السنة الثانية من الهجرة
ما وقع فيها من الأحداث
كتاب المغازي
فصل ذكر من مال من المنافقين إلى اليهود
পৃষ্ঠা - ২২৯৬
প্রমাণ-নিদর্শনও উপস্থিত হয়েছিল ৷ আর আল্লাহ্ জালিম কওমকে হিদায়াত দান করেন না ৷ (৩
৪ ৮৬) ৷ এখানে দীর্ঘ কাহিনী আছে ৷ ইবন ইসহাক বলেন : বাজাদ ইবন উছমান ইবন আমির
এবং নাবতাল ইবন হারিছ, যার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন :
যে ব্যক্তি শয়তান দেখা পসন্দ করে, সে যেন এ ব্যক্তিকে দেখে ৷ আর লোকটি ছিল
মােটা-তাগড়া, কৃষ্ণকায় দীর্ঘাঙ্গধারী, মাথার চুলগুলাে উষ্কৃখুষ্ক, লাল তামাটে চক্ষুদ্বয় এবং পাল
দু’টি কুচকুচে কালো ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাণী শ্রবণ করে তা মুনাফিকদের নিকট গিয়ে
লাপাতাে ৷ এ লােকই বলেছিল :
মুহাম্মদ তো আস্ত কান, কেউ তাকে কোন কথা বললে তিনি তা সত্য বলে মেনে নেন ৷
তার সম্পর্কে আল্লাহ্ তা জানা না ৷যিল করেনং :
, , , , :
তাদের (মুনাফিকদের) মধ্যে এমন সােকও আছে, যারা নবী (না)-কে পীড়া দেয় এবং বলে
যে, সে তো কর্ণপাতকারী ৷ (৯ : ৬১) ৷
তিনি আরো বলেন : আবু হাবীবা ইবন আযআর ছিল মসজিদে যিরারের অন্যতম
প্রতিষ্ঠাতা এবং ছালাবা ইবন হাতির এবং মুআত্তাব ইবন কুশায়র এরা হল সেই দৃ’ব্যক্তি
যারা আল্লাহ্র নিকট অঙ্গীকার করেছিল যে, আল্লাহ্ আমাদের প্রতি অনুগ্নহ দান করলে আমরা
অবশ্যই সাদকা করবো ৷ এরপর তারা যে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ৷ তাদের সম্পর্কেই উপরোক্ত
আয়াত নাযিল হয় ৷ আর মুআত্তাব হল যে ব্যক্তি, যে উহুদ যুদ্ধের দিন বলেছিল :
স্ফো মোঃ
“এ ব্যাপারে আমাদের কোন অধিক ব থাকলে আমরা এখানে মারা পড়তাম না ৷” তার
সম্পর্কে আয়া৩ টি নাযিল হয় ৷ আর এ হচ্ছে যে ব্যক্তি যে আহযাব যুদ্ধের দিন বলেছিল৪
মুহাম্মদ আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে, আমরা কায়সার কিসরার ধনভাণ্ডারের অধিকারী
হবো অথচ অবস্থা এই যে, আমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তি শৌচাগারে যেতেও নিরাপদ বোধ
করছে না ৷ তার সম্পর্কে আয়াত নাযিল হয়ং :
ব্লু ( !০ : ) ) ষ্ ! ৩ ) ষ্ ; ;
১৷ ৷ ; ৷ ,
র্ট ং ) )
আর স্মরণ কর, মুনাফিক এবং যাদের অন্তার ব্যাধি আছে, তারা বলেছিল, আল্লাহ্ ও
তার রাসুল আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়
(৩৩ : ১২) ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আরো ছিল হারিছ ইবন হাতির ৷ ইবন হিশাম বলেন : মুআত্তাব ইবন
কুশায়র এবং ছালাবা ও হারিছ-এরা দু’জন ছিল হাতিবের পুত্র ৷ আর এরা ছিল বনী উমাইয়া
[فَصْلُ ذِكْرِ مَنْ مَالَ مِنَ الْمُنَافِقِينَ إِلَى الْيَهُودِ]
فَصْلٌ
ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مَنْ مَالَ إِلَى هَؤُلَاءِ الْأَضْدَادِ مِنَ الْيَهُودِ، مِنَ الْمُنَافِقِينَ مِنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ، فَمِنَ الْأَوْسِ، زُوَيُّ بْنُ الْحَارِثِ، وَجُلَاسُ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ الصَّامِتِ الْأَنْصَارِيُّ، وَفِيهِ نَزَلَ: {يَحْلِفُونَ بِاللَّهِ مَا قَالُوا وَلَقَدْ قَالُوا كَلِمَةَ الْكُفْرِ وَكَفَرُوا بَعْدَ إِسْلَامِهِمْ} [التوبة: 74] وَذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ حِينَ تَخَلَّفَ عَنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ: لَئِنْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ صَادِقًا لَنَحْنُ شَرٌّ مِنَ الْحُمُرِ. فَنَمَاهَا ابْنُ امْرَأَتِهِ عُمَيْرُ بْنُ سَعْدٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْكَرَ الْجُلَاسُ ذَلِكَ وَحَلِفَ مَا قَالَ، فَنَزَلَ فِيهِ ذَلِكَ. قَالَ: وَقَدْ زَعَمُوا أَنَّهُ تَابَ وَحَسُنَتْ تَوْبَتُهُ حَتَّى عُرِفَ مِنْهُ الْإِسْلَامُ وَالْخَيْرُ. قَالَ: وَأَخُوهُ الْحَارِثُ بْنُ سُوَيْدٍ، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ الْمُجَذَّرَ بْنَ ذِيَادٍ الْبَلَوِيَّ، وَقَيْسَ بْنَ زَيْدٍ أَحَدَ بَنِي ضُبَيْعَةَ يَوْمَ أُحُدٍ، خَرَجَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ، وَكَانَ مُنَافِقًا فَلَمَّا الْتَقَى النَّاسُ، عَدَا عَلَيْهِمَا فَقَتَلَهُمَا، ثُمَّ لَحِقَ بِقُرَيْشٍ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ الْمُجَذَّرُ قَدْ قَتَلَ أَبَاهُ سُوَيْدَ بْنَ الصَّامِتِ فِي بَعْضِ حُرُوبِ الْجَاهِلِيَّةِ، فَأَخَذَ بِثَأْرِ أَبِيهِ مِنْهُ يَوْمَ أُحُدٍ. كَذَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ الَّذِي قَتَلَ سُوَيْدَ بْنَ الصَّامِتِ إِنَّمَا هُوَ مُعَاذُ بْنُ عَفْرَاءَ، قَتْلَهُ فِي غَيْرِ حَرْبٍ، قَبْلَ يَوْمِ بُعَاثٍ، رَمَاهُ بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ. وَأَنْكَرَ ابْنُ هِشَامٍ أَنْ يَكُونَ
পৃষ্ঠা - ২২৯৭
الْحَارِثُ قَتَلَ قَيْسَ بْنَ زَيْدٍ، قَالَ: لِأَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ لَمْ يَذْكُرْهُ فِي قَتْلَى أُحُدٍ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بِقَتْلِهِ إِنْ هُوَ ظَفِرَ بِهِ، فَبَعَثَ الْحَارِثُ إِلَى أَخِيهِ الْجُلَاسِ يَطْلُبُ لَهُ التَّوْبَةَ، لِيَرْجِعَ إِلَى قَوْمِهِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ، فِيمَا بَلَغَنِي عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: {كَيْفَ يَهْدِي اللَّهُ قَوْمًا كَفَرُوا بَعْدَ إِيمَانِهِمْ وَشَهِدُوا أَنَّ الرَّسُولَ حَقٌّ وَجَاءَهُمُ الْبَيِّنَاتُ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} [آل عمران: 86] إِلَى آخِرِ الْقِصَّةِ. قَالَ: وَبِجَادُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، «وَنَبْتَلُ بْنُ الْحَارِثِ، وَهُوَ الَّذِي قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَحَبَّ أَنَّ يَنْظُرَ إِلَى شَيْطَانٍ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا» . وَكَانَ جَسِيمًا، أَدْلَمَ ثَائِرَ شَعْرِ الرَّأْسِ أَحْمَرَ الْعَيْنَيْنِ، أَسْفَعَ الْخَدَّيْنِ، وَكَانَ يَسْمَعُ الْكَلَامَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَنْقُلُهُ إِلَى الْمُنَافِقِينَ، وَهُوَ الَّذِي قَالَ: إِنَّمَا مُحَمَّدٌ أُذُنٌ، مَنْ حَدَّثَهُ بِشَيْءٍ صَدَّقَهُ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِ: {وَمِنْهُمُ الَّذِينَ يُؤْذُونَ النَّبِيَّ وَيَقُولُونَ هُوَ أُذُنٌ} [التوبة: 61] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 61] . قَالَ: وَأَبُو حَبِيبَةَ بْنُ الْأَزْعَرِ، وَكَانَ مِمَّنْ بَنَى مَسْجِدَ الضِّرَارِ وَثَعْلَبَةُ بْنُ حَاطِبٍ، وَمُعَتِّبُ بْنُ قُشَيْرٍ، وَهُمَا اللَّذَانِ عَاهَدَا اللَّهَ {لَئِنْ آتَانَا مِنْ فَضْلِهِ لَنَصَّدَّقَنَّ} [التوبة: 75] ثُمَّ نَكَثَا فَنَزَلَ فِيهِمَا ذَلِكَ وَمُعَتِّبٌ هُوَ الَّذِي قَالَ
পৃষ্ঠা - ২২৯৮
يَوْمَ أُحُدٍ {لَوْ كَانَ لَنَا مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ مَا قُتِلْنَا هَاهُنَا} [آل عمران: 154] فَنَزَلَ فِيهِ الْآيَةُ، وَهُوَ الَّذِي قَالَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ: كَأَنَّ مُحَمَّدًا يَعِدُنَا أَنْ نَأْكُلَ كُنُوزَ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَأَحَدُنَا لَا يَأْمَنُ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى الْغَائِطِ، فَنَزَلَ فِيهِ: {وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا} [الأحزاب: 12]
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَالْحَارِثُ بْنُ حَاطِبٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمُعَتِّبُ بْنُ قُشَيْرٍ، وَثَعْلَبَةُ وَالْحَارِثُ ابْنَا حَاطِبٍ - وَهُمَا مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ زَيْدٍ - مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ، وَلَيْسُوا مِنَ الْمُنَافِقِينَ، فِيمَا ذَكَرَ لِي مَنْ أَثِقُ بِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ. قَالَ: وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ ثَعْلَبَةَ وَالْحَارِثَ فِي بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ زَيْدٍ، فِي أَسْمَاءِ أَهْلِ بَدْرٍ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَعَبَّادُ بْنُ حُنَيْفٍ، أَخُو سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ وَبَحْزَجٍ وَكَانَ مِمَّنْ بَنَى مَسْجِدَ الضِّرَارِ، وَعَمْرُو بْنُ خِذَامٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَبْتَلٍ، وَجَارِيَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ الْعَطَّافِ، وَابْنَاهُ يَزِيدُ وَمُجَمِّعٌ ابْنَا جَارِيَةٍ، وَهُمْ مِمَّنِ اتَّخَذَ مَسْجِدَ الضِّرَارِ، وَكَانَ مُجَمِّعٌ غُلَامًا حَدَثًا، قَدْ جَمَعَ أَكْثَرَ الْقُرْآنِ وَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ فِيهِ، فَلَمَّا خُرِّبَ مَسْجِدُ الضِّرَارِ - كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ بَعْدَ غَزْوَةِ تَبُوكَ - وَكَانَ فِي أَيَّامِ عُمَرَ، سَأَلَ أَهْلُ قُبَاءٍ عُمَرَ أَنْ يُصَلِّيَ بِهِمْ مُجَمِّعٌ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ২২৯৯
“তোমরা সােকটাকে ছেড়ে দাও ৷ সেতো চােখেরও অন্ধ আবার অম্ভরেরও অন্ধ ৷ সাআদ
ইবন যায়দ আল-আশহা ৷লী ধনুকের আঘাতে তাকে অন্ধ করেন ৷ তিনি (ইবন ইসহাক) আরো
বলেন৪ তার ভাই আওস ইবন কায়যীও তাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ আর এ আওস ইবন কায়যী খন্দক
যুদ্ধের দিন আল্লাহ্র রাসুল (সা) কে বলেছিলং : ;”; £;ঠুটু ট্রু , ৷ আমাদের বাড়ি ঘর
অরক্ষিত ৷ আল্লাহ্ তা আলা তার এ কথা বাতিল করে দিয়ে বললেনং :
াট্রুড্রু
(আসলে) সেগুলো অরক্ষিত নয় ৷ মুলত পলায়ন করাই ত ৷দের উদ্দেশ্য (৩৩ং : ১৩) ৷
ইবন ইসহাক বলেনঃ হাতির ইবন উমাইয়া ইবন রাফিও ছিল তাদের অন্যতম ৷ সে ছিল
অতিবৃদ্ধ এবং ণ্মাটাসােটা ব্যক্তি ৷ জা ৷হিলিয়াংতর যুগেই সে অতিবৃদ্ধ হয়ে পড়েছিল ৷ তার সন্তান
ইয়াযীদ ইবন হাতির ছিলেন উত্তম মুসলমানদের অন্য৩ ৩ম উহুদ যুদ্ধে তিনি আঘাতে জর্জরিত
ছিলেন ৷ আহত অবস্থায়৩ তাকে বনী যাফরের বসতিতে আনা হয় ৷ আসিম ইবন উমর ইবন
কাতাদার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বনী যাফরের বসত্যিত নারী-পুরুষ অনেকেই সমবেত
হয়ে (তাকে সান্তুন৷ দেয়ার জন্য) বলতে থাকে, হে হাতির তনয়! জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ
কর ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এ সময় তার পিতার মুনড়াফিকী উন্মোচিত হয় ৷ হীা, হারমাল-এর
বাগান আর কি! আল্লাহর কসম, তোমরা এই নিরীহ লোকটাকে মনের দিক থেকে ঘোকা
দিয়েছ ৷ তিনি বলেন, তাদের অন্যতম হলেন বৃশায়র ইবন উবায়রিক আবুতু মা, ২টি বর্মচোর,
যার সম্পর্কে নিম্বো ৷ক্ত আয়াত নাযিল হয়েছেং :
০ি
যারা নিজেদের সঙ্গে প্রতারণা করে, তুমি তাদের পক্ষে বাদ বিসম্বাদ করবে না (৪ :
১০৭) ৷ তিনি আরো বলেন : বনু যাফরের মিত্র কাযমানও ছিল তাদের অন্যতম ৷ এ ব্যক্তি উহুদ
যুদ্ধের দিন ৭ ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল ৷ আঘাতে কাতর হয়ে অবশেষে আত্মহত্যা করে ৷
মৃভ্যুকালে সে বলে যায় কেবল নিজ জাতির গৌরব রক্ষার্থেই আমি লড়াই করেছি ৷ একথা
ক টি বলার পর সে মারা যায় ৷৩ তার প্রতি অ ৷ল্লাহ্র লা নত ৷
ইবন ইসহাক বলেন : বনু আবদুল আশহালে কোন মুনাফিক নড়ারী-পুরুষ ছিল না; তবে
দহ্হাক ইবন ছাবিত মুনাফির্কীর অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল ৷ ইয়াহুদীদের প্রতি ভালবাসার
অভিযােগেও সে অভিযুক্ত ছিল ৷ আর এরা সকলেই ছিল আওস গোত্রের লোক ৷ ইবন ইসহাক
বলেন : খাযরাজ গোত্রের মধ্যে ছিল রাফি ইবন ওয়াদীঅ৷ ৷ যায়দ ইবন আমর, আমর ইবন
কায়স, কায়স ইবন আমর ইবন মাইল এবং জাদ ইবন কায়স এ হল যে ব্যক্তি, যে বলেছিল
(হে মুহাম্মদ) আমাকে অনুমতি দাও, ফিতনায় ফেলো না ৷ আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন
সালুল- এ লোকটি ছিল যুনাফিকদের নেতা এবং আওস ও খাযরাজ গোত্রের প্রধান ব্যক্তি ৷
জাহিলী যুগে তাকে বাদশাহ বানাবার ব্যাপারে সকলেই একমত হয়েছিল ৷ এর আগেই আল্লাহ
€০া৷া
৫৪ ——
لَا وَاللَّهِ، أَوَلَيْسَ إِمَامَ الْمُنَافِقِينَ فِي مَسْجِدِ الضِّرَارِ؟ فَحَلَفَ بِاللَّهِ مَا عَلِمْتُ بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِهِمْ. فَزَعَمُوا أَنَّ عُمَرَ تَرْكَهُ فَصَلَّى بِهِمْ. قَالَ: وَوَدِيعَةُ بْنُ ثَابِتٍ، وَكَانَ مِمَّنْ بَنَى مَسْجِدَ الضِّرَارِ، وَهُوَ الَّذِي قَالَ: إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ. فَنَزَلَ فِيهِ ذَلِكَ قَالَ: وَخِذَامُ بْنُ خَالِدٍ، وَهُوَ الَّذِي أُخْرِجَ مَسْجِدُ الضِّرَارِ مِنْ دَارِهِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ مُسْتَدْرِكًا عَلَى ابْنِ إِسْحَاقَ فِي مُنَافِقِي بَنِي النَّبِيتِ مِنَ الْأَوْسِ: وَبِشْرٌ وَرَافِعٌ ابْنَا زَيْدٍ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمِرْبَعُ بْنُ قَيْظِيِّ، وَكَانَ أَعْمَى، وَهُوَ الَّذِي قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَجَازَ فِي حَائِطِهِ وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى أُحُدٍ: لَا أُحِلُّ لَكَ، إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا، أَنْ تَمُرَّ فِي حَائِطِي. وَأَخَذَ فِي يَدِهِ حَفْنَةً مِنْ تُرَابٍ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي لَا أُصِيبُ بِهَا غَيْرَكَ لَرَمَيْتُكَ بِهَا. فَابْتَدَرَهُ الْقَوْمُ لِيَقْتُلُوهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعُوهُ فَهَذَا الْأَعْمَى أَعْمَى الْقَلْبِ أَعْمَى الْبَصَرِ. وَقَدْ ضَرَبَهُ سَعْدُ بْنُ زَيْدٍ الْأَشْهَلِيُّ بِالْقَوْسِ فَشَجَّهُ. قَالَ: وَأَخُوهُ أَوْسُ بْنُ قَيْظِيِّ، وَهُوَ الَّذِي قَالَ: إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ. قَالَ اللَّهُ: {وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ إِنْ يُرِيدُونَ إِلَّا فِرَارًا} [الأحزاب: 13] قَالَ: وَحَاطِبُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ رَافِعٍ، وَكَانَ شَيْخًا جَسِيمًا، قَدْ عَسَا فِي جَاهِلِيَّتِهِ، وَكَانَ لَهُ ابْنٌ مِنْ خِيَارِ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ بْنُ حَاطِبٍ. أُصِيبَ يَوْمَ أُحُدٍ حَتَّى أَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَاتُ، فَحُمِلَ إِلَى دَارِ بَنِي ظَفَرٍ
পৃষ্ঠা - ২৩০০
فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، أَنَّهُ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ مَنْ بِهَا مِنْ رِجَالِ الْمُسْلِمِينَ وَنِسَائِهِمْ وَهُوَ يَمُوتُ، فَجَعَلُوا يَقُولُونَ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ يَابْنَ حَاطِبٍ. قَالَ: فَنَجَمَ نِفَاقُ أَبِيهِ، فَجَعَلَ يَقُولُ: أَجَلْ، جَنَّةٌ مِنْ حَرْمَلٍ، غَرَرْتُمْ وَاللَّهِ هَذَا الْمِسْكِينَ مِنْ نَفْسِهِ. قَالَ: وَبَشِيرُ بْنُ أُبَيْرِقٍ أَبُو طُعْمَةَ، سَارِقُ الدِّرْعَيْنِ، الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِ: {وَلَا تُجَادِلْ عَنِ الَّذِينَ يَخْتَانُونَ أَنْفُسَهُمْ} [النساء: 107] الْآيَاتِ. قَالَ: وَقُزْمَانُ حَلِيفٌ لِبَنِي ظَفَرٍ، الَّذِي قَتَلَ يَوْمَ أُحُدٍ سَبْعَةَ نَفَرٍ، ثُمَّ لَمَّا آلَمَتْهُ الْجِرَاحَةُ، قَتَلَ نَفْسَهُ وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا قَاتَلْتُ إِلَّا حَمِيَّةً عَلَى قَوْمِي. ثُمَّ مَاتَ، لَعَنَهُ اللَّهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يَكُنْ فِي بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ مُنَافِقٌ وَلَا مُنَافِقَةٌ يُعْلَمُ، إِلَّا أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ ثَابِتٍ كَانَ يُتَّهَمُ بِالنِّفَاقِ وَحُبِّ يَهُودَ. فَهَؤُلَاءِ كُلُّهُمْ مِنَ الْأَوْسِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمِنَ الْخَزْرَجِ، رَافِعُ بْنُ وَدِيعَةَ، وَزَيْدُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَمْرُو بْنُ قَيْسٍ، وَقَيْسُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَهْلٍ، وَالْجَدُّ بْنُ قَيْسٍ، وَهُوَ الَّذِي قَالَ: {ائْذَنْ لِي وَلَا تَفْتِنِّي} [التوبة: 49] وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيِّ ابْنُ سَلُولَ، وَكَانَ رَأْسَ الْمُنَافِقِينَ - وَرَئِيسَ الْخَزْرَجِ وَالْأَوْسِ أَيْضًا، كَانُوا قَدْ أَجْمَعُوا عَلَى أَنْ يُمَلِّكُوهُ عَلَيْهِمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَلَمَّا هَدَاهُمُ اللَّهُ لِلْإِسْلَامِ قَبْلَ ذَلِكَ، شَرِقَ اللَّعِينُ