السنة الثانية من الهجرة
ما وقع فيها من الأحداث
كتاب المغازي
غزوة بدر الأولى
পৃষ্ঠা - ২৩২০
বললেন, হে আবু তুরাব! কারণ তার গায়ে মাটি লেগেছিল ৷ আমরা আমাদের অবস্থা সম্পর্কে
তাকে জানালাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আমি কি যে হতভাপা দৃ’ জন লোক সম্পর্কে
তেড়ামড়াদেরকে জানানো ? আমরা বললাম , অবশ্যই ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ তিনি বললেন, ছামুদ গোত্রের
উহায়মির, যে উষ্টী বধ করেছিল, আর যে ব্যক্তি, যে তোমার এ অঙ্গে আঘাত করবে ৷ হে
আলী একথা বলতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলীর মাথায় তার হাত রাখলেন ৷ অবশেষে এটা
রক্তে রঞ্জিত হবে ৷ একথা বলে তিনি দাড়ির উপর তীর পবিত্র হাত স্থাপন করেন ৷ এ সনদে
হাদীসটি গরীব পর্যায়ের ৷ তবে অন্য হাদীসে এর সমর্থন আছে-ন্ আলী (রা)-এর নাম আবু
তুরাব রাখার পক্ষে ৷ যেমন বুখারী শরীফে আছে : আলী (রা) একদিন ফাতিমড়াৱ উপর রাগ
করে ঘর থেকে বেরিয়ে মসজিদে ঘুমান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের ঘরে এসে ফাতিমড়ার নিবল্ট
আলী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, রাগ করে তিনি মসজিদে চলে গিয়েছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (স) মসজিদে উপস্থিত হয়ে তাকে জাগ্রত করেন এবং বলেন, হে আবু তুরাব, উঠে
দীড়াও ! হে আবুতুরাব, উঠে দীড়াও ৷
প্রথম বদর যুদ্ধ
ইবন ইসহাক বলেন : পাযওয়া আশীরা থেকে প্রত্যাবর্তা করে রাসুলুল্পাহ্ (সা) মদীনায়
কয়েক দিন মাত্র অবস্থান করেন, যা দশ পর্যন্তও পৌছেনি ৷ এসময় কুরয ইবন জাবির
আল-ফিহ্রী মদীনায় চারণভুমিতে হামলা চালায় ৷ তখন রাসুল (না) তার তালাশে বের হয়ে
বদর-এর উপকণ্ঠে অবস্থিত সাফওয়ান নামক স্থানে উপস্থিত হন ৷ আর এটাই হল পায্ওয়া বদর
আল উলা প্রথম বদর যুদ্ধ ৷ কিন্তু কুরয সে স্থান অতিক্রম করে চলে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)
তার নাপাল পাননি ৷ ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন, রাসুল (না)-এর পতাকাবাহী ছিলেন আলী
(রা) ৷ ইবন হিশাম এবং ওয়াকিদী বলেন : এসময় মদীনায় যায়দ ইবন হারিসাকে তিনি
স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফিরে আসেন এবং সেখানে জুমাদাছ ছানী, রজব ও
শাবান এ তিন মাস অবস্থান করেন ৷ আর এসময় তিনি সাআদ (রা)-এর নেতৃত্বে ৮ জন
মুহাজিরের এবস্টা দলকে প্রেরণ করেন ৷ কোন কোন বিজ্ঞ ব্যক্তির মতে সাআদকে প্রেরণ করা
হয় হামযার পর ৷ তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন ৷ কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ সংক্ষেপে ইবন
ইসহাক এতটুকু উল্লেখ করেছেন ৷ এ তিনটি বাহিনী সম্পর্কে ওয়াকিদীর বর্ণনা ইতোপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ রমাযান মাসে হামযার মারিয়া, শাওয়াল মাসে উরায়দার মারিয়া এবং
যিলকাদ মাসে সড়াআদের সারিয়া ৷ আর এসবই সংঘটিত হয় হিজরী প্রথম সনে ৷
ইমাম আহমদ আবদুল মুতড়াআল ইবন আবদুল ওয়াহহাব সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস
(রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করলে জুহায়না তার নিকট আগমন
করে বলে, আপনি তো আমাদের এলাকায় অবস্থান করছেন, তাই আমাদেরকে এ মর্মে
প্রতিশ্রুতি দেন যে, আমরা এবং আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা আপনার নিকট নির্ভয়ে
যাতায়াত করতে পারবো ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদের সঙ্গে এ মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হলে তারা
ইসলাম গ্রহণ করে ৷ রাবী বলেন, রজব মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে প্রেরণ করেন ৷
[غَزْوَةُ بَدْرٍ الْأُولَى]
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ لَمْ يَقُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ حِينَ رَجَعَ مِنَ الْعُشَيْرَةِ إِلَّا لَيَالِيَ قَلَائِلَ لَا تَبْلُغُ الْعَشَرَةَ، حَتَّى أَغَارَ كُرْزُ بْنُ جَابِرٍ الْفِهْرِيُّ عَلَى سَرْحِ الْمَدِينَةِ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَلَبِهِ حَتَّى بَلَغَ وَادِيًا يُقَالُ لَهُ: سَفَوَانَ. مِنْ نَاحِيَةِ بَدْرٍ، وَهِيَ غَزْوَةُ بَدْرٍ الْأُولَى، وَفَاتَهُ كُرْزٌ فَلَمْ يُدْرِكْهُ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ لِوَاؤُهُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَالْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ قَدِ اسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقَامَ جُمَادَى وَرَجَبًا وَشَعْبَانَ، وَقَدْ كَانَ بَعَثَ بَيْنَ يَدَيْ ذَلِكَ سَعْدًا فِي ثَمَانِيَةِ رَهْطٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، فَخَرَجَ حَتَّى بَلَغَ الْخَرَّارَ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: ذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ بَعْثَ سَعْدٍ هَذَا كَانَ بَعْدَ حَمْزَةَ - ثُمَّ رَجَعَ وَلَمْ يَلْقَ كَيْدًا. هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مُخْتَصَرًا، وَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ الْوَاقِدِيِّ لِهَذِهِ الْبُعُوثِ الثَّلَاثَةِ، أَعْنِي بَعْثَ حَمْزَةَ فِي رَمَضَانَ، وَبَعْثَ عُبَيْدَةَ فِي شَوَّالٍ، وَبَعْثَ سَعْدٍ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، كُلُّهَا فِي السَّنَةِ الْأُولَى.
পৃষ্ঠা - ২৩২১
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمُتَعَالِي بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، ثَنَا الْمُجَالِدُ عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، «عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، جَاءَتْهُ جُهَيْنَةُ فَقَالُوا: إِنَّكَ قَدْ نَزَلْتَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا فَأَوْثِقْ حَتَّى نَأْتِيَكَ وَتُؤْمِنَّا. فَأَوْثَقَ لَهُمْ فَأَسْلَمُوا. قَالَ: فَبَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَجَبٍ وَلَا نَكُونُ مِائَةً، وَأَمَرَنَا أَنْ نُغِيرَ عَلَى حَيٍّ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ إِلَى جَنْبِ جُهَيْنَةَ، فَأَغَرْنَا عَلَيْهِمْ، وَكَانُوا كَثِيرًا فَلَجَأْنَا إِلَى جُهَيْنَةَ، فَمَنَعُونَا وَقَالُوا، لِمَ تُقَاتِلُونَ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ؟ فَقَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ: مَا تَرَوْنَ؟ فَقَالَ بَعْضُنَا: نَأْتِي نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُخْبِرُهُ وَقَالَ قَوْمٌ لَا، بَلْ نُقِيمُ هَاهُنَا. وَقُلْتُ أَنَا فِي أُنَاسٍ مَعِي: لَا بَلْ نَأْتِي عِيرَ قُرَيْشٍ فَنَقْتَطِعُهَا. وَكَانَ الْفَيْءُ إِذْ ذَاكَ: مَنْ أَخَذَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ. فَانْطَلَقْنَا إِلَى الْعِيرِ، وَانْطَلَقَ أَصْحَابُنَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ، فَقَامَ غَضْبَانَ مُحْمَرَّ الْوَجْهِ فَقَالَ: أَذَهَبْتُمْ مِنْ عِنْدِي جَمِيعًا وَجِئْتُمْ مُتَفَرِّقِينَ؟ إِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمُ الْفُرْقَةُ، لَأَبْعَثَنَّ عَلَيْكُمْ رَجُلًا لَيْسَ بِخَيْرِكُمْ، أَصْبَرُكُمْ عَلَى الْجُوعِ وَالْعَطَشِ. فَبَعَثَ عَلَيْنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَحْشٍ الْأَسَدِيَّ، فَكَانَ أَوَّلَ أَمِيرٍ فِي الْإِسْلَامِ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ بِهِ نَحْوَهُ، وَزَادَ
পৃষ্ঠা - ২৩২২
بَعْدَ قَوْلِهِمْ لِأَصْحَابِهِ: لِمَ تُقَاتِلُونَ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ؟ فَقَالُوا: نُقَاتِلُ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ مَنْ أَخْرَجَنَا مِنَ الْبَلَدِ الْحَرَامِ. ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ قُطْبَةَ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، فَأَدْخَلَ بَيْنَ سَعْدٍ وَزِيَادٍ قُطْبَةَ بْنَ مَالِكٍ، وَهَذَا أَنْسَبُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهَذَا الْحَدِيثُ يَقْتَضِي أَنَّ أَوَّلَ أُمَرَاءِ السَّرَايَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ الْأَسَدِيُّ، وَهُوَ خِلَافُ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، أَنَّ أَوَّلَ الرَّايَاتِ عُقِدَتْ لِعُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطَّلِبِ، وَلِلْوَاقِدِيِّ حَدِيثٌ زَعَمَ أَنَّ أَوَّلَ الرَّايَاتِ عُقِدَتْ لِحَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.