আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

السنة الثانية من الهجرة

ما وقع فيها من الأحداث

كتاب المغازي

عداوة اليهود للنبي صلى الله عليه وسلم وما وقع منهم

পৃষ্ঠা - ২২৯২

হিজরী দ্বিতীয় সনে যেসব ঘটনা ঘটেছে; তার আলোচনা

এ সময় অনেক গাযওয়া ও মারিয়া সংঘটিত হয় ৷ এ সাবর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং
সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ হল বদর যুদ্ধ, যা এ বছর রমড়াযান সালে সংঘটিত হয় ৷ আর এ যুদ্ধের
মাধ্যমে আল্লাহ্ সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য সুচিত করেন ৷ পার্থক্য করেন হিদায়াত আর
গোমরাহীর মধ্যে ৷ আর এ হল মাগাযী আর মারিয়া সম্পর্কে আলোচনা করার সময় ৷ তাই
আল্লাহ্র নিকট সাহায্য ভিক্ষা করে আমরা বলছি ৷

কিতাবুল মাগাযী

ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইসহাক তার সীরাত গ্রন্থে ইয়াহ্রদী ধর্মযাজক, ইসলাম এবং ইসলামের
অনুসারীদের প্ৰতি তাদের দৃশমনী তথা হিংসা-বিদ্বেষ এবং যাদের সম্পর্কে কুরআন মজীদের
আয়াত নাযিল হয়েছে, তাদের কথা আলোচনা করার পর বলেন : তাদের মধ্যে রয়েছে হুয়াই
ইবন আখতার এবং তার দুই ভাই আবু ইয়াসির ও জুদী, সাল্লাম ইবন মিশকাম, কিনানা ইবন
রাৰী ইবন আরিল হুকায়ক ৷ সাল্লাম ইবন আবুল হুকায়ক এই ছিল সেই কুখ্যাত আবু রাফি
হিজাযের বাসিন্দাদের সাথে যার বাণিজ্য ছিল খায়বর ভুমিতে সাহাবীরা এ ব্যক্তিকে হত্যা
করেন, যার আলোচনা পরে করা হবে ৷ রড়াবী ইবন রাবী ইবন আবুল হুকায়ক, আমর ইবন
জাহ্হড়াশ, কাআব ইবন আশরাফ যে ছিল বনু তাঈ গোত্রের বৃহত্তর বনু নাবহান গোষ্ঠীর
অন্যতম সর্দার এবং তার যা ছিল বনু নাযীর গোত্রের ৷ সাহাবীরা আবৃ রাফি হত্যার পুর্বে একে
হত্যা করেন, যে সম্পর্কে পরে আলোচনা আসছে ৷ আর হুলায়ফা আল-হাজ্জাজ ইবন আমর
এবং কারদাম ইবন কায়স ৷ এদের প্রতি আল্লাহর লা“নত-এরা সকলেই ছিল বনুনাযীর গোত্রের
লোক ৷ আর বনী ছালাবা ইবন ফাত্য়ুনের অন্তর্ভুক্ত ছিল আবদুল্লাহ্ ইবন সুরিয়৷ ৷ পরবর্তীকালে
হিজাযে তার চাইতে বড় তাওরাতের জ্ঞানী আর কেউ ছিল না ৷

আমি বলি, কথিত আছে যে, ইনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আর ইবন সালুবা এবং
মুখায়রীক উহুদ যুদ্ধের দিন ইসলাম গ্রহণ করেন এ সম্পর্কে বর্ণনা আসছে ৷ ইনি ছিলেন তার
জাতির ধ্র্মযাজক ৷ আর বনু কায়নুকার মধ্যে যায়দ ইবন লিসীত, সাআদ ইবন হানীফ, মাহমুদ
ইবন শায়খান (মতাম্ভরে সুবহান) , উযায়য় ইবন আবু উযায়য, আবদুল্লাহ ইবন যাইফ, সুয়ায়দ
ইবন হারিছ, রিফাআ ইবন কায়স, ফিনহাস, আশৃয়া ও নুমান ইবন আযা বাহ্বী ইবন আমর ,
শাশৃ ইবন আদী, শাশ ইবন কায়স, যায়দ ইবন হারিছ, নুমান ইবন উমায়র (মতাম্ভরে আমর) ,
সিকীন ইবন আবী সিকীন, আদী ইবন যায়দ, নুমড়ান ইবন আবু আওফা আবু উনৃস , মড়াহ্মুদ
ইবন দিহ্য়া, মালিক ইবন লাইফ, কাআব ইবন রাশিদ, আযির ও রাফি“ ইবন আবু রাফি“ (দুই


[السَّنَةُ الثَّانِيَةُ مِنَ الْهِجْرَةِ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ] ذِكْرُ مَا وَقَعَ فِي السَّنَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْهِجْرَةِ، مِنَ الْحَوَادِثِ وَقَعَ فِيهَا كَثِيرٌ مِنَ الْمَغَازِي وَالسَّرَايَا، وَمِنْ أَعْظَمِهَا وَأَجَلِّهَا بَدْرٌ الْكُبْرَى، الَّتِي كَانَتْ فِي رَمَضَانَ مِنْهَا، وَقَدْ فَرَّقَ اللَّهُ بِهَا بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ، وَالْهُدَى وَالْغَيِّ. وَهَذَا أَوَانُ ذِكْرِ الْمَغَازِي وَالْبُعُوثِ، فَنَقُولُ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. [كِتَابُ الْمَغَازِي] [عَدَاوَةُ الْيَهُودِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا وَقَعَ مِنْهُمْ] كِتَابُ الْمَغَازِي قَالَ الْإِمَامُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ فِي كِتَابِ " السِّيرَةِ "، بَعْدَ ذِكْرِهِ أَحْبَارَ الْيَهُودِ، وَنَصْبِهِمُ الْعَدَاوَةَ لِلْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَمَا نَزَلَ فِيهِمْ مِنَ الْآيَاتِ: فَمِنْهُمْ، حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ، وَأَخَوَاهُ أَبُو يَاسِرٍ، وَجُدَيٌّ، وَسَلَّامُ بْنُ مِشْكَمٍ، وَكِنَانَةُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ، وَسَلَّامُ بْنُ أَبِي الْحُقَيْقِ، وَهُوَ أَبُو رَافِعٍ الْأَعْوَرُ،
পৃষ্ঠা - ২২৯৩


ভাই) , থালিদ ও আমার ইবন আবু আমার ৷ ইবন হিশাম বলেন, আযর ইবন আবু আযরও বলা
হয় ৷ রাফি ইবন হারিছা, রাফি ইবন হুরায়মিলা, রাফি“ ইবন খারিজা, মালিক ইবন আওফ,
রিফাআ ইবন যায়দ ইবন তাবুত এবং আবদুল্লাহ ইবন সালাম ৷

আমার মতে, ইনি ইতোপুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইনি ছিলেন
তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম আলিম ৷৩ তার নাম ছিল হুসাইন ৷ ইসলাম গ্রহণের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার নামকরণ করেন আবদুল্লাহ ৷ ইবন ইসহাক বলেন, বনু কুরায়যার মধ্যে ছিল যুবায়র ইবন
বাতা ইবন ওয়াহাব, আযাল ইবন শ্া৷মওয়াল কাআব ইবন আসাদ, এ ব্যক্তি খন্দকের যুদ্ধের
বছর তাদের সঙ্গে কৃত চুক্তি লংঘন করে ৷ শামুয়েল ইবন যায়দ, জাবাল ইবন আমব ইবন
সাকীনা, নাহাম ইবন যায়দ, কারদাম ইবন কাআব, ওয়াহাব ইবন যায়দ, নাফি ইবন আবু
নাফি , আবু ইবন যায়দ, হারিছ ইবন আওফ, কারদাম ইবন যায়দ, উসআ ইবন হাবীব, রাফি“
ইবন যামীলা, জাবাল ইবন আবী কুশায়র, ওয়াহাব ইবন য়াহ্রযা ৷ তিনি বলেন, বনী যুরায়কের
মধ্যে লবীদ ইবন আসাম এ ব্যক্তিই রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জাদু করেছিল ৷ আর বনী হারিছার
ইয়াহুদীদের মধ্যে কিনানা ইবন সুরিয়া এবং বনী আমৃর ইবন আওফের ইয়াহ্রদীদের মধ্যে
কারদাম ইবন আমর এবং বনী নাজ্জারের ইয়াহ্রদীদের মধ্যে সিলসিলা ইবন বারহাম ৷

ইবন ইসহাক বলেন : এরা হলো ইয়াহুদী আলিম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি বৈরিতা
ও বিদ্বেষ পােষণকারী এবং রাসুলের সাহাবীদের প্ৰতিও বিদ্বেষ পােষণকারী ৷ আর এরা ছিল
প্রশ্নকর্তা ৷ এরা হিংসা ,বিদ্বেষ শক্র৩ ৷ আর কুফ্রীবশ ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে নন ৷রুপ প্রশ্ন করে
বিব্ৰত করার প্রয়াস পেতো ৷ ইসলামকে নির্বাপিত করার লক্ষে এরা এসব করতো ৷ তবে
আবদুল্লাহ ইবন সালাম এবং ঘুখায়রীক ছিলেন এর ব্যতিক্রম ৷ এরপর তিনি আবদুল্লাহ ইবন
সালাম এবং তার চাচী খালিদ৷ (বিনতুল হারিছ) এর ইসলাম গ্রহণের বিষয় উল্লেখ করেন, যা
আমরা পুর্বে আলোচনা করেছি ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন মুখায়রীকের ইসলাম গ্রহণের কথাও তিনি
উল্লেখ করেছেন, যে সম্পর্কে পরে আলোচনা আসছে ৷ এ ব্যক্তি তার জা ৷তির লোকজনকে সাবত
দিবস তথা শনিবারে বলেছিলেন হে ইয়াহুদী সমাজ আল্লাহর কসম, ৫৩ তামর৷ নিশ্চিতভা ত্তুাব
জ ন যে, মুহাম্মদের সাহায্য করা তোমাদের অবশ্যকর্তব্য ৷ তারা বললো, আজতোশ্ ৷নিবার
দিন ৷ তিনি বললেন তোমাদের জন্য কোন শনিবার নেই ৷ এ কথা বলে তিনি আর হাতে
বেরিয়ে পড়েন এবং পেছনে তার জাতির লোকজনকে ওসীয়াত করে যান আজ আমি যদি
মারা যাই, তবে আমার সম্পদের মালিক হবেন মুহাম্মদ, আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী তিনি তা ব্যবহার
করবেন ৷ তিনি ছিলেন অনেক ধন-সম্পদের অধিকারী ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে যোগ
দিয়ে জিহাদ করতে করতে শহীদ হয়ে যান ৷ আল্পাহ্ তার প্রতি ৩প্রসন্ন হোন! তিনি বলেন, আমি
জানতে পেরেছি যে, তার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ঘুখায়রীক ছিলেন ইয়াহুদীদের
মধ্যে উৎকৃষ্ট ব্যক্তি ৷

অনুচ্ছেদ

এরপর ইবন ইসহাক তাদের কথা উল্লেখ করেন যে, আওস এবং খাযরাজের যেসব
মুনাফিক এসব ইয়াহুদীর প্রতি ঝুকে পড়েছিল আর এসব ইয়াহ্রদী ছিল পরস্পর বিরোধী চরিত্রের


تَاجِرُ أَهْلِ الْحِجَازِ، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَهُ الصَّحَابَةُ بِأَرْضِ خَيْبَرَ - كَمَا سَيَأْتِي - وَالرَّبِيعُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ، وَعَمْرُو بْنُ جِحَاشٍ، وَكَعْبُ بْنُ الْأَشْرَفِ، وَهُوَ مِنْ طَيِّئٍ، ثُمَّ أَحَدُ بَنِي نَبْهَانَ، وَأُمُّهُ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ - وَقَدْ قَتَلَهُ الصَّحَابَةُ قَبْلَ أَبِي رَافِعٍ كَمَا سَيَأْتِي - وَحَلِيفَاهُ الْحَجَّاجُ بْنُ عَمْرٍو، وَكَرْدَمُ بْنُ قَيْسٍ، لَعَنَهُمُ اللَّهُ. فَهَؤُلَاءِ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ. وَمِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ الْفِطْيَوْنِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صُورِيَا، وَلَمْ يَكُنْ بِالْحِجَازِ أَحَدٌ أَعْلَمَ بِالتَّوْرَاةِ مِنْهُ - قُلْتُ: وَقَدْ قِيلَ إِنَّهُ أَسْلَمَ - وَابْنُ صَلُوبَا وَمُخَيْرِيقٌ - وَقَدْ أَسْلَمَ يَوْمَ أُحُدٍ كَمَا سَيَأْتِي - وَكَانَ حَبْرَ قَوْمِهِ. وَمِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ، زَيْدُ بْنُ اللُّصَيْتِ، وَسَعْدُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ سَيْحَانَ، وَعُزَيْزُ بْنُ أَبِي عُزَيْزٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَيْفٍ، وَسُوَيْدُ بْنُ الْحَارِثِ، وَرِفَاعَةُ بْنُ قَيْسٍ، وَفِنْحَاصُ، وَأَشْيَعُ، وَنُعْمَانُ بْنُ أَضَا، وَبَحْرِيُّ بْنُ عَمْرٍو، وَشَأْسُ بْنُ عَدِيٍّ، وَشَأْسُ بْنُ قَيْسٍ، وَزَيْدُ بْنُ الْحَارِثِ، وَنُعْمَانُ بْنُ عَمْرٍو، وَسُكَيْنُ بْنُ أَبِي سُكَيْنٍ، وَعَدِيُّ بْنُ زَيْدٍ، وَنُعْمَانُ بْنُ أَبِي أَوْفَى
পৃষ্ঠা - ২২৯৪
أَبُو أَنَسٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ دَحْيَةَ، وَمَالِكُ بْنُ صَيْفٍ، وَكَعْبُ بْنُ رَاشِدٍ، وَعَازَرُ وَرَافِعُ بْنُ أَبِي رَافِعٍ وَخَالِدٌ، وَأَزَارُ بْنُ أَبِي أَزَارَ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: آزَرُ بْنُ آزَرَ - وَرَافِعُ بْنُ حَارِثَةَ، وَرَافِعُ بْنُ حُرَيْمِلَةَ، وَرَافِعُ بْنُ خَارِجَةَ، وَمَالِكُ بْنُ عَوْفٍ، وَرِفَاعَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ التَّابُوتِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ - قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ إِسْلَامُهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ -: وَكَانَ حَبْرَهُمْ وَأَعْلَمَهُمْ، وَكَانَ اسْمُهُ الْحُصَيْنُ، فَلَمَّا أَسْلَمَ سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ، الزُّبَيْرُ بْنُ بَاطَا بْنِ وَهْبٍ، وَعَزَّالُ بْنُ شَمْوِيلَ، وَكَعْبُ بْنُ أَسَدٍ - وَهُوَ صَاحِبُ عَقْدِهِمُ الَّذِي نَقَضُوهُ عَامَ الْأَحْزَابِ - وَشَمْوِيلُ بْنُ زَيْدٍ، وَجَبَلُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سُكَيْنَةَ، وَالنَّحَّامُ بْنُ زَيْدٍ، وَقَرْدَمُ بْنُ كَعْبٍ، وَوَهْبُ بْنُ زَيْدٍ، وَنَافِعُ بْنُ أَبِي نَافِعٍ، وَعَدِيُّ بْنُ زَيْدٍ، وَالْحَارِثُ بْنُ عَوْفٍ، وَكَرَدْمُ بْنُ زَيْدٍ، وَأُسَامَةُ بْنُ حَبِيبٍ، وَرَافِعُ بْنُ رُمَيْلَةَ، وَجَبَلُ بْنُ أَبِي قُشَيْرٍ، وَوَهْبُ بْنُ يَهُوذَا. قَالَ: وَمِنْ بَنِي زُرَيْقٍ، لَبِيدُ بْنُ أَعْصَمَ، وَهُوَ الَّذِي سَحَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْ يَهُودِ بَنِي حَارِثَةَ كِنَانَةُ بْنُ صُورِيَا.
পৃষ্ঠা - ২২৯৫


অধিকারী এবং মুসলিম বিদ্বেষী ৷ এদের মধ্যে আওস গোত্রের লোক ছিল যাবী ইবন হারিছ,
জাল্লাস ইবন সুওয়ায়দ ইবন সামিত আল-আনসারী, যার সম্পর্কে কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত
আয়াত নাযিল হয়েছেৰুৰু ং

তারা আল্লাহর কসম করে বলে যে, তারা বলেনি; তারা অবশ্যই কুফ্রী কালেমা বলেছে
এবং ইসলাম গ্রহণ করার পর কুফ্রী করেছে (৯ : ৭৪) ৷ আর ঘটনা এই যে, তাবুক যুদ্ধে
যাওয়া থেকে বিরত থাকার পর সে বলেছিল যে, এ সোকটি (নবী স) সত্যবাদী হয়ে থাকলে
আমরা তো পাধার চেয়েও অধম ৷ তার ত্রীর পুত্র উমায়র ইবন সাআদ এ কথাটা রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে জানিয়ে দেন এবং জাল্লাস তখন কসম করে অস্বীকার করলে তার সম্পর্কে আল্লাহ এ
আয়াত নাযিল করেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ঐতিহাসিকদের ধারণা যে, লোকটি তাওবা
করেছিল এবং তার তাওবা ছিল উত্তম তাওবা, এমনকি তার ইসলামগ্রহণ ও ধর্মপরায়ণতা
সুবিদিত ছিল ৷ ইবন ইসহাক আরো বলেন যে, তার ভাই ছিল হারিছ ইবন সুওয়ায়দ, যে উহুদ
যুদ্ধের দিন মুজাযযার ইবন যিয়াদ আল-বাল্বী এবং বনী যবীআর অন্যতম সদস্য কায়স ইবন
যায়দ (রা)-কে হত্যা করেছিল ৷ আসলে এ ছিল মুনাফিক; কিত্তু যুদ্ধে মুসলমানদের সঙ্গে
যোগদান করে এবং লোকজনের সঙ্গে মিশে গিয়ে এদের দু’জনকে হত্যা করে; এরপর
কুরায়ণের সঙ্গে মিশে যায় ৷

ইবন হিশাম বলেন : জাহিলী যুগের কোন এক যুদ্ধে মুজাযযার তার পিতা সুওয়ায়দ ইবন
সামিতকে হত্যা করেছিলেন ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন যে পিতৃহত্যারই প্ৰতিশোধ গ্রহণ করে ৷
পক্ষাম্ভরে ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে, সুওয়ায়দ ইবন সামিতকে হত্যা করেছিলেন মুআয
ইবন আফ্রা ৷ তা কোন যুদ্ধের ঘটনা নয়, বরং বুআছ যুদ্ধের পুর্বে তীর নিক্ষেপ করে তিনি
তাকে হত্যা করেছিলেন ৷ হারিছের কায়স ইবন যায়দকে হত্যা করার কথাও ইবন হিশাম
অস্বীকার করেন ৷ তিনি বলেন, ইবন ইসহাক উহুদ যুদ্ধে নিহতদের মধ্যেত তার নাম উল্লেখ
করেননি ৷

ইবন ইসহাক বলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর ইবন খাত্তা বকে নির্দেশ দান করেন যে, কায়স
ইবন যায়দকে বাগে গেলে তিনি যেন তাকে হত্যা করেন ৷ হারিছ তার ভাই জাল্লাসের নিকট
তাওবার ব্যবস্থা করার আবদার জ নিয়ে লোক প্রেরণ করে, যাতে সে স্বজাতির মধ্যে ফিরে
যেতে পারে ৷ ইবন আব্বাস সুত্রে আমার নিকট যে রিওয়ায়াত পৌছেছে সে মতে এ সষ্পর্কেই
কুরআন মজীদের নিশ্নো ৷ক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে০

ণ্ট্টিণ্হৈ ঙু


আল্লাহ কিরুপে হিদায়াত করবেন সেসব লোককে যারা ইসলাম কবুল করার পর কুফ্রী
অবলম্বন করে; অথচ তারা সাক্ষ্য দিয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) সত্য এবং তাদের নিকট স্পষ্ট


وَمِنْ يَهُودِ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، قَرْدَمُ بْنُ عَمْرٍو. وَمِنْ يَهُودِ بَنِي النَّجَّارِ، سِلْسِلَةُ بْنُ بَرْهَامَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَهَؤُلَاءِ أَحْبَارُ يَهُودَ، أَهْلِ الشُّرُورِ وَالْعَدَاوَةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَأَصْحَابُ الْمَسْأَلَةِ - الَّذِينَ يُكْثِرُونَ الْأَسْئِلَةَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى وَجْهِ التَّعَنُّتِ وَالْعِنَادِ وَالْكُفْرِ. قَالَ -: وَأَصْحَابُ النَّصْبِ لِأَمْرِ الْإِسْلَامِ، لِيُطْفِئُوهُ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ وَمُخَيْرِيقَ. ثُمَّ ذَكَرَ إِسْلَامَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، وَإِسْلَامَ عَمَّتِهِ خَالِدَةَ، كَمَا قَدَّمْنَاهُ، وَذَكَرَ إِسْلَامَ مُخَيْرِيقَ يَوْمَ أُحُدٍ، كَمَا سَيَأْتِي، وَأَنَّهُ قَالَ لِقَوْمِهِ، وَكَانَ يَوْمَ السَّبْتِ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، وَاللَّهِ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونَ أَنَّ نَصْرَ مُحَمَّدٍ عَلَيْكُمْ لَحَقٌّ. قَالُوا: إِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ السَّبْتِ. قَالَ: لَا سَبْتَ لَكُمْ. ثُمَّ أَخَذَ سِلَاحَهُ وَخَرَجَ، إِلَى مَنْ وَرَاءَهُ مِنْ قَوْمِهِ: إِنْ قُتِلْتُ هَذَا الْيَوْمَ فَأَمْوَالِي لِمُحَمَّدٍ يَرَى فِيهَا مَا أَرَاهُ اللَّهُ. وَكَانَ كَثِيرَ الْأَمْوَالِ، ثُمَّ لَحِقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِيمَا بَلَغَنِي: " «مُخَيْرِيقُ خَيْرُ يَهُودَ» ".