كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
فصل في دخوله عليه السلام المدينة وأين استقر منزله بها
পৃষ্ঠা - ২১৯৫
সাআদ উপস্থিত হন ৷ আর এ সাআদ হলেন যে ব্যক্তি যিনি রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে রাকুবার১ পথ
প্রদর্শন করেছেন ৷ তখন ইব্রাহীম বলেন, আপনার পিতা আপনাকে যে হাদীছ বলেছেন, আপনি
আমাকে সে হাদীছটি বলুন ৷ তখন ইবন সাআদ বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের নিকট আগমন করেন, আর তার সঙ্গে ছিলেন আবু বকর (রা) ৷ আর
আমাদের নিকট আবু বকর (রা)-এর একটা দুগ্ধপােষ্যা কন্যা ছিল-আর রড়াসুলুল্পাহ (সা )
মদীনায় দিকে সংক্ষিপ্ত রা স্তা তালাশ করছিলেন ৷
এখন সাআদ তাকে বলেন রাকুবা’ উপত্যকার এই বিমান প্রাম্ভরে আসলাম গোত্রের দু’জন
চোর রয়েছে ৷ এদেরকে মুহানান’ বলা হয় ৷ আপনি চাইলে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে
আনতে পারি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, তাদেরকে পাকড়াও করে আমার দরকার
নেই ৷ বরং আমাদেরকেই তাদের কাছে নিয়ে চলো ৷ সাআদ বলেন, এরপর আমরা বের হলাম ৷
আমরা কিছু দুর এগিয়ে গেলে তাদের একজন তার সঙ্গীকে বলে : এই যে ইয়ামানী ! রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদের দু’জনকে ডেকে ইসলামের দাওয়াত পেশ করলেন ৷ তারা ইসলাম গ্রহণ করে ৷
এরপর তাদের নাম জিজ্ঞেস করলে তারা বলে--আমরা হলাম ঘুহানান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন :
(না, তোমরা ঘুহানান নও) বরং তোমরা তো মুকরামান’ তথা সম্মানিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
তাদেরকে মদীনায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলে দেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বের হলাম ৷ আমরা যখন কুবার নিকটে উপস্থিত হই, তখন বনু
আমর ইবন আওফ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদেরকে জিজ্ঞেস
করলেন : আবু উমামা আসআদ ইবন যুরারা কোথায় : সাআদ ইবন খায়ছড়ামা বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি তো আমার আগে পৌছেছেন ৷ আমি কি এ সংবাদ দেব না ? এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অগ্রসর হলেন ৷ তিনি একটা খেজুর বাগাংনউপন্থিত হয়ে দেখেন যে, সেখানে
পর্যাপ্ত পানি ভর্তি একটি হাওয রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানে হযরত আবু বকর (রা)-এর
প্রতি লক্ষ্য করে বললেন :
হে আবু বকর ! এটাই তো সে স্থান, বা আমি স্বপ্নে দেখেছিলড়াম যে, আমি একটা
হাওযওয়ালা অঞ্চলে অবতরণ করছি ৷ যেমন বনী মৃদলাজের হাওযওয়ালা অঞ্চল ৷ বর্ণনাটি
এককভাবে ইমাম আহমদের ৷
পরিষ্মেদ
নবী (না)-এর মদীনায় প্রবেশ ও তার অবস্থান-স্থল
যুহরী সুত্রে উরওয়া থেকে ইতোপুর্বে বুখড়ারীর বর্ণনা উল্লিখিত হয়েছে যে নবী করীম (সা)
দুপুরে মদীনায় প্রবেশ করেছিলেন ৷ গ্রস্থকার বলেন : হয়তো এটা দৃপুরের পর হয়ে থাকবে ৷
কারণ, হিজরতের হাদীছ বুখারী-মুসলিমের বর্ণনায় ইসরাঈল সুত্রে আবু বকর (রা)-এর বর্ণনায়
আছে : আবু বকর (রা) বলেন :
১ মুল কপিতে নুন যােগে শু,ও ) (রকুনা) লিখা হয়েছে, যা ভুল ৷ আর রকুবা মক্কান্মদীনার মধ্যস্থলে
আল-আরাজ নামক স্থানের কাছে ওয়ারকান’ পর্বতের কাছে একটা ঘীটির নাম ৷
[فَصْلٌ فِي دُخُولِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْمَدِينَةَ وَأَيْنَ اسْتَقَرَّ مَنْزِلُهُ بِهَا]
، وَمَا يَتَعَلَّقُ بِذَلِكَ
قَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْمَدِينَةَ عِنْدَ الظَّهِيرَةِ.
قُلْتُ: وَلَعَلَّ ذَلِكَ كَانَ بَعْدَ الزَّوَالِ; لِمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، فِي حَدِيثِ الْهِجْرَةِ، قَالَ: «فَقَدِمْنَا لَيْلًا فَتَنَازَعَهُ الْقَوْمُ أَيُّهُمْ يَنْزِلُ عَلَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنْزِلُ عَلَى بَنِي النَّجَّارِ، أَخْوَالِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أُكْرِمُهُمْ بِذَلِكَ» ". وَهَذَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ، إِمَّا أَنْ يَكُونَ يَوْمَ قُدُومِهِ إِلَى قُبَاءَ، فَيَكُونُ حَالَ وُصُولِهِ إِلَى قُرْبِ الْمَدِينَةِ كَانَ فِي حَرِّ الظَّهِيرَةِ، وَأَقَامَ تَحْتَ تِلْكَ النَّخْلَةِ، ثُمَّ سَارَ بِالْمُسْلِمِينَ فَنَزَلَ قُبَاءَ، وَذَلِكَ لَيْلًا، وَأَنَّهُ أَطْلَقَ عَلَى مَا بَعْدَ الزَّوَالِ لَيْلًا، فَإِنَّ الْعَشِيَّ مِنَ الزَّوَالِ. وَإِمَّا أَنْ يَكُونَ الْمُرَادُ بِذَلِكَ لَمَّا رَحَلَ مِنْ قُبَاءَ - كَمَا سَيَأْتِي - فَسَارَ فَمَا انْتَهَى إِلَى بَنِي النَّجَّارِ إِلَّا عِشَاءً، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَذَكَرَ الْبُخَارِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ نَزَلَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ২১৯৬
আমরা রাত্রি-বেলা (মদীনায়) উপস্থিত হই ৷ তখন আনসারদের মধ্যে বিরোধ বাধে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কার গৃহে অবতরণ করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও আবদুল মুত্তালিবের
মাতুলকুল বনু নাজ্জারে অবস্থান করবো তাদের সম্মানার্থে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ এটা হয়তো
ছিল তার কুবায় উপস্থিতির দিন দুপুরে যখন তিনি মদীনার কাছাকাছি পৌছেন এবং খেজুর
গাছের ছায়ায় অবস্থান করে পরে মুসলমানদেরকে নিয়ে রওনা হন এবং কুবায় রাত্রি যাপন
করেন ৷ আর এখানে দুপুরের পরকে রাত্রি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কেননা, দুপুরের পর
থেকেই বিকালের সুচনা হয় ৷ অথবা এর অর্থ এই যে, কুবা থেকে রওনা হন দিনের বেলা এবং
বনুনাজ্জারে পৌছেন রাত ইশার সময় ৷ এ সম্পর্কে পরে আলোচনা আসছে ৷
ইমাম বুখারী যুহরী সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, রালুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় রনু আমর
ইবন আওফের নিকট অবস্থান করেন দশ রাত্রির চাইতে কিছু বেশী এবং০এ সময় তিনি কুবায়
মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন ৷ এরপর তিনি সওয়ার হন এবং র্তর সঙ্গে লোকজনকে নিয়ে
রওনা হন ৷ শেষ পর্যন্ত তার মসজিদের স্থানে সওয়ারী বসে পড়ে ৷ এ স্থানটি ছিল নহ্ল এবং
সুহায়ল নামে দু’জন ইয়াভীমের খেজুর শুকাবার স্থান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নিকট থেকে
স্থানটা ক্রয় করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করান ৷ আর এ ছিল বনী নাজ্জারের মহল্লায় ৷ তাদের
সকলের প্রতি আল্পাহ্ সন্তুষ্ট হোন ৷
আর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে নবী কবীম (না)-এর একদল
সাহাবীর বরাতে বলেন যে, তারা বলেছেন : আমরা যখন মক্কা থেকে নবী কবীম (সা) এর
বের হওয়ার খবর জানতে পারলাম তখন আমরা তার আগমনের অপেক্ষায় থাকলাম ৷ ফজরের
নামায আদায় করার পর হাররার’ বাইরে আমরা নবী কবীম (না)-এর অপেক্ষায় থাকতাম ৷
আল্লাহ্র কসম, সুর্ফতাপ আমাদের অসহ্য না হওয়া পর্যন্ত আমরা ছায়ায় বসে থাকতাম ৷ ছায়া
না গেলে আমরা ফিরে যেতাম ৷ আর এটা ছিল গ্রীম্মের মওসুম ৷ এমনকি যেদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আগমন করেন, সেদিন যখন এলো সেদিনও আমরা অন্যান্য দিনের মত বসে ছিলাম ৷ যখন
কোন ছায়াই আর অবশিষ্ট থাকলো না তখন আমরা নিজ নিজ গৃহে ফিরে গেলাম ৷ আর আমরা
যখন ঘরে প্রবেশ করি, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় প্রবেশ করেন ৷ জনৈক ইয়াহুদী ব্যক্তি
তাকে সকলের আগে দেখতে পায় ৷ সে উচ্চকষ্ঠে চিৎকার দিয়ে বলে, হে বনু কায়লা
(আনসার ৷) এই যে, তোমাদের কাজ্জিত ব্যক্তি আগমন করেছেন ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দিকে ছুটে পেলাম ৷ তিনি তখন খেজুর গাছের ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তীর সঙ্গে ছিলেন আবু
বকর (রা) ৷ দু’জনের বয়স প্রায় সমান ছিল ৷ আমাদের অধিকাৎশ লোক ইতােপুর্বে রড়াসুলুল্লাহ্
, (সা)-কে দেখেনি ৷ তার আশে-পাশে সােকজনের ভিড় হয়ে যায় ৷ আবু বকর আর তার মধ্যে
লোকেরা ফারাক করতে পারছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে ছায়া সরে গেলে আবু বকর (রা)
তীর চাদর দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ছায়া দান করেন ৷ এ সময় আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
চিনতে পারি ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনায় ইতেড়াপুর্বে অনুরুপ বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মুসা ইবন
উকরাও তার মাপাঘী গ্রন্থে অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷
عَوْفٍ بِقُبَاءَ، وَأَقَامَ فِيهِمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً وَأَسَّسَ مَسْجِدَ قُبَاءَ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ، ثُمَّ رَكِبَ وَمَعَهُ النَّاسُ حَتَّى بَرَكَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ فِي مَكَانِ مَسْجِدِهِ، وَكَانَ مِرْبَدًا لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ، وَهَمَا سَهْلٌ وَسُهَيْلٌ، فَابْتَاعَهُ مِنْهُمَا، وَاتَّخَذَهُ مَسْجِدًا، وَذَلِكَ فِي دَارِ بَنِي النَّجَّارِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُوَيْمِ بْنِ سَاعِدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي رِجَالٌ مِنْ قَوْمِي مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا: لَمَّا بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ، وَتَوَكَّفْنَا قُدُومَهُ، كُنَّا نَخْرُجُ إِذَا صَلَّيْنَا الصُّبْحَ إِلَى ظَاهِرِ حَرَّتِنَا نَنْتَظِرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَاللَّهِ مَا نَبْرَحُ حَتَّى تَغَلِبَنَا الشَّمْسُ عَلَى الظِّلَالِ، فَإِذَا لَمْ نَجِدْ ظِلَّا دَخَلْنَا، وَذَلِكَ فِي أَيَّامٍ حَارَّةٍ حَتَّى إِذَا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي قَدِمَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَلَسْنَا كَمَا كُنَّا نَجْلِسُ، حَتَّى إِذْ لَمْ يَبْقَ ظِلٌّ دَخَلْنَا بُيُوتَنَا، وَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ دَخَلْنَا الْبُيُوتَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ رَآهُ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ فَصَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا بَنِي قَيْلَةَ، هَذَا جَدُّكُمْ قَدْ جَاءَ. فَخَرَجْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ فِي ظِلِّ نَخْلَةٍ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ فِي مِثْلِ سِنِّهِ، وَأَكْثَرُنَا لَمْ يَكُنْ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ ذَلِكَ، وَرَكِبَهُ النَّاسُ وَمَا يَعْرِفُونَهُ مِنْ أَبِي بَكْرٍ، حَتَّى زَالَ الظِّلُّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ أَبُو بَكْرٍ فَأَظَلَّهُ بِرِدَائِهِ، فَعَرَفْنَاهُ عِنْدَ ذَلِكَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَثْلُ
পৃষ্ঠা - ২১৯৭
ইমাম আহমদ হাশিম সুত্রে হযরত অ ৷নাস ইবন মালিক এর রিওয়ায়াত ৩উদ্ধৃত করেন :
আমি বালকদের মধ্যে ছুটাছুটি করছিলাম ৷ তারা বলছিল মুহাম্মদ এসেছেন ৷ আমি ছুটে
গেলাম কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না ৷ তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগমন
করলেন এবং তার সঙ্গে আবু বকর (রা) ৷ র্তারা দু’জনে অনাবাদ এলাকায় থেমে যান ৷ এরপর
দু জনে জনৈক বেদুঈনকে প্রেরণ করলেন আনসারকে র্তাদের আগমনের সৎ বাদ দেয়ার
জন্য ৷ পাচ শ৩ ৷ধিক আনসার ছুটে এসে র্তাদের দৃ ’জনকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন ৷
আনসারগণ র্তীদের নিকটে এসে বলেনং আপনারা নিরাপদে এবং আমাদের বরণীয়রুপে চলুন!
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং তার সঙ্গী লোকজনের সাথে এগিয়ে আসেন ৷ মদীনাবাসীর৷ নিজ
নিজ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ এমনকি কৃলশীলা মহিলাগথাঃ ঘরের ছাদে আরোহণ করে
র্তাকে দেখে বলে উঠেন : প্রু১ স্পো ৷ প্রু১ ম্পোৰু ৷
তিনি কোন জন ? তিনি কোন জন ? এমন দৃশ্য আমরা (ইতােপুর্বে) কখনো দেখিনি ৷
আনাস (রা) বলেন৪ আমি তাকে দেখি, যেদিন তিনি আমাদের মধ্যে প্রবেশ করেন (অর্থৎ
হিজরতের দিন) এবং র্ত ৷র ইনতিকালের দিনও দেখেছি ৷ এ দু দেশের অনুরুপ দিন আমি আর
কখনো দেখিনি ৷ ইমাম বায়হাকী হাকিম সুত্রে আনাস (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী এবং মুসলিম শরীফে ইসরাঈল সুত্রে আবু বকর (রা) থেকে হিজরত প্রসঙ্গে বর্ণিত
হয়েছে ৷ তিনি বলেন :
আমরা মদীনায় আগমন করলে লোকেরা ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে, গৃহের উপরে
উঠে ৷ শিশুরা আর খাদিমরা বলে উঠে :
আল্লাহ আকবার রাসুলুল্লাহ্ এসেছেন,
আল্লাহু আকবার মুহাম্মদ এসেছেন ৷
আল্লাহু অ ৷কবার মুহাম্মদ এসেছেন,
অল্লা৷হু আকবার রাসুলুল্লাহ্ এসেছেন ৷
সকাল হলে তিনি রওনা করেন যেমনটি তাকে নির্দেশ দেয়৷ হয়েছিল ৷ ইমাম বায়হাকী
আবু আমর আল-আদীব সুত্রে ইবন অইিশার বরাতে বলেন :
“আমি ইবন আ ৷ইশাকে বলতে শুনেছি৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করলে নারী এবং
শিশুরা বলে উঠে৪
তালাআল বাদ্রু আলাইনা
মিন ছানিয়াতিল ওয়াদাই,
ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা
মাদাঅ৷ লিল্লাহি দা-ই ৷
উদির্ত হয়েছে আমাদের উপর নতুন চাদ
ওদ৷ পাহাড়ের র্ঘাঢি থেকে,
ذَلِكَ فِي سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ، وَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ ".
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، ثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: إِنِّي لَأَسْعَى فِي الْغِلْمَانِ يَقُولُونَ: جَاءَ مُحَمَّدٌ. فَأَسْعَى وَلَا أَرَى شَيْئًا، ثُمَّ يَقُولُونَ: جَاءَ مُحَمَّدٌ. فَأَسْعَى وَلَا أَرَى شَيْئًا. قَالَ: حَتَّى جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَاحِبُهُ أَبُو بَكْرٍ فَكِمَنَا فِي بَعْضِ حِرَارِ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ بَعَثَا رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ لِيُؤْذِنَ بِهِمَا الْأَنْصَارَ، فَاسْتَقْبَلَهُمَا زُهَاءُ خَمْسِمِائَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، حَتَّى انْتَهَوْا إِلَيْهِمَا فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: انْطَلِقَا آمِنَيْنِ مُطَاعَيْنِ. فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَاحِبُهُ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ، فَخَرَجَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ حَتَّى إِنَّ الْعَوَاتِقَ لَفَوْقَ الْبُيُوتِ يَتَرَاءَيْنَهُ يَقُلْنَ: أَيُّهُمْ هُوَ؟ أَيُّهُمْ هُوَ؟ فَمَا رَأَيْنَا مَنْظَرًا شَبِيهًا بِهِ يَوْمَئِذٍ. قَالَ أَنَسٌ: فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَوْمَ دَخَلَ عَلَيْنَا وَيَوْمَ قُبِضَ، فَلَمْ أَرَ يَوْمَيْنِ مُشَبَّهًا بِهِمَا. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২১৯৮
أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ بِنَحْوِهِ أَوْ مِثْلِهِ.
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، فِي حَدِيثِ الْهِجْرَةِ، قَالَ: وَخَرَجَ النَّاسُ حِينَ قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فِي الطُّرُقِ وَعَلَى الْبُيُوتِ، وَالْغِلْمَانُ وَالْخَدَمُ يَقُولُونَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، جَاءَ مُحَمَّدٌ، اللَّهُ أَكْبَرُ، جَاءَ مُحَمَّدٌ، اللَّهُ أَكْبَرُ، جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ. فَلَمَّا أَصْبَحَ انْطَلَقَ وَذَهَبَ حَيْثُ أُمِرَ
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَمْرٍو الْأَدِيبُ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ الْإِسْمَاعِيلِيُّ، سَمِعْتُ أَبَا خَلِيفَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عَائِشَةَ، يَقُولُ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ جَعَلَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ يَقُلْنَ:
طَلَعَ الْبَدْرُ عَلَيْنَا ... مِنْ ثَنِيَّاتِ الْوَدَاعْ
وَجَبَ الشُّكْرُ عَلَيْنَا ... مَا دَعَا لِلَّهِ دَاعْ
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَذْكُرُونَ - يَعْنِي حِينَ نَزَلَ بِقُبَاءَ - عَلَى كُلْثُومِ بْنِ الْهِدْمِ أَخِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، ثُمَّ أَحَدِ بَنِي عُبَيْدٍ، وَيُقَالُ: بَلْ نَزَلَ عَلَى سَعْدِ بْنِ خَيْثَمَةَ. وَيَقُولُ مَنْ يَذْكُرُ أَنَّهُ نَزَلَ عَلَى كُلْثُومِ بْنِ الْهِدْمِ: إِنَّمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ مِنْ مَنْزِلِ كُلْثُومِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২১৯৯
শ্যেকর আদায় করা আমাদের কর্তব্য
যতদিন আহ্বানকারী আহ্বান করে (আল্লাহর দিকে) ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐতিহাসিকরা যেমন বর্ণনা করেন, কুবায় কুলছুম
ইবন হিদম-এর গৃহে অবস্থান করেন ৷ এ কুলছুম ইবন হিদম ববু আমর ইবনু আওফের লোক
এবং এটা হচ্ছে বনু উবায়দের শাখা গোত্র ৷ কারো কারো মতে তিনি সাআদ ইবন থায়ছামার
গৃহে অবস্থান করেন ৷ যীরা বলেন যে, তিনি কুলছুম ইবন হিদম-এর গৃহে অবস্থান করেন, তারা
(এর ব্যাখ্যা হিসাবে এ কথাও) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুলছুম ইবন হিদম-এর গৃহ থেকে
বের হয়ে লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ দানের জন্য সাআদ ইবন থাযছামড়ার গৃহে বসতেন ৷ আর
এটা এজন্যে যে, সাআদ ছিলেন অবিবাহিত ৷ তার পরিবারপরিজন ছিল না ৷ আর এ কারণে
তার গৃহকে বলা হতোর্ডাবিবাহিতদের নিবাস ৷ আর হযরত আবু বকর (রা ) অবস্থান করেন বনু
হারিছ ইবন থাযর্লোর অন্যতম সদস্য খুবায়ব ইবন ইসাফ-এর গৃহে সুনৃহ’ নামক স্থানে ৷
আবার কারো কারো মতে তিনি অবস্থান করেন বনু হারিছ ইবন ন্খাযরাজের খারিজা ইবন যায়দ
ইবন আবু সুহায়ব এর গৃহে ৷
ইবন ইসহাক বলেন : হযরত আলী ইবন আবু তালিব মক্কায় তিন রাত তিন দিন অবস্থান
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে যেসব আমানত তার উপর ন্যস্ত ছিল , সে সব ফেরত
দেওয়া পর্যন্ত ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে এসে মিলিত হন এবং তার সঙ্গে কুলছুম
ইবন হিদম এর গৃহে অবস্থান করেন ৷ ক্যালৌ হযরত আলী (রা) কুবায় এক রাত বা দু’রাত
অবস্থান করেন ৷ হযরত আলী (রা) বলেন যে, কুবায় এক মহিলা ছিল, তার স্বামী ছিল না ৷
মহিলাটি ছিল মুসলমান ৷ আমি দেখতে পাই যে, রাত্রিবেলা একজন পুরুষ আগমন করে
মহিলার দরজায় আঘাত করতো ৷ পুরুষটির নিকট মহিলাটি বেরিয়ে এলে তাকে কিছু একটা
দিতো ৷ আর মহিলা তা গ্রহণ করতো ৷ পুরুষটি সম্পর্কে আমার খারাব ধারণা জন্যে ৷ আমি
মহিলাঢিকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দী ৷ এ লোকটি কে, যে প্রতি রাত্রে তোমার গৃহের দরজায়
করাঘাত করে আর তুমি লোকটির নিকট বের হয়ে আস, আর লোকটি তোমাকে কিছু একটা
জিনিস দেয় ৷ জানি না, তা কী জিনিস ৷ তুমি তো একজন মুসলিম মহিলা, তোমার স্বামী নেই ৷
মহিলাটি বললাে ! এ পুরুষটি হলেন সাহল ইবন হানীফ ৷ তিনি জানেন যে, আমি এমন এক
নারী যার কেউ নেই ৷ সল্যায় তিনি গোত্রের মুর্তিগুলোর উপর আঘাত হোন সেগুলো ভেঙ্গে
ফেলেন এবং মুর্তিভাঙ্গা কাষ্ঠগুলো আমার কাছে নিয়ে আসেন, যাতে সে কাষ্ঠগুলাে আমি
জ্বালানি রুপে ব্যবহার করতে পারি ৷ হযরত সাহল ইবন হানীফ ইরাকে হযরত আলী (রা)-এর
নিকট মৃত্যুবরণ করলে তিনি এ গোপন তথ্যটি প্রকাশ করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় বনু আমরইবন আওফ এর গৃহে সোম মঙ্গল,
বুধ ও বৃহস্পতিবার এ চারদিন অবস্থান করেন এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ এরপর
জুমুআর দিন আল্লাহ্ তাকে তাদের মধ্য থেকে বের করেন ৷ আর বনু আমর ইবন আওফ এর
ধারণা যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের মধ্যে এর চেয়ে বেশী দিন অবস্থান করেছিলেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন ইসহাকেয় বরাতে আবদুল্লাহ ইবন ইদ্রীস বলেন, বনু আমর ইবন আওফ ধারণা করে যে,
الْهِدْمِ جَلَسَ لِلنَّاسِ فِي بَيْتِ سَعْدِ بْنِ خَيْثَمَةَ. وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ عَزَبًا لَا أَهْلَ لَهُ، وَكَانَ يُقَالُ لِبَيْتِهِ: بَيْتُ الْعُزَّابِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَنَزَلَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى خُبَيْبِ بْنِ إِسَافٍ، أَحَدِ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ بِالسُّنْحِ، وَقِيلَ: عَلَى خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَبِي زُهَيْرٍ، أَخِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَقَامَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ لَيَالٍ وَأَيَّامَهَا، حَتَّى أَدَّى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَدَائِعَ التِي كَانَتْ عِنْدَهُ، ثُمَّ لَحِقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَزَلَ مَعَهُ عَلَى كُلْثُومِ بْنِ الْهِدْمِ، فَكَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ - وَإِنَّمَا كَانَتْ إِقَامَتُهُ بِقُبَاءَ لَيْلَةً أَوْ لَيْلَتَيْنِ - يَقُولُ: كَانَتْ بِقُبَاءَ امْرَأَةٌ لَا زَوْجَ لَهَا، مُسْلِمَةٌ، فَرَأَيْتُ إِنْسَانًا يَأْتِيهَا مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، فَيَضْرِبُ عَلَيْهَا بَابَهَا فَتَخْرُجُ إِلَيْهِ، فَيُعْطِيهَا شَيْئًا مَعَهُ فَتَأْخُذُهُ، فَاسْتَرَبْتُ بِشَأْنِهِ فَقُلْتُ لَهَا: يَا أَمَةَ اللَّهِ، مَنْ هَذَا الَّذِي يَضْرِبُ عَلَيْكِ بَابَكَ كُلَّ لَيْلَةٍ، فَتَخْرُجِينَ إِلَيْهِ، فَيُعْطِيَكِ شَيْئًا لَا أَدْرِي مَا هُوَ، وَأَنْتِ امْرَأَةٌ مُسْلِمَةٌ لَا زَوْجَ لَكِ؟ قَالَتْ: هَذَا سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَقَدْ عَرَفَ أَنِّي امْرَأَةٌ لَا أَحَدَ لِي، فَإِذَا أَمْسَى عَدَا عَلَى أَوْثَانِ قَوْمِهِ فَكَسَرَهَا، ثُمَّ جَاءَنِي بِهَا، فَقَالَ: احْتَطِبِي بِهَذَا. فَكَانَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَأْثُرُ ذَلِكَ مِنْ شَأْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ حِينَ هَلَكَ عِنْدَهُ بِالْعِرَاقِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبَاءَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَيَوْمَ الثُّلَاثَاءِ، وَيَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ، وَيَوْمَ الْخَمِيسِ، وَأَسَّسَ مَسْجِدَهُ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ২২০০
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের মধ্যে আঠারো রাত্রি অবস্থান করেন ৷ প্রন্থকার বলেন : ইতেড়াপুর্বে যুহ্বী
সুত্রে উরওয়া থেকে ইমাম বুখারীর বর্ণনা উল্লেখিত হয়েছে যে, তিনি তাদের মধ্যে ১০ রাত্রির
কিছু বেশী সময় অবস্থান করেছিলেন ৷ আর মুসা ইবন উকবা মুজাম্মা’ ইবন ইয়াযীদ ইবন হারিছ
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় বনু আমর ইবন আওফের মধ্যে বাইশ রাত্রি
অবস্থান করেন ৷ আর ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন : কথিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
মধ্যে চৌদ্দ রাত্রি অবস্থান করেন ৷
মদীনা মুনাওওয়ড়ারায় প্রথম জুমুআর নামায
ইবন ইসহাক বলেন : বনু সালিম ইবন আওফে জুমুআর সময় হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বড়াতনে ওয়াদী-ওয়াদীয়ে রানুনায়-জুমুআর নামায আদায় করেন ৷ আর এটা ছিল মদীনায়
রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রথম জুমুআর নামায ৷ এরপর বনু সালিমের এক দল লোকের সঙ্গে
ইতবান ইবন মালিক এবং আব্বাস ইবন উবদো ইবন নাঘৃলা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে
হাযির হয়ে আরয করেন, ইয়া রড়াসুলাল্পাহ্ আপনি আমাদের মা;ধ্য অবস্থান করুন, আমরা
ৎখ্যায় অধিক, আমাদের প্রস্তুতি অনেক এবং আমরা প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও সক্ষম ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
“তোমরা উটনীটির পথ ছেড়ে দাও ৷ কারণ, সে (আল্লাহ্র পক্ষ থেকে) আদেশপ্রাপ্ত ৷
ফলে তারা উটনীটির পথ ছেড়ে দেয় ৷ উটনী চলতে থাকে ৷ শেষ পর্যন্ত বনু ৰিয়াযার মহল্লায়
পৌছলে যিয়াদ ইবন লাবীদ এবং ফারওয়া ইবন আমর একদল লোক নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদন জানান :
“ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন, আমরা জনবল এবং অস্ত্র বলে অধিক
এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায় সক্ষম ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “তোমরা তার পথ ছেড়ে
দাও, সে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আদিষ্ট ৷ ” তারা তার পথ ছেড়ে দেয় এবং সে চলতে থাকে ৷ বনু
সাইদার মহল্লা দিয়ে গমনকালে বনু সাইদার একদল লোকসহ সাআদ ইবন উবাদা এবং মুনষির
ইবন আমর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খিদমতে হাযির হয়ে আবেদন জানান :
“হে আল্লাহ্র রাসুল ৷ আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন ৷ সংখ্যায় আমরা অধিক এবং
প্রতিরোধে আমরা সক্ষম ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা তার রাস্তা ছেড়ে দাও ৷ কারণ,
সে (আল্লাহ্র পক্ষে থেকে) আদেশপ্রাপ্ত আছে ৷ উটনীটি চলতে থাকে ৷ বনু হারিছ ইবন
খাযরড়াজ এর মহল্লা বরাবর পৌছলে সাআদ ইবন রাবী , থারিজা ইবন যায়দ এবং আবদুল্পাহ্
ইবন রাওয়াহা বনু হারিছ ইবন খাযরাজএর একদল লোক নিয়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে
উপস্থিত হয়ে আরয করেন :
“হে আল্লাহ্র রাসুল ৷ আমাদের মধ্যে আগমন করুন ৷ জনবল আর অস্ত্রবলে আমরা বেশী
এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও আমরা সক্ষম ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
“তোমরা তার পথ ছেড়ে দাও, সে যে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আদিষ্ট ৷ তারা পথ ছেড়ে
দিলে সে চলতে থাকে ৷ বনী আদী ইবন নাজ্জারের মহল্লা দিয়ে অতিক্রমকালে উম্মু আবদুল
أَخْرَجَهُ اللَّهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَبَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ مَكَثَ فِيهِمْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: وَبَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَقَامَ فِيهِمْ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً.
قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَقَامَ فِيهِمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً.
وَحَكَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ مُجَمِّعِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَارِيَةَ، أَنَّهُ قَالَ: أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِينَا - يَعْنِي فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءَ - اثْنَتَيْنِ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَيُقَالُ: أَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «فَأَدْرَكَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجُمُعَةُ فِي بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ، فَصَلَّاهَا فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي فِي بَطْنِ الْوَادِي; وَادِي رَانُونَاءَ، فَكَانَتْ أَوَّلَ جُمُعَةٍ صَلَّاهَا بِالْمَدِينَةِ» ، فَأَتَاهُ عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ، وَعَبَّاسُ بْنُ عُبَادَةَ بْنِ نَضْلَةَ فِي رِجَالٍ مِنْ بَنِي سَالِمٍ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَقِمْ عِنْدَنَا فِي الْعَدَدِ وَالْعُدَّةِ
পৃষ্ঠা - ২২০১
وَالْمَنَعَةِ. قَالَ: " خَلُّوا سَبِيلَهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ ". لِنَاقَتِهِ. فَخَلَّوْا سَبِيلَهَا. فَانْطَلَقَتْ حَتَّى إِذَا وَازَتْ دَارَ بَنِي بَيَاضَةَ، تَلَقَّاهُ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ وَفَرْوَةُ بْنُ عَمْرٍو فِي رِجَالٍ مِنْ بَنِي بَيَاضَةَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولُ اللَّهِ، هَلُمَّ إِلَيْنَا إِلَى الْعَدَدِ وَالْعُدَّةِ وَالْمَنَعَةِ. قَالَ: " خَلُّوا سَبِيلَهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ ". فَخَلَّوْا سَبِيلَهَا، فَانْطَلَقَتْ حَتَّى إِذَا مَرَّتْ بِدَارِ بَنِي سَاعِدَةَ، اعْتَرَضَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ وَالْمُنْذِرُ بْنُ عَمْرٍو فِي رِجَالٍ مِنْ بَنِي سَاعِدَةَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلُمَّ إِلَيْنَا إِلَى الْعَدَدِ وَالْعُدَّةِ وَالْمَنَعَةِ. قَالَ: " خَلُّوا سَبِيلَهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ ". فَخَلَّوْا سَبِيلَهَا، فَانْطَلَقَتْ حَتَّى إِذَا وَازَتْ دَارَ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، اعْتَرَضَهُ سَعْدُ بْنُ الرَّبِيعِ وَخَارِجَةُ بْنُ زَيْدٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فِي رِجَالٍ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلُمَّ إِلَيْنَا إِلَى الْعَدَدِ وَالْعُدَّةِ وَالْمَنَعَةِ. قَالَ: " خَلُّوا سَبِيلَهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ ". فَخَلَّوْا سَبِيلَهَا، فَانْطَلَقَتْ حَتَّى إِذَا مَرَّتْ بِدَارِ عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ - وَهُمْ أَخْوَالُهُ دِنْيَا، أُمُّ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ سَلْمَى بِنْتُ عَمْرٍو إِحْدَى نِسَائِهِمْ - اعْتَرَضَهُ سَلِيطُ بْنُ قَيْسٍ وَأَبُو سَلِيطٍ أُسَيْرَةُ بْنُ أَبِي خَارِجَةَ فِي رِجَالٍ مَنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلُمَّ إِلَى أَخْوَالِكَ، إِلَى الْعَدَدِ وَالْعُدَّةِ وَالْمَنَعَةِ. قَالَ: " خَلُّوا سَبِيلَهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ ". فَخَلَّوْا سَبِيلَهَا، فَانْطَلَقَتْ حَتَّى إِذَا أَتَتْ دَارَ بَنِي مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ بَرَكَتْ عَلَى بَابِ مَسْجِدِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، الْيَوْمَ، وَكَانَ يَوْمَئِذٍ مِرْبَدًا لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ مِنْ بَنِي مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ، وَهُمَا سَهْلٌ وَسُهَيْلٌ ابْنَا عَمْرٍو، وَكَانَا فِي حِجْرِ مُعَاذٍ ابْنِ عَفْرَاءَ
পৃষ্ঠা - ২২০২
মুত্তালিব তাদের বংশের অন্যতম নারী সালমা বিনত আম্র এরা দু’জন নিকটে আসে ৷ এরা
সালীত ইবন কায়স এবং আবু সালীত আসীরা ইবন খারিজা বনী আদী ইবন নাজ্জারের একদল
লোক নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরব করেন :
“হে আল্লাহ্র রাসুল (সা) ! আপনার মাতুলকুলে অবস্থান গ্রহণ করুন ৷ জনসংখ্যা আর
অস্ত্রবলে তারা বেশী এবং প্রতিরোধেও তারা সক্ষম ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবারও বললেন :
“তোমরা তার পথ ছেড়ে দাও ৷ কারণ, সে তো আদিষ্ট আছে ৷ পথ ছেড়ে দিলে উটনীটি
আপন মনে চলতে থাকে ৷ শেষ পর্যন্ত বনু মালিক ইবন নাজ্জারের মহল্লার দরজায় এসে,
বর্তমানে যেখানে মসজিদে নববী অবস্থিত, সেখানে বসে পড়ে ৷ এ স্থানটি ছিল বনু মালিকের
দু’জন ইয়াতীম শিশু সহল এবং সুহায়লের খেজুর শুকাবার স্থান আর এ দু’জন ইয়াতীম
শিশু মুআয ইবন আফরার প্রতিপালনাধীন ছিলেন ৷
আমি অর্থাৎ (গ্রন্থকার) বলি, যুহ্রী সুত্রে উরওয়ার উদ্ধৃতিতে ইতােপুর্বে উল্লেখ করা
হয়েছে যে, ইয়ড়াতীমদ্বয় আসআদ ইবন যুৱারার প্রতিপালনাধীন ছিলেন হু আসল ব্যাপার আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷
মুসা ইবন উকবা উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পথে আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই ইবন
সালুল;এর গৃহের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন আর সে তখন কাছেই উপস্থিত ছিল ৷ আর
রাসুলুল্পাহ্ (সা) তখন এ আশায় অপেক্ষা করেন যে, হয়তো তাকে র্তার বাড়ীতে আহ্বান করবে
আর সে ছিল তখন খড়াযরাজের গোত্রপতি ৷ তখন আবদুল্লাহ বলে , যারা আপনাকে ডেকেছে,
তাদের নিকট গিয়ে অবস্থান করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একজন আনসারীকে একথা জানালে
সাআদ ইবন উবড়াদা তার পক্ষ থেকে ওযর পেশ করে বলেন :
“ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আপনার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন ৷ আমাদের
ইচ্ছা ছিল, আমরা তার মাথায় মুকুট স্থাপন করবো এবং তাকে আমাদের রাজারুপে বরণ
করবো ৷” মুসা ইবন উকবা আরো বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আমর ইবন অড়াওফ-এর গৃহ থেকে রওনা হওয়ার আগে আনসারগণ
একত্রিত হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সওয়ারীর আগে-পিছে চলতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এৱ
সম্মান আর মর্যাদা লাভের জন্যে কে তীর উটের রশি ধরবেন, এ নিয়ে কাড়াকাড়ি হয় ৷ কোন
আনসারীর গৃহের নিকট দিয়ে গমনকালে তারা রাসুলুল্পাহ্ (সা)-ফে আহ্বান জানাতেন ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলতেন : ৰু
“তাকে ছেড়ে দাও, সে (আল্পাহ্র পক্ষ থেকে) আদিষ্ট ৷ আল্লাহ্ যেখানে আমাকে অবতরণ
করান, সেখানেই সে অবতরণ করবে ৷ হযরত আবু আইউবের গৃহের কাছে গিয়ে উটনীঢি তার
গৃহের দরজায় বসে পড়ে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) সেখানে অবরতণ করে হযরত আবু আইউবের গৃহে
প্রবেশ করেন এবং সেখানে মসজিদ ও বাসস্থান নির্মাণ করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে নিয়ে (তার ) উটনী বসে পড়লে তিনি সঙ্গে সঙ্গে
উটনীর পিঠ থেকে অবতরণ করেননি; উটনীটি, আবার উঠে র্দড়াড়ায় এবং কিছু দুর চলে আর
قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ الْبُخَارِيِّ، مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُمَا كَانَا فِي حِجْرِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ فِي طَرِيقِهِ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ ابْنِ سَلُولَ وَهُوَ فِي بَيْتٍ، فَوَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْتَظِرُ أَنْ يَدْعُوَهُ إِلَى الْمَنْزِلِ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْخَزْرَجِ فِي أَنْفُسِهِمْ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: انْظُرِ الَّذِينَ دَعَوْكَ فَانْزِلْ عَلَيْهِمْ. فَذَكَرَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَفَرٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ يَعْتَذِرُ عَنْهُ: لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْنَا بِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّا نُرِيدُ أَنْ نَعْقِدَ عَلَى رَأْسِهِ التَّاجَ وَنُمَلِّكَهُ عَلَيْنَا.
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: وَكَانَتِ الْأَنْصَارُ قَدِ اجْتَمَعُوا قَبْلَ أَنْ يَرْكَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَمَشَوْا حَوْلَ نَاقَتِهِ، لَا يَزَالُ أَحَدُهُمْ يُنَازِعُ صَاحِبَهُ زِمَامَ النَّاقَةِ شُحًّا عَلَى كَرَامَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْظِيمًا لَهُ، وَكُلَّمَا مَرَّ بِدَارٍ مِنْ دَوْرِ الْأَنْصَارِ دَعَوْهُ إِلَى الْمَنْزِلِ، فَيَقُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُوهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ، فَإِنَّمَا أَنْزِلُ حَيْثُ أَنْزَلَنِي اللَّهُ ". فَلَمَّا انْتَهَتْ إِلَى دَارِ أَبِي أَيُّوبَ، بَرَكَتْ بِهِ عَلَى الْبَابِ، فَنَزَلَ فَدَخَلَ بَيْتَ أَبِي أَيُّوبَ، حَتَّى ابْتَنَى مَسْجِدَهُ وَمَسَاكِنَهُ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا بَرَكَتِ النَّاقَةُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْزِلْ عَنْهَا، حَتَّى وَثَبَتْ فَسَارَتْ غَيْرَ بَعِيدٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعٌ لَهَا زِمَامَهَا لَا
পৃষ্ঠা - ২২০৩
রাসুলুল্পাহ্ (সা) উটনীর রশি ধারণ করে রাখেন, তাকে একেবারে ছেড়ে দেননি ৷ এরপর
উটনীটি কিছুটা পেছনে সরে আসে এবং তার বসার স্থানে এসে বসে পড়ে ৷ এরপর সে একটু
সরে যায় হনহন শব্দ করে এবং মাটিতে মাথা রাখে এবং তার পিঠ থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নেমে
আসেন ৷ তখন আবু আইউব এবং খালিদ ইবন যায়দ (এগিয়ে এসে) উটের পালানটি বহন করে
ঘরে নিয়ে রাখেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ঘরে অবতরণ করেন ৷ পুর্বেড়াক্ত খেজুর খলা সম্পর্কে
তিনি জানতে চান যে, এটা কার ? মুঅ্যায ইবন আফ্রা তাকে বলেন, ইয়া রড়াসুলাল্লাহ্! এটা
আম্র এর দৃইপুত্র সাহ্ল এবং সুহায়লের এবং তারা দুজন ইয়াভীম অবস্থায় আমার তত্ত্বড়াবধানে
রয়েছে ৷ আমি তাদের দৃ’জনকে রাযী করতে পারবো ৷ আপনি সেখানে মসজিদ বানিয়ে নিন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন ৷ তিনি, আবু আইউবের গৃহেই অবস্থান
করেন ৷ মসজিদ আর বাসস্থান নির্মাণ না করা পর্যন্ত তিনি এখানেই অবস্থান করেন ৷ মসজিদ
নির্মাণের কাজে রাসুলুল্পাহ্ (সা) মুহড়াজির ও আনসারগণের সঙ্গে নিজেও অংশঃত্ত্বহণ করেন ৷
মসজিদ নির্মাণের কাহিনী একটু পরে আসছে ৷
ইমাম বায়হাকী দালাইলুন নবুওয়াত’ গ্রন্থে আবু আবদুল্লাহ্ সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করে শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে আনসড়ার
নারী-পুরুষগণ উপস্থিত হয়ে তাদের ঘরে আহ্বান করেন ৷ জ্যি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) পুর্বের মতই
জবাব দেন ৷
এ সময় বনু নাজ্জারের বালিকারা তাদের বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসে এবং দফ বাজাতে
বাজাতে বলতে থাকে :
র্শে
আমরা নাজ্জার বংশের বালিকারা, মুহাম্মদ (সা) কতই না উত্তম প্রতিবেশী ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) গৃহ থেকে বের হয়ে তাদের উদ্দেশে বললেন : তোমরা কি আমাকে
ভালবাসা তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহর কসমশ্, আমরা অবশ্যই আপনাকে ভালবাসি
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) একে একে তিনবার বললেন :
া
“আল্লাহ্র কসম, আমিও ভোমাস্থদ্যাকে ভালবাসি ৷ ”
এ সুত্রে হাদীছটি গরীব ৷ সুনান গ্রন্থকারগণের মধ্যে কেউই হাদীছটি উদ্ধৃত করেননি ৷
অবশ্য হাকিম তার মুস্তাদরাকে’ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম বায়হাকী আবু আবদুর রহমান সুলড়ামী সুত্রে আনাস (বা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷
এতে বাড়তি এতটুকু আছে যে, তখন রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) বললেন :
«fl ণ্এ-ষ্কশু
“আল্পাহ্ জানেন যে, আমার অন্তর তােমাদেরকে ভালবাসে ৷
يُثْنِيهَا بِهِ، ثُمَّ الْتَفَتَتْ خَلْفَهَا، فَرَجَعَتْ إِلَى مَبْرَكِهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ، فَبَرَكَتْ فِيهِ، ثُمَّ تَحَلْحَلَتْ وَرَزَمَتْ وَوَضَعَتْ جِرَانَهَا، فَنَزَلَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاحْتَمَلَ أَبُو أَيُّوبَ خَالِدُ بْنُ زَيْدٍ رَحْلَهُ، فَوَضَعَهُ فِي بَيْتِهِ، وَنَزَلَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَأَلَ عَنِ الْمِرْبَدِ: " لِمَنْ هُوَ؟ " فَقَالَ لَهُ مُعَاذٌ ابْنُ عَفْرَاءَ: هُوَ يَا رَسُولُ اللَّهِ لِسَهْلٍ وَسُهَيْلٍ ابْنَيْ عَمْرٍو، وَهُمَا يَتِيمَانِ لِي، وَسَأُرْضِيهُمَا مِنْهُ، فَاتَّخِذْهُ مَسْجِدًا. فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبْنَى، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِ أَبِي أَيُّوبَ، حَتَّى بَنَى مَسْجِدَهُ وَمَسَاكِنَهُ، فَعَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَسَتَأْتِي قِصَّةُ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ قَرِيبًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ عُمَرَ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ الدُّورِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي الْوَرْدِ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ صِرْمَةَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَلَمَّا دَخَلْنَا جَاءَ الْأَنْصَارُ بِرِجَالِهَا وَنِسَائِهَا، فَقَالُوا: إِلَيْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " دَعُوا النَّاقَةَ فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ» ". فَبَرَكَتْ عَلَى بَابِ أَبِي أَيُّوبَ، فَخَرَجَتْ جَوَارٍ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ يَضْرِبْنَ بِالدُّفُوفِ وَهُنَّ يَقُلْنَ:
পৃষ্ঠা - ২২০৪
نَحْنُ جَوَارٍ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ ... يَا حَبَّذَا مُحَمَّدٌ مِنْ جَارِ
فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " أَتُحِبُّونِي؟ " فَقَالُوا: إِي وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " وَأَنَا وَاللَّهِ أُحِبُّكُمْ، وَأَنَا وَاللَّهِ أُحِبُّكُمْ، وَأَنَا وَاللَّهِ أُحِبُّكُمْ ". هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، لَمْ يَرْوِهِ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ السُّنَنِ، وَقَدْ خَرَّجَهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " كَمَا تَرَى.
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْقَاسِمِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُلَيْمَانَ النَّحَّاسُ الْمُقْرِئُ بِبَغْدَادَ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ الْحَسَنِ الْحَلَبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ الْمِصِّيصِيُّ، ثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَيٍّ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ، وَإِذَا جَوَارٍ يَضْرِبْنَ بِالدُّفُوفِ يَقُلْنَ:
نَحْنُ جَوَارٍ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ ... يَا حَبَّذَا مُحَمَّدٌ مِنْ جَارِ
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَعْلَمُ اللَّهُ أَنَّ قَلْبِي يُحِبُّكُنَّ ".» وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ بِهِ.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ
পৃষ্ঠা - ২২০৫
ইমাম ইবন মাজা হিশাম ইবন আমার সুত্রে ঈসা ইবন ইউনুস থেকে হড়াদীছটি বর্ণনা
করেন ৷ ইমাম বুখারী মামার সুত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (না)
দেখতে পেলেন যে, নারী আর শিশুরা এগিয়ে আসছে ৷ রাবী বলেন যে, আমার ধারণা, আনাস
(রা) বলেছেন, তারা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসছিল ৷ তখন নবী করীম (সা) সোজা
দাড়িয়ে বললেন : আল্লাহ জানেন, তোমরা আমার নিকট মানব জাতির মধ্যে সর্বাধিক প্রিয় !
রাসুলুল্পাহ্ (সা) কথাটা তিনবার বললেন ৷
ইমাম আহমদ আবদুস সামাদ সুত্রে আনাস ইবন মালিক (রা ) থেকে বর্ণনা করে বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা অভিমুখে রওনা করেন, আর তার সঙ্গে উটে নওয়াব ছিলেন আবু
বকর (রা) ! আবু বকর (রা)-কে বৃদ্ধ দেখাচ্ছিল এবং তিনি পরিচিত ছিলেন আর রাসুলুল্লাহ্
(না)-যুবক দেখাচ্ছিল, চেনা যাচ্ছিল না ৷ হযরত আনাস (বা ) বলেন আবু বকর (রা)-এর সঙ্গে
(রাস্তায়) কারো সাক্ষাত হলে জিজ্ঞাসা করতে! :
হে আবু বকর! তোমার সম্মুখে ইনি কে ? হযরত আবু বকর বলতেন : ইনি আমার
পথ-প্রদর্শক ৷ প্রশ্নকর্তা মনে করতে! যে, ইনি (মদীনায়) রাস্তা দেখাচ্ছেন ৷ আর হযরত আবু
বকর (বা) কল্যাণ আর মঙ্গলের পথশ্প্ৰদর্শক বলে বুঝাতেন ৷ আবু বকর (বা) ওদিকে তাকিয়ে
দেখেন যে, একজন অশ্বারোহী তাদের নিকটে এসে গেছে ৷ তিনি (আতংকিত হয়ে) বলে
উঠলেন :
হে আল্লাহর নবী! এ অশ্বারোহী তো একেবারে আমাদের কাছে এসে গেছে! রাসুলুল্লাহ্
(সা) সেদিকে ফিরে বললেন :
হে আল্লাহ্ ! তাকে নীচে নিক্ষেপ কর ৷ ঘোড়া তাকে নীচে নিক্ষেপ করে হনহন করতে শুরু
করে ৷ এরপর (লোকটি ঘোড়ার পিঠ থেকে পতিত হয়ে) বললো :
হে আল্লাহর নবী! আমাকে যা ইচ্ছা নির্দেশ করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : এখানেই
থেমে যাও , আর কাউকে আমাদের দিকে আসতে দেবে না ৷ বর্ণনাকারী বলেন :
লোকটি দিনের শুরুতে ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরোধী, আর দিনের শেষে হয়ে যায় তার
সশস্ত্র রক্ষাকারী ৷ বর্ণনাকরী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) হারবার দিকে অবতরণ করেন এবং
আনসারদের নিকট লোক প্রেরণ করেন তা এসে সালাম জানিয়ে বলেন : আপনারা দু’জন
শান্তিতে ও বরণীয়রুপে নওয়াব হোন! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকর (রা) সওয়ার হলেন
এবং আনসারগণ র্তাদেরকে সশস্ত্র অবস্থায় পরিবেষ্টন করে এগিয়ে নেয় ৷ ওদিকে মদীনায়
ত্বাদ রটে যায় যে, আল্লাহ্র নবী (সা) আগমন করেছেন ৷ তার! সকলে মাথা ভুলে তাকে
দেখে আর বলে : এসেছেন, আল্লাহর নবী এসেছেন ৷
বর্ণনাকাবী বলেন : নবী করীম (সা) এগিয়ে যান এবং আবু আইউবের গৃহের নিকটে গিয়ে
অবস্থান নেন ৷ বর্ণনাকারী আনাস (বা) বলেন : হযরত আবু আইউব তার গৃহে পরিবারের সঙ্গে
কথা বলছিলেন আর আবদুল্লাহ ইবন সালাম তা শুনতে পান ৷ তখন তিনি নিজের খেজুর বাগানে
পরিবারের লোকজনের জন্য খেজুর চয়ন করছিলেন ৷ খেজুর চয়ন রেখে দিয়ে যাতে চয়ন
الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النِّسَاءَ وَالصِّبْيَانَ مُقْبِلِينَ - حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: مِنْ عُرْسٍ - فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُمْثِلًا، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ، أَنْتُمْ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ ". قَالَهَا ثَلَاثَ مِرَارٍ»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، ثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَهُوَ مُرْدِفٌ أَبَا بَكْرٍ، وَأَبُو بَكْرٍ شَيْخٌ يُعْرَفُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَابٌّ لَا يُعْرَفُ. قَالَ: فَيَلْقَى الرَّجُلُ أَبَا بَكْرٍ، فَيَقُولُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْكَ؟ فَيَقُولُ: هَذَا الرَّجُلُ يَهْدِينِي السَّبِيلَ. فَيَحْسَبُ الْحَاسِبُ أَنَّهُ إِنَّمَا يَهْدِيهِ الطَّرِيقَ، وَإِنَّمَا يَعْنِي سَبِيلَ الْخَيْرِ. فَالْتَفَتَ أَبُو بَكْرٍ فَإِذَا هُوَ بِفَارِسٍ قَدْ لَحِقَهُمْ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، هَذَا فَارِسٌ قَدْ لَحِقَ بِنَا. فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اصْرَعْهُ ". فَصَرَعَتْهُ فَرَسُهُ، ثُمَّ قَامَتْ تُحَمْحِمُ، ثُمَّ قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، مُرْنِي بِمَا شِئْتَ. قَالَ: " قِفْ مَكَانَكَ، وَلَا تَتْرُكْنَ أَحَدًا يَلْحَقُ بِنَا ". قَالَ: فَكَانَ أَوَّلَ النَّهَارِ جَاهِدًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ آخِرَ النَّهَارِ مَسْلَحَةً لَهُ. قَالَ: فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَانِبَ الْحَرَّةِ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الْأَنْصَارِ، فَجَاءُوا فَسَلَّمُوا عَلَيْهِمَا، وَقَالُوا: ارْكَبَا آمِنَيْنِ مُطَمَئِنَّيْنِ. فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২২০৬
করছিলেন সেই পাত্রটি সঙ্গে নিয়ে তিনি চলে আসেন এবং আল্লাহ্র কথা শুনে গৃহে ফিরে যান ৷
আর আল্লাহ্র নবী বললেন : কার ঘর আমাদের সবচাইতে কাছে ? আবু আইউব (রা) বললেন :
হে আল্লাহর নবী ৷ আমার ঘর ৷ এ আমার গৃহ, আর এ আমার গৃহের দরজা ৷ বললেন : যাও,
আমাদের বিশ্রামের আয়োজন কর ৷ তিনি যান এবং আয়োজন করে ফিরে এসে বলেন :
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি ব্যবস্থা করেছি ৷ আপনারা দু’জন চলুন এবং বিশ্রাম নিন ৷ আল্লাহর
নবী (সা) আগমন করলে আবদুল্লাহ ইবন সালাম খিদমতে হাযির হয়ে বলেন :
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর সত্য নবী এবং আপনি আগমন করেছেন
সত্যসহ ৷” আর ইয়াহুদীরা আসে যে, আমি তাদের নেতার পুত্র নেতা এবং আমি তাদের মধ্যে
সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী এবং সবচেয়ে বেশী জ্ঞানীর সন্তান ৷ আপনি তাদের আহ্বান করুন এবং
জিজ্ঞেস করুন ৷ তারা এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে হাযির হলে রসৃলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে
বললেন :
হে ইয়াহুদী সমাজ! দুঃখ তোমাদের জন্য ৷ তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ সে আল্লাহর
কসম, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ সেই ৷ তোমরা তাে ভাল করেই জান যে, আমি সত্যি
সত্যিই আল্লাহ্র রাসুল ৷ তোমরা এটাও জান যে, সত্য নিয়েই আমার আবির্ভাব হয়েছে ৷
সুতরাং ইসলাম গ্রহণ করো ৷ তারা বললো, আমরা তা জানি না (অর্থাৎ আপনি যে আল্লাহর
রাসুল ৷ তাতো আমাদের জানা নেই) ৷ কথাটা তারা তিনবার উচ্চারণ করে ৷ অনুরুপভাবে ইমাম
বুথারী আব্দুস সামাদের দিকে সম্পৃক্ত না করে এককভাবে মুহাম্মদ সুত্রে হাদীছঢি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইবন ইসহাকের আরো একটা বর্ণনা
ইবন ইসহাক ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব সুত্রে আবুআইউব (রা) থেকে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আমার গৃহে উঠেন, তখন তিনি নীচের তলায় অবস্থান করেন ৷ আমি
এবং উম্মু আইউব (অর্থাৎ আমার শ্রী) অবস্থান করি উপর তলায় ৷ তখন আমি বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোন ! আমি উপর তলায় থাকবাে আর
আপনি থাকবেন নীচতলায়, এটা আমার নিকট অসহ্য এবং জঘন্য বেয়াদবী ৷ তাই আমি চাই
যে, আপনি উপরে চলে আসুন এবং আমি নীচে নেমে যাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
হে আবু আইউব ! আমি ঘরের নীচতলায় অবস্থান করলে তাহবে আমি এবং যারা আমাদের
কাছে আসা-যাওয়া করবেন, তাদের জন্য সুবিধাজনক ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) গৃহের নীচতলায়
অবস্থান করলেন, আর আমরা অবস্থান করতে থাকি উপর তলায় ৷ একদিন একটা বড় পানির
পাত্র ভেঙ্গে গেল যাতে পানি ছিল ৷ তখন আমি এবং উম্মু আইউব এবন্টা চাদর বা লেপ নিয়ে
দাড়ায় ৷ আর আমাদের ঘরে কেবল একটা চাদর ছিল-যাতে চাদর পানি চুষে নেয়, যেন তা
ধ্ব ৷৷৪গাে০€০া৷া
৪৬ —— @” ং
وَأَبُو بَكْرٍ وَحَفُّوا حَوْلَهُمَا بِالسِّلَاحِ، فَقِيلَ فِي الْمَدِينَةِ: جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاسْتَشْرَفُوا نَبِيَّ اللَّهِ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ وَيَقُولُونَ: جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ. قَالَ: فَأَقْبَلَ يَسِيرُ حَتَّى نَزَلَ إِلَى جَانِبِ دَارِ أَبِي أَيُّوبَ. قَالَ: فَإِنَّهُ لَيُحَدِّثُ أَهْلَهُ إِذْ سَمِعَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ وَهُوَ فِي نَخْلٍ لِأَهْلِهِ يَخْتَرِفُ لَهُمْ، فَعَجَّلَ أَنْ يَضَعَ الَّذِي يَخْتَرِفُ فِيهَا، فَجَاءَ وَهِيَ مَعَهُ، فَسَمِعَ مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ، وَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ: " أَيُّ بُيُوتِ أَهْلِنَا أَقْرَبُ؟ " فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ: أَنَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ، هَذِهِ دَارِي وَهَذَا بَابِي. قَالَ: " فَانْطَلِقْ فَهَيِّئْ لَنَا مَقِيلًا ". فَذَهَبَ فَهَيَّأَ لَهُمَا مَقِيلًا، ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ هَيَّأَتُ لَكُمَا مَقِيلًا، قُومَا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ فَقِيلَا. فَلَمَّا جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ، فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيُّ اللَّهِ حَقًّا، وَأَنَّكَ جِئْتَ بِحَقٍّ، وَلَقَدْ عَلِمَتْ يَهُودُ أَنِّي سَيِّدُهُمْ وَابْنُ سَيِّدِهِمْ، وَأَعْلَمَهُمْ وَابْنُ أَعْلَمِهِمْ، فَادْعُهُمْ فَاسْأَلْهُمْ. فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ، وَيْلَكُمُ اتَّقَوْا اللَّهَ فَوَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونِ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ حَقًّا، وَأَنِّي جِئْتُ بِحَقٍّ، أَسْلِمُوا ". فَقَالُوا: مَا نَعْلَمُهُ. ثَلَاثًا وَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ مُحَمَّدٍ غَيْرِ مَنْسُوبٍ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بِهِ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ: عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْيَزَنِيِّ، عَنْ أَبِي رُهْمٍ السَّمَاعِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، قَالَ: «لَمَّا نَزَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২২০৭
فِي بَيْتِي نَزَلَ فِي السُّفْلِ، وَأَنَا وَأُمُّ أَيُّوبَ فِي الْعُلْوِ، فَقُلْتُ لَهُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَكْرَهُ وَأُعْظِمُ أَنْ أَكُونَ فَوْقَكَ، وَتَكُونَ تَحْتِي، فَاظْهَرْ أَنْتَ فَكُنْ فِي الْعُلْوِ، وَنَنْزِلُ نَحْنُ فَنَكُونُ فِي السُّفْلِ، فَقَالَ: " يَا أَبَا أَيُّوبَ، إِنَّ أَرْفَقَ بِنَا وَبِمَنْ يَغْشَانَا أَنْ أَكُونَ فِي سُفْلِ الْبَيْتِ ". فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سُفْلِهِ، وَكُنَّا فَوْقَهُ فِي الْمَسْكَنِ، فَلَقَدِ انْكَسَرَ حُبٌّ لَنَا فِيهِ مَاءٌ، فَقُمْتُ أَنَا وَأُمُّ أَيُّوبَ بِقَطِيفَةٍ لَنَا - مَا لَنَا لِحَافٌ غَيْرَهَا - نَنْشُفُ بِهَا الْمَاءَ; تَخَوُّفًا أَنْ يَقْطُرَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ شَيْءٌ فَيُؤْذِيَهُ، قَالَ: وَكُنَّا نَصْنَعُ لَهُ الْعَشَاءَ ثُمَّ نَبْعَثُ إِلَيْهِ، فَإِذَا رَدَّ عَلَيْنَا فَضْلَةً، تَيَمَّمْتُ أَنَا وَأُمُّ أَيُّوبَ مَوْضِعَ يَدِهِ فَأَكَلْنَا مِنْهُ، نَبْتَغِي بِذَلِكَ الْبَرَكَةَ، حَتَّى بَعَثْنَا إِلَيْهِ لَيْلَةً بِعَشَائِهِ، وَقَدْ جَعَلْنَا لَهُ فِيهِ بَصَلًا أَوْ ثُومًا، فَرَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ أَرَ لِيَدِهِ فِيهِ أَثَرًا. قَالَ: فَجِئْتُهُ فَزِعًا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، رَدَدْتَ عَشَاءَكَ، وَلَمْ أَرَ فِيهِ مَوْضِعَ يَدِكَ؟ فَقَالَ: " إِنِّي وَجَدْتُ فِيهِ رِيحَ هَذِهِ الشَّجَرَةِ، وَأَنَا رَجُلٌ أُنَاجَى، فَأَمَّا أَنْتُمْ فَكُلُوهُ ". قَالَ: فَأَكَلْنَاهُ وَلَمْ نَصْنَعْ لَهُ تِلْكَ الشَّجَرَةَ بَعْدُ.» وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْحَسَنِ - أَوْ أَبِي الْخَيْرِ - مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْيَزَنِيِّ، عَنْ أَبِي رُهْمٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُؤَدِّبِ، عَنِ اللَّيْثِ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَمْرٍو الْحِيرِيُّ،
পৃষ্ঠা - ২২০৮
নীচে রাসুলের গায়ে পতিত হয়ে তাকে কোন কষ্ট না দেয় ৷ বর্ণনাকারী আবু আইউব বলেন :
আমরা রাসুল (না)-এর রাত্রের খাবার পাকাতাম এবং তার কাছে প্রেরণ করতাম ৷ তিনি খাবার
থেয়ে বাড়তি অংশ ফেরত পাঠালে বরকতের আশায় আমি এবং উম্মু আইউব খুজে রেড়াতাম
কোথায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর হাত পড়েছে ৷ যেখানে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাত পড়েছে
বরকতের আশায় আমরা সেখান থেকে থেতাম ৷ এক রাত্রে আমরা তার জন্য খাবার পাঠালাম,
তাতে ছিল রসুন বা পিয়াজ ৷ ফলে তিনি খাবার ফেরত পাঠালেন ৷ আমরা তাতে তার হাত
দেয়ার কোন চিহ্নই দেখতে পেলাম না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি বা’াকুল হয়ে তার কাছে ছুটে
আসি এবং আরব করি : ইয়া রড়াসুলাল্লাহ্ ! আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গ, আপনি
রাত্রের খাবার ফেরত দিয়েছেন, তাতে আপনার হাত রাখার চিহ্ন পেলাম না ৷ তিনি বললেন :
আমি খাদ্যে এ গাছের গন্ধ পেয়েছি ৷ আমি তাে এমন এক ব্যক্তি, যে মঙ্গোপনে কথা বলে
(আল্লাহ্ বা ফেরেশতার সঙ্গে) ৷ তবে তোমরা তা খেতে পার ৷ বর্ণনাকারী আবু আইউব (রা)
বলেন, আমরা তা আহার করি, কিন্তু পরবত্তীকািলে আমরা আর তীর খাদ্যে পিয়াজ-বলুন
ব্যবহার করিনি ৷
অনুরুপভাবে ইমাম বায়হাকী লায়ছ ইবন সাআদ সুত্রে আবু আইউব (না) থেকে হাদীছটি
বর্ণনা করেন ৷ আবু বকর ইবন শায়বাও ইউনুস ইবন মুহাম্মদ আল-মুআদ্দাব সুত্রে লায়ছ (র)
থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
ইমাম বায়হাকী (র)-ও আফলাহ এর বরাতে আবু আইউব থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
আবু আইউব বিচলিত হয়ে উপরে রাসুলের নিকট গিয়ে জানতে চাইলেন : রসৃন কি হারাম !
রাসুল বললেন চু;
না, হারাম নয়, তবে আমি তা পসন্দ করি না ৷ তখন আবু আইউব বললেন : আপনি যা
অপসন্দ করেন, আমিও তা অপসন্দ করি ৷ রাবী বলেন, নবী (না)-এর নিকট ফেরেশতা আগমন
করতেন ৷ আহমদ ইবন সাঈদ সুত্রে ইমাম মুসলিম হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ বুখারী এবং মুসলিম
শরীফে হযরত আনাস ইবন মালিক (বা) থেকে বর্ণনা প্রমাণিত আছে যে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট বদরে-অন্য বর্ণনায় বদর ( ) ;প্রু )-এর স্থলে কিদ্র ( এাদ্বু) অর্থাৎ
ডেগ আছে কিছু সবজি তরকারি হাযির করা হলে বর্ণনাকারী বলেন, তিনি জানতে চাইলেন
তাতে কী আছে ? তা র্তাকে জানান হয় ৷ তিনি দেখে তা খাওয়া অপসন্দ করলেন ৷ তবে
রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন :
তুমি খেতে পার ৷ কারণ, আমি এমন সত্তার সঙ্গে সঙ্গোপনে কথা বলি, যাদের সঙ্গে
তোমরা কথা বল না !
ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে, আবু আইউবের গৃহে রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবস্থানকালে আসআদ
ইবন যুরারা সেখানে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে অবস্থান করেন এবং আবু আইউব রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর উটনীর রশি ধারণ করেন আর উটনীটি তার নিকটই রয়ে যায় ৷
ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، ثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، ثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ، ثَنَا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَفْلَحَ مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ عَلَيْهِ فَنَزَلَ فِي السُّفْلِ، وَأَبُو أَيُّوبَ فِي الْعُلْوِ، فَانْتَبَهَ أَبُو أَيُّوبَ لَيْلَتَهُ، فَقَالَ: نَمْشِي فَوْقَ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَنَحَّوْا فَبَاتُوا فِي جَانِبٍ، ثُمَّ قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي فِي ذَلِكَ - فَقَالَ: " السُّفْلُ أَرْفَقُ بِنَا ". فَقَالَ: لَا أَعْلُو سَقِيفَةً أَنْتَ تَحْتَهَا، فَتَحَوَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعُلْوِ، وَأَبُو أَيُّوبَ فِي السُّفْلِ، فَكَانَ يَصْنَعُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَعَامًا، فَإِذَا جِيءَ بِهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِهِ، فَيَتَتَبَّعُ مَوْضِعَ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فِيهِ ثُومٌ، فَلَمَّا رُدَّ إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقِيلَ لَهُ: لَمْ يَأْكُلْ. فَفَزِعَ وَصَعِدَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: أَحَرَامٌ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا، وَلَكِنِّي أَكْرَهُهُ ". قَالَ: فَإِنِّي أَكْرَهُ مَا تَكْرَهُ - أَوْ مَا كَرِهْتَ - قَالَ: وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤْتَى. يَعْنِي يَأْتِيهِ الْمَلَكُ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ بِهِ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «جِيءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَدْرٍ - وَفِي رِوَايَةٍ: بِقِدْرٍ - فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنْ بُقُولٍ. قَالَ: فَسَأَلَ
পৃষ্ঠা - ২২০৯
হযরত যায়দ ইবন ছাবিত (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু
আইউবের গৃহে অবস্থানকালে সর্বপ্রথম তার সমীপে যে হাদিয়া পেশ করা হয়, তা আমি বহন
করে আমি ৷ তা ছিল একটা পেয়ালায় কিছু রুটি এবং দুধ ও ঘি দ্বারা তৈয়ার করা ছায়ীদ ৷ আমি
বলি, আমার আম্মা এ পেয়ালা প্রেরণ করেছেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
“আল্লাহ্ তােমড়াতে বরকত দান করুন ৷” এ বলে তিনি তার সাহাংবীদেরকে ডাকলে তারা
সকলে আহার করেন ৷ এরপর আসে হযরত সাআদ ইবন উবাদার ছায়ীদ আর গোশৃতের শুরুয়া
ভর্তি পেয়ালা ৷ এমন কোন রাত ছিল না, যে রাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘরের দরজায় হাদিয়ার
খাদ্যবাহী তিন-চারজন একের পর এক উপস্থিত থাকতেন না ৷ আবুআইউবের গৃহে রাসুলুল্লাহ্
(সা) সাত মাস অবস্থান করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন : আবু আইউবের গৃহে অবস্থানকালেই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আযাদকৃত গোলাম যায়দ ইবন হারিছা এবং আবু রাফিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দু’টি উট এবং ৫শ’ দিরহামসহ প্রেরণ করেন রাসুলের কন্যাদ্বয় ফাতিমা আর উম্মু কুলছুম,
নবী-সহধর্মিণী সাওদা বিনৃত যড়ামআ এবং উসামা ইবন যায়দকে নিয়ে আমার জন্য ৷ আর
রাসুলের কন্যা রুকায়া স্বামী উছমাংনর সঙ্গে হিজরত করেন ৷ আর যয়নব ছিলেন মক্কায় স্বামী
আবুল আস ইবন রাবীর সঙ্গে ৷ তাদের সঙ্গে আগমন করেন যায়দ ইবন হারিছার শ্রী উম্মু
আয়মান ৷ তাদের সঙ্গে আবু বকরের পরিবার-পরিজন নিয়ে বের হন আবদুল্লাহ্ ইবন আবু
বকর, তাদের মধ্যে উম্মুল যু’মিনীন আইশা সিদ্দীকা (রা)-ও ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখনো
উম্মুল মু’মিনীন আইশা (বা) এর সঙ্গে বাসর করেননি ৷
ইমাম বায়হাকী আলী ইবন আহমদ সুত্রে আবদুল্পাহ্ ইবন ঘুবায়র থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (না) মদীনায় আগমন করলে জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী এবং হাসান ইবন
যায়দ এর গৃহের মধ্যস্থলে তার উটনীটি বসে পড়ে ৷ তখন লোকেরা হাষির হয়ে তাদের নিজ
নিজ ঘরে নবী করীম (সা)-কে আহ্বান জানান ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি আবু আইউবের ঘরে উঠেন ৷
আবু আইউব আনসারী উটের পৃষ্ঠে বসার গদি তার গৃহে নিয়ে যান ৷ এরপর জনৈক ব্যক্তি এসে
আরয করেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি কোথায় অবস্থান করবেন ? প্রশ্ন করলে তিনি জবাব
দিলেন :
শ্;১র্ত
“মানুষ সেখানেই থাকে, যেখানে তার বাহনের গদি থাকে ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবায়
মসজিদ নির্মাণ পর্যন্ত ১২ রাত্রি ছাপড়ায় অবস্থান করেন ৷ আবু অইিউব থালিদ ইবন যায়দের
এক বিরাট সম্মান ও মর্যাদার বিষয় যে, তার গৃহেই মদীনায় রাসুলুল্পাহ্ (সা) অবস্থান
করেছিলেন ৷
ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব সুত্রে মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণিত আছে যে, আবু আইউব বসরায় আগমন করলে তখন সেখানে ইবন আব্বাস
فَأُخْبِرَ بِمَا فِيهَا مِنَ الْبُقُولِ، فَلَمَّا رَآهُ كَرِهَ أَكْلَهَا، قَالَ: " كُلْ، فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لَا تُنَاجِي ".»
وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ أَسْعَدَ بْنَ زُرَارَةَ - لَمَّا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِ أَبِي أَيُّوبَ - أَخَذَ بِخِطَامِ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَتْ عِنْدَهُ.
وَرَوَى عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّهُ قَالَ: «أَوَّلُ هَدِيَّةٍ أُهْدِيَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ نَزَلَ دَارَ أَبِي أَيُّوبَ أَنَا جِئْتُ بِهَا، قَصْعَةٌ فِيهَا خُبْزٌ مَثْرُودٌ بِلَبَنٍ وَسَمْنٍ، فَقُلْتُ: أَرْسَلَتْ بِهَذِهِ الْقَصْعَةِ أُمِّي. فَقَالَ: " بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ ". وَدَعَا أَصْحَابَهُ فَأَكَلُوا ثُمَّ جَاءَتْ قَصْعَةُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ ثَرِيدٌ وَعِرَاقُ لَحْمٍ، وَمَا كَانَتْ مِنْ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَعَلَى بَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّلَاثَةُ وَالْأَرْبَعَةُ يَحْمِلُونَ الطَّعَامَ يَتَنَاوَبُونَ، وَكَانَ مُقَامُهُ فِي دَارِ أَبِي أَيُّوبَ سَبْعَةَ أَشْهُرٍ. قَالَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ نَازِلٌ فِي دَارِ أَبِي أَيُّوبَ - مَوْلَاهُ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَأَبَا رَافِعٍ، وَمَعَهُمَا بَعِيرَانِ وَخَمْسُمِائَةِ دِرْهَمٍ لِيَجِيئَا بِفَاطِمَةَ وَأُمِّ كُلْثُومٍ ابْنَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ زَوْجَتِهِ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَكَانَتْ رُقَيَّةُ قَدْ هَاجَرَتْ مَعَ زَوْجِهَا عُثْمَانَ، وَزَيْنَبُ عِنْدَ زَوْجِهَا» بِمَكَّةَ أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ، وَجَاءَتْ مَعَهُمْ أُمُّ أَيْمَنَ امْرَأَةُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، وَخَرَجَ مَعَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ بِعِيَالِ أَبِي بَكْرٍ، وَفِيهِمْ
পৃষ্ঠা - ২২১০
عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ عَمْرٍو الْعُكْبَرِيُّ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا عَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا صِدِّيقُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَاسْتَنَاخَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ بَيْنَ دَارِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ وَبَيْنَ دَارِ الْحَسَنِ بْنِ زَيْدٍ، فَأَتَاهُ النَّاسُ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْمَنْزِلُ. فَانْبَعَثَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، فَقَالَ: " دَعُوهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ ". ثُمَّ خَرَجَتْ بِهِ حَتَّى جَاءَتْ مَوْضِعَ الْمِنْبَرِ، فَاسْتَنَاخَتْ ثُمَّ تَخَلَّلَتِ النَّاسَ، وَثَمَّ عَرِيشٌ كَانُوا يَرُشُّونَهُ وَيَعْمُرُونَهُ وَيَتَبَرَّدُونَ فِيهِ، فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فِيهِ، فَآوَى إِلَى الظِّلِّ، فَأَتَاهُ أَبُو أَيُّوبَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ مَنْزِلِي أَقْرَبُ الْمَنَازِلِ إِلَيْكَ، فَانْقُلْ رَحْلَكَ إِلَيَّ. قَالَ: " نَعَمْ ". فَذَهَبَ بِرَحْلِهِ إِلَى الْمَنْزِلِ، ثُمَّ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيْنَ تَحِلُّ؟ قَالَ: " إِنَّ الرَّجُلَ مَعَ رَحْلِهِ حَيْثُ كَانَ» ". وَثَبَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعَرِيشِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً حَتَّى بَنَى الْمَسْجِدَ وَهَذِهِ مَنْقَبَةٌ عَظِيمَةٌ لِأَبِي أَيُّوبَ خَالِدِ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَيْثُ نَزَلَ فِي دَارِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَدْ رُوِّينَا مِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২২১১
ছিলেন আলী ইবন আবু তালিবের পক্ষ থেকে বসরার শাসক ৷ ইবন আব্বাস (বা) তার গৃহ
থেকে বের হয়ে আইউবকে সসম্মানে নিজ ঘরে প্রবেশ করলে-যেমনটি আবু আইউব
রাসুলুল্লাহ্কে তার গৃহে সসম্মানে বরণ করেছিলেন ৷ ঘরের সবকিছুই তার হাতে তিনি তুলে
দিয়েছিলেন ৷ তিনি ফিরে আসতে মনস্থ করলে ইবন আব্বাস (রা) তাকে ২০ হাজার (দিরহাম)
এবং ৪০টি গোলাম দান করেন ৷ আর আবু আইউবের গৃহ পরবর্তীকালে তার আযাদকুত
গোলাম আফলাহ এর গৃহে পরিণত হয় ৷ পরবর্তীকালে মুগীরা ইবন আবদুর রহমান ইবন হারিছ
ইবন হিশাম তার নিকট থেকে গৃহটি এক হাজার দীনারের বিনিময়ে ক্রয় করেন এবং তা
মেরামত করে মদীনায় নিঃস্বদেরকে তা দান করেন ৷
অনুরুপভাবে বনুনাজ্জারের মহল্লায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবস্থান এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে
তার জন্য তা অবলম্বন করা এটাও এক বিরাট ফষীলত ও মর্তবার ব্যাপার ৷ মদীনায় ছিল
অনেক পল্লী,যার সংখ্যা নয় পর্যন্ত পৌছে ৷ বসবাসের গৃহ, খেজুর বাগান; থেত-খামার আর
বাসিন্দাসহ এসব পল্লী রীতিমত একেকটি মহল্লা ছিল ৷ সেখানকার প্রতিটি গোত্র নিজেদের
মহল্লা আর জনপদে সমবেত হয়ে পরস্পর সম্পৃক্ত জনপদে পরিণত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
জন্য আল্লাহ তাআলা বনুমালিক ইবন নাজ্জারের মহল্লাকে মনোনীত করেন ৷
আনসারদের গ্রেষ্ঠত্ব
বুখারী এবং মুসলিম শরীফে শুবা সুত্রে আনাস ইবন মালিক (বা) থেকে বর্ণিত বিশুদ্ধ
হাদীছে আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
আনসারগণের সমস্ত বংশের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে বনু নাজ্জার, তারপর বনু আবদুল
আশহাল, তারপর বনু হারিছ ইবন খাঘৃরাজ, তারপর বনু সইিদা ৷ আনসারগণের সকল
জনপদেই মঙ্গল আর কল্যাণ নিহিত আছে ৷ সাআদ ইবন উবাদা বলেন : আমি দেখি যে, নবী
করীম (না) আমাদের উপর গ্রেষ্ঠতু দান করেছেন ৷ তখন বলা হলো, তােমাদেরকেও অনেকের
উপর শ্রেষ্ঠতু দিয়েছেন ৷ এটা বুখারীর শব্দমালা ৷ অনুরুপভাবে ইমাম বুখারী ও মুসলিম আনাস
ও আবু সালামা সুত্রে এবং আবু হুমায়দ সুত্রে নবী করীম (না) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আবু হুমায়দ্যেশ্ব বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে ৷ তখন আবু উসায়দ সাআদ ইবন উবাদাকে বলেন :
তুমি কি দেখ না যে, নবী করীম (সা) আনসারগণকে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দিয়েছেন আর আমাদেরকে
তাদের মধ্যে সকলের শেষে স্থান দিয়েছেন ৷ তখন সাআদ নবী করীম (না)-এর খিদমতে হাযির
হয়ে আরব করলেন ও ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আনসারদের জনপদকে আপনি গ্রেষ্ঠতু দিয়েছেন এবং
আমাদেরকে সকলের শেষে স্থান দিয়েছেন ৷ তিনি বললেন :
“তোমরা সর্বোত্তমদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে, এটা কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয় ? সমস্ত
মদীনাবাসী মুসলমানদের মধ্যে আনসারগণ দুনিয়া এবং আখিরাতে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ৷ এ
প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন : প্
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَ أَبُو أَيُّوبَ الْبَصْرَةَ - وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَائِبًا عَلَيْهَا مِنْ جِهَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَخَرَجَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ دَارِهِ حَتَّى أَنْزَلَهُ فِيهَا، كَمَا أَنْزَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِهِ، وَمَلَّكَهُ كُلَّ مَا أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهَا، وَلَمَّا أَرَادَ الِانْصِرَافَ، أَعْطَاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ عِشْرِينَ الْفًا وَأَرْبَعِينَ عَبْدًا. وَقَدْ صَارَتْ دَارُ أَبِي أَيُّوبَ بَعْدَهُ إِلَى مَوْلَاهُ أَفْلَحَ، فَاشْتَرَاهَا مِنْهُ الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ بِأَلْفِ دِينَارٍ، وَصَلَّحَ مَا وَهَى مِنْ بُنْيَانِهَا، وَوَهَبَهَا لِأَهْلِ بَيْتٍ فُقَرَاءَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ.
وَكَذَلِكَ نُزُولُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي دَارِ بَنِي النَّجَّارِ، وَاخْتِيَارُ اللَّهِ لَهُ ذَلِكَ مَنْقَبَةٌ عَظِيمَةٌ لَهُمْ، وَقَدْ كَانَ فِي الْمَدِينَةِ دُورٌ كَثِيرَةٌ تَبْلُغُ تِسْعًا، كُلُّ دَارٍ مَحَلَّةٌ مُسْتَقِلَّةٌ بِمَسَاكِنِهَا، وَنَخِيلِهَا، وَزُرُوعِهَا، وَأَهْلِهَا كُلُّ قَبِيلَةٍ مِنْ قَبَائِلِهِمْ قَدِ اجْتَمَعُوا فِي مَحَلَّتِهِمْ، وَهِيَ كَالْقُرَى الْمُتَلَاصِقَةِ، فَاخْتَارَ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ دَارَ بَنِي مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ.
وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ دُورِ الْأَنْصَارِ بَنُو النَّجَّارِ، ثُمَّ بَنُو عَبْدِ الْأَشْهَلِ، ثُمَّ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২২১২
া
ষ্
ঘুহাজির আনস রদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং য কো নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অনুসরণ
করে , আল্লাহ্ তাদের প্ৰতি ৩প্রসন্ন এবংত র বাও তাতে সন্তুষ্ট এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করে
রেখেছেন জান্নড়াত, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত, যেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে ৷ এটা মহা-
সাফল্য (৯ : ১০০)
মহান আল্লাহ আরো বলেন €
শ্ষ্) শ্ষ্ fl’ শ্ ৩শ্ষ্ক্ট্র শ্ষ্ং ংশ্ষ্ শ্ং শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্
এ
০ ’ ¢ ’ )
আর তাদের জন্যও, মুহাজ্বিরদের আগমনের পুর্বে যারা এ নগরীতে বসবাস করেছে ও
ঈমান এন্যেছ ৷৩ তারা মুহড়াজিরদের ভালবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে সে জন্য
তারা অন্তরে ঈর্ষা পোষণ করে না, আর যারা তাদেরকে নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয়
নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও ৷ মনের ক র্পণ্য থেকে যাদেরকে মুক্ত রাখা হয়েছে, ত রাই সফলকাম
(৫৯ : ৯) ৷
আর রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন :
এ্যা
এে১ষ্এ
হিজরত না হলে আমি হতাম একজন আনসারী ব্যক্তি আর মানুষ কোন গিরিপথ দিয়ে
চললে আমি চলতাম আনসারদের উপত্যকা ও গিরিপথ দিয়ে ৷ আনসাররা প্রতীক পেশোক
স্বরুপ আর সাধারণ লোকেরা সাধারণ চাদর স্বরুপ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বলেন :
¥
“আনসাররা হল আমার একান্ত আপনজন আর নিভরি-স্থল ৷”
আল্লাহ্র নবী আরো বলেন হ£
ণ্এ-ঞ ক্রো
যারা আনসারদের সঙ্গে শাস্তি স্থাপন করে আমিও তাদের সঙ্গে শান্তি স্থাপন কবি আ র যারা
আনসারদের সঙ্গে সত্ঘ ঘাতে লিপ্ত হয়, আমিও তাদের সঙ্গে সংঘ যাতে লিপ্ত হই ৷ ”
الْخَزْرَجِ، ثُمَّ بَنُو سَاعِدَةَ، وَفِي كُلِّ دُورِ الْأَنْصَارِ خَيْرٌ ". فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: مَا أَرَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَدْ فَضَّلَ عَلَيْنَا. فَقِيلَ: قَدْ فَضَّلَكُمْ عَلَى كَثِيرٍ.» هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ.
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ مَالِكِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَمِنْ حَدِيثِ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ سَوَاءً. زَادَ فِي حَدِيثِ أَبِي حُمَيْدٍ «: فَقَالَ: أَبُو أُسَيْدٍ لِسَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيَّرَ الْأَنْصَارَ فَجَعَلَنَا آخِرًا؟ فَأَدْرَكَ سَعْدٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ خَيَّرْتَ دُورَ الْأَنْصَارِ فَجَعَلْتَنَا آخِرًا. قَالَ: " أَوَ لَيْسَ بِحَسْبِكُمْ أَنْ تَكُونُوا مِنَ الْخِيَارِ؟ ".»
بَلْ قَدْ ثَبَتَ لِجَمِيعِ مَنْ أَسْلَمَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ - وَهُمُ الْأَنْصَارُ - الشَّرَفُ وَالرِّفْعَةُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ} [التوبة: 100]
পৃষ্ঠা - ২২১৩
وَقَالَ تَعَالَى {وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمْ حَاجَةً مِمَّا أُوتُوا وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ} [الحشر: 9] وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الْأَنْصَارِ، وَلَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَشِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الْأَنْصَارِ وَشِعْبَهُمْ، الْأَنْصَارُ شِعَارٌ وَالنَّاسُ دِثَارٌ ".» وَقَالَ: «الْأَنْصَارُ كَرِشِي وَعَيْبَتِي» وَقَالَ: «أَنَا سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَهُمْ، وَحَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَهُمْ ".»
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَوْ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " الْأَنْصَارُ لَا يُحِبُّهُمْ إِلَّا مُؤْمِنٌ، وَلَا يُبْغِضُهُمْ إِلَّا مُنَافِقٌ، فَمَنْ أَحَبَّهُمْ أَحَبَّهُ اللَّهُ، وَمَنْ أَبْغَضَهُمْ أُبْغَضَهُ اللَّهُ ".» وَقَدْ أَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا أَبَا دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২২১৪
হাজ্জাজ ইবন মিনহাল সুত্রে বড়ারা ইবন অড়াযিব (রা) থেকে বর্ণনা করে ইমাম বুখারী (র)
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
“মু’মিন ছাড়া অন্য কেউ আনসারদেরকে ভালবাসে না আর মুনাফিক ছাড়া কেউ
আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না ৷ যে আনসারদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্ তাকে
ভালবাসেন; আর যে আনসাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, অল্লোহ্ তাকে অপসন্দ করেন ৷ ”
শুবা সুত্রে আবু দাউদ ছাড়া সিহাহ্ সিত্তাহ্র অন্যান্য সংকলকগণ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম বুখারী মুসলিম ইবন ইব্রাহীম আনাস ইবন মালিক থেকে, আর তিনি নবী করীম (সা)
থেকে বর্ণনা করেন ও
“আনসারকে ভালবাসা ঈমানের লক্ষণ আর আনসারকে ঘৃণা করা নিফাকের লক্ষণ ৷
ইমাম বুখারী আবুল ওয়ালীদ সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ আনসারদের ফযীলত আর শ্রেষ্ঠতু
সম্পর্কে প্রচুর আয়াত এবং হাদীছ রয়েছে ৷ আনসারদের অন্যতম কবি আবু কায়স র্মুরমা ইবন
আবু আনাস, যার সম্পর্কে ইতেড়াপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে-তিনি আনসারগণের মধ্যে
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর আগমন, তার প্রতি র্তাদের সাহায্য-সহায়তা এবং রাসুল (সা) এবং তার
সাহাবীগণের প্রতি আনসারগণের সহানুভুতি বিষয়ে কী চমৎকার কবিতাই না রচনা করেছেন ৷
তাদের সকলের প্রতি আল্লাহ্ সন্তুষ্ট থাকুন ৷
ইবন ইসহাক বলেন ? আবু কায়স সুরমা ইবন আবু আনাস ইসলামের মাধ্যমে আল্লাহ্
তাআলা আনসারগণকে যে মর্যাদা দান করেছেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাধ্যমে
আনসারগণকে যে বৈশিষ্ট্য দান করেছে সে সম্পর্কে তিনি কবিতা রচনা করেছেন :
তিনি কুরায়শের মধ্যে ১৩ বছরের অধিক কাল অবস্থান করেন ৷
তিনি তাদেরকে উপদেশ দেন যদি মিলে একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী ৷
স্বেশু এই১)গ্ন্াধ্প্
হজের মওসুমে লোকদের মধ্যে তিনি নিজেকে উপস্থাপন করতেন; কিন্তু তিনি দেখেননি
কোন অড়াশ্রয়দাতা , পাননি কোন আহবানকারী ৷
তিনি যখন আসেন আমাদের কাছে আর স্থিত হয় তার সওয়ারী ৷ আর তিনি তৃষ্ট হন মদীনা
তায়িবাে দ্বারা এবং সন্তুষ্ট হন ৷
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «آيَةُ الْإِيمَانِ حُبُّ الْأَنْصَارِ، وَآيَةُ النِّفَاقِ بُغْضُ الْأَنْصَارِ ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيِّ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ شُعْبَةَ بِهِ.
وَالْآيَاتُ وَالْأَحَادِيثُ فِي فَضَائِلِ الْأَنْصَارِ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَمَا أَحْسَنَ مَا قَالَ أَبُو قَيْسٍ صِرْمَةُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ - الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُ، أَحَدُ شُعَرَاءِ الْأَنْصَارِ - فِي قُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ وَنَصْرِهِمْ إِيَّاهُ، وَمُوَاسَاتِهِمْ لَهُ وَلِأَصْحَابِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ أَبُو قَيْسٍ صِرْمَةُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ أَيْضًا، يَذْكُرُ مَا أَكْرَمَهُمُ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْإِسْلَامِ، وَمَا خَصَّهُمْ بِهِ مِنْ رَسُولِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ:
ثَوَى فِي قُرَيْشٍ بِضْعَ عَشْرَةَ حِجَّةً ... يُذَكِّرُ لَوْ يَلْقَى صَدِيقًا مُوَاتِيَا
وَيَعْرِضُ فِي أَهْلِ الْمَوَاسِمِ نَفْسَهُ ... فَلَمْ يَرَ مَنْ يُؤْوِي وَلَمْ يَرَ دَاعِيَا
فَلَمَّا أَتَانَا أَظْهَرَ اللَّهُ دِينَهُ ... وَأَصْبَحَ مَسْرُورًا بِطَيْبَةَ رَاضِيَا
وَأَلْفَى صَدِيقًا وَاطْمَأَنَّتْ بِهِ النَّوَى ... وَكَانَ لَهُ عَوْنًا مِنَ اللَّهِ بَادِيَا
পৃষ্ঠা - ২২১৫
ট্রাএট্র৷ এ্যা
তিনি লাভ করেন সঙ্গী আর তুষ্ট হয়৩ তাকে নিয়ে বাহন ৷ আর আসে তার জন্য আল্লাহর
পক্ষ থােক স্পষ্ট সাহায্য ৷
তিনি আমাদের নিকট কাহিনী বর্ণনা করেন, যা করেছেন নুহ্ (আ) তার জাতির নিকট ৷
আর যা বলেছেন মুসা (আ), যখন তিনি সাড়া দেন আহ্বায়ককে ৷
ফলে তিনি ভয় করেন না মানুষের মধ্যে ক ৷উকেও, না কাছের :কান মানুষকে, না দুরের
কোন মানুষকে ৷
আমাদের সম্পদ থেকে আমরা তার জন্য প্রচুর ব্যয় করি ৷ লড়াই আর সমবেদৃনাকালে
আমরা বিলিয়ে দিয়েছি আমাদের জীবনৰু ন্ ৷
যারা তার সঙ্গে শত্রুতা করে আমরা তাদের সকলের সঙ্গে শত্রুত৷ করি , যদিও সে অন্তরঙ্গ
বন্ধু হোক না কেন ৷
আমরা জা নি যে তা ৷ল্লাহ্ আছেন, তিনি ছাড়া অন্য কিছু নেই ৷ আর আল্লাহ্র কিতাব, তা-ই
তে ৷ কেবল পথ নির্দেশক ৷
৷ এ ৷ ধ্াড্রুর ৷
যখন আমি সালাত আদায় করি সকল পবিত্র স্থানে, তখন আমি বলি, চাপিয়ে দিও না
আমাদের উপর দুশমনদেরকে ৷
আমি বলি, যখন আমি অতিক্রম করি ভীতিপ্রদ অঞ্চল; পবিত্র আল্লাহ্র নাম, তুমিই তাে
মাওলা ৷
এে১ত্ন
তাই তুমি এগিয়ে চল বিপদ উপেক্ষা করে, মৃত্যুর উপলক্ষ তো প্রচুর, তুমি তাে রক্ষা
করতে পারবে না নিজেকে চিরদিন ৷
৷ ,;
আল্লাহ্র শ,পথ যুবক জানে না কী তার চেষ্টায় পরিণতি; যদি আল্লাহ্ তার জন্য
হিফাযতকা রী নিয়োগ না করেন ৷
يَقُصُّ لَنَا مَا قَالَ نُوحٌ لِقَوْمِهِ
وَمَا قَالَ مُوسَى إِذْ أَجَابَ الْمُنَادِيَا ... فَأَصْبَحَ لَا يَخْشَى مِنَ النَّاسِ وَاحِدًا
قَرِيبًا وَلَا يَخْشَى مِنَ النَّاسِ نَائِيَا ... بَذَلْنَا لَهُ الْأَمْوَالَ مِنْ حِلِّ مَالِنَا
وَأَنْفُسَنَا عِنْدَ الْوَغَى وَالتَّآسِيَا ... نُعَادِي الَّذِي عَادَى مِنَ النَّاسِ كُلِّهِمْ
جَمِيعًا وَلَوْ كَانَ الْحَبِيبَ الْمُوَاسِيَا ... وَنَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ لَا شَيْءَ غَيْرُهُ
وَأَنَّ كِتَابَ اللَّهِ أَصْبَحَ هَادِيَا ... أَقُولُ إِذَا صَلَّيْتُ فِي كُلِّ بِيعَةٍ
حَنَانَيْكَ لَا تُظْهِرْ عَلَيْنَا الُأَعَادِيَا ... أَقُولُ إِذَا جَاوَزْتُ أَرْضًا مُخِيفَةً
تَبَارَكْتَ إِسْمَ اللَّهِ أَنْتَ الْمُوَالِيَا ... فَطَأْ مُعْرِضًا إِنَّ الْحُتُوفَ كَثِيرَةٌ
وَإِنَّكَ لَا تُبْقِي لِنَفْسِكَ بَاقِيَا ... فَوَاللَّهِ مَا يَدْرِي الْفَتَى كَيْفَ سَعْيُهُ
إِذَا هُوَ لَمْ يَجْعَلْ لَهُ اللَّهَ وَاقِيَا ... وَلَا تَحْفِلُ النَّخْلُ الْمُعِيمَةُ رَبَّهَا
إِذَا أَصْبَحَتْ رِيًّا وَأَصْبَحَ ثَاوِيَا
ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ: وَرَوَاهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدٍيُّ وَغَيْرُهُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَجُوزٍ مِنَ الْأَنْصَارِ،