আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

مقتل النضر بن الحارث وعقبة بن أبي معيط لعنهما الله
পৃষ্ঠা - ২৪৭৪
[مَقْتَلُ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ لَعَنَهُمَا اللَّهُ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَتَّى إِذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّفْرَاءِ قُتِلَ النَّضْرُ بْنُ الْحَارِثِ، قَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، كَمَا أَخْبَرَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مَنْ أَهْلِ مَكَّةَ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِعِرْقِ الظُّبْيَةِ قَتَلَ عُقْبَةَ بْنَ أَبِي مُعَيْطٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «فَقَالَ عُقْبَةُ حِينَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِهِ: فَمَنْ لِلصِّبْيَةِ يَا مُحَمَّدُ؟ قَالَ: النَّارُ» . وَكَانَ الَّذِي قَتَلَهُ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، كَمَا حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ. وَكَذَا قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ "، وَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَقْتُلْ مِنَ الْأُسَارَى أَسِيرًا غَيْرَهُ. قَالَ: وَلَمَّا أَقْبَلَ إِلَيْهِ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، عَلَامَ أُقْتَلُ مِنْ بَيْنِ مَنْ هَاهُنَا؟ قَالَ: عَلَى عَدَاوَتِكَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: «لَمَّا أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ২৪৭৫


ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন সাফরা নামক স্থানে পৌছেন, তখন নযর ইবন
হারিছকে হত্যা করা হয় ৷ মক্কার কয়েকজন আলিমের ভাষ্য অনুযায়ী হযরত আলী ইবন আবু
তালিব৩ তাকে হত্যা করেছিলেন ৷ এরপর সেখান থেকে অগ্রসর হয়ে আরকুব যাবিয়াং৩ ’ পৌছে
উক্বা ইবন আবু মুআয়তকে হত্যা করা হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন০ ,উক্বাকে হত্যা করার
নির্দেশ দিলে সে রাসুলুল্পাহ্কে বলেছিল, হে মুহাম্মদ ! আমার ছোট ছেলেমেয়েদের দেখার জন্যে
কে রইল ? তিনি বললেন, আগুন’ ৷ আবু উবায়দা ইবন মুহাম্মদ ইবন আম্মার ইবন ইয়াসিরের
বর্ণনা মতে বনী আমব ইবন আওফ গোত্রের আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবুল আফলাহ্
উক্বাকে হত্যা করেন ৷ মুসা ইবন উক্বা তার মাগাযী গ্রন্থে এ কথাই বলেছেন ৷ তিনি আরও
বলেছেন যে, উক্বা ব্যতীত অন্য কোন বন্দীকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হত্যা করেননি ৷ বর্ণনাকাবী
বলেন, আসিম ইবন ছাবিত উক্বাকে হত্যা করার জন্যে যখন অগ্রসর হলেন, তখন সে
বলেছিল, হে কুরায়শ জনগণ ! এখানে যতগুলাে লোক আছে, তাদের মধ্য হতে আমাকে কেন
হত্যা করা হচ্ছে ? আসিম বললেন, আল্লাহ্ ও তীর রাসুলের ন্০ান্খ শত্রুত৷ করার কারণে ৷
হাম্ম৷ দ ইবন সালামা আ৩ ৷ ইবন সারির, শা বী থেকে বর্ণনা কা;রন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন
উক্বাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন, তখন সে বলেছিল , মুহাম্মদ ! আ ৷মি একজন কৃরায়শী হওয়া
সত্বেও আমাকে হত্যা করছ ? তিনি বললেন, হী৷ ৷ এরপর সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বললেন ?;
তোমরা কি জান, এ লোক আমার সাথে কী আচরণ করেছে ? এক দিনের ঘটনা, আমি মাকামে
ইবরাহীমের পাশে সালাতে সিজদারত ছিলাম ৷ এ অবস্থায় সে আমার ঘাড়ে পা রেখে সজােরে
চাপ দিতে থাকে ৷ অব্যাহত চাপে মনে হচ্ছিল এখনই আমার চোখ দু’টি ফেটে বেরিয়ে যাবে ৷
আর একদিন সিজদারত অবস্থায় সে ছাগলের নাড়িভুড়ি এনে আমার মাথার উপর রেখে দেয় ৷
পরে আমার মেয়ে ফাতিম৷ এসে সেগুলো ফেলে দিয়ে আমার মাথা ধুয়ে দেয়৷ ইবন হিশাম
বলেন, যুহরী প্রমুখ আলিমপণের বর্ণনা মতে, হযরত আলী ইবন আবু৩ তালিব উক্বাকে হত্যা
করেছিলেন ৷

বন্তুত এই দুই ব্যক্তি ছিল অ৩ ত্যম্ভ জঘন্য প্রকৃতির ৷ অন্যদের তুলনায় কুফরী কাজে
হিংসাবি দ্বেষ, শত্রুতা, বাড়াবাড়ি এবং ইসলাম ও মুসলমানদের কুৎস৷ রটনায় সব চ ইতে
অগ্রগামী ৷ ইবন হিশাম বলেনষ্ক নযর ইবন হারিছের মৃত্যুতে তার বোন কুতায়ল৷ বিনত হারিছ
কবিতার মাধ্যমে বিলাপ করে রলেছিল :
-এষ্টুব্লুটুন্
হে আরোহী! আহীল উপত্যকা সম্পর্কে আমি পাচ দিন ধরে দুশ্চিন্তায় ভুগছি ৷ আর তোমার
আগমন আমার যে দৃশ্চিন্তাকে নিশ্চিত করে দিল ৷

তথায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিকে আমার আশীর্বাদ পৌছিয়ে দাও, যাতে তথাকার শরীফ
লোকেরা বঞ্চিত না হয় ৷

(হে ভ্রাতা !) আমার পক্ষ থেকে তোমার প্রতি আশীর্বাদ রইল ৷ তোমার জন্যে অশ্রু
প্রবাহিত হচ্ছে ৷ একবার অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে, আর একবার বন্ধ হচ্ছে ৷


النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِ عُقْبَةَ، قَالَ: أَتَقْتُلُنِي يَا مُحَمَّدُ مِنْ بَيْنِ قُرَيْشٍ؟ قَالَ: نَعَمْ! أَتَدْرُونَ مَا صَنَعَ هَذَا بِي؟ جَاءَ وَأَنَا سَاجِدٌ خَلْفَ الْمَقَامِ فَوَضَعَ رَجْلَهُ عَلَى عُنُقِي وَغَمَزَهَا، فَمَا رَفَعَهَا حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّ عَيْنَيَّ سَتَنْدُرَانِ، وَجَاءَ مَرَّةً أُخْرَى بِسَلَى شَاةٍ فَأَلْقَاهُ عَلَى رَأْسِي وَأَنَا سَاجِدٌ، فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَغَسَلَتْهُ عَنْ رَأْسِي.» قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: بَلْ قَتَلَ عُقْبَةَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فِيمَا ذَكَرَهُ الزُّهْرِيُّ وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ. قُلْتُ: كَانَ هَذَانِ الرَّجُلَانِ مِنْ شَرِّ عِبَادِ اللَّهِ، وَأَكْثَرِهِمْ كُفْرًا، وَعِنَادًا، وَبَغْيًا، وَحَسَدًا، وَهِجَاءً لِلْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، لَعَنَهُمَا اللَّهُ، وَقَدْ فَعَلَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَقَالَتْ قُتَيْلَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، أُخْتُ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ فِي مَقْتَلِ أَخِيهَا: يَا رَاكِبًا إِنَّ الْأُثَيْلَ مَظِنَّةٌ ... مِنْ صُبْحِ خَامِسَةٍ وَأَنْتَ مُوَفَّقُ أَبْلِغْ بِهَا مَيْتًا بِأَنَّ تَحِيَّةً ... مَا إِنْ تَزَالُ بِهَا النَّجَائِبُ تَخْفِقُ مِنِّي إِلَيْكَ وَعَبْرَةً مَسْفُوحَةً ... جَادَتْ بِوَاكِفِهَا وَأُخْرَى تَخْنُقُ
পৃষ্ঠা - ২৪৭৬
هَلْ يَسْمَعَنَّ النَّضْرُ إِنْ نَادَيْتُهُ أَمْ كَيْفَ يَسْمَعُ مَيِّتٌ لَا يَنْطِقُ ... أَمُحَمَّدٌ يَا خَيْرَ ضِنْءِ كَرِيمَةٍ مِنْ قَوْمِهَا وَالْفَحْلُ فَحْلٌ مُعْرِقُ ... مَا كَانَ ضَرَّكَ لَوْ مَنَنْتَ وَرُبَّمَا مَنَّ الْفَتَى وَهُوَ الْمَغِيظُ الْمُحْنَقُ ... أَوْ كُنْتَ قَابِلَ فِدْيَةٍ فَلَيُنْفَقَنْ بِأَعَزِّ مَا يَغْلُو بِهِ مَا يُنْفِقُ ... وَالنَّضْرُ أَقْرَبُ مَنْ أَسَرْتَ قَرَابَةً وَأَحَقُّهُمْ إِنْ كَانَ عِتْقٌ يُعْتَقُ ... ظَلَّتْ سُيُوفُ بَنِي أَبِيهِ تَنُوشُهُ لِلَّهِ أَرْحَامٌ هُنَالِكَ تُشْقَقُ ... صَبْرًا يُقَادُ إِلَى الْمَنِيَّةِ مُتْعَبًا رَسْفَ الْمُقَيَّدِ وَهْوَ عَانٍ مُوثَقُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَلَغَهُ هَذَا الشِّعْرُ قَالَ: لَوْ بَلَغَنِي هَذَا قَبْلَ قَتْلِهِ لَمَنَنْتُ عَلَيْهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ تَلَقَّى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْمَوْضِعِ أَبُو هِنْدٍ مَوْلَى فَرْوَةَ بْنِ عَمْرٍو الْبَيَاضِيُّ حَجَّامُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَمَعَهُ زِقٌّ مَمْلُوءٌ حَيْسًا وَهُوَ التَّمْرُ وَالسَّوِيقُ بِالسَّمْنِ - هَدِيَّةً لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَبِلَهُ مِنْهُ، وَوَصَّى بِهِ الْأَنْصَارَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ قَبْلَ
পৃষ্ঠা - ২৪৭৭


আমি যদি নযরকে ডাকি, তবে সে কি আমার ডাক শুনবে ? যে মারা গেছে কথা বলতে
পারে না , সে কি করে ডাক শুনবে :

হে মুহাম্মদ! হে আপন জাতির সস্রান্ত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান ! ঐতিহ্যগতভাবে যে সল্লাম্ভ হয়,
দ্ভুসই প্রকৃত সম্রান্ত ৷
আপনি যদি তার উপর করুণা দেখাতেন, তাতে আপনার কি এমন ক্ষতি হত : অনেক
ক্ষেত্রেই তো দেখা যায়, একজন ক্রোধা ত বিদ্বেষপরায়ণ যুবক তার প্ৰতিপক্ষের উপর করুণা
করে থাকে ৷

অথবা আপনি তার মুক্তিপণ গ্রহণ করতেন ৷ কষ্ট করে হলেও তার জন্যে সর্বোচ্চ হারে
মুক্তিপণ আদায় করে দেয়া হত ৷

আপনি যাদেরকে বন্দী করেছিলেন, তাদের মধ্যে নযর তাে ছিল আপনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ৷
বন্দীদের মধ্যে যদি কাউকে মুক্তি দেয়া হয়, তবে নযর ছিল তাদের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার
সৰ্বাধিক দাবীদার ৷

নিজের গোত্রীয় সন্তানদের তরবারি তাকে আঘাত হড়ানছিল এবং রক্তের সম্পর্ক সেখানে
আল্লাহ্র হুকুমে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ছিল ৷ তাকে হাত-পা রাখা ও বেড়ি পরান অবস্থায়
টোন-হেচড়ে বধ্য-ভুমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ (হে কুতড়ায়লা তুমি ধৈর্য ধারণ কর ৷)

ইবন হিশাম বলেন : কথিত আছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট যখন এ কবিতা পৌছে,
তখন তিনি বলেছিলেন, তাকে হত্যা করার আগে যদি আমার কাছে এ কবিতা পৌছতো, তবে
তার উপর করুণা দেখাতাম ৷

ইবন ইসহা ক বলেন : এ স্থানে (আরকুয্-যাবিয়া) ফারওয়া ইবন আমর আল-বায়াযি’র
আযাদকৃত দাস, রাসুলুল্লাহ্র ফৌরকড়ার আবু হিন্দ এসে তীর সাথে সাক্ষাত করে ৷ সে মদের
একটি মশকে হড়ায়স’ (থুরমা, ছাতু ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার খাবার) ভর্তি করে রাসুলুল্লাহ্র
জন্যে হাদিয়া এনেছিল ৷ রাসুলুল্পাহ্ তা গ্রহণ করলেন এবং তার সাথে উত্তম ব্যবহার করার
জন্যে আনসারদেরকে নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাত্রা শুরু
করেন এবং যুদ্ধবন্দীদের মদীনা পৌছার একদিন আগেই তিনি সেখানে পৌছেন ৷ ইবন ইসহড়াক
বলেন : আরদুদ-দার গোত্রের নড়াবীহ্ ইবন ওয়াহব আমাকে বলেছেন যে, যুদ্ধবন্দীরা মদীনা
পৌছে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে সাহাবীদের মধ্যে বণ্টন করে দেন এবং বলে দেন
“ওদের সাথে তোমরা উত্তম আচরণ করবে ৷” বর্ণনাকারী বলেন, যুসআব ইবন উমায়রের
সহােদর ভইি আবু আযীয ইবন উমায়র ইবন হাশিম বন্দীদের মধ্যে ছিল ৷ আবু আযীয বলে ,
আমার ভইি ঘুসআব ইবন উমায়র আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ৷ এ সময় একজন আনসারী
আমাকে বন্দী করে রেখেছিল ৷ তখন মুসআব তাকে বলল, একে শক্ত করে বেধে তোমার কাছে
রেখে দাও ৷ তার মা একজন সম্পদশালী মহিলা ৷ হয়ত বা মুক্তিপণ দিয়ে তোমার নিকট থেকে
ওকে ছাড়িয়ে নেবে ৷ আবু আযীয বলে, বদর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে আমি একদল আনসারের
সাথে ছিলাম ৷ আমাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্র নির্দেশ থাকায় তারা


الْأُسَارَى بِيَوْمٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي نُبَيْهُ بْنُ وَهْبٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَقْبَلَ بِالْأُسَارَى فَرَّقَهُمْ بَيْنَ أَصْحَابِهِ، وَقَالَ: اسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا. قَالَ: وَكَانَ أَبُو عَزِيزِ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ هَاشِمٍ أَخُو مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ، فِي الْأُسَارَى، قَالَ أَبُو عَزِيزٍ: مَرَّ بِي أَخِي مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يَأْسِرُنِي، فَقَالَ: شُدَّ يَدَيْكَ بِهِ، فَإِنَّ أُمَّهُ ذَاتُ مَتَاعٍ لَعَلَّهَا تَفْدِيهِ مِنْكَ. قَالَ أَبُو عَزِيزٍ: فَكُنْتُ فِي رَهْطٍ مِنَ الْأَنْصَارِ حِينَ أَقْبَلُوا بِي مِنْ بَدْرٍ، فَكَانُوا إِذَا قَدَّمُوا غَدَاءَهُمْ وَعَشَاءَهُمْ خَصُّونِي بِالْخُبْزِ وَأَكَلُوا التَّمْرَ، لِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُمْ بِنَا، مَا تَقَعُ فِي يَدِ رَجُلٍ مِنْهُمْ كِسْرَةُ خُبْزٍ إِلَّا نَفَحَنِي بِهَا، فَأَسْتَحِي فَأَرُدُّهَا فَيَرُدُّهَا عَلَيَّ مَا يَمَسُّهَا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ أَبُو عَزِيزٍ هَذَا صَاحِبَ لِوَاءِ الْمُشْرِكِينَ بِبَدْرٍ بَعْدَ النَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ، وَلَمَّا قَالَ أَخُوهُ مُصْعَبٌ لِأَبِي الْيُسْرِ، وَهُوَ الَّذِي أَسَرَهُ، مَا قَالَ، قَالَ لَهُ أَبُو عَزِيزٍ: يَا أَخِي، هَذِهِ وِصَايَتُكَ بِي؟ فَقَالَ لَهُ مُصْعَبٌ: إِنَّهُ أَخِي دُونَكَ. فَسَأَلَتْ أُمُّهُ عَنْ أَغْلَى مَا فُدِيَ بِهِ قُرَشِيٌّ، فَقِيلَ لَهَا: أَرْبَعَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ. فَبَعَثَتْ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ فَفَدَتْهُ بِهَا.
পৃষ্ঠা - ২৪৭৮
قُلْتُ: وَأَبُو عَزِيزٍ هَذَا اسْمُهُ زُرَارَةُ، فِيمَا قَالَهُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " غَابَةِ الصَّحَابَةِ "، وَعَدَّهُ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ فِي أَسْمَاءِ الصَّحَابَةِ. وَكَانَ أَخَا مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ لِأَبَوَيْهِ، وَكَانَ لَهُمَا أَخٌ آخَرُ لِأَبَوَيْهِمَا، وَهُوَ أَبُو الرُّومِ بْنُ عُمَيْرٍ، وَقَدْ غَلِطَ مَنْ جَعَلَهُ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ كَافِرًا، ذَاكَ أَبُو عَزَّةَ، كَمَا سَيَأْتِي فِي مَوْضِعِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ، قَالَ: قُدِمَ بِالْأُسَارَى حِينَ قُدِمَ بِهِمْ، وَسَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ آلِ عَفْرَاءَ فِي مَنَاحَتِهِمْ عَلَى عَوْفٍ وَمُعَوِّذٍ ابْنَيْ عَفْرَاءَ. قَالَ: وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُضْرَبَ عَلَيْهِنَّ الْحِجَابُ. قَالَ: تَقُولُ سَوْدَةُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَعِنْدَهُمْ إِذْ أُتِينَا، فَقِيلَ: هَؤُلَاءِ الْأُسَارَى قَدْ أُتِيَ بِهِمْ. قَالَتْ فَرَجَعْتُ إِلَى بَيْتِي، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ، وَإِذَا أَبُو يَزِيدَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو فِي نَاحِيَةِ الْحُجْرَةِ مَجْمُوعَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ بِحَبْلٍ. قَالَتْ: فَلَا وَاللَّهِ مَا مَلَكْتُ نَفْسِي حِينَ رَأَيْتُ أَبَا يَزِيدَ كَذَلِكَ أَنْ قُلْتُ: أَيْ أَبَا يَزِيدَ، أَعْطَيْتُمْ بِأَيْدِيكُمْ، أَلَا مُتُّمْ كِرَامًا؟ فَوَاللَّهِ مَا أَنْبَهَنِي إِلَّا قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْبَيْتِ يَا سَوْدَةُ، أَعَلَى اللَّهِ وَعَلَى رَسُولِهِ تُحَرِّضِينَ؟ قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا مَلَكْتُ نَفْسِي حِينَ رَأَيْتُ أَبَا يَزِيدَ مَجْمُوعَةً يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ أَنْ قُلْتُ
পৃষ্ঠা - ২৪৭৯
مَا قُلْتُ. ثُمَّ كَانَ مِنْ قِصَّةِ الْأُسَارَى بِالْمَدِينَةِ مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ فِيمَا بَعْدُ مِنْ كَيْفِيَّةِ فِدَائِهِمْ وَكَمِّيَّتِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ.