আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر ما وقع في السنة الأولى من الهجرة النبوية من الحوادث والوقائع العظيمة

পৃষ্ঠা - ২২২০


হিজরী প্রথম সনের ঘটনাবলী

হিজরী ষোড়শ, কারো কারো মতে সপ্তদশ বা অষ্টাদশ সনে খলীফা হযরত উমর (রা ) এর
শাসনামলে হিজরী সন গণনার সুচনা সম্পর্কে সাহাবায়ে কিরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম একমত
হন ৷ আর তা এভাবে হয় যে, আমীরুল মুমিনীন উমর (রা) এর দরবারে কোন এক ব্যক্তির
বিরুদ্ধে কিছু দলীল-দস্তাবেজ উপস্থাপন করা হয় এবং তাতে একথা উল্লেখ ছিল যে, শাবান
সালে তা পরিশোধ করতে হবে ৷ তখন হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন শাবান
মাস ? এর এ বছরের শাবান মাস, যাতে আমরা এখন আছি, নাকি গত বছরের শাবান মাস, না
আগামী বছরের শাবান মাস ? এরপর তিনি সাহাবায়ে কিরামকে ডেকে একটা তারিখ
নির্ধারণের ব্যাপারে তাদের নিকট পরামর্শ আহ্বান করেন, যাতে ঋণ পরিশোধ ইত্যাদির ক্ষেত্রে
উক্ত তারিখ দ্বারা পরিচয় পাওয়া যায় ৷ কেউ কেউ পারস্যের অনুরুপ তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব
করলে খলীফা তা না-পসন্দ করেন ৷ আর পারসিকরা একের পর এক তাদের রাজত্ব-বাদশাহ
দ্বারা তারিখ গণনা করতো ৷ কেউ কেউ রোম সাম্রাজেব্রর তারিখ অদুযত্মী তারিখ নির্ধারণের জন্য
প্রস্তাব করে ৷ বোমানরা তারিখ নির্ধারণ করে মেসিডোনিয়ার ফিলিপৃস তনয় সম্রাট
আলেকজান্ডারের রাজতৃকাল থেকে ৷ খলীফা উমর (বা) এ প্রস্তাবও পসন্দ করেননি ৷ কিছু কিছু
সাহাবী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্ম থেকে তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ৷ আবার কোন কোন
সাহাবী প্রস্তাব করেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ থেকে তারিখ গণনা শুরু করতে ৷
আবার কিছু লোক বলেন, বরং রাসুল (না)-এর হিজরত থেকেই তারিখ গণনা শুরু করা হোক চ
কেউ কেউ বলেন, বরং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফড়াত থেকেই শুরু করা হোক ৷ হিজরত থেকে
তারিখ গণনা শুরু করার দিকে খলীফা উমর (রা) ঝুকেন ৷ কারণ, হিজরতের ঘটনা প্রসিদ্ধ ও
খ্যাত ৷ এ ব্যাপারে সকলে তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন ৷

ইমাম বুখারী (র) সহীহ্ বুখারী গ্রন্থে তারিখ এবং তারিখের সুচনা পরিচ্ছেদে আবদুল্লাহ
ইবন মুসলিম সুত্রে সাহল ইবন সাআদ থেকে বর্ণনা করে বলেনঃ

সাহাবায়ে কিরাম রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ বা ওফাত থেকে (তারিখ) গণনা শুরু
করেননি, বরং তারা শুরু করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মদীনায় আগমন থেকে ৷

ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ইবন আবিয যিনাদ সুত্রে ইবন সীরীন থেকে বর্ণনা করে বলেন :

হযরত উমর (রা) সমীপে কেউ একজন আবেদন জানায় : তারিখ নির্ধারণ করে দিন হে
আমীরুল মু’মিনীন ৷ খলীফা উমর জানতে চাইলেন, কী তারিখ ? লোকটি বললাে : আজমী
তথা অনারবরা একটা কাজ করে তারা লিখে রাখে অমুক শহরে অমুক সালে এ ঘটনা

ৎঘটিত হয়েছে ৷ তখন হযরত উমর (রা ) বললেন : চমৎকার, তাহলে তােমরাও লিখে রাখ ৷

তখন লোকজন বললাে : কোন সন থেকে আমরা সুচনা করবো ? কিছু লোক বললাে,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ থেকে ৷ অপর কিছু লোক বললো৪ না, বরং তার ওফাত
থেকেই শুরু করি ৷ এরপর হিজরত থেকে সুচনা করার ব্যাপারে সকলেই একমত হন ৷ পরে
কিছু লোক বললেন : কোন মাস থেকে আমরা সুচনা করবো ? কিছু লোক বললেন : রমাযান
মাস থেকে ৷ আবার অপর কিছু লোক বললেন : না বরং মুহাররম মাস থেকে (শুরু করা


[ذِكْرُ مَا وَقَعَ فِي السَّنَةِ الْأُولَى مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ مِنَ الْحَوَادِثِ وَالْوَقَائِعِ الْعَظِيمَةِ] [ابْتِدَاءُ التَّارِيخِ الْإِسْلَامِيِّ مِنْ سَنَةِ الْهِجْرَةِ] اتَّفَقَ الصَّحَابَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ - وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ أَوْ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ - فِي الدَّوْلَةِ الْعُمَرِيَّةِ عَلَى جَعْلِ ابْتِدَاءِ التَّارِيخِ الْإِسْلَامِيِّ مِنْ سَنَةِ الْهِجْرَةِ، وَذَلِكَ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، رُفِعَ إِلَيْهِ صَكٌّ، أَيْ حُجَّةٌ، لِرَجُلٍ عَلَى آخَرَ، وَفِيهِ أَنَّهُ يَحِلُّ عَلَيْهِ فِي شَعْبَانَ، فَقَالَ عُمَرُ: أَيُّ شَعْبَانَ؟ أَشَعْبَانُ هَذِهِ السَّنَةِ الَّتِي نَحْنُ فِيهَا، أَوِ السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ، أَوِ الْآتِيَةِ؟ ثُمَّ جَمَعَ الصَّحَابَةَ فَاسْتَشَارَهُمْ فِي وَضْعِ تَأَرِيخٍ يَتَعَرَّفُونَ بِهِ حُلُولَ الدُّيُونِ، وَغَيْرَ ذَلِكَ، فَقَالَ قَائِلٌ: أَرِّخُوا كَتَارِيخِ الْفُرْسِ. فَكَرِهَ ذَلِكَ، وَكَانَتِ الْفُرْسُ يُؤَرِّخُونَ بِمُلُوكِهِمْ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ. وَقَالَ قَائِلٌ: أَرِّخُوا بِتَارِيخِ الرُّومِ. وَكَانُوا يُؤَرِّخُونَ بِمُلْكِ إِسْكَنْدَرَ بْنِ فِيلِيبُّسَ الْمَقْدُونِيِّ، فَكَرِهَ ذَلِكَ. وَقَالَ آخَرُونَ: أَرِّخُوا بِمَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ بِمَبْعَثِهِ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ بِهِجْرَتِهِ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ بِوَفَاتِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ. فَمَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى التَّأْرِيخِ بِالْهِجْرَةِ لِظُهُورِهِ وَاشْتِهَارِهِ وَاتَّفَقُوا مَعَهُ عَلَى ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ২২২১
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": التَّارِيخُ وَمَتَى أَرَّخُوا التَّارِيخَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: مَا عَدُّوا مِنْ مَبْعَثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا مِنْ وَفَاتِهِ، مَا عَدُّوا إِلَّا مِنْ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: اسْتَشَارَ عُمَرُ فِي التَّأْرِيخِ فَأَجْمَعُوا عَلَى الْهِجْرَةِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ السَّدُوسِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ: قَامَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ فَقَالَ: أَرِّخُوا. فَقَالَ: مَا أَرِّخُوا؟ فَقَالَ: شَيْءٌ تَفْعَلُهُ الْأَعَاجِمُ يَكْتُبُونَ: فِي شَهْرِ كَذَا مِنْ سَنَةِ كَذَا. فَقَالَ عُمَرُ: حَسَنٌ فَأَرِّخُوا. فَقَالُوا: مِنْ أَيِّ السِّنِينَ نَبْدَأُ؟ فَقَالُوا: مِنْ مَبْعَثِهِ. وَقَالُوا: مِنْ وَفَاتِهِ. ثُمَّ أَجْمَعُوا عَلَى الْهِجْرَةِ، ثُمَّ قَالُوا: وَأَيَّ الشُّهُورِ نَبْدَأُ؟ فَقَالُوا: رَمَضَانَ. ثُمَّ قَالُوا: الْمُحَرَّمَ فَهُوَ مُنْصَرَفُ النَّاسِ مِنْ حَجِّهِمْ وَهُوَ شَهْرٌ حَرَامٌ. فَاجْتَمَعُوا عَلَى الْمُحَرَّمِ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ الطَّاحِيُّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مِحْصَنٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ فِي
পৃষ্ঠা - ২২২২


হোক) ৷ কারণ , মুহাররম মাস হজ্জ থেকে লোকদের ফিরে যাওয়ার মাস ৷ আর তা হচ্ছে হারাম
তথা সম্মানিত মাস ৷ তাই ঘুহাররম মাস থেকে হিজরী সন গণনা শুরু করার ব্যাপারে সকলেই
একমত হন ৷

ইবন জারীর (তাবারী ) আল্লাহ্ তাআলার বাণী )ং:’; ধ্া৷হুট্রু )১পু ৷ ’,

সম্পর্কে কুতড়ায়বা সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন :

তা হলে যুহাররম মাস, সনের সুচনা ৷ উবড়ায়দ ইবন উমায়র থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন :
)এ’প্ন এ

“মুহাররম হল আল্লাহর মাস, তা-ই বছরের গুরু, তাতে (ব্যয়তুল্লাহ্র) গিলাফ পরানাে হয়,
লোকেরা এ দ্বারা তারিখ নির্ণয় করে এবং মুদ্রা চালু করা হয় ৷”

ইমাম আহ্মদ (র ) রাওহ ইবন উবাদা সুত্রে আমর ইবন দীনার থেকে বর্ণনা করে বলেন :

ইয়ালা ইবন উমাইয়া সর্বপ্রথম ইয়ামানে ইতিহাস লিখার সুচনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
রবিউল আউয়াল মাসে মদীনায় আগমন করেন এবং লোকেরা এ বছরের প্রথম মাস থেকেই
বছরের তারিখ গণনার সুচনা করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক যুহ্রী সুত্রে এবং মুহাম্মদ সালিহ্ শাৰী সুত্রে এবং তারা উভয়ে
বলেন :

বনু ইসমাঈল হযরত ইবরাহীম (আ)-কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা থেকে তারিখ গণনার
সুচনা করে ৷ এরপর হযরত ইবরাহীম ও হযরত ইসমাঈল আলায়হিমাস সালাম কর্তৃক
বায়ভুল্লাহ্র ভিত্তি স্থাপন থেকে তারিখ গণনার সুচনা করে ৷ এরপর তারিখ গণনার সুচনা করা
হয় কাআব ইবন লুয়াই-এর মৃত্যু থেকে ৷ এরপর তার সুচনা করা হয় হস্তী বাহিনীর হামলার
দিন থেকে ৷ এরপর তারিখ গণনার সুচনা করেন হযরত উমর ইবন খাত্তাব হিজরতের বছর
থেকে ৷ আর এটা হিজরী সপ্তদশ বা অষ্টাদশ সনে ৷ দলীলপ্রমাণ এবং সনদ-সুত্র সমেত বিষয়টা
আমরা সবিস্তারে আলোচনা করছি হযরত উমর (রা)-এর জীবন চরিত গ্রন্থে ৷ মহান আল্পাহ্ই
সমস্ত প্রশংসার মালিক ৷ উদ্দেশ্য এই যে, তারা ইতিহাস গণনার সুচনা করেন হিজরী সন
থেকে ৷ আর বছরেরশুরু নির্ধারণ করেন মুহাররম মাসকে ৷ ঐতিহাসিকদের মধ্যে এটইি প্রসিদ্ধ
ও খ্যাত ৷ আর এটাই জমহুর ইমামগণের মত ৷

সুহড়ায়লী প্রমুখ ইমাম মালিক (র ) থেকে বর্ণনা করে বলেন ও

ইসলামী সনের সুচনা রবিউল আউয়াল মাস থেকে ৷ কারণ এটা এমন মাস, যে মাসে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজরত করেন ৷ সুহড়ায়লী এ ব্যাপারে অন্যত্র আল্লাহ্ তাআলার নিম্নোক্ত বাণী
দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করেন :


قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَالْفَجْرِ وَلَيَالٍ عَشْرٍ} [الفجر: 1] [الْفَجْرِ: 2، 1] . هُوَ الْمُحَرَّمُ فَجْرُ السَّنَةِ. وَرَوَى عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: إِنَّ الْمُحَرَّمَ شَهْرُ اللَّهِ، وَهُوَ رَأْسُ السَّنَةِ، يُكْسَى بِهِ الْبَيْتُ، وَيُؤَرِّخُ بِهِ النَّاسُ، وَيُضْرَبُ فِيهِ الْوَرِقُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، ثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ أَرَّخَ الْكُتُبَ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ بِالْيَمَنِ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ وَإِنَّ النَّاسَ أَرَّخُوا لِأَوَّلِ السَّنَةِ. وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّهُمَا قَالَا: أَرَّخَ بَنُو إِسْمَاعِيلَ مِنْ نَارِ إِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ أَرَّخُوا مِنْ بُنْيَانِ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ الْبَيْتَ، ثُمَّ أَرَّخُوا مِنْ مَوْتِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ، ثُمَّ أَرَّخُوا مِنَ الْفِيلِ، ثُمَّ أَرَّخَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَذَلِكَ سَنَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ أَوْ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذَا الْفَصْلَ مُحَرَّرًا بِأَسَانِيدِهِ وَطُرُقِهِ فِي " السِّيرَةِ الْعُمَرِيَّةِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُمْ جَعَلُوا ابْتِدَاءَ التَّارِيخِ الْإِسْلَامِيِّ مِنْ سَنَةِ الْهِجْرَةِ، وَجَعَلُوا أَوَّلَهَا مِنَ الْمُحَرَّمِ، فِيمَا اشْتُهِرَ عَنْهُمْ، وَهَذَا هُوَ قَوْلُ جُمْهُورِ الْأَئِمَّةِ. وَحَكَى السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ، عَنِ الْإِمَامِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ: أَوَّلُ السَّنَةِ الْإِسْلَامِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ২২২৩
رَبِيعٌ الْأَوَّلُ; لِأَنَّهُ الشَّهْرُ الَّذِي هَاجَرَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدِ اسْتَدَلَّ السُّهَيْلِيُّ عَلَى ذَلِكَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ، بِقَوْلِهِ تَعَالَى {لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ} [التوبة: 108] أَيْ; مِنْ أَوَّلِ يَوْمِ حُلُولِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَهُوَ أَوَّلُ يَوْمٍ مِنَ التَّارِيخِ، كَمَا اتَّفَقَ الصَّحَابَةُ عَلَى أَوَّلِ سِنِيِّ التَّارِيخِ عَامَ الْهِجْرَةِ. وَلَا شَكَّ أَنَّ هَذَا الَّذِي قَالَهُ الْإِمَامُ مَالِكٌ رَحِمَهُ اللَّهُ مُنَاسِبٌ، وَلَكِنَّ الْعَمَلَ عَلَى خِلَافِهِ، وَذَلِكَ لِأَنَّ أَوَّلَ شُهُورِ الْعَرَبِ الْمُحَرَّمُ، فَجَعَلُوا السَّنَةَ الْأُولَى سَنَةَ الْهِجْرَةِ، وَجَعَلُوا أَوَّلَهَا الْمُحَرَّمَ كَمَا هُوَ الْمَعْرُوفُ; لِئَلَّا يَخْتَلِطَ النِّظَامُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَنَقُولُ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ: اسْتَهَلَّتْ سَنَةُ الْهِجْرَةِ الْمُبَارَكَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقِيمٌ بِمَكَّةَ، وَقَدْ بَايَعَ الْأَنْصَارَ بَيْعَةَ الْعَقَبَةِ الثَّانِيَةَ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، وَهِيَ لَيْلَةُ الثَّانِي عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ قَبْلَ سَنَةِ الْهِجْرَةِ، ثُمَّ رَجَعَ الْأَنْصَارُ، وَأَذِنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْلِمِينَ فِي الْهِجْرَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى لَمْ يَبْقَ بِمَكَّةَ مَنْ يُمْكِنُهُ الْخُرُوجُ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَبَسَ أَبُو بَكْرٍ نَفْسَهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِيَصْحَبَهُ فِي الطَّرِيقِ، كَمَا قَدَّمْنَا، ثُمَّ خَرَجَا عَلَى الْوَجْهِ الَّذِي تَقَدَّمَ بَسْطُهُ، وَتَأَخَّرَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَمْرِهِ; لِيُؤَدِّيَ مَا كَانَ عِنْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنَ
পৃষ্ঠা - ২২২৪


;ণ্পুণ্প্ণ্ডু

“প্রথম দিন থেকে যে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে তাকওয়ার উপর” ৷ অর্থাৎ নবী
করীম (না)-এর মদীনায় প্রবেশের প্রথম দিন থেকে, আ ন্; এটাই হলো ইসলামের ইতিহাস
গণনার প্রথম দিন ৷ যেমন হিজরতের সনই ইতিহাসের প্রথম সন-এ ব্যাপারে সাহাবায়ে কিরাম
একমত হয়েছেন ৷ ইমাম মালিক (ব) যা বলেছেন তা যে যথার্থ, এ বাপোরে কোন সন্দেহ নেই ৷
তবে বাস্তব কার্যক্রম এর বিপরীত ৷ আর তা এ জন্যে যে, আরবী মাসের সুচনা মুহাররম মাস
থেকে ৷ তাই তারা প্রথম বছরকে হিজরতের সন নির্ধারণ করেকৃভ্রহন আর বছরের শুরু নির্ধারণ
করেছেন মৃহাররমকে ৷ কারণ এটাই প্রসিদ্ধ ও পরিচিত, যাতে শৃৎ,খলা বিপন্ন না হয় ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷

তইি আমরা বলি, আর আল্লাহর নিকটই সাহায্য চাই ৷ রুাসৃলুল্লড়াহ্ (সা) মক্কায়
অবস্থানকালেই হিজরী সনের সুচনা হয় ৷ আর আনসারগণ আকাবার দ্বিতীয় বায়আতে অংশ
নিয়েছেন, যেমন আইয়ামে তাশৃরীকের মধ্যভাগে আমরা আলোচনা করে এসেছি আর তা ছিল
হিজরী সনের পুর্বে যিলহাজ্জ মাসের ১২ তারিখ ৷ এরপর আনসারগণ ফিরে যান এবং রাসুলুল্পাহ্
(সা) মুসলমানদেরকে মদীনায় হিজরতের অনুমতি দান করেন ৷ শেষ পর্যন্ত যার পক্ষে হিজরত
করা সম্ভব, রাসুলুল্লাহ্ ছাড়া এমন কেউই মক্কায় অবশিষ্ট থাকেননি ৷ আর আবু বকর (রা)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কারণে নিজেকে আটকে রাখেন, যাতে রাস্তায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে সঙ্গ দান
করতে পারেন, যেমন ইতােপুর্বে আমরা আলোচনা করে এসেছি ৷ এরপর তারা দু’জন
এমনভাবে বের হন, যে সম্পর্কে ইতোপুর্বে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে ৷ নবী করীম
(না)-এর পর আলী ইবন আবু তালিব পেছনে থেকে যান তারই নির্দোশ, যাতে করে রাসুল
(না)-এর নিকট যেসব আমানত ছিল, তা ফেরত দিতে পারেন ৷ এরপর হযরত আলী (রা)
কুবায় এসে তাদের সঙ্গে মিলিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সোমবার দুপুরের কাছাকাছি সময়, যখন
প্রখর রৌদ্রতাপ ছিল, এমন সময় মদীনায় আগমন করেন ৷

আর ওয়াকিদী প্রমুখ বলেন : এটা রবিউল আউয়ালের ২ তারিখের ঘটনা ৷ আর ইবন
ইসহাকও একথাই বর্ণনা করেন ৷ তবে পার্থক্য এই যে, তিনি এ তারিখের উপর তেমন গুরুত্ব
আরোপ করেননি ৷ আর তিনিও এ বর্ণনাকেও প্রাধান্য দান করেছেন যে, ঘটনাটা রবিউল
আউয়ালের ১২ তারিখের ৷ আর এটাই প্রসিদ্ধ ঘটনা, যা জমহুর ঐতিহাসিকগণ গ্রহণ করেছেন ৷
বিশুদ্ধতম উক্তি অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মক্কায় অবস্থানের মুদ্দত ছিল নবুওয়াত লাভের পর
তেরো বছর ৷ আর এটইি আবু হাম্যা যাববী সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে হাম্মাদ ইবন সালামার
বর্ণনা ৷ এ বর্ণনায় ইবন আব্বাস (বা) বলেন :


“রাসুলুল্লাহ্ (সা) চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াত লাভ করেন আর মক্কায় অবস্থান করেন
(নবুওয়াত লাভের পর) তেরো বছর ৷ ইবন জারীর মুহাম্মদ ইবন মড়ামার সুত্রে ইবন আব্বাস
(রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন :


الْوَدَائِعِ ثُمَّ لَحِقَهُمْ بِقُبَاءَ، فَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ قَرِيبًا مِنَ الزَّوَالِ وَقَدِ اشْتَدَّ الضَّحَاءُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ: وَذَلِكَ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. وَحَكَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يُعَرِّجْ عَلَيْهِ، وَرَجَّحَ أَنَّهُ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْهُ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ الَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ. وَقَدْ كَانَتْ مُدَّةُ إِقَامَتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِمَكَّةَ بَعْدَ الْبِعْثَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، فِي أَصَحِّ الْأَقْوَالِ، وَهُوَ رِوَايَةُ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَهَكَذَا رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَعْمَرٍ، عَنْ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: مَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ. وَتَقَدَّمَ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَتَبَ أَبِيَّاتَ صِرْمَةَ بْنِ أَبِي أَنَسِ بْنِ قَيْسٍ
পৃষ্ঠা - ২২২৫
ثَوَى فِي قُرَيْشٍ بِضْعَ عَشْرَةَ حِجَّةً ... يُذَكِّرُ لَوْ يَلْقَى صَدِيقًا مُوَاتِيَا وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ اسْتَشْهَدَ بِقَوْلِ صِرْمَةَ: ثَوَى فِي قُرَيْشٍ بِضْعَ عَشْرَةَ حِجَّةً ... يُذَكِّرُ لُوْ يَلْقَى صَدِيقًا مُوَاتِيَا وَهَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ: خَمْسَ عَشْرَةَ حِجَّةً. وَهُوَ قَوْلٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَأَغْرَبُ مِنْهُ مَا قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، حُدِّثْتُ عَنْ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، ثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: نَزَلَ الْقُرْآنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَ سِنِينَ بِمَكَّةَ وَعَشْرًا بِالْمَدِينَةِ. وَكَانَ الْحَسَنُ يَقُولُ: عَشْرًا بِمَكَّةَ، وَعَشْرًا بِالْمَدِينَةِ. وَهَذَا الْقَوْلُ الْآخَرُ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ مِنْ أَنَّهُ أَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ ذَهَبَ إِلَيْهِ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَعَائِشَةُ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، فِيمَا رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْهُمْ. وَهُوَ رِوَايَةٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ; رَوَاهَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أُنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعِينَ فَمَكَثَ بِمَكَّةَ عَشْرًا. وَقَدْ قَدَّمْنَا عَنِ الشَّعْبِيِّ أَنَّهُ قَالَ: قُرِنَ إِسْرَافِيلُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ سِنِينَ، يُلْقِي إِلَيْهِ الْكَلِمَةَ وَالشَّيْءَ. وَفِي رِوَايَةٍ: يَسْمَعُ حِسَّهُ وَلَا
পৃষ্ঠা - ২২২৬


রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় তের বছর অবস্থান করেন ৷ ইংতাপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইবন
আব্বাস (রা) সুরমা ইবন আবু আনাস এর কবিতা লিখেছেন :

ব্লেএ এেএ-ট্ট
তিনি কুরায়শের মধ্যে তেরাে বছর অবস্থান করেন ৷ এ সময় তিনি উপদেশ দান করেন,
যদি কোন সহানুভুতিশীল সঙ্গী পাওয়া যায় ! আর ওয়াকিদী ইব্রাহীম ইবন ইসমাঈল সুত্রে ইবন

আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, সুরমার উপরোক্ত কবিতা তিনি প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন
করেন ৷

অনুরুপভাবে ইবন জারীর হারিছ সুত্রে ওয়াকিদী থেকে পনের বছরের কথা উল্লেখ
করেছেন ৷ এ উক্তি নিতাম্ভই গরীৰ্ ৷ আর এর চেয়েও বেশী গরীশ্ব হল ইবন জারীরের উক্তি ৷
রাওহ ইবন উবাদা সুত্রে কাতড়াদা থেকে বর্ণনা করে তিনি বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর মক্কায় কুরআন নাযিল হয় আট বছর এবং মদীনায় দশ বছর ৷ এ
শ্যেষাক্ত উক্তির প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন হাসান বসরী ৷ উক্তিটি এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কায় দশ বছর অবস্থান করেছেন ৷ আনাস ইবন মালিক, হযরত আইশা, সাঈদ ইবন
ঘুসাইয়িব, আমর ইবন দীনার এমত সমর্থন করেন ৷ এ ব্যাপারে ইবন জারীর র্তাদের নিকট
থেকে রিওয়ায়াত উল্লেখ করেন ৷ এটা ইবন আব্বাস থেকেও একটা বর্ণনা ৷ ইমাম আহমদ ইবন
হাম্বল ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন :

তেতাল্লিশ বছর বয়সে নবী করীম (না)-এর উপর ওহী নাযিল হয় এরপর তিনি মক্কায় দশ
বছর অবস্থান করেন ৷

ইতিপুর্বে আমরা ইমাম শা’বী সুত্রে বর্ণনা করেছি :

হযরত ইসরাফীল (আ) নবী করীম (না)-এর সঙ্গে তিন বছর ছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট বাণী নিয়ে আসতেন এবং আরো কিছু ৷ অন্য বর্ণনায় আছে :

তিনি ফেরেশতা ইসরাফীলের উপস্থিতি অনুভব করতেন, কিন্তু তাকে দেখতেন না ৷ এরপর
জিবরাঈল (আ) আগমন করেন ৷ ওয়াকিদী তার কোন কোন শড়ায়খ থেকে বর্ণনা করেন যে, উক্ত
শায়খ শাবীর এ উক্তি অস্বীকার করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) মক্কায় দশ বছর অবস্থান করেন বলে
যারা বলেছেন, আর তের বছর অবস্থান করেন বলে যারা বলেছেন, ইবন জারীর এ দু’ উক্তির
মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা করেন ৷ তিনি এ চেষ্টা করেন ইমাম শা’বীর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যা
তিনি উল্লেখ করেছেন ৷ আসল ব্যাপার আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

কুবায় অবস্থানের বিবরণ

নবী করীম (সা) সঙ্গীদের সহ মদীনায় প্রবেশ করে কইবনয় বনু আমর ইবন আওফ এর
মহল্লায় অবস্থান করেন ৷ ইতোপুর্বে সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং কথিত আছে যে, সেখানে
সর্বোচ্চ ২২ রাত্রি, মতান্তরে ১৮ রাত্রি, আবার কারো কারো মতে ১০ রাত্রির কিছু বেশী অবস্থান


يَرَى شَخْصَهُ، ثُمَّ كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ جِبْرِيلُ. وَقَدْ حَكَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ بَعْضِ مَشَايِخِهِ أَنَّهُ أَنْكَرَ قَوْلَ الشَّعْبِيِّ هَذَا. وَحَاوَلَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَ قَوْلِ مَنْ قَالَ: إِنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرًا. وَقَوْلِ مَنْ قَالَ: ثَلَاثَ عَشْرَةَ. بِهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ الشَّعْبِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [فَصْلٌ فِي بَيَانِ أَوَّلِ دَارٍ نَزَلَ بِهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ] فَصْلٌ وَلَمَّا حَلَّ الرِّكَابُ النَّبَوِيُّ بِالْمَدِينَةِ، كَانَ أَوَّلُ نُزُولِهِ بِهَا فِي دَارِ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَهِيَ قُبَاءُ كَمَا تَقَدَّمَ فَأَقَامَ بِهَا، أَكْثَرَ مَا قِيلَ، ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً. وَقِيلَ: ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَقِيلَ: بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ ثَلَاثَ لَيَالٍ. وَالْأَشْهَرُ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَقَامَ فِيهِمْ بِقُبَاءَ مِنْ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ إِلَى يَوْمِ الْجُمُعَةِ. وَقَدْ أَسَّسَ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ الْمُخْتَلَفِ فِي مِقْدَارِهَا - عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ - مَسْجِدَ قُبَاءَ. وَقَدِ ادَّعَى السُّهَيْلِيُّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسَّسَهُ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ قَدِمَ إِلَى قُبَاءَ، وَحَمَلَ عَلَى ذَلِكَ قَوْلَهُ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ২২২৭
{لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ} [التوبة: 108] وَرَدَّ قَوْلَ مَنْ أَعْرَبَهَا: مِنْ تَأْسِيسِ أَوَّلِ يَوْمٍ. وَهُوَ مَسْجِدٌ شَرِيفٌ فَاضِلٌ نَزَلَ فِيهِ قَوْلُهُ تَعَالَى {لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ} [التوبة: 108] كَمَا تَكَلَّمْنَا عَلَى تَقْرِيرِ ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ "، وَذَكَرْنَا الْحَدِيثَ الَّذِي فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " أَنَّهُ مَسْجِدُ الْمَدِينَةِ وَالْجَوَابَ عَنْهُ. وَذَكَرْنَا الْحَدِيثَ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، ثَنَا شُرَحْبِيلُ، عَنْ عُوَيْمِ بْنِ سَاعِدَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُمْ فِي مَسْجِدِ قُبَاءَ، فَقَالَ: " إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَحْسَنَ عَلَيْكُمُ الثَّنَاءَ فِي الطُّهُورِ فِي قِصَّةِ مَسْجِدِكُمْ، فَمَا هَذَا الطَّهُورُ الَّذِي تَطَّهَّرُونَ بِهِ؟ " قَالُوا: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا نَعْلَمُ شَيْئًا إِلَّا أَنَّهُ كَانَ لَنَا جِيرَانٌ مِنَ الْيَهُودِ، فَكَانُوا يَغْسِلُونَ أَدْبَارَهُمْ مِنَ الْغَائِطِ، فَغَسَلْنَا كَمَا غَسَلُوا.» وَأَخْرَجَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ فِي " صَحِيحِهِ " وَلَهُ شَوَاهِدُ أُخَرُ. وَرُوِيَ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، ومُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২২২৮


করেন ৷ মুসা ইবন উকবা তিন রাত্রের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ তবে প্রসিদ্ধ উক্তি হচ্ছে, যা ইবন
ইসহাক উল্লেখ করেছেন ৷ আর তা হলো, নবী করীম (সা) কুবায় তাদের মধ্যে সোমবার থেকে
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অবস্থান করেন ৷ এ সময়ের মধ্যে-যার পরিমাণ নিয়ে পুর্বোল্লিখিত
মতদ্বৈধত৷ রয়েছে, তিনি সেখানে মসজিদে কুবায় ভিত্তি স্থাপন করেন ৷ সুহায়লী দাবী করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় আগমনের প্রথম দিলেই এ মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেছেন আর এর
সপক্ষে তিনি আল্লাহ্ তাআলার নিম্নোক্ত বাণী প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করেন :

প্রথম দিনেই যে মসজিদের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে তাক্ওয়ার উপর, অবশ্যই যে মসজিদ

আর (, এ , ৷ ;,ষ্ এর পুর্বে উহ্য ক্রিয়া স্বীকার করে দেয়ার তিনি প্রতিবাদ করেন ৷
মসজিদে কুবায় এক বিশাল মর্যাদাপুর্ণ মসজিদ, যে সম্পর্কে আয়াত নাযিল হয়েছে :

ব্রা১১
“প্রথম দিন থেকেই যে মসজিদের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে তাক্ওয়া তথা আল্লাহর ভরের
উপর, তোমার সালাতের জন্য তা-ই অধিকতর যোগ্য ও হকদার ৷ সেখানে এমন লোক আছে,
যারা পবিত্রতা অর্জন ভালবাসে ৷ আর পবিত্রতা অর্জনকারীকে আল্লাহ ভালবাসেন (৯০ : ১০৮) ৷
এ আঘাতের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে তাফসীর গ্রন্থে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি আর তা
মদীনার মসজিদ বলে সহীহ্ ঘুসলিমে যে হাদীছ উক্ত হয়েছে, সেখানে আমরা যে হাদীছের
জবাবও উল্লেখ করেছি ৷ আর ইমাম আহমদ হাসান ইবন মুহাম্মদ সুত্রে উওয়ায়ম ইবন সাইদা
থেকে বর্ণিত হাদীছও আমরা উল্লেখ করেছি ৷ যাতে বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
মধ্যে মসজিদে কুবায় উপস্থিত হয়ে বলেন :

<তামাদের মসজিদের কিসসা প্রসঙ্গে তোমাদের পবিত্রতা-পরিচ্ছনতড়ার জন্য আল্লাহ
তা আলা তোমাদের ভুয়সী প্রশং যা করেছেন ৷ তবে এটা কি, যদ্দারা তোমরা পবিত্রত৷ অর্জন
কর ? তারা বললেনং : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ আল্লাহর কসম , আমরা কিছুই জানি না ৷ তবে আমাদের
কিছু ইয়াহুদী প্রতিবেশী ছিল, তারা পায়খানার পর মলদ্বার ধুয়ে ফেলভো ৷ তাদের মতো
আমরাও ধুয়ে নিত ৷ম ৷ ইবন খুযায়মা৩ তার সহীহ্ গ্রন্থে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন এবং তার অন্য
কিছু প্রমাণও রয়েছে ৷ খুযায়মা ইবন ছাবিত ,মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সালাম এবং ইবন
আব্বাস (রা) থেকেও হাদীছটি বর্ণিত ৷ আবু দাউদ তিরমিযীও ইবন মাজা ইউনুস ইবন হারিছ
সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে এবং৩ তিনি নবী করীম (না) থেকে বর্ণনা করে বলেন :

উপরোক্ত আয়াত টি কুবাবাসীদের সম্পর্কে নাযিল হয় ৷ তিনি বলেন যে তারা পানি দ্বারা
পবিত্রত৷ অডনি করতে তাই তাদের সম্পর্কে আয়াত টি নাযিল হয়েছে ৷ এরপর তিরমিযী
বলেন : এ সুত্রে হাদীছটি গরীব ৷ আমি (গ্রন্থকা র) বলি , এ ইউনুস ইবন হারিছ যঈফ ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ. وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ يُونُسَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ إِبُرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِي أَهْلِ قُبَاءَ {فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ} [التوبة: 108] قَالَ: كَانُوا يَسْتَنْجُونَ بِالْمَاءِ، فَنَزَلَتْ فِيهِمْ هَذِهِ الْآيَةُ» ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قُلْتُ: وَيُونُسُ بْنُ الْحَارِثِ هَذَا ضَعِيفٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ قَالَ بِأَنَّهُ الْمَسْجِدُ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى; مَا رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَحُكِيَ عَنِ الشَّعْبِيِّ، وَالْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، وَقَتَادَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَعَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، وَغَيْرِهِمْ. وَقَدْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزُورُهُ فِيمَا بَعْدُ وَيُصَلِّي فِيهِ، وَكَانَ يَأْتِي قُبَاءَ كُلَّ سَبْتٍ، تَارَةً رَاكِبًا وَتَارَةً مَاشِيًا. وَفِي الْحَدِيثِ " «صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِ قُبَاءَ كَعُمْرَةٍ» وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ " أَنَّ
পৃষ্ঠা - ২২২৯
جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، هُوَ الَّذِي أَشَارَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَوْضِعِ قِبْلَةِ مَسْجِدِ قُبَاءَ. فَكَانَ هَذَا الْمَسْجِدُ أَوَّلَ مَسْجِدٍ بُنِيَ فِي الْإِسْلَامِ بِالْمَدِينَةِ، بَلْ أَوَّلَ مَسْجِدٍ جُعِلَ لِعُمُومِ النَّاسِ فِي هَذِهِ الْمِلَّةِ. وَاحْتَرَزْنَا بِهَذَا عَنِ الْمَسْجِدِ الَّذِي بَنَاهُ الصِّدِّيقُ بِمَكَّةَ عِنْدَ بَابِ دَارِهِ، يَتَعَبَّدُ فِيهِ وَيُصَلِّي; لِأَنَّ ذَاكَ كَانَ لِخَاصَّةِ نَفْسِهِ، لَمْ يَكُنْ لِلنَّاسِ عَامَّةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ إِسْلَامُ سَلْمَانَ فِي الْبِشَارَاتِ «أَنَّ سَلْمَانَ الْفَارِسِيَّ لَمَّا سَمِعَ بِقُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ ذَهَبَ إِلَيْهِ، وَأَخَذَ مَعَهُ شَيْئًا، فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُوَ بِقُبَاءَ، قَالَ: هَذَا صَدَقَةٌ. فَكَفَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَأْكُلْهُ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ فَأَكَلُوا مِنْهُ، ثُمَّ جَاءَ مَرَّةً أُخْرَى وَمَعَهُ شَيْءٌ، فَوَضَعَهُ وَقَالَ: هَذِهِ هَدِيَّةٌ. فَأَكَلَ مِنْهُ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ فَأَكَلُوا» تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِطُولِهِ.
পৃষ্ঠা - ২২৩০


আর র্যারা বলেন যে, এই মসজিদ হল যে মসজিদ, যার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে তাক্ওয়ার
উপর ৷ তাদের মধ্যে আছে আবদুর রাযযাক উরওয়া ইবন যুবায়র থেকে যা বর্ণিত হয়েছে ৷
আলী ইবন আবু তালহা ইবন আব্বাস সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ এছাড়া শাবী, হাসান
বসরী, কাতাদা, সাঈদ ইবন জুবায়র, আতিয়া আল-আওফী এবং আবদুর রহমান ইবন যায়দ
ইবন আসলাম প্রমুখ সুত্রেও হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে ৷ নবী করীম (সা) পরবভীকািলে মসজিদটি
দেখতে পেতেন এবং সেখানে নামায আদায় করতেন এবং প্রত্যেক শনিবার সেখানে যেতেন ৷
কখনো পায়ে হেটে , আবার কখনো সওয়ার হয়ে ৷ হাদীছ শরীফে আছে :

“বইিবৃনর মসজিদে সালাত আদায় করা উমরার সমতুল্য ৷ হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত
হয়েছে :




জিবরাঈল (আ) মসজিদে কইবনর কিবলার দিক নির্ণয়ের জন্য নবী (না)-কে ইঙ্গিত
করেন ৷ আর এটা ছিল ইসলামের ইতিহাসে মদীনায় নির্মিত প্রথম মসজিদ ৷ বরং ইসলামী
মিল্লাতে সাধারণ মানুষের জন্য নির্মিত প্রথম মসজিদ ছিল এটি ৷ আবু বকর (রা ) তার বাড়ীর
দরজায় যে মসজিদ নির্মাণ করান, সেখানে তিনি ইবাদত করতেন এবং নামায আদায় করতেন,
তা ছিল একান্তই তার নিজের, তা সাধারণের জন্য ছিল না ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আগমনের সুসংবাদ পর্যায়ে হযরত সালমান ফারসীর ইসলামগ্রহণ
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ৷ তা এই যে, সালমান ফারসী যখন রাসুলের আগমন সম্পর্কে
শুনতে পেলেন মদীনায়, তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট গমনকালে তার সঙ্গে কিছু
জিনিস হাতে নিয়ে যান এবং তা রাসুলের সম্মুখে রাখলেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন কুবড়ায়
অবস্থান করছিলেন ৷ হযরত সালমান ফারসী এটা সাদাকা বললে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) হাত গুটিয়ে
নেন ৷ তিনি নিজে খেলেন না, কিন্তু তার নির্দেশে তার সাহাবীরা তা থেকে কিছু আহার
করলেন ৷ পুনরায় তিনি এলেন এবং তার সঙ্গে কিছু একটা জিনিস ছিল ৷ এবার তিনি বললেন,
এটা হাদিয়া ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা থেকে কিছু আহার করলেন এবং সাহাবীগণকে নির্দেশ
দিলে তারাও তা থেকে আহার করলেন ৷ দীর্ঘ হাদীছটি ইতিপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷

আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা)-এর ইসলামগ্রহণ
ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে আবদুল্লাহ্ ইবন সালাম থেকে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করলে লোকেরা দ্রুত তার দিকে ছুটে আসে ৷ যারা তার দিকে
ছুটে আসে, তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম ৷ আমি তার চেহারা দেখেই চিনতে পারি যে, এটা
কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয় ৷ আমি সর্বপ্রথম তাকে যে কথাটি বলতে শুনি , তা এই :


[فَصْلٌ فِي إِسْلَامِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا عَوْفٌ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، انْجَفَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَكُنْتُ فِيمَنِ انْجَفَلَ، فَلَمَّا تَبَيَّنْتُ وَجْهَهُ عَرَفْتُ أَنَّهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ، فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: " أَفْشُوا السَّلَامَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصِلُوا الْأَرْحَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٍ، تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ ".» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَبِي أَوْفَى بِهِ عَنْهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: صَحِيحٌ. وَمُقْتَضَى هَذَا السِّيَاقِ يَقْتَضِي أَنَّهُ سَمِعَ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَآهُ أَوَّلَ قُدُومِهِ حِينَ أَنَاخَ بِقُبَاءَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَتَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ اجْتَمَعَ بِهِ حِينَ أَنَاخَ عِنْدَ دَارِ أَبِي أَيُّوبَ، بَعْدَ ارْتِحَالِهِ مَنْ قُبَاءَ إِلَى دَارِ بَنِي النَّجَّارِ. كَمَا تَقَدَّمَ، فَلَعَلَّهُ رَآهُ أَوَّلَ مَا رَآهُ بِقُبَاءَ، وَاجْتَمَعَ بِهِ بَعْدَمَا صَارَ إِلَى دَارِ بَنِي النَّجَّارِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২২৩১


গ্র৷ ৷ ৷প্রুৰু১া
ণ্মৈং
“সালামের বিস্তার ঘটাও , লোকজনকে আখ্যায়িত কর, রাত্রিকালে নামায আদায় কর যখন
লোকেরা ঘৃমিয়ে থাকে, আর এর পরিণামে শাস্তিতে জান্নড়াতে প্রবেশ করবে ৷” তিরমিযী ও ইবন
মাজাহ্ আওফ আল-আরাবী সুত্রে যুরারা ইবন আবু আওফা থােক হাদীছঢি বর্ণনা করেন এবং
তিরমিযী হাদীছটিকে সহীহ্’ বলেন ৷ এ বর্ণনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি নবী করীম
(না)-এর পাবিত্র মুখ থেকে তা শ্রবণ করেছেন এবং তিনি মদীনায় আগমন করে কুবায় বনু
আম্র ইবন আওফএর মহল্লায় অবস্থান করার প্রথম পর্যায়েইপু, যখন সেখানে উট বসান,
তখনই তাকে তা বলতে শুনেন এবং তাকে সরাসরি দেখেন আবদুল আযীয ইবন সুহায়ব সুত্রে
আনাস-এর বর্ণনায় ইতােপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কুবায় থেকে বনু নাজ্জারের মহল্লড়ায়
আগমন করে উট র্বাধার সময়ই আবদুল্লাহ ইবন সালাম রাসুলুল্লাহ (স ) এর সঙ্গে মিলিত হন ৷
সম্ভবত কুবায় যিনি নবী করীম (না)-কে সর্বপ্রথম দেখতে পান এবং বনু নাজ্জারের মহল্লায়
তার সঙ্গে মিলিত হন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

বৃখারীর বর্ণনায় আবদুল আযীয (র ) আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) (মদীনায়) আগমন করলে আবদুল্লাহ ইবন সালাম উপস্থিত হয়ে বললেন-
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর রাসুল এবং সত্য নিয়ে আপনি আগমন করেছেন ৷
ইহ্রদীরা একথা ভাল করেই জানে যে, আমি তাদের নেতা এবং নেতার পুত্র এবং আমি তাদের
মধ্যে সবচেয়ে বড় জ্ঞানী ব্যক্তি এবং সবচেয়ে বড় জ্ঞানী ব্যক্তির সন্তান ৷ আমি ইসলাম গ্রহণ
করেছি একথা তারা জানার আগেই তাদেরকে ডেকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন ৷ কারণ,
তারা যদি জানতে পারে যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি, তাহলে তারা আমার সম্পর্কে এমন সব
কথা বলবে, যা আমার মধ্যে নেই ৷ সুতরাং আল্লাহ্র নবী (সা ) তাদের নিকট বার্তাবাহক প্রেরণ
করেন ৷ তারা আসলে তিনি বললেন : “হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! (তোমাদের জন্য আফসােস,
তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করা যে আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, যে আল্লাহর শপথ, তোমরা
অবশ্যই (একথা) জান যে, আমি সত্য সতাই আল্লাহ্র নবী এবং (তোমরা একথাও জান যে,)
আমি তোমাদের নিকট সত্য নিয়ে আগমন করেছি ৷ সুতরাং তোমরা সকলে ইসলাম গ্রহণ কর ৷
তারা বললো : আমরা তো তা জানি না ৷ তারা নবী করীম (সা) সম্পর্কে একথা তিনবার বলে ৷
এরপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তোমাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন সালাম কে ? তিনি কেমন
লোক ? তারা বললো : তিনি তো আমাদের নেতা এবং নেতার পুত্র, তিনি আমাদৈর মধ্যে
সবচেয়ে বড় জ্ঞানী এবং সবচেয়ে বড় জ্ঞানীর পুত্র ৷ তিনি বললেন : আচ্ছা বল দেখি, তিনি যদি
ইসলাম গ্রহণ করেন ? (তবে কেমন হবে ?) ৷ তারা বললো : আল্লাহর পানাহ, তিনি মুসলমান
হতে পারেন না ৷ তিনি বললেন : হে ইবন সালাম ! বেরিয়ে এসো! তিনি বেরিয়ে এসে বললেন:
“হে ইয়ড়াহ্রদী সমাজ ! তোমরা আল্লাহকে ভয়কর, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই ৷ তোমরা তো
নিশ্চিত জানাে যে, তিনি আল্লাহ্র রাসুল এবং তিনি সত্য নিয়ে আগমন করেছেন ৷” তখন তারা


وَفِي سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنَّكَ جِئْتَ بِحَقٍّ، وَقَدْ عَلِمَتْ يَهُودُ أَنِّي سَيِّدُهُمْ وَابْنُ سَيِّدِهِمْ، وَأَعْلَمُهُمْ وَابْنُ أَعْلَمِهِمْ، فَادْعُهُمْ فَسَلْهُمْ عَنِّي قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا أَنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ، فَإِنَّهُمْ إِنْ يَعْلَمُوا أَنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ قَالُوا فِيَّ مَا لَيْسَ فِيَّ. فَأَرْسَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَهُودِ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمْ: " يَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ، وَيْلَكُمْ، اتَّقُوا اللَّهَ، فَوَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونِ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ حَقًّا، وَأَنِّي جِئْتُكُمْ بِحَقٍّ فَأَسْلِمُوا ". قَالُوا: مَا نَعْلَمُهُ. قَالُوا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَهَا ثَلَاثَ مِرَارٍ. قَالَ: " فَأَيُّ رَجُلٍ فِيكُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ؟ ". قَالُوا: ذَاكَ سَيِّدُنَا وَابْنُ سَيِّدِنَا، وَأَعْلَمُنَا وَابْنُ أَعْلَمِنَا. قَالَ: " أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ؟ ". قَالُوا: حَاشَ لِلَّهِ، مَا كَانَ لِيُسْلِمَ. قَالَ: " يَا ابْنَ سَلَامٍ، اخْرُجْ عَلَيْهِمْ ". فَخَرَجَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، اتَّقُوا اللَّهَ فَوَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنَّهُ جَاءَ بِالْحَقِّ. فَقَالُوا: كَذَبْتَ. فَأَخْرَجَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - هَذَا لَفْظُهُ. وَفِي رِوَايَةٍ -: فَلَمَّا خَرَجَ عَلَيْهِمْ شَهِدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ قَالُوا: شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا، وَتَنَقَّصُوهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا الَّذِي كُنْتُ أَخَافُ.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
পৃষ্ঠা - ২২৩২
بْنُ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ، ثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ بِقُدُومِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ فِي أَرْضٍ لَهُ، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ ثَلَاثٍ لَا يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ; مَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ؟ وَمَا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ؟ وَمَا يَنْزِعُ الْوَلَدَ إِلَى أَبِيهِ أَوْ إِلَى أُمِّهِ؟ قَالَ: " أَخْبَرَنِي بِهِنَّ جِبْرِيلُ آنِفًا ". قَالَ: جِبْرِيلُ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: عَدُوُّ الْيَهُودِ مِنَ الْمَلَائِكَةِ. ثُمَّ قَرَأَ: {مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللَّهِ} [البقرة: 97] قَالَ: " أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَخْرُجُ عَلَى النَّاسِ مِنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ، وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ، فَزِيَادَةُ كَبِدِ حُوتٍ، وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ نَزَعَ الْوَلَدَ، وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الْمَرْأَةِ مَاءَ الرَّجُلِ نَزَعَتِ الْوَلَدَ ". قَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ الْيَهُودَ قَوْمٌ بُهُتٌ، وَإِنَّهُمْ إِنْ يَعْلَمُوا بِإِسْلَامِي قَبْلَ أَنْ تَسْأَلَهُمْ عَنِّي بَهَتُونِي. فَجَاءَتِ الْيَهُودُ فَقَالَ: " أَيُّ رَجُلٍ عَبْدُ اللَّهِ فِيكُمْ؟ " قَالُوا: خَيْرُنَا
পৃষ্ঠা - ২২৩৩


বললো : তুমি মিথ্যা বলছো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে বের করে দেন ৷ এ হল বুখারীর
ভাষ্য ৷ অন্য বর্ণনায় আছে : তিনি বেরিয়ে এসে সত্য সাক্ষ্য দান করলে তারা বলে : (এতো)
আমাদের মধ্যে দুষ্ট লোক এবং দুষ্ট লোকের সন্তান ৷ তারা তাকে পাল-মন্দ করে ৷ তিনি বললেন
৪ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এটাই তো আমি আশংকা করছিলাম ৷

বায়হাকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ সুত্রে আনাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন :

আবদুল্লাহ ইবন সালাম তার এক খামার থেকেই রাসুল (সা)এর আগমন সম্পর্কে শুনতে
পান ৷ তখন তিনি নবী করীম (না)-এর নিকট আগমন করে বলেন : আমি আপনাকে তিনটি
বিষয়ে প্রশ্ন করছি, কোন নবী ছাড়া কে এ কথাগুলো জানে না ৷ (প্রশ্নগুলো এই (১)
কিয়ামতের প্রথম লক্ষণগুলো কি ? ( ২)জান্নাতবাসীরা প্রথম কী খাদ্য খাবে ? (৩) শিশু কখনো
মায়ের অবয়বে আবার কখনো বাপের অবয়বে হয়, এর রহস্য কি ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
জিবরাঈল (আ) এইমাত্র আমাকে এসব বিষয়ে অবহিত করেছেন ৷ জিজ্ঞেস করলেন :
জিবরাঈল ? নবী করীম (সা) বললেন : ই৷ ৷ আবদুল্লাহ ইবন সালাম বললেন : ইনি তো
ফেরেশতাদের মধ্যে ইয়াহুদীদের দুশমন ৷ এরপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পন্ঠ করেন :


“যে ব্যক্তি জিবরীলের দুশমন এ জন্য যে, সে তোমার হৃদয়ে কুরআন পৌছিয়েছে আল্লাহর
নির্দোশ ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : কিয়ামতের প্রথম আলামত হবে একটা আগুন, যা দেখা
দেবে মানুষের উপর (অর্থাৎ মানুষের নিকট প্রকাশ পাবে) এবং লোকদেরকে চালিত করবে
প্রাচ্য থেকে প্রভীচ্যের দিকে ৷ আর জান্নড়াতীরা প্রথম যে খাদ্য আহার করবে তা হবে মাছের
কন্সিজা ৷ আর শিশু সন্তান, যখন পুরুষের বীর্য নারীর বীর্যের উপর প্রবল হয়, তখন শিশু হয়
পিতার অবয়বে, আর যখন নারীর বীর্য পুরুষের বীর্যের উপর প্রবল হয়, তখন সন্তান হয় মায়ের
আকৃতির ৷ তখন তিনি বললেন : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং
আপনি আল্লাহর রাসুল ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ইয়াহ্রদীরা হল বড়ই অপবাদপ্রবণ জাতি ৷

আপনি তাদেরকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পুর্বেই তারা যদি আমার ইসলামপ্রহণ
সম্পর্কে জানতে পারে , তবে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়াবে ৷ তখন ইয়াহ্রদীরা উপস্থিত হলো
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমাদের মধ্যে আবদুল্লাহ কে ? (অর্থাৎ যে কেমন লোক ?) তারা
বললো : যে আমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি এবং উত্তম ব্যক্তির সন্তান ৷ আমাদের মধ্যে যে নেতা
এবং নেতার পুত্র ৷ তিনি বললেন : তোমরা কী বল ? সে যদি ইসলামপ্রহণ করে ? তারা বলে :
এ থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন ৷ তখন আবদুল্লাহ বের হয়ে বললেন :


তারা বললো : যে আমাদের মধ্যে নি বৃষ্টে লোক এবং নিকৃষ্ট লোকের সন্তান-একথা বলে
তারা তার ত্রুটি বর্ণনা করে ৷ তখন তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো এ আশংকাই

করছিলাম ৷ বুখারী আব্দ ইবন মুনীর সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (রা) থেকে হড়াদীছটি বর্ণনা
করেন ৷ তিনি হামিদ ইবন উমর সুত্রে হুমায়দ থেকেও হড়াদীছটি বর্ণনা করেন ৷

€০য়ো
৪ ৷;

وَابْنُ خَيْرِنَا، وَسَيِّدُنَا وَابْنُ سَيِّدِنَا. قَالَ: " أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ؟ " قَالُوا: أَعَاذَهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ. فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. قَالُوا: شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا وَانْتَقَصُوهُ. قَالَ: هَذَا الَّذِي كُنْتُ أَخَافُ يَا رَسُولَ اللَّهِ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُنِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَكْرٍ بِهِ، وَرَوَاهُ عَنْ حَامِدِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ، عَنْ حُمَيْدٍ بِهِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ آلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: كَانَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ حِينَ أَسْلَمَ، وَكَانَ حَبْرًا عَالِمًا، قَالَ: «لَمَّا سَمِعْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَرَفْتُ صِفَتَهُ وَاسْمَهُ وَهَيْئَتَهُ، وَالَّذِي كُنَّا نَتَوَكَّفُ لَهُ فَكُنْتُ مُسِرًّا لِذَلِكَ صَامِتًا عَلَيْهِ، حَتَّى قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَلَمَّا قَدِمَ نَزَلَ بِقُبَاءَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَأَقْبَلَ رَجُلٌ حَتَّى أَخْبَرَ بِقُدُومِهِ، وَأَنَا فِي رَأْسِ نَخْلَةٍ لِي أَعْمَلُ فِيهَا، وَعَمَّتِي خَالِدَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ تَحْتِي جَالِسَةٌ، فَلَمَّا سَمِعْتُ الْخَبَرَ بِقُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبَّرْتُ، فَقَالَتْ عَمَّتِي حِينَ سَمِعَتْ تَكْبِيرِي: لَوْ كُنْتَ
পৃষ্ঠা - ২২৩৪


মুহাম্মদ ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন সালামের
পরিবারের জনৈক ব্যক্তির বরাতে তার ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার কাহিনী বর্ণনা করেন :

আমি যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আগমনের কথা শুনতে পেলাম এবং তার নাম, গুণাবলী ও
পরিচয় জানতে পারলাম এবং তার যমানায় আমরা যার অপেক্ষায় ছিলাম, তখন আমি কুবায়
বিষয়টি গোপন রেখে চুপচাপ ছিলাম ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করেন ৷
মদীনায় আগমন করে তিনি কুবায় বনু আমর ইবন আওবুফর মহল্পায় অবস্থান করেন ৷ জনৈক
ব্যক্তি এগিয়ে এসে তার আগমনবার্তা জানায় ৷ এ সময় আমি <;খজুর গাছের মাথায় কাজ
করছিলাম ৷ আর আমার ফুফু খালিদ৷ বিনত হারিছ নীচে বসা ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর
আগমনের খবর শুনে আমি তাক্বীরধ্বনি দেই ৷ আমার তাক্বীবধ্বনি শ্রবণ করে আমার ফুফু
বললেন তুমি মুসা ইবন ইমরাবুনর আগমনের খবর শুনলে এর চাইতে জোরে তাকবীরধ্বনি
দিতে না ৷ তিনি বলেন, আমি তাকে বললড়াম, হে আমার ফুফু আল্লাহর কসম, তিনি মুসা ইবন
ইমরানের সমপর্যায়ের এবং তার দীন নিয়েই তিনি প্রেরিত হয়েছেন ৷ তিনি বলবুলন৪ হে
ভ্রাতৃম্পুত্র ! তিনি কি যে ব্যক্তি যার সম্পর্কে আমরা জানতাম যে, বি১য়ড়ামতের পুর্বে তার আগমন
ঘটবে ? আমি বললাম, ইব্র৷ ৷ তিনি বললেন, তবে তিনিই যে ব্যক্তি ৷ তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্র নিকট গেলাম, ইসলামগ্রহণ করলাম, এরপর আমার পরিবারপরিজবুনর নিকট
ফিরে এসে তাদেরকে বললে তারাও ইসলামগ্রহণ করে ৷ আমি আমার ইসলাম গ্রহণ ইয়াহ্রদীবুদর
নিকট গোপন রাখি ৷ আমি বলি হে অ ৷ল্লাহ্র রাসুল ইয়াহ্রদীরা এক অপবাদপ্ৰবণ জা ৷তি ৷ আমি
পসন্দ করি যে, আপনি আমাকে কোন গৃবুহত তাদের থেকে লুকিয়ে রাখবেন ৷ এরপর আমার
সম্পবুর্ক তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, আমি কেমন ৷ আর এ কাজটা করবেন আমার ইসলাম গ্রহণ
সম্পর্কে তারা জানবার আগে ৷ তারা এটা জানতে পারলে আমার সম্পর্কে অপপ্রচার চালাবে আর
আমার দোষ ত্রুটি বর্ণনা করলে ৷ আগের মতে ৷ ঘটনা উল্লেখ করলেন ৷ তিনি বললেন, এরপর
আমার এবং আমার পরিব৷ র-পরিজনের ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করলাম এবং ফুফু খালিদা
বিনত হারিছও ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সুত্রে সা ৷ফিয়্যা বিনত হুয়৷ ৷ই এর বরাতে ববুলন০ :
আমার পিতা এবং চাচার সন্তানদের মধ্যে বুকউ তাদের উভয়ের নিকট আমার চেয়ে বেশী প্রিয়
ছিল না ৷ তাদের সন্তানদের মধ্যে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করলে তারা আমাকেই অগ্রাধিকার
দিতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় বনু আমর ইবন আওবুফর জনপদে আগমন করলে আমার
পিতা এব০ চাচা আবু ইয়াসির ইবন আখতার ভোরে তার কাছে গমন করতেন (এবং রাবুত
ফিরে আসতেন) ৷ আল্লাহর কসম, কেবল সুর্যাস্তকালেইত তারা ফিরে আসতে তন আমাদের নিকট ৷
তারা আমাদের নিকট ফিরে আসতেন বিষগ্ন মবুন, ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে, পড়ম্ভ অবস্থায় ধীরে ধীরে
পদ চারণ৷ করে সাধারণত আমি সাহায্য বদনে তাদের নিকট আগমন করলে আল্লাহর কসম,
তারা কারো দিকে তাকাতেন না ৷ তখন আমি আমার চাচা আবু ইয়াসিরকে বলতে শুনতাম,
তিনি আমার পিতাকে বলবুতন০ : ইনিই কি তিনি? তিনি বলবুতন, হীা, আল্লাহর কসম তিনি
বলবুতন০ তার গুণাবলী সম্পর্কে কি তুমি জান ? তিনি ববুলন ইব্রু৷ আল্লাহর কসম ৷ তিনি


سَمِعْتَ بِمُوسَى بْنِ عِمْرَانَ مَا زِدْتَ! قَالَ: قُلْتُ لَهَا: أَيْ عَمَّةُ، هُوَ وَاللَّهِ أَخُو مُوسَى بْنِ عِمْرَانَ، وَعَلَى دِينِهِ بُعِثَ بِمَا بُعِثَ بِهِ. قَالَ: فَقَالَتْ لَهُ: يَا ابْنَ أَخِي، أَهْوَ الَّذِي كُنَّا نُخْبَرُ أَنَّهُ يُبْعَثُ مَعَ نَفْسِ السَّاعَةِ؟ قَالَ: قُلْتُ لَهَا: نَعَمْ. قَالَتْ: فَذَاكَ إِذًا. قَالَ: فَخَرَجْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمْتُ، ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى أَهْلِ بَيْتِي، فَأَمَرْتُهُمْ فَأَسْلَمُوا، وَكَتَمْتُ إِسْلَامِي مِنَ الْيَهُودِ، وَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ الْيَهُودَ قَوْمٌ بُهُتٌ، وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ تُدْخِلَنِي فِي بَعْضِ بُيُوتِكَ، فَتُغَيِّبَنِي عَنْهُمْ، ثُمَّ تَسْأَلَهُمْ عَنِّي، فَيُخْبِرُوكَ كَيْفَ أَنَا فِيهِمْ قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا بِإِسْلَامِي، فَإِنَّهُمْ إِنْ يَعْلَمُوا بِذَلِكَ، بَهَتُونِي وَعَابُونِي وَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. قَالَ: فَأَظْهَرْتُ إِسْلَامِي وَإِسْلَامَ أَهْلِ بَيْتِي، وَأَسْلَمَتْ عَمَّتِي خَالِدَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ.» وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنِي مُحَدِّثٌ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ، قَالَتْ: لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنْ وَلَدِ أَبِي وَعَمِّي أَحَبَّ إِلَيْهِمَا مِنِّي، لَمْ أَلْقَهُمَا فِي وَلَدٍ لَهُمَا قَطُّ أَهِشُّ إِلَيْهِمَا إِلَّا أَخَذَانِي دُونَهُ، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبَاءَ - قَرْيَةَ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ - غَدَا إِلَيْهِ أَبِي وَعَمِّي أَبُو يَاسِرِ بْنِ أَخْطَبَ مُغَلِّسَيْنِ، فَوَاللَّهِ مَا جَاءَانَا إِلَّا مَعَ مَغِيبِ الشَّمْسِ، فَجَاءَانَا فَاتِرَيْنِ كَسْلَانَيْنِ سَاقِطَيْنِ يَمْشِيَانِ الْهُوَيْنَى، فَهَشِشْتُ إِلَيْهِمَا كَمَا كُنْتُ أَصْنَعُ، فَوَاللَّهِ مَا نَظَرَ إِلَيَّ وَاحِدٌ مِنْهُمَا، فَسَمِعْتُ عَمِّي أَبَا يَاسِرٍ يَقُولُ لِأَبِي: أَهْوَ هُوَ؟ قَالَ: نَعَمْ وَاللَّهِ. قَالَ تَعْرِفُهُ بِعَيْنِهِ وَصِفَتِهِ؟ قَالَ: نَعَمْ وَاللَّهِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২২৩৫
فَمَاذَا فِي نَفْسِكَ مِنْهُ؟ قَالَ: عَدَاوَتُهُ وَاللَّهِ مَا بَقِيتُ. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ أَبَا يَاسِرِ بْنَ أَخْطَبَ حِينَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ ذَهَبَ إِلَيْهِ، وَسَمِعَ مِنْهُ، وَحَادَثَهُ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ، فَقَالَ: يَا قَوْمِ، أَطِيعُونِي; فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَاءَكُمْ بِالَّذِي كُنْتُمْ تَنْتَظِرُونَ، فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تُخَالِفُوهُ. فَانْطَلَقَ أَخُوهُ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ - وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْيَهُودِ، وَهُمَا مِنْ بَنِي النَّضِيرِ - فَجَلَسَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَمِعَ مِنْهُ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ، وَكَانَ فِيهِمْ مُطَاعًا، فَقَالَ: أَتَيْتُ مِنْ عِنْدِ رَجُلٍ وَاللَّهِ لَا أَزَالُ لَهُ عَدُوًّا أَبَدًا. فَقَالَ لَهُ أَخُوهُ أَبُو يَاسِرٍ: يَا ابْنَ أُمِّ، أَطِعْنِي فِي هَذَا الْأَمْرِ وَاعْصِنِي فِيمَا شِئْتَ بَعْدَهُ، لَا تَهْلِكْ. قَالَ: وَاللَّهِ لَا أُطِيعُكَ أَبَدًا. وَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهِ الشَّيْطَانُ وَاتَّبَعَهُ قَوْمُهُ عَلَى رَأْيِهِ. قُلْتُ: أَمَّا أَبُو يَاسِرِ بْنُ أَخْطَبَ فَلَا أَدْرِي مَا آلَ إِلَيْهِ أَمْرُهُ، وَأَمَّا حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ وَالِدُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ، فَشَرِبَ عَدَاوَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبَهُ حَتَّى قُتِلَ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ قَتَلَ مُقَاتِلَةَ بَنِي قُرَيْظَةَ، كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ২২৩৬


বললেন, তাহলে তার ব্যাপারে তোমার মনের কী অবস্থা? তিনি বললেন : আল্লাহর শপথ
যতদিন আমি বেচে থাকর, তার প্রতি শত্রুতা করে যাবো ৷

মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করলে
আবু ইয়াসির ইবন আখতার তার নিকট গিয়ে তার কথা শুনেন এবং তার সঙ্গে কথা বলে নিজ
জাতির নিকট ফিরে এসে বলেন, হে আমার জাতির লোকেরা ! তোমরা আমার আনুগত্য কর,
কারণ, তোমরা যার অপেক্ষায় ছিলে, আল্লাহ তোমাদের নিকট তাকে প্রেরণ করেছেন ৷ তোমরা
৷ তার অনুসরণ করবে, বিরোধিতা করবে না ৷ তখন তার সহােদর হুয়াই ইবন আখতাৰ-যিনি
তখন ইয়াহদীদের সরদার বা নে৩ তা ,আর এরা উভয়েই ছিল বন ন ৷যীরের লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা )
-এর কাছে গিয়ে বসল এবং তার কথা শুনলো, এরপর তার জাতির নিকট ফিরে এলে-আর
সে ছিল জাতির মধ্যে মান্যবর-সে বললো :

আমি এমন এক ব্যক্তির নিকট থেকে এসেছি আল্লাহর ক সম, আমি চিরকাল তার শত্রুই
থাকরাে ৷ (তার মুখে একথা ৷শ্যুন) তার ভাই আবু ইয়াসির বললাে৪ হে আমার সহােদর ভাই
এ ব্যাপারে আমার আনুগত্য কর আর পরে যা খুশী আমার অবধ্য৩ তা নাফরমানী করবে ৷ তবে
নিজেকে ধ্ব স করবে না ৷ সে বললো: না আল্লাহর কসম, আমি কখনো তোমার আনুগত্য
করবো না ৷ শয়তান তার উপর আধিপ৩ তা বিস্তার করে এবং তার জাতি তারই মতামতের
অনুসারী হয় ৷

আমি বলি, আবু ইয়াসিরের নাম হুয়াই ইবন আখ৩ যে১ তার কী শেষ পরিণতি হয়েছিল
আমার জ না সেই ৷ তবে স ফিয্যাব পিতা হুয়াই ইবন আখতার নবী করীম (না) এবং তার
সাহাবীগণের প্রতি শত্রু৩ ৷ ছিল মজ্জাগত ৷ এটাই ছিল তার অভ্যাস ৷ তার প্রতি ৩আল্লাহ্র লান
বর্ষি৩ হোক ৷ বনু কুরায়যার যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত
তার এ অভ্যাসের পরিবর্তন হয়নি ৷ বনু কুরায়যার যুদ্ধের আলোচনায় তার সম্পর্কে আলোচনা
করা হবে ইনশআল্লাহ্ ৷

অনুচ্ছেদ
প্রথম জুমুআব নামায

রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে দিন তার উটনী কাসৃওয়ায় চড়ে কুবায় থেকে রওনা হলেন, সে দিনটি
ছিল জুমুআর দিন ৷ বনু সালিম ইবন আওফের গোত্রে পৌছতে ৩দুপুর গড়িয়ে যায় ৷ তাই
সেখানেই তিনি মুসলমানদেরকে নিয়ে জুমুআর নামায আদায় করেন ৷ আর এটা ছিল রানুওয়ানা

উপত্যকায় ৷ এটা ছিল মদীনায় মুসলমানদেরকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )এর প্রথম জুমুআর নামায
অথবা এটি ছিল মুসলমানদের প্রথম জুমআর নামায ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ কারণ, মক্কায়



১ দুটি মুল কপিতে এমনই উল্লেখ আছে ৷ আর সীরাতে ইবন হিশাম গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, তারা ছিল
তিনজন (১) হয়াই ইবন আখতার (২) আবু ইয়াসির ইবন আখতার আর (৩) জুদী ইবন আখতার ৷


[فَصْلُ أَوَّلِ جُمُعَةٍ صَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُسْلِمِينَ بِالْمَدِينَةِ] فَصْلٌ وَلَمَّا ارْتَحَلَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ قُبَاءَ وَهُوَ رَاكِبٌ نَاقَتَهُ الْقَصْوَاءَ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، أَدْرَكَهُ وَقْتُ الزَّوَالِ وَهُوَ فِي دَارِ بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ، فَصَلَّى بِالْمُسْلِمِينَ الْجُمُعَةَ هُنَالِكَ، فِي وَادٍ يُقَالُ لَهُ: وَادِي رَانُونَاءَ، فَكَانَتْ أَوَّلَ جُمُعَةٍ صَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُسْلِمِينَ بِالْمَدِينَةِ أَوْ مُطْلَقًا; لِأَنَّهُ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - لَمْ يَكُنْ يَتَمَكَّنُ هُوَ وَأَصْحَابَهُ بِمَكَّةَ مِنَ الِاجْتِمَاعِ حَتَّى يُقِيمُوا بِهَا جُمُعَةً ذَاتَ خُطْبَةٍ وَإِعِلَانٍ بِمَوْعِظَةٍ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِشَدَّةِ مُخَالَفَةِ الْمُشْرِكِينَ لَهُ، وَأَذِيَّتِهِمْ إِيَّاهُ. [ذِكْرُ خُطْبَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُمَحِيِّ، أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ خُطْبَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَوَّلِ جُمُعَةٍ صَلَّاهَا بِالْمَدِينَةِ فِي بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ أَحْمَدُهُ، وَأَسْتَعِينُهُ، وَأَسْتَغْفِرُهُ وَأَسْتَهْدِيهِ، وَأُومِنُ بِهِ وَلَا أَكْفُرُهُ، وَأُعَادِي مَنْ يَكْفُرُهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ
পৃষ্ঠা - ২২৩৭



ণ্এপুঙু ১৷ ৷ ওপ্রুদ্বু ১া; ৷
(fl
৷ মৈং এাম্পু;

“সমস্ত প্ৰশং ৷ আল্লাহ তাআলার ৷ আমি তার প্রশংসা করছি, তার নিকট সাহায্য চাইছি,
তার নিকট মাগফিরাত তথা ক্ষমা ভিক্ষা করছি এবং তার কাছে হিদায়াত কামনা করছি ৷ আমি
আল্লাহর প্ৰতি ঈমান এসেছি, তার প্রতি কুফরী করি না, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে
আমি তার সঙ্গে দুশমনী করি ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি
এক, তার কোন শরীক নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসুল ৷ আল্লাহ র্তাকে প্রেরণ করেছেন
হিদায়াত, নুর আর সত্য দীন সহকারে উপদেশ নিয়ে রাসুলদের আগমনে বিরতির পর ৷ আল্লাহ
তাকে প্রেরণ করেছেন জ্ঞানের স্বল্পত৷ , মানুষের গোমরাহী, সময়ের ব্যবধান কিয়ামতের নৈকট্য
আর মৃত্যু ঘনিয়ে আসার পর ৷ যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসুলের আনুগত্য করে সে নিশ্চিত

সঠিক পথের সন্ধান লাভ করে আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসুলের নাফরমানী করে,
সেতো নিশ্চিত বিপদপামী হয়, স্থানচ্যুত হয় এবং পােমৱাহীর অতল তলে নিমজ্জিত হয় ৷

আমি তোমাদেরকে ওসীয়াত করছি আল্লাহ্কে ভয় করে চলার ৷ কারণ, একজন মুসলমান
অপর মুসলমানকে যে বিষয়ে ওসীব্যত করতে পারে, তন্মধ্যে তাকওয়া হলো সর্বোত্তম ৷ একজন
মুসলমান অপর মুসলমানকে আখিরাতের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে, আল্লাহ্কে ভয় করে চলার হুকুম
করবে ৷ সুতরাং আল্লাহ তোমাদেরকে নিজেদের ব্যাপারে যে সতর্ক করেছেন, তোমরা সে
ব্যাপারে সতর্ক হও ৷ এর চেয়ে উত্তম কোন নসীহত নেই, নেই এর চেয়ে উত্তম কোন উপদেশ ৷
আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে কাজ করাই হলো তাকওয়া ৷ পরকালের ব্যাপারে তোমরা যে
সহায়তা-সহযোগিতা তালড়াশ করতে পারে৷ তা হলো এ তাকওয়া ৷ যে ব্যক্তি তার নিজের এবং
আল্লাহর মধ্যকার গোপন এবং প্রকাশ্য বিষয় সংশোধন করে নিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কার্য
সম্পাদন করে এবং এ ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তোষ ছাড়া অন্য কিছু কামনা করে না, তার পরিণাম
তার মৃত্যু পরবর্তী জীবনে হবে তার জন্য যিক্র ও সঞ্চয় স্বরুপ ৷ যখন মানুষ বা অগ্রে প্রেরণ
করেছে তার মুখাপেক্ষী হবে, হবে সে জন্য কাঙ্গীল ৷ আর যে কাজ হবে এর বিপরীত, সে জন্য
যে ব্যক্তি কামনা করবে যে, যদি তার এবং সে কর্মের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান সৃষ্টি হতো ৷ আল্লাহ
তােমাদেরকে হুশিয়ার করেছেন তার নিজের ব্যাপারে ৷ আর বান্দাদের প্ৰতি আল্লাহ অতিশয়
দয়ালু ৷ আর আল্লাহ তার বাণী সত্য করে সেখান, পুরণ করেন তার ওয়াদা-অঙ্গীকার ৷ এর
কোন থেলাফ তিনি করেন না , করেন না ব্যতিক্রম ৷ কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন :


وَرَسُولُهُ أَرْسَلَهُ بِالْهُدَى، وَالنُّورِ، وَالْمَوْعِظَةِ عَلَى فَتْرَةٍ مِنَ الرُّسُلِ، وَقِلَّةٍ مِنَ الْعِلْمِ، وَضَلَالَةٍ مِنَ النَّاسِ، وَانْقِطَاعٍ مِنَ الزَّمَانِ، وَدُنُوٍّ مِنَ السَّاعَةِ، وَقُرْبٍ مِنَ الْأَجَلِ، مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ، وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَقَدْ غَوَى وَفَرَّطَ، وَضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا، وَأُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، فَإِنَّهُ خَيْرُ مَا أَوْصَى بِهِ الْمُسْلِمُ الْمُسْلِمَ أَنْ يَحُضَّهُ عَلَى الْآخِرَةِ، وَأَنْ يَأْمُرَهُ بِتَقْوَى اللَّهِ، فَاحْذَرُوا مَا حَذَّرَكُمُ اللَّهُ مِنْ نَفْسِهِ، وَلَا أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ نَصِيحَةً، وَلَا أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ذِكْرَى، وَإِنَّهُ تَقْوَى لِمَنْ عَمِلَ بِهِ عَلَى وَجِلٍ وَمَخَافَةٍ، وَعَوْنُ صِدْقٍ مَا تَبْتَغُونَ مِنْ أَمْرِ الْآخِرَةِ، وَمَنْ يُصْلِحِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ مِنْ أَمْرِ السِّرِّ وَالْعَلَانِيَةِ، لَا يَنْوِي بِذَلِكَ إِلَّا وَجْهَ اللَّهِ، يَكُنْ لَهُ ذِكْرًا فِي عَاجِلِ أَمْرِهِ، وَذُخْرًا فِيمَا بَعْدَ الْمَوْتِ، حِينَ يَفْتَقِرُ الْمَرْءُ إِلَى مَا قَدَّمَ، وَمَا كَانَ مِنْ سِوَى ذَلِكَ، يَوَدُّ لَوْ أَنَّ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ أَمَدًا بَعِيدًا وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ وَاللَّهُ رَءُؤُفٌ بِالْعِبَادِ. وَالَّذِي صَدَقَ قَوْلُهُ، وَأَنْجَزَ وَعْدَهُ، لَا خُلْفَ لِذَلِكَ، فَإِنَّهُ يَقُولُ تَعَالَى: {مَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ وَمَا أَنَا بِظَلَّامٍ لِلْعَبِيدِ} [ق: 29] . وَاتَّقُوا اللَّهَ فِي عَاجِلِ أَمْرِكُمْ وَآجِلِهِ، فِي السِّرِّ وَالْعَلَانِيَةِ، فَإِنَّهُ مَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ، وَيُعْظِمْ لَهُ أَجْرًا، وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا، وَإِنَّ تَقْوَى اللَّهِ تُوقِّي مَقْتَهُ، وَتُوقِّي عُقُوبَتَهُ، وَتُوقِّي سَخَطَهُ، وَإِنَّ تَقْوَى اللَّهِ تُبَيِّضُ الْوَجْهَ، وَتُرْضِي الرَّبَّ، وَتَرْفَعُ الدَّرَجَةَ، خُذُوا بِحَظِّكُمْ، وَلَا تُفَرِّطُوا فِي جَنْبِ اللَّهِ، قَدْ عَلَّمَكُمُ اللَّهُ كِتَابَهُ، وَنَهَجَ لَكُمْ سَبِيلَهُ; لِيَعْلَمَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلِيَعْلَمَ الْكَاذِبِينَ، فَأَحْسِنُوا كَمَا أَحْسَنَ اللَّهُ إِلَيْكُمْ، وَعَادُوا أَعْدَاءَهُ،
পৃষ্ঠা - ২২৩৮


এ্যাৰু
“আমার কথার কোন রদ-বদল হয় না , কোন (হরফের হয় না এবং আমি বান্দাদের প্রতি
অবিচার করি না” (৫০ : ২৯) ৷

ইহকাল আর পরকালের সকল ক্ষেত্রে গোপনে আর প্রকাশ্যে কেবল আল্লাহকেই ভয় করে
চলবে ৷ কারণ, আল্লাহ বলেন :

“যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলবে আল্লাহ তার পাপরাশি ণ্মা>-ব্ করবেন এবং তাকে
দেবেন মহা পুরস্কার ৷ (৬৫ : ৫) ৷ মহান আল্লাহ আরো বলেন :

আর যারা আল্লাহ এবং তার রাসুলের আনুগত্য করবে, তারা মহাসাফল্য অর্জন করবে ৷
(৩৩ং : ৭১

কারণ আল্লাহর ভয় তার ক্রোধ থেকে রক্ষা করে , তার শাস্তি থেকে রক্ষা করে, রক্ষা করে
আল্লাহর বিরাগ ভাজন হওয়া থেকে ৷ আর আল্লাহর ভয় ঢেহারাকে উজ্জ্বল করে, পালনকর্তার
সভুষ্টি আকর্ষণ করে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে ৷ তোমরা নিজেদের অং শ গ্রহণ কর এবংঅ আল্লাহর
প্ৰতি ক৩ ৩ব্যে শৈথিল্য করো না ৷ কেননা আল্লাহ তো তােমাদেরকে তার কি৩ ৷ব শিক্ষা
দিয়েছেন,€ ৩ামাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন তার পথ, যাতে করে তিনি (প্রকাশ্যে) জানতে
পারেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যাবাদী ৷ সুতরাং অন্যদের প্রতি তোমরা অনুগ্রহ করো
যেমনটি অ ৷ল্লাহ্৫ তোমাদের প্ৰতি ৩করেছেন ৷ আল্লাহর দুশমনদের সঙ্গে তােমরাও দুশমনী করে৷ ৷
তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে যেমন জিহাদ করা উচিত ৷ তিনি তােমাদেরকে বাছাই করে
নিয়েছেন এবং তোমাদের মুসলিম নামকরণ করেছেন ৷ যাতে যারা ধ্বংস হওয়ার তারা যেন
সত্যাসত্য স্পষ্ট হওয়ার পর ধ্বংস হয়, আর যাদের বেচে থাকার তারা যেন সত্যাসত্য স্পষ্ট
হওয়ার পর ধ্বংস হয়, আর যাদের বেচে থাকার তারা যেন সত্যাসত স্পষ্ট হওয়ার পর বেচে
থাকে ৷ আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (কিছু করার) কোন শক্তি নেই ৷ তোমরা আল্লাহকে বেশী
বেশী স্মরণ করবে এবং মৃতু ভ্যু পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করবে ৷ ক বণ কেউ তার এবং
আল্লাহর মধ্যের সম্পর্ক সুন্দর আর স শোধন করলে তার এবং মানুষের মধ্যকার সম্পর্কের
ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট হবে ৷ আর এটা এজন্য যে, আল্লাহ মানুষের বিচার ফায়সাল৷ করেন, মানুষ
আল্লাহর বিচার করতে পারে না ৷ আল্লাহ মানুষের মালিক, মানুষের কোন আধিপত্য নেই ৷
আল্লাহ আকবার আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহান মহান আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই ৷ ইবন
জারীর (৩ ৩াবারী) বিবরণটি উল্লেখ করেছেন এবং এর সনদে ইরসাল আছে ৷ (অর্থ ৎ এ হাদীছের
সনদে সাহাবীর নাম বাদ পড়ে গেছে) ৷

বায়হাকী (র) ভায্যে মদীনায় আগমনের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রথম খুতবা ৷


وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ، هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَسَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ، لِيَهْلِكَ مَنْ هَلَكَ عَنْ بَيِّنَةٍ، وَيَحْيَا مَنْ حَيَّ عَنْ بَيِّنَةٍ، وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، فَأَكْثِرُوا ذِكْرَ اللَّهِ وَاعْمَلُوا لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ، فَإِنَّهُ مَنْ أَصْلَحَ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ، يَكْفِهِ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاسِ، ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يَقْضِي عَلَى النَّاسِ وَلَا يَقْضُونَ عَلَيْهِ، وَيَمْلِكُ مِنَ النَّاسِ وَلَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ، اللَّهُ أَكْبَرُ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ ".» هَكَذَا أَوْرَدَهَا ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي السَّنَدِ إِرْسَالٌ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: بَابٌ: أَوَّلُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الْمُغِيرَةُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ الْأَخْنَسِ بْنِ شَرِيقٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ: «كَانَتْ أَوَّلُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، أَنْ قَامَ فِيهَا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ فَقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ تَعْلَمُنَّ وَاللَّهِ لَيُصْعَقَنَّ أَحَدُكُمْ، ثُمَّ لَيَدَعَنَّ غَنَمَهُ لَيْسَ لَهَا رَاعٍ، ثُمَّ لَيَقُولَنَّ لَهُ رَبُّهُ - لَيْسَ لَهُ تُرْجُمَانٌ وَلَا حَاجِبٌ يَحْجُبُهُ دُونَهُ -: أَلَمْ يَأْتِكَ رَسُولِي فَبَلَّغَكَ، وَآتَيْتُكَ مَالًا، وَأَفْضَلْتُ عَلَيْكَ، فَمَا قَدَّمْتَ لِنَفْسِكَ؟ فَيَنْظُرُ يَمِينًا وَشِمَالًا فَلَا يَرَى شَيْئًا، ثُمَّ يَنْظُرُ قُدَّامَهُ فَلَا يَرَى غَيْرَ جَهَنَّمَ فَمَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২২৩৯


হাফিয আবু আবদুল্লাহ্র সুত্রে আবদুর রহমান ইবন আওফের বরাঃত বায়হাকী বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করে দাড়িয়ে প্রথম যে খুতরা দান করেন, তাতে তিনি
আল্লাহর যথাযােগ্য ন্তুভী প্ৰশস্তির পর বলেন :

এে
এ;াৰু ণ্া৷ — ধ্এ্গ্লু
ৰু
এ;শুশু

আম্মা বাদ (এরপর) লোক সকল ! তোমরা নিজেদের জন্য (লেক আমল) অগ্রে প্রেরণ কর,

তোমরা অবশ্যই জানতে পারবে, আল্লাহর কসম, ণ্তামাদের মধ্যে প্রত্যেকেই বেহুশ হয়ে পড়বে
এবং তার বকরী পাল রাখড়ালহীন অবস্থায় ছেড়ে চলে যাবে, তার জন্য এরপর তার পালনকর্তা
তাকে অবশ্যই বললেন : তখন কোন দোভাষী থাকবে না, থাকবে না কোন প্রহরী, যে উভয়ের
মধ্যে অতরায় হরু —— তোমার নিকট আমার রাসুল এসে আমার বাণী কি পৌছাননি ? আমি
তোমাকে ধন-সম্পদে ধন্য করেছি এবং তোমার প্রতি করুণা-বারি বর্ষণ করেছি ৷ তুমি নিজের
জন্য অগ্রে কী প্রেরণ করেছ ? তখন সে ডানে-বীয়ে দৃষ্টিপাত করবে কিন্তু কিছুই দেখতে পাবে
না ৷ এরপর সম্মুখে দৃষ্টিপাত করবে ৷ জাহান্নড়াম ছাড়া কিছুই দেখতে পারে না ৷ কেউ এক টুকরা
থেজুরের বিনিময়ে যদি তার চেহারাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়, তবে তার তাই
করা উচিত ৷ আর কেউ তা না পেলে ভাল কথা দ্বারা তো করবে) ৷ কারণ, এতেই (নকীব
পুরস্কার দেয়া হবে দশ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত ৷ আল্লাহর রাসুলের উপর সালাম আল্লাহর
রহমত ও ররকত ৷ অপর এক খুতবায় আল্লাহ্র নবী বলেন :


১া৷ ণ্এ৷ ১া
ধ্র্দু৷ ৷
১াপ্রু) ণ্ধুপ্রুাষ্


يَقِيَ وَجْهَهُ مِنَ النَّارِ، وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ، فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ، فَإِنَّ بِهَا تُجْزَى الْحَسَنَةُ عَشْرَ أَمْثَاَلِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ، وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. ثُمَّ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّةً أُخْرَى، فَقَالَ: " إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ أَحْمَدُهُ وَأَسْتَعِينُهُ، نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا وَسَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا، مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، إِنَّ أَحْسَنَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَيَّنَهُ اللَّهُ فِي قَلْبِهِ، وَأَدْخَلَهُ فِي الْإِسْلَامِ بَعْدَ الْكُفْرِ، وَاخْتَارَهُ عَلَى مَا سِوَاهُ مِنْ أَحَادِيثِ النَّاسِ، إِنَّهُ أَحْسَنُ الْحَدِيثِ وَأَبْلَغُهُ، أَحِبُّوا مَنْ أَحَبَّ اللَّهَ، أَحِبُّوا اللَّهَ مِنْ كُلِّ قُلُوبِكُمْ، وَلَا تَمَلُّوا كَلَامَ اللَّهِ وَذِكْرَهُ، وَلَا تَقْسُ عَنْهُ قُلُوبُكُمْ، فَإِنَّهُ مِنْ كُلٍّ يَخْتَارُ اللَّهُ وَيَصْطَفِي، فَقَدْ سَمَّاهُ خِيَرَتَهُ مِنَ الْأَعْمَالِ، وَخِيَرَتَهُ مِنَ الْعِبَادِ، وَالصَّالِحَ مِنَ الْحَدِيثِ، وَمِنْ كُلِّ مَا أُوتِيَ النَّاسُ مِنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ، فَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَاتَّقُوهُ حَقَّ تُقَاتِهِ، وَاصْدُقُوا اللَّهَ صَالِحَ مَا تَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُمْ، وَتَحَابُّوا بِرَوْحِ اللَّهِ بَيْنَكُمْ، إِنَّ اللَّهَ يَغْضَبُ أَنْ يُنْكَثَ عَهْدُهُ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ» وَهَذِهِ الطَّرِيقُ أَيْضًا مُرْسَلَةٌ، إِلَّا أَنَّهَا مُقَوِّيَةً لِمَا قَبْلَهَا، وَإِنِ اخْتَلَفَتِ الْأَلْفَاظُ.
পৃষ্ঠা - ২২৪০


;, ৷

সমস্ত প্রশংসা-ন্তুতির মালিক আল্লাহ্ তাআলা ৷ আমি তীর প্রশংসা করছি এবং তীর নিকট
সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷ আমাদের নফসের অনিষ্ট আর আমলের ত্রুটি থেকে আমরা আল্লাহ্র
নিকট পানাহ্ চাইছি ৷ আল্লাহ্ যাকে হিদায়াত করেন তাকে গোমরাহ্ করার কেউ নেই ৷ আর
আল্লাহ্ যাকে গোমরাহ্ করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্
ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই তিনি এক, তার কোন শরীক নেই আল্লাহর কালাম নিঃসন্দেহে
সবচেয়ে সুন্দর কথা ৷ আল্লাহ যার অন্তরকে সুশোতিত করেছেন এবং তাকে ইসলামে প্রবেশ
করিয়েছেন কুফরীর পর সে নিঃসন্দেহে সফলকাম হয়েছে ৷ অন্য মানুষের মধ্য থেকে আল্লাহ
তাকেই বাছাই করে নিয়েছেন ৷ আল্পাহ্র বাণী নিঃসন্দেহে সুন্দরতম বাণী এবং সবচেয়ে
গান্তীর্যপুর্ণও মর্মস্পর্শী বাণী ৷ আল্লাহ্ যাদেরকে ভালাবাসেন, তোমরা তাদেরকে ভালবাসবে ৷
তোমরা সর্বান্তঃকরণে আল্লাহ্কে ভালবাসবে ৷ আল্লাহ্র বাণী আর যিকির সম্পর্কে তোমরা
ক্লাস্তিবােধ করো না ৷ এ ব্যাপারে তোমাদের অন্তর যেন কঠিন ও কঠোর না হয় ৷ কারণ,
আল্লাহ্ যাকে মনোনীত করেন তার উত্তম নামকরণ করেন এবং উত্তম বান্দাদের মধ্যে তাকে
স্থান দান করেন, তাকে উত্তম কথা আর হালাল-হারামের জ্ঞান দান করেন ৷ সুতরাং তোমরা
আল্লাহ্র ইবাদত করবে এবং তার সঙ্গে কোন কিছুকেই শরীক করবে না ৷ আর তোমরা
আল্লাহ্কে ভয় করবে, ভয় করার মত এবং তোমরা মুখে যা বলবে, তার উত্তম বাণীতে
আল্লাহ্কে সত্য জ্ঞান করবে আর আল্লাহ্র আশিসে নিজেদের মধ্যে ভালবাসার বিনিময় করবে ৷
আল্লাহ্র সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করা আল্লাহ্কে ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ করে তোলে ৷

ওয়াস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাভুল্লড়াহ ওয়া বারাকাভুহু ৷

এ ভাষণও মুরসাল সুত্রে বণিতি ৷ তবে পুর্ববর্তী খুতবার এটি সমর্থক যদিও শব্দের
পার্থক্য রয়েছে ৷

অনুচ্ছেদ
মসজিদে নববী নির্মাণ এবং আবু আইউবের গৃহে অবস্থানকাল

আবু আইউব আনসারী (বা) এর গৃহে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবস্থানের মেয়াদ সম্পর্কে
মতভেদ দেখা যায় ৷ ওয়াকিদী বলেন, সাত মাস; আর অন্যরা বলেন, এক মাসেরও কম সময় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম বুখারী ইসহড়াক ইবন মানসুর সুত্রে আনাস ইবন মালিক (র) এর বরাতে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করে মদীনায় উচু এলাকায় বনু আমর ইবন আওফ গোত্রে
অবতরণ করেন ৷ তিনি সেখানে ১৪ রাত্রি অবস্থান করেন ৷ তারপর বনু নাজ্জারের কাছে খবর


[فَصْلٌ فِي بِنَاءِ مَسْجِدِهِ الشَّرِيفِ] ِ فِي مُدَّةِ مُقَامِهِ بِدَارِ أَبِي أَيُّوبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي مُدَّةِ مُقَامِهِ بِهَا; فَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: سَبْعَةُ أَشْهُرٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: أَقَلُّ مِنْ شَهْرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْتَّيَّاحِ يَزِيدُ بْنُ حُمَيْدٍ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، نَزَلَ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فِي حَيٍّ يُقَالُ لَهُمْ: بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَأَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى مَلَأِ بَنِي النَّجَّارِ، فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِي سُيُوفِهِمْ. قَالَ: وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ، وَمَلَأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ، حَتَّى أَلْقَى بِفَنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ. قَالَ: فَكَانَ يُصَلِّي حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ، وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ
পৃষ্ঠা - ২২৪১


প্রেরণ করলে তারা কোষবদ্ধ তরবারি সহ উপস্থিত হয় ৷ রড়াবী আনাস (রা) বলেন : আমি যেন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে সওয়াবীর উপর দেখতে পাচ্ছি আর হযরত আবু বকর (রা ) তার পেছনে
সওয়ার আর বনু নাজ্জারের সরদারর৷ তীর আশপাশে ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি আবু আইউবের গৃহ
প্ৰাঙ্গণে অবস্থান নেন ৷ রড়াবী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেখানে সময় হতে সেখানেই নামায
আদায় করে নিতেন ৷ তিনি রকরী রাখার ন্থানেও নামায আদায় করতেন ৷ রড়াবী বলেন, এরপর
তিনি (সা) মসজিদ নির্মাণ করার নির্দেশ দেন ৷ বনু নাজ্জারের নিকট পয়পৰু ম প্রেরণ করলে তারা
হাযির হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : হে বনু নাজ্জার ৷ তোমরা আমাকে এ বাগানের মুল্য
নির্ণয় করে দ ও ৷ তারা বললেনষ্ক না আল্লাহর কলম আমরা আল্লাহর নিকট ছাড়৷ কারো
নিকট থেকে এর মুল্য গ্রহণ করবো না ৷ রাবী বলেন, সেখানে কি ছিল আমি তােমাদেরকে
বলছি ৷ সেখানে ছিল মুশরিকদের কবর ৷ সেখানে ছিল ধ্বংসাবশেষ এবং খেজুর বাগান ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) নির্দেশে কবরগুলো নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয় ধ্বং সাবহ্বশযকে সমতল ভুমিতে
পরিণত করা হয় আর খেজুর গাছগুলাে ৷কেটে ফেলা হয় ৷ রড়াবী বলেন খেজুর গাছগুলো
সাবিবদ্ধ করে কিবলার দিকে রাখা হয় এবং দরজার চৌকাঠ দু’টি করা হয় পাথর দিয়ে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, পাথর বহনকালে র্তার৷ সকলে সমস্বরে সুর করে কবিতা আবৃত্তি করছিলেন
আর তাদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছিলেন :
ণ্এো
“হে আল্লাহ! আখিরাতের মঙ্গল ছাড়া কোন মঙ্গল নেই , সৃতরাৎঙু ’মি সাহায্য কর আনসার
আর মুহাজিরগণকে ৷”

ইমাম বুখারী অন্য কয়েক স্থানেও হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং ইমাম মুসলিম আবু আবদুস
সামাদ ও আবদুল ওয়ারিছ ইবন সাঈদ সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনায়
ইং৩ ৷পুর্বে যুহরী সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মসজিদের স্থানটি ছিল খেজুর শুকাবার
খল৷ ৷ দু জন ইয়াতীম ছিল স্থানটির মালিক, যায়৷ ছিল আসআদ ইবন যুরারার প্ৰতিপালনাধীন
আর সে ইয়াতীমদ্বয়ের নাম ছিল সালে এবং সুহায়ল ৷ রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)ত তাদের নিকট মুল্য
জানতে চাইলে ভীর৷ বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (না)! আমরা মুল্য গ্রহণ করবো না, বরং জায়গাটি
আপনাকে হিবা করবো ৷ কিন্তু বাসুলুল্লাহ্ এভাবে হিবা বা দান হিসাবে স্থানটি গ্রহণ করতে
অস্বীকার করে ক্রয় করে নিয়ে তথায় মসজিদ নির্মাণ করান ৷ রড়াবী বলেন, সকলের সঙ্গে মাটি
বহনকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবৃত্তি করেন :

“এ বোঝা খায়বরের বোঝা নয়, হে বব, এটা অনেক পুত, অনেক পবিত্র ৷ ”
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বলেন ?


الْغَنَمِ، قَالَ: ثُمَّ أَمَرَ بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ، فَأَرْسَلَ إِلَى مَلَأِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا، فَقَالَ: " يَا بَنِي النَّجَّارِ، ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا ". فَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ لَكُمْ، كَانَتْ فِيهِ قُبُورُ الْمُشْرِكِينَ، وَكَانَتْ فِيهِ خِرَبٌ، وَكَانَ فِيهِ نَخْلٌ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبُورِ الْمُشْرِكِينَ فَنُبِشَتْ، وَبِالْخِرَبِ فَسُوِّيَتْ، وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ. قَالَ: فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةَ الْمَسْجِدِ، وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ حِجَارَةً. قَالَ: فَجَعَلُوا يَنْقُلُونَ ذَلِكَ الصَّخْرَ، وَهُمْ يَرْتَجِزُونَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَهْ ... فَانْصُرِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ " » وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَبْدِ الصَّمَدِ عَبْدِ الْوَارِثِ بْنِ سَعِيدٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ الْمَسْجِدَ كَانَ مِرْبَدًا - وَهُوَ بَيْدَرُ التَّمْرِ - لِيَتِيمَيْنِ كَانَا فِي حِجْرِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ وَهُمَا سَهْلٌ وَسُهَيْلٌ، فَسَاوَمَهُمَا فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَا: بَلْ نَهَبُهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَبَى حَتَّى ابْتَاعَهُ مِنْهُمَا وَبَنَاهُ مَسْجِدًا. قَالَ: وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَنْقُلُ مَعَهُمُ التُّرَابَ، يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ২২৪২


“হে আল্লাহ! আখিরাতের পুরস্কারইতেড়া প্রকৃত পুরস্কার ৷ তাই তুমি রহম কর আনসার আর
মুহাজিরগণকে ৷”

মুসা ইবন উকবা উল্লেখ করেন যে, আসআদ ইবন যুরারা ইয়াভীমদ্বয়কে উক্ত স্থানের
পরিবর্তে বিয়াযা’ অঞ্চলে একটা খেজুর বাগান দান করেন ৷ তিনি একথাও উল্লেখ করেন যে,
কারো কারো মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নিকট থেকে স্থানটি ক্রয় করে নেন ৷

আমি অর্থাৎ (গ্রন্থকার) বলি, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে, খেজুর শুকাবার
খলাটি ছিল দু’জন ইয়াভীম বালকের যারা মুআয ইবন আফরার তত্ত্বাবধানে ছিল এবং তারা
ছিল আম্র এর পুত্র সাহল এবং সুহায়ল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম বায়হাকী আবু বকর ইবন আবুদৃদুনইয়া সুত্রে হাসান-এর বরাতে বলেন ও রাসুলুল্লাহ্
(সা) মসজিদ নির্মাণ কার্য শুরু করলে সাহাবীগণ এ কাজে তাকে সহায়তা করেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও তাদের সঙ্গে ইট-পাথর বহন করছিলেন; এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বক্ষ
মুবারক ধুলা-মলিন হয়ে যায় ৷ তখন তিনি বলেন : তোমরা এটাকে মুসা (আ) এর ছাপরার মত
বানিয়ে দাও ৷ তখন আমি হাসানকে জিজ্ঞেস করলাম, মুসা (আ) এর ছাপরা কি জিনিস? তিনি
বললেন, উঠলে ছাদের নাগাল পাওয়া যায় ৷ এ বর্ণনড়াটি মুরসাল পর্যায়ের ৷ বায়হাকী (র) হাম্মাদ
ইবন সালামা সুত্রে উবদাের বরড়াতে বর্ণনা করেন যে, আনসারগণ কিছু অর্থ সংগ্রহ করে তা নিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন :

ইয়া রাসুলাল্লাহ্! (এ টাকা দিয়ে) মসজিদ নির্মাণ করুন এবং তা সুশোভিত করুন ৷ আমরা
আর কতকাল এ ছাপরার তলে নামায আদায় করবো ? তখন আল্লাহর নবী (সা) বললেন :

আমরা তাই মুসার প্রতি আমার কোন অভক্তি নেই ৷ মুসা (আ)-এর ছাপরার ছাপড়া ৷ এ
সুত্রে হড়াদীছটি গরীব পর্যায়ের ৷ আবু দাউদ (র) মুহাম্মদ ইবন হাতিম সুত্রে ইবন উমর (রা)
এর বরাতে বলেন :

“রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আমলে মসজিদে নববীর খুটি ছিল খেজুর গাছের কাণ্ডের আর তার
উপরিভাগ অর্থাৎ ছাদ ছিল খেজুর পাতায় ৷ আবু বকর (রা) এর খিলাফত কালে তা নষ্ট হয়ে
গেলে খেজুরের কাণ্ড আর ডাল-পাতা দিয়ে তা পুনর্নিমাণ করা হয় ৷ উছমড়ান (রা)-এর
খিলাফতকালে তা নষ্ট হয়ে গেলে তা ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয় ৷ অদ্যাবধি অর্থাৎ গ্রন্থকারের
জীবদ্দশা পর্যন্ত তা বহাল আছে ৷ গ্রন্থকার বলেন, এ বর্ণনাটিও গরীব ৷

ইমাম আবু দাউদ মুজাহিদ ইবন মুসা সুত্রে ইবন উমর-এর বরাতে বর্ণনা করেন : ইবন
উমর (রা) বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আমলে মসজিদে নববী ছিল
ইট দ্বারা নির্মিত আর তার ছাদ ছিল খেজুর পাতায় এবং তার খুটি ছিল খেজুর কাঠের ৷ আবু
বকর (রা) তাতে কোন সংযোজন করেননি ৷ উমর (রা) তাতে সংযোজন করেন এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর যুগের ইট আর খেজুর পাতায় ভিতের উপর সংযোজন করেন এবং কাঠের খুটি
ব্যবহার করেন ৷ হযরত উছমান (বা) তা পরিবর্তন করে তাতে অনেক সংযোজন করেন ৷ তিনি


" هَذَا الْحِمَالُ لَا حِمَالَ خَيْبَرْ ... هَذَا أَبَرُّ رُبَّنَا وَأَطْهَرْ " وَيَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنَّ الْأَجْرَ أَجْرُ الْآخِرَهْ ... فَارْحَمِ الْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ " وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ عَوَّضَهُمَا مِنْهُ نَخْلًا لَهُ فِي بَنِي بَيَاضَةَ، قَالَ: وَقِيلَ: ابْتَاعَهُ مِنْهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَنَّ الْمِرْبَدَ كَانَ لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ فِي حِجْرِ مُعَاذٍ ابْنِ عَفْرَاءَ، وَهُمَا سَهْلٌ وَسُهَيْلٌ ابْنَا عَمْرٍو. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ الضَّبِّيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «لَمَّا بَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْجِدَ، أَعَانَهُ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ، وَهُوَ مَعَهُمْ يَتَنَاوَلُ اللَّبِنَ، حَتَّى اغْبَرَّ صَدْرُهُ فَقَالَ: " ابْنُوهُ عَرِيشًا كَعَرِيشِ مُوسَى ". فَقُلْتُ لِلْحَسَنِ: مَا عَرِيشُ مُوسَى؟ قَالَ: " إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ بَلَغَ الْعَرِيشَ ".» يَعْنِي السَّقْفَ. وَهَذَا مُرْسَلٌ. وَرَوَى مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ شَدَّادِ
পৃষ্ঠা - ২২৪৩


নকশা করা পাথর দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করে তাতে চুনকাম করান এবং ছাদ নির্মাণ করান সেগুন

কাঠ দিয়ে ৷ ইমাম বুখারী আলী ইবন সুত্রে ইয়াকুব ইবন ইবরাহীমের বরাতে অনুরুপ বর্ণনা
করেন ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি যে, হযরত উছমান ইবন আফ্ফান (বা) যে মসজিদে নববীতে
ৎযোজন করেছেন তা করেছেন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিম্নোক্ত বাণীর আলোকে :
শ্রু

“যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে তা মুরগীর কুটির পরিমাণ ৷হলেও-
আল্লাহ তার জন্য জ ন্নাতে ঘর বানাবেন ৷” তখন যেসব সাহারা বর্তমান ছিলেন, তারা হযরত
উছমানের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং পরবর্তী ক লেও তারা এটাকে পরিবক্তা করেননি ৷ এ
থেকে প্রমাণ উপস্থাপন করে আলিমগণ বলেছেন যে, এ সংযোজনের বিধান সমস্ত মসজিদের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷ এসব মসজিদে নামায আদায়ে ছাওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং এসব
মসজিদের উদ্দেশ্যে গমন করা যাবে ৷ দা ৷মিশৃক এর জা ৷মি’ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিকের শাসনামলে মসজিদে নববীতে সংস্কার সংযোজন করা হয় ৷ খলীফা
ওয়ড়ালীদের বিদেশে মদীনায় খলীফার প্রতিনিধি উমর ইবন আবদুল আযীয এ সং ×স্কার সংযোজন
কর্ম সাধন করেন এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর হুজরাকে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করেন এ
সম্পর্কে যথাসময়ে আলোচনা করা হবে ৷ পরবর্তীকালে এতে আরো অনেক সংস্কার স০ ×যোজন
করা হয়েছে এবং কিরলার দিক থেকেও সংযোজন করা হয়েছে যার ফলে রওযা এবং মিম্বর
সামনের সফের পরে চলে যায় ৷ যেমন অধুনা দৃষ্টিগােচর হয় (অর্থাৎ লেখকের জীবদ্দশা
পর্যন্ত) ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : মসজিদ এবং বাসস্থান নির্মাণ পর্যন্ত রাসুল (বা) হযরত আবু
আইউবের গৃহে অবস্থান করেন এবং নির্মাণ কাজে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে অংশগ্রহণ করেন
মুসলমড়ানদেরকে কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ৷ রাসুলের পদা০ ×ক অনুসরণ করে মুহাজির এবং
আনসা ৷রগণ এ নির্মাণ কার্যে যোগদান করেন ৷ এ প্রসঙ্গে জনৈক মুসলিম করি বলেন :
ক্রো ৷ জো ৷
“আমরা বসে থাকর আর নবীজী কাজ করবেন, আমাদের এ কর্ম হবে ৫কবলই
বিভ্রান্তিকর ৷ ” নির্মাণ কাজ চলাকালে মুসলমানরা সমবেত কণ্ঠে আবৃত্তি করেন :

“পরকালের সুখই পরম সুখ অন্য কিছু নয় ৷ হে আল্লাহ্ ! রহম কর তুমি আনসার আর
মুহাজিরগণকে ৷” তখন রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও বলেন :
“পরকালের সুখই পরম সুখ, অন্য কিছু নয় ৷ হে আল্লাহ ৷ রহম কর মুহাজির আর

আনসারে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইটমাটি বহন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে হযরত আমার ইবন
ইয়াসির রাসুল (না)-এর দরবারে হাযির হয়ে আরয করেন :


بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عُبَادَةَ، «أَنَّ الْأَنْصَارَ جَمَعُوا مَالًا، فَأَتَوْا بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنِ هَذَا الْمَسْجِدَ وَزَيِّنْهُ، إِلَى مَتَى نُصَلِّي تَحْتَ هَذَا الْجَرِيدِ؟ فَقَالَ: " مَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ أَخِي مُوسَى، عَرِيشٌ كَعَرِيشِ مُوسَى ".» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ مَسْجِدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ سَوَارِيهِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جُذُوعِ النَّخْلِ، أَعْلَاهُ مُظَلَّلٌ بِجَرِيدِ النَّخْلِ، ثُمَّ إِنَّهَا نَخِرَتْ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ، فَبَنَاهَا بِجُذُوعِ وَبِجَرِيدِ النَّخْلِ، ثُمَّ إِنَّهَا نَخَرَتْ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ، فَبَنَاهَا بِالْآجُرِّ، فَمَا زَالَتْ ثَابِتَةً حَتَّى الْآنَ» وَهَذَا غَرِيبٌ. وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، ثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ «أَنَّ الْمَسْجِدَ كَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَبْنِيًّا بِاللَّبِنِ، وَسَقْفُهُ الْجَرِيدُ، وَعُمُدُهُ خَشَبُ النَّخْلِ، فَلَمْ يَزِدْ فِيهِ أَبُو بَكْرٍ شَيْئًا، وَزَادَ فِيهِ عُمَرُ، وَبَنَاهُ عَلَى بِنَائِهِ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّبِنِ وَالْجَرِيدِ، وَأَعَادَ عُمُدَهُ خَشَبًا، وَغَيَّرَهُ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ২২৪৪


ইয়া রাসুলাল্পাহ্! তারা আমাকে মেরে ফেললো ৷ তারা নিজেরা যে বোঝা বহন করে না,
তেমন বোঝা আমার ঘাড়ে চাপায় ৷ উম্মু সালামা (বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্কে দেখেছি তার
ঘাড় পর্যন্ত প্রলন্বিত চুল থেকে বুলাবালি ঝাড়তে আর তার চুল ছিল কোকড়ানাে ৷ এসময় তিনি
বলছিলেন :

ইবন সুমাইয়ার জন্য আফসেড়াস৷ তারা তোমাকে হতার করছে (বলছ), তারা তোমাকে
হত্যা করবে না, বরং তোমাকে হত্যা করবে এক বিদ্রোহী দল ৷” এ সনদে হাদীছটি মুনকড়াতি ,
এমনকি তা বিচ্ছিন্ন সনদ অর্থাৎ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এবং উম্মু সালামার মধ্যস্থলে সম্পর্ক
বিচ্ছিন্ন ৷ অবশ্য ইমাম মুসলিম (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের কথা ভিন্ন
সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ উম্মু সালামা সুত্রে তার বর্ণিত হাদীছে তিনি বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : একটা বিদ্রোহী দল আম্মারকে হরুন্ব্রুা করবে ৷ ইমাম মুসলিম অপর
এক সুত্রে উম্মু সালামা (বা) থেকে বর্ণিত হাদীছে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : হে ইবন সুমাইয়া৷ তোমার জন্য আফস্যেস ! একটা বিদ্রোহী দল
তোমাকে হত্যা করবে ৷ আবদুর রায্যাক মামার সুত্রে উম্মু সালামা থেকে বর্ণনা করেন :

উম্মু সালামা (রা) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং তীর সাহাবীগণ যখন মসজিদ নির্মাণ
করছিলেন, তখন প্রত্যেকে একটা ইট বহন করছিলেন; কিন্তু আমার বহন করছিলেন দুটি করে
ইট ৷ একটা তার নিজের, অপরটা নবী (না)-এর পক্ষ থেকে ৷ তখন নবী করীম (না) আম্মারের
পৃষ্ঠদেশে হাত বুলিয়ে বলেন :


ঞে গ্র
হে ইবন সৃমাইয়৷ ! লোকদের জন্য রয়েছে একটি প্ৰতিদান আর তোমার জন্য রয়েছে দু’টি ৷

আর তোমার শেষ খাবার হবে দুধ; একটা বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷” এ বর্ণনার
সনদ বুখারী-মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ ৷

বায়হাকী প্রমুখ একদল রাবী থেকে খালিদ হামযা সুত্রে আবু সাঈদ খুদ্রীর বরাতে বলেন :

আবু সাঈদ থুদরী (রা) বলেছেন : মসজিদে নববীর নির্মাণ কার্যে আমরা একটি একটি করে
ইট বহন করছিলাম আর আমার বহন করছিল দু’টি দুটি করে ৷ নবী করীম (বা) এটা দেখে
তার দেহ থেকে মাটি ঝাড়তে ঝাড়তে বলছিলেন :

দুঃখ আম্মারের জন্য, একটা বিদ্রোহী দল তাকে হত্যা করবে ৷ সে ওদেরকে জান্নাতের
দিকে ডাকবে আর তারা আম্মারকে ডাকবে জাহান্নামের দিকে ৷ রাবী বলেন, আমার বলছিলেন :
আমি ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট পানড়াহ্ চাই ৷ মুসাদ্দাদ সুত্রে খালিদ আল-হামযার বরাতে


وَزَادَ فِيهِ زِيَادَةً كَثِيرَةً، وَبَنَى جِدَارَهُ بِالْحِجَارَةِ الْمَنْقُوشَةِ وَالْقَصَّةِ، وَجَعَلَ عُمُدَهُ مِنْ حِجَارَةٍ مَنْقُوشَةٍ، وَسَقْفَهُ بِالسَّاجِ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بِهِ. قُلْتُ: زَادَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مُتَأَوِّلًا قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ بَنَى لِلَّهِ مَسْجِدًا وَلَوْ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ".» وَوَافَقَهُ الصَّحَابَةُ الْمَوْجُودُونَ عَلَى ذَلِكَ، وَلَمْ يُغَيِّرُوهُ بَعْدَهُ، فَيُسْتَدَلُّ بِذَلِكَ عَلَى الرَّاجِحِ مِنْ قَوْلَيِ الْعُلَمَاءِ أَنَّ حُكْمَ الزِّيَادَةِ حُكْمُ الْمَزِيدِ، فَتَدْخُلُ الزِّيَادَةُ فِي حُكْمِ سَائِرِ الْمَسْجِدِ مِنْ تَضْعِيفِ الصَّلَاةِ فِيهِ، وَشَدِّ الرِّحَالِ إِلَيْهِ، وَقَدْ زِيدَ فِي زَمَانِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي جَامِعِ دِمَشْقَ، زَادَهُ لَهُ بِأَمْرِهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حِينَ كَانَ نَائِبَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَأَدْخَلَ الْحُجْرَةَ النَّبَوِيَّةَ فِيهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي وَقْتِهِ، ثُمَّ زِيدَ زِيَادَةً كَثِيرَةً فِيمَا بَعْدُ، وَزِيدَ مِنْ جِهَةِ الْقِبْلَةِ، حَتَّى صَارَتِ الرَّوْضَةُ وَالْمِنْبَرُ بَعْدَ الصُّفُوفِ الْمُقَدَّمَةِ، كَمَا هُوَ الْمُشَاهِدُ الْيَوْمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ عَلَى أَبِي أَيُّوبَ، حَتَّى بَنَى مَسْجِدَهُ وَمَسَاكِنَهُ، وَعَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِيُرَغِّبَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْعَمَلِ فِيهِ، فَعَمِلَ فِيهِ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، وَدَأَبُوا فِيهِ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ:
পৃষ্ঠা - ২২৪৫


ইমাম বুখারীও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ভিন্ন সনদেও তিনি হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি
অংশটি উল্লেখ করেননি : রু;া ,৷ ৷ ব্লুগ্রে ৷ এ্যাএ,

ইমাম বায়হাকী বলেন যে, ইমাম বুখারী এ অংশটি উল্লেখ না করার কারণ এই যে, ইমাম
মুসলিম আবু নাযরা সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন :

তিনি বলেন, যিনি আমার চেয়ে উত্তম, তিনি আমাকে খবর দিয়েছেন যে, খন্দক খনন
কালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আম্মারকে লক্ষ্য করে বলেছেন : এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) আম্মারের
মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলছিলেন : ইবন সুমাইয়ার বিপদ! একটা বিদ্রোহী দল তাকে
হত্যা করবে ৷ ইমাম মুসলিম শুব৷ সুত্রে আবু সাঈদ থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ তার
বর্ণনায় আছে :

তিনি বলেন, যিনি আমার চেয়ে উত্তম, তিনি আমাকে জানান আর তিনি হলেন আবু
কাতাদ৷ খন্দক খননকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আম্মার ইবন ইয়াসিরকে বলেন, হে ইবন সুমাইয়া ৷
দুঃখ তোমার জন্য, একটি বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী উহায়ব সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণনা করে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খন্দক খনন করছিলেন, তখন লোকেরা একটা একটা ইট বহন
করছিলেন আর আম্মাৰু ব্যথায় কা৩ র অবস্থায়ও দু দুটি ইট বহন করছিলেন ৷ আবু সাঈদ
বলেন, আমার কোন কোন বন্ধু আমাকে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার মাথা থেকে মাটি
ঝাড়তে ঝাড়তে বলছিলেন, ইবন সুমাইয়্যাষ্ দুঃখ তোমার জন্য, একটা বিদ্রোহী দল তোমাকে
হত্যা করবে ৷ বায়হাকী বলেন, তিনি নিজে যা শুনেছেন আর সঙ্গীর নিকট থেকে যা শুলেছেন
উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করেছেন ৷ হতে পারে খন্দক খননের কথা উল্লেখ কব টা রাবীর ভ্রম ৷
র্তারা উভয়ে বা তাদের একজন মসজিদ নির্মাণকালে এবং অন্যজন খন্দক খননকালে তাকে
একথা বলেছেন ৷ আ ৷ল্লাহই ভাল জানেন ৷

আমি (প্রন্থকার) বলি, খন্দক খননকালে ইট বহন অর্থহীন ৷ বাহ্যত এটা লিপিকারের
বিভ্রম ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

এ হাদীছটি নবুওয়াতের অন্যতম প্রমাণ ৷ এতে নবী (সা) আগাম জানান যে, এবল্টা
বিদ্রোহী দল আ ম্মারকে হত্যা করবে ৷ সিফ্ফীনের ঘটনায় শামবাসীরা ত৷ ৷কে হত্যা করে ৷ আর
এ ঘটনায় আমার ছিলেন আলী (রা) ও ইরাকীদের সঙ্গে ৷ যথান্থানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে ৷ হযরত আলী (রা) ছিলেন হযরত মুআবিয়ার চেয়ে বেশী হকদার ৷
মুআবিয়ার সঙ্গীদেরকে বিদ্রোহী বলায় তাদেরকে কাফির আখ্যা দেয়৷ অপরিহার্য হয় না ৷
যেমনটি শিয়া প্রমুখ বাতিল ফিরকা প্রয়াস পেয়ে থাকে ৷ প্রকৃত প্রস্তাবে তার৷ বিদ্রোহী হলেও
যুদ্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তারা ছিলেন মুজতাহিদ ৷ সকল মুজতাহিদ যথার্থ সিদ্ধান্তে উপনীত
হতে পারেন না ৷ ইজতিহাদে যিনি ঠিক করেন তার জন্য রয়েছে দুটি বিনিময় আর যিনি ভুল
করেন তার জন্য রয়েছে একটা পুরস্কার ৷ পরবভীকািলে এ হাদীছের সঙ্গে যারা একথা যোগ
করেছে ও


لَئِنْ قَعَدْنَا وَالنَّبِيُّ يَعْمَلُ ... لَذَاكَ مِنَّا الْعَمَلُ الْمُضَلِّلُ وَارْتَجَزَ الْمُسْلِمُونَ وَهُمْ يَبْنُونَهُ يَقُولُونَ: لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشَ الْآخِرَهْ ... اللَّهُمَّ ارْحَمِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الْآخِرَةِ، اللَّهُمَّ ارْحَمْ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ ". قَالَ فَيَدْخُلُ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، وَقَدْ أَثْقَلُوهُ بِاللَّبِنِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَتَلُونِي، يَحْمِلُونَ عَلَيَّ مَا لَا يَحْمِلُونَ. قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْفُضُ وَفْرَتَهُ بِيَدِهِ، وَكَانَ رَجُلًا جَعْدًا، وَهُوَ يَقُولُ: " وَيْحَ ابْنِ سُمَيَّةَ، لَيْسُوا بِالَّذِينِ يَقْتُلُونَكَ، إِنَّمَا تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، بَلْ هُوَ مُعْضَلٌ بَيْنَ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَبَيْنَ أُمِّ سَلَمَةَ، وَقَدْ وَصَلَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ سَعِيدٍ وَالْحَسَنِ يَعْنِي ابْنَيْ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أُمِّهِمَا خَيْرَةَ، مَوَلَاةِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَقْتُلُ عَمَّارًا الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَرَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارٍ وَهُوَ يَنْقُلُ الْحِجَارَةَ: " وَيْحٌ لَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الْحَسَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ
পৃষ্ঠা - ২২৪৬


“কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে যেন আমার শাফাআতের অংশীদার না করেন ৷ এ

ৎযোজনের মাধ্যমে সে রাসুলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ এমন কথা
বলেননি, প্রামাণ্য সুত্রে৩ তার নিকট থেকে এমন কথা বর্ণিত নেই ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ৷

তিনি তাদেরকে জ ৷রুন্না৩ তর দিকে ডাকছেন আর তারা তাকে ডাকছে জ ৷হান্নামের দিকে-
আমার তারা এবং তার সঙ্গীরা সিরিয়াবাসীদেরকে ডাকছিলেন সৌহার্দ-সংপ্রীতি ও ঐক্যের
দিকে; আর সিরিয়ড়াবাসীরা কে বেশী হকদার সে কথাবাদ দিয়ে কর্তৃত্ব কবজ৷ করতে চেয়েছিল ৷
তারা এটাও চেয়েছিল যে, লোকেরা নানা দলে বিভক্ত হোক আর প্রান্ত ড়াক দলের মাথায় থাকুক
একজন ইমাম ৷ এটা চালিত করে অনৈক্য আর উম্মতের মতভেদের দিবে ৷

একথা স্বীকার না করলেও এটাই ছিল তাদের মাযহাবের অপবিস্ ৷র্য পরিণতি আর তাদের
গৃহীত ৩নীতির ফলাফল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জা নেন ৷

আমরা যখন সিফ্ফীন-এর ঘটনায় পৌছব, তখন এ বিষয়টা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে
আল্লাহর ইচ্ছা ও তার তাওফীকে ৷ এখানে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মসজিদে নববীর নির্মাণ
কাহিনী ৷ তার প্রতিষ্ঠতো ৷র উপর হাযারো দরুদ৬ সলা৷ম বর্নিত হোক ৷

হাফিয বায়হাকী দালাইলুন নবুওয়াত গ্রন্থে হাফিয আবু আবদুল্লাহ সুত্রে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর আযাদকৃত গোলাম সাফীনার বরাতে বর্ণনা ৷করেন :

তিনি বলেনঃ হযরত আবু বকর (রা) একখানা পাথর এনে তা স্থাপন করলেন, এরপর
হযরত উমর (রা) একখানা পাথর এনে স্থাপন করলেন ৷ এরপর হযরত উছমান (রা) একখানা
পাথর এনে তা স্থাপন করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আমার পরে এরাই হবে কর্তৃত্বের
অধিকারী ৷

হাফিয বায়হাকী ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আব্দুল হামীদ হিম্মানী সুত্রে সাফীনার বরাতে বর্ণনা
করেন : ৷

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদে নববী নির্মাণকালে একটা প্রস্তর স্থাপন করে বলেন :
এবার আবু বকর আমার পাথরের পাশে তার পাথর স্থাপন করুক, এরপর আবু বকরের
পাথরের পাশে উমর তার পাথর স্থাপন করুক, এরপর উমরের পাথরের পাশে উছমান তার
পাথর স্থাপন করুক ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :

ন্র্মুদ্বুন্নে

“আমার পরে এর ই থলীফ৷ হবেন ৷” এই সনদে হাদীছটি নিত ৷ন্তই গরীব পর্যায়ের ৷ ইমাম
আহমদ আবুন নাঘৃর সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর আযাদকৃত গোলাম সাফীনার বরাতে যে
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, তা ই পরিচিত ৷ তাতে সাফীন৷ বলেন ং

“আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি : খিলাফত থাকবে ত্রিশ বছর, তারপর হবে
রাজতন্ত্র ৷ তারপর সাফীন৷ বলেন : আবু বকরের খিলাফত শুমার কর দু’বছর, উমরের
খিলাফত শুমার কর দশ বছর, উছমানের খিলাফত শুমার কর বার বছর, আলীর খিলাফত


سَلَمَةَ، قَالَتْ: «لَمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ يَبْنُونَ الْمَسْجِدَ، جَعَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُ كُلٌّ وَاحِدٍ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ يَحْمِلُ لَبِنَتَيْنِ; لَبِنَةً عَنْهُ، وَلَبِنَةً عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَسَحَ ظَهْرَهُ، وَقَالَ: " ابْنَ سُمَيَّةَ، لِلنَّاسِ أَجْرٌ، وَلَكَ أَجْرَانِ، وَآخِرُ زَادِكَ شَرْبَةٌ مِنْ لَبَنٍ، وَتَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَقَدْ أَوْرَدَ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ، مِنْ طَرِيقِ جَمَاعَةٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: «كُنَّا نَحْمِلُ فِي بِنَاءِ الْمَسْجِدِ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ يَحْمِلُ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ يَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْهُ وَيَقُولُ: " وَيْحَ عَمَّارٍ، تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ ". قَالَ: يَقُولُ عَمَّارٌ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ.» لَكِنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْإِمَامُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُسَدَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْمُخْتَارِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، وَعَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ بِهِ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".»
পৃষ্ঠা - ২২৪৭


শুমার কর ছয় বছর ৷ হাদীসের এ শব্দগুলো আহমদ (র) বর্ণিত ৷ আবু দাউদ, ইমাম তিরমিযী ও
নাসাঈ সাঈদ ইবন জড়ামহান সুত্রে ও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান’
বলে মন্তব্য করে বলেন, এ সুত্র ছাড়া হাদীছটি আমাদের জানা নেই ৷ আর তিরমিযীর ভাষায় :

“আমার পর খিলাফত থাকবে ত্রিশ বছর, এরপর হবে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ৷” তিনি হাদীছের
অবশিষ্টড়াৎশও উল্লেখ করেছেন ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলছি, মসজিদে নববী প্রথম যখন নির্মাণ করা হয় তখন তাতে থুতবা
দানের জন্য বিষয় ছিল না; বরং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার মুসাল্লার’ নিকট ব্ধ্বদয়ালে একটা খুঢির
সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে খুতবা দিতেন ৷ পরে তবে খুতবার জন্য মিম্বর জৈমার করা হলে তিনি
সেদিকে অগ্রসর হলে খুটিটি দশ মাসের গভর্বিতী উষ্টীর মত অঝোরে ক্রন্দন করা শুরু করে ৷
কারণ, খুটিটি নিকট থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খুতবা শ্রবণ করতে! ৷ য়থস্থানে রাসুলের বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ খুটিটি ক্রন্দন করতে লাগলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
নিকটে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে সান্তুনা দেন ৷ যেমন ক্রন্দনরত শিশুকে সান্তুনা দান করলে সে
চুপ হয়ে যায় ৷ এ বিষয়ে পরে সাহল ইবন সাআদ সাইদী, জাবির, আবদৃল্লাহ্ ইবন উমর,
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস, আনাস ইবন মালিক ও উন্মু সালামা (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীছে উল্লেখ
করা হবে ৷ আনাস ইবন মালিক সুত্রে এ হাদীছটি বর্ণনা করার পর হযরত হাসান বসরী কি
চমৎকার মন্তব্য করেছেন ৷ তিনি বলেন :

ণ্াপ্রু
৭ ৷ ৷ প্রুদ্বুা

“হে মুসলিম সমাজ! রাসুলে করীম (না)-এর ভালবাসায় আপুত হয়ে কাষ্ঠ পর্যন্ত ক্রন্দন
করছে ৷ যারা রাসুলের দীদার প্রত্যাশী, তারা কি রাসুলে পাকের প্রেমে আপ্লুত হওয়ার অধিকতর
হকদার নয় ?

মসজিদে নববীর ফযীলত

ইমাম আহমদ (র) ইয়ড়াহ্ইয়া ইবন উনায়স সুত্রে তার পিতার বরাতে হাদীছ বর্ণনা করে
বলেন %

দু’ ব্যক্তির মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়, এক ব্যক্তি বনু খড়াদৃরার, অপর ব্যক্তি বনু আমৃর ইবন
আওফের ৷ তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ কোনটি তা নিয়ে তাদের মধ্যে এ বিরোধ দেখা
দেয় ৷ খুদ্রী ব্যক্তিটি বলেন : তা হলো রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মসজিদ (অর্থাৎ মসজিদে নববী) ৷
পক্ষাম্ভরে বনু আমৃরের লোকটি বলেন, তা হচ্ছে কুবার মসজিদ ৷ উভয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট আগমন করে এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :


قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَكَأَنَّهُ إِنَّمَا تَرَكَهَا لِمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقٍ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ حِينَ جَعَلَ يَحْفِرُ الْخَنْدَقَ، جَعَلَ يَمْسَحُ رَأْسَهُ، وَيَقُولُ: " بُؤْسَ ابْنِ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُهُ فِئَةٌ بَاغِيَةٌ ".» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي أَبُو قَتَادَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ: " بُؤْسًا لَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا حَفَرَ الْخَنْدَقَ، كَانَ النَّاسُ يَحْمِلُونَ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ نَاقِهٌ مِنْ وَجَعٍ كَانَ بِهِ، فَجَعَلَ يَحْمِلُ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ،» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِي «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْ رَأْسِهِ، وَيَقُولُ: " وَيْحَكَ ابْنَ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَقَدْ فَرَّقَ بَيْنَ مَا سَمِعَهُ بِنَفْسِهِ، وَمَا سَمِعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২২৪৮
وَيُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ: الْخَنْدَقَ. وَهْمًا أَوْ أَنَّهُ قَالَ لَهُ ذَلِكَ فِي بِنَاءِ الْمَسْجِدِ، وَفِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: حَمْلُ اللَّبِنِ فِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ لَا مَعْنَى لَهُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ اشْتَبَهَ عَلَى النَّاقِلِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ حَيْثُ أَخْبَرَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ عَنْ عَمَّارٍ أَنَّهُ تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، وَقَدْ قَتَلَهُ أَهْلُ الشَّامِ فِي وَقْعَةِ صِفِّينَ، وَعَمَّارٌ مَعَ عَلِيٍّ وَأَهْلِ الْعِرَاقِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ فِي مَوْضِعِهِ. وَقَدْ كَانَ عَلِيٌّ أَحَقَّ بِالْأَمْرِ مِنْ مُعَاوِيَةَ، وَلَا يَلْزَمُ مِنْ تَسْمِيَةِ أَصْحَابِ مُعَاوِيَةَ بُغَاةً تَكْفِيرُهُمْ، كَمَا يُحَاوِلُهُ جَهَلَةُ الْفِرْقَةِ الضَّالَّةِ مِنَ الشِّيعَةِ وَغَيْرِهِمْ; لِأَنَّهُمْ، وَإِنْ كَانُوا بُغَاةً فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، فَإِنَّهُمْ كَانُوا مُجْتَهِدِينَ فِيمَا تَعَاطَوْهُ مِنَ الْقِتَالِ، وَلَيْسَ كُلُّ مُجْتَهِدٍ مُصِيبًا، بَلِ الْمُصِيبُ لَهُ أَجْرَانِ، وَالْمُخْطِئُ لَهُ أَجْرٌ، وَمَنْ زَادَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ بَعْدَ قَوْلِهِ: " «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» ": لَا أَنَالَهَا اللَّهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَقَدِ افْتَرَى فِي هَذِهِ الزِّيَادَةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْهَا إِذْ لَمْ تُنْقَلْ مِنْ طَرِيقٍ تُقْبَلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَوْلُهُ: «يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ» فَإِنَّ عَمَّارًا وَأَصْحَابَهُ يَدْعُونَ أَهْلَ الشَّامِ إِلَى الْأُلْفَةِ وَاجْتِمَاعِ الْكَلِمَةِ، وَأَهْلُ الشَّامِ يُرِيدُونَ أَنْ يَسْتَأْثِرُوا بِالْأَمْرِ دُونَ مَنْ هُوَ أَحَقُّ بِهِ، وَأَنْ يَكُونَ النَّاسُ أَوْزَاعًا عَلَى كُلِّ قُطْرٍ إِمَامٌ بِرَأْسِهِ، وَهَذَا يُؤَدِّي إِلَى افْتِرَاقِ الْكَلِمَةِ، وَاخْتِلَافِ الْأُمَّةِ، فَهُوَ لَازِمُ مَذْهَبِهِمْ وَنَاشِئٌ عَنْ مَسْلَكِهِمْ، وَإِنْ كَانُوا لَا يَقْصِدُونَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي تَقْرِيرُ هَذِهِ الْمَبَاحِثِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَى وَقْعَةِ صِفِّينَ مِنْ كِتَابِنَا
পৃষ্ঠা - ২২৪৯

ওদ্বুক্ট্র২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া


“তা হল এ মসজিদ (অর্থাৎ মসজিদে নবৰী ) ৷ তিনি আরো বলেন০ : এতে অনেক কল্যাণ
রয়েছে ৷ অর্থাৎ মসজিদে কুবায় ৷ ” তিরমিযী কুতড়ায়বা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে তাকে হাসান
সহীহ্ হাদীছ বলে মন্তব্য করেন ৷

আহমদ (র) ইসহাক ইবন ইয়াহইয়া সুত্রে তিরমিযী ও নাসাঈ উভয়ে কুতড়ায়বা সুত্রে আবু
সাঈদ থেকে তিনি তার পিত ৷ থেকে বর্ণনা করে বলেন :

তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ বিষয়ে দু’ব্যক্তি বিতণ্ডায় লিপ্ত হয় ৷ এরপর পুর্ব বর্ণিত
হাদীছটি উল্লেখ করেন ৷

সহীহ্ মুসলিম শরীফে আবু সালামা সুত্রে বর্ণিত হাদীছে বলা হয়েছে যে, তিনি এ সম্পর্কে
আবদুর রহমান ইবন আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসা করলেন ও

তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ সম্পর্কে তুমি তোমার পিত ৷র কাছে কী শুনেছ?
আমার পিতা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট আগমন করে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস
করলে তিনি হাতে কঙ্কর তুলে নিয়ে তা নিক্ষেপ করে বললেন ও তা হলো তোমাদের এ
মসজিদ ৷

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী সুত্রে সাহল ইবন সাআদ থেকে বর্ণনা করে বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যুগে তড়াকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ বিষয়ে দৃ’ব্যক্তি বিরোধে
প্রবৃত্ত হয় ৷ তাদের একজন বললেনঃ তা হলো রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর মসজিদ (মসজিদে নবৰী
অপর ব্যক্তি বললাে তা হলো মসজিদে কুবা ৷ উভয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট গিয়ে এ
সম্পর্কে ভীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন : তা হলো আমার এ মসজিদ (মসজিদে নবৰী) ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু নুআয়ম সুত্রে উবাই ইবন বাজার থেকে বর্ণনা করে বলেন :

ণ্প্ট্টন্এৰু

“তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ হলো আমার এই মসজিদ (মসজিদে নববী)৷ ”
বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত এসব হাদীছ৷ দ্ব৷ রা নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মসজিদে তাক্ওয়৷ হলো মসজিদে
নবৰী ৷ হযরত উমর (বা) তার পুত্র আবদুল্লাহ ইবন উমর, যায়দ ইবন ছাবিত এবং হযরত
সাঈদ ইবন মুসড়ায়্যাব এ মত পোষণ করেন ৷ আর ইবন জা ৷রীর (তাবারী) এ মতই গ্রহণ করেন ৷
অন্যরা বলেন, মসজিদে কুবা স০ ক্রাম্ভ আয়াত নাযিল এবং এসব হাদীছের মধ্যে কোন বিরোধ
নেই, সে কথা ইভ্রুত তাপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কারণ, এ মসজিদ মানে মসজিদে নবৰী এ সব
গুণ বৈশ্যিষ্ট্যর সবচেয়ে বেশী উপযুক্তত ৷ তন্মধ্যে একটা এই যে, এ মসজিদ হলো যে তিনটি
মসজিদের অন্যত ত,ম যে সম্পর্কে বুখাবী এবং মুসলিম শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে০ ,


هَذَا، بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ، وَحُسْنِ تَأْيِيدِهِ وَتَوْفِيقِهِ. وَالْمَقْصُودُ هَاهُنَا إِنَّمَا هُوَ قِصَّةُ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، عَلَى بَانِيهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالتَّسْلِيمِ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ بْنُ شَرِيكٍ، ثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حَشْرَجُ بْنُ نُبَاتَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «جَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَؤُلَاءِ وُلَاةُ الْأَمْرِ بَعْدِي ".» ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيِّ، عَنْ حَشْرَجٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: «لَمَّا بَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْجِدَ، وَضَعَ حَجَرًا، ثُمَّ قَالَ: لِيَضَعْ أَبُو بَكْرٍ حَجَرًا إِلَى جَنْبِ حَجَرِي، ثُمَّ لْيَضَعْ عُمَرُ حَجَرَهُ إِلَى جَنْبِ حَجَرِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ لْيَضَعْ عُثْمَانُ حَجَرَهُ إِلَى جَنْبِ حَجَرِ عُمَرَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَؤُلَاءِ الْخُلَفَاءُ مِنْ بَعْدِي ".» وَهَذَا الْحَدِيثُ بِهَذَا السِّيَاقِ غَرِيبٌ جِدًّا. وَالْمَعْرُوفُ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ حَشْرَجِ بْنِ نُبَاتَةَ
পৃষ্ঠা - ২২৫০


৷ ;,;

“এ তিন মসজিদ ভিন্ন অপর কে ন মসজিদের দিকে সফর করা যাবে না০ : (১) আমার এ
মসজিদ (মসজিদে নববী), (২) মাসজিদুল হারাম ও (ও) বায়তু ল মুকাদ্দাসের মসজিদ ৷

সহীহ্ মুসলিমে আবু সাঈদ সুত্রেও নবী করীম (সা ) থেকে অনুরুপ বর্ণিত আছে ৷

বুখারী শরীফে এবং মুসলিম শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে :

“রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : আমার এ মসজিদে এক নামায অন্য মসজিদে হাযার নড়ামাযের
চাইতে উত্তম; তবে মাসজিদুল হারাম ব্যভীত৷ ” ঘুসনাদে আহমদে হাসান সনদে আরো একটি
সুন্দর অতিরিক্ত সংযোজন আছে ৷ আর তা এইং : ক্রো ৷ ঞ১ ষ্এে কারণ , এটা অনেক

মর্যাদাপুর্ণ ৷ বুখারী এবং মুসলিম শরীফে ইয়াহ্ইয়া আল-কাত্তান সুত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রা)
থেকে বর্ণিত হয়েছে :

চুণ্ঞে


“আমার গৃহ আর আমার মিম্বরের মধ্যস্থলে রয়েছে জান্নাতের অন্যতম বাগান আর আমার

মিম্বর হবে আমার হড়াওযের উপর ৷ ” এ মসজিদ (মসজিদে নববী)-এর ফযীলত বিষয়ে অনেক

অনেক হাদীছ রয়েছে ৷ কিতড়াবুল আহকড়াম আ ল-কা ড়াবীর’ এর মানাসিক অধ্যায়ে সে সব হাদীছ

আমরা উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷৩ তার প্ৰতিই আমাদের আস্থা আর তার উপরই আমাদের
ভরসা ৷ মহান আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই, কোন ক্ষমতা ৷নেই ৷

পক্ষান্তরে ইমাম মালিক (র) এবং তার সঙ্গী সাথীরা এ মত পোষণ করেন যে মদীনায়
মসজিদ মাসজিদুল হারাম থেকে শ্রেষ্ঠ ৷ কারণ,৩ তা নির্মাণ করেছেন হযরত ৩ইবরড়াহীম (আ) আর
এটা নির্মাণ করেছেন হযরত মুহাম্মদ (সা) ৷ আর এটা জানা কথা যে হযরত মুহাম্মদ (সা)
হযরত ইব্রাহীম (আ) এর তুলনায় শ্রেষ্ঠ ৷ অপরদিকে জমহুর ইমাম ও ৰিদগ্ধ আলিমগণ এর
বিপরীত মত পোষণ করেন এবং তারা স্থির করেছেন যে, মাসজিদুল হারাম শ্রেষ্ঠ ও
ফযীল৩ তপুর্ণ ৷ কারণ, তা এমন এক নগরীতে অবস্থিত যাকে আল্লাহ হারাম তথা মর্ষাদাপুর্ণ
করেছেন যেদিন আসমান যমীন পয়দা করেছেন সেদিনই ৷ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্ এবং
ঘুহম্মাদৃর রাসুলুল্লাহ্ খাতাযুল মুরসালীনও তার মর্যাদা বহাল রেখেছেন ৷৩ তাই তাতে এমন সব
গুণ বৈশিক্টোর সমাবেশ ঘটেছে, যা অন্য কোন মসজিদের নেই ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
অন্যত্র করা হবে ৷

মােরাঃ€ণাং০€০য়ো
৫০ —— পুে

الْعَبْسِيِّ، وَعَنْ بَهْزٍ وَزَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ وَعَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " الْخِلَافَةُ ثَلَاثُونَ عَامًا، ثُمَّ يَكُونُ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ الْمُلْكُ ". ثُمَّ قَالَ سَفِينَةُ: أَمْسِكْ، خِلَافَةَ أَبِي بَكْرٍ سَنَتَيْنِ، وَخِلَافَةَ عُمَرَ عَشْرَ سِنِينَ، وَخِلَافَةَ عُثْمَانَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، وَخِلَافَةَ عَلِيٍّ سِتَّ سِنِينَ.» هَذَا لَفْظُ أَحْمَدَ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ. وَلَفَظُهُ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ يَكُونُ مُلْكًا عَضُوضًا ".» وَذَكَرَ بَقِيَّتَهُ. قُلْتُ: وَلَمْ يَكُنْ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ مَا بُنِيَ مِنْبَرٌ يَخْطُبُ النَّاسَ عَلَيْهِ، بَلْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى جِذْعٍ عِنْدَ مُصَلَّاهُ فِي الْحَائِطِ الْقِبْلِيِّ، فَلَمَّا اتُّخِذَ لَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْمِنْبَرُ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ، وَعَدَلَ إِلَيْهِ لِيَخْطُبَ عَلَيْهِ، وَجَاوَزَ ذَلِكَ الْجِذْعَ، خَارَ ذَلِكَ الْجِذْعُ وَحَنَّ حَنِينَ النُّوقِ الْعِشَارِ; لِمَا كَانَ يَسْمَعُ مِنْ خُطَبِ الرَّسُولِ عَلَيْهِ السَّلَامُ عِنْدَهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحْتَضَنَهُ حَتَّى سَكَنَ، كَمَا يَسْكُنُ الْمَوْلُودُ الَّذِي يَسْكُتُ، كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُ ذَلِكَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ
পৃষ্ঠা - ২২৫১


অনুচ্ছেদ

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মসজিদ শরীফে মানে মসজিদে নববীর আশপাশে তীর এবং তীর
পরিবারবর্গের বসবাসের জন্য হুজর৷ নির্মাণ করা হয় ৷ এসব বাসস্থান ছিল ছোট ছোট ৷ এগুলো
ছিল মসজিদের আঙিনায় ৷ হাসান বাসৃরী (র) বলেন আর তখন তিনি ছিলেন ছোট শিশু
মাতা খায়রার সঙ্গে ৷ আর খায়র৷ ছিলেন উম্মু সালামার আযাদকৃত দাসী ৷ আমি নবী (না)-এর
হুজরার ছাদ হাত দিয়ে নাগাল পেতাম ৷ আমি বলি : হাসান রসরী ছিলেন যােটাসোটা দীর্ঘ
দেহধারী ব্যক্তি ৷ অ ৷ল্লাহ৩ তার প্রতি ৩রহম করুন ৷

আর সুহায়লী রওযুল উনুফ’ গ্রন্থে বলেন : নবী করীম (সা)-ত্রুর্ন্তার বাসস্থান ছিল খেজুর
পাতার নির্মিত, তার উপর ছিল মাটি ৷ আর মাটির উপরে স্থানে স্থানে প্রস্তর জড়ানো ছিল ৷ আর
এসব বাসগৃহের ছাদ পুরেটিাই ছিল খেজুর পাতায় ৷ হাসান বসরীর উক্তি ইতোপুর্বে উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ তিনি বলেন, এসব হুজরার সঙ্গে আরআর’ ক ঠেব সঙ্গে শক্তভারে পাথর জড়ানাে
ছিল ৷ তিনি বলেন, ইমাম বুখারী প্রণীত তারীখ’ গ্রন্থে উল্লেখ ক বা হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর হুজরার দরজায় নখ দ্বারা টোকা দেওয়া যেতে৷ ৷ এতে বুঝা যায় যে, রাসুলুল্লাহ
(না)-এর দরজায় নাড়া দেয়ার মত কড়া ছিল না ৷ সুহায়লী আরো বলেন যে, রাসুলুল্লাহ
(না)-এর সহধর্মিণীদের ইনতিকালের পর রাসুলুল্লাহ (না)-এর সমস্ত হুজরা মসজিদের অন্তর্ভুক্ত
করে ফেলা হয় ৷ ওয়াকিদী, ইবন আবীর (তড়াবারী) প্রমুখ বলেন :

আবদুল্লাহ ইবন আরীকত দুয়ালী মক্কায় ফিরে যাওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু
বকর (বা) তার সঙ্গে যায়দ ইবন হারিছা এবং আবু রাফিকেও যেতে দেন ৷ যাতে করে এরা
তাদের পরিবার-পবিজনকে নিয়ে আসতে পারেন ৷ আর এরা দু’জনই ছিলেন রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর আযাদকৃত গোলাম ৷ সঙ্গে দু’টি বাহন ছাড়া তাদেরকে পাচশত দিরহামও দেওয়া হয়
কুদায়দ বাজার থেকে উট কেনার জন্য ৷ তারা যান এবং নবী (না)-এর দু’জন কন্যা ফাতিমা
আর উম্মু কুলছুম এবং নবী (না)-এর দু’জন সহধর্মিণী হযরত সাওদ৷ আর হযরত আইশা
(রা) কে মদীনায় নিয়ে আসেন ৷ এদের সঙ্গে ছিলেন হযরত আ ৷৷ইশ ৷র মাতা উম্মু রুমান এবং নবী
(সা) এর পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ এবং আবু বকর (রা) এর পুত্র আবদুল্লাহসহ পরিবারের
অন্যান্য সদস্যবর্গ ৷ পথে হযরত আইশা এবং তার মাতা উম্মু রুমানকে নিয়ে উটনী পলায়ন
করলে উম্মু রুমান বলতে শুরু করেন হায় নববধু ও তার দুই কন্যা হযরত ৩আইশা (রা) বলেনঃ
এসময় অমি একজনকে বলতে শুনি লাপাম ঢিল৷ করে দাও ৷ আমি লাপাম ঢিলা করে দিলে
আল্লাহর হুকুমে উটটি থেমে যায় এবং আল্লাহ আমাদেরকে হিফাযত করেন ৷ সকলেই এগিয়ে
যায় এবং ডান দিকে সুনৃহ নামক স্থানে অবস্থান করে ৷ আটমাস পর শাওয়াল মাসে হযরত
আইশা (রা)-এর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর মিলন ঘটে ৷ এ সম্পর্কে পরে আলোচনা করা হবে ৷
এদের সঙ্গে আগমন করেন যুবায়র ইবন আওআাম-এর ত্রী আসমা বিনৃত আবু বকর (বা) ৷
তিনি ছিলেন পুর্ণ অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভে ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ৷ এ সনের ঘটনাবলীর শেষ
পর্যায়ে উপযুক্ত স্থানে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ৷


السَّاعِدِيِّ، وَجَابِرٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَمَا أَحْسَنَ مَا قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ بَعْدَمَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، الْخَشَبَةُ تَحِنُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَوْقًا إِلَيْهِ، أَوَ لَيْسَ الرِّجَالُ الَّذِينَ يَرْجُونَ لِقَاءَهُ أَحَقَّ أَنْ يَشْتَاقُوا إِلَيْهِ؟! [تَنْبِيهٌ عَلَى فَضْلِ هَذَا الْمَسْجِدِ الشَّرِيفِ وَالْمَحَلِّ الْمُنِيفِ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أُنَيْسِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، قَالَ: «اخْتَلَفَ رَجُلَانِ - رَجُلٌ مِنْ بَنِي خُدْرَةَ، وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ - فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى. فَقَالَ الْخِدْرِي: هُوَ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْعَمْرِيُّ: هُوَ مَسْجِدُ قُبَاءَ. فَأَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: " هُوَ هَذَا الْمَسْجِدُ ". لِمَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: " فِي ذَلِكَ خَيْرٌ كَثِيرٌ ".» يَعْنِي مَسْجِدَ قُبَاءَ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أُنَيْسِ بْنِ أَبِي يَحْيَى الْأَسْلَمِيِّ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عِيسَى، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ،
পৃষ্ঠা - ২২৫২


অনুচ্ছেদ

মদীনায় জ্বরে মুহড়াজিরদের আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী (য়) আবদুল্লাহ ইবন
ওয়াহাব সুত্রে হযরত আইশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ও

তিনি বলেছেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) মদীনায় আগমন করলে হযরত আবু বকর (রা) ও হযরত
বিলাল (রা) জ্বরে আক্রান্ত হন ৷ তিনি বলেন, আমি তাদের দুজনের নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করি :
আব্বাজান আপনার কেমন লাগছে ? বিলাল ! আপনি যেমন বোধ করছেন? তিনি বলেন :
হযরত আবু বকর (রা) জ্বরে আক্রান্ত হলে বলতেন :

“প্রতিটি ব্যক্তি তার পরিজনেয় মধ্যে সকালে শয্যা ত্যাগ করে ; আর মৃত্যু তো আর জুতায়
ফিতার চিয়েও নিকটবর্তী ৷ ”
আর বিলালের জ্বর সেরে গেলে ঘাড় সোজা করে বলতেন :
“হায়! আমি যদি রাত্রি যাপন করতে পারতাম (মক্কার) উপত্যকায় আর চারদিকে থাকতো
ইয্খির ও জালীল ঘাসেয় সমারোহ ৷”

কোন দিন তারা যদি পান করতে পারতাে মাজান্না কুয়ার পানি ৷ যদি প্রকাশ পেতো আমার
জন্য নানা ও তাফীল (পর্বত) !
হযরত আইশা (বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে হড়াযির হয়ে তাকে অবহিত
করলে তিনি বললেন :
“হে আল্লাহ্! মক্কার মতো মদীনাকেও আমাদের জন্য প্রিয় (ভুমি) কয় বা তার চেয়েও
বেশী এবং মদীনাকে আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর নিবাসে পরিণত কর এবং মদীনায় সা’ ও মুদ্-এ

(দু’টি পরিমাপ বিশেষ অর্থাৎ মাপে-ওযনে মানে পণ্য ও কেনাবেচায়) আমাদেরকে বরকত
দাও ৷ আর মদীনায় জুরকে স্থানান্তর কয় জুহ্ফা অঞ্চলে ৷”

ইমাম মুসলিম হযরত আবু বকর (রা) সুত্রে হিশামের বরাতে সংক্ষেপে হাদীছটি বর্ণনা
করেন ৷ বুখারীর বর্ণনায় আবু উসামা সুত্রে আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে
বিলালের কবিতায় পর অতিরিক্ত যোগ করা হয় :

হে আল্লাহ্ ! ওতবা ইবন রাবীআ, শায়বা ইবন রাবীআ, উমাইয়া ইবন খাল্ফ এদের
উপর তুমি লানত বর্ষণ কর, যেমন তারা আমাদেরকে মহামারী আক্রান্ত জনপদে ঠেলে
দিয়েছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :


، وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: تَمَارَى رَجُلَانِ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى. وَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ حُمَيْدٍ الْخَرَّاطِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي سَعِيدٍ: كَيْفَ سَمِعْتَ أَبَاكَ يَذْكُرُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى؟ قَالَ: قَالَ أَبِي: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى، فَأَخَذَ كَفًّا مِنْ حَصْبَاءَ، فَضَرَبَ بِهِ الْأَرْضَ، ثُمَّ قَالَ: " هُوَ مَسْجِدُكُمْ هَذَا ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ عُثْمَانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: «اخْتَلَفَ رَجُلَانِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: هُوَ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْآخَرُ: هُوَ مَسْجِدُ قُبَاءَ. فَأَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَاهُ، فَقَالَ: " هُوَ مَسْجِدِي هَذَا ".»
পৃষ্ঠা - ২২৫৩

০০ মা৪ মা$

৩৯৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

হে আল্লাহ্ ৷ মদীনা ভুমিকে আমাদের নিকট প্রিয় কর মক্কার মতো বা তার চেয়েও বেশী ৷
হে আল্লাহ্ ! মদীনায় সা’ আর মুদ্দ-এ আমাদেরকে বরকত দান কর ৷ মদীনাকে আমাদের জন্য
স্বাস্থ্যকর জনপদে পরিণত কর এবং মদীনায় মহামায়ী জুহ্ফা অঞ্চলে স্থানান্তর কর ৷ হযরত
আইশা (রা) বলেন, আমরা যখন মদীনায় আগমন করি, তখন তা ছিল আল্লাহ্র দুনিয়ার
সবচেয়ে বড় মহামারীগ্রস্ত অঞ্চল ৷ তখন বাতহান অঞ্চলে পানি সরবরাহ ছিল খুবই কম অর্থাৎ
পানি ছিল দুন্ন্ধিযুক্ত ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সুত্রে যিয়াদ হযরত আইশার বরাতে বর্ণনা করেন :

হযরত আইশা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন মদীনা আগমন করেন, তখন মদীনা ছিল
আল্লাহর দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মহামারী পীড়িত জনপদ ৷ ফলে রাসব্রুলর সাহাবীগণ ব্যাঘিতে
আক্রান্ত হন এবং আল্লাহ তার নবী থেকে এসব ব্যাধি-বিপদকে দুরে রাখেন ৷ হযরত আইশা
(রা) বলেন, (হযরত আবু বকর (রা) এবং) আমির ইবন ফুহড়ায়রা ও বিলাল এরা দৃজনেই
ছিলেন হযরত আবু বকর (রা)-এব আযাদকৃত গোলাম এরা সকলে এক গৃহে বাস করতেন ৷
সেখানে তারা জ্বরে আক্রান্ত হন ৷ আমি তাদের কাছে যইি শুশ্রুষা করার জন্য আর এটা ছিল
পর্দায় বিধান নাযিল হওয়ার আগের ঘটনা ৷ আর জ্বরের প্রকোপে তাদের এমন অবস্থা হয়েছিল,
যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না ৷ আমি আবু বকর (রা)-এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করি, আব্বা ,
আপনার কেমন লাগছে ? তিনি বললেন :

“সকলেই স্বজনের মধ্যে সকাল করে , আর মৃত্যু তো জুতার ফিতারও কাছে ৷ ” হযরত
আইশা (রা) বলেন, আল্লাহর কসম, আমার পিতা কি যে বলছেন তা তিনি জানতেন না ৷
আইশা (রা) বলেন, এরপর আমি আমির ইবন ফুহাযরার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আমির ৷
কেমন লাগৃছে ? তিনি বললেন :


মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করার আগেই আমি মৃত্যু-যাতনা ভোগ করছি ৷ আর ভীরুদের মৃত্যু
তো আসে তার উপর থেকে ৷


প্রতিটি ব্যক্তি চেষ্টা-সাধনা করে তার হিম্মত অনুযায়ী ৷ যেমন র্ষড়াড় নিজেকে প্রতিরোধ করে
তার শিং দ্বারা ৷

তখন আমি বললাম, আল্লাহর কসম, তিনি কি বলছেন তা তিনি নিজেই জানেন না ৷
অইিশা (রা) বলেন, জ্বর হলে বিলড়াল ঘরের আঙ্গিনায় শুয়ে থাকতেন ৷ তখন তিনি ঘাড় উচু
করে বললেন :
ষ্;ন্এ
যদি জানতাম যে, ফাখ’ নামক স্থানে আমি রাত্রি যাপন করবো, আর আমার আশপাংশ
থাকবে ইযখির ও জালীল ঘাস ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمَسْجِدُ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مَسْجِدِي هَذَا ".» فَهَذِهِ طُرُقٌ مُتَعَدِّدَةٌ لَعَلَّهَا تَقْرُبُ مِنْ إِفَادَةِ الْقَطْعِ بِأَنَّهُ مَسْجِدُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِلَى هَذَا ذَهَبَ عُمَرُ، وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَقَالَ آخَرُونَ: لَا مُنَافَاةَ بَيْنَ نُزُولِ الْآيَةِ فِي مَسْجِدِ قُبَاءَ - كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ - وَبَيْنَ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ; لِأَنَّ هَذَا الْمَسْجِدَ أَوْلَى بِهَذِهِ الصِّفَةِ مِنْ ذَلِكَ، لِأَنَّ هَذَا أَحَدُ الْمَسَاجِدِ الثَّلَاثَةِ التِي تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَيْهَا، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَّا إِلَى ثَلَاثَةِ مَسَاجِدَ; مَسْجِدِي هَذَا، وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَمَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ ".» وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا تَشُدُّوا الرِّحَالَ إِلَّا إِلَى ثَلَاثَةِ مَسَاجِدَ ".» وَذَكَرَهَا. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا خَيْرٌ
পৃষ্ঠা - ২২৫৪


আমি কি কখনো পান করবো মাজান্ন৷ কৃয়ার পানি ? আমার সামনে কি প্রকাশ পাবে নানা ও
তাফীল পর্বত!

হযরত আইশা (রা) বলেন, আমি তাদের মুখ থেকে যা কিছু শুনতে পেয়েছি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট তা ব্যক্ত করে বললাম, জ্বরের ঘোরে তারা প্রলাপ বকছেন এবং কি যে
বলছেন, তার মাথামুও কিছুই তারা বুঝতে পারছে না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :

ইয়া আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের কাছে প্রিয় করে মক্কার মভৈতা বা তার চেয়েও বেশী ৷
মদীনায় মুদ্দ’ আর সা-এ আমাদেরকে বরকত দাও আর মদীনায় মহামারীকে স্থানান্তর কর
মড়াহীআ তথা জুহ্ফা অঞ্চলে ৷
ইমাম আহমদ ইউনুস সুত্রে আইশা (না) থেকে বর্ণনা করেন :

হযরত আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করলে
হযরত আবু বকর (বা) তার আযাদকৃত গোলাম আমির ইবন ফুহায়রা এবং বিলাল অসুস্থ
হলেন ৷ তাদের পরিচর্যা আর সেবার জন্য আইশা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট অনুমতি
চাইলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুমতি দেন ৷ তিনি আবু বকর (রা)-কে বললেন : কেমন লাগছে
আপনার কাছে ? তিনি বললেন :

৷ এহ্র

সকলেই স্বজনদের মধ্যে ভোরে ( জসােত হয়ে) উঠে ৷
আর মৃত্যু তো জুতার ফিতার চেয়েও নিকটতর ৷
আমিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন :

মৃত্যুর স্বাদের পুর্বেই আমি মৃত্যু পেয়েছি ৷ কাপুরুষের মৃত্যু আসে উপর থেকে (অকম্মাৎ) ৷
আর বিলালকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন ৷ :

হায়, আমি যদি ফাখ’ অঞ্চলে রাত্রি যাপন করতে পারতাম আর আমার আশপাশে থাকতো

ইযখির আর জালীল ঘাসের সমারােহ ৷

হযরত আইশা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করে তাকে তা জানান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উপরের দিকে তাকিয়ে বললেন :


مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيمَا سِوَاهُ، إِلَّا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ ".» وَفِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ " بِإِسْنَادٍ حَسَنٍ زِيَادَةٌ حَسَنَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: " «فَإِنَّ ذَلِكَ أَفْضَلُ» ". وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى الْقَطَّانِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ خُبَيْبٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ، وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي ".» وَالْأَحَادِيثُ فِي فَضَائِلِ هَذَا الْمَسْجِدِ الشَّرِيفِ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَسَنُورِدُهَا فِي كِتَابِ الْمَنَاسِكِ مِنْ كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ. وَقَدْ ذَهَبَ الْإِمَامُ مَالِكٌ وَأَصْحَابُهُ إِلَى أَنَّ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ أَفْضَلُ مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ; لِأَنَّ ذَاكَ بَنَاهُ إِبْرَاهِيمُ، وَهَذَا بَنَاهُ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعْلُومٌ أَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْضَلُ مِنْ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَدْ ذَهَبَ الْجُمْهُورُ إِلَى خِلَافِ ذَلِكَ، وَقَرَّرُوا أَنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ أَفْضَلُ; لِأَنَّهُ فِي بَلَدٍ حَرَّمَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، وَحَرَّمَهُ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمُحَمَّدٌ خَاتَمُ الْمُرْسَلِينَ، فَاجْتَمَعَ فِيهِ مِنَ الصِّفَاتِ مَا لَيْسَ فِي غَيْرِهِ، وَلِبَسْطِ هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ مَوْضِعٌ آخَرُ. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ২২৫৫


হে আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের জন্য প্রিয় কয় ৷ কৃযমন প্রিয় ককৃয়ছিকৃল মক্কাকৃক বা তার
চেয়েও বেশী ৷ হে আল্লাহ মদীনায় না আর মুদ্দ এ আমাদেরকে বরকত দান কয় ৷ আর
মদীনায় মহামারী মাহীআ অঞ্চলে স্থানান্তর কর ৷ আর তাদের ধারণায় মাহীআ হলো জুহ্ফা
অঞ্চল ৷ ইমাম নাস সাঈ কুতায়বা সুত্রে হ ৷দীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বায়হাকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ সুত্রে আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷

হযরত আইশা (রা) বকৃলন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন মদীনায় পদার্পণ করেন, তখন মদীনা
ছিল আল্লাহর দুনিয়ার সর্বাধিক মহামারী পীড়িত অঞ্চল ৷ আর বাত হ৷ ন উপত ৷কাব পানি ছিল
দুষিত ও দুর্গন্ধময় ৷ হিশাম বলেন, জা ৷হিলী যুগে মদীনায় মহামারী ৷ছল্ সর্বজন বিদিত ৷ তখন
সে আমলে নিয়ম ছিল যে, কোন উপত্যকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়লে তথায় আগত ব্যক্তিকে
গাধার মকৃত৷ চীৎকায় করতে বলা হকৃত ত৷ ৷ এমনটি করলে সে উপত্যকার মহামারী সে লোকের
কোন ক্ষতি করত না বলে তাদের ধারণা ছিল ৷ জনৈক করি মদীনায় আগমন করে এ কবিতাটি
রচনা করেন :

আমার জীবনের শপথ, বিনাশ (আর মৃত্যুর) আশা করে যদি আমি গাধায় মতো চীৎকায়
করি, তকৃব তো আমি নিতান্তই বিলাপক৷ রী ও প্রলাপকারী সাব্যস্ত হবো ৷

ইমাম বুখারী মুসা ইবন উকবা সুত্রে, তিনি যা ৷লিম থেকে সালিম দীতয় পিতার বরাকৃত নবী
করীম (সা) থেকে বর্ণনা ককৃরন যে, তিনি বলেছেন :

)

“আমি (স্বকৃপ্ন) দেখলাম যে, জনৈকা কৃষ্ণাঙ্গিণী নারী যায় মাথার চুল উষ্কখুষ্ক মদীনা থেকে
বের হয়ে মাহীআয় অবস্থান নিকৃয়ছে ৷ আমি এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা করলাম যে মদীনায় মহামারী
মাহীআয় স্থানা নান্তরিত হয়েছে ৷ আর মাহীআ হচ্ছে জুহ্ফ৷ ৷ এ হল বুখারী (র) এর শব্দমালা
মুসলিম হাদীছটি বর্ণনা ককৃরননি ৷ তিরমিযী হাদীছটি বর্ণনা ককৃর তাকৃক সহীহ্ বলে মত প্রকাশ
করেছেন ৷ নাসা ৷ঈ ও ইবন মাজ৷ মুসা ইবন উকবা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷

হাম্মাদ ইবন যায়দ হিশাম ইবন উরওয়৷ সুত্রে আইশা (রা)-এর বরাতে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ আইশা (বা) বর্ণনা ককৃয়ন যে, য়াসুলুল্লাহ (না) যখন মদীনায় পদার্পণ করেন, তখন
মদীনা ছিল মহামারীগ্রন্ত ৷ তিনি দীর্ঘ হাদীছটি উল্লেখ ককৃয়ন ৷ হিশাম বলেন : জুহফায় জন্ম
নেয়া শিশু বালিগা হওয়ার পুর্বেই জ্বকৃর আক্রান্ত হয়ে মারা যেকৃত৷ ৷ বায়হাকী দালাইলুন
নবুওয়াত গ্রন্থে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন ৷ ইউনুস ইসহাক সুত্রে বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন
মদীনায় আগমন করেন, তখন মদীনা ছিল মহামারীকৃত আক্রান্ত ৷ সেখাকৃন রাসুলের সাহাবীগণ
বোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হন যার ফলে তারা নিতান্ত দুর্বল হয়ে পড়েন ৷ আল্লাহ তা জানা এ


[فَصْلٌ فِي بِنَاءِ حُجَرٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَوْلَ الْمَسْجِدِ] فَصْلٌ وَبُنِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَوْلَ مَسْجِدِهِ الشَّرِيفِ حُجَرٌ; لِتَكُونَ مَسَاكِنَ لَهُ وَلِأَهْلِهِ، وَكَانَتْ مَسَاكِنَ قَصِيرَةَ الْبِنَاءِ، قَرِيبَةَ الْفِنَاءِ، قَالَ الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيُّ - وَكَانَ غُلَامًا مَعَ أُمِّهِ خَيْرَةَ مُوْلَاةِ أُمِّ سَلَمَةَ -: لَقَدْ كُنْتُ أَنَالُ أَطْوَلَ سَقْفٍ فِي حُجَرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِي. قُلْتُ: إِلَّا أَنَّهُ قَدْ كَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ شَكِلًا ضَخْمًا طُوَالًا، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ السُّهَيْلِيُّ فِي " الرَّوْضِ ": كَانَتْ مَسَاكِنُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مَبْنِيَّةً مِنْ جَرِيدٍ عَلَيْهِ طِينٌ، بَعْضُهَا مِنْ حِجَارَةٍ مَرْضُومَةٍ، وَسُقُوفُهَا كُلُّهَا مِنْ جَرِيدٍ. وَقَدْ حَكَى عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ مَا تَقَدَّمَ، قَالَ: وَكَانَتْ حُجَرُهُ مِنْ شَعَرٍ مَرْبُوطَةً بِخَشَبٍ مِنْ عَرْعَرٍ. قَالَ: وَفِي " تَارِيخِ الْبُخَارِيِّ " أَنَّ بَابَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ يُقْرَعُ بِالْأَظَافِيرِ. فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ
পৃষ্ঠা - ২২৫৬
لِأَبْوَابِهِ حَلَقٌ. قَالَ: وَقَدْ أُضِيفَتِ الْحُجَرُ كُلُّهَا بَعْدَ مَوْتِ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَسْجِدِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُمَا: وَلَمَّا رَجَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُرَيْقِطٍ الدَّيْلِيُّ إِلَى مَكَّةَ، بَعَثَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَأَبَا رَافِعٍ مَوْلَيَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِيَأْتُوا بِأَهَالِيهِمْ مِنْ مَكَّةَ، وَبَعَثَا مَعَهُمْ بِحِمْلَيْنِ وَخَمْسِمِائَةِ دِرْهَمٍ; لِيَشْتَرُوا بِهَا إِبِلًا مِنْ قُدَيْدٍ. فَذَهَبُوا فَجَاءُوا بِبِنْتَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ وَأُمِّ كُلْثُومَ، وَزَوْجَتَيْهِ سَوْدَةَ وَعَائِشَةَ، وَأُمِّهَا أُمِّ رُومَانَ، وَأَهْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَآلِ أَبِي بَكْرٍ، صُحْبَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَقَدْ شَرَدَ بِعَائِشَةَ وَأُمِّهَا أُمِّ رُومَانَ الْجَمَلُ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، فَجَعَلَتْ أُمُّ رُومَانَ تَقُولُ: وَاعَرُوسَاهُ وَابِنْتَاهُ. قَالَتْ عَائِشَةُ: فَسَمِعْتُ قَائِلًا يَقُولُ: أَرْسِلِي خِطَامَهُ. فَأَرْسَلْتُ خِطَامَهُ، فَوَقَفَ بِإِذْنِ اللَّهِ وَسَلَّمَنَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. فَتَقَدَّمُوا، فَنَزَلُوا بِالسَّنْحِ، ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَائِشَةَ فِي شَوَّالٍ بَعْدَ ثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ، كَمَا سَيَأْتِي، وَقَدِمَتْ مَعَهُمْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ امْرَأَةُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، وَهِيَ حَامِلٌ مُتِمٌّ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ آخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ.
পৃষ্ঠা - ২২৫৭


থেকে তার নবীকে হিফাযত করেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে
যে, তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ (সা) এবং তার সাহাবীগণ উমরাতৃল কাযার বছরে মক্কায় পৌছলে
মুশরিকরা বলে৪ তোমাদের নিকট এক প্রতিনিধি দল আগমন করছে ইয়াছরিরের জ্বর-ব্যাধি
যাদেরকে দুর্বল করে তুলেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) সাহাবীগণ রমল করার নির্দেশ দেন অর্থাৎ
তারা যেন (প্রথম তিন চক্করে) বীরদর্পে চলেন এবং দুই রুকন অর্থাৎ রুক্ন ইয়ামড়ানী ও হাজারে
আসওয়াদের মধ্যস্থলে যেন ধীরে-সুন্থে ইড়াটেন ৷ এবং অন্যান্য চক্করে তিনি তাদেরকে রমল
করতে বারণ করেছেন কেবল তাদের প্রতি করুণা বশে ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি উমরাতুল কায়া সংঘটিত হয় সপ্তম ইইজরীর যিলকড়াদ মাসে আর
মদীনায় মহামারী স্থানান্তরের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা) দু’আ হয়তো পরে করেছেন, অথবা মহামারী
হলেও তার লক্ষণ আর প্রতিক্রিয়া তখনো সামান্য হলেও অবশিষ্ট ছিল ৷ অথবা তারা যে জ্বরে
ভুগেছেন , তার লক্ষণ তখনো পরিস্ফুট ছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন শিহাব ষুহরী আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস সুত্রে রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা
করেছেন ঘ্র

রাসুলুল্লাহ (না) এবং তার সাহাবীগণ মদীনা আগমন করে জ্বরে আক্রান্ত হন ৷ মদীনায় এই
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোগ-ব্যাধিতে তারা দুর্বল হয়ে পড়েন ৷ অবশ্য আল্লাহ এ থেকে তার নবীকে
হিফাযত করেন ৷ তারা এতই দুর্বল ও ক্ষীণ হয়ে পড়েন যে, না বসে তারা নামায আদায় করতে
পারতেন না ৷ রাবী বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন আর সাহাবীগণ এ ভাবে (বসে
বসে) নামায আদায় করছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : জেনে রাখবে, বসে বসে
নামায আদায়ে দাড়িয়ে নামায আদায়ের তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যায় ৷ এরপর
মুসলমানরা রোগ-ব্যাধি আর দুর্বলতা সত্বেও জোর করে দাড়িয়ে নামায আদায়ের চেষ্টা করেন
কেবল সওয়াব লাভের আশায় ৷

অনুচ্ছেদ
মুহাজ্যি-আনসারগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন এবং ইয়াহ্রদীদের সাথে চুক্তি

ইবন জারীর তাবারীর বর্ণনা মতে মদীনায় ইয়াহ্রদীদের তিনটি গোত্র বসবাস করতো বনু
কায়নুক , বনু নাযীর এবং বনু কুরায়য়া ৷ আনসারগণের পুর্বে বুখতে নসর-এর শাসনামলে
ইয়াহুদীরা হিজায়ে আগমন করে ৷ বুখতেনসর পবিত্র নগরীর ধ্বংস সাধন করে ৷ সায়লুল
আরিম তথা সর্বগ্ৰাসী প্লাবনে লোকেরা এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেলে আওস এবং
খাযরাজ গোত্রের লোকেরা মদীনায় আগমন করে ইয়াহুদীদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকে ৷
এসব নবাগতরা ইয়াহ্রদীদের সঙ্গে মৈত্রী ও সখ্যতা গড়ে তোলে এবং তাদের মতো মাজার চেষ্টা
চালায় ৷ কারণ, এ নবাগতদের দৃষ্টিতে ইয়াহুদীরা নবীদের থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের বদৌলতে
গ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিল ৷ কিন্তু এসব ঘুশরিককে হিদায়াত আর ইসলাম দ্বারা ধন্য করে আল্লাহ
তাদের প্রতি অনুগ্নহ করেছেন ৷ হিংসা-বিদ্বেষ , বিদ্রোহ এবং সত্যকে গ্রহণ করে নিতে অনীহড়ার
কারণে আল্লাহ এসব দাম্ভিক ইয়াহুদীকে লাঞ্ছিত করেন ৷


[فَصْلٌ فِيمَا أَصَابَ الْمُهَاجِرِينَ مِنْ حُمَّى الْمَدِينَةِ] ِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ وَقَدْ سَلِمَ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ، وَدَعَا اللَّهَ فَأَزَاحَهَا عَنِ الْمَدِينَةِ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ وَبِلَالٌ. قَالَتْ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا فَقُلْتُ: يَا أَبَهْ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ وَيَا بِلَالُ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ قَالَتْ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الْحُمَّى يَقُولُ: كُلُّ امْرِئٍ مُصَبِّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ وَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أَقْلَعَ عَنْهُ الْحُمَّى يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ، وَيَقُولُ: أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
পৃষ্ঠা - ২২৫৮
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ قَالَتْ عَائِشَةُ: فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، وَصَحِّحْهَا، وَبَارَكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا، وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ عُبَيْدَةَ عَنْ هِشَامٍ مُخْتَصَرًا. وَفِي رِوَايَةِ الْبُخَارِيِّ لَهُ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، فَذَكَرَهُ. وَزَادَ بَعْدَ شِعْرِ بِلَالٍ، ثُمَّ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ الْعَنْ عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ، كَمَا أَخْرَجُونَا إِلَى أَرْضِ الْوَبَاءِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا، وَفِي مُدِّهَا، وَصَحِّحْهَا لَنَا، وَانْقُلْ حُمَّاهَا إِلَى الْجُحْفَةِ ".» وَقَدِمْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ وَهِيَ أَوْبَأُ أَرْضِ اللَّهِ، وَكَانَ بُطْحَانُ يَجْرِي نَجْلًا. يَعْنِي مَاءً آجِنًا. وَقَالَ زِيَادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২২৫৯


ইমাম আহমদ (র) আফফান সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্
(সা) আনাস ইবন মালিকের গৃহে মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে মৈত্রী স্থাপন করেন ৷ ইমাম
আহমদসহ ইমাম বুখারী, মুসলিম এবং ইমাম আবু দাউদ আসিম ইবন সুলায়মান
আল-আহওয়ালের বরাংত আনাস ইবন মালিক সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আনাস
(রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার গৃহে কুরায়শ এবং আনসারদের মৈত্রী স্থাপন করেন ৷ আর
ইমাম আহমদ নসর ইবন বার সুত্রে আমর ইবন শুআয়বের দাদা থেকে বর্ণনা করেন :

নবী করীম (সা) মুহাজির-আনসারদের মধ্যে একটা লিখিত র্চুস্থিরু করেন যে, তারা পরস্পরে
লেনদেন করবে, উপযুক্ত ফিদিয়ার বিনিময়ে বন্দীদেরকে মুক্ত করবে এবং মুসলমানদের মধ্যে

ৎস্কার-সংশোধন করবে ৷ ইমাম আহমদ আব্বাস সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে অনুরুপ হাদীছ
বর্ণনা করেন ৷ হাদীসটি ইমাম আহমদ এককভাবে বর্ণনা করেন ৷ মুসলিম শরীফে হযরত
জাবির (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিটি গোত্রের উপর দিয়াতের বিধান
লিখে দেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে
একটা লিখিত চুক্তি করান, তাতে তিনি ইয়াহুদীদেরকেও অঙ্গীকারবদ্বট্র করেন ৷ ধর্মপালন এবং
সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন এবং তাদের উপর কিছু শর্তও আরোপ করেন ৷
চুক্তিটির ভাষা এ রকম :
ট্রছু১১ওঞ


ޤ



ঠেএটু;এ


الْمَدِينَةَ، قَدِمَهَا وَهِيَ أَوْبَأُ أَرْضِ اللَّهِ، مِنَ الْحُمَّى، فَأَصَابَ أَصْحَابَهُ مِنْهَا بَلَاءٌ وَسَقَمٌ، وَصَرَفَ اللَّهُ ذَلِكَ عَنْ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ، وَبِلَالٌ; مَوْلَيَا أَبَى بَكْرٍ فِي بَيْتٍ وَاحِدٍ، فَأَصَابَتْهُمُ الْحُمَّى، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمْ أَعُودُهُمْ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُضْرَبَ عَلَيْنَا الْحِجَابُ، وَبِهِمْ مَا لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ مِنْ شِدَّةِ الْوَعْكِ، فَدَنَوْتُ مِنْ أَبِي بَكْرٍ، فَقُلْتُ: كَيْفَ تَجِدُكَ يَا أَبَهْ؟ فَقَالَ: كُلُّ امْرِئٍ مُصَبِّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا يَدْرِي أَبَى مَا يَقُولُ. قَالَتْ: ثُمَّ دَنَوْتُ إِلَى عَامِرِ بْنِ فُهَيْرَةَ فَقُلْتُ: كَيْفَ تَجِدُكَ يَا عَامِرُ؟ قَالَ: لَقَدْ وَجَدْتُ الْمَوْتَ قَبْلَ ذَوْقِهِ ... إِنَّ الْجَبَانَ حَتْفُهُ مِنْ فَوْقِهِ كُلُّ امْرِئٍ مُجَاهِدٌ بِطَوْقِهِ ... كَالثَّوْرِ يَحْمِي جِلْدَهُ بِرَوْقِهِ قَالَتْ: فَقُلْتُ: وَاللَّهِ مَا يَدْرِي عَامِرٌ مَا يَقُولُ. قَالَتْ: وَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أَدْرَكَتْهُ الْحُمَّى اضْطَجَعَ بِفِنَاءِ الْبَيْتِ، ثُمَّ رَفَعَ عَقِيرَتَهُ فَقَالَ: أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِفَخٍّ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
পৃষ্ঠা - ২২৬০
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ ... وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ قَالَتْ عَائِشَةُ: فَذَكَرْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا سَمِعْتُ مِنْهُمْ، وَقُلْتُ: إِنَّهُمْ لَيَهْذُونَ، وَمَا يَعْقِلُونَ مِنْ شِدَّةِ الْحُمَّى. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَمَا حَبَّبْتَ إِلَيْنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، وَبَارَكْ لَنَا فِي مُدِّهَا، وَصَاعِهَا، وَانْقُلْ وَبَاءَهَا إِلَى مَهْيَعَةَ ".» وَمَهْيَعَةُ هِيَ الْجُحْفَةُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، ثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ اشْتَكَى أَصْحَابُهُ، وَاشْتَكَى أَبُو بَكْرٍ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ، وَبِلَالٌ، فَاسْتَأْذَنَتْ عَائِشَةُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عِيَادَتِهِمْ، فَأَذِنَ لَهَا، فَقَالَتْ: لِأَبِي بَكْرٍ: كَيْفَ تَجِدُكَ فَقَالَ: كُلُّ امْرِئٍ مُصَبِّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ وَسَأَلْتُ عَامِرًا فَقَالَ: إِنِّي وَجَدْتُ الْمَوْتَ قَبْلَ ذَوْقِهِ ... إِنَّ الْجَبَانَ حَتْفُهُ مِنْ فَوْقِهِ وَسَأَلَتْ بِلَالًا فَقَالَ: يَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِفَخٍّ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
পৃষ্ঠা - ২২৬১


ষ্-শ্রো
স্পোস্পে ৷ )াগ্লু
৩এ্যা )(;
;;’
ড্রুএে ৷
৮০
() এ
)দ্বু;
এন্ন১ ৷
)াড্রু জ্যো ৷ ;গ্রা
ড্রুাএ
ণ্ন্ৰুাএ ৷এ ণ্থ্রে ৷
ক্রোএ
এ্যা১

৫ ১ ণোণোণো(ট্রুঘ্নেরাঃ৪গাে০ওেয়াে

فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُ، فَنَظَرَ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ: " اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَمَا حَبَّبْتَ إِلَيْنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا، وَفِي مُدِّهَا، وَانْقُلْ وَبَاءَهَا إِلَى مَهْيَعَةَ ".» وَهِيَ الْجُحْفَةُ فِيمَا زَعَمُوا. وَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْهَا مِثْلَهُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، وَهِيَ أَوْبَأُ أَرْضِ اللَّهِ، وَوَادِيهَا بُطْحَانُ نَجْلٌ.» قَالَ هِشَامٌ: وَكَانَ وَبَاؤُهَا مَعْرُوفًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَانَ إِذَا كَانَ الْوَادِي وَبِيئًا، فَأَشْرَفَ عَلَيْهِ الْإِنْسَانُ، قِيلَ لَهُ أَنْ يَنْهَقَ نَهِيقَ الْحِمَارِ; فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ لَمْ يَضُرَّهُ وَبَاءُ ذَلِكَ الْوَادِي، وَقَدْ قَالَ الشَّاعِرُ حِينَ أَشْرَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ: لَعَمْرِي لَئِنْ عَشَّرْتُ مِنْ خِيفَةِ الرَّدَى ... نَهِيقَ الْحِمَارِ إِنَّنِي لَجَزُوعُ
পৃষ্ঠা - ২২৬২
وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَيْتُ كَأَنَّ امْرَأَةً سَوْدَاءَ ثَائِرَةَ الرَّأْسِ خَرَجَتْ مِنَ الْمَدِينَةِ حَتَّى قَامَتْ بِمَهْيَعَةَ - وَهِيَ الْجُحْفَةُ - فَأَوَّلْتُ أَنَّ وَبَاءَ الْمَدِينَةِ نُقِلَ إِلَيْهَا:.» هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ، وَلَمْ يُخْرِجْهُ مُسْلِمٌ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ. وَقَدْ رَوَى حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «قَدِمَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَهِيَ وَبِيئَةٌ.» فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ إِلَى قَوْلِهِ: «وَانْقُلْ حُمَّاهَا إِلَى الْجُحْفَةِ ".» قَالَ هِشَامٌ: فَكَانَ الْمَوْلُودُ يُولَدُ بِالْجُحْفَةِ، فَلَا يَبْلُغُ الْحُلُمَ حَتَّى تَصْرَعَهُ الْحُمَّى. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ". وَقَالَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، وَهِيَ وَبِيئَةٌ، فَأَصَابَ أَصْحَابَهُ مِنْهَا بَلَاءٌ وَسَقَمٌ حَتَّى أَجْهَدَهُمْ ذَلِكَ، وَصَرَفَ اللَّهُ ذَلِكَ عَنْ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২২৬৩
وَأَصْحَابُهُ - صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ يَعْنِي مَكَّةَ - عَامَ عُمْرَةِ الْقَضَاءِ، فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ وَفْدٌ قَدْ وَهَنَهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ. فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَرْمُلُوا، وَأَنْ يَمْشُوا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ.» وَلَمْ يَمْنَعْهُ أَنْ يَرْمُلُوا الْأَشْوَاطَ كُلَّهَا إِلَّا الْإِبْقَاءُ عَلَيْهِمْ. قُلْتُ: وَعُمْرَةُ الْقَضَاءِ كَانَتْ فِي سَنَةِ سَبْعٍ فِي ذِي الْقِعْدَةِ، فَإِمَّا أَنْ يَكُونَ تَأَخَّرَ دُعَاؤُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِنَقْلِ الْوَبَاءِ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ ذَلِكَ، أَوْ أَنَّهُ رُفِعَ وَبَقِيَ آثَارٌ مِنْهُ قَلِيلٌ، أَوْ أَنَّهُمْ بَقُوا فِي خُمَارِ مَا كَانَ أَصَابَهُمْ مِنْ ذَلِكَ إِلَى تِلْكَ الْمُدَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ زِيَادٌ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَذَكَرَ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ، أَصَابَتْهُمْ حُمَّى الْمَدِينَةِ، حَتَّى جَهَدُوا مَرَضًا، وَصَرَفَ اللَّهُ ذَلِكَ عَنْ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى كَانُوا مَا يُصَلُّونَ إِلَّا وَهُمْ قُعُودٌ. قَالَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ يُصَلُّونَ كَذَلِكَ، فَقَالَ لَهُمْ: " اعْلَمُوا أَنَّ صَلَاةَ الْقَاعِدِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ صَلَاةِ الْقَائِمِ ".» فَتَجَشَّمَ الْمُسْلِمُونَ الْقِيَامَ، عَلَى مَا بِهِمْ مِنَ الضَّعْفِ وَالسَّقَمِ; الْتِمَاسَ الْفَضْلِ.
পৃষ্ঠা - ২২৬৪

০০ মা৪ মা$

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

;)ংম্বু

১১ধ্)এ

মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র
ইয়াহ্রদীরাও এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

কুরায়শী এবং ইয়াছরিবী মুসলমান এবং তাদের অনুসারীদের মধ্যে উস্বী নবী মুহাম্মদ (সা)

এ সনদ জারী করেন ৷




১ :

এক জাতি হিসাবে তারা জিহাদে অংশ গ্রহণ করবে অন্যদের মুকাবিলায় ৷
কুরায়শী মুহাজিররা তাদের কর্তৃত্বে বহাল থাকবে ৷ তারা রীতি অনুযায়ী নিজেদের
রক্তপণ পরিশোধ করবে এবং প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ইনসাফের ভিত্তিতে বন্দীদের
মুক্তিপণ পরিশোধ করবে ৷

বনু আওফ তাদের কতৃত্বে বহাল থাকবে ৷ তারা রীতি ও বিধি মতো দিয়াত পরিশোধ
করবে এবং প্রতেক দল রীতি অনুযায়ী ইনসাফের ভিত্তিতে মু’মিনদেরকে ফিদিয়া
পরিশোধ করে তাদের বন্দীদেরকে মুক্ত করবে ৷
এরপর তিনি আনসারদের প্রতেকে বংশ-গোত্র-এর উল্লেখ করেন ৷ এরা হলো, বনু
সাইদা, বনু জুশাম, বনুনাজ্জার, বনুঅড়ামর ইবন আওফ, বনু নাবীত ৷ এমনকি চুক্তিতে
তিনি একথাও উল্লেখ করেন যে, কোন মুসলমান ঋণভারে জর্জরিত বিপণ
জনগােষ্ঠীকে আশ্রয়হীন রাখবে না এবং ফিদিয়া আর দিয়াতের ক্ষেত্রে নিয়ম-রীতি
অনুযায়ী পরস্পরের সাহায্য-সহায়তা করবে ৷

কোন মুসলমান অপর মুসলমানের আযাদ করা গোলামের সঙ্গে কোন চুক্তি করবে না
র্তাকে বাদ দিয়ে (মুহাম্মদ (না)-কে ছাড়া) ৷ (অর্থাৎ অন্যের মুক্ত দাসের সঙ্গে কোন
মুসলমান মৈত্রী চুক্তি স্থাপন করতে পারবে না ৷

মু’মিন মুত্তাকীরা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা গঠন করবে বিদ্রোহী, যালিম, অত্যাচারী, পাপাচারীর
বিরুদ্ধে, মু’মিনদের মধ্যে ফাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টির বিরুদ্ধে ৷ এমন কি আপন
সন্তানদের বিরুদ্ধে গেলেও এ মাের্চা গঠন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে সকলে নবী
মুহাম্মদ (না)-কে সহায়তা করবে ৷

কোন কাফিরের বদলায় কোন মু’মিন কোন মুমিনকে হত্যা করবে না ৷

মু’মিনের বিরুদ্ধে কোন কাফিরের সাহায্য করা যাবে না ৷

আল্লাহ্র যিম্মড়া-অঙ্গীকার এক ও অভিন্ন ৷ তাদের পক্ষ থেকে একজন সামান্য-নগণ্য
ব্যক্তিও কাউকে আশ্রয় দিতে পারবে ৷

অন্যদের মুকাবিলায় মুসলমানগণ পরস্পরে ভাই ৷


[فَصْلٌ فِي عَقْدِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْأُلْفَةَ بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ] ِ بِالْكِتَابِ الَّذِي أَمَرَ بِهِ فَكُتِبَ بَيْنَهُمْ، وَالْمُؤَاخَاةِ الَّتِي أَمَرَهُمْ بِهَا وَقَرَّرَهُمْ عَلَيْهَا، وَمُوَادَعَتِهِ الْيَهُودَ الَّذِينَ كَانُوا بِالْمَدِينَةِ وَكَانَ بِهَا مِنْ أَحْيَاءِ الْيَهُودِ بَنُو قَيْنُقَاعَ، وَبَنُو النَّضِيرِ، وَبَنُو قُرَيْظَةَ، وَكَانَ نُزُولُهُمْ بِالْحِجَازِ قَبْلَ الْأَنْصَارِ أَيَّامَ بُخْتُ نَصَّرَ، حِينَ دَوَّخَ بِلَادَ الْمَقْدِسِ، فِيمَا ذَكَرَهُ الطَّبَرِيُّ، ثُمَّ لَمَّا كَانَ سَيْلُ الْعَرِمِ وَتَفَرَّقَتْ سَبَأٌ شَذَرَ مَذَرَ، نَزَلَ الْأَوْسُ وَالْخَزْرَجُ الْمَدِينَةَ عِنْدَ الْيَهُودِ، فَحَالَفُوهُمْ وَصَارُوا يَتَشَبَّهُونَ بِهِمْ; لِمَا يَرَوْنَ لَهُمْ عَلَيْهِمْ مِنَ الْفَضْلِ فِي الْعِلْمِ الْمَأْثُورِ عَنِ الْأَنْبِيَاءِ، لَكِنْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى هَؤُلَاءِ، الَّذِينَ كَانُوا مُشْرِكِينَ بِالْهُدَى وَالْإِسْلَامِ، وَخَذَلَ أُولَئِكَ; لِحَسَدِهِمْ، وَبَغْيِهِمْ، وَاسْتِكْبَارِهِمْ عَنِ اتِّبَاعِ الْحَقِّ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ ثَنَا، حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ثَنَا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «حَالَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ فِي دَارِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ»
পৃষ্ঠা - ২২৬৫
১ ১

১ ২

১ ৩
১ :
১ ৫

১ ৬

১ ৭

১ ৮
১ ৯
২ :

২ ১
২ ২

২৩

২৪

০০ মা৪ মা$

আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া ৪০৩

আমাদের অনুগত ইয়াহুদীরা সাহায্য-সহায়তা পাওয়ার যোগ্য ৷ তাদের প্রতি জুলুম করা
যাবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে সাহাযল্দোহযােগিতা করা যাবে না ৷

সকল মুসলমানের নিরাপত্তা আর স্বার্থ এক ৷ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে কোন মৃ’মিন
অপর মৃ’মিন ভাইকে বাদ দিয়ে সন্ধি চুক্তি করবে না ৷ তা সমভাবে সকলের জন্য
ইনসাফ ভিত্তিক হতে হবে ৷

যে সব যোদ্ধা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে শরীক হবে, তারা একে অন্যের সহায়তা করবে ৷
মৃ’মিনগণ আল্লাহর রাস্তায় নিহতদেরকে পরস্পরে সহায়তা করবে ৷
মু’মিন-মুত্তাকীরা সত্য-সরল ও সঠিক হিদায়াতের উপর আছে ৷ কোন মুশরিক কোন
কুরায়শীকে জান-মালের নিরাপত্তা দেবে না ৷ কোন মৃ’মিনের মুকড়াবিলায় সে প্রতি বন্ধক
হবে না (এবং তার বিরুদ্ধে সাহায্য-সহায়তা করবে না) ৷
অহেতুক কোন মৃ’মিনকে হত্যা করলে হত্যাকারীকে দায় বহন করতে হবে এবং নিহত
ব্যক্তির ওলী-ওয়ারিসকে সন্তুষ্ট করতে হবে ৷ হত্যাকারীর বিরুদ্ধে র্দাড়ানাে সমস্ত
মু’মিনের কর্তব্য হবে ৷ তার বিরুদ্ধে র্দাড়ানাে ছাড়া অন্য কিছু করা তাদের জন্য হালাল
হবে না ৷

পুকােন মৃ’মিন ব্যক্তি, যে এ সনদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়ে ঈমান রাখে এবং তা স্বীকার করে,

আল্লাহ এবং শেষ দিনে যার ঈমান ও বিশ্বাস আছে, কোন নতুন কিছু উদ্ভাবনকারীর
সাহায্য সহায়তা করা তার জন্য হালাল নয়, হালাল নয় এমন নব উদ্ভাবনকাৰীকে আশ্রয়
দান করা ৷ যে ব্যক্তি এমন লোককে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা তাকে আশ্রয় দান
করবে কিয়ড়ামতের দিন তার প্রতি আল্লাহর লানত, আল্লাহ্র গযব আপতিত হবে ৷ তার
নিকট থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না (তার তাওবওে কবুল করা হবে না) ৷
চুক্তির ক্ষেত্রে কোন বিরোধ, মত পার্থক্য দেখা দিলে (তার ব্যাখড়াড়া-বিশ্লেষণের জন্য)
আল্লাহ্ ও তার রাসুলের দিকে প্রত্যাবর্ভা করতে হবে ৷

ইয়াহ্রদীরা যত দিন মৃ’মিনদের সহযােদ্ধা রুপে থাকবে, ততদিন তারা মু’মিনদের সাথে
ব্যয় নিবাহের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ থাকবে ৷

বনু আওফের ইয়াহ্রদীরা ঘু’মিনদের সঙ্গে একই উষ্ম৷ রুপে থাকবে ৷

ইয়াহ্রদীরা তাদের ধর্ম মেনে চলবে আর মু’মিনরা মেনে চলবে তাদের নিজেদের দীন ৷
তাদের দাস এবং তারা নিজেরা নিরাপদ থাকবে ৷ অবশ্য কেউ জুলুম, পাপাচার আর
অপরাধ করলে যে কেবল নিজেকেই ধ্বংস করে ৷ নিজের এবং নিজের পরিজনের ক্ষতি
সাধন করে ৷ (অন্যায়কারীকে অন্যায়ের শাস্তি ভোগ করতে হবে) ৷

বনু নাজ্জার , বনু হারিছ, বনু সাইদা, বনু জুশাম, বনু আওস, বনু ছা’লাবা বনু জাফনা,
বনু শাতনা এসব শাখা গোত্রের ইয়াহুদীরা বনু আওফের ইয়াহুদীদের মতো অধিকার
ভোগ করবে, সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে এবং ইয়াহুদীদের গোপন বিষয় নিজেদের
গোপন বিষয়ের মতো বিবেচিত হবে ৷

মুহাম্মদ এর বিনা অনুমতিতে তাদের কেউ বের হতে পারবে না ৷


وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا، وَالْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْأَحْوَلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «حَالَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ فِي دَارِي.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ بَابٍ، عَنْ حَجَّاجٍ، هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ. قَالَ: وَحَدَّثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «كَتَبَ كِتَابًا بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ أَنْ يَعْقِلُوا مَعَاقِلَهُمْ، وَأَنْ يَفْدُوا عَانِيَهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَالْإِصْلَاحِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ» قَالَ أَحْمَدُ: وَحَدَّثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ. تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «كَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كُلِّ بَطْنٍ عُقُولَهُ.» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابًا بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَادَعَ فِيهِ الْيَهُودَ وَعَاهَدَهُمْ، وَأَقَرَّهُمْ عَلَى دِينِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ، وَاشْتَرَطَ
পৃষ্ঠা - ২২৬৬
عَلَيْهِمْ وَشَرَطَ لَهُمْ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا كِتَابٌ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ، بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، مِنْ قُرَيْشٍ وَيَثْرِبَ وَمَنْ تَبِعَهُمْ فَلَحِقَ بِهِمْ وَجَاهَدَ مَعَهُمْ: إِنَّهُمْ أُمَّةٌ وَاحِدَةٌ مِنْ دُونِ النَّاسِ، الْمُهَاجِرُونَ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى رِبْعَتِهِمْ، يَتَعَاقَلُونَ بَيْنَهُمْ، وَهُمْ يَفْدُونَ عَانِيَهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَالْقِسْطِ، وَبَنُو عَوْفٍ عَلَى رِبْعَتِهِمْ، يَتَعَاقَلُونَ مَعَاقِلَهُمُ الْأَوْلَى، وَكُلُّ طَائِفَةٍ تَفْدِي عَانِيَهَا بِالْمَعْرُوفِ وَالْقِسْطِ بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ ". ثُمَّ ذَكَرَ كُلَّ بَطْنٍ مِنْ بُطُونِ الْأَنْصَارِ، وَأَهْلَ كُلِّ دَارٍ; بَنِي سَاعِدَةَ، وَبَنِي جُشَمَ، وَبَنِي النَّجَّارِ، وَبَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَبَنِي النَّبِيتِ، إِلَى أَنْ قَالَ: " وَإِنَّ الْمُؤْمِنِينَ لَا يَتْرُكُونَ مُفْرَحًا بَيْنَهُمْ أَنْ يُعْطُوهُ بِالْمَعْرُوفِ فِي فِدَاءٍ وَعَقْلٍ، وَلَا يُحَالِفُ مُؤْمِنٌ مَوْلَى مُؤْمِنٍ دُونَهُ، وَإِنَّ الْمُؤْمِنِينَ الْمُتَّقِينَ عَلَى مَنْ بَغَى مِنْهُمْ، أَوِ ابْتَغَى دَسِيعَةَ ظُلْمٍ، أَوْ إِثْمٍ أَوْ عُدْوَانٍ، أَوْ فَسَادٍ بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنَّ أَيْدِيَهُمْ عَلَيْهِ جَمِيعِهِمْ وَلَوْ كَانَ وَلَدَ أَحَدِهِمْ، وَلَا يَقْتُلُ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنًا فِي كَافِرٍ، وَلَا يُنْصَرُ كَافِرٌ عَلَى مُؤْمِنٍ، وَإِنَّ ذِمَّةَ اللَّهِ وَاحِدَةٌ، يُجِيرُ عَلَيْهِمْ أَدْنَاهُمْ، وَإِنَّ الْمُؤْمِنِينَ بَعْضُهُمْ مَوَالِي بَعْضٍ دُونَ النَّاسِ، وَإِنَّهُ مَنْ تَبِعَنَا مَنْ يَهُودَ، فَإِنَّ لَهُ النَّصْرَ وَالْأُسْوَةَ; غَيْرَ مَظْلُومِينَ وَلَا مُتَنَاصَرٍ عَلَيْهِمْ، وَإِنَّ سِلْمَ الْمُؤْمِنِينَ وَاحِدَةٌ ; لَا يُسَالِمُ مُؤْمِنٌ دُونَ مُؤْمِنٍ فِي قِتَالٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، إِلَّا عَلَى سَوَاءٍ وَعَدْلٍ بَيْنَهُمْ، وَإِنَّ كُلَّ غَازِيَةٍ غَزَتْ مَعَنَا يُعْقِبُ بَعْضُهَا بَعْضًا، وَإِنَّ الْمُؤْمِنِينَ يُبِيءُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا بِمَا نَالَ
পৃষ্ঠা - ২২৬৭

০০ মা৪ মা$

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

২৬ কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করলে তা করবে নিজেরই সঙ্গে, তার জুলুমের বিপরীতে জুলুমের

২ ৭
২৮

২ ৯

৩ :

৩ ১

৩ ২
৩৩
৩৪
৩৫
৩৬

৩ ৭
৩ ৮
৩ ৯
৪ :

৪ ১

৪ ২
৪ ৩

৪ :

শা তাকে পেতে হবে ৷

আর আল্লাহ্ তো রয়েছেনই তার পশ্চড়াতে ৷

ইয়াহুদীরা নিজেদের ব্যয় তার বহন করবে, আর মুসলমানরা বহন করবে নিজেদের
ব্যয়ভার ৷

এ চুক্তিপত্রের অনুসারীর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করবে, তার বিরুদ্ধে সাহায্য করা সকলের
কর্তব্য হবে ৷

চুক্তিবদ্ধ পক্ষসমুহের মধ্যে সম্পর্ক হবে শুভাকাদ্ভক্ষী, সুম্পেদেশও পুণ্যভিত্তিক
পাপাচারমুলক হবে না ৷

কোন ব্যক্তি তার মিত্রপক্ষের সঙ্গে পাপাচারের কর্ম করবে না ৷ মিত্রপক্ষের অপরাধের
কারণে সে অপরাধী হবে না ৷

মজলুমের সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে ৷

এ চুক্তির পক্ষের লোকের জন্য ইয়াছরিব এবং তার উপকন্ঠ হবে সম্মানার্দু ৷
প্ৰতিবেশী-আশ্রয়প্রাথী হবে নিজের মতো যদি সে ক্ষতিকর এবং অপরাধী না হয় ৷
অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন নারীকে আশ্রয় দেয়া যাবে না ৷

এ চুক্তির পক্ষের মধ্যে কোন ঘটনা-উত্তেজনায় বিপর্যয়ের আশংকা সৃষ্টি হলে (বা কোন
বিরোধ দেখা দিলে) ব্যাখ্যার জন্য আল্লাহ এবং মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন
করতে হবে ৷

যে এ চুক্তি মেনে চলবে আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন ৷

কুরায়শ এবং তাদের সাহায্যকারীকে আশ্রয় দেয়া যাবে না ৷
কেউ ইয়াছরিবের উপর চড়াও হলে সকল পক্ষ মিলে ঠেকাবে ৷

মুসলমানদেরকে কোন সন্ধি-চুক্তির জন্য আহ্বান করা হলে তারা (ইয়াহ্রদীরা) ও তা
মেনে চলবে ৷ ইয়াহ্রদীরা কারো সঙ্গে চুক্তি করলে মুসলমানরাও তাতে যোগ দিবে ৷ তবে
কেউ দীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে তাতে মুসলমানরা যোগ দেবে না ৷

প্রতিটি নাপরিকের কর্তব্য তার অংশের সংরক্ষণ করা ৷

জালিম আর অপরাধী ছাড়া কেউ এ চুক্তিপত্রের অন্যথা করবে না ৷

কেউ মদীনার বাইরে গেলে বা মদীনায় বসবাস করলে, সে নিরাপত্তা লাভ করবে যদি
সে জালিম এবং অপরাধী না হয়ে থাকে ৷

যে ব্যক্তি পুণ্যবান এবং মুত্তাকী, আল্লাহ হবেন তার হিফাযতকারী ৷

ইবন ইসহাক চুক্তিপত্রের অনুরুপ বিবরণ দিয়েছেন ৷ অবশ্য আবু উবায়দ কাসিম ইবন সালাম

তার কিতাবুল গরীব ইত্যাকার গ্রন্থে এ সম্পর্কে অনেক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন ৷


دِمَاءَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَإِنَّ الْمُؤْمِنِينَ الْمُتَّقِينَ عَلَى أَحْسَنِ هُدًى وَأَقْوَمِهِ، وَإِنَّهُ لَا يُجِيرُ مُشْرِكٌ مَالًا لِقُرَيْشٍ وَلَا نَفْسًا، وَلَا يَحُولُ دُونَهُ عَلَى مُؤْمِنٍ، وَإِنَّهُ مَنِ اعْتَبَطَ مُؤْمِنًا قَتْلًا عَنْ بَيِّنَةٍ، فَإِنَّهُ قَوَدٌ بِهِ إِلَّا أَنْ يَرْضَى وَلِيُّ الْمَقْتُولِ، وَإِنَّ الْمُؤْمِنِينَ عَلَيْهِ كَافَّةً، وَلَا يَحِلُّ لَهُمْ إِلَّا قِيَامٌ عَلَيْهِ، وَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَقَرَّ بِمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ، وَآمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، أَنْ يَنْصُرَ مُحْدِثًا وَلَا يُؤْوِيَهُ، وَإِنَّهُ مَنْ نَصَرَهُ أَوْ آوَاهُ، فَإِنَّ عَلَيْهِ لَعْنَةَ اللَّهِ وَغَضَبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يُؤْخَذُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ، وَإِنَّكُمْ مَهْمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِنْ شَيْءٍ فَإِنَّ مَرَدَّهُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَإِلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ الْيَهُودَ يُنْفِقُونَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ مَا دَامُوا مُحَارِبِينَ، وَإِنَّ يَهُودَ بَنِي عَوْفٍ أُمَّةٌ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ; لِلْيَهُودِ دِينُهُمْ وَلِلْمُسْلِمِينَ دِينُهُمْ، مَوَالِيهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ إِلَّا مَنْ ظَلَمَ وَأَثِمَ، فَإِنَّهُ لَا يُوتِغُ إِلَّا نَفْسَهُ وَأَهْلَ بَيْتِهِ، وَإِنَّ لِيَهُودِ بَنِي النَّجَّارِ، وَبَنِي الْحَارِثِ، وَبَنِي سَاعِدَةَ، وَبَنِي جُشَمَ، وَبَنِي الْأَوْسِ، وَبَنِي ثَعْلَبَةَ وَجَفْنَةَ، وَبَنِي الشُّطَيْبَةِ، مِثْلَ مَا لِيَهُودِ بَنِي عَوْفٍ، وَإِنَّ بِطَانَةَ يَهُودَ كَأَنْفُسِهِمْ، وَإِنَّهُ لَا يَخْرُجُ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا بِإِذْنِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا يَنْحَجِزُ عَلَى ثَأْرِ جُرْحٍ، وَإِنَّهُ مَنْ فَتَكَ، فَبِنَفْسِهِ فَتَكَ وَأَهْلِ بَيْتِهِ، إِلَّا مَنْ ظُلِمَ وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى أَبَرِّ هَذَا،
পৃষ্ঠা - ২২৬৮
وَإِنَّ عَلَى الْيَهُودِ نَفَقَتَهُمْ وَعَلَى الْمُسْلِمِينَ نَفَقَتَهُمْ، وَإِنَّ بَيْنَهُمُ النَّصْرَ عَلَى مَنْ حَارَبَ أَهْلَ هَذِهِ الصَّحِيفَةِ، وَإِنَّ بَيْنَهُمُ النُّصْحَ وَالنَّصِيحَةَ، وَالْبِرَّ دُونَ الْإِثْمِ، وَإِنَّهُ لَمْ يَأْثَمِ امْرُؤٌ بِحَلِيفِهِ، وَإِنَّ النَّصْرَ لِلْمَظْلُومِ، وَإِنَّ يَثْرِبَ حَرَامٌ جَوْفُهَا لِأَهْلِ هَذِهِ الصَّحِيفَةِ، وَإِنَّ الْجَارَ كَالنَّفْسِ غَيْرَ مُضَارٍّ وَلَا آثِمٍ، وَإِنَّهُ لَا تُجَارُ حُرْمَةٌ إِلَّا بِإِذْنِ أَهْلِهَا، وَإِنَّهُ مَا كَانَ بَيْنَ أَهْلِ هَذِهِ الصَّحِيفَةِ مِنْ حَدَثٍ أَوِ اشْتِجَارٍ يُخَافُ فَسَادُهُ، فَإِنَّ مَرَدَّهُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى أَتْقَى مَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ وَأَبَرِّهِ، وَإِنَّهُ لَا تُجَارُ قُرَيْشٌ وَلَا مَنْ نَصَرَهَا، وَإِنَّ بَيْنَهُمُ النَّصْرَ عَلَى مَنْ دَهَمَ يَثْرِبَ، وَإِذَا دَعَوْا إِلَى صُلْحٍ يُصَالِحُونَهُ وَيَلْبَسُونَهُ فَإِنَّهُمْ يُصَالِحُونَهُ، وَإِنَّهُمْ إِذَا دُعُوا إِلَى مَثْلِ ذَلِكَ، فَإِنَّهُ لَهُمْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ، إِلَّا مَنْ حَارَبَ فِي الدِّينِ; عَلَى كُلِّ أُنَاسٍ حِصَّتُهُمْ مِنْ جَانِبِهِمُ الَّذِي قِبَلَهُمْ، وَإِنَّهُ لَا يَحُولُ هَذَا الْكِتَابُ دُونَ ظَالِمٍ أَوْ آثِمٍ، وَإِنَّهُ مَنْ خَرَجَ آمِنٌ، وَمَنْ قَعَدَ آمِنٌ بِالْمَدِينَةِ إِلَّا مَنْ ظَلَمَ أَوْ أَثِمَ، وَإِنَّ اللَّهَ جَارٌ لِمَنْ بَرَّ وَاتَّقَى ".» كَذَا أَوْرَدَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بِنَحْوِهِ، وَقَدْ تَكَلَّمَ عَلَيْهِ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَامٍ رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي كِتَابِ " الْغَرِيبِ " وَغَيْرِهِ بِمَا يَطُولُ ذِكْرُهُ.
পৃষ্ঠা - ২২৬৯


অনুচ্ছেদ
মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে নবী (সা) এর ভ্রাতৃত্ব স্থাপন
আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

ছু১টুঠুএঠু % ংণ্শু-ংএ’ ছু১চ্ণ্ণ্ ছুর্তৃএ ১১শুৰুন্ঠু ছুণ্প্রুছুদ্বু ঠুএ ১প্ছুর্শ্ব’শুণ্ড্র ১াত্ত৷ :;ষ্টুৰুর্দ্ধও ১ছুৰুএ ৷১
;,;;,ৰু;শুচ্; টুন্রুশু ১াওওগ্র১ ষ্কৃৰুংৰুং১৷ ণ্া ১ও’প্রুওহ্রন্ধু১ ৷;ওও’৷ ৷দ্বুৰু;ণ্ ৰুা১ ন্ন্১,ন্১’:শ্১ পুরু৬
ৰুপ্লুটুছুার্টুট্রু৷ ৷ ন্ন্ট্রষ্ ;ান্ৰুন্৷ র্চুচ্ র্দুছু; ট্রুর্দু;ঠু
(আর তাদের জন্যেও) মুহাজিরদের আগমনের পুর্বে যারা এ নগরীতে বসবাস করেছে এবং
ঈমান এসেছে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে সে জন্যে তারা অন্তরে আকাম্ভক্ষা পোষণ

করে না আর তারা ওদেরকে নিজেদের উপর অগাধিকার দেয়----’নিক্তেরা অভাবগ্রস্ত হলেও ৷
অন্তরের কার্পণ্য থেকে যাদেরকে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম (৫৯ : ৯) ৷

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন :
৷ ব্লু
এবং যাদের সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ, তোমরা তাদেরকে তাদের অংশ দান
করবে ৷ নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে দ্রষ্টা (৪ : ৩৩) ৷

ইমাম বুখারী (র) সাল্ৎ ইবন মুহাম্মদ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
’মে৷ ৷ঠু;টুৰু ৷াৰু; ট্রুাহ্রাড্রু (এবং প্রত্যেকের জন্য আমি মাওয়ালী করেছি) এ আয়াতে মাওয়ালী অর্থ
ওয়ারিছ বা উত্তরাধিকারী ৷ ন্ট্রুধুট্র^ট্রু ৷ রু;ৰুৰুাপুরাট্রু ;-,: fl ’, (এবং যাদের সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ
হয়েছ)-এ আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন : মুহাজিরপণ যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তারা
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছাড়াই আনসারদের ওয়ারিছ বলে গণ্য হতেন, নবী (না) তাদের মধ্যে যে
ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করেছেন তার সুবাদে ৷ ;, ৷ৰুৰুটুৰু এেটুৰু ৰুাছুাদ্ভু এ আয়াত নাযিল হলে
আনসারদেরকে উত্তরাধিকার দানের বিধান রর্হিত হয় ৷ তিনি বলেনঃ, পরে আয়াত নাযিল হয় :
ংণ্ছু,ট্রু;ট্রু ৰু১ব্লু ছুঠুাগুর্টু;াট্রুষ্ ন্ব্র১াট্রু;ৰু৷ ষ্টুাট্রুা ;ং ৰু;ার্দু৷ ৷) এ আয়াতে তাদের অংশ বলে তাদেরকে
সাহায্য করা, রিফাদা অর্থাৎ আপ্যায়ন এবং কল্যাণ কামনা বুঝানো হয়েছে ৷ আর মীরাছেও
ওসীয়াতের বিধান রহিত হয়ে গেছে ৷ ইমাম আহমদ সুফিয়ান ও আসিম সুত্রে আনাস (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (না) আমাদের গৃহে মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃতু স্থাপন করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) তার মুহাজির এবং আনসার সাহাবীগণের
মধ্যে ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, রাসুলুল্লড়াহ্ (না) যা বলেননি,
এমন কথা তীর প্রতি আরোপ করা থেকে আল্লাহর পানাহ্ চাই ৷ আমরা জানতে পেয়েছি, তাতে


[فَصْلٌ فِي مُؤَاخَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ] كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمْ حَاجَةً مِمَّا أُوتُوا وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ} [الحشر: 9] وَقَالَ تَعَالَى: {وَالَّذِينَ عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ فَآتُوهُمْ نَصِيبَهُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا} [النساء: 33] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ إِدْرِيسَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: « {وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَالِيَ} [النساء: 33] قَالَ: وَرَثَةً {وَالَّذِينَ عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ} [النساء: 33] كَانَ الْمُهَاجِرُونَ لَمَّا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ يَرِثُ الْمُهَاجِرِيُّ الْأَنْصَارِيَّ دُونَ ذَوِي رَحِمِهِ لِلْأُخُوَّةِ الَّتِي آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمْ فَلَمَّا نَزَلَتْ {وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَالِيَ} [النساء: 33] نُسِخَتْ ثُمَّ قَالَ {وَالَّذِينَ عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ فَآتُوهُمْ نَصِيبَهُمْ} [النساء: 33] مِنَ النَّصْرِ وَالرِّفَادَةِ وَالنَّصِيحَةِ وَقَدْ ذَهَبَ الْمِيرَاثُ، وَيُوصَى لَهُ» .
পৃষ্ঠা - ২২৭০


রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আল্লাহর জন্য তোমরা দৃ’দু’ জন ভাই ভাই হয়ে যাও ৷ এরপর আলী
ইবন আবু তালিব (রা)-এর হাত ধরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এ হচ্ছে আমার ভাই ৷ অথচ
রাসুলুল্লাহ্ ছিলেন প্রেরিত রাসুলগণের সর্দার, ঘুত্তাকিগণের ইমাম এবং রাববুল আলামীনের
রাসুল ৷ তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়, যার কোন সমকক্ষ নেই ৷ রাসুল (সা) এবং আলী (রা) ইবন
আবু তালিব হয়ে গেলেন পরস্পরে ভাই ভাই ৷ হড়ামৃযা ইবন আবদুল মুত্তালিব ছিলেন অড়াসাদুল্লাহ্
ওয়া আসাদু রাসুলিহী তথা আল্লাহ ও র্তার রাসুলের সিংহ ৷ তিনি ছিলেন রাসুলের চাচা ৷ তিনি
এবং রাসুলের আযাদকৃত গোলাম যায়দ ইব হারিছা হলেন পরস্পর ভাই ভাই ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন
তীর প্রতিই হযরত হড়ামৃযা ওসীয়াত করেন ৷ দু’ ডানা বিশিষ্ট জাফর ইবন আবু তালিব এবং
মুআয ইবন জাবাল হলেন পরস্পর ভাই ডাই ৷ ইবন হিশাম বলেন : তখন জাফর আবিসিনিয়ায়
অবস্থান করছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন :

এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে সব মুহাজির ও আনসার সাহাবীকে ভ্রাতৃতৃ বন্ধনে আবদ্ধ করে
দেন, র্তাদের নামের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো :

মুহাজির আনসাব
হযরত আবু বকর (রা) হযরত খারিজা ইবন যায়দ (রা)
হযরত উমর (রা) হযরত ইতবান ইবন মালিক (রা)
হযরত আবু উবায়দা (রা) হযরত সাআদ ইবন মুআয (রা)

হযরত আবদুর রহমান ইবন আওফ হযরত সাআদ ইবন রাবী (রা)

হযরত যুবায়র ইবন আওয়াম (রা) হযরত সালামা ইবন সালামা ইবন ওকশ মতাম্ভরে
হযরত আবদৃল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা)

হযরত উছমান ইব আফফান হযরত আওস ইবন ছাবিত ইবন মৃনযির নাজ্জারী (রা)
হযরত তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ হযরত কাআব ইবন মালিক (বা)
হযরত সাঈদ ইবন যায়দ (রা) হযরত উবাই ইবন কাআব (রা)

হযরত মুসআব ইবন উমায়ব (বা) হযরত আবু অইিউব (রা)

হযরত আবু হুযায়ফা ইবন উতবা (রা) হযরত আব্বাদ ইবন বিশর (রা)

হযরত আমার (রা) হযরত হুযায়ফা ইবন ইয়ামান অড়াবাসী আবদুল
আশহড়ালের মিত্র, মতান্তরে ছাবিত ইবন কায়স ইবন
শাম্মড়াস

হযরত মুনযির ইবন আমর-মৃত্যুকে আলিঙ্গনকারী

হযরত আবু যর বরীর ইবন জ্বাদো (রা) উয়ায়স ইবন সাইদা

হাতির ইবন আবু বালতাআ


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: قُرِئَ عَلَى سُفْيَانَ: سَمِعْتُ عَاصِمًا، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «حَالَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ فِي دَارِنَا قَالَ سُفْيَانُ: كَأَنَّهُ يَقُولُ: آخَى» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، فَقَالَ فِيمَا بَلَغَنَا، وَنَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ نَقُولَ عَلَيْهِ مَا لَمْ يَقُلْ: «تَآخَوْا فِي اللَّهِ أَخَوَيْنِ أَخَوَيْنِ ". ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ: هَذَا أَخِي.» فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُ الْمُرْسَلِينَ، وَإِمَامُ الْمُتَّقِينَ، وَرَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ الَّذِي لَيْسَ لَهُ خَطِيرٌ وَلَا نَظِيرٌ مِنَ الْعِبَادِ. وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَخَوَيْنِ، وَكَانَ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَسَدُ اللَّهِ، وَأَسَدُ رَسُولِهِ، وَعَمُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَوَيْنِ، وَإِلَيْهِ أَوْصَى حَمْزَةُ يَوْمَ أُحُدٍ، وَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ذُو الْجَنَاحَيْنِ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ أَخَوَيْنِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: كَانَ جَعْفَرٌ يَوْمَئِذٍ غَائِبًا بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ وَخَارِجَةُ بْنُ زَيْدٍ الْخَزْرَجِيُّ أَخَوَيْنِ، وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ أَخَوَيْنِ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَسَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ أَخَوَيْنِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَسَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ أَخَوَيْنِ وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ
পৃষ্ঠা - ২২৭১
وَسَلَمَةُ بْنُ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍ أَخَوَيْنِ، وَيُقَالُ: بَلْ كَانَ الزُّبَيْرُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ أَخَوَيْنِ، وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَأَوْسُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ الْمُنْذِرِ النَّجَّارِيُّ أَخَوَيْنِ، وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَكَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَخَوَيْنِ، وَسَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ أَخَوَيْنِ، وَمُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَأَبُو أَيُّوبَ أَخَوَيْنِ، وَأَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ وَعَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ أَخَوَيْنِ، وَعَمَّارُ وَحُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ الْعَبْسِيُّ حَلِيفُ عَبْدِ الْأَشْهَلِ أَخَوَيْنِ، وَيُقَالُ: بَلْ كَانَ عَمَّارٌ وَثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَخَوَيْنِ. قُلْتُ: وَهَذَا أَنْسَبُ مِنْ وَجْهَيْنِ. قَالَ: وَأَبُو ذَرٍّ بُرَيْرُ بْنُ جُنَادَةَ وَالْمُنْذِرُ بْنُ عَمْرٍو الْمُعْنِقُ لِيَمُوتَ أَخَوَيْنِ، وَحَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ وَعُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ أَخَوَيْنِ، وَسَلْمَانُ وَأَبُو الدَّرْدَاءِ أَخَوَيْنِ، وَبِلَالٌ وَأَبُو رُوَيْحَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْخَثْعَمِيُّ ثُمَّ أَحَدُ الْفَزَعِ أَخَوَيْنِ. قَالَ: فَهَؤُلَاءِ مِمَّنْ سُمِّيَ لَنَا مِمَّنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخَى بَيْنَهُمْ مِنْ أَصْحَابِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. قُلْتُ: وَفِي بَعْضِ مَا ذَكَرَهُ نَظَرٌ، أَمَّا مُؤَاخَاةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلِيٍّ، فَإِنَّ مِنَ
পৃষ্ঠা - ২২৭২


সুহাজির আনসার

আরো যীদেরকে তিনি ভ্রাতৃতৃ বন্ধনে আবদ্ধ
করেছিলেন, র্তারা হচ্ছেন :

তার আসল নাম ছিল
উয়ায়মির ইবন ছালাবা

হযরত বিলাল (রা) আবু রুয়ায়হা (বা)
(মতান্তরে উবায়দা ইবন হারিছ ইবন ঘুত্তালিব)

রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাহাবীদের মধ্য থেকে যাদের মধ্যে ভ্রাতৃৎ বন্ধন স্থাপন করেন,
তাদের মধ্যে এ নামগুলো আমাদের নিকট উল্লেখ করা হয়েছে ৷

তিনি যা কিছু উল্লেখ করেছেন, তার কোন কোন বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে ৷ নবী
(সা) এবং আলী (রা)-এর ভ্রাতৃতৃ কোন কোন আলিম অস্বীকার করেন এবং তারা এর
বিশুদ্ধতাই স্বীকার করেন না ৷ এ ব্যাপারে তাদের যুক্তি এই যে, এই ভ্রাভৃত্বের বিধান এজন্য
দেয়া হয়েছে যাতে একজন দ্বারা আরেকজন আর্থিক সুবিধা লাভ করতে পারেন এবং একে
অন্যের মধ্যে হৃদ্যতাপুর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে ৷ এ অর্থে তাদের কারো সঙ্গে নবী (না)-এর
ভ্রাতৃতু স্থাপন করার কোন অর্থই হয় না ৷ তেমনি এক মুহাজিরের সঙ্গে অপর মুহাজিরের ভ্রাতৃতৃ
স্থাপনেরও কোন অর্থ হয় না ৷ যেমন হামযা (রা) ও যায়দ ইবন হারিছার মধ্যে ভ্রাতৃত্বের কথা
তিনি উল্লেখ করেছেন ৷ তবে হীা, নবী (সা) হযরত আলী (রা)-এর আর্থিক প্রয়োজন অন্য
কারো উপর ন্যস্ত করেননি ৷ ইতোপুর্বে মুজাহিদ প্রমুখের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
হযরত আলী (রা)-এর পিতা আবু তালিবের জীবদ্দশায় শৈশবকাল থেকেই নবী করীম (না)
হযরত আলী (রা)-এর ব্যয়ভার বহন করে আসছিলেন ৷ অনুরুপভাবে হযরত হামযা তার
আযাদকৃত গোলাম যায়দ ইবন হারিছার দেখাশোনা করতেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ এই
বিবেচনাতেই হয়তো তাদের মধ্যে ভ্রাতৃতু স্থাপন করে দেয়া হয়েছিল ৷

অনুরুপভাবে হযরত জাফর ও হযরত মুআয ইবন জাবাল-এর যে কথা তিনি উল্লেখ
করেছেন, তা-ও সন্দেহাতীত নয় ৷ ইবন হিশাম এদিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন : হযরত জাফর
ইবন আবু তালিব সপ্তম হিজরীর গোড়ার দিকে খায়বর বিজয়কালে হাবশা থেকে (মদীনায়)
আগমন করেন ৷ এ বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে ৷ সুতরাং নবী (না)-এর মদীনা আগমনের
শুরুতেই তীর এবং মুআয ইবন জানান-এর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ স্থাপন করা কিরুপে হতে পারে ? তবে
হীড়া, একথা বলা যেতে পারে যে, নবী (সা) তাদের মধ্যে ভ্রাতৃতু স্থাপনের ব্যবস্থা তখনই
করেছিলেন, যখন জাফর (মদীনায়) আগমন করেন ৷ আবু উবায়দা এবং সাআদ ইবন
মুআয-এর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ স্থাপনের যে কথা তিনি উল্লেখ করছেন, তা ইমাম আহমদের বর্ণনার
পরিপন্থী ৷ তিনি আবদুস সামাদ সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আবু উবায়দা ইবন জাররাহ এবং আবু তালহার মধ্যে ভ্রাতৃতু স্থাপন করেন ৷ অনুরুপভাবে


الْعُلَمَاءِ مِنْ يُنْكِرُ ذَلِكَ وَيَمْنَعُ صِحَّتَهُ، وَمُسْتَنَدُهُ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذِهِ الْمُؤَاخَاةَ إِنَّمَا شُرِعَتْ لِأَجْلِ ارْتِفَاقِ بَعْضِهِمْ مِنْ بَعْضٍ، وَلِيَتَأَلَّفَ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ عَلَى بَعْضٍ، فَلَا مَعْنَى لِمُؤَاخَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَحَدٍ مِنْهُمْ، وَلَا مُهَاجِرِيٍّ لِمُهَاجِرِيٍّ آخَرَ، كَمَا ذَكَرَهُ مِنْ مُؤَاخَاةِ حَمْزَةَ وَزَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَجْعَلْ مَصْلَحَةَ عَلِيٍّ إِلَى غَيْرِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ مِمَّنْ يُنْفِقُ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صِغَرِهِ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ أَبِي طَالِبٍ، كَمَا تَقَدَّمَ عَنْ مُجَاهِدٍ وَغَيْرِهِ. وَكَذَلِكَ يَكُونُ حَمْزَةُ قَدِ الْتَزَمَ بِمَصَالِحِ مَوْلَاهُمْ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ فَآخَاهُ بِهَذَا الِاعْتِبَارِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا ذِكْرُهُ لِمُؤَاخَاةِ جَعْفَرٍ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ فِيهِ نَظَرٌ، كَمَا أَشَارَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ; فَإِنَّ جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ إِنَّمَا قَدِمَ فِي فَتْحِ خَيْبَرَ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، فَكَيْفَ يُؤَاخِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ أَوَّلَ مَقْدِمِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى الْمَدِينَةِ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يُقَالَ: أَنَّهُ أُرْصِدَ لِأُخُوَّتِهِ إِذَا قَدِمَ حِينَ يَقْدَمُ. وَقَوْلُهُ: وَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَسَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ أَخَوَيْنِ: مُخَالِفٌ لِمَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخَى بَيْنَ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجِرَاحِ وَبَيْنَ أَبِي طَلْحَةَ.» وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ الشَّاعِرِ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ،
পৃষ্ঠা - ২২৭৩
بِهِ. وَهَذَا أَصَحُّ مِمَّا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مِنْ مُؤَاخَاةِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَسَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ كَيْفَ آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ، وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: «آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ.» وَقَالَ أَبُو جُحَيْفَةَ: «آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا» . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فَآخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيِّ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يُنَاصِفَهُ أَهْلَهُ وَمَالَهُ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، دُلَّنِي عَلَى السُّوقِ. فَرَبِحَ شَيْئًا مِنْ أَقِطٍ وَسَمْنٍ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَيَّامٍ وَعَلَيْهِ وَضَرٌ مِنْ صُفْرَةٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَهْيَمْ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ؟ " قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ. قَالَ: " فَمَا سُقْتَ فِيهَا؟ " قَالَ: وَزْنُ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ ".» تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ عَنْ حُمَيْدٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، ثَنَا ثَابِتٌ وَحُمَيْدٌ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২২৭৪


ইমাম মুসলিম এককভাবে হাজ্জাজ ইবন শাইর সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ আবু উবায়দা এবং সাআদ
ইবন মুআয (রা)-এর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ বিষয়ে ইবন ইসহাক যা কিছু উল্লেখ করেছেন, তা থেকে
এটাই ৰিশুদ্ধতর ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

নবী (সা) তার সাহাবীদের মধ্যে কিভাবে ভ্রাতৃতৃ স্থাপন করেন, যে বিষয়ে উল্লেখ করতে
গিয়ে ইমাম বুখারী আবদুর রহমান ইবন আওফ-এর উক্তি উদ্ধৃত করেন : আমরা মদীনায়
আগমন করলে নবী (সা) আমার এবং সাআদ ইবন রাবী-এর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ স্থাপন করেন ৷ আর
আবু জুহায়ফা বলেন : নবী (সা) সালমান ফারসী এবং আবু দারদার মধ্যে ভ্রাতৃতৃ স্থাপন
করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ সুত্রে আনড়াস (বা) থেকে বর্ণনা করে তিনি বলেন : আবদুর
রহমান ইবন আওফ (মদীনায়) আগমন করলে নবী (সা) তার এবং সাআদ ইবন রাবী
আনসারীর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করেন ৷ তখন হযরত সাআদ তার সম্পদ এবং ত্রীদেরকে
সমভাবে বন্টন করে নেয়ার জন্য আবদুর রহমান ইবন আওফের নিকট প্রস্তাব পেশ করলে
আবদুর রহমান বলেন : আপনার সম্পদ ও পরিবারে আল্লাহ বরকত দান করুন, আপনি বরং
আমাকে বাজারের পথ দেখিয়ে দিন ৷ ফলে তিনি ঘি এবং পনিরের ব্যবসা দ্বারা কিছু লাভ
করেন ৷ কিছুদিন পর তার গায়ে হলুদের চিহ্ন দেখে নবী (সা) জিজ্ঞেস করেন, আবদুর রহমান,
এটা কি : তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এক আনসারী মহিলাকে আমি বিবাহ করেছি ৷ রাসুল
(সা) সিজ্ঞেস করলেন : কী পরিমাণ মহর দিয়ে তাকে বিবাহ করেছ ? তিনি বলেন, এক খেজুর
বীচির পরিমাণ স্বর্ণ ৷ নবী (সা) র্তাকে বললেন : একটি বকরী দ্বারা হলেও তুমি ওলীমার
আয়োজন করবে ৷ এই সুত্রে ইমাম বুখারী হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারী
অন্যত্রও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম মুসলিমও হুমায়দ সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

আর ইমাম আহমদ আফ্ফান সুত্রে আনাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন : আবদুর রহমান ইবন
আওফ মদীনায় আগমন করলে নবী (সা) তার এবং সাআদ ইবন রাবী আনসারীর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ
স্থাপন করেন ৷ তখন হযরত সাআদ (রা) হযরত আবদুর রহমান ইবন আওফকে বললেন, হে
ভ্রাতা আমি মদীনাবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ৷ আমার সম্পদ থেকে আপনি অর্ধেক
গ্রহণ করুন ৷ আমার দু’জন শ্রী রয়েছে, এদের মধ্যে যাকে আপনার পসন্দ হয়, আমি তাকে
তালাক দেবাে, আপনি তাকে শ্রী হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন ৷ আবদুর রহমান (রা) বললেন :
আপনার পরিবার-পরিজন এবং সহড়ায়-সম্পদে আল্লাহ বরকত দান করুন, আপনারা বরং
আমাকে বাজারের পথ দেখিয়ে দিন ৷ লোকেরা তাকে বাজারের পথ দেখিয়ে দিলে তিনি বাজারে
গিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করেন এবং লাভের অংশ থেকে কিছু ঘি ও পনির নিয়ে আসেন ৷ এরপর
আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি কিছুকাল অবস্থান করেন ৷ এরপর (একদিন) তিনি আগমন করেন, আর
তার শরীরে রয়েছে জাফরান বঙ্গের চিহ্ন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটা কি : তিনি বললেন :
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমি এক মহিলাকে বিবাহ করেছি ৷ রাসুল (সা) বললেন : তাকে কত মহরানা
দিয়েছ ? তিনি বললেন : এক খেজুর বীচি পরিমাণ স্বর্ণ ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
একটা বকরী দ্বারা হলেও ওলীমার আয়োজন কর ৷ আবদুর রহমান বলেন আমি নিজেকে
(এমন অবস্থায়) দেখতে পাই যে, আমি একটি পাথর হাতে নিলে তা-ও স্বর্ণ-রৌণ্যে পরিণত


أَنَسٍ، «أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَآخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيِّ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: أَيْ أَخِي، أَنَا أَكْثَرُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مَالًا; فَانْظُرْ شَطْرَ مَالِي فَخُذْهُ، وَتَحْتِي امْرَأَتَانِ فَانْظُرْ أَيُّهُمَا أَعْجَبُ إِلَيْكَ حَتَّى أُطَلِّقَهَا. فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، دُلُّونِي عَلَى السُّوقِ. فَدَلُّوهُ فَذَهَبَ فَاشْتَرَى وَبَاعَ فَرَبِحَ، فَجَاءَ بِشَيْءٍ مِنْ أَقِطٍ وَسَمْنٍ، ثُمَّ لَبِثَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَلْبَثَ، فَجَاءَ وَعَلَيْهِ رَدْعُ زَعْفَرَانٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَهْيَمْ؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولُ اللَّهِ، تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً. قَالَ: " مَا أَصْدَقْتَهَا؟ قَالَ: وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ. قَالَ: أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي وَلَوْ رَفَعْتُ حَجَرًا لَرَجَوْتُ أَنْ أُصِيبَ ذَهَبًا وَفِضَّةً» وَتَعْلِيقُ الْبُخَارِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ غَرِيبٌ; فَإِنَّهُ لَا يُعْرَفُ مُسْنَدًا إِلَّا عَنْ أَنَسٍ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ أَنَسٌ تَلَقَّاهُ عَنْهُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «قَالَ الْمُهَاجِرُونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا رَأَيْنَا مِثْلَ قَوْمٍ قَدِمْنَا عَلَيْهِمْ أَحْسَنَ مُوَاسَاةً فِي
পৃষ্ঠা - ২২৭৫
قَلِيلٍ، وَلَا أَحْسَنَ بَذْلًا مِنْ كَثِيرٍ، لَقَدْ كَفَوْنَا الْمَؤُونَةَ، وَأَشْرَكُونَا فِي الْمَهْنَأِ حَتَّى لَقَدْ خَشِينَا أَنْ يَذْهَبُوا بِالْأَجْرِ كُلِّهِ. قَالَ: " لَا، مَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِمْ، وَدَعَوْتُمُ اللَّهَ لَهُمْ ".» هَذَا حَدِيثٌ ثُلَاثِيُّ الْإِسْنَادِ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَلَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ ثَابِتٌ فِي الصَّحِيحِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، ثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «قَالَتِ الْأَنْصَارُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اقْسِمْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ إِخْوَانِنَا النَّخِيلَ. قَالَ: " لَا ". قَالُوا: تَكْفُونَا الْمَؤُونَةَ وَنَشْرَكْكُمْ فِي الثَّمَرَةِ. قَالُوا: سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا.» تَفَرَّدَ بِهِ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْأَنْصَارِ: " إِنَّ إِخْوَانَكُمْ قَدْ تَرَكُوا الْأَمْوَالَ وَالْأَوْلَادَ وَخَرَجُوا إِلَيْكُمْ ". فَقَالُوا: أَمْوَالُنَا بَيْنَنَا قَطَائِعُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَ غَيْرُ ذَلِكَ؟ ". قَالُوا: وَمَا ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " هُمْ قَوْمٌ لَا يَعْرِفُونَ الْعَمَلَ فَتَكْفُونَهُمْ وَتُقَاسِمُونَهُمُ الثَّمَرَ ". قَالُوا: نَعَمْ» . وَقَدْ ذَكَرْنَا مَا وَرَدَ مِنَ الْأَحَادِيثِ
পৃষ্ঠা - ২২৭৬


হবে বলে আশা করি ৷ ইমাম বুখাবী আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে হাদীছটি মুআল্লাকরুপে
বর্ণনা করেছেন, যা গরীব পর্যায়ের ৷ কারণ, কেবল আনাস সুত্রেই হাদীছটি বর্ণিত ৷ এটাও সম্ভব
যে, তিনি হাদীছটি আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে শুনেছেন ৷

ইমাম আহমদ ইয়ড়াসীদ সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন মুহাজিররা বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমরা যে সম্প্রদায়ের নিকট আগমন করেছি, তাদের মধ্যে স্বল্প সম্পদ নিয়ে
অধিক সহমর্মিতা জ্ঞাপন করতে এবং বেশী সম্পদ থেকে বেশী ব্যয় করতে (আনসারদের
চাইতে অধিকতর তৎপর অন্য কোন সম্প্রদায়কে) আমরা দেখিনি ৷ তারা তো আমাদেরকে
জীবিকা সম্পর্কে চিন্তামুক্ত করে দিয়েছে এবং উৎপাদনে আমাদেরকে অংশীদার করে নিয়েছে ৷
এমনকি শেষ পর্যন্ত আমাদের আশংকা আগে যে, তারা বুঝি সমস্ত ছওয়াবই নিয়ে যাবে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, যতদিন তোমরা তাদের শুকরিয়া আদায় করবে এবং তাদের জন্য
আল্লাহর নিকট দুআ করতে থাকবে, ততদিন তা হবে না ৷ বৃখারী--মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী
হাদীছটি (মুহাদ্দিছদের পরিভাষায়) সৃলাসী হাদীছ ৷ সিহড়াহ্ সিত্তাহ্র সংকলকদের মধ্যে অন্য
কেউ এই সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেননি ৷ বিশুদ্ধ হাদীছেব মধ্যে এটা অন্য রাবী থেকেও বর্ণিত
হয়েছে ৷ ইমাম বুখারী হাকাম ইবন নাফি সুত্রে আবু হুরায়রা (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন, আনসাররা বললেন যে, (হে আল্লাহর রাসুল ৷) আমাদের এবং (ঘুহাজির) ভাইদের
মধ্যে খেজুর বাগান বণ্টন করে দিন ৷ রাসুল (সা) বললেন, না ৷ তখন আনসারগণ বললেন :
তবে তোমরা আমাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পরিশ্রম করবে আর আমরা তোমাদেরকে ফলনে
অংশীদার করে নেবাে? মুহাজিরগণ বললেন, ঠিক আছে, আমরা মেনে নিলাম ৷

ইমাম বুখারী এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন
আসলাম বলেন, আনসারগণকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) লক্ষ্য করে বলেন : তোমাদের মুহাজির
ভাইয়েরা তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি রেখে তোমাদের কাছে এসেছে ৷ তখন আনসারগণ
বললেন : আমাদের সম্পদ আমাদের উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বণ্টন করে দিন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন : এ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই? আনসারগণ বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! তা কী
হতে পারে : তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তারা এমন এক সম্প্রদায়, যারা কায়িক শ্রম
করতে জানে না; তোমাদেরকে তাদের কাজ করে দিতে হবে এবং ফলন ভাগ করে শেষে ৷ র্তারা
বললেন, হ্যা, তাই হবে ৷ আনসারদের ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যে সব হাদীছ বর্ণিত
হয়েছে : ৷ ’)

-এ আঘাতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে আমরা সেসব আলোচনা করেছি ৷

অনুচ্ছেদঃ আবু উমামা আসআদ ইবন যুরারার ইনতিকাল

আসআদ ইবন যুরারা ইবন আদাস ইবন উবায়দ ইবন ছালাবা ইবন গানাম ইবন মালিক
ইবন নাজ্জার আকাবাব বায়আতের রাত্রে বনু নাজ্জার কাওমের ১২ জন নকীবের অন্যতম ৷
আকাবাব তিনটি বায়আতেই তিনি উপস্থিত ছিলেন ৷ আকাবাব দ্বিতীয় বায়আতের রজনীতে এক
উক্তি মতে তিনিই সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর হাতে বায়আত করেন, আর তখন তিনি ছিলেন


وَالْآثَارِ فِي فَضَائِلِ الْأَنْصَارِ وَحُسْنِ سَجَايَاهُمْ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَالَّذِينَ تَبَوَّءُو الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ} [الحشر: 9] الْآيَةَ. [فَصْلٌ فِي مَوْتِ أَبِي أُمَامَةَ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ] َ بْنِ عُدَسِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ غَنْمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ أَحَدِ النُّقَبَاءِ الِاثْنَيْ عَشَرَ لَيْلَةَ الْعَقَبَةَ عَلَى قَوْمِهِ بَنِي النَّجَّارِ، وَقَدْ شَهِدَ الْعَقَبَاتِ الثَّلَاثَ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ الثَّانِيَةِ فِي قَوْلٍ، وَكَانَ شَابًّا، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ جَمَّعَ بِالْمَدِينَةِ فِي نَقِيعَ الْخَضِمَاتِ فِي هَزْمِ النَّبِيتِ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَهَلَكَ فِي تِلْكَ الْأَشْهُرِ أَبُو أُمَامَةَ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ، وَالْمَسْجِدُ يُبْنَى، أَخَذَتْهُ الذُّبْحَةُ أَوِ الشَّهْقَةُ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " التَّارِيخِ ": أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَوَى أَسْعَدَ بْنَ زُرَارَةَ فِي الشَّوْكَةِ» . رِجَالُهُ ثِقَاتٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ২২৭৭


একজন যুবক ৷ ইভােপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হাঘৃমুন নড়াবীত’ অঞ্চলে নাকীউল খাঘৃমাত’
নামক স্থানে তিনিই সর্বপ্রথম লোকদেরকে নিয়ে মদীনায় জুমুআর নামায আদায় করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : মসজিদে নববী নির্মাণকালের মাসগুলােতে আবু উমামা আসআদ

ইবন যুরারা গলায় বা বুকে ব্যথার কারণে ইনতিকাল করেন ৷ ১ ইবন জারীর তার ইতিহাস গ্রন্থে
উল্লেখ করেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল আলা সুত্রে আনাস (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) আসআদ ইবন যুরারাকে শাওকা’ ব্যাধিতে লোহা গরম করে দাগান ৷

ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর সুত্রে আসআদ ইবন যুরারার উদ্ধৃতি দিয়ে
বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : আবু উমামার মৃত্যু ছিল মদীনায় ইয়ড়াহ্দী এবং আরবের
মুনাফিকদের দৃষ্টিতে অলক্ষুণে মৃত্যু ৷ ইয়াহ্রদী এবং মুনাফিকরা বলতাে (মহাম্মদ সা) নবী হলে
তার সাথী মারা যেতাে না ৷ অথচ আমার নিজেকে এবং আমার কোন সাহাবীকে আল্লাহ্র
পাকড়াও থেকে রক্ষা করার কোন ক্ষমতা আমার নেই ৷ এ বর্ণনার দাবী এই যে, নবী (সা)
মদীনায় আগমনের পর আসআদ ইবন যুরারা সর্বপ্রথম মৃত্যুবরণ করেন ৷ (উসৃদৃল ) পাবাহ গ্রন্থে
আবুল হাসান ইবন আহীর ধারণা করেছেন যে, নবী (না)-এর মদীনায় আগমনের সপ্তম মাস
শাওয়ালে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক অড়াসিম ইবন উমর ইবন
কাতাদার উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে, আসআদ ইবন যুরারার পর বনু নাজ্জারের জন্য
একজন নকীব নির্ধারণের নিমিত্ত তারা রাসুল (না)-এর নিকট আবেদন জানালে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদেরকে বলেন : তোমরা হলে আমার মাতৃকৃলের বংশধর ৷ তোমাদের প্রয়োজন আমি দেখবাে
এবং আমি তোমাদের নকীব ৷ তিনি একজনকে বাদ দিয়ে অন্য জনকে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করা
নাপসন্দ করেন ৷ বনু নাজ্জার অন্যদের উপর এ কারণেই শ্রেষ্ঠতু দাবী করতো যে, স্বয়ং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নকীব ৷ ইবন আহীর বলেন, আসআদ ইবন যুরারা বনু সাইদার নকীব
ছিলেন বলে আবু নুআয়ম এবং ইবন মান্দাহ যে উক্তি করেছেন, এই বর্ণনা দ্বারা তা রদ হয়ে
যায় ৷ আসলে তিনি নকীব ছিলেন বনু নাজ্জারের ৷ তাই ইবন আহীর যা বলেছেন, ঠিকই
বলেছেন ৷ আর ইবন জারীর তাবারী তার ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, নবী করীম
(সা)এর মদীনায় আগমনের পর মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইনতিকাল করেন তার গৃহের
মালিক কুলছুম ইবন হিদম ৷ রাসুলের মদীনায় আগমনের অল্পকাল পরই ইনি ইনতিকাল
করেন ৷ এরপর আসআদ ইবন যুরারার মৃত্যু হয় ৷ রাসুলের আগমনের বছর গলা ব্যথা বা বুকে
ব্যথার কারণে মসজিদে নববীর নির্মাণকালে তার মৃত্যু হয় ৷ আমার মতে, কুলছুম ইবন হিদম

ইবন ইম্রাউল কায়স ইবন হারিছ ইবন যায়দ ইবন উবায়দ ইবন যায়দ ইবন মালিক ইবন
আওফ ইবন আমর ইবন আওফ ইবন মালিক ইবন আওস আল-আনসারী আলআওসী ছিলেন
বনু আমর ইবন আওফের অন্তর্ভুক্ত ৷ তিনি ছিলেন অতিশয় বৃদ্ধ এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
মদীনায় আগমনের পুর্বেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন
করে করার অবস্থানকালে রাত্রিবেলা তার বাড়ীতেই অবস্থান করেন ৷ দিনের বেলা সাহাবীদের



১ ওয়াকিদী বলেন, হিজরতের নবম মাসের গোড়ার দিকে শাওয়াল মাসে আসআদ ইবন যুরারা ইনতিকাল
করেন ৷ আর এ ঘটনা বদর যুদ্ধের পুর্বের ৷


حَزْمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِئْسَ الْمَيِّتُ أَبُو أُمَامَةَ لِيَهُودَ وَمُنَافِقِي الْعَرَبِ; يَقُولُونَ: لَوْ كَانَ نَبِيًّا لَمْ يَمُتْ صَاحِبُهُ. وَلَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي وَلَا لِصَاحِبِي مِنَ اللَّهِ شَيْئًا» . وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ مَاتَ بَعْدَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ زَعَمَ أَبُو الْحَسَنِ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " أُسْدِ الْغَابَةِ ": أَنَّهُ مَاتَ فِي شَوَّالٍ بَعْدَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَبْعَةِ أَشْهُرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، «أَنَّ بَنِي النَّجَّارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقِيمَ لَهُمْ نَقِيبًا بَعْدَ أَبِي أُمَامَةَ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ، فَقَالَ: " أَنْتُمْ أَخْوَالِي، وَأَنَا بِمَا فِيكُمْ وَأَنَا نَقِيبُكُمْ ".» وَكَرِهَ أَنْ يَخُصَّ بِهَا بَعْضَهُمْ دُونَ بَعْضٍ. فَكَانَ مِنْ فَضْلِ بَنِي النَّجَّارِ الَّذِي يَعْتَدُّونَ بِهِ عَلَى قَوْمِهِمْ، أَنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَقِيبَهُمْ. قَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ: وَهَذَا يَرُدُّ قَوْلَ أَبِي نُعَيْمٍ وَابْنِ مَنْدَهْ، فِي قَوْلِهِمَا: إِنَّ أَسْعَدَ بْنَ زُرَارَةَ كَانَ نَقِيبًا عَلَى بَنِي سَاعِدَةَ. إِنَّمَا كَانَ عَلَى بَنِي النَّجَّارِ. وَصَدَقَ ابْنُ الْأَثِيرِ فِيمَا قَالَ. وَقَدْ قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ فِي " التَّارِيخِ ": كَانَ أَوَّلَ مَنْ تُوَفِّي بَعْدَ مَقْدَمِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْمَدِينَةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - فِيمَا ذُكِرَ - صَاحِبُ مَنْزِلِهِ كُلْثُومُ بْنُ الْهِدْمِ، لَمْ يَلْبَثْ بَعْدَ مَقْدَمِهِ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى مَاتَ، ثُمَّ تُوُفِّيَ بَعْدَهُ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي سَنَةِ مَقْدَمِهِ قَبْلَ أَنْ يَفْرَغَ بِنَاءُ الْمَسْجِدِ بِالذُّبْحَةِ أَوِ الشَّهْقَةِ.
পৃষ্ঠা - ২২৭৮


সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন সাআদ ইবন রাবী-এর গৃহে ৷ সেখান থেকে বনু নাজ্জারের পল্লীতে
যাওয়ার কথা ইতােপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ইবন আহীর বলেন, কথিত আছে যে, রাসুলের
মদীনা আগমনের পর মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি ইনতিকাল করেন, তিনি ছিলেন কুলছুম
ইবন হিদম ৷ এরপর মৃত্যু হয় আসআদ ইবন যুরারার ৷ ঐতিহাসিক তাবারীও একথা উল্লেখ
করেছেন ৷

অনুচ্ছেদ
হিজরী সনের শাওয়াল মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর জন্ম প্রসঙ্গে

হিজরতের পর মুহড়াজিরদের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী প্রথম সন্তান ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ্
ইবন যুবায়র, যেমন আনসারদের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী প্রথম সন্তান ছিলেন নুমান ইবন বাশীর ৷
কেউ কেউ ধারণা করেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র হিজরতের ২০ মাস পরে জন্মগ্রহণ
করেন ৷ এটা আবুল আসওয়াদের উক্তি ৷ ঐতিহাসিক ওয়াকিদী মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রে
তার পিতা এবং পিতামহের উদ্ধৃতি দিয়ে এটি বর্ণনা করেন ৷ একদল ঐতিহাসিক ধারণা করেন
যে, নুমান ইবন বাশীর আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র-এর ৬ মাস পুর্বে হিজরতের ১৪ মাসের মাথায়
জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ বিশুদ্ধ মত ভাই, যা আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷

ইমাম বুখারী (র) যাকারিয়ড়া ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রে আসমা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আবদৃল্লাহ্ ইবন যুবায়রকে গর্ভে নিয়ে আমি হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হই এবং মদীনায়
এসে কুবায় অবস্থান করি এবং এখানেই সন্তানের জন্ম হলে তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
নিয়ে এলে তিনি নবজাত শিশুকে কোলে তুলে নেন এবং খেজুর নিয়ে আসতে বলেন ৷ খেজুর
নিয়ে এসে তিনি তা চিবিয়ে সন্তানের মুখে তুলে দেন ৷ তাই সর্বপ্রথম যে বন্তুটি শিশুর পেটে
যায় তা ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাবিত্র মুখের লালা ৷ এরপর খেজুর চিবিয়ে শিশুর মুখে দেন
এবং এ সময় তিনি শিশুর জন্য বরকতের দুআ করেন ৷ তিনি ছিলেন হিজরতের পর প্রথম
মুসলিম সন্তান ৷

খালিদ ইবন মাখলাদ আসমা থেকে বর্ণনা করেন যে, আসমা (রা) হিজরতকালে অন্তঃসত্ত্বা
ছিলেন ৷ কুতড়ায়বা সুত্রে আইশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, মদীনায় মুসলিম
সমাজে যে শিশু সন্তানটি সর্বপ্রথম জন্মগ্রহণ করে, সে ছিল আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র ৷ শিশুটিকে
নবী (না)-এর নিকট আনা হলে নবী (সা) খেজুর নিয়ে তা চিবিয়ে শিশুর মুখে তুলে দেন ৷ তাই
প্রথম যে বন্তুটি শিশুর পেটে যায়, তা জ্জি নবী (না)-এর পবিত্র মুখের লালা ৷ এটা ওয়াকিদীর
মতকে খণ্ডন করে ৷ কারণ, তিনি উল্লেখ করেন যে, নবী (সা) আবদুল্লাহ্ ইবন আরীকত-এর
সঙ্গে যায়দ ইবন হারিছা এবং আবু রাফিকে মক্কা প্রেরণ করেন, যাতে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এবং আবু বকর (রা)-এর পরিবার-পরিজনকে নিয়ে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হিজরতের
পর তারা তাদেরকে নিঃয় আসেন এবং আসমা তখন অন্তঃসত্ত্ব৷ ছিলেন ৷ আসমার সন্তান প্রসব
তখন আসন্ন ছিল ৷ তিনি সন্তান প্রসব করলে নবজাতকের জন্যে উৎফুল্ল হয়ে মুসলমানগণ এক
বিরাট তাক্বীর ধ্বনি তোলেন ৷ কারণ, ইয়াহুদীদের পক্ষ হতে মুসলমানদের নিকট এ খবর


قُلْتُ: وَكُلْثُومُ بْنُ الْهِدْمِ بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، وَهُوَ مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا أَسْلَمَ قَبْلَ مَقْدَمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، وَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَنَزَلَ بِقُبَاءَ، نَزَلَ فِي مَنْزِلِ هَذَا فِي اللَّيْلِ، وَكَانَ يَتَحَدَّثُ بِالنَّهَارِ مَعَ أَصْحَابِهِ فِي مَنْزِلِ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِلَى أَنِ ارْتَحَلَ إِلَى دَارِ بَنِي النَّجَّارِ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ: وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ مَاتَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بَعْدَ مَقْدَمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ بَعْدَهُ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ. ذَكَرَهُ الطَّبَرِيُّ. [فَصْلٌ فِي مِيلَادِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ] فَصْلٌ: فِي مِيلَادِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ الْهِجْرَةِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، كَمَا أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ أَوَّلُ مَوْلُودٍ وُلِدَ لِلْأَنْصَارِ بَعْدَ الْهِجْرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ وُلِدَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ بِعِشْرِينَ شَهْرًا. قَالَهُ أَبُو الْأَسْوَدِ. وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، وَزَعَمُوا أَنَّ النُّعْمَانَ وُلِدَ قَبْلَ الزُّبَيْرِ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ، عَلَى رَأْسِ أَرْبَعَةَ عَشَرَ شَهْرًا مِنَ الْهِجْرَةِ. وَالصَّحِيحُ مَا قَدَّمْنَاهُ.
পৃষ্ঠা - ২২৭৯
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ، «أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَتْ: فَخَرَجْتُ وَأَنَا مُتِمٌّ، فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ، فَنَزَلْتُ بِقُبَاءَ فَوَلَدْتُهُ بِقُبَاءَ، ثُمَّ أَتَيْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعَهُ فِي حِجْرِهِ، ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ فَمَضَغَهَا، ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ، فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ جَوْفَهُ، رِيقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ حَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ، ثُمَّ دَعَا لَهُ وَبَرِّكَ عَلَيْهِ» . وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ. تَابَعَهُ خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ، أَنَّهَا هَاجَرَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ حُبْلَى. حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «أَوَّلُ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَتَوْا بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَمْرَةً فَلَاكَهَا، ثُمَّ أَدْخَلَهَا فِي فِيهِ، فَأَوَّلُ مَا دَخَلَ بَطْنَهُ رِيقُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . فَهَذَا حُجَّةٌ عَلَى الْوَاقِدِيِّ وَغَيْرِهِ; لِأَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُرَيْقِطٍ - لَمَّا رَجَعَ إِلَى مَكَّةَ - زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَأَبَا رَافِعٍ; لِيَأْتُوا بِعِيَالِهِ وَعِيَالِ أَبِي بَكْرٍ، فَقَدِمُوا بِهِمْ أَثَرَ هِجْرَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَسْمَاءُ حَامِلٌ مُتِمٌّ أَيْ مُقْرِبٌ، قَدْ دَنَا وَضْعُهَا لِوَلَدِهَا، فَلَمَّا وَلَدَتْهُ كَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ تَكْبِيرَةً عَظِيمَةً; فَرَحًا بِمَوْلِدِهِ، لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ بَلَغَهُمْ عَنِ الْيَهُودِ أَنَّهُمْ سَحَرُوهُمْ، حَتَّى لَا يُولَدَ لَهُمْ بَعْدَ هِجْرَتِهِمْ وَلَدٌ، فَأَكْذَبَ اللَّهُ الْيَهُودَ فِيمَا زَعَمُوا.
পৃষ্ঠা - ২২৮০


পৌছেছিল যে, তারা মুসলমানদেরকে জাদু করেছে, যার ফলে হিজরতের পর তাদের কোন
সন্তান জন্ম নেবে না ৷ ইয়াহ্রদীদের কল্পিত ধারণাকে আল্লাহ্ মিথ্যা প্রতিপন্ন করলেন ৷

অনুচ্ছেদ
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে ভোলা প্রসঙ্গে

ইমাম আহমদ ওয়াকী সুত্রে হযরত আইশা (রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ হযরত
আইশা (রা),বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শাওয়াল মাসে আমাকে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসে
আমাকে ঘরে তুলে আনেন ৷ তাই রাসুল (সা )-এব সহধর্মিণীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার
চাইতে অধিকতর প্রিয় ছিলেন ? আর এজ্যন্যই হযরত আইশা পসন্দ করতেন যে, শ্ৰীরা শাওয়াল
মাসেই স্বামীগৃহে গমন করুক ৷ মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজা সুফিয়ান ছাওরী সুত্রে
হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং ইমাম তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলে অভিহিত করে মন্তব্য
করেন যে, সুফিয়ান ছাওরীর সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্র হাদীছটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই ৷
এ হাদীছ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী করীম (সা)-এর সঙ্গে হযরত আইশা (রা)-এর বাসর
হিজরতের সাত বা আট মাস পরে হয়েছিল ৷ ইবন জারীর তাবারী এ দু’টি উক্তিই উল্লেখ
করেছেন ৷ ইতোপুর্বে হযরত সাওদার সঙ্গে নবী (সা)-এর বিবাহের বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করা
হয়েছে এবং কিভাবে এ বিবাহ সংঘটিত হয়েছে এবং হযরত আইশার সঙ্গে তার বাসরের
বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর এ বাসর হয় মদীনা আগমনের পর সোকজনের
বর্তমানকালের অভ্যাসের বিপরীতে সুনেহ্’ নামক স্থানে দিনের বেলা ৷ নবী করীম (সা) কর্তৃক
শাওয়াল মাসে হযরত আইশা (রা)-এব সঙ্গে সংগত হওয়ার মধ্যে কিছু লোকের এ ধারণার
প্রতিবাদ রয়েছে যে, দুই ঈদের মধ্যবর্তী কালে (অর্থাৎ শাওয়াল মাসে) নববধুর সঙ্গে সংগত
হলে স্বামী-শ্ৰীর মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার আশংকা থাকে ৷ এ কারণে কেউ কেউ এ সময়ের
মিলনকে না-পসন্দ করতেন ৷ এ কথার কোন ভিত্তি নেই ৷ এ ধরনের উক্তির১ প্রতিবাদ করেই
হযরত আইশা (বা) বলেন : নবী (সা) আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেছেন এবং শাওয়াল
মাসেই আমার সঙ্গে সংগত হয়েছেন ৷ সুতরাং তীর ত্রীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার চেয়ে
প্রিয়তর ? এ থেকে বুঝা যায় যে, হযরত আইশা (বা) বুঝতে পেরেছেন যে, নবী (সা)-এর
শ্রীদের মধ্যে তিনি তার নিকট সবচেয়ে বেশী প্রিয় ৷ তার এ উপলব্ধি যথার্থ ৷ কারণ, এর পক্ষে
স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে ৷ প্রমাণ হিসাবে সহীহ্ বুখারীতে আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত হড়াদীছ
দু’ঢিই যথেষ্ট ৷ উক্ত হাদীছে আছে, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার নিকট প্রিয়তম
ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, আইশা ৷ আমি বললাম , পুরুষদের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে
বেশী প্রিয় ? তিনি বললেন, অইিশার পিতা ৷



১ আবু আসিম বলেন ;; অতীতকালে শাওয়াল মাসে প্লেপ রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে লোকেরা এ মাসে শ্রী
সংপমকে অশুভ কর্ম মনে করতো ৷ তার এ উক্তি ঠিক হয়ে থাকলে এ ধারণা দুর করার জন্যই তিনি
শাওয়াল মাসে শ্রীদের সঙ্গে সংগত হন ৷ ইবন সাআদ তারকাত খ ৮ পৃ , ৬০


[فَصْلٌ: وَبَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَائِشَةَ فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ] فَصْلٌ وَبَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَائِشَةَ فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ، وَبَنَى بِي فِي شَوَّالٍ، فَأَيُّ نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي؟ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَسْتَحِبُّ أَنْ تُدْخِلَ نِسَاءَهَا فِي شَوَّالٍ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ فَعَلَى هَذَا يَكُونُ دُخُولُهُ بِهَا، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بَعْدَ الْهِجْرَةِ بِسَبْعَةِ أَشْهُرٍ أَوْ ثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ. وَقَدْ حَكَى الْقَوْلَيْنِ ابْنُ جَرِيرٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي تَزْوِيجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِسَوْدَةَ كَيْفِيَّةُ تَزْوِيجِهِ وَدُخُولِهِ بِعَائِشَةَ، بَعْدَ مَا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ وَأَنَّ دُخُولَهُ بِهَا كَانَ بِالسُّنْحِ نَهَارًا. وَهَذَا خِلَافُ مَا يَعْتَادُهُ النَّاسُ الْيَوْمَ. وَفِي دُخُولِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِهَا فِي شَوَّالٍ، رَدٌّ لِمَا يَتَوَهَّمُهُ بَعْضُ النَّاسِ مِنْ كَرَاهِيَةِ الدُّخُولِ بَيْنَ الْعِيدَيْنِ خَشْيَةَ الْمُفَارَقَةِ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ২২৮১
الزَّوْجَيْنِ، وَهَذَا لَيْسَ بِشَيْءٍ; لِمَا قَالَتْهُ عَائِشَةُ، رَادَّةً عَلَى مَنْ تَوَهَّمَهُ مِنَ النَّاسِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ: تَزَوَّجَنِي فِي شَوَّالٍ، وَبَنَى بِي - أَيْ دَخَلَ بِي - فِي شَوَّالٍ، فَأَيُّ نِسَائِهِ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي. فَدَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّهَا فَهِمَتْ مِنْهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَنَّهَا أَحَبُّ نِسَائِهِ إِلَيْهِ، وَهَذَا الْفَهْمُ مِنْهَا صَحِيحٌ لِمَا دَلَّ عَلَى ذَلِكَ مِنَ الدَّلَائِلِ الْوَاضِحَةِ، وَلَوْ لَمْ يَكُنْ إِلَّا الْحَدِيثُ الثَّابِتُ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: " عَائِشَةُ ". قُلْتُ: مِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَ: " أَبُوهَا ".»
পৃষ্ঠা - ২২৮২
[فَصْلٌ فِي زِيَادَةِ صَلَاةِ الْحَضَرِ رَكْعَتَيْنِ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - يَعْنِي السَّنَةَ الْأُولَى مِنَ الْهِجْرَةِ - زِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ فِيمَا قِيلَ، رَكْعَتَانِ، وَكَانَتْ صَلَاةُ الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ بِشَهْرٍ، فِي رَبِيعٍ الْآخِرِ لِمُضِيِّ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً مِنْهُ. وَقَالَ: وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّهُ لَا خِلَافَ بَيْنَ أَهْلِ الْحِجَازِ فِيهِ. قُلْتُ: قَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، مِنْ طَرِيقِ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «فُرِضَتِ الصَّلَاةُ أَوَّلَ مَا فُرِضَتْ رَكْعَتَيْنِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ» . وَرُوِيَ مِنْ طَرِيقِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْهَا. وَقَدْ حَكَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، أَنَّ صَلَاةَ الْحَضَرِ أَوَّلَ مَا فُرِضَتْ، فُرِضَتْ أَرْبَعًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ النِّسَاءِ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى {وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ} [النساء: 101] الْآيَةَ.
পৃষ্ঠা - ২২৮৩


অনুচ্ছেদ

ইবন জ বীর বলেন৪ কথিত আছে, এ বছর অর্থাৎ হিজরতে র প্রথম বর্ষে ঘৃকীম অবস্থার
নামাষে দু’ রাক্আত করে বাড়িয়ে দেয়৷ হয় ৷ ইতে তাপুর্বে মুকীম অবস্থায় ও সফরে নামায ছিল
দু’ রাকআত ৷ আর এ ঘটনা ঘটে নবী করীম (সা) এর মদীনায় আগমনের এক মাস পর
রবিউছ ছ৷ ৷নী মাসের ১ ২ তারিখে ৷ ইবন জারীর বলেনঃ ওয়ড়াকিদীর ধারণা মতে হিজাযবাসীদের
মধ্যে এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই ৷

আমার মতে, ম৷ মার সুত্রে হযরত আইশা থেকে বর্ণিত বুখারীর হাদীছ ইভ্রু৩ তাপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ হযরত আইশা বলেন : প্রথমে নামায প্রতি ওয়াকত দু ’রাকআত ফরয করা হয় ৷
সফরকালে দু’ রাকআত বহাল রাখা হয় এবং মুকীম অবস্থায় আরো দুই রাকআত যোগ করা
হয় ৷ শাবী সুত্রেও তিনি এ মর্মে হযরত আইশ৷ (রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম
বায়হাকী হাসান বসরী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মুকীম অবস্থায় শুরুতে চার রাকআত নামায ফরয
করা হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ সুরা নিসা আয়াত-

৷ মুে১ ন্;র্দু চ্ট্রু;ৰু ৷ ট্রুার্পি৷ ’,
যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর কর, তখন নামায কসর করায় তোমাদের কোন দোষ নেই ৷
(৪ : ১০১) এ আঘাতের তাফসীরে আমরা এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি ৷

অনুচ্ছেদ
আযান ও আযানের বিধিবদ্ধতা প্রসঙ্গে

ইবন ইসহড়াক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন মদীনায় ত হলেন এবং মুহাজির ও
নেতৃস্থানীয় আনসারগণ যখন তার পাশে সমবেত হলেন এবং ইসলাম যখন দৃঢ়তা-স্থিরত৷ লাভ
করলো, তখন নামায কাইম হল, বোমা ও যাকাত ফরয করা হলো, হুদুদ তথা শরীআতের
দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা হলো, হালাল-হারামেব বিধান জারী করা হলো এবং ইসলাম তাদের মধ্যে
সুদৃঢ় আসন করে নিল ৷ আর আনসাররা ছিলেন সেই গোত্র, যারা পুর্ব থেকেই মদীনায় বসবাস
করতেন এবং ঈমান আনয়ন করেছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন মদীনায় আগমন করলেন
তখন কোন রকম আহ্বান ছা ৷ড়াই নামাষের সময় হলে লোকেরা তার নিকট সমবেত হতো ৷ এ
সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা,বলেন ইয়াহুদীদের শিঙ৷ বা বিউগলের মতে ৷ তিনিও কিছু একটা
বানারেন, যা দিয়ে ইয়াহুদীর৷ তাদের লোকজনকে তাদের প্রার্থনার দিকে ডাকে ৷ পরে তিনি
এটা অপসন্দ করেন ৷ এরপর তিনি নাকুস (তৈয়ার করার) নির্দেশ দিলেন, যাতে তার আওয়াজ
দ্বারা লোকজনকে মুসলমানদেরকে নামাষের জন্য ডাকা যায় ৷ তারা যখন এসব চিত্তা-ভাবনা
করছিলেন এমন সময় বিলহারিস ইবন খাযরাজের অন্যতম সদস্য আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন
ছালাব৷ ইবন আবৃদ রাব্বিহী স্বপ্নযোপে সালাতের জন্য আহ্বানের ধরন দেখতে পান ৷ তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপ ত হয়ে বলতে লাগলেন : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আজ রাত্রে আমার
নিকট একজন আগন্তুক আগমন করে ৷ লোকটির গায়ে দুটো সবুজ বস্ত্র ৷ তার হাতে ছিল
নাকুস ৷ আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা৷ তুমি কি এ নাকুস বিক্রয় করবে ? লোকটি


[فَصْلٌ فِي الْأَذَانِ وَمَشْرُوعِيَّتِهِ] ِ عِنْدَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ النَّبَوِيَّةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «فَلَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ إِخْوَانُهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَاجْتَمَعَ أَمْرُ الْأَنْصَارِ، اسْتَحْكَمَ أَمْرُ الْإِسْلَامِ، فَقَامَتِ الصَّلَاةُ وَفُرِضَتِ الزَّكَاةُ وَالصِّيَامُ، وَقَامَتِ الْحُدُودُ، وَفُرِضَ الْحَلَالُ وَالْحَرَامُ، وَتَبَوَّأَ الْإِسْلَامُ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ، وَكَانَ هَذَا الْحَيُّ مِنَ الْأَنْصَارِ هُمُ الَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ، وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَهَا، إِنَّمَا يَجْتَمِعُ النَّاسُ إِلَيْهِ لِلصَّلَاةِ لِحِينِ مَوَاقِيتِهَا بِغَيْرِ دَعْوَةٍ، فَهَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلَ بُوقًا كَبُوقِ يَهُودَ الَّذِي يَدْعُونَ بِهِ لِصَلَاتِهِمْ، ثُمَّ كَرِهَهُ، ثُمَّ أَمَرَ بِالنَّاقُوسِ فَنُحِتَ لِيَضْرِبَ بِهِ لِلْمُسْلِمِينَ لِلصَّلَاةِ، فَبَيْنَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ، رَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ أَخُو بَلْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ النِّدَاءَ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ طَافَ بِي هَذِهِ اللَّيْلَةَ طَائِفٌ، مَرَّ بِي رَجُلٌ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ، يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ، فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، أَتَبِيعُ هَذَا النَّاقُوسَ؟ فَقَالَ: وَمَا تَصْنَعُ بِهِ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلَاةِ. قَالَ: أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ؟ قُلْتُ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: تَقُولُ: اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ২২৮৪


বললো : এটা দিয়ে তুমি কী করবে ? আমি বললাম, এ দিয়ে আমি (লোকজনকে) নামাযেব জন্য
আহ্বান জানাবাে ৷ লোকটি বললো৪ আমি কি তোমাকে এর চেয়েও উত্তম বস্তুর সন্ধান দেব ?
আমি বললাম, তা কি ? সে বললো, (তা এই যে,) তুমি বলবে ;?

আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার
আল্পাহু আকবার আল্লাহ আকবার
আশহাদৃ আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
আশহাদু আল্লাহ্ ইলাহা ইল্পাল্পাহ্
আশহাদৃ আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্পাহ্
হাইয়্যা আলাস সালাহ্ হাইয়্যা আলাস সালাহ্
হাইয়্যা আলাল ফালাহ হাইয়্যা আলাল ফালাহ
আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আল্লাহ্ চাহে তো এটা সত্য স্বপ্ন ৷ তুমি বিলালের পাশে র্দাড়াও
এবং আযানের বাক্যগুলো শিখিয়ে দাও, যাতে করে যে, এ বাক্যগুলাে দ্বারা আধান দেয় ৷
কারণ, সে তোমার চেয়ে উচ্চকন্ঠ ৷ বিলাল এ বাক্যগুলাে দ্বারা আযান দিলে উমর ইবন খাত্তাব
গৃহ থেকেই তা শুনতে পান ৷ তিনি চাদর টানতে ৷নতে ঘর থেকে বের হয়ে রাসুলের প্রতি ছুটে
এসে বললেন : ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ! সে পবিত্র সত্তাব শপথ, যিনি আপনাকে সতাসহ প্রেরণ

করেছেন, তিনি যা স্বপ্নে দেখেছেন, অনুরুপ আমিও দেখেছি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ৷
ঐতিহাসিক ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম ইবন হারিছ মুহাম্মদ ইবন

আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ ইবন ছালাবা ইবন আবদ রাব্বিহী তার পিতা সুত্রে আমার নিকট এ
হড়াদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ, তিবমিযী, ইবন মাজাহ এবং ইবন থুযায়মা বিভিন্ন সুত্রে
হড়াদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং তিবমিযী ইবন খুযায়মা প্রমুখ হড়াদীছটি সহীহ্ তথা বিশুদ্ধ ও
নিভুলি বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷ ইমাম আবুদাউদের মতে তাকে ইকামড়াতও শিক্ষা দেয়া হয় ৷
তিনি বলেন, ইকামাতে বলবে-

আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার

আশহাদৃ আল্লাহ্ ইলাহা ইল্লাল্লাহ্

আশহাদৃ আন্না মুহাম্মাদাব রাসুলুল্পাহ্
হাইয়্যা আলড়াস সালাহ্

হাইয়্যা আলাল ফালাহ


اللَّهُ، أَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَلَمَّا أَخْبَرَ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٍّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَقُمْ مَعَ بِلَالٍ فَأَلْقِهَا عَلَيْهِ فَلْيُؤَذِّنْ بِهَا; فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ ". فَلَمَّا أَذَّنَ بِهَا بِلَالٌ سَمِعَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ، فَخَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ، لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَلِلَّهِ الْحَمْدُ ".» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ، عَنْ أَبِيهِ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، وَابْنُ خُزَيْمَةَ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ خُزَيْمَةَ وَغَيْرُهُمَا. وَعِنْدَ أَبِي دَاوُدَ أَنَّهُ عَلَّمَهُ الْإِقَامَةَ، قَالَ: «ثُمَّ تَقُولُ إِذَا أَقَمْتَ الصَّلَاةَ: اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ،
পৃষ্ঠা - ২২৮৫


কাদ কামাতিম সালাহ

কাদ কামাতিম সালাহ
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্!

ইমাম ইবন মাজা হাদীছটি আবু উবায়দ মুহাম্মদ ইবন উবায়দ ইবন মায়মুন থেকে মুহাম্মদ
ইবন সালামা সুত্রে ইবন ইসহাক থেকে পুর্বোক্তের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর তিনি
বলেন : আবু উবায়দ বলেছেন যে, আবু বকর আল-হাকামী আমাকে জানান যে, আবদৃল্লাহ্
ইবন য়ায়দ আল-আনসারী এ প্রসঙ্গে বলেন :

এেএ ন্ঠো এে

এক্রো ধ্ণ্ই

আযানের জন্য মহান আল্লাহ যুল-জালাল ওয়াল ইকরামের অশেষ শুকরিয়া ৷

হঠাৎ আমার নিকট আগমন করে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সুসংবড়াদদাতা, যিনি আমার নিকট
সুসংবাদ নিয়ে আসেন, তিনি কতই না উত্তম !

একের পর এক তিনরজনী তিনি আগমন করেন সে সংবাদ নিয়ে এবং যখনই তিনি
আগমন করেছেন আমার মর্যাদা বৃদ্ধিই করেছেন ৷

আমি বলি এ কবিতামালা তো বিস্ময়কর ৷ এ কবিতার দাবী এই যে, তিনি তিন রজনী স্বপ্নে
দেখেন, পরে তিনি এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবহিত করেছেন ৷ আল্পাহ্ই সবচেয়ে
ভাল জানেন ৷

ইমাম আহমদ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে বলেন, যুহ্রী সাঈদ ইবন
মুসাইয়াব আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ সুত্রে ইবন ইসহড়াকের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন
ইব্রাহীম ইবন তায়মী সুত্রে; তবে তিনি এ কবিতাটি উল্লেখ করেননি ৷ ইমাম ইবন মাজা খালিদ
ইবন আবদুল্লাহ্ আল-ওয়াসিভী সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে বলেন যে, নামাযের আয়োজনের
উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণের সঙ্গে পরামর্শ করেন ৷ ত্নীদের মধ্যে কেউ কেউ সিঙা বা
বিউগলের উল্লেখ করলে ইয়াহ্রদীদের প্রতীক হওয়ার কারণে ব্লুা৷সুল (সা) তা পসন্দ করেননি ৷
এরপর নাকুস-এর কথা উঠলে নাসারার কারণে রাসুল (সা) তা-ও না-পসন্দ করেন ৷ ঐ নামে
আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ নামক জনৈক আনসার এবং উমর ইবন খাত্তাব (বা) স্বপ্নে আযান’
দেখতে পান ৷ উক্ত রাত্রেই সে আনসারী ব্যক্তিটি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে তার স্বপ্ন
সম্পর্কে অবহিত করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলালকে নির্দেশ দেন (এবং বিলাল সে মতে)


اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.» وَقَدْ رَوَى ابْنُ مَاجَهْ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيِّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ كَمَا تَقَدَّمَ. ثُمَّ قَالَ: قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: وَأَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرٍ الْحَكَمِيُّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيَّ، قَالَ فِي ذَلِكَ: أَحْمَدُ اللَّهَ ذَا الْجَلَالِ وَذَا الْإِ ... كْرَامِ حَمْدًا عَلَى الْأَذَانِ كَثِيرَا إِذْ أَتَانِي بِهِ الْبَشِيرُ مِنَ اللَّهِ ... فَأَكْرِمْ بِهِ لَدَيَّ بَشِيرَا فِي لَيَالٍ وَالَى بِهِنَّ ثَلَاثٍ ... كُلَّمَا جَاءَ زَادَنِي تَوْقِيرَا قُلْتُ: وَهَذَا الشِّعْرُ غَرِيبٌ، وَهُوَ يَقْتَضِي أَنَّهُ رَأَى ذَلِكَ ثَلَاثَ لَيَالٍ حَتَّى أَخْبَرَ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. قَالَ: وَذَكَرَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ بِهِ، نَحْوَ رِوَايَةِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، وَلَمْ يَذْكُرِ الشِّعْرَ. وَقَالَ ابْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، ثَنَا أَبِي،
পৃষ্ঠা - ২২৮৬


আযান দেন ৷ যুহ্রী বলেন, ভোরের নড়ামায়ের আহ্বানে বিলাল যোগ করেন ও আসসালাতু
খায়রুম মিনান নাওম (ঘুম থেকে নামায উত্তম) দৃ’বার ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (না) তা বহাল রাখলেন ৷

, তখন উমর (রা) বললেন ঘ্র ইয়া রাসুলাল্পাহ্! তিনি যেমন স্বপ্নে দেখেছেন অনুরুপ আমিও স্বপ্ন
দেখেছি ৷ তবে তিনি আমার চেয়ে অগ্রগামী ৷ কিতাবৃল আহকাম আল:কাবীর’ গ্রন্থে আযান
অধ্যায়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ আল্লাহর প্রতিই রয়েছে আস্থা
ও ভরসা ৷

অবশ্য সুহায়লী বাযযার সুত্রে আলী ইবন আবু তালিব থেকে ইসরা বা মিরাজের হাদীছে
উল্লেখ করেন ৷ তাতে উল্লেখ আছে যে, তখন পর্দায় অন্তরাল থেকে একজন ফেরেশতা বের
হয়ে এসে এ আযান দেন এবং যখনই এক একটা বাক্য উচ্চারণ করেন তখনই আল্লাহ্ তার
সত্যতা অনুমোদন করেন ৷ তারপর ফেরেশতা মুহাম্মদ (না)-এর পবিত্র হাত ধরে র্তাকে আগে
বাড়িয়ে দেন এবং তিনি আসমানরাসীদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন ৷ তাদের মধ্যে আদম
(আ) এবং নুহ্ (আ)-ও ছিলেন ৷ এরপর সুহায়লী বলেন, ইসৃর৷ তথা মিরাজের হাদীছের
সঙ্গে সড়ামঞ্জস্যের কারণে এ হাদীছটি সহীহ্ হতে পারে বলে আমি মনে করি ৷ তবে তার ধারণা
অনুযায়ী হাদীছটি সহীহ্ নয়, বরং মুনকার তথা বাতিল ৷ জারুদিয়া১ ফির্কার আদি পুরুষ আবুল
জারুদ যিয়াদ ইবন মুনযির এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ এ ব্যক্তি অভিযুক্তদের
অন্যতম ৷ তিনি মিরাজ রজনীতে এ আযান শুনে থাকলে অবশ্যই হিজরতের পর নামাযের
দিকে ডাকার জন্য এর নির্দেশ দিতেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, ইবন জুরায়জ উল্লেথু করেছেন, আতা আমাকে বলেন, আমি উবায়দ
ইবন উমায়রকে বলতে শুনেছি : নবী করীম (মা) এবং সাহাবীপণ নড়ামাষে সমবেত হওয়ার
ব্যাপারে নাকুস ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ করেন ৷ এ সময় উমর ইবন খাত্তাব নাকুসের জন্য
দু’টি কাষ্ঠ ক্রয়েরও ইচ্ছা করেন ৷ এ সময় এক রড়াত্রিতে উমর (রা) স্বপ্নে দেখেন নাকুস রানাবে
না, বরং নামায়ের জন্য আযান দেবে ৷ তখন উমর (রা) স্বপ্ন সম্পর্কে নবী করীম (না)-কে
অবহিত করার জন্য তার নিকট যান ৷ এ সময় নবী করীম (না)-এর নিকট এ সম্পর্কে ওহী
নাযিল হল ৷ এমন সময় বিলালের আযান শুনে উমর ঘড়াবড়ে পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এ
সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি বললেন : এ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই ওহী অবতীর্ণ হয়েছে ৷ এ



১ ইসফারাইনী “আল ফারক বাইনাল ফিরাক’ গ্রন্থের ২২ পৃষ্ঠার বলেনঃ জারুদিয়া ফির্কা যায়দিয়া ফির্কার
অন্যতম উপদল ৷ এরা আবুল জারুদ নামে পরিচিত মুনৃযির ইবন আমর-এর অনুসারী ৷ হযরত আলী
(রা)-এর পক্ষে বায়আত না করার কারণে এরা সাহাবীদেরকে কাফির বলে মনে করে ৷ তারা বলে যে নবী
(সা) হযরত আলী (বা) এর নাম না নিয়ে তার ইমামত তথা নেতৃৎ স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ প্রতীক্ষিত
ইমামের ব্যাপারে এ দলটি আবার অনেক উপদল বা ফির্কায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে এদের মধ্যে একদল
নির্দিষ্ট করে কোন একজন ইমামের অপেক্ষায় থাকে না ৷ আবার একদল মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু তালিবের অপেক্ষায় আছে ৷ একদল অপেক্ষায় আছে তালিকানের
সঙ্গী মুহাম্মদ ইবন কাসিমের; আবার একদল অপেক্ষায় আছে কুফায় বিদ্রোহ সৃষ্টিকারী মুহাম্মদ ইবন
উমরের ৷


عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَشَارَ النَّاسَ لِمَا يُهِمُّهُمْ إِلَى الصَّلَاةِ، فَذَكَرُوا الْبُوقَ فَكَرِهَهُ مِنْ أَجْلِ الْيَهُودِ، ثُمَّ ذَكَرُوا النَّاقُوسَ، فَكَرِهَهُ مِنْ أَجْلِ النَّصَارَى، فَأُرِيَ النِّدَاءَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ. وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَطَرَقَ الْأَنْصَارِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلًا فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَذَّنَ بِهِ» . قَالَ الزُّهْرِيُّ: «وَزَادَ بِلَالٌ فِي نِدَاءِ صَلَاةِ الْغَدَاةِ: الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ. مَرَّتَيْنِ فَأَقَرَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى، وَلَكِنَّهُ سَبَقَنِي.» وَسَيَأْتِي تَحْرِيرُ هَذَا الْفَصْلِ فِي بَابِ الْأَذَانِ مِنْ كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي أَوْرَدَهُ السُّهَيْلِيُّ بِسَنَدِهِ، مِنْ طَرِيقِ الْبَزَّارِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ مَخْلَدٍ، ثَنَا أَبِي، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْمُنْذِرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَذَكَرَ حَدِيثَ الْإِسْرَاءِ، وَفِيهِ فَخَرَجَ مَلَكٌ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ فَأَذَّنَ بِهَذَا الْأَذَانِ، وَكُلَّمَا قَالَ كَلِمَةً صَدَّقَهُ اللَّهُ تَعَالَى، ثُمَّ أَخَذَ الْمَلَكُ بِيَدِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدَّمَهُ، فَأَمَّ بِأَهْلِ السَّمَاءِ، وَفِيهِمْ آدَمُ وَنُوحٌ، ثُمَّ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَأَخْلِقْ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْ يَكُونَ صَحِيحًا; لِمَا يَعْضُدُهُ وَيُشَاكِلُهُ مِنْ حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ. فَهَذَا الْحَدِيثُ لَيْسَ كَمَا زَعَمَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّهُ صَحِيحٌ، بَلْ هُوَ مُنْكَرٌ، تَفَرَّدَ بِهِ زِيَادُ بْنُ الْمُنْذِرِ أَبُو الْجَارُودِ الَّذِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ الْفِرْقَةُ الْجَارُودِيَّةُ، وَهُوَ مِنَ الْمُتَّهَمِينَ. ثُمَّ لَوْ كَانَ هَذَا قَدْ سَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، لَأَوْشَكَ أَنْ يَأْمُرَ بِهِ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ২২৮৭
الْهِجْرَةِ فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الصَّلَاةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذَكَرَ ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: قَالَ لِي عَطَاءٌ: سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يَقُولُ: «ائْتَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ بِالنَّاقُوسِ لِلِاجْتِمَاعِ لِلصَّلَاةِ، فَبَيْنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُرِيدُ أَنْ يَشْتَرِيَ خَشَبَتَيْنِ لِلنَّاقُوسِ، إِذْ رَأَى عُمَرُ فِي الْمَنَامِ: لَا تَجْعَلُوا النَّاقُوسَ، بَلْ أَذِّنُوا لِلصَّلَاةِ. فَذَهَبَ عُمَرُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُخْبِرَهُ بِمَا رَأَى، وَقَدْ جَاءَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَحْيُ بِذَلِكَ فَمَا رَاعَ عُمَرَ إِلَّا بِلَالٌ يُؤَذِّنُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَخْبَرَهُ بِذَلِكَ: " قَدْ سَبَقَكَ بِذَلِكَ الْوَحْيُ ".» وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ قَدْ جَاءَ الْوَحْيُ بِتَقْرِيرِ مَا رَآهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ، كَمَا صَرَّحَ بِهِ بَعْضُهُمْ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ، قَالَتْ: «كَانَ بَيْتِي مِنْ أَطْوَلِ بَيْتٍ حَوْلَ الْمَسْجِدِ، فَكَانَ بِلَالٌ يُؤَذِّنُ عَلَيْهِ لِلْفَجْرِ كُلَّ غَدَاةٍ فَيَأْتِي بِسَحَرٍ، فَيَجْلِسُ عَلَى الْبَيْتِ يَنْتَظِرُ الْفَجْرَ، فَإِذَا رَآهُ تَمَطَّى، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَحْمَدُكَ وَأَسْتَعِينُكَ عَلَى قُرَيْشٍ أَنْ يُقِيمُوا دِينَكَ. قَالَتْ: ثُمَّ يُؤَذِّنُ. قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُهُ كَانَ تَرَكَهَا لَيْلَةً وَاحِدَةً يَعْنِي هَذِهِ الْكَلِمَاتِ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِهِ مُنْفَرِدًا بِهِ.
পৃষ্ঠা - ২২৮৮


থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আবৃদ রাব্বিহী (স্বপ্নে) যা দেখেছিলেন
তার সমর্থনে ওহী নাযিল হয়েছিল যেমনটি কেউ কেউ স্পষ্ট ব্যক্ত করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে বনু নাজ্জারের জনৈক মহিলা মারফত
আমি জানতে পেরেছি যে, ঐ মহিলা বলেনঃ মসজিদের নিকটে আমার ঘরটি ছিল সবচেয়ে
উচু ৷ এ ঘরের ছাদে উঠে বিলাল প্রতিদিন ভোরে অযােন দিতেন ৷ শেষ রাত্রে তিনি এসে ঘরের
ছাদে বসে ফজরের অপেক্ষায় থাকতেন ৷ ফজরের সময় হয়েছে দেখতে পেয়ে তিনি দাড়িয়ে
ৰু দৃআ করতেন :


“হে আল্লাহ্ ! আমি তোমার প্রশংসা করছি এবং কুরায়শের ব্যাপারে তোমার নিকট সাহায্য
কামনা করছি যাতে তারা তোমার দীন কাইম করে ৷” মহিলা বলেন : (এ দুআ করার পর)
তিনি আযান দিতেন ৷ নাজ্জারী মহিলা আল্পাহ্র কসম করে বলেন কোন রাতেই তিনি এ
দুআটি বাদ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই ৷ ইমাম আবু দাউদ এ হড়াদীছটি এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷

অনুচ্ছেদ
হড়ামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (না)-এর অভিযান

ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বছর রমাযান মাসে
হিজরতের সাত মাসের মাথায় সাদা রঙের পতাকা দিয়ে ৩০জন মুহাজিরের একটি দলকে
কুরায়শের বণিক কাফেলাকে ঠেকাবার জন্য প্রেরণ করেন ৷ আবু জাহ্লের নেতৃত্বে পরিচালিত
তিনশ’ জন কুরায়শী কাফেলা হযরত হামযার মুখোমুখি হয় ৷ মাজদী ইবন আম্রের মধ্যস্থতার
ফলে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ রাবী বলেন, হযরত হামযার পতাকা১ বহন করেন আবু মারছাদ
আল-গানাবী ৷

অনুচ্ছেদ
উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর অভিযান

ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, নবী (সা) এ বছর অষ্টম মাসের মাথায়
শাওয়াল মাসে উবায়দা ইবন হারিছ (ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবৃদ মানাফ) এর নেতৃত্বে
একদল মুজাহিদ প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে বাত্নে রাবিগ২ অভিমুখে রওনা হওয়ার নির্দেশ
দান করেন ৷ এ দলের সাদা পতাকা ছিল মিসতাহ ইবন আছাছার হস্তে ৷ তারা জুহ্ফার দিকে
ছানিয়া আল-মুররা পর্যন্ত পৌছেন ৷ এ দলে ছিলেন ৬০ জন মুহাজির কোন আনসারী ছিলেন
না ৷ আহ্য়া’ নামক জলাশয়ের কাছে তারা মুশরিক বাহিনীর মুখোমুখি হন ৷ তাদের মধ্যে তীর



১ ইবন সাআদ বলেন : এটাই ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম পতাকা ৷
২ জুহ্ফা থেকে কুদায়দ অভিমুখে যাওয়ার পথে ১০ মাইল দুরবর্তী একটি স্থান ৷


[فَصْلٌ فِي سَرِيَّةِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَدَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، عَلَى رَأْسِ سَبْعَةِ أَشْهُرٍ مِنْ مُهَاجَرِهِ، لِحَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لِوَاءً أَبْيَضَ فِي ثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ; لِيَعْتَرِضَ لِعِيرَاتِ قُرَيْشٍ، وَأَنَّ حَمْزَةَ لَقِيَ أَبَا جَهْلٍ فِي ثَلَاثِمِائَةِ رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ، فَحَجَزَ بَيْنَهُمْ مَجْدِيُّ بْنُ عَمْرٍو، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ. قَالَ: وَكَانَ الَّذِي يَحْمِلُ لِوَاءَ حَمْزَةَ، أَبُو مَرْثَدٍ الْغَنَوِيُّ. [فَصْلٌ فِي سَرِيَّةِ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطَّلِبِ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَيْضًا، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَدَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى رَأْسِ ثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ فِي شَوَّالٍ لِعُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ لِوَاءً أَبْيَضَ، وَأَمَرَهُ بِالْمَسِيرِ إِلَى بَطْنِ رَابِغٍ، وَكَانَ لِوَاؤُهُ مَعَ مِسْطَحِ بْنِ أُثَاثَةَ، فَبَلَغَ ثَنِيَّةَ الْمَرَةِ، وَهِيَ بِنَاحِيَةِ الْجُحْفَةِ فِي سِتِّينَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، لَيْسَ فِيهِمْ أَنْصَارِيٌّ، وَأَنَّهُمُ الْتَقَوْا هُمْ وَالْمُشْرِكُونَ عَلَى مَاءٍ يُقَالُ لَهُ: أَحْيَاءٌ. وَكَانَ بَيْنَهُمُ الرَّمْيُ دُونَ الْمُسَايَفَةِ. فَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ مِائَتَيْنِ عَلَيْهِمْ أَبُو سُفْيَانَ صَخْرُ بْنُ حَرْبٍ. وَهُوَ الْمُثْبَتُ عِنْدَنَا. وَقِيلَ: كَانَ عَلَيْهِمْ مِكْرَزُ بْنُ حَفْصٍ.
পৃষ্ঠা - ২২৮৯


ছেড়োছুড়ি হয়, কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ ওয়াকিদী বলেন, মুশরিকরা সংখ্যায় ছিল দু’শ’ জন এবং
তাদের নেতা ছিল আবু সুফিয়ান সাখৃর ইবন হারব ৷ আমাদের মতে এটাই বিশুদ্ধ কথা ৷ কেউ
কেউ বলেন যে, তাদের নেতা ছিল মুক্রিয ইবন হাফ্স ৷
অনুচ্ছেদ
সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-এর অভিযান

ওয়াকিদী বলেন : এ বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে যিলকাদ মাসে রাসুল (সা) সাআদ
ইবন আবু ওয়াক্কাসকে খারার অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ এ দলের সাদা পতাকা বহন করেন
মিকদাদ ইবন আসওয়াদ (রা) ৷ আবু বকর ইবন ইসমাঈল তার পিতা সুত্রে আমির ইবন
সাআদেৱ বরাতে বলেন, ২০ বা ২১ জন মুজাহিদ নিয়ে আমি বের হই ৷ দিনের বেলা আমরা
লুকিয়ে থড়াকতড়াম এবং রাতের বেলা সফর করতাম ৷ পঞ্চম দিন ভোরে আমরা খারার’ পৌছি
এবং বাবার অতিক্রম না করার জন্য রাসুল (সা) আমাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছিলেন ৷ কুরায়শের
কাফেলা একদিন পুকেহ এ জায়গাটি অতিক্রম করে যায় ৷ বণিক দলে ছিল ৭০ জন লোক আর
সাআদেৱ সঙ্গে যীরা ছিলেন, র্তাদের সকলেই ছিলেন মুহাজির ৷ আবু জাফর ইবন জারীর (র)
বলেন, ইবন ইসহাকের মতে ওয়াকিদী বর্ণিত পুর্বোক্ত তিনটি অভিযানই সংঘটিত হয় তৃতীয়
হিজরীতে ৷ আমার মতে ইবন ইসহাকের এ উক্তিটি দ্ব্যর্থহীন নয়, চিন্তা-ভাবনাকারী ব্যক্তি এটা
অনুধাবন করতে পারবে ৷ প্রথম হিজরী সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে কিতাবুল মাপাযীর শুরুতে এ
সম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো ৷ এর পরই ইনশাআল্লাহ্ সে আলোচনা আসবে ৷ এটাও তার
লক্ষ্য হতে পারে যে, এসব অভিযান সংঘটিত হয়েছে প্রথম সনে ৷ সেখানে পৌছে এ বিষয়ে
আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো ৷ আর ওয়াকিদীর নিকট অতিরিক্ত উত্তম তথ্য
রয়েছে ৷ আর সম্ভবত তার রয়েছে লিখিত ইতিহাস ৷ এবং তিনি ইতিহাস বিষয়ের অন্যতম মহান
ইমাম ৷ এমনিতে তত্ত্বগত ভাবে তিনি সত্যবাদী, তবে তার বর্ণনায় অতিকথন থাকে ৷
অড়াত-তড়াক্মীল ফী মারিফাতিছ ছিকাত ওয়ায-যুআফা ওয়াল মাজাহীল’ নামক গ্রন্থে তার
গ্রহণযোগ্যতা ও তার বিরুপ সমালোচনা সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করেছি ৷

অনুম্মেদ

এই মুবারক বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে মারা জনআেহণ করেছেন, তাদের সর্ব প্রথমজন
হলেন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ৷ তার আম্মা আসমা এবং খালা আইশার বরাতে বুখারী এ কথা
বর্ণনা করেছেন ৷ তীর মাতা আসমা (বা) এবং খালা উন্মুল মু’মিনীন আইশা (রা) এরা উভয়েই
হলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর কন্যা ৷ কেউ কেউ বলেন নুমান ইবন বাশীর তীর
(আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র) ৬ মাস পুর্বে জন্মগ্রহণ করেন ৷ এ মত অনুযায়ী আবদুল্লাহ্ ইবন
যুবায়র হিজরতের পর মুহাজিরদের মধ্যে প্রথম নবজাত শিশু ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তারা
উভয়েই দ্বিতীয় হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ প্রথমােক্ত মতই স্পষ্ট, যা আমরা ইতােপুর্বে


[فَصْلٌ فِي عَقْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَاءً لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ] فَصْلٌ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا - يَعْنِي فِي السَّنَةِ الْأُولَى فِي ذِي الْقَعْدَةِ - عَقَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ إِلَى الْخَرَّارِ لِوَاءً أَبْيَضَ يَحْمِلُهُ الْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ، فَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجْتُ فِي عِشْرِينَ رَجُلًا عَلَى أَقْدَامِنَا - أَوْ قَالَ: أَحَدٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا - فَكُنَّا نَكْمُنُ النَّهَارَ وَنَسِيرُ اللَّيْلَ، حَتَّى صَبَّحْنَا الْخَرَّارَ صُبْحَ خَامِسَةٍ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ عَهِدَ إِلَيَّ أَنْ لَا أُجَاوِزَ الْخَرَّارَ، وَكَانَتِ الْعِيرُ قَدْ سَبَقَتْنِي قَبْلَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ،» قَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَتِ الْعِيرُ سِتِّينَ، وَكَانَ مَنْ مَعَ سَعْدٍ كُلُّهُمْ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: وَعِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّ هَذِهِ السَّرَايَا الثَّلَاثَ - الَّتِي ذَكَرَهَا الْوَاقِدِيُّ - كُلَّهَا فِي السَّنَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْهِجْرَةِ مِنْ وَقْتِ التَّارِيخِ. قُلْتُ: كَلَامُ ابْنِ إِسْحَاقَ لَيْسَ بِصَرِيحٍ - فِيمَا قَالَهُ أَبُو جَعْفَرٍ، لِمَنْ تَأَمَّلَهُ - كَمَا سَنُورِدُهُ فِي أَوَّلِ كِتَابِ الْمَغَازِي، فِي أَوَّلِ السَّنَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْهِجْرَةِ،
পৃষ্ঠা - ২২৯০

আলোচনা করেছি ৷ প্রশংসা আর ন্তুতি সবই আল্লাহ্র প্রাপ্য ৷ দ্বিতীয় হিজরী সনের ঘটনাবলী
বর্ণনার শেষে দ্বিতীয় উক্তি সম্পর্কে আমরা ইশারা করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷

ইবন জারীর বলেন : কথিত আছে যে, মুখৃতার ইবন আবু উবায়দ এবং যিয়াদ ইবন
সুমাইয়া এরা দু’জনই হিজরী প্রথম সনে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ আল্লহ্ই ভাল জানেন ৷ হিজরী
প্রথম সনে সাহাবীদের মধ্যে যারা ইনতিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন কুলছুম ইবন হিদ্ম
আল-আওসী রাসুল (না) করার অবস্থানকালে যার বাড়িতে ছিলেন ৷ তিনি যেখান থেকে বনু
নাজ্জার বসতািত গমন করেন, সে কথা পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এইে বছর এরপর মৃত্যুবরণ
করেন বনু নাজ্জারের নকীব আবু উমামা আসআদ ইবন যুরারা ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মসজিদ (নববী) নির্মাণ করছিলেন, যেমনটি ইতোপুর্বে বলা হয়েছে ; আল্পাহ্ এদের দু’জনের
প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং এদেরকে সন্তুষ্ট রাখুন ৷

ইবন জারীর বলেন : এই একই বছর অর্থাৎ হিজরতের প্রথম বর্ষে আবু তাইফ এবং
ও য়ালীদ ইবন মুগীরা ও আস ইবন ওয়াইল সাহমী মক্কায় মারা যায় ৷

আমার মতে, এরা সকলেই মৃত্যুবরণ করেছে মৃশরিক অবস্থায়, এরা ঈমান আনেনি ৷


وَذَلِكَ تِلْوَ مَا نَحْنُ فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، إِذْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مُرَادُهُ أَنَّهَا وَقَعَتْ هَذِهِ السَّرَايَا فِي السَّنَةِ الْأُولَى، وَسَنَزِيدُهَا بَسْطًا وَشَرْحًا إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَالْوَاقِدِيُّ عِنْدَهُ زِيَادَاتٌ حَسَنَةٌ وَتَارِيخٌ مُحَرَّرٌ غَالِبًا; فَإِنَّهُ مِنْ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ الْكِبَارِ وَهُوَ صَدُوقٌ فِي نَفْسِهِ مِكْثَارٌ، كَمَا بَسَطْنَا الْقَوْلَ فِي عَدَالَتِهِ وَجَرْحِهِ فِي كِتَابِنَا الْمَوْسُومِ بِ " التَّكْمِيلِ فِي مَعْرِفَةِ الثِّقَاتِ وَالضُّعَفَاءِ وَالْمَجَاهِيلِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [فَصْلٌ فِي أَوَّلِ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ بَعْدَ الْهِجْرَةِ] فَصْلٌ وَمِمَّنْ وُلِدَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْمُبَارَكَةِ - وَهِيَ الْأُولَى مِنَ الْهِجْرَةِ - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ بَعْدَ الْهِجْرَةِ، كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أُمِّهِ أَسْمَاءَ، وَخَالَتِهِ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، ابْنَتَيِ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ: وُلِدَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ قَبْلَهُ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ. فَعَلَى هَذَا يَكُونُ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ: إِنَّهُمَا وُلِدَا فِي السَّنَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَالظَّاهِرُ الْأَوَّلُ كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ وَسَنُشِيرُ فِي آخِرِ السَّنَةِ الثَّانِيَةِ إِلَى الْقَوْلِ الثَّانِي، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ২২৯১
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الْمُخْتَارَ بْنَ أَبِي عُبَيْدٍ، وَزِيَادَ بْنَ سُمَيَّةَ وُلِدَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْأُولَى. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْأُولَى مِنَ الصَّحَابَةِ، كُلْثُومُ بْنُ الْهِدْمِ الْأَوْسِيُّ، الَّذِي نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسْكَنِهِ بِقُبَاءَ، إِلَى حِينَ ارْتَحَلَ مِنْهَا إِلَى دَارِ بَنِي النَّجَّارِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَبَعْدَهُ فِيهَا أَبُو أُمَامَةَ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ نَقِيبُ بَنِي النَّجَّارِ، تُوُفِّيَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْنِي الْمَسْجِدَ، كَمَا تَقَدَّمَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - يَعْنِي الْأُولَى مِنَ الْهِجْرَةِ - مَاتَ أَبُو أُحَيْحَةَ بِمَالِهِ بِالطَّائِفِ، وَمَاتَ الْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، والْعَاصُ بْنُ وَائِلٍ السَّهْمِيُّ فِيهَا بِمَكَّةَ. قُلْتُ: وَهَؤُلَاءِ مَاتُوا عَلَى شِرْكِهِمْ، لَمْ يُسْلِمُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.