আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في سبب هجرة رسول الله صلى الله عليه وسلم بنفسه الكريمة

পৃষ্ঠা - ২১৪৭
[فَصَلٌ فِي سَبَبِ هِجْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا} [الإسراء: 80] أَرْشَدَهُ اللَّهُ وَأَلْهَمَهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ، أَنْ يَجْعَلَ لَهُ مِمَّا هُوَ فِيهِ فَرَجًا قَرِيبًا وَمَخْرَجًا عَاجِلًا، فَأَذِنَ لَهُ تَعَالَى فِي الْهِجْرَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ حَيْثُ الْأَنْصَارُ وَالْأَحْبَابُ، فَصَارَتْ لَهُ دَارًا وَقَرَارًا وَأَهْلُهَا لَهُ أَنْصَارًا. قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَأُمِرَ بِالْهِجْرَةِ وَأُنْزِلَ عَلَيْهِ: " {وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا} [الإسراء: 80] » وَقَالَ قَتَادَةُ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ الْمَدِينَةَ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ الْهِجْرَةَ مِنْ مَكَّةَ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
পৃষ্ঠা - ২১৪৮


তাদের মধ্যে ছিল উতবা, শায়বা, আবু সুফিয়ান, তুয়ায়মা ইবন আলী এবং জুবায়র ইবন
মুতঈম ইবন আদী হারিছ ইবন আমির ইবন নাওফিল, নযর ইবন হারিছ, আবুল বুখ৩ তারী
ইবন হিশাম , যামৃআ ইবন আসওয়াদ, হাকীম ইবন হিযাম , আবু জাহ্ল ইবন হিশাম৷ হ ৷জ্জাজের
দু’পুত্র নাবীহ্ ও মুনাব্বিহ, উম৷ ইয়৷ ইবন খা ৷ল্ফ প্রমুখ ৷ কুরায়শ আর কুরায়ণের বাইরের আরো
অনেকে এ পরামর্শ সভায় উপস্থিত হয়, যাদের স০ খ্যা অগণিত ৩৷ পরামর্শ সভায় উপস্থিত
লোকজন একে অপরকে বলে, লোকট৷ ৷র ব্যাপার তো তোমরা দেখতেই পাচ্ছে৷ ৷ আমাদের বাদে
তার অন্য অনুসারীদেরকে নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালাবার ব্যাপারে তার সম্পর্কে তো
আমরা নিরাপদ নই ৷ কাজেই তার ব্যাপারে তোমরা ঐকমতে তা উপনীত ণ্১হও ৷ বর্ণনাকাবী ইবন
ইসহাক বলেন : এরপর তারা পরস্পরে পরামর্শ করে ৷ তাদের মধ্যে একজন বক্তা-কথিত
আছে যে, সে ছিল আবুল বুখতা তারী ইবন হিশাম সে বলে, লোহা বাশকলে তাকে বেধে ঘরের
মধ্যে বন্দী করে রাখতে হবে ৷ এরপর লক্ষ্য রাখতে ৩হবে যে তার পুর্বে এ ধরনের করি, যথা
যুহায়র, নাবিগা ষুবইয়ানী প্রমুখের কী পরিণতি হয়েছিল একে ষ্ যাতে তাদের পরিণতি বরণ
করতে হয় এবং সেও যেন তাদের মতো মরতে পারে , সে দিকেইং কলকে লক্ষ্য রাখতে হবে ৷

তার এ বক্তব্য শ্রবণ করে শায়খে নাজদী’ বলে উঠে না , আল্লাহ্র কসম , এটা তো কোন
যুক্তিযুক্ত অভিমত হল না ৷ (আমি তো তোমাদের নিকট থেকে এমন হাসস্পদ পরামর্শ আশা
করিনি) ৷ কারণ, আল্লাহর কসম , তোমাদের কথা মত তোমরা তাকে আটক করলে, তার কথা
বাইরে ছড়িয়ে পড়বে ৷ তার বন্ধু সঙ্গী-সাথীদের কাছে পৌছে যাবে এবং অবিলম্বে তারা
তোমাদের উপর হামলা চালিয়ে তাকে তোমাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেবে ৷ আর এভাবে দিন
দিন তাদের সং খ্যা বৃদ্ধি পাবে, শেষ পর্যন্ত তারা তোমাদের উপর জয়ী হয়ে ৷ কা ৷জেই তোমাদের
পক্ষ থেকে এটা তো কোন সঠিক সিদ্ধা ৷ন্ত হলো না

শায়খে নাজদীর এ বক্তব্য গুনে তারা পুনরায় পরামর্শ করতে বসে ৷ একজন বললো৪
আমাদের মধ্য থেকে তাকে বহিষ্কা ৷র করতে হবে, নির্বাসনে পাঠাতে ৩হবে, দেশ থেকে নির্বা
করার পর সে কোথায় গেল বা কী করলো, তা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা থাকবে না ৷
আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, যে আমাদের থেকে দুরে চলে গেলে আমরা তার থেকে মুক্ত
হলাম আর আমরা নির্বিবাদে আমাদের কাজ করে যেতে পারবো ৷ আগে যা করতাম তা ই
করবো ৷

শায়খে নাজদী বললাে, তোমাদের জন্য এটা তো কোন অভিমত হল না ৷ তোমরা দেখতে
পাচ্ছ না তার কথা কতো চমৎকার, বক্তব্য কতো মিষ্টি মাখা এবং চিত্তাকর্ষক ৷ কিভাবে সে কথা
দ্বারা মানুষের মন জয় করে নেয় ৷ তোমরা তাকে বহিষ্ক৷ ৷র করলে আরবের কোন না কোন গোত্র
তাকে আশ্রয় দেবে ৷ নিজের কথা আর বচন দ্বারা সে তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করবে ৷ শেষ
পর্যন্ত যে লোকগুলো তা ৷র অনুসারী হয়ে যাবে ৷ শেষ পর্যন্ত সে তার অনুসারীদেরকে নিয়ে
তামাদের উপর চড়াও হবে ৷ তোমাদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে ৷ এরপর তোমাদের
সঙ্গে যথেচ্ছ আচরণ করবে ৷ কাজেই তার সম্পর্কে তোমরা অন্য কোন চিন্তা করতে পার ৷


كِتَابَ اللَّهِ وَفَرَائِضَهُ وَحُدُودَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ بِمَكَّةَ بَعْدَ أَصْحَابِهِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ يَنْتَظِرُ أَنْ يُؤْذَنَ لَهُ فِي الْهِجْرَةِ، وَلَمْ يَتَخَلَّفْ مَعَهُ بِمَكَّةَ إِلَّا مَنْ حُبِسَ أَوْ فُتِنَ، إِلَّا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي قُحَافَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا «، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ كَثِيرًا مَا يَسْتَأْذِنُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْهِجْرَةِ، فَيَقُولُ لَهُ: " لَا تَعْجَلْ; لَعَلَّ اللَّهَ يَجْعَلُ لَكَ صَاحِبًا ".» فَيَطْمَعُ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَكُونَهُ، فَلَمَّا رَأَتْ قُرَيْشٌ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ صَارَ لَهُ شِيعَةٌ وَأَصْحَابٌ مِنْ غَيْرِهِمْ بِغَيْرِ بَلَدِهِمْ، وَرَأَوْا خُرُوجَ أَصْحَابِهِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ إِلَيْهِمْ، عَرَفُوا أَنَّهُمْ قَدْ نَزَلُوا دَارًا وَأَصَابُوا مِنْهُمْ مَنَعَةً، فَحَذِرُوا خُرُوجَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ، وَعَرَفُوا أَنَّهُ قَدْ أَجْمَعَ لِحَرْبِهِمْ، فَاجْتَمَعُوا لَهُ فِي دَارِ النَّدْوَةِ - وَهِيَ دَارُ قُصَيِّ بْنِ كِلَابٍ التِي كَانَتْ قُرَيْشٌ لَا تَقْضِي أَمْرًا إِلَّا فِيهَا - يَتَشَاوَرُونَ فِيمَا يَصْنَعُونَ فِي أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَافُوهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ مِنْ أَصْحَابِنَا، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدِ بْنِ جَبْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَغَيْرُهُ مِمَّنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «لَمَّا اجْتَمَعُوا لِذَلِكَ، وَاتَّعَدُوا أَنْ يَدْخُلُوا فِي دَارِ النَّدْوَةِ; لِيَتَشَاوَرُوا فِيهَا فِي أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَدَوْا فِي الْيَوْمِ الَّذِي اتَّعَدُوا
পৃষ্ঠা - ২১৪৯


তখন আবু জাহ্ল ইবন হিশাম বলে উঠে : আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, এ
লোকটি সম্পর্কে আমার ভিন্ন মত আছে ৷ আমি মনে করি, আমি যা ভাবছি, তোমরা (অনেক)
পরেও তা ভাবতে পারবে না ৷ লোকজন বলে উঠে, হে আবুল হাকাম ৷ কী তোমার সে ভিন্নমত ?
সে বললো : আমি মনে করি যে, আমরা প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন তাগড়া সম্ভান্ত যুবক
বাছাই করে নেবো, সে যুবক হবে সমান আর মর্যাদার অধিকারী ৷ আমরা প্রতিটি যুবকের হাতে
তুলে দেবাে একটা করে শাণিত তরবারি এক ব্যক্তির মতো তারা সকলে একযোগে তার উপর
আঘাত হানবে ৷ তার জীবনলীলা সড়াঙ্গ করবে ৷ এভাবে আমরা তার উৎপাত থেকে শান্তি আর
মুক্তি লাভ করবো ৷ যুবকরা যখন এ কাজটা করবে, তখন তার রক্ত সকল গোত্রের মধ্যে বিভক্ত
ও বপ্টিত হবে ৷ আর বনু আবৃদ মানাফ তার কাওমের সকল গোত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সক্ষম
হবে না ৷ ফলে তারা আমাদের নিকট থেকে রক্তপণ গ্রহণ করতে রাযী হয়ে যাবেন ৷ আমরা
অনায়াসেই সে রক্তপণ পরিশোধ করবো ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, শায়খে নাজদী বলে : এ ব্যক্তি যা বলরুলা এটাই তো সঠিক কথা ৷
এটাই হলো অভিমতের মতো অভিমত ৷ আর কোন কথা আর কোন অভিমত দরকার করে না ৷
এ ব্যাপারে সকলে একমত হয়ে বৈঠক সমাপ্ত করে এবং সকলে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যায় ৷
ইতোমধ্যে জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করে তাকে বললেন : যে
শয্যায় আপনি ঘুমা তেন আজ রাতে সে শয্যায় আপনি ঘুমাবেন না ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রাত
গভীর হলে তারা সকলে তার গৃহের দরজায় সমবেত হয়ে অপেক্ষায় থাকে, তিনি ঘুমালে তারা
সকলে মিলে তার উপর হামলা চালাবে ৷ তাদের উপস্থিতি আচ করতে পেরে রাসুলাল্লাহ্ সো)
আলী ইবন আবু তালিবকে বললেন : আমার এই সবুজ হাঘৃরামী চাদর গায়ে দিয়ে তুমি আমার
শয্যায় শুয়ে পড়াে ৷ এ চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমালে তাদের পক্ষ থেকে তোমাকে কোন অপ্রীতিকর
পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না আর রাসুলল্লোহ্ (সা) সাধারণত এ চাদর পায়ে দিয়েই
ঘুমাতেন ৷

ইবন ইসহাক যে কাহিনী বর্ণনা করেছেন, ঠিক একই কাহিনী বর্ণনা করেছেন ওয়াকিদী,
আইশা, ইবন আব্বাস, আলী, সুরাকা ইবন মালিক ইবন জাশম প্রমুখের বরাতে ৷ ওয়াকিদীর
বর্ণনার সঙ্গে ইবন ইসহাকের বর্ণনার অনেকটা মিল আছে এবং তার ৰ্ণ্নািও পুর্ববর্তী বর্ণনার
অনুরুপ ৷

ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ মুহাম্মদ ইবন কাব কুরাযীর সুত্রে ইবন ইসহড়াক বলেন,
কুরায়শের লোকজন যখন রাসুলড়াল্লাহ্ (না)-এর গৃহের দরজায় জমায়েত হয়, তখন তাদের
মধ্যে আবু জাহ্লও ছিল ৷ তারা সকলেই দরজায় দাড়িয়ে ৷ আবু জাহ্ল বললো, মুহাম্মদের
ধারণা তোমরা তার অনুসরণ করলে তোমরা আরব-আজমের বাদশাহ বনে যাবে, মৃত্যুর পর
পুনরুজ্জীবিত হবে এবং তোমাদের জন্য জর্দানের উদ্যানের মতো উদ্যান বানানো হবে ৷ আর
তা না করলে তোমরা ধ্বংস হবে, যবাই হবে, মৃত্যুর পর আবার জীবিত হবে এবং তোমাদের
জন্য আগুন সৃষ্টি করা হবে এবং তাতে তােমাদেরকে দন্ধীভুত করা হবে ৷


لَهُ، وَكَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ يُسَمَّى يَوْمَ الزَّحْمَةِ، فَاعْتَرَضَهُمْ إِبْلِيسُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فِي هَيْئَةِ شَيْخٍ جَلِيلٍ عَلَيْهِ بَتٌّ لَهُ، فَوَقَفَ عَلَى بَابِ الدَّارِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ وَاقِفًا عَلَى بَابِهَا، قَالُوا: مَنِ الشَّيْخُ؟ قَالَ: شَيْخٌ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ سَمِعَ بِالَّذِي اتَّعَدْتُمْ لَهُ، فَحَضَرَ مَعَكُمْ; لِيَسْمَعَ مَا تَقُولُونَ، وَعَسَى أَنْ لَا يُعْدِمَكُمْ مِنْهُ رَأْيًا وَنُصْحًا. قَالُوا: أَجَلْ فَادْخُلْ. فَدَخَلَ مَعَهُمْ وَقَدِ اجْتَمَعَ فِيهَا أَشْرَافُ قُرَيْشٍ; عُتْبَةُ، وَشَيْبَةُ، وَأَبُو سُفْيَانَ، وَطُعَيْمَةُ بْنُ عَدِيٍّ، وَجُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمِ بْنِ عَدِيٍّ، وَالْحَارِثُ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ، وَالنَّضْرُ بْنُ الْحَارِثِ، وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ بْنُ هِشَامٍ، وَزَمْعَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ، وَنُبَيْهٌ وَمُنَبِّهٌ ابْنَا الْحَجَّاجِ وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، وَمَنْ كَانَ مِنْهُمْ وَغَيْرُهُمْ مِمَّنْ لَا يُعَدُّ مِنْ قُرَيْشٍ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدْ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا قَدْ رَأَيْتُمْ، وَإِنَّنَا وَاللَّهِ مَا نَأْمَنُهُ عَلَى الْوُثُوبِ عَلَيْنَا بِمَنْ قَدِ اتَّبَعَهُ مِنْ غَيْرِنَا، فَأَجْمِعُوا فِيهِ رَأْيًا. قَالَ: فَتَشَاوَرُوا، ثُمَّ قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ - قِيلَ: إِنَّهُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ بْنُ هِشَامٍ - احْبِسُوهُ فِي الْحَدِيدِ، وَأَغْلِقُوا عَلَيْهِ بَابًا، ثُمَّ تَرَبَّصُوا بِهِ مَا أَصَابَ أَشْبَاهَهُ مِنَ الشُّعَرَاءِ الَّذِينَ كَانُوا قَبْلَهُ; زُهَيْرًا وَالنَّابِغَةَ وَمَنْ مَضَى مِنْهُمْ، مِنْ هَذَا الْمَوْتِ; حَتَّى يُصِيبَهُ مَا أَصَابَهُمْ. فَقَالَ الشَّيْخُ النَّجْدِيُّ: لَا وَاللَّهِ مَا هَذَا لَكُمْ بِرَأْيٍ، وَاللَّهِ لَئِنْ حَبَسْتُمُوهُ كَمَا تَقُولُونَ،
পৃষ্ঠা - ২১৫০
لَيَخْرُجَنَّ أَمْرُهُ مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ الَّذِي أَغْلَقْتُمْ دُونَهُ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَلَأَوْشَكُوا أَنْ يَثِبُوا عَلَيْكُمْ فَيَنْتَزِعُوهُ مِنْ أَيْدِيكُمْ، ثُمَّ يُكَاثِرُوكُمْ بِهِ حَتَّى يَغْلِبُوكُمْ عَلَى أَمْرِكُمْ، مَا هَذَا لَكُمْ بِرَأْيٍ، فَتَشَاوَرُوا، ثُمَّ قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: نُخْرِجُهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِنَا فَنَنْفِيهِ مِنْ بِلَادِنَا، فَإِذَا خَرَجَ عَنَّا، فَوَاللَّهِ مَا نُبَالِي أَيْنَ ذَهَبَ، وَلَا حَيْثُ وَقَعَ إِذَا غَابَ عَنَّا وَفَرَغْنَا مِنْهُ، فَأَصْلَحْنَا أَمْرَنَا وَأُلْفَتَنَا كَمَا كَانَتْ. قَالَ الشَّيْخُ النَّجْدِيُّ: لَا وَاللَّهِ مَا هَذَا لَكُمْ بِرَأْيٍ; أَلَمْ تَرَوْا حُسْنَ حَدِيثِهِ، وَحَلَاوَةَ مَنْطِقِهِ، وَغَلَبَتَهُ عَلَى قُلُوبِ الرِّجَالِ بِمَا يَأْتِي بِهِ؟ وَاللَّهِ لَوْ فَعَلْتُمْ ذَلِكَ، مَا أَمِنْتُ أَنْ يَحِلَّ عَلَى حَيٍّ مِنَ الْعَرَبِ، فَيَغْلِبَ عَلَيْهِمْ بِذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِ وَحَدِيثِهِ حَتَّى يُتَابِعُوهُ عَلَيْهِ، ثُمَّ يَسِيرُ بِهِمْ إِلَيْكُمْ حَتَّى يَطَأَكُمْ بِهِمْ، فَيَأْخُذَ أَمْرَكُمْ مِنْ أَيْدِيكُمْ، ثُمَّ يَفْعَلُ بِكُمْ مَا أَرَادَ، أَدِيرُوا فِيهِ رَأْيًا غَيْرَ هَذَا. فَقَالَ أَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ: وَاللَّهِ إِنَّ لِي فِيهِ لَرَأَيًا مَا أَرَاكُمْ وَقَعْتُمْ عَلَيْهِ بَعْدُ. قَالُوا: وَمَا هُوَ يَا أَبَا الْحَكَمِ؟ قَالَ: أَرَى أَنْ نَأْخُذَ مِنْ كُلِّ قَبِيلَةٍ فَتًى شَابًّا جَلِيدًا نَسِيبًا وَسِيطًا فِينَا، ثُمَّ نُعْطِي كُلَّ فَتًى مِنْهُمْ سَيْفًا صَارِمًا، ثُمَّ يَعْمِدُوا إِلَيْهِ فَيَضْرِبُوهُ بِهَا ضَرْبَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَيَقْتُلُوهُ فَنَسْتَرِيحَ مِنْهُ، فَإِنَّهُمْ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ تَفَرَّقَ دَمُهُ فِي الْقَبَائِلِ جَمِيعِهَا، فَلَمْ يَقْدِرْ بَنُو عَبْدِ مُنَافٍ عَلَى حَرْبِ قَوْمِهِمْ جَمِيعًا فَرَضُوا مِنَّا بِالْعَقْلِ فَعَقَلْنَاهُ لَهُمْ. قَالَ: يَقُولُ الشَّيْخُ النَّجْدِيُّ: الْقَوْلُ مَا قَالَ الرَّجُلُ، هَذَا الرَّأْيُ وَلَا رَأْيَ غَيْرُهُ. فَتَفَرَّقَ الْقَوْمُ عَلَى ذَلِكَ، وَهُمْ مُجْمِعُونَ لَهُ، فَأَتَى جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: لَا
পৃষ্ঠা - ২১৫১


বর্ণনাকারী ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলাল্লাহ্ (সা) গৃহ থেকে বের হন, এক মুঠো ধুলো
হাতে নিয়ে বলেন, “হ্যা, আমি একথা বলি, আর তুমিও তাদের একজন ৷” আল্লাহ তাদের
চোখে আবরণ সৃষ্টি করেন, তারা তাকে দেখতে পায়নি ৷ কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত আয়াত
শ্তিলাওয়াত করতে করতে তাদের দিকে ধুলাে ছিটাতে ছিটাতে রাসুল (সা) বের হয়ে যান :


“ইয়াসীন শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের ৷ তুমি অবশ্যই রড়াসুলদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তুমি সরল পথে
প্রতিষ্ঠিত ৷কুরআন অবতীর্ণ পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নিকট থেকে ৷ যাতে তুমি
সতর্ক করতে পার এমন এক জা ৷তি,কে যাদের পিত তট্রুপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, যার ফলে
ওরা পাফিল ৷ ওদের অধিকাৎশের জন্য সে বাণী অবধারিত হয়েছে ৷ সুতরাং ওরা ঈমান আনবে
না ৷ আমি ওদের গলদেশে বেড়ি পরিয়েছি চিবুক পর্যন্ত ৷ ফলে ওরা উর্ধ্বমুথী হয়ে গেছে ৷ আমি
ওদের সম্মুখে প্রাচীর ও পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং ওদেরকে আবৃত করেছি ৷ ফলে ওরা
দেখতে পায় না” (৩৬ : ১-৯) ৷

তাদের প্রত্যেকের মাথার উপর মাটি নিক্ষেপ করে তিনি (নবী সা) যেখানে যাওয়ার ইচ্ছা
করেছিলেন, সেখানে চলে গেলেন ৷ তাদের মধ্যে একজন লোকও ছিল না যার মাথায় ধুলো
লাগেনি ৷ এরপর তাদের সঙ্গে ছিল না এমন এক আগভুক আগমন করে জিজ্ঞাসা করলো:
তামরা এখানে কিসের জন্য আপেক্ষা করছো ? তারা বললো০ : আমরা মুহাম্মদের জন্য অপেক্ষা
করছি ৷ লোকটি বললো : আল্লাহ তােমাদেরকে ব্যর্থ করেছেন ৷ আল্লাহর কলম, সে তো
তোমাদের প্ৰতেব্রুকের মাথায় মাটি নিক্ষেপ করে বেরিয়ে গেছে ৷ সে তো বেরিয়ে গেছে তার
প্রয়োজনে ৷ তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না তোমাদের উপর কী আছে ৷ বর্ণনড়াকারী ইবন ইসহাক
বলেন : এরপর তাদের প্ৰতেব্রকে নিজ নিজ মাথায় হাত দিয়ে মাটি পায় ৷ এরপর তারা
মুহাম্মদকে খুজতে থাকে ৷ তারা শয্যায় আলী (রা)-কে দেখতে পড়ায় ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর চাদর
পায়ে জড়িয়ে তিনি শুয়ে আছেন (মনের আনন্দে এবং সম্পুর্ণ নিশ্চিত ও নির্বিকার চিত্তে) , ৷ এ
অবস্থা দেখে তারা বললো : আল্লাহর কসম, এতো মুহাম্মদ তার চাদর পায়ে দিয়ে শুয়ে আছে ৷
ভোর পর্যন্ত তারা এ ভাবে পাহারা দিতে থাকে ৷ ভোর হলে তারা দেখতে পায় যে, তার শয্যা
থেকে আলী (রা) বেরিয়ে এসেছেন ৷ তখন তারা বলে : যে আমাদেরকে বলেছিল, সে তো
ঠিকই বলেছিল ৷

ইবন ইসহাক বলেন : সেদিন যে উদ্দেশ্যে কাফিররা সমবেত হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে মহান
আল্লাহ নাযিল করেন :

টুবুর্দুঠুষ্ট্ৰা

fl ’ fl #


আর (হে মুহাম্মদ !) তুমি সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তারা (কাফিররা) তোমার
বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করার জন্য, তোমাকে হত্যা করা বা নির্বাসিত করার জন্য ৷
তারা ষড়যন্ত্র করে, অল্লোহ্ও কৌশল অবলম্বন করেন ৷ আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী ( ৭ ৪৩০) ৷


تَبِتْ هَذِهِ اللَّيْلَةَ عَلَى فِرَاشِكَ الَّذِي كُنْتَ تَبِيتُ عَلَيْهِ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَتْ عَتَمَةٌ مِنَ اللَّيْلِ اجْتَمَعُوا عَلَى بَابِهِ، يَرْصُدُونَهُ مَتَى يَنَامُ فَيَثِبُونَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَانَهُمْ، قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: " نَمْ عَلَى فِرَاشِي، وَتَسَجَّ بِبُرْدِي هَذَا الْحَضْرَمِيِّ الْأَخْضَرِ فَنَمْ فِيهِ، فَإِنَّهُ لَنْ يَخْلُصَ إِلَيْكَ شَيْءٌ تَكْرَهُهُ مِنْهُمْ ". وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنَامُ فِي بُرْدِهِ ذَلِكَ إِذَا نَامَ» وَهَذِهِ الْقِصَّةُ التِي ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ، قَدْ رَوَاهَا الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ عَنْ عَائِشَةَ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَلِيٍّ، وَسُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، وَغَيْرِهِمْ، دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ، فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ، قَالَ: «لَمَّا اجْتَمَعُوا لَهُ وَفِيهِمْ أَبُو جَهْلٍ قَالَ، وَهُمْ عَلَى بَابِهِ: إِنَّ مُحَمَّدًا يَزْعُمُ أَنَّكُمْ إِنْ تَابَعْتُمُوهُ عَلَى أَمْرِهِ، كُنْتُمْ مُلُوكَ الْعَرَبِ وَالْعَجَمِ، ثُمَّ بُعِثْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَوْتِكُمْ فَجُعِلَتْ لَكُمْ جِنَانٌ كَجِنَانِ الْأُرْدُنِ، وَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا، كَانَ فِيكُمْ ذَبْحٌ، ثُمَّ بُعِثْتُمْ بَعْدَ مَوْتِكُمْ، ثُمَّ جُعِلَتْ لَكُمْ نَارٌ، تُحْرَقُونَ فِيهَا! قَالَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَ حَفْنَةً مِنْ تُرَابٍ فِي يَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: " نَعَمْ أَنَا أَقُولُ
পৃষ্ঠা - ২১৫২

ছুন্ছু১ ণ্ও^-এং ’ ;&—’é ’র্দুধ্রুঠুণ্ট্টটুর্বও র্দুাব্লি :স্পো ং ’ ৰুন্ন্ছুটু ধ্ন্ ট্রু,ন্ন্হুৰুন্ছুট্রু; ঠুক্কু-ার্দ্ধঞ হুশ্,টুত্রঠুদ্বুঠু ংণ্ৰু

ওরা কি বলতে চায় যে, সে একজন কবি ? আমরা তার মৃত্যুর প্ৰতীক্ষা করছি ৷ তুমি (হে
মুহাম্মদ) বল, তোমরা প্ৰভীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে প্রভীক্ষারতদের অন্তর্ভুক্ত আছি’

(৫২ : ৩০-৩১ ) ৷

ইবন ইসহাক বলেন : এ সময় মহান আল্লাহ্ তার নবী (না)-কে হিজরতের অনুমতি দান
করেন ৷

পরিছেদ

রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন এবং তীর সঙ্গে ছিলেন আবু
বকর সিদ্দীক রাযিয়াল্পাহ্ আনহু ৷ আর এ ঘটনা ছিল ইসলামের ইতিহাসে হিজরী গণনার
সুচনাকাল ৷ উমর (রা)-এর শাসনকালে এ বিষয়ে সাহাবায়ে কিরামের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
তাদের প্রতি আল্পাহ্ প্রসন্ন হোন ৷ উমর (রা)-এর জীবনী গ্রন্থে আমরা বিষয়টা সবিস্তারে
আলোচনা করেছি ৷

ইমাম বুখারী (র) মাতার ইবন ফযল সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াত লাভ করেন ৷ মক্কা মুকাররামায় ১৩ বছর কাল
অবস্থান করেন ৷ এ সময় তার নিকট ওহী নাযিল হয় ৷ এরপর তাকে হিজরতের নির্দেশ দেয়া
হয় এবং তিনি হিত্তরেত করেন দশ বছর (মদীনায় অতিবাহিত করেন) এবং ৬৩ বছর বয়সে
তিনি ইনতিকাল করেন ৷ নবুওয়াত লাভের এয়ােদশ বর্ষে রবিউল আউয়াল মাসে তিনি হিজরত
করেন ৷ আর হিজরতের দিনটি ছিল সোমবার ৷ ইমাম আহমদ ইবন হান্বল ইবন আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণনা করে বলেন, তোমাদের নবী (সা) জন্মগ্রহণ করেছেন সোমবারে ৷ মক্কা থেকে
(মদীনায় উদ্দেশ্যে) বহির্গত হন সোমবারে ৷ তিনি নবুওয়াত লাভ করেন সোমবারে ৷ তিনি
মদীনায় প্রবেশ করেন সোমবারে এবং তিনি ইনতিকাল করেন সোমবারে ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হিজরতের
অনুমতি চাইলে তিনি বলেন , তাড়াহুড়া করবে না (বরং ধৈর্যধারণ কর এবং অপেক্ষা করতে
থাক) আল্লাহ্ হয়তো তোমার জন্য একজন সঙ্গী জুটাবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর মুখে একথা
শুনে তিনি আশা পোষণ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজেই তার সঙ্গী হবেন ৷ তিনি দুটি
সওয়ারী ক্রয় করেন ৷ নিজ গৃহে রেখে হিজরতের জন্য প্রন্তুতির উদ্দেশ্যে সেগুলোকে সযত্বে
লালন করেন ৷ ওয়ড়াকিদী বলেন : হযরত আবু বকর (বা) আটশ দিরহামের বিনিময়ে সওয়ারী
দু’টি ক্রয় করেছিলেন ৷

ইবন ইসহাক নির্ভরযোগ্য সুত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে উরওয়া ইবন যুবায়র থেকে উম্মুল মু’মিনীন
হযরত অইিশা (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিদিন


ذَلِكَ، أَنْتَ أَحَدُهُمْ ". وَأَخَذَ اللَّهُ عَلَى أَبْصَارِهِمْ عَنْهُ فَلَا يَرَوْنَهُ، فَجَعَلَ يَنْثُرُ ذَلِكَ التُّرَابَ عَلَى رُؤُوسِهِمْ وَهُوَ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَاتِ {يس وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ} [يس: 1] إِلَى قَوْلِهِ {وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ} [يس: 9] . وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ رَجُلٌ إِلَّا وَقَدْ وَضَعَ عَلَى رَأْسِهِ تُرَابًا، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى حَيْثُ أَرَادَ أَنْ يَذْهَبَ، فَأَتَاهُمْ آتٍ مِمَّنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُمْ، فَقَالَ: مَا تَنْتَظِرُونَ هَاهُنَا؟ قَالُوا: مُحَمَّدًا. فَقَالَ: خَيَّبَكُمُ اللَّهُ، قَدْ وَاللَّهِ خَرَجَ عَلَيْكُمْ مُحَمَّدٌ، ثُمَّ مَا تَرَكَ مِنْكُمْ رَجُلًا إِلَّا وَقَدْ وَضَعَ عَلَى رَأْسِهِ تُرَابًا، وَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ، أَفَمَا تَرَوْنَ مَا بِكُمْ؟ قَالَ: فَوَضَعَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ فَإِذَا عَلَيْهِ تُرَابٌ، ثُمَّ جَعَلُوا يَتَطَلَّعُونَ، فَيَرَوْنَ عَلِيًّا عَلَى الْفِرَاشِ مُتَسَجِّيًا بِبُرْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَقُولُونَ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَمُحَمَّدٌ نَائِمًا عَلَيْهِ بُرْدُهُ. فَلَمْ يَبْرَحُوا كَذَلِكَ حَتَّى أَصْبَحُوا، فَقَامَ عَلِيٌّ عَنِ الْفِرَاشِ فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ صَدَقَنَا الَّذِي كَانَ حَدَّثَنَا.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَكَانَ مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ وَمَا كَانُوا أَجْمَعُوا لَهُ، قَوْلُهُ تَعَالَى {وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ} [الأنفال: 30] وَقَوْلُهُ {أَمْ يَقُولُونَ شَاعِرٌ نَتَرَبَّصُ بِهِ رَيْبَ الْمَنُونِ قُلْ تَرَبَّصُوا فَإِنِّي مَعَكُمْ مِنَ الْمُتَرَبِّصِينَ} [الطور: 30] [الطُّورِ: 31، 30] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَذِنَ اللَّهُ لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ بِالْهِجْرَةِ.