كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
فصل في عرض رسول الله صلى الله عليه وسلم نفسه الكريمة على أحياء العرب في مواسم الحج
পৃষ্ঠা - ২০৫৪
মানব জাতির কে ন ব্যক্তি যদি এককভাবে চিরদিনের জন্যে মর্যাদাবান হয়, তবে সেই
একক ব্যক্তি হল মুতঈম ৷ সে তার মর্যাদা ৷কে সমুন্নত করেছে ৷
৷ ট্রু)টুঠুট্রু ট্রু:ন্টুৰুা
(হে মুতঈম শত্রুদের হাত থেকে আপনি তা ৷ল্লাহ্র রাসুলকে আশ্রয় দিয়েছেন ৷ ফলে শত্রুরা
সব ই চিরদিনের জন্যে তথা যত দিন হাজী সাহেবান ইহরাম ব৷ ৷ধা ও খোলার জন্যে৩ তালবিয়া
পাঠ করবেন ততদিনের জন্যে আপনার গোলামে পরিণত হল ৷
মা দ গোত্র, কাহতান গোত্র এরং জুরহুম গোত্রের অবশিষ্ট লেক্যেদরকে যদি তার সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করা হয় —
াটুাষ্ট্রট্রুা
তবে তারা সকলে বলবে যে, তিনি প্ৰতিবেশীর নিরাপত্তা যিধানকারী, দায়িত্ব পালনকারী
এবং অঙ্গীকার রক্ষাকারী ৷
যাদের উপর সুর্য উদিত হয় তাদের মধ্যে তার মত সম্মানী ও মর্যাদবােন দ্বিতীয়টি নেই ৷
-াহ্রদুত্রএ৷ এে ৷ ৷ৰুার্টুগ্লুাষ্কৃ
তিনি যখন কিছু প্রত্যাখ্যান করেন তখন প্রত্যাখ্যান করেনই ৷ স্বডাব চরিত্রে তিনি নম্র ও
ভদ্র ৷ অন্ধকার রাতে তিনি প্রতিবেশীর নির্বিব্ল ঘুমের নিশ্চয়তা দানকারী ৷
আমি বলি, মৃত তঈম ইবন আদীর এই অবদানের প্রেক্ষিতে বদর যুদ্ধের বন্দীদের সম্পর্কে
রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) বলেছিলেন যে, এখন যদি মুতঈম ইবন আদী জীবিত থাকতেন এবং এই
নেতাদের মুক্তির আবেদন করতেন, তার তার সম্মানে আমি এদের সবাইকে যুক্তি দিয়ে দিতড়াম ৷
দীনের দাওয়াত নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না) এর আরব গোত্রসমুহ গমন
ইবন ইসহাক বলেন এরপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) মক্কা আগমন করলেন ৷ তার সমাজের
লোকজন এখন র্ত ৷র ৷বিরােধিতা ও তার দীন প্রত ক্লাখ্যানে জঘন্য ষড়য়ন্ত্রকারী ৷ মাত্র অল্প সং খ্যক
দুর্বল ও শক্তিহীন ঈম৷ ৷ানদ র লোক তার পক্ষে ছিল ৷ হক্কজ্জর মওসুমে৩ তিনি বিভিন্ন আরব গোত্রের
মধ্যে উপস্থিত হতেন এবং তাদেরকে বলতেন যে, তিনি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রেরিত পুরুষ
প্রেরিত রাসুল ৷ তারা যেন তাকে সত্য বলে মেনে নেয় এবং বিরোধী পক্ষের অত্যাচার-নির্যাতন
থেকে যেন তাকে রক্ষা করে তিনি তাদের পতি সেই অনুরোধ জানাতেন ৷ যাতে করে আল্লাহ্
তাআলা যা নিয়ে তাকে প্রেরণ করেছেন তা সকলের নিকট পৌছিয়ে দিতে পারেন ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন রাবীঅ৷ ইবন আববাদ বলেন, আমি আমার পিতার সাথে
মিনাতে অবস্থান করছিলাম ৷ তখন আমি বয়সে নবীন যুবক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন আরবের
وَمَا تَطْلُعُ الشَّمْسُ الْمُنِيرَةُ فَوْقَهُمْ
عَلَى مِثْلِهِ فِيهُمُ أَعَزَّ وَأَكْرَمَا ... أَبِيًّا إِذَا يَأْبَى وَأَلْيَنَ شِيمَةً
وَأَنْوَمَ عَنْ جَارٍ إِذَا اللَّيْلُ أَظْلَمَا
قُلْتُ: وَلِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُسَارَى بَدْرٍ: «لَوْ كَانَ الْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ حَيًّا، ثُمَّ سَأَلَنِي فِي هَؤُلَاءِ النَّتْنَى لَوَهَبْتُهُمْ لَهُ» .
[فَصْلٌ فِي عَرْضِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفْسَهُ الْكَرِيمَةَ عَلَى أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فِي مَوَاسِمِ الْحَجِّ]
ِّ، أَنْ يُؤْوُوهُ وَيَنْصُرُوهُ، وَيَمْنَعُوهُ مِمَّنْ كَذَّبَهُ وَخَالَفَهُ، فَلَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ، لِمَا ذَخَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى لِلْأَنْصَارِ مِنَ الْكَرَامَةِ الْعَظِيمَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ، وَقَوْمُهُ أَشَدُّ مَا كَانُوا عَلَيْهِ مِنْ خِلَافِهِ وَفِرَاقِ دِينِهِ، إِلَّا قَلِيلًا مُسْتَضْعَفِينَ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْرِضُ نَفْسَهُ فِي الْمَوَاسِمِ - إِذَا كَانَتْ - عَلَى قَبَائِلِ الْعَرَبِ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَيُخْبِرُهُمْ أَنَّهُ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَيَسْأَلُهُمْ أَنْ يُصَدِّقُوهُ وَيَمْنَعُوهُ، حَتَّى يُبَيِّنَ عَنِ اللَّهِ مَا بَعَثَهُ بِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مِنْ أَصْحَابِنَا مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ،
পৃষ্ঠা - ২০৫৫
عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عِبَادٍ الدُّؤَلِيِّ، أَوْ مَنْ حَدَّثَهُ أَبُو الزِّنَادِ عَنْهُ. وَحَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَبِيعَةَ بْنَ عِبَادٍ يُحَدِّثُهُ أَبِي، قَالَ: «إِنِّي لَغُلَامٌ شَابٌّ مَعَ أَبِي بِمِنًى، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقِفُ عَلَى مَنَازِلِ الْقَبَائِلِ مِنَ الْعَرَبِ، فَيَقُولُ: " يَا بَنِي فُلَانٍ، إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ، آمُرُكُمْ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَأَنْ تَخْلَعُوا مَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِهِ مِنْ هَذِهِ الْأَنْدَادِ، وَأَنْ تُؤْمِنُوا بِي، وَتُصَدِّقُونِي، وَتَمْنَعُونِي، حَتَّى أُبَيِّنَ عَنِ اللَّهِ مَا بَعَثَنِي بِهِ ". قَالَ: وَخَلْفَهُ رَجُلٌ أَحْوَلُ، وَضِيءٌ، لَهُ غَدِيرَتَانِ، عَلَيْهِ حُلَّةٌ عَدَنِيَّةٌ، فَإِذَا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ وَمَا دَعَا إِلَيْهِ، قَالَ ذَلِكَ الرَّجُلُ: يَا بَنِي فُلَانٍ، إِنَّ هَذَا إِنَّمَا يَدْعُوكُمْ إِلَى أَنْ تَسْلُخُوا اللَّاتَ وَالْعُزَّى مِنْ أَعْنَاقِكُمْ، وَحُلَفَاءَكُمْ مِنَ الْجِنِّ مِنْ بَنِي مَالِكِ بْنِ أُقَيْشٍ، إِلَى مَا جَاءَ بِهِ مِنَ الْبِدْعَةِ وَالضَّلَالَةِ، فَلَا تُطِيعُوهُ وَلَا تَسْمَعُوا مِنْهُ. قَالَ: فَقُلْتُ لِأَبِي: يَا أَبَتِ، مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي يَتْبَعُهُ وَيَرُدُّ عَلَيْهِ مَا يَقُولُ؟ قَالَ: هَذَا عَمَّهُ عَبْدُ الْعُزَّى بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَبُو لَهَبٍ.»
وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ هَذَا الْحَدِيثَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي الْعَبَّاسِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، أَخْبَرَنِي رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: رَبِيعَةُ بْنُ عِبَادٍ مِنْ بَنِي الدُّئِلِ، وَكَانَ جَاهِلِيًّا فَأَسْلَمَ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي سُوقِ ذِي الْمَجَازِ، وَهُوَ يَقُولُ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، قُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. تُفْلِحُوا ". وَالنَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَيْهِ، وَوَرَاءَهُ رَجُلٌ وَضِيءُ الْوَجْهِ، أَحْوَلُ، ذُو
পৃষ্ঠা - ২০৫৬
বিভিন্ন গোত্রের তাবুতে উপস্থিত হচ্ছিলেন আর বলছিলেন, “হে অমুক গোত্র ৷ আমি তোমাদের
প্ৰতি আল্লাহ্র রাসুল ৷ আমি তােমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ৷
তার সাথে কাউকে শয়ীক করো না ৷ তোমরা যে সব দেবদেবীর পুজা করছ, তা বর্জন কর ৷
তোমরা আমার প্রতি ঈমান আনয়ন কর এবং আমাকে সত্য বলে মেনে নাও ৷ আর তোমরা
আমার শত্রুদেরকে প্রতিহত কর যাতে করে আল্লাহ তাআলা আমাকে যে দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন
আমি তা সকলের নিবল্ট পৌছাতে পারি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পিছে পিছে
একজন লোক উপস্থিত ৩হত ৷ সে ছিল ফর্স৷ মুখ, কুয়াের মত বড় বড় চোখ বিশিষ্ট, তবে টেরা
চোখের লোক ৷ তার পরিধানে ছিল আদনী জামা ও চাদর ৷ রাসৃলুল্লাহ, (না) তার বক্তব্য শেষ
করলে ওই ব্যক্তিটি দাড়িয়ে বল৩ ,“হে অমুক গোত্র! এই লোক ণ্তামাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছে
যাতে তোমরা লাভ ও উয্য৷ দেবীকে বত্ত-নি কর ৷ আর বনু মালিক ইবন আকিয়াশ গোত্রের জিন
মিত্রদেরকে ছেড়ে তোমরা যেন তার নব উদ্ভাবিত গোমরাহীর পথে যাও ৷ খবরদার ৷ তোমরা
তার আ ৷নুগত্য করে৷ না এবং তার কথা শ্রবণ করে৷ না ৷ বর্ণনাকবী বলেন আমি তখন আমার
পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, পিতা ! এই যে লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পিছে পিছে ছুটছে আর
তার বিরোধিতা করে চলেছে সে লোকটি কে ? আমার পিতা বললেন যে হল আবদুল
ঘুত্তা ৷লিবের পুত্র আবদুল উঘৃযা আবু লাহাব ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা
ইমাম আহমদ রাবীআ ইবন আব্বাদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি জাহিলী যুগের লোক
ছিলেন ৷ পরে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি বললেন, আমি জাহিলী যুগে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
যুল-মাজায বাজারে দেখেছিলাম ৷ তিনি তখন বলছিলেন :
া,’ৰুাষ্ট্রষ্ইএা৷৷ ১া৷ ৰুা৷ ১৷ ৷,পুটুট্রু১ ,র্চুা৷ fi fl
“হে লোক সকল! তোমরা “লা ইলাহ৷ ইল্লা ৷ল্লাহ্ বল, তাহলে সফলকাম হবে ৷” লোকজন
তার নিবল্ট সমবেত ছিল ৷৩ তার পেছনে ছিল বড় বড় চােখওয়ালা ফর্স৷ ৷চেহারার একজন টেরা
লোক ৷ তার দুটি ঝু টি ছিল ৷ সে বলছিল, ওই লোকটি ধর্মত্যাপী ও মিথ্যাবাদী ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) যেখানেই যাচ্ছিলেন, লোকটিও সেখানে উপস্থিত হচ্ছিল ৷ আমি লোকঢির পরিচয় জিজ্ঞেস
করলাম ৷ উত্তরে বলা হল যে, সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা আবু লাহাব ৷
বায়হাকী রাবীআ দুওয়ালী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
দেখোছিলাম যুল ম-াজায বাজারে ৷ তিনি লোকজনের তাবুত্তে তাবুতেগ্ গিয়ে গিয়ে তাদেরকে
আল্লাহর দিকে আহ্বান করছিলেন ৷৩ তার পেছনে পৌর বর্ণের একজন টের৷ চোখের লোক ছিল;
সে বলছিল হে লোকসকল! এই মানৃষটি যেন ( ৷মাদেরকে নিজ নিজ ধর্ম ও পিতৃধর্য সম্পকে
প্রভাবিত করতে না পারে ৷ আ ৷মি বললাম এই লোকটি কে ? উপস্থিত লোকেরা বলল, যে আবু
লাহাব ৷ আবু নুআয়ম “আদ-দালাইল” গ্রন্থে ইবন আবু যি’ ব সাঈদ ইবন সালাম৷ সুত্রে
মুহাম্মদ ইবন ঘুনকাদির থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন
এরপর বায়হাকী শুবা কিনানা গোত্রের এক লোক থেকে বর্ণনা করেছেন, যে বলেছে
যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছিলাম যুল-মাজায বাজারে ৷ তিনি বলছিলেন, হে লোক
«غَدِيرَتَيْنِ، يَقُولُ: إِنَّهُ صَابِئٌ كَاذِبٌ. يَتْبَعُهُ حَيْثُ ذَهَبَ، فَسَأَلْتُ عَنْهُ، فَذَكَرُوا لِي نَسَبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالُوا: هَذَا عَمُّهُ أَبُو لَهَبٍ» .
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ رَبِيعَةَ الدُّؤَلِيِّ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسُوقِ ذِي الْمَجَازِ، يَتْبَعُ النَّاسَ فِي مَنَازِلِهِمْ وَوَرَاءَهُ رَجُلٌ أَحْوَلُ، تَقِدُ وَجْنَتَاهُ، وَهُوَ يَقُولُ: أَيُّهَا النَّاسُ، لَايَغُرَّنَّكُمْ هَذَا عَنْ دِينِكُمْ وَدِينِ آبَائِكُمْ. قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: أَبُو لَهَبٍ. وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي " الدَّلَائِلِ " مِنْ طَرِيقِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، وَسَعِيدِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الْحُسَامِ، كِلَاهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ بِهِ نَحْوَهُ.
ثُمَّ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ، عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ كِنَانَةَ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسُوقِ ذِي الْمَجَازِ وَهُوَ يَقُولُ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، قُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ تُفْلِحُوا ". وَإِذَا رَجُلٌ خَلْفَهُ يَسْفِي عَلَيْهِ التُّرَابَ، فَإِذَا هُوَ أَبُو جَهْلٍ، وَإِذَا هُوَ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، لَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذَا عَنْ دِينِكُمْ، فَإِنَّمَا يُرِيدُ أَنْ تَتْرُكُوا عِبَادَةَ اللَّاتِ وَالْعُزَّى» . كَذَا قَالَ فِي هَذَا السِّيَاقِ أَبُو جَهْلٍ، وَقَدْ يَكُونُ وَهْمًا، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ تَارَةً يَكُونُ ذَا، وَتَارَةً يَكُونُ ذَا، وَأَنَّهُمَا كَانَا يَتَنَاوَبَانِ عَلَى إِيذَائِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَحَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَتَى
পৃষ্ঠা - ২০৫৭
সকল তোমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বল, তাহলে তোমরা সফলকাম হবে ৷” তখন আমি
দেখতে পাই যে, অন্য একজন মানুষ তার পেছনে দাড়িয়ে তার প্রতি ধুলি নিক্ষেপ করছে ৷ সে
ছিল আবু জাহ্ল ৷ আবু জাহ্ল বলছিল, হে লোক সকল! এই মানুষটি যেন তোমাদেরকে
তোমাদের দীনের ব্যাপারে প্রভাবিত করতে না পারে ৷ সে চায় যে, তোমরা লাভ ও উবৃযার
উপাসনা ত্যাগ কর ৷ এ বর্ণনায় আছে যে, পেছনের ব্যক্তিটি ছিল আবু জাহ্ল ৷ এটি
বর্ণনাকারীর ভ্রান্তিও হতে পারে ৷ অথবা এমনও হতে পরে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে
অপপ্রচারের জন্যে তার পেছনে কখনো থাকত আবুজাহ্ল আর কখনো থাকত আবু লাহাব ৷
উভয়ে পালা করে তাকে কষ্ট দিত ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, ইবন শিহাব আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, দীনের আহ্বান নিয়ে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) কিন্দা গোত্রের র্তাবুতে উপস্থিত হন ৷ সেখানে তাদের দলপতি মালীহ্ উপস্থিত
ছিল ৷ তিনি ওদেরকে আল্লাহ্র দিকে ভাকলেন এবং নিজেকে তাদের নিকট পেশ করলেন ৷
তারা তার ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানাল ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান ইবন, হুসাইন আমার নিকট বর্ণনা
করেছেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) কালব গোত্রের বড়ানু আবদুল্লড়াহ্ নামক উপগােত্রের র্তাবুতে উপস্থিত
হয়ে তাদেরকে আল্লাহ্র প্রতি দাওয়াত দিলেন এবং তাকে নিরাপত্তা দানের অনুরোধ জানালেন ৷
তিনি বললেন, হে বনু আবদুল্লাহ্! আল্পাহ্ তাআলা তো তোমাদের গোত্রীয় পিতাকে একটি
সুন্দর নাম দিয়েছেন ৷ তারা তার দাওয়ত গ্রহণ করেনি এবং তার অনুরোধ রক্ষা করেনি ৷
আমাদের এক সঙ্গী আবদুল্লাহ ইবন কাআব ইবন মালিকের উদ্ধৃতি দিয়ে আমাকে বলেছেন যে ,
রাসুলুল্লাহ্ (না) বনু হানীফা গোত্রের তাবুতে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আল্লাহর প্রতি আহ্বান
জানিয়েছিলেন এবং তাকে নিরাপত্তা দানের প্রস্তাব পেশ করেছিলেন ৷ উত্তরে তারা যে কদর্য
ভাষা ব্যবহার করে আরবের অন্য কেউ তা করেনি ৷
রাবী বলেন, যুহরী আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমির ইবন
সা’সাআহ গোত্রের নিকট উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আল্লাহর প্রতি দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং
তাকে নিরাপত্তা দানের অনুরোধ জানিয়েছিলেন ৷ বুহায়রা ইবন ফিরাস নামের তাদের একজন
প্রত্যুত্তরে বলেছিল, আল্লাহ্র কলম, কুরায়শের এই যুবকটিকে যদি আমি আমার অধীনস্থ করতে
পারতাম, তবে তার মাধ্যমে আমি সমগ্র আরব ভুখণ্ডে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারব ৷ তারপর সে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলল, আচ্ছা আমরা যদি আপনার মতাদর্শ মেনে আপনার অনুসরণ করি,
তারপর আপনি আপনার বিরোধীদের উপর বিজয় লাভ করেন, তাহলে আপনার পর আমরা কি
রাজত্বের মালিক হব ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কর্তৃত্ব ও রাজত্ব মুলত আল্লাহ্র হাতে ৷ তিনি
যাকে চান তা দান করেন ৷ তখন বুহায়রা বলল, এ কেমন কথা যে, আপনাকে রক্ষার জন্যে
আমরা অড়ারবদের আক্রমণের মুখে বুক পেতে দেব আর আপনি বিজয়ী হলে রাজত্ব যাবে
অন্যের হাতে ! যাকগে আপনার অনুসরণ করার আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ তারা তার
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করল ৷
كِنْدَةَ فِي مَنَازِلِهِمْ، وَفِيهِمْ سَيِّدٌ لَهُمْ، يُقَالُ لَهُ: مُلَيْحٌ. فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ وَعَرَضَ عَلَيْهِمْ نَفْسَهُ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّهُ أَتَى كَلْبًا فِي مَنَازِلِهِمْ، إِلَى بَطْنٍ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُمْ: بَنُو عَبْدِ اللَّهِ. فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، وَعَرَضَ عَلَيْهِمْ نَفْسَهُ، حَتَّى إِنَّهُ لَيَقُولُ لَهُمْ: " «يَا بَنِي عَبْدِ اللَّهِ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَحْسَنَ اسْمَ أَبِيكُمْ» ". فَلَمْ يَقْبَلُوا مِنْهُ مَا عَرَضَ عَلَيْهِمْ.
وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى بَنِي حَنِيفَةَ فِي مَنَازِلِهِمْ، فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، وَعَرَضَ عَلَيْهِمْ نَفْسَهُ، فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ أَقْبَحَ رَدًّا عَلَيْهِ مِنْهُمْ.
وَحَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، أَنَّهُ أَتَى بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، وَعَرَضَ عَلَيْهِمْ نَفْسَهُ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ، يُقَالُ لَهُ: بَيْحَرَةُ بْنُ فِرَاسٍ: وَاللَّهِ لَوْ أَنِّي أَخَذْتُ هَذَا الْفَتَى مِنْ قُرَيْشٍ لَأَكَلْتُ بِهِ الْعَرَبَ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: «أَرَأَيْتَ إِنْ نَحْنُ تَابَعْنَاكَ عَلَى أَمْرِكَ، ثُمَّ أَظْهَرَكَ اللَّهُ عَلَى مَنْ يُخَالِفُكَ، أَيَكُونُ لَنَا الْأَمْرُ مِنْ بَعْدِكَ؟ قَالَ: " الْأَمْرُ لِلَّهِ، يَضَعُهُ حَيْثُ يَشَاءُ ". قَالَ: فَقَالَ لَهُ: أَفَنُهْدِفُ نُحُورَنَا لِلْعَرَبِ دُونَكَ، فَإِذَا أَظْهَرَكَ اللَّهُ كَانَ الْأَمْرُ لِغَيْرِنَا! لَا حَاجَةَ لَنَا بِأَمْرِكَ» . فَأَبَوْا عَلَيْهِ، فَلَمَّا صَدَرَ النَّاسُ، رَجَعَتْ بَنُو عَامِرٍ إِلَى شَيْخٍ لَهُمْ، قَدْ كَانَ أَدْرَكَهُ السِّنُّ، حَتَّى لَا يَقْدِرَ أَنْ يُوَافِيَ مَعَهُمُ الْمَوْسِمَ، فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِ، حَدَّثُوهُ بِمَا
পৃষ্ঠা - ২০৫৮
يَكُونُ فِي ذَلِكَ الْمَوْسِمِ، فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَيْهِ ذَلِكَ الْعَامَ سَأَلَهُمْ عَمَّا كَانَ فِي مَوْسِمِهِمْ، فَقَالُوا: جَاءَنَا فَتًى مِنْ قُرَيْشٍ، ثُمَّ، أَحَدُ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، يَدْعُونَا إِلَى أَنْ نَمْنَعَهُ، وَنَقُومَ مَعَهُ، وَنَخْرُجَ بِهِ إِلَى بِلَادِنَا. قَالَ: فَوَضَعَ الشَّيْخُ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا بَنِي عَامِرٍ، هَلْ لَهَا مِنْ تَلَافٍ؟ هَلْ لِذُنَابَاهَا مِنْ مَطْلَبٍ؟ وَالَّذِي نَفْسُ فُلَانٍ بِيَدِهِ مَا تَقَوَّلَهَا إِسْمَاعِيلِيٌّ قَطُّ، وَإِنَّهَا لَحَقٌّ، فَأَيْنَ رَأْيُكُمْ كَانَ عَنْكُمْ!
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تِلْكَ السِّنِينَ يَعْرِضُ نَفْسَهُ عَلَى قَبَائِلِ الْعَرَبِ فِي كُلِّ مَوْسِمٍ، وَيُكَلِّمُ كُلَّ شَرِيفِ قَوْمٍ، لَا يَسْأَلُهُمْ مَعَ ذَلِكَ إِلَّا أَنْ يُؤْوُوهُ وَيَمْنَعُوهُ، وَيَقُولُ: " «لَا أُكْرِهُ أَحَدًا مِنْكُمْ عَلَى شَيْءٍ، مَنْ رَضِيَ مِنْكُمْ بِالَّذِي أَدْعُوهُ إِلَيْهِ فَذَلِكَ، وَمَنْ كَرِهَ لَمْ أُكْرِهْهُ، إِنَّمَا أُرِيدُ أَنْ تَحْرُزُونِي مِمَّا يُرَادُ بِي مِنَ الْقَتْلِ، حَتَّى أُبَلِّغَ رِسَالَةَ رَبِّي، وَحَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ لِي وَلِمَنْ صَحِبَنِي بِمَا شَاءَ» ". فَلَمْ يَقْبَلْهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ، وَلَمْ يَأْتِ أَحَدٌ مِنْ تِلْكَ الْقَبَائِلِ إِلَّا قَالَ: قَوْمُ الرَّجُلِ أَعْلَمُ بِهِ، أَتَرَوْنَ أَنَّ رَجُلًا يُصْلِحُنَا وَقَدْ أَفْسَدَ قَوْمَهُ وَلَفَظُوهُ؟ وَكَانَ ذَلِكَ مِمَّا ذَخَرَهُ اللَّهُ لِلْأَنْصَارِ وَأَكْرَمَهُمْ بِهِ.
وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ، مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَجْلَحِ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ، قَالَ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا أَرَى لِي عِنْدَكَ وَلَا
পৃষ্ঠা - ২০৫৯
হভ্রুজ্জর মওসুম শেষে লোকজন নিজ নিজ দেশে ফিরে গেল ৷ বনু আমির গোত্রের লোকেরা
তাদের এক বয়ােবৃদ্ধ নেতৃস্থানীয় লোকের নিকট উপস্থিত ৩হল ৷ বার্ধক্যের কারণে তিনি হরুজ্জ
যেতে পারেননি ৷ প্রতিবছর হজ্জ থেকে ফিরে গিয়ে তারা ওই বছর মক্কায় সং ঘটিত বিষয়সমুহ
তাকে জ নাতে৷ ৷ এবার তার নিকট উপস্থিত হওয়ার পর এই মওসুমে সংঘটিত ঘটনাবলী
সম্পর্কে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তারা বলল, কুরায়৷ বংশের বনী আবদুল
যুত্তালিবের এক যুবক আমাদের নিকট এসেছিল ৷ সে দাবী করে যে, সে নবী ৷ তাকে রক্ষা
করার জন্যে, তাকে সাহায্য করার জন্যে এবং তাকে আমাদের দো৷ নিয়ে আসার জন্যে সে
আমাদেরকে অনুরোধ করে ৷ একথা শুনে বৃদ্ধ লোকটিত ৷র মাথায় হাত দিয়ে বললেন হে
আমির গোত্র! তোমাদের জন্যে কি ধ্বৎ স এসে গেল ? যে সুযোগ তোমরা হাতছাড়া করেছ তা
কি আর ফিরে পাবে ? অমুকের প্রাণ যার হাতে তার কসম করে বলছি ৷ ইসমাঈলের বৎশধরেরা
তো এমন বানােয়াট কথা বলে না ৷ তিনি যা এসেছেন তা তো নিশ্চিত সত্য ৷ তোমাদের
বিবেক-বিবেচনা তখন কোথায় ছিল ?
মুসা ইবন উকব৷ যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন, ওই বছরগুলোতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতি হজ্জ
মওসুমে আরব গোত্রদের নিকট উপস্থিত হতেন ৷ প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকদের
সাথে তিনি কথা বলতেন ৷ আল্লাহ্র প্রতি দাওয়াত দেয়ার সাথে তাদের নিকট তিনি তার
নিজের নিরাপত্তা প্রদানের প্রস্তাব পেশ করতেন ৷ তিনি বলতে ন যে আমি তােমাদেরকে কোন
বিষয়ে জবরদস্তি করব না ৷ আমার পেশকৃত করা যার ভাল লাগবে, যে তা গ্রহণ করবে ৷ যার
ভাল লাগবে না, আমিত তার উপর তা চাপিয়ে দেবো না ৷ আমি চাই যে, আমাকে হত্যার যে
ষড়যন্ত্র চলছে তোমরা তা থেকে আমাকে রক্ষা করবে যাতে আমি আমার প্রতিপালকের
ব্রিসালাত সকলের নিকট পৌছিয়ে দিতে পারি এবং আমার ব্যাপারে এবং আমার সাথীদের
ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সাল৷ পুর্ণ হয় ৷ কিন্তু তাদের কেউই তার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি ৷ যে
গোত্রের নিকটই তিনি উপস্থিত তহয়েছেন, সে গোত্রই বলেছে যে, একজন মানুষ সম্পর্কে তার
স্বগােত্রীয় লোকজনইভ ৷ল জানে ৷ তোমরা কি মনে করছ যে, যে লােকটি নিজের সম্প্রদায়ের
মধ্যে অশাস্তি সৃষ্টি করেছে যার ফলে তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে সে কী করে আমাদেরকে
সংশোধন ও পরিশুদ্ধ করবে ? মুলতত তাকে আশ্রয় দেয়ার দায়িতু টি আল্লাহ্ তা জানা
আনসারদের জন্যে নির্ধারিত করে রেখেছিলেন এবং এর মাধ্যমে তিনি তাদেরকে মর্যাদাবান
করেন ৷
হাফিয আবু নুআয়ম আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে বলেছিলেন, আমি তো আপনার নিকট এবং আপনার স্বগােত্রীয়দের নিকট আশ্রয় ও
নিরাপত্তা পাচ্ছি না ৷ আপনি কি আমাকে আগাষীকাল বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন যাতে করে
আমি অন্য গোত্রের লোকজনের নিকট গিয়ে থাকতে পারি ? বাজার ছিল আরবদের
মিলন মেলা ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি তাকে নিয়ে গেলাম এবং বললড়াম, এটি কিন্দাহ
গোত্রের তাবু ৷ ইয়ামান থেকে যারা হজ্জ করতে আসে, তাদের মধ্যে এরা শ্রেষ্ঠ ৷ এটি বকর
ইবন ওয়াইল গোত্রেরত তাবু ৷ আর এগুলো হলো আমির ইবন সা স আ গোত্রের তাবু ৷ এগুলো
عِنْدَ أَخِيكَ مَنَعَةً، فَهَلْ أَنْتَ مُخْرِجِي إِلَى السُّوقِ غَدًا، حَتَّى تُعَرِّفَنِي مَنَازِلَ قَبَائِلِ النَّاسِ؟ " - وَكَانَتْ مَجْمَعَ الْعَرَبِ - قَالَ: فَقُلْتُ: هَذِهِ كِنْدَةُ وَلَفُّهَا، وَهِيَ أَفْضَلُ مَنْ يَحُجُّ الْبَيْتَ مِنَ الْيَمَنِ، وَهَذِهِ مَنَازِلُ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، وَهَذِهِ مَنَازِلُ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، فَاخْتَرْ لِنَفْسِكَ. قَالَ: فَبَدَأَ بِكِنْدَةَ فَأَتَاهُمْ، فَقَالَ: " مِمَّنِ الْقَوْمُ؟ " قَالُوا: مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ. قَالَ: " مِنْ أَيِّ الْيَمَنِ؟ " قَالُوا: مِنْ كِنْدَةَ. قَالَ: " مِنْ أَيِّ كِنْدَةَ؟ " قَالُوا: مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ مُعَاوِيَةَ. قَالَ: " فَهَلْ لَكُمْ إِلَى خَيْرٍ؟ " قَالُوا: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: " تَشْهَدُونَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَتُقِيمُونَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْمِنُونَ بِمَا جَاءَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ ".» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ: وَحَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَشْيَاخِ قَوْمِهِ «أَنَّ كِنْدَةَ قَالَتْ لَهُ: إِنْ ظَفِرْتَ تَجْعَلُ لَنَا الْمُلْكَ مِنْ بَعْدِكَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ الْمُلْكَ لِلَّهِ يَجْعَلُهُ حَيْثُ يَشَاءُ ". فَقَالُوا: لَا حَاجَةَ لَنَا فِيمَا جِئْتَنَا بِهِ» . وَقَالَ الْكَلْبِيُّ: فَقَالُوا: أَجِئْتَنَا لِتَصُدَّنَا عَنْ آلِهَتِنَا، وَنُنَابِذَ الْعَرَبَ، الْحَقْ بِقَوْمِكَ، فَلَا حَاجَةَ لَنَا بِكَ. «فَانْصَرَفَ مِنْ عِنْدِهِمْ فَأَتَى بَكْرَ بْنَ وَائِلٍ، فَقَالَ: " مِمَّنِ الْقَوْمُ؟ " قَالُوا: مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ. فَقَالَ: " مِنْ أَيِّ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ؟ " قَالُوا: مِنْ بَنِي قَيْسِ بْنِ ثَعْلَبَةَ. قَالَ: كَيْفَ الْعَدَدُ؟ قَالُوا: كَثِيرٌ مِثْلُ الثَّرَى. قَالَ: " فَكَيْفَ الْمَنَعَةُ؟ " قَالُوا: لَا مَنَعَةَ، جَاوَرْنَا فَارِسَ، فَنَحْنُ لَا نَمْتَنِعُ مِنْهُمْ وَلَا نُجِيرُ عَلَيْهِمْ. قَالَ: " فَتَجْعَلُونَ لِلَّهِ عَلَيْكُمْ إِنْ هُوَ أَبْقَاكُمْ حَتَّى تَنْزِلُوا مَنَازِلَهُمْ، وَتَسْتَنْكِحُوا نِسَاءَهُمْ، وَتَسْتَعْبِدُوا أَبْنَاءَهُمْ، أَنْ تُسَبِّحُوا اللَّهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَتَحْمَدُوهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَتُكَبِّرُوهُ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ؟ " قَالُوا: وَمَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: " أَنَا رَسُولُ اللَّهِ ". ثُمَّ انْطَلَقَ،» فَلَمَّا وَلَّى عَنْهُمْ - قَالَ الْكَلْبِيُّ -: وَكَانَ عَمُّهُ
পৃষ্ঠা - ২০৬০
থেকে যে কোন একটি তুমি নিজের জন্যে বেছে নাও ৷ তিনি প্রথমে কিন্দা গোত্রের নিকট
গেলেন ৷ বললেন আপ-ণর৷ কোন দেশের লোক ? তারা বলল, আমরা ইয়ামানের অধিবাসী ৷
ইয়ামানের কোন গোত্র ? তিনি জিজ্ঞেস করলেন ৷ তারা বলল, কিন্দা গোত্রের লোক ৷ তিনি
বললেন, কিন্দা গোত্রের কােনৃ শাখার অন্তর্ভুক্ত আপনারা ? তারা বলল, “আমির ইবন মুআবিয়াহ
শাকার অন্তর্ভুক্ত ৷ তিনি বললেন, “আপনারা কি কল্যাণ চান ? তারা বলল, কেমন কল্যাণ ?
তিনি বললেন, আপনারা এই সাক্ষ্য দিবেন যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, আর নামায
আদায় করবেন এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে যা এসেছে তাতে বিশ্বাস করবেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন আজলাহ্ বলেছেন যে, আমার পিতা তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়
লোকদের বরাতে আমাকে জানিয়েছেন যে, কিন্দা গোত্রের ণ্লড়াত্ব;ণ্কর৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
বলেছিল, “আপনি যদি বিজয়ী হন, তাহলে আপনার পর রাজত্ব আমাদেরকে দেবেন তো ?
তিনি বললেন :
“রাজত্ব আল্লাহর হাতে, তিনি যাকে ইচ্ছা ৷তা দান করবেন ৷” তখন তারা বলল, যদি তাই
হয়, তবে আপনি যা নিয়ে এসেছেনত ৩াদিয়ে আমাদের কোন দরকার নেই ৷ কালবী বলেছেন
যে, তারা বলেছিল, আপনি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করতে
আরবদের মুক৷ ৷বিলায় আমাদেরকে যুদ্ধে জড়াতে এসেছেন ? আপনি বরং আপনার সম্প্রদায়ের
নিকট ফিরে যান, আপনার আনীত দীনে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ তিনি তাদের নিকট
থেকে ফিরে এলেন ৷
এরপর তিনি গেলেন বকর ইবন ওয়াইল গোত্রের লোকজনের নিকট ৷ আপনারা কোন
গোত্রের লোক ? তিনি জিজ্ঞেস করলেন৷ তারা বলল, বকর ইবন ওয়াইল গোত্রের লোক ৷ তিনি
বললেন, বকর ইবন ওয়াইল গোত্রের কোন শাখার আপনারা অন্তর্ভুক্ত? তারা বলল, কা য়স ইবন
ছালাবা শাখার ৷ তিনি বললেন, আপনাদের সংখ্যা কেমন ? তারা বলল, প্রচুর ধুলোবালির
ৎখ্যার ন্যায় ৷ তিনি বললেন, আপনাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন ? তারা বলল, আমাদের
নিজস্ব কোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই ৷ পারস্য সম্রাট আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন ৷ সুতরাং
ওদেরকে বাদ দিয়ে আমরা কাউকে রক্ষা করতে পারব না এবং ওদেরকে ডিঙ্গিয়ে আমরা
কাউকে আশ্রয় দিতে পারব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তবে আপনারা আল্লাহর সাথে এই
ওয়াদায় আবদ্ধ হন যে, তিনি যদি আপনড়াদেরকে র্বাচিয়ে রাখেন, তারপর আপনারা ওই
পারসিকদের স্থান দখল করতে পারেন, তাদের ত্রীদেরকে বিবাহ করতে পারেন এবং তাদের
ছেলেদেরকে ক্রীতদাসে পরিণত করতে পারেন, তাহলে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ৩৩ বার
সৃবহড়ানাল্লাহ্, ৩৩ বার আলহামদৃ লিল্লাহ্ এবং ৩৪ বার আল্পাহু আকবার পাঠ করবেন ৷ ওরা
বলল, আপনি কে ? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসুল ৷ এরপর তিনি সেখান থেকে চলে
গেলেন ৷ তার চলে যাবার পর আবু লাহাব সেখানে উপস্থিত হল ৷ কালবী বলেন, তার চাচা
আবুলাহাব তার পেছনে লেগে থাকত এবং লোকজনকে বলত ৷ তোমরা তার কথা গ্রহণ করো
না ৷ বন্তুত আবু লাহাব ওখানে উপস্থিত হওয়ার পর লোকজন তাকে বলল, আপনি কি ওই
أَبُو لَهَبٍ يَتْبَعُهُ، فَيَقُولُ لِلنَّاسِ: لَا تَقْبَلُوا قَوْلَهُ. ثُمَّ مَرَّ أَبُو لَهَبٍ فَقَالُوا: هَلْ تَعْرِفُ هَذَا الرَّجُلَ؟ قَالَ: نَعَمْ، هَذَا فِي الذُّرْوَةِ مِنَّا، فَعَنْ أَيِّ شَأْنِهِ تَسْأَلُونَ؟ فَأَخْبَرُوهُ بِمَا دَعَاهُمْ إِلَيْهِ، وَقَالُوا: زَعَمَ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ: أَلَا لَا تَرْفَعُوا بِقَوْلِهِ رَأْسًا ; فَإِنَّهُ مَجْنُونٌ يَهْذِي أُمُّ رَأْسِهِ. قَالُوا: قَدْ رَأَيْنَا ذَلِكَ حِينَ ذَكَرَ مِنْ أَمْرِ فَارِسَ مَا ذَكَرَ.
قَالَ الْكَلْبِيُّ: وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْعَامِرِيُّ، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنْ قَوْمِهِ، قَالُوا: «أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِسُوقِ عُكَاظٍ، فَقَالَ: " مِمَّنِ الْقَوْمُ؟ " قُلْنَا: مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ. قَالَ: " مِنْ أَيِّ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ؟ " قَالُوا: بَنُو كَعْبِ بْنِ رَبِيعَةَ. قَالَ: " كَيْفَ الْمَنَعَةُ؟ " قُلْنَا: لَا يُرَامُ مَا قِبَلَنَا، وَلَا يُصْطَلَى بِنَارِنَا. قَالَ: فَقَالَ لَهُمْ: " إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَأَتَيْتُكُمْ لِتَمْنَعُونِي حَتَّى أُبَلِّغَ رِسَالَةَ رَبِّي، وَلَا أُكْرِهُ أَحَدًا مِنْكُمْ عَلَى شَيْءٍ ". قَالُوا: وَمِنْ أَيِّ قُرَيْشٍ أَنْتَ؟ قَالَ: " مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ". قَالُوا: فَأَيْنَ أَنْتَ مِنْ عَبْدِ مَنَافٍ؟ قَالَ:: " هُمْ أَوَّلُ مَنْ كَذَّبَنِي وَطَرَدَنِي ". قَالُوا: وَلَكِنَّا لَا نَطْرُدُكَ وَلَا نُؤْمِنُ بِكَ، وَسَنَمْنَعُكَ حَتَّى تُبَلِّغَ رِسَالَةَ رَبِّكَ. قَالَ: فَنَزَلَ إِلَيْهِمْ وَالْقَوْمُ يَتَسَوَّقُونَ، إِذْ أَتَاهُمْ بَيْحَرَةُ بْنُ فِرَاسٍ الْقُشَيْرِيُّ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا الرَّجُلُ أَرَاهُ عِنْدَكُمْ أُنْكِرُهُ؟ قَالُوا: مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقُرَشِيُّ. قَالَ فَمَا لَكَمَ وَلَهُ؟ قَالُوا: زَعَمَ لَنَا أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، فَطَلَبَ إِلَيْنَا أَنْ
পৃষ্ঠা - ২০৬১
লোকটিকে চিনেন ? আবু লাহাব বলল, হী৷ আমি ভাবে তিনি ৷ যে আমাদের মধ্যে সস্রান্ত
ব্যক্তি ৷ তোমরা তার সম্পর্কে কি জানতে চ্চ্ছে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদেরকে যে বিষয়ে
ন্ দাওয়াত দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে তারা আবু লাহাবকে জানাল এবং তারা বলল যে,
সে নিজেকে আল্লাহর রাসুল বলে দাবী করে ৷ আবু লাহাব বলল, তার কথা গ্রহণ করে তোমরা
তাকে উপরে তুলে দিও না ৷ সে একজন পাগল, মাথায় যা আসে তাই বলতে থাকে ৷ তারা
বলল, তা বটে, আমরা তাকে পাগল বলেই মনে করেছি, যখন সে পারসিকদের বিরুদ্ধে
আমাদের বিজয়ের কথা বলেছে ৷
কালবী বলেন, আবদুর রহমান মুঅইিরী তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকদের বরাতে
আমার নিকট বর্ণনা করেছে যে, তারা বলেছে, আমরা উকায মেলায় ছিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাদের নিকট উপস্থিত হলেন ৷ তিনি বললেন, আপনারা কোন সম্প্রদায়ের লোক ?
আমরা বললাম , আমরা আমির ইবন সাসাআ গোত্রের লোক ৷ তিনি বললেন, আপনারা আমির
ইবন সাসাআ গোত্রের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত ৷ তারা বলল, বনু কাআব ইবন রাবীআ শাখার ৷
তিনি বললেন, আপনাদের মধ্যে নিরাপত্তা লাভের পরিবেশ কেমন ? আমরা বললাম, আমরা যা
বলি, তার প্রতিবাদ করার কথা কেউ চিস্তাও করতে পারে না আর মেহমানদের আপ্যায়নের
জন্যে আমাদের জ্বালানাে আগুন কখনো নিভানাে হয় না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আমি
আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল ৷ আমি আপনাদের নিকট এসেছি এ জন্যে যে, আপনারা আমাকে আশ্রয়
দেবেন যাতে করে আমি আমার প্রতিপালকের দেওয়া রিসালাতের বাণী মানুষের নিকট পৌছিয়ে
দিতে পারি ৷ আপনাদের কারো উপর আমি কোন বিষয়ে জবরদস্তি করব না ৷ তারা বলল,
আপনি কুরায়শের কোন শাখার লোক ? তিনি বললেন, বনু আবদুল মুত্তালিব শাখার ৷ তারা
বলল, তা হলে আবৃদ মানাফ গোত্রের লোকদের মধ্যে আপনার অবস্থান কেমন ৷ তিনি বললেন,
তারাই তো সর্বপ্রথম আমাকে প্রত্যাখ্যান করে তাড়িয়ে দিয়েছে ৷ তারা বলল, আমরা আপনাকে
তাড়িয়ে দেবাে না ৷ আবার আপনার প্ৰতি ঈমানও আনব না ৷ আমরা আপনাকে নিরাপত্তা দেবাে
যাতে করে আপনি আপনার প্ৰতিপালকের রিসলোঃতর বাণী পৌছিয়ে দিতে পারেন ৷ বন্তুত তিনি
তাদের সাথে বসবাস করতে লাগলেন ৷ তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করছিল ৷ ইতোমধ্যে
বুহায়রা ইবন ফিরাস কুশায়রী তাদের নিকট আগমন করে ৷ সে বলল, তোমাদের মধ্যে এই
লোকটি কে ৷ আমি তো তাকে চিনতে পারছি না ৷ ওরা বলল, তিনি হলেন মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ কুরায়শী ৷ সে জিজ্ঞেস করল, তোমাদের সাথে তার সম্পর্ক কী ৷ তারা বলল, সে তো
নিজেকে আল্লাহ্র রাসুল বলে দাবী করে ৷ সে আমাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছে আমরা যেন
তাকে নিরাপত্তা দিই যাতে সে তার প্রতিপালকের দেয়া রিসালাতের বাণী প্রচার করতে পারে ৷
বুহায়রা বলল, তোমরা তাকে কি উত্তর দিয়ে ছ ৷ তারা বলল, আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি ৷
আমরা তাকে আমাদের দেশে নিয়ে বার এবং তাকে নিরাপত্তা দেবাে যেমন করে আমরা
নিজেদের নিরাপত্তা বিধান করি ৷ বুহায়রা বলল, এই মেলা থেকে তোমরা যে কঠিন দায়িতু নিয়ে
যাচ্ছে অন্য কেউ তত কঠিন কিছু নিয়ে যাচ্ছে বলে আমার জানা নেই ৷ তোমরা তাকে সাথে
করে নিয়ে গিয়ে বিপর্যয়ের সুচনা করছো ৷ তারপর তোমরা অন্যান্য মানুষের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত
হবে শেষপর্যন্ত আরবরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে তোমাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করবে ৷ সবাই তোমাদের
نَمْنَعَهُ حَتَّى يُبَلِّغَ رِسَالَةَ رَبِّهِ. قَالَ: مَاذَا رَدَدْتُمْ عَلَيْهِ؟ قَالُوا: بِالرَّحْبِ وَالسَّعَةِ، نُخْرِجُكَ إِلَى بِلَادِنَا، وَنَمْنَعُكَ مَا نَمْنَعُ بِهِ أَنْفُسَنَا. قَالَ بَيْحَرَةُ: مَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ هَذِهِ السُّوقِ يَرْجِعُ بِشَيْءٍ أَشَرَّ مِنْ شَيْءٍ تَرْجِعُونَ بِهِ، بَدَأْتُمْ لِتُنَابِذُوا النَّاسَ وَتَرْمِيَكُمُ الْعَرَبُ عَنْ قَوْسٍ وَاحِدَةٍ، قَوْمُهُ أَعْلَمُ بِهِ، لَوْ آنَسُوا مِنْهُ خَيْرًا لَكَانُوا أَسْعَدَ النَّاسِ بِهِ، أَتَعْمِدُونَ إِلَى رَهِيقِ قَوْمٍ، قَدْ طَرَدَهُ قَوْمُهُ وَكَذَّبُوهُ فَتُؤْوُونَهُ وَتَنْصُرُونَهُ؟! فَبِئْسَ الرَّأْيُ رَأَيْتُمْ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: قُمْ فَالْحَقْ بِقَوْمِكَ، فَوَاللَّهِ لَوْلَا أَنَّكَ عِنْدَ قَوْمِي لَضَرَبْتُ عُنُقَكَ. قَالَ: فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى نَاقَتِهِ فَرَكِبَهَا، فَغَمَزَ الْخَبِيثُ بَيْحَرَةُ شَاكِلَتَهَا، فَقَمَصَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَلْقَتْهُ، وَعِنْدَ بَنِي عَامِرٍ يَوْمَئِذٍ ضُبَاعَةُ ابْنَةُ عَامِرِ بْنِ قُرْطٍ، كَانَتْ مِنَ النِّسْوَةِ اللَّاتِي أَسْلَمْنَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ، جَاءَتْ زَائِرَةً إِلَى بَنِي عَمِّهَا، فَقَالَتْ: يَا آلَ عَامِرٍ، وَلَا عَامِرَ لِي، أَيُصْنَعُ هَذَا بِرَسُولِ اللَّهِ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ لَا يَمْنَعُهُ أَحَدٌ مِنْكُمْ؟ فَقَامَ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ مِنْ بَنِي عَمِّهَا إِلَى بَيْحَرَةَ، وَاثْنَيْنِ أَعَانَاهُ فَأَخَذَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ رَجُلًا فَجَلَدَ بِهِ الْأَرْضَ، ثُمَّ جَلَسَ عَلَى صَدْرِهِ، ثُمَّ عَلَوْا وُجُوهَهُمْ لَطْمًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى هَؤُلَاءِ، وَالْعَنْ هَؤُلَاءِ» . قَالَ: فَأَسْلَمَ الثَّلَاثَةُ الَّذِينَ نَصَرُوهُ، وَقُتِلُوا شُهَدَاءَ وَهُمْ; غُطَيْفٌ وَغَطَفَانُ ابْنَا سَهْلٍ وَعُرْوَةُ - أَوْ عَزْرَةُ - بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَهَلَكَ الْآخَرُونَ لَعْنًا وَهُمْ; بَيْحَرَةُ بْنُ فِرَاسٍ، وَحَزْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২০৬২
سَلَمَةَ بْنِ قُشَيْرٍ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ عُبَادَةَ أَحَدُ بَنِي عَقِيلٍ، لَعَنَهُمُ اللَّهُ لَعْنًا كَبِيرًا. وَهَذَا أَثَرٌ غَرِيبٌ كَتَبْنَاهُ لِغَرَابَتِهِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ بِتَمَامِهِ الْحَافِظُ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ فِي " مَغَازِيهِ " عَنْ أَبِيهِ بِهِ.
وَقَدْ رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ لَهُ شَاهِدًا مِنْ حَدِيثِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي قِصَّةِ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، وَقَبِيحِ رَدِّهِمْ عَلَيْهِ، وَأَغْرَبُ مِنْ ذَلِكَ وَأَطْوَلُ مَا رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ، وَالْحَاكِمُ، وَالْبَيْهَقِيُّ - وَالسِّيَاقُ لِأَبِي نُعَيْمٍ - رَحِمَهُمُ اللَّهُ مِنْ حَدِيثِ أَبَانِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، عَنْ أَبَانِ بْنِ تَغْلِبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: لَمَّا أَمَرَ اللَّهُ رَسُولَهُ أَنْ يَعْرِضَ نَفْسَهُ عَلَى قَبَائِلِ الْعَرَبِ، خَرَجَ وَأَنَا مَعَهُ وَأَبُو بَكْرٍ إِلَى مِنًى، حَتَّى دَفَعْنَا إِلَى مَجْلِسٍ مِنْ مَجَالِسِ الْعَرَبِ، فَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَسَلَّمَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ مُقَدَّمًا فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَكَانَ رَجُلًا نَسَّابَةً، فَقَالَ: مِمَّنِ الْقَوْمُ؟ قَالُوا: مِنْ رَبِيعَةَ. قَالَ: وَأَيُّ رَبِيعَةَ أَنْتُمْ؟ أَمِنْ هَامِهَا أَمْ مِنْ لَهَازِمِهَا. قَالُوا: بَلْ مِنْ هَامَتِهَا الْعُظْمَى. قَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَمَنْ أَيِّ هَامَتِهَا الْعُظْمَى؟ قَالُوا: ذُهْلٌ الْأَكْبَرُ. قَالَ لَهُمْ أَبُو بَكْرٍ: مِنْكُمْ عَوْفٌ الَّذِي كَانَ
পৃষ্ঠা - ২০৬৩
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ৷ তার সম্প্রদায় তার সম্পর্কে অধিকতর ওয়াকিফহা ৷ল ৷ সে যদি কোন কল্যাণ
নিয়ে আসে তবে তা গ্রহণ করে ওরা শ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যের অধিকারী হবে ৷ তোমরা কি একজন
অবাঞ্ছিত লোককে সাথে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ৷করছে৷ যার সম্প্রদায় তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে এবং
তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ তোমরা কি তাকে আশ্রয় দিতে ও সাহায্য করতে চাও ? তোমাদের
মনোভাব কতইনা মন্দ !
বুহায়রা এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দিকে ফিরে তাকাল ৷ সে বলল “তুমি তোমার
সম্প্রদায়ের নিকট চলে যাও ৷ আল্লাহর কসম এখন তুমি যদি আমাণ্ ৷ব সম্প্রদায়ের নিকট না হয়ে
অন্য কোথাও হতে, তবে আমি ণ্৩ ৷মার গর্দান উড়িয়ে দিতাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা৩ তার উটনীর
পিঠে সওয়ার হলেন ৷ খবীছ বুহায়রা এসে উটনীটির চলার পথ বোধ করে দেয় ৷ ফলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে নিয়ে উটনীটি লাফিয়ে উঠে এবং তাকে পিঠ থােক ফেলে দেয় ৷
বনু আমির গোত্রের নিকট তখন আমির ইবন কুরাত-এর কন্য৷ দাবাআ অবস্থান করছিল ৷
মক্কায় যে সকল মহিলা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি ঈমান এসেছিলেন তিনি ছিলেন তাদের
একজন ৷ গোষ্ঠীর লোকদের সাথে দেখা করার জন্যে তিনি এখানে এসেছিলেন ৷ তিনি বললেন,
হে আমিরের বং শধর এখন তো আমির জীবিত নেই ৷ তোমাদের সামনে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
প্রতি এমন অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে অথচ তোমরা ৷কেউ তাকে রক্ষ৷ করছ না ? এবার তার
তিন চাচাত ই বুহায়রাকে আক্রমণ করার জন্যে উঠে দাড়াল ৷ অপর দু জন প্রস্তুত হল
বুহায়রাকে সাহায্য করার জন্যে ৷ ফলে উভয়পক্ষের একেকজন তার প্রতিপক্ষকে আক্রমণ
করল ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর পক্ষের প্রত্যেক লোক তার প্রতিপক্ষকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার
বুকের উপর উঠে বসল এবং তাদেরকে চপেটাঘাত করতে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) দু আ করে
বললেন হে আল্লাহ এই তিনজনকে বরকত দিন আর ওই তিনজনকে লা নত দিন ৷ এই তিন
জন যারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সাহায্য করেছিলেন তারা পরে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং
যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ৷৩ তারা হলেন সাহ্লের দু’ পুত্র গাতীফ এবং পাতফান আর তৃভীয়জন
হলেন আবদুল্লাহ ইবন সালামা-এর পুত্র উরওয়৷ কিৎব৷ উযরা ৷
হাফিয সাঈদ ইবন ইয়াহ্ইয়৷ ইবন সাঈদ উমড়াবী তার মাপাষী গ্রন্থে তার পিতার বরাতে
উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ৷ অপর তিনজন ধ্বংস হয়েছিল ৷ ওরা হল বুহায়রা ইবন ফিরাস ,
হড়াযান ইবন আবদুল্লাহ ইবন সালাম৷ ইবন কুশায়র এবং আকীল গোত্রের মুআবিয়৷ ইবন
উবদাে ৷ তাদের প্রতি আল্লাহর লানত ৷ এটি একটি বিরল বর্ণনা ৷ সে জন্যে আমরা এটি উদ্ধৃত
করলাম ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন
আমির ইবন সাসাআ-এর ঘটনা বর্ণনা এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি ওদের অশালীন
প্ৰত্যুত্তর বর্ণনা উপলক্ষে হাফিয আবু নুআয়ম কাআব ইবন মালিক (বা) থেকে উক্ত হাদীছের
সমর্থক একটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ অন্যদিকে আবু নুআয়ম, হাকিম ও বায়হাকী (র) প্রমুখ
৩া৷বান ইবন আবদুল্লাহ রাজালী আলী ইবন আবু৩ তালিব সুত্রে যেটি বর্ণনা করেছেন সেটি
এর চেয়েও দীর্ঘ এবং আশ্চর্যজ নক ৷ আলী ইবন আবু৩ তালিব বলেছেন আল্লাহ তা আলা তার
রাসুলকে নির্দেশ দিলেন তিনি যেন আরবের বিভিন্ন গোত্রের নিকট গিয়ে ইসলামের দাওয়াত
يُقَالُ: لَا حُرَّ بَوَادِي عَوْفٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَمِنْكُمْ بِسْطَامُ بْنُ قَيْسِ بْنِ مَسْعُودٍ أَبُو اللِّوَاءِ وَمُنْتَهَى الْأَحْيَاءِ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَمِنْكُمْ الْحَوْفَزَانُ بْنُ شَرِيكٍ قَاتِلُ الْمُلُوكِ وَسَالِبُهَا أَنْفُسَهَا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَمِنْكُمْ جَسَّاسُ بْنُ مُرَّةَ بْنِ ذُهْلٍ حَامِي الذِّمَارِ وَمَانِعُ الْجَارِ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَمِنْكُمُ الْمُزْدَلِفُ صَاحِبُ الْعِمَامَةِ الْفَرْدَةِ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَأَنْتُمْ أَخْوَالُ الْمُلُوكِ مِنْ كِنْدَةَ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَأَنْتُمْ أَصْهَارُ الْمُلُوكِ مِنْ لَخْمٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ لَهُمْ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فَلَسْتُمْ بِذُهْلٍ الْأَكْبَرِ، بَلْ أَنْتُمْ ذُهْلٌ الْأَصْغَرُ. قَالَ: فَوَثَبَ إِلَيْهِ مِنْهُمْ غُلَامٌ يُدْعَى دَغْفَلَ بْنَ حَنْظَلَةَ الذُّهْلِيَّ، حِينَ بَقَلَ وَجْهُهُ، فَأَخَذَ بِزِمَامِ نَاقَةِ أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ يَقُولُ:
إِنَّ عَلَى سَائِلِنَا أَنْ نَسْأَلَهْ ... وَالْعِبْءَ لَا تَعْرِفُهُ أَوْ تَحْمِلُهُ
يَا هَذَا، إِنَّكَ سَأَلْتَنَا فَأَخْبَرْنَاكَ وَلَمْ نَكْتُمْكَ شَيْئًا، وَنَحْنُ نُرِيدُ أَنْ نَسْأَلَكَ مِمَّنْ أَنْتَ؟ قَالَ: رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ. فَقَالَ الْغُلَامُ: بَخٍ بَخٍ أَهْلُ السُّؤْدُدِ وَالرِّئَاسَةِ، وَأَزِمَّةُ الْعَرَبِ وَهُدَاتُهَا، مِمَّنْ أَنْتَ مِنْ قُرَيْشٍ؟ فَقَالَ لَهُ: رَجُلٌ
পৃষ্ঠা - ২০৬৪
দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিনার পথে বের হলেন ৷ সাথে আবু বকর (বা) এবং আমি ৷ আমরা
আরবদের এক মজলিসে উপস্থিত হই ৷ আবু বকর (বা ) এগিয়ে গিয়ে ওদেরকে সালাম দিলেন ৷
সকল ভাল কাজে হযরত আবু বকর (বা) আমাদের মধ্যে অগ্রগামী থাকতেন ৷ ব০ শ পরিচিতি
সম্পর্কে তার ব্যাপক জ নাশুন ৷ছিল ৷ তিনি বললেন, আপনারা কোন সম্প্রদায়ের লোক ? তারা
বলল, রাবীআ সম্প্রদায়ের লোক ৷ তিনি বললেন, মুল রাবীআ গোত্রের, না শাখা গোত্রের ? তারা
বলল, মুল রাবীআ গোত্রের ৷ আবু বকর (বা) বললেন, তবে কোন মুল গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ? তারা
বলল, যুহল-ই-আকবর গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ৷ আবু বকর (বা) বললেন, তোমাদের মধ্যে কি
আওফ আছেন, যীর সম্পর্কে বলা হয় যে আওফের উপত্যকায় উক্তাপ নেই ? তারা বলল, না ৷
আবু বকর (বা) বললেন, তোমাদের মধ্যে কি বুস৩ তাম ইবন্ ৷ কায়স আছে, হাড়ার উপাধি
পতাকাবাহী এবং যিনি গোত্রের উৎস ৷ তারা বলল, না, সেই ৷ আবু বকর (রা) বললেন,
তোমাদের মধ্যে কি হাওফাযান ইবন শুরায়ক আছে যার উপাধি রাজার হম্ভা ও আত্মরক্ষাকারী ?
তারা বলল, না, সেই ৷ আবু বকর (রা) বললেন তোমাদের মধ্যে কি জাসসাস ইবন মুবৃরা ইবন
যুহ্ল আছে, যার উপাধি হল আত্মসং যমী ও প্রতিবেশীদের হিফায়তকারী ? তারা বলল না,
নেই ৷ আবু বকর (রা) বললেন,রু তোমাদের মধ্যে কি মুযদালিফ আছেন, যিনি তুলনাহীন একক
শিরস্ত্রাণেব অধিকারী ? তারা বলল, না, ত ৷ই তিনি বললেন তবে তোমরা কি কিনদা-রাজাদের
মাভুল বং শ ? তারা বলল, না, তা নয় ৷ তিনি বললেন, তবে তোমরা কি লাখামী রাজাদের স্খাশুর
গোত্র ? তারা বলল, না ৷ তা নয় ৷ এবার হযরত আবু বকর (রা) তাদেরকে বললেন, তবে
তোমরা উর্ধ্বতন যুহলের গোত্রভুক্ত নও, বরং তোমরা অধস্তন যুহলের বংশধর ৷
বর্ণনাকারী বলেন, তখনই দাপফাল ইবন হানযালা যুহালী নামের এক যুবক লাফিয়ে এসে
হযরত আবু বকর (রা) এর উষ্টীর লাগাম চেপে ধরল এবং বলল :
যিনি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন আমরা নিশ্চয়ই তাকে তার বংশ পরিচয় সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করব ৷ পোশাক দেখে আমরা তাকে চিনতে পারছি না কি০ বা তার সম্পর্কে আমরা
অজ্ঞ ৷
হে আগত্তুক৷ আপনি তো আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, আমরা আপনাকে জানালাম ৷
আমাদের কিছু আমরা গোপন রাখিনি ৷ এবার আমরা আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই ৷
আপনার পরিচয় কি ? হযরত আবু বকর (বা) বললেন, আমি কুরায়শ ৎশের লোক ৷ যুবকটি
বলল , বাহ্ বাহ্ আপনি তো নেতৃতু দানকারী আরবের অগ্রগাযীও শীর্ষ স্থানীয় বংশের অন্তর্ভুক্ত ৷
সে এবার বলল , আপনি কুরায়শের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেন ৷ তায়ম ইবন মুররা
শাখার অন্তর্ভুক্ত ৷ সে বলল, আপনি কি শত্রুপক্ষেব বক্ষ লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করতে
পারেন ? কুসা ৷ই ইবন কিলাব কে আপনাদের গো ৷ত্রভুক্ত ? যিনি মক্কা দখলকারীদের অধিকাং শকে
হত্যা আর অবশিষ্টদেরকে দেশাম্ভরিত করেছিলেন ? নিজের সম্প্রদায়ভুক্ত লোকদেবকে
বিভিন্নন্থান থেকে এনে মক্কায় পুনর্বাসন করেছিলেন ৷ তারপর ওই জনপদের কর্তৃতু গ্রহণ
مِنْ بَنِي تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ. فَقَالَ لَهُ الْغُلَامُ: أَمْكَنْتَ وَاللَّهِ الرَّامِيَ مِنْ سَوَاءِ الثُّغْرَةِ؟ أَفَمِنْكُمْ قُصَيُّ بْنُ كِلَابٍ الَّذِي قَتَلَ بِمَكَّةَ الْمُتَغَلِّبِينَ عَلَيْهَا، وَأَجْلَى بَقِيَّتَهُمْ، وَجَمَعَ قَوْمَهُ مِنْ كُلِّ أَوْبٍ حَتَّى أَوَطَنَهُمْ مَكَّةَ، ثُمَّ اسْتَوْلَى عَلَى الدَّارِ، وَنَزَّلَ قُرَيْشًا مَنَازِلَهَا، فَسَمَّتْهُ الْعَرَبُ بِذَلِكَ مُجَمِّعًا، وَفِيهِ يَقُولُ الشَّاعِرُ لِبَنِي عَبْدِ مَنَافٍ
أَلَيْسَ أَبُوكُمْ كَانَ يُدْعَى مُجَمِّعًا ... بِهِ جَمَعَ اللَّهُ الْقَبَائِلَ مِنْ فِهْرِ
فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: لَا. قَالَ: فَمِنْكُمْ عَبْدُ مَنَافٍ الَّذِي انْتَهَتْ إِلَيْهِ الْوَصَايَا وَأَبُو الْغَطَارِيفِ السَّادَةِ؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: لَا. قَالَ: فَمِنْكُمْ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ مَنَافٍ هَاشِمٌ الَّذِي هَشَمَ الثَّرِيدَ لِقَوْمِهِ وَلِأَهْلِ مَكَّةَ، فَفِيهِ يَقُولُ الشَّاعِرُ:
عَمْرُو الْعُلَا هَشَمَ الثَّرِيدَ لِقَوْمِهِ ... وَرِجَالُ مَكَّةَ مُسْنِتُونَ عِجَافُ
سَنُّوا إِلَيْهِ الرِّحْلَتَيْنِ كِلَيْهِمَا ... عِنَدَ الشِّتَاءِ وَرِحْلَةَ الْأَصْيَافِ
كَانَتْ قُرَيْشٌ بَيْضَةً فَتَفَلَّقَتْ ... فَالْمُحُّ خَالِصُهُ لِعَبْدِ مَنَافِ
الرَّائِشِينَ وَلَيْسَ يُعْرَفُ رَائِشٌ ... وَالْقَائِلِينَ هَلُمَّ لِلْأَضْيَافِ
পৃষ্ঠা - ২০৬৫
وَالضَّارِبِينَ الْكَبْشَ يَبْرُقُ بَيْضُهُ
وَالْمَانِعِينَ الْبَيْضَ بِالْأَسْيَافِ ... لِلَّهِ دَرُّكَ لَوْ نَزَلْتَ بِدَارِهِمْ
مَنَعُوكَ مِنْ أَزْلٍ وَمِنْ إِقْرَافِ
فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: لَا. قَالَ: فَمِنْكُمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ شَيْبَةُ الْحَمْدِ، وَصَاحِبُ عِيرِ مَكَّةَ، وَمُطْعِمُ طَيْرِ السَّمَاءِ وَالْوُحُوشِ وَالسِّبَاعِ فِي الْفَلَا، الَّذِي كَأَنَّ وَجْهَهُ قَمَرٌ يَتَلَأْلَأُ فِي اللَّيْلَةِ الظَّلْمَاءِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: أَفَمِنْ أَهْلِ الْإِفَاضَةِ أَنْتَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: أَفَمِنْ أَهْلِ الْحِجَابَةِ أَنْتَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: أَفَمِنْ أَهْلِ النَّدْوَةِ أَنْتَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: أَفَمِنْ أَهْلِ السِّقَايَةِ أَنْتَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: أَفَمِنْ أَهْلِ الرِّفَادَةِ أَنْتَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: أَفَمَنِ الْمُفِيضِينَ بِالنَّاسِ أَنْتَ؟ قَالَ لَا. ثُمَّ جَذَبَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ زِمَامَ نَاقَتِهِ مِنْ يَدِهِ، فَقَالَ لَهُ الْغُلَامُ:
صَادَفَ دَرْءَ السَّيْلِ دَرْءٌ يَدْفَعُهُ ... يَهِيضُهُ حِينًا وَحِينًا يَصْدَعُهْ
পৃষ্ঠা - ২০৬৬
করেছিলেন ? কুরায়শ বৎশকে মর্যাদা ৷র আসনে আসীন করেছিলেন ৷ এ জন্যে আরব জাতি র্তাকে
মুজা ৷’ম্মি বা “একত্রকা ড়ারী” নামে আখ্যা ৷য়িত করেছে ৷৩ তার সম্পর্কে জনৈক ক বৃ বলেছেন :
ন্,ট্রুপ্ণ্ র্দু১এ
“তোমাদের পুর্বপুরুষ কি একত্রকারী উপাধিতে ভুষিত ছিলেন না ? তার মাধ্যমে আল্লাহ্
তাআল৷ ফিহ্র গোত্রের সকল শাখাকে একত্রিত করেছেন ৷”
হযরত আবু বকর (বা) বললেন, না তা নয় ৷ যুবক বলল, আপনাদের মধ্যে কি আব্দ
মানাফ আছেন, যিনি সকল ওসীয়াণ্ডে র কেন্দ্রবিন্দু এবং সকল নেতার নেতা ? আবু বকর (রা)
বললেন না, সেই ৷ যুবক বলল,৩ তবে আপনাদের মধ্যে কি আমর ইবান আব্দ মানড়াফ হাশিম
আছেন, যিনি নিজ গোত্র ও মক্কাবাসীদের জন্যে রুটি ছারীদ থাওয়াতেন ? তার সম্পর্কে কবি
বলেছেন :
উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আমর নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের ছারীদ দিয়ে আপ্যায়িত করেছেন ৷
মক্কার লোকেরা তখন ছিল ক্ষুধার্ত, নিরন্ন ও শীর্ণকায় ৷
ৰুওাছুট্রু খু ৷ ছুাছু,ড়ু ন্ঢুট্রুহুএ্ ৷
তারা শীত ও গ্রীষ্ম উভয় ঋতুতে তার নিকট অ ৷সার জনােই ক ৷ফেলা পরিচালনা করত ৷
ৰুওাট্রুটুগু
কুরায়শ বংশ ছিল একটি শিরস্ত্রাণের ন্যায় ৷ এরপর সেটি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ল ৷
সেটির শীর্ষ অংশ নির্ধারিত থাকল একান্ত ভাবে আব্দ মানাফ গোত্রের জন্যে ৷
া
আব্দ মানাফ গোত্রের লোকেরা সকলেই সৎকর্মশীল ৷৩ তাদের ন্যায় সৎকর্মণীল লোক
সচরাচর দেখা যায় না ৷ তারা মেহমা নদের উদ্দেশ্যে বলে থাকে আসুন আসুন আতিথ্য গ্রহণ
করুন ৷
চমৎকার ও চিত্তাকর্ষক রং য়ের ভেড়াকে তারা বিনা দ্বিধায় যেহমানদের জন্যে যবাহ্
করে দেয় ৷ তরবারি দ্বারা শত্রুপক্ষকে প্রতিহত করে তারা নিজেদের শিরস্ত্রাণ ৷ও ঘুকুট রক্ষা
করে ৷ ১
এ এএ এএ
থােশ আমদেদ, আপনি য়দি তাদের মহল্লায় যান তবে, তারা সকল প্রকারের
অপমান-লাঞ্চুন৷ ও মিথ্যা অপবাদ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে ৷ ২
১ সাদা লোমের মধ্যে কালো চুল ৷ ২ ৰু১৷ সংকট, বিপদ, উপবাস
ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ يَا أَخَا قُرَيْشٍ، لَوْ ثَبَتَّ لَخَبَّرْتُكَ أَنَّكَ مِنْ زَمَعَاتِ قُرَيْشٍ وَلَسْتَ مِنَ الذَّوَائِبِ. قَالَ: فَأَقْبَلَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ. قَالَ عَلِيٌّ: فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا بَكْرٍ لَقَدْ وَقَعْتَ مِنَ الْأَعْرَابِيِّ عَلَى بَاقِعَةٍ. فَقَالَ: أَجَلْ يَا أَبَا الْحَسَنِ، إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ طَامَّةٍ إِلَّا وَفَوْقَهَا طَامَّةٌ، وَالْبَلَاءُ مُوَكَّلٌ بِالْقَوْلِ. قَالَ: ثُمَّ انْتَهَيْنَا إِلَى مَجْلِسٍ عَلَيْهِ السَّكِينَةُ وَالْوَقَارُ، وَإِذَا مَشَايِخُ لَهُمْ أَقْدَارٌ وَهَيْئَاتٌ، فَتُقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ فَسَلَّمَ - قَالَ عَلِيٌّ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ مُقَدَّمًا فِي كُلِّ خَيْرٍ - فَقَالَ لَهُمْ أَبُو بَكْرٍ: مِمَّنِ الْقَوْمُ؟ قَالُوا: نَحْنُ بَنِي شَيْبَانَ بْنِ ثَعْلَبَةَ، فَالْتَفَتَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، لَيْسَ بَعْدَ هَؤُلَاءِ مِنْ عِزٍّ فِي قَوْمِهِمْ - وَفِي رِوَايَةٍ: لَيْسَ وَرَاءَ هَؤُلَاءِ غُرَرٌ مِنْ قَوْمِهِمْ - وَهَؤُلَاءِ غُرَرُ النَّاسِ. وَكَانَ فِي الْقَوْمِ; مَفْرُوقُ بْنُ عَمْرٍو، وَهَانِئُ بْنُ قَبِيصَةَ، وَالْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ، وَالنُّعْمَانُ بْنُ شَرِيكٍ، وَكَانَ أَقْرَبَ الْقَوْمِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ مَفْرُوقُ بْنُ عَمْرٍو، وَكَانَ مَفْرُوقُ بْنُ عَمْرٍو قَدْ غَلَبَ عَلَيْهِمْ بَيَانًا وَلِسَانًا، وَكَانَتْ لَهُ غَدِيرَتَانِ تَسْقُطَانِ عَلَى صَدْرِهِ، فَكَانَ أَدْنَى الْقَوْمِ مَجْلِسًا مِنْ أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ: كَيْفَ الْعَدَدُ فِيكُمْ؟ فَقَالَ لَهُ: إِنَّا لَنَزِيدُ عَلَى أَلْفٍ، وَلَنْ تُغْلَبَ أَلْفٌ مِنْ قِلَّةٍ. فَقَالَ لَهُ: فَكَيْفَ الْمَنَعَةُ فِيكُمْ؟ فَقَالَ: عَلَيْنَا الْجَهْدُ وَلِكُلِّ قَوْمٍ جِدٌّ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَكَيْفَ الْحَرْبُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّكُمْ؟ فَقَالَ مَفْرُوقٌ: إِنَّا أَشَدُّ مَا نَكُونُ
পৃষ্ঠা - ২০৬৭
হযরত আবু বকর (বা) বললেন, না, তিনি আমাদের লোক নন ৷ যুবক বলল, আপনাদের
মধ্যে কি আবদুল মুত্তা ৷লিব আছেন, যিনি শায়বাতুল হামৃদ বা সকল সুনামের যোগ্য পাত্র, যিনি
মকী ক ৷৷ফেল র নে৩ তা, যিনি শুন্যে বিচরণকা রী পাথী এবং মাঠে-প্রা ৷ন্তরে বিচরণকারী জীব জত্তুকে
খাদ্য দ ৷নকারী, যার মুখমওল অন্ধকার রাতে চকচক করে মোতি বিকিরণ করতো ৷ হযরত আবু
বকর (বা) বললেন, না তিনি আমাদের পােত্রভুক্ত নন ৷ যুবকটি বলল, তাহলে কি আপনারা
আরাফাতের অধিবাসী ? হযরত আবু বকর (বা) বললেন, না তা নয় ৷ সে বলল আপনি কি
বায়তৃল্লাহ্শ ৷রীফের তত্ত্বাবধানকারীদের গোত্র ? তিনি বললেন না, তা নয় ৷ সে বলল তবে
আপনি কি নাদওয়৷ ও পরামর্শদাতা ৷সদস্যদের দলভুক্ত ?৷ তিনি বললেন, না, তাও নয় ৷ সে
বলল , তবে কি হাজীদের পানি পরিবেশনকাবীদের গোত্রভুক্ত? তিনি বললেন, না, তাও নয় ৷ সে
বলল, তবে কি হাজীদের সেবাকারীদের দলভুক্ত ? তিনি বললেন, না, তাও নয় ৷ সে বলল,
তবে কি আপনি হাব্জীদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব পালনকারীদের অন্তর্ভুক্ত ? তিনি
বললেন, না ৷ তা নয় ৷ এবার হযরত আবু বকর (রা) যুবৰ্ড়াপ্ক্কর হাত থেকে তার উটের লাগান
টেনে নিলেন ৷ যুবকটি তাকে লক্ষ্য করে বলল :
শ্শ্শ্শ্শ্
“বন্যায় ভেসে আসা ঝিনুক প্রতিযোগিতায় নেমেছে অপর ঝিনুকের সাথে ৷ প্রবাহ কখনো
এটিকে উপরে উঠার কখনো বা নীচে নামায় ৷ ” তারপর সে বলল , আল্লাহর কসম , হে কুরাযশ
বংশীয় লোক! আপনি যদি একটু অপেক্ষা করেন, তবে আমি আপনাকে সম্যক বলে দিতে
পারবো যে, আপনি কুরায়শের মুল বংশের অন্তর্ভুক্ত-শাখা গোত্রের নয় ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের দিকে তাকালেন মুচকি হেসে ৷ হযরত
আলী (বা) বলেন, আমি বললাম, হে আবু বকর ৷ বেদৃঈন আরব যুবকের সম্মুখে আপনি এক
-মস্ত ঝামেলায় পড়েছিলেন বটে ৷ তিনি বললেন, হে হাসানের পিতা ! তা-ই, বিপদের উপর বড়
বিপদ এবং ৎকটের উপর মহাসংকট থাকে ৷ কথায় বিপদ টেনে আংন ৷
বর্ণনাকারী হযরত আলী (বা) বলেন, তারপর আমরা একটি মজলিসে উপস্থিত হলাম ৷
সেটি একটি গুরু-গন্তীর ও শান্ত মজলিস ৷ সেখানে ব্যক্তিতৃসম্পন্ন নেতৃস্থানীয় লোকজন উপ
ছিলেন ৷ হযরত আবু বকর (রা) এগিয়ে গিয়ে ওদেরকে সালাম দিলেন ৷ বন্তুত সকল ভাল
কাজেই হযরত আবু বকর অগ্রগামী ৷ হযরত আবু বকর (বা) বললেন, আপনারা কোন
সম্প্রদায়ের লোক ? ওরা বলল, বনু শাযবান ইবন ছালড়াবা গোত্রের লোক ৷ আবু বকর (বা)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্যে কুরবান হোন,
ওদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ওদের চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন কেউ নেই ৷ এক বর্ণনায় আছে যে,
ওদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ওরা ছাড়া এমন কেউ নেই, যাদের ওযর গ্রহণ করা যায় ৷ এরাই
তাদের সম্প্রাদয়ের শ্রেষ্ঠ সম্প্রদায় ৷ ওই মসলিসে মাফরুক ইবন আমর, হানী ইবন কুবায়সা,
মুছান্ন৷ ইবন হারিছা, নুমান ইবন শুরায়ক প্রমুখ নেতা ছিলেন ৷ মাফরুক ইবন আমরের সাথে
হযরত আবু বকর (বা) এর অধিকতর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ৷ বাগাি৩ ৷ ও ভাষা সৌকর্যে মাফরুক
ছিল তাদের মধ্যে অগ্নণী ৷৩ তার চুলের দুটো বেণী ঝুলে থাকত ৩বুক পর্যন্ত ৷ সে বসেছিল হযরত
غَضَبًا حِينَ نَلْقَى، وَإِنَّا أَشُدُّ مَا نَكُونُ لِقَاءً حِينَ نَغْضَبُ، وَإِنَّا لَنُؤْثِرُ الْجِيَادَ عَلَى الْأَوْلَادِ، وَالسِّلَاحَ عَلَى اللِّقَاحِ، وَالنَّصْرُ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، يُدِيلُنَا مَرَّةً وَيُدِيلُ عَلَيْنَا مَرَّةً. لَعَلَّكَ أَخُو قُرَيْشٍ؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنْ كَانَ بَلَغَكُمْ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَا هُوَ هَذَا. فَقَالَ مَفْرُوقٌ: قَدْ بَلَغَنَا أَنَّهُ يَذْكُرُ ذَلِكَ. ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِلَامَ تَدْعُو يَا أَخَا قُرَيْشٍ فَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَ، وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ يُظِلُّهُ بِثَوْبِهِ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَدْعُوكُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنْ تُؤْوُنِي، وَتَمْنَعُونِي، وَتَنْصُرُونِي حَتَّى أُؤَدِّيَ عَنِ اللَّهِ الَّذِي أَمَرَنِي بِهِ، فَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ تَظَاهَرَتْ عَلَى أَمْرِ اللَّهِ وَكَذَّبَتْ رَسُولَهُ، وَاسْتَغْنَتْ بِالْبَاطِلِ عَنِ الْحَقِّ، وَاللَّهُ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ ". قَالَ لَهُ: وَإِلَامَ تَدْعُو أَيْضًا يَا أَخَا قُرَيْشٍ؟ فَتَلَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ أَلَّا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا} [الأنعام: 151] إِلَى قَوْلِهِ: {فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ} [الأنعام: 153] فَقَالَ لَهُ مَفْرُوقٌ: وَإِلَامَ تَدْعُو أَيْضًا يَا أَخَا قُرَيْشٍ؟ فَوَاللَّهِ مَا هَذَا مِنْ كَلَامِ أَهْلِ الْأَرْضِ، وَلَوْ كَانَ مِنْ كَلَامِهِمْ لَعَرَفْنَاهُ. فَتَلَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالْإِحْسَانِ وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَى وَيَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَالْبَغْيِ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ} [النحل: 90] فَقَالَ لَهُ مَفْرُوقٌ: دَعَوْتَ وَاللَّهِ يَا قُرَشِيُّ إِلَى مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ، وَمَحَاسِنِ الْأَعْمَالِ، وَلَقَدْ
পৃষ্ঠা - ২০৬৮
আবু বকর (রা)-এর নিকটে ৷ আবু বকর (রা) বললেন, তোমাদের সংখ্যা কত ? সে বলল,
আমাদের লোকসংখ্যা এক হাজারের উপরে ৷ এ সংখ্যাকে কম মনে করো না ৷ আমাদের হাজার
লোকের এই দল কখনো পরাজিত হয় না ৷ আবু বকর (বা) বললেন, (তামাদের নিরাপত্তা
পদ্ধতি কেমন ? সে বলল, আমরা অভাব-অনটনে আছি ৷ তবে আমাদের প্ৰতেব্রুকেই কঠোর
পরিশ্রমী এবং নিজ নিজ নিরাপত্তা রক্ষায় সচেষ্ট ৷ আবু বকর (বা) বললেন, তোমাদের মাঝে
এবং তোমাদের শত্রুদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহের ফলাফল কেমন ? মাফরুক বলল, আমরা যখন
ক্রদ্ধ হই, তখন আমরা প্রচণ্ডভাবে শত্রুর যুকাবিলা করি ৷ আমরা ছেলে ণ্মযেদের চাইতে বলিষ্ঠ
অশ্বদলকে প্রাধান্য দেই ৷ দুগ্ধবতী উদ্রীর চাইতে যুদ্ধাস্ত্রকে সাহায্য তো আসে আল্লাহর পক্ষ
থেকে ৷ কখনো আমরা বিজয়ী হই, কখনো হই পরাজিত ৷ আমার মনে হয় আপনি কুরায়শ
গোত্রের লোক ৷ হযরত আবু বকর (বা) বললেন, তোমরা শুনে থাকতে পাব যে, আল্লাহর রাসুল
এস্যেছন ৷ এই যে, ইনি সেই রাসুল ৷ মাফরুক বলল, আমরা অবশ্য শুনেছি যে তিনি তা বলে
থাকেন ৷ এবার সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে তাকাল ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বলে পড়লেন ৷ আবু
বকর (রা) নিজ কাপড় দ্বারা ৩ারে১ ছায়া দিওে লাগণেন ৷ রাসুপুল্লাহ ৷ সা) বললেন, “আমি
তোমাদেরকে আহ্বান করছি যাতে তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই ৷
তিনি একক-লা শরীক ৷ আর একথা সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল ৷ তোমরা আমাকে
যেন আশ্রয় দাও এবং সাহায্য কর যাতে আল্লাহ আমাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন আমি তা
সোকজনের নিকট প্রচার করতে পারি ৷ কুরায়শরা আল্লাহর নির্দেশের বিরুদ্ধে র্দড়াড়িয়েছে ৷ তারা
আল্লাহর রাসুলকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সত্য বাদ দিয়ে মিথ্যার মধ্যে ডুবে আছে ৷ আল্লাহ
কারো মুখাপেক্ষী নন ৷ তিনি প্রশংসাহ ৷
মাফরুক বলল, হে কুরায়শী ভাই ! আপনি আর কোন বিষয়ে দাওয়াত দেন ? উত্তরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিলাওয়াত করলেন :
৫াৰু৷ ব্লু,পু ১৷ ৷, ড্রু;, ৷ ধ্ন্ ৷,হ্রর্স্ট,পু;’; ৰুা৷ ”,হ্রট্রুাহ্র ,ট্ট’ঝু , ন্,;ঢু, ং,দ্বু;৷ ৷ট্রু,া;; পুা’;
বল, এসো, তোমাদের প্ৰতিপালক তোমাদের জন্যে যা নিষিদ্ধ করেছেন তোমাদেরকে তা
পাঠ করে শুনাই ৷ তা এই?, তোমরা তার কোন শরীক নির্ধারণ করবে না ৷ পিতামাতার প্রতি
সদ্ব্যবহার করবে ৷ দারিদ্রোর আশংকায় তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না ৷
আমিই তোমাদেরকে এবং তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি ৷ প্রকাশ্য হোক কিৎবা গোপন হোক
অশ্লীল আচরণের নিকটেও যাবে না, আল্লাহ যা হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ
ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করবে না ৷ তোমাদেরকে তিনি এই নির্দেশ দিলেন যাতে তোমরা
অনুধাবন কর ৷ ইয়াতীম বয়প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সুদুদ্দেশ্য ছাড়া তার সম্পত্তির নিকটবর্তী হবে
না এবং পরিমাণ ও ওজন ন্যায্যতাবে পুরোপুরি দেবে ৷ আমি কাউকে তার সাধ্যাভীত তার
অর্পণ করি না ৷ যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ন্যায় কথা বলবে স্বজনের সম্পর্কে হলেও
এবং আল্লাহ প্রদত্ত অংগীকার পুর্ণ করবে ৷ এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন
أُفِكَ قَوْمٌ كَذَّبُوكَ، وَظَاهَرُوا عَلَيْكَ - وَكَأَنَّهُ أَحَبَّ أَنْ يَشْرَكَهُ فِي الْكَلَامِ هَانِئُ بْنُ قَبِيصَةَ - فَقَالَ: وَهَذَا هَانِئُ بْنُ قَبِيصَةَ شَيْخُنَا وَصَاحِبُ دِينِنَا. فَقَالَ لَهُ هَانِئٌ: قَدْ سَمِعْتُ مَقَالَتَكَ يَا أَخَا قُرَيْشٍ، وَصَدَّقْتُ قَوْلَكَ، وَإِنِّي أَرَى أَنَّ تَرْكَنَا دِينَنَا وَاتِّبَاعَنَا إِيَّاكَ عَلَى دِينِكَ - لِمَجْلِسٍ جَلَسْتَهُ إِلَيْنَا لَيْسَ لَهُ أَوَّلُ وَلَا آخِرٌ، لَمْ نَتَفَكَّرْ فِي أَمْرِكَ وَنَنْظُرْ فِي عَاقِبَةِ مَا تَدْعُو إِلَيْهِ - زَلَّةٌ فِي الرَّأْيِ وَطَيْشَةٌ فِي الْعَقْلِ وَقِلَّةُ نَظَرٍ فِي الْعَاقِبَةِ، وَإِنَّمَا تَكُونُ الزَّلَّةُ مَعَ الْعَجَلَةِ، وَإِنَّ مِنْ وَرَائِنَا قَوْمًا نَكْرَهُ أَنْ نَعْقِدَ عَلَيْهِمْ عَقْدًا، وَلَكِنْ تَرْجِعُ وَنَرْجِعُ وَتَنْظُرُ وَنَنْظُرُ - وَكَأَنَّهُ أَحَبَّ أَنْ يَشْرَكَهُ فِي الْكَلَامِ الْمُثَنَّى بْنُ حَارِثَةَ - فَقَالَ: وَهَذَا الْمُثَنَّى شَيْخُنَا وَصَاحِبُ حَرْبِنَا. فَقَالَ الْمُثَنَّى: قَدْ سَمِعْتُ مَقَالَتَكَ، وَاسْتَحْسَنْتُ قَوْلَكَ يَا أَخَا قُرَيْشٍ، وَأَعْجَبَنِي مَا تَكَلَّمْتَ بِهِ، وَالْجَوَابُ هُوَ جَوَابُ هَانِئِ بْنِ قَبِيصَةَ، وَتَرْكُنَا دِينَنَا وَاتِّبَاعُنَا إِيَّاكَ لِمَجْلِسٍ جَلَسْتَهُ إِلَيْنَا، وَإِنَّا إِنَّمَا نَزَلْنَا بَيْنَ صِيرَيْنِ; أَحَدُهُمَا الْيَمَامَةُ، وَالْآخَرُ السَّمَامَةُ.، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَمَا هَذَانَ الصِّيرَانِ؟ " فَقَالَ لَهُ: أَمَّا أَحَدُهُمَا فَطُفُوفُ الْبَرِّ وَأَرْضُ الْعَرَبِ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَأَرْضُ فَارِسَ وَأَنْهَارُ كِسْرَى، وَإِنَّمَا نَزَلْنَا عَلَى عَهْدٍ أَخَذَهُ عَلَيْنَا كِسْرَى أَنْ لَا نُحْدِثَ حَدَثًا وَلَا نُؤْوِيَ مُحْدِثًا، وَلَعَلَّ هَذَا الْأَمْرَ الَّذِي تَدْعُونَا إِلَيْهِ مِمَّا تَكْرَهُهُ
পৃষ্ঠা - ২০৬৯
الْمُلُوكُ، فَأَمَّا مَا كَانَ مِمَّا يَلِي بِلَادَ الْعَرَبِ فَذَنْبُ صَاحِبِهِ مَغْفُورٌ، وَعُذْرُهُ مَقْبُولٌ، وَأَمَّا مَا كَانَ يَلِي بِلَادَ فَارِسَ فَذَنَبُ صَاحِبِهِ غَيْرُ مَغْفُورٍ، وَعُذْرُهُ غَيْرُ مَقْبُولٍ، فَإِنْ أَرَدْتَ أَنْ نَنْصُرَكَ وَنَمْنَعَكَ مِمَّا يَلِي الْعَرَبَ فَعَلْنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا أَسَأْتُمُ الرَّدَّ إِذْ أَفْصَحْتُمْ بِالصِّدْقِ، إِنَّهُ لَا يَقُومُ بِدِينِ اللَّهِ إِلَّا مَنْ حَاطَهُ مِنْ جَمِيعِ جَوَانِبِهِ. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَرَأَيْتُمْ إِنْ لَمْ تَلْبَثُوا إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى يَمْنَحَكُمُ اللَّهُ بِلَادَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، وَيُفْرِشَكُمْ بَنَاتِهِمْ، أَتُسَبِّحُونَ اللَّهَ وَتُقَدِّسُونَهُ؟ " فَقَالَ لَهُ النُّعْمَانُ بْنُ شَرِيكٍ: اللَّهُمَّ وَإِنَّ ذَلِكَ لَكَ يَا أَخَا قُرَيْشٍ. فَتَلَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُنِيرًا} [الأحزاب: 45]
[الْأَحْزَابِ: 46، 45] ثُمَّ نَهَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَابِضًا عَلَى يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ. قَالَ عَلِيٌّ: ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " يَا عَلِيُّ، أَيَّةُ أَخْلَاقٍ لِلْعَرَبِ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، مَا أَشْرَفَهَا! بِهَا يَتَحَاجَزُونَ فِيمَا بَيْنَهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ". قَالَ: ثُمَّ دَفَعْنَا إِلَى مَجْلِسِ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ، فَمَا نَهَضْنَا حَتَّى بَايَعُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عَلِيٌّ: وَكَانُوا صُدُقًا صُبُرًا فَسُرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا رَأَى مِنْ مَعْرِفَةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِأَنْسَابِهِمْ. قَالَ: فَلَمْ يَلْبَثْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى خَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: ادْعُوا لِإِخْوَانِكُمْ مِنْ رَبِيعَةَ; فَقَدْ أَحَاطَتْهُمُ الْيَوْمَ أَبْنَاءُ فَارِسَ. ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ فَلَمْ يَلْبَثْ رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى خَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ لَهُمْ: " احْمَدُوا اللَّهَ كَثِيرًا; فَقَدْ ظَفِرَتِ الْيَوْمَ أَبْنَاءُ رَبِيعَةَ بِأَهْلِ فَارِسَ قَتَلُوا مُلُوكَهُمْ، وَاسْتَبَاحُوا عَسْكَرَهُمْ،
পৃষ্ঠা - ২০৭০
তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর এবং এ পথই আমার সরল পথ ৷ সুতরাং এরই অনুসরণ করবে এবং
ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না ৷ করলে সেটি তোমাদেরকে তার পথ হতে বিচ্ছিন্ন ক্রবে ৷ এভাবে
আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও” (৬ : ১ ৫ ১ ১ ৫৩ ) ৷
মাফরুক বলল, হে কুরায়শী লোক ! আপনি আর কোন কোন বিষয়ের প্রতি আহ্বান করেন ?
আল্লাহর কলম, এটি তো দৃনিয়ায় বসবাসকারী কারো কথা নয় ৷ তাদের কারো কথা হলে
আমরা অবশ্যই তা জানতাম ৷ এবার রাসুলুল্পাহ্ (সা) তিলত্ত্বওয়াত করলেন :
০ ) ৩
ছা
“আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয় স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি
নিষেধ করেন অশ্লীলত ৷, অসৎ কার্য ও সীমাল০ মনে, তিনি ণ্ত ৷মাদেরকে উপদেশ দেন যাতে
তোমরা শিক্ষাগ্নহণ কর ৷ (১৬ : ৯০)
মাফরুক বলল, হে কুরায়শী ভাই! আপনি তো বড় সুন্দর চরিত্র এবং মহৎ কাজের দিকে
আহ্বান করেন ৷ যারা আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আপনার ৰিরুদ্ধাচরণ করেছে, তারা
নিশ্চয়ই আপনার প্রতি অপবাদ দিয়েছে ৷ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল যে , হানী ইবন কাবাসীকে
সে এই আলোচনায় শামিল করতে চাচ্ছিল ৷ বস্তুত সে বলল, ইনি হানী ইবন কাবীসাহ্ ৷
আমাদের বয়োজ্যষ্ঠ ও ধর্মীয় প্রধান ৷ হানী বলল, হে কুরায়শী ভাই আমি আপনার বক্তব্য
শুনেছি ৷ আপনি যা বলেছেন সত্য বলেছেন ৷ তবে শুধু একটি মজলিসে বসেই আপনার
পেশকৃত বিষয় যাচাই-কাছ ই না করে আমরা যদি আপনার এবং আপনার ধর্মের অনুসরণ শুরু
করি, তবে তা হবে আমাদের পদস্থালন ও ত্রুঢিপুর্ণ মতামত প্রদান তা হবে আমাদের স্থুলবুদ্ধি
ও অপরিণামদর্শিতার পরিচায়ক ৷ চট জলদি কাজ করলে ত্রুটিই হয় ৷ আমরা ছাড়া আমাদের
নিজ এলাকায় অনেক লোক আছে ৷ ওদের উপর কোন সিদ্ধ ত চাপিয়ে দিতে আমরা চাই না ৷
বরং এবারের মত আমরাও ফিরে য ৷ই, আপনিও ফিরে যান ৷ আপনিও অপেক্ষা করুন, আমরাও
অপেক্ষা করি ৷ দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয় ৷ মনে হচ্ছিল যে, সে মুছান্ন৷ ইবন হারিছাকে
আলোচনায় শরীক করতে চায় ৷ সে বলল, ইনি ঘুছান্ন৷ আমাদের প্রবীণ ব্যক্তি ও সামরিক
নেতা ৷ মুছান্ন৷ বলল, হে কুরায়শী লোক ৷ আপনার বক্তব্য আমি ওনেছি ৷ তা আমাকে মুগ্ধ
করেছে ৷ হানী ইবন কড়া ৷বীসা আপনাকে যে উত্তর দিয়েছে আমার উত্তরও তাই ৷ আপনার সাথে
একটি বৈঠক করেই যদি আমরা আমাদের দীন-ধর্ম ত্যাগ করে আপনার অনুসরণ শুরু করি,
তবে তা হবে আমাদের নির্বৃদ্ধিত ৷ ৷ আমাদের অবস্থান দুটো জনপদের মধ্যখানে ৷ একটি
ইয়ামামা অপরটি সামাওয়া ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ওই দুটো কী ? সে বলল, একটি উন্মুক্ত
মরু প্রাম্ভর ও আরব ভুখণ্ড আর অপরটি পারস্য সাম্রাজ্য ও তথাকার জলাভুমি, আমরা এখন
পারসিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছি ৷ পারস্য সম্রাটের সাথে আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে যে,
আমরা যেন নতুন কোন পক্ষের সাথে যোগ না সেই এবং নতুন মতবাদ প্রচারকারী কাউকে যেন
আমরা আশ্রয় না দিই ৷ আপনি যে মতামত প্রচার করছেন, তার অনুসরণকারীরা নিশ্চয়ই
وَبِي نُصِرُوا ". قَالَ: وَكَانَتِ الْوَقْعَةُ بِقُرَاقِرَ إِلَى جَنْبِ ذِي قَارٍ، وَفِيهَا يَقُولُ الْأَعْشَى:
فِدًى لِبَنِي ذُهْلِ بْنِ شَيْبَانَ نَاقَتِي ... وَرَاكِبُهَا عِنْدَ اللِّقَاءِ وَقَلَّتِ
هُمُو ضَرَبُوا بِالْحِنْوِ حِنْوِ قُرَاقِرٍ ... مُقَدِّمَةَ الْهَامَرْزِ حَتَّى تَوَلَّتِ
فَلِلَّهِ عَيْنَا مَنْ رَأَى مِنْ فَوَارِسٍ ... كَذُهْلِ بْنِ شَيْبَانَ بِهَا حِينَ وَلَّتِ
فَثَارُوا وَثُرْنَا وَالْمَوَدَّةُ بَيْنَنَا ... وَكَانَتْ عَلَيْنَا غَمْرَةٌ فَتَجَلَّتِ
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، كَتَبْنَاهُ لِمَا فِيهِ مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، وَمَحَاسِنِ الْأَخْلَاقِ، وَمَكَارِمِ الشِّيَمِ، وَفَصَاحَةِ الْعَرَبِ، وَقَدْ وَرَدَ هَذَا مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، وَفِيهِ: أَنَّهُمْ لَمَّا تَحَارَبُوا هُمْ وَفَارِسُ وَالْتَقَوْا مَعَهُمْ بِقُرَاقِرَ - مَكَانٍ قَرِيبٍ مِنَ الْفُرَاتِ - جَعَلُوا شِعَارَهُمُ اسْمَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُصِرُوا عَلَى فَارِسَ بِذَلِكَ، وَقَدْ دَخَلُوا بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْإِسْلَامِ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَابِصَةَ الْعَبْسِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: «جَاءَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَنَازِلِنَا بِمِنًى، وَنَحْنُ نَازِلُونَ بِإِزَاءِ الْجَمْرَةِ الْأُولَى التِي تَلِي مَسْجِدَ الْخَيْفِ، وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ مُرْدِفًا خَلْفَهُ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، فَدَعَانَا، فَوَاللَّهِ مَا اسْتَجَبْنَا لَهُ وَلَا خِيرَ لَنَا. قَالَ: وَقَدْ كُنَّا سَمِعْنَا بِهِ وَبِدُعَائِهِ فِي
পৃষ্ঠা - ২০৭১
রাজা-বাদশাহদের কোপানলে পড়বে ৷ বন্তুত আরব অঞ্চল স লগ্ন এলাকা য় কেউ এ ক জ করলে
সে দােষের ক্ষমা পাবে এবং তার ওযর গ্রহণ করা হবে ৷ পক্ষান্তরে পারসিক অঞ্চল স লগ্ন
এলাকায় যে আপনার ধর্যমতের অনুসরণ করবে তার অপরাধ ক্ষমা করা হবে না এবং তার
ওমর-আপত্তি গ্রহণ করা হবে না ৷ আপনি যদি চান, তবে আরব অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় আমরা
আপনাকে সাহায্য করব এবং আপনার নিরাপত্তা বিধান করব ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, সত্য কথা বলে আপনারা মন্দ করেননি ৷ বন্তুত যে ব্যক্তিই
আল্লাহর দীন প্রচারে নেমােছ, তার উপর চারিদিক থেকে নির্যাতন নেমে এসেছে ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আচ্ছা আপনারা বলুন তো অল্পকিছু দিন পর আল্লাহ ত৷ আলা যদি
ওদের ধন-সম্পদওলাে আপনাদের হাতে দিয়ে দেন এবং ওদের কম্যাদেরকে আপনাদের
শয্যাসঙ্গিণী বানিয়ে দেন, তবে কি আপনারা মহান আল্লাহ্র তাসবীহ পাঠ ও পবিত্রত৷ বর্ণনা
করবেন ? নুমান ইবন শুরায়ক বলল, হে কুরায়শী লোক! তেমন পরিস্থিতি কী আর হবে ?
রাসুলুল্লাহ (সা) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন :
!ট্রুা
“হে নবী! আমি তে৷ আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরুপে এবং সুস০ বাদদাতা ও সতর্ককারী-
রুপে ৷ আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তার দিকে আহ্বানকারীরুপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরুপে (৩৩ :
৪৬) ৷
“এরপর হযরত আবু বকর (রা) এর হাত ধরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখান থেকে উঠে
গেলেন ৷ আলী (বা) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের প্ৰতি তাকিয়ে বললেন হে
আলী! জাহিলী যুগে আরবরা কোন মহান চরিত্রের মাধ্যমে পরস্পর দ্বন্দু-সহুঘাত থেকে
নিজেদেরকে রক্ষা করত ? এবার আমরা আওস ও খাযরাজ গোত্রের মজলিসে উপস্থিত হলাম ৷
তারা কালবিলম্ব না করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাতে বায়আত গ্রহণ করল ৷ আলী (রা ) বলেন,
ওরা ছিলেন স৩ ত্যবাদী ও ধৈর্যশীল ৷ ওই সকল লোকদের বংশ ৷পরিচয় সম্পর্কে হযরত আবু
বকর (রা ) অবগত ছিলেন বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুশী হলেন ৷ এর কিছুক্ষণ পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার সাহাবীণণের নিকট ফিরে গেলেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা বেশী বেশী আল্লাহ
তাআলার প্রশংসা কর ৷ কারণ, আজ রাবীআর বংশধবগণ পারসিকদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ
করেছে ৷ তারা ওদের রাজা বাদশাহদেরকে অবিলম্বে হত্যা করবে, তাদের সৈন্যদের রক্তপাত
বৈধ জ্ঞ ন করবে এবং আমার বদৌলতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ ঘটনা
ঘটেছিল য়ুকারের পার্শ্ববর্তী কারাকির নামক স্থানে ৷ এ সম্পর্কে করি আ শা ৷বলেন :
-ছুপুট্রুগ্ট্রু ন্!ট্রুঘ্রদ্বু! ৰু;ৰুা১
বনু বুহল ইবন শায়বান গো ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মুখোমুখি হয়ে যে নৈপুণ্য দেখিয়েছে, তার
জন্যে আমার উন্থী ও উষ্টীর আরোহী তাদের প্রতি উৎসর্গ হোক ৷
ত্রপুড্রুট্রুশ্যু
الْمَوَاسِمِ، فَوَقَفَ عَلَيْنَا يَدْعُونَا، فَلَمْ نَسْتَجِبْ لَهُ، وَكَانَ مَعَنَا مَيْسَرَةُ بْنُ مَسْرُوقٍ الْعَبْسِيُّ، فَقَالَ لَنَا: أَحْلِفُ بِاللَّهِ لَوْ قَدْ صَدَّقْنَا هَذَا الرَّجُلَ وَحَمَلْنَاهُ حَتَّى نَحُلَّ بِهِ وَسْطَ بِلَادِنَا لَكَانَ الرَّأْيَ، فَأَحْلِفُ بِاللَّهِ لَيَظْهَرَنَّ أَمْرُهُ حَتَّى يَبْلُغَ كُلَّ مَبْلَغٍ. فَقَالَ الْقَوْمُ: دَعْنَا مِنْكَ لَا تُعَرِّضْنَا لِمَا لَا قِبَلَ لَنَا بِهِ. وَطَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَيْسَرَةَ فَكَلَّمَهُ، فَقَالَ مَيْسَرَةُ: مَا أَحْسَنَ كَلَامَكَ وَأَنْوَرَهُ، وَلَكِنَّ قَوْمِي يُخَالِفُونَنِي، وَإِنَّمَا الرَّجُلُ بِقَوْمِهِ، فَإِذَا لَمْ يَعْضُدُوهُ فَالْعِدَى أَبْعَدُ. فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَرَجَ الْقَوْمُ صَادِرِينَ إِلَى أَهْلِيهِمْ، فَقَالَ لَهُمْ مَيْسَرَةُ: مِيلُوا بِنَا إِلَى فَدَكَ; فَإِنَّ بِهَا يَهُودَ نُسَائِلُهُمْ عَنْ هَذَا الرَّجُلِ. فَمَالُوا إِلَى يَهُودَ فَأَخْرَجُوا سِفْرًا لَهُمْ، فَوَضَعُوهُ ثُمَّ دَرَسُوا ذِكْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الْعَرَبِيِّ، يَرْكَبُ الْحِمَارَ وَيَجْتَزِئُ بِالْكَسْرَةِ، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ، وَلَا بِالْجَعْدِ وَلَا بِالسَّبْطِ، فِي عَيْنَيْهِ حُمْرَةٌ، مُشْرِقُ اللَّوْنِ، فَإِنْ كَانَ هُوَ الَّذِي دَعَاكُمْ فَأَجِيبُوهُ، وَادْخُلُوا فِي دِينِهِ فَإِنًّا نَحْسُدُهُ وَلَا نَتَّبِعُهُ. وَلَنَا مِنْهُ فِي مُوَاطِنَ بَلَاءٌ عَظِيمٌ، وَلَا يَبْقَى أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ إِلَّا اتَّبَعَهُ، وَإِلَّا قَاتَلَهُ فَكُونُوا مِمَّنْ يَتَّبِعُهُ. فَقَالَ مَيْسَرَةُ: يَا قَوْمِ، أَلَا إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ بَيِّنٌ. فَقَالَ الْقَوْمُ: نَرْجِعُ إِلَى الْمَوْسِمِ فَنَلْقَاهُ. فَرَجَعُوا إِلَى بِلَادِهِمْ وَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْهِمْ رِجَالُهُمْ، فَلَمْ يَتْبَعْهُ أَحَدٌ
পৃষ্ঠা - ২০৭২
مِنْهُمْ، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ مُهَاجِرًا وَحَجَّ حَجَّةَ الْوَدَاعِ، لَقِيَهُ مَيْسَرَةُ فَعَرَفَهُ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ مَا زِلْتُ حَرِيصًا عَلَى اتِّبَاعِكَ مِنْ يَوْمِ أَنَخْتَ بِنَا حَتَّى كَانَ مَا كَانَ، وَأَبَى اللَّهُ إِلَّا مَا تَرَى مِنْ تَأَخُّرِ إِسْلَامِي، وَقَدْ مَاتَ عَامَّةُ النَّفَرِ الَّذِينَ كَانُوا مَعِي، فَأَيْنَ مَدْخَلُهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كُلُّ مَنْ مَاتَ عَلَى غَيْرِ دِينِ الْإِسْلَامِ فَهُوَ فِي النَّارِ ". فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَنِي، فَأَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ وَكَانَ لَهُ عِنْدَ أَبِي بَكْرٍ مَكَانٌ» .
وَقَدِ اسْتَقْصَى الْإِمَامُ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ قِصَصَ الْقَبَائِلِ وَاحِدَةً وَاحِدَةً، فَذَكَرَ عَرْضَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ نَفْسَهُ، عَلَى بَنِي عَامِرٍ، وَغَسَّانَ، وَبَنِي فَزَارَةَ، وَبَنِي مُرَّةَ، وَبَنِي حَنِيفَةَ، وَبَنِي سُلَيْمٍ، وَبَنِي عَبْسٍ، وَبَنِي نَضْرِ بْنِ هَوَازِنَ، وَبَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ عُكَابَةَ، وَكِنْدَةَ، وَكَلْبٍ، وَبَنِي الْحَارِثِ بْنِ كَعْبٍ، وَبَنِي عُذْرَةَ، وَقَيْسِ بْنِ الْخَطِيمِ، وَغَيْرِهِمْ وَسِيَاقَ أَخْبَارِهَا مُطَوَّلَةً. وَقَدْ ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ طَرَفًا صَالِحًا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، أَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عُثْمَانَ - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْرِضُ نَفْسَهُ عَلَى النَّاسِ بِالْمَوْقِفِ، فَيَقُولُ: " هَلْ مِنْ رَجُلٍ يَحْمِلُنِي إِلَى قَوْمِهِ فَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ مَنَعُونِي أَنْ أُبَلِّغَ كَلَامَ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ؟ " فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২০৭৩
শত্রুপক্ষকে তারা আক্রমণ করেছে কারাকির অঞ্চলে ৷ শত্রুদের নেতৃত্বে ছিল হামরুয ৷ শেষ
পর্যন্ত তারা পালিয়ে গিয়েছে ৷ >
-ট্টত্র ঞদু ভ্রুান্ৰু ং ঞ’ ং >; এট্টগু১ৰু , ১১ ১ৰুণ্ এ ১ ১১ ঞন্ৰু ঞ
ওদের পালিয়ে যাওয়৷ র সময় যুহল ইবন শায়বানের মত অশ্বারােহীকে যারা দেখেছে তাদের
দু’ চোখ সার্থক বটে ৷
১পু)ন্থে
ওরাও আক্রমণ করেছে আমরাও আক্রমণ করেছি ৷ আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়েছে ৷
এক সময় আমাদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ ছিল ৷ এখন যে অবস্থা দুর হয়েছে ৷
এটি একটি অত্যন্ত বিরল বর্ণনা ৷ এটি আমরা এজন্যে উল্লেখ করলাম যে, এতে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নবুওয়াতের প্রমাণ, তার অনুপম চরিত্র অনিন্দাসুন্দর আদর্শ এবং আরবদের ভাষা
সৌকর্যের অনেক তথ্য রয়েছে ৷
অন্য সনদেও এটি বর্ণিত হয়েছে ৷ তাতে আছে যে, ত্ম্যওস ও খাযরাজ গোত্র যখন
পারসিকদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হল এবং ফুরাত নদীর নিকটবর্তী কা ৷রাকির অঞ্চলে যুদ্ধ অব্যাহত
ছিল, তখন তারা মুহাম্মদ (সা) নামটিকে তাদের পতাকা বানাল ৷ ফলে তারা পারসিকদের
বিরুদ্ধে বিজয় না ৩ করল ৷ পরবর্তীকালে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
ওয়াকিদী বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ওয়াবিস আবাসীর তার পিতার বরা তার দাদা থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিনার আমাদের র্তাবুতে এসেছিলেন ৷
আমাদের র্তাবু ছিল মাসজিদের খায়ফ-এর পাশে জামরাতুল উলা-এর বিপরীতে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এলেন তার সওয়ারীতে আরোহণ করে ৷ পেছনে বসিয়েছিলেন যায়দ ইবন হারিছা
(রা)-কে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে দাওয়াত দিলেন এবং আল্লাহর প্রতি আমার জন্যে
আহ্বান জানালেন ৷ আল্লাহ্র কসম , আমরা তার ডাকে সাড়া দেইনি ৷ হায় আমাদের কল্যাণ
আমাদের ভাগ্যে নেই ৷ তার কথা এবং তার আহ্বান আমরা হব্লুজ্জর মওসুমে শুনেছি ৷ তিনি
আমাদের নিকট এসে র্দাড়িয়েছিলেন এবং আমাদেরকে আল্লাহর প্ৰতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ৷
আমরা র্তার আহ্বানে সাড়া দেইনি ৷ মায়সারা ইবন মাসরুক আবাসী আমাদের সাথে ছিলেন ৷
মায়সারা বললেন, আমরা যদি এই ব্যক্তিকে সত্য বলে মেনে নিই এবং আমাদের সাথে করে
স্বদেশে নিয়ে যাই, তবে তা হবে আমাদের বিচক্ষণতার পরিচায়ক ৷ আমি আল্লাহর কসম করে
বলছি, তার দীন ছড়িয়ে পড়বে এবং অবশ্যই সর্বত্র পৌছে যাবে ৷ লোকজন বলল, থাক বড়াপু,
র্যাকে আয়ত্তে আনার সামর্থ আমাদের নেই, র্তাকে আপনি আমাদের সাথে জড়াবেন না ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) মায়সারার প্রতি আকৃষ্ট হলেন এবং তার সাথে কথা বললেন ৷ মায়সারা বলল,
আপনার কথা কতই না সুন্দর ৷ কতই না দীপ্তিময় ৷ কিন্তু আপনার বিষয়ে আমার স্বজাতি আমার
বিরোধিতা করছে ৷ বন্তুত স্বজাতির লোকজনকে নিয়েই ব্যক্তির অবস্থান ৷ সম্প্রদায়ের লোকজন
সহযোগিত্০ ৷ না করলে ব্যক্তি হয়ে পড়ে সমাজচুক্তে একঘরে ৷
১ এই পংক্তি এবং পরবর্তী পংক্তি করি আশার কাব্য গ্রন্থে পাওয়া যায়নি ৷
هَمْدَانَ، فَقَالَ: " مِمَّنْ أَنْتَ؟ " قَالَ الرَّجُلُ: مِنْ هَمْدَانَ. قَالَ: " فَهَلْ عِنْدَ قَوْمِكَ مِنْ مَنَعَةٍ؟ " قَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ إِنَّ الرَّجُلَ خَشِيَ أَنْ يَحْقِرَهُ قَوْمُهُ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: آتِيهِمْ فَأُخْبِرُهُمْ ثُمَّ آتِيكَ مِنْ عَامِ قَابِلٍ. قَالَ: " نَعَمْ ". فَانْطَلَقَ، وَجَاءَ وَفْدُ الْأَنْصَارِ فِي رَجَبٍ» . وَقَدْ رَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ إِسْرَائِيلَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.