আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في قدوم زينب بنت الرسول صلى الله عليه وسلم مهاجرة بعد وقعة بدر
পৃষ্ঠা - ২৫৪৭


যে, তার পিতা রাফি একজন বদরী সাহাবী ৷ তিনি বলেন, একদা জিবরাঈল ফেরেশতা নবী
করীম (সা) এর নিকট এসে বললেন বদর যুদ্ধে অং শঃাহণকারীদেরকে আপনারা কিরুপ গণ্য
করেন স্পো তিনি বললেন, মুসলমানদের মধ্যেত তারা সর্বোত্তম শ্রেণী ৷ (রাবীর সন্দেহ) অথবা এরুপ
কোন বাক্য তিনি বললেন ৷ তখন জিবরাঈল বললেন, ফেরেশতাদের মধ্যে যারা বদর যুদ্ধে
এসেছিলেন, তাদের মর্যাদাও অনুরুপ ৷

অনুচ্ছেদ
মক্কা থেকে হযরত যয়নবের মদীনায় হিজরত

নবী দুহিতা যয়নব (রা) এর ব্যাপারে তার বন্দী স্বামী আবুল আস রাসুলুল্লাহ (সা) এর
নিকট যে ওয়াদ৷ করেছিলেন, সে অনুযায়ী বদর যুদ্ধের এক মাস পর যয়নব মক্কা থেকে
মদীনায় হিজরত করে আসেন ৷ এ প্রসংপে ইবন ইসহাক বলেন ং আবুল আস বন্দী দশা হতে
মুক্তি পাওয়ার পর মক্কায় প্রত ৷৷বর্তন করলে রাসুলুল্পাহ্ (সা) জনৈক আনসারীসহ যায়দ ইবন
হাবিছ কে মক্কায় পাঠিয়ে দেন ৷ তিনি তাদেরকে বলে দিলেন৪ তোমরা বাতনে ইয়াজিজ
নামক স্থানে গিয়ে অপেক্ষা করবে ৷ যয়নব যখন সেখানে এসে পৌছবে, তখন তোমরা তাকে
নিয়ে আমার কাছে চলে আসবে ৷ আদেশমত তারা বেরিয়ে পড়লেন ৷ এ ঘটনাটি ছিল বদর
যুদ্ধের এক মাস পরে বা তার কাছাকাছি সময়ে ৷ আবুল আস মক্কায় এসে যয়নবকে তার
পিতার কাছে চলে যেতে বললেন ৷ সুতরাং যয়নব যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে লাগলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর যয়নব বরাতে বর্ণনা করেছেন, যয়নব বলেন,
আমি মদীনায় চলে যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি তগ্রহণ করছিলাম ৷ এমন সময় উতবার কন্যা হিন্দ এসে
আমার সংগে সাক্ষাত করে বলল, হে মুহাম্মদ তনয়া শুনতে পেলাম, তুমি না ৷কি তে তামার পিতার
কাছে চলে যেতে চাচ্ছ ? আ ৷মি বললাম, এমন কো ন ইচ্ছে আমার সেই ৷ সে বলল, হে আমার
চাচড়াত বোন ৷ এমনটি করে৷ না ৷ আর যদি যেতেই চাও, তবে পথের খরচ এবংণ্ তোমার পিতার
কাছে পৌছতে প্রয়োজনীয় পাথেয় যা দরকড়ারত ৷আমার নিকট থেকে চেয়ে নিও ৷ অমি সব
দেব ৷ এ ব্যাপারে কোন লজ্জাবােধ করবে না ৷ পুরুষদের মাঝে যা চলছে তা যেন আমাদের
মহিলাদেরকে স্পর্শ না করে ৷ যয়নব বলেন, আল্লাহর কসম ৷ আমি জানি, যে যা বলছে তা সে
অবশ্যই করবে; কিন্তুত ৷সত্বেও আমি তার ব্যাপারে সতর্ক থাকলাম এব০ মদীনায় যাওয়ার
ইচ্ছার কথা তার নিকট অস্বীকার করলাম ৷ ইবন ইসহাক বলেন, মদীনায়৷ যাত্র ৷র জন্যে যয়নবের
প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন হলেত তার স্বামীর ভাই কিনান৷ ইবন রবী’ একটি উট নিয়ে আসলো ৷ যয়নব
তাতে সওয়ার হলেন ৷ কিনান৷ ভীর-ধনুক সাথে নিয়ে দিনের বেলায় যয়নবকে সংগে করে
রওনা হলো ৷ কিনান৷ উটের রশি ধরে টেনে চলছিল আর যয়নব হাওদার মধ্যে অবস্থান
করছিলেন ৷ কুরায়শর৷ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করল এবং তাকে ধরার জন্যে বেরিয়ে
পড়ল ৷ য়ু-তুয়৷ নামক স্থানে গিয়ে তারা তাকে ধরে ফেললো ৷ সর্বপ্রথম তার সামনে যেয়ে
র্দাড়ায় হাজ্জার ইবন আসওয়াদ ইবন মুত্তালিব ইবন আসাদ ইবন আবদুল উয্য৷ আল-ফিহ্রী ৷


[فَصْلٌ فِي قُدُومِ زَيْنَبَ بِنْتِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُهَاجِرَةً بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ] فَصْلٌ فِي قُدُومِ زَيْنَبَ بِنْتِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُهَاجِرَةً مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ بِشَهْرٍ، بِمُقْتَضَى مَا كَانَ شَرَطَ زَوْجُهَا أَبُو الْعَاصِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا تَقَدَّمَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا رَجَعَ أَبُو الْعَاصِ إِلَى مَكَّةَ وَقَدْ خُلِّيَ سَبِيلُهُ - يَعْنِي كَمَا تَقَدَّمَ - «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَرَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ مَكَانَهُ، فَقَالَ: كُونَا بِبَطْنِ يَأْجَجَ حَتَّى تَمُرَّ بِكُمَا زَيْنَبُ، فَتُصَاحِبَاهَا فَتَأْتِيَانِي بِهَا فَخَرَجَا مَكَانَهُمَا، وَذَلِكَ بَعْدَ بَدْرٍ بِشَهْرٍ - أَوْ شَيْعِهِ - فَلَمَّا قَدِمَ أَبُو الْعَاصِ مَكَّةَ أَمَرَهَا بِاللُّحُوقِ بِأَبِيهَا، فَخَرَجَتْ تَجَهَّزُ.»
পৃষ্ঠা - ২৫৪৮
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ: حُدِّثْتُ عَنْ زَيْنَبَ أَنَّهَا قَالَتْ: بَيْنَا أَنَا أَتَجَهَّزُ لَقِيَتْنِي هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ، فَقَالَتْ: يَا ابْنَةَ مُحَمَّدٍ، أَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّكِ تُرِيدِينَ اللُّحُوقَ بِأَبِيكِ؟ قَالَتْ: فَقُلْتُ: مَا أَرَدْتُ ذَلِكَ. فَقَالَتْ: أَيِ ابْنَةَ عَمِّ، لَا تَفْعَلِي، إِنْ كَانَتْ لَكِ حَاجَةٌ بِمَتَاعٍ مِمَّا يَرْفُقُ بِكِ فِي سَفَرِكِ أَوْ بِمَالٍ تَتَبَلَّغِينَ بِهِ إِلَى أَبِيكِ، فَإِنَّ عِنْدِي حَاجَتَكِ فَلَا تَضْطَنِي مِنِّي فَإِنَّهُ لَا يَدْخُلُ بَيْنَ النِّسَاءِ مَا بَيْنَ الرِّجَالِ. قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا أَرَاهَا قَالَتْ ذَلِكَ إِلَّا لِتَفْعَلَ. قَالَتْ وَلَكِنِّي خِفْتُهَا، فَأَنْكَرْتُ أَنْ أَكُونَ أُرِيدُ ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَتَجَهَّزَتْ، فَلَمَّا فَرَغَتْ مِنْ جَهَازِهَا قَدَّمَ إِلَيْهَا أَخُو زَوْجِهَا كِنَانَةُ بْنُ الرَّبِيعِ بَعِيرًا فَرَكِبَتْهُ، وَأَخَذَ قَوْسَهُ وَكِنَانَتَهُ، ثُمَّ خَرَجَ بِهَا نَهَارًا يَقُودُ بِهَا، وَهِيَ فِي هَوْدَجٍ لَهَا، وَتَحَدَّثَ بِذَلِكَ رِجَالٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَخَرَجُوا فِي طَلَبِهَا حَتَّى أَدْرَكُوهَا بِذِي طُوًى، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَبَقَ إِلَيْهَا هَبَّارُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى وَالْفِهْرِيُّ، فَرَوَّعَهَا هَبَّارٌ بِالرُّمْحِ، وَهِيَ فِي
পৃষ্ঠা - ২৫৪৯


হাব্বার বর্শ৷ দ্বারা যয়নবকে ভয় দেখাল ৷ যয়নব হাওদার মধ্যেই অবস্থান করছিলেন ৷ কথিত
আছে, তিনি ছিলেন অন্তঃসত্ত্ব৷ ৷ ফলে প্রচণ্ড ভয়ে তাব গর্ভপাত ঘটে যায় ৷ তখন তার দেবর
কিনানা ইার্টু গেড়ে বসে পড়ল এবং তুপীর হতে তীর বের করে ধ্নুকে সংযোজন করে বলল :
আল্লাহর কসম ! যে-ই আমার কাছে আসবে, তাকেই আমি তীরবিদ্ধ করব ৷ এ পরিস্থিতি দেখে
সবাই পিছিয়ে গেল ৷ আবু সুফিয়ান কুরায়শদের একদল লোক সৎগে নিয়ে তার সামনে এসে
বলল, ওহে, আমাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ থেকে তুমি বিরত থাক ৷ আমরা তোমার সাথে কথা
বলব ৷ কিনানা তীর নিক্ষেপ ৷কর৷ থেকে বিরত থাকল ৷ আবু সুফিয়ান৷ আ রও সামনে এসে তার
কাছে র্দাড়াল এবং বলল০ : তুমি এ কাজটি তাল কর নাই ৷ তুমি প্রকাশ্য দিবালােকে এ মহিলাকে
নিয়ে সকলের সামনে দিয়ে বের হলে অথচ তুমি জান, আমরা কত উদ্বেগ্ ট্টৎকন্ঠ৷ ও বিপর্যয়ের
মধ্যে দিন ক টাচ্ছি ৷ আর মুহাম্মদের কারণে আমাদের মধ্যে কী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে! তুমি যদি
প্রকাশ্য ভাবে সকলের চোখের সামনে দিয়ে তাকে তার পিতা তার কাছে নিয়ে যাও, তাতে লোকে
তাববে, বদরে আমাদের পরাজয় ঘটেছে বলে তুমি আজ তাকে এভাবে নিয়ে যেতে পারছ ৷ এটা
আমাদের চরম দুর্বলত৷ ও কাপুরুষতার পরিচয় হবে ৷ আমি কসম করে বলছি, তাকে এখানে
আটকে রাখার কোন অভিপ্রায় আমাদের নেই এবং কোন প্ৰতিশোধম্পৃহাও আমাদের নেই ৷ বরং
যেয়েটিকে নিয়ে তুমি ফিরে যাও ৷ এরপর যখন পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং ণ্লাকে বলবে
যে, আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি, তখন তুমি গোপনে তাকে নিয়ে যেয়াে এবৎ
৷ তার পিতা তার কাছে পৌছে দিয়াে ৷ অবশেষে কিনানা তাই করল ৷ ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন :
যয়নবকে যারা ফিরিয়ে নিতে এসেছিল, ত ৷রা যখন মক্কায় ফিরে যায়, তখন উত বার কন্যা হিন্দ
তাদেরকে তিরষ্ক৷ ৷র করে বলেছিলং

এ ) ৷ গোা

এ সব লোক কি শান্তিপুর্ণ পরিবেশে গাধার ন্যায় নির্দয় ও কঠোর ? পক্ষান্তার যুদ্ধের
ময়দানে ঋতুমতী নারীর সমতুল্য ?

কেউ কেউ বলেছেন যে, হিন্দ ৰিনতে উ৩ বা এই কবিতা বলেছিল তখন, যখন কুরায়শরা
বদর যুদ্ধে পরাজিত ৩হয়ে মক্কায় গিয়েছিল ৷ ইবন ইসহ৷ ৷ক বলেন০ এরপর যয়নব আরও কিছু
দিন মক্কায় অবন্থ ন করেন ৷ পরে যখন পরিস্থিতি শান্ত হল, তখন এক রা মে কিনানা তাকে নিয়ে
বের হল এবৎ যায়দ ইবন হারিছ৷ ও তার সৎপীর কাছে পৌছিয়ে দিল ৷ তারা রাতের বেলা
তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্দেশ্যে রওনা হলেন ৷ বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে উমর
ইবন আবদুল্লাহ্ সুত্রে আইশা থেকে বর্ণনা করেন ৷ এ বর্ণনায় আইশা (রা) মক্কা হতে
যয়নবের বেরিয়ে আসা, কুরায়শ কর্তৃক ফিরিয়ে নেয়া ও গর্ভপাতের ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷
এরপর বলেছেন, যয়নবকে আন ৷র জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন হারিছাকে প্রেরণ করেন ৷
যাওয়ার সময় হারিছার নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার হাতের আৎটি দিয়ে দেন ৷ যায়দ মক্কার এক
রাখালের সাথে সু-সস্পর্ক সৃষ্টি করে তাকে ঐ আৎটিটি দিয়ে বললেন, এটা যয়নবকে দিয়ে


الْهَوْدَجِ، وَكَانَتْ حَامِلًا - فِيمَا يَزْعُمُونَ - فَطَرَحَتْ، وَبَرَكَ حَمُوهَا كِنَانَةُ، وَنَثَرَ كِنَانَتَهُ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَا يَدْنُو مِنِّي رَجُلٌ إِلَّا وَضَعْتُ فِيهِ سَهْمًا. فَتَكَرْكَرَ النَّاسُ عَنْهُ، وَأَتَى أَبُو سُفْيَانَ فِي جِلَّةٍ مِنْ قُرَيْشٍ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا الرَّجُلُ، كُفَّ عَنَّا نَبْلَكَ حَتَّى نُكَلِّمَكَ. فَكَفَّ، فَأَقْبَلَ أَبُو سُفْيَانَ حَتَّى وَقَفَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: إِنَّكَ لَمْ تُصِبْ، خَرَجْتَ بِالْمَرْأَةِ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ عَلَانِيَةً، وَقَدْ عَرَفْتَ مُصِيبَتَنَا وَنَكْبَتَنَا، وَمَا دُخِلَ عَلَيْنَا مِنْ مُحَمَّدٍ، فَيَظُنُّ النَّاسُ إِذْ خَرَجْتَ بِابْنَتِهِ إِلَيْهِ عَلَانِيَةً عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِنَا، أَنَّ ذَلِكَ عَنْ ذُلٍّ أَصَابَنَا، وَأَنَّ ذَلِكَ مِنَّا ضَعْفٌ وَوَهْنٌ، وَلَعَمْرِي مَا لَنَا بِحَبْسِهَا عَنْ أَبِيهَا مِنْ حَاجَةٍ، وَمَا لَنَا مِنْ ثُؤْرَةٍ، وَلَكِنِ ارْجِعْ بِالْمَرْأَةِ، حَتَّى إِذَا هَدَأَتِ الْأَصْوَاتُ وَتَحَدَّثَ النَّاسُ أَنْ قَدْ رَدَدْنَاهَا، فَسُلَّهَا سِرًّا وَأَلْحِقْهَا بِأَبِيهَا. قَالَ: فَفَعَلَ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أُولَئِكَ النَّفَرَ الَّذِينَ رَدُّوا زَيْنَبَ لَمَّا رَجَعُوا إِلَى مَكَّةَ قَالَتْ هِنْدُ تَذُمُّهُمْ عَلَى ذَلِكَ: أَفِي السِّلْمِ أَعْيَارٌ جَفَاءً وَغِلْظَةً ... وَفِي الْحَرْبِ أَشْبَاهُ النِّسَاءِ الْعَوَارِكِ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهَا قَالَتْ ذَلِكَ لِلَّذِينِ رَجَعُوا مِنْ بَدْرٍ، بَعْدَمَا قُتِلَ مِنْهُمُ الَّذِينَ قُتِلُوا.
পৃষ্ঠা - ২৫৫০
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَتْ لَيَالِيَ حَتَّى إِذَا هَدَأَتِ الْأَصْوَاتُ خَرَجَ بِهَا لَيْلًا حَتَّى أَسْلَمَهَا إِلَى زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَصَاحِبِهِ، فَقَدِمَا بِهَا لَيْلًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " مِنْ طَرِيقِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ، «عَنْ عَائِشَةَ، فَذَكَرَ قِصَّةَ خُرُوجِهَا وَرَدِّهِمْ لَهَا وَوَضْعِهَا مَا فِي بَطْنِهَا، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَأَعْطَاهُ خَاتَمَهُ، لِتَجِيءَ مَعَهُ، فَتَلَطَّفَ زَيْدٌ، فَأَعْطَاهُ رَاعِيًا مِنْ مَكَّةَ، فَأَعْطَى الْخَاتَمَ لِزَيْنَبَ، فَلَمَّا رَأَتْهُ عَرَفَتْهُ، فَقَالَتْ: مَنْ دَفَعَ إِلَيْكَ هَذَا؟ قَالَ: رَجُلٌ فِي ظَاهِرِ مَكَّةَ. فَخَرَجَتْ زَيْنَبُ لَيْلًا فَرَكِبَتْ وَرَاءَهُ حَتَّى قَدِمَ بِهَا الْمَدِينَةَ. قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: هِيَ أَفْضَلُ بَنَاتِي أُصِيبَتْ فِيَّ قَالَ: فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ بْنِ زَيْنِ الْعَابِدِينَ، فَأَتَى عُرْوَةَ فَقَالَ: مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَدِّثُهُ تَنْتَقِصُ فِيهِ فَاطِمَةَ؟ فَقَالَ عُرْوَةُ: وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَأَنِّي أَنْتَقِصُ فَاطِمَةَ حَقًّا هُوَ لَهَا، وَأَمَّا بَعْدُ فَلَكَ أَنْ لَا أُحَدِّثَهُ أَبَدًا» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ فِي ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، أَوْ أَبُو خَيْثَمَةَ أَخُو بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: هِيَ لِأَبِي خَيْثَمَةَ -: أَتَانِي الَّذِي لَا يَقْدُرُ النَّاسُ قَدْرَهُ ... لِزَيْنَبَ فِيهِمْ مِنْ عُقُوقٍ وَمَأْثَمِ
পৃষ্ঠা - ২৫৫১


দিবে ৷ রাখাল সেখানে০ গিয়ে আৎটিটি যয়নবকে দিল ৷ যয়নব আ০ টি দেখে চিনতে পারলেন এবং
বললেন, এ আ০ টি৫ তামাকে কে দিয়েছে ? রাখাল বলল মক্কার উপকণ্ঠ থেকে এক ব্যক্তি এটি
আমাকে দিয়েছে ৷ এরপর রাত্রিবেলা যয়নব বেরিয়ে সেখানে গেলেন এবং যায়দ তাকে
সওয়ারীতে আরোহণ করিয়ে মদীনায় পৌছালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রায়ই বলতেন, যয়নব
আমার সবচাইতে গুণবতী কন্যা, সে আমার জন্যে অনেক কষ্ট স্বীকার করেছে ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, এ হাদীছটি আলী ইবন হুসাইন ইবন যায়নুল আবিদীন এর নিকট পৌছে ৷ তখন তিনি
উরওয়ার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, এ হাদীছটি আমার কাছে পৌছেছে তুমি নাকি এটা
বর্ণনা করেছ ? উরওয়া বললেন, আল্লাহ্র কসম ! পুর্ব ও পশ্চিমের মধ্যবর্তী সমস্ত সম্পদের
বিনিময়েও আমি ফাতিমার প্রাপ্য কোন অধিকার অণু পরিমাণও খর্ব করা পসন্দ করি না ৷ আর
এরপরে আর কখনও এ হাদীছ আমি বর্ণনা করবো না ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আবদুল্লাহ্ ইবন
রাওয়াহ৷ কিৎব৷ বনু সালিম ইবন আওফের লোক আবু খায়ছামা যয়নব এর ঘটনা সম্পর্কে
নিম্নোক্ত কবিতা টি আবৃত্তি করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, কবিতাটি আবৃ খায়ছামার ৷

ণ্ট্টদুম্পু এপ্রুম্বু;

“আমার কাছে সংবাদ এসেছে যয়নবের প্রতি তাদের এমন অন্যায় আচরণ ও অত্যাচারের
কথা, যার কল্পনা করাও মানুষের অসাধ্য ৷

তাকে মক্কা থেকে বের করে আমার মধ্যে মুহাম্মদের কোন গ্নানি নেই ৷ যদিও তখন
আমাদের মাঝে যুদ্ধের উত্তেজনা বিরাজ করছিল ৷

আবু সুফিয়া ন চরমভাবে লড়াঞ্ছিত ও লজ্জিত হয়েছে যমযম নামক ব্যক্তির সাথে মৈত্রী স্থাপন
করে ও আমাদের সাথে যুদ্ধ বা ৷ধিয়ে ৷

আমরা তার পুত্র উমর ও দাসকে আটোওয়৷ ৷লা শক্ত জিঞ্জির দিয়ে বেধে ফেলেছি ৷

আমি কসম করে বলছি, আমাদের সৈন্য বাহিনী, সেনাধ্যক্ষ ও বিশেষ চিহ্নিত বাহিনীর
কখনও ঘা টিভি ৩হবে না

তারা কুরায়শ কাফিরদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলবে এবং আক্রমণের পর আক্রমণ করে
তাদের মাঝে রশি লাগিয়ে টেনে আনবে ৷

আমরা তাদের সাথে নাজ্বদ ও নাখলার আশপাশে যুদ্ধে রত হবো ৷ তারা যদি অশ্বারোহী ও
পদাতিক বাহিনী নিয়ে তিহামায় শিবির স্থাপন করে, তবে আমরাও সেখানে গিয়ে উপ
হবো ৷

তাদের সাথে আমাদের এ যুদ্ধ চলবে যুগ যুগ ধরে ৷ আমাদের বাহিনী কখনও পিছপা হবে
না ৷ আমরা তাদেরকে আদ’ ও জুরহুমের’ পরিণতি দেখিয়ে দেব ৷

এই সম্প্রদায় মুহাম্মদের অনুসরণ না করার আপন কৃতকর্মের উপর এক দিন অনুশোচনা
করবে ৷ কিন্তু সে অনুশোচনায় কােনই লাভ হবে না ৷


وَإِخْرَاجُهَا لَمْ يُخْزَ فِيهَا مُحَمَّدٌ ... عَلَى مَأْقِطٍ وَبَيْنَنَا عِطْرُ مَنْشِمِ وَأَمْسَى أَبُو سُفْيَانَ مِنْ حِلْفِ ضَمْضَمٍ ... وَمِنْ حَرْبِنَا فِي رَغْمِ أَنْفٍ وَمَنْدَمِ قَرَنَّا ابْنَهُ عَمْرًا وَمَوْلَى يَمِينِهِ ... بِذِي حَلَقٍ جَلْدِ الصَّلَاصِلِ مُحْكَمِ فَأَقْسَمْتُ لَا تَنْفَكُّ مِنَّا كَتَائِبٌ ... سَرَاةُ خَمِيسٍ مَنْ لُهَامٍ مُسَوَّمِ نَرُوعُ قُرَيْشَ الْكُفْرِ حَتَّى نَعُلَّهَا ... بِخَاطِمَةٍ فَوْقَ الْأُنُوفِ بِمِيسَمِ نُنَزِّلُهُمْ أَكْنَافَ نَجْدٍ وَنَخْلَةٍ ... وَإِنْ يُتْهِمُوا بِالْخَيْلِ وَالرَّجْلِ نُتْهِمِ يَدَ الدَّهْرِ حَتَّى لَا يُعَوَّجَّ سِرْبُنَا ... وَنُلْحِقُهُمْ آثَارَ عَادٍ وَجُرْهُمِ
পৃষ্ঠা - ২৫৫২
وَيَنْدَمُ قَوْمٌ لَمْ يُطِيعُوا مُحَمَّدًا عَلَى أَمْرِهِمْ وَأَيُّ حِينِ تَنَدُّمِ ... فَأَبْلِغْ أَبَا سُفْيَانَ إِمَّا لَقِيتَهُ لَئِنْ أَنْتَ لَمْ تُخْلِصْ سُجُودًا وَتُسْلِمِ ... فَأَبْشِرْ بِخِزْيٍ فِي الْحَيَاةِ مُعَجَّلٍ وَسِرْبَالِ قَارٍ خَالِدًا فِي جَهَنَّمَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمَوْلَى يَمِينِ أَبِي سُفْيَانَ الَّذِي عَنَاهُ الشَّاعِرُ، هُوَ عَامِرُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: إِنَّمَا هُوَ عُقْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْحَارِثِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، فَأَمَّا عَامِرُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ، فَإِنَّهُ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الدَّوْسِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً أَنَا فِيهَا، فَقَالَ: " إِنْ ظَفِرْتُمْ بِهَبَّارِ بْنِ الْأَسْوَدِ، وَالرَّجُلِ الَّذِي سَبَقَ مَعَهُ إِلَى زَيْنَبَ فَحَرِّقُوهُمَا بِالنَّارِ " فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ بَعَثَ إِلَيْنَا، فَقَالَ: إِنِّي قَدْ كُنْتُ أَمَرْتُكُمْ بِتَحْرِيقِ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ إِنْ أَخَذْتُمُوهُمَا، ثُمَّ رَأَيْتُ أَنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَحْرِقَ بِالنَّارِ إِلَّا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنْ ظَفِرْتُمْ بِهِمَا فَاقْتُلُوهُمَا.» تَفَرَّدَ بِهِ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ السُّنَنِ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ.
পৃষ্ঠা - ২৫৫৩


হে পথিক ! যদি তুমি আবু সুফিয়ানের সাক্ষাত পাও , তবে তাকে এ কথাটি পৌছিয়ে দিও
যে, তুমি যদি আত্মসমর্পণ করে ইসলাম গ্রহণ না কর ,

তা হলে এই সুসংবাদ (?) গ্রহণ কর যে, ইহকালে তুমি হবে লাঞ্ছিত আর আলকাতরার
পেশোক পরিধান করে হবে জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেন, উপরের কবিতায় আবু সুফিযানের দাস বলে করি যার প্রতি ইংগিত
করেছেন তার নাম আমির ইবন হাযরামী ৷ কিন্তু ইবন হিশাম তার নাম বলেছেন, উক্বা ইবন
আবদুল হারিছ ইবন হাযরামী ৷ তিনি বলেন, আমির ইবন হাযরামী বদর যুদ্ধে নিহত হয় ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, আমার নিকট ইযাযীদ ইবন আবু হাবীব আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন ৷
আবু হুরায়রা বলেন ও নবী করীম (সা) একবার এক অভিযান প্রেরণ করেন ৷ আমিও তার
অন্তর্ভুক্ত ছিলাম ৷ যাত্রাকালে রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে বলে দেন যে , তোমরা যদি হাব্বার
ইবন আসওয়াদ ও ঐ লোকটিকে ধরতে পায় যে হুবারের সাথে যয়নবের সম্মুখে অগ্রসর হয়ে
গিয়েছিল, তবে উভয়কেই পুড়িয়ে দেবে ৷ পরের দিন তিনি আমাদের নিকট লোক পাঠিয়ে
জানালেন, আমি তোমাদেরকে বলেছিলাম ঐ লোক দু’জনকে ধরতে পারলে আগুনে পুড়িয়ে
দেবে; কিন্তু পরে আমি ভেবে দেখলাম যে, আগুনে পুড়িয়ে মারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও
জন্যে শোভা পায় না ৷ তাই এখন জানাচ্ছি, যদি তাদেরকে পাকড়াও করতে পায়, তার হত্যা
করে দিও ৷ হাদীছটি এই সুত্রে ইবন ইসহাক একাই বর্ণনা করেছেন ৷ এটি সৃনানের শর্ত অনুযায়ী
বর্ণিত ৷ তবে সুনান সঙ্কলকগণ এ হাদীছ বর্ণনা করেননি ৷ ইমাম বুখারী কুতায়বা আবু
হুরায়রা সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবুল আস ফিরে গিয়ে মক্কায় কুফরী অবস্থায় জীবন যাপন করতে
থাকেন ৷ অন্যদিকে যয়নব মদীনায় পিতার কাছে অবস্থান করেন ৷ মক্কা বিজয়ের কিছু দিন আগে
আবুল আস কুরায়শদের পক্ষে বাণিজ্য উপলক্ষে বের হন ৷ বাণিজ্য শেষে সিরিয়া থেকে
প্রত্যাবর্তনকালে তিনি একটি মুসলিম সেনাদলের সম্মুখীন হন ৷ সেনাদলটি তার মালপত্র আটক
করেন ৷ কিন্তু আবুল আস আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে পালিয়ে রাত্রে নিজ শ্রী যয়নবের কাছে
এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন ৷ যয়নব তাকে আশ্রয় দেন ৷ ভোর বেলা রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন
লোকজন নিয়ে ফজরের সালাত আরম্ভ করেন, তখন যয়নব মহিলাদের সারি থেকে উভৈচ্চ৪স্বরে
বললেন : লোক সকল ৷ শুনে রাখুন, আমি আবুল আস ইবন রবীকে আশ্রয় দিয়েছি ৷ সালাম
ফিরাবার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসল্লীদের দিকে মুখ করে বললেন এবং বললেন, সালাতের মধ্যে
আমি যা শুনেছি তোমরাও কি তা শুনতে পেয়েছ ?’ সবাই বললেন, জী-ছুদ্র৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন ও সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না ৷
এখনই শুনলাম, যা তোমরাও শুনেছ ৷ যে কোন সাধারণ মুসলমড়ানেরও কাউকে আশ্রয় দেয়ার
অধিকার রয়েছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যয়নবের কাছে গিয়ে বললেন : হে প্রিয় কন্যা ! তুমি
তাকে মর্যাদার সংগে থাকতে দাও ৷ তবে সে একান্তে যেন তোমার নিকট না আসে ৷ কেননা,
এখন তুমি তার জন্যে হালাল নও ৷

ইবন ইসহাক বলেন, যায়৷ আবুল আসের মালামাল আটক করেছিলেন তাদেরকে সেসব
মালামাল তাকে ফেরত দেয়ার জন্যে উৎসাহিত করে নবী করীম (না) বার্তা পাঠান্সেন ৷ তারা


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: «بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْثٍ، فَقَالَ إِنْ وَجَدْتُمْ فُلَانًا وَفُلَانًا فَأَحْرِقُوهُمَا بِالنَّارِ» ثُمَّ قَالَ حِينَ أَرَدْنَا الْخُرُوجَ: «إِنِّي أَمَرْتُكُمْ أَنْ تَحْرِقُوا فُلَانًا وَفُلَانًا، وَإِنَّ النَّارَ لَا يُعَذِّبُ بِهَا إِلَّا اللَّهُ، فَإِنْ وَجَدْتُمُوهُمَا فَاقْتُلُوهُمَا» وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ «أَنَّ أَبَا الْعَاصِ أَقَامَ بِمَكَّةَ عَلَى كُفْرِهِ، وَاسْتَمَرَّتْ زَيْنَبُ عِنْدَ أَبِيهَا بِالْمَدِينَةِ، حَتَّى إِذَا كَانَ قُبَيْلَ الْفَتْحِ خَرَجَ أَبُو الْعَاصِ فِي تِجَارَةٍ لِقُرَيْشٍ، فَلَمَّا قَفَلَ مِنَ الشَّامِ لَقِيَتْهُ سَرِيَّةٌ، فَأَخَذُوا مَا مَعَهُ، وَأَعْجَزَهُمْ هَرَبًا، وَجَاءَ تَحْتَ اللَّيْلِ إِلَى زَوْجَتِهِ زَيْنَبَ فَاسْتَجَارَ بِهَا فَأَجَارَتْهُ، فَلَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ، وَكَبَّرَ، وَكَبَّرَ النَّاسُ، صَرَخَتْ مِنْ صُفَّةِ النِّسَاءِ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ أَجَرْتُ أَبَا الْعَاصِ بْنَ الرَّبِيعِ. فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ، أَيُّهَا النَّاسُ، هَلْ سَمِعْتُمُ الَّذِي سَمِعْتُ؟ . قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا عَلِمْتُ بِشَيْءٍ حَتَّى سَمِعْتُ مَا سَمِعْتُمْ، وَإِنَّهُ يُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَدْنَاهُمْ. ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ২৫৫৪
فَدَخَلَ عَلَى ابْنَتِهِ زَيْنَبَ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّةَ، أَكْرِمِي مَثْوَاهُ، وَلَا يَخْلُصَنَّ إِلَيْكِ، فَإِنَّكِ لَا تَحِلِّينَ لَهُ. قَالَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَثَّهُمْ عَلَى رَدِّ مَا كَانَ مَعَهُ، فَرَدُّوهُ بِأَسْرِهِ لَا يَفْقِدُ مِنْهُ شَيْئًا، فَأَخَذَهُ أَبُو الْعَاصِ فَرَجَعَ بِهِ إِلَى مَكَّةَ، فَأَعْطَى كُلَّ إِنْسَانٍ مَا كَانَ لَهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، هَلْ بَقِيَ لِأَحَدٍ مِنْكُمْ عِنْدِي مَالٌ لَمْ يَأْخُذْهُ؟ قَالُوا: لَا، فَجَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا، فَقَدْ وَجَدْنَاكَ وَفِيًّا كَرِيمًا. قَالَ: فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَاللَّهِ مَا مَنَعَنِي عَنِ الْإِسْلَامِ عِنْدَهُ إِلَّا تَخُوُّفُ أَنْ تَظُنُّوا أَنِّي إِنَّمَا أَرَدْتُ أَنْ آكُلَ أَمْوَالَكُمْ، فَلَمَّا أَدَّاهَا اللَّهُ إِلَيْكُمْ وَفَرَغْتُ مِنْهَا أَسْلَمْتُ. ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «رَدَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، زَيْنَبَ عَلَى النِّكَاحِ الْأَوَّلِ، وَلَمْ يُحْدِثْ شَيْئًا» . وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَيْسَ بِإِسْنَادِهِ بَأْسٌ، وَلَكِنْ لَا نَعْرِفُ وَجْهَ هَذَا الْحَدِيثِ، وَلَعَلَّهُ قَدْ جَاءَ مِنْ قِبَلِ حِفْظِ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ.
পৃষ্ঠা - ২৫৫৫


আবুল আসের সমস্ত মাল র্তাকে ফেরত দিলেন ৷ নিজেদের কাছে কিছুই রাখলেন না ৷ আবুল
আস মাল নিয়ে মক্কায় ফিরে গেলেন এবং কুরায়শদের প্রত্যেককে যার যার মাল যথাযথভাবে
ফেরত দিলেন ৷ তারপর তিনি বললেন : হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! আমার কাছে কি তোমাদের আর
কোন পাওনা বাকী আছে ? সবাই বলল, না ৷ আল্লাহ্ তোমার মঙ্গল করুন ৷ তুমি আমাদের
নিকট বিশ্বস্ত ও সন্তান্ত ৷ আবুল আস এ সময় কালেমা শাহাদত পড়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন

এরপর তিনি কুরায়শদেরকে লক্ষ্য করে বললেন : আমি মদীনায় রাসুলুল্লাহ্র নিকট থাকা
অবস্থায় ইসলাম গ্রহণ করি নাই এ কারণে যে, তোমরা হয়তো ধারণা করবে, আমি তোমাদের
মালামাল আত্মসাত করবো ৷ আল্লাহ্র ইচ্ছায় এখন যখন তোমাদের মাল যথাযথভাবে বুঝিয়ে
দিয়েছি, তখন আর আমার ইসলাম গ্রহণ করতে কোন বাধা নেই ৷ এরপর আবুল আস মক্কা
থেকে হিজরত করে রাসুলুল্লাহ্র নিকট চলে যান ৷ ইবন ইসহড়াক বলেন : দাউদ ইবন হুসাইন
ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যয়নবকে পুর্ব বিবদুহর ভিত্তিতে আবুল
আসের নিকট ফিরিয়ে দেন, পুনরায় বিবাহ পড়াননি ৷ ইমাম আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী ও
ইবন মাজা এ হাদীছ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী বলেন, এ হাদীছের
সনদে কোন আপত্তি নেই, তবে আমরা এর সুত্র সম্পর্কে অবহিত নই ৷ সম্ভবত দাউদ ইবন
হুসায়নের স্মৃতি থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ সুহায়লী বলেন, আমার জানা মতে ফকীহদের মধ্যে এ
মত কেউ-ই পোষণ করেন না ৷ এক বর্ণনায় আংছ, ছয় বছর পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যয়নবকে
তার স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেন ৷ আর এক বর্ণনায় আছে, দুই বছর পর পুর্বের বিবাহের উপর
র্তাকে ফিরিয়ে দেন ৷ ইবন জারীর এ বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন ৷ অপর বর্ণনায় আছে, বিবাহ
দোহরাননি ৷ এ হাদীছটি অনেক আলিমভ্রুকা বে-কায়দায় ফেলে দিয়েছে ৷ কেননা, তাদের
নিকট স্বীকৃত মুলনীতি এই যে, কুফরী অবস্থায় বিবাহের পর নির্জনে মিলিত হওয়ার পুর্বেই যদি
শ্ৰী ইসলাম গ্রহণ করে ফেলে আর স্বামী কাফির থাঃক, তবে সাথে সাথেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে
যায় ৷ কিভু নির্জনে মিলিত হওয়ার পর যদি ইসলাম গ্রহণ করে, তবে ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে ৷ এ সময়ের মধ্যে স্বামী ইসলাম গ্রহণ করলে বিবাহ ঠিক থাকবে ৷ আর
ইদ্দতের মধ্যে ইসলাম গ্রহণ না করলে বিবাহ ভেৎগে যাবে ৷ কিন্তু আলোচ্য ঘটনায় যয়নব
ইসলাম গ্রহণ করে রাসুলুল্লাহ্র নবুওয়াত প্রাপ্তির সময় ৷ আর মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত
করেন বদর যুদ্ধের এক মাস পর ৷ ওদািক মুশরিক পুরুষদের সাথে মুসলিম নারীদের বৈবাহিক
সম্পর্ক নিষিদ্ধ হয় ষষ্ঠ হিজরীতে হুদায়বিয়ার সন্ধির বছর এবং আবুল আস ইসলাম গ্রহণ করেন
অষ্টম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের পুর্বে ৷ এখন যারা বলছেন, ছয় বছর পর ফিরিয়ে দিয়েছেন,
তাদের উদ্দেশ্যে হিজরতের সময় থেকে দুই বছর পর ৷ এ হিসেবে তাদের কথা সঠিক ৷
আবার র্ষড়ারা বলেছেন দু’বছর পর ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্য যুশরিক পুরুষদের
উপর মুসলিম নারীদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ হওয়ার বিধান নাযিলের দু’বছর পর ৷ সে
হিসেবে এ মতও সঠিক ৷ যা হোক, উভয় অবস্থাতেই একটা কথা স্পষ্ট যে, যয়নবের ইদ্দত এ
সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ কেননা, বৈবাহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ হওয়ার বিধান আসার পর পুর্ণ দুই
বছর বা প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ সুতরাং পুর্ব বিবাহের ভিত্তিতে র্তাকে কিভাবে


وَقَالَ السُّهَيْلِيُّ: لَمْ يَقُلْ بِهِ أَحَدٌ مِنَ الْفُقَهَاءِ، فِيمَا عَلِمْتُ. وَفِي لَفْظٍ: رَدَّهَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ سِتِّ سِنِينَ. وَفِي رِوَايَةٍ: بَعْدَ سَنَتَيْنِ بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَفِي رِوَايَةٍ لَمْ يُحْدِثْ نِكَاحًا. وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ أَشْكَلَ عَلَى كَثِيرٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ، فَإِنَّ الْقَاعِدَةَ عِنْدَهُمْ أَنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا أَسْلَمَتْ وَزَوْجُهَا كَافِرٌ، فَإِنْ كَانَ قَبْلَ الدُّخُولِ تُعُجِّلَتِ الْفُرْقَةُ، وَإِنْ كَانَ بَعْدَهُ انْتُظِرَ إِلَى انْقِضَاءِ الْعِدَّةِ، فَإِنْ أَسْلَمَ فِيهَا اسْتَمَرَّ عَلَى نِكَاحِهَا، وَإِنِ انْقَضَتْ وَلَمْ يُسْلِمِ انْفَسَخَ نِكَاحُهَا، وَزَيْنَبُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَسْلَمَتْ حِينَ بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَاجَرَتْ بَعْدَ بَدْرٍ بِشَهْرٍ، وَحُرِّمَ الْمُسْلِمَاتُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ سَنَةَ سِتٍّ، وَأَسْلَمَ أَبُو الْعَاصِ قَبْلَ الْفَتْحِ سَنَةَ ثَمَانٍ، فَمَنْ قَالَ: رَدَّهَا عَلَيْهِ بَعْدَ سِتِّ سِنِينَ. أَيْ مِنْ حِينِ هِجْرَتِهَا، فَهُوَ صَحِيحٌ، وَمَنْ قَالَ: بَعْدَ سَنَتَيْنِ. أَيْ مِنْ حِينِ حُرِّمَتِ الْمُسْلِمَاتُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، فَهُوَ صَحِيحٌ أَيْضًا، وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ، فَالظَّاهِرُ انْقِضَاءُ عِدَّتِهَا فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ الَّتِي أَقَلُّهَا سَنَتَانِ مِنْ حِينِ التَّحْرِيمِ أَوْ قَرِيبٌ مِنْهَا، فَكَيْفَ رَدَّهَا عَلَيْهِ بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ؟ فَقَالَ قَائِلُونَ: يَحْتَمِلُ أَنَّ عِدَّتَهَا لَمْ تَنْقَضِ، وَهَذِهِ قِصَّةُ عَيْنٍ يَتَطَرَّقُ إِلَيْهَا الِاحْتِمَالُ. وَعَارَضَ آخَرُونَ هَذَا
পৃষ্ঠা - ২৫৫৬
الْحَدِيثَ بِالْحَدِيثِ الْأَوَّلِ الَّذِي رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّ بِنْتَهُ عَلَى أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ بِمَهْرٍ جَدِيدٍ وَنِكَاحٍ جَدِيدٍ.» قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: هَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفٌ وَاهٍ وَلَمْ يَسْمَعْهُ الْحَجَّاجُ مِنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، إِنَّمَا سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيِّ، وَالْعَرْزَمِيُّ لَا يُسَاوِي حَدِيثُهُ شَيْئًا، وَالْحَدِيثُ الصَّحِيحُ الَّذِي رُوِيَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقَرَّهُمَا عَلَى النِّكَاحِ الْأَوَّلِ. وَهَكَذَا قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: لَا يَثْبُتُ هَذَا الْحَدِيثُ، وَالصَّوَابُ حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّهَا بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ فِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ، وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا أَسْلَمَتْ قَبْلَ زَوْجِهَا ثُمَّ أَسْلَمَ زَوْجُهَا أَنَّهُ أَحَقُّ بِهَا مَا كَانَتْ فِي الْعِدَّةِ، وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ، وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَالشَّافِعِيِّ، وَأَحْمَدَ، وَإِسْحَاقَ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلِ الظَّاهِرُ انْقِضَاءُ عِدَّتِهَا، وَمَنْ رَوَى أَنَّهُ جَدَّدَ لَهَا نِكَاحًا فَضَعِيفٌ، فَفِي قَضِيَّةِ زَيْنَبَ، وَالْحَالَةُ هَذِهِ، دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا أَسْلَمَتْ
পৃষ্ঠা - ২৫৫৭


আগেরামীর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হল ? একদল আলিম এ প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “হতে
পারে যয়নবের ইদ্দত তখনও পুর্ণ হয়নি ৷” কিন্তু এই সম্ভাবনা গ্রহণ করলে বিষয়টি যয়নবের
উপরে পড়ায় ৷ তারাীকৃতির উপর নিভরি করবে, ইদ্দত তখন শেষ হয়েছিল কি না ? অন্য এক
দল আলিম এই হড়াদীছের মুকাবিলায় প্রথমে উল্লিখিত হাদীছটি পেশ করেছেন যে হাদীছ ইমাম
আহমদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা হাজ্জাজ ইবন আরতাত থেকে, তিনি আমর ইবন ওআয়ব
থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তার
কন্যা (যয়নব)-কে নতুন ভাবে মহর নির্ধারণ করে ও নতুন করে বিবাহ পড়ায়ে আবুল আস
ইবন রবী’র নিকট ফিরিয়ে দেন ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীছকে দুর্বল ও অমুলক বলে আখ্যায়িত
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, হাজ্জাজ এ হাদীছ আমর ইবন শুআয়ব থেকে শ্রবণ করেননি, বরং
মুহাম্মদ ইবন উবায়দুল্লাহ্ আরযড়ামীর কাছ থেকে শুনেছেন ৷ আর আরযামীর বর্ণিত হাদীছ
মোটেই নির্ভরযোগ্য নয় ৷ সহীহ্ হাদীছ ঐটাই যা বর্ণনা করা হয়েছে যে, নবী করীম (সা)
যয়নবের প্রথম বিবাহ ঠিক রাখেন ৷ অনুরুপতাবে দাবাকুতনী বলেছেন, এ বর্ণনাটি প্রামাণ্য নয় ৷
ইবন আব্বাস প্রামাণ্য হাদীছে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যয়নবকে প্রথম বিবাহের
উপরই আবুল অড়াসের নিকট ফিরিয়ে দেন ৷ তিরমিযী বলেন, এ হাদীছের সনদ সমালোচনার
উরুর্ধ্ব নয় ৷ বিজ্ঞ অড়ালিমদের মতে কার্যকর পন্থা হচ্ছে ;; কাফিরামী-শ্ৰীর মধ্যে যদি শ্রী প্রথমে
ইসলাম গ্রহণ করে এবং ইদ্দত পালনকালোমীও মুসলমান হয়ে যায়, তবে ঐামীই এই শ্ৰীর
অধিক দাবীদার ৷ ইমাম মালিক, আওযাঈ, শাফিঈ , আহমদ ও ইসহাক এই মত পোষণ করেন ৷
অন্যরা বলেন : যয়নবের ইদ্দত শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল ৷ যিনি বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (না) যয়নবের বিবাহ নতুন ভাবে পড়িয়েছিলেন , তাদের বর্ণনা খুবই দুর্বল ৷ যয়নবের
এ ঘটনা থেকে দলীল গ্রহণ করে বলা হয়েছে যে, শ্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে আরামীর
ইসলাম গ্রহণ করতে বিলম্ব হয় এবং এতে ইদ্দতের সময় পার হয়ে যায় তবে শুধু এ কারণেই
বিবাহ ভেৎগে যাবে না; বরং ত্রীব ইখতিয়ার থাকবে ইচ্ছা করলে যে অন্য কাউকে বিবাহ
করতে পারবে এবং ইচ্ছা করলে যতদিন পারে বিবাহ হতে বিরত থেকোমীর ইসলাম গ্রহণের
অপেক্ষায় থাকবে ৷ যতদিন অন্য কাউকে বিবাহ না করবে, ততদিন যে ঐামীর-ই শ্রী হিসেবে
গণ্য হবে ৷ এ মতটি নিঃসন্দেহে যুক্তিসংগত, শক্তিশালী এবং ফিকহী দৃষ্টিতে মুল্যবান ৷ উক্ত
মতের দলীল হিসেবে বুখারী শরীফে “মুশরিক নারী মুসলমান হলে তার বিবাহ ও ইদ্দত”
শিরোনামে উল্লিখিত একটি হাদীছ গ্রহণ করা যায় ৷ ইমাম বুথারী বর্ণনা করেন, ইবরাহীম ইবন
মুসা ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও মু’মিনদের বিষয়ে মুশরিকদের
দৃ’ধ্রনের অবস্থান ছিল ৷ একদল ছিল হারবী মুশরিক ৷ তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন এবং
তারাও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত ৷ আর একদল ছিল চুক্তিবদ্ধ ঘুশরিক ৷ তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করতেন না এবং তারাও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত না ৷ হারবী মুশরিকদের কোন মহিলা যদি
(ঈমান এনে) হিজরত করে মদীনায় চলে আসত , তা হলে সে ঋতুমতী হয়ে পুনরায় পবিত্র না
হওয়া পর্যন্ত তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেয়া হত না ৷ পবিত্র হওয়ার পর তার সাথে বিবাহ বৈধ
হত ৷ তবে যদি অন্যের সাথে বিবাহের পুর্বেই তারামী হিজরত করে চলে আসত , তা হবে ঐ
মহিলাকে তার কাছেই ফিরিয়ে দেয়া হত ৷ আর যদি তাদের কোন দাস বা দাসী হিজরত করে


وَتَأَخَّرَ إِسْلَامُ زَوْجِهَا حَتَّى انْقَضَتْ عِدَّتُهَا فَنِكَاحُهَا لَا يَنْفَسِخُ بِمُجَرَّدِ ذَلِكَ، بَلْ تَبْقَى بِالْخِيَارِ، إِنْ شَاءَتْ تَزَوَّجَتْ غَيْرَهُ، وَإِنْ شَاءَتْ تَرَبَّصَتْ وَانْتَظَرَتْ إِسْلَامَ زَوْجِهَا أَيَّ وَقْتٍ كَانَ، وَهِيَ امْرَأَتُهُ مَا لَمْ تَتَزَوَّجْ، وَهَذَا الْقَوْلُ فِيهِ قُوَّةٌ، وَلَهُ حَظٌّ مِنْ جِهَةِ الْفِقْهِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَيُسْتَشْهَدُ لِذَلِكَ بِمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ حَيْثُ قَالَ: نِكَاحُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْمُشْرِكَاتِ وَعِدَّتُهُنَّ. حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا هِشَامٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ الْمُشْرِكُونَ عَلَى مَنْزِلَتَيْنِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُؤْمِنِينَ، كَانُوا مُشْرِكِي أَهْلِ حَرْبٍ يُقَاتِلُونَهُمْ وَيُقَاتِلُونَهُ، وَمُشْرِكِي أَهْلِ عَهْدٍ لَا يُقَاتِلُهُمْ وَلَا يُقَاتِلُونَهُ، وَكَانَ إِذَا هَاجَرَتِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ لَمْ تُخْطَبْ حَتَّى تَحِيضَ وَتَطْهُرَ، فَإِذَا طَهُرَتْ حَلَّ لَهَا النِّكَاحُ، فَإِنَّ هَاجَرَ زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَنْكِحَ رُدَّتْ إِلَيْهِ، وَإِنْ هَاجَرَ عَبْدٌ مِنْهُمْ أَوْ أَمَةٌ فَهُمَا حُرَّانِ وَلَهُمَا مَا لِلْمُهَاجِرِينَ، ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ أَهْلِ الْعَهْدِ مِثْلَ حَدِيثِ مُجَاهِدٍ. هَذَا لَفَظُهُ بِحُرُوفِهِ، فَقَوْلُهُ: فَكَانَ إِذَا هَاجَرَتِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ لَمْ تُخْطَبْ حَتَّى تَحِيضَ وَتَطْهُرَ. يَقْتَضِي أَنَّهَا كَانَتْ تَسْتَبْرِئُ بِحَيْضَةٍ، لَا تَعْتَدُّ بِثَلَاثَةِ قُرُوءٍ، وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا. وَقَوْلُهُ: فَإِنْ هَاجَرَ زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَنْكِحَ رُدَّتْ إِلَيْهِ. يَقْتَضِي أَنَّهُ، وَإِنْ هَاجَرَ بَعْدَ انْقِضَاءِ مُدَّةِ الِاسْتِبْرَاءِ وَالْعِدَّةِ، أَنَّهَا تُرَدُّ إِلَى زَوْجِهَا الْأَوَّلِ مَا لَمْ تَنْكِحْ زَوْجًا غَيْرَهُ، كَمَا هُوَ الظَّاهِرُ مِنْ قِصَّةِ زَيْنَبَ بِنْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ২৫৫৮
وَكَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مَنْ ذَهَبَ مِنَ الْعُلَمَاءِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.