আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

إسلام إياس بن معاذ

পৃষ্ঠা - ২০৭৭



স্ ; ,

তার প্রকাশ্য অবস্থান ৫তামাকে আনন্দ দান করে ৷ কিন্তু তার চামড়ার নীচে রয়েছে
প্রত ৷রণার মাদুলী, যা৫ তামার পিঠকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়ে ৷

অন্তরে সে যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে তার হিংস্র দৃষ্টির মাধ্যমে তার দ,পু চক্ষু তা
প্রক কা ৷ করে দেয় ৷



হে)গ্লুছু
তুমি তো দীঘদিন আমাকে ক্ষতবিক্ষত করেছ, এবার একটু ম ৷মার কল্যাণ সাধন কর ৷
উত্তম বন্ধু তো নেই যে কল্যাণ সাধন করে ক্ষতবিক্ষত করে না ৷

বন্তুত তার মক্কায় আগমনের সংবাদ শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নিকট গেলেন এবং তাকে
আল্লাহর প্রতি ও ইসলামের প্রতি আহ্বান জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (,সা) এর উদ্দেশ্যে সুওয়াইদ
বললেন, আমার নিকট যা আছে আপনার নিকটও সম্ভব৩ ৩তাই আছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন
তোমার নিকট কী আছে ? সে বলল, আমার নিকট লুকমানের লিপি অর্থাৎ লুকমানের প্রজ্ঞাময়
বাণী আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তা আমার নিকট পেশ কর ৷ সুওয়াইদ তাই করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এ তো চমৎকার বাণী ৷৩ তবে আমার নিকট যা আছে তা এর চাইতে
উত্তম ৷ আমার নিকট আছে কুরআন মজীদ ৷ আল্লাহ তা জানা সেটি আমার প্রতি নাযিল
করেছেন ৷ সেটি ৫জ্যাতি ও পথ-প্ৰদর্শক ৷ এ পর্যায়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তার নিকট কুরআনের কিছু
ংশ পাঠ করলেন এবং তাকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানালেন ৷ তখনই সুওয়৷ ৷ইদ বললেন,
এটি ৫৩ তা সুমহান বাণী ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) চলে এলেন ৷ সুওয়াইদ ফিরে গেলেন মদীনায়
তার নিজ সম্প্রদায়ের নিকট ৷ তার তার কিছু দিনের মধ্যে খাযরাজ গোত্রের লোকেরা তাকে
হত্যা করে ৷ তার সম্প্রদায়ের লোকজন বলত যে, আমরা দেখেছি সুওয়াইদ মুসলমান অবস্থায়
নিহত হয়েছেন ৷ বুআছ যুদ্ধের পুর্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ৷ বায়হাকী (র) হাকিম
ইবন ইসহাক সুত্রে এই বর্ণনাটি আরো সংক্ষিপ্ত আকারে উদ্ধৃত করেছেন ৷

ইয়াস ইবন মুআয-এৱ ইসলামগ্রহণ

ইবন ইসহাক বলেন, হুসাইন ইবন আবদুর রহমান মাহমুদ ইবন লাবীদ সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, এক সময় আবুল হায়সার আনাস ইবন রাফি’ মক্কায় আগমন করে ৷
আবদুল আশআল গোত্রের একদল যুবক ছিল তার সাথে ৷ তাদের একজন ইয়াস ইবন মুআ য ৷
তারা এসেছিল খাযরাজ গোত্রের আক্রমণ থােক নিজেদের সম্পুদায়কে রক্ষার ল৫ক্ষ্য
কুরায়শদের সাথে মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন করতে ৷ তাদের আগমনের স বাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট পৌছে ৷ তিনি তাদের নিকট এসে বসেন এবং বলেন, ৫৩ আেরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছ
তার চাইতে অধিক ভ ৷ল একটি ব্যবস্থা কি৫ তামরা গ্রহণ করবে ? ওরা বলল, সেটা কী?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার বান্দাদের প্রতি আমি তার প্রেরিত রাসুল ৷


[إِسْلَامُ إِيَاسِ بْنِ مُعَاذٍ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الْحُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ أَبُو الْحَيْسَرِ أَنَسُ بْنُ رَافِعٍ مَكَّةَ، وَمَعَهُ فِتْيَةٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، فِيهِمْ إِيَاسُ بْنُ مُعَاذٍ، يَلْتَمِسُونَ الْحَلِفَ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى قَوْمِهِمْ مِنَ الْخَزْرَجِ، سَمِعَ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهُمْ، فَجَلَسَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: " هَلْ لَكَمَ فِي خَيْرٍ مِمَّا جِئْتُمْ لَهُ؟ ". قَالَ: فَقَالُوا: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: " أَنَا رَسُولُ اللَّهِ إِلَى الْعِبَادِ، أَدْعُوهُمْ إِلَى أَنْ يَعْبُدُوا اللَّهَ، وَلَا يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَأُنْزِلَ عَلَيَّ الْكِتَابُ ". ثُمَّ ذَكَرَ لَهُمُ الْإِسْلَامَ، وَتَلَا عَلَيْهِمُ الْقُرْآنَ. قَالَ: فَقَالَ إِيَاسُ بْنُ مُعَاذٍ، وَكَانَ غُلَامًا حَدَثًا: يَا قَوْمِ، هَذَا وَاللَّهِ خَيْرٌ مِمَّا جِئْتُمْ لَهُ. فَأَخَذَ أَبُو الْحَيْسَرِ أَنَسُ بْنُ رَافِعٍ حَفْنَةً مِنْ تُرَابِ الْبَطْحَاءِ، فَضَرَبَ بِهَا وَجْهَ إِيَاسِ بْنِ مُعَاذٍ، وَقَالَ: دَعْنَا مِنْكَ، فَلَعَمْرِي لَقَدْ جِئْنَا لِغَيْرِ هَذَا. قَالَ: فَصَمَتَ إِيَاسٌ، وَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُمْ، وَانْصَرَفُوا إِلَى الْمَدِينَةِ، وَكَانَتْ وَقْعَةُ بُعَاثَ بَيْنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ. قَالَ: ثُمَّ لَمْ يَلْبَثْ إِيَاسُ بْنُ مُعَاذٍ أَنْ هَلَكَ. قَالَ مَحْمُودُ
পৃষ্ঠা - ২০৭৮


আমি তাদেরকে আহ্বান জানাই তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে, তার সাথে কাউকে শরীক না
করে ৷ আল্লাহ তাআলা আমার প্ৰতি কিতাব নাযিল করেছেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তাদের
নিকট ইসলামের পরিচয় তুলে ধরেন এবং তাদের নিকট কুরআন তিলাওয়াত করেন ৷ তখন
ইয়াস ইবন মুআয বললেন, তিনি তখন একজন নবীন যুবক) হে আমার সম্প্রদায়, আপনারা যে
উদ্দেশ্যে এসেছেন তার চাইতে এটি অধিকতর উত্তম ও কল্যাণকর ৷ একথা শুনে দলনেতা
আবুল হায়সার আনাস ইবন রাফি’ এক মুঠো র্কাকরযুক্ত মাটি নিয়ে ইয়াস ইবন মুআয-এর মুখে
নিক্ষেপ করে ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর উদ্দেশ্যে সে বলে, আপনি চলে মনে আপনার সাথে
আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ৷ আমরা অন্য কাজে এসেছি ৷ ইয়ান চুপ হয়ে গেল ৷ রাসুল (সা)
উঠে এলেন ৷ ওরা মদীনায় ফিরে গেল ৷ ইতোমধ্যে আওস ও খাযরাজ <:গড়াত্রের মধ্যে বুআছ যুদ্ধ
সংঘটিত হল ৷ অল্প কিছু দিনের মধ্যে ইয়াস-এর মৃত্যু হয় ৷ মাহমুস ইবন লাবীদ বলেন
ইয়াসের সম্প্রদায়ের লোকজন আমাকে বলেছে যে, ওরা তাকে দেখেছে যে , সে সব সময়
সুবহড়ানাল্লাহ্, আলহামদৃ লিল্লাহ্, আল্লাহ আকবর ও লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ্ পাঠ করতো ৷ আমৃত্যু
সে নিয়মিত এগুলো পাঠ করেছে ৷ সে যে মুসলমান রুপে মৃত্যুবরণ করোচ্চু তাতে কারো সন্দেহ
নেই ৷ ওই মজলিসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখে সে যা শুনেছে তার্তেহ সে ইসলামের মর্ম
উপলব্ধি করে এবং ইসলামের প্ৰতি আকৃষ্ট হয় ৷

বুআছ যুদ্ধের ব্যাখ্যায় আমি বলি যে, মদীনায় একটি স্থানের নাম বুআছ ! সেখানে একটি
প্রচণ্ড ও ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় আওস ও খাযরাজ গোত্রের মধ্যে ৷ উভয় গোত্রের বহু সড্রান্ত
ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ওই যুদ্ধে নিহত হয় ৷ মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন নেতা জীবিত ছিল ৷
ইমাম বুখড়ারী (র) তার সহীহ্ গ্রন্থে উবায়দ ইবন ইসমাঈল আইশা (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে , তিনি বলেছেন, বুআছ যুদ্ধের দিনটি একটি উল্লেখষেগ্যে দিন ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা)এর মিশনের সাফল্যের পটভুমিরুপে আল্লাহ তাআল ওই দিনটি দান করেছেন ৷ এই
যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করেন ৷ যুদ্ধের ফলে তখন মদীনায় নেতারা১
পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও সম্পর্কহীন ছিল ৷ ইতোমধ্যে ওদের বড় বড় নেতারা নিহত হয়েছিল ৷

পরিচ্ছেদ
আনসারগণের ইসলামগ্রহণের সুচনা

ইবন ইসহড়াক বলেন , যখন আল্লাহ তাআলা তার দীনকে বিজয়ী করার , নবীকে সম্মানিত
করার এবং নবীকে দেয়া তীর প্রতিশ্রুতি পুরণ করার ইচ্ছা করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হহুজ্জর মওসুমে কতক আনসড়ারী লোকের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ৷ তখনও তিনি অন্যান্য বারের
ন্যায় নিজেকে আরব পােত্রগুলোর নিকট পেশ করলেন ৷ এক সময় তিনি আকারায় এসে
উপস্থিত হলেন ৷ সেখানে খাযরাজ গোত্রের কিছু লোকের সাথে তার সাক্ষাত হয় ৷ আল্লাহ
তাআলা ওই লোকগুলোর কল্যাণ চেয়েছিলেন ৷ নিজ সম্প্রদায়ের বয়োবৃদ্ধ লোকদের সুত্রে
আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে তাদের সাথে যখন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাক্ষাত হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, আপনারা কোন গোত্রের লোক ?
তারা বললেন, আমরা খাযরাজ গোত্রের লোক ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন ইয়াহুদীদের মিত্র ? র্তারা


بْنُ لَبِيدٍ: فَأَخْبَرَنِي مَنْ حَضَرَنِي مِنْ قَوُمِهِ أَنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا يَسْمَعُونَهُ يُهَلِّلُ اللَّهَ، وَيُكَبِّرُهُ، وَيُحَمِّدُهُ، وَيُسَبِّحُهُ حَتَّى مَاتَ، فَمَا كَانُوا يَشُكُّونَ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ مُسْلِمًا، لَقَدْ كَانَ اسْتَشْعَرَ الْإِسْلَامَ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ حِينَ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا سَمِعَ» . قُلْتُ: كَانَ يَوْمُ بُعَاثَ، وَبُعَاثُ مَوْضِعٌ بِالْمَدِينَةِ، كَانَتْ فِيهِ وَقْعَةٌ عَظِيمَةٌ قُتِلَ فِيهَا خَلْقٌ مِنْ أَشْرَافِ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ وَكُبَرَائِهِمْ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْ شُيُوخِهِمْ إِلَّا الْقَلِيلُ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ عُبَيْدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ يَوْمُ بُعَاثَ يَوْمًا قَدَّمَهُ اللَّهُ لِرَسُولِهِ، قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَقَدِ افْتَرَقَ مَلَؤُهُمْ وَقُتِلَتْ سَرَاتُهُمْ» . وَقَالَ أَبُو زَرْعَةَ الرَّازِيُّ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": بَابُ إِسْلَامِ رَافِعِ بْنِ مَالِكٍ، وَمُعَاذِ بْنِ عَفْرَاءَ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ
পৃষ্ঠা - ২০৭৯
بْنِ هَانِئٍ الشَّجَرِيُّ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «أَنَّهُ خَرَجَ هُوَ وَابْنُ خَالَتِهِ مُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ، حَتَّى قَدِمَا مَكَّةَ، فَلَمَّا هَبَطَا مِنَ الثَّنِيَّةِ، رَأَيَا رَجُلًا تَحْتَ شَجَرَةٍ. قَالَ: وَهَذَا قَبْلَ خُرُوجِ السِّتَّةِ مِنَ الْأَنْصَارِ. قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْنَاهُ كَلَّمْنَاهُ، قُلْنَا: نَأْتِي هَذَا الرَّجُلَ نَسْتَوْدِعُهُ رَاحِلَتَيْنَا حَتَّى نَطُوفَ بِالْبَيْتِ. فَجِئْنَا فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ تَسْلِيمَ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ، فَرَدَّ عَلَيْنَا تَسْلِيمَ أَهْلِ الْإِسْلَامِ، وَقَدْ سَمِعْتُ بِالنَّبِيِّ. قَالَ: فَأَنْكَرْنَا. فَقُلْنَا: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: " انْزِلُوا ". فَنَزَلُوا فَقُلْنَا: أَيْنَ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي يَدَّعِي مَا يَدَّعِي، وَيَقُولُ مَا يَقُولُ؟ قَالَ: " أَنَا هُوَ ". قُلْنَا: فَاعْرِضْ عَلَيْنَا الْإِسْلَامَ. فَعَرَضَ، وَقَالَ: " مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَالْجِبَالَ؟ " قُلْنَا: خَلَقَهُنَّ اللَّهُ. قَالَ: " مَنْ خَلَقَكُمْ؟ " قُلْنَا: اللَّهُ. قَالَ: " فَمِنْ عَمَلِ هَذِهِ الْأَصْنَامَ التِي تَعْبُدُونَ؟ " قُلْنَا: نَحْنُ. قَالَ: " الْخَالِقُ أَحَقُّ بِالْعِبَادَةِ أَوِ الْمَخْلُوقُ؟ " قُلْنَا: الْخَالِقُ. قَالَ: " فَأَنْتُمْ أَحَقُّ أَنَّ تَعْبُدَكُمْ، وَأَنْتُمْ عَمِلْتُمُوهَا، وَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২০৮০


বললেন হীা, তা বটে ৷ তিনি বললেন, তবে একটু বসবেন কি ? আমি কিছু কথা বলতে চাই ৷
তারা বললেন, ছুৰু৷ , বসতে পারি ৷ র্তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট বসলেন ৷ তিনি তাদেরকে
আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিলেন এবং ইসলামগ্রহণের অনুরোধ জানালেন ৷ তিনি তাদেরকে
কুরআন তিলাওয়াত করে শুনালেন ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, তাদের ইসলামগ্রহণের পরিবেশ আল্লাহ
তাআলা এভাবে তৈরী করলেন যে, তাদের দেশে এক সাথে ইয়াহুদীরা বসবাস করত ৷
ইয়াহুদীরা আসমানী কিতাবধারী এবং জ্ঞান-সমৃদ্ধ লোক ছিল ৷ আর খাযরাজ গোত্রের লোকেরা
ছিল ঘুশব্রিক ও মৃর্তিপুজারী ৷ ইয়াহুদীদের সাথে প্রায়ই মুশরিকদেব যুদ্ধ-বিপ্রহ সংঘটিত হত ৷
দ্বন্দু-সংথ্যাতর সময় ইয়াহ্রদীরা এ বলে ওদেরকে ভয় দেখাত যে, অবিলম্বে একজন নবী প্রেরিত
হবেন ৷ আমরা তার অনুসরণ করব এবং তার সাথী হয়ে তােমাদ্যোৱক হত্যা ও ধ্বংস করব ৷
যেমন ধ্বংস হয়েছিল আদ ও ছামুদ সম্প্রদায় ৷ এ মাত্রায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খাযরাজী
লোকদের সাথে আলাপ করলেন এবং তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানালেন, তখন তারা
নিজেরা বলাবলি করলো, হে লোক সকল, তোমরা বুঝতেই পারছধ্ যে, ইনি সেই নবী-
ইয়াহ্রদীরা যার কথা বলে তােমড়াদেরকে ভয় দেখাত ৷ শুনে নাও, ওরা যেন তোমাদের আগে এই
নবীর ঘনিষ্ঠ হতে না পারে ৷ ফলে তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আহ্বানে সাড়া দিলেন, তার প্রস্তাব
গ্রহণ করলেন, তাকে সতবােদী রুপে মেনে নিলেন এবং ইসলামে দীক্ষিত হলেন ৷ তারা
বললেন, আমরা তো আমাদের কতক লোককে দেশে রেখে এসেছি ৷ আমাদের লোকজনের
মধ্যে পরস্পর যেরুপ শত্রুতা রয়েছে সচরাচর সেরুপ শত্রুতা অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা যায়
না ৷ আমরা আশা করছি যে, আপনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা
করে দিবেন ৷ আমরা অবিলম্বে তাদের নিকট ফিরে বার এবং আমরা যে দীন গ্রহণ করলাম ওই
দীন গ্রহণের জন্যে আমরা তাদেরকে আহ্বান জানাবাে ৷ আল্লাহ তাআলা ওদেরকেও যদি
আপনার সাথে জোটবদ্ধ করে দেন, তবে আপনার চাইতে শক্তিশালী অন্য কেউ থাকবে না ৷
বস্তুত ঈমান আনয়ন করে এবং সত্য লাভ করে তারা নিজ দেশে ফিরে পেলেন

ইবন ইসহাক বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেয়েছি, সে অনুযায়ী ওই দলে ছিলেন ছয় জন
লোক ৷ তারা সকলে খাযরাজ গোত্রের লোক ৷ তারা হলেন( ১ ) আবু উমামা আসআদ ইবন
যুরারাহ ইবন আদ্দাস ইবন উবায়দ ইবন ছালাবা ইবন গানাম ইবন মালিক ইবন নাজ্জার ৷ আবু
নৃআয়ম বলেন, কারো কারো মতে আবু উমামা হলেন খাযরাজ গোত্রের প্রথম ইসলাম প্রহণকারী
আনসাবী ব্যক্তি ৷ আর আওস গোত্রের প্রথম ইসলাম প্রহণকারী ব্যক্তি হচ্ছেন আবুল হায়ছাম
ইবন তায়হান ৷১ মতাম্ভরে আওস গোত্রের প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী হলেন রাফি’ ইবন মালিক ও
মুআয ইবন আফরা (রা) ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷( ২) আওস ইবন হড়ারিছ ইবন রিফাআ ইবন
সাওয়াদ ইবন মালিক ইবন পানাম ইবন মালিক ইবন নাজ্জার ৷ ইনিও আফরার পুত্র ৷ দু’জনই
নাজ্জার গোত্রভুক্ত ৷ (৩) রাফি’ ইবন মালিক ইবন আজলান ইবন আমর ইবন যুরায়ক যুরাকী ৷
(৪ ) কুতরা ইবন আমির ইবন হাদীদা ইবন আমর ইবন গনোম ইবন সাওয়াদ ইবন পানাম ইবন
কাআব ইবন সালামা ইবন সাআদ ইবন আলী ইবন আসাদ ইবন সারিদা২ ইবন তাযীদ ইবন



১ মুল আরবী গ্রন্থে এখানে তাহ্য়ান মুদ্রিত রয়েছে ;
২ মুল কিভাবে রয়েছে সাওয়াহ ইবন যায়দ ৷ সেটি ভুল ৷ সীরাতে ইবন হিশামে আছে সারিদা ইবন ইয়াষীদ ৷


تَعْبُدُوهُ مِنْ شَيْءٍ عَمِلْتُمُوهُ، وَأَنَا أَدْعُو إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ، وَشَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَصِلَةِ الرَّحِمِ، وَتَرْكِ الْعُدْوَانِ، وَإِنْ غَضِبَ النَّاسُ ". فَقَالَا: وَاللَّهِ لَوْ كَانَ هَذَا الَّذِي تَدْعُو إِلَيْهِ بَاطِلًا، لَكَانَ مِنْ مَعَالِي الْأُمُورِ، وَمَحَاسِنِ الْأَخْلَاقِ، فَأَمْسِكْ رَاحِلَتَيْنَا حَتَّى نَأْتِيَ الْبَيْتَ. فَجَلَسَ عِنْدَهُ مُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ. قَالَ رَافِعٌ: وَجِئْتَ الْبَيْتَ فَطُفْتُ، وَأَخْرَجْتُ سَبْعَةَ قِدَاحٍ، وَجَعَلْتُ لَهُ مِنْهَا قَدَحًا، فَاسْتَقْبَلْتُ الْبَيْتَ، فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مَا يَدْعُو إِلَيْهِ مُحَمَّدٌ حَقًّا فَأَخْرِجْ قِدْحَهُ. سَبْعَ مَرَّاتٍ، فَضَرَبْتُ بِهَا سَبْعَ مَرَّاتٍ، فَصِحْتُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَاجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيَّ، وَقَالُوا: مَجْنُونٌ، رَجُلٌ صَبَأَ. فَقُلْتُ: بَلْ رَجُلٌ مُؤْمِنٌ. ثُمَّ جِئْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَعْلَى مَكَّةَ، فَلَمَّا رَآنِي مُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ، قَالَ: لَقَدْ جِئْتَ بِوَجْهٍ مَا ذَهَبْتَ بِهِ، رَافِعُ. فَجِئْتُ وَآمَنْتُ، وَعَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُورَةَ " يُوسُفَ " وَ " {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ} [العلق: 1] "، ثُمَّ خَرَجْنَا رَاجِعِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا كُنَّا بِالْعَقِيقِ، قَالَ مُعَاذٌ: إِنِّي لَمْ أَطْرُقْ لَيْلًا قَطُّ، فَبِتْ بِنَا حَتَّى نُصْبِحَ. فَقُلْتُ: أَبِيتُ وَمَعِي مَا مَعِي مِنَ الْخَيْرِ؟! مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ. وَكَانَ رَافِعٌ إِذَا خَرَجَ سَفَرًا ثُمَّ قَدِمَ عَرَّضَ قَوْمَهُ» إِسْنَادٌ وَسِيَاقٌ حَسَنٌ.