سنة ثلاث من الهجرة
غزوة أحد
فصل فيما لقي النبي صلى الله عليه وسلم يومئذ من المشركين قبحهم الله
পৃষ্ঠা - ২৬৭৭
যুদ্ধে শরীক হন এবং যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান ৷ মুসলিম (র) এবং নাসাঈ (র) এই
হাদীছ বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে ৷ বদরের যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনায় উল্লিখিত
উমায়র ইবন হাম্মামের ঘটনার সাথে এই ঘটনার মিল রয়েছে ৷
উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আহত হওয়া প্রসঙ্গ
বুখাবী (র) “উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যখম হওয়া” প্রসঙ্গে লিখেন ইসহাক ইবন
নাসর আবুহুরায়রা (বা) এর বর৷ তে বলেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন০ :
এ ৷ পুএ এ৷ ৷ এ্,ঠু, সেই জন সমষ্টির উপর অ ল্লাহব পয় ৷ কঠিনতর হোক যায়া
আল্লাহ্ট্রুৰু নবীর সাথে এ আচরণ করেছে ৷ একথা বলার সময় তিনি৩ তার সম্মুখে শহীদ হওয়া
দাতের দিকে ইঙ্গিত করেন ৷ তিনি আরো বলেছেন, আল্লাহ্র গযব কঠিনতর হোক সেই ব্যক্তির
প্রতি আল্লাহর পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহস্তে যাকে হত্যা করেছেন ৷ মুসলিম (র ) আব্দুর রায্যাক
সুত্রে এই মর্মে হাদীস বংনাি করেছেন ৷
তবে তার শেযাৎশে রয়েছে যারা বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তাদের
প্রতি আল্লাহর গযব তীব্রতর হোক ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আফ্ফান আনাস (র৷ ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা )
উহুদ ৷দরসে তার পবিত্র মুখমণ্ডল থেকে রক্ত মুছতে মুছতে বলছিলেন “সেই সম্প্রদায় কেমন
করে সফলকাম হয়ে যারা তাদের নবীর মুখ যখম করে দিয়েছে এবং তার দাত ভেঙ্গে দিয়েছে ৷
একথা বলার সময় তিনি আল্লাহর দরবারে দুঅ৷ করছিলেন ৷ ওই পরিস্থিতিতে আল্লাহ্ তাআলা
নাযিল করলেন :
(ও আলে-ইনরান হু; ১২৮) ৷ মুসলিম (র) কানবী সুত্রে হাম্মাদ ইবন সালাম৷ থেকে উক্ত
হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হুশায়ম আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উহুদের যুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর সম্মুখেব একটি দাত শহীদ করে দেয়৷ হয় এবং তার পবিত্র মুখমওল যখম
করে দেয়৷ হয়, তার মুখণ্ডল রেয়ে রক্ত পড়ছিল ৷ এ অবস্থায় তিনি বলছিলেন, যে নবী তাদেরকে
আল্লাহর পথে ডাকছেন যারা সে নবীর প্রতি এ অমানবিক আচরণ করে তারা (কমন করে
সফলকাম হবো তফা আল্লাহ তা জানা তার প্রতি নাযিল করলেন (ৰু :,,;: ,; ১ন্ ৷ ট্রু,ন্ষ্ এ , )
ইমাম বুখারী বলেন, কুত৷ য়বা আবু হাযিম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সাহ্ল ইবন
সাদকে বলতে শুনেছেন যখন তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর আঘাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল ৷
উত্তরে তিনি বলছিলেন যে, আল্লাহর কলম রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ক্ষতন্থ ন কে ধুয়ে দিচ্ছিলেন, কে
পানি ঢেলেছিলেন এবং তাকে কী চিকিৎসা দেয়৷ হয়েছিলত ৷ও আমি জানি ৷ নবী কন্যা ফাতিমা
ক্ষতস্থান ধুয়ে দিচ্ছিলেন ৷ ঢালে করে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন হযরত ৩আলী (বা ) ৷ হযরত ফাতিমা
যখন দেখলেন যে, পানিতে রক্ত ঝর৷ বন্ধ হচ্ছে না বরং তা রেড়েই চলেছে তখন তিনি এক
[فَصْلٌ فِيمَا لَقِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَبَّحَهُمُ اللَّهُ]
قَالَ الْبُخَارِيُّ: مَا أَصَابَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجِرَاحِ يَوْمَ أُحُدٍ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ فَعَلُوًا بِنَبِيِّهِ - يُشِيرُ إِلَى رَبَاعِيَتِهِ - اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى رَجُلٍ يَقْتُلُهُ رَسُولُ اللَّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ.
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ مَالِكٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ النَّبِيُّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ دَمَّوْا وَجْهَ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «قَالَ يَوْمَ أُحُدٍ وَهُوَ يَسْلُتُ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ، وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ২৬৭৮
টুকরা চাটাই পুড়িয়ে ক্ষতস্থানে ছাই লাগিয়ে দেন ৷ তাতে রক্ত বন্ধ হল ৷ সেদিন তার সম্মুখের
নীচের একটি দাত শহীদ হয়ে যায় ৷ পবিত্র মুখমণ্ডল যখন হয় ৷ শিরস্ত্রম্পো ভেঙ্গে মাথায় ঢুকে যায় ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী তার মুসনাদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইবনুল মুবারক — — — — হযরত
আইশা (রা) থেকে বংনাি করেন যে , তিনি বলেছেন, আবু বকর (রা ) এর নিকট উহুদ দিবসের
কথা আলোচনা করা হলে তিনি বলতেন, সেদিনের যতটুকু কল্যাণ ও ইতিবাচক দিক রয়েছে তার
সবটাই তাল্হার প্রাপ্য ৷ তারপর তিনি বলতেন, বিপর্যয়ের পর দ্ নরায় আমিই সর্বপ্রথম উহুদ
ময়দানে ফিরে আসি ৷ আমি দেখলাম, তখনও জনৈক লোক রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আড়ালে রেখে
প্রচন্ড যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ আমি মনে মনে বললাম, ওই লোকটি যেন তালহা-ই-হয় ৷ তাহলে
আমি যা থেকে বঞ্চিত হলাম ওই দুঃখ কিছুটা মােচন হবে ৷ আমি মনে মনে বললাম , লোকটা
যদি আমার স্বগােত্রের হয় তবে কতটা না ভাল হয় ৷ তখন আমি আমার ও মুশরিকদের ম ধ্যখানে
একজন লোককে দেখতে পেলাম যাকে আমি চিনতে পারছিলান না ৷ আমার অবস্থান তখন তার
তুলনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছাকাছি ৷ ওই লোকটি খুব দ্রুত হাটছিল যা আমি পারছিলাম না ৷
হঠাৎ দেখি, তিনি আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ ৷ আমরা দৃজনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পৌছি ৷
তখন তার সামনের দাত শহীদ হয়ে গেছে মুখমণ্ডল ক্ষত বিক্ষত ৷ শিরস্ত্রষ্ণেণর দুটো কড়া তার
কপালের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তালহা (রা)-এর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন,
তোমরা দুজনে তোমাদের এই সাথীকে বাচাও ৷ প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তখন তালহা (রা ) ভীষণ
দুর্বল হয়ে পড়েছেন ৷ যে দিকে ড্ড খেয়াল না করে আমি তার মুখমন্ডল থেকে শিরস্ত্রড়াণের কড়া
খুলতে গেলাম ৷
আবু উবায়দা আমাকে বললেন দােহাই আল্লাহর , আপনি আমাকে ওই কড়া দুটি খোলার
সুযোগ দিন ৷ আমি সরে গিয়ে তাকে সুযোগ দিলাম ৷ হাতে খুলতে পেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যথা
পারেন এ আশংকায় আবু উবায়দা দাত দিয়ে তা খোলার চেষ্টা করলেন ৷ দাতে কামড়ে তিনি কড়া
খুলে আনলেন ৷ সাথে সাথে তারও সম্মুখের একটি দাত ভেঙ্গে পড়ে গেল ৷ আবু বকর (রা)
বলেন, তিনি যা করেছেন আমিও তা করে অপর কড়াটি খুলতে পেলাম, তিনি আমাকে পুর্বের মত
কলম দিলেন ৷ এরপর তিনি প্রথম বারের মত দ্বিতীয় কড়াটিও খুলে আনলেন ৷ এক সাথে তার
সম্মুখের আরেকটি দাত ভেঙ্গে পড়ে গেল ৷ বন্তুত৪ ভাঙ্গা দাতের লোকদের মধ্যে আবু উবায়দা
ছিলেন সর্বাধিক সুদর্শন পুরুষ ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সেবাযতু করে তাকে সুস্থ করে
তুংালাম ৷ এরপর আমরা তালহা (রা)-এর নিকট এলাম ৷ তখনও তিনি দুর্বল নিঃসঙ্গ ৷ আমরা
দেখলাম তীর, তরবারি ও বর্শার আঘাত মিলিয়ে তার দেহে ৭০-এর অধিক ক্ষতচিহ্ন ৷ তার
আঙ্গুলও কর্তিত ৷ আমরা তাকেও সেবাযতু করে সুস্থ করে তৃললাম ৷
ওয়াকিদী বলেন, ইবন আবু সাবুরা নাফি ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, আমি জনৈক মুহাজির ব্যক্তিকে শুনেছি, তিনি বলছিলেন, “আমি উহুদ যুদ্ধে অংশ
নিয়েছিলাম ৷ সেদিন আমি দেখলাম, চারিদিক থেকে তীর ছুটে আসছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মাঝখানে দাড়িয়ে আছেন ৷ তিনিই ছিলেন ভীরগুলাের লক্ষ্যন্থল ৷ তবে ভীরগুলাে প্রতিহত করা
হচ্ছিল ৷ সেদিন আমি আব্দুল্লাহ ইবন শিহাব (যুহরীকে ) বলতে শুনেছিলাম ৷ “মুহাম্মাদ কোথায়
كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ شَجُّوا نَبِيَّهُمْ وَكَسَرُوا رَبَاعِيَتَهُ، وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ} [آل عمران: 128] » [آلِ عِمْرَانَ: 128] وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ.
وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ هُشَيْمٍ، وَيَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَشُجَّ فِي جَبْهَتِهِ حَتَّى سَالَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِهِ، فَقَالَ: «كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ؟ ! فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ} [آل عمران: 128] » الْآيَةَ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ وَهُوَ يَسْأَلُ عَنْ جُرْحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ «: أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْرِفُ مَنْ كَانَ يَغْسِلُ جُرْحَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَنْ كَانَ يَسْكُبُ الْمَاءَ، وَبِمَا دُووِيَ. قَالَ: كَانَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَغْسِلُهُ، وَعَلَيٌّ يَسْكُبُ الْمَاءَ بِالْمِجَنِّ، فَلَمَّا رَأَتْ فَاطِمَةُ أَنَّ الْمَاءَ لَا يُزِيدُ الدَّمَ إِلَّا كَثْرَةً أَخَذَتْ قِطْعَةً مِنْ حَصِيرٍ، فَأَحْرَقَتْهَا وَأَلْصَقَتْهَا، فَاسْتَمْسَكَ الدَّمُ، وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَئِذٍ
পৃষ্ঠা - ২৬৭৯
وَجُرِحَ وَجْهُهُ، وَكُسِرَتِ الْبَيْضَةُ عَلَى رَأْسِهِ.»
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي عِيسَى بْنُ طَلْحَةَ، عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا ذُكِرَ يَوْمُ أُحُدٍ بَكَى ثُمَّ قَالَ: ذَاكَ يَوْمٌ كُلُّهُ لِطَلْحَةَ. ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ. قَالَ: كُنْتُ أَوَّلَ مَنْ فَاءَ يَوْمَ أُحُدٍ فَرَأَيْتُ رَجُلًا يُقَاتِلُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَهُ. وَأَرَاهُ قَالَ: يَحْمِيهِ. قَالَ: فَقُلْتُ: كُنْ طَلْحَةَ. حَيْثُ فَاتَنِي مَا فَاتَنِي، فَقُلْتُ: يَكُونُ رَجُلًا مِنْ قَوْمِي أَحَبَّ إِلَيَّ، وَبَيْنِي وَبَيْنَ الْمَشْرِقِ رَجُلٌ لَا أَعْرِفُهُ، وَأَنَا أَقْرَبُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ، وَهُوَ يَخْطِفُ الْمَشْيَ خَطْفًا لَا أَخْطِفُهُ، فَإِذَا هُوَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجِرَاحِ فَانْتَهَيْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ، وَشُجَّ فِي وَجْهِهِ، وَقَدْ دَخَلَ فِي وَجْنَتَيْهِ حَلْقَتَانِ مِنْ حَلَقِ الْمِغْفَرِ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكُمَا صَاحَبَكُمَا يُرِيدُ طَلْحَةَ وَقَدْ نَزَفَ فَلَمْ نَلْتَفِتْ إِلَى قَوْلِهِ، قَالَ: وَذَهَبَتْ لِأَنْزِعَ ذَاكَ مِنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ بِحَقِّي
পৃষ্ঠা - ২৬৮০
আমাকে দেখিয়ে দাও ! মুহাম্মাদ জীবিত থাকলে আমার স্বস্তি নেই ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কিন্তু তার
নিকটেই একাকী ছিলেন ৷ তার সাথে কেউ ছিল না ৷ কিন্তু সে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) কে অতিক্রম করে
যায় ৷ এ জন্যে সাফওয়ান ইবন উমাইয়া তাকে তিরস্কার করেছিল ৷ আবদুল্লাহ বলেছিল, আল্লাহর
কসম, আমি তাকে দেখিনি ৷ আল্লাহর কসম ! তিনি আমাদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত ছিলেন ৷
আমরা চারজন তাকে হত তা৷ করবার জন্যে প্রতিজ্ঞা করে ময়দানে এসেছিলাম ৷ কিন্তু আমরা তার
নিকটে যেষতে পারেনি ৷ ওই সুযোগ পাইনি ৷
ওয়াকিদী বলেন, আমার নিকট প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কপালে পাথর
যেরেছিল ইবন ক মিযা ৷৩ ৩ার ৫ঠাটে পাথর মেরে তার দাত শহীদ করেছিল উতব৷ ইবন আবু
ওয়াক্কাস ৷ ইতিপুর্বে ইবন ইসহাক থেকেও অনুরুপ মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, যে র্দাতঢি
ভেঙ্গে ছিল সেটি হল নীচের সারির মধ্যখানের ডান দিকের দাত
ইবন ইসহাক বলেন, না ৷লিহ ইবন কায়সান সা ৷দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, (আমার৩ তাই) উতব৷ ইবন আবু ওয়াক্কাসকে হ৩ তা৷ করার জন্যে আমি যত
উৎসাহী ছিলাম অন্য কারো ব্যাপারে ততট৷ ছিলাম না ৷৩ তার দৃশ্চরিত্রের কারণে আপন সম্প্রদায়ের
মধ্যে (স ঘৃণ্য ছিল তা নয়; বরং তাকে হত্যার জন্যে আমার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, তার
সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে তার
উপর আল্লাহর ক্রোধ ত্তীব্রেতর হোক ৷ ”
আব্দুর রাযযাক বলেন, মামার মিকসাম সুত্রে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উতব৷ ইবন
আবু ওয়াক্কাসের জন্যে বদ দৃঅ৷ করেছিলেন যখন সে তার র্দাত ভেঙ্গে দিয়েছিল এবং মুখমণ্ডল
রক্তাক্ত করে দিয়েছিল ৷ তিনি সে বছর পুর্ণ হওয়ার আগেই যেন কাফির হিসেবে তার মৃত্যু হয়
তা ৷কামনা করেছিলেন এবং বাস্তবেও তাই ঘটেছিল ৷ আবু সুলায়মান জুযাযানী বলেন, মুহাম্মাদ
ইবন হাসান আবু উমাম৷ ইবন সাহ্ল ইবন হুনায়ফ থেকে বর্ণনা করেন যে উহুদ দিবসে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) পুরনো হাড় দিয়ে তার মুখমণ্ডলের চিকিৎসা করেছিলেন ৷ এটি একটি একক
বর্ণনা৷ উমামী রচিত আল মাগাযী গ্রন্থের “উহুদ যুদ্ধ” শিরোনামের মধ্যে আমি তা পেয়েছি ৷
আবদুল্লাহ ইবন কামিয়৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে আহত করে ফিরে যায় এবং চীৎকার করে বলে, আমি
মুহাম্মাদকে হত্যা করেছি ৷ সেদিন আকাবার আযুব নামক শয়তান চীৎকার করে বলে উঠে, শুনে
রেখো, মুহাম্মাদ নিহত ৷ এতে মুসলমানগণ হত বিহ্বল হয়ে পড়েন ৷৩ তাদের অনেকেই একথা
সত্য বলে বিশ্বাস করে ফেলেন এবং ইসলাম রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়৷ ৷ই চালিয়ে যাওয়ার জন্যে
প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করেন যে, রাসুলুল্লা ৷হ্ (সা) যেপথে জীবন দিয়েছেন তারাও
সে পথে জীবন উৎসর্গ করবেন ৷ এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আনাস ইবন নাযর (রা) প্রমুখ ৷
তাদের আলোচনা অবিলম্বে আসবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যদি নিহতও হতেন তবু তা মুসলমানদের
জন্যে সাহস হারাবার কারণ হতে পারে না বলে আশ্বস্ত করে আল্লাহ্ তাআল৷ নাযিল করলেন :
১ ঐ চার হতভাগা ছিল (১ ) আব্দুল্লাহ ইবন শিহাব (২) উতব৷ ইবন আৰু ওয়াক্কাস , (৩) ইবন কামিয়৷ ও
(৪ ) উবাই ইবন খালাফ ৷ সম্পাদক
لَمَا تَرَكْتَنِي فَتَرَكْتُهُ، فَكَرِهَ أَنْ يَتَنَاوَلَهَا بِيَدِهِ، فَيُؤْذَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَزَمَ عَلَيْهِمَا بِفِيهِ، فَاسْتَخْرَجَ إِحْدَى الْحَلْقَتَيْنِ، وَوَقَعَتْ ثَنِيَّتُهُ مَعَ الْحَلْقَةِ، وَذَهَبْتُ لِأَصْنَعَ مَا صَنَعَ، فَقَالَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ بِحَقِّي لَمَا تَرَكْتَنِي. قَالَ: فَفَعَلَ مِثْلَ مَا فَعَلَ فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى، فَوَقَعَتْ ثَنِيَّتُهُ الْأُخْرَى مَعَ الْحَلْقَةِ، فَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ هَتْمًا، فَأَصْلَحْنَا مِنْ شَأْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَتَيْنَا طَلْحَةَ فِي بَعْضِ تِلْكَ الْجِفَارِ، فَإِذَا بِهِ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ مِنْ بَيْنِ طَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ وَضَرْبَةٍ، وَإِذَا قَدْ قُطِعَتْ أُصْبُعُهُ، فَأَصْلَحْنَا مِنْ شَأْنِهِ.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ: عَنِ ابْنِ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِيِ فَرْوَةَ، عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ يَقُولُ: شَهِدْتُ أُحُدًا فَنَظَرْتُ إِلَى النَّبْلِ تَأْتِي مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسْطَهَا، كُلُّ ذَلِكَ يَصْرِفُ عَنْهُ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شِهَابٍ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ يَوْمَئِذٍ: دُلُّونِي عَلَى مُحَمَّدٍ لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا. وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جَنْبِهِ مَا مَعَهُ أَحَدٌ ثُمَّ جَاوَزَهُ، فَعَاتَبَهُ فِي ذَلِكَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُهُ، أَحْلِفُ بِاللَّهِ إِنَّهُ مِنَّا مَمْنُوعٌ، خَرَجْنَا أَرْبَعَةٌ، فَتَعَاهَدْنَا وَتَعَاقَدْنَا عَلَى قَتْلِهِ، فَلَمْ نَخْلُصْ إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৮১
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَالثَّابِتُ عِنْدَنَا أَنَّ الَّذِي رَمَى فِي وَجْنَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ قَمِئَةَ وَالَّذِي رَمَى فِي شَفَتِهِ وَأَصَابَ رَبَاعِيَتَهُ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ - وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ نَحْوُ هَذَا - وَأَنَّ الرَبَاعِيَةَ الَّتِي كُسِرَتْ لَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، هِيَ الْيُمْنَى السُّفْلَى.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: مَا حَرَصْتُ عَلَى قَتْلِ أَحَدٍ قَطُّ مَا حَرَصْتُ عَلَى قَتْلِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَإِنْ كَانَ مَا عَلِمْتُ لِسَيِّءَ الْخُلُقِ، مُبَغَّضًا فِي قَوْمِهِ، وَلَقَدْ كَفَانِي فِيهِ قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ دَمَّى وَجْهَ رَسُولِهِ.»
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ وَعَنْ عُثْمَانَ الْجَزَرِيِّ، عَنْ مِقْسَمٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا عَلَى عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ يَوْمَ أُحُدٍ حِينَ كَسَرَ رَبَاعِيَتَهُ، وَدَمَّى وَجْهَهُ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تُحِلْ عَلَيْهِ الْحَوْلَ
পৃষ্ঠা - ২৬৮২
রুাপ্রুপ্রু ১৷ ৷ মোঃ ঢ়ট্রু
এএ্র্চুা১ ৷ ৷ হেএ;ষ্টুৰু ;,ট্রুপু প্রু (মুহাম্মাদ একজন রাসুল বৈ নন ৷ তার পৃর্বেও বহু রাসুল গত
হয়েছেন ৷ সুতরাং যদি তিনি মারা যান অথবা নিহত হন তবে (তা মর৷ কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে ?
কেউ যদি পৃষ্ঠ প্রদশ্নি করেও তবে সে আল্লাহর কোন ক্ষতি ৩কররে না ৷ বরং আল্লাহ শীঘ্রই
কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত ধ্ম্মশ্নেং৷ ৷ গ্রাগ্লাহুগ্ অণুমাত ধ্৩৩ ণ্যা ব্লে মৃতুৰু হতে পারে না তার
মেয়াদ সুনিধারিত ৷ কেউ পার্থিব পুরস্কার চাইলে আমি তাকে তার কিছু দিই এবং যে পরকালের
পুরস্কার চাইরে তাকে তা থেকে দান করি এবং শীঘ্রই আমি কৃতজ্ঞা;দরকে পুরস্কৃত করব ৷ এবং
কত নবী যুদ্ধ করেছেন তাদের সাথে বহু আল্লাহ্ওয়ালা ছিল ৷ আল্লাহর পথে তাদের যে বির্পযয়
ঘটেছিল তাতে তারা হীনবল হয়নি দুর্বল হয়নি এবং নত হয়নি ৷ আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে
ভালবাসেন ৷ এ কথা ব্যতীত তাদের আর কোন কথা ছিল না “হে আমাদের প্ৰতিপালক ৷
আমাদের পাপ এবং আমাদের কা যে সীমা ৎঘন আপনি ক্ষমা করুন এবং আমাদের পা সুদৃঢ় বাফুৰ
এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন ৷ ” এরপর আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব
পুরস্কার এবং উত্তম পারলৌকিক পুরস্কার দান করেন ৷ আল্লাহ সৎকর্ম পরায়ণদেরকে ভালবাসেন ৷
হে মুমিনপণ! যদি তোমরা ক ফিবদেব আনুগত্য কর তবে তার ৷ আমাদেরকে বিপরীত দিকে
ফিরিয়ে দেবে এবং( তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে ৷ আল্লাহ্ই তো তোমাদের অভিভাবক এবং
তিনি শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী ৷ আমি অবিলম্বে কাফিরদের হৃদয়ে ডীতি সঞ্চার করব, যেহেতু তারা
আল্লাহর শরীক করেছে যার সপক্ষে আল্লাহ কোন সনদ পাঠাননি ৷ জাহান্নাম তাদের আবাস ৷ কত
নিকৃষ্ট আবাসস্থল যালিমদের ৷ (৩ আলে-ইমরান : ১ : ৪ ১৫ ১ ) ৷ আমাদের তাফসীর গ্রন্থে
আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ইনতিকালের পর হযরত ছিদ্দিক-ই-আকবর (বা ) প্রথম যে ভাষণ দেন
তাতে তিনি বলেছিলেন৪ হে লোক সকল ! যারা মৃহাম্মাদের (সা) ইবাদত করতে মুহাম্মাদ (সা)
তা ইনতিক৷ ৷ল করেছেনই, আর যারা আল্লাহর ইবাদত করতে তবে আল্লাহ চিরঞ্জীব তার মৃত্যু
চুনই, এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন ং
ৰুাটুর্দুট্রু ৰু৷ ৷ মোঃ চুৰুড়ু
বর্ণনাকারী বলেন, এতে লোকজন সন্বিৎ ফিরে পেল ৷ তারা যেন এ আয়াত ইতিপুর্বে কোন
দিন শুনেনি ৷ এবার সব৷ ৷ই আয়াত ন্টি তিলাওয়াত করতে লাগলেন ৷
বায়হাকী (র) তার “দালাইল আন নৃবুওয়াহ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইবন আবু নাজীহ্
তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উহুদ দিবসে জনৈক ঘুহাজির ব্যক্তি একজন আনসারী ব্যক্তির
পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ আনসারী ল্যেকটি ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায় ৷ ঘুহাজির সহসা বললেন, তুমি
কি জান যে, মুহাম্মাদ (সা) নিহত হয়েছেন ? আনসারী বললেনং মুহাম্মাদ (সা) যদি নিহত হন ই
তরে৩ তিনি বিনা ৷লাতের বাণী পৌছে দিয়েছেন এখন ভোমরা তার দীন রক্ষায় লড়৷ ৷ই চ৷ ৷লিয়ে যাও ৷
৯
حَتَّى يَمُوتَ كَافِرًا.» فَمَا حَالَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ حَتَّى مَاتَ كَافِرًا إِلَى النَّارِ.
وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ الْجُوزَجَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «دَاوَى وَجْهَهُ يَوْمَ أُحُدٍ بِعَظْمٍ بَالٍ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ رَأَيْتُهُ فِي أَثْنَاءِ كِتَابِ " الْمَغَازِي " لِلْأُمَوِيِّ فِي وَقْعَةِ أُحُدٍ.
وَلَمَّا نَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَمِئَةَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَالَ، رَجَعَ وَهُوَ يَقُولُ: قَتَلْتُ مُحَمَّدًا. وَصَرَخَ الشَّيْطَانُ أَزَبُّ الْعَقَبَةِ يَوْمَئِذٍ بِأَبْعَدِ صَوْتٍ: أَلَا إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ. فَحَصَلَ بَهْتَةٌ عَظِيمَةٌ فِي الْمُسْلِمِينَ، وَاعْتَقَدَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ ذَلِكَ، وَصَمَّمُوا عَلَى الْقِتَالِ عَنْ حَوْزَةِ الْإِسْلَامِ حَتَّى يَمُوتُوا عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْهُمْ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ وَغَيْرُهُ مِمَّنْ سَيَأْتِي ذِكْرُهُ، وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى التَّسْلِيَةَ فِي ذَلِكَ عَلَى تَقْدِيرِ وُقُوعِهِ فَقَالَ تَعَالَى: {وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ - وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ - وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الْآخِرَةِ نُؤْتِهِ مِنْهَا وَسَنَجْزِي الشَّاكِرِينَ - وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ - وَمَا كَانَ قَوْلَهُمْ إِلَّا أَنْ قَالُوا رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ - فَآتَاهُمُ اللَّهُ ثَوَابَ الدُّنْيَا وَحُسْنَ ثَوَابِ الْآخِرَةِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ - يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تُطِيعُوا الَّذِينَ كَفَرُوا يَرُدُّوكُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ - بَلِ اللَّهُ مَوْلَاكُمْ وَهُوَ خَيْرُ النَّاصِرِينَ - سَنُلْقِي فِي قُلُوبِ الَّذِينَ كَفَرُوا الرُّعْبَ بِمَا أَشْرَكُوا بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَمَأْوَاهُمُ النَّارُ وَبِئْسَ مَثْوَى الظَّالِمِينَ} [آل عمران: 143 - 151]
[آلِ عِمْرَانَ: 144 - 151] . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي كِتَابِنَا التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
وَقَدْ خَطَبَ الصَّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي أَوَّلِ مَقَامٍ قَامَهُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ. ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ قَالَ: فَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَسْمَعُوهَا قَبْلَ ذَلِكَ، فَمَا مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ إِلَّا يَتْلُوهَا.
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ: فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " مِنْ طَرِيقِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ أَبِيهِ. قَالَ: مَرَّ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَ أُحُدٍ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَهُوَ يَتَشَحَّطُ فِي
পৃষ্ঠা - ২৬৮৩
এ প্রসংগে নাযিল হল (’াণু ট্রু৷ ৷ ধ্ও ও ঠুও ;াও ওও ¢;;) ৰু৷ ৷ মোঃ ; ) আনসারী
লোকটি সম্ভবত ছিলেন আনা স ইবন৷ না যর (রা) ৷ তিনি আনাস ইবন মালিকের চাচা ৷
ইমাম আহমদ বলেন, ইয়াযীদ আনাস (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, চাচা বদরের
যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ তাই বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুশরিকদের বিরুদ্ধে প্রথম যে যুদ্ধ
করলেন আমি তাতে অনুপস্থিত ছিলাম ৷ আল্লাহ তাআল৷ যদি আমাকে অন্য কোন যুদ্ধে অংশ
গ্রহণের সুযোগ করে দেন তবে আমি দেখিয়ে দেব যে আমি কী করতে পারি ৷ এরপর উহুদ
দিবসে এক সময় ঘুসলমানপণ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন ৷ তিনি বললেন, <হআল্লাহ্! এরা যা করেছে
অর্থাৎ সাথীর৷ যা করেছে তার ব্যাপারে আমি আপনার দরবারে ওয়র খাহী করছি ৷ আর মুশরিক যা
করেছে তার সাথে আমি আমার সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করছি ৷ তারপর তিনি এগিয়ে গেলেন ৷
উহুদেব পাদদেশে (তার) সাদ (রা)-এর ইবন মুআয-এর সাথে দেখা হল সাদ (বা ) বললেন,
আমি তোমার সাথে আছি ৷ সাদ (বা) আরো বলেছেন, যে আনাস ইবন নাযর যা করেছেন আমি
তা করতে পারিনি ৷ তার শরীরে ৮০ এর উপর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া ৷৷ন্র্টায়েছিল ৷ সেগুলো ৷ছিল
তরবারি, বশা ও ভীরের আঘাত ৷ তার সম্পর্কে এবং তার সাথীদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল
হয়েছে বলে আমরা বলাবলি কবতামং ( ,া ন্ওওও ণ্ট্রুৰুটুওও
তাদের কেউ কেউ শাহাদাতব বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্ৰতীক্ষা ৷য় রয়েছে ৷ (৩৩, আহযাবং :
২৩) ৷ এই হাদীস তিরমিযী (ব ) থেকে এবং ইমাম ন সাঈ বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী মন্তব্য
করেছেন যে, এটি হ সান ৷ আমি বলি, যে এর সনদ ও মুসলিম (র) এর শতে উত্তীর্ণ ৷
ইমাম আহমদ বলেন, বাহস ও হ শিম আনাস (না)-এর বরাতে অন্ব্লুরুপ হাদীছ বংনাি
করেছেন যে, তিনি বলেন, তাতে অতিরিক্ত আছে : এক পর্যায়ে তিনি সাদ ইবন মুআয (না)-এর
মুখোমুখি হলেন ৷ আনাস (রা ) তাকে বললেন, হে আবু আমর ! কোথায় যাচ্ছেন ? বাহ্ চমৎকার
আমি উহুদ পাহাভৈড়র দিক থেকে জান্নাতের সুবাস পাচ্ছি ৷ এরপর তিনি লড়াই শুরু করলেন ৷
অবশেষে শহীদ হলেন ৷ তার দেহে তরবারি, বশা ও ভীরের আঘাত মিলিয়ে ৮০-এর উপরে
আঘাতের চিহ্ন পাওয়া ৷পিয়েছিল ৷ বর্ণনাক৷ রী আনাস ইবন মালিক বলেন, তার বোন আমার ফুফু
রাবী বিনত নাযর বলেছেন “একমাত্র আঙ্গুলের অগ্রভাগ দেখেই আমি আমার৩ ৷ইয়ের লাশ
সনাক্ত করেছি ৷ আল্লাহ্ত )
০ ! ণ্া
(
মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে তাদের কৃত অঙ্গীকার পুর্ণ করেছে, ওদের কেউ কেউ
শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ অপেক্ষায় রয়েছে ৷ তারা তাদের অৎগীকারে কোন
পরিবতন করেনি ৷ (৩৩, আহযাবষ্ক ২৩) ৷ সাহারা-ই কিরাম মনে করতে তন যে, এই আয়াত
আনাস ইবন নাযর ও তার সাথীদের সম্পর্কে না ৷ষিল হয়েছে ৷
মুসলিম (র) তিরমিযী ও নাসাঈ ও আবু দাউদ ভিন্ন ভিন্ন সনদে এটি বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী এটি হাসান ও সহীহ্ হাদীছ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
আবুল আসওয়াদ বংনাি করেছেন, উরওয়৷ ইবন যুবায়র থেকে ৷ তিনি বলেছেন, উবায় ইবন
دَمِهِ. فَقَالَ لَهُ: يَا فُلَانُ، أَشْعَرْتَ أَنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ؟ فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: إِنْ كَانَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قُتِلَ فَقَدْ بَلَّغَ الرِّسَالَةَ، فَقَاتِلُوا عَنْ دِينِكُمْ. فَنَزَلَ {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ. وَلَعَلَّ هَذَا الْأَنْصَارِيَّ هُوَ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ عَمَّهُ غَابَ عَنْ قِتَالِ بِدْرٍ فَقَالَ: غِبْتُ عَنْ أَوَّلِ قِتَالٍ قَاتَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُشْرِكِينَ، لَئِنْ أَشْهَدَنِي اللَّهُ قِتَالًا لِلْمُشْرِكِينَ لَيَرَيَنَّ مَا أَصْنَعُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ انْكَشَفَ الْمُسْلِمُونَ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعْتَذِرُ إِلَيْكَ عَمَّا صَنَعَ هَؤُلَاءِ - يَعْنِي أَصْحَابَهُ - وَأَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا جَاءَ بِهِ هَؤُلَاءِ - يَعْنِي الْمُشْرِكِينَ - ثُمَّ تَقَدَّمَ فَلَقِيَهُ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ دُونَ أُحُدٍ فَقَالَ سَعْدٌ: أَنَا مَعَكَ. قَالَ سَعْدٌ: فَلَمْ أَسْتَطِعْ أَصْنَعُ مَا صَنَعَ. فَوُجِدَ فِيهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ بَيْنِ ضَرْبَةٍ بِسَيْفٍ، وَطَعْنَةٍ بِرُمْحٍ، وَرَمْيَةٍ بِسَهْمٍ. قَالَ: فَكُنَّا نَقُولُ: فِيهِ وَفِي أَصْحَابِهِ نَزَلَتْ: {فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ} [الأحزاب: 23] وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ. وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ ابْنِ رَاهْوَيْهِ، كِلَاهُمَا عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ. قُلْتُ: بَلْ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحَيْنِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৮৪
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ، وَحَدَّثَنَا هَاشِمٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ قَالَ قَالَ أَنَسٌ: عَمِّي - قَالَ هَاشِمٌ: أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ - سُمِّيتُ بِهِ، وَلَمْ يَشْهَدْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بِدْرٍ. قَالَ: فَشَقَّ عَلَيْهِ، وَقَالَ: أَوَّلُ مَشْهَدٍ شَهِدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غِبْتُ عَنْهُ! لَئِنْ أَرَانِي اللَّهُ مَشْهَدًا فِيمَا بَعْدُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَرَيَنَّ اللَّهُ مَا أَصْنَعُ. قَالَ: فَهَابَ أَنْ يَقُولَ غَيْرَهَا، فَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ. قَالَ: فَاسْتَقْبَلَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ لَهُ أَنَسٌ: يَا أَبَا عَمْرٍو أَيْنَ؟ وَاهًا لِرِيحِ الْجَنَّةِ، أَجِدُهُ دُونَ أُحُدٍ. قَالَ: فَقَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ، فَوُجِدَ فِي جَسَدِهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ ضَرْبَةٍ وَطَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ. قَالَ: فَقَالَتْ أُخْتُهُ عَمَّتِي الرُّبَيِّعُ بِنْتُ النَّضْرِ: فَمَا عَرَفْتُ أَخِي إِلَّا بِبَنَانِهِ وَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا} [الأحزاب: 23] . قَالَ: فَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهَا نَزَلَتْ فِيهِ وَفِي أَصْحَابِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ أَسَدٍ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، وَزَادَ النَّسَائِيُّ: وَأَبُو دَاوُدَ، وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ. أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بِهِ. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৫
খালুফ জুমাহী মক্কায় অবস্থানকালে শপথ করে রলেছিল যে, সে অবশ্যই রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
হত্যা করবে ৷ তার শপথের সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবহিত হয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন যে,
বরং আমিই তাকে হত্যা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷ উহুদ দিবসে উবাই লৌহ বর্মে আবৃত হয়ে যুদ্ধের
ময়দানে উপস্থিত হয় ৷ সে বলছিল যে, “মুহাম্মাদ বেচে থাকলে আমার রক্ষা (নই ৷ ” রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে হত্যার উদ্দেশ্যে সে তার উপর আক্রমণ চালায় ৷ সামনে এগিয়ে আসেন হযরত মুসআব
ইবন উমায়র (রা) ৷ তিনি ছিলেন আবদুদদার গোত্রের লোক ৷ তিনি অগ্রসর হয়েছিলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে আক্রমণ থেকে বাচড়ানাের জন্যে ৷ কিন্তু শত্রুর আঘারুত তিনি শাহাদাত বরণ করেন ৷
উবাইর বর্মের ফীক দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার বক্ষদেশ দেখতে পেলেন ৷ ধর্ম ও শিরস্ত্রন্তেণর ফীক
লক্ষ্য করে তিনি বশা নিক্ষেপ করলেন ৷ সে ঘোড়া থেকে মাটিতে পড়ে যায় ৷ ওই আঘাতে তার
রক্ত ক্ষরণ হয়নি ৷ তার সঙ্গীরা এসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ৷ তখন সে যাড়ের মত চীৎকার
করছিল ৷ তারা বলল, তোমার হল কী ? এতো সামান্য ক্ষ্ম;রুধ্ন্ত্র :তাত্র ৷ সে তখন তার সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উক্তি “আমি উবাইকে হত্যা করব” ওদেরকে স্মরণ করিয়ে দিল ৷ তারপর সে
বলল, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, আমি যতটুকু আঘাত পেয়েছি যুল মাজায অঞ্চলের
সকলে মিলে যদি ততটুকু আঘাত (পত তবে তাদের সকলেরই মৃত্যু হত ৷ তারপর উবাই মারা
যায় ৷ “ধ্বংস জাহান্নামীদের জন্যে ৷ ” মুসা ইবন উক্বা তার মাপাযী গ্রন্থে যুহরীর বরাতে সাঈদ
ইবন ঘুসাব্যিব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন পাহাড়ী পথে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন উবাই ইবন
খড়ালাফ তাকে দেখতে পায় ৷ সে তখন বলছিল, মুহাম্মাদ বেচে থাকলে আমার রক্ষা (নই ৷
সাহাবিগণ আরয় করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমাদের কেউ কি তাকে প্রতিহত করবে ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না তাকে বরং আসতে দাও ৷ সে কাছাকাছি আসার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হারিছ ইবন সাম্মাহ্ থেকে বশা চেয়ে নেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তখন আমরা উট পা ঝড়ো
দিলে যেমন লোম উড়তে থাকে আমরা তেমনি তা থেকে দুরে সরে পড়লাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার সম্মুখে গেলেন এবং বর্শা দ্বারা তার ঘাড়ে আঘাত করলেন ৷ এক আঘাতে সে ঘোড়া থেকে
পড়ে পড়াগড়ি যেতে থাকে ৷ ওয়াকিদী অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, যে ইবন উমার
(রা) বলতেন , উবাই ইবন খালাফ-এর মৃত্যু হয় বাতন-ই-রাবিগ অঞ্চলে ৷ তিনি আরো বলেছেন্
যে, রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন আমি বাতন-ই-রাবিগ এলাকাহু
হীটছিলাম ৷ হঠাৎ আমি দেখতে পাই যে, এক জায়গায় ভীবণভারে আগুন জ্বলছে ৷ তখন আমি তা
পেয়ে যাই ৷ তখন দেখি, ওই আগুন থেকে একটি লোক বের হচ্ছে ৷ সে শিকলে বাধা ৷ পিপাসায়
সে হাপাচ্ছে ৷ তখন একজন লোক বলছিল যে, একে পানি দেবেন না কারণ, সে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর হাতে নিহত হয়েছে ৷ সে উবাই ইবন খালাফ ৷
সহীহ বুখারী ও সহীহ ঘুসলিমে আবদুর রাযযাক আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণিত আছে যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, যে পােককে আল্লাহর পথে রাসুপুপ্লাহু (সা) স্বহস্তে হত্য৷ করেছেন তার
প্রতি আল্লাহর ক্রোধ ভীব্রেতর হোক ! বুখারী ভিন্ন সনদেও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী বলেন, আবুল ওয়ালীদ জাবির (রা) থেকে রংনাি করেন, তিনি বলেছেন,
التِّرْمِذِيُّ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ أَبُو الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: كَانَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ أَخُو بَنِي جُمَحَ قَدْ حَلَفَ وَهُوَ بِمَكَّةَ لِيَقْتُلْنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا بَلَغَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلْفَتُهُ قَالَ: بَلْ أَنَا أَقْتُلُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أَقْبَلَ أُبَيٌّ فِي الْحَدِيدِ مُقَنَّعًا، وَهُوَ يَقُولُ: لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا مُحَمَّدٌ. فَحَمَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ قَتْلَهُ، فَاسْتَقْبَلَهُ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ يَقِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ، فَقُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَأَبْصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْقُوَةَ أُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ مِنْ فُرْجَةٍ بَيْنَ سَابِغَةِ الدِّرْعِ وَالْبَيْضَةِ، فَطَعَنَهُ فِيهَا بِحَرْبَتِهِ، فَوَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ عَنْ فَرَسِهِ، وَلَمْ يَخْرُجْ مِنْ طَعْنَتِهِ دَمٌ، فَأَتَاهُ أَصْحَابُهُ فَاحْتَمَلُوهُ، وَهُوَ يَخُورُ خُوَارَ الثَّوْرِ، فَقَالُوا لَهُ: مَا أَجْزَعَكَ! إِنَّمَا هُوَ خَدْشٌ. فَذَكَرَ لَهُمْ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَا أَقْتُلُ أُبَيًّا ثُمَّ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ هَذَا الَّذِي بِي بِأَهْلِ ذِي الْمَجَازِ لَمَاتُوا أَجْمَعُونَ. فَمَاتَ إِلَى النَّارِ، فَسُحْقًا لِأَصْحَابِ السَّعِيرِ. وَقَدْ رَوَاهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ نَحْوَهُ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا أَسْنَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الشِّعْبِ، أَدْرَكَهُ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ وَهُوَ يَقُولُ: لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَوْتَ. فَقَالَ الْقَوْمُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، يَعْطِفُ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৬
عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنَّا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: دَعُوهُ. فَلَمَّا دَنَا تَنَاوَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَرْبَةَ مِنَ الْحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ كَمَا ذُكِرَ لِي: فَلَمَّا أَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتَفَضَ بِهَا انْتِفَاضَةً، تَطَايَرْنَا عَنْهُ تَطَايُرَ الشَّعْرِ عَنْ ظَهْرِ الْبَعِيرِ إِذَا انْتَفَضَ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَعَنَهُ فِي عُنُقِهِ طَعْنَةً تَدَأْدَأَ مِنْهَا عَنْ فَرَسِهِ مِرَارًا.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ نَحْوَ ذَلِكَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: مَاتَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ بِبَطْنِ رَابِغٍ، فَإِنِّي لَأَسِيرُ بِبَطْنِ رَابِغٍ بَعْدَ هَوِيٍّ مِنَ اللَّيْلِ، فَإِذَا أَنَا بِنَارٍ تَأَجَّجُ، فَهِبْتُهَا، وَإِذَا رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنْهَا فِي سِلْسِلَةٍ يَجْتَذِبُهَا يُهَيِّجُهُ الْعَطَشُ، فَإِذَا رَجُلٌ يَقُولُ: لَا تَسْقِهِ ; فَإِنَّهُ قَتِيلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ.
وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ كَمَا تَقَدَّمَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৭
আমার পিতা যখন শহীদ হন তখন আমি কাদতে থাকি ৷ তার চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে তার
মুখ দেখতে থাকি ৷ সাহাবীগণ (বা) আমাকে তা থেকে রাবণ করতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বার ণ করেননি ৷ তিনি বললেন, তার জন্যে কেদোন৷ অথবা তিনি বলেছেন যে, তার জন্যে কাদার
কী আছে ? ফেরেশতাগণ তো সব সময় তাকে ডানা দ্বারা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন ৷ এভাবে তাকে
উর্ধ্বাকাশে তুলে নেয়া হয়েছে ৷ এখানে এই হাদীছটি সনদহীনভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে ৷ তবে
জানাযা অধ্যায়ে সনদসহ তা বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম এবং নাসাঈ ও শুবা থেকে এটি
উদ্ধৃত করেছেন ৷
বুথারী বলেন, আবদান — ইবরাহীম থেকে বর্ণিত যে, আবদুর রহমান ইবন আওফের
(রা ) নিকট কিছু খাদ্য উপস্থিত করা হয়েছিল ৷ তিনি তখন রোযা অবস্থায় ছিলেন ৷ তিনি বললেন,
মুসআব ইবন উমায়র শহীদ হয়েছেন ৷ তিনি আমার চাইতে উত্তম ছিলেন ৷ তাকে একটি মাত্র
চাদয়ে কাফন দেয়া হয়েছিল ৷ চাদরটি খাটো ছিল ৷ চাদর দ্বারা তার মাথা ঢাকলে পা দুটো বেরিয়ে
যেত ৷ আর পা ঢাকতে পেলে মাথা বের হয়ে যেত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমার যতদুর মনে পড়ে
তিনি এও বলেছিলেন যে, হামযা (রা) শহীদ হয়েছেন, তিনি আমার চাইতে উত্তম ছিলেন ৷
তারপর দুনিয়ার সুখ স্বাচ্ছন্দা ও স্বচ্ছলতা আমাদের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে ৷ তাতে
আমাদের আশংকা হচ্ছে আমাদের সৎকর্মের প্রতিদান দৃনিয়াতেই নগদ দিয়ে দেয়া হচ্ছে কি না !
তারপর তিনি কাদতে শুরু করলেন ৷ তার বাবার ঠাণ্ডা হয়ে গেল ৷ এই হাদীছ বুথারী একা উদ্ধৃত
করেছেন ৷ বুথারী আহমদ ইবন ইউনুস — খাব্বার ইবন আরত সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে হিজরত করেছি ৷ আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জন ৷ আল্লাহর নিকট আমাদের প্রতিদান মঞ্জুর হয়েছে ৷ এরপর আমাদের কেউ কেউ
চলে গিয়েছে ওই প্ৰতিদানের কিছুই দৃনিয়াতে ভোগ করেনি ৷ তাদের মধ্যে আছেন মুসআব ইবন
উমায়র ৷ তিনি উহুদ দিবসে শহীদ হন ৷ একটি চাদর ব্যতীত কিছু রেখে যাননি ৷ কাফন হিসেবে
ওই চাদয়ে পা ঢাকতে গেলে তার মাথা বের হয়ে যেত আর মাথা ঢাকতে গেলে পা বের হয়ে
যেত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে বললেন, চাদর দ্বারা তার মাথা ঢেকে দাও আর ইযখির ঘাস
দিয়ে পা ঢেকে দাও ৷ বর্ণনাকারী খাব্বার (রা) আরো বলেন যে, আমাদের কতকের ফল থেকে
গিয়েছে এখ্যা যে তা ভোগ করছে ৷ ইবন মজােহ ব্যতীত অন্য সকলে এই হাদীছ আমাশ থেকে
বিভিন্ন সনদে উদ্ধৃত করেছেন ৷
বুথারী বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন সাঈদ — — আইশা (রা) থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেছেন, উহুদ দিবসে প্রথম দিকে মুশরিকরা পরাজিত হয়েছিল ৷ তখন অভিশপ্ত ইবলীস চীৎকার
দিয়ে বলে হে আল্লাহর খস্পোগণ! (আমাদেরকে তো পেছন থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ ফলে
মুসলমানদের সম্মুখ সারির লোকজন পেছনের দিকে ফিরে যায় এবং নিজেদেরই সম্মুখ সারি ও
পেছনের সারি পরস্পরের উপর তরবারি চালাতে থাকে ৷ হঠাৎ হুযায়ফ দেখতে পেলেন তার পিতা
ইয়ামানকে আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ তিনি চীৎকার করে বললেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ! তিনি তো
আমার পিতা, তিনি আমার পিতা, কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের
আঘাতে তার মৃত্যু হয় ৷ হুযায়ফা বললেন, আল্লাহ্ আপনাদেরকে ক্ষমা করুন ৷ উরওয়া বলেন,
আল্লাহর কসম ! মৃত্যু পর্যন্ত হুযায়ফা ওই দুঃখ তুলতে পারেননি ৷
مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى رَجُلٍ يَقْتُلُهُ رَسُولُ اللَّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ بِيَدِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ أَبُو الْوَلِيدِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعْتُ جَابِرًا قَالَ: «لِمَّا قُتِلَ أَبِي جَعَلْتُ أَبْكِي وَأَكْشِفُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، فَجَعَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَوْنَنِي، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَبْكِهِ - أَوْ مَا تَبْكِيهِ - مَا زَالَتِ الْمَلَائِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رُفِعَ» هَكَذَا ذُكِرَ هَذَا الْحَدِيثُ هَاهُنَا مُعَلَّقًا، وَقَدْ أَسْنَدَهُ فِي الْجَنَائِزِ، عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أُتِيَ بِطَعَامٍ، وَكَانَ صَائِمًا، فَقَالَ: قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَهُوَ خَيْرٌ مِنِّي، كُفِّنَ فِي بُرْدَةٍ إِنْ غُطِّيَ رَأْسُهُ بَدَتْ رِجْلَاهُ، وَإِنْ غُطِّي رِجْلَاهُ بَدَا رَأَسُهُ - وَأُرَاهُ قَالَ: وَقُتِلَ حَمْزَةُ
পৃষ্ঠা - ২৬৮৮
هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - ثُمَّ بُسِطَ لَنَا مِنَ الدُّنْيَا مَا بُسِطَ - أَوْ قَالَ: أُعْطِينَا مِنَ الدُّنْيَا مَا أُعْطِينَا - وَقَدْ خَشِينَا أَنْ تَكُونَ حَسَنَاتُنَا عُجِّلَتْ لَنَا. ثُمَّ جَعَلَ يَبْكِي حَتَّى تَرَكَ الطَّعَامَ. انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ قَالَ: «هَاجَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ، فَوَجَبَ أَجْرُنَا عَلَى اللَّهِ، فَمِنَّا مَنْ مَضَى - أَوْ ذَهَبَ - لَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا ; كَانَ مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ لَمْ يَتْرُكْ إِلَّا نَمِرَةً، كُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ خَرَجَتْ رِجْلَاهُ، وَإِذَا غُطِّيَ بِهَا رِجْلَاهُ خَرَجَ رَأْسُهُ، فَقَالَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: غَطُّوا بِهَا رَأْسَهُ، وَاجْعَلُوا عَلَى رِجْلِهِ الْإِذْخِرَ. وَمِنَّا مَنْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهُوَ يَهْدِبُهَا» . وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ. قَالَتْ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ هُزِمَ الْمُشْرِكُونَ، فَصَرَخَ إِبْلِيسُ، لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ: أَيْ عِبَادَ اللَّهِ أُخْرَاكُمْ. فَرَجَعَتْ أُولَاهُمْ