আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في رجوعه عليه السلام من بدر إلى المدينة وما كان من الأمور في مسيره إليها
পৃষ্ঠা - ২৪৬৮


অনুচ্ছেদ
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বদর থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন

পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বদর যুদ্ধ ২য় হিজরীর ১ ৭ই রমাযান শুক্ররারে সংঘটিত
হয় ৷ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে যে, কোন সম্প্রদায়ের উপর জয়ী হলে রাসুলুল্লাহ
তথায় তিন দিন অবস্থান করতেন ৷ সে মতে, বদর রণাংগনে তিনি তিন দিন অতিবাহিত
করেন ৷ সোমবার রাত্রে সেখান থেকে রওনা হন ৷ তিনি উটে অ্যারাহণ করে বদরের কুয়ােয়
নিক্ষিপ্ত লাশদের সম্বোধন করেন এবং সেখান থেকে গনীমতের অচেল মালামাল ও যুদ্ধবন্দীদের
সাথে নিয়ে মদীনা অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ মুশরিক কাফিরদের বিরুদ্ধে বিজয় ও সাহায্যের
সুসংবাদ জানানোর জন্যে তিনি পুর্বেই দু’জনকে মদীনায় রওনা করে ;দন ৷ র্তাদের একজন
হলেন আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা ৷ র্তাকে মদীনায় উচু এলাকায় পাঠান ৷ দ্বিতীয় জন যায়দ ইবন
হারিছা ৷ তাকে পাঠান নিচু এলাকায় ৷ উসামা ইবন যায়দ বলেন, আমরা বিজয়ের সুসংবাদ
তখন পেলাম যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কন্যা রুকাইয়ার দাফন কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি ৷
রুকাইয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তার স্বামী হযরত উছমান ইবন আফ্ফান রাসৃলুল্লড়াহ্
(না)-এর নির্দেশক্রমে যুদ্ধে না যেয়ে মদীনায় থেকে যান ৷ অবশ্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে
গনীমতের ভাগ দেন এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ছওয়াব লাভের সুসংবাদও দেন ৷ উসামা
বলেন, আমার পিতা যায়দ ইবন হারিছার আগমন সংবাদ পেয়ে আমি তার নিকট গেলাম ৷
দেখলাম, তিনি সালাত আদায় করে বসে আছেন এবং লোকজন র্তাকে ঘিরে ধরেছে ৷ আর
তিনি বলছিলেন : উত্বা ইবন রাবীআ , শায়বা ইবন রাবীআ , আবু জাহ্ল ইবন হিশাম , যাযআ
ইবন আসওয়াদ, আবুল বুখতারী আস ইবন হিশাম, উমাইয়া ইবন খালফ ও হাজ্জাজের দুই
পুত্র নাবীহ্ ও মুনাব্বিহ্ এরা সবাই নিহত হয়েছে ৷ আমি বললাম, আব্বা! ঘটনা কি সত্য ?
তিনি বললেন, ইড়া বেটা, আল্লাহর কসম ৷

বড়ায়হড়াকী হস্ফোদ ইবন সালামা সুত্রে “ উসামা ইবন যায়দ থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী
করীম (সা) হযরত উছমান ও উসামা ইবন যায়দকে তার রোগাক্রাম্ভ কন্যার সেবা-শুশ্রুষার
জন্যে মদীনায় রেখে যান ৷ যুদ্ধ শেষে বিজয়ের সৃসংবাদ নিয়ে যায়দ ইবন হারিছা রাসুলুল্লাহ্র
উট আয্বার উপরে চড়ে আগমন করেন ৷ উসামা বলেন, আমি এক আশ্চর্যজনক শব্দ শুনে
বাইরে এসে দেখি, যায়দ বিজয়ের সৃসংরাদ দিচ্ছেন ৷ আল্লাহ্র কসম, যুদ্ধবন্দীদেরকে স্বচক্ষে না
দেখা পর্যন্ত এ সংবাদ আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছমানকে
গনীমতের অংশ দিয়েছিলেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, বদর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আহীল নামক স্থানে এসে আসরের নামায আদায় করেন ৷ এক রাকআত আদায়ের পর তিনি
মুচকি হাসেন ৷ হাসির কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন , আমি যীকাঈলকে দেখতে
পেলাম, র্তার ডানায় ধুলাবালি লেগে রয়েছে এবং আমার দিকে লক্ষ্য করে মুচকি হেসে বলছেন,
আমি এতক্ষণ যাবত শত্রুদের পিছু ধাওয়া করেছি ৷ এছাড়া বদরের যুদ্ধ শেষে হযরত জিবরাঈল
(আ) একটি মাদী ঘোড়ায় চড়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসেন ৷ ঘোড়াটির কপালের চুল
ছিল বীধা এবং তার মুখ ধুলাবালি থেকে ছিল রক্ষিত ৷ জিবরাঈল বললেন, হে মুহাম্মদ ! আল্লাহ্


[فَصْلٌ فِي رُجُوعِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ بَدْرٍ إِلَى الْمَدِينَةِ وَمَا كَانَ مِنَ الْأُمُورِ فِي مَسِيرِهِ إِلَيْهَا] مُؤَيَّدًا مَنْصُورًا، عَلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ الْوَقْعَةَ كَانَتْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّهُ كَانَ إِذَا ظَهَرَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِالْعَرْصَةِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَقَدْ أَقَامَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِعَرْصَةِ بَدْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ كَمَا تَقَدَّمَ، وَكَانَ رَحِيلُهُ مِنْهَا لَيْلَةَ الِاثْنَيْنِ، فَرَكِبَ نَاقَتَهُ وَوَقَفَ عَلَى قَلِيبِ بَدْرٍ، فَقَرَّعَ أُولَئِكَ الَّذِينَ سُحِبُوا إِلَيْهِ كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ، ثُمَّ سَارَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَمَعَهُ الْأُسَارَى وَالْغَنَائِمُ الْكَثِيرَةُ، وَقَدْ بَعَثَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَيْنَ يَدَيْهِ بَشِيرَيْنِ إِلَى الْمَدِينَةِ بِالْفَتْحِ وَالنَّصْرِ وَالظَّفَرِ عَلَى مَنْ أَشْرَكَ بِاللَّهِ وَجَحَدَهُ وَبِهِ كَفَرَ، أَحَدُهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ إِلَى أَعَالِي الْمَدِينَةِ، وَالثَّانِي زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ إِلَى السَّافِلَةِ. قَالَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ: فَأَتَانَا الْخَبَرُ حِينَ سَوَّيْنَا التُّرَابَ عَلَى رُقَيَّةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ زَوْجُهَا
পৃষ্ঠা - ২৪৬৯
عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدِ احْتَبَسَ عِنْدَهَا يُمَرِّضُهَا بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ ضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ بِسَهْمِهِ وَأَجْرِهِ فِي بَدْرٍ. قَالَ أُسَامَةُ: فَلَمَّا قَدِمَ أَبِي زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ جِئْتُهُ وَهُوَ وَاقِفٌ بِالْمُصَلَّى، وَقَدْ غَشِيَهُ النَّاسُ، وَهُوَ يَقُولُ: قُتِلَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَزَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ الْعَاصُ بْنُ هِشَامٍ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَنُبَيْهٌ وَمُنَبِّهٌ ابْنَا الْحَجَّاجِ. قَالَ: قُلْتُ: يَا أَبَتِ، أَحَقٌّ هَذَا؟ قَالَ: إِي وَاللَّهِ يَا بُنَيَّ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلَّفَ عُثْمَانَ وَأُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ عَلَى بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ عَلَى الْعَضْبَاءِ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبِشَارَةِ، قَالَ أُسَامَةُ: فَسَمِعْتُ الْهَيْعَةَ، فَخَرَجْتُ فَإِذَا زَيْدٌ قَدْ جَاءَ بِالْبِشَارَةِ، فَوَاللَّهِ مَا صَدَّقْتُ حَتَّى رَأَيْنَا الْأُسَارَى، وَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُثْمَانَ بِسَهْمِهِ.» وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرْجِعَهُ مِنْ بَدْرٍ الْعَصْرَ بِالْأُثَيْلِ، فَلَمَّا صَلَّى رَكْعَةً تَبَسَّمَ، فَسُئِلَ عَنْ تَبَسُّمِهِ، فَقَالَ: مَرَّ بِي مِيكَائِيلُ وَعَلَى جَنَاحِهِ النَّقْعُ، فَتَبَسَّمَ إِلَيَّ، وَقَالَ: إِنِّي كُنْتُ فِي طَلَبِ الْقَوْمِ. وَأَتَاهُ جِبْرِيلُ حِينَ فَرَغَ مِنْ قِتَالِ أَهْلِ بَدْرٍ، عَلَى فَرَسٍ أُنْثَى مَعْقُودِ
পৃষ্ঠা - ২৪৭০


আমাকে আপনার নিকট এই নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সত্তুষ্ট না
হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আপনাকে ছেড়ে যাবো না ৷ আপনি কি তাতে সন্তুষ্ট ? রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, হ্যা’ ৷ ওয়াকিদী বলেন, বর্ণনাকারিগণ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবদুল্লাহ ইবন
রওয়াহা ও যায়দ ইবন হড়ারিছাকে আহীল নামক স্থান থেকে অগ্রগামী দল হিসেবে পাঠিয়ে দেন ৷
র্তারা রবিবারে প্রায় দুপুরের সময় এসে পৌছেন ৷ আকীক নামক স্থানে আসার পর আবদুল্লাহ
ইবন রাওয়াহা যায়দ ইবন হারিছা থেকে পৃথক হয়ে যান ৷ তারপর আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
তার সওয়ারীব উপর থেকেই ঘোষণা দিলেন, হে আনসার সম্প্রদায়! সুসংবাদ গ্রহণ করুন;
বাসুলুল্লাহ্ (সা) নিরাপদে আছেন এবং মুশরিকরা মারা পড়েছে ও বন্দী হয়েছে ৷ রবীআর দুই
পুত্র, হাজ্জাজের দুই পুত্র, আবু জাহ্ল , যামআ ইবন আসওয়াদ ও উমাইয়া ইবন খালফ নিহত
হয়েছে এবং সুহায়ল ইবন আমরকে বন্দী করা হয়েছে ৷ আসিম ইবন আদী বলেন : আমি উঠে
তার কাছে যেয়ে বললাম, হে ইবন রাওয়াহা! যা বলছ তা কি সত্য ? তিনি বললেন, হীা,
আল্লাহর কলম, আপামীকাল রাসুলুল্লাহ্ (সা) বন্দীদের বেধে নিয়ে আসবেন ৷ এরপর তিনি উচু
এলাকায় আনসারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সুসংবাদ দিতে থাকেন ৷ আনসারদের ছোট ছোট
বালকেরা তার সাথে সুর করে বলতে থাকে “নিহত হয়েছে আবু জাহ্ল ফাসিক’ ৷ আবদুল্লাহ
ইবন রাওয়াহা যখন বনু উমাইয়ার আবাসস্থলের কাছে পৌছেন, তখন যায়দ ইবন হারিছা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উটনী কাস্ওয়ার উপর চড়ে আগমন করেন এবং মদীনাবাসীদেরকে
সুসংবাদ শুনান ৷ যখন তিনি ঈদগাহের কাছে আসত্তুলন, তখন সওয়ারীব উপর থেকেই
উভৈচ্চ৪স্বরে বললেন, রাবীআর দুই পুত্র উতৃবা ও শায়বা এবং হাজ্জাজের দুই পুত্র নিহত হয়েছে ৷
উমাইয়া ইবন খাল্ফ, আবু জাহ্ল, আবুল বুখতারী এবং যামআ ইবন আসওয়াদ-এরা সকলেই
নিহত হয়েছে এবং সুহায়ল ইবন আমর যুল-আনয়াবসহ বহু লোক বন্দী হয়েছে ৷ কেউ কেউ
যায়দের কথা সত্য বলে মেনে নিতে পারছিল না ৷ তারা বলাবলি করতে লাগলো, যায়দ ইবন
হারিছা তো পরাজিত হয়ে এসেছে ৷ এতে মুসলমানদের মন ভেঙ্গে গেল এবং তারা ভীতসস্ত্রস্ত
হয়ে পড়লেন ৷ আসিম ইবন আদী বলেন, যায়দ যখন মদীনায় পৌছে, তখন আমরা রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর কন্যা রুকাইয়াকে জান্নাতুল বাকী গোরস্তানে দাফন করে ফিরছিলাম ৷ জনৈক মুনাফিক
উসামাকে লক্ষ্য করে বলল, তোমাদের সর্দার (মুহাম্মদ)ও নিহত হয়েছে ৷ সেই সাথে তার
অন্যান্য সঙ্গীরাও নিহত হয়েছে ৷ আর এক মুনাফিক আবু লুবাবাকে বলল, তোমাদের সাথী,
সঙ্গীরা এমনভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে যে, আর কোনদিনও একত্রিত হবে না ৷ যুদ্ধে যায়দের
সাথীরাও নিহত হয়েছে, মুহাম্মদও নিহত হয়েছে ৷ এই তো তার উশ্ৰী, আমরা ওটা চিনি ৷ আর
এই যে যায়দ সে তো ভয়ে ভীত হয়ে কি বলছে না বলছে তা সে নিজেই বুঝতে পারছে না ৷
সে তো পরাজিত হয়ে ফিরে এসেছে ৷ আবু লুবারা বললেন, আল্লাহ তোমার কথা মিথ্যা
প্রমাণিত করে দিবেন ৷ ইয়াহুদীরা বলতে লাগল, যায়দ সে তো পরাজিত হয়েই এসেছে ৷
উসামা বলেন, এসব কথাবার্তা শুনে আমি একাম্ভে আমার পিতা যায়দের সাথে মিলিত হলাম
এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি যে সংবাদ দিচ্ছেন তা কি সত্য ? তিনি বললেন, হী৷ বেটা !
আল্লাহ্র কলম, আমি যা বলছি তা সবই সত্য ৷ উসামা বলল, আমি এবার নিজেকে শক্ত করে
নিলাম এবং ঐ মুনাফিকটির নিকট গিয়ে বললাম, তুমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলমানদের সম্পর্কে

ধ্ব ড়া৪গাে০€০য়াে
৬৭ —

النَّاصِيَةِ، قَدْ عَصَمَ ثَنِيَّتَهُ الْغُبَارُ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ رَبِّي بَعَثَنِي إِلَيْكَ، وَأَمَرَنِي أَنْ لَا أُفَارِقَكَ حَتَّى تَرْضَى، هَلْ رَضِيتَ؟ قَالَ: نَعَمْ.» قَالَ الْوَاقِدِيُّ: قَالُوا: «وَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ مِنَ الْأُثَيْلِ، فَجَاءَا يَوْمَ الْأَحَدِ حِينَ اشْتَدَّ الضُّحَى، وَفَارَقَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ مِنَ الْعَقِيقِ، فَجَعَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ يُنَادِي عَلَى رَاحِلَتِهِ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، أَبْشِرُوا بِسَلَامَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَتْلِ الْمُشْرِكِينَ وَأَسْرِهِمْ، قُتِلَ ابْنَا رَبِيعَةَ، وَابْنَا الْحَجَّاجِ، وَأَبُو جَهْلٍ، وَقُتِلَ زَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَأُسِرَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو. قَالَ عَاصِمُ بْنُ عَدِيٍّ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ، فَنَحَوْتُهُ فَقُلْتُ: أَحَقًّا مَا تَقُولُ يَا بْنَ رَوَاحَةَ؟ فَقَالَ إِي وَاللَّهِ، وَغَدًا يَقْدَمُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَسْرَى مُقَرَّنِينَ. ثُمَّ تَتَبَّعَ دُورَ الْأَنْصَارِ بِالْعَالِيَةِ يُبَشِّرُهُمْ دَارًا دَارًا، وَالصِّبْيَانُ يَشْتَدُّونَ مَعَهُ يَقُولُونَ: قُتِلَ أَبُو جَهْلٍ الْفَاسِقُ. حَتَّى إِذَا انْتَهَى إِلَى دَارِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَقَدِمَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ عَلَى نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَصْوَاءِ، يُبَشِّرُ أَهْلَ الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا جَاءَ الْمُصَلَّى صَاحَ عَلَى رَاحِلَتِهِ: قُتِلَ عُتْبَةُ وَشَيْبَةُ ابْنَا رَبِيعَةَ، وَابْنَا الْحَجَّاجِ، وَقُتِلَ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَأَبُو جَهْلٍ، وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ، وَزَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَأُسِرَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو ذُو الْأَنْيَابِ، فِي أَسْرَى كَثِيرٍ. فَجَعَلَ بَعْضُ
পৃষ্ঠা - ২৪৭১
النَّاسِ لَا يُصَدِّقُونَ زَيْدًا، وَيَقُولُونَ: مَا جَاءَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ إِلَّا فَلًّا. حَتَّى غَاظَ الْمُسْلِمِينَ ذَلِكَ وَخَافُوا، وَقَدِمَ زَيْدٌ حِينَ سَوَّيْنَا عَلَى رُقَيَّةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التُّرَابَ بِالْبَقِيعِ، وَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ لِأُسَامَةَ: قُتِلَ صَاحِبُكُمْ وَمَنْ مَعَهُ. وَقَالَ آخَرُ لَأَبِي لُبَابَةَ: قَدْ تَفَرَّقَ أَصْحَابُكُمْ تَفَرُّقًا لَا يَجْتَمِعُونَ فِيهِ أَبَدًا، وَقَدْ قُتِلَ عِلْيَةُ أَصْحَابِهِ، وَقُتِلَ مُحَمَّدٌ، وَهَذِهِ نَاقَتُهُ نَعْرِفُهَا، وَهَذَا زَيْدٌ لَا يَدْرِي مَا يَقُولُ مِنَ الرُّعْبِ، وَجَاءَ فَلًّا. فَقَالَ أَبُو لُبَابَةَ: يُكَذِّبُ اللَّهُ قَوْلَكَ. وَقَالَتِ الْيَهُودُ: مَا جَاءَ زَيْدٌ إِلَّا فَلًّا. قَالَ أُسَامَةُ: فَجِئْتُ حَتَّى خَلَوْتُ بِأَبِي، فَقُلْتُ: أَحَقٌّ مَا تَقُولُ؟ فَقَالَ: إِي وَاللَّهِ حَقٌّ مَا أَقُولُ يَا بُنَيَّ. فَقَوِيَتْ نَفْسِي وَرَجَعْتُ إِلَى ذَلِكَ الْمُنَافِقِ، فَقُلْتُ: أَنْتَ الْمُرْجِفُ بِرَسُولِ اللَّهِ وَبِالْمُسْلِمِينَ، لَنُقَدِّمَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ إِذَا قَدِمَ، فَلَيَضْرِبَنَّ عُنُقَكَ. فَقَالَ: إِنَّمَا هُوَ شَيْءٌ سَمِعْتُهُ مِنَ النَّاسِ يَقُولُونَهُ. قَالَ فَجِيءَ بِالْأَسْرَى، وَعَلَيْهِمْ شُقْرَانُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدْ شَهِدَ مَعَهُمْ بَدْرًا، وَهُمْ تِسْعٌ وَأَرْبَعُونَ رَجُلًا، الَّذِينَ أُحْصُوا.» قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهُمْ سَبْعُونَ فِي الْأَصْلِ، مُجْتَمَعٌ عَلَيْهِ، لَا شَكَّ فِيهِ. قَالَ: «وَلَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الرَّوْحَاءِ رُءُوسُ النَّاسِ يُهَنِّئُونَهُ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ أُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَظْفَرَكَ، وَأَقَرَّ عَيْنَكَ، وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كَانَ تَخَلُّفِي عَنْ بَدْرٍ وَأَنَا أَظُنُّ أَنَّكَ تَلْقَى عَدُوًّا، وَلَكِنْ
পৃষ্ঠা - ২৪৭২


অপপ্রচার চালাল্দো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় ফিরে আসলে তোমাকে তার সম্মুখে হাযির করা
হবে ৷ তখন৩ তিনি৫ আমার গর্দড়ান উড়িয়ে দেবেন ৷ মুনড়াফিকটি বলল এ কথাগুলো আমি
লোকজনকে বলতে শুনেছি, তাই বলছি ৷ এরপর বন্দীদেরকে নিয়ে আসা হয় ৷ রাসুল (সা) এর
আযাদকৃত দাস শাকরানও তাদেরকে নিয়ে আসছিলেন ৷ তিনি বদর যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন ৷
যুদ্ধবন্দীদের যে ট সং থ্যা ছিল উনপঞ্চশেজন ৷ ওয়াকিদী বলেন বন্দীদের প্রকৃত সং থ্যা ছিল
সত্তরজন ৷ এর উপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত এতে কোন সন্দেহ নেই৷ বর্ণনাকারী বলেন মদীনার
নেতৃস্থানীয় লোকজন রাওহা নামক স্থানে অগ্রসর হয়ে রাসুলুল্লাহ্ ৷ স )-কে বিজয় অভিনন্দন
জানান ৷ উসায়দ ইবন হুযায়র বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ও সকল প্রশংসজ্ব সেই আল্লাহ্র যিনি
আপনাকে বিজয়ী করেছেন, আপনার চোখ জুড়িয়েছেন ৷ ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আল্লাহর কসম,
আপনি শত্রুর মুকাবিলা করবেন তা বুঝতে পারলে আমি বদরে না যেয়ে বাড়িতে থাকতাম না ৷

আমি মনে করেছিলাম, আপনি বাণিজ্যকাফেলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ৷ শত্রুর উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তা
জানলে আমি কিছুতেই বসে থাকতাম না ৷ উস্যায়দের কথা শুনে রাসৃলুল্পাহ্ (সা) বললেন তুমি
যথার্থ বসেছ ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধবব্দীসহ মদীনায় দিকে রওনা হন ৷
বন্দীদের মধ্যে উক্বা ইবন আবু মুআয়ত ও নযর ইবন হারিছও ছিল ৷ গনীমতের দায়িতৃ দেন
আবদৃল্লাহ্ ইবন কাআব ইবন আসর ইবন আওফ ইবন মাবযুল ইবন আমর ইবন গনাম ইবন
মড়াযিন ইবন নাজ্জার-এর উপর ৷ এ সময় মুসলমানদের মধ্য হতে একজন রণোদ্দীপনামুলক
বিত৷ আবৃত্তি করেন ৷ ইবন হিশাম তার নাম বলেছেন অড়াদী ইবন আবী যাগবা ৷

(কবিতা) হে রাসবাসা কাফেলার বড়াহনগুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া অব্যাহত

রাখ ৷ যা তালীহি উপ৩ কােয় কাফেলা নিয়ে রাত্রি যাপন করা যাবে না এবং উমায়র প্রান্তরে

একে আটকান যাবে না ৷ কেননা, বিজয়ী কাফেলার বাহনের গতি রোধ করা যায় না ৷ সুতরাং

রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করে যাওয়ার সুযোগ দেয়ইি বুদ্ধিমানের পরিচয় ৷ নিঃসন্দেহে আল্লাহ
সাহায্য করেছেন এবং শয়তান পালিয়ে গেছে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুলুলুড়াহ্ (সা) সম্মুখে অগ্রসর হন এবং সাফরা গিরিপথ পার
হয়ে উক্ত গিরিপথ ও নাযিয়ার মধ্যবর্তী সায়ার নামক বালুর ঢিলায় এক প্রকাণ্ড বৃক্ষের নিকট
অবতরণ করেন ৷ সেখানে বসে তিনি মুশরিকদের থেকে প্রাপ্ত গনীমতের মাল মুসলমানদের
মধ্যে সমভাবে বণ্টন করে দেন ৷ এরপর সেখান থেকে যাত্রা করে যখন রাওহা নামক স্থানে
পৌছেন, তখন মুসলমানপণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাহাবীগণকে আল্লাহ যে বিজয় দান
করেছেন সেজন্যে অভিনন্দন জানাতে থাকেন ৷ আসিম সুত্রে বর্ণি৩ , তখন সা ৷লামা ইবন সুলামা
বললেন : তোমরা আমাদেরকে কি জন্যে মুবারকৰাদ দিচ্ছ ? আল্লাহর কসম, আমরা তো
কতিপয় টাকওয়ালা বৃক্ষের সাথে যুদ্ধ করেছি যারা ছিল ৰ্বাধা উটের মত, আমরা তাদেরকে
যবাহ্ করে দিয়েছি মাত্র ৷ একথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুচকি হেসে বললেন : ভাতিজাশু ওরাই
তো এক সময় সমাজের কর্ণধার ছিল ৷


ظَنَنْتُ أَنَّهَا عِيرٌ، وَلَوْ ظَنَنْتُ أَنَّهُ عَدُوٌّ مَا تَخَلَّفْتُ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقْتَ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَافِلًا إِلَى الْمَدِينَةِ وَمَعَهُ الْأُسَارَى وَفِيهِمْ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ، وَالنَّضْرُ بْنُ الْحَارِثِ، وَقَدْ جَعَلَ عَلَى النَّفْلِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ مَبْذُولِ بْنِ عَمْرِو بْنِ غَنْمِ بْنِ مَازِنِ بْنِ النَّجَّارِ، فَقَالَ رَاجِزٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ يُقَالُ إِنَّهُ هُوَ عَدِيُّ بْنُ أَبِي الزَّغْبَاءِ -: أَقِمْ لَهَا صُدُورَهَا يَا بَسْبَسُ ... لَيْسَ بِذِي الطَّلْحِ لَهَا مُعَرَّسُ وَلَا بِصَحْرَاءِ غُمَيْرٍ مَحْبِسُ ... إِنَّ مَطَايَا الْقَوْمِ لَا تُحَبَّسُ فَحَمْلُهَا عَلَى الطَّرِيقِ أَكْيَسُ ... قَدْ نَصَرَ اللَّهُ وَفَرَّ الْأَخْنَسُ قَالَ: ثُمَّ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا خَرَجَ مِنْ مَضِيقِ الصَّفْرَاءِ نَزَلَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ২৪৭৩
كَثِيبٍ بَيْنَ الْمَضِيقِ وَبَيْنَ النَّازِيَّةِ، يُقَالُ لَهُ: سَيَرٌ. إِلَى سَرْحَةٍ بِهِ، فَقَسَمَ هُنَالِكَ النَّفَلَ الَّذِي أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ عَلَى السَّوَاءِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالرَّوْحَاءِ لَقِيَهُ الْمُسْلِمُونَ يُهَنِّئُونَهُ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ لَهُمْ سَلَمَةُ بْنُ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍ، كَمَا حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ، وَيَزِيدُ بْنُ رُومَانَ: مَا الَّذِي تُهَنِّئُونَنَا بِهِ؟ وَاللَّهِ إِنْ لَقِينَا إِلَّا عَجَائِزَ صُلْعًا كَالْبُدْنِ الْمُعَقَّلَةِ فَنَحَرْنَاهَا. فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: أَيِ ابْنَ أَخِي، أُولَئِكَ الْمَلَأُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: يَعْنِي الْأَشْرَافَ وَالرُّؤَسَاءَ.