كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب هجرة رسول الله بنفسه الكريمة من مكة إلى المدينة ومعه أبو بكر الصديق
পৃষ্ঠা - ২১৫৩
[بَابُ هِجْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ]
بَابُ هِجْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
وَذَلِكَ أَوَّلُ التَّارِيخِ الْإِسْلَامِيِّ كَمَا اتَّفَقَ عَلَيْهِ الصَّحَابَةُ فِي الدَّوْلَةِ الْعُمَرِيَّةِ، كَمَا بَيَّنَاهُ فِي " سِيرَةِ عُمَرَ " رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا هِشَامٌ، ثَنَا عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «بُعِثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَرْبَعِينَ سَنَةً، فَمَكَثَ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ يُوحَى إِلَيْهِ، ثُمَّ أُمِرَ بِالْهِجْرَةِ فَهَاجَرَ عَشْرَ سِنِينَ، وَمَاتَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. وَقَدْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ مِنْ بِعْثَتِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَذَلِكَ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ» كَمَّا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: «وُلِدَ نَبِيُّكُمْ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَخَرَجَ مِنْ مَكَّةَ يَوْمَ
পৃষ্ঠা - ২১৫৪
সকালে বা বিকালে এক বেলায় আবু বকর (রা)-এর ঘরে আসতে ভুলতেন না ৷ হয় সকালে, না
হয় বিকালে অবশ্যই আগমন করতেন ৷ শেষ পর্যন্ত সেদিনটি উপস্থিত হলো যেদিন আল্লাহ
তাআলা তার রাসুল (সা)-কে হিজরত করা এবং মক্কা থেকে মদীনায় উদ্দেশ্যে বের হওয়ার
অনুমতি দিলেন ৷ হযরত আইশা (বা) বলেন : এদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুপুরে আমাদের গৃহে
আগমন করেন ৷ এটা ছিল এমন এক সময়, যে সময় তিনি সাধারণত আসতেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে দেখে আবু বকর (রা) বলেন : নিশ্চয়ই কোন ঘটনা ঘটেছে, যে জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এমন অসময়ে আগমন করেছেন ৷ হযরত আইশা সিদ্দীক৷ (বা) বাণ্ল্ান : র্তাকে দেখে আবু বকর
(বা) তার খাট থেকে একটু সরে বসেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খাটে উপবেশন করলেন ৷ এ
সময় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকটে আমি এবং আমার বোন আসম৷ যিনৃত আবু বকর ছাড়া অন্য
কেউ ছিল না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ং তোমার নিকট থেকে আন্যদেরকে বের করে
দাও ৷ আবু বকর (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!৩ তারা উভয়েই <: তা আমার কন্যা (অন্য কেউ
নয়) ৷ আমার পিতা মা৩ ৷ আপনার জন্য উৎসর্গ হোন ৷ ব্যাপার ,ফ্লা রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
আল্লাহ্ তা আল৷ আমাকে হিজরত এবং (মক্কা থেকে) বের হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷
আইশা (বা) বলেন, তখন আবু বকর (বা) বলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনার সাহচর্য পারো
তো ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : হীা, সাহচর্য পাবে ৷ আইশা (বা) বলেন :
আল্লাহর কসম, এদিনের আগে আমি কখনো বুঝতে ৩পাবিনি যে কোন মানুষ আনন্দেও
র্কাদতে পারে, যতক্ষণ না এ দিন আ ৷মি আবু বকরকে র্কাদতে দেখেছি ৷ এরপর তিনি বললেন :
ইয়৷ নাবিয়্যাল্লাহ্! এ দু’টি সওয়ারী আমি এ উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করে রেখেছি ৷ এরপর তারা দুজনে
আবদুল্লাহ্ ইবন আরকাদকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পখপ্রদর্শক হিসাবে নিযুক্ত করে নেন ৷ ইবন
হিশাম বলেনং কারো কারো মতে একে আবদুল্লাহ ইবন আরীকত বলা হয় ৷ এ লোকটি ছিল
বনৃ দউল ইবন বকর গোত্রের লোক আর তার যা ছিল বন সাহম ইবন আমর এর লোক ৷ সে
ছিল মুশরিক ৷ লোকটি তাদের দু’ জনকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো ৷ উভয়ে দু’টি উট
সোকটির হাতে অর্পণ করেন ৷ উট দু টি তার কাছেই ছিল এবং সে নির্ধারিত সময়ের জন্য
সেগুলোর লালন পালন করে ৷
ইবন ইসহাক বলেন৪ আমরা যতদুর জানতে পেরেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কা থেকে
(মদীনার উদ্দেশে ৷) বের হন, তখন এ সম্পর্কে আ ৷লী ইবন আবৃত ত,ালিব আবু বকর সিদ্দীক (বা)
এবং আর পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউত ৷জানতো না ৷ আর আলী রাযিয়াল্লাহু
আনহুকে তো রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার স্থলাভিষিক্ত করে যান এবং তার নিকট লোকজনের যে সব
আমানত ছিল তা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়ে যান ৷ মক্কায় কারো নিকট কোন দুর্মুল্য ও
লোভনীয় বস্তু থাকলে তা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আমানত রাখ৷ হতো ৷ কারণ তারা তার
সতবােদিত৷ ৷ও আমান৩ দাবী সম্পর্কে অবগত ছিল ৷
ণ্ ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বের হওয়ার ব্যাপারে মনন্থির করলেন তখন
তিনি আবু বকর ইবন আবু কুহাফার নিকট আসেন এবং তারা দু’জনে গৃহের পেছন দিক থেকে
الِاثْنَيْنِ، وَنُبِّئَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدَخْلَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ.»
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: «وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ حِينَ اسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْهِجْرَةِ، فَقَالَ لَهُ: " لَا تَعْجَلْ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ لَكَ صَاحِبًا ".» قَدْ طَمِعَ بِأَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا يَعْنِي نَفْسَهُ، فَابْتَاعَ رَاحِلَتَيْنِ، فَحَبَسَهُمَا فِي دَارِهِ يَعْلِفُهُمَا إِعْدَادًا لِذَلِكَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: اشْتَرَاهُمَا بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كَانَ لَا يُخْطِئُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْتِيَ بَيْتَ أَبِي بَكْرٍ أَحَدَ طَرَفَيِ النَّهَارِ، إِمَّا بُكْرَةً، وَإِمَّا عَشِيَّةً حَتَّى إِذَا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي أَذِنَ اللَّهُ فِيهِ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْهِجْرَةِ، وَالْخُرُوجِ مِنْ مَكَّةَ مِنْ بَيْنِ ظَهْرَيْ قَوْمِهِ، أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْهَاجِرَةِ فِي سَاعَةٍ كَانَ لَا يَأْتِي فِيهَا، قَالَتْ: فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: مَا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ السَّاعَةَ إِلَّا لِأَمْرٍ حَدَثَ. قَالَتْ: فَلَمَّا دَخَلَ تَأَخَّرَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ عَنْ سَرِيرِهِ، فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَيْسَ عِنْدَ أَبِي بَكْرٍ أَحَدٌ إِلَّا أَنَا وَأُخْتِي أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَخْرِجْ عَنِّي مَنْ عِنْدَكَ ". قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا هُمَا ابْنَتَايَ وَمَا ذَاكَ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي؟ قَالَ: " إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذِنَ لِي فِي الْخُرُوجِ وَالْهِجْرَةِ ". قَالَتْ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ:
পৃষ্ঠা - ২১৫৫
খিড়কি পথে বের হন ৷ আর আবু নুয়াইম ইব্রাহীম ইবন সাআদ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক
থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমি জানতে পেয়েছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন মক্কা ত্যাগ করে
আল্লাহর নির্দেশে হিজরতের উদ্দেশ্যে মদীনায় পথে বের হন, তখন তিনি বললেন :
া
,গ্রা৷ ৷
ব্লুণ্ড্র
গু ৷ ধু ম্ভপ্ও খুএ এক্ট্র১খু মোঃ ট্রণ্া)ন্ষ্ছু
“আল্হাম্দৃ লিল্পাহ্ ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্পাহ্র জন্য, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন ৷ (সৃষ্টি
করার আগে) আমি তো কিছুই ছিলাম না, কোন বন্তুই ছিলাম না ৷ হে আল্লাহ্৷ দুনিয়ার
ভয়াবহতা, কালের কঠোরতা এবং দিবা-রাত্রির বিপদাপদের উপর তুমি আমাকে সাহায্য কর ৷
হে আল্লাহ ! সফরে তুমি আমাকে সঙ্গ দাও, আমার পরিবারে তুমি আমার প্রতিনিধিত্ব কর, তুমি
আমাকে যে জীবিকা দিয়েছ, তাতে বরকত দান কর, আর তুমি আমাকে কেবল তােমারই
অনুগত কর এবং সুন্দর আখলাকের উপর আমাকে দৃঢ় রাম ৷ প্রভু পরওয়ারদিপার ৷ আমি
, তোমার নিকট নিজেকে সমর্পণ করেছি, কাজেই আমাকে তোমার প্রিয়পাত্র বানাও ৷ আর
আমাকে মানুষের নিকট সমর্পণ করো না ৷ হে দুর্বলদের পালনকর্তা৷ তুমিই তো আমার
পালনকর্তা ৷ তোমার প্রদীপ্ত চেহারার উছিলায় আমি পানাহ চাই, যার আলোকে আলোকপ্রড়াপ্ত
হয়েছে আসমান-যমীন, যার দ্বারা দুরীভুত হয়েছে সবরকম অন্ধকার, যার কারণে সুস্থু-সুন্দর
হয়েছে পুর্ববর্তী আর পরবর্তীদের কর্মকাণ্ড, আমি তোমার নিকট পানাহ চাই আমার নিকট
তোমার গযব আপতিত হওয়া থেকে ৷ আমি পানাহ চাই আমার উপর তোমার ক্রোধ আপতিত
হওয়া থেকে ৷ আমি তোমার নিকট আরো পানাহ্ চাই তোমার নিআমতের অবসান থেকে ৷
অকম্মাৎ তোমার শাস্তি আপতিত হওয়া থেকে ৷ তোমার প্রদত্ত শান্তি বিদুরিত হওয়া থেকে এবং
পানাহ্ চাই তোমার যাবতীয় অসভৃষ্টি থেকে ৷ আমার বিবেচনায় তুমিই তো পরকালের মালিক,
আর আমার নিকট আছে আমার সাধ্যমত উত্তম আমল ৷ তুমি ব্যতীত কোন শক্তি নেই , নেই
কোন সাধ্য ৷ ”
ইবন ইসহাক বলেন : এরপর র্তারা দু’জনে মক্কার নিম্নভুমিতে অবস্থিত ছাওর পাহাড়ের
একটি গুহায় আশ্রয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে রওনা হন ৷ দু’জনে গুহায় প্রবেশ করলেন ৷ আর হযরত
আবু বকর (বা) তার পুত্র আবদুল্লাহ্কে নির্দেশ দিয়ে যান তাদের সম্পর্কে লোকজন কী বলাবলি
الصُّحْبَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " الصُّحْبَةَ ". قَالَتْ: فَوَاللَّهِ مَا شَعَرْتُ قَطُّ قَبْلَ ذَلِكَ الْيَوْمِ أَنَّ أَحَدًا يَبْكِي مِنَ الْفَرَحِ حَتَّى رَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ يَوْمَئِذٍ يَبْكِي. ثُمَّ قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنَّ هَاتَيْنِ رَاحِلَتَانِ كُنْتُ أَعْدَدْتُهُمَا لِهَذَا.» فَاسْتَأْجَرَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَرْقَطَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُرَيْقِطٍ. رَجُلًا مِنْ بَنِي الدِّيلِ بْنِ بَكْرٍ، وَكَانَتْ أُمُّهُ مِنْ بَنِي سَهْمِ بْنِ عَمْرٍو، وَكَانَ مُشْرِكًا - يَدُلُّهُمَا عَلَى الطَّرِيقِ، وَدَفَعَا إِلَيْهِ رَاحِلَتَيْهِمَا، فَكَانَتَا عِنْدَهُ يَرْعَاهُمَا لِمِيعَادِهِمَا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يَعْلَمْ فِيمَا بَلَغَنِي بِخُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدٌ حِينَ خَرَجَ إِلَّا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، وَآلُ أَبِي بَكْرٍ، أَمَّا عَلِيًّ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يَتَخَلَّفَ حَتَّى يُؤَدِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَدَائِعَ التِي كَانَتْ عِنْدَهُ لِلنَّاسِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ بِمَكَّةَ أَحَدٌ عِنْدَهُ شَيْءٌ يَخْشَى عَلَيْهِ إِلَّا وَضَعَهُ عِنْدَهُ، لِمَا يَعْلَمُ مِنْ صِدْقِهِ وَأَمَانَتِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا أَجْمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخُرُوجَ أَتَى أَبَا بَكْرِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ فَخَرَجَا مِنْ خَوْخَةٍ لِأَبِي بَكْرٍ فِي ظَهْرِ بَيْتِهِ.
وَقَدْ رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: «بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ يُرِيدُ الْمَدِينَةَ،
পৃষ্ঠা - ২১৫৬
قَالَ: " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَنِي وَلَمْ أَكُ شَيْئًا، اللَّهُمَّ أَعْنِي عَلَى هَوْلِ الدُّنْيَا، وَبَوَائِقِ الدَّهْرِ، وَمَصَائِبِ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامِ، اللَّهُمَّ اصْحَبْنِي فِي سَفَرِي، وَاخْلُفْنِي فِي أَهْلِي، وَبَارِكْ لِي فِيمَا رَزَقْتَنِي، وَلَكَ فَذَلِّلْنِي، وَعَلَى صَالِحِ خُلُقِي فَقَوِّمِنِي، وَإِلَيْكَ رَبِّ فَحَبِّبْنِي، وَإِلَى النَّاسِ فَلَا تَكِلْنِي، رَبُّ الْمُسْتَضْعَفِينَ، وَأَنْتَ رَبِّي أَعُوذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيمِ الَّذِي أَشْرَقَتْ لَهُ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ، وَكُشِفَتْ بِهِ الظُّلُمَاتُ، وَصَلَحَ عَلَيْهِ أَمْرُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ، أَنْ تُحِلَّ عَلَيَّ غَضَبَكَ، وَتُنْزِلَ بِي سَخَطَكَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَفَجْأَةِ نِقْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ، لَكَ الْعُتْبَى عِنْدِي خَيْرَ مَا اسْتَطَعْتُ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ ".»
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «ثُمَّ عَمَدَا إِلَى غَارٍ بِثَوْرٍ - جَبَلٍ بِأَسْفَلَ مَكَّةَ - فَدَخَلَاهُ، وَأَمَرَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ أَنْ يَتَسَمَّعَ لَهُمَا مَا يَقُولُ النَّاسُ فِيهِمَا نَهَارَهُ، ثُمَّ يَأْتِيهِمَا إِذَا أَمْسَى بِمَا يَكُونُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ مِنَ الْخَبَرِ، وَأَمَرَ عَامِرَ بْنَ فُهَيْرَةَ مَوْلَاهُ أَنْ يَرْعَى غَنَمَهُ نَهَارَهُ، ثُمَّ يُرِيحَهَا عَلَيْهِمَا إِذَا أَمْسَى فِي الْغَارِ. فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ يَكُونُ فِي قُرَيْشٍ نَهَارَهُ مَعَهُمْ، يَسْمَعُ مَا يَأْتَمِرُونَ بِهِ وَمَا يَقُولُونَ فِي شَأْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ يَأْتِيهِمَا إِذَا أَمْسَى فَيُخْبِرُهُمَا الْخَبَرَ، وَكَانَ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ يَرْعَى فِي رُعْيَانِ أَهْلِ مَكَّةَ، فَإِذَا أَمْسَى أَرَاحَ عَلَيْهِمَا غَنَمَ أَبِي بَكْرٍ فَاحْتَلَبَا وَذَبَحَا، فَإِذَا غَدَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ مِنْ عِنْدِهِمَا إِلَى مَكَّةَ اتَّبَعَ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ أَثَرَهُ بِالْغَنَمِ يُعْفِّي عَلَيْهِ» . وَسَيَأْتِي فِي سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ
পৃষ্ঠা - ২১৫৭
করছে, দিনের বেলা তা যেন মনোযোগ সহকারে শুনে এবং সন্ধ্যায় দিনের খবরাখবর নিয়ে যেন
৷ তাদের নিকট আসে ৷ আর তার আযাদকৃত গোলাম আমির ইবন ফুহ ৷য়রাকে নির্দেশ দান করেন
দিনের বেলা ৩ার মেষ চরাবার জন্য ৷ আর সন্ধ্যায় যেন সে মেষ তাদের নিকট গুহায় নিয়ে
আসে ৷ সুতরাং আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (রা) দিনের বেলা কুরায়ণের মধ্যে অবস্থান করে
তারা কী সব পরামর্শ করছে, তা শুনতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকর (বা) সম্পর্কে তারা
কী বলছে, তিনিও ৷ ৷-ও শুনতেন এবং রাত্রিবেলা ৩াদের নিকট এসে সেসব তাদেরকে অব
করতেন ৷ আর “আমির ইবন ফুহায়রা দিনের বেলা মক্কার রাখালদের সঙ্গে মেষ চরাতেন ৷ আর
রাতের বেলা তাদের নিকট যেষ নিয়ে আগমন করতেন ৷ আবু বকর (বা) সহ দৃজনে দুধ
দােহন করতেন এবং যেষ যবাহ্ করে আহারের ব্যবস্থা করতেন ন্ ভোরে আবদুল্লাহ ইবন আবু
বকর তাদের নিকট থেকে মক্কায় আগমন করলে আমির ইবন ফুহাযরা মেষ নিয়ে তাকে
অনুসরণ করতেন এবং তার পদচিহ্ন মুছে ফেলতে ন ৷ এ সম্প( ক এবন্টু পরেই প্রমাণ স্বরুপ
ইমাম বুথারীর বর্ণনা উল্লেখ করা হবে ৷
ইবন জারীর অন্য সনদে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর
আগে ছাওর গুহায় পৌছেন এবং যাওয়ার সময় আলী (রা)-কে বলে যান তার চলে যাওয়া
সম্পর্কে হযরত আবু বকর (রা) কে অবহিত করার জন্য যাতে করে হযরত আবু বকর (বা)
তার সঙ্গে গিয়ে মিলিত হতে ৩পারেন ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) পথিমধ্যে তার সঙ্গে গিয়ে
মিলিত ৩হন ৷ এ বর্ণনাটি নিত ৷ম্ভই গরীব পর্যায়ের ৷ কেবল গরীবই নয় বরং প্রসিদ্ধ বর্ণনাসমুহের
পরিপন্থী ৷ আর প্রসিদ্ধ বর্ণনা এই যে রতা৷ দৃ’ জনে এক সঙ্গে বের হয়েছিলেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আসমা বিনৃত আবু বকর (রা) সন্ধ্যায় তাদের জন্য যথোপযুক্ত খাদ্য
নিয়ে আসতে ন ৷ এ প্রসঙ্গে আসমা (রা) বলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং আবু বকর (রা) বের
হওয়ার পর কুরায়ণের একদল লোক আমাদের নিকট আসে ৷৩ তাদের মধ্যে আবু জাহ্ল ইবন
হিশামও ছিল ৷ ত ৷র৷ এসে আবু বকর (রা) এর গৃহের দরজায় র্দাড়ালে আমি গৃহ থেকে বেরিয়ে
আসি ৷৩ তারা জিজ্ঞেস করলো হে আবু বকর তনয়া! তোমার পিত ৷ কোথায় ? তিনি বর্ণনা
করেন যে, আমি বললাম, আল্লাহর কসম , আব্বা কোথায় আছেন আমার জানা নেই ৷ আসমা
বলেন £ (এ কথা শ্রবণ করার পর) আবু জাহ্ল আর সে ছিল খাবীছ বজ্জাত হাত উঠিয়ে
সজােরে আমার মুখে এমন এক চপেটড়াঘাত করে যে, তাতে আমার কানের বালি (দুল) পড়ে
যায় ৷ তারপর তারা চলে যায় ৷
ইবন ইসহাক ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আব্বাদ সুত্রে আসমা থেকে বর্ণনা করে বলেনং রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সঙ্গে আবুবকর (রা) ও বের হন ৷ তিনি তার সমুদয় সম্পদ সঙ্গে নিয়ে বের হন, যার
পরিমাণ ছিল ৫৬ হাজার দিরহাম ৷ এ সম্পদ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যান ৷ হযরত আসমা (বা )
বলেন, এরপর দাদা আবু কুহাফা আমাদের ঘরে আসেন ৷ আর ইতে ৷মধ্যে তিনি দৃষ্টিশক্তি
হারিয়ে ফেলেছিলেন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তো দেখছি যে নিজের এবং
অর্থ সম্পদের দিক থেকেও তে ৷মাদেরকে বিপদে ফেলে গেছে ৷ তিনি বলেন যে আমি বললাম,
না, তা হতে পারে না হে দাদা ! তিনি আমাদের জন্য অনেক সম্পদ রেখে গেছেন ৷ তিনি বলেন,
مَا يَشْهَدُ لِهَذَا.
وَقَدْ حَكَى ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ بَعْضِهِمْ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبَقَ الصِّدِّيقَ فِي الذَّهَابِ إِلَى غَارِ ثَوْرٍ، وَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يَدُلَّهُ عَلَى مَسِيرِهِ لِيَلْحَقَهُ، فَلَحِقَهُ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ» . وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَخِلَافُ الْمَشْهُورِ مِنْ أَنَّهُمَا خَرَجَا مَعًا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَأْتِيهِمَا مِنَ الطَّعَامِ إِذَا أَمْسَتْ بِمَا يُصْلِحُهُمَا. قَالَتْ أَسْمَاءُ: وَلَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ أَتَانَا نَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ فِيهِمْ أَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، فَوَقَفُوا عَلَى بَابِ أَبِي بَكْرٍ، فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ، فَقَالُوا: أَيْنَ أَبُوكِ يَا ابْنَةَ أَبِي بَكْرٍ؟ قَالَتْ: قُلْتُ: لَا أَدْرِي وَاللَّهِ أَيْنَ أَبِي؟ قَالَتْ: فَرَفَعَ أَبُو جَهْلٍ يَدَهُ - وَكَانَ فَاحِشًا خَبِيثًا - فَلَطَمَ خَدِّي لَطْمَةً طَرَحَ مِنْهَا قُرْطِي، ثُمَّ انْصَرَفُوا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ عَنْ جَدَّتِهِ أَسْمَاءَ، قَالَتْ: لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مَعَهُ، احْتَمَلَ أَبُو بَكْرٍ مَالَهُ كُلَّهُ، مَعَهُ خَمْسَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ أَوْ سِتَّةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَانْطَلَقَ بِهَا مَعَهُ. قَالَتْ: فَدَخَلَ عَلَيْنَا جَدِّي أَبُو قُحَافَةَ - وَقَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ - فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ قَدْ فَجَعَكُمْ بِمَالِهِ مَعَ نَفْسِهِ. قَالَتْ: قُلْتُ: كَلَّا يَا أَبَتِ إِنَّهُ قَدْ تَرَكَ لَنَا خَيْرًا كَثِيرًا. قَالَتْ: وَأَخَذْتُ أَحْجَارًا، فَوَضَعْتُهَا فِي كُوَّةٍ فِي الْبَيْتِ الَّذِي كَانَ أَبِي يَضَعُ مَالَهُ فِيهَا، ثُمَّ وَضَعْتُ عَلَيْهَا ثَوْبًا، ثُمَّ أَخَذْتُ بِيَدِهِ،
পৃষ্ঠা - ২১৫৮
আব্বাজান ঘরে যে পাত্রে টাকাকড়ি রাখতেন, সে পাত্রে আমি প্রস্তরখণ্ড রেখে কাপড় দিয়ে
ঢেকে দেই এবং তাতে দাদাজানের হাত রেখে বলি : দাদাজান, এ মাসের উপর আপনি হাত
বুলিয়ে দেখুন ৷ তিনি বলেন, দাদা আবু কুহাফা সে পাত্রে হাত রেখে বলেন : কোন অসুবিধা
নেই ৷ সে তোমাদের জন্য এ সম্পদ রেখে দিয়ে ভালই করেছে ৷ এ ত তোমাদের ব্যয় নির্বাহ
হবে ৷ আসমা বলেন, আসলে তিনি কোন সম্পদ রেখে যাননি কেবল বৃদ্ধ দাদাকে প্রবােধ
দেয়ার জন্যই আমি এমনটি করেছি !
ইবন হিশাম বলেন : কোন এক জ্ঞানী ব্যক্তি আমাকে জানান যে , হাসান বসরী বলেছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকর (বা) রাত্রিবেলা গুহার মুখে আসেন এবং প্রথমে
আবু বকর (রা) গুহায় প্রবেশ করেন ৷ সেখানে সাপবিচ্ছু কিছু আছে কিনা দেখার জন্য
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একা বাইরে থাকেন ৷ এ বর্ণনায় শুরু এবং শেষ উ৩ য় দিক থেকে বিচ্ছিন্নতা
রয়েছে ৷
আবুল কাসিম বাগাবী দা ৷উদ ইবন আমর সুত্রে আবু মুলায়কা থেকে রিওয়ায়াত করেন যে,
নবী কয়ীম (সা) যখন গুহার উদ্দেশ্যে বের হন আর আবু বকর৩ তার সঙ্গে ছিলেন, তখন আবু
বকর (বা) কখনো নবীজীর সামনে আবার কখনো পেছনে থাকতেন ৷
এ সম্পর্কে নবী (সা) এর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনঃ আমি যখন আপনার পেছনে থাকি,
তখন আশংকা আগে না ৷জানি সম্মুখ থেকে কো ন বিপদ আসে, আবার আমি যখন সামনে থাকি,
তখন আশংকা হয় নাজ জানি পেছন থেকে কো ন বিপদ দেখা দেয় ৷ গুহার মুখে প্রবেশ করে আবু
বকর (বা) বলেন৪ আপনি অপেক্ষা করুন আমি ছিদ্রপখে হাত রেখে দেখি, যদি কোন জত্তু
থেকে থাকে, তাহলে আগে আমাকে দ০ শন করুক ৷ নাফি বলেন আমি জ ন পেরেছি যে,
গর্ভে একটা ছিদ্র ছিল, ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে কোন জন্তু বা অন্য কিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে কষ্ট
দেয় কিনা, সে আশংকায় হযরত আবু বকর (বা) ছিদ্রের মুখে তার পা রেখে তা বন্ধ করে
দেন ৷ এ বর্ণনা মুরাসাল সুত্রের ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লা, আনহুর জীবনী গ্রন্থে
আমরা এ মুরসাল বর্ণনা, আরো কিছু প্রমাণ উল্লেখ করেছি ৷ আর ইমাম বায়হাকী (র) আবু
আবদুল্লাহ্ সুত্রে ইবন সীরীন থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, উমর (রা)-এর শাসনামলে কিছু
লোক হযরত আবু বকর (রা)-এর উপর হযরত উমর (রা)-কে গ্রেষ্ঠতু দান করে ৷ খলীফা উমর
(বা) এ সম্পর্কে জানতে পেরে বলেন : আল্লাহর কসম, আবু বকর (রা)-এর জীবনের একটি
রজনী উমরের গোটা পরিবারের চাইতে উত্তম ৷ আর আবু বকর (রা)-এর জীবনের একটা দিন
উমরের গোটা পরিবারের চাইতে উত্তম ৷ ইবন সীরীন বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) রাত্রিবেল৷ বের
হন এবং গুহার দিকে এগিয়ে যান ৷ আর র্তার সঙ্গে আছেন আবু বকর (বা) ৷ তিনি কখনো
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আগে আগে চলেন, আবার কখনো পেছনে পেছনে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বলেন :
হে আবু বকর ! তোমার কী হয়েছে যে, তুমি কখনো আমার পেছনে আবার কখনো সামনে
চলছে৷ ? জবাবে আবু বকর (বা) বলেন :
৷ ৷া৪গাে০€০া৷া
৪২ — ?” ন্
فَقُلْتُ: يَا أَبَتِ ضَعْ يَدَكَ عَلَى هَذَا الْمَالِ. قَالَتْ: فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: لَا بَأْسَ إِذْ كَانَ قَدْ تَرَكَ لَكُمْ هَذَا فَقَدَ أَحْسَنَ، وَفِي هَذَا بَلَاغٌ لَكُمْ. وَلَا وَاللَّهِ مَا تَرَكَ لَنَا شَيْئًا، وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ أُسَكِّنَ الشَّيْخَ بِذَلِكَ.
وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ الْحَسَنَ بْنَ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيَّ قَالَ: انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ إِلَى الْغَارِ لَيْلًا، فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ قَبْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَسَ الْغَارَ; لِيَنْظُرَ أَفِيهِ سَبُعٌ أَوْ حَيَّةٌ، يَقِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ. وَهَذَا فِيهِ انْقِطَاعٌ مِنْ طَرَفَيْهِ.
وَقَدْ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو الضَّبِّيُّ، ثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا خَرَجَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ إِلَى ثَوْرٍ، فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يَكُونُ أَمَامَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّةً، وَخَلْفَهُ مَرَّةً، فَسَأَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: إِذَا كُنْتُ خَلْفَكَ خَشِيتُ أَنْ تُؤْتَى مِنْ أَمَامِكَ، وَإِذَا كُنْتُ أَمَامِكَ خَشِيتُ أَنْ تُؤْتَى مِنْ خَلْفِكَ، حَتَّى إِذَا انْتَهَى إِلَى الْغَارِ مِنْ ثَوْرٍ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: كَمَا أَنْتَ حَتَّى أُدْخِلَ يَدِي فَأُحِسَّهُ وَأَقُصَّهُ، فَإِنْ كَانَتْ فِيهِ دَابَّةٌ أَصَابَتْنِي قَبْلَكَ. قَالَ نَافِعٌ: فَبَلَغَنِي أَنَّهُ كَانَ فِي الْغَارِ جُحْرٌ فَأَلْقَمَ أَبُو بَكْرٍ رِجْلَهُ ذَلِكَ الْجُحْرَ، تَخَوُّفًا أَنْ يَخْرُجَ مِنْهُ دَابَّةٌ أَوْ شَيْءٌ يُؤْذِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَهَذَا مُرْسَلٌ وَقَدْ ذَكَرْنَا لَهُ شَوَاهِدَ أُخَرَ فِي سِيرَةِ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ২১৫৯
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَنَا مُوسَى بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَبَّادٍ، ثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا السَّرِيُّ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، قَالَ: «ذَكَرَ رِجَالٌ عَلَى عَهْدِ عُمْرَ، فَكَأَنَّهُمْ فَضَّلُوا عُمَرَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَلَيْلَةٌ مِنْ أَبِي بَكْرٍ خَيْرٌ مِنْ آلِ عُمَرَ، وَلَيَوْمٌ مِنْ أَبِي بَكْرٍ خَيْرٌ مِنْ آلِ عُمَرَ، لَقَدْ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ انْطَلَقَ إِلَى الْغَارِ، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ فَجَعَلَ يَمْشِي سَاعَةً بَيْنَ يَدَيْهِ، وَسَاعَةً خَلْفَهُ، حَتَّى فَطِنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا لَكَ تَمْشِي سَاعَةً بَيْنَ يَدَيَّ، وَسَاعَةً خَلْفِي ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَذْكُرُ الطَّلَبَ فَأَمْشِي خَلْفَكَ، ثُمَّ أَذْكُرُ الرَّصَدَ فَأَمْشِي بَيْنَ يَدَيْكَ. فَقَالَ: " يَا أَبَا بَكْرٍ، لَوْ كَانَ شَيْءٌ لَأَحْبَبْتَ أَنْ يَكُونَ بِكَ دُونِي؟ " قَالَ: نَعَمْ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ. فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى الْغَارِ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَكَانَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَتَّى أَسْتَبْرِئَ لَكَ الْغَارَ. فَدَخَلَ فَاسْتَبْرَأَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ فِي أَعْلَاهُ، ذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يَسْتَبْرِئِ الْجِحَرَةَ، فَقَالَ: مَكَانَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَتَّى أَسْتَبْرِئَ. فَدَخَلَ فَاسْتَبْرَأَ، ثُمَّ قَالَ: انْزِلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَنَزَلَ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتِلْكَ اللَّيْلَةُ خَيْرٌ مِنْ آلِ عُمَرَ.»
وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ عُمَرَ، وَفِيهِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ جَعَلَ يَمْشِي بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَارَةً، وَخَلْفَهُ أُخْرَى، وَعَنْ يَمِينِهِ، وَعَنْ شِمَالِهِ.
পৃষ্ঠা - ২১৬০
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু আপনার অনুসন্ধানে বের হওয়া লোকদের কথা চিন্তা করে আমি আপনার
পেছনে হীটি, আবার আপনার জন্য কাফিরদের ওৎ পেতে থাকার কথা চিন্তা করে আপনার
সামনে থাকি (যাতে কেউ আপনাকে লক্ষ্যবন্তুতে পরিণত করলে আমি আমার জীবন দিয়ে
হলেও আপনার জীবন রক্ষা করার দাযিতু পালন করতে পারি) ৷ হযরত আবু বকর (রা)-এর
জবাব শুনে রাসুল (সা) বললেন :
হে আবু বকর! কোন কিছু ঘটলে তুমি কি চাও যে, আম র স্থব্:ল৩ তে ৷মাকে স্পর্শ করুক?
হযরত আবু বকর (বা) বললেনং : অবশ্যই ৷ যে সত্তাঅ আপনাকে সতন্সেহ প্রেরণ করেছেন, যে
সত্তার কসম ৷ উভয়ে গুহার মুখ পর্যন্ত পৌছলে হযরত আবু বকর (বা) বললেন :
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনি একটু অপেক্ষা করুন, আমি আপনার জন্য গুহ৷ পরিষ্কার করে
নিই ৷ এরপর তিনি গুহার ভেতরে প্রবেশ করেন এবং গুহ৷ পরিষ্কার করেন ৷ এ সময় তীর মনে
পড়লো যে, একটা ছিদ্র বন্ধ করা হয়নি ৷ তখন তিনি বললেন ইয৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ একটু অপেক্ষা
করুন, অমি পরিষ্কার করে নিই, তিনি ভেতরে প্রবেশ করে তা পারস্কার করে বললেনং ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! এবার আপনি প্রবেশ করুন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রবেশ করলেন ৷ উমর (রা)
বলেন
যে সভার হাতে আমার জীবন, সে সভার কসম, সেই একটি মাত্র রাত উমরের গোটা
পরিবারের চাইতে উত্তম ৷
বায়হাকী ঘটনাটি হযরত উমর (রা) এর বরাতে অন্য ভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে বলা
হয়েছে : আবু বকর (বা) কখনো রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে দিয়ে চলেন, কখনো পেছন দিয়ে,
কখনো ডান দিক দিয়ে, আবার কখনো বাম দিক দিয়ে ৷ সে বর্ণনায় একথাও আছে যে, চলতে
চলতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পদদ্বয় অবশ হয়ে পড়লে হযরত আবু বকর (রা) র্তাকে কাধে তুলে
নেন এবং তিনি ছিদ্রগুলাের মুখ বন্ধ করে নেন ৷ একটা গর্ত অবশিষ্ট ছিলো, হযরত আবু বকর
(রা) পায়ের গোড়ালি দিয়ে সে ছিদ্র বন্ধ করেন ৷ তখন সর্প তাকে দংশন করলে চোখ থেকে
অশ্রু গড়িয়ে পড়ে ৷ এসময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর (রা)-কে বলেন :
১া
“তুমি বিষগ্ন হয়াে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আমাদের সঙ্গে আছেন ৷ ”
এ বর্ণনাধারাটি গরীব ও মুনকার পর্যায়ের ৷ বায়হাকী জুন্দুব ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে বলেন,
গুহার হযরত আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গী ছিলেন ৷ এসময় পাথরে লেগে তার
হাত য়খম হলে তিনি বলেন :
৷ ৷
“তুমি তো একটা আঙ্গুল বৈ কিছুই নও ,আর তোমাকে যা স্পর্শ করেছে, তাতে৷ করেছে
কেবল আল্লাহ্র রা ৷ন্তায়ই ৷”
وَفِيهِ أَنَّهُ «لَمَّا حَفِيَتْ رِجْلَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَمَلَهُ الصِّدِّيقُ عَلَى كَاهِلِهِ، وَأَنَّهُ لَمَّا دَخَلَ الْغَارَ سَدَّدَ تِلْكَ الْجِحَرَةَ كُلَّهَا، وَبَقِيَ مِنْهَا جُحْرٌ وَاحِدٌ، فَأَلْقَمَهُ كَعْبَهُ، فَجَعَلَتِ الْأَفَاعِي تَنْهَشُهُ وَدُمُوعُهُ تَسِيلُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا ".» وَفِي هَذَا السِّيَاقِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ.
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو سَعِيدٍ ابْنُ أَبِي عَمْرٍو، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ، ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ شَاذَانُ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كَانَ أَبُو بَكْرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْغَارِ فَأَصَابَ يَدَهُ حَجَرٌ، فَقَالَ:
إِنْ أَنْتِ إِلَّا أُصْبَعٌ دَمِيتِ ... وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا لَقِيتِ
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ الْجَزَرِيُّ، أَنَّ مِقْسَمًا مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ} [الأنفال: 30] قَالَ: تَشَاوَرَتْ قُرَيْشٌ لَيْلَةً بِمَكَّةَ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِذَا أَصْبَحَ فَأَثْبِتُوهُ بِالْوَثَاقِ، يُرِيدُونَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلِ اقْتُلُوهُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ أَخْرِجُوهُ. فَأَطْلَعَ اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ذَلِكَ، فَبَاتَ عَلِيٌّ عَلَى فِرَاشِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، وَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى لَحِقَ بِالْغَارِ، وَبَاتَ الْمُشْرِكُونَ يَحْرُسُونَ عَلِيًّا، يَحْسَبُونَهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أَصْبَحُوا ثَارُوا إِلَيْهِ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ২১৬১
আর ইমাম আহমদ (র) হযরত ইবন আব্বাসকে উদ্ধৃত করে নিম্নোক্ত আয়াত সম্পর্কে
বলেন : এগ্লু ট্রুএ্ ৷টুঠুব্লুব্র ;,;fl ৷ াট্রু,ট্রু<র্দুঠু ১া’এ
আর স্মরণ কর, কাফিররা যখন তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল তোমাকে বন্দী করার জন্য
(৮ : ৩০) ৷
তিনি বলেন, কুরায়শের লোকেরা এক রাত্রে মক্কায় পরামর্শ করে ৷ কেউ বলে, সকাল
বেলা তাকে শক্ত ভাবে বীধবে ৷ কথাটি তারা নবী করীম (না-কে ইঙ্গিত করে বলেছিল ৷
আবার কেউ বলে, না , বরং তাকে হত্যা করো ৷ আবার কিছু লোক বলে , না, বরং তাকে দেশ
থেকে রহিষ্কার করতে হবে ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তার নবীকে অবহিত করলেন ৷ হযরত আলী
(রা) সে রাত্রে নবী (না)-এর শয্যায় কাটান ৷ আর নবী করীম (সা) বের হয়ে গুহা পর্যন্ত
পৌছেন ৷ আর মুশরিকরা আলী (রা)-কে নবী (সা) মনে করে সারারাত যেরাও করে রাখে ৷
ভোরে তারা তার উপর হামলা চালাতে গিয়ে আলী (রা)-ণ্ক দেখতে পায় ৷ এভাবে আল্লাহ্
তাদের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেন ৷ তখন তারা বলে, তোমার সঙ্গীটি কোথায় ? তিনি বললেন,
আমি জানি না ৷ তখন তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পদচিহ্ন অনুসরণ করতে লাগলো ৷ পাহাড়
পর্যন্ত পৌছে তারা কিছু ঠাহর করতে পারলাে না ৷ তারা পাহাড়ে আরোহণ করলো এবং গুহা
পর্যন্ত পৌছলো ৷ তারা গুহায় মুখে মাকড়সার জাল দেখতে গেলো ৷ তারা বলাবলি করতে
লাগলো, এতে কেউ প্রবেশ করলে তো তার মুখে মাকড়সার জাল থাকতো না ৷ গুহায় তিনি
তিন রাত কাটান ৷ এটির সনদ হাসান ৷ গুহায় মুখে মাকড়সার জাল বুনা সম্পর্কে যে কাহিনী
বর্ণিত আছে তন্মধ্যে এটাই উত্তম ৷ আর এটা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে রড়াসুলের প্রতি সাহায্য-
সহায়তার অন্যতম ৷
হাফিয আবু বকর আহমদ ইবন আলী ইবন সাঈদ আল-কাযী মুসনাদে আবু বকর গ্রন্থে
বিভিন্ন সুএ উল্লেখ করে হযরত হাসান বসৃরী থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (মা) এবং আবু
বকর (রা) গুহা পর্যন্ত হেটে যান ৷ ওদিকে কুরায়শরা নবী করীম (না)-কে খুজতে খুজতে
সেখানে পৌছে ৷ কিন্তু তারা গুহায় মুখে মাকড়সার জাল দেখে বলে : এখানে তো কেউ প্রবেশ
করেনি ৷ এ সময় নবী করীম (সা) দাড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন আর আবু বকর (রা) তাকে
পাহারা দিচ্ছিলেন ৷ এ সময় আবু বকর (রা) নবী করীম (না)-কে বললেন :
এরা আপনার স্বজাতির লোকজন, এরা আপনাকে খুজছে ৷ আল্লাহ্র কলম, নিজের সম্পর্কে
আমার কোন চিন্তা নেই ৷ তবে আপনার কোন ক্ষতি হোক তা আমার কাছে অসহ্য ৷ তখন নবী
করীম (সা) র্তাকে বললেন : ৮ এ ৷ ;, ৷ প্গ্র ১৷ ,হ্রৰু ৷ ৷ৰু
“হে আবু বকর ! কোন ভয় নেই; নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে আল্লাহ আছেন ৷”
হযরত হাসান বসরী (র) থেকে এটি মুরসাল ভাবে বর্ণিত ৷ আর সমর্থক রর্ণনাদি থাকায় এ
বর্ণনাটি হাসানও বটে ৷ এতে অতিরিক্ত আছে, গুহায় নবী করীম (না)-এর নামায আদায় করা,
আর নবী (না) কোন বিষয়ে চিন্তায় পড়লে নামায আদায় করতেন ৷ আর এ ব্যক্তি অর্থাৎ আবু
رَأَوْا عَلِيًّا رَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَكْرَهُمْ، فَقَالُوا: أَيْنَ صَاحِبُكَ هَذَا؟ فَقَالَ: لَا أَدْرِي. فَاقْتَصُّوا أَثَرَهُ، فَلَمَّا بَلَغُوا الْجَبَلَ، اخْتَلَطَ عَلَيْهِمْ، فَصَعِدُوا الْجَبَلَ، فَمَرُّوا بِالْغَارِ، فَرَأَوْا عَلَى بَابِهِ نَسْجَ الْعَنْكَبُوتِ، فَقَالُوا: لَوْ دَخَلَ هَاهُنَا أَحَدٌ لَمْ يَكُنْ نَسْجُ الْعَنْكَبُوتِ عَلَى بَابِهِ. فَمَكَثَ فِيهِ ثَلَاثَ لَيَالٍ. وَهَذَا إِسْنَادٌ حَسَنٌ، وَهُوَ مِنْ أَجْوَدِ مَا رُوِيَ فِي قِصَّةِ نَسْجِ الْعَنْكَبُوتِ عَلَى فَمِ الْغَارِ، وَذَلِكَ مِنْ حِمَايَةِ اللَّهِ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سَعِيدٍ الْقَاضِي فِي " مُسْنَدِ أَبِي بَكْرٍ ": حَدَّثَنَا بَشَّارٌ الْخَفَّافُ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، قَالَ: «انْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ إِلَى الْغَارِ، وَجَاءَتْ قُرَيْشٌ يَطْلُبُونَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانُوا إِذَا رَأَوْا عَلَى بَابِ الْغَارِ نَسْجَ الْعَنْكَبُوتِ، قَالُوا: لَمْ يَدْخُلْ أَحَدٌ. وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ يَرْتَقِبُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَؤُلَاءِ قَوْمُكَ يَطْلُبُونَكَ، أَمَا وَاللَّهِ مَا عَلَى نَفْسِي أَبْكِي، وَلَكِنْ مَخَافَةَ أَنْ أَرَى فِيكَ مَا أَكْرَهُ. فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَبَا بَكْرٍ، لَا تَخَفْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا ".» وَهَذَا مُرْسَلٌ عَنِ الْحَسَنِ، وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ২১৬২
حَسَنٌ بِحَالِهِ مِنَ الشَّاهِدِ. وَفِيهِ زِيَادَةُ صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْغَارِ، وَقَدْ كَانَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى. وَرَوَى هَذَا الرَّجُلُ - أَعْنِي أَبَا بَكْرٍ أَحْمَدَ بْنَ عَلِيٍّ الْقَاضِيَ - عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ، عَنْ خَلَفِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ مُطَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ لِابْنِهِ: يَا بُنَيَّ، إِذَا حَدَثَ فِي النَّاسِ حَدَثٌ، فَأْتِ الْغَارَ الَّذِي اخْتَبَأَتُ فِيهِ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكُنْ فِيهِ; فَإِنَّهُ سَيَأْتِيكَ رِزْقُكَ فِيهِ بُكْرَةً وَعَشِيًّا.» وَقَدْ نَظَمَ بَعْضُهُمْ هَذَا فِي شِعْرِهِ حَيْثُ يَقُولُ:
نَسْجُ دَاوُدَ مَا حَمَى صَاحِبَ الْغَا ... رِ وَكَانَ الْفَخَارُ لِلْعَنْكَبُوتِ
وَقَدْ وَرَدَ أَنَّ حَمَامَتَيْنِ عَشَّشَتَا عَلَى بَابِهِ أَيْضًا، وَقَدْ نَظَمَ ذَلِكَ الصَّرْصَرِيُّ فِي شِعْرِهِ حَيْثُ يَقُولُ:
فَغَمَّى عَلَيْهِ الْعَنْكَبُوتُ بِنَسْجِهِ ... وَظَلَّ عَلَى الْبَابِ الْحَمَامُ يَبِيضُ
وَالْحَدِيثُ بِذَلِكَ رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২১৬৩
বকর আহমদ ইবন আলী আল-কাযী আমৃর আন-নড়াকিদ সুত্রে আবু হুরড়ায়রার বরাতে আবু বকর
(বা) থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, হযরত আবু বকর (বা) তার সন্তানকে বলেন, বৎস!
লোকদের মধ্যে অপ্ৰত্যাশিত কোন ঘটনা ঘটলে তুমি গুহায় এসে আমাদেরকে জানাবে, যেখানে
আমি এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) আত্মগােপন করে থাকবাে ৷ কেউ কেউ একথাটা কবিতায় ব্যক্ত
করেছেন এভাবে :
“দাউদী জাল (অর্থাৎ লৌহ অস্ত্র) গুহাবাসীকে হিফাযত করেনি, এ ক্ষেত্রে কৃতিতু হচ্ছে
মড়াকড়সার ৷ ”
এটাও কথিত আছে যে, দু’টি কবুতর গুহার মুখে বাসা ঝোধছিল ৷ কবি রিবক
আস-সারসারী একথটিড়া কবিতায় ব্যক্ত করেন এ ভাবে :
৷ ত্যুঃ ঘে;১
মাকড়সা জাল বুনে তাকে ঢেকে রাখে আর (গুহার) মুখে কনৃতর ডিম পাড়ে (এ ভাবে
তাকে হিফাযত করে) ৷
হাফিয ইবন আসাকির ইয়াহ্ইয়া ইবন মুহাম্মদ সাঈদ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তার বর্ণনায়
উল্লেখ আছে যে , আবু মুসআব মাকী বলেন, আমি যায়দ ইবন আরকাম , ঘুগীরা ইবন শুবা এবং
আনাস ইবন মালিক (রা)-কে আলোচনা করতে শুনেছি যে, গুহার রজনীতে আল্লাহ্ তাআলা
বৃক্ষকে নির্দেশ দান করলে বৃক্ষ নবীজীর সম্মুখে বের হয়ে তাকে আচ্ছন্ন করে নেয় আর আল্লাহ
তাআলা মাকড়সাকে নির্দেশ দিলে মাকড়সা উভয়ের মধ্যন্থলে জাল বিস্তার করে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর চেহারা মুবারক আচ্ছাদিত করে নেয় এবং দু’টি বুনাে কবুতরকে আল্লাহ্ তাআলা
নির্দেশ দান করলে কবুতর দু’টি পাখড়া ঝাপটাতে ঝাপটাতে মড়াকড়সার জাল এবং বৃক্ষের
মধ্যস্থলে এসে বসে ৷ আর কুরায়শের প্রতিটি গোত্রের যুবকরা এগিয়ে আসে ৷ তাদের হাতে
লাঠি, ধনুক আর ডড়াণ্ডা ৷ তারা যখন রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে দু’শ’ হাত পরিমাণ দুরে, তখন
তাদের পথ-প্রদর্শক সুরাকা ইবন মালিক ইবন জু’শাম মুদলিজী বললেন : এ পাথর পর্যন্ত, তো
বুঝা যাচ্ছে (যার উপর পদচিহ্ন বর্তমান রয়েছে), তবে এরপর কোথায় তার পা পড়েছে আমি
জানি না ৷ তখন কুরায়শী যুবকরা বলে, তুমি রাত্রি বলে ভুল করনি তো? ভোর হলে তাদের
পখ-প্ৰদর্শক বলে গুহায় দৃষ্টি দিয়ে দেখ ৷ লোকেরা গুহা দেখার জন্য ছুটে আসে ৷ যখন নবী
(সা)শ্এর মধ্যখানে আনুমানিক ৫০ হাত দুরতু বাকী, তখন কবুতর দু’টি ডাক দিয়ে উঠে ৷
তখন তারা বললো, গুহায় তাকাতে কিসে তোমাকে ধারণ করেছে ? সে বললাে আমি গুহড়ার
মুখে দু’টি বুনাে কবুতর দেখতে পাচ্ছি ৷ তাই আমি বুঝতে পারি যে, গুহার ভেতরে কেউ নেই ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একথা শুনতে পান এবং বুঝতে পারেন যে, এ কবুতর দু’টির মাধ্যমে আল্লাহ্
তাআলা তাদের দু’জনকে হিফাযত করেছেন ৷ কবুতর দৃ’টিকে আল্লাহ তাআলা বরকত দান
করেন এবং হেরেমে তাদেরকে স্থান দান করেন আর সেখানে তারা বাচ্চা দেয়, যেমন তুমি
দেখতে পাচ্ছ ৷ এ ধারার বর্ণনাটি নিতান্ত গরীব পর্যায়ের ৷
صَاعِدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا عَوْنُ بْنُ عَمْرٍو أَبُو عَمْرٍو الْقَيْسِيُّ - وَيُلَقَّبُ عُوَيْنًا - حَدَّثَنِي أَبُو مُصْعَبٍ الْمَكِّيُّ، قَالَ: «أَدْرَكْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، وَالْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، وَأَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَذْكُرُونَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْغَارِ أَمَرَ اللَّهُ شَجَرَةً فَخَرَجَتْ فِي وَجْهِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْتُرُهُ، وَأَنَّ اللَّهَ بَعَثَ الْعَنْكَبُوتَ فَنَسَجَتْ مَا بَيْنَهُمَا فَسَتَرَتْ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ اللَّهُ حَمَامَتَيْنِ وَحْشِيَّتَيْنِ، فَأَقْبَلَتَا تَدُفَّانِ حَتَّى وَقَعَتَا بَيْنَ الْعَنْكَبُوتِ وَبَيْنَ الشَّجَرَةِ، وَأَقْبَلَتْ فِتْيَانُ قُرَيْشٍ مِنْ كُلِّ بَطْنٍ مِنْهُمْ رَجُلٌ، مَعَهُمْ عِصِيُّهُمْ وَقِسِيُّهُمْ وَهِرَاوَاتُهُمْ، حَتَّى إِذَا كَانُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْرَ مِائَتَيْ ذِرَاعٍ، قَالَ الدَّلِيلُ - وَهُوَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ بْنِ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيُّ - هَذَا الْحَجَرُ، ثُمَّ لَا أَدْرِي أَيْنَ وَضَعَ رِجْلَهُ. فَقَالَ الْفِتْيَانُ: أَنْتَ لَمْ تُخْطِئْ مُنْذُ اللَّيْلَةِ. حَتَّى إِذَا أَصْبَحْنَا قَالَ: انْظُرُوا فِي الْغَارِ. فَاسْتَقْدَمَ الْقَوْمَ حَتَّى إِذَا كَانُوا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْرَ خَمْسِينَ ذِرَاعًا، فَإِذَا الْحَمَامَتَانِ، فَرَجَعَ فَقَالُوا: مَا رَدَّكَ أَنْ تَنْظُرَ فِي الْغَارِ؟ قَالَ: رَأَيْتُ حَمَامَتَيْنِ وَحْشِيَّتَيْنِ بِفَمِ الْغَارِ، فَعَرَفَتْ أَنْ لَيْسَ فِيهِ أَحَدٌ. فَسَمِعَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَرَفَ أَنَّ اللَّهَ قَدْ دَرَأَ عَنْهُمَا بِهِمَا، فَسَمَّتَ عَلَيْهِمَا - أَيْ بَرَّكَ عَلَيْهِمَا - وَأَحْدَرَهُمَا اللَّهُ إِلَى الْحَرَمِ فَأَفْرَخَا كَمَا
পৃষ্ঠা - ২১৬৪
হাফিয আবু নুআইম মুসলিম ইবন ইব্রাহীম সুত্রে ভিন্ন সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আর তাতে একথা আছে : মক্কার তাবত কবুতর ঐ কবুতর দু’টিরই বংশধর ৷ এ বর্ণনায় এ কথা
আছে যে, পথ প্রদর্শক এবং পদচিহ্ন শনাক্তক৷ রী ছিল সুরাকা ৷ইবন মালিক মুদলিজী ৷ ওয়াকিদী
মুসা ইবন মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম তার পিতার বরাতে বলেন৪ পদচিহ্ন পরখক৷ ৷রী ব্যক্তি ছিল
কুরয্ ইবন আলকামা ৷ আমি (ইবন কাহীর) বলিং : এমনও হতে পারে যে, ভরা দু ’জনই
পদচিহ্ন অনুসন্ধানের কাজে নিয়োজিত ছিল ৷ আসল ব্যাপার কি তা আল্লাহ্ই ন্ ভাল জানেন ৷
আল্লাহ তাআল৷ বলেন :
’; : ’; , , : ; ; ;
“তোমরা যদি তাকে সাহায্য না কর, তবে আল্পাহ্ তাে তাকে সাহায্য করেছেন যখন
কাফিররা তাকে বের করেছিল এবং সে ছিল দুজনের দ্বিভীয় জন ৷ যখন তারা উভয়ে ছিল
গুহার মধ্যে, যে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষগ্ন হয়ো ন৷ ৷ আল্লাহ্ তো নিশ্চয়ই আমাদের
সঙ্গে আছেন ৷ এরপর আল্লাহ্ তার উপর নিজের প্রশাস্তি নাযিল করেন এবং তাকে শক্তিশালী
করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে যাদের তোমরা দেখনি এবং তিনি কাফিরদের কথা হেয়
করেন এবং আল্লাহ্র কথাই সব কিছুর উপরে এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৯ :
৪০)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে জিহাদে গমন না করে যারা পেছনে থেকে গিয়েছিলেন,
তাদেরকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ্ তাআল৷ বলেন : ;ং,,:;:; ৰু৷ ৷ ষ্-যদি তোমরা তাকে
সাহায্য না কর ৷ তোমরা তাকে সাহায্য না করলে আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করবেন, তাকে শক্তি
যােগাবেন এবং তাকে বিজয়ী ও সফলকাম করবেন, যেমন তিনি সাহায্য করেছিলেন : ৰুা৷
!;,’:;< ৰু;ৰু ১র্দু৷ ৷ ট্হুট্রুছু;৷ যখন কাফিররা তাকে বহিষ্কার করেছিল অর্থাৎ মক্কাবাসীদের মধ্যে
কাফিররা, তিনি মক্কা ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখন সঙ্গী সাথী-আর বন্ধু আবু বকর ছাড়া আর কেউই
তার সঙ্গে ছিল না ৷ এ কারণেই আল্লাহ বলেনং : এাট্রুং৷ ৷ ও ৩১১ ৷ ,;;: ৷ ” ;াদ্বু দু’জনের
দ্বিতীয় জন, যখন তারা উভয়ে ছিল গুহার মধ্যে ৷ অর্থাৎ তারা দু জনে গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন
এবং তাতে তিন দিন অবস্থান করেছিলেন যাতে দুশমনদের অনুসন্ধানে ভাট৷ পড়ে, আর তা এ
জন্যে যে, মুশবিকর৷ তাদেরকে না পেয়ে তাদের সন্ধানে দিকে দিকে বেরিয়ে পড়ে যা ইতে ৷পুর্বে
উল্লেখ করা হয়েছে এবং তা তাদের দু’ জন যা একজনকে ধরে দিতে পারলে একশ’ উট পুরস্কার
ঘোষণা করে ৷ ফলে তাদের পদচিহ্ন অনুসন্ধানে লোকজন বেরিয়ে পড়ে ৷ বিক্ষ্ম তারা তা মিলাতে
সক্ষম হয়নি, বরং বিষয়টা ত তােদর নিকট সন্দেহজনক হয়ে উঠে৷ ইতে ৷পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে
যে, কুরায়শের জন্য পদচিহ্ন অনুসন্ধান করছিল সুরাকা ইবন মালিক ইবন জু শাম ৷ তারা যে
পাহাড়ে ছিলেন, সে পাহাড়ে কুরায়শের অনুসন্ধানীরা আরোহণ করে, এমনকি তারা গুহার মুখ
দিয়েও অতিক্রম করে ৷ তাদের পা গুহার মুখ বরাবর হয়ে যায় ৷ ফলেত তারা তাদের উভয়কে
দেখতে পায়নি ৷ দেখতে পায়নি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের দু জনকে হিফ৷ ৷যত করার কারণে,
যেমন ইমাম আহমদ ইবন হা ম্বল (র) বলেন ৷ আনাস ইবন মালিক আবু বকর (রা) এর বরাতে
تَرَى.» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ، مِنْ حَدِيثِ مُسْلِمِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَغَيْرِهِ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَمْرٍو - وَهُوَ الْمُلَقَّبُ بِعُوَيْنٍ - بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ، وَفِيهِ أَنَّ جَمِيعَ حَمَامِ مَكَّةَ مِنْ نَسْلِ تَيْنِكَ الْحَمَامَتَيْنِ، وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الْقَائِفَ الَّذِي اقْتَفَى لَهُمُ الْأَثَرَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ الْمُدْلَجِيُّ
وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ الَّذِي اقْتَفَى لَهُمُ الْأَثَرَ كُرْزُ بْنُ عَلْقَمَةَ.
قُلْتُ: وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَا جَمِيعًا اقْتَفَيَا الْأَثَرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِلَّا تَنْصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللَّهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُوا السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [التوبة: 40] يَقُولُ تَعَالَى مُؤَنِّبًا لِمَنْ تَخَلَّفَ عَنِ الْجِهَادِ مَعَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا تَنْصُرُوهُ أَنْتُمْ فَإِنَّ اللَّهَ نَاصِرُهُ، وَمُؤَيِّدُهُ، وَمُظْفِرُهُ، كَمَا نَصَرَهُ {إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا} [التوبة: 40] مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ هَارِبًا لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُ صَاحِبِهِ، وَصَدِيقِهِ أَبِي بَكْرٍ، لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُهُ; وَلِهَذَا قَالَ: {ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ} [التوبة: 40] أَيْ: وَقَدْ لَجَأَ
পৃষ্ঠা - ২১৬৫
إِلَى الْغَارِ، فَأَقَامَا فِيهِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لِيَسْكُنَ الطَّلَبُ عَنْهُمَا; وَذَلِكَ لِأَنَّ الْمُشْرِكِينَ حِينَ فَقَدُوهُمَا كَمَا تَقَدَّمَ، ذَهَبُوا فِي طَلَبِهِمَا كُلَّ مَذْهَبٍ مِنْ سَائِرِ الْجِهَاتِ، وَجَعَلُوا لِمَنْ رَدَّهُمَا أَوْ أَحَدَهُمَا مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَاقْتَصُّوا آثَارَهُمَا حَتَّى اخْتَلَطَ عَلَيْهِمْ، وَكَانَ الَّذِي يَقْتَصُّ الْأَثَرَ لِقُرَيْشٍ سُرَاقَةَ بْنَ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَصَعِدُوا الْجَبَلَ الَّذِي هُمَا فِيهِ، وَجَعَلُوا يَمُرُّونَ عَلَى بَابِ الْغَارِ، فَتُحَاذِي أَرْجُلُهُمْ لِبَابِ الْغَارِ وَلَا يَرَوْنَهُمَا; حِفْظًا مِنَ اللَّهِ لَهُمَا، كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا هَمَّامٌ، أَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ حَدَّثَهُ، قَالَ: قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي الْغَارِ: لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ نَظَرَ إِلَى قَدَمَيْهِ لَأَبْصَرَنَا تَحْتَ قَدَمَيْهِ. فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللَّهُ ثَالِثُهُمَا.» وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ فِي " صَحِيحَيْهِمَا " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ بِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ السِّيَرِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ لَمَّا قَالَ ذَلِكَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ جَاءُونَا مِنْ هَاهُنَا لَذَهَبْنَا مِنْ هُنَا ". فَنَظَرَ الصِّدِّيقُ إِلَى الْغَارِ قَدِ انْفَرَجَ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، وَإِذَا الْبَحْرُ قَدِ اتَّصَلَ بِهِ، وَسَفِينَةٌ مَشْدُودَةٌ إِلَى جَانِبِهِ.» وَهَذَا لَيْسَ بِمُنْكَرٍ مِنْ حَيْثُ الْقُدْرَةُ الْعَظِيمَةُ، وَلَكِنْ لَمْ يَرِدْ ذَلِكَ بِإِسْنَادٍ قَوِيٍّ وَلَا ضَعِيفٍ، وَلَسْنَا نُثْبِتُ شَيْئًا مِنْ تِلْقَاءِ أَنْفُسِنَا، وَلَكِنْ مَا صَحَّ أَوْ حَسُنَ سَنَدُهُ قُلْنَا بِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، ثَنَا خَلَفُ بْنُ تَمِيمٍ، ثَنَا مُوسَى بْنُ مُطَيْرٍ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২১৬৬
বর্ণনা করে বলেছেন, গুহায় অবস্থানকালে আমি নবী করীম (সা)ণ্ক বললাম, তাদের কেউ
নিজের পায়ের দিকে তাকালেই পায়ের নিচে আমাদেরকে অবশ্যই দেখতে পাবে ৷ তখন নবী
করীম (সা) বললেন : ৷ ৷প্রু
“হে আবু বকর! সে দুজন সম্পর্কে তোমার কী ধারণা যাদের ততীয় জন হলেন আল্লাহ
তাআলা ? ইমাম বুখাবী এবং মুসলিম র্তাদের সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ কোন
কোন সীরাত গ্রন্থকার উল্লেখ করেন যে, আবু বকর (রা) একথা বললে তখন নবী করীম (সা)
বললেন, তারা এ দিক থেকে আসলে আমরা অবশ্যই ঐদিকে চলে ণ্স্যতাম ৷ তখন হযরত আবু
বকর (রা) গুহড়ার দিকে তাকিয়ে দেখেন যে, এক দিক থেকে তা র্যনক হয়ে গেছে ৷ আর সমুদ্র
তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর অপর প্রান্তে নৌকা বাধা আছে ৷ আল্লাহর মহান কুদরত আর বিশাল
ক্ষমতার কাছে এটা অসম্ভব অবাস্তব এবং অগ্রাহ্য নয় ৷ তবে শক্তিশালী এমনকি দুর্বল সনদেও
এমন হাদীছ বর্ণিত নেই ৷ আমরা নিজের পক্ষ থেকে কোন কিছু প্রমাণ করতে চাই না ৷ তবে যে
হাদীছের সনদ বিশুদ্ধ বা হাসান, আমরা কেবল তেমন হাদীছই উঃৱ,ল্লখ করি, কেবল সে হাদীছের
কথাই আমরা বলি ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
আর হাফিয আবু বকর আল-বাঘৃযার ফযল ইবন সাহল সুত্রে হযরত আবু হুরড়ায়রা (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তার পৃত্রকে বলেছিলেন : বৎসষ্ মানুষের মধ্যে যখন কোন ঘটনা
ঘটে, তখন তুমি গুহায় আসবে, যেখানে আমাকে আত্মগােপন করতে দেখেছ ৷ আমি এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাতে আত্মগােপন করেছি ৷ তুমি সেখানে যাবে ৷ কারণ, সকড়াল-সল্যা তথায়
রিযিক আসবে ৷ এরপর ইমাম বাযযার (হাদীছটি সম্পর্কে) মন্তব্য করেন : খড়ালফ্ ইবন তামীম
ব্যতীত অন্য কোন রাবী হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ আমি (অর্থাৎ
গ্রহুকার) বলি : বর্ণনাকারীদের একজন মুসা ইবন মাভীর যঈফ এবং মাতরুক অর্থাৎ রাবী
হিসাবে তিনি নির্ত্যল্কযোপ্য নন বরং দুর্বল এবং তার রিওয়ায়াত গ্রহণযোগ্য নয় ৷ আর ঘুহাদ্দিছ
ইয়াহ্ইয়া ইবন মুঈন তো তাকে ন্মিথ্যাবড়াদী বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷ সুতরাং তার বর্ণিত
হাদীছ গ্রহণযোগ্য নয় ৷
আর ইউনুস ইবন বুকায়র মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সুত্রে উল্লেখ করেন যে, তারা দু’জন গুহায়
প্রবেশকালে তৎপরবর্তী কালে তাদের গতিবিধি এবং সুরাকা ইবন মালিক-এর কাহিনীতে পরে
বর্ণনা করা হবে যে পংক্তিসমুহ হযরত আবু বকর (রা) আবৃত্তি করেন, তন্মধ্যে নিম্নোক্ত
কবিতাটিও ছিল :
প্ল
নবী করীম (সা) বলেন, আমি ব্যাকুল হইনি, আমাকে সাভুনা দানের জন্য তিনি বলেন,
আর আমরা ছিলাম গুহায় অন্ধকারের আবরণে আচ্ছা ত
তুমি কোন কিছুর ভয় করবে না, কারণ, আল্লাহ হলেন আমাদের মধ্যে তৃতীয় আর তিনি
তো আমার দায়িত্ব নিয়েছেন (দীনকে) জয়যুক্ত করার ৷
لِابْنِهِ: يَا بُنَيَّ إِنْ حَدَثَ فِي النَّاسِ حَدَثٌ فَأْتِ الْغَارَ الَّذِي رَأَيْتَنِي اخْتَبَأْتُ فِيهِ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكُنْ فِيهِ فَإِنَّهُ سَيَأْتِيكَ فِيهِ رِزْقُكَ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً.» ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُ يَرْوِيهِ غَيْرُ خَلَفِ بْنِ تَمِيمٍ.
قُلْتُ: وَمُوسَى بْنُ مُطَيْرٍ هَذَا ضَعِيفٌ مَتْرُوكٌ، كَذَّبَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فَلَا يُقْبَلُ حَدِيثُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّ الصِّدِّيقَ قَالَ فِي دُخُولِهِمَا الْغَارَ، وَسَيْرِهِمَا بَعْدَ ذَلِكَ، وَمَا كَانَ مِنْ قِصَّةِ سُرَاقَةَ، كَمَا سَيَأْتِي، شِعْرًا فَمِنْهُ قَوْلُهُ:
قَالَ النَّبِيُّ وَلَمْ أَجْزَعْ يُوَقِّرُنِي ... وَنَحْنُ فِي سُدَفٍ مِنْ ظُلْمَةِ الْغَارِ
لَا تَخْشَ شَيْئًا فَإِنَّ اللَّهَ ثَالِثُنَا ... وَقَدْ تَوَكَّلَ لِي مِنْهُ بِإِظْهَارِ
وَقَدْ رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ هَذِهِ الْقَصِيدَةَ مِنْ طَرِيقِ زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، فَذَكَرَهَا مُطَوَّلَةً جِدًّا، وَذَكَرَ مَعَهَا قَصِيدَةً أُخْرَى، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: فَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الْحَجِّ - يَعْنِي الَّذِي بَايَعَ فِيهِ الْأَنْصَارَ - بَقِيَّةَ ذِي الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمَ وَصَفَرًا، ثُمَّ إِنَّ مُشْرِكِي قُرَيْشٍ أَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ وَمَكْرَهُمْ عَلَى أَنْ يَقْتُلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَوْ يَحْبِسُوهُ، أَوْ يُخْرِجُوهُ، فَأَطْلَعَهُ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ عَلَيْهِ: {وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا} [الأنفال: 30] الْآيَةَ. فَأَمَرَ عَلَيًّا فَنَامَ عَلَى فِرَاشِهِ،
পৃষ্ঠা - ২১৬৭
আর হাফিয আবু নুআয়ম যিয়াদ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে এ দীর্ঘ
কাসীদাটি এবং তার সঙ্গে অন্য কাসীদাও উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ন্ আর ইবন লাহীআ আবুল আসওয়াদ সুত্রে উরওয়া ইবন যুবায়র থেকে বর্ণনা করে বলেন :
রাসুলুল্পাহ্ (সা) হরুজ্জর পর অর্থাৎ যেখানে আনসারগণের বায়আতে আকাবার পর যিলহাজ্জ
মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো এবং মুহাররম ও সফর মাস মক্কায়ই অবস্থান করেন ৷ এরপর
কুরায়শের মুশরিকরা একমত হয় এবং সকলে মিলে ষড়যন্ত্র করে যে, তারা রাসুলুল্পাহ্ (সা)-কে
হত্যা বা বন্দী করবে ৷ অথবা তারা র্তাকে দেশ থেকে নির্বাসিত করবে ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ
তাআলা তার রাসুল (সা) কে অবহিত করে তার উপর আয়াত নাযিল করেন :
ওণ্১
“যখন কড়াফিররা তোমার সম্পর্কে ষড়যন্ত্রম্ফরছিল যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (রা)-কে নির্দেশ দান করলে আলী তীর শয্যায় সে রাত্রে ঘুমান ৷ আর
রাসুলুল্পাহ্ (না) ও হযরত আবু বকর (বা) বেরিয়ে যান ৷ ভোরে কফিররা তাদের দুজনের
খোজে চতৃর্দিকে বের হয় ৷ মুসা ইবন উকবা র্তার মাপাযী গ্রন্থে এরকমই উল্লেখ করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকর (রা) গুহার উদ্দেশ্যে বের হন রাত্রিবেলা ৷ ইতোপুর্বে হাসান
বসরী সুত্রে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে ইবন হিশাম রাত্রিবেলার সফর সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলেছেন ৷
ইমাম বুখারী (র) ইয়াহ্ইয়া ইবন বুকায়র সুত্রে নবী সহধর্মিণী হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা) ষ্
সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ আইশা (রা) বলেন : আমার যখন জ্ঞান-বুদ্ধি হয়, তখন থেবেইি আমি
পিতা-মাতাকে দীন পালন করতে দেখে আসছি ৷ আমাদের উপর এমন কোন দিন অতিবাহিত
হতো না, যেদিন সকাল-বিকাল দিনের দু’প্রান্তে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের গৃহে আগমন না
করতেন ৷ মুসলমানরা যখন নির্যাতনের শিকার হলেন, তখন আবু বকর (রা) ইথিওপিয়ার
হিজরত করেন ৷ তিনি যখন বারকুল পিমড়াদ’১ পৌছেন, তখন ইবনুদ দাগিন্নড়ার সঙ্গে তার
সাক্ষাত হয় ৷ আর ইনি ছিলেন ফারাহ’ গোত্রের নেতা ৷ হযরত আইশা সিদ্দীকা (বা) এ প্রসঙ্গে
ইবনুদ দাগিন্না কৃর্তৃক তাকে মক্কায় ফিরায়ে আনার ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ ইথিওপিয়ায় হিজরত
প্রসঙ্গে আমরা যে ঘটনা আলোচনা করেছি ৷ সেখানে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত
আবু বকর সিদ্দীক (বা) ইবনুদ দাগিন্নাকে বলেছিলেন, আমি তোমার আশ্রয় ফিরিয়ে দিচ্ছি এবং
আল্লাহর আশ্রয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি ৷ আইশা (রা) বলেন, নবী করীম (সা) তখন মক্কায়
ছিলেন এবং তিনি মুসলমানদেরকে বললেন : তোমাদের হিজরত ভুমি-স্বপ্নযোগে আমাকে
দেখানো হয়েছে, তা দুই কঙ্করময় ভুমির মধ্যস্থলে খেজুর বাগান পরিবেষ্টিত স্থান ৷ তখন যাদের
হিজরত করার ছিল তারা মদীনায় দিকে হিজরত করেন আর যারা হাবশায় হিজরত করেছিলেন
তাদের কেউ কেউ মদীনায় প্রত্যার্বতন করেন ৷ আর আবু বকর (রা) মদীনায় হিজরত করার
জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে বললেন : অপেক্ষা কর, আশা করি
আমাকে হিজ়রতের অনুমতি দেয়া হবে ৷ তখন আবু বকর (রা) বলেন : আমার পিতামাতা
আপনার জন্য উৎসর্গ হোন ! আপনি কি তইি আশা করেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হ্যা ৷
১ বারহুকুল গিমাদ ইয়ড়ামানের একটা স্থানের নাম ৷ ভিন্ন মতে মক্কার পেছনে দিবা-রাত্রি ৫ দিনের দুরত্বে একটা
স্থানের নাম ৷
وَذَهَبَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا ذَهَبُوا فِي طَلَبِهِمَا فِي كُلِّ وَجْهٍ يَطْلُبُونَهُمَا، وَهَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ "، وَأَنَّ خُرُوجَهُ هُوَ وَأَبِي بَكْرٍ إِلَى الْغَارِ كَانَ لَيْلًا، وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ - فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ - التَّصْرِيحُ بِذَلِكَ أَيْضًا.
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: «لَمْ أَعْقِلْ أَبَوَيَّ قَطُّ إِلَّا وَهُمَا يَدِينَانِ الدِّينَ، وَلَمْ يَمُرَّ عَلَيْنَا يَوْمٌ إِلَّا يَأْتِينَا فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرَفَيِ النَّهَارِ بِكُرَةً وَعَشِيَّةً، فَلَمَّا ابْتُلِيَ الْمُسْلِمُونَ خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مُهَاجِرًا نَحْوَ أَرْضِ الْحَبَشَةِ، حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَرْكَ الْغِمَادِ لَقِيَهُ ابْنُ الدَّغِنَةِ وَهُوَ سَيِّدُ الْقَارَةِ. فَذَكَرَتْ مَا كَانَ مِنْ رَدِّهِ لِأَبِي بَكْرٍ إِلَى مَكَّةَ وَجِوَارِهِ لَهُ كَمَا قَدَّمْنَاهُ عِنْدَ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ، إِلَى قَوْلِهِ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَإِنِّي أَرُدُّ عَلَيْكَ جِوَارَكَ، وَأَرْضَى بِجِوَارِ اللَّهِ. قَالَتْ: وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ بِمَكَّةَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْلِمِينَ: " إِنِّي أُرِيتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ، ذَاتَ نَخْلٍ بَيْنَ لَابَتَيْنِ ". وَهُمَا الْحَرَّتَانِ، فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ قِبَلَ الْمَدِينَةِ، وَرَجَعَ بَعْضُ مَنْ كَانَ هَاجَرَ قِبَلَ
পৃষ্ঠা - ২১৬৮
الْحَبَشَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَتَجَهَّزَ أَبُو بَكْرٍ مُهَاجِرًا قِبَلَ الْمَدِينَةِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَلَى رِسْلِكَ; فَإِنِّي أَرْجُو أَنْ يُؤْذَنَ لِي ". فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَهَلْ تَرْجُو ذَلِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي؟ قَالَ: " نَعَمْ ".» فَحَبَسَ أَبُو بَكْرٍ نَفْسَهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِيَصْحَبَهُ وَعَلَفَ رَاحِلَتَيْنِ كَانَتَا عِنْدَهُ وَرَقَ السَّمُرِ - وَهُوَ الْخَبَطُ - أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ عَلَفَهُمَا سِتَّةَ أَشْهُرٍ.
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: قَالَ عُرْوَةُ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «فَبَيْنَمَا نَحْنُ يَوْمًا جُلُوسٌ فِي بَيْتِ أَبِي بَكْرٍ فِي حَرِّ الظَّهِيرَةِ. فَقَالَ قَائِلٌ لِأَبِي بَكْرٍ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَقَنِّعًا فِي سَاعَةٍ لَمْ يَكُنْ يَأْتِينَا فِيهَا. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: فِدَاءٌ لَهُ أَبِي وَأُمِّي، وَاللَّهِ مَا جَاءَ بِهِ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ إِلَّا أَمْرٌ. قَالَتْ: فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَأْذَنَ فَأُذِنَ لَهُ، فَدَخَلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَخْرِجْ مَنْ عِنْدَكَ ". فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّمَا هُمْ أَهْلُكَ، بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَإِنَّهُ قَدْ أُذِنَ لِي فِي الْخُرُوجِ ". فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: الصَّحَابَةَ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". قَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَخُذْ، بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِحْدَى رَاحِلَتَيَّ هَاتَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بِالثَّمَنِ ". قَالَتْ عَائِشَةُ: فَجَهَّزْنَاهُمَا
পৃষ্ঠা - ২১৬৯
তখন রাসুলের সঙ্গে হিজরতে সাথী হওয়ার জন্য আবু বকর নিজেকে সংযত রাখেন এবং তিনি
দু’টি বাহনকে : মাস যাব বাবলা গাছের পাতা খইিয়ে প্রভুত করেন ৷ কোন কোন ঐতিহাসিক
৬ মাস যাবত ঘাস-পানি থাওয়ানাের কথা উল্লেখ করেছেন ?
ইবন শিহাব যুহরী উর্ওয়া সুত্রে আইশা (বা) থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, আইশা (রা )
বলেছেন ? একদিন আমরা দৃপুরের গরমে আবু বকর (রা)-এর গৃহে বসা ছিলাম ৷ তখন কেউ
একজন আবু বকরকে বললো৪ ঐ দেখ মাথায় রুমালসহ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগমন করছেন
এমন এক সময় সাধারণত যে সময় তিনি আগমন করেন না ৷ তখন আবু বকর (রা) বললেন,
আমার পিতামাতা তার জন্য কুরবান হোন! আল্পাহ্র কসম, কোন বিশেষ ব্যাপারই তাকে এ
সময় নিয়ে এসে থাকবে ৷ আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগমন করে অনুমতি চাইলে
র্তাকে অনুমতি দেয়া হয় ৷ তিনি গৃহে প্রবেশ করে বললেন : তোমার মিঃন্ট থেকে সকলকে বের
করে দাও ৷ তখন আবু বকর (রা) বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার পিতা আপনার জন্য
কুরবান হোন ! তারা তো আপনার পরিবারেরই লোক : অন্য কেউ নয় ৷ তখন তিনি বললেন-
অড়ামাকে হিজরতের অনুমতি দেয়া হয়েছে ৷ আবু বকর (বা) বললেন : আমার পিতামাতা
আপনার জন্য কুরবান হোন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সাহচর্য জ্বটবে তাে ? নবী কবীম (সা) বললেন,
হীড়া ৷ তখন আবু বকর (রা) বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার এ দু’টি বাহনের একটি আপনি
গ্রহণ করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ বললেন, মুল্যের বিনিময়ে ৷ আইশা (বা) বলেন আমরা তড়িঘড়ি
তাদের জন্য সফরের সম্বল প্রন্তুত করি এবং তা একটি থলেতে পুরে দেই ৷ আসমা বিনৃত আবু
বকর তার কােমর বন্ধ থেকে একটা টুকরা ছিড়ে নিয়ে থলের মুখ বেধে দেন ৷ এ কারণে তার
নাম হয় যাতৃন নিতাকাইন’ দৃ’ কোমরবন্ধের অধিকারিণী ৷
আইশা (রা) বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকর (রা) ছাওর পর্বতের গুহায়
প্রবেশ করেন এবং তিন রাত সেখানে আত্মগােপন করে থাকেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর
তাদের সঙ্গে রাত্রি যাপন করতেন ৷ তিনি তখন বিচক্ষণ যুবক ৷ ভোর রাত্রে তিনি মক্কায় এসে
কুরায়শেরসঙ্গে কাটাতেন যেন এখানেই তিনি রাত্রে ছিলেন ৷ কথাবার্তা শুনে মনে রাখতেন এবং
অন্ধকার ঘনিয়ে এলে তাদের কাছে গিয়ে সে বিষয়ে তাদের জানাতেন ৷ হযরত আবু বকর
(রা)-এর আযাদকৃত গোলাম আমির ইবন ফুহায়রা দিনের বেলা তাদের ণ্মষ চরাতেন আর
রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হলে তাদের নিকট মেষ নিয়ে আসতেন এবং তারা দুধ পান করে
রাত্রি যাপন করতেন ৷ অন্ধকার থাকতেই আমির ইবন ফুহায়রা মেষ নিয়ে ফিরে আসতেন ৷
উপর্বুপরি তিন রাত তিনি এরকম করেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এবং আবু বকর (বা) পরিশ্রমিকের
বিনিময়ে জনৈক ব্যক্তিকে পথ-প্ৰদর্শক নিয়োগ করেন ৷ লােকটি ছিল বনী দাউলের শাখাগােত্র
বনু আবৃদ ইবন আদীর লোক এবংষ্একজন দক্ষ পথ-প্রদর্শক ৷ আস ইবন আবু ওয়াইল সাহমীর
পরিবারের সাথে তার ছিল গভীর বন্ধুত্ব এবং সে ছিল এদের মিত্র ৷ কুরায়শের কাফির-
মুশরিকদের ধর্মে সে বিশ্বাসী ছিল ৷ তারা দৃ’জনে তাকে বিশ্বাস করে সওয়ারী তার কাছে অর্পণ
করেন এবং তিন দিন পর ভোরে সওয়ারী নিয়ে গুহার মুখে হাযির হওয়ার জন্য তাকে বলে
দেন ৷ এসময় আমির ইবন ফুহায়রা এবং পথ-প্রদর্শককে নিয়ে তারা সমুদ্র উপকুলীয় পথে
রওনা হন ৷
أَحَثَّ الْجَهَازِ، فَصَنَعْنَا لَهُمَا سُفْرَةً فِي جِرَابٍ، فَقَطَعَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ قِطْعَةً مِنْ نِطَاقِهَا، فَرَبَطَتْ بِهِ عَلَى فَمِ الْجِرَابِ، فَلِذَلِكَ سُمِّيَتْ ذَاتَ النِّطَاقَيْنِ. قَالَتْ: ثُمَّ لَحِقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ بِغَارٍ فِي جَبَلِ ثَوْرٍ، فَمَكَثَا فِيهِ ثَلَاثَ لَيَالٍ، يَبِيتُ عِنْدَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَهُوَ غُلَامٌ شَابٌّ ثَقِفٌ لَقِنٌ، فَيَدْلِجُ مِنْ عِنْدِهِمَا بِسَحَرٍ، فَيُصْبِحُ مَعَ قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ كَبَائِتٍ، لَا يَسْمَعُ أَمْرًا يُكْتَادَانِ بِهِ إِلَّا وَعَاهُ، حَتَّى يَأْتِيَهُمَا بِخَبَرِ ذَلِكَ حِينَ يَخْتَلِطُ الظَّلَامُ، وَيَرْعَى عَلَيْهِمَا عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ مِنْحَةً مِنْ غَنَمٍ، فَيُرِيحُهَا عَلَيْهِمَا حِينَ يَذْهَبُ سَاعَةٌ مِنَ الْعَشَاءِ فَيَبِيتَانِ فِي رِسْلٍ - وَهُوَ لَبَنُ مِنْحَتِهِمَا وَرَضِيفِهِمَا - حَتَّى يَنْعِقَ بِهَا عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ بِغَلَسٍ، يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ تِلْكَ اللَّيَالِي الثَّلَاثِ، وَاسْتَأْجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ رَجُلًا مِنْ بَنِي الدِّيلِ، وَهُوَ مِنْ بَنِي عَبْدِ بْنِ عَدِيٍّ هَادِيًا خِرِّيتًا - وَالْخِرِّيتُ: الْمَاهِرُ بِالْهِدَايَةِ - قَدْ غَمَسَ حِلْفًا فِي آلِ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ السَّهْمِيِّ، وَهُوَ عَلَى دِينِ كُفَّارِ قُرَيْشٍ، فَأَمِنَاهُ فَدَفَعَا إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ২১৭০
ইবন শি হার (যুহরী) সুরাকা ইবন মালিক মুদলিজীর তা তিজ আবদুর রহমান ইবন মালিক
মুদলিজী সুত্রে তার পিতার ররবুত বলেন যে, তার পিতা সুরাকা ইবন মালিক ইবন জু ’শমবুক
বলতে শুবুনবুছন যে, আমাদের নিকট কুরায়শ কাফিরদের দুত আসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বা আবু
বকর (রা) কে হত্যা বা বন্দী করার পুরস্কারের ঘোষণা নিয়ে ৷ তিনি বলেন আমার স্বগােত্র ধনী
মুদলিজের একটা মজলিসে আমি উপবিষ্ট ছিল ম এমন সময় তাদের এক ব্যক্তি আমাদের দিকে
এ গিয়ে এসে সম্মুখে দড় য় আমরা তখনো উপবিষ্ট আছি ৷ লেকটি যললো, হে সুরাকা আমি
মনে মাত্র উপকুলীয় পথে কিছু লোক দেখে এসেছি আমার ধারণা এরা ঘুহ ম্মদ এবং তার সঙ্গী
হবুব ৷ সুরাকা বলে আমি বুঝতে পারলাম যে, তারা ৫৩ আসলেই তারা কিন্তু আমি তাদেরকে
বললাম যে, না, ওরা তারা নয় তুমি হয়তো অমুককে দেখে থাকবে , যে আমাদের সম্মুখ দিয়ে
একটু আগে চলে গেছে এরপর আমি মজলিসে কিছু সময় অবস্থান করি তারপর উঠে দাড়ায়
এবং গৃহে প্রবেশ কবি আমি আমার ঘোড়া বের করে আমার জন্য র্ধ দীকে নির্দেশ দেই ৷ আমি
তাকে ঢিলার পেছনে ঘোড়া নিয়ে আমার অপেক্ষায় থাকতে বলি এবং আ ম রর্শ নিয়ে ঘরের
পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে পড়ি আমার ঘোড়ার নিকট আমি, তার উপর সওয়র হই, তাকে
ছুটা ই আর সে ছুটে যায় এবং আমাকে তাদের কা বুছ নিয়ে যায় ৷ আমাভৈক নিয়ে ঘোড়া টি হেচট
পায় এবং আমি তার পিঠ থেকে নিচে পড়ে য ই আমি উঠে দাড়ায় এবং তুণের প্রতি হাত
বড় ই এবং তা থেকে ভাগ্য গণনার তীর বের করে তার সাহায্যে তা গ্য পরীক্ষ কবি তাদের
ক্ষতি আ মি করবো কি না তা জন র চেষ্টা করি যা আমি পসন্দ করি না তাই বের হলো ভাগ্য
পরীক্ষার তীরের বিরোধিতা করে আমি ঘোড়ার সওয়র হই ঘোড়া আমাকে কাছাকছি নিয়ে
যায় এমনকি আমি রাসুলুল্লাহ্র৩ তিলাওয়বুতর শব্দ শুনতে পাই কোন দিকে তার লক্ষ্য নেই
আর আবু বকর তখন এদিকে ওদিবুক-তাকাচ্ছিবুলন আমার ঘোড়ার দু’পা মাটিতে আটকা পড়ে
হাটু পর্যন্ত দেবে যায় আমি ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যাই আমি উঠে র্দড়ায়, ঘোড়বুক
শাসাই সেও উঠে, কিন্তু সামনের পা দু’টি মাটি থেকে বের করতে পারলো না সে যখন
সোজা হয়ে দীড়ালো, তখন তার সামনের দু’পাবুয়র নীচ থেকে ধুলা উড়ে আচ্ছন্ন করে ফেলে
আবার আমি ভীর দ্বারা তা গ্য পরীক্ষা করলাম এররও আ ই বের হলো, যা আমার অপসন্দ
আমি তাদেরকে অভয় দিলাম তারা দড়বুলনঃ আমি ঘোড়ায় সওয়র হয়ে৩ তাদের নিকটে
পৌছি মাটিতে আটকা পড়ে আমার যে দশা হয় তাতে মনে এমন ভবুবর উদয় হয় যে,
অবিলম্বে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দীন জয়যুক্ত হবে তখন আমি তাকে বললাম, আপনার জাতি
আপনাকে ধরিয়ে দেয়া র পুরস্কার ঘোষণা করেছে তাদেরকে নিয়ে লোকেরা যা করতে চায়, সে
সম্পর্কে আমিত দেরকে অবহিত করলাম এবং আমি তাদেরকে পথের সম্বল আ র সামগ্রী দানের
প্রস্তাব পেশ করলাম তারা আমাকে কোন জবাব দিলেন না কোন কথা আমার নিকট
জিজ্ঞসাও করলেন না কেবল এ টুকুই বললেন যে, আমাদের বিষয়টা গোপন রাখবুর
আমাকে নিরাপত্তা-পত্র লিখে দেয়ার জন্য আমি আবেদন জানালে তিনি আমির ইবন ফুহয়রকে
এ ব্যাপারে নির্দেশ দেন তিনি আমাকে চামড়ার টুকরায় নিরাপত্তা পত্র লিখে দেন এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মুখে অ্যাসর হন
মুহাম্মদ ইবন ইসহক যুহবী সুত্রে আবদুর রহমান ইবন মালিক ইবন জু’শম থেকে তিনি
তার পি থেকে, তিনি তার চাচা সুরাকা থেকে এ কাহিনী বর্ণনা কবুরন বুতর ব্যতিক্রম এই
যে,৩ তিনি একথা উল্লেখ কবুরন০ গৃহ থেকে বের হওয়ার পরই ভাগ্য পরীক্ষার জন্য তীর বের
৪ ৩
رَاحِلَتَيْهِمَا، وَوَاعَدَاهُ غَارَ ثَوْرٍ بَعْدَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، بِرَاحِلَتَيْهِمَا صُبْحَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، وَانْطَلَقَ مَعَهُمَا عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ وَالدَّلِيلُ، فَأَخَذَ بِهِمْ طَرِيقَ السَّوَاحِلِ»
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَالِكٍ الْمُدْلَجِيُّ - وَهُوَ ابْنُ أَخِي سُرَاقَةَ - أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ، «أَنَّهُ سَمِعَ سُرَاقَةَ بْنَ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ يَقُولُ: جَاءَنَا رُسُلُ كُفَّارِ قُرَيْشٍ يَجْعَلُونَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ دِيَةَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِمَنْ قَتَلَهُ أَوْ أَسَرَهُ. فَبَيْنَمَا أَنَا جَالَسٌ فِي مَجْلِسٍ مِنْ مَجَالِسِ قَوْمِي بَنِي مُدْلَجٍ، إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْهُمْ حَتَّى قَامَ عَلَيْنَا وَنَحْنُ جُلُوسٌ، فَقَالَ: يَا سُرَاقَةُ، إِنِّي رَأَيْتُ آنِفًا أَسْوِدَةً بِالسَّاحِلِ، أُرَاهَا مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ. قَالَ سُرَاقَةُ: فَعَرَفْتُ أَنَّهُمْ هُمْ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّهُمْ لَيْسُوا بِهِمْ، وَلَكِنَّكَ رَأَيْتَ فُلَانًا وَفُلَانًا انْطَلَقُوا بِأَعْيُنِنَا. ثُمَّ لَبِثْتُ فِي الْمَجْلِسِ سَاعَةً، ثُمَّ قُمْتُ فَدَخَلْتُ، فَأَمَرَتْ جَارِيَتِي أَنْ تَخْرُجَ بِفَرَسِي وَهِيَ مِنْ وَرَاءِ أَكَمَةٍ فَتَحْبِسُهَا عَلَيَّ، وَأَخَذَتُ رُمْحِي، فَخَرَجْتُ مِنْ ظَهْرِ الْبَيْتِ، فَخَطَطْتُ بِزُجِّهِ الْأَرْضَ وَخَفَضْتُ عَالِيَهُ، حَتَّى أَتَيْتُ فَرَسِي فَرَكِبْتُهَا، فَرَفَعْتُهَا تُقَرِّبُ بِي، حَتَّى دَنَوْتُ مِنْهُمْ، فَعَثَرَتْ بِي فَرَسِي فَخَرَرْتُ عَنْهَا، فَقُمْتُ فَأَهْوَيْتُ يَدَيَّ إِلَى كِنَانَتِي، فَاسْتَخْرَجْتُ مِنْهَا الْأَزْلَامَ، فَاسْتَقْسَمْتُ بِهَا أَضُرُّهُمْ أَمْ لَا، فَخَرَجَ الَّذِي أَكْرَهَ فَرَكِبْتُ فَرَسِي - وَعَصَيْتُ
পৃষ্ঠা - ২১৭১
الْأَزْلَامَ - تُقَرِّبُ بِي، حَتَّى إِذَا سَمِعْتُ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ لَا يَلْتَفِتُ وَأَبُو بَكْرٍ يُكْثِرُ الِالْتِفَاتَ، سَاخَتْ يَدَا فَرَسِي فِي الْأَرْضِ حَتَّى بَلَغَتَا الرُّكْبَتَيْنِ، فَخَرَرْتُ عَنْهَا، ثُمَّ زَجَرْتُهَا فَنَهَضَتْ، فَلَمْ تَكَدْ تُخْرِجُ يَدَيْهَا، فَلَمَّا اسْتَوَتْ قَائِمَةً إِذَا لِأَثَرِ يَدَيْهَا غُبَارٌ سَاطِعٌ فِي السَّمَاءِ مِثْلُ الدُّخَّانِ، فَاسْتَقْسَمَتُ الْأَزْلَامَ فَخَرَجَ الَّذِي أَكْرَهُ، فَنَادَيْتُهُمْ بِالْأَمَانِ، فَوَقَفُوا فَرَكِبْتُ فَرَسِي حَتَّى جِئْتُهُمْ، وَوَقَعَ فِي نَفْسِي حِينَ لَقِيتُ مَا لَقِيتُ مِنَ الْحَبْسِ عَنْهُمْ أَنْ سَيَظْهَرُ أَمْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنْ قَوْمَكَ قَدْ جَعَلُوا فِيكَ الدِّيَةَ. وَأَخْبَرْتُهُمْ أَخْبَارَ مَا يُرِيدُ النَّاسُ بِهِمْ، وَعَرَضْتُ عَلَيْهِمُ الزَّادَ وَالْمَتَاعَ، فَلَمْ يَرْزَآنِي وَلَمْ يَسْأَلَانِي إِلَّا أَنْ قَالَ: " أَخْفِ عَنَّا ". فَسَأَلْتُهُ أَنْ يَكْتُبَ لِي كِتَابَ أَمْنٍ، فَأَمَرَ عَامِرَ بْنَ فُهَيْرَةَ فَكَتَبَ فِي رُقْعَةٍ مَنْ أَدَمٍ، ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.»
وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ سُرَاقَةَ، فَذَكَرَ هَذِهِ الْقِصَّةَ إِلَّا أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ اسْتَقْسَمَ بِالْأَزْلَامِ أَوَّلَ مَا خَرَجَ مِنْ مَنْزِلِهِ، فَخَرَجَ السَّهْمُ الَّذِي يَكْرَهُ; لَا يَضُرُّهُ، وَذَكَرَ أَنَّهُ عَثَرَ بِهِ فَرَسُهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، وَكُلُّ ذَلِكَ يَسْتَقْسِمُ بِالْأَزْلَامِ وَيَخْرُجُ الَّذِي يَكْرَهُ; لَا يَضُرُّهُ، حَتَّى نَادَاهُمْ بِالْأَمَانِ وَسَأَلَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُ كِتَابًا
পৃষ্ঠা - ২১৭২
করেন তখন এমন তীর বের হয় যা তার পসন্দ ছিল না ৷৩ তাই বলে তার জন্য তা ক্ষতিকরও
ছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত সুরাকা তাদের কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানায় ৷ তাতে একথাও উল্লেখ
আছে যে, তাকে নিয়ে ঘোড়া চার বার হোচট খায় ৷ আর এ সবই ঘটে তীর দ্বারা ভাগ্য
নির্ধারণের মাধ্যমে ৷ আর এতে এমন তীর বের হয়ে আসে, যা তার পসন্দনীয়ও ছিল না আবার
তার জন্য ক্ষতিকরও ছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত সুরাকা তাদেরকে অভয় দান করে ৷ সুরাকা তাদের
নিকট এ অনৃরোধও জানায় যে, তিনি যেন তাকে এমন একটি লিপি লিখে দেন যা হবে তার
এবং রাসুলের মধ্যে একটি স্মারক স্বরুপ ৷ সুরাকা বলে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে হাডিদ্র
কাগজের টুকরা বা কাপড়ের টুকুরার উপরে একটা লিপি লিখে দেন ৷ তাতে একথাও উল্লেখ
করা হয় যে তাইফ থেকে প্রত্যাবর্তনের পথে জিয়িররানায় রাসুলুল্লাহ্ (না) এ লিপি অর্থাৎ
ানরাপত্তা পত্র দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেনঃ এ দিনটি উত্তম আচরণ আর বিশ্বস্ত৩ যে দিন ৷
তাকে আমার নিকটে নিয়ে এসো ৷ আমি তার নিকটে এলাম এবং ই ন্ালাম গ্রহণ করলাম ৷ ইবন
হিশাম বলেন : সে হল আবদুর রহমান ইবন হারিছ ইবন মালিক ইবন জু ’শাম ৷ আর এটি
একটি বিশ্বস্ত বিবরণ ৷
সুরাকা যখন ফিরে আসে (এ অনুসন্ধানী অভিযান থেকে) সন্ধা ৷নকাবী দলের কারো সঙ্গে
সাক্ষাৎ হলে তাকে ফেরত দিয়ে বলকৃ তা এ দিকে এ পর্যন্তই থেমে যাও ৷ (অর্থাৎ এ দিকে গিয়ে
লাভ হবে না, কেউ নেই ৷) যখন প্রকাশ পেল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিশ্চিত মদীনা পৌছছেন,
তখন সে লোকজনের নিকট সে সব বিষয় আর ঘটনা প্রকাশ করতে শুরু করে, যা সে প্রত্যক্ষ
করেছে এবং তার মাধ্যমে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ তখন কুরায়শের সরদারর৷ তার পক্ষ থেকে
অনিষ্টের আশ কা করে ৷ তারা এ আশংকাও করে যে, এটা তাদের অনেকের ইসলাম গ্রহণের
কারণ হয়ে যেতে পারে ৷ আর সুরাকা ছিল বনী মুদলিজ গোত্রের নেতা ৷ তখন অভিশপ্ত আবু
জাহ্ল বনু মুদলিজ গোত্রের নিকট নিম্বো ৷ক্ত কবিতাটি লিখে পাঠায়ং :
অর্থাৎ বনী মুদলিজ গোত্রের লোকজন ৷ তোমাদের নির্বোধ্ সুরাকা সম্পর্কে আমার ভয়
হয়, মুহাম্মদকে সাহায্য করে যে তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে ৷ তোমাদের উচিৎ তাকে
ঠেকানাে, যাতে করে কোন ফাটল ধরাতে না পারে তোমাদের ঐক্যে ৷ ফলে মর্যাদা আর
কর্তৃত্বের পর তোমরা হয়ে পড়বে শতধা বিভক্ত ৷ আবু জাহ্লের জবাবে সুরাকা নীচের কবিতাটি
লিখে পাঠান :
আবুল হাকাম৷ তুমি যদি দেখতে আমার ঘোড়ার পা যখন দেবে যায় মাটিতে
শ্
তবে তুমি অবাক হতে ৷ সন্দেহ করতে না যে, মুহাম্মদ রাসুল এবং প্রমাণ, কে আছে, যে
তার মুকাবিলা করতে পারে ?
;
يَكُونُ أَمَارَةَ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَكَتَبَ لِي كِتَابًا فِي عَظْمٍ أَوْ رُقْعَةٍ أَوْ خِرْقَةٍ. وَذَكَرَ أَنَّهُ جَاءَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْجِعْرَانَةِ مَرْجِعَهُ مِنَ الطَّائِفِ، فَقَالَ لَهُ: " يَوْمُ وَفَاءٍ وَبِرٍّ، ادْنُهْ " فَدَنَوْتُ مِنْهُ وَأَسْلَمْتُ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ جَيِّدٌ.
وَلَمَّا رَجَعَ سُرَاقَةُ جَعَلَ لَا يَلْقَى أَحَدًا مِنَ الطَّلَبِ إِلَّا رَدَّهُ، وَقَالَ: كُفِيتُمْ هَذَا الْوَجْهَ. فَلَمَّا ظَهَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ وَصَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ، جَعَلَ سُرَاقَةُ يَقُصُّ عَلَى النَّاسِ مَا رَأَى، وَمَا شَاهَدَ مِنْ أَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا كَانَ مِنْ قَضِيَّةِ جَوَادِهِ، وَاشْتُهِرَ هَذَا عَنْهُ فَخَافَ رُؤَسَاءُ قُرَيْشٍ مَعَرَّتَهُ، وَخَشُوا أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ سَبَبًا لِإِسْلَامِ كَثِيرٍ مِنْهُمْ، وَكَانَ سُرَاقَةُ أَمِيرَ بَنِي مُدْلَجٍ وَرَئِيسَهُمْ، فَكَتَبَ أَبُو جَهْلٍ لَعَنَهُ اللَّهُ إِلَيْهِمْ:
بَنِي مُدْلِجٍ إِنِّي أَخَافُ سَفِيهَكُمْ ... سُرَاقَةَ مُسْتَغْوٍ لِنَصْرِ مُحَمَّدِ
عَلَيْكُمْ بِهِ أَلَّا يُفَرِّقَ جَمْعَكُمْ ... فَيُصْبِحَ شَتَّى بَعْدَ عِزٍّ وَسُؤْدُدِ
قَالَ: فَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ يُجِيبُ أَبَا جَهْلٍ فِي قَوْلِهِ هَذَا:
أَبَا حَكَمٍ وَاللَّهِ لَوْ كُنْتَ شَاهِدًا ... لِأَمْرِ جَوَادِي إِذْ تَسُوخُ قَوَائِمُهْ
পৃষ্ঠা - ২১৭৩
তোমার কর্তব্য হলো ৫লাকজনকে তার থেকে নিবৃত্ত করা, আমার ধারণা একদিন তার
দীনের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ পাবে ৷
যা৫ত তুমিও তাকে সাহায্য করতে আকাভফী হবে, কারণ তারা এবং সকল মানুষ তার সঙ্গে
সন্ধি করতে উদঘীব হবে ৷
উমাবী তদীয় মাগাযী’ গ্রন্থে আবু ইসহাক সুত্রে এ কবি৩ ৷টি উদবৃত করেছেন আর আবু
নুআয়ম উল্লেখ করেছেন যিয়াদ সুত্রে ইবন ইসহাক থেকে এবং অ আবু জাহ্লের কবিতায়
এমনকিছু ৫শ্নাক যোগ করেছে যাতে কুফরী বা নাস্তিকব্রবাদী চিন্তাধারা রয়েছে ৷ ৷
আর ইমাম বুখারী (র) ইবন শিহাবের সনদে বলেন যে উরওয়৷ ইবন যুবায়র আমাকে
জানান যে ষুবায়র (রা) যখন সিরিয়া থেকে একটি মুসলমান বাণিজ্য কাফিলার সাথে
ফিরছিলেন এসময় তার সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাক্ষাৎ ঘটে ৷ তিনি তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বং হযরত আবু বকর (রা) ৫ক সাদা কাপড় উপহার দেন ৷ এদিকে মদীনায় মুসলমানরা মক্কা
৫এথকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বহির্গত হওয়ার কথা শুনতে পান ৷ তাণ্রা প্রতিদিন ভোরে হাররা’
নামক স্থানে এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্য অপেক্ষায় থাকতেন এবং দুপুরের খরতা৫প ঘরে
ফিরতেন ৷ এ ভাবে দীর্ঘ অপেক্ষায় পর একদিন তারা নিজ নিজ গৃহে ফিরে গেছেন এমন সময়
জনৈক ইয়াহ্রদী কোন প্রয়োজনে একটু উচু ঘরের উপর উঠে ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তবে
সঙ্গীদেরকে দেখতে পড়ায় ৷ তারা সাদা ৫পাশাক পরিহিত ছিলেন ৷ তা৫দর সাদা ৫পাশাকের
উজ্জ্বল৩ ৷ যেন মরীচিকাকে হার মানাচ্ছিল ৷ ইয়াহুদী উভৈচ্চ৪স্বরে চীৎকার দিয়ে উঠলোং হে
আরব সমাজ! এই যে ৫৩ আমাদের ঈন্সিত ব্যক্তি এসে পড়েছেন, যার অপেক্ষায় তোমরা প্রহর
গুণ ৷ছিলে ৷ মুসলমানরা অ৫স্ত্রর দিকে ছুটে যান এবং অ৫স্ত্র সজ্জিত হয়ে হাররার উচু ভুমিতে গিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫ক সাদর সম্ভাষণ জ্ঞাপন করেন এবং তিনি তাদেরকে নিয়ে ডান দিকে মোড়
নেন এবং শেষ পর্যন্ত বনু আমর ইবন আওফের মহ্ল্লায় অবতরণ করেন ৷ আর এ দিনটি ছিল
রবিউল আউয়া ৷ল মাসের এক সোমবার ৷ আবু বকর (রা ) ৫লাকজনের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হন,
আর রাসুলুল্পাহ্ (সা) চুপচাপ বলে থাকেন ৷ আর অন্যদের মধ্যকার যারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
ই৫৩ ৷পুর্বে ৫দ৫খননির্ত ৷রা এগিয়ে এসে আবু বকর (রা)-৫ক অভিবাদন জ্ঞাপন করা শুরু করেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বদন মুরার৫ক রৌদ্রের উত্তাপ পতিত হলে হযরত আবু বকর (রা ) চাদর
দিয়ে তাকে ছায়া ৫দন ৷ তখন লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ৫ক চিনতে পারেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা )
বনু আমর ইবন আওফের মহল্লায় দশ রা৫৩ র কিছু ৫বশীকাল অবস্থান করেন ৷ এখানে তিনি
একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন ৷ যার ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ এটি ছিল বিখ্যাত
মসজিদে কুবায় ৷ এই মসজিদে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায আদায় করেন ৷ এরপর তিনি সওয়ারীর
পিঠে আরোহণ করেন এবং৩ তার সঙ্গে ৫লাকজনও ৫হ৫ট চলেন ৷ শেষ পর্যন্ত মদীনায় মসজিদে
নববীর স্থানে গিয়ে উট বসে পড়ে ৷ এখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) )নামায আদায় করেন ৷ তার সঙ্গে
অন্যান্য মুসলমানরাও নামায আদায় করেন ৷ যে স্থানে রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং অন্যান্য
মুসলমানগণ নামায আদায় করেন সেটি ছিল সুহাইল এবং সাহল নামের দু’জন ইয়াভীম
বালকের যারা ছিল আসআদ ইবন যুরারার প্ৰতিপালনাধীন ৷ স্থানটি ছিল খেজুর শুকানোর
খলা ৷ এখানে উট বসে পড়লে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
عَجِبْتَ وَلَمْ تَشْكُكْ بِأَنَّ مُحَمَّدًا
رَسُولٌ وَبُرْهَانٌ فَمَنْ ذَا يُقَاوِمُهْ ... عَلَيْكَ بِكَفِّ الْقَوْمِ عَنْهُ فَإِنَّنِي
إِخَالُ لَنَا يَوْمًا سَتَبْدُو مَعَالِمُهْ ... بِأَمْرٍ تَوَدُّ النَّصْرَ فِيهِ فَإِنَّهُمْ
وَإِنَّ جَمِيعَ النَّاسِ طُرًّا مُسَالِمُهْ
وَذَكَرَ هَذَا الشِّعْرَ الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ " بِسَنَدِهِ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ
وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ بِسَنَدِهِ مِنْ طَرِيقِ زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَزَادَ فِي شِعْرِ أَبِي جَهْلٍ لَعَنَهُ اللَّهُ، أَبْيَاتًا تَتَضَمَّنُ كُفْرًا بَلِيغًا.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ بِسَنَدِهِ إِلَى ابْنِ شِهَابٍ، فَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ الزُّبَيْرَ فِي رَكْبٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ كَانُوا تُجَّارًا قَافِلِينَ مِنَ الشَّامِ، فَكَسَا الزُّبَيْرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ ثِيَابَ بَيَاضٍ، وَسَمِعَ الْمُسْلِمُونَ بِالْمَدِينَةِ بِمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ، فَكَانُوا يَغْدُونَ كُلَّ غَدَاةٍ إِلَى الْحَرَّةِ، فَيَنْتَظِرُونَهُ حَتَّى يَرُدَّهُمْ حَرُّ الظَّهِيرَةِ، فَانْقَلَبُوا يَوْمًا بَعْدَ مَا أَطَالُوا انْتِظَارَهُمْ، فَلَمَّا أَوَوْا إِلَى بُيُوتِهِمْ أَوْفَى رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِهِمْ لِأَمْرٍ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَبَصُرَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ مُبَيِّضِينَ يَزُولُ بِهِمُ السَّرَابُ، فَلَمْ يَمْلِكِ الْيَهُودِيُّ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২১৭৪
قَالَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ، هَذَا جَدُّكُمُ الَّذِي تَنْتَظِرُونَ. فَثَارَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى السِّلَاحِ فَتَلَقَّوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِظَهْرِ الْحَرَّةِ، فَعَدَلَ بِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ، حَتَّى نَزَلَ بِهِمْ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَذَلِكَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، فَقَامَ أَبُو بَكْرٍ لِلنَّاسِ وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَامِتًا، فَطَفِقَ مَنْ جَاءَ مِنَ الْأَنْصَارِ مِمَّنْ لَمْ يَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَيِّي أَبَا بَكْرٍ، حَتَّى أَصَابَتِ الشَّمْسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى ظَلَّلَ عَلَيْهِ بِرِدَائِهِ، فَعَرَفَ النَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ، فَلَبِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، وَأَسَّسَ الْمَسْجِدَ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى، وَصَلَّى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، وَسَارَ يَمْشِي مَعَهُ النَّاسُ، حَتَّى بَرَكَتْ عِنْدَ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، وَهُوَ يُصَلِّي فِيهِ يَوْمَئِذٍ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَكَانَ مِرْبَدًا لِلتَّمْرِ لِسُهَيْلٍ وَسَهْلٍ غُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ فِي حِجْرِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَرَكَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ: " هَذَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ الْمَنْزِلُ ". ثُمَّ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغُلَامَيْنِ فَسَاوَمَهُمَا بِالْمِرْبَدِ; لِيَتَّخِذَهُ مَسْجِدًا، فَقَالَا: بَلْ نَهَبُهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَبَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقْبَلَهُ مِنْهُمَا هِبَةً، حَتَّى ابْتَاعَهُ مِنْهُمَا، ثُمَّ بَنَاهُ مَسْجِدًا، فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْقُلُ مَعَهُمُ اللَّبِنَ فِي بُنْيَانِهِ، وَيَقُولُ وَهُوَ يَنْقُلُ اللَّبِنَ:
" هَذَا الْحِمَالُ لَا حِمَالَ خَيْبَرْ ... هَذَا أَبَرُّ رَبَّنَا وَأَطْهَرْ "
পৃষ্ঠা - ২১৭৫
ইনশাআল্লাহ, এটিই হচ্ছে অবতরণ স্থল ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়াভীম বালকদ্বয়কে
ডেকে জানান এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থানটির মুল্য জানতে চান ৷ বালকদ্বয় বলে, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! (না) আমরা স্থানটি আপনাকে দান করবো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের নিকট থেকে
দান হিসাবে স্থানটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি টাকা দিয়ে স্থানটি ক্রয়
করে সেখানে মসজিদ বানান ৷
মসজিদ নিমর্বণকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে তাদের সঙ্গে ইট বহন করেন ৷ এ সময় তিনি
নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতেন :
এ (ইট) বহন করা খায়বর-এর ফলমুল বহন করার মত নয়, হে আমাদের পালনকর্তা ! এ
বহন করা অতি পুণ্যময় ও অতি পবিত্র ৷
নবী কয়ীম (সা) এ সময় আরো আবৃত্তি করতেন ও
ণ্ট্রিখু
হে পরওয়ারদিগার ! পরকালের পুরস্কারই আসল পুরস্কার ৷ সুতরাং তুমি দয়া কর আনসার ও
মুহাজিরদের প্রতি ৷ ১
কোন একজন মুসলমানের নামে এ কবিতাগুলো চালু হলেও তার নাম আমি জ্ঞাত নই ৷
ইবন শিহাব (যুহরী) বলেন : এ কবিতার পংক্তি ছাড়া রাসুলুল্পাহ্ (না) অন্য কোন পুর্ণ কবিতা
আবৃত্তি করেছেন বলে আমাদের জানা নেই ৷ এটা ৰুখারী শরীফের শব্দমালা ৷ ইমাম বুখারী
এককভাবে এ কবিতড়াগুলো উল্লেখ করেছেন ৷ ইমাম ৰুখারীর উল্লিখিত কবিতার সমর্থনে আরো
অনেক বর্ণনা রয়েছে ৷ তবে তাতে উম্মু মাবাদ আল খুযাইয়ার ঘটনার উল্লেখ নেই ৷ আমরা
এখানে ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক প্রয়োজনীয় আলোচনা করবো ৷
ইমাম আহমদ আমৃর ইবন মুহাম্মদ আবু সাঈদ আল-আনকারী সুত্রে বারা ইবন আষিরা
(রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন : আবু বকর (বা) ১৩ দিরহাম দিয়ে আমির-এর নিকট থেকে
একটা যীন ক্রয় করেন ৷ তখন আবু বকর (বা) আয়িবকে বললেন, তাকে বল, যেন যীনটি
আমার ঘরে পৌছিয়ে দেয় ৷ তখন তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন বের হলেন, তখন
আপনি কেমনটি করেছিলেন আমাদেরকে তা না বলা পর্যন্ত তা আপনার বাড়ীতে পৌছিয়ে
দেবাে না ৷ কারণ এ সময় আপনি তার সঙ্গে ছিলেন ৷ তখন আবু বকর (বা) বললেন : আমরা
১ মুল গ্রন্থে এ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর সীরাতে ইবন হিশামে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ সময়
মুসলমানরা বলতেন : ১’
আখিরাতের জীবনই আসল জীবন, হে আল্লাহ! রহম কর আনসার মুহাজিরদের প্রতি ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ ও
(না) বলতেন
-আখিরাতের জীবন ছাড়া কোন জীবন নেই, হে আল্লাহ ৷ মুহাজির ও আনসারদের প্ৰতি রহম কর ৷
وَيَقُولُ
" اللَّهُمَّ إِنَّ الْأَجْرَ أَجْرُ الْآخِرَةِ ... فَارْحَمِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ "
فَتَمَثَّلَ بِشِعْرِ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لَمْ يُسَمَّ لِي» . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَلَمْ يَبْلُغْنَا فِي الْأَحَادِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَمَثَّلَ بِبَيْتِ شِعْرٍ تَامٍّ غَيْرِ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ. هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ، وَقَدْ تَفَرَّدَ بِرِوَايَتِهِ دُونَ مُسْلِمٍ، وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ، وَلَيْسَ فِيهِ قِصَّةُ أُمِّ مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيَّةِ، وَلْنَذْكُرْ هُنَا مَا يُنَاسِبُ ذَلِكَ مُرَتَّبًا أَوَّلًا فَأَوَّلًا:
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو سَعِيدٍ الْعَنْقَزِيُّ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: «اشْتَرَى أَبُو بَكْرٍ مِنْ عَازِبٍ سَرْجًا بِثَلَاثَةَ عَشَرَ دِرْهَمًا، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعَازِبٍ: مُرِ الْبَرَاءَ فَلْيَحْمِلْهُ إِلَى مَنْزِلِي. فَقَالَ: لَا حَتَّى تُحَدِّثَنَا كَيْفَ صَنَعْتَ حِينَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْتَ مَعَهُ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: خَرَجْنَا فَأَدْلَجْنَا فَأَحْثَثْنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا حَتَّى أَظْهَرْنَا، وَقَامَ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ، فَضَرَبْتُ بَصَرِي هَلْ أَرَى ظِلًّا نَأْوِي إِلَيْهِ، فَإِذَا أَنَا بِصَخْرَةٍ، فَأَهْوَيْتُ إِلَيْهَا، فَإِذَا بَقِيَّةُ ظِلِّهَا، فَسَوَّيْتُهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَرَشْتُ لَهُ فَرْوَةً، وَقُلْتُ: اضْطَجِعْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَاضْطَجَعَ، ثُمَّ خَرَجْتُ أَنْظُرُ هَلْ أَرَى أَحَدًا
পৃষ্ঠা - ২১৭৬
বের হই রাত্রের শেষ প্রহরে ৷ দিবারাত্র সফর করতে থাকি ৷ শেষ পর্যন্ত বেলা ঠিক দুপুরে আমি
চোখ খুলে চতুর্দিকে তাকালাম এই আশায় যেন আমরা কোন ছায়ায় আশ্রয় নিতে পারি ৷
অকম্মাৎ একটা বড় পাথর সামনে পড়ে, এগিয়ে গিয়ে দেখি সামান্য ছায়া ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
জন্য আমি জায়গাটি সমান কবি, তার জন্য চাদর বিছাই এবং বলি-ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ বিশ্রাম
করুন ৷ তিনি ৰিশ্রাম করলেন ৷ এরপর আমি বের হয়ে সন্ধানরত কাউকে দেখতে পাই কিনা,
লক্ষ্য করতে থাকি ৷ এ সময় একজন মেষ চারককে দেখতে প ই ৷৩ ৷কে জিজ্ঞাসা করি, তুমি
কার মেষ চারক হে বালক? সে বলে, এক ফুরায়শী ব্যক্তির ৷ সে মালিকের নাম বলে, আমি
তাকে চিনতে পারি ৷ আমি তাকে বলি, তোমার মেষ গানের মধ্যে কি দুধেল মেষ আছে ? সে
বলে, আছে বৈ কি আমি বলি তুমি কি আমার জন্য দুধ দোহন করবে ন্ বললাে, ইব্রু৷ ৷ এরপর
আমি তাকে নির্দেশ দিলে যে একটা ছাগল নিয়ে আসে ৷ আবার তাকে নির্দেশ দিলে সে ওলান
ধুলা-বা নিযুক্ত করে ৷ আবার নির্দেশ দিলে সে ধুলা বালি থেকে হাত পরিষ্ক৷ ৷ব করে ৷ আমার সঙ্গে
একটা পাত্র ছিল ৷ পাত্রের মুখে ছিল এবন্টাক ৷পড়ের টুকর৷ ৷ সে আমার জন্য সামান্য পরিমাণ
দুধ দোহন করে ৷ আমি দুধ পেয়ালায় ঢালি, তার নিচের অং শ ঠাণ্ডা হয় ৷ এরপর আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করি এবং তাকে দুধটুকু দিয়ে দেই ৷ এসময় তিনি জেগে
গিয়েছিলেন ৷ আমি নিবেদন করি, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্ (সা) ! আপনি পান করুন ৷ তিনি পান
করলেন, আমি তাতে খুশী হলাম ৷ এরপর বললড়াম, প্রস্থান করার সময় হয়েছে কি ? তারপর
আমরা রওনা হলাম ৷ আর (কুরায়শের) লোকজন তখনো আমাদেরকে খুজে বেড়াচ্ছে ৷ সুরাকা
ইবন মালিক ইবন জু’শাম ছাড়া কেউ আমাদের সন্ধান পায়নি ৷ আর সে ছিল ঘোড়ার পিঠে
সওয়ার ৷ আমি বললড়াম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! অনুসন্ধানী ব্যক্তিটি তো আমাদের নিকট এসে
গেছে ! তিনি বললেন :
শ্শ্শ্শ্শ্
“তুমি বিচলিত হয়ে৷ না, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আমাদের সঙ্গে আছেন ৷” এমন কি তার এবং
আমাদের মধ্যে এক, দুই বা তিন বর্শ৷ পরিমাণ দুরতু থাকা অবস্থায় আমি বললড়াম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা)! অনুসন্ধানী তো একেবারেই আমাদের নিকটে এসে গেল, আমদের নাপাল পায়
পায় আর কি! এ বলে আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লড়াম ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি
র্কাদছে৷ কেন ? আমি বললড়াম
আমি আল্লাহ্র কসম করে বলছি, আমি আমার নিজের জন্য র্কাদছি না, আমি র্কাদছি
আপনার জন্য ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্ (না) তার জন্য বদদুআ করে বললেন :
“হে আল্লাহ্ ৷ তুমি যেভাবে ইচ্ছা তার থেকে আমাদেরকে হিফাযত কর ৷” এরপর তার
ঘোড়ার পা পেট পর্যন্ত শক্ত মাটিতে দেবে যায় এবং সে লাফ দিয়ে ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে
বলে :
مِنَ الطَّلَبِ، فَإِذَا أَنَا بِرَاعِي غَنَمٍ، فَقُلْتُ: لِمَنْ أَنْتَ يَا غُلَامُ؟ فَقَالَ: لِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ. فَسَمَّاهُ فَعَرَفْتُهُ، فَقُلْتُ: هَلْ فِي غَنَمِكَ مِنْ لَبَنٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قُلْتُ: هَلْ أَنْتَ حَالِبٌ لِي؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَمَرْتُهُ فَاعْتَقَلَ شَاةً مِنْهَا، ثُمَّ أَمَرْتُهُ فَنَفَضَ ضَرْعَهَا مِنَ الْغُبَارِ، ثُمَّ أَمَرْتُهُ فَنَفَضَ كَفَّيْهِ مِنَ الْغُبَارِ، وَمَعِي إِدَاوَةٌ عَلَى فَمِهَا خِرْقَةٌ، فَحَلَبَ لِي كُثْبَةً مِنَ اللَّبَنِ فَصَبَبْتُ - يَعْنِي الْمَاءَ - عَلَى الْقَدَحِ حَتَّى بَرَدَ أَسْفَلُهُ، ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَافَيْتُهُ وَقَدِ اسْتَيْقَظَ، فَقُلْتُ: اشْرَبْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَشَرِبَ حَتَّى رَضِيتُ، ثُمَّ قُلْتُ: هَلْ آنَ الرَّحِيلُ؟ فَارْتَحَلْنَا وَالْقَوْمُ يَطْلُبُونَنَا، فَلَمْ يُدْرِكْنَا أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَّا سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ عَلَى فَرَسٍ لَهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا الطَّلَبُ قَدْ لَحِقَنَا. قَالَ: " {لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا} [التوبة: 40] ". حَتَّى إِذَا دَنَا مِنَّا فَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ قَدْرُ رُمْحٍ أَوْ رُمْحَيْنِ - أَوْ قَالَ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ - قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الطَّلَبُ قَدْ لَحِقَنَا. وَبَكَيْتُ، قَالَ: " لِمَ تَبْكِي؟ ". قَالَ: قُلْتُ: أَمَا وَاللَّهِ مَا عَلَى نَفْسِي أَبْكِي، وَلَكِنْ أَبْكِي عَلَيْكَ. فَدَعَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اكْفِنَاهُ بِمَا شِئْتَ ". فَسَاخَتْ قَوَائِمُ فَرَسِهِ إِلَى بَطْنِهَا فِي أَرْضٍ صَلْدٍ، وَوَثَبَ عَنْهَا، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ هَذَا عَمَلُكَ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُنْجِيَنِي مِمَّا أَنَا فِيهِ، فَوَاللَّهِ لَأُعَمِّيَنَّ عَلَى مَنْ وَرَائِي مِنَ الطَّلَبِ، وَهَذِهِ كِنَانَتِي فَخُذْ مِنْهَا سَهْمًا، فَإِنَّكَ سَتَمُرُّ بِإِبِلِي وَغَنَمِي بِمَوْضِعِ كَذَا وَكَذَا فَخُذْ مِنْهَا حَاجَتَكَ، قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا حَاجَةَ لِي
পৃষ্ঠা - ২১৭৭
فِيهَا ". قَالَ: وَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُطْلِقَ وَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ، وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَتَلَقَّاهُ النَّاسُ، فَخَرَجُوا فِي الطُّرُقِ وَعَلَى الْأَجَاجِيرِ، وَاشْتَدَّ الْخَدَمَ وَالصِّبْيَانَ فِي الطَّرِيقِ يَقُولُونَ: اللَّهُ أَكْبَرُ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ، جَاءَ مُحَمَّدٌ. قَالَ: وَتَنَازَعَ الْقَوْمُ أَيُّهُمْ يَنْزِلُ عَلَيْهِ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنْزِلُ اللَّيْلَةَ عَلَى بَنِي النَّجَّارِ أَخْوَالِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ; لِأُكْرِمَهُمْ بِذَلِكَ ". فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا حَيْثُ أُمِرَ. قَالَ الْبَرَاءُ: أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ عَلَيْنَا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْنَا ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الْأَعْمَى، أَحَدُ بَنِي فِهْرٍ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي عِشْرِينَ رَاكِبًا، فَقُلْنَا: مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: هُوَ عَلَى أَثَرِي. ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ مَعَهُ. قَالَ الْبَرَاءُ: وَلَمْ يَقْدَمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَرَأَتُ سُوَرًا مِنَ الْمُفَصَّلِ» أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ بِدُونِ قَوْلِ الْبَرَاءِ: أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ عَلَيْنَا. . . إِلَخْ. فَقَدِ انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ، فَرَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ إِسْرَائِيلَ بِهِ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْغَارِ ثَلَاثًا وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَجَعَلَتْ قُرَيْشٌ فِيهِ حِينَ فَقَدُوهُ مِائَةَ نَاقَةٍ لِمَنْ رَدُّهُ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا مَضَتِ الثَّلَاثُ،
পৃষ্ঠা - ২১৭৮
“হে মুহাম্মদ ! আমি নিশ্চিত বুঝতে পেয়েছি যে, এটা আপনার কাজ ! আপনি আল্লাহর নিকট
দৃআ করুন, আমি যে বিপদে আছি, তিনি যেন আমাকে তা থেকে নাজাত দেন ৷ আল্লাহর কসম
করে বলছি, আমার পেছনে যারা অনুসন্ধানরত আছে, তাদের ব্যাপারে আমি অবশ্যই অন্ধ হয়ে
থাকবো ৷ (অর্থাৎ তাদেরকে দেখবাে না এবং আপনার সন্ধান দেবাে না) ৷ এ হল আমার
তীরদান ৷ আপনি তা থেকে একটা তীর নিয়ে নিন ৷ অমুক অমুক স্থানে আপনি আমার উট আর
মেঘের নিকট দিয়ে অতিক্রম করবেন ৷ সেখান থেকে প্রয়োজন অনুপাতে আপনি নিয়ে
নেবেন ৷ ”
৩ ৮
তাতে আমার কোন প্রয়োজন নেই” এ বলে রাসুলুল্লাহ্ তার জন্যে দৃআ করেন ৷ তার
ঘোড়া মুক্তি পায় ৷ সে তার লোকজনের নিকট ফিরে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এবং আমি অব্যাহত
ভাবে চলতে থাকি ৷ শেষ পর্যন্ত আমরা মদীনায় এলে পৌছি ৷ :লাকেরা তাকে অভ্যর্থনা
জ্ঞাপনের জন্য এগিয়ে আসে ৷ রাস্তায় রাস্তায় আর ছাদে ছাদে লোক বেরিয়ে আসে ৷
,প্রুও ৷ ণ্এ্যা
“আল্লাহ অড়াকবার, রাসুলুল্লাহ্ এসেছেন, মুহাম্মদ এসেছেন” বলে শিশুরা আর সেবকরা
রাস্তায় বেরিয়ে আসে ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাদের বাড়ীতে অবস্থান করবেন , সে বিষয়ে তাদের মধ্যে
বিরোধ দেখা দেয় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, :
আবদুল মুত্তালিবের মাতৃকুল বনু নাজ্জার পরিবারে আজ রাত্রে অবস্থান করবো , তাদের প্রতি
সম্মানার্থে ৷ ভোর হলে তিনি সেখানে গমন করেন, যেখানে গমন করার জন্য তাকে হুকুম করা
হয়েছিল ৷
বারা’ ইবন আযিব (রা) বলেন, মুহাজিরদের মধ্যে প্রথম যিনি আমাদের নিকট আগমন
করেন তিনি হলেন মুসআব ইবন উমায়র ৷ ইনি ছিলেন বনু আবদৃদ্দারভুক্ত ৷ এরপর আগমন
করেন ইবন উম্মু মাক্ত )>ম, বনু ফিহরের অন্যতম সদস্য ৷ এরপর আগমন করেন উমর ইবন
খাত্তছব (বা) ২০ সদস্যের একটি দল নিয়ে ৷ তখন আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
খবর কিং তিনি বললেন৪ আমার পেছনে আসছেন ৷ এরপর আগমন করলেন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়া সাল্লাম ৷ তার সঙ্গে ছিলেন হযরত আবু বকর (রা) ৷ যারা ইবন আযিব (রা)
বলেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মদীনায় আগমনের পুর্বেই আমি কতিপয় মুফাস্সাল সুরা শিখে
নিয়েছিলাম ৷ বুখারী , মুসলিম হাদীসটি ইসরাঈলেব সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে বারা’র উক্তি ?
(সর্বপ্রথম যিনি আমাদের নিকট আগমন করেন) শুধু মুসলিম এককভারে বর্ণনা করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) গুহায় তিন দিন অবস্থান করেন এবং তার সঙ্গে
ছিলেন আবু বকর (রা) ৷ কুরায়শরা যখন থেকে তাকে সন্ধান করতে থাকে, তখন থেকেই
তাকে ফেরত তে পারলে একশ’ উট পুরস্কার ঘোষণা করে ৷ যখন তিন দিন অতিক্রাস্ত হয়
وَسَكَنَ عَنْهُمَا النَّاسُ، أَتَاهُمَا صَاحِبُهُمَا الَّذِي اسْتَأْجَرَاهُ بِبَعِيرَيْهِمَا وَبَعِيرٍ لَهُ، وَأَتَتْهُمَا أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ بِسُفْرَتِهِمَا، وَنَسِيَتْ أَنْ تَجْعَلَ لَهَا عِصَامًا، فَلَمَّا ارْتَحَلَا ذَهَبَتْ لِتُعَلِّقَ السُّفْرَةَ فَإِذَا لَيْسَ لَهَا عِصَامٌ، فَحَلَّتْ نِطَاقَهَا فَجَعَلَتْهُ عِصَامًا ثُمَّ عَلَّقَتْهَا بِهِ، فَكَانَ يُقَالُ لَهَا: ذَاتُ النِّطَاقَيْنِ لِذَلِكَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا قَرَّبَ أَبُو بَكْرٍ الرَّاحِلَتَيْنِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدَّمَ لَهُ أَفْضَلَهُمَا، ثُمَّ قَالَ: ارْكَبْ فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي لَا أَرْكَبُ بَعِيرًا لَيْسَ لِي ". قَالَ: فَهِيَ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي. قَالَ: " لَا، وَلَكِنْ مَا الثَّمَنُ الَّذِي ابْتَعْتَهَا بِهِ؟ قَالَ: كَذَا وَكَذَا. قَالَ: " أَخَذْتُهَا بِذَلِكَ ". قَالَ: هِيَ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ.
وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَخَذَ الْقَصْوَاءَ، قَالَ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ اشْتَرَاهُمَا بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: وَهِيَ الْجَدْعَاءُ. وَهَكَذَا حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّهَا الْجَدْعَاءُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২১৭৯
এবং তাদের ব্যাপারে লোকজন নিরাশ হয়ে পড়ে, তখন তাদের দু’জনের এবং তার নিজের উট
নিয়ে পুর্ব বর্ণিত পথ প্রদর্শক আবদুল্লাহ হা ড়াযির হয় এরংঅ আসমা বিনত আবু বকর খাদ্যদ্রব্যের
পুটলি নিয়ে আসেন ৷ কিন্তু তা বাধবার জন্য রশি আনতে ভুলে যান ৷ তারা উতয়ে রওনা হয়ে
গেলে আসমা খাদ্যদ্রব্যের পাত্র ঝুলাতে গিয়ে দেখেন যে, তাতে রশি নেই ৷ তখন তিনি
কােমরবন্ধ ছিড়ে রশি বানান এবং পুটলিটি বেধে দেন ৷ একারণে তাকে যাতুন নিতাকাইন’ বলা
হয় ৷
ইবন ইসহাক বলেন : হযরত আবু বকর (বা) দুটি বাহনের নিকটে গিয়ে তাদের মধ্যে
উত্তমটি পেশ করে বলেন : আমার পিতামাতড়া আপনার জন্য কুরবান হোন, আপনি আরোহণ
করুন তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন :
যে উটের মালিকানা আমার নয়, আ মি তাতে আরোহণ করবো না ৷ তখন হযরত আবু বকর
(রা) বলেন৪ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার পি৩ ড়ামাতা আপনার জন্য কুরবান হোন, উটটি
আপন বাই ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন : না, বরং কত মুল্যে তুমি তড়া কিন্যেছা ? হযরত আবু
বকর (রা) বললেন৪ এত এত মুংল্য ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন৪ এ মুল্যে আমি ক্রয় করলাম ৷
আবু বকর (রা) বললেন : হে আল্লাহ্র রাসুল! তা আপনারই জন্য ৷
ওয়াকিদী তার একাধিক সনদে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) কড়াসওয়া নামক উটটি
গ্রহণ করেন ৷ তিনি একথাও বলেন যে, আবু বকর উটনী দু’টি আটশ’ দিরহামের বিনিময়ে
খরিদ করেন ৷ আর ইবন আসাকির হযরত আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তা ছিল জাদআ ৷
অনুরুপভাবে সুহায়লীও ইবন ইসহাক সুত্রে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন৪ র্তারা দু’জন সওয়ড়ার হয়ে রওনা করেন এবং আবু বকর (রা)
পথিমধ্যে তাদের খিদমতের জন্য তার আযাদকৃত গোলাম আমির ইব ন ফুহায়রাকে৩ তার উটের
পেছনে বসান ৷ এ সম্পর্কে হযরত আসমা (রা) বলেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর০ আবু বকর (রা)
বেরিয়ে যাওয়ার পর কুরায়শের একদল লোক আমাদের কাছে আসে ৷ তাদের মধ্যে আবু
জাহ্লও ছিল ৷ এরপর ইবন ইসহাক আবু জাহ্ল কর্তৃক আসমার গালে চপেটাঘাত করে এবং
এর ফলে তার কানের বালি (দৃল) পড়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন, যা পুর্বেই বর্ণনা করা
হয়েছে ৷ হযরত আসমা (রা) বলেন : আমরা তিন রাত অতিবাহিত করি ৷ আমরা জানতাম না
যে, তিনি কোন দিকে গিয়েছেন ৷ শেষ পর্যন্ত মক্কার নিম্নভুমি থেকে জনৈক জিন আগমন করে
আরবদের মধ্যে প্রচলিত কয়েকটা কবিতা আবৃত্তি করতে করতে ৷ লোকেরা তার আওয়ায
শুনছিল, কিভু তাকে দেখতে পাচ্ছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত মক্কার উচ্চভুমি থেকে বেরিয়ে এসে সে
আবৃত্তি করেং
মানুষের পালনকর্তা আল্লাহ্ উত্তম প্রতিদান দিন সে দু’জন সঙ্গীকে, যারা অবতরণ করেছে
উম্মে মারাদের র্তাবুতে ৷
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَرَكِبَا وَانْطَلَقَا وَأَرْدَفَ أَبُو بَكْرٍ عَامِرَ بْنَ فُهَيْرَةَ مَوْلَاهُ خَلْفَهُ، لِيَخْدِمَهُمَا فِي الطَّرِيقِ، فَحُدِّثْتُ عَنْ أَسْمَاءَ أَنَّهَا قَالَتْ: لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، أَتَانَا نَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ فِيهِمْ أَبُو جَهْلٍ فَذَكَرَ ضَرْبَهُ لَهَا عَلَى خَدِّهَا لَطْمَةً، طَرَحَ مِنْهَا قُرْطَهَا مِنْ أُذُنِهَا كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَتْ: فَمَكَثْنَا ثَلَاثَ لَيَالٍ مَا نَدْرِي أَيْنَ وَجَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،، حَتَّى أَقْبَلَ رَجُلٌ مِنَ الْجِنِّ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ يَتَغَنَّى بِأَبْيَاتٍ مِنْ شِعْرٍ غِنَاءَ الْعَرَبِ، وَإِنَّ النَّاسَ لَيَتْبَعُونَهُ، يَسْمَعُونَ صَوْتَهُ وَمَا يَرَوْنَهُ، حَتَّى خَرَجَ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ وَهُوَ يَقُولُ:
جَزَى اللَّهُ رَبُّ النَّاسِ خَيْرَ جَزَائِهِ ... رَفِيقَيْنِ حَلَّا خَيْمَتَيْ أُمِّ مَعْبَدِ
هُمَا نَزَلَا بِالْبِرِّ ثُمَّ تَرَوَّحَا ... فَأَفْلَحَ مَنْ أَمْسَى رَفِيقَ مُحَمَّدِ
لِيَهْنِ بَنِي كَعْبٍ مَكَانُ فَتَاتِهِمْ ... وَمَقْعَدُهَا لِلْمُؤْمِنِينَ بِمَرْصَدِ
قَالَتْ أَسْمَاءُ: فَلَمَّا سَمِعْنَا قَوْلَهُ عَرَفْنَا حَيْثُ وَجَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّ وَجْهَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانُوا أَرْبَعَةً، رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْقَدَ. كَذَا يَقُولُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْمَشْهُورُ
পৃষ্ঠা - ২১৮০
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُرَيْقِطٍ الدُّؤَلِيُّ، وَكَانَ إِذْ ذَاكَ مُشْرِكًا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا خَرَجَ بِهِمَا دَلِيلُهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْقَدَ، سَلَكَ بِهِمَا أَسْفَلَ مَكَّةَ ثُمَّ مَضَى بِهِمَا عَلَى السَّاحِلِ حَتَّى عَارَضَ الطَّرِيقَ أَسْفَلَ مِنْ عُسْفَانَ، ثُمَّ سَلَكَ بِهِمَا عَلَى أَسْفَلِ أَمَجَ، ثُمَّ اسْتَجَازَ بِهِمَا حَتَّى عَارَضَ الطَّرِيقَ بَعْدَ أَنْ أَجَازَ قُدَيْدًا، ثُمَّ أَجَازَ بِهِمَا مِنْ مَكَانِهِ ذَلِكَ فَسَلَكَ بِهِمَا الْخَرَّارَ، ثُمَّ أَجَازَ بِهِمَا ثَنِيَّةَ الْمَرَةِ، ثُمَّ سَلَكَ بِهِمَا لَقْفًا، ثُمَّ أَجَازَ بِهِمَا مُدْلَجَةَ لَقْفٍ ثُمَّ اسْتَبْطَنَ بِهِمَا مُدْلَجَةَ مِجَاجٍ، ثُمَّ سَلَكَ بِهِمَا مَرْجِحَ مِجَاجٍ، ثُمَّ تَبَطَّنَ بِهِمَا مَرْجِحَ مِنْ ذِي الْغَضَوَيْنِ، ثُمَّ بَطْنَ ذِي كَشْرٍ، ثُمَّ أَخَذَ بِهِمَا عَلَى الْجُدَاجِدِ، ثُمَّ عَلَى الْأَجْرَدِ، ثُمَّ سَلَكَ بِهِمَا ذَا سَلَمٍ مِنْ بَطْنِ أَعْدَاءِ مَدْلَجَةِ تِعْهِنَ، ثُمَّ عَلَى الْعَبَابِيدِ، ثُمَّ أَجَازَ بِهِمَا الْقَاحَةَ، ثُمَّ هَبَطَ بِهِمَا الْعَرْجَ، وَقَدْ أَبْطَأَ عَلَيْهِمْ بَعْضُ ظَهْرِهِمْ، فَحَمَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنْ أَسْلَمَ، يُقَالُ لَهُ: أَوْسُ بْنُ حُجْرٍ عَلَى جَمَلٍ يُقَالُ لَهُ: ابْنُ الرِّدَاءِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَبَعَثَ مَعَهُ غُلَامًا لَهُ يُقَالُ لَهُ: مَسْعُودُ بْنُ هُنَيْدَةَ، ثُمَّ خَرَجَ بِهِمَا دَلِيلُهُمَا مِنَ الْعَرْجِ،
পৃষ্ঠা - ২১৮১
তারা অবতরণ করেছে পুণ্য আর তাকওয়৷ নিয়ে ৷ আর সফল হয়েছে যে ব্যক্তি, যে
মুহাম্মদের সঙ্গী হয়েছে ৷
জো
বনু কাআবুবর জন্য মুবারক হোক তাদের নারীর স্থান, আর তাদের অবস্থান মুসলমানদের
জন্যে শান্তিধাম ৷
হযরত আসম৷ (রা) বলেন : সে লোকটির কথা অর্থাৎ এ কবিতা শুনে আমরা বুঝতে পারি
রাসুল (সা) কোন দিকে যাচ্ছেন ৷ আমরা বুঝতে পারি যে, তিনি মদীলার দিকে যাত্রা করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : তারা ছিলেন চার জন : রাসুল (সা) , আবু বকর (রা) , আমির ইবন
ফুহায়রা এবং আবদুল্লাহ ইবন আরকাদ ৷ ইবন ইসহড়াক এরুপই বলেহ্নে’ ৷ আর প্রসিদ্ধ হল ইবন
আরীকত দুয়ালী ৷ তখন পর্যন্ত যে ছিল মুশরিক ৷
ইবন ইসহাক বলেন ং তাদের পথ প্রর্দশক আবদুল্লাহ ইবন আরকাদ যখন তাদের উভয়কে
নিয়ে বের হয়, তখন তারা মক্কার নিম্নাঞ্চল দিয়ে পথ চলে ৷ এরপর তাদেরকে নিয়ে উপকুলীয়
অঞ্চল দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে উসফা ৷বুনর নিম্নাঞ্চল দিয়ে পথ চলতে থাকে ৷ এরপর আমাজ এবং
ফুদায়দ অঞ্চল অতিক্রম করার পর তাদেরকে নিয়ে আগ্রসর হয় ৷ এরপর তাদেরকে নিয়ে সে
স্থান থেকে খার কে১ এর পথ হয়ে ছানিয়৷ আল-মুবরা’ ৷অতিক্রম করে ৷ সেখান থেকে তাবুদরকে
নিয়ে যায় লাবচুফ’ অঞ্চলে ৷ সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে অতিক্রম করে মাদলাজা লাক্ফ ৷
সেখান থেকে মাদলাজা মাজাজ ৷ এরপর তাদেরবুক নিয়ে গমন করে মারজাহ মাজাজ ৷ সেখান
থেকে তাদেরবুক নিয়ে যায় যুল-আযওয়ায়ন মারজাহ ৷ এরপর যী কাশাদ প্রান্তবুর ৷ এরপর
তাদেরকে নিয়ে যায় জাদাজিদ-এর উপর দিয়ে ৷ এরপর আজরাদ এর উপর দিয়ে ৷ এরপর
তাদেরকে নিয়ে চলে আ’দ৷ প্রান্তর ও যা-সালম হয়ে তি’হিন-এর মাদলাজায় ৷ এরপর আবাবীদ
হয়ে তাদেরবুক নিয়ে অতিক্রম করে আল-কাহা অঞ্চল ৷ এরপর তাদেরকে নিয়ে নেমে আসে
আল আরজ অঞ্চলে ৷ এরপর একটি উট পেছনে পড়ে গেলে আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি-
যাকে বলা হয় আওস ইবন হাজার-রাসুলুল্লাহ্ (সা) বুক তা ৷র উবুট সওয়া র করান ৷ এ উটবুক
বলা হতো ইবনুর রিদ৷ ৷ এ উট তাকে মদীনা পর্যন্ত বহন করে নেয় ৷
আওস ইবন হাজারত তার উবুটর সঙ্গে একজন সেবকও দেয়, বা ব নাম ছিল মাসউদ ইবন
ধ্ণ্া৷হ্ দা ৷ তাদেরকে নিয়ে বের হয় তাদের পথ প্রদর্শক আল-আরাজ থেকে রাকুবার দক্ষিণে
ছানিয়াঅ আল আইর এর পথে অগ্রসর হয় ৷ ইবন হিশামের মতে এ স্থানবুক বলা হয় আল গা ৷ইর
( ,;এে ৷ ) ৷ সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে নেমে আসে রীম প্রান্তবুর ৷ সেখান থেকে তাদেরকে
নিয়ে অ্যাসর হয়ে কুবায় পৌছে ৷ সেখাবুন বনু আমর ইবন আওবুফর পল্লীবুত তিনি অবস্থান
১ মুল দুটি কপিবুত আছে আল-হারার ( , ৷ ,ন্৷ ৷ ) আল্হারার বহু বচন (ও ,ন্৷ ৷ ন্^ন্ ) সীরাবুত ইবন হিশামে
আছে আল খারার ( , ৷ , ’ন্৷ ৷ ) এটা হিজায়ের একটা স্থানের নাম ৷ মত৷ স্তরে মদীনায় একটা উপত্যকা বা কুয়ার
নাম (ইয়াকুত প্রণীত মৃজামুল বুলদান ) ৷
فَسَلَكَ بِهِمَا ثَنِيَّةَ الْعَائِرِ عَنْ يَمِينِ رَكُوبَةَ - وَيُقَالُ: ثَنِيَّةُ الْغَائِرِ فِيمَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ - حَتَّى هَبَطَ بِهِمَا بَطْنَ رِيمٍ، ثُمَّ قَدِمَ بِهِمَا قُبَاءَ عَلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ لِاثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، حِينَ اشْتَدَّ الضَّحَاءُ، وَكَادَتِ الشَّمْسُ تَعْتَدِلُ.
وَقَدْ رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ، مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ نَحْوًا مِنْ ذِكْرِ هَذِهِ الْمَنَازِلِ وَخَالَفَهُ فِي بَعْضِهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو حَامِدِ بْنُ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، هُوَ السَّرَّاجُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادِ بْنِ مُوسَى الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنِي أَخِي مُوسَى بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَيَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «لَمَّا هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ مَرُّوا بِإِبِلٍ لَنَا بِالْجُحْفَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لِمَنْ هَذِهِ الْإِبِلُ؟ ". فَقَالُوا: لِرَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ. فَالْتَفَتَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ: " سَلِمْتَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". فَقَالَ: " مَا اسْمُكَ؟ " قَالَ: مَسْعُودٌ.
পৃষ্ঠা - ২১৮২
করেন ৷ এটি ছিল সোমবার রবিউল আউয়াল মাসের ১ ২ তারিখ রাত্রি ৷ সুর্য তখন প্রথর কিরণ
দিচ্ছিল এবং তখন ছিল প্রায় দুপুরের কাছাকাছি সময় ৷
ওয়াকিদী সুত্রে আবু নুআয়ম এই মনযিলগুলোর অনুরুপ নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তবে কোন
কোন মনযিলের নামের ক্ষেত্রে তিনি ভিন্ন মতও পোষণ করেছেন ৷ আবু নুআয়ম আবু হামিদ
ইবন জাবালা সুত্রে মালিক ইবন আওস-এর মাধ্যমে তীর পিতাকে উদ্ধৃত করে বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং হযরত আবু বকর (রা) হিজরত কালে জুহ্ফায় আমাদের উটের নিকট
দিয়ে অতিক্রম কালে জিজ্ঞেস করেলেন, এ উটগুলাে কার ? ণ্লাকেরা বললো , আসলাম গোত্রের
জনৈক ব্যক্তির ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) আবু বকর (রা)-এর দিকে লক্ষ্য করে বললেন : আল্লাহ্ চাহেন
তো আমি নিরাপদ ৷ তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কি ? সে বললো, মাসউদ ৷
তিনি হযরত আবু বকরের প্রতি তাকিয়ে বললেন :
“ইনশা আল্লাহ্ আমি সফল হয়ে গেছি ৷” তিনি বলেন, এরপর তার নিকট আমার পিতা
আগমন করেন এবং তাকে উটে আরোহণ করান ৷ সে উটঢির নাম ছিল ইবনুর-রিদা ৷
আমি (গ্রন্থকড়ার) বলি, ইতােপুর্বে ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্
(সা) মক্কা থেকে সােমবারে বের হন এবং মদীনায় প্রবেশ করেন সােমবারে ৷ বলা বাহুল্য,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মক্কা থেকে বের হয়ে মদীনায় প্রবেশ করার মধ্যখানে ১৫ দিন অতিবাহিত
হয়েছিল ৷ কারণ তিনি ছওর গুহায় অবস্থান করেন তিন দিন ৷ এরপর উপকুলীয় পথ ধরে
চলেন ৷ এ পথ সচরাচর চলাচলের পথ থেকে অনেক দীর্ঘ ৷ এ পথ অতিক্রম কালে পথিমধ্যে
তিনি বনু কাআব ইবন খুযাআর উম্মু মাবাদ বিনৃত কাআবের নিকট দিয়ে যান ৷ ইউনুসের
উদ্ধৃতি দিয়ে ইবন ইসহাক সুত্রে ইবন হিশাম বলেন : মহিলার নাম আতকা বিনৃত খাল্ফ ইবন
মাবাদ ইবন রাবীআ ইবন আসরাম ৷ আর উমুবী বলেন : তিনি হলেন বনী মুনকিয ইবন
রাবীআ ইবন আসরাম ইবন সাম্বীস ইবন হড়ারড়াম ইবন খায়সা ইবন কাআব ইবন আমর
গোত্রের মিত্র আতিকা বিনৃত তাবী’ ৷ এ মহিলার সন্তানদের মধ্যে ছিলেন মাবাদ, নাযরা এবং
হুনায়দা ৷ এরা সকলেই আবু মা’বাদের সন্তান ৷ আর তার নাম আকতাম ইবন আবদুল উয্যা
ইবন মাবাদ ইবন রাবীআ ইবন আসরাম ইবন সামবীস ৷ তার কাহিনী প্রসিদ্ধ এবং বিভিন্ন সুত্রে
বর্ণিত, যার একটা অপরটাকে শক্তিশালী করে ৷
এ হল উম্মু মাবাদ আল-খুযাইয়ার কাহিনী ৷ ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস বলেন, এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মে মাবাদের র্তাবুতে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ তারা যেহমান-দারীর অভিপ্রায়
ব্যক্ত করলে মহিলাটি বলেন, আমার নিকট কোন খাবার নেই, নেই কোন দৃধেল বকরী: এ
অল্পবয়সী ছাপলগুলাে ছাড়া ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে একটা মেষ আনার জন্য বললেন ৷
যেষ হাযির করা হলে তিনি ওলানে হাত বুলালেন,আল্লাহ্র নিকট দৃআ করলেন এবং একটা
বড় পাত্রে দুধ দােহন করলেন ৷ এমনকি দৃধে ফেনা দেখা দিল এবং তিনি বললেন : হে উম্মু
মাবাদ, তুমি পান কর ৷ উম্মু মাবাদ বললো, না, বরং আপনিই পান করুন ৷ আপনিই তো পান
করার বেশী হকদার ৷ তিনি উম্মু মা’বাদকে তা ফিরিয়ে দিলে তিনি পান করলেন ৷ এরপর আরো
২ £২ ণোণোণো(ট্রুঘ্নেরাঃ৪গাে০ওেয়াে
فَالْتَفَتَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ: " سَعِدْتَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". قَالَ: فَأَتَاهُ أَبِي فَحَمَلَهُ عَلَى جَمَلٍ يُقَالُ لَهُ: ابْنُ الرِّدَاءِ»
قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدَخْلَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. وَالظَّاهِرُ أَنْ بَيْنَ خُرُوجِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ مَكَّةَ وَدُخُولِهِ الْمَدِينَةَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا; لِأَنَّهُ أَقَامَ بِغَارِ ثَوْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ سَلَكَ طَرِيقَ السَّاحِلِ، وَهِيَ أَبْعَدُ مِنَ الطَّرِيقِ الْجَادَّةِ وَاجْتَازَ فِي مُرُورِهِ عَلَى أُمِّ مَعْبَدٍ بِنْتِ كَعْبٍ مِنْ بَنِي كَعْبِ بْنِ خُزَاعَةَ، قَالَهُ ابْنُ هِشَامٍ. وَقَالَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: اسْمُهَا عَاتِكَةُ بِنْتُ خَالِدِ بْنِ مُنْقِذِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ أَصْرَمَ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: هِيَ عَاتِكَةُ بِنْتُ تَبِيعٍ حَلِيفِ بَنِي مُنْقِذِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ أَصْرَمَ بْنِ ضَبِيسِ بْنِ حَرَامِ بْنِ حُبْشِيَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرٍو، وَلِهَذِهِ الْمَرْأَةِ مِنَ الْوَلَدِ، مَعْبَدٌ، وَنَضْرَةٌ، وَحُنَيْدَةُ، بَنُو أَبِي مَعْبَدٍ، وَاسْمُهُ أَكْثَمُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ مُنْقِذِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ أَصْرَمَ بْنِ ضَبِيسٍ، وَقِصَّتُهَا مَشْهُورَةٌ مَرْوِيَّةٌ مِنْ طَرْقٍ يَشُدُّ بَعْضُهَا بَعْضًا.
وَهَذِهِ قِصَّةُ أُمِّ مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيَّةِ: قَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، فَنَزَلَ
পৃষ্ঠা - ২১৮৩
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْمَةِ أُمِّ مَعْبَدٍ، وَاسْمُهَا عَاتِكَةُ بِنْتُ خَالِدِ بْنِ مُنْقِذِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ أَصْرَمَ، فَأَرَادُوا الْقِرَى، فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا عِنْدَنَا طَعَامٌ وَلَا لَنَا مِنْحَةٌ، وَلَا لَنَا شَاةٌ إِلَّا حَائِلٌ. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ غَنَمِهَا، فَمَسَحَ ضَرْعَهَا بِيَدِهِ، وَدَعَا اللَّهَ وَحَلَبَ فِي الْعُسِّ حَتَّى أَرْغَى، وَقَالَ: " اشْرَبِي يَا أُمَّ مَعْبَدٍ ". فَقَالَتْ: اشْرَبْ فَأَنْتَ أَحَقُّ بِهِ. فَرَدَّهُ عَلَيْهَا فَشَرِبَتْ، ثُمَّ دَعَا بِحَائِلٍ أُخْرَى، فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ بِهَا، فَشَرِبَهُ ثُمَّ دَعَا بِحَائِلٍ أُخْرَى، فَفَعَلَ بِهَا مِثْلَ ذَلِكَ فَسَقَى دَلِيلَهُ، ثُمَّ دَعَا بِحَائِلٍ أُخْرَى فَفَعَلَ بِهَا مِثْلَ ذَلِكَ فَسَقَى عَامِرًا، ثُمَّ تَرَّوَحَ وَطَلَبَتْ قُرَيْشٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَلَغُوا أُمَّ مَعْبَدٍ، فَسَأَلُوا عَنْهُ، فَقَالُوا: أَرَأَيْتِ مُحَمَّدًا؟ مِنْ حِلْيَتِهِ كَذَا وَكَذَا فَوَصَفُوهُ لَهَا، فَقَالَتْ: مَا أَدْرِي مَا تَقُولُونَ قَدْ ضَافِنِي حَالِبُ الْحَائِلِ، قَالَتْ قُرَيْشٌ: فَذَاكَ الَّذِي نُرِيدُ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ مُهَاجِرَيْنِ فَدَخَلَا الْغَارَ، إِذَا فِي الْغَارِ جُحْرٌ فَأَلْقَمَهُ أَبُو بَكْرٍ عَقِبَهُ حَتَّى أَصْبَحَ; مَخَافَةَ أَنْ يَخْرُجَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ شَيْءٌ، فَأَقَامَا فِي الْغَارِ ثَلَاثَ لَيَالٍ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ২১৮৪
একটি অল্প বয়সী ছাগী তলব করে আনড়ান এবং সেটিকেও এরকম করেন এবং তার দুধ পান
করেন ৷ এরপর অপর একটা অল্প বয়সী বকরী তলব করে সেটিকেও এরুপ করে তার দুধ
দোহন করে পথ-প্ৰদর্শককে পান করান ৷ পরে আরো একটি অল্প বয়সী ছাপী তলব করান এবং
সেটিকেও এরুপ করে তার দুধ আমিরকে পান করান ৷ তারপর তিনি সেখান থেকে প্রন্থান
করেন ৷ ওদিকে কুরায়ণের লোকজন উন্মু মাবাদের নিকট পৌছে তাকে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে
জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ বলে : তুমি কি মুহাম্মদকে দেখেছে ? তার এই এই হলিয়া ৷ তারা উম্মু
মাবাদের নিকট তার পরিচয় পেশ করে ৷ উন্মু মাবাদ বলেন : তোমরা কি বলছো কিছুই তো
বুঝতে পারছি না ৷ আমাদের নিকট এক যুবক এসেছিল, সে অল্প বয়সী বকরীর দুধ দোহন
করেছে ৷ কুরায়শরা বললাে : আমরা তো তাকেই খুজছি ৷
হাফিয আবু বকর বাঘৃযার (র) মুহাম্মদ ইবন মামার সুত্রে জাবির ( রা) থেকে বর্ণনা করে
বলেন : মুহাম্মদ (সা) এবং হযরত আবু বকর (রা) হিজরতের উদ্দেশেৰ বোর হয়ে উভয়ে গুহায়
প্রবেশ করেন ৷ গুহায় ছিল বেশ কয়েকটি ছিদৃ ৷ তা থেকে কিছু (বব হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-কে
যাতে দংশন না করে এ আশংকায় হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) পায়ের পােড়ালি দিয়ে একটি
গর্তের মুখ বন্ধ করেন ৷ তারা দুজন গুহায় তিন রাত্রি অবস্থান করেন ৷ তারা সেখান থেকে বের
হয়ে উন্মু মাবাদের তাবুতে অবস্থান নেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখে বললেন আমি এক
অনিন্দব্র সুন্দর মুখমণ্ডল দেখতে পাচ্ছি ৷ তবে আপনাদের যেহমানদারীর জন্য এ গোত্র আমার
চাইতে বেশী শক্তিশালী ও যোগ্য ৷ সন্ধ্য৷ হলে মহিলাটি তার এক অল্পবয়সী ছেলে মারফত
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট একটা চাকু এবং একটা বকরী প্রেরণ করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, চাকুটি নিয়ে যাও এবং একটি পাত্র নিয়ে এসো ৷ তখন মহিলাটি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
নিকট (এ মর্মে) খবর পাঠায় যে, বকরীটির দুধ আর বাচ্চা কিছুই নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন : আমাদের নিকট পাত্র নিয়ে এলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বকরীর পিঠে হাত বুলালে তা
চাঙ্গা হয়ে উঠে এবং তার ওলানে দুধ নেমে আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুধ দোহন করে নিজে পান
করেন এবং আবু বকর সিদ্দীক (রা)-কে পান করান ৷ এরপর আবার দুধ দোহন করে পাত্রে
করে উন্মু মাবাদের নিকট পাঠান ৷ এরপর ইমাম বায্যার (র) বলেন, এ সনদ ব্যতীত (অন্য
কোন সনদে) হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই ৷ আর ইয়াকুব ইবন
মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে অন্যতম রাবী আবদুর রহমান ইবন উকবা হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন বলে আমাদের জানা নেই ৷
হাফিয বায়হাকী (র) ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়া সুত্রে আবু বকর সিদ্দীক (বা) থেকে বর্ণনা
করে বলেন : আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে মক্কা থেকে বের হয়ে আরবের একটি কবীলার
নিকট গেলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক কোণে একটা গৃহ দেখতে পেয়ে সেদিকে যেতে মনস্থ
করলেন ৷ আমরা যখন সেখানে অবতরণ করি, তখন সেখানে একজন মহিলা ছাড়া আর কেউ
ছিল না ৷ মহিলাটি বললেন : হে আল্লাহর বান্দা ! আমি তো একজন মেয়ে মানুষ, আমার সঙ্গে
অন্য কেউ নেই ৷ আপনারা মেহমড়ানদারী চাইলে কবীলার কোন প্রধান ব্যক্তির নিকট যান ৷ কিভু
তিনি একথার কোন জবাব দিলেন না ৷ আর তখন ছিল সল্যার সময় ৷ মহিলার এক পুত্র সন্তান
خَرَجَا حَتَّى نَزَلَا بِخَيْمَاتِ أُمِّ مَعْبَدٍ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ أُمُّ مَعْبَدٍ: إِنِّي أَرَى وُجُوهًا حِسَانًا، وَإِنَّ الْحَيَّ أَقْوَى عَلَى كَرَامَتِكُمْ مِنِّي. فَلَمَّا أَمْسَوْا عِنْدَهَا بَعَثَتْ مَعَ ابْنٍ لَهَا صَغِيرٍ بِشَفْرَةٍ وَشَاةٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْدُدِ الشَّفْرَةَ وَهَاتِ لِي فَرَقًا ". - يَعْنِي الْقَدَحَ - فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ أَنْ لَا لَبَنَ فِيهَا وَلَا وَلَدَ. قَالَ: " هَاتِ لِي فَرَقًا، فَجَاءَتْ بِفَرَقٍ فَضَرَبَ ظَهْرَهَا فَاجْتَرَّتْ وَدَرَّتْ، فَحَلَبَ فَمَلَأَ الْقَدَحَ، فَشَرِبَ وَسَقَى أَبَا بَكْرٍ، ثُمَّ حَلَبَ فَبَعَثَ بِهِ إِلَى أُمِّ مَعْبَدٍ» ، ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُقْبَةَ لَا نَعْلَمُ أَحَدًا حَدَّثَ عَنْهُ إِلَّا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَإِنْ كَانَ مَعْرُوفًا فِي النَّسَبِ.
وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ابْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ فَانْتَهَيْنَا إِلَى حَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَيْتٍ مُنْتَحِيًا، فَقَصَدَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا نَزَلْنَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ إِلَّا امْرَأَةٌ، فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، إِنَّمَا أَنَا امْرَأَةٌ وَلَيْسَ مَعِي أَحَدٌ فَعَلَيْكُمَا بِعَظِيمِ الْحَيِّ إِنْ أَرَدْتُمُ الْقِرَى. قَالَ: فَلَمْ يُجِبْهَا، وَذَلِكَ عِنْدَ الْمَسَاءِ، فَجَاءَ ابْنٌ لَهَا بِأَعْنُزٍ يَسُوقُهَا، فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ انْطَلِقْ بِهَذِهِ الْعَنْزِ وَالشَّفْرَةِ إِلَى هَذَيْنَ الرَّجُلَيْنِ، فَقُلْ لَهُمَا: تَقُولُ لَكُمَا أُمِّي:
পৃষ্ঠা - ২১৮৫
বকরী ইাকিয়ে নিয়ে আসে ৷ মহিলাটি সন্তানকে বলে : বাংলা এ বকরী আর এ ছোরা এ দু’জন
লোকের কাছে নিয়ে যাও এবং বল : আমার আম্ম৷ বলছেন, বকরী যবাহ্ করে নিজে পারেন
এবং আমাদেরকেও খাওয়াবেন ৷ সে নবী (না)-এর নিকট গেলে তিনি তাকে বলেন : ছোরাটা
নিয়ে যাও এবং আমার জন্য একটা পেয়ালা নিয়ে এসো ৷ সে বললো বকবীটি তো এখনো
বাচ্চা দেয়নি ৷৩ তা এখনো দুধেল নয় ৷ তিনি বললেন তুমি যাও (এবং থেয়াল৷ নিয়ে এসো) ৷
সে (পয়াল৷ নিয়ে আসে ৷ নবী কবীম (সা) বকরীটির ওলানে হাত বুলান এবং দুধ দােহন
করেন ৷ এমনকি পাত্র দুধে ভরে যায় ৷ এরপর বললেন০ : এ পাত্র তোমার মায়ের কাছে নিয়ে
যাও ৷ তিনি দুধ পান করেন, এমনকি পবিত প্ত হয়ে যান ৷ এরপর সে পেয়ালা নিয়ে তিনি বলেন
এ ছা ৷র্গীটি নিয়ে যাও এবং অন্য একটি আমার কাছে নিয়ে এসো ৷ তিনি এ বকরীর সঙ্গেও এরুপ
করলেন এবং এবার আবু বকর (রা) কে পান করালেন ৷ এরপর আরেকটি বকরী নিয়ে আসে
এবং তিনি তার সঙ্গেও অনুরুপ করেন ৷ এরপর নবী করীম (সা) নিজে পান করেন এবং আমরা
রাত্রি যাপন করি ৷ তার পরে আমরা প্ৰস্থান করি ৷ মহিলাটি রাসুলুল্যুহ্ (না)-কে ঘুবারক বলে
অভিহিত করেন ৷ মহিলার মেষ পাল অনেক বৃদ্ধি পড়ায়, এমনকি তা মদীনা পর্যন্ত বিস্তার লাভ
করে ৷
আবু বকর (রা) গমনকালে মহিলার সন্তান তাকে দেখে চিনতে পায় ৷ তখন সে বলে, এ
লোকটি মোবারক ব্যক্তির সঙ্গে ছিল ৷ তখন মহিলা তার দিকে দাড়িয়ে বলে, যে আল্লাহর বান্দা!
তামার সঙ্গে যে লোকটি ছিলেন তিনি যে : তিনি বললেন, তুমি কি জান না তিনি কে ?
মহিলাটি বললেন, না ৷ তখন তিনি বললেন : তিনিই তো আল্লাহর নবী ৷ মহিলাটি বললেন,
আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো ৷ বললেন, মহিলাকে তার কাছে নিয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (যা)
তাকে আখ্যায়িত করেন এবং উপচৌকন দেন ৷ ইবন আবৃদান তার বর্ণনায় অতিরিক্ত যোগ
করেনং : মহিলাটি বলেনং : সে মুবারক ব্যক্তির নিকট গমন করার পথ আমাকে দেখাও ৷ মহিলাটি
আবু বকর (রা) এর সঙ্গে গমন করেন এবং তাকে কিছু পনির এবং কিছু আরবীয় পণ্যসম্ভার
উপহার দান করেন ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে পবিধেয় বস্ত্র এবং উপচৌকন দান
করেন ৷ তিনি আরো বলেন : আমার মনে হয়,৩ তিনি একথাও বলেছেন যে, মহিলাটি ইসলাম
কবুল করেন ৷ বর্ণনাটির সনদ হাসান ৷ ইমাম বায়হাকী বলেন, এ কাহিনীটি উম্মু মাবাদের
কাহিনীর অনুরুপ ৷ বলা বাহুল্য , উনিই ছিলেন উম্মু মাবাদ ৷
বায়হাকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ সুত্রে আবু মাবাদ থুযাঈ থেকে বর্ণনা করে বলেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের জন্য বের হন ৷ তার সঙ্গে ছিলেন আবু বকর
সিদ্দীক (বা), তার আযাদ করা গোলাম আামির ইবন ফুহায়রা এবৎ৩ তাদের পথ প্রদর্শক
আবদুল্লাহ্ ইবন আরীকত আল লায়হী ৷৩ তারা উম্মুট মা বাদ খুযাঈর ত বুব নিকট দিয়ে গমন
করেন ৷ আর উম্মু মা’ বাদ ছিলেন একজন গৌঢ়৷ মোট সেটা মহিলা ৷ তিনিত তাবুর বাইরে বসে
থাকতেন এবং আগত্তুকদেরকে আপ্যায়ন করাতেন ৷ তারা মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলেন,
মহিলার নিকট থেকে ক্রয় করতে পারেন এমন কোন গোশৃত বা দুধ কি তার নিকট আছে ?
কিন্তু তারা তার নিকট এমন কিছুই পেলেন না ৷ মহিলাটি আরো বলে : আমাদের কাছে কিছু
থাকলে আমরা তোমাদের মেহমানদারী করা থেকে বিরত থাকতাম না ৷ আর গোত্রের লোকেরা
اذْبَحَا هَذِهِ وَكُلَا وَأَطْعِمَانَا. فَلَمَّا جَاءَ، قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " انْطَلِقْ بِالشَّفْرَةِ وَجِئْنِي بِالْقَدَحِ ". قَالَ: إِنَّهَا قَدْ عَزَبَتْ وَلَيْسَ بِهَا لَبَنٌ. قَالَ: " انْطَلَقْ ". فَجَاءَ بِقَدَحٍ فَمَسَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرْعَهَا ثُمَّ حَلَبَ حَتَّى مَلَأَ الْقَدَحَ، ثُمَّ قَالَ: " انْطَلَقَ بِهِ إِلَى أُمِّكَ ". فَشَرِبَتْ حَتَّى رَوِيَتْ، ثُمَّ جَاءَ بِهِ، فَقَالَ: " انْطَلِقْ بِهَذِهِ وَجِئْنِي بِأُخْرَى ". فَفَعَلَ بِهَا كَذَلِكَ، ثُمَّ سَقَى أَبَا بَكْرٍ، ثُمَّ جَاءَ بِأُخْرَى فَفَعَلَ بِهَا كَذَلِكَ، ثُمَّ شَرِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبِتْنَا لَيْلَتَنَا ثُمَّ انْطَلَقْنَا، فَكَانَتْ تُسَمِّيهِ الْمُبَارَكَ، وَكَثُرَتْ غَنَمُهَا حَتَّى جَلَبَتْ جَلْبًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَرَّ أَبُو بَكْرٍ فَرَآهُ ابْنُهَا فَعَرَفَهُ، فَقَالَ: يَا أُمَّهْ، هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ مَعَ الْمُبَارَكِ. فَقَامَتْ إِلَيْهِ فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ مَعَكَ؟ قَالَ: أَوْ مَا تَدْرِينَ مَنْ هُوَ! قَالَتْ: لَا. قَالَ: هُوَ نَبِيُّ اللَّهِ. قَالَتْ: فَأَدْخِلْنِي عَلَيْهِ. قَالَ: فَأَدْخَلَهَا فَأَطْعَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَعْطَاهَا - زَادَ ابْنُ عَبْدَانِ فِي رِوَايَتِهِ - قَالَتْ: فَدُلَّنِي عَلَيْهِ فَانْطَلَقَتْ مَعِي، وَأَهْدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مِنْ أَقِطٍ وَمَتَاعِ الْأَعْرَابِ. قَالَ: فَكَسَاهَا وَأَعْطَاهَا. قَالَ: وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا قَالَ: وَأَسْلَمَتْ. إِسْنَادٌ حَسَنٌ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: هَذِهِ الْقِصَّةُ شَبِيهَةٌ بِقِصَّةِ أُمِّ مَعْبَدٍ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهَا هِيَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ
পৃষ্ঠা - ২১৮৬
الْقَاضِي، قَالَا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو أَحْمَدَ بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ السُّكَّرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ وَهْبٍ الْمَذْحِجِيُّ، ثَنَا الْحُرُّ بْنُ الصَّيَّاحِ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيِّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ لَيْلَةَ هَاجَرَ مِنْ» مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ، وَدَلِيلُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُرَيْقِطٍ اللَّيْثِيُّ، فَمَرُّوا بِخَيْمَتَيْ أُمِّ مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيَّةِ، وَكَانَتْ أُمُّ مَعْبَدٍ امْرَأَةً بَرْزَةً جَلْدَةً، تَحْتَبِي وَتَجْلِسُ بِفَنَاءِ الْخَيْمَةِ، فَتُطْعِمُ وَتَسْقِي فَسَأَلُوهَا هَلْ عِنْدَهَا لَحْمٌ أَوْ لَبَنٌ يَشْتَرُونَهُ مِنْهَا؟ فَلَمْ يَجِدُوا عِنْدَهَا شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ. وَقَالَتْ: لَوْ كَانَ عِنْدَنَا شَيْءٌ مَا أَعْوَزَكُمُ الْقِرَى. وَإِذَا الْقَوْمُ مُرْمِلُونَ مُسْنِتُونَ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا شَاةٌ فِي كَسْرِ خَيْمَتِهَا، فَقَالَ: مَا هَذِهِ الشَّاةُ يَا أُمَّ مَعْبَدٍ؟ فَقَالَتْ: شَاةٌ خَلَّفَهَا الْجَهْدُ عَنِ الْغَنَمِ. قَالَ: " فَهَلْ بِهَا مِنْ لَبَنٍ؟ " قَالَتْ: هِيَ أَجْهَدُ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: " تَأْذَنِينَ لِي أَنْ أَحْلُبَهَا ". قَالَتْ: إِنْ كَانَ بِهَا حَلْبٌ فَاحْلُبْهَا. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالشَّاةِ فَمَسَحَهَا، وَذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২১৮৭
তো বিপন্ন ও দুর্তিক্ষ পীড়িত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকিয়ে দেখেন যে, তাবুর এক প্রান্তে একটা
বকরী আছে ৷ তিনি বললেন, উম্মু মাবাদ-এ বকরীটা কেমন ? মহিলাটি জবাব দিল, দুর্বলতার
কারণে অন্য বকরীদের সঙ্গে চলতে না পেরে এটি পেছনে পড়ে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জিজ্ঞাসা করলেন : তার কি দুধ আছে ? মহিলা বললেন, তাতে৷ নিতাম্ভই দুর্বল ৷ দুধ আসবে
কোখেকে ? বললেন, তুমি কি আমাকে তার দুধ দোহন করার অনুমতি দেবে ? মহিলাটি
বললো৪ তাতে দুধ থাকলে দোহন করে দেখতে পারেন ৷ তখন রাস্ফুণুল্লাহ্ (সা) বকরীটিকে
আনতে বললেন ৷ বকরীটি হড়াযির করা হলে তিনি আল্লাহ্র নাম নিয়ে বকরীটির গায়ে হাত
বুলান ৷ ওলান মুছে দেন ৷ আল্লাহ্র নাম নিয়ে একটা বড়সড় পাত্র আনতে বলেন, যাতে একদল
লোকের তৃপ্তি হতে পারে ৷ বকরীটি চড়াঙ্গা হয়ে উঠে ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ সজােণ্চ্ব দুধ দোহন করেন ৷
এমনকি পাত্রটি ভরে যায় ৷ আর তিনি সে দুধ মহিলার নিকট প্রেরণ করেন তিনি পান করেন,
পান করেন তার সঙ্গীরাও একের পর এক করে বারবার ৷ তারা তৃপ্ত হলে পর তিনি (রাসুলুল্লাহ)
নিজে পান করেন ৷ এ সময় তিনি বলেন ? ণ্ন্১ ,দু ক্রেম্ভ৷ ৷ শু১া৷
“জাতিকে যে পান করার যে সকলের শেষে পান করে থাকে ৷
এরপর তিনি পুনরায় বকরীটির দুধ দোহন করেন ৷ র্তারা সেখানে রাত্রি যাপন করেন ৷
দুধটুকু রেখে তারা প্রস্থান করেন ৷
তিনি বলেন, অল্পক্ষণ পরই মহিলাটির স্বামী আবু মাবাদ দুর্বল কৃশ, শক্তি-সামর্থ্যহীন মেষ
গুলো তাড়া করতে করতে ফিরে আসে ৷ এসব যেষে মজ্জা খুব সামান্যই ছিল ৷ দুধ দেখে
স্বামীঢি অবাক হয় এবং জিজ্ঞাসা করে, হে উম্মু মাবাদ ! এ দুধ কোখেকে এলো ? দুধ দেয়ার
মতো বকরী তো ঘরে একটাও নেই ৷ যে বকরীগুলো আছে সেগুলোতে৷ নেহাৎ অল্প বয়সী ৷ উম্মু
মাবাদ বললো : না, আল্লাহ্র কলম, আমাদের নিকট দিয়ে এক মুবারক (বরকতময় ও
পুণ্যবান) ব্যক্তি অতিক্রম করে গিয়েছেন ৷ তার কথা আর বচন ছিল এমন এমন ৷ তার স্বামী
বললেন ? সে মুবারক ব্যক্তিটির পরিচয় আমার কাছে পেশ কর ৷ তার বর্ণনা দাও ৷ আমার
ধারণা ইনিই যে ব্যক্তি, কুরায়শরা যাকে খুজছে ৷ তখন মহিলাটি বললো ? আমি এমন ব্যক্তিকে
দেখেছি যার চেহারা উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, সুন্দর চরিত্র, লাবণ্যময় মুখ, বিরাট বপু তাকে কদর্য
করেনি, মাথার টাক বা ক্ষুদ্র মাথা তাকে ক্রটিপুর্ণ করেনি, উজ্জ্বল গৌরবর্ণ ও চিত্তহারী ব্যক্তিত্ব,
তার চোখ দু’টি ডাগর কালো ৷ চোখের পলক দীর্ঘ ও ঘন, কণ্ঠস্বরে পান্তীর্য ও ভারিকীপনা,
উজ্জ্বল সুর্মামাখা চোখ, সরু পাতলা ভুরু , ঘাড় খাড়া সোজা, দাড়ি ঘন-কৃষ্ণ , না অতি দীর্ঘ না
অতি খাটো, যখন তিনি চুপ থাকেন তখন থাকেন পাম্ভীর্ঘ নিয়ে, যখন তিনি কথা বলেন তখন
কন্ঠস্বর হয় ভরাট মিষ্টভ্যষী, থেমে থেমে কথা বলেন, বেশী কথাও বলেন না, আবার
প্রয়েজেনের চাইতে কম কথাও বলেন না ৷ তার কথা যেন ছড়ানাে মুক্তামালা, দুর থেকে দেখতে
সৃদর্শন ও চিত্তহারী, আর নিকট থেকে দেখলে আরো উজ্জ্বল, আরো সুন্দর, মধ্যম অবয়ব, দীর্ঘ
আকৃতি নয়, যা দেখতে খারাব দেখায়, আর এমন খাটোও নয়, যা দৃষ্টিতে তৃচ্ছ ঠেকে, দু’টি
শাখার মধ্যন্থলে একটা শাখা, যা তিনটি শাখার মধ্যে সবচেয়ে নযরকাড়া, দৈহিক আকৃতিতে
وَمَسَحَ ضَرْعَهَا، وَذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ وَدَعَا بِإِنَاءٍ لَهَا يُرْبِضُ الرَّهْطَ، فَتَفَاجَّتْ وَاجْتَرَّتْ، فَحَلَبَ فِيهَا ثَجًّا، حَتَّى عَلَاهُ الْبَهَاءُ، فَسَقَاهَا وَسَقَى أَصْحَابَهُ، فَشَرِبُوا عَلَلًا بَعْدَ نَهَلٍ، حَتَّى إِذَا رَوُوْا شَرِبَ آخِرَهُمْ، وَقَالَ: " سَاقِي الْقَوْمِ آخِرُهُمْ ". ثُمَّ حَلَبَ فِيهِ ثَانِيًا عَوْدًا عَلَى بَدْءٍ، فَغَادَرَهُ عِنْدَهَا، ثُمَّ ارْتَحَلُوا، قَالَ: فَقَلَّ مَا لَبِثَ أَنْ جَاءَ زَوْجُهَا أَبُو مَعْبَدٍ يَسُوقُ أَعَنُزًا عِجَافًا يَتَسَاوَكْنَ، هَزْلَى لَا نِقْيَ بِهِنَّ، مُخُّهُنَّ قَلِيلٌ، فَلَمَّا رَأَى اللَّبَنَ عَجِبَ، وَقَالَ: مِنْ أَيْنَ هَذَا اللَّبَنُ يَا أُمَّ مَعْبَدٍ، وَلَا حَلُوبَةَ فِي الْبَيْتِ وَالشَّاةُ عَازِبٌ؟ فَقَالَتْ: لَا وَاللَّهِ، إِنَّهُ مَرَّ بِنَا رَجُلٌ مُبَارَكٌ كَانَ مِنْ حَدِيثِهِ كَيْتَ وَكَيْتَ. فَقَالَ صِفِيهِ لِي، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَاهُ صَاحِبَ قُرَيْشٍ الَّذِي تَطْلُبُ. فَقَالَتْ: رَأَيْتُ رَجُلًا ظَاهِرَ الْوَضَاءَةِ، حَسَنَ الْخُلُقِ، مَلِيحَ الْوَجْهِ، لَمْ تَعِبْهُ ثُجْلَةٌ، وَلَمْ تُزْرِ بِهِ صَعْلَةٌ، قَسِيمٌ وَسِيمٌ، فِي عَيْنَيْهِ
পৃষ্ঠা - ২১৮৮
তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ৷ তার কিছু সঙ্গী-সাথী আছেন যারা সর্বদা তাকে পরিবেষ্টন করে
রাখে ৷ তিনি কথা বললেতার৷ গভীর মনোনিবেশ সহকারে শুনেন, তিনি নির্দেশ৷ দ ন করলে তা
পালন করার জন্য তারা ছুটে যান ৷ সকলেই তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন সকলেই তার
চারিপাশে সমবেত হন কানকথাও বলে না আবার বেশী কথাও না ৷ মহিলার ভ ৷ষায় রাসুলের
পরিচয় এরকম ৷
তখন মহিলার স্বাযীটি বললো : ৰুা র্চেএে ৷ ,রুৰু,ও , প্রু১াষ্ ৰুা৷ ৷ , ৷ ১গু
“আল্লাহ্র কসম , এ তো কুরায়শের যে ব্যক্তি, যাকে তারা খুজছে ৷” তার সঙ্গে আমার
সাক্ষাত হলে আমাকে তার সঙ্গী করার জন্য আবেদন জানাতাম ৷ এ জন্য কোন পথ পেলে আমি
যথাসাধ্য চেষ্টা চালাবাে ৷ আবু মাবাদ আল-খুজাঈ বলেন : এরপর মক্কাভুমি থেকে উচ্চকণ্ঠে
বুলন্দ আওয়াজ উখিত হয় ৷ আসম৷ ৷ন-যমীনে এ আওয়াজ ভেসে অৰুসে ৷ সকলে এ আওয়াজ
শুনতে পায় ৷ কিন্তু কোথা থেকে আসছে আর কে আওয়াজ দিচ্ছে, কেউ তা জানে না ৷ কেউ
তাকে দেখতে পাচ্ছে না ৷ আওয়াজদাত৷ বলছিলং :
মানুষের পালনকর্তা মহান আল্লাহ্ উত্তম প্রতিদান দিন যে সঙ্গীদ্বয়কে, যারা অবস্থান
নিয়েছিলেন উম্মু মাবাদের তাবুতে ৷
তারা দু’জনে অবস্থান নেন সম্মান আর মর্যাদার সঙ্গে এবং প্রস্থান করেন ৷ যে ব্যক্তি
মুহাম্মদের সঙ্গী হয়েছে সেইতো হয়েছে সফলকাম ৷
সুতরাং হে কুসাই এর ব০ শধরগণ! আল্লাহ্ তাআল৷ তােমাদেরকে কেমনতর কীর্তি আর
কর্তৃহ থেকে বঞ্চিত করেছেন ৷
তোমরা জিজ্ঞেস কর তোমাদের বোনকে তার বকরী আর ভ ৷ও সম্পর্কে ৷ কারণ৫ আমরা যদি
বকরীকে জিজ্ঞেস কর, তবে সেও সাক্ষ্য দেবে ৷
তিনি সে মহিলাকে একটি অল্পবয়সী বকরী দিতে বলেন, আর তা তাকে দুধ দেয় স্পষ্ট
রুপে, বকরীর ওলানে ছিল ফেনাষুক্ত দুধ ৷
তিনিত তার নিকট দুধ দােহনক৷ ৷রীর জন্য দুধভর্তি ওলান রেখে যান যা সে না ৷রীকে দুধ দেয়
দিনের শুরুতে আর র শেষে (অর্থাৎ সকাল ও সন্ধ্যড়ায়) ৷
دَعَجٌ، وَفِي أَشْفَارِهِ وَطَفٌ، وَفِي صَوْتِهِ صَحَلٌ، أَحْوَرُ، أَكْحَلُ، أَزَجُّ، أَقْرَنُ، فِي عُنُقِهِ سَطَعٌ، وَفِي لِحْيَتِهِ كَثَافَةٌ، إِذَا صَمَتَ فَعَلَيْهِ الْوَقَارُ، وَإِذَا تَكَلَّمَ سَمَا وَعَلَاهُ الْبَهَاءُ، حُلْوُ الْمَنْطِقِ، فَصْلٌ; لَا نَزْرٌ وَلَا هَذَرٌ، كَأَنَّ مَنْطِقَهُ خَرَزَاتُ نَظْمٍ يَنْحَدِرْنَ، أَبْهَى النَّاسِ وَأَجْمَلُهُ مِنْ بَعِيدٍ، وَأَحْلَاهُ وَأَحْسَنُهُ مِنْ قَرِيبٍ، رَبْعَةٌ، لَا تَشْنَؤُهُ عَيْنٌ مِنْ طُولٍ، وَلَا تَقْتَحِمُهُ عَيْنٌ مَنْ قِصَرٍ، غُصْنٌ بَيْنَ غُصْنَيْنِ، فَهُوَ أَنْضَرُ الثَّلَاثَةِ مَنْظَرًا، وَأَحْسَنُهُمْ قَدًّا، لَهُ رُفَقَاءُ يَحُفُّونَ بِهِ، إِنْ قَالَ اسْتَمَعُوا لِقَوْلِهِ، وَإِنْ أَمَرَ تَبَادَرُوا لِأَمْرِهِ، مَحْفُودٌ مَحْشُودٌ، لَا
পৃষ্ঠা - ২১৮৯
عَابِسٌ وَلَا مُفَنَّدٌ. فَقَالَ - يَعْنِي بَعْلَهَا -: هَذَا وَاللَّهِ صَاحِبُ قُرَيْشٍ الَّذِي تَطْلُبُ، وَلَوْ صَادَفْتُهُ لَالْتَمَسْتُ أَنْ أَصْحَبَهُ، وَلَأَجْهَدَنَّ إِنْ وَجَدْتُ إِلَى ذَلِكَ سَبِيلًا قَالَ: وَأَصْبَحَ صَوْتٌ بِمَكَّةَ عَالٍ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ يَسْمَعُونَهُ وَلَا يَرَوْنَ مَنْ يَقُولُ، وَهُوَ يَقُولُ:
جَزَى اللَّهُ رَبُّ النَّاسِ خَيْرَ جَزَائِهِ ... رَفِيقَيْنِ حَلَّا خَيْمَتَيْ أُمِّ مَعْبَدِ
هُمَا نَزَلَا بِالْبِرِّ وَارْتَحَلَا بِهِ ... فَأَفْلَحَ مَنْ أَمْسَى رَفِيقَ مُحَمَّدِ
فَيَالَ قُصَيٍّ مَا زَوَى اللَّهُ عَنْكُمُ ... بِهِ مِنْ فِعَالٍ لَا تُجَارَى وَسُؤْدُدِ
سَلُوا أُخْتَكُمْ عَنْ شَاتِهَا وَإِنَائِهَا ... فَإِنَّكُمْ إِنْ تَسْأَلُوا الشَّاةَ تَشْهَدِ
دَعَاهَا بِشَاةٍ حَائِلٍ فَتَحَلَّبَتْ ... لَهُ بِصَرِيحٍ ضَرَّةُ الشَّاةِ مُزْبِدِ
فَغَادَرَهُ رَهْنًا لَدَيْهَا لِحَالِبٍ ... يَدُرُّ لَهَا فِي مَصْدَرٍ ثُمَّ مَوْرِدِ
قَالَ: وَأَصْبَحَ النَّاسُ - يَعْنِي بِمَكَّةَ - وَقَدْ فَقَدُوا نَبِيَّهُمْ، فَأَخَذُوا عَلَى خَيْمَتَيْ أُمِّ مَعْبَدٍ، حَتَّى لَحِقُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَأَجَابَهُ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ:
لَقَدْ خَابَ قَوْمٌ زَالَ عَنْهُمْ نَبِيُّهُمْ ... وَقُدِّسَ مَنْ يَسْرِي إِلَيْهِمْ وَيَغْتَدِي
পৃষ্ঠা - ২১৯০
তিনি বলেন পরদিন প্রতুব্রষে লোকেরা নবী কবীম (সা) কে মক্কায় আর খুজে পেলাে না ৷
তারা উম্মু যা বাদের৩ তাবুর পথ ধরে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাখে মিলিত হয় (মদীনায়) ৷ আবু
যা বাদ আল-খুযাঈ বলেন, উপরোক্ত কবিতার জবাবে হাসসান ইবন ছাবিত নিম্নোক্ত কবিতা
রচনা করেন :
ব্যর্থ হয়েছে সে জাতি হিজরত করেছেন যাদের নবী আর আনন্দিত হয়েছে যে ব্যক্তি যে
সকাল ড়াল-বিকা ড়াল ছুটে যায় তার পানে ৷
এ১ঠুষ্ই
এমন এক জাতির নিকট থেকে তিনি প্রন্থান করেছেন, যাদের জ্ঞানবুদ্ধি লোপ পেয়েছে ৷
অপর এক জাতির নিকট অবস্থান নিয়েছেন নিত্য নতুন নুর তথা আলো নিয়ে ৷
গোমরড়াহীর পর তাদের পালনকর্তা তাদেরকে হিদায়াত করেছেন, পথ-প্ৰদর্শন করেছেন ৷
যে সত্যের অনুসরণ করে , সে হিদায়াত পায় ৷
fl;
জাতির গোমরড়াহ লোকেরা, যারা গ্রহণ করেছে নির্বুদ্ধিতা আর অন্ধতৃ, তারা কি সমান হতে
পারে ওদের, যারা হিদায়াত লাভে ধন্য হয়েছে ?
তিনি এমন এক নবী, যিনি দেখেন তার আশেপাশের লোকজন যা দেখে না এবং
তিলাওয়াত করেন আল্লাহ্র কিতাব সকল স্থানে ৷
কোন দিন যদি তিনি পায়বের কথা বলেন, তবে তা সত্য প্রতিপন্ন হয় সেদিনই; অথবা পর
দিন পুর্বাহে ৷
ম্পোশ্রুগ্রাঞএ-ন্ত্রচুশ্এন্-ন্নশ্ন্১-ষ্ণএন্গ্-এেহৃইএঅেও-ৰুরুট্টশুন্শ্লোম্রএ
আবু বকরের জন্য মুবারক হোক তার সাধনার সৌতাগ্য সাহচর্য লাভের কারণে; আল্লাহ্
যাকে তাগ্যবান করেন সে-ই হয় তাগ্যবান ৷
“)ঞ্জএে
বনু কাআবকে মুবারকবাদ যে, তাদের বংশে মইিলাটি রয়েছেন এবং মুসলমানদের তার
ড়াস্তানায় বিশ্রামের জন্য ৷ ১
১ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবনীকার সুহায়লী উপরোক্ত কবিতাগুলো তৎপুর্বরর্তী কবিতাগুলাের সঙ্গে সম্পৃক্ত
করেন এবং তা জিনদের মধ্যে কোন ব্যক্তির রচনা বলে উল্লেখ করেছেন ৷ এ কবিতাগুলো সাহাবী করি
হাসৃসান ইবন ছাবিতের রচনা বলে তিনি মেনে নিতে চান না ৷
تَرَحَّلَ عَنْ قَوْمٍ فَزَالَتْ عُقُولُهُمْ
وَحَلَّ عَلَى قَوْمٍ بِنُورٍ مُجَدَّدِ ... وَهَلْ يَسْتَوِي ضُلَّالُ قَوْمٍ تَسَفَّهُوا
عَمًى وَهُدَاةٌ يَهْتَدُونَ بِمُهْتَدِ ... نَبِيٌّ يَرَى مَا لَا يَرَى النَّاسُ حَوْلَهُ
وَيَتْلُو كِتَابَ اللَّهِ فِي كُلِّ مَشْهَدِ ... وَإِنْ قَالَ فِي يَوْمٍ مَقَالَةَ غَائِبٍ
فَتَصْدِيقُهَا فِي الْيَوْمِ أَوْ فِي ضُحَى الْغَدِ ... لِيَهْنِ أَبَا بَكْرٍ سَعَادَةُ جَدِّهِ
بِصُحْبَتِهِ مَنْ يُسْعِدِ اللَّهُ يَسْعَدِ ... وَيَهْنِ بَنِي كَعْبٍ مَكَانُ فَتَاتِهِمْ
وَمَقْعَدُهَا لِلْمُسْلِمِينَ بِمَرْصَدِ
قَالَ - يَعْنِي عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ وَهْبٍ -: فَبَلَغَنِي أَنَّ أَبَا مَعْبَدٍ أَسْلَمَ وَهَاجَرَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ، مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَهْبٍ الْمَذْحِجِيِّ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً، وَزَادَ فِي آخِرِهِ: قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: بَلَغَنِي أَنَّ أُمَّ مَعْبَدٍ هَاجَرَتْ وَأَسْلَمَتْ وَلَحِقَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
ثُمَّ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مُكَرَّمِ بْنِ مُحْرِزٍ الْكَعْبِيِّ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ أَبِيهِ مُحْرِزِ بْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ حِزَامِ بْنِ هِشَامِ بْنِ حُبَيْشِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِيهِ،
পৃষ্ঠা - ২১৯১
আবদুল মালিক ইবন ওয়াহাব বলেন, আমি জানতে পােরছি যে, আবু মাবাদ আল খুযাঈ
ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং হিজরত করে (মদীনায়) নবী করীম (না)-এর নিকট গমনও
করেছিলেন ৷ রর্ণনাটি আবু নুআয়ম-এর ৷ এ বর্ণনার শেষে তিনি এটুকু যোগ করেন যে, আমি
জানতে পেয়েছি উম্মু মাবাদ হিজরত করেছিলেন ৷ ইসলামও গ্রহণ করেছিলেন এবং রাসুলুল্পাহ্
(সা) এর সঙ্গে গিয়ে মিলিতও হয়েছিলেন ৷ এরপর আবু নুআয়ম বকর ইবন মুহ্ব্রিম
আল-কালবী সুত্রে সাহাবী হুবায়শ ইবন খালিদ সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে
যখন মক্কা থেকে বহিষ্কার করা হয় , তখন তিনি তথা থেকে ঘুহাজিররুপে বের হন ৷ সঙ্গে ছিলেন
আবু বকর সিদ্দীক (রা), আমির ইবন ফুহায়রা এবং তাদের পথ প্রদর্শক আবদুল্লাহ ইবন
আরীকত লাইহী ৷ তারা উম্মু মা বাদের৩ তাবুর নিকট দিয়ে গমন করেন ৷ উম্মু ম৷ বাদ ছিলেন
বয় ৷স্কা কিত্তু শক্ত সমর্থ এক মহিলা ৷ তিনিও ৷ তাবুর আঙ্গিনা য় ঠ য় বহু: ন্ থাকতেন ৷
এরপর তিনি ঠিক পুর্বের মত বর্ণনা করেন ৷ তিনি মুহাম্মদ ইবন আহমদ সুত্রে সালীত
আলবদ্রী থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) যখন হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হন আর তার
সঙ্গে ছিলেন আবু বকর (বা) , আমির ইবন ফুহায়রা এবং ইবন আবীকত , যে তাদেরকে পথ
দেখতে৷ ৷ র্তারা উম্মু মা বাদ আল খুযাইয়ার নিকট দিয়ে গমন করেন ৷ মহিলাটি তাদেরকে
চিনতেন না ৷ রাসুলুল্লাহ (সা ) মহিলাটিকে বললেন :
হে উম্মু ম৷ বাদ! তোমার কাছে কি কিছু দুধ পাওয়া যাবে ? মহিলাটি বলে৪ না আল্লাহর
কসম, বকরীঢি৫ তা অল্পবয়সী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন৪ এ বকরীটি কেমন ? মহিলাটি বলে০ :
দুর্বলত ৷র কারণে অন্য বকরী থেকে পেছনে পড়ে আছে ৷ এরপর পুর্বের মতে ৷ গোটা হাদীছ
বর্ণনা করেন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, এ ঘটনাগুলাে একই কাহিনী হতে পারে ৷ এরপর তিনি উম্মু মাবাদের
বকরীর কাহিনীর সঙ্গে অনুরুপ কাহিনী বর্ণনা করেন ৷ হাফিয আবু আবদুল্লাহ কায়স ইবন নৃমান
থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (মা) এবং আবু বকর (বা) যখন গোপনে রওনা হন, তখন
তারা একজন যেষচারকের নিকট দিয়ে গমন কালে তার কাছে দুধ চান ৷ সে বললো, দুধ দোহন
করার মতো বকরী আমার কাছে নেই ৷ তবে একটা বকরী শীত মওসুমের শুরুতে গর্ভব্তী
হয়েছিল, তা একটা অসম্পুর্ণ বাচ্ছা জন্ম দিয়েছিল, এখন তো তার ওলানে কোন দুধ নেই ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বকরীটি হাযির করতে বললেন ৷ তা হাযির করা হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
স্পর্শ করলেন, তার ওলানে হাত বুলালেন এবং তার জন্য দুআ করলেন ৷ ফলে তার ওলানে
দুধের সঞ্চার হলো এবং আবু বকর (রা) একটা ঢাল নিয়ে এলেন রাসুলুল্লাহ্ (না) সে পাত্রেই
দুধ দোহন করলেন ৷ আবু বকর (রা)-কে তিনি দুধ পান করালেন ৷ আবার দোহন করে
রাখালকে পান করালেন ৷ এরপর আবার দোহন করে তিনি নিজে পান করলেন ৷ তখন রাখালটি
বললো , আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, সত্য করে, বলুন, আপনি কে ? আল্লাহর কসম ,
আপনার মতো মানুষ তো আমি কখনো দেখিনি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : বিষয়টা তুমি
গোপন রাখতে পারলে আমি ৰুতামাকে বলবো, রাখালটি বললো, আচ্ছা ৷ তিনি বললেন : আমি
মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল ৷ তখন রাখালটি বললো ৷ আপনি কি যে ব্যক্তি, যার সম্পর্কে কুরায়শের
عَنْ جَدِّهِ حُبَيْشِ بْنِ خَالِدٍ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أُخْرِجَ مِنْ مَكَّةَ خَرَجَ مِنْهَا مُهَاجِرًا، هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ، وَدَلِيلُهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُرَيْقِطٍ اللَّيْثِيُّ، فَمَرُّوا بِخَيْمَةِ أُمِّ مَعْبَدٍ، وَكَانَتِ امْرَأَةً بَرْزَةً جَلْدَةً تَحْتَبِي بِفِنَاءِ الْقُبَّةِ. وَذَكَرَ مِثْلَ مَا تَقَدَّمَ سَوَاءً. قَالَ: وَحَدَّثْنَاهُ فِيمَا أَظُنُّ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ مَخْلَدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ بْنِ مُوسَى يَعْنِي الْكُدَيْمِيَّ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مَوْلَى الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ سَلِيطٍ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ سَلِيطٍ الْبَدْرِيِّ، قَالَ: لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْهِجْرَةِ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ، وَابْنُ أُرَيْقِطٍ، يَدُلُّهُمْ عَلَى الطَّرِيقِ، مَرَّ بِأُمِّ مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيَّةِ، وَهِيَ لَا تَعْرِفُهُ، فَقَالَ لَهَا: " يَا أُمَّ مَعْبَدٍ، هَلْ عِنْدَكِ مِنْ لَبَنٍ؟ " قَالَتْ: لَا وَاللَّهِ إِنَّ الْغَنَمَ لَعَازِبَةٌ. قَالَ: " فَمَا هَذِهِ الشَّاةُ؟ " قَالَتْ: خَلَّفَهَا الْجَهْدُ عَنِ الْغَنَمِ. ثُمَّ ذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ.
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: يُحْتَمَلُ أَنَّ هَذِهِ الْقِصَصَ كُلَّهَا وَاحِدَةٌ. ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةً شَبِيهَةً بِقِصَّةِ شَاةِ أُمِّ مَعْبَدٍ الْخُزَاعِيَّةِ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ أَيُّوبَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ غَالِبٍ، ثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ إِيَادِ بْنِ لَقِيطٍ، ثَنَا إِيَادُ بْنُ لَقِيطٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ النُّعْمَانِ،
পৃষ্ঠা - ২১৯২
قَالَ: «لَمَّا انْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ مُسْتَخْفِينَ مَرُّوا بِعَبْدٍ يَرْعَى غَنَمًا، فَاسْتَسْقَيَاهُ اللَّبَنَ، فَقَالَ: مَا عِنْدِي شَاةٌ تُحْلَبُ غَيْرَ أَنَّ هَاهُنَا عَنَاقًا حَمَلَتْ أَوَّلَ الشِّتَاءِ، وَقَدْ أَخْدَجَتْ، وَمَا بَقِيَ لَهَا لَبَنٌ. فَقَالَ: " ادْعُ بِهَا ". فَدَعَا بِهَا، فَاعْتَقَلَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَسَحَ ضَرْعَهَا، وَدَعَا حَتَّى أَنْزَلَتْ، وَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِمِجَنٍّ، فَحَلَبَ فَسَقَى أَبَا بَكْرٍ، ثُمَّ حَلَبَ فَسَقَى الرَّاعِيَ، ثُمَّ حَلَبَ فَشَرِبَ، فَقَالَ الرَّاعِي: بِاللَّهِ مَنْ أَنْتَ؟ فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مِثْلَكَ قَطُّ. قَالَ: أَوَ تُرَاكَ تَكْتُمُ عَلَيَّ حَتَّى أُخْبِرَكَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: " فَإِنِّي مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ". فَقَالَ: أَنْتَ الَّذِي تَزْعُمُ قُرَيْشٌ أَنَّهُ صَابِئٌ؟ قَالَ: " إِنَّهُمْ لَيَقُولُونَ ذَلِكَ ". قَالَ: فَأَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مَا جِئْتَ بِهِ حَقٌّ، وَأَنَّهُ لَا يَفْعَلُ مَا فَعَلْتَ إِلَّا نَبِيٌّ، وَأَنَا مُتَّبِعُكَ. قَالَ: " إِنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ يَوْمَكَ هَذَا، فَإِذَا بَلَغَكَ أَنِّي قَدْ ظَهَرْتُ فَأْتِنَا ".» وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ حُمَيْدٍ الْكُوفِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ إِيَادِ بْنِ لَقِيطٍ بِهِ.
وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو نُعَيْمٍ هَاهُنَا قِصَّةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ حَبِيبٍ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: «كُنْتُ غُلَامًا يَافِعًا أَرْعَى غَنَمًا
পৃষ্ঠা - ২১৯৩
ধারণা যে, লো ৷কটি সাবী তথা পুর্বপুরুষের ধর্ম ত্যাগী হয়ে গেছে ? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন হ্যা
তারা তো এমন কথাই বলে ৷ তখন রাখালটি বললোং :
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি (আল্লাহর) নবী ৷ আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি
(আল্লাহর পক্ষ থেকে) যা কিছু নিয়ে এসেছেনত তাও সত্য ৷ আসল কথা এই যে, আপনি যা
করেছেন, তা কেবল একজন নবীই করতে পারেন (অন্য কেউ এমনটি করতে পারে না) ৷ আজ
থেকে আমি আপনার অনুসারী ৷” তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন
বর্তমান সময়ে তুমি এটা করতে সক্ষম হবে না ৷ তুমি যখন জ’নতে পারবে যে আমি
জয়যুক্ত হয়েছি, তখন তুমি আমার কাছে আসবে ৷ আবু ঈয়াল৷ আল মাওসেলী জা ফর সুত্রে
এটি বর্ণনা ৷করেন ৷
আবু নুআয়ম এখানে আবদুল্লাহ ইবনমাসউদের কা ৷হিনী বর্ণনা করে বলেন আমি ছিলাম
বালিগ হওয়ার কাছাকাছি যুবক মক্কায় আমি উত বা ইবন আর মুআয়তের যেষ চরাতাম ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকর (রা) আমার পাশ দিয়ে অতিৰুওন্থণ্ম করছিলেন ; তখন তারা
মুশবিকদের কবর থেকে বেরিয়ে আসছিলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বালক তোমার কাছে কি
আমাদেরকে পান করাবার মতো দুধ আছে ? আমি বললাম, এটা তো আমার কাছে আমানত
স্বরুপ, কাবুইে আমি তাে আপনাদেরকে দুধ পান করাতে পারি না ৷ তারা দু’জনে বললেন,
তোমার কাছে এমন ছোট ছাগল আছে, যা এখনো সঙ্গমের উপযুক্ত হয়নি ? আমি বললাম হীা৷
এরপর আমি তাদের দু’ জনের নিকট তা নিয়ে এলাম ৷ আবু বকর (রা) আমার কাছে ছাগলটিকে
ধরলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ওলানে হাত দিলেন ৷ দু আ করলেন ৷ এর ফলে ওলান দুধে
ভয়ে গেল ৷ এরপর আবু বকর (রা) পেয়ালার মতো একটা পাত্র নিয়ে আসলেন ৷ তাতে দুধ
দোহন করলেন ৷ তিনি নিজে এবং আবু বকর (রা)-কে পান করালেন এবং আমাকেও পান
করালেন ৷ এরপর ওলানকে সংকুচিত হওয়ার জন্য বললে তা সংকুচিত হয়ে গেল ৷ পরবর্তীতে
আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট পৌছার পর আরয করলাম-এ পবিত্র বাণী অর্থাৎ কুরআনুল
করীম থেকে আমাকে কিছু শিক্ষা দান করুন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন০ ং তুমি তো
একজন শিক্ষিত ৩যুবক ৷ আমি সরাসরি তার যবান মুরারক থেকে ৭০টি সুরা শিক্ষা করি ৷ এতে
কেউ আমার প্রতিদ্বন্সী ছিল না ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি যে বলেছেন তারা দু’ জনে মুশবিকদের কবল
থেকে বেরিয়ে এসেছেন, এর অর্থ হিজরতে র সময় নয় ৷ এ হলো হিজরতের পুর্বে কে ন এক
পর্যায়ে ৷ কারণ ,সুচনাতেই যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন ইবন মাসউদ ছিলেন এবং মক্কায় ফিরে
আসেন, সে কথা পুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ৷ আর তার এ কাহিনী বিশুদ্ধ এবং সিহাহ্
ইত্যাদি গ্রন্থে প্রমাণিত প্ৰতিষ্ঠিত আ৷ল্লাহ্ই ভ ৷ল জানেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন মুসআব ইবন আবদুল্লাহ যুবায়রী সুত্রে আবাদিল এর
আযাদকৃত গোলাম ফাইদ থেকে বর্ণনা করে বলেন, ইবরাহীম ইবন আবদুর রহমান ইবন
সাআদের সঙ্গে আমি বের হলাম ৷ আমরা যখন আল-আরাজ নামক স্থানে পৌছি, তখন ইবন
لِعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ بِمَكَّةَ، فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، وَقَدْ فَرَّا مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ: " يَا غُلَامُ، عِنْدَكَ لَبَنٌ تَسْقِينَا؟ " فَقُلْتُ: إِنِّي مُؤْتَمَنٌ وَلَسْتُ بِسَاقِيكُمَا. فَقَالَا: هَلْ عِنْدَكَ مِنْ جَذَعَةٍ لَمْ يَنْزُ عَلَيْهَا الْفَحْلُ بَعْدُ؟ قُلْتُ: " نَعَمْ ". فَأَتَيْتُهُمَا بِهَا، فَاعْتَقَلَهَا أَبُو بَكْرٍ وَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الضَّرْعَ، فَدَعَا فَحَفَلَ الضَّرْعُ، وَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِصَخْرَةٍ مُنْقَعِرَةٍ فَحَلَبَ فِيهَا، ثُمَّ شَرِبَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ وَسَقَيَانِي، ثُمَّ قَالَ لِلضَّرْعِ: " اقْلِصْ ". فَقَلَصَ. فَلَمَّا كَانَ بَعْدُ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: عَلِّمْنِي مِنْ هَذَا الْقَوْلِ الطَّيِّبِ - يَعْنِي الْقُرْآنَ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّكَ غُلَامٌ مُعَلَّمٌ ". فَأَخَذْتُ مِنْ فِيهِ سَبْعِينَ سُورَةً مَا يُنَازِعُنِي فِيهَا أَحَدٌ» . فَقَوْلُهُ فِي هَذَا السِّيَاقِ: وَقَدْ فَرَّا مِنَ الْمُشْرِكِينَ. لَيْسَ الْمُرَادُ مِنْهُ وَقْتَ الْهِجْرَةِ، إِنَّمَا ذَلِكَ فِي بَعْضِ الْأَحْوَالِ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، فَإِنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ مِمَّنْ أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَرَجَعَ إِلَى مَكَّةَ كَمَا تَقَدَّمَ وَقِصَّتُهُ هَذِهِ صَحِيحَةٌ ثَابِتَةٌ فِي " الصِّحَاحِ " وَغَيْرِهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُصْعَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ الزَّبِيرِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ فَائِدٍ مَوْلَى عَبَادِلَ، قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ أَتَى ابْنُ سَعْدٍ، وَسَعْدٌ هُوَ الَّذِي دَلَّ
পৃষ্ঠা - ২১৯৪
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى طَرِيقِ رَكُوبَةَ فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: أَخْبِرْنِي مَا حَدَّثَكَ أَبُوكَ؟ . قَالَ ابْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُمْ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ، وَكَانَتْ لِأَبِي بَكْرٍ عِنْدَنَا بِنْتٌ مُسْتَرْضَعَةٌ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ الِاخْتِصَارَ فِي الطَّرِيقِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: هَذَا الْغَائِرُ مِنْ رَكُوبَةَ وَبِهِ لِصَّانِ مِنْ أَسْلَمَ، يُقَالُ لَهُمَا: الْمُهَانَانِ. فَإِنْ شِئْتَ أَخَذْنَا عَلَيْهِمَا. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " خُذْ بِنَا عَلَيْهِمَا ". قَالَ سَعْدٌ: فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا أَشْرَفْنَا، إِذَا أَحَدُهُمَا يَقُولُ لِصَاحِبِهِ: هَذَا الْيَمَانِيُّ. فَدَعَاهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَرَضَ عَلَيْهِمَا الْإِسْلَامَ، فَأَسْلَمَا ثُمَّ سَأَلَهُمَا عَنْ أَسْمَائِهِمَا، فَقَالَا: نَحْنُ الْمُهَانَانِ. فَقَالَ: " بَلْ أَنْتُمَا الْمُكْرَمَانِ ". وَأَمَرَهُمَا أَنْ يَقْدَمَا عَلَيْهِ الْمَدِينَةَ، فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا أَتَيْنَا ظَاهِرَ قُبَاءَ، فَتَلَقَّاهُ بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ أَبُو أُمَامَةَ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ؟ " فَقَالَ سَعْدُ بْنُ خَيْثَمَةَ: إِنَّهُ أَصَابَ قِبْلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَفَلَا أُخْبِرُهُ ذَلِكَ؟ ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا طَلَعَ عَلَى النَّخْلِ، فَإِذَا الشَّرْبُ مَمْلُوءٌ، فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ: " يَا أَبَا بَكْرٍ، هَذَا الْمَنْزِلُ رَأَيْتُنِي أَنْزِلُ إِلَى حِيَاضٍ كَحِيَاضِ بَنِي مُدْلِجٍ ". انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ.