السنة الثانية من الهجرة
ما وقع فيها من الأحداث
كتاب المغازي
غزوة بدر العظمى
فصل في وصول خبر مصاب أهل بدر إلى أهاليهم بمكة
পৃষ্ঠা - ২৪৮২
সময় নাজাশীর আশ্রয়ে আবিসিনিয়ায থাকতেন) ৷ সংবাদ পেয়ে তারা নাজাশীর দরবারে
উপস্থিত হন ৷ নজােশী তখন ঘরের মধ্যে পুরনো কাপড় পায়ে ফরাশ ছাড়া মাটিতে বসা
ছিলেন ৷ জাফর বলেন নাজাশীকে এ অবস্থায় দেখে আমরা তড়কে পেলাম ৷ আমাদের
চেহারায় ভীতির লক্ষণ দেখে তিনি বললেন আমি তােমাদেরকে এমন একটা সুসংবাদ দেব, যা
তোমাদের আনন্দ দান করবে ৷ তারপর বললেন, তোমাদের :দশ থেকে আমার এক গুপ্তচর
এসে বলেছে, আল্লাহ্ তার নবীকে সাহায্য করেছেন ৷ নবীর শত্রুদেরকে ধ্বংস করেছেন ৷ অমুক
অমুক বন্দী হয়েছে এবং অমুক অমুক নিহত হয়েছে ৷ পীল বৃহ্মে ঘেরা বদর উপত্যকায় তারা
শত্রুদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ৷ আমার চোখের সামনে যেন ঐ উপত্যকাটি ভাসছে ৷ কারণ,
এক সময় আমি সেখানে বনুযামরার আমার এক মুনীবের উট চরত্যেম ৷ জাফর (রা) বললেন,
আপনার কী হয়েছে ? পুরনো কাপড় গায়ে ফরাশ ছাড়া খালি মাটির উপরে বসে আছেন কেন ?
নজােশী বললেন, ঈস৷ (আ)-এর প্রতি অবতীর্ণ কিভাবে আমরা দেখেছি যে, বান্দ৷ যখন
আল্লাহর কোন নিআমতের কথা মানুষকে শুনাবে, তখন তার উচিত বিনয়েয় সঙ্গে শুনানাে ৷
আল্লাহ যেহেতু তার নবীকে সাহায্য করার সুযােপ আমাকে দিয়েছেন তাই আমি তার জন্যে
এরুপ বিনয় ভাব অবলম্বন করেছি ৷
অনুচ্ছেদ
বদরের বিপর্যয়ের সংবাদ মক্কায় পৌছল
ইবন ইসহাক বলেন : হায়সুমান ইবন আবদুল্লাহ থুযাঈ বদরে কুরায়শদের বিপর্যয়ের
ৎবাদ নিয়ে সর্বপ্রথম মক্কায় পৌছে ৷ লোকজন তার নিকট জিজ্ঞেস করল, ওখানকড়ার সংবাদ
কী ? সে বলল০ : উত্বা ইবন রাবীআ , শায়বা ইবন রাবীআ, আবুল হাকাম ইবন হিশাম,
উমাইয়৷ ইবন থালফ্, যামআ ইবন আসওয়াদ, নাবীহ, মুনাব্বিহ্ এবং আবুল বুখতারী ইবন
হিশাম এরা সকলেই নিহত হয়েছেন ৷ হায়সুমান যখন নিহত কুরায়শ নেতাদের নাম একে
একে বলে যাচ্ছিল, তখন সাফওয়ান ইবন উমাইয়৷ বলল, এ লোকটির যদি জ্ঞানবুদ্ধি ঠিক
থাকে, তবে ওকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর দেখি তখন তারা হায়সুমানকে জিজ্ঞেস করল
আচ্ছা সাফওয়ান ইবন উমা ইয়ার স০ বাদ কি ? হায়সুমান বলল, এই যে সে ৫৩ ত৷ হাতীমের মধ্যে
বসা আছে ৷ আল্লাহর কসম, আমি তার পিতা ও ভাইকে নিহত হতে ৩দেখেছি ৷ মুসা ইবন উকবা
বলেন০ বদরে পরাজয়ের স০ বাদ যখন মক্কায় পৌছল, তারা এর সত্যতা যাচাই করে দেখল ৷
এরপর মহিলারা তাদের মাথার চুল কেটে ফেলল এবং অনেক সওয়ারীও ঘোড়ার পা কেটে
দিল ৷ কাসিম ইবন ছাবিত রচিত দ ৷লায়েল গ্রন্থের বরাতে সুহায়লী উল্লেখ করেছেন০ : বদরের
যুদ্ধ চলাকালে মক্কাবাসীর৷ শুনতে পায়, এক অদৃশ্য জিন বলে যাচ্ছে :
(কবিতা)
এ ১
মক্কার হ নীফী বলে দাবীদার কুরায়শরা বদর রণ ৎগনে এমন এক ঘটনার সমম্মুখীন হল,
যার প্রভাবে অচিরেই কিসরা ও কায়সারের সিং হাসন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ৷
[فَصْلٌ فِي وُصُولِ خَبَرِ مُصَابِ أَهْلِ بَدْرٍ إِلَى أَهَالِيهِمْ بِمَكَّةَ]
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ مَكَّةَ بِمُصَابِ قُرَيْشٍ الْحَيْسُمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، فَقَالُوا لَهُ: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ: قُتِلَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَبُو الْحَكَمِ بْنُ هِشَامٍ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَزَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَنُبَيْهٌ وَمُنَبِّهٌ ابْنَا الْحَجَّاجِ، وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ بْنُ هِشَامٍ. فَلَمَّا جَعَلَ يُعَدِّدُ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ، قَالَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ: وَاللَّهِ إِنْ يَعْقِلُ هَذَا، فَسَلُوهُ عَنِّي. فَقَالُوا: مَا فَعَلَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ؟ قَالَ: هُوَ ذَاكَ جَالِسًا فِي الْحِجْرِ، قَدْ وَاللَّهِ رَأَيْتُ أَبَاهُ وَأَخَاهُ حِينَ قُتِلَا.
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَلَمَّا وَصَلَ الْخَبَرُ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ وَتَحَقَّقُوهُ قَطَّعَتِ النِّسَاءُ شُعُورَهُنَّ، وَعُقِرَتْ خُيُولٌ كَثِيرَةٌ وَرَوَاحِلُ.
وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ عَنْ كِتَابِ " الدَّلَائِلِ " لِقَاسِمِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّهُ قَالَ: لَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ بَدْرٍ سَمِعَ أَهْلُ مَكَّةَ هَاتِفًا مِنَ الْجِنِّ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ২৪৮৩
সে ঘটনা লুআই বংশীয় পুরুষদেরকে ধ্বংস করে দিল, আর লজ্জাশীল মহিলারা বেরিয়ে
এসে অনুশোচনায় বুক চাপড়াতে থাকল ৷
বড়ই দুর্তাগা সে যে মুহাম্মদের শক্রতে পরিণত হয়েছে ৷ সুপথের ইচ্ছা পরিত্যাগ করে সে
জুলুম করেছে ও হতাশায় ভুগছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন ও হুসাইন ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসের আযাদকৃত দাস ইকরিমা
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত দাস আবু রাফি’ বর্ণনা করেছেন,
আমি আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবের গোলাম ছিলাম ৷ আব্বাস পরিবারে ইসলামের প্রবেশ
ঘটল ৷ ফলে আব্বাস তার শ্রী উম্মুল ফযল ও আমি ইসলাম গ্রহণ করি ৷ আব্বাস তার
সম্প্রদায়কে ভয় করতেন, তাদের বিরোধিতা অপসন্দ করতেন এবং নিজের ইসলাম গ্রহণের
ব্যাপারটা গোপন করে রাখতেন ৷ তিনি ছিলেন অগাধ সম্পদের মালিক ৷ নিজ সম্প্রদায়ের
লোকদের মাঝে তার মাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ৷ আবু লাহাব বদর যুদ্ধে নিজে অংশগ্রহণ না
করে তার স্থলে আস ইবন হিশাম ইবন মুপীরাকে প্রেরণ করে ৷ এ ভাবে কুরায়শদের মধ্যে যারা
স্বয়ং যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি, তারা নিজেদের স্থলে একজন করে লোক পাঠায় ৷ এরপর বদর
যুদ্ধে কুরায়শদের গোচনীয় পরাজয়ের সংবাদ যখন মক্কায় পৌছে, তখন আল্লাহ আবু লাহড়াবকে
লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেন ৷ পক্ষান্তরে আমরা অন্তরে শক্তি ও মর্যাদা অনুভব করি ৷ আবু রাফি
বলেন, আমি ছিলাম দুর্বল প্রকৃতির লোক ৷ আমার পেশা ছিল তীর বানান ৷ যমযম কুপের পাশে
একটি র্তাবুতে বলে আমি তীর ৰানাবার কাঠ চাছতাম ৷ একদিন আমি সেখানে বসে তীর
বানানোর কাজ করছিলাম ৷
উম্মুল ফযল তখন আমার কাছে বসা ছিলেন ৷ বদর যুদ্ধের সংবাদ পেয়ে আমরা
আত্মতৃপ্তিবোধ করছিলাম ৷ এমন সময় আবু লাহড়াব খুব খারাপ অবস্থায় দু’পা টেনে-হেচড়িয়ে
সেখানে আসলাে এবং র্তাবৃর একটি টানা রশির কাছে আমার পিঠের দিকে পিঠ ফিরিয়ে
বসলো ৷ আবু লাহাবের বসার কিছুক্ষণ পর লোকেরা বলল, এই তো আবু সুফিয়ান তার
আসল নাম ছিল মুগীরা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব১ এসে গেছে ৷ তখন আবু লাহাব
তাকে বলল, আমার কাছে এলো! তুমি তো সব খবরই জান ৷ সে আবু লাহাবের কাছে গিয়ে
বসলো ৷ আর সব লোক পাশে দাড়িয়ে থাকল ৷ আবু লাহাব তাকে বলল, ভাতিজা! সেখানকার
ঘটনা কী খুলে বল ! সে বলল, আল্লাহর কসম৷ ঘটনা আর বেশী কিছু না ৷ আমরা যখন
মুসলমানদের মুকাবিলায় গেলাম , তখন মনে হল যেন আমরা আমাদের গর্দান তাদের হাতে
সপে দিয়েছি ৷ আর তারা যেমন ইচ্ছা আমাদের কচুকাটা করেছে এবং যেমন ইচ্ছা আমাদের
বন্দী করেছে এতদসত্বেও আল্লাহ্র কসম, আমি আমাদের লোকদের তিরল্কার করি না ৷ কারণ,
আমরা তখন আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে ধুসর বর্ণের ঘোড়ার উপর অসংখ্য শুভ্র রঙের সৈন্য
দেখেছি ৷ আল্লাহর কসম, তারা কাউকে ছাড় দেয়নি এবং কেউ তাদের সামনে টিকতে পারেনি ৷
১ ইনি সে মশহুর কুরায়শ নেতা আবুসুফিয়ান নন ৷
أَزَارَ الْحَنِيفِيُّونَ بَدْرًا وَقِيعَةً ... سَيَنْقَضُّ مِنْهَا رُكْنُ كِسْرَى وَقَيْصَرَا
أَبَادَتْ رِجَالًا مِنْ لُؤَيٍّ وَأَبْرَزَتْ ... خَرَائِدَ يَضْرِبْنَ التَّرَائِبَ حُسَّرَا
فَيَا وَيْحَ مَنْ أَمْسَى عَدُوَّ مُحَمَّدٍ ... لَقَدْ جَارَ عَنْ قَصْدِ الْهُدَى وَتَحَيَّرَا
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ أَبُو رَافِعٍ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنْتُ غُلَامًا لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ الْإِسْلَامُ قَدْ دَخَلَنَا أَهْلَ الْبَيْتِ، فَأَسْلَمَ الْعَبَّاسُ، وَأَسْلَمَتْ أُمُّ الْفَضْلِ، وَأَسْلَمْتُ، وَكَانَ الْعَبَّاسُ يَهَابُ قَوْمَهُ وَيَكْرَهُ خِلَافَهُمْ، وَكَانَ يَكْتُمُ إِسْلَامَهُ، وَكَانَ ذَا مَالٍ كَثِيرٍ مُتَفَرِّقٍ فِي قَوْمِهِ، وَكَانَ أَبُو لَهَبٍ قَدْ تَخَلَّفَ عَنْ بَدْرٍ فَبَعَثَ مَكَانَهُ الْعَاصَ بْنَ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، وَكَذَلِكَ كَانُوا صَنَعُوا، لَمْ يَتَخَلَّفْ رَجُلٌ إِلَّا بَعَثَ مَكَانَهُ رَجُلًا، فَلَمَّا جَاءَهُ الْخَبَرُ عَنْ مُصَابِ أَصْحَابِ بَدْرٍ مِنْ قُرَيْشٍ، كَبَتَهُ اللَّهُ وَأَخْزَاهُ، وَوَجَدْنَا فِي أَنْفُسِنَا قُوَّةً وَعِزًّا. قَالَ: وَكُنْتُ رَجُلًا ضَعِيفًا، وَكُنْتُ أَعْمَلُ الْأَقْدَاحَ أَنْحِتُهَا فِي حُجْرَةِ زَمْزَمَ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَجَالِسٌ فِيهَا أَنْحِتُ أَقْدَاحِي، وَعِنْدِي أُمُّ الْفَضْلِ جَالِسَةٌ، وَقَدْ سَرَّنَا مَا جَاءَنَا مِنَ الْخَبَرِ، إِذْ أَقْبَلَ أَبُو لَهَبٍ يَجُرُّ رِجْلَيْهِ بَشَرٍّ، حَتَّى جَلَسَ عَلَى طُنُبِ الْحُجْرَةِ، فَكَانَ ظَهْرُهُ إِلَى ظَهْرِي، فَبَيْنَا هُوَ جَالِسٌ إِذْ قَالَ
পৃষ্ঠা - ২৪৮৪
النَّاسُ: هَذَا أَبُو سُفْيَانَ - وَاسْمُهُ الْمُغِيرَةُ - ابْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَدْ قَدِمَ. قَالَ: فَقَالَ أَبُو لَهَبٍ: هَلُمَّ إِلَيَّ، فَعِنْدَكَ لَعَمْرِي الْخَبَرُ. قَالَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ وَالنَّاسُ قِيَامٌ عَلَيْهِ فَقَالَ: يَا بْنَ أَخِي، أَخْبِرْنِي كَيْفَ كَانَ أَمْرُ النَّاسِ؟ قَالَ: وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ لَقِينَا الْقَوْمَ فَمَنَحْنَاهُمْ أَكْتَافَنَا يَقْتُلُونَنَا كَيْفَ شَاءُوا، وَيَأْسِرُونَنَا كَيْفَ شَاءُوا، وَايْمُ اللَّهِ مَعَ ذَلِكَ مَا لُمْتُ النَّاسَ، لَقِينَا رِجَالًا بِيضًا عَلَى خَيْلٍ بُلْقٍ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَاللَّهِ مَا تُلِيقُ شَيْئًا وَلَا يَقُومُ لَهَا شَيْءٌ. قَالَ أَبُو رَافِعٍ: فَرَفَعْتُ طُنُبَ الْحُجْرَةِ بِيَدِي ثُمَّ قُلْتُ: تِلْكَ وَاللَّهِ الْمَلَائِكَةُ. قَالَ: فَرَفَعَ أَبُو لَهَبٍ يَدَهُ فَضَرَبَ وَجْهِي ضَرْبَةً شَدِيدَةً. قَالَ: وَثَاوَرْتُهُ، فَاحْتَمَلَنِي وَضَرَبَ بِي الْأَرْضَ، ثُمَّ بَرَكَ عَلَيَّ يَضْرِبُنِي، وَكُنْتُ رَجُلًا ضَعِيفًا، فَقَامَتْ أُمُّ الْفَضْلِ إِلَى عَمُودٍ مِنْ عُمُدِ الْحُجْرَةِ فَأَخَذَتْهُ، فَضَرَبَتْهُ بِهِ ضَرْبَةً فَلَعَتْ فِي رَأْسِهِ شَجَّةً مُنْكَرَةً، وَقَالَتْ: أَسْتَضْعَفْتَهُ أَنْ غَابَ عَنْهُ سَيِّدُهُ؟ فَقَامَ مُوَلِّيًا، ذَلِيلًا فَوَاللَّهِ مَا عَاشَ إِلَّا سَبْعَ لَيَالٍ حَتَّى رَمَاهُ اللَّهُ بِالْعَدَسَةِ فَقَتَلَتْهُ. زَادَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: فَلَقَدْ تَرَكَهُ ابْنَاهُ بَعْدَ مَوْتِهِ ثَلَاثًا، مَا دَفَنَاهُ حَتَّى أَنْتَنَ، وَكَانَتْ قُرَيْشٌ تَتَّقِي هَذِهِ الْعَدَسَةَ كَمَا تَتَّقِي الطَّاعُونَ، حَتَّى قَالَ لَهُمَا رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ: وَيْحَكُمَا، أَلَا تَسْتَحِيَانِ! إِنَّ أَبَاكُمَا قَدْ أَنْتَنَ فِي بَيْتِهِ، لَا تَدْفِنَانِهِ؟! فَقَالَا: إِنَّا
পৃষ্ঠা - ২৪৮৫
আবু রাফি’ বলেন, আমি হাত দিয়ে র্তাবুর রশি উচু করে বললাম, আল্লাহর কসম , তারা তো
ছিলেন ফেরেশতা ৷ এ কথা বলংতই আবুলাহাব আমার মুখে এক থাপ্পড় মারলাে ৷ আমিও তার
উপর ক্ষেপে উঠলাম ৷ এরপর সে আমাকে উপরে তুলে ধরে মাটিতে আছাড় মারলাে এবং
আমার বুকের উপর বসে আমাকে আঘাত করতে লাগলো ৷ আমি ছিলাম দৈহিক দিক দিয়ে
দুর্বল এ সময় উম্মুল ফযল র্তাবুর একটি খুটি তুলে নিয়ে আবু লাহাবের মাথায় আঘাত করেন ৷
এতে তার মাথা গুরুতরভাবে যখম হয় ৷ উম্মুল ফযল আরও বললেন, আবু রাফি’র মুনীর
এখানে নেই বলে তাকে দুর্বল ভেবেছ ? এরপর আবু লাহাব সেণ্ ৰুস থেকে লাঞ্ছিতঅপমানিত
হয়ে চলে গেল ৷ আল্লাহর কসম, এখান থেকে চলে যাওয়ার পর তার শরীরে এক প্রকার ফোস্কা
(বসন্ত) ওঠে এবং তাতেই সে সাত দিনের মধ্যে মারা যায় ৷
ইবন ইসহাক থেকে ইউনুস আরো বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র তাকে
দাফন না করে তিন দিন পর্যন্ত ফেলে রাখে ৷ লাশে পচন ধরে ৷ ক্রায়শরা বসন্ত রোগকে প্লেগ
রোগের মত ভয় পেত ৷ অবশেষে জনৈক কুরায়শী আবু লাহাবের পুত্রদ্বয়কে বললাে ৷ তোমরা
কি হভ্রভাগ্য নির্লজ্জ! তোমাদের পিতার লাশ ঘরের মধ্যে পচে যাচ্ছে ৷ অথচ তোমরা তাকে
দাফন করছ না ৷ তারা বলল, এই রোগ ছেদ্বয়াচে বলে আমাদের ভয় হচ্ছে ৷ সে বলল, তোমরা
চল, আমি তোমাদের সহযোগিতা করব ৷ আল্লাহ্র কসম, তারা লাশের কাছেও গেল না,
গোসলও করলে না; বরং দুর থেকে পানি ছিটিয়ে দিল ৷ এরপর মক্কার উচ্চ ভুমিতে নিয়ে একটি
প্রাচীরের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রাখে ৷ ইউনুস ইবন ইসহাকের সুত্রে হযরত যুবায়র থেকে
বর্ণনা করেন যে, অইিশা (রা) আবু লাহাবের এই বাড়ি অতিক্রমকালে কাপড় দ্বারা নিজেকে
ভালভাবে আবৃত করে নিতেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আমাকে ইয়াহ্ইয়া ইবন আব্বাদ বলেছেন, কুরায়শরা তাদের নিহত
লোকজনের জন্যে কিছু দিন বিলাপ করে ৷ পরে এ কথা বলে লোকেদের বিলাপ করতে ধারণ
করে যে, মুহাম্মদ ও তার সাথীরা জানতে পারলে তােমাদেরকে ভর্মুসনা করবে ৷ তারা
কুরায়শদেরকে আরও বলে দিল যে, মুসলমানদের সাথে যোগাযোগ না হওয়া পর্যন্ত বন্দী যুক্ত
করার জন্যে কাউকে মদীনায় পাঠিও না ৷ তা না হলে মুহাম্মদ ও তার সাথীরা মুক্তিপণের
পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেবে ৷ বন্তুত এটা ছিল তাদের উপর আল্লাহর দেয়া শাস্তির চুড়ান্ত অবস্থা ৷
অর্থাৎ নিহতদের জন্যে র্কাদা ও পােকতাপ প্রকাশ বন্ধ রাখা ৷ কেননা, মৃত ব্যক্তির জন্যে
কান্নাকাটি করলে গোকাহত ব্যক্তির হৃদয় অনেকটা শান্ত হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন : বদর যুদ্ধে
আসওয়াদ ইবন যুত্তালিবের তিন পুত্র নিহত হয় ৷ তারা হল যামআ, আকীল ও হারিছ ৷ সে তার
পুএদের শোকে কান্নকােটি করতে চাচ্ছিল ৷ সে এরুপ চিন্তা-ভাবনা করছিল এমন সময় গভীর
রাতে এক গোকাহত নারীর বিলাপধ্বনি তার কানে ভেসে আসে ৷ আসওয়াদ ছিল অন্ধ ৷ তাই
সে তার এক ভৃত্যকে বলল, যাও তো দেখে এসো উটচ্চ৪স্বরে বিলাপ করার অনুমতি দেয়া
হয়েছে কি না ? জেনে এসো, কুরায়শরা তাদের নিহতদের উপর বিলাপ করছে কিনা : তা হলে
نَخْشَى عَدْوَى هَذِهِ الْقُرْحَةِ. فَقَالَ: انْطَلِقَا فَأَنَا أُعِينُكُمَا عَلَيْهِ. فَوَاللَّهِ مَا غَسَّلُوهُ إِلَّا قَذْفًا بِالْمَاءِ عَلَيْهِ مِنْ بَعِيدٍ، مَا يَدْنُونَ مِنْهُ، ثُمَّ احْتَمَلُوهُ إِلَى أَعْلَى مَكَّةَ، فَأَسْنَدُوهُ إِلَى جِدَارٍ ثُمَّ رَضَمُوا عَلَيْهِ بِالْحِجَارَةِ.
قَالَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا كَانَتْ لَا تَمُرُّ عَلَى مَكَانِ أَبِي لَهَبٍ هَذَا إِلَّا تَسَتَّرَتْ بِثَوْبِهَا حَتَّى تَجُوزَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: نَاحَتْ قُرَيْشٌ عَلَى قَتْلَاهُمْ، ثُمَّ قَالُوا لَا تَفْعَلُوا فَيَبْلُغَ مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ فَيَشْمَتُوا بِكُمْ، وَلَا تَبْعَثُوا فِي أَسْرَاكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنُوا بِهِمْ، لَا يَأْرَبُ عَلَيْكُمْ مُحَمَّدٌ وَأَصْحَابُهُ فِي الْفِدَاءِ.
قُلْتُ: وَكَانَ هَذَا مِنْ تَمَامِ مَا عَذَّبَ اللَّهُ بِهِ أَحْيَاءَهُمْ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ، وَهُوَ تَرْكُهُمُ النَّوْحَ عَلَى قَتْلَاهُمْ، فَإِنَّ الْبُكَاءَ عَلَى الْمَيِّتِ مِمَّا يُبِلُّ فُؤَادَ الْحَزِينِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ الْأَسْوَدُ بْنُ الْمُطَّلِبِ قَدْ أُصِيبَ لَهُ ثَلَاثَةٌ مِنْ وَلَدِهِ،
পৃষ্ঠা - ২৪৮৬
زَمْعَةُ، وَعَقِيلٌ، وَالْحَارِثُ، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يَبْكِيَ عَلَى بَنِيهِ. قَالَ: فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعَ نَائِحَةً مِنَ اللَّيْلِ، فَقَالَ لِغُلَامٍ لَهُ، وَكَانَ قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ: انْظُرْ هَلْ أُحِلَّ النَّحْبُ؟ هَلْ بَكَتْ قُرَيْشٌ عَلَى قَتْلَاهَا؟ لَعَلِّي أَبْكِي عَلَى أَبِي حَكِيمَةَ - يَعْنِي وَلَدَهُ زَمْعَةَ - فَإِنَّ جَوْفِي قَدِ احْتَرَقَ. قَالَ: فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهِ الْغُلَامُ قَالَ: إِنَّمَا هِيَ امْرَأَةٌ تَبْكِي عَلَى بَعِيرٍ لَهَا أَضَلَّتْهُ. قَالَ: فَذَاكَ حِينَ يَقُولُ الْأَسْوَدُ:
أَتَبْكِي أَنْ أَضَلَّ لَهَا بَعِيرٌ ... وَيَمْنَعُهَا مِنَ النَّوْمِ السُّهُودُ
فَلَا تَبْكِي عَلَى بَكْرٍ وَلَكِنْ ... عَلَى بَدْرٍ تَقَاصَرَتِ الْجُدُودُ
عَلَى بَدْرٍ سَرَاةِ بَنِي هُصَيْصٍ ... وَمَخْزُومٍ وَرَهْطِ أَبِي الْوَلِيدِ
وَبَكِّي إِنْ بَكَيْتِ عَلَى عَقِيلٍ ... وَبَكِّي حَارِثًا أَسَدَ الْأُسُودِ
وَبَكِّيهِمْ وَلَا تَسَمِي جَمِيعًا ... وَمَا لِأَبِي حَكِيمَةَ مِنْ نَدِيدِ
أَلَا قَدْ سَادَ بَعْدَهُمُ رِجَالٌ ... وَلَوْلَا يَوْمُ بَدْرٍ لَمْ يَسُودُوا