السنة الثانية من الهجرة
ما وقع فيها من الأحداث
كتاب المغازي
غزوة بدر العظمى
مقدماتها وأحداثها
পৃষ্ঠা - ২৩৪২
ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ
শ্শ্শ্শ্শ্শ্
সে দিন ছিল মীমাংসারদিন যে দিন দু’দল পরস্পরের মুখোমুখি হন (৮ : ৪ ১) ৷
আল্লাহর বাণী ৷ৰু
’;,ঙ্’,ধুশ্; ট্রুব্রা;এ ভ্া৷ ৷ ৷,ব্লুহুএেব্রা৷ ষ্কৃ£;ওাধু ,;;,, :৷ ৷ র্বৃ,দ্বুব্লু;;; ,
“এবং বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে আল্লাহ র্দুন্ভ্র৷ তোমাদেরকে সাহায্য
করেছিলেন ৷ সুতরাং তেড়ামরা আল্লাহ্কে ভয় কর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর ৷, (৩ :
১ ২৩)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন :
“এটা এরুপ, যেমন তোমার প্রতিপালক তোমাকে ন্যাযভােবে তোমার গৃহ হতে বের
করেছিলেন, অথচ বিশ্বাসীদের এক দল এটা পসন্দ করেনি ৷ সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার
পরও তারা তোমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয় ৷ মনে হচ্ছিল তারা যেন মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে
আর তারা যেন এটা প্রত্যক্ষ করছে ৷ স্মরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন যে,
দু’দলের একদল তোমাদের আয়ত্তাধীন হবে; অথচ তোমরা চাচ্ছিলে যে, নিরস্ত্র দলটি
তোমাদের আয়ত্তাধীন হোক আর আল্লাহ চাচ্ছিলেন যে, তিনি সত্যকে তীর বাণী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
করেন এবং কাফিরদেরকে নির্মুল করেন ৷ এটা এ জন্যে যে, তিনি সত্যকে সত্য ও অসত্যকে
অসত্য প্রতিপন্ন করেন, যদিও অপরাধীরা এটা পসন্দ করে না ৷ (৮ : ৫৮ ) ৷ এ ভাবে বদর
যুদ্ধের বর্ণনা সুরা আনফালে যে পর্যন্ত করা হয়েছে তার বিস্তারিত আলোচনা আমরা তাফসীর
গ্রন্থে যথাস্থানে করেছি ৷ এখানে প্রয়োজন অনুযায়ী তার পুনরাবৃত্তি করা হবে ৷
ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন জাহড়াশের অভিযান সম্পর্কে আলোচনার পর লিখেন : এর
কিছু দিন পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) জানতে পারলেন যে, আবু সুফিয়ান সাখর ইবন হার্ব
কুরায়শদের বিশাল এক কাফেলা নিয়ে সিরিয়া থেকে রওনা হয়েছে ৷ তার সাথে রয়েছে বিভিন্ন
প্রকার সম্পদ ও বাণিজ্য-সভার ৷ তিনি আরও জানলেন যে, এই কাফিলায় ত্রিশ অথবা চল্লিশ জন
লোক রয়েছে, যাদের মধ্যে মাখরামা ইবন নাওফিল এবং আমর ইবন আসও আছে ৷ মুসা ইবন
উক্বা ইমাম ষুহ্রী থেকে বর্ণনা করেন যে, এটা ছিল ইবন হাযরামীর হত্যাকাণ্ডের দুমাস পরের
[غَزْوَةُ بَدْرٍ الْعُظْمَى]
[مُقَدِّمَاتُهَا وَأَحْدَاثُهَا]
يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ} [آل عمران: 123] وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنْ بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ يُجَادِلُونَكَ فِي الْحَقِّ بَعْدَمَا تَبَيَّنَ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى الْمَوْتِ وَهُمْ يَنْظُرُونَ وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ لِيُحِقَّ الْحَقَّ وَيُبْطِلَ الْبَاطِلَ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ} [الأنفال: 5]
[الْأَنْفَالِ: 5 - 8] وَمَا بَعْدَهَا إِلَى تَمَامِ الْقِصَّةِ مِنْ سُورَةِ " الْأَنْفَالِ " وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهَا هُنَالِكَ، وَسَنُورِدُ هَاهُنَا فِي كُلِّ مَوْضِعٍ مَا يُنَاسِبُهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ بَعْدَ ذِكْرِهِ سَرِيَّةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ: ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعَ بِأَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبٍ مُقْبِلًا مِنَ الشَّامِ فِي عِيرٍ لِقُرَيْشٍ عَظِيمَةٍ، فِيهَا أَمْوَالٌ وَتِجَارَةٌ، وَفِيهَا ثَلَاثُونَ رَجُلًا أَوْ أَرْبَعُونَ، مِنْهُمْ مَخْرَمَةُ بْنُ نَوْفَلٍ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ.
পৃষ্ঠা - ২৩৪৩
ঘটনা ৷ তিনি বলেন, এ কাফেলায় এক হাজার উট ছিল এবং কেবল মাত্র হুওয়ায়তিব ইবন
আবদিল উয্যা ছড়াে কুরায়শদের সকলের পণ্যদ্রব্য বহন করে আনছিল ৷ আর এ কারণেই
হুওয়ায়তিব বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেনি ৷
ইবন ইসহাক বলেন, বদর যুদ্ধের ঘটনা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন
মুসলিম ইবন শিহড়াব, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা, আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর ও ইয়াযীদ
ইবন রুমড়ান এরা সবাই বর্ণনা করেছেন উরওয়া ইবন যুবায়র থেকে ৷ আর অন্যান্য আলিমগণ
বর্ণনা করেছেন ইবন আব্বাস থেকে ৷ এদের প্রত্যেকেই ঘটনার এক এক অংশ বর্ণনা করেছেন ৷
সবগুলো মিলিয়ে বদর যুদ্ধের পুর্ণাঙ্গ রুপ বিন্যস্ত করা হয়েছে ৷ ১
তাদের বর্ণনা এরুপ : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন শুনতে পেলেন যে, আবু সৃফিয়ান সিরিয়া
থেকে রওনা হয়ে এদিকে আসছে, তখন তিনি মুসল মানদেরকে তার বিরুদ্ধে অভিযানে যাওয়ার
জন্যে আহ্বান জানালেন এবং বললেন, কুরায়শদের এ কাফেলায় তাদের বহু ধন-সম্পদ
রয়েছে ৷ তোমরা এগিয়ে যাও ৷ হয়তো আল্লাহ ঐ ধন-সম্পদ (?দ্রামাদেরকে দিয়ে দিবেন ৷
লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আহ্বানে সাড়া দিল ৷ তবে কিছু লোক দ্রুত হাযির হল আর কিছু
লোক দ্বিধাবােধ করছিল ৷ এর কারণ হচ্ছে, এ লোকগুলাে বুঝতে পারছিল না যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) কোন যুদ্ধের সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা! আবু সুফিয়ানের কাছে জনগণের সম্পদের দায়িত্ব
থাকায় ঝুকি এড়ানোর জন্যে হিজায়ের নিকটবর্তী এসে যে কোন আরােহীর সঙ্গে দেখা হলেই
সে তার থেকে গোপন সংবাদ নিতে থাকে ৷ অবশেষে জনৈক আরােহী তাকে জানাল যে ,
মুহাম্মদ তার অনুসারীদেরকে তোমার ও তোমার কাফেলায় বিরুদ্ধে আক্রমণ করার জন্যে উদ্বুদ্ধ
করেছেন ৷ এ সংবাদ পেয়ে আবু সুফিয়ান সাবধানতা অবলম্বন করল এবং যমযম ইবন আমর
গিফারীকে তখনই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মক্কায় পাঠিয়ে দিল এবং বলে দিল যে, কুরায়শদের
কাছে গিয়ে বলবে, মুহাম্মদ তীর অনুসারীদের নিয়ে তোমাদের কাফেলার বিরুদ্ধে অভিযানে
বেরিয়েছেন, তাই তারা যেন তাদের সম্পদ রক্ষার্থে একদল সশস্ত্র লোক পাঠিয়ে দেয় ৷ যমযম
দ্রুত মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় ৷
ইবন ইসহাক বলেন : ইবন আব্বাস ও উরওয়া ইবন যুবায়র থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে
বলেছেন, যমযম মক্কায় পৌছার তিন দিন পুর্বে আতিকা বিনৃত আবদুল যুত্তালিব একটি ভয়াবহ
স্বপ্ন দেখেন ৷ এরপর তিনি র্তীর ভাই আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবকে ডেকে বললেন, ভাই ৷
আল্লাহ্র কসম, গত রাত্রে আমি এক ভয়ানক স্বপ্ন দেখেছি ৷ এতে আমার আশংকা হচ্ছে
আপনার সম্প্রদায়ের উপর হয়তো কোন অনিষ্ট ও বিপদ আসতে পারে ৷ সুতরাং আমি যা
১ বদর একটি কুয়োর নাম ৷ গিফার গোত্রের বদর নামক এক ব্যক্তি কুয়ােটি খনন করে ৷ তার নাম অনুসারে
ঐ কুপের নাম বদর রাখা হয় ৷ কারও মতে খননকারীর নাম বদর ইবন কুরায়শ ইবন ইয়াখলাদ ৷ কেউ
বলেন, জনৈক ব্যক্তির বদর অর্থাৎ পুর্ণ চন্দ্রাকৃতির একটি কুয়াে ছিল তাই একে বদর বলা হয় ৷ মদীনা
থেকে এর দুরত্ব চার দিনের পথ ৷ ইবন সাআদ বলেন, বদর ছিল জাহিলী যুগের মেলাসমুহের মধ্যে
অন্যতম ৷ সমগ্র আরবের লোকজন এখানে সমবেত হত ৷ বদর ও মদীনায় মাঝে দৃরতু আট বুবৃদ দুই
মাইল ৷ এক বুবৃদ প্রায় বার মাইল ৷
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: كَانَ ذَلِكَ بَعْدَ مَقْتَلِ ابْنِ الْحَضْرَمِيِّ بِشَهْرَيْنِ.
قَالَ: وَكَانَ فِي الْعِيرِ أَلْفُ بَعِيرٍ، تَحْمِلُ أَمْوَالَ قُرَيْشٍ بِأَسْرِهَا إِلَّا حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى، فَلِهَذَا تَخَلَّفَ عَنْ بَدْرٍ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ، وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَيَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَغَيْرُهُمْ مِنْ عُلَمَائِنَا، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، كُلٌّ قَدْ حَدَّثَنِي بَعْضَ الْحَدِيثِ، فَاجْتَمَعَ حَدِيثُهُمْ فِيمَا سُقْتُ مِنْ حَدِيثِ بَدْرٍ، قَالُوا: لَمَّا سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَبِي سُفْيَانَ مُقْبِلًا مِنَ الشَّامِ، نَدَبَ الْمُسْلِمِينَ إِلَيْهِمْ وَقَالَ: " هَذِهِ عِيرُ قُرَيْشٍ فِيهَا أَمْوَالُهُمْ فَاخْرُجُوا إِلَيْهَا لَعَلَّ اللَّهَ يُنَفِّلُكُمُوهَا " فَانْتَدَبَ النَّاسُ فَخَفَّ بَعْضُهُمْ وَثَقُلَ بَعْضٌ، وَذَلِكَ أَنَّهُمْ لَمْ يَظُنُّوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْقَى حَرْبًا، وَكَانَ أَبُو سُفْيَانَ، حِينَ دَنَا مِنَ الْحِجَازِ، يَتَحَسَّسُ الْأَخْبَارَ، وَيَسْأَلُ مَنْ لَقِيَ مِنَ الرُّكْبَانِ، تَخَوُّفًا عَلَى أَمْوَالِ النَّاسِ، حَتَّى أَصَابَ خَبَرًا مِنْ بَعْضِ الرُّكْبَانِ؛ أَنَّ مُحَمَّدًا قَدِ اسْتَنْفَرَ أَصْحَابَهُ لَكَ وَلِعِيرِكَ، فَحَذِرَ عِنْدَ ذَلِكَ، فَاسْتَأْجَرَ ضَمْضَمَ بْنَ عَمْرٍو الْغِفَارِيَّ، فَبَعَثَهُ إِلَى مَكَّةَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْتِيَ قُرَيْشًا
পৃষ্ঠা - ২৩৪৪
فَيَسْتَنْفِرَهُمْ إِلَى أَمْوَالِهِمْ، وَيُخْبِرَهُمْ أَنَّ مُحَمَّدًا قَدْ عَرَضَ لَهَا فِي أَصْحَابِهِ، فَخَرَجَ ضَمْضَمُ بْنُ عَمْرٍو سَرِيعًا إِلَى مَكَّةَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَيَزِيدُ بْنُ رُومَانَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَا: وَقَدْ رَأَتْ عَاتِكَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَبْلَ قُدُومِ ضَمْضَمٍ إِلَى مَكَّةَ بِثَلَاثِ لَيَالٍ، رُؤْيَا أَفْزَعَتْهَا فَبَعَثَتْ إِلَى أَخِيهَا الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَقَالَتْ لَهُ: يَا أَخِي وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ رُؤْيَا أَفْظَعَتْنِي، وَتَخَوَّفْتُ أَنْ يَدْخُلَ عَلَى قَوْمِكَ مِنْهَا شَرٌّ وَمُصِيبَةٌ، فَاكْتُمْ عَلَيَّ مَا أُحَدِّثُكَ. قَالَ لَهَا: وَمَا رَأَيْتِ؟ قَالَتْ: رَأَيْتُ رَاكِبًا أَقْبَلَ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ، حَتَّى وَقَفَ بِالْأَبْطَحِ، ثُمَّ صَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: أَلَا انْفَرُوا، يَا لَغُدُرُ، لَمَصَارِعِكُمْ فِي ثَلَاثٍ. فَأَرَى النَّاسَ اجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَالنَّاسُ يَتْبَعُونَهُ، فَبَيْنَمَا هُمْ حَوْلَهُ مَثَلَ بِهِ بِعِيرُهُ عَلَى ظَهْرِ الْكَعْبَةِ، ثُمَّ صَرَخَ بِمِثْلِهَا: أَلَا انْفَرُوا، يَا لَغُدُرُ، لَمَصَارِعِكُمْ فِي ثَلَاثٍ. ثُمَّ مَثَلَ بِهِ بِعِيرُهُ عَلَى رَأْسِ أَبَى قُبَيْسٍ، فَصَرَخَ بِمِثْلِهَا، ثُمَّ أَخَذَ صَخْرَةً فَأَرْسَلَهَا، فَأَقْبَلَتْ تَهْوِي، حَتَّى إِذَا كَانَتْ بِأَسْفَلِ الْجَبَلِ ارْفَضَّتْ، فَمَا بَقِيَ بَيْتٌ مِنْ بُيُوتِ مَكَّةَ وَلَا دَارٌ إِلَّا دَخَلَتْهَا مِنْهَا فِلْقَةٌ. قَالَ الْعَبَّاسُ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذِهِ لَرُؤْيَا، وَأَنْتِ فَاكْتُمِيهَا، لَا تَذْكُرِيهَا لِأَحَدٍ.
পৃষ্ঠা - ২৩৪৫
বলবো, তা আপনি গোপন রাখবেন ৷ আব্বাস জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কিাপ্ন দেখেছ ? আতিকা
বললেন, আমিাপ্নে দেখলাম একজন লোক উটে চড়ে মক্কার সংলগ্ন সমতল ভুমিতে এসে
থামল ৷ তারপর সে উভৈচ্চ৪ারে চিৎকার দিয়ে ঘোষণা দিল, সাবধান ওহে বিশ্বাসঘাতকেরা ! তিন
দিনের মধ্যে ধ্বংসের জন্যে প্রস্তুত হয়ে যাও ৷ এরপর দেখলাম, জনতা তার পাশে সমবেত
হয়েছে ৷ লোকটি পরে মসজিদে হাবামে প্রবেশ করল, জনতাও তাকে অনুসরণ করল ৷ এরপর
উটনী তাংক নিয়ে কাবাঘরে গিয়ে উঠলো ৷ সেখানেও সে অনুরুপ ঘোষণা দিল, “সাবধান হে
বিশ্বাসঘাতকের দল (অর্থাৎ কুরায়শরা ) তিন দিনের মধ্যে তোমরা ধ্বংসের জন্যে প্রস্তুত হও ৷ ’
এরপর উটনী সেখান থেকে তাকে নিয়ে আবু কুবায়স পাহাড়ের শীর্ষে আরোহণ করলো ৷
সেখান থেকেও যে একই ঘোষণা দিল ৷ এরপর সে পাহাড়ের উপর ণ্;থাক একটি পাথর গড়িয়ে
দিল ৷ পাথরটি গড়িয়ে পাহাড়ের পাদদেশে এসেই ভেঙ্গে টুকরো টুকম্বব্লা হয়ে ছিটকে পড়লাে ৷
ফলে মক্কার এমন কোন বাড়ি-ঘর অবশিষ্ট থাকলো না, যেখানে এর কোন টুকরো পৌছায়নি ৷
তা শুনে আব্বাস বললেন, সত্যিই আল্লাহর কসম ! সত্যিই এটা এক ভয়ানকাপ্ন ৷ তবে তুমি এ
াপ্নের কথা গোপন রাখবে, কাউকে বলবে না ৷
এরপর আব্বাস সেখান থেকে বেরিয়ে যান ৷ পথে তার বন্ধু ওয়ালীদ ইবন উতবার সাথে
সাক্ষাত হয় ৷ আব্বাস তার নিকটাপ্নের বৃত্তান্ত খুলে বলেন এবং তা গোপন রাখার জন্যে
অনুরোধ জানান ৷ কিন্তু ওয়ালীদ তার পিতা উতবার কাছে তা বলে দেয় ৷ এ ভাবোপ্নের
কথাটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং কুরায়শদের ঘরে ঘরে এর আলোচনা চলতে থাকে ৷
আব্বাস বলেন, একদিন সকালে আমি বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফ করতে বের হলাম ৷ সেখানে গিয়ে
দেখলাম, আবু জাহ্ল কুরায়শদের কয়েকজন লোকের সাথে বসে আতিকারাপ্ন প্রসঙ্গে
আলাপ-আলোচনা করছে ৷ আবু জাহ্ল আমাকে দেখেই বললাে, হে আবুল ফযল! তাওয়াফ
শেষ করে আমাদের কাছে এসো ৷ আমি তাওয়াফ শেষে তাদের পাশে গিয়ে বসলড়াম ৷ আবু
জাহ্ল বললো , হে বনু আবদুল মুত্তালিব! তোমাদের মধ্যে এই মহিলা নবীর আবিভাব আবার
করে থেকে হল ? আমি বললড়াম , সে আবার কি ? আবু জাহ্ল বললাে, কেন, ঐ যে আতিকার
াপ্ন ! আমি বললাম , সে আবার কীাপ্ন দেখেছে ? আবু জাহ্ল বললো ,হে বনু আবদুল মুত্তালিব!
তোমরা কি তোমাদের পুরুষদের নবুওয়াতীতে সত্তুষ্ট থাকতে পারছো না যে, এখন তোমাদের
মহিলারাও নবুওয়াতী দাবী করছে ? আতিকা নাকিাপ্নের মাধ্যমে জেনে বলেছেন, তিন দিনের
মধ্যে তোমরা প্রন্তুত হও ৷ আমরা এখন তোমাদের জন্যে এই তিন দিন অপেক্ষা করবো ৷ এর
মধ্যে যদি তার কথা সত্য হয়, তা হলে বা হবার তাই হবে ৷ আর যদি এই তিন দিনের মধ্যে
কোন ঘটনা না ঘটে, তবে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে লিখিত ঘোষণা জারী করবো যে, গোটা
আরব জাহানে তােমরাই সবচেয়ে মিথ্যাবাদী গোষ্ঠী ৷ আব্বাস বলেন, আল্লাহর কসম, আমি
তাকে তেমন গুরুতর কিছুই বলিনি, শুধু তার বক্তব্যকে আীকার করলাম এবং বললাম, আদতে
আতিকা কোনাপ্নই দেখেনি ৷
এরপর আমরা সেখান থেকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম ৷ বিকেল বেলা বনু আবদুল
মুত্তালিবের মহিলারা আমার কাছে এসে বললো, এই জঘন্য পাপিষ্ঠকে তোমরাাধীন ভাবে
ثُمَّ خَرَجَ الْعَبَّاسُ فَلَقِيَ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ، وَكَانَ لَهُ صَدِيقًا، فَذَكَرَهَا لَهُ وَاسْتَكْتَمَهُ إِيَّاهَا، فَذَكَرَهَا الْوَلِيدُ لِأَبِيهِ عُتْبَةَ، فَفَشَا الْحَدِيثُ حَتَّى تَحَدَّثَتْ بِهِ قُرَيْشٌ. قَالَ الْعَبَّاسُ: فَغَدَوْتُ لِأَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ فِي رَهْطٍ مِنْ قُرَيْشٍ قُعُودٍ يَتَحَدَّثُونَ بِرُؤْيَا عَاتِكَةَ، فَلَمَّا رَآنِي أَبُو جَهْلٍ قَالَ: يَا أَبَا الْفَضْلِ، إِذَا فَرَغْتَ مِنْ طَوَافِكَ فَأَقْبِلْ إِلَيْنَا. فَلَمَّا فَرَغْتُ أَقْبَلْتُ حَتَّى جَلَسْتُ مَعَهُمْ، فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، مَتَى حَدَثَتْ فِيكُمْ هَذِهِ النَّبِيَّةُ؟! قَالَ: قُلْتُ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: تِلْكَ الرُّؤْيَا الَّتِي رَأَتْ عَاتِكَةُ. قَالَ: قُلْتُ: وَمَا رَأَتْ؟ قَالَ: يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَمَّا رَضِيتُمْ أَنْ يَتَنَبَّأَ رِجَالُكُمْ حَتَّى تَتَنَبَّأَ نِسَاؤُكُمْ؟! قَدْ زَعَمَتْ عَاتِكَةُ فِي رُؤْيَاهَا أَنَّهُ قَالَ: انْفِرُوا فِي ثَلَاثٍ. فَسَنَتَرَبَّصُ بِكُمْ هَذِهِ الثَّلَاثَ، فَإِنْ يَكُ حَقًّا مَا تَقُولُ، فَسَيَكُونُ وَإِنْ تَمْضِ الثَّلَاثُ وَلَمْ يَكُنْ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ، نَكْتُبُ عَلَيْكُمْ كِتَابًا، أَنَّكُمْ أَكْذَبُ أَهْلِ بَيْتٍ فِي الْعَرَبِ. قَالَ الْعَبَّاسُ: فَوَاللَّهِ مَا كَانَ مِنِّي إِلَيْهِ كَبِيرُ شَيْءٍ، إِلَّا أَنِّي جَحَدْتُ ذَلِكَ، وَأَنْكَرْتُ أَنْ تَكُونَ رَأَتْ شَيْئًا. قَالَ: ثُمَّ تَفَرَّقْنَا، فَلَمَّا أَمْسَيْتُ لَمْ تَبْقَ امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلَّا أَتَتْنِي، فَقَالَتْ: أَقْرَرْتُمْ لِهَذَا الْفَاسِقِ الْخَبِيثِ أَنْ يَقَعَ فِي رِجَالِكُمْ، ثُمَّ قَدْ تَنَاوَلَ النِّسَاءَ وَأَنْتَ تَسْمَعُ، ثُمَّ لَمْ يَكُنْ عِنْدَكَ غِيَرٌ لِشَيْءٍ مِمَّا سَمِعْتَ؟! قَالَ: قُلْتُ: قَدْ وَاللَّهِ فَعَلْتُ، مَا كَانَ مِنِّي إِلَيْهِ مِنْ كَبِيرٍ، وَايْمُ اللَّهِ لَأَتَعَرَّضَنَّ لَهُ، فَإِذَا عَادَ لَأَكْفِيكُنَّهُ. قَالَ: فَغَدَوْتُ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مِنْ رُؤْيَا عَاتِكَةَ، وَأَنَا حَدِيدٌ مُغْضَبٌ، أَرَى أَنِّي قَدْ فَاتَنِي مِنْهُ أَمْرٌ أُحِبُّ أَنْ أُدْرِكَهُ مِنْهُ. قَالَ: فَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُهُ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَمْشِي نَحْوَهُ، أَتَعَرَّضُهُ لِيَعُودَ لِبَعْضِ مَا قَالَ فَأَقَعَ بِهِ،
পৃষ্ঠা - ২৩৪৬
ছেড়ে দিয়েছ ৷ সে তোমাদের পুরুষদের যা খুশী ত ই বলেছে ৷ এখন তোমাদের নারীদের
সম্পর্কেও বিভিন্ন প্রকার কটুক্তি করছে ৷ আর তুমি সব শুনে চুপ করে বসে রইছ ৷ এতে তোমার
আত্মমর্যাদায় মোটেও লাগছে না ৷ আব্বাস বললেন, আল্লাহর কসম, আমার প্রতিক্রিয়া অবশ্যই
আছে ৷ তবে আমার পক্ষ থেকে বড় ধরনের কিছু দেখ ইনি ৷ আল্লাহর কসম এবার আমি তার
কঠোর প্রতিবাদ করবো ৷ সে যদি এর পুনরাবৃত্তি করে৩ তবে আমি ৰুাবশ্যই তার সমুচিত জবাব
দেব ৷ আব্বাস বলেন, আতিকার স্বপ্ন দেখার তৃতীয় দিবসে আমি ৫ক্রাধে অধীর হয়ে সকাল
বেলা ঘর থেকে বের হলাম ৷ ভাবলাম, তাকে ধরা র একটা সুবর্ণ সুযোগ আমার হাতছাড়৷ হয়ে
গেছে ৷ আবু জা হলকে মসজিদের মধ্যে পেয়ে গেলাম ৷ আল্লাহর কসম, আমি তার দিকে অগ্রসর
হলাম এবং প্রন্তুতি নিলাম যে কোন কায়দায় সে যদি পুর্বের ন্যায় আচরণ করে, তবে তা
উপর আক্রমণ করবো ৷ আবু জাহ্ল ছিল হালকা-পাতলা দেহ বিশিষ্ট ৷ কিন্তু তার চেহারা ছিল
রুক্ষ, ভাষা ছিল রুঢ় এবং দৃষ্টিশক্তি ছিল তীক্ষ্ণ ৷ আব্বাস বলেন, হঠাৎ সে দ্রু৩ পায়ে মসজিদের
দরজার দিকে বেরিয়ে আসছে ৷ আমি মনে মনে ভাবলাম, ওর হলট৷ কী ? আল্লাহ৩ তার উপর
অভিশাপ বর্যণ করুন! যে কি আমার গালমন্দের ভয়ে সরে যেতে চা ৷চ্ছে ? কিন্তু সহসাই বুঝতে
পারলাম সে যমযম ইবন আমর গিফারীর চিৎকার শুনতে পেয়েছে, যা আমি শুনতে পাইনি ৷
গিফারী মক্কার উপকণ্ঠে বা৩ ৩নে ওয়াদীতে এসে উটের নাক কেটে হাওদ৷ উলটিয়ে এবংজ জামা
ছিড়ে ফেলে উভৈচ্চ৪স্বরে চিৎকার দিয়ে বলছিল :
“হে কুরায়শ জনগণ ৷ বিপদ ৷ বিপদ ! ৷ আবু সুফিয়ানসহ তোমাদের মালামাল লুট করার
জন্যে মুহাম্মদ ও তীর সঙ্গীরা আক্রমণে বেরিয়েছেন ৷ আমার মনে হয় তোমরা আর তা রক্ষা
করতে পারবে না ৷ সাহায্যের জন্যে আগাও সম্পদের জন্য আগাও ছুটে যাও ৷ আব্বাস বলেন,
এ ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে আমিও তার দিকে মনােযোগী হতে পারলাম না; আর সেও
আমার দিকে মনাে ৷যােগী হল না ৷ যা হোক, লোকজন অতি ৩দ্রুত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাে ৷
তারা বলাবলি করছিল যে, মুহাম্মদ ও তার সঙ্গীর৷ কি আমাদের কাফেলাকে ইবন হাযরামীর
কাফেলার মত মনে করছে ? কখনো না, আল্লাহ্র কসম, তারা এবার ভিন্ন রকম দেখবে ৷
মুসা ইবন উক্বা আতিকার স্বপ্নের বর্ণনা ইবন ইসহাকের ম৩ ৩ই উল্লেখ করেছেন ৷ তবে
তিনি বলেছেন, যমযম ইবন আমর যখন ঐ অবস্থায় এসে উপ ত হল তখন কুরায়শরা
আতিকার স্বপ্নের কথা স্মরণ করে ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে এবং ঘর থেকে উচ্চ ও নিম্নভুমিতে
বেরিয়ে আসে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, কুরায়শদের সকলেই এ যুদ্ধে অংশ্যাহণ করে ৷ হয় নিজে সরাসরি
গমন করে, না হয় অন্য কাউকে তার স্থলাভিষিক্ত করে পাঠায় ৷ নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে আবু
লাহাব ইবন আবদুল মুত্তালিব ব্যতীত আর কেউ যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত থাকেনি ৷ সে তার
পরিবর্তে আসী ইবন হিশাম ইবন মুগীরাকে পাঠায় ৷ আবু লাহাবের নিকট আসী চার হাজার
দিরহামের ঋণী ছিল ৷ দরিদ্র৩ার কারণে সে ঋণ পরিশোধ করতে পারছিল না ৷ ঐ পাওনা
দিরহামের বিনিময়ে আবু লাহাব তাকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে যুদ্ধে পাঠায় ৷
وَكَانَ رَجُلًا خَفِيفًا، حَدِيدَ الْوَجْهِ، حَدِيدَ اللِّسَانِ، حَدِيدَ النَّظَرِ. قَالَ: إِذْ خَرَجَ نَحْوَ بَابِ الْمَسْجِدِ يَشْتَدُّ. قَالَ: قُلْتُ فِي نَفْسِي: مَا لَهُ لَعَنَهُ اللَّهُ، أَكُلُّ هَذَا فَرَقٌ مِنِّي أَنْ أُشَاتِمَهُ؟! وَإِذَا هُوَ قَدْ سَمِعَ مَا لَمْ أَسْمَعْ، صَوْتَ ضَمْضَمِ بْنِ عَمْرٍو الْغِفَارِيِّ وَهُوَ يَصْرُخُ بِبَطْنِ الْوَادِي، وَاقِفًا عَلَى بَعِيرِهِ قَدْ جَدَّعَ بَعِيرَهُ، وَحَوَّلَ رَحْلَهُ، وَشَقَّ قَمِيصَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، اللَّطِيمَةَ اللَّطِيمَةَ، أَمْوَالُكُمْ مَعَ أَبِي سُفْيَانَ قَدْ عَرَضَ لَهَا مُحَمَّدٌ فِي أَصْحَابِهِ، لَا أَرَى أَنْ تُدْرِكُوهَا، الْغَوْثَ الْغَوْثَ. قَالَ فَشَغَلَنِي عَنْهُ وَشَغَلَهُ عَنِّي مَا جَاءَ مِنَ الْأَمْرِ، فَتَجَهَّزَ النَّاسُ سِرَاعًا وَقَالُوا: أَيُظَنُّ مُحَمَّدٌ وَأَصْحَابُهُ أَنْ تَكُونَ كَعِيرِ ابْنِ الْحَضْرَمِيِّ؟ ! وَاللَّهِ لَيَعْلَمَنَّ غَيْرَ ذَلِكَ. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ رُؤْيَا عَاتِكَةَ، كَنَحْوٍ مِنْ سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ. قَالَ: فَلَمَّا جَاءَ ضَمْضَمُ بْنُ عَمْرٍو عَلَى تِلْكَ الصِّفَةِ، خَافُوا مِنْ رُؤْيَا عَاتِكَةَ، فَخَرَجُوا عَلَى الصَّعْبِ وَالذَّلُولِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَكَانُوا بَيْنَ رَجُلَيْنِ، إِمَّا خَارِجٌ وَإِمَّا بَاعِثٌ مَكَانَهُ رَجُلًا، وَأَوْعَبَتْ قُرَيْشٌ فَلَمْ يَتَخَلَّفْ مِنْ أَشْرَافِهَا أَحَدٌ، إِلَّا أَنَّ أَبَا لَهَبِ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بَعَثَ مَكَانَهُ الْعَاصِيَ بْنَ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، اسْتَأْجَرَهُ بِأَرْبَعَةِ آلَافٍ
পৃষ্ঠা - ২৩৪৭
دِرْهَمٍ كَانَتْ لَهُ عَلَيْهِ، قَدْ أَفْلَسَ بِهَا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ، أَنَّ أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ كَانَ قَدْ أَجْمَعَ الْقُعُودَ، وَكَانَ شَيْخًا جَلِيلًا جَسِيمًا ثَقِيلًا، فَأَتَاهُ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ قَوْمِهِ، بِمِجْمَرَةٍ يَحْمِلُهَا، فِيهَا نَارٌ وَمِجْمَرٌ، حَتَّى وَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ يَا أَبَا عَلِيٍّ اسْتَجْمِرْ، فَإِنَّمَا أَنْتَ مِنَ النِّسَاءِ. قَالَ: قَبَّحَكَ اللَّهُ، وَقَبَّحَ مَا جِئْتَ بِهِ. قَالَ: ثُمَّ تَجَهَّزَ، وَخَرَجَ مَعَ النَّاسِ. هَكَذَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ.
وَقَدْ رَوَاهَا الْبُخَارِيُّ عَلَى نَحْوٍ آخَرَ، فَقَالَ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ حَدَّثَ عَنْ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ أَنَّهُ كَانَ صَدِيقًا لِأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، وَكَانَ أُمَيَّةُ إِذَا مَرَّ بِالْمَدِينَةِ، نَزَلَ عَلَى سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، وَكَانَ سَعْدٌ إِذَا مَرَّ بِمَكَّةَ نَزَلَ عَلَى أُمَيَّةَ، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، انْطَلَقَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ مُعْتَمِرًا، فَنَزَلَ عَلَى أُمَيَّةَ بِمَكَّةَ، فَقَالَ سَعْدٌ لِأُمَيَّةَ: انْظُرْ لِي سَاعَةَ خَلْوَةٍ، لَعَلِّي أَطُوفُ بِالْبَيْتِ. فَخَرَجَ بِهِ قَرِيبًا مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ، فَلَقِيَهُمَا أَبُو جَهْلٍ، فَقَالَ: يَا أَبَا صَفْوَانَ مَنْ هَذَا مَعَكَ؟ قَالَ: هَذَا سَعْدٌ. قَالَ لَهُ أَبُو جَهْلٍ: أَلَا أَرَاكَ تَطُوفُ بِمَكَّةَ آمِنًا، وَقَدْ آوَيْتُمُ
পৃষ্ঠা - ২৩৪৮
ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট ইবন আবু নাজীহ্ বর্ণনা করেছেন যে, উমাইয়া ইবন
খালট্রুফও যুদ্ধে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ৷ সে ছিল অতিশয় বৃদ্ধ, মােটাসোট৷ ভারী দেহের
অধিকারী ৷ এ সষ্ বাদ শুনে উক্বা ইবন আবু মুআয়ত৩ তার কাছে আসে ৷ তখন উমাইয়া
মসজিদে হারামে নিজের লোকজনসহ বসা ছিল ৷ উকবার হাতে ছিল আগুন ও অঙ্গারভর্তি
একটা পাত্র ৷ সে পা ৷ত্রটি উমাইয়ার সম্মুখে রেখে দিয়ে বললাে, হে আবু আলী লও তুমি আগুন
পোহাও ৷ কেননা তুমি৫ তা একজন নারী ৷ উমাইয়া বললাে, আল্লাহ তোমাকে ও যা তুমি নিয়ে
এসেছ তাকে অমৎগল করুন ৷ রাবী বলেন, উম৷ ইয়া তখন প্রস্তুতি নিল ও অন্যদের সাথে যুদ্ধে
গমন করল ৷ ১
ইবন ইসহাক এ ঘটনা এ ভাবেই বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু ইমাম বুথারী ঘটনাটির বর্ণনা অন্য
ভাবে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, আমার কাছে আহমদ ইবন উছমান সাআদ ইবন মুআয
থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, তীর ও উমাইয়া ইবন খালা,ফর মধে গভীর বন্ধুতু ছিল
উমা ইয়৷ মদীনায় এলে স ৷আদ ইবন মুআযের অতিথি হত এবং সাআদ মক্কায় গেলে উমাইয়ার
বাড়িতে মেহমান হতে তন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় হিজরত করলে একদা সাআদ ইবন মুআয
উমরা করার উদ্দেশ্যে মক্কায় যান ও উম ইয়ার বাড়িতে অবস্থান করেন ৷ সাআদ উমাইয়াকে
বললেন, আমার জন্যে একটা নিরিবিলি সময় বের কর , যে সময়ে আমি নির্বিঘ্নে বায়তুল্লাহ
তাওয়াফ করতে পারি ৷ সে মতে একদা দুপুর বেলা উমাইয়া সাআদকে সাথে নিয়ে বের হল ৷
তাদের সাথে আবু জাহ্লের সাক্ষাত হয় ৷ আবু জাহ্ল উমাইয়াকে জিজ্ঞেস করলো, হে আবু
সাফওয়া ন! তোমার সাথে এ ব্যক্তিটি কে ? সে উত্তরে বললো, এ হচ্ছে সাআদ ৷ তখন আবু
জাহ্ল সাআদকে লক্ষ্য করে বললো : মক্কায় তোমাকে যে নিরাপদে-নির্বিঘ্নে তাওয়াফ করতে
দেথ্ছি ৷ অথচ তোমরা ধর্মত্যাগীদের আশ্রয় দান করেছ এবং তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা
করার ঘোষণা দিয়েছ ? শুনে রেখো, আল্লাহর কসম, তুমি যদি এ সময় আবু সাফওয়ানের সাথে
না হতে, তবে কিছুতেই তুমিশু তামার পরিবারের কাছে অক্ষত ভাবে ফিরে যেতে পারতে না ৷
স আদ ততোধিক উচ্চকণ্ঠে বললেন, সাবধান তুাম যদি আমাকে এ কাজ থেকে বাধ৷ দাও
তবে আ ৷মি তোমাকে এমন এক বিষয়ে বাধা দোবা, যা তোমার জন্যে এর চা ৷ইতে গুরুতর হবে
আর তা হচ্ছে, মদীনায় উপর দিয়ে সিরিয়ার বাণিজ্য-পথ ৷ তখন উমাইয়া তাকে বললাে, হে
সাআদ! আবুল হাকামের সাথে এতে৷ উচ্চকষ্ঠে কথা বলো না ৷ কেননা, তিনি হলেন এই
তল্লাটের অধিবাসীদের নে৩ তা ৷ তখন সাআদ বললেন, উমইিয়া! তুমি চুপ থাক ৷ কেননা, আমি
রাসৃলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তারাই তোমার হত্যাকারী ৷ উমাইয়া জিজ্ঞেস করলো,
কোথায় মক্কায় ? সাআদ বললেন, তা আমি জানি না ৷ এ কথা শুনে উমাইয়া অত্যন্ত
ভীত ৩-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লে৷ ৷ এরপর বাড়ি ফিরে যেয়ে উমাইয়া তার ত্রীকে ডেকে বললো হে উম্মে
সাফ্ওয়ান৷ শুনেছ, সাআদ আমাকে কী বলেছে ?ত্০ তার শ্রী বললো সে৫ তামাকে কী বলেছে ?
উমাইয়া বললো, মুহাম্মদ নাকি তাদেরকে বলেছে যে, তারা আমাকে হত্যা করবে ৷ আমি
১ ওয়াকিদীর বর্ণনা মতে, উকব৷ ও আবু জাহ্ল দুজনেই উমাইয়ার কাছে যায় ৷ উকবার কাছে ছিল আগুন ও
আগরবাতি, আর আবু জাহ্লের হাতে ছিল সুরমাদানী ৷ উকবা বললো, আগর বাতির ঘ্রাণ লও ৷ কেননা
তুমি হলে নারী ৷ আবু জাহ্ল বললো, সুরম৷ লাগাও ৷ কেননা তুমি তো নারী ৷
الصُّبَاةَ، وَزَعَمْتُمْ أَنَّكُمْ تَنْصُرُونَهُمْ وَتُعِينُونَهُمْ، أَمَا وَاللَّهِ، لَوْلَا أَنَّكَ مَعَ أَبِي صَفْوَانَ، مَا رَجَعْتَ إِلَى أَهْلِكَ سَالِمًا. فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ، وَرَفَعَ صَوْتَهُ عَلَيْهِ: أَمَا وَاللَّهِ، لَئِنْ مَنَعْتَنِي هَذَا، لَأَمْنَعَنَّكَ مَا هُوَ أَشَدُّ عَلَيْكَ مِنْهُ، طَرِيقَكَ عَلَى الْمَدِينَةِ. فَقَالَ لَهُ أُمَيَّةُ: لَا تَرْفَعْ صَوْتَكَ يَا سَعْدُ عَلَى أَبِي الْحَكَمِ، فَإِنَّهُ سَيِّدُ أَهْلِ الْوَادِي، قَالَ سَعْدٌ دَعْنَا عَنْكَ يَا أُمَيَّةَ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّهُمْ قَاتِلُوكَ ". قَالَ: بِمَكَّةَ؟ قَالَ: لَا أَدْرِي. فَفَزِعَ لِذَلِكَ أُمَيَّةُ فَزَعًا شَدِيدًا، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ قَالَ: يَا أُمَّ صَفْوَانَ، أَلَمْ تَرَيْ مَا قَالَ لِي سَعْدٌ؟ قَالَتْ: وَمَا قَالُ لَكَ؟ قَالَ: زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ قَاتِلِيَّ، فَقُلْتُ لَهُ: بِمَكَّةَ؟ قَالَ لَا أَدْرِي. فَقَالَ أُمَيَّةُ: وَاللَّهِ لَا أَخْرُجُ مِنْ مَكَّةَ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، اسْتَنْفَرَ أَبُو جَهْلٍ النَّاسَ فَقَالَ: أَدْرِكُوا عِيرَكُمْ. فَكَرِهَ أُمَيَّةُ أَنْ يَخْرُجَ، فَأَتَاهُ أَبُو جَهْلٍ فَقَالَ: يَا أَبَا صَفْوَانَ، إِنَّكَ مَتَى يَرَاكَ النَّاسُ قَدْ تَخَلَّفْتَ وَأَنْتَ سَيِّدُ أَهْلِ الْوَادِي، تَخَلَّفُوا مَعَكَ. فَلَمْ يَزَلْ بِهِ أَبُو جَهْلٍ حَتَّى قَالَ: أَمَّا إِذْ غَلَبْتَنِي، فَوَاللَّهِ لَأَشْتَرِيَنَّ أَجْوَدَ بِعِيرٍ بِمَكَّةَ. ثُمَّ قَالَ أُمَيَّةُ: يَا أُمَّ صَفْوَانَ، جَهِّزِينِي. فَقَالَتْ لَهُ: يَا أَبَا صَفْوَانَ، وَقَدْ نَسِيتَ مَا قَالَ لَكَ أَخُوكَ الْيَثْرِبِيُّ؟ قَالَ: لَا، وَمَا أُرِيدُ أَنْ أَجُوزَ مَعَهُمْ إِلَّا قَرِيبًا. فَلَمَّا خَرَجَ أُمَيَّةُ، أَخَذَ لَا يَنْزِلُ مَنْزِلًا إِلَّا عَقَلَ بَعِيرَهُ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى قَتَلَهُ اللَّهُ بِبَدْرٍ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২৩৪৯
জিজ্ঞেস করলাম, মক্কায় ? সে বললাে, জানি না ৷ এরপর উমাইয়া বললাে, আল্লাহর কসম ,
আমি আর মক্কা ছেড়ে কোথাও যাবো না ৷ এরপর বদর যুদ্ধ সমাগত হলে আবু জাহ্ল
লোকজনকে যুদ্ধে যাওয়ার প্ররােচনা দিয়ে বললাে, তোমরা তোমাদের কাফেলাকে রক্ষা করার
জন্যে বেরিয়ে পড় ৷ কিন্তু উমাইয়া মক্কা থেকে বের হতে অনীহা প্রকাশ করলো ৷ তখন আবু
জাহ্ল এসে বললাে, হে আবু সাফওয়ান৷ লোকে যখন দেখবে, তুমি এ উপত্যকার অন্যতম
নেতা হয়েও যুদ্ধে না গিয়ে বাড়িতে বসে থাকছ, তখন তারাও তোমার সাথে বাড়িতে থেকে
যাবে ৷ আবু জাহ্ল তাকে নেয়ার জন্যে পীড়াপীড়ি করতে লাগলো ৷ অবশেষে উমাইয়৷ বললাে,
তুমি যখন ছাড়লেই না, তখন আল্লাহর কসম , আমি মক্কার মধ্যে সর্বাধিক উৎকৃষ্ট ও তেজী
একটি উট ক্রয় করবো ৷ ১
এরপর সে ত্রীকে বললাে, হে উম্মে সাফওয়ানৰু আমার যুদ্ধে যাওয়ার ব্যবস্থা কর ৷ শ্রী
বললাে, হে আবুসাফওয়ান তোমার ইয়াছবিবী৩ ইা এর কথা কি ভুলে গিয়েছ ? সে বললাে, না,
তুলি নাই ৷ তবে আমি৩ তাদের সাথে অল্প কিছু দুর পর্যন্ত যেতে ৩ঢাই মাত্র ৷ রওনা হয়ে যাওয়ার
পর যে স্থানেই সে অবতরণ করেছে সেখানেই সে (সম্মুখে অগ্রসর না হওয়ার জন্যে) উট বেধে
রেখেছে ৷ সারাট৷ পথেই সে এরুপ করতে থাকলাে ৷ অবশেষে আল্লাহর হুকুমে বদর রণাঙ্গনে সে
নিহত হয় ৷
বুখারী অন্যত্র এ ঘটনা আবু ইসহাকের বরাতে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
ইসরাঈল সুত্রে এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ এই বর্ণনায় আছে যে, উমাইয়াকে ৷৩র ত্রী বলেছিল,
আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ কখনও মিথ্যা কথা বলেন না ৷
ইবন ইসহাক বলেন, কুরায়শরা যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি সমাপন করলো এবং রওনা হওয়ার
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো, তখন বনু বকর ইবন আবদে মানাত ইবন কিনানার সাথে তাদের
বিরোধের কথা মনে পড়লো এবং তারা আশং কা করলো যে আমরা রওনা দিলে৩ ৷র৷ পিছন
থেকে আমাদের উপর হামলা করতে ৩পারে ৷ কুরায়শ ও বনু বকরের মধ্যে সুদীর্ঘ যুদ্ধের মুলে যে
কারণ ৷ছিল তা হলো, কুরায়শ পক্ষের বনু আমির ইবন লুআই গোত্রের সদস্য হাফ্স ইবন
আখইয়াফের এক পুত্রের হত্যা ৷ তাকে হত্যা করেছিল বনু বকরের এক ব্যক্তি এবং হত্যা
করেছিল তাদের সর্দার আমির ইবন ইয়াষীদ ইবন আমির ইবন মাললুহ এর ইঙ্গিতে ৷ এরপর
নিহতের ভাই মিকরায ইবন হাফ্স এর প্ৰতিশোধ স্বরুপ ৷ আমিরকে হত্যা করে সে আমিরের
পেটের মধ্যে ৩রবারি ঢুকিয়ে দেয় ৷ এরপর ঐ রাত্রেই বাড়িতে ফিরে আসে এবং কা বাঘরের
দ্বুালাফের সাথে ৩রবারি ঝুলিয়ে রাখে ৷ এ কারণে দু’ পক্ষের মধ্যে অবস্থা র যে অবনতি ঘটে,
তেকুরায়শদের মনে ঐ সময় বনু বকরের প্রতি আশংকা জাগে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াযীদ ইবন রুমান আমার নিকট উরওয়া ইবন যুবায়র থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, কুরায়শরা যুদ্ধে রওনা হওয়ার প্রাক্কালে বনুবকরের সাথে তাদের বিরোধের কথা
চিন্তা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা ভাবতে থাকে ৷ ঠিক ঐ মুহুর্তে ইবলীস সুরাকা ইবন মালিক
১ ওয়াকিদী বলেছেন, উমাইয়া কুশায়র গোত্র থেকে তিনশ দিরহাম দিয়ে একটি উট ক্রয় করে ৷ বদর যুদ্ধে
মুসলমানরা এটা গনীমত স্বরুপ পায় এবং খুবায়ব ইবন আসাফের ভাগে তা পড়ে ৷
মােম্রা€ণাং০€০া৷া
৫৮ —
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ بِهِ نَحْوَهُ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ خَلَفِ بْنِ الْوَلِيدِ وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ إِسْرَائِيلَ، وَفِي رِوَايَةِ إِسْرَائِيلَ: قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: وَاللَّهِ إِنَّ مُحَمَّدًا لَا يَكْذِبُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا فَرَغُوا مِنْ جَهَازِهِمْ وَأَجْمَعُوا الْمَسِيرَ، ذَكَرُوا مَا كَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ بَنِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ مِنَ الْحَرْبِ، فَقَالُوا إِنَّا نَخْشَى أَنْ يَأْتُونَا مِنْ خَلْفِنَا. وَكَانَتِ الْحَرْبُ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَ قُرَيْشٍ وَبَيْنَ بَنِي بَكْرٍ، فِي ابْنٍ لِحَفْصِ بْنِ الْأَخْيَفِ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، قَتْلَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَكْرٍ بِإِشَارَةِ عَامِرِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَامِرِ بْنِ الْمُلَوَّحِ، ثُمَّ أَخَذَ بِثَأْرِهِ أَخُوهُ مِكْرَزُ بْنُ حَفْصٍ، فَقَتَلَ عَامِرًا وَخَاضَ بِسَيْفِهِ فِي بَطْنِهِ، ثُمَّ جَاءَ مِنَ اللَّيْلِ فَعَلَّقَهُ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، فَخَافُوهُمْ بِسَبَبِ ذَلِكَ الَّذِي وَقَعَ بَيْنَهُمْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: لَمَّا أَجْمَعَتْ قُرَيْشٌ الْمَسِيرَ، ذَكَرَتِ الَّذِي بَيْنَهَا وَبَيْنَ بَنِي بَكْرٍ، فَكَادَ ذَلِكَ أَنْ يَثْنِيَهُمْ، فَتَبَدَّى لَهُمْ إِبْلِيسُ فِي صُورَةِ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيِّ، وَكَانَ مِنْ أَشْرَافِ بَنِي كِنَانَةَ، فَقَالَ أَنَا لَكُمْ جَارٌ مِنْ أَنْ تَأْتِيَكُمْ كِنَانَةُ مِنْ خَلْفِكُمْ بِشَيْءٍ تَكْرَهُونَهُ. فَخَرَجُوا سِرَاعًا
পৃষ্ঠা - ২৩৫০
قُلْتُ: وَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بَطَرًا وَرِئَاءَ النَّاسِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَاللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ وَإِذْ زَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ وَقَالَ لَا غَالِبَ لَكُمُ الْيَوْمَ مِنَ النَّاسِ وَإِنِّي جَارٌ لَكُمْ فَلَمَّا تَرَاءَتِ الْفِئَتَانِ نَكَصَ عَلَى عَقِبَيْهِ وَقَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِنْكُمْ إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ وَاللَّهُ شَدِيدُ الْعِقَابِ} [الأنفال: 47] وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا} [الإسراء: 81] فَإِبْلِيسُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، لَمَّا عَايَنَ الْمَلَائِكَةَ يَوْمَئِذٍ تَنْزِلُ لِلنَّصْرِ، فَرَّ ذَاهِبًا، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ هَرَبَ يَوْمَئِذٍ، بَعْدَ أَنْ كَانَ هُوَ الْمُشَجِّعَ لَهُمْ، الْمُجِيرَ لَهُمْ، كَمَا غَرَّهُمْ وَوَعَدَهُمْ وَمَنَّاهُمْ، وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا.
وَقَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: خَرَجَتْ قُرَيْشٌ عَلَى الصَّعْبِ وَالذَّلُولِ، فِي تِسْعِمِائَةٍ وَخَمْسِينَ مُقَاتِلًا، مَعَهُمْ مِائَتَا فَرَسٍ يَقُودُونَهَا، وَمَعَهُمُ الْقِيَانُ يَضْرِبْنَ
পৃষ্ঠা - ২৩৫১
ইবন জুশাম মুদলাজির আকৃতি ধারণ করে তাদের সামনে হাযির হয় ৷ সুরাকা ছিল বনু
কিনানার অন্যতম কেদ্রীয় নেতা ৷ সে কুরায়শদের বললো, বনু কিনানার লোকেরা যাতে
পশ্চাৎ দিক থেকে তোমাদের উপর হামলা না করে আমি তার দায়িতৃ গ্রহণ করছি ৷ এ প্রতিশ্রুতি
পেয়ে কুরায়শরা দ্রুত যুদ্ধে রওনা হয়ে গেল ৷ কুরআনে আল্লাহ এ ঘটনার প্ৰতি ইঙ্গিত করে
বলেছেন :
;এ্,াব্রাহ্র ৷;ৰুও;,হ্র; স্ব,
অর্থাৎ, তোমরা তাদের ন্যায় হয়ো না, যারা দম্ভভরে ও লোক ৷;ন্তেথাবার জন্যে নিজেদের
বাড়ি থেকে বের হয়েছিল এবং লোককে আল্লাহ্র পথ থেকে নিবৃত্ত করে তারা যা করে আল্লাহ্
তা পরিবেষ্টন করে রয়েছেন ৷ স্মরণ কর, শয়তান তাদের কার্যাবলী তাদের দৃষ্টিতে শোভন
করেছিল এবং বলেছিল আজ মানুষের মধ্যে কেউই তোমাদের উপর বিজয়ী হয়ে না ৷ আমি
তোমাদের পাশেই থাকবাে ৷ এরপর দৃদল যখন পরস্পরের সম্মুখীন হল , তখন সে সরে পড়লো
ও বললো, তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক রইলো না, তোমরা যা দেখতে পাও না আমি
তা দেখি ৷ আমি আল্লাহকে ভয় করি ৷ আর আল্লাহ শাস্তিদড়ানে কঠোর ৷ (৮ : ৪ ৭-৪৮) ৷
অভিশপ্ত শয়তান কুরায়শদের ধৌকা দিয়ে যুদ্ধ অভিযানে রওনা করিয়ে দিল এবং সেও তাদের
সাথী হলো ৷ একে একে মনযিল অতিক্রম করে সম্মুখে অগ্রসর হতে লাগলো ৷ এই বাহিনীর
অনেকেই বলেছে, সুরাকার সাথে দলবল ও ঝাণ্ডা ছিল ৷ এ ভাবে শয়তান তাদেরকে রণাঙ্গন
পর্যন্ত পৌছিয়ে দিল ৷ পরে যখন সে যুদ্ধের তীব্রতা লক্ষ্য করলো এবং মুসলমানদের সাহড়ায্যার্থে
ফেরেশতাদের অবতরণ করতে দেখলো ও জিবরাঈলকে প্রত্যক্ষ করলো, তখন সে এই কথা
বলে পেছনে ধাবিত হলো যে, আমি যা দেখছি তোমরা তা দেখতে পাচ্ছ না ৷ আমি আল্লাহকে
ভয় করি ৷” এ ধরনের কথা আল্লাহ্ অনত্রেও বলেছেন ৷ যথা :
;ন্ও৷ ৰু,ৰুপু;,; দ্বুব্লুৰু৷ ম্রাদ্বু , হ্র ৷ প্ষ্৷ , হ্র ৷ (;,ঢ়দ্বুব্লুা৷ প্রুাদ্বু ১ ৷ ;, ৷ ৷, ভু ংন্ ;, হ্র
৷ ;) ন্এপু ৷ ঠুব্রাঠুশুা
“এদের তুলনা শয়তান যে মানুষকে বলে কুফরী কর’ ৷ এরপর যখন সে কুফরী করে
শয়তান তখন বলে তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ আমি জগতসমুহের প্রতিপালক
আল্লাহ্কে ভয় করি ৷” (৫৯ : ১৬) ৷
আল্লাহ্ আরও বলেন :
-€রপু;এ১ ১াব্র ড্রুা ৬এে ১ চুা৬এে ১১১১ ১১ত্র ১১ ত্রওন্
এবং বল, সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হবারই (১ ৭ : ৮১) ৷
তাই অভিশপ্ত ইবলীস ঐ দিন মুসলমানদের জন্যে সাহায্যকারী ফেরেশতাদের দেখতে পেয়ে
পালিয়ে যায় ৷ সে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে প্রথম পলায়নকারী ৷ অথচ সেই ছিল তাদের সাহস
দানকারী তাদের সহযাত্রী ৷ সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয়, ওয়াদা দেয় ও উপকার করার কথা
বলে ৷ কিন্তু শয়তানের ওয়াদা প্রতারণা ব্যতীত আর কিছুই নয় ৷
بِالدُّفُوفِ، وَيُغَنِّينَ بِهِجَاءِ الْمُسْلِمِينَ، وَذَكَرَ الْمُطْعِمِينَ لِقُرَيْشٍ يَوْمًا يَوْمًا.
وَذَكَرَ الْأُمَوِيُّ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ نَحَرَ لَهُمْ، حِينَ خَرَجُوا مِنْ مَكَّةَ، أَبُو جَهْلٍ، نَحَرَ لَهُمْ عَشْرًا، ثُمَّ نَحَرَ لَهُمْ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ بِعُسْفَانَ تِسْعًا، وَنَحَرَ لَهُمْ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو بِقُدَيْدٍ عَشْرًا، وَمَالُوا مِنْ قُدَيْدٍ إِلَى مِيَاهٍ نَحْوَ الْبَحْرِ، فَظَلُّوا فِيهَا وَأَقَامُوا بِهَا يَوْمًا، فَنَحَرَ لَهُمْ شَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ تِسْعًا، ثُمَّ أَصْبَحُوا بِالْجَحْفَةِ، فَنَحَرَ لَهُمْ يَوْمَئِذٍ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ عَشْرًا، ثُمَّ أَصْبَحُوا بِالْأَبْوَاءِ، فَنَحَرَ لَهُمْ نُبَيْهٌ وَمُنَبِّهٌ ابْنَا الْحَجَّاجِ عَشْرًا، وَنَحَرَ لَهُمُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَشْرًا، وَنَحَرَ لَهُمْ عَلَى مَاءِ بَدْرٍ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ عَشْرًا، ثُمَّ أَكَلُوا مِنْ أَزْوَادِهِمْ. قَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ قَالَ: كَانَ مَعَ الْمُشْرِكِينَ سِتُّونَ فَرَسًا وَسِتُّمِائَةِ دِرْعٍ، وَكَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَسَانِ وَسِتُّونَ دِرْعًا
. هَذَا مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ هَؤُلَاءِ فِي نَفِيرِهِمْ مِنْ مَكَّةَ وَمَسِيرِهِمْ إِلَى بَدْرٍ. وَأَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ «: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيَالٍ مَضَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، فِي أَصْحَابِهِ وَاسْتَعْمَلَ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ عَلَى الصَّلَاةِ بِالنَّاسِ، وَرَدَّ أَبَا لُبَابَةَ مِنَ الرَّوْحَاءِ، وَاسْتَعْمَلَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَدَفَعَ اللِّوَاءَ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَكَانَ أَبْيَضَ، وَبَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَايَتَانِ سَوْدَاوَانِ، إِحْدَاهُمَا
পৃষ্ঠা - ২৩৫২
ইউনুস (ব) ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, কুরায়শরা ছোট-বড় মিলে মোট নয় শ’
পঞ্চাশজন যোদ্ধ৷ বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ৷ তাদের সাথে ছিল
দৃ’শ’ ঘোড়া১ এবং কয়েকজন গায়িকা ৷২ যারা দফ বাজিয়ে পান গাইত এবং মুসলমানদের
বিরুদ্ধে কুৎসামুলক কবিতা আবৃত্তি করতো ৷ এই অভিযানে যে সব কুরায়শ এক এক দিন করে
সকল সৈন্যের খাদ্য সরবরাহ করে, ইবন ইসহড়াক তাদের নাম উল্লেখ করেছেন ৷ উমাবী বলেন
মক্কা থেকে বের হওয়ার পর সর্বপ্রথম আবু জ হল (মিনার ৷ দশটি উট যবাহ্ করে ৷ এরপর
উসফ ন নামক স্থানে পৌছলে উমাইয়৷ ইবন খাল্ফ সৈন্যদের জন্যে নয়টি উট যবাহ্ করে ৷
কুদায়দে পৌছলে সুহায়ল ইবন অড়ামর তাদের জন্যে দশটি ডট যবাহ্ করে ৷ কুদায়দ থেকে
তারা পথ পরিবর্তন করে লোহিত সাগরের দিকে অগ্রসর হয় ৷ সেখানে তারা একদিন অবস্থান
করে ৷ এ সময় শায়বা ইবন রাবীআ নয়টি উট যবাহ্ করে সকলকে আখ্যায়িত করে ৷ এরপর
তারা জুহ্ফায় পৌছে ৷ সেখানে উ৩ তব৷ ইবন রাবীআ দশটি উট যবাহ্ করে ৷ এরপর তারা
আবওয়া পর্যন্ত পৌছে ৷ সেখানে হাজ্জ জ্জাজের দুই পুত্র নাবীহ্ যুনাববিহ্ দশটি উট যবাহ্ করে ৷
আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবও যোদ্ধাদের দশটি উট যবাহ করে তাদেরকে আখ্যায়িত
করেন ৷ তাছ৷ ৷ড়া হড়ারিছ ইবন নাওফিল দশটি উট যবাহ্ করে ৷ বদর কুয়োর সন্নিকটে আবুল
বুখতারী দশটি উট যবাহ্ করে ৷ এরপর থেকে তারা প্রতেকে নিজ নিজ খরচে পানাহার করে ৷
উমাবী বলেন, আমার নিকট আমার পিতা বর্ণনা করেন যে, আবু বকর হুযালী বলেছেন , বদর
যুদ্ধে মুশরিকদের কাছে ছিল ষাটটি ঘোড়া ও ছয়শ’ বর্ষ ৷ অপরদিকে রাসুলুল্লাহ্র সাথে ছিল
দুটি ঘোড়া ও ষাটটি বর্ম ৷
এতক্ষণ যাবত কুরায়শ বাহিনীর মক্কা ত্যাগ ও বদর যুদ্ধে গমন সম্পর্কে আলোচনা করা
হল ৷ অপরদিকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর অভিযা ৷ন সম্পর্কে ইবন ইসহাক বলেন : রমাযান মাসের
কয়েক দিন অতিবহিত হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তার সাহাবাগণকে সাথে নিয়ে অভিযানে
বের হন ৷ ইবন উম্মে মাকতুমকে তিনি লোকদের নামাযের ইমামতীর দায়িত্ব প্রদান করেন ৷
এরপর রাওহ৷ থেকে আবু লুবাবাকে মদীনায় শাসক নিযুক্ত করে ফেরত পাঠান ৷ মুসআব ইবন
উমায়রের হাতে যুদ্ধের পতাকা অর্পণ ৷করেন ৷ এ পতা কা ছিল সাদা রঙের ৷ রাসুলুল্লাহ্র সম্মুখে
ছিল দুটি কাল পতাকা ৷ এর একটি ছিল আলী ইবন আবু৩ তালিবের হাতে ৷ এ পতাকার নাম
ছিল উকাব (ঈগল) ৷ আর অন্যটি ছিল জনৈক আনসার সাহাবীর হাতে ৷ ইবন হিশাম বলেন,
আনসারদের পতাকা ছিল সাআদ ইবন মুআযের হাতে ৷ কিন্তু উমাবী বলেছেন, আনসারদের
পতাকা ছিল হুবাব ইবন ঘুনযিরের হাতে ৩৷ ইবন ইসহাক বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সেনা-
দলের পশ্চাৎ ভাগের দায়িতু বনু মাযিন ইবন নাজ্জারের কায়স ইবন আবু স৷ স আকে প্রদান
করেন ৷ উমাবী বলেন, মুসলিম বাহিনীতে দু টি মাত্র ঘোড়া ছিল ৷৩ তার একটির আরোহী ছিলেন
মুসআব ইবন উমায়র এবং অপরটিতে আরোহণ ৷করেছিলেন যুবায়র ইবন আওআম (বা) ৷
সেনাবাহিনীর দক্ষিণ বাহুর (মায়মানা) নেতৃত্বে ছিলেন সাআদ ইবন খায়ছামা এবং বাম বাহুর
(মায়সা রা) নেতৃত্বে ছিলেন মিকদাদ ইবন অ ৷সওয়াদ (বা ) ৷
১ ওয়াকিদ্দীর মতে একশ’ অশ্ব ৷
২ ওয়াকিদী বলেন, গায়িকারা হলো সারা আমর ইবন হাশিম ইবন মুত্তালিবের দাসী; উয্যা আসওয়াদ
ইবন মুত্তালিবের দামী; তৃতীয় জন উমাইয়৷ ইবন খালফের দাসী ৷
مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، يُقَالُ لَهَا الْعُقَابُ. وَالْأُخْرَى مَعَ بَعْضِ الْأَنْصَارِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: كَانَتْ رَايَةُ الْأَنْصَارِ مَعَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: كَانَتْ مَعَ الْحُبَابِ بْنِ الْمُنْذِرِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّاقَةِ قَيْسَ بْنَ أَبِي صَعْصَعَةَ أَخَا بَنِي مَازِنِ بْنِ النَّجَّارِ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: وَكَانَ مَعَهُمْ فَرَسَانِ، عَلَى إِحْدَاهُمَا مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ، وَعَلَى الْأُخْرَى الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَمَرَّةً سَعْدُ بْنُ خَيْثَمَةَ، وَمَرَّةً الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ» . وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: مَا كَانَ فِينَا فَارِسٌ يَوْمَ بَدْرٍ غَيْرُ الْمِقْدَادِ
. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي صَخْرٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ الْبَجَلِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ لَهُ: مَا كَانَ مَعَنَا إِلَّا فَرَسَانِ، فَرَسٌ لِلزُّبَيْرِ وَفَرَسٌ لِلْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ. يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ.
পৃষ্ঠা - ২৩৫৩
قَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنِ الْبَهِيِّ قَالَ: كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ فَارِسَانِ، الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ عَلَى الْمَيْمَنَةِ، وَالْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ عَلَى الْمَيْسَرَةِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مَعَهُمْ سَبْعُونَ بَعِيرًا يَعْتَقِبُونَهَا، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلِيٌّ وَمَرْثَدُ بْنُ أَبِي مَرْثَدٍ يَعْتَقِبُونَ بَعِيرًا، وَكَانَ حَمْزَةُ وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ وَأَبُو كَبْشَةَ وَأَنَسَةُ يَعْتَقِبُونَ بَعِيرًا. كَذَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «كُنَّا يَوْمَ بَدْرٍ كُلُّ ثَلَاثَةٍ عَلَى بَعِيرٍ، كَانَ أَبُو لُبَابَةَ وَعَلِيٌّ زَمِيلَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَكَانَتْ عُقْبَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَا: نَحْنُ نَمْشِي عَنْكَ فَقَالَ: " مَا أَنْتُمَا بِأَقْوَى مِنِّي، وَلَا أَنَا بِأَغْنَى عَنِ الْأَجْرِ مِنْكُمَا» . وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ.
قُلْتُ: وَلَعَلَّ هَذَا كَانَ قَبْلَ أَنْ يَرُدَّ أَبَا لُبَابَةَ مِنَ الرَّوْحَاءِ، ثُمَّ كَانَ زَمِيلَاهُ عَلِيٌّ وَمَرْثَدٌ بَدَلَ أَبِي لُبَابَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২৩৫৪
ইমাম আহমদ আবু ইসহাক সুত্রে আলী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে
মিকদাদ ব্যতীত আমাদের মধ্যে আর কোন অশ্বারেড়াহী ছিল না ৷ বায়হাকী ইবন ওয়াহাবের
সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ হযরত আলী তাকে বলেছেন বদর যুদ্ধে আমাদের
বহিনীতে মাত্র দুটি ঘোড়া ছিল ৷ এর একটি ছিল যুবায়রের এবং অপরটি ছিল মিকদাদ ইবন
আসওয়াদের ৷ উমাবী তায়মী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
বাহিনীতে দু’জন অশ্বারােহী ছিলেন ৷ একজন হলেন যুবায়র ইবন আওয়াম ৷ তিনি ছিলেন দক্ষিণ
বাহুতে ৷ আর অপরজন মিকদাদ ইবন আসওয়াদ ৷ তিনি ছিলেন রাম বাহুতে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম বাহিনীতে সেদিন সত্তরটি উট ছিল, যাতে তারা পালাত্রুমে
আরোহণ করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা), আলী ও মারছাদ ইবন আবুল মারছাদ পালাক্রমে একটি
উটে আরোহণ করতেন ৷ হামযা, যায়দ ইবন হারিছা, আবু কাবশা ও আনাসা আর একটিতে
পালাক্রমে আরোহণ করতেন ৷ শেষোক্ত তিন জন ছিলেন রাসুলের মৃক্তদাস ৷ এ হচ্ছে ইবন
ইসহাকের বর্ণনা ৷ কিন্তু ইমাম আহমদ ইবন মাসউদ থেকে ভিহ্ ভাবে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন বদর যুদ্ধে আমরা প্রতি তিনজনে একটি করে উটে আরোহণ করি ৷ আবু লুবাবা ও অ্যালী
ছিলেন, রাসুলের সহযাত্রী ৷ যখন রাসুলের ভাগের উট টানার পালা আসলো, তখন তারা উভয়ে
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার পালা আমাদেরকে দিন আমরা হেটে যাচ্ছি ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা দু’জন আমার থেকে অধিক শক্তিশালী নও এবং সওয়াব ও
পুরস্কার লাভের অগ্রোহ তোমাদের চেয়ে আমার কম নয় ৷ ৷; ৷ ১াএ গ্রা ছেঃন্দ্বুা৷ @ ৷ ৷)
ইমাম নড়াসাঈ এ হাদীছ হাসান ইবন সালামা সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ লেখক
বলেন, সম্ভবত আবু লুবাবাকে রাওহড়া থেকে ফেরত পাঠান পর্যন্ত তিনি রাসুলের সহ-আরোহী
ছিলেন ৷ আবু লুবাবা চলে যাওয়ার পর তার সহ-আরোহী হন আলী এবং আবু লুবাবার পরিবর্তে
মারছাদ ৷ ইমাম আহমদ আইশা থেকে বর্ণনা করেন, বদর অভিযানে আজরাসে পৌছে
রাসুল (সা) উটের র্কাধের কিছু অংশ চিরে দিতে বলেন ৷ বুখারী ও মুসলিমের শর্ভে হাদীছটি
বর্ণিত ৷ নাসাঈ কাতাদা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ হাফিয মিযযী সাঈদ ইবন বিশর ও
হিশাম আবু হুরায়রা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারী বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবন
বুকায়র আবদুল্লাহ ইবন বাজার থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি কাআব ইবন মালিককে
বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, সেগুলোর মধ্যে তাবুক
অভিযান ব্যতীত অন কোন যুদ্ধ থেকে আমি পিছিয়ে থাকিনি ৷ তবে বদর যুদ্ধেও আমি
অংশগ্রহণ করিনি ৷ কিন্তু বদর যুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেনি, তাদের কাউকেই আল্লাহ তিরস্কার
করেননি ৷ কারণ, প্রকৃত পক্ষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরায়শ কাফিলাকে ধরার উদ্দেশ্যেই কেবল বের
হয়েছিলেন ৷ কিন্তু আকস্মিকভাবে আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের শত্রুর মুকাবিলায় এনে দেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা থেকে মক্কার পথে উঠে মদীনায় বাইরের
গিরিপথ দিয়ে অগ্রসর হতে লাগলেন এবং পর্যায়ক্রমে আকীক , যুল-হুলায়ফা, উলাতৃল জায়শ,
তুরবান, মালাল, পামীসুল-হুমাম, সাখীরাতুল-ইয়ামামা, সায়ালা হয়ে ফাজ্বজুর রাওহাতে
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ ( «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِالْأَجْرَاسِ أَنْ تُقْطَعَ مِنْ أَعْنَاقِ الْإِبِلِ يَوْمَ بَدْرٍ» . وَهَذَا عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَإِنَّمَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ بِهِ.
قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الْمِزِّيُّ فِي " الْأَطْرَافِ ": وَتَابَعَهُ سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ وَقَدْ رَوَاهُ هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا، إِلَّا فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، غَيْرَ أَنِّي تَخَلَّفْتُ عَنْ غَزْوَةِ بَدْرٍ، وَلَمْ يُعَاتِبِ اللَّهُ أَحَدًا تَخَلَّفَ عَنْهَا، إِنَّمَا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ عِيرَ قُرَيْشٍ،
পৃষ্ঠা - ২৩৫৫
حَتَّى جَمَعَ اللَّهُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّهِمْ عَلَى غَيْرِ مِيعَادٍ» . تَفَرَّدَ بِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَسَلَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرِيقَهُ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ عَلَى نَقْبِ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ عَلَى الْعَقِيقِ، ثُمَّ عَلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ، ثُمَّ عَلَى أُولَاتِ الْجَيْشِ، ثُمَّ مَرَّ عَلَى تُرْبَانَ، ثُمَّ عَلَى مَلَلٍ، ثُمَّ عَلَى غَمِيسِ الْحَمَامِ، ثُمَّ عَلَى صُخَيْرَاتِ الْيَمَامِ، ثُمَّ عَلَى السَّيَالَةِ، ثُمَّ عَلَى فَجِّ الرَّوْحَاءِ، ثُمَّ عَلَى شَنُوكَةَ، وَهِيَ الطَّرِيقُ الْمُعْتَدِلَةُ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِعِرْقِ الظُّبْيَةِ، لَقِيَ رَجُلًا مِنَ الْأَعْرَابِ، فَسَأَلُوهُ عَنِ النَّاسِ، فَلَمْ يَجِدُوا عِنْدَهُ خَبَرًا، فَقَالَ لَهُ النَّاسُ: سَلِّمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: أَوَفِيكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالُوا: نَعَمْ. فَسَلَّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: لَئِنْ كُنْتَ رَسُولَ اللَّهِ، فَأَخْبِرْنِي عَمَّا فِي بَطْنِ نَاقَتِي هَذِهِ. قَالَ لَهُ سَلَمَةُ بْنُ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍ: لَا تَسْأَلْ رَسُولَ اللَّهِ وَأَقْبِلْ عَلَيَّ، فَأَنَا أُخْبِرُكَ عَنْ ذَلِكَ، نَزَوْتَ عَلَيْهَا، فَفِي بَطْنِهَا مِنْكَ سَخْلَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَهْ، أَفْحَشْتَ عَلَى الرَّجُلِ " ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْ سَلَمَةَ وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ سَجْسَجَ، وَهِيَ بِئْرُ الرَّوْحَاءِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ مِنْهَا حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْهَا بِالْمُنْصَرَفِ، تَرَكَ طَرِيقَ مَكَّةَ بِيَسَارٍ وَسَلَكَ ذَاتَ الْيَمِينِ عَلَى النَّازِيَةِ، يُرِيدُ بَدْرًا، فَسَلَكَ فِي نَاحِيَةٍ مِنْهَا، حَتَّى إِذَا جَزَعَ وَادِيًا يُقَالُ لَهُ: رُحْقَانُ بَيْنَ النَّازِيَةِ وَبَيْنَ مَضِيقِ الصَّفْرَاءِ، ثُمَّ عَلَى
পৃষ্ঠা - ২৩৫৬
পৌছেন ৷ সেখান থেকে তিনি শানুকার সমতল পথ ধরে চলতে লাগলেন ৷ তিনি যখন আরকুয
যাৰিয়া নামক স্থানে পৌছেন, তখন এক বেদুঈনের সাথে তার সাক্ষাত হয় ৷ মুসলিম সৈন্যরা
তার নিকট কুরায়শদের পৌজথবর জিজ্ঞেস করে ৷ কিন্তু তার থেকে তারা কােনই তথ্য জানতে
পারলাে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে সালাম করার জন্যে তারা বেদুঈনকে পরামর্শ দেয় ৷ সে অবাক
হয়ে জিজ্ঞেস করে , তোমাদের মাঝে কি আল্লাহর রাসুল (সা) উপস্থিত আছেন ? তারা বললেন :
হী৷ আছেন ৷ এরপর সে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-কে সালাম করে বললাে, আপনি যদি রাসুল হয়ে
থাকেন, তা হলে বলুন দেখি, আমার এই উটনীটির গর্ভে কী আছে ? তখন সালামা ইবন সুলামা
ইবন ওয়াক্কা তাকে বললেন, রাসুলুল্লাহ্র নিকট এই কথা জিজ্ঞেস করো না ৷ আমার কাছে
এসো, আমি তোমাকে এ ব্যাপারে বলে দেবাে ৷ তুমি এই উটনীর সাথে সংগম করেছ এবং তার
ফলে এর গর্ভে এখন তোমার ঔরসের একটি উটের বাচ্চা আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালামাকে
বললেন, চুপ থাক, এ লােকটিকে তুমি অশ্লীল কথা বলেছো ৷ এই বলে তিনি সালামা থেকে মুখ
ফিরিয়ে নিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রাওহার সাজাজ নামক কুপের কাছে গিয়ে অবতরণ
করেন ৷ এখানে কিছু সময় কাটাবার পর আবার যাত্রা শুরু করেন ৷ একটা মােড়ের নিকট পৌছে
মক্কার পথ বামে রেখে ডান দিকে নাযিয়ার উপর দিয়ে বদর অভিমুখে তারা চলতে থাকেন ৷
মক্কার নিকটবর্তী এসে রাহ্কান নামক একটি উপত্যকা তিনি আড়াআড়িভাবে অতিক্রম
করেন ৷ এই উপত্যকাটি নাযিয়া ও সাফরা গিরিপথের মাঝখানে অবস্থিত ৷ এরপর তিনি আরও
একটি সংকটময় গিরিপথ অতিক্রম করে সাফরায় পৌছলেন ৷ সেখান থেকে আবু সুফিয়ান সাখর
ইবন হারব ও অন্যদের সংবাদ সংগ্রহের জন্যে বাসৃবাসৃ ইবন আমর জুহানী (বনু সাইদার মিত্র)
ও আদী ইবন আবুয-যাগরা (বনু নাজ্জারের মিত্র) কে বদর এলাকায় পাঠান ৷ কিভু মুসা ইবন
উকবা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা থেকে যাত্রা করার পুর্বেই এ দু’জনকে পাঠিয়েছিলেন ৷
তারা ফিরে এসে জানালেন যে, কুবায়শরা তাদের বাণিজ্য কাফেলাকে রক্ষা করার জন্যে মক্কা
থেকে যাত্রা শুরু করেছে ৷ মুসা ইবন উকবা এবং ইবন ইসহাক উভয়ের বর্ণনা যদি সঠিক হয়
তবে ধরে নিতে হবে সে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে দু’বার প্রেরণ করেছিলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, ঐ দু’জনকে পাঠিয়ে দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) রওনা হন ৷ দু’টি পর্বতের
মাঝখানে অবস্থিত সড়াফ্রা নামক জনপদে উপনীত হয়ে তিনি ঐ দু’টি পাহাড়ের নাম জানতে
চান ৷ তাকে জানান হলো যে, একটির নাম মুসলিহ এবং অপরটির নাম মুখরী ৷ এরপর তিনি
পাহাড় দুটির অধিবাসীদের পরিচয় জানতে চান ৷ তাকে জানান হলো, এরা হচ্ছে গিফার
গোত্রের দু’টি শাখা বনু নার ও বনু হারাক ৷ এ নাম দু’টি শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিরক্তি প্রকাশ
করেন এবং নাম দুটিকে অশুভ মনে করে তার মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করা শুভ মনে করলেন
না ৷ তাই তিনি ঐ দু’টি পাহাড় ও সাফরা জনপদ বামে রেখে ডান দিকে যাফ্রান নামক
উপত্যকা আড়াআড়িভাবে পাড়ি দিয়ে যাত্রা বিরতি করেন ৷ এখানে পৌছে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ৎবাদ পেলেন যে, কুরায়শরা তাদের বাণিজ্য কাফেলা রক্ষড়ার্থে প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে এসেছে ৷
তিনি তার সাথিগণকে এ বিষয়ে অবহিত করেন এবং এখন কী করা উচিত সে সম্পর্কে তাদের
থেকে পরামর্শ আহ্বান করেন ৷ আবু বকর সিদ্দীক (রা) উঠে চমৎকার ভাবে নিজের মতামত
الْمَضِيقِ، ثُمَّ انْصَبَّ مِنْهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ قَرِيبًا مِنَ الصَّفْرَاءِ، بَعَثَ بَسْبَسَ بْنَ عَمْرٍو الْجُهَنِيَّ، حَلِيفَ بَنِي سَاعِدَةَ، وَعَدِيَّ بْنَ أَبِي الزَّغْبَاءِ، حَلِيفَ بَنِي النَّجَّارِ إِلَى بَدْرٍ، يَتَجَسَّسَانِ لَهُ الْأَخْبَارَ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبٍ وَعِيرِهِ.
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: بَعَثَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا رَجَعَا فَأَخْبَرَاهُ بِخَبَرِ الْعِيرِ، اسْتَنْفَرَ النَّاسَ إِلَيْهَا. فَإِنْ كَانَ مَا ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَابْنُ إِسْحَاقَ مَحْفُوظًا، فَقَدْ بَعَثَهُمَا مَرَّتَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: ثُمَّ ارْتَحَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ قَدَّمَهُمَا، فَلَمَّا اسْتَقْبَلَ الصَّفْرَاءَ، وَهِيَ قَرْيَةٌ بَيْنَ جَبَلَيْنِ، سَأَلَ عَنْ جَبَلَيْهَا: مَا أَسْمَاؤُهُمَا؟ فَقَالُوا: يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا: مُسْلِحٌ. وَلِلْآخَرِ: مُخْرِئٌ. وَسَأَلَ عَنْ أَهْلِهِمَا، فَقِيلَ: بَنُو النَّارِ، وَبَنُو حُرَاقٍ، بِطْنَانِ مِنْ غِفَارٍ. فَكَرِهَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُرُورَ بَيْنَهُمَا، وَتَفَاءَلَ بِأَسْمَائِهِمَا وَأَسْمَاءِ أَهْلِهِمَا، فَتَرَكَهُمَا وَالصَّفْرَاءَ بِيَسَارٍ، وَسَلَكَ ذَاتَ الْيَمِينِ، عَلَى وَادٍ يُقَالُ لَهُ: ذَفِرَانُ فَجَزَعَ فِيهِ ثُمَّ نَزَلَ، وَأَتَاهُ الْخَبَرُ عَنْ قُرَيْشٍ وَمَسِيرِهِمْ لِيَمْنَعُوا عِيرَهُمْ، فَاسْتَشَارَ النَّاسَ وَأَخْبَرَهُمْ عَنْ قُرَيْشٍ، فَقَامَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فَقَالَ وَأَحْسَنَ، ثُمَّ قَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ وَأَحْسَنَ، ثُمَّ قَامَ الْمِقْدَادُ بْنُ عَمْرٍو فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ امْضِ لِمَا أَرَاكَ اللَّهُ فَنَحْنُ مَعَكَ، وَاللَّهِ لَا نَقُولُ لَكَ كَمَا قَالَ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِمُوسَى: اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ. وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا مَعَكُمَا
পৃষ্ঠা - ২৩৫৭
রক্তে করেন ৷ এরপর উমর ইবন খাত্তাব (রা) দাড়িয়ে বলিষ্ঠভাবেত তার অভিমত ব্যক্ত করেন ৷
এরপর মিক্দাদ ইবন আমর দণ্ডায়মান হন ৷ তিনি বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া অাল্লাহ্ আপনাকে যা
করতে নির্দেশ দেন আপনিতাই করুন, আমরা আপনার সং পে আাছি ৷ আল্লাহর কসম আমরা
আপনাকে সে কথা বলবো না, যে কথা বনী ইসরাঈলরা মুসা (আর্মুা-কে বলেছিল ৷ তারা
বলেছিল : আপনি ও আপনার প্রতিপালক যুদ্ধ করুন পে আমরা এখানে বসে থাকলাম ৷ কিন্তু
আমরা বলছি : আপনি ও আপনার প্রতিপালক যুদ্ধে যান, আমরাও আপনাদের সাথে থেকে যুদ্ধ
কররো ৷ সেই সত্তার কসম , যিনি আপনাকে সত্য দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন, আপনি যদি
আমাদেরকে নিয়ে সুদুর বারকুল গিমাদেও যেতে চান, তবে আমরা আপনার সংগী হয়ে সেখান
পর্যন্ত পৌছবাে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিকদাদের প্রশংসা করলেন এবং, তার মংগলের জন্যে দু’আ
করলেন ৷
এরপর তিনি উপস্থিত লোকদের কাছ থেকে পুনরায় পরামর্শ আহ্বান করলেন ৷ তিনি মনে
মনে চাচ্ছিলেন যে, আনসারদের মধ্য হতে কেউ কিছু বলুক ৷ এর কারণ হলো, আনসারদের বড়
একটা সং খ্যা সেখানে উপ তছিল ৷ কিন্তু আক বা গিবিগুহায় যখন তারা রাসুলের নিকট
বায়আত গ্রহণ করেছিলেন, তখন তারা বলেছিলেন হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আমাদের
আবাসভুমিতে না পৌছা পর্যন্ত আমরা আপনার নিরাপত্তার দায়িতু পালনে সক্ষম হবো না ৷ যখন
আপনি আমাদের মাঝে চলে আসবেন, তখন থেকে আপনি আমাদের দায়িত্বে থাকবেন ৷ আমরা
আপনাকে বিপদ-আপদ ও শত্রু থেকে সেইরুপ রক্ষা করবো যেমনটি আমাদের সন্তানাদি ও
পবিবার পরিজনকে করে থাকি ৷ এ জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না) আশংকাকরছিলেন যে, আনসারগণ
এ কথা ভাবতে পারেন যে, মদীনায় তিনি শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে তখনই তাদের উপর তার
নিরাপত্তার দায়িতৃ বর্তায় ৷ কিন্তু তিনি মদীনায় বাইরে কো ন শত্রুর বিরুদ্ধে অভিযান পবিচালনা
করলে সেই অভিযানে শরীক হওয়া তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন
পরামর্শ চান, তখন সাআদ ইবন ঘুআয উঠে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ আপনি সম্ভবত আমাদের
(আনসারদের) দিকে ইঙ্গিত করছেন ৷ তিনি বললেন, হীা ৷ সাআদ বললেন, “আমরা আপনার
উপর ঈমান এসেছি ৷ আপনার দাওয়াতকে সত্য বলে গ্রহণ করেছি ৷ আপনি যে বিধি বিধান
নিয়ে এসেছেন তার সত্য৩ তার উপর সাক্ষ্য দিয়েছি এবং এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আপনার
নিকট অংগীকার করেছি ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি যে, আপনার কথা শনুবাে ও আপনার আনুগত্য
করবো ৷ সুতরাং ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি যা সংকল্প করেছেন তাই করুন! আমরা আপনার
সংগে আছি ৷ সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য বিধানসহ পাঠিয়েছেন, আপনি যদি
আমাদেরকে নিয়ে সমুদ্রে যান এবং তাতে বাপ দেন, তবে আমরাও তাতে বাপিয়ে পড়বো ৷
আমাদের একটি লোকও এ ব্যাপারে পিছিয়ে থাকবে না ৷ আপনি যদি আমাদেরকে নিয়ে
আগামীকাল শত্রুর মুকাবিলা করতে চান, তবে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই ৷ যুদ্ধে
আমরা ধৈর্যশীল এবং শত্রুর মুকাবিলায় অটল থাকরো ৷ হতে পারে আল্লাহ আমাদের দ্বারা এমন
বীরতৃ দেখাবেন, যা দেখে আপনার চোখ জুড়াবে ৷ সুতরাং আল্লাহর উপরা ভরসা করে আপনি
সামনে অগ্রসর হোন ৷ ” সাআদ এর এ বক্তব্য শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) অত ত্যম্ভ আনন্দিত হলেন
এবং উৎসা হিত বোধ করলেন ৷ এরপর সবাইকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, “€ তামরা সম্মুখে অংাসর
مُقَاتِلُونَ، فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَوْ سِرْتَ بِنَا إِلَى بَرْكِ الْغِمَادِ، لَجَالَدْنَا مَعَكَ مِنْ دُونِهِ حَتَّى تَبْلُغَهُ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرًا وَدَعَا لَهُ. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَشِيرُوا عَلَيَّ أَيُّهَا النَّاسُ ". وَإِنَّمَا يُرِيدُ الْأَنْصَارَ، وَذَلِكَ أَنَّهُمْ كَانُوا عَدَدُ النَّاسِ، وَأَنَّهُمْ حِينَ بَايَعُوهُ بِالْعَقَبَةِ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا بُرَآءُ مِنْ ذِمَامِكَ حَتَّى تَصِلَ إِلَى دِيَارِنَا، فَإِذَا وَصَلْتَ إِلَيْنَا، فَأَنْتَ فِي ذِمَّتِنَا، نَمْنَعُكَ مِمَّا نَمْنَعُ مِنْهُ أَبْنَاءَنَا وَنِسَاءَنَا. فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَخَوَّفُ أَنْ لَا تَكُونَ الْأَنْصَارُ تَرَى عَلَيْهَا نَصْرَهُ إِلَّا مِمَّنْ دَهَمَهُ بِالْمَدِينَةِ مِنْ عَدُوِّهِ، وَأَنْ لَيْسَ عَلَيْهِمْ أَنْ يَسِيرَ بِهِمْ إِلَى عَدُوٍّ مِنْ بِلَادِهِمْ. فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ: وَاللَّهِ لَكَأَنَّكَ تُرِيدُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَجَلْ " قَالَ: فَقَدْ آمَنَّا بِكَ، وَصَدَّقْنَاكَ، وَشَهِدْنَا أَنَّ مَا جِئْتَ بِهِ هُوَ الْحَقُّ، وَأَعْطَيْنَاكَ عَلَى ذَلِكَ عُهُودَنَا وَمَوَاثِيقَنَا عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لَكَ، فَامْضِ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَا أَرَدْتَ فَنَحْنُ مَعَكَ، فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ، لَوِ اسْتَعْرَضْتَ بِنَا الْبَحْرَ فَخُضْتَهُ لَخُضْنَاهُ مَعَكَ، مَا تَخَلَّفَ مِنَّا رَجُلٌ وَاحِدٌ، وَمَا نَكْرَهُ أَنْ تَلْقَى بِنَا عَدُوَّنَا غَدًا، إِنَّا لَصُبُرٌ فِي الْحَرْبِ، صُدُقٌ عِنْدَ اللِّقَاءِ، لَعَلَّ اللَّهَ يُرِيكَ مِنَّا مَا تَقَرُّ بِهِ عَيْنُكَ، فَسِرْ عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ. قَالَ: فَسُرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِ سَعْدٍ وَنَشَّطَهُ. ثُمَّ قَالَ: سِيرُوا وَأَبْشِرُوا فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ وَعَدَنِي إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، وَاللَّهِ لَكَأَنِّي الْآنَ أَنْظُرُ إِلَى مَصَارِعِ الْقَوْمِ هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ২৩৫৮
وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ، فَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مُخَارِقٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ: «شَهِدْتُ مِنَ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ مَشْهَدًا لَأَنْ أَكُونَ صَاحِبَهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا عُدِلَ بِهِ، أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَدْعُو عَلَى الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ لَا نَقُولُ كَمَا قَالَ قَوْمُ مُوسَى: اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ. وَلَكِنْ نُقَاتِلُ عَنْ يَمِينِكَ وَعَنْ شِمَالِكَ، وَبَيْنَ يَدَيْكَ وَخَلْفَكَ. فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْرَقَ وَجْهُهُ وَسَرَّهُ» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ، فَرَوَاهُ فِي مَوَاضِعَ مِنْ " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ مُخَارِقٍ بِهِ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِهِ، وَعِنْدَهُ: جَاءَ الْمِقْدَادُ يَوْمَ بَدْرٍ عَلَى فَرَسٍ. فَذَكَرَهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عُبَيْدَةُ هُوَ ابْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «اسْتَشَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَخْرَجَهُ إِلَى بَدْرٍ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ اسْتَشَارَهُمْ فَأَشَارَ عَلَيْهِ عُمَرُ، ثُمَّ اسْتَشَارَهُمْ، فَقَالَ بَعْضُ الْأَنْصَارِ: إِيَّاكُمْ يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ. فَقَالَ بَعْضُ الْأَنْصَارِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا لَا نَقُولُ كَمَا قَالَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِمُوسَى: اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ. وَلَكِنْ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَوْ ضَرَبْتَ أَكْبَادَهَا إِلَى بَرْكِ الْغِمَادِ لَاتَّبَعْنَاكَ» . وَهَذَا الْإِسْنَادُ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ.
পৃষ্ঠা - ২৩৫৯
হও এবং সুস০ বাদ গ্রহণ কর ৷ কেননা, আল্লাহ আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, দু’দলের
একদল আমাদের করায়ত্ত হবে ৷” আল্লাহর কসম, শত্রুদের মধ্যে যারা যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হবে,
তাদের সেই স্থানওলে৷ যেন আমি এখনই দেখতে পাচ্ছি ৷
ইবন ইসহাকের এই বর্ণনার সমর্থনে আরও অনেকের বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ সেগুলোর মধ্যে
ইমাম বুখারী আবু নৃআয়মের সুত্রে ইবন মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : আমি
মিকদাদ ইবন আসওয়াদের দ্বারা এমন একটি দৃশ্য সংঘটিত হতে দেখেছি, তা যদি আমার দ্বারা
ৎঘটিত হত তবে দুনিয়ার সকল সম্পদের চাইতে ওটাই আ ৷ হু কাছে অধিকতর প্রিয় হতো ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ঘৃশব্রিকদের বিরুদ্ধে লড় ই করার জন্যে আহ্বান করেন, তখন মিকদাদ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এসে বললেন, আমরা আপনাকে সে রকম কথা বলবো না, যে রকম
মুসা (আ) এর সম্প্রদায় মুসা (আ) কে বলেছিল ৷৩ তারা বলেছিল ভুমি ও তোমার প্ৰতিপালক
যেয়ে যুদ্ধ কর, আমরা এখানে বসে থাকলাম ৷ বর০ আমরা আপনার ভাবে, বামে, সম্মুখে ও
পশ্চাতে থেকে যুদ্ধ করবো ৷ ইবন মাসউদ বলেন, আমি দেখলাম, মিকদাদের এ কথায়
রাসুলুল্লাহ্র চেহারা হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠেছে এবং তিনি অত্যন্ত খুশী হয়েছেন ৷
বুখারী তার সহীহ্’ গ্রন্থে এককভাবে কয়েক স্থানে এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন যা মুসলিমে
নেই ৷ ইমাম নাসাঈও এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তার বর্ণনায় এই কথাটা বাড়তি আছে
যে, বদর যুদ্ধে মিকদাদ ইবন আসওয়াদ ঘোড়ার চড়ে আসেন এবং অনুরুপ ভাষণ দেন ৷ ইমাম
আহমদ উবায়দা আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন০ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বদর প্রাম্ভরে যাওয়া
সম্পর্কে সাথী স০ গীদের থেকে পরামর্শ আহ্বান করেন ৷ আবু বকর (রা)ত তার পরামর্শ ব্যক্ত
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পুনরায় পরামর্শ আহ্বান করেন ৷ উমর (রা) উঠে৩ ৷র পরামর্শ ব্যক্ত
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণের নিকট আবারও পরামর্শ চান ৷ তখন একজন আনসার
সাহাবী দাড়িয়ে বলেন, হে আনসার ভাইয়েরা ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপনাদের মতামত বিশেষ করে
জানতে চাচ্ছেন ৷ তখন জনৈক আনসার সাহাবী উঠে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমরা
আপনাকে সেরুপ কথা বলবো না যেরুপ বলেছিল বনী ইসরাঈল তাদের নবী মুসা (আ) কে ৷
তারা বলেছিল, ভুমি ও তোমার বব গিয়ে যুদ্ধ কর, আমরা এখানে বসে থাকলাম ৷ কিন্তু আমরা
ঐ সত্তার কসম করে বলছি, যিনি আপনাকে স৩ ব্র বিধান দিয়ে পাঠিয়েছেন, আপনি যদি সুদুর
পথ পাড়ি দিয়ে দুর্গম বারকুল গিমাদে যেতে চান,৩ তবে আমরা অবশ্যই আপনার সাথে
থাকবো ৷ এ হাদীছটি ছুলাহী বা তিনজন রাবীর মাধ্যমে বর্ণিত এবং সহীহ্র শর্ত অনুযায়ী
বিশুদ্ধ ৷ ইমাম আহমদ আফ্ফান সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে আরও বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদের নিকট থেকে পরামর্শ তখনই আহ্বান করেন যখন আবু সুফিয়ানের
আগমনের সংবাদ তার কাছে এসে পৌছে ৷ তখন আবু বকর (বা) পরামর্শ দিলে তিনি মুখ
ফিরিয়ে নেন ৷ এরপর উমর (রা) আলোচনা করলেন ৷ কিভু এবারও তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন ৷
এবার সাআদ ইবন উবাদা (আনসারী) উঠে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের
(আনসারদের)-ই মতামত জানতে চাচ্ছেন ৷ সেই আল্লাহর কসম, যার হাতের মুঠোয় আমার
জীবন, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! আপনি যদি আমাদেরকে সমুদ্রে বাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন, তবে
وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ عَنْ، أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاوَرَ حَيْثُ بَلَغَهُ إِقْبَالُ أَبِي سُفْيَانَ. قَالَ: فَتَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ تَكَلَّمَ عُمَرُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: إِيَّانَا يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَمَرْتَنَا أَنْ نُخِيضَهَا الْبِحَارَ لَأَخَضْنَاهَا، وَلَوْ أَمَرْتَنَا أَنْ نَضْرِبَ أَكْبَادَهَا إِلَى بَرْكِ الْغِمَادِ لَفَعَلْنَا، فَنَدَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ. قَالَ: فَانْطَلَقُوا حَتَّى نَزَلُوا بَدْرًا، وَوَرَدَتْ عَلَيْهِمْ رَوَايَا قُرَيْشٍ، وَفِيهِمْ غُلَامٌ أَسْوَدُ لِبَنِي الْحَجَّاجِ فَأَخَذُوهُ، وَكَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَهُ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ وَأَصْحَابِهِ، فَيَقُولُ مَا لِي عِلْمٌ بِأَبِي سُفْيَانَ، وَلَكِنْ هَذَا أَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَعُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةُ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ. فَإِذَا قَالَ ذَلِكَ ضَرَبُوهُ، فَإِذَا ضَرَبُوهُ، قَالَ: نَعَمْ، أَنَا أُخْبِرُكُمْ، هَذَا أَبُو سُفْيَانَ. فَإِذَا تَرَكُوهُ فَسَأَلُوهُ قَالَ: مَا لِي بِأَبِي سُفْيَانَ عِلْمٌ، وَلَكِنْ هَذَا أَبُو جَهْلٍ وَعُتْبَةُ وَشَيْبَةُ وَأُمَيَّةُ فِي النَّاسِ. فَإِذَا قَالَ هَذَا أَيْضًا ضَرَبُوهُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ انْصَرَفَ فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لَتَضْرِبُونَهُ إِذَا صَدَقَكُمْ، وَتَتْرُكُونَهُ إِذَا كَذَبَكُمْ. قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا مَصْرَعُ فُلَانٍ غَدًا. يَضَعُ يَدَهُ عَلَى الْأَرْضِ هَاهُنَا وَهَاهُنَا. فَمَا أَمَاطَ أَحَدُهُمْ عَنْ مَوْضِعِ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَفَّانَ بِهِ نَحْوَهُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي " تَفْسِيرِهِ "، وَابْنُ مَرْدَوَيْهِ، وَاللَّفْظُ لَهُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৩৬০
আমরা অবশ্যই তাতে বাড়াপিয়ে পড়বাে ৷ যদি আমাদেরকে বারকুল গিমাদের দিকে সওয়ারী
হীকাতে আদেশ দেন, তবে আমরা নিদ্বিধায় তাই করবো ৷ এ কথার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সােকজনকে অভিযানে বেরিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন ৷ মুসলিম সেনারা তখন যাত্রা করে বদর
প্রাম্ভরে উপনীত হয় ৷
মুসলিম বাহিনী যেখানে অবতরণ করেছিল সেখানে কুরায়শদের কয়েকটি উট এসে হাযির
হয় ৷ এই উট গানের মধ্যে বনু হাজ্বজাজের এক কৃষ্ণকায় গোলড়ামও ছিল ৷ মুসলমানরা তাকে
ধরে এনে আবু সুফিয়ান ও তার কাফেলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন ৷ সে বারবার
বলছিল যে, আবু সুফিয়ানের কোন সংবাদ আমি জানি না ৷ তবে অবু জাহ্ল ইবন হিশাম,
উতবা ইবন রাবীআ এবং উমাইয়া ইবন খালফ এই কাছেই আছে ৷ (:ণালামঢি এই কথা বললে
মুসলমানরা তাকে প্রহার করলেন ৷ মার খেয়ে সে বললো, ছুা৷, আবু সৃফিয়ানের সংবাদ বলছি
যে নিকটেই আছে ৷ এরপর তাকে ছেড়ে দিয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসফোদ করলে সে বলগাে, আবু
সুফিয়ানের কোন সংবাদ আমার জানা নেই, তবে আবু জাহ্০দ্, উতংণ, শায়বা ও উমাইয়া
কাছেই অবস্থান করছে ৷ সে যখন দ্বিতীয়বার এই কথা বললো, তখন সাহাবীগণ তাকে আবার
প্রহার করা শুরু করলেন ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালাত আদায় করছিলেন ৷ তা লক্ষ্য করে
তিনি সালাত শেষ করে বললেন, যে আল্লাহর হাতে আমার জীবন তার কসম , সে যখন সত্য
কথা বলছিল তোমরা তখন তাকে প্ৰহড়ার করছিলে ৷ আর যখন সে মিথ্যা বললাে, তখন ছেড়ে
দিলে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাটির উপর হাত রেখে চিহ্নিত করে দেখাচ্ছিলেন যে,
কাফিরদের মধ্যে এখানে অমুক এখানে অমুক নিহত হবে ৷ যুদ্ধ শেষে দেখা গেল যে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর চিহ্নিত স্থানগুলো তাদের মধ্যে কেউই অতিক্রম করেনি ৷ (যার জানা যেই স্থান
চিহ্নিত করেছিলেন, যে সেই স্থানেই নিহত হয়েছে ৷ )
ইমাম মুসলিম আবু বকর সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আবু হাতিম তার তাফসীর
গ্রন্থে এবং ইবন মারদাবিয়াহ তীর হাদীছ গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইবন লুহায়য়া সুত্রে আবু আইয়ুব
আনসারী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা মদীনায় অবস্থান করছিলাম ৷ একদা
রাসুলুল্পাহ্ (না) আমাদের উদ্দেশ্যে বললেন : আমি সংবাদ পেয়েছি, আবু সুফিয়ান তার বাণিজ্য
কাফেলাসহ মক্কা অভিমুখে রওনা হয়েছে, এখন তোমরা কি ভাল মনে কর না যে, আমরা ঐ
বাণিজ্য কাফেলার উপর হামলা করি ? হয়তো আল্লাহ এই কাফেলাকে আমাদেরকে গনীমত
হিসেবে দান করবেন? আমরা বললাম, হীড়া, আমরা তা চাই ৷ এরপর বাসুলুল্লাহ্ (সা) বের
হলেন, আমরাও বের হলড়াম ৷ এক দিন বা দুই দিন পথ চলার পর তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে
বললেন : তোমরা যে মদীনা থেকে বেরিয়ে এসেছ এ সংবাদ কুরায়শরা জেনে গেছে ৷ সুতরাং
তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে তোমাদের মত কি ? আমরা বললাম, এ ব্যাপারে আমাদের
মত নেতিবাচক ৷ আল্লাহ্র কসম, ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সামর্থ আমাদের নেই ৷ আমরা
তো বাণিজ্য কাফেলার উদ্দেশ্যে এসেছি ৷ তিনি পুনরায় বললেন, কুরায়শ সশস্ত্র বাহিনীর সাথে
যুদ্ধ করার ব্যাপারে তোমাদের অভিমত কী ? আমরা আগের মতই উত্তর দিলাম ৷ এ সময়
মিক্দাদ ইবন আমর উঠে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমরা আপনাকে সে কথা বলবো না
طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ يَقُولُ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِالْمَدِينَةِ إِنِّي أُخْبِرْتُ عَنْ عِيرِ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّهَا مُقْبِلَةٌ، فَهَلْ لَكُمْ أَنْ نَخْرُجَ قِبَلَ هَذِهِ الْعِيرِ، لَعَلَّ اللَّهَ يُغْنِمُنَاهَا؟ فَقُلْنَا: نَعَمْ. فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا، فَلَمَّا سِرْنَا يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ، قَالَ لَنَا: مَا تَرَوْنَ فِي الْقَوْمِ فَإِنَّهُمْ قَدْ أُخْبِرُوا بِمَخْرَجِكُمْ فَقُلْنَا: لَا وَاللَّهِ، مَا لَنَا طَاقَةٌ بِقِتَالِ الْقَوْمِ، وَلَكِنَّا أَرَدْنَا الْعِيرَ. ثُمَّ قَالَ: مَا تَرَوْنَ فِي قِتَالِ الْقَوْمِ؟ فَقُلْنَا مِثْلَ ذَلِكَ، فَقَالَ الْمِقْدَادُ بْنُ عَمْرٍو: إِذًا لَا نَقُولُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمَا قَالَ قَوْمُ مُوسَى لِمُوسَى: اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ. قَالَ: فَتَمَنَّيْنَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ لَوْ أَنَّا قُلْنَا مِثْلَ مَا قَالَ الْمِقْدَادُ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ أَنْ يَكُونَ لَنَا مَالٌ عَظِيمٌ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى رَسُولِهِ: {كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنْ بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ} [الأنفال: 5] » [الْأَنْفَالِ: 5] وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ.
وَرَوَى ابْنُ مَرْدَوَيْهِ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَدْرٍ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالرَّوْحَاءِ، خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ: كَيْفَ تَرَوْنَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَلَغَنَا أَنَّهُمْ بِكَذَا وَكَذَا. قَالَ: ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ: " كَيْفَ تَرَوْنَ؟ ". فَقَالَ عُمَرُ مِثْلَ قَوْلِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ: " كَيْفَ تَرَوْنَ؟ ". فَقَالَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِيَّانَا تُرِيدُ، فَوَالَّذِي أَكْرَمَكَ وَأَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ
পৃষ্ঠা - ২৩৬১
مَا سَلَكْتُهَا قَطُّ، وَلَا لِي بِهَا عِلْمٌ، وَلَئِنْ سِرْتَ حَتَّى تَأْتِيَ بَرْكَ الْغِمَادِ مِنْ ذِي يَمَنٍ، لَنَسِيرَنَّ مَعَكَ، وَلَا نَكُونُ كَالَّذِينِ قَالُوا لِمُوسَى: اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ. وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا مَعَكُمْ مُتَّبِعُونَ وَلَعَلَّكَ أَنْ تَكُونَ خَرَجْتَ لِأَمْرٍ وَأَحْدَثَ اللَّهُ إِلَيْكَ غَيْرَهُ، فَانْظُرِ الَّذِي أَحْدَثَ اللَّهُ إِلَيْكَ فَامْضِ لَهُ، فَصِلْ حِبَالَ مَنْ شِئْتَ، وَاقْطَعْ حِبَالَ مَنْ شِئْتَ، وَعَادِ مَنْ شِئْتَ، وَسَالِمْ مَنْ شِئْتَ، وَخُذْ مِنْ أَمْوَالِنَا مَا شِئْتَ. فَنَزَلَ الْقُرْآنُ عَلَى قَوْلِ سَعْدٍ: {كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنْ بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ} [الأنفال: 5] الْآيَاتِ» . وَذَكَرَهُ الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ " وَزَادَ بَعْدَ قَوْلِهِ: وَخُذْ مِنْ أَمْوَالِنَا مَا شِئْتَ: وَأَعْطِنَا مَا شِئْتَ، وَمَا أَخَذْتَ مِنَّا كَانَ أَحَبَّ إِلَيْنَا مِمَّا تَرَكْتَ، وَمَا أَمَرْتَ بِهِ مِنْ أَمْرٍ، فَأَمْرُنَا تَبَعٌ لِأَمْرِكَ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ سِرْتَ حَتَّى تَبْلُغَ الْبَرْكَ مِنْ غُمْدَانَ لَنَسِيرَنَّ مَعَكَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ ارْتَحَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَفِرَانَ، فَسَلَكَ عَلَى ثَنَايَا يُقَالُ لَهَا: الْأَصَافِرُ. ثُمَّ انْحَطَّ مِنْهَا إِلَى بَلَدٍ يُقَالُ لَهُ: الدَّبَةُ. وَتَرَكَ الْحَنَّانَ بِيَمِينٍ، وَهُوَ كَثِيبٌ عَظِيمٌ كَالْجَبَلِ الْعَظِيمِ، ثُمَّ نَزَلَ قَرِيبًا مِنْ بَدْرٍ، فَرَكِبَ هُوَ وَرَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: هُوَ أَبُو بَكْرٍ.
পৃষ্ঠা - ২৩৬২
যেমনটি মুসা (আ) কে র্তার সম্প্রদায়ের লোকেরা বলেছিল আপনি ও আপনার প্রভু গিয়ে যুদ্ধ
করুন, আমরা এখানে অবস্থান করি ৷ রাবী বলেন, আমরা আনসাররা আফসোস করলাম যে,
মিকদাদের মত আমরাও যদি বলতে পারতাম, তা হলে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হওয়া
অপেক্ষা নিজেকে বেশী ধন্য মনে করতাম ৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ নিম্নের আয়াত তার
রাসুলের উপর নাযিল করেন :
“যেমন তোমার প্রতিপা লক তে তামাকে যথার্থভাবে তোমার গৃহ হতে বের করেছিলেন অথচ
বিশ্বাসীদের একদল এটা পসন্দ করেনি ৷ ” এরপর তিনি পুর্ণ ঘটনা উল্লেখ করেন ৷ ইবন
মারদাবিয়াহ মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন আলকামা ইবন ওয়াক্কাস আল লায়হী সুত্রেত তার পিতা
ও দাদার বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) বদরেরাদকে যাত্রা করে রাওহা
নামক স্থানে পৌছে সহযাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন৪ তোমরা কী মনে কর ? আবু বকর (বা)
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা)! শুনেছি তাদের সৈন্য ও অস্ত্র অনেক বেশী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মতামত কি ? এবার উমর (রা) উঠে আবু বকর (বা) এর
অনুরুপ মত ব্যক্ত করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবারও একই কথা জিজ্ঞেস করলেন তোমাদের
পরামর্শ কী ? এবার সাআদ ইবন মুআয (বা ) দাড়িয়ে বললেন, “ইয়া রাসুলা ল্লাহ্া আপনি সম্ভবত
আমাদের আনসারদের মতামত জানতে চাচ্ছেন ৷ আল্লাহর কলম, যিনি আপনাকে সম্মানিত
করেছেন এবং আপনার উপর কুরআন নাযিল করেছেন, আমরা এ পথে কিছুতেই আসতাম না
এ সম্পর্কে আমাদের কোন জ্ঞ ড়ানই ছিল না ৷ আপনি যদি সফর করতে করতে ইয়ামানের বারকুল
গিমাদ পর্যন্ত যান, তবে আমরাও অবশ্যই আপনার সফর-সৎগী হলো ৷ আমরা তাদের মত হবো
না যারা মুসা (আ)-কে বলেছিল, ভুমি ও তোমার বব যাও ও যুদ্ধ কর ৷ আমরা এখানে
থাকলাম ৷ বরং আমরা ববছি, আপনি ও আপনার রব যান ও যুদ্ধ করুন, আমরা আপনাদের
সাথে আছি ৷
পু ন্ঢুষ্স্থু
আপনি হয়তো এক উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন; কিন্তু আল্লাহ অন্য পরিস্থিতির সম্মুখীন করে
দিয়েছেন ৷ সুতরাং আল্লাহ যে পরিস্থিতি এনে দিয়েছেন সেটিকে গ্রহণ করুন, সেই দিকে অগ্রসর
হোন ৷ আপনি যাকে চান তাকে সং যুক্ত রাখুন ৷ যাকে চান নিযুক্ত করে দিন! আপনি যার সঙ্গে
ইচ্ছা শত্রুতা করুন, যার সঙ্গে ইচ্ছা মিত্রতা করুন এবং আমাদের সম্পদ থেকে যে পরিমাণ ইচ্ছা
তা গ্রহণ করুন !” সাআদের বক্তব্যের পর কুরআনের এ আয়াত নাযিল হয় : “যেমন তোমার
প্রতিপালক তোমাকে যথার্থভাবে তোমার গৃহ হতে বের করেছিলেন অথচ বিশ্বাসীদের একদল
এটা পসন্দ করেনি ৷” উমাবী তার মাগাষী গ্রন্থে এ হাদীছঢি বর্ণনা করেছেন এবং এই কথাটা
অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন যে, আপনি আমাদের সম্পদ থেকে যেটুকু ইচ্ছা গ্রহণ করুন, যেটুকু
ইচ্ছা আমাদের জন্যে রেখে দিন! তবে যে অৎ শ গ্রহণ করবেন তা রেখে দেয়া অংশ থেকে
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: كَمَا حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ: حَتَّى وَقَفَ عَلَى شَيْخٍ مِنَ الْعَرَبِ، فَسَأَلَهُ عَنْ قُرَيْشٍ وَعَنْ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ، وَمَا بَلَغَهُ عَنْهُمْ، فَقَالَ الشَّيْخُ: لَا أُخْبِرُكُمَا حَتَّى تُخْبِرَانِي مِمَّنْ أَنْتُمَا؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا أَخْبَرْتَنَا أَخْبَرْنَاكَ ". فَقَالَ: أَوَذَاكَ بِذَاكَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ الشَّيْخُ: فَإِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ خَرَجُوا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا، فَإِنْ كَانَ صَدَقَ الَّذِي أَخْبَرَنِي، فَهُمُ الْيَوْمَ بِمَكَانِ كَذَا وَكَذَا - لِلْمَكَانِ الَّذِي بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَبَلَغَنِي أَنَّ قُرَيْشًا خَرَجُوا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا، فَإِنْ كَانَ الَّذِي أَخْبَرَنِي صَدَقَنِي، فَهُمُ الْيَوْمَ بِمَكَانِ كَذَا وَكَذَا - لِلْمَكَانِ الَّذِي بِهِ قُرَيْشٌ - فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ خَبَرِهِ قَالَ: مِمَّنْ أَنْتُمَا؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَحْنُ مِنْ مَاءٍ " ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهُ. قَالَ: يَقُولُ الشَّيْخُ: مَا مِنْ مَاءٍ؟! أَمِنْ مَاءِ الْعِرَاقِ؟ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ يُقَالُ لِهَذَا الشَّيْخِ: سُفْيَانُ الضَّمْرِيُّ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا أَمْسَى بَعَثَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، وَسَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى مَاءِ بَدْرٍ، يَلْتَمِسُونَ الْخَبَرَ لَهُ، كَمَا حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، فَأَصَابُوا رَاوِيَةً لِقُرَيْشٍ، فِيهَا أَسْلَمُ غُلَامُ بَنِي الْحَجَّاجِ، وَعَرِيضٌ أَبُو يَسَارٍ غُلَامُ بَنِي الْعَاصِ بْنِ سَعِيدٍ، فَأَتَوْا بِهِمَا، فَسَأَلُوهُمَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَقَالُوا: نَحْنُ سُقَاةُ قُرَيْشٍ، بَعَثُونَا نَسْقِيهِمْ مِنَ الْمَاءِ. فَكَرِهَ الْقَوْمُ خَبَرَهُمَا،
পৃষ্ঠা - ২৩৬৩
আমাদের নিকট অধিকতর পসন্দনীয় হবে ৷ আপনি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছেন, সে বিষয়ে
আমাদের হুকুম করুন, আমরা আপনার হুকুম মত চলবাে ৷ আল্লাহর কসম, আপনি যদি অগ্রসর
হতে হতে বারকুল গিমাদ পর্যন্ত চলে যান, তবে আমরা অবশ্যই আপনার সাথে থাকবাে ৷”
ইবন ইসহাক বলেন, এরপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) যাফিরান থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং
আসাফির পাহাড়ের উচু পথ যেয়ে অগ্রসর হন ৷ এরপর বিরাট পাহাড়ের মত উচু হান্নান নামক
এক বালুর বিরাট ঢিবি ডানে রেখে পাহাড়ী পথ থেকে নেমে দিয়্যা (বা দাব্বা) নামক এক
জনপদে পৌছেন ৷ সেখান থেকে বদরের কাছাকাছি এক স্থানে যাত্রা বিরতি করেন ৷ এরপর
তিনি জনৈক সাহাবীকে নিয়ে ইবন ইিশামের মতে আবু বকর (রা ) কে নিয়ে উটে চড়ে অবস্থা
পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বাইরে যান ৷ কিছু দুর অগ্রসর হলে এক বৃদ্ধ বেদুঈনের সাথে তার দেখা
হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বুদ্ধের নিকট জিজ্ঞেস করেন : তুমি কুবায়শ্ষ্স্ব বাহিনী এবং মুহাম্মদ ও তার
সাহাবীদের অভিযান সম্পর্কে কোন স ং বাদ জ ন কি : বৃদ্ধটি বললাে, তোমাদের পরিচয় না দেয়া
পর্যন্ত আমি কোন সং বাদ জানাবাে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেলষ্ : তুমি আগে সং বাদ জানালে
আমাদের পরিচয়ও দেবাে ৷ বৃদ্ধ বললাে, তা হলে কি সং বন্ধুদের বিনিময়ে পরিচয় ? তিনি
বললেন, ইদ্রড়া ৷ বৃদ্ধ বললাে, আমি শুনেছি মুহাম্মাদ ও তার সাহাবীরা অমুক দিন রওনা হয়েছেন ৷
এ কথা যদি সত্য হয়, তবে আজ তারা অমুক জায়গায় থাকবেন ৷ বৃদ্ধটি ঐ জায়গার নাম
উল্লেখ করেন যে জায়গায় রাসুলুল্পাহ্র বাহিনী অবস্থান করছিল ৷ বৃদ্ধটি বললাে, আমি আরও
শুনেছি যে, কুরায়শরা অমুক দিন যাত্রা শুরু করেছেন ৷ আমার এ প্রাপ্ত সংবাদ যদি সত্য হয়,
তবে আজ তারা অমুক স্থানে আছে ৷ বৃদ্ধটি ঐ স্থানের প্রতি ইঙ্গিত করেন যে স্থানটিতে তখন
কুরায়শরা অবস্থান করছিল ৷ বৃদ্ধ তার কথা শেষ করে জিজ্ঞেস করলো ৷ এবার বলুন, আপনারা
দু’জন কােনৃ গোত্র থেকে এসেছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমরা পানি থেকে এসেছি ৷
এ কথা বলে তিনি সেখান থেকে প্রস্থান করলেন ৷ বৃদ্ধটি মনে মনে ভাবতে লাগলো কোন
পানি থেকে ? ইরাকের পানি থেকে নয়তো ? ইবন হিশাম লিখেছেন, এই বুদ্ধের নাম সুফিয়ান
যিমা রী ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তার সাহাবীগণের নিকট ফিরে যান ৷ সন্ধ্যার
পর তিনি আলী ইবন আ বু তড়ালিব, যুবায়র ইবন আওআম এবংস সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস
(রা)-কে একদল সাহাবীসহ খবর সংগ্রহের জন্যে বদর কুপের দিকে পাঠিয়ে দেন ৷ ইয়াযীদ
ইবন রুমান (র) উরওয়াইবন যুবায়র থেকে এ কথা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন ৷ র্তারা
সেখানে গিয়ে কুরায়শদের পানি সরবরাহকারী একটি উটের পাল দেখতে পান ৷ ঐ গানের মধ্যে
বনু হাজ্জাজের গোলাম আসলাম ও বনু আস ইবন সাআদ-এর গোলাম আরীয আবু ইয়াসারও
ছিল ৷ তারা লোক দৃ’জনকে শিবিরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তখন সালাতে রত ছিলেন ৷ সাহাবীপণের জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে তারা বললাে, আমরা
কুরায়শদের পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ৷ এখান থেকে পানি নেয়ার জন্যে তারা
وَرَجَوْا أَنْ يَكُونَا لِأَبِي سُفْيَانَ، فَضَرَبُوهُمَا، فَلَمَّا أَذْلَقُوهُمَا قَالَا: نَحْنُ لِأَبِي سُفْيَانَ. فَتَرَكُوهُمَا، وَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: " إِذَا صَدَقَاكُمْ ضَرَبْتُمُوهُمَا، وَإِذَا كَذَبَاكُمْ تَرَكْتُمُوهُمَا! صَدَقَا وَاللَّهِ، إِنَّهُمَا لِقُرَيْشٍ، أَخْبِرَانِي عَنْ قُرَيْشٍ " قَالَا: هُمْ وَرَاءَ هَذَا الْكَثِيبِ الَّذِي تَرَى بِالْعُدْوَةِ الْقُصْوَى. وَالْكَثِيبُ: الْعَقَنْقَلُ. فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَمِ الْقَوْمُ؟ " قَالَا كَثِيرٌ. قَالَ: " مَا عِدَّتُهُمْ؟ " قَالَا: لَا نَدْرِي. قَالَ: " كَمْ يَنْحَرُونَ كُلَّ يَوْمٍ؟ قَالَا: يَوْمًا تِسْعًا، وَيَوْمًا عَشْرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْقَوْمُ مَا بَيْنَ التِّسْعِمِائَةِ إِلَى الْأَلْفِ " ثُمَّ قَالَ لَهُمَا: " فَمَنْ فِيهِمْ مِنْ أَشْرَافِ قُرَيْشٍ؟ " قَالَا: عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ بْنُ هِشَامٍ، وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَنَوْفَلُ بْنُ خُوَيْلِدٍ، وَالْحَارِثُ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ، وَطُعَيْمَةُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ نَوْفَلٍ، وَالنَّضْرُ بْنُ الْحَارِثِ، وَزَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَنُبَيْهٌ وَمُنَبِّهٌ ابْنَا الْحَجَّاجِ، وَسُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدٍّ. قَالَ: فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: " هَذِهِ مَكَّةُ قَدْ أَلْقَتْ إِلَيْكُمْ أَفْلَاذَ كَبِدِهَا ".
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ بَسْبَسُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَدِيُّ بْنُ أَبِي الزَّغْبَاءِ قَدْ مَضَيَا حَتَّى نَزَلَا بَدْرًا، فَأَنَاخَا إِلَى تَلٍّ قَرِيبٍ مِنَ الْمَاءِ، ثُمَّ أَخَذَا شَنًّا لَهُمَا يَسْتَقِيَانِ فِيهِ، وَمَجْدِيُّ بْنُ عَمْرٍو الْجُهَنِيُّ عَلَى الْمَاءِ، فَسَمِعَ عَدِيٌّ وَبَسْبَسٌ جَارِيَتَيْنِ مِنْ جِوَارِي الْحَاضِرِ وَهُمَا تَتَلَازَمَانِ عَلَى الْمَاءِ، وَالْمَلْزُومَةُ تَقُولُ
পৃষ্ঠা - ২৩৬৪
لِصَاحِبَتِهَا: إِنَّمَا تَأْتِي الْعِيرُ غَدًا أَوْ بَعْدَ غَدٍ، فَأَعْمَلُ لَهُمْ ثُمَّ أَقْضِيكِ الَّذِي لَكِ. قَالَ مَجْدِيُّ: صَدَقَتْ. ثُمَّ خَلَّصَ بَيْنَهُمَا. وَسَمِعَ ذَلِكَ عَدِيٌّ وَبَسْبَسٌ، فَجَلَسَا عَلَى بَعِيرَيْهِمَا، ثُمَّ انْطَلَقَا حَتَّى أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْبَرَاهُ بِمَا سَمِعَا، وَأَقْبَلَ أَبُو سُفْيَانَ حَتَّى تَقَدَّمَ الْعِيرَ حَذِرًا، حَتَّى وَرَدَ الْمَاءَ، فَقَالَ لِمَجْدِيِّ بْنِ عَمْرٍو: هَلْ أَحْسَسْتَ؟ أَحَدًا قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أُنْكِرُهُ، إِلَّا أَنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَاكِبَيْنِ قَدْ أَنَاخَا إِلَى هَذَا التَّلِّ، ثُمَّ اسْتَقَيَا فِي شَنٍّ لَهُمَا ثُمَّ انْطَلَقَا. فَأَتَى أَبُو سُفْيَانَ مُنَاخَهُمَا، فَأَخَذَ مِنْ أَبْعَارِ بَعِيرَيْهِمَا فَفَتَّهُ، فَإِذَا فِيهِ النَّوَى، فَقَالَ: هَذِهِ وَاللَّهِ عَلَائِفُ يَثْرِبَ. فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ سَرِيعًا، فَضَرَبَ وَجْهَ عِيرِهِ عَنِ الطَّرِيقِ، فَسَاحَلَ بِهَا وَتَرَكَ بَدْرًا بِيَسَارٍ، وَانْطَلَقَ حَتَّى أَسْرَعَ، وَأَقْبَلَتْ قُرَيْشٌ، فَلَمَّا نَزَلُوا الْجُحْفَةَ، رَأَى جُهَيْمُ بْنُ الصَّلْتِ بْنِ مَخْرَمَةَ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ رُؤْيَا، فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ، وَإِنِّي لَبَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ، إِذْ نَظَرْتُ إِلَى رَجُلٍ قَدْ أَقْبَلَ عَلَى فَرَسٍ، حَتَّى وَقَفَ وَمَعَهُ بَعِيرٌ لَهُ، ثُمَّ قَالَ: قُتِلَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَبُو الْحَكَمِ بْنُ هِشَامٍ، وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَفُلَانٌ، وَفُلَانٌ. فَعَدَّ رِجَالًا مِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ مِنْ أَشْرَافِ قُرَيْشٍ، ثُمَّ رَأَيْتُهُ ضَرَبَ فِي لَبَّةِ بَعِيرِهِ، ثُمَّ أَرْسَلَهُ فِي الْعَسْكَرِ، فَمَا بَقِيَ خِبَاءٌ مِنْ أَخْبِيَةِ الْعَسْكَرِ إِلَّا أَصَابَهُ نَضْحٌ مِنْ دَمِهِ. فَبَلَغَتْ أَبَا جَهْلٍ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فَقَالَ: هَذَا أَيْضًا نَبِيٌّ آخَرُ مِنْ بَنِي الْمُطَّلِبِ، سَيَعْلَمُ غَدًا مَنِ الْمَقْتُولُ إِنْ نَحْنُ الْتَقَيْنَا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا رَأَى أَبُو سُفْيَانَ أَنَّهُ قَدْ أَحْرَزَ عِيرَهُ، أَرْسَلَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ২৩৬৫
আমাদেরকে পাঠিয়েছে ৷ সাহাবীগণ তাদের এ পরিচয়ে সন্তুষ্ট হলেন না ৷ তাদের ধারণা ছিল যে,
এরা আবু সুফিয়ানের লোক হবে ৷ তাই তারা তাদেরকে প্রহার করতে শুরু করলেন ৷ তখন
তারা বললো, আমরা আবু সুফিয়ানের লোক ৷ এ কথা বলার পর মুসলমানরা তাদেরকে প্রহার
করা বন্ধ করে দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) রুকু-সাজদা করে ও সালাম ফিরিয়ে বললেন : এরা
যখন সত্য কথা বলছিল তোমরা তখন তাদেরকে প্রহার করছিলে ৷ আর যখন তারা মিথ্যা কথা
বললো,, তখন তাদেরকে ছেড়ে দিলে ৷ আল্লাহর কসম, ওরা কুরায়শদেরই লোক ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) ঐ দু’জনকে বললেন, কুরায়শদের অবস্থান সম্পর্কে আমাকে
অবহিত কর ৷ তারা বললো, আল্লাহর কসম, ঐ যে দুর প্রান্তে মাটির ঢািই দেখা যায়, ওটার
আড়ালেই কুরায়শদের অবস্থান ৷ আর ঐ ঢিবির নাম হচ্ছে আজ্যনকাল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জিজ্ঞেস করলেন, তাদের সং খ্যা কত হবে ? তারা বললো, অনেক তিনি জিজ্ঞেস করলেন
ওদের সমরপ্রন্তুতি কেমন ৷প্ত তারা বললো, জানি না ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তারা দৈনিক কতটি
উট যবাহ্ করে ৷প্ত তারা বললো, কোন দিন নয়টি কোন দিন দশটি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তাদের সং খ্যা নয়শ’ থেকে হাযারের মধ্যে ৷ তারপর তিনি জানতে চাইলেন, কুরায়শ নেতাদের
মধ্যে কে কে রয়েছে ? তারা জানান, উতবা ইবন রাবীআ, শায়বা ইবন রাবীআ, আবুল বুখতা ৷রী
ইবন হিশাম, হাকীম ইবন হিশাম, নাওফিল ইবন খুওয়ায়লিদ, হ বিছ ইবন আমির ইবন
নাওফিল, তৃআয়ম৷ ইবন আদী ইবন নাওফিল, নযর ইবন হড়ারিছ, যামআ ইবন আসওয়াদ, আবু
জাহল ইবন হিশাম, উমাইয়া ইবন খাল্ফ, হাজ্জাজের দুই পুত্র নাববীহ ও মুনাব্বিহ, সুহায়ল
ইবন আমর এবং আমর ইবন আবদুদ ৷ তা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে
বললেন : মক্কা তার কলিজায় টুকরাগুলো তোমাদের দিকে উগৃলে দিয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, বাসৃবাসৃ ইবন আমর ও আদী ইবন আবুয যাগৃবা ইতোপুর্বে টহল
দিতে দিতে বদর পর্যন্ত চলে আসে ৷ সেখানে তারা একটি পানির কুপের কাছে অবস্থিত টিলার
নিকটে উট থামিয়ে নীচে অবতরণ করে এবং একটি মশকে পানি ভর্তি করে নেয় ৷ ঐ পানির
কাছেই ছিল মাজদী ইবন আমর জুহানীা
আদী ও বাসৃবাসৃ সেখানে দু’জন স্থানীয় দিন-মজুর মহিলার পারস্পরিক কথোপকথন শুনতে
পায় ৷ তাদের মধ্যে একজন অন্যজনের নিকট ঋণী ছিল ৷ ঋণ গ্রহীতা মহিলা ঋণদাত্রী মহিলাকে
বললো, আজ বা কালকের মধ্যেই কড়াফেলা এখানে চলে আসবে ৷ তাদের কাজ করে দিয়ে আমি
, তোমার ঋণ পরিশোধ করবো ৷ মাজদী বললো, তুমি ঠিক বলেছে৷ ৷ তারপরে সে উভয়ের মধ্যে
সমঝোতা সৃষ্টি করে দিল ৷ এ কথা শুনেই আদী ও বাস্বাসৃ উটের উপর চড়ে দ্রুত প্ৰন্থান
করলো এবৎ রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট এসে যা তারা শুনেছিল তা জানিয়ে দিল ৷ এ দিকে আবু
সুফিয়ান সতর্কতা স্বরুপ কাফেলাকে পশ্চাতে রেখে নিজে আগে আগে আসতে থাকে ৷ বদরের
পানির কাছে এসে মাজদীকে জিজ্ঞেস করলো, কারও আনাগােনা লক্ষ্য করেছ কি ? সে বললো,
সন্দেহজনক কাউকে দেখিনি ৷ তবে দু’জন আরোহীকে দেখলাম, এই টিলার কাছে উট থামিয়ে
قُرَيْشٍ: إِنَّكُمْ إِنَّمَا خَرَجْتُمْ لِتَمْنَعُوا عِيرَكُمْ وَرِجَالَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ، فَقَدْ نَجَّاهَا اللَّهُ، فَارْجِعُوا. فَقَالَ أَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ: وَاللَّهِ لَا نَرْجِعُ حَتَّى نَرِدَ بَدْرًا - وَكَانَ بَدْرٌ مَوْسِمًا مِنْ مَوَاسِمِ الْعَرَبِ، يَجْتَمِعُ لَهُمْ بِهِ سُوقٌ كُلَّ عَامٍ - فَنُقِيمَ عَلَيْهِ ثَلَاثًا، فَنَنْحَرَ الْجُزُرَ، وَنُطْعِمَ الطَّعَامَ، وَنَسْقِيَ الْخَمْرَ، وَتَعْزِفَ عَلَيْنَا الْقِيَانُ، وَتَسْمَعَ بِنَا الْعَرَبُ وَبِمَسِيرِنَا وَجَمْعِنَا، فَلَا يَزَالُونَ يَهَابُونَنَا أَبَدًا، فَامْضُوا. وَقَالَ الْأَخْنَسُ بْنُ شَرِيقِ بْنِ عَمْرِو بْنِ وَهْبٍ الثَّقَفِيُّ، وَكَانَ حَلِيفًا لِبَنِي زُهْرَةَ، وَهُمْ بِالْجُحْفَةِ: يَا بَنِي زُهْرَةَ، قَدْ نَجَّى اللَّهُ لَكُمْ أَمْوَالَكُمْ، وَخَلَّصَ لَكُمْ صَاحِبَكُمْ مَخْرَمَةَ بْنَ نَوْفَلٍ، وَإِنَّمَا نَفَرْتُمْ لِتَمْنَعُوهُ وَمَالَهُ، فَاجْعَلُوا بِي جُبْنَهَا وَارْجِعُوا، فَإِنَّهُ لَا حَاجَةَ لَكُمْ بِأَنْ تَخْرُجُوا فِي غَيْرِ ضَيْعَةٍ، لَا مَا يَقُولُ هَذَا. قَالَ: فَرَجَعُوا فَلَمْ يَشْهَدْهَا زُهْرِيٌّ وَاحِدٌ، أَطَاعُوهُ وَكَانَ فِيهِمْ مُطَاعًا، وَلَمْ يَكُنْ بَقِيَ بَطْنٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَّا وَقَدْ نَفَرَ مِنْهُمْ نَاسٌ، إِلَّا بَنِي عَدِيٍّ، لَمْ يَخْرُجْ مِنْهُمْ رَجُلٌ وَاحِدٌ، فَرَجَعَتْ بَنُو زُهْرَةَ مَعَ الْأَخْنَسِ، فَلَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا مِنْ هَاتَيْنِ الْقَبِيلَتَيْنِ أَحَدٌ. قَالَ: وَمَضَى الْقَوْمُ، وَكَانَ بَيْنَ طَالِبِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - وَكَانَ فِي الْقَوْمِ - وَبَيْنَ بَعْضِ قُرَيْشٍ مُحَاوَرَةٌ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَقَدْ عَرَفْنَا يَا بَنِي هَاشِمٍ وَإِنْ خَرَجْتُمْ مَعَنَا، أَنَّ هَوَاكُمْ مَعَ مُحَمَّدٍ. فَرَجَعَ طَالِبٌ إِلَى مَكَّةَ مَعَ مَنْ رَجَعَ، وَقَالَ فِي ذَلِكَ:
لَاهُمَّ إِمَّا يَغْزُوَنَّ طَالِبْ ... فِي عُصْبَةٍ مُحَالِفٌ مُحَارِبْ
فِي مِقْنَبٍ مِنْ هَذِهِ الْمَقَانِبْ ... فَلْيَكُنِ الْمَسْلُوبُ غَيْرَ السَّالِبْ
وَلِيَكُنِ الْمَغْلُوبُ غَيْرَ الْغَالِبْ
পৃষ্ঠা - ২৩৬৬
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمَضَتْ قُرَيْشٌ حَتَّى نَزَلُوا بِالْعُدْوَةِ الْقُصْوَى مِنَ الْوَادِي، خَلْفَ الْعَقَنْقَلِ وَبَطْنِ الْوَادِي، وَهُوَ يَلْيَلُ بَيْنَ بَدْرٍ وَبَيْنَ الْعَقَنْقَلِ، الْكَثِيبِ الَّذِي خَلْفَهُ قُرَيْشٌ، وَالْقَلِيبُ بِبَدْرٍ، فِي الْعُدْوَةِ الدُّنْيَا مِنْ بَطْنِ يَلْيَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ.
قُلْتُ: وَفِي هَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِذْ أَنْتُمْ بِالْعُدْوَةِ الدُّنْيَا وَهُمْ بِالْعُدْوَةِ الْقُصْوَى وَالرَّكْبُ أَسْفَلَ مِنْكُمْ} [الأنفال: 42] أَيْ مِنْ نَاحِيَةِ السَّاحِلِ. {وَلَوْ تَوَاعَدْتُمْ لَاخْتَلَفْتُمْ فِي الْمِيعَادِ وَلَكِنْ لِيَقْضِيَ اللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا} [الأنفال: 42] .
وَبَعَثَ اللَّهُ السَّمَاءَ، وَكَانَ الْوَادِي دَهْسًا، فَأَصَابَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ مِنْهَا مَاءٌ، لَبَّدَ لَهُمُ الْأَرْضَ، وَلَمْ يَمْنَعْهُمْ مِنَ السَّيْرِ، وَأَصَابَ قُرَيْشًا مِنْهَا مَاءٌ لَمْ يَقْدِرُوا عَلَى أَنْ يَرْتَحِلُوا مَعَهُ.
قُلْتُ: وَفِي هَذَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُمْ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً لِيُطَهِّرَكُمْ بِهِ وَيُذْهِبَ عَنْكُمْ رِجْزَ الشَّيْطَانِ وَلِيَرْبِطَ عَلَى قُلُوبِكُمْ وَيُثَبِّتَ بِهِ الْأَقْدَامَ} [الأنفال: 11] فَذَكَرَ أَنَّهُ طَهَّرَهُمْ ظَاهِرًا وَبَاطِنًا، وَأَنَّهُ ثَبَّتَ أَقْدَامَهُمْ، وَشَجَّعَ قُلُوبَهُمْ، وَأَذْهَبَ عَنْهُمْ تَخْذِيلَ الشَّيْطَانِ، وَتَخْوِيفَهُ لِلنُّفُوسِ وَوَسْوَسَتَهُ
পৃষ্ঠা - ২৩৬৭
মশকে পানি ভরে নিয়ে চলে গেল ৷ এ কথা শুনে আবু সুফিয়ান বাসবাস ও আদীর উট বসাবার
স্থানে গেল ৷ তাদের উটের কিছু গোবর হাতে নিল ৷ গোবর ভেঙ্গে দেখলো ভিতরে কতগুলো
থেজুরের আটি আছে ৷ তখন সে বললো, আল্লাহর কসম, এটা তো ইয়াছরিবের পশুর গোবর ৷
এ কথা বলেই আবু সুফিয়ান দ্রুত কাফেলার কাছে ছুটে গেল এবং পথ পরিবর্তন করে বদর
প্রাম্ভর বীয়ে রেখে কাফেলাকে নিয়ে সাগর তীরের পথ ধরে ফ্তে চলে গেল ৷ এদিকে কুরায়শ
বাহিনী অগ্রসর হয়ে জুহ্ফড়ায় এসে যাত্রা বিরতি করলো ৷ এখানে অবস্থানকালে জুহাব্লম ইবন
সাল্ত ইবন মাখরামা ইবন মুত্তালিব ইবন আবৃদে মানাফ এক স্বপ্ন দেখে ৷ সবাইকে লক্ষ্য করে
সে বললাে , আমি আধা-নিদ্রা আধা-জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্নে দেখি ৷ একজন অশ্বারোহী লোক এসে
থামলো ৷ তার সাথে একটা উটও আছে ৷ এরপর সে বললাে, উতবা ইবন রাবীআ, শায়বা ইবন
রাবীআ, আবুল হকােম ইবন হিশাম , উমৰুইয়া ইবন খাল্ফ এবং অমুক অমুক নিহত ৷ এভাবে সে
বদর যুদ্ধে যে সব কুরায়শ নেতা নিহত হয়, তাদের সকলের নাম একে একে উল্লেখ করল ৷
এরপর দেখলাম, যে তার উটের যাড়ে তলােয়ারের দ্বারা অঘেতে করে উটটিকে রক্তাক্ত করে
দিল ৷ তারপরে সে উটটিকে আমাদের সৈন্য শিবিরের দিকে হীকিয়ে দিল ৷ এতে এমন কোন
র্তাবু বাকি থাকেনি যা ঐ উটের রক্তে রঞ্জিত হয়নি ৷ আবু জাহ্ল এ কথা শুনে বললাে , এতো
দেখছি বসু মুত্তালিব গোত্রের আর এক নবী ৷ আগামী কাল যদি যুদ্ধ হয়, তখনই সে দেখতে
পাবে নিহত কারা হয়েছে ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, আবু সুফিয়ান যখন নিশ্চিত হল যে, সে তার কাফেলাকে বাচিয়ে
নিতে সক্ষম হয়েছে, তখন সে কুরায়শ বাহিনীর নিকট বলে পাঠাল যে, তোমরা বেরিয়েছিলে
তোমাদের বাণিজ্যিক কাফেলা, লোকজন ও পণ্যদ্রব্য রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহ্ সেগুলো
রক্ষা করেছেন ৷ সুতরাং এখন তোমরা ফিরে যাও! কিন্তু আবু জাহ্ল ইবন হিশাম বললাে :
আল্লাহ্র কসম, আমরা বদর পর্যন্ত না গিয়ে ফিরছি না ৷ আমরা সেখানে তিন দিন অবস্থান
করবো ৷ উট যবাহ্ করে খাওয়াবেড়া ৷ মদ পান করবো ৷ গায়িকড়ারা আমাদেরকে গান গেয়ে
শুনাবে ৷ গোটা আরবে আমাদের সুথ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে ৷ আমাদের অভিযান ও সমাবেশের
কথা জানতে পারবে ৷ চিরদিন তাদের মনে আমাদের ভীতি বদ্ধমুল হয়ে যাবে ৷ অতএব তোমরা
এগিয়ে চলো ৷ উল্লেখ্য, বদর ছিল আরবের একটি অন্যতম মেলার স্থান ৷ প্রতিবছর মেলা
উপলক্ষে এখানে বিরাট বাজার বসতাে ৷ আখনাস ইবন শুরায়ক ইবন আমর ইবন ওয়াহব
ছাকাফী ছিলেন বনু যুহরার মিত্র ৷ জুহফায় অবস্থানকালে তিনি বলেন, হে বনু যুহরার লোকজন ৷
আল্লাহ্ তোমাদের মালামাল রক্ষা করেছেন এবং তোমাদের বন্ধু মাখরামা ইবন নাওফিলকে
সঙ্কটমুক্ত করেছেন ৷ তোমরা তো মাখরামা ও তার সম্পদ রক্ষার্থে বের হয়েছিলে ৷ সুতরাং
তোমরা ফিরে যাও, আর কেউ কাপুরুষতার অপবাদ দিলে তা আমার উপর ছেড়ে দিও ৷
যেখানে তোমাদের কোন ক্ষতিই হচ্ছে না, সেখানে যুদ্ধে গমন করার কােনই প্রয়োজন নেই ৷
এই লোক (আবু জাহ্ল) যা বলে তা তোমরা শুনবে না ৷ এ কথা শুনার পর তারা সবাই ফিরে
যায় এবং বনু যুহরার একজন লোকও যুদ্ধে উপস্থিত ছিল না ৷ তারা আখনাসের কথা মেনে
لِلْخَوَاطِرِ وَهَذَا تَثْبِيتُ الْبَاطِنِ وَالظَّاهِرِ، وَأَنْزَلَ النَّصْرَ عَلَيْهِمْ مِنْ فَوْقِهِمْ، فِي قَوْلِهِ: {إِذْ يُوحِي رَبُّكَ إِلَى الْمَلَائِكَةِ أَنِّي مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا الَّذِينَ آمَنُوا سَأُلْقِي فِي قُلُوبِ الَّذِينَ كَفَرُوا الرُّعْبَ فَاضْرِبُوا فَوْقَ الْأَعْنَاقِ} [الأنفال: 12] أَيْ عَلَى الرُّءُوسِ {وَاضْرِبُوا مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ} [الأنفال: 12] أَيْ لِئَلَّا يَسْتَمْسِكَ مِنْهُمُ السِّلَاحُ. {ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ شَاقُّوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَمَنْ يُشَاقِقِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ ذَلِكُمْ فَذُوقُوهُ وَأَنَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابَ النَّارِ} [الأنفال: 13]
[الْأَنْفَالِ: 12 - 14]
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: «أَصَابَنَا مِنَ اللَّيْلِ طَشٌّ مِنَ الْمَطَرِ، يَعْنِي اللَّيْلَةَ الَّتِي كَانَتْ فِي صَبِيحَتِهَا وَقْعَةُ بَدْرٍ، فَانْطَلَقْنَا تَحْتَ الشَّجَرِ وَالْحَجَفِ، نَسْتَظِلُّ تَحْتَهَا مِنَ الْمَطَرِ، وَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي قَائِمًا يُصَلِّي، وَحَرَّضَ عَلَى الْقِتَالِ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنَ مُضَرِّبٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: ( «مَا كَانَ فِينَا فَارِسٌ يَوْمَ بَدْرٍ غَيْرُ الْمِقْدَادِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا فِينَا إِلَّا نَائِمٌ، إِلَّا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ شَجَرَةٍ يُصَلِّي
পৃষ্ঠা - ২৩৬৮
নিল ৷ আখনড়াস ছিল তাদের সকলের বরেণ্য ব্যক্তি ৷ কুরায়শ গোত্রের য৩ তগুলি শাখা ছিল
প্রত্যেক শাখা থেকেই কিছু না কিছু লোক এ অভিযানে অং হণ করে , কিন্তু বনু আদী শাখার
কোন লোকই এতে অংশ নেয়নি ৷ আর বনু ষুহরার লোকজন বের হলেও মাখরামার নেতৃত্বে
পথ থেকে ফিরে আসে ৷ সুতরাং বদর যুদ্ধে এ দু’ গোত্রের কেউই যোগদান করেনি ৷ ১
কুরায়শদের এ অভিযানে৩ালিব ইবন আবুতা তালিবও অং শগ্রহণ করে ৷২ পথে তালিব ও জনৈক
কুরায়শের মধ্যে বাদ নুবাদ হয় ৷ তখন কুরায়শ গোত্রের অন্যান্য লোকেরা তালিবকে বললাে,
ওহে বনু হাশিম, আমরা তোমাদের সম্যক চিনি ৷ যদিও বাহ্যিকংচাবে আমাদের সাথে বের
হয়েছ ৷ কিন্তু তােমাদেরঅন্তর রয়েছে মুহাম্মদের সাথে বীধা ৷ এ কথা শুনার পর অন্যদের সাথে
তালিবও মক্কায় ফিরে যান ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :
এখানে আরবী কবিতা দিতে হবে
“হে আল্লাহ! তালিব যদি এমন এক বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করে , যারা মুলত তালিবের
বিরোধী ও শত্রু ৷ যে বাহিনীতে আছে কয়েকশ’ অশ্ব ৷ সে বাহিনী যেন লুষ্ঠিত হয়-লুণ্ঠনকারী না
হয় ৷ সে বাহিনী যেন বিজিত হয় বিজয়ী না হয় ৷”
ইবন ইসহাক বলেন, কুরায়শ বাহিনী উপত্যকার দুর-প্রান্তে আকানকাল ঢিলার অপর পাশে
গিয়ে শিবির স্থাপন করে ৷ বদর ও আকড়ানকালের মধ্যবর্তী মরুময় উপত্যকাটি ছিল
অসমতল-যার পশ্চাতে ছিল কুরায়শরা ৷ উপত্যকার নাম বাত্নে ইয়ালীল’ ৷ বদরের কুপের
অবস্থান ছিল নিকট প্রান্তে ৷ অর্থাৎ বাতনে ইয়ালীল থেকে মদীনায় দিকে ৷
এ প্রসঙ্গে কুরআনের বর্ণনা নিম্নরুপ :
“স্মরণ কর, তোমরা ছিলে উপ৩ কোর নিকট প্রান্তে এবং তারা ছিল দুর প্রাম্ভে আর
উষ্ট্রারোহী দল ছিল তোমাদের অপেক্ষা নিম্নভুমিতে ৷ অর্থাৎ লোহিত সাগরের উপকুলে ৷
আল্লাহ্র বাণী :
র্চ :
টুর্চুাট্রু
যদি তোমরা পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ সম্পর্কে ৫কান সিদ্ধা ৷স্ত করতে চ ইং তবে এ সিদ্ধান্ত
সম্পর্কে তোমাদের মধ্যে ম৩ ভেদ ঘটতো; কিন্তু বন্তুত ৩য৷ ঘটবারই ছিল ৷ আল্লাহ্ তা সম্পন্ন
করবার জন্য উভয় দলকে যুদ্ধক্ষেত্রে সমবেত করলেন ৷ (৮ : ৪২) ৷ এ সময় আল্লাহ্ বৃষ্টি বর্যণ
করলেন ৷ উপত্যকার মাটি ছিল নরম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাহাবীগণের অবস্থান ন্থলের
বালু বৃষ্টির পানিতে জমা ৷ট হয়ে যায় ৷ ফলে তাদের চলাফিরায় কোন অসুবিধা হয়নি ৷ পক্ষা ৷ম্ভরে
কুবায়শদের ওখানে বৃষ্টির পা ৷নিতে মাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায় ৷ ফলে৩ তাদের চলাফিরায় দা ৷রুণ বিব্ল
ঘটে ৷
وَيَبْكِي حَتَّى أَصْبَحَ» . وَسَيَأْتِي هَذَا الْحَدِيثُ مُطَوَّلًا. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدُرٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: أَنْزَلَ عَلَيْهِمُ الْمَطَرَ، فَأَطْفَأَ بِهِ الْغُبَارَ، وَتَلَبَّدَتْ بِهِ الْأَرْضُ، وَطَابَتْ بِهِ أَنْفُسُهُمْ، وَثَبَتَتْ بِهِ أَقْدَامُهُمْ.
قُلْتُ: وَكَانَتْ لَيْلَةُ بَدْرٍ، لَيْلَةَ الْجُمْعَةِ السَّابِعَةَ عَشْرَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَقَدْ بَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ يُصَلِّي إِلَى جِذْمِ شَجَرَةٍ هُنَاكَ، وَيُكْثِرُ فِي سُجُودِهِ أَنْ يَقُولَ: " يَا حَيَّ يَا قَيُّومَ " يُكَرِّرُ ذَلِكَ وَيُلِظُّ بِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَادِرُهُمْ إِلَى الْمَاءِ حَتَّى إِذَا جَاءَ أَدْنَى مَاءٍ مِنْ بَدْرٍ، نَزَلَ بِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحُدِّثْتُ عَنْ رِجَالٍ مِنْ بَنِي سَلَمَةَ، أَنَّهُمْ ذَكَرُوا أَنَّ الْحُبَابَ بْنَ الْمُنْذِرِ بْنِ الْجَمُوحِ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ هَذَا الْمَنْزِلَ، أَمَنْزِلًا أَنْزَلَكَهُ اللَّهُ، لَيْسَ لَنَا أَنْ نَتَقَدَّمَهُ وَلَا نَتَأَخَّرَ عَنْهُ، أَمْ هُوَ الرَّأْيُ وَالْحَرْبُ وَالْمَكِيدَةُ؟ قَالَ: " بَلْ هُوَ الرَّأْيُ وَالْحَرْبُ وَالْمَكِيدَةُ ". قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّ هَذَا لَيْسَ
পৃষ্ঠা - ২৩৬৯
بِمَنْزِلٍ، فَامْضِ بِالنَّاسِ حَتَّى نَأْتِيَ أَدْنَى مَاءٍ مِنَ الْقَوْمِ فَنَنْزِلَهُ، ثُمَّ نُغَوِّرَ مَا وَرَاءَهُ مِنَ الْقُلُبِ، ثُمَّ نَبْنِي عَلَيْهِ حَوْضًا فَنَمْلَأَهُ مَاءً، ثُمَّ نُقَاتِلَ الْقَوْمَ، فَنَشْرَبَ وَلَا يَشْرَبُونَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ أَشَرْتَ بِالرَّأْيِ
قَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: وَزَعَمَ الْكَلْبِيُّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْمَعُ الْأَقْبَاصَ، وَجِبْرِيلُ عَنْ يَمِينِهِ، إِذْ أَتَاهُ مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ اللَّهَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ السَّلَامُ، وَمِنْهُ السَّلَامُ، وَإِلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ الْمَلَكُ: إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ لَكَ إِنَّ الْأَمْرَ هُوَ الَّذِي أَمَرَكَ بِهِ الْحُبَابُ بْنُ الْمُنْذِرِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا جِبْرِيلُ هَلْ تَعْرِفُ هَذَا؟ فَقَالَ: مَا كُلَّ أَهْلِ السَّمَاءِ أَعْرِفُ، وَإِنَّهُ لَصَادِقٌ، وَمَا هُوَ بِشَيْطَانٍ» .
فَنَهَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ النَّاسِ، فَسَارَ حَتَّى أَتَى أَدْنَى مَاءٍ مِنَ الْقَوْمِ، نَزَلَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَمَرَ بِالْقُلُبِ فَغُوِّرَتْ، وَبَنَى حَوْضًا عَلَى الْقَلِيبِ الَّذِي نَزَلَ عَلَيْهِ، فَمُلِئَ مَاءً ثُمَّ قَذَفُوا فِيهِ الْآنِيَةَ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّ الْحُبَابَ بْنَ الْمُنْذِرِ لَمَّا أَشَارَ بِمَا أَشَارَ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَزَلَ مَلَكٌ مِنَ السَّمَاءِ، وَجِبْرِيلُ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ২৩৭০
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্র বাণী :
“এবং আকাশ হতে ৩তোমাদের উপর বড়ারি বর্ষণ করেন ৷ তা দ্বারা তোমাদের পবিত্র করার
জন্য তোমাদের থেকে শয়তানের কুমন্ত্রণ৷ অপসারণের জন্য, তোমাদের হৃদয় দৃঢ় করা র জন্য
এবং তোমাদের পড়া স্থির রাখার জন্যে” (৮ : ১১) ৷ এখানে আল্লাহ্ উল্লেখ করেছেন যে, তিনি
তাদের ভিতর ও বাইর পবিত্র করেছেন তাদের অবস্থানকে মযবুত করেছেন ৷ তাদের অন্তরে
সাহস যুগিয়েছেন এবং শয়তানের প্রতারণা ভয় ভীতি ও কুমন্ত্রণ৷ থেকে মুক্ত রেখেছেন ৷
ভিতর-বাইর সুদৃঢ় করার তাৎপর্য এটাই ৷ এছাড়া তাদেরকে উপর থেকে সাহায্য প্রদান করা
হয়েছে ৷ যেমন আল্লাহ্ বলেন০ ং
fl , :
ষ্ fl
স্মরণ কর, তোমাদের প্ৰতিপালক ফেরেশতাগণের প্রতি প্ৰত্যাদেশ করেন আমি তোমাদের
সাথে আছি সুতরাং মু মিনগণকে অবিচলিত রাখ, যারা কুফরী করে আমি তাদের হৃদয়ে৬ ভীতির
সঞ্চার করব, সুতরাং আঘাত কর তাদের স্কন্ধে (অর্থাৎ মাথায়) ও আঘাত কর তাদের সর্বাঙ্গে’ ৷
যাতে করে তারা হাতিয়ার উত্তোলনে সক্ষম না হয় (৮ : ১২) ৷ মহান আল্লাহ্র বাণী :
া০ শ্
এ : )
“এর হেতৃ এই যে, তারা আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধিতা করে এবং কেউ আল্লাহও
তার রাসুলের বিরোধিতা করলে আল্লাহ্ তে ৷ শাস্তিদানে কঠে৷ ৷র ৷ সুতরাং এর আস্বাদ গ্রহণ কর
এবং কাফিরদের জন্যে অগ্নিশাস্তি রয়েছে (৮ং : ১৩ ১ : ) ৷
ইবন জারীর বলেন, আমার নিকট হারুন ইবন ইসহাক আলী ইবন আবৃত তালিব থেকে
বর্ণনা করেন : যে দিন সকাল বেলা বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়, সে রাত্রে স্বল্প পরিমাণ বৃষ্টিপাত
হয় ৷ বৃষ্টি থেকে বীচার জন্যে আমরা বৃক্ষের নীচে ও চালের তলে আশ্রয় নিয়েছিলাম ৷ আর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালাত আদায় করছিলেন এবং যুদ্ধের জন্যে উদ্বুদ্ধ করছিলেন ৷ ইমাম আহমদ
১ জুহ্ফা ও মক্কা থেকে চার মারহালা দুরে মদীনায় পথে একটি বড় গ্রামের নাম (মুজামুল বুলদান ৩৬২)
২ ওয়াকিদীর মতে এদের সংখ্যা ছিল একশ’ ৷ সঠিক মতে একশ’র কম ৷ বনু আদী মাররাজ-জাহরান থেকে
ফিরে আসে কিৎবা পথ থেকে ৷
৩ তাবারী ইবন কালবী থেকে বর্ণনা করেন যে, ঘুশরিকরা তালিবকে তাদের সাথে আসতে বাধ্য করেছিল ৷
ইবন আহীর বলেন, বন্দী, নিহত বা ফিরে আসা কোন দলের মধ্যেই তালিবের নাম পাওয়া যায় না ৷
النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ الْمَلَكُ: يَا مُحَمَّدُ، رَبُّكَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَيَقُولُ لَكَ: إِنَّ الرَّأْيَ مَا أَشَارَ بِهِ الْحُبَابُ. فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جِبْرِيلَ، فَقَالَ: لَيْسَ كُلُّ الْمَلَائِكَةِ أَعْرِفُهُمْ، وَإِنَّهُ مَلَكٌ وَلَيْسَ بِشَيْطَانٍ. وَذَكَرَ الْأُمَوِيُّ، أَنَّهُمْ نَزَلُوا عَلَى الْقَلِيبِ الَّذِي يَلِي الْمُشْرِكِينَ نِصْفَ اللَّيْلِ، وَأَنَّهُمْ نَزَلُوا فِيهِ، وَاسْتَقَوْا مِنْهُ، وَمَلَئُوا الْحِيَاضَ حَتَّى أَصْبَحَتْ مِلَاءً، وَلَيْسَ لِلْمُشْرِكِينَ مَاءٌ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ حُدِّثَ أَنَّ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَلَّا نَبْنِيَ لَكَ عَرِيشًا تَكُونُ فِيهِ، وَنُعِدُّ عِنْدَكَ رَكَائِبَكَ، ثُمَّ نَلْقَى عَدُوَّنَا، فَإِنْ أَعَزَّنَا اللَّهُ وَأَظْهَرَنَا عَلَى عَدُوِّنَا، كَانَ ذَلِكَ مَا أَحْبَبْنَا، وَإِنْ كَانَتِ الْأُخْرَى، جَلَسْتَ عَلَى رَكَائِبِكَ فَلَحِقْتَ بِمَنْ وَرَاءَنَا مِنْ قَوْمِنَا، فَقَدْ تَخَلَّفَ عَنْكَ أَقْوَامٌ مَا نَحْنُ بِأَشَدِّ حُبًّا لَكَ مِنْهُمْ، وَلَوْ ظَنُّوا أَنَّكَ تَلْقَى حَرْبًا مَا تَخَلَّفُوا عَنْكَ، يَمْنَعُكَ اللَّهُ بِهِمْ، يُنَاصِحُونَكَ وَيُجَاهِدُونَ مَعَكَ. فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرًا وَدَعَا لَهُ بِخَيْرٍ، ثُمَّ بُنِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرِيشٌ كَانَ فِيهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِ ارْتَحَلَتْ قُرَيْشٌ حِينَ أَصْبَحَتْ، فَأَقْبَلَتْ، فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَصَوَّبُ مِنَ الْعَقَنْقَلِ، وَهُوَ الْكَثِيبُ الَّذِي جَاءُوا مِنْهُ إِلَى الْوَادِي، قَالَ: اللَّهُمَّ هَذِهِ قُرَيْشٌ قَدْ أَقْبَلَتْ بِخُيَلَائِهَا وَفَخْرِهَا، تَحَادُّكَ وَتُكَذِّبُ رَسُولَكَ، اللَّهُمَّ فَنَصْرَكَ الَّذِي وَعَدْتَنِي، اللَّهُمَّ أَحِنْهُمُ الْغَدَاةَ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ رَأَى عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ فِي الْقَوْمِ، وَهُوَ عَلَى جَمَلٍ لَهُ أَحْمَرَ:
পৃষ্ঠা - ২৩৭১
বলেন, আমাদের নিকট আবদুর রহমান ইবন মাহদী আলী থেকে বর্ণনা করেন : বদর যুদ্ধে
আমাদের বাহিনীতে মিকদাদ ব্যতীত আর কোন অশ্বারোহী ছিল না ৷ আমরা সবাই ঘুমিয়ে
ছিলাম আর রাসুলুল্লাহ্ (না) একটি বৃক্ষের নীচে রাতভর সালাত আদায় ও কান্নাকাটি করতে
থাকেন ৷ এ ভাবে করতে করতে ভোর হয়ে যায় ৷ সামনে এ হাদীছ বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে ৷
ইমাম নাসাঈ এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ মুজাহিদ বলেন : বৃষ্টি বর্ষণের ফলে মুসলিম শিবির
এলাকায় ধুলা-বালি উড়া বন্ধ হয়, বালুমাটি জমে যায়, মুসলমানদের মনে শান্তি নেমে আসে
এবং তাদের পা সুদৃঢ় হয় ৷
বদরের পুর্বরাত ছিল হিত্তরীি ২য় বর্ষের রমাযান মাসের ১৭ তারিখ শুক্রবারের রাত ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) বদরে একটি বৃক্ষের কাছে ঐ রাত্রটি সালাতরত অবস্থায় কাটান ৷ সিজদাবনত
হয়ে তিনি বারবার এই দৃআটি পড়তে থাকেন : ব্লুটুর্দু ট্র ৷ঠু :,;; (হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী ৷)
ইবন ইসহড়াক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজের বাহিনীকে অগ্রসর করে বদরের কুপের
কাছে নিয়ে যান ৷ ইবন ইসহড়াক বলেন, বনু সালামার অনেক ;লাকের সাথে আমার আলাপ
হয়েছে ৷ তারা বলেছে, ঐ সময় হুবাব ইবন মুনযির ইবন জামুহ রাসুলুল্পাহ্ (সা)-কে বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ এই যেই স্থানে আপনি অবস্থান নিয়েছেন এটা কি আল্লাহ নির্ধারণ করে
দিয়েছেন যে, এর থেকে সামান্য আগে বা পিছনে আমরা যেতে পারব না ? না এটা আপনার
ব্যক্তিগত অভিমত এবং রণ-কৌশল হিসেবে এ জায়গাকে আপনি বেছে নিয়েছেন ? তিনি
বললেন, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত ৷ রণ-কৌশল হিসেবে এ স্থানকে বেছে নেয়া হয়েছে;
এটা আমার ব্যক্তিগত মত ৷ হুবাব বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এ স্থানটা যুদ্ধের জন্যে খুব
সুবিধাজনক নয় ৷ আপনি লোকজন নিয়ে শত্রুদের কাছাকাছি পানির কুয়ার নিকট চলুন,
সেখানে আমরা অবস্থান গ্রহণ করি ৷ এরপর আশে-পাশের সব কুপ আমরা নষ্ট করে দেবেড়া ৷
আমাদের অবস্থানের জায়গায় একটা জপাধার তৈরি করে তাতে পানি ভর্তি করে রাখবাে ৷
যুদ্ধের সময় আমরা পানি পান করবো বিক্ষ্ম ওরা পানি পান করতে পারবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি একটা ভাল পরামর্শ দািয়ছ ৷ উমাবী ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকজনকে সমবেত করছিলেন ৷ জিবরীল তার ডান পাশে ছিলেন ৷ এমন সময়
একজন ফেরেশতা এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! আল্লাহ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তিনিই সালাম, তার থেকে সালাম আসে, তার কাছে সালাম প্রত্যাবর্তন করে ৷
ফেরেশতা বললেন : আল্লাহ আপনাকে জানাচ্ছেন যে, হবার ইবন মুনযির যে পরামর্শ
দিয়েছে তা সঠিক, আপনি সেই মত কাজ করুন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) জিবরীলকে বললেন আপনি
এই ফেরেশতাকে চিনেন ? জিবরীল বললেন : আসমানের সকল অধিবাসীকে আমি চিনি না ৷
তবে ইনি ফেরেশতা, শয়তান নয় ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাথীদের নিয়ে সেখান থেকে চলে
আসেন এবং শত্রুদের নিকটবর্তী কুপের নিকট অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ তার নির্দেশে আশপাশের
সকল কুপ নষ্ট করে দেয়া হয় এবং যে কুপের কাছে তারা অবতরণ করছিলেন তার পাশে একটা
إِنْ يَكُنْ فِي أَحَدٍ مِنَ الْقَوْمِ خَيْرٌ، فَعِنْدَ صَاحِبِ الْجَمَلِ الْأَحْمَرِ، إِنْ يُطِيعُوهُ يَرْشُدُوا. قَالَ وَقَدْ كَانَ خُفَافُ بْنُ إِيمَاءِ بْنِ رَحَضَةَ، أَوْ أَبُوهُ إِيمَاءُ بْنُ رَحَضَةَ الْغِفَارِيُّ، بَعَثَ إِلَى قُرَيْشٍ ابْنًا لَهُ بِجَزَائِرَ أَهْدَاهَا لَهُمْ، وَقَالَ: إِنْ أَحْبَبْتُمْ أَنْ نَمُدَّكُمْ بِسِلَاحٍ وَرِجَالٍ، فَعَلْنَا. قَالَ: فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ مَعَ ابْنِهِ، أَنْ وَصَلَتْكَ رَحِمٌ وَقَدْ قَضَيْتَ الَّذِي عَلَيْكَ، فَلَعَمْرِي إِنْ كُنَّا إِنَّمَا نُقَاتِلُ النَّاسَ، مَا بِنَا ضَعْفٌ عَنْهُمْ، وَإِنْ كُنَّا إِنَّمَا نُقَاتِلُ اللَّهَ، كَمَا يَزْعُمُ مُحَمَّدٌ، فَمَا لِأَحَدٍ بِاللَّهِ مِنْ طَاقَةٍ. قَالَ: فَلَمَّا نَزَلَ النَّاسُ، أَقْبَلَ نَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ حَتَّى وَرَدُوا حَوْضَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيهِمْ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: دَعُوهُمْ فَمَا شَرِبَ مِنْهُ رَجُلٌ يَوْمَئِذٍ إِلَّا قُتِلَ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، فَإِنَّهُ لَمْ يُقْتَلْ، ثُمَّ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، فَكَانَ إِذَا اجْتَهَدَ فِي يَمِينِهِ قَالَ لَا وَالَّذِي نَجَّانِي يَوْمَ بَدْرٍ.
قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثَمِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ فِي فَصْلٍ نَعْقِدُهُ بَعْدَ الْوَقْعَةِ، وَنَذْكُرُ أَسْمَاءَهُمْ عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
فَفِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّ أَصْحَابَ بَدْرٍ ثَلَاثُمِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ، عَلَى عِدَّةِ أَصْحَابِ طَالُوتَ الَّذِينَ جَاوَزُوا مَعَهُ النَّهْرَ، وَمَا جَاوَزَهُ مَعَهُ إِلَّا مُؤْمِنٌ. وَلِلْبُخَارِيِّ أَيْضًا عَنْهُ قَالَ: «اسْتُصْغِرْتُ أَنَا وَابْنُ عُمَرَ يَوْمَ
পৃষ্ঠা - ২৩৭২
بَدْرٍ، وَكَانَ الْمُهَاجِرُونَ يَوْمَ بَدْرٍ نَيِّفًا عَلَى سِتِّينَ، وَالْأَنْصَارُ نَيِّفًا وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ»
وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ نَصْرِ بْنِ بَابٍ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: كَانَ أَهْلُ بَدْرٍ ثَلَاثَمِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، وَكَانَ الْمُهَاجِرُونَ سِتَّةً وَسَبْعِينَ، وَكَانَ هَزِيمَةُ أَهْلِ بَدْرٍ لِسَبْعَ عَشْرَةَ، مَضَيْنَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فِي شَهْرِ رَمَضَانَ. وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذْ يُرِيكَهُمُ اللَّهُ فِي مَنَامِكَ قَلِيلًا وَلَوْ أَرَاكَهُمْ كَثِيرًا لَفَشِلْتُمْ وَلَتَنَازَعْتُمْ فِي الْأَمْرِ وَلَكِنَّ اللَّهَ سَلَّمَ} [الأنفال: 43] الْآيَةَ [الْأَنْفَالِ: 43] . وَكَانَ ذَلِكَ فِي مَنَامِهِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ نَامَ فِي الْعَرِيشِ، وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ لَا يُقَاتِلُوا حَتَّى يَأْذَنَ لَهُمْ، فَدَنَا الْقَوْمُ مِنْهُمْ، فَجَعَلَ الصِّدِّيقُ يُوقِظُهُ، وَيَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، دَنَوْا مِنَّا، فَاسْتَيْقِظْ. وَقَدْ أَرَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُمْ فِي مَنَامِهِ قَلِيلًا. ذَكَرَهُ الْأُمَوِيُّ. وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ يُرِيكُمُوهُمْ إِذِ الْتَقَيْتُمْ فِي أَعْيُنِكُمْ قَلِيلًا وَيُقَلِّلُكُمْ فِي أَعْيُنِهِمْ لِيَقْضِيَ اللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا} [الأنفال: 44] فَعِنْدَمَا تَقَابَلَ الْفَرِيقَانِ، قَلَّلَ اللَّهُ كُلًّا مِنْهُمَا فِي أَعْيُنِ الْآخَرِينَ، لِيَجْتَرِئَ هَؤُلَاءِ عَلَى هَؤُلَاءِ، وَهَؤُلَاءِ عَلَى هَؤُلَاءِ، لِمَا لَهُ فِي ذَلِكَ مِنَ الْحِكْمَةِ الْبَالِغَةِ، وَلَيْسَ هَذَا مُعَارِضًا لِقَوْلِهِ تَعَالَى فِي سُورَةِ " آلِ عِمْرَانَ " {قَدْ كَانَ لَكُمْ آيَةٌ فِي فِئَتَيْنِ الْتَقَتَا فِئَةٌ تُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأُخْرَى كَافِرَةٌ يَرَوْنَهُمْ مِثْلَيْهِمْ رَأْيَ الْعَيْنِ وَاللَّهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهِ مَنْ يَشَاءُ} [آل عمران: 13]
পৃষ্ঠা - ২৩৭৩
জলাধার তৈ বি করে তাতে পানি ভর্তি করে রেখে পানি উঠাবার পাত্র রেখে দেয়া হয় ৷ কোন
কোন লেখক ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, হুবাব ইবন ঘুনযির যখন রাসুলুল্লাহ্কে
পরামর্শ দেন, তখন আসমড়ান থেকে একজন ফেরেশতা আসেন ৷ তখন জিবরীল (আ)
রাসুলুল্লাহ্র পাশে ছিলেন ৷ ফেরেশতা বললেন : হে মুহাম্মদ ! আল্লাহ আপনাকে সালাম
জানিয়েছেন এবং হবার ইবন মুনযিবের পরামর্শ গ্রহণ করতে বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জিবরীলের দিকে তাকালেন ৷ জিবরীল বললেন আমি সকল ফেরেশত ৩াকে চিনি না ৷ তবে ইনি
ফেরেশতা শয়তান না ৷ উমাবী বলেন, মুসলমানরা যাত্রা ক্যর মধ্যরাতের সময় ঘুশরিকদের
নিকটবর্তী কুপের কাছে অবতরণ করে ৷ এরপর ঐ কুপের পানি দ্বারা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন
মিটান ৷ তারপর জলাধার তৈরি করে তা ৷তে পানি ভর্তি করে রাখলেন ৷ ফলে মুশরিকদের জন্যে
আর পা ৷নি অবশিষ্ট থাকলো না ৷
ইবন ইসহাক বলেন : সাআদ ইবন মুআয ঐ সময় রাসুলুল্লাহ্কে সম্বোধন করে বলেন, হে
আল্লাহ্র নবী! আপনি অনুমতি দিন, আমরা আপনার জন্যে উচু স্থানে একটা ছাউনি স্থাপন
করি ৷ আপনি সেখানে থাকবেন ৷ তার কাছেই আপনার সওয়ায়ী ঠিক করে রাখবাে ৷ তারপরে
শত্রুর মুকাবিলায় আমরা যুদ্ধ করবো ৷ যুদ্ধে যদি আল্পাহ্ আমাদের বিজয় দান করেন, তাহলে
তো আমাদের আশা পুর্ণ হলো ৷ আর যদি তা না হয়, তাহলে আপনি সওয়ারীতে আরোহণ করে
আমাদের সেই সব লোকের কাছে চলে যাবেন, যারা যুদ্ধে আসেনি ৷ কেননা, এই যুদ্ধে এমন
অনেক লোক আসতে পারেনি যাদের তুলনায় আমরা আপনার জন্যে অধিক শক্তিশালী নই ৷
তারা যদি জানতো যে, আপনি কোন যুদ্ধে গমন করছেন, তাহলে কিছুতেই তারা পিছিয়ে
থাকতো না ৷ আল্লাহ্ তাদের দ্বারা আপনাকে হিফাযত করবেন ৷ তারা আপনার কল্যাণকামী হবে
ও আপনার সাথে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবে ৷ সাআদের বক্তব্য শুনে রাসুলুল্লাহ্ তার প্রশংসা
করেন ও তার জন্যে দৃআ করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্র জন্যে উচু স্থানে একটি ছাউনি স্থাপন
করা হয় এবং তিনি তাতে অবস্থান করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : কুরায়শ বাহিনী সকাল বেলা তাদের অবস্থান থেকে রণাৎপনের
দিকে বেরিয়ে এলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন দেখলেন শত্রুরা আকানকাল টিলা থেকে নেমে
উপত্যকার দিকে ছুটে আসছে, তখন তিনি আল্লাহ্র কাছে এই দৃআ করলেন : হে আল্লাহ ! এই
সেই কুরায়শ যারা অশ্ববাহিনী নিয়ে দর্পডরে এগিয়ে আসছে ৷ এরা আপনার বিদ্রোহী এবং
আপনার রাসুলকে অস্বীকারকারী ৷ হে আল্লাহ্! আমি আপনার সেই সাহায্যের প্ৰত্যাশী যার
প্রতিশ্রুতি আমাকে দিয়েছেন ৷ হে আল্লাহ্৷ এই সকাল বেলায় আপনি তাদেরকে ধ্বংস করে
দিন ৷ কুরায়শ দলের মধ্যে উত্বা ইবন রাবীআকে একটি লাল উটে আরোহণরত দেখতে পেয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : গোটা কুরায়শ বাহিনীর মধ্যে যদি কারও মধ্যে কিছু কল্যাণ থেকে
থাকে, তার এই লাল উট আরোহীর মধ্যে আছে ৷ কুরায়শরা যদি তার কথা ণ্শানে, তার তারা
বেচে যাবে ৷ ইতোমধ্যে খুফাফ ইবন আয়ম৷ ইবন রাহযা কিৎবা তার পিতা আয়ম৷ ইবন রাহযা
গিফারী তার পুত্রের মাধ্যমে কয়েকটি উট উপহার হিসেবে কুরায়শদের নিকট প্রেরণ করে এবং
আমার যে, তোমরা চাইলে আমি অস্ত্র ও সৈন্য দিয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছি ৷
فَإِنَّ الْمَعْنَى فِي ذَلِكَ، عَلَى أَصَحِّ الْقَوْلَيْنِ، أَنَّ الْفِرْقَةَ الْكَافِرَةَ تَرَى الْفِرْقَةَ الْمُؤْمِنَةَ مِثْلَيْ عَدَدِ الْكَافِرَةِ، عَلَى الصَّحِيحِ أَيْضًا، وَذَلِكَ عِنْدَ الْتِحَامِ الْحَرْبِ، وَالْمُسَايَفَةِ أَوْقَعَ اللَّهُ الْوَهَنَ وَالرُّعْبَ فِي قُلُوبِ الَّذِينَ كَفَرُوا، فَاسْتَدْرَجَهُمْ أَوَّلًا بِأَنْ أَرَاهُمْ إِيَّاهُمْ عِنْدَ الْمُوَاجَهَةِ قَلِيلًا، ثُمَّ أَيَّدَ الْمُؤْمِنِينَ بِنَصْرِهِ، فَجَعَلَهُمْ فِي أَعْيُنِ الْكَافِرِينَ عَلَى الضِّعْفِ مِنْهُمْ، حَتَّى وَهَنُوا وَضَعُفُوا وَغُلِبُوا، وَلِهَذَا قَالَ: {وَاللَّهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهِ مَنْ يَشَاءُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِأُولِي الْأَبْصَارِ} [آل عمران: 13]
قَالَ إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: لَقَدْ قُلِّلُوا فِي أَعْيُنِنَا يَوْمَ بَدْرٍ، حَتَّى إِنِّي لَأَقُولُ لِرَجُلٍ إِلَى جَنْبِي: أَتَرَاهُمْ سَبْعِينَ؟ فَقَالَ: أَرَاهُمْ مِائَةً
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي أَبِي إِسْحَاقُ بْنُ يَسَارٍ، وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنَ الْأَنْصَارِ قَالُوا: لَمَّا اطْمَأَنَّ الْقَوْمُ بَعَثُوا عُمَيْرَ بْنَ وَهْبٍ الْجُمَحِيَّ، فَقَالُوا: احْزُرْ لَنَا الْقَوْمَ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ. قَالَ: فَاسْتَجَالَ بِفَرَسِهِ حَوْلَ الْعَسْكَرِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: ثَلَاثُمِائَةِ رَجُلٍ، يَزِيدُونَ قَلِيلًا أَوْ يَنْقُصُونَ، وَلَكِنْ أَمْهِلُونِي حَتَّى أَنْظُرَ، أَلِلْقَوْمِ كَمِينٌ أَوْ مَدَدٌ. قَالَ: فَضَرَبَ فِي الْوَادِي
পৃষ্ঠা - ২৩৭৪
কুরায়শরা তার পুত্রের মাধ্যমে জবাব পাঠাল যে, তোমার এ সৌজন্য আত্মীয়তার নিদর্শন ৷
তোমার দায়িতৃ তুমি পালন করেছ ৷ আমার জীবনের কসম, আমাদের যুদ্ধ যদি কোন মানুষের
সাথে হয়, তবে ওদের তুলনায় আমাদের শক্তি কম নয় ৷ আর যদি আমাদের এ যুদ্ধ আল্লাহর
সাথে হয় যেমনটি মুহাম্মদ বলে থাকে, তা হলে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করার শক্তি তো কারও
নেই ৷ কুরায়শরা ময়দানে অবতরণ করার পর তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন রাসুলের তৈরি করা
জলাধার পানি পান করতে আসে ৷ তাদের মধ্যে হাকীম ইবন হিযামও ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন ওদেরকে পানি পান করতে দ ও ৷ পরিশে ৷ষে দেখা গেল যে তাদের যত গুলো লোক ঐ
পানি পান করেছিল একমাত্র হাকীম ইবন হিযাম ব্যতীত তাদের সকলেই যুদ্ধে নিহত হয় ৷
পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নিষ্ঠাবান মুসলমান হন ৷ এ কারণে হাকীম ইবন
হিযাম যখন শক্ত কসম করতে চাইতেন, তখন বলতেন, ঐ সত্তার কলম, যিনি আমাকে বদর
যুদ্ধে বাচিয়ে রেখেছেন ৷
বদর যুদ্ধে শরীক সাহাবীগণের সংখ্যা ছিল তিনশ’ তেব জন ৷ যুদ্ধের বর্ণনা শেষে আমরা
তাদের নাম আদ্যাক্ষরের ক্রম অনুযায়ী উল্লেখ করবো ৷ইনশা আল্লাহ ৷
সহীহ্ ৰুখারীতে বারা’ ইবন অড়াযিব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন আমরা এই কথা বলাবলি
করতাম যে, বদর যােদ্ধাদের সংখ্যা তিনশ’ দশের কিছু অধিক ৷ এই একই স০ ×থ্যা ছিল তালুত
বাহিনীরও র্যারা তালুতের সাথে নদী অতিক্রম করেছিলেন ৷ আর তার সাথে মু মিন ব্যতীত
অন্য কেউ নদী অতিক্রম করতে পারেনি ৷ সহীহ্ বৃখারীতে বারা ইবন আযিব থেকে বর্ণিত
অপর এক হাদীছে আছে যে তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের সময় আমি ও ইবন উমর শ্ছ ট বলে
বিবেচিত ছিলাম ৷ সে যুদ্ধে মুহাজিরগণের স০ ×খ্যা ছিল ষাটের কিছু বেশী ৷ আর আনসারগণের
ত্থ্যা ছিল দুইশ’ চল্লিশের কিছু বেশী ৷ ইমাম আহমদ (র) ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা ৷করেন ৷
তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে মুসলিম সৈন্য সংখ্যা ছিল তিনশ’ ভের জন ৷ তাদের মধ্যে
মুহাজিরগণের সংখ্যা ছিল ছিয়াত্তর ৷ আর যুদ্ধ সংঘটিত হয় সতের রমাযান শুক্রবার ৷ আল্লাহর
বাণী :
fl :
“স্মরণ কর, আল্লাহতে তেড়ামাকে স্বপ্নে দেখিয়েছিলেন যে, তারা সংখ্যায় অল্প; যদি তোমাকে
দেখাতেন যে, তারা সংখ্যায় অধিক, তবে তোমরা সাহস হারাতে এবং যুদ্ধ বিষয়ে নিজেদের
মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে ৷ কিন্তু আল্লাহ তোমাদের রক্ষা করেছেন” (৮ : ৪৩) ৷ যুদ্ধের রাত্রে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এই স্বপ্ন দেখেন ৷ বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নির্ধারিত ছাপরায়
নিদ্ব৷ যান এবং সবাইকে নির্দেশ দেন যে, অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত কেউ যেন যুদ্ধে লিপ্ত না হয় ৷
ইতোমধ্যে শত্রুদল মুসলমানদের কাছাকাছি চলে আসে ৷ তখন আবু বকর সিদ্দীক রাসুলুল্পাহ্
প্ (না)-কে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! ওরা তো আমাদের কাছাকাছি চলে
এসেছে ৷ তখন তার নিদ্র৷ ভ০ ×গ হয় ৷ এই ফ্লিায় আল্লাহ তাকে স্বপ্নের মাধ্যমে দুশমনদের স০ ×খ্যা
حَتَّى أَبْعَدَ، فَلَمْ يَرَ شَيْئًا، فَرَجَعَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ شَيْئًا، وَلَكِنْ قَدْ رَأَيْتُ، يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، الْبَلَايَا تَحْمِلُ الْمَنَايَا، نَوَاضِحَ يَثْرِبَ تَحْمِلُ الْمَوْتَ النَّاقِعَ، قَوْمٌ لَيْسَ لَهُمْ مَنَعَةٌ وَلَا مَلْجَأٌ إِلَّا سُيُوفُهُمْ، وَاللَّهِ مَا أَرَى أَنْ يُقْتَلَ رَجُلٌ مِنْهُمْ حَتَّى يَقْتُلَ رَجُلًا مِنْكُمْ، فَإِذَا أَصَابُوا مِنْكُمْ أَعْدَادَهُمْ، فَمَا خَيْرُ الْعَيْشِ بَعْدَ ذَلِكَ؟! فَرَوْا رَأْيَكُمْ. فَلَمَّا سَمِعَ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ ذَلِكَ، مَشَى فِي النَّاسِ فَأَتَى عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، فَقَالَ: يَا أَبَا الْوَلِيدِ، إِنَّكَ كَبِيرُ قُرَيْشٍ وَسَيِّدُهَا، وَالْمُطَاعُ فِيهَا، هَلْ لَكَ إِلَى أَنْ لَا تَزَالَ تُذْكَرُ فِيهَا بِخَيْرٍ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ؟ قَالَ: وَمَا ذَاكَ يَا حَكِيمُ؟ قَالَ: تَرْجِعُ بِالنَّاسِ، وَتَحْمِلُ أَمْرَ حَلِيفِكَ عَمْرِو بْنِ الْحَضْرَمِيِّ. قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ، أَنْتَ عَلَيَّ بِذَلِكَ، إِنَّمَا هُوَ حَلِيفِي، فَعَلَيَّ عَقْلُهُ وَمَا أُصِيبَ مِنْ مَالِهِ، فَأْتِ ابْنَ الْحَنْظَلِيَّةِ - يَعْنِي أَبَا جَهْلٍ - فَإِنِّي لَا أَخْشَى أَنْ يَشْجُرَ أَمْرَ النَّاسِ غَيْرُهُ. ثُمَّ قَامَ عُتْبَةُ خَطِيبًا، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنَّكُمْ وَاللَّهِ مَا تَصْنَعُونَ بِأَنْ تَلْقَوْا مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ شَيْئًا، وَاللَّهِ لَئِنْ أَصَبْتُمُوهُ، لَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَى وَجْهِ رَجُلٍ يَكْرَهُ النَّظَرَ إِلَيْهِ، قَتَلَ ابْنَ عَمِّهِ، أَوِ ابْنَ خَالِهِ، أَوْ رَجُلًا مِنْ عَشِيرَتِهِ، فَارْجِعُوا، وَخَلُّوا بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَبَيْنَ سَائِرِ الْعَرَبِ، فَإِنْ أَصَابُوهُ، فَذَلِكَ الَّذِي أَرَدْتُمْ، وَإِنْ كَانَ غَيْرُ ذَلِكَ، أَلْفَاكُمْ وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ২৩৭৫
تَعَرَّضُوا مِنْهُ مَا تُرِيدُونَ. قَالَ حَكِيمٌ: فَانْطَلَقْتُ حَتَّى جِئْتُ أَبَا جَهْلٍ، فَوَجَدْتُهُ قَدْ نَثَلَ دِرْعًا لَهُ، فَهُوَ يُهَنِّئُهَا، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا الْحَكَمِ، إِنَّ عُتْبَةَ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ بِكَذَا وَكَذَا. فَقَالَ: انْتَفَخَ وَاللَّهِ سِحْرُهُ حِينَ رَأَى مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ، فَلَا وَاللَّهِ لَا نَرْجِعُ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ، وَمَا بِعُتْبَةَ مَا قَالَ، وَلَكِنَّهُ رَأَى مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ أَكَلَةَ جَزُورٍ، وَفِيهِمُ ابْنُهُ، فَقَدْ تَخَوَّفَكُمْ عَلَيْهِ. ثُمَّ بَعَثَ إِلَى عَامِرِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، فَقَالَ هَذَا حَلِيفُكَ يُرِيدُ أَنْ يَرْجِعَ بِالنَّاسِ، وَقَدْ رَأَيْتُ ثَأْرَكَ بِعَيْنِكَ، فَقُمْ فَانْشُدْ خُفْرَتَكَ وَمَقْتَلَ أَخِيكَ. فَقَامَ عَامِرُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ فَاكْتَشَفَ ثُمَّ صَرَخَ وَاعَمْرَاهُ وَاعَمْرَاهُ. قَالَ: فَحَمِيَتِ الْحَرْبُ، وَحَقِبَ أَمْرُ النَّاسِ، وَاسْتَوْثَقُوا عَلَى مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الشَّرِّ، وَأَفْسَدَ عَلَى النَّاسِ الرَّأْيَ الَّذِي دَعَاهُمْ إِلَيْهِ عُتْبَةُ. فَلَمَّا بَلَغَ عُتْبَةُ قَوْلَ أَبِي جَهْلٍ: انْتَفَخَ وَاللَّهِ سِحْرُهُ. قَالَ: سَيَعْلَمُ مُصَفِّرُ اسْتِهِ مَنِ انْتَفَخَ سِحْرُهُ، أَنَا أَمْ هُوَ.
পৃষ্ঠা - ২৩৭৬
কম করে দেখান ৷ এ ঘটনা উমাবী বর্ণনা করেছেন (এবং বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে উদ্ধৃত
করেছেন) ৷ বর্ণনাটি নিতাম্ভই গরীব পর্যায়ের ৷ আল্লাহর বাণীং
০ :
মোঃ
দু’টি দল যখন পরস্পরের সম্মুখীন হল, তখন আল্লাহ প্রত্যেক দলবে অপর দলের দৃষ্টিতে
কম করে সেখান ৷ যাতে উভয় দলই একে অপরের উপর আক্রমণ করতে উদ্যত হয় ৷ এরুপ
করার পিছনে নিপুঢ় রহস্য রয়েছে, যা সুস্পষ্ট ৷ এ আঘাতের বক্তব্যের সাথে সুরা আলে-
ইমরানের নিম্নোক্ত আঘাতের সাথে কোন বিরোধ নেই ৷
ন্ “দু’টি দলের পরস্পর সম্মুখীন হওয়ার মধ্যে তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ একদল
আল্লাহর পথে লড়াই করছিল, অন্যদল কাফির ছিল ৷ ওরা তাদেরকে (অর্থাৎ কাফিররা
মুসলমানদেরকে) চোখের দেখায় দ্বিগুণ দেখছিল ৷ আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা নিজ সাহায্য দ্বারা
শক্তিশালী করেন ৷ (৩ং : ১৩) ৷ কেননা, প্রসিদ্ধ ও বিশুদ্ধ মতে সেদিন ক ফিব দল মু’মিনদের
দলকে কাফির দলের দ্বিগুণ স ×খ্যা দেখতে পাচ্ছিল ৷ আর এ দেখাট৷ হয়েছিল তীব্র লড়াই ও
প্রতিযোগিতা ৷র সময় ৷ এর মাধ্যমে অ ৷ল্লাহ্ কাফিরদের অস্তরে ভয়-ভীতির সঞ্চার করে দেন ৷ এ
ছিল আল্লাহ্র কৌশল ৷ প্রথমে মুখোমুখি হওয়ার সময় কা ৷ফিরদের চোখে মু’মিনদের সংখ্যা কম
করে সেখান ৷ এরপর যুদ্ধ বেধে গেলে কাফিরদের চোখে মু ’মিনদের সং ×খ্যা দ্বিগুণ করে দেখান ৷
আল্লাহর এ সাহায্যে ক ফির দল৩ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পরাজয় বরণ করে ৷ তইি আল্লাহ্ বলেন :
“আল্লাহ যাকে ইচ্ছা নিজ সাহায্য দ্বারা শক্তিশালী করেন ৷ নিশ্চয়ই এতে অম্ভর্বৃষ্টিসম্পৃন্ন লোকের
জন্যে শিক্ষা রয়েছে ৷”
ইসরাঈল আবু উবায়দ ও আবদুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে
আমাদের চোখে কাফিরদের সংখ্যা খুবই কম দেখাচ্ছিল ৷ এমন কি আমি আমার পাশের
লোককে জিজ্ঞেস করলাম, ওদের সংখ্যা কি সত্তর জনের মত দেখাচ্ছে না ? সে বললো, আমার
মনে হয় ওরা শখানেক হবে ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আবু ইসহাক ও অন্যান্য আলিমগণ প্রবীণ আনসারগণের বরাতে
আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, কুরায়শ বাহিনী যখন সবকিছু ঠিকঠাক করে তাদের যুদ্ধের
স্থান নিশ্চিত করে নিল, তখন উমায়র ইবন ওয়াহব জুমাহীকে এই দায়িত্ব দিয়ে পাঠাল যে,
মুহাম্মদের বাহিনীতে লোকসং ×খ্যা কত তা নির্ণয় করে এসো ৷ উমায়র ঘোড়ার চড়ে মুসলিম
বাহিনীর চারদিকে এক চক্কর দিয়ে কুরায়শদের কাছে ফিরে গিয়ে বললো, ওদের সংখ্যা
তিনশ’র চেয়ে সামান্য বেশী বা সামান্য কম ৷ তবে আমাকে আরেকবার অবকাশ দাও দেখে
আমি তাদের কোন গুপ্ত ঘীটি বা সাহায্যকারী দল আছে কি না ৷ এবার সে উপত্যকার দুর
প্রান্ত পর্যন্ত পৌজাখুজি করলো কিন্তু কিছু পেলে৷ না ৷ কুরায়শদের কাছে ফিরে গিয়ে সে
ثُمَّ الْتَمَسَ عُتْبَةُ بَيْضَةً لِيُدْخِلَهَا فِي رَأْسِهِ، فَمَا وَجَدَ فِي الْجَيْشِ بَيْضَةً تَسَعَهُ، مِنْ عِظَمِ رَأْسِهِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ اعْتَجَرَ عَلَى رَأْسِهِ بِبُرْدٍ لَهُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ مُسَوَّرِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْيَرْبُوعِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، إِذْ دَخَلَ حَاجِبُهُ فَقَالَ: حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ يَسْتَأْذِنُ. قَالَ: ائْذَنْ لَهُ. فَلَمَّا دَخَلَ قَالَ: مَرْحَبًا يَا أَبَا خَالِدٍ، ادْنُ، فَحَالَ لَهُ عَنْ صَدْرِ الْمَجْلِسِ حَتَّى جَلَسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْوِسَادَةِ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَهُ فَقَالَ: حَدِّثْنَا حَدِيثَ بَدْرٍ. فَقَالَ خَرَجْنَا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْجُحْفَةِ، رَجَعَتْ قَبِيلَةٌ مِنْ قَبَائِلِ قُرَيْشٍ بِأَسْرِهَا، فَلَمْ يَشْهَدْ أَحَدٌ مِنْ مُشْرِكِيهِمْ بَدْرًا، ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى نَزَلْنَا الْعُدْوَةَ الَّتِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى، فَجِئْتُ عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ فَقُلْتُ: يَا أَبَا الْوَلِيدِ هَلْ لَكَ فِي أَنْ تَذْهَبَ بِشَرَفِ هَذَا الْيَوْمَ مَا بَقِيتَ؟ قَالَ: أَفْعَلُ مَاذَا؟ قُلْتُ: إِنَّكُمْ لَا تَطْلُبُونَ مِنْ مُحَمَّدٍ إِلَّا دَمَ ابْنَ الْحَضْرَمِيِّ، وَهُوَ حَلِيفُكَ، فَتَحَمَّلْ بِدِيَتِهِ، وَيَرْجِعُ النَّاسُ. فَقَالَ: أَنْتَ عَلَيَّ بِذَلِكَ، وَاذْهَبْ إِلَى ابْنِ الْحَنْظَلِيَّةِ، يَعْنِي أَبَا جَهْلٍ، فَقُلْ لَهُ: هَلْ لَكَ أَنْ تَرْجِعَ الْيَوْمَ بِمَنْ مَعَكَ عَنِ ابْنِ عَمِّكَ؟ فَجِئْتُهُ فَإِذَا هُوَ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ، وَإِذَا ابْنُ الْحَضْرَمِيِّ وَاقِفٌ عَلَى رَأْسِهِ وَهُوَ يَقُولُ: فَسَخْتُ عَقْدِي مِنْ عَبْدِ شَمْسٍ، وَعَقْدِي الْيَوْمَ إِلَى بَنِي مَخْزُومٍ. فَقُلْتُ لَهُ: يَقُولُ لَكَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ: هَلْ لَكَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২৩৭৭
বললো, “কোন কিছুরই সন্ধান পেলাম না ৷ তবে হে কুরায়শরা! আমি মৃত্যু বহনকারী
বিপদ সমুহ দেখে এসেছি ৷ দেখেছি ইয়াছরিবের বাহিনী যেন নিশ্চিত মৃত্যু বহন করে এসেছে ৷
ওদের কাছে আত্মরক্ষা ও আশ্রয়ের জন্যে একমাত্র তলোয়ার ছাড়া আর কিছুই নেই ৷ আল্লাহর
কসম, তাদের হাবভাব দেখে মনে হলো, তাদের একজন নিহত হলে তোমাদের একজন
অবশ্যই নিহত হবে ৷ এ ভাবে তাদের সম-পরিমাণ লোক যখন তোমাদের দল থেকে নিহত
হবে, তখন আর বেচে থাকার মধ্যে কল্যাণ কোথায় ? অতএব তোমরা পুনর্বিবেচনা করে দেখ ৷
উমায়রের মুখে এ কথা শুনে হাকীম ইবন হিযাম কুরায়শ বাহিনীর মধ্যে খুজে উতবা ইবন
রাবীআকে বললাে : হে আবুল ওয়ালীদ ! আপনি কুরায়শ ণ্পড়াত্রের প্রবীণ নেতা, সবাই আপনাকে
মান্য করে ৷ আপনি কি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার মত একটা কাজ করবেন ? উতবা বললাে, যে
কাজটি কী হাকীম ? হাকীম বললো, আপনি কুরায়শ বাহিনীকে যুদ্ধ না করে ফিরিয়ে নিয়ে যান
এবং আপনার মিত্র আমর ইবন হাযরামীর খুনের বিষয়টা নিজের দায়িত্বে নিয়ে নিন ৷ উতবা
বললাে, তোমার কথা আমি মেনে নিলাম ৷ এ ব্যাপারে তুমি সাক্ষী থাক ৷ সে আমার মিত্র ৷ তার
রক্তপণ ও অর্থের ক্ষয়ক্ষতি বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমার উপর, থাকলো ৷ তুমি হানযালিয়ার
পুত্রের অর্থাৎ আবু জাহ্লের নিকট যাও ৷ কেননা, কুরায়শ বাহিনীকে বিনা যুদ্ধে ফিরিয়ে নেয়ার
ব্যাপারে সে ছাড়া আর কেউ বিরোধিতা করবে বলে আমি আশংকা করি না ৷ এরপর উতবা এক
ভাষণে বলে : হে কুরায়শরা ! মুহাম্মদ ও তার সংগীদের সাথে যুদ্ধ করে তোমাদের তেমন কোন
লাভ নেই ৷ আল্লাহর কসম, আজ যদি তোমরা তাকে হত্যা করতে সক্ষমও হও, তবু তোমাদের
মধ্যে পারস্পরিক সু-সষ্পর্ক থাকবে না ৷ একজন আর একজনকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখতে
থাকবে ৷ কেননা, সে হয় তার চাচাত ভাই কিংবা খালাত ভাই অথবা অন্য কোন আত্মীয়কে
হত্যা করেছে ৷ সুতরাং তোমরা যুদ্ধ না করে ফিরে যাও ৷ আর মুহাম্মদের ব্যাপারটা গোটা
আরববাসীর হাতে ছেড়ে দাও ৷ তারা যদি তাকে হত্যা করে, তবে তো তোমাদের উদ্দেশ্য
পুরণ হয়ে গেল ৷ আর যদি তা না হয়, তা হলে মুহাম্মদের সাথে তোমাদের সম্পর্ক ভাল
থাকবে ৷ তোমরা তার সাথে যুদ্ধ করতে যাবে না ৷
হাকীম ইবন হিযাম বলেন, এরপর আমি আবু জাহ্লের কাছে গেলা ম ৷ দেখলাম, যে থলে
থেকে বর্ম বের করে প্রস্তুত করছে ৷ আমি বললড়াম, হে আবুল হাকাম ৷ উতবা আমাকে আপনার
নিকট পাঠিয়েছে এই সংবাদ দিয়ে ৷ এরপর উত্বা যা কিছু বলেছিল সবই তাকে জানালাম ৷
আবু জাহ্ল বললো, আল্লাহর কসম, উতবা যখন থেকে মুহাম্মদ ও তার সাথীদেরকে দেখেছে,
তখন থেকে সে জাদৃগ্রস্ত হয়ে আছে ৷ আল্লাহর কসম, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ আমাদের ও
মুহাম্মদের মাঝে চুড়ম্ভে ফায়সালা না করে দেবেন ততক্ষণ, পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না ৷
আর উতবা যা বলেছে ওটা তার আসল কথা নয় ৷ আসল ব্যাপার হলো, যে যখন মুহাম্মদ ও
তার সংগীদের সংখ্যা কম দেখেছে, তাদের মধ্যে উত্বার ছেলেও আছে, তখন সে তার ছেলের
জীবন নড়াশের ভয় করছে ৷ এরপর আবু জাহ্ল আমির ইবন হাযরামীর কাছে লোক মারফত
খবর পাঠাল যে, তোমার মিত্র উতবা বিনা যুদ্ধে লোকজন ফিরিয়ে নিতে যাচ্ছে ৷ অথচ তৃ
দেখতে পাচ্ছ যুদ্ধের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন প্রায় ৷ সুতরাং তুমি ওঠো এবং তোমার নিহত ভাই
আমর ইবুন হাযরামীর হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যে কুরায়শদের প্রতিশ্রুতি উল্লেখ করে
تَرْجِعَ الْيَوْمَ عَنِ ابْنِ عَمِّكَ بِمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: أَمَا وَجَدَ رَسُولًا غَيْرَكَ؟ قُلْتُ: لَا، وَلَمْ أَكُنْ لِأَكُونَ رَسُولًا لِغَيْرِهِ. قَالَ: حَكِيمٌ فَخَرَجْتُ مُبَادِرًا إِلَى عُتْبَةَ لِئَلَّا يَفُوتَنِي مِنَ الْخَبَرِ شَيْءٌ، وَعُتْبَةُ مُتَّكِئٌ عَلَى إِيمَاءِ بْنِ رَحَضَةَ الْغِفَارِيِّ، وَقَدْ أَهْدَى إِلَى الْمُشْرِكِينَ عَشْرَ جَزَائِرَ، فَطَلَعَ أَبُو جَهْلٍ وَالشَّرُّ فِي وَجْهِهِ، فَقَالَ لِعُتْبَةَ: انْتَفَخَ سِحْرُكَ فَقَالَ لَهُ عُتْبَةُ: سَتَعْلَمُ. فَسَلَّ أَبُو جَهْلٍ سَيْفَهُ، فَضَرَبَ بِهِ مَتْنَ فَرَسِهِ. فَقَالَ إِيمَاءُ بْنُ رَحَضَةَ: بِئْسَ الْفَأْلُ هَذَا. فَعِنْدَ ذَلِكَ قَامَتِ الْحَرْبُ.
وَقَدْ صَفَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ وَعَبَّأَهُمْ أَحْسَنَ تَعْبِئَةً، فَرَوَى التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: «صَفَّنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ لَيْلًا» .
وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ أَسْلَمَ أَبَا عِمْرَانَ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ يَقُولُ: ( «صُفِفْنَا يَوْمَ بَدْرٍ فَبَدَرَتْ مِنَّا بَادِرَةٌ أَمَامَ الصَّفِّ، فَنَظَرَ إِلَيْهِمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَعِي مَعِي» " تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ حَسَنٌ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي حَبَّانُ بْنُ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ عَنْ أَشْيَاخٍ
পৃষ্ঠা - ২৩৭৮
مِنْ قَوْمِهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَدَّلَ صُفُوفَ أَصْحَابِهِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَفِي يَدِهِ قِدْحٌ يُعَدِّلُ بِهِ الْقَوْمَ، فَمَرَّ بِسَوَادِ بْنِ غَزِيَّةَ حَلِيفِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ، وَهُوَ مُسْتَنْتِلٌ مِنَ الصَّفِّ، فَطَعَنَ فِي بَطْنِهِ بِالْقِدْحِ وَقَالَ: " اسْتَوِ يَا سَوَادُ ". فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوْجَعْتَنِي، وَقَدْ بَعَثَكَ اللَّهُ بِالْحَقِّ وَالْعَدْلِ، فَأَقِدْنِي. فَكَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَطْنِهِ، فَقَالَ: " اسْتَقِدْ " قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ فَقَبَّلَ بَطْنَهُ، فَقَالَ: " مَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا يَا سَوَادُ؟ " قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، حَضَرَ مَا تَرَى، فَأَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ آخِرَ الْعَهْدِ بِكَ، أَنْ يَمَسَّ جِلْدِي جِلْدَكَ. فَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْرٍ وَقَالَهُ» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، أَنَّ عَوْفَ بْنَ الْحَارِثِ، وَهُوَ ابْنُ عَفْرَاءَ، قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا يُضْحِكُ الرَّبَّ مِنْ عَبْدِهِ؟ قَالَ: غَمْسُهُ يَدَهُ فِي الْعَدُوِّ حَاسِرًا فَنَزَعَ دِرْعًا كَانَتْ عَلَيْهِ فَقَذَفَهَا، ثُمَّ أَخَذَ سَيْفَهُ، فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ عَدَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّفُوفَ، وَرَجَعَ إِلَى الْعَرِيشِ فَدَخَلَهُ، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، لَيْسَ مَعَهُ فِيهِ غَيْرُهُ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ: وَكَانَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَاقِفًا
পৃষ্ঠা - ২৩৭৯
সবাইকে উত্তেজিত কর ৷ আমির ইবন হাযরামী উঠে দীড়াল এবং তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের
বর্ণনা দিয়ে চিৎকার করে বললো, হায় আমর’ হায় আমর ’ ৷ সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের দামামা বেজে
উঠলাে ৷ ফিরে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেল ৷ তারা যে যুদ্ধের জন্যে এসেছিল তার উপর তারা
অটল হয়ে পড়লো ৷ এ ভাবে উতবা যে উংদ্যাগ গ্রহণ করেছিল তা সহসাই বানচাল হয়ে গেল ৷
উতবা যখন আবু জাহলের এ মন্তব্য শুনলো যে, “উতবা জাদৃগ্রন্ত হয়ে গেছে, তখন সে
বললো, অচিরেই সে বিবেকহীন জানতে পাবে, জাদুগ্রস্ত আমি, না সে ৷ এরপর উতবা মাথায়
পরার জন্যে এবল্টা লৌহ শিরস্ত্রাণ খুজলো ৷ কিন্তু গোটা বাহিনীর মধ্যে তার মাথার সাথে কোন
শিরস্ত্রড়াণ পাওয়া গেল না ৷ কারণ, উত্বার মাথা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় ৷ অবশেষে
সে তার মাথায় নিজের চাদর পেচিয়ে নিল ৷
ইবন জারীর মুসাওয়ার ইবন আবদুল মালিক ইয়ারবুঈর সুত্রে , সাঈন্ন্ ইবন মুসাইয়িব
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা একদা মারওয়ান ইবন হাকামের কাছে অবস্থান
করছিলাম ৷ এমন সময় দ্বাররক্ষী ভিতরে প্রবেশ করে বললো, হাকীম ইবন হিযাম ভিতরে
আসার অনুমতি চান ৷ মারওয়ান বললো, তাকে আসতে দাও ৷ হাকীম ভিতরে প্রবেশ করলে
মারওয়ান ধন্যবাদ দিয়ে বললো, হে আবু খালিদ কাছে এসো ৷ এরপর তিনি বৈঠকের মাঝখানে
এসে মারওয়ানের সম্মুখে বসে পড়েন ৷ মারওয়ান তাকে বদর যুদ্ধের ঘটনা বর্ণনা করার
অনুরোধ জানায় ৷ হাকীম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আমরা যখন জুহ্ফা নামক স্থানে
পৌছি, তখন কুরায়শ গোত্রের একটি শাখার সকলেই ফিরে চলে যায় ৷ ফলে ঐ শাখার একজন
লােকও সে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি ৷ এরপর আমরা রণাংগনের একেবারে কাছে গিয়ে শিবির
স্থাপন করি যার কথা আল্লাহ্ কুরআনে উল্লেখ করেছেন (উদওয়াতৃদ দৃনয়া নিকট
প্রান্তে) ৷ তখন আমি উতবা ইবন রাবীআর কাছে এসে বললাম, হে আবুল ওয়ালীদ! আপনি কি
আজকের দিনের গৌরব নিয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকতে চান ? উতবা বললো, তাই করবো ৷
বলো সেটা কি ? আমি বললাম, মুহাম্মদের কাছে তো আপনাদের একটইি দাবী ৷ তা হলো,
আমর ইবন হাযরামীর থুনের প্রতিশোধ গ্রহণ ৷ আমর ইবন হাযরামী আপনার মিত্র ৷ আপনি যদি
তার ঋণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তা হলে কুরড়ায়শরা আজ যুদ্ধ না করে ফিরে যেতে পারে ৷
উতবা বললো, আমি যে দায়িত্ব নিলাম ৷ তুমি সাক্ষী থাক ৷ তবে তুমি ইবন হানযালিয়া অর্থাৎ
আবু জাহ্লের কাছে যাও এবং বলো, আপনি কি নিজের চাচাত ভাইয়ের সাথে যুদ্ধ না করে
লোকজন নিয়ে ফিরে যেতে রাযী আছেন ? আমি আবু জাহ্লের কাছে গেলাম ৷ দেখলাম,
সম্মুখে-পশ্চাতে অনেক লোকের মধ্যে যে বসে আছে ৷ আর আমির ইবন হাযরামী তার মাথার
কাছে দাড়িয়ে আছে এবং বলছে, আবদে শামসের হাত থেকে আমার যে হার (অর্থাৎ মর্যাদা)
খুয়া গেছে, সে হার আজ বনু মাখযুমের হাতে উদ্ধার হবে ৷ আমি আবু জাহ্লকে উদ্দেশ্য করে
বললাম, উতবা ইবন রাবীআ জানতে চেয়েছে, আপনি কি লোকজন ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত
আছেন ? আবু জাহ্ল বললো, সে বুঝি এ কাজের জন্যে তোমাকে ছাড়া আর কাউকে দুত
পায়নি ? আমি বললাম, না ৷ তবে আমিও তার ছাড়া অন্য কারও দুত হতে রাযী নই ৷ হাকীম
বলেন, আমি দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে উত্বার কাছে চলে গেলাম ৷ যাতে কোন সংবাদ থেকে
১ আবু জাহ্লের মাতার নাম হানযালা, অপর নাম আসমা বিনৃত মাখরামা !
عَلَى بَابِ الْعَرِيشِ مُتَقَلِّدًا بِالسَّيْفِ، وَمَعَهُ رِجَالٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يَحْرُسُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَوْفًا عَلَيْهِ مِنْ أَنْ يَدْهَمَهُ الْعَدُوُّ مِنَ الْمُشْرِكِينَ. وَالْجَنَائِبُ النَّجَائِبُ مُهَيَّأَةٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنِ احْتَاجَ إِلَيْهَا رَكِبَهَا وَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ، كَمَا أَشَارَ بِهِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ.
وَقَدْ رَوَى الْبَزَّارُ فِي " مُسْنَدِهِ " مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ خَطَبَهُمْ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ أَشْجَعُ النَّاسِ؟ فَقَالُوا: أَنْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: أَمَا إِنِّي مَا بَارَزَنِي أَحَدٌ إِلَّا انْتَصَفْتُ مِنْهُ، وَلَكِنْ هُوَ أَبُو بَكْرٍ، إِنَّا جَعَلْنَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرِيشًا، فَقُلْنَا: مَنْ يَكُونُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِئَلَّا يَهْوِي إِلَيْهِ أَحَدٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ؟ فَوَاللَّهِ مَا دَنَا أَحَدٌ إِلَّا أَبُو بَكْرٍ، شَاهِرًا بِالسَّيْفِ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَهْوِي إِلَيْهِ أَحَدٌ، إِلَّا أَهْوَى إِلَيْهِ، فَهَذَا أَشْجَعُ النَّاسِ. قَالَ: وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخَذَتْهُ قُرَيْشٌ، فَهَذَا يَجَؤُهُ، وَهَذَا يُتَلْتِلُهُ، وَيَقُولُونَ: أَنْتَ جَعَلْتَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا. فَوَاللَّهِ مَا دَنَا مِنَّا أَحَدٌ إِلَّا أَبُو بَكْرٍ، يَضْرِبُ هَذَا، وَيَجَأُ هَذَا، وَيُتَلْتِلُ هَذَا، وَهُوَ يَقُولُ: وَيْلَكُمْ، أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ: رَبِّيَ اللَّهُ. ثُمَّ رَفَعَ عَلِيٌّ بُرْدَةً كَانَتْ عَلَيْهِ، فَبَكَى حَتَّى اخْضَلَّتْ
পৃষ্ঠা - ২৩৮০
لِحْيَتُهُ ثُمَّ قَالَ: أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ، أَمُؤْمِنُ آلِ فِرْعَوْنَ خَيْرٌ أَمْ هُوَ؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، فَقَالَ عَلِيٌّ: فَوَاللَّهِ لَسَاعَةٌ مِنْ أَبِي بَكْرٍ، خَيْرٌ مِنْ مَلْءِ الْأَرْضِ مِنْ مُؤْمِنِ آلِ فِرْعَوْنَ، ذَاكَ رَجُلٌ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ، وَهَذَا رَجُلٌ أَعْلَنَ إِيمَانَهُ. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
فَهَذِهِ خُصُوصِيَّةٌ لِلصِّدِّيقِ حَيْثُ هُوَ مَعَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعَرِيشِ، كَمَا كَانَ مَعَهُ فِي الْغَارِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الِابْتِهَالَ وَالتَّضَرُّعَ وَالدُّعَاءَ، وَيَقُولُ: فِيمَا يَدْعُو بِهِ: " اللَّهُمَّ إِنَّكَ إِنْ تُهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةَ، لَا تُعْبَدُ بَعْدَهَا فِي الْأَرْضِ " وَجَعَلَ يَهْتِفُ بِرَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَيَقُولُ: " اللَّهُمَّ أَنْجِزَ لِي مَا وَعَدْتِنِي، اللَّهُمَّ نَصْرَكَ ". وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ حَتَّى سَقَطَ الرِّدَاءُ عَنْ مَنْكِبَيْهِ، وَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَلْتَزِمُهُ مِنْ وَرَائِهِ، وَيُسَوِّي عَلَيْهِ رِدَاءَهُ، وَيَقُولُ مُشْفِقًا عَلَيْهِ مِنْ كَثْرَةِ الِابْتِهَالِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَعْضَ مُنَاشَدَتِكَ رَبَّكَ فَإِنَّهُ سَيُنْجِزُ لَكَ مَا وَعَدَكَ.
هَكَذَا حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ قَاسِمِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ الصِّدِّيقَ إِنَّمَا قَالَ: بَعْضَ مُنَاشَدَتِكَ رَبَّكَ، مِنْ بَابِ الْإِشْفَاقِ، لِمَا رَأَى مِنْ نَصَبِهِ فِي الدُّعَاءِ وَالتَّضَرُّعِ، حَتَّى سَقَطَ الرِّدَاءُ عَنْ مَنْكِبَيْهِ فَقَالَ: بَعْضَ هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْ لِمَ تُتْعِبُ نَفْسَكَ هَذَا التَّعَبَ، وَاللَّهُ قَدْ وَعَدَكَ بِالنَّصْرِ. وَكَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، رَقِيقَ الْقَلْبِ، شَدِيدَ الْإِشْفَاقِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ২৩৮১
বঞ্চিত না হই ৷ উত্বা তখন আয়মা ইবন রাহ্যা গিফারীর দেহের উপর হেলান দিয়ে বসে
ছিল ৷ আয়মা কুরায়শদের জন্যে উপহার স্বরুপ দশটি উট নিয়ে এসেছিল ইতাবসরে দৃরাচার
আবু জাহ্ল সেখানে উপস্থিত হয়ে উত্বাকে শাসিয়ে বললো, তুমি কি জাদুগ্নস্ত হয়েছো ? উত্বা
আবু জাহ্লকে বললো, একটু পরেই জানতে পারবে ৷ এ কথা বলার সাথে সাথেই আবু জাহ্ল
তলোয়ার বের করে তার ঘোড়ার পিঠে আঘাত করলো ৷ এ দেশে আয়মা ইবন রাহ্যা মন্তব্য
করলো যে, এটা শুভ লক্ষণ নয় ৷ তখন চারিদিকে যুদ্ধের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ এদিকে রাসুল
(সা) তার সাথীগণকে সারিবদ্ধ করেন এবং সুনিপুণভাবে বিনম্ভে করেন ৷ইমাম তিরমিযী আবদুর
রহমান ইবন আওফ থেকে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বদর যুদ্ধে আমাদেরকে রাত্রিবেলা
সারিবদ্ধ করেন ৷
ইমাম আহমদ আবু অইিয়ুব থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বদর যুদ্ধে
আমাদেরকে সারিবদ্ধ করে দেন ৷ আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন সারি ছেড়ে সম্মুখে এগিয়ে
যায় ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে দেখে বললেন, আমার সাথে এসো, আমার সাথে এসো ৷
ইমাম আহমদ একইি এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন এবং এর সনদ হাসান বা উত্তম ৷
ইবন ইসহাক বলেন é রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের জন্যে তার সৈন্যগণকে সারিবদ্ধভাবে দীড়
করান ৷ তিনি হাতে একটি তীর নিয়ে তা দ্বারা লাইন সোজা করেন ৷ সৈন্যদের কাতার
পর্যবেক্ষণ করার সময় দেখেন যে, সুওয়াদ ইবন গাযিয়া (বনু আদী ইবন নাজ্জারেৱ মিত্র) লাইন
থেকে আগে গিয়ে দীড়িয়েছে ৷ তিনি তীর দ্বারা তার পেটে গুতা মেরে বলেন, সুওয়াদ! লাইনে
সোজা হয়ে র্দাড়াও ৷ সুওয়াদ বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু আপনি আমাকে ব্যথা দিলেন ৷ অথচ
আল্পাহ্ আপনাকে সত্য ও ইনসাফ দিয়ে পাঠিয়েছেন ৷ সুতরাং আমাকে প্রতিশোধ গ্রহণের
সুযোগ দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পেটের উপর থেকে কাপড় সরিয়ে দিয়ে বললেন, প্রতিশোধ গ্রহণ
কর ৷ সুওয়াদ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে জড়িয়ে ধরে পেটে চুম্বন করতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন, সুওয়াদ ! তুমি এরুপ করতে গেলে কেন ? তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!
অবস্থার ভয়াবহতা আপনি দেখছেন ৷ তাই আমি চাচ্ছিলাম জীবনের শেষ মুহুর্তে আপনার পবিত্র
দেহের সাথে আমার দেহের একটু স্পর্শ লাণ্ডক ৷ তার কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (না) তার কল্যাণের
জন্যে দৃআ করলেন ও সদুপদেশ দিলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আফরড়ার পুত্র আওফ ইবন হারিছ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললো ষ্ক ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আল্পাহ্ বান্দার উপর কিসে খুশী হন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : বর্মহীন শরীরে
দৃশমনদের মধ্যে ঢুকে যুদ্ধ করলে আল্লাহ খুশী হন ৷ এ কথা শুনে আওফ শরীর থেকে বর্ম খুলে
ফেলে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান ৷
ইবন ইসহাক বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সৈন্যদের লাইন বিন্যস্ত করে ফিরে যান ও
ছাপরায় প্রবেশ করেন ৷ তার সাথে আবু বকর (রা)ও যান ৷ ছাপরায় মধ্যে রাসুলুল্লাহ্র সাথে
আবু বকর ব্যতীত আর কেউ ছিল না ৷ ইবন ইসহাক ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ বলেছেন ৷;
রাসুলের ছাপরায় বাইরে দরজার সামনে সাআদ ইবন মুআয শত্রুর আক্রমণের ভয়ে কতিপয়
আনসারসহ তলোয়ার হাতে নিয়ে পাহারায় নিযুক্ত ছিলেন ৷ আর দ্রুতপামী উন্নতমানের কিছু উট
وَحَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ شَيْخِهِ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْعَرَبِيِّ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَقَامِ الْخَوْفِ، وَالصِّدِّيقُ فِي مَقَامِ الرَّجَاءِ، وَكَانَ مَقَامُ الْخَوْفِ فِي هَذَا الْوَقْتِ. يَعْنِي أَكْمَلَ. قَالَ: لِأَنَّ لِلَّهِ أَنْ يَفْعَلَ مَا يَشَاءُ، فَخَافَ أَنْ لَا يُعْبَدَ فِي الْأَرْضِ بَعْدَهَا، فَخَوْفُهُ ذَلِكَ عِبَادَةٌ.
قُلْتُ: وَأَمَّا قَوْلُ بَعْضِ الصُّوفِيَّةِ: إِنَّ هَذَا الْمَقَامَ، فِي مُقَابَلَةِ مَا كَانَ يَوْمَ الْغَارِ. فَهُوَ قَوْلٌ مَرْدُودٌ عَلَى قَائِلِهِ، إِذْ لَمْ يَتَدَبَّرْ هَذَا الْقَائِلُ عَوَرَ مَا قَالَ، وَلَا لَازِمَهُ، وَلَا مَا يَتَرَتَّبُ عَلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
هَذَا وَقَدْ تَوَاجَهَ الْفِئَتَانِ، وَتَقَابَلَ الْفَرِيقَانِ، وَحَضَرَ الْخَصْمَانِ، بَيْنَ يَدَيِ الرَّحْمَنِ، وَاسْتَغَاثَ بِرَبِّهِ سَيِّدُ الْأَنْبِيَاءِ، وَضَجَّ الصَّحَابَةُ بِصُنُوفِ الدُّعَاءِ، إِلَى رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ، سَامِعِ الدُّعَاءِ وَكَاشِفِ الْبَلَاءِ، فَكَانَ أَوَّلُ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، الْأَسْوَدَ بْنَ عَبْدِ الْأَسَدِ الْمَخْزُومِيَّ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَجُلًا شَرِسًا سَيِّئَ الْخُلُقِ فَقَالَ: أُعَاهِدُ اللَّهَ
পৃষ্ঠা - ২৩৮২
প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল ৷ যাতে প্রয়োজন হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাতে আরোহণ করে মদীনায়
চলে , যেতে সক্ষম হন ৷ যে দিকে সাঅড়াদ ইবন ঘুআয ইতেড়াপুর্বে ইংগিত করেছিলেন ৷
বায্যার তার মুসনাদ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন আকীল থেকে বর্ণনা করেন : একদা খলীফা আলী
(বা) তাদেরকে সম্বোধন করে বলেন, তোমরা বলো তো, সবচেয়ে বড় বীর কে ? সবাই
বললো : হে আমীরুল মু’মিনীন! সবচেয়ে বড় বীর আপনি ৷ আলী (বা) বললেন : যে কেউ
আমার মুকাবিলায় এসেছে আমি তার বদলা নিয়েছি ৷ কিন্তু আবু বকর (রা)-এর ব্যতিক্রম ৷
আমরা বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্যে আলাদা ছাপড়া স্থাপন করি ৷ মুশরিকদের কেউ
অসৎ উদ্দেশ্যে যাতে তার কাছে আসতে না পারে সে জন্যে রাসুলুল্লাহ্ধ্ সাথে যে কোন
একজনকে থাকার জন্যে আমরা নাম আহ্বান করলাম ৷ আল্লাহর কসম, যে দিন আবু বকর
(বা) ব্যতীত কেউ এগিয়ে এলো না ৷ তিনি খোলা তল্যেয়ার উচু করে রাসুলুল্লাহ্র শিয়রে
দণ্ডায়মান ছিলেন ৷ মুশরিকদের কেউ এ দিকে অগ্রসর হলেই তিনি তাকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে
দিতেন ৷ সুতরাং আবু বকরই সবচেয়ে বড় বীর ৷ আলী (বা) বলেন, আমি দেখেছি কুরায়শরা
রাসুলুল্লাহ্র সাথে বিরোধিতা করতো, আবু বকর তার জবাব দিতেন, মাঝখানে আড় হয়ে
দীড়াতেন ৷ কাফিররা অভিযোগ দিভাে তুমি-ই তো আমাদের অনেক মাবুদের স্থলে একজন
মাবুদের কথা প্রচার করছো ৷ আল্লাহর কসম, তখন আমাদের মধ্য হতে আবু “বকর ব্যতীত
আর কেউ এগিয়ে যেতো না ৷ তিনিই তাদের সামনে বাধ সাধতেন, তর্ক করতেন ও লড়াই
করতেন ৷ তিনি বলতেন, তোমরা এমন একজন লোককে হত্যা করতে চাও, যিনি বলছেন,
“আমার প্রতিপালক আল্লাহ” ৷ এরপর হযরত আলী (বা) তার গায়ের চাদর খুলে ফেললেন এবং
এতো বেশী রােদন করলেন যে, তার দাড়ি ত্যিজ গেল ৷ তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম ,
বল দেখি ফিরআওন বংশের সেই মুমিন লোকটি উত্তম, না আবু বকর উত্তম ? প্রশ্ন শুনে
উপস্থিত সবাই নিরুত্তর হয়ে গেল ৷ আলী (রা) বললেন, আল্লাহর কসম, ফিরআওন বংশের
সেই মু’মিন লোকঢির জীবনের সমুদয় পুণ্যের তুলনায় আবু বকরের এক ঘণ্টার পুণ্য অনেক
বেশী ৷ কেননা, সে তার ঈমানকে গোপন করে ব্লেখেছিল আর ইনি প্রকাশ্যে ঈমানের ঘোষণা
দিয়েছেন ৷ বড়ায্যার বলেন, মুহাম্মদ ইবন আকীল ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে বর্ণনাটি আমাদের
কাছে পৌছেনি ৷ সুতরাং হযরত আবু বকর (রা)-এর এটা একক বৈশিষ্ট্য যে, পারে ছাওরে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে যেমন তিনি একাই ছিলেন, তেমন বদরের ছাপরার মধ্যে তিনিই তীর
একক সাথী ছিলেন ৷ র্তাবুতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহর কাছে বিগলিত মনে অধিক পরিমাণ
কান্নাকাটি করেন এবং এই দুআ করেন :
এ১,১া৷ শ্নেদ্বু স্পেৰুা৷া
“হে আল্লাহ! আজ যদি আপনি এ দলকে ধ্বংস করে দেন, তবে পৃথিবীতে আপনার
ইবাদত বলার মত আর কেউ থাকবে না ৷”
তিনি কায়মনােবাক্যে আল্লাহর নিকট আরও প্রার্থনা করেন :
لَأَشْرَبَنَّ مِنْ حَوْضِهِمْ، أَوْ لَأَهْدِمَنَّهُ، أَوْ لَأَمُوتَنَّ دُونَهُ. فَلَمَّا خَرَجَ، خَرَجَ إِلَيْهِ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَلَمَّا الْتَقَيَا ضَرَبَهُ حَمْزَةُ، فَأَطَنَّ قَدَمَهُ بِنِصْفِ سَاقِهِ وَهُوَ دُونَ الْحَوْضِ، فَوَقَعَ عَلَى ظَهْرِهِ، تَشْخُبُ رِجْلُهُ دَمًا نَحْوَ أَصْحَابِهِ، ثُمَّ حَبَا إِلَى الْحَوْضِ حَتَّى اقْتَحَمَ فِيهِ، يُرِيدُ - زَعَمَ - أَنْ يُبِرَّ يَمِينَهُ، وَاتَّبَعَهُ حَمْزَةُ، فَضَرَبَهُ حَتَّى قَتَلَهُ فِي الْحَوْضِ.
قَالَ الْأُمَوِيُّ: فَحَمِيَ عِنْدَ ذَلِكَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَرَادَ أَنْ يُظْهِرَ شَجَاعَتَهُ، فَبَرَزَ بَيْنَ أَخِيهِ شَيْبَةَ وَابْنِهِ الْوَلِيدِ، فَلَمَّا تَوَسَّطُوا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ، دَعَوْا إِلَى الْبِرَازِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فِتْيَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ ثَلَاثَةٌ، وَهُمْ: عَوْفٌ وَمُعَوِّذٌ ابْنَا الْحَارِثِ، وَأُمَّهُمَا عَفْرَاءُ، وَالثَّالِثُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فِيمَا قِيلَ، فَقَالُوا: مَنْ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: رَهْطٌ مِنَ الْأَنْصَارِ. فَقَالُوا: مَا لَنَا بِكُمْ مِنْ حَاجَةٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَقَالُوا: أَكْفَاءٌ كِرَامٌ، وَلَكِنْ أَخْرِجُوا إِلَيْنَا مِنْ بَنِي عَمِّنَا. وَنَادَى مُنَادِيهِمْ: يَا مُحَمَّدُ، أَخْرِجْ إِلَيْنَا أَكْفَاءَنَا مِنْ قَوْمِنَا. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قُمْ يَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْحَارِثِ، وَقُمْ يَا حَمْزَةُ، وَقُمْ يَا عَلِيُّ ". وَعِنْدَ الْأُمَوِيِّ، أَنَّ النَّفَرَ مِنَ الْأَنْصَارِ لَمَّا خَرَجُوا، كَرِهَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَوْقِفٍ وَاجَهَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْدَاءَهُ، فَأَحَبَّ أَنْ يَكُونَ أُولَئِكَ مِنْ عَشِيرَتِهِ، فَأَمَرَهُمْ بِالرُّجُوعِ، وَأَمَرَ أُولَئِكَ الثَّلَاثَةَ بِالْخُرُوجِ.
পৃষ্ঠা - ২৩৮৩
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا دَنَوْا مِنْهُمْ قَالُوا: مَنْ أَنْتُمْ؟ وَفِي هَذَا دَلِيلٌ أَنَّهُمْ كَانُوا مُلَبَّسِينَ، لَا يُعْرَفُونَ مِنَ السِّلَاحِ - فَقَالَ عُبَيْدَةُ: عُبَيْدَةُ. وَقَالَ حَمْزَةُ: حَمْزَةُ وَقَالَ عَلِيٌّ: عَلِيٌّ. قَالُوا نَعَمْ أَكْفَاءٌ كِرَامٌ. فَبَارَزَ عُبَيْدَةُ، وَكَانَ أَسَنَّ الْقَوْمِ، عُتْبَةَ، وَبَارَزَ حَمْزَةُ شَيْبَةَ، وَبَارَزَ عَلِيٌّ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ. فَأَمَّا حَمْزَةُ، فَلَمْ يُمْهِلْ شَيْبَةَ أَنْ قَتَلَهُ، وَأَمَّا عَلِيٌّ، فَلَمْ يُمْهِلِ الْوَلِيدَ أَنْ قَتَلَهُ، وَاخْتَلَفَ عُبَيْدَةُ وَعُتْبَةُ بَيْنَهُمَا بِضَرْبَتَيْنِ، كِلَاهُمَا أَثْبَتَ صَاحِبَهُ، وَكَرَّ حَمْزَةُ وَعَلِيٌّ بِأَسْيَافِهِمَا عَلَى عُتْبَةَ، فَذَفَّفَا عَلَيْهِ، وَاحْتَمَلَا صَاحِبَهُمَا فَحَازَاهُ إِلَى أَصْحَابِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ أَنَّهُ كَانَ يُقْسِمُ قَسَمًا أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19] نَزَلَتْ فِي حَمْزَةَ وَصَاحِبَيْهِ، وَعُتْبَةَ وَصَاحِبَيْهِ، يَوْمَ بَرَزُوا فِي بَدْرٍ. هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ فِي تَفْسِيرِهَا.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ أَبِي، ثَنَا أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ قَالَ: أَنَا أَوَّلُ مَنْ يَجْثُو بَيْنَ يَدَيِ الرَّحْمَنِ، عَزَّ وَجَلَّ، فِي الْخُصُومَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
পৃষ্ঠা - ২৩৮৪
“হে আল্লাহ ! আপনি আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা কার্যকারী করেন ৷ হে আল্লাহ ৷
আমরা আপনার সাহায্য চাই ৷”
দৃআ করার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) আকাশের দিকে দৃহড়াত উত্তোলন করেন ৷ ফলে কাধের
উপরে রাখা চাদৱ নীচে পড়ে যায় ৷ আবু বকর (বা) রাসুল (সা)-এর পশ্চাতে থেকে চাদৱ
পুনরায় কাধে তুলে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্র অধিক কান্নাকাটির জ্যন্য তিনি সদয় হয়ে বলেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্৷ এখন শেষ করুন ৷ আল্লাহ আপনার দৃআ কবুল করেছেন ৷ শীঘ্রই তিনি প্রতিশ্রুত
সাহায্য পাঠাবেন ৷
সুহড়ায়লী কাসিম ইবন ছাবিতের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রলছেন যে, আবু বকর (রা)-এর
এই “ক্ষাম্ভ হোন, আপনার দৃআ কবুল হয়েছে” বলে যে উক্তি, তা তিনি করেছেন সহানুভুতির
দৃষ্টিতে ৷ যখন তিনি দেখলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একান্ত নিবিড় চিত্তে আল্লাহর কাছে দৃআ
করছেন ও কান্নাকাটি করছেন; এমনকি তার র্কীধ থেকে চাদৱ পড়ে যাচ্ছে, তখন তিনি বললেন ,
“ইয়া রাসুলাল্পাহা এখন ক্ষাম্ভ হোন অর্থাৎ নিজের জীবনকে আর কষ্ট দেবেন না ৷ আল্লাহ, তো
আপনাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ আবু বকর ছিলেন কোমল হৃদয় ও রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর অত্যধিক অনুরাগী ৷ সুহায়লী এ প্রসংগে তার উস্তাদ আবু বকর ইবন আরাবীর ব্যাখ্যা
উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন খওফ-এর মাকামে ৷ আর আবু
বকর সিদ্দীক (রা) ছিলেন রাজা (আশা) এর মাকামে ৷ আর ঐ মুহ্রর্তটা ছিল প্রচণ্ড ভরের মুহুর্ত ৷
কেননা, আল্লাহ্র তো এ ক্ষমতা রয়েছে যে তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন ৷ সে জন্যে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর মধ্যে এই ভীতি বিরাজ করে যে, এর পরে পৃথিবীতে হয়তো আর ইবাদত করার
লোক থাকবে না ৷ তার এই ভীতিটাও ছিল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত ৷ কোন কোন সুফী বলেছেন, এ
দিনের অবস্থাটা ছিল পারে হাওর-এর বিপরীত অবস্থা ৷ কিস্তু এ উক্তি সম্পুর্ণ ভ্রান্ত ও এ মত
অগ্রহণযােগ্য ৷ কেননা, এ উক্তির মধ্যে যে কত বড় ভ্রাস্তি নিহিত আছে এ কথা মেনে নিলে
এর সাথে আরও কি কি কথা মেনে নেয়া হয় এবং তার পরিণতি কী দাড়ায় ঐ সুফীগণ তা
ভেবে দেখেননি ৷
যুদ্ধ বাধার পুর্ব মুহুর্তের চিত্রটা ছিল এ রকম যে, তখন দু’টি বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি
দু’টি দল একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রস্তুত ৷ দয়াময় আল্লাহর সামনে দু’টি বিবদমান পক্ষ উপস্থিত ৷
এদিকে নবীকুলের সর্দার তার প্রতিপালকের কাছে সাহায্য লাভের ফরিয়াদে রত ৷ সাহাবাপণ
বিভিন্ন প্রকার দুআ-মুনাজাতের মাধ্যমে ফরিয়াদ জানাচ্ছেন সেই সত্তার কাছে, যিনি
ভু-মণ্ডল-নডঃমণ্ডলের মালিক ৷ মানুষের দৃআ শ্রবণকারী ও বিপদ থেকে মুক্তিদানকারী ৷ যুদ্ধে
মুশরিকদ্রের পক্ষে সর্বপ্রথম যে নিহত হয়, তার নাম আসওয়াদ ইবন আবদুল আসাদ মাখযুমী ৷
ইবন ইসহাক বলেন, যে ছিল খুবই ঝগড়াটে ও জঘন্য চরিত্রের লোক ৷ সে কসম করে বলেছিল
যে, আমি মুসলমানদের তৈরি হাওয থেকে পানি পান করবই, না হলে অন্তত তা নষ্ট করে
দেবাে ৷ এ জন্যে যদি প্রাণ দিতে হয় দেবাে ৷ এ উদ্দেশ্যে যে দল থেকে বেরিয়ে এলো ৷ হামযা
ইবন আবদুল মুত্তালিব তার দিকে ধাবিত হলেন ৷ দৃজনে মুখোমুখি হলে হামযা তরবারি দ্বারা
আঘাত করলেন ৷ এতে তার পায়ের গোছা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৷ তার নিকটেই ছিল হাওর ৷
قَالَ قَيْسٌ: وَفِيهِمْ نَزَلَتْ: {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19] قَالَ: هُمُ الَّذِينَ بَارَزُوا يَوْمَ بَدْرٍ، عَلِيٌّ وَحَمْزَةُ وَعُبَيْدَةُ، وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَعُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَالْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ أَوْسَعْنَا الْكَلَامَ عَلَيْهَا فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْبَهِيِّ قَالَ: بَرَزَ عُتْبَةُ وَشَيْبَةُ وَالْوَلِيدُ، وَبَرَزَ إِلَيْهِمْ حَمْزَةُ وَعُبَيْدَةُ وَعَلِيٌّ، فَقَالُوا: تَكَلَّمُوا نَعْرِفْكُمْ. فَقَالَ حَمْزَةُ: أَنَا أَسَدُ اللَّهِ، وَأَسَدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَا حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. فَقَالَ: كُفْءٌ كَرِيمٌ. وَقَالَ عَلِيٌّ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ، وَأَخُو رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ عُبَيْدَةُ: أَنَا الَّذِي فِي الْحُلَفَاءِ. فَقَامَ كُلُّ رَجُلٍ إِلَى رَجُلٍ، فَقَاتَلُوهُمْ فَقَتَلَهُمُ اللَّهُ. فَقَالَتْ هِنْدُ فِي ذَلِكَ:
أَعَيْنَيَّ جُودَا بِدَمْعٍ سَرِبْ ... عَلَى خَيْرِ خِنْدِفَ لَمْ يَنْقَلِبْ
تَدَاعَى لَهُ رَهْطُهُ غُدْوَةً ... بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبْ
يُذِيقُونَهُ حَدَّ أَسْيَافِهِمْ ... يَعُلُّونَهُ بَعْدَ مَا قَدْ عَطِبَ
পৃষ্ঠা - ২৩৮৫
কর্ভিত পা হাওয়ের পায়ে যেয়ে পড়লাে ৷ পায়ের ক্ষত স্থান থেকে রক্ত ফিনকি দিয়ে তার
সঙ্গীদের দিকে যেয়ে পড়তে তলাগলো ৷ ঐ অবস্থা য় সে হাম ৷গুড়ি দিয়ে হাওয়ের নিকটে গেল এবং
হাওয়ের মধ্যে গড়িয়ে পড়লো ৷ এ ভাবে সে তার কসম রক্ষা করার ৷:শষ প্রচেষ্টা চড়ালালে৷ ৷
হাময৷ তার পশ্চাদ্ধাবন করে হাওয়ের মধ্যেই তলোয়ারের আঘাতে তাকে হত্যা করেন ৷ উমাবী
বলেন৪ এ সময় উত্ব৷ ইবন রাবীআ উত্তেজিত হয়ে রীরতু প্রদর্শানর উদ্দেশ্যে আপন সহােদর
শায়বা ইবন রাবীআ ও পুত্র ওয়া ৷লীদ ইবন উও বাকে নিয়ে স্বীয় ব্যুহ থেকে বেরিয়ে আসে ৷ উভয়
দলের মাঝখানে এসে তারা মল্লযুদ্ধের জন্যে চ্যালেঞ্জ করে ৷ তাদ্ন্দোৰু৷ আহ্বানে সাড়া দিয়ে
মুসলমানদের মধ্য থেকে তিনজন আনসার সাহাবী বেরিয়ে তাদের সম্মুদ্ব:খ যান ৷ তারা হলেন
আওফ ও মুআয এদের পিতার নাম হারিছ এবং মাতার নাম আ যব ৷ ৷ তৃভীয়জন আবদুল্লাহ্
ইবন রাওয়াহ৷ ৷ ১
এদের দেখে কুরায়শীরা জিজ্ঞেস করলো, তোমরা কারাঃ র্তার৷ জবাব দিলেনঃ আমরা
আনসার ৷ কুরায়শরা বললাে : তোমাদের দিয়ে আমাদের কোন প্রায়াজন নেই ৷ অন্য বর্ণনা
মতে তারা বলেছিল : তোমরা আমাদের পর্যায়ের সম্মানিত লোক ৷ কিভু আমাদের নিকট
আমাদের বংশের লোকদের পাঠাও! তাদের একজন চিৎকার করে বললাে : হে মুহাম্মদ ৷
আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব০ শের সমকক্ষ লোক পাঠাও ৷ তখন নবী করীম (সা ) কুরায়শের
তিন জনের নাম উল্লেখ করে বললেন ওঠে৷ হে উবায়দ৷ ইবন হারিছ ওঠো হে হামযা ওঠাে হে
আলী (তােমরা৩ তাদের মুকাবিলা কর) ৷ উমাবীব মতে মল্লযুদ্ধের জন্যে যখন তিনজন আনসার
বের হয়ে যান, তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তা পসন্দ করেননি ৷ কারণ, এটা ছিল শত্রুদের সাথে
রাসুলুল্লাহ্র প্রথম যুদ্ধ ৷ তাই তিনি চাচ্ছিলেন প্রথম মুকাবিলাট৷ নিজ গোত্রের লোক দিয়েই
হোক ৷ সে জন্যে তিনি আনসার তিনজনকে ফিরিয়ে আনেন এবং কুরায়শ তিনজনকে পাঠিয়ে
দেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন এ তিনজন তাদের সম্মুখে থেলে তারা জিজ্ঞেস করলো, তোমরা
কারা ? এরুপ প্রশ্ন থেকে বুঝা যায় যে, তারা যুদ্ধের পোশাক দ্বারা দেহ এমন ভাবে আবৃত
করেছিলেন যে, তাদেরকে চেনা যাচ্ছিল না ৷৩ তাই প্ররু ব্রবেইি নিজ নিজ পরিচয় দিলেন ৷ তারা
বললাে, হীা এবার ঠিক আছে সমানে সমান হয়েছে ৷ এরপর মুসলিম৩ তিনজনের মধ্যে
সবচেয়ে বয়স্ক উবায়দ৷ উত্রার সাথে, হাময৷ শায়বার সাথে এবং আলী ওয়ালীদের সাথে
মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হন ৷ হাময৷ ও আলী প্রতিপক্ষকে পাল্টা আঘাব্লু র সুযোগ না দিয়ে প্রথম
আঘাতেই যথাক্রমে শায়ব৷ ও ওয়ালীদকে হ দ্র৷ করলেন ৷ কিন্তু উবায়দ৷ ও উত্বা প্রহ্বত্যকেই
প্রতিপক্ষকে আঘাত করে আহত করেন ৷ এ অবস্থা দেখে হাময৷ ও আলী একযোগে উত্বার
উপর হামলা করে তাকে হত্যা করেন এবং উবায়দাকে উঠিয়ে মুসলিম শিবিরে নিয়ে যান ৷ ২
১ ওয়াকিদী বলেন : বের হওয়া তিনজনই আফরার পুত্র ৷ তাদের নাম মুআয’ মৃআওয়ায ও আওফ ৷
২ ইবনুল আহীর তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন : আবু উবায়দার পা কেটে যায় ৷ নবী (সা)এর কাছে জিজ্ঞেস
করেন, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্! আমি কি শহীদ হবে৷ না : তিনি বললেন হী৷ ৷
وَلِهَذَا نَذَرَتْ هِنْدُ أَنْ تَأْكُلَ مِنْ كَبِدِ حَمْزَةَ.
قُلْتُ: وَعُبَيْدَةُ هَذَا هُوَ ابْنُ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، وَلَمَّا جَاءُوا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَضْجَعُوهُ إِلَى جَانِبِ مَوْقِفِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَفْرَشَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدَمَهُ، فَوَضَعَ خَدَّهُ عَلَى قَدَمِهِ الشَّرِيفَةِ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ رَآنِي أَبُو طَالِبٍ، لَعَلِمَ أَنِّي أَحَقُّ بِقَوْلِهِ:
وَنُسْلِمُهُ حَتَّى نُصَرَّعَ حَوْلَهُ ... وَنَذْهَلَ عَنْ أَبْنَائِنَا وَالْحَلَائِلِ
ثُمَّ مَاتَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْهَدُ أَنَّكَ شَهِيدٌ. رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَكَانَ أَوَّلَ قَتِيلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْمَعْرَكَةِ، مِهْجَعٌ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رُمِيَ بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ قُتِلَ، ثُمَّ رُمِيَ بَعْدَهُ حَارِثَةُ بْنُ سُرَاقَةَ، أَحَدُ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ، وَهُوَ يَشْرَبُ مِنَ الْحَوْضِ بِسَهْمٍ فَأَصَابَ نَحْرَهُ فَمَاتَ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ حَارِثَةَ بْنَ سُرَاقَةَ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ،
পৃষ্ঠা - ২৩৮৬
وَكَانَ فِي النَّظَّارَةِ، أَصَابَهُ سَهْمٌ غَرْبٌ فَقَتَلَهُ، فَجَاءَتْ أُمُّهُ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي عَنْ حَارِثَةَ، فَإِنْ كَانَ فِي الْجَنَّةِ صَبَرْتُ، وَإِلَّا فَلَيَرَيَنَّ اللَّهُ مَا أَصْنَعُ. يَعْنِي مِنَ النِّيَاحِ، وَكَانَتْ لَمْ تُحَرَّمْ بَعْدُ. فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيْحَكِ أَهَبِلْتِ، إِنَّهَا جِنَانٌ ثَمَانٍ، وَإِنَّ ابْنَكَ أَصَابَ الْفِرْدَوْسَ الْأَعْلَى»
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ تَزَاحَفَ النَّاسُ، وَدَنَا بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ. وَقَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ أَنْ لَا يَحْمِلُوا حَتَّى يَأْمُرَهُمْ، وَقَالَ: إِنِ اكْتَنَفَكُمُ الْقَوْمُ فَانْضَحُوهُمْ عَنْكُمْ بِالنَّبْلِ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ قَالَ: «قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ: إِذَا أَكْثَبُوكُمْ - يَعْنِي الْمُشْرِكِينَ - فَارْمُوهُمْ وَاسْتَبْقُوا نَبْلَكُمْ»
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا الْحَاكِمُ، أَخْبَرَنَا الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ২৩৮৭
সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু মিজলায কায়স ইবন উবাদ থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু যর (রা) কসম করে বলতেন :
এে
এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ তারা তাদের প্ৰতিপালক সম্বন্ধে বিতর্কে লিপ্ত ( ২২ ১৯)া
আয়াতটি বদর যুদ্ধে হামযা ও৩ তার সঙ্গী এবং উতবা ও তার সঙ্গীদের দ্বন্দুযুদ্ধ সম্পর্কে নাযিল
হয়েছে ৷ (বুখারী তাফসীর অধ্যায়) ৷ বুখড়ারী মাগাযী অধ্যায়ে হাজ্জাজ ইবন মিনহাল কায়স
ইবন উবাদের সুত্রে বর্ণিত ৷ আলী ইবন আবু৩ তালিব (রা) বলেন ষ্ আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে
কিয়ামা৩ তর দিন রাহমান আল্লাহর সামনে বিরাদের মীমাং সার জন্যে হীর্টু গেড়ে বসবাে ৷ কায়স
বলেন, এদের সম্পর্কেই কুরআনেরং : ণ্প্রুর্দু , প্রু১ ৷ গ্রান্ন্১ ৷ , মোঃ ,া ৷ষ্
“এরা দু’টি বিবাদমান পক্ষ” আয়াত টি নাযিল হয় ৷ তিনি বলেন তারা হলেন (মুসলিম
পক্ষে) আলী, হামযা, উবায়দা এবং (মুশরিকদের পক্ষে) শায়বা ইবন রাবীআ, উত্বা ইবন
রাবীআ ও ওয়ালীদ ইবন উত্বা ৷ তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷
উমাবী বলেন মুআবিয়া ইবন আমব আবদুল্লাহ আল রাহী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন
বদরে মল্লযুদ্ধের জন্যে উতবা, শায়বা ও ওয়ালীদ অগ্রসর হয় ৷৩ তাদের মুকাবিলার জন্যে হামযা,
উরায়দা ৷ও আলী এগিয়ে যান ৷ সামনে গেলে তারা বললো, তোমাদের পরিচয় দাও যাতে করে
আমরা তােমাদেরকে চিনতে পারি ৷ হামযা বললেন : আমি আল্লাহ ও তার রাসুলের সিংহ ৷
আমার নাম হামযড়া ইবন আবদুল ঘুত্তালিব ৷ উতবা বললো, খুব ভাল , উত্তম প্রতিপক্ষ হয়েছে ৷
আলী বললেন, আমি আল্লাহর বন্দো ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্র ভাই ৷ উবায়দা বললেন, আমি এ
দু’জনেরই মিত্র ৷ এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় ৷ একজনের বিরুদ্ধে একজন মুকাবিলা
করে ৷ কুরায়শ পক্ষের তিনজনই আল্লাহর হুকুমে নিহত হয় ৷ এ প্রসঙ্গে হিন্দ বিনত উতবা
নিম্নরুপ শোকপাথা আবৃত্তি করে :
৷ এ্এ্
অর্থ : হে আমার চক্ষুদ্বয় ৷ প্রবাহিত অশ্রু দ্বারা বদানতো দেখাও বনু খুনদুফের উত্তম
ব্যক্তির (উতবা) উপর, যে আর ফিরে আসেনি ৷
উষাব:দ্লে তাকে আহ্বান করেছে তার গোত্রের বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব ৷
তারা তাকে তরবারির স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে এবং নিহত হবার পরও তার লাশের উপর
উপর্বুপরি আঘাত হেনেছে ৷
এই কারণে হিনদা হযরত হামযার কলিজা চিবিয়ে খাওয়ার মানত করে ৷
উবায়দার পুর্ণ পরিচয় হলো উরায়দা ইবন হারিছ ইবন মুত্তালিব ইবন আবদে মানাফ ৷
তাকে তার সাথীরা তুলে এনে রাসুলুল্লাহ্র র্তাবুর মধ্যে তার পাশে চিত করে শুইয়ে রাখেন ৷
عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: «جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِعَارَ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَ بَدْرٍ: يَا بَنِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَشِعَارَ الْخَزْرَجِ: يَا بَنِي عَبْدِ اللَّهِ. وَشِعَارَ الْأَوْسِ: يَا بَنِي عُبَيْدِ اللَّهِ. وَسَمَّى خَيْلَهُ: خَيْلَ اللَّهِ.»
وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ شِعَارُ الصَّحَابَةِ يَوْمَ بَدْرٍ: أَحَدٌ أَحَدٌ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعَرِيشِ، مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَعْنِي، وَهُوَ يَسْتَغِيثُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُرْدِفِينَ وَمَا جَعَلَهُ اللَّهُ إِلَّا بُشْرَى وَلِتَطْمَئِنَّ بِهِ قُلُوبُكُمْ وَمَا النَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [الأنفال: 9]
[الْأَنْفَالِ: 10، 9]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُوحٍ قُرَادٌ، ثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، ثَنَا سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَصْحَابِهِ وَهُمْ ثَلَاثُمِائَةٍ وَنَيِّفٌ، وَنَظَرَ إِلَى الْمُشْرِكِينَ، فَإِذَا هُمْ أَلْفٌ وَزِيَادَةٌ، فَاسْتَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقِبْلَةَ وَعَلَيْهِ رِدَاؤُهُ وَإِزَارُهُ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَنْجِزْ لِي مَا وَعَدْتَنِي، اللَّهُمَّ إِنَّ تَهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةُ
পৃষ্ঠা - ২৩৮৮
রাসুলুল্পাহ্ (সা) নিজের পা মুবারক বিছিয়ে দেন ৷ উবায়দা তার পায়ের উপর পাল রেখে
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আজ যদি আবু তড়ালিব আমাকে এ অবস্থায় দেখতেন, তবে ভাল
ভাবেই জানতে পারতেন যে , তার কথা সত্যে পরিণত করার আমিই অধিকতর হকদার ৷ যাতে
তিনি বলেছিলেন :
এওক্রোন্ ষ্ মোঃ ষ্
(হে কুরায়শরা ! তোমাদের এ ধড়াবণাও মিথ্যা যে,) আমরা তাকে (মুহাম্মদকে)
তোমাদের হাতে সোপর্দ করে দেবাে, যতক্ষণ না তার হিফাযতের জন্যে আমরা ধরাশায়ী
হয়ে যাই এবং আমাদের শ্ৰী-পুত্রদেরকে ভুলে যইি ৷ >
এরপর হযরত উবায়দার মৃত্যু হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তুমি
শহীদ ৷ ইমাম শাফিঈ (রহ্) এ কথা বর্ণনা করেছেন ৷ বদর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীতে প্রথম শহীদ
উমর ইবন খাত্তাবের আযাদকৃত গোলাম মাহ্জা ৷ ২ দুর থেকে নিক্ষিপ্ত এক ভীরের আঘাতে তিনি
শহীদ হন ৷ ইবন ইসহাকের মতে, তিনি ছিলেন প্রথম শহীদ ৷ এরপর আদী ইবন নাজ জার
গোত্রের হারিছা ইবন সুরাকা হাওয় থােক পনি পান করার সময় শত্রুদের নিক্ষিপ্ত তীর তার
বুকে লাগার তিনিও নিহত হন ৷ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, আনাস (রা) বলেন, হারিছা
ইবন সুরাকা বদর যুদ্ধে নিহত হন ৷ তিনি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন ৷ হঠাৎ
এক তীর এসে তার দেহে বিদ্ধ হলে তিনি শহীদ হন ৷ সং ড়াদ শুনে তার মা এসে বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্৷ আমাকে হারিছার কথা বলুন ৷ সে যদি জান্নাতবাসী হয়, তা হলে আমি ধৈর্য ধারণ
করবো ৷ আর যদি অন্য কিছু হয়, তা হলে আল্লাহ্ দেখবেন আমি কিরুপ কড়ান্নড়াকাটি করি ৷
উল্লেখ্য, তখন পর্যন্ত মৃতের জন্যে উক্ট্রচ্চ৪স্বরে কান্নক্যেটি করা নিষিদ্ধ হয়নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)
তাকে বললেন : বলো কি, তুমি কি পাগল হয়েছে৷ ? জান্নড়াত তো আটটি ৷ আর তোমার ছেলে
তাে এখন সর্বোচ্চ মর্যাদার জান্নাত ফিরদাউসে অবস্থান করছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন ;; এরপর উভয় বাহিনী পরস্পরের দিকে এগিয়ে গেলো এবং একে
অন্যের নিকটবর্তী হলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার লোকদের বললেন, আমার নির্দেশ না পাওয়া
পর্যন্ত তোমরা আক্রমণ করো না ৷ যদি তারা তোমাদের ঘিরে ফেলে তা হলে তীর নিক্ষেপ করে
১ আবু তালিব এক নাতিদীর্ঘ কাসীদার মাধ্যমে আরববাসীকে জানিয়ে দেয় যে, আমি মুহাম্মদের ধর্ম গ্রহণ
করিনি, তবে তাকে কখনও শত্রুর হাতে ছেড়ে দেবাে না, জীবন দিয়ে রক্ষা করবো ৷ উল্লিখিত পংক্তির
পুর্বের পত্ক্তি এই :
অর্থ : বায়তৃল্লড়াহ্র শপথ, তোমরা মিথ্যা বলছে! যে, মুহাম্মদকে আমাদের থেকে ছিনিয়ে নেয়া হবে ৷ অথচ
তাকে রক্ষার জন্যে আমরা এখনও পর্যন্ত তীর-বর্শা নিক্ষেপ করিনি (ওয়াকিদী) ৷
২ তাকে হত্যা করে আমির ইবন হাযরামী (ইবন সাআদ) ৷ আনসারদের মধ্যে প্রথম শহীদ হারিছা তাকে
হত্যা করে হাব্বান আরকাতা ৷ কারও মতে উমায়র ইবন হুমাম ৷ তার হত্যাকারী থালিদ ইবন আসাম
উকায়লী ৷ ইবন উকবা বলেন, বদরের প্রথম শহীদ উমায়র (বায়হাকী ৩১ ১৩; ইবন সাআদ ২১১২; ইবন
আহীর ২১২৬) ৷
مِنْ أَهْلِ الْإِسْلَامِ، فَلَا تُعْبَدُ بَعْدُ فِي الْأَرْضِ أَبَدًا قَالَ: فَمَا زَالَ يَسْتَغِيثَ رَبَّهُ وَيَدْعُوهُ، حَتَّى سَقَطَ رِدَاؤُهُ، فَأَتَاهُ أَبُو بَكْرٍ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ فَرَدَّهُ، ثُمَّ الْتَزَمَهُ مِنْ وَرَائِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَفَاكَ مُنَاشَدَتُكَ رَبَّكَ، فَإِنَّهُ سَيُنْجِزُ لَكَ مَا وَعَدَكَ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ {إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُرْدِفِينَ} [الأنفال: 9] » وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ كَمَا سَيَأْتِي. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ. وَابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُمْ مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ الْيَمَانِيِّ، وَصَحَّحَهُ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، وَالتِّرْمِذِيُّ. وَهَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَالسُّدِّيِّ وَابْنِ جُرَيْجٍ وَغَيْرِهِمْ، أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ.
وَقَدْ ذَكَرَ الْأُمَوِيُّ وَغَيْرُهُ، أَنَّ الْمُسْلِمِينَ عَجُّوا إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فِي الِاسْتِغَاثَةِ بِجَنَابِهِ، وَالِاسْتِعَانَةِ بِهِ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُرْدِفِينَ} [الأنفال: 9] أَيْ رِدْفًا لَكُمْ وَمَدَدًا لِفِئَتِكُمْ. رَوَاهُ الْعَوْفِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَالَهُ مُجَاهِدٌ وَابْنُ كَثِيرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدٍ، وَغَيْرُهُمْ. وَقَالَ أَبُو كُدَيْنَةَ، عَنْ قَابُوسَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: مُرْدِفِينَ وَرَاءَ كُلِّ مَلَكٍ
পৃষ্ঠা - ২৩৮৯
مَلَكٌ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ بِهَذَا الْإِسْنَادِ: مُرْدِفِينَ بَعْضُهُمْ عَلَى أَثَرِ بَعْضٍ. وَكَذَا قَالَ أَبُو ظَبْيَانَ، وَالضَّحَاكُ وَقَتَادَةُ. وَقَدْ رَوَى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْوَالِبِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: قَالَ: «وَأَمَدَّ اللَّهُ نَبِيَّهُ وَالْمُؤْمِنِينَ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، وَكَانَ جِبْرِيلُ فِي خَمْسِمِائَةِ مُجَنِّبَةٍ، وَمِيكَائِيلُ فِي خَمْسِمِائَةٍ مُجَنِّبَةٍ.» وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ.
وَلَكِنْ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعُزَيْزِ بْنُ عِمْرَانَ، عَنِ الزَّمْعِيِّ، عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «نَزَلَ جِبْرِيلُ فِي أَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ عَنْ مَيْمَنَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِيهَا أَبُو بَكْرٍ، وَنَزَلَ مِيكَائِيلُ فِي أَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ عَنْ مَيْسَرَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا فِي الْمَيْسَرَةِ.» وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّلَائِلِ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَلِيٍّ، فَزَادَ: «وَنَزَلَ إِسْرَافِيلُ فِي أَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ،» وَذَكَرَ أَنَّهُ طَعَنَ يَوْمَئِذٍ بِالْحَرْبَةِ حَتَّى اخْتَضَبَتْ إِبِطُهُ مِنَ الدِّمَاءِ، فَذَكَرَ أَنَّهُ نَزَلَتْ ثَلَاثَةُ آلَافٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ. وَهَذَا غَرِيبٌ، وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ، وَلَوْ صَحَّ لَكَانَ فِيهِ تَقْوِيَةٌ لِمَا تَقَدَّمَ مِنَ الْأَقْوَالِ، وَيُؤَيِّدُهَا قِرَاءَةُ مَنْ
পৃষ্ঠা - ২৩৯০
তাদেরকে সরিয়ে দিবে ৷ বুখারী শরীফে আবু উসায়দ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের
দিনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের নির্দেশ দেন যে মুশরিকরা যদি তোমাদের নিকটে এসে যায়,
তবে তাদের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করো এবং তীর বাচিয়ে রেখো ৷ বায়হড়াকী বলেন : হাকিম
ইবন ইসহাকের সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লড়াহ্
(সা) বিভিন্ন গোত্রের মুজাহিদদের পরিচয়ের জন্যে বিভিন্ন সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করেন ৷
সুতরাং মুহাজিরদের আহ্বান করার জন্যে “ইয়া বনী আবদির রাহমান , খাযরাজ গোত্রের
কাউকে আহ্বান করার জন্যে “ইয়া বনী আবদিল্লাহ্” শব্দ নির্ধারণ করে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নিজের ঘোড়ার নাম রাখেন “থায়লুল্লাহ্” ৷ ইবন হিশাম বলেন ও ঐ দিন মুজাহিদ সাহাবীদের
সাধারণ সংকেতসুচক শব্দ ছিল “আহাদ আহাদ” ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) উচু স্থানে ছাপরার মধ্যে অবস্থান করছিলেন ৷ আবু
বকর (বা) তার সাথে ছিলেন ৷ এ সময় তিনি আল্লাহ্র নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ যেমন
আল্লাহ বলেন :
া
ৰুণ্,শ্া
৮ৰুৰু১ ং১ছুর্চুঞ ভ্রুগ্র
অর্থ : স্মরণ কর, তোমরা যখন তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে,
তিনি তা কবুল করেছিলেন এবং বলেছিলেন, আমি তোমাদের সাহায্য করবো এক হড়াযার
ফেরেশতা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে ৷ আল্লাহ্ এটা করেন কেবল শুভ সংবাদ দেয়ার
জন্যে এবং এ উদ্দেশ্যে যাতে তোমাদের চিত্ত প্রশান্তি লাভ করে এবং সাহায্য তো শুধু আল্লাহর
নিকট হতেই আসে ৷ আল্লাহ পরাত্রুমশালী, প্রজ্ঞাময় (৮ : ৯ ১ : ) ৷
ইমাম আহমদ বলেন : আবু নুহ্ কারাদ উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, বদর যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর সাহাবদ্যোণর প্রতি লক্ষ্য করেন ৷ র্তাদের সংখ্যা
ছিল তিনশর কিছু বেশী ৷ এরপর তিনি মুশরিকদের প্রতি লক্ষ্য করেন ৷ ওদের সংখ্যা ছিল এক
হাযড়ারেরও বেশী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) চাদরমুড়ি দিয়ে কিবলামুখী হন এবং দুআ পাঠ
করেন
হে আল্লাহ ! আপনি আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পুরণ করুন ৷ “হে আল্লাহ! আজ
যদি ইসলামের এ দলটিকে আপনি ধ্বংস করেন তা হলে পৃথিবীর বুকে আর কখনও
আপনার ইবাদত করা হবে না ৷”
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অব্যাহত ভাবে আল্লাহর নিকট এরুপ ফরিয়াদ করতে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে
তীর বাধ থেকে চাদর পড়ে যায় ৷ আবু বকর (রা) এসে চাদরঢি র্কাধে উঠিয়ে দেন এবং পশ্চাৎ
দিক থেকে রাসুলুল্পাহ্কে ধরে বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! যথেষ্ট হয়েছে ! আপনি আপনার
প্রতিপালকের নিকট আবেদন করেছেন ৷ অচিরই তিনি তীর প্রতিশ্রুতি পুরণ করবেন ৷ এ সময়
قَرَأَ: " بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُرْدَفِينَ " بِفَتْحِ الدَّالِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا الْحَاكِمُ، أَخْبَرَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ الْقَزَّازُ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَوْنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، قَاتَلْتُ شَيْئًا مِنْ قِتَالٍ، ثُمَّ جِئْتُ مُسْرِعًا لِأَنْظُرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا فَعَلَ. قَالَ: فَجِئْتُ فَإِذَا هُوَ سَاجِدٌ يَقُولُ: يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ. لَا يَزِيدُ عَلَيْهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى الْقِتَالِ، ثُمَّ جِئْتُ وَهُوَ سَاجِدٌ يَقُولُ ذَلِكَ أَيْضًا، فَذَهَبْتُ إِلَى الْقِتَالِ، ثُمَّ جِئْتُ وَهُوَ سَاجِدٌ يَقُولُ ذَلِكَ أَيْضًا، حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدِهِ.» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ عَنْ بُنْدَارٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمَجِيدِ أَبِي عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ بِهِ.
وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৩৯১
مَسْعُودٍ قَالَ: «مَا سَمِعْتُ مُنَاشِدًا يَنْشُدُ أَشَدَّ مِنْ مُنَاشَدَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ، جَعَلَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَنْشُدُكَ عَهْدَكَ وَوَعْدَكَ، اللَّهُمَّ إِنْ تَهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةُ لَا تُعْبَدُ، ثُمَّ الْتَفَتَ وَكَأَنَّ شِقَّ وَجْهِهِ الْقَمَرُ، وَقَالَ: كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى مَصَارِعِ الْقَوْمِ عَشِيَّةً» رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ، وَقَالَ: «لَمَّا الْتَقَيْنَا يَوْمَ بَدْرٍ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي، فَمَا رَأَيْتُ مُنَاشِدًا يَنْشُدُ حَقًّا لَهُ، أَشَدَّ مُنَاشَدَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» وَذَكَرَهُ.
وَقَدْ ثَبَتَ إِخْبَارُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِمَوَاضِعِ مَصَارِعِ رُءُوسِ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ، فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَسَيَأْتِي فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " أَيْضًا عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَمُقْتَضَى حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَ بِذَلِكَ يَوْمَ الْوَقْعَةِ، وَهُوَ مُنَاسِبٌ، وَفِي الْحَدِيثَيْنِ الْآخَرَيْنِ عَنْ أَنَسٍ وَعُمَرَ، مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ أَخْبَرَ بِذَلِكَ قَبْلَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ، وَلَا مَانِعَ مِنَ الْجَمْعِ بَيْنَ ذَلِكَ، بِأَنْ يُخْبِرَ بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ وَأَكْثَرَ، وَأَنْ يُخْبِرَ بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ بِسَاعَةٍ يَوْمَ الْوَقْعَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ لَهُ يَوْمَ بَدْرٍ: «اللَّهُمَّ أَنْشُدُكَ عَهْدَكَ
পৃষ্ঠা - ২৩৯২
০ :
আল্লাহ আয়াত নাযিল করলেন, ( ট্রু,প্রুপুন্রুষ্টুটুন্ছু ং১৷ “স্মরণ কর, তোমরা তোমাদের
প্রতিপালকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে ৷ তিনি তা কবুল করেছিলেন এবং বলেছিলেন
আমি তোমাদের সাহায্য করবো এক হাযার ফেরেশত৷ দিয়ে যারা একের পর এক
আসবে ) ৷ ইমাম আহমদ হাদীছের পুরো৷ টাই বর্ণনা করেছেন ৷ আমরা সামনে তা উল্লেখ
করবো ৷ এ হাদীছ ইমাম মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন জারীর ও অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ
ইকরিম৷ ইবন আমার ইয়ামানী সুত্রে বর্ণনা করেছেন এবং আলী ইবন মাদানী ও তিরমিষী
সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ সুদ্দী, ইব ন জারীর ও আরও ইন্ৰুছু বর্ণনাকারী ইবন আব্বাস
থেকে বর্ণনা করেন যে ,এ আয়াত বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-ক্ষ্ন্^ওর দু আর পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল
হয়েছিল ৷ উমাবী ও অন্যরা বলেছেন যে মুসলিম সৈন্যগণও সে দিন আল্লাহর নিকট আশ্রয় ও
সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন ৷ আল্লাহর বাণীং : ,;;;,; হ্দ্বুঠু;এ্ ৷ ,টুষ্ ণ্ওা — এক সহস্র
ফোরশত৷ দ্বারা সাহায্য করবেন যারা একের পর এক আসভ্রুর ৷ এর অর্থ হলো ফেরেশতাগণ
তোমাদের পশ্চাতে থাকবে ও তোমাদের বাহিনীকে স ৷হায্য করবে ৷ ইবন আব্বাস থেকে
আওফী এ ব্যাখ্যাই বর্ণনা করেছেন ৷ মুজাহিদ ইবন কাহীর এবং আবদুর রহমান ইবন যায়দ
প্ৰমুথও এ অর্থ করেছেন ৷ আবু কুদায়না (র) কাবুস থেকে তিনি ইবন আব্বাস থেকে
( ট্রু)ট্রু ণ্ও)ৰু; একের পর এক)-এর অর্থ লিখেছেন প্রতি একজন ফেরেশতার পিছনে একজন
ফেরেহুণত৷ থাকবে ৷ এই একই সনদে ইবন আব্বাস থেকে ,ট্রুণ্ড্রওট্রুট্রুন্ এর আর একটি অর্থ
পাওয়া যায় ৷ তা হলো, প্রত্যেক ফেরেশতা তার সামনের ফেরেশতাকে অনুসরণ করবেন ৷ আবু
যুবইয়ান দাহ্হাক ও কাতাদা এ অ৭ইি গ্রহণ করেছেন ৷ আলী ইবন আবু তাল্হ৷ ওয়ালিবী (র )
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন : আল্লাহ তীর নবী ও মু’মিনদেরকে এক হাযার
ফেরেশত৷ দ্বারা সাহায্য করেন ৷ তাদের মধ্যে জিবরাঈলের নেতৃত্বে পাচশ’ ফেরেশতা ছিলেন
এক পার্শে এবং মীকইিলের নেতৃত্বে পাচশ’ ফেরেশতা ছিলেন অন্য পার্শে ৷ এটাই প্রসিদ্ধ কথা ৷
কিন্তু ইবন জারীর আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , জিবরাঈল (আ) এক হাযার ফেরেশতা
নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ডান পার্শে অবতরণ করেন ৷ উভয়ের মাঝখানে ছিলেন হযরত আবু
বকর (রা) এবং মীকাঈল (আ) আর এক হাযার ফেরেশত ৷ নিয়ে রাসুলুল্লাহ্র বাম পাশ্বে
অবতরণ করেন এবং আমি ছিলাম বাম পার্শে ৷ এ হাদীছটি ইমাম বায়হাকী ৩ ৷রাদাল ইল গ্রন্থে
আলী (রা) থেকে কিছু অতিরিক্তসহ বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, ইসরাফীল (আ)ও এক
হাযার ফেরেশতাসহ অবতীর্ণ হন এবং তিনি বর্শা দ্বারা যুদ্ধ করেন ৷ ফলে তার বগল রক্তে
রঞ্জিত হয়ে যায় ৷ বায়হাকীর এ বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, বদরে মোট তিন হাযার
ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়েছিলেন ৷ কিন্তু এটা অপ্রসিদ্ধ বর্ণনা এবং এর সনদ দুর্বল ৷ আর সনদ যদি
সহীহ্ হয় তবে ইতে তাপুর্বে উল্লিখিত বর্ণনাগুলো এর দ্বারা সমর্থিত হবে ৷ তা ছাড়া ,ছু এ্ংাঙ্
এর উপর যবর দিয়ে পড়লে ঐ মত তটি আরও
শক্তিশালী হয় ৷ একটি কিরাআত এই রকম আছে ৷ বায়হাকী বলেন হাকিম আলী ইবন আবু
তালিব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন : বদর যুদ্ধে আমি অল্পক্ষণ যুদ্ধ চালিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কী
وَوَعْدَكَ، اللَّهُمَّ إِنْ شِئْتَ لَمْ تُعْبَدْ بَعْدَ الْيَوْمِ أَبَدًا. فَأَخَذَ أَبُو بَكْرٍ بِيَدِهِ وَقَالَ: حَسْبُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلْحَحْتَ عَلَى رَبِّكَ. فَخَرَجَ وَهُوَ يَثِبُ فِي الدِّرْعِ، وَهُوَ يَقُولُ {سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ} [القمر: 45] قَالَ عُمَرُ: أَيُّ جَمْعٍ يُهْزَمُ؟! وَأَيُّ جَمْعٍ يُغْلَبُ؟! قَالَ عُمَرُ: فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ، رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَثِبُ فِي الدِّرْعِ وَهُوَ يَقُولُ: {سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ} [القمر: 45] فَعَرَفْتُ تَأْوِيلَهَا يَوْمَئِذٍ.»
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَانَ، سَمِعَ عَائِشَةَ تَقُولُ: «نَزَلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ وَإِنِّي لَجَارِيَةٌ أَلْعَبُ {بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ} [القمر: 46] »
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنَاشِدُ رَبَّهُ مَا وَعَدَهُ مِنَ النَّصْرِ، وَيَقُولُ فِيمَا يَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنْ تَهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةُ الْيَوْمَ لَا تُعْبَدُ " وَأَبُو بَكْرٍ يَقُولُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، بَعْضَ مُنَاشَدَتِكَ رَبَّكَ، فَإِنَّ اللَّهَ مُنْجِزٌ لَكَ مَا وَعَدَكَ. وَقَدْ خَفَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَفْقَةً وَهُوَ فِي الْعَرِيشِ ثُمَّ انْتَبَهَ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৩৯৩
করছেন তা দেখার জন্যে দ্রুত ছুটে যাই ৷ গিয়ে দেখি তিনি সিজদাবনত হয়ে আছেন এবং
বলছেন : ণ্প্রু ঘ্র £ৰু হু১ঙুৰু ণ্প্রু ও £ ৰু হুন্ ৰু (হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী) ৷ এর চেয়ে বেশী
কিছু বলছেন না ৷ আমি আবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে গেলাম ৷ কিছুক্ষণ পর পুনরায় রাসুলুল্লাহ
(না)-এর নিকট চলে আসলাম ৷ দেখলাম, তিনি পুর্বের ন্যায় সিজদায় পড়ে আছেন ও সেই
একই তাসবীহ্ অনবরত পড়ে যাচ্ছেন ৷ আমি আবার যুদ্ধক্ষেত্রে গেলাম ৷ তারপরে ফিরে এলাম ৷
দেখলাম, তখনও তিনি সিজদায় আছেন এবং ঐ দুআই পড়ছেন ৷ অবশেষে এ অবস্থার মধ্যে
আল্লাহ আমাদের বিজয় দান করলেন ৷ ইমাম নাসাঈ বুনদার , উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল মজীদ
আবু আলী হানাফীর বরাত দিয়ে এ ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের
রাত্রে ও দিনে এ দুআ করেছিলেন ৷ আ’মাশ আবু ইসহাক থেকে, তিদিশ্ আবু উবায়দা থেকে,
তিনি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুআ প্রসঙ্গে বলেছেন যে বদর
যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্যে যেরুপ অনুনয়-বিনয় করেছিলেন অন্য
কোন প্রার্থনাকারীকে যেরুপ অনুনয়-বিনয় করতে আমি কখনও দেখিনি ৷ তিনি বলছিলেন : হে
আল্লাহ ! আমি আপনার দেয়া প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদার বাস্তবায়ন কামনা করি ৷ হে আল্লাহ ! এ ক্ষুদ্র
দলটি যদি আজ ধ্বংস হয়ে যায়, তা হলে আপানার ইবাদত করার কেউ থাকবে না ৷” এরপর
তিনি ফিরে তড়াকালেন ৷ মনে হলো যেন তার চেহারায় পুর্ণিমার চাদ উদ্ভাসিত হয়েছে ৷ তিনি
বললেন, আমি যেন শত্রুদের নিহত হয়ে পড়ে থাকার স্থানগুলো দেখতে পাচ্ছি ৷ নাসাঈ এ ঘটনা
আমাশের বরাতে বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে আছে, ইবন মাসউদ বলেন : আমরা যখন বদরে
ৰু শত্রুর মুখোমুখি হই, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুআয় মনোনিবেশ করেন ৷ তিনি তার প্রার্থিত লক্ষ্য
অর্জনের জন্যে যে ভাবে আবেদন-নিবেদন করলেন, সেভাবে করতে আমি কাউকে দেখিনি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুশরিক নেতাদের নিহত হওয়ার স্থান সম্পর্কে বদর যুদ্ধের দিনে সাহাবাগণকে
অবহিত করেছিলেন ৷ এ বিষয়ে সহীহ্ মুসলিমে উদ্ধৃত আনাস ইবন মালিকের বর্ণনা ইতোপুর্বে
আমরা উল্লেখ করেছি ৷ যুসলিমে উমর ইবন খড়াত্তাবের বর্ণিত হাদীছটিও আমরা উল্লেখ করবো ৷
ইবন মাসউদের বর্ণিত হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে রাসুলুল্লাহ (সা) এ সম্পর্কে অবহিত
করেছিলেন বদর যুদ্ধের দিনে এটাই যথার্থ ৷ পক্ষান্তরে আসাম ও উমর ইবন থাত্তার বর্ণিত
হাদীছদ্বয় হতে বুঝা যায় যে, তিনি ঐ দিনের একদিন পুর্বেই এ সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন ৷
তবে উক্ত দুই প্রকারের বক্তাব্যর মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করতে কোন অসুবিধা নেই ৷ কেননা,
হতে পারে তিনি যুদ্ধের একদিন পুর্বে কিৎবা তারও বেশী পুর্বে এ বিষয়ে অবহিত করেছিলেন
এবং পুনরায় যুদ্ধের দিনে যুদ্ধ বাধার কিছুক্ষণ পুর্বে আর একবার অবহিত করেন ৷
ইমাম বুখারী একাধিক সুত্রে খালিদ আল-হাবযা’ , ইকরিমার বরাতে ইবন আব্বাস থেকে
বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) বদর যুদ্ধের দিন তার নির্ধারিত ছাপরা থেকে এভাবে দৃআ
করেন : হে আল্লাহ ! আমি আপনার দেয়া প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার কার্যকরী করার জোর ফরিয়াদ
জানাচ্ছি ৷ হে আল্লাহ! আপনি যদি চান আজকের দিনের পরে আর কখনও আপনার ইবাদত
করা হবে না ৷ তখন আবু বকর (বা) তার হাত ধরে বসলেন এবং বললেন : ইয়া
أَبْشِرْ يَا أَبَا بَكْرٍ، أَتَاكَ نَصْرُ اللَّهِ، هَذَا جِبْرِيلُ آخِذٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ يَقُودُهُ، عَلَى ثَنَايَاهُ النَّقْعُ. يَعْنِي الْغُبَارَ.
قَالَ: ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى النَّاسِ فَحَرَّضَهُمْ وَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا يُقَاتِلُهُمُ الْيَوْمَ رَجُلٌ، فَيُقْتَلُ صَابِرًا مُحْتَسِبًا، مُقْبِلًا غَيْرَ مُدْبِرٍ، إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ فَقَالَ عُمَيْرُ بْنُ الْحُمَامِ أَخُو بَنِي سَلَمَةَ، وَفِي يَدِهِ تَمَرَاتٌ يَأْكُلُهُنَّ: بَخٍ بَخٍ أَفَمَا بَيْنِي وَبَيْنَ أَنْ أَدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلَّا أَنْ يَقْتُلَنِي هَؤُلَاءِ؟! قَالَ: ثُمَّ قَذَفَ التَّمَرَاتِ مِنْ يَدِهِ، وَأَخَذَ سَيْفَهُ فَقَاتَلَ الْقَوْمَ حَتَّى قُتِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمٌ ثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَسْبَسَةَ عَيْنًا، يَنْظُرُ مَا صَنَعَتْ عِيرُ أَبِي سُفْيَانَ، فَجَاءَ وَمَا فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ لَا أَدْرِي مَا اسْتَثْنَى مِنْ بَعْضِ نِسَائِهِ - قَالَ: فَحَدَّثَهُ الْحَدِيثَ قَالَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ فَتَكَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ لَنَا طَلِبَةً، فَمَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا فَلْيَرْكَبْ مَعَنَا فَجَعَلَ رِجَالٌ يَسْتَأْذِنُونَهُ فِي ظُهُورِهِمْ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ، قَالَ: لَا، إِلَّا مَنْ كَانَ ظَهْرُهُ
পৃষ্ঠা - ২৩৯৪
حَاضِرًا، وَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ حَتَّى سَبَقُوا الْمُشْرِكِينَ إِلَى بَدْرٍ، وَجَاءَ الْمُشْرِكُونَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَتَقَدَّمَنْ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَى شَيْءٍ، حَتَّى أَكُونَ أَنَا أُوذِنُهُ. فَدَنَا الْمُشْرِكُونَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُومُوا إِلَى جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ، قَالَ: يَقُولُ عُمَيْرُ بْنُ الْحُمَامِ الْأَنْصَارِيُّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جَنَّةٌ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: بَخٍ بَخٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا يَحْمِلُكَ عَلَى قَوْلِكَ: بَخٍ بَخٍ؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِلَّا رَجَاءَ أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِهَا. قَالَ: فَإِنَّكَ مِنْ أَهْلِهَا قَالَ: فَأَخْرَجَ تَمَرَاتٍ مِنْ قَرْنِهِ، فَجَعَلَ يَأْكُلُ مِنْهُنَّ، ثُمَّ قَالَ: لَئِنْ أَنَا حَيِيتُ حَتَّى آكُلَ تَمَرَاتِي هَذِهِ إِنَّهَا حَيَاةٌ طَوِيلَةٌ. قَالَ: فَرَمَى مَا كَانَ مَعَهُ مِنَ التَّمْرِ، ثُمَّ قَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ» ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، وَجَمَاعَةٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ سُلَيْمَانِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بِهِ.
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُمَيْرًا قَاتَلَ وَهُوَ يَقُولُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ:
رَكْضًا إِلَى اللَّهِ بِغَيْرِ زَادِ ... إِلَّا التُّقَى وَعَمَلِ الْمَعَادِ
وَالصَّبْرِ فِي اللَّهِ عَلَى الْجِهَادِ ... وَكُلُّ زَادٍ عُرْضَةُ النَّفَادِ
غَيْرَ التُّقَى وَالْبِرِّ وَالرَّشَادِ
পৃষ্ঠা - ২৩৯৫
রাসুলাল্লাহ্৷ যথেষ্ট হয়েছে ৷ আপনি আপনার প্রভুর কাছে অনেক মিনতি করেছেন ৷ এ সময়
তিনি লৌহ বর্ম পরা অবস্থায় বেরিয়ে আসলেন এবং এ আয়াত পড়তে লাগলেন :
’;৩ ১
এ দল তো শীঘ্রই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে অধিকন্তু কিয়ামত তাদের
শাস্তির নির্ধারিত কাল এবং কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্ততর (৫৪ : ৪৫-৪৬) ৷ এ
আয়াতটি অবতীর্ণ হয় মক্কায়, আর এর বাস্তবায়ন হয় বদরের দিনে ৷ যেমন ইবন হাতিম
ইকরিমা থেকে বর্ণনা করেন : যখন ,’ৰু’া৷ ৷ ’ ,ং,fl; ,’)’ ৫টু;টুন্৷ ৷ ন্ট্রুট্রুপ্রু’ আয়াতটি নাযিল হয়,
তখন উমর (রা) বলেছিলেন, কোন দল পরাজিত হবে ? কোন দল জয়লাভ করবে ? উমর
(রা) বলেন, এরপর বদর যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন লৌহ; বর্য পরিধান করে এ আয়াত
পড়তে লাগলেন %
১
তখন আমি এর সঠিক মর্ম উপলব্ধি করতে পারলাম ৷ ইমাম বুখারী ইবন জুরায়জ সুত্রে আইশা
(রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন :
ষ্টুন্া,
আয়াতটি মক্কায় নাযিল হয় ৷ তখন আমি ছিলাম কিশোরী ৷ খেলাধুলা করে বেড়াতাম ৷
ইবন ইসহাক বলেনং রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তার প্রভুর নিকট সেই সাহায্য প্রার্থনা করতে
থাকেন, যার প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন ৷ প্রার্থনায় তিনি বলেন৪ হে আল্লাহ আজ যদি আপনি
এ ক্ষুদ্র দলটিকে শেষ করে দেন, তা হলে আপনার ইবাদত করার কেউ আর থাকবে না ৷ আবু
বকর (বা) বলছিলেন, হে আল্লাহর নবী ৷ আপনার প্রভুর কাছে আপনার যথেষ্ট প্রার্থনা করা
হয়েছে ৷ তিনি আপনাকে দেয়াত ড়ার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পুরণ করবেন ৷ এরপর নবী করীম (সা)
ছাপরার মধ্যে সামান্য তন্দ্রচ্ছেন্ন হলেন ৷ মুহুর্তের মধ্যে তন্দ্র৷ কেটে গেলে তিনি বললেন হে
আবু বকর ! সু-সংবাদ গ্রহণ কর ৷ তোমার কাছে আল্লাহ সাহায্য এসে গেছে ৷ এই ৫৩ তা জিবরীল
ফেরেশত৷ তার ঘোড়ার লাগাম ধরে টানছেন ৷ ঘোড়ার সামনের দাতগুলােতে ধুলাবালি লেগে
আছে ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছাপরার মধ্য থেকে বের হয়ে লোকদের যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন ৷
এ পর্যায়ে তিনি বলেন ও ঐ সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন ৷ আজ যে লোক ধৈর্যের
সাথে সওয়ারে উদ্দেশ্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রাণপণে লড়াই করবে, সম্মুখে অগ্রসর হবে, পশ্চাদপদ
হবে না , আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন ৷ বনু সালামা গোত্রের উমায়র ইবন হুমাম তখন
কয়েকটি খেজুর হাতে নিয়ে খাচ্ছিলেন ৷ তিনি মনে মনে ভাবলেন, বেশ তো আমার ও জান্নাতে
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ أَصَبْنَا مِنْ ثِمَارِهَا فَاجْتَوَيْنَاهَا وَأَصَابَنَا بِهَا وَعْكٌ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَخَبَّرُ عَنْ بَدْرٍ، فَلَمَّا بَلَغَنَا أَنَّ الْمُشْرِكِينَ قَدْ أَقْبَلُوا، سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَدْرٍ، وَبَدْرٌ بِئْرٌ، فَسَبَقْنَا الْمُشْرِكِينَ إِلَيْهَا، فَوَجَدْنَا فِيهَا رَجُلَيْنِ مِنْهُمْ، رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ، وَمَوْلًى لِعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، فَأَمَّا الْقُرَشِيُّ فَانْفَلَتَ، وَأَمَّا الْمَوْلَى فَأَخَذْنَاهُ، فَجَعَلْنَا نَقُولُ لَهُ: كَمِ الْقَوْمُ؟ فَيَقُولُ: هُمْ وَاللَّهِ كَثِيرٌ عَدَدُهُمْ، شَدِيدٌ بَأْسُهُمْ. فَجَعَلَ الْمُسْلِمُونَ إِذَا قَالَ ذَلِكَ ضَرَبُوهُ، حَتَّى انْتَهَوْا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: كَمِ الْقَوْمُ؟ قَالَ: هُمْ وَاللَّهِ كَثِيرٌ عَدَدُهُمْ شَدِيدٌ بَأْسُهُمْ. فَجَهِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُخْبِرَهُ كَمْ هُمْ، فَأَبَى، ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهُ: كَمْ يَنْحَرُونَ مِنَ الْجُزُرِ؟ فَقَالَ: عَشْرًا كُلَّ يَوْمٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " الْقَوْمُ أَلْفٌ كُلُّ جَزُورٍ، لِمِائَةٍ وَتَبَعِهَا " ثُمَّ إِنَّهُ أَصَابَنَا مِنَ اللَّيْلِ طَشٌّ مِنْ مَطَرٍ، فَانْطَلَقْنَا تَحْتَ الشَّجَرِ وَالْحَجَفِ، نَسْتَظِلُّ تَحْتَهَا مِنَ الْمَطَرِ، وَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو رَبَّهُ
পৃষ্ঠা - ২৩৯৬
প্রবেশের মাঝে তাদের হাতে আমার নিহত হওয়া ছাড়া আর বাধা কি ? রাবী বলেন, এরপর
তিনি হাতের খেজুর ছুড়ে ফেলে তলোরার নিয়ে শত্রুর মাঝে ঝাপিয়ে পড়লেন এবং যুদ্ধ করতে
করতে শহীদ হয়ে গেলেন ৷
ইমাম আহমদ বলেন, হাশিম ইবন সুলায়মান (র) ছাবিত থেকে, তিনি জানান (বা) থেকে
বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবুসুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলার গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্যে
বাসবাসকে গোয়েন্দা হিসেবে প্রেরণ করেন ৷ তারপর তিনি ফিরে এলেন ৷ তখন ঘরের মধ্যে
আমি ও নবী করীম (সা) ব্যতীত আর কেউ ছিল না ৷ রাবী (ছাবিত) বলেন, আমার স্মরণ
পড়ছে না, আনাস নবীর কোন সহধর্মিণীর ঘরে থাকার কথা উল্লেখ করেছেন কিনা ৷ তারপর
তিনি বিস্তারিত ভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাস্যুবুল্লাহ্ (সা) ঘর থেকে বেরিয়ে
লোকজনের সাথে আলাপ করেন এবং ঘোষণা দেন যে, শত্রুর সন্ধানে আমাদের বেরিয়ে পড়তে
হবে ৷ তাই যাদের বাহন মওজুদ আছে, তারা যেন তাদের বাহন নিয়ে আমাদের সাথী হয় ৷ কিছু
লোক মদীনায় উচ্চ এলাকা থেকে তাদের বাহনজন্তু নিয়ে আসার জন্যে রাসুলুল্পাহ্র কাছে
অনুমতি চাইলে তিনি বললেন : না, যাদের বাহন এখন প্রস্তুত আছে কেবল তারাই যাবে ৷ তখন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) ও তার সাহাবীগণ রওনা হন এবং মুশরিকদের পুর্বেই বদরে উপস্থিত হন ৷
এরপরে মুশরিকরা সেখানে পৌছে ৷ রাসুলুদ্মাহ্ (সা) সাহাবীগণকে বললেন তোমরা কেউ কাজে
নিজেরা অগ্রসর হয়ে না, যতক্ষণ না আমি যে কাজের সামনে থাকি ৷ এরপর মুশরিকরা
নিকটবর্তী হলো ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, তোমরা জান্নাত লাভের জন্যে অগ্রসর হও-
যার প্রশস্ততা আসমান-যমীনের সমান ৷ আনাস বলেন, তখন উমায়র ইবন হুমাম আনসারী
বললেন : হে আল্লাহর রাসুল ! জান্নাতের প্রশস্ততা কি আসমান-যমীনের সমান : তিনি বললেন,
ইভ্রা ৷ উমায়র বললেন ও বেশ বেশ! রাসুলুল্পাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, উমায়র! বেশ বেশ
বলতে তোমাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো : উমায়র জানালেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! অন্য কিছু নয়,
আল্লাহর কলম, ঐ জান্নাতে যাওয়ার আশায়ই আমি এ রকম বলেছি ৷ রাসুলুল্পাহ্ বললেন,
অবশ্যই তুমি তার অধিবাসী হবে ৷ এরপর তিনি তার থলে থেকে কিছু খুরমা বের করে যেতে
থাকেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি আবার মর্ম বললেন, এই খুরমা খাওয়ার শেষ পর্যন্ত যদি আমি
বের্টে থাকি, তা হলে তো আমার জীবন অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷ সুতরাং খুরমাগুলো তিনি দুরে
নিক্ষেপ করে যুদ্ধে চলে গেলেন এবং যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হলেন ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছ
আবু বকর ইবন আবু শায়বা ও একাধিক রাবী থেকে এবং আবুন-নযর হাশিম ইবন কাসিম,
সুলায়মান ইবন মুগীরা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন জারীর বলেন : উমায়র যুদ্ধ করার সময়
এই কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
وَيَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنَّكَ إِنْ تُهْلِكْ هَذِهِ الْفِئَةَ، لَا تُعْبَدُ " فَلَمَّا طَلَعَ الْفَجْرُ نَادَى: " الصَّلَاةَ عِبَادَ اللَّهِ " فَجَاءَ النَّاسُ مِنْ تَحْتِ الشَّجَرِ وَالْحَجَفِ، فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَرَّضَ عَلَى الْقِتَالِ، ثُمَّ قَالَ إِنَّ جَمْعَ قُرَيْشٍ تَحْتَ هَذِهِ الضِّلَعِ الْحَمْرَاءِ مِنَ الْجَبَلِ. فَلَمَّا دَنَا الْقَوْمُ مِنَّا وَصَافَفْنَاهُمْ، إِذَا رَجُلٌ مِنْهُمْ عَلَى جَمَلٍ لَهُ أَحْمَرَ، يَسِيرُ فِي الْقَوْمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَلِيُّ، نَادِ لِي حَمْزَةَ - وَكَانَ أَقْرَبَهُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ - مَنْ صَاحِبُ الْجَمَلِ الْأَحْمَرِ، وَمَاذَا يَقُولُ لَهُمْ؟ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنْ يَكُنْ فِي الْقَوْمِ أَحَدٌ يَأْمُرُ بِخَيْرٍ، فَعَسَى أَنْ يَكُونَ صَاحِبَ الْجَمَلِ الْأَحْمَرِ، فَجَاءَ حَمْزَةُ فَقَالَ: هُوَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَهُوَ يَنْهَى عَنِ الْقِتَالِ، وَيَقُولُ لَهُمْ: يَا قَوْمُ إِنِّي أَرَى قَوْمًا مُسْتَمِيتِينَ، لَا تَصِلُونَ إِلَيْهِمْ وَفِيكُمْ خَيْرٌ، يَا قَوْمُ، اعْصِبُوهَا الْيَوْمَ بِرَأْسِي، وَقُولُوا: جَبُنَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي لَسْتُ بِأَجْبَنِكُمْ. فَسَمِعَ بِذَلِكَ أَبُو جَهْلٍ فَقَالَ: أَنْتَ تَقُولُ ذَلِكَ؟! وَاللَّهِ لَوْ غَيْرُكَ يَقُولُهُ لَأَعْضَضْتُهُ، قَدْ مَلَأَتْ رِئَتُكَ جَوْفَكَ رُعْبًا، فَقَالَ: إِيَّايَ تُعَيِّرُ يَا مُصَفِّرَ اسْتِهِ؟! سَتَعْلَمُ الْيَوْمَ أَيُّنَا الْجَبَانُ. فَبَرَزَ عُتْبَةُ وَأَخُوهُ شَيْبَةُ وَابْنُهُ الْوَلِيدُ، حَمِيَّةً، فَقَالُوا: مَنْ يُبَارِزُ؟ فَخَرَجَ فِتْيَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ شَبَبَةٌ،
পৃষ্ঠা - ২৩৯৭
فَقَالَ عُتْبَةُ لَا نُرِيدُ هَؤُلَاءِ، وَلَكِنْ يُبَارِزُنَا مِنْ بَنِي عَمِّنَا مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُمْ يَا عَلِيُّ، وَقُمْ يَا حَمْزَةُ، وَقُمْ يَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطَّلِبِ. فَقَتَلَ اللَّهُ عُتْبَةَ وَشَيْبَةَ ابْنَيْ رَبِيعَةَ، وَالْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ، وَجُرِحَ عُبَيْدَةُ، فَقَتَلْنَا مِنْهُمْ سَبْعِينَ، وَأَسَرْنَا سَبْعِينَ، وَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَصِيرٌ بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَسِيرًا، فَقَالَ الْعَبَّاسُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا وَاللَّهِ مَا أَسَرَنِي، لَقَدْ أَسَرَنِي رَجُلٌ أَجْلَحُ، مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ وَجْهًا، عَلَى فَرَسٍ أَبْلَقَ، مَا أُرَاهُ فِي الْقَوْمِ. فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: أَنَا أَسَرْتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: اسْكُتْ، فَقَدْ أَيَّدَكَ اللَّهُ بِمَلَكٍ كَرِيمٍ. قَالَ: فَأَسَرْنَا مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، الْعَبَّاسَ، وَعَقِيلًا، وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ. هَذَا سِيَاقٌ حَسَنٌ، وَفِيهِ شَوَاهِدُ لِمَا تَقَدَّمَ وَلِمَا سَيَأْتِي. وَقَدْ تَفَرَّدَ بِطُولِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ بَعْضَهُ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ بِهِ.
وَلَمَّا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعَرِيشِ، وَحَرَّضَ النَّاسَ عَلَى الْقِتَالِ، وَالنَّاسُ عَلَى مَصَافِّهِمْ صَابِرِينَ، ذَاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى آمِرًا لَهُمْ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُوا وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا} [الأنفال: 45] الْآيَةَ. [الْأَنْفَالِ: 45]
وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: قَالَ
পৃষ্ঠা - ২৩৯৮
অর্থ : “কোন রকম পাথেয় ছাড়াই আমি আল্লাহর পথে দৌড়ে চলে এসেছি ৷ পাথেয় বলতে
আছে শুধু আল্লাহর প্ ভয় ও পরকালে মুক্তির চিন্তা ৷ জিহাদে প্রয়োজন আল্লাহর জন্যে ধৈর্য ধরা ৷
দুনিয়ার সব পাথেয়ই তো শেষ হয়ে যাবে ৷ শেষ হবে না কেবল তাকওয়া, পুণ্য ও সঠিক
পথ ৷ ”
ইমাম আহমদ বলেন : হাজ্জাহ, ইসরাঈল, আবু ইসহাক, হারিছা ইবন মুদরিব, আলী (বা )
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমরা হিজরত করে মদীনায় অশ্বসলে সেখানকার ফলমৃ ল খেয়ে
আমাদের শরীরে জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু হয় এবং আমরা জ্বরে আক্রান্ত হই ষ্ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বদর
সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখতেন ৷ যখন আমরা জানলাম যে মুশরিকরা রওনা হয়ে পড়েছে, তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বদরের পথে যাত্রা শুরু করেন ৷ বন্তুত বদর একটি কু:য়ড়ার নাম ৷ মুশরিকদের
আগেই আমরা তথায় পৌছে যাই ৷ সেখানে দু’জন লোককে দেখাত পাই ৷ তাদের মধ্যে
একজন কুরায়শী , অন্যজন উক্বা ইবন আবু ঘুআয়তের আযাদকুত গোলাম ৷ কুরায়শটি
আমাদেরকে দেখে পালিয়ে যায়, কিন্তু গোলামটিকে আমরা ধরে ফেলি ৷ তার কাছে আমরা
জিজ্ঞেস করি, কুরায়শরা সংখ্যায় কত ? সে উত্তরে বলে, আল্লাহর কলম, তাদের সংখ্যা অনেক ,
শক্তি প্রচুর ৷ সে বারবার এরুপ উত্তর দেয়ায় মুসলমানরা তাকে প্রহার করেন এবং শেষে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নিয়ে আসেন ৷ তিনি গোলামটিকে জিজ্ঞেস করলেন, কুরায়শদের
ত্খ্যা কত ? যে একই উত্তর দিল, আল্লাহর কলম তাদের সংখ্যা অনেক শক্তি অধিক ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার থেকে কুরায়শদের সংখ্যা জানতে বারবার চেষ্টা করেন কিন্তু সে এড়িয়ে
যায় ৷ এরপর নবী করীম (সা ) জিজ্ঞেস করলেন, তারা প্রতিদিন কয়ঢি উট যরাহ্ করে ? সে
বললাে, দশটা ৷ নবী করীম (সা) বললেন, তাদের সংখ্যা এক হাযার ৷ প্ৰতি একটা উট একশ’
জমে খায় ৷ এ রাত্রে মুষলধারে বৃষ্টি হয় ৷ বৃষ্টি থেকে বীচার জন্যে আমরা বৃক্ষের নীচে ও ঢালের
তলে আশ্রয় নিই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) রাত্রে তার প্রতুর নিকট প্রার্থনায় বলেন : ন্“আয় আল্লাহ
আপনি যদি আজ এই ছোট্ট দলটিকে খতম করে দেন তবে আপনার ইবাদত করার মত কেউ
থাকবে না ৷” রাত শেষ হলো ৷ ফজরের সালাত আদায় করার জন্যে তিনি “হে আল্লাহর
বান্দাগণ” ! বলে সবাইকে আহ্বান করেন ৷ ডাকে সাড়া দিয়ে লোকজন বৃক্ষ ও চালের নীচ
থেকে চলে আসে ৷ বাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করেন ও যুদ্ধের জন্যে উদ্বুদ্ধ
করেন ৷ তারপর আমাদেরকে জানান দেখ, কুরায়শ বাহিনী এই পাহাড়ের লাল টিলাঢির
অপর পার্শে অবস্থান করছে ৷ কুরড়ায়শরা যখন আমাদের নিকটবর্তী হলো এবং আমরাও যুদ্ধের
জন্যে সারিবদ্ধ হলাম, তখন দেখা গেল, তাদের মধ্যে একটি লোক একটি লাল উটে সওয়ার
হয়ে লোকজনের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আলী-কে ডেকে বললেন, হামযা
কােথায়ঃ তাকে ডাকাে ৷ কারণ, ঐ লাল উটওয়ালার সাথে হামযার মুশরিকদের থেকেও বেশী
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ৷ ইত্যবসরে হামযা তথায় উপস্থিত হলেন এবং বললেন ও তো উতবা ইবন
রাবীআ ৷ সে যুদ্ধ থামাবার চেষ্টা করছে এবং লোকজনকে বলছে, তোমরা সব দোষ আমার
মাথায় চাপিয়ে দিও আর এ কথা বলিও যে , উতবা ইবন রাবীআ কাপুরুষতা দেখিয়েছে ৷
الْأَوْزَاعِيُّ: كَانَ يُقَالُ: قَلَّمَا ثَبَتَ قَوْمٌ قِيَامًا، فَمَنِ اسْتَطَاعَ عِنْدَ ذَلِكَ أَنْ يَجْلِسَ، أَوْ يَغُضَّ طَرْفَهُ، وَيَذْكُرَ اللَّهَ، رَجَوْتُ أَنْ يَسْلَمَ مِنَ الرِّيَاءِ.
وَقَالَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ يَوْمَ بَدْرٍ لِأَصْحَابِهِ: أَلَّا تَرَوْنَهُمْ، يَعْنِي أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِثِيًّا عَلَى الرُّكَبِ، كَأَنَّهُمْ حَرَسٌ يَتَلَمَّظُونَ كَمَا تَتَلَمَّظُ الْحَيَّاتُ. أَوْ قَالَ: الْأَفَاعِي.
قَالَ الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ ": وَقَدْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ حَرَّضَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى الْقِتَالِ، قَدْ نَفَلَ كُلَّ امْرِئٍ مَا أَصَابَ، وَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَا يُقَاتِلُهُمُ الْيَوْمَ رَجُلٌ، فَيُقْتَلُ صَابِرًا مُحْتَسِبًا، مُقْبِلًا غَيْرَ مُدْبِرٍ، إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ. وَذَكَرَ قِصَّةَ عُمَيْرِ بْنِ الْحُمَامِ، كَمَا تَقَدَّمَ.
وَقَدْ قَاتَلَ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ قِتَالًا شَدِيدًا بِبَدَنِهِ، وَكَذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، كَمَا كَانَا فِي الْعَرِيشِ يُجَاهِدَانِ بِالدُّعَاءِ وَالتَّضَرُّعِ، ثُمَّ نَزَلَا، فَحَرَّضَا وَحَثَّا عَلَى الْقِتَالِ، وَقَاتِلَا بِالْأَبْدَانِ، جَمْعًا بَيْنَ الْمَقَامَيْنِ الشَّرِيفَيْنِ.
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُنَا يَوْمَ بَدْرٍ، وَنَحْنُ نَلُوذُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ أَقْرَبُنَا مِنَ الْعَدُوِّ، وَكَانَ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ بَأْسًا»
وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৩৯৯
বন্তুত তোমরা তো জান, আমি কাপুরুষ নই ৷ আবু জাহ্ল এ কথা শুনে উত্বাকে বললো ,
এ কথা তুমি বলেছো ? শুন, যদি তুমি না হয়ে অন্য কেউ এ কথা বলতো, তবে আমি তাকে
চিবিয়ে থেতাম ৷ আমি দেখছি, তোমার অম্ভরে ভয় ঢুকেছে ৷ উতবা বললাে ? ওহে হলুদ বর্ণের
পশ্চাৎদেশধারী! আমারই উপর কলংক লেপন করছে৷ ? আজ সবাই দেখবে, কাপুরুষ কে ?
এরপর উতবা, তার ভাই শারবা ও পুত্র ওয়ালীদ বংশগরিমার অহমিকা নিয়ে মল্পযুদ্ধের জংনা
ব্যুহ থেকে বেরিয়ে এসে ঘোষণা দিল, কে আছে, যে আমাদের সাথে মল্লযুদ্ধ করবে ?
আনসারদের মধ্য হতে কয়েকজন যুবক তাদের সামনে এগিয়ে এলো ৷ উত্বা বললো, আমরা
এদেরকে চাই না ৷ আমরা আমাদের স্বগােত্রীয় আবদুল মুত্তালিবের বংশধরদের সাথে শক্তি
পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে চাই ৷ তখন রড়াসুলুল্লাহ (সা) বললেন ? ওন্ঠা হে হামযা ! ওঠো হে আলী !
ওঠাে হে উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব৷ তোমরা ওদের ষুকাবিলায় অগ্রসর হও ৷
আল্লাহর ইচ্ছার রাবীআর দুই পুত্র উত্বা ও শায়বা এবং উতষ্কাব পুত্র ওয়ালিদ নিহত হল ৷
অবশ্য উবায়দ৷ এতে আহত হন ৷ আলী বলেন, যুদ্ধে আমরা সত্তর জনকে হত্যা করি এবং
সত্তরজনেকে বন্দী করি ৷ জ্যনক আনসারী আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবকে বন্দী করে
আনেন ৷ আব্বাস বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আল্লাহর কসম ৷ এ লোক আমাকে বন্দী করেনি ৷
আমাকে বন্দী করেছে এমন এক লোক, যার মাথার দুই পার্শে টাক ছিল ; সুদর্শন চেহারা
বিশিষ্ট ৷ সে একটি সাদা-কালাে রঙের অশ্বে আরােহী ছিল ৷ আনসারী বললেন : ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আমিই তাকে বন্দী করেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, চুপ কর, আল্লাহ তোমাকে
একজন ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করেছেন ৷ আলী বলেন ? আবদুল ঘুত্তালিবের গোত্র থেকে
আব্বাস, আর্কীল ও নাওফিল ইবন হারিছকে আমরা বন্দী করি ৷ এ বর্ণনার সনদ অতি উত্তম ৷
আরও বর্ণনা আছে, যা এর সমর্থন করে ৷ সেগুলোর মধ্যে কিছু পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু
পরে উল্লেখ করা হবে ৷ ইমাম আহমদ এ ঘটনা বিস্তারিত এবং আবু দাউদ ইসরাঈল থেকে
আৎশিক উল্লেখ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) যখন ছাপরা থেকে নেমে এসে লোকদের যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ
করেন, তখন সকলেই ছিলেন সারিবদ্ধ, আত্ম-প্রতব্রয়ে অবিচল এবং আল্লাহর স্মরণে লিপ্ত ৷
কেননা, আল্লাহর নির্দেশ এ রকমই আছে ৷ যথা ?
“হে মু’মিনগণশু তোমরা যখন কোন দলের সম্মুখীন হবে, তখন অবিচলিত থাকবে এবং
আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে” (৮ : ৪৫) ৷
উমাবী বলেন, আমার নিকট মুআবিয়া ইবন আমর (র ) আবু ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন
যে, আওযাঈ বলেছেন : লোকে বলে খুব কম লােকই দীনের উপর টিকে থাকতে সক্ষম হয় ৷
তবে ঐ সময় যে ব্যক্তি বসে পড়ে কিত্বা চক্ষু অবনমিত করে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে , আশা
করি যে ব্যক্তি রিয়া থেকে নিরাপদ থাকবে ৷ বদর যুদ্ধে উতবা ইবন রাবীআ তার দলীয়
লোকদের উদ্দেশ্যে বলেছিল, তোমরা কি নবীর সঙ্গীদের প্ৰতি লক্ষ্য করছে৷ না ? তারা অতন্দ্র
প্রহরীর মত হীটু গেড়ে বসে আছে এবং মনে হচ্ছে সর্প বা অজগরের ন্যায় জিহ্বা বের করে
ক্রোধে পরপর করছে ৷
«كُنَّا إِذَا حَمِيَ الْبَأْسُ وَلَقِيَ الْقَوْمُ، اتَّقَيْنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قِيلَ لَعَلِيٍّ وَلِأَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يَوْمَ بَدْرٍ: مَعَ أَحَدِكُمَا جِبْرِيلُ، وَمَعَ الْآخَرِ مِيكَائِيلُ، وَإِسْرَافِيلُ مَلَكٌ عَظِيمٌ، يَشْهَدُ الْقِتَالَ وَلَا يُقَاتِلُ. أَوْ قَالَ: يَشْهَدُ الصَّفَّ.
وَهَذَا يُشْبِهُ مَا تَقَدَّمَ مِنَ الْحَدِيثِ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ فِي الْمَيْمَنَةِ، وَلَمَّا تَنَزَّلَ الْمَلَائِكَةُ يَوْمَ بَدْرٍ تَنْزِيلًا، كَانَ جِبْرِيلُ عَلَى أَحَدِ الْمُجَنِّبَتَيْنِ فِي خَمْسِمِائَةٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَكَانَ فِي الْمَيْمَنَةِ مِنْ نَاحِيَةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَكَانَ مِيكَائِيلُ عَلَى الْمُجَنِّبَةِ الْأُخْرَى فِي خَمْسِمِائَةٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَوَقَفُوا فِي الْمَيْسَرَةِ، وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِيهَا.
وَفِي حَدِيثٍ رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: كُنْتُ أَمْتَحُ عَلَى الْقَلِيبِ يَوْمَ بَدْرٍ، فَجَاءَتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، ثُمَّ أُخْرَى، ثُمَّ أُخْرَى، فَنَزَلَ مِيكَائِيلُ فِي أَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَوَقَفَ عَلَى يَمِينِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُنَاكَ أَبُو بَكْرٍ، وَإِسْرَافِيلُ فِي أَلْفٍ فِي الْمَيْسَرَةِ وَأَنَا فِيهَا، وَجِبْرِيلُ فِي
পৃষ্ঠা - ২৪০০
أَلْفٍ. قَالَ: وَلَقَدْ طَعَنْتُ يَوْمَئِذٍ حَتَّى بَلَغَ الدَّمُ إِبِطِي.
وَقَدْ ذَكَرَ صَاحِبُ " الْعِقْدِ " وَغَيْرُهُ، أَنَّ أَفْخَرَ بَيْتٍ قَالَتْهُ الْعَرَبُ، قَوْلُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ:
وَبِبِئْرِ بَدْرٍ إِذْ يَكُفُّ مَطِيَّهُمْ ... جِبْرِيلُ تَحْتَ لِوَائِنَا وَمُحَمَّدُ
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ أَبُوهُ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ، قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا تَعُدُّونَ أَهْلَ بَدْرٍ فِيكُمْ؟ قَالَ: " مِنْ أَفْضَلِ الْمُسْلِمِينَ " - أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا - قَالَ: وَكَذَلِكَ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذْ يُوحِي رَبُّكَ إِلَى الْمَلَائِكَةِ أَنِّي مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا الَّذِينَ آمَنُوا سَأُلْقِي فِي قُلُوبِ الَّذِينَ كَفَرُوا الرُّعْبَ فَاضْرِبُوا فَوْقَ الْأَعْنَاقِ} [الأنفال: 12] يَعْنِي الرُّءُوسَ {وَاضْرِبُوا مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ} [الأنفال: 12]
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي زُمَيْلٍ،
পৃষ্ঠা - ২৪০১
উমাবী তার মাগাযী গ্রন্থে লিখেছেন : নবী করীম (সা) যখন মুসলমানগণকে যুদ্ধের জন্যে
উদ্বুদ্ধ করেন, তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অবস্থার উপর কসম করলে এবং বলেন, সেই সত্তার
কসম, র্যার হাতে আমার জীবন, আজ যে কেউ কাফিরদের বিরুদ্ধে ধৈর্য সহকারে সওয়াবের
উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করবে এবং সামনে এগিয়ে যাবে, পিছিয়ে আসবে না, আল্লাহ্ তাকে জান্নড়াতে
দাখিল করবেন ৷ এরপর তিনি উমায়র ইবন হুমামের ঘটনা বর্ণনা করেন ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্
(সা) প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং তীব্র লড়াই করেন ৷ অনুরুপ আবু বকর সিদ্দীকও প্রত্যক্ষ
ভাবে যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন ৷ র্তারা উভয়ে প্রথমে ছাপরার মধ্যে আল্লাহ্র দরবারে ফরিয়াদ ও
কান্নাকাটির মাধ্যমে জিহাদ করেন ৷ এরপর দৃ’জনেই ছাপরা থেকে নেমে এসে অন্যদের যুদ্ধে
উদ্বুদ্ধ করেন এবং নিজেরা সশরীরে যুদ্ধ করেন ৷ এতে র্তারা উতয়ে গুরুত্বপুর্ণ স্থানের মর্যাদা
লাভ করেন ৷
ইমাম আহমদ বলেন, ওয়াকী’ আলী (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদরের দিন
আমি আমাদের অবস্থা লক্ষ্য করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ত্রা৷শ্রয়ে ছিলাম আমরা সবাই ৷
আমাদের মধ্যে তিনিই দৃশমনদের সর্বাধিক নিকটে ছিলেন ৷ সে দিন সকলের চেয়ে তিনি অধিক
কঠােরভাবে যুদ্ধ করেন ৷ নাসাঈ এ হড়াদীছ আবু ইসহাক সুত্রে আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমরা যখন যুদ্ধের সম্মুখীন হলাম এবং শত্রুদের সাথে লড়াই করলাম, তখন
রাসুল (না)-কে হিফাযত করার জন্যে প্রাণপণে চেষ্টা করি ৷
ইমাম আহমদ বলেন : আবু নুআয়ম আলী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন আলী ও আবু
বকরকে বদরের দিন বলা হয়, তোমাদের একজনের সাথে ছিলেন জিবরাঈল , অন্যজনের সাথে
ছিলেন যীকাঈল ৷ অপরদিকে ইসরাফীল একজন মহান ফেরেশতা ৷ তিনি যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন
কিন্তু যুদ্ধ করেননি ৷ কিংবা বলেছেন, তিনি সৈন্যদের কাতারে হড়াযির ছিলেন ৷ এ বর্ণনাটি পুর্বে
উল্লিখিত সেই বর্ণনারই মত, যাতে বলা হয়েছে, আবু বকর ছিলেন ডান পার্শে এবং বদরের
দিন ফেরেশতাগণ যখন একের পর এক অবতীর্ণ হচ্ছিলেন, তখন জিবরাঈল পড়াচশ ফেরেশতা
নিয়ে ভাইনে আবুবকরের পার্শে দীড়ালেন ৷ অপরদিকে মীকাইল পাচশ’ ফেরেশতার আর একটি
দল নিয়ে বাম পার্শে অবস্থান নেন ৷ হযরত আলী এখানে ছিলেন ৷ এ সম্বন্ধে আরও একটি বর্ণনা
আছে ৷ যা আবু ইয়া’লা মুহাম্মদ ইবন জুবায়র ইবন মুত্ঈম সুত্রে আলী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
আলী (রা) বলেন : বদরের দিন আমি কুয়ার কাছে তাসবীহ পাঠ করছিলাম ৷ হঠাৎ প্রচণ্ড বেগে
বাতাস বয়ে গেল ৷ তড়ারপরে আর একবার অনুরুপ বাতাস হল ৷ কিছুক্ষণ পর আবার ঐ রকম
বাতাস এলো ৷ দেখা গেল, যীকাঈল এক হাযার ফেরেশতাসহ এসেছেন এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা)ৰু-এর ডান পাশে র্দাড়িয়েছেন ৷ এখানে ছিলেন আবু বকর ৷ আর ইসরাফীল এক হাযার
ফেরেশতাসহ নবীর বাম পাশে রয়েছেন ৷ এখানে ছিলাম আমি নিজে ৷ জিবরাঈলও আর এক
হাযার ফেরেশতা নিয়ে আসেন ৷ আমি এই দিন অনেক যুরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ি ৷ আরবগণ
যে কবিতা দ্বারা সর্বোচ্চ গৌরব প্রকাশ করতো, তা ছিল হাস্সান ইবন ছাৰিতের নিম্নোক্ত
কবিতা :
حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ «قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ يَشْتَدُّ فِي أَثَرِ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ أَمَامَهُ، إِذْ سَمِعَ ضَرْبَةً بِالسَّوْطِ فَوْقَهُ، وَصَوْتُ الْفَارِسِ يَقُولُ: أَقْدِمْ حَيْزُومُ. إِذْ نَظَرَ إِلَى الْمُشْرِكِ أَمَامَهُ قَدْ خَرَّ مُسْتَلْقِيًا، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ قَدْ خُطِمَ أَنْفُهُ وَشُقَّ وَجْهُهُ كَضَرْبَةِ السَّوْطِ، فَاخْضَرَّ ذَلِكَ أَجْمَعُ، فَجَاءَ الْأَنْصَارِيُّ فَحَدَّثَ ذَاكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: صَدَقْتَ ذَلِكَ مِنْ مَدَدِ السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ. فَقَتَلُوا يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ، وَأَسَرُوا سَبْعِينَ» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، قَالَ: حَضَرْتُ أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي بَدْرًا، وَنَحْنُ عَلَى شِرْكِنَا، فَإِنَّا لَفِي جَبَلٍ نَنْتَظِرُ الْوَقْعَةَ عَلَى مَنْ تَكُونُ الدَّبْرَةُ، فَنَنْتَهِبُ، فَأَقْبَلَتْ سَحَابَةٌ، فَلَمَّا دَنَتْ مِنَ الْجَبَلِ، سَمِعْنَا مِنْهَا حَمْحَمَةَ الْخَيْلِ، وَسَمِعْنَا فَارِسًا يَقُولُ: أَقْدِمْ حَيْزُومُ. فَأَمَّا صَاحِبِي فَانْكَشَفَ قِنَاعُ قَلْبِهِ، فَمَاتَ مَكَانَهُ، وَأَمَّا أَنَا فَكِدْتُ أَنْ أَهْلِكَ، ثُمَّ انْتَعَشْتُ بَعْدَ ذَلِكَ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ بَعْضِ بَنِي
পৃষ্ঠা - ২৪০২
“আর বদর কুয়াের নিকট তারা যখন তাদের বাহন থামালো, তখন জিবরাঈল ও মুহাম্মদ
ছিলেন আমাদের পতাকাতলে ৷”
ইমাম বুখারী বলেন, ইসহাক ইবন ইবরাহীম মুআয থেকে, তিনি তার পিতা রিফাআত
ইবন রাফি’ থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুআয বলেন, তার পিতা রিফাআত ছিলেন বদর যুদ্ধের
অংশ্যাহণকারীরে অন্যতম ৷ তিনি বলেছেন, একদা জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
এসে বললেন : আপনার বদর যুদ্ধে অৎশ্যাহণকারীদের মর্যাদা কিরুপ বলে মনে করেন ? তিনি
বললেন, তাদেরকে সর্বোত্তম মুসলমান গণ্য করা হয় ৷ অথবা অনুরুপ কোন কথা তিনি
বলেছিলেন ৷ তখন জিবরাঈল (আ) বললেন, যে সব ফেরেশতা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ
করেছিলেন, ফেরেশতাদের মধ্যে তাদের মর্যাদাও তদ্র্যপ ৷ আল্লাহর বাণী :
ৰু১ ৷
“স্মরণ কর, তেড়ামাদের প্রতিপালক ফেরেশতাগণের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন, আমি
তোমাদের সাথে আছি ৷ সুতরাং মু’মিনদেরকে অবিচলিত রাখ ৷ যারা কুফরী করে আমি তাদের
হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করবো ৷ সুতরাং তাদের স্কন্ধে ও সর্বড়াঙ্গে আঘাত কর” (৮ : ১২) ৷ সহীহ্
মৃসলিমে ইকরিমা ইবন আমার আবু যুমায়ল সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন : সে দিন জনৈক মুসলিম সৈনিক তার সম্মুখের একজন মুশরিকের পিছনে জোরে
ধাওয়া করছিলেন ৷ এ সময় তিনি তার উপর দিক থেকে বেত্রাঘাতের শব্দ ও অশ্বারােহীর
আওয়াজ শুনতে পান ৷ অশ্বারোহী বলছিলেন, হে হায়যুম! (ফেরেশতার ঘোড়ার নাম) সম্মুখে
এগিয়ে যাও ৷ তখন তিনি দেখতে পেলেন তার সম্মুখে ঐ যুশরিক চিৎ হয়ে পড়ে গিয়েছে ৷
এরপর তিনি লক্ষ্য করে দেখলেন যে, তার নাক ফাটা ও যুখমণ্ডল ক্ষত-বিক্ষত ৷ যেন কেউ
তাকে বেত্রাঘাত করেছে ৷ বেতের আঘাতে তার সমস্ত দেহ নীল হয়ে গেছে এরপর ঐ আনসারী
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করলেন ৷ সবকিছু শুনে তিনি বললেন,
হীড়া, তুমি ঠিকই বলেছো ৷ এই সাহায্য তৃতীয় আসমান থেকে এসেছে ৷ সে দিন মুসলমানগণ
সত্তর জন কাফিরকে হত্যা ও সত্তর জনকে বন্দী করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর ইবন হড়ায্ম ইবন আব্বাস থেকে
আমার কাছে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বনু-গিফারের এক ব্যক্তি আমাকে বলেছে যে, বদরের
দিন আমি ও আমার এক চাচাত ভাই বদর প্রাম্ভরে যাই ৷ তখনও আমরা ছিলাম মুশরিক ৷
পার্শ্ববর্তী এক পাহাড়ে উঠে আমরা ঘটনার দৃশ্য দেখৃছিলাম এবং পরিণতি কোন দিকে গড়ার
তার অপেক্ষা করছিলাম ৷ তখন দেখলাম, এক টুকরো মেঘ আমাদের দিকে যেয়ে আসছে ৷
মেঘের টুকরাটি যখন পাহাড়ের কাছে এলো, তখন আমরা সেই মেঘের ভিতর ঘোড়ার আওয়াজ
শুনতে পেলাম ৷ আর এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলাম, হায়য়ুম ! সম্মুখে অগ্রসর হও ৷ ’ এ সময়
سَاعِدَةَ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ مَالِكِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا، قَالَ بَعْدَ أَنْ ذَهَبَ بَصَرُهُ: لَوْ كُنْتُ الْيَوْمَ بِبَدْرٍ وَمَعِي بَصَرِي، لَأَرَيْتُكُمُ الشِّعْبَ الَّذِي خَرَجَتْ مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ، لَا أَشُكُّ فِيهِ وَلَا أَتَمَارَى.
فَلَمَّا نَزَلَتِ الْمَلَائِكَةُ وَرَآهَا إِبْلِيسُ، وَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِمْ: {أَنِّي مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا الَّذِينَ آمَنُوا} [الأنفال: 12] وَتَثْبِيتُهُمْ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ كَانَتْ تَأْتِي الرَّجُلَ فِي صُورَةِ الرَّجُلِ يَعْرِفُهُ، فَيَقُولُ لَهُ: أَبْشِرُوا فَإِنَّهُمْ لَيْسُوا بِشَيْءٍ، وَاللَّهُ مَعَكُمْ كُرُّوا عَلَيْهِمْ. وَلَمَّا رَأَى إِبْلِيسُ الْمَلَائِكَةَ، {نَكَصَ عَلَى عَقِبَيْهِ وَقَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِنْكُمْ إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ} [الأنفال: 48] وَهُوَ فِي صُورَةِ سُرَاقَةَ، وَأَقْبَلَ أَبُو جَهْلٍ يُحَرِّضُ أَصْحَابَهُ وَيَقُولُ: لَا يَهُولَنَّكُمْ خِذْلَانُ سُرَاقَةَ إِيَّاكُمْ، فَإِنَّهُ كَانَ عَلَى مَوْعِدٍ مِنْ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّاتِ وَالْعُزَّى، لَا نَرْجِعُ حَتَّى نُفَرِّقَ مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ فِي الْجِبَالِ، فَلَا تَقْتُلُوهُمْ وَخُذُوهُمْ أَخْذًا.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حَبِيبَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ الْمَلَكُ يَتَصَوَّرُ فِي صُورَةِ مَنْ يَعْرِفُونَ، فَيَقُولُ: إِنِّي قَدْ دَنَوْتُ مِنْهُمْ وَسَمِعْتُهُمْ يَقُولُونَ: لَوْ حَمَلُوا عَلَيْنَا مَا ثَبَتْنَا. لَيْسُوا بِشَيْءٍ. إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْقَوْلِ، فَذَلِكَ قَوْلُهُ {إِذْ يُوحِي رَبُّكَ إِلَى الْمَلَائِكَةِ أَنِّي مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا الَّذِينَ آمَنُوا} [الأنفال: 12] الْآيَةَ.
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ سَلَامَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ২৪০৩
حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ أَبُو أُسَيْدٍ، بَعْدَمَا ذَهَبَ بَصَرُهُ: يَا ابْنَ أَخِي، وَاللَّهِ لَوْ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ بِبَدْرٍ، ثُمَّ أَطْلَقَ اللَّهُ بَصَرِي، لَأَرَيْتُكَ الشِّعْبَ الَّذِي خَرَجَتْ عَلَيْنَا مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ، مِنْ غَيْرِ شَكٍّ وَلَا تَمَارٍ.
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ بَدْرٍ: «هَذَا جِبْرِيلُ آخِذٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ، وَعَلَيْهِ أَدَاةُ الْحَرْبِ» .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَبِيبَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَأَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، وَحَدَّثَنِي عَائِذُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالُوا: «لَمَّا حَضَرَ الْقِتَالُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَافِعٌ يَدَيْهِ، يَسْأَلُ اللَّهَ النَّصْرَ وَمَا وَعَدَهُ، يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ ظَهَرُوا عَلَى هَذِهِ الْعِصَابَةِ، ظَهَرَ الشِّرْكُ، وَلَا يَقُومُ لَكَ دِينٌ. وَأَبُو بَكْرٍ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَيَنْصُرَنَّكَ اللَّهُ، وَلَيُبَيِّضَنَّ وَجْهَكَ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُرْدِفِينَ، عِنْدَ أَكْتَافِ الْعَدُوِّ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبْشِرْ يَا أَبَا بَكْرٍ هَذَا جِبْرِيلُ مُعْتَجِرٌ بِعِمَامَةٍ
পৃষ্ঠা - ২৪০৪
আমার সাথীর হৃদয়যন্ত্র বন্ধ হয়ে সেখানেই সে মারা যায় ৷ আমি মরতে মরতে কোন মতে বেচে
যাই ৷ ইবন ইসহাক বলেনহ্র আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর বনু সাইদার জনৈক ব্যক্তির উদধৃতি
দিয়ে বলেন আবু উসায়দ মালিক ইবন রাবীআ বদর যুদ্ধে অং শগ্রহণ করেছিলেন ৷ বৃদ্ধ বয়সে
দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার পর একদিন তিনি বলেন, আজকের এই দিলে আমি যদি বদরে থাকতড়াম
এবং আমার দৃষ্টিশক্তি বহাল থাকতো, তবে তােমাদেরকে সেই গিরিপথ দেখিয়ে দিতে পারতাম ,
যেখান দিয়ে ফেরেশতাপণ বেরিয়ে এসেছিলেন ৷ এতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ বা ভুল হতো না ৷
ফেরেশতাপণ যখন তার ণ্ডীর্ণ হলেন এবং ইবলীস তাদেরকে :দ খ:ত পেলো আল্লাহ্
ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দিলেন০ ং “আমি( তামাদের সাথে আছি৷ সৃত রাদ্ব মু’মিনদের অবিচলিত
রাখ ৷ ” ফেরেশতাগণ মু মিনদেরকে অবিচলিত রাখতেন এভাবে যে র্তাধা একজন সৈন্যের কাছে
তার কোন পরিচিত লোকের আকৃতি ধারণ করে গিয়ে বলতেন সৃনং বাদ গ্রহণ কর, ওরা কিছুই
করতে পারবে না ৷ আল্লাহ তোমাদের সাথে আছেন, তাদের উপর বাষ্পয়ে পড়াে ৷ ’
ওয়াকিদী ইকরিমা সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, বদরে ফেরেশতাপণ কোন
পরিচিত ব্যক্তির আকৃতি ধারণ করে কারও সামনে হাযির হতেন এবং অবিচল থাকার সাহস
যোগাতেন ৷ ফেরেশত৷ বলতেন, আমি ওদের কাছে গিয়েছিলড়াম ৷ শুনলাম তারা বলড়াবলি
করছে, মুসলমানরা যদি আক্রমণ করে, তা হলে আমরা টিকতে পারবো না ৷ ওরা তোমাদের
কিছুই করতে পারবে না ৷ এ জাতীয় আরও উৎসাহব্যঞ্জক কথা র্তার৷ শুনাতেন ৷ আল্লাহ্ এ
দিকেই ইংগিত করে বলেছেন :
) :
ম্মরণ কর যখন তোমাদের প্রতিপালক্ ফেরেশ৩ ৷দের প্রতি প্র৩ রুাদেশ করেন আমি
তে ৷মাদের সংগে আছি, সুতরাং মু মিনগণকে অবিচলিত রাখ ৷ ( ৮ : ১২) ৷
এরপর ইবলীস যখন ফেরেশতাগণকে দেখতে পেলাে তখন সে কেটে পড়লাে ও বলল্যে,
তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক রইলাে না ৷ তোমরা যা দেখতে পাও না আমি তা দেখি ৷
এ সময় সে সুরাকা (ইবন মালিক ইবন জুছাম)-এর রুপ ধারণ করেছিল ৷ আবু জাহ্ল তখন
নিজের বাহিনীকে যুদ্ধের জন্যে প্ৰরোচিত করে বলছিল, খবরদার৷ সৃরাকার পক্ষত্যাগ যেন
তােমাদেরকে ধোকায় না ফেলে ৷ কেননা, সে মুহাম্মদ ও তার সাথীদেব সঙ্গেকার প্রতিশ্রুতি মত
কাজ করছে ৷ তারপর সে লাত-উযযার কসম করে ঘোষণা দিল-আমরা মুহাম্মদ ও তার
সংগীদেব পাহাড়ের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করে না দেয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবে৷ না ৷ ’> সুতরাং তাদেরকে
হত্যা না করে শক্তভাবে বেধে নিও ৷
বায়হাকী সালামা সুত্রে আকীল ইবন শিহাব-আবু হাযিম সাহ্ল ইবন সাআদ থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন আবু উসায়দ অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর একদা আমাকে বলেছিলেন,
দিজা আমি এবং তুমি যদি আজ বদরে থাকতাম, আর আল্লাহ্ আমার চোক খুলে দিতেন,
তার আমি তোমাকে সেই গিরিপথটি দেখিয়ে দি৩ ৷ম যেই পথ দিয়ে ফেরেশতাপণ আমাদের
১ বায়হাকীতে আছে মৃহম্মেদ ও তার সংপীদের রশি দিয়ে না বাধা পর্যন্ত ক্ষাম্ভ হবে৷ না
صَفْرَاءَ، آخِذٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، فَلَمَّا نَزَلَ إِلَى الْأَرْضِ تَغَيَّبَ عَنِّي سَاعَةً، ثُمَّ طَلَعَ وَعَلَى ثَنَايَاهُ النَّقْعُ، يَقُولُ: أَتَاكَ نَصْرُ اللَّهِ إِذْ دَعَوْتَهُ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: يَا بُنَيَّ، لَقَدْ رَأَيْتُنَا يَوْمَ بَدْرٍ وَإِنَّ أَحَدَنَا لَيُشِيرُ إِلَى رَأْسِ الْمُشْرِكِ، فَيَقَعُ رَأْسُهُ عَنْ جَسَدِهِ، قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهِ السَّيْفُ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي وَالِدِي، حَدَّثَنِي رِجَالٌ مِنْ بَنِي مَازِنٍ، عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ: إِنِّي لَأَتْبَعُ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ لِأَضْرِبَهُ، فَوَقَعَ رَأْسُهُ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهِ سَيْفِي، فَعَرَفْتُ أَنَّ غَيْرِي قَدْ قَتَلَهُ.
وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ التَّيْمِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّاسُ يَعْرِفُونَ قَتْلَى الْمَلَائِكَةِ مِمَّنْ قَتَلُوهُمْ، بِضَرْبٍ فَوْقَ الْأَعْنَاقِ وَعَلَى الْبَنَانِ، مِثْلَ سِمَةِ النَّارِ وَقَدْ أُحْرِقَ بِهِ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ سِيمَا الْمَلَائِكَةِ يَوْمَ بَدْرٍ عَمَائِمَ بِيضًا قَدْ أَرْخَوْهَا عَلَى ظُهُورِهِمْ
পৃষ্ঠা - ২৪০৫
إِلَّا جِبْرِيلَ فَإِنَّهُ كَانَتْ عَلَيْهِ عِمَامَةٌ صَفْرَاءُ.
وَقَدْ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَمْ تُقَاتِلِ الْمَلَائِكَةُ فِي يَوْمٍ سِوَى يَوْمِ بَدْرٍ مِنَ الْأَيَّامِ، وَكَانُوا يَكُونُونَ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ الْأَيَّامِ عُدَدًا وَمَدَدًا، لَا يَضْرِبُونَ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَوْلًى لِسُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، سَمِعْتُ سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ: لَقَدْ رَأَيْتُ يَوْمَ بَدْرٍ رِجَالًا بِيضًا عَلَى خَيْلٍ بُلْقٍ، بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ مُعْلِمِينَ، يَقْتُلُونَ وَيَأْسِرُونَ، وَكَانَ أَبُو أُسَيْدٍ يُحَدِّثُ بَعْدَ أَنْ ذَهَبَ بَصَرُهُ قَالَ: لَوْ كُنْتُ مَعَكُمُ الْآنَ بِبَدْرٍ وَمَعِي بَصَرِي، لَأَرَيْتُكُمُ الشِّعْبَ الَّذِي خَرَجَتْ مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ، لَا أَشُكُّ وَلَا أَمْتَرِي.
قَالَ: وَحَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجِبْرِيلَ: مَنِ الْقَائِلُ يَوْمَ بَدْرٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ: أَقْدِمْ حَيْزُومُ؟ فَقَالَ جِبْرِيلُ: يَا مُحَمَّدُ، مَا كُلَّ أَهْلِ السَّمَاءِ أَعْرِفُ» .
পৃষ্ঠা - ২৪০৬
কাছে বেরিয়ে এসেছিলেন ৷ এতে কোন প্রকার সন্দেহ-সংশয় নেই ৷ ইমাম বুখারী ইব্রাহীম
ইবন মুসা ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, বদরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, এই
তো জিবরাঈল-যুদ্ধের পোশাক পরে তার ঘোড়ার ঝুটি ধরে র্দাড়িয়ে আছেন ৷
ওয়াকিদী বলেন : ইবন আবু হাবীবা ইবন আব্বাস থেকে, মুসা ইবন মুহাম্মদ ইবন
ইব্রাহীম তায়মী তার পিতা থেকে এবং আবিদ ইবন ইয়ড়াহ য়া হড়াকীম ইবন হিযাম থেকে
আমার নিকট বর্ণনা করেছেন ৷ তারা সকলে বলেছেন, যুদ্ধ যখন সমাপত , তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা )
দৃ’হাত তুলে আল্লাহর নিকট সাহায্য ও প্রতিশ্রুতি পালনের জন্যে দৃআ করছেন ৷ দৃআর মধ্যে
হবে এবং আপনার দীন আর কায়েম হবে না ৷ তখন আবু বকর ৷র্চুরা) বলছিলেন, আল্লাহর
কসম, তিনি অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবেন এবং আপনার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করবেন ৷
এরপর শত্রুরা যখন চারিদিক থেকে ঘিরে ফেললাে, তখন আল্লাহ পরপর এক হাযার ফেরেশতা
নাযিল করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আবু বকর! সুসইবনদ পােন ৷ এই তো জিররাঈল,
হলুদ বর্ণের পাগড়ি মাথায় আসমান ও যমীনের মাঝখানে আপন অশ্বের লাপাম ধরে দাড়িয়ে
আছেন ৷ এরপর যমীনে অবতরণ করলে কিছুক্ষণের জন্যে তিনি আমার সৃষ্টি থেকে উধাও হয়ে
যান ৷ অল্পক্ষণ পর আবার তিনি প্রকাশিত হন ৷ তখন তার সামনের র্দাতে ধুলাবালি লেগে
রয়েছিল ৷ তিনি বলছিলেন, আল্লাহর কাছে দুআ করায় তিনি আপনার জন্যে সাহায্য
পাঠিয়েছেন ৷ বায়হাকী বলেন : সাহ্ল (ইবন সাআদ) তার পুত্র আবু উমামাকে লক্ষ্য করে
বলেন, প্রিয় বৎস ৷ বদরের দিনে আমরা দেখেছিআমাদের কেউ কোন ঘৃশরিকের উপর
তলোয়ার উত্তোলন করেছে ৷ জ্যি আঘাত করার পুর্বেই ঐ মৃশরিকের মস্তক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়ে গেছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট আমার পিতা বনু মাযিন গোত্রের কতিপয় লোকের
মাধ্যমে আবু ওয়াকিদ লায়হী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদরে আমি এক মুশরিকের
পিছনে তাকে মারার জন্যে ধাওয়া করি ৷ কিন্তু আমার তরবারি তার শরীরে লাগার আগেই তার
মাথা দেহচ্যুত হয়ে পড়ে যায় ৷ এতে আমি বুঝলাম যে, অন্য কেউ তাকে হত্যা করেছে ৷ ইউনুস
ইবন বুকায়র ঈসা ইবন আবদুল্লাহ তায়মী সুত্রে রাবী ইবন আনাস থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, বদর যুদ্ধে নিহতদের মধ্যে যারা ফেরেশতাদের হাতে নিহত হয়েছিল লোকজন তাদের
চিনতে পারভাে ৷ কেননা, তাদের র্কাধের উপরে ও জোড়ায় আগুনে পােড়ান দাগ থাকতো ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আমার কাছে মিকসাম থেকে জনৈক নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ইবন আব্বাস
সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, বদরের দিন ফেরেশতাদের প্রতীকচিহ্ন ছিল সাদা পাগড়ী ,
যা তারা পিঠের উপর ঝুলিয়ে রেখেছিলেন ৷ তবে জিবরাঈল ছিলেন এর ব্যতিক্রম ৷ তিনি
পরেছিলেন হলুদ রং এর পাগড়ী ৷ ইবন আব্বাস বলেন : ফেরেশতাগণ বদর ছাড়া অন্য কোন
যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি ৷ অবশ্য, অন্যান্য যুদ্ধে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও
সাহায্যকারী হিসেবে অংশ্যাহণ করওেন ৷ তবে ওার৷ লড়াই রুরব্লু৩প না ৷ ওয়াকিদী বলেনঃ
সুহায়ল ইবন আমর থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন বদরের দিন আমি কিছু সংখ্যক গৌরবর্ণের
قُلْتُ: وَهَذَا الْأَثَرُ مُرْسَلٌ وَهُوَ يَرُدُّ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ حَيْزُومَ اسْمُ فَرَسِ جِبْرِيلَ، كَمَا قَالَهُ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: فَمَا أَدْرِي كَمْ يَدٍ مَقْطُوعَةٍ، وَضَرْبَةٍ جَائِفَةٍ لَمْ يَدْمَ كَلْمُهَا، قَدْ رَأَيْتُهَا يَوْمَ بَدْرٍ.
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِي عُفَيْرٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، «عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ نِيَارٍ قَالَ: جِئْتُ يَوْمَ بَدْرٍ بِثَلَاثَةِ أَرْؤُسٍ، فَوَضَعْتُهُنَّ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: أَمَّا رَأْسَانِ فَقَتَلْتُهُمَا، وَأَمَّا الثَّالِثُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَجُلًا طَوِيلًا ضَرَبَهُ، فَتَدَهْدَى أَمَامَهُ، فَأَخَذْتُ رَأْسَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ذَاكَ فُلَانٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ» .
وَحَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ السَّائِبُ بْنُ أَبِي حُبَيْشٍ يُحَدِّثُ فِي زَمَنِ عُمَرَ يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا أَسَرَنِي أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ. فَيُقَالُ: فَمَنْ؟ يَقُولُ: لَمَّا انْهَزَمَتْ قُرَيْشٌ، انْهَزَمْتُ مَعَهَا فَأَدْرَكَنِي رَجُلٌ أَبْيَضُ
পৃষ্ঠা - ২৪০৭
লোককে সাদা-কালো বর্ণের ঘোড়ার উপরে আসমান ও যমীনের মাঝখানে দেখেছি ৷ তারা
ছিলেন বিশেষ প্রতীক চিহ্নধারী ৷ র্তারা শক্রদের হত্যা করছিলেন এবং বন্দীও করছিলেন ৷ আবু
উসায়দ অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বলেছিলেন আমার যদি আজ চোখ থাকতো, আর তোমাদের
সাথে বদরে থাকতাম, তবে অবশম্পোই আমাদেরকে সেই ৷গবিপথ দেখিয়ে দিতাম, যে পথ দিয়ে
ফেরেশতাগণ বেরিয়ে আসছিলেন ৷ এতে আমার কোন সংশয় বা সন্দেহ ;নই ৷
ওয়া ৷কিদী বলেন৪ আমার নিকট খারিজা ইবন ইবরাহীম তার পিতার বরাতে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) জ্বিবরাঈলকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- বদরের দিন কোন
ফেরেশতা এ কথা বলেছিলেন যে, “হায়য়ুম ! সামনে অগ্রসর হও”? উত্তরে জিবরাঈল
বলেছিলেন, হে মুহাম্মদ (সা)! আমি তো আকাশের সকল বাসিন্দাকে তিনি না ৷ এই মুরসাল
বর্ণনা ৷ যারা বলেন, হায়বুম’ জিবরাঈলের ঘোড়ার নাম, যেমন সুহায়ল বলেছেন ৷ এই হাদীস
ঐ বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক ৷ ওয়াকিদী বলেন : ইসহাক ইবন ইয়াহ্ইয়৷ হাময৷ ইবন সুহায়ব
সুত্রে সুহায়ব থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদরের দিন কত যে কর্তিত হাত ও গভীর যখম
দেখেছি, অথচ সে সব যখম ও ক্ষতস্থানে রক্তের কোন চিহ্ন ছিল না ৷ ওয়াকিদী বলেন : মুহাম্মদ
ইবন ইয়ড়াহ্ইয়া আবু আকীল, রাফি ইবন খাদীজ সুত্রে আবু বুরদা ইবন নাইয়ার থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে আমি তিনটি ছিন্ন মস্তক এনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখে রেখে
বললাম, এর দৃ জনকে তাে আমি হত্যা করেছি ৷ কিন্তু ৩ভীয় জনকে দেখলাম একজন দীর্ঘকায়
লোক একে আঘাত করেছে ৷ ফলে আমার সামনে তার মস্তক পড়ে গেছে ৷ ঐ মস্তক আমি
উঠিয়ে আনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যে হচ্ছে আমুক ফেরেশতা! ওয়াকিদী বলেন৪ মুসা
ইবন মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম তার পি৩ ৷ সুত্রে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন,
সাইব ইবন আবু হুবায়শ উমর (রা) ৷খলাফত কালে বলতাে, আল্লাহর কলম, আমাকে কোন
মানুষ বন্দী করেনি ৷৩ তাকে জিজ্ঞেস করা হতো, তা হলে কে তোমাকে বন্দী করেছিলাে ? সে
বলতাে, কুরায়শ বাহিনী যখন পরাজিত হয়ে পলায়ন করে , তখন আমিও তাদের সাথে পলায়ন
করি ৷ এ সময় সাদা ঘোড়ায় আরোহী লম্বা চুলধারী এক ব্যক্তি আমাকে ধরে বেধে ফেলে ৷
কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আবদুর রহমান ইবন আওফ আসেন ৷ আমাকে র্বাধ৷ অবস্থায় দেখে
তিনি সৈন্য বাহিনীর মধ্যে ঘোষণা করেন, একে বন্দী করেছে কে ? ঘোষণা দিতে দিতে তিনি
আমাকে রাসুলুল্লাহ্র নিকট এনে হাযির করেন ৷ তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কে তোমাকে
বন্দী করেছে ? আ ৷মি বললাম, তাকে আমি চিনি না ৷ তবে যাকে দেখেছি তার বর্ণনা দিতে চাই
না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমাকে বন্দী করেছেন জনৈক ফেরেশ৩ ৷ ৷ এরপর আবদুর
রহমান ইবন আওফকে বললেন, তোমার বন্দীকে নিয়ে যাও ৷
ওয়াকিদী বলেন : হাকীম ইবন হিযাম থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বদরের দিন আমি
দেখলাম, আকাশ থেকে দিগন্তব্যাপী এক বিরাট চাদর নেমে আসছে ৷ এরপর দেখলাম গোটা
উপত্যকা ছোয় গেছে ৷ তখন আমার মনে হল, এটা অবশ্যই আসমান থেকে আগত কিছু হবে,
যা দ্বারা মুহাম্মদ (না)-কে সাহায্য করা হচ্ছে ৷ বস্তুত এ ছিল ফেরেশতাদের আগমন যার
পরিণতিতে কাফিরদের পরাজয় ঘটে ৷ ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হ বলেন : জুবায়র ইবন মুতঈম
طَوِيلٌ، عَلَى فَرَسٍ أَبْيَضَ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، فَأَوْثَقَنِي رِبَاطًا، وَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فَوَجَدَنِي مَرْبُوطًا، فَنَادَى فِي الْعَسْكَرِ: مَنْ أَسَرَ هَذَا؟ حَتَّى انْتَهَى بِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَنْ أَسَرَكَ؟ قُلْتُ: لَا أَعْرِفُهُ. وَكَرِهْتُ أَنْ أُخْبِرَهُ بِالَّذِي رَأَيْتُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَسَرَكَ مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، اذْهَبْ يَا ابْنَ عَوْفٍ بِأَسِيرِكَ» .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَائِذُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو الْحُوَيْرِثِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ أُكَيْمَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُنَا يَوْمَ بَدْرٍ، وَقَدْ وَقَعَ بِوَادِي خَلْصٍ بِجَادٌ مِنَ السَّمَاءِ قَدْ سَدَّ الْأُفُقَ، فَإِذَا الْوَادِي يَسِيلُ نَمْلًا فَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّ هَذَا شَيْءٌ مِنَ السَّمَاءِ أُيِّدَ بِهِ مُحَمَّدٌ، فَمَا كَانَتْ إِلَّا الْهَزِيمَةُ، وَهِيَ الْمَلَائِكَةُ.
وَقَالَ إِسْحَاقُ ابْنُ رَاهْوَيْهِ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ: رَأَيْتُ قَبْلَ هَزِيمَةِ
পৃষ্ঠা - ২৪০৮
الْقَوْمِ، وَالنَّاسُ يَقْتَتِلُونَ، مِثْلَ الْبِجَادِ الْأَسْوَدِ قَدْ نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مِثْلَ النَّمْلِ الْأَسْوَدِ، فَلَمْ أَشُكَّ أَنَّهَا الْمَلَائِكَةُ، فَلَمْ يَكُنْ إِلَّا هَزِيمَةُ الْقَوْمِ.
وَلَمَّا تَنَزَّلَتِ الْمَلَائِكَةُ لِلنَّصْرِ، وَرَآهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَغْفَى إِغْفَاءَةً ثُمَّ اسْتَيْقَظَ، وَبَشَّرَ بِذَلِكَ أَبَا بَكْرٍ وَقَالَ: أَبْشِرْ يَا أَبَا بَكْرٍ، هَذَا جِبْرِيلُ يَقُودُ فَرَسَهُ، عَلَى ثَنَايَاهُ النَّقْعُ. يَعْنِي مِنَ الْمَعْرَكَةِ، ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعَرِيشِ فِي الدِّرْعِ، فَجَعَلَ يُحَرِّضُ عَلَى الْقِتَالِ، وَيُبَشِّرُ النَّاسَ بِالْجَنَّةِ، وَيُشَجِّعُهُمْ بِنُزُولِ الْمَلَائِكَةِ، وَالنَّاسُ بَعْدُ عَلَى مَصَافِّهِمْ لَمْ يَحْمِلُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ، حَصَلَ لَهُمُ السَّكِينَةُ وَالطُّمَأْنِينَةُ، وَقَدْ حَصَلَ النُّعَاسُ الَّذِي هُوَ دَلِيلٌ عَلَى الطُّمَأْنِينَةِ وَالثَّبَاتِ وَالْإِيمَانِ، كَمَا قَالَ إِذْ يَغْشَاكُمُ النُّعَاسُ أَمَنَةً مِنْهُ [الْأَنْفَالِ: 11]
وَهَذَا كَمَا حَصَلَ لَهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ يَوْمَ أُحُدٍ بِنَصِّ الْقُرْآنِ، وَلِهَذَا قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: النُّعَاسُ فِي الْمَصَافِّ مِنَ الْإِيمَانِ، وَالنُّعَاسُ فِي الصَّلَاةِ مِنَ النِّفَاقِ. وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِنْ تَسْتَفْتِحُوا فَقَدْ جَاءَكُمُ الْفَتْحُ وَإِنْ تَنْتَهُوا فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَإِنْ تَعُودُوا نَعُدْ وَلَنْ تُغْنِيَ عَنْكُمْ فِئَتُكُمْ شَيْئًا وَلَوْ كَثُرَتْ وَأَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ} [الأنفال: 19]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ،
পৃষ্ঠা - ২৪০৯
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, কুরায়শদের পরাজয়ের পুর্বে দেখলাম, লোকজন যুদ্ধে লিপ্ত ৷ এমন
সময় আকাশ থেকে কাল পিপড়ার মত যেন এবল্টা কাল চাদর নেমে আসছে ৷ এ যে
ফেরেশতাদের আগমন তাতে আমার কোন সন্দেহ রইল না ৷ ফলে কুরায়শদের পরাজয় বরণ
করা ছাড়া গতম্ভেব ছিল না ৷ ফেরেশতাগণ সাহায্য করার জন্যে যখন অবতরণ করেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামান্য তন্দ্রার পর তাদেরকে দেখেন, তখন আবু বকরকে সুসৎ বাদ দিয়ে
বলেন, আবু বকর ! সুসৎ বাদ গ্রহণ করা এই ৫৩ ড়া জিবরা ঈল তার ঘোড়া টেনে নিয়ে আসছেন ৷
যুদ্ধের কারণে ধুলাবালি তার দাতে লেগে আছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বর্ম পরে ছাপরা থেকে
বেরিয়ে আসেন এবং মু’মিনদেরকে যুদ্ধের জন্যে উদ্বুদ্ধ করেন, জান্নাতের সুসৎবাদ দেন এবং
ফেরেশতাগণের আগমনের সংবাদ শুনিয়ে তাদেরকে সাহস যোগান ৷ মুসলিম বাহিনী তখন
সারিবদ্ধভা ড়াবে দাড়িয়ে আছে ৷ এখনও শত্রুদের উপর হামলা করেনি ৷৩ তাদের অম্ভরে প্রশান্তিও
পরি৩ ট্রুপ্তি নেমে আসে ৷৩ তারা ঐ অবস্থায় কিছুটা তন্দ্রচ্ছেন্ন হন ৷ এ তন্দ্রাই ছিল তাদের প্রশান্তি,
দৃঢ়তা ও ঈমানের লক্ষণ ৷ আল্লাহর বাণী০
“স্মরণ কর, তিনি তার পক্ষ হতে স্বস্তির জন্যে ৫তামাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করেন ৷” (৮ :
১১) ৷ কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্য থেকে জানা যায়, উহুদ যুদ্ধেও তন্দ্র৷ আসার পর মুসলমা নদের
এরুপ প্ৰশান্তি লাভ হয়েছিল ৷ এ কারণে ইবন মাসউদ বলেছেন, যুদ্ধের ময়দানে সারিবদ্ধ
সৈন্যদের তন্দ্র৷ ঈমানের লক্ষণ আর সালাতের মধ্যে তভ্রা মুনাফির্কীর লক্ষণ ৷
মহান আল্লাহর বাণী :
০# , # : #
মোঃষ্ এষ্
ট্রু,পু ;দ্বু,ৰুট্রু৷ ৷ গ্লুপ্রু এ ৷ ৷ ,
“৫৩ আেরা বিজয় ৫চয়েছিলে, তা তো তোমাদের নিকট এসেছে; যদি তোমরা বিরত হও,
তবে তা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর, যদি তোমরা পুনরায় কর, তবে আমিও পুনরায় শাস্তি
দেবাে এবং তোমাদের দল সংখ্যায় অধিক হলেও তোমাদের কোন কাজে আসবে না, এবং
আল্লাহ মু’মিনদের সাথে রয়েছেন” (৮ : ১৯) ৷
ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ ইবন ছা’লাবা থেকে বর্ণনা করেন, বদরে দৃ’-পক্ষ মুখোমুখি
হলে আবু জাহ্ল এ ভাবে প্রার্থনা করেছিল, ৫হ আল্লাহ ! এরা আমাদের রক্তসম্পর্ক ছিন্ন করেছে,
এমন সব বিষয়ের প্ৰতি আহ্বান জানাচ্ছে, যা আমাদের বোধগম্য নয় ৷ সুতরাং এই সকালে
আপনি ওদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিন ৷ এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে আবু জাহ্লই ছিল সাহায্য
প্রার্থনাকারী ৷ ১ ইবন ইসহাক তার সীরাত প্রন্থে এবং নাসাঈ সালিহ ইবন কায়সান সুত্রে যুহরী
১ আয়াতে উল্লিখিত “তোমরা যদি মীমাংসা বা সাহায্য কামনা কর” এখানে তোমরা বলতে কাদের বুঝান
হয়েছে৷ এ বিষয়ে ৩টি মত আছে ৷ যথাঃ ( ১ ) কাফির : কেননা, আবু জাহ্ল র্মীমাংসার জন্যে আল্লাহর
حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ، أَنَّ أَبَا جَهْلٍ قَالَ حِينَ الْتَقَى الْقَوْمُ: اللَّهُمَّ أَقْطَعُنَا لِلرَّحِمِ، وَآتَانَا بِمَا لَا نَعْرِفُ، فَأَحِنْهُ الْغَدَاةَ. فَكَانَ هُوَ الْمُسْتَفْتِحَ. وَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي السِّيرَةِ، وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، مِنْ طَرِيقِ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَرَوَاهُ الْحَاكِمُ، مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ أَيْضًا، ثُمَّ قَالَ: صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ.
وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ، عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ مُطَرِّفٍ، فِي قَوْلِهِ {إِنْ تَسْتَفْتِحُوا فَقَدْ جَاءَكُمُ الْفَتْحُ} [الأنفال: 19] قَالَ: قَالَ أَبُو جَهْلٍ: اللَّهُمَّ انْصُرْ أَعَزَّ الْفِئَتَيْنِ، وَأَكْرَمَ الْقَبِيلَتَيْنِ، وَأَكْثَرَ الْفَرِيقَيْنِ. فَنَزَلَتْ {إِنْ تَسْتَفْتِحُوا فَقَدْ جَاءَكُمُ الْفَتْحُ} [الأنفال: 19]
وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ} [الأنفال: 7] قَالَ: أَقْبَلَتْ عِيرُ أَهْلِ مَكَّةَ تُرِيدُ الشَّامَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ، فَخَرَجُوا وَمَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُونَ الْعِيرَ،
পৃষ্ঠা - ২৪১০
থেকে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ হাকিম ইমাম যুহ্রী থেকে পেয়ে বলেছেন, বুখারী-মুসলিমের শর্ত
অনুযায়ী সহীহ্ ৷ কিভু বুখারী-মুসলিমে এ বর্ণনা নেই ৷
উমাবী বলেন : অড়াসবাত ইবন মুহাম্মদ কুরাশী আতিয়্যা সুত্রে মুতাররাফ থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, “তোমরা যদি মীমাংসা চাও, তবে মীমাংসা তো তোমাদের নিকট এসে গেছে এ
আয়াতটি তখন নাযিল হয় যখন আবু জাহ্ল এই বলে প্রার্থাং৷ করে , হে আল্লাহ! দুই দলের
মধ্যে যে দল শক্তিশালী, দুই গোত্রের মধ্যে যে গোত্র অধিক সম্মানিত এবং দুই পক্ষের মধ্যে যে
পক্ষ সংখ্যায় বেশী তাদের প্রতি আপনি সাহায্য করুন ! আলী ইবন আবু তালহ৷ বলেনশু “স্মরণ
কর, আল্লাহ্ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দেন যে, দুই দলের একদল তোমাদের আয়ত্তাধীন হব (৮ :
৭)
এ আয়াত প্রসংগে ইবন আব্বাস (রা) বলেন : মক্কার বাণিজ্য কাফেলা সিরিয়া থেকে ফিরে
আসছে এ সংবাদ পেয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নেতৃত্বে মদীনাবাসিগণ কাফেলাকে ধরার জন্যে
বেরিয়ে আসেন ৷ এ খবর তাৎক্ষণিক ভাবে মক্কা পৌছে যায় ! মবন্-কাবাসীরা দ্রুত কাফেলার
দিকে এগিয়ে আসে, যাতে নবী করীম (মা) ও তার সাথীগণ কাফেলাকে কাবু করতে না পারে ৷
কিন্তু কাফেলা পুর্বেই ঐ পথ অতিক্রম করে চলে যায় ৷ এ দিকে আল্লাহ দুই দলের এক দলকে
মুসলমানদের আয়ত্তাধীন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ মুসলমানদের কাম ছিল যে,
বাণিজ্য কাফেলা তাদের করায়ও হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা থেকে আগত সশস্ত্র বাহিনীকে
মুকাবিলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ কিন্তু মুসলিম বাহিনী মক্কাবাসীদের বিপুল রণশক্তির কারণে
তাদের মুকাবিলায় যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন ৷ অবশেষে নবী কবীম ( সা ) ও মুসলমানগণ বদরে
অবতরণ করেন ৷ বদরের পানির কুয়াে ও মুসলিম শিবিরের মাঝখানের জায়গাটি ছিল
বালুকারাশিতে পুর্ণ ৷ দীর্ঘ সফরে মুসলমানরা ক্লাম্ভ-শ্রাম্ভ হয়ে পড়েন ৷ শয়তান তাদেরকে
প্ররােচনা দেয়ার চেষ্টা করে ৷ সে কুমন্ত্রণ৷ দিয়ে বলে, মনে করেছ যে , তোমরা আল্লাহর বন্ধু এবং
আল্লাহ্র রাসুল তোমাদের মধ্যে আছেন ৷ অথচ পানির উপরে মুশরিকরা তাদের কর্তৃতু প্রতিষ্ঠা
করেছে ৷ এ দিকে অমুক অমুক অসুবিধার দরুন পানির প্রয়োজন (তামাদের অত্যধিক ৷১ এরপর
আল্লাহর হুকুমে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় ৷ মুসলমানগণ সে পানি পান করেন ও পবিত্রতা অর্জন
নিকট প্রার্থনা করেছিল ৷ এ ছাড়া নযর ইবন হারিছ বলেছিল, হে আল্লাহ্৷ মুহাম্মদের ধর্ম যদি সত্য হয় ,
তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষণ করুন ৷ ফলে ঐ দিন যে নিহত হয় ৷ কাযী ইয়ায বলেন ,
ফাতাহ্’ অর্থ যদি সিদ্ধান্ত বা মীমাংসা হয় , তবে এখানে কাফিরদেরকেই বুঝানো হয়েছে ৷ (২) মুমিন :
অর্থাৎ তোমরা যদি সাহায্য চাও , তবে তোমাদের নিকট সাহায্য তো এসেছে এবং আল্লাহ তোমাদের বিজয়
দিয়েছেন ৷ কালী ইয়ায়ের মতে এটাই উত্তম ৷ কেননা “সাহায্য তো তোমাদের নিকট পৌছে গেছে” এ
কথাটা মুমিনদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য (৩) প্রথম সম্বোর্ধন মু’মিনদেরকে এবং পরে কাফিরদের ৷ কেননা
আয়াতে বলা হয়েছে তোমরা যদি পুনরাবৃত্তি কর তবে আমিও পুনরাবৃত্তি ঘটাব ৷ এর অর্থ হলো
তোমরা যদি মুসলমানদের উপর বাড়াবাড়ি কর তবে আমি বদরের ন্যায় পুনরাবৃত্তি করবো ৷ কুশায়রীৰু
হাসান বসরী মুজাহিদ এবং সৃদ্দী বলেছেন কাফিরদের প্রতি সম্বোধন করার মতঢিই বিশুদ্ধ ৷ ৰু (তাফসীরে
রাযী )
১ কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে মুসলমানদের মধ্যে কারো কারো ফরয গোসলের প্রয়োজন দেখা দিয়াছিল ৷
فَبَلَغَ ذَلِكَ أَهْلَ مَكَّةَ، فَأَسْرَعُوا السَّيْرَ إِلَيْهَا، لِكَيْلَا يَغْلِبَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، فَسَبَقَتِ الْعِيرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ اللَّهُ قَدْ وَعَدَهُمْ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، وَكَانُوا يُحِبُّونَ أَنْ يَلْقَوُا الْعِيرَ، وَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُسْلِمِينَ يُرِيدُ الْقَوْمَ، وَكَرِهَ الْقَوْمُ مَسِيرَهُمْ لِشَوْكَةِ الْقَوْمِ، فَنَزَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ، وَبَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمَاءِ رَمْلَةٌ دِعْصَةٌ، فَأَصَابَ الْمُسْلِمِينَ ضَعْفٌ شَدِيدٌ، وَأَلْقَى الشَّيْطَانُ فِي قُلُوبِهِمُ الْقَنَطَ، يُوَسْوِسُهُمْ: تَزْعُمُونَ أَنَّكُمْ أَوْلِيَاءُ اللَّهِ وَفِيكُمْ رَسُولُهُ وَقَدْ غَلَبَكُمُ الْمُشْرِكُونَ عَلَى الْمَاءِ، وَأَنْتُمْ كَذَا؟! فَأَمْطَرَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَطَرًا شَدِيدًا، فَشَرِبَ الْمُسْلِمُونَ وَتَطَهَّرُوا، فَأَذْهَبَ اللَّهُ عَنْهُمْ رِجْزَ الشَّيْطَانِ، فَصَارَ الرَّمْلُ لَبْدًا، وَمَشَى النَّاسُ عَلَيْهِ وَالدَّوَابُّ، فَسَارُوا إِلَى الْقَوْمِ، وَأَيَّدَ اللَّهُ نَبِيَّهُ وَالْمُؤْمِنِينَ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَكَانَ جِبْرِيلُ فِي خَمْسِمِائَةٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُجَنِّبَةً، وَمِيكَائِيلُ فِي خَمْسِمِائَةٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُجَنِّبَةً، وَجَاءَ إِبْلِيسُ فِي جُنْدِ الشَّيَاطِينِ وَمَعَهُ رَايَتُهُ، وَهُمْ فِي صُورَةِ رِجَالٍ مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ، وَالشَّيْطَانُ فِي صُورَةِ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، وَقَالَ الشَّيْطَانُ لِلْمُشْرِكِينَ: {لَا غَالِبَ لَكُمُ الْيَوْمَ مِنَ النَّاسِ وَإِنِّي جَارٌ لَكُمْ} [الأنفال: 48] فَلَمَّا اصْطَفَّ النَّاسُ قَالَ
পৃষ্ঠা - ২৪১১
أَبُو جَهْلٍ: اللَّهُمَّ أَوْلَانَا بِالْحَقِّ فَانْصُرْهُ. وَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ فَقَالَ: يَا رَبِّ، إِنْ تَهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةُ فَلَنْ تُعْبَدَ فِي الْأَرْضِ أَبَدًا. فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: خُذْ قَبْضَةً مِنَ التُّرَابِ. فَأَخَذَ قَبْضَةً مِنَ التُّرَابِ فَرَمَى بِهَا وُجُوهَهُمْ، فَمَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَأَصَابَ عَيْنَيْهِ وَمَنْخَرَيْهِ وَفَمَهُ تُرَابٌ مِنْ تِلْكَ الْقَبْضَةِ، فَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ، وَأَقْبَلَ جِبْرِيلُ إِلَى إِبْلِيسَ، فَلَمَّا رَآهُ وَكَانَتْ يَدُهُ فِي يَدِ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، انْتَزَعَ إِبْلِيسُ يَدَهُ ثُمَّ وَلَّى مُدْبِرًا وَشِيعَتُهُ، فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا سُرَاقَةُ، أَمَا زَعَمْتَ أَنَّكَ لَنَا جَارٌ؟ قَالَ: {إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ وَاللَّهُ شَدِيدُ الْعِقَابِ} [الأنفال: 48] وَذَلِكَ حِينَ رَأَى الْمَلَائِكَةَ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّلَائِلِ.
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا مَسْعَدَةُ بْنُ سَعْدٍ الْعَطَّارِ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ ثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ قَيْسٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ قَالَ: لَمَّا رَأَى إِبْلِيسُ مَا تَفْعَلُ الْمَلَائِكَةُ بِالْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ، أَشْفَقَ أَنْ يَخْلُصَ الْقَتْلُ إِلَيْهِ، فَتَشَبَّثَ بِهِ الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ، فَوَكَزَ فِي صَدْرِ الْحَارِثِ فَأَلْقَاهُ، ثُمَّ خَرَجَ هَارِبًا حَتَّى أَلْقَى نَفْسَهُ فِي الْبَحْرِ، وَرَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ نَظِرَتَكَ إِيَّايَ. وَخَافَ أَنْ يَخْلُصَ الْقَتْلُ إِلَيْهِ. وَأَقْبَلَ أَبُو جَهْلٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ
পৃষ্ঠা - ২৪১২
করেন ৷ ফলে শয়তানের কুমন্ত্রণার প্রভাব র্তাদের অন্তর থেকে দুরীভুত ৩হয় ৷ বালু বৃষ্টির পানিতে
সিক্ত হয়ে জমে শক্ত হয়ে যায় ৷ মানুষ ও বাহনগুলাে সহজেই তার উপর দিয়ে চলাচল করতে
পারছিল ৷ এরপর মুসলিম বাহিনী ঘৃশবিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ৷ আল্লাহ্৩ তার নবী
ও মুসলমানগণকে এক হাযার ফেরেশত৷ দ্বারা সাহায্য করেন ৷ জিবরাঈল পাচশ’ ৫ফরেশতা
নিয়ে ডান পাশ্বে এবং মীকাঈল পাচশ’ ফেরেশত৷ নিয়ে বাম পার্থে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷
অপরদিকে ইবলীস একদল শয়তান ও তার চেলা-চামুণ্ডা নিয়ে হাযির হয় ৷ তারা মুদলাজ
গোত্রের পুরুষদের আকৃতি নিয়ে আসে এবং মুল শয়তান আসে সুরত্ত্বকা ইবন মালিক ইবন
জু’-শাম এর রুপ ধারণ করে ৷ শয়তান মুশবিকদের বললো, তামাদের উপর আজ কেউ বিজয়ী
হতে পারবে না আমি৫ তামাদের সাথে আছি ৷৩ তারপর উভয় পক্ষ যখন যুদ্ধের জন্যে সারিবদ্ধ
হয়, তখন আবু জাহ্ল এই দুঅ৷ করে , হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যে দল সত্যের উপর
আছে, সে দলকে সাহায্য করুন ৷ এ দিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃ’হাত উঠিয়ে দৃঅ৷ করেন “হে
প্রতিপা ৷লক ৷ আপনি যদি এ দলটিকে ধ্বংস করেন তবে পৃথিবীতে আপনার ইবাদত করার মত
আর কেউ থাকবে না ৷ ” এ সময় জিবরাঈল তাকে বলেন এক র্মুঠো ধুলে৷ হাতে নিন ৷
রাসুলুল্লাহ্ এক মৃঠো ধুলে৷ হাতে নিয়ে শ ৷ত্রুদের দিকে নিক্ষেপ করেন ৷ দেখা গেল মুশবিকদের
মধ্যে এমন একজন লোকও ছিল না যার চোখে, নাকে ও মুখে ঐ নিক্ষিপ্ত ধুলে৷ পৌছেনি ৷ ফলে
মুশরিকরা পরাজিত হয়ে পলায়ন করে ৷ ফেরেশ৩ ৷ জিবরাঈল ইবলীসের দিকে অগ্রসর হন ৷
তখন ইবলীসের হাত ছিল জনৈক ঘুশবিকের ঘুঠোর মধ্যে ৷ সে জিবরাঈলকে দেখে হা৩ থানি
ছুটিয়ে নিয়ে তাকে বিদায় জা ৷নিয়ে পলায়ন করে ৷ মুশবিক ল্যেকটি বললো, “হে সুরাক৷ তুমি
কি বলোনি যে , তুমি আমাদের সাথে থাকবে ? ইবলীস জবা ৰ দিল : “তোমরা যা দেখতে পাও
না, আমি তা দেখতে পাচ্ছি ৷ আমি আল্লাহ্কে ভয় করি , আরআল্লাহ্ শাস্তি দানে কঠোর” (৮ :
৪৮ ) ৷
ফেরেশতাকে দেখতে পােয়ই যে এ কথাটি বলেছিল ৷ বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে এ টি
বর্ণনা করেছেন ৷
তাবারানী বলেন৪ মুসআদ৷ ইবন সাআদ আল আত্তার বিফাআ৩ তা ইবন রাফি থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইবলীস যখন যুশবিকদের বিরুদ্ধে (ফরেশত ৷দের কঠোর ভুমিকা প্রত্যক্ষ
করে, তখন আশংকা করে যে, সেও ধরা পড়ে যাবে ৷ হারিছ ইবন হিশাম ইবলীসকে সুরাকা
ইবন মালিক মনে করে জড়িয়ে ধরে ৷ তখন ইবলীস হাবিছের বুকে এক ঘুষি মেরে দৌড়ে
পালিয়ে যায় ৷ সে সমুদ্রে বাপিয়ে পড়ে এবং দৃহাত উঠিয়ে প্রা৭নাি করে “হে আল্লাহ ! আপনি
আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত বেচে থাকার যে অবকাশ দিয়েছিলেন, যে অবকাশ আমি প্রার্থনা
করছি ৷ সে ভয় পাচ্ছিল যে, তাকে হত্যা না করা হয় ৷ তখন আবু জাহ্ল সবাইকে সম্বোধন করে
বললাে , হে কুরায়শ বাহিনী সরাকা ইবন মালিকের কাপুরুষতা যেন তােমাদেরকে বিভ্রান্ত না
করে ৷ কেননা, সে ছিল মুহাম্মদের একজন গোয়েন্দা ৷ আর শায়ব৷ , উতবা ও ওয়ালীদের নিহত
হওয়ায় যেন তোমাদের মধ্যে দৃর্বলতা না আসে ৷ কেননা, তারা খুব তাড়াহুড়৷ করে ফোলছিল ৷
লাভ ও উয্যার কসম যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ওদেরকে বিচ্ছিন্ন করে পাহাড়ে পর্বতে ছড়িয়ে
النَّاسِ، لَا يَهُولَنَّكُمْ خِذْلَانُ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكٍ، فَإِنَّهُ كَانَ عَلَى مِيعَادٍ مِنْ مُحَمَّدٍ، وَلَا يَهُولَنَّكُمْ قَتْلُ شَيْبَةَ وَعُتْبَةَ وَالْوَلِيدِ، فَإِنَّهُمْ قَدْ عَجَّلُوا، فَوَاللَّاتِ وَالْعُزَّى لَا نَرْجِعُ حَتَّى نُفَرِّقَهُمْ بِالْحِبَالِ، فَلَا أُلْفِيَنَّ رَجُلًا مِنْكُمْ قَتَلَ رَجُلًا، وَلَكِنْ خُذُوهُمْ أَخْذًا حَتَّى تُعَرِّفُوهُمْ سُوءَ صَنِيعِهِمْ، مِنْ مُفَارَقَتِهِمْ إِيَّاكُمْ، وَرَغْبَتِهِمْ عَنِ اللَّاتِ وَالْعُزَّى. ثُمَّ قَالَ أَبُو جَهْلٍ مُتَمَثِّلًا:
مَا تَنْقِمُ الْحَرْبُ الشَّمُوسُ مِنِّي ... بَازِلُ عَامَيْنِ حَدِيثٌ سِنِّي
لِمِثْلِ هَذَا وَلَدَتْنِي أُمِّي
وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيِّ، عَنْ عَمِّهِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِي حَثْمَةَ، سَمِعْتُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ يَسْأَلُ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ عَنْ يَوْمِ بَدْرٍ، فَجَعَلَ الشَّيْخُ يَكْرَهُ ذَلِكَ، فَأَلَحَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ حَكِيمٌ: الْتَقَيْنَا فَاقْتَتَلْنَا، فَسَمِعْتُ صَوْتًا وَقَعَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ، مِثْلَ وَقْعَةِ الْحَصَاةِ فِي الطَّسْتِ، وَقَبَضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَبْضَةَ التُّرَابَ، فَرَمَى بِهَا فَانْهَزَمْنَا.
পৃষ্ঠা - ২৪১৩
পড়তে বাধ্য না করতে পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ফিরে যাবো না ৷ তোমরা কোন শত্রুকে
ধরেই হত্যা করে ফেলো না, বরং তাদেরকে শক্তভাবে পাকড়াও করবে ৷ তারপর আমাদের রক্ত
সম্পর্ক নষ্ট করা ও লাত-উয্যা থেকে বিমুখ হওয়ার অপরাধের স্বীকৃতি আদায় করে পরে
ওদেরকে হত্যা করার ৷ এসময় আবু জাহ্ল নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করে :
অর্থ : “প্রচণ্ড গ্রীষ্মে সংঘটিত যুদ্ধও আমার থেকে বদলা নিতে সক্ষম হয় না ৷ কেননা, আমি
দু’বছর বয়সের জওয়ান উটের ন্যায় শক্তিশালী ৷ এ জাতীয় দু৪সড়াহসী কাজের জন্যেই আমার যা
আমাকে প্রসব করেছে ৷ ”
ওয়ড়াকিদী বলেন : মারওয়ান ইবন হাকাম একদা হাকীম ইবন হিযামকে বদর যুদ্ধের ঘটনা
বর্ণনা করতে অনুরোধ জানায় ৷ বৃদ্ধ হড়াকীম এতে অনীহা প্রকাশ করেন ৷ বারবার অনুরোধ
জানালে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন : আমরা উভয় পক্ষ পরস্পর মুখোমুখি হই এবং যুদ্ধে
জড়িয়ে পড়ি ৷ হঠাৎ একটা আওয়াজ শুনতে পাই ৷ যেন আকাশ থেকে পৃথিবীতে কিছু একটা
পড়েছে ৷ তামার পাত্রে পাথরের টুকরা পড়লে যেরুপ আওয়াজ হয়, ঐ আওয়াজটি ছিল
অনেকটা সে রকম ৷ এরপর নবী করীম (সা) এক মুঠো ধুলো হাতে নিয়ে আমাদের প্রতি
নিক্ষেপ করেন ৷ ফলে আমাদের গোচনীয় পরাজয় ঘটে ৷ ওয়াকিদী আবু ইসহাক সুত্রে
আবদুল্লাহ ইবন ছা’লাবা ইবন সুঅড়ায়র থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি নাওফিল ইবন
মুআবিয়া দায়লীকে বলতে শুনেছি বদর যুদ্ধে আমরা পরাজিত হই ৷ সে দিন আমাদের সম্মুখে
ও পশ্চাতে একটা শব্দ শুনি ৷ শব্দটি ছিল তামার পাত্রে কংকর পড়ার শব্দের মত ৷ এতে আমরা
অত্যন্ত ভীত-সস্ত্রস্ত হয়ে পড়ি ৷
উমাবী বলেন : আবদুল্লাহ্ ইবন ছা’লাবা ইবন সুআয়র থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বদরে
দু’দলের যুদ্ধ চলাকালে আবু জাহ্ল এই প্রার্থনা করে : “হে আল্লাহ্ ! যে আমাদের রক্ত-সম্পর্ক
ছিন্ন করেছে, এমন সংবাদ নিয়ে এসেছে যার সাথে আমরা পরিচিত নই, সুতরাং এই সকালে
আপনি তাকে পরাভুত করে দিন ৷” এভাবে আবু জাহ্লই আল্লাহ্র সাহায্য কামনা করে ৷ এ
রকম অবস্থা তখন বিরাজ করছিল ৷ এদিকে দুশমনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে আল্লাহ
মুসলমানদের অম্ভরে সাহস সঞ্চার করে দিয়েছিলেন ৷ মুশরিকদের সংখ্যা মুসলমানদের চোখে
কম করে দেখাচ্ছিলেন ৷ ফলে যুদ্ধের জন্যে তারা উৎসাহবােধ করতে থাকে ৷ অপর দিকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছাপরার মধ্যে সামান্য তন্দ্রচ্ছেন্ন হওয়ার পর জাগ্রত হয়ে বললেন, আবু বকর!
সুসংবাদ গ্রহণ কর, এই তো জিবরাঈল পাগড়ী মাথায় ঘোড়ার লাপাম ধরে টেনে নিয়ে
আসছেন ৷ ঘোড়ার মুখে ধুলাবালি লেগে আছে ৷ আল্লাহ্র প্রতিশ্রুত সেই সাহায্য পৌছে গেছে ৷
এরপর জিবরাঈলের কথামত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক মুঠো কংকর হাতে নেন এবং ছাপরা থেকে
বেরিয়ে শত্রুদের সামনে যান ৷ তারপর শুষ্ প্রুপু ৷ ঞা ; ( ওদের চেহারা বিকৃত হোক) বলে
শত্রুদের দিকে নিক্ষেপ করেন ৷ তিনি সাহাবাগণকে বললেন, এবার তোমরা আক্রমণ কর ৷
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، سَمِعْتُ نَوْفَلَ بْنَ مُعَاوِيَةَ الدِّيلِيَّ يَقُولُ: انْهَزَمْنَا يَوْمَ بَدْرٍ وَنَحْنُ نَسْمَعُ صَوْتًا كَوَقْعِ الْحَصَى فِي الطِّسَاسِ، فِي أَفْئِدَتِنَا وَمِنْ خَلْفِنَا، وَكَانَ ذَلِكَ مِنْ أَشَدِّ الرُّعْبِ عَلَيْنَا.
وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا أَبِي، ثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، أَنَّ أَبَا جَهْلٍ حِينَ الْتَقَى الْقَوْمُ قَالَ: اللَّهُمَّ أَقَطَعُنَا لِلرَّحِمِ، وَآتَانَا بِمَا لَا نَعْرِفُ، فَأَحِنْهُ الْغَدَاةَ. فَكَانَ هُوَ الْمُسْتَفْتِحَ. فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ، وَقَدْ شَجَّعَ اللَّهُ الْمُسْلِمِينَ عَلَى لِقَاءِ عَدُوِّهِمْ، وَقَلَّلَهُمْ فِي أَعْيُنِهِمْ حَتَّى طَمِعُوا فِيهِمْ، خَفَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَفْقَةً فِي الْعَرِيشِ، ثُمَّ انْتَبَهَ فَقَالَ: أَبْشِرْ يَا أَبَا بَكْرٍ، هَذَا جِبْرِيلُ مُعْتَجِرٌ بِعِمَامَتِهِ، آخِذٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ يَقُودُهُ، عَلَى ثَنَايَاهُ النَّقْعُ، أَتَاكَ نَصْرُ اللَّهِ وَعِدَتُهُ. وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَ كَفًّا مِنَ الْحَصَى بِيَدِهِ، ثُمَّ خَرَجَ فَاسْتَقْبَلَ الْقَوْمَ فَقَالَ: " شَاهَتِ الْوُجُوهُ " ثُمَّ نَفَحَهُمْ بِهَا، ثُمَّ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: احْمِلُوا فَلَمْ تَكُنْ إِلَّا الْهَزِيمَةُ، فَقَتَلَ اللَّهُ مَنْ قَتَلَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৪১৪
صَنَادِيدِهِمْ، وَأَسَرَ مَنْ أَسَرَ مِنْهُمْ.
وَقَالَ زِيَادٌ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ حَفْنَةً مِنَ الْحَصْبَاءِ، فَاسْتَقْبَلَ بِهَا قُرَيْشًا ثُمَّ قَالَ: شَاهَتِ الْوُجُوهُ. ثُمَّ نَفَحَهُمْ بِهَا، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ: شُدُّوا. فَكَانَتِ الْهَزِيمَةُ فَقَتَلَ اللَّهُ مَنْ قَتَلَ مِنْ صَنَادِيدِ قُرَيْشٍ، وَأَسَرَ مَنْ أَسَرَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ.
وَقَالَ السُّدِّيُّ الْكَبِيرُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيِّ يَوْمَ بَدْرٍ: أَعْطِنِي حَصًى مِنَ الْأَرْضِ. فَنَاوَلَهُ حَصًى عَلَيْهِ تُرَابٌ، فَرَمَى بِهِ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ، فَلَمْ يَبْقَ مُشْرِكٌ إِلَّا دَخَلَ فِي عَيْنَيْهِ مِنْ ذَلِكَ التُّرَابِ شَيْءٌ، ثُمَّ رَدِفَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يَقْتُلُونَهُمْ وَيَأْسِرُونَهُمْ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي ذَلِكَ: {فَلَمْ تَقْتُلُوهُمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ قَتَلَهُمْ وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ رَمَى} [الأنفال: 17] وَهَكَذَا قَالَ عُرْوَةُ، وَعِكْرِمَةُ، وَمُجَاهِدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ، وَقَتَادَةُ، وَابْنُ زَيْدٍ، وَغَيْرُهُمْ، أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ يَوْمَ بَدْرٍ. وَقَدْ فَعَلَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِثْلَ ذَلِكَ فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ، كَمَا سَيَأْتِي فِي مَوْضِعِهِ، إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ.
وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا حَرَّضَ أَصْحَابَهُ عَلَى الْقِتَالِ، وَرَمَى الْمُشْرِكِينَ بِمَا رَمَاهُمْ بِهِ مِنَ التُّرَابِ، وَهَزَمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى، صَعِدَ إِلَى الْعَرِيشِ أَيْضًا وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَوَقَفَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْأَنْصَارِ عَلَى بَابِ
পৃষ্ঠা - ২৪১৫
ওদের পরাজয় সুনিশ্চিত ৷ অবশেষে আল্লাহর ফায়সালা অনুযায়ী মুশরিকদের অনেক নেতা যুদ্ধে
নিহত হয় এবং অনেকে বন্দী হয় ৷ এ ঘটনা সম্পর্কে ইবন ইসহাক থেকে যিয়াদের বর্ণনা
নিম্নরুপ ও
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক মুঠো কংকর হতে নিয়ে কুরায়শ দলের সামনে আসেন এবং ঞাট্রুা
০ ড্রুহৃ ণ্ডু ৷ বলে তাদের দিকে ছুড়ে মারেন ৷ তারপর সাহাবাগণকে বলেন : আক্রমণ কর ৷ ফলে
কুরায়শরা পরাজিত হয় ৷ আল্লাহর হুকুমত কুরায়শদের অনেক নেতা নিহত হয় ও অনেক
সম্মানিত ব্যক্তি বন্দী হয় ৷ সুদ্দী আল-কাবীর বলেন : বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলীকে
বলেছিলেন, আমাকে কিছু কংকর এনে দাও, আলী কিছু কংকর এনে দেন ৷ কংকরগুলোতে
ধুলাবালি লেগেছিল ৷ তিনি সেগুলো শত্রুপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করে দেন ৷ দেখা গেল, এমন
কোন মুশরিক ছিল না, যার দৃই চোখে ঐ ধুলাবালি লাগেনি ৷ এরপর মুসলমানরা পিছনে ধাওয়া
করে তাদেরকে হত্যাও বন্দী করেন ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :
“তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, আল্পাহ্ই তাদেরকে হত্যা করেছেন এবং তুমি যখন ধুলো
নিক্ষেপ করেছিলে তখন তুমি নিক্ষেপ করনি এবং আল্লাহ্ই নিক্ষেপ করেছিলেন” (৮ : ১ ৭) ৷
উরওয়া, ইকরিমা, মুজাহিদ, মুহাম্মদ ইবন কাআব, মুহাম্মদ ইবন কায়স, কাতাদা ও ইবন
যায়দ প্রমুখ মনীষিগণ এ কথাই বলেছেন যে, এ আয়াত বদর যুদ্ধের ঐ প্রসংগেই নাযিল
হয়েছে ৷ তবে হুনায়ন যুদ্ধেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এই একই কৌশল অবলম্বন করেন ৷ যথাস্থানে
আমরা এ সম্পর্কে আলোচনা করবো ইন্শাআল্লাহ্ ৷
ইবন ইসহাক লিখেছেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন সড়াহাবাগণকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেন এবং
মুশরিকদেৱ প্রতি ধুলাে নিক্ষেপ করেন, যার পরিণতিতে তারা পরাজিত হয়, তখন তিনি পুনরায়
ছাপরায় প্রবেশ করেন ৷ আবু বকর এ সময় রাসুলুল্লাহ্র সংগে ছিলেন ৷ সাআদ ইবন মুআয ও
কয়েকজন আনসার সাহাবী ছাপরায় দরজার নিকট তলােয়ার হাতে পাহরােয় নিয়োজিত
ছিলেন ৷ যাতে মুশরিকরা ঘুরে এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উপর আক্রমণ করতে না পারে ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, কুরায়যা বাহিনী পরাজিত হওয়ার পর মুসলিম মুজাহিদগণ তাদের বন্দী করতে
থাকেন ৷ এ অবস্থা দেখে সাআদ ইবন মুআয়ের চেহারায় অসত্তুষ্টির ভাব ফুটে উঠে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) সাআদ-এর এ পরিবর্তন দেখে জিজ্ঞেস করেন, হে সাআদ! মনে হচ্ছে মুসলমানদের এ
কাজে তুমি সভুষ্ট নও ? সাআদ বললেন, হীড়া, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্! আল্পাহ্র কসম , আজ মুশরিকদের
শেষ করার পথম সুযোগ আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন ৷ তাই ওদের পুরুষদের বন্দী করে
জীবিত রাখার চেয়ে বেশী বেশী হত্যা করাই ছিল আমার কাছে পসন্দনীয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন
৪ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সা) তার সাহাবাগণকে এ দিন বলেছিলেন,
আমি জানি, বনু হাশিমসহ আরও কিছু লোককে কুরায়শর৷ জোরযবর দস্তি করে যুদ্ধে এসেছে ৷
আমাদের সাথে যুদ্ধ করার কোন প্রয়োজন তাদের ছিল না ৷ সুতরাং বনু হাশিমের কেউ
তোমাদের কারো সামনে পড়লে তাকে হত্যা করো না ৷ আবুল বুখতারী ইবন হিশাম ইবন
হারিছ ইবন আসাদকে সামনে পেলে তাকে হত্যা করো না ৷ রাসুলুল্লাহ্র চাচা আব্বাস ইবন
الْعَرِيشِ وَمَعَهُمُ السُّيُوفُ، خِيفَةَ أَنْ تَكُرَّ رَاجِعَةٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا وَضَعَ الْقَوْمُ أَيْدِيَهُمْ يَأْسِرُونَ، رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيمَا ذُكِرَ لِي، فِي وَجْهِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ الْكَرَاهِيَةَ لِمَا يَصْنَعُ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُ: كَأَنِّي بِكَ يَا سَعْدُ تَكْرَهُ مَا يَصْنَعُ الْقَوْمُ؟ قَالَ: أَجَلْ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَانَتْ أَوَّلَ وَقْعَةٍ أَوْقَعَهَا اللَّهُ بِأَهْلِ الشِّرْكِ فَكَانَ الْإِثْخَانُ فِي الْقَتْلِ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنَ اسْتِبْقَاءِ الرِّجَالِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ يَوْمَئِذٍ: إِنِّي قَدْ عَرَفْتُ أَنَّ رِجَالًا مِنْ بَنِي هَاشِمٍ وَغَيْرِهِمْ قَدْ أُخْرِجُوا كَرْهًا، لَا حَاجَةَ لَهُمْ بِقِتَالِنَا، فَمَنْ لَقِيَ مِنْكُمْ أَحَدًا مِنْ بَنِي هَاشِمٍ فَلَا يَقْتُلْهُ، وَمَنْ لَقِيَ أَبَا الْبَخْتَرِيِّ بْنَ هِشَامِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَسَدٍ فَلَا يَقْتُلْهُ، وَمَنْ لَقِيَ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا يَقْتُلْهُ، فَإِنَّهُ إِنَّمَا خَرَجَ مُسْتَكْرَهًا. فَقَالَ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ: أَنَقْتُلُ آبَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا وَإِخْوَانَنَا وَنَتْرُكُ الْعَبَّاسَ، وَاللَّهِ لَئِنْ لَقِيتُهُ لَأَلْحِمَنَّهُ بِالسَّيْفِ. فَبَلَغَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِعُمَرَ: يَا أَبَا حَفْصٍ - قَالَ عُمَرُ: وَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَوَّلُ يَوْمٍ كَنَّانِي فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَبِي حَفْصٍ - أَيُضْرَبُ
পৃষ্ঠা - ২৪১৬
وَجْهُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ بِالسَّيْفِ؟! فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، دَعْنِي فَلْأَضْرِبْ عُنُقَهُ بِالسَّيْفِ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ نَافَقَ. فَقَالَ أَبُو حُذَيْفَةَ: مَا أَنَا بِآمِنٍ مِنْ تِلْكَ الْكَلِمَةِ الَّتِي قُلْتُ يَوْمَئِذٍ، وَلَا أَزَالُ مِنْهَا خَائِفًا إِلَّا أَنْ تُكَفِّرَهَا عَنِّي الشَّهَادَةُ. فَقُتِلَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.