السنة الثانية من الهجرة
ما وقع فيها من الأحداث
كتاب المغازي
باب سرية عبد الله بن جحش
পৃষ্ঠা - ২৩২৩
ত্খ্যায় আমরা ছিলাম একশ’রও কম ৷ জুহায়নার পড়শী গোত্র বনু কিনানার উপর হামলা করার
জন্য রাসুল আমাদেরকে নির্দেশ দেন ৷ আমরা তাদের উপর হামলা চালালাম ৷ সংখ্যায় তারা
ছিল অনেক বেশী ৷ তইি আমরা জুহায়না গোত্রের নিকট আশ্রয় চাইলে তারা আশ্রয় দিতে
অস্বীকার করে ৷ তারা বলে, তোমরা কেন পবিত্র হারাম মাংস লড়াই করছ ? তখন আমরা একে
অপরকে বললাম, এখন কী করা যায় ৷ এ সময় আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বললো আমরা
নবী (না)-এর নিকট হাযির হয়ে তাকে বিষয়টা জানাই ৷ আবার কিছু লোক বললো না, বরং
আমরা এখানেই অবস্থান করবো ৷ আমার সঙ্গের লোকজনকে আমি বললাম, না, বরং আমরা
অগ্রসর হয়ে কুরায়শ কাফেলার উপর হামলা চালাই ৷ তখন গনীমতের বিধান ছিল এই যে, যে
যা সামনে পেতো সেটা তারই হবে ৷ একথা বলে আমরা চললাম, কাফেলা অভিমুখে আর
আমাদের অন্য সঙ্গীরা নবী করীম (সা) এর কাছে গিয়ে তাকে বিষয়টা অবহিত করলে তিনি
ক্রুদ্ধ হয়ে উঠে র্দাড়ান ৷ তার চেহারা মুবারক রক্তবর্ণ ধারণ করে ৷ তিনি বললেন : তোমরা
আমার কাছ থেকে গেলে তো দলবদ্ধ ভাবে আর ফিরে এলে বিচ্ছিন্ন ভাবে ৷ এই ৰিচ্ছিন্নতা
তোমাদের পুর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করেছে ৷ এখন আমি তোমাদের উপর এমন ব্যক্তিকে নেতা
নিযুক্ত করবো, যে তোমাদের মধ্যকার সবেত্তিম ব্যক্তি হবে না, তবে ক্ষুত্-পিপাসায় ধৈর্য
ধারণের ক্ষেত্রে যে হবে তোমাদের মধ্যকার সর্বাধিক ধৈর্যশীল ব্যক্তি ৷
এরপর তিনি আমাদের উপর আবদুল্লাহ্ ইবন জাহাশ আল-আসাদীকে নেতা নিয়োগ
করেন ৷ তিনি ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে প্রথম আমীর ৷ ইমাম বায়হাকী তার দালাইল’ গ্রন্থে
ইয়াহ্ইয়া ইবন আবুযায়েদা সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করে তাদের উক্তির পর যোগ করেন : তোমরা
কেন হারাম মাসে লড়াই করছ ? তারা বললাে, আমরা লড়াই করছি তাদের সঙ্গে, যারা
আমাদেরকে বালাদুল হারড়াম’ তথা পবিত্র নগরী থেকে বহিষ্কার করেছে ৷ এরপর সাআদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস থেকেও অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে ৷ তিনি সাআদ এবং যিয়াদের মধ্যস্থলে কুত্বা ইবন
মালিক নামে একজন রাবীর নামও উল্লেখ করেন আর এটাই অধিক সমীচীন ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷
এ হাদীসের দাবী অনুযায়ী প্রথম সারিয়া হলো আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ আল-আসাদীর
মারিয়া ৷ আর এটা ইবন ইসহাকের উক্তির বিপরীত ৷ ইবন ইসহাকের মতে সর্বপ্রথম পতাকা
বাধা হয় উবায়দা ইবন হারিছ ইবন মুত্তালিবের জন্য ৷ আর ওয়াকিদীর এক বর্ণনা মতে তার
ধারণা সর্বপ্রথম পতাকা বাধা হয় হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিবের জন্য ৷
আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ-এর মারিয়া
আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ-এর এই সারিয়া বড় বদর যুদ্ধের কারণ হয়ে দীড়িয়েছিল ৷ এই
বদরই হলো পার্থক্যের দিন, যেদিন দুই দল
পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল ৷ আর আল্লাহ তো সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷
ইবন ইসহাক বলেন ?, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবদুল্পাহ্ ইবন জাহাশ ইবন রিয়াব আল-
আসাদীকে বদর আল-উলা অর্থাৎ প্রথম বদর যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর রজব মাংস প্রেরণ
করেন ৷ আর তার সঙ্গে ৮ জন মুহাজিরকে প্রেরণ করেন, যাদের মধ্যে কোন আনসারী সাহাবী
[بَابُ سَرِيَّةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ]
ٍ الَّتِي كَانَتْ سَبَبًا لِغَزْوَةِ بَدْرٍ الْعُظْمَى، وَذَلِكَ يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ، وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ الْأَسَدِيَّ فِي رَجَبٍ مَقْفَلَهُ مِنْ بَدْرٍ الْأُولَى، وَبَعَثَ مَعَهُ ثَمَانِيَةَ رَهْطٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، لَيْسَ فِيهِمْ مِنَ الْأَنْصَارِ أَحَدٌ، وَهُمْ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ، وَعُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنِ بْنِ حُرْثَانَ، حَلِيفُ بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ حَلِيفُ بَنِي نَوْفَلٍ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ الزُّهْرِيُّ، وَعَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ الْوَائِلِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ، وَوَاقَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَرِينِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ التَّمِيمِيُّ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ أَيْضًا، وَخَالِدُ بْنُ الْبُكَيْرِ أَحَدُ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ، حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ، أَيْضًا وَسُهَيْلُ ابْنُ بَيْضَاءَ الْفِهْرِيُّ، فَهَؤُلَاءِ سَبْعَةٌ ثَامِنُهُمْ أَمِيرُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ২৩২৪
ছিলেন না ৷ আর যে আটজন হলেন আবু হুযায়ফা ইবন উত্বা বনু আসাদ ইবন খুযায়মার
মিত্র উক্কাশা ইবন মিহসান ইবন হারছান, বনী নাওফিলের মিত্র উভ্বা ইবন পাযওয়ান, সাআদ
ইবন আবু ওযাক্কাস আয-যুহরী, বনী আদীর মিত্র আমির ইবন রাবীআ আল-ওয়াইলী, বনী
আদীর অপর এক মিত্র ওয়াকিদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্দ মানাফ, বনী আদীর অপর মিত্র
বনী সাআদ ইবন লায়ছের অন্যতম সদস্য খালিদ ইবন বুকায়র এবং সাহল ইবন বায়যা
আল-ফিহয়ী এরা ৭ জন ৷ আর ৮ম জন হলেন তাদের আমীর আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ
রাযিয়াল্লাহু আনহুম ৷ ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস বলেন, তারা ছিলেন ৮জন, আর তাদের আমীর
হলেন নবম ব্যক্তি ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (না) তার হাতে একখানা লিপি দিয়ে বলেন, দৃ’দিন সফর
করার আগে লিপিটি খুলবে না ৷ দু’দিন পর তা খুলে তাতে লিখিত নির্দেশ দেখবে এবং তা
অনুসরণ করবে ৷ তবে সঙ্গীদের কাউকে যেন বাধ্য না করা হয় ৷ দুদিন সফর শেষে লিপি খুলে
দেখেন, তাতে লেখা আছে-
আমার এই লিপি পাঠ করে সফর অব্যাহত রাখবে, শেষপর্যস্ত মক্কা এবং তাইফ-এর মধ্য-
ন্থলে নাখৃলায়’ অবতরণ করবে আর সেখানে কুরায়শের গতিবিধি লক্ষ্য করবে এবং তাদের
অবস্থা সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করবে ৷ লিপি খুলে তিনি বললেন : এ নির্দেশ আমার
শিরােধার্য ৷ তারপর লিপির মর্ম সম্পর্কে সঙ্গীদেরকে জানালেন ৷ তিনি একথাও বললেন যে,
কাউকে বাধ্য করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে ৷ তোমাদের মধ্যে কেউ শাহাদত কামনা
করলে এবং সে জন্য আগ্রহী হলে সে যেন আমার সঙ্গে চলে ৷ আর কারো তা পসন্দ না হলে সে
যেন ফিরে যায় ৷ আমি অবশ্যই রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নির্দেশ মতো চলতে থাকবাে ৷ এই বলে
তিনি চলতে শুরু করেন এবং তার সঙ্গীরাও তার সঙ্গে চলতে থাকে ৷ কেউই পেছনে থেকে
যায়নি ৷ হিজায ভুমি দিয়ে তারা চলতে থাকেন ৷ ফারাএর উচু ভুমি মাদান যাকে বাহরান বলা
হয়, সেখানে পৌছে সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং উতবা ইবন পাযওয়ান তাদের উট হারিয়ে
ফেললেন ৷ এই উটের উপর র্তারা পালাক্রমে আরোহণ করতেন ৷ তারা ২জন উটের সন্ধানে
পেছনে রয়ে গেলেন এবং আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ এবং তার অন্য সঙ্গীরা চলতে চলতে নাখলায়
গিয়ে অবতরণ করলেন ৷ কুরায়শের কাফেলা যে পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তাতে আমর ইবন
হায্রামীও ছিল ৷ ইবন হিশাম বলেন, হাযরামীর নাম ছিল আবদুল্লাহ ইবন আব্বাদ আস-সদফ,
উছমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন মুগীরা আল মাখবুমী এবং তার ভাই নাওফিল এবং হিশাম ইবন
ঘুগীরার আযাদকৃত গোলাম হাকাম ইবন কায়সান ৷ মুসলিম বাহিনী তাদেরকে দেখে ভীত হয়ে
পড়ে আর ওরা তাদের একেবারে নিকটেই অবস্থান নিয়েছিল ৷ উক্কড়াশা ইবন মিহসান, হার মস্তক
মুণ্ডিত ছিল, প্রতিপহ্মের লোকেরা তাকে দেখে নিরাপদ বোধ করল ৷ এরা উমরাকারী দল ৷
তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই ৷ এদিকে তাদের ব্যাপার নিয়ে
সাহাবাগণ পরামর্শ করলেন, আর এ ঘটনাটি ছিল রজব মাসের শেষ দিনের ৷ তারা বলাবলি
করছিলেন, আল্লাহর কলম, আজ রাতে তোমরা যদি তাদেরকে ছেড়ে দাও, তবে তারা হেরেমে
প্রবেশ করবে এবং তারা নিজেদেরকে তোমাদের থেকে রক্ষা করবে ৷ আর তোমরা যদি
يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: كَانُوا ثَمَانِيَةً، وَأَمِيرُهُمُ التَّاسِعُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَتَأْتِي تَسْمِيَتُهُمْ عَلَى خِلَافِ مَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا، وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يَنْظُرَ فِيهِ حَتَّى يَسِيرَ يَوْمَيْنِ ثُمَّ يَنْظُرَ فِيهِ، فَيَمْضِيَ لِمَا أَمَرَهُ بِهِ، وَلَا يَسْتَكْرِهَ مِنْ أَصْحَابِهِ أَحَدًا، فَلَمَّا سَارَ بِهِمْ يَوْمَيْنِ فَتَحَ الْكِتَابَ، فَإِذَا فِيهِ " «إِذَا نَظَرْتَ فِي كِتَابِي فَامْضِ حَتَّى تَنْزِلَ نَخْلَةَ، بَيْنَ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ، فَتَرْصُدَ بِهَا قُرَيْشًا وَتَعْلَمَ لَنَا مِنْ أَخْبَارِهِمْ» ". فَلَمَّا نَظَرَ فِي الْكِتَابِ قَالَ: سَمْعًا وَطَاعَةً. وَأَخْبَرَ أَصْحَابَهُ بِمَا فِي الْكِتَابِ، وَقَالَ: قَدْ نَهَانِي أَنْ أَسْتَكْرِهَ أَحَدًا مِنْكُمْ، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يُرِيدُ الشَّهَادَةَ وَيَرْغَبُ فِيهَا فَلْيَنْطَلِقْ، وَمَنْ كَرِهَ ذَلِكَ فَلْيَرْجِعْ، فَأَمَّا أَنَا فَمَاضٍ لِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَمَضَى وَمَضَى مَعَهُ أَصْحَابُهُ لَمْ يَتَخَلَّفْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَسَلَكَ عَلَى الْحِجَازِ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِمَعْدِنٍ فَوْقَ الْفُرُعِ يُقَالُ لَهُ: بُحْرَانُ. أَضَلَّ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ بَعِيرًا لَهُمَا كَانَا يَعْتَقِبَانِهِ فَتَخَلَّفَا فِي طَلَبِهِ وَمَضَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ وَبَقِيَّةُ أَصْحَابِهِ، حَتَّى نَزَلَ نَخْلَةَ فَمَرَّتْ بِهِ عِيرٌ، لِقُرَيْشٍ تَحْمِلُ زَبِيبًا وَأَدَمًا وَتِجَارَةً مِنْ تِجَارَةِ قُرَيْشٍ، فِيهَا عَمْرُو بْنُ الْحَضْرَمِيِّ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْمُ الْحَضْرَمِيِّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّادٍ الصَّدِفِيُّ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ
পৃষ্ঠা - ২৩২৫
- وَعُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ، وَأَخُوهُ نَوْفَلٌ، وَالْحَكَمُ بْنُ كَيْسَانَ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، فَلَمَّا رَآهُمُ الْقَوْمُ هَابُوهُمْ وَقَدْ نَزَلُوا قَرِيبًا مِنْهُمْ فَأَشْرَفَ لَهُمْ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، وَكَانَ قَدْ حَلَقَ رَأْسَهُ، فَلَمَّا رَأَوْهُ أَمِنُوا، وَقَالُوا: عُمَّارٌ، لَا بَأْسَ عَلَيْكُمْ مِنْهُمْ، وَتَشَاوَرَ الصَّحَابَةُ فِيهِمْ، وَذَلِكَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَجَبٍ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَئِنْ تَرَكْتُمُوهُمْ هَذِهِ اللَّيْلَةَ لَيَدْخُلُنَّ الْحَرَمَ فَلْيَمْتَنِعُنَّ بِهِ مِنْكُمْ، وَلَئِنْ قَتَلْتُمُوهُمْ لَتَقْتُلُنَّهُمْ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ. فَتَرَدَّدَ الْقَوْمُ وَهَابُوا الْإِقْدَامَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ شَجَّعُوا أَنْفُسَهُمْ عَلَيْهِمْ، وَأَجْمَعُوا عَلَى قَتْلِ مَنْ قَدَرُوا عَلَيْهِ مِنْهُمْ وَأَخْذِ مَا مَعَهُمْ، فَرَمَى وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّمِيمِيُّ عَمْرَو بْنَ الْحَضْرَمِيِّ بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ، وَاسْتَأْسَرَ عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَالْحَكَمُ بْنُ كَيْسَانَ، وَأَفْلَتَ الْقَوْمَ نَوْفَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فَأَعْجَزَهُمْ، وَأَقْبَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ وَأَصْحَابُهُ بِالْعِيرِ وَالْأَسِيرَيْنِ، حَتَّى قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُ آلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا غَنِمْنَا الْخُمُسَ. فَعَزَلَهُ وَقَسَمَ الْبَاقِيَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ الْخُمُسُ. قَالَ: لَمَّا نَزَلَ الْخُمُسُ نَزَلَ كَمَا قَسَمَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ كَمَا قَالَهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا أَمَرْتُكُمْ بِقِتَالٍ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ ". فَوَقَفَ الْعِيرَ وَالْأَسِيرَيْنِ وَأَبَى أَنْ يَأْخُذَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسْقِطَ فِي أَيْدِي الْقَوْمِ، وَظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا، وَعَنَّفَهُمْ إِخْوَانُهُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِيمَا صَنَعُوا وَقَالَتْ قُرَيْشٌ: قَدِ اسْتَحَلَّ مُحَمَّدٌ
পৃষ্ঠা - ২৩২৬
তাদেরকে হত্যা কর, তবে এ হত্যাকাণ্ড হবে হারাম মাসে ৷ বিষয়টি নিয়ে সাহাবাগণ দ্বিধাদ্বরুন্দু
পড়ে পেলেন ৷ তারা ওদেরকে আক্রমণ করতে ভয় পেলেন ৷ এরপর তারা মনে সাহস সঞ্চয়
করে এবং তাদের মধ্যে যাদেরকে কাবু করা সম্ভব, তাদেরকে হত্যা করার ব্যাপারে দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ
হলেন ৷ তারা তাদের সঙ্গে যা কিছু আছে তা নিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একমত হলেন ৷ এরপর
ওয়াকিদ ইবন আবদুল্লাহ তামীমী আমর ইবন হড়াযরামীকে তীর নিক্ষেপে হত্যা করেন ৷ উছমান
ইবন আবদুল্লাহ এবং হাকাম ইবন কায়সানকে গ্রেফতার করা হয় এবং নাওফিল ইবন আবদুল্লাহ
পলায়ন করে প্রাণ বীচায় ৷ তারা তাকে পাকড়াও করতে ব্যর্থ হন ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ এবং
তার সঙ্গীর৷ দু’জন বন্দী এবং মাল-সামানসহ বণিক দলকে সঙ্গে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দরবারে উপস্থিত হন ৷
আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (রা) এর পরিবারের কোনও এক সদস্য উল্লেখ করেন যে,
আবদুল্লাহ তার সঙ্গীদেরকে বলেন : আমরা যে পনীমত লাভ করেছি, তাতে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর এক-পঞ্চমাংশ রয়েছে ৷ তা পৃথক করে অবশিষ্ট অংশ্ তনি চ ৷র সঙ্গীদের মধ্যে বন্টন
করে দেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, পরে আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (বা ) এর এ বন্টনকে অনুমোদন করে
পরবর্তীকালে খুমুসের বিধান না ৷যিল হয় ৷৩ তারা রাসুলের দরবারে হাযির হলেও তিনি বললেন :
আমি তাে তে তামাদেরকে হারাম মাসে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেইনি ৷৩ তাই দ্রব্য সামগ্রী ও কয়েদী
দুজন এমনিতেই পড়ে থাকে এবং রাসুল (সা) তা থেকে কিছুই গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি
জানালেন ৷ রাসুল (না) এ কথা বললে তারা ভীষণ লজ্জিত হলেন এবং মনে করলেন যে, হারাম
মাসে যুদ্ধ করে তারা ধ্বংস হয়ে গেছেন এবং অন্যান্য মুসলমান ভাইয়েরাও এজন্য তাদের নিন্দা
করেন ৷ আর কুরায়শরা বলতে শুরু করে মুহাম্মদ এবং তার সঙ্গীরা হারাম মাসকেও হালাল করে
নিয়েছে ৷ হারাম মাসেও তারা রক্তপাত শুরু করেছে, (গনীমতের) মাল গ্রহণ করছে এবং
লোকদেরকে বন্দী করা শুরু করেছে ৷ আর মক্কার মুসলমানরা কুরায়শদের জবাবে বলতেন,
তারা বা যকরেছেন, তাতে৷ করেছেন শাবা ন মাসেই (রজব মাসে নয়) ৷ আর ইয়াহ্রদীর৷ এ দ্ব রা৷
বাসুলুল্ল হ (সা) এর বিরুদ্ধে ফাল বের করে (শুভাশুভ নির্ণয় করে)৷ তারা বলে আমর ইবন
হাঘৃরামীকে হত্যা করেছে ওয়া ৷কিদ ইবন আবদুল্লাহ ৷ আমর যুদ্ধকে চাঙ্গ৷ করেছে, হাযরামী যুদ্ধে
হাযির হয়েছে আর ওয়াকিদ ইবন আবদুল্লাহ যুদ্ধকে উসকে দিয়েছে ৷ এ ব্যাপারে লোকেরা
অনেক কথাবার্তা শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তার রাসুলের উপর নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল
করেন :
৪
দ্বু; &৷ ’হৃন্ৰু
;; ; : : ;
وَأَصْحَابُهُ الشَّهْرَ الْحَرَامَ، وَسَفَكُوا فِيهِ الدَّمَ، وَأَخَذُوا فِيهِ الْأَمْوَالَ، وَأَسَرُوا فِيهِ الرِّجَالَ. فَقَالَ مَنْ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِمَّنْ كَانَ بِمَكَّةَ: إِنَّمَا أَصَابُوا مَا أَصَابُوا فِي شَعْبَانَ. وَقَالَتْ يَهُودُ، تُفَائِلُ بِذَلِكَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَمْرُو بْنُ الْحَضْرَمِيِّ قَتَلَهُ وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَمْرٌو عَمَرَتِ الْحَرْبُ، وَالْحَضْرَمِيُّ حَضَرَتِ الْحَرْبُ، وَوَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَقَدَتِ الْحَرْبُ. فَجَعَلَ اللَّهُ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ لَا لَهُمْ، فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ وَصَدٌّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَكُفْرٌ بِهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِ مِنْهُ أَكْبَرُ عِنْدَ اللَّهِ وَالْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ الْقَتْلِ وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا} [البقرة: 217] أَيْ، إِنْ كُنْتُمْ قَتَلْتُمْ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ فَقَدْ صَدُّوكُمْ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ مَعَ الْكُفْرِ بِهِ، وَعَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُكُمْ مِنْهُ وَأَنْتُمْ أَهْلُهُ، أَكْبَرُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ قَتْلِ مَنْ قَتَلْتُمْ مِنْهُمْ وَالْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ الْقَتْلِ أَيْ قَدْ كَانُوا يَفْتِنُونَ الْمُسْلِمَ عَنْ دِينِهِ حَتَّى يَرُدُّوهُ إِلَى الْكُفْرِ بَعْدَ إِيمَانِهِ فَذَلِكَ أَكْبَرُ عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الْقَتْلِ، ثُمَّ هُمْ مُقِيمُونَ عَلَى أَخْبَثِ ذَلِكَ وَأَعْظَمِهِ غَيْرَ تَائِبِينَ وَلَا نَازِعِينَ، وَلِهَذَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا الْآيَةَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا نَزَلَ الْقُرْآنُ بِهَذَا مِنَ الْأَمْرِ وَفَرَّجَ اللَّهُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا كَانُوا فِيهِ مِنَ الشَّفَقِ، قَبَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِيرَ وَالْأَسِيرَيْنِ وَبَعَثَتْ قُرَيْشٌ فِي فِدَاءِ عُثْمَانَ وَالْحَكَمِ بْنِ كَيْسَانَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا
পৃষ্ঠা - ২৩২৭
হারাম মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি বল, তাতে যুদ্ধ করা
ণ্ ভীষণ (অন্যায়), তবে আল্লাহর পথে বাধা দান করা, আল্লাহকে অস্বীকার করা, মাসজিদুল
হারামে যেতে বাধা দেয়া, তার বাসিন্দাদেরকে সেখান থেকে বের করা আল্লাহর নিকট তার
চাইতেও বড় (গুনাহের কাজ) ৷ আর ফিতনা হত্যার চাইতেও গুরুতর অন্যায় ৷ তারা সর্বদা
(তামাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাবে, যে পর্যন্ত না তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে
দেয় যদি তারা সক্ষম হয় (২ : ২১ ৭) ৷
অর্থাৎ তোমরা যদি হারাম মাসে হত্যা করেই থাক, তবে তারা তো আল্লাহ্কে অস্বীকার
করে তার পথ থেকে বারণ করছে, বারণ করছে মাসজিদৃল হারাম থেকে ৷ আর মাসজিদুল
হারাম থেকে তোমাদেরকে বের করা, অথচ তোমরা তো মাসজিদৃল হারামেরই বাসিন্দা-
একাজটা তোমরা তাদের মধ্যে যাদেরকে হত্যা করেছ, তার চাইতেও গুরুতর অপরাধ, আর
ফিতনা তথা অশান্তি-অরাজকতড়া-বিপর্যয় হত্যার চাইতেও গুরুতর অপরাধ ৷ এতদ্ সত্বেও তারা
এহেন নিকৃষ্ট ও গুরুতর অন্যায় কাজে অবিচল রয়েছে, তাওবা করছে না ৷ সে সব অপকর্ম
বর্জনও করছে না ৷ একারণে আল্লাহ তাআলা বলেন :
তারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেই যাবে, যে পর্যন্ত না তোমাদেরকে তোমাদের দীন
থেকে ফিরিয়ে দেয় যদি তারা সক্ষম হয় ( ২ ৪২ ১ ৭ ) ৷
ইবন ইসহাক বলেন : কুরআন করীমে যখন এ নির্দেশ নাযিল হয় এবং আল্লাহ তাআলা
যখন মুসলমানদের ভীতি কাটিয়ে দেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কাফেলার ধনসম্পদ আর দু’জন
বন্দীকে গ্রহণ করলেন ৷ এ সময় কুরায়শরা উছমান এবং হাকাম ইবন কায়সানের মুক্তিপণসহ
দুত প্রেরণ করলে রাসুলুল্লাহ (সা) তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বললেন : তোমরা
যতক্ষণ আমাদের দপুজন সঙ্গী অর্থাৎ সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং উতবা ইবন পাযওয়ানকে
ফেরত না দেবে, ততক্ষণ আমরাও তোমাদের বন্দীদ্বয়কে মুক্তিপণেব বদলে ফেরত দেবাে না ৷
কারণ আমাদের আশংকা হচ্ছে তোমরা তাদেরকে হত্যা করবে ৷ তোমরা তাদের দৃ’জনকে
হত্যা করলে আমরাও তোমাদের সঙ্গীদ্বয়কে হত্যা করবো ৷ এরপর তারা সাআদ এবং উতবাকে
নিয়ে আসলে রাসুলুল্লাহ (না)-ও মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের সঙ্গীদ্বয়কে ফেরত দেন ৷ অবশ্য
হাকাম ইবন কায়সান ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নিষ্ঠাবান মুসলমানের জীবন যাপন করেন
এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে অবস্থান করেন ৷ বি’রে মাউনার ঘটনায় তিনি শাহাদতবরণ
করেন ৷ আর উছমান ইবন আবদুল্লাহ মক্কায়ই ফিরে যায় এবং কাফির হিসাবেই সেখানে
মারা যায় ৷
ইবন ইসহাক বলেন ও কুরআন নাযিল হলে আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ এবং তার সঙ্গীদের
ভয়ভীতি দুর হয় এবং তারা নওয়াব লাভের আশা করেন ৷ র্তারা বললেন : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!
আমরা কি মুজাহিদদের অনুরুপ নওয়াব লাভের আশা করতে পারি ? তখন আল্লাহ তাআলা
আয়াত নাযিল করেন :
نُفْدِيكُمُوهُمَا حَتَّى يَقْدَمَ صَاحِبَانَا - يَعْنِي سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ - فَإِنَّا نَخْشَاكُمْ عَلَيْهِمَا، فَإِنْ تَقْتُلُوهُمَا نَقْتُلْ صَاحِبَيْكُمْ. فَقَدِمَ سَعْدٌ وَعُتْبَةُ فَأَفْدَاهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَمَّا الْحَكَمُ بْنُ كَيْسَانَ فَأَسْلَمَ فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَأَقَامَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قُتِلَ يَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ شَهِيدًا، وَأَمَّا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فَلَحِقَ بِمَكَّةَ، فَمَاتَ بِهَا كَافِرًا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا تَجَلَّى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ وَأَصْحَابِهِ مَا كَانُوا فِيهِ حِينَ نَزَلَ الْقُرْآنُ، طَمِعُوا فِي الْأَجْرِ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَطْمَعُ أَنْ تَكُونَ لَنَا غَزْوَةٌ نُعْطَى فِيهَا أَجْرَ الْمُجَاهِدِينَ؟ فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ: {إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَةَ اللَّهِ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [البقرة: 218] فَوَضَعَهُمُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَعْظَمِ الرَّجَاءِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْحَدِيثُ فِي ذَلِكَ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَيَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ. وَهَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " عَنِ الزُّهْرِيِّ وَكَذَا رَوَى شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، نَحْوًا مِنْ هَذَا وَفِيهِ: وَكَانَ ابْنُ الْحَضْرَمِيِّ أَوَّلَ قَتِيلٍ قُتِلَ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُشْرِكِينَ.
وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ: هُوَ أَوَّلُ قَتِيلٍ قَتْلَهُ الْمُسْلِمُونَ، وَهَذِهِ أَوَّلُ غَنِيمَةٍ غَنِمَهَا الْمُسْلِمُونَ، وَعُثْمَانُ وَالْحَكَمُ بْنُ كَيْسَانَ أَوَّلُ مَنْ أَسَرَهُ الْمُسْلِمُونَ.
পৃষ্ঠা - ২৩২৮
قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَّهُ قَالَ: فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ أَوَّلَ أَمِيرٍ فِي الْإِسْلَامِ.
وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " لِمَا أَوْرَدَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ شَوَاهِدَ مُسْنَدَةً، فَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ حَدَّثَنِي الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ أَبِي السَّوَّارِ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ رَهْطًا، وَبَعَثَ عَلَيْهِمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ - أَوْ عُبَيْدَةَ بْنَ الْحَارِثِ - فَلَمَّا ذَهَبَ يَنْطَلِقُ بَكَى صَبَابَةً إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ، فَبَعَثَ عَلَيْهِمْ مَكَانَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَحْشٍ، وَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يَقْرَأَهُ حَتَّى يَبْلُغَ مَكَانَ كَذَا وَكَذَا، وَقَالَ " «لَا تُكْرِهَنَّ أَحَدًا عَلَى السَّيْرِ مَعَكَ مِنْ أَصْحَابِكَ» ". فَلَمَّا قَرَأَ الْكِتَابَ اسْتَرْجَعَ، وَقَالَ: سَمْعًا وَطَاعَةً لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ. فَخَبَّرَهُمُ الْخَبَرَ، وَقَرَأَ عَلَيْهِمُ الْكِتَابَ فَرَجَعَ رَجُلَانِ وَبَقِيَ بَقِيَّتُهُمْ، فَلَقُوا ابْنَ الْحَضْرَمِيِّ، فَقَتَلُوهُ، وَلَمْ يَدْرُوا أَنَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ مِنْ رَجَبٍ أَوْ جُمَادَى، فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ لِلْمُسْلِمِينَ: قَتَلْتُمْ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ} [البقرة: 217] الْآيَةَ.
পৃষ্ঠা - ২৩২৯
;;;;; এ্যাদ্ ;এগ্রা এন্ন্ পুস্,এগু ৷১’ন্ওষ্ঢ়ণ্১ ;;৬ঞ ;;;১দ্রা১ ৷;ন্’;ণ্৷ ;;;:াৰু ১া
যারা ঈমান আংন, হিজরত করে এবং আল্লাহ্র রাস্তায় র্জিহাদ করে, তারা প্রত্যাশা করে
আল্লাহ্র রহমত আর আল্লাহ মহাক্ষমশীল, অতি দয়াময় (২ : ২১৮) ৷ অল্পাহ্ তাআলা তাদের
এ মহা প্রত্যাশার প্রশংসা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : এ প্রসঙ্গে যুহ্রী ও ইয়াযীদ ইবন রুমান কর্তৃক উরওয়া ইবন যুবায়র
থেকে হাদীছ বর্ণিত রয়েছে ৷ অনুরুপভাবে মুসা ইবন উকবা তার মাগড়াযী গ্রন্থে যুহ্রী সুত্রে উল্লেখ
করেছেন ৷ ঠিক এভাবেই শুআয়ব যুহ্রী সুত্রে উরওয়া থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন এবং তাতে
আছে, মুসলমান এবং মুশরিকদের সংঘড়াতে নিহত মৃশরিকদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হল ইবন
হাযরামী ৷ আর ইবন হিশাম বলেন : সে হল প্রথম ব্যক্তি, যাকে মুসলমানরা হত্যা করেছিলেন ৷
আর এসব সম্পদই ছিল প্রথম সম্পদ, যা মুসলমানরা গনীমত হিসাবে লাভ করেছিলেন ৷ আর
উছমান (ইবন আবদুল্লাহ) এবং হড়াকাম ইবন কড়ায়সান ছিল মুসলমানদের হাতে প্রথম বন্দী ৷
আমি বলি : সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কড়াস সুত্রে ইমাম আহমদের বর্ণিত হাদীছ ইতোপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ তাতে তিনি বলেছেন, আবদৃল্পাহ্ ইবন জাহাশ ছিলেন ইসলামে প্রথম আমীর ৷
আর আমি তাফসীর গ্রন্থে ইবন ইসহাকের উপস্থাপিত নির্ভরযোগ্য প্রমাণ উল্লেখ করেছি ৷
তন্মধ্যে হাফিয আবু মুহাম্মদ ইবন আবী হাতিম বর্ণিত হাদীছও রয়েছে ৷ আপন পিতার সুত্রে
জুন্দুব ইবন আবদুল্লাহ্র বরাতে তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটা ক্ষুদ্র বাহিনী প্রেরণ করেন
এবং তাদের আমীর নিযুক্ত করেন আবু উবায়দা ইবন জাররাহকে মতান্তরে উবায়দা ইবন
হারিছকে ৷ তিনি রওনা হওয়ার সময় রাসুলের প্রেমে কান্নকোটি করতে করতে বসে পড়লে
রাসুলুল্পাহ্ তার স্থলে আবদুল্লাহ্ ইবন জাহাশকে নিযুক্ত করেন এবং তাকে একটা লিপি দিয়ে
নির্দেশ দেন যে, অমুক অমুক স্থানে পৌছার পুর্বে এ লিপি পাঠ করবে না ৷ লিপিতে তিনি
তাকে বলেন, সঙ্গীদের কাউকে তোমার সঙ্গে চলতে বাধ্য করবে না ৷ লিপি পাঠ করে তিনি ইন্না
লিল্লাহ্ পাঠ করেন এবং বলেন, আল্লাহ এবং রাসুলের নির্দেশ শুনলাম এবং মাথা পেতে নিলাম ৷
তিনি তাদেরকে খবর দেন এবং লিপি পাঠ করে শোনান ৷ তাদের মধ্যে ২জন পিছনে রয়ে যান
আর অবশিষ্টরা তার সঙ্গে থেকে যান ৷ তারা ইবন হাযরামীর সঙ্গে সাক্ষাত করে তাকে হত্যা
করেন কিন্তু তারা জানতেন না যে, এদিনটা রজব মাসের, না জুমাদাছ ছানী মাসের অন্তর্ভুক্ত ৷
তখন মুশরিকরা মুসলমানদেরকে বলতে শুরু করে তোমরা তো হারাম মাসে হত্যাকাণ্ড
ঘটালে ৷ তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করলেন :
লোকেরা তোমাকে প্রশ্ন করে হারাম মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে ৷ তুমি বল, তাতে যুদ্ধ করা
ভীষণ অন্যায় (২ : ২১৭) ৷ ইসমাঈল ইবন আবদুর রহমান সুদ্দী কবীর তার তাফসীর গ্রন্থে
আবু মালিক সুত্রে ইবন আব্বাস ও ভিন্ন সুত্রে ইবন মাসউদসহ একদল সাহাবী সুত্রে উপরোক্ত
আয়াত সম্পর্কে বলেন :
وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّدِّيُّ الْكَبِيرُ فِي " تَفْسِيرِهِ ": عَنْ أَبِي مَالِكٍ وَعَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ: {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ} [البقرة: 217] وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ سَرِيَّةً وَكَانُوا سَبْعَةَ نَفَرٍ، عَلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ، وَفِيهِمْ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، وَأَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ، وَسَهْلُ ابْنُ بَيْضَاءَ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ، وَوَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْيَرْبُوعِيُّ، حَلِيفٌ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَكَتَبَ لِابْنِ جَحْشٍ كِتَابًا وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يَقْرَأَهُ حَتَّى يَنَزِلَ بَطْنَ مَلَلٍ، فَلَمَّا نَزَلَ بَطْنَ مَلَلٍ، فَتَحَ الْكِتَابَ، فَإِذَا فِيهِ أَنْ سِرْ حَتَّى تَنْزِلَ بَطْنَ نَخْلَةَ. فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْمَوْتَ فَلْيَمْضِ، وَلْيُوصِ فَإِنَّنِي مُوصٍ وَمَاضٍ لِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَارَ، وَتَخَلَّفَ عَنْهُ سَعْدٌ وَعُتْبَةُ، أَضَلَّا رَاحِلَةً لَهُمَا، فَأَقَامَا يَطْلُبَانِهَا، وَسَارَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ حَتَّى نَزَلَ بَطْنَ نَخْلَةَ، فَإِذَا هُوَ بِالْحَكَمِ بْنِ كَيْسَانَ، وَالْمُغِيرَةِ بْنِ عُثْمَانَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ. فَذَكَرَ قَتْلَ وَاقِدٍ لِعَمْرِو بْنِ الْحَضْرَمِيِّ، وَرَجَعُوا بِالْغَنِيمَةِ وَالْأَسِيرَيْنِ، فَكَانَتْ أَوَّلَ غَنِيمَةٍ غَنِمَهَا الْمُسْلِمُونَ، وَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: إِنَّ مُحَمَّدًا يَزْعُمُ أَنَّهُ يَتَّبِعُ طَاعَةَ اللَّهِ وَهُوَ أَوَّلُ مَنِ اسْتَحَلَّ الشَّهْرَ الْحَرَامَ، وَقَتَلَ صَاحِبَنَا فِي رَجَبٍ. وَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: إِنَّمَا قَتَلْنَاهُ فِي جُمَادَى.
পৃষ্ঠা - ২৩৩০
রাসুলুল্লাহ (সা) একটা বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ তীরা ছিলেন ৭ জনের একটা দল ৷ তাদের
আমীর ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (বা) আর তারা হলেন (১) আমার ইবন ইয়াসির, (২)
আবু হুযড়ায়ফা ইবন উতবা, (৩) সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস, (৪) উতবা ইবন গায্ওয়ান, (৫)
সাহ্ল ইবন বায়যা; (৬) আমির ইবন ফুহড়ায়রা এবং (৭) উমর ইবন খাত্তাবের মিত্র ওয়াকিদ
ইবন আবদুল্লাহ ইয়ারবুঈ (রা) ৷ ইবন জাহাশের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটা চিঠি লিখে
বাত্নে মিলাল’ পৌছার আগে পত্রটা না খোলার জন্য তাকে নির্দেশ দেন ৷ বাত্নে মিলাল’
পৌছে পত্র খুলে দেখেন, তাতে লিখা আছে : বাত্নে নাখলা’ <;পীছা পর্যন্ত সফর অব্যাহত
রাখবে ৷ তখন তিনি সঙ্গীদেরকে বললেন : যে ব্যক্তি শাহাদতের প্রত্যাশী, সে যেন সফর
অব্যাহত রাখে এবং ওসীয়তে করে রাখে ৷ কারণ আমিও ওসীয়তে করছি এবং রাসুলের নির্দেশ
অনুযায়ী চলছি ৷ এই বলে তিনি চলতে থাকেন এবং সাআদ ও উতবা পেছনে রয়ে যান ৷ এরা
দুজন তাদের সওয়ারী হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং তার খোজে সেখানে অবস্থান করেন ৷ তিনি
এবং তার অন্য সঙ্গীরা চলতে চলতে বাতৃনে নাখৃলা পৌছে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ সেখানে
হাকাম ইবন কায়সান, মুগীরা ইবন উছমান এবং আবদুল্লাহ ইবন মুপীরাকে দেখতে পান ৷ উক্ত
বর্ণনায় ওয়াকিদ কতুকি অড়ামর ইবন হাযরামীর হত্যা সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে ৷ তারা গনীমত আর
দু’জন বন্দী নিয়ে ফিরে আসেন ৷ এটা ছিল মুসলমানদের অর্জিত প্রথম গনীমতের মাল ৷ তখন
মুশরিকরা বলতে শুরু করে মুহাম্মদ আল্লাহর আনুগত্য দাবী করেন, অথচ তিনিই সর্বপ্রথম
হারাম মাসকে হালাল করে রজব মাসে আমাদের সঙ্গীকে হত্যা করেছেন ৷ মুসলমানরা বলে
আমরা তো তাকে হত্যা করেছি জুমাদাছ ছানী মাসে ৷ সুদ্দী বলেন: মুসলমানরা তাকে হত্যা
করে রজব মাসের প্রথম রাত্রে এবং জুমাদাছ ছানী মাসের শেষ রাত্রে ৷
আমি (প্রন্থকার আল্লামা ইবন কাহীর) বলি : হয়তো জুমদােছ ছানী মাস অসম্পুর্ণ অর্থাৎ ২৯
দিন ছিল ৷ একারণে মুসলমানরা মনে করেছিলেন ৩০ তারিখ রাত্রেও জুমড়াদাছ ছানী মাসই রয়ে
গেছে ৷ অথচ ঐ রাতেই রজবের চাদ দেখা গিয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ আওফী ইবন
আব্বাস সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করে বলেন যে, ঘটনাটি ঘটে জুমাদাছ ছানী মাসের শেষ তারিখ
রাত্রে ৷ আসলে তা ছিল রজব মাসের প্রথম তারিখ, কিন্তু মসলমানরা তা জানতেন না ৷ ইবন
আবী হাতিম বর্ণিত জুন্দুবের হাদীছ ইত্তোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ ইবন ইসহাকের বর্ণনায়
ইতেড়াপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, তা ছিল রজব মাসের শেষ রাত্রি : র্তাদের আশংকা ছিল
এই সুযোগ গ্রহণ না করলে এবং সুযোগ কাজে না লাগালে পরদিন হারাম মাস শুরু হয়ে যাবে ৷
এ বিশ্বাস থেকেই তারা এরুপ করেন ৷ যুহ্রী উরওয়া সুত্রে এরুপই বর্ণনা করেছেন, আর
বায়হাকী তা উল্লেখ করেছেন ৷ আসল ব্যাপার কি ছিল, তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ যুহ্রী
উরওয়া সুত্রে বলেন, আমাদের নিকট এ বর্ণনা পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইবন হাদরামীর
রক্তপণ আদায় করেন এবং হারাম মাসকে হারাম করেন ৷ শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তাদেরকে নির্দোষ
ঘোষণা করে আয়াত নাযিল করেন ৷ এ বর্ণনা ইমাম বায়হাকীর ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আবদৃল্লাহ্ ইবন জাহাশের গায্ওয়া সম্পর্কে যুশরিকদের
সমালোচনার জবাবে আবু বকর সিদ্দীক নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ মুশরিকরা বলেছিল যে,
قَالَ السُّدِّيُّ: وَكَانَ قَتْلُهُمْ لَهُ فِي أَوَّلِ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَآخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ.
قُلْتُ: لَعَلَّ جُمَادَى كَانَ نَاقِصًا فَاعْتَقَدُوا بَقَاءَ الشَّهْرِ لَيْلَةَ الثَّلَاثِينَ، وَقَدْ كَانَ الْهِلَالُ رُئِيَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهَكَذَا رَوَى الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ جُمَادَى، وَكَانَتْ أَوَّلَ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَلَمْ يَشْعُرُوا. وَكَذَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ جُنْدُبٍ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ أَبَى حَاتِمٍ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَخَافُوا إِنْ لَمْ يَتَدَارَكُوا هَذِهِ الْغَنِيمَةَ وَيَنْتَهِزُوا هَذِهِ الْفُرْصَةَ، دَخَلَ أُولَئِكَ فِي الْحَرَمِ، فَيَتَعَذَّرُ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ، فَأَقْدَمُوا عَلَيْهِمْ عَالِمِينِ بِذَلِكَ.
وَكَذَا قَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ.
قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ: فَبَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَقَلَ ابْنَ الْحَضْرَمِيِّ، وَحَرَّمَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ كَمَا كَانَ يُحَرِّمُهُ، حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ " بَرَاءَةٌ ". رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فِي غَزْوَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ
পৃষ্ঠা - ২৩৩১
جَوَابًا لِلْمُشْرِكِينَ فِيمَا قَالُوا مِنْ إِحْلَالِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ هِيَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ:
تَعُدُّونَ قَتْلًا فِي الْحَرَامِ عَظِيمَةً ... وَأَعْظَمُ مِنْهُ لَوْ يَرَى الرُّشْدَ رَاشِدُ
صُدُودُكُمْ عَمَّا يَقُولُ مُحَمَّدٌ ... وَكُفْرٌ بِهِ وَاللَّهُ رَاءٍ وَشَاهِدُ
وَإِخْرَاجُكُمْ مِنْ مَسْجِدِ اللَّهِ أَهْلَهُ لِئَلَّا يُرَى لِلَّهِ فِي الْبَيْتِ سَاجِدُ ... فَإِنَّا وَإِنْ عَيَّرْتُمُونَا بِقَتْلِهِ وَأَرْجَفَ بِالْإِسْلَامِ بَاغٍ وَحَاسِدُ
سَقَيْنَا مِنَ
ابْنَ الْحَضْرَمِيِّ رِمَاحَنَا بِنَخْلَةَ لَمَّا أَوْقَدَ الْحَرْبَ وَاقِدُ دَمًا ... وَابْنُ عَبْدِ اللَّهِ عُثْمَانُ بَيْنَنَا
يُنَازِعُهُ غُلٌّ مِنَ الْقَدِّ عَانِدُ