও আনসার মিলিয়ে মোট ৪৯ জন শহীদ হন ৷
সহীহ্ বুখাবীতে হযরত বর (বা ) থেকে বর্ণিত হাদীছে আছে যে সেদিন ৭০ জন সাহাবী শহীদ
হয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জা নেন ৷

হযরত আনাস (রা)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে কাতাদা (র ) বলেন যে উহুদ যুদ্ধে আনসারগণের সত্তর
জন, বির-ইমাউনার ঘটনায় আনসারগণের সত্তর জন এবং ইয়ামামার যুদ্ধে আনসারগণের সত্তর
জন শহীদ হয়েছিলেন ৷ হাম্মাদ ইবন সালাম৷ আনাস (রা ) সুত্রে বনাি করেছেন যে, তিনি বলতেন
উহুদ যুদ্ধে, বির-ই-মাউনার ঘটনায়, মাওতার যুদ্ধে এবং ইয়ামামার যুদ্ধে প্রতিবেশী প্রায়
সত্তরজন করে আনসার সাহাবী শহীদ হয়েছিলেন ৷

মালিক সাঈদ ইবন মুসায়িাব থেকে বর্ণনা করেন যে, উহুদ যুদ্ধে এবং ইয়ামামার
যুদ্ধে সত্তর জন করে আনসারী শহীদ হয়েছেন ৷ আবু উবায়দ এর নেতৃত্বে পরিচালিত সেতুর
যুদ্ধের দিনেও সত্তর জন আনসাবী শহীদ হয়েছিলেন ৷ ইকরিমা, উরওয়া, যুহরী এবং মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাক উহুদের শহীদগণের সংখ্যা সম্পর্কে এরুপই বলেছেন ৷ আল্লাহ্৩ তা জানার নিম্নোক্ত বা ৷গী

তাদের বক্তব্য সমর্থন এ ৷

৷ ১১১ কী ব্যাপার ! যখন৫ আমাদের উপর মৃসিবত এল তখন ণ্ডে তামর৷ বললে এটি কোথেকে
এল ? অথচ তোমরা তো ওদের উপর দ্বিগুণ বিপদ ঘটিয়েছিলে ৷ (৩ আলে-ইমরানং : ১৬৫) ৷

এখানে বদরের যুদ্ধে কাফিরদের ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন বন্দী হওয়ার দািকা ইঙ্গিত
করা হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক থেকে বর্ণিত যে, উহুদ দিবসে আনসারগণের মধ্য থেকে ৬৫ জন শহীদ
হয়েছিলেন ৷ সম্ভবতঃ এখানে আনসারগণের মধ্য থেকে “শব্দ না হয়ে” মুসলমানদের মধ্য থেকে


[فَصَلٌ فِي عَدَدِ الشُّهَدَاءِ] قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: جَمِيعُ مَنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ أُحُدٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ تِسْعَةٌ وَأَرْبَعُونَ رَجُلًا. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ عَنِ الْبُخَارِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ أَنَّهُمْ قَتَلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ سَبْعِينَ رَجُلًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ قَتَادَةُ: عَنْ أَنَسٍ قُتِلَ مِنَ الْأَنْصَارِ يَوْمَ أُحُدٍ سَبْعُونَ، وَيَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ سَبْعُونَ، وَيَوْمَ الْيَمَامَةِ سَبْعُونَ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: يَا رَبَّ السَّبْعِينَ يَوْمَ أُحُدٍ وَيَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَيَوْمَ مُؤْتَةَ وَيَوْمَ الْيَمَامَةِ. وَقَالَ مَالِكٌ: عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ:
পৃষ্ঠা - ২৭২৭
قُتِلَ مِنَ الْأَنْصَارِ يَوْمَ أُحُدٍ سَبْعُونَ، وَيَوْمَ الْيَمَامَةِ سَبْعُونَ، وَيَوْمَ جِسْرِ أَبِي عُبَيْدٍ سَبْعُونَ. وَهَكَذَا قَالَ عِكْرِمَةُ، وَعُرْوَةُ وَالزُّهْرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِي قَتْلَى أُحُدٍ. وَيَشْهَدُ لَهُ قَوْلُهُ تَعَالَى: {أَوَلَمَّا أَصَابَتْكُمْ مُصِيبَةٌ قَدْ أَصَبْتُمْ مِثْلَيْهَا} [آل عمران: 165] يَعْنِي أَنَّهُمْ قَتَلُوا يَوْمَ بَدْرٍ سَبْعِينَ وَأَسَرُوا سَبْعِينَ. وَعَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ،: قُتِلَ مِنَ الْأَنْصَارِ يَوْمَ أُحُدٍ خَمْسَةٌ وَسِتُّونَ. وَكَلَامُهُ فِي " السِّيرَةِ " يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ خَمْسَةٌ وَسِتُّونَ ; أَرْبَعَةٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ ; حَمْزَةُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ، وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ، وَشَمَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ وَالْبَاقُونَ مِنَ الْأَنْصَارِ وَسَرَدَ أَسْمَاءَهُمْ عَلَى قَبَائِلِهِمْ. وَقَدِ اسْتَدْرَكَ عَلَيْهِ ابْنُ هِشَامٍ زِيَادَةً عَلَى ذَلِكَ خَمْسَةً آخَرِينَ، فَصَارُوا سَبْعِينَ عَلَى قَوْلِ ابْنِ هِشَامٍ، وَسَرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَسْمَاءَ الَّذِينَ قُتِلُوا مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৭২৮

হবে ৷ কারণ, পরবর্তীতে তিনি বলেছেন যে, ৬৫ জনের মধ্যে : জন ঘুহাজির আর অবশিষ্টগণ
আনসার ছিলেন ৷ মুহাজির চারজন হলেন হাময৷ (রা), আবদুল্লাহ ইবন জাহ্শ (বা ) , মুসআব
ইবন উমায়র (বা) এবং শাম্মাস ইবন উছমান (বা) ৷ গোত্রপরিচয়সহ তিনি আনসারী শহীদগণের
নামও উল্লেখ করেছেন ৷

ইবন হিশাম শহীদগণের সংখ্যা আরো ৫ জন বাড়িয়ে বলেছেন ৷ ফলে ভীর বক্তব্যানুসারে
শহীদ সংখ্যা মোট ৭০ ৷ ওই যুদ্ধে যে সকল মুশরিক নিহত হয়েছিল ইবন ইসহাক তাদের নামও
উল্লেখ করেছেন ৷ ওদের সংখ্যা ছিল বাইশ ৷ উরওয়৷ বলেন, উহুদ যুদ্ধের শহীদের সংখ্যা ৪৪
কিৎবা ৪৭ ৷ মুসা ইবন উকবা বলেন, মুসলমান শহীদের সংখ্যা : ৯ জন আর কাফির নিহত
হয়েছিল ১৬ জন ৷ উরওয়৷ (র)-এর মতে নিহত কাফিরের সংখ্যা ১ ৯ ৷

ইবন ইসহ্াক বলেছেন, সেদিন কাফিরদের বাইশ জন নিহত হয়েছিল ন্ শাফিঈ (র)এর
উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনাক৷ রী রবী (র) বলেন যে, সেদিন শুধু একজন মুশরিক মুসলমানদের হাতে বন্দী
হয়েছিল ৷৩ তার না ন আবু আয্যা জুমাহী ৷ সে বদর যুদ্ধে ও মুসলমানদের হাতে ৩বন্দী হয়েছিল ৷
তখন দয়া পরবশ হয়ে কোন মুক্তিপণ ছাড়াই রাসুলুল্লাহ্ (সা ৷) তাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন তবে শর্ত
ছিল যে, স কোনদিন, আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না ৷ শর্তভঙ্গ করে সে উহুদ যুদ্ধে
অংশ গ্রহণ করে ৷ এদিন বন্দী হবার পর সে বলেছিল, হে মুহাম্মাদ ৷ আমার কন্যা সন্তানদের
খাতিরে আমার প্রতি দয়া করুন ৷ আমি অঙ্গীকার করছি যে, আর কোনদিন আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমাকে আর ছাড়ব না ৷ তোমাকে এই সুযোগ দেবনা যে,
ভুমি মক্কায় গিয়ে দু পাজরে হাত বুলাবে আর বলবে “আমি দু দুবার মুহাম্মাদকে ঠকিয়েছি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর আদেশে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল ৷ কেউ কেউ বলেন যে ওই দিনই
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছিলেন টু, ;,ছু ,ংট্রু১ ট্রু,ন্, টু,ন্,দ্বু’প্ ৷ ছুএঠু১৷ ঈমানদার মানুষ এক গর্ত
থেকে দুবার দৎশিত হয় না ৷

ইবন ইসহাক বলেন, উহুদ যুদ্ধ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় পথে ফিরতি যাত্রা করলেন ৷
পথে তীর সাথে সাক্ষাত হয় হামন৷ যিনত জাহাশের ৷ লোকজন তীকে তীর ভাই আবদুল্লাহ ইবন

জাহ্শের শহীদ হওয়ার সংবাদ জানায় ৷ তিনি ইন্না লিল্লাহ্ পাঠ করেন ৷ এবং আপন
ভাইয়ের জন্যে মাগফিরাত কামনা করে দৃআ করেন ৷ এরপর তীর মামা হামযা (রা)-এর শহীদ
হওয়ার সংবাদ র্তাকে জানানো হয় ৷ তিনি “ইন্ন৷ লিল্লাহ্ পাঠ করে তীর জন্যেও

মাগফিরাতের দু“আ করলেন ৷ এরপর তীকে তীর স্বামী মৃসআব ইবন উমায়রের (রা ) শাহাদাত
সংবাদ জানানো হল ৷ এটি শুনে তিনি চীৎকার করে কান্নকােটি করতে থাকেন ৷ এবং আহাজারি
করতে থাকেন ৷ ভাই ও মামার মৃত্যু সংবাদে মোটামুটি ন্থিরত৷ এবং স্বামীর মৃত্যু সংবাদে তার
চীৎকার ও আহাজ বি দেখে রাসুলুল্পাহ (সা) বললেনচ্; টু,া < ৷ ৷ৰু : ৷ ং,ঠু ৷ ৰু , , টু, ৷ শ্রীর
নিকট আপন স্ব৷ ৷মীর গুরুত্হু অবশ্যই অ৩ ত্যধিক ৷

ইবন মাজ৷ উল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহ্য়া — হামনা বিনৃত জাহাশ (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তীকে বলা হয়েছিল তােমা র ভাইন্ ৷হীদ হয়েছেন, তিনি বলেছেন, ,
, ,ৰু১ ৷ , হু ৷ ৷ চু১া, ণ্এ৷ , ৷ , ণ্এে ৷ অর্থাৎ আল্লাহ্৩ তাকে দয়া করুন, আমরা আল্লাব্লছুরই
মালির্কানাধীন এবং ৩ারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন ৷ এরপর লোকজন তাকে বলেছিল


الْمُشْرِكِينَ، وَهُمُ اثْنَانِ وَعِشْرُونَ رَجُلًا. وَعَنْ عُرْوَةَ: كَانَ الشُّهَدَاءُ يَوْمَ أُحُدٍ أَرْبَعَةً - أَوْ قَالَ: سَبْعَةً وَأَرْبَعِينَ -. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: تِسْعَةٌ وَأَرْبَعُونَ. قَالَ مُوسَى: وَقُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَئِذٍ سِتَّةَ عَشَرَ رَجُلًا. وَقَالَ عُرْوَةُ: تِسْعَةَ عَشَرَ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: اثْنَانِ وَعِشْرُونَ. وَقَالَ الرَّبِيعُ، عَنِ الشَّافِعِيِّ: وَلَمْ يُؤْسَرْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ سِوَى أَبِي عَزَّةَ الْجُمَحِيِّ وَقَدْ كَانَ فِي الْأُسَارَى يَوْمَ بَدْرٍ فَمَنَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَا فِدْيَةٍ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَلَّا يُقَاتِلَهُ، فَلَمَّا أُسِرَ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، امْنُنْ عَلَيَّ لِبَنَاتِي، وَأُعَاهِدُ أَنْ لَا أُقَاتِلَكَ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا أَدْعُكَ تَمَسَحُ عَارِضَيْكَ بِمَكَّةَ وَتَقُولُ: خَدَعْتُ مُحَمَّدًا مَرَّتَيْنِ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ يَوْمَئِذٍ قَالَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ مَرَّتَيْنِ»