আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

بعث حمزة بن عبد المطلب إلى سيف البحر

পৃষ্ঠা - ২৩১৩


ইবন ইসহাক বলেন ঘ্র কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) গায়ওয়া
আবৃওয়া থেকে ফিরে মদীনা পৌছার পুর্বেই র্তাকে প্রেরণ করেছিলেন ৷ মুসা ইবন উকবাও যুহ্রী
সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

অনুচ্ছেদ
সারিয়্যা হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব প্রসঙ্গে

ইবন ইসহাক বলেন : বাসুলুল্লাহ্ (না) এ স্থান থেকে হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন
হাশিমকে ৩০ জনের একটা বাহিনীসহ ঈস’ নামক স্থানের দিকে সীফুল বাহরে প্রেরণ করেন ৷
এ বাহিনীতে কোন আনসারী সাহাবী ছিলো না ৷ এ বাইিনীটি সমুদ্র তীরে আবু জাহ্ল ইবন
হিশামের নেতৃত্বে পরিচালিত ৩০০ অশ্বারোহী বাহিনীর মুখোমুখি হয় ৷ এখানে মাজদী ইবন
আম্র আল-জুহানী উভয় বাহিনীর মধ্যে মধ্যন্থতা করে সমঝোতা করে দেন ৷ ফলে উভয় দলের
লোকেরা ফিরে যান তাদের মধ্যে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷

ইবন ইসহাক বলেন : কেউ কেউ বলেন যে, হামযার পতাকা ছিল প্রথম পতাকা, যা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন মুসলমানের হাতে তুলে দেন ৷ আর এটা এ কারণে যে, হামযা আর
উবায়দার বাহিনী একই সময় প্রেরণ করা হয়, তাই তা লোকদের নিকট সন্দেহের কারণ হয়ে
দাড়ায় ৷

মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উবায়দা ইবন হারিছের বাহিনীর পুর্বে
হামযার বাহিনীকে প্রেরণ করা হয় ৷ আর হামযার বাহিনীকে যে আবওয়ার যুদ্ধের পুর্বে প্রেরণ
করা হয় তিনি তার পক্ষে প্রমাণও পেশ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবৃওয়া থেকে প্রত্যাবর্তন
করে মুহাজিরদের ৬০ জনের বাহিনীসহ উবায়দা ইবন হারিছকে প্রেরণ করেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি
যা বলেছেন, তা পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ইভােপুর্বে ওয়াকিদীর উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা
হয়েছে যে, তিনি বলেন : প্রথম হিজরী সনের রমাযান মাসে হামযার বাহিনীকে প্রেরণ করা হয়,
এরপর শাওয়াল মাসে প্রেরণ করা হয় উবায়দার বাহিনীকে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহড়াক হামযা (রা)-এর একটা কবিতা উল্লেখ করেছেন, যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে
ইসলামে তার পতাকাই ছিল প্রথম পতাকা ৷ তবে ইবন ইসহাক বলেন, হামযা এ কবিতা বলে
থাকলে ঠিবইি বলেছেন ৷ কারণ, তিনি সত্য কথাই বলেন ৷ আসলে কোনটা ঘটেছিল, তা
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ তবে আমরা জ্ঞানীদের নিকট থেকে যা শুনেছি, সে অনুযায়ী উবড়ায়দাই
ছিলেন অপ্রবর্তী ৷ আর তার কাসীদাটি এই —

—&§-fl; এ-ক্)এ ব্লো; ;১এ আেম্র এপৌম্র ণ্ান্;া৷ ঞ-ৰুএ মিঃ গ্রা
হে আমার সম্প্রদায়, সাবধান! নিজেদের মিথ্যা স্বপ্ন আর অজ্ঞতার জন্য বিস্ময় প্রকাশ কর;
বিম্ময় প্রকাশ কর জ্ঞান-বুদ্ধি আর লোকের মতের বিরুদ্ধাচরণের জন্যেও ৷
দৌন্
আরো বিম্ময় প্রকাশ কর অশ্বারােহী বাহিনীর জুলুম নির্যাতনের জন্যে ৷ আমরা তাদের
সম্পদ আর জনবলের অবমাননা করিনি ৷


[بَعْثُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلَى سَيْفِ الْبَحْرِ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ حَمْزَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ إِلَى سَيْفِ الْبَحْرِ مِنْ نَاحِيَةِ الْعِيصِ، فِي ثَلَاثِينَ رَاكِبًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، لَيْسَ فِيهِمْ مِنَ الْأَنْصَارِ أَحَدٌ، فَلَقِيَ أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ بِذَلِكَ السَّاحِلِ فِي ثَلَاثِمَائَةِ رَاكِبٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ فَحَجَزَ بَيْنَهُمْ مَجْدِيُّ بْنُ عَمْرٍو الْجُهَنِيُّ، وَكَانَ مُوَادِعًا لِلْفَرِيقَيْنِ جَمِيعًا، فَانْصَرَفَ بَعْضُ الْقَوْمِ عَنْ بَعْضٍ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَبَعْضُ النَّاسِ يَقُولُ: كَانَتْ رَايَةُ حَمْزَةَ أَوَّلَ رَايَةٍ عَقَدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَذَلِكَ أَنَّ بَعْثَهُ وَبَعْثَ عُبَيْدَةَ كَانَا مَعًا، فَشُبِّهَ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ. قُلْتُ: وَقَدْ حَكَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ بَعْثَ حَمْزَةَ قَبْلَ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ، وَنَصَّ عَلَى أَنَّ بَعْثَ حَمْزَةَ كَانَ قَبْلَ غَزْوَةِ الْأَبْوَاءِ، فَلَمَّا قَفَلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الْأَبْوَاءِ بَعَثَ عُبَيْدَةَ بْنَ الْحَارِثِ فِي سِتِّينَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنِ الْوَاقِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ: كَانَتْ سَرِيَّةُ حَمْزَةَ فِي رَمَضَانَ مِنَ السَّنَةِ الْأُولَى، وَبَعْدَهَا سَرِيَّةُ عُبَيْدَةَ فِي شَوَّالٍ مِنْهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২৩১৪


যেন আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি, অথচ আমরা তা করি না ৷ আমরা তাদের
জন্য পবিত্রতা আর ইনসাফের হুকুম ছাড়া আর কিছুই করি না ৷

ইসলাম গ্রহণে ব হুকুম ছাড়া আমরা অন্য কোন হুকুম করি না ৷ তবে তারা ইসলাম কবুল
করে না, বরং৩ ৷ ৩ারা উপহাসের অবস্থান গ্রহণ করে ৷
এে
তারা অটল থাকে (একই অবস্থায়) শেষ পর্যন্ত আমি প্রেরিত হই একটা আকস্মিক
অভিযানে ৷ যেখানেই তারা অবস্থান নেয়, সেখানে আমি কামনা করি তাদের জন্যে শাস্তি আর
কল্যাণ !
এে ;,প্রু ৰুশ্ব
রাসুলুল্লাহ্র নিদেশে৩ার উপর উড়ছে প্রথম পতাকা, যা ইতোপুর্বে কখনো উডষ্টীন হয়নি ৷
এ পতাকার সাথে আছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য, যে আল্লাহ সর্বশক্তিমান, র্যার
কাজ সর্বোত্তম কাজ ৷

তারা যাত্রা করে রাতের প্রথম প্ৰহরে প্রস্তুত হয়ে, আর আমাদের অন্তর উরুত্তজিত হচ্ছিল
তাদের প্ৰতি ক্রোধে ৷

আমরা যখন পরস্পরে মুখোমুখি হলাম, তারা তখন সওয়ারী বসিয়ে বেধে ফেললাে ৷
আমরাও তখন বাহনগুলোকে বেধে নেই তীরেব লক্ষ্য-সীমার বাইরে ৷
ণ্ধ্পু এে,
আমরা তাদের বললাম, আল্লাহর রজ্জ্ব (কুরআন) আমাদের সহায়, আর তোমাদের জন্য
গোমরাহী ছ৷ ৷ড়৷ কো ন আশ্রয় নেই ৷

সেখানে আবু জাহ্ল গর্জে উঠে ঔদ্ধত্যে, আবু জাহ্লের চক্রাম্ভকে ব্যর্থ করে দেন আল্লাহ ৷
ট্রপ্লু
আমরা ছিলাম কেবল ত্রিশ জন অশ্বারোহী আর৩ ৷রা ছিল দুই শ’ এক জন ৷


وَقَدْ أَوْرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ حَمْزَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، شِعْرًا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ رَايَتَهُ أَوَّلُ رَايَةٍ عُقِدَتْ فِي الْإِسْلَامِ، لَكِنْ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَإِنْ كَانَ حَمْزَةُ قَالَ ذَلِكَ فَهُوَ كَمَا قَالَ، لَمْ يَكُنْ يَقُولُ إِلَّا حَقًّا، فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ، فَأَمَّا مَا سَمِعْنَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عِنْدَنَا فَعُبَيْدَةُ أَوَّلُ. وَالْقَصِيدَةُ هِيَ قَوْلُهُ: أَلَا يَا لَقَوْمِي لِلتَّحَلُّمِ وَالْجَهْلِ ... وَلِلنَّقْصِ مِنْ رَأْيِ الرِّجَالِ وَلِلْعَقْلِ وَلِلرَّاكِبِينَا بِالْمَظَالِمِ لَمْ نَطَأْ ... لَهُمْ حُرُمَاتٌ مِنْ سَوَامٍ وَلَا أَهْلِ كَأَنَّا تَبَلْنَاهُمْ وَلَا تَبْلَ عِنْدَنَا ... لَهُمْ غَيْرُ أَمْرٍ بِالْعَفَافِ وَبِالْعَدْلِ وَأَمْرٍ بِإِسْلَامٍ فَلَا يَقْبَلُونَهُ وَيَنْزِلُ ... مِنْهُمْ مِثْلَ مَنْزِلَةِ الْهَزْلِ فَمَا بَرِحُوا حَتَّى انْتَدَبْتُ لِغَارَةٍ ... لَهُمْ حَيْثُ حَلُّوا أَبْتَغِي رَاحَةَ الْفَضْلِ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ أَوَّلُ خَافِقٍ ... عَلَيْهِ لِوَاءٌ لَمْ يَكُنْ لَاحَ مِنْ قَبْلِي لِوَاءٌ لَدَيْهِ النَّصْرُ مِنْ ذِي كَرَامَةٍ ... إِلَهٍ عَزِيزٍ فِعْلُهُ أَفْضَلُ الْفِعْلِ عَشِيَّةَ سَارُوا حَاشِدِينَ وَكُلُّنَا ... مَرَاجِلُهُ مِنْ غَيْظِ أَصْحَابِهِ تَغْلِي فَلَمَّا تَرَاءَيْنَا أَنَاخُوا فَعَقَّلُوا ... مَطَايَا وَعَقَّلْنَا مَدَى غَرَضِ النَّبْلِ وَقُلْنَا لَهُمْ حَبْلُ الْإِلَهِ نَصِيرُنَا ... وَمَا لَكُمُ إِلَّا الضَّلَالَةُ مِنْ حَبْلِ فَثَارَ أَبُو جَهْلٍ هُنَالِكَ بَاغِيًا فَخَابَ ... وَرَدَّ اللَّهُ كَيْدَ أَبِي جَهْلِ
পৃষ্ঠা - ২৩১৫
وَمَا نَحْنُ إِلَّا فِي ثَلَاثِينَ رَاكِبًا وَهُمْ مِائَتَانِ بَعْدَ وَاحِدَةٍ فَضْلِ ... فِيَالَ لُؤَيٍّ لَا تُطِيعُوا غُوَاتَكُمْ وَفِيئُوا إِلَى الْإِسْلَامِ وَالْمَنْهَجِ السَّهْلِ ... فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَصُبَّ عَلَيْكُمُ عَذَابٌ فَتَدْعُوا بِالنَّدَامَةِ وَالثُّكْلِ قَالَ: فَأَجَابَهُ أَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ لَعَنَهُ اللَّهُ فَقَالَ: عَجِبْتُ لِأَسْبَابِ الْحَفِيظَةِ وَالْجَهْلِ وَلِلشَّاغِبِينَ بِالْخِلَافِ وَبِالْبُطْلِ وَلِلتَّارِكِينَ مَا وَجَدْنَا جُدُودَنَا عَلَيْهِ ذَوِي الْأَحْسَابِ وَالسُّؤْدُدِ الْجَزْلِ ثُمَّ ذَكَرَ تَمَامَهَا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يُنْكِرُ هَاتَيْنِ الْقَصِيدَتَيْنِ لِحَمْزَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَلِأَبِي جَهْلٍ لَعَنَهُ اللَّهُ.