আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

غزوة بدر العظمى

فصل: اختلاف الصحابة في شأن الأسارى
পৃষ্ঠা - ২৪৪৭
[فَصْلٌ: اخْتِلَافُ الصَّحَابَةِ فِي شَأْنِ الْأُسَارَى] فَصْلٌ وَقَدِ اخْتَلَفَ الصَّحَابَةُ فِي الْأُسَارَى، أَيُقْتَلُونَ أَوْ يُفَادَوْنَ عَلَى قَوْلَيْنِ، كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، وَذَكَرَ رَجُلًا، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: «اسْتَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ فِي الْأُسَارَى يَوْمَ بَدْرٍ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، قَدْ أَمْكَنَكُمْ مِنْهُمْ. قَالَ فَقَامَ عُمَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اضْرِبْ أَعْنَاقَهُمْ. قَالَ: فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ عَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا أَيَّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمْكَنَكُمْ مِنْهُمْ، وَإِنَّمَا هُمْ إِخْوَانُكُمْ بِالْأَمْسِ. قَالَ فَقَامَ عُمَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اضْرِبْ أَعْنَاقَهُمْ. فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ عَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِلنَّاسِ مِثْلَ ذَلِكَ، فَقَامَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَرَى أَنْ تَعْفُوَ عَنْهُمْ وَأَنْ تَقْبَلَ مِنْهُمُ الْفِدَاءَ. قَالَ فَذَهَبَ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا كَانَ فِيهِ مِنَ
পৃষ্ঠা - ২৪৪৮


“যারা নিজেদের উপর জুলুম করে, তাদের জান কবযের সময় ফেরেশতাগণ বলে, তােমরা
কী অবস্থায় ছিলে’হ্র তারা বলে দুনিয়ার আমরা অসহায় ছিলাম ৷ তারা বলে, দুনিয়া কি এমন
প্রশস্ত ছিল না, যেখানে তোমরা হিজরত করতে জ ৷হান্নামই এদের আবাসস্থল আর তা কত মন্দ
আবাস” (৪০ ৯৭) ৷

বদর যুদ্ধে যে ট বন্দী সং থ্যা সত্তর জন ৷ পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আসবে
ইনশা ৷আল্লাহ্ ৷ বন্দীদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর পরিবারের অস্তত্যুঃ ৷
ফ্রোন (১) রাসুলুল্লাহ্র (সা)-এর চাচা আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব, (২) তার চাচড়াত
ভাই আকীল ইবন আবু তালিব এবং (৩) নাওফিল ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷ এখান
থেকে দলীল গ্রহণ করে ইমাম শাফিঈ ও ইমাম বুখারী বলেন, কেউ যদি রক্ত সম্পর্কীয় কোন
আত্মীয়ের মুনীর হয়ে যায়, তবে সে এমনিতে আযাদ হবে না; বরং গােলামই থাকবে ৷ কিন্তু
ইবন সাযুরা থেকে হাসানের বর্ণিত হাদীছ এর বিপরীত ৷ এই তালিকার মধ্যে আরও আছেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কন্যা যয়নবের স্বামী আবুল আস ইবন রবী’ ইবন আবদে শাম্স ইবন
উমাইয়া ৷

অনুভ্রুচ্ছদ

বদর যুদ্ধের বন্দীদের হত্যা করা হবে, নাকি মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়৷ হবে-এ ব্যাপারে
সাহাবাগণের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় ৷ এ প্রসঙ্গে ইমাম আহমদ বলেন : আলী ইবন আসিম
হাসান সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বদর যুদ্ধের বন্দীদের সম্পর্কে
সড়াহাবীগণের পরামর্শ চান এবং বলেন : আল্লাহ্ তাদেরকে তোমাদের করায়াত্ত করে দিয়েছেন ৷
হযরত উমর র্দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! ওদেরকে হত্যা করে দিন ! রাসুলুল্পাহ্ (সা)
; উমরের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে পুনরায় লোকদের কাছে এবইি ব্যাপারে পরামর্শ চাইলেন ৷
এবার আবু বকর সিদ্দীক দাড়িয়ে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্৷ আমার মত হচ্ছে, তাদের নিকট
থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়৷ হোক ৷ এ কথা ওনার পর রাসুলুল্লাহ্র চেহারার
বিষগ্ন তার কেটে গেল এবং মুক্তিপণ নিয়ে তিনি তাদেরকে ছেড়ে দিলেন ৷ হাসান বলেন, এ
পরিপ্রেক্ষিতে আল্পাহ্ তাআলা আয়াত নাযিল করলেনং ,

আল্লাহর পুর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ তাতে তোমাদের উপর মহড়াশাস্তি
আপতিত হত” (৮ : ৬৮) ৷
ইমাম আহমদ, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও আলী আল-মদীনী ইকরিমা ইবন আমার
সুত্রে ত্রে উমর ইবন যা তার (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) বদর যুদ্ধের দিনে
তার সাহাবীগণের প্রতি লক্ষ্য করলেন, তারা ছিলেন সং থ্যায় তিনশ র কিছু বেশী ৷ পরে মুশরিক
বাহিনীর প্রতি লক্ষ্য করে দেখতে পেলেন, তারা ছিল হাযারের উধের্ব ৷ এরপর তিনি ঘটনার
বিস্তারিত বিবরণ দেন, যার শেষের কথা ছিল কাফিরদের সত্তরজন নিহত হয় এবং সত্তরজন
বন্দী হয় ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) (বন্দীদের ব্যাপারে) আবু বকর, আলী ও উমর (রা)-এর সাথে


الْغَمِّ، فَعَفَا عَنْهُمْ وَقَبِلَ مِنْهُمُ الْفِدَاءَ. قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ} [الأنفال: 68] إِلَى آخِرِ الْآيَةِ» [الْأَنْفَالِ: 68] . انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ - وَاللَّفْظُ لَهُ - وَمُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَصَحَّحَهُ وَكَذَا عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، وَصَحَّحَهُ مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ: «نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَصْحَابِهِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَهُمْ ثَلَاثُمِائَةٍ وَنَيِّفٌ، وَنَظَرَ إِلَى الْمُشْرِكِينَ، فَإِذَا هُمْ أَلْفٌ وَزِيَادَةٌ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ كَمَا تَقَدَّمَ إِلَى قَوْلِهِ: فَقُتِلَ مِنْهُمْ سَبْعُونَ رَجُلًا، وَأُسِرَ مِنْهُمْ سَبْعُونَ رَجُلًا، وَاسْتَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ وَعَلِيًّا وَعُمَرَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو الْعَمِّ وَالْعَشِيرَةُ وَالْإِخْوَانُ، وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَأْخُذَ مِنْهُمُ الْفِدْيَةَ، فَيَكُونَ مَا أَخَذْنَاهُ قُوَّةً لَنَا عَلَى الْكُفَّارِ، وَعَسَى أَنْ يَهْدِيَهُمُ اللَّهُ، فَيَكُونُوا لَنَا عَضُدًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا تَرَى يَا بْنَ الْخَطَّابِ؟ قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أَرَى مَا رَأَى أَبُو بَكْرٍ، وَلَكِنْ أَرَى أَنْ تُمَكِّنَنِي مِنْ فُلَانٍ - قَرِيبٍ لِعُمَرَ - فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ، وَتَمَكِّنَ عَلِيًّا مِنْ عَقِيلٍ فَيَضْرِبَ عُنُقَهُ، وَتُمَكِّنَ حَمْزَةَ مِنْ فُلَانٍ أَخِيهِ فَيَضْرِبَ عُنُقَهُ، حَتَّى يَعْلَمَ اللَّهُ أَنَّهُ لَيْسَتْ فِي قُلُوبِنَا هَوَادَةٌ لِلْمُشْرِكِينَ، وَهَؤُلَاءِ صَنَادِيدُهُمْ وَأَئِمَّتُهُمْ وَقَادَتُهُمْ. فَهَوِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ، وَلَمْ يَهْوَ مَا قُلْتُ، وَأَخَذَ مِنْهُمُ الْفِدَاءَ. فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ قَالَ عُمَرُ: فَغَدَوْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২৪৪৯
فَإِذَا هُوَ قَاعِدٌ وَأَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَإِذَا هُمَا يَبْكِيَانِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي مَاذَا يُبْكِيكَ أَنْتَ وَصَاحِبُكَ، فَإِنْ وَجَدْتُ بُكَاءً بِكَيْتُ، وَإِنْ لَمْ أَجِدْ بُكَاءً تَبَاكَيْتُ لِبُكَائِكُمَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَّذِي عَرَضَ عَلَيَّ أَصْحَابُكَ مِنْ أَخْذِهِمُ الْفِدَاءَ، قَدْ عُرِضَ عَلَيَّ عَذَابُكُمْ أَدْنَى مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ - لِشَجَرَةٍ قَرِيبَةٍ - وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الْأَرْضِ تُرِيدُونَ عَرَضَ الدُّنْيَا وَاللَّهُ يُرِيدُ الْآخِرَةَ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ} [الأنفال: 67] مِنَ الْفِدَاءِ، ثُمَّ أَحَلَّ لَهُمُ الْغَنَائِمَ وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثَ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا تَقُولُونَ فِي هَؤُلَاءِ الْأَسْرَى؟ قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَوْمُكَ وَأَهْلُكَ، اسْتَبْقِهِمْ وَاسْتَأْنِ بِهِمْ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ. قَالَ: وَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْرَجُوكَ وَكَذَّبُوكَ، قَرِّبْهُمْ فَاضْرِبْ أَعْنَاقَهُمْ. قَالَ: وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، انْظُرْ وَادِيًا كَثِيرَ الْحَطَبِ فَأَدْخِلْهُمْ فِيهِ ثُمَّ أَضْرِمْهُ
পৃষ্ঠা - ২৪৫০




পরামর্শ করেন ৷ হয়র৩ আবু বকর বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এরা তো আমাদের ভাই-যেরাদর
ও আত্মীয় স্বজন, আমার মতে, এদের থেকে মুক্তিপ ণ গ্রহণ করুন ৷ এতে যে অর্থ আসার৩
দ্বারা শ ৷ত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে ৷ ভবিষ্যতে হয়ত আল্লাহ্ত তাদেরকে হিদায়াত
দান করবেন এবং তখন তারা আমাদের সাহায্যক৷ ৷রী হবে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে
খাত্তাবের পুত্র (উমর) ! তোমার মত কি? আমি বললাম, আল্লাহর কসম, আবু বকর যে মত
ব্যক্ত করেছেন আমার মত সে রকম নয় ৷ আমার মত হচ্ছে এদের মধ্যে আমার
নিকট-আত্মীয়কে ধরে আমিই হত্যা করব ৷ আকীলকে আলীর হুাস্বাৰু:ছ দেয়া হবে, সে তাকে হত্যা
করবে এবং হামযা তার ভাইকে ধরে হত্যা করবেন ৷ এতে আল্লাহ দেখবেন ”যে, আমাদের
অম্ভরে মুশরিকদের প্রতি কোনই দুর্বল৩ তা নেই ৷ আর এই বন্দীরা হচ্ছে কাফিরদের সর্দার
তাদের নেতা ও পরিচালক ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আমার মত গ্রহণ কংালেন না,৩ তিনি আবু বকরের
মত গ্রহণ করলেন ও মুক্তিপণ আদায় করলেন ৷

উমর বলেন : পরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও আবু বকরের নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম
তারা উভয়ে র্কাদছেন ৷ আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু আপনারা র্কাদছেন কেন ? কারণটা
জানতে পারলে যদি আমারও কান্না আসে, তবে আমিও র্কাদব ৷ আর যদি কান্ন৷ না আসে, তবে
আপনাদের দেখাদেখি ক ন্নাব ডান করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ঘুক্তিপ্ ণ গ্রহণের কারণে
তোমাদের সাথীকে১ এক ভয়াবহ দৃশ্য দেখান হয়েছে ৷ দেখান হয়েছে যে ওে ৷মাদের উপর
আবার আসছে এবং তা একেবারে নিকটস্থ এই বৃক্ষের চেয়েও নিকটে এসে গেছে ৷ আর আল্লাহ
এ আয়াত নাযিল করেছেন ও





,

দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভুত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবীর জন্যে সংগত

নয় ৷ তোমরা কামনা কর পার্থিব সম্পদ এবং আল্লাহ চান পরলোকের কল্যাণ ৷ আল্লাহ

পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ আল্লাহর পুর্ববিধান না থাকলে তে ৷মরা যা গ্রহণ করেছ (৩ার্থ ৎ ৰু

মুক্তিপ্ ণ) সেজন্যে তোমাদের উপর আপতিত হত মহাশাস্তি (৮ং ৬৭ ৬৮) ৷ এরপর ৰু

মু’মিনদের জন্যে গনীমতে র মাল হালাল করে দেয়৷ হল ৷ হযরত উমর হড়াদীছের শেষ পর্যন্ত
বর্ণনা করেন ৷

ইমাম আহমদ আবু মুআবিয়া আবদুল্লাহ সুত্রে অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন যাতে
অতিরিক্ত আছে উমর বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এরা আপনাকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করে
দেশ থেকে বের করে দিয়েছে ৷ তাদেরকে আমার হাতে সোপর্দ করুন, আমি ওদের গর্দান
উড়িয়ে দেই ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷ এদেরকে একটা প্রান্তরে রেখে



১ ইঙ্গিত তার নিজের দিকে ছিল ৷


عَلَيْهِمْ نَارًا. فَقَالَ الْعَبَّاسُ: قَطَعْتَ رَحِمَكَ. قَالَ: فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِمْ شَيْئًا، فَقَالَ نَاسٌ: يَأْخُذُ بِقَوْلِ أَبِي بَكْرٍ. وَقَالَ نَاسٌ: يَأْخُذُ بِقَوْلِ عُمَرَ. وَقَالَ نَاسٌ: يَأْخُذُ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ. فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ لَيُلِينُ قُلُوبَ رِجَالٍ فِيهِ حَتَّى تَكُونَ أَلْيَنَ مِنَ اللَّبَنِ، وَإِنَّ اللَّهَ لَيَشُدُّ قُلُوبَ رِجَالٍ فِيهِ حَتَّى تَكُونَ أَشَدَّ مِنَ الْحِجَارَةِ، وَإِنَّ مَثَلَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، كَمَثَلِ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَالَ: {فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [إبراهيم: 36] وَمَثَلَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ كَمَثَلِ عِيسَى، قَالَ: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ.} [المائدة: 118] وَإِنَّ مَثَلَكَ يَا عُمَرُ كَمَثَلِ نُوحٍ، قَالَ: {رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا} [نوح: 26] وَإِنَّ مَثَلَكَ يَا عُمَرُ كَمَثَلِ مُوسَى، قَالَ: {رَبَّنَا اطْمِسْ عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَاشْدُدْ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُوا حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} [يونس: 88] أَنْتُمْ عَالَةٌ، فَلَا يَنْفَلِتَنَّ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا بِفِدَاءٍ أَوْ ضَرْبَةِ عُنُقٍ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِلَّا سُهَيْلَ بْنَ بَيْضَاءَ، فَإِنِّي قَدْ سَمِعْتُهُ يَذْكُرُ
পৃষ্ঠা - ২৪৫১
الْإِسْلَامَ. قَالَ فَسَكَتَ. قَالَ فَمَا رَأَيْتُنِي فِي يَوْمٍ أَخْوَفَ أَنْ تَقَعَ عَلَيَّ حِجَارَةٌ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ، حَتَّى قَالَ: " إِلَّا سُهَيْلَ بْنَ بَيْضَاءَ " قَالَ: فَأَنْزَلَ اللَّهُ {مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الْأَرْضِ تُرِيدُونَ عَرَضَ الدُّنْيَا وَاللَّهُ يُرِيدُ الْآخِرَةَ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ} [الأنفال: 67] إِلَى آخِرِ الْآيَتَيْنِ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالْحَاكِمُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ، وَقَالَ الْحَاكِمُ: صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ بِنَحْوِ ذَلِكَ، وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي أَيُّوبٍ الْأَنْصَارِيُّ بِنَحْوِهِ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ مَرْدَوَيْهِ، وَالْحَاكِمُ فِي " الْمُسْتَدْرَكِ " مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «لَمَّا أُسِرَ الْأُسَارَى يَوْمَ بَدْرٍ أُسِرَ الْعَبَّاسُ فِيمَنْ أُسِرَ، أَسَرَهُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، قَالَ: وَقَدْ أَوْعَدَتْهُ الْأَنْصَارُ أَنْ يَقْتُلُوهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي لَمْ أَنَمِ اللَّيْلَةَ مِنْ أَجْلِ عَمِّي الْعَبَّاسِ، وَقَدْ زَعَمَتِ الْأَنْصَارُ أَنَّهُمْ قَاتِلُوهُ.
পৃষ্ঠা - ২৪৫২


চারিদিকে প্রচুর কাঠ বিছিয়ে আগুন ধরিয়ে দিন! এসব কথা শুনে কোন জবাব না দিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘরে প্রবেশ করেন ৷ উপস্থিত লোকদের মধ্যে একদল বলল, র!সুল!ল্লাহ্ আবু
বকরের মতই গ্রহণ করবেন ! আর একদল বলল, উমরের মত গ্রহণ করবেন ৷ অন্য একদল
বলল, আবদুল্লাহ্ ইবন রাওয়াহার মত গ্রহণ করবেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে
লোকজনের সম্মুখে এসে বললেন৪ আল্লাহ কিছুসংখ্যক লোকের অন্তরকে নরম করেন এবং তা
তুলা থেকেও নরম হয়ে যায় আবার কিছুসং খ্যক লোকের অন্তরকে কঠিন বানান এবং তা
পাথরের চেয়েও শক্ত হয়ে যায় ৷ হে আবু বকর! তোমার দৃষ্টান্ত হযরত ৩ইবরাহীম (আ)-এর
মত ৷ তিনি বলেছিলেন ং




সু“তরাং যে আমার অনুসরণ করবে সেই আমার দলভুক্ত কিন্ত কেউ আমার অবাধ! হলে
তুমি তে ! ক্ষম!শীল, পরম দয়!লু” (১৪৪ ৩৬) ৷ হে আবু বকর! ণ্ত!ম!র দৃষ্টান্ত হযরত ৩ঈসা
(আ) ৷ তিনি বলেছিলেন :

ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ : ; শ্ ; ৷ ষ্

“তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও, তবে তার! তে! তােম! !রই বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষম!
কর, তবে তুমি তে! পর!ক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৫৪ ১১৮) ৷ আর হে উমর! তোমার দৃষ্টান্ত
হযরত নুহ্ (আ)-এর মত ৷ তিনি বলেছিলেন০ ং
ষ্ ৮শ্’এ

“হে আমার প্রতিপালক ! পৃথিবীতে কাফিরদের মধ্য হতে কোন গৃহবাসীকে অব্যাহতি
দিও ন! (৭১ : ২৬) ৷ হে উমর! তোমার দৃষ্টান্ত হযরত মুসা (আ) এর মত ৷ তিনি
বলেছিলেন :

>) ৷
“হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের সম্পদ বিনষ্ট কর তাদের হৃদয়ে মোহর করে দাও,
তার! তে! মর্মন্তুদ শাস্তি প্রত্যক্ষ ন! কর! পর্যন্ত বিশ্বাস করবে ন!” ৷ (১০ : ৮৮) ৷ তোমরা এখন
রিক্তহস্ত ৷ সুতরাং মুক্তিপণ গ্রহণ কিংবা হত্যা কর! ছাড়! গত্যন্তর নেই ৷ আবদুল্লাহ বললেন, ইয়!
র!সুলাল্লাহ্! সুহ!য়ল ইবন বায়যাকে এর থেকে বাদ রাখুন কেননা, আমি তাকে ইসলাম গ্রহণের
কথা আলোচনা করতে শুনেছি ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (স!) নীরব থাকলেন ৷ আবদুল্লাহ্
বলেন, তখন আমি এতে! ভীত হয়ে পড়লাম যে, এমনটি আর কোন দিন হইনি ৷ মনে হচ্ছিল,
আকাশ থেকে আমার উপর বুঝি পাথর বর্ষিত হবে ! কিছুক্ষণ পর র!সুলুল্লাহ্ (স!) বললেন,
সুহ!য়ল ইবন বায়যা ব্যতীত ৷ তখন আমার ভয় কেটে গেল ! আল্লাহ এ সময় আয়াত নাযিল
করলেন :

শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্


قَالَ عُمَرُ: أَفَآتِيهِمْ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَتَى عُمَرُ الْأَنْصَارَ، فَقَالَ لَهُمْ: أَرْسِلُوا الْعَبَّاسَ. فَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ، لَا نُرْسِلُهُ. فَقَالَ لَهُمْ عُمَرُ: فَإِنْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ رِضًى؟ قَالُوا: فَإِنْ كَانَ لَهُ رِضًى فَخُذْهُ. فَأَخَذَهُ عُمَرُ، فَلَمَّا صَارَ فِي يَدِهِ قَالَ لَهُ عُمَرُ: يَا عَبَّاسُ، أَسْلِمْ فَوَاللَّهِ لَأَنْ تُسْلِمَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يُسْلِمَ الْخَطَّابُ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ يُعْجِبُهُ إِسْلَامُكَ. قَالَ وَاسْتَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ عَشِيرَتُكَ، فَأَرْسِلْهُمْ. وَاسْتَشَارَ عُمَرَ، فَقَالَ: اقْتُلْهُمْ، فَفَادَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الْأَرْضِ} [الأنفال: 67] الْآيَةَ.» ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ خَيِّرْ أَصْحَابَكَ فِي الْأُسَارَى، إِنْ شَاءُوا الْفِدَاءَ وَإِنْ شَاءُوا الْقَتْلَ، عَلَى أَنْ يُقْتَلَ عَامًا قَابِلًا مِنْهُمْ مِثْلُهُمْ. قَالُوا: الْفِدَاءُ وَيُقْتَلُ مِنَّا.» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَمِنْهُمْ مَنْ رَوَاهُ مُرْسَلًا، عَنْ عُبَيْدَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২৪৫৩


“দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভুত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবীর পক্ষে সংগত
নয়” (৮ : ৬ ৭-৬৮ ) ৷ তিরমিযী ও হাকিম আবু যুআবিয়া থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
মারদুবিয়াহ আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ও আবু হুরায়রা থেকে প্রায় এ রকমই বর্ণনা করেছেন ৷ আবু
আইয়ুব আনসারী (রা) থেকেও এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন মারদুবিয়াহ ও হাকিম তার
মুসতাদরাকে উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুসা সুত্রে ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদর
যুদ্ধে অন্যান্য বন্দীদের সাথে (রাসুল (না)-এর চাচা) আব্বাসও বন্দী হন ৷ জনৈক আনসার
তাকে বন্দী করেন ৷ আনসাররা তাকে হত্যা করার হুমকি দেন ৷ একথা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
কানে আসে ৷ সকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার চাচা আব্বাসের চিন্তায় রাত্রে আমার ঘুম
হয়নি ৷ আনসাররা নাকি তাকে হত্যা করতে চায় ৷ হযরত উমর বললেন আমি কি আনসারদের
কাছে যাব ? রাসুলুল্লাহ বললেন, হ্যা যাও ৷ হযরত উমর আনসারদের কাছে গিয়ে বললেন,
আব্বাসকে ছেড়ে দাও ! আনসাররা বলল, আল্পাহ্র কসম , আমরা আব্বাসকে ছাড়বাে না ৷ উমর
বললেন, যদি রাসুলুল্লাহ্র এতে সম্মতি থাকে ? তারা বললেন, রসুলুল্লাহ্র যদি সম্মতি থাকে,
তাহলে ওকে নিয়ে যাও ! হযরত উমর তাকে নিয়ে আসলেন ৷ আব্বাসকে উমর আয়ত্তে নিয়ে
বললেন, ওহে আব্বাস! ইসলাম কবুল কর! আল্লাহর কসম , আমার পিতা খাত্তাবের ইসলাম
গ্রহণের চইিতে তোমার ইসলাম গ্রহণ করা আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ৷ কারণ, আমি জানি,
তুমি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) অধিক খুশী হবেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বন্দীদের
সম্পর্কে আবু বকর ও উমর (রা)-এর সাথে পরামর্শ করেন ও এ ব্যাপারে আয়াত নাযিলের
বর্ণনা রয়েছে ৷ হাদীছটি বর্ণনা করার পর হাকিম এর সনদকে বিশুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
বিভু বুখারী ও মুসলিম এ হাদীছ বর্ণনা করেননি ৷ তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ্ সুফিয়ান
ছাওরী সুত্রে আলী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্
(সা)এর নিকট এসে বললেন : বন্দীদের ব্যাপারে আপনার সাহাবীদেরকে ইখতিয়ার দেয়া
হয়েছে তারা ইচ্ছে করলে মুক্তিপণ নিতে পারে কিৎব৷ ইচ্ছে করলে আগামী বছর (যুদ্ধে)
নিজেদের সম-সংখ্যক নিহত হওয়ার শর্তে তাদেরকে হভ্যাও করতে পারে ৷ সাহাবীগণ বললেন,
মুক্তিপণ কিংবা আমাদের থেকে নিহত হওয়া এ হাদীছটি খুবই অপরিচিত ৷ কেউ কেউ একে
মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন উবায়দা থেকে ৷ ইবন ইসহাক ইবন আবু নাজীহ্ সুত্রে ইবন
আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন :

খুা৷ ৷ হুণ্,হু,’,াদ্বুৰু ৰুা,া
“আল্লাহ্র পুর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ তার জন্যে তোমাদের উপর
মহাশাস্তি আপতিত হত” (৮ : ৬৮) ৷ এ আঘাতের ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন ও পুর্ব থেকে বাধা না
দিয়ে আমি কোন অন্যায়ের কারণে কাউকে শাস্তি চ্ছি না এ বিধান যদি আগের থেকে না
থাকত, তবে তোমরা যা গ্রহণ করেছ, তার জন্যে আমি শাস্তি প্রদান করতাম ৷ ইবন আবুনাজীহ
মুজাহিদ থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক প্রমুখ এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন ৷

আমাশ বলেন, পুর্বে যে বিধান ছিল তা হল এই যে, বদর যুদ্ধে যায়৷ অংশগ্রহণ করেছিল
তাদের কাউকে শাস্তি দেয়া হবে না ৷ সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস, সাঈদ ইবন জুবায়র ও


وَقَدْ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ} [الأنفال: 68] يَقُولُ: لَوْلَا أَنِّي لَا أُعَذِّبُ مَنْ عَصَانِي حَتَّى أَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ، لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ أَيْضًا، وَاخْتَارَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ: سَبَقَ مِنْهُ أَنْ لَا يُعَذِّبَ أَحَدًا شَهِدَ بَدْرًا. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرِ، وَعَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ وَالثَّوْرِيُّ: {لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ} [الأنفال: 68] أَيْ: لَهُمْ بِالْمَغْفِرَةِ. وَقَالَ الْوَالِبِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: سَبَقَ فِي أُمِّ الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، أَنَّ الْمَغَانِمَ وَفِدَاءَ الْأُسَارَى حَلَالٌ لَكُمْ، وَلِهَذَا قَالَ بَعْدَهُ: {فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا} [الأنفال: 69] . وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَسَعِيدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৪৫৪
جُبَيْرٍ، وَعَطَاءٍ، وَالْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ، وَالْأَعْمَشِ، وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَقَدْ تَرَجَّحَ هَذَا الْقَوْلُ بِمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِي، نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً.» وَرَوَى الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمْ تَحِلَّ الْغَنَائِمُ لِسُودِ الرُّءُوسِ غَيْرِنَا. وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا} [الأنفال: 69] فَأَذِنَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَكْلِ الْغَنَائِمِ، وَفِدَاءِ الْأُسَارَى.» وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ الْعَيْشِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «جَعَلَ فِدَاءَ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ أَرْبَعَمِائَةٍ» . وَهَذَا كَانَ أَقَلَّ مَا فُودِيَ بِهِ أَحَدٌ مِنْهُمْ مِنَ الْمَالِ، وَأَكْثَرُ مَا فُودِيَ بِهِ الرَّجُلُ مِنْهُمْ أَرْبَعَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ.
পৃষ্ঠা - ২৪৫৫


আতা ইবন আবু রাবাহ থেকে অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে ৷ মুজাহিদ ও ছাওরী বলেন : আল্লাহর
পুর্ব-বিধান হলো বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমা করে দেয়৷ ৷ ওয়ালিব৷ (র) ইবন আব্বাস
সুত্রে বর্ণনা করেন, পুর্বের কিভাবে লেখা ছিল গনীমত ও মৃক্তিপণ তোমাদের জন্য হালাল ৷ এ
কারণে উক্ত আঘাতের ৫ন্াষে বলা হয়েছে :
াটুাহ্রঠুৰু

“যুদ্ধে যা তোমরা লাভ করেছ৩ তা বৈধ ও উত্তম বলে ভো ৷গ কর” (৮০ ৬৯) ৷ হযরত আবু
হুরায়রা, ইবন মাসউদ, সাঈদ ইবন জুবায়র , আত৷ , হাসান, কা তাদ৷ ও আমাশ থেকে অনুরুপ
বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন জারীর এ ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন এবং বুখারী ও মৃসলিমে জাবির ইবন
আবদুল্লাহ বর্ণিত নিম্নের হাদীছ দ্বারা সমর্থন রক্তে করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : আমাকে এমন পাচটি জিনিস দেয়৷ হয়েছে যা অন্য কোন নবীকে দেয়৷ হয়নি ৷ (১)
এক মাসের দুরত্ব পর্যন্ত অবন্থানকারীদের মনে আমার প্রভাব-প্ৰতিপত্তি ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে
সাহায্য করা হয়েছে, (২) ভু-পৃষ্ঠকে আমার জন্যে সিজদার স্থান ও পবিত্র করা হয়েছে ৷ (৩ )
আমার জন্যে গনীমতের সম্পদ হালাল করা হয়েছে, যা আমার পুর্বের কোন নবীর জন্যে হালাল
করা হয়নি, (৪) আমাকে শাফাআত করার অধিকার দেয়৷ হয়েছে, (৫) অন্যান্য নবীগণ আপন
আপন সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরিত হয়েছেন ৷ আর আমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্যে প্রেরণ করা
হয়েছে ৷

আমাশ আবু সালিহ্র মাধ্যমে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা)
বলেছেন : আমাদের ব্যতীত অন্য কোন উম্মতের জন্যে গনীমত হালাল করা হয়নি ৷ এজন্যেই
আল্লাহ বলেছেন : “যুদ্ধে যা তোমরা লাভ করেছ তা বৈধ ও পাক বলে ভোগ কর ৷ ” এভাবে
গনীমত ও মুক্তিপণ ভোগ করার জন্যে আল্লাহ অনুমতি দান করেন ৷ আবু দাউদ আবদুর রহমান
সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন : বদর যুদ্ধের বন্দীদের মুক্তিপণের সর্বনিম্ন পরিমাণ
ছিল জনপ্ৰতি চারশ’ দিরহাম এবং সর্বোচ্চ চার হাযার দিরহাম ৷ এরপর ও আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দেন
যে, যদি কোন বন্দী ঈমান আসে ও ইসলাম কবুল করে, তবে তার নিকট থেকে আদায়কৃত
মুক্তিপণের বিনিময়ে আল্লাহ তাকে দুনিয়ার ও আখিরাতে অধিক কল্যাণ দান করবেন ৷ আল্লাহর
বাণী

fl ) :




ট্রশ্১ভ্রু

হে নবী ৫৩ ৷মাদের করায়ত্ত যুদ্ধবন্দীদেরকে বল, আল্লাহ যদি ৫৩ তামাদের হৃদয়ে ভাল কিছু
দেখেন, তবে তোমাদের নিকট হতে যা নেয়া হয়েছে তার চাতই৫ উত্তম কিছু তিনি
তোমাদেরকে দান করবেন ও তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৮০ :
৭০) ৷ ওয়ালিবী বলেন, ইবন আব্বাস বলেছেনষ্ক এ আয়াত টি আমার পিতা আব্বাস প্রসঙ্গে

৬াশ্রোা৪গাে০০০া৷া
৬৬ —— ং

وَقَدْ وَعَدَ اللَّهُ مَنْ آمَنَ مِنْهُمْ بِالْخَلَفِ عَمَّا أُخِذَ مِنْهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِمَنْ فِي أَيْدِيكُمْ مِنَ الْأَسْرَى إِنْ يَعْلَمِ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمْ خَيْرًا يُؤْتِكُمْ خَيْرًا مِمَّا أُخِذَ مِنْكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ} [الأنفال: 70] الْآيَةَ [الْأَنْفَالِ: 70] . وَقَالَ الْوَالِبِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: نَزَلَتْ فِي الْعَبَّاسِ، فَفَادَى نَفْسَهُ بِالْأَرْبَعِينَ أُوقِيَّةً مِنْ ذَهَبٍ. قَالَ الْعَبَّاسُ: فَآتَانِي اللَّهُ أَرْبَعِينَ عَبْدًا - يَعْنِي كُلُّهُمْ يَتَّجِرُ لَهُ - قَالَ: وَأَنَا أَرْجُو الْمَغْفِرَةَ الَّتِي وَعَدَنَا اللَّهُ جَلَّ ثَنَاؤُهُ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا أَمْسَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ، وَالْأُسَارَى مَحْبُوسُونَ بِالْوِثَاقِ بَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاهِرًا أَوَّلَ اللَّيْلِ، فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: مَا لَكَ لَا تَنَامُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: سَمِعْتُ أَنِينَ عَمِّي الْعَبَّاسِ فِي وَثَاقِهِ. فَأَطْلَقُوهُ، فَسَكَتَ، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَجُلًا مُوسِرًا فَفَادَى نَفْسَهُ بِمِائَةِ أُوقِيَّةٍ مِنْ ذَهَبٍ. قُلْتُ: وَهَذِهِ الْمِائَةُ كَانَتْ عَنْ نَفْسِهِ، وَعَنِ ابْنَيْ أَخَوَيْهِ عَقِيلٍ وَنَوْفَلٍ، وَعَنْ حَلِيفِهِ عُتْبَةَ بْنِ عَمْرٍو أَحَدِ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ فِهْرٍ، كَمَا أَمَرَهُ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৪৫৬
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ ادَّعَى أَنَّهُ كَانَ قَدْ أَسْلَمَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا ظَاهِرُكَ فَكَانَ عَلَيْنَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِإِسْلَامِكَ وَسَيَجْزِيكَ، فَادَّعَى أَنَّهُ لَا مَالَ عِنْدَهُ، قَالَ: فَأَيْنَ الْمَالُ الَّذِي دَفَنْتَهُ أَنْتَ وَأُمُّ الْفَضْلِ، وَقُلْتَ لَهَا: إِنْ أُصِبْتُ فِي سَفَرِي فَهَذَا لِبَنِيَّ، الْفَضْلِ وَعَبْدِ اللَّهِ وَقُثَمَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا شَيْءٌ مَا عَلِمَهُ إِلَّا أَنَا وَأُمُّ الْفَضْلِ.» رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، قَالَ الزُّهْرِيُّ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: «إِنَّ رِجَالًا مِنَ الْأَنْصَارِ اسْتَأْذَنُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: ائْذَنْ لَنَا فَلْنَتْرُكْ لِابْنِ أُخْتِنَا الْعَبَّاسِ فَدَاءَهُ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ لَا تَذَرُوَنَ مِنْهُ دِرْهَمًا» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، فَقَالَ: انْثُرُوهُ فِي الْمَسْجِدِ. فَكَانَ أَكْثَرَ مَالٍ أُتِيَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي، إِنِّي فَادَيْتُ نَفْسِي وَفَادَيْتُ عَقِيلًا. فَقَالَ: خُذْ. فَحَثَا فِي ثَوْبِهِ ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ، فَقَالَ: مُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ إِلَيَّ. قَالَ: لَا. قَالَ: فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَيَّ. قَالَ: لَا. فَنَثَرَ مِنْهُ ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ.
পৃষ্ঠা - ২৪৫৭


অবতীর্ণ হয়েছে ৷ তিনি চল্লিশ উকিয়া১ স্বর্ণ নিজের মুক্তিপণ হিসেবে প্রদান করেন ৷ এরা সকলেই
তার ব্যবসায়ে সহযোগিতা করতো ৷ আব্বাস বলেন, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমি তার
থেকে ক্ষমা পাওয়ার আশা পোষণ করি ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আব্বাস ইবন আবদৃল্লাহ্
ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের পর যুদ্ধবন্দীদেরকে রাত্রে রশি দিয়ে
বেধে রাখা হয় ৷ ঐ রাতের প্রথম অংশে রাসুলুল্লাহ্র আর ঘুম হল না ৷ সড়াহাবীগণ জিজ্ঞেস
করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি ঘুমুচ্ছেন না কেন ? তিনি বললেন, আমার চাচা আব্বাসকে
করে রাখার কারণে তার কান্নার শব্দ শুনে আমার ঘুম আসছে না ৷ একথা শুনার পর সাহাবীগণ
গিয়ে আব্বাসের বীধন খুলে দিলেন ৷ তখন আব্বাস কান্না বন্ধ করলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আব্বাস ছিলেন সম্পদশালী ব্যক্তি ৷ তাই তিনি নিজের
মুক্তিপণ হিসেবে একশ’ উকিয়া প্রদান করেন ৷ আমার মতে, এই একশ’ উকিয়া ছিল তার
নিজের, তার দুই চাচড়াত ভাই আকীল ও নাওফিলের এবং তার মিত্র বনী হারিছ ইবন ফাহ্রের
পুত্র উত্বড়া ইবন আমরের পক্ষ থেকে ৷ যেমন বর্ণিত আছে যে, আব্বাস যখন দাবী করেছিলেন,
আমি পুর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, অদ্যেরা আপনার বাহ্যিক দিকটা
দেখব, আর আপনার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি আল্লাহই ভাল জানেন এবং তিনি আপনাকে এর
বিনিময় দেবেন ৷ অতএব, আপনার মুক্তিপণ দিতে হবে ৷ আব্বাস বললেন, আমার নিকট কোন
সম্পদ নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তবে সেই মাল কোথায় যা আপনি ও উম্মুল ফযল মাটির
নীচে রেখে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, আমি যদি এ যুদ্ধে মারা যাই, তাহলে এ মাল ফযল
আবদুল্লাহ্ ও কুছামের সন্তানরদেরকে দিও ? আব্বাস বললেন, আল্লাহর কসম, আমি নিশ্চিত
হয়েছি যে, আপনি আল্পাহ্র রাসুল! কেননা, এই লুক্কায়িত সম্পদের কথা আমি ও উম্মুল ফযল
ব্যতীত আর কেউই জানে না ৷ এ ঘটনাটি ইবন ইসহাক ইবন আবু নাজীহ্ সুত্রে ইবন আব্বাস
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ সহীহ্ বুখড়ারীতে মুসা ইবন উক্বা সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, কতিপয় আনসার সাহাবী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা
করেন ৷ তারা বললেন, আমাদেরকে আমাদের ভাগিনা আব্বাসের মুক্তিপণ মাফ করে দেয়ার
অনুমতি দিন ! তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম, তোমরা তার মুক্তিপণের একটি দিবহ্রড়া,মও মাফ
করবে না ৷ বুখাবী বলেন : ইবরাহীম ইবন তাহ্মান সুত্রে আনাস থেকে বর্ণিত ৷ নবী করীম
(না)-এর নিকট বাহ্রায়ন থেকে বিপুল পরিমাণ (সাদাকার) মাল আসে ৷ তিনি বললেন, এসব
মাল মসজিদে রেখে দাও ৷ তখন আব্বাস এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আমার নিজের
ও আকীলের মুক্তিপণ আদায় করেছি, আমাকে কিছু মাল দিন! রাসুলুল্লাহ্ বললেন, লওা
আব্বাস তার কাপড়ের মধ্যে মাল ভর্তি করে নেয়ার জন্যে উঠাতে উদ্যত হলেন, কিন্তু বেশী
করে ভর্তি করার কারণে তিনি তা উঠাতে সক্ষম পাহলেন না ৷ তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্কে বললেন,
এটি আমাকে উঠিয়ে দেয়ার জন্যে কাউদুক্ আদেশ করুন ৷ তিনি বললেন, না ৷ আব্বাস
বললেন, তাহলে আপনিই আমাকে উঠিয়ে দিন ! তিনি বললেন, না ৷ তারপর কাপড় থেকে কিছু
মাল ফেলে দিয়ে উঠাতে চাইলে কিন্তু এবারও উঠাতে সমর্থ হলেন না ৷ আবার তিনি
রাসুলুল্লাহ্কে বললেন, আপনার সাহাবীদের কাউকে একটু উঠিয়ে দিতে বলুন ৷ তিনি বললেন,

১ উকিয়া ৪০ দিরহাম বা সড়াড়েদশ তোলা ৷




فَقَالَ: مُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ إِلَيَّ. قَالَ: لَا. قَالَ: فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَيَّ قَالَ: لَا. فَنَثَرَ مِنْهُ، ثُمَّ احْتَمَلَهُ عَلَى كَاهِلِهِ ثُمَّ انْطَلَقَ، فَمَا زَالَ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ حَتَّى خَفِيَ عَلَيْنَا، عَجَبًا مِنْ حِرْصِهِ، فَمَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَمَّ مِنْهَا دِرْهَمٌ.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا الْحَاكِمُ، أَخْبَرَنَا الْأَصَمُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ أَسْبَاطِ بْنِ نَصْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّدِّيِّ، قَالَ: كَانَ فِدَاءُ الْعَبَّاسِ وَابْنَيْ أَخَوَيْهِ، عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَنَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، كُلُّ رَجُلٍ أَرْبَعُمِائَةِ دِينَارٍ، ثُمَّ تَوَعَّدَ تَعَالَى الْآخَرِينَ، فَقَالَ: {وَإِنْ يُرِيدُوا خِيَانَتَكَ فَقَدْ خَانُوا اللَّهَ مِنْ قَبْلُ فَأَمْكَنَ مِنْهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ} [الأنفال: 71]