فصل في ذكر اللوح المحفوظ
পৃষ্ঠা - ২৩
সুশোভিত করে তাকে সুষমামণ্ডিত ও শয়তানের কবল থেকে সুরক্ষিত বানিয়েছেন ৷ তারপর
ইচ্ছা মত সৃষ্টি পর্ব শেষ করে তিনি আরশের প্রতি মহ্বনাসংযোগ করেন ৷
বলাবাহুলা যে, এ হাদীসে অনেকগুলো দৃর্বলতা রয়েছে এবং এর বেশির ভাগই ইসরাঈলী
বিবরণসমুহ থেকে নেয়া ৷ কারণ, কাব আল আহবার উমর (রা)-এর আমলে যখন ইসলাম
গ্রহণ করেন তখন তিনি তার সামনে আহলে কিতাবদের জ্ঞানভাণ্ডার থেকে বিভিন্ন বিষয়
নিয়ে আলোচনা করতেন আর উমর (বা) তার মনোরঞ্জনের নিমিত্ত এবং তার অনেক বক্তব্য
ইসলামের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মুগ্ধ হয়ে মনোযোগের সঙ্গে তা শুনে যেতেন ৷ এ কারণে এবং
বনী ইসরাঈলদের থেকে বর্ণনা করার অনুমতি থাকার ফলে অনেকে কাব আল-আহবার-এর
বক্তব্য বিবৃত করা বৈধ মনে করেন ৷ কিন্তু তিনি যা বর্ণনা করতেন তার অধিকাৎশই প্রচুর
ড়াশ্ভ্রান্তিতে পরিপুর্ণ ৷
ইমাম বুখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থে মুআবিয়া (রা) সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি কাব
আল-আহবার সম্বন্ধে বলতেন : তা সত্বেও তিনি যা উদ্ধৃত করতেন আমরা তার সত্য-মিথ্যা
যাচইি করে নিতাম ৷ যদিও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল বিবরণ দিতেন না ৷ আল্পাহই সর্বজ্ঞ ৷
এখানে আমরা যে সব বিষয় আনয়ন করব যা তাদের থেকে বড় বড় ইমামগণ বর্ণনা
করেছেন ৷ তারপর সে সব হাদীসও উল্লেখ করব, যা তার সভ্যতার সাক্ষ্য দেবে কিৎবা তা
মিথ্যা প্ৰতিপন্ন করবে আর অবশিষ্ট কিছু এমনও থাকবে যা সত্যায়নও করা হবে না,
প্রত্যাখ্যানও না ৷ আমরা আল্লাহরই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং র্তারই উপর ভরসা রাখি ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
;,া
অর্থাৎ “আল্লাহ সৃষ্টিকার্য শেষ করে আরশের উপরে তার নিকটে থাকা কিতাবে লিপিবদ্ধ
করে রাখেন যে, নিঃসন্দেহে আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর প্রবল ৷
ইমাম মুসলিম, ইমাম নাসাঈ ও কুতায়বা (র) সুত্রে হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তারপর
ইমাম বুখারী (র) সাত যমীন প্রসঙ্গ বর্ণনা করেন ৷
নতুন নতুন বাং লায় ইসলাযীক বই ডাউনলোড করতে ইসলামী বই ওয়েব সাইট ভিজিট করুণ
[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ اللَّوْحِ الْمَحْفُوظِ]
قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ لَوْحًا مَحْفُوظًا مِنْ دُرَّةٍ بَيْضَاءَ صَفَحَاتُهَا مِنْ يَاقُوتَةٍ حَمْرَاءَ، قَلُمُهُ نُورٌ، وَكِتَابُهُ نُورٌ، لِلَّهِ فِيهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ سِتُّونَ وَثَلَاثُمِائَةِ لَحْظَةٍ، يَخْلَقُ وَيَرْزُقُ، وَيُمِيتُ وَيُحْيِي، وَيُعِزُّ وَيُذِلُّ، وَيَفْعَلُ مَا يَشَاءُ» . وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: أَخْبَرَنِي مُقَاتِلٌ، وَابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ فِي صَدْرِ اللَّوْحِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، دِينُهُ الْإِسْلَامُ، وَمُحَمَّدٌ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَصَدَّقَ بِوَعْدِهِ وَاتَّبَعَ رُسُلَهُ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ قَالَ: وَاللَّوْحُ لَوْحٌ مِنْ دُرَّةٍ بَيْضَاءَ، طُولُهُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَعَرْضُهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَحَافَّتَاهُ الدُّرُّ وَالْيَاقُوتُ، وَدَفَّتَاهُ يَاقُوتَةٌ حَمْرَاءُ، وَقَلَمُهُ نُورٌ، وَكَلَامُهُ مَعْقُودٌ بِالْعَرْشِ، وَأَصْلُهُ فِي حِجْرِ مَلَكٍ. وَقَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَغَيْرُهُ مِنَ السَّلَفِ: اللَّوْحُ الْمَحْفُوظُ فِي جَبْهَةِ إِسْرَافِيلَ. وَقَالَ مُقَاتِلٌ: هُوَ عَنْ يَمِينِ الْعَرْشِ.