আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

وفرغ الناس لقتلاهم

পৃষ্ঠা - ২৭০৫

ওদু১শ্০ঞার্বুর্ণি টুা১১ন্এ’ ১ >ষ্ওাংন্৷ ৷১ছুণ্ত্রাস্ওস্-১ন্ন্াএদুৰুওশু১;১চ্ণ্র্দ্রৰুন্হ্নণ্
ন্০ হু! শ্ণ্শ্া)০)ষ্টুশ্)শ্ষ্ব্লু, শ্ন্শ্০ শ্ন্াঢু শ্০ ষ্;া৷ষ্ ন্ ন্শ্ শ্০শ্
ষ্ঠাং র্দুর্চুএ
র্চদ্বু:>ং৷ ৷ র্দুৰুং৷ ষ্প্রুএে ৷
“হে আল্লাহ্ ! সকল প্রশংসা আপনার ৷ হে আল্লাহ্ ৷ আপনি যা প্রসারিত করেন তা কেউ
সংকুচিত করতে পাংর না ৷ আপনি যা সংকুচিত করেন, কেউ তা প্রসারিত করতে পারে না ৷
আপনি যাকে গুমরাহ করেন, কেউ তাকে সৎপথ দেখাতে পারে না ৰু আপনি যাকে সৎপথ দেখান,
কেউ তাকে গুমরাহ করতে পারে না ৷ আপনি যা দান করেন, কেউ তা রুখতে পারে না ৷ আপনি
যা আটক করে রাখেন কেউ তা দান করতে পাবেনা ৷ আপনি যা নিকটবর্তী করে দেন কেউ তা
দুরে সরাতে পারে না ৷ আপনি যা দুরে সরিয়ে দেন, কেউ তা কাছে আনতে পাবেনা ৷ হে আল্লাহ্া
আপনার বরকত, রহমত, অনুগ্রহ ও রিয্ক আমাদের জন্যে সম্প্রসারিত করে দিন! হে আল্লাহ্
আমি আপনার নিকট চিরস্থায়ী নে’মত কামনা করছি যা পরিবর্তন ও বিনড়াশ হয়না ৷ হে আল্লাহ্ ৷
আমি ওই অভাবের দিবসের জন্যে আপনার নিআমত কামনা করছি ৷ ভয়ের দিবসের জন্যে
কামনা করছি নিরাপত্তা ৷ হে আল্লাহ্ ! আপনি আমাদেরকে যা দান করেছেন তার অকল্যাণ থেকে
এবং যা দান করে নি তার অকল্যাণ থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ হে আল্লাহ্
ঈমানকে আমাদের নিকট প্রিয় করে দিন এবং আমাদের অম্ভরে সেটিকে আকর্ষণীয় করে দিন;

কুফরী পাপাচার ও অবাধ্যতড়াকে আমাদের নিকট ঘৃণা করে দিন ; আমাদেরকে হিদায়াতপ্রাপ্তদের
অন্তর্ভুক্ত করে দিন ৷

হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে মৃ৩দ্দু দিবেন মুসলমান অবস্থায়, জীবিত রাখবেন মুসলমান অবস্থায়
এবং আমাদেরকে সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন ৷ আমাদের লাঞ্ছিত ও বিপদগ্রস্ত করবেন
না ৷ হে আল্লাহ্ ! কাফিরদেরকে ধ্বংস করুন যারা আপনার রাসুলদেরকে অস্বীকার করে এবং
৷পনার পথ থেকে লোকদেরকে বাধা দেয় ৷ আপনার আযাব ও শান্তি তাদের জন্যে অবধারিত
করে দিন ৷ হে আল্লাহ্! সত্য মা’বুদ! কিতাব প্রাপ্ত লোকদের মধ্যে যারা কুফরী করে আপনি
তাদেরকে ধ্বংস করে দিন ৷ ইমাম নাসাঈ (র) এই হাদী যিয়াদ ইবন আইয়ুব — — — — রিফাআ
সুত্রে আল ইয়াওম ওয়াল লায়লাহ’ অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন ৷

সা’দ ইবন রবী’র শাহাদত ও হযরত হামযার অঙ্গচ্ছেদ

ইবন ইসহাক বলেন,এক পর্যায়ে লোকজন নিজেদের নিহত ব্যক্তিদেরকে খুজতে শুরু করে ৷
বানুনাজ্জার গোত্রের মুহাম্মাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান মাযিনী আমাকে জানিয়েছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার পক্ষে কে গিয়ে সা’দ ইবন রাবী এর খোজ নেবে সে কি
জীবিত আছে নাকি মারা গেছে ? জনৈক আনসারী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি যাব তার খোজ


يَوْمَ الْعَيْلَةِ، وَالْأَمْنَ يَوْمَ الْخَوْفِ، اللَّهُمَّ إِنِّي عَائِذٌ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا أَعْطَيْتَنَا وَشَرِّ مَا مَنَعْتَنَا، اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْإِيمَانَ وَزَيِّنْهُ فِي قُلُوبِنَا، وَكَرِّهِ إِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ، وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِينَ، اللَّهُمَّ تُوفَّنَا مُسْلِمِينَ، وَأَحْيِنَا مُسْلِمِينَ، وَأَلْحِقْنَا بِالصَّالِحِينَ، غَيْرَ خَزَايَا وَلَا مَفْتُونِينَ، اللَّهُمَّ قَاتِلِ الْكَفَرَةَ الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ رُسُلَكَ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِكَ، وَاجْعَلْ عَلَيْهِمْ رِجْزَكَ وَعَذَابَكَ، اللَّهُمَّ قَاتِلِ الْكَفَرَةَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَّابَ إِلَهَ الْحَقِّ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ أَبِيهِ بِهِ. [وَفَرَغَ النَّاسُ لِقَتْلَاهُمْ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَفَرَغَ النَّاسُ لِقَتْلَاهُمْ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْمَازِنِيُّ، أَخُو بَنِي النَّجَّارِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ رَجُلٌ يَنْظُرُ لِي مَا فَعَلَ سَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ؟ أَفِي الْأَحْيَاءِ هُوَ أَمْ فِي الْأَمْوَاتِ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: أَنَا، فَنَظَرَ فَوَجَدَهُ جَرِيحًا فِي الْقَتْلَى وَبِهِ رَمَقٌ، قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَنِي أَنْ أَنْظُرَ، أَفِي الْأَحْيَاءِ أَنْتَ أَمْ
পৃষ্ঠা - ২৭০৬
فِي الْأَمْوَاتِ. فَقَالَ: إِنَّا فِي الْأَمْوَاتِ، فَأَبْلِغْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِّي السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: إِنَّ سَعْدَ بْنَ الرَّبِيعِ يَقُولُ لَكَ: جَزَاكَ اللَّهُ عَنَّا خَيْرَ مَا جَزَى نَبِيًّا عَنْ أُمَّتِهِ. وَأَبْلِغْ قَوْمَكَ عَنِّي السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُمْ: إِنَّ سَعْدَ بْنَ الرَّبِيعِ يَقُولُ لَكُمْ: إِنَّهُ لَا عُذْرَ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ إِنْ خُلِصَ إِلَى نَبِيِّكُمْ، وَمِنْكُمْ عَيْنٌ تَطْرِفُ. قَالَ: ثُمَّ لَمْ أَبْرَحْ حَتَّى مَاتَ. قَالَ: فَجِئْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرَهُ» . قُلْتُ: كَانَ الرَّجُلُ الَّذِي الْتَمَسَ سَعْدًا فِي الْقَتْلَى مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فِيمَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ، وَذَكَرَ أَنَّهُ نَادَاهُ مَرَّتَيْنِ فَلَمْ يُجِبْهُ، فَلَمَّا قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ أَمَرَنِي أَنْ أَنْظُرَ خَبَرَكَ. أَجَابَهُ بِصَوْتٍ ضَعِيفٍ، وَذَكَرَهُ. وَقَالَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ فِي " الِاسْتِيعَابِ ": كَانَ الرَّجُلُ الَّذِي الْتَمَسَ سَعْدًا أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ سَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ مِنَ النُّقَبَاءِ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ الَّذِي آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا بَلَغَنِي - يَلْتَمِسُ حَمْزَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَوَجَدَهُ بِبَطْنِ الْوَادِي، قَدْ بُقِرَ بَطْنُهُ عَنْ كَبِدِهِ، وَمُثِّلَ بِهِ ;
পৃষ্ঠা - ২৭০৭


নিতে ৷ তিনি খুজতে খুজতে সা’দ ইবন রাবীকে নিহত ব্যক্তিদের মাঝে মুমুর্বু অবস্থায় পেলেন ৷
ঐ আনসারটি সা’দকে বললেন, আপনি জীবিত আছেন নাকি মারা গেছেন তা জানার জন্যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে পাঠিয়েছেন ৷ সাদ বললেন, আমি এখন বলতে গেলে মৃতদের দলে ৷
আপনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আমার সালাম বলবেন এবং বলবেন যে সা’দ ইবন রাবী আপনার
উদ্দেশ্যে বলেছেন “উম্মতের পক্ষ থেকে নবীকে যে প্রতিদান প্রদান করা হয় আল্লাহ তাআলা যেন
আমাদের পক্ষ থেকে তার সর্বোত্তম প্ৰতিদান প্রদান করেন ৷ আর আপনার সম্প্রদায়ের
€লাকজনকে আমার সালাম বলবেন, আর ৩াপেরওে বলরেন যে, সন্দ ইবন রাবী (আমাদের
উদ্দেশে বলেছে তোমাদের চক্ষু দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ও সচল থাকা অবস্থায় কাফিরেরা যদি
তোমাদের নবীর কাছে ঘেষতে পারে র্তাকে আক্রমণ করতে পারে , তবে আল্লাহ্র দরবারে
তোমাদের কোন ওযর-আ পত্তি চলবে না ৷ আনসারী বলেন, একথা বলতে বলতে তিনি মৃত্যুর
কোলে চলে পড়লেন ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট ফিরে ণ্হ্রসে র্দীকে এই সংবাদ জানাই ৷

আমি বলি , নিহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যিনি সাদ (রা)-কে খুজে বের করেছিলেন তিনি
হলেন মুহাম্মাদ ইবন সালামা ৷ মুহাম্মাদ ইবন সালামা ৷ মুহাম্মাদ ইবন উমর আল-ওয়াকিদী তাই
বলো;ছন ৷ তিনি এও বলেছেন যে, আনসারী লোকটি হযরত সাদ (রা)-কে প্রথমে দু’বার
ডেকেছিলেন ৷ কিন্তু তিনি কোন উত্তর দেননি ৷ শেষে তিনি যখন বললেন যে, আপনার খবর
নেয়ার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে পাঠিয়েছেন তখন তিনি অত্যন্ত ক্ষীণ স্বরে উত্তর দিলেন
এবং উপরোক্ত কথাগুলো বললেন ৷



আল-ইসভীআব গ্রন্থে শড়ায়খ আবু উমর বলেছেন যে, উবাই ইবন কাব (বা ) ই হযরত সাদ
(রা)-এর খোজ নিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

সাদ ইবন রাবী ছিলেন, আকাবার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাদ (রা) ও আবদুর রহমান ইবন আওকের (বা ) মধ্যে ভ্রাতৃতৃ সম্পর্ক স্থাপন করে
দিয়েছিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে হযরত হামযা
(রা)-এর খোজে বের হয়েছিলেন ৷ বাতন আল ওয়াদী’তে তিনি তার লাশ খুজে পান ৷ তার পেট
চিরে কলিজা বের করে নেয়া হয়েছিল ৷ তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল, নাক ও কান দুটো কেটে
ফেলা হয়েছিল ৷ মুহাম্মাদ ইবন জাফর ইবন যুবায়র আমাকে জানিয়েছেন যে, হযরত হামযা
(রা)এর এ অবস্থা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, সাফিয়্যা দুঃখ পারেন আর আমার
পরবভীকািলের জন্যে এটি যদি রেওয়াজে পরিণত হতে পারে এ আশঙ্কা না থাকলে আমি হামযা
(রা)-এর লাশ এভাবেই ফেলে রাখতাম তিনি পশু পাখীর থােরাক হতেন ৷ কোন স্থানে আল্লাহ
যদি আমাকে কুরায়শদের বিরুদ্ধে বিজয় দেন তবে ওদের ৩০ জনের আমি অঙ্গচ্ছেদ করে দেব,
নাককড়ান কেটে দেব ৷ হযরত হাময৷ (রা)-এর প্ৰতি এই অমানবিক আচরণের প্রেক্ষিতে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুঃখ ও ক্রোধ লক্ষ্য করে উপস্থিত মুসলমানগণ বললেন, আল্লাহর কসম ,
কােনদিন যদি আল্লাহ্ তাআলা ওদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে বিজয়ী করেন তবে আমরা ওদের


এমন অঙ্গহানি-অঙ্গকতন করব যা কোন আরব কখনো করেনি ৷ ইবন ইসহাক বলেন, বুরায়দা


فَجُدِعَ أَنْفُهُ وَأُذُنَاهُ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حِينَ رَأَى مَا رَأَى: لَوْلَا أَنْ تَحْزَنَ صَفِيَّةُ وَتَكُونَ سُنَّةً مِنْ بَعْدِي، لَتَرَكْتُهُ حَتَّى يَكُونَ فِي بُطُونِ السِّبَاعِ وَحَوَاصِلِ الطَّيْرِ، وَلَئِنْ أَظْهَرَنِي اللَّهُ عَلَى قُرَيْشٍ فِي مَوْطِنٍ مِنَ الْمَوَاطِنِ لَأُمَثِّلَنَّ بِثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنْهُمْ. فَلَمَّا رَأَى الْمُسْلِمُونَ حُزْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَغَيْظَهُ عَلَى مَنْ فَعَلَ بِعَمِّهِ مَا فَعَلَ، قَالُوا: وَاللَّهِ لَئِنْ أَظْفَرَنَا اللَّهُ بِهِمْ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ لَنُمَثِّلَنَّ بِهِمْ مُثْلَةً لَمْ يُمَثِّلْهَا أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْزَلَ فِي ذَلِكَ: {وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ، وَلَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِلصَّابِرِينَ وَاصْبِرْ وَمَا صَبْرُكَ إِلَّا بِاللَّهِ} [النحل: 126] الْآيَةَ. [النَّحْلِ: 127، 126] قَالَ: فَعَفَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَبَرَ وَنَهَى عَنِ الْمُثْلَةِ. قُلْتُ: هَذِهِ الْآيَةُ مَكِّيَّةٌ، وَقِصَّةُ أُحُدٍ بَعْدَ الْهِجْرَةِ بِثَلَاثِ سِنِينَ، فَكَيْفَ يَلْتَئِمُ مَعَ هَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ قَالَ: «مَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَقَامٍ قَطُّ فَفَارَقَهُ حَتَّى يَأْمُرَ بِالصَّدَقَةِ، وَيَنْهَى عَنِ
পৃষ্ঠা - ২৭০৮
الْمُثْلَةِ» . وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَلَمَّا وَقَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَمْزَةَ «قَالَ: لَنْ أُصَابَ بِمِثْلِكَ أَبَدًا، مَا وَقَفْتُ مَوْقِفًا قَطُّ أَغْيَظَ إِلَيَّ مِنْ هَذَا. ثُمَّ قَالَ: جَاءَنِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ حَمْزَةَ مَكْتُوبٌ فِي أَهْلِ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ: حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَسَدُ اللَّهِ وَأَسَدُ رَسُولِهِ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ حَمْزَةُ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ أَخَوَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الرَّضَاعَةِ ; أَرْضَعَتْهُمْ ثَلَاثَتَهُمْ ثُوَيْبَةُ مَوْلَاةُ أَبِي لَهَبٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، يَعْنِي ابْنَ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي الزُّبَيْرِ «أَنَّهُ لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ تَسْعَى، حَتَّى إِذَا كَادَتْ أَنْ تُشْرِفَ عَلَى الْقَتْلَى. قَالَ: فَكَرِهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَرَاهُمْ، فَقَالَ: " الْمَرْأَةَ الْمَرْأَةَ ". قَالَ الزُّبَيْرُ: فَتَوَسَّمْتُ أَنَّهَا أُمِّي صَفِيَّةُ، قَالَ: فَخَرَجْتُ أَسْعَى إِلَيْهَا، فَأَدْرَكْتُهَا قَبْلَ أَنْ تَنْتَهِيَ إِلَى الْقَتْلَى. قَالَ: فَلَدَمَتْ فِي صَدْرِي، وَكَانَتِ امْرَأَةً جَلْدَةً، قَالَتْ: إِلَيْكَ، لَا أَرْضَ لَكَ. قَالَ: فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَزَمَ
পৃষ্ঠা - ২৭০৯
عَلَيْكِ. قَالَ: فَوَقَفَتْ، وَأَخْرَجَتْ ثَوْبَيْنِ مَعَهَا، فَقَالَتْ: هَذَانِ ثَوْبَانِ جِئْتُ بِهِمَا لِأَخِي حَمْزَةَ، فَقَدْ بَلَغَنِي مَقْتَلُهُ، فَكَفِّنُوهُ فِيهِمَا. قَالَ: فَجِئْنَا بِالثَّوْبَيْنِ لِنُكَفِّنَ فِيهِمَا حَمْزَةَ، فَإِذَا إِلَى جَنْبِهِ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَتِيلٌ، قَدْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِحَمْزَةَ. قَالَ: فَوَجَدْنَا غَضَاضَةً وَحَيَاءً أَنْ نُكَفِّنَ حَمْزَةَ فِي ثَوْبَيْنِ وَالْأَنْصَارِيُّ لَا كَفَنَ لَهُ، فَقُلْنَا: لِحَمْزَةَ ثَوْبٌ وَلِلْأَنْصَارِيِّ ثَوْبٌ. فَقَدَّرْنَاهُمَا فَكَانَ أَحَدُهُمَا أَكْبَرُ مِنَ الْآخَرِ، فَأَقْرَعْنَا بَيْنَهُمَا، فَكَفَّنَّا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا فِي الثَّوْبِ الَّذِي طَارَ لَهُ.»