আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة نوح عليه السلام

পৃষ্ঠা - ২৩৫

নুহ (আ) এর কাহিনী

তিনি ,;হ্লেন নুহ ইবন লামাক ইবন মুতাওশশালিখ ইবন খানুখ ৷ আর খানুখ ইন্সেন ইদ্রীস
ইৰ্ন য়াবদন্ফ্লি ঘাহ্স্াইস ইবন র্কীনন ইবন আনুশ ইবন শীছ ইবন আবুল বাশার আদম
(আ) ৷ ইবন আবীর প্রমুখের বর্ণনা মতে, আদম (আ)-এর ওফাতের একশ’ ছাব্বিশ বছর পর
তার জন্ম ৷ আহ্লি কিতাবদের প্রাচীন ইতিহাস মতে নুহ্ (আ)-এর জন্ম ও আদম (আ) এর
ওফাতের মধ্যে একশ ছেচল্লিশ বছরের ব্যবধান ছিল ৷ দুজনের মধ্যে ছিল দশ করন (যুগ) এর
ব্যবধান ৷ যেমন হাফিজ আবু হাতিম ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ গ্রন্থে আবু উমামা (রা ) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহ্র রাসুল! আদম (আ) কি নবী ছিলেন?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন হীা, আল্লাহ তার সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ ণ্লাকটি পুনরায় জিজ্ঞেস করল,
তার ও নুহ (আ)-এর মাঝে ব্যবধান ইিস কত কান্সেরঃ রাসুলুরাহ্ (সা) বললেন, দশ যুগের ৷
বর্শ্বন্সকরীিবক্রো, এ হাদীসঢিৰুমুসপিমেব শর্ত অনুযায়ী সহীহ ৷ তবে তিনি তা রিওয়ায়াত
করেননি ৷ সহাহ্বুত্রীিতে ইৰ্ন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আদম (আ)
ও নুহ (আ)-এর মাঝখানে ব্যবধান ছিল দশ যুগের ৷ তারা সকলেই ইসলামের অনুসারী
ছিলেন ৷
এখন করন বা যুগ বসতে যদি একশ বছর বুঝানো হয় যেমনটি সাধারণ্যে প্রচলিত
তাহলে তাদের মধ্যকার ব্যবধান ছিল নিশ্চিত এক হাজার বছর ৷ কিন্তু এক হাজার বছরের বেশি
হওয়ার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না ৷ কেননা, ইবন আব্বাস (রা) র্তাকে ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত
করেছেন ৷ আর তাদের দৃজনের মধ্যবর্তী সময়ে এমন কিছু যুগও অতিবাহিত হয়ে থাকবে,
যখন লোকজন ইসলামের অনুসারী ছিল না ৷ কিন্তু আবু উমমাের হাদীস দশ করন-এ সীমাবদ্ধ
হওয়ার কথা প্রমাণ করে আর ইবন আব্বাস (বা) একটু বাড়িয়ে বলেছেন, র্তারা সকলে
ইসলামের অনুসারী ছিলেন ৷ এসব তথ্য আহ্লি কিতাবদের সে সব ঐতিহাসিক ও অন্যদের এ
অনুমানকে বাতিল বলে প্রমাণ করে যে, কাবীল ও তার বৎশধররা অগ্নিপুজা করতো ৷ আল্লাহই
সর্বজ্ঞ ৷

আর যদি করন দ্বারা প্রজন্ম বুঝানো হয়ে থাকে % যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,

ণ্হ্নএ
“নুহের পর আমি কত প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি ৷ (১ ৭ : ১ ৭)



“তারপর তাদের পরে আমি বহু প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি ৷ (২৩ : ৪২)



াএর্চষ্এ

)

ণ্ট্ট



[قِصَّةُ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ] [قِصَّتُهُ مَعَ قَوْمِهِ وَالطُّوفَانُ الَّذِي حَلَّ بِمَنْ كَفَرَ مِنْهُمْ] هُوَ نُوحُ بْنُ لَامَكَ بْنِ مَتُّوشَلَخَ بْنِ خَنُوخَ، وَهُوَ إِدْرِيسُ بْنُ يَرْدَ بْنِ مَهْلَائِيلَ بْنِ قَيْنَنَ بْنِ أَنُوشَ بْنِ شِيثَ بْنِ آدَمَ أَبِي الْبَشَرِ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ مَوْلِدُهُ بَعْدَ وَفَاةِ آدَمَ بِمِائَةِ سَنَةٍ وَسِتٍّ وَعِشْرِينَ سَنَةً فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ، وَعَلَى تَارِيخِ أَهْلِ الْكِتَابِ الْمُتَقَدِّمِ يَكُونُ بَيْنَ مَوْلِدِ نُوحٍ وَمَوْتِ آدَمَ مِائَةٌ وَسِتٌّ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً، وَكَانَ بَيْنَهُمَا عَشَرَةُ قُرُونٍ، كَمَا قَالَ الْحَافِظُ أَبُو حَاتِمِ بْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ زَنْجَوَيْهِ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَّامٍ، عَنْ أَخِيهِ زَيْدِ بْنِ سَلَّامٍ، سَمِعْتُ أَبَا سَلَّامٍ، سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ «أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَبِيٌّ كَانَ آدَمُ؟ قَالَ: نَعَمْ. مُكَلِّمٌ. قَالَ: فَكَمْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ نُوحٍ؟ قَالَ: عَشَرَةُ قُرُونٍ» . قُلْتُ: وَهَذَا عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَمْ يُخَرِّجْهُ. وَفِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ بَيْنَ آدَمَ وَنُوحٍ عَشَرَةُ قُرُونٍ كُلُّهُمْ عَلَى الْإِسْلَامِ. فَإِنْ كَانَ الْمُرَادُ بِالْقَرْنِ مِائَةَ سَنَةٍ، كَمَا هُوَ الْمُتَبَادَرُ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ فَبَيْنَهُمَا
পৃষ্ঠা - ২৩৬


তাদের অন্তবত্তীকািলের বহু প্রজন্মকেও ৷ (২৫ ও ৩৮)

,,
শ্রো৷ ৷র্শ্ব১

“তাদের পুর্বে কত প্রজন্মকে আমি বিনাশ করেছি ৷ ” ( ১৯ : ৭৪ )

আবার যেমন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, শু১প্রুও গ্রেগ্লুদ্বু ৷ ,ন্ উত্তম প্রজন্ম আমার প্রজন্ম ৷

এই যদি হয়, তাহলে নুহ (আ) এর পুর্বে বহু প্রজন্ম দীর্ঘকাল যাবত বসবাস করেছিল ৷ এ

হিসাবে আদম (আ) ও নুহ (আ)-এর মধ্যে ব্যবধান দাড়ায় কয়েক হাজার বছরের ৷ আল্লাহই
সর্বজ্ঞ ৷

মোটকথা, যখন মুর্তি ও দেব-দেবীর পুজা শুরু হয় এবং মানুষ বিভ্রান্তি ও কুফরীতে
নিমজ্জিত হতে শুরু করে, তখন মানুষের জন্য রহমতস্বরুপ আল্লাহ তাআলা নুহ (আ) কে
প্রেরণ করেন ৷ অতএব, জগদ্বাসীর প্রতি প্রেরিত তিনিই সর্বপ্রথম রাসুল, যেমন কিয়ামতের দিন
হাশরের ময়দানে উপস্থিত লোকজন তাকে সম্বোধন করবে ৷ আর ইবন জুবায়র (র) প্রমুখের
বর্ণনা মতে নুহ (আ)-এর সম্প্রদায়কে বনু রাসিব বলা হতো ৷

নবুওত লাভের সময় নুহ (আ)-এর বয়স কত ছিল, এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে ৷ কেউ
কেউ বলেন, তখন তার বয়স হ্নিপ পঞ্চাশ বছর ৷ কেউ বলেন, তিনশ পঞ্চাশ বছর ৷ কারো
কারো মতে, চারশ’ আশি বছর ৷ এ বর্ণনাটি ইবন জারীরের এবং তৃতীয় অভিমতটি ইবন
আব্বাস (রা)-এর বলে তিনি বর্ণনা করেছেন ৷

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে নুহ (আ)এর কাহিনী তার সম্প্রদায়ের
বাবা তাকে অস্বীক ব করেছিল প্লাবন দ্বারা তাদের প্রতি অবতীর্ণ শাস্তির কথা এবং কিভাবে
তাকে ও নৌক ব অধিবাসীদেরকে মুক্তি দান করেছেন৩ তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন ৷ সুরা
আ রাফ , ইউনুস, হুদ, আম্বিয়া, মু মিনুন, শু আরা, আনকাবুত , সাফ্ফাত ও সুরা কমরে এসবের
আলোচনা রয়েছে ৷ তাছাড়া এ বিষয়ে সুরা নুহ নামে একটি পুর্ণাঙ্গ সুরাও অবতীর্ণ হয়েছে ৷

সুরা আ রাফে আল্লাহ তা জানা বলেন


এাঠু£র্দু




স্পো,এ ণ্^ইর্চুএে ৰুহ্ন১স্ন্
’ ’;


অর্থাৎ আমি তো নুহকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্প্রদায়ের নিকট এবং সে বলেছিল , হে
আমার সম্প্রদায় ! আল্লাহর ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন ইলাহ নেই ৷ আমি


أَلْفُ سَنَةٍ لَا مَحَالَةَ، لَكِنْ لَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ أَكْثَرَ بِاعْتِبَارِ مَا قَيَّدَ بِهِ ابْنُ عَبَّاسٍ بِالْإِسْلَامِ ; إِذْ قَدْ يَكُونُ بَيْنَهُمَا قُرُونٌ أُخَرُ مُتَأَخِّرَةٌ لَمْ يَكُونُوا عَلَى الْإِسْلَامِ، لَكِنَّ حَدِيثَ أَبِي أُمَامَةَ يَدُلُّ عَلَى الْحَصْرِ فِي عَشَرَةِ قُرُونٍ، وَزَادَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّهُمْ كُلُّهُمْ كَانُوا عَلَى الْإِسْلَامِ، وَهَذَا يَرُدُّ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ مِنْ أَهْلِ التَّوَارِيخِ، وَغَيْرِهِمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ: أَنَّ قَابِيلَ وَبَنِيهِ عَبَدُوا النَّارَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَإِنْ كَانَ الْمُرَادُ بِالْقَرْنِ الْجِيلَ مِنَ النَّاسِ، كَمَا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَكَمْ أَهْلَكْنَا مِنَ الْقُرُونِ مِنْ بَعْدِ نُوحٍ} [الإسراء: 17] . وَقَوْلُهُ: {ثُمَّ أَنْشَأْنَا مِنْ بَعْدِهِمْ قَرْنًا آخَرِينَ} [المؤمنون: 31] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَقُرُونًا بَيْنَ ذَلِكَ كَثِيرًا} [الفرقان: 38] . وَقَالَ: {وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنْ قَرْنٍ} [مريم: 74] . وَكَقَوْلِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ «خَيْرُ الْقُرُونِ قَرْنِي» . الْحَدِيثَ. فَقَدْ كَانَ الْجِيلُ قَبْلَ نُوحٍ يُعَمِّرُونَ الدُّهُورَ الطَّوِيلَةَ فَعَلَى هَذَا يَكُونُ بَيْنَ آدَمَ وَنُوحٍ أُلُوفٌ مِنَ السِّنِينَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَبِالْجُمْلَةِ فَنُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِنَّمَا بَعَثَهُ اللَّهُ تَعَالَى لَمَّا عُبِدَتِ الْأَصْنَامُ وَالطَّوَاغِيتُ، وَشَرَعَ النَّاسُ فِي الضَّلَالَةِ، وَالْكُفْرِ فَبَعْثَهُ اللَّهُ رَحْمَةً لِلْعِبَادِ فَكَانَ أَوَّلَ رَسُولٍ بُعِثَ إِلَى أَهْلِ الْأَرْضِ، كَمَا يَقُولُ لَهُ أَهْلُ الْمَوْقِفِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَكَانَ قَوْمُهُ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو رَاسِبٍ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ. وَاخْتَلَفُوا فِي مِقْدَارِ سِنِّهِ يَوْمَ بُعِثَ. فَقِيلَ: كَانَ ابْنَ خَمْسِينَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ২৩৭


তোমাদের জন্য মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করছি ৷ তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ বলেছিল,
আমরা তো তোমাকে স্পষ্ট ভ্রাস্তিতে দেখতে পাচ্ছি ৷

সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায় আমাতে কোন ভ্রান্তি নেই ৷ আমি তো জগতসমুহের
প্রতিপালকের রাসুল ৷ আমার প্রতিপালকের বাণী আমি তোমাদের নিকট পৌছাচ্ছি ও
তােমাদেরকে হিতোপদেশ দিচ্ছি এবং তোমরা যাজ আর না আমি তা আল্লাহর নিকট হতে জ ৷নি ৷

তোমরা কি বিস্মিত হচ্ছ যে, তোমাদেরই একজনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতিপা ৷লকের নিকট
হতে তোমাদের কাছে উপদেশ এসেছে, যাতে সে তােমাদেরকে সতর্ক করে তোমরা সাবধান
হও এবং তোমরা অনুকম্পা লাভ কর ৷

তারপর তারা তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে৷ তাকে ও তার সঙ্গে যারা নৌকায় ছিল আমি
তাদেরকে উদ্ধার করি এবং যারা আমার নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদেরকে ডুবিয়ে দেই ৷
তারা ছিল এক অন্ধ সম্প্রদায় ৷ (৭ : ৫৯-৬৪ )

সুরা ইউনুসে আল্লাহ তাআলা বলেন :
ণ্হুৰুছুর্চুব্লু প্রু^দ্বুা
ন্ভু;কু ছুএদ্বুদ্বুর্চুন্ঠু
ব্লুধ্;’ট্টহ্রদ্বু
া ঠুপুর্ন্তর্বু

অর্থাৎ-তাদেরকে তুমি নুহ-এর বৃত্তান্ত দে ৷ড়ানাও ৷ সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল , হে আমার
সম্প্রদায় ৷ আমার অবস্থিতি ও আল্লাহর নিদর্শন দ্বারা আমার উপদেশ দান তোমাদের নিকট
যদি দুঃসহ হয় তবে আমি তো আল্লাহর উপর নির্ভর করি, তোমরা যাদেরকে শরীক
করেছ সেগুলোর সঙ্গে তোমাদের কর্তব্য স্থির করে নাও, পরে যেন কর্তব্য বিষয়ে তোমাদের
কোন সংশয় না থাকে ৷ আমার সম্বন্ধে তোমাদের কর্ম নিষ্পন্ন করে ফেল এবং আমাকে
অবকাশ দিও না ৷

তারপর তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে নিতে পার, তোমাদের নিকট আমি তো কোন
পারিশ্রমিক চাইনি, আমার পারিশ্রমিক আছে আল্লাহর নিকট ৷ আমি তো আত্মসমর্পণকারীদের
অন্তর্ভুক্ত হতে আদিষ্ট হয়েছি ৷

আর তারা তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে-তারপর তাকে ও তার সঙ্গে যারা নৌকায় ছিল
তাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং তাদেরকে স্থলাভিষিক্ত করি ও বাবা আমার নিদর্শনকে
প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদেরকে নিমজ্জিত করি ৷ সুতরাং দেখ যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল
তাদের পরিণাম কি হয়েছে ? (১০ : ৭ ১ ৭৩)


وَقِيلَ: ابْنَ ثَلَاثِمِائَةٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: ابْنَ أَرْبَعِمِائَةٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً حَكَاهَا ابْنُ جَرِيرٍ، وَعَزَا الثَّالِثَ مِنْهَا إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ. وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ قِصَّتَهُ وَمَا كَانَ مِنْ قَوْمِهِ، وَمَا أَنْزَلَ بِمَنْ كَفَرَ بِهِ مِنَ الْعَذَابِ بِالطُّوفَانِ، وَكَيْفَ أَنْجَاهُ وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِهِ الْعَزِيزِ ; فَفِي الْأَعْرَافِ، وَيُونُسَ، وَهُودٍ، وَالْأَنْبِيَاءِ، وَالْمُؤْمِنُونَ، وَالشُّعَرَاءِ، وَالْعَنْكَبُوتِ، وَالصَّافَّاتِ، وَاقْتَرَبَتْ. وَأَنْزَلَ فِيهِ سُورَةً كَامِلَةً فَقَالَ فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ: {لَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ قَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِهِ إِنَّا لَنَرَاكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ قَالَ يَا قَوْمِ لَيْسَ بِي ضَلَالَةٌ وَلَكِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ أُبَلِّغُكُمْ رِسَالَاتِ رَبِّي وَأَنْصَحُ لَكُمْ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ أَوَعَجِبْتُمْ أَنْ جَاءَكُمْ ذِكْرٌ مِنْ رَبِّكُمْ عَلَى رَجُلٍ مِنْكُمْ لِيُنْذِرَكُمْ وَلِتَتَّقُوا وَلَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ فَكَذَّبُوهُ فَأَنْجَيْنَاهُ وَالَّذِينَ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ وَأَغْرَقْنَا الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا عَمِينَ} [الأعراف: 59] [الْأَعْرَافِ: 59 - 64] . وَقَالَ فِي سُورَةِ يُونُسَ: {وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ نُوحٍ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ إِنْ كَانَ كَبُرَ عَلَيْكُمْ مَقَامِي وَتَذْكِيرِي بِآيَاتِ اللَّهِ فَعَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْتُ فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ وَشُرَكَاءَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُنْ أَمْرُكُمْ عَلَيْكُمْ غُمَّةً ثُمَّ اقْضُوا إِلَيَّ وَلَا تُنْظِرُونِ فَإِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَمَا سَأَلْتُكُمْ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى اللَّهِ وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَكَذَّبُوهُ فَنَجَّيْنَاهُ وَمَنْ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ وَجَعَلْنَاهُمْ خَلَائِفَ وَأَغْرَقْنَا الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنْذَرِينَ} [يونس: 71] [يُونُسَ: 71 73] .
পৃষ্ঠা - ২৩৮


সুরা হুদ-এ আল্লাহ তা আলা বলেন :
১৷ ৷ ৷ ’ ’ ;;র্দুৰুট্রু ৷গ্লু শু;;দ্বু দ্বু ;র্চু ণ্ও৷ ৷ধ্; <ব্লুপ্রুও ; ৷ ৷হুদ্বুর্দু; এে;র্চু,৷ ৷;ল্লার্চু



ধ্;প্রু; ৷
,
ট্রুশ্১
া^র্চুত্র ৷


১৷ ৰুপ্রু;;প্রু



৷ ধ্;দু৷ ৷ ;ট্রু; র্চু;দ্বু;;;র্দু


,
র্চু;; ৷ প্রুাশুশু

র্দুএ






ষ্প্’




এএি


ঠুাহুর্চু


মোঃ

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম সাঃট্রুস্রছুগ্লুন্-মোঃ০ওেয়াে

وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ هُودٍ
পৃষ্ঠা - ২৩৯

এৰুঞ খু৷ <;ণ্এপ্রু৷ ঞ এ এন্ণ্ ৷ ওে এ এএ ৷

৷ গ্রাব্লু
)’শ্লে^
প্’



)

ম্রার্নাষ্এট্রাংঠুথ্এড্রুণুণ্ডি-ট্টধ্এঞষ্ঠেএগ্রাশ্ শ্এেঙ্কুক্ট্রএট্দ্বুাএষ্ গো ১ ণ্হ্র১
এ“র্দুাঞ


এও ৷ ^;£১এ;এ এাএ“ব্লুর্মুওর্বৃা৷এ ন্ড্রুঞ র্মু;পু এট্রুার্শিহু ৷ এএ; ৷ ণ্ ৷

ঞপ্রু ব্লুএ১
ই; দ্বুদ্বুব্লুার্চুা


অর্থাৎ-ষ্আমি তো নুহকে৩ তার সম্প্রদায়ের নিকট পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলেছিল, আমি
তোমাদের জন্য প্রকাশ্য সতর্ককারী ৷ যাতে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর ইবাদত না কর;
আমি তোমাদের জন্য এক মর্যভুদ শাস্তির আশংকা করি ৷

তার সম্প্রদায়ের প্ৰধানরা যারা ছিল কাফির-বলল, আমরা তো তোমাকে আমাদের মতই
মানুষ দেখছি ৷ অনুধাবন না করে তোমার অনুসরণ করছে তারাই, যারা আমাদের মধ্যে অধম
এবং আমরা আমাদের উপর তোমাদের কোন শ্রেষ্ঠতু দেখতে পাচ্ছি না , বরং আমরা
তােমাদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করি ৷

সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা আমাকে বল, আমি যদি আমার প্ৰতিপালক প্রেরিত
স্পষ্ট নিদর্শনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি এবং তিনি যদি আমাকে তীর নিজ অনুগ্রহ দান করে থাকেন,


: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ إِنِّي لَكُمْ نَذِيرٌ مُبِينٌ أَنْ لَا تَعْبُدُوا إِلَّا اللَّهَ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ أَلِيمٍ فَقَالَ الْمَلَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ قَوْمِهِ مَا نَرَاكَ إِلَّا بَشَرًا مِثْلَنَا وَمَا نَرَاكَ اتَّبَعَكَ إِلَّا الَّذِينَ هُمْ أَرَاذِلُنَا بَادِيَ الرَّأْيِ وَمَا نَرَى لَكُمْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلٍ بَلْ نَظُنُّكُمْ كَاذِبِينَ قَالَ يَاقَوْمِ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كُنْتُ عَلَى بَيِّنَةٍ مِنْ رَبِّي وَآتَانِي رَحْمَةً مِنْ عِنْدِهِ فَعُمِّيَتْ عَلَيْكُمْ أَنُلْزِمُكُمُوهَا وَأَنْتُمْ لَهَا كَارِهُونَ وَيَا قَوْمِ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مَالًا إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى اللَّهِ وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّهُمْ مُلَاقُو رَبِّهِمْ وَلَكِنِّي أَرَاكُمْ قَوْمًا تَجْهَلُونَ وَيَا قَوْمِ مَنْ يَنْصُرُنِي مِنَ اللَّهِ إِنْ طَرَدْتُهُمْ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ إِنِّي مَلَكٌ وَلَا أَقُولُ لِلَّذِينَ تَزْدَرِي أَعْيُنُكُمْ لَنْ يُؤْتِيَهُمُ اللَّهُ خَيْرًا اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا فِي أَنْفُسِهِمْ إِنِّي إِذًا لَمِنَ الظَّالِمِينَ قَالُوا يَانُوحُ قَدْ جَادَلْتَنَا فَأَكْثَرْتَ جِدَالَنَا فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ قَالَ إِنَّمَا يَأْتِيكُمْ بِهِ اللَّهُ إِنْ شَاءَ وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ وَلَا يَنْفَعُكُمْ نُصْحِي إِنْ أَرَدْتُ أَنْ أَنْصَحَ لَكُمْ إِنْ كَانَ اللَّهُ يُرِيدُ أَنْ يُغْوِيَكُمْ هُوَ رَبُّكُمْ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ قُلْ إِنِ افْتَرَيْتُهُ فَعَلَيَّ إِجْرَامِي وَأَنَا بَرِيءٌ مِمَّا تُجْرِمُونَ وَأُوحِيَ إِلَى نُوحٍ أَنَّهُ لَنْ يُؤْمِنَ مِنْ قَوْمِكَ إِلَّا مَنْ قَدْ آمَنَ فَلَا تَبْتَئِسْ بِمَا كَانُوا يَفْعَلُونَ وَاصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا وَلَا تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُوا إِنَّهُمْ مُغْرَقُونَ وَيَصْنَعُ الْفُلْكَ وَكُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ مَلَأٌ مِنْ قَوْمِهِ سَخِرُوا مِنْهُ قَالَ إِنْ تَسْخَرُوا مِنَّا فَإِنَّا نَسْخَرُ مِنْكُمْ كَمَا تَسْخَرُونَ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ مَنْ يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُقِيمٌ حَتَّى إِذَا جَاءَ أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ آمَنَ وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلَّا قَلِيلٌ وَقَالَ ارْكَبُوا فِيهَا بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ وَهِيَ تَجْرِي بِهِمْ فِي مَوْجٍ كَالْجِبَالِ وَنَادَى نُوحٌ ابْنَهُ وَكَانَ فِي مَعْزِلٍ يَابُنَيَّ ارْكَبْ مَعَنَا وَلَا تَكُنْ مَعَ الْكَافِرِينَ قَالَ سَآوِي إِلَى جَبَلٍ يَعْصِمُنِي مِنَ الْمَاءِ قَالَ لَا عَاصِمَ الْيَوْمَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ إِلَّا مَنْ رَحِمَ وَحَالَ بَيْنَهُمَا الْمَوْجُ فَكَانَ مِنَ الْمُغْرَقِينَ وَقِيلَ يَاأَرْضُ ابْلَعِي مَاءَكِ وَيَا سَمَاءُ أَقْلِعِي وَغِيضَ الْمَاءُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ وَاسْتَوَتْ عَلَى الْجُودِيِّ وَقِيلَ بُعْدًا لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَادَى نُوحٌ رَبَّهُ فَقَالَ رَبِّ إِنَّ ابْنِي مِنْ أَهْلِي وَإِنَّ وَعْدَكَ الْحَقُّ وَأَنْتَ أَحْكَمُ الْحَاكِمِينَ قَالَ يَانُوحُ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ إِنَّهُ عَمَلٌ غَيْرُ صَالِحٍ فَلَا تَسْأَلْنِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنِّي أَعِظُكَ أَنْ تَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ قَالَ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ قِيلَ يَانُوحُ اهْبِطْ بِسَلَامٍ مِنَّا وَبَرَكَاتٍ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَمٍ مِمَّنْ مَعَكَ وَأُمَمٌ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ يَمَسُّهُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ تِلْكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ مَا كُنْتَ تَعْلَمُهَا أَنْتَ وَلَا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هَذَا فَاصْبِرْ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِينَ} [هود: 25] [الْأَنْبِيَاءِ: 76، 77] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
পৃষ্ঠা - ২৪০


অথচ এ বিষয়ে তোমরা জ্ঞানান্ধ হও, আমি কি এ বিষয়ে তোমাদেরকে বাধ্য করতে পারি, যখন
তোমরা এটা অপছন্দ কর?

হে আমার সম্প্রদায়! এর পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধন-সম্পদ যান্ঞা করি না ৷
আমার পারিশ্রমিক তো আল্লাহরই নিকট এবং মু’মিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয় ,
তারা নিশ্চিতডাবে তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ লাভ করবে ৷ কিন্তু আমি দেখছি, তোমরা এক
অজ্ঞ সম্প্রদায় ৷

হে আমার সম্প্রদায় ৷ আমি যদি তাদের তাড়িয়ে দেই তবে আল্লাহর শাস্তি থেকে আমাকে
কে রক্ষা করবে ? তবুও কি তোমরা চিন্তা করবে না?

আমি ভোমাদেরকে বলি না, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভাণ্ডার আছে, আর না অদৃশ্য
সম্বন্ধে আমি অবগত এবং আমি এও বলি না যে, আমি ফেরেশতা ৷ তোমাদের দৃষ্টিতে যারা হেয়
তাদের সম্বন্ধে আমি বলি না যে, আল্লাহ তাদেরকে কখনো মঙ্গল দান করবেন না, তাদের
অম্ভরে যা আছে, তা আল্লাহ সম্যক অবগত ৷ তাহলে আমি অবশ্যই জালিমদের অম্ভভুক্তি হয় ৷

তারা বলল, হে নুহ! তুমি আমাদের সাথে বচসা করেছ-তুমি আমাদের সাথে অতিমাত্রায়
বচসা করছ ৷ তুমি সতবােদী হলে আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে আস ৷ সে বলল, ইচ্ছা
করলে আল্লাহই তা তোমাদের নিকট উপস্থিত করবেন এবং তোমরা তা ব্যর্থ করতে পারবে না ৷

আমি তােমাদেরকে উপদেশ দিতে চাইলেও আমার উপদেশ তোমাদের উপকারে আসবে
না, যদি আল্লাহ তােমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চান ৷ তিনিই তোমাদের প্ৰতিপালক এবং তারই
নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে ৷

তারা কি বলে যে , যে তা রচনা করেছে? বল, আমি যদি তা রচনা করে থাকি তবে আমিই
আমার অপরাধের জন্য দায়ী হব ৷ তোমরা যে অপরাধ করছ তার জন্য আমি দায়ী নই ৷

নুহের প্রতি প্রত্যাদেশ হয়েছিল, যারা ঈমান এসেছে তারা ছাড়া তোমার সম্প্রদায়ের অন্য
কেউ কখনো ঈমান আসবে না ৷ সুতরাং তারা যা করে সে জন্যে তুমি ক্ষোভ করো না ৷

তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার প্ৰত্যাদেশ অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ কর এবং যারা
সীমালংঘন করেছে তাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বলো না, তারা তো নিমজ্জিত হবে ৷

সে নৌকা নির্মাণ করতে লাগল এবং যখনই তার সম্প্রদায়ের প্ৰধানরা তার নিকট দিয়ে
যেত, তাকে উপহাস করত; সে বলত, তোমরা যদি আমাকে উপহাস কর তবে আমরাও
তােমাদেরকে উপহাস করব, যেমন তোমরা উপহাস করছ ৷ এবং তোমরা অচিরেই জানতে
পারবে, কার উপর আসবে লাঞ্চুনাদায়ক শাস্তি আর কার উপর আপতিত হবে স্থায়ী শাস্তি ৷

অবশেষে যখন আমার আদেশ আসল এবং উনুন উথলে উঠল, আমি বললাম ; এতে
উঠিয়ে নাও প্রত্যেক শ্রেণীর যুগল, যাদের বিরুদ্ধে পুর্ব-সিদ্ধাম্ভ হয়েছে তারা ব্যতীত তোমার

পরিবার-পরিজনকে এবং যারা ঈমান এসেছে তাদেরকে ৷ তার সঙ্গে ঈমান এ্যানেছিল গুটি কতেক
লোক ৷

সে বলল, এতে আরোহণ কর, আল্লাহর নামে এর গতি ও স্থিতি ৷ আমার প্রতিপালক
অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷


{وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ أَفَلَا تَتَّقُونَ فَقَالَ الْمَلَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ قَوْمِهِ مَا هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُرِيدُ أَنْ يَتَفَضَّلَ عَلَيْكُمْ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَأَنْزَلَ مَلَائِكَةً مَا سَمِعْنَا بِهَذَا فِي آبَائِنَا الْأَوَّلِينَ إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ بِهِ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوا بِهِ حَتَّى حِينٍ قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ فَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِ أَنِ اصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا فَإِذَا جَاءَ أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ فَاسْلُكْ فِيهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ وَلَا تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُوا إِنَّهُمْ مُغْرَقُونَ فَإِذَا اسْتَوَيْتَ أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ عَلَى الْفُلْكِ فَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَجَّانَا مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَقُلْ رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلًا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ وَإِنْ كُنَّا لَمُبْتَلِينَ} [المؤمنون: 23] [الشُّعَرَاءِ: 105 - 122] .
পৃষ্ঠা - ২৪১


পর্বত-প্রমাণ ঢেউয়ের মধ্যে তা তাদের নিয়ে বয়ে চলল , নুহ তার পুত্র যে তাদের থেকে
পৃথক ছিল, তাকে আহ্বান করে বলল, হে আমার পুত্র ৷ আমাদের সঙ্গে আরোহণ কর এবং
ক ৷ফিরদের সঙ্গী হয়াে না ৷

সে বলল, আমি এমন এক পর্বতে ৩আশ্রয় নিব যা আমাকে প্লাবন থেকে রক্ষা করবে ৷ সে
বলল, আজ আল্লাহর বিধান থেকে রক্ষা করার কেউ নেই, যাকে আল্লাহ দয়া করবেন সে
ব্যতীত ৷ তারপর ঢেউ তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিল এবং সে নিমজ্জিতদের অন্তর্ভুক্ত হলো ৷

এরপর বলা হলো, হে পৃথিবী ! তুমি তোমার পানি গ্রাস করে লও এবং হে আকাশ ! ক্ষাম্ভ
হও ৷ তারপর বন্যা প্রশমিত হলো এবং কার্য সমাপ্ত হলো, নৌকা জ্বদী পর্বতের উপর স্থিত হলো
এবং বলা হলো জালিম সম্প্রদায় ধ্বংস হোক ৷

নুহ তার প্রতিপালককে সম্বোধন করে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমার পুত্র আমার
পরিবারভুক্ত এবং আপনার প্রতিশ্রুতি ৩সত্য এবং আপনি বিচ৷ ৷রকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক ৷

তিনি বললেন, হে নুহ৷ সে তোমার পবিবারভুক্ত নয় ৷ সে অসৎ কর্মপরায়ণ ৷ সুতরাং যে
বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, যে বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করো না ৷ আমি তোমাকে উপদেশ
দিচ্ছি, তুমি যেন অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত না হও ৷

সে বলল, হে আমার প্রতিপালক ! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই, যে বিষয়ে যাতে আপনাকে
অনুরোধ না করি এ জন্য আমি আপনার শ্ারণ নিচ্ছি ৷ আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন এবং
আমাকে দয়া না করেন তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হন ৷

বলা হলো, হে নুহ! অবতরণ কর আমার দেয়া শাস্তিসহ এবং তোমার প্রতি ও যে সমস্ত
সম্প্রদায় তোমার সঙ্গে আছে তাদের প্রতি কল্যাণসহ ৷ অপর সম্প্রদায় সমুহকে জীবন উপভোগ
করতে দেব, পরে আমার পক্ষ থেকে মর্মভ্দ শাস্তি তাদেরকে স্পর্শ করবে ৷

এ সমস্ত অদৃশ্য লোকের সংবাদ আমি তোমাকে ওহী দ্বারা অবহিত করছি, যা এর আগে
,তৃমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও জানত না ৷ সুতরাং ধৈর্যধারণ কর, শুভ পরিণড়াম
যুত্তাকীদেরই জন্য ৷ (১১ : ২৫-৪৯)

সুরা আম্বিয়ায় আল্লাহ তাআলা বলেন :



ণ্প্রুন্পু র্চু ;: ৷,; ৷< ণ্ন্ ৷ র্চু;া পুাপ্রু ৷ট্রুরুপু;ার্দু দ্বু,শু১৷ ৷ ণ্ন্দ্বুছুপু ৷ ; ,ব্লু ধ্এ,£র্মু১ঠু ৰুাণ্ষ্৷ !


অর্থাৎ-স্মরণ ৷কর নুহকে, পুর্বে সে যখন আহ্বান করেছিল, তখন আমি তার আহ্বানে
সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পরিজন বর্পকে মহান সংকট থেকে উদ্ধার করেছিলাম,
এবং আমি তাকে সাহায্য করেছিলাম সে সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে, যারা আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার
করেছিল, তারা ছিল এক মন্দ সম্প্রদা য় ৷ এ জন্য আমি তাদের সকলকেই নিমজ্জিত করেছিলাম ৷
( ২১ : ৭৬ ৭ ৭)


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْعَنْكَبُوتِ: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ فَلَبِثَ فِيهِمْ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا فَأَخَذَهُمُ الطُّوفَانُ وَهُمْ ظَالِمُونَ فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ وَجَعَلْنَاهَا آيَةً لِلْعَالَمِينَ} [العنكبوت: 14] [الصَّافَّاتِ: 75 - 82] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ اقْتَرَبَتْ: {كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ فَكَذَّبُوا عَبْدَنَا وَقَالُوا مَجْنُونٌ وَازْدُجِرَ فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانْتَصِرْ فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاءُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ وَحَمَلْنَاهُ عَلَى ذَاتِ أَلْوَاحٍ وَدُسُرٍ تَجْرِي بِأَعْيُنِنَا جَزَاءً لِمَنْ كَانَ كُفِرَ وَلَقَدْ تَرَكْنَاهَا آيَةً فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرٍ وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ} [القمر: 9] [نُوحٍ: 1 - 28] .
পৃষ্ঠা - ২৪২


সুরা মুমিনুনে আল্লাহ তাআলা বলেন :
৷ ব্লুষ্কৃ

,
পুর্দ্রদ্বু ৷শু০; ন্া




;াহুদ্বু

?ণ্টুণ্া



গ্রত্নীঘধ্ঞ্জীং

স্

ঠের্চ

অর্থাৎ-আমি তো নুহকে পাঠিয়েছিলড়াম তার সম্প্রদায়ের নিকট ৷ সে বলেছিল , হে আমার
সম্প্রদায়! আল্লাহর ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ তবুও কি
তােমরা সাবধান হবে না?

তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা কুফরী করেছিল তারা বলল, এতো তোমাদের মত
একজন মানুষই তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠতু লাভ করতে চাচ্ছে ৷ আল্লাহ ইচ্ছা করলে ফেরেশতাই
পাঠাতেন, আমরা তাে আমাদের পুর্ব-পুরুষদের কালে এরুপ ঘটেছিল এমন কথা শুনিনি ৷ এতো
এমন লোক, একে উন্মত্ততা পেয়ে বস্যেছ ৷ সুতরাং এর সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর ৷

নুহ বলেছিল , হে আমার প্রতিপালক ৷ আমাকে সাহায্য কর , কারণ তারা আমাকে মিথ্যাবাদী
প্রতিপন্ন করছে ৷ তারপর আমি তার প্রতি ওহী নাযিল করলাম, তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও
আমার ওহী অনুযায়ী নৌযান নির্মাণ কর, তারপর যখন আমার আদেশ আসবে ও উনুন উথলে
উঠবে, তখন উঠিয়ে নিও প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবার-পরিজনকে
তাদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে পুর্বে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাদের ব্যতীত ৷ জালিমদের সম্পর্কে তুমি
আমাকে কিছু বলো না, তারা তো নিমজ্জিত হবে ৷

যখন ভুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আসন গ্রহণ করবে তখন বলবে৪ সমস্ত প্রশংসা
আল্লাহবই, যিনি আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন জালিম সম্প্রদায় থেকে ৷

আরো বলিও, হে আমার প্ৰতিপালক! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করাও যা হবে
কল্যাণকর; আর তৃমিই শ্রেষ্ঠ অবতারণকড়ারী ৷ এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে ৷ আমি তো
তাদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম ৷ (২৩৪ ২৩ ২৯)


وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى كُلِّ مَوْضِعٍ مِنْ هَذِهِ فِي التَّفْسِيرِ، وَسَنَذْكُرُ مَضْمُونَ الْقِصَّةِ مَجْمُوعًا مِنْ هَذِهِ الْأَمَاكِنِ الْمُتَفَرِّقَةِ، وَمِمَّا دَلَّتْ عَلَيْهِ الْأَحَادِيثُ وَالْآثَارُ، وَقَدْ جَرَى ذِكْرُهُ أَيْضًا فِي مَوَاضِعَ مُتَفَرِّقَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ فِيهَا مَدْحُهُ وَذَمُّ مَنْ خَالَفَهُ فَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ النِّسَاءِ: {إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَوْحَيْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَعِيسَى وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَارُونَ وَسُلَيْمَانَ وَآتَيْنَا دَاوُدَ زَبُورًا وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنَاهُمْ عَلَيْكَ مِنْ قَبْلُ وَرُسُلًا لَمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَ وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا رُسُلًا مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا} [النساء: 163] [النِّسَاءِ: 163 - 165] .
পৃষ্ঠা - ২৪৩


সুরা শুআরায় আল্লাহ তাআলা বলেন :











,


অর্থাৎ নুহের সম্প্রদায় রাসুলগণের প্ৰতি মিথ্যা আরোপ করেছিল ৷ যখন তাদের ভাই নুহ
তাদেরকে বলল, তোমরা কি সাবধান হবে না ? আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল!
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর ৷ আমিৰু আমাদের নিকট এর
জন্য কোন প্রতিদা ন চাই না; আমার পুরস্কার তাে জগতসমুহের প্রতিপালকের নিকটই আছে ৷
সুতরাং তোমরা আল্পাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর ৷

তারা বলল, আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ ইতরজনরা তোমার
অনুসরণ করছে ?

নুহ বলল, তারা কী করত তা আমার জানা নেই ৷ তাদের হিসাব গ্রহণ তো আমার
প্রতিপালকেরই কাজ, যদি তোমরা বুঝতে ৷ মু’মিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়৷ আমার কাজ নয় ৷
আমি তো কেবল একজন স্পষ্ট সতবকািরী ৷ তারা বলল, হে নুহ৷ তুমি যদি নিবৃত্ত না হও তবে
নিশ্চয় তুমি প্ৰস্তরাঘাতে নিহতদের শামিল হবে ৷

নুহ বলল, হে আমার প্রতিপালক আমার সম্প্রদায় তো আমাকে অস্বীকার করছে ৷ সুতরাং
আমার ও তাদের মধ্যে স্পষ্ট মীমা০ না করে দাও এবং আমাকে ও আমার সাথে যে সব মুমিন
আছে তাদেরকে রক্ষা কর ৷

তারপর আমি তাকে ও তার সঙ্গে যারা ছিল তাদেরকে রক্ষা করলাম বোঝাই নৌযানে ৷
তারপর অবশিষ্ট সকলকে নিমজ্জিত করলাম ৷ এতে অবশ্যই রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু তাদের
অধিকাংশই বিশ্বাসী নয় এবং তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু ৷ (২৬
৪ ১ :৬ ১ ২২)


وَقَالَ فِي سُورَةِ الْأَنْعَامِ: {وَتِلْكَ حُجَّتُنَا آتَيْنَاهَا إِبْرَاهِيمَ عَلَى قَوْمِهِ نَرْفَعُ دَرَجَاتٍ مَنْ نَشَاءُ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ كُلًّا هَدَيْنَا وَنُوحًا هَدَيْنَا مِنْ قَبْلُ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَى وَهَارُونَ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ وَزَكَرِيَّا وَيَحْيَى وَعِيسَى وَإِلْيَاسَ كُلٌّ مِنَ الصَّالِحِينَ وَإِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوطًا وَكُلًّا فَضَّلْنَا عَلَى الْعَالَمِينَ وَمِنْ آبَائِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ وَإِخْوَانِهِمْ وَاجْتَبَيْنَاهُمْ وَهَدَيْنَاهُمْ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [الأنعام: 83] [التَّوْبَةِ: 70] . وَتَقَدَّمَتْ قِصَّتُهُ فِي يُونُسَ، وَهُودٍ. وَقَالَ فِي سُورَةِ إِبْرَاهِيمَ: {أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَبَأُ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ وَالَّذِينَ مِنْ بَعْدِهِمْ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ جَاءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَرَدُّوا أَيْدِيَهُمْ فِي أَفْوَاهِهِمْ وَقَالُوا إِنَّا كَفَرْنَا بِمَا أُرْسِلْتُمْ بِهِ وَإِنَّا لَفِي شَكٍّ مِمَّا تَدْعُونَنَا إِلَيْهِ مُرِيبٍ} [إبراهيم: 9] . وَقَالَ فِي
পৃষ্ঠা - ২৪৪


সুরা আনকাবুতে আল্লাহ তাআলা বন্সেন০ ং





অর্থাৎ-আমি তো নুহকে তার সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম ৷ সে তাদের মধ্যে
অবস্থান করেছিল পঞ্চাশ বাদ এক হাজার বছর ৷ তারপর প্লাবন তাদেরকে গ্রাস করে; কারণ
তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী ৷ তারপর আমি তাকে এবং যারা নৌযানে আরোহণ করেছিল
তাদেরকে রক্ষা করলাম এবং বিশ্বজগতের জন্য একে করলাম একটি নিদর্শন ৷ (২৯ : ১ : ১ ৫)

সুরা সাফ্ফাতে মহান আল্লাহ বলেন ং
ণ্ডাশু ষ্টু হ্রকুা




অর্থাৎ নুহ আমাকে আহ্বান করেছিল, আর আমি কত উত্তম সাড়া দানকারী ৷ তাকে এবং
তার পরিবারবর্পকে আমি উদ্ধার করেছিলাম মহা সংকট থেকে এবং তার বা শধরদেরকে আমি
বংশ পরম্পরায় বিদ্যমান রেখেছি ৷ আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি ৷ সমগ্ন বিশ্বের মধ্যে
নুহের প্রতি শান্তি রর্ষিত হোক ৷ এভাবেই আমি সৎকর্য পরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি ৷ সে ছিল
আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম ৷ তারপর অবশিষ্ট সকলকে আমি নিমজ্জিত করেছিলাম ৷ (৩৭
৪ ৭ ৫ ৮২)

সুরা কামারে আল্লাহ বলেনং :





; ৷,৷ ৷ ৷


ণ্ঠের্টু



)

অর্থাৎ--এদের আগে নুহের সম্প্রদায়ও মিথ্যা আরোপ করেছিল ৷ মিথ্যা আরোপ করেছিল

আমার বন্দোর প্রতি এবং বলেছিল, এতো এক পাগল ৷ আর তাকে ডীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল ৷
তখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, আমি তাে অসহায়, অতএব তুমি


سُورَةِ سُبْحَانَ: {ذُرِّيَّةَ مَنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ إِنَّهُ كَانَ عَبْدًا شَكُورًا} [الإسراء: 3] . وَقَالَ فِيهَا أَيْضًا: {وَكَمْ أَهْلَكْنَا مِنَ الْقُرُونِ مِنْ بَعْدِ نُوحٍ وَكَفَى بِرَبِّكَ بِذُنُوبِ عِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا} [الإسراء: 17] . وَتَقَدَّمَتْ قِصَّتُهُ فِي الْأَنْبِيَاءِ، وَالْمُؤْمِنُونَ، وَالشُّعَرَاءِ، وَالْعَنْكَبُوتِ. وَقَالَ فِي سُورَةِ الْأَحْزَابِ: {وَإِذْ أَخَذْنَا مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقَهُمْ وَمِنْكَ وَمِنْ نُوحٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَأَخَذْنَا مِنْهُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا} [الأحزاب: 7] . وَقَالَ فِي سُورَةِ ص: {كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ ذُو الْأَوْتَادِ وَثَمُودُ وَقَوْمُ لُوطٍ وَأَصْحَابُ الْأَيْكَةِ أُولَئِكَ الْأَحْزَابُ إِنْ كُلٌّ إِلَّا كَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ عِقَابِ} [ص: 12] [غَافِرٍ: 5، 6] . وَقَالَ فِي سُورَةِ الشُّورَى: {شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّى بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ اللَّهُ يَجْتَبِي إِلَيْهِ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَنْ يُنِيبُ} [الشورى: 13] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ ق: {كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَأَصْحَابُ الرَّسِّ وَثَمُودُ وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ وَإِخْوَانُ لُوطٍ وَأَصْحَابُ الْأَيْكَةِ وَقَوْمُ تُبَّعٍ كُلٌّ كَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ وَعِيدِ} [ق: 12] [ق: 12 - 14] .
পৃষ্ঠা - ২৪৫


প্রতিবিধান কর ৷ ফলে আমি আকাশের দ্বার উন্মুক্ত করে দিলাম প্রবল বাবি বর্ষণে এবং মাটি
হতে উৎসারিত করলাম প্রস্রবণ; তারপর সকল পানি মিলিত হলো এক পরিকল্পনা অনুসারে ৷

তখন আমি নুহকে আরোহণ করালাম কাঠ ও পেরেক নির্মিত এক নৌযানে, যা চলত
আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে; এটা পুরস্কার তার জন্য যে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল ৷ আমি একে রেখে
দিয়েছি এক নিদর্শনরুপে, অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি ? কী কঠোর ছিল আমার
শান্তি ও সতর্কবাণী৷ কুরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, কে আছে
উপদেশ গ্রহণের জন্য ? (৫৪ : ৯ ১ ৭)

সুরা নুহ-এ আল্লাহ তাআলা বলেন :


গ্র




?
,
“এ

পুএে
ন্ট্রু£
ন্ছু১ ওও১ষু১১১াও৷ ক্ট্রহ্রন্দ্বুশ্দ্বু
৷ ও
৷ ধ্া১১ও১ ’
চুদ্ব




৷ ও১১
( প্’




وَقَالَ فِي الذَّارِيَاتِ: {وَقَوْمَ نُوحٍ مِنْ قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ} [الذاريات: 46] . وَقَالَ فِي النَّجْمِ: {وَقَوْمَ نُوحٍ مِنْ قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا هُمْ أَظْلَمَ وَأَطْغَى} [النجم: 52] . وَتَقَدَّمَتْ قِصَّتُهُ فِي سُورَةِ اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ. وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْحَدِيدِ: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا وَإِبْرَاهِيمَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ فَمِنْهُمْ مُهْتَدٍ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ فَاسِقُونَ} [الحديد: 26] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ التَّحْرِيمِ: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِلَّذِينَ كَفَرُوا امْرَأَةَ نُوحٍ وَامْرَأَةَ لُوطٍ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْئًا وَقِيلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِينَ} [التحريم: 10] . وَأَمَّا مَضْمُونُ مَا جَرَى لَهُ مَعَ قَوْمِهِ مَأْخُوذًا مِنَ الْكِتَابِ وَالسَّنَةِ وَالْآثَارِ، فَقَدْ قَدَّمْنَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ بَيْنَ آدَمَ وَنُوحٍ عَشَرَةُ قُرُونٍ كُلُّهُمْ عَلَى الْإِسْلَامِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَذَكَرْنَا أَنَّ الْمُرَادَ بِالْقَرْنِ الْجِيلُ أَوِ الْمُدَّةُ عَلَى مَا سَلَفَ، ثُمَّ بَعْدَ تِلْكَ الْقُرُونِ الصَّالِحَةِ حَدَثَتْ أُمُورٌ اقْتَضَتْ أَنْ آلَ الْحَالُ بِأَهْلِ ذَلِكَ الزَّمَانِ إِلَى عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عِنْدَ تَفْسِيرِ قَوْلِهِ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ২৪৬





অর্থাৎ-নুহকে আমি প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের প্রতি এ নির্দেশ দািয় তুমি
তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর তাদের প্রতি শান্তি আমার পুর্বে ৷

সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায় ! আমি তো তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী এ বিষয়ে
যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ও তাকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর; তিনি
তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং তিনি তােমাদেরকে অবকাশ দেবেন এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ৷
নিশ্চয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কাল উপস্থিত হলে তা বিলষিত হয় না, যদি তোমরা তা
জানতে ৷

সে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক ৷ আমি তো আমার সম্প্রদায়কে দিবা-রাত্রি আহ্বান
করেছি, কিন্তু আমার আহ্বান তাদের পলায়ন প্রবণতাই বৃদ্ধি করেছে ৷ আমি যখনই তাদেরকে
আহ্বান করি যাতে তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর, তারা কানে আঙ্গুল দেয়, বস্তাবৃত করে
নিজেদেরকে ও জিদ করতে থাকে এবং অতিমাত্রায় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে ৷ তারপর আমি
তাদেরকে আহ্বান করেছি প্রকাশ্যে, পরে আমি সোচ্চার প্রচার করেছি ও উপদেশ দিয়েছি
ণ্গাপনে ৷ ,

আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তো মহা
ক্ষমাশীল ৷ তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন এবং তােমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন
ধন-সম্পদ ও সত্তান-সস্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন
নদী নড়ালা ৷

তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর গ্রেষ্ঠতু স্বীকার করতে চাচ্ছ না ৷ অথচ তিনিই
ণ্তামাদের সৃষ্টি করেছেন পর্যায়ক্রমে ৷ তোমরা কি লক্ষ্য করনিঃ আল্লাহ কিভাবে সাত স্তরে
বিন্যস্ত আকাশমগুশী সৃষ্টি করেছেন এবং সেখানে র্চাদকে স্থাপন করেছেন আলোরুপে ও সুর্যকে
স্থাপন করেছেন প্রদীপরুপে ৷

তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে উদ্ভুত করেছেন তারপর তাতে তিনি তােমাদেরকে প্রত্যাবৃত্ত
করবেন ও পরে পুনরুখিত করবেন এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য ভুমিকে করেছেন বিন্তুত যাতে
তোমরা চলাফেরা করতে পার প্রশস্ত পথে ৷

নুহ বলেছিল , হে আমার প্ৰতিপালক ! আমার সম্প্রদায় তো আমাকে অমান্য করেছে এবং
অনুসরণ করেছে এমন ণ্লাকের যার ধন-সষ্পদ ও সন্তান-সততি তার ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই
বৃদ্ধি করেনি ৷

তারা ভয়ানক ষড়যন্ত্র করেছিল এবং বন্সেছিল, তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না
তোমাদের দেব-দেবীকে, পরিত্যাগ করো না ওয়ান, সুওয়া, য়াপুহ, য়াউক ও নাসৃরকে ৷ তারা
অনেককে বিভ্রান্ত করেছে ৷ সুতরাং জালিমদের বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করো না ৷

তাদের অপরাধের জন্য তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছিল এবং পরে তাদেরকে প্রবিষ্ট করা
হয়েছিল আগুনে, পরে তারা কাউকেও আল্লাহর মুকাবিলায় সাহায্যকারী পায়নি ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম ৰুঞ্জোইঐন্ম্রন্মোঃা০ণ্০ন্শ্ন্

{وَقَالُوا لَا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلَا سُوَاعًا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا} [نوح: 23] . قَالَ: هَذِهِ أَسْمَاءُ رِجَالٍ صَالِحِينَ مِنْ قَوْمِ نُوحٍ، فَلَمَّا هَلَكُوا أَوْحَى الشَّيْطَانُ إِلَى قَوْمِهِمْ أَنِ انْصِبُوا إِلَى مَجَالِسِهِمُ الَّتِي كَانُوا يَجْلِسُونَ فِيهَا أَنْصَابًا وَسَمُّوهَا بِأَسْمَائِهِمْ، فَفَعَلُوا، فَلَمْ تُعْبَدْ حَتَّى إِذَا هَلَكَ أُولَئِكَ وَنُسِخَ الْعِلْمُ عُبِدَتْ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَصَارَتْ هَذِهِ الْأَوْثَانُ الَّتِي كَانَتْ فِي قَوْمِ نُوحٍ فِي الْعَرَبِ بَعْدُ. وَهَكَذَا قَالَ عِكْرِمَةُ، وَالضَّحَّاكُ، وَقَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي تَفْسِيرِهِ: حَدَّثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مِهْرَانُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: كَانُوا قَوْمًا صَالِحِينَ بَيْنَ آدَمَ وَنُوحٍ، وَكَانَ لَهُمْ أَتْبَاعٌ يَقْتَدُونَ بِهِمْ، فَلَمَّا مَاتُوا قَالَ أَصْحَابُهُمُ الَّذِينَ كَانُوا يَقْتَدُونَ بِهِمْ: لَوْ صَوَّرْنَاهُمْ كَانَ أَشْوَقَ لَنَا إِلَى الْعِبَادَةِ إِذَا ذَكَرْنَاهُمْ. فَصَوَّرُوهُمْ، فَلَمَّا مَاتُوا وَجَاءَ آخَرُونَ دَبَّ إِلَيْهِمْ إِبْلِيسُ، فَقَالَ: إِنَّمَا كَانُوا يَعْبُدُونَهُمْ وَبِهِمْ يُسْقَوْنَ الْمَطَرَ فَعَبَدُوهُمْ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ قَالَ: وَدٌّ، وَيَغُوثُ، وَيَعُوقُ، وَسُوَاعٌ، وَنَسْرٌ ; أَوْلَادُ آدَمَ. وَكَانَ وَدٌّ أَكْبَرَهُمْ وَأَبَرَّهُمْ بِهِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ২৪৭


নুহ আরো বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক পৃথিবীতে কাফিরদের মধ্য থেকে কোন ঘরের
লোককে অব্যাহতি দিও না ৷ তুমি তা ৷দেরকে অব্যাহতি দিলেও ৷ ৷রা তোমার বান্দা দেরকে বিভ্রান্ত
করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল দৃষ্কৃতকারী ও ক ফির ৷

হে আমার প্রতিপালক! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং যারা মুমিন
হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে আর
জালিমদের শুধু ধ্বংসই বৃদ্ধি কর ৷ ( ৭১ ১ ২৮)

তাফসীরে আমরা এর প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি ৷ পরে আমরা এ বিক্ষিপ্ত
তথ্যাবলী একত্র করে এবং হাদীস ও রিওয়ায়ড়া৩ তসমুহের আলোকে কাহিনীর মুল বিষয় বস্তু
একত্রে উল্লেখ করব, ৷ এ ছাড়া কুরআনের আরো বিভিন্ন স্থানে নুহ (আ) এর আলোচনা এসেছে
যাতে তীর প্রশংসা এবং তার বিরুদ্ধবাদীদের নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে ৷

যেমন সুরা নিসায় আল্লাহ তাআলা বলেন :








)

র্শ্ব;ণ্
ধ্শ্পুধ্)এ এ
াছুপুষ্কৃ; ৷ ;;াহুব্লু
অর্থাৎ-তোমার নিকট আমি ওহী প্রেরণ করেছি যেমন নুহ ও তার পরবর্তী নবীদের নিকট
প্রেরণ করেছিলাম ৷ ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণ, ঈসা , আয়ুব্রুব,
ইউনুস, হারুন এবং সুলায়মানের নিকট ওহী প্রেরণ করেছিলাম এবং দাউদকে যাবুর
দিয়েছিলাম ৷

অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি যাদের কথা পুর্বে তোমাকে বলেছি এবং অনেক রাসুল যাদের
কথা তোমাকে বলিনি এবং মুসার সঙ্গে অল্লোহ সাক্ষাৎ বাক্যালাপ করেছিলেন ৷ সুসংবাদবড়াহী ও
সাবধানকারী রাসুলণণকে প্রেরণ করেছি যাতে রড়াসুলগণ আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের
কোন অভিযোগ না থাকে এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (৫ : ১৬৩ ১৬৫)
সুরা আনআমে আল্লাহ তাআলা বলেন ং


এ এ


এট্রা,

ডো গ্রাশ্ং


مُوسَى، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ أَبِي الْمُطَهَّرِ قَالَ: ذَكَرُوا عِنْدَ أَبِي جَعْفَرٍ هُوَ الْبَاقِرُ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، قَالَ: فَلَمَّا انْفَتَلَ مِنْ صِلَاتِهِ قَالَ: ذَكَرْتُمْ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ أَمَا إِنَّهُ قُتِلَ فِي أَوَّلِ أَرْضٍ عُبِدَ فِيهَا غَيْرُ اللَّهِ. قَالَ: ذَكَرَ وَدًّا رَجُلًا مُسْلِمًا، وَكَانَ مُحَبَّبًا فِي قَوْمِهِ، فَلَمَّا مَاتَ عَسْكَرُوا حَوْلَ قَبْرِهِ فِي أَرْضِ بَابِلَ، وَجَزِعُوا عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَى إِبْلِيسُ جَزَعَهُمْ عَلَيْهِ تَشَبَّهَ فِي صُورَةِ إِنْسَانٍ، ثُمَّ قَالَ: إِنِّي أَرَى جَزَعَكُمْ عَلَى هَذَا الرَّجُلِ، فَهَلْ لَكَمَ أَنْ أُصَوِّرَ لَكُمْ مِثْلَهُ فَيَكُونَ فِي نَادِيكُمْ فَتَذْكُرُونَهُ. قَالُوا: نَعَمْ. فَصَوَّرَ لَهُمْ مِثْلَهُ، قَالَ: وَوَضَعُوهُ فِي نَادِيهِمْ وَجَعَلُوا يَذْكُرُونَهُ، فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنْ ذِكْرِهِ، قَالَ: هَلْ لَكَمَ أَنْ أَجْعَلَ فِي مَنْزِلِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ تِمْثَالًا مِثْلَهُ لِيَكُونَ لَهُ فِي بَيْتِهِ فَتَذْكُرُونَهُ. قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: فَمَثَّلَ لِكُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ تِمْثَالًا مِثْلَهُ، فَأَقْبَلُوا فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَهُ بِهِ. قَالَ: وَأَدْرَكَ أَبْنَاؤُهُمْ فَجَعَلُوا يَرَوْنَ مَا يَصْنَعُونَ بِهِ قَالَ: وَتَنَاسَلُوا، وَدُرِسَ أَمْرُ ذِكْرِهِمْ إِيَّاهُ حَتَّى اتَّخَذُوهُ إِلَهًا يَعْبُدُونَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْلَادُ أَوْلَادِهِمْ فَكَانَ أَوَّلَ مَا عُبِدَ غَيْرَ اللَّهِ وَدٌّ الصَّنَمُ الَّذِي سَمَّوْهُ وَدًّا. وَمُقْتَضَى هَذَا السِّيَاقِ أَنَّ كُلَّ صَنَمٍ مِنْ هَذِهِ عَبَدَهُ طَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ، وَقَدْ ذَكَرَ أَنَّهُ لَمَّا تَطَاوَلَتِ الْعُهُودُ وَالْأَزْمَانُ جَعَلُوا تِلْكَ الصُّوَرَ تَمَاثِيلَ مُجَسَّدَةً لِيَكُونَ أَثْبَتَ لَهَا، ثُمَّ عُبِدَتْ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ دُونِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَهُمْ فِي عِبَادَتِهَا مَسَالِكُ كَثِيرَةٌ قَدْ ذَكَرْنَاهَا فِي كِتَابِنَا التَّفْسِيرِ فِي مَوَاضِعِهَا، وَلِلَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৪৮


র্দুৰুং


,



é


অর্থাৎ এবং এটা আমার যুক্তি-প্রমাণ যা ইবরাহীমকে দিয়েছিলাম তার সম্প্রদায়ের
মুকাবিলড়ায়; যাকে ইচ্ছা মর্যাদার আমি উন্নীত করি ; তোমার প্রতিপালক প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানী ৷

এবং তাকে দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকুব ও এদের প্রত্যেককে সৎপথে পরিচালিত
করেছিলাম; পুর্বে নুহকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার বংশধর দাউদ, সুলায়মান,
আম্যুব, ইউসুফ, মুসা ও হারুনকেও ; আর এভাবেই আমি সৎকর্ম পরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করি ৷

এবং যাকারিয়া, ইয়াহ্য়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম, এরা
সকলেই সজ্জনদের অন্তর্ভুক্ত ৷ আরো সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম ইসমাঈল , আল-য়াসাআ,
ইউনুস ও লুতকে এবং প্রতোককে গ্রেষ্ঠৎ দান করেছিলাম বিশ্ব জগতের উপর এবং এদের
পিতৃ-পুরুষ, বংশধর, এবং ভ্রাতৃবৃন্দের কতককে; তাদেরকে মনোনীত করেছিলাম এবং সরল
পথে পরিচালিত করেছিলাম ৷ (৬ : ৮৩-৮ ৭)

সুরা তাওবায় আল্লাহ তাআলা বলেন ং
এ র্গো
অর্থাৎ-তাদের পুর্ববর্তী নুহ, স্বাদ ও ছামুদের সম্প্রদায়, ইবরাহীমের সম্প্রদায় এবং মাদয়ান
ও বিধ্বস্ত জনপদসমুহের অধিবাসীদের সংবাদ কি তাদের কাছে আসেনি? তাদের কাছে স্পষ্ট
নিদর্শনসহ তাদের রসুলগণ এসেছিল ৷ আল্লাহ এমন নন যে, তাদের উপর জুলুম করেন, কিন্তু
তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করে ৷ (৯ : ৭০)

সুরা ইবরাহীমে আল্লাহ তাআলা বলেন



ণ্এে ৷ ৷প্রু ৷

অর্থাৎ তোমাদের নিকট কি সংবাদ আসেনি তোমাদের পুর্ববর্তীদের, নুহের সম্প্রদায়ের ,
আদের ও ছামুদের এবং তাদের পুর্ববর্তীদের : তাদের বিষয় আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না ৷


الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَمَّا ذَكَرَتْ عِنْدَهُ أُمُّ سَلَمَةَ وَأُمُّ حَبِيبَةَ تِلْكَ الْكَنِيسَةَ الَّتِي رَأَيْنَهَا بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ يُقَالُ لَهَا مَارِيَّةُ. فَذَكَرَتَا مِنْ حُسْنِهَا وَتَصَاوِيرَ فِيهَا قَالَ: «أُولَئِكَ إِذَا مَاتَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، ثُمَّ صَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ أُولَئِكَ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْفَسَادَ لَمَّا انْتَشَرَ فِي الْأَرْضِ، وَعَمَّ الْبَلَاءُ بِعُبَّادِ الْأَصْنَامِ فِيهَا بَعَثَ اللَّهُ عَبْدَهُ وَرَسُولَهُ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ يَدْعُو إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَيَنْهَى عَنْ عِبَادَةِ مَا سِوَاهُ، فَكَانَ أَوَّلَ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الْأَرْضِ، كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ الشَّفَاعَةِ قَالَ: «فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَمَرَ الْمَلَائِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ، وَأَسْكَنَكَ الْجَنَّةَ، أَلَا تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ وَمَا بَلَغَنَا، فَيَقُولُ: رَبِّي قَدْ غَضِبَ غَضَبًا شَدِيدًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلَا يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَنَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُ، نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ. فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُونَ: يَا نُوحُ، أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى أَهْلِ الْأَرْضِ، وَسَمَّاكَ اللَّهُ عَبْدًا شَكُورًا، أَلَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ، أَلَا تَرَى إِلَى مَا بَلَغَنَا، أَلَا تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ عَزَّ وَجَلَّ فَيَقُولُ: رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلَا يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ. نَفْسِي نَفْسِي» . وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ بِطُولِهِ، كَمَا أَوْرَدَهُ
পৃষ্ঠা - ২৪৯


তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের রাসুল এসেছিল, তারা তাদের হাত তাদের মুখে স্থাপন
করত এবং বলত, যাসহ তোমরা প্রেরিত হ্য়েছ তা আমরা প্রত্যাখ্যান করি এবং আমরা অবশ্যই
বিভ্রাস্তিকর সন্দেহ পোষণ করি যে বিষয়ে, যার প্রতি তোমরা আমাদেরকে আহবান কবছ ৷

(১৪ : ৯)
সুরা ইসরায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
াদ্বু;ছু£ ৷”^ ;হ্রব্লে ব্লুর্দ্রা ৰু,হু # এ;দ্বু,; :£র্চু’দ্বুর্বু
হে ঐ সব লোকের বংশধ্রগণ৷ যাদেরকে আমি নুহের সঙ্গে আরোহণ করিয়েছিলাম, সে

তো হিল পরম কৃতজ্ঞ বান্দা ৷ (১ ৭৪ ৩)
৷ ৷ ণ্দ্বু,
অর্থাৎ-নুহের পর আমি কত মানব ণ্গাষ্ঠীকে ধ্বং স করেছি ৷ তোমার প্ৰতিপালকই তার
বান্দাদের পাপাচরণের সংবাদ রাখা ও পর্যবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট ৷ ( ১ ৭ ১৭)
সুরা আন্বিয়ড়া, মুমিনুন, শুআরা ও আনকাবুতে তার ঘটনা পুর্বেই বর্ণিত হয়েছে ৷
সুরা আহযাবে আল্লাহ তাআলা বলেন ং
া১;াছু ৷ ১া
মোঃত্রৈ ”
অর্থাৎ-স্মরণ কর, যখন আমি নবীদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং
তোমার কাছ থেকেও এবং নুহ, ইব্রাহীম , মুসা, মড়ারয়ামের পুত্র ঈসার কাছ থেকে ৷ তাদের
কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলাম দৃঢ় অঙ্গীকার ৷ (৩৩ : ৭)

সুরা সাদে আল্লাহ তাআলা বলেন :



অর্থাৎ এদের পুর্বেও রাসুলদেরকে মিখ্যাবাদী বলেছিল নুহের সম্প্রদায়, আদ ও বহু
শিবিরের অধিপতি ফিরআউন ৷ ছামুদ, লুত ও আয়কার অধিবাসী, তারা ছিল এক একটি বিশাল
বাহিনী ৷ এদের প্রত্যেকেই রাসুলগণকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেছিল ৷ ফলে তাদের ক্ষেত্রে

আমার শাস্তি হয়েছে বাস্তব ৷ (৩৮০ ং ১ ২; ১ : )

সুরা গাফিব তথা সুরা মুমিনে আল্লাহ ত৷ আলা বলেন ং


১এৰু১ট্যুখু
,

এ্যা;া£,


الْبُخَارِيُّ فِي قِصَّةِ نُوحٍ. فَلَمَّا بَعَثَ اللَّهُ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ دَعَاهُمْ إِلَى إِفْرَادِ الْعِبَادَةِ لِلَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنْ لَا يَعْبُدُوا مَعَهُ صَنَمًا، وَلَا تِمْثَالًا، وَلَا طَاغُوتًا، وَأَنْ يَعْتَرِفُوا بِوَحْدَانِيَّتِهِ، وَأَنَّهُ لَا إِلَهَ غَيْرُهُ، وَلَا رَبَّ سِوَاهُ، كَمَا أَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى مَنْ بَعْدَهُ مِنَ الرُّسُلِ الَّذِينَ هُمْ كُلُّهُمْ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمُ الْبَاقِينَ} [الصافات: 77] . وَقَالَ فِيهِ، وَفِي إِبْرَاهِيمَ: {وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ} [الحديد: 26] . أَيْ: كُلُّ نَبِيٍّ مِنْ بَعْدِ نُوحٍ فَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ، وَكَذَلِكَ إِبْرَاهِيمُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ} [النحل: 36] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَاسْأَلْ مَنْ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رُسُلِنَا أَجَعَلْنَا مِنْ دُونِ الرَّحْمَنِ آلِهَةً يُعْبَدُونَ} [الزخرف: 45] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ} [الأنبياء: 25] . وَلِهَذَا قَالَ نُوحٌ لِقَوْمِهِ: {اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [الأعراف: 59] . وَقَالَ: {أَنْ لَا تَعْبُدُوا إِلَّا اللَّهَ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ أَلِيمٍ} [هود: 26] . وَقَالَ: {يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ أَفَلَا تَتَّقُونَ} [المؤمنون: 23] . وَقَالَ: {يَا قَوْمِ إِنِّي لَكُمْ نَذِيرٌ مُبِينٌ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ يَغْفِرْ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى إِنَّ أَجَلَ اللَّهِ إِذَا جَاءَ لَا يُؤَخَّرُ لَوْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا فَلَمْ يَزِدْهُمْ دُعَائِي إِلَّا فِرَارًا وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوا أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ وَاسْتَغْشَوْا ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّوا وَاسْتَكْبَرُوا اسْتِكْبَارًا ثُمَّ إِنِّي دَعَوْتُهُمْ جِهَارًا ثُمَّ إِنِّي أَعْلَنْتُ لَهُمْ وَأَسْرَرْتُ لَهُمْ إِسْرَارًا فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا مَا لَكُمْ لَا تَرْجُونَ لِلَّهِ وَقَارًا وَقَدْ خَلَقَكُمْ أَطْوَارًا} [نوح: 2] [نوحٍ: 2 - 14] .
পৃষ্ঠা - ২৫০


অর্থাৎ এদের পুর্বে নুহের সম্প্রদায় এবং তাদের পরে অন্যান্য দলও মিথ্যা আরোপ
করেছিল ৷ প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ রাসুলকে পাকড়াও করার অভিসন্ধি করেছিল এবং তারা
অসার তর্কে লিপ্ত হয়েছিল, সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য ৷ ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও
করলাম এবং কত কঠোর ছিল আমার শাস্তি! এভাবে কড়াফিরদের ক্ষেত্রে সত্য হলো তোমার
প্রতিপালকেৱ বার্ণী এরা জাহান্নামী ৷ (৪ : : ৫ ৬)

সুরা শুরায় মহান আস্লাহ্ বলেন০ ং



? ?


অর্থাৎ-তিনি তোমাদের জন্য ৰিধিবদ্ধ করেছেন দীন যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে
আর যা ওহী করেছি আমি তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মুসা ও ঈসাকে এ
বলে যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠা কর এবং তাতে দলাদলি করো না ৷ তুমি মুশরিকদেরকে যার
প্রতি আহ্বান করছ তা তাদের নিকট দুর্বল মনে হয় ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দীনের প্ৰতি আকৃষ্ট
করেন এবং যে তার অভিমুখী তাকে দীনের দিকে পরিচালিত করেন ৷ ( : ২ ১৩)

সুরা কাফে আল্লাহ তা আশা বলেন ং
র্ণর্দুন্



অর্থাৎ-এদের পুর্বেও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল নুহের সম্প্রদায়, রাস্স ও ছামুদ সম্প্রদায় ,
আদ, ফিরআউন ও লুত সম্প্রদায় এবং আয়কার অধিবাসী ও তুব্বা সম্প্রদায়, তারা সকলেই
রাসুলপণকে মিখ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেছিল ৷ ফলে তাদের উপর আমার শাস্তি আপতিত হয় ৷
(৫০ : ১২-১৪ )

সুরা যারিয়াতে আল্লাহ বলেন ং মোঃাপ্রুও ৷প্রু;াও স্পো;৷ ৰুা গ্লুণ্ন্০ ৰু প্রু; ণ্রুওগ্লু
অর্থাৎ-আমি ধ্বংস করেছিলাম এদের পুর্বে নুহের সম্প্রদায়কে, তারা ছিল সতাত্যাগী

সম্প্রদায় ৷ (৫১ : ৪৬)

সুরা নাজমে আল্লাহ তাআলা বন্সেনং
,

অর্থাৎ-আর এদের পুর্বে নুহের সম্প্রদায়কেও (আমি ধ্বংস করেছিলাম) তারা ছিল অতিশয়
জালিম, অবাধ্য ৷ (৫৩ : ৫২) সুরা কামারে (৫০) তার ঘটনা ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷


الْآيَاتِ الْكَرِيمَاتِ. فَذَكَرَ أَنَّهُ دَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ بِأَنْوَاعِ الدَّعْوَةِ فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَالسِّرِّ وَالْإِجْهَارِ، بِالتَّرْغِيبِ تَارَةً وَالتَّرْهِيبِ أُخْرَى، وَكُلُّ هَذَا فَلَمْ يَنْجَحْ فِيهِمْ، بَلِ اسْتَمَرَّ أَكْثَرُهُمْ عَلَى الضَّلَالَةِ وَالطُّغْيَانِ، وَعِبَادَةِ الْأَصْنَامِ وَالْأَوْثَانِ، وَنَصَبُوا لَهُ الْعَدَاوَةَ فِي كُلِّ وَقْتٍ وَأَوَانٍ، وَتَنَقَّصُوهُ وَتَنَقَّصُوا مَنْ آمَنَ بِهِ. وَتَوَعَّدُوهُمْ بِالرَّجْمِ وَالْإِخْرَاجِ، وَنَالُوا مِنْهُمْ، وَبَالَغُوا فِي أَمْرِهِمْ قَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِهِ. أَيِ: السَّادَةُ الْكُبَرَاءُ مِنْهُمْ: {إِنَّا لَنَرَاكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ قَالَ يَا قَوْمِ لَيْسَ بِي ضَلَالَةٌ وَلَكِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الأعراف: 60] . أَيْ: لَسْتُ كَمَا تَزْعُمُونَ مِنْ أَنِّي ضَالٌّ بَلْ عَلَى الْهُدَى الْمُسْتَقِيمِ، رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ، أَيِ: الَّذِي يَقُولُ لِلشَّيْءِ كُنْ فَيَكُونُ {أُبَلِّغُكُمْ رِسَالَاتِ رَبِّي وَأَنْصَحُ لَكُمْ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ} [الأعراف: 62] . وَهَذَا شَأْنُ الرَّسُولِ أَنْ يَكُونَ بَلِيغًا، أَيْ: فَصِيحًا نَاصِحًا أَعْلَمَ النَّاسِ باللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالُوا لَهُ فِيمَا قَالُوا: {مَا نَرَاكَ إِلَّا بَشَرًا مِثْلَنَا وَمَا نَرَاكَ اتَّبَعَكَ إِلَّا الَّذِينَ هُمْ أَرَاذِلُنَا بَادِيَ الرَّأْيِ وَمَا نَرَى لَكُمْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلٍ بَلْ نَظُنُّكُمْ كَاذِبِينَ} [هود: 27] . تَعَجَّبُوا أَنْ يَكُونَ بَشَرًا رَسُولًا، وَتَنَقَّصُوا بِمَنِ اتَّبَعَهُ، وَرَأَوْهُمْ أَرَاذِلَهُمْ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُمْ كَانُوا مِنْ أَقْيَادِ النَّاسِ، وَهُمْ ضُعَفَاؤُهُمْ، كَمَا قَالَ هِرَقْلُ: وَهُمْ أَتْبَاعُ الرُّسُلِ. وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّهُ لَا مَانِعَ لَهُمْ مِنَ اتِّبَاعِ الْحَقِّ. وَقَوْلُهُمْ: بَادِيَ الرَّأْيِ. أَيْ: بِمُجَرَّدِ مَا دَعَوْتَهُمُ اسْتَجَابُوا لَكَ مِنْ غَيْرِ نَظَرٍ وَلَا رَوِيَّةٍ، وَهَذَا الَّذِي ذَمُّوهُمْ بِهِ
পৃষ্ঠা - ২৫১


সুরা হাদীদে মহান আল্লাহ বলেন০ ং



গ্রএেএ



অর্থাৎ-আমি নুহ এবং ইবরাহীমকে রাসুলরুপে প্রেরণ করেছিলাম এবং আমি তাদের
বংশধরগণের জন্য স্থির করেছিলাম নবুওত ও কিতাব কিন্তু তাদের অল্প কিছু লোক সৎপথ
অবলম্বন করেছিল এবং অধিকাৎশই ছিল সতাত্যাগী ৷ (৫ ৭ : ২৬)

সুরা তড়াহরীমে মহান আল্লাহ্ বলেন :


র্মু-,ন্,এটু
অর্থাৎ--আল্পাহ কাফিরদের জন্য নুহ ও লুতের শ্রীব দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করছেন, তারা ছিল
আমার বান্দাদের মধ্যে দুই সৎকর্মপরায়ণ বন্দোর অধীন ৷ কিন্তু তারা তাদের প্রতি
বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল; ফলে নুহ ও লুত তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারল
না এবং তাদেরকে বলা হলো, জাহড়ান্নড়ামে প্রবেশকারীঙ্গুদ্যা সঙ্গে ণ্তামরাও তাতে প্রবেশ কর ৷
(৬৬ : ১০)
কুরআন, হাদীস ও বিভিন্ন রিওয়ায়াতের তথ্য মোতাবেক আপন সম্প্রদায়ের সঙ্গে নুহ
(আ)-এর যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল তার সারমর্ম উল্লেখ প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী (র) কর্তৃক বর্ণিত
ইবন আব্বাস (রা)-এর হাদীদে পৃর্যেই আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, আদম (আ) ও নুহ
(আ)-এর মধ্যে ব্যবধান ছিল দশ করন ৷ তারা সকলেই ইসলামের অনুসারী ছিলেন ৷ আর
আমরা এও উল্লেখ করেছি যে, করন বলতে হয় তো প্রজন্ম কিৎবা যুগ বুঝানো হয়েছে ৷ তারপর
এ সৎকর্মশীলদের করনসমুহের পর এমন কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়; যার ফলে সে যুগের
অধিবাসীরা মুর্তিপুজার দিকে ঝুকে পড়ে ৷ ৫ র্চুর্টুএ’াওৰুণ্ এাএ এ আঘাতের তাফসীর
প্রসঙ্গে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে ইমাম বুখারী (র) কতৃকি বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী তার করন ছিল
এই যে, (ওয়াদ, সুওয়া, য়াপুছ ইত্যাদি) এসব হলো নুহ (আ)-এর সম্প্রদায়ের কয়েকজন
পুণ্যবান ব্যক্তির নাম ৷ এদের মৃত্যর পর শয়তান তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি মস্ত্রণা দেয় যে, এরা
যে সব স্থানে বসতেন তোমরা সে সব স্থানে কিছু মুর্তি নির্মাণ করে তাদের নামে যে সবের
নামকরণ করে দাও ৷ তখন তারা তাই করে ৷ কিন্তু তখনও এগুলোর পুজা শুরু হয়নি ৷ তারপর
যখন তাদের মৃত্যু হয় এবং ইল্ম সােপ পায় তখন থেকে এ সবের পুজা শুরু হয় ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, নুহ (আ)-এর সম্প্রদায়ের এ দেব-দেবীগুলাে পরে আরবেও প্রচলিত হয়ে
পড়ে ৷ ইকরিমা, যাহ্হাক, কাতাদা এবং মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র)-ও অনুরুপ মত প্রকাশ
করেছেন ৷ ইবন জারীর (র) আলোচ্য আয়াতের তাফসীরে মুহাম্মদ ইবন কায়স (র) এর বরাতে
বলেন, তারা ছিলেন আদম (আ) ও নুহ (আ)-এর মধ্যবর্তী কালের পুণ্যবান ব্যক্তিবর্গ ৷ তাদের


هُوَ عَيْنُ مَا يُمْدَحُونَ بِسَبَبِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، فَإِنَّ الْحَقَّ الظَّاهِرَ لَا يَحْتَاجُ إِلَى رَوِيَّةٍ، وَلَا فِكْرٍ، وَلَا نَظَرٍ. بَلْ يَجِبُ اتِّبَاعُهُ، وَالِانْقِيَادُ لَهُ مَتَى ظَهَرَ، وَلِهَذَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَادِحًا لِلصَّدِّيقِ «. مَا دَعَوْتُ أَحَدًا إِلَى الْإِسْلَامِ إِلَّا كَانَتْ لَهُ كَبْوَةٌ غَيْرَ أَبِي بَكْرٍ فَإِنَّهُ لَمْ يَتَلَعْثَمْ» . وَلِهَذَا كَانَتْ بَيْعَتُهُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ أَيْضًا سَرِيعَةً مِنْ غَيْرِ نَظَرٍ، وَلَا رَوِيَّةٍ ; لِأَنَّ أَفْضَلِيَّتَهُ عَلَى مَنْ عَدَاهُ ظَاهِرَةٌ جَلِيَّةٌ عِنْدَ الصَّحَابَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَلِهَذَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يَكْتُبَ الْكِتَابَ الَّذِي أَرَادَ أَنْ يَنُصَّ فِيهِ عَلَى خِلَافَتِهِ فَتَرَكَهُ. وَقَالَ: «يَأْبَى اللَّهُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَّا أَبَا بَكْرٍ» . رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَوْلُ كَفَرَةِ قَوْمِ نُوحٍ لَهُ، وَلِمَنْ آمَنَ بِهِ: {وَمَا نَرَى لَكُمْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلٍ} [هود: 27] . أَيْ: لَمْ يَظْهَرْ لَكُمْ أَمْرٌ بَعْدَ اتِّصَافِكُمْ بِالْإِيمَانِ، وَلَا مَزِيَّةٌ عَلَيْنَا: {بَلْ نَظُنُّكُمْ كَاذِبِينَ قَالَ يَا قَوْمِ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كُنْتُ عَلَى بَيِّنَةٍ مِنْ رَبِّي وَآتَانِي رَحْمَةً مِنْ عِنْدِهِ فَعُمِّيَتْ عَلَيْكُمْ أَنُلْزِمُكُمُوهَا وَأَنْتُمْ لَهَا كَارِهُونَ} [هود: 27] [هُودٍ: 27 - 28] . وَهَذَا تَلَطُّفٌ فِي الْخِطَابِ مَعَهُمْ، وَتَرَفُّقٌ بِهِمْ فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الْحَقِّ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى} [طه: 44] . وَقَالَ تَعَالَى: {ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ} [النحل: 125] . وَهَذَا مِنْهُ يَقُولُ لَهُمْ: {أَرَأَيْتُمْ إِنْ كُنْتُ عَلَى بَيِّنَةٍ مِنْ رَبِّي وَآتَانِي رَحْمَةً مِنْ عِنْدِهِ} [هود: 28] . أَيُّ النُّبُوَّةَ وَالرِّسَالَةَ {فَعُمِّيَتْ عَلَيْكُمْ} [هود: 28] . أَيْ فَلَمْ تَفْهَمُوهَا، وَلَمْ تَهْتَدُوا إِلَيْهَا {أَنُلْزِمُكُمُوهَا} [هود: 28] . أَيْ أَنَغْصِبُكُمْ بِهَا، وَنَجْبُرُكُمْ عَلَيْهَا {وَأَنْتُمْ لَهَا كَارِهُونَ} [هود: 28] .
পৃষ্ঠা - ২৫২
প্রু


বেশ কিছু অনুসারী ছিল ৷ তারপর যখন তাদের মৃত্যু হয়, তখন তাদের অনুসারীরা বলল,
আমরা যদি এদের প্রতিকুতি তৈরী করে রাখি, তাহলে তাদের কথা স্মরণ করে ইবাদতে
আমাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে ৷ তখন তারা তাদের প্রতিকৃতি নির্মাণ করে রাখে ৷ তারপর যখন
তাদের মৃত্যু হয় এবং অন্য প্রজন্ম আসে; তখন শয়তান তাদের প্রতি এ বলে প্ররোচণা দেয় যে,
লোকজন তাদের উপাসনা করত এবং তাদের ওসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করত ৷ তখন তারা তাদের
পুজা শুরু করে দেয় ৷ ইবন আবু হাতিম উরওয়ড়া ইবন যুবায়র সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উরওয়া
ইবন যুবায়র বলেন, ওয়াদ য়াপুছ, য়াউক, সুওয়া ও নাসর আদম (আ)-এর সন্তান ৷ ওয়াদ
ছিলেন এদের বয়সে সকলের চইিতে প্রবীণ এবং সর্বাধিক পুণবােন ব্যক্তি ৷

ইবন আবুহড়াতিম বর্ণনা করেন যে, আবুল মুতাহ্যার বলেন, একদা আবু জাফর আল বাকির
সালাতরত অবস্থায় ছিলেন ৷ তখন লোকজন য়াযীদ ইবন মুহাল্পারের কথা আলোচনা করছিল ৷
সালাত শেষে তিনি বললেন, তোমরা য়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের কথা বলছ ৷ যে এমন স্থানে নিহত
হয়, যেখানে সর্বপ্রথম গায়রুল্লাহর পুজা হয়েছিল ৷ আবুল মুতাহ্যার বলেন, তারপর তিনি ওয়াদ
সম্পর্কে বলেন, তিনি একজন পুণবােন এবং জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন ৷ মৃত্যুর পর বাবেলে জনতা
তার কবরের চতুগার্শে সমবেত হয়ে শোক প্রকাশ করতে শুরু করে ৷ ইবলীস তা দেখে মানুষের
রুপ ধরে তাদের কাছে এসে বলল, এ ব্যক্তির জন্য তোমাদের হা-হতাশ আমি লক্ষ্য করছি ৷
আমি কি তেড়ামাংদর জন্য তার অনুরুপ প্রতিকৃতি তৈরি করে দেব? তা তোমাদের মজলিসে
থাকবে আর তোমরা তাকে স্মরণ করবে ৷ তারা বলল, ইভ্রা, দিন ৷ ইবলীস তাদেরকে তার
অনুরুপ প্রতিকৃতি তৈরি করে দিল ৷ বর্ণনাকড়ারী বলেন, আর তারা তা তাদের মজলিসে স্থাপন
করে তাকে স্মরণ করতে শুরু করে ৷ ইবলীস তাদেরকে তাকে স্মরণ করতে দেখে এবার বলল,
আচ্ছা, আমি তোমাদের প্রত্যেকের ঘরে এর একটি করে মুর্তি স্থাপন করে দেইঃ তাহলে নিজের
ঘরে বসেই তোমরা তাকে স্মরণ করতে পারবে ৷ তারা বলল, হ্যা , দিন ! বর্ণনাকারী বলেন,
তখন ইবলীস প্রত্যেক গৃহবাসীর জন্য তার একটি করে মুর্তি নির্মাণ করে দেয় আর তারা তা
দেখে দেখে তাকে স্মরণ করতে শুরু করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এভাবে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম
তাকে দেবতা সাব্যস্ত করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাকে পুজা করতে শুরু করে ৷ এ ওয়াদই সেই
দেবতা; আল্লাহর পরিবর্তে সর্বপ্রথম যার পুজা করা হয় ৷

উপরোক্ত বক্তব্য প্রমাণ করে যে, এর প্রতিটি মুর্তিকেই কোন না কোন মানব গোষ্ঠী পুজা
করেছিল ৷ তাছাড়া বর্ণিত আছে যে, কালক্রমে তারা যে প্রতিকৃতিগুলােকে দেহবিশিষ্ট মুর্তিতৈ
পরিণত করে ৷ তারপর আল্লাহর পরিবর্তে তাদেরই উপাসনা শুরু হয়ে যায় ৷ এসবের উপাসনার
অসংখ্য পদ্ধতি ছিল ৷ তাফসীরের কিভাবে য়থাস্থানে আমরা তা উল্লেখ করেছি ৷ সকল প্রশংসা
আল্লাহরই জন্য ৷

সহীহ বুথারী ও মুসলিম শরীফে আছে যে, উম্মে সালামা ও উম্মে হাবীবা (রা) রাসুলুল্লাহ
(না)-এর সামনে তাদের হাবশায় দেখে আসা মারিয়া’ নামক গির্জা এবং তার রুপ-সৌন্দর্য ও
তাতে স্থাপন করে রাখা প্রতিকৃতির কথা উল্লেখ করলে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : “তাদের
নিয়ম ছিল তাদের মধ্যে সৎকর্মপরায়ণ কেউ মারা গেলে তার কবরের উপর তারা একটি
উপাসনালয় নির্মাণ করত ৷ তারপর তাতে তার প্রতিকৃতি স্থাপন করে রাখত ৷ আল্লাহর নিকট
তারা সৃষ্টির সব চইিতে নিকৃষ্ট জাতি ৷


أَيْ: لَيْسَ لِي فِيكُمْ حِيلَةٌ وَالْحَالَةُ هَذِهِ {وَيَا قَوْمِ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مَالًا إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى اللَّهِ} [هود: 29] . أَيْ: لَسْتُ أُرِيدُ مِنْكُمْ أُجْرَةً عَلَى إِبْلَاغِي إِيَّاكُمْ مَا يَنْفَعُكُمْ فِي دُنْيَاكُمْ، وَأُخَرَاكُمْ إِنْ أَطْلُبْ ذَلِكَ إِلَّا مِنَ اللَّهِ الَّذِي ثَوَابُهُ خَيْرٌ لِي، وَأَبْقَى مِمَّا تُعْطُونَنِي أَنْتُمْ. وَقَوْلُهُ: {وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّهُمْ مُلَاقُو رَبِّهِمْ وَلَكِنِّي أَرَاكُمْ قَوْمًا تَجْهَلُونَ} [هود: 29] كَأَنَّهُمْ طَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يُبْعِدَ هَؤُلَاءِ عَنْهُ، وَوَعَدُوهُ أَنْ يَجْتَمِعُوا بِهِ إِذَا هُوَ فَعَلَ ذَلِكَ فَأَبَى عَلَيْهِمْ ذَلِكَ، وَقَالَ إِنَّهُمْ مُلَاقُو رَبِّهِمْ فَأَخَافُ إِنْ طَرَدَتْهُمْ أَنْ يَشْكُونِي إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَلِهَذَا قَالَ: {وَيَا قَوْمِ مَنْ يَنْصُرُنِي مِنَ اللَّهِ إِنْ طَرَدْتُهُمْ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ} [هود: 30] . وَلِهَذَا لَمَّا سَأَلَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَطْرُدَ عَنْهُ ضُعَفَاءَ الْمُؤْمِنِينَ ; كَعَمَّارٍ، وَصُهَيْبٍ، وَبِلَالٍ، وَخَبَّابٍ، وَأَشْبَاهِهِمْ نَهَاهُ اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ، كَمَا بَيَّنَّاهُ فِي سُورَتَيِ الْأَنْعَامِ، وَالْكَهْفِ: {وَلَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ إِنِّي مَلَكٌ} [هود: 31] . أَيْ بَلْ أَنَا عَبْدٌ رَسُولٌ لَا أَعْلَمُ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ إِلَّا مَا أَعْلَمَنِي بِهِ. وَلَا أَقْدِرُ إِلَّا عَلَى مَا أَقْدَرَنِي عَلَيْهِ، وَلَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا، وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ {وَلَا أَقُولُ لِلَّذِينَ تَزْدَرِي أَعْيُنُكُمْ} [هود: 31] . يَعْنِي مِنْ أَتْبَاعِهِ {لَنْ يُؤْتِيَهُمُ اللَّهُ خَيْرًا اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا فِي أَنْفُسِهِمْ إِنِّي إِذًا لَمِنَ الظَّالِمِينَ} [هود: 31] . أَيْ لَا أَشْهَدُ عَلَيْهِمْ بِأَنَّهُمْ لَا خَيْرَ لَهُمْ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِهِمْ، وَسَيُجَازِيهِمْ عَلَى مَا فِي نُفُوسِهِمْ إِنْ خَيْرًا فَخَيْرٌ، وَإِنَّ شَرًّا فَشَرٌّ، كَمَا قَالُوا فِي الْمَوْضِعِ الْآخَرِ: {أَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْأَرْذَلُونَ قَالَ وَمَا عِلْمِي بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَى رَبِّي لَوْ تَشْعُرُونَ وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُبِينٌ} [الشعراء: 111] .
পৃষ্ঠা - ২৫৩


মোটকথা, বিকৃতি যখন পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের মধ্যে মুর্তিপুজার ব্যাপক
প্রসার ঘটে তখন আল্লাহ তাআলা তার বান্দা ও রসুল নুহ (আ)-কে প্রেরণ করেন ৷ তিনি এক
লা-শরীক আল্লাহর ইৰাদতের প্রতি আহবান জানান এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের উপাসনা
করতে নিষেধ করেন ৷ এ নুহ (আ)-ই সর্বপ্রথম রাসুল যীকে আল্লাহ তাআসা পৃথিবীৰাসীর
কাছে প্রেরণ করেন ৷ যেমন সহীহ বুখারী ও মুসলিমে নবী করীম (না) থেকে আবু হুরায়রা (রা )
সুত্রে বর্ণিত শাফাআতেব হাদীসে আছে যে, রাসুসুল্লাহ (না) বলেছেন৪ “তারা আদম (আ ) এর
কাছে এসে বলবে, হে আদম আপনি মানব জাতির পিতা ৷ আল্লাহ তা আনা আপনাকে নিজ
হাতে সৃষ্টি করেছেন, আপনার মধ্যে তার রুহ সঞ্চার করেছেন, তার আদেশে ফেরেশতারা
আপনাকে সিজদা করে এবং তিনি আপনাকে জান্নড়াতে বসবাস করতে দেন ৷ আপনার রবের
কাছে আপনি আমাদের জন্য একটু সুপারিশ করবেন কিং আমাদের অবস্থা তো দেখতেই
পাচ্ছেন ৷ তখন আদম (আ) বলবেন, আমার প্রতিপালক এত বেশি রাগাষিত হয়েছেন যে, এত
বেশি রাপাম্বিত তিনি কখনো হননি এবং পরেও কখনো হবেন না ৷ তিনি আমাকে বৃক্ষের ফল
খেতে নিষেধ করেছিলেন, কিত্ত্ব আমি তা অমান্য করি ৷ নাফসী নাফসী তোমরা অন্য কারো
কাছে যাও, তোমরা নুহের কাছে যাও ৷ তখন তারা নুহ (আ) এর নিকট গিয়ে বলবে, হে নুহ!
আপনি পৃথিবীবাসীর কাছে প্রেরিত প্রথম রাসুল এবং আল্লাহ আপনাকে কৃতজ্ঞ বড়ান্দা’ আখ্যা
দিয়েছেন ৷ আমরা কী অবস্থায় এবং কেমন বিপদে আছি তা কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন না ?
আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য একটু সুপারিশ করবেন কি? তখন তিনি
বলবেন, আমার বব আজ এত বেশি রাপাৰিত হয়েছেন যে, এত রাগ ইতিপুর্বে তিনি কখনো
করেননি এবং পরেও করবেন না ৷ নাফসী ! নাফসী ! রর্ণনাকারী এভাবে হাদীসটি সবিস্তারে বর্ণনা
করেন যেমনটি ইমাম বুখারী (ব) নুহ (আ) এব বাহিনীতে তা উল্লেখ করেছেন ৷

যা হোক, আল্লাহ তাআলা নুহ (আ)-কে প্রেরণ করলে তিনি সম্প্রদায়-কে একমাত্র
লা-শরীক আল্লাহর ইবাদত করার এবং তার সঙ্গে কোন প্রতিকৃতি, মুর্তি ও তাপুতের ইবাদত না
করার এবং তার একতু স্বীকার করে নেয়ার আহ্বান জানান এবং ঘোষণা দেন যে, তিনি ব্যতীত
আর কোন ইলাহ নেই, কোন রব নেই ৷ যেমন, আল্লাহ তাআলা তার পরবর্তী সকল
নবী-রাস্ফুঘকে এ আদেশ দান করেন, যারা সকলেই তারই বংশধর ছিলেন ৷ যেমন আল্লাহ

)

বলেন, ট্রু,ট্রুদ্বএে ’ “আর তার বশেধরদেরকেই আমি বংশ পরস্পরায়
বিদ্যমান ণ্রখেছি ৷ (৩ ৭ ৭ ৭) হযরত নুহ (আ) ও ইব্রাহীম (আ) সম্পর্কে বলেন ং

ণ্া র্দুহৃ৷ ৷ , ওদ্বু পুই৷ ৷ £প্রুদ্বুদ্বু১ ষ্ব্লু ৷১াব্লুহুট্রু
“এবং তার বংশধরদের মধ্যে আমি নবুওত ও কিতাব ব্লেখেছি ৷” (৫৭ : ২৬) অর্থাৎ নুহ
(আ)-এর পরে যত নবী এসেছিলেন, ভীরা সকলেই তার বংশধর ছিলেন ৷ এমনকি ইব্রাহীম
(আ) ও ৷

সুরা নাহ্লে আল্লাহ তাআলা বলেনং :


×



>


وَقَدْ تَطَاوَلَ الزَّمَانُ، وَالْمُجَادَلَةُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَلَبِثَ فِيهِمْ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا فَأَخَذَهُمُ الطُّوفَانُ وَهُمْ ظَالِمُونَ} [العنكبوت: 14] . أَيْ: وَمَعَ هَذِهِ الْمُدَّةِ الطَّوِيلَةِ فَمَا آمَنَ بِهِ إِلَّا الْقَلِيلُ مِنْهُمْ، وَكَانَ كُلَّمَا انْقَرَضَ جِيلٌ وَصَّوْا مَنْ بَعْدَهُمْ بِعَدَمِ الْإِيمَانِ بِهِ. وَمُحَارَبَتِهِ، وَمُخَالَفَتِهِ، وَكَانَ الْوَالِدُ إِذَا بَلَغَ وَلَدُهُ وَعَقَلَ عَنْهُ كَلَامَهُ وَصَّاهُ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ أَنْ لَا يُؤْمِنَ بِنُوحٍ أَبَدًا مَا عَاشَ وَدَائِمًا مَا بَقِيَ، وَكَانَتْ سَجَايَاهُمْ تَأْبَى الْإِيمَانَ وَاتِّبَاعَ الْحَقِّ، وَلِهَذَا قَالَ: {وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا} [نوح: 27] . وَلِهَذَا قَالُوا: {يَا نُوحُ قَدْ جَادَلْتَنَا فَأَكْثَرْتَ جِدَالَنَا فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ قَالَ إِنَّمَا يَأْتِيكُمْ بِهِ اللَّهُ إِنْ شَاءَ وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ} [هود: 32] [هُودٍ: 34] . أَيْ: مَنْ يُرِدِ اللَّهُ فِتْنَتَهُ فَلَنْ يَمْلِكَ أَحَدٌ هِدَايَتَهُ هُوَ الَّذِي يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَيُضِلُّ مَنْ يَشَاءُ، وَهُوَ الْفَعَّالُ لِمَا يُرِيدُ، وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ الْعَلِيمُ بِمَنْ يَسْتَحِقُّ الْهِدَايَةَ وَمَنْ يَسْتَحِقُّ الْغِوَايَةَ، وَلَهُ الْحِكْمَةُ الْبَالِغَةُ، وَالْحُجَّةُ الدَّامِغَةُ {وَأُوحِيَ إِلَى نُوحٍ أَنَّهُ لَنْ يُؤْمِنَ مِنْ قَوْمِكَ إِلَّا مَنْ قَدْ آمَنَ فَلَا تَبْتَئِسْ بِمَا كَانُوا يَفْعَلُونَ} [هود: 36] . وَهَذِهِ تَعْزِيَةٌ لِنُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي قَوْمِهِ أَنَّهُ لَنْ يُؤْمِنَ مِنْهُمْ إِلَّا مَنْ قَدْ آمَنَ، وَتَسْلِيَةٌ لَهُ عَمَّا كَانَ مِنْهُمْ إِلَيْهِ {فَلَا تَبْتَئِسْ بِمَا كَانُوا يَفْعَلُونَ} [هود: 36] . أَيْ: لَا يَسُوأَنَّكَ مَا جَرَى فَإِنَّ النَّصْرَ قَرِيبٌ، وَالنَّبَأَ عَجِيبٌ
পৃষ্ঠা - ২৫৪


অর্থাৎ-আল্পাহর ইবাদত করার ও তাপুতকে বত্তনি করার নির্দেশ দেয়ার জন্য আমি তো
প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসুল পাঠিয়েছি ৷ (১৬ : ৩৬)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন

ওস্থুৰু৷ ৷

অর্থাৎ-তে ৷মার পুর্বে আমি যেসব রাসুল প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে তুমি জিজ্ঞেস কর,
আমি কি দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য সাব্যস্ত করেছিলাম, যাদের ইবাদত করা
যায়? (৪৩ ও ৪৫)

অন্য আয়াতে অৰুল্পাহ্ বলেনং :



অর্থাৎ-আমি তোমার পুর্বে এমন রাসুল প্রেরণ করিনি তার প্রতি এ ওহী ব্যতীত যে, আমি
ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত কর ৷ (২১ : ২৫)

এ কারণেই নুহ (আ) তার সম্প্রদায়কে বলেছিন্সেন০ ং

র্নো
অর্থাৎ-(হে আমার সম্প্রদায়!) তোমরা আল্লাহর §?flfi§ কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের

অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ আমি তোমাদের জন্য এক মহা দিনের শাস্তির আশংকা করছি ৷
(৭ : ৫৯)

সুরা হুদে আল্লাহ তাআলা বলেন০ ঞ
র্দুার্টু,া

অর্থাৎ-৫৩ তামরা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত কর না ৷ আমি তোমাদের জন্য এক

মর্মাস্তিক দিনের শাস্তির আশংকা করছি ৷ (১ ১০ ২৬)

তিনিআরােবলেন : শুক্ট্রঞর্দুন্

অর্থাৎ-হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্
নেই, তোমরা কি সাবধান হবে না ? (৭ : ৬৫)

যেটিকথা, আল্লাহ তাআলা একথা জানিয়ে দেন যে, নুহ (আ) তার সম্প্রদায়কে আল্লাহর
প্রতি দাওয়াতের,যত পদ্ধতি আছে তার সবই প্রয়োগ করেছেন ৷ রাতে-দিনে, গোপনে-প্রকাশ্যে
কখনো উৎসাহ দিয়ে, কখনো বা ভয় দেখিয়ে ৷ কিত্তু এর কােনটিই তাদের মধ্যে কার্যকর ফল
বয়ে আনতে পারেনি বরং তাদের অধিকাৎ শই গােমরাহী, সীমালঙ্ঘন এবং মুর্তিপুজায় অটল
থাকে এবং সর্বক্ষণ তার বিরুদ্ধে শক্রতা করতে থাকে ৷ তাকে ও তার ঈমানদার সঙ্গীদেরকে
ণ্ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৩২-


{وَاصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا وَلَا تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُوا إِنَّهُمْ مُغْرَقُونَ} [هود: 37] .
পৃষ্ঠা - ২৫৫


তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে থাকে এবং তাদেরকে প্রস্তরাঘাতে মেরে ফেলার ও দেশ থেকে বের করে
দেয়ার ভয় দেখাতে থাকে ৷ তারা তাদের ক্ষতিসাধন করে এবং এ ব্যাপারে সীমা ছাড়িয়ে যায় ৷

)

)
জো ৷ ()াও



৷ দ্বু
অর্থাৎ-তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ বলেছিল, আমরা তো তোমাকে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে দেখতে
পাচ্ছি ৷ সে বলেছিল, হে আামর সম্প্রদায় আঘাতে কোন ভ্রান্তি নেই, আমি তো জগতসমুহের
প্রতিপালকের রাসুল ৷ (অর্থাৎ তোমরা যে ধারণা করছ আমি ভ্র ৷ম্ভ, আমি তা নই ৷ বরং আমি
সঠিক পথ ও হিদায়াতে র উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ আমি জগ৩ তসমুহের সে প্রতিপালকের রাসুল, যিনি
কোন বস্তুকে হও’ বললেই তা হয়ে যায় ৷) আমার প্রতিপালকের বাণী আমি তোমাদের কাছে
পৌছাচ্ছি ও তােমাদেরকে হিতোপদেশ দিচ্ছি এবং তোমরা যা জান না , আমি তা আল্লাহর
নিকট হতে আমি ৷ (৭ : ৬০-৬২)
বলড়াবাক্বা যে, একজন রাসুলের শান এমনিই হওয়া দরকার যে, তিনি হবেন বাকপটু ৷
তার ভাষা হবে সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল, লোকদেরকে তিনি হিতােপদেশ দিবেন এবং আল্লাহ
সম্পর্কে তার জ্ঞান হবে সর্বাধিক ৷

নুহ (আ) এর বক্তব্যের জবাবে তারা বললং :


,
এেষ্১ ৷র্চু এে ষ্১


অর্থাৎ-আমরা তো তোমাকে আমাদের মতই দেখছি; অনুধাবন না করে তোমার অনুসরণ
করছে তারাই, যারা আমাদের মধ্যে অধম এবং আমরা আমাদের উপর তোমাদের কোন গ্রেষ্ঠতৃ
দেখছি না, বরং আমরা তােমাদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করি ৷ (১ ১ : ২৭)
নুহ (আ) মানুষ হয়ে রাসুল হওয়ায় তার সম্প্রদায় বিস্মিত হয় এবং যারা তার অনুসরণ
করেছিল তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে ও হেয়প্রতিপন্ন করে ৷ কথিত আছে যে, নুহ (আ) এর
বিরোধী সম্প্রদায় ছিল নেতৃস্থানীয় আর তার অনুসারীরা ছিল সমাজের দুর্বল শ্রেণীর লোক ৷
যেমনং : রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস বলেছিলেন, নবী-রাসুলদের অনুসারীরা দুর্বল শ্রেণীরই হয়ে

থাকেন ৷ এর কারণ হলো সত্য অনুসরণের ব্যাপারে তাদের সম্মুখে কোন প্ৰতিবন্ধকতা
থাকে না ৷

বিরুদ্ধবাদীদের উক্তিট্রু র্চু;১ র্দু এর অর্থ হলো চিন্তা ভাবনা ও বিচার-বিবেচনা না করে
ণ্স্র-ফ তোমার দাওয়াত শুনেইদ্দু তারা সাড়া দিয়েছে ৷ কিভু এ কটাক্ষটি মুলত এমনই একটি গুণ
যে কারণে তারা প্রশং ×সাহ্ ৷ আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট ৷ কারণ প্রকাশ্য সত্য চাক্ষুস দর্শন ও
চিভা ভাবনার অপেক্ষা রাখে না বরং তা প্রকাশ পাওয়া মাত্র তা স্বীকার করে নিয়ে তার
অনুসরণ করাই আবশ্যক হয়ে দাড়ায় ৷ এ কারণেই নবী করীম (সা) আবু বকর সিদ্দীক


وَذَلِكَ أَنَّ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا يَئِسَ مِنْ صَلَاحِهِمْ، وَفَلَاحِهِمْ، وَرَأَى أَنَّهُمْ لَا خَيْرَ فِيهِمْ، وَتَوَصَّلُوا إِلَى أَذِيَّتِهِ، وَمُخَالَفَتِهِ، وَتَكْذِيبِهِ بِكُلِّ طَرِيقٍ مِنْ فِعَالٍ، وَمَقَالٍ دَعَا عَلَيْهِمْ دَعْوَةَ غَضَبٍ لِلَّهِ فَلَبَّى اللَّهُ دَعْوَتَهُ وَأَجَابَ طِلْبَتَهُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ نَادَانَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيبُونَ وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ} [الصافات: 75] [الْأَنْبِيَاءِ: 76] . وَقَالَ تَعَالَى: {قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوْمِي كَذَّبُونِ فَافْتَحْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا ونَجِّنِي وَمَنْ مَعِيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [الشعراء: 117] [الْقَمَرِ: 10] . وَقَالَ تَعَالَى: {قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ} [المؤمنون: 26] . وَقَالَ تَعَالَى: {مِمَّا خَطِيئَاتِهِمْ أُغْرِقُوا فَأُدْخِلُوا نَارًا فَلَمْ يَجِدُوا لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْصَارًا وَقَالَ نُوحٌ رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا إِنَّكَ إِنْ تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا} [نوح: 25] .
পৃষ্ঠা - ২৫৬


(রা)-এর প্রশংসা করে বলেছিলেন : যাকেই আমি ইসলামের প্রতি আহবান করেছি প্ৰতেব্রুকেই
দ্বিধা-দ্বরুন্দু ছিল ৷ জ্যি আবু বকর এর ব্যতিক্রম ৷ কারণ তিনি এতটুকু বিলম্বও করেন নি ৷ আর
এ কারণেই ছাকীফার দিলেও কোনরুপ চিন্তা-বিবেচনা না করেই দ্রুত তীর বায়আত সম্পন্ন হয় ৷
কেননা, সাহাবাগণের কাছে অন্যদের উপর তার শ্রেষ্ঠতু ছিল দিবালোকের মত স্পষ্ট ৷ আর এ
কারণেই রাসুলুল্পাহ (সা) তার খিলাফত সম্পর্কে কিছু লিখতে গিয়েও তা বাদ দিয়ে বলেছিলেনঃ
“আল্লাহ ও ঈমানদারগণ আবু বকর (রা)ছাড়া আর কারো ব্যাপারে রাযী হবেন না ৷

নুহ (আ) ওগােতড়ার ঈমানদার অনুসারীদের উদ্দেশে তার সম্প্রদায়ের কাফিরদের
উক্তি এর অর্থ হলো, তোমাদের

ঈমান আনার পর আমাদের ওপর তোমাদের কোন শ্রেষ্ঠতু প্রকাশ পায়নি ৷ আমরা বরং

তোমাদেরকে মিথ্যাবাদীই মনে করি ৷ এর জবাবে নুহ (আ) বললেন০ ং

মোঃ

অর্থাৎ-সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আমাকে বল, আমি যদি আমার
প্রতিপালক প্রেরিত স্পষ্ট নিদর্শনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি এবং তিনি যদি অ্যামকে তার নিজ অনুগ্রহ
দান করে থাকেন, অথচ এ বিষয়ে তোমরা জ্ঞানান্ধ হও, আমি কি এ বিষয়ে তোমাদেরকে বাধ্য
করতে পারি, যখন তোমরা তা অপছন্দ কর ৷ (১৬ : ২৮)

এই হলো তাদেরকে সাম্বাধনে নুহ্ (আ) এর কােমলতা অবলম্বন এবং সতেব্রুর দাওয়াতের

(ক্ষৰুত্র তাদের সাথে নম্রতার অভিব্যক্তি যেমন অৰুল্লাহ্ তা আলা বলেনং ং


ত্
অর্থাৎ-তার সঙ্গে তেড়ামরা নম্র কথা বলবে, হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয়
করবে ৷ (২০ : ৪৪)

অন্যায় আল্লাহ তাআলা বলেনং :
ণ্ডা৷ ৷ ছুর্দুা

অর্থাৎন্ন্তৃমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান কর হিকমত ও সদৃপদেশ দ্বারা
এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা কর সদ্ভাবে ৷ (২১ : ১২৫)
ঠিক এ ধারায়ই নুহ (আ) বলেছিলেন :


অর্থাৎ তোমরা আমাকে বল, আমি যদি আমার প্রতিপালক প্রেরিত স্পষ্ট নিদর্শনে
প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি এবং তিনি যদি আমাকে তার নিজ অনুগ্রহ (তথা নবুওত ও রিসালাত) দান


أَيْ يَسْتَهْزِئُونَ بِهِ اسْتِبْعَادًا لِوُقُوعِ مَا تَوَعَّدَهُمْ بِهِ قَالَ {إِنْ تَسْخَرُوا مِنَّا فَإِنَّا نَسْخَرُ مِنْكُمْ كَمَا تَسْخَرُونَ} [هود: 38] . أَيْ: نَحْنُ الَّذِينَ نَسْخَرُ مِنْكُمْ، وَنَتَعَجَّبُ مِنْكُمْ فِي اسْتِمْرَارِكُمْ عَلَى كُفْرِكُمْ، وَعِنَادِكُمُ الَّذِي يَقْتَضِي وُقُوعَ الْعَذَابِ بِكُمْ وَحُلُولَهُ عَلَيْكُمْ {فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ مَنْ يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُقِيمٌ} [هود: 39] . وَقَدْ كَانَتْ سَجَايَاهُمُ الْكُفْرَ الْغَلِيظَ، وَالْعِنَادَ الْبَالِغَ فِي الدُّنْيَا. وَهَكَذَا فِي الْآخِرَةِ فَإِنَّهُمْ يَجْحَدُونَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ جَاءَهُمْ مِنَ اللَّهِ رَسُولٌ، كَمَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَجِيءُ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأُمَّتُهُ فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: هَلْ بَلَّغْتَ. فَيَقُولُ: نَعَمْ. أَيْ رَبِّ. فَيَقُولُ لِأُمَّتِهِ: هَلْ بَلَّغَكُمْ. فَيَقُولُونَ: لَا مَا جَاءَنَا مِنْ نَبِيٍّ. فَيَقُولُ لِنُوحٍ: مَنْ يَشْهَدُ لَكَ. فَيَقُولُ: مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ. فَتَشْهَدُ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ. وَهُوَ قَوْلُهُ: {وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا} [البقرة: 143] » [الْبَقَرَةِ: 143] . وَالْوَسَطُ: الْعَدْلُ فَهَذِهِ الْأُمَّةُ تَشْهَدُ عَلَى شَهَادَةِ نَبِيِّهَا الصَّادِقِ الْمَصْدُوقِ بِأَنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ نُوحًا بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْحَقَّ وَأَمَرَهُ بِهِ. وَأَنَّهُ بَلَّغَهُ إِلَى أُمَّتِهِ عَلَى أَكْمَلِ الْوُجُوهِ وَأَتَمِّهَا، وَلَمْ يَدَعْ شَيْئًا مِمَّا يَنْفَعُهُمْ فِي دِينِهِمْ إِلَّا وَقَدْ أَمَرَهُمْ بِهِ. وَلَا شَيْئًا مِمَّا قَدْ يَضُرُّهُمْ إِلَّا وَقَدْ نَهَاهُمْ عَنْهُ وَحَذَّرَهُمْ مِنْهُ. وَهَكَذَا شَأْنُ جَمِيعِ الرُّسُلِ حَتَّى إِنَّهُ حَذَّرَ قَوْمَهُ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ، وَإِنْ كَانَ لَا يَتَوَقَّعُ
পৃষ্ঠা - ২৫৭


করে থাকেন, অথচ তোমরা এ বিষয়ে জ্ঞানান্ধ হও, (অর্থাৎ তোমরা তা বুঝতে না পার ও তার
দিশা না পাও, ) আমি কি এ বিষয়ে ভোমাদেরকে বাধ্য করতে পারি (অর্থাৎ আমার কোন জোর
চলে না,) যখন তোমরা তা অপছন্দ কর? (অর্থাৎ তোমরা যখন তা অপছন্দ কর তখন তোমাদের
ব্যাপারে আমার কোন কৌশল চলে না ৷)

ণ্কুাট্রুপু৷ ১৷ ণ্টু;র্চু ৷ঠুঠু

ষ্মোঃ

অর্থাৎ হে আমার সম্প্রদায় ! এর পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধন-সষ্পদ চাই না ৷
আমার পারিশ্রমিক তো আল্লাহরই কাছে অর্থাৎ তোমাদের কাছে তোমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে
কল্যাণকর বাণী পৌছানাের বিনিময়ে তোমাদের কাছে আমি কোন পারিশ্রমিক চাই না ৷ তা চাই
আমি একমাত্র আল্লাহর কাছে, যাব প্রতিদান আমার জন্য তোমরা আমাকে যা দিবে তদপেক্ষা
অনেক উত্তম ও স্থায়ী ৷ (১১ ২৯)

^ ^ ষ্ঠাংর্চুগ্রাও ;) ং , র্চু;৷ ৷ র্টু,ও এ আয়াত প্রমাণ করে যে, সম্প্রদায়ের লোকেরা নুহ

(আ) এর নিকট তার দুবল শ্রেণীর অনুসারীদেরকে তার কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি
করেছিল এবং এ দাবি পুরণ করা হলে তারা তার দলে ভিড়বে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷

কিন্তু নুহ (আ) তা প্রত্যাখ্যান করে বললেন : ৰু^রুভুর্চু ৷ট্রুদ্বুঝু ন্শু ৷ এর৷ এদের প্রতিপালকের

সঙ্গে সাক্ষ্যৎ করবে ৷ ’ অর্থাৎ আমার ভয় হয়, যদি আমি তাদের তাড়িয়ে দেই; তাহলে আল্লাহ
তা আলার কাছে আমার বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ আনবে ৷ তাই তিনি বললেন০ :

অর্থাৎ-আর হে আমার সম্প্রদায় আমি যদি তাদেরকে তাড়িয়ে দেই, তবে আল্লাহর শাস্তি
থেকে আমাকে কে রক্ষা করবেঃ তবুও কি তোমরা চিন্তা করবে না? (১ ১ : ৩০)

আর এ কারণেই কুরায়শ কাফিরর৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট আমার, সুহায়ব, বিলাল ও
খাব্বাব (বা) প্রমুখ সমাজের দুর্বল শ্রেণীর মুমিনকে তার সান্নিধ্য থেকে তাড়িয়ে দেয়ার যখন
দাবি করেছিল, তখন আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সা) কে এ কাজ করতে নিষেধ করে দেন ৷

সুরা আন আম ও সুরা কাহ্ফে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷

র্দুপ্রুদ্বুর্চা



অর্থাৎ-আমি তােমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন-ভাণ্ডার আছে আর না
অদৃশ্য সম্বন্ধে আমি অবগত এবং আমি এও বলি না যে, আমি ফেরেশতা বরং আমি বান্দা ও
রাসুল ৷ আল্লাহ আমাকে যা অবগত করিয়েছেন তা ব্যতীত তার ইল্মের কিছুই আমি জানি না,
তিনি আমাকে যে কড়াত্তেরে শক্তি দান করেছেন; তা ব্যতীত কোন শক্তিই আমি রাখি না এবং তার



خُرُوجَهُ فِي زَمَانِهِمْ حَذَرًا عَلَيْهِمْ وَشَفَقَةً وَرَحْمَةً بِهِمْ، كَمَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَالِمٌ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: «قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ، فَقَالَ: إِنِّي لَأُنْذِرِكُمُوهُ، وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ أَنْذَرَهُ قَوْمُهُ، لَقَدْ أَنْذَرَهُ نُوحٌ قَوْمَهُ، وَلَكِنِّي أَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلًا لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ ; تَعْلَمُونَ أَنَّهُ أَعْوَرُ، وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي الصَّحِيحَيْنِ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ شَيْبَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا أُحَدِّثُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ حَدِيثًا مَا حَدَّثَ بِهِ نَبِيٌّ قَوْمَهُ؟ إِنَّهُ أَعْوَرُ، وَإِنَّهُ يَجِيءُ مَعَهُ بِمِثَالِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، وَالَّتِي يَقُولُ: إِنَّهَا الْجَنَّةُ هِيَ النَّارُ، وَإِنِّي أُنْذِرُكُمْ كَمَا أَنْذَرَ بِهِ نُوحٌ قَوْمَهُ» . لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ عُلَمَاءِ السَّلَفِ: لَمَّا اسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ أَمْرَهُ أَنْ يَغْرِسَ شَجَرًا لِيَعْمَلَ مِنْهُ السَّفِينَةَ فَغَرَسَهُ، وَانْتَظَرَهُ مِائَةَ سَنَةٍ، ثُمَّ نَجَرَهُ فِي مِائَةٍ أُخْرَى. وَقِيلَ: فِي أَرْبَعِينَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الثَّوْرِيِّ: وَكَانَ مِنْ خَشَبِ السَّاجِ. وَقِيلَ: مِنَ الصَّنَوْبَرِ. وَهُوَ نَصُّ التَّوْرَاةِ. قَالَ الثَّوْرِيُّ: وَأَمَرَهُ أَنْ يَجْعَلَ طُولَهَا ثَمَانِينَ ذِرَاعًا، وَعَرْضَهَا خَمْسِينَ ذِرَاعًا، وَأَنْ يُطْلَى ظَاهِرُهَا وَبَاطِنُهَا بِالْقَارِ، وَأَنْ يَجْعَلَ لَهَا جُؤْجُؤًا أَزْوَرَ يَشُقُّ الْمَاءَ. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ২৫৮


ইচ্ছা ব্যতীত আমার নিজের কোন উপকার ও অপকারের ক্ষমতা আমার সেই ৷ তোমাদের
দৃষ্টিতে (আমার অনুসারীদের মধ্যকার) যারা হেয় তাদের সম্বন্ধে আমি একথা বলি না যে,
আল্লাহ তাদেরকে কখনোই মঙ্গল দান করবেন না ৷ তাদের অন্তরে যা আছে তা আল্লাহ সম্যক
অবগত ৷ তাহলে আমি অবশ্যই জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হব ৷ অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে আমি এ
সাক্ষ্য দেই না যে , আল্লাহর নিকট কিয়ড়ামতের দিন তাদের জন্য কোন কল্যাণ নেই ৷ তাদের
সম্বন্ধে আল্লাহই ভালো আনেন এবং তাদের অন্তরে যা আছে অদুর ভবিষ্যতে আল্লাহ তার
প্রতিফল দান করবেন ৷ ভালো হলে ভালো আর মন্দ হলে মন্দ ৷ (১ ১ : ৩১)

যেমন অন্যত্র তারা বলেছিল৪


অর্থাৎ-আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব অথচ ইতরজ্যনরা তোমার অনুসরণ
করছে? নুহ বলল, তারা কী করত তা আমার জানা নেই ৷ তাদের হিসাব গ্রহণ তো আমার
প্রতিপালকেব্ৰই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে ৷ মুমিনদেরাক তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয় আমি
তো কেবল একজন স্পষ্ট সতর্ককারী ৷ (২৬ : ১ ১ ১ ১ ১৪ )

নুহ (আ) ও তার সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে এ বাদানুবাদ চলে ৷
যেমন আল্লাহ তা আলা বলেনঃ

);

ন্দ্রশ্ও
মোঃ
অর্থাৎ-সে তাদের মধ্যে অবস্থান করেছিল পঞ্চাশ কম এক হাজার বছর ৷ তারপর প্লাবন
তাদেরকে গ্রাস করে ৷ কারণ তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী ৷ (২৯ : ১৪)

অর্থাৎ এত দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত দেওয়া সত্বেও তাদের অল্প সংখ্যক সোকই তার প্রতি
ঈমান এনেছিল এবং প্রত্যেক প্রড্ডা পরবর্তীদেরকে নুহ (আ)-এর প্ৰতি ঈমান না আমার এবং
তার সঙ্গে বিবাদ ও ৰিরুদ্ধাচরণের ওসীয়ত করে যেত ৷ সন্তান বয়ােপ্রাপ্ত ও বোধসম্পন্ন হলে
পিতা একাস্তে তাকে নুহের প্ৰতি জীবনে কখনো ঈমান না আমার ওসীয়ত করে দিত ৷ তাদের
সহজাত প্রকৃতিই ঈমান ও সত্যের বিরোধী ছিল ৷

এ জন্যই নুহ (আ) বলেছিলেন : ঠু é <§ ৷ ৷দ্বুা৷ ১৷ এ র্তারা কেবল দৃঙ্কুতকারী ও কাফির
জন্ম দিতে থাকবে ৷ (৭১ : ২৭) ’

আর এ কারণেই সম্প্রদায়ের লোকেরা বলেছিলং :



قَتَادَةُ: كَانَ طُولُهَا ثَلَثَمِائَةِ ذِرَاعٍ فِي عَرْضِ خَمْسِينَ ذِرَاعًا. وَهَذَا الَّذِي فِي التَّوْرَاةِ عَلَى مَا رَأَيْتُهُ. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: سِتُّمِائَةٍ فِي عَرْضِ ثَلَثِمِائَةٍ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَلْفٌ وَمِائَتَا ذِرَاعٍ فِي عَرْضِ سِتِّمِائَةِ ذِرَاعٍ. وَقِيلَ: كَانَ طُولُهَا أَلْفَيْ ذِرَاعٍ، وَعَرْضُهَا مِائَةُ ذِرَاعٍ، قَالُوا كُلُّهُمْ: وَكَانَ ارْتِفَاعُهَا ثَلَاثِينَ ذِرَاعًا، وَكَانَتْ ثَلَاثَ طَبَقَاتٍ كُلُّ وَاحِدَةٍ عَشْرُ أَذْرُعٍ ; فَالسُّفْلَى لِلدَّوَابِّ وَالْوُحُوشِ، وَالْوُسْطَى لِلنَّاسِ، وَالْعُلْيَا لِلطُّيُورِ، وَكَانَ بَابُهَا فِي عَرْضِهَا، وَلَهَا غِطَاءٌ مِنْ فَوْقِهَا مُطْبَقٌ عَلَيْهَا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ فَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِ أَنِ اصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا} [المؤمنون: 26] . أَيْ ; بِأَمْرِنَا لَكَ، وَبِمَرْأَى مِنَّا لِصَنْعَتِكَ لَهَا، وَمُشَاهَدَتِنَا لِذَلِكَ لِنُرْشِدَكَ إِلَى الصَّوَابِ فِي صَنْعَتِهَا {فَإِذَا جَاءَ أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ فَاسْلُكْ فِيهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ وَلَا تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُوا إِنَّهُمْ مُغْرَقُونَ} [المؤمنون: 27] . فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ بِأَمْرِهِ الْعَظِيمِ الْعَالِي أَنَّهُ إِذَا جَاءَ أَمْرُهُ، وَحَلَّ بَأْسُهُ أَنْ يَحْمِلَ فِي هَذِهِ السَّفِينَةِ مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ مِنَ الْحَيَوَانَاتِ وَسَائِرِ مَا فِيهِ رُوحٌ مِنَ الْمَأْكُولَاتِ، وَغَيْرِهَا لِبَقَاءِ نَسْلِهَا، وَأَنْ يَحْمِلَ مَعَهُ أَهْلَهُ أَيْ: أَهْلَ بَيْتِهِ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ ; أَيْ إِلَّا مَنْ كَانَ كَافِرًا فَإِنَّهُ قَدْ نَفَذَتْ فِيهِ الدَّعْوَةُ الَّتِي لَا تُرَدُّ، وَوَجَبَ عَلَيْهِ حُلُولُ الْبَأْسِ الَّذِي لَا يُرَدُّ، وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يُرَاجِعَهُ فِيهِمْ إِذَا حَلَّ بِهِمْ مَا يُعَايِنُهُ مِنَ الْعَذَابِ الْعَظِيمِ الَّذِي قَدْ حَتَّمَهُ عَلَيْهِمُ الْفَعَّالُ لِمَا يُرِيدُ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ قَبْلُ.
পৃষ্ঠা - ২৫৯


অর্থাৎ-হে নুহ!তু মি আমাদের সঙ্গে বিতণ্ডা করেছ, তুমি বিতণ্ডা করেছ আমাদের সঙ্গে
অতিমাত্রায় সুতরাং তুমি সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছ তা আনয়ন কর ৷ সে
বলল, ইচ্ছা করলে আল্লাহ্ই তোমাদের নিকট তা উপস্থিত করবেন এবং তোমরা তা ব্যর্থ করতে
পারবে না ( ১ ১ : ৩২-৩৩)

অর্থাৎ আমি তােমাদেরকে যার৩ ভয় দেখাচ্ছি তা আনয়ন করার শক্তি আল্লাহর আছে ৷ কোন
কিছু তাকে ব্যর্থ করতে পারে না এবং কিছুই তাকে ব্যর্থকাম করতে পারে না বরং তিনি কোন

বস্তুকে বলেন হও সাথে সাথে ত হরুয় যায়

;’,;§£:§ ব্লুএ্পুা ,ন্কু ““দ্দৌ ”’ ^ ণ্দ্বুর্মুৰু,ঠুট্রু
অর্থাৎ-আমি ওে মোদেরকে উপদেশ দিতে চাইলেও আমার উপদেশ তোমাদের উপকারে
আসবে না, যদি আল্লাহ তােমাদেরকে বিভ্রা ৷ন্ত করতে চান ৷ তিনিই তোমাদের প্ৰতিপালক এবং
তারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে ৷ (১১ : ৩৪)
অর্থাৎ আল্লাহ কাউকে বিপথপামী করতে চাইলে তাকে পথে আনবার ক্ষমতা কারো নেই ৷
তিনিই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন, তিনি যা ইচ্ছা তা-ই

করতে পারেন ৷ তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়; কে হিদায়ড়াতের উপযুক্ত এবং যে বিভ্রান্ত হওয়ার
যোগ্য সে সম্পর্কে জ্ঞানবান এবং পরম প্রজ্ঞা ও অকাট্য প্রমাণ তারই ৷


দেষ্




অর্থাৎ-নুহের প্রতি প্র৩ ব্রাদেশ হয়েছিল, যারা ঈমান এন্যেছ তারা ব্যতীত তোমার

সম্প্রদায়ের আর কেউ কখনো ঈমান আনবে না ৷ (এটা নুহের প্রতি তার সম্প্রদায়ের শত্রুতা ও

দুর্ব্যবহারের সান্তুনা বাক্য ৷ অর্থাৎ তাদের আচরণ তোমার কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবে না ৷
কারণ সাহায্য নিকটে এবং আশ্চর্যজনক সং বাদ সম্মুখে আসছে ৷)


৷ ,

আর তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার প্রত্যাদেশ অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ কর এবং যারা
সীমালঙ্ঘন করেছে৩ তাদের সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বলো না ৷ তারা তো নিমজ্জিত হবে ৷
( ১ ১০ ৩৬-৩ ৭)

এর কারণ হলো, নুহ (আ) যখন তাদের সংশোধন ও মুক্তির ব্যাপারে নিরাশ হন এবং
বুঝতে পারেন যে, তাদের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই এবং সর্বপ্রকার আচরণ ও উচ্চারণে তার
নির্যাতন, বিরুদ্ধাচরণ ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করার শেষ পর্যায়ে গিয়ে পৌছে, তখন তিনি তাদের


وَالْمُرَادُ بِالتَّنُّورِ عِنْدَ الْجُمْهُورِ وَجْهُ الْأَرْضِ أَيْ ; نَبَعَتِ الْأَرْضُ مِنْ سَائِرِ أَرْجَائِهَا حَتَّى نَبَعَتِ التَّنَانِيرُ الَّتِي هِيَ مَحَالُّ النَّارِ، وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: التَّنُّورُ عَيْنٌ فِي الْهِنْدِ. وَعَنِ الشَّعْبِيِّ: بِالْكُوفَةِ. وَعَنْ قَتَادَةَ: بِالْجَزِيرَةِ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: الْمُرَادُ بِالتَّنُّورِ فَلَقُ الصُّبْحِ. وَتَنْوِيرُ الْفَجْرِ أَيْ: إِشْرَاقُهُ وَضِيَاؤُهُ أَيْ: عِنْدَ ذَلِكَ فَاحْمِلْ فِيهَا مِنْ كُلِّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ، وَهَذَا قَوْلٌ غَرِيبٌ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {حَتَّى إِذَا جَاءَ أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ آمَنَ وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلَّا قَلِيلٌ} [هود: 40] . هَذَا أَمْرٌ ثَانٍ عِنْدَ حُلُولِ النِّقْمَةِ بِهِمْ أَنْ يَحْمِلَ فِيهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ. وَفِي كِتَابِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ أُمِرَ أَنْ يَحْمِلَ مِنْ كُلِّ مَا يُؤْكَلُ سَبْعَةَ أَزْوَاجٍ، وَمِمَّا لَا يُؤَكَلُ زَوْجَيْنِ ذَكَرًا وَأُنْثَى، وَهَذَا مُغَايِرٌ لِمَفْهُومِ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي كِتَابِنَا الْحَقِّ: اثْنَيْنِ. إِنْ جَعْلَنَا ذَلِكَ مَفْعُولًا بِهِ. وَأَمَّا إِنْ جَعَلْنَاهُ تَوْكِيدًا لِزَوْجَيْنِ، وَالْمَفْعُولُ بِهِ مَحْذُوفٌ فَلَا تَنَافِيَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ، وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ أَوَّلَ مَا دَخَلَ مِنَ الطُّيُورِ الدُّرَّةُ، وَآخِرُ مَا دَخَلَ مِنَ الْحَيَوَانَاتِ الْحِمَارُ، وَدَخَلَ إِبْلِيسُ مُتَعَلِّقًا بِذَنَبِ الْحِمَارِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ،
পৃষ্ঠা - ২৬০


বিরুদ্ধে বদ দুআ করেন ৷ ফলে আল্লাহ তার আহবানে সাড়া দেন এবং তার দুআ কবুল
করেন ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা আ ৷লা বলেন ং

,

অর্থাৎ--নুহ আমাকে আহবান করেছিল আর আমি কত উত্তম সাড়া দানকারী ৷ তাকে এবং
তার পরিবারবর্গকে আমি উদ্ধার করেছিলাম মহা সংকট থেকে ৷ (৩ ৭ ৭৫ ৭৬)

৷ ৮শ্রু১দ্বু


অর্থাৎ-স্মরণ কর নুহকে, পুর্বে সে যখন আহবান করেছিল তখন আমি তার আহবানে
সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পরিবারবর্গকে মহা সংকট থেকে উদ্ধার করেছিলাম ৷
(২১ : ৭৬)
অর্থাৎ নুহ বলল, হে আমার প্ৰতিপালক ! আমার সম্প্রদায় তো আমাকে অস্বীকার করছে ৷
সুতরাং তুমি আমার ও তাদের মধ্যে স্পষ্ট মীমাংসা করে দাও এবং আমাকে ও আমার সঙ্গে যে
সব মুমিন আছে তাদেরকে রক্ষা কর ! (২৬ : ১ ১ ৭ ১ ১৮)

অর্থাৎ নুহ তখন তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিল আমি তো অসহায় ৷
¢

অতএব, তুমি প্রতিবিধানকর ৷ (৫৪০ : ১০) ষ্প্রু১£ & ঠু১দ্বু;শু;ক্ট্র! ;

অর্থাৎ-হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর, কারণ তারা আমাকে মিথ্যাবাদী
প্রতিপন্নকরে ৷ (২৩ : ৩৯)

০৬
৷ ; ;

র্টএে ’



অর্থ তাদের অপরাধের জন্য তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছিল এবং পরে তাদেরকে দাখিল
করা হয়েছিল আগুনে, তার র পর তারা কাউকেও আল্লাহ্র মুকাবিলড়ার সাহায্যকারী পায়নি ৷

নুহ আরো বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক ! পৃথিবীতে কাফিরদের মধ্য থেকে কোন
গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিও না ৷

তুমি তাদেরকে অব্যাহতি দিলে তারা তোমার বান্দাদেরকে বিভ্রান্ত করবে এবং জন্ম দিতে
থাকবে কেবল দৃকুতকারী ও কাফির ৷ (৭১ ;; ২৫-২৭)


حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَمَّا حَمَلَ نُوحٌ فِي السَّفِينَةِ مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ قَالَ أَصْحَابُهُ: وَكَيْفَ نُطَمْئِنُ أَوْ كَيْفَ تَطْمَئِنُّ الْمَوَاشِي وَمَعَنَا الْأَسَدُ؟ فَسَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْحُمَّى فَكَانَتْ أَوَّلَ حُمَّى نَزَلَتْ فِي الْأَرْضِ، ثُمَّ شَكَوُا الْفَأْرَةَ فَقَالُوا: الْفُوَيْسِقَةُ تُفْسِدُ عَلَيْنَا طَعَامَنَا وَمَتَاعَنَا، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى الْأَسَدِ فَعَطَسَ فَخَرَجَتِ الْهِرَّةُ مِنْهُ فَتَخَبَّأَتِ الْفَأْرَةُ مِنْهَا» . هَذَا مُرْسَلٌ. وَقَوْلُهُ: {وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ} [هود: 40] . أَيْ مَنِ اسْتَجَبْتُ فِيهِمُ الدَّعْوَةَ النَّافِذَةَ مِمَّنْ كَفَرَ فَكَانَ مِنْهُمِ ابْنُهُ يَامٌ الَّذِي غَرِقَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ: وَمَنْ آمَنَ، أَيْ وَاحْمِلْ فِيهَا مَنْ آمَنَ بِكَ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلَّا قَلِيلٌ} [هود: 40] . هَذَا مَعَ طُولِ الْمُدَّةِ وَالْمُقَامِ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ، وَدَعْوَتِهِمُ الْأَكِيدَةِ لَيْلًا وَنَهَارًا بِضُرُوبِ الْمَقَالِ، وَفُنُونِ التَّلَطُّفَاتِ، وَالتَّهْدِيدِ وَالْوَعِيدِ تَارَةً، وَالتَّرْغِيبِ وَالْوَعْدِ أُخْرَى. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي عِدَّةِ مَنْ كَانَ مَعَهُ فِي السَّفِينَةِ ; فَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ كَانُوا ثَمَانِينَ نَفْسًا مَعَهُمْ نِسَاؤُهُمْ. وَعَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ كَانُوا اثْنَيْنِ وَسَبْعِينَ نَفْسًا. وَقِيلَ: كَانُوا عَشَرَةً. وَقِيلَ: إِنَّمَا كَانُوا نُوحًا وَبَنِيهِ الثَّلَاثَةَ، وَكَنَائِنَهُ الْأَرْبَعَ بِامْرَأَةِ يَامٍ الَّذِي انْخَزَلَ وَانْعَزَلَ وَسَلَكَ غَيْرَ طَرِيقِ النَّجَاةِ فَمَا عَدَلَ إِذْ عَدَلَ. وَهَذَا الْقَوْلُ فِيهِ مُخَالَفَةٌ لِظَاهِرِ الْآيَةِ بَلْ هِيَ نَصٌّ فِي أَنَّهُ قَدْ رَكِبَ مَعَهُ
পৃষ্ঠা - ২৬১


মােটকথা, যখন তাদের কুফবী অনাচার-পাপাচারসমুহ ও নবীর বদ দৃআ একত্র হয় তখন
আল্লাহ তাআলা তাকে নৌকা নির্মাণ করার আদেশ করেন ৷ যে এমন এক বিশাল জাহাজ যার
কোন নজীব ছিল না ৷ সাথে সাথে আল্লাহ তাআসা নুহ্ (আ )-কে আগাম বসে রাখেন যে, যখন
তার আদেশ আসবে এবং অপরাধীদের প্রতি তার অপ্ৰতিরোধ্য আমার পতিত হয়ে যাবে; তখন
যেন তিনি তাদের ব্যাপারে নমনীয়তা না দেখান ৷ কেননা হতে পারে যে, নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি
অবতীর্ণ আমার স্বচক্ষে দেখে তাদের ব্যাপারে তার মনে দয়ার উদ্রেক হবে ৷ কারণ সংবাদ

কখ্যনা চাক্ষুস দেখার সমান হয় না আর এ জ্যাই আল্লাহ্ তাআলা বলেন £



অর্থাৎ-যারা সীমালঙ্ঘন করেছে তাদের ব্যাপারে তুমি আমাকে কিছু বলো না, তারা তো
নিমজ্জিত হবে ৷ সে নৌকা নির্মাণ করতে লাগল এবং যখনই তার সম্প্রদায়ের প্রধানরা তার
নিকট দিয়ে যেত তাকে উপহাস করত ৷ (অর্থাৎ নুহ (আ) তাদেরকে যে অড়াষাবের ভয়
দেখিয়েছিলেন তা সংঘটিত হওয়া সুদুর পরড়াহত মনে করে তারা তাকে নিয়ে ঠট্টি৷ করত) ( ১ ১ :
৩ ৭-৩৮)

তার জবাবে নুহ (আ) বললেন : ,

দ্বু, ;
অর্থাৎ-তোমরা যদি আমাদেরকে উপহাস কর তবে আমরাও তোমাদেরকে উপহাস করব
যেমন তোমরা উপহাস করছ ৷ অর্থাৎ তোমাদের কুফরীর উপর অটল থাকা এবং তোমাদের
অবাধ্যতার জন্য যা তোমাদের জন্য আমার ডেকে অড়ানে--আমরাও তােমাদেরকে উপহাস

করব ৷ (১১ : ৩৮) ,


অর্থাৎ-তোমরা অচিরেই জানতে পারবে যে, কার উপর আসবে লাষ্কৃনাদায়ক শাস্তি আর
কার উপর আপতিত হবে স্থায়ী শাস্তি ৷ (১ ১ : ৩৯)

বলাবাহুল্য যে, দৃনিয়াতে জঘন্যতম কুফরী ও চরম অবাধ্যতা তাদের মজ্জাগত বিষয় হয়ে
গিয়েছিল ৷ আখিরাতেও তাদের অবস্থা অনুরুপই হবে ৷ কারণ, কিয়ামতের দিন তারা তাদের
কাছে রাসুল আগমন করার বিষয়টিও অস্বীকার করবে ৷

যেমন ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু সাঈদ (রা) বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা)
বলেছেন : (কিয়ড়ামতের দিন) নুহ (আ) ও তার উষ্মত উপস্থিত হবেন ৷ তখন আল্লাহ তাআলা
বলবেন, তুমি কি দীনের বাণী পৌছিয়েছিলেন্ নুহ (আ) বলবেন, জী হীা, হে আমার রবা
তারপর আল্লাহ তাআলা তার উম্মতকে জিজ্ঞাসা করবেন, নুহ কি তোমাদের নিকট দীনের
দাওয়াত পৌছিয়েজ্জি ৷ তারা বলবে, না, আমাদের নিকট কোন নবীই আসেননি ৷ তখন আল্লাহ
তাআলড়া নুহ (আ)-কে বলবেন, তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে কে ? তিনি বলবেন, মুহাম্মদ (মা) ও


مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِ طَائِفَةٌ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ. كَمَا قَالَ: {وَنَجِّنِي وَمَنْ مَعِيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [الشعراء: 118] . وَقِيلَ: كَانُوا سَبْعَةً. وَأَمَّا امْرَأَةُ نُوحٍ، وَهِيَ أَمُّ أَوْلَادِهِ كُلِّهِمْ ; وَهُمْ حَامٌ، وِسَامٌ، وَيَافِثُ، ويامٌ، وَتُسَمِّيهِ أَهْلُ الْكِتَابِ كَنْعَانَ، وَهُوَ الَّذِي قَدْ غَرِقَ، وَعَابِرٌ. وَقَدْ مَاتَ قَبْلَ الطُّوفَانِ. قِيلَ: إِنَّهَا غَرِقَتْ مَعَ مَنْ غَرِقَ، وَكَانَتْ مِمَّنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ لِكُفْرِهَا. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهَا كَانَتْ فِي السَّفِينَةِ، فَيُحْتَمَلُ أَنَّهَا كَفَرَتْ بَعْدَ ذَلِكَ أَوْ أَنَّهَا أُنْظِرَتْ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَالظَّاهِرُ الْأَوَّلُ لِقَوْلِهِ: {لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا} [نوح: 26] . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَإِذَا اسْتَوَيْتَ أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ عَلَى الْفُلْكِ فَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَجَّانَا مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَقُلْ رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلًا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ} [المؤمنون: 28] [الزُّخْرُفِ: 12 - 14] . وَهَكَذَا يُؤْمَرُ بِالدُّعَاءِ فِي ابْتِدَاءِ الْأُمُورِ أَنْ يَكُونَ عَلَى الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ، وَأَنْ تَكُونَ عَاقِبَتُهَا مَحْمُودَةٌ، كَمَا قَالَ تَعَالَى لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ هَاجَرَ: {وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا} [الإسراء: 80] .
পৃষ্ঠা - ২৬২


র্তার উম্মত ৷ তখন উস্মতে মুহাম্মদী এ সাক্ষ্য দেবে যে, নুহ (আ) তার তাবলীগের দায়িত্ব পালন
করেছেন ৷ ’

এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা আলা বলেন

;
,
)

অর্থাৎ-এভাবে আমি৫ আমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করেছি; যাতে
তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরুপ হবে ৷
(২ : ১৪৩) ৷প্লু অর্থা৷ ৷ তথা ইনসাফ বা মধ্যপহ৷ ৷ মোটকথা, এ উষ্মত তার
সত্যবাদী নবীর সাক্ষোর সপক্ষে এ সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ তাআলা নুহ (আ)-কে
সত্যসহ প্রেরণ করেছিলেন, তার উপর সত্য নাযিল করেছিলেন এবং তাকে সত্যের অনুসরণ
করার আদেশ দিয়েছিলেন আর তিনি তার উষ্মতের নিকট পরিপুর্ণরুপে তা পৌছে দিয়েছিলেন ৷
দীনের ক্ষেত্রে তাদের জন্য উপকারী এমন কোন বিষয় সম্পর্কে তাদেকে আদেশ দিতে ছাড়েন
নি এবং ক্ষতিকর এমন কোন বিষয় ছিল না, যা করতে তিনি নিষেধ করেননি ৷ সকল নবীর শান
এমনই হয়ে থাকে ৷ এমনকি তিনি তার সম্প্রদায়কে দাজ্জাল সম্পর্কে পর্যন্ত সতর্ক করে
দিয়েছিলেন, যদিও তাদের আমলে দাজ্জালের আবির্ডারের কোন আশংকাই ছিল না ৷ কওমের
প্রতি দয়া অনৃগ্নহবশত তিনি তা করেছিলেন ৷

ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) একদিন
জনসাধারণের মধ্যে দাড়িয়ে আল্লাহ তাআলার শানে উপযুক্ত প্রশংসা বর্ণনা করেন ৷ তারপর
দাজ্জালের কথা উল্লেখ করে বললেন : “তােমাদেরকে আমি তার ব্যাপারে সাবধান করছি ৷”
এমন কোন নবী নেই যে, আপন সম্প্রদায়কে তার ব্যাপারে সাবধান করেন নি ৷ নুহ্ (আ) ও
আপন সম্প্রদায়কে তার ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছিলেন ৷ তবে তার ব্যাপারে তােমাদেরকে
আমি এমন একটি কথা বলে দেই যা কোন নবী তার সম্প্রদায়কে বলেননি ৷ তোমরা জেনে
ব্লেখ, সে এক-চক্ষুবিশিষ্ট ৷ কিন্তু আল্লাহ তাআলা এক-চক্ষুবিশিষ্ট নন ৷

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে যথাক্রমে আবু হুরড়ায়রা (রা) সুত্রে হড়াদীসটি বর্ণিত হয়েছে যে ,
তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “আমি কি তােমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এমন একটি
কথা বলব যা কোন নবী তার সম্প্রদায়কে বলেন নি? যে হলো কানা ৷ আর যে নিজের সাথে
জান্নাত ও জাহান্নামের অনুরুপ কিছু নিয়ে আসবে ৷ যাকে সে জান্নাত বলবে, আসলে তাই হবে
জাহান্নাম ৷ আর আমি তােমাদেরকে তার সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি, যেমন নুহ (আ) তার
সম্প্রদারকে, সতর্ক করেছিলেন ৷”

কোন কোন পুর্বসুরি অড়ালিম বলেন, আল্লাহ তা আলা যখন নুহ (আ) এর দু আ কবুল
করেন, তখন তাকে নৌকা নির্মাণের উদ্দেশ্যে একটি বৃক্ষ বোপণ করার আদেশ দেন ৷ ফলে নুহ
(আ) একটি বৃক্ষ বোপণ করে একশ বছর অপেক্ষা করেন ৷ তারপর পরবর্তী শতাব্দীতে তা
কেটে কাঠ করে নেন ৷ কারো কারো মতে, চল্লিশ বছর পরে ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বর্ণনা করেন যে, সে নৌকাটি শাল কাঠ দ্বারা নির্মাণ করা
হয়েছিল ৷ কেউ কেউ বলেন, দেবদারু কাঠ দ্বারা ৷ আর এটি হলো তাওরাতের বক্তব্য ৷ ছাওরী


وَقَدِ امْتَثَلَ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ هَذِهِ الْوَصِيَّةَ {وَقَالَ ارْكَبُوا فِيهَا بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ} [هود: 41] . أَيْ عَلَى اسْمِ اللَّهِ ابْتِدَاءُ سَيْرِهَا وَانْتِهَاؤُهُ {إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ} [هود: 41] . أَيْ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ مَعَ كَوْنِهِ غَفُورًا رَحِيمًا لَا يُرَدُّ بَأْسُهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِينَ، كَمَا أَحَلَّ بِأَهْلِ الْأَرْضِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِهِ. وَعَبَدُوا غَيْرَهُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَهِيَ تَجْرِي بِهِمْ فِي مَوْجٍ كَالْجِبَالِ} [هود: 42] . وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَرْسَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَطَرًا لَمْ تَعْهَدْهُ الْأَرْضُ قَبْلَهُ، وَلَا تُمْطِرْهُ بَعْدَهُ كَانَ كَأَفْوَاهِ الْقِرَبِ، وَأَمَرَ الْأَرْضَ فَنَبَعَتْ مِنْ جَمِيعِ فِجَاجِهَا وَسَائِرِ أَرْجَائِهَا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانْتَصِرْ فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ بِمَاءٍ مُنْهَمِرٍ وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاءُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ وَحَمَلْنَاهُ عَلَى ذَاتِ أَلْوَاحٍ وَدُسُرٍ} [القمر: 10] أَيْ بِحِفْظِنَا وَكَلَاءَتِنَا وَحِرَاسَتِنَا وَمُشَاهَدَتِنَا لَهَا {جَزَاءً لِمَنْ كَانَ كُفِرَ} [القمر: 14] . وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ أَنَّ الطُّوفَانَ كَانَ فِي ثَالِثَ عَشَرَ شَهْرِ آبٍ فِي حَمَارَةِ الْقَيْظِ. وَقَالَ تَعَالَى: {إِنَّا لَمَّا طَغَى الْمَاءُ حَمَلْنَاكُمْ فِي الْجَارِيَةِ} [الحاقة: 11] . أَيِ السَّفِينَةِ. {لِنَجْعَلَهَا لَكُمْ تَذْكِرَةً وَتَعِيَهَا أُذُنٌ وَاعِيَةٌ} [الحاقة: 12] . قَالَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ: ارْتَفَعَ الْمَاءُ عَلَى أَعْلَى جَبَلٍ بِالْأَرْضِ خَمْسَةَ عَشَرَ ذِرَاعًا. وَهُوَ الَّذِي عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ. وَقِيلَ: ثَمَانِينَ ذِرَاعًا. وَعَمَّ جَمِيعَ الْأَرْضِ ; طُولَهَا وَالْعَرْضَ، سَهْلَهَا وَحَزْنَهَا، وَجِبَالَهَا، وَقِفَارَهَا وَرِمَالَهَا، وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ২৬৩


বলেন, আল্লাহ তাআলা নুহ (আ)-কে আরো নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন নৌকাটি দৈর্যে আশি
হাত, গ্রন্থে পঞ্চাশ হাত করে তৈরি করেন ৷ তার ভিতরে ও বাইরে আলকাতরা দ্বারা প্রলেপ
দেন এবং তার এমন সরু গলুই নির্মাণ করেন, যা পানি চিরে অগ্রসর হতে পারে ৷ কাতড়াদা
বলেন, তার দৈর্ঘ ছিল তিনশ হাত আর প্রস্থ পঞ্চাশ হাত ৷ আমি তাওরাতে এমনই দেখেছি ৷
হাসান বসরী (র) বলেন, দৈর্ঘ ছ’শ হাত আর প্রস্থ তিনশ হাত ৷ ইবন আব্বাস (যা) থেকে
বর্ণিত দৈর্ঘ এক হাজার দৃ’শ হাত প্রস্থ হু’শ্৷ হাত ৷ কারো কারো মতে, দৈর্ঘ দৃ’হাজার হাত আর
প্রস্থ একশ হাত ৷ এরা সকলেই বলেন, তার উচ্চত ৷ ছিল ত্রিশ হাত আর তা ত্রিতল বিশিষ্ট
ছিল ৷
প্রতি তলা দশ হাত করে ৷ নিচের তলা কীট পতঙ্গ ও জীব জানােয়ারের জন্য, দ্বিতীয় তলা
মানুষের জন্য আর উপর তলা পাখ পাখালির জন্য ৷ তার দরজা ছিল পাশে এবং উপর দিকে
ঢাকনা দ্বারা আবৃত ৷ আল্লাহ তা জানা বলেন০ ং
ঞে


এ ;
অর্থাৎ নুহ বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে সাহায্য কর, কারণ তারা আমাকে
মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করছে ৷ তারপর আমি তার প্রতি ওহী নাযিল করলাম যে, তুমি আমার
তত্ত্বাবধানে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌযান নির্মাণ কর ৷ অর্থাৎ তোমাকে দেয়৷ আমার আদেশ
অনুযায়ী এবং তোমার নির্মাণ কার্য আমার সরাসরি তত্তুাবধানে তুমি নৌযান নির্মাণ কর যাতে তা
নির্মাণে আমি তোমাকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারি’ ৷
৷ ৷ ’


অর্থাৎ-তারপর যখন আমার আদেশ আসবে ও উনুন উথলে উঠবে; তখন তাতে তুলে
নিও প্রতিটি জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবার পরিজনকে, তাদের মধ্যে যাদের
বিরুদ্ধে পুর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে আছেত তারা ব্যতীত ৷ আর জালিমদের সম্বন্ধে তুমি আমাকে কিছু বলো

না, তারা তো নিমজ্জিত হবে ৷ (২৩৪ ২৭)

এখানে আল্লাহ তাআলা নুহ (আ) ৫-ক আগাম নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যে, যখন তার
আদেশ আসবে এবং তার শাস্তি আপতিত হবে, তখন যেন তিনি বং শ ধারা রক্ষার জন্য সে
নৌকায় প্রত্যেক জীব, সকল প্রাণী ও খাদ্যশুদ্রব্য প্রভৃতির এক এক জোড়া উঠিয়ে নেয় এবং
নিজের সাথে কাফিরদের ব্যতীত নিজের পরিবার-পরিজনকে তুলে নেন ৷ তার পরিবারের যায়া
কাফির তাদেরকে এজন্য বাদ দেয়া হয়েছে যে, তাদের ব্যাপারে অপ্রতিরোধ্য বদ দৃআ কার্যকর
হয়ে গেছে এবং তারা আযাবে নিপতিত হওয়া অবধারিত হয়ে গেছে ৷ আর আল্লাহ তাআলা
র্তাকে এ আদেশও দিয়ে রাখেন যে, চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মধ্যে আমার এসে পড়লে
যেন তিনি আল্লাহর নিকট কোন সুপারিশ না করেন ৷


يَبْقَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مِمَّنْ كَانَ بِهَا مِنَ الْأَحْيَاءِ عَيْنٌ تَطْرِفُ، وَلَا صَغِيرٌ وَلَا كَبِيرٌ. قَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ: كَانَ أَهْلُ ذَلِكَ الزَّمَانِ قَدْ مَلَئُوا السَّهْلَ وَالْجَبَلَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ: لَمْ تَكُنْ بُقْعَةٌ فِي الْأَرْضِ إِلَّا وَلَهَا مَالِكٌ وَحَائِزٌ. رَوَاهُمَا ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. {وَنَادَى نُوحٌ ابْنَهُ وَكَانَ فِي مَعْزِلٍ يَا بُنَيَّ ارْكَبْ مَعَنَا وَلَا تَكُنْ مَعَ الْكَافِرِينَ قَالَ سَآوِي إِلَى جَبَلٍ يَعْصِمُنِي مِنَ الْمَاءِ قَالَ لَا عَاصِمَ الْيَوْمَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ إِلَّا مَنْ رَحِمَ وَحَالَ بَيْنَهُمَا الْمَوْجُ فَكَانَ مِنَ الْمُغْرَقِينَ} [هود: 42] . أَيْ ; لَمَّا فَرَغَ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا أَحَدٌ مِمَّنْ عَبَدَ غَيْرَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، أَمَرَ اللَّهُ الْأَرْضَ أَنْ تَبْلَعَ مَاءَهَا، وَأَمَرَ السَّمَاءَ أَنْ تُقْلِعَ. أَيْ تُمْسِكُ عَنِ الْمَطَرِ وَغِيضَ الْمَاءُ. أَيْ نَقَصَ عَمَّا كَانَ وَقُضِيَ الْأَمْرُ، أَيْ وَقَعَ بِهِمُ الَّذِي كَانَ قَدْ سَبَقَ فِي عِلْمِهِ وَقَدَرِهِ، مِنْ إِحْلَالِهِ بِهِمْ مَا حَلَّ بِهِمْ {وَقِيلَ بُعْدًا لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [هود: 44] . أَيْ ; نُودِيَ عَلَيْهِمْ بِلِسَانِ الْقُدْرَةِ بُعْدًا لَهُمْ مِنَ الرَّحْمَةِ وَالْمَغْفِرَةِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَكَذَّبُوهُ فَأَنْجَيْنَاهُ وَالَّذِينَ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ وَأَغْرَقْنَا الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا عَمِينَ} [الأعراف: 64] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَكَذَّبُوهُ فَنَجَّيْنَاهُ وَمَنْ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ وَجَعَلْنَاهُمْ خَلَائِفَ وَأَغْرَقْنَا الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنْذَرِينَ} [يونس: 73] .
পৃষ্ঠা - ২৬৪


জমহুর উলামার কাছে এে৷ ! দ্বারা ভু-পৃষ্ঠকে বুঝানো হয়েছে ৷ এ হিসাবে আঘাতের অর্থ
হলো, যখন ভুমি সর্বদিক থেকে উৎসারিত হবে এমনকি আগুনের আধাৱ উনুন থেকে পর্যন্ত
পানির ফোয়ারা নির্গত হয়ে ৷ ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণিত আছে যে, এে: ৷ ! হলো
ভারতের একটি কুয়৷ ৷ শাবী কুয়াটি কুফার এবং কাতাদা (র) আরব উপত্যকায় অবস্থিত ছিল
বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ আলী ইবন আবু তালিব (রা) বলেন, এে; দ্বারা প্রভাতের
আলো বুঝানো হয়েছে ৷ অর্থাৎ এ সময়ে তুমি প্রতি জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার
পরিবার পরিজনকে নৌযানে তুলে নিও ৷ তবে এ অভিমতটি গরীব’ পর্যায়ের ৷

অন্যত্র অন্ল্লন্হ্অন্ আলা বলেনং :



ণ্মোঃ
অর্থাৎ এভাবে যখন আমার আদেশ আসল এবং উনুন উথলে উঠল; তখন আমি বললাম,
এতে তুমি প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং যাদের বিরুদ্ধে পুর্বে সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা
ব্যতীত তোমার পরিবার-পরিজনকে এবং যারা ঈমান এসেছে তাদেরকে আরোহণ করাও ৷ আর
অল্প সংখ্যক ব্যতীত কেউ ঈমান আনেনি ৷

এখানে আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাদের প্রতি আযাব আপতিত হলে যেন তিনি তাতে
প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া তুলে নেন ৷ আর আহলে কিতাবদের গ্রন্থে আছে, আল্লাহ্
তা জানা নুহ (আ) কে প্রতি হালাল পশুপাখিব সাত জোড়া করে, আর নিষিদ্ধগুলোর নর-মা দা
দুই জোড়া করে তুলে নেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু এ কথাটি কুরআনের , ও ৷ শব্দের
অর্থের সাথে সং ঘাতপুর্ণ, যদি একে আমরা কর্মকারক হিসেবে গণ্য করি ৷ আর যদি একে
;,§$§; শব্দের তাকীদ রুপে সাব্যস্ত করে কর্মকারক উহ৷ মানি; তাহলে কোন সংঘাত থাকে
না ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

কেউ কেউ বলেন এবং ইবন আব্বাস (রা) থেকেও এরুপ বর্ণিত আছে যে, পক্ষীকুলের
মধ্যে সর্বপ্রথম নৌকায় যা প্রবেশ করেছিল তাহলো টিয়া আর প্রাণীকুলের মধ্যে সর্বশেষে বা
প্রবেশ করেছিল তাহলো গাধ৷ এবৎইবলীস গাধার লেজের সাথে ঝুলে প্রবেশ করে ৷

ইবন আবু হাতিম আসলাম (র) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বল্যেছন, নুহ (আ) নৌযানে
প্রতি জীবের এক এক জোড়া তুলে নিলে তার সংপীরা বললেন, সিংহের সঙ্গে আমরা কিভাবে
বা গৃহপালিত প্রাণীরা কিভাবে নিরাপদ বোধ করবো তখন আল্লাহ্ তাআলা সিংহকে জ্বরাক্রান্ত
করে দেন ৷ পৃথিবীতে এটাই ছিল সর্বপ্রথম জ্বরের আবিণ্তৰি ৷ তারপর তারা ইদুরের ব্যাপারে
অনুযােগ করে বললেন, “পাজিগুলো তো আমাদের খাদ্যদ্রব্য ও জিনিসপত্র সব নষ্ট করে
ফেলল! তখন আল্লাহ তা জানার নির্দেশে সিংহ হাচি দেয় ৷ এতে বিড়াল বের হয়ে আসে ৷
বিড়াল দেখে ইদুররা সব আত্মগােপন করে ৷ ” এ হাদীসটি মুরসাল’ পর্যায়ের ৷ ন্র্দু ১৷ ৷ ট্রুার্নার্চু
,§ ’ শু ;£পু এর অর্থ হলো কাফির হওয়ার কারণে তোমার পরিবারের যাদের ধ্বং স
অনিবার্য হয়ে গেছে তাদের ব্যতীত অন্য সকলকে নৌকায় তুলে নিও ৷ এদের মধ্যে নুহ
(আ) এর পুত্র য়ামও ছিল যে নিমজ্জিত হয়েছিল ৷ এর আলোচনা পরে আসছে ৷


وَقَالَ تَعَالَى: {وَنَصَرْنَاهُ مِنَ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمَ سَوْءٍ فَأَغْرَقْنَاهُمْ أَجْمَعِينَ} [الأنبياء: 77] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَأَنْجَيْنَاهُ وَمَنْ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ ثُمَّ أَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبَاقِينَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ} [الشعراء: 119] [الْعَنْكَبُوتِ: 14 - 15] . وَقَالَ تَعَالَى: {ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ} [الصافات: 82] وَقَالَ: {وَلَقَدْ تَرَكْنَاهَا آيَةً فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرٍ وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ} [القمر: 15] [نُوحٍ: 25 - 27] . وَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ تَعَالَى وَلَهُ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ دَعْوَتَهُ فَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ عَيْنٌ تَطْرِفُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامَانِ: أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، وَأَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي تَفْسِيرَيْهِمَا مِنْ طَرِيقِ مُوسَى بْنِ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيِّ، عَنْ فَائِدٍ مَوْلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، أَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ
পৃষ্ঠা - ২৬৫



(শু০ (০০ এ এর অর্থ--তোমার উম্মতের যারা তোমার সাথে ঈমান এসেছে তাদেরকেও তুমি
নৌকায় তুলে লও ৷

আল্লাহ্ তা আশা বলেন৪ র্দুাপু ষ্টুদ্ব র্দুা৷ধ্গ্০ ( ’ (ঝু০ ৷ ৷দ্বুদ্বু অর্থাৎ সম্প্রদায়ের মধ্যে নুহ
(আ) এর এত দীর্ঘ সময় অবস্থান এবং র্বাতে-দিনে নরম গরম নানা প্রকার কথা ও কাজের
মাধ্যমে দীনের দাওয়াত দেয়৷ সত্বেও অল্প সংখ্যক ব্যতীত কেউ ঈমান আনেনি ৷

নুহ (আ)-এর সঙ্গে নৌকায় যারা ছিল, তাদের সংখ্যা কত এ ব্যাপারে আলিমগণের
মতভেদ আছে ৷ ইবন আব্বাস (যা) থেকে বর্ণিত যে, নারী-পুরুষ মিলে তারা ছিলেন আশিজন ৷
কাব ইবন আহবাব থেকে বর্ণিত যে, র্তর৷ ছিলেন বাহাত্তর জন ৷ কারো কারো মতে দশজন ৷
কেউ কেউ বলেন, তারা ছিলেন নুহ, তীর তিন পুত্র ও য়াম-এর ত্রীসহ তীর চার পুত্রবধু, যে য়াম
মুক্তির পথ থেকে সরে গিয়েছিল ৷ তবে এ অভিমতটি স্পষ্ট আঘাতের পরিপন্থী ৷ কারণ নুহ
(আ) এর সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন ব্যতীত অন্য একদল ঈমানদার দোকও ছিল বলে
কুরআনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ৷ যেমন নুহ (আ) বলেছিলেন৪ (০ ষ্র্দু টুপুও ;;:§;

( ;ৰুওরু ৷ অর্থাৎ-“আমাকে ও আমার সঙ্গী মুমিনপণকে মুক্তি র্দাওডু ৷’ (২৬৪ ১১৮)

কেউ কেউ বলেন, তারা ছিলেন সাতজন ৷ আর নুহ (আ) এর শ্রী তথা তার সব ক ’টি ছেলে
হাম, সান, মার্কিন ও য়াম আহলে কিতাবদের মতে যার নাম কানআন এবং তীর এ ছেলেটিই
ডুবে মরেছিল ৷ এদের মা প্লাবনের আগেই মারা গিয়েছিল ৷ কেউ কেউ বলেন, সেও
নিমজ্জিতদের সঙ্গে ডুবে মরেছিল ৷ তার কুফরীর কারণে সেও অনিবার্যরুপে ধ্বংসপ্রাপ্তদের
অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷ আর আহলে কিতাবদের মতে সে নৌকায় ছিল ৷ একথাটি সঠিক হলে বলতে
হবে যে, সে প্নাবনের পরেই কুফরী করেছিল কিংবা তাকে কিয়ামত দিবসের জন্য অবকাশ
দেওয়া হয়েজ্যি কিন্তু প্রথম অভিমতটিই যুক্তিসঙ্গত ৷

কারণ নুহ (আ) বলেছিলেন০ ১া
অর্থাৎ তুমি পৃথিবীতে কাফিরদের একটি গৃহবাসীকেও অব্যাহতি দিও না ৷ (৭১০ ২৬)

অৰুল্লড়াহ তন্ আলা বলেন :





অর্থাৎ যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আসন গ্রহণ করবে তখন বলবে, সমস্ত

ৎস৷ আল্লাহ্রই যিনি আমাদেরকে জালিম সম্প্রদায় থেকে উদ্ধার করেছেন ৷ আরো বলবে, হে

আমার প্ৰতিপালক ৷ আমাকে এমনভাবে অবতরণ করাও যা হবে কল্যাণকর, আর তুমিই শ্রেষ্ঠ
অবতারণকারী ৷ (২৩ : ২৮-২৯)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা নুহ (আ) কে তার প্রতিপালকের প্রশংসা করার আদেশ

দিয়েছেন ৷ কারণ তিনি এ নৌযানকে তার বশীভুত করে দিয়ে তা দিয়ে তাকে উদ্ধার করেছেন

তার ও তার সম্প্রদায়ের মধ্যে মীমাংস৷ করে দিয়েছেন এবং যারা তার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল


أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَلَوْ رَحِمَ اللَّهُ مِنْ قَوْمِ نُوحٍ أَحَدًا لِرَحِمِ أُمَّ الصَّبِيِّ» . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَكَثَ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي قَوْمِهِ أَلْفَ سَنَةٍ يَعْنِي إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا، وَغَرَسَ مِائَةَ سَنَةٍ الشَّجَرَ فَعَظُمَتْ، وَذَهَبَتْ كُلَّ مَذْهَبٍ، ثُمَّ قَطَعَهَا، ثُمَّ جَعَلَهَا سَفِينَةً، وَيَمُرُّونَ عَلَيْهِ، وَيَسْخَرُونَ مِنْهُ، وَيَقُولُونَ: تَعْمَلُ سَفِينَةً فِي الْبَرِّ كَيْفَ تَجْرِي. قَالَ: سَوْفَ تَعْلَمُونَ. فَلَمَّا فَرَغَ وَنَبَعَ الْمَاءُ وَصَارَ فِي السِّكَكِ. خَشِيَتْ أُمُّ الصَّبِيِّ عَلَيْهِ وَكَانَتْ تُحِبُّهُ حُبًّا شَدِيدًا خَرَجَتْ بِهِ إِلَى الْجَبَلِ حَتَّى بَلَغَتْ ثُلْثَهُ، فَلَمَّا بَلَغَهَا الْمَاءُ، خَرَجَتْ بِهِ حَتَّى اسْتَوَتْ عَلَى الْجَبَلِ، فَلَمَّا بَلَغَ الْمَاءُ رَقَبَتَهَا رَفَعَتْهُ بِيَدَيْهَا، فَغَرِقَا، فَلَوْ رَحِمَ اللَّهُ مِنْهُمْ أَحَدًا لِرَحِمِ أُمَّ الصَّبِيِّ» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَقَدْ رُوِيَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَمُجَاهِدٍ، وَغَيْرِ وَاحِدٍ شَبِيهٌ لِهَذِهِ الْقِصَّةِ، وَأَحْرَى بِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْ يَكُونَ مَوْقُوفًا مُتَلَقًّى عَنْ مِثْلِ كَعْبِ الْأَحْبَارِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ اللَّهَ لَمْ يُبْقِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا، فَكَيْفَ يَزْعُمُ بَعْضُ الْمُفَسِّرِينَ: أَنَّ عُوَجَ بْنَ عُنُقَ، وَيُقَالُ: ابْنَ عِنَاقَ كَانَ مَوْجُودًا مِنْ قَبْلِ نُوحٍ إِلَى زَمَانِ مُوسَى وَيَقُولُونَ: كَانَ كَافِرًا مُتَمَرِّدًا جَبَّارًا عَنِيدًا، وَيَقُولُونَ: كَانَ لِغَيْرِ رِشْدَةٍ بَلْ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ عُنُقُ بِنْتُ آدَمَ مِنْ زِنًا، وَأَنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ مِنْ طُولِهِ السَّمَكَ مِنْ قَرَارِ الْبِحَارِ، وَيَشْوِيهِ فِي عَيْنِ الشَّمْسِ، وَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لِنُوحٍ، وَهُوَ فِي السَّفِينَةِ: مَا هَذِهِ الْقُصَيْعَةُ الَّتِي لَكَ، وَيَسْتَهْزِئُ بِهِ. وَيَذْكُرُونَ أَنَّهُ كَانَ طُولُهُ ثَلَاثَةَ آلَافِ ذِرَاعٍ وَثَلَاثِمِائَةٍ وَثَلَاثَةٍ وَثَلَاثِينَ ذِرَاعًا وَثُلُثًا، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْهَذَيَانَاتِ الَّتِي لَوْلَا أَنَّهَا مُسَطَّرَةٌ فِي كَثِيرٍ مِنْ كُتُبِ التَّفَاسِيرِ، وَغَيْرِهَا مِنَ التَّوَارِيخِ، وَأَيَّامِ النَّاسِ لَمَا تَعَرَّضْنَا لِحِكَايَتِهَا لِسَقَاطَتِهَا، وَرَكَاكَتِهَا، ثُمَّ إِنَّهَا مُخَالِفَةٌ لِلْمَعْقُولِ وَالْمَنْقُولِ.
পৃষ্ঠা - ২৬৬


এবং তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল তাদের শাস্তি দানের মাধ্যমে তার প্রাণ জুড়িয়েছেন ৷ যেমন

আল্লাহ্তাআলা বলেন০ ং
াপ্রুাদ্বুদ্বু;;দ্বু



অর্থাৎ যিনি জোড়াসমুহের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেন এবং যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেন
এমন নৌযান ও পশু যাতে তোমরা আরোহণ কর ৷ যাতে তোমরা তাদের পিঠে স্থির হয়ে বসতে
পার ৷ তারপর তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন তোমরা তার উপর স্থির হয়ে
বস এবং বল, পবিত্র ও মহান৩ তিনি যিনি এদেরকে আমাদের বশীভুত করে দিয়েছেন, যদিও
আমরা এদেরকে বশী৩ করতে সমর্থ ছিলাম না ৷ আমরা আমাদের প্রতিপালকের কাছে
অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করব ৷ (৪০ : ১ ২ ১ : )

এভাবে যাবতীয় কাজের শুরুতে দৃআ করার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে, যাতে তা
মঙ্গলজনক ও বরকতময় এবং তার শেষ পরিণাম শুভ হয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) য়খন হিজরত

করেন তখন আল্লাহ তা জানা তাকে বলেছিলেন০ ং
ঠো ড্রু


অর্থাৎ-বল, হে আমার প্ৰতিপালক ! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং
আমাকে বের করাও কল্যাণের সাথে এবং (তামার কাছ থেকে আমাকে দান কর সাহায্যকারী

শক্তি ৷ (১ ৭ ৮০) বলাবাহুল্য যে, নুহ (আ) এ উপদেশ মত কাজ করেন ৷
§fl

ম্রা-ন্১

অর্থাত্ এবং বলেন, তোমরা এতে আরোহণ কর, আল্পাহ্র নামে এর গতি ও স্থিতি,
আমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ অর্থাৎ এর চলার শুরু এবং শেষ আ ৷ল্লাহরই
নামে ৷ আমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল ও দয়ালু হওয়ার সাথে সাথে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিদাত তাও বটে ৷
অপরাধী সম্প্রদায় থেকে তার শাস্তি বোধ করার সাধ্য কারো নেই যেমনটি আপতিত হয়েছিল
তাদের প্ৰতি, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করেছিল এবং তাকে বাদ দিয়ে অন্যের পুজা
করেছিল ৷ (১১০ ং ৪১)

আল্লাহ ;,হ্রপু ’ ব্লুও

অর্থাৎ-পাহাড়তুল্য তরঙ্গমালার মধ্যে তা তাদেরকে সিয়ে চলল ৷ ( ১ ১ : ২)

তা এভাবে হয়েছিল যে, আল্লাহ তা আশা আকাশ হতে এমন বৃষ্টি বর্ষণ করেন, যা
পৃথিবীতে ইতিপুর্বে কখনো দেখা যায়নি এবং এমন বৃষ্টি পরেও আর কখনো হবার নয় যা ছিল


أَمَّا الْمَعْقُولُ فَكَيْفَ يَسُوغُ فِيهِ أَنْ يُهْلِكَ اللَّهُ وَلَدَ نُوحٍ لِكُفْرِهِ، وَأَبُوهُ نَبِيُّ الْأُمَّةِ وَزَعِيمُ أَهْلِ الْإِيمَانِ، وَلَا يُهْلِكُ عُوجَ بْنَ عُنُقَ، وَيُقَالُ: عَنَاقُ. وَهُوَ أَظْلَمُ وَأَطْغَى عَلَى مَا ذَكَرُوا، وَكَيْفَ لَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْهُمْ أَحَدًا، وَلَا أُمَّ الصَّبِيِّ، وَلَا الصَّبِيَّ، وَيَتْرُكُ هَذَا الدَّعِيَّ الْجَبَّارَ الْعَنِيدَ الْفَاجِرَ الشَّدِيدَ الْكَافِرَ الشَّيْطَانَ الْمَرِيدَ عَلَى مَا ذَكَرُوا؟ ! وَأَمَّا الْمَنْقُولُ فَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ} [الصافات: 82] . وَقَالَ: {رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا} [نوح: 26] ثُمَّ هَذَا الطُّولُ الَّذِي ذَكَرُوهُ مُخَالِفٌ لِمَا فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ لَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الْآنَ» . فَهَذَا نَصُّ الصَّادِقِ الْمَصْدُوقِ الْمَعْصُومِ الَّذِي لَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى. أَنَّهُ لَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الْآنَ أَيْ ; لَمْ يَزَلِ النَّاسُ فِي نُقْصَانٍ فِي طُولِهِمْ مِنْ آدَمَ إِلَى يَوْمِ إِخْبَارِهِ بِذَلِكَ، وَهَلُمَّ جَرًّا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ لَمْ يُوجَدْ مِنْ ذُرِّيَّةِ آدَمَ مَنْ كَانَ أَطْوَلَ مِنْهُ فَكَيْفَ يُتْرَكُ هَذَا وَيُذْهَلُ عَنْهُ، وَيُصَارُ إِلَى أَقْوَالِ الْكَذَبَةِ الْكَفَرَةِ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ الَّذِينَ بَدَّلُوا كُتَبَ اللَّهِ الْمُنَزَّلَةَ وَحَرَّفُوهَا وَأَوَّلُوهَا وَوَضَعُوهَا عَلَى غَيْرِ مَوَاضِعِهَا، فَمَا ظَنُّكَ بِمَا هُمْ يَسْتَقِلُّونَ بِنَقْلِهِ أَوْ يُؤْتَمَنُونَ عَلَيْهِ، وَهُمُ الْكَذَبَةُ الْخَوَنَةُ، عَلَيْهِمْ لِعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَمَا أَظُنُّ أَنَّ هَذَا الْخَبَرَ عَنْ عُوجَ بْنِ عَنَاقَ إِلَّا اخْتِلَاقًا مِنْ بَعْضِ زَنَادِقَتِهِمْ وَفُجَّارِهِمُ الَّذِينَ كَانُوا أَعْدَاءَ
পৃষ্ঠা - ২৬৭


মশকের খোলা মুখের মত অঝোর ধারায় ৷ আর আল্পাহ্ তাআলা ভুমিকে আদেশ দেন, ফলে
তা সর্বদিক থেকে উৎসারিত হয়ে উঠে ৷

যেমন আল্পাহ্ তা আলা বলেন ং



ৰু ৷,৷ ৷
অর্থাৎ তখন নুহ তার প্ৰতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল আমি তাে অসহায়, অতএব,
তুমি প্রতিবিধান কর ৷ ফলে আমি উন্মুক্ত করে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারি বর্য্যণ এবং
মাটি থেকে উৎসারিত করলাম ঝর্ণাধারা ৷ তারপর সকল পানি মিলিত হলো এক সুনিঢিষ্টি
পরিকল্পনা অনুসারে ৷ তখন নুহকে আরোহণ করালাম কাঠ ও পেরেক নির্মিত এক নৌযানে যা
চলত আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ৷ এটা ছিল প্ৰতিশোধ তার পক্ষ থেকে যাকে (নুহকে)
প্রত্যাখ্যান করা হয়েকাি ৷ (৫৪৪ ১০ ১৪)

ইবন জারীর (র) প্রমুখ ঐতিহাসিক বর্ণনা করেন যে, কিবতীদের বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী এ

মহাপ্লাবন আর মাসের ১৩ তারিখে শুরু হয়েছিল আল্লাহ্ তাআলা বলেনং :


অর্থাৎ যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তােমাদেরকে আরোহণ ৷করিয়েছিলাম
নৌযানে, আমি তা করেছিলাম তোমাদের শিক্ষার জন্যে এবং এজন্য যে, শ্রুতিধর কান তা
সংরক্ষণকব্লে ৷ (৬৯৪ ১১ ১২)

অনেক মুফাসৃসির বলেন, পানি পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ার পনের হাত উপর পর্যন্ত উচু
হয়েছিল ৷ আহ্লি কিতাবদের অভিমতও এটাই ৷ কেউ কেউ বলেন, আশি হাত ৷ সে প্নাবনে
সমগ্র পৃথিবীর সমভুমি, পাথুরে ভুমি, পাহাড়, পর্বত ও বালুকাময় প্রাম্ভর সবই প্লাবিত হয়েছিল,
ভুপৃষ্ঠে ছোট-বড় কোন একটি প্রাণীও অবশিষ্ট ছিল না ৷ ইমাম মালিক (র) যায়দ ইবন আসলাম
(বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, সে যুগের অধিবাসীরা সমতল ভুমি ও পাহাড়-পর্বত সবকিছু
পরিপুর্ণ করে রেখেছিল ৷ আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন আসলাম (বা) বলেন, পৃথিবীর
প্রতিটি ভুখণ্ডেরই কেউ না কেউ মালিক ছিল ৷ ইবন আবুহাতিম এ দুটি বর্ণনা দিয়েছেন ৷


?



অর্থাৎ নুহ তার পুত্র, যে তাদের থেকে পৃথক ছিল, তাকে আহ্বান করে বলল, হে আমার
পুত্র ৷ আমাদের সঙ্গে আরোহণ কর এবং কাফিরদের সঙ্গী হয়াে না ৷


الْأَنْبِيَاءِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى مُنَاشَدَةَ نُوحٍ رَبَّهُ فِي وَلَدِهِ، وَسُؤَالَهُ لَهُ عَنْ غَرَقِهِ عَلَى وَجْهِ الِاسْتِعْلَامِ وَالِاسْتِكْشَافِ، وَوَجْهُ السُّؤَالِ أَنَّكَ وَعَدْتَنِي بِنَجَاةِ أَهْلِي مَعِي وَهُوَ مِنْهُمْ وَقَدْ غَرِقَ فَأُجِيبَ بِأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ أَيِ الَّذِينَ وَعَدْتُ بِنَجَاتِهِمْ أَيْ أَمَا قُلْنَا لَكَ: {وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ} [المؤمنون: 27] . فَكَانَ هَذَا مِمَّنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ بِأَنْ سَيَغْرَقُ بِكُفْرِهِ، وَلِهَذَا سَاقَتْهُ الْأَقْدَارُ إِلَى أَنِ انْحَازَ عَنْ حَوْزَةِ أَهْلِ الْإِيمَانِ، فَغَرِقَ مَعَ حِزْبِهِ أَهْلِ الْكُفْرِ وَالطُّغْيَانِ، ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {قِيلَ يَا نُوحُ اهْبِطْ بِسَلَامٍ مِنَّا وَبَرَكَاتٍ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَمٍ مِمَّنْ مَعَكَ وَأُمَمٌ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ يَمَسُّهُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ} [هود: 48] . هَذَا أَمْرٌ لِنُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا نَضَبَ الْمَاءُ عَنْ وَجْهِ الْأَرْضِ، وَأَمْكَنَ السَّعْيُ فِيهَا، وَالِاسْتِقْرَارُ عَلَيْهَا، أَنْ يَهْبِطَ مِنَ السَّفِينَةِ الَّتِي كَانَتْ قَدِ اسْتَقَرَّتْ بَعْدَ سَيْرِهَا الْعَظِيمِ عَلَى ظَهْرِ جَبَلِ الْجُودِيِّ وَهُوَ جَبَلٌ بِأَرْضِ الْجَزِيرَةِ مَشْهُورٌ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ عِنْدَ خَلْقِ الْجِبَالِ {بِسَلَامٍ مِنَّا وَبَرَكَاتٍ} [هود: 48] . أَيِ اهْبِطْ سَالِمًا مُبَارَكًا عَلَيْكَ، وَعَلَى أُمَمٍ مِمَّنْ سَيُولَدُ بَعْدُ. أَيْ مِنْ أَوْلَادِكَ فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَجْعَلْ لِأَحَدٍ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ نَسْلًا، وَلَا عَقِبًا سِوَى نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ تَعَالَى: {وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمُ الْبَاقِينَ} [الصافات: 77] . فَكُلُّ مَنْ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ الْيَوْمَ مِنْ سَائِرِ أَجْنَاسِ بَنِي آدَمَ يَنْتَسِبُونَ إِلَى أَوْلَادِ نُوحٍ الثَّلَاثَةِ ; وَهُمْ سَامٌ، وَحَامٌ، وَيَافِثُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «سَامٌ أَبُو الْعَرَبِ، وَحَامٌ أَبُو الْحَبَشِ، وَيَافِثُ أَبُو الرُّومِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ بِشْرِ بْنِ مُعَاذٍ الْعَقَدِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ مَرْفُوعًا نَحْوَهُ. وَقَالَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. قَالَ: وَالْمُرَادُ بِالرُّومِ هُنَا الرُّومُ الْأُوَلُ، وَهُمُ الْيُونَانُ الْمُنْتَسِبُونَ إِلَى رُومِيِّ بْنِ لِيطِيِّ بْنِ يُونَانَ بْنِ يَافِثَ بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. ثُمَّ رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ: وَلَدُ نُوحٍ ثَلَاثَةٌ: سَامٌ، وَيَافِثُ، وَحَامٌ. وَوَلَدَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْ هَؤُلَاءِ ثَلَاثَةً ; فَوَلَدَ سَامٌ الْعَرَبَ وَفَارِسَ وَالرُّومَ. وَوَلَدَ يَافِثُ التُّرْكَ وَالسَّقَالِبَةَ وَيَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ. وَوَلَدَ حَامٌ الْقِبْطَ وَالسُّودَانَ وَالْبَرْبَرَ. قُلْتُ: وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي مُسْنَدِهِ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَانِئٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ عَبَّادٍ أَبُو الْعَبَّاسِ قَالَا: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ الرَّهَاوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وُلِدَ لِنُوحٍ ; سَامٌ
পৃষ্ঠা - ২৬৮


সে বলল, আমি এমন এক পর্বতে আশ্রয় নেব যা আমাকে প্লাবন থেকে রক্ষা করার ৷ সে
বলল, আজ আল্লাহর বিধান থেকে রক্ষা করার কেউ নেই, যাকে আল্লাহ দয়া করবেন সে
ব্যতীত ৷ এরপর তরঙ্গ তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিল এবং সে নিয়জ্জিতদের অন্তর্ভুক্ত হলো ৷
(১১৪ ৪২ ৪৩)

এ পুত্রই হলো নাম, হাম ও য়াফিছ-এর ভাই যায় ৷ কেউ কেউ বলেন, এর নাম কানআন ৷
ক ফির ও বদ-আমল হওয়ায় সে পিতার দীন-ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করে ৷ ফলে ধ্বংসপ্রাপ্তদের
সঙ্গে সেও ধ্বংস হয়ে যায় ৷ অপরদিকে তার দীন-ধর্মের সমর্থক অনেক অনাত্মীয়ও তার পিতার

সঙ্গে মুক্তিলাভ করেন ৷

খোা৷ট্রু৷ ৷ দ্ধৃ;,ন্ন্া৷৷ ৷ $ ,াপ্ ’ ’ র্গেটুপুছু৷ ৷ এোদ্বু ন্দ্বুপ্রুপু ৷ , ,§¥ ৷

অর্থাৎ ন্ এরপর বলা হলো, হে পৃথিবী! তুমি তোমার পানি গ্রাস করে নাও এবং হে
আকাশ ! ক্ষান্ত হও ৷ এরপর বন্যা প্রশমিত হলো এবং কার্য সমাপ্ত হলো, নৌকা জুদী পর্বতের
উপর স্থির হলো এবং বলা হলো, জালিম সম্প্রদায় ধ্বংস হোক ৷ (১১ : ৪৪)

অর্থাৎ প্লাবনে গাইরুল্লাহর পুজারীদের সকলে সমুলে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা
পৃথিবীকে তার পানি গ্রাস করে নেয়া এবং আকাশকে বারি বর্ষণ ক্ষাম্ভ করার আদেশ

দেন ৷ ৰু এে৷ র্চু৪^া; অর্থ পানি পুর্বে যা ছিল তার চেয়ে কমে পেল ৷ আর ঝুষ্ঘু ৷ ; ও অর্থ

আল্লাহ তা“ জানা ইল্ম ও তার নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুসারে তাদের প্রতি যে আমার ও ধ্বংস

আপতিত হওয়ার কথা ছিল তা বাস্তবায়িত হলো ৷ এ্যান্-ট্রুর্চু

অর্থাৎ কুদরতের ভাষায় ঘোষণা দেয়৷ হলো যে) ওরা রহমত ও এশ্র্গোৰুৰুা৷ষ্াষিান্রাত থেকে দুর

হোক যেমন আল্পাহ্ তা আল৷ বলেনং :



অর্থাৎ তারপর তারা তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে ৷ ফলে আমি তাকে ও তার সঙ্গে

যারা নৌকায় ছিল তাদেরকে উদ্ধার করি এবং যায়৷ আমার নিদর্শনসমুহ প্রত্যাখ্যান করেছিল
তাদেরকেও নিমজ্জিত করি ৷৩ তারা ছিল এক অন্ধ সম্প্রদায় ৷ (৭৪ ৬৪)


অর্থাৎ--আর তারা তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে ৷ তারপর তাকে ও তার সঙ্গে যা৷ নৌকায়
ছিল তাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং তাদেরকে স্থলাভিষিক্ত কবি ও বাবা আমার
নিদর্শনসমুহকে প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদেরকে নিমজ্জিত করি ৷ সুতরাং দেখ, যাদেরকে সতর্ক
করা হয়েছিল তাদের পরিণাম কী হয়েছিল ? (১০৪ ৭৩)


وَحَامٌ، وَيَافِثُ. فَوُلِدَ لِسَامٍ الْعَرَبُ وَفَارِسُ وَالرُّومُ، وَالْخَيْرُ فِيهِمْ. وَوُلِدَ لِيَافِثَ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَالتُّرْكُ وَالصَّقَالِبَةُ، وَلَا خَيْرَ فِيهِمْ. وَوُلِدَ لِحَامٍ الْقِبْطُ وَالْبَرْبَرُ وَالسُّودَانُ» . ثُمَّ قَالَ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى مَرْفُوعًا إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ تَفَرَّدَ بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، وَاحْتَمَلُوا حَدِيثَهُ. وَرَوَاهُ غَيْرُهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ مُرْسَلًا وَلَمْ يُسْنِدْهُ، وَإِنَّمَا جَعَلَهُ مِنْ قَوْلِ سَعِيدٍ. قُلْتُ: وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ أَبُو عُمَرَ هُوَ الْمَحْفُوظُ، عَنْ سَعِيدٍ قَوْلُهُ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ مِثْلُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ أَبُو فَرْوَةَ الرَّهَاوِيُّ ضَعِيفٌ بِمَرَّةٍ لَا يُعْتَمَدُ عَلَيْهِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمْ يُولَدْ لَهُ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةُ الْأَوْلَادُ إِلَّا بَعْدَ الطُّوفَانِ، وَإِنَّمَا وُلِدَ لَهُ قَبْلَ السَّفِينَةِ كَنْعَانُ الَّذِي غَرِقَ، وَعَابِرُ مَاتَ قَبْلَ الطُّوفَانِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ أَوْلَادَهُ الثَّلَاثَةَ كَانُوا مَعَهُ فِي السَّفِينَةِ هُمْ وَنِسَاؤُهُمْ وَأُمُّهُمْ، وَهُوَ نَصُّ التَّوْرَاةِ. وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ حَامًا وَاقَعَ امْرَأَتَهُ فِي السَّفِينَةِ، فَدَعَا عَلَيْهِ نُوحٌ أَنْ تُشَوَّهَ خِلْقَةُ نُطْفَتِهِ فَوُلِدَ لَهُ وَلَدٌ أَسْوَدُ وَهُوَ كَنْعَانُ بْنُ حَامٍ جَدُّ السُّودَانِ. وَقِيلَ: بَلْ رَأَى أَبَاهُ نَائِمًا، وَقَدْ بَدَتْ عَوْرَتُهُ فَلَمْ يَسْتُرْهَا وَسَتَرَهَا أَخَوَاهُ فَلِهَذَا دَعَا عَلَيْهِ أَنْ تُغَيَّرَ نُطْفَتُهُ، وَأَنْ يَكُونَ
পৃষ্ঠা - ২৬৯



অর্থাৎ--এবং আমি তাকে সাহায্য করেছিলাম সে সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যারা আমার

নিদর্শনাবলী অস্বীকার করেছিল, তারা ছিল এক মন্দ সম্প্রদায় ৷ এজন্য তাদের সকলকেই আমি
নিমজ্জিত করেছিলাম ৷ (২১০ : ৭৭)

;,,

ঞে


অর্থাৎ--তারপর আমি তাকে ও তার সঙ্গে যারা ছিল তাদেরকে রক্ষা করলাম বোঝাই
নৌযানে ৷ তারপর অবশিষ্ট সকলকে নিমজ্জিত করলাম ৷ এতে অবশ্যই রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু
তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয় এবং তোমার প্রতিপালক৷ তিনি €৩ তা পরাক্রমশালী, পরম
দয়ালু ৷ (২৬ $ ১১৯-১২২)


এে

অর্থাৎ--তারপর আমি তাকে এবং যারা নৌকায় আরোহণ করেছিল তাদেরকে রক্ষা করলাম


এবং ৰিশ্বজগতেব জন্য একে করলাম একটি নিদর্শন ৷
তারপর অবশিষ্ট সকলকে আমি নিমজ্জিত করি ৷ (৩ ৭ ৮২)

ণ্চু)র্বৃণুশ্১
অর্থাৎ-আমি একে রেখে দিয়েছি এক নিদর্শনরুপে ৷ অতএব, উপদেশ গ্রহণকারী কেউ
আছে কি? কি কঠোর ছিল আমার শান্তি ও সতর্কবাণী৷ কুরআনকে আমি সহজ করে দিয়েছি

উপদেশ গ্রহণের জন্য, কে আছে উপদেশ গ্রহণের জন্য? (৫৪০ : ১৫ ১৭)
শে


’ৰু,১ (াএেদ্বু র্টরুিণ্ম্া

?
(ঠুার্দুছুর্বু ৷দ্বুন্টুা ৷ ৷দ্বুৰুার্দুফ্লিও র্চুাদ্বুাশু; §§fi;: ণ্^;১ এ;১
অর্থাৎ--তাদের অপরাধের জন্য তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছিল এবং পরে তাদেরকে
দাখিল করা হয়েছিল আগুনে; তারপর তারা কাউকেও আল্লাহর মুকাবিলায় সাহায্যকারী পায়নি ৷
নুহ আরো বলেছিল, হে আমার প্রতিপালকৰু পৃথিবীতে কাফিরদের মধ্য থেকে কোন

গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিও না ৷ তুমি তাদেরকে অব্যাহতি দিলে তারা তোমার বান্দাদেরকে
বিভ্রান্ত করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল দৃষ্কৃতকা ৷রী ও কা ৷ফির ৷ ( ৭ ১ : ২৫ ২ ৭ )


أَوْلَادُهُ عَبِيدًا لِإِخْوَتِهِ. وَذَكَرَ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ الْحَوَارِيُّونَ لِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: لَوْ بَعَثْتَ لَنَا رَجُلًا شَهِدَ السَّفِينَةَ فَحَدَّثَنَا عَنْهَا؟ قَالَ: فَانْطَلَقَ بِهِمْ حَتَّى أَتَى إِلَى كَثِيبٍ مِنْ تُرَابٍ، فَأَخَذَ كَفًّا مِنْ ذَلِكَ التُّرَابِ بِكَفِّهِ، قَالَ: أَتَدْرُونَ مَا هَذَا؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: هَذَا كَعْبُ حَامَ بْنِ نُوحٍ. قَالَ: وَضَرَبَ الْكَثِيبَ بِعَصَاهُ، وَقَالَ: قُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ. فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ يَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْ رَأْسِهِ قَدْ شَابَ. فَقَالَ لَهُ: عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ هَكَذَا هَلَكْتَ. قَالَ: لَا. وَلَكِنِّي مِتُّ وَأَنَا شَابٌّ، وَلَكِنِّي ظَنَنْتُ أَنَّهَا السَّاعَةُ فَمِنْ ثَمَّ شِبْتُ. قَالَ: حَدِّثْنَا عَنْ سَفِينَةِ نُوحٍ. قَالَ: كَانَ طُولُهَا أَلْفَ ذِرَاعٍ وَمِائَتَيْ ذِرَاعٍ، وَعَرْضُهَا سِتُّمِائَةِ ذِرَاعٍ، وَكَانَتْ ثَلَاثَ طَبَقَاتٍ ; فَطَبَقَةٌ فِيهَا الدَّوَابُّ وَالْوَحْشُ، وَطَبَقَةٌ فِيهَا الْإِنْسُ، وَطَبَقَةٌ فِيهَا الطَّيْرُ، فَلَمَّا كَثُرَ أَرْوَاثُ الدَّوَابِّ أَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنِ اغْمِزْ ذَنَبَ الْفِيلِ، فَغَمَزَهُ فَوَقَعَ مِنْهُ خِنْزِيرٌ وَخِنْزِيرَةٌ فَأَقْبَلَا عَلَى الرَّوْثِ، وَلَمَّا وَقَعَ الْفَأْرُ يَخْرِزُ السَّفِينَةَ بِقَرْضِهِ أَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنِ اضْرِبْ بَيْنَ عَيْنَيِ الْأَسَدِ، فَخَرَجَ مِنْ مَنْخَرِهِ سِنَّوْرٌ وَسِنَّوْرَةٌ فَأَقْبَلَا عَلَى الْفَأْرِ. فَقَالَ لَهُ عِيسَى: كَيْفَ عَلِمَ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّ الْبِلَادَ
পৃষ্ঠা - ২৭০


বলাবাহল্য যে, আল্লাহ তাআলা নুহ (আ) এর বদদুআ কবুল করেছিলেন ৷ সমস্ত প্রশংসা
ও অনুগ্রহ তারই ৷ ফলে তাদের একটি প্রাণীও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ৷

ইমাম আবু জাফর ইবন জারীর ও আবু মুহাম্মদ ইবন আবু হাতিম আপন আপন তাফসীরে
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা)-এর বরাতে বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন : নুহের
সম্প্রদায়ের কারো প্ৰতি যদি আল্লাহ দয়া করতেন, তাহলে অবশ্যই শিশুর মায়ের প্রতি দয়া
করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেন : নুহ (আ) তার সম্প্রদায়ের মধ্যে (পঞ্চাশ কম) এক হাজার
বছর অবস্থান করেন এবং বৃক্ষ রােপণ করে একশ বছর অপেক্ষা করেন ৷ বৃক্ষটি বড় হয়ে
পোক্ত হলে তা কেটে তা দিয়ে নৌকা নির্মাণ করেন ৷ নৌকা নির্মাণকালে সম্প্রদায়ের লোকেরা
তার নিকট দিয়ে অতিক্রম করত, তাকে ঠাট্টা করত এবং বলত তুমি ভাঙ্গার নৌকা নির্মাণ
করছ, এ চলবে কিভাবে ? নুহ (আ) বলতেন, অচিরেই তোমরা জানতে পারবে ৷

যখন তিনি নৌকা নির্মাণ শেষ করলেন এবং পানি উৎসারিত হলো ও তা অলিতে-গলিতে
ঢুকে পড়ল, তখন একটি শিশুর যা তার ব্যাপারে আশংকা বোধ করল ৷ সে তাকে অত্যন্ত স্নেহ
করত ৷ অগত্যা শিশুটিকে নিয়ে সে এক পাহাড়ের এক:তৃতীয়াংশ উপরে গিয়ে উঠে ৷ পানি
বাড়তে বাড়তে তার পর্যন্ত পৌছুলে এবার সে শিশুটিকে নিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় গিয়ে ওঠে ৷
এবার পানি তার ঘাড় পর্যন্ত পৌছুলে সে তার দু হাত দ্বারা শিশুটিকে উপরে তুলে ধরে ৷ তারপর
তারা দৃজনই ডুবে যায় ৷ আল্লাহ যদি তাদের কাউকে দয়া করতেন, তাহলে ঐ শিশুর মাকে
অবশ্যই দয়া করতেন ৷

এ হাদীসটি গরীব’ পর্যায়ের ৷ কাব আল-আহবার ও মুজাহিদ প্রমুখ থেকে এর অনুরুপ

কাহিনী বর্ণিত আছে ৷ এ হাদীসটিও কাব আল-আহবারের ন্যায় কারো থেকে মওকুফ হওয়ার
সম্ভাবনাই অধিক ৷ আল্লাহ ভালো জানেন ৷

মােটকথা, আল্লাহ তাআলা কাফিরদের একটি গৃহবাসীকেও অবশিষ্ট রাখেননি ৷ সুতরাং
কোন কোন মুফাসসির কিভাবে ধারণা করেন যে, আওজ ইবন উনুক মতম্ভেরে ইবন আনাক নুহ
(আ)-এর পুর্ব থেকে মুসা (আ)-এর আমল পর্বত বেচে ছিল ৷ অথচ তারাই বলেন যে, সে ছিল
সীমালংঘনকারী, উদ্ধত ও বিরুদ্ধাচারী কাফির ৷ তারা আরো বলেন যে, সে ছিল আদমের কন্যা
আনাকের জারয সন্তান ৷ সমুদ্রের তলদেশ থেকে মাছ ধরে এনে সে সুর্যের তাপে তা সিদ্ধ
করত ৷ নুহ (আ)-কে সে উপহড়াস ছলে বলত, তোমার এ ছোট্ট পেয়ালাটি কি হো তারা আরো
উল্লেখ করেন যে, তার উচ্চতা ছিল তিন হাজার তিনশ তেত্রিশ হাত ছয় ইঞ্চি ৷ এ ধরনের
আরো অনেক অলীক কাহিনী রয়েছে ৷ এ সংক্রান্ত বিবরণসমুহ এতই প্রসিদ্ধ যে, তড়াফসীর ও
ইতিহাস ইত্যাদির বহু গ্রন্থে যদি এসব কথার উল্লেখ না থাকত; তাহলে আমরা তা আলোচনাই
করতাম না ৷ তাছাড়া এসব কথা যুক্তি এবং নির্জ্যযোগ্য ব্লেওয়ায়েতের পরিপন্থী ৷

যুক্তি বলে, আল্লাহ তাআলা নুহ (আ)-এর পুত্রকে তার কুফরীর কারণে ধ্বংস করবেন,
অথচ তার পিতা হলেন উম্মতের নবী ও ঈমড়ানদারদের প্রধান আর আওজ ইবন আনাক বা
আনাককে ধ্বংস করবেন না, অথচ সে হলো চরম অত্যাচারী ও অবাধ্য; এটা হতেই পারে না ৷
তাছাড়া অপরাধীদের কাউকে আল্লাহ দয়া করবেন না, এমনকি শিশুর মাকেও না, শিশুকেও না,
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ডষ্হু ৩৪


قَدْ غَرِقَتْ. قَالَ: بَعَثَ الْغُرَابَ يَأْتِيهِ بِالْخَبَرِ فَوَجَدَ جِيفَةً فَوَقَعَ عَلَيْهَا، فَدَعَا عَلَيْهِ بِالْخَوْفِ فَلِذَلِكَ لَا يَأْلَفُ الْبُيُوتَ. قَالَ: ثُمَّ بَعَثَ الْحَمَامَةَ فَجَاءَتْ بِوَرَقِ زَيْتُونٍ بِمِنْقَارِهَا وَطِينٍ بِرِجْلَيْهَا، فَعَلِمَ أَنَّ الْبِلَادَ قَدْ غَرِقَتْ فَطَوَّقَهَا الْخُضْرَةَ الَّتِي فِي عُنُقِهَا، وَدَعَا لَهَا أَنْ تَكُونَ فِي أُنْسٍ وَأَمَانٍ فَمِنْ ثَمَّ تَأْلَفُ الْبُيُوتَ. قَالَ: فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا نَنْطَلِقُ بِهِ إِلَى أَهْلِينَا فَيَجْلِسُ مَعَنَا وَيُحَدِّثُنَا؟ قَالَ: كَيْفَ يَتْبَعُكُمْ مَنْ لَا رِزْقَ لَهُ؟ قَالَ: فَقَالَ لَهُ: عُدْ بِإِذْنِ اللَّهِ فَعَادَ تُرَابًا، وَهَذَا أَثَرٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَرَوَى عِلْبَاءُ بْنُ أَحْمَرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ مَعَ نُوحٍ فِي السَّفِينَةِ ثَمَانُونَ رَجُلًا مَعَهُمْ أَهْلُوهُمْ، وَأَنَّهُمْ كَانُوا فِي السَّفِينَةِ مِائَةً وَخَمْسِينَ يَوْمًا، وَأَنَّ اللَّهَ وَجَّهَ السَّفِينَةَ إِلَى مَكَّةَ فَدَارَتْ بِالْبَيْتِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، ثُمَّ وَجَّهَهَا إِلَى الْجُودِيِّ فَاسْتَقَرَّتْ عَلَيْهِ فَبَعَثَ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْغُرَابَ لِيَأْتِيَهُ بِخَبَرِ الْأَرْضِ، فَذَهَبَ فَوَقَعَ عَلَى الْجِيَفِ فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ، فَبَعَثَ الْحَمَامَةَ فَأَتَتْهُ بِوَرَقِ الزَّيْتُونِ، وَلَطَّخَتْ رِجْلَيْهَا بِالطِّينِ، فَعَرَفَ نُوحٌ أَنَّ الْمَاءَ قَدْ نَضَبَ، فَهَبَطَ إِلَى أَسْفَلِ الْجُودِيِّ فَابْتَنَى قَرْيَةً، وَسَمَّاهَا ثَمَانِينَ، فَأَصْبَحُوا ذَاتَ يَوْمٍ، وَقَدْ تَبَلْبَلَتْ أَلْسِنَتُهُمْ عَلَى ثَمَانِينَ لُغَةً ; إِحْدَاهَا لُغَةُ الْعَرَبِيِّ، فَكَانَ بَعْضُهُمْ لَا يَفْقَهُ كَلَامَ بَعْضٍ، فَكَانَ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُعَبِّرُ عَنْهُ. وَقَالَ قَتَادَةُ وَغَيْرُهُ: رَكِبُوا فِي السَّفِينَةِ فِي الْيَوْمِ الْعَاشِرِ مِنْ شَهْرِ رَجَبٍ فَسَارُوا مِائَةً وَخَمْسِينَ
পৃষ্ঠা - ২৭১


আর এ স্বেচ্ছাচারী, অবাধ্য, চরম পাপাচারী কাফির ও বিতাড়িত শয়তানকে অব্যাহতি দিবেন,
এটা তো হতে পারে না !
নির্ভরযোগ্য রিওয়ায়তের ব্যাপারে বলা যায় আল্লাহ্ তাআলা বলেন :



ণ্র্চু ৩ারপর আমি অন্যদেরকে নিমজ্জিত করি ৷

সে আরো বলল, হে আমার

প্রতিপালক ! পৃথিবীতে কাফিরদের কোন গৃহবাসীকে তুমি অব্যাহতি দিও না ৷ ( ৭১ : ২৬)
তাছাড়া উক্ত মুফাসসিরগণ তার যে উচ্চতার কথা উল্লেখ করেছেন তা সহীহ বুখারী ও
মুসলিমে বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থী, যাতে বলা হয়েছে নবী করীম (সা) বলেছেন : সৃষ্টির সময়
আদম (আ)-এর উচ্চতা ছিল ষাট হাত ৷ তারপর থেকে তা কমতে কমতে বর্তমান অবস্থায়
এসে পৌছেছে ৷

এ হলো নিম্পাপ, সতবােদী এমন এক মহান সত্তার উক্তি, যিনি মনগড়া কোন কথা বলেন
না, যা প্ৰত্যাদেশ হয় কেবল তা-ই বলেন ৷ তার মতে, আদম (আ) থেকে এ যাবত মানুষের
উচ্চতা ক্রমেই কমছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত এভাবে কমতে থাকবে ৷

তার এ বক্তব্য প্রমাণ করে যে, আদমের সন্তানদের মধ্যে কাউকে আদম অপেক্ষা দীর্ঘ
পাওয়া যায়নি ৷ এমতাবস্থায় তার এ তথ্য বর্জন করে আহলি কিতড়াবদের সেসব মিথ্যাবাদী
কাফিরদের অভিমত কিভাবে গ্রহণ করা যেতে পারে, যারা আল্লাহ্ তাআলার নাযিলকৃত
কিতড়াবসমুহকে পরিবর্ভা ও বিকৃত করে ফেলেছে এবং তার প্রচুর অপব্যাখ্যা করেছে? এই
যেখানে অবস্থা, সেখানে একান্তই তাদের নিজস্ব অভিমত এবং বর্ণনা সম্পর্কে তাদের উপর
কতটুকু নির্ভর করা চলে? আমাদের ধারণা, আওজ ইবন আনাক সম্পর্কিত এ তথ্য তাদেরই
একদল নাস্তিক ও পাপাচারীর স্বকপোলকল্পিক উক্তি, যারা ছিল নবীদের শত্রু ৷ আল্লাহ ভালো
জানেন ৷

তারপর আল্লাহ্ তাআলা নুহ (আ) কর্তৃক তার পুত্রের ব্যাপারে তার প্রতিপালকের কাছে
ফরিয়াদ করার এবং অবগতি লাভের উদ্দেশ্যে তার নিমজ্জিত হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করার কথা
উল্লেখ করেন ৷ প্রশ্ন করার কারণ হলো এই যে, আপনি আমার পরিবার-পরিজনকে আমার
সাথে রক্ষা করার ওয়াদা করেছিলেন ৷ আর এও তো তাদেরই একজন ৷ অথচ সে নিমজ্জিত
হলো ৷ এর উত্তরে বলা হলো, যে তোমার পরিবারভুক্ত নয়, যাদেরকে রক্ষা করার ওয়াদা আমি
তোমাকে দিয়েছিলাম অর্থাৎ আমি কি তোমাকে এ কথা বলিনি যে, তোমার পরিবার-পরিজনকে
রক্ষা করবো তবে তাকে নয় যার বিরুদ্ধে পুর্বেই ধ্বংসের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে ৷ তোমার এ পুত্র
তো তাদেরই অন্তর্ভুক্ত ৷ অর্থাৎ পুর্বেই তা আমি বলে দিয়েছিলাম যে, কুফরীর কারণে এ
নিমজ্জিত হবে ৷ এজন্যই তো ভাগ্য তাকে ঈমড়ানদারদের পরিবেশ থেকে সরিয়ে নেয় ৷ পরিণড়ামে
সে কাফির ও সীমালংঘন কারীদের দলের সঙ্গে নিমজ্জিত হয়েছে ৷


يَوْمًا، وَاسْتَقَرَّتْ بِهِمْ عَلَى الْجُودِيِّ شَهْرًا، وَكَانَ خُرُوجُهُمْ مِنَ السَّفِينَةِ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ مِنَ الْمُحَرَّمِ، وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ خَبَرًا مَرْفُوعًا يُوَافِقُ هَذَا، وَأَنَّهُمْ صَامُوا يَوْمَهُمْ ذَلِكَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَبِيبٍ الْأَزْدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ شِبْلٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُنَاسٍ مِنَ الْيَهُودِ، وَقَدْ صَامُوا يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ: " مَا هَذَا مِنَ الصَّوْمِ؟ " فَقَالُوا: هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي نَجَّى اللَّهُ مُوسَى وَبَنِي إِسْرَائِيلَ مِنَ الْغَرَقِ، وَغَرِقَ فِيهِ فِرْعَوْنُ، وَهَذَا يَوْمٌ اسْتَوَتْ فِيهِ السَّفِينَةُ عَلَى الْجُودِيِّ فَصَامَ نُوحٌ وَمُوسَى عَلَيْهِمَا السَّلَامُ شُكْرًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى وَأَحَقُّ بِصَوْمِ هَذَا الْيَوْمِ ". وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَصْبَحَ صَائِمًا فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ، وَمَنْ كَانَ أَصَابَ مِنْ غَدَاءِ أَهْلِهِ فَلْيُتِمَّ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ شَاهِدٌ فِي الصَّحِيحِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، وَالْمُسْتَغْرَبُ ذِكْرُ نُوحٍ أَيْضًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا مَا يَذْكُرُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْجَهَلَةِ: أَنَّهُمْ أَكَلُوا مِنْ فُضُولِ أَزْوَادِهِمْ، وَمِنْ حُبُوبٍ كَانَتْ مَعَهُمْ قَدِ اسْتَصْحَبُوهَا، وَطَحَنُوا الْحُبُوبَ يَوْمَئِذٍ، وَاكْتَحَلُوا
পৃষ্ঠা - ২৭২


তারপর আল্লাহ তাআলা বলেনং :


ষ্ঠাং
ধ্ষ্

অর্থাৎ বলা হলো, হে নুহ! অবতরণ কর আমার প্রদত্ত শাস্তিসহ এবং তে ড়ামার প্রতি ও যে
সমস্ত সম্প্রদায় তোমার সঙ্গে আছে তাদের প্ৰতি কল্যাণসহ; অপর সম্প্রদায়সমুহকে আমি
জীবন উপভোগ করতে দেব, পরে আমার পক্ষ থেকে মর্মন্তুদ শাস্তি তাদেরকে স্পর্শ করবে ৷
(১ ১ ং ৪৮)

এ হলো নুহ (আ) এর প্রতি সে সময়কার আদেশ, যখন পানি ণ্ডু-পৃষ্ঠ থেকে সরে
গিয়েছিল, তা চলাচল ও অবস্থান উপযোগী হয়েছিল এবং দীর্ঘ ভ্রমণেরণ্ডু পর জুদী পর্বতের
পৃষ্ঠদেশে স্থির হয়ে থাকা নৌকা থেকে নেমে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেছিল ৷ জুদী জযিরা
অঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ পর্বতের নাম ৷ পর্বত সৃষ্টির অধ্যায়ে আমরা এর আলোচনা করে
এসেছি ৷

চিএের্চু র্বৃট্রুর্দুশুষ্ এেব্লু১দু: অর্থ হলো, তুমি নিরাপদে এবং তোমার প্রতি এবং তোমার
ভবিষ্যত বং শধরদের প্রতি বরকতসহ অবতরণ কর ৷ এখানে ভবিষ্যত বং শ ধব বলতে শুধু নুহ্
(আ) এর বংশধর এজন্য বলা হয়েছে যে আল্লাহ তা আলা নুহ (আ) ব্যতীত তার ঈমানদার

সঙ্গীদের অন্য কারো বংশ ও উত্তরসুরি সৃষ্টি করেননি ৷

আল্লাহ্ তা আলা বলেন০ ং পু;ণ্ড্রব্রএে৷ ন্ট্রু ণ্এপুশু১ ৷ার্দুপুশু,

আমি তার বা শধরকেই অবশিষ্ট রেখেছি ৷ (৩ ৭ ৭ ৭) অতএব, যত আদম সন্তান আজ
ভু-পৃষ্ঠে আছে তারা সকলেই নুহ (আ)-এর তিন পুত্র সাম, হাম ও য়াফিস-এর বংশধর ৷

ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, সামুরা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : সাম
আরবের আদি পুরুষ, হাম আবিসিনিয়ার আদি পুরুষ এবং য়াফিছ রুমের আদি পুরুষ ৷

আর ইমাম তিরমিযীও হাদীসটি হুবহু বর্ণনা করেছেন ৷ শড়ায়খ আবু ইমরান ও ইবন আবদুল
বাবর বলেন যে, ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) সুত্রে রাসুলুল্পাহ (সা) থেকে অনুরুপ বর্ণিত আছে ৷

উপরোক্ত হাদীসে রুম দ্বারা প্রথম রুম বুঝানো হয়েছে ৷ এরা হলো গ্রীক জাতি ৷ এদের
বংশধারা রুমী ইবন লিবতী ইবন ইউনান ইবন য়াফিস ইবন নুহ (আ) পর্যন্ত গিয়ে পৌছে ৷
সাঈদ ইবন মুসায়ক্রড়াব সুত্রে বর্ণিত হাদীসে আছে যে, তিনি বলেছেন : নুহ (আ)-এর তিন পুত্র
জন্মলাভ করে ৷ সাম , য়াফিস ও হাম ৷ আবার এ তিনজনের প্রত্যেকের তিনটি করে পুত্র জন্ম
নেয় ৷ সাম-এর পুত্ররা হলো আরব, ফারিস ও রুম ৷ য়াফিস-এর পুত্ররা হলো তৃর্ক, সাকালিবা ও
য়াজুজ-মাজুজ এবং হামের পুত্ররা হলো কিবত, সুদান ও বারবার ৷

হাফিজ আবু বকর বায্যার তার মুসনাদে বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা ) বলেন,
রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন : “নুহের ঔরসে নাম, হাম ও য়াফিস জন্মগ্রহণ করেন ৷ তারপর
সামের ঔরসে আরব, ফারিস ও রুমরা জন্মগ্রহণ করে ৷ এদের মধ্যে য়াফিছ- এর ঔরসে জন্ম
নেয় য়াজুজ-মা’জুজ, তৃর্ক ও সাকালিবা ৷ এদের মধ্যে কোন কল্যাণ নেই ৷ আর হামের ঔরসে


بِالْإِثْمِدِ لِتَقْوِيَةِ أَبْصَارِهِمْ لَمَّا ابْهَارَّتْ مِنَ الضِّيَاءِ بَعْدَ مَا كَانُوا فِي ظُلْمَةِ السَّفِينَةِ، فَكُلُّ هَذَا لَا يَصِحُّ فِيهِ شَيْءٌ، وَإِنَّمَا يُذْكَرُ فِيهِ آثَارٌ مُنْقَطِعَةٌ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَا يُعْتَمَدُ عَلَيْهَا وَلَا يُقْتَدَى بِهَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَكُفَّ ذَلِكَ الطُّوفَانَ أَرْسَلَ رِيحًا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ فَسَكَنَ الْمَاءُ، وَانْسَدَّتْ يَنَابِيعُ الْأَرْضِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْقُصُ وَيَغِيضُ وَيُدْبِرُ، وَكَانَ اسْتِوَاءُ الْفُلْكِ عَلَى الْجُودِيِّ فِيمَا يَزْعُمُ أَهْلُ التَّوْرَاةِ فِي الشَّهْرِ السَّابِعِ لِسَبْعَ عَشْرَ لَيْلَةً مَضَتْ مِنْهُ، وَفِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الشَّهْرِ الْعَاشِرِ رُئِيَتْ رُءُوسُ الْجِبَالِ، فَلَمَّا مَضَى بَعْدَ ذَلِكَ أَرْبَعُونَ يَوْمًا فَتَحَ نُوحٌ كَوَّةَ الْفُلْكِ الَّتِي صَنَعَ فِيهَا، ثُمَّ أَرْسَلَ الْغُرَابَ لِيَنْظُرَ لَهُ مَا فَعَلَ الْمَاءُ فَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِ، فَأَرْسَلَ الْحَمَامَةَ فَرَجَعَتْ إِلَيْهِ فَلَمْ يَجِدْ لِرِجْلَيْهَا مَوْضِعًا، فَبَسَطَ يَدَهُ لِلْحَمَامَةِ فَأَخَذَهَا فَأَدْخَلَهَا، ثُمَّ مَضَتْ سَبْعَةُ أَيَّامٍ، ثُمَّ أَرْسَلَهَا لِتَنْظُرَ لَهُ، فَرَجَعَتْ حِينَ أَمْسَتْ وَفِي فِيهَا وَرَقُ زَيْتُونَةٍ فَعَلِمَ نُوحٌ أَنَّ الْمَاءَ قَدْ قَلَّ عَنْ وَجْهِ الْأَرْضِ، ثُمَّ مَكَثَ سَبْعَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ أَرْسَلَهَا فَلَمْ تَرْجِعْ إِلَيْهِ فَعَلِمَ نُوحٌ أَنَّ الْأَرْضَ قَدْ بَرَزَتْ، فَلَمَّا كَمَلَتِ السَّنَةُ فِيمَا بَيْنَ أَنْ أَرْسَلَ اللَّهُ الطُّوفَانَ إِلَى أَنْ أَرْسَلَ نُوحٌ الْحَمَامَةَ، وَدَخَلَ يَوْمٌ وَاحِدٌ مِنَ الشَّهْرِ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ اثْنَتَيْنِ بَرَزَ وَجْهُ الْأَرْضِ وَظَهَرَ الْبَرُّ، وَكَشَفَ نُوحٌ غِطَاءَ الْفُلْكِ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ هُوَ بِعَيْنِهِ مَضْمُونُ سِيَاقِ التَّوْرَاةِ الَّتِي بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ:
পৃষ্ঠা - ২৭৩


জন্ম নেয় কিবৃত, বারবার ও সুদান ৷ এ বর্ণনাটি মারকু নাকি মুরসাল পর্যায়ের এ নিয়ে যথেষ্ট
মতভেদ রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

কথিত আছে যে, নুহ (আ)-এর তিন পুত্রের জন্ম প্লাবনের পরেই হয়েছিল ৷ প্রবেশের পুর্বে
তার ঔরসে কানঅড়ানের জন্ম হয়েছিল, যে নিমজ্জিত হয়ে যায় এবং তার অপর পুত্র আবির-এর
মৃত্যু প্নাবনের পুর্বেই হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু সঠিক কথা হলো, তার তিন পুত্র তার সঙ্গে নৌকায়
ছিলেন ৷ তাদের মাতা এবং ত্রীপণও তাদের সঙ্গে ছিলেন ৷ এটাই তাওরাতের ভাষ্য ৷ আরো
বর্ণিত আছে যে,হাম নৌকায় তার ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করেন ৷ ফলে নুহ (আ) তার জন্য বদ দুআ
করেন যেন তার এ বীর্য দ্বারা কুশ্ৰী সন্তান সৃষ্টি করা হয় ৷ পরিণামে তার একটি কালো সন্তান
জন্ম নেয় ৷ সে হলো সুদাসের আদি পুরুষ কানঅড়ান ইবন হাম ৷ বরং ঘটনাটি সম্পর্কে কথিত
আছে যে, হাম তার পিতাকে ঘৃমভ অবস্থায় বিবস্ত্র অবস্থায় দেখেও তার সতর আবৃত করে
দেননি ৷ পরে তার অপর দু’ভাই তা আবৃত করে দেন ৷ এজন্য নুহ (আ) তার জন্য এ বদ দুআ
করেন, যেন তার শুক্রের বিকৃতি ঘটে এবং তার সন্তানগণ যেন তার ভাইদের দাস হয়ে থাকে ৷

ইমাম আবু জাফর ইবন জারীর ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেন ও
হাওয়ারীগণ ঈসা ইবন মরিয়মকে বললেন, নুহ (আ)-এর নৌযানে ছিলেন এমন একজন
লোককে আপনি আমাদের জন্য যদি পুনজীর্বিত করে দিতেন তাহলে তার কাছে আমরা নুহ
(আ)-এর নৌযানের বিবরণ শুনতে পেতাম ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, ফলে ঈসা (আ)
তাদেরকে নিয়ে কিছুদুর অগ্রসর হয়ে একটি মাটির ঢিবির নিকট উপনীত হন এবং তা থেকে
এক সৃষ্টি মাটি হাতে নিয়ে বললেন, তোমরা কি জান এগুলো কি? তারা বলল, আল্লাহ ও তার
রাসুলই ভালো জানেন ৷ ঈসা (আ) বললেন, এ হলো নুহ-এর পুত্র হাম-এর পায়ের পিট ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, তারপর তিনি হাতের লাঠি দ্বারা ঢিবিতে আঘাত করে বললেন, আল্লাহর
আদেশে উঠে র্দাড়াও ৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি (হাম ইবন নুহ) মাথা থেকে ধৃলা-বালি ঝাড়তে ঝাড়তে
উঠে দীড়ালেন ৷ তার চুল পাকা দেখে ঈসা (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি এ অবন্থায়ই
মৃত্যুবরণ করেছিলেনঃ জবাবে হাম বললেন ও না, বরং যুবক অবস্থায়ই আমার মৃত্যু হয়েছিল ৷
কিন্তু আমি ধারণা করেছিলাম, এ র্বুঝি কিয়ড়ামত তাতেই আমার চুল থেকে যায় ৷

ঈসা (আ) বললেন, আমাদেরকে নুহের নৌকায় একটি বিবরণ দিন (তা! জবাবে তিনি
বললেন : তার দৈর্ঘ ছিল এক হাজার দুশ হাত আর প্রস্থ ছিল ছয়শ হাত ৷ এটি ছিল তিনতলা
বিশিষ্ট ৷ একতলায় ছিল জীব-জানােয়ায় ও হিংস্র পশ্বাদি ৷ একতলায় মানুষ এবং আরেক তলায়
পাখি ৷ জীব-জানােয়ারের মল অধিক হয়ে গেলে আল্লাহ্ তাআলা নুহ (আ )-এর প্ৰতি ওহী
নাযিল করলেন যে, তুমি হাভীর লেজটা উচিয়ে ধর ৷ তিনি তা-ই করলেন ৷ ফলে তার মধ্য
থেকে একটি শুকর ও একটি শুকরী বেরিয়ে আসে ৷ সঙ্গে সঙ্গে তারা মল যেতে শুরু করে ৷
আবার ইদুর যখন নৌকা ছিদ্র করতে শুরু করে দেয়, তখন আল্লাহ্ তাআলা নুহ-এর প্রতি
প্রত্যাদেশ করেন যে, তুমি সিংহের দুচক্ষুর মাঝখানে আঘাত কর ৷ তিনি তাই করলেন ৷ ফলে
তার নড়াকের ছিদ্র থেকে একটি বিড়াল এ একটি বিড়ালী বের হয়ে এসে সঙ্গে সঙ্গে ইদৃরের উপর
বাপিয়ে পড়ে ৷


وَفِي الشَّهْرِ الثَّانِي مِنْ سَنَةِ اثْنَتَيْنِ فِي سِتٍّ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً مِنْهُ {قِيلَ يَانُوحُ اهْبِطْ بِسَلَامٍ مِنَّا وَبَرَكَاتٍ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَمٍ مِمَّنْ مَعَكَ وَأُمَمٌ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ يَمَسُّهُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ} [هود: 48] . وَفِيمَا ذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَنَّ اللَّهَ كَلَّمَ نُوحًا قَائِلًا لَهُ: اخْرُجْ مِنَ الْفُلْكِ أَنْتَ وَامْرَأَتُكَ وَبَنُوكَ وَنِسَاءُ بَنِيكَ مَعَكَ، وَجَمِيعُ الدَّوَابِّ الَّتِي مَعَكَ، وَلِتَنْمُوَا وَلِتَكْثُرُوا فِي الْأَرْضِ، فَخَرَجُوا، وَابْتَنَى نُوحٌ مَذْبَحًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَخَذَ مِنْ جَمِيعِ الدَّوَابِّ الْحَلَالِ وَالطَّيْرِ الْحَلَالِ فَذَبَحَهَا قُرْبَانًا إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَعَهِدَ اللَّهُ إِلَيْهِ أَنْ لَا يُعِيدَ الطُّوفَانَ عَلَى أَهْلِ الْأَرْضِ، وَجَعَلَ تَذْكَارَ الْمِيثَاقِ إِلَيْهِ الْقَوْسُ الَّذِي فِي الْغَمَامِ، وَهُوَ قَوْسُ قُزَحَ الَّذِي قَدَّمْنَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ أَمَانٌ مِنَ الْغَرَقِ. قَالَ بَعْضُهُمْ: فِيهِ إِشَارَةٌ إِلَى أَنَّهُ قَوْسٌ بِلَا وَتَرٍ. أَيْ ; أَنَّ هَذَا الْغَمَامَ لَا يُوجَدُ مِنْهُ طُوفَانٌ كَأَوَّلِ مَرَّةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَقَدْ أَنْكَرَتْ طَائِفَةٌ مِنْ جَهَلَةِ الْفُرْسِ وَأَهْلِ الْهِنْدِ، وُقُوعَ الطُّوفَانِ، وَاعْتَرَفَ بِهِ آخَرُونَ مِنْهُمْ. وَقَالُوا: إِنَّمَا كَانَ بِأَرْضِ بَابِلَ، وَلَمْ يَصِلْ إِلَيْنَا. قَالُوا: وَلَمْ نَزَلْ نَتَوَارَثُ الْمُلْكَ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ مِنْ لَدُنْ كُيُومُرْثَ يَعْنُونَ آدَمَ إِلَى زَمَانِنَا هَذَا. وَهَذَا قَالَهُ مَنْ قَالَهُ مِنْ زَنَادِقَةِ الْمَجُوسِ عُبَّادِ النِّيرَانِ، وَأَتْبَاعِ الشَّيْطَانِ. وَهَذِهِ سَفْسَطَةٌ مِنْهُمْ، وَكُفْرٌ فَظِيعٌ، وَجَهْلٌ بَلِيغٌ، وَمُكَابَرَةٌ لِلْمَحْسُوسَاتِ، وَتَكْذِيبٌ لِرَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتِ. وَقَدْ أَجْمَعَ أَهْلُ الْأَدْيَانِ النَّاقِلُونَ عَنْ رُسُلِ الرَّحْمَنِ مَعَ مَا تَوَاتَرَ عِنْدَ النَّاسِ فِي سَائِرِ الْأَزْمَانِ عَلَى وُقُوعِ الطُّوفَانِ، وَأَنَّهُ عَمَّ جَمِيعَ الْبِلَادِ، وَلَمْ يُبْقِ اللَّهُ أَحَدًا مِنْ كَفَرَةِ الْعِبَادِ ; اسْتِجَابَةً لِدَعْوَةِ نَبِيِّهِ الْمُؤَيِّدِ الْمَعْصُومِ، وَتَنْفِيذًا لِمَا سَبَقَ فِي الْقَدَرِ الْمَحْتُومِ.
পৃষ্ঠা - ২৭৪


তখন ঈসা (আ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, নুহ (আ) কিভাবে জানতে পেরেছিলেন যে,
গোটা পৃথিবী নিমজ্জিত হয়ে গেছে? হাম বললেন ;; সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তিনি একটি কাক
প্রেরণ করেছিলেন ৷ কাকটি একটি মড়া দেখতে পেয়ে তা খেতে আরম্ভ করে ৷ এ জন্য নুহ (আ)
তার জন্য বদ দৃআ করেন, যেন সে সর্বদা ভীত থাকে ৷ এ কারণেই কাক ঘড়-বাড়িতে থাকে
না ৷ তারপর তিনি কবুতর প্রেরণ করেন ৷ কবুতরটি ঠোটে করে একটি যয়তুন পাতা এবং পায়ে
করে কিছু কাদা মাটি নিয়ে আসে ৷ এতে নুহ (আ) বুঝতে পারলেন যে, সমগ্র ভু-ভাগ নিমজ্জিত
হয়ে গেছে ৷ তখন তিনি তার গলায় একটি সবুজ বেষ্টনী দিয়ে দেন এবং তার জন্য দুআ
করলেন, যেন সে লোকড়ালয়ে ও নিরাপদে থাকতে পারে ৷ তখন থেকেই কবুতর ঘরে থাকতে
শুরু করে ৷

ইবন আব্বাস (রা) বলেন, তারপর হাওয়ারীগণ বললেন : হে আল্লাহর রাসুল ! একে
আমরা আমাদের পরিবার-পরিজনের কাছে নিয়ে যাব কি? এ আমাদের সঙ্গে বসে আমাদের
সাথে কথাবার্তা বলবেন ! ঈসা (আ) বললেন, এমন ব্যক্তি কিভাবে তোমাদের অনুগমন করবে
যার রিযিক অবশিষ্ট নেই! ইবন আব্বাস (রা) বলেন, তারপর ঈসা (আ) বললেন, আল্লাহর
আদেশে আপনি পুর্বাবন্থায় ফিরে যান ৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে রুপান্তরিত হয়ে যান ৷ এটি
একান্তই একটি গরীব’ পর্যায়ের বর্ণনা ৷

আলবা ইবন আহমার ইকরিমা (রা) সুত্রে এবং তিনি ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, নৌকায় নুহ (আ)-এর সঙ্গে আশিজন পুরুষ এবং তাদের পরিবারৰুপরিজন ছিলেন ৷ নৌকায়
তারা একশ পঞ্চাশ দিন অবস্থান করেন ৷ আল্লাহ তাআলা প্রথমে নৌকাটি মক্কা অডিমুখী করে
দেন ৷ ফলে তা বায়তুল্লাহ্র চতুস্পার্থে চল্লিশ দিন যাবত ঘুরতে থাকে ৷ তারপর তাকে জুদীর
দিকে ফিরিয়ে দিলে তথায় গিয়ে তা স্থিত হয় ৷ তখন নুহ (আ) পৃথিবীর সংবাদ সংগ্রহের জন্য
একটি কাক প্রেরণ করেন ৷ কাকটি গিয়ে একটি মড়ার উপর বাড়াপিয়ে পড়ে ৷ এতে তার ফিরতে
বিলম্ব হয়ে যায় ৷ ফলে নুহ (আ) এবার একটি পায়রড়া প্রেরণ করেন ৷ পায়রড়া তার দুপায়ে কাদা
মাটি মাথা অবস্থায় একটি যয়তৃন পাতা দিয়ে ফিরে আসে ৷ এতে নুহ (আ) বুঝতে পারলেন যে,
পানি নেমে গিয়েছে ৷ তইি তিনি জুদী পাহাড় থেকে নিচে নেমে আসেন এবং একটি পল্লী নির্মাণ
করে তার আশিটি নামকরণ করে দেন ৷ ফলে হঠাৎ একদিন তাদের মুখের বুলি আশিটি ভাষায়
পরিণত হয়ে যায় ৷ তার একটি হলো আরবী ৷ তখন তারা কেউ কারো ভাষা বুঝত না ৷ নুহ
(আ) একজনের কথা অপরজনকে বুঝিয়ে দিতেন ৷

কাতাদা (র) প্রমুখ বলেন, রজব মাসের দশম তারিখে তারা নৌকায় আরোহণ করে একশ’
পঞ্চাশ দিন ভ্রমণ করেন এবং জুদীর উপর ন্থিত অবস্থায় তাদের নিয়ে নৌকাটি একমাস অবস্থান
করে ৷ আর মুহাররম মাসের আশুরা দিবসে র্তারা নৌকা থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ ইবন জারীর
(র) এর সমর্থনে একটি মারফু হাদীসও বর্ণনা করেছেন ৷ আর সেদিন তারা বোযাও
রেখেছিলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) একদিন
কতিপয় ইহুদীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন ৷ তারা সেদিন আশুরার দিবসের রােযা রেখেছিল ৷


[ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ أَخْبَارِ نُوحٍ نَفْسِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] [ذِكْرُ حَمْدِهِ وَشُكْرِهِ لِرَبِّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِنَّهُ كَانَ عَبْدًا شَكُورًا} [الإسراء: 3] . قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ يَحْمَدُ اللَّهَ عَلَى طَعَامِهِ، وَشَرَابِهِ، وَلِبَاسِهِ، وَشَأْنِهِ كُلِّهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيَرْضَى عَنِ الْعَبْدِ أَنْ يَأْكُلَ الْأَكْلَةَ فَيَحْمَدُهُ عَلَيْهَا، أَوْ يَشْرَبُ الشَّرْبَةَ فَيَحْمَدُهُ عَلَيْهَا» . وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ الشَّكُورَ هُوَ الَّذِي يَعْمَلُ بِجَمِيعِ الطَّاعَاتِ الْقَلْبِيَّةِ وَالْقَوْلِيَّةِ وَالْعَمَلِيَّةِ، فَإِنَّ الشُّكْرَ يَكُونُ بِهَذَا وَبِهَذَا، كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ: أَفَادَتْكُمُ النَّعْمَاءُ مِنِّي ثَلَاثَةً ... يَدِي وَلِسَانِي وَالضَّمِيرَ الْمُحَجَّبَا
পৃষ্ঠা - ২৭৫


তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এ কিসের রোযা? তারা বলল, সেই দিন যেদিন আল্লাহ তাআলা মুসা
(আ) ও বনী ইসরাঈলকে নিমজ্জিত হওয়া থেকে উদ্ধার করেন এবং ফিরআউন ডুবে মরে ৷ আর
এদিনে (নুহ আ-এয়) নৌকা জুদী পর্বতে ন্থিত হয় ৷ ফলে নুহ ও মুসা (আ) আল্লাহর কৃতজ্ঞতা
স্বরুপ বোযা রেখেছিলেন ৷ একথা শুনে নবী করীম (সা) বললেন, “মুসা (আ)-এয় উপর আমার
হকই বেশি এবং এদিনে রোযা রাখার আমিই বেশি হকদায় ৷ আর সাহাবাদেয়কে তিনি বললেন,
তোমাদের মধ্যকার যারা আজ ব্লোযা রেখেছে, তারা যেন তা পুর্ণ করে আর যারা খাদ্য গ্রহণ
করেছে তারা যেন দিনের বাকি অংশে পানাহায় না করে ৷ সহীহ্ বৃখারীতে অন্য সুত্রে হাদীসের
সমর্থ্য৷ রয়েছে ৷ তবে এ প্রসঙ্গে নুহ (আ)-এয় উল্লেখ গরীব পর্যায়ের ৷

পক্ষাত্তরে, বেশ কিছু মুর্থ লোক এ কথা বর্ণনা করে থাকে যে, সেদিন র্তারা তাদের সঙ্গে
থাকা খাদ্যন্দ্রব্যেয় অবশিষ্ট টুকু এবং শস্যাদি পিষে খেয়েছিলেন এবং নৌকায় অন্ধকারে থাকায়
দরুন হ্রাসপ্রাপ্ত দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সুরমা ব্যবহার করেছিলেন, এর কােনটিই সঠিক নয় ৷
এসবই হলো বনী ইসরাঈল সুত্রে বর্ণিত ভিত্তিহীন কথা, যার উপর মোটেই নির্ভর করা যায় না
এবং যার অনুসরণ করা চলে না ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (য়) বলেন, আল্লাহ তাআলা যখন সে প্লাবন বন্ধ করার ইচ্ছা
করলেন, তখন তিনি ভু-পৃষ্ঠেয় উপর এক ধরনের বায়ু প্রেরণ করেন ৷ এতে পানি শান্ত হয়ে যায়
ও পৃথিবীর ঝয়নড়াসমুহ বন্ধ হয়ে যায় ৷ ফলে পানিহ্রাস পেতে শুরু করে ৷ তাওয়াতওয়ড়ালাদের
ধারণা মতে,, নৌকায় স্থিতি ছিল রজবের আঠার তারিখে এবং শাওয়ালের প্রথম তারিখে
পর্বতসমুহের চুড়া দৃষ্টিগোচর হয় ৷ এরপর চল্লিশদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে নুহ (আ) নৌকায়
বাতায়ন খুলে ফেলেন ৷ তারপর পানির অবস্থা দেখে আমার জন্য একটি কাক প্রেরণ করেন ৷
কিন্তু সে আর ফিরে না আমার তিনি একটি কবুতয় প্রেরণ করেন ৷ কবুতয় এ সংবাদ নিয়ে ফিরে
আসে যে, সে পা রাখার এতটুকু স্থানও পায়নি ৷ নুহ (আ) হাত পেতে কবুতরটি ধরে নৌকায়
ঢুকিয়ে রাখেন ৷

এরপর আরও সাতদিন অতিক্রান্ত হলে পানির অবস্থা দেখে আমার জন্য তিনি আবারও
কবুতরটি প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু এবার আর সে সহসা ফিরে আসল না ৷ সন্ধ্যায় সময় পায়রাটি
একটি যয়তুন পা৩ ৷ মুখে করে ফিরে আসে ৷ এতে নুহ (আ) বুঝতে পারলেন যে, এবার ভুপৃষ্ঠ
থেকে পানি নেমে গেছে ৷ এরপর আরো সাতদিন অবস্থান করে তিনি পায়রাটিকে আবারো
প্রেরণ করেন ৷ বিক্ষ্ম এবার সে আর তার নিকট ফিরে যায়নি ৷ এতে নুহ (আ) বুঝতে পারলেন
যে, এবার পানি শুকিয়ে গেছে ৷ মােটকথা, আল্লাহ তাআলার প্নাবন প্রেরণ এবং নুহ (আ ) এর
কবুতয় প্রেরণের মাঝে এক বছর পুর্ণ হয়ে দ্বিতীয় বছরের প্রথম তারিখ শুরু হলে ভু পৃষ্ঠ প্রকাশ
পায় ও স্থলপথ আত্মপ্রকাশ করে এবং নুহ (আ) নৌকা ৷র ঢাকনা উন্মুক্ত করেন ৷ ইবন ইসহড়াকের
এ বর্ণনা হুবহু আহলি কিতড়াবদের হস্তন্থিত তাওরাতেয় বিবয়ণেয় অনুরুপ ৷

ইবন ইসহাক (য়) বলেন, পরবর্তী বছরের দ্বিতীয় মাসের ছা ৷ব্বিশ তারিখে বলা হলো০ :





[ذِكْرُ صَوْمِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ] وَقَالَ ابْنُ مَاجَهْ: بَابُ صِيَامِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ: حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِي فِرَاسٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «صَامَ نُوحٌ الدَّهْرَ إِلَّا يَوْمَ الْفِطْرِ، وَيَوْمَ الْأَضْحَى» . هَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ لَهِيعَةَ بِإِسْنَادِهِ وَلَفْظِهِ. وَقَدْ قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنْبَاعِ رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ الْحَرَّانَيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي قَنَّانٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رَبَاحٍ أَبِي فِرَاسٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «صَامَ نُوحٌ الدَّهْرَ إِلَّا يَوْمَ الْفِطْرِ، وَالْأَضْحَى، وَصَامَ دَاوُدُ نِصْفَ الدَّهْرِ، وَصَامَ إِبْرَاهِيمُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ صَامَ الدَّهْرَ وَأَفْطَرَ الدَّهْرَ» .
পৃষ্ঠা - ২৭৬


অর্থাৎ হে নুহ! অবতরণ কর আমার দেয়া শাস্তিসহ এবং তোমার প্রতি ও যে সমস্ত
সম্প্রদায় তোমার সঙ্গে আছে তাদের প্রতি কল্যাণসহ, অপর সম্প্রদায়সমুহকে জীবন উপভোগ
করতে দেব, পরে আমার পক্ষ থেকে মর্মন্তুদ শান্তি তাদেরকে স্পর্শ করবে ৷ (১ ১ : ৪৮)

আহলে কিতাবদের বর্ণনা মতে, আল্লাহ তাআলা নুহ (আ)-এর সঙ্গে এ বলে কথা
বলেছিলেন যে, তুমি, তোমার শ্রী, তোমার পুত্রগণ, তোমার পুত্রবধুগণ এবং তোমার সঙ্গে সকল
প্রাণী নিয়ে নৌকা থেকে বের হয়ে পড় ৷ যাতে তারা পৃথিবীতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় ৷ ফলে তারা
বেরিয়ে যায় এবং নুহ (আ) আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে পশু জবাই করার স্থান নির্ধারণ করেন
এবং সকল প্রকার হালাল র্জীব-জানােয়ার ও হালাল পক্ষীকুল থেকে কিছু কিছু নিয়ে কুরবানী
করেন ৷ আল্লাহ তাআলা তাকে এ প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি পুনরায় পৃথিবীবাসীর উপর (এরুপ)
প্লাবন আর দিবেন না এবং এ প্রতিশ্রুতির নিদর্শনস্বরুপ মেঘের মধ্যে ধ্নুক স্থাপন করে
রেখেছেন যাকে রঙধনু বলা হয় ৷ ইতিপুর্বে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে আমরা উল্লেখ করে এসেছি
যে, রঙধনু হলো নিমজ্জিত হওয়া থেকে নিরাপত্তাস্বরুপ ৷ মােটকথা, মেঘের মধ্যে এ ছিলাবিহীন
রঙধনু স্থাপন করে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, এ মেঘমালা থেকে প্রথমবারের ন্যায় আর প্নড়াবন
হবে না ৷
পারস্য দেশীয় ও ভারত উপমহাদেশীয় কিছু সংখ্যক মুর্থ লোক প্লাবনের কথা অস্বীকার
করেছে ৷ আবার তাদেরই কেউ কেউ তা স্বীকার করে বলেছে যে, প্রাবন হয়েছিল বারেল
ভুখণ্ডে, আমাদের অঞ্চল পর্যন্ত তা পৌছেনি ৷ তাদের দাবি হলো, কাইউমার্স তথা আদম (আ)
থেকে এ পর্যন্ত পুরুষাণুক্রমে আমরা এদেশের উত্তরাধিকার ভোগ করে আসছি ৷ এসব হলো
অগ্নিপুজারী মজুসী ও শয়তানের অনুচর ধর্মদ্রোহীদের উক্তি ৷
এ হলো তিত্তিহীন বাজে ধারণা, জঘন্য কুফরী ও চরম অজ্ঞত৷ এবং বাস্তবতার প্রতি
অস্বীকৃতি ৩,জ্ঞাপন আসমান-য়মীনের রবকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার নামাস্তর ৷ অথচ সর্বকা ৷লের সর্ব
ধর্মের সকলে প্রাবন সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে একমত ৷ আর এ ব্যাপারেও তাদের মধ্যে কোন
দ্বিমত নেই যে,ত তা হয়েছিল বিশ্বব্যাপী এবং নুহ নবীর দু আ এবং তাকদীরের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত
বাস্তবায়নস্বরুপ আল্লাহ তাআলা কাফিরদের একটি প্রাণীকেও অবশিষ্ট রাখেননি ৷

নুহ (আ) সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য


আল্লাহ তাআলা বলেনঃ »$; ১াণ্ গ্লু,ষ্কে ৰু ! “নিশ্চয়ই সে ছিল এক পরম কৃতজ্ঞ
রান্দা ৷” কেউ কেউ বলেন, নুহ (আ) পানাহার ও পোশাক পরিধানসহ সকল কাজেই আল্লাহ
তাআল ৷র প্রশংসা করতেন ৷ ১

ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আনাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন :
“আল্লাহ তড়াআলা সে বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাদ্য খেয়ে কিংবা পানীয় পান করে তার

ৎসা জ্ঞাপন করে ৷” এভাবে ইমাম মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবু উসামা (রা) সুত্রে এ
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷



১ গেটি৷ সুরাটির অনুবাদ ইতিপুর্বে দেয়া হয়েছে ৷ সম্পাদক


[ذِكْرُ حَجَّةِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ] وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ زَمْعَةَ هُوَ ابْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَتَى وَادِي عُسْفَانَ قَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ أَيُّ وَادٍ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا وَادِي عُسْفَانَ. قَالَ: لَقَدْ مَرَّ بِهَذَا الْوَادِي نُوحٌ وَهُودٌ وَإِبْرَاهِيمُ عَلَى بَكَرَاتٍ لَهُمْ حُمْرٍ خَطْمُهُمُ اللِّيفُ أَزُرُهُمُ الْعَبَاءُ، وَأَرْدِيَتُهُمُ النِّمَارُ يَحُجُّونَ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ» . فِيهِ غَرَابَةٌ.
পৃষ্ঠা - ২৭৭


বলাবাহুল্য যে, এএহুন্চু সে ব্যক্তিকে বলা হয়, যে যাবতীয় ইবাদত পালন করে অন্তর,
রসনা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা ৷ কারণ গােকর আদায় এসব পদ্ধতিতেই হয়ে থাকে ৷ যেমন করি
বলেন :
ণ্হ্র;এে ৷
অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকে তিনটি নিয়ড়ামত তােমাদেরকে উপকৃত করেছে ৷ আমার হাত,
আমার রসনা ও আমার যে হৃদয় যা দৃশ্যমান নয় ৷

নুহ (আ)-এর সাওম পালন

ইবন মাজাহ্ (র) নুহ (আ)-এর বোযা অধ্যায়ে বলেছেন যে, আবু ফিরড়াস (র) বলেন, তিনি
আবদুল্লাহ ইবন অড়ামর (রা)-কে বলতে শুন্যেছন যে, আমি রাসৃলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি
যে, নুহ (আ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ব্যতীত সারা বছর সাওম পালন করতেন ৷
এভাবে ইবন মাজাহ্ (র) অন্য সুত্রে এবং অন্য পাঠেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

তাবারানী আবদুল্লাহ ইবন অড়ামর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
নুহ (আ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ব্যতীত সারা বছর, দাউদ (আ) বছরের অর্ধেক
এবং ইবরাহীম (আ) প্রতি মাসে তিনদিন করে বোযা রাখতেন ৷ সারা বছর বোমা, সারা বছর
বোযাবিহীন ৷ ’

নুহ্ (আ)-এর হজ্জ

হাফিজ আবু ইয়ালা বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) হজ্জ
করেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি উসফান উপত্যকায় এসে উপনীত হলে বললেন, আবু বকর ! এ কােনৃ
উপত্যকা? আবু বকর (রা) বললেন, এ হলো উসফান উপত্যকা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : এ
প্রান্তর দিয়ে নুহ (আ), হুদ (আ) ও ইব্রাহীম (আ) তাদের লাল রঙের জওয়ান উটনীতে চড়ে
অতিক্রম করেছেন ৷ ওগুলোর লাগাম ছিল খেজুর গাছের ছালের তৈরি ৷ তাদের পরনে তখন

থাকতো চােগা ধরনের লুঙ্গি এবং গায়ে থাকতো চিত্র-বিচিত্র চাদর ৷ তারা আদিঘর কাবায় হজ্জ
পালন করতেন ৷ বর্ণনাটি গরীব পর্যায়ের ৷

পুত্রের প্রতি নুহ (আ) এর উপদেশ

ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) বলেন, আমরা একদিন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ এ সময়ে রেশমের ঘুণ্ডিযুক্ত পাড়বিশিষ্ট (অর্থাৎ
অতি উন্নতমানের) জুব্বা পরিহিত এক বেদুঈন তথায় আগমন করে ৷ এসে সে বলল,
৫তড়ামাদের সঙ্গীটি অশ্বারােহীর পুত্র অশ্বারোহীদেরবক (অর্থাৎ বংশগত সস্রান্ত লোকদেরকে) হীন
করেছে আর রাখালের বাচ্চা রাখালদেরকে (অর্থাৎ বংশতগত নীচ ল্যেকরেদকে) উপরে তুলে
দিয়েছে ৷

বর্ণনাকারী বলেন ণ্; একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) তার জুব্বা চেপে ধরে বললেন, তোমার
পায়ে তো আমি নির্বোধের পোশাক দেখছি না ! তারপর তিনি বললেন, ওফাতের সময় আল্লাহর
নবী নুহ (আ) তীর পুত্রকে বলেছিলেন, আমি তোমাকে একটি উপদেশ দিচ্ছি ৷ তোমাকে আমি


[ذِكْرُ وَصِيَّتِهِ لِوَلَدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الصَّقْعَبِ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: حَمَّادٌ أَظُنُّهُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ عَلَيْهِ جُبَّةُ سِيجَانٍ مَزْرُورَةٌ بِالدِّيبَاجِ، فَقَالَ: " أَلَا إِنَّ صَاحِبَكُمْ هَذَا قَدْ وَضَعَ كُلَّ فَارِسٍ ابْنِ فَارِسٍ " أَوْ قَالَ: " يُرِيدُ أَنْ يَضَعَ كُلَّ فَارِسٍ ابْنِ فَارِسٍ، وَرَفَعَ كُلَّ رَاعٍ بْنِ رَاعٍ ". قَالَ: فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَجَامِعِ جُبَّتِهِ، وَقَالَ: " أَلَّا أَرَى عَلَيْكَ لِبَاسَ مَنْ لَا يَعْقِلُ ". ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَالَ لِابْنِهِ: إِنِّي قَاصٌّ عَلَيْكَ الْوَصِيَّةَ آمُرُكَ بِاثْنَتَيْنِ، وَأَنْهَاكَ عَنِ اثْنَتَيْنِ ; آمُرُكَ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ لَوْ وُضِعَتْ فِي كِفَّةٍ، وَوُضِعَتْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فِي كِفَّةٍ رَجَحَتْ بِهِنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَلَوْ أَنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ كُنَّ حَلْقَةً مُبْهَمَةً قَصَمَتْهُنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ، فَإِنَّهَا صَلَاةُ كُلِّ شَيْءٍ، وَبِهَا يَرْزُقُ الْخَلْقُ، وَأَنْهَاكَ عَنِ الشِّرْكِ
পৃষ্ঠা - ২৭৮


দু’টি কাজ করার আদেশ দিচ্ছি এবং দুটি কাজ করতে নিষেধ করছি ৷ তোমাকে আমি
লা-ইলাহা ইল্লাল্লড়াহ’-এর আদেশ দিচ্ছি ৷ কারণ, সাত আসমান ও সাত যর্মীনকে যদি এক
পাল্লায় রাখা হয় আর লা-ইলাহা ইল্পাল্পাহকে অপর পাল্লায় রাখা হয়, তাহলে সাত আসমান ও
লাভ যমীনের চাইতে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এ্যা পাল্পাটি ভারী হবে ৷ আর যদি সাত আসমান ও
সাত বমীন একটি খােসা মুখ আংটা হয় আর লা-ইলহাে ইল্লান্নাহ’ ও সুবহড়ানাল্লাইি
ওয়াৰিহামদিহী সে খােলড়া মুখ চাপ প্রয়ােগে বন্ধ করতে চায়; তবে যে তা পারবে, কারণ
সবকিছুর সংঘুক্তি এর দ্বারাই হয়ে থাকে এবং এর উসিলায়ই সৃষ্টি জগতের সকলের জীবিকা
প্রদনে করা হয়ে থাকে ৷ আর আমি তোমাকে শিবৃক ও অহঙ্কার থেকে বারণ করছি ৷

বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে আমি বা অন্য কেউ একজন বলল, যে আল্লাহর রাসুল !
শিব্ক কি তাতো আমরা জানি ৷ কিন্তু অহংকার জিনিসটা কাি এই যে আমাদের কারো সুন্দর
ফিতা যুগল বিশিষ্ট সুন্দর এক (জোড়া জুতা থাকা কি অহংকার ৷ রড়াসুলুল্লাহ (সা) বলেন, না ৷
বলেন, তাহলে কি উন্নতমানের পোশাক পরিধান করা অহংকার ৷ আল্লাহর রাসুল বললেন, না ৷
প্রশ্নকারী বললেন, তাহলে কি আরোহণের পশু থাকা? রাসুলুরাহ (সা) বললেন, না ৷ প্রশ্নকারী
আবার বললেন, তা হলে কারো একাধিক সঙ্গী-সাথী থাকা, যারা তার নিকট এসে বসে?
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, না ৷ অবশেষে আমি বললড়াম কিত্ৰা বলা হলো, তাহলে অহংকার কি
অর্থাৎ-
সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে হেয় জ্ঞান করা ৷
এ হাদীসটির সনদ যদিও সহীহ্, সিহাহ্ সিত্তার সংকলকগণ তা বর্ণনা করেননি ৷

আবুল কাসিম তাবারানী (র) আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন
যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ৪ পুত্রের প্রতি নুহ (আ)-এর উপদেশের মধ্যে এও
ছিল যে, আমি তোমাকে দুটি স্বডাব অবলম্বন করার আদেশ দিচ্ছি এবং দু’টি স্বভাব থেকে
তোমাকে বারণ করছি

আবু বকর, বায্যার ও আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব (রা)-এর সুত্রে রাসুলুল্পাহ (না)
থেকে হাদীসটি হুবহু বর্ণনা করেছেন ৷ তবে প্রকৃতপক্ষে এ হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন ’আমর
ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ যেমন আহমদ তাবারানী (র) তা বর্ণনা করেছেন ৷ আল্পাহই

সর্বজ্ঞ ৷

আহলে কিতাবপণ মনে করেন যে, নুহ (আ) যখন নৌকায় আরোহণ করেন; তখন তার
বয়স ছিল ছশ বছর ৷ ইবন আব্বাস (রা) থেকে পুর্বে আমরা এরুপ একটি বর্ণনা উদ্ধৃত
করেছি ৷ তারপর তিনি তিনশ পঞ্চাশ বছর বেচে ছিলেন ৷ কিন্তু এ বক্তব্যে আপত্তি রয়েছে ৷
তাছাড়া এ অভিমত ও কুরআনের প্রতিপাদ্যের মাঝে যদি সমন্বয় সাধন করা সময় না হয়;
তাহলে আহলে কিতাবদের অভিমতটি ষ্পষ্টতই ভ্রাস্ত ৷ কেননা কুরআন প্রমাণ করে যে , নুহ
(আ) তার সম্প্রদায়ের মধ্যে নবুওতের পর ও প্লাবনের পুর্বে পঞ্চশে কম এক হাজার বছর
অবস্থান করেছিলেন ৷ তারপর প্রাবন তাদেরকে পাপাচারী হিসাবে গ্রাস করে ৷ তারপর তিনি
কতকাল বেচেছিলেন তা আল্লাহই ভালো জানেন ৷ নবুওত প্রাপ্তির সময়তার বয়স ছিল চার শ’
আল-বিদারা ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৩৫-


وَالْكِبْرِ ". قَالَ: قُلْتُ، أَوْ قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الشِّرْكُ قَدْ عَرَفْنَاهُ، فَمَا الْكِبْرُ؟ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا نَعْلَانِ حَسَنَتَانِ لَهُمَا شِرَاكَانِ حَسَنَانِ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ: هُوَ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا حُلَّةٌ يَلْبَسُهَا؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ: هُوَ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا دَابَّةٌ يَرْكَبُهَا؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ: أَفَهُوَ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا أَصْحَابٌ يَجْلِسُونَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: " لَا ". قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا الْكِبْرُ؟ قَالَ: " سَفَهُ الْحَقِّ وَغَمْصُ النَّاسِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَرَوَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحِيمِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ فِي وَصِيَّةِ نُوحٍ لِابْنِهِ أَوْصَيْتُكَ بِخَصْلَتَيْنِ، وَأَنْهَاكَ عَنْ خَصْلَتَيْنِ» . فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، كَمَا رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَالطَّبَرَانِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيَزْعُمُ أَهْلُ الْكِتَابِ أَنَّ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا رَكِبَ السَّفِينَةَ كَانَ عُمُرُهُ سِتَّمِائَةِ سَنَةٍ، وَقَدَّمْنَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ. وَزَادَ وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ২৭৯


আশি বছর এবং প্রবেশের পর তিনি তিনশ’ পঞ্চাশ বছর বেচেছিলেন ৷ এ মর্মে ইবন আব্বাস
(রা) থেকে বর্ণিত তথ্যটি যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে বলা যায় যে, তিনি এক হাজার সাতশ’
আশি বছর আবু পেয়েছিলেন ৷

এদিকে নুহ (আ) এর কবর সম্পর্কে ইবন জারীর ও আযরাকী আবদুর রহমান ইবন সাবিত
থেকে বা অন্য কোন তাবেয়ী সুত্রে মুরসালরুপে বর্ণনা করেন যে, নুহ (আ) এর কবর হলো
মসজিদুল হারামে ৷ এ অডিমতটি সে অভিমত অপেক্ষা বেশি শক্তিশালী ও সুপ্রমাণিত যা
পরবর্তী যুগের বেশ কিছু আপিম উল্লেখ করেন যাতে বলা হয়ে থাকে যে, নুহ (আ)-এর কবর
সে ভুখণ্ডে অবস্থিত বর্তমানে যা কারক্-ই-নুহ নামে পরিচিত এবং সেখানে তার কবরকে কেন্দ্র
করেই একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷


ثَلَاثَمِائَةٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَفِي هَذَا الْقَوْلِ نَظَرٌ، ثُمَّ إِنْ لَمْ يُمْكِنِ الْجَمْعُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ دَلَالَةِ الْقُرْآنِ فَهُوَ خَطَأٌ مَحْضٌ، فَإِنَّ الْقُرْآنَ يَقْتَضِي أَنَّ نُوحًا مَكَثَ فِي قَوْمِهِ بَعْدَ الْبِعْثَةِ، وَقَبْلَ الطُّوفَانِ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ فَلَبِثَ فِيهِمْ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا فَأَخَذَهُمُ الطُّوفَانُ وَهُمْ ظَالِمُونَ} [العنكبوت: 14] . [الْعَنْكَبُوتِ: 14] ثُمَّ اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ عَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَإِنْ كَانَ مَا ذُكِرَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَحْفُوظًا مِنْ أَنَّهُ بُعِثَ وَلَهُ أَرْبَعُمِائَةٍ وَثَمَانُونَ سَنَةً، وَأَنَّهُ عَاشَ بَعْدَ الطُّوفَانِ ثَلَاثَمِائَةٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً فَيَكُونُ قَدْ عَاشَ عَلَى هَذَا أَلْفَ سَنَةٍ وَسَبْعَمِائَةٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَأَمَّا قَبْرُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، وَالْأَزْرَقِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ أَوْ غَيْرِهِ مِنَ التَّابِعَيْنِ مُرْسَلًا، أَنَّ قَبْرَ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَهَذَا أَقْوَى وَأَثْبَتُ مِنَ الذِّكْرِ الَّذِي يَذْكُرُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْمُتَأَخِّرِينَ، مِنْ أَنَّهُ بِبَلْدَةٍ بِالْبِقَاعِ تُعْرَفُ الْيَوْمَ بِكَرْكِ نُوحٍ، وَهُنَاكَ جَامِعٌ قَدْ بُنِيَ بِسَبَبِ ذَلِكَ وَأُوْقِفَتْ عَلَيْهِ أَوْقَافٌ فِيمَا ذُكِرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.