كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب بدء إسلام الأنصار رضي الله عنهم
পৃষ্ঠা - ২০৮১
জাশাম ইবন খাযরাজ সুলামী সাওয়াদী ৷ (৫) উকবা ইবন আমির ইবন নাবী ইবন যায়দ ইবন
হারাম ইবন কাআব ইবন সালামা সুলামী আল হারামী ৷ (৬) জাবির ইবন আবদুল্লাহ ইবন
রিআব ইবন নু’মান ইবন সিনান ইবন উবায়দ ইবন আদী ইবন গানড়াম ইবন কাআব ইবন
সালামা সুলামী উবায়দী ৷ র্তাদের সকলের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হোন ৷ ইমাম শাবী ও যুহরী প্রমুখ
এরুপ বলেছেন যে, ওই রাতে ইসলাম গ্রহণকারী ছয়জনই খাযরাজ গোত্রের লোক ছিলেন ৷
মুসা ইবন উকবা যুহরী ও উরওয়া ইবন যুবায়র সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময় তারা ছিলেন ৮জন ৷ ( ১ ) মৃআয ইবন আফরা (২)
আসআদ ইবন যুরারা (৩ ) রাফি’ ইবন মালিক (৪) যাকওয়ান ইবন আবদ কায়স (৫ ) উবাদা
ইবন সামিত (৬) আবু আবদুর রহমান ইয়াযীদ ইবন ছালাবা ( ৭) অবু হায়ছাম ইবন তায়হান ৷
(৮) উওয়ায়ম ইবন সাইদা (রা) ৷ র্তারা ওই মজলিসে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং পরের
বছর পুনরায় আগমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ এরপর তারা তাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে
গেলেন এবং ওদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানালেন ৷ মুআব ইবন আফরা ও রাফি ইবন
মালিককে তারা এ মর্মে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পাঠালেন যে, আমাদের নিকট একজন
শিক্ষক প্রেরণ করুন যিনি আমাদেরকে দীন শিক্ষা দিবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসআব ইবন
উমায়র (রা)-কে পাঠালেন ৷ তিনি আসআদ ইবন যুরারা (রা)-এর বাড়িতে গিয়ে উঠলেন ৷
অবশিষ্ট ঘটনা তাই, যা মুসা ইবন উকবা সুত্রে ইবন ইসহড়াক অবিলম্বে বর্ণনা করবেন ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন র্তারা মদীনায় নিজ সম্প্রদায়ের নিকট এলেন ৷ তাদের নিকট
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কথা আলোচনা করলেন এবং তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন ৷ ফলে
মদীনায় ব্যাপক ভাবে ইসলাম প্রচারিত হল ৷ কোন বাড়ি-ই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আলোচনা
থেকে খালি ছিল না ৷ পরবর্তী বছর হব্লুজ্জর মওসুমে ১২ জন আনসারী লোক রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট উপস্থিত হন ৷ তারা হলেন (১) পুর্বোল্লিখিত আবু উমামা আসআদ ইবন
যুরারাহ, (২) পুর্বোক্ত আওফ ইবন হারিছ, (৩) তার ভাই মুআয, র্তারা দু’জনে আফরার পুত্র,
(৪ ) পুর্বোক্ত রাফি’ ইবন মালিক, (৫) যাকওয়ান ইবন আবদুল কায়স ইবন খালদা ইবন
মাখলাদ ইবন আমির ইবন যুরায়ক যুরাকী ৷ ইবন হিশাম বলেন, ইনি একই সাথে আনসারী
এবং মুহাজির , (৬) উবাদা ইবন সামিত ইবন কড়ায়স ইবন আসরাম ইবন ফিহ্র ইবন ছা’লাবা
ইবন পানাম ইবন আওফ ইবন আমর ইবন আওফ ইবন থায়বাজ, (৭) র্তাদের মিত্র আবু
আবদুর রহমান ইয়াযীদ ইবন ছা’লাবা ইবন খাযামা ইবন আসরাম আল বালাভী, (৮ ) আব্বাস
ইবন উবাদা ইবন নাযলা ইবন মালিক ইবন আজলান ইবন ইয়াযীদ ইবন গানাম ইবন সালিম
ইবন আওফ ইবন আমর ইবন আওফ ইবন খাযরাজ আজলানী ৷ (৯) উকবা ইবন আমির ইবন
নাবী পুর্বোল্লিখিত ৷ (১০) কুতবা ইবন আমির ইবন হাদীদা পুর্বোল্লিখিত ৷ এই দশজন ছিলেন
খাযরাজ ৫গাংত্রর ৷ আওস গোত্রের ছিলেন দুজন ৷ তারা হলেন ( ১ ) উওয়াইম ইবন সাইদা এবং
১ মুল কিভাবে রয়েছে সাওয়াহ ইবন যায়দ ৷ সেটি ভুল ৷ সীরাতে ইবন হিশামে আছে সারিদা ইবন ইয়াযীদ :
[بَابُ بَدْءِ إِسْلَامِ الْأَنْصَارِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ]
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا أَرَادَ اللَّهُ إِظْهَارَ دِينِهِ، وَاعِزَازَ نَبِيِّهِ، وَإِنْجَازَ مَوْعِدِهِ لَهُ، خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَوْسِمِ الَّذِي لَقِيَهُ فِيهِ النَّفَرُ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَعَرَضَ نَفْسَهُ عَلَى قَبَائِلِ الْعَرَبِ، كَمَا كَانَ يَصْنَعُ فِي كُلِّ مَوْسِمٍ، فَبَيْنَا هُوَ عِنْدَ الْعَقَبَةِ لَقِيَ رَهْطًا مِنَ الْخَزْرَجِ أَرَادَ اللَّهُ بِهِمْ خَيْرًا. فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنْ قَوْمِهِ، قَالُوا: لَمَّا لَقِيَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُمْ: " مَنْ أَنْتُمْ؟ " قَالُوا: نَفَرٌ مِنَ الْخَزْرَجِ. قَالَ: " أَمِنْ مَوَالِي يَهُودَ؟ " قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: " أَفَلَا تَجْلِسُونَ أُكَلِّمُكُمْ ". قَالُوا: بَلَى. فَجَلَسُوا مَعَهُ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، وَعَرَضَ عَلَيْهِمُ الْإِسْلَامَ وَتَلَا عَلَيْهِمُ الْقُرْآنَ. قَالَ: وَكَانَ مِمَّا صَنَعَ اللَّهُ بِهِمْ فِي الْإِسْلَامِ أَنَّ يَهُودَ كَانُوا مَعَهُمْ فِي بِلَادِهِمْ، وَكَانُوا أَهْلَ كِتَابٍ وَعِلْمٍ، وَكَانُوا هُمْ أَهْلَ شِرْكٍ أَصْحَابَ أَوْثَانٍ، وَكَانُوا قَدْ عَزُّوهُمْ بِبِلَادِهِمْ، فَكَانُوا إِذَا كَانَ بَيْنَهُمْ شَيْءٌ قَالُوا لَهُمْ: إِنَّ نَبِيًّا مَبْعُوثٌ الْآنَ قَدْ أَظَلَّ زَمَانَهُ نَتَّبِعُهُ، نَقْتُلُكُمْ مَعَهُ قَتْلَ عَادٍ وَإِرَمَ، فَلَمَّا كَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُولَئِكَ النَّفَرَ، وَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، قَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: يَا قَوْمِ، تَعْلَمُونَ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَلنَّبِيُّ الَّذِي تَوَعَّدَكُمْ بِهِ يَهُودُ، فَلَا يَسْبِقُنَّكُمْ إِلَيْهِ. فَأَجَابُوهُ فِيمَا دَعَاهُمْ إِلَيْهِ بِأَنْ صَدَّقُوهُ. وَقَبِلُوا مِنْهُ مَا عَرَضَ عَلَيْهِمْ مِنَ الْإِسْلَامِ، وَقَالُوا لَهُ: إِنَّا قَدْ تَرَكْنَا قَوْمَنَا وَلَا قَوْمَ، بَيْنَهُمْ مِنَ الْعَدَاوَةِ وَالشَّرِّ مَا
পৃষ্ঠা - ২০৮২
(২) আবুল হায়ছাম মালিক ইবন তায়হান ৷ ইবন হিশাম বলেন, তায়হান এবং তাখ্যিহান
দু’ভাবেই পাঠ করা যায় যেমন মায়তুন ও মাব্যিতুন
সুহায়লী বলেন, আবুল হায়ছাম ইবন তায়হানের নাম হল মালিক ইবন মালিক ইবন
আভীক ইবন আমর ইবন আব্দুল আলাম ইবন আমির ইবন যাউন ইবন জাশাম ইবন হারিছ
ইবন খাযরাজ ইবন আমর ইবন মালিক ইবন আওস ৷ তিনি বলেন কারো মতে তিনি ইরাশী
আবার কারো মতে তিনি বালাভী ৷ ইবন ইসহাক এবং ইবন হিশাম কেউই ওই ব্যক্তির বংশ
তালিকা উল্লেখ করেননি ৷ সুহায়লী বলেন, হায়ছাম শব্দের অর্থ ছোট্ট ঈগলছানা এবং এক
প্রকারের ঘাস ৷
মােদ্দাকথা, এই বারজন লোক ওই বছর হভ্রুজ্জর মওসুমে মক্কায় উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ র্তারা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাত করার জন্যে সিদ্ধান্ত (নন ৷ অনম্ভর আকাবা নামক স্থানে
র্তারা রাসুলুল্পাহ্ (সা )-এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং তার হাতে বায়আত করেন ৷ এই বায়আত
ছিল মহিলাদের বায়আত গ্রহণ সম্পর্কে নাযিল হওয়া আয়াতের নিমমানুসারে ৷ এই বায়আত
“আকাবার প্রথম শপথ” নামে পরিচিত ৷
আবু নৃআয়ম বলেন, এ প্রসংগে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সুরা ইব্রাহীম-এর এ আয়াত তাদের
সম্মুখে পাঠ করলেন :
“যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার প্ৰতিপালক৷ এ শহরকে শান্তিময় করে দিন এবং
আমাকে ও আমার সন্তান--সন্ততিদেরকে মুর্তিপুজা থেকে দুরে রাখুন ৷ সুরা ইব্রাহীম : ৩৫ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব উবাদা ইবন সামিত (রা) সুত্রে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আকাবায়ে উলা বা আকাবার প্রথম শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম ৷
আমরা ছিলাম বারজন ৷ মহিলাদের অঙ্গীকার গ্রহণের জন্যে আল্লাহ্ তাআলা যে বিষয়গুলো
নির্ধারিত করে দিয়েছেন আমরা সেই বিষয়গুলোর অঙ্গীকার করেছি বায়আত করেছি ৷ এটি
ছিল যুদ্ধ ও জিহাদ ফরয হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ আমরা বায়আত করেছি যে, আল্লাহ্র সাথে
কাউকে শরীক করব না, চুরি করব না, যেনা করব না, সন্তান হত্যা করব না, অপবাদ রটনা
করব না এবং সৎকর্মে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর অবাধ্য হব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেছেন, তোমরা
যদি অঙ্গীকার পালন কর , তবে জান্নাত পাবে ৷ আর যদি এর কােনটিতে সত্য গোপন কর, তবে
তোমাদের ফায়সালা আল্লাহ্র হাতে ৷ তিনি চাইলে শাস্তি দিবেন , চাইলে ক্ষমা করবেন ৷ ইমাম
বুখারী ও মুসলিম (র) এই হাদীছ এভাবে বর্ণনা করেছেন লায়ছ ইবন সাআদ সুত্রে ইয়াযীদ
ইবন আবু হাবীব থেকে ৷
ইবন ইসহাক বলেন ইবন শিহাব যুহরী উবদো ইবন সামিত সুত্রে বলেছেন, আকাবার
প্রথম শপথের রাতে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে বায়আত করেছি যেৰু আমরা আল্লাহর
بَيْنَهُمْ، وَعَسَى أَنْ يَجْمَعَهُمُ اللَّهُ بِكَ، فَسَنَقْدَمُ عَلَيْهِمْ فَنَدْعُوهُمْ إِلَى أَمْرِكَ، وَنَعْرِضُ عَلَيْهِمُ الَّذِي أَجَبْنَاكَ إِلَيْهِ مِنْ هَذَا الدِّينِ، فَإِنْ يَجْمَعْهُمُ اللَّهُ عَلَيْكَ فَلَا رَجُلَ أَعَزُّ مِنْكَ. ثُمَّ انْصَرَفُوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ قَدْ آمَنُوا وَصَدَّقُوا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَهُمْ فِيمَا ذُكِرَ لِي سِتَّةُ نَفَرٍ، كُلُّهُمْ مِنَ الْخَزْرَجِ، وَهُمْ: أَبُو أُمَامَةَ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ بْنِ عُدَسِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ غَنْمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ، - قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ - وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنَ الْخَزْرَجِ وَمِنَ الْأَوْسِ أَبُو الْهَيْثَمِ بْنُ التَّيِّهَانِ. وَقِيلَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ أَسْلَمَ رَافِعُ بْنُ مَالِكٍ، وَمُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ - وَعَوْفُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ سَوَادِ بْنِ مَالِكِ بْنِ غَنْمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ، وَهُوَ ابْنُ عَفْرَاءَ النَّجَّارِيَّانِ، وَرَافِعُ بْنُ مَالِكِ بْنِ الْعَجْلَانِ بْنِ عَمْرِو بْنِ زُرَيْقٍ الزُّرَقِيُّ، وَقُطْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ حَدِيدَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَوَادِ بْنِ غَنْمِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَسَدِ بْنِ سَارِدَةَ بْنِ تَزِيدَ بْنِ جُشَمَ بْنِ الْخَزْرَجِ السَّلَمِيُّ، ثُمَّ مِنْ بَنِي سَوَادٍ، وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَابِي بْنِ زَيْدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ كَعْبِ بْنِ غَنْمٍ السَّلَمِيُّ أَيْضًا، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ২০৮৩
مِنْ بَنِي حَرَامٍ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رِئَابِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ سِنَانِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ غَنْمِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَلَمَةَ السَّلَمِيُّ أَيْضًا، ثُمَّ مِنْ بَنِي عُبَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنِ الشَّعْبِيِّ، وَالزُّهْرِيِّ وَغَيْرِهِمَا أَنَّهُمْ كَانُوا لَيْلَتَئِذٍ سِتَّةَ نَفَرٍ مِنَ الْخَزْرَجِ.
وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِيمَا رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أَوَّلَ اجْتِمَاعِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِهِمْ كَانُوا ثَمَانِيَةً، وَهُمْ: مُعَاذُ بْنُ عَفْرَاءَ، وَأَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ، وَرَافِعُ بْنُ مَالِكٍ، وَذَكْوَانُ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ قَيْسٍ، وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، وَأَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَزِيدُ بْنُ ثَعْلَبَةَ، وَأَبُو الْهَيْثَمِ بْنُ التَّيِّهَانِ، وَعُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ. فَأَسْلَمُوا وَوَاعَدُوهُ إِلَى قَابِلٍ، فَرَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ فَدَعَوْهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَأَرْسَلُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعَاذَ ابْنَ عَفْرَاءَ وَرَافِعَ بْنَ مَالِكٍ أَنِ ابْعَثْ إِلَيْنَا رَجُلًا يُفَقِّهُنَا. فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مُصْعَبَ بْنَ عُمَيْرٍ، فَنَزَلَ عَلَى أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ. وَذَكَرَ تَمَامَ الْقِصَّةِ كَمَا سَيُورِدُهَا ابْنُ إِسْحَاقَ أَتَمَّ مِنْ سِيَاقِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ إِلَى قَوْمِهِمْ، ذَكَرُوا لَهُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَعَوْهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، حَتَّى فَشَا فِيهِمْ. فَلَمْ يَبْقَ دَارٌ مِنْ دُوْرِ الْأَنْصَارِ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ২০৮৪
সাথে কাউকে শরীক করবো না,চুরি করবো না, যেনা করবো না সন্তান হত্যা করবো না
অপবাদ রটাবাে না এবং সৎকর্মে তার অবাধ্য হবো না ৷ তিনি বলেছেন, তোমরা যদি এগুলো
পরিপুর্ণভাবে পালন কর, তবে তোমাদের জন্যে রয়েছে জ ন্নাত ৷ আর এর কে নটি অমান্য
করলে যদি দুনিয়াতে তার শাস্তি ভোগ করে থাক, তবে তা হবে তার কাফ্ফারা স্বরুপ ৷ আর
যদি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তা গোপন রয়ে যায়, তবে তার ফায়সালা আল্লাহ্র হাতে, তিনি
চাইলে শান্তি দেবেন চাইলে ক্ষমা করবেন ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীছ
গ্রন্থে এহাদীছ যুহরী থেকে এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷
হাদীছে ৷৷ ৷ া; (মহিলাদের বায়আত প্রসঙ্গে) দ্বারা এ কথা বুঝানো হয়েছে
যে, আকড়াবার শপথের পরে হুদায়বিয়ার বছরে মহিলাদের বায়আত নেয়ার যে বিধান আল্লাহ
তা আলা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি নাযিল করেছেন আকাবার শপথ সে অনুযায়ী অনুষ্ঠিত
হয়েছিল ৷ ৰন্তুত আকাবার শপথের নিয়ম ও বিষয় অনুযায়ী পরে মহিলাদের বায়আতের নিয়ম
বিষয়ক বিধান নাযিল হয়েছে ৷ পুর্বে অনুষ্ঠিত বায়আতের বিষয় অনুযায়ী পরে কুরআনের আয়াত
নাযিল হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয় ৷ কা ৷রণ, একাধিকবার হযরত ৩উমর (বা ) এর আগ্রহের সপক্ষে
কুরআন নাযিল হয়েছে ৷ হযরত উমর (রা) এর জীবনী গ্রন্থ এবং কুরআনের৩ তাফসীর গ্রন্থে
আমরা তা আলোচনা করেছি ৷ বন্তুত ৩আকাবার আলোচ্য বায়অড়াত ওহী পাইর মাত তলু (অপঠিত
ওহী) এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ আ ৷ল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাক্ষাত শেষে লোকজন যখন মদীনায় ফিরে
যায়, তখন তিনি তাদের সাথে মুসআব ইবন উমায়র ইবন হাশিম ইবন আবদ মানাফ ইবন
আবদুদ্দার ইবন কুস ই কে পাঠান ৷ ওদেরকে কুরআন পড়ানো, ইসলাম শিক্ষা দেয়৷ এবং
দীনের জ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্যে তিনি তাকে নির্দেশ দেন ৷ বায়হাকী (র) ইবন ইসহাক থেকে
বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছেন যে, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদ৷ ৷আমার নিকট বর্ণনা
করেছেন যে, মদীনাবাসিগণ একজন প্রশিক্ষক পাঠানোর জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট চিঠি
দেয়ার পর তিনি মুসআব ইবন উমায়র (রা)-কে,পাঠান ৷ মুসা ইবন উকবাও সেরুপ বর্ণনা
করেছেন, যেমনটি ইতোপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷ অবশ্য তিনি দ্বিতীয় বার প্রেরণকে প্রথম বার
প্রেরণ বলে উল্লেখ করেছেন ৷ বায়হাকী বলেন, ইবন ইসহাকের সনদ পুর্ণাঙ্গ ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, আবদুল্লাহ ইবন অড়াবুবকর (রা ) বলতে ন, আকাবার প্রথম শপথ কি, তা আ ৷মি জানি না ৷
এরপর ইবন ইসহাক বলেন, হ্যা, আমি শপথ করে বলতে পারি, আকাবার শপথ একাধিকবার
অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ সকল বর্ণনাকারী বলেন, এরপর মুসআর ইবন উমায়র গিয়ে উঠেন আসআদ
ইবন যুরড়ারাহ-এর নিকট ৷ মদীনায় তিনি মুক্রী (প্রশিক্ষক) নামে পরিচিত ছিলেন ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদ৷ আমাকে জানিয়েছেন যে, মুসআব ইবন
উমায়র নামাযে তাদের ইমামতি করতেন ৷ কারণ, আসে এবং খাযরড়াজ গোত্র চাইভাে না যে,
তাদের এক গোত্রের লোক অন্য গোত্রের ইমামতি করুক ৷ মহান আল্লাহ্ তাদের সকলের প্রতি
সন্তুষ্ট হোন ৷
وَفِيهَا ذِكْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ، وَافَى الْمَوْسِمَ مِنَ الْأَنْصَارِ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، وَهُمْ أَبُو أُمَامَةَ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ، الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُ، وَعَوْفُ بْنُ الْحَارِثِ الْمُتَقَدِّمُ، وَأَخُوهُ مُعَاذٌ، وَهْمَا ابْنَا عَفْرَاءَ، وَرَافِعُ بْنُ مَالِكٍ الْمُتَقَدِّمُ أَيْضًا، وَذَكْوَانُ بْنُ عَبْدِ قَيْسِ بْنِ خَلْدَةَ بْنِ مُخَلَّدِ بْنِ عَامِرِ بْنِ زُرَيْقٍ الزُّرَقِيُّ، - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهُوَ أَنْصَارِيٌّ مُهَاجِرِيٌّ - وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ أَصْرَمَ بْنِ فِهْرِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ غَنْمِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ، وَحَلِيفُهُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَزِيدُ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ خَزْمَةَ بْنِ أَصْرَمَ الْبَلَوِيُّ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ عُبَادَةَ بْنِ نَضْلَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْعَجْلَانِ بْنِ زَيْدِ بْنِ غَنْمِ بْنِ سَالِمِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ الْعَجْلَانِيُّ، وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَابِي الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُ، وَقُطْبَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ حَدِيدَةَ الْمُتَقَدِّمُ، فَهَؤُلَاءِ عَشَرَةٌ مِنَ الْخَزْرَجِ، وَمِنَ الْأَوْسِ اثْنَانِ وَهُمَا; عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ، وَأَبُو الْهَيْثَمِ مَالِكُ بْنُ التَّيِّهَانِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: التَّيِّهَانُ يُخَفَّفُ وَيُثَقَّلُ كَمَيْتٍ وَمَيِّتٍ.
قَالَ السُّهَيْلِيُّ: أَبُو الْهَيْثَمِ بْنُ التَّيِّهَانِ اسْمُهُ مَالِكُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَتِيكِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَمِ بْنِ عَامِرِ بْنِ زَعْوَرِ بْنِ جُشَمَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ. قَالَ: وَقِيلَ: إِنَّهُ إِرَاشِيٌّ. وَقِيلَ: بَلَوِيٌّ. وَلِهَذَا لَمْ يَنْسِبْهُ
পৃষ্ঠা - ২০৮৫
ইবন ইসহাক বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু উমামা আবদুর রহমান ইবন কাআব ইবন
মালিক ববুলন, আমার পিতার দৃষ্টিশক্তি হারানাের পর আমি তাকে নিয়ে জুমুআয় যেতাম ৷
জুমুআর জামাআবুত উপস্থিত হলে তিনি যখন আযান শুনতেন, তখন আবু উমামা আসআদ
ইবন যুরারার জবুন্য দু আ করতেন ৷ বহু সময় তার এভাবে কেটে ছে যে, জুমুআর আযান
শুনবুলই তিনি আবু উমামার জবুন্য দুআ ও ক্ষমা প্রার্থনা করতেন ৷ আমি মনে মনে বললাম এর
কারণট৷ কি আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে পারি না ? একদিন আমি বললাম, আব্বাজান! আপনি
জুমুআর আযান শুনবুল আবু উমামার জবুন্য দু আ করেন, তার কারণট৷ কি? উত্তরে তিনি
বললেন, বৎস ৷ তিনি মদীনায় সর্বপ্রথম আমাদেরকে নিয়ে জুমৃআর নামায আদায় করেছেন ৷ বনু
বিয়াদাহ গোত্রের পাথুরে অঞ্চল হাযযুন নাবীত নামক পাহাড়ে তিনি আমাদেরকে নিয়ে জুমআ
আদায় করেছেন ৷ ওই স্থানটিবুক১ “বাকী আল-খাদামাত” বল হয় ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম,
তখন আপনারা কতজন ছিলেন ? তিনি বললেন : :জন ছিলাম ৷ ইমাম আবু দ উদ এবং ইবন
মাজাহ (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে উক্ত হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম দারাকুতনী (র)
হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বনাি করেছেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুমুআ আদায়ের নির্দেশ
দিয়ে মুসআব ইবন উমায়রকে (রা) চিঠি লিখেছিলেন ৷ অবশ্য এই হাদীছটি একক ভাবে
বর্ণিত ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন ইসহাক ববুলন উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুগীরা ইবন মুআয়কীব ও আবদুল্লাহ ইবন আবু
বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হাযম বলেছেন আসআদ ইবন যুরারা (রা) )মুসআব ইবন
উমায়র (রা)-বুক সাথে নিয়ে বনু আবদুল আশহাল এবং বনী যুফার গোত্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করলেন ৷ সাআদ ইবন মৃআয (রা) ছিলেন আসআদ ইবন যুরারা (রা)-এর খালড়াত ভাই ৷ তারা
দু’জবুন বনু যুফার গোত্রের প্রাচীরঘের৷ এক বাগানের মধ্যে মারাক নামের কুবুয়ার নিকট গিয়ে
বললেন ৷ ইসলাম গ্রহণকারী লোকজন ওখানে গিয়ে তাদের নিকট জমায়েত হয়েছিলেন ৷
সাআদ ইবন যুআয এবং উসায়দ ইবন হুযায়র তখন তাদের সম্প্রদায় আবদুল আশহাল গোত্রের
নেতা ৷ছিবুলন দু জবুনই তখন মুশরিক ছিলেন ৷ তাদের আগমন স বাদ শুনে সাআদ উসায়দকে
বললেন, আমাদের এলাকায় আদমনকারী ওই লোক দু জবুনর নিকট যাও তো! তার৷ এসেছে
আমাদের দুর্বল লোকদেরকে বোকা বানানোর জন্যে ৷ তুমি তাদেরকে ধমক দিয়ে দিবে এবং
আমাদের এলাকায় আসতে ধারণ করে দেবুব ৷ আসআদ ইবন যুরারা আমার খালাত৩ ই না
হলে আমি নিজেই তা করতাম, তোমাকে বলতাম না ৷ সে তো আমার খা ৷লাত ভাই ৷ আমি তার
উপর মাতব্বরী করতে পারি না ৷ উসায়দ ইবন হুযায়রত তার বর্শ৷ ৷হাতে ৩তুবুল নিলেন এবং ওই
দুজনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ত ৷তবুক বুদবুখ আসআদ ইবন যুরারা ঘুসআব (র) বুক বলবুলন
ইনি তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ৷ তিনি আপনার নিকট এসেছেন, আল্লাহর সত ব্র পরিচয়
আপনি তার নিকট বর্ণনা করুন ৷ মুসআব (রা) বলবুলন তিনি বসলে আমি তার সাথে
কথা বলব ৷২ পালমন্দ করতে করতে উসায়দ ৩াপের নিকট র্দা৬াণেন এবং বল বুলন , আমাদের
১ সীরাবুত ইবন হিশাবুম আছে নাকী আল খাদামাত ৷
গালি-গালাজকারী ৷
ابْنُ إِسْحَاقَ، وَلَا ابْنُ هِشَامٍ، قَالَ: وَالْهَيْثَمُ فَرْخُ الْعُقَابِ، وَضَرْبٌ مِنَ النَّبَاتِ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَؤُلَاءِ الِاثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا شَهِدُوا الْمَوْسِمَ عَامَئِذٍ، وَعَزَمُوا عَلَى الِاجْتِمَاعِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَقُوهُ بِالْعَقَبَةِ، فَبَايَعُوهُ عِنْدَهَا بَيْعَةَ النِّسَاءِ، وَهِيَ الْعَقَبَةُ الْأُولَى. وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ عَلَيْهِمْ مِنْ قَوْلِهِ فِي سُورَةِ إِبْرَاهِيمَ {وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا} [إبراهيم: 35] إِلَى آخِرِهَا.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْيَزَنِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُسَيْلَةَ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ «كُنْتُ مِمَّنْ حَضَرَ الْعَقَبَةَ الْأُولَى، وَكُنَّا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا، فَبَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَيْعَةِ النِّسَاءِ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُفْتَرَضَ الْحَرْبُ عَلَى أَنْ لَا نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلَا نَسْرِقَ، وَلَا نَزْنِيَ، وَلَا نَقْتُلَ أَوْلَادَنَا، وَلَا نَأْتِيَ بِبُهْتَانٍ نَفْتَرِيهِ بَيْنَ أَيْدِينَا وَأَرْجُلِنَا، وَلَا نَعْصِيَهُ فِي مَعْرُوفٍ، " فَإِنْ وَفَّيْتُمْ فَلَكُمُ الْجَنَّةُ وَإِنْ غَشِيتُمْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَأَمْرُكُمْ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ» ". وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ بِهِ نَحْوَهُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَذَكَرَ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ عَنْ عَائِذِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২০৮৬
أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ حَدَّثَهُ، قَالَ: «بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ الْأَوْلَى أَنْ لَا نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلَا نَسْرِقَ، وَلَا نَزْنِيَ، وَلَا نَقْتُلَ أَوْلَادَنَا، وَلَا نَأْتِيَ بِبُهْتَانٍ نَفْتَرِيهِ بَيْنَ أَيْدِينَا وَأَرْجُلِنَا، وَلَا نَعْصِيَهُ فِي مَعْرُوفٍ، " فَإِنْ وَفَيْتُمْ فَلَكُمُ الْجَنَّةُ وَإِنْ غَشِيتُمْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَأُخِذْتُمْ بِحَدِّهِ فِي الدُّنْيَا فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ، وَإِنْ سَتَرْتُمْ عَلَيْهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَأَمْرُكُمْ إِلَى اللَّهِ، إِنْ شَاءَ عَذَّبَ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ» ". وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَوْلُهُ: عَلَى بَيْعَةِ النِّسَاءِ. يَعْنِي عَلَى وَفْقِ مَا نَزَلَتْ عَلَيْهِ بَيْعَةُ النِّسَاءِ بَعْدَ ذَلِكَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَكَانَ هَذَا مِمَّا نَزَلَ عَلَى وَفْقِ مَا بَايَعَ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ، وَلَيْسَ هَذَا بِعَجِيبٍ; فَإِنَّ الْقُرْآنَ نَزَلَ بِمُوَافَقَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي غَيْرِ مَا مَوْطِنٍ، كَمَا بَيَّنَاهُ فِي " سِيرَتِهِ " وَفِي " التَّفْسِيرِ " وَإِنَّ كَانَتْ هَذِهِ الْبَيْعَةُ وَقَعَتْ عَنْ وَحْيٍ غَيْرِ مَتْلُوٍّ فَهُوَ أَظْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا انْصَرَفَ عَنْهُ الْقَوْمُ، بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ مُصْعَبَ بْنَ عُمَيْرِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ بْنِ قُصَيٍّ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُقْرِئَهُمُ الْقُرْآنَ، وَيُعَلِّمَهُمُ الْإِسْلَامَ، وَيُفَقِّهَهُمْ فِي الدِّينِ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ،
পৃষ্ঠা - ২০৮৭
দুর্বল লোকদেরকে বোকা বানানোর জন্যেই কি তোমরা দু’জন এসেছ ? প্রাণে বাচতে চাইলে
তাড়াতাড়ি আমাদের এলাকা ছেড়ে যাও ৷ রর্ণনাকারী মুসা ইবন উকবা বলেন , এরপর আসআদ
ইবন যুরারাহকে বলল, আমাদের দুর্বল লোকদেরকে বোকা বানানোর জন্যে এবং বাতিলের
দিকে ডেকে নেয়ার জন্যে তুমি এই সমাজচ্যুত ৩পরদেশী লোকটিকে নিয়ে কেন এসেছো ?
জবাবে মুসআব (বা) বললেন, আপনি কি একটু বলবেন এবং আমার কথা শুনবেন ?
বিষয়টি আপনার পসন্দ হলে আপনি গ্রহণ করবেন, অনথােয় আপনি তা থেকে নিজেকে দুরে
রাখবেন ৷ উসায়দ বললেন ঠিক আছে তুমি ইনসাফের কথ বলেছে৷ ৷ এবার তিনি আপন
বর্শাটি মাটিতে গেড়ে দাড় করিয়ে তাদের দু’ জনের নিকট বসে পড়লেন ৷ এবার মুসআব (বা)
তার নিকট ইসলামের দাওয়াত পেশ করলেন এবং কুরআন প্ ন্যে করলেন ৷ তারা দু জনে
বললেন আল্লাহর কলম, ইসলাম সম্পর্কে তার নমনীয় মনে ৷ভাব ব ভ করার পুর্বেই আমরা তার
চোখে মুখে ইসলামের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম ৷ তিনি বললেন কত ই না সুন্দর, কত ই না
ভাল এটি ! এই দীনে প্রবেশ করার জন্যে কী করতে হয় ? ত ৰা বললেন, ইসলাম গ্রহণ করতে
হলে আপনি গোসল করবেন, পবিত্র হবেন, আপনার জামা-কাপড় পাক করবেন এবং তারপর
কালেমায়ে শাহাদত উচ্চারণ করবেন এবং নামায আদায় করবেন ৷ তাদের কথা মত উসায়দ
ইবন হুযায়র উঠে দাড়ালেন, গোসল করলেন তার পরনের জামা-কাপড় পাক করলেন,
কালেমা শাহাদত উচ্চারণ করলেন, তারপর দ,ট্রু রাকআত নামায আদায় করলেন ৷ তারপর তিনি
ওই দু’জনকে বললেন, আমার পেছনে একজন লোক আছে সে যদি আপনাদের অনুসরণ করে,
তবে তার সম্প্রদায়ের কেউই আপনাদের অনুসরণ করা ব্যতীত থাকবে না ৷ অবিলম্বে তাকে
আমি আপনাদের নিকট পাঠাচ্ছি ৷ তিনি হলেন সাআদ ইবন মুআয ৷ উসায়দ ইবন হুযায়র তার
বর্শা হাতে সাআদ ইবন মুআয ও নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনের নিকট ফিরে গেলেন ৷ তারা
সবাই মজলিসে বসা ছিলেন ৷ তাকে আসতে দেখে সাআদ ইবন মুআয তার দিকে তাকিয়ে
বললেন, আল্লাহ্র কসম, উসায়দ যে চেহারা নিয়ে তোমাদের নিকট থেকে গিয়েছিল এখন অন্য
চেহারা নিয়ে ফিরে এসেছে ৷ মজলিসে উপস্থিত হওয়ার পর সাআদ ইবন মুআয হযরত উসায়দ
(রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, কী সংবাদ ? তিনি বললেন, আমি ওই দু’জন লোকের সাথে কথা
বলেছি ৷ আল্লাহর কসম, আমি তাদের মাধ্য দুষণীয় কিছু দেখিনি ৷ আমি ওদেরকে ওই কাজে
বারণ করেছি ৷ তারা বলল , ঠিক আছে আপনি যা ভাল মনে করেন, আমরা তাই করব ৷ তবে
আমি জানতে পেয়েছি যে, বনু হারিছ৷ গোত্রের লোকজন আসআদ ইবন যুরারাহকে হত্যা করার
জন্যে পথে নেমেছে ৷ আর তার কারণ হল তারা জানতে পেয়েছে যে, সে তোমার খালাত ভাই ৷
তাকে হত্যার মাধ্যমে তারা তোমাকে অপমানিত করতে চায় বনু হারিছ৷ গোত্র সম্পর্কে এই
সংবাদ শুনে রাগে-ক্ষোভে অগ্নিশর্ম৷ হয়ে সাআদ ইবন মুআয বেরিয়ে পড়লেন ৷ তার হাতে ছিল
বর্শা ৷ তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, তুমি আমার কোন উপকার করতে পেরেছ বলে আমি মনে
করি না ৷ স আদ আসআদ ইবন যুরারাহ্ ও মুসআব ইবন উমায়র (রা) এর উদ্দেশ্যে রওনা
হলেন ৷ সেখানে পৌছে তাদেরকে শান্ত ও নিরুদ্বেগ দেখে তিনি বুঝতে ৩পারলেন যে, ওই
দু’ জনের কথা শোনার জন্যে উসায়দ (বা) এমন স বাদ দিয়েছেন ৷ পালমন্দ ও বকাঝকা
করতে করতে তিনি তাদের সম্মুখে দাড়ালেনঃ ৷ তারপর আসআদ ইবন যুরারাহ্ (রা)-কে লক্ষ্য
ঘ্নেম্রা৪গাে০০০া৷া
৩৬ —
عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا بَعَثَ مُصْعَبًا حِينَ كَتَبُوا إِلَيْهِ أَنْ يَبْعَثَهُ إِلَيْهِمْ. وَهُوَ الَّذِي ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَمَا تَقَدَّمَ، إِلَّا أَنَّهُ جَعَلَ الْمَرَّةَ الثَّانِيَةَ هِيَ الْأُولَى. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَسِيَاقُ ابْنُ إِسْحَاقَ أَتَمُّ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ يَقُولُ: لَا أَدْرِي مَا الْعَقَبَةُ الْأُولَى. ثُمَّ يَقُولُ ابْنُ إِسْحَاقَ: بَلَى لَعَمْرِي قَدْ كَانَتْ عَقَبَةٌ وَعَقَبَةٌ. قَالُوا كُلُّهُمْ: فَنَزَلَ مُصْعَبٌ عَلَى أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ فَكَانَ يُسَمَّى بِالْمَدِينَةِ الْمُقْرِئَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِهِمْ; وَذَلِكَ أَنَّ الْأَوْسَ وَالْخَزْرَجَ كَرِهَ بَعْضُهُمْ أَنْ يَؤُمَّهُ بَعْضٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «كُنْتُ قَائِدَ أَبِي حِينَ ذَهَبَ بَصَرُهُ، فَكُنْتُ إِذَا خَرَجْتُ بِهِ إِلَى الْجُمُعَةِ، فَسَمِعَ الْأَذَانَ بِهَا، صَلَّى عَلَى أَبِي أُمَامَةَ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ. قَالَ: فَمَكَثَ حِينًا عَلَى ذَلِكَ لَا يَسْمَعُ الْأَذَانَ لِلْجُمُعَةِ إِلَّا صَلَّى عَلَيْهِ وَاسْتَغْفَرَ لَهُ. قَالَ: فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا بِي لَعَجْزٌ أَلَّا أَسْأَلَهُ. فَقُلْتُ: يَا أَبَتِ، مَا لَكَ إِذَا سَمِعْتَ الْأَذَانَ لِلْجُمُعَةِ، صَلَّيْتَ عَلَى أَبِي
পৃষ্ঠা - ২০৮৮
করে বললেন, আল্লাহর কসম হে আবু উমামাহ্! আল্লাহর কসম, আমার আর তোমার মাঝে যে
আত্মীয়ত৷ তা যদি না থাকত, তবে তুমি আমার থেকে যা আশা করছ তা করতে পারতে না ৷
আমরা যা ঘৃণা করি তা প্রচার করার জন্যে তুমি আমাদের এলাকায় এসেছ ? আসআদ ইবন
যুরারাহ্ (রা) মুসআব ইবন উমায়র (রা)-কে বললেন, আল্লাহর কসম, ইনি আপনার নিকট
এসেছেন, ইনি তার কওমের নেতা ৷ তার পেছনে তার পুরো সম্প্রদায় রয়েছে ৷ ইনি যদি
আপনার অনুসরণ করেন, তবে তার সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন দু’জন ল্যেকও থাকবে না, যারা
আপনার বিরোধিতা করবে ৷ বরং সকলেই আপনার অনুসরণ করবে ৷
সাআদ ইবন মুআয়ের উদ্দেশ্যে মুসআব (রা) বললেন, আপনি একটু বসুন, আমার বক্তব্য
শুনুন, আপনার ভাল লাগলে গ্রহণ করবেন নতুবা আপনার অপসন্দের বিষয় আমরা আপনার
থেকে সরিয়ে রাখব ৷ সাআদ বললেন, আপনি ন্যায্য কথা বলেছেন ৷ এরপর মাটিতে বর্শাটি
পেড়ে দীড় করিয়ে তিনি বসে পড়েন ৷ হযরত মুসআব (বা) তার নিকট ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব
পেশ করেন এবং কুরআন পাঠ করে শুনান ৷ মুসা ইবন উক্বা উৱক্রক্ট্রাখ করেছেন যে, তার নিকট
সুরা যুখৃরুফ-এর প্রথম দিকের আয়াত পাঠ করা হয়েছিল ৷ তারা বলেন, ইসলাম গ্রহণে তার
নমনীয় মনোভাব ব্যক্ত করার পুর্বেই আমরা তার চেহারায় ইসলামের প্ৰতিচ্ছবি দেখতে পাই ৷
তারপর তিনি বললেন, আপনারা যখন ইসলাম গ্রহণ করেন এবং দীনে প্রবেশ করেন, তখন কী
করেন ? তারা দুজনে বললেন, তাহলে আপনাকে গোসল করতে হবে, পবিত্রতড়া অর্জন করতে
হবে, কাপড় দুটো পাক করে নিতে হবে এবং সত্য সাক্ষোর ঘোষণা দিতে হবে ৷ তারপর দু’
রাকআত নামায আদায় করতে হবে ৷ সাআদ উঠে দীড়ালেন ৷ গোসল করলেন ৷ জামা কাপড়
পাক করলেন, কালেমা শাহাদত উচ্চারণ করলেন এবং দু’রাকআত নামায আদায় করলেন ৷
তারপর বর্শা হাতে তার সম্প্রদায়ের লোকজনের নিকট ফিরে গেলেন ৷ উসায়দ ইবন হুযায়র
(বা) তার সাথে ছিলেন ৷ র্তাকে এগিয়ে আসতে দেখে তার সম্প্রদায়ের লোকজন বলল, সাআদ
যে চেহারা নিয়ে তোমাদের কাছ থেকে গিয়েছিলেন এখন ভিন্ন চেহারা নিয়ে ফিরে এসেছেন ৷
তাদের নিকট এসে সাআদ (রা) বললেন, হে বনু আবৃদ আশহাল গোত্র, তোমাদের মধ্যে
আমার অবস্থান ও গুরুতৃ কেমন বলে মনে কর ? তারা বলল, আপনি তো আমাদের নেতা,
সর্বাধিক বিচক্ষণ ও সর্বোত্তম পরিচালক ৷ তিনি বললেন, তোমরা যতক্ষণ আল্লাহর প্রতি এবং
তার রাসুলেব প্রতি ঈমান না আসবে, ততক্ষণ তোমাদের নারী-পুরুষ সকলের সাথে আমার
কথা বলা হারাম ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর সন্ধ্য৷ নাগাদ বনু আশহাল গোত্রের সকল পুরুষ ও
মহিলা ইসলাম গ্রহণ করে ৷ সাআদ (রা) ও মুসআব (রা) ফিরে আসেন আসআদ ইবন যুরারাহ্
(রা)-এর বাড়িতে ৷ তারা সেখানে অবস্থান করে লোকজনকে ইসলামের দিকে ডাকতে থাকেন ৷
শেষ পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি গোত্র ব্যতীত আনসড়ারদের সকল গােত্রই ইসলাম গ্রহণ করে ৷
যে সকল শাখা গোত্র ইসলাম গ্রহণ করেনি, সেগুলো হল বনু উমাইয়া ইবন যায়দ গোত্র,
থুতামাহ গোত্র, ওয়াইল গোত্র এবং ওয়াকিফ গোত্র ৷ এরা সকলে আওস গোত্রভুক্ত ৷ তারা
আওস ইবন হারিছার বংশধর ৷ তারা ইসলাম গ্রহণ করেনি ৷ কারণ, তাদের মধ্যে আবু কায়স
ইবন আসলাত নামে এক করি ছিল ৷ সে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত রেখেছিল ৷ তার
মুল নাম সায়ফী ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার বলেন, তার নাম ছিল হারিছ ৷ কেউ বলেছেন তার নাম
أُمَامَةَ؟ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ كَانَ أَوَّلَ مَنْ جَمَعَ بِنَا بِالْمَدِينَةِ، فِي هَزْمِ النَّبِيتِ، مِنْ حَرَّةِ بَنِي بَيَاضَةَ، فِي نَقِيعٍ يُقَالُ لَهُ: نَقِيعُ الْخَضَمَاتِ. قَالَ: قُلْتُ: وَكَمْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: أَرْبَعُونَ رَجُلًا» . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو دَاوُدَ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ رَوَى الدَّارَقُطْنِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ يَأْمُرُهُ بِإِقَامَةِ الْجُمُعَةِ» وَفِي إِسْنَادِهِ غَرَابَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغِيرَةِ بْنِ مُعَيْقِيبٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، أَنَّ أَسْعَدَ بْنَ زُرَارَةَ خَرَجَ بِمُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ، يُرِيدُ بِهِ دَارَ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، وَدَارَ بَنِي ظَفَرٍ، وَكَانَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ ابْنَ خَالَةِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ فَدَخَلَ بِهِ حَائِطًا مِنْ حَوَائِطِ بَنِي ظَفَرٍ، عَلَى بِئْرٍ يُقَالُ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ২০৮৯
ছিল উবায়দুল্লাহ্ ৷৩ তার পিতার নাম ছিল আসলাত আমির ইবন জাশাম ইবন ওয়াইল ইবন
যায়দ ইবন কা য়স ইবন আমির ইবন মুবৃরা ইবন মালিক ইবন আওস ৷ ঐতিহাসিক কালবীও
তার এই বংশপবিচয় বর্ণনা করেছেন ৷ সে ছিল ওই সব গোত্রর কবি ও নেতা ৷ ওরা তার কথা
শুনত ও তাকে মান্য করত ৷ সে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত রেখেছিল ৷ খন্দক যুদ্ধের
পর পর্যন্ত যে তাদেরকে ইসলাম থেকে বাধা দিয়ে রেখেছিল ৷ আমি বলি, ইবন ইসহাক
আলোচ্য আবু কা য়স ইবন আসলাণ্ডে র কতগুলো কবিতা উল্লেখ করেছেন ৷ সেগুলো “বা ( ন্ )
অন্ত্যমিল বিশিষ্ট ৷ উমা ইয়৷ ইবন সালত ছাকাফীব কবিতার সাথে সেগুলোর সাদৃশ্য রয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দীনের দাওয়াত আরবে ছড়িয়ে পড়ল ৷ শহরে
শহরে তা পৌছে গেল ৷ তখন মদীনাতেও তার কথা আলোচিত হতে লাগল ৷ তবে আওস ও
খাযরাজ গোত্র রাসুলুল্লাহ্ (না) সম্পর্কে যত বেশী অবগত ছিল আরবের অন্য কোন গোত্র
ততটুকু ছিল৷ না ৷ ইয়াহুদী পণ্ডিতদের মুখে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা); এর বিবরণ শুনত ৩বলে এমনটি
হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আলোচনা যখন মদীনায় গিাহ পৌছল এবং কুরায়শদের সাথে
তার মত বিরোধের ঘটনা যখন মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছিল, তথ্যা বানৃ ওয়াকিফ গোত্রের করি
আবু কায়স ইবন আসলাত নিম্নের কবিতাটি রচনা করেছিল ৷ আবু কায়সের পরিচয় বর্ণনা করে
সুহায়লী বলেন, যে হল আবু কা য়স সারম৷ ইবন আবু আনাস কায়স ইবন সারম৷ ইবন মালিক
ইবন আদী ইবন আমর ইবন গনোম ইবন আদী ইবন নাজ্জা র ৷ তিনি আরো বলেন হযরত উমর
(রা) এবং এই আবু কায়সকে উপলক্ষ করে ন্;ট্রু<:; র্গে৷ ৷ ,; ব্লুটু৷ ৷ ৰুচু;ৰু;৷ ৷ ই ড্রু৷ ণ্ব্লু৷ ;ান্ ৷
( ২ ১৮ ৭) আয়৷ ৷ত না ৷যিল হয়েছিল ৷
ইবন ইসহাক বলেন, যে কুরায়শ সম্প্রদায়কে ভালবাসত ৷ ওদের সাথে তার বৈবাহিক
সম্পর্ক ছিল ৷ আরনাব বিন্ত আসাদ ইবন আবদুল উয্য৷ ইবন কুসাই ছিল তার শ্রী ৷ নিজের
শ্ৰীকে নিয়ে সে বহু বছর মক্কায় বসবাস করেছে ৷ কুরায়শ্ারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরোধিতা
করছে এ সংবাদ পেয়ে সে হারাম শরীফের মর্যাদা বর্ণনা করে তাদেরকে সেখানে যুদ্ধ বিগ্রহ
সৃষ্টি থেকে ধারণ করে একটি ক সীদা রচনা করে ৷ ওই ক সীদায় সে কুরায়শদের সম্মান ও
বুদ্ধিমত্তা র কথা, তাদের উপর প্রেরিত আল্লাহর দেয়৷ ৷বিপদাপদের কথা, তাদেরকে হস্তী বাহিনী
থেকে রক্ষা করার কথা এবং মহান আল্লাহ্র কর্ম কৌশলের কথা উল্লেখ করে ৷৩ তদুপরি ওই
কাসীদ যে সে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি অত্যাচার ৷ব-নির্যা তন থেকে বিরত থাকার জন্যে তাদেরকে
পরামর্শ দেয় ৷ সে বলেছেশু ং
হে সওয়ারী! তুমি যদি কখনাে তার নিকট পৌছতে পার, তবে লুওয়াই ইবন পালিবের
গোত্রকে আমার পক্ষ থেকে একটি চিঠি পৌছিয়ে দিও ৷
-এ্যাব্লু ; ৷ এঠু,ধ্র্দুয়ু; ;;র্চু;৷ ৷ প্লোা; ণ্ন্নু ঠুষ্ ৷ ; ;; ৷ , ংাট্রু ;;;; ৷ ট্রুার্দু;;)
হে সওয়৷ ৷রী তুমি এমন এক লোকের দুত হিসেরে৩ ৷দের নিকট গমন কর, যে ওদের থেকে
দুরে অবস্থান করছে ৷ ওদের পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ তাকে ৬ ত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছে এবং
তাদের এই অবস্থার কারণে সে দুশ্চিম্ভাগ্রস্ত ও অসুস্থ ৷
بِئْرُ مَرَقٍ. فَجَلَسَا فِي الْحَائِطِ، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِمَا رِجَالٌ مِمَّنْ أَسْلَمَ، وَسَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ، يَوْمَئِذٍ سَيِّدًا قَوْمِهِمَا مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، وَكِلَاهُمَا مُشْرِكٌ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ، فَلَمَّا سَمِعَا بِهِ، قَالَ سَعْدٌ لِأُسَيْدٍ: لَا أَبَا لَكَ، انْطَلِقْ إِلَى هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ اللَّذَيْنِ قَدْ أَتَيَا دَارَيْنَا لِيُسَفِّهَا ضُعَفَاءَنَا فَازْجُرْهُمَا، وَانْهَهُمَا عَنْ أَنْ يَأْتِيَا دَارَيْنَا، فَإِنَّهُ لَوْلَا أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ مِنِّي حَيْثُ قَدْ عَلِمْتَ، كَفَيْتُكَ ذَلِكَ، هُوَ ابْنُ خَالَتِي وَلَا أَجِدُ عَلَيْهِ مُقَدَّمًا. قَالَ: فَأَخَذَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ حَرْبَتَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَيْهِمَا، فَلَمَّا رَآهُ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ لِمُصْعَبٍ: هَذَا سَيِّدُ قَوْمِهِ، وَقَدْ جَاءَكَ فَاصْدُقِ اللَّهَ فِيهِ. قَالَ مُصْعَبٌ: إِنْ يَجْلِسْ أُكَلِّمْهُ. قَالَ: فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا مُتَشَتِّمًا. فَقَالَ: مَا جَاءَ بِكُمَا إِلَيْنَا تُسَفِّهَانِ ضُعَفَاءَنَا؟ اعْتَزِلَانَا إِنْ كَانَتْ لَكُمَا بِأَنْفُسِكُمَا حَاجَةٌ.
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: فَقَالَ لَهُ عَلَامَ أَتَيْتَنَا فِي دُوْرِنَا بِهَذَا الْوَحِيدِ الْغَرِيبِ الطَّرِيدِ يُسَفِّهُ ضُعَفَاءَنَا بِالْبَاطِلِ وَيَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ؟ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ لَهُ مُصْعَبٌ: أَوَ تَجْلِسُ فَتَسْمَعُ، فَإِنْ رَضِيتَ أَمْرًا قَبِلْتَهُ، وَإِنْ كَرِهْتَهُ كُفَّ عَنْكَ مَا تَكْرَهُ. قَالَ: أَنْصَفْتَ. قَالَ: ثُمَّ رَكَّزَ حَرْبَتَهُ، وَجَلَسَ إِلَيْهِمَا، فَكَلَّمَهُ مُصْعَبٌ بِالْإِسْلَامِ، وَقَرَأَ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ. فَقَالَا فِيمَا يُذْكَرُ عَنْهُمَا: وَاللَّهِ لَعَرَفْنَا فِي وَجْهِهِ الْإِسْلَامَ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ، فِي إِشْرَاقِهِ وَتَسَهُّلِهِ، ثُمَّ قَالَ: مَا أَحْسَنَ هَذَا وَأَجْمَلَهُ! كَيْفَ تَصْنَعُونَ إِذَا أَرَدْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا فِي هَذَا الدِّينِ؟ قَالَا لَهُ: تَغْتَسِلُ
পৃষ্ঠা - ২০৯০
فَتَطَّهَّرُ، وَتُطَهِّرُ ثَوْبَيْكَ، ثُمَّ تَشْهَدُ شَهَادَةَ الْحَقِّ، ثُمَّ تُصَلِّي، فَقَامَ فَاغْتَسَلَ، وَطَهَّرَ ثَوْبَيْهِ، وَتَشَهَّدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ، ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ لَهُمَا: إِنَّ وَرَائِي رَجُلًا إِنِ اتَّبَعَكُمَا لَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ أَحَدٌ مِنْ قَوْمِهِ، وَسَأُرْسِلُهُ إِلَيْكُمَا الْآنَ; سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ، ثُمَّ أَخَذَ حَرْبَتَهُ وَانْصَرَفَ إِلَى سَعْدٍ وَقَوْمِهِ، وَهُمْ جُلُوسٌ فِي نَادِيهِمْ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ مُقْبِلًا، قَالَ: قَالَ أَحْلِفُ بِاللَّهِ لَقَدْ جَاءَكُمْ أُسَيْدٌ بِغَيْرِ الْوَجْهِ الَّذِي ذَهَبَ بِهِ مِنْ عِنْدِكُمْ. فَلَمَّا وَقَفَ عَلَى النَّادِي، قَالَ لَهُ سَعْدٌ: مَا فَعَلْتَ؟ قَالَ: كَلَّمْتُ الرَّجُلَيْنِ، فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ بِهِمَا بَأْسًا، وَقَدْ نَهَيْتُهُمَا فَقَالَا: نَفْعَلُ مَا أَحْبَبْتَ. وَقَدْ حُدِّثْتُ أَنَّ بَنِي حَارِثَةَ قَدْ خَرَجُوا إِلَى أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ لِيَقْتُلُوهُ; وَذَلِكَ أَنَّهُمْ عَرَفُوا أَنَّهُ ابْنُ خَالَتِكَ لِيُخْفِرُوكَ. قَالَ: فَقَامَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ مُغْضَبًا مُبَادِرًا; تَخَوُّفًا لِلَّذِي ذُكِرَ لَهُ مِنْ بَنِي حَارِثَةَ، وَأَخَذَ الْحَرْبَةَ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَاكَ أَغْنَيْتَ شَيْئًا. ثُمَّ خَرَجَ إِلَيْهِمَا، فَلَمَّا رَآهُمَا سَعْدٌ مُطْمَئِنَّيْنِ عَرَفَ أَنَّ أُسَيْدًا إِنَّمَا أَرَادَ مِنْهُ أَنْ يَسْمَعَ مِنْهُمَا، فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا مُتَشَتِّمًا، ثُمَّ قَالَ لِأَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ: يَا أَبَا أُمَامَةَ، وَاللَّهِ لَوْلَا مَا بَيْنِي وَبَيْنَكَ مِنَ الْقَرَابَةِ مَا رُمْتَ هَذَا مِنِّي، أَتَغْشَانَا فِي دَارَيْنَا بِمَا نَكْرَهُ؟ قَالَ: وَقَدْ قَالَ أَسْعَدُ لِمُصْعَبٍ: جَاءَكَ وَاللَّهِ سَيِّدٌ مِنْ وَرَائِهِ قَوْمُهُ، إِنْ يَتَّبِعْكَ لَا يَتَخَلَّفُ عَنْكَ مِنْهُمُ اثْنَانِ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ مُصْعَبٌ: أَوَ تَقْعُدُ فَتَسْمَعَ، فَإِنْ رَضِيتَ أَمْرًا وَرَغِبْتَ فِيهِ قَبِلْتَهُ، وَإِنْ كَرِهْتَهُ عَزَلْنَا عَنْكَ مَا تَكْرَهُ. قَالَ سَعْدٌ: أَنْصَفْتَ. ثُمَّ رَكَّزَ الْحَرْبَةَ وَجَلَسَ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ الْإِسْلَامَ، وَقَرَأَ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ - وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ - أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ২০৯১
قَرَأَ عَلَيْهِ أَوَّلَ الزُّخْرُفِ، قَالَ: فَعَرَفْنَا وَاللَّهِ فِي وَجْهِهِ الْإِسْلَامَ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ لِإِشْرَاقِهِ وَتَسَهُّلِهِ، ثُمَّ قَالَ لَهُمَا: كَيْفَ تَصْنَعُونَ إِذَا أَنْتُمْ أَسْلَمْتُمْ وَدَخَلْتُمْ فِي هَذَا الدِّينِ؟ قَالَا: تَغْتَسِلُ فَتَطَّهَّرُ، وَتُطَهِّرُ ثَوْبَيْكَ، ثُمَّ تَشْهَدُ شَهَادَةَ الْحَقِّ، ثُمَّ تُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ. قَالَ: فَقَامَ فَاغْتَسَلَ، وَطَهَّرَ ثَوْبَيْهِ، وَشَهِدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ، ثُمَّ رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَخَذَ حَرْبَتَهُ، فَأَقْبَلَ عَامِدًا إِلَى نَادِي قَوْمِهِ وَمَعَهُ أُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ، فَلَمَّا رَآهُ قَوْمُهُ مُقْبِلًا، قَالُوا: نَحْلِفُ بِاللَّهِ لَقَدْ رَجَعَ إِلَيْكُمْ سَعْدٌ بِغَيْرِ الْوَجْهِ الَّذِي ذَهَبَ بِهِ مِنْ عِنْدِكُمْ. فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِمْ، قَالَ: يَا بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، كَيْفَ تَعْلَمُونَ أَمْرِي فِيكُمْ؟ قَالُوا: سَيِّدُنَا، وَأَفْضَلُنَا رَأْيًا، وَأَيْمَنُنَا نَقِيبَةً. قَالَ: فَإِنَّ كَلَامَ رِجَالِكُمْ وَنِسَائِكُمْ عَلَيَّ حَرَامٌ حَتَّى تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا أَمْسَى فِي دَارِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ رَجُلٌ وَلَا امْرَأَةٌ إِلَّا مُسْلِمًا أَوْ مُسْلِمَةً، وَرَجَعَ أَسْعَدُ وَمُصْعَبٌ إِلَى مَنْزِلِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ، فَأَقَامَ عِنْدَهُ يَدْعُوَانِ النَّاسَ إِلَى الْإِسْلَامِ، حَتَّى لَمْ تَبْقَ دَارٌ مِنْ دَوْرِ الْأَنْصَارِ إِلَّا وَفِيهَا رِجَالٌ وَنِسَاءٌ مُسْلِمُونَ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ دَارِ بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ زَيْدٍ وَخَطْمَةَ، وَوَائِلٍ، وَوَاقِفٍ، وَتِلْكَ أَوْسٌ، وَهُمْ مِنَ الْأَوْسِ بْنِ حَارِثَةَ، وَذَلِكَ أَنَّهُمْ كَانَ فِيهِمْ أَبُو قَيْسِ بْنُ الْأَسْلَتِ، وَاسْمُهُ صَيْفِيٌّ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ اسْمُهُ الْحَارِثُ، وَقِيلَ: عَبْدُ اللَّهِ. وَاسْمُ أَبِيهِ الْأَسْلَتِ: عَامِرُ بْنُ جُشَمَ بْنِ وَائِلِ بْنِ زَيْدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَامِرِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ، وَكَذَا نَسَبَهُ ابْنُ الْكَلْبِيِّ أَيْضًا. وَكَانَ شَاعِرًا لَهُمْ قَائِدًا، يَسْتَمِعُونَ
পৃষ্ঠা - ২০৯২
যুদ্ধে লিপ্ত হলে তোমরা মিশৃক ও কপুরের পরিবর্তে বিশাল আকারের বালিন্তুপ পাবে ৷ ওই
বালি প্রবাহ যেন লবণের ঝর্ণাধারা ৷
সুতরাং তোমরা যুদ্ধ থেকে দুরে থাক ৷ যুদ্ধ যেন তোমাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে না
পারে ৷ তোমরা দুরে থাক এমন কুয়াে থেকে যার পানি দুযিত, যার পানি তিক্ত ৷
যুদ্ধ নিজেকে সুসজ্জিত ও অল ৎকৃত করে লোকজনের নিক ৷ শেষ পর্যন্ত রাত্রি যাপনকালে
তার৷ সেটিকে নিজের মায়ের ন্যায় দেখতে পড়ায় অর্থাৎ৷ হ রাম ও নিষিদ্ধ বলে দেখতে পায় ৷
ঈ ট্রুট্ছুন্ঠু
এই যুদ্ধ দৃর্বলদেরকে ভাজ৷ করে ছেড়ে দেয় না বরং পুড়িয়ে শুপ্াই করে দেয় আর মর্যড়াদাবান
ও শক্তিশালীদেরকে গলা ঢিপে হত্যা করে ৷
দাহিস যুদ্ধে কী ভয়ানক বিপর্যয় ঘটেছে তা কিব্ব তামাদের জানা নেই ?৩ ৷থেকে তোমরা
শিক্ষা গ্রহণ কর ৷ হাতির যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের কথা ৷টাও বিবেচনা কর ৷
৷ ৷১ §,
কত কত শরীফ ও সম্মানিত লোক এই যুদ্ধের বলি হয়েছে ! যারা ছিল সমাজের উচ্চস্তরের
নেতা , ৷যার৷ ছিল অতিথি-পরায়ণ ৷ যাদের দরজা থেকে যেহমান ঘুসাফির কখনো নিরাশ হয়ে
ফিরে যায়নি ৷
এই যুদ্ধের শিকার হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছে এমন সব লোককে যাদের
ছাইয়ের দ্ভুপ অনেক বড় বড় ৷ যাদের কাজকর্ম সদা প্রশংসাযােগ্য ৷ যায়৷ চরিত্রবান ও প্রচুর
দানশীল ৷
যুদ্ধে বিনষ্ট হয়েছে বহু পানির কুয়ে৷ ৷ ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়৷ হয়েছে ওই পানি লক্ষ্যহীন
ভাবে ৷ উত্তরা ও দক্ষিণী হাওয়া যেন ওই পানিকে উড়িয়ে নিয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে ৷
ছু’ও১হ্র১;
যুদ্ধ সম্পর্কে যুদ্ধের অবস্থা সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভকারী একজন লোক তােমাদেরকে যুদ্ধ
সম্পর্কে অবগত করাচ্ছে ৷ বন্তুত অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানই প্রকৃত জ্ঞান ৷
مِنْهُ وَيُطِيعُونَهُ، فَوَقَفَ بِهِمْ عَنِ الْإِسْلَامِ، حَتَّى كَانَ بَعْدَ الْخَنْدَقِ.
قُلْتُ: وَأَبُو قَيْسِ بْنُ الْأَسْلَتِ هَذَا، ذَكَرَ لَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ أَشْعَارًا رَبَّانِيَّةً حَسَنَةً تَقْرُبُ مِنْ أَشْعَارِ أُمَيَّةَ بْنِ الصَّلْتِ الثَّقَفِيِّ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا تَقَدَّمَ: وَلَمَّا انْتَشَرَ أَمْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعَرَبِ وَبَلَغَ الْبُلْدَانَ، ذُكِرَ بِالْمَدِينَةِ، وَلَمْ يَكُنْ حَيٌّ مِنَ الْعَرَبِ أَعْلَمَ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ ذُكِرَ وَقَبْلَ أَنْ يُذْكَرَ - مِنْ هَذَا الْحَيِّ مِنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ، وَذَلِكَ لِمَا كَانُوا يَسْمَعُونَ مِنْ أَحْبَارِ يَهُودَ، فَلَمَّا وَقَعَ أَمْرُهُ بِالْمَدِينَةِ وَتَحَدَّثُوا بِمَا بَيْنَ قُرَيْشٍ فِيهِ مِنَ الِاخْتِلَافِ، قَالَ أَبُو قَيْسِ بْنُ الْأَسْلَتِ أَخُو بَنِي وَاقِفٍ - قَالَ السُّهَيْلِيُّ: هُوَ أَبُو قَيْسٍ صِرْمَةُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ، وَاسْمُ أَبِي أَنَسٍ: قَيْسُ بْنُ صِرْمَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ عَمْرِو بْنِ غَنْمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ. قَالَ: وَهُوَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ وَفِي عُمَرَ {أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ} [البقرة: 187] الْآيَةَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ يُحِبُّ قُرَيْشًا، وَكَانَ لَهُمْ صِهْرًا كَانَتْ تَحْتَهُ
পৃষ্ঠা - ২০৯৩
أَرْنَبُ بِنْتُ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ، وَكَانَ يُقِيمُ عِنْدَهُمُ السِّنِينَ بِامْرَأَتِهِ - قَالَ قَصِيدَةً يُعَظِّمُ فِيهَا الْحُرْمَةَ، وَيَنْهَى قُرَيْشًا فِيهَا عَنِ الْحَرْبِ، وَيَذْكُرُ فَضْلَهُمْ وَأَحْلَامَهُمْ وَيُذَكِّرُهُمْ بَلَاءَ اللَّهِ عِنْدَهُمْ، وَدَفْعَهُ عَنْهُمُ الْفِيلَ وَكَيْدَهُ، وَيَأْمُرُهُمْ بِالْكَفِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
أَيَا رَاكِبًا إِمَّا عَرَضْتَ فَبَلِّغَنْ ... مُغَلْغَلَةً عَنِّي لُؤَيَّ بْنَ غَالِبِ
رَسُولَ امْرئٍ رَاعَهُ ذَاتُ بَيْنِكُمْ ... عَلَى النَّأْيِ مَحْزُونٍ بِذَلِكَ نَاصِبِ
وَقَدْ كَانَ عِنْدِي لِلْهُمُومِ مُعَرَّسٌ ... وَلَمْ أَقْضِ مِنْهَا حَاجَتِي وَمَآرِبِي
نُبَيِّتُكُمْ شَرْجَيْنِ كُلُّ قَبِيلَةٍ ... لَهَا أَزْمَلٌ مِنْ بَيْنِ مُذْكٍ وَحَاطِبِ
أُعِيذُكُمْ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ صُنْعِكُمْ ... وَشَرِّ تَبَاغِيكُمْ وَدَسِّ الْعَقَارِبِ
وَإِظْهَارِ أَخْلَاقٍ وَنَجْوَى سَقِيمَةٍ ... كَوَخْزِ الْأَشَافِي وَقْعُهَا حَقُّ صَائِبِ
فَذَكِّرْهُمْ بِاللَّهِ أَوَّلَ وَهْلَةٍ ... وَإِحْلَالِ إِحْرَامِ الظِّبِاءِ الشَّوَازِبِ
পৃষ্ঠা - ২০৯৪
সুতরাং তোমাদের যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করে দাও অন্যান্য যুদ্ধবাজ লোকদের নিকট ৷ আর
নিজেদের হিসাব দেয়ার কথা স্মরণ কর ৷ মহান আল্লাহ উত্তম হিসাব গ্রহণকাবী ৷
আল্লাহ তাআলা হলেন মানুষের সাহায্যকারী ৷ তিনি একটি দীন মা;নানীত করেছেন ৷ সে
দীন গ্রহণ করলে নক্ষত্ররাজির মালিক আল্লাহ ছাড়া ণ্তামাদের কোন প্রভু থাকবে না ৷
৷ ,ট্রুশু ৰুও ৷
আপনারা আমাদের জন্যে একটি দীন ই হানীফ ও সরল দীন প্রতিষ্ঠা করে যান এবং
আমাদেরকে এমন চুড়ান্ত অগ্রগতির সাথে সম্পৃক্ত করে যান যা শুধুমাত্র নে৩ তৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ
পেয়ে থাকেন ৷
আপনারা তো এই জনসাধারণের জন্যে আলে৷ ও প্রতিরম্ফকারী ৷ নেতৃস্থানীয় এবং
ধৈর্যশীল ব্যক্তিবর্গ কখনো লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয় না ৷
মানুষের কৃতিতৃ যখন হিসেব করা হয়, তখন আপনারা তাদের মধ্যে মণি-মৃক্তা বলে গণ্য
হন ৷ আরবের নেতৃতৃ ও গ্রেষ্ঠতৃ আপনাদের জন্যেই সংরক্ষিত ৷
মর্যাদাবান সুপ্রাচীনকাল থেকে আভিজাত্যপুর্গ ও কুলীন বং শ-মর্যাদা আপনারা রক্ষা করে
চলেছেন ৷ আপনাদের বংশ, স্ন্তুম্ভে, ভদ্র এবং নির্ভেজাল ৷ কোন প্রকারের অভদ্র মিশ্রণ
আপনাদের বংশে নেই ৷
অভাবী ও সাহায্যপ্রার্থী লোকজন দেখতে পায় যে , অসহায় ও দুর্বল লোকজন সাহায্যের
আশায় আপনাদের বাসস্থানের প্ৰতি অগ্রসর হচ্ছে ৷ তাদেরকে দেখে অন্যান্য সাহায্যণ্প্রার্থীরাও
আপনাদের বাড়ির পথ খুজে পায় ৷
সব লোক জানে যে , আপনাদের গোত্রগুলো সর্বাবস্থায় সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ৷
এ্াব্লুএ ৷াপ্রুপু, ,;ং ৰুদ্বু’,দ্বুন্া, >া;া, ৷র্দু:া, হ্র;া,
কুজ ৷
কালো কাপড় ৷
وَقُلْ لَهُمُ وَاللَّهُ يَحْكُمُ حُكْمَهُ
ذَرُوا الْحَرْبَ تَذْهَبْ عَنْكُمُ فِي الْمَرَاحِبِ ... مَتَى تَبْعَثُوهَا تَبْعَثُوهَا ذَمِيمَةً
هِيَ الْغَوْلُ لِلْأَقْصَيْنَ أَوْ لِلْأَقَارِبِ ... تُقَطِّعُ أَرْحَامًا وَتُهْلِكُ أُمَّةً
وَتَبْرِي السَّدِيفَ مِنْ سَنَامٍ وَغَارِبِ ... وَتَسْتَبْدِلُوا بِالْأَتْحَمِيَّةِ بَعْدَهَا
شَلِيلًا وَأَصْدَاءً ثِيَابَ الْمُحَارِبِ ... وَبِالْمِسْكِ وَالْكَافُورِ غُبْرًا سَوَابِغًا
كَأَنَّ قَتِيرَيْهَا عُيُونُ الْجَنَادِبِ ... فَإِيَّاكُمْ وَالْحَرْبَ لَا تَعْلَقَنَّكُمْ
وَحَوْضًا وَخِيمَ الْمَاءِ مُرَّ الْمَشَارِبِ ... تَزَيَّنُ لِلْأَقْوَامِ ثُمَّ يَرَوْنَهَا
بِعَاقِبَةٍ إِذْ بُيِّنَتْ أُمَّ صَاحِبِ ... تُحَرِّقَ لَا تُشْوِي ضَعِيفًا وَتَنْتَحِي
ذَوِي الْعِزِّ مِنْكُمْ بِالْحُتُوفِ الصَّوَائِبِ ... أَلَمْ تَعْلَمُوا مَا كَانَ فِي حَرْبِ دَاحِسٍ
فَتَعْتَبِرُوا أَوْ كَانَ فِي حَرْبِ حَاطِبِ
পৃষ্ঠা - ২০৯৫
আপনাদের লোকজন সর্বোত্তম রায় প্রদানকারী, সর্বশেষ্ঠ রীতিনীতির অনুসারী, সর্বাধিক
সত্য বক্তব্য প্রদানকারী এবং মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী ৷
!ন্ধ্ণ্শ্০!;শ্ :ব্রশ্ শ্ :’০শ্
গ্রাচুষ্১র্বুা
সুতরাং আপনারা উঠুন, আপনাদের প্ৰতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং মক্কায়
পর্বতদ্বয়ের মাঝে অবস্থিত এই ৷হের স্তম্ভগুলো চুম্বন করুন, স্পর্শ করুন ৷
আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি নিআমত ও অনুগ্রহ রয়েছে ৷ আপনাদের প্রতি বিপদ
নেমে এসেছে ৷ বিশেষত সেদিন, যেদিন সেনাবাহিনীর নেতৃতৃ প্রদান করে সেনাপতি আবু
ইয়াকসুম আপনাদের উপর আক্রমণ করেছিল ৷
তার সাধারণ সেনাবাহিনী সম৩ ল ভুমি অতিক্রম করছিল ৷ আর তার পদাতিক বাহিনী ছিল
পর্বতের চুড়ায় পাহাড়ী পথে ৷
ন্ ণ্া’১ষ্টু এ ১১ এ্যা ৷ প্রু১১ ৰুট্রুছুষ্ট্টট্রু ষ্ৰুর্মুন্ং৷ ৷ হে১ ,;; ণ্£ান্ ৷ এে
যখন আপনাদের নিকট আরশের মালিক মহান আল্লাহর সাহায্য এল তখন মহান
মালিকের সেনাবাহিনী আবু ইয়াকসুমের অনুসারীদের পরাজিত করে দিল ৷ ফলে ওদের কতক
ধ্বংস হল আর কতক দ্রুত পালিয়ে গেল ৷
ধ্;ওঢ়ণ্ও ১১১ ;া ই ং ণ্প্রু-ণ্ণ্৷ এ ৷ — ১১;ৰু ন্ত্র১ ;হুরুন্এ দ্রণ্ ৷; ৷দ্বু,া;ৰু;ৰু
ওরা সকলে দ্রুত পলায়ন করে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো ৷ মাত্র কয়েকজন ছাড়া ওই হাবশী
লোকদের কেউই নিজ পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে আসতে পারেনি ৷
-;রু১ব্লে ৷১’ওাওএ ১ও
এখন নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ-বিয়হ করে যদি আপনারা ধ্বংস হয়ে যান, তার আমরাও ধ্বং
হয়ে যাব এবং মক্কায় অনুষ্ঠিত হজ্জ সমাবেশ ও অন্যান্য যেলাগুলে৷ লণ্ডভও হয়ে যাবে ৷ এসব
হল একজন সত্যবাদী লোকের কথা যে মিথ্যাবাদী নয় ৷
আবু করেন তার কবিতায় যে দাহিস যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছে সেটি জাহিলী যুগের
একটি প্রসিদ্ধ যুদ্ধ ৷ আবু উবায়দ মা ’মার ইবন ঘৃছান্ন৷ ও অন্যান্যদের বর্ণনা অনুযায়ী সেটির
করণ এই কায়স ইবন যুহায়র ইবন জুযায়ম৷ ইবন রাওয়াহা গাতফ৷ ৷নীর একটি ঘোড়া ছিল ৷
সেটির নাম ছিল দাহিস ৷ অপরদিকে হুয়ায়ফ৷ ইবন বদর ইবন আমর ইবন জুবা পা৩ ফানীর
একটি ঘোড়া ছিল ৷ সেটির নাম ছিল গাবর৷ ৷ একদিন উভয় ঘোড়ার মাঝে দৌড় প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠিত ৩হয় ৷ প্ৰতিযোগি৩ ৷য় বিজয়ী হয় দাহিস ৷ ক্ষোভেদুঃখে হুযায়ফা৩ তার প্রতিপক্ষ ঘোড়া
দাহিসকে থাপ্পড় মারার জন্যে নির্দেশ দেয় ৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মালিক ইবন যুহায়র উঠে
হুযায়ফার ঘোড়া “গাবরার” মুখে চপেটাঘাত করে ৷
وَكَمْ قَدْ أَصَابَتْ مِنْ شَرِيفٍ مُسَوَّدٍ ... طَوِيلِ الْعِمَادِ ضَيْفُهُ غَيْرُ خَائِبِ
عَظِيمِ رَمَادِ النَّارِ يُحْمَدُ أَمْرُهُ ... وَذِي شِيمَةٍ مَحْضٍ كَرِيمِ الْمَضَارِبِ
وَمَاءٍ هُرِيقَ فِي الضَّلَالِ كَأَنَّمَا ... أَذَاعَتْ بِهِ رِيحُ الصَّبَا وَالْجَنَائِبِ
يُخَبِّرُكُمْ عَنْهَا امْرِؤٌ حَقُّ عَالِمٍ ... بِأَيَّامِهَا وَالْعِلْمُ عِلْمُ التَّجَارُبِ
فَبِيعُوا الْحِرَابَ مِلْمُحَارِبِ وَاذْكُرُوا ... حِسَابَكُمُ وَاللَّهُ خَيْرُ مُحَاسِبِ
وَلِيُّ امْرِئٍ فَاخْتَارَ دِينًا فَلَا يَكُنْ ... عَلَيْكُمْ رَقِيبٌ غَيْرُ رَبِّ الثَّوَاقِبِ
أَقِيمُوا لَنَا دِينًا حَنِيفًا فَأَنْتُمُ ... لَنَا غَايَةٌ قَدْ يُهْتَدَى بِالذَّوَائِبِ
وَأَنْتُمْ لِهَذَا النَّاسِ نُورٌ وَعِصْمَةٌ ... تُؤَمُّونَ وَالْأَحْلَامُ غَيْرُ عَوَازِبِ
وَأَنْتُمْ إِذَا مَا حُصِّلَ النَّاسُ جَوْهَرٌ ... لَكُمْ سُرَّةُ الْبَطْحَاءِ شُمُّ الْأَرَانِبِ
تَصُونُونَ أَجْسَادًا كِرَامًا عَتِيقَةً ... مُهَذَّبَةَ الْأَنْسَابِ غَيْرَ أَشَائِبِ
تَرَى طَالِبَ الْحَاجَاتِ نَحْوَ بُيُوتِكُمْ ... عَصَائِبَ هَلْكَى تَهْتَدِي بِعَصَائِبِ
পৃষ্ঠা - ২০৯৬
হুযায়ফার ভাই হামল ইবন বদর এস মালিকের মুখে চপেটাযাত করে ৷ পরে এক সময়ে
আবু জুনদৃব আবাসী হুযায়ফার পুত্র আওফকে বাগে পেয়ে খুন করে ৷ বনু ফাযার৷ গোত্রের এক
লোক কায়সের ভাই মালিককে খুন করে ৷ এরপর বনু আবস ও বনু ফাযার৷ গোত্রের মধ্যে
নিয়মিত যুদ্ধ চলতে থাকে ৷ যুদ্ধে হুযায়ফা ইবন বদরত রে ভাই হামল ইবন বদরসহ বহু লোক
নিহত হয় ৷ এ যুদ্ধ নিয়ে তারা বহু কবিতা রচনা করেছে যা এখানে উল্লেখ করলে গ্রন্থের
কলেবর বেড়ে যাবে ৷
ইবন হিশাম বলেন, কায়স দাহিস ও গাবর৷ নামক দুটো ঘোড়া প্রেরণ করেছিল আর
হুযায়ফ৷ প্রেরণ করেছিল থাতার ও হানাফ৷ নামক ঘোড়া দুটো ৷ তার প্ৰথমােক্ত বর্ণনা বিশুদ্ধ ৷
হাতিবের যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন যে, হাতির ইবন হারিছ ইবন কায়স ইবন হায়শা ইবন
হারিছ ইবন উমাইয়া ইবন মুআবিয়া ইবন মালিক ইবন আওস ইবন আমর ইবন আওফ ইবন
মালিক ইবন আওফ একদিন এক ইয়াহুদীকে হত্যা করেছিল ৷ ওই; ইয়াহুদী ছিল খাযরাজ
গোত্রের প্রতিবেশী ৷ হত্যাকারী হাতিবকে খুন করার জন্যে খাযরাত্ত৷ ৷;গাত্রের একদল লোক নিয়ে
পথে বের হয় যায়দ ইবন হারিছ ইবন কায়স ইবন মালিক ইবন আহমার ইবন হারিছ৷ ইবন
ছা’লাবা ইবন কাআব ইবন মালিক ইবন কাআব ইবন খাযরাজ ইবন হারিছ ইবন খাযরাজ ৷
যায়দ ইবন হারিছের ডাকনাম ছিল ইবন কাসহাম ৷ নিজ দলের ণ্লাকদেরকে নিয়ে সে হাতিবকে
খুন করে ৷ ফলে আওস এবং খাযরাজ গোত্রের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় ৷ উভয় গোত্রের মধ্যে প্রচণ্ড
যুদ্ধ হয় ৷ শেষ পর্যন্ত খাযরাজরা বিজয়ী হয় ৷ এই যুদ্ধে আসওয়াদ ইবন সামিত আওসী নিহত
হয় ৷ তাকে হত্যা করে বনু আওফ ইবন খাযরাজ গোত্রের মিত্র ঘুজাযযর ইবন যিয়াদ ৷ এরপর
দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে যুদ্ধ চলেছিল ৷ মাে ৷ট কথা প্রচুর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সত্বেও তা দ্বারা
আবু ক য়স ইবন আসলাত নিজে উপকৃত হতে পারেনি ৷ সে নিজে ঈমান আনয়ন করেনি ৷
হযরত মুসআব ইবন উমায়র (রা) যখন মদীনায় এলেন এবং মদীনায় অধিবাসীদেরকে
ইসলামের দাওয়াত দিলেন, তখন বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এমন কোন পাড়া ও মহল্লা
ছিল না যেখানে অন্তত ৩দু’চার জন মুসলিম নারী পুরুষ ছিলেন ন৷ ৷ কিন্তু আবু কায়সের গোত্র
বনু ওয়াকিফের মহল্লা ছিল এর ব্যতিক্রম ৷ সে তার যহল্লার লোকদেরকে ইসলাম গ্রহণ থেকে
বিরত রেখেছিল ৷ সে বলেছিল :
-এ্টুত্রট্টাঙু ৷রু ’ ৷ স্ন্ ৷ পুাৰুপুণ্প্৷ ,এে ৷ পু ড্রুগ্লুা
হে মানব জাতির প্রতিপালক ! এ কি ঘটনা ঘটল ? এমন কিছু বিষয় নেমে এল যেখানে
কঠোরত৷ আর কােমলত৷ একাকার হয়ে যায় ৷
৷ গ্লুা
হে মানব জাতির প্রতিপালক ৷ আমরা যদি পথভ্রষ্ট হয়ে থাকি তবে আমাদের জন্যে সুপথ
সুগম করে দিন ৷
لَقَدْ عَلِمَ الْأَقْوَامُ أَنَّ سَرَاتَكُمْ
عَلَى كُلِّ حَالٍ خَيْرُ أَهْلِ الْجَبَاجِبِ ... وَأَفْضَلُهُ رَأْيًا وَأَعْلَاهُ سُنَّةً
وَأَقْوَلُهُ لِلْحَقِّ وَسْطَ الْمَوَاكِبِ ... فَقُومُوا فَصَلُّوا رَبَّكُمْ وَتَمَسَّحُوا
بِأَرْكَانِ هَذَا الْبَيْتِ بَيْنَ الْأَخَاشِبِ ... فَعِنْدَكُمْ مِنْهُ بَلَاءٌ وَمَصْدَقٌ
غَدَاةَ أَبِي يَكْسُومَ هَادِي الْكَتَائِبِ ... كَتِيبَتُهُ بِالسَّهْلِ تُمْسِي وَرِجْلُهُ
عَلَى الْقَاذِفَاتِ فِي رُءُوسِ الْمَنَاقِبِ ... فَلَمَّا أَتَاكُمْ نَصْرُ ذِي الْعَرْشِ رَدَّهُمْ
جُنُودُ الْمَلِيكِ بَيْنَ سَافٍ وَحَاصِبِ ... فَوَلَّوْا سِرَاعًا هَارِبِينَ وَلَمْ يَؤُبْ
إِلَى أَهْلِهِ مِلْحُبْشِ غَيْرُ عَصَائِبِ ... فَإِنْ تَهْلِكُوا نَهْلِكْ وَتَهْلِكْ مَوَاسِمٌ
يُعَاشُ بِهَا قَوْلُ امْرِئٍ غَيْرِ كَاذِبٍ
وَحَرْبُ دَاحِسٍ الَّذِي ذَكَرَهَا أَبُو قَيْسٍ فِي شِعْرِهِ، كَانَتْ فِي زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ مَشْهُورَةً، وَكَانَ سَبَبَهَا فِيمَا ذَكَرَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ مَعْمَرُ بْنُ الْمُثَنَّى وَغَيْرُهُ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ২০৯৭
فَرَسًا يُقَالُ لَهَا: دَاحِسٌ. كَانَتْ لِقَيْسِ بْنِ زُهَيْرِ بْنِ جَذِيمَةَ بْنِ رَوَاحَةَ الْغَطَفَانِيِّ، أَجْرَاهُ مَعَ فَرَسٍ لِحُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ جُؤَيَّةَ الْغَطَفَانِيِّ أَيْضًا. يُقَالُ لَهَا: الْغَبْرَاءُ. فَجَاءَتْ دَاحِسُ سَابِقًا، فَأَمَرَ حُذَيْفَةُ مَنْ ضَرَبَ وَجْهَهُ، فَوَثَبَ مَالِكُ بْنُ زُهَيْرٍ فَلَطَمَ وَجْهَ الْغَبْرَاءِ، فَقَامَ حَمَلُ بْنُ بَدْرٍ فَلَطَمَ مَالِكًا، ثُمَّ إِنَّ أَبَا جُنَيْدِبٍ الْعَبْسِيَّ لَقِيَ عَوْفَ بْنَ حُذَيْفَةَ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ لَقِيَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ مَالِكًا فَقَتَلَهُ، فَنَشِبَتِ الْحَرْبُ بَيْنَ بَنِي عَبْسٍ وَفَزَارَةَ، فَقُتِلَ حُذَيْفَةُ بْنُ بَدْرٍ، وَأَخُوهُ حَمَلُ بْنُ بَدْرٍ، وَجَمَاعَاتٌ آخَرُونَ، وَقَالُوا فِي ذَلِكَ أَشْعَارًا كَثِيرَةً يَطُولُ بَسْطُهَا وَذِكْرُهَا.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: أَرْسَلَ قَيْسٌ دَاحِسَ وَالْغَبْرَاءَ، وَأَرْسَلَ حُذَيْفَةُ الْخَطَّارَ وَالْحَنْفَاءَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. قَالَ: وَأَمَّا حَرْبُ حَاطِبٍ; فَيَعْنِي حَاطِبَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسِ بْنِ هَيْشَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ، كَانَ قَتَلَ يَهُودِيًّا جَارًا لِلْخَزْرَجِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَالِكِ بْنِ أَحْمَرَ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكِ بْنِ كَعْبِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ - وَهُوَ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ২০৯৮
আমাদের প্রতিপালক না থাকলে আমরা ইয়াহুদী হয়ে যেত ৷ম ইযাহুদী ধর্ম বহুরুপীও
জগাখিচুড়ি নয় ৷
এট্ট এে এ১১ ট্রু,ণ্ ওন্ ১এেটুএ ণ্এ — )া;শু; র্দু১’হ্ন এেট্ট প্প১ত্র১
আমাদের প্রতিপালক না থাকলে আমরা খৃক্টান হয়ে যেতাম আর অরণ্যচারী হয়ে
যাজকদের সাথে পাহাড়ে পর্বতে ঘুরে বেড়াতাম ৷
এেফু
তবে আমাদের যখন সৃষ্টি করা হয়েছে তখন সত্যপন্থী ও সরলপন্থীরুভ্রুপ সৃষ্টি করা হয়েছে ৷
আমাদের দীন ধর্ম সকল প্রকারের বক্রত৷ ও ভেজাল থেকে মুক্ত ৷
¢
আমরা মিনাতে যবাহ্ করার জন্যে পশু নিয়ে যইি ৷ সেগুলো অনুগত ভাবে এগিয়ে যায়
দুর্গম পথে ও সেগুলো ঘাড় উচু করে চলতে থাকে ৷
তার বক্তব্যের মুল কথা হল, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আবির্ভাবের সংবাদ শুনে সে কিৎকর্তব্য-
বিমুঢ় হয়ে পড়েছিল ৷৩ ৩াই নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সত্বেও সে ইসলামগ্রহণ থেকে বিরত থাকে ৷
প্রথমত, আবদুল্লাহ ইবন উবইি ইবন সালুলত তাকে ইসলামগ্রহণে বাধা দেয় ৷ আবু কায়স নিজে
আবদুল্লাহ ইবন উবাইকে বলেছিল যে, এ রাসুলওে তো সেই রাসুল ইয়াহ্দীরা যার আগমনের
সংবাদ দাি৩ ৷ ৷ ইবন উবাই কৌশলে তাকে ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত রাখে ৷ ইবন ইসহাক
বলে, মক্কা বিজয়ের দিবস পর্যন্ত আবু কায়স ও তার ভাই ইসলামগ্রহণ করেনি ৷ সে শেষ পর্যন্ত
ইসলাম গ্রহণ করেছে এমন মন্তব্য যুবায়র ইবন বাক্কার প্ৰ৩ ব্রুাখ্যান করেন ৷ ওয়াকিদীর
অভিম৩ ও অনুরুপ ৷ ওয়াকিদী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ প্রথম তাকে যখন ইসলামের দাওয়াত দেন,
তখন সে ইসলামগ্রহণের সং কল্প করেছিল ৷ এরপর আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই এরুপ সংকল্পের
জন্যে তাকে তহ্সন৷ করে ৷ তখন সে শপথ করে যে, এক বছর পর্যন্ত যে ইসলাম গ্রহণ করবে
না ৷ ওই য়্লকা’দা সালে তার মৃত্যু ঘটে ৷
ইবনুল আহীর তীর উসদুল গাবা গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন, কেউ কেউ বলেছেন যে, আবু
কায়সের মৃত্যু যখন ঘনিয়ে আসে, তখন রাসুলুল্লাহ্ তাকে ইসলামগ্রহণের দাওয়াত দেন ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ তাকে বলতে শুন্যেছন যে, সে বলছে ল৷ ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্’ ৷
ইমাম আহমদ, আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক
অসুস্থ আনসারী লোককে দেখতে গেলেন ৷ তিনি বললেন, মামা বলুন, “লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” ৷
সে বলল, আপনি কি আমাকে চাচা ডাকেন, নাকি মামা ডাকেন ? রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন
মামা-ই তো ৷ সে বলল, “লা ইলাহ৷ ইল্পাল্লাহ্ বলা কি মামার জন্যে অধিক কল্যাণকর হবে ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হীা, তা কল্যাণকর হবে৷ ইমাম আহমদ এককভাবে এ হাদীসঢি বর্ণনা
করেছেন ৷ ইকরামা ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন যে, আবু কায়সের মৃত্যুর পর তার পুত্র আবু
কায়সের বিধবা শ্রী ম৷ ন ইবন আ ৷সিমের কন্যা কা ৷বীসাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ৷ কাবীসা তখন
বিষয়টি রাসুলুল্পাহ্কে জানায় ৷ তখন আল্লাহ তা ভালো না ৷যিল করলেন :
يُقَالُ لَهُ: ابْنُ فُسْحُمَ - فِي نَفَرٍ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَقَتَلُوهُ، فَوَقَعَتِ الْحَرْبُ بَيْنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا وَكَانَ الظَّفَرُ لِلْخَزْرَجِ، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ الْأَسْوَدُ بْنُ الصَّامِتِ الْأَوْسِيُّ، قَتَلَهُ الْمُجَذَّرُ بْنُ ذَيَّادٍ حَلِيفُ بَنِي عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ كَانَتْ بَيْنَهُمْ حُرُوبٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا أَيْضًا.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ أَبَا قَيْسِ بْنَ الْأَسْلَتِ، مَعَ عِلْمِهِ وَفَهْمِهِ، لَمْ يَنْتَفِعْ بِذَلِكَ حِينَ قَدِمَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ الْمَدِينَةَ وَدَعَا أَهْلَهَا إِلَى الْإِسْلَامِ، فَأَسْلَمَ مِنْ أَهْلِهَا بَشَرٌ كَثِيرٌ، وَلَمْ يَبْقَ دَارٌ - أَيْ مَحَلَّةٌ - مِنْ دُورِ الْمَدِينَةِ إِلَّا وَفِيهَا مُسْلِمُونَ وَمُسْلِمَاتٌ، غَيْرَ دَارِ بَنِي وَاقِفٍ قَبِيلَةِ أَبِي قَيْسٍ، ثَبَّطَهُمْ عَنِ الْإِسْلَامِ، وَهُوَ الْقَائِلُ أَيْضًا:
أَرَبَّ النَّاسِ أَشْيَاءٌ أَلَمَّتْ ... يُلَفُّ الصَّعْبُ مِنْهَا بِالذَّلُولِ
أَرَبَّ النَّاسِ أَمَّا إِنْ ضَلَلْنَا ... فَيَسِّرْنَا لِمَعْرُوفِ السَّبِيلِ
فَلَوْلَا رَبُّنَا كُنَّا يَهُودًا ... وَمَا دِينُ الْيَهُودِ بِذِي شُكُولِ
وَلَوُلَا رَبُّنَا كُنَّا نَصَارَى ... مَعَ الرُّهْبَانِ فِي جَبَلِ الْجَلِيلِ
وَلَكِنَّا خُلِقْنَا إِذْ خُلِقْنَا ... حَنِيفًا دِينُنَا عَنْ كُلِّ جِيلِ
পৃষ্ঠা - ২০৯৯
ৰুাড্রু
“নারীদের মধ্যে ৫৩ামাদের পি৩ তৃপুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছে তোমরা তাদেরকে বিয়ে
করো না ৷ পুর্বে যা হয়েছে হয়েছেই ৷ এটি অশ্লীল,অতিশয় ঘৃণা এবং নিকৃষ্ট আচরণ ৷
ইবন ইসহাক এবং মাগাযী গ্রন্থের লেখক সাঈদ ইবন ইয়াহ্য়া উমাভী উল্লেখ করেছেন যে ৰু
আলোচ্য আবু কায়স জাহিলী যুগে সন্নব্রাসব্র৩ গ্রহণ করেছিল ৷ সে চট পরিধান করাতা ৷
মুর্তি পুজা বর্জন করে চলং৩ তা ৷ নাপাকী থেকে পবিত্রতা অজনের জন্যে গোসল করতো ৷
মহির্লাদের জন্যে হ ইয ও ঋতুস্রাব থেকে পবিত্রতা অর্জনের ব্যবস্থা করতো ৷ খৃন্টধর্ম গ্রহণের
পরিকল্পনা করেছিল ৷ কিন্তু তারপর তা থেকে বিরত থাকে ৷ সে৩ার একটি গৃহে প্রবেশ করে
এবং সেটিকে মসজিদ রুপে নির্ধারণ ৷করে ৷ কে ন ঋতুমভী মহিট্রুৎলাএবং কোন নাপাক ব্যক্তির
সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল না ৷ সে বলেছিল, আমি ইব্রাহীম (আ)-এর মা’বুদ ও ইলাহ্-এর
ইবাদত করব ৷ তিনি মুর্তিপুজাকে ত্যাগ করেছিলেন এবং তার প্ৰতি ঘৃণা প্রকাশ করেছিলেন ৷
সে এভাবেই ইবাদত করে যাচ্ছিল ৷ অবশেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) মদীনায় আগমন করলেন ৷ সে
ইসলাম গ্রহণ করল এবং সে নিষ্ঠার সাথে ইসলামী জীবন যাপন করে ৷ সে ছিল বয়ােবৃদ্ধ
ব্যক্তি ৷ সদা সর্বদা স৩া কথা ব্যক্তকারী ৷ জাহিলী যুগেও যে তাল্লাহ্র প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান নিবেদন
করত ৷ এসব বিষয়ে যে কতক সুন্দর কবিতা রচনা ও আবৃত্তি করেছেং :
আল্লাহ্যুথী হয়ে আবু কায়স বলছে, তোমাদের সাধ্য মুতাবিক তোমরা আমার উপদেশ
কার্যকর কর ৷
ৰুাট্রুা
আমি৫ আমাদেরকে আল্লাহ্ সম্পর্কে উপদেশ দিচ্ছি ৷ আরো উপদেশ দিচ্ছি সৎকর্মের
থোদাভীতির এবং অন্যায় থেকে দুরে থাক কার আর সর্বাগ্রে মহান অাল্লাহ্র আনুগত্য করার ৷
াটুপুর্মুণ্াটুণ্ ওাট্রুর্বু৷ ৷ ট্রু,াংা১’৷ ষ্টুাট্রুণ্ ৷ট্রু’ষ্াটুন্ ন্র্বুটুও ট্রু,াট্রু
তোমাদের সম্প্রদায়ের লোকজন নেতা মনোনীত হলে৫ তোমরা ওদেরকে হিং সা করো না ৷
আর তোমরা নিজেরা নে৩ তত্বের আসনে আসীন হলে তোমরা ন্যায়বিচার করো ৷
৷টুট্রুট্রুৰু£১ ;স্পো ৷ ট্রু,ট্রু১ ংণ্’ধুট্রুন্’ন্ং১১ — ণ্ধুপ্রুব্লুপ্রু ;; ৷ দ্বুএ ৷ < ৰু;১ ৷ ;ন্ট্রুা;(১ ;, ৷ ’,
তোমাদের সম্প্রদায়ের উপর কোন বিপদ নেমে এলে নিজেদের সম্প্রদায়ের লোককে রক্ষা
করার জন্যে নিজেরা ই৩ ধ্া ৩মুকাবিলা করবে ৷
০ ; : ; ,
( আমাদের সম্প্রদায়ের উপর যদি ঋণের বোঝা এসে পচ্ড়, তবে তোমরা তৰুাদের প্রতি ৩সদয়
ও নম্র আচরণ করবে ৷ আর তোমাদের উপর যদি কোন দায় চাপিয়ে দেয়া হয় , তবে তোমরা
সেই দায় দায়িৎ গ্রহণ করো ৷
نَسُوقُ الْهَدْيَ تَرْسُفُ مُذْعِنَاتٍ
مُكَشَّفَةَ الْمَنَاكِبِ فِي الْجُلُولِ
وَحَاصِلُ مَا يَقُولُ، أَنَّهُ حَائِرٌ فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْأَمْرِ الَّذِي قَدْ سَمِعَهُ مِنْ بِعْثَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَوَقَّفَ الْوَاقِفِيُّ فِي ذَلِكَ، مَعَ عِلْمِهِ وَمَعْرِفَتِهِ، وَكَانَ الَّذِي ثَبَّطَهُ عَنِ الْإِسْلَامِ أَوَّلًا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنِ سَلُولَ، بَعْدَمَا أَخْبَرَهُ أَبُو قَيْسٍ أَنَّهُ الَّذِي بَشَّرَ بِهِ يَهُودُ، فَمَنَعَهُ عَنِ الْإِسْلَامِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يُسْلِمْ إِلَى يَوْمِ الْفَتْحِ هُوَ وَأَخُوهُ وَحْوَحٌ. وَأَنْكَرَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ أَنْ يَكُونَ أَبُو قَيْسٍ أَسْلَمَ. وَكَذَا الْوَاقِدِيُّ، قَالَ: كَانَ عَزَمَ عَلَى الْإِسْلَامِ أَوَّلَ مَا دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَامَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ، فَحَلَفَ لَا يُسْلِمُ إِلَى حَوْلٍ، فَمَاتَ فِي ذِي الْقِعْدَةِ. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُهُ، فِيمَا حَكَاهُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي كِتَابِهِ " أُسْدِ الْغَابَةِ " أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ دَعَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْإِسْلَامِ فَسُمِعَ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَادَ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ: " يَا خَالِ، قُلْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ". فَقَالَ: أَخَالٌ أَمْ عَمٌّ؟ قَالَ: " بَلْ
পৃষ্ঠা - ২১০০
خَالٌ ". قَالَ: فَخَيْرٌ لِي أَنْ أَقُولَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " نَعَمْ ".» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَذَكَرَ عِكْرِمَةُ وَغَيْرُهُ، أَنَّهُ لَمَّا تُوُفِّيَ أَرَادَ ابْنَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ امْرَأَتَهُ كُبَيْشَةَ بِنْتَ مَعْنِ بْنِ عَاصِمٍ، فَسَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {وَلَا تَنْكِحُوا مَا نَكَحَ آبَاؤُكُمْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ} [النساء: 22] الْآيَةَ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَسَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ ": كَانَ أَبُو قَيْسٍ هَذَا قَدْ تَرَهَّبَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَلَبِسَ الْمُسُوحَ، وَفَارَقَ الْأَوْثَانَ، وَاغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، وَتَطَهَّرَ مِنَ الْحَائِضِ مِنَ النِّسَاءِ وَهَمَّ بِالنَّصْرَانِيَّةِ، ثُمَّ أَمْسَكَ عَنْهَا، وَدَخَلَ بَيْتًا لَهُ فَاتَّخَذَهُ مَسْجِدًا، لَا يَدْخُلُ عَلَيْهِ فِيهِ حَائِضٌ وَلَا جُنُبٌ، وَقَالَ: أَعْبُدُ إِلَهَ إِبْرَاهِيمَ، حِينَ فَارَقَ الْأَوْثَانَ وَكَرِهَهَا، حَتَّى قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَأَسْلَمَ فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَهُوَ شَيْخٌ كَبِيرٌ، وَكَانَ قَوَّالًا بِالْحَقِّ، مُعَظِّمًا لِلَّهِ فِي جَاهِلِيَّتِهِ، يَقُولُ فِي ذَلِكَ أَشْعَارًا حِسَانًا، وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ:
يَقُولُ أَبُو قَيْسٍ وَأَصْبَحَ غَادِيًا ... أَلَا مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ وَصَاتِيَ فَافْعَلُوا
পৃষ্ঠা - ২১০১
৷ এ
যদি তোমরা দরিদ্র ও অভাবী হয়ে যাও তবে৩ ভিক্ষাবৃত্তি থেকে নিজেকে রক্ষা কর ৷ যদি
তোমাদের কোন সম্পদ থাকে, তার তোমরা তা থেকে দান করবে ৷
আবু কড়ায়স আরো বলেছে :
তোমরা আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করো-তার তাসবীহ পাঠ কর প্ৰতি সকালে যখন সুর্য
উঠে এবং প্রতি সন্ধ্যায় যখন চন্দ্র উদিত হয় ৷
ক্রো১ ষ্ট্রহ্রএ৷ ’ণ্া৷হ্র
মহান আল্পাহ্ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল বিষয়ে অবগত ৷ আমাদের প্রতিপালকের কোন বাণী
ও কথাই অসতা নয় ৷
পক্ষীকুল র্তারই ৷ সেগুলো বেরিয়ে যায় আর সন্ধ্য৷ বেলায় পর্বতের নিরাপদ স্থানে নিজ নিজ
কুলায় ফিরে আসে-আশ্রয় নেয় ৷
প্রান্তরের বন্য জন্তু তারই ৷ তুমি দেখতে পারে যে, সেগুলো মাঠে-ময়দানে,
প্রান্তরে-উপত্যকায় বিচরণ করে এবং বালি পাহাড়ের ছায়ায় অবস্থান করে ৷
fl
ইয়াহ্রদিরা গুারই অভিমুখী হয়েছে এবং সকল প্রকারের অকল্যাণের আশৎকড়ায় অকল্যাণ
থেকে বাচার জন্যে পরিপুর্ণভা বে দীনের অনুসরণ করেছে ৷
ৰুট্রু
খৃন্টানরা৩ তারই জন্যে রৌদ্র দিবস উদ্য়াপন করে এবং তাদের সকল ঈদ-উৎসব ও
সমাবেশ তারই উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে ৷
শুণ্াঙ্ টু
তুমি দেখতে পাও আত্মসৎযমী সৎসারত্যাগী খৃক্টান ধর্ময়াজককে ৷ সে দীন-হীন ভাবে দুঃখ
কষ্টে জীবন যাপন করে ৷ বন্তুত পুর্বে সে ছিল বিলাসবহুল জীবন যা ৷পনকারী ৷
ধ্া৷ঠুন্া
হে আমার আত্মীয়গণ আত্মীয়৩ ৷ ছিন্ন করে৷ না ৷ (ছ ট বড় সকল আত্মীয় রক্ষা করো ৷
আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুপ্ল যায় ৷
এপ্রো
فَأُوصِيكُمْ بِاللَّهِ وَالْبِرِّ وَالتُّقَى
وَأَعْرَاضِكُمْ وَالْبِرُّ بِاللَّهِ أَوَّلُ ... وَإِنْ قَوْمُكُمْ سَادُوا فَلَا تَحْسُدُنَّهُمْ
وَإِنْ كُنْتُمْ أَهْلَ الرِّئَاسَةِ فَاعْدِلُوا ... وَإِنْ نَزَلَتْ إِحْدَى الدَّوَاهِي بِقَوْمِكُمْ
فَأَنْفُسَكُمْ دُونَ الْعَشِيرَةِ فَاجْعَلُوا ... وَإِنْ نَابَ غُرْمٌ فَادِحٌ فَارْفُقُوهُمُ
وَمَا حَمَّلُوكُمْ فِي الْمُلِمَّاتِ فَاحْمِلُوا ... وَإِنْ أَنْتُمْ أَمْعَرْتُمُ فَتَعَفَّفُوا
وَإِنْ كَانَ فَضْلُ الْخَيْرِ فِيكُمْ فَأَفْضِلُوا
وَقَالَ أَبُو قَيْسٍ أَيْضًا:
سَبِّحُوا اللَّهَ شَرْقَ كُلِّ صَبَاحٍ ... طَلَعَتْ شَمْسُهُ وَكُلَّ هِلَالِ
عَالِمَ السِّرِّ وَالْبَيَانِ جَمِيعًا ... لَيْسَ مَا قَالَ رَبُّنَا بِضَلَالِ
وَلَهُ الطَّيْرُ تَسْتَرِيدُ وَتَأْوِي ... فِي وُكُورٍ مِنْ آمِنَاتِ الْجِبَالِ
وَلَهُ الْوَحْشُ بِالْفَلَاةِ تَرَاهَا ... فِي حِقَافٍ وَفِي ظِلَالِ الرِّمَالِ
وَلَهُ هَوَّدَتْ يَهُودُ وَدَانَتْ ... كُلَّ دِينٍ مَخَافَةً مِنْ عُضَالِ
وَلَهُ شَمَّسَ النَّصَارَى وَقَامُوا ... كُلَّ عِيدٍ لِرَبِّهِمْ وَاحْتِفَالِ
পৃষ্ঠা - ২১০২
অসহায় ইয়াতীমদের অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে, তাদের হক আদায়ের ক্ষেত্রে তোমরা
আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ তোমরা তাদের সাথে সেই আচরণ করো, যা হালাল ও বৈধ ৷ অবৈধ ও
হারাম আচরণ করে৷ না ৷
স্মরণ রেখো , ইয়াতীমদের একজন অভিভাবক আছেন, যিনি সব বিষয়ে অবগত ৷ কাউকে
জিজ্ঞেস মাত্র না করেই তিনি যথাযোগ্য কাজটি করেন ৷
তোমরা ইয়াভীমের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করে৷ না ৷ একজন শক্তিমান তত্ত্বাবধায়ক
ইয়াভীমের সম্পদের তত্ত্বাবধান করেন ৷
হে প্রতিবেশী পুত্ররা, প্রতিবেশীৎ কে লাঞ্ছিত করে৷ না, অপমানিত করে৷ না ৷ যে ব্যক্তি
প্রতিবেশীতু রক্ষা করে, প্রতিরেশীর হক আদায় করে নিঃসন্দেহে সে বুদ্ধিমান ব্যক্তি ৷
ট্রা
হে কাজের সম্ভানরা ! যুগ-চক্রকে নিরাপদ মনে করে৷ না, যুগের বিপদ সম্পর্কে শংকাহীন
থেকে৷ না ৷ তার চাল সম্পর্কে সজাগ থেকে৷ ৷
স্মরণ রেখো যে, যুগের কাজই হল জগত ধ্বংস করা , পুরাতন নতুন, সব কিছুকে সে শেষ
করে দেয়
শ্প্রো ৷ ১ট্রুাএ ৷ ; ৷ এৰুর্মু;) চে ,ছুন্ ৷ ৷) ,৷ ৷ শ্যুৰু ;’:’,ং’ ৷টুট্রু;ঠু;ছুশ্াট্রু
তোমরা তোমাদের কাজগুলােকে গুছিয়ে নাও এবং পরিচালিত কর সৎকর্মের ভিত্তিতে ৷
তাকওয়া অর্জন, পাপাচার বর্জন ও হালাল গ্রহণের ভিত্তিতে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আল্লাহ্ তা জানা ইসলাম প্রদানের মাধ্যমে এবং তাদের মধ্যে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে প্রেরণের মাধ্যমে কুরায়শদের প্রতি যে কৃপা ও অনুগ্রহ দান করেছেন,
তাদেরকে সম্মানিত করেছেন আবু কায়স সারমাহ্ সেগুলো উল্লেখ করে আরো কবিতা রচনা
করেন ৷
×
এেট্রু১ক্ট্র
তিনি (রাসুলুল্লাহ্) দশ বছরের অধিক সময় কুরায়শ গোত্রের মধ্যে অবস্থান করেছেন ৷ এই
সময়ে তিনি উপদেশ প্রদান করতে ন ৷ যদি কোন বন্ধুর বা আগত্তুকের দেখা পেতেন ৷ পরের
দিকে পুর্ণ কবিতা উল্লেখ করা হবে ইনশাঅ৷ ৷ল্লাহ্ ৷
وَلَهُ الرَّاهِبُ الْحَبِيسُ تَرَاهُ
رَهْنَ بُؤْسٍ وَكَانَ نَاعِمَ بَالِ ... يَا بَنِيَّ الْأَرْحَامَ لَا تَقْطَعُوهَا
وَصِلُوهَا قَصِيرَةً مِنْ طِوَالِ ... وَاتَّقُوا اللَّهَ فِي ضِعَافِ الْيَتَامَى
وَبِمَا يُسْتَحَلُّ غَيْرُ الْحَلَالِ ... وَاعْلَمُوا أَنَّ لِلْيَتِيمِ وَلِيًّا
عَالِمًا يَهْتَدِي بِغَيْرِ سُؤَالِ ... ثُمَّ مَالَ الْيَتِيمِ لَا تَأْكُلُوهُ
إِنَّ مَالَ الْيَتِيمِ يَرْعَاهُ وَالِي ... يَا بَنِيَّ التُّخُومَ لَا تَجْزِلُوهَا
إِنَّ جَزْلَ التُّخُومِ ذُو عُقَّالِ ... يَا بَنِيَّ الْأَيَّامَ لَا تَأْمَنُوهَا
وَاحْذَرُوا مَكْرَهَا وَمَرَّ اللَّيَالِي ... وَاعْلَمُوا أَنَّ مَرَّهَا لِنَفَادِ الْ
خَلْقِ مَا كَانَ مِنْ جَدِيدٍ وَبَالِي ... وَاجْمَعُوا أَمْرَكُمْ عَلَى الْبِرِّ وَالْتَّقْ
وَى وَتَرْكِ الْخَنَا وَأَخْذِ الْحَلَالِ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ أَبُو قَيْسٍ صِرْمَةُ أَيْضًا، يَذْكُرُ مَا أَكْرَمَهُمُ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْإِسْلَامِ، وَمَا خَصَّهُمْ بِهِ مِنْ نُزُولِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَهُمْ:
পৃষ্ঠা - ২১০৩
ثَوَى فِي قُرَيْشٍ بِضْعَ عَشْرَةَ حِجَّةً ... يُذَكِّرُ لَوْ يَلْقَى صَدِيقًا مُوَاتِيَا
وَسَيَأْتِي ذِكْرُهَا بِتَمَامِهَا فِيمَا بَعْدُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ.