আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل في ذكر عدد القتلى وعدد الأسارى
পৃষ্ঠা - ২৪৫৮
[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ عَدَدِ الْقَتْلَى وَعَدَدِ الْأُسَارَى] فَصْلٌ وَالْمَشْهُورُ أَنَّ الْأُسَارَى يَوْمَ بَدْرٍ كَانُوا سَبْعِينَ، وَالْقَتْلَى مِنَ الْمُشْرِكِينَ سَبْعِينَ، كَمَا وَرَدَ فِي غَيْرِ مَا حَدِيثٍ مِمَّا تَقَدَّمَ، وَسَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَكَمَا فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " أَنَّهُمْ قَتَلُوا يَوْمَ بَدْرٍ سَبْعِينَ، وَأَسَرُوا سَبْعِينَ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْ قُرَيْشٍ سِتَّةٌ، وَمِنَ الْأَنْصَارِ ثَمَانِيَةٌ، وَقُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ تِسْعَةٌ وَأَرْبَعُونَ، وَأُسِرَ مِنْهُمْ تِسْعَةٌ وَثَلَاثُونَ. هَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْهُ. قَالَ: وَهَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ فِي عَدَدِ مَنِ اسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَقُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ. ثُمَّ قَالَ: أَخْبَرَنَا الْحَاكِمُ، أَخْبَرَنَا الْأَصَمُّ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: وَاسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ بَدْرٍ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا، أَرْبَعَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ، وَسَبْعَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَقُتِلَ مِنَ
পৃষ্ঠা - ২৪৫৯


না ৷ আব্বাস বললেন, তা হলে আপনিই আমাকে উঠিয়ে দিন, তিনি বললেন, না ৷ এরপর
আব্বাস কাপড় থেকে আরও কিছু মাল নামিয়ে র্কাধেয় উপর উঠিয়ে চলে গেলেন ৷ তার এ
অত্যধিক (লাভের কারণে বিস্মিত হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার দিকে তাকিয়ে থাকলেন যতক্ষণ না
তিনি দৃষ্টির আড়াল হলেন ৷ সাদাকাব সমুদয় মাল তিনি দান করে দিলেন ৷ এমনকি একটা
দিরহাম অবশিষ্ট থাকতে ও তিনি স্থ৷ ন ত্যাগ করলেন না ৷

বায়হা ৷কী বলেন হাকিম আবদৃর রহমান সুদ্দী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেছেন, আব্বাস ও

তার দুই৩৷ ৷তিজ৷ আকীল ইবন আবু৩ তালিব এবংন নাওফিল ইন্বৃন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব

প্রত্যেকের মুক্তিপণ ছিল চারশ’ দীনার করে ৷ এরপর আল্লাহ শেষোক্ত দু’জনের ব্যাপারে সতর্ক
করে দেন ৷ মহান আল্লাহর বাণী :

এ;;া;প্রু ৷ট্রুট্রুট্রুপ্রুষ্টু ট্রু,াএ
তারা তোমার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করতে চাইলে, তার তো ইতোপুর্বে আল্লাহর সাথেও
বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে ৷ এরপর তিনি তোমাদেরকে তাদের উপর শক্তিশালী করেছেন ৷ আল্লাহ
সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময (৮ : ৭১) ৷

অনুচ্ছেদ

প্রসিদ্ধ মত ৩বদব যুদ্ধে মুশবিক দলের সত্তরজন নিহত হয় এবং সত্তরজন বন্দী হয় ৷ এ
সম্পর্কে পুর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে এবং পরেও আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷ সহীহ্
বুখারীতে হযরত বাবা ইবন আযিরের হাদীছেও বর্ণিত হয়েছে যে, বদর যুদ্ধে মুশবিক বাহিনীর
সত্তরজন নিহত হয় এবং সতরজন বন্দী হয় ৷ মুসা ইবন উক্বা বলেন : বদর যুদ্ধে যে কয়জন
মুসলিম সৈন্য শহীদ হন, তাদের মধ্যে ছয়জন কুরায়শ (মৃহাজির ) এবং আটজন আনসার ৷ আর
ঘুশবিক বাহিনীর মধ্য হতে নপঞ্চাশজন নিহত হয় এবং উনচল্লিশজন বন্দী হয় ৷ মুসা ইবন
উক্বা থেকে বায়হাকীও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী তারপরে বলেছেন, মুসলমান
শহীদদের সংখ্যা ও মুশবিক নিহতদের সংখ্যা সম্পর্কে ইবন লাহ্য়া আসওয়াদের মাধ্যমে
উরওয়া থেকে এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ তারপর বায়হাকী বলেনং : হাকিম সুত্রে মুহাম্মদ
ইবন ইসহাক থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন বদর যুদ্ধে মুসলমানদের এগারজন শহীদ হন ৷
চারজন কুরায়শ (মুহাজির) ও সাত জন আনসার ৷ অপরদিকে মুশরিকদের পক্ষ থেকে
একুশ জনের কিছু বেশী লোক নিহত হয় ৷ তিনি অন্য এক বর্ণনায় বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
চল্লিশজন সহযোদ্ধা বন্দী হন আর তাদের নিহতদের সংখ্যাও ছিল অনুরুপ ৷ এরপর বায়হাকী
আবু সালিহ্ সুত্রে যুহরী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মুসলিম বাহিনীতে সর্বপ্রথম শহীদ
হন হযরত উমরের আযাদকৃত দাস মাহজা’ (ব্লুস্পাৰু) জনৈক আনসারী ৷ আর মুশরিকদের মধ্য
হতে সত্তরজনের অধিক নিহত হয় এবং সমস ×খ্যক বন্দী হয় ৷ ইবন ওহাব সুত্রে উরওয়া
ইবন যুবায়ব থেকেও অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে ৷ বায়হাকী বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখিত
বিওয়ায়াত গুলোর মধ্যে এ বর্ণনা টিই বিশুদ্ধতর ৷৩ তারপর বায়হাকী এ মতের সমর্থনে উপরোক্ত
হাদীছ৷ ছ৷ ড়াও সহীহ্ বুখারীতে আবু ইসহাক সুত্রে বারা ইবন আযিব বর্ণিত হাদীছের উল্লেখ


الْمُشْرِكِينَ بِضْعَةٌ وَأَرْبَعُونَ رَجُلًا. وَقَالَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ: وَكَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَةٌ وَأَرْبَعُونَ أَسِيرًا، وَكَانَتِ الْقَتْلَى مِثْلَ ذَلِكَ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي صَالِحٍ كَاتِبِ اللَّيْثِ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: وَكَانَ أَوَّلَ قَتِيلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِهْجَعٌ مَوْلَى عُمَرَ، وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ زِيَادَةٌ عَلَى سَبْعِينَ، وَأُسِرَ مِنْهُمْ مِثْلُ ذَلِكَ. قَالَ وَرَوَاهُ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ، عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهُوَ الْأَصَحُّ فِيمَا رُوِّينَاهُ فِي عَدَدِ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَأُسِرَ مِنْهُمْ. ثُمَّ اسْتَدَلَّ عَلَى ذَلِكَ بِمَا سَاقَهُ هُوَ وَالْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرُّمَاةِ يَوْمَ أُحُدٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جُبَيْرٍ، فَأَصَابُوا مِنَّا سَبْعِينَ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ قَدْ أَصَابُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ أَرْبَعِينَ وَمِائَةً، سَبْعِينَ أَسِيرًا، وَسَبْعِينَ قَتِيلًا.»
পৃষ্ঠা - ২৪৬০


করেন ৷ বারা’ ইবন আযিব বলেন, উহুদ যুদ্ধে নবী করীম (সা) আবদুল্লাহ ইবন যুবড়ায়রকে
তীরান্দাজ বাহিনীর অধিনায়ক নিযুক্ত করেন ৷ শত্রুরা আমাদের সত্তরজনকে শহীদ করে দেয় ৷
বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ ও তার সাহাবীগণ মুশরিকদের একশ’ চল্লিশজনকে নিহত ও গ্রেফতার
করেন ৷ তন্মদ্ধে সত্তরজন বন্দী হয় এবং সত্তরজন নিহত হয় ৷ ইবন কান্থীর বলেন, বিশুদ্ধ মতে
বদর যুদ্ধে মুশরিকদের সংখ্যা ছিল নয়শ’ থেকে হাযারের মাঝখানে ক্ষ্ কাতাদা স্পষ্টভাবে এ

ৎখ্যা নয় শ’ পঞ্চাশজন বলে উল্লেখ করেছেন ৷ ইতোপুর্বে উল্লিখিত হযরত উমর (রা)-এর
হাদীছ থেকে জানা গেছে যে, তাদের সংখ্যা ছিল হাযারের উভ্রুর্ধ্ব ৷ কিন্তু প্রথম সংখ্যাই সঠিক ৷
কারণ, রাসুল (সা) বলেছেন : শত্রুপক্ষের সৈন্যসংখ্যা নয়শ’ ও হড়াযারের মাঝামাঝি ৷ বদর যুদ্ধে
সাহাবাগণের সংখ্যা ছিল তিনশ দশজনের কিছু বেশী ৷ পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আসছে ৷
ইতোপুর্বে মিক্সাম সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে হাকাম বর্ণিত হাদীছে উল্লিখিত হয়েছে যে, ১ ৭ই
রমাযান শুইবনরে বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৷ এ কথা আরও বলেছেন, উবওয়া ইবন যুরায়র,
কাতড়াদা, ইসমাঈল, সুদ্দী আল-কবীর ও আবু জাফর আল-বাকির ৷

বায়হাকী কুতায়বা সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে বদর যুদ্ধ লায়লাতৃল কদরে
হওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন : রমাযানের এগার দিন অবশিষ্ট থাকতে তোমরা
কদরের রাত তালাশ কর ৷ কেননা, ঐ তারিখের সকাল হল বদর যুদ্ধের দিন ৷ বায়হাকী ষায়দ
ইবন আরকাম সুত্রে বলেন, তাকে কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
রমাযান মাসের উনিশ তারিখের রাত হচ্ছে কদরের রাত এতে কোন সন্দেহ নেই ৷ তিনি
বলেছেন, মীমাংসার দিন হলো দু’দলের পরস্পরের সম্মুখীন হওয়ার দিন ৷ বায়হাকী বলেন,
মাগাযী বিশেষজ্ঞদের প্রসিদ্ধ মতে রমাযান মাসের সতের তারিখে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
এরপর বায়হাকী বলেন : আবুল হুসাইন ইবন বুশরান সুত্রে মুসা ইবন তালহা থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, আবু আইয়ুব আনসারীর নিকট বদর যুদ্ধের তারিখ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে
তিনি বলেন, (রমযান মাসের) সতের অথবা তেব তারিখে কিৎবা (রমাযানের) এগার দিন অথবা
সতের দিন অবশিষ্ট থাকতে বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এ হাদীছটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷

হাফিয ইবন আসাকির কুবাছ ইবন আশয়াম আল-লায়হীর জীবন প্রসঙ্গে ওয়াকিদী
প্রমুখের বরাতে লিখেছেন যে, বদর যুদ্ধে কুবাছ মুশরিকদের পক্ষে যুদ্ধ করতে আসে ৷ এ যুদ্ধে
মুসলমানদের সংখ্যা কম হওয়া সত্বেও মুশরিকদের পরাজয়ের বর্ণনা তিনি দিয়েছেন ৷ কুবাছ
বলেন, মুশরিকদের পরাজয়ের সময় আমি মনে মনে ভাবছিলাম এমন অবস্থা তো আর কখনও
দেখিনি ৷ মহিলারা ব্যতীত সকল পুরুষ যোদ্ধা রণাংগন ছেড়ে পলায়ন করল ৷ আল্লাহর কসম, এ
যুদ্ধে যদি কেবল কুরায়শ মহিলারা এসে অস্ত্র ধারণ করত, তাহলে তারা মুহাম্মদ ও তার
সঙ্গীদেরকে প্রতিহত করতে পারত ৷ এরপর খন্দকের যুদ্ধ হয়ে গেলে আমি তাবলাম, যদি
মদীনায় যেতে পারতড়াম, তাহলে মুহাম্মদ (সা) কী বলেন, তা বুঝার সুযোগ পেতাম ৷ এ সময়ে
আমার অন্তরে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিল ৷ কুবাছ বলেন, কিছু দিন পর আমি
মদীনায় গেলাম এবং ণ্লাকজনের কাছে মুহাম্মদ (সা)এর অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷
তারা জানান যে, তিনি ঐ মসজিদে সাথী-সঙ্গীদের নিয়ে বসে আছেন ৷ এরপর আমি তথায়


قُلْتُ: وَالصَّحِيحُ أَنَّ جُمْلَةَ الْمُشْرِكِينَ كَانُوا مَا بَيْنَ التِّسْعِمِائَةِ إِلَى الْأَلْفِ، وَقَدْ صَرَّحَ قَتَادَةُ بِأَنَّهُمْ كَانُوا تِسْعَمِائَةٍ وَخَمْسِينَ رَجُلًا، وَكَأَنَّهُ أَخَذَهُ مِنْ هَذَا الَّذِي ذَكَرْنَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي حَدِيثِ عُمَرَ الْمُتَقَدِّمِ، أَنَّهُمْ كَانُوا زِيَادَةً عَلَى الْأَلْفِ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ: «الْقَوْمُ مَا بَيْنَ التِّسْعِمِائَةِ إِلَى الْأَلْفِ» . وَأَمَّا الصَّحَابَةُ يَوْمَئِذٍ فَكَانُوا ثَلَاثَمِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، كَمَا سَيَأْتِي التَّنْصِيصُ عَلَى ذَلِكَ، وَعَلَى أَسْمَائِهِمْ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَتَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ وَقْعَةَ بَدْرٍ كَانَتْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ. وَقَالَهُ أَيْضًا، عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَقَتَادَةُ وَإِسْمَاعِيلُ السُّدِّيُّ الْكَبِيرُ، وَأَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ قُتَيْبَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ، قَالَ: تَحَرُّوهَا لِإِحْدَى عَشْرَةَ بَقِينَ، فَإِنَّ صَبِيحَتَهَا يَوْمُ بَدْرٍ. . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرُوِيَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৪৬১
لَيْلَةُ تِسْعَ عَشْرَةَ. مَا شَكَّ وَقَالَ: يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَالْمَشْهُورُ عَنْ أَهْلِ الْمَغَازِي أَنَّ ذَلِكَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً مَضَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ السَّمَّاكِ، حَدَّثَنَا حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ يَقُولُ: سُئِلَ أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ يَوْمِ بَدْرٍ فَقَالَ: إِمَّا لِسَبْعَ عَشْرَةَ خَلَتْ، أَوْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ، أَوْ لِإِحْدَى عَشْرَةَ بَقِيَتْ، وَإِمَّا لِسَبْعَ عَشْرَةَ بَقِيَتْ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ قُبَاثِ بْنِ أَشْيَمَ اللَّيْثِيِّ، مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ وَغَيْرِهِ بِإِسْنَادِهِمْ إِلَيْهِ، أَنَّهُ شَهِدَ يَوْمَ بَدْرٍ مَعَ الْمُشْرِكِينَ، فَذَكَرَ هَزِيمَتَهُمْ مَعَ قِلَّةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: وَجَعَلْتُ أَقُولُ فِي نَفْسِي: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا الْأَمْرِ فَرَّ مِنْهُ إِلَّا النِّسَاءُ، وَاللَّهِ لَوْ خَرَجَتْ نِسَاءُ قُرَيْشٍ بِأَكَمَتِهَا، رَدَّتْ مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ الْخَنْدَقِ، قُلْتُ: لَوْ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَنَظَرْتُ إِلَى مَا يَقُولُ مُحَمَّدٌ، وَقَدْ وَقَعَ فِي نَفْسَيَ الْإِسْلَامُ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৪৬২


উপস্থিত হলাম; কিন্তু সঙ্গীদের ভীড়ের মধ্যে র্তাকে চিনতে না পেরে সালাম জানড়ালাম ৷ তখন
মুহাম্মদ (সা) বললেন, ওহে কুবাছ ইবন আশৃয়াম৷ বদরের যুদ্ধে তুমিই তো বলেছিলে-
আজকের ন্যায় আমি আর কখনও দেখিনি ৷ রণাংগন থেকে মহিলারা ব্যতীত পুরুষরা পলায়ন
করেছে ৷ তখন আমি বললাম, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ্র রাসুল ৷ কেননা,
এ কথাটি আমি কখনও কারও নিকট ব্যক্ত করিনি ৷ আর ঐ যুদ্ধের সময় এ কথা আমি মুখে
বলিনি ৷ তা কেবল আমার মনের মধ্যেই উদয় হয়েছিল ৷ সুতরাং আপনি নবী না হলে এ বিষয়ে
অবগত হতে পারতেন না ৷ আসুন, আমি আপনার নিকট ইসল্যামর উপর বায়আত গ্রহণ করি ৷
এভাবে আমি ইসলামে দীক্ষিত হই ৷

অনুচ্ছেদ

বদর যুদ্ধে প্রাপ্ত মাংল গনীমত কাদের প্রাপ্য, এ প্রশ্নে সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে মতবিরোধ
সৃষ্টি হয় ৷ মতবিরােধের কারণ হচ্ছে, মুশরিকরা যখন পরাজিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে , তখন
সাহাবীগণ তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন ৷ র্তাদের এক ভাগ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ঘিরে রাখেন ৷
মুশরিকরা পুনরায় ঘুরে এসে তার উপর আক্রমণ , করতে পারে এ আশংকায় র্তারা র্তাকে
পাহারা দিচ্ছিলেন ৷ আর এক অংশ মুশরিকদের পিছু ধাওয়া করে তাদেরকে হত্যা ও বন্দী
করতে থাকেন ৷ তৃতীয় দল বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা গনীমতের মাল সৎ হ করেন ৷ প্ৰতেদ্রক
দলই নিজ নিজ কাজের গুরুতু বিবেচনা করে অন্যদের তুলনায় গনীমতের অধিক হকদার
বলে দাবী জানায় ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আবদুর রহমান ইবন হারিছ আবু উমামা বাহিলী সুত্রে বর্ণনা
করেন তিনি বলেন, আমি উবাদা ইবন সামিতের নিকট সুরা আনফাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি ৷
তিনি বললেন : আমরা যারা বদরের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করি, যুদ্ধের পর গনীমতের মান নিয়ে
আমাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয় এরং আমাদের আচরণ অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে পৌছে
যায় ৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে সুরা অড়ানফাল অবতীর্ণ হয় ৷ আল্লাহ গনীমতের কর্তৃত্ব আমাদের হাত
থােক তুলে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে প্রদান করেন ৷ তিনি মুসলমানদের মধ্যে তা সমভাবে
বণ্টন করে দেন ৷ ইমাম আহমদও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
সমহারে বণ্টন করার অর্থ হচ্ছে, বিশেষ কোন একটি অংশকে নয় বরং যারা গনীমত সংগ্রহ
করেছিল, যারা শত্রুর পিছনে ধাওয়া করেছিল এবং যারা ময়দানে টিকে থেকে পতাকা সযুন্নত
রেখেছিল-এদের সকলের মধ্যেই তিনি গনীমত বণ্টন করেন ৷ এভাবে বন্টনের দ্বারা একথা
বুঝায় না যে, গনীমতের এক-পঞ্চমাংশ পৃথক করা হয়নি এবং পৃথক করে তা যথাস্থানে ব্যয়
করা হয়নি, যেমন আবু উবায়দা প্রমুখ এরুপ সন্দেহ করেছেন ৷ বরং রাসুল (না)-এর যুলফিকার
নামক তরবারি বদর যুদ্ধের গনীমত থেকে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়েছিলেন ৷ ইবন জারীর বলেন :
বদর যুদ্ধে আবু জাহ্লের উটের নাকে রুপার হার পরান ছিল ৷ গনীমতের সাল থেকে
এক-পঞ্চমাংশ বের করার পুর্বেই রাসুলুল্লাহ (সা) এ উটটি নিজের জন্যে রেখে দেন ৷ ইমাম
ন্ আহমদ বলেন : মুআবিয়া ইবন আমর উবাদা ইবন সামিত সুত্রে বর্ণনা বলেন, তিনি করেন ৷
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে মদীনা থেকে বের হয়ে বদরে উপস্থিত হই ৷ সেখানে শত্রুর


فَقَدِمْتُهَا، فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقَالُوا: هُوَ ذَاكَ فِي ظِلِّ الْمَسْجِدِ فِي مَلَأٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَأَتَيْتُهُ وَأَنَا لَا أَعْرِفُهُ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِهِ، فَسَلَّمْتُ فَقَالَ: " يَا قُبَاثَ بْنَ أَشْيَمَ، أَنْتَ الْقَائِلُ يَوْمَ بَدْرٍ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا الْأَمْرِ فَرَّ مِنْهُ إِلَّا النِّسَاءُ؟ فَقُلْتُ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، فَإِنَّ هَذَا الْأَمْرَ مَا خَرَجَ مِنِّي إِلَى أَحَدٍ قَطُّ، وَلَا تَرَمْرَمْتُ بِهِ إِلَّا شَيْئًا حَدَّثْتُ بِهِ نَفْسِي، فَلَوْلَا أَنَّكَ نَبِيٌّ مَا أَطْلَعَكَ اللَّهُ عَلَيْهِ، هَلُمَّ أُبَايِعْكَ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَأَسْلَمْتُ.