আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل: اختلاف الصحابة في غنائم بدر لمن تكون
পৃষ্ঠা - ২৪৬৩
[فَصْلٌ: اخْتِلَافُ الصَّحَابَةِ فِي غَنَائِمِ بِدَرٍ لِمَنْ تَكُونُ] فَصْلٌ وَقَدِ اخْتَلَفَتِ الصَّحَابَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، يَوْمَ بَدْرٍ فِي الْمَغَانِمِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَئِذٍ، لِمَنْ تَكُونُ مِنْهُمْ، وَكَانُوا ثَلَاثَةَ أَصْنَافٍ حِينَ وَلَّى الْمُشْرِكُونَ، فَفِرْقَةٌ أَحْدَقَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَحْرُسُهُ خَوْفًا مِنْ أَنْ يَرْجِعَ أَحَدٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِلَيْهِ، وَفِرْقَةٌ سَاقَتْ وَرَاءَ الْمُشْرِكِينَ يَقْتُلُونَ مِنْهُمْ وَيَأْسِرُونَ، وَفِرْقَةٌ جَمَعَتِ الْمَغَانِمَ مِنْ مُتَفَرِّقَاتِ الْأَمَاكِنِ، فَادَّعَى كُلُّ فَرِيقٍ مِنْ هَؤُلَاءِ أَنَّهُ أَحَقُّ بِالْمَغْنَمِ مِنَ الْآخَرَيْنِ، لِمَا صَنَعَ مِنَ الْأَمْرِ الْمُهِمِّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ وَغَيْرُهُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ: «سَأَلْتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ عَنِ الْأَنْفَالِ، فَقَالَ فِينَا أَصْحَابَ بَدْرٍ نَزَلَتْ حِينَ اخْتَلَفْنَا فِي النَّفْلِ وَسَاءَتْ فِيهِ أَخْلَاقُنَا، فَنَزَعَهُ اللَّهُ مِنْ أَيْدِينَا، فَجَعَلَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَسَمَهُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ عَنْ بَوَاءٍ، يَقُولُ: عَنْ سَوَاءٍ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. وَمَعْنَى قَوْلِهِ: عَلَى السَّوَاءِ. أَيْ سَاوَى فِيهَا بَيْنَ الَّذِينَ جَمَعُوهَا، وَبَيْنَ
পৃষ্ঠা - ২৪৬৪


সাথে মুকাবিলা হয় এবং আল্লাহ দুশমনদেরকে পরা ৷জিত করেন ৷ মুসলমানদের মধ্য হতে একটি
দল শত্রুদের পিছনে ছুটে এবং তাদেরকে হত্যা করে ৷ আর একটি দল গনীমতের মাল সংগ্রহে
ব্যস্ত থাকে ৷ অপর একটি দল রাসুলুল্লাহ্ (সা )কে ঘিরে রাখে , যাতে এলােমেলো থাকার সুযোগ
নিয়ে শত্রুরা তার কাছে আসতে না পারে ৷ রাত্রিক৷ ৷লে সৈন্য একে অপরের সঙ্গে যখন মিলিত
হল, তখন গনীমত সৎ হক বীব৷ বললঃ ৩া৷মব ই তে তা পনীমত সংগ্রহ করেছি, এতে অন্য কারও
কোন ভাগ নেই ৷ শত্রুর পিছনে ধাওয়াকারীর৷ বললঃ এ ব্যাপারে তোমাদের দাবী আমাদের
থেকে বড় নয় ৷ কারণ আমব ই গনীমত থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দিয়েছি এবং তাদেরকে
পরাজিত করেছি ৷ যারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পাশে ছিলেন তারা বললেন০ আমাদের আশংকা
ছিল যে, এরুপ র্ফাক৷ অবস্থা দেখে শ্াত্রুর৷ ভিন্ন পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা ৷ এর উপর আক্রমণ না
করে বসে, ই আমরা তাকে ঘিরে অবস্থান করেছি ৷ এই পরিস্থিতিতে অ ৷ল্লাহ্ আয়াত নাযিল
করলেন :

শ্ষ্ :া
ড়)-ট্রুট্শ্০টুঞে
“লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে ৷ বল, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ এবং

রাসুলের ৷ সুতরাৎঅ ৷ল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন কর এবং আল্লাহ ও
৷ ৩ার রাসুলের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মু মিন হও (৮০ : ১ ) ৷

তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলমানদের মধ্যে সেসব বন্টন করে দেন ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) কোন
শত্রু এলাকা আক্রমণ করলে এক-চতৃর্থাংশ যোদ্ধাদের দিয়ে দিতেন এবং প্রত্যাবর্তনকালে
এক তৃতীয়াৎশ বন্টন করতেন ৷৩ তবে তিনি অতিরিক্ত কিছু দেয়৷ অপসন্দ করতেন ৷ তিরমিযী ও
ইবন মাজা ছ৷ ৷ওরী সুত্রে আবদুর রহমান ইবন হারিছ থেকে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন এবং
তিরমিযী একে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইবন হিব্বান তার সহীহ্’ গ্রন্থে এবং হাকিম র্তার
মুসতাদরাক গ্রন্থে আবদুর রহমান থেকে এ হাদীছ বর্ণনা করেন এবং হাকিম একে মুসলিমের
শর্ত মতে সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷ অবশ্য মুসলিম এ হাদীছটি বর্ণনা করেননি ৷ আবু
দাউদ, নাসাঈ, ইবন হিব্বান ও হাকিম একাধিক সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন যে
বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা করলেন, যারা এই এই কাজ করতে পারবে তাদেরকে এই
এই (পুরস্কার) দেয়৷ হবে ৷ ঘোষণা শুনে যুবকর৷ দ্রুত সে কাজে অগ্রসর হল এবং বৃদ্ধরা
পতাকার কাছে থেকে গেলেন ৷ যখন গনীমত বণ্টনের সময় হল তখন যুবকর৷ এসে তাদের
প্রতিশ্রুত পুরস্কার দ বী করল ৷ বৃদ্ধর৷ বললেন, আমাদের উপরে তে তামর৷ নিজেদেরকে প্রাধান্য
দেবে না ৷ কেননা আমরা ছিলাম তে ৷মাদের জন্যে প্রাচীন স্বরুপ ৷ যদি তে তামরা ফিরে আসতে ,
তাহলে আমাদের কাছে এসে জড়ো হতে ৷ এভাবে তারা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হলে আল্লাহ
আয়াত নাযিল করলেন :


الَّذِينَ اتَّبَعُوا الْعَدُوَّ، وَبَيْنَ الَّذِينَ ثَبَتُوا تَحْتَ الرَّايَاتِ، لَمْ يُخَصِّصْ بِهَا فَرِيقًا مِنْهُمْ مِمَّنِ ادَّعَى التَّخْصِيصَ بِهَا، وَلَا يَنْفِي هَذَا تَخْمِيسَهَا وَصَرْفَ الْخُمُسِ فِي مَوَاضِعِهِ، كَمَا قَدْ يَتَوَهَّمُهُ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ، مِنْهُمْ أَبُو عُبَيْدٍ وَغَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَلْ قَدْ تَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ مِنْ مَغَانِمِ بَدْرٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَكَذَا اصْطَفَى جَمَلًا لِأَبِي جَهْلٍ، كَانَ فِي أَنْفِهِ بُرَةٌ مِنْ فِضَّةٍ. وَهَذَا قَبْلَ إِخْرَاجِ الْخُمُسِ أَيْضًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ أَبِي سَلَّامٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، «عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَهِدْتُ مَعَهُ بَدْرًا، فَالْتَقَى النَّاسُ فَهَزَمَ اللَّهُ الْعَدُوَّ، فَانْطَلَقَتْ طَائِفَةٌ فِي آثَارِهِمْ يَهْزِمُونَ وَيَقْتُلُونَ، وَأَكَبَّتْ طَائِفَةٌ عَلَى الْعَسْكَرِ يَحْوُونَهُ
পৃষ্ঠা - ২৪৬৫
وَيَجْمَعُونَهُ، وَأَحْدَقَتْ طَائِفَةٌ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا يُصِيبُ الْعَدُوُّ مِنْهُ غِرَّةً، حَتَّى إِذَا كَانَ اللَّيْلُ، وَفَاءَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، قَالَ الَّذِينَ جَمَعُوا الْغَنَائِمَ: نَحْنُ حَوَيْنَاهَا فَلَيْسَ لِأَحَدٍ فِيهَا نَصِيبٌ. وَقَالَ الَّذِينَ خَرَجُوا فِي طَلَبِ الْعَدُوِّ: لَسْتُمْ بِأَحَقَّ بِهَا مِنَّا، نَحْنُ نَفَيْنَا مِنْهَا الْعَدُوَّ وَهَزَمْنَاهُمْ. وَقَالَ الَّذِينَ أَحْدَقُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خِفْنَا أَنْ يُصِيبَ الْعَدُوُّ مِنْهُ غِرَّةً، فَاشْتَغَلْنَا بِهِ فَنَزَلَتْ: {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [الأنفال: 1] . فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى فُوَاقٍ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَغَارَ فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ نَفَّلَ الرُّبُعَ، فَإِذَا أَقْبَلَ رَاجِعًا نَفَّلَ الثُّلُثَ، وَكَانَ يَكْرَهُ الْأَنْفَالَ» . وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ. . . . آخِرَهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ "، وَالْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَقَالَ الْحَاكِمُ: صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ وَلَمْ يُخْرِجْهُ.
পৃষ্ঠা - ২৪৬৬


লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে এ আয়াত নাযিল হওয়ার উপলক্ষ
হিসেবে অন্য একটি বর্ণনা আমরা উল্লেখ করেছি ৷ এখানে তার বিশ্াদ আলোচনার অবকাশ

মানুষের ইহক ল ও পরকালের কল্যাণ বিবেচনায় রেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন ৷
এ জন্যেই আল্লাহ্ বলেছেন : ,াটুঠুষ্টু৷ ৷ ব্লু ণ্এ৷ ট্রুা৷দ্বুট্রু,ৰুা৷ পুঠুন্থ (বল, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ্
এবং রাসুলের ৷ সুতরাং আল্লাহ্কে তয় কর এবংনিজেদের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন কর এবং আল্লাহ
ও তার রাসুলের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মু’মিন হও ৷) এরপর বদর যুদ্ধ প্রসঙ্গে বিভিন্ন
ঘটনা উল্লেখ করার পর আল্লাহ তা আলা বলেন০

প্!প্ষ্

৷ § ধ্রু;:াট্রুৰুএ ৷এ
আরও জেনে রেথো যে, যুদ্ধে যা তোমরা লাভ কর তার এক পঞ্চমা০ শ আল্লাহর, রাসুলের,
স্বজনদের, ইয়াভীমদের, দরিদ্রদের এবং পথচারীদের (৮০ : ৪১) ৷ এখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে
পুর্বের আয়াতে যুদ্ধলব্ধ সম্পদের যে ফায়সালা আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেণাধীন রাখা
হয়েছিল এ আয়াতে ঐ নির্দেশেরই ব্যাখ্যা দেয়৷ হয়েছে ৷ সুতরাং আল্লাহ যা ইচ্ছা করেছেন যে
নির্দেশই এখানে প্রদান করা হয়েছে ৷ এ পর্যন্ত না বলা হল, তা আবু যায়দের বক্তব্য ৷ আবু
উবায়দ কাসিম ইবন সাল্লাম বলেন : বদর যুদ্ধে প্রাপ্ত সমুদয় গনীমত রাসুলুল্লাহ্ (সা) যোদ্ধাদের
মধ্যে সমানভাবে বন্টন করে দেন ৷ এক-পৃঞ্চমাৎশ সংরক্ষিত রাখেননি ৷ পরবর্তী সময়ে খুমুস বা
পঞ্চমাংশের বিধান নাযিল হয় এবং পুর্বের গনীমত বণ্টনের সকল নিয়ম বহিত হয়ে যায় ৷
ওয়ালিবী ইবন আব্বাস থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন ৷ মুজাহিদ ইকরিম৷ ও সুদ্দী এ মতই
পোষণ করেন ৷ কিন্তু তা তর্কাভীত নয় ৷ কেননা খুমুসের ( পঞ্চমা শের) আয়াতের পুর্বের ও
পরের সবগুলো আয়াতই বদর যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট ৷ আয়াত গুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক এটাই দা ৷বী করে
যে, এগুলো এক সাথে একই সময়ে ন যিল হয়েছিল ৷ সময়ের ব্যবধানে পৃথক পৃথকভাবে নাযিল
হয়নি, যাতে রহিতকরণের প্রশ্ন উঠে ৷ এছাড়া বুখারী ও ঘৃসলিমে হযরত আলী বর্ণিত হাদীছে,
যাতে তার সেই দুই উটের বর্ণনা আছে, যার কুজ হযরত হামযা (রা) কেটে ফেলেছিলেন
সেখানে ংংপষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এর একটি উট ছিল বদর যুদ্ধের গনীমতের
এক-পঞ্চমাংশ (খুমুস) থেকে প্রাপ্ত ৷ আবু উবায়দ যে বলেছেন, বদর যুদ্ধের গনীমত থেকে খুমুস
বের করা হয়নি, এ হাদীছ তার সাথে সাংঘর্ষিক ৷ বরং এটাই সঠিক যে, বদরের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ
পাচ ভাগ করে এক ভাগ আল্লাহ্ ও তার রাসুলের জন্যে আলাদা করে রাখা হয়েছিল ৷ ইমাম
বুখারী, ইবন জারীর ও অন্যান্য আলিমগণ এই মত পোষণ করেন এবং এটাই বিশুদ্ধ ও
গ্রহণযোগ্য অভিমত ৷


وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ حِبَّانَ، وَالْحَاكِمُ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَنَعَ كَذَا وَكَذَا فَلَهُ كَذَا وَكَذَا. فَتَسَارَعَ فِي ذَلِكَ شُبَّانُ الرِّجَالِ، وَبَقِيَ الشُّيُوخُ تَحْتَ الرَّايَاتِ، فَلَمَّا كَانَتِ الْغَنَائِمُ جَاءُوا يَطْلُبُونَ الَّذِي جُعِلَ لَهُمْ، فَقَالَ الشُّيُوخُ: لَا تَسْتَأْثِرُوا عَلَيْنَا، فَإِنَّا كُنَّا رَدْءًا لَكُمْ، وَلَوِ انْكَشَفْتُمْ لَفِئْتُمْ إِلَيْنَا، فَتَنَازَعُوا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [الأنفال: 1] » وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي سَبَبِ نُزُولِ هَذِهِ الْآيَةِ آثَارًا أُخَرَ يَطُولُ بَسْطُهَا هَاهُنَا، وَمَعْنَى الْكَلَامِ أَنَّ الْأَنْفَالَ مَرْجِعُهَا إِلَى حُكْمِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، يَحْكُمَانِ فِيهَا بِمَا فِيهِ الْمَصْلَحَةُ لِلْعِبَادِ فِي الْمَعَاشِ وَالْمَعَادِ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [الأنفال: 1] ثُمَّ ذَكَرَ مَا وَقَعَ فِي قِصَّةِ بَدْرٍ، وَمَا كَانَ مِنَ الْأَمْرِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ} [الأنفال: 41] الْآيَةَ [الْأَنْفَالِ: 41] . فَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ مُبَيِّنَةٌ لِحُكْمِ اللَّهِ فِي الْأَنْفَالِ، الَّذِي جَعَلَ مَرَدَّهُ إِلَيْهِ وَإِلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيَّنَهُ تَعَالَى، وَحَكَمَ فِيهَا بِمَا أَرَادَ تَعَالَى، وَهُوَ قَوْلُ
পৃষ্ঠা - ২৪৬৭
ابْنِ زَيْدٍ، وَقَدْ زَعَمَ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَ غَنَائِمَ بَدْرٍ عَلَى السَّوَاءِ بَيْنَ النَّاسِ، وَلَمْ يُخَمِّسْهَا، ثُمَّ نَزَلَ بَيَانُ الْخُمُسِ بَعْدَ ذَلِكَ نَاسِخًا لِمَا تَقَدَّمَ، وَهَكَذَا رَوَى الْوَالِبِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَبِهِ قَالَ مُجَاهِدٌ، وَعِكْرِمَةُ وَالسُّدِّيُّ، وَفِي هَذَا نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ، فَإِنَّ سِيَاقَ الْآيَاتِ قَبْلَ آيَةِ الْخُمُسِ وَبَعْدَهَا، كُلُّهَا فِي غَزْوَةِ بَدْرٍ، فَيَقْتَضِي أَنَّ ذَلِكَ نَزَلَ جُمْلَةً فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ غَيْرِ مُتَفَاصِلٍ بِتَأَخُّرٍ يَقْتَضِي نَسْخَ بَعْضِهِ بَعْضًا، ثُمَّ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ فِي قِصَّةِ شَارِفَيْهِ اللَّذَيْنِ اجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا حَمْزَةُ: إِنَّ إِحْدَاهُمَا كَانَتْ مِنَ الْخُمُسِ يَوْمَ بَدْرٍ. مَا يَرُدُّ صَرِيحًا عَلَى أَبِي عُبَيْدٍ، أَنَّ غَنَائِمَ بَدْرٍ لَمْ تُخَمَّسْ» . وَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَلْ خُمِّسَتْ كَمَا هُوَ قَوْلُ الْبُخَارِيِّ وَابْنِ جَرِيرٍ، وَغَيْرِهِمَا، وَهُوَ الصَّحِيحُ الرَّاجِحُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.